মনের বিজ্ঞান বলতে কী বোঝায়? মন কি দেখা যায়? মনোবিজ্ঞান নামে বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়টি যখন ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা পেতে থাকলো, তখনের প্রথম দিককার গবেষণা পন্থাগুলো ছিল আচরণবাদী। এর আগে মন নিয়ে মানুষের চিন্তাগুলো মূলত ছিল অন্তর্জ্ঞানমূলক। অর্থাৎ চুপচাপ বসে বসে গবেষক নিজেই নিজের মন নিয়ে চিন্তা করবে, প্রশ্ন করবে, আর এই চিন্তা থেকে মন সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হবে। সমস্যা হলো, খুব অল্প মানুষই সেই চিন্তা-ভাবনার ফলাফলগুলো নিয়ে একমত হতে পেরেছে। কারণ ব্যক্তিক চিন্তা ব্যক্তিতে উদ্ভূত হয়ে ব্যক্তিতে সমাপ্ত হয়েছে। পুনরুৎপাদনযোগ্য কোন পর্যবেক্ষণ তৈরি করতে পারে নি, যেটা আর দশজনের উপস্থিতিতে যাচাই করা সম্ভব।
বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার উন্নয়ন ততদিনে বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের একটি শক্তিশালী সংজ্ঞা প্রায় দিয়ে ফেলেছে। মানুষ একমত হতে শুরু করেছে অধিবিদ্যক বক্তব্য থেকে বৈজ্ঞানিক বক্তব্য আলাদা হয় এভাবে যে অধিবিদ্যক বক্তব্যকে পর্যবেক্ষণ দিয়ে যাচাই করা যায় না, সত্য মিথ্যা প্রমাণ করা যায় না। বৈজ্ঞানিক বক্তব্য পর্যবেক্ষণ দ্বারা মিথ্যা প্রতিপন্ন হবার ঝুঁকি নেবার সামর্থ্য রাখে। ঊনবিংশ শতকের বিভিন্ন দার্শনিক আন্দোলন এর পেছনে কাজ করেছে বলা যায়। খুব বেশি নির্দিষ্ট করতে চাই না এই সময়টাকে। এ কারণে যে এর পেছনের আন্দোলনগুলো আরও অনেক আগে শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দার্শনিক ও বিজ্ঞানীর কাজ একে প্রভাবিত করেছে। এভাবে অ্যারিস্টটল পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব। তবে ঊনবিংশ শতকে এসে অধিবিদ্যক বক্তব্যগুলো বিজ্ঞানের সামনে লজ্জাবনত হওয়া শুরু করে দিয়েছে বলা যায়।
এর খুব স্বাভাবিক ফলাফলস্বরূপ মন নিয়ে অন্তর্জ্ঞানমূলক গবেষণাও লজ্জিতবোধ করতে লাগলো। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হিসেবে এর কদর কমতে থাকলো। আর মনোবিজ্ঞানে যে ধারাটির বিকাশ পেতে শুরু করলো, তার নাম আচরণবাদ (behaviorism)। তারা বললো – মন দেখা যায় না। ফলে সম্ভবত মনকে গবেষণার বিষয় করাটাই বিজ্ঞানসম্মত নয়। যেটা দেখা যায় না, তাকে নিয়ে আবার কী করে পর্যবেক্ষণসাধ্য গবেষণা করা যায়? ফলে মন নিয়ে আমাদের যে সমস্ত প্রশ্ন, এসবেরই বিজ্ঞানসম্মত ভার্শন হবে আচরণকেন্দ্রিক। কারণ আচরণকে দেখা যায়। চিন্তা-ভাবনা, আনন্দ অনুভূতির গবেষণায় বিষয়বস্তু হবে কেবল আচরণ। এসবের একমাত্র পর্যবেক্ষণযোগ্য বহিঃপ্রকাশ ঘটবে কেবল আচরণে। ফলে চিন্তা-ভাবনা, অনুভূতি, এসব সম্ভবত ব্যক্তি আরোপিত বিষয়, বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয় না। আচরণবাদের ভেতরেই অনেক ভিন্ন আন্দোলন তৈরি হয়েছে। তাদের মধ্যে তফাৎ ছিল। তবে মোটের উপরে এমন একটা দর্শন নিয়েই তারা মনকে গবেষণা করা শুরু করলো। নিউরোবিজ্ঞানের উদ্ভবের পরে পর্যবেক্ষণের উপায় আরও বেড়েছে। ফলে আচরণবাদী গবেষণার মূল ধারাটি ধীরে ধীরে নিউরোবিজ্ঞানের গবেষণায় চলে যেতে থাকে। কিন্তু মনকে আচরণবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার যে উপায়, তার প্রভাব এখনও বিরাজমান। এর মূল কারণ, মন বলে আমরা যে বস্তুকে নির্দেশ করি, তার উপর যথেষ্ট শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক প্রকল্প আমাদের হাতে এখনও নেই।
মনকে এখনও যে আমরা পর্যবেক্ষণযোগ্যভাবে উদ্ধার করতে সক্ষম হই নি, এর কারণে আমরা কিন্তু অনেকটা নিশ্চিন্তেই মনকে বিজ্ঞানের গবেষণার বস্তু হিসেবে বাদ দিয়ে দিতে পারি। ইথারের মতো। তবে ইথারের অনস্তিত্ব এক দিনে প্রতিষ্ঠিত হয় নি। হয়েছে ধীরে ধীরে। একসময়ে যখন পর্যবেক্ষণকে ইথারের কোন প্রকার উল্লেখ ছাড়াই পূর্বাভাসক্ষমভাবে বর্ণনা করা সম্ভব হলো, ইথারের মৃত্যু হলো। মনের ক্ষেত্রে আমরা সেই পর্যায়ে নেই ঠিক। তবে মনকে উল্লেখ করেও পর্যবেক্ষণের কোন প্রকার পূর্বাভাসক্ষম বর্ণনা দেয়া যাচ্ছে কিনা সেটাও দেখার বিষয়। বিজ্ঞানের উদ্ভবের অনেক আগে একটি অনিশ্চয়তাকে আমরা মন নাম দিয়ে ফেলেছি। এখন সেই সব অনিশ্চয়তা নিয়ে আমরা আসলে কী কী বৈজ্ঞানিক প্রশ্ন করতে পারি, সেটার অনুসন্ধানকে বাধা দিচ্ছে মন নামটা। আমাদের খুঁজে দেখা উচিত, পর্যবেক্ষণগত অনিশ্চয়তাগুলো কী। কিন্তু আমরা তার বদলে প্রশ্ন করছি, মন কী, মন কীভাবে কাজ করে, ইত্যাদি। এসবের অনেক প্রশ্নেরই কিন্তু পর্যবেক্ষণযোগ্য স্বরূপ নেই। তার চেয়ে বরং পর্যবেক্ষণযোগ্য যে সকল অনিশ্চয়তাকে মন নামটা নির্দেশ করে, সেগুলোর যদি পূর্বাভাসক্ষম বর্ণনা দিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় মনের উল্লেখ ছাড়াই, তাহলেই কিন্তু আর কিছু লাগে না। ইথারের মতো মনের মৃত্যু হয়।
মন ঠিক কোন পর্যবেক্ষণগত অনিশ্চয়তাগুলোকে নির্দেশ করে? সেই চিন্তা করলে প্রথমেই কিন্তু আচরণের কথা আসে। আমরা এর সাথে গ্রহ বা নদীর তুলনা করতে পারি। গ্রহকে বোঝা বলতে প্রথমেই আসে গ্রহের গতিকে বোঝা। এমনভাবে এর গতিকে লিপিবদ্ধ করা, যাতে এর ভবিষ্যত অবস্থানগুলো আগে থেকে ঠিক ঠিক বলে দেওয়া যায়। এই গতিকে গ্রহের আচরণও বলা যায়। কিন্তু গ্রহের গতি বেশ একঘেয়ে দেখে ঠিক আচরণের মতো অনিশ্চয়তাপূর্ণ নাম দিতে চাই না আমরা তাকে। তারপরেও আমরা প্রশ্ন করি গ্রহ কেনো ঘোরে? এর উত্তরে আমরা অভিকর্ষ শক্তির ধারণার আনয়ন করেছি, যেটা দুটো বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত একটি বিষয়। বা একে স্থানকালের সাথে বস্তুর পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত একটি বিষয় হিসেবেও বর্ণনা করা যায়। কিন্তু আমাদের প্রয়োজন পড়ে না বলার যে গ্রহ তার নিজের ইচ্ছায় ঘুরপাক খাচ্ছে। বা গ্রহ তার নানা পছন্দের মাঝে ঘুরপাক খাওয়াকে বাছাই করে নিয়েছে। জড় জগতকে তার পছন্দ বাছাই করার ক্ষমতা পুরোপুরি অস্বীকার করে আমরা বর্ণনা করতে পারি। হয়তো কিছু আদি পর্যায়ের জীবের ক্ষেত্রেও পারি। কিন্তু উচ্চতর জীবের মধ্যে আমরা দেখতে পাই বাছাই করার ক্ষমতা। সেই দেখাটা এখনও বিজ্ঞানের দেখায়/পর্যবেক্ষণে পরিণত হয় নি অবশ্য। উচ্চতর জীবকে পুরোপুরি বুঝে ফেলাও যায় নি।
আমরা চিন্তা করতে পারি, জীবও আসলে তার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কার্যকলাপের ফলাফল। জীবের আচরণ নির্ধারণ হয় তার সাথে প্রকৃতির আদান প্রদানের ইতিহাস দ্বারা। একটা রোবটের কথা চিন্তা করা যেতে পারে। যেমন আই রোবটের তৈরি রুম্বা। রোবট প্রযুক্তির সাথে অপরিচিত যে কেউ কিন্তু সহজেই সেই রোবটের আচরণের অনিশ্চয়তার মাঝে বাছাই করার ক্ষমতা আরোপ করবে। সে ভাবতে চাইবে যে বস্তুটি তার নানা উপায়ের মধ্যে প্রতি মুহূর্তে একটাকে বাছাই করে নিচ্ছে নিজের পছন্দে। যদিও সেই রোবটের আচরণ প্রকৃতপক্ষে একটি নির্দিষ্ট ক্রিয়াপদ্ধতি বা অ্যালগরিদমকে অনুসরণ করছে কেবল। রোবটটি সেই অ্যালগরিদমের দাস। তার কোনও বাছাই নেই। মানুষের আচরণের অনিশ্চয়তার পেছনেও হয়তো কেবল এমন কিছুই বিরাজ করে। তবে উপায়টা এতোটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, পর্যবেক্ষণের পূর্বাভাসক্ষম বর্ণনা যতটা গুরুত্বপূর্ণ। মানে পেছনে একজন বাছাইকারক বিরাজ করে এমন ধরে নিয়ে যদি কোন প্রকল্প অন্য সকল বর্ণনার চেয়ে বেশি পূর্বাভাসক্ষম হতে পারে, তাহলে সেটার প্রতিই বিজ্ঞানের নির্ভরতা বেশি থাকবে। সেখানে অনুমানগুলো জীবন্ততার বা সত্যাসত্যতার সম্মুখীন হতে অপারগ হলেও। মন নিয়ে বিজ্ঞান ঠিক যে অবস্থায় আছে এখন, এতে এরকম অনুমান একেবারে অসহনীয় নয়।
শেষ করছি আচরণবাদের প্রথম সাফল্যের কথা বর্ণনা করে। প্রাণীর আচরণের অনিশ্চয়তার নাম যদি হয় মন, সেই আচরণকে পূর্বাভাসক্ষম করে তোলাটাই হওয়া উচিত মনের বিজ্ঞানের প্রথম পদক্ষেপ। প্রাণীর আচরণকে পূর্বাভাসক্ষমভাবে বর্ণনা করার প্রচেষ্টা করেছিলেন ইভান পাভলভ। তার অনুসন্ধানের ফলাফলকে বাংলায় বলা চলে ধ্রুপদী আচরণ-পরিবর্তন (classical conditioning)। এটা প্রাণীর একটি বিশেষ আচরণকে পুনরুৎপাদনযোগ্য এবং পূর্বাভাসক্ষমভাবে বর্ণনা করে। যেমন, আমরা জানি যে খাবার পরিবেশন করা হলে ক্ষুধার্ত কুকুরের মুখ থেকে লালা নিঃসৃত হয়। এটা পুনরুৎপাদনযোগ্য এবং পূর্বাভাসক্ষম একটি প্রকল্প। এটা ধ্রুপদী আচরণ-পরিবর্তনের উদাহরণ নয় অবশ্য। তবে একে ব্যবহার করে প্রাণীর আচরণ পরিবর্তন নিয়ে একটি প্রকল্প দেয়া যায়। পাভলভ তার কুকুরকে খাবার পরিবেশন করার আগে একটি ঘন্টাধ্বনি শোনান, যেটার ব্যাপারে সাধারণভাবে কুকুরটির কোন প্রকারের আচরণের বহিঃপ্রকাশই ছিলো না। কিন্তু বারবার এই ঘটনা ঘটানোর ফলে দেখা যায়, ঘন্টাধ্বনি শুনেই কুকুরটির মুখ থেকে লালা নিঃসরণ হওয়া শুরু হয়। অর্থাৎ একটি স্বতঃস্ফূর্ত উদ্দীপকের (খাবার) সাথে নিরপেক্ষ একটি প্রণোদনা (ঘন্টাধ্বনি; স্বাভাবিকভাবে কোন আচরণের উদ্ভব ঘটায় না, কিন্তু কুকুর দ্বারা পর্যবেক্ষণযোগ্য) উপস্থাপনার কারণে নিরপেক্ষ প্রণোদনাটিও কুকুরটির একটি আচরণের উদ্দীপকে পরিণত হয়েছে। ঘন্টাধ্বনি শুনলে এখন খাবার না দেখেই কুকুরটির লালা নিঃসরণ ঘটে। কুকুরের আচরণ পরিবর্তনের একটি ঘটনাকে পুনরুৎপাদনযোগ্য এবং পূর্বাভাসক্ষমভাবে পাভলভ এভাবে লিপিবদ্ধ করেন।
ধ্রুপদী আচরণ-পরিবর্তনের এই ঘটনাকে মানব-শিশুর ক্ষেত্রে প্রদর্শন করেন জন ওয়াটসন। তার পরীক্ষার নাম লিটল আলবার্ট এক্সপেরিমেন্ট। নয়মাসের শিশু আলবার্টের উপর পরীক্ষাটি করা হয়। আলবার্টের স্বতঃস্ফূর্ত আচরণের উদ্দীপক ছিল বিকট আওয়াজ। তার মাথার পেছনে একটি স্টিলের খণ্ডকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে শব্দ করা। আর স্বতঃস্ফূর্ত আচরণটা ছিল এই যে এতে আলবার্ট এতে ভয় পেয়ে কেঁদে দিতো। স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ মানে এই যে পরীক্ষা শুরু হবার আগে থেকেই সে এই আচরণ প্রদর্শন করতো। পরীক্ষা চলাকালে আচরণটি ধারণ করেছে এমন নয়। ইঁদুর, খরগোশ, যেকোন পশমযুক্ত বস্তু প্রদর্শনে আলবার্ট সেরকম কোন আচরণ প্রকাশ করতো না। ওয়াটসন যা করলেন, আলবার্ট যখনই ইঁদুরটাকে স্পর্শ করে, তখনই তার মাথার পেছনে বিকট শব্দটি করা হলো। আলবার্ট ভয় পেয়ে কান্না শুরু করলো। এই পরীক্ষা বারবার ঘটানোর ফলে দেখা গেলো ইঁদুর দেখলেই আলবার্ট ভয় পেয়ে কান্না করতে শুরু করলো। অর্থাৎ ইঁদুরের মতো নিরপেক্ষ বস্তুর সাথে আলবার্টের আচরণ সম্পর্কযুক্ত হয়ে গেছে। এমন কি সে আচরণের সাধারণীকরণও ঘটলো। খরগোশ দেখলে অথবা তার মাকে পশমযুক্ত পোশাক পরিহিত অবস্থায় দেখলেও সে ভয় পেয়ে কান্না করা শুরু করলো। অর্থাৎ আলবার্ট ধ্রুপদী আচরণ-পরিবর্তন প্রদর্শন করলো।
বেশ শক্তিশালী ছিলো এই পরীক্ষার প্রভাব। প্রাণীর অনেক আচরণের জন্যে তখন ধ্রুপদী আচরণ পরিবর্তনকে দায়ী করা হলো অর্থাৎ প্রাণী নিজে তার আচরণকে বাছাই করে নি, বরং তার স্বতঃস্ফূর্ত উদ্দীপকের সাথে নিরপেক্ষ ঘটনা একসাথে সমাবেশের কারণে নিরপেক্ষ ঘটনাটিতে প্রাণীর আচরণ সম্পর্কযুক্ত হয়ে যাচ্ছে – এভাবে দেখা শুরু হলো। যদিও আরও জটিল প্রকল্পের প্রয়োজন দেখা দিলো পরবর্তিতে। তবে ধ্রুপদী আচরণ-পরিবর্তনের উদ্ঘাটন বেশ নাড়া দিয়েছিল মানুষকে। এখানে উল্লেখ্য যে স্বতঃস্ফূর্ত উদ্দীপক (কুকুরের ক্ষেত্রে খাবার বা আলবার্টের ক্ষেত্রে শব্দ) আর নিরপেক্ষ ঘটনার (কুকুরের ক্ষেত্রে ঘন্টাধ্বনি বা আলবার্টের ক্ষেত্রে ইঁদুর দেখতে পাওয়া) সমাবেশের মাঝে সময়ের পার্থক্য খুব বেশি হলে এই আচরণ পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে না। সময়ের পার্থক্য যত কম হয়, আচরণ পরিবর্তন তত শক্তিশালীভাবে ঘটে। আর আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না বললেই নয়। শিশু আলবার্টের পরীক্ষাটি বর্তমান বিজ্ঞান গবেষণার নৈতিক মাপকাঠিতে অসমর্থনযোগ্য। তবে সে সময়ে এরকম বাঁধাধরা নিয়ম ছিলো না।
আচরণবাদীরা এভাবেই প্রাণীর আচরণকে কেবল প্রকৃতির দ্বারা উপস্থাপিত উদ্দীপক বা ইনপুটের ফলাফল হিসেবে দেখতে থাকেন। প্রাণী এখানে আচরণ বাছাই করে না। বিবর্তন তার প্রজাতিগত আচরণের সীমা নির্ধারণ করে আর ঘটমান প্রকৃতি তার সাথে আদান প্রদানের মাধ্যমে তার জীবদ্দশার নিয়ত-পরিবর্তনশীল আচরণ-অভ্যাসগুলোকে নির্ধারণ করে। বলকে লাথি মারলে যেভাবে (মানে প্রকৃতির সাথে বলের আদান-প্রদানে যেভাবে; এখানে লাথি হলো বলের কাছে প্রকৃতির তরফ থেকে আদান-প্রদান) বল একটা নির্দিষ্ট উপায়ে নড়ে (বা আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়)। মানুষের আচরণ তাদের কাছে বলের আচরণের মতোই। কেবল একটু বেশি জটিল।
পুরোলেখা এবং তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া গুলো পড়লাম। আমার মনের সংশয় সমাধানে পথে কিছুটা এগোলাম ও। বাকিটা ভবিষ্যতের হাতে, অনেক পথ এখন ও বাকী।
আমি বলতে তাই যে গনিত ই বিজ্ঞান্র আধার। মন ও সেই গানিহতিক প্রোসেসের ফল। শুধু গতি টা এখনও আমাদের আয়ত্বের বাইরে। যে গতিতে ব্রেনের সমস্ত ফ্যাকাল্টি গুলো ইন্টরনেট প্রক্রিয়াতে ক্যালকুলেশন করে এবং ক্রিয়েশন ও করে(ইমাজিনেশন)সেই গতি ধরা গেলেই মনের বৈজ্ঞানিকতাও প্রতিষ্ঠিত হবে।
মুক্ত চিন্তাধারার বলতে
…মন হচ্ছে আমার ঘটে যাওয়া প্রতিদিনের এক একটি এক্সপেরিমেন্ট। উদাহরন- যখন আমি একজন নাড়িকে ভালোবাসি বা তাকে পচ্ছন্দ করি তখন শুধু একজন কেই কিউট লাগত আর বাকি সব খেত। কিন্তু যখনি ছেকার আচ গায়ে পড়ে তার পরবর্তী চিন্তা পুরাই ভিন্ন.. বাকি সব নাড়ি কিউট হলেও সে একজনই মরিচের ডিব্বা । দেখলেই শুধু গা জ্বলে।
হয়ত এই ধরনের পরবর্তিত প্রকিয়ায় যুগের সাথে আমাদের মন পরিচালিত হচ্ছে।
অন্যান্য বিজ্ঞানের কাছে মনোবিজ্ঞান আজও নাতির বয়সি এক বিজ্ঞান। তাই নাতির পরিপক্কতার
জন্য চাই আরো সময় এবং আরো গবেষণা। লেখকের লেখা পড়ে একটু হতাশ হলাম। কারন
লেখার শিরোনাম এবং শুরুটা পড়ে মনে হয়েছিল লেখক অন্যান্য মতবাদ গুলোকে (কাঠামোবাদ,সমগ্রতাবাদ,অনুষঙ্গবাদ,ক্রিয়াবাদ,অস্তিত্ববাদ) আলোচনায় এনে একটি পূণার্র্ঙ্গ প্রবন্ধ লিখবেন।অন্যান্য মতবাদ গুলোকে নিয়ে লেখকের লেখা পড়ার প্রতীক্ষায় রইলাম।
চমৎকার একটি লেখা। আপনার লেখা বরাবরই নতুন চিন্তার খোরাক। এ লেখাটিও ব্যতিক্রম নয়। মনের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষনের ব্যাপারটা আমাকে বরাবরই ভাবায়। সেজন্যই আমি বিবর্তন মনোবিজ্ঞান, বিহেভিয়েরাল জেনেটিক্সের বিভিন্ন টপিক নিয়ে লেখার চেষ্টা করি। এ লেখায় ইভান পাভলভ এর পরীক্ষা আর লিটল আলবার্ট এক্সপেরিমেন্ট এর কথা বলা হয়েছে। ইচ্ছে করলে আরো গভীরে যাওয়া যায়। প্রাণিবিজ্ঞানীরা ভেড়ার আচরণ নিয়ে গবেষণা করেন, আসলে মানুষের কাজও যে অনেকটা ভেড়ার পালের মতোই, তা মিলগ্রামের এই গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে। হয়তো এগুলো নিয়ে রূপম লিখবেন ভবিষ্যতে।
@অভিজিৎ,
সন্ধিপ্রাণীদের ক্ষেত্রে বাধ্যতা যত সহজ , সলিটরি প্রাণীদের ক্ষেত্রে খুবই কঠিন। মানুষকে সন্ধিপ্রাণীদের মত দলবদ্ধ হয়ে থাকতে দেখা গেলেও মানুষ একা সারভাইভ করতে সক্ষম যখন পরিস্হিতি তা দাবী করে । একটা নেকড়ের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
স্টালিন এক সময় রসিকতা করে বলেছিলেন , Loyalty is a dogs’ disease . 🙂
মানুষ সন্ধিপ্রাণী নাকি সলিটরি প্রাণী এটার বৈজ্ঞানিক প্রমান এখনও পাওয়া যায় নি। আমার তো মনে হয় যে , মানুষ বাঘের মতই একটা সলিটরি প্রাণী যে প্রয়োজনে সন্ধিপ্রাণীদের মত আচরণ করে।
@সংশপ্তক, গ্লোবালাইজেশনের যুগে যে বনে জঙ্গলেও ইন্টারনেট, মুঠোফোন, সব পৌছে গেছে, জানেন নিশ্চয়। আমার ধারণা বাঘেরাও আজকাল এসব ব্যবহার করে। যুগের দাবী। সলিটরি প্রাণী এখন আর সেই অর্থে পাওয়া যায় না।
প্রাণীজগতে প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রক্রিয়াতেই সলিটরী শব্দটা বিপন্ন হয়ে যাবে একসময়। 🙂
@সংশপ্তক,
মন্তব্য পড়ে কেন যেন হঠাৎ
Søren Kierkegaard আর Friedrich Nietzsche-এর
“the crowd” “herd morality” আর “herd instinct”–এগুলোর কথা করোটিতে চলে এল।
@অভিজিৎ,
চমৎকার একটা এক্সপেরিমেন্টের সন্ধান দিলেন। ধন্যবাদ।
বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়লাম লেখাটা। বেশ উঁচু স্তরের একটি লেখা। ভালো লেগেছে নিঃসন্দেহে। (F)
আমার নিজের দু একটি কথা একটু শেয়ার করতে চাই। মনকে জানার বিজ্ঞান বললে সোজা বাংলায় আমি বুঝি ‘মস্তিষ্ক’কে জানার বিজ্ঞান। মন আর কিছুই না, শুধু মস্তিষ্কের fore-brain বা অগ্রমস্তিষ্কের নিউরন সেল, সিনাপ্স ও নিউরোট্রান্সমিটার এই তিনটি উপাদানের একটি সামগ্রিক ক্রিয়াকলাপ মাত্র। সুতরাং, যেদিন নিউরোসায়েন্টিস্টগণ মানব মস্তিষ্কের এই তিনটি উপাদানের ক্রিয়াকলাপ এবং সেই ক্রিয়াকলাপের পেছনের সকল কারণ পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্ণয় করতে পারবেন সেই দিনই ‘মন’কে পুরোপুরি জানা সম্ভব হবে।
@আদম অনুপম,
আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো।
লেখাটি ভালো লেগেছে। মনের পর্যবেক্ষণযোগ্যতা নিয়ে বেশ ভালোই আলোচনা হল। বর্তমান সময়ে এই বিজ্ঞান যথেষ্ট পরিমাণ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গেছে। কোন একটা ঘটনা ঘটার সময় মস্তিষ্কে নিউরণ পথের ইলেকট্রিকাল অ্যাকটিভিটির পরিবর্তন ঘটে তা ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং এবং অন্যান্য ইমেজিং পদ্ধতি অবলম্বন করে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। এটা ঠিক, এই গবেষণা এখনো শিশু অবস্থাতেই আছে।
(F)
@নীল রোদ্দুর,
মস্তিষ্ককে বোঝার যে বিজ্ঞান চালু আছে, তার মধ্যে বেশ গ্যাঞ্জাম চালু আছে। গবেষণার একটা বড় অংশ কিন্তু সংস্কৃতি। ফান্ড এজেন্সি কী চায়, গবেষণাগুরু কোন ডিসিপ্লিন বা দর্শন থেকে আসছেন, তার গবেষণাগুরু কোন ডিসিপ্লিন থেকে আসছেন, এগুলো অনুসন্ধানের বিষয় ও প্রকার পদ্ধতিকে অতিমাত্রায় প্ররোচিত করতে পারে। মনোবিজ্ঞানের মতো খুবই শিশু অবস্থার বিজ্ঞানে দার্শনিক মতবাদের প্রভাব এবং প্রয়োজন ব্যাপক মাত্রায় থাকে। ফলাফলের চেয়ে অনুমানমূলক বক্তব্যের ছড়াছড়ি থাকে। এর স্বরূপটা ভালো মতো বোঝার জন্যে অতীতে না গিয়ে উপায় থাকে না। ফলে মনোবিজ্ঞানের প্রথমদিককার সফল আন্দোলন আচরণবাদ থেকে শুরু। এই আন্দোলনের সীমাবদ্ধতা অবধারিত ছিল। কিন্তু কঠোর বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তাভাবনার আরোপের কারণেই কিন্তু সম্ভব হয় অন্তর্জ্ঞানমূলক গবেষণার হাজার বছরের পরম্পরাকে ভেঙে ধ্রুপদী আচরণ পরিবর্তনের মতো খুবই সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণের উদ্ঘাটন। চিন্তা করে দেখুন, এই পরীক্ষা কিন্তু এক হাজার বছর পূর্বেও করা সম্ভব ছিলো। কিন্তু মানুষ ভুল পথে মনকে বুঝতে গেছে। ঊনবিংশ শতকের পজিভিস্ট, এম্পিরিসিস্ট বিজ্ঞান-দর্শনের আন্দোলনগুলো অনেক বিষয়ের বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে ত্বরাণ্বিত করেছে। মস্তিষ্ক পর্যবেক্ষণের উপায় বাড়িয়ে দিলেও, গবেষণার পেছনের দর্শনের উপর নির্ভর করবে সঠিক বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের অনুসন্ধান করা হচ্ছে কিনা। এসবের জন্যে আচরণবাদের মতো পেছনের আন্দোলনগুলো জানা অনেক জরুরি।
ধন্যবাদ । আপনার লেখাগুলো যেভাবে আমাকে সাধারণ কমফোর্ট জোনের বাইরে ভাবতে বাধ্য করে , খুব কম মুক্তমনা লেখাই সে পর্যায়ে সক্ষম হয়েছে। 🙂
মনের বিজ্ঞান বলতে কী বোঝায়? আমি মনে করি যে, মস্তিষ্কের কার্যাবলী বোঝার মধ্যেই মনকে বোঝার বিষয়টা নিহিত আছে এবং নিঃসন্দেহে মস্তিষ্ক একটা পর্যবেক্ষনযোগ্য বস্তু। পর্যবেক্ষনযোগ্যহীন মনকে তাই একটা প্রাক-বৈজ্ঞানিক ধারনা হিসেবেই আমি চিহ্নিত করেছি।
এখন প্রশ্ন আসে যে , পর্যবেক্ষণযোগ্য সবকিছুরই কি পূর্বাভাস যোগ্যতা আছে যেমন , একটা সামদ্রিক হ্যারিকেন , মাত্র ৫ দিনের বাইরে যার প্রশ্নাতীত পূর্ভাভাসযোগ্যতা নেই ? কিংবা প্রানের বিবর্তন যার পূর্বাভাস নিশ্চিত করার জন্য লক্ষ লক্ষ বছর অপেক্ষা করা প্রয়োজন ? পূর্বাভাস ছাড়া কি বিজ্ঞান অস্তিত্বহীন ? তাহলে কোটি কোটি বছর আগে তৈরী হওয়া মহাবিশ্বকে কি বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় ?
একটা সামদ্রিক হ্যারিকেন আঘাত হানার পর বায়ুমন্ডলের থার্মোডাইনামিক্স দিয়ে অবশ্যই সেই হ্যারিকেনকে বৈজ্ঞানিনভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব । একই ভাবে সম্ভব বজ্রপাত কিংবা ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক ঘটনাবলীগুলো যেগুলোর সঠিক পূর্ভাভাস সম্ভব নয়। এখানেই চলে আসে পোস্টডিক্শন এবং রেট্রোডিকশনের প্রসঙ্গ।
পূর্বাভাসের অবসেসন থেকে কিছুটা সময়ের জন্য বিরতি নিয়ে নিচে একটা রিসার্চ থেকে ভাবনার জন্য কিছু খোরাক দিলাম :
“We propose an alternative in which visual awareness is neither predictive nor online but is postdictive, so that the percept attributed to the time of the flash is a function of events that happen in the ∼80 milliseconds after the flash. The results here show how interpolation of the past is the only framework of the three models that provides a unified explanation for the flash-lag phenomenon.”
Motion Integration and Postdiction in Visual Awareness
David M. Eagleman and Terrence J. Sejnowski
Science 17 March 2000:
Vol. 287 no. 5460 pp. 2036-2038
DOI: 10.1126/science.287.5460.2036
@সংশপ্তক,
(Y)
@সংশপ্তক,
সূত্রের জন্যে ধন্যবাদ। এ বিষয়ে আরেকটু সময় নিয়ে উত্তর করছি।
@সংশপ্তক,
পেপারে চোখ বুলানোর পরে আমার মনে হচ্ছে পেপারের বিষয়বস্তুটা ঠিক বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের পূর্বাভাসক্ষম হবার বিপরীতে কাজ করছে না। পেপারটা বলছে যে আমাদের ভিজুয়াল সিস্টেম সম্ভবত প্রেডিক্টিভ উপায়ে নয়, পোস্টডিক্টিভ উপায়ে কাজ করে। একটা বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের প্রেডিক্টিভ হওয়া আর একটা আলোচ্য সিস্টেম প্রেডিক্টিভ হবার মধ্যে পার্থক্যটা লক্ষ করুন। খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এখানে। একটু সরল করি ব্যাপারটা। ধরেন আমি প্রকল্প দিলাম যে চোর সংক্রান্ত মানুষের জ্ঞানগম্যি প্রেডিক্টিভ নয়, পোস্টডিক্টিভ। চোর পালানোর পরেই মানুষের কেবল বুদ্ধি বাড়ে, আগে না। এখানে প্রকল্পটা বলছে যে মানুষের চোর সংক্রান্ত চিন্তাভাবনার সিস্টেমটা প্রেডিক্টিভ নয়, পোস্টডিক্টিভ। কিন্তু প্রকল্পটা নিজে কিন্তু প্রেডিক্টিভ। মানে এই প্রকল্পটা অনাগত পর্যবেক্ষণের উপর পূর্বাভাস করছে – ভবিষ্যতেও চোর নিয়ে মানুষের বুদ্ধি পোস্টডিক্টিভ উপায়েই পরিবর্তন হবে।
প্রকল্পের যাচাইযোগ্যতার সাথে পূর্বাভাসক্ষমতা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। আমার মতে দুটো সমতুল্য। যেই প্রকল্পই অনাগত পর্যবেক্ষণ দ্বারা যাচাইযোগ্য, সেটাই necessarily প্রেডিক্টিভ। ফলে আমি যখন প্রকল্পের পূর্বাভাসক্ষমতার কথা বলি, তখন আলোচ্য সিস্টেমটি প্রেডিক্টিভ উপায়ে কাজ করে কিনা সেটা বোঝাই না (বা বোঝাই নি), বরং কেবল এটাই বুঝিয়েছি যে প্রদত্ত প্রকল্পটি অনাগত পর্যবেক্ষণ দ্বারা যাচাই করা যাবে।
তবে প্রকল্পটি যে সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করছে, সেই সিস্টেমের ফাংশনালিটি অবশ্যই প্রেডিক্টিভ না হয়ে পোস্টডিক্টিভ হতে পারে। সত্যিকার অর্থে এ নিয়ে বেশ বিভাজন আছে গবেষকদের মধ্যে। অনেকে প্রায় গোঁড়ার মতো বায়োলজিক্যাল সিস্টেমে প্রেডিক্টিভ এবং অনলাইন আচরণ খুঁজে। বা প্রকল্প শুরু হয় প্রেডিক্টিভ ধরে নিয়ে। অনেকে শেষ পর্যন্তও আর সেই প্রকল্প ছেড়ে দিতে চান না গোঁড়ামির কারণে। আচরণবাদীদের মধ্যে বোধ করি সিস্টেমের প্রেডিক্টিভ হওয়া সংক্রান্ত এই প্রিসাপোজিশানটা ছিল। শুরু করার প্রকল্প হিসেবে আমার কাছে এটা খারাপ মনে হয় না। যদিও পর্যবেক্ষণের সাথে মিলিয়ে দেখার সময় ক্রিটিক্যালি হওয়া দরকার। আপনার দেয়া পেপারের লেখকরা যেভাবে ক্রিটিক্যালি বিবেচনা করে পূর্বপ্রদত্ত প্রেডিক্টিভ মডেলকে রিফিউট করার প্রস্তাব করলেন।
এই একটুটা সলভ করতে আরো কয়েক শত বছর লেগে যাবে, এই আর কি :-Y
এটা সিরিজ হবে নাকি? কেমন যেন মনে হলো শেষ হয়েও হইলো না শেষ। :-s
চলুক (Y)
@স্বাধীন,
চলবে বলতে পারছি না। চলবে কথাটা একটা মিথ্যা কথায় পরিণত হয়ে গেছে। বলতে পারি, পড়বো। লেখা কখন কী বিষয়ে হাজির হইয়া যাবে সেইটার গ্যারান্টি নাই। 🙂