হে দুঃখিনী মেয়ে,
বসে বসে নিভৃত নিশ্ছিদ্র-অন্ধকার গৃহকোণে
হৃদয়ের পুঞ্জিভূত দুঃখগুলো
আর লালন করোনা মনে মনে।
মনের সঞ্চিত কষ্ট যতো
তাদের হ’তে দাও উদগিরিত
আগ্নেয়গিরির লাভার মতো।
ব্যথাগুলো তোমার
হৃদয়পিন্ডে জমিয়ে রেখোনা আর।
হে মেয়ে, দেখ চেয়ে
বাহিরে রোদ উঠেছে ঝলমলিয়ে।
আলোর বন্যা বইছে বহির্বিশ্বে।
এবার একটু করে তাকাও নিজের দিকে।
ভেবে দেখ তোমার কষ্ট কিসে
ভেবে দেখ তোমার সুখ কিসে।
কান্নাকে করোনা আর নিত্যদিনের সাথি
ব্যক্ত কর তোমার মনের আরতি।
মন থেকে উপড়ে ফেল সকল দুঃখের মূল
বৃথা অশ্রুপাত করে করে আর হয়োনা ব্যাকুল।
সকল আঁধার-দুঃখ মেলে ধর অনন্ত-আলোতে।
অন্ধকার-কালো কষ্টগুলো
ভেসে যেতে দাও উজ্জ্বল আলোর স্রোতে।
তুমি শুধু দুঃখ পেতে
আসনি এই ধরণীতে।
চেয়ে দেখ জোছনা ফুটেছে ধরাতে
সকল দুঃখ মেলে ধর জোছনার আলোতে
কষ্টগুলো ভেসে যেতে দাও জোছনার স্রোতে।
দেখ সুখের বৃষ্টিধারা বইছে ধরণীতে।
সকল দুঃখ মেলে ধর বৃষ্টির ধারাতে।
কষ্টগুলো ভেসে যেতে দাও বৃষ্টিতে।
সবগুলো দুঃখ সঞ্চয় করে রেখোনা মনে
কষ্ট পেওনা আর গোপনে গোপনে।
হৃদয়কে বানিওনা একটি দুঃখ-ভাণ্ডার
ব্যথার অনলে পুড়ে পুড়ে আর হয়োনা অঙ্গার।
আজ কষ্টগুলো ঝেরে ফেলে
হাস তোমার মন খুলে।
মনের যত অন্ধকার করুন-সুর
আজ খুশির বানে হয়ে যাক দূর।
গানটা মনে করিয়ে দিলেন…
@শ্রাবণ আকাশ,
জানিনা আর কতকাল নারী দুঃখের অকূল-সাগরে ভাসবে।কোন একদিন হয়ত পৃথিবীতে সকল মানুষে সমতা আসবে,সবাই মাথা উঁচু করে বাঁচবে।সেই শুভক্ষণের প্রতীক্ষায় শুধু প্রহর গনা।
তামান্না ঝুমুর এই কবিতাটি প্রত্যেক বাংগালি নারীর জন্য পাঠ্য।
@আবুল কাশেম,
@আবুল কাশেম,
অনেক ধন্যবাদ।
(Y)
@প্রতিফলন,
ধন্যবাদ।
জীবনের ধারা খুশির বানে বয়ে যাক নারী-পুরুষ সকলের,শুধু নারীদের নয়, যদিও তৃতীয় বিশ্বের নারীরা জীবনে সবচাইতে বেশী অবহেলিত,দলিত ও লাঞ্চিত।
(Y)
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
নারী পুরুষ সকলের জীবনই হোক শান্তিময়। আমাদের সমাজে নারীরা লাঞ্ছিত তাই সুখ-শান্তি,মুক্তি ইত্যাদি এখনো আমাদেরকে তাদের জন্য আলাদা ভাবে কামনা করতে হয়।যেন তারা ভিন্ন কোন গ্রহ থেকে অনাহূত হয়ে এসে পৃথি্বীতে অযাচিত বসতি স্থাপন করেছে! ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।