জীবন থেকে বিদায় নিলো সাফল্য ব্যর্থতা মিশ্রত আরো একটি বছর। সব প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অনেক রোমাঞ্চকর আশা ভরসার প্রতীক হয়ে কালের ধারায় প্রবেশ করল ২০১২. সদ্য গত হওয়া বছরে আমরা যেমন অনেক মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন লেখক, গবেষক, বিজ্ঞানিদের চির বিদায়ে শোকাচ্ছন্ন হয়েছি তেমনি আবার চিত্ত প্রফুল্ল করেছি মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন তরুণ প্রজন্মের উত্থানে।

গত ৩৬৫ দিনে অর্থাৎ ২০১১ সালে মুক্তমনাকে উজ্জীবিত রাখতে নিয়মিত লেখক ও মন্তব্যকারীদের সাধুবাদ জানিয়ে কার কি ভূমিকা ছিল তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-

অভিজিৎ রায়ঃ লেখক হিসাবে গত বছরটা ফেইসবুকে মজার জোকস, বই মেলায় বই, ভিন্ন স্বাদের ব্লগ লিখে নিজের তুখোড় ফর্মটা ধরে রেখেছিলেন যথারীতি। সেই সাথে “ওয়ার্মহোল” লেখার মধ্য দিয়ে “কল্পবিজ্ঞান” লেখক হিসাবে নিজেকে নিজেই ঠেলে আরো এক ধাপ উপরের দিকে তুলেছেন তিনি। বছরের প্রায় শেষের দিকে সহ লেখক ফরিদ আহামেদকে সাথে নিয়ে “রবি ঠাকুর, রাহাজানি এবং রবীন্দ্র পূজারীবৃন্দ” রবীন্দ্র সমালোচনা করে অবশ্য কিছুটা যৌথ আক্রামনের স্বীকার হয়েছিলেন বিপ্লব পাল আর কুলদা রায়ের হাতে। কিন্তু দ্রুত সব সামলে নিয়েছেন দক্ষ ভাবে।

ফরিদ আহমেদঃ মাঝে মাঝে মনে হয় দ্বীপান্তরে চলে যান। ধুমকেতুর মত আচানক আগমন ঘটে তারপর হঠাৎ করেই যেন পঙ্কিল জলাশয়ে ডুব দেন আবারো। সাহিত্য নাড়াচাড়ায়, ভাষা রসে অপার দক্ষতা থাকা সত্বেও ঝিলিক মেরেই কচ্ছপের মত খোলসে গুটিয়ে নিয়েছেন নিজেকে।

আকাশ মালিকঃ একজন পূর্ণাঙ্গ লেখকের সব ধরনের গুনাগুন বর্তমান থাকা সত্বেও ২০১১ সালটা তেমন কিছু না লিখেই কোন অজ্ঞাত কারনে একরকম অভিমান করে কাটিয়ে দিলেন প্রচার বিমুখ মানুষটা তা কেবল তিনই ভালো বলতে পারেন। তবে ধারালো কিছু মন্তব্যে করে তিনি যে আমাদের একেবারেই ছেড়ে যাননি তার প্রমাণ রেখেছেন নিয়মিত।

রণদীপম বসুঃ ভাষা নিয়ে খেলার সামর্থ্য রাখেন ইচ্ছামত। অপূর্ব ভাষার গাথুনি, শব্দ বিন্যাস চমৎকার। উচ্চ মানের লেখক ও গবেষক। অনেকদিন উদাও থেকে “মনু”কে নিয়ে আবারো হাজির হয়েছেন স্বরূপে। চলমান সিরিজ- “মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ”

কাজী রহমানঃ “ডিজিটাল নবী” হিসাবে ইতিমধ্যে সুখ্যাতি পেয়েছেন মুক্তমনায় “সূরা মোখতাসার” রচনা করে। অনুসারীও জুটে গেছে বেশ। অসাধারণ কাব্যিক গুণ, শব্দ সম্ভার, ভাষা দক্ষতায় নিজেকে তুলে নিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। অগুনিত মন্তব্য করে সবাইকে উৎসাহ যুগিয়ে গেছেন সমান তালে ছোট বড় প্রায় সব লেখায়।

ভবঘুরেঃ নিজের নামকে খোদাই করেছেন ইসলাম সংহারকারী রূপে মনের অদৃশ্য ডাইরিতে। আজীবণ ব্রতধারী হয়েছেন ইসলামের চাপা রহস্য উন্মোচনে। তাঁর যুক্তি নির্ভর ধারালো লেখনির ব্যঞ্জনায় অগুনিত শত্রু যেমন তৈরী করেছেন তেমনি তাঁর লেখার অপেক্ষায় সাগ্রহে প্রহর গুনেছে অসংখ্য মু্ক্তিপ্রত্যাশী সত্যান্বেষি যুবক। সব বিবেচনায় ২০১১ ভবঘুরের জন্য বেশ সফল বছর বলা যায়।

আবুল কাশেমঃ নির্ভীক মুক্তি অন্বেষার পথিকৃৎ আবুল কাশেম কোরান হাদিস তল্লাশি করে “ইসলামে বর্বরতা (নারী)” নামক শিরোনামে ইসলামে নারীদের অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু গবেষণাধর্মী লেখা ছেড়েছেন গত বছর। এছাড়া অনুবাদ করেছেন এম.এ.খানের “ইসলামে বর্বরতা (দাসত্ব)”. বছরের শেষের দিকে এসে উম হানীর প্রেম কাহিনির রহস্য উদ্ঘাটনে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে লম্বা বিশ্রামে গেছেন। লক্ষ্যে পৌছানোর দৌড়ে জনাব আবুল কাশেমকে বেশ সফল বলা চলে ২০১১ তে।

প্রদীপ দেবঃ মুক্তমনায় “পাঠ প্রতিক্রিয়া” সমালোচকের ভূমিকায় প্রদীপ দেব ছিলেন মুকুটহীন সম্রাট। তিনি কী-পেডের টোকায় এমন অনেক বিজ্ঞানীর কথা টেনে তুলেছেন যাদের নাম নব প্রজন্ম প্রায় ভুলে যেতে বসেছিল। তাঁর দূর্বলতম দিক- মন্তব্য করার খুড়েমির অপবাদ থেকে মুক্ত হতে পারছেন না কিছুতেই।

তামান্ন ঝুমুঃ একের পর এক দ্রোহী কবিতা ক্লান্তিহীণ ভাবে উৎপন্ন করে গেছেন অবলীলায়। “আল্লাহ্‌র বাণী” লিখে বাগিয়ে নিয়েছেন একমাত্র মহিলা নবীর খেতাব “নিসা”।

বিপ্লব পালঃ অর্থনীতি, সমাজনীতি, দর্শন, ধনতন্ত্র, মাক্সবাদ লেলিনবাদ, সমাজতন্ত্র সব বিষয়ে পান্ডিত্যের ছাপ রেখে মুক্তমনায় লেখার বৈচিত্রতা আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। ওজনদার লেখার সাথে মাঝে মাঝে কিছু উদ্যতপূর্ণ উক্তিও ঝেড়ে বসেছেন। সেই কারণে বছরের মাঝামাঝিতে একবার যুক্তরাজ্যে সাপ্তাহিক “পত্রিকা”য় কলাম লেখক মাসুদ রানা ক্ষেপে গিয়ে কামানের গোলা চালিয়েছেন বিপ্লব পালকে লক্ষ্য করে। কিন্তু সে গোলায় নিজেই গায়েব হয়ে যান মুক্তমনার চলমান পর্দা থেকে। বিষয় নির্ভর মন্তব্যের ঘরেও বিল্পব পালের ছিল সরব উপস্থিতি।

বিপ্লব রহমানঃ অবহেলিত পাহাড়ি জনপদের কান্নার প্রতিধ্বনি। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে আটকে পড়া হাসি-কান্না, হতাশার কথা, দারিদ্রতার কথা, শোষণের কথা, প্রবঞ্চনার কথা, গুপ্ত হত্যার কথা, সংখ্যা গুরু বাঙালীর হাতে ধর্ষিত পাহাড়ি নারীদের চাপা কান্নার শব্দ, মুক্তিযুদ্ধে পাহাড়িদের অবদানের কথা আন্তরিক ভাবে টেনে আনতে চেয়েছেন সমতলের মুক্ত বায়ুতে বেড়ে ওঠা আপামর জনসাধারনের কাছে।

গীতা দাসঃ খুব বেশী কিছু না লিখলেও যে কয়টা পোষ্ট ও মন্তব্য করেছেন তাতে লেখক হিসাবে তাঁর গ্রহণ যোগ্যতার মোটেই ভাটা পড়েনি। “কালের অনুধ্যন” তাঁর চলমান লেখা।

রৌরবঃ জোরালো ভাষা জ্ঞানের অধিকারী হয়েও লিখেছেন খুবি কম বরং অন্যকে উৎসাহিত করতে মন্তব্য করে গেছেন অনেক বেশী। মার্জিত মন্তব্য করায় রৌরবের জুড়ি রৌরব নিজেই।

ইরতিশাদঃ সারা বছর কোথায় যেন অবগুন্টিত ছিলেন তবে বছরের শেষ খন্ডে এসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও একটি চমৎকার গল্পের অনুবাদ করে নিজের জাত চিনিয়ে নিয়েছেন।

আফরোজা আলমঃ কবিতায় মাঝে মাঝে উদয় হন আবার কবিতাতেই অস্ত যান।

মঈনুল রাজুঃ বেশ ভালো ফর্মে ছিলেন। তাঁর ইতিহাস, সাম্প্রতিক ঘটনা, রম্য লেখা বেশ পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে। তবে অন্যের লেখায় মন্তব্য করতে তাঁকে বেশ অলস মনে হয়েছে।

হোরাসঃ স্বল্প হলেও উন্নত লেখার মান বজায় রেখে বেশ ভালো কিছু পোষ্ট দিয়েছেন। বিশেষ করে বলতে হয় “চেঙ্গিস খান: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষ” ও “মানুষের উচ্চতা কতটুকু হওয়া সম্ভব? ৯০ ফুট আদম কিম্বা ৬০ ফুট কিংকং সম্ভব নয়; কেন?” লেখা দুটির কথা।

নীল রোদ্দুরঃ ভালোই করেছেন ২০১১তে। পাকা হাতে “জেনেটিক-মেমেটিক কো-এভোলিউশন”, “মস্তিষ্কে, অনুরণন সংগোপনে – নিউরণের গল্প” নামে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় লেখা দিয়েছেন।

শাফায়েতঃ Atheist B.D. তে বেশ জোড়ালো তর্ক করা শাফায়েতকে ২০১১ তে কিছুটা ম্রিয়মান ঠেকেছে। সম্ভবত মুক্তমনার ইন্টারফেস ডিজাইনারের কঠিন কাজের ঠেলায় তাকে নীরব রেখেছে। শতব্যস্ততার মাঝে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বিষয় কিছু লেখা আর সম্প্রতি গণিত অবলম্বনে ঝকঝকে লেখা লেখক হিসাবে শাফায়েতের অবস্থান তার্কিকের চাইতেও মজবুত করেছে।

সাইফুল ইসলামঃ ক্ষেপাটে স্পষ্টভাষী তরুণ কবি সাইফুলের মারমার কাটকাট কয়েকটি দেশাত্মবোধক লেখা বেশ পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে। আলী সিনহার “মোহাম্মদের সাফল্যের রহস্য” অনুবাদ করে কবির সাথে অনুবাদকের ভূমিকাতেও সাইফুল যথেষ্ট সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।

সৈকত চৌধুরীঃ লেখার চাইতে মন্তব্যের ঘরে দেখা গেছে বেশী। সম্ভবত বই মেলায় নতুন বই লেখার ব্যস্ততাকে ঘিরে সময় দিচ্ছেন তিনি।

নিটোলঃ বয়সে তরুণ হলেও মন্তব্য করেন পরিশীলিত। কয়েকটি ভালো লেখাও দিয়েছেন গেল বছর।

টেকি সাফিঃ পদার্থ বিজ্ঞানের বই “দি ইলিগ্যান্ট ইউনিভার্সঃ সুপারস্ট্রিংস,হিডেন ডাইমেনশনস অ্যান্ড দ্যা কোয়েস্ট ফর দি আলটিমেট থিউরি” অনুবাদ করে এবং হুমায়ূন আহমেদের “কিছু লেখাঃ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও তথ্যের বিকৃতি ও অপবিজ্ঞান নিয়ে কিছু কথা” লিখে অল্প বয়সেই বেশ আলোচনার ঝড় তুলেছেন। অবশ্য এই লেখায় সহ লেখক হিসাবে শফিউল জয়কে সাথে নিয়েছেন।

স্বপন মাঝিঃ বেশ তৎপরতা চোখে পড়েছে। নিয়মিত মন্তব্য করায় ছিলেন অতন্দ্র প্রহরী। ফাঁকে ফাঁকে গল্প, কবিতা উপহার দিয়েছেন সময় মত।

শাখা নির্ভানাঃ বেশ কিছু গল্প লিখে একজন ছোট গল্পকার হিসাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন।

কাজী মামুনঃ গল্পকার হিসাবে আত্ম প্রকাশ করেছেন সম্প্রতি। সঙ্গে মন্তব্য গুলো বেশ ধারালো গোছের মনে হয়েছে।

শিক্ষানবিসঃ নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই। সুলেখক শিক্ষানবিস শেষ দিকে এসে ভালোই বেট চালাচ্ছেন।

ইমরান মাহমুদ ডালিমঃ নিজের অবস্থান তৈরিতে বেশ কিছু প্রশংসনীয় পোষ্ট দিয়েছেন।

বন্যা আহমেদঃ শারীরিক অসুস্থতার কারনে লিখতে পারেন নি। সুস্থ হয়ে তিনি যে আবার ফিরে এসে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন তাতেই আমরা আপাতত খুশি। ধরে নিন দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো। ১০১২ তে চমক দেবেন নিশ্চিত।

মিজান রহমানঃ পাকা লেখক সন্দেহ নেই মোটেও। কিন্তু লিখেন নিতান্তই স্বল্প। সম্ভবত হিন্দি সিনেরার নায়ক “আমীর খানে”র ভক্ত। তাঁর মতই বছরে দুই একটা ছবি তুক্কু লেখা ছাড়েন এই যা।

লীনা রহমানঃ গত বছর লীনা ব্যতিক্রমী কিন্তু খুবি প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা মূলক লেখা দিয়ে মুক্ত মনাকে সমৃদ্ধ করেছেন। খবরের কাগজেও প্রায় লেখে থাকেন লীনা।

নিশাচরঃ স্ব –শিক্ষিত আরজ আলী মাতুব্বর সত্যের সন্ধান (লৌকিক দর্শন) বইটিকে মুক্তমনায় সফলতার সাথে হাজির করে বই কিনে ফকির হওয়াদের অনেক উপকার করেছেন।

মোজ্জাফরঃ বেশ কয়েকটি ভালো লেখা দিয়েছেন গত বছর।

রূপম(ধ্রব)ঃ বেশ কিছু ভিন্নধর্মী লেখা লিখেছেন। তার মধ্যে- খোদার প্রকোপের প্রায় বাইরে বা নাস্তিকের চেয়েও কম কম আস্তিকতা, বিজ্ঞান থেকে ঈশ্বরের পথে, বেশ পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে। তাঁর ভাল বৈশিষ্ট্য লেখার সাথে মন্তব্য করেন নিয়মিত।

সাদা চোখঃ বছরের শেষটায় মাত্র দুটি লেখা দিয়েছেন। তাতেই ঈর্শনীয় সাফল্য! মদীনার Wadi al Jinn-এ ইঞ্জিন বন্ধ রেখে গাড়ি চালানোর প্রকৃত কারন, জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দাও- দুটি চমৎকার অনিসন্ধিৎসু লেখা।

রায়হান আরীরঃ পদার্থ বিজ্ঞান, দর্শন, জীবিজ্ঞানের উপর ভালো লিখেছেন।

তানভীরুল ইসলামঃ কোন এক মহা চোর তানভীরুল ইসলামের ‘দ্য গ্রান্ড ডিজাইন’ – স্টিফেন হকিং (অনুবাদ) এই লেখাটি চুরি করতে গিয়ে সাথে তানভীরুল ইসলামকেইও চুরি করে নিয়ে যান মুক্তমনা থেকে। যে দিন কাল পড়েছে মুক্তমনায় লেখকদের থানায় জিডি করার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে শিঘ্রই ।

খুরশেদঃ বাঙলা রজনীর গল্পঃ মধুমালার দেশে, রসে ভরপুর সুমিষ্ট লেখা। রসিক ব্যক্তিরা রস আস্বাদন করতে হেলা করবেন না।জলদি ঢু মারার অনুরোধ রইল।

মাহবুব সাঈদ মামুনঃ লেখার চেয়ে মন্তব্য করে লেখকদের লেখার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়াসী থেকেছেন সব সময়। তাঁর এই মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

শফিউল জয়ঃ ভাল লেখক হওয়া সত্ত্বেও মুক্তমনায় লেখালেখি বা মন্তব্য করা কোন এক অদৃশ্য কারণে স্বযত্নে এড়িয়ে যান।

মোঃ জানে আলমঃ লিখেন ভালো তবে অন্যের লেখায় মন্তব্যে বড্ড আলসে।

ব্রাইটস্মাইলঃ মন্তব্য করেন অতুলনীয়। যার মন্তব্যকে মাঝে মাঝে মনে হবে এক একটা পূর্ণ লেখা।

সফিকঃ লেখকদের উৎসাহিত করেই আনন্দ খুঁজেন। কামনা করি গুনটা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক।

এছাড়াও ব্লাডি সিভিলিয়ান, অপার্থিব, লাইজু নাহার অনিয়মিত হলেও ভালো কিছু লেখা দিয়েছেন।নতুন লেখক হিসাবে রাহনুমা রাখী, মহসিনা খাতুন বেশ সম্ভাবনাময়।

উপরের তালিকাটি ছাড়াও নতুন পুরানো এমন অনেক লেখক আছেন যারা বিগত ২০১১ সালে মুক্তমনার লেখার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে বিশাল অবদান রেখেছেন তাঁদের প্রতি যথাযোগ্য শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

গঠনমূলক বা সমালোচনা প্রবণ দৃষ্টিভঙ্গি যে ভাবেই উঠে আসুক না কেন লেখকদের উৎসাহ ও লেখার প্রাণ হিসাবে বিবেচিত করা হয় পাঠকদের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যকে। যারা সারা বছর জুড়ে এই কঠিন দায়িত্ব পালনে নেপথ্য ভূমিকা রেখেছেন লেখকদের সঞ্জিবিত রাখতে তাঁদের মধ্যে গোলাপ, স্বাধীন, রণবীর সরকার, আঃ হাকিম চাকলাদার, সপ্তক, আলোকের অভিযাত্রী, আস্তরিন, হেলাল, নির্মিতব্য, অরণ্য, ছিন্ন পাতা, থাবা, বেয়াদব পোলা, ফুয়াদ দীনহীনের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখ যোগ্য।

বিঃদ্রঃ– ছোট তালিকায় ২০১১তে নিয়মিত লেখক ও মন্তব্যকারীদের আরো অনেকের নাম অনিচ্ছাকৃত ভাবে বাদ পড়ে যাওয়ায় কারো মনে আঘাত দিয়ে থাকলে অগ্রিম ক্ষমা প্রার্থনা করছি।