রুপালী পর্দার বুকে ৬০ ফুট কিংকংকে নিউইয়র্ক শহরের বুকে ত্রাসের সঞ্চার করতে দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগে উঠতে পারে কোন বন মানুষের পক্ষে কি এত বড় হওয়া আদৌ সম্ভব? কিংবা সহী বুখারীতে বর্ণিত আদম কি আসলেই ৬০ হাত লম্বা ছিলেন? সেকারণেই যখন একজন ব্লগার তার মনের সন্দেহ দূর করার জন্য জানতে চেয়ে লেখেন:

“সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মুসনাদে আহমদ, সহীহ ইবনে খুযায়মা প্রভৃতি হাদীসগ্রন্থে হযরত আবু হুরায়রার রেওয়ায়েতে একটি হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, আদি মানব হযরত আদম আ. ৬০ হাত (৯০ ফুট) দীর্ঘ দেহের অধিকারী ছিলেন। ব্যাপারটা নিয়ে বেশ মুশকিলে পড়ে গিয়েছি। কেননা সনদের দিক থেকে শক্তিশালী হওয়ায় হাদীসটি নির্ভরযোগ্য, কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে এরকম কোনো মানব-জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়েছে বলে শুনি নি।” [৫]

হাদীসের সুত্রের জন্য নীচে পাদটীকা দেখুন।

সেই প্রশ্ন কিংবা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সমাধান কল্পেই আমার আজকের এই পোস্টের অবতারণা। কারও মনে যদি আদমের ৯০ ফুট লম্বা হওয়ার ব্যাপারটি যে অসম্ভব একটি ব্যাপার তানিয়ে কোন সন্দেহ থেকে থাকে তবে আমি স্পষ্ট করেই বলতে চাই আদমের ৯০ ফুট (৬০ হাত) কিংবা কিংকংয়ের ৬০ ফুট হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব না। দুটি কারণে এটা সম্ভব না।

১) বিবর্তনের ইতিহাস অনুযায়ী মানুষের গড় উচ্চতা বিবর্তনের ধারায় তাদের পূর্ব পুরুষদের তুলনায় ঊত্তোরত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও কিছুটা বাড়বে। সেই হিসাব অনুযায়ী ৯০ ফুট কোন মানুষ (আদম) বা কোন মনুষ্য গোত্রের অস্তিত্ব অতীতে থাকা কোন ভাবেই সম্ভব না। এই একটি পয়েন্টিই যথেষ্ঠ সব রকমের বিভ্রান্তি দূর করার জন্যে। তবে আমি এও জানি এই পয়েন্টটি বেশীরভাগ বিশ্বাসী পাঠকরাই মেনে নেবেন না কারণ তারা ধর্মের সাথে সারাদিন বিজ্ঞানকে মেলানোর চেষ্টায় ব্যস্ত থাকলেও বিবর্তনে বিশ্বাস করেন না। কেন করেন না সেটা বোধহয় আর খুলে বলবার দরকার নেই। আর সেকারনেই আমার দ্বিতীয় যুক্তির অবতারণা করা।

evolution

২) দ্বিতীয় কারণটি হলো স্কেল ল (Scale Law)। কয়েকটি নির্দিষ্ট দৈহিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী কোন প্রাণীর আকার কত বড় হতে পারে সেটা স্কেল ল’য়ের প্রভাবের উপর নির্ভর করে। এই ল দ্বারা শুধু এই পৃথিবীর কেন প্রয়োজন হলে মহাবিশ্বের অন্য যে কোন গ্রহ/উপগ্রহেরও প্রাণী কিংবা কীট-পতঙ্গের আনুমানিক আকার-আয়তন কত বড় হতে পারে সেটা বিজ্ঞানীদের পক্ষে হিসাব কষে নির্নয় করা সম্ভব। এই ল দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় কেন একটা পিপড়াকে টেনে দশ ফুট লম্বা বানাতে গেলে পিপড়াটি শ্বাসকস্টে মারা যাবে অথবা নীল তিমি কেন ৯০-১০০ ফুট লম্বা হতে পারে। তবে এইখানে আজ শুধু পৃথিবীতে মানুষের মাঝেই আমার আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করব। নিচে মানুষের দেহের উপর স্কেল ল’য়ের তিন ধরণের প্রভাব আলোচনা করলাম। আর পুরো আলোচনাতে যে জিনিষটা মনে রাখতে হবে তা হল আমরা যতই মানুষের উচ্চতা বাড়াই না কেন মানুষের দৈহিক বৈশিষ্ট্যের কোন পরিবর্তন হবে না। মানে ৯০ ফুট আদম এবং ৫ ফুট রহিমুদ্দীনের দৈহিক বৈশিষ্ট্য একই থাকবে।

ক) উচ্চতা এবং ওজনঃ- স্কেল ল অনুযায়ী কোন প্রাণী বা বস্তুর দেহের ওজন বাড়ে তার দেহের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির হারের ঘনফল হিসাবে। সাধারণতঃ একজন সুস্হ সবল সুঠাম দেহের ৫ ফুট উচ্চতার পুরুষের ওজন মোটামুটি ভাবে ১১৫ পাউন্ডের মত হয়। এখন কোন মানুষের উচ্চতা যদি ১৫ ফুট হয় তবে আমরা জানি স্কেল ল অনুযায়ী তার দেহের ওজন বেড়ে যাবে দেহের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির হারের ঘনফল হিসাবে। মানে মাত্র তিন গুন বেশী লম্বা হওয়ার কারণে ঐ মানুষটির ওজন হবে ৩ * ৩ * ৩ = ২৭ গুন বেশি। অর্থাৎ ১৫ ফুট মানুষটির ওজন হবে (১১৫ * ২৭) = ৩১০৫ পাউন্ড। যা কিনা ক্যালেন্ডারে দেখা স্বাস্হ্যবান দুই কিংবা তিনটা অস্ট্রেলিয়ান গরুর ওজনের সমান। তাও আবার তাদের দেহের ওয়েট সাপোর্টের জন্য চারটা করে পা আছে এবং সোজা হয়ে দাড়াতে দাড়াতে হয় না। [৬০ ফুট কি কংয়ের ওজন হবে ১২ x ১২ x ১২ = ১৭২৮ গুন বা ১,৯৮,৭২০ পাঊন্ড বা ১০০ টন আর ৯০ ফুট আদমের হবে ১৮X১৮X১৮X১১৫= ৬৭০৬৮০ পাঊন্ড। এইখানে একটা জিনিষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন উপরের উদাহরণ গুলো যথাযথপ্রায়। মানে আমাদের শারীরিক বৈশিষ্ঠের তারতম্যের কারণে কিউব লয়ের হিসাব অনুযায়ী আমরা যে ওজন পাব তা বাস্তবের একজন মানুষের ওজনের থেকে একটু বেশীই হবে। তবে হিসাবটা মোটামুটি ভাবে কাছাকাছি এবং কার্যকর।

আবার ১৫ কিংবা ৬০ কিংবা ৯০ ফুট লম্বা মানুষটির দেহের পেশী কিংবা হাঁড় যে পরিমাণ ভার বহন বা শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে তা বৃদ্ধি পাবে হাঁড় এবং পেশীর পুরুত্বের আনুপাতিক হারে। ১৫ ফুট মানুষটির দেহের ভার বহন কিংবা শক্তি প্রয়োগ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে তার হাঁড় এবং পেশীর ক্রস সেকশনাল এরিয়া’র (cross sectional area) বর্গ হিসাবে। অর্থাৎ তার শক্তি হবে ৫ ফুট মানুষটির তুলনায় মাত্র ৩ * ৩ = ৯ গুন বেশি। মানে হল তিন গুন লম্বা হওয়ার কারণে তার ওজন বৃদ্ধি পাবে ২৭ গুন আর দেহের শক্তি বৃদ্ধি পাবে মাত্র ৯ গুন। অর্থাৎ তুলনামূলক বিচারে (দেহ এবং শক্তির) ৫ ফুট মানুষটির তুলানায় ১৫ ফুট মানুষটি হবে অনেক অনেক বেশী দুর্বল (এক তৃতীয়াংশ) এবং তার বডি স্ট্টাকচার তাকে খুব একটা সাপোর্ট দিতে পারবে না। ফলে হাটাহাটি কিংবা দৌড়াদৌড়ি করতে গেলেই তার হাঁড়গোড় ভেঙ্গে পরে থাকবার ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত থাকা যেতে পারে। শিশু থেকে পূর্ন বয়স্ক জীবনে পৌছানো তো অনেক পরের কথা। এ কারনেই লম্বা খেলোয়ারদের মাঝে আঘাতের হার অনেক বেশী থাকে। আর জিমন্যাস্ট কিংবা আইস স্কেটারদের আকৃতি ছোট হওয়া সুবিধাজঙ্ক কারণ আনুপাতিক হারে তাদের পার ইউনিট বডি ম্যাসের তুলনায় তাদের দেহের শক্তি প্রয়োগের ক্ষমতা অনেক বেশী হয়ে থাকে। ৬০ ফুট কিংকং এর ক্ষেত্রে অনুপাতটা হবে ১৭২৮ বনাম ১৪৪ গুণ আর ৯০ ফুট আদমের ক্ষেত্রে সেটা হবে ২৭০০০ গুণ বনাম ৯০০. কিংকং কিংবা আদম এক পা হাটার আগেই হাড়গোর ভেঙ্গে মাটিতে পরে থাকবে।

অনেকেই একটি শিশু এবং পূর্ন বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে কিউব লয়ের প্রয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পরে যেতে পারেন। এখানে মনে রাখা দরকার শুরুতে শিশুদের হাড়ের বদলে থাকে কার্টিলেজ। পরে তা কোলাজেন দ্বারা স্হলাভিষিক্ত হয়ে শক্ত হাড়ে পরিণত হতে থাকে। জন্মের পর থেকে শিশুদের দেহে সততই পরিবর্তন হতে থাকে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের ডেনসিটিও বাড়তে থাকে এবং তাদের ভার বহন করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ২০ বছর বয়সে মোটামুটি ভাবে একজন মানুষের হাঁড়ের বিকাশ সম্পূর্ণতা পায়। তাই তুলনা করার সময় আমাদের পূর্ন বয়স্ক মানুষের কথা মাথায় রাখা উচিত হবে।

খ) দেহের তাপ উৎপাদন এবং তাপ নিঃসরণঃ- প্রাণীদেহের অভ্যন্তরে উৎপাদিত তাপ হারানোর হারও নির্ভের করে প্রাণীটির দেহের সারফেস এরিয়ার উপর। ফলে মানুষটি দৈর্ঘ্যে যদি তিনগুন লম্বা হয় তবে তার তাপ হারানোর হার হবে ৩ * ৩ = ৯ গুন। কিন্তু দেহের অভ্যন্তরে তাপের উৎপাদনের পরিমাণ এর আয়তনের (ওজনের মত) ঘনফল হিসাবে বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ দেহের ভিতরের তাপ বৃদ্ধি পাবে ২৭ গুন। তার মানে উৎপাদিত তাপের ৬৫ ভাগ তাপই দেহ থেকে বের হতে সক্ষ্মম হবে না। তাই এটাকে ব্যালান্স করতে হলে বা উৎপন্ন হওয়া অতিরিক্ত তাপ হারানোর জন্য ঐ মানুষটির বডি সারফেস এরিয়া বাড়াতে হবে বিশাল পরিমাণে বা দৈহিক বৈশিষ্ঠ্যে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। আর সেটা সম্ভব হবে যদি লম্বা ঠিক রেখে তার প্রস্হ ৩ গুন না বাড়িয়ে ৫-৬ গুন মত বাড়ানো যায়। যদি ধরে নেই গড়ে প্রতিটা মানুষ প্রস্হে ২ ফুট হয়ে থাকে তবে ১৫ ফুট লম্বা মানুষটিকে প্রস্হে হতে হবে ১০-১২ ফুট। এইবার কল্পনা করেন একটা ১৫ ফুট লম্বা আর ১০-১২ ফুট মোটা মানুষ। কি কল্পনা করা যায়? অথবা চতুষ্পদী প্রানীদের মত বিশেষ অংগের প্রয়োজন হবে। যেমন হাতির বিশালাকার কান বিশেষভাবে বিবর্তিত হয়েছে অতিরিক্ত তাপ হারানোর জন্য। হাতির দেহের অতিরিক্ত তাপ হারানোর এটিই একমাত্র বৈশিষ্ঠ্য না, আরো আছে। আর এরকম বৈশিষ্ঠ্য যদি মানুষের ক্ষেত্রে থাকে তবে নিঃসন্দেহে তাকে যে আর মানুষ বলা যাবেনা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। হাতীর কিংবা অন্য পশুদের চামড়াও অনেক মোটা হয় কারণ দেহের অভ্যন্তরের অতিরিক্ত রক্ত এবং অন্যান্য ফ্লুইডের যে বিশাল চাপ থাকে তা সহ্য করার জন্য। আর ৬০ ফুট কিংকং কিংবা ৯০ ফুট আদমের কথা বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। বিজ্ঞানী গ্যালিলিও প্রথম প্রাণীদের আকার-আকৃতির উপর স্কেল ল প্রয়োগ করে এর সত্যতা যাচাই করেছিলেন।

আবারও কেউ যদি শিশু এবং পূর্ন বয়স্ক মানুষের কথা ভাবেন তবে জেনে রাখা ভাল যে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের তুলনায় বাচ্চারা অনেক বেশী তাপ হারায়। কারণ তাদের বডির সারফেস এরিয়া বডি ম্যাসের তুলানায় অনেক বেশী থাকে। আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করলে এ দুটির অনুপাতে সামঞ্জস্যতা চলে আসে।

তাপ আর বডি সারফেস এরিয়ার সম্পর্কের কারনে আকারে অনেক বড় প্রাণীরা তাদের দেহের তাপ ছোট প্রাণীদের তুলনায় অনেক দেরী করে হারায়। এজন্যই ছোট আকৃতির মানুষেরা অনেক তাড়তাড়ি ঠান্ডা হয়ে পরে। এই ঘটনা ব্যাখ্যা করে কেন সংবাদ পত্র অনেক তাড়াতাড়ি পোড়ে। গাছের গুড়ি পুড়তে অনেক বেশি সময় লাগে কারণ তাদের অপেক্ষাকৃত কম সারফেস এরিয়ার জন্য। এটা আরও ব্যাখ্যা করে কেন তিমি মাছের আকার গোলাকার হয়। কারণ একটা গোলকের সারফেস এরিয়া তার প্রতি একক ভরের তুলনায় সবচে কম হয়ে থাকে। আর এখানে বলে রাখা ভাল তিমি মাছ অনেক বড় হয়ে থাকে সামুদ্রিক পানির প্লবনশীলতার (buoyancy) বা ভাসিয়ে রাখার ক্ষমতার কারণে। আর তাই যখন কোন তিমি মাছ সমুদ্রের বেলাভূমিতে আটকে যায় তখন উদ্ধার করতে দেরী হলে তিমিটা তার নিজের দেহের অত্যধিক ওজনের নিচে চাপা পরে খুব সহজেই মারা যায়। অনেকেই এ পর্যায়ে ডাইনোসরদের কথা হয়ত ভাবতে শুরু করেছেন। 😉

গ) ফুসফুস এবং অপ্রতুল অক্সিজেনের সরবরাহঃ- কোষ দ্বারা গঠিত যেকোন প্রাণিরই অক্সিজেন গ্রহণের দরকার হয়। অক্সিজেন কনজাম্পশন আর সারফেস এরিয়ার মধ্যেও সম্পর্ক আছে। মানুষের ক্ষেত্রে ফুসফুসের সারফেস এরিয়ার উপর ডিপেন্ড করে মানুষ কতটুকু অক্সিজেন কনজিউম করবে। মানুষের দৈর্ঘ্য বাড়ার সাথে সাথে সেটারও প্রয়োজনীয়তাও অনেক বেড়ে যায়। দৈর্ঘ্য বাড়ার সাথে সাথে শ্বাসনালীর সারফেস এরিয়া যে পরিমাণ বাড়বে তাতে একটা পর্যায়ে যেয়ে শ্বাসনালী সময়মত পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে সমর্থ হবে না।

জীব বিজ্ঞানী জেবিএস হ্যালডেন দেখিয়েছেন কিভাবে সারফেস এরিয়া এবং আয়তনের মধ্যকার সম্পর্ক প্রাণিদের বিবর্তিত হতে সাহায্য করেছে। মনে রাখবেন ঊপরের তিনটি জিনিষের যে কোন একটির কারনেই মানুষের উচ্চতা খুব একটা বেশী হতে পারার কথা না। পৃথিবীর জানা ইতিহাসের সবচাইতে লম্বা পুরুষ মানুষ ৮ ফুট ১১ ইঞ্চির আমেরিকান রবার্ট ওয়াল্ডো বেঁচে ছিলেন মাত্র ২২ বছর আর তাকে বিশেষ ধরণের লেগ ব্রেস ব্যবহার করে হাটতে হত। আর সবচাইতে লম্বা মহিলা চীনের জেং জিনলিয়ান বেঁচে ছিলেন মাত্র ১৭ বছর। বর্তমানে সবচাইতে লম্বা তুরস্কের ৮ ফুট ৩ ইঞ্চির ২৯ বছর বয়সী সুলতান কোসেনও স্বাভাবিক নন।

একথা মোটামুটি নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে মানুষের উচ্চতা ১০- ফুটের উপরে যাওয়াটা সম্ভব হবে না স্কেল ল এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষন শক্তির কারনে। আর ১৫ ফুট কিংবা ৩০ ফুটি আদ জাতী কিংবা ৬০ ফুটি কিংকং কিংবা ৯০ ফুট আদম তো এক কথায় অসম্ভব ব্যাপার।

সূত্রঃ
১) On Being the Right Size – J. B. S. Haldane
২) Scaling: Why Giants Don’t Exist – Michael Fowler
৩) Physics of the Impossible: Michio Kaku
৪) Sahih Bukhari

পাদটীকাঃ
১) Narrated Abu Huraira: The Prophet said, “Allah created Adam in his complete shape and form (directly), sixty cubits (about 30 meters) in height …….

বিশেষ দ্রষ্টব্য: লেখাটি আমারব্লগে পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তমনার মডারেটরের অনুমতি সাপেক্ষে কিছুটা পরিবর্তন করে পোস্টটি এখানে প্রকাশ করলাম।