জীবন থেকে বিদায় নিলো সাফল্য ব্যর্থতা মিশ্রত আরো একটি বছর। সব প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অনেক রোমাঞ্চকর আশা ভরসার প্রতীক হয়ে কালের ধারায় প্রবেশ করল ২০১২. সদ্য গত হওয়া বছরে আমরা যেমন অনেক মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন লেখক, গবেষক, বিজ্ঞানিদের চির বিদায়ে শোকাচ্ছন্ন হয়েছি তেমনি আবার চিত্ত প্রফুল্ল করেছি মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন তরুণ প্রজন্মের উত্থানে।
গত ৩৬৫ দিনে অর্থাৎ ২০১১ সালে মুক্তমনাকে উজ্জীবিত রাখতে নিয়মিত লেখক ও মন্তব্যকারীদের সাধুবাদ জানিয়ে কার কি ভূমিকা ছিল তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-
অভিজিৎ রায়ঃ লেখক হিসাবে গত বছরটা ফেইসবুকে মজার জোকস, বই মেলায় বই, ভিন্ন স্বাদের ব্লগ লিখে নিজের তুখোড় ফর্মটা ধরে রেখেছিলেন যথারীতি। সেই সাথে “ওয়ার্মহোল” লেখার মধ্য দিয়ে “কল্পবিজ্ঞান” লেখক হিসাবে নিজেকে নিজেই ঠেলে আরো এক ধাপ উপরের দিকে তুলেছেন তিনি। বছরের প্রায় শেষের দিকে সহ লেখক ফরিদ আহামেদকে সাথে নিয়ে “রবি ঠাকুর, রাহাজানি এবং রবীন্দ্র পূজারীবৃন্দ” রবীন্দ্র সমালোচনা করে অবশ্য কিছুটা যৌথ আক্রামনের স্বীকার হয়েছিলেন বিপ্লব পাল আর কুলদা রায়ের হাতে। কিন্তু দ্রুত সব সামলে নিয়েছেন দক্ষ ভাবে।
ফরিদ আহমেদঃ মাঝে মাঝে মনে হয় দ্বীপান্তরে চলে যান। ধুমকেতুর মত আচানক আগমন ঘটে তারপর হঠাৎ করেই যেন পঙ্কিল জলাশয়ে ডুব দেন আবারো। সাহিত্য নাড়াচাড়ায়, ভাষা রসে অপার দক্ষতা থাকা সত্বেও ঝিলিক মেরেই কচ্ছপের মত খোলসে গুটিয়ে নিয়েছেন নিজেকে।
আকাশ মালিকঃ একজন পূর্ণাঙ্গ লেখকের সব ধরনের গুনাগুন বর্তমান থাকা সত্বেও ২০১১ সালটা তেমন কিছু না লিখেই কোন অজ্ঞাত কারনে একরকম অভিমান করে কাটিয়ে দিলেন প্রচার বিমুখ মানুষটা তা কেবল তিনই ভালো বলতে পারেন। তবে ধারালো কিছু মন্তব্যে করে তিনি যে আমাদের একেবারেই ছেড়ে যাননি তার প্রমাণ রেখেছেন নিয়মিত।
রণদীপম বসুঃ ভাষা নিয়ে খেলার সামর্থ্য রাখেন ইচ্ছামত। অপূর্ব ভাষার গাথুনি, শব্দ বিন্যাস চমৎকার। উচ্চ মানের লেখক ও গবেষক। অনেকদিন উদাও থেকে “মনু”কে নিয়ে আবারো হাজির হয়েছেন স্বরূপে। চলমান সিরিজ- “মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ”
কাজী রহমানঃ “ডিজিটাল নবী” হিসাবে ইতিমধ্যে সুখ্যাতি পেয়েছেন মুক্তমনায় “সূরা মোখতাসার” রচনা করে। অনুসারীও জুটে গেছে বেশ। অসাধারণ কাব্যিক গুণ, শব্দ সম্ভার, ভাষা দক্ষতায় নিজেকে তুলে নিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। অগুনিত মন্তব্য করে সবাইকে উৎসাহ যুগিয়ে গেছেন সমান তালে ছোট বড় প্রায় সব লেখায়।
ভবঘুরেঃ নিজের নামকে খোদাই করেছেন ইসলাম সংহারকারী রূপে মনের অদৃশ্য ডাইরিতে। আজীবণ ব্রতধারী হয়েছেন ইসলামের চাপা রহস্য উন্মোচনে। তাঁর যুক্তি নির্ভর ধারালো লেখনির ব্যঞ্জনায় অগুনিত শত্রু যেমন তৈরী করেছেন তেমনি তাঁর লেখার অপেক্ষায় সাগ্রহে প্রহর গুনেছে অসংখ্য মু্ক্তিপ্রত্যাশী সত্যান্বেষি যুবক। সব বিবেচনায় ২০১১ ভবঘুরের জন্য বেশ সফল বছর বলা যায়।
আবুল কাশেমঃ নির্ভীক মুক্তি অন্বেষার পথিকৃৎ আবুল কাশেম কোরান হাদিস তল্লাশি করে “ইসলামে বর্বরতা (নারী)” নামক শিরোনামে ইসলামে নারীদের অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু গবেষণাধর্মী লেখা ছেড়েছেন গত বছর। এছাড়া অনুবাদ করেছেন এম.এ.খানের “ইসলামে বর্বরতা (দাসত্ব)”. বছরের শেষের দিকে এসে উম হানীর প্রেম কাহিনির রহস্য উদ্ঘাটনে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে লম্বা বিশ্রামে গেছেন। লক্ষ্যে পৌছানোর দৌড়ে জনাব আবুল কাশেমকে বেশ সফল বলা চলে ২০১১ তে।
প্রদীপ দেবঃ মুক্তমনায় “পাঠ প্রতিক্রিয়া” সমালোচকের ভূমিকায় প্রদীপ দেব ছিলেন মুকুটহীন সম্রাট। তিনি কী-পেডের টোকায় এমন অনেক বিজ্ঞানীর কথা টেনে তুলেছেন যাদের নাম নব প্রজন্ম প্রায় ভুলে যেতে বসেছিল। তাঁর দূর্বলতম দিক- মন্তব্য করার খুড়েমির অপবাদ থেকে মুক্ত হতে পারছেন না কিছুতেই।
তামান্ন ঝুমুঃ একের পর এক দ্রোহী কবিতা ক্লান্তিহীণ ভাবে উৎপন্ন করে গেছেন অবলীলায়। “আল্লাহ্র বাণী” লিখে বাগিয়ে নিয়েছেন একমাত্র মহিলা নবীর খেতাব “নিসা”।
বিপ্লব পালঃ অর্থনীতি, সমাজনীতি, দর্শন, ধনতন্ত্র, মাক্সবাদ লেলিনবাদ, সমাজতন্ত্র সব বিষয়ে পান্ডিত্যের ছাপ রেখে মুক্তমনায় লেখার বৈচিত্রতা আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। ওজনদার লেখার সাথে মাঝে মাঝে কিছু উদ্যতপূর্ণ উক্তিও ঝেড়ে বসেছেন। সেই কারণে বছরের মাঝামাঝিতে একবার যুক্তরাজ্যে সাপ্তাহিক “পত্রিকা”য় কলাম লেখক মাসুদ রানা ক্ষেপে গিয়ে কামানের গোলা চালিয়েছেন বিপ্লব পালকে লক্ষ্য করে। কিন্তু সে গোলায় নিজেই গায়েব হয়ে যান মুক্তমনার চলমান পর্দা থেকে। বিষয় নির্ভর মন্তব্যের ঘরেও বিল্পব পালের ছিল সরব উপস্থিতি।
বিপ্লব রহমানঃ অবহেলিত পাহাড়ি জনপদের কান্নার প্রতিধ্বনি। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে আটকে পড়া হাসি-কান্না, হতাশার কথা, দারিদ্রতার কথা, শোষণের কথা, প্রবঞ্চনার কথা, গুপ্ত হত্যার কথা, সংখ্যা গুরু বাঙালীর হাতে ধর্ষিত পাহাড়ি নারীদের চাপা কান্নার শব্দ, মুক্তিযুদ্ধে পাহাড়িদের অবদানের কথা আন্তরিক ভাবে টেনে আনতে চেয়েছেন সমতলের মুক্ত বায়ুতে বেড়ে ওঠা আপামর জনসাধারনের কাছে।
গীতা দাসঃ খুব বেশী কিছু না লিখলেও যে কয়টা পোষ্ট ও মন্তব্য করেছেন তাতে লেখক হিসাবে তাঁর গ্রহণ যোগ্যতার মোটেই ভাটা পড়েনি। “কালের অনুধ্যন” তাঁর চলমান লেখা।
রৌরবঃ জোরালো ভাষা জ্ঞানের অধিকারী হয়েও লিখেছেন খুবি কম বরং অন্যকে উৎসাহিত করতে মন্তব্য করে গেছেন অনেক বেশী। মার্জিত মন্তব্য করায় রৌরবের জুড়ি রৌরব নিজেই।
ইরতিশাদঃ সারা বছর কোথায় যেন অবগুন্টিত ছিলেন তবে বছরের শেষ খন্ডে এসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও একটি চমৎকার গল্পের অনুবাদ করে নিজের জাত চিনিয়ে নিয়েছেন।
আফরোজা আলমঃ কবিতায় মাঝে মাঝে উদয় হন আবার কবিতাতেই অস্ত যান।
মঈনুল রাজুঃ বেশ ভালো ফর্মে ছিলেন। তাঁর ইতিহাস, সাম্প্রতিক ঘটনা, রম্য লেখা বেশ পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে। তবে অন্যের লেখায় মন্তব্য করতে তাঁকে বেশ অলস মনে হয়েছে।
হোরাসঃ স্বল্প হলেও উন্নত লেখার মান বজায় রেখে বেশ ভালো কিছু পোষ্ট দিয়েছেন। বিশেষ করে বলতে হয় “চেঙ্গিস খান: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষ” ও “মানুষের উচ্চতা কতটুকু হওয়া সম্ভব? ৯০ ফুট আদম কিম্বা ৬০ ফুট কিংকং সম্ভব নয়; কেন?” লেখা দুটির কথা।
নীল রোদ্দুরঃ ভালোই করেছেন ২০১১তে। পাকা হাতে “জেনেটিক-মেমেটিক কো-এভোলিউশন”, “মস্তিষ্কে, অনুরণন সংগোপনে – নিউরণের গল্প” নামে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় লেখা দিয়েছেন।
শাফায়েতঃ Atheist B.D. তে বেশ জোড়ালো তর্ক করা শাফায়েতকে ২০১১ তে কিছুটা ম্রিয়মান ঠেকেছে। সম্ভবত মুক্তমনার ইন্টারফেস ডিজাইনারের কঠিন কাজের ঠেলায় তাকে নীরব রেখেছে। শতব্যস্ততার মাঝে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বিষয় কিছু লেখা আর সম্প্রতি গণিত অবলম্বনে ঝকঝকে লেখা লেখক হিসাবে শাফায়েতের অবস্থান তার্কিকের চাইতেও মজবুত করেছে।
সাইফুল ইসলামঃ ক্ষেপাটে স্পষ্টভাষী তরুণ কবি সাইফুলের মারমার কাটকাট কয়েকটি দেশাত্মবোধক লেখা বেশ পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে। আলী সিনহার “মোহাম্মদের সাফল্যের রহস্য” অনুবাদ করে কবির সাথে অনুবাদকের ভূমিকাতেও সাইফুল যথেষ্ট সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।
সৈকত চৌধুরীঃ লেখার চাইতে মন্তব্যের ঘরে দেখা গেছে বেশী। সম্ভবত বই মেলায় নতুন বই লেখার ব্যস্ততাকে ঘিরে সময় দিচ্ছেন তিনি।
নিটোলঃ বয়সে তরুণ হলেও মন্তব্য করেন পরিশীলিত। কয়েকটি ভালো লেখাও দিয়েছেন গেল বছর।
টেকি সাফিঃ পদার্থ বিজ্ঞানের বই “দি ইলিগ্যান্ট ইউনিভার্সঃ সুপারস্ট্রিংস,হিডেন ডাইমেনশনস অ্যান্ড দ্যা কোয়েস্ট ফর দি আলটিমেট থিউরি” অনুবাদ করে এবং হুমায়ূন আহমেদের “কিছু লেখাঃ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও তথ্যের বিকৃতি ও অপবিজ্ঞান নিয়ে কিছু কথা” লিখে অল্প বয়সেই বেশ আলোচনার ঝড় তুলেছেন। অবশ্য এই লেখায় সহ লেখক হিসাবে শফিউল জয়কে সাথে নিয়েছেন।
স্বপন মাঝিঃ বেশ তৎপরতা চোখে পড়েছে। নিয়মিত মন্তব্য করায় ছিলেন অতন্দ্র প্রহরী। ফাঁকে ফাঁকে গল্প, কবিতা উপহার দিয়েছেন সময় মত।
শাখা নির্ভানাঃ বেশ কিছু গল্প লিখে একজন ছোট গল্পকার হিসাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন।
কাজী মামুনঃ গল্পকার হিসাবে আত্ম প্রকাশ করেছেন সম্প্রতি। সঙ্গে মন্তব্য গুলো বেশ ধারালো গোছের মনে হয়েছে।
শিক্ষানবিসঃ নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই। সুলেখক শিক্ষানবিস শেষ দিকে এসে ভালোই বেট চালাচ্ছেন।
ইমরান মাহমুদ ডালিমঃ নিজের অবস্থান তৈরিতে বেশ কিছু প্রশংসনীয় পোষ্ট দিয়েছেন।
বন্যা আহমেদঃ শারীরিক অসুস্থতার কারনে লিখতে পারেন নি। সুস্থ হয়ে তিনি যে আবার ফিরে এসে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন তাতেই আমরা আপাতত খুশি। ধরে নিন দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো। ১০১২ তে চমক দেবেন নিশ্চিত।
মিজান রহমানঃ পাকা লেখক সন্দেহ নেই মোটেও। কিন্তু লিখেন নিতান্তই স্বল্প। সম্ভবত হিন্দি সিনেরার নায়ক “আমীর খানে”র ভক্ত। তাঁর মতই বছরে দুই একটা ছবি তুক্কু লেখা ছাড়েন এই যা।
লীনা রহমানঃ গত বছর লীনা ব্যতিক্রমী কিন্তু খুবি প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা মূলক লেখা দিয়ে মুক্ত মনাকে সমৃদ্ধ করেছেন। খবরের কাগজেও প্রায় লেখে থাকেন লীনা।
নিশাচরঃ স্ব –শিক্ষিত আরজ আলী মাতুব্বর সত্যের সন্ধান (লৌকিক দর্শন) বইটিকে মুক্তমনায় সফলতার সাথে হাজির করে বই কিনে ফকির হওয়াদের অনেক উপকার করেছেন।
মোজ্জাফরঃ বেশ কয়েকটি ভালো লেখা দিয়েছেন গত বছর।
রূপম(ধ্রব)ঃ বেশ কিছু ভিন্নধর্মী লেখা লিখেছেন। তার মধ্যে- খোদার প্রকোপের প্রায় বাইরে বা নাস্তিকের চেয়েও কম কম আস্তিকতা, বিজ্ঞান থেকে ঈশ্বরের পথে, বেশ পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে। তাঁর ভাল বৈশিষ্ট্য লেখার সাথে মন্তব্য করেন নিয়মিত।
সাদা চোখঃ বছরের শেষটায় মাত্র দুটি লেখা দিয়েছেন। তাতেই ঈর্শনীয় সাফল্য! মদীনার Wadi al Jinn-এ ইঞ্জিন বন্ধ রেখে গাড়ি চালানোর প্রকৃত কারন, জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দাও- দুটি চমৎকার অনিসন্ধিৎসু লেখা।
রায়হান আরীরঃ পদার্থ বিজ্ঞান, দর্শন, জীবিজ্ঞানের উপর ভালো লিখেছেন।
তানভীরুল ইসলামঃ কোন এক মহা চোর তানভীরুল ইসলামের ‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং (অনুবাদ) এই লেখাটি চুরি করতে গিয়ে সাথে তানভীরুল ইসলামকেইও চুরি করে নিয়ে যান মুক্তমনা থেকে। যে দিন কাল পড়েছে মুক্তমনায় লেখকদের থানায় জিডি করার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে শিঘ্রই ।
খুরশেদঃ বাঙলা রজনীর গল্পঃ মধুমালার দেশে, রসে ভরপুর সুমিষ্ট লেখা। রসিক ব্যক্তিরা রস আস্বাদন করতে হেলা করবেন না।জলদি ঢু মারার অনুরোধ রইল।
মাহবুব সাঈদ মামুনঃ লেখার চেয়ে মন্তব্য করে লেখকদের লেখার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়াসী থেকেছেন সব সময়। তাঁর এই মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
শফিউল জয়ঃ ভাল লেখক হওয়া সত্ত্বেও মুক্তমনায় লেখালেখি বা মন্তব্য করা কোন এক অদৃশ্য কারণে স্বযত্নে এড়িয়ে যান।
মোঃ জানে আলমঃ লিখেন ভালো তবে অন্যের লেখায় মন্তব্যে বড্ড আলসে।
ব্রাইটস্মাইলঃ মন্তব্য করেন অতুলনীয়। যার মন্তব্যকে মাঝে মাঝে মনে হবে এক একটা পূর্ণ লেখা।
সফিকঃ লেখকদের উৎসাহিত করেই আনন্দ খুঁজেন। কামনা করি গুনটা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক।
এছাড়াও ব্লাডি সিভিলিয়ান, অপার্থিব, লাইজু নাহার অনিয়মিত হলেও ভালো কিছু লেখা দিয়েছেন।নতুন লেখক হিসাবে রাহনুমা রাখী, মহসিনা খাতুন বেশ সম্ভাবনাময়।
উপরের তালিকাটি ছাড়াও নতুন পুরানো এমন অনেক লেখক আছেন যারা বিগত ২০১১ সালে মুক্তমনার লেখার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে বিশাল অবদান রেখেছেন তাঁদের প্রতি যথাযোগ্য শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
গঠনমূলক বা সমালোচনা প্রবণ দৃষ্টিভঙ্গি যে ভাবেই উঠে আসুক না কেন লেখকদের উৎসাহ ও লেখার প্রাণ হিসাবে বিবেচিত করা হয় পাঠকদের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যকে। যারা সারা বছর জুড়ে এই কঠিন দায়িত্ব পালনে নেপথ্য ভূমিকা রেখেছেন লেখকদের সঞ্জিবিত রাখতে তাঁদের মধ্যে গোলাপ, স্বাধীন, রণবীর সরকার, আঃ হাকিম চাকলাদার, সপ্তক, আলোকের অভিযাত্রী, আস্তরিন, হেলাল, নির্মিতব্য, অরণ্য, ছিন্ন পাতা, থাবা, বেয়াদব পোলা, ফুয়াদ দীনহীনের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখ যোগ্য।
বিঃদ্রঃ– ছোট তালিকায় ২০১১তে নিয়মিত লেখক ও মন্তব্যকারীদের আরো অনেকের নাম অনিচ্ছাকৃত ভাবে বাদ পড়ে যাওয়ায় কারো মনে আঘাত দিয়ে থাকলে অগ্রিম ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
অনেক ধন্যবাদ আমার কুঁড়েমির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তখন কত্তদিন পরে লেখা পড়ে মন্তব্য করছি দেখছেন তো। এত চমৎকার লেখা পড়ে সবাই কত সুন্দর সুন্দর কথা লিখে মন্তব্য করেন। পড়ে মনে হয় ‘আহা আমিও যদি এরকম পারতাম!” তারপর ঘুমিয়ে পড়ি। আচ্ছা, কুঁড়েমি কাটানোর কোন ওষুধ আছে?
@প্রদীপ দেব,
এতদিন পরে লেখা পড়ে মন্তব্য করেছেন এটাইতো বড় পাওনা 🙂
বিজ্ঞানীরা এখনো এই ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেনি তবে ঘাবড়াবেন না, বিশ্বাসী মনে কোন পবিত্র গ্রন্থ সাবার করুন, উপায় নিশ্চয় পেয়ে যাবেন। :))
হা হা হা লিষ্টে এতগুলো মন্তব্যের মধ্যেও আমার চোখ কেন জানি তোমাকেই খুজে বেড়াচ্ছিল। 🙂
মন বলছিল কই সেই বাচ্চা ছেলে টেকি কই? :-s
আর সবার শেষে তুমিই দিলা ইয়া বড় এক কমেন্ট!
বয়সে বাচ্চা কিনা সেজন্যই মনে হয় লিস্টে আমার নামখানাও আছে দেখে বুকের মধ্যে হুলুহুলু করে খানিক আনন্দ খেলা করে গেল! অনেক ধন্যবাদ 🙂 (F) এ বছরে এইচএসসি আর ভর্তি পরীক্ষা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হবে কিন্তু তারমধ্যেও বিজ্ঞান বিভাগটাই লিখতে হাত আকু পাকু করে 🙂
আমি বেশ কয়েকজনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই,
প্রথমেই শংসপ্তক, রূপম(ধ্রুব), রৌরব প্রমুখদের মন্তব্য দেখে একটু একটু করে শিখছি মুক্তমনা ফিডব্যাক কাকে বলে।
শ্রাবণ আকাশ নামে একজন ছিলেন, অনেকটা ফরিদ ভাইয়ের মত…শফিউল জয়ের ভাষায় “যা ইচ্ছা ফটাফট বইল্যা ফালায় কোন দ্বিধা দ্বন্ধ নাই” 😀 😀
গত বছরেও আদিবাসীদের নিয়ে ঋণাত্মক ধারণা ছিলো আমার, বিপ্লব রহমানের লেখা পড়ে ধারণায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে আমার। ধন্যবাদ উনাকে।
আর শেষে বলব মুক্তমনাতে কিছুদিন থাকলে প্রত্যেকেরই এর সাথে ঘনিষ্টতা চলেই আসে, যেমন প্রথম যখন অভিজিৎ ভাইকে ফেসবুকে পেলাম তখন ভাবলাম বাপরে কতবড় সেলেব্রেটিই না হবেন, পরে দেখি বড় ছোট, আউল ফাউল যেকোন ইস্যুতে এমনকি সের্ফ ফাইজলামিতেও উপস্থিত! কী ভাবছেন? নিশ্চয়ই ভাবছেন এখন মহান, উদার টাইপ কোন বিশেষণ লাগাবো? আরে ধুর এখন বুঝলাম উনি সের্ফ দু’টাকার ব্লগার 😀 😀 😀 জাস্ট কিডিং 🙂
আরেকজন আছে লীনাপু (উচ্চারণ লী,-নাপু :)) ) বিভিন্ন ইভেন্টে উনার মাতব্বরি আছেই 😀 বহুত আড্ডাবাজি হয় ইনার সাথে।
শেষ করছি নীল রোদ্দুর আপুকে দিয়ে, মুক্তমনা থেকে পরিচয়, এখন সের্ফ বড় আপুর মত। প্রায়ই কথা হয়, বিভিন্ন বিষয়ে আদেশ উপদেশ দিতেও দ্বিধা করেন না। কোন টপিকে পড়ালেখার অগ্রগতি, পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন রিসোর্স টিসোর্স নিয়ে আলোচনা তো আছেই। মাঝে মধ্যে বসে সুখ-দুঃখের গল্পও হয় 🙂
মুক্তমনাতে গতবছরেই পদার্পন এবং বিগত একবছরেই অনেক কিছুই পেয়েছি। ধন্যবাদ মুক্তমনা ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে। (W) (W) (W)
@টেকি সাফি,
আপনার গোলাপকে তন্ত্র-মন্ত্র পানি পড়া ফু-টু দিয়ে একটু যত্ন করুন। প্রায়ই অবহেলায় জলবিনে কাতর হয়ে বিলাপ করতে দেখা যায়- ;-( :-Y এই নিন আপনার জন্যে (F) (F) (F)
@টেকি সাফি, মুক্তমনায় অনেক মানুষের মাঝে যাকে দেখলে মনে হয় দুরন্ত বয়সের প্রানপূর্ণ একজন, সেইটা হইলো তুমি। প্রানশক্তি লাগেরে ভাই… সুকান্তের আঠারো বছর বয়সের সার্থক প্রতিচ্ছবি…:)
@টেকি সাফি,
ফরিদ ভাইকে দেখে আমার একটু একটু ভয়ই করে । মুক্তমনাতে প্রথম লেখাতেই যে ফাইটটা দিছিল । পুরা ভিরমি খাইছিলাম ।
আমিও এই ব্যাপারে তোমার আগের চিন্তা-ভাবনাটা দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম, যদিও কিছু বলি নি । তুমি শেষে নিজের থেকেই বুঝতে পারলে । 🙂
এই ব্যাপারটা আমারও মনে হইছিল । 😀
@ রাজেশ তালুকদার,
ভাইয়া, অত্যন্ত দুরূহ কাজ করেছেন। মুক্তমনায় আপনি সহ এতো এতো প্রতিভাধর গুণী লেখক ও মন্তব্য-কারী আছেন যে অনেক সাবধানতার পরেও বহু নামই অনুল্লেখ থেকে যাবে। ভাল থাকুন।
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
@গোলাপ,
বেশ কিছু শক্তিশালী লেখকের পক্ষ থেকে অনুরোধ রয়েছে আপনাকে কলম ধরার। আর বিলম্ব কিসের? লিখে ফেলুন আপনার অভিজ্ঞতা নিয়ে।
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। অনেকটা স্মৃতিচারনমূলক লেখার মত হয়েছে, অবশ্যই মধুর, অম্লের ভাগ তেমন নেই।
নিজে নানান কারনে ব্লগে আর তেমন আসি না। বিস্ময়ের সাথে দেখছি এখনো কেউ কেউ মনে রেখেছে। না আসার কারন অতি গোপনীয় হলেও আপনারা জাতভাই আপনাদের কাছে গোপন করতে নেই। আসলে কাফের নাছারা ইয়াহুদী গোত্রের সাথে স্যালারি ইনক্রিমেন্ট নিয়ে বনিবনা হচ্ছে না। বহুদিন বেতন বাড়ায় না, নুতন বছরে তাই আশা করেছিলাম এবার একটা হিল্লে হবে। দামাদামি করতে গেলেই বলে না পোষালে পথ দেখ, আজাজিল শয়তানের কুদরতে তোমার মত বাংলা ইসলাম বিদ্বেষীর এখন আর কোন অভাব নেই, টাকায় ৫টা মেলে:-( । আমেরিকান নাছারাগুলি তাও কিছুটা দিতে নিমরাজী, কিন্তু ইসরায়েলী ইহুদীগুলি এত কিপটা আর খচ্চর যে কি বলব, সাধে ব্যাটারা চির অভিশপ্ত জাতি! যাক দূঃখের কথা।
ভাল লাগছে অনেক নুতন নাম দেখে, নুতনদের মাঝে বেশ ক’জন ভাল লেখক আছেন আগেই লক্ষ্য করেছি। এভাবেই হয়ত মানুষের চিন্তা চেতনায় একদিন পরিবর্তন আসবে, হয়ত ধীরে।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার সাথে কখনো মন্তব্য চালাচালির সুযোগ হয়নি আমার কিন্তু আপনার মন্তব্যের ভঙ্গিমায়, দারুন রসাত্মক বর্ণনার এক জন মুগ্ধ ভক্ত আমি। আবার ফিরে এসেছেন দেখে ভাল লাগল।
@রাজেশ তালুকদার,
আপনাকেও ধন্যবাদ।
আপনার সাথে খুব বেশী আলাপ না হলেও আপনার লেখা বেশ ভাল লাগে। আপনার তক্ষশীলা বিষয়ক লেখাটা অনবদ্য লেগেছিল।
@রাজেশ তালুকদার,
উপায় নেই কী করা-
২০১১ আমার পরিবারের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। যার কারনে আসলে কবিতা ছাড়া বড় লেখা দিতে পারিনি, তবে চেষ্টা করেছিলাম ” বিকেলের আলোয়” গল্পএর শুরু দিয়ে, পরে আর কমন এগূতে পারেনি। তবু ধন্যবাদ আমার নাম আপনি তালিকায় এনেছেন। আপনার অতুলনীয় লেখাগুলো আমি সব সময় পড়ি।
নতূন বছরে দেরি করে হলেও শুভেচ্ছা-
@আফরোজা আলম,
খুব পীড়াদায়ক সংবাদ, শুনে ভীষন খারাপ লাগল। উনার সুস্থতা কামনা করছি।
@আদিল মাহমুদ,
চাচা কে বহুদিন পর দেখলাম :)) । এখনো কি আলুর সিঙ্গারা খান :-s :-s ?
thanks for adding me in the list,though I must confess that I am not that elegant to be listed.I do not have any computer.So it is somewhat difficult for me to be in touch with muktomona . But always do I feel a lot for muktomona. I was like a distant island in the realm of the dogmatists.But now I have the courage that I am not alone. Thanks again MUKTOMONA from the deepest core of my heart.
@রাজেশ তালুকদার,
অনেক ধন্যবাদ!
আমি যখন মুক্তমনার সন্ধান পেলাম, মনে হল বিরাট এক হীরক খনিতে প্রবেশ করেছি; তবে ভূ-গর্ভস্থ খনিতে যেখানে দম আটকে যায়, সেখানে মুক্তমনায় হিরণ্ময় দীপ্তির সাথে পাওয়া যায় প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার অবারিত সুযোগ। মুক্তমনায় ঢুকি মুক্তির স্বাদ পেতে, সমাজ-রাষ্ট্র-ধর্মের পড়িয়ে দেয়া শৃঙ্খল খুলে ফেলতে! তাই মুক্তমনার কাছে আমার ঋণের শেষ নেই! অভিজিৎ-দা, ফরিদ ভাই, বিপ্লব-দা, মইনুল ভাই সহ সকল মুক্তমনা সদস্যকে আমার অপার শ্রদ্ধা ও ভালবাসা!
@কাজি মামুন,
ফাঁক ফোকর বিশ্লেষণে আপনার মন্তব্য কিন্তু দারুণ আকর্ষনীয়।
শুরুতেই বলে নিই এই লেখাটা আমার কোন পূর্ব পরিকল্পিত লেখা নয়। বন্ধ ছিল, কাজ নেই,
ভাবলাম নতুন বছরের শুরুতে কিছু একটা লিখি। হঠাৎ করেই মনে হল বিদায়ী বছর ২০১১ এর মুক্তমনার সারথিদের বিনে পয়সায় সন্মাননা দিতে পারলে বোধহয় মন্দ হয় না। এই কঠিন সুযোগ। সবে ২০১২ শুরু হল। শুরু করলাম লেখা, লিখতে গিয়ে অনুভব করলাম এতো আমি আগুনে হাত দিয়ে ফেলেছি! অনেক নাম বাদ পড়ে যাচ্ছে, কি করে যে ফস্কে গিয়েছিল নাম গুলো মন থেকে বুঝতেই পারিনি। নিজেকে সান্তনা দিলাম- ক্ষমা একটি মহৎ গুন, নিশ্চই আমাকে তাঁরা ক্ষমা করবেন। সে ভরসাতে দুরু দুরু বুকে কাঁপা হাতে বিসমিল্লাহ বলে লেখাটা সত্বর ছেড়ে দিলাম।
সত্যি বলতে কি লেখা পোষ্ট করার পর প্রথমে একটু শঙ্কায় ছিলাম :-s , কেউ যদি আবার পেদানি দেয় 😛 !
কাজটা আমার জন্য যথেষ্ট জটিল ছিল বৈকি।
আমার দূর্বল স্মৃতি শক্তির কারনে বাদ পড়া সারথিদের কিছু নাম পুনঃসংযোজন করে অপরাধের বোঝা কিছুটা হালকা করার সুযোগ নিলাম। তারপরেও অনেক নাম বাদ পড়ে আছে তাই আবারো আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
@রাজেশ তালুকদার,
এটা হলো বিসমিল্লাহর ফজিলত। যে কোন কাজ বিসমিল্লাহ বলে শুরু করলে ভুল হয়তো হতে পারে কিন্তু অপরাধ হবেনা, হউক সে কাজ ধর্ষণ কিংবা খুন। সুবহানাল্লাহ!
কুত্তা-বিলাইর দেশে বিসমিল্লাহ বলে এ সপ্তাহেও একজন বাংলাদেশীর কল্লা কাটা হবে।
মুক্তমনার সকল লেখক ও মন্তব্যকারীদের প্রতি রইল নববর্ষের শুভেচ্ছা। মুক্তমনা সাইটটিকে সক্রিয় ও কার্যকর রাখতে যাঁরা নিরলশ পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁদের প্রতিও রইল আন্তরিক অভিনন্দন। তাঁদের সকলের অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ লেখকের এই লেখাটিকে গন্য করা যায়। তাই এই লেখার লেখক ও সকল মন্তব্যকারীদের ধন্যবাদ প্রাপ্য হয়ে রইলো।
আর আমার জন্য নতুন বৎসরের শুরুতে খুবই সম্নানজনক একটি বাড়তি পাওনা হয়ে রইলো ফরিদ আহমেদের এই উক্তিটি
ধন্যবাদ। (F)
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনি সত্যি ব্রাইট। উপরের তালিকায় আপনার নামটি খোদাই করতে ফস্কে গিয়েছিলাম। পরে সংষ্করণ করে
স্টিকি করে দিলাম।
গতবছর ধর্মকারী নামক ধর্মবিরোধী ব্লগে একটি অঘটন ঘটে যা থেকে আমরা কিছু শিক্ষণীয় জিনিস পাব। জুলাই মাসে এই কার্টুনটি প্রকাশ হয়। এখানে শুধু কাভার পৃষ্টা দিলাম।
[img]http://4.bp.blogspot.com/-NJHROQ51fP4/TgJSuyc4fWI/AAAAAAAACwA/Rx-mJrMmxCY/s400/moha+mad.jpg[/img]
কার্টুনটির লিংক
এটি প্রকাশ হওয়ার পর এক নিরীহ বুয়েট ছাত্র কৌতুহল বশত তার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে। এই নির্দোষ শেয়ার করার বিষয়টি মেনে নিতে পারে নি মৌলবাদী চক্র। তারা এটি দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পাতায় ২৮ জুন ২০১১ তারিখে প্রকাশ করে। এখান থেকে ডাউনলোড করে খবরটি দেখেন (ইনকিলাবের খবরগুলো এরকম পিডিএফ করেই তাদের সাইটে প্রকাশ করে)। দৈনিক সংগ্রামে দেখেন এটা ও এটা। এ সম্পর্কিত আরো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রপাগান্ডা দেখেন A, B, C, D, E, F
আমরা সবাই যেন এ বিষয়ে সাবধান থাকি যাতে কেউ এরকম বলির পাঠা না হয় বা নিজেরা না হই।
সময়োপযোগী এ ধরনের পোষ্ট এর জন্য ধণ্যবাদ। আসলেই সারা বছরের সালতামামি পরের বছরের শুরুতে থাকলে তা অনেকের জন্য উপকারী হয়। বোঝা যায়, প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির হিসাব নিকাশ।
অনেকের লেখাই আমাকে আকর্ষণ করে, তার মধ্যে অভিজিৎ রায়, আকাশ মালিক, আবুল কাশেম, ফরিদ আহমেদ প্রমূখ, তাদের তথ্য বহুল লেখা সবার জন্য উপকারী বলে মনে করি। অতি নবীন হিসাবে সাফায়েত আমাকে বেশ আকর্ষণ করে। বিপ্লব রহমানের লেখা থেকে আদিবাসী সম্প্রদায় সম্পর্কে অনেক আকর্ষণীয় তথ্য পাওয়া যায়। লীনা রহমানের বিদ্রোহিনী চরিত্র দারুন উপভোগ্য ও নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার দাবী রাখে। এছাড়া সৈকত চৌধুরীকে দারুন বুদ্ধিদীপ্ত মনে হয়। আল্লাচালাইনাকে বিদ্রোহী কবি মনে হতো কিন্তু সম্প্রতি তিনি নিখোজ। এছাড়াও আদিল মাহমুদের মন্তব্য আমাকে আশান্বিত করত যদিও বেশ কিছুকাল তিনি নিখোজ। এছাড়া বাকী আরও অনেকের লেখা ও মন্তব্য আমার ভাল লাগে, যেমন- বিপ্লব পাল, ব্রাইট স্মাইল, রৌরব, কাজী রহমান,হোরাস, নীল রোদ্দুর, নিটোল, টেকি সাফি প্রমূখ। বন্যা আহমেদের বিবর্তন বিষয়ক লেখা জ্ঞানের আকর। নতুন এ বর্ষে সবার জন্য শুভ কামনা।
@ভবঘুরে,
উপরের তালিকায়ও নাম নাই আপনার তালিকায়ও নাই আমি এখন কৈ যাই? :))
@রাজেশ তালুকদার,
দু:খিত ভাই , আসলে human is mortal মানে ভুল হয়ে গেছে ভাই।
আপনার চোখা মন্তব্যগুলি কিন্তু বেশ উপভোগ করি আমি। তবে মনে হয় সঙ্গত কারনেই আপনি কঠিন সমালোচনা করেন না বুঝতে পারি। 🙂
একটুখানি নাড়াচাড়া করলে মন্দ হয় না। রাজেশ তালুকদার একটুখানি নাড়া দিতেই, টপাটপ একের পর এক মন্তব্য ঝরছে, আমরা কুড়িয়ে নিচ্ছি। মূল লেখাটার সাথে মন্তব্যের ঘরে চলে এলো আরো আরো অনেক নাম।
আমিও একজনের নাম উল্লেখ করে ইতিহাসের পাতায় আমার নাম স্বর্নাক্ষরে লিখে রাখলাম। তার নাম সংশপ্তক। উধাও আকাশ উধাও ধরা, তারপর তিনি মাঝে সাজে একটুখানি জল ছিটিয়ে আবার উধাও। তবে ঐ একটুখানি জলের আঁচ সূচের মত বিঁধে।
মুক্তমনার সারা বছরের সংক্ষিপ্ত চিত্রটা ভাল লিখেছেন। মুক্তমনায় যখন কোন নতুন লেখক আসেন, পুরনো লেখকেরা নিয়মিত লিখেন; আলোচলায় অংশ নেন দেখে খুব ভাল লাগে। মনে হয় জমজমাট একটি পরিবার। আবার কাউকে অনিয়মিত হতে দেখলে তাকে miss করি। লেখায়, আলোচনায়, মানবিক কর্মকাণ্ডে, বিতর্কে মুক্তমনা আকাশের সীমানা পেরিয়ে যাক; সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হোক এই কামনা করছি। মুক্তমনার সকল সদস্য, পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে নূতন বছরের শুভেচ্ছা।
এই লেখাটাতে কেমন যেন একটা আয়েশ আয়েশ ভাব পাচ্ছি। সবাই যেন চা খেতে খেতে পুরনো দিনের কথা ভাবছে। একজন কিছু ভুলে গেলে আরেকজন আবার সেটা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সবাই আবার এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখছে, আড্ডায় সবাই আসছে তো! আমি একটু পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, আপনাদের হাসি হুল্লোড় শুনে একটু উঁকি মারতে আসছিলাম। এখন আর যেতে ইচ্ছা করছে না। আপনারা সবাই বড় ভালো লোক। জি, আমি চায়ে চিনি একটু বেশি খাই। (C)
আপনার না জেনেটিকসের উপর ডেডলাইন আছে আজকে? সেটা বাদ দিয়ে এখানে এসে ঘুরঘুর করছেন কেনো? 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
কাজ শেষ। :rotfl: এই বিষয়টা পড়তে খুবই মজার। কিন্তু পরীক্ষা দিতে গেলে কান্না আসে। এখন ভাবছি আজকে যেগুলোতে লাড্ডু মেরে আসছি, ওগুলো দিয়ে একটা কিছু লিখে ফেলব কিনা!! :-s
@নির্মিতব্য,
আবার জিগায়? লিখে ফেলেন। খালি মিষ্টি চা হলে চলবে নাকি? লাড্ডু টাড্ডুরও প্রয়োজন আছে।
মুক্তমনায় নিয়মিত রুচিশীল স্নিগ্ধতা ছড়ানো কিন্তু শক্তিশালী মন্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রাইট স্মাইলের তুলনা নেই। তাঁর যৌক্তিক চিন্তার গভীরতা দেখে মাঝে মাঝে অবাকই হই। আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ তিনি। এ ছাড়া আছেন অপার্থিব, গোলাপ এবং সফিক। এরা মন্তব্য করেন কম, কিন্তু যেগুলো করেন সেগুলোর ওজন পাহাড়ের মতো বিশাল। রাগিবও মাঝে মাঝে ঢু মারেন মুক্তমনায়, কিন্তু তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায় কালেভদ্রে। ছিন্নপাতার মন্তব্যে কিশোরী মেয়েদের অপার সারল্য এবং টগবগে সজীবতা পাই। (তিনি নিজে সত্যি সত্যি কিশোরী কি না কে জানে?)
সুলেখকদের মধ্যে বাদ পড়ে গিয়েছে দীপেনদা, নাস্তিকের ধর্মকথা এবং ধ্রুবের (রূপম) নাম। ধ্রুব অবশ্য অন্য কারণে আমার খুব পছন্দের এবং কৌতুহলের বিষয়। মাঝে মাঝে তিনি আর রৌবব মুক্তমনায় এমন এক দুর্বোধ্য ভাষায় আলোচনা চালাতেন যার অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতে পারতাম না। মোজাফফরও নীরবে মুক্তমনাকে কম সমৃদ্ধ করেন নি।
আদিল মাহমুদ এবং আতিক রাঢ়ীর নীরবতা পীড়াদায়ক। এই দুজন আগে নিয়মিত মন্তব্য করতেন এবং অনিয়মিতভাবে লিখতেন। কেশব অধিকারীও এই কাতারে চলে গেছেন। ফাহিম রেজাকে মিস করি। তাঁর রসবোধ ছিলো অসাধারণ। সেই সাথে বড় ত্যাদড় লোকও ছিলেন তিনি। পিটাপিটিতে পাক্কা ( অনেকটা আমার মতই 🙂 )।
স্বর্গগত স্নিগ্ধার কথা আর কী বলবো। তাঁর বিদেহী আত্মা শান্তি পাক। 🙁
গত বছর একজনের লেখা এবং চিন্তাভাবনা খুব টেনেছিলো আমাকে। তিনি অডঙ চাকমা। এই ভদ্রলোক নিয়মিত লিখলে খুব খুশি হতাম আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
দীপেনদার লেখাগুলো আসলেই অসাধারণ। এ বছরের শুরুতে ডকিন্সের সেলফিশ জীনের কিছু অধ্যায় অনুবাদ করেছেন আন্দালিব,তবে তার পরে তার দেখা তেমন পাওয়া যায়নি। আমার প্রোগ্রামিং নিয়ে লেখাগুলোতে হেলাল নিয়মিত মন্তব্য করেছেন,তাকে ধন্যবাদ,তবে তিনি একটি পোস্টও করেননি এখনো!
আরো কতজনের কথা বাদ গেলো কে জানে!
রনবীর সরকার আছেন মুক্তমনায় নীরবে, নিঃশব্দে। আরিফুর রহমান মুক্তমনার হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ভিন্ন ফ্রণ্টে তুমুল লড়াই করেন। সেটা আক্ষরিক অর্থেই লড়াই। মুক্তমনার সুরক্ষা বর্মবিহীন, একাকী লড়াই। সেই লড়াইটা হয় কর্কশ এবং অরুচিশীল কিন্তু দারুণ কার্যকর।
ফুয়াদ দীনহীনকেও ভুলে গেলে চলবে না। মুক্তমনায় এসে প্রায়শই এর বিপক্ষে তুমুল যুক্তিবাদী (?) বিতর্ক করেন ঠিকই, কিন্তু মুক্তমনার প্রতি তাঁর ভালোবাসাটা খাঁটি। অন্য অনেক বিশ্বাসী লোকের মতো নাস্তিক বলে আমাদের প্রতি অশ্রদ্ধার মনোভাবটা নেই। শত্রুপক্ষের (!) এই একটা লোককেই অন্তর থেকে বিশ্বাস করি আমি। সে কারণে তাঁর সাথে বিতর্কে দারুণ মজাও পাই। আগে প্রায়ই মল্লযুদ্ধে হারিতে দিতো আমাকে। এইবার সেই সুযোগ দেবো না ভাবছি। 🙂
@ফরিদ ভাই,
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। আপনারা যারা মুক্তমনার রক্ষণাবেক্ষণে আছেন, বিনা-বেতনে বছরের পর বছর নিরলষভাবে কাজ করে মুক্তমনার মান-বৃদ্ধি করে চলেছেন তাঁদের সবাইয়ের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আপনারা লেখক, মন্তব্য-কারী ও পাঠকদের জন্যে এমন একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন যেখানে সবাই যাবতীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে নির্দ্বিধায় আলোচনা করতে পারে। যে আলোচনাগুলো সমাজে মুক্তভাবে করার পরিণাম ভয়াবহ ও মৃত্যু-ঝুঁকির সম্ভাবনা, এখানে সে আলোচনাগুলোও আমরা করতে পারি নি:সংকোচে।আপনাদের সাহসী ভূমিকার ফলে আমার মত হাজার হাজার পাঠক উপকৃত হচ্ছেন, মুক্ত চিন্তা ও বুদ্ধি-বৃত্তি চর্চা করার সুযোগ পাচ্ছেন। মুক্তমনার সাথে অন্যান্য বাংলা সাইটগুলোর পার্থক্য স্পষ্ট।
আপনার প্রতিটি লিখা ও মন্তব্যের বিষয়বস্তু ছাড়াও যে জিনিষটা আমাকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে তা হল উপযুক্ত ‘শব্দ-চয়ন’। এক্কেবারে ঝানু লেখকের স্বাভাবিক বৈশিষ্ঠ।
আপনাদের সবাইকে নব-বর্ষের শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ রাজেশদা। 🙂
রাজেশদা খুব ভাল একটা কাজ করেছেন। মুক্তমনার সমস্ত নতুন পুরনো লেখক ও মন্তব্যকারিদের সম্মান জানাবার একটা সুন্দর প্রয়াস। সব সুলেখকদের নামের শেষে এক কোণায় আমার নামটা দেখে ভালই লাগলো। 🙂 আমিও যে মুক্তমনার এই অগ্রযাত্রায় কিছুটা হলেও অংশীদার তা আবারও অনুভব করলাম। গত বছরে আমার জন্য খুব বড় একটা অর্জন ছিল মুক্তমনার সদস্যপদ পাওয়া। এজন্য মুক্তমনাকে ধন্যবাদ আবারও। আচ্ছা এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ল। রানা ফারুক নামে একজন পাঠক মুক্তমনায় চিঠি পাঠিয়েছিলেন বহুদিন আগে। তিনি বলেছিলেন যে মুক্তমনা তার বিশ্বাসের পরিবর্তনে বিশাল ভূমিকা রেখেছে। তার চিঠিগুলি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিতও হয়েছিল মুক্তমনায়। কিন্তু পরে ভদ্রলোকের আর কোন খোঁজখবর পাই নি। উনার সাথে কি ব্লগের কারো কোন যোগাযোগ হয়েছে?উনাকে আমাদের মাঝে পেলে ভাল লাগতো।
উরি বাপ্রে! এই তালিকায় দেখি এই অধমের নামও আছে! কেম্ন কী? 😉
নিয়মিত লেখা বা মন্তব্য না করলেও নিয়মিত ঢু মারা হয় কিন্তু!
সবার জন্য শুভকামনা। 🙂
বছর শেষে বন্যাপার কাতারে নিজেরেও দেখে অনুপ্রাণিত হলাম 😉
@রায়হান আবীর,
ভাই আমিও আছি আপনার দলে – 🙂
কারো কারো বছর দেখছি ৩৫৬ দিনে হয়, আমি জানতাম ৩৬৫ দিনে বছর। 😀 এখন কিন্তু সম্পাদনা করে ঠিক করা যাবে না। …যাক, ২০১২ সালে একটা মন্তব্য অন্তত করে ফেললাম। :))
খুব ভালো লিখেছেন, চমৎকার বিশ্লেষণ। এই লেখাটার দরকার ছিলো। আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং লেখার জন্য অভিবাদন। (F)
@মইনুল রাজু,
এত লম্বা লিষ্ট থাকতে আপনার চোখ কিনা ৫ এর পিছে ৬ এর দিকে গেল! 😉
(Y) , মোটামুটি সবার কথাই তুলে এনেছেন।
নিজের কথা বলি, গত বছর নিজের পিএইচডির শেষ বছর থাকায় সেভাবে লেখালেখি করার সময় পাওয়া যায়নি, তাই কোন নুতন লেখা লেখা হয়নি। পুরোটা বছর লেগেছে নিজের থিসিস লিখতেই :-X । তারপরেও প্রায় প্রতিদিনই একবার হলেও মুক্তমনায় ঢু মেরেছি, বেছে বেছে লেখা পড়েছি সময়ের অভাবে, আরো বেছে বেছে কিপ্টের মতো এক/দু’টি করে মন্তব্য করেছি। আশা করি এ বছর থেকে আবার নিয়মিত হওয়া যাবে।
মুক্তমনা চোখের সামনে দিনে দিনে আরো বড় হয়ে উঠছে দেখে বেশ ভালো লাগছে। নিত্য নুতন মুক্তমনারা যোগ দিচ্ছে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া মুক্তমনা ব্লগের। সবাইকে নুতন বছরের শুভেচ্ছা।
@স্বাধীন, ভাইয়া, আমরা আপনার নতুন নতুন লেখার অপেক্ষায় আছি। 🙂
এদের মধ্যে আবুল আশেম, ভবঘুরে আর অভিজিৎ আমার খুব প্রিয়। বলতে পারেন তাদের আকর্ষণেই মুক্তমনায় পড়ে থাকা।
মুক্তমনা সব মক্ত মানুষের তীর্থ হয়ে থাক! সকল লেখককে অভিনন্দন।
বাহ! বছরের সালতামামি খুব ভালো লাগল। এক চিপায় নিজের নাম দেখে অবাক হয়েছি। মন্তব্য করা ছাড়া আর তিনটে লেখা ছাড়া গেল বছর আমি মুক্তমনাকে কিছুই দিতে পারিনি। তবু এই অধমকে মনে রেখেছেন তাতেই আমি কৃতার্থ। আশা করি এ বছর নিয়মিত থাকতে পারব।
ও হ্যাঁ, আপনার লেখাও কিন্তু খুব ভালো পাই। লিখে যান নিয়মিত। 🙂
রামগড়ুড়ের ছানাের মন্তব্যের সূত্র ধরে আরো কিছু নাম বলি। তানভীরুল ইসলাম হঠাৎ করেই অনিয়মিত হয়ে গেছেন, বিশেষ করে গ্র্যাণ্ড ডিজাইনের অনুবাদ শেষ করার পর। অনিয়মিত হয়ে গেছেন প্রতিফলনও, বোকা কম্পিটারের চালাকির লেখক । তাদের কাছ থেকে নিয়মিত লেখা আশা করি।
একসময় খুব নিয়মিত ছিলেন আদিল মাহমুদ। লেখালিখি এবং মন্তব্যে। তিনিও অনিয়মিত।
রাহনুমা রাখী নামের একটি সাহসী মেয়ে বেশ কিছু সাহসী পোস্ট দিয়েছিলেন একসময়। তার মন্তব্যগুলোও খুব ভাল লাগতো। তাকেও কেন যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি নিয়মিত হলে সবারই ভাল লাগতো।
তবে লেখক হিসেবে তাঁদের হারালেও কিংবা অনিয়মিতভাবে পেলেও অনেক প্রতিশ্রুতিশীল লেখক আবার মুক্তমনাকে উজ্জ্বল করে তুলেছেন। এর মধ্যে পৃথ্বী (পৃথিবী) এবং টেকি সাফি সর্বাগ্রে থাকবেন। এত কম বয়সের ছেলেপিলেদের কাছ থেকে এত পরিশীলিত লেখা খুব কমই পাওয়া যায়। আর শেষ বিকেলের ঝলকানি হিসেবে মুক্তমনায় উঠে এসেছেন শফিউল জয়, নির্মিতব্য, সাদা চোখ এবং অবশ্যই মহসিনা খাতুন। তারা যে আগামী বছরগুলোতে আলো ছড়াবার স্বপ্ন নিয়েই এসেছেন তা নির্ঘাত এখনই বলে দেয়া যায়।
সবার জন্যই রইলো শুভকামনা।
এ ছাড়া মুক্তমনায় কিছু লেখক আছেন যারা কেবল ‘নিজের লেখায়’ মন্তব্য করতে ভালবাসেন। 🙂 আবার কিছু লেখক আছে ঠিক এর বিপরীত। এরা লেখা টেখা তেমন দেন না, কিন্তু উদারভাবে কমবেশি সবার লেখাতেই মন্তব্য করেন। অনেক সময় মন্তব্যের ঝাঁঝে ছাপিয়ে যান লেখনীকে।
এই নিঃস্বার্থ মন্তব্যকারীদের তালিকায় আছেন আল্লাচালাইনা, সংশপ্তক, গোলাপ, সফিক, ইরতিশাদ আহমদ প্রমুখ। এদের একেকটি মন্তব্যই হতে পারতো একেকটি আকর্ষণীয় লেখা!
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ অভিজিৎ, আমাকেও এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য। যদিও অলস এবং মন্তব্যকৃপণ হিসেবে আমার দূর্নাম আছে।
আমি এই তালিকায় আরো দুটি নাম অতি অবশ্যই যোগ করবো, বন্যা আহমেদ আর কেয়া রোজারিও। এঁদের সুলিখিত, সুচিন্তিত আর ক্ষুরধার মন্তব্য এবং দারুণ সব লেখা (যখন দয়া করে লেখেন), মুক্তমনাকে সমৃদ্ধ করেছে। আশা করি ভবিষ্যতেও করবে।
রাজেশ তালুকদারকে ধন্যবাদ মূল লেখাটার জন্য।
@ইরতিশাদ ভাই,
ঠিক! আর থাকবেন আমাদের মিজান ভাই (মীজান রহমান)।
যারা একটু শীতনিদ্রায় গেছেন, আশা করি গরম এলে তাদের অনেকেই বের হয়ে আসবে। মাঝে একটা সময় গেছে খুব হতাশাজনক। আমার ঝোকটা যেহেতু বিজ্ঞানের লেখায়, আমি আসলেই বিজ্ঞানের লেখাগুলোই পড়ি বেশী, সাথে সাথে পরার সময় না হলেও জমিয়ে রাখি, সময় পেলেই পড়ে ফেলি। কিন্তু কেমন যেন, তখন কেউ কোন লেখা দিচ্ছিল না। বিজ্ঞান নিয়ে যারা লিখে, তারা সবাই যেন শীত ঘুমে। আস্তে আস্তে সেই মুখগুলো আবার ধীরে ধীরে ফিরছে, অন্তত জানা গেছে, আছেন তারা! সুতরাং আশা করতেই পারি, মুক্তমনা জমজমাট!
বিঃ দ্রঃ কাজের চাপে একটু ডুব মারলে সমস্যা নাই। পেট ভরে পানি খেয়ে সময় মত আবার হাতে সময় পেলেই ফিরে আসলেই হল। আমিও তাই করব কিনা 😉
@অভিজিৎ,
একটা নাম আমরা বোধ হয় মিস করলাম। তাকে কোনদিনই ভুলার নয়, তিনি আমাদের নন্দিনী হোসেন। মুক্তমনা আর্কাইভে তার প্রচুর লেখা রয়েছে। তার লেখা পুরুষ রচিত ধর্মে বিকলাঙ্গ নারী বিভিন্ন ফোরামে নিদারুণ মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ধর্মবাদীদের জন্যে।
@আকাশ মালিক,
হ্যা ঠিক তো! নন্দিনী কোথায় হারিয়ে গেলেন! এক সময় সাতরং পরিচালনা করতেন। মুক্তমনাতেও অনেক লিখেছেন। তারপর হঠাৎ করেই হাওয়া একেবারে। আপনাদের ওদিকেই তো থাকেন উনি সম্ভবতঃ। কোন খোঁজ খবর জানেন না? উনাকে পুনরায় লিখতে বাধ্য করা গেলে বেশ হতো।
আর একজন হচ্ছে আমাদের অনন্ত বিজয় দাশ। একসময় দুর্দান্ত লেখা লিখতেন নিয়মিত। পরে অনিয়মিত থেকে একদম হাওয়াই বলা যায়। অবশ্য অনন্ত প্রতি বছরই কিছু ভাল বই উপহার দিয়ে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করে চলেছে।
অভিজিৎ দা,
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। লেখক রাজেশ তালুকদার নতুন বছরের শুরুতে গেলো বছরের লেখক ও মন্তব্য-কারীদের নিয়ে খুব ভাল একটা পর্যালোচনা লিখেছেন, নিজের নামটি বাদ দিয়ে।উনি আমার পছন্দের একজন লেখক। আসলে মুক্তমনায় এতো অধিক সংখ্যক প্রতিভাধর, শক্তিশালী ও উচ্চ-মার্গের গুনি লেখক ও মন্তব্য-কারী আছেন যে সবার নাম আলাদা আলাদাভাবে উল্লেখ করা অত্যন্ত দূরহ। লিস্টটা হবে অনেক অনেক লম্বা, এবং তাতে বিশিষ্ট কারও না কারও নাম অনেক সাবধানতার পরেও বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা ষোল আনা। আমার বিশ্বাস, আমার মত অগণিত পাঠকই মুক্তমনার কাছে ঋণী। মুক্তমনার এসমস্ত লেখকের লিখা ও পাঠক-মন্তব্য থেকে অনেক অনেক বিষয়ে জানার সুযোগ হয়েছে। মুক্তমনার ধারক, বাহক, মোডারেটর এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ যারা পর্দার আড়ালে থেকে একনিষ্ঠ ভাবে বিনা বেতনে বছরের পর বছর এ সাইটির রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছেন তাদের সবাইকে জানাই কৃতজ্ঞতা। তাঁদের সম্মিলিত একাগ্রতা ও নিষ্ঠার ফল ‘আজকের মুক্তমনা’। তাঁদের, মুক্তমনার সমস্ত লেখক, মন্তব্য-কারী পাঠক ও অমন্তব্য-কারী শুধু-পাঠক সবাইকেই নববর্ষের শুভেচ্ছা। অমন্তব্য-কারী শুধু-পাঠকদের সংখ্যা অজস্র, তারাই সিংহভাগ।
আপনার বিজ্ঞান-ভিত্তিক ও গবেষণা-ধর্মী লেখা অতুলনীয়।আগে ধর্ম-বিষয়ে অনেক বিশ্লেষণ-ধর্মী লিখা লিখেছেন। এখন আর একদমই লিখেন না, ‘মিস’ করি আপনার সে লিখাগুলো।
@অভিজিৎ,
বুইড়্যা রা এইবার সইর্যা দাঁড়ান :)) শুধুই বাচ্চামি মানে জাস্ট কিডিং…আসলে আপনাদের দেখেই শিখলাম, অ্যাপ্লাই না করতে পারলে সারাজীবন লাইব্রেরী মুখস্ত করে মরার মত হবে যার কোন ব্যবহারিক ফল নেই। 🙂
এ বছর আদিল মাহমুদকে মিস করেছি,জানিনা তিনি এখন অনিয়মিত হয়ে গিয়েছেন কেনো। তিনি লিখতেন কম তবে মন্তব্যগুলো ছিলো দারুণ। তার সাথে আলুপুরী আর ডালপুরী নিয়ে তর্কটা ভোলার নয় :)) :)) । এছাড়া আল্লাচালাইনার মন্তব্যগুলোও উল্লেখযোগ্য,মাঝে মাঝে তাকে অতিরিক্ত আগ্রাসী মনে হলেও তার মন্তব্যগুলোর স্বাদই আলাদা।
কাওকে কারো সাথে তুলনা না দিয়ে নিরপেক্ষ পর্যালোচনা ভালোই লাগলো (Y) । তবে অতি বিনয়ে নিজের কথা বাদ দিয়ে দিয়েছেন,আপনার এ বছর বেশ কিছু লেখা আমার ভালো লেগেছে,যেমন “বায়েজিদ বোস্তামী”,”সাপ নয় যেনো রূপকথার সেই দানব”,”নালন্দার ধ্বংস” ইত্যাদি।
৩টি গুরুত্বপূর্ন নাম ভুলে বাদ পড়েছে। তিনি হলেন “তানভীরুল ইসলাম”,তানভীর ভাই গত বছর শুরু করা গ্র্যান্ড ডিজাইনের অনুবাদ এ বছর শেষ করেছেন যা মুক্তমনাকে সমৃদ্ধ করেছে,মন্তব্যের ঘরেও তিনি নিয়মিত ছিলেন। বন্যা আপুর(বন্যা আহমেদ) কথাও উল্লেখ করা দরকার ছিল,যদিও তিনি অসুস্থতার জন্য এ বছর তেমন লেখালেখি করেননি। আরেকজনের কথায় পড়ে আসছি।
ধন্যবাদ আমাকে তালিকায় যুক্ত করার জন্য,মুক্তমনায় অনেক সুলেখক রয়েছেন,তাদের মধ্যে নিজের নাম দেখে ভালোই লাগলো যদিও আমি তার যোগ্য নই 🙂 ।
গত দুবছর ধরে সাইটের ডেভেলপিং এর কথা আসলে আমার নাম বলা হলেও এ ব্যাপারে অভিজিতদার পরিশ্রমের কথা ভুলে যাওয়া ঠিক হবেনা। তিনি এখনো সাইটের পিছে অনেক সময় দেন,বিশেষ করে সার্ভার পরিবর্তন ও ওয়ার্ডপ্রেস আপডেটের সময়ের জটিলতা নিয়ে তিনি অনেক খেটেছেন,তাই এ ব্যাপারে শুধু আমার নাম বলা বিব্রতকর :)। উপরে ৩টি নামের কথা বলেছিলাম,৩ নম্বর জন হলেন নিশাচর । এ বছর তিনি একটা লেখাও দেননি,তবে শত ব্যস্ততার মধ্যে ব্যাকএন্ডে টেকনিক্যাল কাজে তিনি আমাদের সহায়তা করেছেন। মুক্তমনাকে banga_blog থেকে bangla_blog এ পরিবর্তন করার একক কৃতিত্ব তার।
যারা বিভিন্ন সময় সাইটে টেকনিক্যাল ঝামেলায় পড়েছেন,সাইট ঠিকমত লোড করতে পারেননি,কমেন্ট হারিয়ে গিয়েছে তাদের প্রতি আন্তরিকভাবে দু:খ প্রকাশ করছি,আশা করছি ধীরে ধীরে আমরা টেকনিক্যাল সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো।
আরো একটা নাম বাদ পড়েছে,লীনা রহমান। বছর জুড়েই ভালো ভালো সব লেখা দিয়েছেন তিনি,মুক্তমনার নিয়মিত ব্লগারদের মধ্যে তিনি একজন।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ও হ্যা – লীনা দ্য গ্রেট তো থাকবেই, শুধু লেখালিখি নয়, মুক্তমনাদের বিভিন্ন এক্টিভিজমেও।
আর এক্টিভিজমের কথা যখন উঠলোই, তখন মাহবুব সাঈদ মামুন ভাইকে লিস্ট থেকে বাদ দেয়া রীতিমত দুঃসাধ্য ব্যাপার হবে।
আর হয়রান আবীরও লিখে না অনেকদিন।
@অভিজিৎ,
সমস্যা হইলো লীনা আপু খালি রগ কাটার হুমকি দেয় 🙁 ।
আমি এখনই হয়রান আবীর থুক্কু রায়হান আবীর ভাইয়ের কথা লিখতে বসছিলাম। মামুন ভাইয়ের তুলনা নেই,ফেব্রুয়ারীতে ঢাকায় এসে মুক্তমনা সদস্যদের যেভাবে তিনি একজায়গায় করেছিলেন সেটা অসাধারণ।
সামিয়া আপুর ব্যানারের কথা ভুলে গেলে কিন্তু বিশাল অন্যায় হবে। ফাটাফাটি কয়েকটা ব্যানার মুক্তমনাকে উপহার দিয়েছেন তিনি এ বছর। আর বন্যা আপুর ব্যানারগুলোতো আছেই,সেগুলোও দারুণ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ভয় তাইলে ঠিকই পাও!!! :hahahee:
মামুন ভাইয়ের কথা মনে পইড়া গেল… আবার যে কবে দেখা হবে উনার সাথে…এই মানুষটার কারণে একসাথে গত বইমেলাটা ফাটাফাটি কাটাইতে পারছিলাম সবাই 🙂
@রামগড়ুড়ের ছানা,
(Y)
@অভিজিৎ,
“ঈশ্বরহীন” কে মনে পড়লো।
@কাজী রহমান,
হুমম! আনন্দকে মিস করি!
বিনয় করে নিজের কথা বলেননি ভায়া রাজেশ তালুকদার।এ বছরে দারুণ দুটো লেখা তারঃ
নালন্দার ধ্বংস বনাম ধর্মীয় বিজয়
রত্নগর্ভা তক্ষশীলা
আমার তো মনে হয়েছে ২০১১ তে পুরোনো আর নতুন সব লেখকের লেখাই বিচিত্র ভাবনায় ভরপুর ছিলো। শক্তিশালী আর লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট। মুক্তমনার জন্য আর সব বছরের মত এবছরও আমি গর্বিত।
এক্কেবারে নতুন বিষয় নিয়ে একটা লেখা আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে, সেটা হোল শিশু ধর্ষণ বা নির্যাতন নিয়ে টেকি সাফির আমৃত্যু ধর্ষণের উপাখ্যান
রাজেশ তালুকদার, অন্যরকম একটা পোস্ট দিয়ে চমকে দিয়েছেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
একজনের কথা বলা হয় নাই। রাজেশ তালুকদার। উক্ত লেখক বিচিত্র বিষয়ে বেশ কয়েকটি লেখা লিখে নিজের জাত চিনিয়েছেন। যীশুর জন্ম-সমাচার তার চলতি লেখা। 🙂
পোষ্টটা জোশ লাগল। :))
@সাইফুল ইসলাম,
একদম ঠিক কথা। শুধু যীশুর জন্ম সমাচার নয়, বায়েজিদ বোস্তামীকে নিয়েও লেখকের একটি চমৎকার অনুসন্ধনীমূলক পোস্ট ছিলো তার। এর বাইরে শয়তানের জন্ম ও বিবর্তনের ইতিহাস এবং নালন্দার ধ্বংস বনাম ধর্মীয় বিজয় সংক্রান্ত দারুণ তথ্যবহুল ব্লগ লিখেছেন তিনি। শুধু ব্লগ-প্রবন্ধে নয়, মন্তব্যেও আছে দূরদর্শীতার ছাপ। আর সবসময় সৃষ্টিশীলতা যে তার মাথায় খেলা করে, এই পোস্টটিই তার উজ্জ্বল প্রমাণ। তার কথা লিস্টে নেই দেখে দুঃখ পেলাম 🙂 ।
মুক্তমনায় নিয়মিত মারপিট, মাস্তানি আর দাঙ্গাবাজি করার পরেও এই অভিযোগ? :-s
প্রথমেই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, বলিষ্ট হাতের প্রচুর সুলেখকদের ভীড়ে আমার নামটিরও স্থান দিয়েছেন।
অভিমান নয় মোটেই, যুদ্ধের মাঠে একটু ফ্রন্টলাইনে যেতে হয়েছিল। ক্ষতি হয় নাই বরং প্রচুর লাভ হয়েছে। অস্ত্র হিসেবে মুক্তমনা সার্বক্ষণিকভাবে সাথেই ছিল আর সেই সুবাদে তার প্রচারও হয়েছে। বিভিন্ন অন্তর্জালে ঘুরে দেখলাম ধর্মাসক্ত অবচেতন, চৈতন্যহীন মানুষদের। দেখলাম সুন্দর এই পৃথিবীতে ধর্মের মুখোশপড়া মানুষ নামের কতো অমানুষ আর অসুন্দরের ছড়াছড়ি। মানুষকে চেনার শেষ বুঝি নেই।
জন্মেছি মুক্তমনায়, থাকবো মুক্তমনায়, দোয়া করবেন মরার পরেও যেন থাকতে পারি মুক্তমনায়।
মুক্ত-মানায় আসলেই মূল্যায়ন আছে। (F)