একদা পৃথিবীর ইতিহাসে দুইটি দেশ ছিল। তাহাদের একটির নাম দেই আর আরেকটির নাম নেই। উহারা বন্ধু রাষ্ট্র। উহাদের মধ্যে কোন প্রকার দ্বন্দ ছিল না। নেই দেশটি ছিল অনেক বড় আর দেই ছিল অনেক ছোট।একটি ছফুট লম্বা দেহের সাথে একটি ছইঞ্চি শিশ্নের আয়তনে যে পার্থক্য হইবে ঐ দুটি দেশের আয়তনেও তেমনই পার্থক্য হইবে। দেই দেশ শাসন করিত একজন রাণী এবং নেই দেশ শাসন করিত একজন রাজা। উক্ত রাজা-রানীদের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বর্তমান ছিল। যদিও দুষ্ট লোকেরা নিন্দা করিত এই বলিয়া যে দেই-এর রাণীর সহিত নেই-এর রাজার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। রাজা রাণীদের ঐরকম একটু অভ্যেস হইয়াই থাকে তাহা মুখপোড়া নিন্দুকেরা বুঝিতে চাহিত না। অবশ্য তাহাতে দেই নেই এর রসের জলকেলীতে মোটেই বাধা পড়ে নাই। তবে একদিন একটি দূর্ঘটনা ঘটিয়া গেল।
রাজা এবং রাণী সাধারনত দুই দেশের সীমান্তে দেখা করিত। আশেপাশে পাইক পেয়াদারা পাহারা দিত। তাহাদের জলকেলী খেলার সময়ে সীমান্ত পথে সমস্ত যাতায়াত বন্ধ ছিল। কিন্তু এক গরু ব্যাবসায়ী তাহার গরু লইয়া সেইদিনই সেইখান দিয়াই সীমান্তের ঐপাড়ে গরু বিক্রি করিতে যাইতেছিল। সদা প্রস্তুত পেয়াদারা তাহাকে প্রথমে আটকাইল।
কিন্তু গাড়োল ব্যাবসায়ী তাহা না বুঝিতে চাইয়া বার বার যাইবার জন্যে অনুনয় করিতে থাকিল। পেয়াদা সর্দার বলিল ,ওহে তুই যাইতে পারবি না, কারন এখন রাজারানী জলকেলী খেলিতেছে। ব্যাবসায়ী তাহার পরেও অনুনয় করিতে লাগিল।
তখন সর্দার বলিল, ঠিক আছে তবে।তুই আমার বন্ধু দেশের মানুষ বলিয়া তোকে একখানা ছাড় আমি দিতে পারি। ব্যাবসায়ী আনন্দিত হইয়া উঠিল। পেয়াদা বলে, তুই যদি আমাকে ১০টি স্বর্ণমূদ্রা দিস তাহা হইলে আমি তোকে ওপারে যাইতে দিতে পারি। উহা শুনিয়া গরু ব্যাবসায়ীর উজ্জ্বল মুখ অন্ধকার হইয়া আসে।
বলিল, আমি কোথা হইতে এত পয়সা পাইব হুজুর? আমি গরীব ব্যাবসায়ী!
পেয়াদা তাহার দাবীতে অটল।
তখন লোকটি বলিল, হুজুরের দয়া হইলে আমি একটি প্রস্তাব দিতে পারি।
কী?
গরু ব্যাবসায়ী বলিল, আমি তো এখন গরু বিক্রি করিতে যাইতেছি সেইজন্যে আমার নিকট এখন কোন পয়সা নাই। তবে আমি বিক্রি করিয়া ফিরিয়া আসার সময় পয়সা থাকিবে এবং তখন হুজুরের পয়সা আমি দিতে পারিব।
পেয়াদা চিন্তিত প্রসাদ পাল হইয়া ভাবিল, দেখিল রাজা রাণীর জলকেলী তখন পিক-আপ মোমেন্টে। তাহাদের শিৎকারে গাছের পাখি পর্যন্ত পলাইয়া গিয়াছে। এমন কী ব্যাবসায়ীর গরুগুলোর মধ্যে পর্যন্ত চাঞ্চল্য লক্ষ করা যাইতেছে। এখন যদি উহাকে যাইতে দেই তাহা হইলে রাজা রাণী টের পাইবে না। চামে দিয়া বামে আমার একটা আয়ও হইয়া যাইবে। এই ভাবিয়া সে রাজী হইল এবং ব্যাবসায়ীকে যাইতে দিল।
কিন্তু পথিমধ্যে ব্যাবসায়ী ডাকাতের কবলে পড়িয়া সমস্ত গরু হারাইয়া ফকির হইয়া গেল। কাঁদিতে কাঁদিতে সে যখন সীমান্তে ফেরত আসিল তখন রাজা রানীর খেলাধুলা শেষ হইয়া যাওয়ায় তাহারা চলিয়া গেলেও ঐ পেয়াদাটি নটি বাড়ির কথা চিন্তা করিয়া তাহার তিন নম্বর পা’টি চুলকাইতেছিল। ব্যাবসায়ীকে দেখিয়া সে লাফাইয়া লাফাইয়া আসিল এবং তাহার পাওনা টাকা চাইল।
ব্যাবসায়ী তাহাকে সমস্ত ঘটনা খুলিয়া বলিল। বলিল আপনার দেশের ডাকাত আমার সমস্ত গরু কাড়িয়া লইয়া গিয়াছে।
কিন্তু পেয়াদা উহা শুনিবে কেন? নটি বাড়ির নতুন নটিটির কথা ভাবিয়া ভাবিয়া সে এত সময় পার করিয়াছে। এখন এই ধুনফুন কথা শুনিয়া কেন সে স্বপ্নে পানি ঢালিয়া দিবে? সে যতই পয়সা চায় ব্যাবসায়ী ততই কাঁদিয়া ওঠে। কিন্তু তাহাতে পেয়াদার মন মোটেই গলিল না। গলিবেই বা কী করিয়া। এতক্ষন রাজা রানীর চিৎকার এবং শিৎকারে তাহার শরীর হইতে কম তরল বাহির হইয়াছে? তরলশুন্য শরীর এখন গলিবে কী উপায়ে?
অতঃপর অগ্নিশর্মা হইয়া ব্যাবসায়ীকে সে বেধরক পিট্টি লাগাইল। লাগাইবে নাই বা কেন? তাহার প্রাপ্য পয়সা দেয় না? কত বড় সাহস এই ছোট্ট ব্যাবসায়ীর!! পিট্টি দিতে দিতে তাহাকে ল্যংটো করিয়া ফেলিল। শ্যালক বেত্তমিজ!! আমার সহিত ঝামেলা করিস!
উক্ত ঘটনায় দেই এবং নেই দেশের মানুষেরা সরব হইয়া উঠিল। তাহারা যত ধরনের চিৎকার চেচামেচি করা যায় তাহা করিতে লাগিল। উহাতে বিরক্ত হইয়া নেই দেশের রাজা উক্ত পেয়াদাকে কয়েকদিনের জন্যে নটি বাড়িতে থাকিতে বলিল। আর দেই দেশের রাণীর কানে সমস্ত চিৎকার শিৎকার হইয়া বাজিতে থাকিল। কারন তাহার কিছু দিন আগেও নেই দেশ হইতে সে “”ঐ বছরের শ্রেষ্ট তোষামোদকারী”” হইবার গৌরব অর্জন করিয়াছে। এত তাড়াতাড়ি সে এই ভালোবাসা ভুলিয়া যায় কী করিয়া?? তাই সে এ সমস্ত চেচামেচিতে কান দিল না। সে উদগ্রিব হইয়া অপেক্ষা করিতে লাগিল কবে আবার রাজার কঠিন বাহুবলে নিজেকে সপিয়া দিতে পারিবে এই ভাবিয়া।
এরপর হইতে নেই এবং দেই আবার সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল।
আহ সাইফুল ভাই। চমৎকার একটা রূপক লেখা লিখেছেন। (Y) কাজী মামুন ভাইয়ের দেয়া লিঙ্ক ফলো করে এখানে আসলাম। ধন্যবাদ মামুন ভাইকেও লিঙ্কটা দেবার জন্য।এইটা কিন্তু আসলেই দারুন লেখা হইসে।তো দয়া করে আর খিস্তি খেউড় করা লেখা না লিখে বরং এইরকম লেখা দেন। অনেক সুন্দর পরিবেশে আলাপ আলোচনা করা যাবে। লেখাটির জন্য আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। (F)
বিপ্লব পাল
আপনাকে বলছি।ভারতের চেয়ে চীনের মাথাপিছু আয় বেশি তাই বিএসএফ চীনাদের মারে না।কারণ চীনারা ভারতে যায় না।আবার ভারতীয়রা ও চায়না যায় না।তাই হত্যা বা সংঘর্ষ হয় না।ভারতের সাথে ভুটান,মায়ানমার,নেপাল,পাকিস্তানের সীমান্ত আছে সেগুলো সীমান্তে তো কখনো হত্যাকান্ড ঘটে না।নিশ্চয় উপরোক্ত দেশ গুলোর মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি না???
চ্রম লেখা !
httpv://www.youtube.com/watch?v=etc6IkR9c3Y
httpv://www.youtube.com/watch?v=G6J1kT3c_AE
*************দেই এবং নেই সমাচার**********
দেই , নেই দুই ভাই
পথে পেল মরা গাই
দেই বলে , খাই
নেই বলে চামড়া টা চাই
নেই গরু খায় না
দেই গরু পায় না
গরু নেই’য়ের মাতা
গরু দেই এর বলীর পাঠা
হাবু শেখ বুঝে নাই
নিজেই একটা গরু পুরাটাই
গেছে গরু আনতে
টেঁকে নাই কিছুই দিবার ঘুষের পাতে
বেটা হাবু মানুষটা আসলে গাধা
দিন বদলের পালার মজেজাই বুঝে না
ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম
এই রাষ্ট্রেও গরুর ধর্ম আছে
খাবি মুসলমান গরু খা
হিন্দু গরু আনতে গেলি কা?।
মন্তব্যগুলো পড়তে দারুন লাগল।
অবক্ষয় যে একটা কারন এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই। কিন্তু অবক্ষয়-টবক্ষয় যাই থাকুন না কেন, ভারত সরকার যদি টাইট দেয় তবে বি,এস,এফ এরকম হত্যা করতে পারে এটা বিশ্বাস হয় না। হ্যা অবশ্য সীমান্তরক্ষা করা ভারত সরকারে দায়িত্ব। কিন্তু এর মানে কি এরকম নির্দয়তা? অপরাধ করেছে জেলে নিয়ে যাবে। কিন্তু এ কি ধরনের নৃশংসতা???
ভারত সরকারের পক্ষে কি এরকম রুল জারি করা একেবারেই অসম্ভব যে এরকম ঘটনার পুনারবৃত্তি ঘটলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বি.এস.এফ এর যে নেতৃত্ব দেন তাকে চাকুরী হতে বহিষ্কার করা হবে অথবা ওই অঞ্চলের পুরো বি.এস.এফ. বাহিনীর বিরুদ্ধেই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে??
@রনবীর সরকার,
এইটার উত্তর মামুন আর বিল্পব দা ভালো দিতে পারব।
@সাইফুল ইসলাম,
হ্যা। উনাদের থেকে উত্তরের প্রত্যাশায় রইলাম।
মডারেটরের কাছে অসীম সংখ্যক নেস্টেড কমেন্টের সুযোগ রাখার দাবি জানাইলাম!
@রূপম (ধ্রুব),
মুক্তমনাকে টুরিং মেশিন ঠাউরাইলেন নাকি?
@রূপম (ধ্রুব),
ভাইয়া প্রথমেই বলে নিচ্ছি আপনার যুক্তিগুলো ভাল লাগছে! আপনার বিশ্লেষনগুলো সত্যি ভাবিয়েছে!
হাসিনা-মনমোহনের কাছে প্রতিবাদ (যাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই; বরং আমিও তাই করব) করা হল কই? এখানে তো তাদের খলনায়ক বানানো হয়েছে; তাদেরকে দহরম-মহরম পর্বকেই ঘটনার মূল নিয়ামক হিসাবে দেখানো হয়েছে!
একমত। তবে প্রজার আগে রাজা ভাল হলে কিভাবে চলতে পারে, তার দুয়েকটা উদাহরণ দিলে ভাল হয়। আফগানিস্তান ও ইরানে চরম সংস্কারবাদী ও মুক্তমনা শাসক এসেছিল; তাদের বিদায়পর্ব আমাদের অজ্ঞানতার অন্ধকারে ডুবে থাকা প্রজার দৌরাত্মের কথাই মনে করিয়ে দেয়!
কে বলেছে এই কথা যে প্রতিবাদ বন্ধ করে বসে থাকতে হবে? আমি বলেছিলাম, আমরা প্রতিবাদও করব, কিন্তু পাশাপাশি রোগের স্থায়ি সমাধানের কথাও ভাবব। বিএসএফ, বাংলাদেশ পুলিশ ইত্যাদি সংগঠনকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে, এদের ভিতরকার আদিমতার লেশমাত্র না থাকে, শুধু কর্তব্যবোধ ও দায়িত্ববোধ দিয়ে চালিত হয় তারা! এভাবে প্রকান্তরে আমার কথা কিন্তু আপনার ‘বহুমুখী আলাদা প্রচেষ্টা’কেই সমর্থন করছে!
হ্যা, এমন কিছু প্রচেষ্টা যদি নেয়া হয়, যার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে আন্তরিক কোন শাসকগোষ্টীকে (আপনি হাসিনা-মনমোহনকে দুদেশের সমস্যা সমাধানে বেশী আন্তরিক না মানতে চাইলে বাই ডিফল্ট হিসাবে বিএনপি-বিজেপিকে সেই কৃতিত্বখানি দিতে হবে) বিদায়ঘন্টা শুনানো হয়, তা কিঞ্চিত ক্ষতিকর বৈকি!
গনতান্ত্রিক হলেই ভাল, অগনতান্ত্রিক হলেই খারাপ- এমন তত্বে আমার পুরোপুরি বিশ্বাস নেই। তাছাড়া কাজে দেবে না এই ভয় দেখিয়ে কোন উদ্যোগ রোধ করার কথাও বলা হয়নি! আপনি তো অবশ্যই স্বল্পমেয়াদী উদ্যোগ, মধ্যমেয়াদী উদ্যোগ, দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ – এই টার্মগুলো শুনেছেন। ধরে নিন, তারস্বরে এই বর্বরতার তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ হচ্ছে স্বল্পমেয়াদী আর বিএসএফের মনোজাগতিক পরিবর্তন হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ! আমার কাছে বিএসএফ ব্রেভিকের মতই অসুস্থ।
আমি চিন্তা করে লাভ হবে, এ কথা কোথাও বলিনি। বিএসএফের মনোজগতের সংস্কার সাধনের দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছি!
দেখুন দুই কোরিয়ার বাসিন্দা একই জাতের হলেও একই চরিত্রের নয়; উত্তর কোরিয়ানরা আগলে রেখেছে তাদের স্বৈরাচারী শাসককে! উত্তর কোরিয়ানদের জাত্যভিমান, অহমিকা, আড়ষ্ঠতা, জড়তা এতই প্রবল যে, উত্তর কোরিয়া একটি ভাল সরকার পেলেও নিয়ম নীতি পাল্টে নিমিষেই উন্নতি সম্ভব না! যে জাতি খাবার না খেয়ে থাকবে, তবু আনবিক বোমা বানাবে, যারা বন্ধুত্বের সব আহবানকে ফিরিয়ে দেবে, যারা একনায়ক শাসকের জন্য কেঁদে বুক ভাসাবে, যারা অতীতের তিক্ততা আজীবন পুষে রাখবে মনে, জিইয়ে রাখবে বিরোধ, তাদেরকে আপনি সামাজিক অবক্ষয়ের শিকার বলবেন না?
@কাজি মামুন,
আমি ভেবেছিলাম ইস্তফা দিবো। কিন্তু অভিযোগ পাচ্ছি, অনেকে আমার মানুষের মুক্তিকামিতার (আধুনিক বিরোধিতার) একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পঠনের পর উগ্র জাতীয়তাবাদ নিয়ে সম্যক ধারণা লাভ করার প্রেক্ষিতে বর্তমানের বিএসএফ বিরোধী অনলাইন আন্দোলনকে একটা উগ্র জাতীয়তাবাদী কর্মকাণ্ড হিসেবে ভাবছে। এখন বিবেকের দ্বন্দ্ব হলো – এই ক্ষেত্রে এই উগ্র জাতীয়তাবাদকে কীভাবে প্রশ্রয় দেয়া যাবে?
আমি স্বীকার করছি, বিএসএফ বিরোধী আন্দোলনে জাতীয়তাবাদের এলিমেন্ট রয়েছে। তবে উগ্র জাতীয়তাবাদে মনে হয় না এটা পর্যবসিত হয়েছে। এর মানে এই না যে কেউ কেউ সেই রূপ প্রদর্শন করে নি। তবে ব্যক্তিবিশেষের সেই আচরণে চিন্তিত হবার কিছু আছে বলেও মনে হয় না। তবে গোষ্ঠিগতভাবে উগ্র জাতীয়তাবাদের বিস্তার ঘটলে সেটার বিচার বিশ্লেষণের প্রয়োজন অবশ্যই পড়তে পারে। এবং আমার ধারণা সেটার প্রয়োজন একসময় পড়বেও। তবে একটা জনগোষ্ঠির সামাজিকভাবে জাতীয়তাবাদী মনোভাব পোষণ আর রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয়তাবাদের লালন পালন কিন্তু এক না। যেমন, ধরুন পশ্চিমে অনেক দেশেই গোষ্ঠিগতভাবে অনেকে বর্ণবাদী মনোভাবাপন্ন। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে মোটেও না। রাষ্ট্র যখন এর পৃষ্ঠপোষকতা করছে না, তখন গোষ্ঠিগত বর্ণবাদী মনোভাবাপন্নের প্রতি বাড়তি কিছু করার প্রয়োজন দেখি না যতোক্ষণ সেটা অপরাধ তৈরি না করছে। তারপরেও কেউ বলতে পারে, শালারা রেসিস্ট। ভ্রু কুঁচকায়, কথা কয় না। কিন্তু সেটা করার অধিকার তার আছে। এবং আমি তাদের এই অধিকার সমর্থন করি। যেখানে বর্ণবাদের অনুপস্থিতি প্রয়োজন রাষ্ট্র সেটা নিশ্চিত করার পর ব্যক্তির আচরণেও যদি হস্তক্ষেপ করতে যায়, সেটা কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠে। ব্যক্তির বর্ণবাদী, নারী বিদ্বেষী, জাতীয়তাবাদী মনোভাব পোষণের অধিকার কাছে, আইনের সীমার মধ্যে। সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথার কিছু আছে বলে মনে হয় না।
তবে সে নিয়ে আপনি লিখতে পারেন, যদি সমস্যা পান। কেবলই “উগ্র জাতীয়তাবাদ” তকমা সাঁটিয়ে সমালোচনা কিন্তু সাড়া যাবে না। সেটা হবে বিসমালোচনা। উগ্র জাতীয়তাবাদ বা কম্যুনিস্ট আন্দোলন এগুলা বাই ইটসেল্ফ খারাপ তা তো না। এগুলোর ফলাফল খারাপ হতে পারে দেখে এরা খারাপ হবার যোগ্য। ফলে আপনাকে দেখিয়ে দিতে হবে কীভাবে কী সমস্যা হচ্ছে। যেমন আমার লেখায় আমি উল্লেখ করেছি, এদের বিপর্যয়টা ধরা পড়ে যখন এইসব শক্তি ক্ষমতায় শক্ত আসন গেঁড়ে বসে। উগ্র জাতীয়তাবাদ রাষ্ট্রে ব্যক্তির সার্বভৌমত্বকে উপর্যুপরি অস্বীকার করতে থাকে ও জাতিগত অবশ্য করণীয় নির্ধারণ করে দেয়। এটা বাই ইটসেল্ফ খারাপ বলা যেতে পারে, ব্যক্তির সার্বভৌমত্বকে সার্বিক মূলনীতি মেনে নিলে। কেউ না মানলে সেটার বিচার বিশ্লেষণেও যাওয়া যেতে পারে। তবে নীতি হিসেবে ব্যক্তির সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করা যতোটা চলে, কেবলই উগ্র জাতীয়তাবাদ বিরোধিতা ততোটা না। ব্যক্তি উগ্র জাতীয়তাবাদী হতে পারে। তখন “আপনি উগ্র জাতীয়তাবাদী হতে পারেন না” বলা কিন্তু খাটে না। সমস্যা যখন গোষ্ঠি, রাষ্ট্র বা সমাজ অন্যের উপর জাতীয়তাবোধ দাবী করে বসে। নিজের মাপের জাতীয়তাবাদী আদর্শ অন্যের কাছে দাবী করে। এখন পর্যন্ত এই আন্দোলন কিন্তু অহিংস ও স্বেচ্ছা অংশগ্রহণের আহ্বানে সীমাবদ্ধ (বর্জন)। কিন্তু এর কোনো একটা ধারা যদি “স্বেচ্ছা অংশগ্রহণের আহ্বানের” দাবীর বাইরে এসে জোরজবরদস্তিতে পর্যবসিত হয়, যারা মানছেন না, তাদের চিহ্নিত করে হেনস্তা করা হয়, তখন সেটা উগ্র জাতীয়তাবাদের সমস্যা হিসেবে দেখা দিবে। সেটাকে সমালোচনা করার তখন গ্রাউন্ড থাকে।
আমার এই আলোচনার প্রেক্ষিতে আশা করি উগ্র জাতীয়তাবাদের সমস্যা নির্ধারণে আপনি আরেকটু সহায়তা পাবেন।
বটে। তা সেটার সত্যতা না থাকতে পারে। সেটা আপনি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতে পারেন। তবে প্রতিবাদের ভাষা তো কেবল ফুলচন্দনযোগে হয় না। মানে ফুলচন্দন দিয়েও প্রতিবাদ নিশ্চয়ই হয়। কিন্তু খলনায়ক বানিয়েও প্রতিবাদ হয়। প্রতিবাদেরও নানারূপ আছে। আপনি কি এর ভ্যালু জাজমেন্ট করছেন নাকি এর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরছেন। আমার মুক্তিকামিতার উপর লেখায় কিন্তু বিস্তারিত বলেছি যে – রাষ্ট্র বাই ডিফল্ট খলনায়ক। এটা প্রায় স্বীকৃত। আর খলনায়কেরা প্রজার শোষণে একাট্টা হয়ও। সেটা যাতে না করে, এজন্য রাষ্ট্রের বেশি দহরম মহরম করা ঠিক না। জেফারসনের ভাষায় –
“Peace, commerce, and honest friendship with all nations — entangling alliances with none.”
বর্তমান সরকার সেই ভুল পথেই বহুদূর চলে গেছে। এটার প্রতিবাদ আরো আগে থেকে করা দরকার ছিলো। তাদের এই দহরম মহরম বিএসএফের বিপক্ষে সরকারি প্রতিবাদগুলোকে দুর্বল করে।
যুক্তরাষ্ট্রে ফাউন্ডিং ফাদারদের কথা ভুলে গেলেন? প্রজা তো দূরের কথা, যুক্তরাষ্ট্রে খুব কম চিন্তাবিদ ওনাদের মতো চিন্তাভাবনা করতে সক্ষম বলে আমার মনে হয়। ওনারা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তির মুক্তির সনদ লিখে গেছেন। ওনারা চিন্তাভাবনায় সাধারণ যুক্তরাষ্ট্রবাসীর চেয়ে অবশ্যই বহুগুণ এগিয়ে ছিলেন। এখনো আছেন। তবে সবদেশে এভাবেই ঘটনা ঘটতে হবে তা না। এটা বরং একটা দৈবাৎ ঘটা ব্যাপার। কিন্তু পরিবর্তন যুগপৎ ঘটতে পারে। আমি যেমন একটা উদাহরণ দিয়েছিলাম যে প্রতিবাদ একটা ফিডব্যাক। এটা প্রজাদের উন্নত আকাঙ্ক্ষাকে সরকারি লোকের মস্তকে ঢুকিয়ে দিবে। সেটা তারা পালন করলে বাদবাকিরাও এতে আকৃষ্ট হবে। বা রৌরব যেভাবে বললেন “বাংলাদেশ যদি এই অন্যায়ের বিরূদ্ধে ফুঁসে দাঁড়ায়, তাহলে অনেক ভাল সরকারের প্রত্যাশা সে ভবিষ্যতে করতে পারে।”
বিদায়ঘন্টা শুনানো হয়েছে এমনটা দেখি নি। আপনি দেখে থাকলে আমাকে দেখাতে পারেন।
এটা ফ্যালাসি অব ফল্স ডিলেমা। আপনি বরং হয় বর্তমান চরিত্রের হাসিনাকে গ্রহণ করো নয়তো বিএনপিকে নাও এরকম উভয়-সঙ্কট প্রস্তাব করছেন। যেনো আর আর রকম নাই। আছে। তীব্র প্রতিবাদের অর্থ বিদায় করে অন্য দুষ্টের আগমন আশা করা না। বর্তমান হাসিনা সরকারকে প্রতিবাদ করলে সে পরিবর্তন হতে পারে। আর আওয়ামী লীগ গণমতের দিকে কর্ণপাত আগে করেছেও।
অগণতান্ত্রিক বলতে কর্তৃত্ববাদী বলতে চেয়েছি। অন্যের একটা স্বেচ্ছাকর্ম আপনি বল প্রয়োগ করে রোধ করবেন, সেটা তো খারাপই বৈকি!
তাই কি? আমি জানতাম ওখানকার সরকার স্বৈরাচার। স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে আর জনগণের ভাবনায় বিশাল ডিস্প্যারিটি থাকে। যে কারণে অত্যাচার, মিডিয়া রোধ এসবের দরকার পড়ে। আপনি সত্যিই জানেন এটা তাদের জনগণের মনোভাব, নাকি সরকারি মনোভাব? খাবার না খেয়ে আনবিক বোমা বানানোতে, বন্ধুত্ব ফিরিয়ে দেয়াতে, শাসকের জন্য কেঁদে বুক ভাসাতে জনগণের কতোটা স্বেচ্ছা অংশগ্রহণ ছিলো আর কতোটা রাষ্ট্রের চাপানো আদেশ ছিলো? কতো কতো মানুষকে যে তাদের সরকার গুলাগে রেখে মেরে ফেলছে, আপনি এসব রাষ্ট্রীয় নীতির দায়ভার তাদের উপর চাপাতে চাইছেন?
সোভিয়েত সরকারও কি গোটা সোভিয়েত ইউনিয়নের মানুষের প্রতিনিধি ছিলো? ওখানে গণহত্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ নিধন করে যে সরকার প্রায় এক শতাব্দ টিকে ছিলো, সেটা জনগণের ভাবনার প্রতিফলন?
যুদ্ধে এক সময় প্রায় পুরো কোরিয়াই উত্তর কোরিয়া হয়ে গিয়েছিলো:
[img]http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/e/eb/Korean_war_1950-1953.gif[/img]
সেখানেই যদি যুদ্ধ সমাপ্ত হতো, আপনি কি বলতেন যে পুরো কোরিয়ার মানুষ “জাত্যভিমান, অহমিকা, আড়ষ্ঠতা, জড়তা এতই প্রবল যে, উত্তর কোরিয়া একটি ভাল সরকার পেলেও নিয়ম নীতি পাল্টে নিমিষেই উন্নতি সম্ভব না! যে জাতি খাবার না খেয়ে থাকবে, তবু আনবিক বোমা বানাবে, যারা বন্ধুত্বের সব আহবানকে ফিরিয়ে দেবে, যারা একনায়ক শাসকের জন্য কেঁদে বুক ভাসাবে, যারা অতীতের তিক্ততা আজীবন পুষে রাখবে মনে, জিইয়ে রাখবে বিরোধ, তাদেরকে আপনি সামাজিক অবক্ষয়ের শিকার বলবেন না?”
? আমার মনে হয় তারা মহা কর্তৃত্ববাদী মহাজনের স্বীকার।
@রূপম ভাইয়া,
অনেক অনেক প্রশ্ন মনে এসেছে; কিন্তু সেগুলো অগ্রাহ্য করতেই হচ্ছে; কারণ আপনার আজকের আলোচনা প্রচন্ড ভাল লেগেছে! চিন্তাজগতকে পুরোই তাতিয়ে দিয়েছে! এই অবস্থায় প্রশ্নের ডামাডোলে যেতে মন আর সায় দিচ্ছে না! আপনার কাছ থেকে সমাজ ও বিজ্ঞান দর্শনের উপর নিয়মিত লেখা চাই! ভাল থাকবেন!
আপনার লেহা একটা আরেকটার থিকা ছাড়ায় যাইতাছে! আগুন!!! :guli:
@অভিজিৎ,
(@)
বি, এস, এফ গুলী করে বাংলাদেশীদের মারছে অহরহ, ফেলানীকে মেরে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছে, হাবু শেখকে ন্যাংটো করে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে……আমাদের দেশের কোন বিজ্ঞজন যদি এসবের জন্য কেবল দেশের জনগনের মূল্যবোধের বা সামাজিক বিকাশের সমস্যাকে দায়ী করেন তাহলে বুঝতে হবে হয় তাঁর দেশাত্ববোধ অত্যন্ত দুর্বল অথবা তিনি একজন কাছাখোলা ভারতপ্রেমী। শান্তিকালীন সময়ে দুটি বন্ধু (??) দেশের সীমান্তে এভাবে পাখির মত সাধারন মানুষ মারা হয় পৃথিবীর আর কোথাও? আছে আর কোন সীমান্তে এমন কাঁটাতারের বেড়া? হ্যাঁ আমাদের দেশের গরীব হাবু শেখরা পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্তপাড়ি দেয়। সেজন্য দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা এদের কাছ থেকে ঘুষও নেয়। তারপর তারা মারা পড়ে কুকুর বিড়ালের মত। বি, এস, এফ কোন জংগীবাহিনী নয় যে ভারত সরকার তাদের এইসব মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না। আসলে এইসবই ভারত সরকারের বাংলাদেশ সীমান্তনীতির অংশ। আর আমাদের কিছু সুবিধাভোগী, আত্নসম্নানহীন সুশীল আর নতজানু সরকারও এরজন্য সমান দায়ী। অবশ্যই আমাদের এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান না করা গেলে সীমান্তের এই অমানবিক ঘটনাগুলো অবশ্যই আন্তরজাতিক ফোরামে তুলতে হবে। শুধু দিয়ে গেলেই হবে না, নিতেও জানতে হবে। ভারতকে যেমন আমাদের দরকার, তেমনি ভারতেরও দরকার আমাদের। ওরা যদি আমাদের দেশের ভেতর দিয়ে পন্য নিতে চায় তাহলে তার বিনিময়ে আমরাও অনেক কিছুই চাইতে পারি। ধন্যবাদ স্পষ্টভাষী কবি সাইফুল ইসলামকে।
@মনজুর মুরশেদ,
আপনাকেও ধন্যবাদ।
উফ দারুন দারুন কমেন্ট দেখে ভাষাই হারিয়ে ফেলেছি।এখানে পিটুনির কারণ হিসাবে আনা হয়েছে সামাজিক অবক্ষয় কি আর বলব।দেশ হিসাবে ভারতের পররাস্ট্রনীতিইতো আমাদের মানুষ বলে মূল্য দেয় না তো বি এস এফ কোন ছার।বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশনে গেলেই তা টের পাওয়া যায়।হ্যা আমরা ডলার খরচ করে ভারতে গেলেও হ্যাংলা হয়ে যাই কিন্তু ওয়ার্কপারমিট ছাড়া এদেশের গার্মেন্টস সেক্টর আর শেয়ারবাজারে টাকা লুটপাটে হ্যাংলামি দেখা যায় না।দক্ষিন তালপট্টির ঘটনা সামাজিক অবক্ষয় নাকি নয়াদিল্লীর আশকারায় বি এস এফর দুষ্টামি ভেবে দেখার।
@ডেথনাইট, সংশোধন : দক্ষিন তালপট্টির ঘটনা সামাজিক অবক্ষয় নাকি নয়াদিল্লীর আশকারায় বি এস এফর দুষ্টামি ছিল ভেবে দেখার।
@ডেথনাইট,
এইটা সাবধান হারাইয়েন না।
ভারতের সিমান্তরক্ষী বাহিনী এক নিরস্ত্র বাঙ্গালীকে নেংটো করে পিটিয়ে টেঙ্গরি ভেঙ্গে দিয়েছে, তাতে কি? এর পরও এই যুক্তি শুনতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে যে- ভারুতীয়রা ভালু! আমাদের জাতীয়তাবোধ আমাদেরকে দিয়ে যদি বলিয়ে নিচ্ছে- আমাদের স্বজাতির একজনকে তুমি নেঙ্গটো করে পিটুতে পারো না, যেটা কিনা মোটেও ভালো কোন কথা না, তাই এই জাতিয়তাবোধ খুবই পরিত্যাজ্য একটা জিনিষ! অসভ্য সৌদি জানোয়ারেরা আমাদের দেশের নাগরিকের কল্লা ফেলে দিলে আমাদের দেশীয় শরিয়া শুয়োরেরা তাদের হয়ে কারণ দর্শায় যে এই কল্লাপাতের মধ্যেও আমাদের জন্য কি ধরণের মঙ্গল নিহিত থাকতে পারতো, একইভাবে আজ ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনীও নেঙ্গটো করে পিটুলে কিংবা মেরে লাশ কাটাতারে ঝুলিয়ে দিলে দেখা যাচ্ছে যে আকাশে বাতাসে যুক্তির ছড়াছড়ি- ‘ইহার পরেও ভারুতীয়রা ভালু’!! আমার প্রস্তাব হচ্ছে বিএসএফকে আরও পেশাদারী ট্রেনিং দেওয়া হোক যাতে কিনা তারা পরবর্তীতে এইরকম পিটিয়ে আর কোন বাঙ্গালির টেঙ্গরি ভেঙ্গে দিয়ে কিংবা কোন বাঙালি শিশুকে মেরে লাশ কাটাতারে ঝুলিয়ে দিয়ে এইরকম বোকা**র মতো মিডিয়ার হাতে ধরা না খায়।
@আল্লাচালাইনা,
আপনি কিচ্ছু জানেন না। সমস্ত ব্যাপারটাই অবক্ষয় জনিত সমস্যা। নাইলে কী আর বাঙলাদেশে পাবলিক মাইরা চায়না সীমান্তে যাইয়া ফেরেসতা অইয়া যায়?
@সাইফুল ইসলাম,
এইটাও অবক্ষয়ের আরেকটা দিকঃ দূর্বলকে পেলেই চড়াতে ইচ্ছে করে, আর শক্তিশালীকে দেখামাত্রই লেজ গুটিয়ে পালায়!
@সাইফুল ইসলাম,
চমৎকার এবং চমৎকারভাবে ঘা দেয়া হয়েছে। লোহার কপাটে ঘা তো, তাই কপাট ভাঙছে না থাকুক। তবে দিতে দিতেই একদিন ভাঙবে। ঘা দেয়া অব্যাহত থাকুক।
@গীতা দাস,
থাকবে দিদি।
******************দৃষ্টি আকর্ষণ ***************
ঘটনা ত ঘটিয়াছে। কিন্তু ঘটনার পিছনেও ঘটনা থাকিতে পারে। এই সময়ে কেন এমন ঘটিতেছে?। তাও আবার পর পর?। ইতিমধ্যে একজন বি,জি,আর এর সদস্য ও অপহিরিত। কেন? এখনই কেন?। কিছুদিন আগে ঢাকায় গুম হইতেছিল। তৃতীয় শক্তি পেছন দিক হইতে ছুরিকাঘাত করিবার পূর্বে এমন হইয়া থাকে। কিছুটা ত প্রমান মিলিয়াছে। এখন দেখা যাক সিমান্তের ঘটনার সাম্ভাব্য কারন কি হইতে পারেঃ
১) সরকারকে প্রচন্ড চাপে ফেলা যেন করিডোর দিতে বাধ্য হয়। কারন স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি সরকারকে চাপে ফেলিয়েছে। আরও চাপ সৃষ্টি কোরিয়া ফায়দা নেয়া ।
২) স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির পক্ষে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে ঘটনা ঘটানো, ভারত বিরোধী মানসিকতাকে উস্কাইয়া দেওয়া। সিমান্তে ঘুষ আদান প্রদান ভালই চলে।
১৯৯৬/৯৭ সালে বি,এস।এফ এর ১৪ জন সদস্যকে খুন কোরিয়া বাশে গরুর মত ঝুলাইয়া বি,ডি,আর এর সদস্যরা আনন্দ মিছিল করিয়াছিল, যাহা ছিল কিছু বি,দি,আর এর সদস্যের ভারত বিরধী মানসিকতাকে উস্কানর অপচেস্টা । ভারত সরকার তাহা সহ্য করিয়াছিল। উস্কানিতে কর্ণপাত করে নাই।
আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক যে বক্তব্য দিয়াছেন তাহা একজন মাতালের মুখে মানায়। মন্ত্রির মুখে নয়। উনি ইয়ে মানে একটু বেশী মদ টানেন বলিয়াই জানি।
******পুনশ্চ*****ঃ দায়দায়িত্ত সরকারকেই লইতে হইবে*****
@সপ্তক,
পাহাড়া খাতুন কইছে বিজিবি সদস্য বিএসএফের কাছে আশ্রয় নিছে। কিন্তু আশ্রয়ের পরের অবস্থা দেখছেন?
[img]http://media.somewhereinblog.net/images/Sinanthropus_1327135761_1-BGB.jpg[/img]
কী চমেৎকার আশ্রয়ই না পাইছিল!
গল্পটা পড়ে মনে হলো, রূপকথার এত রূপ! ঘুম ভাঙ্গানোর গুতো আছে, অন্ধদের জন্য ব্রেইল জাতীয় ব্যবস্থা আছে , কালাদের জন্য ইশারা ——-,
সমস্যা যারা দেখেও দেখে না, বুঝেও বুঝে না তাদের নিয়ে। আমি চাই তারা গল্পটা বার বার পড়ুক। বুঝতে তাদের হবেই।
সাইফুল ভাইকে ধন্যবাদ চমৎকার গল্পটি উপহার দেয়ের জন্য।
@জালাল উদ্দিন মুহম্মদ,
গল্পটা গার্বেজ হোউই সমস্যা নাই। নিজের স্ট্যান্ডপয়েন্ট থেকে দাঁড়ায়ে চিৎকার করতে থাকেন। আশায়, আরামসে সোফায় বসার থেকে দাবী তুলে দাঁড়ায়া থাকাই উত্তম সুন্নত।
@সাইফুল ইসলাম,
ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেরই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত। সম্ভব সকল রকমের প্রতিরোধের চেষ্টাও করতে হবে। আমি মনে করি এটা অবশ্য কর্তব্য। নিজের স্ট্যান্ডপয়েন্ট থেকে আমি যদি গলা ফাটিয়ে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকি তবে হাজার বছরেও ফলাফল আশা করা অবান্তর। দরকার একটা ফ্ল্যাটফরম। প্ল্যাটফরমের সকলের থাকবে অকুন্ঠ দেশপ্রেম, ঐকান্তিক ইচ্ছাশক্তি, দৃঢ় মনোবল। কিন্ত আমাদের সোনার দেশের নদীতে যে সকালে জোয়ার বিকালে ভাটা হয়। আমাদের চরিত্রও তো অনেকটা জোয়ার ভাটার মতোই!
আর সুন্নতের কথা বলছেন? কার সুন্নত? নবীর সুন্নত? কোন নবীর?
যদি সাইফুল ভাইয়ের কথা, কাজ বা অনুমোদন হয় তবেতো এটা হবে সাইফুল ভাইয়ের সুন্নত।
আপনি যে চিৎকার করার কথা বলেছেন তাকে আমি নবীর সুন্নত নয়, আমাদের সকলের জন্য আপনার সুন্নত মনে করি। ফরজ বা অবশ্য কর্তব্যও মনে করা যেতে পারে। তবে এখানে নেতৃত্বের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রকৃত নেতার জন্ম দিন, যে নেতা শুধু নিজের জন্য ভাববেন না বা তার দলের জন্য ভাববেন না; ভাববে্ন দেশের মাটি ও মানুষের জন্য।
আবারও ধন্যবাদ সাইফুল ভাইকে।
(Y) (Y)
আর তাদের সুখ শান্তি দেখে নেই এর দালালেরা হাত কচলাতে পার করে দিলেন বাকি জীবন।
@অভীক,
শুধু হাতই কচলান নাই। মাঝে মাঝে প্যন্টও খুলতে হইছে।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-21/news/218264
@দিগন্ত,
জাতি হিসাবে আমাদের আত্মমর্যাদাবোধ যে একেবারে তলানিতে পৌঁছে গেছে, এগুলো হচ্ছে তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। আমাদের নেতা-নেত্রীদের গায়ে কোনো অপমান আর এখন স্পর্শ করে না। কোথায় ভারত ব্যাকফুটে গিয়ে সাফাই গাইবে, তার বদলে ভারতের পক্ষ হয়ে এরাই সাফাই গায়। তিস্তা বাধের ক্ষেত্রেও দেখেছি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাকে এর পক্ষে কলাম লিখতে।
সামান্যতম আত্মসম্মানবোধ আছে এমন একজন মানুষের, আত্মমর্যাদাহীন একটা জাতির সদস্য হওয়া যে কতটা যন্ত্রণাদায়ক, সেটা বোঝানো যাবে না কিছুতেই।
@ফরিদ আহমেদ, এইটা কোনো ভারতীয় মন্ত্রী বললেও আমি অপরাধ বলে ধরতাম, সেই জায়গায় …
@দিগন্ত,
লিংকের জন্য ধন্যবাদ।
:-Y
@রৌরব,
আহা, সম্পাদক সাহেব ‘দিল্লী কা লাড্ডু’ খেয়েছেন! সিদ্ধির মাত্রাটা একটু বেশী হয়ে গিয়েছিল এই যা … … …
@দিগন্ত,
নতুন করে আবার বাঙলাদেশী হত্যা। দেখেন এখানে।
এই সব লেখা লিখা কিছু হইবো না সাইফুল মিয়া। তুমি আমি একটা আত্মমর্যাদাবিহীন জাতির আঙুলে গোনা যায় এমন সদস্য। এই জাতির লোকদের অন্যদেশে প্রকাশ্যে মুণ্ডু কাটলেও তারা উল্লাস করে, ভিনদেশের বর্বর বাহিনী লুঙ্গি খুলে পাছায় ডাণ্ডা পেটা করলেও তার পিছনে সামাজিক অবক্ষয় খুঁজে বেড়ায়। কেউ সাপের মত ফুঁসে উঠে বলে না যে, কারণের মায়রে মাপ। তুই শুয়ো্র, আমার দেশের মানুষের গায়ে হাত তোলার সাহস পাস কোথা থেকে?
@ফরিদ ভাই,
আপনি এভাবে পক্ষ নিতে পারলেন? জানেন, প্রথম আলোতে খবরটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিছি ”Shame on India!” সম্ভবত আমার অন্য ফেইসবুক বন্ধুদের তখনো নজরেই পড়েনি খবরটা!
মুক্তমনা তো ঝগড়ার জায়গা না; আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝেছি, মুক্তমনা বিতর্কের ঝড় তোলার জায়গা, প্রচলিত ভাবনাকে আঘাত করার হাতিয়ার, ঘটনার পেছনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কারণ আবিষ্কার করে মূল সন্ধানের প্লাটফরম, নিউরনে অনুরণন তুলে গোলা-ভর্তি ফসল ফলানোর উর্বর জমি! তো এইখানে বিএসএফের কার্যক্রমের পেছনে সামাজিক অবক্ষয় খুঁজে বেড়ানো কি ঘোরতর অন্যায় হয়েছে? যদি হয়ে থাকে, নিজগুণে না হয় ক্ষমা করে দেবেন!
এ কথা কাকে বলব? আমি যদি সামনে একজন বিএসএফ সদস্যকে পাই, তবে অবশ্যই প্রবল প্রতিবাদ করব। কিন্তু কোন বন্ধু ইন্ডিয়ানকে এই ঘটনার সুত্র ধরে এক হাত নিয়ে আক্রোশ মেটাব?
দেখেন, আমাদের পাড়ার চায়ের দোকানদার হাসিনার মুন্ডুপাত করছিল, যেন হাসিনাই নির্দেশ দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, অথবা হাসিনার আগে এ ধরনের ঘটনা যেন আর ঘটেনি! আমি হাসিনার সমর্থক বা কর্মি নই; কিন্তু এই ঘটনার জন্য হাসিনা-মনমোহনকে দায়ী করাটা আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে; মনে হয়েছে, সমস্যার গভীরে না যেয়ে বালুতে মুখ গুঁজে থাকার সামিল। আমি চায়ের দোকানদারের সাথে তর্ক করতে পারিনি; কিন্তু আমার প্রিয় মুক্তমনা ব্লগে নিজের মনের কথাগুলো লিখেছি; বিশ্বাস ছিল, আমাকে কেউ সমর্থন না করলেও বুঝিয়ে দেবে যুক্তির ভুলগুলো কোথায়? কিন্তু এখন দেখছি, সে আশায় গুড়ে বালি!
ফরিদ ভাই, আবারো না বুঝেই অনেক কথা লিখে ফেললাম। ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন!
@কাজি মামুন,
নিজের দেশের ব্যাপারে আমি চরমভাবে পক্ষপাতী। আগেও পক্ষপাত করেছি, এখনও করছি, ভবিষ্যতেও করবো।
এই ধরণের একটা আবেগী বিষয়তো আপনাকে মানায় না। আপনি না সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ কারণ অনুসন্ধানে আগ্রহী।
বি এস এফের কার্যক্রমের পিছনে কারণ অনুসন্ধান করবে বিপ্লব পালদের মত ভারতীয়রা। আমরা কেনো? পাছায় ডাণ্ডা বাড়ি খেয়েছি আমরা, হাবু শেখ একা না। অপমানটা আমাদের। কাজেই। ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে হবে আমাদের, কারণ অনুসন্ধান না। ও কেনো আমারে পিটালো তার সামাজিক কারণ অনুসন্ধান করতে থাকলে আজীবন ডাণ্ডার বাড়ি খেয়েই যেতে হবে।
ছেলে মানুষের মত কথা বলছেন। এই কথা আক্ষরিক অর্থে বলতে বলি নাই। বলেছি আত্মসম্মানবোধটা জাগ্রত করুন। যে যেখানে আছেন, সেখান থেকেই লড়াই করেন। মানুষ দেখুক যে, এরা একটা আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন জাতি। মার খাবার পরে নিজেরাই মার খাবার যৌক্তিকতা তুলে ধরে না, বরং ফুঁসে উঠে। পনেরো কোটি লোক এক সাথে জড়ো হয়ে চিৎকার করে ভারতকে শুয়োরের বাচ্চা বলে গালি দেন। দেখবেন ভারতের সব গুণ্ডামি, পাণ্ডামি বন্ধ হয়ে যাবে নিমিষেই। সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে বিশাল গবেষণার কোনো প্রয়োজন হবে না তখন।
ওই দোকানদার বালুতে মুখ গুঁজে নেই, আপনিই আছেন। সে কারণেই দোকানদারের কথাটা অদ্ভুত মনে হয়েছে আপনার কাছে। চায়ের দোকানদার কিন্তু ঠিকই বুঝেছে আসল কারণটা। হাসিনা, খালেদার মেরুদণ্ড একটু শক্ত হলেই সীমান্তে ভারতের গুণ্ডামি বন্ধ করা কঠিন কোনো কাজ না।
@ফরিদ ভাই,
ফেলানি হত্যার পর তো অনেক প্রতিবাদ হয়েছিল, প্রতিবাদ সভা, মিছিল, সামাজিক সাইটে নিন্দার ঝড়- সবই হয়েছিল; কিন্তু আরেকটা নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটতে খুব বেশী সময় নিল না কেন? আমাদের সরকার প্রতিবাদ করেনি বলে? আমাদের সরকারও কিন্তু প্রতিবাদ করেছে দূতাবাসের মাধ্যমে; ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবাই কথা দিয়েছেন সীমান্তে আর নির্যাতন হবে না, সীমান্ত ব্যবস্থাপনার চুক্তিও হয়েছে। আর অতিরিক্ত কি প্রতিবাদ আমরা আশা করব? ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াব? ভারতের সাথে সব আর্থিক-সামাজিক লেনদেন বন্ধ করে দেব? হাসিনা পদত্যাগ করবে? কতটুকু বাস্তবসম্মত হবে এগুলো?
আপনি তাহলে নিশ্চিত, হাসিন-খালেদা শক্ত না বলেই ভারত সীমান্তে গুন্ডামি করার সাহস পায়? একটা ছোট দেশের নেত্রীগন কতটুকু শক্ত হতে পারে আসলে?
ফরিদ ভাই, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সত্বেও সীমান্তে তাদের জওয়ানেরা এই নৃশংস কাজ করেছে, যাতে মনমোহনের কোন হাত ছিল না। বিপ্লব-দার লেখায় পাবেন, কেমন করে অনেক নন-আর্মড ভারতীয় এই ঘটনাকে সমর্থন করছে। কেন করছে? আমরা প্রতিবাদ করতে পারিনা, আমাদের নেতা-নেত্রী নতজানু, সেই কারণে? আমার মনে হয় না। আসলে এই সব ভারতীয়দের এক অদ্ভুত মনস্তত্ত্ব গড়ে উঠেছে: ”তারা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ, তাদের ঝকঝকে দেশকে নোংরা করে দিচ্ছে এইসব গরীব বাংলাদেশেরী!” আর আর্মড ভারতীয়রা বাংলাদেশীদের তো মানুষই মনে করে না, আমাদের দেশের অনেক জওয়ান যেমন পাহাড়িদের মানুষ মনে না করে না। শুধু পাহাড়ি কেন, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের সাথে আমাদের আর্মড ফোর্সের আচরণের নমুনা কি আমরা দেখছি না? সেক্ষেত্রেও কি আমরা শুধু প্রতিবাদ আর রাজা-রানীর গুষ্ঠি উদ্ধার করেই দায়িত্ব শেষ করব?
আমিও প্রতিবাদ করতে চাই, কিন্তু প্রতিবাদের পাশাপাশি সমাধানের রাস্তাও খুঁজতে চাই। রাজা-রানীর গল্প ফাঁদলে, বা ১৫ কোটি বাংলাদেশী সমস্বরে চিৎকার করলেই যে সমাধান বেরিয়ে আসবে, আমি তা মনে করি না! ভারতীয়দের যে জাত্যভিমান তা যেন আমাদের পেয়ে না বসে! কেননা জাত্যভিমানই সব হিংস্রতা জন্ম দেয়, একটা নৃশংস কাজকে যুক্তির পোশাকে হাজির করে, যেমনটা নন-আর্মড অনেক ভারতীয় করছে। আমি চাই এই জাত্যভিমান বা সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের মৃত্যু ঘটুক, অহংকারী মনস্তত্ত্ব পরিবর্তিত হয়ে মুক্তমনের বিকাশ ঘটুক, দেশ-জাতি-ধর্ম ভেদে সব মানুষের জন্য মনে ভালবাসা জাগ্রত হোক! তাহলেই কেবল আমাদের এই নির্মমতা আর প্রত্যক্ষ করতে হবে না।
@কাজি মামুন,
জাতিয়তাবাদ যে ধর্মের মতন আরেকটা রোগ সেটা বুঝতে ফরিদ ভাই এর আরেকটু সময় লাগবে। ধর্ম, জাতি, শ্রেনী এই সবের ক্ষুদ্র বর্গে আটকে থেকে পৃথিবীর কোন সমাধান হলে, সেটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দিয়েই হয়ে যেত। এসবে আটকে থাকা মানে ধার্মিকদের মতন ধর্মান্ধ চিন্তা ছারা অন্য কিছু না।
এই বি এস এফ সমস্যার সমাধান করতে যা যা লাগবে, সেটা হচ্ছে
[১] ভারত-বাংলাদেশ মুক্ত বানিজ্য এবং মুক্ত ভ্রুমন-সার্ক এক ই উ এর মতন গড়তে হবে
[২] ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ১০০ টা গরুর হাট করা-যেখানে বাংলাদেশীরা আইনমাফিক গরু কিনে নিয়ে যেতে পারবে। বাংলাদেশে ভারতীয় গরুর ডিমান্ড আছে-সেটাকে আইনত সিদ্ধ করলেই অনেকটা সমাধান হবে
[৩] বি এস এফ কে আরো পেশাদারী ট্রেনিং দিতে হবে। রবারের বুলেট দিতে হবে বা টিয়ার শেল দিতে হবে, যাতে নন লেদাল ফোর্স ব্যবহার করে তারা গ্রেফতার করতে পারে।
[৪] বি এস এফের ঘুঁশ খাওয়া ঠেকাতে হবে। হাবু শেখের মার খাওয়ার কারন সে বি এস এফ কে টাকা দিতে পারে নি। পারলে এসব কিছুই হত না-এটা হাবুশেখের স্বীকারুক্তি। সুতরাং বাংলাদেশী বলে পিটিয়েছে, অন্য কেও হলে পেটাত না-এমন হাস্যস্পদ লম্ফন না করাই ভাল। শ্রেফ কতগুলো কোরাপ্ট পুলিশকে, কোন চোর টাকা ঘুঁশ দিতে পারে নি বলে এই কান্ড। এটাই সত্য।
কেও যদি ভাবে, ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের আরো অবনতি করে এই বি এস এফ সমস্যার সমাধান হবে, সে মহামূর্খ। বাংলাদেশে ভারতের রফতানি ৯০০০ কোটি টাকা-যা মোট রফতানির ১-২%%- সেটা গেলে কিছু যায় আসে না ভারতের। বরং আমি নিজেই বাংলাদেশীদের উৎসাহ দেব আরো বেশী করে ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কট করার-এতে আমাদের বর্ডার এলাকাতে খাদ্রদ্রব্যের দাম কমবে! চোরাচালানের উৎপাত কমবে!
কিন্ত আদৌ কি তা হবে? আমার ছোট শহরে যা ডিম, %
@বিপ্লবদা,
আপনি জিহাদি জোশের ভিতর থেকে সমাধানের সঠিক রাস্তা খুঁজে বের করেছেন, সেজন্য অনেক ধন্যবাদ! সীমান্ত হাট তো হচ্ছে! সাফটাই তো ঠিকমত আলোর মুখ দেখল না, সাউথ এশিয়ান ইউনিয়ন কি করে হবে? আর বিএসএফের ব্যাপারে আমার মত হল, তাদেরকে রবার বুলেট বা টিয়ার শেল দিয়ে কিচ্ছু হবে না; বস্তুত তাদের অপ্রতিরোধ্য দানবীয় শক্তি হাসিনা-মনমোহনের সব শুভ উদ্যোগকে কালিমালিপ্ত করছে। বিএসএফকে আসলে সাইকোলজিক্যাল ট্রেনিং দিতে হবে, তাদের ভিতর থেকে দানবকে দূর করে দায়িত্ববান ফোর্সে পরিণত করতে হবে । এটা অবশ্য আমাদের দেশের বিভিন্ন বাহিনীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য; কারণ তারাও কম নৃশংস নয়, যার নমুনা আমরা হরহামেশাই দেখতে পাই সিভিলিয়ানদের সাথে তাদের ট্রিটমেন্টের ব্যাপারে!
@কাজি মামুন,
এটাই মূল সমস্যা, ভারত-বাংলাদেশের পুলিশরা সামন্ততান্ত্রিক।
@বিপ্লব পাল,
এজন্যই বিপ্লব বাংলাদেশিদের প্রতি ভালোবাসার লাল গোলাপ নিয়ে এলেও আমি বিশ্বাস করি না। কথা হচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের একটি সুনির্দিষ্ট অপরাধের। এখন বাংলাদেশের পুলিশকেও সেই অপকর্মের অর্ধেক দায়ভার বিপ্লব চাপিয়ে দিচ্ছে। চাণক্য খামোখা আর ভারতে জন্মায় নি। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
বি এস এফকে আপনি চেনেন না। আমার শহরে যেসব ছেলেরা দুষ্ট, ড্রপ আউট, ওরা যোগ দিত। ভারত বাংলাদেশ বর্ডারে পোস্টিং পাওয়ার জন্যে ১-২ লাখ টাকা ঘুঁশ দিত। কারন চীন বা পাকিস্তান সীমান্তে চোরাচালান হয় না-সেখানে ইনকাম নেই। বাকীটা নিজেরা অনুমান করে নিতে পারেন।
@বিপ্লব পাল,
তোমার সাধারণ জ্ঞান আরেকটু বাড়ানো দরকার বিপ্লব। সীমান্ত থাকলেই চোরাচালান থাকবে। এর কোনো ব্যতয় নেই। চিন, পাকিস্তান সীমান্তে চোরাচালানি নেই এই এক আজগুবি দাবীর পরেই আসলে তোমার সাথে বিতর্ক বন্ধ করে দেওয়া উচিত আমাদের। সাধারণজ্ঞানহীন কারো সাথে বিতর্কে নামা মানে অযথাই সময়ক্ষেপন।
সেপ্টেম্বরের পাঁচ তারিখে হিন্দুস্থান টাইমস জানাচ্ছে ভারত-চিন সীমান্তে চোরাচালান বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিসেম্বরের আট তারিখে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, নর্থ-ইস্টের বিদ্রোহীরা চাইনিজ এবং মায়ানমারের স্মাগলারদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে। এই রিপোর্টেও বলা হচ্ছে যে, হিমাচল প্রদেশের চিন সীমান্তে ড্রাগের চোরাচালান জমজমাট হয়ে উঠেছে।
এবার আসো চোখা ফেরাই পাকিস্তান সীমান্তে। বিএসএফ সত্তুর কোটি রুপির ড্রাগ আটক করেছে পাঞ্জাব সীমান্তে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া বলছে পাক রেঞ্জারদের কাছে ডিটেইলস দেবার পরেও পাকিস্তানি চোরাচালানিরা সক্রিয় রয়েছে সীমান্তে। এই পত্রিকাই অমৃতসর থেকে জানাচ্ছে যে, পাকিস্তানি চোরাচালানিরা হিরোইন, জাল ভারতীয় টাকা আর অস্ত্রসস্ত্র পাচারের জন্য টাইম-টেস্টেড কুরিয়ার ব্যবহার করছে।
পাকিস্তান, চিন সীমান্তের এই কোটি কোটি টাকার প্রলোভন ফেলে তোমার শহরের দুষ্ট, ড্রপ আউট ছেলেরা কেনো বাংলাদেশ সীমান্তের মত ফকিরনি এলাকায় আসার জন্য বিএসএফে যোগ দেবে আর লাখ লাখ টাকা ঘুষ দেবে বোধগম্য নয় আমার। আর যদিবা আসলোও, বাংলাদেশিদের এভাবে খুন, জখম, ধর্ষণ, মারপিট করতে হবে কেনো? অন্য সীমান্তের চোরাকারবারিদের সাথে এই কর্ম কেনো করে না তারা? ওই সব দেশের চোরাকারবারিরা কী ভারতের জামাই লাগে নাকি?
@ফরিদ আহমেদ,
পাক-ভারত বা ভারত-চীনের বর্ডারের সাথে বাংলাদেশের বর্ডারের তুলনাটা যুক্তি বা ফাক্ট কোন দিক দিয়েই ঠিক না।
লেভেল এবং স্কেল ধারে কাছে ও না। ভারত থেকে কোন জিনিস স্মাগল হয়ে চিনে যাবে? বরং উলটোটা হয়। চীন থেকে ভারতে আসে। সেক্ষেত্রে কোন চীনা কি ভারতে আসবে? পাকিস্তানিদের কিছু উগ্রপন্থি এই ভাবে আসে। সাধারন পাকি নাগরিকরা জীবন ধারনের জন্যে ভারতে আসতে বাধ্য হয় জানতাম না। তেমন কখনো শুনি নি। তেমন হলে, এই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যেত। আগে চীনা বা পাকি রা ভারতে জীবন ধারনের জন্যে বেআইনি ভাবে আসুক, তখন এই সব হাইপোথেটিক্যাল চিন্তার উত্তর দেওয়া যাবে।
বাংলাদেশ-ভারত বর্ডারের অবৈধ বাণিজ্য প্রায় ৮ বিলিয়ান ডলারের। যা
আইন মাফিক বানিজ্যের[ ২ বিলিয়ান ডলার] ৪ গুন। সেখানে চীনের সাথে ভারতের আইন মাফিক বানিজ্য প্রায় ২০ বিলিয়ানের ওপরে এবং বেআইনি বানিজ্য বা চোরচালান ১-২ বিলিয়ানের বেশী হবে না।
শুধু তাই না, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এত চোরাচালানের দরকার ও হয় না। কারন ভারত এবং পাকিস্তান শত্রু হলেও ব্যবসার ক্ষেত্রে একে অপরের ফেভারড নেশন স্টাযটাসে ভূষিত-সুতরাং আইন মেনেই সম্পূর্ন ব্যবসা চলতে পারে-যেহেতু ইম্পোর্ট টারিফ নেই।
http://timesofindia.indiatimes.com/business/india-business/Pakistan-offers-peace-dividend-grants-India-MFN-status/articleshow/10586072.cms
হা হা হা, একেই বলে টিপিক্যাল পিছলা এবং স্ববিরোধী বিপ্লব। পাক-ভারত, ভারত-চিন সীমান্তের কথা একবারও উল্লেখ করি নাই আমি। তুমি-ই টেনে নিয়ে এসেছো প্রমাণ করতে যে, ওই সব সীমান্তে কোনো চোরাচালানি হয় না। যা হয় সব বাংলাদেশ সীমান্তে। এখন আমাকে নসিহত করছো এই বলে যে পাক-ভারত, ভারত-চিন বর্ডারের সাথে বাংলাদেশের বর্ডারের তুলনাটা যুক্তি বা ফ্যাক্ট কোনো দিক দিয়েই সঠিক নয়। মন্তব্যটা করার আগে নিজেকে একটু নসিহত করে নিলেই পারতে।
আগের মন্তব্যেই তুমি লিখেছোঃ
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়, ভাইরে, কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়। 🙂
@বিপ্লব পাল,
না না বিপ্লব দা, আমি নিশ্চিত ভিডিওতে দেখা উলঙ্গ করে পেটানো আবু শেখ কিংবা উপুড় করে কাঁটাতারে ঝুলানো মৃত ফাল্যানী যদি ভারতের নাগরিক হতো আপনার লেখার ধরণ ভাষাটা ভিন্ন হতো।
জাতীয়তাবাদ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের, আমাদের স্বাধীনতার চেতনা।
@আকাশ মালিক,
চার বছর আগে হলে হত। এখন হবে না। আগে নিজেকে ভারতীয় ভাবতাম-এখন আর ভাবী না। মানুষ ভাবার চেষ্টা করি। জাতীয়তাবাদটাও ধর্মের মতন একধরনের রোগ। ভাইরাস। এতে রোগ সারে না। রোগ বাড়ে। এটা যেদিন বুঝবেন, সমস্যার সমাধান আরো দ্রুত হবে।
@বিপ্লব পাল,
গত চারবছরে কোথাও কি তুমি নিজেকে ভারতীয় হিসাবে পরিচয় দাও নি? সৎ সাহস থাকলে সত্যি কথাটা বলো।
@ফরিদ আহমেদ,
আমার ভারতীয় পাশপোর্ট এখনো-তাই ভারতীয় বলে পরিচয় দেবই। সেটা তো লিগ্যাল ব্যাপার। কিন্ত তার সাথে ভারতীয় জাতিয়তাবাদকে সমর্থন করেছি বলে ত মনে পরে না। মুম্বাই এর হামলার ঘটনাতে আমি একবার ও লিখি নি পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে যাও-কার সাথে যুদ্ধে যাবে? কাজমল আসব নিজেই একটা শোষিত শ্রেনীর প্রতিনিধি-হাবু শেখের মতন। তাকে যেকোন প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্টি নিজের মতন করে ব্যবহার করবে। আর এর পেছনে ছিল পাকি মিলিটারী-যারা মার্কিন মদতপুষ্ট ভারাটে সেনা ছারা কিছু না। এখন আমি যদি পাকিস্তানের সমস্যা গুলোকে বিশ্লেষণ না করে বাকী সবার মতন চল যাই পাকিস্তানকে দুঘা দিয়ে আসি এই লাইন নিতাম,সেটা, আপনার মতন “মেরুদন্ডের” লাইন হত। তাতে ঘোড়ার ঠাং হত- এমনিতে তাতে নিউক্লিয়ার যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ত-আরো বেশী আজমলের জন্ম হত।
httpv://www.youtube.com/watch?v=gSn62IaH6_I&feature=plcp&context=C382a35eUDOEgsToPDskJz48Pnbx14PdYBIxynfn2X
@বিপ্লব পাল,
সমস্যাটা তো বিপ্লব দা জাতিয়তা নিয়া না। সমস্যা হইল অন্যায় করছে বিএসএফ। এইটা সে বাঙলাদেশী এই জন্য করে নাই, করছে ঘুষ পায় নাই এই জন্যে। এইটার সাথে জাতিয়তার কোন সম্পর্ক নাই। সুতরাং আপনার জাতিয়তার ক্লাশটা না হয় অন্য কোন দিনের জন্যে তোলা থাকুক। আপনার ছাত্রদেরও জানাইয়া দিয়েন এইটা।
অবক্ষয়ের(!) আরেকটা রূপ দেখেনঃ
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত।
কী চরম অবক্ষয় তাই না। কিন্তু আমি বুঝি না, চায়নার সাথে এই অবক্ষয়ের রূপ কেন আমরা দেখি না। অবশ্য এইটা হইতে পারে ঐখানের সমস্ত সৈন্য আলাদা অর্ডার দিয়ে কারখানা থেকে বানানো হইছে। যার জন্য তারা অবক্ষয়ের সাথে পরিচিত না।
@সাইফুল ইসলাম,
চীনের মাথাপিছু ইনকাম ভারতের ২-৩ গুন। ভারতীয়রা আজকাল সেখানে ভিসা নিয়ে পড়ে থাকে, মাঝে সাঝে লোকাল চীনা ব্যবসায়িদের হাতে মার টার ও খায়। নিউজটা দেখতে বলছি
http://blogs.voanews.com/breaking-news/2012/01/04/india-china-meet-over-indian-traders-allegedly-held-hostage/
এখন ভারতের মাথা পিছু ইনকাম বাংলাদেশের ২ গুন-যেদিন এটা প্রায় সমান হয়ে আসবে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কোন গরীব্ব হাবু শেখ, বাংলাদেশ পেড়িয়ে ভারতে আসবে না।
@বিপ্লব পাল,
যুক্তি স্পষ্ট নয়। হাবু শেখ টাকা দিলে বেঁচে যেত, এর মানে এই নয় যে না দিতে পারায় বিভৎস শাস্তির প্রকৃতি সে আমেরিকান হলে ঠিক একই রকম হত।
@রৌরব,
বলা মুশকিল। আমার এক বন্ধু আমেরিকান হওয়া সত্ত্বেও ব্যাঙ্গালোরে ঘুঁশ না দেওয়ার অপরাধে জেলে ছিলেন। ভারতের পুলিশী দুর্নীতির কোন সীমানা আছে বলে আমার জানা নেই।
@কাজি মামুন,
তাহলে আপনার ভাষ্য অনুযায়ী আর কোনো প্রতিবাদ আমাদের করা উচিত না, তাই না? আ্মার ধারণা আবার উল্টোটা। প্রতিবাদের পর কথা দিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্তে আর নির্যাতন হবে না। তারপরেও হচ্ছে, কাজেই কথা না রাখার জন্য আরো প্রতিবাদ হবে, এবং সেটা হবে অনেক বেশি তীব্র। এরকম একটা দেশের সঙ্গে পিরিতির সম্পর্ক রেখে কী লাভ? যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির দুই পয়সার দাম নেই।
অতিরিক্ত প্রতিবাদ মানেই ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে হবে বা ভারতের সাথে আর্থিক-সামাজিক লেনদেন বন্ধ করে দিতে হবে, কিংবা হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, এই সব উদ্ভট ধারণা আপনার মাথায় আসছে কেনো? প্রতিবাদ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে করা যায়, কূটনৈতিক পর্যায়ে করা যায়, আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে করা যায়, ভারতের মানবিক লোকজনকে (ভারতের সবাইতো আর বিএসএফের মত হারামি না, অনেক ভালো লোকও আছে সেখানে) জানানোর মাধ্যমে, তাদের সাহায্য চাওয়ার মাধ্যমে করা যায়, রাজনৈতিকভাবে করা যায়, সামাজিক মিডিয়াতে করা যায়। এরকম অসংখ্য বিষয় থাকতে আপনি কেবল চরমপন্থার কথা ভাবছেন কেনো? একটা জিনিস মনে রাখবেন, প্রতিবাদহীন মার যে খায়, এরকম কাপুরুষের প্রতি কারোরই কোনো সহানুভূতি থাকে না। সে কারণেই দিগন্ত সরকার অবাক হয় আমাদের সরকারের দ্বিতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তির সীমান্ত ঘটনায় কিছুই হয় নি, এরকম আশ্চর্যজনক কাপুরুষিত বিবৃতিতে।
হ্যাঁ, নিশ্চিত আমি। শুধু হাসিনা-খালেদাই দূর্বল নয়, আমাদের জনগণের শিক্ষিত একটা অংশেরও কোনো মেরুদণ্ড নেই। সে কারণেই এই সব অপমান এবং নির্যাতন। দেশ ছোটো হতে পারে, জাতি ছোটো হয় না। পঞ্চাশ কোটি লোকের জাতিরও যে সম্মান, পঞ্চাশ হাজার মানুষের জাতিরও সেই একই সম্মান থাকা উচিত। বাংলাদেশ কী ভারতের খায় না পরে যে, ভারতকে সারাক্ষণ সমঝে চলতে হবে? এই দেশের মানুষের রক্তঘামে দেশ চলে। পাশের দেশের সীমান্তরক্ষীদের হাতে অপমানিত, নির্যাতিত হওয়া থেকে তাদেরকে রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, সরকারের।
আপনিতো দেখছি মনমোহনের প্রেস সেক্রেটারির পদ বাগিয়ে বসেছেন। যে প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশকে সীমান্তরক্ষীবাহিনীর মত একটা আবাল বাহিনী উপেক্ষা করতে পারে, সেই শিশ্নবিহীন প্রধানমন্ত্রীর পিঠ বাঁচানোর এই মহৎ দায়িত্বটা কি না নিলেই চলে না?
আর ও হ্যাঁ, সীমান্ত জোয়ানরাই যদি শুধু দায়ী হবে, তবে ফেসবুকে আপনি খামোখা ভারতকে জড়িয়ে ছিলেন কেনো? কেনো আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাসটা শেম অন বিএসএফ না হয়ে, শেম অন ইন্ডিয়া হয়েছিল?
যাক, আপনার মত একজন জাতীয়তাবাদে অবিশ্বাসী ব্যক্তিও শেষ পর্যন্ত স্বীকার করলেন যে, ভারতীয়রা প্রবল জাত্যাভিমানে ভোগে এবং সেই ভোগা থেকে বাংলাদেশিদের তারা মানুষই মনে করে না। এখন আপনার কি আমার মত একজন মনুষ্য পদবাচ্যবিহীন লোকের পিছনে না লেগে, ভারতীয়দের জাত্যাভিমান কমানোর পিছনে সময় দেওয়া উচিত নয়? ভারতীয় প্রবল জাত্যাভিমানের কারণে আমরা মার খাবো, তারপর মার খেয়ে একটু হাউকাউ করলেই আমাদের কান্নাকে জাতীয়তাবাদী আবেগের ফল বলে রায় দেবেন, তাতো হয় না।
জাত্যাভিমান বিষয়ে এই জ্বালাময়ী ভাষণ আমাদের না শুনিয়ে প্রবলভাবে জাত্যাভিমানী ভারতীয়দের শোনান, কাজে লাগবে। অপাত্রে অমৃত বর্ষণ করছেন অযথা।
@ফরিদ ভাই,
আপনার সাথে এখনো একমত নই; কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই আপনার দেশপ্রেম আমাকে সত্যি আপ্লুত করেছে! ভাববেন না বানিয়ে বলছি, আপনার আবেগ আমাকে সত্যি সত্যি স্পর্শ করেছে!
এই সবগুলো প্রতিবাদই তো করা হয়েছে, আপনার দেয়া লিস্টের কোনটি বাদ পড়েছে বলুন? কিন্তু তারপরও আজ পত্রিকায় দেখলাম, বিএসএফ বর্ডারে আরো একজন বাংলাদেশীকে মেরেছে! তাহলে আমাদের এত এত প্রতিবাদের ‘প’ও বোধহয় বিএসএফের কানে পৌঁছায়নি, কি বলেন ফরিদ ভাই! আমাদের সরকার, ভারতের সরকার, পশ্চিমবঙ্গের সরকার, আপনি, সাইফুল সাহেব কারোর প্রতিবাদ ও নিন্দাই দেখছি বিএসএফের কর্ণকুহরে পৌঁছায়নি; কেন পৌঁছল না? আসলে পৌঁছার তো কথাও না; কারণ বিএসএফ নামধারী এই ব্যক্তিগুলো যে অনেক কাল আগেই সব মানবিক বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছে, যেমনটা হারিয়েছে আমাদের র্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী। তাই তো বলছিলাম, এদেরকে মানুষ করতে হবে; এদের ভিতর মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে!! তা না হলে অবস্থার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন দেখতে পাবেন না! এমনকি আপনি প্রধানমন্ত্রী হলেও দেখবেন কি করে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে আপনার গগনবিদারী প্রতিবাদ সত্ত্বেও!
আসলে এসব প্রতিবাদ মানুষের সহজাত ও স্বতঃস্ফূর্ত; নিজ দেশের জাতীয়তার অপমান দেখলে মন প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে, যে কারণে আমিও ফেইসবুকে তাৎক্ষনিকভাবে ‘Shame on India’ স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। কিন্তু সূক্ষ্মভাবে ভেবে দেখলে বোঝা যায়, এইসব প্রতিবাদের চেয়ে হাজার গুন বেশী ফলদায়ক হল, মানুষের অসুস্থ মনোবৃত্তি বদলে দেয়া!
আমি তো শুধু বলতে চেয়েছিলাম, মনমোহন কত অসহায় একদল ভারতীয়ের অজ্ঞানতা, সংস্কার ও আদিমতার কাছে; বলতে চেয়েছিলাম, মনমোহ নির্দেশ দিলেই এরা ঠিক হবে না, যেমনিভাবে হাসিনা নির্দেশ দিলেও ঠিক হবে না বাংলাদেশের পুলিশ। এদের খোলনলচে বদলে ফেলতে হবে, করতে হবে আমূল সংস্কার। এটা কখনো রাজা-রানীর একার কাজ নয়, এ জন্য ফরিদ ভাই, সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে!
শুধু ভারতীয়দের কেন, আমাদের জাত্যভিমান কমানোর পেছনেও সময় দেয়া উচিৎ নয়কি? আমার তো মনে হয়, এ কাজটাই সব থেকে জরুরী। কারণ জাত্যভিমানই সব নষ্টের গোড়া। আমাদের জাত্যভিমান থেকে পাহাড়িদের উপর কি অবর্ণনীয় নির্যাতনই না আমরা করেছি এবং করছি!
রাজা-রানীর আবেদনময়ী গল্প সৃষ্টির ক্ষমতা সবার থাকে না; কেউ কেউ ঘটনাকে একটু অন্য ভাবে দেখতেই পারে; সেই স্বাধীনতাটুকু অন্তত সহ্য করে নিন! ‘মুক্তমনা’র কাছে এটি মনে হয় খুব বেশী চাওয়া নয়!
@কাজি মামুন,
অসুবিধা নেই। সবাই সব ব্যাপারে একমত হতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
ধন্যবাদ। আমার জাতীয়তাবাদী আবেগ নিয়ে আমি লজ্জিত নই।
কানে পৌঁছোয়নি বলে যে কোনোদিন পৌঁছোবে না এমন নয়। চিৎকারটা অব্যাহত রাখুন। ভারতেও অনেক সংবেদনশীল, মানবিক মানুষ আছে। আমাদের চিৎকার বিএসএফের কানে না পৌঁছোলেই এই সব মানুষদের কানে ঠিকই পৌঁছোবে। এঁরাই আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে একদিন।
অবাক হচ্ছি। আপনিতো জানি জাতীয়তায় বিশ্বাসই করেন না। জাতীয়তার অপমান আপনার গায়ে কীভাবে লাগলো ভেবে পাচ্ছি না। এগুলো লাগার কথাতো আমাদের।
এক বিষয়ের মধ্যে অহেতুক অন্য বিষয়কে টেনে আনা সেই বিষয়ের গুরুত্বকে কমানোর সামিল। আমরা বিএসএফ নিয়ে আলোচনা করছি। বাংলাদেশ আর্মির পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমিকা নিয়ে নয়। ওই প্রসঙ্গ যখন আসবে তখন দেখা যাবে বিষয়টা। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী যদি ভারতীয় কোনো নাগরিককে মারধোর করে থাকে সেই বিষয়টা আনতে পারেন এখানে, অন্য বিষয় নয়।
সেই স্বাধীনতায় কোনো আঘাত করেছি বলেতো মনে পড়ছে না। বিপ্লবের লেখায় আমি কোনো মন্তব্য করি নাই। আপনি আর বিপ্লবই সেখানে ছক্কা পিটাচ্ছিলেন। সাইফুলের যন্ত্রণায় সমব্যথী হয়ে এখানে একটা মন্তব্য করেছিলাম। ভেবেছিলাম ওর একটু ভালো লাগবে এই ভেবে যে তার যন্ত্রণার সময়ে কেউ একজন পাশে আছে। তারপরই আপনি আর বিপ্লব আমাকে বিতর্কে জড়িয়ে ফেলেছেন। বাংলাদেশ এবং এর দরিদ্র জনগোষ্ঠী নিয়ে কোনো ধরণের বিতর্ক আমি বিন্দুমাত্রও উপভোগ করি না, অন্তরে তুমুল রক্তক্ষরণ হয়।
@ফরিদ আহমেদ,
(Y)
@ফরিদ আহমেদ, ভাইয়াকে ছোট মুখে বড় কথা বলছি, বিপ্লবদের আলাদা করতে করতে আপনারাও যে আলাদা হয়ে যাচ্ছেন কিনা সেই কথাটা একটু ভেবে দেখুন। অন্য কিছু না হোক বিপদে ওদের মতোই বাংলাদেশীই বলবে – আমি বাঙ্গালী, আমি ইন্ডিয়ান এইটা বলবে না। ভুল বললে ক্ষমা করবেন। মন্তব্যের উত্তর নিষ্প্রয়োজন। সংবেগ জাগানোই উদ্দেশ্য।
@ফরিদ ভাই,
চমৎকার বলেছেন (Y) আমিও আপনার মতই, নিজের দেশের ব্যাপারে আমি চরমভাবে পক্ষপাতী। আগেও পক্ষপাত করেছি, এখনও করছি, ভবিষ্যতেও করবো।
এতে কেউ কিছু মনে করলে আমার কিছুই যায় আসে না, কারণ আমার দেশ মানে আমার মা, আর আমার মায়ের প্রতি আপনার মত আমিও চরমভাবে পক্ষপাতি।
@কাজি মামুন,
সমস্যার ‘গভীরে‘ গিয়ে সেটা সমাধানের দায়িত্ব হাসিনা-মনমোহনের। তারা যখন সেটা করতে ব্যর্থ তখন তাদের সমালোচনা না করাটাই ব্যর্থতা।
@রৌরব,
ভাইয়া, সব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব তাহলে হাসিনা-মনমোহনের? তাহলে আমরা আর এই স্লোগান শুনি কেন, ”বদলে যাও, বদলে দাও”? আমি হাসিনা-মনমোহনের ভূমিকাকে গৌণ করে দেখছি না; কিন্তু তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে, যদি না মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হয়! অনেক সময় দেখবেন মানুষের ভাল করতে চাইলেও, মানুষ উল্টো আপনাকেই ভুল বুঝবে! নারী নীতি (যা এমনকি হাসিনার প্রথম সরকারের চেয়ে কম ‘লিবারেল’) করার কারণে অনেক নারীকেই হাসিনার মুন্ডূপাত করতে দেখেছি; কারণ তাদের কাছে এটা ধর্মবিরোধী শয়তানী কাজ মনে হয়েছে! তো মানুষের এই আদিম মনস্তত্ত্ব কি এক দিনেই দূর হয়ে যাবে? অথবা তা রাতারাতি পরিবর্তনে ব্যর্থতার সব দায়ভার হাসিনার উপরেই চাপাব? আমার মতে, মানুষের আদিম মনস্তত্ত্ব ও বর্বর জাত্যভিমান দূর করতে হাসিনা-মনমোহনের উদ্যোগের বাইরেও দরকার শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলন! সব সমস্যার জন্য হাসিনা-মনমোহনকে দায়ী করে নিন্দার ঝড় তুললেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না! আশা করি, অনেকের মত আমাকে ভুল বুঝবেন না!
@কাজি মামুন,
আপনার অ্যানালজিটা আমার কাছে স্পষ্ট হচ্ছে না। আপনি একটা পরিস্থিতির উদাহরণ দিলেন যেখানে কিনা জনগণের (একাংশের?) গোঁড়ামি শেখ হাসিনার (তুলনামূলক) ভাল একটা উদ্যোগের বিরূদ্ধে গেল। হাবু শেখের পরিস্থিতি কি সেই পরিস্থিতি?
@রৌরব,
ভাইয়া, আপনি যদি প্রবল ভারত-বিদ্বেষী না হন (যেমনটা বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায়), তাহলে অন্তত স্বীকার করবেন হাসিনা-মনমোহন দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছে! ভারতের সাথে আমাদের যত সমস্যা, যেমন: বর্ডার কিলিং, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, ছিটমহল, টিপাইমুখ বাঁধ ইত্যাদি কোন সমস্যার সমাধানই সম্ভব না, যদি না দু’
@রৌরব,
ভাইয়া, আপনি যদি প্রবল ভারত-বিদ্বেষী না হন (যেমনটা বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায়), তাহলে অন্তত স্বীকার করবেন হাসিনা-মনমোহন দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছে! ভারতের সাথে আমাদের যত সমস্যা, যেমন: বর্ডার কিলিং, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, ছিটমহল, টিপাইমুখ বাঁধ ইত্যাদি কোন সমস্যার সমাধানই সম্ভব না, যদি দু’দেশের সম্পর্ক উন্নত হয়। চোরাচালান দূর করার জন্য প্রথমবারের মত সীমান্ত হাট বসানো হয়েছে! সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চুক্তিও হয়েছে! তিন বিঘা করিডরের একটা আপাত সমাধান হয়েছে! তিস্তা চুক্তি শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গেলেও শীঘ্রই হবে বলে আশা করা যায়! প্রথম বারের মত আমাদের বিরাট সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের উপর ভারত শুল্ক ছাড় দিয়েছে! এসব থেকে বোঝা যায়, তারা একটা ভাল কিছু করতে চাইছেন! বন্ধুত্বের একটা বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছেন! কিন্তু তবু হাবু শেখের ঘটনা ঘটে চলেছে! কিন্তু কেন? এই ঘটনায় কি হাসিনা বা মনমোহন যথেষ্ট পরিমাণে বিব্রত হন নি? আজ রাজা-রানীর আবেদনময়ী গল্প ফাঁদা হচ্ছে, কিন্তু সমস্যার পুরোটা রাজা-রাণীর হাতে যে নেই, তা তো হাবু শেখের ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে! বিএসএফের আদিম বর্বরতার কারণে এখন অনেক মানুষ হাসিনা-মনমোহনের সব ভাল উদ্যোগ সম্পূর্ণরূপে বিস্মৃত হয়ে উল্টো তাদেরই টেনে নামানোর চেষ্টা করছে আর নিজেদের অজান্তেই বিজেপি-বিএনপিকে কাছে টেনে আনছে। আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি!
@কাজি মামুন,
যুক্তিটা ’মুসলিমবিদ্বেষীদের উৎসাহিত না করিতে আসুন ইসলামের সমালোচনা বন্ধ করি’-র মত শোনালো। এখানে একটা অমার্জনীয় অপরাধের প্রতিবাদ করা হচ্ছে, তাতে বিএনপি-বিজেপি উপকৃত হল কিনা সেটা অবান্তর।
হাবু শেখকে যারা পিটিয়েছে তাদের দ্রুত ও কঠিন শাস্তি (এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ব্যবস্থার) সাথে সীমান্ত হাট, তিন বিঘা করিডোর এগুলোর কন্ট্রাডিকশন টা কোথায়? আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে একটা করলে অন্যগুলো করা যাবে না।
@রৌরব,
হাবু শেখের উপর অত্যাচারকারীদের নির্মম ও যথোপযুক্ত শাস্তি আমারও দাবী; কিন্তু পাশাপাশি, একটা স্থায়ী সমাধানও চাইছি! কারণ এমনকি কঠিনতম শাস্তিও হাবু শেখের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে যথেষ্ট নয়; দরকার বিএসএফের মনোজগতের আমূল সংস্কার; আর এ কথাটাই বার বার বলার চেষ্টা করছি, কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য কেউই বুঝতে চাইছে না!
আর প্রতিবাদের ব্যাপারে আমার কথা হল, আমিও প্রবল প্রতিবাদ চাইছি! কিন্তু হাসিনার নতজানু পররাষ্টনীতির কারণেই বিএসএফ সাহস পেয়ে এমন অত্যাচার করেছে, এ কথা আমি মানতে পারছি না। কিছু সংখ্যক জওয়ানের আদিম বর্বরতার কারণে যে ঘটনা ঘটে গেছে, তার উপর হাসিনা-মনমোহনের সত্যি কোন হাত ছিল না। আর আমি এমনটাই বিশ্বাস করি।
@কাজি মামুন,
ভারতের সাথে বাংলাদেশ বাদে আরো পাঁচটি দেশের স্থল সীমান্ত রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, পাকিস্তান, চিন, বার্মা, নেপাল এবং মায়ানমার। বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে এর যে কোনো একটা দেশের মানুষের সাথে বিএসএফ এরকম আচরণ করেছে, এরকম উদাহরণ যতক্ষণ পর্যন্ত টেনে আনতে না পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার এই বিএসএফের মনোজগতের সংস্কার বা হাসিনা-মনমোহনের কোনো হাত নেই, এই সমস্তা বিশ্বাস বালুর বাধ হিসাবেই বিবেচিত হবে এবং আপনি ভারতের একজন এপোলজিস্ট হিসাবে ঔজ্বল্য ছড়িয়ে যাবেন।
বিষয়টা খুব একটা বন্দনাযোগ্য নয়। বিপ্লব একজন খাঁটি ভারতীয়। সে নানান ছলছুঁতোয় ভারতের এপোলজিস্ট হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, আপনি একজন বাংলাদেশি হয়ে যেভাবে ভারতের এপোলজিস্ট হচ্ছেন, সেটা খুবই লজ্জার বিষয়। আপনার জন্য না হলেও, আমাদের জন্য।
@ফরিদ ভাই,
আপনি বলেছিলেন, সাইফুল সাহেবের পাশে আপনি অন্তত একজন আছেন; কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা হল, রাস্তায়, বাজারে, মসজিদে, মাঠে-ঘাটে সবাই সাইফুল সাহেবের ভাষাতেই কথা বলছে। সুতরাং, সাইফুল সাহেবের সমব্যথী আপনি একাই নন, কোটি কোটি বাংলাদেশী তার সাথে রয়েছে। আপনি আমাকে নিয়ে লজ্জায় পড়ে গেছেন; কিন্তু কোটি কোটি বাংলাদেশী যখন আপনার মনমতো আচরন করছে, তখন একজন মাত্র নগন্য বাংলাদেশীর (যার পাশে কেউ নেই) কারনে সৃষ্ট লজ্জা ধুঁয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে বলে মনে হয়।
আপনি আমাকে ভারতের এপোলজিস্ট (বোধ করি, ভদ্রতা করে ”চামচা” বলেননি!) বানিয়ে ফেলেছেন; কিন্তু বিশ্বাস করুন ভারতের এপোলজিস্ট হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই! আমি কি বাংলাদেশের বিপক্ষে যায়, এমন একটি কথাও বলেছি? আমি ঘুরে-ফিরে এক কথাই বার বার বলেছি, যার সার সংক্ষেপঃ
(১)আমি বিএসএফের কাজকে অত্যন্ত বর্বর হিসাবে আখ্যায়িত করেছি এবং ফেসবুকে এই নিয়ে তাৎক্ষনিক স্টাটাস দিয়েছি ‘Shame on India’ বলে। শুধু তাই নয়, বিপ্লবদাকেও (আমার প্রিয় ব্লগ সাইটগুলোর মধ্যে যার প্রতিবাদই সবার আগে চোখে পড়েছে) ধন্যবাদ জানিয়েছি বাংলাদেশের জাতীয় অপমানের সময় পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য!
(২)বিপ্লবদা বিএসএফের এই নিকৃষ্ট কাজের কারন বিশ্লেষন করতে গিয়ে বিএসএফের সামাজিক প্রেক্ষাপট, গড়ে উঠা, বিকাশ ইত্যাদি প্রসঙ্গ তুলে এনেছিলেন এবং বিষয়টা খুব যৌক্তিক মনে হওয়ায় আমি তা সমর্থন করেছিলাম।
(৩)পাঠক হিসাবে সাইফুল সাহেবের রাজা-রানীর গল্পের সমালোচনা করেছিলাম প্রধানত দুটি কারনে, এক) অনেকের ভাল লাগলেও গল্পটির যৌন আবেদন আমাকে সুড়সুড়ি দিচ্ছিল আর ভুলিয়ে দিচ্ছিল নিরীহ হাবু শেখের কথা, দুই) সব দোষ রাজা-রানীকে দেয়া আমার কাছে অযৌক্তিক লেগেছিল। ভারত অন্য শক্তিশালী দেশের বর্ডারে ভয় পেয়ে লেজ গুটিয়ে পালায় বলেই প্রমান হয় না তাদের বিএসএফের কোন অবক্ষয়জনিত সমস্যা নেই বা রাজা-রানীর পরম মৈত্রি দেখেই তাদের মনে বাংলাদেশী নিপীড়নের ইচ্ছা জেগে উঠে বা হাত নিসপিস করতে থাকে।
এইতো আমার জবানবন্দী। এটা এজন্য দিলাম, আমাকে হয়ত রাষ্টদ্রোহিতার অপরাধে কাঠগড়ায়ও দাঁড়াতে হতে পারে। কিন্তু জানেন, তাতেও আমার অতটা ভয় নেই, যতটা মুক্তমনাকে হারানোর। আমি শুধু এটাই কামনা করি, মুক্তমনার দরজাটা যেন আমার জন্য বন্ধ না হয়ে যায়। আজ সারাদিনই যখন কাজের জন্য বাইরে ছিলাম, তখন এই টেনশানটা বিরাজ করছিল, হয়ত নেটে ঢুকে দেখব মুক্তমনার দরজায় কপাট লাগিয়ে দেয়া হয়েছে!
পরিশিষ্টঃ আমি আমার দেশ, দেশের মানুষকে প্রচন্ড ভালবাসি। তবে নিজের দেশের মানুষের সাথে সাথে অন্য দেশের মানুষের কস্টও আমাকে পোড়ায়! নিজের দেশের মানুষকে ভাল না বাসলে, অন্য দেশের মানুষকেও যে ভালবাসা যায় না। মুক্তমনার নৃপেনদার একটি লেখাকে কেন্দ্র করে উনার সাথে আমার ই-মেইলে যোগাযোগ হয়েছিল কয়েক মাস আগে। সেখান থেকে আমি অংশবিশেষ তুলে দিচ্ছিঃ
2011/11/9
আপনি বলেছেন, আপনি ব্যক্তি বিশেষকে নিয়ে লিখেছেন। কিন্তু ধরুন একটি স্কুলের ছেলে আপনার এই লেখাটি পড়ল। সে কি শিখবে? সে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘৃণা করতে শিখবে। সে আরও শিখবে বাংলাদেশিদের মুক্তিযুদ্ধে তেমন কোন ভূমিকাই ছিল না; ভারত যদি শেষ রক্ষা করতে এগিয়ে না আসত, মুক্তিযুদ্ধ ৯ মাস পেরুনোর অনেক আগেই মরে ভুত হয়ে যেত! সে আরও শিখবে এতদিন বাঙালি হিন্দুদের উপর পাকসেনা আর রাজাকারদের যে অত্যাচারের কাহিনী শোনানো হয়েছে, তা আসলে একপেশে; কারণ মুক্তিযোদ্ধারাও হিন্দু নিধনে কম যায়নি!
মানছি, মুক্তিযোদ্ধাদের তরফ থেকেও কিছু বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিশাল মুক্তিযুদ্ধের আলোচনায় ঐ ঘটনাগুলির তাৎপর্য কতটুকু, যদি না কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিহিত থাকে?
2011/11/10
দাদা, আপনাকে ধন্যবাদ উত্তর দেয়ার জন্য। আমি কিন্তু লেখাটি পড়েছি, যদিও এর স্পিরিট ধরতে ভুল হতে পারে। তবে কি জানেন দাদা, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জন্য খুব কোমল একটি জায়গা; আমাদের গৌরব, আশা- ভরসার স্থল! মুক্তিযুদ্ধ জাতি হিসাবে আমাদের বেঁচে থাকা আর এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। এই মুক্তিযুদ্ধকে গত চার দশক ধরে পাকিস্তান ও তাদের দেশীয় মিত্ররা যেভাবে বলাৎকার করেছে, তা তো বাঙালি হিসাবে আপনার অজানা থাকার কথা নয়! এমতাবস্থায় আপনি ব্যক্তি বিশেষের যে বিচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতাগুলো জানেন, তা না হয় চেপেই যেতেন! কেউ কি তার ছোট-খাট ভুল-ত্রুটি অন্যদের বলে বেড়িয়ে নিজের গৌরবকে হালকা করে? কোন সুশ্রী মানুষ কি তার পেটের তলের কোন ছোট্র ঘা -এর খবর সবাইকে বলে বেড়াবে?
@কাজি মামুন,
আপনি অনেক বড় একটা মন্তব্য করেছেন। এর উত্তরে অনেক কিছুই বলতে পারতাম। কিন্তু, বলছি না। কারণ, এর বেশিরভাগ কথাগুলোই এর মধ্যে আলোচনা হয়ে গিয়েছে। এই বিতর্ক এখন মৃত। নতুন করে একে চাঙ্গা করার আর প্রয়োজন দেখছি না। সামান্য দুই একটা কথা না বললেই নয় বলে বলছি।
এই ছেলেমানুষী টেনশনের কোনো প্রয়োজন নেই। যতক্ষণ না মুক্তমনার মৌলিক নীতি লংঘন করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার গায়ে কেউ ফুলের টোকাও দেবে না। আমার সাথে বিতর্ক হয়েছে দেখে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। আমি ব্যক্তি ফরিদ আহমেদ এবং মডারেটর ফরিদ আহমেদ, এই দুটো চরিত্রকে এক হতে দেই না। ব্যক্তি ফরিদ আহমেদ অনেক বেশি সরব, অনেক বেশি উচ্চকণ্ঠ, বিতর্কে নিষ্ঠুর নৃপতির মত নির্মম। প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে বিন্দুমাত্রও কার্পণ্য করে না। এর বিপরীতে মডারেটর ফরিদ আহমেদ নীরব, নিভৃতচারী, অনেক বেশি সহিষ্ণু এবং সংবেদনশীল।
বাংলাদেশ নিয়ে বিপ্লব লেখা দিলেই উচ্ছ্বসিত হবার কিছু নেই। আমি অন্তত হই না। বিপ্লবের বাংলাদেশ নিয়ে লেখাগুলোর সদিচ্ছা নিয়ে আমি যারপরনাই সন্দিহান। প্রায় সময়ই দেখা যায় যে, আমাদের অপমানে পাশে দাঁড়ানোর অছিলায় আরো বেশি পরিমাণে অপমান করে বসে বিপ্লব।
আপনাকে ছোট্ট একটা টিপ দেই। বাংলাদেশের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক যে কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে বড় বড় নেতা-নেত্রী বা বিশাল বিশাল বিশেষজ্ঞদের কথা না শুনে কান রাখুন হাটে, মাঠে, ঘাটে, বাজারে, গঞ্জে বা চায়ের দোকানে। রিকশাওয়ালা, মুদির দোকানি কিংবা চা বিক্রেতার কাছ থেকে যে মতামতটা পাবেন, ধরে নেবেন যে ওটিই আসল। ওরা যদি বলে যে তিস্তা বাধ দিলে দেশের ক্ষতি হবে, তবে নিশ্চিন্তে গওহর রিজভীদের মত জ্ঞানপাপীদের মতামতকে রদ্দা মেরে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিতে পারেন আপনি।
@কাজি মামুন,
মনমোহন সরাসরি নির্দেশ দিয়ে হাবু শেখকে পিটিয়েছে, এরকম কেউ বলেনি (অন্তত এখানে)। আশা করি এধরণের straw man-এর বিরূদ্ধে আপনি তর্ক করছেন না। তার মানে এই নয় যে তাদের কোন হাত ছিল না। হাসিনা ও মনমোহন (বা, আরো প্রপারলি, বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার) এর দায়িত্ব দেশটা চালানো। নিজেরা সরাসরি অপরাধের নির্দেশ না দেয়ার মধ্যে তাদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ নয়।
সেটার একটা ভাল প্রমাণ পাওয়া যাবে হাসিনা যদি এখন ’উন্নতজানু’ দিয়ে ভারত সরকারের অন্ডকোষে একটা কষাঘাত করতে পারে।
@কাজি মামুন,
অনেকদিন আগে অসামাজিকের লেখা সীমান্তে বাংলাদেশীদের মৃত্যু ও কিছু কথা প্রবন্ধে সিলেটের একটা গ্রামে বিএসএফের হামলার ভিডিও লিংক দিয়েছিলাম। এই ভিডিওটা একটু মনোযোগ দিয়ে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। এখানে গ্রামের একজন অশিক্ষিত তেজি মহিলার তীব্র প্রতিবাদী আচরণ দেখতে পাবেন। গ্রামের এই সাধারণ মহিলাটির কর্মকাণ্ড দেখার পরে সামান্যতম হলেও আপনার মধ্যে লজ্জা, অপরাধবোধ বা অনুশোচনা্র অনুভুতি হয় কি না, জানালে বাধিত থাকবো।
httpv://www.youtube.com/watch?v=2TIvp_1oW0A&feature=player_embedded
@ফরিদ ভাই,
প্রথমেই মুক্তমনার বদ্ধ কপাট নিয়ে আমার উদ্বেগ দূর করার জন্য অনেক ধন্যবাদ!
ধরা যাক, সরকার সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্মের বিধান তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমতাবস্থায় রিকশাওয়ালা, মুদির দোকানি কিংবা চায়ের দোকানে আমি কান রাখলাম এবং শুনতে পেলাম সরকারকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করা হচ্ছে; বলা হচ্ছে, এই সরকার দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মবিশ্বাসের উপর আঘাত হানছে, প্রতিবেশী একটি দেশের প্রভুদের ইশারায় দেশ থেকে ইসলামকে বিতাড়ন করতে চাইছে, এদের এখনই ক্ষমতা থেকে হঠাতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন আমি তো খুব ভাল করে জানি যে, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম তুলে দেয়া মানেই ধর্ম কেড়ে নেয়া নয়; আরও জানি একটি প্রগতিশীল রাষ্ট্রে এমন বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রধর্ম থাকা উচিত নয়। কিন্তু আমার সমস্ত জানাকে যে এখন থেকে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিতে হবে; কারণ ফরিদ ভাইয়ের থিয়োরি অনুযায়ী হাটে, মাঠে, ঘাটে, বাজারে, গঞ্জে বা চায়ের দোকানে যা শুনতে পাব সেইটাই আসল!
ফরিদ ভাই, হাট-মাঠ-ঘাট-মসজিদের কথা যদি আমার মনমতো হয় তাহলে বলব ওটিই আসল (কেননা মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ); আবার যখন এইসব জায়গার কথা আমার মনমতো না হয়, তখন বলব, আসলে সাধারণ মানুষের সব কুসংস্কার, অযৌক্তিক ধর্মবিশ্বাস, ভেদনীতি প্রভৃতি ভেঙ্গে দেয়াইতো আমাদের কাজ! এই স্ববিরোধীতার উৎস কি, আমি জানতে চাই; দয়া করে বুঝিয়ে দিন আমাকে!
@কাজি মামুন,
নিভে যাওয়া বিতর্কের অগ্নিতে কাষ্ঠ ফেলতে ভালো লাগে না আমার। কেন যে এখনও এই বিষয়টা নিয়ে লেপ্টে আছেন বুঝতে পারছি না। 🙁
ফরিদ ভাইয়ের থিয়োরি অনুযায়ী নয়, আপনি যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তবে সেটাকেই আসল বলে মানা উচিত। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়ে অনেক উচ্চ ধারণা আমার। ওরা যদি সরকারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, তবে বুঝতে হবে যে সরকার গালি খাওয়ার মতই কাজ করছে।
আপনাকে কিছু বুঝিয়ে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। একমাত্র বিপ্লবেরই এই ক্ষমতা আছে। 🙂
ইংরেজিতে একটা কথা আছে, প্যারালাইসিস বাই এনালাইসিস। আপনার অবস্থাও অনেকটা সেরকমই। খুব সহজ বিষয়কে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে জাহাজ বাধার রশি বানানোতে আপনার দক্ষতা অপরিসীম। এটা কি ইচ্ছা করে করেন, নাকি অনিচ্ছায়, সেটাই বোঝার চেষ্টা করছি। সাধারণ মানুষের কুসংস্কার, অযৌক্তিক ধর্মবিশ্বাস, ভেদনীতি ইত্যাদি নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করি নি আমি। আপনি এগুলো আমার মুখে বসিয়ে দিয়ে স্ববিরোধিতার উৎস আমার কাছে জানতে চাইলে আমি আপনার জন্য উত্তর নিয়ে পাতে ধরিয়ে দেবো এমনতর আশা করাটা একটু বাতুলতাই বটে। আমি সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কথা বলেছি। সেই বলা থেকে এখনও সরছি না আমি। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষেরা রাজনীতিকে যেভাবে স্বচ্ছতার সাথে পরিষ্কারভাবে সাদা কালোয় বিভাজিত করতে পারে, অনেক শিক্ষিত লোকের পক্ষেও নানাবিধ স্বার্থের টানাপোড়েনে সেটা করা সম্ভবপর হয় না।
@কাজি মামুন,
আপনি জাতীয়তাবাদের ব্যাপারে খুব সচেতন সতর্কতা পোষণ করছেন। দুইদেশের সম্পর্ক গঠনে জাতীয়তাবোধের একটা প্রভাব থাকতে পারে, কিন্তু সেই প্রভাব একরৈখিক না। জাতীয়তাবোধমাত্রই বিদ্বেষ তৈরি করে না। তেমনি জাতীয়তাবোধবিরোধী অবস্থান মাত্রই নিঃশর্ত বন্ধুত্ব বোঝায় না। বন্ধুত্বের বাতাবরণ আমাদের কেনো দরকার? আমাদের দরকার সৎ সম্পর্ক। কিন্তু আমরা কোনো উদার জাতীয়তাবোধহীন নখরবিহীন রাষ্ট্রের সাথে বোঝাপড়া করছি না। আমরা বোঝাপড়া করছি একটা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সাথে। এর সাথে নিঃশর্ত বন্ধুত্ব সৎ সম্পর্ক তৈরি করবে না। সরকারের বন্ধুত্ব কমাতে হবে। বোঝাপড়া, দরদাম বাড়াতে হবে। আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনে বাংলাদেশ ভারতকে সাহায্য করছে। এতে বাংলাদেশের ফয়দা কী সেটা স্পষ্ট করতে হবে। সংখ্যার বিচারে প্রাপ্তি কী হলো উল্লেখ করতে হবে।
ভারতের সমস্যা ভারতকে ডিল করতে হবে। সেটায় বাংলাদেশ কেনো অংশীদার হবে সেটা স্পষ্ট করতে হবে। কেনো বাংলাদেশ বন্ধুত্বের নিদর্শনের পর নিদর্শন প্রদর্শন করে যাচ্ছে? কীসের পরীক্ষা দিচ্ছে বাংলাদেশ? ষোল কোটি মানুষ বানের জলে ভেসে আসে নি। বাংলাদেশ সরকারকে তার এই পররাষ্ট্রনীতির জন্য অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
আর সামাজিক অবক্ষয়ের ব্যাপারটা একেবারেই পরিষ্কার না। ভারতের সমস্যার কারণ অনুসন্ধান তো বাংলাদেশের বিবেচ্য না, যেখানে তাদের কর্মকাণ্ডের ভিক্টিম আমরা এবং তদুপরি বিএসএফের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই। আমরা আমাদের র্যাব পুলিশের মনস্তত্ব অনুসন্ধান করবো। এমন কি সেখানেও সামাজিক অবক্ষয় খুব দুর্বল ব্যাখ্যা। সরকারের আদেশ, নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে এইসব সমস্যার বহুলাংশই সমাধান সম্ভব, এমনটা না ভাবার কারণ নেই। কিন্তু ভারতের সমস্যা তো আমরা সমাধান করে দিয়ে আসতে পারি না। সেটা ওরাই ভাবুক যে এটা তাদের সামাজিক অবক্ষয় নাকি সাম্রাজ্যবাদী আদেশ নির্দেশ, বর্ণবাদ, জাতীবিদ্বেষ, ধর্মবিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িকতা, নাকি স্রেফ তাচ্ছিল্য। বিএসএফ তো কোনো নৈরাজ্যবাদী সংগঠন নয়। ওটা ভারত সরকারের আওতাধীন সংগঠন। এর সমস্যা ভারত সরকারকে দেখা লাগবে না? সেই সমস্যার কথা এড়িয়ে মনমোহনকেও কি আমাদের আশরাফুলের মতো বলতে বলবেন যে এইসব নিয়ে সরকার চিন্তিত না, ভবিষ্যতেও ঘটবে, আরো অনেক সমস্যা আছে?
@রূপম (ধ্রুব),
ব্যাপারটা কি এতই সহজ? যুগের পর যুগ জং ধরে যে মস্তিষ্ক প্রায় সম্পূর্ণই অকেজো হয়ে আছে, তাকে কেবল আদেশ, নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমেই ঠিক করে ফেলা সম্ভব? এখানে বার বার সরকার ও জনগণকে আলাদা করে দেখা হচ্ছে! সরকার ইবলিস আর জনগণ ফেরেশতা- এমন সাধারণীকরণে আমার বিশ্বাস নেই! এটা অনেক সময়ই দেখা যায়, একটা জাতি তার প্রাপ্য সরকারই লাভ করে থাকে! আবার, অনেক সময়ই অনেক ভাল সরকারের সমস্ত সংস্কার ও শুভ উদ্যোগ মাঠে (এই ক্ষেত্রে সীমান্তে) মারা যায় জনগণের আদিমতা ও অজ্ঞানতার কারণে। তলিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, হাসিনা-খালেদা-এরশাদের দুর্নীতি-সন্ত্রাস বাংলাদেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীরই প্রতিনিধিত্ব করে!
যদি স্রেফ তাচ্ছিল্যও বলেন, তাও কিন্তু ঐ জাতিবিদ্বেষ, ধর্মবিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িকতা, বর্ণবাদ- এই আদিম রোগগুলোর সাইড ইফেক্ট! তাছাড়া, ওরা তো ভাববেই; কিন্তু এই আন্তর্জাতিকতার যুগে যদি আমরাও খানিক ভাবি, তাতে দোষ কোথায় বলুন? চতুর্দিকে নরক রেখে আমরা ভিতরে স্বর্গ রচনার কথা ভাবছি না তো? যদি ভেবেও থাকি, সেই স্বর্গ কি আদৌ টিকবে? আসলে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সবার যৌথ প্রচেষ্টা দরকার! এখানে রাজা-রাণী-সৈন্য-সামন্ত-পাইক-পেয়াদা-প্রজা-অন্য রাজ্য প্রভৃতির কোন একটি উপাদানকেও বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না! সবাইকে সাথে নিয়েই আদিম রোগগুলো সারাতে হবে; নইলে শুধু রাজা-রাণীর হাতে ছেড়ে দিলে, হাবু শেখের ঘটনা চিরদিন ঘটতে থাকবে!
@কাজি মামুন,
হাসিনা মনমোহনের কাছে প্রতিবাদ পেশ তো সেই প্রচেষ্টারই অংশ। এখানে তো কোনো স্ট্রিক্ট প্রেসিডেন্স নেই যে আগে প্রজাকুলকে ঠিকঠাক শুধরে নিয়ে তার পরে গিয়ে সরকারের কাছে প্রতিবাদ পেশ করতে হবে। বা ঠিকঠিক একসাথে সাথে পরিবর্তন হতে হবে, প্রজার আগে রাজা ভালো হলে চলবে না। আপনি কেবলই যৌথ প্রচেষ্টাকে টিকিট দিচ্ছেন, বহুমুখী আলাদা প্রচেষ্টাকে পাত্তা দিচ্ছেন না। কিন্তু কেউ কিন্তু যৌথ প্রচেষ্টাকে নাকচ করছে না। বরং নানামুখী আলাদা আলাদা প্রচেষ্টা তো আসতে পারে। সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানানো তো তারই একটা আইনসিদ্ধ গণতান্ত্রিক অংশ। এর যৌথ প্রভাবও আছে। কেউ প্রতিবাদ করছে মানে প্রজাকুলে বোধসম্পন্ন মানুষ বিদ্যমান। সেটা আমলে এনে সরকার প্রচেষ্টা নিলে তাতে প্রজাকুলের অন্য অংশেও এই মনোভাবের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হবার সুযোগ আছে। কিন্তু যদি না হয়, হ্যাঁ সরকারি ভালো উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। কিন্তু সেটার কারণে তো এমনটা মনে করার মানে নেই যে প্রচেষ্টা প্রতিবাদ দাবি বন্ধ করে বসে থাকতে হবে। বরং নানামুখী প্রচেষ্টার সুযোগ অবশ্যই থাকা দরকার। সবরকম প্রচেষ্টার মধ্য থেকেই না সেই প্রক্রিয়াটা বের হয়ে আসবে, যার কারণে সেই যৌথ পরিবর্তন সম্পন্ন হবে। যদি কোনো আলাদা প্রচেষ্টা কোনোভাবে ক্ষতিকর হয়ে থাকতে পারে, সেটা দেখিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু কাজে দিবে না এই ভয় দেখিয়ে তো আপনি একটা উদ্যোগকে রোধ করতে পারেন না। বরং সেটাই হবে অগণতান্ত্রিক। আপনি মনস্তত্ত্ব বোঝার চেষ্টা করুন। দেখান কীভাবে আমরা চিন্তা করলেও লাভ। কিন্তু একটা প্রচেষ্টা তো আরেকটাকে রুদ্ধ করে না!
আর আপনার – যেমন প্রজা তেমন রাজা – তত্ত্বে একটু পানি ঢালি। আপনি বলছেন আমরা ঠিক ঠিক আমাদের মতোই সরকার পেয়েছি। কিন্তু আমাদের চরিত্র অনুযায়ী প্রাপ্য সরকার তো ইউনিক না। এটার নিশ্চয়ই একটা পরিধি আছে। সর্বোচ্চ প্রাপ্য এবং সর্বনিম্ন প্রাপ্য আছে। যেমন ধরুন দুই কোরিয়ার বাসিন্দা হুবহু একই চরিত্রের ও জাতের হলেও উত্তরেররা কী সরকার পেয়েছে দেখুন আর দেখুন দক্ষিণেররা কী সরকার পেয়েছে। আপনার যেমন প্রজা তেমন রাজা এখানে কেমন খাটে? উত্তর কোরিয়া সরকারের পক্ষে তার নিয়ম নীতি পাল্টে বহুলাংশে উন্নয়ন সম্ভব না? উত্তর কোরিয়ার অবস্থা তার সামাজিক অবক্ষয়ের ফল?
@কাজি মামুন,
হ্যাঁ, এবং বাংলাদেশ যদি এই অন্যায়ের বিরূদ্ধে ফুঁসে দাঁড়ায়, তাহলে অনেক ভাল সরকারের প্রত্যাশা সে ভবিষ্যতে করতে পারে। আপনার আপাত-জটিল অ্যানালাইসিসের জালে পড়ে এই সহজ কথাটা আপনি বুঝছেন না। নীচে রূপম (ধ্রুব) আরো কমপ্রেহেনসিভলি কথাটা বলেছেন দেখুন…
(Y)
@কাজি মামুন,
:clap
আফনের লগে আগের এক বাতচিতে কইছিলাম বেশি আশাবাদী লোকগুলার মেরুদন্ড থাকে না। মনে আছে কতাডা?
@সাইফুল ইসলাম,
ভাই মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা দেশ থেকে হানাদার বাহিনী তাড়াবে এরকম আশাবাদে উজ্জীবিত হয়েইতো যুদ্ধ করেছিলেন। নাকি?
অনেককেই বলতে শুনি যে এই দেশের নাকি কিচ্ছু হবে না। দেশ নাকি রসাতলে চলে গেছে। আরে দেশ আসলে কি? দেশের মানুষজন দিয়েই তো দেশ। তো নিজেরা নিজদের গন্ডী এবং সামর্থানুযায়ী কাজ করে গেলে দেশের উন্নতি কি একেবারেই অসম্ভব?
@রনবীর সরকার,
অবশ্যই আশায় বুক বাধছিল সবাই। আশাবাদ নিয়ে তেমন কোন সমস্যাতো আমার নাই। আশার উৎপত্তি তো না পাওয়ার, না থাকার থিকাই নাকি? কিন্তু আশাই পরে দুরাশায় পরিণত অইয়া থাকব যতদিন মামুন ভাইয়ের মতন আশাবাদী মানুষেরা সীমান্তের উত্তেজনার পরেও কইব সরকারের কিছু করার নাই, সামাজিক অবক্ষয়ই সব। আরে ভাই তাইলে আমেরিকা যে ইরাক আফগানিস্তান লুইট্টা পুইট্টা খাইয়া ফালাইল ঐডা কী? সামাজিক অবক্ষয়? নাকি সমাজ দেশ ছাড়াইয়া ইন্টারন্যাশনাল অবক্ষয়? কইতে অইব আহেন আমেরিকার মানুষগুলারে, আমেরিকার সরকাররে ইন্টারন্যাশনাল অবক্ষয় সম্পর্কে শিক্ষা দেই?
আমার হতাশাবাদী চিন্তা থিকা যদি প্রতিবাদের পর মাইর খাইয়া মইরাও যাই তাইতেও কোন সমস্যা নাই। আশাবাদী নপুংশক থিকা হতাশাবাদী প্রতিবন্দীও ভালো। আমার হিসাব সহজ।
কঠিন লেখা। আপনার মতই প্রতিবাদী ও আগুনঝরানো।
কথায় বলে না সুখে থাকতে ভুতে কিলায়। ভুতে পাওয়া বাঙালি তো তাই এত সুখ সহ্য করতে পারতেছি না। দেই আর নেই এর এই “বন্ধুত্ব” চরম পর্যায়ে চইলা গেছে। এখনই থামানো দরকার।
@আলোকের অভিযাত্রী,
এই বন্ধুত্বের সুপার গ্লু ছাড়াইতে দরকার উত্তাপ। পানিতে সুপার গ্লু ছোটে না।
চমৎকার হয়েছে।
দেই নেই এর উপাখ্যান ফেবুতে শেয়ার করে দিলাম।
@আসরাফ,
দেন।
লেখাটি পড়ে মজা লাগলো,তাই (F) শূভেচ্ছা।
@পাহাড়ি,
মজা না লেগে আতে ঘা লাগলেই আমি বেশী খুশী হতাম।
যাই হউক ধন্যবাদ পাঠের জন্য।
@সাইফুল ইসলাম, ভাইয়া ওনার আতে বা আমার-আপনাদের আতে লাথি লাগলেও কি না লাগলেও বা কী? ক্ষমতা তো রানীর হাতেই!
কালঃ ১৯৮৩, স্থানঃ অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সমাবেশ। খুব সম্ভবত মামুন (ছাত্র নেতা, নাম ঠিক মনে নেই, কারো মনে থাকলে অনুগ্রহ করে সংশোধন করে দেবেন) ভাষণ দিতে গিয়ে সামরিক জান্তা এরশাদকে লক্ষ্য করে বলতেন, “তুই আর নীচে নামিস না, নামলে কি হবে? নিজেই নিজের কপাল থেকে নাভিতে নামতে নামতে বলতেন, মহা… কবি …. ইক …. এটুকু বলেই থামতেন, তারপর বলতেন এরশাদ তুই আর নীচে নামিস না। ব্যস, চারদিক থেকে করতালি। তারপর থেকে তার ভাষণের পালা এলেই চারদিকে তুমুল করতালি, ঐ সময় তার ভাষণ জনপ্রিয়তার দিক থেকে সব নেতাকে ছাড়িয়ে যায়।
কেউ কেউ হয়তো ভাবতে পারেন, তার অমন জ্বালাময়ী ভাষণের কারণেই এরশাদের পতন হয়েছে।
সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে কি কোন সমস্যার সমাধান হয়? বরং ঘটনার গভীরে না গিয়ে বিষয়টাকে হালকা করে ফেলা হয়। রাজনীতি, অর্থনীতি এবং পরিবেশ সংক্রান্ত সংকটগুলোকে ব্যক্তির জলকেলীর আবর্তে এনে কাজের কাজ কি হলো ঠিক বুঝিনি।
@স্বপন মাঝি,
আমিতো স্বপন ভাই ভারী কিছু বলতে চাই নি। ভারী কিছু তো বলছেন আপনি, আপনারা। আমি শুধু একটা অন্যায়ের প্রতিবাদে একটা রম্য লিখেছি। আমি ভারী কিছু জানি না বুঝিও না। আমাকে একজন অন্যায়ভাবে মেরেছে, আমি তার প্রতিবাদ করেছি। প্লেইন এন্ড সিম্পল। আপনার যদি মনে হয় ঘটনার আরো গভীরে যেয়ে হালকা ভাবে না দেখে ভারী ভাবে দেখতে হবে আপনি অবশ্যই সেটা দেখবেন। কিন্তু শুধু এখানে ওখানে দুএকটা মন্তব্য করে গম্ভীর হবার চেষ্টা করলে তো হবে না। এইটা যেহেতু একটা পাবলিক ফোরাম সেহেতু এইখানে হাতে লিখেই হাতি ঘোড়া, রাজা উজির মারছি। আপনি কেন মারছেন না? সমস্যার গভীরে গিয়ে সমাধানটাও দেখিয়ে দিন না। তাতে আমরা সবাই উপকৃত হই।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাই লেখক হলে, তো মন্তব্য না করে এ নিয়ে একটা লেখাই দিয়ে দিতে পারতাম।
বিপ্লব পালের লেখায় একটা লিংক দিয়েছিলাম, পড়ে দেখতে পারেন;
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-01-15&ni=83336
অন্যায়ের প্রতিবাদ স্থান-কাল নির্বিশেষে যেখানেই সংঘটিত হোক না কেন, মানবিক মানুষ হিসাবে প্রতিবাদটা করা উচিত। ভারতে ডঃ বিনায়ক সেনকে যখন যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিল, এপার বাংলা থেকে তো কোন প্রতিবাদ দেখলাম না, চোখে পড়েনি শান্তি আলোচনার নামে যখন ডঃ আজাদকে খুব কাছ থেকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। অথচ স্বামী অগ্নিবেশ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠলেন। হয়তো আবারো বলা হবে, “আপনি লিখলেন না, কেন?” আমার বহুকালের পুরনো দু’একটা গল্প কবিতা {?} পড়ে যদি মনে করেন লেখক, ভুলটা আপনাদের।
আর হ্যাঁ, জীবনে এই প্রথম শুনলাম, লেখক তার পাঠককে বলছেঃ
লেখক হইনি বলে লেখার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন? তো তাই হোক! হোক আপনাদের লেখার জয়জয়কার।
@স্বপন মাঝি,
আপনি বলছেনঃ
মানে কাজের কাজ কিছু হয় নাই। আমি বলছিলাম আপনার যদি জানা থাকে কেন শুধুশুধু বসে থাকা? আপনি পদ্ধতির কথা বলেন তাতে করে আমাদের সবারই উপকার হয়।
যুক্তির পথ থেকে হঠাৎ করে আবেগী হয়ে গেলেন কেন? তাড়ায়ে দেয়ার তো কোন প্রশ্নই নাই।
আপনার গল্পটা বেশ মজার! ছোটবেলায় রূপকথার গল্প শুনে বেশ আনন্দ পেতাম। কল্পনায় রাজা-রানী-পাইক-পেয়াদা সবই দেখতে পেতাম! তারপর হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেতাম- দেখতাম আশে-পাশে কিচ্ছু নেই!
@কাজি মামুন,
মজা পেলেন কেন একটু বুঝিয়ে বলবেন নাকি?
@কাজী রহমান,
লাইনগুলো মজার নয়কি? এরকম আরো অনেক আছে! খুঁজলেই পাওয়া যাবে!
@কাজি মামুন,
আমার কাছে ওগুলো বুকফাটা আর্তনাদ আর গনগনে প্রতিবাদ মনে হয়েছে।
@রহমান ভাই,
দুঃখিত, পাঠক হিসাবে বরং আমার কাছে রাজা-রাণীর প্রণয় উপাখ্যানই বেশী আবেদন সৃষ্টি করেছে; রাজা-রাণীর ‘জলকেলি, শীৎকার, কঠিন বাহুবল’ প্রভৃতি রগরগে গল্পের ভিড়ে নিরীহ গরু ব্যবসায়ী কোথায় হারিয়ে গেছে!
সমাজের খেঁটে খাওয়া নিপীড়িত মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণা নিয়ে স্যাটায়ার আগেও লিখিত হয়েছে; কিন্তু বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবে কখনো কখনো তা কেবল সুড়সুড়ি দিতেই সক্ষম হয়েছে, ঘুম ভাঙ্গাতে পারেনি। সমস্যার গভীরে না ঢুকলে আমরা রাজা-রানীর কাহিনি লিখে ব্যাপক হাততালি অর্জন করতে পারব, কিন্তু সমস্যা যেই তিমিরে আছে, সেই তিমিরেই থাকবে। আসল সমস্যাটা তো অবক্ষয়ের, যেটা নিয়ে বিপ্লব-দার ‘বি এস এফ ভারতের জাতীয় কলঙ্ক’ তে অনেক লিখেছি। রাজা-রানী নয়, সমস্যাটা জনগণের, তাদের মূল্যবোধের অভাবের, নৈতিক অবক্ষয়ের, সামাজিক বিকাশের। আশা করি, ভুল বুঝবেন না। আপনি আমার অনেক শ্রদ্ধেয়!
@কাজি মামুন, সহমত ভাইয়া।ওপ্টিমাম-ই বলেছেন। (Y) এক হাতে তো আর তালি বাজে না!
@কাজি মামুন,
তাই নাকি? আক্রান্ত মানুষের ভাষাটা মনে হয় আপনার জানা নেই। ঘটনা বেশি দূরে নয়, চিনের সাথে হলেও সাইফুলের ভাষা অন্য রকম হ’তো। অবশ্য চিনের সাথে সে রকম বাস্তবতায় ভারত যাবে না, তা আমরা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারছি। এ-ও জানতে পারছি, বরং ভারত-ই পেদাঁনি খাচ্ছে। এক্ষেত্রে উপমা কি হ’তে পারে? তালগাছ?
তার লেখা পড়ে আমিও বিরক্ত, কিন্তু সেই বিরক্তি, বিদ্রুপের হ’বে কেন?
@স্বপন মাঝি,
আক্রান্ত মানুষের এমন ভাষা আমার সত্যি জানা নেই; সত্যি কথা বলতে কি, রাজা-রানির প্রণয় উপাখ্যান থেকে যখন রগরগে শব্দমালা (যেমন, ছইঞ্চি শিশ্ন, জলকেলি, শীৎকার, কঠিন বাহুবল ইত্যাদি) বেরিয়ে আসে, তখন আমার সুড়সুড়ি হয় কেবল, আর সেই উত্তেজনায় আক্রান্ত গরু ব্যবসায়ীর ভাবনা মগজ থেকে নিমিষেই উধাও হয়ে যায়।
ফেইসবুকে আমি খবরটা পড়েই স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম: Shame on India। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ রয়েছে আমার ভিতরও। কিন্তু এর সঠিক প্রতিকারের কথাও ভাবতে হবে আমাদের! প্রতিকার কি? রাজা-রানীকে ক্ষমতা থেকে হঠানো? তা হলেই বন্ধ হয়ে যাবে এইসব বর্বরতা? এই রাজা-রানীর আগের জামানায় এগুলি হয়নি? আসল সমস্যাটা তো মূল্যবোধের, সামাজিক বিকাশের! এগুলো ঠিক না করে শুধু শুধ রাজা-রানীর গল্প ফেঁদে চরম আনন্দ লাভ করা যাবে; কিন্তু সমস্যার কোন সুরাহা হবে না! দয়া করে ভুল বুঝবেন না আমাকে। আমি কিছু অন্তসারশূন্যতা তুলে ধরতে চেয়েছি মাত্র!
চমৎকার সাড়া জাগান লেখা।
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ।
@আফরোজা আলম,
একমত। সাইফুল ভাইয়ের কাছে আমি এমন সুন্দর আর সাড়া জাগানো লেখাই আশা করি, কোন অশালীন কথাবার্তা যুক্ত লেখা নয়।
দেই আর নেই দেশের রজা-রাণীর জলকেলীর চিৎকার ও শিৎকারে জন্ম নেয় প্রহারকারী ঘুষখোর পেয়াদা। আর প্রহৃত ও নেংটো হয় দরিদ্র গরু ব্যবসায়ী। মৃত কাকের মত ঝুলে থাকে ফালানীর লাশ।
@তামান্না ঝুমু, (Y)
@তামান্না ঝুমু,
এই থেকে জন্ম নেয় সামাজিক অবক্ষয়ের পৌরাণিক গল্পগাথা।
(Y)
যাদের ঘুম ভাঙ্গিয়ে চেতনা জাগাবেন ভাবছেন, সেই ঘুম কি আর ভাঙ্গবে?
এ ঘুম মরণ ঘুম! ভাঙ্গাবার সাধ্য কার!
@লাইজু নাহার,
না ডাকলেও তো হবে না। 🙂
@সাইফুল ইসলাম, :clap