গ্রীক মিথোলজি পড়তে কার না ভালো লাগে! জিউস, প্রমিথিউস, অ্যাফ্রোডাইট-দের কাহিনী আসলেই চিত্তাকর্ষক। মানব সভ্যতার জ্ঞান বিজ্ঞানেও গ্রীকদের বেশ ভালোই অবদান আছে। কিন্তু অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, এই মিথোলজির গালগপ্পো ছেড়ে গ্রীক ট্র্যাজেডি নিয়েই আজ বেশি মাতামাতি। আজকাল পেপার খুললেই দেখতে পাওয়া যায়, এক ভয়ঙ্কর দুর্দশার মাঝে আজ গ্রীসের অর্থনীতি। এই অবস্থায় তারা কিভাবে আসলো, এ থেকে পরিত্রাণ পাবার আদৌ কোন সম্ভাবনা আছে কিনা সেইটা নিয়েই আলোচনা করতে চাই। আগেই বলে নেই, এই আলোচনা অল্প কথায় পুরোটা ব্যাখ্যা করা মুশকিল, তারপরও অল্প কথাতেই কাজ সারাতে আমার বেশি আগ্রহ। তারপরও কোন প্রশ্ন থাকলে, বা কিছু ভুল মনে হলে জানাবেন, আলোচনার মাধ্যমেই আশা করি পুরো ব্যাপারটা তাহলে পরিস্কার হয়ে যাবে।
যাই হোক, গ্রীসের অবস্থা কতটা নাজুক, তা বুঝতে নীচের টেবিলটা মনোযোগ দিয়ে দেখুনঃ
গ্রীস অর্থনীতি | ২০০৫ | ২০০৬ | ২০০৭ | ২০০৮ | ২০০৯ | ২০১০ | ২০১১ | |
সরকারি ঋণ(Public Debt) [বিলিয়ন] |
১৯৫.৪ | ২২৪.২ | ২৩৯.৩ | ২৬৩.৩ | ২৯৯.৭ | ৩২৯.৫ | ৩৫৫.৬ | |
ঋণ-জিডিপি অনুপাত(Debt to GDP ratio) | ১০০ | ১০৬.১ | ১০৭.৪ | ১১৩ | ১২৯.৪ | ১৪৫ | ১৬৫.৩ | |
মুদ্রাস্ফীতি(Inflation)% | ৩.৫ | ৩.৩ | ৩ | ৪.২ | ১.৩ | ৪.৭ | ৩.১ | |
সরকারি রাজস্ব(Public Revenue)[জিডিপি’র শতকরা অংশ] | ৩৯ | ৩৯.২ | ৪০ | ৪০.৭ | ৩৮.২ | ৩৯.৭ | ৪০.৯ | |
সরকারি ব্যয়(Public expenditure)[জিডিপি’র শতকরা অংশ] | ৪৪.৬ | ৪৫.২ | ৪৭.৬ | ৫০.৬ | ৫৩.৮ | ৫০.২ | ৫০.১ | |
বাজেট ঘাটতি(Budget deficit)[জিডিপি’র শতকরা অংশ] | -৫.২ | -৫.৭ | -৬.৫ | -৯.৮ | -১৫.৬ | -১০.৩ | -৯.১ | |
প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধি(Real GDP growth) [বার্ষিক %] | ২.৩ | ৫.৫ | ৩ | -০.২ | -৩.৩ | -৩.৫ | -৬.৯ | |
সুত্রঃ ইউরোস্ট্যাট
টেবিলটা একটু ভালো করে দেখলেই দেখতে পারবেন যে গ্রীসের সরকারি ঋণ দিন দিন বাড়ছে। এইটা যে সবসময় খুব খারাপ তা নয়, আপনার জিডিপি যদি পাল্লা দিয়ে বাড়ে, তাহলে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু দেখুন, গ্রীসের ঋণ-জিডিপি’র অনুপাতও দিন দিন শুধু বেড়েই চলেছে। ২০১১ সালে এই অনুপাত ছিল ১৬৫.৩, অর্থাৎ গ্রীস ১০০ টাকার মূল্যমানের জিনিস উৎপাদন করলে তার বিপরীতে তাদের ১৬৫ টাকা ঋণ আছে! আরও দেখুন, গ্রীসের সরকারি রাজস্ব সবসময়ই সরকারি ব্যয়ের তুলনায় কম, যার ফলে প্রতি বছর তাদের ঘাটতিও বাড়তেই আছে এবং সেই সাথে বাড়ছে ঋণের বোঝা। ঋণ বাড়লে অবধারিত ভাবেই সেই ঋণের উপর ইন্টেরেস্ট রেট বা সুদের হারও বাড়ে। সুতরাং সরকারি ব্যয়ও তার সাথে সাথে শুধু বাড়তেই থাকে। যেমন ধরুন, আগে যদি আপনি ১০% রেটে ১০ বিলিয়ন ধার করেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে ১ বিলিয়ন ইন্টেরেস্ট(সিম্পল ইন্টেরেস্ট) দিতে হতো। এখন আপনার ঋণের বোঝা যদি আরও বেড়ে ১৫ বিলিয়ন হয়ে যায়, তখন মানুষের সন্দেহ বাড়তে থাকে যে আপনি আদৌ এই ঋণ শোধ করতে পারবেন কিনা, তারপরও মানুষ যাতে আপনাকে ঋণ দেয়, এজন্য আপনাকে তখন আগের চাইতেও বেশি ইন্টেরেস্টের লোভ দেখাতে হয়। আর যেখানে ঝুঁকি বেশি, সেখানে ইন্টেরেস্ট বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। তো ধরুন, ইন্টেরেস্ট রেট যদি বেড়ে ১৫% হয়, তাহলে আপনার পরিশোধযোগ্য মোট সুদের পরিমাণও আগের তুলনায় যে বৃদ্ধি পাবে তা বুঝতেই পারছেন।
তাহলে পুরো ব্যাপারটা কে এভাবে সাজানো যায়ঃ
সরকারি আয়<সরকারি ব্যয় → ঋণ↑ →ইন্টেরেস্ট↑ →ঋণ⇈
এখন কেউ কেউ বলতে পারেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্য একই সাথে ট্যাক্স বৃদ্ধি এবং ব্যয় বহুলাংশে কমানো উচিত। এই সমাধানের নাম হচ্ছে ‘Austerity’, যা আসলেই ইতিমধ্যে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং এর বহুবিধ সমস্যা আছে। প্রথমত, গণতান্ত্রিক দেশে কোন রাজনৈতিক দলই আসলে ‘পলিটিক্স’ ভুলেনা। ধরুন, আওয়ামীলীগ প্রতিশ্রুতি দিলো যে তারা দেশে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে, কিন্তু তারা এই প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে ব্যর্থ হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ এই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকে ভালো ভাবে নিবেনা। (অবশ্য পদ্মা সেতু নিয়ে যা শুরু হয়েছে, এই সেতু না হলেই এখন দেশের মানুষ বাঁচে!) কিংবা ধরুন, আপনার সরকারি চাকরি শেষে ১০ লাখ টাকার পেনশন পাবার কথা, সরকার যদি এখন বলে দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে আপনাকে অবসর নেবার পর এর অর্ধেক অর্থাৎ ৫ লাখ টাকা দেয়া হবে, বুঝতেই পারছেন, আপনি ভুলেও সেই সরকারকে আর ভোট দিবেন না। সুতরাং সরকারি ব্যয় রাতারাতি কমিয়ে দেয়া রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা হঠকারী সিদ্ধান্ত তো বটেই। তারপরও ধরুন, সরকার সাহস করে ব্যয় কমিয়ে দিলো, তাতেও কি রক্ষা হবে? আবার টেবিলটা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন, গত চার বছর ধরে জিডিপি কিন্তু ক্রমশ কমছে। গ্রীসের অর্থনীতি তাই এখন বিশাল মন্দার সময় পাড় করছে। বেকারত্ব, বিশেষ করে ইয়ুথ বেকারত্বের হার ভয়াবহ, প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। তাই ট্যাক্স রেট বৃদ্ধি করলেও সংগৃহীত ট্যাক্সের পুরো পরিমাণ আদতে কমে যেতে পারে। সুতরাং অস্টেরিটি বা কৃচ্ছসাধন করলেও তা অর্থনীতিকে যে চাঙ্গা করতে পারবেনা তা গ্রীসে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত।
অনেকেই হয়ত ভাবছেন, গ্রীসে এই ভয়ঙ্কর অবস্থা তো আর রাতারাতি হয়নি, এরকম মুমূর্ষু অবস্থায় অর্থনীতি পৌঁছার আগে কেউ কোন উচ্চবাচ্চ্য করেনি কেন? আসল কথা হচ্ছে, গ্রীসের যে এই মুমূর্ষু অবস্থা এইটাই তারা ঠিকঠাক প্রকাশ করেনি। গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর মত বড় বড় কোম্পানির সহায়তায় বিভিন্ন অ্যাকাউন্টিং শেনানিগান্স বা ছলচাতুরীর মাধ্যমে তারা তাদের ঋণের প্রকৃত পরিমাণ গোপন রেখেছিল, যার ফলে তাদের এই দুর্দশার কথা অনেকদিন কেউ ঠিকঠাক ধরতে পারেনি। পরবর্তীতে যখন তাদের ঋণের প্রকৃত অবস্থা সম্বন্ধে সবার ধারণা জন্মে, তাদের মনে খুব স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ জাগে যে আদৌ তারা এই ঋণ শোধ করতে পারবে কিনা, আর এই সন্দেহের কারণেই গ্রীসকে যখন কেউ ঋণ দিতে চায়, এর বিনিময়ে তারা চায় স্বাভাবিকের তুলনায় উচ্চ ইন্টেরেস্ট রেট। ফলশ্রুতিতে তাদের ঋণও কিন্তু সমানে বাড়তেই আছে, বুঝতেই পারছেন, পুরোটাই সার্কুলার ব্যাপার-স্যাপার।
এত ঝামেলায় না গিয়ে যদি গ্রীস বলে, ভাই, আমাদের পক্ষে এইসব ঋণ-টিন শোধ করা সম্ভব না, মাফ কর, তাইলে কি সমস্যা? সমস্যা হচ্ছে ইউরো তাদের নিজস্ব কারেন্সি বা মুদ্রা না, ইউরোপের মোট ১৭টি দেশের মুদ্রা হলো ইউরো। আর একবার ডিফল্ট করলে অর্থাৎ ঋণ শোধ করতে অপারগতা জানালে বুঝতেই পারছেন, কেউই তাদের নতুন করে ঋণও দিবেনা যা একটা মন্দাময় অর্থনীতির জন্য আরও খারাপ সংবাদ। গ্রীসের নিজস্ব কারেন্সি থাকলে আসলে একটা মন্দের ভালো সমাধান পাওয়া যেত। ধরে নিন, গ্রীসের নিজস্ব মুদ্রা আছে যার নাম ড্রাকমা(ইউরো চালুর পূর্বে গ্রীসের কারেন্সি এই নামেই পরিচিত ছিল) এবং তাদের নিজস্ব কেন্দ্রীয় বা সেন্ট্রাল ব্যাংক আছে। খেয়াল করবেন, আসলে গ্রীসের কিন্তু সেন্ট্রাল ব্যাংক নেই, যার ফলে তারা চাইলেই মুদ্রা ছাপতে পারেনা, যেসব দেশে ইউরো প্রচলিত, সেসব দেশে এই দায়িত্ব ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের। যাই হোক, ধরুন, গ্রীসের এই সেন্ট্রাল ব্যাংক ইচ্ছে মত ড্রাকমা ছাপানো শুরু করল। স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় প্রশ্ন আসবে, ইচ্ছে মত টাকা প্রিন্ট করতে থাকলে তো ইনফ্লেশন বা মুদ্রাস্ফীতিও হু হু করে বাড়তে থাকবে। এইটা সত্যি যে মুদ্রাস্ফীতি আসলেই বাড়তে থাকবে, কিন্তু গ্রীস যে অবস্থায় আছে, তার জন্য ইনফ্লেশন খুব একটা বড় সমস্যা না। আর এমনিতেই বর্তমানেও ইনফ্লেশন বেশ স্বাভাবিকই আছে।(টেবিলে দেখুন) আর পুরো অর্থনীতিই যেহেতু বেশ গভীর মন্দার মধ্যে আছে, ১০-২০% বা এর চেয়ে ঢের বেশি ইনফ্লেশন হলেও সরকারের ঘুম হারাম হয়ে যাবেনা। বরং এরকম পরিস্থিতিতে ইনফ্লেশন বেশি হলেই সরকারের জন্য ভালো। একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছি। ধরুন, গ্রীসের জিডিপি হচ্ছে ১০০ বিলিয়ন। আর তাদের ঋণ হচ্ছে ১৫০ বিলিয়ন। এখন ইনফ্লেশন যদি ১০০% হয় তাহলে এই জিডিপি’র পরিমাণ দাঁড়াবে ২০০ বিলিয়ন। কিন্তু তাদের ঋণের পরিমাণ ওই আগের ১৫০ বিলিয়নই থাকবে। বুঝতেই পারছেন, ইনফ্লেশন আসলে এরকম পরিস্থিতিতে খুব একটা খারাপ না।
কোনভাবেই যদি গ্রীস এই গোলক ধাঁধা থেকে মুক্তি না পায়, খুব সম্ভবত গ্রীস ইউরো থেকে বের হয়ে আসতে পারে। এইটা হলে হয়ত তারা আবার ড্রাকমা’য় ফিরে যাবে। এই রুপান্তর বাস্তবায়ন করতে গ্রীসকে যা করতে হবে তা হলো, ব্যাংকিং হলিডে অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেশের সব ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে তারা ইউরো ছেড়ে নতুন কারেন্সিতে চলে যাওয়ার সমস্ত বন্দোবস্ত করবে। ব্যাংক হলিডে চলাকালীন সরকার ইউরো আর ড্রাকমা’র কনভার্সন/এক্সচেঞ্জ বা বিনিময় রেট নির্ধারণ করবে। মনে করুন, ১ ইউরো=১ ড্রাকমা ঠিক করল সরকার। সুতরাং আপনার অ্যাকাউন্টে যদি ১০ লাখ ইউরো থাকে, সেইটা তখন হবে ১০ লাখ ড্রাকমা। তবে এই এক্সচেঞ্জ রেট-ই তো আর সবসময় থাকবেনা, এক্সচেঞ্জ মার্কেট-ই ঠিক করবে বিনিময় হার কত হবে। সরকার মুখে যাই বলুক, যে কেউই বুঝবে এত ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ইউরো আর ড্রাকমা সমান কখনোই হবেনা। যদি ১ ইউরো=০.৭ ড্রাকমাও হয়, আপনার ১০ লাখ ইউরো রাতারাতি আসলে হয়ে যাবে ৭ লাখ ইউরো। এরকম ঘটনা হতে পারে ভেবেই গ্রীকরা আগেভাগেই ব্যাংক থেকে ইউরো এখনই তোলা শুরু করেছে এবং হয়ত কোন সুইস ব্যাংকে ইউরো রেখে দিচ্ছে। সবাই যখন এই কাজ করবে, তখন ব্যাংকের রিজার্ভেই আসলে যথেষ্ট পরিমাণে টাকা থাকবেনা। আর যেহেতু গ্রীসের নিজস্ব সেন্ট্রাল ব্যাংক নেই, হঠাৎ এই দাবি সামলাতে তারা নতুন মুদ্রা প্রিন্টও করতে পারছেনা। যার ফলে এই চাপ সামলাতে না পেরে ব্যাংক গুলো একে একে ভেঙ্গে পড়তে পারে। কোন অপশন-ই তাই গ্রীসের মুখে বিস্তৃত হাসি এনে দিতে পারবেনা, বড় জোর কোনটাতে কম কান্নাকাটি করতে হবে, সেইটাই তাদের ভেবে দেখতে হবে।
দিন দিন ইউরোজোনের অন্যান্য দেশের উপর চাপ বাড়ছে গ্রীস ইস্যু’র একটা বিহিত করার। গ্রীসকে বেইলআউট বা বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য জার্মানি, ইউকে’র মত দেশগুলো বেশ ঝামেলায় আছে। আপনি একজন জার্মান হলে আসলে বেশ বিরক্ত হতেই পারেন, গ্রীক ব্যাটা’রা নিজেরা দুই নম্বরি করে গর্তের মধ্যে পড়ছে, আবার সেই গর্ত থেকে টেনেও তুলা লাগবে, আর এই টেনে তুলতে গেলে সবার পকেট থেকেই কিছু না কিছু খসবে, বুঝেনই তো, শেষমেষ আপনার ট্যাক্সের টাকা দিয়েই তো সব কারবারি। তবে সবচাইতে ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে, গ্রীস-ই একমাত্র নয়। গ্রীস হয়ত সবচেয়ে জঘন্য অবস্থায় আছে, কিন্তু ইউরোজোনের অনেকেরই রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে আসলে। এই নাওয়া-খাওয়া হারাম গোষ্ঠী’র নাম দেওয়া হয়েছে PIGS(পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড এবং ইটালি, গ্রীস, স্পেন, এদের দুরবস্থা বুঝতে এখানে যান), তাই গ্রীসের সমস্যা না মিটলে অর্থাৎ ডিফল্ট করলে অন্যান্য সবার কাছে এইটা একটা সিগন্যাল যে ইউরোপ অন্যান্য দেশ গুলোকেও হয়ত বাঁচাতে পারবেনা। একে একে হয়ত তারাও ডিফল্ট করবে। তাই গ্রীসের ডিফল্ট হয়ত একটা চেইন রিঅ্যাকশন শুরু করতে পারে।
গ্রীস তাই বলা যায় ট্র্যাজেডির শুরু। শেষ কোথায় তা এখনই বলা মুশকিল।
দারুন লেখা! বুঝতে পারলাম গ্রীসের সমস্যা কী। গতকাল গনভোট হল। গ্রীসের চেয়ে আমরা অনেক ভাল অবস্থায় আছি দেখে ভাল লাগছে…।।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ খান একাডেমী এর ভিডিওটা বাংলায় অনুবাদ এবং আরও সহজ ভাষায় বুঝিয়ে লিখার জন্য। তবে আমি মূলত জানতে চাচ্ছিলাম গ্রীসের অর্থনীতির জন্য বর্তমানে কোন পদক্ষেপ সবচাইতে বেশি গ্রহণযোগ্য এবং কেন?
ভালো লাগলো লেখাটি পরে
(Y)
ইউরোজোনের ধারনাটি আমার খুব ই পছন্দ কিন্তু গ্রীস ঝামেলায় পড়েছে নিজের দোষে। তাদের হিসাবের গরমিল ধরা পড়েছিল ২০০৩ সালে কিন্তু তখন সরকার প্রকাশ করেনি। ভুল হিসাবের তথ্যকে পুঁজি করেই তারা ধার করেছিল ইউরোজোন থেকে, ফলস্বরুপ আজকের এই অবস্থা। আর গ্রীসের এতো তাড়াহুড়া করে ইউরো নেবার দরকার ছিল না। একক মুদ্রায় যেতে হলে ৩টি প্রধান শর্তের দুইটাই গ্রীস পূরন করেনি। গোজাঁমিল দিয়ে সে এই জোনে ঢুকেছিল; অবশ্য গ্রীসকে নেবার জন্য ইউরোজোনের দুটি শক্তিশালী দেশের জোর তদবীর ছিল।
আপনার লেখা পড়ে ভালো লেগেছে। 🙂
সুন্দর লেখা।
ইউরো ব্যাপারটা আমার কাছে অদ্ভুত মনে হয়। ভিন্ন ভিন্ন রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে চলা দেশগুলির জন্য একটিই মুদ্রা ব্যবস্থা “সোনার পাথরবাটি” বলে মনে হয়।
গ্রীসের উচিত ইউরো পরিচালন ব্যবস্থার মধ্যে থাকতে হলে নিজের বাজার খুলে উন্নত দেশগুলির বহুজাতিক কোম্পানিগুলিকে ডেকে শিল্প স্থাপন করানো। যাতে নিজেদের কোম্পানিগুলিকে বাঁচাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে ধনী দেশগুলি ভাবে। চীন পারমানবিক শক্তির প্রসার ঘটাতে এ পথেই কি হাঁটেনি?