(সর্ষেতে ভূত)
ভাবনাতে যা ধুলোমাখা, কালকে সেটা আমার ছিল,
হয়ত সেটা স্বপ্ন ছিল, কিংবা ওটা ঝাপসা ছিল,
গায়ের জোরে আড়াল ছিল, সেইটা কারো চক্ষে ছিল,
আমার দেখার চোখটা ছিল, কিন্তু সেটা অন্য ছিল।
অনেক গুলো বছর ছিল, ভেবেছিলাম আমার ছিল,
রঙের জটিল বাহার ছিল, দশদিকেতে ছড়িয়ে ছিল,
হরেক জাতের কথা ছিল, কল্পনাতে ডানাও ছিল,
সাগর পাহাড় এমনি ছিল, চিন্তাকথাও তেমনি ছিল।
ছোট্ট বেলায় বন্ধু ছিল, টিনের একটা ব্যাঙও ছিল,
কাঠের একটা ঘোড়া ছিল, ঘুড্ডি এবং নাটাই ছিল,
বিশ্বাস মূল ব্যাপার ছিল, হাওয়াই মিঠাই সেটাও ছিল,
ভ্যাজাল তবে কিসে ছিল? সর্ষে দানায় বাপমা ছিল!
এতবার মুক্তমনায় ঢু মারলাম
অথচ এত সুন্দর কবিতাটিতে চোখ এড়ালাম!
আপনার ভাষায় বলি-
আমার অনেক ভুল ছিল
কমেন্ট টাও তাই মিস ছিল। :))
অসাধারন মজার কবিতা। (F)
@রাজেশ তালুকদার,
😀 😀 😀 😀 😀 ছন্দে আনন্দে মজার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অনেকদিন পরে আপনার লেখা পড়লাম।
@আফরোজা আলম,
পড়েছেন এবং লিখেছেন, সেজন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
সুন্দর লেগেছে ছড়া!
@লাইজু নাহার,
আর পাঞ্চ লাইনটা? :))
উউউরে বাপস! কবিতাটা দুইবার পড়লাম জানেন! প্রিতমের মত এখন এই স্ট্যাইল চুরি করে নিজেরো লিখতে ইচ্ছা করছে 😛 😛
আপনার কবিতাগুলো আমার প্রিয়ো (W) (W) (W) (W)
@টেকি সাফি,
অধরাকে ধরা। মন্তব্য পড়ে যার পর নাই আনন্দিত হলাম। নতুন প্রজন্মের সব উল্লাসেই আমি প্রচণ্ড উল্লসিত হই। (D)
@টেকি সাফি,
প্রিতম কে?
আমি অঙ্কুরিত হ’বার আগেই
আমার মধ্যে বপন করা হলো
প্রতিযোগিতার বীজ।
এখন আমি যতটুকু না মানুষ
তারচেয়ে বেশি পণ্য
আমার মূল্য যতটুকু না উঠা-নামা করে
বেচা-কেনার হাটে
তার চেয়েও বেশি হয়
আমার আপন ঘরে।
(আলো আঁধারের খেয়া থেকে নে’য়া)
@স্বপন মাঝি,
শিশু নির্যাতনকারী হিসেবে বাপমাকে আসামির কাঠগড়ায় মাঝে মাঝে দাঁড় করানো দরকার।
ফেরেস্থাদের মত কোথায় গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন? ওয়েলকাম ব্যাক।
@কাজী রহমান,
একদিন প্রতিদিন ফিরে এসেছে। বারো ঘন্টার খোয়াড়ে বন্দী। খোয়াড় থেকে বেরিয়ে কোনরকম চোখ বুলানো। চোখ চলে না, শরীর চলে না। কোন রকম চালিয়ে নেয়া। ফেরেস্তা হ’বার সুযোগ এখনো মেলেনি। ওটা মনে হয়, ধনকুবেরদের জন্য, ওরা যে রকম ছুটি-ছাটায়, আমার মত খোয়াড় বন্দী মানুষের জন্য সেটা দিবা-স্বপ্ন।
@স্বপন মাঝি,
বুঝতে পেরেছি। ধর্ম ব্যাবসায়ীরা কিন্তু ওদের পণ্য নিয়ে ভালই আছে, মনে হয় থাকবেও।তবে ওদের বসবাস অন্ধকারে। আপনি আলোতে ভালো থাকুন।
মজার কবিতা ৷ মজার সাথে সাথে আপনার মনের কথা ছন্দে প্রাণ পেয়েছে ৷ মনে মনে নয় শব্দ করে আবৃত্তি না করে থাকতে পারলামনা ৷
@শুভ্র,
ধন্যবাদ শুভ্র। মোল্লা পুরুত মহা-ম্যাড আর সবাইকে ধরা হোল অথচ ঘরের ভেতরেও যে ঝামেলা ধরা যেতে পারে সেটাই বলা আরকি। বাপমা জামা জুতো কিনতেও পছন্দ করবার সুযোগ দেয় কিন্তু মুক্ত মনের জ্ঞানচর্চার বেলা নয়। আসলে শিশুকালেই আমাদের বারটা বাজিয়ে দেয়া হয়েছে।
নতুন বাপমারা যেন এমন না হয়।
@কাজী রহমান,
ঠিক বলেছেন ৷ তবে আমার বাবা-মা ধরমো-করমো ব্যাপারে কোনদিনই জোর করেননি ৷ বাবা হজ পর্যন্ত করেছিলেন কিন্ত কোন জোর জবস্তি ছিলনা ৷ জীবনে জুম্মার নাময পড়েছি একবার মাত্র, এ নিয়ে কোনদিনই কিছু বলেননি ৷ এখন বাবার কবরে গিয়ে সুরা ফাতেহা পড়ি, বিশ্বাস থেকে নয় বাবার প্রতি শ্রদ্ধায় ৷ ঈশ্বর বা যে কোন মতাদর্শের চেয়ে মানবিক সম্পর্ক গুলোই আমার কাছে মহত্তোম মনে হয় ৷
লোভ সামলাতে পারলামনা আবার চলে এলাম আপনার কবিতাটা পড়তে ৷
@শুভ্র,
মানবতা যুক্তি বিজ্ঞান, এখানেই তো আলো।