এত শীঘ্রই যে পশ্চিমী দেশে এরকম একটি গণ উত্থান মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠবে তা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি নি! নিউ ইয়র্ক শহরে এই আন্দোলনের জন্ম বলা যেতে পারে। সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ (২০১১ সন) প্রায় ১০০০ আপত্তিকারী জনতা রাস্তায় নেমে হাটতে হাটতে মার্কিন পূজীবাদের মক্কা ওয়াল স্ট্রীটের কাছে যে ‘জুকুটি পার্ক’ আছে সেখানে পৌছে। আপত্তিকারীদের প্রায় ১০০ জন কার্ডবোর্ড বাক্সদ্বারা কাচ্চা ঘর তৈরী করে সেখানে রাত কাটায়।
২৪ই সেপ্টেম্বর আবার আপত্তিকারী জনতা এবার ম্যানহাটনের আপ-টাউন হতে ওয়াল স্ট্রীটের দিকে আসতে থাকে হাতে প্লে-কার্ড নিয়ে। পুলিশ তাদের কয়েক জায়গায় বাঁধা দেয় এবং কিছু বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে। অক্টোবর মাসের ১ তারিখ হাজারের উপর বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে ব্রুকলিন ব্রিজ যখন পার হচ্ছিল তখন পুলিশ তাদের বাঁধা প্রদান করে এবং ৭০০ জনের অধিক আপত্তিকারীদের গ্রেফতার করে। এই খবরটি খবরের কাগজে ও টিভিতে ফলাও করে হেড-লাইন হিসেবে প্রকাশিত হয়। তখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে এই সামাজিক আন্দোলনকে ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রীট’ বা ‘ওয়াল স্ট্রীট আধিকার কর’ এই নামে আখ্যায়িত করা হয়।
এর এক সপ্তাহের মধ্যে আমেরিকার প্রায় ২০-৩০ টি শহরে এই গণ আন্দোলন ব্যাং এর ছাতার মত ছড়িয়ে পড়ে। এই মাসের মাঝামাঝিতে এই আন্দোলনটি ইউরোপএর বেশ কয়েকটি দেশে ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। কী ভাবে প্রবল বেগে এই গণ উত্থান — যার কোনো নেতা বা সংঘটন নেই — সেটি পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়লো সেটি ভাববার বিষয় বটে!
এক জরিপ মতে ১৪ই অক্টোবর খবরে বলা হয়েছে যে আমেরিকার ৫৪% সাধারণ জনতা এই সামাজিক আন্দোলনটিকে পূর্ণভাবে সমর্থন করে। আর বিক্ষোভকারীরা বলছে যে আমেরিকায় রাজনীতিবিদ ও পূজিবাদীদের সমন্বয়ে যে অদৃশ্য জোটটি তৈরী হয়েছে সেটি আজ আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দা ভাব সৃষ্টি করেছে তাদের লোভী আচরণের জন্য। জনগণও মনে করে যে এই মাত্রাধিক লোভের জন্য সারা আমেরিকায় আজ অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১৫ লাখ লোক চাকুরী হারিয়েছে এবং নয়া স্নাতকধারী যুবকরা চাকরী না পেয়ে মা-বাবার বাড়িতে বেকার বসে আছে। এরকমটি এর আগে কখনো আর হয় নি।
সব চেয়ে লক্ষণীয় ব্যাপার যে এই আন্দোলনের কোনো নেতা বা চক্র নেই আর এদের কোনো দাবি বা ম্যানিফেস্টো নেই। এরা কেবল এটাই প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করছে যে আমেরিকার বড় বড় ব্যাঙ্ক, ইন্সুরেন্স, মর্টগেজ কোম্পানীগুলো অত্যন্ত লোভী হয়ে উঠেছে গত ১০-১৫ বছরে। আর এরা লোভের বশবর্তী হয়ে যে কাউকে এরা ঋণ দিয়েছে আর সেই নিম্নমাণের ঋণের কাগজগুলো একত্রিত করে চড়া দামে বিক্রি করেছে ওয়াল স্ট্রীটে যার গালভরা নাম দিয়েছে ‘মর্টগেজ বেক্ট সিকিউরিটি’। এই সিকিউরিটিগুলো যখন খোলা বাজারে মার খেলো ২০০৭-২০০৮ সনে, তখন প্রেসিডেন্ট বুশ ছিল ক্ষমতায়। বুশ সরকার ট্রিলিয়ন (১০০০ বিলিয়ন) ডলার রাজভান্ডার থেকে এনে আমেরিকার বড় বড় ব্যাঙ্ক আর ইন্সুরেন্স কোম্পাণীগুলোকে দেউলিয়াকরণ হতে অব্যাহতি দেয়েছে। এই কাজটি যে বুশ সরকার ভাল করেনি তা জনগণ ভালই বুঝতে পেরেছিল তখন। কিন্তু সরকারের উপদেষ্টা আর অনেক অর্থনীতিবিদরা জনগণকে এই বলে ভয় দেখিয়েছে যে এই সব বড় বড় ব্যাঙ্ক আর ইন্সুরেন্স কোম্পাণীগুলো যদি চিৎপটাং হয় তবে জনগণ আর দেশের অবস্থা ভয়ানক শোচনীয় হয়ে পড়তে পারে।
কারা কারা এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে এই পর্যন্ত? আমেরিকার লেবার বা শ্রম ইউনিয়ণ এগিয়ে এসেছে আরো এসেছে অগণ্য শিক্ষকমন্ডলী, কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা, আমেরিকার ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকে এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। বারাক ওবামাও সাধুবাদ জানিয়েছে জনগণের এই আন্দোলনের। ওপর পক্ষে, রিপাবলিকান পার্টির নেতারা আজেবাজে ভাষা ব্যবহার করে আপত্তিকারীদের বলেছে গুন্ডা বা ‘মব’, নৈরাজ্যবাদী, ইত্যাদী। আর মিট্ রোমনী যিনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রিপাবলিকান পার্টি হতে তিনি বলেছেন যে, এরা উচ্চ বিত্তদের সাথে নিম্নবিত্তদের একটা ‘ক্লাস স্ট্রাগল’ বা বিবাদ বাধাবার চেষ্টা করছে।
যে ভাবে এই আন্দোলন দানাবেধে উঠছে তাতে আমার মনে হয় কিছু দিনের মধ্যে সারা পৃথিবীতে এই ‘ধণী-দরিদ্র’ ইস্যু নিয়ে একটা তোলপাড় হবে। শিল্পপতি সমাজের সাথে রাজনীতিবিদদের যে একটা ‘নেক্সাস’ বা বন্ধন আছে আর সেই বন্ধনটা উচ্চবিত্তদের পক্ষে যে কাজ করে সেটির কথা জার্মান দার্শনিক কার্ল মার্ক্স অনেক বছর আগেই উল্লেখ করেছেন।
আমার ধারণা এটা যে এই আন্দোলন বারাক ওবামার জন্য একটি সুখবর। ওবামা যে ২০১২ সনে ইলেকশনে প্রতিযোগিতা করবেন তখন তিনি এই আন্দোলনের সপক্ষে কথা বলবেন। ২০১৩-২০১৬ সন পর্যন্ত যদি ওবামা হোয়াইট হাউসে থাকতে পারেন তবে আমেরিকায় অনেক নয়া আইন পাশ হবে ওয়াল স্ট্রীটকে নিয়ন্ত্রিত রাখার জন্য।
এই গণ আন্দোলনকে বানচাল করা খুবই কঠিন কাজ হবে আর অন্যান্য দেশেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে – আর সেটিই আমার ধারণা। অধীর আগ্রহ নিয়ে আমদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে এই নয়া আন্দোলন কোন পথে পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে চলবে।
লেখার মজা শুরু হতেই মিলিয়ে গেল বলে মনে হলো। 🙁 সামনে আরো বিস্তারিত তথ্য এবং বিশ্লেষণধর্মী লেখা পাবার আশায় রইলাম।
@নীল আকাশ,
লেখাটির কলেবর ইচ্ছা করেই সীমিত রাখা হয়েছে। মিডিয়া তো প্রতিনিয়ত নয়া নয়া খবর দিচ্ছে বিশ্বব্যাপি এই আন্দোলনের। তবে হ্যাঁ, বিশ্লেষণ আরো করা যেত। ধণি-গরীবের অর্থনৈতিক ব্যবধান আর বৈষম্য এই নিয়ে আসল গড়বড়। ইদানিং ওয়ালস্ট্রিটাররা অত্যন্ত লোভী হয়ে পড়েছে গত ১৮-২০ বছর যাবৎ। আর বিল ক্লিনটনই এদেরকে লোভী করতে সবচেয়া বেশী সাহায্য করেছে ব্যাঙ্কিং এর ‘গ্লাস-স্টিগ্যাল’ আইনটা উড়িয়ে দিয়ে ১৯৯৩ সনে। আর বুশ সেই আগুনে আরো বেশী করে তেল ঢেলেছে সুদীর্ঘ ৮ বছর ধরে (২০০০-২০০৮)। এটি নিয়ে আরো লিখা দরকার উদাহরণ সমেত। আমি সেটি চেষ্টা করবো।
@এ.এইচ. জাফর উল্লাহ, 🙂 আশায় রইলাম। 🙂
লেখাটির জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ফেইসবুক, ইউটিউব এর যুগে মানুষকে এখন দাবিয়ে রাখা কষ্টকর আর তারই প্রতিফলন পুরো বিশ্ব জুড়ে এই গণ-আন্দোলন। আমি এই আন্দোলনকে দেখি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডেমোক্রেসী বনাম ডিরেক্ট ডেমোক্রেসীর মাঝের দ্বন্দ্ব হিসেবে। । রিপ্রেজেন্টেটিভ ডেমোক্রেসি এক সময় কার্যকর ছিল যখন বড় আকারের গণের পক্ষে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ সম্ভব ছিলো না। ধীরে ধীরে এই রিপ্রেজেন্টেটভ গণতন্ত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত উপেক্ষা করে ধনী/কর্পোরেটদের মতামতে চলতে শুরু করলো। কিন্তু এখন ইন্টারেন, মোবাইল, স্মার্ট ফোনের যুগে সারা বিশ্বের মানুষের মতামত জানা সম্ভব এক নিমিষে। তাই ডিরেক্ট ডেমোক্রেসি এখন আর কোন অসম্ভব কিছু নয়। বরং আমার মতে ধীরে ধীরে আমরা সেই দিকেই এগুচ্ছি। লেখাটির জন্যে আবারো ধন্যবাদ জানাই।
খুবই ছোট লেখা। 🙁 আরো বড় হলে ভাল লাগত। আর জেনে খুশি হবেন, অকুপাই ওয়াল স্ট্রীট আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ২২ তারিখে টি এস সি তে রাজু ভাস্কর্যের সামনে একটা সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে। আমি যাচ্ছি। :))
ভাল না মন্দ কি হবে জানিনা, কিন্তু বিশ্বজুড়ে বড় ধরণের একটা পরিবর্তনের আশায় আছি। 🙂
মানুষের বাঁচা-মরার বিষয়টি যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখনই মনে হয় সো ক্লড নেতাদের বাদ দিয়ে জনগণ নিজেরাই নিজের নেতা ঠিক করে নেয়,এটাই আরেকবার প্রমানিত হলো “ওয়াল স্ট্রীট আধিকার কর’” আন্দোলনের মাধ্যমে। যে আন্দোলনের ঢেউ এখন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির নতুনত্বের কারনে আন্দোলনের ধারাও যে পালটিয়ে যায় তা-ও অনুধাবন করার বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। ফেইসবুক,টুইটার সহ নানান ওয়েবসাইট ব্লগ যে আজকের একটি সামাজিক আন্দোলনের নতুন শক্তি হিসাবে পরিগনিত হয়েছে সেটাই এখন একমূহুর্তের মধ্যে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে যার কারনে পৃথিবীর সব দেশের সব ধরনের ক্ষমতাশীলদের মাথার মধ্যে ক্যন্সারসম চিন্তার বিষপোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে,যাকে নিয়ন্ত্রন করা তাদের পক্ষে সত্যিই কঠিন ব্যাপার।
সময়োপযোগী লেখাটির জন্য জাফর উল্ল্যা ভাইকে অনেক ধন্যবাদ রলো। (F)
ভাল থাকুন।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=17&dd=2011-10-17&ni=74171
টাইমস স্কয়ারে বিক্ষোভ সংঘর্ষ বহু গ্রেফতার
নিউইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কোয়ারে শনিবার কর্পোরেট বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অশ্বারোহী পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বেশকিছু লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্পোরেট ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গণবিক্ষোভের দিনে এ ঘটনা ঘটেছে।
কর্পোরেট ব্যবস্থাবিরোধী সংগঠন ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিটের’ ব্যানারে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রধান বাণিজ্যিক এলাকায় জড়ো হয়। তারা পর্যটক সেজে ওই এলাকায় আসে। কারণ পুলিশ ওই এলাকার মাঝখানে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল। এরপর বিক্ষোভকারীরা মিছিল শুরু করলে ৭১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনব্যাপী মিছিল শুরু হওয়ার পর ফর্টিসিঙ্থ স্ট্রিট ও সেভেনথ এ্যাভিনিউয়ে পুলিশের সঙ্গে এ সংঘর্ষ হয়। মিছিলের সময় ওই দুটি স্থানে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন ছিল। খবর এএফপির। বিক্ষোভকারীরা টাইমস স্কোয়ারে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল। তবে পুলিশী বাধার মুখে তারা পিছু হটে। এ সময় আতঙ্কগ্রস্ত লোকজন পালাতে শুরম্ন করে এবং হুড়োহুড়ির এক পর্যায়ে এক নারী পড়ে যান। এতে তিনি মুখে আঘাত পান।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের এক মুখপাত্র জানান, এর আগে সিটি ব্যাংকের একটি শাখায় প্রবেশের চেষ্টাকালে আরও ২৪ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়। সরকারের ৯ হজার ৪শ’ ৭০ কোটি ডলারের ব্যয় কাটছাঁট করতে চাকরিচু্যত ১৪ হাজার শ্রমিকের সমর্থনে বিক্ষোভকারীরা সিটি ব্যাংকের এ শাখায় ঢোকার চেষ্টা চালায়। ছাত্র-জনতা ও শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতিতে ওয়াল স্ট্রিটের দিকে অগ্রসর হয়। তারা এ সময় বিভিন্ন পস্ন্যাকার্ড বহন করছিল। তারা সেস্নাগান দিচ্ছিল, ‘আমরা ৯৯ শতাংশ জনগণ এবং মিস্টার ওবামা আমরা আপনার সমর্থন চাই।’ সিটি ব্যাংক জানায়, বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী ওয়াশিংটন স্কোয়ার পার্কের নিকটস্থ ব্যাংকে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ ডাকা হয়। সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত নোবেল শান্তি বিজয়ী মার্টিন লুথার কিংয়ের স্মরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধনের প্রাক্কালে ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলে দুই থেকে তিন হাজার লোক জড়ো হয়। সুশীল সমাজের জোরালো কণ্ঠস্বর রেভারেন্ড আল শার্পটন উপস্থিত জনতার সমর্থনে বলেন, ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল কর, ওয়াশিংটন দখল কর এবং আলাবামা দখল কর। আমরা দেশের নিয়ন্ত্রণ জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে এসেছি।’
এর আগে প্রায় ২শ’ বিক্ষোভকারী ওয়াশিংটনে ব্যাংক অব আমেরিকার একটি শাখার দিকে যায়। ব্যাংক এ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা তাদের ছিল। তবে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি এবং ব্যাংকটি দ্রুত বন্ধ করে দেয়া হয়।
মায়ামিতে কমপক্ষে এক হাজার লোক কর্পোরেট বিরোধী বিক্ষোভ করেছে। অন্যদিকে হলিউড স্টার সন পেন কর্পোরেটবিরোধী অকুপাই ওয়াল স্ট্রিটের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন
জাফর ভাই;
অনেক দিন পরে আপনার বিশ্লেষনধর্মি লেখা পড়ে ভাল লাগল।
আপনি এখন কেমন আছেন? আগে একবার জানিয়েছিলেন আপনার চক্ষু সমস্যা ছিল। এক সার্জারি করিয়েছেন–যার ফল ছিল আশাতীত–ওটার নাম কি restore?
আপনি কি এখন স্বভাবিক দেখতে পান? ড্রাইভ করতে পারেন?
@আবুল কাশেম,
অনেক দিন পর আপনার খোঁজ পাওয়া গেল অবশেষে! গবেষণার কাজে ব্যস্ত থাকায় গত এক বছরের উপর কোনো লিখা হয়ে উঠে নি। পরিশেষে যখন এই নয়া গণমুখী আন্দোলন চালু হলো তখন ভাবলাম যে আবার নয়া করে লিখা দরকার।
হ্যাঁ, আমার দুটো চোখই ঠিক হয়ে গেছে। একটা তে রেস্টোর লেন্স আর আরেকটিতে নন-রেস্টোর লেন্স। আর চশমা পড়তে হয় না। ডাইভিং এ কোনো অসুবিধা নেই। ভাল থাকবেন।
ওয়াল স্ট্রীটের সামনে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোব ও অবস্থান কয়েক দিন ধরেই টিভি ও পত্র-পত্রীকায় দেখছি। এই আন্দোলন যে এমন মহামারীর মত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরবে সেটা আসলেই কেউ ধারনা করতে পারেনি। গতকাল শনিবার ইতালীর রাজধানী রোম -এ বিক্ষোবকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ, ভাংচুর, পুলিশের গাড়ীতে আগুন। এরকম ঘটনা এর আগে নাকি ইতালীতেও হয়নি। এটা কিসের আলামত! যাই হোক এই পরিবর্তন ভাল হলেই ভাল।
@জিল্লুর রহমান,
সাধারণ জনতা সারা বিশ্বে বিশেষত পশ্চিমী দেশে তাদের পিঠ গিয়ে ঠেকেছে দেয়ালের সাথে। এরা এখন যাবে কোথায়? তাই এরা মারমুখী হয়ে উঠেছে। আমেরিকায় আপত্তিকারীরা এখন পর্যন্ত সিভিল মুভমেন্ট করছে। তারা সরকারকে দায়ী করছে না এই চরম অবস্থার জন্য। ওয়ালস্ট্রিটাররা সবার চোখে ধূলো দিয়ে বেশ পয়সা কামাই করেছে গত দুই দশক ধরে। এর জন্য দায়ী যেমন বিল ক্লিনটন তেমনি জর্জ বুশ। ১৯৩৩ সনের পাশ করা ‘গ্লাস-স্টিগাল’ আইন মতে ব্যাঙ্ক কোনো সিকিউরিটি বিক্রি করতে পারতো না আমেরিকায়। গাধা বিল ক্লিনটন সেটি বদলে দিয়েছে কংগ্রেসে আইন পাশ করে। তখন থেকে ব্যাঙ্কাররা ওয়াল স্ট্রিটে রমরমা ব্যবসা করেছে আর তাদের লোভ বেশী মাত্রায় বেড়ে গিয়েছিল। পাপের ভান্ডার এবার পরিপূর্ণ হয়েছে। বুশের সময় হাউজিং মার্কেটে বুল মার্কেট তৈরী করে আরো ডলার এরা বানিয়েছে। এর সেই মার্কেট মুখ থুবড়ে পড়ে গেল ২০০৭ সনে। বুশ আবার এদের বাচাবার জন্য এক ট্রিলিয়ন ডলার খাজাঞ্চি থেকে বের করে দিল ব্যাঙ্কার আর ইন্সুরেন্স কোম্পানীদেরকে। সাধারণ মানুষের তখন টনক নড়ে গেল। এই আন্দোলনই এরি বহির্প্রকাশ। আশা করি এই আন্দোলন ধীর গতিতে এগিয়ে চলবে। ওবামা যদি পুনরায় প্রাসিডেন্ট হয়ে ওয়ালস্ট্রিটারদের হাত খর্ব করে দেয় এবং সেই সাথে ‘গ্লাস-স্টিগাল’ এক্ট আবার পুনরস্থাপণ করে তাহলে ফ্রী-মার্কেটও বহাল তবিয়তে থাকবে তবে ওয়ালস্ট্রিটারদের থোতা মুখ ভুতো হয়ে যাবে।
চিনা বুড়োরাও নেমে এসেছে পথে। এখানে কিছু ছবিঃ
http://www.chinahush.com/2011/10/09/citizens-of-china-rally-to-support-the-occupy-wall-street-movement/
আমি এখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছি। প্রাসংগিক বিধায় আমার ক্যামেরায় তোলা ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের কিছু ছবি এখানে দিয়ে দিলাম।
ধন্যবাদ।
[img]https://lh4.googleusercontent.com/-z9DSS064z6A/Tpr1w2HKpCI/AAAAAAAAAZg/g8HkYridy9g/w297-h446-k/pic1.jpg[/img]
[img]https://lh4.googleusercontent.com/-PQhHUOYLYrE/Tpr1zHBHmiI/AAAAAAAAAZo/HdvaR5a-Yc0/s640/pic2.jpg[/img]
[img]https://lh5.googleusercontent.com/-TjNIfAJLRGI/Tpr102WgyZI/AAAAAAAAAZw/F7UZq18jmsA/s400/pic3.jpg[/img]
[img]https://lh4.googleusercontent.com/-jPwTXRy8W7k/Tpr11owm7fI/AAAAAAAAAZ4/3JQZ-idGggo/s640/pic4.jpg[/img]
[img]https://lh6.googleusercontent.com/-gYRad2iDL74/Tpr12mj9uWI/AAAAAAAAAaA/MlYURbquu6k/s640/pic5.jpg[/img]
[img]https://lh3.googleusercontent.com/-ipNL9qgdzvs/Tpr13-I_cJI/AAAAAAAAAaI/XKcuPAdX5Ck/s640/pic6.jpg[/img]
[img]https://lh5.googleusercontent.com/–pDLI8AyDqQ/Tpr14poG6rI/AAAAAAAAAaQ/BaZA3_4xWg4/s640/pic7.jpg[/img]
@মইনুল রাজু, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই ছবিগুলো যে গুলো আপনি নিজ ক্যামেরায় তুলেছেন এই নয়া আন্দোলন বা জন-বিপ্লবের। আমি যদি এখন নিউ ইয়র্কে বাস করতাম, তা হলে আপনার মত আমিও এই আন্দোলনে সরিক হতাম আর ছবি তুলতাম প্রকাশনার জন্য। পরবর্তীতে আপনার তোলা আরো ছবি দেখতে ছাই। আবারো ধন্যবাদ!
@মইনুল রাজু,
যেহেতু ওখানে আছেন, অনুগ্রহ করে এ নিয়ে আপনিও তো একটা লেখা পোস্ট করতে পারেন। লেখা এবং আরো কিছু ছবি দেখার দাবি জানিয়ে রাখছি।
ধন্যবাদ।
@স্বপন মাঝি,
আমি শিকাগো ফিরে গিয়ে ছবি ব্লগ জাতীয় কিছু একটা লিখবো ভাবছি। 🙂
ক্লাস পলিটিক্স আমেরিকার রাজনীতিতে যতটা সুদৃষ্ট পৃথিবীর অন্য কোথাও এমনটা দেখা যায় না।
সদ্য পাশ করা গ্রাজুয়েটদের ৩৪% বেকার। এসব আমেরিকাতে ছিল অকল্পনীয়।
যাইহোক, কালকে কে স্ট্রিটে একটা অবস্থান ছিল। যেতে পারি নি। পরের শনিবারে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
ধনতন্ত্রে লোভের ঘারে লাগাম না পরালে সেই লোভ বাজারকেই ধ্বংস করে। এটা মার্ক্স বহুদিন আগেই লিখেছিলেন। সমস্যা হচ্ছে ধনতন্ত্র নিয়ে তার বক্তব্য এবং যুক্তি যতটা সলিড, কমিনিউজম নিয়ে তার লেখা এবং “বাণী” ততটাই লিকুইড।
@বিপ্লব পাল,
এই গণমুখী আন্দোলন ডেমোক্রেটদের চাইতে রিপাব্লিকানদের আধিকমাত্রায় বিচলিত করেছে। মিট রোম্নি তো সেদিন বলেই ফেললো যে এটি হচ্ছে একটি ক্লাস ওয়ার-ফেয়ার। রোম্নি নিজেও ওয়াল স্ট্রিটে ১৯৮০ দশকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বানিয়েছে ‘মার্জার এবং একুইজিশনের’ মত আপদার্থ প্রিন্সিপাল প্রয়োগ করে। চোরের মুখে এখন ‘ক্লাস ওয়ার-ফেয়ার’ এর নাম! আমওয়ালা নিজের আমকে কখনই চুকো বলবে না। তেমনি কার্ল মার্ক্স কি করে কমিউনিজমের সমালোচনা করবে? লাগামবিহীন ফ্রী-মার্কেট যে জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী – এটা একটি ‘এক্সিওম’। সময় এসেছে এদেরকে বশে আনা বা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য রাখার জন্য!
”প্রায় ১৫ লাখ লোক চাকুরী হারিয়েছে এবং নয়া স্নাতকধারী যুবকরা চাকরী না পেয়ে মা-বাবার বাড়িতে বেকার বসে আছে। এরকমটি এর আগে কখনো আর হয় নি।”
– ব্রিটেনেও একই অবস্থা- এখানেও আন্দোলন হচ্ছে।
সময়োপযোগী লেখা । তবে তথ্য সহযোগে আরেকটু বিশ্লেষণ ধর্মী হলে আরো ভাল লাগত। জমে উঠার আগেই শেষ হয়ে গেল।
@মোহিত,
কথাটি ঠিকই বলেছেন। আমার উচিত ছিল আরো তথ্য সন্বলিত করে এনালিসিস্ বা এই আন্দোলনের মর্ম উদ্ঘাটন করা। সেটি আমি করতে পারিনি সময়ের অভাবে। তবে এই আন্দোলন এত শীগ্রই শেষ হতে যাচ্ছে না। পরে না হয় আরো বিশ্লেষণ ধর্মী লেখা লিখা যেতে পারে এটি নিয়ে।
একটা বিষয়ে আমার দৃকপাত করা উচিত ছিল আর সেটি হলো যে আমেরিকার দক্ষিণপন্থীরা ওয়ালস্ট্রিটারদেরকে নিয়ে সমালোচনা করেছে বুশের ১ ট্রিলিয়ন ডলার ‘টারপ্’ সাহায্যদানের ব্যাপার নিয়ে ২০০৮-২০০৯ সনে আর সেই আন্দোলনের নাম দিয়েছে ‘টি-পার্টি’ মুভমেন্ট। পক্ষান্তরে, বামপন্থীরা মাত্র একমাস আগে সেই ওয়ালস্ট্রিটারদেরকে অতি লোভী আর দোষী সাব্যস্ত করে এই নয়া আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছে। এটি নিঃসন্দেহে একটা ‘কাউন্টার-বেলেন্স’ কাজ হয়েছে। এই নয়া আন্দোলনে বেশীর ভাগ কম বয়েসের ছেলে-মেয়েরা ও তার সাথে অবসরপ্রাপ্ত আমেরিকানরা যোগ দিয়েছে। ‘টি-পার্টি’ মুভমেন্টে কেবল মাত্র বয়স্ক আমেরিকানরা যোগ দিয়েছে। আমেরিকার বাইরে অন্যত্র কোনো দেশে ‘টি-পার্টি’ আন্দোলন তেমন কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারে নি, পক্ষান্তরে, ‘ওকুপাই ওয়ালস্ট্রিট’ আন্দোলন নিমেষের মাঝে জ্বলন্ত আগুনের স্ফুলিঙ্গের মত সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। নিঃসন্দেহে ‘ওকুপাই ওয়ালস্ট্রিট’ আন্দোলন একটি ডায়নামিক্ বা প্রাণবন্ত মুভমেন্টে পরিণত হয়েছে মাত্র ৩ সপ্তাহের মধ্যে!
ভাল লাগল,ধন্যবাদ না জানিয়ে থাকতে পারলাম না । (Y)
আসলে সমাধানটা যে কি তা আমি জানিনা এবং অন্য সাধারণ জনগণ যে জানে তাও মনে হয়না। শুধু আমি বা আমরা জানি বাজেট কাট-ছাটের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় বেশ কিছু স্কুল বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, শিক্ষকের সংখ্যা কাট-ছাট হচ্ছে, সরকারি হাসপাতালে শত শত পদে কাট-ছাট হচ্ছে ইত্যাদি, যা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলে। তবে আশায় আছি এ আন্দোলন নতুন কোন আশার আলো দেখাবে।
@হেলাল,
ও, তাহলে সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় পর্যন্ত এই অর্থনৈতিক মন্দাভাবের ধাক্কা গিয়ে পড়েছে! আমি মার্কিনমুল্লকে একটানা ৪২ বছর ধরে আছি, এ রকম গণমুখী আন্দোলন এর আগে আর কখনো দেখি নি! জনতা বা ‘ঘুমন্ত দানব’ এবার হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠেছে! এই আন্দোলনের বিস্তৃতি এত বেশি বড় যে এটাকে কেউ হাইজ্যাক করতে বা গিলে খেতে পারবে না। ওয়াল স্ট্রিটকে অবশ্যই বশে বা নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে। এর কেষ্ট-বিষ্টুরা এত দিন ধরে হরির লুট করে বেশ প্রাচুর্যপূর্ণ বা সমৃদ্ধশালী ভাবে দিন কাঁটিয়েছে। সেটি আরা হবার নয়! ধন্যবাদ মন্তব্য রাখার জন্য।
@এ.এইচ. জাফর উল্লাহ,
আমি এই ধরণের কোন খবর শুনি নাই বা পড়ি নাই। আস্ট্রেলিয়া মোটামুটি ভালই আছে–আমেরিকার তুলনায়। শুধু নিউ সাউথ ওয়েলস্ সরকার আগামী চার বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধির হার সর্ব্বোচ্চ ২.৫% বেঁধে দিয়েছে, তবে অধিক বৃদ্ধি দেওয়া হবে যদি প্রডাক্টিভিটি (বাঙ্গলা জানিনা) বৃদ্ধি হয়। এর বিরুদ্ধে অনেক প্রতিবাদ, ধর্মঘট হয়েছে এবং হবে।
সংবাদ পত্রে সুধু এইটুকু পড়েছি যে কয়েকশত উঁচু পদের কর্মচারীদের চাকুরী খোয়া যেতে পারে।
@আবুল কাশেম,
অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে ও মন্দাভাব দেখা দিয়েছে তবে পাশ্চাত্ত্যের অন্যান্য দেশের মত অত প্রকট ভাবে নয়। এর কারণ হচ্ছে যে সেখানকার ইকোনোমী মাইনিং এর উপর অনেকটা নির্ভরশীল আর কৃষির কথা নাই বা আনলাম!
খুব ভাল লাগলো, এ নিয়ে একটুখানি আলোকপাত করার জন্য।
গ্রামে একটা প্রবাদ চালু ছিল, ‘সারা ঘর লেইপ্যা, শেষমেশ কালি।’ এরকমই তো মনে হয়। যা হোক, আন্দোলনগুলোকে হাইজ্যাক করার ক্ষেত্রেও রাজনীতিবিদরা আন্দোলনকারীদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকে। ফলে যা হবার তাই হয়।
তাই বলে থেমে গেলে কি আর চলে? চলে না। এই চলতে চলতে একদিন হয়তো হাইজ্যাকার দের পায়ের তলা মাটি সরে যাবে। পথই দেখাবে নতুন পথের দিশা।
@স্বপন মাঝি,
আপনার উপমাযুক্ত মন্তব্যটি বেশ ভালই লাগলো। তবে এটা হচ্ছে আন্তর্জালের বা ইন্টারনেটের যুগ, ফেস-বুকের যুগ। আর গণমুখী আন্দোলনকে বানচাল করা – যেটা আগে করা হতো টাকা-পয়সা ছড়িয়ে – সেটা আর এই মুহূর্তে সম্ভব হয়ে উঠবে না। দেখা যাক, এই আন্দোলন কোন দিকে ধাবিত হয়! আমি নিজে খুবই আশাবাদি যে একটা কিছু হবেই। ওয়াল স্ট্রিটওয়ালাদের খুবই বাড় বেড়েছিল ক্লিন্টন-বুশের আমলে। এদের গণ আদালতে বিচারের বন্দোবস্ত করা উচিত।
যে ভাবে এই আন্দোলন দানাবেধে উঠছে তাতে আমার মনে হয় কিছু দিনের মধ্যে সারা পৃথিবীতে এই ‘ধণী-দরিদ্র’ ইস্যু নিয়ে একটা তোলপাড় হবে। শিল্পপতি সমাজের সাথে রাজনীতিবিদদের যে একটা ‘নেক্সাস’ বা বন্ধন আছে আর সেই বন্ধনটা উচ্চবিত্তদের পক্ষে যে কাজ করে সেটির কথা জার্মান দার্শনিক কার্ল মার্ক্স অনেক বছর আগেই উল্লেখ করেছেন।
@কাজী রহমান,
আমার মনে হয় না যে ফ্রী-মার্কেট পদ্বতির মরণ ঘটবে অতি শীঘ্রই। তবে কিছু একটা ক্রমবিকাশ বা বিবর্ধন (evolve) হতে পারে। যদি হঠাৎ করে নয়া সিস্টেমের চালু হয় তাহলে সেটা সবাইর জন্য ক্ষতিকর হবে। ওয়াল স্ট্রিটকে বাঁধন বা আওতার মধ্যে আনতে হবে আর এই গণ-আন্দোলন যদি সেটি করতে সহায়তা করে তাহলে আমি বলবো এই গণ-মুখী আন্দোলন একেবারে সার্থক!
@এ.এইচ. জাফর উল্লাহ,
সেই আরকি, সহনীয় হয় কি না আর দ্রুততা কত তীব্র হয় সেগুলোই শঙ্কার বিষয়। ধনবানেরা ঠিকই ধাপ্পাবাজির পথ খুঁজে নেবে বলে আমার ধারনা।