( এই লেখাটি মুক্তমনার নীতিমালা ভঙ্গ করেই চাপাতে বাধ্য হচ্ছি এবং এই ব্যাপারে মডারেটরদের কাছ থেকে আগাম অনুমতি পার্থনা করছি। আসলে লেখাটি বর্তমান দুই দিনে ঘটে যাওয়া বিশ্বের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন একটি রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ঘটনা নিয়ে, যার প্রভাব আমাদের সবার জীবনেই পড়বে। এবং যেহেতু এটি ঘটমান একটি পক্রিয়া , এটি তিন চারদিন বাদে প্রকাশ করলে, লেখাটি গুরুত্ব হারাবে। আলোচনাও অনেক গুরুত্ব হারাবে। আশাকরি মডারেটর এই ব্যপারটি বিবেচনা করবেন। )
[১]
আমি অর্থনীতিবিদ নই। কিন্ত নিয়তি এতই নিঠুর, অর্থনীতির চোরাবালিতে হাঁটতে থাকা নশ্বর জীব আমরা। না বুঝলে, যেকোন মুহুর্তে চোরাবালিতে শেষ হয়ে যেতে পারে সমস্ত জীবনের সঞ্চয়। এই বাজার অর্থনীতিতে আমরাও পণ্য। যত তাড়াতাড়ি এই উপলদ্ধি মাথার মধ্যে ঢোকে, ততই ব্যক্তিগত জীবনে বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। বাজারের সাপলুডোর সাথে আমাদের সবার ওঠানামা।
২০০৮ সালের সাবপ্রাইম ক্রাইসিস কিভাবে গোটা বিশ্বে থাবা ফেলেছিল, সেই আতঙ্ক কাটতে না কাটতে খুব সম্ভবত আরেকটি অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে আমরা ঢুকতে চলেছি। আজ বিশ্বের বৃহত্তম স্টক এক্সচেঞ্জ ডাওজোন্স পড়েছে ৫০০ পয়েন্ট। মাত্র তিন দিনে গোটা বছরের আয় উড়ে গেছে শেয়ার বাজারের ইনভেস্টরদের। কিন্ত কেন শেয়ার বেচছেন ইনভেস্টরা রা? বাজার কেন আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছে?
[২]
এবার সমস্যার শুরু ওয়েলফেয়ার ইকনমিক্স বা জনকল্যানকারি সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি নামক টাইমবোমটি থেকে। প্রতিটি দেশের রাজনৈতিক দলগুলি ক্ষমতায় এসে স্যোশাল ওয়েলফেয়ার বা নানান সামাজিক স্কীম এবং সামরিক খাতে দেদার ব্যায় করে, যা তাদের আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। বাকী টাকা মেটানো হয় ধার করে। এই করতে গিয়ে আমেরিকার দেনা প্রায় ১৪ ট্রিলিয়ান ডলার যা তার জিডিপির সমান। ব্যাপারটা এভাবে ভাবা যেতে পারে। আমেরিকার জিডিপি ১৪ ট্রিলিয়ান ডলার এবং ট্যাক্স ও অন্যান্য বাবদ সরকারের উপায় প্রায় ২ ট্রিলিয়ানের কাছে। মানে একটি পরিবারে ধরুন উপায় এক লাখ টাকা, কিন্ত তার দেনা 7 লাখ টাকা। খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠবে, সেই পরিবারটি দেনা শোধ দেবে কি করে? কারন ৭ লাখ টাকার সুদই অনেক। যদি ৫% হারেও সুদ দিতে হয়, তাহলেও সরকারের উপায়ের ৩৫% চলে যাবে সুদ মেটাতে-এবার তার সাথে মূল আমানত মেটানোর দায় যোগ করলে, উপায়ের ৭০-৮০% চলে যেতে পারে শুধু ধার শোধ করতে!
তবে আমেরিকান সরকারের সুদের সমস্যা কম-কারন এই মন্দার বাজারেও সবাই আমেরিকান সরকারের বন্ড কিনতে চায়, যেহেতু সবাই মনে করে, আমেরিকান সরকার দেওলিয়া হতে পারে না। সেই জন্যে আমেরিকাকে ১ বা ২ % সুদে পৃথিবীর সব দেশ এবং সেই দেশের ব্যঙ্করাও ধার দেয়। আমেরিকান সরকারি বন্ড হচ্ছে অধুনা পৃথিবীর সিন্দুক। যেখানে টাকা রাখলে সব “সেফ”-পতনের সুযোগ নেই।
আর এই জায়গাটাতেই সমস্যা। আমেরিকান আইন অনুযায়ী আমেরিকান সরকার একটি লিমিটের বাইরে ধার করতে পারে না। এবং সেই লিমিট বাড়াতে হলে কংগ্রেস ও সেনেটের অনুমতি লাগে। আমেরিকান সরকার জনস্বাস্থ্য খাতে এমন হারে টাকা খরচ করছিল, যে হুহু করে বাড়ছিল দেনা। ফলে এদেশে টিপার্টি বলে একটি রক্ষণশীল আন্দোলণের জন্ম হয়। যাদের বক্তব্যই হল, এই ভাবে চললে সরকার দেওলিয়া হয়ে যাবে এবং বেহিসাবী সরকারি খরচ চলবে না। গত ২০১০ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে তারা ৬০ জনকে জেতাতে সমর্থ হয় এবং যার ফলে কংগ্রেসে ডেমোক্রাটরা সংখ্যালঘু। ফলে, গত সপ্তাহে ডেটলিমিট বা ধারের পরিসীমা বাড়াতে গিয়ে ওয়াশিংটনে চলে টানা দুই সপ্তাহের নাটক। এবং মোটামুটি ধারের লিমিট বাড়ালেও ঠিক হয়, সরকার খরচ কমাবে প্রথম ধাক্কায় প্রায় ৯০০ বিলিয়ান ডলার, দ্বিতীয় ধাক্কায় ১২০০ বিলিয়ান ডলার।
[৩]
এই মন্দার বাজারে আমেরিকান সরকার যদি এত খরচ কাটে তার ফল কি হবে?
এমনিতে আমেরিকাতে ৯% চাকরি সরকারি বা সরকারের অনুদানের ওপর নির্ভরশীল। কিন্ত এর প্রভাব আমেরিকান অর্থনীতির ওপর হবে দীর্ঘস্থায়ী। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গবেষণা, ডিফেন্স সর্বত্র এর প্রভাব পড়বে। সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে স্বাস্থ্য বা বায়ো রিসার্চে। উচ্চশিক্ষার জন্যে যারা আমেরিকাতে আসতে চাইছে, তাদের আসা খুব কঠিন হয়ে যাবে। কারন তারা আসে টিচিং এসিস্টটেন্ট হিসাবে এবং সেই টাকাট আসে হয় সরকার থেকে বা ছাত্রদের টিউশন থেকে। আর ছাত্রদের টিউশন আসে স্টুডেন্ট লোন থেকে। এখন সর্বত্রই কাটছাঁট।
আমি ওয়াশিংটন ডিসির খুব কাছে থাকি এবং এখানে সরকারি ছাঁটের প্রভাব হবে আরো বেশী। শুধু ৯০০ বিলিয়ান ছাঁটাইতেই এই রাজ্যের ২৫০,০০০ লোক কাজ হারাবে যেহেতু এই রাজ্যে সরকারি কর্মচারী বা সরকারি অনুদানে চলা চাকরি সব থেকে বেশী। যা এই রাজ্যের মোট কর্মক্ষম লোকের সংখ্যার প্রায় ১৫-২০%।
ফলে আমেরিকার সামনে কি দিন আসছে বলার অপেক্ষা রাখে না।
[৪]
কিন্ত প্রশ্ন উঠবে, কেন তাহলে সরকারি অনুদানে ছাঁটাই হচ্ছে? সবাই একমত, আয়ের সাথে ব্যয় মেলাতে হবে। কিন্ত তাহলে বড়লোকদের ওপর বেশী ট্যাক্স না কেন? পৃথিবীর ৪০% ধনী আমেরিকাতে! তাদের ওপর বর্ধিত কর না চাপিয়ে কেন ছাঁটাই করা হবে সরকারকে?
এই বিতর্কই এখন আমেরিকান রাজনীতির সর্বত্র জুরে। প্রতিদিন টিভি খুললে এই বিতর্কের ট্রেন চলতেই থাকে, স্টেশনের দেখা মেলে না!
রিপাবলিকানদের দুটি মূল বক্তব্য,
(১) টাক্স বাড়ালে অর্থনীতি এবং চাকরির বৃদ্ধি কমবে। কারন আমেরিকাতে ৭০% চাকরি দেয় ছোট ব্যবসা। তাদের ওপর বর্ধিত কর, অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে।
(২) ইউরোপে ট্যাক্স বাড়িয়েও, লোন ডিফল্ট আটকানো যাচ্ছে না। গ্রীসকে অক্সিজেন দিয়ে চালানো হচ্ছে। ইটালী এবং স্পেন প্রায় লোন ডিফল্টের পথে। সুতরাং সরকারি খরচ ছাঁটাই এর বিকল্প নেই।
বলাই বাহুল্য (১) এর সপক্ষে কোনদিন কোন সংখ্যাতাত্ত্বিক প্রমাণ আমি দেখি নি।
(২) এর যুক্তিতে সারবত্তা আছে। খরচ ছাঁটাই কিছুটা করতেই হবে। খরচে রাশ না কমালে, শুধু ট্যাক্স বাড়িয়ে এই বিপদ এড়ানো যাবে না, তা সত্য। এটা নিয়েও কোন বিতর্ক নেই। বিতর্ক এখানেই যে ট্যাক্স না বাড়িয়ে শুধু সরকার ছেঁটে কি এই কাজ করা ঠিক? বিশেষত এমন মন্দার সময় এখন।
তাহলে রিপাবলিকানদের বক্তব্য কেন শুনতে হচ্ছে? যেখানে আমেরিকার ৬০% লোক সরাসরি বলছে বড়লোকদের ওপর ট্যাক্স বসুক?
এটি আসলেই প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের দুর্বলতা। দু বছর আগে ডেমোক্রাটদের হাতেই ছিল সেনেট এবং কংগ্রেস। তখন বড়লোকদের ওপর বর্ধিত কর বসাতেই পারত তারা। সেটা না করে, গত ৮০০ দিনে কোন বাজেটই পাশ করে নি তারা। তার বদলে শুধু সরকারি খরচ বাড়িয়ে গেছে।
ডেমোক্রাটদের এই ডবল স্টান্ডার্ড বা দ্বিচারী বা দ্বিমুখী আচরন, আজকের ক্রাইসিসের জন্যে অনেক অংশে দায়ী। ডেমোক্রাটদের ভোটার বেস হচ্ছে গরীব অংশ-যাদের সরকারি চিকিৎসা এবং শিক্ষা দরকার। ফলে তারা সরকারি খরচ বাড়িয়েছে, তাদের ভোট বেস অক্ষুণ্ণ রাখতে। তাতে আপত্তি নেই। কিন্ত সেই বর্ধিত খরচের জন্যে বর্ধিত আয় দরকার। তার জন্যে বড়লোকদের ওপর ট্যাক্স বসানো নিয়ে কোন বিল তারা আনলো না। ফলে সরকারের সংকট শুরু হল এবং সেটা দেখিয়ে রিপাবলিকানরা জিতে গেল।
কিন্ত ধণীদের ওপর কেন কর বসালো না ডেমোক্রাটরা? তারাত ডেমোক্রাটদের ভোট দিচ্ছে না! তাহলে ? রহস্যটা কি?
এটা আমেরিকান রাজনীতির কালো দিক। নির্বাচনী ফান্ড এই দেশে মূলত ধনীরাই দিয়ে থাকে এবং নির্বাচনে লড়তে গেলে ডেমোক্রাট বা রিপাবলিকান পার্থীদের সেই ধনী শ্রেনীর কাছেই হাত পাততে হবে। এবং প্রতিটি ধনী ব্যক্তি এই দেশে দুই পার্টির নির্বাচনী তহবিলে টাকা দেয়। তাদের টাকাতেই লড়তে হয় নির্বাচন। তাদের বিরুদ্ধে যাওয়ার ক্ষমতা আসলেই নেই ডেমোক্রাটদের। তারা ধণী শ্রেনীর বিরুদ্ধে বড় বড় ডায়ালোগ দিয়েই খালাস-যা তোকে ছেরে দিলাম টাইপের ঢপবাজি ওবামাও অনেকদিন চালাচ্ছেন। আসল সত্যি কথাটা আমেরিকান জনগণও জানে।
[৫]
আমেরিকান বাজেট ছাঁটাই আসু মন্দার একমাত্র কারন না। এর সাথে গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া– ইটালি লোন ডিফল্ট করতে পারে। গ্রীসের মতন ছোট দেশকেই বাঁচানো যাচ্ছে না-এর ওপর তার থেকে প্রায় দশগুন বড় একট অর্থনীতি দেওলিয়া হলে, ইউরোপের ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ধ্বসে যাবে। ইউরোপে ওয়েল ফেয়ার অর্থনীতির দিন শেষ। সরকার সেখানে আরো বেশী ছাঁটাই করবে। ইউরোপে শিক্ষা,স্বাস্থ্য এসব আর বিনামূল্যে কেও পাবে না। সেদিন শেষ।
তবে মন্দের ভাল এই যে বর্তমানে বেসরকারি কোম্পানীগুলি লাভজনক এবং সেখানে মন্দা নেই। মন্দার সময় তারা প্রচুর ছাঁটাই করেছে-ফলে মন্দার পরবর্তী বাজারে প্রতিটা প্রাইভেট কোম্পানীর অবস্থা বেশ ভাল এখন। বর্তমানের মন্দা মূলত বেহিসাবী রাজনীতির জন্যে। রক্ষণশীল বা উদারপন্থী-কেওই একটি মধ্যম গ্রাউন্ডে আসতে চাইছে না। কিছুটা সরকারি খরচ ছাঁটাই, এবং কিছুটা কর বৃদ্ধি-এই ভাবেই এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া যেত। ডেমোক্রাটরা এখন তাই বলছেন-কিন্ত যখন তাদের হাতে ক্ষমতা ছিল-তখন বিল পাশ করেন নি কেন?
তবে অবস্থা যেদিকেই যাক, আমেরিকার খারাপ অর্থনীতি মানে গোটা বিশ্বের নাভিশ্বাস উঠবে।
আজকে উইনকনসিনে ডেমোক্রাটরা আবার হারল। অর্থাৎ তাদেরকে দেখা যাচ্ছে কেওই আর বিশ্বাস করছে না। এই হারটা আরো দুঃখজনক। কারন এই লড়াই ছিল ইউনিয়ান করার দাবিতে-দেখা গেল, অধিকাংশ রাজ্যবাসী সরকারি কর্মচারীদের ইউনিয়ান করার অধিকার কেড়ে নেওয়ার পক্ষে।
@রিয়াজ উদ্দীন, Moody’s is still holding the AAA rating for the US. So, the political ranglings did not affect its decision. Downgrading of US credit worthiness is done by S&P, and they did not point to the political rangling issue as the reason of the downgrade; if at all, it’s not the major factor; if so, it would have warranted a mention as a reason. While there might be something hidden, which I have no prophetic power to know, I can only believe what S&P has publicized its reasons as. A third party’s or person’s opinion piece may hold the truth, but I have no way of knowing. Moody’s may still downgrade the US ratings, but let’s wait and see what reasons they give.
As concerns Capitalism/Free-market economy and welfare system of governance, they are fundamentally different, although some people may want to make them the same. There are governments that follow capitalism and free-market economy to grow the nation’s wealth, but does not implement the welfare system of distribution of their wealth. Distribution of wealth is often necessitated by political exigencies, such how to get the votes for going to power or staying in power. It can be influnced by ethical ideals (such as communistic) as well. Going to power or ethical ideals have nothing to do with economic theories, such as capitalism and free-market, which exclusively theorize on the best way of increasing wealth. Capitalism and free-market economic theories were born (which you certainly know) out of the formerly-held mercantilist economic theory (which is somewhat overlapping with communistic ideas of economics), which theorized that the only way of increasing a nation’s wealth is by plundering another.
One can say, when wealth is generated, it has to be distributed and in that way they are connected and that’s true. And still, whatever the experts may say (as in wiki), distribution is mainly a “political decision”, or one can at best say a “politico-economic” decision. But capitalism and free-market economy are exclusively economic theories that focus on the creation of wealth, and nothing else.
There are countries that have generated wealth through capitalism and free-market economic policies, but didn’t roll out a welfare system of wealth distribution. After the nation became wealthy, voter pressures (such as putting a different party into power) forced the government to adopt increasingly greater level of welfare system of governance. Voter pressures, and a consequent political decision (for stayng in power), have nothing to do with economic theories.
Let me conclude by saying that welfare system can adopted by a capitalistic and free-market economy country (liberal democracies of Europe), as much as it can be adopted by a non-free-market economy nation. Communist countries are not capitlalistic and free-market econmies, but their wealth distribution is a welfare system, although probably at a heightened level.
@bangla murtad,
এটা ঠিক না। রাজনৈতিক অস্থিরতাকেই তারা মূল কারন বলছে। আজকে নাটক আরো জমবে।
@bangla murtad,
আপনার মন্তব্যটি ইংরেজিতে আসলেও এটা বাংলা বিভাগ বলে বাংলাতেই উত্তর দিচ্ছি।
মুডির রিপোর্ট থেকে উদ্ধৃতি কেন দিয়েছি সেটা বোধ হয় আপনার কাছে স্পষ্ট করতে পারিনি। আপনি যেহেতু বলছিলেন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কথা — ফলে আমি দেখাতে চেয়েছি চলমান বিবাদ থেকে রেটিং এর ডাউনগ্রেড হবার ব্যপারটা প্রেডিক্ট করা সম্ভব ছিল। কারন কার্যকারন থেকে যেটা প্রেডিক্ট করা যায় সেটাকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসাবে ডিসকাউন্ট দেয়া যায়না।
রেটিং পড়ে যাবার পর এখন আমি যদি বলি আগে থেকেই জানতাম এমন কিছু একটা হবে সেটা আপনি বিশ্বাস করতে যাবেন কেন? ফলে মুডির রিপোর্ট দিয়ে এটা দেখানো গেল যে বিবাদের আবহ থেকে রেটিং এর পতনের ব্যপারটা পূর্বাভাস যোগ্য ছিল (থ্যাংকস টু মুডি’স রিপোর্ট)। S&P ডাউনগ্রেডের পক্ষে কি অজুহাত দিয়েছে সেটা এখনো দেখিনি। আমি কমন সেন্স কাজে লাগিয়েছি মাত্র।
আমেরিকার ঘরের ভেতর থেকেই যদি ডেট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তাও প্রধান বিরোধীদলের দিক থেকে দীর্ঘ সময় ধরে, তাহলে অন্যরা সে ব্যপারে নির্লিপ্ত থাকবে আমার কাছে মনে হয়নি। বলতে পারেন S&P তাহলে কিছু বলছে না কেন? কারন, যদি তারা বলে রিপাবলিকানরা সিলিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বলে আমরা রেটিং কমিয়ে দিলাম সেটা S&P এর দিক থেকে পেশাগত অবস্থান মনে হোত না। যেহেতু এখানে ব্যপারটা অনেকটাই সাবজেক্টিভ ফলে তাদের পক্ষে অফিসিয়াল একটা ব্যখ্যা দাড় করানো জরুরী। কিন্তু টাইমিং এর ওভার ল্যাপ নিছক কাকতাল মনে হয়নি আমার কাছে। তবে আবার এটা ভেবে বসবেননা আমি আসলেই আমেরিকার ক্রেডিট ওয়ার্দিনেস অন্যায় ভাবে কমানো হয়েছে বলছি।
এটা নিয়ে বা তার পর বক্তব্যগুলো দিলেন তানিয়ে কিন্তু আপনার সাথে আলোচনার শুরু হয়নি; আপনি যেযায়গায় দ্বিমত রেখেছেন মানে ওয়েলফেয়ার ইকনমিক্সের রেফারেন্সে আপনি বলেছেন বাজার অর্থনীতির পোষকরা কেবল সম্পদ সর্বোচ্চ করন নিয়ে কথা বলেন — এবং ওয়েলফেয়ার মেক্সিমাইজ করাটা তাদের উদ্দেশ্য নয়। আমি বলছি সেটা ঠিক নয়। ওয়েলফেয়ার ইকনমিক্স, মানে অর্থনীতির যেই শাখা ওয়েলফেয়ার অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করে তার প্রেক্ষিতে বাজার অর্থণীতির পোষকরা মনে করে বাজার ব্যবস্থা নিজে থেকে ওয়েলফেয়ার সর্বোচ্চ করবে — সেই ক্ষেত্রে ওয়েলফেয়ার স্টেটের পক্ষে যাদের অবস্থান তারা ওয়েলফেয়ার ম্যক্সিমাইজেশানের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার মনে করেন। সম্ভবত আপনি ওয়েলফেয়ার শব্দটির একটা পপুলার অর্থ ব্যবহার করছেন যেখানে বিনে চেষ্টায় সরকারের কাছ থেকে সরাসরি যেটা পাওয়া যায় সেটাই ওয়েলফেয়ার অর্থে — ওয়েলফেয়ার ইকনমিক্সের ওয়েলফেয়ারের মানে তার চেয়ে ব্যপক। সেখানে মুফতে পেলে যেমন ওয়েলফেয়ার, চেষ্টা করে ফেলেও ওয়েলফেয়ার হয়। আপনি এখন যেটা বলছেন সেটা মূল দ্বিমতের যায়গা থেকে বের হয়ে ভিন্ন একটা প্রসঙ্গ হোল। ফলে আমার মন্তব্যের উত্তরে অপ্রাসঙ্গিক। আগের মন্তব্য গুলো আবার একটু মনযোগ দিয়ে পড়লে আমার বক্তব্য আরো স্পষ্ট হতে পারে।
থিওরী? কেবল সম্পদ তৈরি এবং আর কিছু না? একটু কি বলবেন কোথায় পেলেন এমন কথা? উইকির মত সহজ রেফারেন্স হলেও চলবে। রেফারেন্স না আসা পর্যন্ত দ্বিমত পোষন করলাম। আর উইকির আর্টিকেল গুলো কোন ব্যক্তির লেখা হলেও এটা অর্থনিতির (মানে পশ্চিমে টেক্সবইতে যা পড়ানো হয়) মূল ধারার কারিকুলামকেই রিফ্লেক্ট করছে।
@বিপ্লব দাঃ আমি বলেছি, “সরকারী চাকরী ছাটাই বিনিয়োগকারীদের জন্য অসহায়ক হলে সেটা মূখ্য নয়।” পুজিবাদে সব আর্থিক ফ্যাক্টরই সংযুক্ত, তবে সরকারী খাতের খরচ অর্থনীতির চাকা চালাতে মুখ্য নয়। বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় সংবাদ বা ফ্যাক্টর হচ্ছে, আমেরিকার Non-farm Payroll (NFP) — যা আমেরিকার বেসরকারী কোম্পানিগুলোতে কর্ম-সংস্থানের মাসিক পরিসংখ্যান। অর্থনীতির দিক নির্দেশনা দিতে সরকারি খাতে কর্ম-সংস্থানের হার বড় Factor না।
@bangla murtad,
ইস্যুটা সরকারি খাতে কজন চাকরী করছে তা না। সরকারি খাতে খরচ কত কমছে।
এপ্রিল মাসে একটা ডিফেন্স কনট্রাক্ট বেড়িয়েছিল, অন স্কাই রিফুয়েলিং প্রযুক্তির জন্যে। বোয়িং কনট্রাক্টটি জেতে ৩৩ বিলিয়ান ডলারে। তখন বোয়িং ঘোষণা করে এর জন্যে প্রায় ৫০,০০০ চাকরির সৃষ্টি হবে গত দশ বছরে।
এমনতর সরকারি খরচের ওপর বহু চাকরি এবং বেসরাকারি কোম্পানী নির্ভরশীল।
@রৌরব, এটা axiom কিনা সেটা ভেবে দেখার বিষয়। চীন ও ভারতের কথা ধরুন। যতদিন তারা মুক্ত-বাজার অর্থনীতি বর্জন করেছে, ততদিন সেখানে সম্পদের বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি স্থবির থেকেছে, কিংবা খুবই স্লথ গতিতে এগিয়েছে। আর মুক্ত-বাজার অর্থনীতি গ্রহণ করার ২ দশকের মধ্যেই দেশ দু’টো বিশ্বের বুকে অর্থনৈতিক “পাওয়ার হাউস” হিসেবে ইতিমধ্যে স্বীকৃত পেয়েছে। চীন আজ জাপানকে ছাড়িয়েছে; আমেরিকাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে আগামী ৩-৪ দশকে। এবং সেটা যে পুজিবাদ ও মুক্তবাজার অর্থনীতির ফসল, তা অন্ধ-চোখেও দৃশ্যমান।
@bangla murtad,
হ্যাঁ, কিন্তু তার মানে পুঁজিবাদের গুণ (যদি কিছু থেকে থাকে) একটি empirical তথ্য, axiom নয়।
@রিয়াজ উদ্দিন,
এটা বাজার অর্থনীতির পোষকরা মনে করেন না। তারা মনে করেন বাজার অর্থনীতির সম্পদ বৃদ্ধির শ্রেষ্ঠ উপায়। এবং সেটা আর প্রমাণ করার প্রয়োজন পড়ে না। ওয়েলফেয়ার ব্যবস্থা হলো সম্পদের বিতরণ কিভাবে হবে — সেটা মূলতঃ একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, অর্থনৈতিক নয়। অর্থনৈতিক সূত্র মূলতঃ সম্পদের বৃদ্ধি নিয়ে, উৎপাদন নিয়ে; বিতরণ নিয়ে নয়।
রিপাবলিকানরা পুজিবাদমূখী, প্রো-বিজনেস। কাজেই, এরা কখনোই চাবেন না, আমেরিকার ক্রেডিট ওয়ার্দিনেস রেটিং কমে যাক। এবং S&P আমেরিকার ক্রেডিট ওয়ার্দিনেস রেটিং কমিয়েছে রিপাবলিকানদের নেতিবাচক প্রচারনার জন্য নয়, বরং বাজেট ঘাটতি কমানো, যা রিপাব্লিকানরা চাচ্ছিলেন, তা যথেষ্ট না হওয়ার কারণে। ডেমোক্র্যাটরা যা চাচ্ছিলেন সেটা পেলে AA+ না হয়ে AA-তে নেমে আসতে পারত। রিপাবলিকানরা একটু হৈচৈ করল আর S&P রেটিং কমিয়ে দিল — এরূপ ধারনা সবকিছুতেই ষঢ়যন্ত্র (conspiracy theory) খুঁজে পাওয়ার সালিম।
@bangla murtad,
এটা বাজার অর্থনীতির একটা axiom নাকি? আরেকটু খুলে বলুন তো।
@bangla murtad,
আপনার সাথে ওয়েলফেয়ার ইকনমিক্সের সংজ্ঞা নিয়ে আরো আলোচনায় যাবার আগে প্রথমে অনুরোধ করব উইকির এই আর্টিকেলটা একবার পড়ে নিন।
আরো প্রিসাইসলি এটাকে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক (Political Economic) সিদ্ধান্ত বলা চলে। এই সব বিষয়ে রাজনীতি আর অর্থনীতিকে আলাদা করা বেশ কঠিন। ফলে এই আলোচনাগুলো রাজনৈতিক নেতাদের আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপকেরা ঠিক করেননা। তারা কমেন্ট্রি লেখেন বা বড় জোর সরকারগুলোকে পরামর্শ দেন!!
আশা করি উইকির যেই আর্টিকেলটা পড়ার অনুরোধ করলাম সেটা পড়া হলে এটা নিয়ে আরেকটু ভালভাবে আলোচনা করা যাবে। আপনার কথার অর্থ দাড়াচ্ছে “অর্থনৈতিক সূত্র” কেবল সম্পদের বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলে — সেই বৃদ্ধি হবার পর কার হাতে যাচ্ছে বা থাকছে সেটা নিয়ে কথা বলে না? ওয়েল সেই ক্ষেত্রে আরেকটা উইকির আর্টিকেল দেখা চলে (এটাতেও একটু চোখ বুলিয়ে নিন)।
একটা ডিসক্লেইমার — আমি অবশ্য বলছিনা আপনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেননা — আমি এই গুলোকে আমলে নিয়ে আলোচনার কথা বলছি। আর রৌরবের প্রশ্নটির উত্তর দিলে আপনার বক্তব্য আরেকটু স্পষ্ট হবে আশা রাখি।
@bangla murtad,
তাদের অবস্থান তাদের নীতিগত অবস্থানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমনটা বলিনি খেয়াল করবেন। “ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনি” — এরকম একটা প্রবাদ আমরা জানি। তবে এখান ব্যপারটা ঘটেছে অন্যরকম ঠাকুর ঘরে কেরে জিজ্ঞেস করার আগেই আমি কলা খাইনি বলা হয়ে গেছে। তাই আমি মূলত আশংকা করছিলাম আমেরিকার রেটিং এ এই প্রচারনা আর বিতর্কের একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর এই পরিনতিটা অর্জনের পেছনে দুই দলেরই সমান ভূমিকা রয়েছে। ব্যাপারটা প্রিমেডিটেটেড না হলেও এটার কনসিকোয়েন্স আগে থেকে বোঝা কঠিন ছিলনা। আপনার কাছে এটা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মনে হবার কারন এটা আপনার কাছে Ex-post মূল্যায়ন মনে হচ্ছে — কিন্তু একটু লক্ষ্য করলেও এটাকে প্রেডিক্ট করা কঠিন ছিলনা। তাই আমার কাছে এটাকে কনস্পিরেসি থিওরি মনে হচ্ছে না।
@bangla murtad,
রেটিং এর ডাউনগ্রেড আগে থেকেই বোঝা উচিত ছিল বলে একটু ভয়ে ভয়ে ছিলাম — আবার না জ্যোতিষি বলে খোটা দেন!! এখন একটা রিপোর্ট চোখে পড়ল সেটা বলছেঃ
যার অর্থ দাড়াচ্ছে এই যে যদি ডেট সিলিং বাড়ানো হোত তাহলে এখন রেটিং হারাতে হোত না। কাজেই রিপাবলিকানরা কোনভাবেই এটা চাইবে না এই অনুমিতিটি ঠিক নয়। তারা যেটা করছে এটা কেবল ওবামাকে হার্ড টাইম দেবার জন্য। বাইদা ওয়ে উপরের রিপোর্টটা দুইমাস আগের। ফলে এই রেটিং কমে যাবার ব্যপারটি দলগুলো জানত না এমনটা বলা যায়না নিশ্চয়ই।
লেখাটি বেশ ভাল লাগল। বেশ গোছানো; মেদবিহীন।
আন্তর্জাতিক অর্থনীতি সম্পর্কে আমার জ্ঞান সামান্য। এছাড়া পরিস্থিতি যেমন তাতে জেনারালাইজড কোন মন্তব্য বা ভবিষ্যতবানী করা কঠিন। কারন অনেক দেশ জড়িত — কেবল মাত্র সমাজতন্ত্র বা পুঁজিবাদের ডাইকটমাস ক্যাটাগরি দিয়েও এমন বহুমাত্রিক বিষয়টির ব্যপকতাকে ধারন করা কঠিন, আমার মনে হয়েছে আপনি কিছুটা হয়ত বায়াসড এই ক্ষত্রে — অথবা এই বাইনারি কাঠামোর মাধ্যমে হয়ত আপনি পুরো ব্যপারটাকে দেখতে চাইছেন। আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু সাধারন পর্যবেক্ষন উপস্থাপন করছি।
ওয়েলফেয়ার ইকনমিক্স না বলে সম্ভবত ওয়েলফেয়ার স্টেট বলতে চেয়েছিলেন। ওয়েলফেয়ার ইকনমিক্স ইউটিলিটারিয়ান চিন্তার একটা প্রধান ধারনা– বাজার অর্থনীতির পোষকরা অর্থনীতিকে ওয়েলফেয়ার হিসাবের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। মানে তারা বিশ্বাস করেন বাজার ব্যবস্থার মাধ্যমেই ওয়েলফেয়ার সর্বোচ্চ হয় — সেই হিসাব নিকাশই করা হয় ওয়েলফেয়ার ইকনমিকসে।
তবে যেই টাইমবোমাটির কথা বলছেন সেটার সম্পর্কে নিশ্চিত নই (সম্ভবত অংশিক কারন হতে পারে)। এটা ঠিক ওবামা ক্ষমতায় আসার পর আমেরিকান সরকার তাদের ওয়েলফেয়ারের ভাগ বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। সম্ভবত মন্দাই ডেট বেড়ে যাবার বড় কারন। সেভাবে এই ডেট সিলিং এর ব্যপারটিকে আমেরিকার জনগন দেখছে কিনা সেটা একটা দেখার বিষয়। লক্ষ্য করেছেন হয়ত, গত কয়েকমাস ধরে পাবলিক ডেট বাড়ার বিষয়টি নিয়ে রিপাবলিকানরা জোরেসোরে নেতিবাচক প্রচারনা চালিয়েছে। এটা মূলত একটা রাজনৈতিক ব্যপার — নেট ফল হোল আমেরিকার ক্রেডিট ওয়ার্দি নেস নেমে যাওয়া। তবে মজার ব্যপার হচ্ছে চীনের ক্রমবর্ধমান যে উদ্বৃত্ত পুঁজি সেটা গ্রহন করার মত বড় কোন অর্থনীতি খুজে পাওয়া মুশকিল। ফলে রেটিং পড়ে যাওয়া আমেরিকার আসলে ক্ষতি করবে কিনা সেটা আগেভাগে বলা যাচ্ছে না। তবে সাময়িক একটা চাপ যে আমেরিকার অর্থনীতিতে পরতে যাচ্ছে সেটা বলাই যায়, কিন্তু এটা কোন মন্দার দিকে নিয়ে যাবে কিনা সে ব্যপারে এখনো আমি নিশ্চিত নই। তবে এতে ওবামার কিছুটা ক্ষতি হোল নিশ্চয়ই। কেননা বলা যাবে ওবামাই প্রথম প্রেসিডেন্ট যার সময়ে রেটিং পড়ে গেছে।
ডেট সিলিং এর ব্যপারটা সম্ভবত বাৎসরিক (মানে এক্রুয়াল বেসিসে নয়)। এটা ঠিক হলে আগামি বছর আবার একই মাপের পাবলিক ডেট সরকার হাতে নিতেই পারে। কাজেই এই বছর এত ঝগড়া ঝাটি করে রেটিং কমানোর কি দরকার ছিল সেটা আমার বোধগম্য হোলনা। কেমন জানি প্রিমেডিটেটেড মনে হচ্ছে। এতে আমেরিকার কোন স্বার্থ আছে কিনা সেটাও একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে সামনে আসছে!!
মোটাদাগে মনে হয় এক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য অর্থনীতিগুলো কিভাবে আচরন করবে তার ওপরও কিছুটা নির্ভর করবে আমেরিকার পরিনতি। যেসব দেশে উদ্বৃত্ত রয়েছে তারা তো টাকা হাতে নিয়ে বসে থাকতে পারবেনা। তাছাড়া রেটিং যেখানেই থাকুক এরমধ্যে বিনিয়োজিত পুঁজির গুনগত মান বজায় রাখা কিন্তু বিনিয়োগকারিদেরও স্বার্থের সাথে জড়িত। সেই ক্ষেত্রে পুরো ব্যপারটা একটা মাল্টিল্যারাল গেম।
পাবলিক ডেটের ট্রেন্ড বিষয়ে নিচের উইকির ছবিটি হুয়ত কিছু ধারনা দিতে পারে — দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারেই এত বড় ডেট ক্রাইসিস হাজির হয়েছে আমেরিকার দোরগোরায়। সেই তুলনায় এবারের ক্রাইসিস কতটা বড় সেটা দেখার বিষয়। মন্দার কথাটি বিবেচনা করলে আর রুসভেল্টের সময়কার ডেট সিনারিওর সাথে মিলালে বলা যায় বর্তমান অবস্থা হয়ত কোন চমক নয়।
[img]http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/b/b8/US_Federal_Debt_as_Percent_of_GDP_by_President.jpg[/img]
ছবিটাকে রিসাইজ করা গেলো না, কোড জানা নেই; কেমন দেখাবে কে জানে!!
@রিয়াজ উদ্দীন,
এই ডেট রেশিওটা যে খুব একটা বেশী না-সেটা সবাই জানে। কিন্ত রুজভেল্টের সময় অর্থনীতি যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল-এখন ত আর তা হবে না।
এটা ঠিক, চীনের একটি বড় সমস্যা হবে, উদবৃত্ত টাকা তারা কোথায় রাখবে। সেটা যদি গবেষণা খাতে খরচ করে, সেটাই তাদের ও পৃথিবীর জন্যে উত্তম। আমেরিকাকে টাকা ধার দেওয়া মানে , বিলিয়ান ডলার খরচ করে, আফগানিস্তানের আদিবাসীদের মারবার জন্যে মিলিয়ান ডলারের বোমা বানাবে। বা ৮০ পেড়োনো বৃদ্ধের পেছনে খরচ হবে, যাতে ডেমদের ভোট ব্যাঙ্ক অক্ষুন্ন থাকে। তার থেকে চীন, টাকাটা নিজেদের গবেষণাতে খরচ করলে, অনেক কাজের কাজ করবে।
আমেরিকান সহ সব সরকারেই বিরাট অপচয় হয়। সেই অপচয়ে কোটি কোটি লোকের সংসার চলে। এটা কোন সাসটেনেবল অর্থনীতি হতে পারে না।
@বিপ্লব পাল,
সেটা ঠিক — তবে বিসনেস সাইকেলের অনুমিতি অনুসারে মন্দার পর রিকভারি পিরিয়ডে প্রবৃদ্ধি বেশি হবে এমন একটা অপটিমিজমও বোধ হয় কাজ করছে।
চীন অবশ্যই নিজেদের সার্থ দেখবে। এর মধ্যেই এরা মানব সম্পদ উন্নয়নে প্রচুর টাকা ঢালছে। যদি আমেরিকাকে টাকা ধার দেয়া ওদের জন্য বেস্ট অপশন হয় চীন নিজের নাক কেটে আমেরিকার যাত্রা ভঙ্গ করবেনা হয়ত। তবে অদূর ভবিষ্যতে দুটো ব্যপার ঘটতে পারে।
প্রথমতঃ চীনের অর্থনীতিতে গত কয়েক বছর যে হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সেটা দীর্ঘ মেয়াদে অক্ষুন্ন থাকবে না। আর চীনের জনসাধারন আস্তে আস্তে “তামার বিষে” আক্রান্ত হবে। মানে আস্তে আস্তে তারা ভোগবাদি হয়ে উঠবে অনুমান করছি। সেই ক্ষেত্রে তাদের উদ্ধৃত্ত থাকার যেই ধারা ছিল সেটাও মনে হয় বেশি দিন থাকবে না। ফলে মধ্যমেয়াদেই আমেরিকা চাইলেও বোধহয় চীনের দিক থেকে পুঁজির প্রবাহ বজায় থাকবে না। সল্পমেয়াদে যাই হোকনা কেন।
দ্বিতীয়তঃ চীন হয়ত আস্তে আস্তে বিনিয়োগের আরো ভালো উপায় খুঁজে বের করতে পারবে। বিশেষ করে যদি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত হয় তাহলে মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদে আমেরিকার দিক থেকে পুঁজি অন্যদিকে সরে যাবে অনুমান করা যায়।
@বিপ্লব পাল,
উদ্বৃত্ত টাকা আমেরিকাতে রাখে বলেই আমেরিকা চীন থেকে ব্যপকভাবে আমদানী করে যা পরিশেষে চীনের অর্থনীতিতে বিরাট প্রবৃদ্ধি সৃষ্টি করে। এখনও আমেরিকাই চীনের সবচাইতে বড় আমদানিকারক। ফলে চীন নিজের স্বার্থেই আমেরিকাতে টাকা লগ্নী করে। এখানেই আমেরিকার ভেল্কিবাজি।
@রিয়াজ উদ্দীন,
চমৎকার মন্তব্য। আপনার মন্তব্য আসলেই অনেক কিছু শেখা যায়।
এটা কিন্তু ঠিক নয় মনে হচ্ছে। উইকিপিডিয়ায় দেখুন “এগ্রিগেট”-এর কথা বলছে।
@রৌরব,
এটা যদি ঠিক না হয় তাহলে সমূহ বিপদ অবশ্যই। আমি নিশ্চিত হবার চেষ্টা করব আসলে ব্যপারটা কি। এগ্রিগেট যখন বলছে তখন সেটার একটা মানে হতে পারে একুমুলেটেড ওভার টাইম (যেমন আপনি ভাবছেন) আরেকটা মানে হতে পারে এগ্রিগেট ওভার ক্যাটাগরিস (যেমন এখানে দেখানো হচ্ছে)। প্রথমটা হলে মানে একুমুলেটেড ডেট হলে তার মানে দাড়াচ্ছে এখন থেকে আমেরিকার সরকার আর তাদের বাৎসরিক বাজেটে ঘাটতি রাখতে পারবে না। অন্তত কয়েকবছর উদ্বৃত্ত রাখতে হবে। সেরকম হলে মহাবিপদ- বিশেষ করে এখনো মন্দা কাটেনি যেহেতু!! কিন্তু রেটিং কমে যাওয়া নিয়ে যত কথা দেখলাম এইরকম মহাবিপদের আভাস দেখলামনা — তাই ভাবছিলাম কোনটা ঠিক।
আর দ্বিতীয়টা হলে বিপদটা যত গভীর বলে আপাত মনে হচ্ছে ততটা নয় সম্ভবত। আরেকটু চেষ্টা করে দেখি নিশ্চিত হতে পারি কিনা।
@রিয়াজ উদ্দীন,
মন্তব্য গুলোও বেশ ভালো লাগছে।
@রিয়াজ উদ্দীন,
খবর পেলেন কিছু? আমি কিন্তু আপনার আশায় বসে আছি 🙂 ।
@রৌরব,
একজনকে জিজ্ঞেস করব ভেবেছিলাম এই মাত্র মেসেজ পাঠিয়েছি। দেখা যাক কি বলেন, তবে যতটা মনে হচ্ছে আপনার কথাটাই বোধ হয় সত্যি হবে। 🙂
যদি তাই হয় তাহলে একটা স্টুপিড ব্যপার হয়েছে বলতে হবে। হঠাৎ করে ডেট সিলিং এমন একটা সময়ে আটকে দেয়াটা রিপাবলিকানদের দিক থেকে নিষ্ঠুর আচরন হয়েছে আর ডেমোক্রেটদেরও বোঝা উচিত ছিল রিপাবলিকানরা এটা আটকে দিলে ডিফল্টের ঝুঁকি আছে (ফলে রেটিং ডাউনগ্রেড) যার দায় গিয়ে ওবামার ঘারে পড়বে।
@রৌরব,
যাকে মেসেজ পাঠিয়েছি তিনি উত্তরে জানালেন এটা সিলিং একুমুলেটেড ডেটের ওপর। ফলে দেখা যাচ্ছে আমার অনুমান ভুল ছিল। 🙂
এটা নিয়ে ফোলো আপ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ বিপ্লব দাদাকে ভাল একটি আলোচনার জন্য। তিনি অন্তত সমস্যাটিকে racism-এর দৃষ্টিতে দেখেন নি, যেভাবে দেখছেন আমাদের বাংগালী-লেফট বুদ্ধিজীবীরা। তবে দাদার আলোচনায় একটু ফাক রয়ে গেছে। স্টক মার্কেটে ধ্বস হলো কেন? সেটা কি বাজেট ঘাটতির কারণে সরকারী চাকরিতে ছাটাই হবে সে কারণে? বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে মূলতঃ ব্যক্তি মালিকানার কোম্পানীগুলোতে, সরকারী খাতে না। সরকারী খাতে চাকরি ছাটাই ব্যক্তি মালিকানার কোম্পানীগুলোর জন্য আশীর্বাদও হতে পারে; কেননা কোম্পানীগুলোর জন্য অধিক মেধার সরবরাহ হতে পারে এরূপ পরিস্থিতিতে। পরন্তু কোম্পানিগুলো কম পারিশ্রমিকে লোক ভাড়া করতে পাবে। এ পরিস্থিতিতে কোম্পানীগুলোতে বিনিয়োগকারীরা আস্থা না হারিয়ে, তাদের আস্থা জোরদার হওয়ার কথা। সরকারী চাকরী ছাটাই বিনিয়োগকারীদের জন্য অসহায়ক হলে সেটা মূখ্য নয়। মূখ্য হচ্ছেঃ আমেরিকার ধার বেড়েই চলছে — আগামী দশ বছরে সেটা জিডিপি-র দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। আর সে ধার শোধের দায়িত্ব কার উপর? আমেরিকার জনগণ তথা প্রধানত কোম্পানীগুলোর উপর আরোপকৃত টাক্স। আমেরিকার অর্থনৈতিক ভবিষ্যত কোথায় যাচ্ছে এবং তাতে বিনিয়োগকৃত কোম্পানীগুলোর অবস্থা কি দাঁড়াবে সেটাই স্টক মার্কেট ধ্বসে পড়ার কারণ। S&P প্রথমবারের মত আমেরিকার ধার-যোগ্যতার রেটিং কমিয়েছে; কারণ বাজেট ঘাটতি কমানো যথেষ্ট হয়নি, ২.৭ ট্রিলিয়নের জায়গার কম করে হলে ৪.০ ট্টিলিয়ন হওয়া উচিত ছিল।
ছোটকালে শুনতামঃ “আয় বুঝে ব্যয় কর”। বর্তমান সমাজের ক্রমবর্ধিষ্ণু ভিক্ষা-মুখাপেক্ষী মার্ক্সিস্ট-সোসালিস্ট চিন্তাধারা আমাদের অর্থনৈতিক সংকটের মূল কারণ। আমেরিকার আগামী প্রজন্মের তথা রাষ্ট্রিয় ভবিষ্যত অন্ধকার, যদি না “আয় বুঝে ব্যয় কর” মন্ত্র শিঘ্র অবলম্বন করা হয়।
@bangla murtad,
এটা ঠিক তথ্য না। বেসরকারী কোম্পানীতেও সরকারি খরচ একটা বিরাট ফাক্টর-কারন সরাসরি বা ঘুরিয়ে সরকারের সাথে প্রায় সব বড় বিজনেস ফার্মই কিছু না কিছু বিজনেস করে এবং তাদের ক্যাশফ্লোতে সরকারি খরচ একটা বড় ফাক্টর। ধরুন এই যে সরকার ৩০০ বিলিয়ান ডলার ডিফেন্সে খরচ করে, চুঁইয়ে চুঁইয়ে এর একটা বড় অংশ নানান ছোট ছোট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানীতে আসে। হেলথ কেয়ারে সরকার যা খরচ করে, তার একটা বড় অংশ নানান ভাবে অসংখ্য ছোট ছোট কোম্পানীগুলিতে ঢুকছে। সুতরাং সরকার খরচ কমালে অসংখ্য বেসরকারি কোম্পানী বিপদে পড়বে।
@bangla murtad,
চমতকার বলেছেন(Y) বাম রাজনীতি তাই করে। দেশের অর্থনীতি গোল্লায় যাক, ভোটের পাল্লা আমার দিকেই থাকুক।
বিশ্ব মন্দার কবলে পড়ে আমেরিকা ইউরোপের মানুষদের একটা ভাল শিক্ষা হওয়া দরকার। ওরা আমাদের দারিদ্র নিয়ে করুনা আর বিদ্রুপ করে। অথচ আমরা যে দরিদ্র তার একটা বড় কারনই হলো ওদের ষড়যন্ত্র ও বৈদেশিক নীতি। ওরাই আমাদের মত দেশগুলোতে মৌলবাদ বৃদ্ধিতে উৎসাহ জোগায় যাতে আমরা অর্থনীতি নিয়ে বেশী মাথা না ঘামাই ও দরিদ্র থাকি, পরে ওরাই আবার এসে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ফেরেস্তা সাজে। কিন্তু ওই পর্যন্তই , পুরো উদ্ধার আমাদেরকে কখনই করে না। যাহোক, আর একটা মন্দা হয়ত ওদেরকে এ শিক্ষা দেবে যে – দুনিয়াতে সাম্রাজ্যবাদী স্টাইলে একচ্ছত্র মাতব্বরী করার বদলে গোটা মানবজাতিকে এককাট্টা হয়ে বাচতে হবে – আর তাহলেই দুনিয়াতে একট সত্যিকার সভ্য সমাজের প্রতিষ্ঠা হবে যা আমাদের সবার কাম্য।
@ভবঘুরে,
একমত না। একটা সময় ছিল, আমেরিকা এই কাজ করেছে। গত দুই দশকে, ব্যাপারটা তা না। গ্লোবালাইজেশনকে সবাই মানতে বাধ্য হচ্ছে।
বৈদেশ যাইতে পারবনা পড়তে?? আমি গরীব মানুষ 🙁
সময়োপযোগী ভাল একটা লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ। লেখা খুব আগ্রহ করে পড়লাম, মন্তব্যে আলোচনা আরো প্রাণবন্ত ও ব্যাপক হবে আশা করছি, তাই ফলো করতে বসলাম 🙂
@লীনা রহমান,
বিদেশে স্কলারশিপের সংখ্যা কমবে।
বিপ্লব-দা,
অভিজিৎ-দার বিজ্ঞান বিষয়ক আর আপনার সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক লেখাগুলো আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ি। ব্রেভিকের মনোবিশ্লেষন অথবা মুসলিমদের সমাজ বিবর্তনে পিছিয়ে পড়া বিষয়ে আপনার লেখা আমার চিন্তার গতানুগতিক জগত বদলে দিয়েছে। আর আমেরিকার ‘ডেট লিমিট’ বাড়ানো এবং সরকারী খরচ কমানোর সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে আপনি যা লিখেছেন, তা রীতিমতো আতঙ্ক জাগানো ! আমেরিকা এবং ইউরোপ আবারো বড় মন্দার কবলে পড়লে, বাংলাদেশের রপ্তানি খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের পক্ষে সে ধকল কাটিয়ে উঠা প্রায় অসম্ভব হবে। অথচ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে খুব একটা আলোচনা হচ্ছে না।
মনে পড়ছে, আমেরিকার বিগত প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের পূর্বে ওবামা এবং ম্যাককেইন একবার ‘হেলথ ইন্সিউরেন্স’, সরকারি ব্যয় এবং ট্যাক্স নিয়ে বিতর্ক করেছিলেন। ম্যাককেইন স্পষ্টতই সরকারী ব্যয় বাড়ানোর বিরুদ্ধে এবং ট্যাক্স হ্রাসের পক্ষে ছিলেন। আর ওবামার অবস্থান ছিল পুরোপুরি উল্টো। আজ ওবামা স্বাস্থ্য খাতে বিপুল খরচ বাড়িয়েছেন ঠিকই, কিন্তু একই সঙ্গে খুশি রেখেছেন তার নির্বাচনী ‘তহবিল দাতা’দের, যাদের অবদানে দ্রুততম সময়ে অবিশ্বাস্য বড় তহবিল সংগ্রহের রেকর্ড করতে পেরেছিলেন। অবস্থা হয়েছে বাংলাদেশের মতোই। ঋণের টাকায় ঘি খেয়ে এখন অর্থনীতির বারোটা বাজিয়েছেন !
‘সাব-প্রাইম ক্রাইসিস’ এর পর ‘উদারীকরণের’ নীতি শেষ হয়ে গেছে, অর্থনীতিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ পুনরায় জাঁকিয়ে বসেছে। আবার এখন আমেরিকার ‘ডেট ক্রাইসিস’ ওয়েলফেয়ার অর্থনীতির ধস নামিয়ে দিয়েছে। ‘সাব-প্রাইম ক্রাইসিস’ এর পর অনেকেই বলেছিলেন ‘পুঁজিবাদী অর্থনীতি’র দগদগে ঘা বিশ্বের সামনে উন্মোচিত হয়ে পড়েছে। আর এখন কি বলতে শোনা যাবে, সেই ঘা ‘ক্যান্সারের’ রূপ নিয়েছে, অর্থাৎ ‘পুঁজিবাদ’এর মরনঘন্টা বেজে গেছে? বিপ্লব-দার কাছ থেকে জানার অপেক্ষায় রইলাম।
@কাজি মামুন,
নানান ব্যস্ততার মধ্যেও লেখা খুব কঠিন-তারপরেও আপনাদের মতন পাঠক আছে বলেই, লিখতে ইচ্ছা হয় (D)
মানব সভ্যতার গত ৫০,০০০ বছরের ইতিহাস থেকে মার্ক্সবাদের দুটি সত্যই শুধু দেখতে পায়
(১) উচ্চতর উৎপাদনশীল সমাজ ব্যবস্থা সামাজিক বিবর্তনে নির্বাচিত হবে।
(২) এবং এই উৎপাদনশীলতার পরিবর্তনের মধ্যেই সমাজ ও রাজনীতির পরিবর্তনের বীজ লুকিয়ে।
সাম্য শোষন ইনজাস্টিস এগুলো নিয়ে আমরা বেশী কথা খরচ করি বটে-কিন্ত এগুলো আদৌ সমাজ পরিবর্তনের মূল স্তম্ভ না। সাম্যের মাধ্যমে, জাস্টিসের মাধ্যমে উন্নত তর উৎপাদন ব্যবস্থা এলে তবেই তা সমাজ পরিবর্তনের অনুঘটক হতে পারে না। যেমন ধরুন, স্টার্ট আপে কর্মীদের শেয়ার থাকে-তা এক ধরনের সাম্যবাদি ব্যবস্থা এবং সেখানে কর্মীরা অন্য কোম্পানী থেকে দ্বিগুন বা তিনগুন কাজ করে বা বেশী উদ্ভাবন দেয়। সুতরাং স্টার্ট আপ কালচার আজ গোটা বিশ্বে ছড়াচ্ছে। কারন দেখা যাচ্ছে স্টার্ট আপই কেবল নতুন উৎপাদন ব্যবস্থার সন্ধান দিতে পারে। ফলে স্টার্টাপ মডেলের একটা সামাজিক নির্বাচন হচ্ছে।
১ এবং ২ সত্য হলেও, ১ এবং ২ এর ওপর ভিত্তি করে, ভবিষ্যতবাণী করা কঠিন-যে করতে গিয়ে মার্ক্সবাদের মূল স্থলন আমরা দেখি। কারন সমাজ একটি জটিল সিস্টেম এবং জটিল সিস্টেমের সরল মডেলিং সম্ভব না।
আমি একটা সাধারন উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন পৃথিবীতে কৃত্রিম সালোক সংশ্লেষ ( photosynthesis) আবিস্কৃত হল। পৃথিবীর ভবিষতটাই বদলে যাবে-কিভাবে বদলাবে বলা মুশকিল।
সুতরাং পুঁজি ও বাজারের ভবিষ্যত কি- এই সংকট থেকে উদ্ধার পাওয়ার পর, পুঁজি এবং বাজার কিভাবে বদলাবে-এগুলো বলা মুশকিল। কিন্ত ইতিহাসে আমরা এটাই দেখি- এই সংকটগুলি থেকেই সামাজিক নির্বাচনের একটা সুযোগ আসে। অতীতের উৎপাদন ব্যবস্থা গুলি পরিতক্ত্য হয়।
যদি আমার মত জানতে চান-তাহলে আমি এটাই দেখছি
[১] এই মুহুর্তে গোটা বিশ্বে মন্দা কিন্ত সিলিকন ভ্যালিতে তেজি বাজার। কারন উন্নত উৎপাদনের গবেষণার সেটাই সেন্টার
[২] থমাস ফ্রিডম্যান থেকে অনেকেই মনে করেন এই রকম রাজনৈতিক স্টিমুলাসের গুপি দিয়ে, বা রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কোন দাওয়াই দিয়েই এই মন্দা যাবে না-এর জন্যে দরকার নতুন আবিস্কার। আরো স্টার্ট আপ কোম্পানী দরকার, যারা আরো উন্নত উৎপাদন দিতে পারবে।
[৩] আরো অনেক অনেক বেশী গবেষণা দরকার শক্তি , খাদ্য এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে। বিশেষ করে শক্তি ক্ষেত্রে। এতটাকা দরকার এগুলো স্টার্টাপ থেকে হবে না। শুধু আমেরিকার সরকারের ও টাকা নেই। পৃথিবীর সব দেশের সরকারগুলিকে এক হয়ে, রিসার্চ কসমোটিয়াম তৈরী করতে হবে এবং গবেশনা ফল থেকে যাতে স্টার্টাপ বেড়য়, তার ব্যবস্থা দরকার।
ওবামা এসবই বোঝেন। কিন্ত গতবারে তার ১৮০০ মিলিয়ান ডলারে নির্বাচন ফান্ডের ৯০% ই ধনী দাতা :-Y তাই ওবামার গর্জনই সার। কাজের কাজ কিছুই করতে পারেন নি।
ভৎর্সনার কাজ করবেন আর ভৎর্সনা করা হবে না তা কি আর হয় জনাবা। 🙂 মুক্তমনার পিছনেতো লেগেই আছেন সারাক্ষণ। কাজেই, ওইটুকু ভৎর্সনা আপনার প্রাপ্যই।
এর নিয়মাবলী কীভাবে সবার জন্য সমান নয় এবং স্বৈরাচারী, সে বিষয়টা আশা করি ব্যাখ্যা করতে সমর্থ হবেন।
এই লেখার ভূমিকাতে বিপ্লব নিয়ম ভঙ্গ করার যে কথা উল্লেখ করেছে, সেটা সে নিয়মাবলী ঠিকমত না জানার কারণে লিখেছে। তার ধারণা যে, প্রথম পাতায় একজন লেখকের একের অধিক লেখা থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। কিন্তু প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে যে, এক নয় বরং একজন লেখকের দুই এর অধিক লেখাকে নিরুৎসাহিত করা হয় প্রথম পাতায়। এ প্রসঙ্গে নীতিমালার ২.১৫ তে বলা হয়েছেঃ
বিপ্লব না জেনে লিখে ফেলেছে। আর আপনিও তক্কে তক্কে ছিলেন। খপ করে সেটাকে ধরে ফেলে সানন্দে ভেবে নিয়েছেন যে, এইবার বাগে পেয়েছি মুক্তমনাকে। আহারে বেচারা আহা মহিউদ্দীন!!
@ফরিদ আহমেদ,
এই রকম একজন পরীক্ষিত ব্যক্তিকে মুক্তমনায় নিয়মিত মন্তব্য করতে দিতে দেওয়ার মাজেঝাটা কি দয়া করে এডমিনদের কেউ বুঝিয়ে দিলে খুশি হবো। এই লোকের পেছনে মুক্তমনার সদস্যদের যে পরিমান সময় ব্যয় করতে হচ্ছে সেটা না হলে অনেকে লেখার দিকে আরো মনোনিবেশ করতে পারতো। এই লোককে আমার কাছে আরেক ট্রল বলে মনে হয়। আমি বুঝি না, এই লোককে আপনারা সরাসরি জানিয়েছেন যে মুক্তমনার প্রতি তার এতো বিদ্বেষ যদি থাকেই তবে তিনি যেন মুক্তমনায় মন্তব্য না করেন। আর যদি করেনই তবে যেন বিদ্বেষ্পূর্ণ মন্তব্য না করেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যে কারণেই হোক, তিনি নিজে থেকে যাচ্ছেনও না আবার বিদ্বেষ্পূর্ণ মন্তব্য ছাড়ছেনও না। সূযোগ পেলেই মডারেটর কিংবা মুক্তমনার সদস্যদেরকে নানান ভাবেই সরাসরি আক্রমন করে চলছেন। তারপরেও এই লোকের সকল মন্তব্যকেই মডারেশনের আওয়াতায় আনা হচ্ছে না কেন, আমি বুঝতে পারছি না? এক ব্যক্তিকে বুঝতে হলে আরো কত মন্তব্যের প্রয়োজন? আমার সোজা হিসেব, আমি চাই না মুক্তমনায় এই ব্যক্তির আর কোন মন্তব্য দেখতে। এডমিনদের প্রতি অনুরোধ এই উপদ্রব হতে দয়া করে আমাদেরকে মুক্তি দিন।
@স্বাধীন,
আপনিতো বড্ড বেরসিক মানুষ হে। এই রকম একজন পরীক্ষিত ইসলামিস্ট কম্যুনিস্ট হাঁসজারুর বিনোদন থেকে মানুষকে বঞ্চিত করতে চায় নি বলেই হয়তো মুক্তমনার মডারেটররা তাঁকে মন্তব্য করতে দিয়েছে নিয়মিত। 🙂
পয়েন্ট টেকেন। আশা করছি যে, আর দেখতে হবে না এই উপদ্রুপ।
@ফরিদ আহমেদ,
বেঁচে যাই তাহলে। মুক্তমনায় আসি ভালো লেখা/মন্তব্য পড়ার জন্যে। এরকম হাসঁজারু মন্তব্য দেখে পুরো দিনটাই মেজাজ বিগড়ে থাকে। মডারেটর/এডমিনদেরকে অগ্রীম ধন্যবাদ দিয়ে রাখলাম।
@ফরিদ আহমেদ,
😀 (Y)
@ফরিদ আহমেদ, আমি বেন করার বিপক্ষে। মহিউদ্দীন, রায়হান,জিয়া কিংবা সেতারা হাশেমদের যথাযোগ্য আপ্যায়ন মুক্ত-মনার পাঠকেরাই করতে পারে, মডুরা বেন না করলেই ভালো।
@জাহিদ রাসেল,
এ্যাঁ!! কিন্তু এতে করে যে স্বাধীনের সারাদিন মন-মেজাজ বিগড়ে থাকবে। তার কী হবে? :-s
@ফরিদ আহমেদ,
হা হা হা আ হা মহিউদ্দীন সাচ্চা মুমিনের মত নিজেই নিজের ফাঁদে পুনরায় পরিচয় প্রকাশ করলেন! :))
@ফরিদ আহমেদ,
একটি সমীক্ষাতে দেখা গেছে, যারা কমিনিউস্ট মনোভাবাপন্ন বা কমিনিউজমে এখনো বিশ্বাস করে, তাদের মানসিক গঠনে
চক্রান্ত তত্ত্ব
পেসিমিজম বা হতাশাবাদ এবং আশাবাদ
সব কিছুকে একই ভাবে দেখার চেষ্টা
এবং অন্যদের থেকে বেশী স্নায়ুর উত্তেজনা
এই জিনিসগুলো খুব বেশী করে বিদ্যমান। বাংলাদেশের ব্লগে এই একটি কমি স্যাম্পল দেখছ, আমাদের দিকে এমন হাজার হাজার মহীউদ্দিন আছে-আস্তে আস্তে সিপিএমের পতনের সাথে তাদের সংখ্যাও কমছে। হয়ত এক দশক বাদে আমাদের দিকেও ওই মাত্র দু একজনই পড়ে থাকবে। এদেরকে আমি বরাবর রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতা উপহার দিইঃ
😀
কুম্ভ ছিল রানার ভৃত্য
হারাবংশী বীর,
হরিণ মেরে আসছে ফিরে
স্কন্ধে ধনু তীর।
খবর পেয়ে কহে, “কে রে
নকল বুঁদি কেল্লা মেরে
হারাবংশী রাজপুতেরে
করবে নতশির!
নকল বুঁদি রাখব আমি
হারাবংশী বীর।’
মাটির কেল্লা ভাঙতে আসেন
রানা মহারাজ।
“দূরে রহো’ কহে কুম্ভ,
গর্জে যেন বাজ–
“বুঁদির নামে করবে খেলা
সইবে না সে অবহেলা,
নকল গড়ের মাটির ঢেলা
রাখব আমি আজ।’
কহে কুম্ভ, “দূরে রহো
রানা মহারাজ।’
ভূমির ‘পরে জানু পাতি
তুলি ধনুঃশর
একা কুম্ভ রক্ষা করে
নকল বুঁদিগড়।
রানার সেনা ঘিরি তারে
মুণ্ড কাটে তরবারে,
খেলাঘরের সিংহদ্বারে
পড়ল ভূমি-‘পর।
রক্তে তাহার ধন্য হল
নকল বুঁদিগড়।
:guru:
@ফরিদ আহমেদ,
জনাবা কেন ? আমার ধারনা আপনি এটা লিখতে ভুল করেন নি। এর নিহিতার্থ কিছু আছে । একটু ঝেড়ে কাশবেন ?
@ভবঘুরে,
আপনি আল্লাহ, রসুলের ভুল ধরে বেড়াচ্ছেন সারাদিন। আর আমার প্রতি এরকম আস্থা। ধন্য হলাম। 🙂
এর নিহিতার্থ বুঝতে গেলে আপনাকে এই লেখাটার সাত এবং আট নম্বর মন্তব্যের লেজগুলোকে পড়তে হবে। সেই সাথে মুক্তমনায় একটা বিশেষ পাতা আছে। এই পাতায় একগাদা লিংক দেওয়া আছে, সেগুলোকেও মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
(মুক্তমনার স্বৈরাচারি নিয়মাবলি ভাঙ্গার জন্য বিপ্লব পালকে ধন্যবাদ । মুক্তমনার নীতিগত কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে তার জন্য তাকেও ধন্যবাদ । মুক্তমনার নিয়মাবলি সর্বজনীন হওয়া উচিত বিলে আমি মনে করি । আশা করি এই মন্তব্যের জন্য তাদের ভর্সনার শিকার হবো না ।)
পদার্থবিদ্যার মেধাবি ছাত্র বিপ্লব পাল পেশা বিদ্যা ছেড়ে সমাজ, দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন । এই সকল বিষয় তত্ত্বগত বিদ্যা কম থাকায় তা পুরণের জন্য যত্রতত্র ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে চলছেন । বিষয়গুলি যদি শ্রেনী বিন্যস্ত করে নিয়ম মাফিক পড়াশুনা করতেন, তা হলে তার মত মেধাবি ছাত্রের পক্ষে বিষয়গুলি বুঝা সহজতর হতো । আমি আপনাকে কমিউনিষ্ট হতে বলি না, তবে কোন দলের উপর দায় চাপিয়ে নয়, নিরপেক্ষ ভাবে বিশ্লেষনের জন্য অনুরোধ করবো । অভিজিৎ কর্তৃক উত্থাপিত প্রশ্নগুলি আগে বিশ্লেষণ করুন এবং নিম্ন উল্লেখিত প্রবন্ধটি পড়ুন ।
http://sweetness-light.com/archive/nyt-spending-cuts-will-cause-double-dip
তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রএর কমিউনিষ্ট পার্টির নিম্ন বর্ণিত দুইটি প্রবন্ধও পড়তে পারেন ।
http://www.peoplesworld.org/debt-deal-time-for-diplomacy-is-over/
http://www.peoplesworld.org/labor-leaders-at-white-house-press-obama-on-jobs/
@আ হা মহিউদ্দীন,
সামাজিক বাস্তবতা বা স্যোশাল রিয়ালিটি বলে দর্শন শাস্ত্রে একটি চর্চিত টপিক আছে। সেটি নিয়ে গুগুল করে পড়ে ফেলুন। নিজের ভুল নিজেই বুঝতে পারবেন।
আমার তো মনে হয় আমেরিকার মানুষদেরই সমস্যা আছে। তারাই তো মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাব্লিকানদেরকে জয়ী করে কংগ্রেসে ভারি করেছে, এখন রিপাব্লিকানেরা সেটারই সূযোগ নিচ্ছে ওবামা বা ডেমোক্রেটদেরকে বিপদে ফেলার জন্যে। এই মানুষগুলো এতো কিছুর পরেও রিপাব্লিকানদেরকেই ভোট দেয় কেন? এইটার জবাব কি?
@স্বাধীন,
ডেম এবং জিওপির মধ্যে আলাদা কিছু নেই। সবাই চোরের রাজা। বা পুতল। পুতুল নাচের মালিক দুই পার্টির জন্যেই এক।
গুরুত্তপুর্ন এবং সময়উপযোগি লেখাটির জন্য ধন্যবাদ,বিশেষ করে আমরা যারা ইয়োরপ আমেরিকাতে থাকি এমনিতেই ২০০৮ এর মান্দায় এখনো অনেক লোক বেকার তার উপর আবার নবাগত মান্দা!!!!!!!!!!!!!! 🙂
@আস্তরিন,
আগামী সময় সুখের না। আরো লড়াই এর জন্যে প্রস্তুত হোন। আমি যবে আমেরিকাতে ঢুকেছি তবে থেকেই পতন শুরু।তারপর থেকে আমিও শুধুই লড়াই করছি। তবে মন্দের ভাল হচ্ছে, অনেক কিছু শিখছি। কিছুটা চাপেই।
আমি মনে করেছিলাম শুধু বাংলাদেশীরাই অভাবি,দরিদ্র… এখন তো দেখি য়ূরোপ আমেরিকাতেও অভাবের দর্শন মিলছে হাহাহা
সময়োপযোগী ভাল লেখা। একটা জিনিস আমি বুঝতে অক্ষম। ডেথ সিলিং তো আগেও বাড়ানো হয়েছে। রিপাবলিকানরা যে এই ব্যাপারে এত সোচ্চার, তাদের গুরু রিগান ১৮ বার নাকি বাড়িয়েছিলেন। বুশের সময়ও বাড়ানো হয়েছিল একাধিকাবার। হঠাৎ ওবামার সময় তাদের খরচ নিয়ে পেরেশন করা ফেরেস্তা সাজার দরকার পড়ে গেল। :-s
আর একটা ব্যাপার, আমেরিকার এই খরচ এমনি এমনি বাড়ে নি, বুশ সরকারের আমলে ইরাক আর আফগানিস্তান যুদ্ধে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে, সেসব দেশে সৈন্যদের ভরণ পোষণের খরচের পাই পয়সার হিসেব গুনতে হচ্ছে আমেরিকার জনগণকে। আজকে রিপাবলিকানরা যে খরচের ব্যাপারে গলা ফাটিয়ে ফেলছে, তাদের নেতারাই এই খরচের কেন্দ্রবিন্দু। এখন টিপার্টির আবলুস বাবারা এর হিসেব গুনতে না চাইলে হবে? কেউ যদি ফাইভ স্টার হোটেলে গিয়ে বড় বড় দিশ অর্ডার করে খানাপিনা করে, কিন্তু বিল দেওয়ার সময় খরচের কথা বলে অন্যের ঘারে বিল গছানোর চেষ্টা করে – এই নীতি কি যৌক্তিক? টি পার্টির নেতারা তাই করে চলেছেন।
@অভিজিৎ,
জেমস সুরোওয়েইকির একটা ভাল লেখা আছে এ নিয়ে।
@অভিজিৎ,
গত ১০ বছরে যুদ্ধ খাতে ব্যয় ৩৬০ বিলিয়ান ডলার মতন।
মেডিকেয়ারে তার থেকে অনেক বেশী খরচ করেছে সব সরকারই।
আসলে নিজেদের ভোটারদের চটানোর ক্ষমতা কারুর নেই।
আমেরিকাতে একটি তৃতীয় পার্টির দরকার। আমি দেখেছি ডেমোক্রাট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে পার্থক্য নেই। কারন দুই দলই সেই ব্যবসায়ীদের টাকাতেই চলে।
@বিপ্লব পাল, লেখাটি ভালো লাগলো, কিন্তু রেফারেন্স চাই। প্রবন্ধটির রেফারেন্স আমাকে দিন দয়া করে। ধন্যবাদ
এই চাকরি কাট-ছাট আতঙ্ক অস্ট্রেলিয়াও শুরু হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব যায়গাতেই হিসাব শুরু হয়ে গেছে। 🙁
যত মরা মরবে, তা তো পদ্মাকেই ছুঁয়ে যাবে ! যাদের পেছন ঢাকতে গেলে সামনা উদোম হয়ে যায়, তাদের হয়তো আর এই ঢাকাঢাকির কষ্টটা করতে হবে না!
আমি তো এটাই সারমর্ম বুঝলাম ! হা হা হা !!
@রণদীপম বসু,
…… হায় পদ্মা, …………হ থাউক মাথায় কাপড় দিতে হইব না, বাকি জিনিস ঢাকো
🙁
লেখা আরো বিশ্লষণধর্মী ও বিশদ হওয়ার দাবি রাখে। আমি দু’বার পড়লাম কিন্তু কম বুঝছি। হয়তো আমার ভিত্তি দুর্বল বলেই বুঝতে পারি নি।
এখন বিশ্বযুদ্ধ টুদ্ধ না হলেও মন্দা হচ্ছে। এটা খুবই খারাপ, কারণ এর ফলে যুদ্ধ দানা বাঁধতে পারে।
আমি বাঙলাদেশ নিয়ে খুব চিন্তিত। যে অবস্থা দেশের! কিছুদিন পর পকেট ভরতি টাকা নিয়েও বাজার থেকে নুন কিনে আনতে হবে বলে মনে হচ্ছে। এখনও ট্যুশনি করেই নিজেকে চালাচ্ছি। আগে একটা ট্যুশনি করে ৩০০০ টাকার মতো পেতাম, তা দিয়েই চালিয়ে নিতাম। কিন্তু বর্তমানে ৩ টা ট্যুশনি করেও দেখছি চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এটা খুবই খারাপ দিক। আগের যা যা করতাম এখনও তাই করি শুধুমাত্র সিগারেট ও নেটের জন্য কিছু টাকা অতিরিক্ত যাচ্ছে। এছাড়া সবই আগের মতো।
@চন্দন,
বিপ্লব পালের এই লেখাটাকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। :clap
এটি চমৎকার করে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে লেখা যাতে কিনা এই মুহূর্তের ক্রাইসিস খুব সহজ করে উপস্থাপিত। মূল বিষয়গুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে ধাপে ধাপে বোঝানো হয়েছে কাজেই অযথা নালিশ কবেন না। কোন তথ্যবিভ্রাট থাকলে শেয়ার করুন।
@কাজী রহমান,
আসলে সব শ্রেণীর পাঠককে খুশী করা কঠিন কাজ। তবে উনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া প্রয়োজন।
@কাজী রহমান, একমত।
@চন্দন,
দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি দক্ষিন এশিয়াতে সব দেশের সমস্যার যার মূলে আছে দুর্বল রাজনৈতিক সিস্টেম। আমেরিকাতে ইনফ্লেশন কম। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি কমানোর জন্যে দরকার উন্নত উৎপাদন ব্যবস্থা- ভালো রাস্তা, দূষনমুক্ত প্রশাসন, বাণিজ্যের ওপর রেগুলেশন। বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা তা দিতে পারছে না।