এতদিন ‘ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভাল’ মেজাজের সর্বংসহা জলশ্রী এত অধৈর্য কেন! ছেলেমেয়ের সংশয় —- বাবার আয় রোজগার কমে গেছে বলে কি মায়ের এমন মেজাজ! ছেলেমেয়েরা অবশ্য এ নিয়ে মাকে মুখে কিছু বলে না।এড়িয়ে চলে।নিজেরা নিজেরা কথা বলে। তা বুঝে জলশ্রীর মেজাজ আরও জ্বলে।

এই জ্বলা থেকেই সংসারে অশান্তি। জলশ্রী এখন যেন সবার প্রতিই বিরক্ত। ‘’কার জন্য, কেন এতদিন এত খাটুনি করলাম?’’ তার মনে হচ্ছে—ছেলেরা,স্বামী,মেয়ে সবাই যার যার মত বুঝে। ঝুঝে। খুঁজে নিজের সুবিধাটুকু।
ইদানিং পত্র পত্রিকায় ঈভ টিজিং নিয়ে খবরের ছড়াছড়ি। কেউ মরছে। কেউ মারছে। কেউ ধরছে। কেউ ধরা পরে শাস্তি পাচ্ছে। আর সেই জোয়ারে পরশুদিন একটা হাউজিং এর বিজ্ঞাপনকে সে কিনা পড়েছে ঈভ টিজিং। হাউজিং এর জিং দেখেই টিজিং পড়ে ফেলেছে। হা কে পড়েছে ঈ পড়ে পরে খেয়াল করে দেখে এটা হাউজিং।

এমনি মাঝে মাঝে দোকানের সাইনবোর্ডও উল্টা পালটা পড়ে। কনফেকশনারী আর স্টেশনারী দোকানকে প্রায়শঃই পড়ে নারী। শেষ দুটো বর্ণে এসে মাথা চোখকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে। শব্দের এ খেলায় জলশ্রী হারতে চায় না।কিন্তু উৎরায়ই বা কেমন করে!
য বা জ দিয়ে শুরু কোন শব্দ শুনলেই মনে অস্বস্তি লাগে।রজঃ নিবৃত্তির বয়সই কি এর মূলে!রজঃ এর র বর্ণটি শব্দের আগে হলেও জ বর্ণটিই মস্তিষ্কে আগে চলে আসে। জ দিয়ে যে কোন উচ্চারণই জলশ্রীর কাছে ইদানিং অস্বস্তি লাগে। নিজের যে নাম সচরাচর কেউ রাখে না বলে এক সময়ে গর্ব করত —- এখন সেই নিজের নামটা পর্যন্ত অপছন্দ,অস্বস্তির কারণ।তাই তো নাতিনীর নাম জ দিয়ে রাখতে তার আপত্তি। এ নিয়ে পরিবারে খুটোমুটো লেগেছে। স্বামীর মতামত, তাদের বাচ্চা তাদের মনের মত নাম রাখবে। এ নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি কেন?

ছেলের পছন্দ মায়ের নামের সাথে মিলিয়ে তার মেয়ের নাম রাখবে। মায়ের নাম জলশ্রী। কাজেই মেয়ের নাম রাখবে জলজ।শুধু উচ্চারণগত নয়, উৎপত্তিগত মিলও চাই ছেলের। এখন এ নাম নিয়ে পরিবারে হুলস্থূল বেঁধেছে।
নাম নিয়ে মায়ের আপত্তিই নাকি এখন সংসারে অশান্তির সৃষ্টি। অথচ বাবা যে পান থেকে চুন খসলে চেঁচামেচি জুরে দেয় তা যেন অবধারিত আধিপত্য,অধিকার।

ছেলে তার সন্তানের নাম য বা জ ছাড়া আর যে কোন অক্ষর দিয়ে রাখুক। নাতনির নাম ছেলে ও ছেলের বউ আগেই ঠিক করে রেখেছিল। লিঙ্গ নিরপেক্ষ নাম। হাসপাতাল থেকে আজকে নিয়ে আসবে। নামটা লিখিয়ে আনতে হবে। আর নামটা শুনেই মায়ের পিত্তি জ্বলে উঠল। তাদের রাখা নাম জ দিয়ে। মায়ের নামের সাথে মিলিয়ে রাখা। মা নিজেও এক সময়ে এই ইচ্ছেই প্রকাশ করেছিল। কিন্তু আজকাল শব্দ নিয়ে মনের ভেতর কেমন যেন খুঁতখুঁত করে।
কাজেই বললো, য বা জ উচ্চারণটি আমার একদম পছন্দ নয়।

য বা জ দিয়ে নাম উচ্চারিত হলেই জলশ্রীর কানে লাগে। সে যেন শুনে জঙ্গি, যন্ত্র। যন্ত্রণা, যৌতুক। জরা, জরায়ু, ঝড়, জন্তু, জানোয়ার, জড়, যুদ্ধ, যৌবন। যৌন , দোজখ। দোজখ শব্দের দো আর খ উবে গিয়ে জ বর্ণটিই জলশ্রীর মস্তিষ্কে প্রাধান্য পায়।
ছোটবেলায় উঠোনের কোণে এক সময়ের প্রিয় ঝুমকো ফুলের নামটিই এখন শুনতে ভাল লাগে না।
মায়ের জ দিয়ে শব্দের ফিরিস্তি শেষ না হতেই ছেলে বলে, মা তুমি জ দিয়ে জাগরণ শোন না? জয়, জল, জনক জননী, জন্ম, জীবন, জীবনের জয়গান শোন না?

জাগরণ!না, জলশ্রী জাগরণ শুনে না। শুনে রজঃ। জাগরণ শব্দের জ এবং র বর্ণই মুখ্য, নৌকায় যেমন হাল ধরে পাল তুলে যাবার সময় হাল ও পাল ধরে রাখা দুজনই আসল। তেমন জাগরণ শব্দে গ এবং ণ গৌণ। জ ও র জলশ্রীর মাথায় ঝড় তুলে। কাল বৈশাখী ঝড় যেমন মগ ডালের অপরিপক্ক আম ফেলে দেয়, তেমনি জ এবং র শরীরের সূক্ষ্মবোধগুলোকে আমের মতই টপাটপ ঝরিয়ে দিচ্ছে। আর সে সদ্য ফল ঝরে পড়া বোঁটার কষ যেমন চামড়ায় যেখানে লাগে সে জায়গায় জ্বলে, তেমনি মনও জ্বলে উঠছে। ফোসকা পড়ছে।

ইদানিং তোমার হলো কি! তোমার নামের সাথে মিলিয়েই তো নাম ঠিক করেছি। ছেলে হতাশ কণ্ঠে বলে।
তোমার বাবার নাম দিয়ে বা তোমাদের নাম দিয়ে রাখ।
তোমারই তো শখ ছিল তোমার নামে নাম মিলিয়ে রাখার। আর তোমার নামে নাম মিলিয়ে রাখলে তো য বা জ উচ্চারণ থাকবেই।
শখ ছিল। এখন মনে হচ্ছে আমার নামের সাথে নাম মিলয়ে রাখার দরকার নেই।
তোমার হঠাৎ কি যে হলো! বলে ছেলে আর কথা বাড়ায় না।
এ দরকারটাই জীবনের জন্য সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ছিল! কিন্তু এখন অস্বস্তি লাগে। পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে নিজেকে জিইয়ে রাখার আকাঙ্ক্ষা যেন হঠাৎ উধাও। মা এখন কেন এমন আচরণ করছে তা ছেলে ভেবে পায় না।
নারীদের রজঃ নিবৃত্তি আর পুরুষদের অবসরে যাওয়ার সময়ের মেজাজ একই রকম। এজন্য জলশ্রী ও তার স্বামীর মেজাজ মর্জি সমান তালে উসকো খুসকো। একজন যত জোরে কোন কিছু বলে তো অন্যজনে আরেকটু স্বর চড়িয়ে প্রতিত্তোর দেয়।এ নিয়ে ঘরে সারাক্ষণ চেঁচামেচি। স্বামীর অবসরে যাওয়ার ঘটনা সরকারী নিয়ম মোতাবেক বলে সবাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে উনার মেজাজকে সমীহ করছে।

কিন্তু জলশ্রীর মেজাজ প্রাকৃতিক নিয়মে ঘটছে গোপনে। কাজেই তার বিরুদ্ধে বিরূপ আচরণের অভিযোগ সর্বজন স্বীকৃত। সর্বজন অবশ্য এ পরিবারের তিন জন সদস্য। জলশ্রীর স্বামী, একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরিরত এ পরিবারের বড় ছেলে আর স্বামী সন্তান নিয়ে বিদেশে বসবাসরত এ পরিবারের একমাত্র মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছোট ছেলে এ নিয়ে কোন খোঁজ খবরেই নেই। হলে নিজের সীট না থাকলেও বন্ধুদের সাথে প্রায়ই থাকে। পড়তে নাকি সুবিধা হয়। বাসায় আসে, যায়, নায়, খায়, ঘুমায়, আবার চলে যায়। ছেলের বউ এ নিয়ে কিছু বলে না এবং শাশুড়ির মেজাজ নিয়ে তার কোন অভিযোগ তো দূরে থাকুক কোন প্রতিক্রিয়াই নেই।

দুই ছেলে মেয়ে বাবার অবসর সময়ের হা হুতাশের ব্যথায় উঃ আঃ করে। মেয়েটা একটু বেশি। আর জলশ্রীর শারীরিক পরিবর্তনের হাওয়া তো টেরই পায় না। শুধু তার অস্বস্থিকর আচরণই দেখে,শুনে,অনুভব করে এবং বিরক্তও হয়।
ছেলে। যাকে কয়েকদিন আগেও স্কুলে যাবার জন্য তৈরি করে দিতে হত। ইউনিফর্ম হিসেবে কাপড়ের সাদা জুতার ফিতা বেঁধে দিতে হত। নিজের অফিসে যাবার সময় স্কুল গেটে নামিয়ে দিয়ে যেত। এখন তার জুতা পরা জলশ্রীর সহ্য হয় না।
গ্রীস্মকালে পুরুষেরা কিভাবে জুতা মোজা পরে থাকে তা ভাবতেই তো তার গরম অনুভূত হয়।কিন্তু ছেলে এ গরমেও জুতা মোজা না পড়ে বাইরে যাবে না।কর্পোরেট ম্যাগনেট। জুতা মোজা, টাই, ফুলহাতা শার্ট।বিষয়টি জলশ্রী মানতে পারে না। গরমে ছেলের এ পোশাক পরা দেখে নিজেই ঘামতে থাকে।

এ নিয়ে জলশ্রী তার দুয়েকজন সহকর্মীর সাথে কথাও বলেছে। একি পুরুষদের অভ্যস্ততা!
‘হ্যাঁ তাই’, কয়েকজন সহকর্মীর মন্তব্য।
পুরুষদের এমনি অভ্যস্ততা শুধু জুতা মোজা পরায় নয়। অন্য কিছুতেও কাম্য। তাদের চোখকেও অনেক কিছু দেখে অভ্যস্ত করতে হবে এবং করা উচিত। ছেলে অবশ্য অনেক বলা সত্বেও বউয়ের সাথে অনেক কিছুতে অভ্যস্ত হতে পারছে না। পুরুষ পুরুষ মন নিয়ে ছেলে ঘুরে বেড়ায়। ছেলেটা রাতারাতি কেমন যেন পুরুষ পুরুষ হয়ে উঠছে।
ছেলেটি আগে শীতকালে জুতা মোজা আর শীত গেলে সেন্ডেল পরত। গরমে কখনও জুতামোজা পরত না। বলত, পোশাক তো প্রয়োজনের জন্য, ফ্যাশন নয়। গরমে মোজা পরব কেন? এখন বলে, ফ্যাসন নয় মা, এখন ইউনিফর্ম। পরতেই যে হবে। সোনার ছলে এখন ম্যাগনেট। প্রয়োজনীয় ধাতু।

স্নানে যার যার তোয়ালে বা গামছা ব্যবহার এ পরিবারের রেওয়াজ। মা প্রায়ঃশই আগে নিজেরটা খুঁজে না পেলে ছেলেদেরটা বা মেয়েরটা দিয়ে সেরে ফেলতেন। পরে ধুয়ে রাখতেন। একদিন আবিষ্কার করলেন বড় ছেলের গামছায় কেমন যেন পুরুষ পুরুষ গন্ধ।
আবার পুরুষেরা পাম্প সু মোজা ছাড়া পরলে তাদের পায়ের পাতার উপরিভাগ জলশ্রীর কাছে অশ্লীল মনে হয়। এ যেন নোংরা ইঙ্গিত। অথচ স্বামীটি অবসরে যাওয়ার পর থেকে যখন তখন এদিক সেদিক গেলে মোজা ছাড়া পাম্প সু পড়ে বাইরে যায়। বিরক্ত হয়ে বা সময় বাঁচাতে কিংবা ঝামেলা কমাতে অথবা প্রয়োজন অনুভব করে না বলে মোজা পরতে চায় না। এ নিয়েও জলশ্রীর মেজাজ তিরিক্ষে হয়। ব্যাপারটা নিয়ে পারিবারিক গন্ডি পেরিয়ে সে সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করেছে।
তার এক নারী সহকর্মীর মন্তব্য, ‘আপনি তা সহ্য করতে পারেন না কেন? আপনার কি মনে হয় তা যৌন আবেদন সৃষ্টি করে?’

জলশ্রী অবশ্য তা মানতে নারাজ। যারা মোজা ছাড়া পাম্পসু পড়ে তাদের পা থেকে আর একটু উপরে তো আমার তাকাতে ইচ্ছে করছে না। বা তার প্রতি কোন আকর্ষণ তো দূরে থাকুক আগ্রহই বোধ করে না। তা ছাড়া কেউ সেন্ডেল পরলে তা মনে হয় না।
তার সহকর্মীটির তবুও কী এক দুর্বোধ্য মনোবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণসহ বলিষ্ঠ উত্তর —- সেন্ডেলে তো আর আধা আধি ঢাকাঢাকির ব্যাপার নেই।
তবে কি আধাআধিতে আর ঢাকাঢাকিতেই যত অশ্লীলতা!
অশ্লীলতার সংজ্ঞা যার কাছে যেমন, যে দেশে যেমন, যে সমাজে যেমন, সংস্কৃতি ভেদে এর ভিন্নতা রয়েছে। ব্যক্তিভেদে — এমনকি একই ব্যক্তির কাছে সময়ভেদে এর পার্থক্য রয়েছে। এসব পুরানো কথা নিয়ে ভাবতে গেলেও জলশ্রীর বিরক্ত লাগে, তবে ভাবনাকে ফেলতেও পারে না।

মোজা ছাড়া পাম্পসু পরা পা দেখে আকর্ষণ ও আগ্রহ বোধ করি না বাক্যটি এক নিঃশ্বাসে বলা কি ঠিক? যদি কোন অনুভূতিই সৃষ্টি না করবে তবে এ নিয়ে আবার এত কথা কেন? ভাবনা কেন? মোজা ছাড়া খালি পা দেখলাম। ভাল্লাগেনা। ফেললাম। ভুললাম। ব্যস। পোকায় খাওয়া বেগুনের মত।কাটলাম। পোকা পেলাম। কেটে ফেলতে ফেলতে পোকা ছাড়া যেটুকু নেওয়া যায় ওইটুকুই নিলাম। বাকিটুকু ময়লার ঝুড়িতে। এ নিয়ে তো পরে আর মনের কোনে ব্যাখ্যা আসে না।
আসে। বাজারে কিনতে গেলে আসেই। কীটনাশক না দিলে বেগুনে পোকায় ধরবেই । পোকাসহ বেগুন না কীটনাশক দেওয়া বেগুন? আর কীটনাশক দিলে তো পোকা নেই, তবে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি বেশি, মোজা ছাড়া পাম্প সু এর মত।
হাসপাতাল থেকে বউ বাচ্চাকে বাসায় দিয়েই ছেলে বাজারে ছুটেছে। সেলিব্রেট করবে।

বাইরে চমৎকার রোদেলা সকাল। হালকা চাদরেই শীত মানছে।একটু পরে রোদ বাড়তে থাকবে আর শরীরের চাদর অসহ্য লাগবে। দিন বাড়ার সাথে সাথে শরীরে বাড়তি কাপড় চোপড় যেমন অসহ্য, তেমনি বয়স বাড়ার সাথে সাথেও আশেপাশের কত কিছু যে অপ্রিয় লাগছে জলশ্রীর!

জলশ্রীর যে সামাজিক জীবন ছিল তা কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে। মনে হয় জীবন জাহাজ কোলাহলমুখর কোন বন্দরে অনেক আগে যেন থেমেছিল। সব কিছুতেই ছিল সচল উপস্থিতি।বিয়ে বাড়ি। লোকারণ্য। এরই মধ্যে জলশ্রীর সরব উচ্চারণ ছিল। প্রিয়দের সাথে খাবার টেবিলে একসাথে বসে পাল্লা দিয়ে খাওয়া। ধীরে ধীরে এক টেবিলে বসলেও পরিমিত খাওয়া। আরও পরে শুধু বোরহানি খেয়ে অংশগ্রহণ করা। শুধু যেন উপস্থিতির স্বাক্ষর দেয়া। এখন পুরো স্বাক্ষরও দেন না। অনুস্বাক্ষর দেন।

সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতেই ইচ্ছে করে না। এমনকি জলশ্রীর এখন যেন স্বামী সঙ্গও অসহনীয়।তার হাতটাও গায়ে পড়লে ভারী লাগে। স্বামীর সাথে যৌথভাবে বহু বছরের ব্যবহৃত খাটটিও এখন অনেক ছোট মনে হয়। সামাজিক যাপিত জীবনের অনেক কিছুই অপছন্দ। তবুও মানতে হয়। এখন ছেলের সেলিব্রেটে তাকে হাসি মুখে সব সামলাতে হবে। স্বামীটি নিজের নির্ধারিত চেয়ারে বসে হাসি মুখে অতিথি আপ্যায়ণের উপাদান কোথায় কি লাগবে এর উপদেশ দেবেন। প্রয়োজনে অতিথিদের সামনেই কোন ত্রুটি নিয়ে মেজাজ দেখাবেন। লোকজন ভাববেন, দায়িত্বশীল গৃহকর্তা। অথবা কাজের মানুষ, পেনসনে গিয়ে অবসর জীবন যাপন ভাল্লাগে না বলে যখন তখন মেজাজ বিগড়ে যায়। তবুও কত দায়িত্বশীল! যদিও স্বামীটি নিজের দায়িত্ব ছেলের কাঁধে দিয়ে দিয়েছেন ।
আর মায়ের! মায়ের তো আজকের এ ঝামেলাটাই পছন্দ নয়। তবুও এবং এরপরও…………