স্বর্গ। ঘন পল্লবিত, পুষ্পশোভিত আর কলকাকলিত উদ্যান। পাশেই কুল কুল করে বয়ে চলেছে স্ফটিকের ন্যয় স্বচ্ছ নহর। নহরটির এক সাজানো-গোছানো পাড়ে চিন্তিত মুখে বসে আছে সদ্য স্বর্গত এক পুণ্যাত্মা। পুণ্যাত্মার মন খারাপ। দুদিন হল সে স্বর্গে এসেছে, কিন্তু কিছুতেই একটা হিসাব মেলাতে পারছে না। ঈশ্বর-নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ঈশ্বর ন্যয়বিচারক। তাছাড়া বার্তানির্দেশকও এই ধারনাই প্রচার করেছিলেন যে, মানব জাতি তার কৃতকর্ম অনুযায়ী ফল ভোগ করবে। প্রতিটি চুল পরিমাণ কাজেরও হিসাব রাখা হচ্ছে। কিন্তু স্বর্গে এসে পুণ্যাত্মা দেখতে পাচ্ছে, কার্য অনুসারে ফল পাচ্ছে না এখানকার বাসিন্দারা। সম বন্টন সর্বত্র!
বিষয়টি সে নিশ্চিত হয় স্বর্গারোহরনের ঘন্টাখানেকের মধ্যেই। তাও নিজ দেশের এক অতি পরিচিতজনকে দেখে। প্রায় এক কুড়ি হুর বগলদাবা করে ঐ ব্যক্তি চিত্ত সুখে মৌ মৌ করে বেড়াচ্ছিল স্বর্গোকুঞ্জে। জিজ্ঞেস করতেই লোকটি উদ্ভাসিত মুখে জানাল, স্বর্গের রক্ষীরা নাকি আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাজির করে যত খুশ, তত হুর। হুরদের নরম বাহু-ডোরে আবদ্ধ হয়ে লোকটি হেলে-দুলে এগিয়ে যাচ্ছিল একটি ঢেউ খেলানো দুগ্ধ নহরের দিকে। দৃশ্যটা দেখে পিত্তি জ্বলে যাচ্ছিল পুণ্যাত্মার! ব্যাপারটি তার কাছে ঘোরতর অবিচার মনে হল। কেন, লোকটি কি দুনিয়ায় তিন-তিনজন বিবি নিয়ে সুখের সংসার পাতেনি? তাছাড়া কিই বা এমন করেছে সে বিধাতার খেদমতে? হ্যাঁ, নিয়মমাফিক উপাসনা করেছে বটে। তবে এছাড়া আর বলার মত কি করেছে সে? অথচ পুণ্যাত্মা তার জীবন-যৌবন সব কিছু কি বিলিয়ে দেয়নি মহাপ্রভুর ডাকে? কতই বা বয়স হয়েছিল তার? ২৫ বছর বড়জোড়! বিয়ে থা করে, স্ত্রী-পুত্র-কন্যা-উপাসনা-উদরপনা নিয়ে ভালমতই তো জীবনটা কাটাতে করতে পারত সে! কিন্তু বিধাতার অমোঘ আহবানে পুণ্যাত্মা পৃথিবীর মায়া ভুলতে দেরি করেনি, হাতে তুলে নিয়েছে মারণাস্ত্র, হয়েছে আত্মঘাতী। আর আজ কিনা পৃথিবীর রূপ রসে আমৃত্যু মত্ত থাকা একটি লোক তার সমান সুবিধা ভোগ করবে স্বর্গে? এও কি মেনে নেয়া সম্ভব? এই কি ঈশ্বরের ন্যায়বিচার? নাহ, বিষয়টি নিয়ে ঈশ্বরের সাথে কথা বলতেই হবে!
পুণ্যাত্মা কষ্টে-সৃষ্টে ঈশ্বরের সাথে দেখা করার অনুমতি লাভ করে। দুরুদুরু বুকে শুধোয় ঈশ্বরকে, – “আমার একটি প্রশ্ন ছিল, মহা প্রভু!”
ঈশ্বর স্পষ্টতই বিরক্ত পুণ্যাত্মার উপর, -“দেখ বাছা, তুমি কি প্রশ্ন করবে তা আমার অজানা নেই। আমি খুব রুষ্ট হয়েছি তোমার আচরণে। স্বর্গে এসেছো তুমি দুদিন হল। আমার দেয়া উপহারসমূহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চতুর্দিকে। উজাড় করে দেয়া আছে আমার দয়ার ভাণ্ডার। অথচ সেদিকে তোমার খেয়াল নেই। তুমি বসে আছ আমার সিদ্ধান্তের সঠিকতা নিরূপণে। তোমার এহেন আচরণে আমি কিন্তু যারপরনাই হতাশ!”
পুণ্যাত্মা যথেষ্টই ভড়কে যায়; তবু সাহস সঞ্চয় করে বলে,-“মার্জনা করবেন, প্রভু! আপনার সিদ্ধান্তের উপর আমার অবিচল আস্থা ছিল এবং থাকবে। তবে বার্তানির্দেশক বলেছিলেন, আপনি সূক্ষ্ম হিসাবরক্ষক! তাই বলছিলাম কি, আমরা যারা আপনার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করিনি, তারা কি পার্থিব সুখ ভোগকারী অন্য স্বর্গবাসীদের সমান সুবিধাপ্রাপ্ত হব, নাকি কিঞ্চিত বেশী বরাদ্দ থাকবে আমাদের জন্য? তবে সবকিছুই কিন্তু মহাপ্রভুর ইচ্ছা! আপনি যা জানেন, আমরা তা জানি না। আপনি যা বোঝেন, আমরা তা বুঝি না। আমরা আপনার অধম-অজ্ঞান বান্দা মাত্র!”
মহাপ্রভু এবার মহা-ক্ষিপ্ত হলেন,-“তুমি তো মানুষ সুবিধার নও দেখছি! রক্ষীগণ তাহলে ঠিকই বলেছিল! মানুষকে কখনোই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না! তোমাকে স্বর্গে উঠিয়েও দেখি সন্তুষ্ট করা যাচ্ছে না! কি সব আজে-বাজে প্রশ্ন করছ! আচ্ছা বলি, স্বর্গে বসে তোমার এত হিসাব কষার দরকারটা কি? দুনিয়ায় তো অনেক কস্ট করেছ আমার হুকুম তামিল করতে গিয়ে। এখন খানিক শান্তি কর না, বাপু। যাও না, খাও, দাও, আর ফুর্তি করো গিয়ে।”
পুণ্যাত্মা আবারও বেয়াড়া প্রশ্ন করে বসে,-“শুধু খেয়ে-দেয়ে আর ফুর্তি করেই স্বর্গের লাইফটা পার করে দেব, প্রভু? খানা-পিনা-ফুর্তি তো আম্রিকাতেও পাওয়া যায়, তাইলে আমি স্বর্গের জন্য আত্মাহুতি দিলাম কেন, প্রভু? আম্রিকার জন্য দিলেই তো পারতাম!”
প্রভু রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন,-“তুমি তো দেখছি মহামূর্খ? আম্রিকা কয়দিনের? আর স্বর্গ কয়দিনের? মাথাটা একটু খেলানোর চেষ্টা করো এখন থেকে, বুঝলে?”
পুণ্যাত্মা আপোষের সুরে বলে,-“ঠিক আছে, বুঝলাম প্রভু! স্বর্গের জীবন অনন্তকালের আর আম্রিকার জীবন ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু অনন্তকাল এই হুরদের সংগে কিভাবে কাটাব, সেই ভাবনাতেই তো পেরেশান হয়ে যাচ্ছি, প্রভু! আমার তো এক মেয়েমানুষে কয়দিন পরই অরুচি ধরে যায়!”
প্রভু ধৈর্য ধরে রাখেন,-“কেউ বলছে তোমারে, এক মেয়েমানুষ নিয়েই কাটায় দিতে হবে? তুমি প্রয়োজন-মাফিক বদলায় নিতে পারবা, যত খুশ, তত হুর!”
“কিন্তু প্রভু, অন্যের ছোঁয়া জিনিসে আমার আবার এলার্জি আছে”–পুণ্যাত্মার মুখ ফসকে বেরিয়ে আসে।
“আসলে সমস্যা হয়েছে কি জানো, তুমি স্বর্গের বাসিন্দা, কিন্তু তোমার আত্মা নরকীদের মত। তোমার স্রস্টা তোমার জন্য নিত্যনতুন হুর পয়দা করার ক্ষমতা রাখে কিনা, কও?”- হতাশ কণ্ঠে বলেন প্রভু।
যদিও স্রস্টার তৈরি স্বর্গীয় হুর পার্থিব হুরদের মত বেহুশ করতে পারে না পুণ্যাত্মাকে, তবে তা নিয়ে আর ঘাটাতে মন চাইলো না মহান প্রভুকে। বরং বলল,-“মার্জনা করবেন, প্রভু! আপনার ক্ষমতা জানি বলেই তো জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে মৃত্যুর কোলে সপে দিয়েছি নিজেকে। তবে একটা বিষয় এখনো মাথায় ঢুকছে না আমার! স্বর্গের অফুরান-অনিঃশেষ ফলভোগের সময় কোন সংযম অবলম্বন করতে হবে কি? মানে, কোন নিয়ম-কানুন মানা লাগবে কিনা?”
প্রভুর ধৈর্যবাধ ভেঙ্গে যাচ্ছিল! কাহাতক সহ্য হয় একটা আম-আদমির বেহুদা আর অসংলগ্ন কথাবার্তা! নেহায়েত আত্মঘাতি বোমাবাজ ছিল, নইলে কখন যে ঘাড় ধরে….। যাহোক, অনেক কস্টে নিজেকে সামলে বলেন,-“আরে বেকুব, নিয়ম-কানুন-সংযম তো পৃথিবীর জন্য। স্বর্গে তোমার কোন সংযম করা লাগবে না, যত খুশি বেহিসাবি জীবন যাপন কর তুমি, আমি কোন বাধা দেব না। এখন ভাগো এখান থেকে, স্বর্গ ভোগে নেমে পড়, যাও! দেরি করো না।”
পুণ্যাত্মা বলে উঠল,-“সত্যি বলছেন, প্রভু? স্বর্গে কোন নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা করা লাগবে না? আহা, পৃথিবীতে কতই না মন চাইত হাই স্পিডে বাইক চালাব! কিন্তু প্রতি পদে পদে বাধা আর বাধা। আর এখানে আমি চাইলেই হাই স্পিডে বাইক চালাতে পারব? রাস্তার সব্বাইকে টপকে যেতে পারব?”
প্রভু উৎসাহভরা কন্ঠে বলেন,-“’আলবত পারবা। স্বর্গ তো পয়দাই করছি তোমাদের মন মাফিক মর্জি পূরণের জন্য। তবে তোমার মাথা কিছুটা আউলা আছে! নইলে, তুমি প্রভুর কথার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ করতা না। ”
পুণ্যাত্মা এরপরও সন্দিগ্ধ স্বরে বলে,-“কিন্তু রাস্তার অন্য সবাইও যদি আমার মত হাই স্পিডে চলতে চায়, তা হলে কি হবে প্রভু? সবাই যদি সবাইকে টেক্কা দিতে চায়, বেহিসাব-বেনিয়মের মহা-সর্গ পেয়ে? কোন মহা-সংঘর্ষ বাধবে না তো আবার, প্রভু? মানে, টেক্কায় টেক্কায় টক্কর আরকি?”
প্রভুর গলা খানিক চড়ে যায় এবার,-“সে চিন্তা তোমার নয়, বৎস! তুমি তোমার ইচ্ছামত বে-নিয়ম করে যাবে, ব্যাস। তবে তুমি এত কিছু থাকতে বাইক নিয়ে মাতলে কেন বুঝতে পারছি না! ওই যে সুন্দর সুন্দর নহর দেখতে পাচ্ছ, ওগুলি কি তোমাকে টানে না? মন চায় না অপরূপা হুর নিয়া সেখানে সাতার কাটতে?”’
পুণ্যাত্মা বেরসিকের মত বলে বসে,-“আমি পানির দেশের মানুষ, প্রভু! খাল-বিল কম দেখি নাই। তাই নহর বুঝি আমাকে অত টানে না। বরং, এইখানে স্বর্গে আপনি আমাকে একটা আম্রিকা বানায় দেন, তাতেই আমি খুশী থাকব।”
প্রভু ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বললেন,-“’আম্রিকার মত একটা শয়তানাস্থান তোমাকে এতটা আকৃষ্ট করল কি করে, বুঝতে পারছি না! আমার স্বর্গত বান্দারা আম্রিকারে ভালবাসতে পারে, এটা কখনোই ভাবি নাই!”
পুণ্যাত্মা বলল,-“’আম্রিকা আকৃষ্ট করবে না তো, আফ্রিকা করবে নাকি, প্রভু? আম্রিকার মানুষের কত আনন্দ! ক্যাসিনো, ডিসকো, বার, জুয়া, লিভিং টুগেদার…তাছাড়া আপনিই তো বলেছেন, স্বর্গে অন্তত বেহিসাবি জীবন যাপনে কোন বাধা নাই।”’
প্রভু হাল ছেড়ে দেয়ার ভঙ্গিতে বলেন,-“ঠিক আছে, তুমি আম্রিকার লাইফ, বেহিসেবি জীবন- সব পাবা এইখানে। এবার সন্তুষ্ট? দয়া করে, এখন ক্ষান্ত দাও। তোমার হিসাব-নিকাশ বন্ধ কর।”
পুণ্যাত্মা বলে,-“শুধু আর একটা কথা ছিল, প্রভু! দুনিয়াতে আমি তেমন কিছু পাইনি! এখানে আমি সম্পদশালী হতে চাই।”
প্রভু রেগে বলেন,-“তো তোমাকে কেউ নিষেধ করেছে? তোমাকে তো ব্লাঙ্ক চেক দিয়ে রাখা আছে। তুমি শুধু আমার রক্ষীদের বল্বে, কি কি সম্পদ তোমার দরকার। দেখবে তৎক্ষনাৎ হাজির হয়ে যাবে তোমার খেদমতে।”
পুণ্যাত্মা বলে,- “’ইয়ে প্রভু, শুধু সম্পদশালী হয়ে আমার কাজ নেই। আমার চাওয়া অন্যদের থেকে বেশী সম্পদশালী হওয়া। বিশেষ করে, আমার দেশের সেইসব স্বর্গত মানুষ, যারা পৃথিবীতে আমার রিক্ত অবস্থা দেখে দয়া করেছে আমাকে, তাদের থেকে বেশী সম্পদশালী হতে পারলে পরম তৃপ্তি বোধ করব আমি।”
প্রভুর মনে হয় ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে, যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটবে,-“’তুমি তো দেখছি বড্ড আজব লোক হে, সম্পদ চাইছ ভোগের জন্য না, লোক-দেখানোর জন্য। নাহ, তুমি আসলে স্বর্গের উপযুক্ত নও।”
পুণ্যাত্মা ভিতরে ভিতরে বেশ কুঁকড়ে যায়,-“ক্ষমা করুন প্রভু। ঠিক আছে, অন্যের চেয়ে বেশী সম্পদশালী করার দরকার নেই আমাকে। তবে আপনার বার্তাবাহক বলেছিলেন যে, কাউকে কাউকে স্বর্গে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হবে। যেমন, কেউ হবে সর্দার, কেউ হবে সর্দারনী। তাই জানতে চাচ্ছিলাম, স্বর্গের এই অঞ্চলটি যেখানে আমার বসবাস, সেখানে কি কোন সর্দার নিয়োগ করা হয়েছে? জানা থাকলে তার কথামত চলতে পারতাম। ভুল ত্রুটি হলে শুধরে নিতে পারতাম নিজেদের।”
প্রভুর কণ্ঠ্যে এবার সত্যি সত্যি বিস্ফোরণ,-“’খামোশ, তোমার সাহস তো কম নয়! আমার রাজ্যে থেকে তুমি সর্দারের কথামত চলবে? দুনিয়াতেও তোমরা বরাবর এক কাজ করেছো! আমি যাকে পাঠাতাম নসিহতে, তাকেই কিনা তোমরা স্রষ্টা বানিয়ে ফেলতে? তোমাকে স্বর্গ থেকে ছুড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছা করছে আমার!”’
ভয়ানক ভয় পেয়ে যায় পুণ্যাত্মা! জিভ কেটে বলে,-“মার্জনা করবেন, প্রভু! যাতে আপনাকে বিরক্ত করতে না হয়, সেজন্যই একজন সর্দারের কথা বলছিলাম! আমাকে ভুল বুঝবেন না, প্রভু!’’ এরপর পুণ্যাত্মা আর কথা না বাড়িয়ে লুটিয়ে পড়ে প্রভুর সামনে; ভক্তিরসের বানে পুণ্যাত্মার নিথর দেহ মৃতের মতই পড়ে থাকে প্রভুর প্রাসাদে!
ভোগের সামগ্রী নিয়েই যেখানে মেতে থাকে বেশিরভাগ স্বর্গত, সেখানে পুণ্যাত্মার এই সর্বাঙ্গ প্রণামে মুগ্ধ না হয়ে পারেন না প্রভু! তার রাগ কিছুটা দমে আসে। এক সময় বলেন,-“ঠিক আছে, উঠ, উঠে দাঁড়াও। যাও, তোমাকেই এই অঞ্চলের স্বর্গত বাসিন্দাদের সর্দার করে দেয়া হল। কি এবার খুশিতো? তোমার চাওয়া-পাওয়া পূর্ণ হয়েছে নিশ্চয়? আর কোন বাড়াবাড়ি করবে না, বুঝতে পেরেছো? যাও এখন, বেরিয়ে পড় স্বর্গের চিরহরিৎ প্রান্তরে। ভোগ কর যথেচ্ছা, যথাতথা!”
পুণ্যাত্মাও বেজায় খুশি! পুলকিত চিত্তে ফিরে চলে প্রভুর প্রাসাদ থেকে, যাহোক, অনেক দরকষাকষি করে হলেও সর্দার পদটি বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে মহান প্রভুর কাছ থেকে। অন্য স্বর্গতদের তুলনায় তার শ্রেষ্ঠত্ব এবার নিশ্চিত হয়েছে। দুনিয়ার বলিদান সার্থক হয়েছে। কে বলে, আত্মঘাতিদের জায়গা নরকে? এত বড় পুরুস্কারপ্রাপ্তির পরও এ কথা তাকে বিশ্বাস করতে হবে?
কিন্তু পুণ্যাত্মার সুখানুভূতিতে ব্যাঘাত ঘটে হঠাৎ। একটি গোলমালের শব্দ; পেছন থেকে। ঈশ্বরের দরবার থেকেই ভেসে আসছে যেন! নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুণ্যাত্মা পিছু ফিরে, গিয়ে যা দেখতে পায়, তার জন্য অবশ্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না সে। শত শত স্বর্গত, সব তারই এলাকার, ভিড় জমিয়েছে বিধাতার চারপাশে; উচ্চস্বরে কি যেন বলছে তারা!
স্তম্ভিত হয়ে যায় পুণ্যাত্মা! ভাল করে কান পাততেই শুনতে পায়, ওরা বলছে,- “না প্রভু, এ আমরা কিছুতেই মেনে নেব না। স্বর্গে এসেছি আমরা ভোগ করতে। কোন সর্দারের হুকুম তামিল করতে না। এখানে কোন সর্দার-মর্দার থাকতে পারে না। আমরা সবাই স্বাধীন। হ্যা, স্বাধীন। আর এমনই আশ্বাস দেয়া হয়েছিল আমাদের।”
প্রভুর মুখ নিঃসৃত ‘স্বর্গ থেকে উৎখাতের’ হুমকিতেও কোন কাজ হচ্ছে না! এক সময় প্রভু রক্ষীদের হুকুম দেন,-“উল্লুকগুলোকে ঘাড় ধরে নরকে ফেলে দিয়ে আয় তো!” এক সঙ্গে অনেক স্বর্গতের মিলিত প্রতিবাদধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়। ওদের ভিতর থেকে একজন বলে উঠে,-“আপনি আমাদের নরকে নিতে পারেন না! কারণ নরকে যাওয়ার শর্ত হল, পৃথিবীতে আপনার হুকুম-আহকাম না মানা। কই, আমরা তো তা করিনি। আর এই জন্যই তো আমরা আজ স্বর্গে।”
প্রভুর আওয়াজ পাওয়া যায় এবার,-“ও আচ্ছা, আমার হুকুম তাহলে শুধু পৃথিবীর জন্যই? স্বর্গে তা মানার দরকার নেই, তাই না? যত সব আহাম্মকের দল!” আবার সমবেত কণ্ঠে রব উঠে। দলের আর এক স্বর্গত বলে উঠে,-“অবশ্যই আপনার হুকুম মানার দরকার নাই স্বর্গে। কারণ আপনিই তো বলছেন, স্বর্গে কোন নিয়ম নাই, কানুন নাই।”
প্রভুর বজ্র নিনাদ শুনতে পাওয়া যায় এবার,-“বটে, তাহলে তোমাদের পৃথিবীতেই পাঠিয়ে দেব ক্ষণ।” স্বর্গত দলটি থেকে একজনের তেজোদীপ্ত কন্ঠস্বর ভেসে আসে,-“দেন পাঠায়ইয়া পৃথিবীতে। কোন সমস্যা নাই। দাসত্ব করতে হইলে পৃথিবীতেই করমু। স্বর্গে ক্যান?”
অ্যাডাম-ইভের পর স্বর্গের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত এই ঘটনা ঘটে। স্বর্গে মহা গোলযোগ বাধাতে, একটি বিশাল সংখ্যক মানুষকে পাঠিয়ে দেয়া হয় পৃথিবীতে। স্বর্গ কিছুতেই ধরে রাখতে পারছিল না ঐ মানুষগুলোকে। তাদের কাছে স্বর্গের হিসাব-নিকাশ যে বড্ড গোলমেলে ঠেকছিল!
আপনার লেখাটা কিছুদিন আগে পড়েছি। তখন মন্তব্য করিনি। কিন্তু এখন মনে হল আপনাকে ধন্যবাদ দেয়া দরকার। সত্যি বলতে কি-আপনার এই লেখা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রেখেছিল আমার।
@কাজী মামুন
ও আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে ভুলে গেছি। একটা দিকে আপনি দৃষ্টি দেননি আর কোন মন্তব্যকারীও সেদিকে হাটেনি বলে আমার মনে হচ্ছে। এই যে আপনার স্বর্গীয় গোলযোগ তার উৎস সম্পর্কে কি ভেবে দেখেছেন? আমার তো মনে হচ্ছে আপনি সকলকে এক বেহেস্তে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। আর তাতেই এই মহাগোলযোগ। কিন্তু স্বর্গের মালিক যদি প্রত্যেককে আলাদা আলাদা স্বর্গ বরাদ্ধ করেন? সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য কি ধরণের গোলযোগ হতে পারে জানতে ইচ্ছে করছে।
@mkfaruk,
সেক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা সুন্দর স্বর্গকে নিয়ে আবারো গোল বাধঁত স্বর্গতদের মাঝে! আর সবারই চোখ থাকত মহাপ্রভুর নিকটতম স্বর্গটির দিকে! ভাবছেন, এসব জানলুম কি করে? শেষ পর্যন্ত স্বর্গ-নরক কিন্তু পৃথিবীজাত চিন্তা-ভাবনা! স্বর্গ যদি অপার্থিব চিন্তা-ভাবনাই হবে, তাহলে সেখানে নহর রাখা হয়েছে কেন, যত খুশ তত হুরের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কেন?
@কাজি মামুন,
আপনি যেভাবে ভাবছেন আমিও তেমনিই ভেবে দেখেছি, কিন্তু অন্য এঙ্গেল থেকে। দেখুন তো ভেবে আমার মতামতটা।
স্বর্গ স্তরে বিভক্ত আর উপরের দিকে থাকবেন নবী-রসূলরা। এরপর পূণ্য অনুসারে। আর যাদের পাপপূর্ণ সমান তারা থাকবেন স্বর্গ ও নরকের মাঝে প্রাচীরের উপর (সূরা আরাফ)। একই ভাবে দোযখের বিন্যাস। (বাইবেল: একজন ধনী ব্যক্তি ও ভিখারী লাসারের কাহিনী।)
যারা উপরে অবস্থান করবেন তারা নীচের স্বর্গ ভ্রমন করতে পারবেন কিন্তু নীচ স্তরের কেউ উপরে ভ্রমণের সৌভাগ্য অর্জণ করবেন না। সে কারণেই তার কাছে তার প্রপ্তিটাই সকলের থেকে বেশী মনে হবে। আর প্রত্যেকের জন্যে একক স্বর্গ থাকায় কোনরূপ ঝামেলার সৃষ্টি (আমার বোধ অনুসারে) হবে না।
ধন্যবাদ উত্তর দেবার জন্যে।
@mkfaruk,
ভাইজান যে আছেন এটা দেখে খুশি হলাম। 🙂 । আমি তো ভেবেছিলাম যে আপনি চলেই গেছেন, আর আনন্দ বিনোদনের উৎস চলেগেলে কারো ভাল লাগার কথা না :rotfl:
ইসলাম বলছে, বেহেশতে যা চাওয়া হবে তাই পাওয়া যাবে। আমি আয়েশারে বিয়া করতে চাই। আল্লা কি তা আমারে দিবো ? মুহম্মদ আবার ক্ষেপবো না তো ?
কারণ, মুহম্মদ নামের এই ছোটলোকটার প্রতি আমার বিশ্বাস নাই। সে নিজের ১৩ টা বিয়া কইর্যা অন্যদের বলে ৪টার বেশি বিয়া করতে পারবা না। আর এখন বাস্তব যা অবস্থা তাতে ১টার বেশি বিয়া করাই যাইতেছে না। আবার মুহম্মদ কইছে, দাসীদের সাথে সেক্স করতে পারবা। কিন্তু বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, ঐদিকে নজর দিলে বাসাত থিকা বউ রাস্তায় বাইর কইর্যা্ দিবো। এমন কি বউ পোলা মিল্যা খুনও কইর্যা ফেলবার পারে।
তাই আল্লার কাছে আমার আরজ, আয়েশারে যদি আমাকে দ্যান। তাইলে আবার নতুন কইরা ঈমান আনবার পারি।
কারণ, এই মহিলাডার জন্য আমার দরদ আছে। সে ৯ বছর বয়সে ৩০ জন পুরুষের সেক্সপাওয়ারআলা মুহম্মদের দ্বারা ধর্ষিতা হইছে। এরপর যখন তার যৌবন দেখা দিতে শুরু করেছে তখন মুহম্মদ ১৩টারে ঠিকমতো সময় দেওয়ায় আয়েশা ভাগে কম পাইছে। আর যখন তার পূর্ণ যৌবন মানে ১৮ বছর বয়স, তখন মুহম্মদ পটল তুলছে। তার আগে এই ছোটলোকটা আয়াত নামাইয়া আয়েশা সহ তার অন্য সতীনদের বিয়া ব্যান কইরা গেছে।
এজন্যি আয়েশার লাগি আমার পরাণ কান্দে। দুনিয়ায় হে তো কোনো সুখ পায় না্ই। বেহেশতে গিয়া যদি তারে এট্টু সুখ দিতে পারি। আমি কথা দিতাছি আয়েশারে পাইলে আমি আর অন্য কোনো হুর নিমুনা। পুরা সময় আমি আয়েশারেই দিমু। কারণ, আমি তো আর মুহম্মদ না যে নিজের ভালোবাসা ১৩টারে ভাগ কইরা দিমু, আর কানিকটা রাখমু দাসীগুলার জন্য ! আমার ক্যারাক্টার এত খারাপ না।
বাহ দারূণ লিখেছেন তো- (F)
@আফরোজা আলম,
অনেক ধন্যবাদ, আপু!
স্বাধীনতা তাহলে বেহেস্তে ও নাই!!!
@আমিনুল,
স্বাধীনতা নিজের ভিতর! সত্তা পরাধীণ থাকলে, হাজারো লিবারেশন ওয়ারের মাধ্যমে আপনি কাউকে লিবারেট (মানে,স্বাধীন) করতে পারবেন না! এ প্রসঙ্গে মনে পড়ছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশের কথা, যিনি ইরাক যুদ্ধের পেছনে নিউক্লিয়ার আর্মের যৌক্তিকতা প্রমান করতে না পেরে বলেছিলেন যে, আমেরিকা অন্তত ইরাকবাসীকে লিবারেট করতে পেরেছে! দেখুন, কি হাস্যকর কথা! বশংবদ সৃষ্টি করে ইরাক দখল করে ইরাককে লিবারেট করার কথা ভাবছেন তিনি! যা বলছিলাম, এমনকি পরাধীন দেশে থেকেও একজন মানুষ স্বাধীনতা পায়, যদি সে মনে প্রানে স্বাধীণ থাকে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
:hahahee: :hahahee: অসাম পোস্ট…..
@ধূসর বালক,
অশেষ ধন্যবাদ পড়া ও মন্তব্যের জন্য!
ভাই আপনার একটা বিরাট ভুল হয়ে গেছে। সেটা হলো- কোন লোক বেহেস্তে গেলে তার এ ধরনের চিন্তা ভাবনারই উদ্রেক হবে না আল্লাহর সাথে তর্ক বিতর্ক করতে। একবার এক লোকের সাথে বেহেস্তের বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম- বেহেস্তে একজন মানুষ যা চাইবে তাই পাবে। তাহলে কেউ যদি আল্লাহর কাছে তার সিংহাসন টা চেয়ে বসে , সে কি তা পাবে ? উত্তরে লোকটি এ কথা বলেছিল।
@ভবঘুরে,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! স্বর্গে যেয়ে যদি পৃথিবী-জাত চিন্তা-ভাবনা-প্রবৃত্তি রদ হয়ে যায়, তাহলে তো পার্থিব অন্য সকল আশা-আকাঙ্ক্ষাও ঝরে পড়বে স্বর্গতদের অন্তর-লোক থেকে। সমস্যা হল, স্বর্গে যেতে চাওয়াটাও এক প্রকার পৃথিবীকেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা! সুতরাং, দেখা গেল, স্বর্গ নিয়ে যে ভক্তকুলের এত আকাঙ্ক্ষা-উদ্দীপনা, তড়িৎ স্বর্গপ্রাপ্তির আশায় যারা এমনকি স্বোল্লাসে আত্মঘাতী হয়, তাদের ভিতর থেকে স্বর্গপ্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষাটাই মুছে দিলেন মহাপ্রভু! সেক্ষেত্রে এমনও দেখা যেতে পারে যে, নরকী দাসত্বেই পরম সুখ অনুভব করতে থাকল ওপারের বাসিন্দারা! নরকটাই তাদের মনে হতে থাকল স্বর্গ!
স্বর্গে যে দুধের নদী আছে সেটা কিসের দুধ? গরুর, নাকি ছাগলের, নাকি দুম্বার? সে দুধ নষ্ট হয়না! ফরমালিন মেশানো নাকি? মানুষ ত আল্লার কাছ থেকে ভাজাল দেয়া শিখেছে!
@তামান্না ঝুমু, :lotpot: :hahahee:
@তামান্না ঝুমু,
আহা, আপু, এভাবে প্রশ্ন করতে আছে? আপনি স্বর্গে যেতে চান না নাকি? স্বর্গের দুধ গুনে-মানে পৃথিবীর কোন প্রাণীর সাথে তুলনীয় হতে পারে! স্বর্গের দুধ যদি একবার পান করেন, তাহলে পৃথিবীতে থাকাকালিন গেলাসকে গেলাস বর্জ্য গেলার জন্য আফসোস করে মরবেন!
দুধের নদীতে ফরমালিন মেশানো থাকলেও প্রভুর ইশারায় তা ক্ষনিকেই হয়ে যায় অমিত পুষ্টিগুনসমৃদ্ধ এক অমৃত পানীয়! মহাপ্রভুর ক্ষমতার উপর আপনার কোন আস্থাই নেই দেখছি!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, আপু!
@তামান্না ঝুমু,
কাজী মামুন যেটা লিখেছেন এটা একটা রম্য রচনা। কিন্তু আপনি তো দেখি তাকে সত্যিকারের স্বর্গ বলে ভেবেছেন। কেন এমন ধারণা হল জানাবেন কি?
স্বর্গে তো ঢোকারই দরজা একটি নয় ৮টি। আর যতদূর জানি প্রত্যেক মানুষের জন্যে আলাদা আলাদা স্বর্গ বরাদ্ধ খাকবে। আর মামুনের এই রচনা এই সত্যকে আড়াল করাতেই তা রম্য রচনা হয়েছে। যাহোক, এখন আপনি প্রত্যেকের জন্যে একটি স্বর্গ কল্পনা করুন, দেখেন কোন গোলযোগ থাকে কিনা।
তবে হ্যাঁ, দৃশ্য জগতের মধ্যে থেকে অবিনশ্বর জগৎ সম্পর্কে তথ্য জানা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কূয়োর মধ্যে বাস করা ব্যাঙের জ্ঞানের সমান হবে। এটা আমি জানি, আপনিও জানেন।
@mkfaruk,
আপনি নিজেও তো মোহাম্মদ ও ইসলাম , পর্ব -১৪ তে কম রম্য রচনা লেখেন নাই , ভাইজান। রম্য রচনাতে আপনার হাতও ভীষণ পাকা।
মাসাল্লাহ 🙂 🙂 🙂 :lotpot: :lotpot:
@অগ্নি,
ধন্যবাদ!
না দেখা যাচ্ছে স্বর্গেও শান্তি পাওয়া যাবে না
(F)
@শান্ত,
জানি না, আপনিও ছোট্রবেলায় পড়েছেন কিনা, ‘কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক/ কে বলে তা বহুদূর/মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক/মানুষেতে সুরাসুর’।
আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! (F) (F)
চমৎকার হয়েছে লেখাটি। খুবই আনন্দ পেলাম। লেখককে অনেক ধন্যবাদ। (Y) :clap (F)
@ভক্ত,
ধন্যবাদ ভাই! আঙ্গুল, হাততালি, আর ফুল- এক সাথে আগে কখনো পাইনি!
মন্তব্যের জন্য (F) (F)
মানুষের জন্য মানুষের কথা; খুব ভালো হয়েছে (D)
@কাজী রহমান,
অনেক ধন্যবাদ, রহমান ভাই! মানুষের জন্য মানুষ কথা বলে, আর তাইতো রহমান ভাইয়ের প্রশংসার পেয়ালা সবসময় পূর্ণ থাকে।
আমার কৃতজ্ঞতা!
স্বর্গ হচ্ছে সুন্দরী সংসর্গ করার জায়গা, গোলমাল করার গোয়ালখানা নয়। ইতরদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের এই ইস্পাতকঠিন সিদ্ধান্ত পুরোটাই সঠিক। 🙂
স্যাটায়ার খুব ভালো হয়েছে মামুন। অভিনন্দন। (F)
@ফরিদ আহমেদ,
স্বর্গে প্রভুর উপচানো উপাচার যেমন আছে, তেমনি আছে গোল করার মস্ত মস্ত গোলবার! আর তাই চির তরুন স্বর্গতদের বা পায়ের জোরালো শট গোললাইন লক্ষ্য করে……
ফরিদ ভাই, আপনার মন্তব্য বল বাড়িয়ে দেয় নিখুঁত পাসে…..ভাবি, সত্যি সত্যি বোধ হয় একদিন গোললাইন অতিক্রম করতে পারব…..
মন্তব্যের জন্য (F) (F)
:hahahee: পুণ্যাত্মা নির্ঘাত বাঙালি!
@ভাস্বতী,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য। পুণ্যাত্মা হয়ত বাঙালি! তবে বেহিসেবি আর বেনিয়মের যে গোলমেলে স্বর্গ, তার কিছু চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই লেখায়! স্বর্গের হিসাবনিকাশ যে অনেক প্যাচালো, সে কথা অনেক সময়ই খেয়াল থাকে না স্বর্গপ্রচারকদের!
ভাল থাকবেন!
@কাজি মামুন,
পুণ্যাত্মা তো দেখছি মুক্ত-মনার সদস্য। ঈশ্বর কিন্তু ঠিকই তা টের পেয়েছেন।যেজন্য বলেছেন,
@গীতাদি,
আপনার চোখে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই দেখছি, দিদি! তবে মুক্ত-মনার সদস্যরা তো এমনই হয়! কিছুই তাদের চোখ এড়িয়ে যেতে পারে না! 🙂
ভাল থাকবেন, দিদি!