আর যাই হোক বৃষ্টিস্নাত ঢাকা শহরে ড্রাইভ করতে কিন্তু বেশ মজা। অবশিষ্ট যে কয়টা গাছ শহরের এখানে সেখানে সৌভাগ্যবতী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, ধূলোবালি স’রে গিয়ে তাদের সতেজ সবুজ পাতারা মনে রঙ ধরিয়ে দেয়। তবে, বরাবরের মত সবটুকু রঙ এক করে মনের গহীণে মেখে নিতে পারছে না রনিন। গত কয়েকদিন ধরে শেহরীনের সাথে দেখা নেই। প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে বাসায় পড়ে আছে। ব্যস্ততার কারণে এ-কয়দিন যাওয়া হয়নি। আজ সুযোগ হতেই গাড়ী দৌড়িয়ে ছুটে চলে সে।
উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান রনিন চৌধুরী। বাবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। বাবার চাকুরীর সুবাদে জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে বিদেশের মাটিতে মাটিতে। কিন্তু, যতবারই সে শেহরীনদের বাসায় গিয়েছে, ততবারই তার মনে হয়েছে, তার মত দরিদ্র বুঝি ঢাকা শহরে আর একটিও নেই। শেহরীন আহমেদের বাবা কি এক যেন আহমেদ। তিনি শিল্পপতি, সরকারের খাতায় সিআইপি অর্থাৎ কমার্শিয়াল ইম্পর্টেন্ট পার্সন। এটা অবশ্য আহমেদ সাহেবের বড় পরিচয় নয়। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়, এই পৃথিবীতে রনিনকে উনার চেয়ে বেশি আর কেউ অপছন্দ করেন না।
কলিং বেল বাজিয়ে বাসায় ঢুকেই রনিন দেখতে পায়, শেহরীনের বাবা ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আছেন। ভিতরে খবর দেয়া হয়েছে। নাহ, শেহরীনকে খবর দেয়া হয়নি; তার জ্বর, সে ঘুমিয়ে আছে, তার রুমে যাওয়া নিষেধ। নাস্তা দেবার জন্য খবর দেয়া হয়েছে।
আহমেদ সাহেব খবরে কাগজ পড়ছেন। রনিনের উপস্থিতিতে উনার কোনো ভাবান্তর নেই। একপর্যায়ে ড্রয়িং রুমের নীরবতা আপত্তিকর পর্যায়ে চলে যাবার উপক্রম হলে, খবরের কাগজ থেকে চোখ না সরিয়েই আহমেদ সাহেব জিজ্ঞেস করেন, পত্রিকায় দেখলাম তুমি বেলজিয়াম গিয়েছিলে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে।
-জ্বী গিয়েছিলাম, বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি হয়ে।
-দেশের এই গরীব মানুষগুলোর টাকায় যে সরকার কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে তোমাদেরকে পড়ায়, আবার বিদেশও পাঠায়, সে সরকার, জনগণ আর দেশের জন্য তোমরা কি কর? কিছু কি আসলেও কর, না-কি কিছুদিন পর অন্যদেশে পাড়ি দিয়ে নিজের পথ নিজে দেখতে শুরু কর?
-অন্যদেশে পাড়ি দিলেই যে দেশের জন্য কিছু করা যাবে না, সেটা মনে হয় ঠিক নয়। ইচ্ছা থাকলে বিদেশের মাটিতে বসে দেশের জন্য আরো বেশি করা সম্ভব।
-কিন্তু, তার জন্য পরিকল্পনা থাকতে হয়। দেশের জন্য কি পরিকল্পনা তোমাদের নতুন জেনারেশানের?
-অন্যদের কথা বলতে পারবো না, আমার কোনো পরিকল্পনা নেই।
-কেন? রাষ্ট্র তোমাকে দিচ্ছে, তুমি রাষ্ট্রকে প্রতিদান দেবে না?
– রাষ্ট্র তার নিজের প্রয়োজনে দিচ্ছে। সেটা রাষ্ট্রের নিজস্ব পরিকল্পনার অংশ। রাষ্ট্রকে নিয়ে আমার কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও, নিজেকে নিয়ে ঠিকই আছে।
এই ছেলের এই ধরণের কথাবার্তা একদমই পছন্দ হয় না আহমেদ সাহেবের। সিরিয়াস ভঙ্গিতে তিনি প্রশ্ন করেন- তাহলে নিজেকে নিয়েই ভাবলেই হবে সবার, দেশকে নিয়ে কারো ভাবতে হবে না?
-সবাই নিজেকে নিয়ে ভেবে নিজের উন্নতি করে ফেললেইতো হয়। তাহলেতো রাষ্ট্রের আর কাউকে নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না। সবাই নিজে নিজেই উন্নত। সমস্যাটা হচ্ছে, কেউই নিজের উন্নতি করতে চায় না, সবাই দেশের উন্নতি নিয়েই ব্যস্ত। দেশতো অন্য গ্রহ থেকে আসা কোনো এলিয়েন কনসেপ্ট নয়। দেশতো আলাদা আলাদা প্রতিটা মানুষের সমষ্টিমাত্র।
রনিন নিজেও জানে, সে যে-সব কথা বলছে, সেটা পুরোপুরি সঠিক বলছে না। কিন্তু, আহমেদ সাহেবের উদ্দেশ্য সে ভালো করেই বুঝতে পারে। ইনিয়ে বিনিয়ে তিনি তাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে পৌঁছাবেন, যার ফলে রনিনকে আরকটু বেশি অপছন্দ করতে তাঁর খানিকটা সুবিধা হয়। রনিন যে অপছন্দ করার মতই একটা ছেলে, সে ব্যাপারে তিনি প্রতি সাক্ষাতে অন্তত একটা করে যুক্তি দাঁড় করিয়ে নিতে চান। অতএব, অত কথায় না গিয়ে তাঁর প্রথম প্রশ্ন থেকেই বাঁকা উত্তর দেয়া শুরু করলো রনিন।
–তার মানে তোমার মাঝে দেশপ্রেম বলে কিছু নেই? রাগত স্বরে প্রশ্ন করলেন আহমেদ সাহেব।
–প্রেম জোর করে কিংবা পরিকল্পনা করে তৈরী করার জিনিস নয়। উত্তর দেয় রনিন।
এককাঠি সরেস হয়ে রনিন আরো বলে- তাছাড়া সমস্ত প্রেম গিয়ে শেষ হয় বেডরুমে।
এবার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে আহমেদ সাহেব বলেন- তুমি কি ভুলে যাচ্ছ তুমি কার সাথে কথা বলছো? আমি কি তোমার ক্লাশমেট যে তুমি আমার সাথে ইয়ার্কি করবে?
-ক্লাশমেটদের সাথে ইয়ার্কি আমি করি না।
-কত বড় স্পর্ধা হলে তুমি আমাকে বেড রুম শিখাও।
-আপনি বুঝতে পারেন নি, তাই অযথা রেগে যাচ্ছেন।
-তোমার কাছ থেকে আমাকে বেড রুমের প্রেম বুঝতে হবে? আদব কায়দা বলতে আজকাল আর কিছুই বুঝি অবশিষ্ট নেই?
-শুনুন। কেউ যখন মহাকাশে থাকে তখন তার মনে পৃথিবীপ্রেম জাগে। কেউ ইউরোপে বা আমেরিকায় থাকলে তার জাগে এশিয়া প্রেম। আর যখন এশিয়ার মধ্যে প্রতিযোগিতা বা প্রীতির ব্যাপার চলে আসে তখন জাগে দেশপ্রেম। এখানেই শেষ নয়। দেশের ভিতর থাকে নিজ জেলার প্রতি পক্ষপাতিত্ব। তারপর থানা, তারপর গ্রাম। গ্রামের ভিতর স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যাপার চলে আসলে, তারপর আসে নিজ বাড়ির প্রতি দূর্বলতা। বাড়ী থেকে ঘরে। ঘরের মধ্যে ভাই-বোন বা তাদের নিজস্ব পরিবারেরদের মধ্যে স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপার যখন আসে, তখন যে যার যার রুমে গিয়ে আশ্রয় খোঁজে। একেকটা বেডরুম তখন একেকটা দল। সেই জন্য বললাম, সমস্ত প্রেম গিয়ে শেষ হয় বেড রুমে।
রনিনের ব্যাখ্যা আহমেদ সাহেবের পছন্দ হলো না। পছন্দ হবার কোনো কারণও নেই। রনিন কি বলেছে রাগের ঘোরে তিনি সেদিকে কর্ণপাতই করেননি। ঠিক সেই মুহূর্তে দূর্বল-ধীর পায়ে ড্রয়িং রুমে এসে দাঁড়ায় শেহরীন। বিক্ষুব্ধ চিত্তে আহমেদ সাহেব ড্রয়িং রুম ছেড়ে উঠতে গেলে রনিন ব’লে চলে- আরেকটা কথা আপনাকে বলা হয়নি, পত্রিকা পড়ে ওসব জানাও যায় না। রাষ্ট্র আমাকে বেলজিয়াম পাঠায়নি। আমার বাবা রাষ্ট্রকে দিয়ে আমার পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।
রনিন কি বলতে চাইছে সেটা বুঝতে পারছেন আহমেদ সাহেব। কিন্তু যাই বলুক না কেন, রনিনকে আগের চেয়েও তিনগুণ বেশি অপছন্দ করে, হন্হন্ করে ড্রয়িং রুম ছেড়ে হেঁটে চলে যান আহমেদ সাহেব।
তোমাকে না বাবার সাথে সব বিষয় নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছি– শান্ত গলায় বলতে বলতে সোফায় গিয়ে বসে শেহরীন।
-সব বিষয়তো দূরে থাক, একটা বিষয়ইতো বলে শেষ করতে পারলাম না। তোমার শরীর কেমন সেটা বলো। তুমি না ঘুমিয়ে ছিলে?
-তোমার কণ্ঠ শুনেইতো বেরিয়ে এলাম। কি সব উদ্ভট যুক্তি দেখাচ্ছ, শুনেতো জ্বরও পালিয়ে গেছে।
– ভালোইতো হলো তাহলে। আর সব খবর কি তোমার?
-মেজাজ খারাপ হয়ে আছে।
-কেন? কি হয়েছে?
-আমাদের পাশের বাসার আন্টির দুই ছেলে আমেরিকা থাকে, পিঠাপিঠি বয়স। বড় ছেলেটার গায়ের রঙ কালো, আবার খাটোও। ছোট ছেলেটা ঠিক তার উলটো। লম্বা, সুন্দর। দুই ছেলেকে এক সঙ্গে বিয়ে দেবার জন্য দেশে নিয়ে এসেছেন।
-তাহলে তুমি ঠিকই করেছো।
-কি ঠিকই করেছি?
-ছোটো ছেলেটার ব্যাপারে রাজী হয়ে।
-বাজে বকা বন্ধ করো, ব্যাপারটা মোটেও সেরকম না। বেশি স্মার্ট হবার চেষ্টা করোনা।
– তাহলে ব্যাপারটা কিরকম সেটা বলো।
-আন্টিকে জিজ্ঞেস করা হলো বড় ছেলের জন্য কেমন মেয়ে দেখছেন।
-কি বললেনে?
-বললেন, তার বড় ছেলেটা কালো, তার উপর খাটো। এখন তার জন্য যদি একটা লম্বা ফর্সা মেয়ে না হয়, তাহলে নাতি-নাতনিগুলোর কি হাল হবে। সেজন্য বড় ছেলের জন্য ফর্সা সুন্দরী মেয়ে দেখছেন।
-এতে তোমার মেজাজ খারাপ হবার কি আছে?
-আছে। এরপর উনাকে জিজ্ঞেস করা হলো, ছোটো ছেলের জন্য কি রকম মেয়ে দেখছেন।
-কি বললেন তিনি?
-বললেন, উনার ছোট ছেলে লম্বা, ফর্সা, হ্যান্ডসাম। এখন এ-ছেলের জন্য যদি লম্বা ফর্সা মেয়ে না পাওয়া যায়, তাহলেতো দুজনকে মানাবে না। অর্থাৎ ছোটো ছেলের জন্যও তিনি লম্বা ফর্সা মেয়ে খুঁজছেন।
-তো?
-তো তো করছো কেন? বোঝোনা তুমি? ছেলে যে রকমই হোক ঘুরে ফিরে তার জন্য লম্বা ফর্সা মেয়েই খুঁজতে হবে?
-তাহলে কি খুঁজবে? খাটো-কালো মেয়ে?
-এভাবে কথা বলো না। মানুষের দেখতে কেমন আর গায়ের রঙ কি সেটা কোনো মাপকাঠি নয়। সে মানুষ হিসেবে কেমন সেটাই মাপকাঠি।
-এসব নীতিবাক্য বলো না আমার কাছে।
-তাহলে কি বাক্য বলবো? প্রীতিবাক্যতো আমি বলতে পারি না। মেয়েদেরকে কি মনে করে তারা?
-পুরুষশাসিত সমাজ বলে ছেলেরা লম্বা-ফর্সা মেয়ে খুঁজছে। আর নারীশাসিত সমাজ হলে মেয়েরা লম্বা-হ্যান্ডসাম ছেলে খুঁজতো। মেয়ে-ছেলে বলে কথা নয়। যে-কোনো জীবই চাইবে সম্ভাব্য সেরা সঙ্গি বা সঙ্গিনী বেছে নিতে।
-তোমার কাছে সেরার সংজ্ঞা মানে লম্বা-ফর্সা? এই তোমার মানসিকতা?
-ধরে নিলাম, আমার কাছে সেরার সংজ্ঞা মানে ক্যালকুলাস। যে মেয়ে যত বেশি ডিফারেন্সিয়েশান আর ইন্টিগ্র্যাশান পারবে, সেই মেয়ে তত বেশি সেরা। এখন, তুমি তোমার উচ্চ মানসিকতা দিয়ে আমাকে বল, অল্প ক’দিনের জন্য আমেরিকা থেকে বিয়ে করতে এসে কোন সে নিউটনীয় পদ্ধতিতে মানুষ বিচার করবে কোন মেয়ে কত বেশি ক্যালকুলাস পারে?
-রেগে যাচ্ছ কেন?
-শুধু তাই নয়, এখানে শুধু তোমার পাশের বাসার আন্টির উপর মেজাজ খারাপ করে লাভ নেই। তার পাশের বাসার আরো চল্লিশ পরিবার যে, বিয়ের চল্লিশ মিনিটের মাথায় কোন পক্ষ কতটুকু জিতলো আর কতটুকু হারলো সে হিসেব করতে বসবে, তখন কিন্তু তারা ছেলে বা মেয়ে মানুষ হিসেবে কেমন সেটা দেখে বিচার করবে না। আর, তোমার পাশের বাসার আন্টি তার চারপাশের সমাজ থেকেই চাপ অনুভব করে। আমাদের দেশে এখনো সেই অবস্থার সৃষ্টি হয়নি যে, সমাজকে পাশ কাটিয়ে নিজের মত করে পথ চলবে। মেজাজ যদি খারাপ করতে হয়, তবে গোটা সমাজের উপরই করো।
রনিন বলে চলে, ‘তাছাড়া আমিতো একটু আগেই বললাম, মানুষও একটা জীব। প্রকৃতিগতভাবেই সে চাইবে…’। এখানটাতে রনিনকে থামিয়ে দিয়ে শেহরীন বলে –চুপ করো তুমি। তোমার সব কথার উপসংহার গিয়ে দাঁড়ায় সারভাইভ্যাল অব দ্যা ফিটেস্ট-এ। বাদ দিলাম আন্টি আর তার সমাজের কথা। তুমি নিজে হলে কি দেখে নির্বাচন করতে সেটা বল?
-অবশ্যই শুধু লম্বা ফর্সা দেখে না।
-‘শুধু লম্বা ফর্সা দেখ না’ মানে কি? মানে এ-দুটোর সাথে আরো যোগ হবে?
-শুধু শুধু তর্ক করতে এসো না। এগুলো মানুষের বাহিরের দিক মাত্র। যে-কোনো বিবেকবান মানুষই চাইবে মানুষের ভেতরটা দেখে যাচাই করতে, তা সে ছেলে হোক আর মেয়েই হোক।
-বিবেকবান যে কাদেরকে বলে আর কাদেরকে বলে না সেখানেইতো যত সমস্যা। যাই হোক, তুমি চা খাবে না-কি?
-নাহ্!!, চা খাবোনা। আমাকে আসলে বের হতে হবে। অনেকক্ষণ হলো এলাম।
অনেক দিন পর রনিনের সাথে দেখা হবার পর ভালো লাগছে শেহরীনের। আরো কিছুক্ষণ কথা বলার পর রনিন যাওয়ার জন্য উঠে দরজার দিকে এগিয়ে যায়। রনিনের পেছনে পেছনে গিয়ে দরজায় দাঁড়ায় শেহরীনও। সমস্ত দিন বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ কালো হয়ে আছে। বাইরে মেঘকালো অন্ধকার। নীচু স্বরে শেহরীন বলে-আমার মনে হয় জ্বর আসছে আবার। শেহরীনের কপালে হাত দিয়ে দেখে রনিন বলে, হুম্, জ্বর আসছে, শুয়ে পড়।
টুপ টুপ বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। গাড়ীর কাচের ভিতর দিয়ে রনিন দেখতে পায় দরজায় দাঁড়িয়ে আছে অসম্ভব রূপসী একটা মেয়ে। নিশ্চুপ অপলকে সে-দিকে তাকিয়ে থেকে রনিন ভাবে, কি আশ্চর্য। আগে কখনো খেয়াল করেই দেখেনি, শেহরীন দেখতে কেমন, লম্বা না খাটো, কালো না ফর্সা, সাধারণ না অসাধারণ। অথচ কেমন করে জানি অপূর্ব সুন্দরী এ-মেয়েটাই না-কি তার সবচেয়ে কাছের মানুষ। সে-যদি এ-সব না-ই দেখে থাকবে, তাহলে কে দেখেছিলো? তার হয়েই কি দেখেছিলো তার ভিতরকার আদিম, সাধারণ, অকৃত্রিম জীবটা?
অন্যান্য পর্বসমূহের লিঙ্কঃ
দ্বিধালাপঃ ভাষা পর্ব
মইনুল রাজু (ওয়েবসাইট)
[email protected]
ভাল লাগল দ্বিধাকথন।চলুক।
@ঊর্মি,
ধন্যবাদ আপনাকে। আমার অন্য আর সব সিরিজের মতই কমপক্ষে দশ পর্ব চলবে। 🙂
ভালো থাকুন।
যে সত্যগুলোর জন্য লেখাটি ভাল লাগল, তা কোট না করে পারছি নাঃ
আর বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবে হিউমার হারিয়ে গেছে (আমার মতে) নীচের অংশটিতেঃ
গল্পাকারে সমাজগাঁথা চলতে থাকুক, মইনুল ভাই! (Y)
@কাজি মামুন,
(D) 🙂
আহা, এই দৃশ্য কতোদিন হয় দেখিনি। গল্প তো অনেকেরই পড়ি, আমার কাছে আপনার লেখার বিশেষত্ব হলো, এখানে ওজন বাড়ানোর কৃত্রিম খাদ ফিকশন নাই, আছে ফ্যাক্ট, মৌলিকত্ব, দূরদর্শন, পার্স্পেক্টিভ ধারণা, মানুষের অন্তরের গভীরে সুপ্ত কামনা বাসনা, চিন্তা চেতনা, জগতের সকল মানুষের সাথে শেয়ার করার নিঃস্বার্থ প্রয়াস।
একটা অনু্রুধ রাখেন স্যার, আপনি প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটা গল্প লিখেন যার পটভুমি হয় বাংলাদেশ। গল্পের প্রথম লাইনটায়ই মনটা অনেকক্ষণ পড়ে রয়েছিল। (Y) (F)
@আকাশ মালিক,
জ্বী স্যার। সপ্তাহে একটা করে গল্প লিখি, আর আমার লেখাপড়া চুলোয় যাক। :))
“And miles to go before I sleep,
And miles to go before next week.”
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।:-)
লেখক আপনি, আমি পাঠক। লেখাটা এখানেই শেষ করে দিলাম।
@স্বপন মাঝি,
অবশ্যই। যেখানে খুশি শেষ করতে পারেন, শুরু করতে পারেন। এই সিরিজের শিরোনাম থেকেই হয়তো বুঝতে পারছেন, আমি নিজেই কনফিউজড্ হয়ে পর্বগুলো লিখতে বসি। অতএব, যেমন করে খুশি লেখা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন করে পড়ুন। 🙂
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।