৬ জুলাই ২০১০ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ১৩ বছর বয়সী শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বামী রূমা ওভারসিজ লিমিটেড নামের একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ২ জুলাই মতিঝিল থানায় মামলা করেছেন তার স্ত্রী নাজমা। নাজমা জানান, রেজাউল আগেও একাধিকবার এ রকম ঘটনা ঘটিয়েছে, তবে সম্মানের ভয়ে এতদিন সবাই মুখ বুঝেছিল।
ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর শান্তিবাগের নভেলটি মঞ্জিলে ১ জুলাই সকাল সাতটায় যখন নাজমা বাসায় ছিল না। খবরে প্রকাশ ডাক্তারি পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে, তবে রিপোর্ট তখনও পাওয়া যায়নি।
স্বামী কর্তৃক শিশুকে ধর্ষণ নিয়ে স্ত্রীর ধর্ষণের শিকার শিশুর পক্ষে করা মামলাটিকে পাঠক কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
স্বামীদের এমন অপকর্মের কথা তথ্য প্রমাণসহ জানলেও স্রীরা তা হজম করে নেন। নিতে বাধ্য হন। এ বাধ্যবাধকতা সংসারটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য।
আমি এমন হালিখানেক মহিলাকে জানি যারা চাকরিজীবী এবং স্বামীর লাম্পট্যের নীরব সাক্ষী। যাদের কথা জানি তাদের নিজের হাঁটুতে শক্তি আছে বলে আমার বিশ্বাস ছিল। আমার সাথে নিজেই স্বামীর অপকর্মের কথা বলেছেন। তবে ক্ষোভ নিয়ে বলেননি, বলেছেন অসহায় হিসেবে। এর জন্য প্রতিবাদ, প্রতিকার বা প্রতিরোধ কোন কিছুতেই যেতে চান না। না যাওয়ার কারণগুলোও বেশ উল্লেখযোগ্য। একজন যেতে চান না তার ছোটো বোনের বিয়ে বাকী। সে এখন স্বামীকে ছেড়ে গেলে তার সে বোনের বিয়ে দিতে সমস্যা হবে।
অন্যজন তার মা বাবার দিকে তাকিয়ে। এ বুড়ো বয়সে কষ্ট পাবেন মেয়ের ঘর ভাঙ্গা দেখলে। আরেকজন তার জন্য তার ভাই বোনের সংসারে তাকে নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হবে। ভাইয়ের স্ত্রীরা ভাই কে অনুযোগ দিবে, বোনের স্বামী উঠতে বসতে শুতে বোনকে কথা শুনাবে—শাসাবে। অর্থাৎ নারীটির পুরো পরিবারটিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভাইবোন অনুযোগ শুনবে বোনের জন্য।
আমি একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনার হাজব্যান্ডের ভাইবোনের বেলায় ও তো একই ভাবে তা প্রযোজ্য হবে। তা নয় কি?
ঐ নারীটির তাৎক্ষণিক উত্তর, না, হবে না। ও তো পুরুষ মানুষ।
উপরের খবরটিতে প্রকাশ, সম্মানের ভয়ে এতদিন সবাই মুখ বুঝেছিল। আমার প্রশ্ন এ ‘সম্মানের ভয়ে’ বিষয়টিকে নিয়ে।এ সম্মান কে নির্ধারণ করে? আর তা নির্ধারণের মাপকাঠি কি? স্বামী লম্পট হলে কার সম্মান যায়?
নারী প্রচলিত প্রথার বাইরে প্রেম বা কোন সম্পর্ক করলে নারীটির সম্মান যায়। স্বামী করলেও স্ত্রী নামক নারীটিসহ তার পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই পরিবার প্রথার জন্য কি নারীরাই শুধু খেসারত দিবে?
হায়রে আমার পরিবার প্রথা!
প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী খুন, হত্যা, স্বামীর অত্যাচারে স্ত্রীর আত্মহত্যা, যৌতুকের বলি গৃহবধূ। উদাহরণ দিচ্ছি না। কারণ কয়টা দেব ? তাছাড়া যে কেউ যে কোন দিনের যে কোন দৈনিক পত্রিকা নিলেই তা দেখতে পাবেন। কাজেই আমি তা উল্লেখ করে প্রমাণ করলাম না। সব জেনেও, লাখো নারী স্বামীর হাতে প্রতিদিন মার খেয়েও ঘর করছে। ‘পারিবারিক সহিংসতা ( প্রতিরোধ ও সুরক্ষা ) আইন ২০১০’ও পারছে না নারীর শরীরকে মারধোর হতে রক্ষা করতে। স্বামীর অপকর্মের প্রতিবাদ করতে। প্রথমত, স্বামীর নামে অভিযোগ দিয়ে স্বামীর ঘর ছাড়লে থাকবে কোথায়? খাবে কি? বাচ্চাগুলো কীভাবে বড় করবে?
অনেক ধর্মান্ধ ব্যক্তি নারীকে ঘর থেকে বের হতে বারণ করেন। নারীর যত্রতত্র বাইরে বিচরণই নাকি নারীর প্রতি সহিংসতার মূল কারণ। কিন্তু ২০০১ সালে দশটি দেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক একটি গবেষণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে আই সি ডি ডি আর বি এর সাথে নারীপক্ষ যৌথভাবে গবেষণাটি পরিচালনা করেছিল। এতে দেখা গেছে, সহিংসতার শিকার ৬৩%নারী তাদের নিজ পরিবারে সহিংসতার শিকার এবং সহিংসতার স্থানের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে ১৮% ছিল অন্য কারো বাড়ি। ১৫% ঘটনা ঘটেছিল জনসমাগমস্থলে এবং মাত্র ৮% কর্মস্থলে।
কাজেই সহজে অনুমান করা যায়, নারীর জন্য নিজের ঘরও সব সময় নিরাপদ নয়।
আর তাইতো নারীবাদীরা স্লোগান দেয় —-
‘কিসের ঘর কিসের বর,
ঘর যদি হয় মারধোর।’
তবে এ স্লোগান সজাগ নারীর জন্য। সাহসী ও সক্ষম নারীর জন্য। কিন্তু শতকরা কতজন নারী সজাগ,সাহসী ও সক্ষম? কাজেই
নারীকে এ স্লোগানের যোগ্য করে তুলতে হবে।
পরিবার বা পারিবারিক প্রথার শিকল আমাদের দেশে যে কত গভীর নষ্ট
কপটতায় ভরা তা আপনার সাম্প্রতিক ঘটনার উপর এ লেখা পড়লেই বুঝা যায়।এ রকম অবস্থা যে আরো কতকাল চলতে থাকবে কে জানে ?:-s
এ অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তির পথ কি ? অথবা মুক্তির পথে কে কে বা কারা কারা বাঁধা? যেমন,
১)পুরুষতান্ত্রিকতার ক্ষমতা
২)অর্থনৈতিক অসাম্য ব্যবস্থা
৩)আদিম,সামন্ততান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন অবস্থা
৪)আদি ও মধ্যযুগীয় ধর্মীয় ক্ষমতার প্রভাব
৫)অবৈজ্ঞানিক সামন্ততান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা
এবং শেষতঃ এসব প্রতিষ্ঠানের মূল মালিক ও রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান যাকে আমরা বলি
৬) রাষ্ট্র, যে কি-না সকল ক্ষমতার উৎস।আর এ ক্ষমতার উৎসের পেছনের মালিক হলো আমাদেরসহ এ পৃথিবীর পুরো পুরুষতান্ত্রিকতা।
মুক্তির পথ মনে হয় স্ব স্ব শ্রেনী তাদের নিজেদেরই নিজের মুক্তির পথ রচনা করতে হবে।আর সে পথ হলো অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি যা নিজের থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় বলয় পর্যন্ত।
ভালো থাকবেন।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
চমৎকার বিশ্লেষদধর্মী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সাইনি আহুজা-বলিউডের এই অভিনেতা ঝিকে ধর্ষন করার দায়ে ৭ বছরের জেলে এখন
http://www.rediff.com/movies/shiney-ahuja-2009.html
সেও প্রায় ছাড়া পেয়ে যাচ্ছিল-কিন্ত ফরেন্সিক এবং ডি এন এ টেস্টে ধরা পড়ে। মেয়েটিকে টাকা দিয়ে মামলাও তুলে প্রায় নিয়েছিল। কিন্ত বিজ্ঞানের হাত থেকে বাঁচতে পারে নি। মেয়েটির পোষাকে থাকা শুক্রানু তার বলেই প্রমানিত হয়েছিল। এই কেসে, আহুজার স্ত্রী বোধ হয়, আহুজার পক্ষেই ছিল 😉
কিন্ত সেই সিস্টেম-অন্তত ভারতের সিস্টেম কিছুটা উন্নত বলে একটি ন্যায় বিচার হয়েছে যদিও সেই ধর্ষিত মেয়েটি টাকা নিয়ে আহুজাকে ছাড়ার বন্দোবস্তই পাকা করে ফেলেছিল।
@বিপ্লব পাল,
বিল ক্লিনটনের মণিকা ইস্যুতে হিলারীর মতই অনেকটা।
এখানেই নারীদের অধঃস্তন ভূমিকা। নাকি এটাকে নারীর মহত্ব বলবেন? অথবা অন্য কিছু?
@গীতা দাস,
আমিত বস্তুবাদি-তাই মহত্ত্ব ইত্যাদি শব্দ আমার অভিধানে নেই। প্রতিটা অবস্থানই একজন নারীর যৌত্বিক অবস্থান-
হিলারী বা অনুপম আহুজার ক্ষেত্রেও তাই। হিলারি যদি তখন ক্লিনটনকে ডিভোর্স করত-সেটা যুক্তিবাদি আচরন হত না। কারন ক্লিনটনের রাজনৈতিক ভিত্তি তাতে দুর্বল হত-যা হিলারী নিজের ভিত এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিকল্পনার পরিপন্থী ছিল।
যেকোন স্ত্রীই ভেবে দেখে আগে যে তার বরের পরকীয়া নিয়ে বা কুর্কীতি নিয়ে ঘেঁটে তার কি লাভ বা ক্ষতি হচ্ছে। পরকীয়া যদি এমন পর্যায়ে চলে যায় যেখানে সন্তানের ক্ষতি হচ্ছে ঝগড়া হচ্ছে স্বামী অন্য মেয়ের পেছনে টাকা ওড়াচ্ছে, তখনই মেয়েরা পালটা আঘাত হানে। অন্যমেয়ের সাথে তার স্বামী শুচ্ছে জেনেও , সেই স্ত্রী সাধারনত কিছু করবে না যদি দেখে যে তার স্বামীর ব্যাবহারে তার সংসারে কোন ক্ষতি হচ্ছে না-বা তার স্টাটাস কুয়ো বজায় থাকছে। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির ক্ষেত্রে সেটা হয় না-সুতরাং এসব ক্ষেত্রে সংসার ভাঙে। খুব ধনী বা বিত্তশালী পুরুষের ক্ষেত্রে মহিলারা অনেক ক্ষেত্রে মেনে নেয়, কারন এতে তাদের বস্তুবাদি কিছু ক্ষতি হয় না । সেই পর্যায়ে গেলে, তবেই সে একশন নেবে। এগুলো সবকিছুই দেখা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
মহত্ব , উন্নত চেতনা এসবই একটি বস্তুবাদি যৌত্বিক অবস্থান।
@বিপ্লব পাল,
হুম!
বাংলাদেশে নারীদের সকল ক্ষেত্রেই যে অবস্থান তা গ্রহনযোগ্য নয় তবে আশাবাদী আমি আশা করি শিক্ষার প্রসারের সাথে সাথে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।
অনেক দিনের সংস্কৃতি বদলাচ্ছে তবে হুট করেই পরিবর্তন চোখে পড়ছে না।তবুও গত ২০ বছরের পরিবর্তনকে কোন ভাবেই খাটো করে দেখা যায় না।
আপনাকে ধন্যবাদ এবং নারী মুক্তি আন্দোলনের বন্ধুর পথ অতিক্রম করার শুভকামনা।
তবু একটু শয়তানের উকিল ভূমিকা পালন করি,
আমার মনে হয়, পুরুষ নির্যাতন নিয়ে যদি কোন সমীক্ষা করা হয় তাহলেও এমন ফলাফল হবে যে
৫৫% পুরুষ পরিবারের নারী সদস্যদের কারনে নিজের জীবনের লক্ষ্য অর্জন করতে পারছে না,
৭০% পুরুষেরই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই (আক্ষরিক অর্থে),
৬০% পুরুষই নারীদের দ্বারা প্রতারনার শিকার,
৪০% পুরুষই নারীদের দ্বারা মানসিক অত্যাচারে আক্রান্ত হয়ে হতাশায় ভোগে (মনোমালিন্য ও পরকীয়া) ,
২০% পুরুষ পরিবারে (আত্মীয়সহ) নারীদের দ্বারা যৌন নির্যাতিত এবং
১০% পুরুষ শারিরীক লান্ছনার শিকার ( থালা-বাটির আঘাত)
এটা আমার ধারনা তবে বিশ্বাস যে কোন সমীক্ষা হলে ফল কাছাকাছি হবে।
আশা করি নারী আন্দোলনের সফলতা যখন দৃশ্যমান হবে তখন আমাদেরও আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা সবাই টের পাবে।
@অসামাজিক,
শয়তানের উকিল বলেই কথা। তবে কথা দিচ্ছি, যেদিন পুরুষের অবস্থা আপনার দুঃস্বপ্নের জরীপের ফলাফলের মত হবে সেদিন আমি মানবাধিকার কর্মী হিসেবে পুরুষ মুক্তি আন্দোলনের পক্ষেই থাকব।
@গীতা দাস,
যেদিন কেন, সত্যিকারের সংখ্যাতত্ত্ব নিলে দেখবেন বর্তমানে পুরুষ অনেক বেশী নির্যাতিত। শুধু টিটকারি খাওয়ার অভাবে বলতে ভয় পায়। আর মেয়েরা নিজেদের ওপর অত্যাচারটা যত বেশী দেখতে পায়, পুরুষের ওপর তারা কি অত্যাচার করছে, সেটা মোটেও দেখতে পায় না। বাড়ির পরিবেশ শান্ত রাখতে অনেক পুরুষকেই মহিলাদের অত্যাচার মাথা পেতে নিতে হয় বা ইগনোর করতে শিখতে হয়।
@বিপ্লব পাল,
নারীদের বেলায়ও এ কথা সর্বাংশে প্রযোজ্য।
@গীতা দাস,
সেত বুঝলাম। সেই জন্যেই বুঝি আপনি শুধু মেয়েদের ওপর অত্যাচার নিয়ে লেখেন?
ওই যে বল্লাম, মেয়েরা পুরুষদের ওপর অত্যাচার দেখতে পায় না। অনেকটা ফুটবল খেলার মতন। ফুটবলকে যখন লাথি মারে, ফুটবলের দুঃখ কেও বোঝে না-কারন ব্যাটাত লাথি খাওয়ার জন্যেই জন্মেছে। এবার ফুটবলের আঘাতে ফুটবলার আহত হলে, সেটা খবর হয়। পুরুষের অবস্থাটা ঠিক ফুটবলের মতন-তাই আপনারা দেখতে পান না।
@বিপ্লব পাল,
পুরুষরা ফুটবলের মত লাথি খায় তো আপনাদের মতো কয়েকজনের অভিজ্ঞতায়। আমার অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের বৃহত্তর নারী জনগোষ্ঠীর যাপিত জীবন তো ফুটবল ও ক্রিকেট উভয় বলের মত। ক্রিকেট বলের মত বোলারেরা হাতে মারে আর ব্যাটসম্যানরা ব্যাটে। ব্যাটসম্যানরা জোরে মেরে চার ছক্কা মারলে দর্শক খুশি, বলের ব্যথা বুঝে না। আবার স্ট্যাম্পে লেগে বোল্ড হলেও দর্শক খুশী বলের কোথায় লাগলো তা খুঁজে না। আরও খুশি পায়ে লাগলে। ক্যাচ ধরেও লাফালাফি। নারীকে সব ভাবেই ব্যবহার করে খুশি। :-Y
@বিপ্লব পাল,
হাঃ হাঃ কথাটার মধ্যে কিছুটা হলেও বাস্তবতার ছোঁয়া আছে!
তবে আমরা সবসময় সংখ্যাগরিষ্টতাই গুণি।
দক্ষিন এশিয়ায় ও আফ্রিকার কিছু দেশে মেয়েরা চরমভাবে
অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে নিষ্পেষিত।
পুরুষরা অর্থনৈতিক ভাবে হলেও অন্য ক্ষে্ত্রে ততটা নয়!
@লাইজু নাহার,
আপনার এই সংখ্যাতত্ত্বের উৎস কি?
আমি ত দেশে বা বিদেশে এমন কোন পুরুষ বন্ধুকে চিনি না, যে বৌ এর ভয়ে বাড়িতে সিঁটিয়ে থাকে না। উপায় নেই। ট্যাঁফো করলে দানাপানি বন্ধ হবে। ফলে ভয়ে সব পুরুষই ফুটবলের মতন লাথি খেতে খেতে চলে ঘরের মধ্যে। বাইরে বেরলেই চওড়া হাঁসি-হ্যাঁ সব ঠিক আছে। এই বেশ ভাল আছি। এটাই বাস্তব।
এধরনের খবরকে বিপ্লব পালের উল্লেখিত সূত্র দিয়েও বিশ্লেষণ করা যায় , আবার ইসলামী থিওরি দিয়েও ব্যাখ্যা করা। অথবা নারীবাদী দৃষ্টিকোণ দিয়েও আলোচনা করা যায়, যে ভাবেই করি না কেন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবস্থান ঐ অধঃস্তন অবস্থায়ই স্থির। অচল। এ অচলায়তনকে ভাঙ্গার জন্য যে কোন একটি দিক থেকে ধাক্কা দিলে হবে না। কারণ —-
অমুলিম সমাজে নারীর অধঃস্তন অবস্থান প্রমাণ করে শুধুমাত্র ইসলামী শারিয়া না থাকলেই নারীর অবস্থানের উন্নতি হবে না যা উদাহরণস্বরূপ বিপ্লব পাল আমেরিকার কথা বলেছেন।
আবার সমাজতান্ত্রিক দেশে, আরও সুনির্দিষ্টভাবে কম্যুনিজমে বিশ্বাসী পরিবারে নারীর ( আগেও উল্লেখ করেছিলাম) নারীর অবস্থানও পুরুষের সমমানের নয়। কাজেই শুধু ক্যাপিটালিজমই নারীকে অধিকার বঞ্চিত করে রাখেনি।
@গীতা দাস,
একমত।
@গীতা দাস,
আমেরিকার মতো অমুলিম সমাজে নারীর অধঃস্তন অবস্থান প্রমাণ করে না যে আমেরিকার মেয়েদের অবস্থা বাংলদেশের মেয়েদের অবস্থার মতো বা তার চেয়ে খারাপ। মেয়েদের দুরাবস্থা পৃথিবীময় কম বেশী এবং সেগুলোর কারন শুধুই ধর্ম নয়, এটা সবাই জানে। কিন্তু মেয়েদের যেটুকু অধিকার আমেরিকাতে সংরক্ষিত হয় তা নিশ্চয়ই সেখানে ইসলামিক বা শারিয়া আইন চালু থাকলে সম্ভব হতোনা, সেটুকু অন্ততঃ স্বীকার করে নিলে ক্ষতি কি? এখন ‘আমেরিকার সমাজে নারীরা অধঃস্তন অবস্থানে আছে, সুতরাং বাংলাদেশে ইসলামী শারিয়া আইন তুলে নিয়ে কি লাভ’, এই কথাটা কতখনি ঠিক?
সমস্যার সমাধানগুলোর প্রায়োরিটি নির্নয় করে এক এক করে অগ্রসর হওয়া দরকার, সমাজে নারীদের অধঃস্তন অবস্থান ১০০% সমুলে বা রাতারাতি নির্মুল করা সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে সমস্যা যখন দেখা দেয় তার ১০০% সমাধানও এই পৃথিবিতে আশা করাটা অবাস্তব, এটা সব সমাজের জন্যই প্রযোজ্য।
@ব্রাইট স্মাইল্,
তা অস্বীকার করলাম কখন? আমার বক্তব্য ছিল, শারীয়া আইন, ধনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র সব ব্যবস্থায়ই নারী অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
বড্ড বেশী ভাববাদি আলোচনা হচ্ছে।
ব্যাপারটা হচ্ছে- বাড়ির ঝিদের সাথে বাবুদের লটঘট গোটা দক্ষিন এশিয়াতেই চলে। আই আই টি ক্যাম্পাসে কিছু অধ্যাপকের নামেও এসব দুস্কৃতি শুনেছিলাম। তাদের কিছুই হয় নি। এসব এত কমন ছিল, ঝিদের প্রতি গমনের একটা লিঙ্গো [ স্থানীয় শব্দ] আছে আই আই টি খরগপুরে-শব্দটা হচ্ছে ” ঝাকস” ।
এগুলি শ্রেনী শোষনের ফল। ধর্ম শ্রেনী শোষন টেকানোর একটা হাতিয়ার-ধর্মের ভূমিকা ব্যাস এই পর্যন্তই। কিন্ত ধর্মের বিরুদ্ধে বলে, একটা শ্রেনী বিভক্ত সমাজের বৈষম্যকে না দোষ দিয়ে ধর্মকে টানা ঠিক না। এই আমেরিকাতে ও অনেক মেয়ে পুরুষমানুষের অনেক দোষ মেনে নেয়। ভারত বাংলাদেশে তা অনেক বেশী। কারন বিবাহ ভেঙে বেড়িয়ে যাওয়ার স্বাধীনতা এখানে কম। অর্থনৈতিক কারনেই এমন খবরও দেখেছি, বাবা নিজের মেয়েকে ধর্ষন করছে, অথচ মা কিছু বলতে পারছে না। এক নয়-একাধিক এই ধরনের সংবাদ চোখে পড়েছে।
উৎপাদন ব্যাবস্থার ওপর নর নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা না হলে, এর সুরাহা হবে না। হাজার আইন বা নারীবাদি আন্দোলন করে সমাজের এই সব ক্যান্সার খুব বেশী আটকানো যাবে না বর্তমান উৎপাদন ব্যাবস্থায়।
@বিপ্লব পাল,
আপনি আমেরিকার নারীদের সাথে বাংলাদেশের নারীদের তুলনা করছেন।
আপনার সাথে আলোচনা করা শুধুই সময়ের অপচয়।
@আবুল কাশেম,
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, প্রায় দিন আমার দোকানে এমন সব নারী খদ্দেরের দেখা পাই যাদের চোখে জল, অথবা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। এরা সেইসব খেটে খাওয়া বা কর্মহীন মানুষ, যার খবর উচুতলার মানুষ রাখে না।
বিপ্লব পাল যে তুলনা টেনেছেন, তা হয়তো পরিমানগত দিক থেকে সমান নয়, কিন্তু গুণগত দিক থেকে আসলে কি কোন পার্থক্য আছে?
@স্বপন মাঝি,
না কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য যেটা সেটা হচ্ছে আইগত দিক থেকে। আমি অস্ট্রেলিয়ার খবর দিতে পারি। এখানেও পারিবারিক কলহে অনেক নারী হিংস্রতার সম্মুখীন হন। কিন্তু এখানকার আইন এতই কড়াকড়ি ভাবে প্রয়োগ করা হয় যে ঐ ধরণের মার কে অপরাধ হিসেবে গন্য করা হয় এবং অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে বিচার করা হয় এবং তার জন্য শাস্তি ভোগ করতে হয়।
বাংলাদেশে কি হচ্ছে?
অপরাধ সব স্থানেই হচ্ছে—ব্যাপার হচ্ছে এর বিরুদ্ধে কী আইনী ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেটাই আসল কথা। খুন, চুরি, হামলা, উৎকোচ সব জায়গায় কমবেশী চলছে এবং চলবে।
বিপ্লব পাল নতুন কিছুই লিখেন নি। উনি বুঝাতে চাচ্ছেন—যেহেতু আমেরিকাতেও নারীদের উপর হিংস্রতা করা হয়–এবং বাংলদেশেও তাই হচ্ছে তাই এইসব নিয়ে আমাদের তেমন মাথাব্যাথার দরকার নেই। আর উনি বলছেন এই সবের পিছনে ধর্মকে জড়ান সঠিক নয়। তাহলে বিপ্লব পাল আমদেরকে দেখান আমেরিকাতে কোন ধর্মের পারিবারিক আইন চলছে।
এই যদি বিপ্লব পালের যুক্তি হয়–তা’হলে উনার সাথে কী ভাবে আমরা সফল আলোচনায় যেতে পারি?
প্রসঙ্গতঃ অস্ট্রেলিয়াতে কিছু মহিলাও আছেন যাঁরা অত্যান্ত মারমুখী এবং অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা স্বামীকে প্রহার করে গুরুতর আহতও করে ফেলেন। আইন কিন্তু তাদেরকেও রেহাই দিচ্ছেনা।
এবার বলুন আমরা কেমন করে আস্ট্রলিয়ার নারীদের সাথে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থার তুলনা করতে পারি?
@আবুল কাশেম,
আমি মোটেও লিখি নি নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বন্ধ করতে হবে। সেটা চালিয়ে যান। কিন্ত আসল কারনের পেছনে না ছুটে নকল কারনের পেছনে দৌড়ানোটা ঠিক না
আমেরিকাতে মেয়েরা আরো বেশী র্নিযাতিত অন্যভাবে।
@বিপ্লব পাল,
একমত।
আমি আগেও বলেছি, আজও আবার বলছি,
আমি নারী , সারা পৃথিবী আমার যুদ্ধ ক্ষেত্র। ( নারী পক্ষ’র স্লোগান)
কাজেই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা, ইউরোপ, আস্ট্রলিয়া বিভিন্ন দেশে নারীর অবস্থা ভিন্ন হলেও অবস্থান অভিন্ন।
@আবুল কাশেম,
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সমাজে বিরাজমান সমস্যাগুলোর শুধু বর্ণনা নয়, তার উৎসের দিকে একটুখানি মনোযোগ দে’য়া দরকার।
আইনের কথা বললেন, আইনের সুযোগ নে’য়ার ক্ষমতা ক’জন মানুষের থাকে?
তারমানে আবার এই নয় যে আইনের প্রয়োজন নেই।
আর বাংলাদেশের সাথে ইউরোপ, আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার আইনের তুলনা করার সময় আমাদের কি একটুখানি ভাবা দরকার নয় যে, উল্লেখিত দেশগুলোর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্তর কি অভিন্ন?
@স্বপন মাঝি,
হাঁসালেন, বাংলাদেশেও এখন এমন খদ্দের ভুরি ভুরি। বিদেশে থাকেন বলে বাংলাদেশের অনেক খবরই ঠিক মত জানেন না। এমন কী গৃহীনিদের কেও বহু স্বামী ব্যাবহার করে টাকা উপার্জন করে। তাই বলি দেশের নারীদের কেও মমতার চোখে দেখুন, দেখুন তারা কতো ভাবে নির্যাতিত, নিপিড়ীত।
@আফরোজা আলম,
আপনি হাসলেন, আমাকেও হাসালেন।
“বাড়ির কাছে আরশি নগর….”।
ভাল থাকবেন।
@স্বপন মাঝি,
পরিমানগত দিক থেকে সমান নয় বলেইতো সমস্যা। আমেরিকাতো এমন একটা দেশ নয় যে ওখানে কোন অপরাধ সংঘটিত হয়না। আমেরিকাতে কিছু মেয়ে নির্যাতিত হয় কিন্তু পরিমানে সামান্য, কেন? সেখানে আইন খুব কড়া এবং ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে আইন সবার ক্ষেত্রে সমান ভাবে প্রয়োগ করা হয়। আর বাংলাদেশে আইন মেয়েদের পক্ষে কাজ করেনা, সর্বোপরি দেশে ধর্মীয় আইন বলবৎ আছে, শারিয়া আইনের দোহাই দিয়ে সেখানে বেশি পরিমান মেয়েরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, সমস্যাতো সেখানেই। এই ক্ষেত্রে আমেরিকা আর বাংলাদেশে মেয়েদের নির্যাতনের গুনগত মান তুলনা করে সমস্যার সমাধান করতে যাওয়াটা কতখানি যুক্তিসংগত।
@ব্রাইট স্মাইল্,
এই তথ্যের ভিত্তি কি?
আমেরিকাতে হোমিসাইড সব থেকে বেশী। বধূহত্যায় আমেরিকা পিছিয়ে কে বললো? তাছারা এখানে বৌরা বুড়ি হওয়া শুরু হতেই ছেলেগুলো ছুঁড়িদের নিয়ে পালায়। আমাদের দেশে পুরুষরা তাও টিকে থাকে।
@বিপ্লব পাল, আমেরিকাতে বধূহত্যা হয় কিন্তু সেটার হার বাংলাদেশের সাথে তুলনা করুন. আমেরিকাতে সব লোক ধোয়া তুলসী পাতা নয় যে এখানে কোন অপরাধ সংঘটিত হয়না।
আমাদের পুরুষরাতো টিকে থাকবেই কারন অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক রেখেও আমাদের সমাজে পুরুষরা বিবাহিত জীবন যাপন করে যেতে পারে বা তাদের কোন রকমের বাধার সম্মুক্ষিন হতে হয়্না, না বৌয়ের তরফ থেকে, না সমাজের কাছ থেকে। গাছেরটাও খাবো বনেরটাও কুড়াবো, এটাইতো উত্তম। ধর্ম, সমাজ পুরুষ মানুষদের জন্য এমন উত্তম ব্যবস্থাইতো করে দিয়ে গিয়েছে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আমাদের পুরুষগুলো কি মঙ্গল গ্রহের নারীদের সাথে পরকীয়া করে?? পরকীয়া করতে ত একটা মেয়ের দরকার হয় নাকি? আর ভারতে পুরুষের সংখ্যা মেয়েদের থেকে বেশী। সুতরাং সংখ্যাতাত্বিক নিয়মেই প্রায় সম সংখ্যক নারী এবং পুরুষের পরকীয়া হয়ে থাকে যদি না যেখানেও দুনাম্বারী করে একাধিক পরকীয়া করে [ মানে পরকীয়াতেও যদি জল থাকে!] তাছারা ভারতীয়দের পরকীয়ার সংখ্যাটা ৭% এর কাছাকাছি যেখানে আমেরিকাতে ৬৭%। আমি কিন্ত্ নিরামিষ পরকীয়ার কথা লিখছি না-তাহলে দুদেশেই সংখ্যাটা ১০১% ছাড়িয়ে যাবে।
@বিপ্লব পাল,
নারীরা পরকিয়া করছেনা এমন দাবি কেউ করছেনা। কিন্তু পরকিয়া করার কারনে নারী ও পুরুষকে কি একই মানদন্ডে বিচার করা হয়? প্রেম করার অপরাধে ছেলেটির দোষ বেমালুম চেপে যাওয়া হয় আর শারিয়া মোতাবেক মেয়েটিকে মারা হয় ১০১টি দোররা। এটাই বাস্তবে ঘটছে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
কোরানে যদ্দুর জানি পরকিয়া [ জিনা] র জন্যে “অপরাধী” নারী পুরুষকে ১০০ ঘা ছত্রাঘাতে আদেশ আছে [24-2,3 ] -সেখানে বৈষম্য আছে কি? জানি না। পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলার আইনের উৎস যদ্দুর জানি বুখারীর হাদিস।
এসব নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। প্রশ্ন হচ্ছে আমেরিকান নারীরা আমাদের নারীর মতন অত্যাচারিত না অত্যাচারিত না। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে না। কিন্ত এদেশে পৌঢ়াদের অবস্থা ভাল না।
@বিপ্লব পাল, কোরানে বৈষম্য আছে কি নেই সেটা কোরান বিশারদগন ভালো বলতে পারবেন, কিন্তু যে সমাজ কোরান-সুন্নাহ অনুসারে চলে সে সমাজে বৈষম্য আছে এবং তার শিকার মেয়েরা এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই এবং সেটা নিয়েই আমাদের মাথা ব্যাথা।
মোটেও আমেরিকান নারীরা আমাদের দেশের নারীর মতন অত্যাচারিত না। আর নারীদের প্রতি অত্যাচারের সাথে পৌঢ়াদের অবস্থা ভাল-খারাপের কোন সম্পর্ক নাই। আইন এখানে দুজনকেই সমান মানদন্ডে বিচার করে। আমেরিকায় পৌঢ়াদের অবস্থা যদি ভাল না হয় তবে বলা যাবে পৌঢ়দের অবস্থাও খুব সুবিধার নয়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এই যে আই্ন নিয়ে এত কথা বলছেন, আইনী সুযোগ নে’য়া বা একজন আইনজীবির খরচ চালাবার মত আর্থিক সঙ্গতি ক’জন মানুষের আছে? তাই যে কোন দেশের বিরাজমান সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ঐ দেশের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা দরকার বলে আমার কাছে মনে হয়।
ভাল থাকবেন।
@স্বপন মাঝি,
দেশের মানুষের আইনজীবির খরচ চালাবার মত আর্থিক সঙ্গতি নাই বলে ঐ দেশটির প্রচলিত আইনের ভালো মন্দ দিক নিয়ে কথা বলা যাবেনা এমনতো হয়না।
একমত। কিন্তু আমাদের দেশের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে শারিয়া আইনের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে দেখা যাবে এগুলোর আর কোন সমালোচনাই করা যাচ্ছেনা। কেননা ইসলামী আইনগুলো আমাদের দেশের লোকের মন মানসিকতার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সমাজে বেশ ভালো ফিট্ করে। কারন অনেক যুক্তিবাদী লোকও দেখা যায় ইসলামের খারাপ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করলে ঠিক স্বস্তি বোধ করেন না। তাই ইসলামী আইন বলুন, শারিয়া আইন বলুন এগুলোর খারাপ দিকটা প্রথমে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া দরকার।
আর দেশের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছেনা তাও তো নয়, কিন্তু ঊল্টোভাবে বলতে পারি আর্থিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো নিয়ে যখন আলোচনা হয় তখন কয়টা আলোচনা ধর্মের খারাপ দিকগুলো তুলে ধরে? অথচ সবগুলো বিষয়ই একটি আরেকটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঐ যে বললাম অস্বস্তি, ভয়, অপ্রিয় সত্য ইত্যাদি। আর বিভিন্নজন বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান রাখেন, সুতরাং যাঁর যেটা বিষয়ে আলোচনা রাখলেতো সমস্যা হওয়ার কথা নয় তাইনা?
ধন্যবাদ, আপনিও ভালো থাকবেন।
@আবুল কাশেম,
বিপ্লব পাল বলেছেন,
আপনি বলেছেন,
না, বিপ্লব পাল সেরকম কিছু বলেছেন বলে আমার মনে হয়না। উনি মনে হয় বলতে চেয়েছেন যে নারী নিপীড়ন একটা সার্বজনীন সমস্যা; বিশেষ কোন দেশ, সমাজ কিংবা ধর্মের তাতে কোন একচেটিয়া ভূমিকা বা অবদান নেই।
না, এখানেও আপনি ভূল করছেন। আমার মনে হয় লাগাতার ইসলাম ব্যাশিং থেকে মাঝে সাঝে বিশ্রাম নিয়ে বরং বিপ্লব পালের সাথে আলোচনা করলে সেটা সময়ের খুবই সদ্ব্যাবহার হবে। ইসলামের বিরুদ্ধে আপনার যুক্তি গুলোর মধ্যে অনেক দুর্বলতা থাকে। বিপ্লব পাল কিংবা অন্য কারো সাথে তর্ক বিতর্ক করলে সেই দুর্বলতাগুলো ধরতে পারবেন এবং সেগুলোকে সংশোধন করে আপনার যুক্তিকে আরো শানিত আর মোক্ষম করতে পারবেন।
আর একটা কথা। বাংলাদেশে কিকি শারিয়া আইন চালু আছে এবং সেগুলোর মধ্যে কোনগুলো রাষ্ট্রীয় আইন আর কোনগুলো গ্রামের মোল্লারা রাষ্ট্রীয় অনুমোদন ছাড়া (অর্থাৎ বেআইনীভাবে) নিজের খেয়াল খুশিমত প্রয়োগ করেন, সেটা দয়া করে জানাবেন । আমি অনেকদিন দেশের বাইরে আছি এবং খুব ঘনঘন দেশে যাওয়া হয়না। তাই আমার পরিষ্কার কোন ধারনা নেই দেশে কি কি হচ্ছে এবং শারিয়া আইন কথখানি চালু হয়েছে।
@মোঃ হারুন উজ জামান,
ঠিক আছে, আপনি দেখান আমি কোথায় কীভাবে ইসলাম ব্যাশিং করেছি এবং করছি।
বিপ্লব পালের কাছে কিছু শিখবার থাকলে আমি নিশ্চয় তা শিখব। কিন্তু এই লেখাটিতে বিপ্লব পালের মন্তব্যে আমি তেমন কিছু অভিনব বা গঠনমূলক দেখি নাই–তাই এই ব্যাপারে উনার সাথে আলোচনা করা অর্থহীন। আমি উনার মন্তব্যে শেখার মত তেমন কিছু পাই নি। আপনি পেয়ে থাকলে ভাল কথা।
বিপ্লব পালকে হেনস্তা করা বা উনাকে অপমান করার কোন উদ্দেশ্যই আমার নাই। আমার মন্তব্যে যদি উনার মনে আঘাত দিয়ে থাকি তবে আমি দুঃখিত, এবং ক্ষমা প্রার্থী। আমার মন্তব্য তুলে নিতে আমার কোন আপত্তি নাই।
ভাল কথা–তা আপনি সেই সব দুর্বলতার দুই একটা উদাহরণ দেখান–আপনি মনগড়া কথা বললেই ত হবে না।
কোন অসুবিধা নাই। বিপ্লব পাল আমাকে দেখান আমার যুক্তি এবং তথ্যে কোথায় ভুল। তা না দেখালে আমি কেমন করে শোধরাব?
আর, বিপ্লব পালই যে সর্ব জান্তা এবং সকল ব্যাপারে তাঁর মতামত যে বিশুদ্ধ তাই বা কেমন করে আমরা মানতে পারি? এই মুক্তমনাতেই বিপ্লব পালের অনেক মতামতকে খণ্ডন করা হয়েছে এবং তাঁর প্রদত্ত কোন কোন তত্ত্ব বা তথ্যকে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর প্রমাণ করা হয়েছে। তাহলে কেমন করে বিপ্লব পালের মতামতকে অভ্রান্ত হিসেবে নিতে পারি?
এসব অনেক শ্রমসাধ্য ব্যাপার–আপনি নিজে সংগ্রহ করুন। কিনে ফেলুন হেদায়া বইটা। এটা হচ্ছে হানাফি শারিয়া আইনের মূল শারিয়া আইন। আমি আগেই লিখেছি–পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের মুসলিম পারিবারিক আইন এই বই থেকেই এসেছে। এছাড়া আমার সিরিজটা শেষ করুন–দেখবেন গ্রামের মোল্লারা যা করছে তা সম্পূর্ণ শারিয়া আইন মেনেই করছে। তাই ওদেরকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। তাই আমি বলেছি বাংলাদেশ থেকে সর্বপ্রকার শারিয়া আইন তুলে নিতে হবে। যে কোন মোল্লা শারিয়া আইন চালাবে গ্রামে গঞ্জে তাকে গ্রেপ্তার করে সাজা দিতে হবে। কিন্তু এই সাহস কী বাংলাদেশের কোন সরকারের আছে? কারণ বাংলাদেশ সরকারই ত বলছে ইসলাম বিরোধী কোন আইন বাংলাদেশে করা হবে না। মনে রাখবেন শারিয়া হচ্ছে ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ—তা আপনার ভাল লাগুক বা না লাগুক।
তা হলে আপনি কী বলবেন? আমি কী ভাবে ইসলাম ব্যাশিং করছি? আপনার ভাল লাগছে না যেহেতু আপনার রয়েছে ইসলামের সাথে নিবিড় সম্পর্ক। তাই ইসলামের কদর্য মুখ যখন তুলে ধরা হচ্ছে তখন বিচলিতে হয়ে আমাকে দায়ী করছেন ইসলামের এই কুশ্রী রূপের জন্য।
এ কী রকম যুক্তি? আপনি যদি ইসলামের সৌন্দর্য রূপ দেখে থাকেন–তা আমাদেরকে জানান। আমি সাগ্রহে তা পড়ে নিব এবং আমি ভুল করে থাকলে তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিব।
এর পর আমার আর কিছু লেখার নাই।
@মোঃ হারুন উজ জামান,
এতো আধুনিক দেশে থাকেন,অথচ কী কী আইন আছে বা অ-ঘোষিত আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে তাও জানেন না? প্রথমেই বলি বাংলাদেশ যদি নিজকে ধর্ম নিরপেক্ষ বলে দাবী করে তবে সংবিধান অনুষ্ঠানের শুরু কেন বিসমিল্লাহ দিয়ে করা হবে। মেনে নিলাম করা হল তবে অন্য ধর্মের কেন নয়?
গ্রামে গঞ্জে দোররা মারা হচ্ছে গ্রামের মাতব্বর বা মসজিদের ইমাম দ্বারা যদি এতোই স্বঠিক বিচার কার্য চলত, তবে তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কেন ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই?
আপনাকে বেশি কষ্ট করতে হবে না। অনলাইন পত্রিকাগুলো পড়ুন তবেই পাবেন। আমি বা আমরা অহেতুক সময় আর নষ্ট করছিনা।
@বিপ্লব পাল,
মূল লেখা ও মন্তব্যগুলো পড়ে মন হচ্ছিল, সবাই ডালপালা নিয়ে ছুটাছুটি করছেন।
শুধু আপনার মন্তব্যে সমস্যার শেকড়টাকে দেখতে পেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
@বিপ্লব পাল,
এই যদি আপনার সু-ব্যবস্থা বলে মনে হয় তবে আমি তাকে (N) জানাবো।
সর্ব ব্যধি খোজার আগে যেমন রোগ নির্ণয় করতে হয়, এই প্রসঙ্গে রোগ অবশ্যই আছে ইসলামের শারিয়া আইনের
এই আইন সম্পর্কে জানুন পড়ুন তবে কিছু বললে ভালোলাগবে।
অনেক ধর্মেও অনেক ফালতু কিছু বিষয় আছে, মানি কিন্তু সেই সব দেশ ধর্মীয় ভাবে পরিচালিত হয় না। এখানে যখন সংবিধানই ধর্মের ভিত্তিতে, সেখানে আপনার এই মতামত মূল্যহীন।
@আফরোজা আলম,
আমি ধর্মকে সমাজ বহির্ভুত কোন বিচ্ছিন্ন ভাবে দেখতে রাজী না
আমাকে নারীবাদিরা পছন্দ নাই করতে পারেন-কিন্ত বাস্তব হচ্ছে নারীবাদ বা বাংলাদেশ বা ভারতে নারীরা যেটুকু এগিয়েছে তা পরিবর্তিত উৎপাদন ব্যবস্থার দান। বিদ্যাসাগর, নিবেদিতা, বেগম রোকেয়া সেই পরিবর্তনের ফসল-চালিকা শক্তি নয়
সুতরাং সমস্যার মূলে যেতেই হবে। সেটা হচ্ছে শ্রেনী বৈষম্য
– তা অস্বীকার করে হাজার নারীবাদি ডায়ালোগেও কিছু হবে না
শরিয়া একটি সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার আইন-এটা না বুঝলে শরিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন কি করে? সেটাযে একটা আদিম উৎপাদন পদ্ধতির সাথে জড়িত যেখানে শিশুমৃত্যুর কারনে মেয়েদের ওপর বৈষম্য চলত ( যাতে আরো সন্তান উৎপাদন হয় )
এই ইতিহাস এবং সূত্রগুলো না উদ্ধার করলে কিস্যু হবে না
@বিপ্লব পাল,
এ ক ম ত। সমস্যাটিকে তলিয়ে না দেখলে শুধু ‘ছায়ার সঙ্গে কুস্তি লড়ে গাত্রে হলো ব্যাথা’ টাইপ আস্ফালন হবে। (Y)
আবুল কাশেম সাহেবের সাথে একমত।
দেশের সরকার আর রাজনীতিবিদগন সেই ধর্মের ধারক এবং বাহক, তারা ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুধ্ব হয়ে নয়, নিজেদের স্বার্থে দেশে শারিয়া আইন চালু রাখার ইন্ধন যোগাচ্ছে, সেই হিসাবে আকাশ মালিকের কথাও ঠিক যে, সরকার তথা নীতি নির্ধারক রাজনীতিবিদগন এজন্য দায়ী।
@ব্রাইট স্মাইল্,
হুম।
কিছুদিন আগে শুনেছিলাম শারিয়া আইন উঠে যাবে। আলেমরা যখনই উঠে পড়ে লেগে হুমকি দিতে লাগল, তখনই সরকার ঘোষনা দিলেন ইসলামি বহির্ভূত কোন কাজ সরকার করবে না। এমন অসংলগ্ন আইন বা কথা বার্তার মানে বুঝলাম না। কি বিচিত্র কথা বার্তা!
রাজারই কথার ঠিক নেই তো রাজ্যের কী হবে।
@আফরোজা আলম,
এই হচ্ছে আমাদের নেতা নেত্রীদের সাহসের দৌড়। বাংলদেশে কোন সরকার বা নেতার বুকের পাটা আছে যে প্রকাশ্যে বলবে শারিয়া আইন বাতিল করা হবে।
এই সাহস মনে হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজেবেরও ছিলনা। উনিও শারিয়ার কাছে তাঁর কাপুরুষতা দেখিয়ে গিয়েছেন। উনার সাহস ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনিকে কুছ পরোয়া নাই ভাব দেখাবার–কিন্তু ঠিকই মাথা নত করেছিলেন ইসলামের প্রবল শক্তির কাছে।
এই অসীম সাহসী নেতা বা নেত্রীর জন্ম না হওয়া পর্য্যন্ত বাংলাদেশের নারীদের দুরাবস্থার কোন পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। এর মাঝে আমরা শুধু কলম পিষেই যাব–যদি কোন রকমে আমাদের সবার মানসিকতার পরিবর্তন করা যায়। সুফল আমাদের জিবদ্দশায় দেখা যাবে বলে মন হয় না।
@আফরোজা আলম, আপনারাও ( নারীরা) পাল্টা হুমকি দেন, দলবল নিয়ে রাস্তায় নামেন। নাহলে কোনও কাজ হবেনা। দেশে এত মহিলা মাত্র ২০% রাস্তায় নেমে ধর্নায় বসতে হবে। আমাদের মমতা দিদি ত একাই সিঙ্গুর থেকে সব উঠিয়ে দিল।
@শেসাদ্রি শেখর বাগচী,
আপনাদের মমতার চেয়ে তুখোড় আমাদের খালেদা ও হাসিনা, তবে মমতার মতই উনারাও নারী ইস্যু নিয়ে রাস্তায় নামেন না।
নারীরা নিজেরা না এগিয়ে এলে কোন সমাধান হবে না। কয়েকদিন আগে পেপারে পরেছিলাম এক ডিভোর্সি মহিলা একটি পুরুষ দ্বারা প্রতারিত হন। পুরুষটি তাকে ক্রমাগত বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফুর্তি করে যাচ্ছিল। মহিলাটি একদিন সহ্য না করতে পেরে বালিশের নিচে একটি ধারাল ছুরি নিয়ে শুয়ে থাকে এবং যথাসময় পুরুষটির পুরুষাঙ্গটি দেহ থেকে আলাদা করে দেয়। অনেকটা টিকটিকির লেজ কেটে দেওয়ার মত।
@শেসাদ্রি শেখর বাগচী,
নারী পুরুষ সরকার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই নার্রী মুক্তি সম্ভব।
এমন প্রসঙ্গে আমি একটা লেখা দিয়েছিলাম
তবে সেই লেখা অনেকের আপত্তি ছিল। ওখানে প্রসঙ্গ ছিল নীরব নির্যাতন
এই নির্যাতন শারিরীক নির্যাতনের চাইতে কোনো অংশে কম নয়। গীতা’দি যে উদাহরণ দিয়েছেন আসলেই তা সংখ্যায় এতো ব্যাপক যে লিখে পাতায় কুলাবে না। রোজ পত্রিকা খুলে এই সব যেন ডাল ভাত হয়ে গিয়েছে। আমরা কিসের মাঝে আছি আমরাই জানি। এই প্রসঙ্গে এক প্রবাদ মনে পড়ল, সূধী পাঠক আপনাদের একটু সময় অপচয় করছি,
এক জাপানী(কোন দেশ এই মুহূর্তে মনে পড়ছেনা) এই দেশ ভ্রমনে আসেন। প্রকৃতির অপরূপ সূধা দেখে তিনিও হন বিস্মিত। খুব আনন্দে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে আবিষ্কার করেন, সব খানে বিচিত্র অ-ব্যবস্থা, ঘুষ, অমানবিক, বিশৃ্ংখলতার চরমে আছে এই দেশ। এই সময় বিরক্ত হয়ে দেশ ত্যাগ করে নিজ দেশে চলে যান। তাঁকে প্রশ্ন করা হল কি ভালো লাগলো ঐ দেশের?
তিনি বললেন ‘আরে- ভালো লাগা পরের কথা, আমি বুঝলাম না দেশটা চলে কী ভাবে? তার মানে নিশ্চয় ‘ঈশ্বর” বা “আল্লাহ” ই চালাচ্ছে। নিন্দুকেরা বলে অতঃপর তিনি ইসলামে বিশ্বাসী হলেন, যে আল্লাহ না চালালে এই দেশ কোনো দিন চলতে পারেনা।
তাহলে বুঝুন দেশ কি করে চলে, আর আমরাই বা কেমন আছি।
গীতা’দিকে ধন্যবাদ সুন্দর একটা সমস্যা বহুল লেখা উপহার দিলেন।
@আফরোজা আলম,
আমি আপনার লেখার লিংকটি পড়ে আমার লেখায় আপনার মন্তব্যের অন্তর্নিহিতি তাৎপর্য বুঝিনি।
দুঃখিত। বুঝতে পারছি না আমি পরবর্তী পর্ব পোস্টিং দিব কিনা!
@গীতা দাস,
দেবেন না মানে? নিশ্চয়ই দেবেন। পরবর্তি পর্ব পড়ার আগ্রহ নিয়ে আছি।
আমি ঠিক মত বুঝাতে পারিনি হয়তো এইটাই আমার অক্ষমতা হবে। আমি বুঝাতে চেয়েছিলাম, পারিবারিক ভাবে নারী নির্যাতিত হয় শারিরীক যেমন , মানষিক ভাবেও কম নয়। এক সাথে গায়ে হাত দেয়, অন্য স্থানে মনকে পঙ্গু করে দেয়। উভয় নির্যাতন। এই নিয়েও আপনাকে লেখার আহবান জানাচ্ছি, যে শারিরীক ছাড়াও মানষিক ভাবেও নারীরা কতো নির্যতনের শিকার হয়।
বেশির ভাগ স্ত্রীরা এখনো মনে করে স্বামীর মারধর তাদের জন্য আর্শিবাদ স্বরূপ। কথিত আছে, স্বামীর প্রহার শরীরের যে যে স্থানে লাগবে সেখানে নাকি দোযখের আগুন জ্বলবে না। এই ধারাটি যারা মেনে নিয়েছে প্রথমতঃ তারা সচেতন নয়। দ্বীতিয়তঃ ধর্মভীরুতা। অল্প কিছু সংখ্যক আছে যারা এর বাইরে। তারা হয়ত সচেতন হওয়া সত্ত্বেও সংসার, সন্তান, সম্মান অথবা পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির জন্য মূখ বুজে থাকতে বাধ্য হন, যেটা আপনি উল্লেখ করেছেন। অবিবাহিত মেয়েরা যদি কোন অশ্লিল পরিস্থিতির স্বীকার হয়, তবে নিজে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে কলংক রটে যাবার ভয়ে যথাসম্ভব চুপিয়ে রাখে। আইনের ধারস্থ হন খুব কম সংখ্যক ভুক্তভোগী। সবচেয়ে বেশি জরুরী যে জিনিসটি তা হচ্ছে, সচেতনতার পাশাপাশি ভুক্তভোগীরা যেন আইনের শরনাপন্ন হওয়ার পরিবেশ পায়। এক্ষেত্রে ভুক্তভুগীর পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবরা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।
আপনার সাথে একমত।
@বাদল চৌধুরী,
পড়া ও সহমত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।
আকাশ মালিক যা লিখেছেন তার সাথে আমি একমত।
আমাদের পারিবারিক আইনের ভিত্তি হচ্ছে শারিয়া–যা মুসলিম পারিবারিক আইন নামে পরিচিত। এই আইনগুলি হানাফি আইনের মুল গ্রন্থ হেদায়ার কার্বনকপি। বৃটিশ আমলেও মুসলিমদের জন্যে ঐ হেদায়া প্রজোয্য হত—এমন`কি আজও ভারত এবং পাকিস্তানে ঐ আইনই চলছে–মাঝে মাঝে কিছু ঝাড়া মোছা হয় এই আর কি।
তাই বাংলাদেশে মহিলাদের যে এত বিপর্যয়কর অবস্থা তার জন্যে ঐ সব বর্বর শারিয়া অনেকাংশে দায়ী। এই আইনের বাতিল না হলে বাংলাদেশের মহিলাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের কোন মহিলা সংঅগঠন কিংবা কোন সরকারের সাহস নাই যে শারিয়া আইনের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করে।
এই ব্যাপারে আমার সামনে াসছে সিরিজের পর্বগুলো দেখবেন। তাহলে বুঝা যাবে কোথায় গলদ।
@আবুল কাশেম,
ধন্যবাদ আকাশ মালিকের সাথে সহমতের জন্য, কারণ প্রকারান্তরে উনার সাথে আমার মতামতও এক। তবে আপনার নিচের মতের সাথে একটু স্বিমত আছে।
প্রথমত, শরিয়া আইন বাতিল হলেও কিন্তু নারীর ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন হবে না।কারণ নারীর প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের জন্য শুধু শারিয়া আইন দায়ী নয়। তাহলে কম্যুনিজমে বিশ্বাসী মানুষের পরিবারে নারীর অবস্থান অধঃস্তন হতো না। ( এর ব্যতিক্রমও আছে)
দ্বিতীয়ত, সরকার টুঁ শব্দটি না করলেও নারী সংগঠন কিন্তু শারিয়া আইনের বিরুদ্ধে শুধু টুঁ শব্দ নয়, আন্দোলন করছে। আন্দোলন মানে হরতাল , মিছিল ও গাড়ি ভাঙ্গচুর না, জনমত গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।
এ নিয়ে আপনার লেখায় আবিষ্কৃত গলদ জানার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ পড়া ও মন্তব্য করার জন্য।
দ্ব
@গীতা দাস,
হ্যাঁ, আপনার সাথে একমত। আমি লিখেছিলাম শরীয়া অনেকাংশে দায়ী—শারীয়াই একমাত্র দায়ী নয়। নারিদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন ততদিন হবেনা যতদিন পর্য্যন্ত আমদের দেশের মহিলারা আর্থিক এবং যৌন স্বাধীনতা পাবে না। এই সব স্বাধীনতা পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। এর জন্য নারী-পুরুষ উভয়কেই সংরাম করতে হবে। শুধু পুরুষকে দোষী করে এবং তাদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে কোন কিছু আয়ত্ত্ব করা যাবে না। বিদেশে দেখেছি–=কেমন করে পুরুষরা নারীদের পাশে দাঁড়ায় নারীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য। আমাদের সমাজেও তাই করতে হবে।
এই আন্দোলন যে ব্যার্থ হবে তাতে কি কোন সন্দেহ আছে? দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা বলেছে মিন মিন শব্দ এবং নীরব প্রতিবাদ কোনদিনই সফল হয় নি। দরকার হচ্ছে সাহসী নেতৃত্ব এবং দুর্বার আন্দোলন।
এসব কিছুর জন্যে সর্বপ্রথম আমি যাকে দায়ী করবো সে হচ্ছে আমাদের সরকার তথা নীতি নির্ধারক রাজনীতিবিদগন।
দ্বিতীয়ত, ধর্ম লিখিতভাবে ঘোষণা দিয়ে রেখেছে পুরুষ নারীর কর্তা, পুরুষকে অধিকার দিয়ে রেখেছে নারীকে প্রহার করার।
তো এই আইন থাকা আর না থাকায় কী আসে যায়?
একদিকে ধর্ম অপর দিকে আছে কুসংস্কার নানাবিধ সামাজিক প্রথা। এ দুয়ের ডরে, নারী তার নিজের ও তার সন্তানাদির নিরাপত্তার কথা ভেবে মুখ খুলছেনা, সরকার ডরায় কাকে?
ভাল কথা, সাথেসাথে সরকারকেও তার দায়ীত্ব পালনে বাধ্য করতে হবে। নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের দায়ীত্ব সরকারের।
@আকাশ মালিক,
সহযোগী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এবং
একমত।