সখি, ভালবাসা কারে কয়? <আগের পর্ব : পর্ব -১ । পর্ব -২ । পর্ব-৩ | পর্ব -৪>
চুমুর বিজ্ঞান
প্রতি অঙ্গ কাঁদে তব প্রতি অঙ্গ – তরে ।
প্রাণের মিলন মাগে দেহের মিলন ।
হৃদয়ে আচ্ছন্ন দেহ হৃদয়ের ভরে
মুরছি পড়িতে চায় তব দেহ -‘ পরে ।
তোমার নয়ন পানে ধাইছে নয়ন ,
অধর মরিতে চায় তোমার অধরে ।
দেহমিলন নামে চতুষ্পদি কবিতার শুরুতে কবিগুরু উপরের যে চরণগুলো লিখেছেন, তা যেন প্রেম ভালবাসার একেবারে মোদ্দা কথা -‘অধর মরিতে চায় তোমার অধরে’! সত্যই তো। চুমু বিহীন প্রেম – যেন অনেকটা লবনহীন খিঁচুড়ির মতোই বিস্বাদ!
তাই ভালবাসার কথা বললে অবধারিতভাবেই চুমুর কথা এসে পড়বে। ভালবাসা প্রকাশের আদি এবং অকৃত্রিম মাধ্যমটির নাম যে চুম্বন – সেই বিষয়ে সম্ভবতঃ কেউই দ্বিমত করবেন না। কাজেই কেন কবিগুরুর কথামত আমাদের অধর মরিতে চায় অন্যের অধরে – তার পেছনের বিজ্ঞানটি না জানলে আমাদের আর চলছে না। সিরিজটির এই পর্বে থাকবে চুম্বনের বৈজ্ঞানিক ব্যবচ্ছেদ।
বাঙালি, আফগানি, জাপানিজ, মালয় থেকে শুরু করে পশ্চিমা সংস্কৃতি – সব জায়গাতেই প্রেমের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে চুম্বন পাওয়া যাবে। সংস্কৃতিভেদে চুম্বনের তারতম্য আর ভেদাভেদ আছে ঠিকই – কোথাও প্রেমিক প্রেমিকাকে কিংবা প্রেমিকা প্রেমিককে চুমু খায় গোপনে, কোথাও বা প্রকাশ্যে, কারো চুম্বন শীতল, কারোটা বা উদগ্র, কেউ ঘার কাৎ করে চুমু খায় কেউ বা খায় মাথা সোজা রেখে। কিন্তু চুম্বন আছেই – মানব সভ্যতার সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে মিশে[1]। তাই চুম্বনের বিবর্তনীয় উৎসটি আমাদের জানা চাই।
আর শুধু মানুষই নয়, অনেকে জেনে হয়তো অবাক হবেন, চুমুর অস্তিত্ব রয়েছে এমনকি অন্যান্য অনেক প্রানীর মধ্যেই[2]। কুকুর, বিড়াল, পাখি থেকে শুরু করে শিম্পাঞ্জি, বনোবো সহ বহু প্রানীর মধ্যেই চুম্বনের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গেছে। এ সমস্ত প্রানীদের কেউ বা চুমু খায় খাদ্য বিনিময় থেকে শুরু করে আদর সোহাগ বিনিময় এমনকি ঝগড়া-ফ্যাসাদ মেটাতেও। বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী ফ্র্যান্স ডি ওয়াল তার প্রাইমেট সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণায় দেখিয়েছেন চুম্বনের ব্যাপারটা মানব সমাজেরই কেবল একচেটিয়া নয়, আমাদের অন্য সকল জ্ঞাতিভাই প্রাইমেটদের মধ্যেও তা প্রবলভাবেই দৃশ্যমান।
চিত্র: চুম্বনের ব্যাপারটা মানব সমাজেরই কেবল একচেটিয়া নয়, প্রাইমেট এবং নন প্রাইমেট অনেক প্রাণির মধ্যেই চুম্বনের অস্তিত্ব দেখা যায়। উপরের ছবিতে প্রেইরি কুকুরের মধ্যকার চুম্বন আর নীচের ছবিতে দুটি শিম্পাঞ্জির মধ্যকার চুম্বন দেখানো হয়েছে।
তাহলে মানব সমাজে চুম্বনের শুরুটা কোথায়, আর কীভাবে? বলা আসলেই মুশকিল। তবে, ১৯৬০ সালে ইংরেজ প্রানীবিজ্ঞানী ডেসমণ্ড মরিস প্রথম প্রস্তাব করেন যে, চুম্বন সম্ভবতঃ উদ্ভুত হয়েছে আমাদের পূর্বপুরুষ প্রাইমেট মায়েদের খাবার চিবানো আর সেই খাবার অপরিণত সন্তানকে খাওয়ানোর মাধ্যমে। শিম্পাঞ্জি মায়েরা এখনো এভাবে সন্তানদের খাওয়ায়, আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যেও ব্যাপারটা ঠিক এভাবেই এবং এ কারণেই তৈরি হয়েছিল। মনে করা হয় খাদ্যস্বল্পতার সময়গুলোতে যখন সন্তানকে খাবার যোগাতে পারত না, তখন অসহায় সন্তানকে প্রবোধ দিতে এভাবে মুখ দিয়ে খাবার খাওয়ানোর ভান করে সান্ত্বনা দিত স্নেহবৎসল মায়েরা। এভাবেই একটা সময় চুম্বন মানব বিবর্তনের একটি অংশ হয়ে উঠে, এর পরিধি বৃদ্ধি পায় সন্তানের প্রতি ভালবাসা থেকে প্রেমিক প্রেমিকার রোমান্টিকতায়, যার বহুবিধ অভিব্যক্তি আমরা লক্ষ্য করি মানব সমাজের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে আনাচে কানাচে, নানাভাবে।
চিত্র: ফরাসী স্থপতি অগাস্টি রডিনের একটি বিখ্যাত স্থাপত্যকর্ম – The Kiss। আমি আর বন্যা প্রথমবার ২০০২ সালে প্যারিসে গিয়ে রডিনের এই অদ্ভুত সুন্দর স্থাপত্যকর্মটি দেখে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ!
তবে আজকের দিনের চীরচেনা তীব্র রোমান্টিক প্রেমের সাথে চুম্বনের জৈববৈজ্ঞানিক তথা বিবর্তনীয় উৎস খুঁজতে গেলে আমাদের বের করতে হবে চুমু খাওয়ার এই মাধ্যমটি সম্পর্ক তৈরি এবং টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে কোন ধরনের বাড়তি উপযোগিতা কখনো দিয়েছিলো কিনা, এবং এখনো দেয় কিনা। এ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন। যেমন, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানী গর্ডন জি গ্যালোপের (Gordon G. Gallup) গবেষণা থেকে জানা গেছে, চুম্বন মানব সমাজে মেটিং সিলেকশন বা যৌনসঙ্গী নির্বাচনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে[3]। বিশেষ করে ‘প্রথম চুম্বন’ ব্যাপারটা রোমান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ সমীকরণ হিসেবে অনেকের জীবনেই উঠে আসে বলে মনে করা হয়। সাধারণতঃ প্রথম প্রেম কিংবা প্রথম যৌনসঙ্গমের মতো প্রথম চুম্বনের ঘটনাও প্রায় সবাই হাজারো ঘটনার ভীড়ে মনের স্মৃতিকোঠায় সযত্নে জমিয়ে রাখে স্থায়ীভাবে। মহাকবি কায়কোবাদের একটা চমৎকার কবিতা আছে প্রথম চুম্বন নিয়ে –
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন!
যবে তুমি মুক্ত কেশে
ফুলরাণী বেশে এসে,
করেছিলে মোরে প্রিয় স্নেহ-আলিঙ্গন!
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন?প্রথম চুম্বন!
মানব জীবনে আহা শান্তি-প্রস্রবণ!
কত প্রেম কত আশা,
কত স্নেহ ভালবাসা,
বিরাজে তাহায়, সে যে অপার্থিব ধন!
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন!হায় সে চুম্বনে
কত সুখ দুঃখে কত অশ্রু বরিষণ!
কত হাসি, কত ব্যথা,
আকুলতা, ব্যাকুলতা,
প্রাণে প্রাণে কত কথা, কত সম্ভাষণ!
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন!সে চুম্বন, আলিঙ্গন, প্রেম-সম্ভাষণ,
অতৃপ্ত হৃদয় মূলে
ভীষণ ঝটিকা তুলে,
উন্মত্ততা, মাদকতা ভরা অনুক্ষণ,
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন!
তবে কায়কোবাদ প্রথম প্রেমের মাহাত্ম্য নিয়ে যতই কাব্য করুক না কেন, প্রকৃত বাস্তবতা একটু অন্যরকম। বিশ্ববিদ্যালয়ের আণ্ডারগ্র্যাড ছাত্রদের উপর গবেষণা চালাতে গিয়ে গবেষকেরা দেখেন, অন্ততঃ ৫৯ ভাগ ছাত্র এবং প্রায় ৬৬ ভাগ ছাত্রীরা স্বীকার করেছে যে তাদের জীবনে ‘প্রথম চুম্বন’ -এর পর পরেই সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ রাতারাতি উবে গেছে। এমন নয় যে সেই সব খারাপ চুমু আসলেই খুব খারপ ছিল। কিন্তু প্রথমবার চুম্বনের পরেই তাদের সবারই মনে হয়েছিলো কোথায় যেন মিলছে না – সামথিং ইজ নট রাইট! গর্ডন জি গ্যালোপের অভিমত এ ক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য[4] –
While many forces lead two people contact romantically, the kiss, particularly the first kiss, can be a deal breaker.
কিন্তু কেন এমন হয়? সেটাই ব্যাখ্যা করছেন বিজ্ঞানীরা। আমরা যে আগের পর্বে ফেরোমোন এবং MHC জিনের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম, দেহজ গন্ধের মাধ্যমে সেখানকার ভালবাসার সংকেতগুলো পৌঁছে যায় মস্তিস্কে। ঠিক এমনটাই ঘটে চুম্বনের ক্ষেত্রেও। অর্থাৎ চুমুর মাধ্যমে সঙ্গির বংশগতীয় কম্প্যাটিবিলিটির খোঁজ পায় মানব মস্তিস্ক। অর্থাৎ সোজা বাংলায়, সঠিক চুমু মানসিকভাবে সঠিক যৌনসঙ্গিকে খুঁজে নিতে সহায়তা করে । চুম্বনের পর যদি কায়কোবাদের মতো সেই ‘আহা শান্তি-প্রস্রবণ’ কিংবা ‘ভীষণ ঝটিকা তুলে, উন্মত্ততা, মাদকতা ভরা অনুক্ষণ’ আসে আপনার কাছে তাহলে বুঝতে হবে, আপনার মস্তিস্ক ইঙ্গিত করছে আপনার সঙ্গি বংশগতীয় ভাবে আপনার জন্য সঠিক। আপনার জৈবিক দেহ আপনার সঙ্গির দ্বারা নিরুপদ্রুপভাবে গর্ভধারণ করার জন্য নির্বাচিত হয়েছে! আর যদি চুম্বনের পর মনে হয় ‘কোথায় যেন মিলছে না’ তাহলে বুঝতে হবে যে, আপনার সঙ্গির MHC জিনের বিন্যাস আপনার জন্য কম্পিটেবল নয়।
তবে চুম্বনের রসায়নে নারী পুরুষে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অধ্যাপক গ্যালোপ এবং তার সহকর্মীরা ১০৪১ জন কলেজ ছাত্র-ছাত্রীর উপর গবেষণা চালান। তাদের গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে, তীব্র চুম্বন পুরুষদের জন্য আবির্ভূত হয় যৌনসম্পর্ক সূচিত করার পরবর্তী ধাপ হিসেবে। কিন্তু অন্য দিকে মেয়েরা চুম্বনকে গ্রহণ করে সম্পর্কের মানসিক উন্নয়নের একটি সুস্থিত পর্যায় হিসেবে[5]।
গ্যালপের গবেষণায় আরো দেখা গেছে চুম্বনের ব্যাপারটা ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রতিভাত হয়। মেয়েদের কাছে ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণই শুধু নয়, অধিকাংশ মেয়েরা চুম্বন ছাড়া এমনকি সঙ্গির সাথে যৌনসম্ভোগে অস্বীকৃতও হয়। কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এতখানি প্রকট নয়। ছেলেদের কাছে একটা সময় পর চুমু খাওয়া না খাওয়া তেমন বড় হয়ে উঠে না – চুমু টুমু না খেয়ে হলেও কোন ‘আকর্ষনীয়’ মেয়ের সাথে যৌনসম্ভোগ করতে পারলে – ছেলেদের জন্য তাতেই সই! সমীক্ষায় দেখা গেছে কেউ ‘গুড কিসার’ না হওয়া সত্ত্বেও মেয়েদের চেয়ে অধিক সংখ্যক ছেলেরা তার সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী হয়।
মেয়েদের জন্য চুম্বন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠার পেছনে কিছু বিবর্তনীয় কারণ রয়েছে বলে মনে করা হয়। বিবর্তনের পথিকৃত চার্লস ডারউইন তার যৌনতার নির্বাচন তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে খেয়াল করেছিলেন যে, প্রকৃতিতে প্রায় সর্বত্রই মেয়েরা সঙ্গি নির্বাচনের ব্যাপারে খুব বেশি হিসেবী, সাবধানী আর খুঁতখুঁতে হয়ে থাকে। এই ব্যাপারটি জীববিজ্ঞানে পরিচিত ‘নারী অভিরুচি’ (female choice) হিসেবে। ডারউইনের সময়ে ডারউইন ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণ করলেও এই নারী অভিরুচির পেছনের কারণ সম্পর্কে তিনি কিংবা তার সমসাময়িক কেউ ভালভাবে অবহিত ছিলেন না। কিন্তু পরবর্তী কালে জীববিজ্ঞানী এবং বিবর্তন মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণায় এর পেছনের কারণটি আরো স্পষ্টভাবে বোঝা যেতে শুরু করে। বিশেষতঃ বিখ্যাত সামাজিক জীববিজ্ঞানী রবার্ট ট্রাইভার্সের ১৯৭২ সালের গবেষণা এ ব্যাপারে একটি মাইলফলক[6]। ট্রাইভার্স তার গবেষনায় দেখান যে, প্রকৃতিতে (বিশেষতঃ স্তন্যপায়ী জীবের ক্ষেত্রে) সন্তানের জন্ম এবং লালন পালনের ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশি শক্তি বিনিয়োগ করে। গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম দেয়া, স্তন্যপান করানো সহ বহু কিছুতে মেয়েদেরকেই সার্বিকভাবে জড়িত হতে হয় বলে মেয়েদের তুলনামূলকভাবে অধিকতর বেশি শক্তি খরচ করতে হয়। ভবিষ্যৎ জিন তথা পরবর্তী প্রজন্ম রক্ষায় মেয়েদের এই অতিরিক্ত বেশি শক্তি খরচের ব্যাপারটা স্তন্যপায়ী সকল জীবদের জন্যই কমবেশি প্রযোজ্য। জীববিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে ‘অভিভাবকীয় বিনিয়োগ’ (parental investment)। মানুষও একটি স্তন্যপায়ী প্রানী। একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হবার পরেও নির্দ্বিধায় বলা যায় মেয়েরাই অভিভাবকীয় বিনিয়োগের সিংহভাগে জড়িত থাকে। যেহেতু পুরুষদের তুলনায় নারীদের অভিভাবকীয় বিনিয়োগের সিংহভাগে জড়িত থাকতে হয়, তারা যৌনসঙ্গি নির্বাচনের ব্যাপারে হয়ে উঠে অধিকতর হিসেবী এবং সাবধানী। বিবর্তনীয় পথপরিক্রমায় মেয়েরা সঙ্গি নির্বাচনের ব্যাপারে অধিকতর সাবধানী হতে বাধ্য হয়েছে, কারণ অসতর্কভাবে দুষ্ট-সঙ্গি নির্বাচন করলে অযাচিত গর্ভধারণ সংক্রান্ত ঝুট-ঝামেলা পোহাতে হয় নারীকেই। ডেভিড বাস তার ‘Human Mating Strategies’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে সেজন্যই লিখেছেন[7] –
‘বিবর্তনীয় যাত্রাপথে যে সকল মেয়েরা হিসেবী কিংবা সাবধানী ছিলো না, তারা খুব কমই প্রজননগত সফলতা (reproductive success) অর্জন করতে পেরেছে। কিন্তু যারা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শয্যাসঙ্গি নির্বাচন করতে পেরেছে, যেমন – যৌনসঙ্গি নির্বাচনের সময় গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করেছে তার সঙ্গি সঙ্গমের পরই পালিয়ে না গিয়ে তার সাথেই থাকবে কিনা, বাবা হিসেবে তার ভবিষ্যৎ সন্তানের দেখভাল করবে কিনা, সন্তান এবং পরিবারের পরিচর্যায় বাড়তি বিনিয়োগ করবে কিনা ইত্যাদি – সে সমস্ত সতর্ক মেয়েরাই সফলভাবে প্রজননগত উপযোগিতা উপভোগ করতে পেরেছে। কাজেই ট্রাইভার্সের দৃষ্টিকোন থেকে জীবজগতে প্রজাতির প্রজননগত সাফল্য এবং সফলভাবে প্রজন্ম টিকিয়ে রাখার মূলে রয়েছে সেই প্রজাতির নারীদের সতর্ক সঙ্গিনির্বাচনী অভিরুচি (careful mate choice)’।
কাজেই যৌনসঙ্গির ব্যাপারে নারীদের সতর্ক থাকতে হয়, কারণ ভুল সঙ্গিকে নির্বাচনের মাশুল হতে পারে ভয়াবহ। অন্ততঃ একজন নারীর জন্য চুম্বন হয়ে উঠে সঙ্গি বাছাইয়ের একটি অবচেতন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সে নির্ণয় করতে চেষ্টা করে তার সঙ্গি তার ভবিষ্যৎ সন্তানের অভিভাবকীয় বিনিয়োগে অবদান রাখবে কিনা কিংবা তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ (committed) কিনা ইত্যাদি[8]। আর আগেই বলা হয়েছে, চুমুর মাধ্যমে MHC জিনের মধ্যকার ভালবাসার সংকেতগুলো পৌঁছে যায় মস্তিস্কে। পুরুষের লালাগ্রন্থিতে যে সমস্ত যৌন হরমোনের উপস্থিতি থাকে, সেটার উপাত্তই চুমু বিশ্লেষণের জন্য বয়ে নিয়ে যায় মস্তিস্কে।
চুম্বনের রসায়নে নারী পুরুষে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও একটি বিষয়ে মিল পাওয়া গেছে। চুম্বন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে – নারী পুরুষ উভয়েরই। মনোবিজ্ঞানী উইন্ডি হিল এবং তার ছাত্রী কেরি উইলসনের গবেষণা থেকে জানা গেছে চুম্বনের পরে দেহের কর্টিসল (cortisol) হরমোন, যার পরিমান মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়, তার স্তর লক্ষ্যনীয়ভাবে কমে আসে। এর থেকে বোঝা যায় যে, রোমান্টিক চুম্বন আমাদের মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকতে সহায়তা করে।
তাই, বেশি করে চুমু খান, আর ভাতের উপর চাপ কমান ! :))
:line:
তথ্যসূত্র:
[1] অবশ্য চুম্বন ব্যপারাটি সংস্কৃতি নির্বিশেষে সার্বজনীন ( কালচারাল ইউনিভার্সাল) কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিছু গবেষক দেখেছেন যে মানব সমাজের সব জায়গায় চুম্বনের প্রচলন নেই। ডাচ বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার নাইরোপ তার একটি গবেষণায় দেখিয়েছেন ফিনিশ একটি গোত্রে একসাথে নগ্ন হয়ে স্নান করার প্রচলন আছে, কিন্তু চুম্বনের নেই। অনেক জায়গায় চুম্বনকে ঘৃনিত প্রথা বলেও মনে করা হয়। কিন্তু এই স্বল্প কয়েকটি সংস্কৃতি বাদ দিলে মানব সমাজের মোটামুটি সবাই চুম্বন ব্যাপারটার সাথে পরিচিত।
[2] “How animals kiss and make up“. BBC News. October 13, 2003.
[3] Susan M. Hughes, Marissa A. Harrison and Gordon G. Gallup, Sex Differences in Romantic Kissing Among College Students: An Evolutionary Perspective, Evolutionary Psychology, 2007. 5(3): 612-631
[4] University at Albany (2007, August 31). A Kiss Is Still A Kiss — Or Is It?. ScienceDaily, Retrieved April 2, 2011, from http://www.sciencedaily.com /releases/2007/08/070830121629.htm
[5] Chip Walter, Affairs of the Lips: Why We Kiss, Scientific American Mind, February 2008
[6] R.L. Trivers, Parental investment and sexual selection, In B. Campbell (Ed.), Sexual selection and the descent of man: 1871-1971 (pp. 136-179). Chicago: Aldine, 1972
[7] David Buss, Human Mating Strategies. Samfundsokonomen, 4, 47-58, 2002.
[8] Chip Walter, Affairs of the Lips: Why We Kiss, Scientific American Mind, February 2008
সখি, ভালবাসা কারে কয়? <আগের পর্ব : পর্ব -১ । পর্ব -২ । পর্ব-৩ | পর্ব-৪>
মানুষের সম্পর্কের মধ্যে চুম্বন ছাড়াও অন্যান্য স্পর্শ যেমন- চুলে হাত বুলানো, জড়িয়ে ধরা, থাপ্পড় মারা ইত্যাদি স্পর্শের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি? জানতে খুব ইচ্ছা করে।
ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ চুম্বনকে উন্মুক্ত করা হোক সামাজিক লজ্জা এবং নিন্দা থেকে …।।
কিন্তু চুম্বন কাহাকে বলে, উহা কত প্রকার ও কি কি, তাই যদি না জানা হয়- তাহলে কেমনে চলবে! (আউটলিঙ্ক)
মুক্তমনা এডমিনের প্রতি,
আমি মুক্তমনা সাইটে প্রকাশিত সকল লেখা, আর্টিকেল (২০০১ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রকাশিত) ডাউনলোড করতে চাই। প্রতিটি লেখা ম্যানুয়ালি খুলে সেভ করা কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। এজন্য আমার অনুরোধ যে আপনি বা আপনারা মুক্তমনায় প্রকাশিত সকল লেখা একটি rar আর্কাইভে সংগ্রহ করে সেটি ডাইরেক্ট ডাউনলোড বা টরেন্ট আকারে বিতরণের ব্যবস্থা করবেন।
ইহা অত্যন্ত জরুরি।
@অভিজিৎ, 🙂 অনেক ধন্যবাদ …..কোন এক সময় শিল্পী হতে চেয়েছিলাম, এখন আঁকি আমার ক্যামিল ক্লদেলে’র জন্য 🙂 , যে আমাকে স্যার গ্রমব্রিচের কথাটা মনে করিয়ে দেয়, আর্ট বলে কিছু নেই আছে শুধু আর্টিষ্ট। তাই যতটুকু পারি চেষ্ঠা করে যাচ্ছি।
মনে করিয়ে দেয় , “নালি ভাঙ্গা”র কথা।
কেউ কি কবুতরের চুমু খাওয়া দেখেছেন? ওরা ঘরের চালে একেবারে উপরে দাঁড়িয়ে ঠুটে ঠুট আংটার মত করে আটকিয়ে দেয়। তারপরে বিশেষ ছন্দে উটা নামা করে মিনিট খানেক। এর নাম “নালি ভাংগা”।
বড়রা বলত – কবুতর “নালি ভাংগছে। বাচ্চা হবে। ব্যাপারটা বুঝতেও পারিনি। ভাবিওনি। এখন বুঝতে পারছি।
কবুতরদের সাংসারিক জীবন বড় পবিত্র। পাশাপাশি জোড়ায় জোড়ায় নির্দিষ্ট কুঠরীতে থাকবে। অন্যের প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ। ডিম থেকে বাচ্চা হবে। বাইরে থেকে খাবার এনে বাচ্চার মুখে গুঁজে দেবে। বাচ্চা যেই মাত্র নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে ওমনি ঠোকরায়ে বের করে দেবে। কারণ, আবার নালি ভাংগার সময় হয়ে গেছে।
প্রজাপতির চুমুও সুন্দর। খুবই সুন্দর। তাই হিন্দুদের বিয়ের আইকন প্রজাপতি। প্রজাপতির ‘নিব্বন্ধ’ থাকলেই হিন্দুদের বিয়ে হয়। বিয়ের দেরী হলে “ধৈর্য” হারাইওনা। যখন প্রজাপতির ‘নিব্বন্ধ’ হবে, তখনই বিয়ে হবে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমার ধারণা ছিল এই প্রজাপতি ভগবান প্রজাপতি।
@রৌরব,
আপনার ধারণা ঠিক হবে। মনে পড়ছে ব্রাহ্মণগন একটা মন্ত্র উচ্চারণ করেন – প্রজাপতয়ে নমঃ।
বিবাহের নিমন্ত্রণ পত্রে, মনে পড়ে, প্রজাপতির চুম্বন ছবি সংযুক্ত থাকে। মন্তব্যের সময় সেটাই মনে পড়ে ছিল। দুঃখিত।
@নৃপেন্দ্র সরকার, মজা পেলাম কবুতরের নালিভাঙ্গার কাহিনি শুনে
সমকামিচুম্বনকে বিবর্তনীয় মনবিজ্ঞানীরা কীভাবে ব্যাখ্যা করেন?
লেখাটা দারুণ হয়েছে! (Y)
@তানভীরুল ইসলাম,
সমকামি চুম্বন নিয়ে কোন কাজ হয়েছে কিনা আমি নিশ্চিত নই, তবে সমকামী আকর্ষণ নিয়ে হয়েছে। কিছু পয়েন্ট আছে এখানে।
চমৎকার
অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো ‘চুমু’ সম্পর্কে অভিজিত দা এ পোস্ট থেকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ অভিজিত দা (F) (F)
খুবই তথ্যবহুল লেখা, আগ্রহোদ্দীপক :lotpot:
এরকম বিষয়ের উপর একটা লেখায় মন্তব্য না করে থাকা গেলো না। :))
মেয়েরা সঙ্গী নির্বাচনের ব্যাপারে সতর্ক থাকে বেশী?
বাস্তব অভিজ্ঞতা অন্যরকম কথা বলে। আমিত দেখি ছুড়ি থেকে বুড়িরা সুন্দর পুরুষের জন্যে পাগল! সে কতটা সন্তানের জন্যে সময় দেবে বা ভাল বাবা হবে এসব ভেবে মেয়েরা প্রেমে পড়ে না-প্রথম প্রেমেত একদমই না। পরে ধাক্কা ফাক্কা খেলে একটু সতর্ক হতে পারে।
ওয়াকি তে যেটুকু তথ্য পেলাম এবং গুগুল ঘাঁটাঘাটি করে এটাই জানলাম [http://en.wikipedia.org/wiki/Sexual_selection_in_human_evolution]
আদতে মেয়েরা ভাল বাবা খোঁজে না- কারন তারা জানে সন্তান পালনের দ্বায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে। অবশ্য তারা শক্ত পুরুষ খোঁজে যে তাদেরকে খাদ্য এবং অন্যান্য সুরক্ষা দিতে পারবে। সেটা আর ভাল বাবা খোঁজা এক না।
@বিপ্লব পাল,
আমি একমত নই। বায়োলজিকালি চিন্তা করলে মেয়েদের বেশি সতর্ক হবারই কথা। আমি আমার মূল লেখায় ডেভিড বাস এর ‘Human Mating Strategies নিয়ে যে পেপারটা দিয়েছি সেটা পরে দেখতে পার। আমি কিছু লাইন উদ্ধৃত করছি –
Darwin observed that females were often the choosy sex (indeed, he sometimes called the process of intersexual selection »female choice«), but he did not know why. He also observed that males were often the competitive sex, but he did not know why. Roughly a century would pass before evolutionary biologists devised a powerful theory to explain what determines which sex will compete and which sex will exercise choice, that is, what drives the operation of the two component processes of sexual selection. … In species with internal female fertilization, the greater parental investment by females makes them a valuable reproductive resource. Gestating, bearing, and breast feeding a child, for example, are costly endeavors. Elementary economics tells us that those who hold valuable resources do not give them away indiscriminately. Evolution favored women who were highly selective about their mates. Women who were not choosy would have suffered lower reproductive success. Those who engaged in careful mate selection, preferring for example a man who would stay around, invest in her, and protect her children, enjoyed reproductive benefits. The more an organism channels effort into parental investment, according to Trivers, the greater the benefits of exercising careful mate choice. The sex that invests less in offspring, according to this theory, should be more competitive with each other for access to the high-investing sex. In summary, the relative investment of the two sexes drives the operative components of sexual selection, with the high investing sex being selected to be the most discriminating and the lower investing sex being selected to be the most competitive with members of their own sex.
ঠিক একই ব্যাপার লেখা হয়েছে সায়েন্টিফিক আমেরিকান মাইন্ডের ক্লিফ ওয়াকারের (Affairs of the Lips: Why We Kiss, Scientific American Mind, February 2008) প্রবন্ধে –
Because women need to invest more energy in producing children and have a shorter biological window in which to reproduce, they need to be pickier about whom they choose for a partner—and they cannot afford to get it wrong. So, at least for women, a passionate kiss may help them choose a mate who is not only good at fathering children but also committed enough to stick around and raise them.
মেয়েরা কেন যৌন সঙ্গির ব্যাপারে ‘চুজি’ বা সতর্ক এ ব্যাপারটা অনেকভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। এ নিয়ে আমি আগে আলোচনাও করেছিলাম। আসলে বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করলে ডিম্বানু এবং শুক্রানু কিন্তু আলাদা। পুরুষের স্পার্ম বা শুক্রাণু উৎপন্ন হয় হাজার হাজার, আর সেতুলনায় ডিম্বানু উৎপন্ন হয় কম। ডিম্বানুর আকার শুক্রানুর চেয়ে বড় হয় অনেক। অর্থাৎ, জৈববৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করলে স্পার্ম সহজলভ্য, তাই কম দামী, আর সে তুলনায় ডিম্বানু অনেক মূল্যবান। ‘স্পার্ম অনেক চিপ’ বলেই (সাধারণভাবে) পুরুষদের একটা সহজাত প্রবণতা থাকে বহু সংখ্যক জায়গায় তার প্রতিলিপি ছড়ানোর। সেজন্য তথাকথিত আধুনিক একগামী সমাজেও দেখা যায় পুরুষেরাই বেশি প্রতারণা করে সম্পর্কে, আর আগেকার সময়ে রাজা বাদশাহদের হারেম রাখার কিংবা শক্তিশালী সেনাপতিদের যুদ্ধ জয়ের পর নারী অধিকারের উদাহরণগুলোর কথা না হয় বাদই দিলাম। পর দিকে ‘এগ ভালুয়েবল’ বলেই প্রকৃতিতে নারীরা যৌনসঙ্গি নির্বাচনের ব্যাপারে থাকে অপেক্ষাকৃত খুঁতখুঁতে, কারণ তারা নিশ্চিত করতে চায় কেবল উৎকৃষ্ট জিনের দ্বারাই যেন তার ডিম্বানুর নিষেক ঘটে। এ ছাড়া আমি মূল লেখায় ট্রাইভার্সের ‘অভিভাবকীয় বিনিয়োগ’ (parental investment) অনুকল্পের কথাও বলেছি (ডেভিড বাসের পেপেয়ারেও এটার উল্লেখ আছে) । যেহেতু নারীরা অভিভাবকীয় বিনিয়োগের সিংহভাগে জড়িত থাকে, তারা যৌনসঙ্গি নির্বাচনের ব্যাপারে হয়ে উঠে অধিকতর হিসেবী এবং সাবধানী। সেজন্যই প্রকৃতিতে দেখা যায়, পুরুষ ময়ুর পেখম তুলে দাঁড়িয়ে থাকে, ‘খুঁতখুঁতে’ ময়ূরী হিসেব নিকেশ করে নির্বাচন করে যোগ্যতম ময়ূরকেই তার সৌন্দর্যের ভিত্তিতে। পুরুষ কোকিল গান গেতে থাকে তাদের সুমধুর গলায়, ফ্রুট ফ্লাইরা নাচতে থাকে স্ত্রী মাছিদের প্রণয় লাভের জন্য, পুরুষ চিত্রল হরিণেরা সম্মোহিত করতে চায় তাদের বর্ণাঢ্য শিং এর যাদুতে, আর স্ত্রীরা নির্বাচন করে তাদের মধ্যে যোগ্য পুরুষটিকে।
এখন মানব সমাজের দিকে তাকানো যাক। সাধারণভাবে বললে, একজন পুরুষ তার সারা জীবনে অসংখ্য নারীর গর্ভে সন্তানের জন্ম দিতে পারে। ইতিহাসে একজন পুরুষের সবচেয়ে বেশি সংখক সন্তানের হিসেব পাওয়া যায় – ব্লাড থার্স্টি মৌলে ইসমাইল-এর ( ১০৪২ জন সন্তান) । তাত্ত্বিকভাবে একজন পুরুষ গর্ভ সঞ্চার করতে পারে প্রতি মুহূর্তেই। অপরদিকে একজন নারী বছরে কেবল একটি সন্তানেরই জন্ম দিতে পারে। সে হিসেবে সাড়া জীবনে তার সন্তান সর্বোচ্চ ২০-২২টির বেশি হবার সম্ভাবনা নেই (যমজ সন্তানের হিসেব গোনায় আনছি না)। বিবর্তনীয় পটভুমিকায় দেখা গেছে নারীরা যদি ক্রমাগত সঙ্গি বদল করতে থাকলে তা আসলে কোন প্রজননগত উপযোগিতা (reproductive benefit) প্রদান করে না। তার চেয়ে বরং সন্তানের দেখাশোনায় শক্তি বেশি নিয়োজিত করলেই বরং ভবিষ্যৎ জীন টিকে থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। সম্ভবত এই কারণেই নারীদের মধ্যে বহুগামিতা থাকে পুরুষদের তুলনায় কম। পুরুষেরাই পর্নগ্রাফির বেশি ভক্ত, মেয়েদের তুলনায়।
সেক্সুয়াল পার্টনার বদল করার চাহিদাও ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মধ্যে কম। ব্রুস এলিস এবং ডন সিমন্সের গবেষণায় দেখা গেছে, তিনজনের মধ্যে একজন পুরুষ একাধিক নারীর সাথে যৌনতার ফ্যান্টাসিতে ভোগে, এমনকি সারা জীবনে তাদের পার্টনারের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে কল্পনা করে তারা আমোদিত হয়ে উঠে- আর মেয়েদের মধ্যে সে সংখ্যাটা মাত্র ৮ ভাগ। একই ধরণের তথ্য পাওয়া গেছে ডেভিড বাসের গবেষণাতেও-
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2011/04/sexual_partner_desired.jpg[/img]
আরো একটা মজার তথ্য দেই। জরিপটা চালানো হয়েছিল একটি কলেজ ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছিলো জার্নাল অব সাইকোলজি এণ্ড হিউম্যান সেক্সুয়ালিটিতে (Clark, R. D., III & Hatfield, E. (1989). Gender differences in receptivity to sexual offers. Journal of Psychology and Human Sexuality, 2, 39-55.) ব্যাপারটা ছিলো এরকম। ছাত্রদের শিখিয়ে দেয়া হয়েছিলো যে তারা অপরিচিত ছাত্রীদের প্রথমে এসে বলবে –
‘Hi, I’ve been noticing you around campus, and I find you very attractive’
তারপরের তিনটি প্রশ্ন হবে এরকমের –
১। Would you go out on a date with me?
২। Would you go back to my apartment with me?
৩। Would you have sex with me?
দেখা গেছে, এ ধরনের প্রশ্নে ৫০% ছাত্রী ডেট এ যেতে রাজী হয়েছে , ৬% ছাত্রী সেই ছাত্রের সাথে এপার্টমেন্টে যেতে রাজী হয়েছে এবং ০% ছাত্রী সেক্সে রাজী হয়েছে। শুধু তাই নয়, বহু ছাত্রী প্রথমেই সেক্সের অফার দেয়াকে ‘ইন্সাল্ট’ হিসেবে নিয়েছে।
কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে একই রকমের ফল পাওয়া যায়নি। কোন মেয়ে যদি কোন ছাত্রকে ঠিক উপরের প্রশ্নগুলো করে, তবে দেখা গেছে, ৫০% ছেলে প্রথমেই ডেটে রাজী হয়েছে কিন্তু ৬৯% সেই ছাত্রীর সাথে এপার্টমেন্টে যেতে রাজী হয়েছে, আর ৭৫% ছাত্র প্রথমেই ছাত্রীর সাথে সেক্সে সম্মতি দিয়েছে।
এ থেকে বোঝা যায় ছেলেদের এবং মেয়েদের মেটিং স্ট্র্যাটিজি এক নয়। মেয়েরা সঙ্গি নির্বাচনে তুলনামূলকভাবে অনেক সতর্ক। যদিও মেয়েরাও সুদর্শন পুরুষ দেখে আমোদিত হয়, তাদেরো ছেলেদের মতই লংটার্মের পাশাপাশি শর্ট টার্ম স্ট্র্যাটিজি থাকে, কিন্তু সার্বজনীনভাবে মেটিং সিলেকশনে মেয়েদের সাবধানী হতেই হয়, বায়োলজিকাল কারণে।
@বিপ্লব পাল, আমাদের সমাজে প্রেম আর বিয়ের ব্যাপার বেশীরভাগই ভিন্ন হয়। আপনার মন্তব্যটা কোন সম্পর্কের বেলায় প্রযোজ্য, বলেন তো? 🙂
@বিপ্লব পাল,
আপনার মন্তব্যটি স্পষ্টভাবে নারীবিদ্বেষী এবং ভাষাগতভাবে অভদ্রোচিত।
@পাপিয়া চৌধুরী,
কেন নারী বিদ্বেষী একটু লিখে দেবেন?
আর ছুঁড়ি এবং বুড়ি শব্দের ব্যাবহার ভাষাগত ভাবে অভদ্রচিত? মানে আমাকে লিখিতে হইত
নাবালিকা হইতে বিগতযৌবনা, সৃষ্টির তাড়নায় সুন্দর পুরুষ দেখিলেই চিত্তচাঞ্চল্যে উন্মাদনায় ভুগিতে থাকে?
@বিপ্লব পাল,
চলিত হতে সাধুতে রূপান্তর ভাষার ভাবার্থকে কিন্তু একই রাখে। যেকোনো ভাষায় সমার্থক শব্দ অনেক। স্থান, কাল, পাত্র এবং লেখার প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে পছন্দ করতে হয় উপযুক্ত এক বা একাধিক শব্দকে, আভিধানিক নয় এমন শব্দও অনেক লেখায় ব্যবহার হয়। কিন্তু বক্তব্যের বিষয়ের উপর শব্দ নির্বাচন ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
লেখক পোস্টের তিন পর্বে বারবার এটাই দেখিয়েছেন, সঙ্গী নির্বাচনে মানুষ সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দেয় কারণ, সুন্দর দেহ, প্রতিসম মুখ, পরিষ্কার চামড়া প্রমাণ করে সুস্থ জিনের উপস্থিতি। উপরন্তু শিকার নির্ভর, যুদ্ধ-বিগ্রহ-আক্রমন বহুল সমাজে প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে যে টিকে যেতে পেরেছে, তার সেই বৈশিষ্ট্যই পরবর্তীতে বিপরীত লিঙ্গের কাছে তাকে আকর্ষনীয় করে তুলেছে। মেয়েদের কাছে পুরুষের শারীরিক যোগ্যতার পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক যোগ্যতাও প্রাধান্য পেয়েছে, কারণ তারা পরবর্তী বংশধরকে নেতৃত্ব, ক্ষমতা ও শ্রেষ্টত্বের জায়গায় দেখতে চেয়েছে। এখানেই পরাজয় হয়েছে শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পিছিয়ে থাকাদের, সেক্স্যুয়াল সেলেকশনে তারা টিকে থাকতে পারেনি।
কাজেই আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতাকে রেফারেন্স হিসেবে টানতে পারেন, দয়া করে তা থেকে জেনার্যালাইজড হাইপোথিসিস দাঁড় করাবেন না। এই পোস্টটি বিশুদ্ধ বিজ্ঞান, এখানে ব্যক্তিগত বাস্তব অভিজ্ঞতা, ধারণা বা বিদ্বেষের চাইতেও দলগত গবেষণালব্ধ প্রমাণ বেশি গ্রহণযোগ্য বলে আমি মনে করি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
@পাপিয়া চৌধুরী,
বিশুদ্ধ বিজ্ঞান জিনিসটা কি? পেটে খায় না পেটে সয়?
বিজ্ঞান মানেই অশুদ্ধের সাধনা-অশুদ্ধ কি করে কমানো যায়! সমাজ বিজ্ঞানের গবেষনাতে অনেক রকমেরই রেজাল্ট আছে। আমি ওয়াকিতে যে রেফারেন্স দিয়েছিলাম-ওটাও দেখতে পারেন। ওখানে “বিশুদ্ধ বিজ্ঞা্ন” বলছে পুরুষ এবং নারী সঙ্গী নির্বাচনে পার্থক্য আছে ঠিকই-তবে বেশী না। নারী ও সুন্দর পুরুষের কাঙালঃ আর হ্যা, নারী পুরুষের বুদ্ধি এবং শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত তখনই হয়-যখন যে নিজে উচ্চ শিক্ষিত। তাছাড়া নয়। নিচের গবেষনার রেফারেন্স টা পড়ে নিনি।
এবং আমার মনে হয় না এর কোন কিছুই আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার বাইরে যায়। সুধু এটুকু জানবেন সমাজ বিজ্ঞানের গবেষনার ফলের রেজাল্ট অনেক রকম হতে পারে। এগুলো বিশুদ্ধ কিছু ই না- বরং ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা অনেক বেশী নিজের কাছে শুদ্ধ।
http://www.epjournal.net/filestore/ep01116126.pdf
Abstract: This paper examines predictions from evolutionary and socio-structural perspectives on sex differences in mate selection criteria on a sample of 127 respondents from Serbia. The respondents, mainly college students, were asked to assess the degree of un/desirability of sixty behavioural and personality traits in a potential mate, on the 7-point Likert type scale. The sexes strongly agree in general ranking of the traits’ desirability. The obtained statistically significant differences tend to favour the evolutionary interpretation. The largest differences are in the perceived desirability of thinness, strength, fearfulness, self-pity, fragility, aggressiveness, and beauty. Males perceived all these traits as more desirable (or less undesirable) than females, except that females valued strength more positively. Male respondents are less troubled by negative character traits of a potential partner, while females are less concerned with a partner’s physical appearance. The higher status of women correlated positively with their concern with a mate’s potential socio-economic status, contrary to the prediction of the socio-structural model.
দেখুন “বিশুদ্ধ” গবেষনাই বলছে ছেলেদের থেকেও মেয়েরা ছেলেদের সৌন্দর্য্যকে মেট সিলেকশনে বেশী গুরুত্ব দেয়। সেটাই আমার অভিজ্ঞতা-এবং গবেষনাও তাই বলছে।
মুশকিল হচ্ছে সমাজ বিজ্ঞানের এসব গবেষনার মূল্য কি?
@বিপ্লব পাল,
আপনার উদ্ধৃত ইংরেজী অ্যাবস্ট্রাক্ট এবং তার বাংলা অনুবাদ দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত। 😕
ইংরেজী অ্যাবস্ট্রাক্টটি আপনার ধারণাকে ঠিক নয় উলটো ভুল প্রমাণ করছে।
সমাজবিজ্ঞানের গবেষণাকে মূল্যহীন করে দিলেন?? আপনার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার শুদ্ধিতে এত আস্থা?? :clap
যা হোক বাবা তালগাছখানি আপনার। :guru: :guru:
@মুক্তমনা মডারেটর,
ইমোটিকন আইটেমস এ একটা তালগাছের ইমো যোগ করা হোক। আমি বিপ্লব পাল’কে একখানা তালগাছ দিতে চাই।
@পাপিয়া চৌধুরী,
সমাজ বিজ্ঞানে সব বক্তব্যের সপক্ষেই পেপার পাবে্ন
http://women.timesonline.co.uk/tol/life_and_style/women/style/article722915.ece
Near ovulation, they prefer masculine traits; at other phases of their cycle they prefer less sexiness and more stability. All this suggests that the path to love can be somewhat random, particularly for women.
সেই জন্যেই লিখেছি, সমাজ বিজ্ঞানে গবেষণার মূল্য কি?
যেকোন কিছু নিয়ে গুগল করুন পেয়ে যাবেন। আমার মূল বক্তব্য সেটাই যে এই সব গবেষনাকে গুরুত্ব দেওয়ার মানে নেই।
কঠিন মজা পেলাম পড়ে। রডিনের “the kiss” দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
ছি! অশ্লীল!!! 😛
@লীনা রহমান,
ধন্যবাদ লীন। রডিন আমার খুব পছন্দের একজন শিল্পী। শুধু “the kiss” নয়, Thinker ও কিন্তু রডিনেরই –
[img]http://yousang2me.files.wordpress.com/2010/08/the_thinker_rodin2.jpg[/img]
মুক্তমনার ফ্রিথিঙ্কারের লোগোটা রডিনের এই স্থাপত্যকর্মের উপর ভিত্তি করেই করা।
@অভিজিৎ, আমার মনে হয় রদ্যাঁ’র ‘কিসে’র একটি অসাধারন দিক হলো, তাদের ঠোট দুটো ছোয়নি। ছোবার আগেই প্রেমিক যুগল বাধার মুখে পড়ে। রদ্যাঁর সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ সময়ে তার ভালোবাসা ছিলো ক্যামিল ক্লডেল, খুবই প্রতিভাবান আরেক ভাস্কর, তার অনেক কাজের সহযোগী আর মডেল । নানা চাপে সে সম্পর্ক টেকেনি। রদ্যাঁ আর ক্যামিলের এই সময়টাকে নিয়ে একটি সুন্দর ফরাসী চলচ্চিত্র আছে। ভালোবাসার ক্ষেত্রে চুমু সবচেয়ে অন্তরঙ্গ একটা বিষয়। মুখ আর ঠোটের ৩৪ টি মাংশপেশী কি অসাধারন একটা দ্যোতনা তৈরী করতে পারে !!
রদ্যাঁ’র ‘কিসে’র মুল নামও যেমন ছিল ভিন্ন (ফ্রান্চেসকা দা রামিনী), ‘থিংকার’ এরও প্রথম নাম ছিল পোয়েট, মজার একটা ব্যাপার। কানাডার ওন্টারিও’র ব্যারি’তে থিংকারে’র একটি লাইফ সাইজ রেপ্লিকা আছে। যেটা ২০০৮ এর এক খুব শীতের সকালে প্রথম দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। লেখার সিরিজটা বেশ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ।
@কাজী মাহবুব হাসান,
চলচ্চিত্রের নামটি কি জানতে পারলে ছবিটি অতিসত্তর দেখে নিতাম।
@মাহবুব সাঈদ মামুন, ক্যামিল ক্লডেল (১৯৮৮);
@কাজী মাহবুব হাসান,
অনেক অনেক ধন্যবাদ(F)
@কাজী মাহবুব হাসান,
চমৎকার আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। আপনার কমেন্ট পড়ে কেমন যেন সন্দেহ হল – পরে আপনার ব্লগ স্পটে গিয়ে দেখি আপনি শিল্পী। আপনার চমৎকার এগসিবিশনের কথাও জানতাম না। খুবই উৎফুল্ল হলাম 🙂
আর হ্যা, আপনার রদ্যাঁ দেখে মনে হল – রডিন না বলে অগুস্ত রদ্যাঁই বলা উচিৎ। আসলে ইংরেজীতে বলতে বলতে অভ্যাস হয়ে গেছে। ভাবছি লেখায় ঠিক করে নেব।
@অভিজিৎ,
দিন, নইলে কাজী মাহবুব হাসানের হাতে রদ্দা খেতে হতে পারে।
@রৌরব, :)) …
@অভিজিৎ, 🙂 অনেক ধন্যবাদ …..কোন এক সময় শিল্পী হতে চেয়েছিলাম, এখন আঁকি আমার ক্যামিল ক্লদেল’ এর জন্য 🙂 , যে আমাকে স্যার গ্রমব্রিচের কথাটা মনে করিয়ে দেয়, আর্ট বলে কিছু নেই আছে শুধু আর্টিষ্ট, তাই চেষ্ঠা করে যাচ্ছি যতটুকু পারি ।
@অভিজিৎদা,
পাষান হৃদয়ের চিন্তিত লোকটি, মানে মুক্তমনার লোগোটি দেখছি পুরোপুরি দিগম্বর!! :hahahee:
—
আপনার লেখাটি অসাধারণ! (Y)
@অভিজিৎ,
জানি। এটাও দারুণ!
হুমম প্রচুর জ্ঞান বাড়ল,তবে এখন জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগের সুযোগ দরকার……..
@রামগড়ুড়ের ছানা,
তোমার ফেসবুক স্ট্যাটাস তো কয় – ‘ইন রিলেশনশিপ’। তুমি বাস্তব প্রয়োগের চান্স পাওনা ক্যান? খালি এলগোরিদম নিয়া থাক নাকি ? :))
কিছুদিন ডুব দিয়ে থাকলে অপেক্ষায় থাকি নিশ্চয় একটি লেখা আসবে। (Y)
@আসরাফ,
🙂 । ডুব দেয়ার সময়েই লক্ষ্য করেছিলাম আপনি আপনার পিঁপড়ের উপর লেখাটি দিয়ে বৌনি করেছেন। আপনাকেও অভিনন্দন।
চুম্বনে-চুম্বনে ভরে যাক ওষ্ঠ-অধর, চুম্বনে উবে যাক পৃথিবীর যত সংঘাত। এ সিরিজটি আরো চলবে তো? পরবর্তী পর্বের পেক্ষায় রইলাম।
@তামান্না ঝুমু,
অপেক্ষায় বানান ভুল হয়ে গেছে দুঃখিত।
অনাবৃষ্টি – যেমন চৈত্রের শষ্যক্ষেত্রে – জ্বেলে দেয়
প্রভুত দাহন – তেমনি চুমুর জ্বালা, জ্বলে ওষ্ঠ্যদ্বয়
দুবেলা দু চারটে চুম্বন পেলে নেই অন্য কোন দাবি
অনেকে অনেক কিছু চেয়ে নিচ্ছে, সকলেই চায়
বাড়ি, গাড়ি, টাকা কড়ি – কারো বা খ্যাতির লোভ আছে
আমার সামান্য দাবী পুড়ে যাচ্ছে ঠোঁটের প্রান্তর
চুমু চাই – এই চাওয়া সরাসরি – ঠান্ডা বা গরম
পাতলা বা পুরু, রঞ্জিত বা অরঞ্জিত অধর হলে
কোনো ক্ষতি নেই – মুঠো ভর্তি শুধু চুমু চাই
চুম্বনে ভরে দাও হে প্রিয়ে
তা না হলে সর্বাঙ্গ খাবো।
@ফরিদ আহমেদ, (Y)
@ফরিদ আহমেদ,
দুর্দান্ত। এটা কার কবিতা, ফরিদ ভাই? রফিক আজাদের নাকি?
ফরিদ আজাদের বলতে পারো। 🙂
মূল কবিতা রফিক আজাদের। প্যারোডিটা আমার করা।
@ফরিদ আহমেদ,
ওষ্ঠদ্বয় জয় আর যুদ্ধজয় বিজয়ী সেনাপতির অলঙ্কার , ভিখারীর নয়।
সৎসাহস নয় , দুঃসাহসের প্রয়োজন সেথায় সবচেয়ে বেশী কেননা ভাগ্যদেবীর বসতি দুঃসাহসীর মনের প্রাসাদে। 🙂
হাসি,কান্না,আবেগ,অনুভূতি,জ্বালা-যন্ত্রনা,রাগ-বিরাগ,আদর-সোহাগ এক কথায় আমাদের জীবনে আমরা যত ভাবের সহ প্রেমের ও চুম্বনের আদান-প্রদান করি সব কিছুই তাহলে দেখা যাচ্ছে বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানের অন্তরভূক্ত ।
বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষিতে এখনো যেখানে প্রেমেরই কোন স্বীকৃতি নেই সেখানে চুম্বন যে কত নিকৃষ্ট একটি বস্তু তাতো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
চুম্বনের (K) (K) (K) (K) (K) জয় হউক জনে জনে,ঘরে ঘরে,সমাজে ও রাষ্ট্রে।
অভিজিতিয় লেখার আরেকটা মাইলস্টোন।(F)
হাঁ হাঁ হাঁ,
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
:kiss: :kiss: সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।
কবুতর এর ক্ষেত্রে কি বলবেন??
@kobutor,
আমি আর কি বলব, আপনার নালি ভাঙ্গা নিয়ে নৃপেন সরকার বলেছেন এই মন্তব্যে। 🙂
অমুল্য লেখা অভিজিৎ। অনেক ধন্যবাদ।
মনে হয় জীবজগতের শুরু থেকেই এই রসায়নিক ক্রিয়াটি বর্তমান।
মানুষে-মানুষে, জন্তুতে-জন্তুতে চুমু খাওয়ার ব্যাপার নিয়ে রসাল বিশ্লেষণাত্তক আলোচনা করেছ।
পশুতে-মানুষে কিম্বা মানুষে-পশুতে চুমু খাওয়ার ব্যাপারটি কি এই একই ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়?
আমার মেয়ের বয়স যখন আট বছর ছিল তখন কোন এক শাফারিতে একটা ছোট প্রজাতির শিম্পাঞ্জিকে কোলে বসিয়ে ফটো তোলার সময় শিম্পাঞ্জিটি মেয়েকে চুমু খেল। আফসোশ ফটো তোলার আগেই শিম্পাঞ্জির চুমু খাওয়া শেষ। লক্ষনিও শিম্পাঞ্জিটি অন্তসত্বা ছিলো ও আমার মেয়েও ছোট ছিল।
@সেন্টু টিকাদার,
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সেন্টুদা।
এটা নিঃসন্দেহে দুর্লভ একটা ঘটনা। এরকম একটা ঘটনা আমি ফ্র্যান্স ডি ওয়াল -এর একটা বইয়েও পেয়েছিলাম। আসলে প্রানী জগতে বিশেষত শিম্পাঞ্জি, বনোবোদের মধ্যে যে এম্প্যাথি আছে তা বহু গবেষকই মনে করেন।
অন্যদেশে কী হয় জানি না। তবে আমার মতে আমাদের বাংলাদেশে অধিকাংশ প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেমের যাত্রাটা শুরু হয় এভাবে- ‘তোমার হাতটা একটু ধরি!’ হাত ধরার পরের স্টেপটাই সাধারণত হয় চুমু খাওয়া। আর একবার কোনোমতে চুমু খাওয়া হয়ে গেলেই প্রেমিক-প্রেমিকারা নিজেদের ব্যাপারে আরো কৌতূহলী ও সাহসী হয়ে ওঠে। তারা তখন চুমুর চেয়ে বেশি কিছু পেতে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। সুতরাং এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় চুমু-ই হচ্ছে গভীর ভালোবাসার প্রবেশপথ! :))
@আদম অনুপম,
নতুন প্রজন্ম নাকি? 🙂
(দ্র. কমেন্ট#১২)
ইমরান হাশমিকে মুক্তমনা একাউন্ট দেয়া হোক! চুমু নিয়ে সে কী বলে ঝান্তাম চাই!! 😀
@নিটোল, :hahahee:
লেখাটা উপভোগ করলাম। দারুণ!
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম নিয়ে মনে হয় চিন্তা নাই, ওরা কোন সম্ভবনাকে যাচাই না করে ছাড়ে না বলে মনে করি। আমার চিন্তা বিবাহিত বাঙালি দম্পতি নিয়ে। বঙ্গে চুমু বিষয়ে যেহেতু তেমন কোন পরিসংখ্যান দেখিনি, আলোচনা শুনিনি, ইতাদি ইত্যাদি, তাই ধরে নিচ্ছি বাঙালি চুমু ব্যাবহারে একটু অনুদার। ওদের স্বীকারোক্তি আদায়ে অথবা চুমু প্রয়োগ বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করতে বিশেষ কিছু করা উচিৎ নাকি? :-s
Does the contraceptive pill alter mate choice in humans? এর জন্য লিঙ্কটা দিয়ে দিলামঃ
http://www.thestranger.com/images/blogimages/2009/10/07/1254931423-tree_final_proofs.pdf
@সাইফুল ইসলাম,
লিঙ্কটার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
কথা সত্য বলিয়াই মনে হয়।
তবে আসল কথা হইল ইহাই,
আহা কী সরেস বাক্য। আমরা কিন্তু কিস ক্যম্পেইন করিতে পারি(পটেটো ক্যম্পেইনের মত)। যদিও দ্বীনি ভাইদের জন্য ভয় থাকিয়াই যায়। তাহারা আবার এই সরেস বস্তুটিকে প্রকাশ্যে স্বীকার করিতে প্রস্তুত নহেন। :-s
@সাইফুল ইসলাম,
🙂
দ্বীনি ভাইদের জন্য হালাল পদ্ধতিতে চুম্বন খাওয়ার কোন প্রক্রিয়া বের করতে পারেন কিনা দেখেন।
@সাইফুল ইসলাম,
দ্বীনি ভাইদের এমন অপবাদ দিবেন না ভাই। হালাল চুম্বন প্রকাশ্যেও দেয়া যায়। পরকালে গেলমানদের হালাল চুম্বন দিতে হবেনা? তরিকাটা দেখুন-
[img]http://www.motifake.com/image/demotivational-poster/0901/islam-demotivational-poster-1231509608.jpg[/img]
@আকাশ মালিক, :lotpot: :lotpot:
তাই, বেশি করে চুমু খান, আর ভাতের উপর চাপ কমান !
চট্টগ্রামের ছেলে আমি। ডিসি হিলের পাশেই আমার বাসা। অবসরে অনেকটা বেকার সময় পার করেছি এই ডিসি হিলে। বন্ধুদের নিয়ে তাস খেলাও চলত। পাহাড়ের উপর বড় বড় গাছের উপস্থিতি থাকায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশেষ সুবিধার কারনে প্রেমিক যুগলদের আকর্ষনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল এই ডিসি হিল। প্রেমের টানে তারা ডিসি হিলে সমবেত হলেও চুমু হীন প্রেম চর্চায় ও(চুমু যুক্ত প্রেমের পরিবেশ না থাকায়) বাধা হয়ে দাঁড়াত বেরসিক পুলিশ। কত জুটিকে দেখলাম পুলিশ ডেকে নিয়ে হেনস্তা করতে।
তারা যদি বেশি বেশি চুমু খেত তাহলে তো ভাতের উপর চাপ না পড়ে মিথ্যা অজুহাতে থানার উপরেই চাপ পড়ত মনে হয় অনেক বেশি। :lotpot:
@রাজেশ তালুকদার,
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন। যে দেশে বাউলদের বাউল গান গাওয়ার অপরাধে গণহারে চুল গোঁফ কেটে তৌবা পড়ানো হয়, সেই দেশে চুমুর জন্য থানার উপর চাপ পড়ার সম্ভাবনাই বেশি!
অনেকদিন পর আপনাকে একটা সুন্দর লেখার সাথে এখানে ফিরে পাওয়াটা এল পশলা বৃষ্টির মতই। 🙂
চুমোর প্রধান ফাংশনটা আসলে একটা সম্পর্ককে অনুমোদন করা। দুজন ব্যক্তি বা প্রাণী যখন একে অন্যকে চুমো দেয় , তারা আসেল সম্পর্কটার যে রোমান্টিক ভিত্তি আছে সেটাকে অনুমোদন দেয়। ফ্রান্স , জার্মানী এবং নেদারল্যন্ডসের পুরুষ এবং নারী যৌনকর্মীদের উপর আমরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখতে পাই যে, প্রায় সব ক্ষেত্রেই তাদের দেয়া সাধারণ সেবায় চুমো দেয়াটা অন্তর্ভুক্ত নয় । অর্থাৎ, সেখানে কোন রোমান্টিসিজম নেই।
যেসব নারী দীর্ঘদিন যাবৎ এস্ট্রোজেন ভিত্তিক জন্ম নিয়ন্ত্রন পিলের উপর নির্ভরশীল, তাদের MHC ফাংশনে বড় একটা পরিবর্তন আসে। ফলে , তারা বিপরীত লিঙ্গের বদলে একই লিঙ্গের গন্ধের দিকে অধিক আকর্ষিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমান সঙ্গীর গন্ধের বিকর্ষনাত্মক প্রতিক্রিয়া তথা মেইট পছন্দে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে , এস্ট্রোজেন ভিত্তিক জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল একজন নারীর MHC ফাংশন স্হায়ীভাবে বদলে দেয়। এটা এখন বলা হয়ে থাকে যে , জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল বিবর্তনকে অনেকভাবে প্রভাবিত করছে।
প্রাসঙ্গিক রিসার্চ রেফারেন্স নিচে দিলাম :
“Does the contraceptive pill alter mate choice in humans?”
Alexandra Alvergne and Virpi Lummaa
Department of Animal and Plant Sciences, University of Sheffield, Sheffield, S10 2TN, UK
@সংশপ্তক,
😀 😀 তাহলেতো আমিতো মনে করি এই চুমুবিহীন সেবা গ্রহন করার চেয়ে ব্যায়ামাগারে গিয়ে ২০ মিনিট সাইকেল চালিয়ে আসাটাই কিংবা ট্রেইডমিলে গিয়ে মিনিট বিশেক দৌড়িয়ে আসাটাই সেবাগ্রাহকদের শারীরিক ও মানসিক স্ব্যাস্থের পক্ষে অনেক অনেক বেশী উপকারী!!
@অভিজিত,
অথবা ব্যাপারটাতো এইরকমও হতে পারে যে- she just needs some training! :-[
বরাবরের মতোই ফাটাফাটি পোস্ট, অনেকদিন পরে আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
@আল্লাচালাইনা,
হ্যা, কিংবা দুই কোয়া রসূন এক গ্লাস তেতুলের পানি দিয়ে চিবিয়ে খেলেও কাজ হবে। 🙂
@সংশপ্তক,
যৌনকর্মীদের ব্যাপারে আমার কোন ‘প্রত্যক্ষ’ অভিজ্ঞতা না থাকায় আমি অভিমত দিতে পারছি না – সত্যই সে ধরণের সম্পর্কে কোন রোমান্টিসিজম থাকে কিনা। তবে একজন রিটায়ার্ড প্রস্টিটিটিউট ম্যাগি আপনার উপসংহারের সাথে হয়তো একমত হবে না। তার ক্লায়েন্টরা অনেকেই কেবল টাকার বিনিময়ে যৌনতা ক্রয়ের জন্য আসলেও উপহার হিসেবে ফুল প্রদান, চকলেট নিয়ে আসা চুম্বন, মুভিতে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ‘ডেট’ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবই করে কম বেশি। আসলে মেটিং স্ট্র্যাটেজি সেখানেও কাজ করে। 🙂
হ্যা এটা না হবার কোন কারণ নেই। সাম্প্রতিক কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে –
ক) পিলের কারণে জেনেটিকালি ইনকম্পিটেবল সঙ্গির প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়
খ) মেয়েদের সেক্স ড্রাইভ নষ্ট করে
গ) পিল খাওয়া স্ট্রিপাররা নাকি কম পয়সা রোজগার করে, কারণ এতে দৈহিক কমনীয়তা নাকি নষ্ট হয়।
এ নিয়ে কিছু আলোচনা আছে এখানে।
ব্যাপারগুলো সত্যি হয়ে থাকলে এর প্রভাব তো বিবর্তনে পড়বেই। তবে এর কতটুকু সত্যি আড় কতটুকু অনুমান তা নিয়ে সন্দেহ কিছুটা থেকেই যায়। আর জনসংখ্যা সমস্যা আর নারী অধিকারের ব্যাপারগুলো মাথায় রাখলে রাতারাতি পিল উঠিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। সাড়া পৃথিবীব্যাপী ১০০ মিলিয়নের উপর মেয়েরা পিল ব্যবহার করে।
@অভিজিৎ,
😀 :lotpot: :hahahee: :))
@রৌরব,
আপনের হাসির খোরাক তা ঠিক কোথায় ‘রিটায়ার্ড প্রস্টিটিটিউট’ (উনার ওয়েব সাইটেই লেখা আছে Frank commentary from a retired call girl) নাকি ম্যাগি নামটায় ? 😉
ছোটোবেলা পান চিবানো বুড়ো-বুড়ির কাছে গিয়ে বসে থাকতাম কখন অবশিষ্ট অংশটুকু পাওয়া যাবে। বাবা-মাকেও কখনো পান খেতে দেখলেই আগে থেকে বায়না ধরতাম খাওয়া শেষ হলে ঐ চিবানো অংশটুকু পাওয়ার জন্য!
রডিনের The Kiss-এর অন্য একটা ভার্সন আছে নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটান মিউজিয়ামে। যতবার গেছি, এটা দর্শন না করে বের হতে পারিনি।
ঐ একই সেকশনে উপরি হিসাবে আছে Pierre-Auguste Cot-এর “The Storm”
আর “The Spring”
রুমটাতে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর কেমন যেন অস্বস্তি লাগে। কিন্তু ঘুরে-ফিরে আবার এই সেকশনে ফিরে আসি!
চুম্বনের পরের স্টেপটা…নাহ থাক, সে হয়তো লেখকই পরবর্তী কোনো পর্বে নিয়ে আসবেন।
@শ্রাবণ আকাশ,
অনেক ধন্যবাদ এই মূল্যবান তথ্যগুলোর জন্য।
(Y)
পড়ে বেশ আনন্দিত হলাম। । চমৎকার।
চুম্বন সম্পর্কিত লেখার চৌম্বক অংশ :)) :)) :))
খুব ভাল লাগল। এই সিরিজ যেন কোনদিন শেষ না হয়।
লাল ঠোঁটের ( (K) ) স্মাইলীটির উপযোগিতা নিয়ে রামগড়ুড়ের ছানা, নীল রোদ্দুর সহ অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এ লেখায় হয়তো সেটার প্রকাশ ঘটতে দেখা যেতে পারে, কে জানে 🙂
অভীক দেখছি অলরেডি ইন একশন … বিপজ্জনক কথা!
@অভিজিৎদা,
আমি ভাবছি এখনই ওই ইমো সার্ভার থেকে দূর করব। পরিস্থিতি বিপদজনক করে ফেলেছেন আপনি………..
আপনার এই সিরিজ পড়তে পড়তে যে ভালবাসার উপর আমার কোন আগ্রহ ছিল না, সেই ভালবাসার উপর এখন আগ্রহ বেড়ে চলেছে। (F) ।
” (K) ” এই ইমোটির গুরুত্ব এখন অনুধাবন করতে পারছি।
শিম্পাঞ্জিরা শুধু চুম্বনই নয়, তারা ওরাল সেক্সও করে বলে পড়েছি। অন্যান্য প্রাণীতেও এমনটা দেখা গেলে অবাক হব না।
ভবিষ্যতে এমন পোস্ট আরও দেখতে চাই।
@অভীক,
🙂 এই বিষয়ে আরও বেশ কিছু তথ্য জানতে দেখুন কমেডিয়ান রিকি জার্ভেইসের এই ভিডিওটি!
httpv://www.youtube.com/watch?v=OIcrCZQkSlg
@আল্লাচালাইনা,
হাঃ হাঃ এই ভিডিওটা দেখেই এক সময় রিকি জার্ভিসের ফ্যান বনে গেসিলাম! 🙂
আপনার এই সিরিজ পড়তে পড়তে যে ভালবাসার উপর আমার কোন আগ্রহ ছিল না, সেই ভালবাসার উপর এখন আগ্রহ বেড়ে চলেছে। (F) ।
“(K)” এই ইমোটির গুরুত্ব এখন অনুধাবন করতে পারছি।
শিম্পাঞ্জিরা শুধু চুম্বনই নয়, তারা ওরাল সেক্সও করে বলে পড়েছি। অন্যান্য প্রাণীতেও এমনটা দেখা গেলে অবাক হব না।
ভবিষ্যতে এমন পোস্ট আরও দেখতে চাই।
পড়ে সুখী হলাম। আমার অবশ্য অন্য একটা ব্যাখ্যা আছে চুম্বন সম্বন্ধে। যৌনতা এবং খাদ্যগ্রহণের মধ্যে একটা অবধারিত সম্পর্ক আছে। অতএব…
@রৌরব,
খাদ্যগ্রহনের সাথে চুম্বনের আদি উৎস নিয়ে আমি কিছুটা ইঙ্গিত করেছি লেখায়। বলেছি –
সায়েন্টিক আমেরিকানে ক্লিফ ওয়াকারের লেখাটায় (ফুটনোট ৫) এ বিষয়ে কিছুটা ধারনা পেয়েছি। এর বাইরে কিছু থেকে থাকলে আমি অবহিত নই।
তবে যৌনতা এবং খাদ্যগ্রহণের মধ্যে একটা অবধারিত সম্পর্ক-এর ব্যাপারে আপনার ভাষ্যটি জানতে আমি খুবই উদগ্রীব!
প্রকাশ করে ফেলুন!
@অভিজিৎ,
তেমন কিছু নয় — এই কর্ম দুটিকে আমার একই কর্ম বলে মনে হয়। সিউডো-সাইকোলজি, সন্দেহ নেই, কিন্তু এটাই আমার মনে হয় :-)। চুম্বন এটিকেই সুস্পষ্ট করে।