আবুল কাশেম
এপ্রিল ২৯, ২০১১
৮ম পর্বের পর
যুদ্ধ বন্দিনীদের কি অবস্থা?
ইসলামী আইন অনুযায়ী যে সব কাফের যুদ্ধ বন্দিনী ইসলামী সৈন্যদের হাতে বাধা পড়বে, তাদের সাথে ইসলামী সৈন্যরা অবাধ যৌন সঙ্গম করতে পারবে। নবীজির সময় থেকেই এই ব্যবস্থা চলে আসছে। নবীজি নিজেও এই কর্ম করেছেন এবং তাঁর সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকেও এই কর্ম করতে আদেশ দিয়েছেন। উদাহরণ দেওয়া যাক এক সুন্দরী ইহুদী তরুণী রিহানার। সে অন্য এক ইহুদী ছেলের সাথে বিবাহিতা ছিল। রসুলুল্লাহ বনি কুরায়যা ইহুদীদের আবাসস্থল আক্রমণ করে তাদের উপর লুটতরাজ চালান এবং তাদেরকে আত্ম সমর্পণে বাধ্য করেন। এই আত্ম সমর্পিত ইহুদীদের প্রতি তিনি তাঁর সুহৃদ সা’দ বিন মুয়াযের বিচারের রায় অনুযায়ী আদেশ দেন যে সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্ক ইহুদী পুরুষদের গলা কেটে হত্যা করার আর ইহুদী মহিলা ও শিশুদের ক্রীতদাসের বাজারে বিক্রি করার। নবীজির আদেশ যথাযথ পালন করা হল কিন্তু এই বন্দিনীদের মাঝে তিনি অপূর্ব সুন্দরী যৌনাবেদনময়ী তরুণী রিহানাকে দেখে তার সাথে সহবাস করার জন্যে ব্যাকুল হয়ে উঠেন। তাই রিহানাকে ক্রীতদাসের বাজারে না পাঠিয়ে নবীজি তাকে তুলে নেন আপন বিছানায়। পরে নবীজি রিহানাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে তাকে বিবাহের পরামর্শ দিলে রিহানা তা করতে অস্বীকার করে। তাই রিহানা তার জীবন কাটায় রসুলুল্লাহর বিছানায় তাঁর যৌন দাসী হিসেবে। এছাড়াও ইসলামের ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি যে নবীজি নিজে তাঁর দুই জামাতা, আলী ও উসমানকে উপহার দিয়েছেন সুন্দরী যুদ্ধবন্দিনীদের যেন তারা ঐ বন্দিনীদেরকে অতিরিক্ত যৌন দাসী হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এই হল নবীজির নৈতিক চরিত্রের উদাহরণ—যার উদাহরণ ইসলামী চিন্তাবিদরা আমাদেরকে বলেন অনুসরণ করতে।
এরপরেও জুয়েইরার কথা এসে যায়। নবীজি এই অপূর্ব সুন্দরী, বিবাহিতা, অল্প বয়স্কা ইহুদী মেয়েটিকে বনী মুস্তালিকের যুদ্ধে পেয়ে যান যুদ্ধবন্দিনী হিসাবে। আরও পেয়েছেন সফিয়াকে খাইবারের যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে। এইসব বিষয়ে বেশ কিছু লেখা পড়া যেতে পারে বিভিন্ন জায়গায়। ইসলামী পণ্ডিতেরা এই সব ঘটনায় শুধু দেখেন নবীজির মাহাত্ম্য। তাঁরা বলেন, দেখুন রসুলুল্লাহ কত মহান, উদার, এবং করুণাময় ছিলেন। তিনি ঐ সব অসহায় যুদ্ধ-বন্দিনীদের বিবাহ করে তাদেরকে যথাযথ মর্যাদা দিয়েছেন। অনেক ইসলামী বিশারদ এই বলেন যে ঐ সব মহিলারা, যাদের স্বামী, ভ্রাতা ও পিতাদের নবীজি হত্যা করেছেন, তারা নাকি নবীজিকে দেখা মাত্র তাঁর প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকে। তাই ঐ যুদ্ধ-বন্দিনীদের অনুরোধেই রসুলুল্লাহ তাদেরকে বিবাহ করেন।
কি অপূর্ব কথা আমার শুনছি এই সব ইসলামী মিথ্যাচারীদের কাছ থেকে।
নবীজির এহেন আচরণকে অনৈতিক, নোংরা, জঘন্য ও বর্বরোচিত বলা ছাড়া আর কোন ভাষা আমরা পাই না।
এই যুগে অনেক উচ্চ শিক্ষিত মুসলিম পণ্ডিতেরা বলেন যে যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে সহবাসের নিয়ম নবীজির সময় ছিল—এখন তা করা যাবেনা। কি মিথ্যা কথায়ই না তাঁরা বলে যাচ্ছেন। কারণ কোরান, হাদিস মুসলিমদেরকে পরিষ্কার বলে দিচ্ছে যে মোহাম্মদের উদাহরণ প্রত্যেক মুসলিমের অনুসরণ করা বাধ্যবাধকতামূলক। উনি যেমন ভাবে গোসল করেছেন, যেমন ভাবে পানি পান করেছে, যেমন ভাবে মল মূত্র ত্যাগ করেছেন, যেমন-ভাবে নারী দেহ উপভোগ করেছেন—এই সব কিছুই মুসলিমদের অনুকরণ করতে হবে। তাই নবীজি যেমন ভাবে যুদ্ধ বন্দিনীদের সাথে সহবাস করেছেন আজকের সমস্ত মুসলিমদের জন্যও তা অবশ্য করনীয়।
রসুলুল্লাহর উদাহরণ থেকে যুদ্ধ বন্দিনীদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যে আজও ফরজ তার সব চাইতে প্রকৃষ্ট প্রমাণ পাই আমরা বাংলাদেশেই। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি ইসলামী সৈন্যরা বাংলাদেশে গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যায় প্রায় তিরিশ লাখ নিরীহ বাঙালি প্রাণ হারায়। এছাড়াও পাকিস্তানি জাওয়ান আমাদের দেশের অগণিত মহিলাদের (তার সংখ্যা হবে আড়াই-লক্ষের মত) যুদ্ধ বন্দিনী হিসাবে (গনিমতের মাল) ধরে নিয়ে যায়, যৌন উৎপীড়ন চালায় এবং অনেককে যৌন সঙ্গমের পর হত্যা করে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধ অপরাধ অনুযায়ী এ এক বিশাল অপরাধ এবং এর বিচারে দোষীরা মৃত্যুদণ্ড পেতে পারে। কিন্তু হায়! ইসলামী আইন কি বলছে? ঐ সব ইসলামী সৈন্যরা কোন অপরাধই করেনি। ওরা যে নবিজীর উদাহরণ পালন করেছে মাত্র।
এখন দেখুন হাদিস কি বলেছে এ ব্যাপারে।
সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১৫০:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন: হুনাইন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্র রসুল আওতাসে এক অভিযান চালালেন। মুসলিম সৈন্যরা তাদের শত্রুকে মোকাবেলা করল এবং তাদেরকে পরাজিত করল। তারা অনেক যুদ্ধবন্দিনী পেল। যুদ্ধবন্দিনীদের কাফের স্বামীরা একই স্থানে থাকার দরুন রসুলুল্লাহর অনেক সাহাবি তাদের হাতে গচ্ছিত বন্দিনী কাফের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করতে বিব্রত বোধ করলেন। এই সময় আল্লাহ্ নাজেল করলেন কোরানের আয়াত ৪:২৪:
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য—ব্যভিচারের জন্যে নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ্ হবে না। যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ্ সু-বিজ্ঞ, রহস্য-বিদ।
এই আয়াতের মানে পরিষ্কার—মুসলিম সৈন্যরা তাদের হাতে পাওয়া গনিমতের মাল, তথা যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে অবাধ সহবাস করতে পারবে—এমনকি যখন ঐ সব ‘মালের’ কাফের স্বামীরাও আশেপাশে থাকবে।
দেখা যাক এই হাদিসটা।
সহিহ মুসলিম বই ৮, হাদিস ৩৪৩২
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
হুনায়েন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্র রসুল আওতাসে এক সৈন্যদল পাঠালেন। তারা শত্রুর সাথে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করল। এরপর মুসলিম সৈন্যরা যুদ্ধবন্দি নিলো। মহিলা বন্দিদের সাথে তাদের পৌত্তলিক স্বামীরাও ছিল। নবীজির সাহাবিরা ঐ মহিলাদের সাথে তাদের স্বামীর সামনে সহবাস করতে নারাজ থাকলেন। এই সময় আল্লাহ পাঠিয়ে দিলেন এই আয়াত: “এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। (৪:২৪)”
অনেকেই হয়ত ভাববেন এই ধরণের যৌন ক্রিয়া হয়ত শুধুমাত্র সাধারণ ইসলামী সৈনিকদের মাঝেই সীমিত ছিল। কেননা এরা অনেক দিন যুদ্ধে থাকার কারণে সহবাসের জন্য অধীর হয়ে উঠেছিল। ইসলামের যেসব বড় বড় রত্ন আছেন তাঁরা কোন ভাবেই এই ধরণের বর্বরোচিত কর্ম করতে পারেন না। কিন্তু দেখুন নিচের হাদিসটা। এই হাদিসে আমরা জানতে পারছি যে রসুলুল্লাহ তাঁর জামাতা আলীকে যুদ্ধ বন্দিনী উপহার দিলেন যৌন উপভোগ করার জন্যে। এই সময় আলী রসুলুল্লাহর কন্যা ফাতেমার সাথে বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু তাতে কি আসে যায়? কেউ যখন এই নোংরা ব্যাপারটি নিয়ে প্রশ্ন তুলল, তখন নবীজি এমনও বললেন যে আলী এর চাইতেও বেশী (অর্থাৎ যৌন সম্ভোগ) পাবার অধিকার রাখে। এই হচ্ছে রসুলুল্লাহর নৈতিক চরিত্রের উদাহরণ।
সহিহ বোখারি, ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৬৩৭:
বুরায়দা বর্ণনা করলেন:
রসুলুল্লাহ আলীকে খালেদের কাছে পাঠালেন খুমুস (যুদ্ধে লব্ধ মাল) নিয়ে আসার জন্যে। আমি আলীকে ঘৃণা করতাম। সে সময় আলী গোসলে ছিলেন (এক যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে সহবাস করার পর)। আমি খালেদকে বললাম: আপনি কি তাকে দেখলেন (অর্থাৎ আলীকে)? আমরা নবীজির কাছে পৌঁছিলে তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করলাম। তিনি বললেন: “হে বুরায়দা, তুমি কি আলীকে ঘৃণা কর?” আমি বললাম: “জী হ্যাঁ”। তিনি বললেন: “তুমি তাকে ঘৃণা করছ, তবে সে তো ঐ খুমুস থেকে আরও বেশী পাবার যোগ্য”।
এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, কোন যুদ্ধ বন্দিনী যদি গর্ভবতী থাকে কিংবা জিহাদিদের সাথে সহবাস করার ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে তবে তার কি হবে? এ ব্যাপারে ইসলামের উত্তর আছে। নবীজি যুদ্ধ বন্দিনী ধরার পর সেগুলো তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের মাঝে বিতরণ করে দিতেন—নিজের জন্যে খাসা ‘মাল’ টি রেখে। জিহাদিরা সাধারণত: তাদের স্ব স্ব ভাগে পড়া ‘মালের’ সাথে সহবাস করে ঐ ‘মাল’ টি মদিনার অথবা নিকটবর্তী ক্রীতদাসের বাজারে বিক্রি করে নগদ টাকা নিয়ে নিত। ‘মাল’ কুৎসিত, বৃদ্ধা, মোটা, রুগ্ণা থাকলে অনেক কম দাম পেত। আর ‘মাল’ যদি গর্ভবতী হত তো সেই মালের প্রায় কোন মূল্যই থাকত না। তাই জিহাদিরা এমনভাবে তাদের স্ব স্ব ‘মালের’ সাথে যৌন সংযোগ করতো যেন ‘মাল’ গর্ভবতী না হয়ে যায়। সেই যুগে তো আধুনিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না। তাই জিহাদিদের জন্যে একটি পথই খোলা ছিল—তা ছিল ‘আজল’। এই আরবি শব্দের সঠিক বাংলা কি জানা নাই। তবে এর সরাসরি মানে হচ্ছে যোনির বাইরে বীর্যপাত করা। অর্থাৎ চরম পুলকের (orgasm) মুহূর্তে পুংলিঙ্গ যোনির বাইরে এনে বীর্যপাত ঘটান। অনেক জিহাদি আবার এই ভাবে অতীব যৌন সুখ উপভোগ করতে পছন্দ করত। কেননা তারা সহজে তাদের স্ত্রীর সাথে এইভাবে যৌন উপভোগ করতে পারত না—ইসলামী আইন বলে যে স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া ‘আ্জল’ করা যাবেনা। শুধুমাত্র ক্রীতদাসী অথবা যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে ‘আজল’ করা যাবে কোন অনুমতি ছাড়াই। আজকের দিনেও এই ইসলামী আইন বলবত থাকছে।
এ ব্যাপারে দেখা যাক কিছু হাদিস।
সহিহ্ বোখারী ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৪৫৯:
ইবনে মুহাইরিয বর্ণনা করেছেন:
আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম এবং আবু সাইদ আল খুদরিকে দেখলাম। আমি তাঁর পাশে বসে পড়লাম। তাঁকে আজল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আবু সাইদ বললেন: “আমরা আল্লাহ্র রসুলের সাথে বনি মুস্তালিকের যুদ্ধে গেলাম। আমরা আরব যুদ্ধবন্দিনী পেলাম। আমাদের জন্যে কৌমার্য (celibacy) পালন করা অসাধ্য হয়ে উঠেছিল। তাই আমরা চাইলাম সহবাস করতে। সত্যিই আমরা আজল করতে ভালবাসতাম। তাই আমরা যখন আজল করার সিদ্ধান্ত নিলাম তখন চিন্তা করলাম: “রসুলুল্লাহ আমাদের সাথে আছেন, এমতাবস্থায় আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা না করে কি ভাবে আজল করি?” আমরা তাঁকে আজলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তর দিলেন: “তোমাদের জন্যে উত্তম হবে এটা না করা কেননা যা জন্ম হবার তা হবেই।“
সহিহ্ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: “তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: “আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে”।
বলা বাহুল্য, ইসলামের এহেন নৈতিক নিম্নতায় অনেক শিক্ষিত ইসলামী বিশারদরা লজ্জিত হয়ে থাকেন। তাই ইসলামের লজ্জা চাপা দিবার জন্যে অনেক কিছুও বলে থাকেন—যেমন: আমাদের এসব দেখতে হবে স্থান, কাল, ও প্রসঙ্গ ভেদে। অনেকেই বলেন ইসলামকে ভুল বুঝা হচ্ছে, ইসলাম বুঝতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করা দরকার, এই ব্যাপারে ইসলামের পণ্ডিতদের সাথে আলোচনা করা দরকার…এই সব কত বিচিত্র যুক্তি। অনেকে এমনও যুক্তি দেখান যে ঐ সব বন্দিনীদেরও যৌন ক্ষুধার নিবৃত্তি হচ্ছে—তাই মন্দ কি? যখন প্রশ্ন করা হয়—আজকের দিনেও কি ঐ ইসলামী প্রথা মানা যাবে কি না, তখন উনারা প্রশ্নটা এড়িয়ে যাওয়া পছন্দ করেন—হয়ত বা বলবেন: “দেখুন এ ব্যাপারে ইসলামে ন্যায়সঙ্গত নিয়ম কানুন আছে। তাই ইসলাম যা করবে তা ভালোর জন্যেই করবে”।
এ ব্যাপারে এক ইসলামী মওলানাকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর পরিষ্কার উত্তর হল আজকের দিনেও ঐ ইসলামী নিয়ম প্রযোজ্য এবং আজকেও যদি ইসলামী জিহাদিরা কাফের রমণী লাভ করে যুদ্ধবন্দিনী হিসাবে তবে তারা বিনা বাধায় ঐ রমণীদের সাথে সহবাস করতে পারবে।
এই প্রশ্নের উত্তর যে ওয়েব সাইটে দেওয়া হয়েছিল সেই ওয়েব সাইট বোধ করি এখন অচল। তবুও আগ্রহী পাঠকেরা চেষ্টা করতে পারেন:
http://www.binoria.org/q&a/miscellaneous.html#possessions
এখন আমাদের কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে গেল ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সৈন্যেরা কেন তাদের বাঙ্গালি নারী যুদ্ধবন্দীদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি, বিন্দুমাত্র তাদের বিবেক বিচলিত হয়নি—এ সব তো ইসলামে সিদ্ধ। আর তা ছাড়াও বেশীরভাগ বাঙ্গালিরা তো আসল মুসলমান নয়। তাই তাদের রমণীদের সাথে যদি পাকিস্তানি ইসলামী সৈন্যরা সহবাস করে তবে তো ঐ সৈন্যরা এক বিশেষ অনুগ্রহ করছে। আর এর ফলে যদি কোন বাচ্চা পয়দা হয় তা তো আল্লাহ্ পাকের অশেষ অবদান। সেই শিশু হবে খাঁটি মুসলিম।
ক্রীতদাসীদের সাথে সহবাস করা
এই বিষয়টাও আলোচনা করা দরকার। এর আগে আমরা দেখেছি মুসলিমরা কেমন স্বাচ্ছন্দ্যে যুদ্ধে লব্ধ বন্দিনীদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। এই ‘হালাল’ পদ্ধতিতে মুসলিমদের অগাধ যৌন ক্ষুধার নিবৃত্তি না হলে তার ব্যবস্থাও ইসলামে আছে। দাস প্রথা ইসলামে সর্বদায় আছে এবং থাকবে। আপনি গুগল ঘেঁটে দেখবেন যে অনেক বিশাল বিশাল ইসলামী আলেমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন যে আজও ইসলামে দাস দাসীর বেচা কেনা চলতে পারে। এই রকম ভাবে কোন ক্রীতদাসী কিনে তার সাথে সহবাস করা একেবারে ‘হালাল’।
আসুন, এবার আমরা ইসলামী বই ঘেঁটে কিছু মজার ব্যাপার জেনে নেই।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০:
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে। ইয়াহিয়া বললেন যে আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ক্রীতদাসীরা তাঁর পা ধৌত করতো এবং তাঁর কাছে খেজুর পাতার তৈরি এক মাদুর নিয়ে আসত। সে সময় তারা ঋতুমতী ছিল।মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল কোন এক ব্যক্তি গোসল করার আগেই কি তার সব ক্রীতদাসীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? তিনি (অর্থাৎ মালিক) উত্তর দিলেন যে গোসল ছাড়াই পরপর দুইজন ক্রীতদাসীর সাথে সহবাসে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যখন কোন স্বাধীন স্ত্রীর সাথে সহবাসের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্বাধীন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে না। কিন্তু এক ক্রীতদাসীর সাথে যৌন সঙ্গমের পর সাথে সাথে অন্য ক্রীতদাসীর সাথে সহবাস করা আপত্তিকর নয়—যদিও তখন লোকটি জুনুব (সহবাসের পর তার কাপড়ে অথবা দেহে বীর্য ও অন্যান্য কিছু লেগে থাকা)।
এরপর মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল। এক ব্যক্তি সঙ্গম করল এবং জুনুব হয়ে গেল। তার কাছে পানি আনা হল গোসলের জন্য। সে ভুলে গেল গোসল করতে। পানি উত্তপ্ত না শীতল তা জনার জন্যে সে তার আঙ্গুল ডুবিয়ে দিল পানির মাঝে”। মালিক উত্তর দিলেন: “তার আঙ্গুলে যদি কোন ময়লা না থাকে তবে আমার মনে হয় না ঐ পানিকে দুষিত বলা যাবে”।
নিচের হাদিসে আমরা জানব যে খলীফা উমর দ্বারা নিষিদ্ধ করার আগে কি জঘন্য কায়দায় এক ক্রীতদাসী ও তার কন্যার সাথে যুগপৎ সহবাস করা হত। ঐ ধরনের সহবাস করা যায় দুই ক্রীতদাসীর সাথে যারা সহোদরা ভগ্নী।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৪.৩৩:
ইয়াহিয়া—মালিক—ইবনে শিহাব—ওবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ—ইবনে উতবা ইবনে মাসুদ—তাঁর পিতা থেকে। ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন: উমর আল খাত্তাবকে জিজ্ঞাসা করা হল: এক ব্যক্তির কাছে এক ক্রীতদাসী ও ক্রীতদাসীর কন্যা আছে। এখন ঐ ব্যক্তি কি পারবে ক্রীতদাসী ও তার তার কন্যার সাথে পরপর সহবাস করতে? উমর বললেন: “আমি এ রকম করা পছন্দ করি না”। এর পরে উমর এই প্রথা নিষিদ্ধ করে দিলেন।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৪.৩৪:
ইয়াহিয়া—মালিক—ইবনে শিহাব—কাবিসা ইবনে দুবায়েব থেকে।
ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন:
এক ব্যক্তি উসমানকে জিজ্ঞাসা করল: এক ব্যক্তির কাছে দুই সহোদরা বোন আছে ক্রীতদাসী হিসাবে। ঐ ব্যক্তি কি এই দুই ভগিনীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? উসমান উত্তর দিলেন: “এক আয়াতে বলা হয়েছে এই প্রথা হালাল; অন্য আয়াতে বলা হয়েছে হারাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ভাবে সহবাসের পক্ষপাতী নই”। ব্যক্তিটি উসমান থেকে বিদায় নিলো। তার পর সে রসুলুল্লাহর এক সাহাবির সাথে দেখা করল এবং ঐ একই প্রশ্ন রাখল। সাহাবি উত্তর দিলেন: “ আমার জানা মতে কেউ যদি এমন সহবাস করে তবে তাকে আমি দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিব”।ইবনে শিহাব বললেন: “আমার মনে হয় উনি (সাহাবি) ছিলেন আলী ইবনে আবু তালিব”।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৫.৩৮:
ইয়াহিয়া—মালিক—ইবরাহিম ইবনে আবি আবলা—আবদ আল মালিক ইবনে মারোয়ান থেকে।
ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন:
ইবনে মারোয়ান তাঁর এক বন্ধুকে এক ক্রীতদাসী দিলেন। পরে ইবনে মারোয়ান বন্ধুকে ক্রীতদাসী সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। বন্ধু উত্তর দিলেন: আমি চাচ্ছিলাম ক্রীত দাসীকে আমার ছেলের হাতে দিবো যাতে ছেলেটি তার সাথে যেমন খুশী তাই করতে পারে”। আবদ আল মালিক বললেন: “মারোয়ান আপনার চাইতে অনেক বিবেকবান ছিলেন। তিনি তাঁর এক ক্রীতদাসী তাঁর ছেলেকে দিলেন এবং বললেন: “তুমি এই দাসীর ধারে কাছে যাবে না, কেননা আমি তার উন্মুক্ত পা দেখেছি”।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৯.১৭.৫১:
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর বললেন:
কোন ব্যক্তি যদি তার ক্রীতদাসকে বিবাহ করার অনুমতি দেয়, তবে তালাকের ভার থাকে ক্রীতদাসের হাতে। এ ব্যাপারে কারো কোন কিছু বলার অধিকার থাকবে না। এক ব্যক্তি যদি তার ক্রীতদাসের কন্যা অথবা তার ক্রীতদাসীর কন্যা নিয়ে নেয় তবে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৯.৩২.৯৯:
ইয়াহিয়া—মালিক—দামরা ইবনে সাইদ আল মাজনি—আল হাজ্জাজ ইবনে আমর ইবনে গাজিয়া থেকে:
উনি (অর্থাৎ আল হাজ্জাজ) জায়েদ ইবনে সাবিতের সাথে বসে ছিলেন। এই সময় ইয়ামান থেকে ইবনে ফাহদ আসলেন। ইবনে ফাহদ বললেন: “আবু সাইদ! আমার কাছে ক্রীতদাসী আছে। আমার কোন স্ত্রীই এই ক্রীতদাসীদের মত উপভোগ্য নয়। আমার স্ত্রীর কেউই এমন তৃপ্তিদায়ক নয় যে আমি তাদের সাথে সন্তান উৎপাদন করতে চাই। তা হলে কি আমি আমার স্ত্রীদের সাথে আজল করতে পারি?” জায়েদ ইবনে সাবিত উত্তর দিলেন: “হে হাজ্জাজ, আপনি আপনার অভিমত জানান”। আমি (অর্থাৎ হাজ্জাজ) বললাম: “আল্লাহ্ আপনাকে ক্ষমা করুন। আমরা আপনার সাথে বসি আপনার কাছে কিছু শিক্ষার জন্যে”। তিনি (অর্থাৎ জায়েদ) বললেন: “আপনার মতামত জানান”। আমি বললাম: “ঐ ক্রীতদাসী হচ্ছে তোমার ময়দান। তুমি চাইলে সেখানে পানি ঢাল অথবা তৃষ্ণার্ত রাখ। আমি এইই শুনেছি জায়েদের কাছ থেকে”। জায়েদ বললেন; “উনি সত্যি বলেছেন”।
চলবে (১০ম পর্বে)।
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-১)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-২)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-৩)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-৪)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-৫)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-৬)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-৭)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-৮)
ইসলাম পূর্ব যুগে আরবে দাসীর সন্তানরাও ছিল দাস অথচ ইসলাম বললো দাসীর সন্তান নারী বা পুরুষ হোক সে মুক্ত। ইসলাম প্রথম ধর্ম যা বংশানুক্রমিক দাস প্রথা নিষিদ্ধ করেছে। এর ফলে কেউ যুদ্ধবন্ধী হয়ে দাস হয়ে গেলেও তার সন্তান মুক্ত স্বাধীন নাগরিক হয়ে গেলো। এটাই তো প্রকৃত সমাধান।
আপনি বললেন তাদের নেতৃত্বের অধিকার নাই , ইসলাম বললো “তোমাদের নেতার আনুগত্য করো যদিও সে একজন হাবশী দাসও হয়।” (বিদায় হজের ভাষণ)
ইসলাম বলেছে যুদ্ধ জয় করা এলাকার শত্রু পক্ষের নারীরা তোমাদের সম্পদ। দুনিয়ার এমন কোনো সভ্যতা আছে , যেখানে বলা হইসে শত্রুপক্ষকে ফুলের মালা দিয়ে যত্ন করে বরণ করতে হবে?
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবীরা কেমন সেটা তাদের স্ত্রীদের জবানিতেই বর্ণিত আছে। ওই যে বুখারীর আর মুয়াত্তা মালিকের বর্ণনাতেই আছে। তারা স্বামীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। যার স্বামী সে আঘাত না পাইলে ১৫০০ বৎসর পর আপনার আঘাতের কারণ কি?
আর কিছু কথা আপনি বলেছেন , যেমন কারো জাহাজ আক্রমণ করে তাকে দাস বানিয়ে ফেলা , এটা অপরাধ হইসে। ইসলামী শাসন না থাকলে খিলাফতের অনুমতি না থাকলে জেক তাকে আক্রমণ করে দাস বানানোর অনুমতি ইসলাম দেয় নাই।
আর মূল যে বিষয়ে এই প্রবন্ধ , যুদ্ধবন্দি দাসী, রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাস দাসীদের ব্যাপারে বলেছেন : তোমরা যা খাও তাদেরকেও তাই খাওয়াও, তোমরা যা পড়ো তাদেরকেও তাই পড়াও।
এই কথাটিও বুখারিতে আছে , অথচ আপনি সেটা লিখলেন না।
যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে সেটার আলোচনাতেও অনেক কিছু এড়িয়ে গেছেন ,
আল্লাহ তালা নিজে দাস দাসীদের বিয়ে দিতে আদেশ দিয়েছেন।
আয়াতসূত্র-৪: দাসীদের বিবাহ প্রদানের নির্দেশ
“তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। [২৪:৩২]”
খলিফা উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু ইচ্ছামতো যৌনাচারের কারণে ইসলামের এক সৈনিকের পাথর মেরে হত্যার আদেশ দিযেছেন।
হারুন ইবনুল আসিম বর্ণনা করেন: উমর ইবনুল খাত্তাব(রা.) খালিদ বিন ওয়ালিদ(রা.)-কে সৈন্যবাহিনীসহ প্রেরণ করেন এবং খালিদ (রা.) সৈন্যদলসহ জিরার ইবনুল আযওয়ারকে প্রেরণ করেন, আর তারা আসাদ গোত্রের একটি এলাকা দখল করেন।
তারা একটি সুন্দরী নারীকে বন্দি করেন এবং জিরার তার প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি তার সঙ্গীদের থেকে তাকে (নারীটিকে) চাইলেন, তারা দিয়ে দিল এবং তিনি তার সাথে সঙ্গম করলেন। উদ্দেশ্য পূর্ণ হবার পর কৃতকর্মের জন্য তিনি অনুতপ্ত হলেন এবং খালিদ(রা.)এর নিকট গিয়ে এ সম্পর্কে বললেন। খালিদ(রা.) বললেন, অবশ্যই আমি তোমার জন্য এর অনুমোদন ও বৈধতা প্রদান করছি।
জিরার বললেন, “না, উমরকে চিঠি না পাঠানো পর্যন্ত নয়।” উমর উত্তরে লিখলেন, তাকে রজম (প্রস্তারাঘাতে হত্যা) করতে হবে। কিন্তু চিঠি পৌঁছবার আগেই জিরার ইন্তেকাল করলেন। খালিদ(রা.) বললেন, “আল্লাহ জিরারকে অপমানিত করতে চাননি।” [সূত্র: বায়হাকি’র সুনান আল কুবরা, হাদিস নং ১৮৬৮৫]
লক্ষ্য করুন:
১ খলিফা বা খলিফা হতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক বণ্টন হবার আগে যুদ্ধবন্দিনীর সাথে সহবাস করা যে অবৈধ সেটা সুবিদিত ছিল।
২ উক্ত কর্মটিকে ব্যভিচার হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কেননা, উমর(রা.) এক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে ব্যভিচারের হদ নির্ধারণ করেছেন।
আরো একটি বিষয় এড়িয়ে গেছেন , যার দাসী একমাত্র সেই যৌন মিলন করতে পারবে। এমন কি কেউ তার নিজের স্ত্রীর দাসীর সাথেও মিলিত হতে পারবে না। তা হারাম।
নুমান ইবনে বশির হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন যে তার স্ত্রীর ক্রীতদাসির সাথে সহবাস করেছিল: যদি সে (অর্থাৎ স্ত্রী) তাকে (অর্থাৎ ক্রীতদাসিকে) তার (অর্থাৎ তার স্বামীর) জন্য হালাল করে থাকে, তাকে (পুরুষটিকে) একশ বেত্রাঘাত করা হবে; আর যদি সে তাকে তার জন্য হালাল না করে থাকে, আমি তাকে রজম (প্রস্তরাঘাতে হত্যা) করব। [সূত্র: আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৪৫৯]
আপনি ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পাকিস্তানী সৈনিকদের পক্ষে ইসলামী দলিল দিলেন , অথচ বিনা অপরাধে একজন মাত্র মানুষকে হত্যা করা সমগ্র মানব জাতিকে হত্যা করার সমান এই কথা ইসলাম ঘোষণা দিয়েছে। ৭১ও ইসলাম কে ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু ইসলাম মানা হয় নাই।
এভাবে অনেক কিছুই আপনি কুৎসিত ভাবে আলোচনার উদ্দ্যেশ্যে লুকিয়েছেন। এবং ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার নাম দেখে মনে হলো মুসলিম। আসেন ভাই দ্বীনকে জানার চেষ্টা করি। দ্বীনকে বুঝার চেষ্টা করি। আল্লাহ সর্বজ্ঞ , সবচেয়ে ভালো বিচারক , সব চেয়ে সুন্দর ব্যাবস্থাপনা করি। আল্লাহ আপনাকে হিদায়াত দেন। আমিন।
দাসীসেক্স, যুদ্ধবন্দী সেক্স, দাসপ্রথা ও গণিমতের মাল নিয়ে মুমিনদের অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের জবাবঃ
অপপ্রচারঃ (১) দাসপ্রথা, দাসী/যুদ্ধবন্দী সেক্স ইসলামের উদ্ভাবন নয়, বরং তা ইসলামে বহু পূর্ব থেকেই চলে আসছিল। যুগ যুগ ধরে চলে আসা অমানবিক এই প্রথাকে ইসলাম মানবিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
জবাবঃ
[দাসপ্রথা, দাসী/যুদ্ধবন্দী সেক্স ইসলামের উদ্ভাবন নয়, বরং তা ইসলামে বহু পূর্ব থেকেই চলে আসছিল।]
১.
এই দাসপ্রথা, দাসী/যুদ্ধবন্দী সেক্স ছাড়া অন্য কোন ইসলামপূর্ব যুগের প্রথাকে ইসলাম সমর্থন করেছে? তৎকালীন সময়ে তো পালকপুত্রকে নিজের পুত্র মনে করা হতো এবং পালকপুত্রের স্ত্রীকে বিবাহ করা হারাম মনে করা হতো। ইসলাম কি এই প্রথা সমর্থন করেছে? বরং আমরা দেখি মুহাম্মদ (সঃ) এর সাথে জয়নবের বিয়েকে বৈধ করার জন্য সূরা আহযাব আয়াত ৪, ৩৭ নাযিল হয় যেখানে বলা হয়েছে পালকপুত্র নাকি পুত্রই না এবং পালকপুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করলেও কোনো অসুবিধা নেই। এই একটা বিয়ে বৈধ করার জন্য একটা সম্পর্ককে অস্বীকার করা হয়েছে, পালকপুত্রদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সেদিকে নাই বা গেলাম, কিন্তু এখানে ইসলামপূর্ব যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথাকে কেন মান্যতা দিল না ইসলাম? ইসলামপূর্ব যুগের প্রথাকে মান্যতা দেওয়া কি শুধু দাসপ্রথা, দাসী/যুদ্ধবন্দী সেক্স এর বেলায়ই প্রযোজ্য? আসল কথা, দাসপ্রথা, দাসী/যুদ্ধবন্দী সেক্স ইসলামের স্বার্থ বিরোধী নয়, বরং ইসলামের জন্য সুবিধাজনক। কিন্তু পালকপুত্র প্রথা নবী(সঃ) এর স্বার্থবিরোধী। ইসলাম নিজের স্বার্থ অনুযায়ী সবকিছু হালাল, হারাম করবে অথচ মুমিনরা দোষ চাপাবে ইসলামপূর্ব যুগের উপর, এগুলো কোন ধরনের ডবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ?
২.
ইসলামপূর্ব যুগে মূর্তিপুজা করা হতো। ইসলাম কি মূর্তিপূজাকে বৈধতা দিয়েছে? অবশ্য আমার মনে হয় বাহ্যত বৈধতা না দিলেও অনুসরণ ঠিকই করেছে। ভারত, ইউরোপ, আমেরিকা থেকে কাবাঘরের দিকে মুখ করে সিজদা তেমন একটা মূর্তিপূজার মতো মনে হয় না। কিন্তু যখন ঠিক কাবাঘরের চারদিকে নামায পড়ার সময় সিজদা দেয়, কাবাঘরের একদম সামনে; সেটাকে তো মূর্তিপূজা বললেও ভুল হবে। বলতে হবে মূর্তিপূজা টু দি পাওয়ার ইনফিনিটিভ। কারণ মূর্তিপুজারীরা তাও মূর্তির সামনে মুখ করে অর্থাৎ একদিকে মুখ করে পূজা করে কিন্তু মুমিনরা কাবাঘরের চারদিকে গোল হয়ে সিজদা করে।
৩.
কোন জিনিসটা ইসলামের উদ্ভাবন? ইসলামের কোনো বিষয়ই তো ইসলামের উদ্ভাবন নয়। নামায, রোজা থেকে শুরু করে সুন্নতে খাৎনা পর্যন্ত সবই হয় ইহুদি না হয় খ্রিস্টান না হয় পৌত্তলিকদের থেকে কপি করা। তখনতো তারা বলেন না, নামায ইসলামের উদ্ভাবন নয়, রোজা ইসলামের উদ্ভাবন নয়; বরং আমরা এগুলো ইহুদি ধর্ম থেকে কপি করেছি। তারা অন্য কথা বলে। ইহুদিরা নাকি সবচেয়ে অভিশপ্ত জাতি, কিন্তু সেই অভিশপ্ত জাতির প্রার্থনা পদ্ধতি নামায কপি করে ইসলামে পেস্ট করে বলে, নামায হলো মুমিন ও কাফিরের মধ্যে পার্থক্যকারী। সেই অভিশপ্ত জাতির প্রার্থনা পদ্ধতি রোজা কপি করে ইসলামে পেস্ট করে বলে, রমজান মাসের একটা রোজা না রাখলে বিনিময়ে টানা ৬০ দিন রোজা রাখতে। তখন বলে না, এগুলো তো ইসলামের উদ্ভাবন নয়; এগুলো আমরা ইহুদিদের থেকে কপি পেস্ট করেছি। আর দাসপ্রথা, দাসী/যুদ্ধবন্দী সেক্সের বেলায় তাদের সুর পাল্টে যায়।
৪.
ইসলামপূর্ব যুগে নাকি আরবরা উলঙ্গ হয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ করতো। ইসলামের তাহলে উচিত ছিল এই প্রথাকে পুরোপুরি বিলুপ্ত না করে সীমিত পর্যায়ে নামিয়ে আনা। অর্থাৎ জাহেলিয়াতের মানুষরা উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করলে মুমিনরা তাওয়াফ করবে আন্ডারপ্যান্ট পরে। কিন্তু তখন তো ইসলামপূর্ব প্রথার প্রতি মান্যতা দেওয়া হয়নি। দাসপ্রথা, দাসী/যুদ্ধবন্দী সেক্সের বেলায়ই শুধু তাদের সুর পাল্টে যায়।
[যুগ যুগ ধরে চলে আসা অমানবিক এই প্রথাকে ইসলাম মানবিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।]
আসুন আমরা কিছু সহীহ হাদীস থেকে দেখি ইসলাম যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে কেমন মানবিক আচরণ করেছেঃ
আমরা জানি ইসলামের বেশিরভাগ যুদ্ধ কোনো যুদ্ধই ছিল না। যুদ্ধের নামে সবই ছিল ডাকাতি, লুটতরাজ ও অতর্কিত আক্রমণ। বনু মুস্তালিক গোত্র মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করে নি, বরং মুসলিমরাই তাদের উপর অতর্কিত হামলা করেছিল। তাই একে যুদ্ধ বলা যায় না। আসুন সহীহ হাদীস থেকে দেখি বিষয়গুলোঃ
ইবনু ‘আউন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাফি‘ (রহঃ) -কে পত্র লিখলাম, তিনি জওয়াবে আমাকে লিখেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বানী মুস্তালিক গোত্রের উপর অতর্কিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের গবাদি পশুকে তখন পানি পান করানো হচ্ছিল। তিনি তাদের যুদ্ধক্ষমদের হত্যা এবং নাবালকদের বন্দী করেন এবং সেদিনই তিনি জুওয়ায়রিয়া (উম্মুল মু’মিনীন) -কে লাভ করেন। [নাফি‘ (রহঃ) বলেন] ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) আমাকে এ সম্পর্কিত হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি নিজেও সে সেনাদলে ছিলেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৫৪১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
নাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনী মুস্তালিক গোত্রের উপর হঠাৎ করে আক্রমণ করেছিলেন তখন ঐ গোত্রের লোকেরা উদাসীন ছিল। তাদের যুদ্ধরতদের হত্যা করলেন ও তাদের সন্তানদেরকে বন্দী করলেন। নাফি’ (রাঃ) বলেছেন এ সংবাদ আমাকে বিশিষ্ট সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেছেন। [১৩৭৩]
বুলুগুল মারাম, হাদিস নং ১২৬৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বানী মুস্তালিক গোত্রের উপর অতর্কিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের গবাদি পশুকে তখন পানি পান করানো হচ্ছিল। তিনি তাদের যুদ্ধক্ষমদের হত্যা এবং নাবালকদের বন্দী করেন এবং সেদিনই তিনি জুওয়ায়রিয়া (উম্মুল মু’মিনীন)-কে লাভ করেন। [নাফি‘ (রহ.) বলেন] ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার আমাকে এ সম্পর্কিত হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি নিজেও সে সেনাদলে ছিলেন। (বুখারী পর্ব ৪৯ অধ্যায় ১৩ হাদীস নং ২৫৪১; মুসলিম ৩২ হাঃ ১৭৩০)
আল লু’লু ওয়াল মারজান, হাদিস নং ১১২৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
যদিও এটা কোনো যুদ্ধ ছিলো না, তবুও আমরা সহীহ হাদীসের আলোকে দেখি যুদ্ধে আটক করা নারীদের সহিত কেমন টাইপের মানবিক আচরণ করেছে ইসলামঃ
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলেন, তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা বন্দী দাসীর সাথে সঙ্গত হই। কিন্তু আমরা তাদের (বিক্রয় করে) মূল্য হাসিল করতে চাই। এমতাবস্থায় আযল- (নিরুদ্ধ সঙ্গম করা) সম্পর্কে আপনি কী বলেন? তিনি বললেন, আর তোমরা কি এরূপ করে থাক! তোমরা যদি তা (আযল) না কর তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কারণ আল্লাহ তা‘আলা যে সন্তান জন্ম হওয়ার ফায়সালা করে রেখেছেন, তা অবশ্যই জন্ম নিবে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২২৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলেন। এমন সময় আনসারদের এক লোক এসে বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! আমরা তো বাঁদীদের সঙ্গে সংগত হই অথচ মালকে ভালবাসি। কাজেই ‘আযল’র ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কি এ কাজ কর? তোমাদের জন্য এটা করা আর না করা দুটোই সমান। কেননা, যে কোন জীবন যা পয়দা হওয়াকে আল্লাহ্ লিখে দিয়েছেন তা পয়দা হবেই।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৫০)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৬০৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
ইবনু মুহায়রিয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং আবূ সিরমাহ্ (রহঃ) আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। আবূ সিরমাহ্ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আবূ সা’ঈদ! আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘আয্ল সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছেন? তিনি বললেনঃ হাঁ আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে বানূ মুস্তালিক-এর যুদ্ধ করেছি। সে যুদ্ধে আমরা আরবের সবচেয়ে সুন্দরী বাঁদীদের বন্দী করলাম। এদিকে আমরা দীর্ঘকাল স্ত্রী সাহচর্য থেকে বঞ্চিত ছিলাম। অন্যদিকে আমরা ছিলাম সম্পদের প্রতি অনুরাগী। এমতাবস্হায় আমরা বাঁদীদের দ্বারা উদ্দেশ্য হাসিল করার এবং ‘আয্ল করার ইচ্ছা করলাম। কিন্তু আমরা এ কথাও আলোচনা করলাম যে, আমরা কি এ কাজ করতে যাব, অথচ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মধ্যে উপস্হিত রয়েছেন। তাঁর নিকট আমরা কি এ ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করব না! তাই আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ ঐ কাজ না করাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কেননা, আল্লাহ তা’আলা ক্বিয়ামাত পর্যন্ত যত মানুষ সৃষ্টি করার কথা লিখে রেখেছেন সে সব মানুষ সৃষ্টি হবেই। (ই.ফা. ৩৪০৯, ই.সে. ৩৪০৮)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৪৩৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সাহাবারা বন্দীদের সাথে অসভ্যতা করতে চাইল কিন্তু এর ফলে তারা বন্দীরা গর্ভবতী হয়ে গেলে তাদেরকে বাজারে বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়া যাবে না। তাই তারা আযল নামক যুগান্তকারী পদ্ধতি আবিষ্কার করলো যাতে সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে। অর্থাৎ ইতরামিও করা যায় আবার দামও পাওয়া যায়। দেখুন ইসলাম যুদ্ধবন্দী নারীদেরকে একই সাথে সেক্স করা ও সেক্স করার পর বাজারে বিক্রি করার অনুমতিও দিয়েছে। যদি শুধুমাত্র সেক্স করার অনুমতি দিতো, তো বুঝতাম এটা কিছুটা মানবিক আচরণ।
অপপ্রচারঃ (২) ইসলাম যুদ্ধবন্দী নারীদের বন্টন করার মাধ্যমে একজন পুরুষের সাথে সেক্সুয়াল রিলেশনের অনুমতি দিয়েছে, এভাবে ইসলাম তাদেরকে গণধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করেছে।
জবাবঃ
এটা করা হয়েছে মুসলিমদের স্বার্থেই, যুদ্ধবন্দীদের স্বার্থে নয়। তা না হলে কে কোন নারীকে রেপ করবে তা নিয়ে মুসলিমদের নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেত। আর আগেই বলেছি শুধুমাত্র সেক্স করার অনুমতি দিলে, বুঝতাম এটা কিছুটা মানবিক আচরণ। আমরা হাদিসগুলোতে দেখেছি, একই সাথে সেক্স করা ও বিক্রি করা দুইটাই জায়েজ। তাহলে সে নারী প্রথমে যার হাতে বন্দী হয়েছে তার হাতে ধর্ষিত হবে এবং বিক্রি করার পর যার কাছে বিক্রি করা হয়েছে তার দ্বারা ধর্ষিত হবে। এভাবে গণধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা তো দূরের কথা, উল্টো গণধর্ষণের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এই হলো যুগ যুগ ধরে চলে আসা অমানবিক প্রথাটিকে ইসলামের মানবিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার নমুনা।
অপপ্রচারঃ (৩) ইসলাম যেমন মদ্যপানকে একেবারে হারাম না করে পর্যায়ক্রমে হারাম করেছে, এই দাসপ্রথা/যুদ্ধবন্দী/ক্রীতদাসী সেক্স কেও বিলুপ্তিকরণের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
জবাবঃ
আসুন সহীহ হাদীসের আলোকে দেখি এসব বিলুপ্তিকরণের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কিছু নমুনাঃ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর কাছে একটি বাঁদি ছিল যার সাথে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সহবাস করতেন। এতে আয়েশা (রাঃ) এবং হাফসা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাথে লেগে থাকলেন। পরিশেষে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই বাঁদিটিকে নিজের জন্য হারাম করে নিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ্ পাক নাযিল করেনঃ (আরবি) “হে নবী আল্লাহ্ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন তা আপনি নিজের জন্য কেন হারাম করে নিয়েছেন (সূরা তাহরীমঃ ০১) নাযিল করেন।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৯৫৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
রাসূল যেখানে নিজে থেকেই দাসীসেক্সকে হারাম করে নিলেন, আল্লাহ তা আলা রাসূলে করীম (সাঃ) কে এর জন্য জবাবদিহি করছেন কেন হারাম করলেন। এই হলো বিলুপ্তিকরণে পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার একটি নমুনা। আসুন আমরা আরেকটি নমুনা দেখিঃ
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আওতাস’ নামক স্থানে একদল সৈন্য পাঠালেন। তারা শত্রু সৈন্যদের সাথে মুকাবিলা করে তাদের উপর বিজয় লাভ করলেন, তাদের মহিলাদের যুদ্ধ বন্দী করলেন, যাদের মুশরিক স্বামী ছিল। মুসলমানগণ তাদের সাথে সহবাস করা হতে বিরত রইলেন, তখন মহান মহিয়ান আল্লাহ্ তা’আলা (আয়াত-এ) নাযিল করলেনঃ
অর্থঃ “নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ”। (৪:২৪)। অর্থাৎ এরা তোমাদের জন্য হালাল, তবে তাদের ইদ্দতপূর্ণ হওয়ার পর।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৩৩৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সাহাবারা নিজেরাই যেখানে বিবাহিত নারীদের সাথে সহবাস করাকে ঘৃণা করলেন, আল্লাহ সাথে সাথে আয়াত নাজিল করলেন যে এরা তোমাদের জন্য হালাল। এটা হলো বিলুপ্তিকরণের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আরেকটি নমুনা।
এই হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, কেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কোনো নারীকে শাঁখা, সিঁদুর পরা দেখলেই পাকিস্তানি বাহিনী ধরে নিয়ে যেত। শাঁখা, সিঁদুর প্রকাশ করে তারা সধবা নারী আর সধবা নারীদের ধর্ষণ করা সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতের শিক্ষা।
এই আয়াতটি আরো প্রমাণ করে ইসলাম কত আধুনিক একটা ধর্ম। সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা বিশ্বে ফ্রি সেক্সের ব্যাপক প্রচলন হয়। কিন্তু ইসলাম আজ থেকে সেই ১৪০০ বছর আগেই তা উদ্ভাবন করে গেছে। দেখুন, কুরানের এই সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতটি অনুযায়ী মুশরিকরা সধবা হলেও তাদের সাথে সেক্স করা হালাল অথচ তাদেরকে বিয়ে করা হারাম। কারণ কুরানে স্পষ্ট করে বলা আছে, কোনো মুমিনের জন্য মুশরিকদের বিয়ে করা হালাল নয়।
অপপ্রচারঃ (৪) মেয়েরা সেজেগুজে যুদ্ধে যেতো যাতে যুদ্ধবন্দী হলে তারা ভালো মালিক পায়। তারা যদি বাবা,ভাই বা স্বামীর সাথে যুদ্ধের ময়দানে না আসতো, তাহলে তাদের বন্দী হতে হতো না।
জবাবঃ
আচ্ছা বনু মুস্তালিকের যুদ্ধটা কি ছিল? এটা তো কোনো যুদ্ধই ছিল না। এই যুদ্ধেও কি মেয়েরা সাজুগুজু করে বাবা, ভাই, স্বামীর সাথে যুদ্ধের ময়দানে গিয়েছিল নাকি মুসলিম বাহিনীকে যখন দেখল অতর্কিত হামলা চালাতে, তখন বনু মুস্তালিক গোত্রের নারীরা তড়িঘড়ি করে মেকআপ পাউডার নিয়ে আয়নার সামনে বসে পড়েছিল আর মুসলিম যোদ্ধাদের পানে চেয়ে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছিল কখন মুসলিম বাহিনী এসে সুপারহিরোর মতো এন্ট্রি করে আমাদের বাবা ভাই স্বামীদের হত্যা করে আমাদেরকে রেপ করবে। হয়তো তখন বনু মুস্তালিক গোত্রের নারীরা মুসলিম বাহিনীকে দেখে বেশি করে মেকআপ পাউডার মাখছিলো যাতে তার ভাগ্যে কোনো ইয়াং সুপারস্টার/হিরো টাইপের বীর মুসলিম যোদ্ধা পড়ে। আর কিভাবে বললে মুমিনগণের চৈতন্যোদয় হবে?
ইসলামে মদ বহুবিবাহ হারাম অথচ বহুবিবাহের মত বাজে প্রথার সমর্থক
ভাই আবুল কাশেম, মনে রাখবেন মৃত কুকুরকে কেউ লাথি মারে না। ব্যক্তিগত বিদ্বেশ থেকে ধর্মকে অপমান করবেন না। যখন নিজের ভুল বুজবেন তখন অনেক দেরী হয়ে যাবে । আজ যারা এখানে বসে ধর্মকে অপমান করছেন শেষ বয়সে আপনারাই মৃত্যু ভয়ে বড় ধার্মিক হবেন । আল্লাহ্ আপনাদের হেদায়েত দান করুন । আমিন ।
হাসানুল রাব্বি ভাই, এত সুন্দর ভাবে হাদীসগুলো উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ধন্যবাদ দিলেও সেটা অনেক কম হয়ে যাবে আল্লাহ আপনার উপর রহম করুক। এবং আপনাকে সমস্ত প্রকার বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করুক।
ভাই , আপনি সহিহ মুসলিম হাদিস গ্রন্থ থেকে যে উদাহরনটা টানলেন , যেমন –
{সহিহ মুসলিম বই ৮, হাদিস ৩৪৩২
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
হুনায়েন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্র রসুল আওতাসে এক সৈন্যদল পাঠালেন। তারা শত্রুর সাথে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করল। এরপর মুসলিম সৈন্যরা যুদ্ধবন্দি নিলো। মহিলা বন্দিদের সাথে তাদের পৌত্তলিক স্বামীরাও ছিল। নবীজির সাহাবিরা ঐ মহিলাদের সাথে তাদের স্বামীর সামনে সহবাস করতে নারাজ থাকলেন। এই সময় আল্লাহ পাঠিয়ে দিলেন এই আয়াত: “এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। (৪:২৪)}
আর এই ব্লগের আলোচিত পোস্টের লেখক আবুল কাসেম , আপনারই ভাই তার লেখায় একই আয়াতের উদাহরণ টানলেন অন্য বই থেকে –
{ সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১৫০:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন: হুনাইন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্র রসুল আওতাসে এক অভিযান চালালেন। মুসলিম সৈন্যরা তাদের শত্রুকে মোকাবেলা করল এবং তাদেরকে পরাজিত করল। তারা অনেক যুদ্ধবন্দিনী পেল। যুদ্ধবন্দিনীদের কাফের স্বামীরা একই স্থানে থাকার দরুন রসুলুল্লাহর অনেক সাহাবি তাদের হাতে গচ্ছিত বন্দিনী কাফের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করতে বিব্রত বোধ করলেন। এই সময় আল্লাহ্ নাজেল করলেন কোরানের আয়াত ৪:২৪:
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য—ব্যভিচারের জন্যে নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ্ হবে না। যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ্ সু-বিজ্ঞ, রহস্য-বিদ।}
ভাই , সত্যিই ,আপনার সহিহ মুসলিম হাদিস গ্রন্থের উদাহরণ শুনে আমি আক্কেল গুড়ুম , মাগার তারপরও একটা ছোট্ট অথচ গুরুতর মিথ্যা নজরে আসল , আপনারা তো শিওর এর পরিপূর্ণ ইতিহাস জেনে কমেন্ট করেন নি । আমি করছি , আসল হাদিসটিও দেখে এসেছি ,। আসল হাদিস কিন্তু অন্য কথা বলে –
Sahih muslim, the book of marriage(Book no.8) , hadith no – 3432
Abu Sa’id al-Khudri (Allah her pleased with him) reported that at the Battle of Hanain Allah’s Messenger (may peace be upon him) sent an army to Autas and encountered the enemy and fought with them. Having overcome them and taken them captives, the Companions of Allah’s Messenger (may peace te upon him) seemed to refrain from having intercourse with captive women because of their husbands being polytheists. Then Allah, Most High, sent down regarding that:” And women already married, except those whom your right hands possess (iv. 24)” (i. e. they were lawful for them when their ‘Idda period came to an end).
পেছনের ইতিহাস – হুনায়েনের যুদ্ধে জয়লাভের পর কিছু জুদ্ধবন্দিনি হিসেবে আটক করা হয় । ইসলামের শরীয়ত বিধি অনুযায়ী যে সকল বন্দিনির স্বামী যুদ্ধে মারা গিয়েছিল তাদেরকে ডানহাতের অধিকারভুক্ত দাসী (যা তৎকালীন সময়ে স্ত্রী তুল্য) হিসেবে সাহাবাদের প্রদান করা হয় । তারপরও সাহাবারা তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে নারাজ ছিলেন যেহেতু তারা আগে থেকেই বিবাহিত ছিল । তার উদ্দেশেই এই হাদিস । এই হাদিস থেকে আরও একটি পরামর্শ দেওয়া হয় যে , স্বামী হারা স্ত্রীরা একটি নির্দিষ্ট সময় ইদ্দত পালনের পর তার পূর্ববর্তী বৈবাহিক সম্পর্ক হতে মুক্ত হয়ে যায় ।
দেখলেন তো মুসলিম ভাইয়েরা , কিভাবে একটি হাদিসের ভেতর সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটিয়ে দেওয়া হয়েছে যা আমি আমার প্রথম পোস্টে বলেছি । মূল হাদিসে কিন্তু তাদের স্বামীদের ধারে কাছে থাকার কথাও উল্লেখ নেই । উল্টে আরও এক্সট্রা লাইন জুড়ে দেওয়া হয়েছে ,
{ মহিলা বন্দিদের সাথে তাদের পৌত্তলিক স্বামীরাও ছিল }
আমূল পরিবর্তনের কথাই আমি আমার প্রথম পোস্টে বলেছি । মুসলিম ভাইয়েরা আপনারাই বলুন , এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আসলে কি করা উচিত ।
{ Those Captives of Wars while living with the Muslims, would be treated with kindness.
-আসলেই। ইসলামী দাসপ্রথায় সামগ্রিকভাবে মানবিক ব্যাবহারের কথা আছে। তবে তার মাত্রা যুগের সাথেঈ সীমাবদ্ধ। সেই কাইন্ডনেস ভাল খাওয়া পরার মাঝেই সীমাবদ্ধ। সেই কাইন্ডনেসের সংজ্ঞায় তাদের সাথে অবাধ যৌনকর্ম, বাজারে নিয়ে বিক্রয় এসব ছিল না।
হাটে বাজারে গরু ছাগলের মত বিক্রয়কে কাইন্ডনেস ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে? }
ইসলামি শরীয়ত কি জানেন , নাকি না জেনেই কথা বলছেন । ইসলামি শরীয়ত বিধিতে যুদ্ধ বন্দিনীদের ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে –
১। যদি মনে করো তারা নিজেরাই স্বাবলম্বী তাহলে জিজিয়া কর নেবার মাধ্যমে তাদের মুক্ত করে দাও ।তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে জিজিয়া কর নেবার অনুমতি নেই ।
২। যদি তা না হয় তাহলে , পরাজিত গোষ্ঠীর কাছ থেকে মুক্তিপন আদায়ের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করো ।
৩। যদি তাও না হয় , এবং যদি দেখ যে তাদের মুক্ত করে দেবার মাধ্যমে সমাজে বেশ্যাবৃত্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে । তাহলে তাদের ডান হাতের অধিকারভুক্ত দাসী হিসেবে গ্রহণ করো ।
মহানবী (সাঃ) যুদ্ধ বন্দিনি সহ প্রায় ৭২০ জন দাস দাসী মুক্ত করেছিলেন । আবু বকর ২১৪৩ জন । উমর ২৫৬ জন , আলি ৭৬ , উসমান ৫২ জন সহ বহু সাহাবারা অগণিত দাসী মুক্ত করেছিলেন । কোরআনও দাস মুক্তির ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছে । ইসলামি ইতিহাসের ব্যাপারে জানলাম , ইসলাম পরবর্তী যুগে সুলতান নাফিসের সময় দাসপ্রথা অভূতপূর্ব ভাবে কমে গিয়েছিল । এভাবে কিছুদিন চললে দাস প্রথা বিলিন হয়ে যেত । কিন্তু পরবর্তী জালিম উমাইয়া শাসক রা ফের দাস প্রথা ঢালাও ভাবে চালু করেন ইসলামি বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করেই । কিন্তু এর জন্য ইসলাম দায়ী নয় ।
কথা ভালই প্যাঁচাতে পারেন । আপনার উক্ত কথাগুলো পরে মনে হল , হয় আপনি আমার ইংলিশ পোস্ট বোঝেননি না হয় কথার চাতুর্যতায় পোস্টে আমি যেসব পয়েন্ট গুলো তুলে ধরেছি সেগুলো উহ্য করে অন্য দিকে সরে যেতে চাইছেন । যদি সত্যিই আমাকে মিথ্যা প্রমাণিত করতে চাইতেন তাহলে আমার কথার বিরুদ্ধে শক্ত ঐতিহাসিক প্রমাণ এনে তা মিথ্যা প্রমাণিত করতেন বা অকার্যকর প্রমাণিত করতেন । আপনি তা না করে পূর্ব স্বভাবের মতো পোস্ট থেকে দু এক লাইনের অংশবিশেষ যা আসলে বিশেষ কোন অর্থ ও জবাব প্রকাশ করে না তা তুলে এনে ব্যাঙ্গ , চাতুর্যতায় পুরো কথাটাকেই কোথায় ফেলতে চাইছেন ! ইসলাম কেন দাসীর সাথা সেক্স একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বৈধ করেছে , জুদ্ধবন্দিনিদের কেন সাথে সাথে ছেরে দিল না , এটা প্রস্নসহ উত্তরের মাধ্যমে যুক্তি সহ আগের পোস্টে প্রমাণ করেছি । আপনি যদি মনে করেন আমার যুক্তি ভুল তাহলে বিপরীত ঐতিহাসিক প্রমাণ ও যুক্তি দিয়ে আমার যুক্তি ভুল প্রমাণিত করছেন না কেন । এক দুই লাইন তুলে এনে ব্যাঙ্গ করে কথা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়াটা কোন রকম ভাওতামি ?
{ আল্লাহ রসূল দাসপ্রথার ব্যাপারে হিসেবী পদক্ষেপ নিলেন বুঝলাম, ধীরে ধীরে যুগের সাথে সাথে দাসপ্রথা উঠে যাবে এটাঈ ছিল তাদের মহান ক্যালকুলেশন। তাদের এই অদ্ভূত হিসেবের স্বীকার হয়ে দুনিয়ায় মুসলমানদের হাতেই কত লাখ লাখ মানবাত্মা দাসত্বের কোপানলে কি অমানবিক জীবন যাপন করেছেন তার হিসেব কে দিতে পারে? আপনাকে ২০০ বছর আগে কেউ দাস হিসেবে হাটে নিয়ে বিক্রয় করলে আপনি আল্লাহর মহাপরিকল্পনা্র মানবিক দাসপ্রথায় সাবাশি দিতেন? }
{ সেই কাইন্ডনেস ভাল খাওয়া পরার মাঝেই সীমাবদ্ধ }
আচ্ছা , তাহলে এইসব আয়াতগুলো কি বলে –
Hadith – Sahih Al-Bukhari 3.721, Narrated Al Marur bin Suwaid
I saw Abu Dhar Al-Ghifari wearing a cloak, and his slave, too, was wearing a cloak. We asked him about that (i.e. how both were wearing similar cloaks). He replied, “Once I abused a man and he complained of me to the Prophet. The Prophet (peace be upon him) asked me, ‘Did you abuse him by slighting his mother?’ He added, ‘Your slaves are your brethren upon whom Allah has given you authority. So, if one has one’s brethren under one’s control, one should feed them with the like of what one eats and clothe them with the like of what one wears. You should not overburden them with what they cannot bear, and if you do so, help them (in their hard job).’ ”
Hadith – Al-Muwatta 54.41, Kindness to Slaves
Malik related to me that he heard that Umar ibn al-Khattab went to the villages every Saturday. If he found a slave doing work which he was not capable of doing, he lightened it for him.
Hadith – Sunan of Abu Dawud, #2694, Narrated Ali ibn Abu Talib
Some slaves (of the unbelievers) went out to the Apostle of Allah (peace be upon him) on the day of al-Hudaybiyyah before treaty. Their masters wrote to him saying: O Muhammad, they have not gone out to you with an interest in your religion, but they have gone out to escape from slavery. Some people said: They have spoken the truth, Apostle of Allah, send them back to them. The Apostle of Allah (peace be upon him) became angry and said: I do not see your restraining yourself from this action, group of Quraysh, but that Allah send someone to you who strike your necks. He then refused to return them, and said: They are emancipated (slaves) of Allah, the Exalted.
Hadith – Sahih Muslim, #2182, Narrated Abdullah ibn Umar
Khaythamah reported: While we were sitting in the company of Abdullah ibn Umar there came in his steward. He (Ibn Umar) said: Have you supplied the provision to the slaves? He said: No. Upon this he said: Go and give (the provision) to them, for the Messenger of Allah (peace be upon him) has said: This sin is enough for a man that he withholds the subsistence from one whose master he is.
Malik related to me from Nafi that Abdullah ibn Umar freed an illegitimate child and its mother
The Noble Qur’ân An-Nur 2:221
And do not marry Al-Mushrikât (idolatresses, etc.) till they believe (worship Allâh Alone). And indeed a slave woman who believes is better than a (free) Mushrikah (idolatress, etc.), even though she pleases you. And give not (your daughters) in marriage to Al-Mushrikûn till they believe (in Allâh Alone) and verily, a believing slave is better than a (free) Mushrik (idolater, etc.), even though he pleases you. Those (Al-Mushrikûn) invite you to the Fire, but Allâh invites (you) to Paradise and Forgiveness by His Leave, and makes His Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.) clear to mankind that they may remember.
The Noble Qur’ân An-Nur 2:221
Allâh will not punish you for what is uninentional in your oaths, but He will punish you for your deliberate oaths; for its expiation (a deliberate oath) feed ten Masâkin (poor persons), on a scale of the average of that with which you feed your own families; or clothe them; or manumit a slave. But whosoever cannot afford (that), then he should fast for three days. That is the expiation for the oaths when you have sworn. And protect your oaths (i.e. do not swear much). Thus Allâh make clear to you His Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.) that you may be grateful.
Hadith – Al-Muwatta, #38.16
Malik related to me from Nafi that Abdullah ibn Umar freed an illegitimate child and its mother.
The Noble Qur’ân An-Nisa 4:221
It is not for a believer to kill a believer except (that it be) by mistake, and whosoever kills a believer by mistake, (it is ordained that) he must set free a believing slave and a compensation (blood money, i.e Diya) be given to the deceased’s family, unless they remit it. If the deceased belonged to a people at war with you and he was a believer; the freeing of a believing slave (is prescribed), and if he belonged to a people with whom you have a treaty of mutual alliance, compensation (blood money – Diya) must be paid to his family, and a believing slave must be freed. And whoso finds this (the penance of freeing a slave) beyond his means, he must fast for two consecutive months in order to seek repentance from Allâh. And Allâh is Ever AllKnowing, AllWise.
জবাব বুঝে নিন , এবং সাথে ইতিহাস ও জেনে রাখুন , –
একবার খলিফা উমার (রাঃ) এর কাছে সিরিয়ার শাসক নিমন্ত্রন পাঠান , মুসলিম জাহানের অতি পরাক্রমশালী খলিফা শুধু একটি উট ও দাস নিয়ে রানা হলেন । মাজপথেই তিনি উট থেকে নেমে তার দাসকে উটে চড়ালে দাস প্রতিবাদ করলে তিনি জানান , আল্লাহর প্রত্যেক বান্দারই এই দুনিয়ায় সমান হক , খলিফা হিসেবে আমার দায়িত্ব বেশি , অধিকার বেশি না । আমি অর্ধেক পথ চরেছি এবার তুমি চড় ।
সুলতান নাফিসকে একবার স্পেনের রাজা নিমন্ত্রন জানান , তিনি সাথে নিয়ে গেলেন শুধুই একজন দাস । খাবার পরিবেশনের সময় স্প্যানিশরা অবাক বিস্ময়ে দেখল , সুলতানের সাথে তার দাস একসাথে খেতে বসেছে !
{ দাসদাসীদের প্রতি নবীজিই শুধু প্রথম নন, তারও আগে কাফের প্রজাতির রাজা বাদশাহদেরও আরো নমনীয় হবার উদাহরন আছে। দাস প্রথা নিয়ে যে এত কথা বয়ান করলেন এটা কি জানেন যে সম্রাট অশোক নবীজিরও আরো ৮০০ বছর আগে দাস ব্যাবসা নিষিদ্ধ করেছিলেন, নবীজির মতই তাদের সাথে ভাল ব্যাবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন? নবীজি কিন্তু তার জীবন কালে দাস ব্যাবসা নিষিদ্ধ করতে পারেননি, ভাল মানবিক ব্যাবহারের কথা বলেছেন মাত্র। এখন সম্রাট অশোককে আমি ‘নবী’ দাবী করি? প্রাচীনকালে বিচ্ছিন্ন ভাবে পৃথিবীর আরো কিছু অঞ্চলেই দাসপ্রথা এমনকি নিষিদ্ধই হয়েছিল। }
ভাই , কেউ যদি আপনার কাছে ধর্ম প্রচার করে আপনি সরাসরি না করে দিতে পারেন । কিন্তু আপনি যদি কোন অতি পরাক্রম শালী রাজার অনুগত হন তার কথা সরাসরি না করতে পারবেন না ।ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন , অশোকের মৃত্যুর পর কিভাবে দাস নিসিদ্ধ প্রথা উবে গিয়েছিল ।
মহানবী (সাঃ) দাস দাসী দের জন্য যেসকল বিধি প্রনয়ন করেছেন , তা দীর্ঘকাল পর্যন্ত বলবত ছিল । আরব দাস দাসীরা দীর্ঘকাল যাবত এর সুযোগ সুবিধা দু হাত ভরে ভোগ করেছে । পাশাপাশি তা আরব সমাজ থেকে দাস প্রথাকে উৎপাটনে উৎসাহিত করেছে ।
এটা ভুলে যাবেন না অশোক ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মর্য পরিবারের সন্তান । তার সময়কার পরিবেশ বেশ শৃঙ্খলিত ছিল । আর নবীজি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগে যা অশোকের সময় থেকে হাজারগুন খারাপ ছিল ।
{ আমি এখন গাদি গাদি তাফসির দেখাতে পারি। }
আপনার গাদি গাদি তাফসির যে কতখানি সত্য হবে তাতো আপনার সহিহ মুসলিম হাদিসের উদাহরণ দেখেই বুঝলাম ।
{ তা এভাবে মুসলমান হিসেবে কেন চিন্তা করতে পারেন না যে সুদ প্রথা নিষিদ্ধ আইনও একদিক যুগের সাথে সাথে গ্রহনযোগ্য হবে যেমনটা আল্লাহ দাসপ্রথার ব্যাপারে হিসেবী চাল চেলেছেন? সেকালে ব্লাড মানি আইন, চোরের হাত কাটা, পুরুষের বহু বিবাহের অধিকার, বিবি পেটানোর অধিকার এসব ছিল সামাজিক রীতি, এসবের ব্যাপারেও কেন এভাবে চিন্তা করেন না? এভাবে চিন্তা করলে শরিয়া আইন কিভাবে কায়েমের দাবী জানানো যেতে পারে? আজ পর্যন্ত কয়জন মুসলমান আলেম আপনাদের যুক্তিমত দাবী করেছে যে কোরানে বিবি পেটানোর মানবিক রীতির ব্যাপারেও আল্লাহর সুদুরপ্রসারী চিন্তা ছিল, তিনি ধীরে ধীরে এ কুপ্রথা বাতিলের মহা পরিকল্পনা করেছিলেন? সামান্য ইউটিউব ঘেটে দেখেন কিভাবে বড় বড় আলেম, ডক্টরেট করা লোকে বিবি পেটানোর মহাত্ম্য বর্ননা করছেন। কাফের নাছারাগণ দাসপ্রথা বাতিল না করলে আজ ইউটিউবে দেখতেন এসব শিক্ষিত মোল্লারা দাসপ্রথা কত মহান খোদাই বিধান তা বর্ননা করছেন। }
আপনার এইসব প্রশ্নের উত্তর চাইলে এখুনি দিতে পারি । কিন্তু এর জন্য অন্য টপিকে যেতে হবে , আমি আপনার মতো কথা ঘুরিয়ে অন্য টপিকে যাই না , যেটা আপনি উক্ত উক্তিতেই করেছেন । দাস বিষয়ে আছি , এটারই আগে ফয়সালা করবো ।
আমার মাথা চুলকাচ্ছে । আমি এখন মোটামুটি ক্লান্ত , ইসলাম কেন দাসপ্রথা বৈধ করেছে , যৌনতা নিসিদ্ধ করেনি ,এ ব্যাপারে হাজার যুক্তি , ঐতিহাসিক প্রমাণ দিতে দিতে । আমি হাজারো যুক্তি দেখাই আপনারা কোননা কোন ভাবে ব্যাঙ্গ করে , কথা ঘুরিয়ে পুরো বিষয়টাকে আরও জটিল করবেন এটা জানি । আমি যাই প্রমাণ দেখাই , আপনারা বলবেন –
এটা আবার কেমন যুক্তি , এটা বগাস , ফাউল মনে হয় । আমি বলব তা আপনারই মনে হয় , যদি অথর্ব হয়ে থাকেন । কারণ বহুবার বলেছি , আপনারা কোনোভাবেই আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগের বাস্তবতা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না , হবেন ও না ।
কিন্তু আমি তো আপনাদের মতো ইসলামের হেয় করে জিবিকা নির্বাহ করি না । বুয়েটের ত্রিপলিতে অধ্যয়নরত হাফেজ হিসেবে আমি মনে করি , এই দুনিয়াকে ইসলামের অনেক কিছুই দেওয়ার আছে আমার ।
এখানেই বিদায় নিচ্ছি , ভাল থাকুন । আমিন ।
@ইসলাম,
বুয়েটের হাফেজ সাহেব, বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির পাঠ্য-পুস্তকে কোরান ঢুকিয়ে দেন। কোরানে তো দুনিয়ার সব কিছুই আছে তাই না?
وَلْيَسْتَعْفِفِ الَّذِينَ لَا يَجِدُونَ نِكَاحًا حَتَّى يُغْنِيَهُمْ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَالَّذِينَ يَبْتَغُونَ الْكِتَابَ مِمَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًا وَآتُوهُم مِّن مَّالِ اللَّهِ الَّذِي آتَاكُمْ وَلَا تُكْرِهُوا فَتَيَاتِكُمْ عَلَى الْبِغَاء إِنْ أَرَدْنَ تَحَصُّنًا لِّتَبْتَغُوا عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَمَن يُكْرِههُّنَّ فَإِنَّ اللَّهَ مِن بَعْدِ إِكْرَاهِهِنَّ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
(33
(সূরা আন-নূর , আয়াত – ৩৩ ) যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায়, তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর যদি জান যে, তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে, অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকে তাদেরকে দান কর। তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না। যদি কেহ তাদের উপর জোর-জবরদস্তি করে, তবে তাদের উপর জোর-জবরদস্তির পর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
আর কারোর কোন প্রশ্ন আছে ? নাস্তিকদের বলি ইস্লামকে হেয় করার জন্য আপনারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী , যা পারুন আনুন । আমার কাছে আছে শুধুই আমার কোরআন , আর এটাই আমার জন্য যথেষ্ট । আমিন ।
মুয়াত্তার হাদিসের ব্যাপারে বলতে চাই , আলি (রাঃ) এর মৃত্যুর পর মুসলমানদের দুটি দল হয় , শিয়া , সুন্নি । আরেকটি দল হয় যাদের জন্য পরবর্তীকালে মুয়াত্তার হাদিস সংকলিত হয় । আমরা সুন্নি মুসলমানেরা শুধু কোরআন ও বুখারি শরীফ ও সহিহ মুসলিম মেনে চলি । মুয়াত্তার হাদিস আমাদের জন্য বিতর্কিত কারণ এর অনেক কিছুরই ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই এবং আমরা এটা মেনে চলি না ।
সকল নাস্তিকদেরি বলছি , কথা হল লেখক যে কোরআন , হাদিস ঘেঁটে , ঘেঁটে এই সকল তথ্যগুলো দিয়েছেন এটা মরে গেলেও কেও বিশ্বাস করবে না । উনার কাছে ছিল সহজ অপশন , গুগল মামার কাছে ছোট্ট একটা ক্লিক দেওয়া । সাথে সাথে বহু খ্রিস্টান , ইহুদী ওয়েবসাইট , জার্নাল থেকে লাখো তথ্য পাওয়া যাবে যার আসল কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ ও ভিত্তি নেই , কিছু হয়তো সত্য হলেও এর মাঝে যে শব্দের সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটে গেছে এটা নাস্তিকেরা না বুঝলেও আমরা মুসলমানেরা তো বুঝি । নাস্তিকেরা এটা কোনদিনই বলবে না যে প্রতিবছর ইসরাইলে প্রায় ৭ হাজার কোরআন , হাদিস মুদ্রিত হয় যার মধ্যে সুকৌশলে নতুন আয়াত বা কোন আয়াতের সূক্ষ্ম পরিবর্তন করে ছাপা হয় , এবং মুসলমানদের হেয় করার জন্য পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া হয় । ২০০৮ সালে ছাপা হয় আমেরিকান কোরআন যার সব কিছুই ঠিক , কিন্তু হটাৎ করেই একটি আয়াত পাওয়া যায় যে আমেরিকান রা নাকি ঈশ্বরের সন্তান । হাহাহাহাহা
এসবের উপর ভিত্তি করেই আজকের লেখক এই তথ্যগুলো দিয়েছেন । প্রমাণ চান , এক্ষুনি দিচ্ছি , লেখক মহানবী (সাঃ) কে হেয় করার জন্য শুরুতেই রিহানার উদাহরন টানলেন , মাগার তার নামটা কিন্তু ঠিকভাবে নিলেন না । তার পুরো আসল নামটা হল উম্মুল মুমেনিন রায়হানা (রাঃ) , যাকে ইসলাম একজন সাহাবীর মর্যাদা দিয়েছে । একমাত্র খ্রিস্টানরাই রায়হানা (রাঃ) কে রিহানা বলে ডাকে ,
এরমানে …………
এছাড়াও খ্রিষ্টানদের প্রায় মারিয়ার উদাহরন টানে যার আসল নাম উম্মুল মুমেনিন মরিয়াম (রাঃ) । লেখক এখানে আরও অনেকজনের কথা এমনভাবে তুলে ধরেছেন যাতে সবারি মনে হয় রাসুল (সাঃ) এদের সাথে 3x porn স্টাইলে না জানি কি করতেন । আচ্ছা ভাল , নবীজিকে হেয় করার জন্য লেখক তো হাদিসেরই আয়াত তুলে ধরেছেন ঠিক কিনা । এসব আয়াত বিশ্বাস করলে আপনাদের অন্যান্য আয়াতগুলোকেও বিশ্বাস করতে হবে । বুখারি শরীফেই উল্লেখ আছে , রাসূল (সাঃ) বছরের , বিশেষ করে রাতের বেশীরভাগ সময় এমন ইবাদাতে কাটাতেন যে তিনি তার স্ত্রীদেরকে সঠিকভাবে সময়ও দিতে পারতেন না , এমনকি রুক্ষ মাটিতে তার পা পর্যন্ত ফেটে গিয়েছিল । বুখারি শরীফে আরও উল্লেখ আছে , নবীজি সহবাসের সময় যতটা সম্ভব ঢেকে সহবাসের পক্ষপাতি ছিলেন । সেটা যাই হোক , লেখক এখানে যাদেরই উদাহরন টেনেছেন এরা সবাই যে নবীজি (সাঃ) এর স্ত্রী ছিলেন এর শক্ত ঐতিহাসিক প্রমাণ আছে । এরা সবাই নবীজি (সাঃ) এর বহুরূপী প্রশংসা করেছেন যা হাদিস আকারে সহিহ মুসলিমে অধ্যায় আকারে সংরক্ষিত আছে । মহানবী (সাঃ) এদের জোড় করে হাসিল করলে এবং যৌন দাসী হিসেবে ব্যাবহার করে থাকলে এরা নবীজি (সাঃ) এর প্রশংসা টুকু অন্তত করতেন না যা হাদিস আকারে সংরক্ষিত আছে । এখন নাস্তিকেরা বলবে এসব গ্রন্থ বিশ্বাস করি না , এসব বানানো । আমি বলব , ইতরামি বন্ধ করুন , কারণ এসন গ্রন্থের হাদিসগুলোই আপনারা আবার নবীজিকে হেয় করার জন্য ব্যাবহার করছেন ।
এখন কথা হল , ইসলাম কি আসলেই দাস প্রথা সমর্থন করে , হ্যাঁ , ইসলাম পূর্ববর্তী জাহেলি যুগে দাসপ্রথার ব্যাপক প্রচলন ছিল।দাসীর সাথে যৌনতা ইসলামের আবিষ্কার নয় । দাসপ্রথা তৎকালীন সময়ে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে সমাজের সাথে জড়িত ছিল । ইসলামের আবির্ভাবের সাথে সাথে তাই হঠাৎ কোরে তা রহিত করা সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি প্রেক্ষাপটে যুক্তিযুক্ত ছিলনা। ইসলামে দাসপ্রথাকে নিরুৎসাহিত করার মাধ্যমে তা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করার জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছিল তা অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ বলেই আমি বিশ্বাস করি।এখন একটা কথা বলে রাখি , ১৪ শ বছর আগের বাস্তবতাকে বর্তমান সময়ের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করাটা একদিকদিয়ে মূর্খতা হবে । তৎকালীন সময়ে দাসীর সাথে যৌন সম্পর্ককে সামাজিকভাবে পুরোপুরি বৈধ বলে গণ্য করা হতো । যে বিষয়টিকে আমি এতকাল ধরে ঠিক বলে মেনে এসেছি , কোন ভুল দেখি নাই , কোন ধর্ম হুট করে এসে যদি বলে , এটা ভুল , করা যাবে না , তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আমার নেতিবাচক ধারনা আসতে বাধ্য আর ভুলে যাবেন না ইসলাম তখন একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে । ইসলাম নিজেই তখন পুরপুরিভাবে নাজিল হয়নি , সমাজের রন্ধে রন্ধে বেবস্থা সরানো পরের ব্যাপার । আর তাই , প্রথম যুগে অর্থাৎ মক্কী সূরা এবং মদীনার একেবারে প্রথম দিককার সূরার নির্দেশনা অনুসারে বোঝা যায় যে, প্রকৃত অর্থে এই সূরা গুলোতে সে সময় যুদ্ধবন্দীনি/দাসীদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক (এখন যাকে ব্যাভিচার হিসেবে গন্য করা হয়) জায়েজ রাখা বা না রাখার বিষয়ে কোন নির্দেশনা দেয়া হয় নাই। কিন্তু পরবর্তীতে যে সূরা গুলো নাজিল হয়- তার আলোকে কি সকল প্রকার ব্যাভিচার নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়নি? ইসলাম একদিকে যেমন দাসপ্রথাকে নিরুৎসাহিত করেছে, অপরদিকে তেমনি দাস মুক্তিকে ধর্মীয়ভাবে উৎসাহিত কোরে প্রকৃত অর্থে দাসপ্রথাকে বিলুপ্তির পক্ষেই দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
আমার জানামতে বর্তমানে পৃথিবীর কোথাও দাসপ্রথা নেই। ইসলামে নুতন কোরে দাসপ্রথা চালু করার কোনই অবকাশ নেই। তবে এ পৃথিবীর কোন প্রান্তে অন্য কোন মানবগোষ্ঠী দ্বারা যদি কখনো পুণরায় দাসপ্রথা চালু করা হয়, তাহলে এর বিরোধীতা করার সাথে সাথে সেসব দেশ থেকে দাস-দাসী ক্রয় কোরে মুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা মুসলমানদের ইমানী দায়িত্ব বলে আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু কাম-লালসার অনুসারী কোন ধনকুবের মুসলমান যদি একান্ত ব্যক্তিগত পর্যায়ে আপন অভিরুচি ও খেয়ালের বশবর্তী হয়ে সেসব দাসী ক্রয় কোরে এনে ভাল খাওয়া ও পড়ার ব্যবস্থা করে এবং তার সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়- তাহলে কি সে ইমানদার থাকতে পারবে?
সূরা নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ)-
(৪:১৮) আর তওবা তাদের জন্য নয়, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে যে পর্যন্ত না তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়- কেবল তখনই সে বলতে থাকে, “আমি অবশ্যই এখন তওবা করছি”। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
কোন মুসলমান হঠাৎ কোন কবিরা গুণাহ কোরে ফেলার পর যদি তার ভুল বুঝতে পেরে তওবা করে এবং আর না করে, তাহলে সে মাফ পেতে পারে। কিন্তু জানা স্বত্তেও ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কবিরা গুণাহ বার বার করতে থাকলে কি সে ইমানদার থাকতে পারবে? জানা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কবিরা গুণাহ বার বার করাটা কি কুফরি করা অর্থাৎ সেটাকে কবিরা গুনাহ হিসেবে অস্বীকার করার সামিল নয় কি?
আল-কোরআনে ইসলাম পূর্ব অধিকারভুক্ত ক্রীতদাসী ও যুদ্ধবন্দীনিদেরকে- ( مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ / ma malakat aymanuhkum/ মা- মালাকাত আইমানুকুম)- ‘ডান হাতের অধিকারভুক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জাহেলি যুগে দাসপ্রথার ব্যাপক প্রচলন ছিল। তাই ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ে ইসলাম পূর্ব অধিকারভুক্ত ক্রীতদাসীদের সাথে শুধুমাত্র তাদের মালিকদের যৌন সম্পর্কের বিষয়টি হঠাৎ বন্ধ না কোরে বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে কিছু সময়ের জন্য জারি রাখা হয়েছিল। তৎকালীন এরূপ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অধিকারভুক্ত যুদ্ধবন্দীনিদের সাথেও শুধুমাত্র তাদের মালিকদের যৌন সম্পর্কের বিষয়টিও বিশেষ অনুমতি ও শর্ত সাপেক্ষে কিছু সময়ের জন্য জায়েজ ছিল। অর্থাৎ তখনও আল-কোরআনে যুদ্ধবন্দীনি/দাসীদের সাথে মালিকদের সম্পর্ককে সরাসরি নিষিদ্ধ করা হয় নাই। কিন্তু ব্যভিচারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল (১৭ নং সূরা বণী ইসরাঈল- আয়াত নং ৩২- মক্কায় অবতীর্ণ)।
ইসলামের পক্ষে যুদ্ধ অর্থাৎ ‘জেহাদ’ সংঘটিত হলে বর্তমান ও ভবিষ্যতে সব সময়ই যুদ্ধ-বন্দী হতে পারে। সাধারনত অমুসলিমরাই যুদ্ধবন্দী হয়। আর এই অমুসলিম যুদ্ধবন্দীনিদের সাথে তার অভিভাবকরা কি এখনও বিবাহ ছাড়াই যৌন সম্পর্ক করতে পারবে? এই সম্পর্কের দিকে ইংগিত কোরে কি পরবর্তীতে আল-কোরআনে তাদেরকে রক্ষিতা হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয় নাই?
আমি বুখারী শরীফের একটি পরিচ্ছেদে (পরিচ্ছেদ: ১৩৮৬, বুখারী শরীফ, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন্স বাংলাদেশ) উল্লেখিত বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই-
হাদিছের সাথে সংযোজিত এ ধরনের বক্তব্য সম্পর্কে আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আমি স্বীকার করছি। মুসলিম জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ ও আল্লাহর পরহেজগার বান্দাদের নামে চালানো এসব বক্তব্য আদৌ তাদের কিনা তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার বলে আমি মনে করি। আমি বিশ্বাস করি যুদ্ধবন্দী সম্পর্কে ইসলামের বিধান ক্ষেত্র বিশেষে কিয়ামত পর্যন্ত কার্যকর থাকতে পারে।
আবারও বলছি- হাদিছ সম্পর্কে আমার কোন খটকা নেই। হাদিছের উপরে- পরিচ্ছেদে উল্লেখিত বসরি (র) ও আতা (র) এর বক্তব্যটি পবিত্র কোরআনের কোন আয়াত বা হাদিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং কিভাবে- তা নিয়ে আমার মনে খটকা ও প্রশ্ন আছে!? আদৌ কি সেগুলো তাঁদের বক্তব্য? কারন যতটুকু জ্ঞান রাখি তার আলোকে মনে হয় এগুলো আল-কোরআন ও রাসূল (সাঃ) এর আদর্শের সাথে খাপ খায় না। খন্ডিত ভাবে এসব বক্তব্যের কারনে অনেকেই দ্বন্দে ভোগেন এবং সাধারন পাঠকদের মনে ভুল ধারনার সৃষ্টি হতে পারে। শুধু তাই নয় অনেকে অজ্ঞতা বশত এ ধরনের বক্তব্যকে হাদিছের উপরে স্থান দিতেও কোমর বেধে নেমে পরে। তাই কোন ভিত্তি না থাকলে হাদিছ গ্রন্থে এ ধরনের মতামতকে সংযোজন না করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখবেন।
আর যদি কেউ বলেন, এক্ষেত্রে সেই যুদ্ধবন্দীনির আগের স্বামী বা বন্দী হবার পূর্বে অন্য কারও দ্বারা অন্তঃসত্বা হবার বিষয়ে বলা হয়েছে। কিন্তু এই বক্তব্যে তো তা স্পষ্ট নয়। বরং খাপছাড়াভাবে এ ধরনের বক্তব্যের দ্বারা কাম-লিপ্সু মানুষেরা নিজে এবং অপরকে বিভ্রান্ত হবার ও করার সুযোগ পেতে পারে। তাছাড়া এমতবস্থায় এ ধরনের আচরন করা কি আদৌ যুক্তিসঙ্গত? এই ধরনের অনুমতির কারনে বন্দিনী জুলুমের শিকার হতে পারে না কি? রসূল (সাঃ) আদর্শ, কর্মপদ্ধতি এবং পরবর্তীতে নাজিলকৃত আল-কোরআনের নির্দেশ অনুসারে বর্তমানে বিবাহ ছাড়াও যুদ্ধবন্দীদের সাথে যৌন সম্পর্ক করা কি জায়েজ হতে পারে?
সূরা নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ)-
(৪:২৩) অর্থ- যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।
(৪:২৩) অর্থ- তোমাদের (বিবাহের) জন্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তোমাদের মা, তোমাদের মেয়ে, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভাইয়ের মেয়ে; বোনের মেয়ে, তোমাদের সেই মায়েরা যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সেই স্ত্রীদের কন্যা- যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী, দয়ালু।
(৪:২৪) অর্থ- এবং নারীদের মধ্যে সকল সধবা স্ত্রীলোক (তোমাদের বিবাহের জন্যে নিষিদ্ধ); তাদের ছাড়া- যারা ( مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ / ma malakat aymanukum/ মা- মালাকাত আইমানুকুম) তোমাদের ডান হাতের অধিকারভুক্ত রয়েছে, এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া (অর্থাৎ স্বাধীন সধবা ও ৪:২৩ নং আয়াতে উল্লেখিত নারী ছাড়া) তোমাদের জন্যে সব নারী (অর্থাৎ এর মধ্যে বিশ্বাসী বিধবা বা অবিবাহিত স্বাধীন নারী, বিশ্বাসী ইসলাম পূর্ব দাসী এবং বিশ্বাসী সধবা বা বিধবা বা অবিবাহিত যুদ্ধ-বন্দিনীও অন্তর্ভুক্ত) বৈধ করা হয়েছে স্বীয় ধন-দৌলতের বিনিময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য- ব্যভিচারের জন্য নয়। অতএব তাদের মধ্যে যার থেকে তোমরা সুফল পেতে চাও- তাকে তার নির্ধারিত মোহরানা প্রদান কর। তোমাদের কোন দোষ হবে না- নির্ধারণের পর যাতে তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, পরমজ্ঞানী।
(৪:২৫) অর্থ- আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন বিশ্বাসী নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে যেন তোমাদের ( مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ) ডান হাতে ধরে রাখা বিশ্বাসী যুবতীদেরকে বিয়ে করে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা তো একে অন্য থেকে, অতএব তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতি নিয়ে বিয়ে কর, আর নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর; বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য- ব্যভিচার করার জন্য নয় কিংবা রক্ষিতা রূপে গ্রহণ করার জন্যও নয়। তারপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল আচরন করে, তবে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা পাপের ভয় করে। আর যদি ধৈর্য ধারন কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম-করুণাময়।
{(৪:২৪) নং আয়াতে-( مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ / ma malakat aymanukum/ মা- মালাকাত আইমানুকুম) বলতে সেই সব ইসলাম পূর্ব অধিকারভুক্ত ক্রীতদাসীদের বোঝানো হয়েছে যারা আগে থেকেই তাদের মালিকদের অধীনে ছিল। একই সাথে সেই সব সধবা যুদ্ধবন্দীনিদেরও বোঝানো হয়েছে যাদেরকে তাদের দলের পক্ষ থেকে মুক্ত করার কোনরূপ ব্যবস্থা না নেয়া হলে বা তাদের স্বামী যদি তাদের সাথে যুদ্ধবন্দী না হয়ে থাকে, তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর তাদের পূর্বের বিয়ে কার্যকর থাকবেনা বলেই ইংগিত দেয়া হয়েছে এবং তারা অন্তঃসত্তা নয় এরূপ নিশ্চিত হলে তাদেরকে বিয়ে করা বৈধ। আবার (৪:২৫) নং আয়াতে এই ডান হাতের অধিকারভুক্ত নারীদের মধ্যে কাদেরকে বিয়ে করতে পারবে সে কথাও বলা হয়েছে। এখানে ‘ডান হাতের অধিকারভুক্ত বিশ্বাসী দাসী/যুবতী’ বলতে এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ইসলাম পূর্ব দাসী এবং মেইন স্ট্রীম ইহুদি বা খৃষ্টান যুদ্ধবন্দীনি অর্থাৎ এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী যুদ্ধ-বন্দিনীকে বুঝানো হয়েছে, যেমন সাফিয়া (রাঃ), জোহাইরা (রাঃ)। কেননা ইসলামের অনুসারীকে যুদ্ধবন্দী করার প্রশ্নই আসে না। এখানে বলা হয়েছে যে, অভিভাবক তার অধিকারভুক্ত ইসলামপূর্ব বিশ্বাসী দাসী এবং যুদ্ধ-বন্দিনীকে (মা- মালাকাত আইমানুকুম) যেমন বিয়ে করতে পারবে, তেমনি অভিভাবক যদি না করে তাহলে মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে অন্য মুসলমানও তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবে। অধিকারভুক্ত ইসলামপূর্ব দাস-দাসী ও যুদ্ধ-বন্দিনীকে শিক্ষা দীক্ষা দিয়ে তাকে বিয়ে করলে যে একসাথে দুটো সোয়াবের অধিকারী হওয়া যায়- রাসূল (সাঃ) এর হাদিছ থেকে তো সেই দিকনির্দেশনাই পাওয়া যায়।}
সূরা নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ)-
(৪:২৬) আল্লাহ তোমাদের পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত দ্বারা সব কিছু স্পষ্টরূপে বর্ণনা করে দিতে চান, তোমাদের হেদায়েত দান করতে চান এবং তোমাদের দিকে ফিরতে (ক্ষমা করতে) চান। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, পরমজ্ঞানী।
(৪:২৭) আল্লাহ তোমাদের প্রতি ফিরতে (ক্ষমা করতে) চান; কিন্তু যারা কাম-লালসার অনুসারী, তারা চায় তোমরাও যেন (তাঁর কাছ থেকে) অনেক দূরে বিচ্যুত হয়ে পড়।
{এরপর (৪:২৬) ও (৪:২৭) নং আয়াতে স্পষ্টভাবে এই বলে সাবধান কোরে দেয়া হলো যে, কাম-লালসার অনুসারীদের ছলনায় তাদের পদাঙ্ক অনুসরণের মাধ্যমে অর্থাৎ ব্যভিচারের পথে পা বাড়িয়ে বিশ্বাসীরা যেন আল্লাহতায়ালার নৈকট্য থেকে দূরে সরে না যায়।}
সুতরাং এই আয়াত গুলো নাজিলের পর একজন মুসলমানের জন্য এই নির্দেশের বাহিরে বিবাহ বহির্ভূত যে কোন প্রকার যৌন সম্পর্কই ব্যাভিচার নয় কি?
নিচে দুটো লিংকে দাসপ্রথা নিয়ে আলোচিত পোষ্টের বক্তব্য তুলে ধরছি-
(There is hardly any Islamic country today that can abide to all these conditions, with the result that it is quite difficult to implement slavery in this time and age.)
(Slavery has been banned by all international laws. It is against human rights. We Muslims honor human rights and we cannot enslave people while they were created free by Allah the Almighty. Slavery is neither legal nor Islamic to practice.)
উপরে লিংকে প্রদত্ত এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে আল-কোরআনের আইনের সীমাবদ্ধতাই শুধু নয়, বরং আল্লাহর আইন যে পরোক্ষভাবে মানব রচিত আইনের উপর নির্ভরশীল (নাউযুবিল্লাহ)- সেই ইংগিত কি বহন করে না? তাই এ ধরনের বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণরূপে একমত নই। ক্ষেত্র বিশেষে আল-কোরআনের এই যুদ্ধবন্দিনী সংক্রান্ত আইন কিয়ামত পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর তাই বর্তমানে বা ভবিষ্যতের কখনো এই বিধানটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে এটির সবকিছু যে ইসলামের প্রাথমিক যুগের মত কার্যকর থাকবেনা তার জন্য মানব রচিত international laws (জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশান) এর উপর নির্ভর করার কোন প্রয়োজন নেই। বরং পরবর্তীতে আল-কোরআনে নাজিলকৃত আল্লাহতায়ালার দিক নির্দেশাকেই যথেষ্ট বলে আমি বিশ্বাস করি। আশাকরি আমার বক্তব্যটা একটু বুঝতে চেষ্টা করবেন।
তথাকথিত দাসপ্রথা ও ইসলামে যুদ্ধবন্দী এককথা নয়। ইসলাম যে দাস প্রথাকে একদমই প্রমোট করেনি- তা আমি খুবই বিশ্বাস করি। কিন্তু হাদিছ গ্রন্থে হাদিছ বাদেও জুড়ে দেয়া কিছু খাপছাড়া বক্তব্য আমার খুবই খারাপ লাগে। আমাকে ভুল বুঝবেন না, প্লিজ। এ বিষয়ে আল-কোরআনে প্রাথমিক পর্যায়ে নাযিলকৃত মক্কি-সূরার সাথে পরবর্তীতে মদীনায় অবতীর্ন সূরার বক্তব্যকে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন না করার কারনে সাধারন পাঠকগণ প্রায়ই বিষয়টি বুঝতে পারেন না। তাই যুদ্ধবন্দী সম্পর্কে আল-কোরআনে নাজিলকৃত সূরা গুলোর সাথে সহী হাদিছ গুলো ধারাবাহিকভাবে পেশ করলে আসল বক্তব্য স্পষ্ট হবে এবং সবারই বুঝতে সুবিধা হবে। আর তাই নাস্তিকদের এই সত্যটা অবশ্যই জানতে হবে যে , ইসলামের আসার পর তৎকালীন সমাজে দাসী ও মালিকের মধ্যকার সম্পর্ক অন্য সকল সামাজিক সম্পর্কের চাইতে আলাদা , স্বামী – স্ত্রীর সম্পর্কের মতো না হলেও এর কাছাকাছি বিকল্প পর্যায়ের সম্পর্ক হিসেবে গণ্য করা হতো । ইসলাম দাসীদের শুধু মালিকের ব্যাবহারের জন্যই জায়েজ করেনি , অনেক সুযোগ , সুবিধাও দিয়েছে –
১। কোন দাসীকে অন্য কেউ ভোগ করতে পারত না । তৎকালীন সময়ে ওই দাসীর তার মালিকের নামে আলাদা সামাজিক পরিচিতি ছিল ।
২। দাসীকে শুধু নিজের প্রয়োজনে মালিক ব্যাবহার করতে পারবে না । তার অন্যান্য সকল সুযোগ , সুবিধা , প্রয়োজন মেটানোও মালিকের দায়িত্ব । এবং দাসী চাইলে অর্থের বিনিময়ে তার মুক্তি দাবি করতে পারে ।
৩। সহবাসে জন্ম নেয়া সন্তান তার পিতার নামে পরিচিতি পেত । সন্তানের মাতা দাসিকেও আলাদা সম্মান দেয়া হয়েছিল , তাকে উম্মে ওয়ালাদ হিসেবে হিসেবে সম্মান দেয়া হতো । আর বহু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে , নবীজি (সাঃ) তো বটেই , তার বহু সাহাবারা পরবর্তীকালে তাদের দাসীকে বিবাহ করে নিয়েছেন ।
৪। আর সবচেয়ে বড় কথা , যখন দাসীর সাথে যৌনতা বৈধ ছিল তখন তখন বহু কোরআন ও হাদিসের আয়াত নাজিলের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে মালিক দাসীর সম্মতি ব্যতিত সহবাস করতে পারবে না , যৌন দাসী হিসেবে ব্যাবহারের তো প্রশ্নই উঠে না ।
এখনও কিছু নাস্তিক বলতে পারে যে , একটিদিনের জন্য হলেও ইসলাম বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক অনুমোদন করল কেন ? সমাজ খারাপ কিছুকে মানলে কি সেটা খারাপ থেকে ঠিক হয়ে যাবে ? আগেই বলেছি ইসলাম কখনই সামাজিক ভাবে অবৈধ সম্পর্ক অনুমোদন করেনি , দাসীর সাথে যৌনতা তখন বৈধ ছিল । আর নাস্তিকদের জানতে হবে , তৎকালীন সময় ছিল আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ , আরবরা ছিল পৃথিবী কুখ্যাত জাতি । হেন কোন খারাপ কর্ম , সম্পর্ক নেই যা তারা স্থাপন করতো । ইসলাম সবার আগে তাদের একটি ব্র্যাকেটে এনেছে তারপর যখন সমাজে ইসলাম শক্তভাবে স্থাপিত হয়েছে তখন দাসীর সাথেও যৌনতাকে হারাম করেছে । এই জন্যই বলি সমালোচনা করতে চাইলে বাস্তুনির্ভর সমালোচনা করুন । নেট থেকে ভুল তথ্য এনে চোখ বুঝে বয়ান করাটা কোন সমালোচনা নয় ।
……………………………………………………….
@আদিল মাহমুদ ,
وَلْيَسْتَعْفِفِ الَّذِينَ لَا يَجِدُونَ نِكَاحًا حَتَّى يُغْنِيَهُمْ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَالَّذِينَ يَبْتَغُونَ الْكِتَابَ مِمَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًا وَآتُوهُم مِّن مَّالِ اللَّهِ الَّذِي آتَاكُمْ وَلَا تُكْرِهُوا فَتَيَاتِكُمْ عَلَى الْبِغَاء إِنْ أَرَدْنَ تَحَصُّنًا لِّتَبْتَغُوا عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَمَن يُكْرِههُّنَّ فَإِنَّ اللَّهَ مِن بَعْدِ إِكْرَاهِهِنَّ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
(33
(সূরা আন-নূর , আয়াত – ৩৩ ) যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায়, তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর যদি জান যে, তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে, অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকে তাদেরকে দান কর। তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না। যদি কেহ তাদের উপর জোর-জবরদস্তি করে, তবে তাদের উপর জোর-জবরদস্তির পর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
আর কারোর কোন প্রশ্ন আছে ? নাস্তিকদের বলি ইস্লামকে হেয় করার জন্য আপনারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী , যা পারুন আনুন । আমার কাছে আছে শুধুই আমার কোরআন , আর এটাই আমার জন্য যথেষ্ট । আমিন ।
@ইসলাম,
ভাই, কোরানের এক অংশকে বিশ্বাস, আরেক অংশকে অবিশ্বাস করা কি উচিত? এ মারাত্মক প্রবনতা সম্পর্কে কোরানেই আল্লাহ সাবধান করে দিয়েছেন (২-৮৫)। উনি নিজেই কিন্তু কোরানের এক আয়াত গ্রহন আরেক আয়াত বর্জনের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ কারনেই মনে হয় স্পষ্ট করে কোরানের কোন আয়াত কোন আয়াত দ্বারা বাতিল হয় এমন কোন তালিকা তিনি প্রনয়ন করেননি, কোরান সংরক্ষকগণও তেমন কোন তালিকা হযরত উসমানের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত করেননি।
সুরা নিসার ২৪ নং আয়াত তো জানেন, সেখানে অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে যৌণকর্মের জন্য বিবাহের দরকার নেই বলা আছে যা বিখ্যাত তাফসিরকারকদের তাফসির ঘাটলেও দেখা যায়। আজকালকার ডিজিটাল আলেমরা অনেক কায়দা করে দাসীদের বিবাহের কথা বলা হয়েছে দাবী করার চেষ্টা করলেও ঘটনা তেমন নয়। সহি হাদীস ঘাটলেও এর বাস্তব প্রয়োগের উদাহরন পাওয়া যায়। এক হাদিসের উদাহরন তো আগে দিয়েছি, সাহাবাগণ নিশ্চয়ই নিজ স্ত্রীদের বাজারে বিক্রয় করার ধান্ধা করেননি। কারো সাথে অনুমতি ব্যাতিরেকে সেক্স করা যেত না (ধরে নিলাম যে সেসব হাদীসে বর্নিত যুদ্ধবন্দিনীরা স্বেচ্ছায় তাদের স্বামী/পিতা হন্তারকদের সাথে যৌনকর্মে রাজী হয়েছিল, বিবাহ না হয় নাইই হোক) অথচ তাদের বাজারে নিয়ে গরু ছাগলের মত বিক্রয় করা যেত এমন নিশ্চয়ই সম্ভব নয়।
একই ভাষ্য আরো পরিষ্কারভাবে ২৩ঃ৬ তেও আছে, ৭০ঃ২৩-৩০ আয়াতেও আছে। স্ত্রী এবং অধিকারভুক্ত দাসীদের কথা আলাদাভাবে বলা আছে। দাসীরাও স্ত্রী হলে আল্লাহ কোন দূঃখে তাদের কথা বার বার আলাদা করে বলতে যাবেন? তবে ব্যাভিচারের সংজ্ঞা আল্লাহর কাছে কিছুটা ভিন্ন, উনি বিবাহ বহির্ভূত সেক্সকে কঠিন ব্যাভিচার বলে মনে করলেও অধিকারভুক্ত দাসীদের বেলায় এটাকে ব্যাভিচার বলে মনে করেননি, যে কারনে এসব আয়াতে অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে বিবাহ ছাড়াই সেক্সের অনুমতি দিয়েছেন, আল্লাহর প্রিয় বান্দারাও হাদীসেই দেখা যায় এসব নির্দেশনা পালন করেছেন, কাজেই তারা কোরান বহির্ভূত কিছু করেননি। আজকালকার ডিজিটাল আলেমরা হীনমন্যতায় ভুগে নানান ধানাই পানাই করে কোরান হাদীসই সরাসরি অস্বীকার করে বসেন।
আপনার কোট করা আয়াতে দাসীদের সাথে জোরপূর্বক কিংবা কন্সেনচূয়াল সেক্সের কোন কথা নেই। এখানে মূল কথা বলা হয়েছে যে দাসীদের যেন তাদের মালিকরা জোর করে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োগ না করিয়ে অর্থ উপার্জন না করে। এর সাথে মালিকের নিজের কি অধিকার সেটার সম্পর্ক নেই। তবে কাউকে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা যায় না কিন্তু হাটে বাজারে বিক্রয় করা যায় এ ভাবনার মাঝে বেশ চিন্তার খোরাক আছে।
বিবাহে যেহেতু স্ত্রীকে দেনমোহর দিতে হয় তাই টাকা লাগে, সে টাকা না থাকলে দাসীদের মুক্তির বিনিময়ে বিবাহের কথাও বলা হয়েছে, সে কালের হিসেবে বিধানটা মানবিক বলতেই হবে। তবে বিবাহ বহির্ভূত সেক্স করা যাবে কিনা কিংবা করা গেলে সেটা দুই পক্ষের অনুমতিতে স্বেচ্ছায় নাকি বলপূর্বক এমন কোন নির্দেশনা নেই আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আশা করি কোরানের এক অংশ গ্রহন অপর অংশ বর্জন এমন মারাত্মক প্রবনতা দেখাবেন না।
ধন্যবাদ।
@আদিল মাহমুদ,
একদা মহানবী (সাঃ)এর কাছে আনসার গোত্রের এক দাসী আসে । সে জানায় , তার মালিক তার সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করছে । এটা কি ঠিক ? । নবীজি (সাঃ) জানিয়ে দেন , তারা তাদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তাদের বেশ্যাবৃত্তিতে বাধ্য করো না । 🙂
জাহেলি যুগে দাসীদের সামাজিক মর্যাদা ছিল না । তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতেই অধিক আয়াত নাজিল করা হয়েছে ।
আরও ভাল উত্তর চাইলে , নিন পড়ুন । একটু কষ্ট করে পড়ুন কারণ ইংরেজিতে দেওয়া ।কিন্তু পড়ুন কারণ আমার প্রথম পোস্টের জবাবে আপনি যা প্রশ্ন তুলেছিলেন তার জবাব এখানে আছে ,…
These women captives used to be distributed as part of the booty among the soldiers, after their return to Islamic territory. Each soldier was then entitled to have relations ONLY with the slave girl over which he was given the RIGHT OF OWNERSHIP and NOT with those slave girls that were not in his possession. This RIGHT OF OWNERSHIP was given to him by the “Ameerul-Mu’mineen” (Head of the Islamic state.) Due to this right of ownership, It became lawful for the owner of a slave girl to have intercourse with her.
…
Nevertheless, the wisdom underlying the permission granted by Shariat to copulate with a slave woman is as follows: The LEGAL possession that a Muslim receives over a slave woman from the “Ameerul-Mu’mineen” (the Islamic Head of State) gives him legal credence to have coition with the slave woman in his possession, just as the marriage ceremony gives him legal credence to have coition with his wife. In other words, this LEGAL POSSESSION is, in effect, a SUBSTITUTE of the MARRIAGE CEREMONY. A free woman cannot be ‘possessed’, bought or sold like other possessions; therefore Shariat instituted a ‘marriage ceremony’ in which affirmation and consent takes place, which gives a man the right to copulate with her. On the other hand, a slave girl can be possessed and even bought and sold, thus, this right of possession, substituting as a marriage ceremony, entitles the owner to copulate with her.
One of our brothers has asked this question:
I want to understand the concept of concubines in Islam. Somehow or other the concept is
pushed under the rug, whenever I have to tried to bring it up at various places.
These are my concerns:
Ø What is a concubine?
Ø What is their status in a man’s life, esp a married person’s life?
Ø What is the status of the offsprings of this relationship– to the man, in
their lives, wealth and will etc?
Ø Does she have to be a muslima, or the religion in this relationship is not
of concern?
Ø How is this any different from the modern days concept of
mistress/prostitution/adultery?
A very authentic Hadith narrates that: Take care of whatever is in between your teeth (ie tounge) and whatever is in between your thighs and I promise you Jannah.”
According to Sahih Bukhari Rasool Allah (saws) used to teach the young teenagers, that tell me and I will get you married to anyone you want, however do not do the Sin of Zinna.
As per the above narrations it is quite obvious that the only kind of sexual relations acceptable in Islam are those of the married couples. But then time and time again I come to read the fact that Rasool Allah (saws) used to have one or two concubines too, aside from his 13 wives? This is very confusing, please explain.
(There may be some grammatical and spelling errors in the above statement. The forum does not change anything from
questions, comments and statements received from our readers for circulation in confidentiality.)
ANSWER:
The concept of slave girls in Islam
In the name of Allah, We praise Him, seek His help and ask for His forgiveness. Whoever Allah guides none can misguide, and who-ever He allows to fall astray, none can guide them aright. We bear witness that there is no one (no idol, no person, no grave, no prophet, no imam, no dai, nobody!) worthy of worship but Allah Alone, and we bear witness that Muhammad (saws) is His slave-servant and the seal of His Messengers.
May Allah bless you and reward you for asking this question. It is true that a lot of people push this subject ‘under the rug’ and do not understand it or are sometimes ashamed of this concept. That is because, today’s society and behavior is absolutely different from the conditions prevalent 1400 years ago at the time of Revelation of the Quran. There is no place on earth where this concept is practiced today, thus to really understand the concept in its entirety, we must try to imagine the times of the Revelation of the Glorious Quran.
Since time immemorial, slavery was an accepted practice; thus it was not Islam that started this practice, but rather Islam was the first system to inculcate the freedom of slaves and take steps to make them equal citizens of society. Slavery was abolished in modern society only a couple of centuries ago, and was openly practiced in almost all parts of the civilized world even until the early 1900s. But Islam made it a virtue to free slaves, and inculcate them into society as equal citizens, almost 1400 years ago! So, how did people (men and women) become slaves?
There were several ways in earlier times how a free person would become a slave.
The already existent slaves and their offspring were also considered slaves. People used to steal children and then sell them as slaves in another place. One tribe would attack another tribe, kill the men, and take the women and children as slaves and then sell them as war-booty.
This practice was prevalent all over the world at the times, thus we must remember that Islam neither started it, nor encouraged it. Islam, in fact closed almost all the doors on how a free man becomes a slave, and in reality opened all the doors to free these slaves and make them responsible members in society. Islam was instrumental in eradicating slavery and made it a virtue and a means of reward from Allah to free slaves and inculcate them into society.
The Messenger of Allah (saws) declared it a sin to kidnap any free man, woman or child and make them slaves. After the wars, the Prophet (saws) used to exchange the Prisoners of War if both the warring parties agreed to it. If not, the captives were set free by taking a ransom for them. If the slaves or their families could not afford the ransom, most times the Prophet (saws) showed generosity and released them without any ransom. Only if none of the above were possible, and the captives had no place to return to, then these captives were made slaves and all efforts were taken to inculcate them into the existing Islamic Society.
In some instances, when the enemy was still at war, there was always a fear that if the Prisoners of War were released, they would go back and join their armies and attack the Muslims again. During these times, the Messenger of Allah (saws) allowed the prisoners to be taken as slaves as was the prevalent system of the times. Rather than put them in jail, the slaves were distributed to each household and they were responsible for the welfare of the slaves. The Messenger of Allah (saws) exhorted the believers to feed them what they ate themselves, and dress them in the clothes that they themselves dressed.
Thus, there arose a issue with the women who were captured as Prisoners of War, and were not exchanged, nor ransomed, nor had any place to return to. Most times the wars were with tribes, and whoever won these wars, the losing tribes were completely annihilated. Thus there was no place to send the Prisoners of War back to, and it became imperative that these people were inculcated within the society. Thus there were two choices left with the slave girls: Leave them alone in society with no family and no protection. Give them under the guardianship and protection of an existing family.
Option-1. Leave them alone in society with no family and no protection.
This would not have been a good option. There was obviously a fear that these women, who had absolutely no family and tribe to protect or feed them, would start immoral practices if left to fend for themselves. And because no one could determine their lineage, no honorable person at that time would marry them outright. And also it would not be right to just leave these women, who had absolutely no means, no family, and no protection in a foreign land.
Option-2. Give them under the guardianship of an existing family.
The state would determine which slave girl to which household. Neither the people who received the slave girl, nor the slave girl had a choice. Whatever was allotted by the state was received by them. This was considered the best and novel system to eradicate slavery and accept the slaves as members of society. We must not try to imagine this system of distribution and acceptance in today’s society, but rather 1400 years at the time of the Prophet (saws). The training and discipline of the noble companions of the Prophet (saws), and the true Islamic society which was created in light of the Holy Quran and the guidance of the Messenger of Allah (saws) must be kept in view to get a full picture of the condition of the times.
Your comment: What is a concubine?
The slave girl that was allotted by the state to the respective household, thus became the consort of one member of the household. Only this person was allowed to have a sexual relationship with this slave girl. The difference between this person’s wife and the slave girl was that his wife came into his house through the proper marriage contract (Nikaah), and the slave girl was allotted by the state.
Your comment : What is their status in a man’s life, esp a married person’s life?
The status was like his wife. Only the person who was allotted the slave girl was allowed to have a sexual relationship with her. If the slave girl was allotted to the father, then the brothers or the sons had absolutely no right towards this girl. The other difference was that the Islamic law of equality of time and sustenance did not apply between the wives and the slave girl.
Your comment: What is the status of the offsprings of this relationship– to the man, in their lives, wealth and will etc?
The children were exactly like the other children from the person’s legally wedded wife. They were to be given exactly the same rights as his other children. The children of the slave girl would inherit the property exactly as the other children. There was absolutely no difference amongst the children. And once any slave girl bore a child, she could not be sold to anybody else and thus became a permanent member of the household.
Your comment: Does she have to be a muslima, or the religion in this relationship is not of concern?
No, this slave girl did not have to be a Muslima. In fact, all the wars fought were between the Muslims and the non-believers, thus most of these slave girls were non-Muslims. But through this system of allocation, this woman was encompassed into Islamic society, and because of the behavior and character of the Muslims of the times, the woman, more often than not, would accept Islam.
Your comment: How is this any different from the modern days concept of
mistress/prostitution/adultery?
There is a huge difference between the slave girls of those times and the system of prostitution which is so prevalent as a disease in today’s society. The slave girl was a social issue of the times, which if not solved by Islam would give rise to adultery and prostitution.
In prostitution, the woman sells here services for a fee to anyone who is willing topay! The slave girl was taken into a household as a full member.
In prostitution, the woman has sexual relationships with many men! The slave girl would have sexual relations only with the person she was given to; very similar to the husband-wife relationship, the only difference being that the wife came into the house through a marriage contract, and the slave girl was allotted to the person by the state.
Prostitution is a result of illegal lust, and is a huge sin in the eyes of Allah. The allocation of slave girls was a issue of the times to envelope the woman taken as slaves in a war into the Islamic society.
Prostitution and adultery do not have any responsibility attached to it! The man- woman have a one-off relationship and depart. The slave girls were a responsibility of the person, who spent on them, gave them a place to live, fed them, clothed them, and raised their children as his children. The children from adultery and prostitution are regarded as born out of wedlock and grow up without the name and without the shadow of a father. The children of the slave girls were known as the children of the person, grew up with his other children, and had exactly the same rights and inheritance as the other offspring. The system of slave girls was accepted and respected by the Islamic society of the times. The slave girl was treated like his wife, and the children from these slave girls were treated like their children by society. No religion, no state, no moral society accepts and respects the institutions of prostitution and adultery. This is a disease of society and every moral society has tried to eradicate this disease with little success.
Again, I reiterate that this system of slaves was not started by Islam, but was prevalent in the society in those times. Islam tried to encompass the slaves into Islamic society and gave them the respect and honor of being equal members and citizens of society. Almost all the doors and ways of creating new slaves were closed, and several options were created to free these slaves and entwine them into the Islamic society. It was considered a virtue in Islam to free slaves and a means of great reward from Allah Subhanah. Islam created a society whereby the compensation for repentance for many sins like murder, breaking of promises, missing of fasts, etc. was the freeing of slaves. In this way, Islam created an environment whereby slaves were made free and allowed to inculcate themselves into the normal Islamic society. We must be careful not to look into this ‘slave-girls’ issue in isolation, but rather look at the whole picture of the Islamic society at the time of the Messenger of Allah (saws). The training, the discipline, the character, and the morals of the noble companions was a direct result of their association and teachings and guidance of the Prophet (saws) himself. The values and degree of ‘Taqwa’ (God consciousness) and the love for the promised Paradise was so great amongst the noble companions of the Messenger of Allah (saws), that the system of justice and morality of the times just cannot be compared to today’s un-Godly times! One must not compare the slaves in Islam to the slaves taken by the modern colonists, who captured any free man in sight in the occupied territories like Africa, chained them and shipped them to their countries and treated them worse than animals! Among the slaves of Islam were people of stature like Hadrat Bilaal (r.a.), Hadrat Ammar bin Yasser (r.a.), Hadrat Salman al Faarsi (r.a.) and Hadrat Zaid bin Haritha(r.a.), the freed slave and adopted son of the Messenger of Allah (saws) himself. The status of Hadrat Zaid bin Haritha (r.a.) is such that he is the only companion of the Prophet (saws) who is mentioned by name by Allah in the Holy Quran. Thus the concept and picture of the slavery as practiced by the west, is absolutely different from the concept of slaves in Islam!
Your comment: But then time and time again I come to read the fact that Rasool Allah (saws) used to have one or two concubines too, aside from his 13 wives?
The Messenger of Allah (saws) had 11 wives in total during his lifetime, and themost wives he had at any one time were nine. Some of the allotted captives of war and slave girls, became his noble wives and received the title and honor of being called the ‘mother of the believers’ by Allah Himself in the Holy Quran. Amongst them was Hadrat Saffiyyah, who was a Jew. She was allotted to the Prophet (saws) as a slave girl, converted to Islam and was married to the Messenger of Allah (saws). Another of his wives who came as a slave and was allotted to the Prophet (saws) was Hadrat Jawarriyah (r.a.) from the tribe of Banu Haris. She too converted to Islam and was married to the Messenger of Allah (saws). He also had a couple of slaves girls whom he did not marry, like Hadrat Maria Kibtia and Hadrat Rehaana, for reasons best known to Allah and His Messenger (saws). But the scholars are unanimous in their opinion that the Messenger of Allah (saws) treated them with love and respect exactly like his other wives. And even after the death of the Prophet (saws), these slave girls of the Prophet (saws) did not marry anybody else like his wives, and they were respected by the muslims in the same honor as the other wives of the Prophet (saws).
And Allah Alone Knows Best and He is the Only Source of Strength. May Allah guide you and us all to the Siraat al-Mustaqeem.
Whatever written of Truth and benefit is only due to Allah’s Assistance and Guidance, and whatever of error is of me. Allah Alone Knows Best and He is the Only Source of Strength.
4- Can a slave request his freedom from his Muslim owner?
The Noble Quran not only allows slaves to request their freedom from their Muslim masters, but also orders the Muslim masters to pay the slaves money to help them stand on their feet and to be able to face life with a good jump start.
Let us look at Noble Verse 24:33 “Let those who find not the wherewithal for marriage keep themselves chaste, until God gives them means out of His grace. And if any of your slaves ask for a deed in writing (to enable them to earn their freedom for a certain sum), give them such a deed if ye know any good in them: yea, give them something yourselves out of the means which God has given to you. But force not your maids to prostitution when they desire chastity, in order that ye may make a gain in the goods of this life. But if anyone compels them, yet, after such compulsion, is God, Oft-Forgiving, Most Merciful (to them),” In this Noble Verse, we see that if a slave requests his freedom from his Muslim master, then his master not only must help him earn his freedom if there is good in the Slave, but also pay him money so the slave can have a good start in his free life.
Prophet Muhammad peace be upon him also said:
Narrated Abu Musa Al-Ash’ari: “The Prophet said, “Give food to the hungry, pay a visit to the sick and release (set free) the one in captivity (by paying his ransom).” (Translation of Sahih Bukhari, Food, Meals, Volume 7, Book 65, Number 286)”
Islam came to liberate all slaves and to end the Judeo-Christian and Pagan slavery that was practiced before Islam. When Allah Almighty made lawful for the Muslim men to have sex with their slave women, He did it to keep the Islamic society back then during Islam’s weak, partial and venerable times under control.
Now that after we’ve seen how Islam orders the Muslims to free the slaves whenever it is possible and also whenever the Slave requests his/her freedom, and to treat them as our brothers and sisters, then it is quite obvious that Islam is a religion that DOES NOT LIKE SLAVERY AND ENSLAVING PEOPLE.
We can now look at how Muslims can live with their Captives of Wars to understand the situation better. Back in those days, in most cases of battles, the defeated tribe would have lost many of its men in the battle field, leaving behind the elderly, women and their children.
Everyone is now living under the Islamic ruling. Islam is never to be forced upon any human being; “Let there be no compulsion in religion: Truth stands out clear from error….(The Noble Quran, 2:256)” Also “Say, ‘The truth is from your Lord’: Let him who will believe, and let him who will, reject (it)….(The Noble Quran, 18:29)” Every captured Pagan Arab had the freedom to continue following his/her religion as they wish. However, since now they lived under the Islamic ruling, and they showed a great deal of offense to the Muslims, by declaring wars on the Muslims along with the rest of the Arab Pagan tribes, and lost so many of their men and money for the war, then their situation now is quite different.
For those of the Pagans who could afford to pay “Jizya” or “Taxes”, then they would not be Captives of War and their life would continue as it was. However, for those who could not afford to pay “Jizya” or “Taxes”, then they would be taken as Captives of War. They would serve the Muslims and the new ruling that they live in, until they bring back the losses that they brought to the Muslims.
Keep in mind that Allah Almighty allowed for the Captives of Wars to request and be granted their Freedom as shown in the Noble Verse 24:33 above.
Those Captives of Wars while living with the Muslims, would be treated with kindness. Prophet Muhammad peace be upon him described them as the MUSLIMS’ BROTHERS/SISTERS as shown in the Saying above and the Muslims must feed them from the same food that they eat and dress them from the same cloths that they wear. But since they are now living in captivity to make up for the damage that they caused to the Muslims from money and lives, they can be treated as slaves, and in slavery, the master can sleep with any of his women that he desires.
Also, in the Bible’s Deuteronomy 20:13-14, in which it clearly gives orders to kill all the men and to take all of the women and children as slaves. No where in the Noble Quran do we have any order to kill any innocent life.
এতে বোঝা যায় , ডান হাতের অধিকারভুক্ত দাসীদের একাধারে স্ত্রী তুল্য বোঝান হয়েছে আরেকভাবে গৃহকর্তীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে । তাদেরকে সাহাবারা ও নবীজি (সাঃ) অন্যের সাথে ব্যভিচারের জন্য জোর দিবেন এটা কল্পনা করাটাও কঠিন আপনারা নিজেরা তো ইসলাম মানেন না ,ইসলামের অন্তর্নিহিত অর্থও বুঝেন না এবং জানতেও চান না কিন্তু তীর্থের কাকের মতো ঠিকই বেশি বুঝেন । কোন আয়াত দ্বারা কি বোঝাচ্ছে এটা নবী , রাসুলরা সবচে ভাল বুঝতেন আর আমরা মুসলমানেরাই ভাল বুঝি । আপনারা নাস্তিকেরা কোরআন , হাদিস থেকে ফুট করে আয়াত এনে চিল্লাতে থাকেন , দেখ দেখ কি বলেছে । একবারও বোঝার চেষ্টা করেন না ওই আয়াত তার আশেপাশের আয়াতের সাথে অন্য অর্থও প্রকাশ করতে পারে । এটাও বোঝার চেষ্টাও করেন না যে কোন বাস্তবতায় আয়াতগুলো নাজিল হয়েছিল ।
আগেও বলেছি , আবারো বলছি ,ইসলামে দাসপ্রথাকে নিরুৎসাহিত করার মাধ্যমে তা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল । একদিনে নিষিদ্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন আব্রাহাম লিংকন , পরিনামে তাকে ইতিহাস কুখ্যাত গৃহ যুদ্ধের মোকাবেলা করতে হয়েছিল । তিনি তার অবস্থানে ঠিক ছিলেন সন্দেহ নেই কিন্তু আমেরিকা কে অনেক ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছিল । ইসলাম তৎকালীন আরব সমাজকে সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন করতে চায়নি ।
আপনি জাকির নায়েকের উদাহরণ তোলায় আমার হাসি পেলো , কোথায় আগরতলা কোথায় চকিরতলা , আমি দাস সম্পর্কিত আয়াত কথা বলছিলাম আপনি স্ত্রী সংক্রান্ত আয়াতে গেলেনগা । আচ্ছা ভাল , কোরআনে এমন অনেক আয়াত আছে যেখানে স্পষ্ট পুরুষদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে , আমরা যেন আমাদের স্ত্রীদের সুযোগ সুবিধা এমনকি যৌন চাহিদারও প্রতি সচেষ্ট থাকি । অন্যথায় আমাদের প্রতিও কঠিন শাস্তির বিঁধান করা হয়েছে । যে স্বামী তার স্ত্রীর সকল অধিকার পূর্ণ করল , নিজেকে একজন আদর্শ পতি হিসেবে প্রতীয়মান করল , তারপরও তার স্ত্রী যদি তার চাহিদা পুরন না করে তাহলে তার ক্ষেত্রে সেই আয়াত প্রযোজ্য । এই ব্যাপারে আরও অনেক কিছুই বলতে পারি , তবে সে জন্য অন্য টপিকে যেতে হবে ।
আমি কোরআনের এক অংশ গ্রহণ করে অন্য অংশ গ্রহণ করছি কিনা এ ব্যাপারে আপনার একতরফা রায় চাইনি । এটাও তো বললেন না এই কাজ মুনাফেকিতুল্য । আগে ইসলাম জানুন , কোন কোন পয়েন্টে আমি এ হেন পাপ করেছি সেটা খুলে বলুন , তারপর বড় বড় কথা বলুন । বাস্তব অর্থে আমি কোরআনের কোন অংশকেও অবিশ্বাস করছি না । কোরআনে এমন অনেক আয়াত আছে যা শুধু তৎকালীন সময়ের নবী ও সাহাবাদের জন্য অনুসরনীও , আমাদের জন্য তা শিক্ষণীয় । আবার এমন অনেক আয়াত আছে যা আমাদের সবার জন্য অবশ্য পালনীয় । আমি আপনাকে বলি যে আয়াতগুলোর উদাহরন আপনি টেনেছেন আসল ঐতিহাসিক অন্তর্নিহিত অর্থ আপনি বুঝে আসুন ।
@ইসলাম,
নবী মোহাম্মদ পাইকারি হারে যুদ্ধবন্দিনীদের ঢালাও গণধর্ষনের হুকুম দিতেন কিংবা কোরান এ জাতীয় কোন নির্দেশ দিয়ে রেখেছে এমন দাবী কি আমি করেছি? নবী মোহাম্মদ দাসদাসীদে প্রতি সমকালীন অন্যান্য রাজা বাদশাহদের তূলনায় অনেক মানবিক ছিলেন এটা অস্বীকার করা যায় না। সেকালে দাসীদের সাথে ঢালাও সেক্স (সোজা কথায় ধর্ষন) ছিল সমাজ স্বীকৃত অধিকার, এতে কেউ কিছু মনে করত না। অনেকে তাদের পতিতাবৃত্তিতেও ব্যাবহার করত যা নিঃসন্দেহে নবী মোহাম্মদ পছন্দ করতে পারতেন না। তাই আল্লাহ সুরা নূরের ৩৩ আয়াত নাজিল করেন।
সামগ্রিকভাবে ইসলাম কোরানের মাধ্যমে দাসপ্রথা অনুমোদন করে, নিষিদ্ধ কোনদিনই করেনি – এটা কিভাবে অস্বীকার করা যায়? বাতিল করেছে দাবী করলে কোরানের আয়াত দেখান। যুগের তূলনায় ইসলামী দাস প্রথা কতটা মানবিক সেটা পরের কথা। কোরান হাদীসের মানবিক প্রথা মত আপনাকে পরিবার সমেত দাস হিসেবে আরব দেশে বিক্রয় করা হল, আপনি আল্লাহ রসূলের নির্দেশিত মহান মানবিক ব্যাবস্থার ছাতা পেলেন বলে এতে ধন্য ধন্য করবেন? জাকির নায়েক অবশ্য দেখি দাবী করেছেন যে ইসলামী দাস প্রথা বর্তমান যুগের ইউএন চার্টার থেকেও ভাল ছিল। আপনিও হয়ত সে দলের। আমরা বাংগালীরা ‘৭১ সালে বিরাট ভুল করেছি, পাকিস্তানী মুসলমান সৈনিকদের ইসলামী দাসপ্রথার অধীনে আনা উচিত ছিল, ব্যাটারাও এত ধর্ম ধর্ম কপছে শেষে ইউএন চার্টারের ছায়ায় মুশরিক ভারতীয় বাহিনীর কোলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তবে এখনো ভুল সংশোধনের কিছুটা সুযোগ আছে। রাজাকার বদরদের আমরা সরাসরি মাথা নামিয়ে তাদের বাড়ির মহিলাদের দাসী হিসেবে ভাগাভাগি করে নিতে পারি, মধ্যপ্রাচ্যে বিক্রয় করতে চাইলে মনে হয় দেশের ভাল বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন হতে পারে। আপনি কি বলেন?
দাসদাসীদের প্রতি নবীজিই শুধু প্রথম নন, তারও আগে কাফের প্রজাতির রাজা বাদশাহদেরও আরো নমনীয় হবার উদাহরন আছে। দাস প্রথা নিয়ে যে এত কথা বয়ান করলেন এটা কি জানেন যে সম্রাট অশোক নবীজিরও আরো ৮০০ বছর আগে দাস ব্যাবসা নিষিদ্ধ করেছিলেন, নবীজির মতই তাদের সাথে ভাল ব্যাবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন? নবীজি কিন্তু তার জীবন কালে দাস ব্যাবসা নিষিদ্ধ করতে পারেননি, ভাল মানবিক ব্যাবহারের কথা বলেছেন মাত্র। এখন সম্রাট অশোককে আমি ‘নবী’ দাবী করি? প্রাচীনকালে বিচ্ছিন্ন ভাবে পৃথিবীর আরো কিছু অঞ্চলেই দাসপ্রথা এমনকি নিষিদ্ধই হয়েছিল। সব যুগেই কিছু মানুষ তাদের কালের থেকে অগ্রবর্তি হয়। ধর্মগতভাবেও ইসলামেরও আগে জৈন ধর্মে দাসপ্রথার বিরুদ্ধে সরাসরি কথা আছে। এখানে পড়েন, জানতে পারবেন। অনেকে দেখি ইসলামী দাসপ্রথা কত মহান এটা প্রমানে সরাসরি দাবী করেন যে ইসলামের আগে দাসদাসীদের প্রতি কোনরকম মানবিক ব্যাবহারের বিধান জগতে ছিল না।
আল্লাহ রসূল দাসপ্রথার ব্যাপারে হিসেবী পদক্ষেপ নিলেন বুঝলাম, ধীরে ধীরে যুগের সাথে সাথে দাসপ্রথা উঠে যাবে এটাঈ ছিল তাদের মহান ক্যালকুলেশন। তাদের এই অদ্ভূত হিসেবের স্বীকার হয়ে দুনিয়ায় মুসলমানদের হাতেই কত লাখ লাখ মানবাত্মা দাসত্বের কোপানলে কি অমানবিক জীবন যাপন করেছেন তার হিসেব কে দিতে পারে? আপনাকে ২০০ বছর আগে কেউ দাস হিসেবে হাটে নিয়ে বিক্রয় করলে আপনি আল্লাহর মহাপরিকল্পনা্র মানবিক দাসপ্রথায় সাবাশি দিতেন?
তা এভাবে মুসলমান হিসেবে কেন চিন্তা করতে পারেন না যে সুদ প্রথা নিষিদ্ধ আইনও একদিক যুগের সাথে সাথে গ্রহনযোগ্য হবে যেমনটা আল্লাহ দাসপ্রথার ব্যাপারে হিসেবী চাল চেলেছেন? সেকালে ব্লাড মানি আইন, চোরের হাত কাটা, পুরুষের বহু বিবাহের অধিকার, বিবি পেটানোর অধিকার এসব ছিল সামাজিক রীতি, এসবের ব্যাপারেও কেন এভাবে চিন্তা করেন না? এভাবে চিন্তা করলে শরিয়া আইন কিভাবে কায়েমের দাবী জানানো যেতে পারে? আজ পর্যন্ত কয়জন মুসলমান আলেম আপনাদের যুক্তিমত দাবী করেছে যে কোরানে বিবি পেটানোর মানবিক রীতির ব্যাপারেও আল্লাহর সুদুরপ্রসারী চিন্তা ছিল, তিনি ধীরে ধীরে এ কুপ্রথা বাতিলের মহা পরিকল্পনা করেছিলেন? সামান্য ইউটিউব ঘেটে দেখেন কিভাবে বড় বড় আলেম, ডক্টরেট করা লোকে বিবি পেটানোর মহাত্ম্য বর্ননা করছেন। কাফের নাছারাগণ দাসপ্রথা বাতিল না করলে আজ ইউটিউবে দেখতেন এসব শিক্ষিত মোল্লারা দাসপ্রথা কত মহান খোদাই বিধান তা বর্ননা করছেন।
কোরান হাদীস অনুসারী দাবীদারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তারা এর বাইরে আর কোন কিছু চিন্তা করতে পারে না। একারনে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হবার তারিখ দেখেন, সবচেয়ে পেছনে আছে মুসলমান প্রধান দেশগুলি। তাও সহজে তারা বাতিল করতে চায়নি, কেনই বা চাইবে? আল্লাহ রসূল কোরান হাদীসে যে অধিকার তাদের দিয়ে গেছেন সর্বযুগের পাথেয় হিসেবে তা অস্বীকার করা আর কোরান অস্বীকার করায় তফাত কোথায়? দাস প্রথা আপনাদের দাবীমত আল্লাহ হিসেবী চাল চেলেছিলেন, নিজে নিষিদ্ধ না করে ভবিষ্যতের মুসলমানগণের ওপর নিষিদ্ধ করার মহান দায় চাপিয়েছিলেন। মুশকিল হল মুসলমানেরা আল্লাহর হিসেবি পরিকল্পনার তেমন গুরুত্ব দেয়নি, দাসপ্রথা বাতিল করায় অগ্রগামী ভূমিকা ছিল কাফের নাছারাগনের, মুসলমানগনের ভূমিকা ছিল ধর্মীয় অধিকার হিসেবে সংরক্ষন করনে। শ্রেষ্ঠত্ববাদের ভূত ভুলতে পারলে এখানে একটু দেখেন কোন কোন দেশ কবে কবে দাসপ্রথা বাতিল করেছে। এসব দেশের আলেম মোল্লারা দাসপ্রথা বাতিল মানতে চায়নি, পশ্চীমাদের চাপেই মানতে বাধ্য হয়েছে। হতে পারে আল্লাহর দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনার সময়সীমা আসলে আরো বেশী ছিল, দাসপ্রথা হয়ত আরো ১০ হাজার বছর চলার কথা ছিল যুগের সাথে ধীরে ধীরে মানিয়ে চলতে।
আব্রাহাম লিঙ্কনকে ইতিহাস স্মরন ওঁ সম্মান করে করে দাসপ্রথা নিষিদ্ধকারি হিসেবেই, এটা বোঝেন? একেবারে গোড়া কনফেডারেট উন্মাদ না হলে কেউ বলবে যে লিঙ্কন দাসপ্রথা নিষিদ্ধ করে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে দুনিয়ার অসীম ক্ষতি করেছিলেন?
আপনার আলোচ্য আয়াত সম্পর্কে আগেই বলেছি। এই আয়াতে দাসীদের সাথে বিবাহ ছাড়া সেক্স কর না, কিংবা তাদের সম্মতি ছাড়া সেক্স কর না এমন কোন কথা কি আপনি পান? পেলে সেটা কোথায়? এই আয়াতের তাফসির পড়েছেন বড় বড় সব আলেমের লিখিত? তারা এমন কথাও লিখেছেন যে দাসীদের মুক্তি দেওয়া না দেওয়া চূড়ান্তভাবে মালিকের ইচ্ছা। এই আয়াত কেবলমাত্র তাদের বিবাহের মাধ্যমে মুক্তি দেওয়ার অপশন মাত্র। এই আয়াত নিয়ে মাতামাতির কি আছে? এটা আইনী বাধ্যতামূলক কোন নির্দেশও নয়, একটা অপশন ছাড়া কিছু না, যা মানা না মানা যার যার ইচ্ছে।
যেই ইসলাম স্বামীর সেক্সের আহবান অস্বীকার করার অধিকার বিবাহিত স্ত্রীকেও দেয়নি সে অধিকার ইসলাম দক্ষিন হস্তের অধিকারভুক্ত দাসীদের দিয়েছিল এটা আমাকে সূস্থ মাথায় বিশ্বাস করতে বলেন? এক হাদীস দেখিয়ে কোরানের ৩ আয়াত নিষিদ্ধ দাবী করতে চান? আপনার কোট করা হাদিসে দেখা যাচ্ছে যে নবীজিও নূরের ৩৩ আয়াতের কথাই বলেছেন। দাসীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য না করার কথাই বলেছেন। এ নিয়ে বিতর্কের কি আছে? দাসীর সাথে বিবাহপূর্বক কিংবা বলপূর্বক যৌনকর্ম কোর না এমন কিছু এখানে আছে? এ দুয়ের পার্থক্য বোঝেন?
আপনার দেওয়া বিশাল ইসলাম রক্ষাকারি লেখা পড়ে হাসবো না কাঁদবো ভেবে পাই না।
“Each soldier was then entitled to have relations ONLY with the slave girl over which he was given the RIGHT OF OWNERSHIP and NOT with those slave girls that were not in his possession. ” – বাহ! কি শুশৃংখল মানবিক নীতি। এই উক্তির মাধ্যমে দাসীদের সাথে যৌনকর্ম করা হত ইসলাম বিদ্বেষীদের এই অভিযোগ একেবারে ধূলায় উড়ে গেল, তাই না? আমার ভাগে যে পড়ল তার সাথে আমি ক্রিয়াকর্ম চালাতে পারব, তবে হ্যা, অন্যদের ভাগেরদের নিয়ে টানাটানি করতে পারব না। চমতকৃত হতেই হয়।
Those Captives of Wars while living with the Muslims, would be treated with kindness.
-আসলেই। ইসলামী দাসপ্রথায় সামগ্রিকভাবে মানবিক ব্যাবহারের কথা আছে। তবে তার মাত্রা যুগের সাথেঈ সীমাবদ্ধ। সেই কাইন্ডনেস ভাল খাওয়া পরার মাঝেই সীমাবদ্ধ। সেই কাইন্ডনেসের সংজ্ঞায় তাদের সাথে অবাধ যৌনকর্ম, বাজারে নিয়ে বিক্রয় এসব ছিল না।
হাটে বাজারে গরু ছাগলের মত বিক্রয়কে কাইন্ডনেস ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে?
Prophet Muhammad peace be upon him described them as the MUSLIMS’ BROTHERS/SISTERS
সহিহ মুসলিম বই ৮, হাদিস ৩৪৩২
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
হুনায়েন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্র রসুল আওতাসে এক সৈন্যদল পাঠালেন। তারা শত্রুর সাথে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করল। এরপর মুসলিম সৈন্যরা যুদ্ধবন্দি নিলো। মহিলা বন্দিদের সাথে তাদের পৌত্তলিক স্বামীরাও ছিল। নবীজির সাহাবিরা ঐ মহিলাদের সাথে তাদের স্বামীর সামনে সহবাস করতে নারাজ থাকলেন। এই সময় আল্লাহ পাঠিয়ে দিলেন এই আয়াত: “এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। (৪:২৪)”
– এই হাদীসে দেখা যায় যে এমনকি বিজয়ী মুসলমানেরাও যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে তাদের স্বামীর সামনেই যৌনকর্ম করতে দ্বিধাবোধ করছিল, হাজার হোক তারাও মানুষ, বিবেকবোধ কিছু অশ্যই ছিল। তাদের এই দ্বিধাবোধ কাটাতে এগিয়ে আসেন আল্লাহ এবং নবী। কাইন্ডনেসের কি জ্বলন্ত উদাহর সহি হাদীসে পাওয়া যায়, কি অসাধারন ব্রাদার সিষ্টার সূলভ আচরন। আমরা নাস্তিক/বিদ্বেষীরা কি আর এসব কাইন্ডনেসের মহাত্ম্য বুঝতে পারব? আমাদের দিলে তো আল্লাহ তালা মেরে দিয়েছেন।
– ভাই, শাক দিয়ে মাছ কোনদিন ঢাকা যায়? আমার দেওয়া তিন আয়াত নিজে পড়েছেন? আমরা ইসলাম মানি না সত্য কথা, ইসলাম না মানার অর্থ যদি সূস্থ মাথায় অমানবিক রীতি নীতির সাফাই গাওয়া, সর্বযুগের অবশ্য পালনীয় খোদাই বিধান বলে হাস্যকর দাবী করে যাওয়া অন্তত আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
মহান কোরান তাফসিরকারকগন তো ইসলাম মানেন, বোঝেন, নাকি? তাদের কথা কিভাবে অস্বীকার করি?
কোরানে সরাসরি বলা হচ্ছে অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে যৌনকর্মে সমস্যা নেই এবং তাফসিরকারকগন তা বর্ননা করছেন আর আমাকে আপনি তীর্থের কাক দেখাচ্ছেন? আপনি তো ভাই কোরানকেই অস্বীকার করার চেষ্টা করছেন, নাউজুবিল্লাহ। বিব্রতকর মনে হওয়ায় মহান খোদাই কোরানের আয়াত অস্বীকার! আমি এখন গাদি গাদি তাফসির দেখাতে পারি। এত সময় নেই। কোরান তো আর যাই হোক, রসময় গুপ্তের চটি নয় যে এতে ষ্টেপ বাই ষ্টেপ দাসীদের সাথে কিভাবে কি করতে হবে তার বর্ননা থাকবে। যা আছে তাই বোঝার জন্য যথেষ্ট।
অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে রিলেশনশিপের কথা আপনার নিজের কোট করা কথায় নেই? আপনার ইসলাম রক্ষক রেফারেন্সই তো বলেঃ
Each soldier was then entitled to have relations ONLY with the slave girl over which he was given the RIGHT OF OWNERSHIP
এই রিলেশনটা ঠিক কি? আপনি আপনার স্ত্রীর কিভাবে পরিচয় দেন জানি না। তবে কোন লোকে বলে না যে তার সাথে আমার রিলেশনশিপ আছে, বলে সে আমার স্ত্রী। রিলেশনশিপ আর স্ত্রীর পার্থক্য এখনো বোঝেন না? আপনি আগে এটা বোঝেন, তারপর আমরা আপনার পরামর্শমত বড় বড় আলেম ওলামাদের লিখিত তাফসির নিয়ে আলোচনা করে ঐতিহাসিক অন্তর্নিহিত অর্থ নিয়ে কথা বলব।
ভাই, সকলের সময় নষ্ট না করে এই সোজা কথাটা স্বীকার করে নিলে হয় না যে কোরান হাদীস এসব কিছুরই যুগের সাথে সীমাবদ্ধতা ছিল? এসবের অনেক বিধিবিধান যুগের সাথে বাদ হয়ে গেছে এটা সোজা স্বীকার করে নিলে কি হয়? বেহেশতে যেতে দেরী হয়ে যাবে? অন্যদিকে কোরানের আয়াত অস্বীকার করে, হাদীস অস্বীকার করে বেহেশতে যেতে চান?
@আদিল মাহমুদ,
ভাই , আপনি সহিহ মুসলিম হাদিস গ্রন্থ থেকে যে উদাহরনটা টানলেন , যেমন –
{সহিহ মুসলিম বই ৮, হাদিস ৩৪৩২
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
হুনায়েন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্র রসুল আওতাসে এক সৈন্যদল পাঠালেন। তারা শত্রুর সাথে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করল। এরপর মুসলিম সৈন্যরা যুদ্ধবন্দি নিলো। মহিলা বন্দিদের সাথে তাদের পৌত্তলিক স্বামীরাও ছিল। নবীজির সাহাবিরা ঐ মহিলাদের সাথে তাদের স্বামীর সামনে সহবাস করতে নারাজ থাকলেন। এই সময় আল্লাহ পাঠিয়ে দিলেন এই আয়াত: “এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। (৪:২৪)}
আর এই ব্লগের আলোচিত পোস্টের লেখক আবুল কাসেম , আপনারই ভাই তার লেখায় একই আয়াতের উদাহরণ টানলেন অন্য বই থেকে –
{ সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১৫০:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন: হুনাইন যুদ্ধের সময় আল্লাহ্র রসুল আওতাসে এক অভিযান চালালেন। মুসলিম সৈন্যরা তাদের শত্রুকে মোকাবেলা করল এবং তাদেরকে পরাজিত করল। তারা অনেক যুদ্ধবন্দিনী পেল। যুদ্ধবন্দিনীদের কাফের স্বামীরা একই স্থানে থাকার দরুন রসুলুল্লাহর অনেক সাহাবি তাদের হাতে গচ্ছিত বন্দিনী কাফের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করতে বিব্রত বোধ করলেন। এই সময় আল্লাহ্ নাজেল করলেন কোরানের আয়াত ৪:২৪:
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য—ব্যভিচারের জন্যে নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ্ হবে না। যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ্ সু-বিজ্ঞ, রহস্য-বিদ।}
ভাই , সত্যিই ,আপনার সহিহ মুসলিম হাদিস গ্রন্থের উদাহরণ শুনে আমি আক্কেল গুড়ুম , মাগার তারপরও একটা ছোট্ট অথচ গুরুতর মিথ্যা নজরে আসল , আপনারা তো শিওর এর পরিপূর্ণ ইতিহাস জেনে কমেন্ট করেন নি । আমি করছি , আসল হাদিসটিও দেখে এসেছি ,। আসল হাদিস কিন্তু অন্য কথা বলে –
Sahih muslim, the book of marriage(Book no.8) , hadith no – 3432
Abu Sa’id al-Khudri (Allah her pleased with him) reported that at the Battle of Hanain Allah’s Messenger (may peace be upon him) sent an army to Autas and encountered the enemy and fought with them. Having overcome them and taken them captives, the Companions of Allah’s Messenger (may peace te upon him) seemed to refrain from having intercourse with captive women because of their husbands being polytheists. Then Allah, Most High, sent down regarding that:” And women already married, except those whom your right hands possess (iv. 24)” (i. e. they were lawful for them when their ‘Idda period came to an end).
পেছনের ইতিহাস – হুনায়েনের যুদ্ধে জয়লাভের পর কিছু জুদ্ধবন্দিনি হিসেবে আটক করা হয় । ইসলামের শরীয়ত বিধি অনুযায়ী যে সকল বন্দিনির স্বামী যুদ্ধে মারা গিয়েছিল তাদেরকে ডানহাতের অধিকারভুক্ত দাসী (যা তৎকালীন সময়ে স্ত্রী তুল্য) হিসেবে সাহাবাদের প্রদান করা হয় । তারপরও সাহাবারা তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে নারাজ ছিলেন যেহেতু তারা আগে থেকেই বিবাহিত ছিল । তার উদ্দেশেই এই হাদিস । এই হাদিস থেকে আরও একটি পরামর্শ দেওয়া হয় যে , স্বামী হারা স্ত্রীরা একটি নির্দিষ্ট সময় ইদ্দত পালনের পর তার পূর্ববর্তী বৈবাহিক সম্পর্ক হতে মুক্ত হয়ে যায় ।
দেখলেন তো মুসলিম ভাইয়েরা , কিভাবে একটি হাদিসের ভেতর সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটিয়ে দেওয়া হয়েছে যা আমি আমার প্রথম পোস্টে বলেছি । মূল হাদিসে কিন্তু তাদের স্বামীদের ধারে কাছে থাকার কথাও উল্লেখ নেই । উল্টে আরও এক্সট্রা লাইন জুড়ে দেওয়া হয়েছে ,
{ মহিলা বন্দিদের সাথে তাদের পৌত্তলিক স্বামীরাও ছিল }
আমূল পরিবর্তনের কথাই আমি আমার প্রথম পোস্টে বলেছি । মুসলিম ভাইয়েরা আপনারাই বলুন , এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আসলে কি করা উচিত ।
{ Those Captives of Wars while living with the Muslims, would be treated with kindness.
-আসলেই। ইসলামী দাসপ্রথায় সামগ্রিকভাবে মানবিক ব্যাবহারের কথা আছে। তবে তার মাত্রা যুগের সাথেঈ সীমাবদ্ধ। সেই কাইন্ডনেস ভাল খাওয়া পরার মাঝেই সীমাবদ্ধ। সেই কাইন্ডনেসের সংজ্ঞায় তাদের সাথে অবাধ যৌনকর্ম, বাজারে নিয়ে বিক্রয় এসব ছিল না।
হাটে বাজারে গরু ছাগলের মত বিক্রয়কে কাইন্ডনেস ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে? }
ইসলামি শরীয়ত কি জানেন , নাকি না জেনেই কথা বলছেন । ইসলামি শরীয়ত বিধিতে যুদ্ধ বন্দিনীদের ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে –
১। যদি মনে করো তারা নিজেরাই স্বাবলম্বী তাহলে জিজিয়া কর নেবার মাধ্যমে তাদের মুক্ত করে দাও ।তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে জিজিয়া কর নেবার অনুমতি নেই ।
২। যদি তা না হয় তাহলে , পরাজিত গোষ্ঠীর কাছ থেকে মুক্তিপন আদায়ের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করো ।
৩। যদি তাও না হয় , এবং যদি দেখ যে তাদের মুক্ত করে দেবার মাধ্যমে সমাজে বেশ্যাবৃত্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে । তাহলে তাদের ডান হাতের অধিকারভুক্ত দাসী হিসেবে গ্রহণ করো ।
মহানবী (সাঃ) যুদ্ধ বন্দিনি সহ প্রায় ৭২০ জন দাস দাসী মুক্ত করেছিলেন । আবু বকর ২১৪৩ জন । উমর ২৫৬ জন , আলি ৭৬ , উসমান ৫২ জন সহ বহু সাহাবারা অগণিত দাসী মুক্ত করেছিলেন । কোরআনও দাস মুক্তির ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছে । ইসলামি ইতিহাসের ব্যাপারে জানলাম , ইসলাম পরবর্তী যুগে সুলতান নাফিসের সময় দাসপ্রথা অভূতপূর্ব ভাবে কমে গিয়েছিল । এভাবে কিছুদিন চললে দাস প্রথা বিলিন হয়ে যেত । কিন্তু পরবর্তী জালিম উমাইয়া শাসক রা ফের দাস প্রথা ঢালাও ভাবে চালু করেন ইসলামি বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করেই । কিন্তু এর জন্য ইসলাম দায়ী নয় ।
কথা ভালই প্যাঁচাতে পারেন । আপনার উক্ত কথাগুলো পরে মনে হল , হয় আপনি আমার ইংলিশ পোস্ট বোঝেননি না হয় কথার চাতুর্যতায় পোস্টে আমি যেসব পয়েন্ট গুলো তুলে ধরেছি সেগুলো উহ্য করে অন্য দিকে সরে যেতে চাইছেন । যদি সত্যিই আমাকে মিথ্যা প্রমাণিত করতে চাইতেন তাহলে আমার কথার বিরুদ্ধে শক্ত ঐতিহাসিক প্রমাণ এনে তা মিথ্যা প্রমাণিত করতেন বা অকার্যকর প্রমাণিত করতেন । আপনি তা না করে পূর্ব স্বভাবের মতো পোস্ট থেকে দু এক লাইনের অংশবিশেষ যা আসলে বিশেষ কোন অর্থ ও জবাব প্রকাশ করে না তা তুলে এনে ব্যাঙ্গ , চাতুর্যতায় পুরো কথাটাকেই কোথায় ফেলতে চাইছেন ! ইসলাম কেন দাসীর সাথা সেক্স একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বৈধ করেছে , জুদ্ধবন্দিনিদের কেন সাথে সাথে ছেরে দিল না , এটা প্রস্নসহ উত্তরের মাধ্যমে যুক্তি সহ আগের পোস্টে প্রমাণ করেছি । আপনি যদি মনে করেন আমার যুক্তি ভুল তাহলে বিপরীত ঐতিহাসিক প্রমাণ ও যুক্তি দিয়ে আমার যুক্তি ভুল প্রমাণিত করছেন না কেন । এক দুই লাইন তুলে এনে ব্যাঙ্গ করে কথা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়াটা কোন রকম ভাওতামি ?
{ আল্লাহ রসূল দাসপ্রথার ব্যাপারে হিসেবী পদক্ষেপ নিলেন বুঝলাম, ধীরে ধীরে যুগের সাথে সাথে দাসপ্রথা উঠে যাবে এটাঈ ছিল তাদের মহান ক্যালকুলেশন। তাদের এই অদ্ভূত হিসেবের স্বীকার হয়ে দুনিয়ায় মুসলমানদের হাতেই কত লাখ লাখ মানবাত্মা দাসত্বের কোপানলে কি অমানবিক জীবন যাপন করেছেন তার হিসেব কে দিতে পারে? আপনাকে ২০০ বছর আগে কেউ দাস হিসেবে হাটে নিয়ে বিক্রয় করলে আপনি আল্লাহর মহাপরিকল্পনা্র মানবিক দাসপ্রথায় সাবাশি দিতেন? }
{ সেই কাইন্ডনেস ভাল খাওয়া পরার মাঝেই সীমাবদ্ধ }
আচ্ছা , তাহলে এইসব আয়াতগুলো কি বলে –
Hadith – Sahih Al-Bukhari 3.721, Narrated Al Marur bin Suwaid
I saw Abu Dhar Al-Ghifari wearing a cloak, and his slave, too, was wearing a cloak. We asked him about that (i.e. how both were wearing similar cloaks). He replied, “Once I abused a man and he complained of me to the Prophet. The Prophet (peace be upon him) asked me, ‘Did you abuse him by slighting his mother?’ He added, ‘Your slaves are your brethren upon whom Allah has given you authority. So, if one has one’s brethren under one’s control, one should feed them with the like of what one eats and clothe them with the like of what one wears. You should not overburden them with what they cannot bear, and if you do so, help them (in their hard job).’ ”
Hadith – Al-Muwatta 54.41, Kindness to Slaves
Malik related to me that he heard that Umar ibn al-Khattab went to the villages every Saturday. If he found a slave doing work which he was not capable of doing, he lightened it for him.
Hadith – Sunan of Abu Dawud, #2694, Narrated Ali ibn Abu Talib
Some slaves (of the unbelievers) went out to the Apostle of Allah (peace be upon him) on the day of al-Hudaybiyyah before treaty. Their masters wrote to him saying: O Muhammad, they have not gone out to you with an interest in your religion, but they have gone out to escape from slavery. Some people said: They have spoken the truth, Apostle of Allah, send them back to them. The Apostle of Allah (peace be upon him) became angry and said: I do not see your restraining yourself from this action, group of Quraysh, but that Allah send someone to you who strike your necks. He then refused to return them, and said: They are emancipated (slaves) of Allah, the Exalted.
Hadith – Sahih Muslim, #2182, Narrated Abdullah ibn Umar
Khaythamah reported: While we were sitting in the company of Abdullah ibn Umar there came in his steward. He (Ibn Umar) said: Have you supplied the provision to the slaves? He said: No. Upon this he said: Go and give (the provision) to them, for the Messenger of Allah (peace be upon him) has said: This sin is enough for a man that he withholds the subsistence from one whose master he is.
Malik related to me from Nafi that Abdullah ibn Umar freed an illegitimate child and its mother
The Noble Qur’ân An-Nur 2:221
And do not marry Al-Mushrikât (idolatresses, etc.) till they believe (worship Allâh Alone). And indeed a slave woman who believes is better than a (free) Mushrikah (idolatress, etc.), even though she pleases you. And give not (your daughters) in marriage to Al-Mushrikûn till they believe (in Allâh Alone) and verily, a believing slave is better than a (free) Mushrik (idolater, etc.), even though he pleases you. Those (Al-Mushrikûn) invite you to the Fire, but Allâh invites (you) to Paradise and Forgiveness by His Leave, and makes His Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.) clear to mankind that they may remember.
The Noble Qur’ân An-Nur 2:221
Allâh will not punish you for what is uninentional in your oaths, but He will punish you for your deliberate oaths; for its expiation (a deliberate oath) feed ten Masâkin (poor persons), on a scale of the average of that with which you feed your own families; or clothe them; or manumit a slave. But whosoever cannot afford (that), then he should fast for three days. That is the expiation for the oaths when you have sworn. And protect your oaths (i.e. do not swear much). Thus Allâh make clear to you His Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.) that you may be grateful.
Hadith – Al-Muwatta, #38.16
Malik related to me from Nafi that Abdullah ibn Umar freed an illegitimate child and its mother.
The Noble Qur’ân An-Nisa 4:221
It is not for a believer to kill a believer except (that it be) by mistake, and whosoever kills a believer by mistake, (it is ordained that) he must set free a believing slave and a compensation (blood money, i.e Diya) be given to the deceased’s family, unless they remit it. If the deceased belonged to a people at war with you and he was a believer; the freeing of a believing slave (is prescribed), and if he belonged to a people with whom you have a treaty of mutual alliance, compensation (blood money – Diya) must be paid to his family, and a believing slave must be freed. And whoso finds this (the penance of freeing a slave) beyond his means, he must fast for two consecutive months in order to seek repentance from Allâh. And Allâh is Ever AllKnowing, AllWise.
জবাব বুঝে নিন , এবং সাথে ইতিহাস ও জেনে রাখুন , –
একবার খলিফা উমার (রাঃ) এর কাছে সিরিয়ার শাসক নিমন্ত্রন পাঠান , মুসলিম জাহানের অতি পরাক্রমশালী খলিফা শুধু একটি উট ও দাস নিয়ে রানা হলেন । মাজপথেই তিনি উট থেকে নেমে তার দাসকে উটে চড়ালে দাস প্রতিবাদ করলে তিনি জানান , আল্লাহর প্রত্যেক বান্দারই এই দুনিয়ায় সমান হক , খলিফা হিসেবে আমার দায়িত্ব বেশি , অধিকার বেশি না । আমি অর্ধেক পথ চরেছি এবার তুমি চড় ।
সুলতান নাফিসকে একবার স্পেনের রাজা নিমন্ত্রন জানান , তিনি সাথে নিয়ে গেলেন শুধুই একজন দাস । খাবার পরিবেশনের সময় স্প্যানিশরা অবাক বিস্ময়ে দেখল , সুলতানের সাথে তার দাস একসাথে খেতে বসেছে !
{ দাসদাসীদের প্রতি নবীজিই শুধু প্রথম নন, তারও আগে কাফের প্রজাতির রাজা বাদশাহদেরও আরো নমনীয় হবার উদাহরন আছে। দাস প্রথা নিয়ে যে এত কথা বয়ান করলেন এটা কি জানেন যে সম্রাট অশোক নবীজিরও আরো ৮০০ বছর আগে দাস ব্যাবসা নিষিদ্ধ করেছিলেন, নবীজির মতই তাদের সাথে ভাল ব্যাবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন? নবীজি কিন্তু তার জীবন কালে দাস ব্যাবসা নিষিদ্ধ করতে পারেননি, ভাল মানবিক ব্যাবহারের কথা বলেছেন মাত্র। এখন সম্রাট অশোককে আমি ‘নবী’ দাবী করি? প্রাচীনকালে বিচ্ছিন্ন ভাবে পৃথিবীর আরো কিছু অঞ্চলেই দাসপ্রথা এমনকি নিষিদ্ধই হয়েছিল। }
ভাই , কেউ যদি আপনার কাছে ধর্ম প্রচার করে আপনি সরাসরি না করে দিতে পারেন । কিন্তু আপনি যদি কোন অতি পরাক্রম শালী রাজার অনুগত হন তার কথা সরাসরি না করতে পারবেন না ।ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন , অশোকের মৃত্যুর পর কিভাবে দাস নিসিদ্ধ প্রথা উবে গিয়েছিল ।
মহানবী (সাঃ) দাস দাসী দের জন্য যেসকল বিধি প্রনয়ন করেছেন , তা দীর্ঘকাল পর্যন্ত বলবত ছিল । আরব দাস দাসীরা দীর্ঘকাল যাবত এর সুযোগ সুবিধা দু হাত ভরে ভোগ করেছে । পাশাপাশি তা আরব সমাজ থেকে দাস প্রথাকে উৎপাটনে উৎসাহিত করেছে ।
এটা ভুলে যাবেন না অশোক ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মর্য পরিবারের সন্তান । তার সময়কার পরিবেশ বেশ শৃঙ্খলিত ছিল । আর নবীজি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগে যা অশোকের সময় থেকে হাজারগুন খারাপ ছিল ।
{ আমি এখন গাদি গাদি তাফসির দেখাতে পারি। }
আপনার গাদি গাদি তাফসির যে কতখানি সত্য হবে তাতো আপনার সহিহ মুসলিম হাদিসের উদাহরণ দেখেই বুঝলাম ।
{ তা এভাবে মুসলমান হিসেবে কেন চিন্তা করতে পারেন না যে সুদ প্রথা নিষিদ্ধ আইনও একদিক যুগের সাথে সাথে গ্রহনযোগ্য হবে যেমনটা আল্লাহ দাসপ্রথার ব্যাপারে হিসেবী চাল চেলেছেন? সেকালে ব্লাড মানি আইন, চোরের হাত কাটা, পুরুষের বহু বিবাহের অধিকার, বিবি পেটানোর অধিকার এসব ছিল সামাজিক রীতি, এসবের ব্যাপারেও কেন এভাবে চিন্তা করেন না? এভাবে চিন্তা করলে শরিয়া আইন কিভাবে কায়েমের দাবী জানানো যেতে পারে? আজ পর্যন্ত কয়জন মুসলমান আলেম আপনাদের যুক্তিমত দাবী করেছে যে কোরানে বিবি পেটানোর মানবিক রীতির ব্যাপারেও আল্লাহর সুদুরপ্রসারী চিন্তা ছিল, তিনি ধীরে ধীরে এ কুপ্রথা বাতিলের মহা পরিকল্পনা করেছিলেন? সামান্য ইউটিউব ঘেটে দেখেন কিভাবে বড় বড় আলেম, ডক্টরেট করা লোকে বিবি পেটানোর মহাত্ম্য বর্ননা করছেন। কাফের নাছারাগণ দাসপ্রথা বাতিল না করলে আজ ইউটিউবে দেখতেন এসব শিক্ষিত মোল্লারা দাসপ্রথা কত মহান খোদাই বিধান তা বর্ননা করছেন। }
আপনার এইসব প্রশ্নের উত্তর চাইলে এখুনি দিতে পারি । কিন্তু এর জন্য অন্য টপিকে যেতে হবে , আমি আপনার মতো কথা ঘুরিয়ে অন্য টপিকে যাই না , যেটা আপনি উক্ত উক্তিতেই করেছেন । দাস বিষয়ে আছি , এটারই আগে ফয়সালা করবো ।
আমার মাথা চুলকাচ্ছে । আমি এখন মোটামুটি ক্লান্ত , ইসলাম কেন দাসপ্রথা বৈধ করেছে , যৌনতা নিসিদ্ধ করেনি ,এ ব্যাপারে হাজার যুক্তি , ঐতিহাসিক প্রমাণ দিতে দিতে । আমি হাজারো যুক্তি দেখাই আপনারা কোননা কোন ভাবে ব্যাঙ্গ করে , কথা ঘুরিয়ে পুরো বিষয়টাকে আরও জটিল করবেন এটা জানি । আমি যাই প্রমাণ দেখাই , আপনারা বলবেন –
এটা আবার কেমন যুক্তি , এটা বগাস , ফাউল মনে হয় । আমি বলব তা আপনারই মনে হয় , যদি অথর্ব হয়ে থাকেন । কারণ বহুবার বলেছি , আপনারা কোনোভাবেই আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগের বাস্তবতা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না , হবেন ও না ।
কিন্তু আমি তো আপনাদের মতো ইসলামের হেয় করে জিবিকা নির্বাহ করি না । বুয়েটের ত্রিপলিতে অধ্যয়নরত হাফেজ হিসেবে আমি মনে করি , এই দুনিয়াকে ইসলামের অনেক কিছুই দেওয়ার আছে আমার ।
এখানেই বিদায় নিচ্ছি , ভাল থাকুন । আমিন ।
@ ইসলাম ভাই,
আপনার সাথে কথা বলে আরাম আছে। আপনিও নিশ্চয়ই আমার সাথে কথা বলে আরাম পান এভাবে নিদারুনভাবে ইসলাম বিদ্বেষী ঘায়েল করে পরকালের অশেষ নেকি হাসিল করার। আমি আরাম পাচ্ছি এ কারনে যে আপনার কথায় আমি ইসলামী দাসপ্রথা আরো ভালভাবে জানছি। আপনি এটা বুঝতে পারছেন না যে মহিনান্বিত ইসলামের যে দিক আধুনিক ডিজিটাল আলেমরা কায়দা করে চেপে রাখতে চায় সেটা আপনি বেহুদা কূটতর্ক করে আরো ভালভাবে ফুটিয়ে তুলছেন।
প্রথমে আসি হাদীসে আপনার দাবীকৃত কারচুপি প্রসংগে। হাদীসের ইংরেজী/বাংলা বহু কপি বহু যায়গায় পাওয়া যায়। আমি হাদীস লেখক নই, ইসলাম বিদ্বেষের বিনিময়ে জীবিকার্জন করলেও এখনো অত টাকা পাই না যে নিজে নিজে হাদীস বানিয়ে অনুবাদ করি। এই পোষ্টের লেখক কোথা থেকে অনুবাদ করেছেন সেটা জানি না, তবে আপনাকে কোট করা মুসলিম হাদিসে আমি তেমন কারচুপি করিনি। এটা ঠিক যে আমি সময় বাঁচাতে মূল সূত্র বাদ দিয়ে এখান থেকেই সরাসরি কোট করেছি, যেটা ভুল হতে পারে, কাশেম সাহেব সময় পেলে পরিষ্কার করলে ভাল হয়। তবে আমি যেমন কোট করেছি তেমন অনুবাদ ওয়ালা হাদিস বহু ইসলাম প্রচারক সাইটে পাওয়া যাচ্ছে, তারা ইসরাইলের টাকা খেয়েছে নাকি শয়তানের সাথে হাত মিলিয়েছে তা দেখার সময় আমার নেই, আপনি তদন্ত করে মুসলমান ভাইদের ডেকে ডেকে দেখাতে পারেন। কয়েকটি সাইটের সন্ধান নীচে দিলাম, আপনার তদন্তের সুবিধার্থেঃ
http://booksandsoft.blogspot.ca/2011/01/sahih-muslim-bengali-translation.html
http://secret2100.wordpress.com/2011/08/09/download-bangla-sahih-muslim-sharif/
http://islamiboi.wordpress.com/tag/sahih-muslim-in-bangla-part-05-with-interactive-link/
http://www.uralponkhi.com/2012/03/sahih-muslim-all-parts-bangla.html
http://islamsspirit.blogspot.ca/2011/12/sahih-muslimin-bengali-translation.html
এখন দেখুন ছাপানো বাংলা সহীহ মুসলিম–৫ম খণ্ড, পৃঃ ১০৭, হাদিস ৩৪৭২
আবু সাঈদ খুদরী (রা)থেকে বর্ণিত। হুনাইন যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আওতাসের দিকে একদল সৈন্য পাঠালেন। তারা শত্রুর মখোমুখি হলো এবং শত্রুর সাথে লড়াই করে বিজয়ী হলো। কিছু লোক তাদের হাতে বন্দী হলো। বন্দিনীদের মুশরিক স্বামীরা বর্তমান থাকার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু সাহাবা তাদের (বন্দী স্ত্রীলোক) সাথে মিলিত হতে দ্বিধা সংকোচ করছিলো। তাই মহান সর্শক্তিমান আল্লাহ্ এ বিষয়ে আয়াত নাযিল করলেনঃ “বিবাহিত স্ত্রীলোক তোমাদের জন্য হারাম তবে তোমরা যাদের অধিকারী হয়েছো (ক্রীতদাসী) ‘ইদ্দত’ পূরণ হওয়ার পর তারা তোমাদের জন্য হালাল।“
৩৪৭৫ হাদিসেও একই কথাই আছে।
তিনজন মাওলানা সাহেবের করা মুসলিম হাদিসের এই বংগানুবাদ আমি এক যায়গায় নয়, আরো বহু সাইটে পেয়েছি। দয়া করে কয়েকটি ঘেঁটে নিজে একটু যাচাই করে নিন। সবাই দেখলাম কমেন্টে এই বিরাট কাজের জন্য সাবাশি দিচ্ছেন, ইসলাম বিদ্বেষীদের জাল হাদিস বানানোর জেহাদি প্রতিবাদ তো দেখলাম না কাউকে করতে। আপনারা ঈমান্দার ভাইরা পড়ে ধন্য ধন্য করবেন আর আমরা কোট করলে জাল, জোচ্চোর এটা ঠিক কেমন ধারা বিচার? তফাত শুধু দেখছি এই বংগানুবাদে হাদিস নম্বর ভিন্ন, ৩৪৩২ নয়, ৩৪৭২। যাক, আপনি তদন্ত করে বের করতে পারেন কোনটা ঠিক, আমি আরবী জানি না, মোহাদ্দেসও নই, কোনটা সঠিক আমি জোর দিয়ে বলতে পারব না, তবে আমি নিঃসন্দেহে নিজে নিজে হাদিস ম্যানিপুলেট করিনি সেটা বলতে পারি। এসব ঘেটে লাভও নেই, কোরানের আয়াতের শব্দার্থ পর্যন্ত সুবিধেমত বদলে যায় আর তো হাদিস। পর্যন্ত আপনি এই বংগানুবাদ ভুল প্রমান করে অনুবাদকদের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার মামলা করেন, করে ফল আমাকে জানান, বাকি সব সাইটেও জানান।
বন্দিনীদের স্বামীরা বর্তমান থাকাতেই তো সাহাবিরা তাদের সাথে মিলিত হতে সংকোচ বোধ করছিলেন, নাকি? আচ্ছা যান, ঝামেলা এড়াতে ধরে নিলাম যে এই হাদিস ভুল, আপনার দেওয়া ইংরেজী অনুবাদই সঠিক, যেটার নম্বর ৩৪৩২। তাতে বিরাট ইসলাম রক্ষা হল? আপনার আরেকবার প্রসংশা করতে হয়। আপনার দেওয়া আসল হাদিস, যা আসলেই সঠিক বলে মেনে নিচ্ছি বেহুদা ঝামেলা এড়াতে।
– Sahih muslim, the book of marriage(Book no.8) , hadith no – 3432 Abu Sa’id al-Khudri (Allah her pleased with him) reported that at the Battle of Hanain Allah’s Messenger (may peace be upon him) sent an army to Autas and encountered the enemy and fought with them. Having overcome them and taken them captives, the Companions of Allah’s Messenger (may peace te upon him) seemed to refrain from having intercourse with captive women because of their husbands being polytheists. Then Allah, Most High, sent down regarding that:” And women already married, except those whom your right hands possess (iv. 24)” (i. e. they were lawful for them when their ‘Idda period came to an end).
– এই ভার্ষানে বন্দীনিদের স্বামীরা জীবিত নাকি মৃত তেমন কোন কথা নেই। যুদ্ধবন্দি পাওয়া গেছিল তা সাধারন অর্থে Having overcome them and taken them captives বলা হয়েছে, এতে পুরুষ মহিলা দুইই ছিল সুনির্দিষ্টভাবে বলা না হলেও তেমনটাই ধরে নেওয়া যুক্তিসংগত।
এই ভার্ষানে আপনার ইউরেকা ইউরেকা করে উদ্বাহু নৃত্যের মূল পয়েন্ট তো এখানে, “seemed to refrain from having intercourse with captive women because of their husbands being polytheists”? কি নিদারুন পয়েন্ট বার করেছেন। বন্দীনিদের স্বামীরা পৌত্তলিক না হয়ে একশ্বেরবাদী খৃষ্টান/ইহুদী হলে সাহাবারা নিঃসন্দেহে আর যুদ্ধবন্দিনী ভোগে সংকোচ বোধ করতেন না, এতে তো তাই বোঝা গেল, নাকি? কি দারুন পয়েন্টই না ধরে ফেলেছেন! আল্লাহ এরপর নবীজির মাধ্যমে তাদের আশ্বস্ত করলেন যে এমনকি বিবাহিতও যুদ্ধবন্দিনীদের ভোগে সমস্যা নেই। আল্লাহ কি এই আয়াতে polytheists যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে কিছু বলেছেন নাকি? polytheists যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে যৌনকর্ম করতে পার কি পার না এমন কিছু বলেছেন দেখেন? আল্লাহ বিবাহিত নারীদের সাথে যৌনকর্ম নিষিদ্ধ করে যুদ্ধবন্দিনীদের এই আইনের আওতার বাইরে রেখে ৪-২৪ আয়াত নাজিল করে সাহাবাগনকে বিবাহিত কিংবা আপনার কথামত পৌত্তলিক যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে বিবাহ করার ঝামেলা ছাড়াই সেক্সের অনুমতি দিয়ে সংকোচ মুক্ত করেছেন। আপনার সংশয় দূর করতে এবার ইবনে কাসিরের তাফসিরেও পাওয়া যায় যে সধবা দাসীদের বিক্রি হওয়া মানেই তাদের তালাক। সেখানেও পরিষ্কার আছে যে সধবা নারীগন হারাম, তবে কাফিরদের মধ্যে যারা যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে আসবে তাদের সাথে কাজকারবার হালাল, কেবল এক ইদ্দতকাল অপেক্ষা করতে হবে। সেখানেও বলা আছে যে আওতাসের যুদ্ধে কতগুলি সধবা স্ত্রীলোক বন্দিনী হয়ে আসে…আমরা রাসূলাল্লাহ (সাঃ) কে তাদের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে এ আয়াতটি নাজিল হয়। এখানে হাদিসের সাথে যুদ্ধটির নামে তফাত আছে, তবে মূল ভাবে তফাত নেই।
এই হাদিসের মূল আরেকটি মূল শিক্ষা ছিল যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে সেক্সের আগে এক হায়েজ অপেক্ষা করার নিয়ম যাতে নিশ্চিত বোঝা যায় যে সে সন্তান সম্ভাব্য কিনা, নবীজি সন্তান সম্ভবা যুদ্ধবন্দিনীর সাথে সেক্স করতে নিষেধ করেছেন। সেটা প্রেগন্যান্ট যুদ্ধবন্দিনীর প্রতি প্রবল মমতার কারনে নয়, যুদ্ধবন্দিনীর সন্তানের পরিচয় নিয়ে সমস্যা হবে সে কারনে। আপনার সাথে সাথে আমিও ইসলাম শিখছি ভালই।
তাও ভাল যে দাবী করেননি যুদ্ধবন্দিনীদের অসহায় অবস্থা দেখে মুসলাম জেহাদিদের কোমল হৃদয় কেঁদে উঠেছিল……আচ্ছা, আপনার ভার্ষনের হাদিসই আসল ধরে নিলাম, আপনার দাবীমতে এই ভার্ষনে কোন সমস্যা নেই।। এখন এই হাদিস কি মসজিদে জলসায় আপনারা বয়ান করবেন? যেমনটা অন্যান্য অনেক ভাল ভাল বাছা বাছা হাদিস সুললিত গলায় আলেম মোল্লাগন পাঠ করেন?
আপনি ভাই আজিব জিনিস, নিজে নিজে কোট করেন Due to this right of ownership, It became lawful for the owner of a slave girl to have intercourse with her… In other words, this LEGAL POSSESSION is, in effect, a SUBSTITUTE of the MARRIAGE CEREMONY…আল্লাহ রসূলের নিয়ম কানুন খুব অদ্ভূত। বিবাহ ছাড়া যৌনকর্ম হল ভয়াবহ অপরাধ জিনা, কিন্তু যুদ্ধ জিতে মালের মত ভাগ করে নেওয়া মেয়েমানুষ উপভোগ হল সম্পূর্ন সিদ্ধ। উপহার হিসেবে ভেট দেওয়া মেয়ের সাথে বিবাহ ছাড়াই জীবন যাপন করা জিনা ব্যাভিচার নয়, মহান খোদাই উপহার (আপনার নিজের কথাঃ He also had a couple of slaves girls whom he did not marry, like Hadrat Maria Kibtia and Hadrat Rehaana, for reasons best known to Allah and His Messenger (saws).)। যুদ্ধবন্দিনীদের ভাগাভাগি করে তাদের সাথে চুটিয়ে লীলাখেলা খেলে আবার যাতে সন্তান সম্ভাবা না হয় সেজন্য আজল পদ্ধুতির শরনাপন্ন হয়ে বাজারে বিক্রয় করা যায়; কিন্তু একে মন্দ বলা যাবে না কারন ভাল ব্যাবহার, খাওয়া কাপড় দেওয়ার নির্দেশন ছিল, কি চমতকার বিবেচনাবোধ। Prophet Muhammad peace be upon him described them as the MUSLIMS’ BROTHERS/SISTERS –সিষ্টারদের সাথে যৌনকর্ম সেরে বাজারে বিক্রয় কেমন ধরনের রসিকতা? নাকি বাজারে বিক্রয় সম্পর্কিত হাদিস মিথ্যা বলে আবার প্রমান করে দেবেন? এই হাদিসও মিথ্যা প্রমান করেন, এমন নজির আরো আছে দেখাবো। দাড়ি কমা ভুল আর কত ধরবেন? দাসীদের ভাল খেতে দেওয়া, ভাল ব্যাবহার মানেই একেবারে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। রসিকতার সীমা থাকা দরকার না? নিজের স্ত্রীকে কে কবে হাটে বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যায়? আমরা এরপরে ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে দাসীর গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুদের ব্যাপারেও আলোচনা করার আশা রাখি।
কার কার কি ইংরেজী বানী দেখি নিষ্ঠার সাথে কপি পেষ্ট করে যান কোন রেফারেন্স ছাড়া। আরে ভাই, সহি হাদিস, সুবিখ্যাত তাফসিরকারকদের কথার দাম বেশী, নাকি আপনার কোট করা কার না কার ইসলাম রক্ষাকারি ব্যাক্তিগত মতামতের গুরুত্ব বেশী? আপনার মত অমন ব্যাখ্যা তো আমিই খুজে দিতে পারি, জাকির মিয়ার মত ধূর্ত মোল্লা কি কম আছে নাকি? ব্যাখ্যারও বলিহারি। concubine এর মানে জানেন? Concubine পদ্ধুতির হয়ে সাফাই গাওয়া যায় এমন উদাহরন খুবই চমতকৃত হবার মত।
রোমান/গ্রীক দাসপ্রথা আরো ভয়াবহ ছিল সেটা আমিও মানি, ইসলামী দাসপ্রথা সে তূলনায় অনেক মানবিক। তাই বলে মুরগীর বিষ্ঠার গন্ধ গরুর গোবরে ঢাকার চেষ্টা কোন সূস্থ মাথার মানুষের করা উচিত?
আপনি কি যুদ্ধবন্দিনী বিষয়ক আরো হাদিস আলোচনায় আগ্রহী?
আচ্ছা, পরিষ্কার করে কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেন তো এবারঃ
১। কোরান হাদীসের নির্দেশনামত দাসীদের (যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে বিবাহ ছাড়াই যৌনকর্মের অনুমতি আছে কিনা? হ্যা বা না।
২। সে নির্দেশনা কোরান হাদিসের কোন আয়াত বা সূত্র বাতিল করেছিল কিনা? (যুগের বিবর্তন তত্ত্ব বাদ দিয়ে কোরান হাদিসের সূত্র দেখান)।
৩। আপনি কোরানের ২৩-৬, ৭০-২৩ আয়াতের ব্যাখ্যা কিভাবে করেন? এসব আয়াত কিভাবে খন্ডন করা যায়? যুগের দাবী বড় নাকি আল্লাহর পাঠানো কোরানের বানী বড়? কোরানের বানীর সাথে এহেন আপোষ করা কিভাবে কোরানে পূর্ন বিশ্বাসী দাবীদারের পক্ষে সম্ভব? আসল কোরানে বিশ্বাসী যে এই যুগেই আছেন তেমন দুয়েকটি উদাহরন পরে দিচ্ছি। আপনি কোরানের সরাসরি আয়াত পাঁকাল মাছের মত এড়িয়ে কার না কার নাম পরিচয় বিহীন কি কি ইংরেজী বানী কপচিয়ে যাচ্ছেন কেন? কোরানের এসব বানী কেন আমরা অন্যান্য মহান বানীর মত যত্রতত্র প্রচার দেখি না? ঢাকা শহরে দেওয়া দেওয়ালে, টিভিতে কোরানের কত বানীই তো দেখা যায়, এই জাতীয় বানী ক্যান দেখা যায় না? কারনটা কি এইই না যে কোরানের এই জাতীয় বানী, আলোচিত হাদিস এগুলি নিয়ে ব্লগে মাতামাতি করে বিদ্বেষীদের এক হাত নেওয়া যায় কিন্তু প্রচার করা যায় না সেটা আপনারা ভালই বোঝেন?
দাস দাসীদের সাথে ভাল ব্যাবহারের নির্দেশ, তাদের মুক্তি দিতে উতসাহ প্রদান এসব নিয়ে বেশী মাতামাতি করে কথা বাড়াবেন না, এসব আমি প্রথম থেকেই মেনে নিয়েছি। আর এসব নিয়ে যদি কথা বাড়ান তো ছোট প্রশ্ন করি, দাসদাসীদের সাথে ভাল ব্যাবহার করে ভাল খাবার কাপড় দিলে, ব্রাদার সিষ্টার ডেকে হাটে বাজারে বিক্রি, বিবাহ ছাড়া যৌনকর্মে সমস্যা থাকে না?
৪। ইসলামে দাসীদের সাথে তাদের অনুমতি ছাড়া সেক্সের বিধান নেই এই দাবীর স্বপক্ষে ভাল রেফারেন্স দেখান (কোরান কিংবা হাদিস)
আপনি ইসলামি দাসপ্রথা একদিকে অতি মহান দাবী করেন, তাহলে সেটা এ যুগেও চালালে সমস্যা কোথায়? আপনার কোরানে তো একে পূর্ন সম্মতিই দেয়, সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ নবীজি যা করে দেখিয়ে গেছেন তাকে কেন অস্বীকার করেন? আপনি আজকালকার জাহেলী পশ্চীমা চশমা পরে দুই কূল রক্ষার চেষ্টা করলেও সাচ্চা আলেম ওলামাগন কিন্তু আছেন। তারা দাসপ্রথা ইসলামের দৃষ্টিতে পূর্ন সমর্থনীয় এখনো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এবং জাকির মিয়ার মত ডিজিটাল আলেমদের ওপর চরম বিরক্ত হয়ে কাফের বলেও গালি দেন। দেবারই কথা, কোরানে পূর্ন বিশ্বাসী হবার দাবী করলে আমিও দিতাম। ভণ্ডামি সহ্য করা খুব মুশকিল।
In 2003 a high-level Saudi jurist, Shaykh Saleh Al-Fawzan, issued a fatwa claiming “Slavery is a part of Islam. Slavery is part of jihad, and jihad will remain as long there is Islam.”[122] He attacked Muslim scholars who said otherwise maintaining, “They are ignorant, not scholars … They are merely writers. Whoever says such things is an infidel.” At the time of the fatwa, al-Fawzan was a member of the Senior Council of Clerics, Saudi Arabia’s highest religious body, a member of the Council of Religious Edicts and Research, the Imam of Prince Mitaeb Mosque in Riyadh, and a professor at Imam Mohamed Bin Saud Islamic University, the main Wahhabi center of learning in the country
এত বড় শিক্ষিত আলেমের কথা বিশ্বাস করেন না? আমাদের দেশের গন্ডগ্রামের অশিক্ষিত মোল্লা না রে ভাই, একেবারে ইসলামের জন্মভূমি আরব দেশের অতি সম্মানিত সর্বোচ্চ ধর্মীয় গবেষনা কেন্দ্রের গবেষক, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। এবার গবেষনা শুরু করেন কে শিয়া, কে সালাফি কে ফাটাফাটি…এসব বলে লাভ নেই, হাদিস কোরানের চোখে ওনাদের কথা ভুল প্রমান করেন।
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আপনার কি ধারনা?
Dr. Abdul-Latif Mushtahari, the general supervisor and director of homiletics and guidance at the Azhar University, has said on the subject of justifications for Islamic permission of slavery:[125]
“Islam does not prohibit slavery but retains it for two reasons. The first reason is war (whether it is a civil war or a foreign war in which the captive is either killed or enslaved) provided that the war is not between Muslims against each other – it is not acceptable to enslave the violators, or the offenders, if they are Muslims. Only non-Muslim captives may be enslaved or killed. The second reason is the sexual propagation of slaves which would generate more slaves for their owner
http://en.wikipedia.org/wiki/Islamic_views_on_slavery
এসব মহান সর্বকালের পালনীয় ওঁভ্রান্ত ধর্মীয় আদর্শের প্রতিক্রিয়া আরব দেশেরই সূস্থ মাথার লোকে কিভাবে বিচার করে দেখেনঃ
According to reformist jurist and author Khaled Abou El Fadl, it “is particularly disturbing and dangerous because it effectively legitimates the trafficking in and sexual exploitation of so-called domestic workers in the Gulf region and especially Saudi Arabia.”[133] Organized criminal gangs smuggle children into Saudi Arabia where they are enslaved, sometimes mutilated, and forced to work as beggars. When caught, the children are deported as illegal aliens.[134]
কুয়েতি এক মহিলা সমাজ সেবিকার দাবী শোনেনঃ
Men should be allowed sex slaves and female prisoners could do the job – and all this from a WOMAN politician from Kuwait
ওনার ভিডিও আছে ইউটিউবে, দেখে নয়ন স্বার্থক করেন। কার কত টাকার ষড়যন্ত্র বার করেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমিন।
@আদিল মাহমুদ,
” because of their husbands being polytheists”. Being অর্থ কিন্তু বর্তমানে অস্তিত্বশীল।
be·ing : the fact of existing; existence (as opposed to nonexistence).
something that exists: inanimate beings. a living thing
স্বামীরা মরে গেলে বলা উচিৎ ছিলো because of their husbands were polytheists.
@সফিক,
এসব কথা কে কাকে বোঝায়? দেখা যাবে আবার এক গাদা আরবী উর্দু ফার্সী জড়ো করে প্রমান করে দিচ্ছেন যে মূল হাদীস আসলে পাষ্ট টেন্সেই ছিল।
মাথায় সামান্য ঘিলু থাকলে তো এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহর নাজিলকৃত ৪-২৪ আয়াত দিয়েই বোঝা যায় হাদিসের মূল শিক্ষা কি।
ওনার দেওয়া হাদিস অনুযায়ীও সম্মানিত সাহাবিগন স্বামীরা জীবিত নাকি মৃত এ নিয়ে মাথা ঘামাননি। তাদের চিন্তা ছিল এরা পৌত্তলিকের স্ত্রী, সম্ভবত পৌত্তলিকদের প্রতি ঘৃনা এমন চরম মাত্রায় ছিল যে তাদের স্ত্রীদের উপভোগ করাও তাদের কাছে অরুচিকর ঠেকেছিল।
সে অবস্থা থেকে বেচারাদের রেহাই দিতে দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাটাতে আল্লাহ এগিয়ে আসেন। তবে আল্লাহর কথা শুনে বোঝা যায় যে সাহাবিগনের মূল পয়েন্ট পৌত্তলিকতায় ছিল না, সাহাবিগনের মূল অস্বস্থি ছিল এই যুদ্ধবন্দিনীরা বিবাহিতা ছিল, এ যায়গাটিতে। আল্লাহ তাই তাদের আস্বস্থ করেছেন যে যুদ্ধবন্দিনীরা বিবাহিত হলেও নো চিন্তা ডু ফূর্তি, দক্ষিন হস্ত অধিকার করলেই হত। তাদের স্বামীরা বেঁচে না থাকলে আল্লাহর হস্তক্ষেপের দরকার আদৌ পড়ত কিনা সেটাও কথা। বিধবা যুদ্ধবন্দিনী হলে কে চিন্তা করতে যেত। এই আয়াতের তাফসিরেও দেখা যায় যে আল্লাহ সধবা হলেও যুদ্ধবন্দিনী উপভোগ করা যায় সেটাই পরিষ্কার করেছেন, পৌত্তলিকতার ব্যাপারে নয়।
আমারো মনে হয় মাথা ৯০% নষ্ট হয়ে গেছে। নইলে কে বেহেশতের লোভে যুদ্ধবন্দিনী উপভোগের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে চলেছে আর আমিও তার সাথে পাল্লা দিয়ে লড়ে যাচ্ছি।
@আদিল মাহমুদ, ভাই আপনার কথাটা শুনলাম তবে একমত হতে পারলাম না । আপনি বললেন ফ্রি সেক্স , মদ পান নিষিদ্ধে ধীরে চল নীতিতে চলতে । ভাই , আপনাকেও একই কথা বলতে হচ্ছে যে , আজকের বাস্তবতা ও ১৪ শ বছর আগের বাস্তবতা এক নয় । মহানবী (সাঃ) যখন পৃথিবীতে এসেছিলেন তখন ইসলামের কোন অস্তিত্ব ছিল না । বহু আগে আসা হযরত ঈসা (আঃ) এর ধর্ম কেও কাফিররা বিকৃত করে ফেলেছিল । মানুষ তখন জানত না , ইসলাম কি আসলেই সত্য ধর্ম । তাদের কে বোঝাতে এবং সমাজ থেকে সকল কুরীতি যা তৎকালীন সময়ে বৈধ ছিল তা উৎপাটনে মহানবী (সাঃ) ধীরে চল , শান্তিতে চল নীতি অবলম্বন করেছিলেন । আজকের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা । নানা কারনে আজ মুসলমাদের পতন ঘটলেও ইসলাম সগৌরবে বিরাজমান । ইসলামে মদ ও ব্যভিচার হারাম তো হারাম । এ ব্যাপারে আমরা প্রশ্ন বা ঢিলেমি দেবার কোন অধিকার রাখিনা , মহানবী (সাঃ) বিদায় হজের ভাষণে ইসলামকে একমাত্র পালনীয় ধর্ম হিসেবে বিবেচিত করে গেছেন । এর ভেতরে নতুন থিউরি ঢোকানটা মুনাফেকি তুল্য হবে । আপনার কথা মেনেই উদাহরণ দেই , ধরুন কোন আমেরিকান যুবক ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর এটা তো ভাবতেই পারে যে , ” ইসলাম যেহেতু ধীরে ধীরে মদ ও ফ্রি সেক্স ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে , তাহলে আমিও ……… ”
আর সেই সুযোগে সে ……………
আশা করি বুঝতে পারছেন , কারণ আপনি একজন মুসলমান । নাস্তিকদের আইকিউ একটু কম , যার জন্য কমেন্টের পাহাড় দিয়ে তাদের বোঝাতে হচ্ছে । আপনার ক্ষেত্রে তা লাগবে না নিশ্চয়ই ।
@ইসলাম,
:hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot:
আরে ভাই উনি একজন নবি। ধমাধম ধর্মের মেসেঞ্জার, রাসুল। মুহাম্মদ মক্কার দশ বছরে যত উম্মত বানাইছিলেন তার চেয়ে বেশী উম্মত তিনি বানাইছেন এক বছরে।
ইসলাম ধর্মে কখনই বিবাহ ছাড়া sex আনুমদিত ছিল না ।
যিনি নবিজীর নামে এই মিথ্যা কথা লিখছেন আমি তাকে সামনে পেলে দুইটা চড় লাগাইতাম ।
@নীলিমা,
আপনাকে বিনয়ের সাথে কয়টা প্রশ্ন করব কোরান ও হাদিস থেকে , দয়া করে উত্তর দেবেন।
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। সুরা নিসা, ০৪:২৪
উক্ত আয়াতে তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায় এর অর্থ কি? এ দিয়ে কাদেরকে বুঝানো হচ্ছে? এদের সাথে কি হালাল করা হয়েছে?
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। সূরা আহযাব, ৩৩: ৫০
উক্ত আয়াতে আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, দাসীদেরকে কি জন্য হালাল করেছেন?
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে, তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।সূরা আল মুমিনুন, ২৩: ৫-৬
উক্ত আয়াতে কোন বিষয়ে দাসীদের সাথে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না ?
উল্লেখ্য, উক্ত ৪: ২৪ আয়াতের ব্যখ্যা নিচের হাদিসে আছে:
আল্লাহর রসুল আওতাসে একদল সৈন্য পাঠালেন হুনায়নের যুদ্ধ করার জন্য। তারা যুদ্ধ করল, শত্রুকে পরাজিত করল, কিছু নারীকে বন্দী করল। কিছু সৈন্য বন্দী নারীদের সাথে যৌন কাজ ( ধর্ষণ) করতে রাজী ছিল না কারন তাদের স্বামীরা তখনও বেঁচে ছিল। আর তখনই উক্ত নাজিল করলেন- নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়- (৪:২৪) সহি আবু দাউদ. হাদিস নং- ২১৫০ হুবহু একই হাদিস আছে সহি মুসলিম, হাদিস নং-৩৪৩২ তে।
ইসলাম শুধু দাসী ও বন্দীনি নারীদের সাথে সেক্স করতেই বলে নি পরন্তু উক্ত বন্দীনি নারীদের স্বামী জীবিত থাকলেও তাদের সাথে সেক্স করা যাবে অর্থাৎ তাদেরকে ধর্ষণ করা যাবে।
এখন চড়টা লেখকের মুখে মারবেন নাকি নিজের মুখে নিজেই মারবেন ?
@নীলিমা, আপু এই মিথ্যা কথাগুলো আপনার করান হাদিসেই আছে লেখক শুধু বলেছেন মাত্র, তাতেই যদি তাকে চড় খেতে হয় তবে আপনার যে মহানবি অই সব বলেছেন তার নিশ্চিত ফাসি দাবি করবেন।জানেন তো কথা টা A woman defending islam is like a jew defending Nazism. আপু খুব ভাল পড়া শোনা করে তার পর আপনার নবির জন্য দরদ দেখান।এ রকম আজাইড়া দরদ আমরাও দেখিয়েছিলাম।এখন মাথার চুল ছিড়ি যে এই মহা উন্মাদ টার জন্য একদা গভীর ভালোবাসা ছিল,ভালো থাকবেন।
জুওয়াইরিয়া: বনি মুস্তালিকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত মুসলমানদের অভিযান সম্পূর্ণরূপে সফল হল। এই যুদ্ধে বেশ কয়েকজনকে বন্দী করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ছিলেন মুস্তালিক গোত্র প্রধান হারিস বিন আবু দিদার এর কন্যা জুওয়াইরিয়া।
গণিমতের বন্টনে জুওয়াইরিয়া, সাবেত ইবনে কায়েসের ভাগে পড়লেন। তখন তিনি কায়েসের সঙ্গে একটি কিতাবতের (নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া) চুক্তি করলেন। এতে কায়েস তার জন্যে একটি মোটা অঙ্কের অর্থ (৯ উকিয়া স্বর্ণ) নির্ধারণ করলেন, যা পরিশোধ করা সহজ সাধ্য ছিল না। তখন তিনি মুহম্মদের কাছে এই অর্থের জন্যে আবেদন করলেন তার স্বাধীনতা ফিরে পাবার জন্যে।
তৎক্ষণাৎ তার আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেল।
আবেদন মঞ্জুর হওয়াতে জুওয়াইরিয়া অভিভূত হয়ে পড়লেন। অতঃপর এই করুণার স্বীকৃতি ও কৃতজ্ঞতার প্রকাশ হিসেবে তিনি তৎক্ষণাৎ নিজেকে মুসলমান হিসেবে ঘোষণা দিলেন। সাথে সাথে তিনি মুহম্মদকে বিবাহ করারও প্রস্তাব পেশ করলেন। এসময় মুস্তালিক গোত্রপ্রধান কন্যাকে ফিরিয়ে নেবার আবেদন নিয়ে মুহম্মদের দরবারে হাযির হলেন। মুহম্মদ তাকে বললেন, ‘আপনি আপনার কন্যাকে জিজ্ঞেস করুন, তার মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
অতঃপর হারিস কন্যার অভিমত জানতে চাইলে তিনি (কন্যা) বললেন, ‘আমি মুসলমান হয়েছি সুতরাং রসূলুল্লাহর আশ্রয় ছেড়ে অন্য কোথাও যাব না।’
মুহম্মদ তার অভিমত জানতে পেরে তাকে বিবাহ করে স্ত্রীর মর্যাদা দিলেন।
রায়হানা: প্রকৃত নাম রায়হানা বিনতে যায়েদ ইবনে আমর। ইহুদি গোত্র বনি কুরাইজা অঙ্গীকৃত চুক্তি ভঙ্গ করায় মুসলিম বাহিনী তাদের অবরোধ করে। অত:পর তারা আত্মসমর্পণ করে একটি মাত্র শর্তের বিনিময়ে যে তাদের বিচারের ভার আওস গোত্রের প্রধান সাদ বিন মু’আজের উপর নির্ভর করতে হবে। সাদ তাওরাতের বিধান অনুসারে তাদের বিচার করেন। এই বিচারে পুরুষদেরকে হত্যা করা হয় এবং নারীদেরকে দাসদাসী হিসেবে মুসলিমদের মাঝে বন্টন করা হয়। এই বন্টনে তরুনী রায়হানা মুহম্মদের ভাগে পড়ে। তিনি ছিলেন বনি নাজির গোত্রের কন্যা, কিন্তু বিবাহ সূত্রে বনি কুরাইজা গোত্রভুক্ত হয়েছিলেন।
যাইহোক, রায়হানাকে প্রস্তাব দেয়া হয় ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে মুহম্মদের কোন আপত্তি থাকবে না। কিন্তু তিনি ইসলাম গ্রহণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মুহম্মদকে বিবাহ করেন। বিবাহের পর হিজাব পরিধানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করায় মুহম্মদের সঙ্গে তার বিরোধের সুত্রপাত হয়। কেউ কেউ বলেন মুহম্মদ তাকে ডিভোর্স দেন আর তিনি তার আত্মীয়দের মাঝে ফিরে যান। আবার কেউ কেউ বলেন, পরবর্তীতে তিনি দাসী হিসেবেই মুহম্মদের মারা যাবার বৎসর খানেক আগে মারা যান এবং তাকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
যে হাদিস গুলোর উদ্বৃতি দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার কাছে হাদিস বই গুলো আ ছে তাতে কোন মিল নাই। সত্য যতই চাপার চেষ্টা করেন কোন লাভ নাই, নিজে তা জানেন আপনার মিথ্যা মিথ্যাই।
@আবুল কাশেম
আপনার কথা শুনলাম। শুদ্ধতা যাচাইয়ের জ্ঞান আমার নাই, তাই মন্তব্য করলাম না।
কিন্তু ভাবছি আপনি কেন এসব লিখলেন? আপনি কি চাচ্ছেন যারা ইসলামের
প্রতি শ্রদ্ধাশীল তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সেই শ্রদ্ধার অবস্থান থেকে সরে আসুক?
কিন্তু তাহলে তারা কোথায় যাবে? তারা কি নাস্তিক হয়ে যাবে, নাকি ভাল কোন ধর্মের সন্ধান আপনার জানা আছে? নাস্তিকতার পক্ষে যুক্তি কি আপনার আছে?
“………সহবাস করার জন্যে ব্যাকুল হয়ে উঠেন”, – বিশাল মুসলিম সম্প্রদায় যাকে গভীর শ্রদ্ধা করে, তাকে নিয়ে আপনি নোংরা ভংগিতে কথা বলতে পারেন না। আমাদের কাছে রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এক মহান শ্রদ্ধা, আবেগ আর ভালোবাসার অবস্থান।
একটা কথা বলি। গনিমতের মাল কিংবা যুদ্ধবন্দি, যাই বলেন সেটা কিন্তু যুদ্ধ জয়ের আগে হয়না। তাই ইসলামের দৃশটিতে দেখলেও পাক আর্মি আর রাজাকারদের কর্মকান্ড এক ভয়াবহ অপরাধ। তারা নারী নির্যাতন করেছে যুদ্ধ জয়ের কৌশল হিসাবে, আমাদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার অস্ত্র হিসাবে। ইসলাম কিন্তু কখনই সেটা করেনি।
@নবারূন,
এটাই তো আপনাদের নিয়ে বড় সমস্যা। যে লোক একের পর এক ১৩ টা বিয়ে করে তাও আবার তার কন্যা বা নাতনীর বয়েসের, যার ১২ টা দাসী থাকে যৌনকামনা মেটানোর জন্য, যে ব্যাক্তি ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শা নামক শিশু কন্যাকে বিয়ে করে, যে ব্যাক্তি তার পালক পূত্র জায়েদের বউ জয়নাব কে বিয়ে করে- তাকে আপনি এত শ্রদ্ধা করেন কি করে ? ঠিক এই একই কাজ যদি আমি বা আপনি করেন – আপনার সমাজের লোকজন আমাকে বা আপনাকে কোন ভাল মানুষ বলবে ? বলবে- শয়তান , বদমাশ, লম্পট এসব। সুতরাং আগে তার সম্পর্কে ভালভাবে জানুন যাকে আপনি বা আপনার মত শতকোটি লোক শ্রদ্ধা করেন বা ভালবাসেন।
@ভবঘুরে,
আপনি কিন্তু আমার লেখার শুরুতে করা প্রশ্ন গুলোর জবাব দেননাই।
@ভবঘুরে,
মুহম্মদ জীবনে একটিও মিথ্যা বলেননি, আপনি শুধু এই একটি কাজ করেন, আপনার সাত খুন মাফ হবে। একজন সত্যবাদীর কর্মকান্ডের ফয়সালা একজন সত্যবাদীই করতে পারেন, কোন মিথ্যাবাদী নয়। মুহম্মদ সম্পর্কে মন্তব্য তারাই করবে যারা সত্যবাদী।
@নবারূন,
আপনি বা আমি কেওই হিন্দু বা মুসলমান নই। একটু গভীরে গিয়ে ভাবলে দেখবেন আমাদের সবারই একটা ই ধর্ম -সেটা মানব ধর্ম এবং সেটা কিছুটা জৈবিক । একজন হিন্দু বাবা কি একজন মুসলমান বাবার থেকে তার সন্তানকে কম ভালোবাসে? একটু ঘটে বুদ্ধি থাকলে বুঝবেন এই সব হিন্দু বা ইসলামে কি লেখা আছে বা কি করা উচিত এর থেকেও আপনি বা আমি বেশী ভাবি সন্তানরা কি ভাবে মানুষ হবে। সেটাই আসল ধর্ম । এবং এর বাইরে আর কোন ধর্মের প্রয়োজন মানুষের নেই।
@নবারূন,
না, আমি তা আশা করছি না। আমি বিচারক নই–আমি ইসলামে যে দেখেছি তাই জানিয়েছি। বেশীর ভাগ মুসলিম জানেন না তাঁদের ধর্মের নাড়ী নক্ষত্র–মসজিদের ইমাম অথবা মওলানারা যা বলেন তাই সবাই হেঁ হেঁ করে মাথা নেড়ে মেনে নেন আর ভাবেন ইসলাম কত মহৎ, কত উদার, কত মানবিক। আমি দেখাচ্ছি ইসলামের অন্ধকার দিকটি। এই ব্যাপারে ১ম পর্ব পড়ে নিতে পারেন।
আমি কি ্নাস্তিকতার জয় গান করেছি নাকি? আর আপনি কেমন করে ্জানলেন যে আমি নাস্তিক? আমার একটা লেখাতেও আপনি দেখবেন না আমি নাস্তিকতা নিয়ে একটা লাইন ্লিখেছি। আমি কি অন্য কোন ধর্মের প্রচার করছি? কক্ষণ`ও না। আমি শুধু ইসলামের কদর্য্য রূপ তুলে ধরছি। এই রচনা যদি আপনার ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত দেয় তা’হলে আমার বলার কিছু নাই—। আসুন না আপনি ইসলামের রক্ষার জন্য। আমি যা সব লিখেছি প্রমাণ করুণ এই সব মিথ্যা—এবং আমি এক ভাঁওতাবাজ। আপনি যদি তা করতে পারেন তবে আমি আমার পরাজয় স্বীকার করে নিব, পাঠকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিব এবং ইসলাম নিয়ে লিখা ছেড়ে দিব।
আমি ইসলাম নিয়ে লিখি—সেই ব্যাপারেই আমাকে প্রশ্ন করুন–অবান্তর বিষয়, যেমন নাস্তিকতা নিয়ে আমাকে কেন জড়াতে চাচ্ছেন? আমি কেন নাস্তিকতাকে ্রক্ষা করে যুক্তি দেখাতে যাব? মুক্তমনাতে নাস্তিকদের অভাব নাই–তার মানে এই নয় যে যারাই মুক্তমনায় লিখে তারা সবাই-ই ্নাস্তিক।
আপনার যুক্তি আমার কাছে খুব`ই অপ্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।
আপনি ইসলাম নিয়ে সত্যি যদি সিরিয়াস হন তবে আসুন আমার রচনার বিপক্ষে লিখুন–যেমনভাবে আমি উপরে লিখেছি।
@আবুল কাশেম,
বড় সত্য কথা বলেছেন। জানে তো না-ই, জানার চেষ্টাও করে না। দুনিয়াতে একমাত্র মুসলিম জাতির মধ্যেই মনে হয় জানার চেষ্টার তীব্রতা কম যে কারনে এ জাতি জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এসব ক্ষেত্রে অমুসলিমদের তুলনায় হাজার বছর পিছিয়ে আছে।
@নবারূন,
শুদ্ধতা পরীক্ষার জ্ঞান আপনার নেই, কিন্তু আমাদের আছে। এখানে আবুল কাসেম সাহেব তথ্য বিকৃত করেছেন। কোন মুসলিমই কখনও কোন যুদ্ধবন্দীর সাথে সহবাস করেননি, যতক্ষণ না তারা বন্টিত হয়েছে। আর মুহম্মদ কখনও বিবাহ বহিভূত কারও সঙ্গে সহবাস করেননি। কেউই একটিও উদাহরণ দিতে পারবে না। আর যুদ্ধবন্দীর বন্টনের কাজ মুহম্মদ করেননি, তার সাহাবীরা করেছিলেন। মূলকথা, বন্টনে রায়হানা মুহম্মদের ভাগে পড়ে। ৩টি মত রয়েছে তার ব্যাপারে- ১ম -মুহম্মদ তাকে মুক্ত করে দেন, আর সে চলে যায় তার আত্মীয়দের মাঝে, ২য়- মুহম্মদ তাকে দাসী হিসেবে রাখেন এবং পরবর্তীতে তাকে ইসলাম গ্রহণ করতে বলেন। রায়হানা তা করতে অস্বীকার করে। অবশ্য পরে ইসলাম গ্রহণ করলে মুহম্মদ তাকে বিবাহ করেন। কিন্তু পরে হিজাব পরিধানে অস্বীকৃত হলে মুহম্মদ তাকে ডিভোর্স দেন। আর সে আত্মীয়দের মাঝে চলে যায়। ৩য় মত হচ্ছে- ডিভোর্সের পরে সে মুহম্মদের দাসী হিসেবেই মারা যান মুহম্মদ মারা যাবার বৎসর খানেক পূর্বে এবং তাকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
আর জুয়াইরিয়ার ঘটনা হল -গণিমতের বন্টনে তিনি সাবেত ইবনে কায়েসের ভাগে পড়েছিলেন। তখন তিনি কায়েসের সঙ্গে একটি কিতাবতের (নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া) চুক্তি করলেন। এতে কায়েস তার জন্যে একটি মোটা অঙ্কের অর্থ (৯ উকিয়া স্বর্ণ) নির্ধারণ করলেন, যা পরিশোধ করা সহজ সাধ্য ছিল না। তখন তিনি মুহম্মদের কাছে এই অর্থের জন্যে আবেদন করলেন তার স্বাধীনতা ফিরে পাবার জন্যে।
তৎক্ষণাৎ তার আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেল।
আবেদন মঞ্জুর হওয়াতে জুওয়াইরিয়া অভিভূত হয়ে পড়লেন। অতঃপর এই করুণার স্বীকৃতি ও কৃতজ্ঞতার প্রকাশ হিসেবে তিনি তৎক্ষণাৎ নিজেকে মুসলমান হিসেবে ঘোষণা দিলেন। সাথে সাথে তিনি মুহম্মদকে বিবাহ করারও প্রস্তাব পেশ করলেন। এসময় মুস্তালিক গোত্রপ্রধান কন্যাকে ফিরিয়ে নেবার আবেদন নিয়ে মুহম্মদের দরবারে হাযির হলেন। মুহম্মদ তাকে বললেন, ‘আপনি আপনার কন্যাকে জিজ্ঞেস করুন, তার মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
অতঃপর হারিস কন্যার অভিমত জানতে চাইলে তিনি (কন্যা) বললেন, ‘আমি মুসলমান হয়েছি সুতরাং রসূলুল্লাহর আশ্রয় ছেড়ে অন্য কোথাও যাব না।’
মুহম্মদ তার অভিমত জানতে পেরে তাকে বিবাহ করে স্ত্রীর মর্যাদা দিলেন।
এই প্রকৃত ঘটনা কিন্তু দেখেন আবুল কাসেম কিভাবে উপস্থাপন করেছেন।
এই সিরিজটি সবসময়ই ভাল লাগে। সবসময়ই পড়ি এই সিরিজের লেখাগুলি। সেদিন রায়হান সাহেবরে দেখি আপনার উপর ব্যাপক গোস্যা করেছেন ;-( । দেখতে পারেন আপনি :hahahee: :hahahee:
http://www.somewhereinblog.net/blog/smraihan/29375675
@অভীক,
অনেক ধন্যবাদ।
বেশ কৌতুক পাওয়া গেল লিংকটি পড়ে।
মজার ব্যাপার হল অনেক জিহাদী মনে করে আবুল কাশেম এবং অভিজিৎ রায় একই ব্যক্তি। অর্থাৎ এই ধারাবাহিক রচনার লেখক অভিজিৎ ছাড়া আর কেউ নয়। হাঃ হাঃ হাঃ—আমি হাসি রাখার স্থান পাচ্ছি না।
আর তা ছাড়া অনেক জিহাদী মনে করে আবুল কাশেম এক জারজ সন্তান এবং কুত্তার চাইতেও অধম। এখন আমি বেশ উৎফুল্ল বোধ করছি। কারণ, জিহাদীরা যখন আমাকে গালিগালাজ দেয় তখন আমি সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে যাই যে আমার লেখা অভ্রান্ত।
যখন জিহাদীরা আমার প্রসংশা করে তখন আমি জানি যে আমি নির্ঘাত ভুল করেছি। তবে , সুখের ব্যাপার হল–আজ পর্যন্ত আমি কোন জিহাদী ভাইয়ার প্রশংসা পাই নি।
@আবুল কাশেম,
-:-D , আপনি যে এহেন রসিক লোক তাতো জানা ছিল না।
@আদিল মাহমুদ,
রসিক না হলে কী এতদিন ইসলামের এই ঘানি টানতে পারতাম?
আরও দেখুন–
http://www.somewhereinblog.net/blog/smraihan/29376353
@আদিল মাহমুদ,
উনি রসিক হতে পারেন, কিন্তু রায়হান সাহেবের লেখার তুলনায় তো এগুলো কিছু না। :)) 😀
@আবুল কাশেম,
উনি এখন ওই পোস্টে আমার এবং আপনার কমেন্টের স্ক্রীনশট তুলে দিয়েছেন। আশা করি নাই উনি আমার উপরও গোস্যা করবেন 🙁 । আমি উনার ভালর জন্য উনার এমন অসাধারণ পোস্টের লিঙ্ক শেয়ার করলাম আর উনি কিনা…। যা হোক কাদের মন পুলিশ পুলিশ হয় তা বলার দরকার নাই।
@অভীক,
দেখলাম। খুব ভাল হয়েছে। উনাদের বাহবা দিচ্ছি–সুন্দর যুক্তি দেখাচ্ছেন।
হ্যাঁ, সত্যি কথা।
যতটুকু জানি যে রায়হানার ব্যাপারটা কিছুটা বিতর্কিত। কোন কোন সূত্র বলে তিনি পরে ইসলাম গ্রহন করছিলেন ও তাকে স্ত্রীর মর্যাদাই দেওয়া হয়েছিল।
অথচ নবীজীর অনেক ভক্ত আজ ও এসব আইনকে অমানবিক বলতে নারাজ।তারা বলছে এটা নাকি অমানবিক না।তা ছাড়া ইসলাম ধর্মে বলা কোন নারীর দিকে একবার চোখ গেলে আর দ্বীতিয়বার তাকানো যাবে না্।অথচ যুদ্ববন্ধী নারীর দিকে চোখ যাওয়ার পর তো চোখ ফিরিয়ে নেওয়া উচিত ছিল।তখন ঐ হাদীস খাটলো না কেন?ইসলামে এমন স্ববিরোধী হাদীস সমূহের কারনে ইসলাম একটা ত্রুটিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
এই অনুরোধ আরও কয়েকজন করেছেন। আমার এই ব্যাপারে করার কিছু নাই। সব কিছু নির্ভর করছে মুক্তমনার কর্তৃপক্ষের উপর। আপনি মুক্তমনা এ্ডমিন`কে আপনার অনুরো্ধ জানিয়ে দিন।
আপনাকে প্রচুর ধন্যবাদ।
আপনার লেখাটা দারুন । আমার খুব ভালোলাগে ।
একটা অনুরোধ, লেখাটা শেষ হলে ই-বুক আকারে মুক্তমনায় রেখে দেয়া যায় কিনা ভেবে দেখবেন । ধন্যবাদ ।
@লিটন,
খুবই ভাল প্রস্তাব। ধারাবাহিক এই লেখাগুলোকে ই-বুক আকারে পেলে সংরক্ষন করে রাখা সুবিধাজনক হতো। এই ব্যাপারে মুক্তমনার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
ধন্যবাদ আবুল কাশেম ভাই। আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
আর্মেনিয়ায় যে গণহত্যা চালিয়েছিল তুর্কিরা তার তুলনা ইতিহাসে নাই–এ কথা সত্য। এই গণহত্যা একবার নয়–দুই দুই বার হয়েছিল। আমি The Legacy of Jihad বইটিতে এই জিহাদের কিছু বিবরণ পড়ে হতভম্ব হয়ে গেলাম। এই গণহত্যার সাথে বানু কুরাইযার এবং বাংলাদেশের ইসলামি গণহত্যার অনেক মিল পাওয়া যায়।
যদি কোন দিন সময় পাই তবে ইসলামে বর্বরতার আরেক পর্ব হিসাবে আর্মেনিয়ার ইসলামি গণহত্যার বিবরণ দেওয়া যাবে।
ধন্যবাদ আপনার প্রস্তাবের জন্য।
আবুল কাশেম ভাই,
আপনার লেখা অসাধারণ। Full of Reference and convincing. Armenian Genocide নিয়ে পারলে একটা লেখা দিয়েন এক সময়। Holocaust-এর পরে সাম্প্রতিক কালে এটাই সবচেয়ে বড় গণহত্যা মনে হয়। ধর্মের নৃশংস ইতিহাসের আর একটা নিকৃষ্টতম উদাহরণ।
বনি কুরাইজার হত্যাকান্ড মুহাম্মদের সংগঠিত বহু নৃশংস ঘটনার একটি। ইমাম তাবারী (৮৩৯ -৯২৩) এবং মুহাম্মাদ বিন ইশাকের (৭০৪-৭৬৮) লিখিত এ নৃশংস ঘটনার বর্ননা পড়ে যে কো্ন সুস্থ লোকের চোখে পানি না এসে পারে না। ৬০০-৮০০ জন ইহুদীকে একে একে সারিবদ্ধভাবে (group by group) এনে গলা কেটে খুন করা হয় এবং লাশ গুলো বাজারের পাশে আগে থেকেই কেটে রাখা ‘গর্তে’ ফেলে মাটি চাপা দেওয়া হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যার পর (টর্চ লাইট জ্বালিয়ে) পর্যন্ত এ “হত্যা যজ্ঞ” চলে। ১৩ বছর বয়েসী আয়েশা সে সময় মুহাম্মাদের সাথে ছিলেন।
@গোলাপ,
নবীজি এবং উনার জামাই আলী ব্যক্তিগতভাবে এই নৃশংশতায় যোগদান করেন। উনারা দু’জনেই ছুরি দ্বারা বেশ কিছু ইহুদিদের গলা কেটে গর্তে ছুড়ে ফেলেন।
এই ধরণের পাশবিক ইস`লামি নৃশং`শতা আমি ব্যক্তিগতভাবে অবোলকন করেছি ১৯৭১-এ যখন পাকিস্তানি ইসলামি সৈন্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের াবাসিক হলগুলিতে হামলা চালায়। বলাবাহুল্য পাকিস্তানি সৈন্যরা তাদের নবী কে অনুসরণ করেছিল এই হত্যাযজ্ঞে।
@গোলাপ, সবার কি ধারনা ইহুদীরা এসব ভুলে গেছে!
@শ্রাবণ আকাশ,
অত্যাচারী পক্ষ তার অপকর্মের কথা খুব সহজেই ভুলে যেতে পারে। কিন্তু কোন অত্যাচারীতের পক্ষে তা মোটেও সহজ নয়।
@গোলাপ,
ইহুদিরা জঘণ্য অপরাধ করাতে তাদেরকে অবরোধ করা হয়েছিল। আর তারা আত্মসমর্পণ করেছিল একটি মাত্র শর্তের বিনিময়ে। সাদ বিন মুয়াজ তাদের বিচার করবে মুহম্মদ নয়। সুতরাং সাদকে আনা হয়েছিল বিচার করতে। তিনি সেসময় মারাত্মক আহত ছিলেন এবং মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ছিলেন। তাকে খাটিয়া সহ বয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। আর বনি কুরাইজারা যেহেতু ইহুদি ছিল, সেকারণেই সাদ তাওরাতের বিধান অনুসারে বিচার করেছিলেন। তাওরাতে ছিল-
‘’অত:পর কোন দলের সাথে বিরোধ উপস্থিত হলে প্রথমে তাদেরকে সন্ধির জন্যে আহবান করবে, যদি তারা সে আহবানে কর্ণপাত করে এবং সন্ধি করতে রাজী হয়, তবে তাদেরকে করদমিত্ররূপে গ্রহণ করবে, যদি তারা না শুনে, তবে তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, যুদ্ধে তারা পরাজিত হলে তাদের পুরুষদের হত্যা করবে। স্ত্রী, পুত্র, বালক-বালিকাদের দাস-দাসীরূপে ব্যাবহার করবে এবং তাদের ধন-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেবে।’ –এই শাস্ত্র বিধান অনুসারে আমি এই রায় দিচ্ছি যে, মুসলমানদের সাথে সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করার জন্যে সমস্ত ইহুদি পুরুষদের, যারা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল-প্রাণদন্ড হবে, স্ত্রীলোক এবং বালক-বালিকারা মুসলমানদের দাস-দাসীরূপে পরিগণিত হবে এবং তাদের সমস্ত সম্পত্তি মুসলিম সৈন্যদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হবে।’
এই দন্ডজ্ঞা ছিল, নিঃসন্দেহে নির্মম কিন্তু সেই যুগে যুদ্ধের গৃহীত প্রথাসমূহের সঠিক প্রয়োগ। যদি সা’দের বিচার ছাড়াই তাদের প্রতি হত্যা দন্ডাজ্ঞা দেয়া হত, সেক্ষেত্রেও তৎকালীন যুদ্ধনীতির সঙ্গেও তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হত। অধিকন্তু তারা নিজেরাই সা’দকে একমাত্র সালিস ও বিচারক মনোনীত করেছিল। তারা জানত যে, তার বিচার আদৌ গৃহীত ধারণার বিপরীত নয়। কাজেই তারা কোন অনুযোগ করেনি। তারা একথাও জানত যে যদি তারা জয়ী হত তবে কোন বিবেচনা ছাড়াই তারা শত্রুনিধন করত। হযরত দাউদ অধিকতর হিংস্রতা সহকারে বিজিত অমালেকাদের সঙ্গে আচরণ করেছিলেন, তাদের কাউকে বিঁধে, কাউকে কুড়াল দ্বারা কুপিয়ে ও করাত দিয়ে চেরা হয়েছিল, আর অন্যান্যদের ইটের চুল্লিতে ঝলসিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।
তাছাড়া পরদিন সাদ মৃত্যুবরণ করেছিলেন। সুতরাং দন্ডাজ্ঞা পরিবর্তণের কোন সুযোগ ছিল না। এই রায়ে ২০০ বা ২৫০ জন ইহুদি মারা পড়েছিল। তবে কথা হচ্ছে এই একজন ইহুদিও সাদের ঐ বিচারের বিরোধিতা করেনি। আপনি কেন করছেন?
@mkfaruk,
তাই নাকি? বনি কুরাইজা কার সাথে যুদ্ধ করেছিল? তারা কারও সাথে কখনোই যুদ্ধ করে নাই। মুহাম্মদকে তার জিবরাইল বলেছিল যে তারা মক্কাবাসীদের সাহায্য করেছে। বনি কুরাইজার নৃশংসতা নিয়ে এই মুক্তমনায় অনেক লেখালেখি হয়েছে। দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
এই তথ্য কোথা্য পেলেন? বনি কুরাইজার ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগে বনি কুইনাকা, বনি নাদিরকেও তাদের ভিটে মাটি ছেড়ে উৎখাত করে তাদের সমস্ত সম্পত্তি লুট করেছিল মুহাম্মদ ও তার লুটেরা দল। পরবর্তীতে খাইবার, ফাদাক সব একই উদ্দেশ্য। উদ্দেশ্য গনিমতের মাল- সম্পদ, দাস, যৌন-দাসী আহরণ। খাদিজাকে বিয়ে করার পর থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মুহাম্মদ ছিল পরজীবী। মুহাম্মদ ও তার সাগরেদের প্রধান জীবিকা ছিল রাতের অন্ধকারে নিরীহ বানিজ্য ফেরত কাফেলায় ডাকাতি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে অপরের মালামাল লুন্ঠন। মোহাম্মদের জীবিকা কি ছিল? সে এতগুলো বিবি ও দাসীর ভরন পোষন করত কিভাবে? দেখুন এখানে এবং এখানে।
একদল লোককে শুধুমাত্র সন্দেহের বসে (মুহাম্মদকে তার জিবরাইল খবর দিয়েছে) তাদের বসত বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে এসে প্রকাশ্য দিবালোকে “কল্লা কেটে খুন করে লাশ গর্তে ফেলে রক্তের হোলী-খেলা চালাচ্ছে” একদল সন্ত্রাসী (ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকান্ডের একটি) সেখানে আপনি প্রশ্ন তুলছেন “তারা যেহেতু প্রতিবাদ করে নাই, সুতরাং আমি কেন প্রতিবাদ করছি!” দারুণ, আপনার যুক্তি। কার কাছে তারা প্রতিবাদ করবে? মুহাম্মদের কাছে? দেখুন, এখানে:
“Huyayy was brought out wearing a flowered robe in which he had made holes about the size of the finger-tips in every part so that it should not be taken from him as spoil, with his hands bound to his neck by a rope. When he saw the apostle he said, ‘By God, I do not blame myself for opposing you, but he who forsakes God will be forsaken.
কি মনে হয় তারা প্রতিবাদ করে নাই?
ঠিকই বলেছেন। এখন আপনিই বলুন, “হযরত দাউদ এবং হযরত মুহাম্মদ – ইসলামের এই দুই “হযরতের” মধ্যে কে বেশী “কুৎসিত ও নিষ্ঠুর”? দাউদ, নাকি মুহাম্মদ। “যুগের পরিপ্রেক্ষিতের (Situational Ethics)” ধুঁয়া তুলে জল ঘোলা করবেন না প্লিজ! মুহাম্মদের শিক্ষা সর্বকালের জন্য, কিয়ামত পর্যন্ত তা বলবত। মুহাম্মদ কি কখনো বলেছিলেন যে তার শিক্ষা শুধু সে সময়ের জন্যই প্রযোজ্য ছিল?
সুন্দর,যুক্তিযুক্ত, তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
@mkfaruk
সুন্দর,যুক্তিযুক্ত, তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বরাবরের মতোই অসাধারণ; আর তাই লেখায় পঞ্চতারকা নিক্ষেপ করিয়া গেলাম
(*) (*) (*) (*) (*)
সৌদি আরবে সংবিধান অনুসারে একটি মেয়ের বিবাহের মিনিমাম বয়েস কত?
কোরান হাদিস হল পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষের মহত্যের নমুনা।কোরান হল মহান হওয়ার নির্দেশিকা, আর হাদিস মহামানবের মহত্যের উদাহরন সমূহ! :-Y
জাগতিক জীবনে উপহার নারী, মরে গিয়ে বেহেস্তে গেলে নারী…..
বিজ্ঞাপনে অর্ধ-নগ্ন নারী
কোথায় যেন একটা যোগসূত্র আছে।
বিবিধ পণ্যের বিজ্ঞাপনে নারীদের ব্যাপক ব্যবহারের কৌশল, নিশ্চয়ই আধুনিক বেনিয়ারা কোরান হাদিছ থেকে চুরি করে, আজকে এত রমরমা অবস্থানে পৌঁছে গেছে।
@স্বপন মাঝি,
খুব সত্যি কথা লিখেছেন।
এহ হে এইটা কি বল্লেন।
যে দেশে ইসলাম হোল রাষ্ট্র ধর্ম সেখানে যুদ্ধাপরাধী বিচার কি ভাবে সম্ভব
নবীজির সকল কাজ ও ভাবনা অনুসরণই যদি হাদিস, রাজাকার, আল বদর পাকি হানাদারেরা তো তাহলে নেক কাজ করেছে, অন্ধ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের চোখে; তাই তো? নাকি?
@কাজী রহমান,
মোটেই সম্ভব নয়। যাদেরকে যুদ্ধাপরাধী বলা হচ্ছে তাদের সমর্থনে আছে কোরান, হাদিস এবং শারিয়া। যুদ্ধাপ্রাধীদের বিচার করা মানে ইসলামের বিচার করা–যা হচ্ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম।