এক.
আজকে ঘুম থেকে উঠে বিভিন্ন ব্লগ, ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম বাঙলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে!আপামর জনতা রাতারাতি দেশপ্রেমিক হয়ে উঠেছে, দেশকে গঠন করার কাজে হাত দিতে একে ওকে ডেকে তুলছে। ব্যাপারটা বেশ আশাব্যঞ্জক। এটাও আশাব্যঞ্জক যে এই কাজটি বাঙলাদেশীরা সুদীর্ঘ চল্লিশ বছর যাবত করে আসছে। যেটা অন্যান্য জাতি হয়ত এতদিন ধরে করতে পারে নি। কারন তারা ততদিনে খাবার ভাত, পড়ার কাপর জোগাড় করে ফেলেছে। কিন্তু আমরা সেই জাতি, যারা বিজয় দিবসে দেশপ্রেমিক হই, তারপরের দিবসগুলোতে আত্নপরিচয় সংকটে ভুগি, অন্যের পশ্চাৎদেশ ভোগ করি, এবং দিন শেষে ঘরে গিয়ে নিদ্রাদেবীর কন্ঠলগ্না হই। আমাদের জীবনে আবার বিজয় দিবস আসে, আমরা আবার সহসা দেশপ্রেমিক হই এবং দিনশেষে সব ভুলে যাই।
দুই.
বাঙালির মতন আত্নসম্মানহীন জাতি পাওয়া সম্ভব নয়। কারন এদের থেকে আত্নসম্মানহীন জাতি আর পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার বই থেকে শুরু করে, উচ্চবিদ্যালয়, কলেজগুলোতে যেভাবে শেখানো হয় বাঙালি বীরের জাতি, তাতে করে অন্তত একজন বীরও যদি এই চল্লিশ বছরে প্রসব করতে পারত বাঙলাদেশ, তাহলেও তাকে এই মিথ্যাচার থেকে অব্যাহতি দেয়া যেত।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যে ঘুড়ে দাঁড়ায়, তাকে বীর বলে না, তাকে বলে ভৃত্য। বীর প্রথম আঘাতেই জ্বলে উঠবে। লড়ে যাবে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত।
তিন.
মোঘলদের আগমনের পরে বাঙালি স্তুতি করেছে মোঘলদের, ইংরেজদের আগমনের পরে ইংরেজদের এবং সর্বশেষে পাকিস্তানিদের। এবং সবচেয়ে হতাশাজনক চিত্র হল এই তিন বিজাতীয় বর্বরদের প্রশংসা করার মতন লোক আপনি যত চাইবেন ততই পাবেন, আজকের এই ১৬ই ডিসেম্বরে, বাঙলাদেশের তথাকথিত স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও। এই না হলে বীরের জাতি!
দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ না খেয়ে থাকলেও যদি তাকে স্বাধীনতা বলা যায় তাহলে বাঙলাদেশীরা স্বাধীন। হত্যাকারী মামুর খালুর হাতের জোরে যদি হত্যার দায় এড়াতে পারে তাহলে নিঃসন্দেহে বাঙলাদেশের মতন স্বাধীনতা আর কোথাও নেই। বাঙলাদেশ তুমি মহান। মহান তোমার স্বাধীনতা।
চার.
ডিসেম্বর আসার পর থেকেই ফেসবুকে বিশেষ করে, বাঙলাদেশের পতাকা প্রোফাইল পিকচার করার আহবান জানিয়ে অনেক অনেক অনুরোধ, পেজের ইনভাইটেশন পেয়েছি। তাদের যুক্তি হল, এই মাসে পতাকা প্রোফাইল পিকচার করে আমরা বিশ্বকে দেখাতে চাই আমরা দেশপ্রেমিক। মূর্খরা কিভাবে বুঝবে দুনিয়ার বেশীরভাগ মানুষ এটাই জানেই না যে বাঙলাদেশ নামে একটা দেশ আছে! আমি আমার দেশকে ভালোবাসি এটা প্রমানের সবচেয়ে ভালো উপায় কী? প্রোফাইল পিকচারে দেশের পতাকা দেয়া? তাহলে বাঙলাদেশের সবচেয়ে খাঁটি দেশপ্রেমিক হল সচিবালয়ের গোবৎসগুলো। বাঙলাদেশের প্রধান গাভি থেকে শুরু করে গাধারা দেশকে ভালোবাসার কথা বলতে বলতে মুর্ছা যান। কিন্তু তাতে করে দেশের হয়েছেটা কী? লবডঙ্কা!
আমি মোটেই বলছি না কেউ দিলে সেটা দোষ। আমি বলতে চাচ্ছি, বাঙালিকেই এসব পুতুপুতু দেশপ্রেম মানায়।
পাঁচ.
আজকে ১৬ই ডিসেম্বর, ২০১১। বাঙলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে এসেছিল, ১৯৭১এর এই দিনে। মাঝখানে সময়ের ব্যাবধান ৪০বছর হলেও, পরিস্থিতি সেই সত্তরেই আছে। এক সেকেন্ডও আগায় নি। তখনও মানুষ না খেয়ে থাকত, এখনও থাকে। তখনও কিছু শুকরশাবক দেশকে ভালোবেসে গাড়ি চড়ে হাওয়া খেত, এখনও খায়, তবে মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউতে করে। সবার কাছে এটাকে স্বাধীনতা মনে হলেও আমি এটা দাসত্বই বলব। বাঙলাদেশের স্বাধীনতার মুখে আমি থুতু মারি। কারন আমি জানি আমি স্বাধীন নই। আমরা বাঙলাদেশীরা কখনও স্বাধীন ছিলাম না।
বাংলাদেশ বানান “বাঙলাদেশ” লেখা হয়েছে এই প্রবন্ধের শিরোনাম সহ বেশির ভাগ জায়গায়। এটাই কি সঠিক বানান? নাকি দুটো বানানই গ্রহণযোগ্য?
অন্যের চোখ দিয়ে সবকিছুকে দেখার চেয়ে, নিজের চোখ দিয়ে দেখার কষ্টও আনন্দের। এ রকম লেখার আগুন ঝরতে থাকুক, তাতে হয়তো একদিন, “কত রবি জ্বলেরে/ কিবা আঁখি মেলেরে” থেকে মানুষ বেরিয়ে আসতে পারবে।
কাজী মামুন এবং সাইফুলের তর্ক এখানে খুব ই প্রাসঙ্গিক এবং শিক্ষণীয়। এধরনের মুক্ত আলোচনা এবং দীর্ঘ আলোচনা জরুরী, কারন আমরা এখনো জানি না আমাদের দেশের বা জাতির গলদটা আসলে কোথায়। মামুন সহজ সরল ভাবে আলোচনা করছেন,যা আমরা বেশীরভাগ মানুষই করি। সাইফুল ছেলেটা একটু ত্যড়া টাইপের মনে হয়(ছেলে বলার কারন , এখনো ছাত্র মনে হয়েছে)। কিন্তু ছেলেটার লেখা যতই স্যটায়ার ধর্মী হোক না কেন মামুনের সাথে বিতর্কে বুঝা যায় ঝাল আছে এই ছেলের,অনেক গভীরে গিয়ে দেখার শক্তি রাখে। মুক্ত-মনার লেখক বলে কথা। মামুন ও শক্তিশালী ব্লগার। লাভের লাভ আমার মত দুরবল মন্তব্বকারির। অনেক কিছু জানতে পারি শিখতে পারি। কি চাই শুধু মুক্ত-মনা পড়েই সারাদিন কাবার করে দেয়া যায়। আর কি চাই।।হুর …হুর…হুর…রে…
ভালোই লাগলো লেখাটি। তবে পাঠকদের অনুরোধ করবো- ড. হুমায়ুন আজাদের ‘আমরা কী এই বাঙলাদেশ চেয়েছি’ বইটি পড়তে।
@মাহফুজ,
আশাবাদীদের ঐ বই পড়তে বইলেন না। গাত্রদাহ সৃষ্টি হওয়ার যথেষ্ট কারন আছে।
ইখতিয়ার উদ্দিন বিন বখতিয়ার খিলজী মাত্র ১৪ জন সৈন্য নিয়ে যখন আজকের রাজশাহীর কাছাকাছি কোনো এক জায়গায় পদ্মা নদীর পারে তবু করেছিলেন পানির সুবিধা পাওয়ার জন্যে. কিছু সময় পরে সে তার এক সাথীকে পাঠালেন পানি আনতে কিন্তু তার সাথী ফিরে এলেন খালি হাতে. কারণ সে কোনো পানি খুঁজে পায় নাই. তখন ইখতিয়ার উদ্দিন নিজে গিয়ে ব্যাপারটা যা দেখলেন তা হলো পানি মাইল খানিক দুরে চলে গেছে. তখন-ই তিনি তার সাথীদের বলেছিলেন যেই দেশের নদীর মন এমন সেই দেশের মানুষের মন ও তেমন. তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন এইদেশ সে জয় করবে. এবং বাস্তবেও তাই ঘটেছে. রাজা লক্ষণ সেন যুদ্ধ না করেই যবনের ভয়ে পালিয়ে গেছে. অথচ তারা ছিল মাত্র ১৪ জন. রাজাকারেরা এই সত্য তা জানে বলেই সহজে আমাদের motiveted করতে পারে. কিন্তু আমরা কবে ঠিক হব. সব নদী গুলো মরে গেলে. খিলজীর নদীটা তো মরেই গেছে তারপর ও আমরা ঠিক হলাম না. আমরা কি সব নদিগুলার মারা যাওয়ার অপেক্ষা করতেছি ?
আগুন, আগুন লেখাতে বাঘা লেখক বরাবরের মতই আগুন ঝরিয়েছে।
এখন কথা হোল এই আগুন কবে নাগাদ সার্বভৌমত্ব সলতেতে পৌঁছুবে?
@কাজী রহমান,
সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ আগাগোড়া পরাধীন, এব্যপারে অনেক যুক্তি আছে। স্বাধীনতা শুধু কাগজে। এ ব্যপারে গন মানুষের কোন বিশেষ দোষ দেখি না। তারাই শত ভাগ দোষী যারা ক্ষমতায় থাকে। তাদের অপরাধেই সব ব্যর্থতা আর গ্লানি। ১৯৭১ থেকে ২০১১- দীর্ঘ চল্লিশ বছর বড্ড বেশী সময়। একটা ভাঙ্গা দেশের উঠে দড়াবার জন্য দশ বছর যথেষ্ঠ। গত ৪০ বছ র ধরে শুধু ভুল লোক ক্ষমতায় এসেছে। দেশের লোকদের ঠিক করতে হবে এই দ্বিপায়ী জানোয়ার গুলোকে কি করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বোধ তাদের ভেতর জাগাতে হবে। আর বেশী সময় এই জন্তুগুলোরে দেয়া যাবে না। তা না হলে ভবিষ্যত অন্ধকার। নেগেটিভ এপ্রোচের লেখাটা ভাল লেগেছে।
@শাখা নির্ভানা, দশ বছর আদৌও কি যথেষ্ট? সন্দেহ আছে। যুদ্ধাপরাধী নিয়ে আলোচনা করছি, এই আলোচনা শুরু হতেই কত সময় লেগে গেল। এশিয়া ছাড়া অন্য দেশ হলে কি হত জানিনা, তবে এশিয়ার দেশ হিসাবে বাংলাদেশ যথেষ্ট ভাল করেছে এই চল্লিশ বছরে। যেখানে পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থান কি তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। অস্ত্র হাতে চোর তাড়ানো বাহাদুরি নয়, অস্ত্র বাদে ডাকাত তাড়ানো অনেক বাহাদুরি। আমরা তাই করেছি ৭১ এ। এটা দেয়ালে পিঠ ঠেকানোর ফসল নয়, এটা আমাদের জাতিগত আত্মসম্মানবোধের ফসল।
স্মৃতিসৌধে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ!!!!!!!!! আমাদের লজ্জা হলো না. আমরা যদি মানুষ হই তাহলে বি এন পি আ.লীগ নাম ছাড়া কিছু থাকার কথা ছিল না. হায় আমরাই তো বি এন পি আ.লীগ নাম নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করি. নাম ছাড়া তাদের কি আছে যে আমার এদের ত্যাগ করতে পারতেছিনা? কি এমন মোহে আমরা অন্ধ হে গেলাম? কি এমন প্রলোভন? আমাদের এত লোভ কেন? কেন আমরা এই দুই অপশক্তি( এক সময় হয়ত শুভো শক্তি ছিল, এখন যে অপশক্তি হয়ে গেছে এটা প্রমান করার জন্য কি বেশি কষ্ট করতে হবে?) কে ছাড়তে পারছিনা.
যেই সব ভারতীয় দালালেরা বলেন যে ভারত না হলে আমরা কখনো স্বাধীন হতাম না তাদের জন্য ভারতীয় সেনা কর্ম কর্তার সাথে প্রথম আলোর এই কথপকতনের অংশ টুকু. ভালো করে পরে দেখেন জেনারেল জ্যাকব বলছেন মুক্তিযুদ্ধাদের ভয়েই জেনারেল নিয়াজি আত্মসমর্পণ করেছে. ভারতীয় আক্রমনের ভয়ে নয়.
“প্রথম আলো: ঢাকায় ওই সময় ১০ জন পাকিস্তানি সেনার বিপরীতে ঢাকার বাইরে মাত্র একজন ভারতীয় সেনা ছিল। সেটা আপনি নিয়াজিকে বুঝতে দেননি।
জেনারেল জ্যাকব: নিয়াজি সব সময় মুক্তিবাহিনীর হামলার ভয়ে শঙ্কিত ছিলেন। তাঁরা যখন আত্মসমর্পণে রাজি হচ্ছিলেন না, তখন একপর্যায়ে বললাম, এটা মানতে আপনাদের ৩০ মিনিট সময় দিলাম। এর মধ্যে যদি সিদ্ধান্ত না নিতে পারেন, তাহলে আমি পুনরায় যুদ্ধ শুরুর নির্দেশ দেব।”
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-12-16/news/209096
“প্রথম আলো: নিয়াজি বলেছেন, আত্মসমর্পণ করাতে আপনি তাঁদের মুক্তিবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
জ্যাকব: একদম বাজে কথা। আত্মসমর্পণ না করলে তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছিলাম। এটা একটা চাপ ছিল। কিন্তু আমি বলিনি যে, তাঁদের হত্যার জন্য মুক্তিবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। আমি বলেছি, আমি দায়িত্ব নেব না।”
আমরা এত লোভী যে আমাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য দল করি লীগ করি. আমরা নিজেরা ঠিক হলে কোনো অস্ত্র আমাদের লাগবে না. আমরা কাদের সাথে যুদ্ধ করব এখন. সবাই তো আমরা আমরা. দুই চার জন পাকিস্থানি দালাল আর ইন্ডিয়ান দালালের সাথে আমরা না থালেই তো আর আমাদের যুদ্ধ টুদ্ধ লাগে না. আমাদের এখন স্বার্থ ও লোভ ত্যাগ করে যারা ইলেকসনে দাড়ায় না, রাজনীতি করে না. ব্যবসা করেনা, বুদ্ধিজীবী না , সত্যিকারের ভালো মানুষ, লোভ হীন, সম্পদ হীন, ক্ষমতা হীন, এমন মানুষদের খুঁজে বের করে অব্ভ্যুর্থানের ( নির্বাচন করা যাবে না , প্রকিত ভালো মানুষের কাছে নির্বাচন করার ট্যাকা থাকে না )মাধ্যমে ক্ষমতায় বসাতে হবে.
রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না. ধর্ম থাকবে রাষ্ট্রের মানুষের. ইসলাম বলে রাষ্ট্র সব ধর্মকে সমান প্রাধান্য দেবে এমন কি নাস্তিক দের ও . হুজুর(স:) এমন রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যেখানে সমান সুযোগ পেত সব ধর্মের মানুষ রা. ইসলাম মানুষের ধর্ম রাষ্ট্রের ধর্ম না. ইসলাম শান্তির ধর্ম, বিজ্ঞানের ধর্ম, মানবতার ধর্ম, সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকারের ধর্ম. বোরকা র পাঞ্জাবি দিয়ে যারা এটাকে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় তারাই আসলে ইহুদিদের দোসর. মুসলিম নর নারীরা নিজ স্বাধীনতা মত বোরকা পড়বে আবার হিন্দু নারীরা নিজ স্বাধীনতা মত শাখা পড়বে সিদুর পড়বে. ইসলাম-ই প্রথম দেখিয়েছে কিভাবে সকল ধর্মের মানুষ এক সাথে সহ অবস্থান করতে পারে.
ভাই গোলমাল আজমরা করে ধর্মের ব্যবসা, কলা কোট ওয়ালারা করে বাপের ব্যবসা আর সুন্গ্লাস ওয়ালারা করে স্বামীর ব্যবসা. থুক্কু আসলে সবাই মানুষের ব্যবসা করে. জাস্ট ব্র্যান্ড হইলো ধর্ম, পিতা, স্বামী, ( আরো কিছু ব্র্যান্ড আছে যেমন কবিতার ব্র্যান্ড (হু মু এ চাচা ), বিদেশী তন্ত্রের ব্র্যান্ড, পীর ব্র্যান্ড, মাজার ব্র্যান্ড, আর্মি ব্র্যান্ড,) . এরা সবাই স্যাম্পল দেখায় এক ব্রান্ডের মুক্তিযোদ্ধার সাপ্লাই দেয় দুই ব্রান্ডের রাজাকারের( রাজাকার শুধু ৭১ রেই ছিল না এখনো আছে, জাস্ট ব্র্যান্ড বদলাইছে). গোলমাল আজমরা একটু ভিন্ন সেম্পল দেখায় সেটা হলো আন্তর্জাতিক ধর্ম প্রচারকের, কিন্তু সাপ্লাই দেয় একদম সবচেয়ে খারাপ মাল ” খাটি ১ নং ৭১ মার্কা রাজাকার ব্রান্ডের.
@আবির হাসান,
তো মোহাম্মদ মারা যাওয়ার হাজার বছর পরেও আপনারা উদার মুসলমানরা গন্ডায় গন্ডায় পোলাপান বিয়ানো ছাড়া আর করলেনটা কী? কোন কাজের কাজ তো করতে দেখলাম না! :-s
লেখক বাঙালি জাতি নিয়ে খুব হতাশ। তাদের নিয়ে উনার ঋণাত্মক ধারণা অসত্য নয়। তবে আমি বাঙালি জাতির এই বর্তমান অধঃপতনে হতাশ হলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রচণ্ড আশাবাদী। বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী ও দুর্দান্ত ইতিহাস আমাকে আশাবাদী করেছে। যে জাতি ভাষার জন্য জীবন দেয় । স্বাধীনতার জন্য রক্ত দেয় । স্বৈরাচার হটাতে প্রাণ দেয় ।যে জাতি ব্রিটিশ কে তাড়াল পাকিস্তানীদের গলাধাক্কা দিয়ে বের করল সে জাতি অবশ্যই অবশ্যই পারবে একদিন দেশকে এই দ্বি দলীয় ও পরিবারতান্ত্রিক গণতন্ত্র থেকে মুক্ত করে সত্যিকারের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেশের উন্নয়ন ঘটাতে ও জাতিকে মুক্তির প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করাতে। আমি বর্তমান দুটি দলকে ও তাদের সঙ্গি সাথীদের সতর্ক করে দিতে চাই এই বলে যে ” আপনাদের প্রতিহিংসা দুরবৃত্তায়ন ও দুর্নীতির রাজনীতির দিন শেষ হয়ে আসছে। যেদিন এই ঘুমন্ত জাতি জেগে উঠবে সেদিন আপনারা পালাবার পথ পাবেন না। তখন স্বয়ং আপনাদের স্রষ্টা আপনাদের রক্ষা করতে পারবেনা।এই জাতি নব্বুই এর পর থেকে ঘুমুচ্ছে। মাঝখানে ২০০৭ এ একটু পাশ ফিরে শুয়েছিল এতেই আপনারা কুপকাত। যদি সত্যি সত্যি জেগে উঠে তখন কি হবে ভেবে দেখেছেন?” আমি অপেক্ষায় আছি কখন এই জাতি জেগে উঠে? আমি বাক্তিগতভাবে মনে করি বর্তমানের রাজনৈতিক দল ও এদের সঙ্গি সাথীরা নামে, চেহারাই, বেশভূষাই বাঙ্গালী হলেও এদের দেহে পরাজিত ব্রিটিশ ও পাকিস্তানীদের প্রেতাত্মা ভর করে আছে না হলে কিভাবে পারে এরা র্যাব দিয়ে মানুষ হত্যা করতে? হরতালের দিন মানুষ ও গাড়ি পোড়াতে ? দুর্নীতি করেও নির্লজ্জের মত নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে? আবার দুর্নীতি দমন কমিশন কে সংস্কারের দোহাই দিয়ে ঠুঠো জগন্নাথে পরিনত করতে? শিক্ষাঙ্গন গুলোতে অস্ত্র সরবরাহ করে এক মেধাবী ছাত্র দ্বারা আরেক মেধাবী ছাত্রকে খুন করাতে? সহৃদয় পাঠক বলুন ব্রিটিশ, পাকিস্তানীদের প্রেতাত্মা শরীরে ভর না করলে কেউ পারে কি এই কাজগুলো করতে? ন্যূনতম দেশপ্রেম থাকলে পারে কি এমন টা কেউ করতে? তবে সবাই আশাই থাকুন এই জাতির শরীরে ভর করে আছে ক্ষুদিরাম, প্রিতিলতা, সালাম, বরক্ আসাদ, মতিউর, নুর মোহাম্মদ ও ডাঃ মিলনদের মত অজস্র বীরের প্রেতাত্মা। যেদিন এরা জেগে উঠবে সেদিন দুর্বৃত্তদের কারো নিস্তার নেই। আসবেই আসবে সেদিন আসবেই।
:guli:
লেখাটি পরে খুবই মর্মাহত হলাম। এই ধরনের লেখা কিভাবে মুক্ত মনায় প্রচার পেল?
একঃ
আমরা সারাটা বছর জুড়ে দেশকে নিয়ে মাতামাতি করে। অন্য কোন দেশ এটা করে। সব বাঙ্গালীরা জাতীয় উতসব গুলো ধর্মীয় উৎসবের ছেয়ে বেশী করে পালন করে। আমরা কেন বীরের জাতি নই?
দুইঃ
“বাঙালির মতন আত্নসম্মানহীন জাতি পাওয়া সম্ভব নয়”
ভুল , বাঙ্গালিদের আত্মসম্মান বেশী বলেই আমরা পরাধীন নই। আমরা শান্তিকামি, প্রভুভক্ত, আর আমাদের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েছে শোষণ কারীরা।
তিনঃ
ভালো কাজের প্রশংসা দোষের নয়। মুঘলরা কিংবা ব্রিটিশরা আমাদের শোষণ করেছে, অত্যাচার করেছে, একটু ও কি ভালো করে নাই? ( পাকিস্তানিরা বাদ- তাদের সবটুকুই শোষণ)
চারঃ
আমরা ধীরে ধীরে এগুচ্চি। আমরা থেমে নাই। মামুর জোর আর বেশিদিন নয়।
পাচঃ
আপনার হতাশার কথা দয়াকরে শুনাবেন না।
মুক্তমনার এডমিন দের লেখাটা ভালো করে পরে দেখা দরকার ছিল। ধন্যবাদ।
@কামরুল আলম,
মুক্তমনার এডমিনরা গাঞ্জা টানে খালি ভাই। নাইলে এইরম একখান দেশদ্রোহি লেহা ছাপাইল কেমনে তাই ভাবি। :-s :-s
এডমিনরে মাইনাস সহ পরিহাস জানাইলাম ভাই আফনের লগে।
@সাইফুল ইসলাম, আমি আমার মন্তবের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী । তবে আপনার লেখাগুলো আমাকে আহত করেছে। হয়ত প্রথমবার আমি আপনার লেখার ভাবার্থ বুজতে পারি নাই। আমি সাধারন পাঠক, অসাধারন ভাব বুজতে সময় লাগে।
@কামরুল আলম,
ক্ষমা প্রার্থনা কিছু নাই। আপনি “প্রভুভক্ত” মানুষ।প্রভু সম্পর্কে এমন কথা শুনলে মনে কষ্ট পাবেনই। ব্যাপার না।
@কামরুল আলম, মুক্তমনারে দলীয় সরকার পাইসেন নাকি যে সবকিছু সেন্সর কইরা ছাপাইব। মানুষের ভিতরের জমে থাকা ক্ষোভ কি মানুষ প্রকাশ করতে পারেনা? আপনার আপত্তি থাকলে আপনি পাল্টা যুক্তি দিয়ে লেখক কে কাবু করেন। তাই বলে লেখা ছাপানো বন্ধ হবে কেন? যুদ্ধ হবে কলমে,
লেখা ছাপানো বন্ধ করা মানে কাপুরুষের মত পেছনের দরজা দিয়ে পলায়ন করা। পলায়নপর মনোবৃত্তি তো বাঙ্গালী জাতির বৈশিষ্ট্য হতে পারেনা!!
@মাসুদ রানা, মুক্তমনাকে আমি কেন দলীয় সরকার ভাববো? আমি কি দলীয় সরকারের প্রতিনিধি? আমার ক্ষুদ্র মাথায় যে যুক্তি আছে , আমি তা বলার চেষ্টা করেছি। আমি আমার মতামত প্রকাশ করেছি। এটা ছাপবে কি ছাপবে না সেটা মুক্তমনার অ্যাডমিনরা বুজবে। আমার মতামত আমি প্রকাশ করতেই পারি, লেখক যেমন করেছেন। যদি সব লেখাই ছাপাবেন তাহলে এত নীতির কি দরকার ছিল? মুক্তমনার আগের লেখাগুলো পরে আমার মনে হয়েচিল যে এরা শুধু ভালো লেখাই ছাপবেন। বিতর্কিত কোন লেখা হয়ত ছাপবেন না। আমি জানি না, হয়ত আমার ধারনা ভুল।
খুব সুন্দর একটা প্রবন্ধ। পড়তে পড়তে মোহিত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু খুব ছোট তাই মোহ ভঙ্গ হল। এই ধরনের লেখা আর বড় পরিসরে চাই। কেমন জানি শেষ হয়েও হইল না শেষ । অসংখ্য ধন্যবাদ সাইফুল ইসলাম কে।
@মাসুদ রানা,
আপনাকে পড়ে মন্তব্য করার ধন্যবাদ জানাই।
শুভ কামনা রইল।
লেখাটা বরাবরের মত চরম হৈছে এবং মুল স্পিরিটের সাথে একমত ।
তবে, বিসমিল্লায় বড় গলদ আছে :
গতকাল আরো কিছু ব্লগপোস্টে বাংলাদেশের জন্মদিন (এদিনকে স্বাধীনতার শুরু ) মনে করে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে দেখে মেজাজ বিলা হৈছিল ।
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছেঃ
বাঙলাদেশ স্বাধীন হয় ২৬ তারিখে (২৬ মার্চই বাংলাদেশের জন্মদিন )। এটি অস্বীকার করা সংবিধান বিরোধী এবং রাষ্ট্রদ্রোহীতা, খেয়াল কইরেন ।
@নুরুজ্জামান মানিক,
আমি বিজয়কেই স্বাধীন বুঝিয়েছিলাম আর কী। 🙂
মুক্তমনায় যেভাবে ধর্মবিরোধী লেখা আমরা লেখি, তাও সব রাষ্ট্রদ্রোহিতার মধ্যেই পরে। আমি না হয় আরেকটু করলাম। হাহা :))
@সাইফুল ইসলাম,
(Y)
@নুরুজ্জামান মানিক,
১৬ই ডিসেম্বর কে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস বলা বাংলাদেশের সংবিধানের ঘোষণার সাথে অসামাঞ্জস্যপূর্ণ বটেই। কিন্তু আফসোস, সেটা খাঁড়া রাখার জন্যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিধান আরোপ করা লাগে। তাইলে এখন ভুলভাল বলাও দণ্ডনীয় অপরাধ। সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের “রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ” সাপেক্ষে “চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক্ ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা” খালি তাকায়া তাকায়া রয়। মানুষ সংবিধানের মালিকের জায়গা থেকে চ্যুত। সংবিধানই এখন মানুষের এবং তার জবানের মালিক। সঠিক কথা বলতে বাধ্য করার জন্যে রাষ্ট্রকে যখন রাষ্ট্রদ্রোহের বিধান করা লাগে, তখন কিন্তু সাইফুল ইসলামের “আমি বাঙলাদেশের বন্দি, বাঙলাদেশের দাস” কথাটাই প্রতিধ্বনিত হয়। জয়তু পঞ্চদশ সংশোধনী!
@রূপম (ধ্রুব),
মিয়া প্যাচাল পারলে অইব? লেখা টেখা নামান দুই একটা নাকি? :))
@সাইফুল ইসলাম,
😀 , ঠিকাছে। আপনে পড়তে চাইলে লেখুম না আবার?
@নুরুজ্জামান মানিক, ঘোষণা এবং অর্জন দুইয়ের মাঝে তফাৎ আছে ভাইয়া। ২৬শে মার্চ গর্ভে শিশুর ভ্রূণের উৎপত্তি আর ১৬ই ডিসেম্বরে সেই শিশুর পৃথিবীর আলোর মুখ দর্শন ।
দুষ্ট রাজনীতিতে লাত্থি মারতে হবে, এই চেতনা আনতেই স্বাধিনতা, বিজয় ও বিজয় দিবস লাগে। যা আপনার,আমার, সকল বাংলাদেশিদের আছে বলেই আমরা সপ্ন দেখি।
@নোথেইষ্ট,
আমাদের স্বপ্নগুলো খুবই চমৎকার।দুঃখ লাগে তখনই যখন আমরা চল্লিশ বছর ধরে একই স্বপ্ন দেখি। কাজে আমরা বড়ই গোলমেলে।
@সাইফুল ইসলাম,
ভুল, আমরা একই সপ্ন দেখি না। আমাদের সপ্নের মানও বড় হয়েছে। আমি ছোট বেলায় দেখেছি মানুষজন বলত দেশ ভাগ না হলেই ভাল হত। অথচ ১৬ তারিখে একটি বাঁশ বোঝাই ঠেলাগাড়ি দেখে রিকশাওয়ালাকে বলতে শুনলাম, পাকিস্তানির হোগায় বাঁশ দে’। আগে সাধারণ পরিবার সপ্ন দেখত এচ,এস,সি পাশ করে চাকরী করবে, এখন সপ্ন দেখে বুয়েট-মেডিক্যাল-ভার্সিটি তে পড়াশোনা করার। মানুষ বেড়েছে, সমস্যা নতুন জন্ম নিয়েছে, আবার পুরোনো অনেক সমস্যা মিটেও গেছে। ধন্যবাদ
সাহসী লেখা। বিজয় দিবসে ঠাকুরমার ঝুলি শুনতে আর ভাল্লাগেনা। বিজয় দিবসে শুধু ঘুম পাড়ানী গান না শুনিয়ে খোজ-খবর নিক
দেশে কত মিলিয়ন লোক প্রতিদিন না খেয়ে কাটায়,
কত মিলিয়ন বেকার চাকরি না পেয়ে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিচ্ছে,
৪০ বছর আগের পাকি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের চেয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কতটুকু কমেছে।
৪০ বছরে শুধু পাসপোর্টের অর্জনকেই স্বাধীনতা বলেনা। দুষ্ট রাজনীতিকে লাথ্থি মারার সময় হয়েছে।
@হেলাল,
এটাই হল কথা। (Y)
ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তনের ব্যপারে আপনার সাথে সহমত। তাছাড়া প্র্যাক্টিকাল একটা সমস্যা আছে, কোন জন কে প্রথম দেখায় আর বোঝা সম্ভব না।
@বিনায়ক হালদার,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। যদিও
কথাটা বুঝতে পারিনি। 🙂
একটা ভূখণ্ড আর পতাকা নিয়ে বাঙ্গালী স্বাধীন হয়েছিল ৭১ এ।মানসিক ভাবে হয় নাই।যেকোন মানসিক সমস্যা হতে যত সময় লাগে তা সারতে তার চেয়ে তিন গুন বেশী সময় লাগে।হাজার বছরের পরাধীন বাঙালি ত এখনো বুঝেই নাই তারা স্বাধীন , স্বাধীন মানুষের যে আত্মসম্মান বোধ থাকতে হয় তা বুঝবে কিভাবে?। বাংলাদেশের আবুল এর গালে যদি হারভাজ সিং এর মত কেউ চড় মারে আবুল বলবে, যিশু খ্রিস্টের এক গালে চড় মারলে যিশু অন্য গাল বাড়িয়ে দিতেন, আমার অন্য গাল ও বাড়ানো আছে।আমি পদত্যাগ করবো না, চড় খাব যিশুর মত। এই হোল বাঙালি যে মার্সিডিজ চালিয়ে যায় ডাস্টবিনের পাশে আহাররত শিশুর পাশ দিয়ে। এই সেই বাঙালি যে জাতির পিতাকে নমরুদ বলে,এই সেই বাঙালি যে নিজের দেশে বাবু সাজে অন্নের দেশে চাকর খাটে (আমিও একজন)…… বাঙ্গালী এমন ই। আমরা যা আমরা তাই ই…।
@সপ্তক,
বেশ ভালো অবযারভেশন। আফগানিস্তানের ঐ গুন্ডাগুলোকে দেখেছেন, বসে আনা কী মুশকিল? 🙂
@সপ্তক, আপনি শুধু বাঙ্গালীর বদগুণ গুলোই বললেন। তাই বলে কি আমাদের সদগুন নেই? আমরা কি জিন্নাহর মুখে থুথু দেইনি ? আইয়ুবের পশ্চাৎদেশে লাথি দেইনি ?? ইয়াহিয়ার গালে চড় দেইনি? পল্লিবন্ধুর পীঠে ঘুষি দেইনি ? অবশেষে ২০০৭ এর ১১ই জানুয়ারির পর সকল ফিরিশতাবৃন্দকে নাকানি চুবানি দেইনি? তাই হতাশ হবার কিছু নেই আমরা পারি ও অনেক কিছু করতে ।
@মাসুদ রানা,
আমরা অনেক কিছুই করেছি। এই “আমারা” র মাঝে নিজেকে খুজে পেতে কষ্ট হয়। আমি ত সুবিধাভোগিদের ই একজন।আমার ই চাচা বা মামা মন্ত্রি,ডাক্তার,সুধিজন।আমি ছিন্নমূল মানুষের রক্তের টাকায় পড়াশুনা করে বিদেশে এসে চড়ুই পাখীর মত বাসা বেধেছি,বাবুই হতে পারিনি।তাই কোন অর্জনের ভাগিদার হবার যোগ্যতা আমার কই?। আমি পলাতক,ব্লগে আমার চিতকার।।আমি কাপুরুষ ,তাই আমার আস্ফালন বেশী।আমি সুবিধাবাদি,আমি ত্যাগ স্বীকার এ অপরাগ। পরজীবি নাস্তিক যারা ধর্মকে বুকে করে ক্ষুধার যন্ত্রনাকে অস্বীকার করে আমি তাদের গালি দেই।আমি ভগবানের চেয়েও ভয়ঙ্কর, আমি /আমরা জানি না কি চাই,আমাদের পায়ের নীচে মাটি নেই,আম্রা না বাঙ্গালী না ফিরিঙ্গি…আমরা সুধুই কিছু পরজীবি।
সাবাশ কবি। এই রকম রক্তে বারুদওয়ালা বাঙালিই পছন্দ আমা্র, পুতুপুতু করাগুলো নয়।
আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন মেরুদণ্ডওয়ালা বাঙালির আসলেই আকাল। আমাদের দেশের কারো কারো সৌদি শেখরা কৃপাণ নিয়ে কল্লা কাটার জন্য ঘাড়ের কাছে এলেও রাগমোচন হয়ে যায় ভিন্ন কল্পনার সুখে, কেউ কেউ পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের দেখলে গালে কপালে পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে শীৎকার দিতে থাকে অনবরত, কারো কারো আবার খুব গোপনে ভারতের গায়ের গন্ধেও নেশা জাগে।
আমি বাঙালি, বাংলাদেশি, এই অহংকার নিয়ে মাথা তুলতে খুব কম লোককেই দেখেছি আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
থাকলে তো দেখবেন! আর ঐ পাকি সন্তাঙ্গুলো সম্পর্কে কথা বলতেও আমার বিবমিষা জাগে।
… ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২ টা বেজে ১ মিনিটেই পুরো বাংলাদেশে দেশপ্রেম আতশবাজি হয়ে দুরুম-দারাম ফুটতে শুরু করল। আমার বাসার ঠিক পাসেই আতশবাজির সাথে গুলির আওয়াজও হচ্ছিলো। এই খুব স্বাভাবিক ঘটনাটা ভয়ংকর হয়ে উঠলো যখন জানতে পারলাম পাড়ার ডিজিটাল সন্দেশপ্রেমিক নেতারা তাদের সদ্য কেনা এ.কে. ৪৭ টি ঝাঁজিয়ে দেখছিল। (U)
@অরণ্য,
আমি রাতে শুনেছি ছাম্মাক ছালো, আর শিলা কী জাওয়ানী। মানে আমাকে শোনানো হয়েছে আরেক বাড়ির ছাদ থেকে।
@সাইফুল ইসলাম,
:-O আমার এখানে অবশ্য শিলা কী জাওয়ানীর’ চেয়ে উ লা লা উ লা লা.. অথবা এই ধরণের একটা গান বেশি বাজছিল! :p
বরং আরো পিছিয়ে যেতে পারে,কারন যেখানে প্রতি মুহূর্তে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে অসংখ্য বেকার ও দুস্কৃতকারী জন্মাচ্ছে সেখানে কি আর ঘটতে পারে?
ধন্যবাদ।
কমরেড সইফুল
কথাগুলো লেখার জন্যে আন্তরিক অভিনন্দন। তবে স্বাধীনতার যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতার অসম পরিচয় রেখেছে-এটা স্বীকার করে, বাকীটা লিখলেই ঠিক হত।
আমি কমরেড সইফুলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি এই কারনে যে সইফুল কমরেড ইরতিশাদের মতন ককটেল বাম নন- যিনি একই সাথে জাতিয়তাবাদ এবং শ্রেণীতত্ত্বেও আছেন। সইফুল সম্পূর্ন শ্রেনীর দৃষ্টিতে দেখছেন-এবং আমিও মনে করি-জাতিয়তাবাদ, ধর্ম এসবের মধ্যে পার্থক্য নেই। সবটাই শোষন চালিয়ে যাবার জন্য সিস্টেম। বাংলাদেশ ভারত এই শব্দ এবং আইডেন্টিটি মধ্যবিত্তদের জন্যে প্রযোজ্য, আমি মনে করি না এগুলো ভারত বা বাংলাদেশের অধিকাংশ গরীব নাগরিকদের জন্যে আলাদা কিছু বহন করে। বিদেশীর বদলে শোষক শ্রেণী দেশী হলে, কিছু উন্নতি নিশ্চয় হল-কিন্ত সেটা কোন আর্থসামাজিক ব্যবস্থার আদর্শ নিশ্চয় নয়।
শ্রেনীভিত্তিক দৃষ্টিতে দেখলে আস্তে আস্তে জাতিয়তাবাদের মায়া অতিক্রম করে, শোষিত শ্রেনীর ঐক্যটাই [আন্তর্জাতিকতা] আগে চোখে পড়া দরকার। আমি যদিও মনে করি, সেই দৃষ্টিতেও সীমাবদ্ধতা আছে, তবুও পরিস্কার দৃষ্টি গাছের তলাতেও আছি, ডালেও আছি এমন ককটেলের থেকে ভাল।
@বিপ্লব পাল,
আমার বুকের বেশ বড় একটা অংশ জুড়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বিরাজ করে। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে এই শুধু দেখানো ভালোবাসার কাজটা আমরা চল্লিশ বছর ধরে করে আসছি। কাজের কাজ কিছুই হই নি। সেজন্যে সচেতনভাবেই আমি ঐ অংশটা উহ্য রেখেছি। এবার শুধু বুকভরা ভালোবাসা ফ্রীজে রেখে কাজে দেখানো দরকার।
আমি সবসময়েই জাতিয়তাবাদ বিরোধী মানুষ। সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিতে জাতিয়তাবাদ ভালো দেখালেও বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে সেটা একটা ভাইরাস। এর অসংখ্য উদাহরন ইতিহাসে ছড়িয়ে আছে।
সমস্যাটা শ্রেনীভিত্তকই। সমাধানটাও ঐ পথেই আসা বাঞ্চনীয়। যাই হোক, সে আলোচনা অন্য কোথাও হবে।
অনেক ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য। আমার নামটা সাইফুল। হাহাহা। :))
অদ্বিতীয় প্রবন্ধ।
সম্পূর্ণ সহমত।
ধন্যবাদ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমার পক্ষ থেকেও ধন্যবাদ জানবেন।
লেখাটা আমার কাছে চরম লেগেছে। প্রতিটি বক্তব্যের সাথে সহমত। বিশেষ করে এই লাইনটা
সহমত।
আমিও একমত। (Y)
@স্বাধীন ভাই, খ্যুরুস্তম
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
একটু বায়াসড হয়ে গেল না লেখাটা?
কিন্তু একটা লাইনের জন্য স্যালুট।
(Y) (Y) (Y)
@নিটোল,
ইচ্ছা ছিল না। মানে বায়াসড হইলে ঐটা সম্পূর্ণই আমার লেখার ত্রুটি।
লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সাইফুল এইবার ইট্টু বেশি হইয়া গেল মনে হয়। বিজয় দিবসের সময় এই নিয়ে লেখা স্টাটাস দেয়া – এইগুলা যদি খালি ফালতু আবেগের দোষে দোষী হয়, তাইলে এই ‘বিজয় বিরোধী’ লেখাটাও কিন্তু কম আবেগী না 🙂 । আর কোনটাই বা আবেগের বাইরে কন তো – কবীর চৌধুরী বা হিচেন্স মারা গেলেও তো স্টাটাস দেয়া হয়, আপনেও দেন – যেমন রামগড়ুড়ের ছানা দেয় স্টিভ জবস টাইপের কেউ মরলে – ওইগুলারেও কেউ হুজুগ কইতে পারে। পারে না?
উপরে রূপম যা বলছে – পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়া যে ঘুরন লাগে না, এইটাই বিজয় দিবসের বড় পাওয়া।
@অভিজিৎ,আমার মনে হয় একটু ভুল বুঝতেসেন লেখাটাকে। লেখাটাকে বিজয় বিরোধী বলা যায়না কোনো ভাবে,দেশপ্রেমের নামে ভন্ডামীর কথাই এখানে বলা হয়েছে। আমি নিজেকে কখনোই দেশপ্রেমিক দাবী করিনা,তবে ব্লগে আর ফেসবুকে দেশপ্রেমের বানে ভেসে যায় এমন মানুষকে অহরহ দেখা যায় দায়ীজ্ঞানহীন সব কাজ করতে,এরা রাস্তায় ময়লা ফেলে বাসায় এসে দেশটা সিঙ্গাপুরের মত পরিস্কার না এই নিয়ে অভিযোগ করে। একুশে ফেব্রুয়ারীতে আমরা আবেগে ভেসে যাই,কিন্তু এখনো বেশিভাগ মানুষ বাংলায় টাইপ করতে পর্যন্ত পারেনা,আর কোনো জাতি মনে হয় নিজের ভাষাকে এত অবহেলা করেনা। এসব ভন্ডামী দেখলে রাগ উঠাই স্বাভাবিক,তাই সাইফুল ভাইয়ের লেখা বেশী হয়ে গেসে বলে মনে হয়নি আমার। তবে “বাঙলাদেশের স্বাধীনতার মুখে আমি থুতু মারি ” এই লাইনের উপস্থাপনটা ভালো লাগেনি।
আর আসলেই কি ফেসবুকের স্ট্যাটাসগুলো দেশপ্রেমের আবেগ থেকে আসছে মনে হয়? নাকি বিশেষ দিনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া দরকার বলে দেয়া?
@রামগড়ুড়ের ছানা, আমার মনে হয় লেখক “বাঙলাদেশের স্বাধীনতার মুখে আমি থুতু মারি ” এই লাইনটি রূপকার্থে বুঝিয়েছেন। কারন ৭৫ পরবর্তী যারাই (হোক তারা পল্লিবন্ধু , জননেত্রি , দেশনেত্রী অথবা উনাদের সহযোগী ) এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতাই এসেছে তারা আসলে নামে বাঙ্গালী হলেও অন্তরে অন্তরে এদের মন লর্ড ক্লাইভ , জিন্নাহ, খাজা নাজিমুদ্দিন, আইউব, ইয়াহিয়ার জন্য কান্নাকাটি করে। স্বাধীনতার সুফল এরাই ভোগ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। তাই লেখক এদের প্রাপ্ত স্বাধীনতার মুখে থুথু দিয়েছেন। আপামর জনতার স্বাধীনতার মুখে নয়। কারন আপামর জনতা তো এখনোও প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা প্রাপ্ত হয় নি বা এর সুফল ভোগ করেনি।
@অভিজিৎ,
অবশ্যই কইতে পারে। কিন্তু গ্রাউন্ড থাকতে হইব তো, কী কন? :))
একটা অ্যানার্কিস্ট লেখার আশায় ঢুকলাম। কিন্তু আপনি তো দেখি হতাশার বেসাতি বসালেন রে ভাই। স্বাধীন বাংলাদেশে মরতে পারার আধিভৌতিক সুখ পাওয়া মানুষ আমি। পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে যে ঘুরতে হয় না, সেই প্রাপ্তিরে আপনি কীসের সাথে মেজার করবেন? মধ্যবিত্তের অনেক গতি হয়েছে তো বলা যায়। মোটের উপর দেশটা পাকিস্তানের চেয়ে ভালোই আছে। তয় তুলনা কইরা লাভ নাই। প্রত্যেকটা দেশ তার নিজের গতিই দেখবে। লাইগা থাকেন। আমি আশাবাদী।
@রূপম (ধ্রুব),
আমি হাওয়ার উপরে আশাবাদী হতে পারছি না। দুঃখিত। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
🙂
পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না। হয়ত দেশপ্রেম-আবেগ নিয়ে বাঙালি একটু বেশিই করে ১৬ ডিসেম্বর কিংবা ২১শে ফেব্রুয়ারি তে। করার মত আছে বলেই হয়ত করে, কিন্তু তার মানে এই নয় সত্যটি প্রকাশিত হয়েছে এখানে। আমরা নিজেদের এত পরিমার্জিত বলে দাবী করি যে আমরা তারচেয়েও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে বলি “আমরা স্বাধীন নই…” দুঃখের বিষয় কি জানেন??? এই কথাগুল যারা বলে তারা এ ও বলে “এই দেশে থেকে কিছু হবে না” আর তারাই BAT,GOOGLE,MICROSOFT এ কেরানীগিরি করার জন্য উঠে পড়ে লাগে…সবশেষে দেশ ছাড়ে। কারন দেশ স্বাধীন হল কি না হল এই নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই, বলা দরকার বলে, কারন কথিত আছে তাতে নাকি আধুনিকতার প্রকাশ পায়। আর এই যখন অবস্থা তখন কয়জন মেধাবী চান এই দেশে আপনি??? কয়জন বীর চান???
@অপ্রকাশিত,
আমার সাথে একমত না হলেও আমি আপনার সাথে একমত। এখন একটু খেয়াল করে দেখেন আমি যা বলেছি আপনি কি তার উল্টোটা বলেছেন কি না। আমিও বাঙালির এসব সমস্যার কথাই বলতে চেষ্টা করেছি।
ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে।
বিজয় দিবসে এই লেখা পড়ে প্রচণ্ড আহত হয়েছি। মনে হয়েছে আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেক অনুদার মূল্যায়ন করা হয়েছে!
একমাত্র বাংলাদেশেই দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় দিবস মানে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারিতে রাস্তায় মানুষের ঢল নামে, উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে যায় সারা দেশ। অন্যান্য দেশে যা কেবল ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসবে দেখা যায়। বাংলাদেশের মানুষের এই দেশপ্রেম শুধুই লোক দেখানো? এর ভিতর কি কোন ভালবাসাই খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়?
যে জাতি ভাষার অধিকার রক্ষায় আপোষ করেনি, যারা স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণপণ লড়াই করে মাত্র নয় মাসে সামরিক ক্ষেত্রে অতি উন্নত একটি দখলদার বাহিনীকে পরাস্ত করেছে, যারা স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে গজিয়ে উঠা স্বৈরাচারকে হটিয়ে দিয়েছে ব্যাপক গণ আন্দোলন করে (সমসাময়িক ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের স্বৈরশাসকের সাথে তুলনা করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে), যারা নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকেও ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াদা পূরণ করতে না পারার কারণে, তাদের গায়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আত্মসন্মানহীণ জাতির লেবেল এঁটে দেয়া কতটুকু যুক্তিসংগত? হয়ত রাজাকারদের মন্ত্রী হওয়ার কথা বলা হতে পারে; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ রাজাকারদের পুনর্বাসন-কারীদের কি মাত্র ৩২টি সংসদীয় আসন উপহার কি ভয়াবহ রকম বেইজ্জত করেনি?
স্কুলের বাচ্চাদের তাহলে কি শিখাবে? বাংলাদেশ ভীরু ও তল্পিবাহক জাতি যাতে এই বাচ্চারাও ভীরু ও তল্পিবাহক হওয়ার অনুপ্রেরণা পায়? গত ৪০ বছরে কোন বীর জন্মায়নি বাংলাদেশে? নুর হোসেন, মিলন এরা বীর নয়? বাংলাদেশ যে জাতিসংঘে শান্তি বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছে, তা কি বীরত্ব-হীনতার পরিচয় বহন করে? ডক্টর ইউনুসের নোবেল বিজয় কি বীরত্ব শব্দটির সাথে খুব বেমানান?
এই তথ্যের উৎসটি দিলে ভাল হত! আমরা তো জানি, বাংলাদেশের দারিদ্র ব্যাপক হারে কমেছে। সাম্প্রতিক সময়ের জরিপগুলো তো তাই বলছে! এমনকি আয় বৈষম্যও কমার ইঙ্গিত রয়েছে।
পৃথিবীর অর্ধেকের বেশী লোক আসলে কয়টি দেশের নাম জানে? তবে সচেতন মানুষেরা অনেক দেশের নামই জানে; যেমন: আমেরিকার সচেতন মানুষ পোশাক রপ্তানিতে পৃথিবীর শীর্ষ দেশটির নাম মনে হয় জানে! আর না জানলে সেটা তাদেরই অজ্ঞতা!
সম্পদের সীমাহীন অপ্রতুলতা, ধারাবাহিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্বৈরাচার, রাজাকার ও মৌলবাদের প্রাদুর্ভাব এবং পৃথিবীর সর্বাধিক ঘনবসতির দেশ হওয়ার কারণে বাইরে বাংলাদেশের দুর্নাম ছিল ‘তলাবিহীণ ঝুড়ি’ হিসাবে। বাংলাদেশের মানুষ এখন মাইক্রো-ক্রেডিটের রোল মডেল। আমাদের অর্জনগুলো কিন্তু ফেলনা নয়। শিক্ষা, শিশু মৃত্যু হার হ্রাস, সামাজিক নিরাপত্তা, আইটি প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীজুড়েই ‘ডেভলেপমেণ্ট ইকোনিমক্সের’ এক আলোচিত বিষয়। আমরা আরও এগুতাম যদি সামরিক শাসন ও দুর্নীতি আমাদের পথকে বাঁধাগ্রস্ত না করত! বেশ বোঝা যায়, নিবন্ধটি চরম হতাশা থেকে লেখা হয়েছে! কিন্তু তারপরও স্বাধীনতার মুখে থুতু মারার কথা বলে বাংলাদেশের মানুষের সীমাহীন পরিশ্রমলব্ধ অর্জনকেই থুতু মারা হয়েছে বলে আমার ধারণা!
@কাজি মামুন,
ভালোবাসা হয়ত খুজে পাওয়া যায়। হয়ত। কিন্তু আমরা বুঝব কী করে আসলেই সেটা ভালোবাসা? বাঙলাদেশ দূর্ণীতির তালিকায় প্রথমে এলে? 🙂
আপনি শুধু ফলাফলটা দেখছেন, এর সাথের সামগ্রিক ইতিহাসটা দেখছেন না। বাঙালি লম্ফঝম্ফ করে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া থেকে পাকিস্তান বানালো। সিদ্ধান্তটা খেয়াল করেন। আবার ক’বছরে পরে পাকিস্তানের যখন সাধের পাকিস্তান পাছায় অঙ্গুলি দিতে থাকল, তখন কিছু মুষ্টিয়েও মানুষ তার বিরোধিতা করল। মুজিব কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের চিন্তা মাথায় আনে নি। নইলে ভুট্টো নিয়াজির সাথে লাস্ট মোমেন্টে আলোচনায় যাবার কোন যৌক্তিকতা ছিলনা। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা যেটা, সেই যুদ্ধে যাবার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ, যারা এখনো বহাল তবিয়তে মন্ত্রনালয়ের গাড়িতে আপনার স্বাধীন(?)দেশের পতাকা নিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে
এবং আপনি আর আপনার দেশপ্রেমিক জনগন তাদের কিছুই করতে পারেন নি। এই সেদিনও এটিএন নিউজে গোলাম আযম নামের গর্ভস্রাবটা বলেছে সে এমন কোন অপরাধ করেনি যে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, এবং তখনও সাংবাদিক সকল তাকে স্যার স্যার বলে গলে যাচ্ছিল। কথাটা কিন্তু আসলে সত্যই, কারন আপনি না জানলেও গোলাম আযম জানে বাঙালির দেশপ্রেমের দৌড়। ও ভালো করেই জানে বাঙালি কতদুর যৌনকেশ মুন্ডন করত পারে।
বাঙালি তখনই ঘাড়ত্যাড়া করে যখন ত্যাড়া না করলে ঘাড়ের অস্তিত্বই থাকবে না। আপনার কাছে ঐটাকে দেশপ্রেম মনে হলেও আমার কাছে ঐটাকে মনিবের প্রতি ভৃত্যের বেয়াদবি মনে হয়। যে কিনা মনিব হেড়ে গেলে আবার ভৃত্য হয়ে যাবে। আসলে মহান দেশপ্রেমিক বাঙালি। 🙂
আবেগে হাবুডুবু তো আমি খাচ্ছি ভাই, আবেগে সাতরে মরতে বসেছেন আপনি। থাকেন কোথায়? দেশের বাইরে নিশ্চই? নইলে এমন হাস্যকর বালখিল্যতা মানায় না। বিএনপির ৩২টা আসন দেখলেন, তারা কত পারসেন্ট ভোট পেয়েচে জানেন? একজ্যাক্ট সংখ্যাটা মনে নেই তবে সেটা ৪০ ভাগের উপরে। আর এটাতো এখনকার অবস্থা। অতীতের খবর কিছু আছে আপনার কাছে? এর আগের বার যে বিএনপি প্রবল প্রতাপে ঐ নমাসের গর্ভস্রাবদের নিয়ে ক্ষমাতা উপোভোগ করে গেচে জানা আছে? এবং আগামীবারও যে তারা আসছে সেটা জানেন? এবং এখনও যে ঐ গর্ভস্রাবদের বাচানোর জন্য কত জিনিসপত্র ঘটে চলেছে জানেন? 🙂
তারমানে কি মানছেন বাঙালি বীরের জাতি নয়?
নূর হোসেন, মিলন কাউকেই ছোট করছি না। শুধু বলছ ইতিহাসের ধারাবাহিকতাটা দেখুন। খেয়াল করে। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে। তাহলেই বুঝবেন সবকিছু।
বাঙলাদেশের জাতিসংঘে শান্তি বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছে আর তাতেই আপনার মনে হল এরা বিরাট কিছু? ভাই এরা ওখানে লেবার হিসেবে কাজ করছে, করতে দেন। শুধুশুধুই বীরত্বের তকমাটা দিয়েন না। 🙂
ইউনুস শান্তিতে নোবেল পেয়েছে। আগের বছর পেয়েছে বারাক ওবামা। বেশ বীরত্বপূর্ণ কী বলেন?ইউনুসের সাথে এমেরিকার মাখোমাখো সম্পর্কের কথাটা জানা আছে বোশ করি। আমি ভাই সন্তুষ্ট না। এতো অল্পে আমার সন্তুষ্টি আসে না কেন জানি না। মাফ করবেন। 🙂
আমি পরিসংখ্যানটা জোগাড় করে এখানে যোগ করে দেব সমস্যা নাই।আর আপনার ব্যাপক হারে দারিদ্রতা কমানোর পরিসংখ্যানটাও আমাদের মতন কিছু মূর্খদের জন্য দিয়ে দিয়েন। 🙂
আমার এক বন্ধু ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার। ওর কাছে শুনলাম, বাঙলাদেশে ৪৯ভাগ জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ পৌছায় নি। ডিজিটাল বাঙলাদেশ, কী বলেন? 🙂
কিন্তু অবাক করা ব্যাপার কী জানেন? অজপাড়াগায়ের আইজুদ্দিও, আমেরিকা, ইটালি, জার্মানি, লন্ডনের নাম জানে। ব্যাপারটা আজব না বলেন?
এই মহান বানী কারা দেয়? সীমাহীন প্রতুলতা আছে কোন দেশে দুনিয়াতে? দুএকটা দেখান।
গ্যাস সম্পদের ব্যাপারে কিছু খোজ খবর নিয়ে দেখেন। বেশ ভালো পরিমানেই আছে, কিন্তু প্রচারনা চলছে নাই। এটা পুজিপতিদের আবহমানকাল ধরে বাজানো ভাঙা রেকর্ড। ঐসব দিয়ে কী আর চিড়ে ভেজে?
আবার বলছি হয় না কোথায়? যদি বাঙলাদেশে বেশি হয় তাহলে তার জন্যে মানে তাদের পুনর্বাসনের জন্যে কেন সঠিক ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না। আপনার কোথায় বোঝা যাচ্ছে সরকার যথেষ্ট পূনর্বাসন করছে কিন্তু শালার ঝর বন্যা এতো বেশী যে আমরা পারছি না। তাই না?
বাঙালির চরিত্র আমি যা বললাম লেখায় এখন কিন্তু আপনিও তাই বলছেন। আর দূর্নাম ছিল? এখন নেই?
মাইক্রো ক্রেডিটের ব্র্যন্ড এমবাসেডর হয়েও দেশের দারিদ্রতা বিন্দুমাত্র কমাতে পারলনা আফসোস!
আপনি বলছেন ফেলনা নয় আমার কাছে তো সবই আবর্জনা মনে হয়। দুর্নীতিতে প্রথম, দেশে চল্লিশবছরের নষ্ট গর্ভস্রাব, অর্ধের মানুষ থাকে না খেয়ে, দেশের অর্ধেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। দ্রব্যমূল্যের আগুন দাম। এগুলো যদি অর্জন হয় তাহলে কী দরকার ঐসব অর্জনের বলেন তো?
আর আমার কাছে মনে হচ্ছে আপনি বেশী আশাবাদী হয়ে বলেছেন। যেটা সাধারনত আমরা মধ্যবিত্তরা হতে ভালোবাসি, কারন তাতে করে দায় এড়ানোটা খুবই সহজ।
যাই হোক, ব্যাপার না, চিন্তার পার্থক্য থাকবেই। দরকার ছিল একটা ধাক্কা দেয়া, সেটা দিলেই হল, বাঙালি অনেক ঘুমিয়েছে। একটু জাগুক। কী বলেন? 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
দেরী করে হলেও আপনি কষ্ট করে আমার মন্তব্যের একটা জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন! বাঙালি যেখানে ‘দায়সারা’ আর ‘অলস’ স্বভাবের সেখানে আপনার এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়!
যে মা তার শিশুটির মুখে একে দিয়েছে লাল-সবুজের পতাকা অথবা যে রিকশাওয়ালা তার দৈনন্দিন কাজ ফেলে রেখে মাথায় পতাকা বেঁধে বিজয়ের গানে হচ্ছে মাতোয়ারা, তাদের দেশপ্রেম বুঝতে হলে দুর্নীতি মাপার যন্ত্র হাতে নিয়ে বসে থাকা ছাড়া সত্যি কোন উপায় নাই। বাংলাদেশ দল ভাল খেললে গ্যালারিতে যে বাঁধভাঙ্গা আনন্দের বন্য দেখা যায়, আসলে তাও একটা একটা ‘ভেক’ ছাড়া কিছু নয়; কারণ আমাদের কাছে টিআইবির রিপোর্ট থাকার পরও তাদেরকে দেশপ্রেমিকের সার্টিফিকেট দিতে যাওয়ার মত অনৈতিক কাজ করি কিভাবে?
আমি ইতিহাস যতটুকু পড়েছি, সেখানে দেখেছি হঠাৎ করে কখনো ১৯৪৭, ১৯৫২, ১৯৭১ গজিয়ে উঠে না। এই সনগুলির পেছনে একটি বিরাট প্রেক্ষাপট থাকে, থাকে দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। লম্ফঝম্ফ করে কোন ভূমির অধিকার পাওয়া চতুষ্পদী প্রাণীবিজ্ঞানের ইতিহাসে পাওয়া গেলেও মানব ইতিহাস পুরোপুরি সংগ্রামের ইতিহাস।
এই ইতিহাস আপনি কোথায় পেলেন? আমরা তো জানতাম, মুজিব তার কর্মিদের ছয় দফার আন্দোলনের সময় থেকেই বলতেন বাংলাদেশকে স্বাধীন করাই তার মূল লক্ষ্য। এবং সেভাবেই তিনি তার কর্মিবাহিনীকে গড়ে তুলছিলেন। সে কথা যদিও আপনি বিশ্বাস না করেন, তা হলে এটা নিশ্চয়ই অস্বীকার করবেন না যে মার্চের শুরু থেকেই অনেকে রণ প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পাকিস্তান যে সৈন্য জড়ো করেছিল, তা কি কারো অজানা ছিল? স্বাধীন দেশের পতাকা কি এমনি এমনি উড়েছিল যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই? তারপরও বাংলাদেশের কিছু দল প্রায়শই বলে শেখ মুজিব ক্ষমতার লোভে ভুট্রো-নিয়াজির সাথে আলোচনায় যেয়ে জাতির সাথে বেইমানি করেছিল; কিন্তু মুজিব তো ৭ই মার্চের ভাষণেই বলেছিলেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব চান না; তারপরও কেন আলোচনায় গিয়েছিলেন মুজিব? এই প্রশ্নের প্রচুর উত্তর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে মুজিব বহির্বিশ্বের কাছে নিজেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রমাণ করতে চাননি; তার কৌশল ছিল পাকিস্তানের দিকে বল ঠেলে দেয়া; পাকিস্তান আগে আঘাত হানলে বহির্বিশ্বকে বোঝানো সুবিধা হবে যে, আমরা নির্যাতিত এবং এতে করে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া সহজ হবে এবং বাস্তবে হয়েছিলও তাই।
বিরাট সংখ্যক মানুষ? যেখানে আমাদের জানা মতে সারা বাংলাদেশ একতাবদ্ধ হয়েছিল, সেখানে আপনার কথাতে যেন তথাকথিত ”১৯৭১ এর গৃহযুদ্ধ/গোলমাল” তত্বের প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছি! আমরা যেটা জানি কিছু সংখ্যক লোক ইসলামকে ব্যবহার করে হানাদারদের পদলেহন করেছিল এবং আরো কিছু লোক নিজেকে বাঁচাতে, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিতে অনিচ্ছা সত্বেও হানাদারদের সাথে লোক দেখানো সখ্য গড়েছিল। শেখ মুজিব ২য় শ্রেণির লোকদের ক্ষমা করেছিলেন, প্রথম শ্রেণিকে নয়।
যখন সংসদ নির্বাচন, তখন আবার ভোটের হিসাব কেন? শুধুমাত্র রাজাকারদের গাড়িতে পতাকা উড়ানোর সুযোগ করে দেয়ার জন্যই যে মানুষ বিএনপিকে এত বিপুলভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেটা এমনকি বিএনপির তাত্ত্বিকরাও মানে; শুধুমাত্র আপনিই মনে হয় এই প্রত্যাখ্যানের বিষয়টা দেখতে পাচ্ছেন না, ৪০ ভাগ ভোট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন, যেটা আমার মতে আরও কম হবে। তাছাড়া, আগামীতে আওয়ামী লীগের শাসনে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ যদি আবারও বিএনপিকে ভোট দেয় আওয়ামী লীগকে নামানোর আর কোন রাস্তা খুঁজে না পেয়ে, তার থেকে কি প্রমাণ হয়ে যায়, মানুষ রাজাকারদের সহ্য করছে? মনে রাখা দরকার, মানুযের ভোট কিন্তু একটা সামগ্রিক সিদ্ধান্ত যা কোন একটি উপাদানের উপর নির্ভরশীল নয়; এখানে অনেক উপাদান জড়িত।
লেবারের কাজকে আপনি এত ছোট করে দেখছেন কেন? এদের ঘামেই তো আজকের এই চকচকে সভ্যতা, যেমন-ভাবে আফ্রিকার অনেক দেশ গড়ে উঠছে আমাদের সেনাবাহিনীর ঘামে।
হাসিনার সাথেও তো আমেরিকার মাখামাখি সম্পর্ক (এমনকি আত্মিয়তার সম্পর্ক) রয়েছে, কিন্তু তারপরও বুঝতে পারছি না, হাসিনা এখনও নোবেল পেলেন না কেন? তাছাড়াই, ওবামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েই নোবেল পেয়ে গেলেন, আর বিল ক্লিনটন দোর্দণ্ড প্রতাপে ৮ বছর হোয়াইট হাউজে থাকার পরও নোবেল পেলেন না ? এই হিসাবটাও মিলাতে পারছি না; আপনি যদি সাহায্য করেন!
আপনি তো আপামর বাঙ্গালির মত ঘুমিয়ে থাকাদের দলের নন, তাই সামান্য গুগুল করলেই তো জানতে পারতেন বাংলাদেশের দারিদ্রের বর্তমান হার। যাই হোক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু জ্ঞানী-গুনির একটা সেমিনার হয়েছে গত ৯ই ডিসেম্বরে যেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দারিদ্র হার স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের ৮০ ভাগ থেকে ৩১ ভাগে নেমে এসেছে। অবশ্য আপনি হয়ত এমনকি তাদের কথাও বিশ্বাস করবেন না!
আমেরিকা, ইটালি, জার্মানি, লন্ডন যেভাবে আমাদের দেশে উপনিবেশ করেছে বা ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, তাতে তাদের নাম না জেনে উপায় আছে বলেন?
আছে, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই সীমাহীন প্রতুলতা আছে। তাছাড়া অনেক দেশ উপনিবেশ গড়েও দুহাতে সম্পদ কামিয়ে নিয়েছে। এমনকি ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মায়ানমার এসব প্রতিবেশী পর্যন্ত আমাদের চেয়ে প্রাকৃতিক সম্পদে অনেক এগিয়ে। আর আমাদের গ্যাস সম্পদ যে তেমন নেই, তা তো সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি কুপ খনন স্থগিত-করণ থেকেই পরিষ্কার। আর আপনার যদি তা বিশ্বাস না হয়, তা হলে কি করা, বাংলাদেশে আপনাকে শেভরনের মত টেকনিকাললি উন্নত কোম্পানি গড়ে তুলতে হবে। তবে, বাংলাদেশে গ্যাস থাকার পরও খনন কোম্পানিগুলো মিথ্যা প্রচারণা কেন চালাচ্ছে, তা বুঝতে পারছি না। গ্যাস পেলেই তো মধ্যপ্রাচ্যের মত বাংলাদেশকেও দখল করে লাভবান হওয়া যায়, কি বলেন?
বাংলাদেশে যে পরিমাণ হয়, সে রকম কয়টা দেশে হয়? তাই বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জটা একটু বেশী নয়কি? আর পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ তো পৃথিবীতে রোল মডেল (আপনি হয়ত আবার আপত্তি করবেন!)। বিশ্বাস না হলে বান কি মুনের লেখা পড়ুন না! বাংলাদেশের মত এত বন্য নিয়ন্ত্রণ বাধ আর ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র আর কোন দেশে হয়েছে?
না, আমি এটা বুঝাতে চাচ্ছি না। আমি যা বলছি, তা হল, পৃথিবীর সর্বাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত দেশগুলোর একটা হয়েও বাংলাদেশের তাদের নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও মনোবল দিয়ে দুর্যোগকে জয় করতে পেরেছি, এমনকি সরকারের যথাযথ সাপোর্ট না পেয়েও!
আসলে আবর্জনা মনে হওয়ার মধ্যেও একটা স্মার্টনেস আছে কি বলেন? ছোটকাল থেকেই আসছি বাংলাদেশের তথাকথিত শহুরে প্রগতিশীল ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর একটি গোষ্ঠির ভিতর প্রবল নাক সিটকানোর ভাব রয়েছে। সব কিছুকে বিদ্রূপের দৃষ্টিতে দেখা, সবকিছুর ভিতর না খুঁজে পাওয়ার ভিতর যেন একটা বাহাদুরি রয়েছে। তাই তাদের কাছে, কোন অর্জনই অর্জন নয়, সবই আবর্জনা! আমি দেখেছি, এরা দেশের এই নেগেটিভ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করে বেশ মজা পায়; হাস্যরসের উপাদান হিসাবে গ্রহণ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না, বরং প্রাণ ভরে যেন উপভোগ করে।
ঘুম যে আসলে কার, তাই বুঝতে পারছি না। আমার একটা বন্ধু আমেরিকায় পিএইচডি করছে। তার কাছ থেকে শোনা বাংলাদেশকে কি পজিটিভ দৃষ্টিতে দেখা হয় এখন বিশ্বজুড়ে, অবশ্যই একাডেমিশিয়ান ও সচেতন মানুষদের কথাই বলা হচ্ছে এখনে। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে আউটপারফরম করেছে; এমনকি ইন্ডিয়াকেও অনেক সোসাল ইন্ডিকেটরে আউটপারফরম করেছে।পৃথিবী জানে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশের অনেকেই কয়েক দশক আগের বাংলাদেশ মাথা থেকে তাড়াতে পারছে না; আর এখানেই সমস্যাটা হচ্ছে!
সবশেষে, বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষ স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে লড়েছে রাজনৈতিক অধিকারের জন্য এবং তাতে সফল হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে লড়ছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারের জন্য এবং এই অর্জনের পথেও এগিয়ে যাচ্ছে। হয়ত জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্নীতির মত অনেক বাঁধা আসবে, যেমন এসেছে অতিতে; কিন্তু এতে অগ্রযাত্রা সামান্য বিলম্বিত হলেও বাঙালি থেমে যাবে না; তার প্রমাণ অতীতে তারা বহুবার দেখিয়েছে।
@কাজি মামুন,
চেষ্টা করলাম কোথায়, আমি তো জবাবই দিলাম। 🙂
সব কিছুর আগে একটা প্রশ্ন। আপনি কি দেশেই থাকেন নাকি বাইরে?
বললামই তো, এমন ভালোবাসা আমরা ৪০ বছর যাবত তো অনেক দেখালাম, এখনও দেখিয়েই যাচ্ছি। লাভটা হল কী? সেটা না দেখালে অমন ভালোবাসা থাকলেই আর না থাকলেই কি একটু বোঝাবেন দয়া করে? আমার মোটা মাথায় ঢুকছে না ব্যাপারটা। আমার ব্যক্তিগতভাবে ভাতের প্রত্যেকটা লোকমা দেওয়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাসে দেখা অসংখ্য না খেয়ে থাকা মানুষের কথা মনে হয়।মনে হয় পায়ের উপরে পা তুলে আজকেও যে রিকশা চালকের রিকশায় মজা করে ঘুরে এসেছে সেই লোকটার ছেলেটা টাকার জন্য স্কুলে পড়তে পারবে না, কিন্তু আমি বাসায় বসে মুক্তমনার ব্লগিং করে দেশ উদ্ধার করছি। এখন বলেন প্রত্যেকদিন এই মনোবেদনার কোন দামটা থাকে যদি আমি দেশের জন্য কিছু করতে না পারি? প্লিজ আমাকে একটু বোঝান। আমি বুঝতে চাই।
সম্পূর্ণ দ্ব্যর্থবোধক কথা। ইতিহাস থেকে কী বুঝলেন আমি অন্তত বুঝলাম না। শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করলে কী হতে পারে সেটা যদি কোন জাতি না বুঝতে পারে সেই জাতিকে মাথামোটা জাতি বললে অত্যুক্তি হবে?
আপনার সব কথাই বুঝলাম। কিন্তু রণ প্রস্তুতি বা জনসংগ্রামই যদি লক্ষ ছিল তাহলে শেষ মূহুর্তে ঐ মিটিং-এর কী দরকার ছিল আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন?
তবে আমি এই আলোচনায় সত্যি বলছি ঢুকতে চাচ্ছি না। মুজিবকে আমি বেশ শ্রদ্ধার চোখে দেখি। উনার ব্যাপারে আলোচনায় ঢুকলে দেখা যায় এক পক্ষ ফেরেস্তা বানায় আরেক পক্ষ দানব বানায়। যেটার কোনটাই সে ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের আগের মুজিব আর পরের মুজিবের কর্মকান্ড দেখলেই বোঝা যায়। এই আলোচনার এখানেই ইতি টানলাম। 🙂
যাই হোক। আমার কাছে সংখ্যাটা বেশ ভয়াবহ রকমের বেশী। আবারও বলছি সংখ্যাটা, পার্সেন্টেজ নয়। একই জিনিস যেহেতু দুজনের কাছে দুরকম লাগছে এখানে আলোনা করাটা বৃথা।
এই কথা দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি আসলে আমাকে প্রতিপক্ষ ধরে বিতর্কে নেমেছেন। বাঙলাদেশের কতজন মানুষ বিএনপিকে সাপোর্ট করে সেটা জানতে কি বিএনপির সংসদে সিট দেখা যৌক্তিক নাকি জানা থাকলে কত পার্সেন্ট ভোট পেয়েছে সেটা জানা যৌক্তিক, এই সহজ হিসাবটা যদি আপনি না বোঝেন আমি আপনাকে বোঝানোর কেউ না।
আর এই দুট শুকর খামারকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে না পারাটা আমাদের নেতৃত্বহীনতা, আমাদের মেধার অভাব, আমাদের বীরের অভাব যাই বলেন তাই প্রকাশ করে। অবশ্য সেকথা বললে তো আবার অনেকের খারাপ লাগে।
লেবারের কাজকে আমি মোটেই ছোটো করে দেখছি না। আমি শুধু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই তারা টাকার বিনিময়ে শ্রম বিক্রি করছে। এটার মধ্যে মহত্ব খোজার মতন মহত্ব আমার নেই। সবচেয়ে বড় কথা মিলিটারি থাকা মানে হল পৃথিবী এখনও সভ্য হয় নি। সেই মিলিটারি নিয়ে এত গদগদ হবার মতন অনুভুতি আমার নেই।
এই উত্তরটা দেখার পরে মনে হয়েছিল আপনার সাথে এতক্ষন আলোচনাই আসলে বৃথা গেছে। আমি ক্ষ্যান্ত দিলাম নোবেল দেয়াদেয়ি নিয়ে। শান্তির নোবেল আরো কত বড় বড় সন্ত্রাসীরা পেয়েছে জানেন তো? তারাই নিশ্চই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যেই পেয়েছে? আচ্ছা একটা ব্যাপার আমার মাথায় ঢোকে না। ইউনুস কাজ করেছে অর্থনীতি নিয়ে, কিন্তু ও নোবেলটা শান্তিতে পেলো কেন? :-s
আর হাসিনার সাথে আমেরিকার মাখোমাখো সম্পর্ক কে বলল। হাসিনার আমেরিকার সম্পর্ক প্রভু ভৃত্যের। আপনার উপমাটা যায় ইন্ডিয়ার সাথে। ইন্ডিয়াতে গেলেই হাসিনার কুকুর হিসেবে পা চাটার জন্য একটা করে প্রাইজ নিয়ে আসে লক্ষ করেছেন কি? 🙂
গুগল করে তিনটা লিঙ্ক পেলাম। একটু দেখেন। উইকিতে বলছে ৪০%, সিআইএ ফ্যক্টবুক বলছে ৪০%
CIRDAP(Center of Integrated Rural Development for Asia and the Pacific)বলছে ৪৫-৫০%।
লিঙ্কগুলো দিয়ে দিলাম।
http://www.indexmundi.com/bangladesh/population_below_poverty_line.html
http://en.wikipedia.org/wiki/Economy_of_Bangladesh
http://english.peopledaily.com.cn/90001/90777/90851/6877596.html
একটু হতাশাজনক। নয় কি? 🙂
আর দারিদ্রসীমা বলতে কিছু বোঝেন কিনা এনিয়ে আমার একটু সংশয় থাকাতে উইকি থেকে সংজ্ঞাটা কোট করে দিলামঃ
The poverty threshold, or poverty line, is the minimum level of income deemed necessary to achieve an adequate standard of living in a given country.[1] In practice, like the definition of poverty, the official or common understanding of the poverty line is significantly higher in developed countries than in developing countries.
বোল্ড করা অংশটুকু দয়া করে একটু বেশী করে পড়বেন। দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করা মানে হল, সে ব্যক্তি এমন কি দরিদ্রও না। দরিদ্র হতে গেলে যে টাকার দরকার হয় সেই টাকাও তার নেই। এই কথাটার মানে বুঝতে পারছেন? যে দেশে ৪০ ভাগ(আপনার জন্য একটু কমিয়েই বললাম)মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে সে দেশে দারিদ্রতার আসল চিত্রটা কেমন হতে পারে একটু ভেবে দেখবেন? 🙂
অবাক হলাম। বীর সব এদেশে আর ছড়ি ঘোড়ায় ইউরোপ আমেরিকা!!!!! বলেন কী? 😕 😕
সৌদি আরব এমন কী পানিও কিনে খায় জানেন? আর উপনিবেশ অন্যেরা গড়বে কেন? আমরা করছিটা কী সমস্ত বীর নিয়ে? সব ওরাই খেয়ে যাবে আর আমরা তলানি কুড়াবো?
কয়েকদিন আগেও বাপেক্সের প্রধান(যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব-বিদ্যা ডিপার্ট্মেন্টের প্রধানও বটে) টিভিতে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছে সম্প্রতি পাওয়া একটি গ্যাস ক্ষেত্রে(অনেকক্ষন চেষ্টা করেও নামটা আমি মনে করতে পারলাম না বলে দুঃখিত, কেন যেন মনে হচ্ছে সুনেত্রা। তবে এটা ভুল হবার সম্ভাবনাই বেশী)যে পরিমান গ্যাস আছে তাতে করে আগামী অন্তত ২০ বছরের চাহিদা মিটিয়ে সেটা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজেও লাগানো যাবে।
এই কারনেই আপনাকে প্রথমে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি দেশে থাকেন কি না?
আরে ভাই যদি দেশে চিন্তাই করবে তাহলে তো দেশ কবেই ঠিকঠাক চলত। যদি গ্যাস দেশের কাজেই লাগায় তাহলে ঐ শুকরদের মার্সিডিজ কেনার টাকা আপনি দেবেন?
দুঃখিত, আপনাকে আবারও জিজ্ঞেস করতে হচ্ছে আপনি দেশে থাকেন কিনা? সিডরে আক্রান্ত মানুষের অধিকাংশই তাদের জন্যে আসা ত্রানের কিছুই পায় নি জানেন?
বন্যার সময় প্রত্যেক বছর গম, টিন চুরি, চেয়ারম্যানরা বিক্রি করছে এটা কি নতুন খবর? আপনি আছেন কোথায় মশাই? স্বর্গে না হলেও তার ধারে কাছে নিশ্চিত।
অবশ্যই চ্যালেঞ্জ বেশী। কিন্তু তার জন্যে সরকার করেছেটা কী? আর বান কি মুনের এত ভক্ত হলেন কেন বুঝলাম না। বান কি মুনের মতন একটা হনুমানের কথার কী মূল্য থাকতে পারে বুঝলাম না। সার্কাসের ক্লাউনের কথার মূল্য থাকলেও আমি জাতিসংঘের কথার কোন মূল্য দেই না।
এখানেই আপনাদের মতন আশাবাদী লোকেদের সাথে আমার বিরোধ। একবার দেখেছেন ঐ মানুষগুলো কিকরে বেচে আছে। আপনি জানেন বাঙলাদেশে এখন এমন অনেক উপকূলীয় দ্বীপ আছে যেখানে টিভি নেই? আপনি ভাবতে পারেন এই একবিংশ শাতাব্দীতে বসে যেখানে আমি আপনি অন্তর্জালে রাজা উজির মারছি সেখাতে তাদের দেখার মতন টিভি নেই? আর আপনি আবার এটাকে বেচে থাকা বলছেন। সেলুট আপনাকে মশাই। না জানিয়ে পারলাম না।
এগুলো বাহবা কুড়োনোর কথা।সাড়ে পাঁচ লাইন লিখে ফেললেন কিন্তু আমার কথা জবাবটা দিলেন না। আমার কাছে আবর্জনা মনে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। কিন্তু আপনার কাছে কেন সোনা মনে হচ্ছে বলবেন না? 🙂
আমিও না। বাঙলাদেশের একাডেমিশিয়ানদের যদি পিজিটিভ দৃষ্টিতে দেখা হয় তাহলে এখন থাকে আমি শুধু বাঙলাদেশের জন্য না সারা পৃথিবীর জন্যেই চিন্তিত হয়ে পড়লাম। বাঙলাদেশের বড় একাদেমিশিয়ানরা কোথায় পড়ায়? ধারনা করে নেয়া যায়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। সেরকম একটাতে পড়ার দূর্ভাগ্য আমার হয়েছে। আমার বেশ ভালোই ধারনা আছে তারা কোন মানের। সুতরাং পরের মুখে আমাকে ঝোল খেতে হচ্ছে না। আপনিও একটু খোজ নিয়ে দেখুন পরের মুখে ঝাল না খেয়ে। আপনিও বুঝবেন।
এত ভালো একাডেমিশিয়ান আমাদের থাকতে বাঙলাদেশের অর্জনটা একটু দেখান? কোন গবেষনাখাতে আমরা উন্নত হতে পেরেছি? একটাতে পেরেছি, সেটা হল, চাটুকারিতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডীন, আমাদের ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানও ছিল একসময়, এক জনসভায় বল একদিন, বাঙলার আকাশ বাতাস আজ তারেক রহমানের নাম শুনতে চায়।
আরেকজন একাদিমিশিয়ানের কথা বলি, আপনার রুচিতে বাধবে শুনলে, আমাদের ক্লাশের এক মেয়েকে বলছে, “তোমার কানের ছিদ্র এত ছোট কেন? সব ছিদ্রই কি ছোট নাকি? সব ছিদ্র ছোট হইলে তো সমস্যা।”
আপনার বিশ্বাস হয়? হবার কথা না যদিও কারন আপনার মাথায় ঘুড়ছে “পজিটিভ দৃষ্টিতে দেখা একাডিমিশিয়ান” নামক মহাকাব্য।
ও আরেকটা ব্যাপার বলা হয় নি। এই মহামান্য একাডিমিশিয়ান বাঙলা একাডেমির পুরষ্কার প্রাপ্ত। 🙂
আমাকে মোটেই আপনার বিরুদ্ধের পক্ষ ধরে নেবেন না। বাঙলাদেশের প্রত্যেকটা পরাজয়ে আমারও বুকটা পুড়ে ওঠে। যার জন্যেই চিল্লিয়ে গলার রগ মোটা করে ফেলছি। আশাবাদী হওয়া হয়ত ভালো। কিন্তু বেশী আশাবাদী হয়ে গেলে মানুষ মেরুদন্ড শুণ্য হয়ে পরে। সেটাই আমি চাইছি না।
ধন্যবাদ। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
ভুলটা আমারই, আপনি তো সরাসরি পরিষ্কার ভাষায় জবাব দিয়ে দিয়েছেন (এমনকি আমাকে দেশের বাইরেই চালান করে দিয়েছেন); তবু এবারও বিতর্কের লোভটা সামলাতে পারলাম না বলে দুঃখিত। বিতর্ক করেও অনেক কিছু শেখা যায় যখন, তখন এই লোভ করাটা খুব একটা মন্দ নয়, কি বলেন?
লাভালাভের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেশকে ভালবাসতে হয়, এই জিনিসটা আগে জানতাম না। এবার শেখা হল!
তারপরও কিন্তু আপনি লোকমাটা দেয়া বন্ধ করেন না; কারণ আমাদের বেঁচে থাকতে হয়! তারপরও আমরা দেশের কথা ভাবি, মানুষের কথা ভাবি। এবং এই ভাবারও একটা মূল্য আছে। আমরা এই শীতে সামান্য হলেও কিছু শীতের পোশাক বিতরণের চেষ্টা করি, বন্যা-ঝড়ে আক্রান্তদের জন্য ক্ষুদ্র কিছু সহায়তা করি। এখন আপনি যদি বলেন, কই, আপনার এই সাহায্যের পরেও তো রাস্তায় গরীব মানুষের অভাব ঘটছে না, তাহলে আমি সত্যি অপারগ!
১৯৪৭, ১৯৫২, ১৯৭১ হুট করে আসে না, এর জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস থাকে- এ কথায় দ্ব্যর্থবোধকতা রয়েছে? শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে মানুষ দেশভাগের রায় দিয়েছিল? আমরা আমাদের চিকন মাথা দিয়েই যদি সামান্য ইতিহাস ঘাটি, তাহলে দেখতে পাব, আজকের বাংলাদেশের যে মানুষেরা তখন খুব করে দেশভাগ চাইছিল, তারা প্রায় প্রত্যেকেই শুধুমাত্র ধর্মিয় পরিচয়ের কারণে তৎকালীন জমিদারদের নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিল। সামাজিকভাবে, শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে পড়েছিল ভয়ানক-ভাবে। এমতাবস্থায় অসহায় পূর্ববঙ্গবাসী দেশভাগকে বাঁচার উপায় মনে করেছিল। কিন্তু আসলে যে খাল কেটে কুমির আনছে, অশিক্ষিত চাষা-ভুষা মানুষগুলো তা সত্যি বুঝতে পারেনি! এবং এ জন্য ওদের তো ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে, তাই না?
ভিতরে ভিতরে রণ প্রস্তুতি চলছিল, আর বাইরে ইয়াহিয়া-ভুট্রোর সাথে মিটিং করে বহির্বিশ্বের কাছে এমন ধারণা দেয়ার চেষ্টা ছিল যে, বাঙালিকে যুদ্ধে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে এটুকু দরকারই ছিল; এই কৌশলটুকু আপনার কাছে পরিষ্কার না হলে, সত্যি করার কিছু নেই। শুধু একটা জিনিস বলে রাখি, জাতিসংঘে একবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সোভিয়েতের ভেটোর মুখে নাকচ হয়ে গিয়েছিল!
আমি বলেছিলাম, মানুষের ভোট একটা সামগ্রিক সিদ্ধান্ত, যা কোন একটি ইস্যুর উপর নির্ভর করে হয় না। আগামীতে মানুষ যদি বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় বসায়, তার মনে এই না যে, তারা বিএনপির জামাত-প্রীতিতে গদগদ! আর ১৯৭১ সনে বাংলাদেশে যে সংখ্যক রাজাকার/পাকিস্তান প্রেমিক ছিল, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রায় দুই দশকের ধারাবাহিক পাকিস্তান-কেন্দ্রিক রাজনৈতিক আবাদে তার সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি নানা উছিলায় ১৯৭১ এর দগদগে ঘাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।
টাকার বিনিময়ে শ্রম বিক্রি করলেই মহত্বে ঘাটতি পড়ে যায়? সত্যি কত কিছুই যে জানতাম না! পৃথিবীর অনেক বড় বড় শিল্পীই অর্থের সন্মানির বিনিময়ে কি করে যে অনেক মহৎ শিল্পকর্ম করেছে, তা সত্যি মাথায় ঢুকছে না!
সবকিছু নিয়েই যে এত অবলীলায় ‘সাধারণীকরণ’ করা যায়, তা আগে জানা ছিল না! বড় বড় সন্ত্রাসী নোবেল পেয়েছে, তাতেই অন্য সবার নোবেল অবৈধ হয়ে গেছে? আর সন্ত্রাসীর সংজ্ঞাই পুরো ফিক্সড হয়ে গেছে পৃথিবীতে? আরাফাতকে সন্ত্রাসী বলে ইহুদিরা, আর রবিন-পেরেজকে বলে মুসলিমরা; তাহলে? ইউনুস অর্থনীতির মৌলিক তত্ব আবিষ্কার করেননি, বরং একখানা জানা তত্ব বাস্তবে প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন কিভাবে যাদের কিছুই নেই তাদের বিশ্বাস করে ঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী করে তোলা যায়; আর এই কাজটার সাথে শান্তি স্থাপনের একটা প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে বলেই অনেকের ধারনা! তাছাড়া, ভৃত্যকে খুশি করতে ‘ফেলনা’ আর ‘খেলনা’ টাইপের একটা নোবেল যোগাড় করা কি খুব কঠিন, অন্তত আমেরিকার জন্য? ইউনুসই বা কি মোক্ষম জাদু বলে ভৃত্য না হয়ে বন্ধু হয়ে গেল, তাও জানতে মঞ্চায়!
সবাই তো আর খুব বেশি বোঝার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় না; কি করা বলেন? আপনি উইকি থেকে কোট করেছেন; আর আমি না হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ‘ডেভলেপমেন্ট ইকোনোমিক্সের বই থেক সামান্য কোট করছিঃ
”..if the poverty line is set at U. S. $300.00, if makes a big difference whether most of the absolute poor earn $280 or $200 per year. Both are accorded the same weight when calculating the proportion of the population that lies below the poverty line. …….Some economists therefore attempt to calculate a poverty gap that measures the total amount of income necessary to raise everyone who is below the poverty line up to that line.” (Michael P. Todaro, Economic Development)
জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ তারিখের সেমিনারে আয়-বৈষম্য কমার কথা বলা হয়েছে, যদি আপনি নাও বিশ্বাস করেন, তাহলে বেসরকারী সংস্থা উন্নয়ন অন্বেষনের ২৯ তারিখের রিপোর্ট গোনায় নিতে পারেন। তারা বলেছে, ২০০৫-২০১০ সালে poverty gap ৫.৫৬% কমেছে। তারা এও বলেছে, ২০১৩ সনের মধ্যে দারিদ্র্য হার ২৭.৫০% এবং ২০২১ সনে ১৭% এ নেমে আসবে এমনকি সম্ভাব্য প্রতিকুল পরিস্থিতি বিরাজ করলেও।
ছড়ি ঘোরাতে পারলেই বীর হয়ে যায় বুঝি? আমার কাছে তো ভাই, বাংলাদেশের খেঁটে খাওয়া কৃষকই সত্যিকারের বীর যারা অন্যের জিনিস লুট না করেই ন্যুনতম সুযোগের সদ্ব্যবহার করে, বাংলাদেশকে খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে!
পানি কিনে খেতে পারার মত প্রাচুর্য কয়টি দেশের আছে বলেন?
তাহলে বাপেক্সের প্রধানকেই বলুন না, এই গ্যাস উত্তোলনের দায়িত্বটা নিতে! সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম তামিম তো ভাল করেই দেখিয়েছেন, বাপেক্সের উপর নির্ভর করাটা কত বড় বোকামী।
আমি বলছিলাম, আমেরিকার বড় কোম্পানি ‘গ্যাস নাই’ এমন মিথ্যা গল্প যদি না শোনাত, তা হলেই তো তারা পেত বৃহদাংশের দখল এবং কিছু ক্ষুদ্রাংশ আমাদের নেতা-আমলাদের পকেটেও যেত। তবু তারা ‘গ্যাস নাই’ বলছে কেন? আপনার কি মনে হয়?
ভাই, আমি মর্তেই আছি, কিন্তু অনেকেই দেখছি, এক চুল নড়তে চাইছে না অতীত থেকে! বন্যার সময় টিন-গম চুরি হয় বলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের গল্প মিথ্যা হয়ে গেল? তাছাড়া, ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের কারণে মায়ানমারে যেখানে লক্ষ লক্ষ লোক মারা গেছে, সেখানে তার সামান্য আগে ঘটা ঘূর্ণিঝড় সিডর বেশি মাত্রা নিয়ে আঘাত হেনেও মৃতের সংখ্যা দুই হাজার অতিক্রম করতে পারল না কেন, তা কিছুতেই বুঝতে পারছি না। আপনি যদি বুঝিয়ে দেন, ভাল হয়!
জাতিসংঘ অনেক সময়ই বৃহৎ শক্তিগুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সত্যি, তাই বলে কফি আনান/বান কি মুনের মত ভাল লোকের অস্তিত্ব থাকতে পারে না? জাতি সংঘের কোন অর্জনই নেই? ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, হু, ফাও- এগুলো সবগুলোই এক একটি ক্লাউন? এই তো সেদিন মামুন রশিদ একটা লেখাতে দেখিয়েছেন, বাংলাদেশের সামাজিক খাতের উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের কত অবদান রয়েছে! যদিও তাদের কাজের অনেক সমালোচনা রয়েছে (এবং কাজ করলে ভুল আর সমালোচনা হবেই), তবু তাদের অবদানগুলোকে একেবারেই কি অস্বীকার করা যায়?
ঐ মানুষগুলোর আগে রেডিও ছিল না, এখন আছে, এবং আশা করা যায় একদিন টিভিও থাকবে!
আমাদের কিছু ছিল না, কিন্তু আমরা এগুচ্ছি – এটাকে আপনি সোনা না বলেন, রূপা না বলেন, ব্রোঞ্জ তো অন্তত বলেন!
আপনি মনে হয় এখানে বুঝতে ভুল করেছেন। আমি লিখেছিলাম, অন্যান্য দেশের একাডেমিশিয়ানরা আমাদের দেশের সম্পর্কে এখন অনেক ইতিবাচক ধারনা পোষন করে।
তারপরও এই মানের শিক্ষকদের হাত ধরেই তো কত বাংলাদেশী পৃথিবীর নানা দেশে ফাটাফাটি ধরনের সাফল্য পেয়েছে, কি বলেন?
মাইক্রো ফিনান্স, আইসিডিআরবি, পাটের জিনোম রহস্য উন্মোচন- একটা ছোট দারিদ্রপীড়িত, উপনিবেশ তাড়িত, ঘন বসতিপূর্ন দেশের উপর আর কত অর্জনের ভার আমরা চাপিয়ে দেব?
এই লাইনটিতে এসে মনে হল, শুধুই আপনার সাথে তর্ক করছি! আপনার-আমার সবারই এ দেশের জন্য পুড়ে। তবু আমাদের অতটা হতাশ হলে কি চলবে? আমাদের দেশকে তো আমাদেরই গড়ে তুলতে হবে। আর এ জন্য সব হতাশা ঝেড়ে আশার মশাল হাতে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, তাই না? ভাল থাকবেন।
@কাজি মামুন,
দেশকে ভালোবেসে যদি দেশের কোন লাভই না হল, ভাই আপনি ঐটাকে দেশপ্রেম বললেও আমার কাছে ঐটাকে মনে হবে “বাইগুন”। যাই হউক, মতের পার্থক্য। আলোচনার কিছু নাই।
আমাকে বুঝিয়ে বলেন এই ভাবার কী মূল্য আছে! আমি তো এটাই বুঝতেছি না। কাজে রূপান্তরিত হবার আগে চিন্তার কী মূল্য আমি ঐটাই বুঝতেছি না।
আপনি অপারগ হলেই যে আপনার আমার উপরে আমাদের উত্তর পুরুষ অভিযোগ করবে না সেটা ভাবলেন কেন? আকাশ মালিক ভাইকে বহু আগেই বলেছিলাম এই কথা, আপনার না কার কথায় সমর্থন দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারে নি। আপনি আমি যদি বলি আমাদের ছেলে পানদের আমরা চিন্তা করে করে রাত পার করেছি। ছেলে তখন আপনার মুখে ঝামা ঘসে দিলে কিছু করতে পারবেন?
পূর্ব পুরুষকে তার দোষের জন্য উত্তর পুরুষ কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেই। এখন প্রশ্ন হল আপনি কাদের দাঁড় করাবেন। দেখুন, চাষা ভুষাদের কোন কোন প্রভাব নাই এখানে। যারা করছে তারা হইল বাঙালি অক্ষরজ্ঞ্যান সম্পন্ন মুসলমানেরা। সুতরাং তাদের ইতিহাসের কাঠগড়ার অবশ্যই দাঁড়াতে হবে।
জামাত প্রীতিতে গদগদ না হলেকও জামাত-বিএনপির পা চাটার মতন কুত্তা আছে সেটা তো মানেন?
এবং এটাও আপনাকে মানতে হবে যে জামাত, বিএনপি, আওয়ামি লিগের মতন শুকরদেরকে সরিয়ে নতুন কোন রাজনৈতিক দিক উন্মোচিত হয় নি? এবং সে জন্য যদি কেউ আমাদের মানে বাঙালিদের দোষ দেয় তাহলে আপনি কী বলবেন?
এটাই তো মানতে পারলাম না। বীরের ভীড়ে গিজগিজ করা দেশে যদি এইগুলো হয় তাহলে ভাই আপনি কিভাবে যে আশার সাগরে এভাবে সাতার কাটছেন বুঝলাম না। 🙁
শুধু শিল্পীরা সৃষ্টি করে। আর মিলিটারি শিল্পীরা ধ্বংস করে। মিলিটারীরা চাকরী করে ধ্বংস করার জন্যে। আর শিল্পী জীবন উৎসর্গ করে নান্দনিকতা সৃষ্টি করার জন্য। আমাকে একজন আর্মির জেনারেলকে দেখান যে কিনা অর্থকষ্টে দিন যাপন করেছে ক্লাবে যেয়ে বেলাল্লাপনা করা ছাড়া। আমি আপনাকে অসংখ্য মহৎ শিল্পীর নাম বলতে পারব যে কিনা অর্থের মুখ দেখতেই পায় নি। ভ্যন গগ জীবদ্দশাতে বসে তার কোন চিত্রকর্মের মূল্যায়ন পায় নি জানেন? আর মইন উ আহম্মেদ, দুই বছরের জন্য দেশটাকে জিম্মি করে রেখেও এখন কী করে জানেন তো?
আমি সত্যি বলছি, আমি হতাশ আপনার তুলনা করার ক্ষমতা দেখে। আর্মি আর শিল্পী!!!!! 🙁
সম্পূর্ণ ছয় লাইন লিখলেন। কিন্তু আমার কথাটার জবাব দিলেন না। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, ঐসব সন্ত্রাসীরা যদি শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পায় তাহলে সেটাও কি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যেই পেয়েছিল? যেমন উদাহরন দিয়েই বলি, বারাক ওবামা পেয়েছে। উনি দুনিয়াতে কোন শান্তির রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছে?
আর ইউনুসের ব্যাপারে কী বললেন আমি বুঝলামই না। অর্থনীতির সাথে শান্তির কি আছে বুঝলাম না। উনি পেয়েছেন প্রাইজ শান্তিতে আর কাজ করেছেন অর্থনীতি নিয়ে। অর্থনীতি নিয়ে কাজ করলে সে শান্তিতে কেন পাবে?
ইউনুস, ক্লিন্টন, এঞ্জেলা মার্কেলের ঘনিষ্ট বন্ধু। যাই হোক এগুলো আপনাকে বলে কোন লাভ হবে না বুঝতে পারছি। 🙂
আপনি আপনার তথ্য উল্লেখ করেছেন আমি আমার। পাঠকই ঠিক করুক কোনটা গ্রহন করবে।
আর আপনি কিন্তু কোথাও আমার পরিসংখ্যানকে ডিনাই করেন নি। এবং ডিনাই করে দেখান নি এখন বর্তমানে আসলে কত ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে। পর্যাপ্ত তথ্য প্রমান না থাকলেও কারা যেন Tal gach is mine বলে চেচামেচি করে?
তাহলে অনুরোধ করব পাঠ্য পুস্তক ঘেটে বীরের আসল সংজ্ঞাটা জেনে নিতে। পরে পরে মার খেয়েই যদি বীর হত তাহলে মিলন, নূর হোসেনকে বীর বলেন কোন যুক্তিতে?
আর আমি কি ভুল দেখলাম, বাঙলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ????? আপনিই সম্ভব একমাত্র জ্ঞ্যানী যে এই তথ্য জানে।
না না। একথা বলে চলে গেলে তো হবে না। আমাদের কথা হচ্ছিল এমন একটা দেশ দেখান যেখানে সীমহীন প্রতুলতা আছে। প্রতুলা বলতে আপনি কী টাকাকেই বোঝাচ্ছেন? টাকা কি বাঙলাদেশে নাই? তার মানেই বাঙলাদেশ প্রতুল? ৪০ ৫০ এর দশকে সৌদীরা ইন্ডিয়াতে আসত কাজ করতে। সম্পদের প্রাচুর্যতা আছে পৃথিবীতে, কোন একক দেশে নয়। সেই সীমিত সম্পদ নিয়ে উন্নতির এগিয়ে যেতে আলাদিনের চ্যরাগ লাগে না।
বাপেক্সের উপরে নির্ভর করাটা বোকামী নয়, বোকামী হল আপনার মত ধরে নেওয়া যে বাপেক্স ইচ্ছে করলেই সব কিছু করতে পারে। বাপেক্স সরকারী প্রতিষ্ঠান। সরকারের অনুমোদন ব্যাতিত বাপেক্স কিছুই করতে পারে না। বরঞ্চ বাপেক্সের হাতে সমস্ত কাজ তুলে দেবার জন্যেই বাঙলাদেশ তেল গ্যস রক্ষা কমিটি আন্দোলন করে যাচ্ছে।
আপনার চিন্তা ক্ষমতা কৈশোরের গন্ডি পেরোয়নি দেখছি। যেখানে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে না সরকারের টুপাইস ইনকামের জন্য সেখান সরকার কেন বলবে এত বেশী গ্যাস আমাদের মজুদ আছে? তার থেকে কি কম বলে বেশী উৎপাদনই বেশী লাভজনক নয়?
বেশী আশাবাদী হলে মানুষের মেরুদন্ডে ক্ষয়রোগ ধরে, এখন দেখছি আশা বাঁচিয়ে রাখতে অসত্য প্রলাপ ব্যাবহার করা হয়। ঘূর্ণিঝড় সিডরে মৃতের সংখ্যা দুহাজার অতিক্রম করে নি???? আপনি নিশ্চিত? বাঙলাদেশ ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী পূনর্বাসন কাজে অসাধারন সাফল্য অর্জন করেছে???? আপনি নিশ্চিত?
তাহলে আপনাকে কিছু তথ্য দেই। শুনুনঃ
আক্রমের ৪র্থ দিনেই মৃতের সংখ্যা ছিল সরকারী তথ্যমতে ২৬০৮জন। বেসরকারী মতে ছিল ১০ হাজারের বেশী। পূর্ণ তথ্য মতে(সরকারী) সিডর আক্রমনে মৃতের সংখ্যা ৩৩৪৭ জন। কিন্তু রেডক্রসের মতে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার অতিক্রম করেছে। (সরকারী হিসেব নিবেন নাকি রেড ক্রসের সেটা আপনার ব্যাপার)
আপনার সাফল্যের কীর্তি দেখতে একটু দয়া করে এখানে ক্লিক করুনঃ
সিডরের ৪ বছর: উপকূলবাসীর কান্না থামেনি আজও
কেউ কথা রাখেনি (সমকাল)
সিডরের ৪ বছর
স্বজন-সম্পদ হারিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন (সমকাল)
দূর্ধর্ষ সাফল্য। কী বলেন?
আমি তো মাত্র কয়েকটা লিঙ্ক দিলাম। এমন অনেক অনেক লেখা পাবেন এ নিয়ে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এই চিন্তা একটু ডীপ ফ্রীজে রেখে নেট ঘেটে দেখুন। বাঙলাদেশ আসলে আচ্ছে কোথায়!
জাতিসংঘ, বিশ্ব ব্যংকের ভালো কাজ নিয়ে যারা উৎফুল্য তাদের সাথে নিরপেক্ষ আলোচনা করা সম্ভব নয়।
জ্বী, আশা করেন। তো এমন আর কতগুলো ৪০ বছর তার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে একটু যদি জানিয়ে দিতেন তাহলে ভালো হত না?
আমি তো বলেই দিয়েছি আগে। আবর্জনা। কেন তাও বললাম। কিন্তু আপনি তো বলেন না কেন। এগুচ্ছি সেজন্যেই সোনা। তাওতো কথা। আগে যেখানে রেডিও ছিলনা, এখন রেডিও আছে!!!!এইটা তো আর ফাযলামো নাকি । রেডীওতে গান শুনতে পারা কি চাট্টি খানি কথা নাকি?
তাহলে আমি এখন ঐসব একাডেমিশিয়ানদের নিয়ে চিন্তিত। :-s :-s
জ্বী। ফি বছর সাইন্স, টেকনোলোজি, সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছি তো আমরা বাঙালিরাই।
যেখানে আপনার দেয়া তথ্য মতে আর কয়েক বছরের মধ্যেই বাঙলাদেশ দারিদ্রতাকে জয় করবে সেখানে সাফল্য বলতে এই?!?!?!?! দুঃখজনক। আপনার আগের বলা কথার সাথে তো এখন, “একটা ছোট দারিদ্রপীড়িত, উপনিবেশ তাড়িত, ঘন বসতিপূর্ন দেশে”র কোন মিল পাচ্ছি না ভাই।
আমি একটা প্রশ্ন অনেকবার করার পরেও আপনি কিন্তু উত্তরটা দেন নি। আপনি দেশেই থাকেন নাকি বাইরে? কারন হল বাইরে বসে দেশের সম্পর্কে অনেক অনেক ভালো কথা মনে হয়। দেশে বসে এত আশা কিভাবে আসে আমি বুঝতে অক্ষম।
@সাইফুল ইসলাম,
কে বলল, লাভ হয়নি? এত বছর পরেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে নতুন প্রজন্ম মরিয়া হয়ে উঠল কেন? কি মনে হয় আপনার? তাছাড়া, এই বাইগুন দিয়েই কিন্তু বাংলাদেশ আজ বিশ্বের প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশ! কিন্তু আপনি কি আশা করছিলেন? বাংলাদেশকে আপনি ইউরোপ/আমেরিকার কাতারে দেখবেন?
বলছিলাম যে, আমরা ব্যক্তিবিশেষ হয়ত বেশী কিছু করতে পারি না দেশের জন্য; কিন্তু আমাদের সামান্য চিন্তা-সামান্য কর্ম দেশের বৃহৎ স্রোতে কিছু বেগ যোগ করে বইকি! বিন্দু বিন্দু জল দিয়ে যে সিন্ধু হয়, এই অতি সাধারণ কথাটা আপনি কেন বুঝতেছেন না, আমি তো সেটাই বুঝতে পারছি না!
আজব! কাজে রূপান্তরিত হওয়ার আগে চিন্তা করবে না তো, কাজে রূপান্তরিত হওয়ার পর করবে? ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিয়া না- এই প্রবাদ আপনাকে মনে করিয়ে দিতে হবে, তা ভাবিনি!
ছেলে ঝামা ঘষবে কেন, যখন সে জানবে তার পিতা উত্তরাধিকার সূত্রে যে দেশ পেয়েছিল, তার চেয়ে অনেক উন্নত দেশে সে জন্মেছে?
আমি যে বিষয়টির ইঙ্গিত দিয়েছিলাম, আপনি তা পুরো চেপে গেলেন? ঠিক, বাঙালি অক্ষর-জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমানেরা দেশ-ভাগের মত বড় সিদ্ধান্তে জড়িত ছিল, যেমনটা সবসময় হয়ে থাকে; কিন্তু তাদের সঙ্গে গ্রামের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কৃষকদের ব্যাপক সমর্থন ছিল। এই কৃষকেরা তৎকালীন জমিদারদের হাতে ব্যাপকভাবে অপমানিত, নির্যাতিত ও নিগৃহীত ছিল! সামান্য ইতিহাস চর্চা করলেই এসব জানতে পারতেন। আপনি আবার বলে বসতে পারেন, এর সাথে পাকিস্তান চাওয়ার সম্পর্ক কি? বা পাকিস্তান সৃষ্টির ফলেই কি অত্যাচার বন্ধ হয়েছে? আপনার জন্য তাই আগেই বলে রাখছি, এই অসহায় মানুষগুলো বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অন্য ধর্মের জমিদারদের হাতে অত্যাচারিত হত বলে, তাদের মনে হয়েছিল যে ধর্মের কারণেই তাদের এই দশা (তারা সামন্ততন্ত্রের চিরন্তন চরিত্রটা ধরতে পারেনি এবং ধরতে পারার কথাও নয় !)। তাই তারা পাকিস্তানে আশ্রয় খুঁজছিল, যা ছিল চরম ভুল আর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যার মাসুল গুণতে হয়েছিল!
এমন কুত্তা তো আছে (এমনকি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তানকে সমর্থন করা কুত্তাও আছে); কিন্তু আমি তো বারবার বলছি যে, পঁচাত্তর থেকে যে পরিমাণ পাকি-ভাবধারার আবাদ হয়েছে, তাতে এমন অনেক প্রাণী আপনি দেখবেন না, তা কি করে হয়?
যেখানে নতুন প্রজন্মকে দেখি, মুক্তিযুদ্ধ না দেখেও এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রে বাস করেও নিজের বিবেক হারায়নি, বরং রাজাকারদের বিচারের জন্য সবচেয়ে বড় সামাজিক আন্দোলনটা তারাই গড়ে তুলেছে, তখন আশার সাগরে সাঁতার কাটব না তো আপনার মত নিরাশার সাগরে ডুবে মরব?
আর আমি হতাশ হচ্ছি, আপনার ভুল বোঝার (বা ইচ্ছাকৃত বিকৃত করার) ক্ষমতা দেখে! টাকার বিনিময়ে সৎভাবে নিজের দৈহিক বা মানসিক শ্রম বিক্রি করে যে জীবন-যাপন করতে পারে তার মত মহৎ আছে পৃথিবীতে? সবাই তো বিরাট অর্থ-সম্পদের পাহাড় নিয়ে জন্মায় না, যে তা দান করে মহৎ হয়ে যাবে? আমি বলতে চেয়েছিলাম, এমনকি শিল্পী (যারা মহত্বের মাপকাঠিতে শীর্ষে অবস্থান করেন), তারাও শ্রম বিক্রি করেন অর্থের বিনিময়ে; সে আপনি চিত্রশিল্পী বলেন, অভিনয় শিল্পী বলেন, সংগীত শিল্পী বলেন বা কথাশিল্পীই বলেন, সবার ক্ষেত্রেই এটা সত্য। অবশ্য আপনি জেতার জন্য ব্যতিক্রম যে খুঁজে বের করতে পারবেন না, তা নয়।
কি করব বলুন ভাই, অনেকের মত নামজাদা ব্লগার হয়ে উঠতে পারিনি তো; তাই একটু বেশী লাইনই লিখে ফেলি। নতুন হিসাবে ক্ষমা করে দেবেন না হয়!
কথার জবাব যদি আপনি সুবিধা-মত এড়িয়ে যান, তা হলে কি করা? আবারও বলছি, সন্ত্রাসীর সংজ্ঞা আপনি কিভাবে নির্ধারণ করবেন? আরাফাত, রবিন, পেরেজ একই বছরে নোবেল পেলেন; কিন্তু আরাফাতকে সন্ত্রাসী বলে তার নোবেল প্রাপ্তির প্রচন্ড সমালোচনা করল ইসরায়েল-পন্থিরা; অন্যদিকে রবিনের সমালোচনায় মেতে উঠল মুসলিমরা!
সাংঘাতিক গভীর একটা প্রশ্ন করেছেন বটে! আচ্ছা, বলুনতো ওয়াঙ্গারি মাথাই নোবেল পেয়েছিলেন কেন? উনি নাকি আফ্রিকায় সবুজ বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তো এই সবুজ বিপ্লবের সাথে শান্তির সম্পর্ক কি? অথবা বিশ্ব উষ্ণায়ন দূরীকরণে কাজ করে আল গোর নোবেল পেয়ে গেলেন কেন? এর সাথে সম্পর্ক আছে আবহাওয়ার, কিন্তু শান্তির সম্পর্ক কি? এ প্রজন্মের আদর্শ মুহম্মদ জাফর ইকবালকে প্রশ্ন করে দেখতে পারেন। শুনে দেখতে পারেন উনি কি উত্তর দেয়!
যে প্রশ্নটা আপনি এড়িয়ে গেছেন, তা হল, যেখানে হাসিনা ভৃত্যের বেশী মর্যাদা আদায় করতে পারেনি, সেখানে ইউনুস কি মন্ত্র বলে তেমন কোন অর্জন ছাড়াই বন্ধু হয়ে গেলেন? আর যেই নোবেল এত ছেলের হাতের মোয়া টাইপ জিনিস, সেইটা হাসিনাকে একখানা দিলে কি এমন ক্ষতি হয়ে যেত আমেরিকার?
আপনি যেভাবে আমাকে poverty line সম্পর্কে সবক দিলেন, বিশ্বাস করুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছ থেকেও এতটা শিখতে পারিনি! আপনি আমার বোঝার সুবিধার জন্য বোল্ড করা অংশটুকু বার বার পড়তে বলেছেন! তো আপনার ঐ অংশটুকু পড়ে যেটা বুঝলাম, তা হল আপনি Poverty Gap এর কথা বলেছেন। তার মানে, দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করা লোকদের হার দিয়ে সবসময় দারিদ্র্যের গভীরতা পুরোপুরি পরিমাপ করা যায় না, সে কথার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আমি আগেই বলেছিলাম, দারিদ্র্য হার কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩১ ভাগ! কিন্তু আপনার বোল্ড করা অংশ পড়ার পর বললাম, poverty gap ও কমেছে প্রায় ৬ ভাগ। এবং প্রয়োজনীয় রেফারেন্সও দিয়েছিলাম। দয়া করে আপনি সামান্য ডেভলেপমেন্ট ইকোনোমিক্স পড়ুন। আমি যে বইটা কোট করেছি, তাই পড়ুন না! বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সাবজেক্টটি যে আমাদের খুব প্রিয় হয়েছিল, তার পেছনে এই চমৎকার বইটিরও অবদান আছে।
বীরের আসল সংজ্ঞা আপনি দিন না! যে কৃষক হাড়-ভাঙ্গা খাটুনি খেটে সোনার ফসল ফলায়, তারা বীর না হলে কারা বীর, আপনি সত্যি জানতে চাই।
আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাছাড়া, এখানে আপনার আমার খাদ্যাভ্যাসকে গোনায় ধরলে হবে না। অর্থনীতিবিদরা এখানে সেই খাদ্যকে গোনায় ধরেন, যেই খাদ্যে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের চলে যায়! আপনি যদি মাংস, ডিম, আপেল, আঙ্গুর প্রভৃতি নিয়ে আসেন, তবে সত্যি করার কিছু নেই। আর আমাকে যদি জ্ঞানী বলেন, তো বাংলাদেশের বাঘা বাঘা বিশেষজ্ঞ জ্ঞানীদের কাছে কিছু জ্ঞান হয়ত ভুল করে মাথায় ঢুকে পড়েছে! কি আর করা!
তো এখন সৌদিতে ইন্ডিয়ার লোক দলে দলে কাজ করছে কোন জাদুবলে? কি মনে হয় আপনার? সৌদির উন্নতির কারণ কি? সৌদিদের মুক্তবুদ্ধি, পরিশ্রম, সৃজনশীলত, বীরত্ব- এসব?
উন্নতির পথেই এগুচ্ছি আর সীমিত সম্পদ বলেই হয়ত সামান্য ধীর গতিতে হচ্ছে, তবে সাস্টেইনেবল হচ্ছে! আর তাছাড়া, আপনার আগের কথাটার সাথে এ কথাটা বেমানান হয়ে যাচ্ছে না? আপনি একবার বলছেন, বাংলাদেশে টাকা আছে, কিন্তু বৈষম্যের কারণে উন্নতি হচ্ছে না; আর একবার বলছেন, সীমিত সম্পদ থাকার পরও তো উন্নতি করা যায়! আপনার কোন কথাটা নেব? তাছাড়া, আপনার অঙ্গুলি কার দিকে? সীমিত সম্পদ, অর্থনৈতিক বৈষম্য না বাংলাদেশের মানুষের অক্ষমতা?
প্রথম আলোতে এম তামিমের লেখাটা পড়েন; তাহলে জানতে পারবেন, বাপেক্সের হাতে সব কাজ তুলে দেয়াটা কতটা আহাম্মকি ও অবাস্তব চিন্তা-ভাবনা!
ভাই, আমি চিরদিনই মনে-প্রানে কিশোরই থাকতে চাই; অন্তত অনেকের মত তরুণ বয়সেই সত্তর বছরের বৃদ্ধের মত নৈরাশ্যের আঁধারে হাবুডুবু খেতে চাই না! 🙂
সরকার বলবে? তাহলে বড় বড় কোম্পানিগুলো সরকারকে টুপাইস কামানোর সুযোগ দেয়ার জন্য হাজার কোটি বিনিয়োগ করেও গ্যাস কুপগুলো পরিত্যক্ত ও অনুত্তোলনযোগ্য ঘোষণা দিয়ে চলে যাচ্ছে? আপনার সুদূরপ্রসারী চিন্তা করার ব্যাপক ক্ষমতায় আমি সত্যি স্তম্ভিত!
মানছি আমার ভুল হয়েছে; কিন্তু আপনি যে সংখ্যার বিবরণ দিতে গিয়ে আসল প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গেলেন! হউক না ২০,০০০.০০; কিন্তু কম ফোর্সের একটা ঝড় যে প্রায় একই সময়ে মায়ানমারে ৩ লাখেরও অধিক মানুষের নির্মম মৃত্যুর কারণ হল, তার ব্যাপারে কি বলবেন?
আপনি অন্তত এই সত্যটা স্বীকার করে নিন! নইলে বস্তুনিষ্ঠতা বলে আর কিছু থাকবে না! সিডরে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্গতি হয়েছে এবং ত্রাণ নিয়ে অনেক অনিয়ম হয়েছে, তার জন্য এত রেফারেন্স দরকার নেই; এইসব মেনেও বলা যায়, বাংলাদেশ এই দুর্যোগ প্রতিরোধে এখন সারা বিশ্বেই একটা রোল মডেল।
এটা কি ‘মুক্তমনা’র মত কথা হল? জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক ইত্যাদির কোন ভাল কাজ থাকতেই পারে না বলে যদি আপনি মনে করেন, তাহলে তো বলতে হবে আপনি জানালা বন্ধ করে রেখেছেন, যেমনটা রাখে মৌলবাদীরা!
রেগে গেলেন কেন, ঠিক বুঝলাম না!!! আপনি টিভির কথা বলছিলেন, আর আমি রেডিওর কথা বললাম। তাছাড়া, রেডিওতে গানের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ভাবাসও পাওয়া যায় কিন্তু! তাছাড়া, আমার মতে ৪০ বছর লাগবে না টিভি পৌঁছতে। এমনকি তারও আগে কিছু ঘরে ইন্টারনেটও পৌঁছে যেতে পারে!
আমি Todaro এর যে বইটির রেফারেন্স দিয়েছি, তা বেশ কয়েক বছরের পুরনো। কিন্তু সেই বইটিতেই দেখতে পাবেন, তাতে উনি বাংলাদেশকে নিয়ে কিভাবে কেস স্টাডি করেছেন! বাংলাদেশের গাধা-গর্দভ একাডেমিশিয়ানদের সম্পর্কে আপনার ধারণা বোঝা গেল; কিন্তু বাইরের একাডেমিশিয়ানরাও খারাপ হয়ে গেল? শুধুমাত্র আপনি যেমটা বিশ্বাস করেন, তেমনটা না বলার কারণে? তো সবচেয়ে ভাল হয়, আপনি নিজেই একাডেমিশিয়ানদের একটা কারখানা খুলে ফেললে; যেখানে আপনার বিশ্বাসে তাদের দীক্ষিত করতে পারবেন! 🙂
এই না আপনি নোবেলকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন! তো এখন তাকেই আবার সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি হিসাবে তুলে ধরলেন? নোবেল ছাড়া বিশ্বজুড়ে শক্ত অবস্থান করে নেয়া বাঙ্গালিদের সাফল্য মাপার আর কোন স্কেল নেই? তাছাড়া, ভারত কয়টা নোবেল পেয়েছে? বিশ্বজুড়ে ভারতীয় অভিবাসিদের সাফল্য কেমন? কি মনে হয়?
এখানে প্রধানত গবেষনাখাতের সাফল্যের কথা বলেছি আপনার প্রশ্নের সাথে মিল রেখে। আপনি সাফল্যের কথা আদৌ শুনতে চান? সাফল্যের কথা বলা একাডেমিশিয়ান পর্যন্ত আপনার পছন্দ নয়। যারা এসব বলে তাদের আপনি ভিনদেশী বানাতেও সময় নেন না। আমাদের সীমাহীণ ব্যর্থতা আছে মানছি; তাই বলে আমাদের সাফল্যগুলোকে চেপে যাব?
উত্তর দিয়ে কি লাভ বলুন? আমি যদি বলি আমি দেশেই থাকি তবু তো আপনি বিশ্বাস করবেন না! দেশে থাকার বাই ডিফল্ট শর্ত হিসাবে যখন দেশের ক্ষতগুলিকে জোর করে দেখতেই হবে সাফল্যের গল্পগুলোকে একপাশে সরিয়ে রেখে (অন্তত আপনার মতে), তখন বিদেশে থাকাই তো নিরাপদ কি বলেন? 🙂
@কাজি মামুন,
(Y) চমৎকার বলছেন, আর বলার কিছু থাকেনা। লেখাটায় আদ্যোপান্থ আবেগের রসের প্লাবনে অষ্পষ্ট বিভ্রান্ত ঝাপসা হয়ে গেছে স্বাধীনতার সংজ্ঞা, তাই ফুটে উঠেনি মূল থিমটা যেভাবে হওয়ার ছিল।
@আকাশ মালিক,
মালিক ভাই, ৪০ বছর ধরে আপন
@সাইফুল ইসলাম,
মন্তব্যটা আসে নি তখন খেয়ালই করি নি।
আবার করি, মালিক ভাই, ৪০ বছর যাবত আপনারা মানে আমাদের আগের জেনারেশনটা অনেক ভালোবাসা তো দেখালেন, কিন্তু কাজের কাজটা কী হল বলতে পারেন। আমরা ছোটরা যদি এখন আমাদের একটা সুস্থ দেশ আমাদের উপহার দিতে না পারার জন্যে আপনাদের দোষ দেই তাহলে কেমন হয়? 🙂
আমার কথা হল, ভালো বাসা তো অনেক দেখালাম বুক ভরে। এবার একটু কাজ করি। দেখি কাজ করেও ভালবাসা দেখানো যায় কিনা। 🙂
@কাজি মামুন, আপনার লিখার কিছু অংশের সাথে আমি চরমভাবে দ্বিমত পোষণ করছি। মনে হয় আপনি এসি রুমে বসে লিখেছেন। বাস্তবতার সাথে আপনার সম্পর্ক খুব কম বলে মনে হচ্ছে।
এক,
আপনি লিখেছেন
“আমরা তো জানি, বাংলাদেশের দারিদ্র ব্যাপক হারে কমেছে। সাম্প্রতিক সময়ের জরিপগুলো তো তাই বলছে! এমনকি আয় বৈষম্যও কমার ইঙ্গিত রয়েছে।”
কোন জরিপ প্রমান করে যে বাংলাদেশের দারিদ্র ব্যাপক হারে কমছে? আপনি নিজেও কিন্তু উৎস উল্লেখ করেন নি? আমি নিজেও কোন উৎস না দিয়ে বলতে পারি যে সরকার বলছে বর্তমান বাংলাদেশের দারিদ্রের হার ৪১ ভাগ আর বিশ্বব্যাংক বলছে ৪৯ ভাগ যা কিছুদিন আগে আমি পত্রিকাই দেখেছিলাম। কার কথা বিশ্বাস করবেন আপনি বিশ্বব্যাংক নাকি সরকারের? সরকারের টা যদি বিশ্বাস করেন তাহলে তো দেশে কোন দুর্নীতি নেই!! আপনি বলছেন আয় বৈষম্য কমার ইঙ্গিত রয়েছে। আয় বৈষম্য কমার
কোন তথ্য সুত্র দিতে পারেন আপনি? বরং ২০০৫ সালের পর হতে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাপকভাবে কমিয়েছে। নিম্নমধ্যবিত্তকে দারিদ্রের কাতারে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে বর্তমানে বাংলাদেশে খাদ্য পণ্য ও খাদ্য পণ্য বহির্ভূত উভয়ই মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিট অতিক্রম করেছে। যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বচ্চ। ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি ধনীদের আয় বৃদ্ধি করে ব্যাপক ভাবে আয় বৈষম্য বাড়াচ্ছে। আমাদের মহামান্য বাণিজ্যমন্ত্রীগণ তো বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে খালাস। কিছুদিন আগেও সদ্য বিদায়ী বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক সাহেব বললেন যে বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য অন্যোন্য দেশের তুলনাই কম!! আরে ব্যাটা , অন্যোন্য দেশের তুলনাই আমাদের দেশের মানুষের মাথাপছু আয় ও যে কম এটা সবাই বুঝলেও ওই লেফটেন্যান্ট কর্নেল ব্যাটা বুঝেন নাই!!
দুই , আপনি লিখেছেন “শিক্ষা, শিশু মৃত্যু হার হ্রাস, সামাজিক নিরাপত্তা, আইটি প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীজুড়েই ‘ডেভলেপমেণ্ট ইকোনিমক্সের’ এক আলোচিত বিষয়। ”
গ্লাসে পানি রয়েছে চার ভাগের এক ভাগ। আপনি বললেন গ্লাসটির চারভাগের একভাগ পূর্ণ । আমি বললাম গ্লাসটির চারভাগের তিনভাগ শুন্য। কোনটি ঠিক? চারিদিকে পাহার সমান ব্যর্থতা নিয়ে শিক্ষা, শিশু মৃত্যু হার হ্রাস, সামাজিক নিরাপত্তা, আইটি খাতে কিঞ্চিৎ সফলতায় আপনি চরম পুলকিত!! ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার অ্যানালগের দিকে এগুচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বেশ কবছর আগে থেকেই থ্রী জি নেটওয়ার্ক চালু থাকলেও বাংলাদেশের দেশপ্রেমিকগন ঠুঠো জগন্নাথ টেলিটক কে দায়িত্ব দিয়েছেন থ্রী জি নেটওয়ার্ক চালুর।যাতে দেশবাসী আর কিছুদিন বঞ্চিত থাকে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা হতে। ভালোই ফখরুদ্দিন এসেছিলো অন্যথাই ওআইমাক্স টারও দেখা পেতনা শহরবাসী । এভাবেই দেশ আইটি খাতে এগিয়ে যাচ্ছে? না!!
তিন,
শিক্ষা খাতের উন্নয়ন কোথাই পেলেন আপনি।? প্রাথমিক সমাপনি ।আর অষ্টম সমাপনি পরীক্ষা নিলেই দেশ শিক্ষাই সফল হয়ে গেল? বাংলাদেশের ৪৯ টি সরকারী পলিটেকনিক সহ অসংখ্য সরকারী ও বেসরকারি কলেজের সীমাহীন শিক্ষক সঙ্কট, এম পি ও ভুক্তিতে ধীরগতি , জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিয়ামত অবধি সেসন জট, ইত্যাদি অসংখ্য কারণে যখন শিক্ষা বাবস্থা লাটে উঠছে আপনি তখন এর মধ্যে সফলতা খুজছেন আতসি কাঁচ দিয়ে!!
চার,
আপনি লিখেছেন, ” আমরা আরও এগুতাম যদি সামরিক শাসন ও দুর্নীতি আমাদের পথকে বাঁধাগ্রস্ত না করত!”
দুর্নীতির ব্যাপারে আমি একমত কিন্তু সামরিক শাসনের কারণে আমরা উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছি একথা মানতে আমি নারাজ। এজন্য প্রথমে আপনাকে জানতে হবে সামরিক শাসন কেন আসে? আমাদের দুর্নীতিবাজ , স্বার্থান্বেষী, প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতিবিদরা যখন যখন দেশের স্বার্থে একমত হতে ব্যর্থ হয়েছে, নিজ স্বার্থ চরিতার্থে একগুঁয়ে মনোভাব পোষণ করেছে তখনই সামরিক বাহিনি রক্তপাত এড়াতে ক্ষমতা দখল করেছে? উদাহরণস্বরূপ ২০০৭ এর ১১ই জানুয়ারির ঘটনা । স্বাধীনতার চল্লিশ বছরে সামরিক শাসন ছিল মাত্র ১৭ বছর(১৯৭৫ হতে ১৯৯০ এবং ২০০৭হতে ২০০৮ আর গনতান্ত্রিক শাসন ছিল ২৩ বছর (১৯৭১ হতে ১৯৭৫, ১৯৯০ হতে ২০০৬ এবং ২০০৮ হতে বর্তমান অবধি)
দেশের উন্নয়নের জন্য এই ২৩ টি বছর কি খুবই কম। দারিদ্রতার বৃত্ত থেকে বের হয়ে ১৬ কোটি মানুষের জন্য তিনবেলা দুমুঠো ভাতের যোগান দেওয়া কি এই ২৩ বছরে খুবই কঠিন ছিল? যেখানে স্বাধীনতার পর দেশে কোটিপতির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেল ।
পাঁচ, আপনি লিখেছেন “তারপরও স্বাধীনতার মুখে থুতু মারার কথা বলে বাংলাদেশের মানুষের সীমাহীন পরিশ্রমলব্ধ অর্জনকেই থুতু মারা হয়েছে বলে আমার ধারণা!”
আপনার ধারণা বুঝার ভুল। লেখক সেই স্বাধীনতার মুখে থুথু মারতে চেয়েছেন যে স্বাধীনতা পেয়ে আমাদের রাজনৈতিক কুলঙ্গাররা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে, যে স্বাধীনতা রাজনীতি করাটাকে সবচাইতে বড় লাভজনক বাবসাতে পরিনত করেছে, যে স্বাধীনতা দরিদ্রদের বাইসাইকেল কেনার ক্ষমতা না দিলেও মন্ত্রি সাংসদদের শুল্কমুক্ত কোটাই মার্সিডিজ বেঞ্চ আনার ক্ষমতা দেয়, যে স্বাধীনতা একুশে টেলিভিশন ও চ্যানেল ওয়ানের কণ্ঠ রোধ করে, লেখক আপামর জনতার স্বাধীনতার মুখে থুথু মারতে চান নি।
অবশেষে আমি বলি দেশ ও জাতি নিয়ে লেখকের যে চরম হতাশা তা দেশের চরম বাস্তবতা থেকেই এসেছে। তারপর ও আমি আশাবাদী আমার দেশ নিয়ে দেশের মানুষকে নিয়ে। যে জাতি রাজনৈতিক দলগুলো কে মাথায় নিয়ে নাচতে পারে সেই জাতিই আবার আছাড় দিয়ে মাটিতে ফেলে চরম শিক্ষা দিতে জানে ।(দ্রষ্টব্য ২০০১ এ জননেত্রির পরাজয় ২০০৮ এ দেশনেত্রীর পরাজয় আবার ২০১৪ তে ———— এর পরাজয় অপেক্ষাই থাকুন)
(Y)
@কাজী মাহবুব হাসান,
🙂
ফাটাফাটি লিখসেন,এক্কেবারে মনের কথাগুলো বলেছেন (Y), আমরা মুখেই বড় বড় কথা বলি,কাজের বেলায় নাই। কাল যদি আবার কোনো কারণে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়,কি পরিমাণ রাজাকার খোয়াড় ছেড়ে বেরিয়ে আসবে চিন্তা করা যায়না।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
বাঙলি হইলো লাফালাফির জাতি। এরা লাফালাফি করব। কামে ডাক দিলেই নাই। 😀
@রামগড়ুড়ের ছানা,
কৈ আর ফাটাফাটি লিখলাম। আমারে তো মাইঙ্কা চিলায় ফালাইয়া সবাই গুতাইতাছে। 🙁
@সাইফুল ইসলাম,
চিপায়* 😀