এ কী ঐশ্বরিক শান্তির চিত্র,
অলৌকিক শান্তির বাণী
আমরা চোখে দেখি কানে শুনি?
প্রকাশ্য দিবালোকে
জনগণ জড়ো ক’রে তাদের সমুখে
তরবারির নৃশংস আঘাতে
এক মানুষ কেটে নেয়
অন্য মানুষের মাথা!
বর্বর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা।
এ তো শান্তিরই কথা!
এ তো শান্তিরই কথা!
মাথা কাটার আগে ধর্মের
পবিত্র বাণী পাঠ করা হয়।
মরুভূমির রুক্ষ, তৃষিত, তপ্ত বালুকায়
মানব-মানবীর তাজা রক্তের বন্যা বয়ে যায়।
দেহ হতে এক কোপে মাথা
পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এক দিকে মানুষের মাথাবিহীন দেহ
অন্য দিকে কর্তিত মাথা প’ড়ে রয়।
ছিন্নমুন্ড আর ছিন্নদেহ
ছটফট করে দুই জায়গায়।
সে মনোরম শান্তির দৃশ্য
শতশত দর্শক দাঁড়িয়ে দেখে।
অনুপম দৃশ্য দেখে নিজচোখে
কারো লাগে বিবমিষা
কেউ হারায় জ্ঞান-দিশা,
কেউ অভ্রভেদী চিৎকার করে,
কেউ সেই কর্তিতের মত ধড়ফড় করে,
কারো উবে যায় বেঁচে থাকার তৃষা।
কে করিল রক্তস্রোতে দণ্ডের বিধান?
এত নররক্ত কে করিতে চাহে পান,
এত কালের রক্তেও
সারা হলনা কার রক্তস্নান?
তিনি আল্লাহ সর্বশক্তিমান।
সর্বশক্তিমান আল্লাহর আইন
কে করিবে খণ্ডন?
নবীর প্রচারিত কথার উপর কথা বলার
কার আছে হিম্মত?
যে বলিবে কথা
যে করিবে অলৌকিকতার সামান্যতম বিরোধীতা
আল্লাহর নামে যাইবে তার মাথা।
করিতে আল্লাহপাকের আইন কার্যকর
আছে তৈয়ার,
হাতে লইয়া নূরানী হাতিয়ার
অগণিত আল্লাহর বান্দা, রাসুলের উম্মত।
পবিত্র ভূমিতে,
আল্লাহর প্রবর্তিত আইনের আঘাতে
মরতে পারা তো কম সৌভাগ্যের কথা নয়
এমন ঈর্ষনীয় ভাগ্য ক’জনার হয়?
এই শান্তির বিধান
কেন ছড়িয়ে পড়েনা জগতময়!
আল্লাহপাক আসলেই পরম করুণাময়।
সেই দণ্ডপ্রাপ্তরা কত পুণ্য করেছিল কি জানি!
তাই জুটেছে তাদের কপালে
পবিত্র-আইনে, পবিত্র ভূমিতে
মরবার সৌভাগ্যখানি।
এই পবিত্র-বর্বরতা বন্ধ করা তো আমার সাধ্য নয়
এই নৃশংসতা দেখেও পৃথিবীর উচ্চ ক্ষমতাশালীরা
কীভাবে নীরব রয়
তা আমার বোধগম্য নয়।
আমি এক তুচ্ছ নারী।
এই আসমানী নিষ্ঠুরতার প্রতি
হৃদয় নিঙড়ানো ,তীব্র ঘৃণা জ্ঞাপন ছাড়া
আর কী-ইবা করতে পারি?
প্রিয় তামান্না ঝুমু,
আমি মুক্ত-মনার সাথে মাত্র কিছুদিন যাবৎ পরিচিত – খুব বেশি লেখা এখনো পড়া হয়নি , এই মাত্র আপনার দুটো লেখা “তীব্র ঘৃনা ” ও “তসলিমা নাসরিন ” পড়লাম | খুবই প্রতিবাদী কন্ঠ – খুবই স্বচ্ছ ধারণায় সমৃদ্ধ | আপনার লেখা পড়ে আমি অভিভূত | আপনার মত এমন অনেক অনেক মানুষ আমাদের বাংলাদেশে প্রয়োজন ! আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা |
@অমল রায়,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনিও বেশ ভাল লিখেন।
ঘৃণার পর পথে নেমে আসা। পথ আপনার জন্য খুলে দেবে পৃথিবীর দুয়ার।
কিন্তু—–
পার্থক্য রইলো কিছু? অনুমান করতে পারি, ক্ষোভের তীব্র প্রকাশ। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়।
@স্বপন মাঝি,
আমরা যতই প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করিনা কেন যাদের মাথা কাটা গেছে তা আর জোড়া লাগানো যাবেনা। আর কারো মাথা যাতে কাটা না যায় সে জন্য চেষ্টা করতে হবে।
ঘৃণা, ভালবাসা, যুক্তি কোন কিছু দিয়েই কি এদের মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করা যাবে? অনেকেই বলে থাকে এরা বর্বর। কিন্তু এদের বর্বর হওয়ার জন্য দায়ী কি এরা? যে বর্বর কিতাবটি ওরা অনুসরণ করছে সেটিই ত ওদের অমানুষ করে রেখেছে। এ থেকে মুক্তির কোন উপায় আছে কি? আমাদের মাথা কাটা যাবার পরও কি আমরা বলতে পারি,”অহিংসা পরম ধর্ম”?
আসেন সবাই এর প্রতিবাদ করি । শিরোচ্ছেদ করে খুনীর মৃত্যুদন্ড দেয়া থেকে বিরত থাকি । আসুন আমরা সবাই আম্রিকার মত রাইফেল ড্রোন দিয়ে নির্বিচারে নিরীহ জনগণ হত্যা করে ক্রসেডের মাধ্যমে শান্তি কায়েম করি । সকলে বলুন আমেন ।
@ক্রুসেডার,
বর্বর আইন প্রয়োগ করা;সহায় সম্বলহীন মানুষকে তাদের আত্নপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেয়া আর নির্বিচারে নিরীহ জনগণ হত্য ত অনেকটা একই কথা। অপরাধির বিচার তার অপরাধ অনুযায়ী নিশ্চই হবে কিন্তু নৃশংসভবে জনসমক্ষে নয়। আপনার মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে আপনি এ নৃশংসতার পূর্ণ সমর্থক!
বর্বর দেশের বর্বর আইনের প্রতি জানাচ্ছি তীব্র ঘৃণা!
@চৈতী আহমেদ,
দেশটি বর্বর নয়। এসব বর্বর আইনের প্রণেতাই বর্বর। তাই আইন প্রণেতার প্রতি তীব্র ঘৃণা।
@তামান্না ঝুমু,
দ্বি মত পোষণ করছি। বর্বর আইনের দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি না। বর্বর আইন মেনে চলা অবশ্যই বর্বরতার পরিচায়ক।
@অরণ্য,
বর্বর আইন না মানলে ত ইসলাম অমান্য করা হয়। মুসলিমদের পক্ষে ইচ্ছা থাকলেও তা সম্ভব নয়।
এডুষখানি মানবা কোরান, এডুষখানি মানবা না আআঁ তা হবেনা
কোথাও এক ইঞ্চিও ছাড় দেবার কোন কারন দেখিনা। ‘ঐ যে ফূলডোরে বাঁধা ঝূলনা’ টাইপ পূতূ পূতূ প্রতিবাদ কোথাও দেখতে চাইনা আমরা তা দেখুক সবাই। ধর্মান্ধদের মানবতা কিংবা যুক্তির শিক্ষা আমাদেরকেই দিতে হবে কেন। যাদের শেখার তারা শিখে নিক। আমারা আমাদের মনের মাধূরী মিশিয়ে লিখে যাব।
যেভাবে খুশী লিখতে থাকুন, অন্যায়ের বিরূদ্ধে প্রচন্ড কাল বৈশাখীর বিক্ষুব্ধ তাণ্ডবে। (Y)
@কাজী রহমান,
এই হতদরিদ্র অসহায় মানুষগুলোর মাথার মূল্য দিতেই হবে বর্বরদের। এর বিহিত হওয়া পর্যন্ত আমরা দমবোনা। অনেক সময় গড়িয়ে গেছে, বড্ড বেশি দেরী হয়ে গেছে। এই বর্বরতাকে আর প্রশ্রয় দেয়া যায়না। রক্তের বদলে আমরাও হায়েনাদে রক্ত চাই।
@ বিপ্লবদা,
ইসলামের ঘৃণার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে, ইসলামকে ঘৃণা করলে, পার্থক্যটা কোথায় রইল?
এটা সত্য হতো যদি আমরাও তাদেরকে বলতাম- মুসলিমরা ধ্বংস হোক, তাদেরকে দেশ ছাড়া করো, তাদেরকে কুপিয়ে হত্যা কর, পরকালে তাদেরকে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে ইত্যাদি। আমার ঘরে কেউ আগুন লাগালে, আমি যদি আগুন নেভাতে যায় এবং তাকে বলি এটা ভূল, তাহলে কি আমি আর আগুন লাগানো ব্যক্তির মধ্যে কোন পার্থক্য নায়? আমিতো তার ঘরে আগুন লাগাতে যায়নি।
মুসলিমদের ভূল গুলো যদি না ধরা হয়, তাহলে অন্ধের মত যারা অনুসরণ করে তারা জানবে কি করে উপারে আলো আছে? আমিও অন্ধের মতই ঘুমের ঘোরে হাটতেছিলাম, মুক্তমনায় এমনই এক ভূল ভাঙ্গানো লেখা আমাকে ঘুম থেকে জেগে তুলে।
@হেলাল,
ওদের ভুলগুলো তুলে ধরার উপায় কী? ওদের কাছে ত কোরানই ইহকাল ও পরকালের একমাত্র বিধান! যতদিন ঐশীগ্রন্থ আঁকড়ে থাকবে ততদিন কারো মুক্তি নেই। এ সত্য কি ওরা বুঝবে? তাদেরকে যে বোঝাতে যাবে তাকেই ত হত্যা করবে।
@তামান্না ঝুমু,
আমার দৃঢ বিশ্বাস আপানার কবিতাগুলো ধর্মের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ‘জন-সচেতনতা’ বাড়াতে মূখ্য ভুমিকা রাখছে। খুব সুন্দর হয়েছে। (Y) (F)
@গোলাপ,
আমার এ প্রচেষ্টায় অন্তত একজন মানুষ হলেও যাতে অন্ধকার, পঙ্কিল জগত থেকে ফিরে আসে। এ শুধু আমার একার চেষ্টা নয়। আমাদের সবার। আমরা সবাই একটি অহিংস সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি।
আপনাকেও (F) (F)
অনেক সুন্দর একটা লেখা ।ভাল লাগল
@উদ্ভিদ, অনেক ধন্যবাদ
ইসলামে [ এবং নানা ধর্মেই], অনেক কিছুর প্রতি তীব্র ঘৃণা আছে। যার কিছুটা যুক্তিসঙ্গত, আর বাকীরা বিপজ্জ্বনক।
কিন্ত ইসলামের ঘৃণার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে, ইসলামকে ঘৃণা করলে, পার্থক্যটা কোথায় রইল?
ঘৃণার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঘৃণা ত্যাগ করে যুক্তি এবং ভালোবাসা নিয়ে মাঠে নামতে হয়।
ঘৃণা উগলে দিয়ে ঘৃণার বিরুদ্ধে কোন জয় আসবে না।
@বিপ্লব পাল,
ভালোবাসা নিয়ে কি প্রকাশ্য-হত্যা ও হালাল-ধর্ষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা যায়?
@বিপ্লব পাল,
“ইসলামে [ এবং নানা ধর্মেই], অনেক কিছুর প্রতি তীব্র ঘৃণা আছে। যার কিছুটা যুক্তিসঙ্গত, আর বাকীরা বিপজ্জ্বনক।”
তাহলে কী যুক্তিসঙ্গত ভাবে ধার্মিক হওয়া যায়?। বূঝায়ে বোলেণ দাদা।
“কিন্ত ইসলামের ঘৃণার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে, ইসলামকে ঘৃণা করলে, পার্থক্যটা কোথায় রইল?”
ব্যাবহারিক প্রয়োগের প্রতি (যেমন মূণ্ডূ কর্তন) ঘৃণা প্রকাশ করতে গিয়েই ত উৎস চলে আসে দাদা, যেমন কী না কাণ টানলে মাথা আশে। না কী ভূল বললাম দাদা?।
“ঘৃণার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঘৃণা ত্যাগ করে যুক্তি এবং ভালোবাসা নিয়ে মাঠে নামতে হয়।
ঘৃণা উগলে দিয়ে ঘৃণার বিরুদ্ধে কোন জয় আসবে না।”
তাইলে ত আবার শান্তির বাণী নিয়ে কোণ নবীকেই আসতে হবে।
@সপ্তক,
ধর্ম মানে যা ধারন করে। পৃথিবীতে প্রতিটা লোকের ধর্মই আলাদা। লোকাচার, ফামিলি, শিক্ষা, দেশ, আর্থ সামাজিক অবস্থান-প্রতিটা লোকের আলাদা আলাদা ধর্মের জন্ম দিচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই-প্রত্যেকেই বাঁচতে চাইছে। চাইছে, তাদের ছেলে মেয়ে যেন থাকে দুধে ভাতে।
যে সমাজ বা আইন ঘৃণা এবং চোখের বদলে চোখ নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত-সেই সমাজ আইনস্টাইন বা উচ্চ মানের মানবের জন্ম দিতে অক্ষম। সেই সমাজে কোন ভদ্রলোক থাকতে চাইবে না। সেই সমাজের উৎপাদন হবে নিম্ন মানের কারন তারা উচ্চমানের শিক্ষা এবং মানব সম্পদ তৈরী করতে পারবে না। যা আজকে মুসলিম বিশ্বের অবস্থা।
আমার মনে হয় ঘৃণা বর্জন করে যদি মুসলিম বিশ্বের চোখ খোলানো সম্ভব হয়, কিভাবে শরিয়া আইন অনুন্নত উৎপাদন ব্যবস্থার জন্ম দেয় -জন্ম দেয় কিছু অর্ধশিক্ষিত নিম্নমানের মানুষের, তাহলেই ঠিক চেতনামুক্তির আন্দোলন হবে।
ঘৃণা কখনোই মানুষের চেতনা বা বুদ্ধিবোধের সহায়ক না। ঘৃণার বদলে ঘৃণা ছুড়ে দিলে, কোন
নৈতিক ভিত্তিকে আমরা চোখের বদলে চোখ, খুনের বদলে খুনের বিরোধিতা করব?
@বিপ্লব পাল,
“আমার মনে হয় ঘৃণা বর্জন করে যদি মুসলিম বিশ্বের চোখ খোলানো সম্ভব হয়, কিভাবে শরিয়া আইন অনুন্নত উৎপাদন ব্যবস্থার জন্ম দেয় -জন্ম দেয় কিছু অর্ধশিক্ষিত নিম্নমানের মানুষের, তাহলেই ঠিক চেতনামুক্তির আন্দোলন হবে।”
কথা ত সত্যি দাদা। আমিও বংশগত ভাবে মুসলমান। আমার চোখ যখন খোলা ওদের ও খুলবে হয়ত। আমরা ত যারা কতল করেছে ,এখানে যারা জল্লাদ তাদের প্রতি সহানুভুতিশিল,কারন কি করছে তা বুঝলে তারা করত না। কিন্তু দাদা সৌদি রাজপরিবার ত অশিক্ষিত না, তেলের কারবার ভালই বুঝে।আর এধরনের বর্বরতা বুঝার জন্য কি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাগে?।আম্রা এই বর্বরতাকে ঘৃণা করি মুসলিমদের না। আর সউদিতে জনগন কে এত বেশি দুধ কলা দেয়া হয় যে আমার আপনার মত মানুষের গর্দান নিলে ওদের তা দেখার দরকার নাই। জিন্নাহ ভারত বিভাগ এর পরে বলেছিল,মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমি দিজাতি তত্ত দিয়েছিলেম , কিন্তু স্বাধীন পাকিস্তানের মাটিতে তা আর দরকার নাই, আমরা এখন ধর্ম নিরেপেক্ষ জাতি। কাজ ত হয় নাই দাদা বাংলাদেশের সহ পাকিস্তানের সব হিন্দুর ভাগ্যে কি ঘটেছে সবাই জানে। আর আমাদের তাৎক্ষনিক এ ঘৃণা প্রকাশ প্রাসঙ্গিক এবং স্বাভাবিক। কারন আরব রা জাগতে জাগতে আরও অনেক বাঙ্গালীর গর্দান যাবে,তা ছাড়া আরবে আমাদের আদম রপ্তানির বাজার ও মার খাবার সম্ভবনা আছে!, তার পরেও দাদা এই বর্বরতার বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ না করলে নিজেকে মানুষ ভাবা মুশকিল। আপনার কথা বুঝেছি ,তারপরেও দাদা রক্ত মাংশের মানুষ ত আমরা। এক গর্দান নিয়েছে আর এক গর্দান পেতে দেব আরবরা না জাগা পর্যন্ত। নাহ দাদা সরি পারব না।
@বিপ্লব পাল,
ভালোবাসা, যুক্তি, বিজ্ঞান,ঘৃণা, দৃষ্টান্ত কোন কিছু দিয়েই ইসলামিস্টদের বুঝিয়ে মানবিক করা যাবে ব’লে মনে হয়না। পৃথিবী অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। সবগুলো ধর্মই কম বেশি মডারেট হয়েছে। যদিও ঈশ্বর ভুঁয়া, ধর্ম ভুঁয়া। কিন্তু মুসলিমরা ত কোরান ছাড়া কিছুই বোঝেনা। বিজ্ঞান,মানবাধিকার,আইন-কানুন, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি সবকিছুই কোরানে আছে!কোরান একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন এবং জীবনোত্তর বিধান!
@বিপ্লব পাল,
এতদিন যাবত আমরা ত তাইই করছি। আমাদের লেখায় কোথায় ঘৃণা পেয়েছেন আপনি? কোন মতবাদ, যেমন কম্যুনিজম, অথবা সমাজবাদ, অথবা নাৎসীবাদের সমালোচনা বা বিপদ ও বর্বরতা প্রকাশ করা কোন ঘৃণা প্রিচার করা নয়। কম্যুনিজম মানে রাশিয়ান নয়, সমাজবাদ মানে ভারতীয় অথবা ফরাসী নয়, নাৎসীবাদ মানেই জার্মান নয়।
যাঁরা হিন্দু ধর্মের সমালোচনা করে এই ধর্মের অসারতা হিন্দুদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন তাঁরা কী ঘৃণা প্রচার করছেন?
তেমনি ভাবে যারা ইসলামের কুৎসিত এবং বর্বর দিক মুসলিমদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন তাদেরকে আপনি কেমন করে ঘৃণার প্রচারক বলেন–তা আমি বুঝতে অপারগ।
কিছু সাহসী ব্যক্তি কয়েকশত বছর আগে ব্যক্তি খ্রীষ্টীয় ধর্মের বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা দেখিয়ে বিশ্বকে সাবধান করেছিলেন। সেই অনলস সংগ্রামের সুফল আজ কোটি কোটি জনগণ পাচ্ছেন।
সে কথা হিন্দুধর্মের সমালোচকদের বেলায়ও প্রজোয্য।
কিন্তু ইদানিং কয়েক বর্ষ আগে ইন্টারনেটের পূর্বে ইসলামের মুঠি এবং ঘাড় ধরে তাকে চপেটাঘাত করার মত কোন সুযোগই ছিলনা। আপনি আমাকে একটি মাত্র লেখা দেখান যা একশত বছর আগে লেখা হয়েছিল ইসলামের বিরুদ্ধে।
আমরা আজ সেই কাজে লিপ্ত হয়েছি। আমাদের খুদ্র শক্তি দিয়ে, জীবনকে হাতে নিয়ে ইসলামের বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্বকে জাগিয়ে তুলতে চাই। তাতে আপনি আমাদের মাঝে ঘৃণার কি পাচ্ছেন তা বুঝি না।
আটজন বাঙ্গালিদের শিরচ্ছেদের ঘটনার পরও মনে হচ্ছে আপনি এখনও ইসলামের মোহে তন্দ্রালু।
যে মতবাদ মানুষে মানুষে ঘৃণার জন্ম দেয়, যে মতবাদ বর্বরতাকে প্রশ্রয় দেয় , যে মতবাদের ভিত্তি হচ্ছে লূটতরাজ, দশ্যুবৃত্তি, নৃশংশতা, অবাধ মানবতালঙণ তাকে আমরা কেমন করে সম্মান করতে পারি?
আপনাকে অনুরোধ করব আপনি আমাদেরকে জানান কোথায় কোরান এবং হাদিসে লিখা হয়েছে ‘অন্য ধর্মের লোকের প্রতি সদয় হও’ তাদেরকে বালবাসা দিয়ে হৃদয় জয় করে নাও।
এখন আপনিই বলুন আমরা কী ভাবে ইসলামের সমালোচনা করব?
@বিপ্লব পাল,
আপনার লেখা ও সমালোচনার একজন নিষ্ঠাবান পাঠক আমি। কিন্তু আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে অক্ষম আপনি আসলে কি বলতে চান। আপনি সমাজতন্ত্র নাকি গনতন্ত্র , বুর্জোয়াতন্ত্র নাকি বাজারতন্ত্র কোনটাতে বিশ্বাসী তাও বুঝতে পারলাম না। এটা আমার অক্ষমতা।
যে ধর্ম বলে- অমুসলিমদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহন ক’রো না, তাদেরকে প্রথমে দাওয়াত দিতে বলে, দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলে নির্মমভাবে খুন করতে বলে, সে ধর্মের মধ্যে কোন ধরনের মানবিক আবেদন আছে তা আমি বুঝতে অক্ষম। তারপরও যে ধরনের মানবিক আবেদন আপাত: দৃষ্টিতে দেখা যায়, তার জন্য তো কোরান হাদিস পড়ার বা মানার দরকার আছে বলে তো মনে হয় না। আপনি যদি নিষ্ঠাবান হন, তাহলে দেখবেন- ইসলামের চাইতে ঢের মানবিক আবেদনের কথা খৃষ্টান বা বৌদ্ধ এমনকি হিন্দু ধর্মে আছে, যদিও সেসব ধর্মে অমানবিক কথাবার্তা কম নেই। যীশু খৃষ্ট বলেছিলেন- একগালে চড় খেলে অন্য গাল পেতে দাও, শ্রী চৈতন্য বলেছিলেন- মেরেছ কলসী কানা তাই বলে কি প্রেম দেব না? বুদ্ধ বলেছিলেন- অহিংশা পরম ধর্ম। আর এসব কথা এরা বলেছিলেন- ধর্ম মত নির্বিশেষে সবার জন্য। অথচ মুহাম্মদ কি বলেছেন?- মুসলমান ছাড়া কাউকে ভাল বাসবে না, তারা ইসলামের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলে- তাদেরকে উচ্ছেদ কর, যেখানে পাও সেখানে হত্যা কর। মুহাম্মদের সব মানবিক কথাবার্তা শুধুমাত্র মুসলমানকে কেন্দ্র করে। এটাই হলো ইসলামের সাথে অন্য ধর্মের তফাত।
উপরোক্ত উদ্ধৃতি পড়ে হাসব না কাদব বুঝতে পারলাম না। মুসলমান সমাজ আইনস্টাইন বা আপনার কথিত উচ্চ মানের মানব জন্ম দিতে চায় না। তারা চায় আবু বকর , ওমর বা আলীর (যারা কথার আগে তরবারী চালাত) মত মূর্খ, বর্বর ও নির্মম হতে এবং ওদের মত সন্তান জন্ম দিতে। আর তারাই হলো অধিকাংশ মুসলমানের কাছে শ্রেষ্ট মানব, আদর্শ মানব।
আপনার লেখা পড়ে মনে হয়- মুসলমান সমাজ সম্পর্কে আপনার জ্ঞান অনেকটা কিতাব বা শুনা কথার ওপর নির্ভর। বাস্তবে গভীরভাবে মুসলমানদের সাথে মিশে তাদের মন মানসিকতা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ আপনার হয় নি।
আবার হাসালেন। কেন জানেন ? মুসলমানরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে- শরিয়া আইন ঐশী আইন আর তাই তা সর্বশ্রেষ্ট। যে কারনেই আপনি যে দেশে বসবাস করেন সেখানকার মুসলমানরা সেদেশেই শরিয়া আইন চালু করার সুখ স্বপ্নে বিভোর। খুব কম মুসলিম পাবেন যারা বলবে- শরীয়া আইনের চাইতে মানব সৃষ্ট আইন অধিকতর মানবিক।
সভ্য সমাজের রীতি ঘৃণার বদলে ঘৃণা ছড়ানো না। কিন্তু যাদের জীবন দর্শনই ঘৃণা করা, হত্যা করা তাদেরকে লাইনে আনবেন কেমনে? এধরনের দর্শনে বিশ্বাসী মানুষদেরকে কখনই ভালবেসে ক্ষমতা থেকে সরানো যায় নি। তার জাজ্বল্য প্রমান হলো- হিটলার, সাদ্দাম, গাদ্দাফী। তাদেরকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে হয়েছে।প্রেম ও শান্তিবাদী গান্ধীর আন্দোলনে ইংরেজরা ভারত ছেড়েছিল বলে যদি বিশ্বাস করেন ( জানিনা তা করেন কি না) তাহলে বলব- আপনি আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছেন। ইংরেজরা ভারত ছেড়েছিল, কারন হিটলারের হাতে মার খেয়ে তাদের কোমর ভেঙ্গে গেছিল, তখন তাদের নিজের দেশকেই রক্ষা করার জন্য তাড়াতাড়ি ভারত থেকে পাততাড়ি গুটাতে হয়। ঠিক এরকমভাবেই হিংসার দর্শনে যাদের জীবন গড়া, ভালবাসা তাদের ওপর খুব কমই কাজ দেয়। ইচ্ছা না থাকলেও ,নিতান্ত অমানবিক মনে হলেও শেষ মেষ পাল্টা হিংসাই হয়ে দাড়ায় সে দর্শনকে ঝেটিয়ে বিদায় করার একমাত্র উপায়। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে এটাই হয়ে এসেছে সমাজ পরিবর্তনের একমাত্র মোক্ষম উপায়। আপনার বহুল কথিক ইতিহাস সেটাই সাক্ষ্য দেয়। তাই আপনার সমালোচনা পড়ে মাঝে মাঝে মনে হয়- আপনার বক্তব্য দারুণভাবে স্ববিরোধীতায় পূর্ন। অথবা মনে হয়-নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্যেই এ ধরনের কথা বলেন, যা হয়ত নিজেও বুঝতে পারেন না যে তা স্ববিরোধীতায় পূর্ন।
@ভবঘুরে,
”@বিপ্লব পাল,আপনার লেখা ও সমালোচনার একজন নিষ্ঠাবান পাঠক আমি। কিন্তু আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে অক্ষম আপনি আসলে কি বলতে চান। আপনি সমাজতন্ত্র নাকি গনতন্ত্র , বুর্জোয়াতন্ত্র নাকি বাজারতন্ত্র কোনটাতে বিশ্বাসী তাও বুঝতে পারলাম না। এটা আমার অক্ষমতা।”- এটা মনে হয় আপনার অক্ষমতা নয়, অনেকেরই এ অবস্থা, আমারও।
@ভবঘুরে,
”মুসলমান সমাজ আইনস্টাইন বা আপনার কথিত উচ্চ মানের মানব জন্ম দিতে চায় না। তারা চায় আবু বকর , ওমর বা আলীর (যারা কথার আগে তরবারী চালাত) মত মূর্খ, বর্বর ও নির্মম হতে এবং ওদের মত সন্তান জন্ম দিতে। আর তারাই হলো অধিকাংশ মুসলমানের কাছে শ্রেষ্ট মানব, আদর্শ মানব।আপনার লেখা পড়ে মনে হয়- মুসলমান সমাজ সম্পর্কে আপনার জ্ঞান অনেকটা কিতাব বা শুনা কথার ওপর নির্ভর। বাস্তবে গভীরভাবে মুসলমানদের সাথে মিশে তাদের মন মানসিকতা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ আপনার হয় নি।”
– আপনার এই বাক্যগুলো পড়ে আমারও মনে হলো যে বর্তমান পৃথিবীর সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিমদের চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে আপনার ও সঠিক ধারণা নেই। বর্তমান সময়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা জন্মসূত্রে মুসলিম – একজন জন্মসূত্রে হিন্দু ,বৌদ্ধ বা খ্রিস্টানের মতোই। বেশির ভাগই মুসলিমের জীবন যাপন এবং একজন অমুসলিম বা নাস্তিক ব্যক্তির জীবন যাপনের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। তবে ২০০১ সালের ৯/১১ এর ঘটনার পর হতে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের উপর অত্যাচার এবং দিনরাত মুসলিম বিরোধী প্রচারণার কারণে অনেক জন্মসূত্রে মুসলমানই ধর্মকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। গূয়ান্টানামো বে বানাইয়া আর বোমা মারিয়া মানসিকতার পরিবর্তন আনা যায় না ।
@ভবঘুরে,
” মুসলমানরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে- শরিয়া আইন ঐশী আইন আর তাই তা সর্বশ্রেষ্ট। যে কারনেই আপনি যে দেশে বসবাস করেন সেখানকার মুসলমানরা সেদেশেই শরিয়া আইন চালু করার সুখ স্বপ্নে বিভোর। খুব কম মুসলিম পাবেন যারা বলবে- শরীয়া আইনের চাইতে মানব সৃষ্ট আইন অধিকতর মানবিক।” – নেহায়েত আপনার মনগড়া কথা -বার্তা।
@মোহিত,
আপনার কাছে মনগড়া মনে হচ্ছে কেন, ভবঘুরে যা বলেছেন তা কি সত্য নয়?
@তামান্না ঝুমু, আমার সারা জীবনের অভিজ্ঞতা হতে বলছি-দেশে এবং বিদেশে। আর কোন পোল বা পরিসংখ্যান ছাড়া এ ধরণের উক্তি করা মানে ভিত্তিহীন, বানোয়াট কথা বলা ।
@মোহিত,শরিয়া আইন কি আপনার কাছে মানবিক মনে হয়?
@তামান্না ঝুমু,
শরীয়া আইন বলতে আপনি আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন ?
@মোহিত,
শরিয়া আইন মানে ইসলামী আইন।
@তামান্না ঝুমু,
” শরীয়া আইন মানে ইসলামী আইন নয়। শরীয়া আইনের নামে অনেক কিছু চালানো হয় যা ইসলাম অনুমোদিত নয়।যেমন; তালেবানরা মেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে দেয় না । অথচ কুরান এবং হাদিসে মুসলিম নর-নারীকে বিদ্যা শিক্ষার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। আবার ব্যভিচারের জন্য শরীয়া আইনে মাটিতে পুঁতে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করার কথা বলে অথচ কুরানে এ ধরণের শাস্তির কোন বিধাণ নেই।আবার সৌদি আরব মহিলাদের গাড়ি চালাতে দেয় না অথচ ইসলামী মতে এখানে কোন বাধা থাকার কথা নয়, শালীন পোশাক পরলেই হলো।ইরানে তো মেয়ে পুলিস আছে এবং মেয়ে কমব্যাট স্কোয়াড বানানোর কথাও শুনেছি। সেখানে মেয়েরা চলচ্চিত্রে অভিনয় ও করে এবং ইরানী চলচ্চিত্র উন্নত মানের।
@মোহিত,
কোরানের একটি আয়াত বলুন যেখানে নর-নারীর বিদ্যা শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। কোরানে নারীদের গৃহকোণে থাকতে বলা হয়েছে। গৃহকোণে থাকলে তারা পড়াশোনা করবে কীভাবে? পাথর ছুঁড়ে মারার আইন মুহাম্মদ নিজেই কার্যকর করেছিল এবং অনেককে এ আইনে হত্যাও করা হয়েছিল তার নির্দেশে। এ সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে লাখা আছে। এ মুহূর্তে রেফারেন্স দিতে পারছিনা। পাথর ছোঁড়ার আয়াতটি নাকি মুহাম্মদের মৃত্যুর পর তার পোষা ছাগলে খেয়ে ফেলেছিল। তাছাড়া ব্যাভিচারীদের দোররা মারা ও আমৃত্যু পানাহার ব্যাতিত গৃহে অবরুদ্ধ করে রাখার কথা ত কোরানেই আছে। নারীদের গাড়ি চালাতে দেয়া হয়না কারণ পুরুষ নারী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এজন্য যে পুরুষ নারীর জন্য ব্যায় করে। ৪;৩৪। তার মানে পুরুষ আয় ব্যায় করে বলেই শ্রেষ্ঠ? এখন ত নারীও আয় ব্যায় করছে। তবে কি নারী কর্তৃক পুরুষ পিটানোর আইন করতে হবে এখন? পুরুষ আয় করে তাই পুরুষ নারীকে মারবে। এখানে কি নারীকে স্বাবলম্বি হতে বলা হয়েছে? তারা শুধু গৃহিকোণে বসে বসে পুরুষের মার খাবে!নারী কখনো কোন কিছুর কর্তৃত্ব করতে পারবেনা। মুহাম্মদ বলেছিল যদি কোন দেশের নেতৃ নারী হয় তবে সে দেশের উপর আল্লার গজব পড়বে। নারী ঈমামতি করতে পারেনা, জানাজার নামজে অংশও নিতে পারেনা। তাই গাড়ি চালানোর কর্তৃত্বও নিতে পারবেনা সেটাই যুক্তিসংগত।
শালীন পোষাক বলতে আপনি কী বোঝাতে চান,বোরকা? মানুষ কেন আপাদমস্তক বস্তাবন্দী হয়ে থাকবে? তারা কী চাল, আটা? যেকোন মানুষ নিজের রুচি অনুযায়ী ও ঋতু অনুযায়ী পোষাক পরবে এটাই স্বাভাবিক। শীতে শীতের কাপড় ও গরমে গরমের কাপড় পরবে। সেটা আল্লা রাসুলকে নির্ধারন করে দিতে হবেনা।
যাদেরকে গৃহে বন্দী থাকতে বলা হয়েছে তাদের পুলিসে চাকরি ও চলচ্চিত্রে অভিনয় ধর্মে থেকেই কতটা যুক্তিযুক্ত তা ত বলাই বাহুল্য!
@তামান্না ঝুমু,
আশ্চর্য! আব্রাহামিক ধর্মগুলোর মধ্যে ইসলাম হচ্ছে সেই ধর্ম যেখানে জ্ঞান অর্জনের জন্য সবচে বেশি তাগিদ দেয়া হয়েছে।দেখুনঃ
১।ইলম(জ্ঞান) সন্ধান ও অর্জন করা সকল নর-নারীর জন্য অবশ্য কর্তব্য-আল হাদিস
২। তোমরা বিদ্যা সন্ধান ও অর্জন কর দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত- আল হাদিস
৩। আলিমের( জ্ঞানীর) মর্যাদা আবিদের উপর ততটুকু যতটুকু তোমাদের সাধারণের উপর আমার- আল হাদিস
4.He gives Wisdom to whoever He wills
and he who has been given Wisdom
has been given great good.
But no one pays heed but people of intelligence.
Sura Al –Baqara, verse 269
5. High exalted be Allah , the King ,the Real!
Do not rush ahead with the Qur’an
Before its revelation to you is complete,
And say: ‘My Lord, increase me in Knowledge.’
Sura Ta Ha, verse 114
6. Whoever goes out in search of Knowledge is on the path of God until they return- Muhammad
7. People of Knowledge are the inheritors of the Prophets-Muhammad
8. Possessors of Knowledge and seekers of Knowledge are the only two groups of any use to humanity- Muhammad
(ক্রমশঃ)
পুনশচঃ হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন যে, এ ধর্মটির শুরু হয়েছিল এ কথাটির দ্বারা,-পড় , তোমার প্রভুর নামে।
@তামান্না ঝুমু,
”শালীন পোষাক বলতে আপনি কী বোঝাতে চান,বোরকা? মানুষ কেন আপাদমস্তক বস্তাবন্দী হয়ে থাকবে? ”
– শালীন পোশাক বলতে এটাই বুঝিয়েছি আমাদের দেশের ভদ্র ঘরের একটি মেয়ে ( হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান এবং নাস্তিক ) রুচিসম্মত যে পোশাক পরে ঘরে বা বাইরে চলা ফেরা করেন। হিজাব বা বোরকা পড়তেই হবে এমন কোন কথা নেই, আর আমি তার উল্লেখ ও করিনি।
@তামান্না ঝুমু,
”যাদেরকে গৃহে বন্দী থাকতে বলা হয়েছে তাদের পুলিসে চাকরি ও চলচ্চিত্রে অভিনয় ধর্মে থেকেই কতটা যুক্তিযুক্ত তা ত বলাই বাহুল্য!”
– গৃহ বন্দী হয়ে থাকতে কোথায় বলা হয়েছে ? শালীন পোশাক পরে একটি মেয়ে ফাইটার প্লেন ও চালাতে পারে।
@তামান্না ঝুমু,
”পাথর ছুঁড়ে মারার আইন মুহাম্মদ নিজেই কার্যকর করেছিল এবং অনেককে এ আইনে হত্যাও করা হয়েছিল তার নির্দেশে। এ সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে লাখা আছে। এ মুহূর্তে রেফারেন্স দিতে পারছিনা। পাথর ছোঁড়ার আয়াতটি নাকি মুহাম্মদের মৃত্যুর পর তার পোষা ছাগলে খেয়ে ফেলেছিল।”
– আগেই বলেছি কোরানে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করার কোন বিধাণ নেই। কোরানের আয়াত ছাগলে খায় কীভাবে ? কোরান তো সাহাবীরা মুখস্ত রেখেছেন। আর পাথর ছুঁড়ে হত্যার প্রথাটি এসেছে ইহুদীদের থেকে এবং মধ্যপ্রাচ্যে এটি মুহম্মদের আগে হতেই প্রচলিত ছিল। হাদিসে উল্লেখিত এক ব্যভিচারী ইহুদী নর-নারীকে ইহুদীরাই ধরে নিয়ে এসেছিল বিচার করার জন্য, মুহম্মদ ধরে আনে নী। আর তাদের ধর্ম গ্রন্থ অনুসারেই তিনি বিচার করেছিলেন। এ সংক্রান্ত অন্যান্য ঘটনাগুলো ভালমত পড়ে দেখলে বুঝতে পারবেন মুহম্মদ পারতঃপক্ষে এ ধরণের শাস্তি এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেছেন এবং এ ধরণের শাস্তির ঘটনার উদাহরণ ও খুব বেশি পাবেন না। আর হাদিসগুলো লিখেছে অন্য লোকেরা মুহম্মদ এর মৃত্যুর ২০০ বছর পরে- তাই এগুলোর বিশ্বাস যোগ্যতা কতটুকু ? কোরানে যা নেই তা ২০০ বছর পরে অন্য দেশের অন্য লোকেদের লেখা গাল গল্প দিয়ে কীভাবে জায়েজ করা যাবে ? আর এখানেই তথাকথিত ‘শরীয়া আইন’ এবং ‘ইসলামী আইন’-এর পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন ।
@তামান্না ঝুমু,
”তাছাড়া ব্যাভিচারীদের দোররা মারা ও আমৃত্যু পানাহার ব্যাতিত গৃহে অবরুদ্ধ করে রাখার কথা ত কোরানেই আছে।”
-ব্যভিচার সম্পর্কে কোরানে একাধিক বিকল্প ব্যবস্থার কথা আছে। যেমনঃ
১।তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচার করে তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চারজন সাক্ষী তলব করবে যদি তারা সাক্ষ্য দেয় তবে তাদেরকে গৃহে অবরুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন ব্যবস্থা করেন। সূরা নিসা ১৫
– দেখুন এখানে খাদ্য পানীয় বন্ধ করে দেয়ার কথা কোথাও বলা হয় নাই। শুধু গৃহবন্দী করে রাখার কথা বলা হয়েছে তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত। আর অন্য ব্যবস্থাটি কী তা পরবর্তী আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
২। তোমাদের মধ্যে যে দুজন ইহাতে লিপ্ত হবে তাদেরকে শাসন করবে।যদি তারা তাওবা করে এবং নিজদিগকে সংশোধণ করে লয় তবে তাদেরকে রেহাই দিবে।আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। নিসা ১৬
এবং
৩। ব্যভিচারিনী এবং ব্যভিচারীর প্রত্যেককে একশত কশাঘাত করবে।আল্লাহর বিধাণ কার্যকরীকরণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের প্রভাবান্বিত না করে।যদি তোমরা আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাসী হও।মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। সূরা নূরঃ২
ব্যভিচারের শাস্তি বিষয়ে এসব হলো কুরানের বিধাণ। দেখুন এখানে কোথাও পাথর ছুঁড়ে হত্যা বা শিরোচ্ছেদ বা অন্য উপায়ে হত্যার কথা বলা হয় নাই। মনে রাখতে হবে বহুবিধ গোত্রীয় কোন্দলে বিভক্ত এবং হানাহানিতে লিপ্ত অনুন্নত আরবদের নিয়ে মুহম্মদ একটি সুশৃংখল সমাজ গঠনের চেষ্টা করছিলেন। আর পরিবার হলো সমাজের মৌলিক প্রতিষ্ঠান। আর কে না জানে ব্যভিচার কীভাবে মানব জাতির এই মৌলিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে – এযুগেও। তাই অপরাধীর অপরাধের পরিমাণ, পরিস্থিতি এবং তাদের প্রবণতা বুঝে মাফ করে দেয়া, কশাঘাত করা এবং সর্বোচ্চ শাস্তি ঘরের ভেতরে রেখে দেয়া যাতে সে ঘরের বাইরে এসে অন্যান্য পরিবার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করতে না পারে এবং একজনের অপরাধ প্রবণতা যাতে দশ জনের জন্য বিপর্যয় ডেকে না আনে তা নিশ্চিত করা । এখানে যে Wisdom -এর প্রকাশ ঘটেছে তা কী আপনি লক্ষ্য করছেন না ?
@তামান্না ঝুমু,
”নারীদের গাড়ি চালাতে দেয়া হয়না কারণ পুরুষ নারী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এজন্য যে পুরুষ নারীর জন্য ব্যায় করে। ৪;৩৪।”
– উপরের বাক্যটি কী আপনার ? এধরণের কোন আয়াত তো কোরানে নেই। নারীদের গাড়ি চালাতে দেয়া হয় না কারণ পুরুষ নারী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ,- এটা কে বলেছে ? ব্রিটেনে তো হিজাব পরা মুসলিম মেয়েরা একাই গাড়ি চালায়, হাসপাতালে ডাক্তারি করে, ব্যাংকে চাকরি করে, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে সেলস গার্ল এর কাজ করে এবং They are damn smart.কই ব্রিটেনের কোন মুসলিম স্কলারকে তো এনিয়ে কোন ফতোয়া দিতে দেখলাম না। অথচ এখানে একাধিক ইসলামী টিভি চ্যানেল আছে যারা দিনরাত ইসলাম বিষয়ে প্রচার করছে, আলোচনা করছে।
@তামান্না ঝুমু,
”নারীদের গাড়ি চালাতে দেয়া হয়না কারণ পুরুষ নারী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এজন্য যে পুরুষ নারীর জন্য ব্যায় করে। ৪;৩৪। তার মানে পুরুষ আয় ব্যায় করে বলেই শ্রেষ্ঠ? এখন ত নারীও আয় ব্যায় করছে। তবে কি নারী কর্তৃক পুরুষ পিটানোর আইন করতে হবে এখন? পুরুষ আয় করে তাই পুরুষ নারীকে মারবে। এখানে কি নারীকে স্বাবলম্বি হতে বলা হয়েছে? তারা শুধু গৃহিকোণে বসে বসে পুরুষের মার খাবে!”
-আপনি সূরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতটি উল্লেখ করতে যেয়ে উল্টা -পাল্টা করে ফেলেছেন। আয়াতটি হচ্ছে এরকমঃ
Men have charge of women
because Allah has preferred the one above the other
and because they spend their wealth on them.
Right-acting women are obedient,
safeguarding their husband’s interest in their absence
as Allah has guarded them.
If there are women whose disobedience you fear,
you may admonish them,
refuse to sleep with them,
and then beat them.
But if they obey you, do not look for a way to punish them.
Allah is All-High, Most Great.
দেখুন এখানে নরের উপর নারীর দায়িত্ব চাপানো হয়েছে এবং নরকেই বেছে নেয়া হয়েছে নারী তথা সমগ্র পরিবারের ভরণ পোষণ এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য। অর্থাৎ পরিবার নামক মানব জাতির এই মৌলিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ভার নরের উপর অর্পণ করা হয়েছে। কেমন হতো যদি বলা হোত নারীরাই নরদের ভরণ -পোষণ এবং নিরাপত্তা বিধাণের দায়িত্ব নিবে ? তবে নারীরা কাজ করতে পারবে না এবং ঘরে বসে থাকতে হবে এ কথা কী বলা হয়েছে ?
একই সূরার ৩২ নম্বর আয়াতে কী বলা হয়েছে দেখুনঃ
Do not cover what Allah has given to some of you
in preference to others-
men have a portion of what they acquire
and women have a portion of what they acquire;
but ask Allah for His bounty.
Allah has knowledge of all things.
যে কোন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মূল দায়িত্ব তো একজনের হাতেই দেয়া হয়; যেমনঃ পরিচালক এবং তার পরে উপ-প্রধাণ পরিচালক। কিন্তু পরিচালক যতক্ষণ বর্তমান ততক্ষণ পর্যন্ত তার ঘাড়েই মূল দায়-দায়িত্ব থাকে এবং এই দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনের জন্য তাকে কিছু ক্ষমতাও প্রদান করা হয়, যেমনঃ অধীনস্থদের কর্তব্য অবহেলার কারণে ভর্ৎসনা করা, সাময়িক অব্যাহতি এবং বরখাস্ত এবং ক্ষেত্র বিশেষে জেল-জরিমানা ইত্যাদি। আর পরিবার নামক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ও পুরুষকে সেরকমই কিছু ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, যেমনঃ মৃদু ভর্ৎসনা, এক বিছানায় না ঘুমানো এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃদু প্রহার।কিন্তু অধুনা আরবী ‘দারাবা’ শব্দটি- যা দ্বারা প্রহার বুঝে থাকে অনেকে তার ভিন্ন ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে এর মানে প্রহার না- আসলে উপেক্ষা করা বা দূরে সরে যাওয়া ইত্যাদি। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে যে , মুহম্মদ তার কোন স্ত্রীকে জীবনে কোন দিন প্রহার করেছেন বলে শোনা যায় নি ।শুধু তাই নয় তিনি স্ত্রীদের উদ্দেশ্যে গালি-গালাজ বা চীৎকার বা কটুক্তি করেছেন বলে ও জানা যায় নি। এমন কি তিনি কোন স্ত্রীকে চিমটি কেটেছেন বলে ও শোনা যায় না। বিবিদের কারো কথায় নিদারুণ কষ্ট অনুভব করলে তিনি আলাদা ঘরে যেয়ে একাকী চুপচাপ শুয়ে থাকতেন এবং মনে রাখতে হবে যে তিনি ১১ বিবি নিয়ে ঘর করেছিলেন। তাই দারাবা শব্দটির মানে প্রহার নাও হতে পারে।
@তামান্না ঝুমু,
”তারা শুধু গৃহিকোণে বসে বসে পুরুষের মার খাবে!নারী কখনো কোন কিছুর কর্তৃত্ব করতে পারবেনা। মুহাম্মদ বলেছিল যদি কোন দেশের নেতৃ নারী হয় তবে সে দেশের উপর আল্লার গজব পড়বে।”
– গৃহকোণে বসে বসে মার খাবে কেন ? দেখুন, নিচের আয়াতে কী বলা হয়েছে ;
If a woman fears cruelty or aversion on her husband’s part,
there is nothing wrong in the couple becoming reconciled.
Reconciliation is better.
But people are prone to selfish greed.
If you do good and godfearing,
Allah is aware of what you do.
আর নারী নেতৃত্ব নিয়ে যেহেতু কোরানে কিছু বলা হয় নি, তাই হাদিস নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই। কারণ, হাদিসগুলো লিখেছে বিভিন্ন লোকে মুহম্মদ এর মৃত্যুর ২০০ বছর পরে-তার কত টুকু সত্য আর কত টুকু মিথ্যা তা কে জানে ?
@মোহিত,
–
গৃহবন্দী থাকতে আপনি না বললেও কোরানে আল্লাহ বলেছে। ফাইটার প্লেন চালাবে কীভাবে কোরান ত নারীকে স্বাবলম্বি হতে বলেনি!
ভদ্র ঘরের মেয়ে মানে কী? একটি মেয়ের পরিবার কতটুকু ভদ্র তা কি তার পোষাকে পরিচয় মেলে? তবে ভদ্র ঘরের ছেলের শালীন পোষাকের কথা বলা হচ্ছেনা কেন? রুচিসম্মত বলতে কি বোঝানো হয়েছে? সবার রুচি কি একই রকম হতেই হবে? বোরকা হিজাবের কথা আপনি না বললেও ইসলাম বলেছে। কোরানে বলা হয়েছে,”নারীগণ তোমরা জাহেলিয়া যুগের নারীদের মত সাজ গোজ করে বাইরে ঘুরে বেরিয়োনা। আপাদমস্তক চাদরে আবৃত কর।”
সুরা আলাক আয়াত ১ থেকে ৪। ৯৬;১-৪
১,পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃজিয়াছেন।
কী পড়বে? জিব্রাইল কি পড়ার জন্য কোন বই খাতা, খেজুর পাতা, গাছের ছাল বা অন্য কিছু যাতে তখনকার দিনে লেখা হত সে রকম কিছু সাথে এনেছিল?
২, সৃজিয়াছেন মানুষকে রক্তপিন্ড থেকে।
এই কথাটা সম্পূর্ণ ভুল। মুহাম্মদ হয়ত কারো মিসকারেজ হতে দেখেছে বা শুনেছে; যা দেখতে রক্তপিন্ডের মত। প্রকৃতপক্ষে ভ্রুণ কিন্তু রক্তপিন্ড নয়। আর রক্তপিন্ড থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়না। শুক্রনু ও ডিম্বানুর মিলনে একটি ভ্রুনের সৃষ্টি হয়।
৩,পর তোমার রব্ব মহিমাময়
এখানে রব্বের তোষামোদ করতে বলছে রব্ব নিজেই। পড়তে বলা হয়েছে রব্বের প্রশংসা। পড়াশোনা কি প্রকৃতপক্ষে তাই?
৪,যিনি শিখাইয়াছেন কলমের দ্বারা
কলম কোত্থেকে এল? আল্লা কি জিব্রাইলের মাধ্যমে কোন কাগজ কলম পাঠিয়েছিল নিরক্ষর মুহাম্মদকে অক্ষরজ্ঞান শিক্ষা দেয়ার জন্য? অথবা ওহীবাণীগুলো কি কলম দ্বারা কোন কাগজে বা অন্য কিছুতে লিখে পাঠানো হয়েছিল? মুহাম্মদের দাবী অনুযায়ী ত ওহী জিব্রাইল তাকে মুখে মুখে বলত আর মুহাম্মদ তা মানুষকে অবিকল মুখে মুখে বলত। মাঝে মাঝে নাকি ভুলেও যেত। সেজন্যও আয়াত নাজিল হয়েছে। কোন আয়াত ভুলে গেলে তার স্থলে আরো উত্তম আয়াত নাজিল করা হবে তার মানে কি? আগে পাঠানো আল্লার বাণীটি কি উত্তম ছিলনা?
@মোহিত,
ব্যাভিচারের ইসলামী শাস্তি নিয়ে কথা হচ্ছিল। ব্যাভিচার কি? বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কই কি ব্যাভিচার? তাহলে অগণিত দাসী ও যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে যৌনাচারের অনুমোদনকে আপনি কী বলবেন? সেটা কি ব্যাভিচার নয়, অপরাধ নয়, এর শাস্তি কি? দুজন ্প্রাপ্ত বয়ষ্ক মানুষ যদি ভলবেসে একে অপরের কাছে আসে সেটা ব্যাভিচার হয়ে গেল? আর যেখানে কোন ভালবাসা নেই, আছে হিংস্রতা আছে জঘন্যতা সেটা পবিত্র ব্যাপার হয়ে গেল ইসলামের দৃষ্টিতে! পৃথিবীর সভ্যতম দেশগুলোর দিকে দেখুন। সুইডেন, ডেনমার্ক,নরওয়ে,অস্ট্রেলিয়া এসব দেশে অনেক মানুষ বিয়ে না করেই প্রেমিক প্রেমিকার সাথে বাস করছে। তাদের সন্তান হচ্ছে। এই মানুষগুলোকে কি আমরা ব্যাভিচারী বলব? তাদের সন্তানদেরকে জারজ বলব? নারীবাদের পথিকৃত মেরী ওলস্টোনক্রয়াফট্ বিয়ে না করেই তার প্রেমিকের সাথে বাস করেছিলেন দীর্ঘদিন। তাদের একটি কন্যাও জন্মেছিল। তাকে কি আমরা ব্যাভিচারী বলব? হুমায়ুন আযাদ বলেছেন, সৎ মানুষের জন্য বিয়ে একটি অপ্রয়োজনীয় জিনিস। ্রোকেয়া বলেছেন, বিয়েই জীবনের সারমর্ম নয় ।
হানাহানিতে লিপ্ত আরবদেরকে সুসৃঙ্খল জাতীতে পরিণত করার জন্য বলা হয়েছে, দাসী ধর্ষণ কর, যুদ্ধবন্দিনী সম্ভোগ কর, চোরের হাত কেটে দাও,কাফের হত্যা কর, নবীর কথার উপর কথা নাই, পত্নী প্রহার কর!
অপ্রা উইনফ্রি বিয়ে করেননি। লিভ টুগেদার করছেন অনেক বছর ধরে। তিনি বহু বছর ধরে মানবতার তরে কাজ করছেন। কোটি কোটি মানুষকে সাহায্য করছেন বিভিন্নভাবে। তাকে কি ব্যাভিচারের অপরাধে আমৃত্যু গৃহবন্দী করে রাখা উচিত? এ রকম অনেক উদাহরণ আছে।
কোরান কাউকে কখনো উন্নত করতে পারবেনা। যে বইতে বলা হয় আকাশ পৃথিবীর ছাদ, পাহাড় দিয়ে পৃথিবীকে চাপা দেয়া হয়েছে তাই তা হেলে পড়েনা, পঙ্কিল জলাশয়ে সূর্য অস্ত যায়, তারকা দিয়ে নিচের আকাশ সাজানো হয়েছে, ৬ দিনে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে, মাটি দিয়ে মানুষ বানিয়ে তাতে ফুঁ দিয়ে প্রাণ সঞ্চার কর হয়েছে ইত্যাদি। সে বই পড়ে কে কীভাবে উন্নত হবে? এই বইতে যারা বিশ্বাস করবে ও অনুসরণ করবে তাদেরও সূর্যের মত পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন গতি নেই।
হত্যার বিনিময়ে হত্যা করতে বলা হয়েছে সুরা বাকারার ১৭৮ আয়াতে। তখন শিরোচ্ছেদ করেই মৃত্যুদন্ড দেয়া হত।
প্রেমের অপরাধে দোররা মারা ও আজীবন বন্দী করে রাখার মধ্যে আপনি wisedom দেখতে পাচ্ছেন? শারীরিক আঘাত কোন সভ্য সমাজে কোন অপরাধের শাস্তি হতে পারেনা ।কোন সভ্য দেশে এ আইন প্রচলিত নেই।
কোন নারী যদি ধর্ষিত হয় তাহলে সে চার জন সাক্ষী কোথায় পাবে? সাক্ষী রেখে কি কেউ ধর্ষণ করে? কোন দাসী যদি ধর্ষিত হয় তার বিচার কি? যেকোন বিচার প্রক্রিয়া মোমিনদেরকে প্রত্যক্ষ করতে বলা হয়েছে কেন? কোন অপরাধির বিচার করা মানে কি তাকে অপমান করা?
@মোহিত,
ইসলাম নারীকে স্বাবলম্বি হতে বলেনি কখনো। যারা ইসলামে থেকেই নারীকে চাকরী করতে বলে তারা ইসলাম বিরোধী তথা স্ববিরোধী। কোরানে বলা হয়েছে পত্নীকে পিটাতে। কিন্তু উন্নত বিশ্বে বসবাসকারী ও হিজাবধারী কয়জন নারী স্বামীর মার খেয়ে হজম করবে? যদি না করে তারা কি ইসলামে থেকেও ইসলাম বিরোধী নয়?
@মোহিত,
নরের উপর দায়িত্ব চাপানো হয়েছে নারীকে দাসী করে রাখার জন্য। পরিবারের কারো উপর দায়িত্ব চাপানো ও কাউকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া ৩য় কারো কর্ম নয়। সেটা যাদের সংসার তারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। রোকেয়া জীবনে স্কুলে যাননি। তিনি লিখেছেন,” কন্যাগুলিকে সুশিক্ষিত করিয়া কর্মক্ষেত্রে ছাড়িয়া দাও,
সাধারণ মানুষ হয়ে তাঁর মাথায় এ কথা আসতে পারল, আল্লা ও রাসুলের মাথায় আসতে পারলনা!
বাংলা ও ইংরেজীতে যতগুলো কো্রআনের অনুবাদ পড়েছি সবখানে দেখেছি দারারা কে প্রহার অনুবাদ করা হয়েছে। মৃদু প্রহার ইদানিং যুক্ত হয়েছে। কিছুদিন পরে দারারা অর্থ ভালবাসা হয়ে যাবে বিচিত্র নয়। স্বামী অপরাধ করলে তাকে কি শাস্তি দিতে হবে সে ব্যাপারে কোরান চুপ কেন?
একজন কুখ্যাত ,শিশুকামী, পুত্রবধুকামী, লম্পট লোক ১১ জন বিবির সাথে ঘর করেছে। এছাড়াও অসংখ্য দাসী ও গনীমতের মাল ভোগ করেছে। তার বৌদের সাথে তার কীরকম সম্পর্ক ছিল এটা কোন আলোচ্য বিষয় নয়। চিন্তা করতেই ঘেন্নায় গা শিউড়ে উঠে।
৬৬ নাম্বার সুরা। সুরা তাহরিমে বলা হয়েছে সে তার বিবি সবগুলোকে তালাক দিয়ে আরো কতগুলো বিয়ে করে নিয়ে আসবে। এ থেকেই বুঝতে পারেন সে কী অবস্থায় তাদের রেখেছিল। তার কোন আচরণের কোন প্রতিবাদের আশংখা দেখলেই সে তালাক দেয়ার হুমকি দিত। আই তারা চুপই থাকতো। লম্পটটা হয়ত এইডসেই মারা গিয়েছিল।
@তামান্না ঝুমু,
”লম্পটটা হয়ত এইডসেই মারা গিয়েছিল।”
– এটা নিশ্চয়ই রাগের কথা ? কারণ দুনিয়ার মানুষ এইডস এর কথা জেনেছিল ১৯৮৫ -৮৬ সালের দিকে।ইতিহাসে এর আগে এই রোগ সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। এইডস রোগ এর কারণ কী জানেন তো ?
@তামান্না ঝুমু,
”একজন কুখ্যাত ,শিশুকামী, পুত্রবধুকামী, লম্পট লোক ১১ জন বিবির সাথে ঘর করেছে। এছাড়াও অসংখ্য দাসী ও গনীমতের মাল ভোগ করেছে। তার বৌদের সাথে তার কীরকম সম্পর্ক ছিল এটা কোন আলোচ্য বিষয় নয়। চিন্তা করতেই ঘেন্নায় গা শিউড়ে উঠে।”
– আপনার যে গোস্বা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। কারণ, আপনার বক্তব্যে সত্যতা কতটুকু ? মুহম্মদ কুখ্যাত কেন ? শিশু কামী কথাটাই বা কতটুকু যুক্তি সংগত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ? লম্পট কেন ? অসংখ্য দাসী এবং গনীমতের মাল ভোগ করেছে এটা কোথায় পাওয়া গেল ?
@ভবঘুরে,
যথার্থ বলেছেন।(Y) (Y)
বর্তমান বিশ্বে ইসলামই সবচেয়ে বিভীষিকাময়, ধ্বংসাত্নক ধর্ম। অন্য ধর্মগুলো যুগে যগে অনেকটা মডারেট হয়ে এসেছে। কোরান অপরিবর্তনযোগ্য তা কোরানেই লেখা আছে। তাই বর্বরতা থেকে এদের কোন মুক্তি নেই।
@ভবঘুরে,
নির্দিষ্ট কোন তন্ত্রে বিশ্বাসী (নাকি অন্ধ বিশ্বাসী) হওয়া কি খুব জরুরী? আমি তো বরং বলব যা কিছু ভাল তা গ্রহণ এবং যা কিছু খারাপ তা বর্জন করার মন মানুসিকতাই শ্রেয়।
শরীয়া আইন কি মানুষের সৃষ্ট আইন নয়? আপনি কি মনে করেন স্রষ্টা নিজে লিখে পাঠিয়েছেন এই শরীয়া ??
যদি তা ধরেও নিই, খুনের সাজা আপনার তথাকথিত মানবিক আইন কি দেয়?? _মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত প্রায় ১০ মিনিট ফাসিতে ঝুলাই রাখা হয়। একে আপনি মানবিক বলছেন?? 🙁 _ Electric shock দিয়ে মৃত্যু দণ্ড দেয়াটা মানবিক। তাই কি? নাকি বিষ প্রয়গে ?
দয়া করে মৌলবাদী হয়েন না। মানবিক হন।
কথা টা আপনি বললেন না মোহাম্মাদ রা বলল বুঝতে কষ্ট হচ্ছে :-Y :-Y :-Y
আবার ও বলতে ইচ্ছে করছে_ দয়া করে মৌলবাদী হয়েন না। মানবিক হন।
@ভবঘুরে এবং মোহিতঃ
(১) ইসলামকে ধর্ম বা আলাদা ধর্ম হিসাবে মানলে আমাকে যুক্তিবাদ বা বিজ্ঞান ত্যাগ করতে হবে। কারন বিজ্ঞানে ধর্মের অস্তিত্বই নেই। সেটা একটা নৃতাত্ত্বিক প্রোডাক্ট ছাড়া কিছু না।
(২) আমি রাজনৈতিক সিস্টেম হিসাবে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থা হিসাবে কোয়াপরেটিভ মুভমেন্টের সমর্থক। আমার নিজের রাজনৈতিক আদর্শ বা মতামত এই প্রবন্ধে
[বিকল্প মার্ক্সবাদের সন্ধানে-কাউন্সিল কমিউনিজম্ ] লিখেছিলাম-এবং আরো অনেক জায়গাতেই লিখেছি
@বিপ্লব পাল,
[আমরা যখন ধর্মের কথা বলি তখন কিসের কথা বলি? এগুলোর সবগুলোই বিশেষ করে আব্রাহামিক ধর্মগুলো কিছু প্রতারকের মহা-প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা চেয়েছিল সকল মানুষকে সকল কালের জন্য বোকা বানাতে। আমরা যতই এই ধর্মগুলোর উৎপত্তির পেছনে উদার ব্যাখ্যা খুঁজতে যাই ততই ব্যর্থ হই। যেমন কিছু ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করি-
১। ধর্মগুলো মানুষকে এক করেছিল, করেছিল শক্তিশালী। মানুষের এ একতার প্রয়োজন ছিল সভ্যতার জন্য।
> ধর্ম কি মানুষকে এক করেছে? আপনি প্রতিটি ধর্মে কত শাখা, উপশাখা দেখেন। মুসলমানদের শিয়া, সুন্নি, কাদিয়ানি ঘটনাগুলো দেখেন। মুহাম্মদের মৃত্যুর পরেই তো শুরু হয়ে গেল বিশৃংখলা। আর মানুষকে একতাবদ্ধ করেছে – এ যুক্তিতে সমস্যা রয়েছে। কিসের ভিত্তিতে এক করল? কিছু গর্দভীয় কাজের জন্য যদি এক পাল লোক এক হয় তবে তা কি কাম্য?
২। এত লোক রয়েছে ধর্ম বিশ্বাসী। তাই ধর্মপ্রচারকদের ঠিক প্রতারক বলা উচিত না।
> এটি বাজে যুক্তি। এক ভণ্ড পীরের যদি লক্ষ লক্ষ মুরিদ থাকে, তার পীরপনা বছরের পর বছর অব্যাহত থাকে তবেই কি সে দায় মুক্ত হয়ে গেল? এটা তো বরং তার অপরাধ বাড়িয়ে চলল।
৩। ধর্মপ্রচারকদের উদ্দেশ্য মহৎ ছিল। তাদের আগমন প্রয়োজন ছিল।
> ধর্মপ্রচারকদের উদ্দেশ্য কতটা মহৎ ছিল তা নিয়ে মুক্তমনায় আলোচনা কম হয় নি। একটি ধর্মকে আবশ্যক দেখানোর জন্য কেউবা আইয়ামে জাহেলিয়াতের কল্পকাহিনী তৈরী করেছে আবার কেউবা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে যাওয়ার গল্প ফেদেছে। নির্বোধ হিন্দুদের হাস্যকর অবতারকাহিনী দেখেন- প্রতিটি অবতার আসার আগেই পৃথিবী কী নিদারুন সংকটের মুখেই না পড়েছিল হায়!!
প্রতারণার কোনো ভাল দিক থাকতে পারে না এবং তা নেই।
তারপরেও যদি কেউ বলেন ধর্মের প্রয়োজন ছিল তবে বলব অন্তত এ ব্যাপারে তো দ্বিমত নেই যে ধর্মগুলো বর্তমানে অচল আর ক্ষতিকর। এগুলোর বিলুপ্তি প্রয়োজন। এগুলোর প্রতি ঘৃণা থাকতেই হবে।]
ধর্মকে ঘৃণা করা আর কোনো মানুষকে ঘৃণা করা যে এক নয় তা তো আপনি জানেন। সব জেনেও আপনি প্রেম নিয়ে এসেছেন। মাথা কেটে ফেলতে আসা ধর্মের বিরুদ্ধে যদি ঘৃণা প্রকাশ করার আগেই আপনি প্রেম নিয়ে আসেন তবে আপনার প্রেম নিয়ে বৃন্দাবন গিয়ে বসে থাকেন দাদা। আর হ্যা, মাথা কাটা যাওয়ার অপেক্ষায় যারা রয়েছে তাদের উদ্ধারের জন্য কখন, কোথায়, কতটুকু প্রেম নিবেদন করতে হবে তা একটু জানান।
ধর্ম থাকবে না, মরে যাওয়ার জন্যই তার জন্ম;
কিন্তু ধর্মকে প্রেম দিতে চাওয়া সুশীলরা সেই অনাগত ধর্মহীন জগতেও বেচে থাকবে- এটাই আফসোসের কথা।
@সৈকত চৌধুরী,
আমি সবার প্রশ্নের উত্তর একসাথে দিচ্ছি।
(১) ধর্ম অবশ্যই অতীতের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন সেলফ অর্গানাইজিং ফোর্স। ধর্মকে কেন্দ্রকরেই আদিম সভ্যতা এবং রাজ্যগুলি সংগঠিত হয়েছে।
(২) প্রতিটা ধর্ম আন্দোলনই একধরনের প্রতিবাদি আন্দোলন- অতীতে নতুন প্রতিবাদ, নতুন ধরনের ধর্মের জন্ম দিয়েছে।
ধর্মের মূলকাজ-সামাজিক সংগঠন-সেটি আজকে অচল। এটি ঠিক কথা। কারন বিজ্ঞানের ভিত্তিতে, আরো উন্নত আইন, সংগঠন আজ সম্ভব। এই নিয়ে আমার বিস্তারিত লেখা আছেঃ
http://biplabspiritualism.blogspot.com/2008/11/is-present-concept-of-secular-state.html
কিন্ত তার জন্যে ঐতিহাসিক তথ্যটা লোপাট করা যায় না।
@বিপ্লব পাল,
আপনার লিখা দীর্ঘ দিন ধরে পড়ছি দাদা। আপনাকে বুঝতে কোন অসুবিধা নেই। আপনার মত করে আরবরা কবে বুঝবে?
@সৈকত চৌধুরী,
হ্যা, সেটুকু জানার অপেক্ষায় আছি। (Y)
@বিপ্লব পাল, আমি কি খ্রিস্ট ধর্মের কোন বাণী পড়লাম নাকি?
“কিন্ত ইসলামের ঘৃণার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে, ইসলামকে ঘৃণা করলে, পার্থক্যটা কোথায় রইল?
ঘৃণার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঘৃণা ত্যাগ করে যুক্তি এবং ভালোবাসা নিয়ে মাঠে নামতে হয়।
ঘৃণা উগলে দিয়ে ঘৃণার বিরুদ্ধে কোন জয় আসবে না।”
তোমার শত্রুকেও ভালবাস, এই রকম কিছু একটা?
না এতে কাজ হবে না, কোনদিন হয়নি।সরি আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না বলে। (N)
জ্বিহাদের তরবারি আজো পারিনি কো ছাড়িতে
আজো বুক কাপেনাকো মানুষ যত মারিতে
তবু পবিত্র নুরানি আমি
চাই প্রমাণ? আছে! এই আমার সুন্নতি দাড়িতে ।। ( ব্যা ব্যা …)
@অরণ্য,
আজো যে কাফের মুশরিক রয়ে গেছে দুনিয়াতে! সম্পূর্ণভাবে দীন কায়েম হবার আগে ত তরবারি ছাড়ার প্রশ্নই আসেনা। তাছাড়া তরবারি ইসলামের প্রতিক।
এক হাতে তরবারি
অন্য হাতে পাক কোরান।
দীন প্রতিষ্ঠায়
কাফেরদিগের নিয়ে নেব জান।
এই হচ্ছে কোরানী স্লোগান।
ইসলাম-
মানবতার ঘাড়ের উপর উন্মত্ত তরবারি হাতে
সদা দণ্ডায়মান বর্বর তুমি;
ইসলাম- তুমি ধ্বংস হও
যত শীঘ্র সম্ভব,
আ-র দেখিতে চাই না তব বিভীষিকা।
প্রিয় তামান্না ঝুমুকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
@সৈকত চৌধুরী,
দেড় হাজার বছর আগে পৃথিবীতে এক অভিশপ্ত মানব সন্তানের জন্ম হয়েছিল। সে মানবটি বিষ ঢেলে দিয়ে গিয়েছিল পৃথিবীতে। সেই জঘন্য বিষক্রিয়া এখনো বিদ্যমান।
@তামান্না ঝুমু, ঠিক বলেছেন আপু! (Y)
;-(
@ব্রাইট স্মাইল্, ;-(
(Y)
@অভিজিৎ, (Y)
সকল কিতাবি ধর্ম আসিয়াছে মরুভূমিতে
আর কাহারো কি ঐশী কিতাব আছে?।
বনি-ইস্রাইলি গন শ্রেষ্ঠ মানব
বলা আছে ঐশী কিতাবে।
বনি-ইস্রাইলি গন মুণ্ডু কর্তন করিতেই পারে
তাহাদের রক্তে নবীর রক্ত বহিতেছে!
তোমরা নীচু মানব,বনিইস্রাইলিদের সেবাই তোমাদের কর্ম
তোমাদের নারীদের তাহারা ধর্ষণ করিলে
তোমাদের রক্তেও নবীর রক্ত বহিবে
তোমরা কি উন্নত হইতে চাও না?
তোমরা রাজ-রক্তের অংশ চাও না?।
আল্লাহ যা জানে তোমরা তাহা জান না
তোমাদের মঙ্গল কিসে তোমরা বুঝ না।
যিনি জানেন তাহার আইন অস্বীকার করা কুফরি
ইহুদি-নাসারা দের প্রোপাগান্ডায় তোমরা অন্ধ
ইহা জানাটা খুব জরুরী
তোমরা যেখানে রক্ত দেখ
ইসলাম সেখানে শান্তি দেখে
রক্ত ব্যতীত শান্তি আসে না।
নবী যখন তরবারি ধরিয়াছে
ইহুদি-নাসারারা পিছু হটিয়াছে
তোমরা কি তাহা দেখ নাই?
তোমরা আদতে অন্ধ
কিন্তু ইসলাম অন্ধ নহে
ইসলাম এ রক্তের বদলে রক্তকে হালাল করা হইয়াছে।
তোমরা ইসলামকে আধুনিক করিতে যাইও না
ইসলাম আধুনিক ছিল,আধুনিক ই রহিয়া গিয়াছে।
মৌলিক ধর্ম কখনো অপ্রাসঙ্গিক হয় না।
নারীর ভোটাধিকার মরুভূমিতে গতকাল দেওয়া হইয়াছে
দেরীতে হইলেও ত দেয়া হইয়াছে
নারীর মত অপবিত্র বিষয় লইয়া তোমরা মাতামাতি করিও না
তাহারা আদমের কোমরের বাঁকা হাড় হইতে তৈরি
তাহাদের মন বাঁকা
তোমাদের জন্য নারী হালাল বিছানায়, সংসদ বা আইনপরিষদে নহে
নারীর গর্ভ হইতে জন্মাইয়াছ বলিয়া কি মস্তক বিক্রি করিয়াছ?
সাধু সাবধান, নারী সকল নষ্টের গোঁড়া।
গর্দান কর্তন লইয়া তোমরা বাড়াবাড়ি করিও না
তোমাদের নিজ নিজ গর্দানের প্রতি সতর্ক থাক
নিজে বাঁচিলে বাপের নাম,ইহা সত্য বলিয়া মান।
@সপ্তক,
****পুনশ্চঃ ঈশ্বরের পক্ষে সপ্তক। অমার্জনীয় ভুলের জন্য ক্ষমা চাই!!
@সপ্তক,
আল্লাহর কাছে ভুলের কোন মার্জনা নাই।
@তামান্না ঝুমু,
দিল থিকা ক্ষমা চাইলে ক্ষমা আছে।আরব গো কাছে নাই।
বাঁশের চাইতে কঞ্চি বড়। হে।।হে।।হে…
@সপ্তক,
কাফেরদেরকে কোন ক্ষমা নেই। যদি ঈমান আনে তাহলে আছে। চুরিরও কোন ক্ষমা নেই। যে কোন চুরির একমাত্র শাস্তি হাত কাটা।
@তামান্না ঝুমু,
সবই আপেক্ষিক, আইন আমার কিন্তু বাস্তবায়ন করে উম্মত।আমার দোষ নাই। সরাসরি বলছি নাকি আমি আছি?। আমার আইন ও তাই। আমি আসি নাই আইন বাস্তবায়ন করিতে, আমার দোষ নাই। আমি মহান।
****ঈশ্বরের পক্ষে সপ্তক
@সপ্তক,
শুনেছি কেয়ামতের আগে নাকি কোরানের আয়াত উঠে যাবে। সে মহান ও পৃথিবীর জন্য অতীব জরুরী কাজটি তারাতারি করে ফেলুন। দুনিয়া দারি কেয়ামতের আগেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কোরানের কারণে।
@তামান্না ঝুমু,
দিল্লী দূরঅস্ত। তোমরা আমাকে ঠিকমত follow কর না কেন!। যখন কোরানের আয়াত থাকিবে না তখন দজ্জল কে পাঠাইব। তাহার পরে আসিবে মেহদি, জান ত ঈসাকে মেহদি হিসাবে পাঠাইব। তাহার পর শান্তি আর শান্তি। তাহারপর ঠুস! ইসরাফিল শিঙ্গা ফুক দিবে?। কারন? কোন কারন নাই, সবই আমার ইচ্ছা। বেচারা ইসরাফিল বিলিয়ন বছর যাবত শিঙ্গা লইয়া বসিয়া আছে। আবশ্য কেয়ামতের পর আমিও বেকার হইব। কিন্তু তোমাদের মত নাস্তিকদের আগুনে পোড়ানর কাজেও সারাদিন কাটিয়া যাইবে।
@সপ্তক,
মেহদি আসার পর সব মুসলিম কি খ্রীষ্টান হয়ে যাবে?
@তামান্না ঝুমু,
মেহদি আসিবার পর প্রি-বেহস্তের নমুনা প্রদর্শন করা হইবে,মেহদি কতৃক দজ্জাল এর পতনের পরে। তখন দুনিয়া হইবে বেহশ্তের কিছুটা অনুরূপ, ইহা আমি করিব কারন তোমরা নাস্তিক রা বলিয়া থাক, আমি কোন প্রকার সরাসরি কেরামতি দেখাই না, মনে রাখিও বেহেশ্তের নমুনা ভোগ করিবে মাত্র কয়েকদিন,ইহার পরই ইসরাফিল শিঙ্গা এ ফুকা দিবে। সুতরাং তোমরা এখন ই এই বলিয়া মাতম করিও না যে , আহা আমি ত সেই মেহদির সল্প কালিন প্রাক-বেহস্ত পরিদর্শন করিতে পারিব না। আমি যাহা জানি তোমরা তাহা জান না।
*** ঈশ্বরের পক্ষে সপ্তক।
@সপ্তক, আপনি কোন ফেরেশতা ভাই?জিব্রাইল নাকি আল্লাহর অবতার? :rotfl:
@অচেনা,
জিবরাইল কে অবসর দেওয়া হইয়াছে মুহাম্মাদের ওফাতের সাথে সাথে । আমি ঈশ্বরের দাপ্তরিক সম্পাদক।
***ঈশ্বরের পক্ষে সপ্তক।
@সপ্তক,
জিব্রাঈল কি এত কাল অবসর প্রাপ্ত অবস্থায় আছে? তার ত বর্তমানে কোন কাজ নেই। সময় কাটাচ্ছে কীভাবে? সে কি বেঁচে আছে, নাকি মারা গেছে? কারণ আর ত কোন কিতাব নাজিল হবেনা। ফেরেস্তাদের কি পরকাল আছে? যদি না থাকে তাহলে তাদের সুদীর্ঘ একনিষ্ঠ কর্মজীবনের পুরষ্কার কী?
@তামান্না ঝুমু,
“ফেরেস্তাদের কি পরকাল আছে? যদি না থাকে তাহলে তাদের সুদীর্ঘ একনিষ্ঠ কর্মজীবনের পুরষ্কার কী?”
তোমরা আমাকে follow করো না কেন?। ফেরেশতাদের ক্ষুধা নাই, নিদ্রারও প্রয়োজন নাই। তাহাদের কাজ একটি ই আমার আদেশ পালন করা,আর কিছুই নহে। তাহাদের পুরস্কার নাই,প্রয়োজন ও নাই। ফোঁড়ন কাটিবে জানি, ইবলিশ কে কেন শাস্তি দিলাম?। আজ্ঞা পালন করে নাই তাই। করিবে না জানিতাম,তাও শাস্তি দিলাম।ইহাই আমার খেলা ,ইহাই আমার বিধান। আমি খেলাইতে পছন্দ করি,অমান্যকারীর শাস্তি বিধান করি।আমার যেহেতু পরকাল নাই, ফেরেশতাদেরও নাই। ইসরাফিল শিঙ্গায় ফুকা দিলে অবসরে যাইব কিনা ঠিক করি নাই। ক্ষমতা কে ছাড়িতে চাহে?।। সেইজন্য ইসরাফিল এর ক্ষোভ আছে,আমি সবই জানি।আমি যাহা জানি তোমরা তাহা জানো না।
*** ঈশ্বরের পক্ষে সপ্তক
@সপ্তক,
আল্লাপাক এত অগণিত নবী রাসুল খালি মরুভূমির তপ্ত বালুকায় পাঠিয়েছিলেন কেন, আর কোন জায়গা পাননি তিনি?
@তামান্না ঝুমু,
নবী সব জাতির মাঝেই পাঠানো হইয়াছে। তোমরা ত তাহা মান না , নিজেদের মাঝে কলহে প্রবৃও হও। আমিই আল্লাহ,আমিই ভগবান,আমিই গড আমিই বিবর্তন আমিই ঈসা। আমি সকল জাতির মাঝেই নবী পাঠাইয়াছি। আমার কাজ তোমাদের লইয়া খেলা করা, আমার কাজ আমি করিতেছি,তমাদের কাজ তোমরা করো। “আমিই বিবর্তন”… বলিয়া নতুন গিট্টু লাগাইয়া দিলাম,কোরানে অচিরেই বিবর্তন এর নমুনা আবিষ্কৃত হইয়া যাইবে। আমি যাহা জানি তোমরা তাহা জানো না।
*** ঈশ্বরের পক্ষে সপ্তক
@সপ্তক, মরুভূমি ছাড়া অন্য কোন দেশে জন্ম গ্রহনকারী কয়েকজন নবীর নাম বলুন দেখি।
@তামান্না ঝুমু,
রাম , গৌতম, গুরু নানকদের মত সকলেই নবী । সব রসুনের উৎপত্তি উৎস একই,ইহা বুঝানোর জন্য আমি বলিয়াছি,তোমরা ধর্ম লইয়া বাড়াবাড়ি করিও না। কিন্তু উম্মতেরা শুনে না, উম্মতের পাপের ভাগ আমি লই না। ইহা ছাড়া নব্য নবীও রহিয়াছে যাহাদের কে পীর বলা হয়, পীর সাহেবগন বুঝিতে পারেন যে ধর্ম একটি ভাল এবং প্রাচীন ব্যবসা,তাই তাহারা বলিয়া থাকেন,আগে পীর পরে আল্লাহ,পীরকে পাইলে আল্লাহ কে পাওয়া যায়,নবী দাবী করিবার সাহস তাহাদের নাই,কারন নবি ব্যাবসা হাই রিস্ক ,মুণ্ডু যাইবার সম্ভবনা আছে।আমি যাহা জানি তোমরা তাহা জান না।
**** ঈশ্বরের পক্ষে সপ্তক
@সপ্তক,গৌতম বুদ্ধ নিজেকে নবী বা প্রেরিত পুরুষ দাবী করেননি।
@তামান্না ঝুমু,
,”গৌতম বুদ্ধ নিজেকে নবী বা প্রেরিত পুরুষ দাবী করেননি।”
বুদ্ধের বিনয়ী ও লাজুক মনোভাবের খবর তোমরা রাখ না। আমি যাহা জানি তোমরা তাহা জান না।
*** ঈশ্বরের পক্ষে সপ্তক
@সপ্তক, (Y)
সন্তানের জ্বালা শুধু মা-ই বোঝে, আল্লার তো সন্তান নেই তাইতো এই বিধান।
@সত্যের পূজারী,
নিঃসন্তান ব’লে কে তারে অপবাদ দেয় মিছা?
তার ঔরষজাত সন্তান আছে
সে হচ্ছে নবী ঈসা।
@তামান্না ঝুমু, কিন্তু আপু মুসলিম রা ঈসাকে আল্লাহর সন্তান বলে না, এটা খ্রিস্টান রা বলে।আপনি জানেন এটা।তাহলে এটা লিখলেন কেন? আমি বুঝি নাই কিন্তু। ঈসা বা জেসাস আল্লাহর পুত্র এটা নিয়েই কি ইসলাম আর খ্রিষ্টান দের ভেতর যত হানা হানি হয় নি?
@অচেনা,
খ্রীষ্টানরা বলে জিজাস ঈশ্বরের পুত্র। কোরন বলে ঈসা মরিয়মের পুত্র। আল্লাহর হুকুমে কোন পুরুষের স্পর্শ ছাড়াই তার জন্ম। সে পিতাবিহীন। আমর জানি যে, শুধু শুক্রনু বা শুধু ডিম্বানু হতে কোন ভ্রুণ সৃষ্টি হতে পারেনা। শুক্রানু সৃষ্টিতে ডিম্বানু শুক্রনু উভয়েরই প্রয়োজন। ঈসার ভ্রুনের ডিম্বানু যদি মরিয়মের হয় শুক্রনুটা কার? তার ডি এন এ কার সাথে ম্যাচ হবে? নাকি তার কোন ডি এন এ নেই, আল্লাহর রহমতে? মরিয়ম গর্ভবতী হবার সময় যার কাছে ছিল তার নাম ইউসুফ। খ্রীষ্টানরা বলে যোসেফ। ঈসা তারই ঔরষজাত হতে পারে। মরিয়ম গর্ভবতী হবার পর লোকলজ্জা ও শাস্তির ভয়ে এসব উদ্ভট গল্প ফেদেছিল। তখন ব্যাভিচারের একমাত্র শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড। আমার পরিচিত এক মহিলা তার স্বামী বিদেশে যাবার ২ বছর পর গর্ভবতী হয়। এবং তার একটি ছেলে হয়। সে বলেছিল এটি জীনের ছেলে।
@তামান্না ঝুমু,
জ্বীনের ছেলে ! হা-হা-হা- ক’জন বিশ্বাস করেছিল ?
@মোহিত,
অধিকাংশ মানুষেই বিশ্বাস করেছিল। পরে তার স্বামী বিদেশ থেকে এসে তাকে তালাক দেয়। তখন সে সবার সামনেও বলছিল সে সতী সাধ্বী।
@তামান্না ঝুমু, আ-হা- স্বামী বেচারী যদি জ্বীনে বিশ্বাস করতো তাহলে স্ত্রীর কপালে এ দূর্ভোগ নেমে আসতো না।
@তামান্না ঝুমু, হুম বিশ্বাস না করে উপায় কি আপু? কোরানে লেখা আছে না!অনেক লোক প্রবল প্রতাপে নিজেদের যুক্তিবাদি বলে প্রমান করে এই বলে যে,{ আরে ভাই রাখেনতো ভুত বলে কিছু আছে নাকি এই দুনিয়াতে?এই আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও ভুতে বিশ্বাস করেন, এতই কুসংস্কারাচ্ছন্ন আপনারা?তবে হা জিন অবসশই আছে কারন কোরান এ জিনের কথা স্পট উল্লেখ আছে}। 😀 । কি সুন্দর ভণ্ডামি,ভুত অবৈজ্ঞানিক,তাই এর অস্তিত্ব নাই, কিন্তু জিন অবশ্যই আছে, কারন কোরান এর সাক্ষী তাই সব যুক্তিবাদী(!) মানুষ এটা বিশ্বাস করতে বাধ্য :rotfl: । এরা এটা কিন্তু বিশ্বাস করেই বলে থাকে। সবাই কিন্তু আবার তথাকতিত শিক্ষিত লোক !!
@তামান্না ঝুমু,
মেরীর গর্ভধারণ সম্বন্ধে আরেকটি ইন্টারেস্টিং থিওরি আছে যা অত্যাধুনিক। এ থিওরি মতে ঈসা হচ্ছেন এলিয়েন এর সন্তান। আজকাল যেমন আমেরিকা, ব্রিটেন এর অনেক নারী এলিয়েন কর্তৃক অপহৃত হয়েছেন এবং তাদের সন্তান গর্ভে ধারণ করেছেন বলে দাবী করেন। এ থিওরিতে বিশ্বাসীরা এও বলেন যে ঈসা অলৌকিক ঘটনাগুলো না কী তিনি এ কারণেই ঘটাতে পেরেছিলেন।
@মোহিত,
তাহলে ঈসার প্রতিকৃতি দেখতে এলিয়েনের মত নয় কেন?
@তামান্না ঝুমু,
কারণ, হয়তো ঈসা মানুষের রূপ পেয়েছে আর এলিয়েন এর ক্ষমতা পেয়েছে-মানে এলিয়েন আর মানুষের এক ধরণের হাইব্রিড আর কী- হা-হা-হা-
@মোহিত, হুম ব্যাপার তো একই হল। আল্লাহ বা ঈশ্বরের পুত্র থাকলে এলিয়েন এর থাকবে না কেন নারীর গর্ভে :-Y
@অচেনা,
এ ধারণা ও বিদেশে প্রচলিত আছে যে, ঈশ্বর হলো( ওল্ড টেস্স্টামেন্ট -এর জেহোভা বা এল সদ্দাই) এক হিংস্র এলিয়েন কারণ সে যেভাবে হত্যা যজ্ঞ এবং পশু বলী প্রিয় তা মানব বিদ্বেষী এলিয়েন এর পক্ষেই শোভা পায়- বিশ্ব জগতের স্রষ্টার পক্ষে যা একেবারেই বেমানান।
@মোহিত, আসলে ইহুদিদের ঈশ্বর কে নিজেদের ঈশ্বর হিসাবে নিয়ে ভাল বেকায়দায় আছে খ্রিস্টান রা।যেহেতু আপনি আর আমরা জারা ওল্ড টেস্টামেন্ট পড়েছি তারা বুঝি যে ওটা কোরানের মতই একটা যন্ত্রনাকর বই।আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট ভার্স আমি উদাহরন হিসাবে দিতে পারি,জাজেস এর ২১ অধ্যায় পড়ুন, দেখবেন যে এখানে ঈশ্বর রীতিমতো নারী অপহরন আর ধর্ষণের অনুমতিই শুধু দেয় নাই, বরং কিভাবে কথায় অ্যামবুশ করে ফাঁদ পেতে কুমারি মেয়ে ধরতে হবে, সমস্ত পুরুশ আর বিবাহিত মেয়ে, আর বাচ্চাদের হত্যা করার পর, সেই বর্ণনা সবিস্তারে দেয়া আছে।এলিয়েন নিয়ে কিন্তু মতভেদ আছে। কেউ বলে খারাপ,কেউ বলে ভাল। কিন্তু আব্রাহামিক গড ( ওল্ড টেস্টামেন্ট ও কোরান)এর প্রথম ভাগের মধ্যে ভাল কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না।কারন এর কাজই হল মানুষকে যন্ত্রণা দেয়া!নিউ টেস্টামেন্ট এ সেই ঈশ্বর কে মহিমান্বিত করতে গিয়েই ত খ্রিস্টান রা ঝামেলা টা বাধাল।কারন যদি ওল্ড টেস্টামেন্ট এর ঈশ্বর কে অস্বীকার করা হয়, তবে মানব মুক্তির জন্য নিউ টেস্টামেন্ট এর দরকার হয় না, এবং খ্রিস্টের ক্রুসিফিক্সন অর্থহীন হয়ে পড়ে।আর তবে গোটা খ্রিস্ট ধর্মের ভিত্তিটাই নষ্ট হয়ে যায়।আর এতেই মনে হয় তারা বেপার টার নানা রকম ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে।সোজা কথায় যীশু ছিলেন একজন মানুষ যাকে ক্রুশ এ দেয়া হয় সম্ভবত ওল্ড টেস্টামেন্ট এর ঈশ্বরের নারকীও শাস্তির প্রতিবাদ করাতে। আর পরে এটা নিয়েই আরেক ধর্ম আবিষ্কার হয় ব্যাবসায়িক উদ্দেশে।আর তার পরেই দুই টেস্টামেন্ট এর মধ্যে ভেজাল টা বাধে যার কোন সদুত্তর খ্রিস্টান রা দিতে পারে না।যাহোক, যীশুর ক্রুশ এ ঝোলা আবার প্রমান করে যে মানবতাই শ্রেষ্ঠ, কারন ঐতিহাসিক যীশু একজন মানুষই ছিলেন।আর ধর্ম হল সেই মানবতাকে যাঁতাকলে পিষার এক ভয়ংকর অস্ত্র।কাজেই যেহেতু ঈশ্বর হল আসলে এইসব মানবতার শত্রু ভণ্ডদের তৈরি করা মিথ, কাজেই তার পক্ষে মানবতার ক্ষতি ছাড়া আমি কিন্তু কিছুই আশা করি না 🙂
@তামান্না ঝুমু, কি সর্বনাশ আপু, জিনের ছেলের মা আপনার সেই পরিচিত মেয়েটি????ভাল তো! হায় ধর্ম কে ঢাল হিসাবে কত সহজেই না ব্যবহার করা যায়। হা ঈসা বা জেসাস অবশ্যই জোসেফ এর ছেলে এটাই আমি বিশ্বাস, করি। একমাত্র ধর্মান্ধ পাগল রা ছাড়া কেউ এটা বিশ্বাস করবে না যে কোন মেয়ে পুরুষের সাহায্য ছাড়াই গর্ভধারন করতে পারে ।