জরির বয়স যখন সাত তখন ওর হতদরিদ্র বাবা-মা দুজনেই কয়েকদিনের ব্যবধানে কলেরায় প’ড়ে ইহলোক ও জরিকে একসাথে ছেড়ে চ’লে যায় অজানালোকে। প্রকৃতির এই বিবেচনাহীন নিষ্ঠুরতার পর জরির এক দারিদ্রক্লিষ্ট রিক্সাচালক চাচার কাছে ওর কোনমতে ঠাঁই হলো,চাচা-চাচীর শত অনিচ্ছায়। কারণ ওদেরও পাঁচটি সন্তান, না খেয়েই ওদের বেশিরভাগ দিন কাটে। তবুও কোথায় যাবে এই অনাথা শিশুকন্যা ভ্রাতুষ্পুত্রীটি; এই ভেবে তারা তাদের অনাহারী পরিবারে অনেকগুলো ক্ষুধার্ত মুখের মাঝে টেনে নিল আরেকটি ক্ষুধার্ত মুখ। খেয়ে না খেয়ে, দুঃখ বেদনায় কেটে গেল দুটি বছর। জরির বয়স এখন আট। তাদের গ্রামের চেয়ারম্যানের কন্যা আনোয়ারা শহরে থাকে স্বামীর সাথে। স্বামীর বিরাট ব্যবসা। শহরে বাড়ি গাড়ি আছে, বেশ অবস্থা সম্পন্ন। বেড়াতে এসেছে গ্রামে।

জরির বাবা-মা মারা গেছে, শুনেছেন আনোয়ারা। তিনি জরির চাচা শফিককে ডাকিয়ে আনলেন কথা বলতে। বললেন,’ শফিক তোমার এতগুলো ছেলেমেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার। তার উপরে একজন বাড়তি মানুশকে তুমি খাওয়াবে কীকরে। তাছাড়া মেয়ে বড় হলে বিয়ে শাদীও ত দিতে হবে।‘ শফিক বলল, কী আর করব আপা ; সবই কপাল। আল্লাপাক ভাই-ভাবীকে তুলে নিলেন, এখন আমি ভাতিজিকে না দেখলে দেখবে কে? এই ব’লে বিরাট এক দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল সে। আনোয়ারা সান্ত্বনার সুরে বললেন, আল্লা একটা না একটা উপায় করে দেন। জরিকে আমায় দিয়ে দাও। আমার ছেলেমেয়েদের সাথে হেসে-খেলে বড় হবে। ওকে আমি পড়াশোনা শেখাব। বড় হলে ভাল দেখে বিয়ে দিয়ে দেব। তোমাকে কোন চিন্তা করতে হবেনা। তাছাড়া জরির ওছিলায় তুমিও মাঝেমাঝে সাহায্য পাবে। শফিক আনোয়ারার কথা শুনে যেন মরুভূমির মাঝে মরূদ্যান দেখতে পেল। আহ্লাদিত হয়ে বলল, আপা আপনার অনেক মেহেরবানি। আল্লা আপনাকে ধনও দিয়েছে, মনও দিয়েছে। এক এতিমের দিকে আপনি কৃপাদৃষ্টি দিয়েছেন, সদয় হয়েছেন আল্লাও আপনার প্রতি সদয় হবে। আপনাকে আরো ধন আরো মান দেবে। আনোয়ারা প্রশংসায় গদগদ হয়ে চোখেমুখে হেসে বললেন, কী যে বলনা! আমরা ত একই গ্রামের মানুশ আত্নীয়ের মত। বিপদগ্রস্ত মানুশের জন্য যদি এইটুকুও করতে না পারি তাহলে কোথায় মনুষ্যত্ব? আনোয়ারা শহরে যাবার সময় জরিকে সাথে করে নিয়ে গেলেন। জরিও উন্নত জীবনের আশ্বাসে উল্লসিত মনে হাসতে হাসতে চলে গেল স্বপ্নিল চাকচিক্যময় অজানা শহুরে জীবনের উদ্দেশ্যে।

আনোয়ারার শহরের বাড়িতে এসে ত জরির চোখ নিষ্পলক। কত বড় বাড়ি, কী সুন্দর গাড়ি, বাড়িতে কী সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র! সে চাচীর কাছে শুনেছে দুনিয়াতে পুণ্য করলে বেহেশতে যাওয়া যায়। এই কী সেই বেহেশত? তার বাবা-মাও কি আছে এই রকম কোন সুসজ্জিত বেহেশতে? টাস্কি খেতে খেতে তার অভিভূত মুহূর্তগুলো কাটে। আনোয়ারার চার ছেলেমেয়ে। দুই ছেলে দুই মেয়ে। ছেলে দুটো পড়ে কলেজে, মেয়েরা পড়ে স্কুলে। ড্রাইভার ওদেরকে সকালে স্কুল কলেজে নামিয়ে দিয়ে আসে আবার বিকেলে বাসায় নিয়ে আসে। ওরা স্কুলে-কলেজে যাবার সময় নাস্তা খেয়ে যায়। টেবিলে কয়েক পদের খাবার দেয়া হয় ওদের সামনে। এছাড়াও ডিম দুধ থাকে, কয়েক রকমের ফলমূল থাকে। আনোয়ারা পাশে বসে সেধে সেধে খাওয়ান। বিকেলে বাসায় ফেরার পরও অনেক রকমের খাবার দেয়া হয় ওদেরকে খেতে। জরি দূরে দাঁড়িয়ে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে খাবারগুলো দিকে। মনে মনে বলে, ইস কত মজাই না হবে এসব খাবার, জীবনেও ত দেখিনি এসব বেহেশতি চিজ। যদি একটু খেতে পেতাম! কিন্তু ওকে কখনো এসব খেতে দেয়া হয়না। দেয়া হয় বাসী ভাত তরকারি ও ছেঁড়া খোঁড়া রুটি। তাও সবার খাওয়া শেষে। বাসায় আরো দুজন কাজ করার মহিলা আছে, কিন্তু ওদের দুজনেরই নাম “বুয়া” কেন? জরি ওদেরকে বুয়াখালা ডাকে। রান্না-বান্না, ঘর মোছা, কাপড় ধোয়ার কাজ বুয়ারাই করে। জরি টেবিলে খাবার এনে দেয়, ঘর ঝাড়ু দেয়। আশ্চর্য, এরা রান্নাঘর থেকে খাবার টেবিলে আনিয়ে খায় কেন? এমন কাণ্ড জরি কোন দিন দেখেনি।

আনোয়ারা বুয়াদের বলে বলে দিয়েছে জরিকে কাজ শিখিয়ে দেয়ার জন্য। জরি কাজ শিখছে। একটু ভুল-ত্রুটি হলেই আনোয়ারার কিল-থাপ্পড় খায়, গাল শোনে। একদিন টেবিলে নিয়ে যাবার সময় ডালের গরম বাটি হাত থেকে পড়ে ভাঙে গিয়েছিল। আনোয়ারা এজন্য অনেক মেরেছিলেন জরিকে। বুয়ারা সারাদিন কাজ করে রাতে ওদের নিজের বাসায় চলে যায়, আবার আসে সকালে। জরিকে রান্নাঘরের স্যাঁতসেঁতে কোণায় শুতে হয় ছেঁড়া কাঁথা বালিশে। কোণার মাঝে মশারি খাটানোর জায়গা নেই। অসম্ভব রকমের মশা শহরে। রাতে মশার কামড়ে ঘুমাতে পারেনা সে। এই বাড়িতে সবার আলাদা আলাদা রুম। শোবার জন্য কারুকার্যখচিত বড় বড় খাটে নরম নরম গদি পাতা, চাদর পাতা। সুগন্ধ বেরোয় এদের সবকিছু থেকে। জরি মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে থাকে সব জিনিসের প্রতি। সুযোগ পেলেই সকলের দৃষ্টির অগোচরে একটু ছুঁয়ে দেখে, একটু শুঁকে দেখে। আহ মনটা জুড়িয়ে যায়! সবাই যখন টেবিলে বসে খোশগল্প করতে করতে মজার মজার খাবারগুলো খায় জরি আড়াল থাকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। আর ভাবে, এখানে এরকম কেন; ওকে তাদের সাথে খেতে দেয়না কেন, চাচার বাসায় ত ও সবার সাথেই খেত! সারাদিন কাজ করে খিদেয় পেট জ্বলে যায়। কতক্ষণে ওদের খাওয়া শেষ হবে, কতক্ষণে সে একটুখানি খেতে পাবে! এজন্য মার খায়। আনোয়ারা বলেন, এভাবে বদ নজর দিচ্ছিস কেন; সবার পেট ব্যথা করবেনা? আনোয়ারার মেয়েরা যখন পড়তে বসে জরি দূর হতে তাকিয়ে থাকে। ওর কাছে খুব সুন্দর লাগে, স্বপ্নের মত লাগে। একদিন সাহস করে বলেছিল, আপা আপনারা পড়ার সম খুব সুন্দর লাগে। খালাম্মা বলেছিল আমাকেও পড়াবে। ওরা ত শুনে হেসে কুটিকুটি। বলে কী মেয়ে! কাজের মেয়ের আবার পড়ার শখ। তুই পড়লে কাজ করবে কে রে, আমরা?

এভাবে দিনরাতগুলো কেটে যাচ্ছিল, আশায়-নিরাশায়, কষ্টে-কান্নায়, স্বপ্নে-মোহে। ৬টা বছর কেটে গেল। জরির বয়স এখন ১৩। জরি আস্তে আস্তে সব কাজ শিখে ফেলেছে। রান্না বান্না এখন জরিই করে। ১জন বুয়া বাদ দেয়া হয়েছে। নিজহাতে অতিযত্নে রন্ধনকৃত উপাদেয় খাদ্যগুলো কখনো জরির পাতে পড়েনা। তাকে খেতে হয় উচ্ছিষ্ট। জরি নিজের হাতে সবগুলো বিছানাপত্র ও ড্রইংরুম গুছিয়ে রাখে। কিন্তু সে নিজে খাটে শুতে পায়না, সোফায় বসতে পায়না। বাসার সবাই যখন বেড়তে যায়, জরি একা থাকে বাসায়। ওরা জরিকে তালাবন্ধ করে রেখে যায়। সে সময়টায় জরি বেশ স্বাধীন বোধ করে। বেশ প্রফফুল্ল বোধ করে। তাকে কেউ গালি দেবার বা মারার থাকেনা। সবগুলো গোছানো খাটে গিয়ে জরি মনের সুখে গড়াগড়ি দেয়। নরম সোফায় বসে পা দোলায়। ঠোঁটে বেশি করে লিপস্টিক মেখে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে। নিজের প্রতিবিম্বের সাথে কথা বলে। চেপে চেপে বড় এক প্লেট ভাত নিয়ে টেবিলে বসে তৃপ্তি করে খায়। আহ কী আনন্দ, কী স্বাধীনতা, কী সুখ! সব সময় যদি এভাবে শূন্য বাসায় থাকা যেত !কিছুক্ষণ পরেই আবার শুরু হয় পরাধীন সংকুচিত নিপীড়িত জীবন।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে জরিকে আবার আনোয়ারার স্বামীর হাত-পা টিপে দিতে হয়। আনোয়ারার ও তার মেয়েদের চুলে বিলি কেটে দিতে হয়। এর মাঝে জরির চাচা শফিক এসেছিল কয়েকবার, জরিকে বেড়াতে নিয়ে যেতে এবং জরির বেতন বাবদ কিছু টাকা পয়সা চাইতে। ওকে খালিহাতে ফেরত যেতে হয়েছে। আনোয়ারা বলেছেন, আমি এত কষ্ট করে কাজ কর্ম শেখালাম; এই মেয়ে গেলে যদি আর না আসে! তাছাড়া তোমার বাড়িতে বেড়াবার কী-ই বা আছে, তোমরা নিজেরাই ত খেতে পাওনা। ওকে খাওয়াবে কি? আর কয়দিন পরপর টাকা চাও কোন যুক্তিকে? আমি এই মেয়েকে বিয়ে শাদি দেব, বিয়ের সময়ও ত অনেক টাকা লাগবে। আর তুমি ত মেয়ের বাবা নও, ওর বেতনের টাকা তুমি ত পেতে পারনা। একসাথে এতগুলো প্রশ্ন ও প্রশ্নকর্তার মুখেই তার উত্তর শুনে শফিক হতভম্ব হয়ে যায়। তার আর কোন মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ বা সাধ্য থাকে না। শফিক নিরাশ হয়ে খালিহাতে ফিরে যায়। একেবারেই খালিহাতে কিন্তু নয়। প্রতিবারেই ওর হাতে কিছু পুরনো কাপড় তুলে দিয়ে আনোয়ারা বিশ্ব বিজয়ের উল্লাসের মত উল্লসিত ও উদ্ধত ভঙ্গিতে বলেন, এগুলো অনেক দামী দামী কাপড়, বড় বড় ব্র্যান্ডেড দোকান থেকে কেনা। নিয়ে যাও দুই এক বার পরা। এত ঘন ঘন আসবেনা। শফিক ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে আনোয়ারার দিকে তাকিয়ে থাকে। ইতস্তত করে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলে, আপা পথভাড়াটা যদি দিতেন। আনোয়ারা, তোমার জ্বালায় আর বাঁচিনা বলে দুই’শ টাকা এনে শফিকের হাতে দিয়ে বলেন, হলো ত? এবার যাও, একটু কম আসার চেষ্টা করো। চাচা চলে যাবার পর জরি আড়ালে আড়ালে কাঁদে। ওর খুব ইচ্ছে করে বাড়ি যেতে, চাচীকে চাচাত ভাইবোনদের দেখতে। জরির বাড়ন্ত দেহ, সুন্দর গায়ের রঙ, মিষ্টি মুখশ্রী। বাসায় নতুন কোন অতিথি এলে জরিকেও আনোয়ারার মেয়ে মনে ক’রে প্রশ্ন করে, আপনার তিন মেয়ে বুঝি। ছোটটি বেশ মিষ্টি ত। আনোয়ারা বিরক্তির সাথে বলে, আরে না না ওটা ত কাজের মেয়ে। জরিকে ধমক দিয়ে বলেন, এই মেয়ে তুই সারাক্ষণ এত সেজে গুজে থাকিস কেন, কোন কাজ কর্ম নেই না? অতিথিদের উদ্দেশ্যে বলেন, জানেন কোন কাজ করেনা; একদম ফাঁকিবাজ।

যা কিছু হারায় আনোয়ারা বলেন, “ জরি চাকরানীই চোর।“ পান থেকে চুন খসার আগেই ওকে মেরে খুন করা হয়। কটুবাক্যের বিষাক্ত বান ত শ্বাস প্রশ্বাসে মতই চলছে। ইদানীং নতুন কিছু অপরিচিত বাক্য শুনতে হচ্ছে জরিকে। আনোয়ারার স্বামীর গা টিপে দেয়ার সময় তিনি কী সব যেন বলেন জরিকে! জরি কিছু বুঝতে পারেনা খালুজান কেন এমন করছেন ওর সাথে! জরির খুব লজ্জা লাগে খালুজানের সামনে যেতে। জরি এসব কিছু থেকে মুক্তি খুঁজছিল। তাই একদিন ওর নিজের ব্যবহারের কিছু ছেঁড়াভেঁড়া কাপড় চোপড় পুটলি বেঁধে সে পালাল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। কিছু দূর গিয়েই ধরা পড়ল আনোয়ারার হাতে। বাসায় এনে বেদম প্রহার, পুলিশি রিমান্ড শুরু হল জরির উপর। আনোয়ারা প্রাণপণে মারতে মারতে, কুৎসিত ভাষায় গালি দিতে দিতে জিজ্ঞেস করছেন, বান্দী তোকে সুখে থাকতে ভুতে কিলায়? কত টাকা সরিয়েছিস, কোন প্রেমিকের কাছে যেতে চাইছিস, কত ভরি গহনা সরিয়েছিস। ইত্যাদি ইত্যাদি। জরি মার খেতে খেতে বলল, খালাম্মা কিছু নিইনি। আপনি আমার পোটলা খুলে দেখুন। পোটলা খুলে তন্ন তন্ন করেও কিছু পুরনো কাপড় ছাড়া আর কিছুই পাওয়া গেলনা। না। এই ঘটনার পর জরির উপর মার ও কটুবাক্যের মাত্রা প্রবল বেগে বেড়ে গেল।

এভাবেই দিন যাচ্ছিল। ক’দিন ধরে জরির শরীরটা ভাল যাচ্ছেনা। গা মিশ মিশ করছে। কাজে অরুচি, খাওয়াতে অরুচি। খালি ঘুম পায়। কাজ করার সময় ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে পড়ে। আনোয়ারা বলছেন, কাজ না করার নতুন বুদ্ধি বের করেছ হ্যাঁ! কয়েক মাস কেটে যাবার পর জরির শরীর কিছুটা ঠিক হল। কিন্তু ওর তলপেটটা বাড়তে লাগল। আনোয়ারার চোখে পড়ল জরির ক্রমবর্ধমান পেট। আনোয়ারা ওকে রিমান্ডে নিয়ে গেলেন। “হারামজাদি বান্দীর বাচ্চা বল, কোত্থেকে বাঁধিয়েছিস এই পেট।“ জরি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল,” খালুজান।” আনোয়ারা হিংস্র অগ্নিমূর্তি ধারণ করে বললেন, কী বললি বান্দী তোর এত বড় সাহস আমার ফেরেশতার মত স্বামীকে অপবাদ দিস! এখনি বেড়িয়ে যা। চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে রক্তাক্ত অবস্থায় আনোয়ারা , জরিকে গেটের বাইরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন। জরি আনোয়ারার পা জড়িয়ে ধরে বলল, খালাম্মা আমি কোথায় যাব; কে আমাকে আশ্রয় দেবে? আনোয়ারা জরিকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে বললেন, জাহান্নামে যা, পাপিষ্ঠা।