কোরানের আয়াতের মহিমা, তাৎপর্য ইত্যাদি সম্পর্কে ইসলামী চিন্তাবিদরা যেমন ব্যাখ্যা দিয়েছেন তেমনি যৌক্তিক দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখ্যা করে সমালোচনাও করা হয়েছে। আবার বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদের মধ্যেও ব্যাপক মত পার্থক্য দেখা যায়। মাঝে মাঝে মত পার্থক্য এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, রীতিমত এক পক্ষ অন্য পক্ষকে মুরতাদ পর্যন্ত ঘোষণা করে বসে। কোরানের প্রতিটি আয়াতের উপর বিশেষ করে যুক্তিবাদি মানসিকতার ব্যক্তিদের নিজস্ব ব্যাখ্যা থাকতে পারে এবং সেটা বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা দেখতে বা শুনতে পাই। কোরানের উপর আমার এই পর্যন্ত যতগুলো যুক্তিবাদি মননশীল হতে প্রসুত ব্যাখ্যা পড়ার সুযোগ হয়েছে তার বাইরেও প্রায় প্রতিটি সুরার বেশ কিছু আয়াতে ব্যাক্তিগত ভাবে আমার সন্দেহাতিত বা যুক্তিসংগত মনে হয়নি। কোরানের বাংলা অনুবাদ পড়ে অন্তত আমার তাই মনে হয়েছে। আমি জন্মসূত্রে মুসলিম হওয়া সত্তেও কোরান পর্যালোচনায় ঠিক যে কারণসমূহের জন্য আমি ধীরে ধীরে নাস্তিকে পরিনত হয়েছি মুলতঃ এটি তারই একটি ধারাবাহিক আলোচনা।
-
সুরা ফাতেহার ১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছেঃ যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’ আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
ইসলামী শরিয়াতে এই আয়াতটির একটি বিরাট তাৎপর্য আছে । কেউ যদি একবার আলহামদুলিল্লাহ কথাটি উচ্চারণ করেছেন, তখনই তাকে ৭০ রাকাত নফল নামাজের ছওয়াব প্রদান করা হয়। যার বাংলা- যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তালার। বুঝাই যাচ্ছে আল্লাহ এতে প্রচন্ড খুশি । কেন উনি এত খুশি হয়ে গেলেন? উনার প্রসংশা করেছি বলে? আমাদের মানব সভ্যতায় এমন কিছু সময় ছিল বা এখনো আছে বিশেষ করে রাজা বা সম্রাটদের যুগে তখন রাজার মন যোগানোর জন্য তাদের পাইক পেয়াদারা প্রতিনিয়তই প্রশংসা এবং তোষামোদ করে চলতেন। বিপক্ষ কথা বললেই গর্দান যেত । রাজ দরবারে গুণকীর্তন করার জন্য রাখা হত সভাকবি। এতে রাজারা প্রচন্ডভাবে খুশি হয়ে যেতেন। দেয়া হত পুরস্কার। এখনো অনেক চাকুরীতেই উর্ধ্বতনের প্রসংশা, তোষামোদ করে চললে প্রমোশনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হয়। যা আমরা প্রতিনিয়তই দেখছি। প্রশ্ন আসে আল্লাহ এতবড় শক্তিমান হয়ে কেন পৃথিবীর নিয়মের বাইরে যেতে পারলেন না? প্রশংসা কি উনার খুব প্রয়োজন? যা উনার মনোরঞ্জন করে? যদিও দাবী করা হয় আল্লাহ প্রয়োজনের উর্ধ্বে। তবে কেন উনি প্রশংসা চান? আর একটা ব্যাপার হচ্ছে, কোরান সম্পূর্ণই আল্লাহর ভাষ্য বলে দাবী করা হয়। কিন্তু উপরের আয়াতে কি বুঝা যাচ্ছে বাক্যটি উনি নিজে বলছেন? এরকম অনেক আয়াতই আছে স্বয়ং আল্লাহর ভাষ্য বলে আপনার মনে হবে না। এই আয়াতের পরবর্তী অংশে বলা হয়েছে, যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। আজকের এই বিজ্ঞানের যুগে সৃষ্টি তত্তের গ্রহণযোগ্যতা বিজ্ঞান মহলে একেবারেই নেই। সেক্ষেত্রে সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা দাবীটা একেবারেই অবান্তর। আসলে পালনকর্তা কে? স্থুল অর্থে মুলতঃ যে লালন পালন করে। জীবন বাচিয়ে রাখার অর্থে এই খাদ্য-খাদকের পৃথিবীতে এই মহান পালনকর্তার কি কোন ভূমিকা আছে?
আবার উক্ত আয়াতের অনুবাদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক করা হয়েছে এইভাবেঃ সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই । আমরা এখানে অনুবাদের ক্ষেত্রে কিছুটা তারতম্য দেখতে পাচ্ছি। এখানে মূল গরমিলটা করা হয়েছে সৃষ্টিজগত এবং জগতসমূহ শব্দটির মধ্যে। জগতসমূহ বলতে কি আল্লাহ কর্তৃক সৃষ্টিকৃত জগতসমূহকে বুঝানো হয়েছে?
-
দেখুন ২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছেঃ যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
আসলে এটা কতটুকু সত্য? এই জীব জগতে আমাদের জীবন বাচিয়ে রাখার জন্য আহার করতে হয় শত শত প্রাণীকে। মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বিদ্যমান। আমার জন্য তিনি দয়ালু বা মেহেরবান হলেও আমার ভোগ্য প্রাণীটির কাছে তিনি কি নিষ্ঠুর নন? আর শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এবং চিরবঞ্চিতদের ক্ষেত্রে এই আয়াতটি কি সমানভাবে প্রযোজ্য? আল্লাহ সত্যিই দয়ালু কিনা তা আরজ আলী মাতুববরের প্রশ্ন থেকেই আমি প্রথম অনুধাবন করতে পেরেছিলাম কোরানের বানী অখন্ডনীয় নয়। অবিশ্বাসীদের জন্য এখানে কিছুই রাখা হয়নি। তার প্রমান সুরা বাকারার প্রথম রুকূর ৭টি আয়াত।
তাছাড়া যে সুরাটি ব্যতিত (ফাতিহা) নামাজ হয়না সেই সুরাটিতে কি এমন বলা হয়েছে? আমি ব্যক্তিগতভাবে এইটুকুই বুঝতে পেরেছিঃ মানুষ হিসাবে নিজেকে অমর্যাদা করা এবং সর্বোচ্চ তোষামোদ করা, এমন একটি তথাকথিত শক্তির কাছে যা কিনা অদৃশ্য, বোধগম্যহীন, অনুভুতির বাইরে।
সূরা বাকারাটি শুরু করা হয়েছে তিনটি বর্ণ দিয়ে আলিফ্-লাম-মীম । যার কোন অনুবাদ করা হয়নি। সুতরাং তফসিরকারগণ ইচ্ছেমত অর্থ করে নিচ্ছেন। মুসলমানদের জন্য এই রকম তিনটি (কোরানের অন্যান্য জায়গায় আরো অনেক রয়েছে) অর্থহীন শব্দ কোন্ হেদায়েতে আসবে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। আমারা বুঝি বা না বুঝি তাতে আল্লাহর কিছু যায় আসে না। কারণ ২ নং আয়াতে কি বলেছেন দেখুনঃ
ইহা সেই কিতাব; ইহাতে কোন সন্দেহ নাই, মুত্তাকীদের জন্য ইহা পথ-নির্দেশক ।
এই আয়াতের গোড়ামীটা একবার লক্ষ্য করুন। নিজে লিখে নিজেই ঘোষনা করে দিচ্ছেন তাতে কোন সন্দেহ নাই। প্রচুর সন্দেহ আছে বলে কি আগে থেকেই মুত্তাকীদের বলে দিচ্ছেন খবর্দার সন্দেহ করবা না। যে গ্রন্থটিকে বিশ্ব মানবতার পথ প্রদর্শক হিসাবে দাবী করা হয়, সেখানে কিনা বলা হয়েছে এটা শুধূ মুত্তাকীদের জন্যই প্রযোজ্য। প্রশ্ন আসে, যেহেতু এটি অন্যান্য ধর্ম বা ধর্মহীনদের জন্য পথ নিদের্শক নয় সেহেতু মুত্তাকীদের অর্ন্তভুক্ত হওয়ার উপায়টা কি? কোরানের প্রয়োজনটুকু আসবে শুধুমাত্র কি মুত্তাকী হওয়ার পরে? অন্যান্য ধর্ম বা ধর্মহীনদের ইসলামের শান্তির ধর্মের দাওয়াত দেবেন কি দিয়ে? ৪ ও ৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসীরাই মুলতঃ সফলকাম এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে রয়েছে। কথাটা ঠিকই, আজীবন অমিমাংশিত সেই আখিরাতকে যদি বিশ্বাস না করি, তবে ঈমানদার হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তার জন্য কি ব্যক্তি দায়ী? মানুষ হিসাবে সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ ব্যতিত কোন কিছুই করার ক্ষমতা আমাদের নেই। কোরানে ঈমান আনা না আনার ব্যাপার স্পষ্ট ঘোষনা থাকা সত্তেও কিভাবে মানুষ নিজের ইচ্ছেমত ঈমানদার হবে? নিচের আয়াত দুইটি (২: ৬ এবং ৭) থেকে বুঝা যাবে ঈমানদার হওয়া না হওয়ার জন্য আসলে কে দায়ীঃ
যাহারা কুফরী করিয়াছে তুমি তাহাদেরকে সতর্ক কর বা না কর, তাহাদের পক্ষে উভয়ই সমান; তাহারা ঈমান আনিবে না। আল্লাহ তাহাদের হ্রদয় ও কর্ণ মোহর করিয়া দিয়েছেন, তাহাদের চক্ষুর উপর আবরণ রহিয়াছে এবং তাহাদের জন্য রহিয়াছে মহাশাস্তি।
কার সাধ্য আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতিত ঈমান আনে? আল্লাহর এই কাজটি বড়ই অন্যায় মনে হচ্ছে। যার হ্রদয়, কান ও চোখের মধ্যে সীল-গালা করে দিয়ে, ঈমানদার হওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়ে আবার তার জন্য নিজেই ব্যবস্থা করে রেখেছেন মহাশাস্তির। দেখেন আল্লাহর ন্যায় বিচারের নমুনা। নিজের সন্তাকে জন্ম দিয়েছি বলে, ভরণ-পোষণ দিচ্ছি বলে তাকে পড়া-লেখা করার সুযোগ বন্ধ করে দিয়ে পরীক্ষায় কৃতকার্যের দাবী করা যায় না । এবং অকৃতকার্য হলে আমরা তাকে অমানবিক নির্যাতনও করতে পারি না। একজন মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। কিন্তু পরম দয়ালু সৃষ্টিকর্তার দ্বারা এটা সম্ভব। তিনি সত্যকে মিথ্যা, ন্যায়কে অন্যায় করতে পারেন। কারণ আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান (২ : ২০)। আমি ভেবে পাই না, এত সাংঘর্ষিক আয়াতগুলো তিনি নাযিল করলেন কি করে? ১৮ নম্বর আয়াতেও একইভাবে ইসলাম ত্যাগীদের বধির, মূক, অন্ধ বলা হয়েছে। বলুন, বধির বলে শুনতে না পাওয়া বা মূক বলে বলতে না পারা বা অন্ধ বলে দেখতে না পাওয়া কি অপরাধ? এই সেই সৃষ্টিকর্তা যিনি অন্ধ বানিয়ে দেখতে নাপাওয়ার অপরাধে শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
পৃথিবী, আকাশ, বৃষ্টি এবং ফলমূল উৎপাদনের ব্যাপারে এক মহা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সুরা বাকারার ২২ নম্বর আয়াতে দেয়া হয়েছেঃ
যিনি পৃথিবীকে তোমাদের জন্য বিছানা ও আকাশকে ছাদ করিয়াছেন এবং আকাশ হইতে পানি বর্ষন করিয়া তদ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফলমূল উৎপাদন করেন। সুতরাং তোমরা জানিয়া-শুনিয়া কাহাকেও আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় করাইও না।
আপনি হয়ত হাসছেন এই ভেবে যে, বিছানা কি ডিমের মত গোল হয়? অথচ দেখুন শক্তি দিয়ে এই গোল পৃথিবীকে সমতল বিছানা করে ছাড়লেন। আকাশের মহাশূন্যতাকে ছাদ বানিয়ে ফেললেন। আবার সেই ছাদকে চাকনি বানিয়ে পানি বর্ষণ করান। মারহাবা–। এমন কিছু করতে না পারলে আবার বিজ্ঞান নাকি। সৃষ্টিকতার্র বিজ্ঞান বলে কথা। পানি বর্ষণ কি শুধু ফলমূল উৎপাদন করে? অতি পানি বর্ষণ কি কখনো ফলমূলের গাছ শুদ্ধ ধ্বংস করে না? সুতরাং তোমরা জানিয়া-শুনিয়া কাহাকেও আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় করাইও না। আসলে ধর্মবাদীরা যৌক্তিকভাবে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাগুলোকে গ্রহণ করে না বলেই ঈমানদার থাকতে পেরেছে। অন্যথায়, সমকক্ষ দাঁড় করানো তো দুরের কথা আল্লাহর এই অপবিজ্ঞানের জন্য তার অস্তিত্বই কেউ স্বীকার করত না। আবার এরকম সুরা আনয়ন করা সন্দেহবাদীদের দ্বারা কখনই সম্ভব নয় বলে চ্যালেঞ্জও করা হয়েছে।
২: ২৩ নম্বর আয়াতঃ আমি আমার বান্দার প্রতি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি তাহাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকিলে তোমরা ইহার অনুরূপ কোন সূরা আনয়ন কর এবং তোমাদের যদি সত্যবাদী হও তবে আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহবান কর।
এই কোরানের মর্যাদাটা কোথায় রাখবেন? কাব্যিক গুণাবলীর দিক দিয়ে ধরতে গেলে এরচেয়ে অনেক-অনেক উচুমানের কাব্য গ্রন্থ রচনা করা মানুষের দ্বারাই সম্ভব হয়েছে। কোথাও থেকে আনার দরকারই বা কি? মানুষই তো এসব পারে। দর্শন? এমন কিছু দিকদর্শন কি দিতে পেরেছে যা কোরানের আগে/পরে দার্শনিকরা বলেননি আলোচনা করেন নাই। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে এমন কোন দর্শন নেই যা কিনা প্লেটোর দর্শনের প্রভাবমুক্ত। দার্শনিকদের অর্ন্তদৃষ্টির গভীরতা এবং বিষয়বস্তুর কাছে তো কোরানের দর্শন যোগ্যতা কেবল শিশু। কোরানে বিজ্ঞানের কথা কি আর বলব, হাস্যকর অপবিজ্ঞান আর বিভ্রান্তিতে ভরা। ২২ নম্বর আয়াত বাদেও পরবর্তীতে আরো অনেক পাওয়া যাবে এব্যাপারে বলার জন্য। এসব বিষয় যদি যৌক্তিক দৃষ্টিকোন থেকে বিশ্লেষণ করা হয় তবে, কোরানে যে কত সমস্যা লুকিয়ে আছে তা দেখে রীতিমত বিভ্রান্ত হতে হয় এই ভেবে যে সৃষ্টিকর্তার মত সত্তা কেন মানুষের (কাফির) সাথে দ্বন্দ করবেন। বিশ্বাসীদের জন্য বুঝ আর যুক্তিবাদিদের জন্য বিভ্রান্তি এই জন্য যে, যদি সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব স্বীকার করে নেয়া হয় তাহলে কোরানের বানীগুলো নিয়ে অনেক অভিযোগ করা যাচ্ছে তার কাছে। অন্তত পক্ষে আল্লাহর কথা এরকম হওয়া উচিত নয়। আপনি বিভ্রান্ত হবেন না কেন? বিভ্রান্তকারী তো স্বয়ং আল্লাহ নিজেই। দেখুন ২: ২৬ নম্বর আয়াতের আংশিকঃ —- ইহা দ্বারা অনেককেই তিনি বিভ্রান্ত করেন, —–। বস্তুত তিনি পথ-পরিত্যাগকারীগণ ব্যতীত আর কাহাকেও বিভ্রান্ত করেন না। মাবুদের (?) সমীপে বলছি, আমরা তো আপনার মর্মবানী শুনেই বিভ্রান্ত হয়ে আপনার তথাকথিত সরল পথ পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি। এখানে উল্লেখ্য যে, এই পথ-পরিত্যাগকারী বলতে সম্ভবত তৎকালীন সময়ের কাফিরদের বুঝানো হয়েছে। তারপরও কোরান তো কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য না, যার স্থায়ীত্ব কেয়ামত পর্যন্ত।
ঈমানদারদের জন্য পুরস্কার হিসেবে এমন একটি স্থানের ব্যবস্থা আল্লাহ করে রেখেছেন, যাকে কিনা বলা হয় জান্নাত। আল্লাহর পুরস্কার বলে কথা। কি থাকবে আল্লাহর এই জান্নাতে? প্রবাহমান নদী, ফলমুল আর পবিত্র সঙ্গিনী (২: ২৫)। এত পুরস্কার থাকতে এ ধরনের পুরস্কার কেন? তৎকালীন আরব মরুভূমিতে সুপাদেয় নদীর পানি, ফলমুল আবহাওয়া জনিত কারনেই দুস্প্রাপ্য ছিল। মুহাম্মদ প্রকান্তরে আল্লাহ হয়ত সে কথাটি মাথায় রেখেই কী রকম পুরস্কার দেয়া হবে তা নির্বাচন করেছেন। এই নদীর পানি, ফলমুল তৎকালীন আরববাসীদের কাছে লোভনীয় হলেও বর্তমান আরববাসী এবং অন্যান্য অঞ্চলের মানুষদের কাছে তেমন লোভনীয় নয়। সুতরাং বলা যায়, এটি আঞ্চলিকতার দোষে দুষ্ট। পুরুষ ঈমানদারদের জন্য তিনি সঙ্গিনীর ব্যবস্থা রাখলেও স্ত্রী ঈমানদারদের জন্য কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। লিঙ্গবৈষম্য স্বয়ং আল্লাহও করেন। স্ত্রী ঈমানদারদের জন্যও যদি নারী সঙ্গিনী রাখা হয় তাহলে ভিন্ন কথা। তাহলে আল্লাহ তো দেখি ল্যাসবিয়ান পদ্ধতিকে সমর্থন করেন। যা হোক, সভ্যতার ক্রমোন্নয়নে পুরস্কার হিসাবে, উপঢৌকন হিসাবে, উপহার হিসাবে আর নারী সঙ্গিনী প্রদান অনেক যুগ আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। শালীন পরিবেশে এসব কথা আর চিন্তাই করা যায় না। তাছাড়া একজন মানুষকে পুরস্কার-দ্রব্য হিসাবে ভাবতে আজকের মানুষ লজ্জাবোধ করে এবং এটি মানবতার চরম অবক্ষয়। সেখানে আল্লাহ কিভাবে এরকম কুরুচিপূর্ণ প্রলোভন দেখান?
২: ২৯ নম্বর আয়াতে যা বলা হয়েছে তা নিছক কল্পনা ছাড়া অন্য কিছু ভাবা যৌক্তিক দৃষ্টিকোন থেকে অসম্ভব। বলা হয়েছেঃ
তিনি পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন, তৎপর তিনি আকাশের দিকে মনোসংযোগ করেন এবং উহাকে সপ্তাকাশে বিন্যস্ত করেন; তিনি সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত।
সপ্তম আকাশের বাস্তবতা বিজ্ঞান মহলে কোন প্রকার গ্রহণ যোগ্যতা নেই। আকাশ নামের যে মহাশূণ্যতাকে আমরা দেখি তা মূলতঃ আমাদের দৃষ্টিসীমা। সে শূন্যতার আবার সাতটি স্তরকে বাস্তবতার নিরিখে বিচার নিতান্তই হাস্যকর।
সূরা বাকারার ৪ নম্বর রুকু অর্থাৎ ৩০ থেকে ৩৯ নম্বর আয়াত পর্যন্ত আদম সৃষ্টি করা, ইবলিশ কর্তৃক আদমকে সেজদা না করার কারণে শয়তানে পরিনত হওয়া এবং আদম ও হাওয়ার জান্নাত হতে পদস্খলন ইত্যাদি ব্যাপারে বলা হয়েছে। এব্যাপারে আরজ আলী মাতুববরের লেখা শয়তানের জবানবন্দিই উপযুক্ত প্রতিবেদন। এর বাইরে মুলতঃ আমার বেশি কিছু বলার নেই। তবে আল্লাহ আর আদম ইবলিশকে শয়তান বানানোর জন্য যে লুকুচুরিটা খেলেছেন তা দেখার মত।
২:৪৬ নম্বর আয়াতঃ তাহারাই বিনীত যাহারা বিশ্বাস করে যে, তাহাদের প্রতিপালকের সঙ্গে নিশ্চিতভাবে তাহাদের সাক্ষাতকার ঘটিবে এবং তাহারই দিকে তাহারা ফিরিয়া যাইবে।
আল্লাহ হচ্ছে নিরাকার সত্তা। কোন বস্তু দেখার জন্য অবশ্যই তার অস্তিত্ব থাকতে হবে আকার থাকতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই নিরাকার সত্তার সাথে সাক্ষাত করার উপায়টা কি? যার কোন আকারই নেই তার সাক্ষাতের ব্যাপারটি কিভাবে সম্ভব?
পাঠকদের সময়ের দিকে চিন্তা করে আজ এখানেই ইতি টানছি। সুযোগ পেলে এই লেখাটি ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
ভাই আপনি কোরআন এখনো ঠিক মত বুঝতে পারেননি।।।।
মনে করেন আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই তাই আপনি কোন এবাদত করলেন না, আর একজন লোক সৃষ্টিকর্তাকে মেনে এবাদত করলেন। তারপর দুজনি মারা গেলেন। যদি মৃত্যুর পরও আল্লাহ না থাকেন তাতে আপনারও কিছু হবে না আর যে এবাদত করলো তারো কিছু হবে না। কিন্তু যদি মৃত্যুর পর দেখেন আল্লাহ আছে, তাহলে যে এবাদত করলো সে তো সেরে গেল, কিন্তু আপনার কি হবে????
ঈমান অর্থ বিশ্বাস। আর বিশ্বাস মূলত দু প্রকার। অন্ধ বিশ্বাস ও প্রমানিত বিষয়ে বিশ্বাস। কিন্তু কোন বিশ্বাসের নাম ঈমান? অন্ধ বিশ্বাস অজ্ঞ লোকদের জন্য, যারা জান্নাতের লোভে লোভী এবং জাহান্নামের ভয়ে ভীত। কিন্তু জ্ঞানী মানুষ কখনোই চিলে কান নিয়েছে বলে চিলের পেছনে দৌড়াবে না। এজন্যই ধর্ম মতে, চিলে কান নিয়েছে বলেই দৌড়াতে হবে। এই বিশ্বাসের নাম ঈমান, যা মানা কষ্টকর।
চালিয়ে যান ভাই চালিয়ে যান।
ভাল লাগল পড়ে। লেখার নামটা “অসামঞ্জস্যতা” না দিয়ে বলতে পারতেন “আমার জিজ্ঞাসা” বা “আমার চিন্তা” এই ধরনের কিছু। যাইহোক এইটা তেমন কিছুনা। তবে প্রশ্নগুলো করার স্টাইলটা ভালই লেগেছে। মুক্তমনায় এসে আপনাদের লেখা পড়লে মনে হয় মোল্লাদের ‘আল্লাহ’ আসলেই বড় শংসয় আছে। তিনি বড্ডয়ই চিন্তা পড়ে গেছে, ভাবছে শালা কি এক বই (কোরান) পাঠাইছি –এই একবিংশে এসে কিসব মানুষ শুরু করল…বিশেষ করে এই মুক্তমনা জাতীয় মানুষগুলো…উহ…আমার ভাণ্ডা ফাটায় না ছাড়া পর্যন্ত এরা মনে হয় ঘুমাবেনা, খাবেওনা…
তবে আমার জানা মতে কোরানে কোন অসমাঞ্জস্যতা নেই। অনেকবার দেখেছি, কোথাও পাইনি। শুধু বুঝার ভুল, আর তথাকথিত আলেমদের থেকে এর ব্যাখ্যা জানার কারনে। আর আমরা যেই ব্যাখ্যা পড়ি সেই ব্যাখ্যা দেওয়া যায়ও না, কেননা ঐযে বলেছেনা যে মোত্তাকীদের জন্য- তাই । সাধারন, বিদ্যান, দাড়ি টুপি ওয়ালা এর অর্থ বের করতে অক্ষম। আপনাকে ছোট্ট একটা উদাহরন দেই, নবীর (সাঃ) এর সাহাবা হযরত ওমর (রাঃ), বকর, ওসমান (রাঃ) – এরাও এই কোরানের ব্যাখ্যা পুরোটা জানত না। বুঝত না। অবাক হয়েছেন? হলে হতে পারেন। আমিও হয়েছি। তবে ইহাই সত্য। একমাত্র আলী ও তার খান্দান ব্যতীত ইহা বুঝবে এমন কোন মাথা আজ পর্যন্ত সৃষ্টি জগতে আসেনি। এরাও খুব কম। এখনও এদের পাওয়া খুব কঠিন। বড়ো কঠিন একটা বই এই কোরান।
আপনাকে কিছু হিন্টস দেই- সমগ্র কোরানে এমন কোন বানী নাই যা মানুষকে ঘিরে বলেনি। মানুষ ব্যতীত কোরানে কিছুই নেই। এমনকি কোরান নিজেই বলছে “মানুষ” হইল আসল কোরান। এই মানুষকে ভজন কর, অনুকরন কর, অনুসরন কর। তাইত দেখেন লালন শাই বলছে- “সহজ মানুষ ভোজে দেখনারে মন দিব্য জ্ঞানে”।
আমি কোন ব্যখ্যা দিব না। তবে বলতে পারি আপনে কাজী নজরুল ইসলাম, লালনের গান, কবিতা পড়েন, ইহা হুবুহু কোরানের ব্যাখ্যা। কোরানের কথাই বাংলায় লেখা হয়েছে। আমিত শিওর ১০০%। এইবার আপনার চিন্তার পালা।
ধন্যবাদ
@Russell,
আমি যে নামটা ব্যবহার করেছি, পুরো লেখাটাই তার ব্যাখ্যা। আমি যেখানে যেখানে অসামঞ্জস্যতা পেয়েছি সেটাই তুলে ধরে অসামঞ্জস্যতার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছি, যদিও আমার চোখে আরো ধরা পড়েছে (আমার আলোচ্য সুরা ফাতিহা ও সুরা বাকারার ১ হতে ৪৬ নম্বর আয়াতের মধ্যে)। আপনাদের ভাষ্য থেকে, আমরা ইতিমধ্যে অনেকধরনের আল্লাহ পেয়ে গেছি। যেমন, মোল্লাদের আল্লাহ, সাহাবাদের আল্লাহ, মুহাম্মদের আল্লাহ, মাজহাবী আল্লাহ, সুন্নিদের আল্লাহ, শিয়াদের আল্লাহ ইত্যাদি আরো অনেক। যার প্রয়োজন মত আল্লাহ তৈরী করে নিচ্ছেন। এটা সম্ভব হয়েছে শুধু এই কারনে, আল্লাহ মানুষেরই সৃষ্টি। কোরানেরও অনেক প্রকারভেদ করার পর যার যার প্রয়োজনে ব্যাখ্যা করছে। আপনি কখনো মেনে নেবেন না যে, কোরান আমরা বুঝতে সক্ষম। কারণ আমাদের জিজ্ঞাসা আপনার পছন্দ হওয়ার নয়। ব্যাখ্যা নেই, যুক্তি নেই দাবী- কোরান বুঝতে অক্ষম। কেউ শুধু কোরানকে ডিফেন্ড করেন আবার কেউ হাদিসসহ কোরানকে। আবার কেউ কেউ কোরানের অর্থ বোঝার জন্য নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নিকট ধরনা দিতে বলছেন। এই লেখাটা লেখার পরে তিনধরনের আপত্তি পেলাম। (১) শুধু কোরান মতবাদ, (২) হাদিস ছাড়া কোরানকে বুঝতে অক্ষম ও (৩) কোরানের ব্যাখ্যা নির্দিষ্ট একটি খান্দান ছাড়া কারো পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। এরা সবাই মুসলমান। আপাতত এই তিন ধরনের মতবাদিদের মন যুগিয়ে লেখা কি সম্ভব? অন্তত সে কাজটা আমাদের না।
আপনি ব্যাখ্যা দিবেন না। আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আমিও আর কি ব্যাখ্যা দেব। তবে আপনার সার্টিফিকেট টি ভাল হয়েছে। আমার চিন্তা ও লেখা অব্যাহত থাকবে।
@বাদল চৌধুরী,
আমি আপনার লেখা নিয়ে কোন আপত্তি নেই, আপনে লেখুন, আরও লেখুন, প্রথমেই বলেছি আপনার লেখা ভাল লেগেছে।
কথাটা খারাপ না। “যত মাথা তত আল্লাহ”- এইটা একটা সূত্র। তাহলে বুঝুন আল্লাহ কি?
এইত ধরতে পারছেন। তাহলে কথা হল আপনে কোন ব্যাখ্যা নিবেন? যা আপনার কাছে সত্য মনে হবে, তাইনা? সত্যের মানদন্ড কি? কোনটা? অনেক কিছুই সত্য মনে হয়, আবার যেখানে যত মাথা তত ভগবান যদি হয়ে থাকে তাহলে কোনটা সত্য ধরবেন? শুধু এই কিছু আলেমদের, মোল্লাদের কোরানের ব্যাখ্যা পড়ে সেইটার পিছনে না লেগে থেকে আস সত্য কি সেটা জানতে চাওয়াটাই শ্রেয়। যদিও আপনারা সেইটা করবেন না, কেননা মোল্লারা যেমন জানতে নারাজ, তারা তাদের খুটি যেভাবে গেথে রেখে দাঁড়ায় আছে, আপনারাও তার বিপরীতে খুটি পেতে রেখেছেন। দুই দল দুই দলকে কাদা ছুড়েই যাচ্ছে। এদের ভিতর আপনাদের কথাই বেশি ভাল লাগে, এইটা সত্য।
একদম সত্য হাসা কথা ভাই। মানতে পারলাম না আসলেই।
না ভাই এইডা হাসা কথা না। জিজ্ঞাসা অপছন্দের কিছু নেই। ভাল লেগেছে ইহাত প্রথমেই বলেছি।
আমিত ভাইজান কোথাও কইনাই এই তিন জনের মন যুগিয়ে কথা বলেন, তাহলে আমি আপনাকে সব থেকে আগে হয়ত ফালতু লিখতাম।
আর হ্যা, আপনার পরবর্তি লেখার আশায় থাকলাম।
ভালথাকবেন,
ধন্যবাদ
@Russell,
এক আল্লাহর এই অবস্থা।
আপনি ভালই বলেছেন। একটি কোরানের এতগুলো ব্যাখ্যার মধ্যে কোনটা গ্রহণ করবেন। আবার বিকৃত কোরান তো আছেই। বুঝতে পারছি আপনি ভালই মুশিবতে আছেন। তবে আপনার জন্য ভালই হয়েছে, এত আল্লাহ, এত কোরান, এত ব্যাখ্যা যেখানে আছেই সেখানে যে কোন একটা দিয়ে ধরে আপনি বেরিয়ে যেতে পারবেন। আপনি মোল্লাদের ব্যাপারে খুবই নারাজ দেখছি। আমার লেখাটা আপনার নিজস্ব বিশ্বাসের কোরানকে নিশ্চয় আঘাত করেনি তা তো ঠিক। কিন্তু মাথাব্যাথা দেখে আপনাকে মোল্লাদের থেকে আলাদা করতে পারছি না। আর মোল্লাদের দোষ দিয়ে লাভ কি? মোল্লাদের প্রয়োজনে মোল্লারা ব্যাখ্যা করেছে আর আপনার প্রয়োজনে আপনিও একটি ব্যাখ্যা করেছেন। ব্যাখ্যার তো আর অভাব নেই। সেখানে সত্যের মানদন্ড নিয়ে প্রশ্ন আসবে না। প্রশ্ন আসবে কোরান সত্য বলে দাবী করা নিয়ে?
:-D। পোস্টে ঝাঝা!!! শুভ অভিষেক, অব্যহত রাখুন তোপ দাগানো।।
@আল্লাচালাইনা,
এই পোষ্ট দিয়ে আমার অভিষেক না। অতিথি লেখক হিসেবে আমার আরো দুইটি পোষ্ট মুক্তমনায় প্রকাশ হয়েছিল। তবে লেখালেখিতে নতুন বলতে পারেন। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
@ফারুক
গৃহবন্দির নয়, কবিতাটি সুকুমার রায়ের লেখা-
ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না, তোমায় আমি মারব না-
সত্যি বলছি কুস্তি ক’রে তোমার সঙ্গে পারব না।
মন্টা আমার বড্ড নরম, হাড়ে আমার রাগ্টি নেই,
তোমায় আমি চিবিয়ে খাব এমন আমার সাধ্যি নেই!
মাথায় আমার শিং দেখে ভাই ভয় পেয়েছ কতই না-
জানো না মোর মাথার ব্যারাম, কাউকে আমি গুঁতোই না?
এস এস গর্তে এস, বাস করে যাও চারটি দিন,
আদর ক’রে শিকেয় তুলে রাখব তোমায় রাত্রি দিন।
হাতে আমার মুগুর আছে তাই কি হেথায় থাক্বে না?
মুগুর আমার হাল্কা এমন মারলে তোমায় লাগবে না।
অভয় দিচ্ছি শুন্ছ না যে? ধরব নাকি ঠ্যাং দুটা?
বসলে তোমার মুন্ডু চেপে বুঝবে তখন কান্ডটা!
আমি আছি গিন্নি আছেন, আছে আমার নয় ছেলে-
সবাই মিলে কাম্ড়ে দেব মিথ্যে অমন ভয় পেলে।
যে দিন একটি বৃত্তরেখার বা গোলাকার পৃথিবীর শেষ প্রান্থ আবিষ্কার করা যাবে সেই দিন ফারুক সাহেবকে কনভিন্স করা যাবে, এর আগে নয়। তার সাথে বিজ্ঞান বা দর্শন বা ধর্ম, সব তর্কই সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।
@আকাশ মালিক,আপনি যে এত করিৎকর্মা জানা ছিল না। যাই হোক ধন্যবাদ।
একটু আগে গৃহবন্দির ব্লগে যেয়ে নিম্নের মন্তব্যটি পড়ে এখানে আসলাম জানাতে –
@মডারেটর,
এই ফারুক নামক উতপাৎটিকে কী ব্যান করা যায়? অসহ্য।
@নিদ্রালু, নেন , মন ভাল করুন।
(কপিরাইট গৃহবন্দি)
ব্যান চেয়ো না, ব্যান চেয়ো না, তোমায় আমি মারব না-
সত্যি বলছি কুস্তি ক’রে তোমার সঙ্গে পারব না।
মন্টা আমার বড্ড নরম, হাড়ে আমার রাগ্টি নেই,
তোমায় আমি চিবিয়ে খাব এমন আমার সাধ্যি নেই!
মাথায় আমার শিং দেখে ভাই বিরক্ত হয়েছ কতই না-
জানো না মোর মাথার ব্যারাম, কাউকে আমি গুঁতোই না?
এস এস গর্তে এস, বাস করে যাও চারটি দিন,
আদর ক’রে শিকেয় তুলে রাখব তোমায় রাত্রি দিন।
হাতে আমার মুগুর আছে তাই কি হেথায় থাক্বে না?
মুগুর আমার হাল্কা এমন মারলে তোমায় লাগবে না।
অভয় দিচ্ছি শুন্ছ না যে? ধরব নাকি ঠ্যাং দুটা?
বসলে তোমার মুন্ডু চেপে বুঝবে তখন কান্ডটা!
আমি আছি গিন্নি আছেন, আছে আমার নয় ছেলে-
সবাই মিলে কামড়ে দেব মিথ্যে অমন ব্যান চেলে।
@ফারুক ভাই, ছড়াটা কি আপনি লিখেছেন? ভালো হয়েছে। অন্তত মহাগ্রন্হের যে কোন আয়াতের থেকে ভাল হয়েছে। আই লাইকড ইট। (Y)
@হোরাস,আমার অত গুন থাকলে তো হইছিল!! আমি পারি শুধু কপি পেস্ট করতে ও সামান্য পরিবর্তন করতে। কবিতাটি আমার ব্লগের গৃহবন্দির লেখা , আমি সামান্য পরিবর্তন করেছি মাত্র।
অনেকদিন আগে মুক্তমনায় একটা কৌতুক মন্তব্য করেছিলাম। গত কয়েকদিন ধরে এই লেখাসহ অন্য একটা লেখায় কোরান-হাদিস, মোহাম্মদ নিয়ে অন্তহীন তর্ক-বিতর্ক দেখে সেটার কথা মনে পড়ে গেল। তাই, তুলে দিলাম এখানে আবারো পাঠকদের জন্য।
আচ্ছা, কোরান যে পুত-পবিত্র খাঁটি তা কীভাবে জানি আমরা?
মহান আল্লাহ তালা বলেছেন যে।
আল্লাহ বাবাজি যে মিথ্যে বলছেন না সেটা বুঝবো কি করে?
খুব সহজেই। শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) বলেছেন যে।
ওই মোহাম্মদ ব্যাটাই যে সত্যি কথা বলছে তারই বা নিশ্চয়তা কী?
ও মা! সেকি কথা? কোরান সাক্ষী দিয়েছে না যে মোহাম্মদ আল-আমিন। সত্য বই মিথ্যা বলেন না তিনি।
বাহ! বাহ! কোরানের সাক্ষ্যকেই বা কেন অন্ধের মত বিশ্বাস করতে হবে? কোরান যে খাঁটি, আল্লাহ-র কাছ থেকে এসেছে, তার গ্যারান্টিই বা কী শুনি?
কেন? জান না বুঝি? আল্লাহইতো বলেছেন যে কোরান সত্যি। তারপরেও এতো ত্যানা প্যাচাও ক্যান শুনি? খোদার উপরে খোদগারি? তোমাগো মতন মুক্তমনাগো নিয়া আর পারি না বাপু।
@ফরিদ আহমেদ, apnar
@ফরিদ আহমেদ,আপনার এই জোক পড়ে আমার মাথায় জোকের একটি প্লট গজিয়ে উঠল-
আচ্ছা , ধর্ম যে মিথ্যা এবং ক্ষতিকর মেকি একটা জিনিষ তা কীভাবে জানি আমরা?
মহান মুক্তমনা বলেছেন যে।
মুক্তমনা বাবাজি যে মিথ্যে বলছেন না সেটা বুঝবো কি করে?
খুব সহজেই। শ্রেষ্ঠ নাস্তিক রিচার্ড ডকিন্স বলেছেন যে।
ওই রিচার্ড ডকিন্স ব্যাটাই যে সত্যি কথা বলছে তারই বা নিশ্চয়তা কী?
ও মা! সেকি কথা? মুক্তমনার সকল যুক্তিবাদী সাক্ষী দিয়েছে না যে রিচার্ড ডকিন্স আল-আমিন। সত্য বই মিথ্যা বলেন না তিনি।
বাহ! বাহ! মুক্তমনার সকল যুক্তিবাদীর সাক্ষ্যকেই বা কেন অন্ধের মত বিশ্বাস করতে হবে? মহান মুক্তমনা দাবী করেছে বলেই ধর্ম মিথ্যা এবং ক্ষতিকর মেকি একটা জিনিষ , তার গ্যারান্টিই বা কী শুনি?
কেন? জান না বুঝি? মহান মুক্তমনাইতো বলেছেন যে ধর্ম মিথ্যা। তারপরেও এতো ত্যানা প্যাচাও ক্যান শুনি? মহান মুক্তমনার উপরে মুক্তমনাগিরি? একারনেই তো আমরা মুক্তমনার দাবীকে রিফিউট করতে দেই না। তোমাগো মতন ধার্মিকদের নিয়া আর পারি না বাপু।
@ফারুক,
রিচার্ড ডকিন্স স্বঘোষিত শ্রেষ্ঠ নাস্তিক কিন্তু তিনি স্বঘোষিত শ্রেষ্ঠ নবী নন। তাই তো তিনি আজগুবিতায় বিশ্বাস করার কথা না বলে বিজ্ঞানের কথা বলেন। তিনি স্বপ্নের দোহায় দিয়ে শিশু ধর্ষন করেননা। তিনি নিজের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অস্তিত্বহীন আল্লাহকে সৃষ্টি করে,তার দোহায় দিয়ে লুটতরাজ (গনীমতের মাল) করে জীবিকা নির্বাহ করেননা। তিনি মানবতার কথা বলেন,জীবন বিরোধী ধ্বংসাত্নক কথা বলেননা। ভালবাসার কথা বলেন ,পরোকালের লোভ দেখিয়ে লাম্পট্যে উৎসাহ দেননা।
@ফারুক,
মুক্তমনা আর ধর্ম এক নয়। তপাথ অনেক। এটা যুক্তিবাদিদের যৌথ কন্ঠস্বর হতে পারে মাত্র। আর ধর্ম একত্ববাদমুখী। আপনার মন্তব্যটি অনুকরণভিত্তিক হওয়ায় সবাই মনে করবেন আপনি যুক্তি এড়িয়ে যাচ্ছেন সস্তামী করে।
@ফারুক,
আগে একবার বলেছি, কোনো একটা ধর্ম হয় সত্য না হয় মিথ্যে, মাঝখানে আর কোনো রাস্তা খোলা নেই। আর ধর্মগুলো মিথ্যে ও আবর্জনা ছাড়া আর কিছুই না। আল্লা যদি পরম করুণাময় হত তবে মানুষকে দীর্ঘকাল পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত নিত না বা মানুষের উপাসনার লোভ করত না। আর কোরানে বার বার বলছেন তিনি প্রশংসনীয়, মনে হয় তিনি নিজেই সংশয়ে ছিলেন যে তিনি আদৌ প্রশংসা পাবার যোগ্য কিনা। আবার সে একখান কিতাব নাকি পাঠাইছে যেটা আবার বেশির ভাগ মানুষ নাকি আবার ভুল বুঝে (ইমান বাচাতে গিয়ে অনেকে বলেন)। আল্লার কল্লা যদি থাকত তবে সে বুঝতে পারত মানুষকে কোন ভাষায়, কিভাবে বললে সহজেই বুঝতে পারে। আর আল্লার এত করুণা মানুষের জন্য যে সে মানুষকে সুপথে আনতে কিতাব পাঠাচ্ছে। কিন্তু মানুষ এমনকি তার ঘোষিত পবিত্র তীর্থস্থান কাবায় গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মরলেও খবর নেই।
এখন আপনি যদি কোরানকে আল্লার বাণী বলে দাবি করেন তবে তা কে প্রমাণ করবে? এটা প্রমাণ করার দায়িত্ব কি আপনার না? আমি একটা বই হাতে নিয়ে বললাম এটা গোল্লা নামক এক সত্তার পাঠানো কিতাব যিনি মহাবিশ্বের পালনকর্তা, তবে সেটা কে প্রমাণ করবে? আমি কি এক্ষেত্রে পারব এটা বলতে যে আপনিই বরং প্রমাণ করেন, এটা গোল্লা আমার কাছে পাঠায় নাই?
ধর্মগুলো যে মিথ্যা, মানবতার সাথে সুদীর্ঘ কাল থেকে চলে আসা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু না তা বুঝতে হলে মহাপ্রতিভাধর হওয়ার দরকার নেই। শুধু কমন সেন্স থাকলেই চলবে।
আপনি কোরান যে আল্লার বাণি তার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণই দেন নাই। এবিষয়ে কথা বললে বিশ্বাসের কথা বলেন। আপনি যদি বিশ্বাস করার কথা বলেন, কোনো প্রমাণ না দেন তবে তালগাছের সবগুলো নিজের বগলে রেখে শান্তিতে না ঘুমিয়ে মুক্ত-মনায় এসে উৎপাত করছেন কেন?
যাচাই করার সুযোগ ও পরিবেশ পাওয়া সত্ত্বেও ধর্মে যারা বিশ্বাস করে তা প্রচার করতে চায় তাদেরকে বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী বলে আমার সন্দেহ হয়।
@ফারুক, :hahahee:
ফরিদ ভাই এর জোকে তেমন হাসি পায়নি, আপনার জোকে আরো বেশী পেয়েছে। তবে জোকের কারনে নয়, বাংলার ধার্মিক বৃন্দ কি পরিমান মুক্তমনা আতংকে ভোগেন তা আরেকবার মনে করে হাসি পেল।
অনেকের মতে বাংলার যাবতীয় নাস্তিক = মুক্তমনা। আপনিও যে একই দলের সে ব্যাপারে সংশয়মুক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। কিছুদিন পরে হয়ত শোনা যাবে যে মুক্তমনা ওয়েব সাইটের আগে মহা বিশ্বেই নাস্তিকতা বলে কিছু ছিল না। ডকিন্সের বই হল নাস্তিকতার কোরান বাইবেল।
@আদিল মাহমুদ, আমার জোকটাই মাঠে মারা গেল। আপনি কিনা খুজে পেলেন ধার্মিক বৃন্দের মুক্তমনা আতংক। :-O
দুটি জোকের মাঝে কি অপূর্ব যুক্তির মিল , সেটা আপনার চোখে পড়ল না? :hahahee:
@ফারুক,
মাঠে মারা কেন গেল? আমি তো হেসেছিই।
যুক্তির মিল আসলেই আশ্চর্য। মুক্তমনারা ধর্মের সমালোচনা করে কারন সদালাপ বা সোনার বাংলার রেফারেন্স তুলে কিংবা ফারুক সাহেব, রায়হান সাহেব, জিয়াউদ্দিন সাহেবের মত ধর্মপন্থী লেখকের কথা কোট করে? তারা ধর্মের ষ্ট্যান্ডার্ড হিসেবে জাকির নায়েক কিংবা হারুন ইয়াহিয়াকে ধরে বসে থাকে? ফরিদ ভাই এর লেখায় তো তাইই প্রকাশ পেয়েছে, তাই না?
তেমনি আপনিও নাস্তিক সমালোচনায় এক মুক্তমনা আর ডকিন্স নিয়ে লেগেছেন। আমারই ভুল হয়েছে, দুই পক্ষেরই যুক্তির অদ্ভূত মিল।
আপনার জোকের প্রকৃত মর্মার্থ অনুধাবন করে এখন হাসিটা দিলাম :hahahee:
@ফারুক,
রিচার্ড ডকিন্সকে নাস্তিকদের নবী বানিয়ে দিলেন? নাস্তিকতার পথ চলা বুঝি ডকিন্সের পথ ধরে শুরু হয়েছে? ডকিন্সের আগমনের পূর্বে আগে সবাই বুঝি আপনার মত ধার্মিক ছিল? জীবন চলার পথে একজন পথ প্রদর্শক লাগবেই, আপনার এরকম মনে হয় কেন?
“মুক্তমনার উপর মুক্তমনাগিরি”?
মুক্তমনাগিরি করছে কারা? আপনারা?
যদি এটা বুঝিয়ে থাকেন, তবে তো মনে হয়, আপনি আসলেই বড় মাপের নাস্তিক।
@ফারুক,
রিচার্ড ডকিন্স শ্রেষ্ঠ নাস্তিক কিনা এ ব্যাপারে কোন র্যাংকিং হয়েছে বলে জানি না। নাস্তিকতা নবীহীন মতবাদ।
রিচার্ড ডকিন্স’এর কথা/মতামতকে যারা গ্রহন করেন তা যুক্তির কারণেই করেন। ডকিন্স বলেছেন তাই সত্যি হতে হবে এমন কোন কট্টর সিদ্ধান্ত কেউ দেয় নি। কোন একজনকে শ্রেষ্ঠ মানব মনে করে তার সবকিছুকে যুক্তির উর্ধ্বে বিবেচনা করা ধর্মের/ধার্মিকের কাজ। আর ধার্মিকেরা সব সময় নাস্তিকতাকে তাদের লেভেলে নিয়ে আসতে চায়। সেজন্য ডকিন্সকে বলে নাস্তিকতার নবী।
প্রাচীন গ্রীসে প্রথমে সংশয়বাদের ধারণা আসে। তার ধারাবাহিকতায় অজ্ঞেয়বাদ, নাস্তিকতা ইত্যাদি আসে। পার্থক্যটা এখানে যে, মধ্যযুগে কেউ ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে নির্বিচারে হত্যা করা হত। কিন্তু ডকিন্স কিছুটা আধুনিক যুগের মানুষ বলে এখনও বেঁচে বর্তে আছেন। আর কিছুটা ধর্মীয় কট্টরতার দেশের মানুষ বলে হুমায়ুন আজাদকে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতে হয়। কিন্তু নাস্তিক/সংশয়বাদী/অজ্ঞেয়বাদী সবসময় ছিল। এমনকি সৌদি আরবেও যুবকদের একটি ক্ষুদ্র নাস্তিক অংশ আছে বলে ইন্টারনেটে জেনেছি। কিন্তু নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না থাকায় বা মুক্তভাবে মতামতের অধিকার না থাকায় তারা প্রকাশ্যে নিজেদের ধারণা ব্যক্ত করতে পারেছেন না।
@ফারুক, ফারুকের ভুতখেদানী জোক যদি শব্দতরঙ্গ রুপে সম্প্রচারিত হতে পারতো কোন মতে, আমি নিশ্চিত সেটা শুনে আশেপাশের জলার কোন কচ্ছপ উলটা গড়ানী দিয়া আত্নহত্যা করতো, হতাশায়! 😀
মুছলমনদের সেন্স অফ হিউমার (যেটির উপস্থিতি কিনা কমনসেন্সের উপস্থিতির সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত বলে দাবী করা হয়) কম থাকে জানতাম কেননা মুছলমনদের অন্যান্য আরও বহু সেন্সই কম থাকে; কিন্তু এতোটা শোচণীয় শোচণীয় ভাবে যে কম থাকে জানতাম না।
আমার মতে ফারুক তার বোগদাদী দৃষ্টি দিয়ে কোরান পড়লে এইরকম একটি আয়াতের সন্ধান পাবে যে- ‘হে রাসুল আপনি বিশ্ববাসীকে এই শোচণীয় শোচণীয় দুঃসংবাদ পৌছে দিন যে- ভবিষ্যতে একসময় আল্লা যখন কিনা হেজিটেশনে পড়ে যাবেন যে এই মুহুর্তেই কেয়ামত সংগঠিত করবেন নাকি আরও কয়েক মিলিয়ন বছর পরে করবেন, সেই সময় হযরত ফারুক রহমতুল্ললা নামক একটা হ্যাব্বী বুজুর্গ ব্যক্তি মুক্তমনা ওয়েবসাইটে এমন এক জোক মারবে যেই জোক কোন গর্ভবতী মহিলা শুনে থাকলে শোকাঘাতে তার স্পন্টেনিয়াস মিসক্যারেইজ হয়ে যাবে!” গ :lotpot: :lotpot:
আসলে কোরান পড়লে বুঝা যায় তাতে কত নাটকে ভরা । বাদল ভাই আপনাকে কী দিয়ে যে ধন্যবাদ জানাব তা বুঝতে পারছি না। :guru:
@শাহীন,
আলহামদুলিল্লাহ (?)
নবীর সাথে দেখাটা হলো কি করে? আল্লা কি নিজের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য নবীর সামনে পুরুষ অথবা নারীর রূপ ধারণ করেছিলেন? আমরা এই নাটকের দ্বিতীয় পর্বে প্রবেশ করতে চাই।
আর মুরতাদদের এসব কথাবার্তা শুনে যদি দোজখে যেতে হয় আপত্তি নেই।
প্রথম কারণঃ কিছুটা রুচি আছে বলেই ভাল কোন কাজ করে উপহার হিসাবে “হুরপরী” নে’য়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
দ্বিতীয় কারণঃ ( এটি শুনেছি পথে-ঘাটে) দোজখে গেল সব শিল্পী, সাহিত্যিক, অভিনেতা, নৃত্য-শিল্পী, ও বিজ্ঞানী।
আল্লা একদিন তার ফেরসতাকে বললেন, ” চল আজ দোজখ আর বেহেস্তটা ঘুরে আসি।”
ফেরসতা আল্লাকে প্রথম দোজখ দেখাতে নিয়ে গেল। আল্লা দেখল, চারদিকে ফুলের বাগান, সেখানে নাচ-গান চলছে, চারদিকে উৎসব।
আল্লা আনন্দে আপ্লুত হয়ে বললেন, ” আঃ আমার মুমিন বান্দাদের সুখ দেখে আমি যারপরনাই খুশি।
ফেরেসতা বললো, ” প্রভু, ক্ষমা করো, এটা বেহেস্ত নয়, দোজখ।”
আল্লা বললেন, ” তা কি করে সম্ভব?”
ফেরেস্তা আমতা আমতা করে বললো, “এখানে আগত বিজ্ঞানী আর প্রকৌশলীরা মিলে তাপমাত্রার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। যেখানে অতি উ্তপ্ত আগুন অথবা হিমশীতল বরফ থাকবার কথা, সেখানে দখিনা সমিরণ প্রবাহিত হচ্ছে। আর অনুকূল পরিবেশের কারণে চারদিকে নাচ, গান আর পালার উৎসব চলছে।
আল্লা রাগত স্বরে বললেন, ” চল, বেহেস্তে।”
তথাস্তু!
ফেরেস্তা আল্লাকে নিয়ে এলো বেহেস্তের সামনে। আল্লা চারদিক তাকিয়ে দেখলেন, পানের পিচকিরি, নোংরা, মুমিনরা যত্রতত্র হুরপরীদের সাথে ইয়ে করছে।
আল্লা ফেরেস্তার দিকে আর ফেরেস্তা আল্লার দিকে তাকিয়ে রইলো।
তাই আগেবাগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি, দোজখে যাব।
ধার্মিক ভাইদের কাছে অনু্রোধ, আপনারা আপনাদের ধর্ম পালন করুন আর আমাদেরকে বিরোধীতা করতে দিন (কেননা এটা আমাদের ধর্ম)। তা না করে আপনারা যেভাবে একহাতে দোররা আর এক হাতে পাথর নিয়ে এগিয়ে আসছেন, তাতে আমাদের দোজখে যাবার পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
@স্বপন মাঝি,
ভালই বলেছেন। মানুষের কর্মের সাধীনতা সেই পর্যন্ত থাকলে তাই ঘটার কথা। মজা লাগল।
@স্বপন মাঝি,
ঠিক বলেছেন, আমরা দোজখে যেতে চাই, নোংরা বেহেশতে গিয়ে আমাদের কাজ নেই। আল্লাহর দোযখ, বেহেশত পরিদর্শন ব্যাপারটিতে বেশ বিনোদন পাওয়া গেলো।
@স্বপন মাঝি,
:lotpot: :lotpot:
বেহেস্ত পরিদর্শনে গিয়ে আল্লাহ আরো কছু ব্যাপার দেখতে পারেন যেমন বেহেস্তবাসীরা সবাই যৌনরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে, এবং বেহেস্ত জারজ সন্তানে ভরে গিয়েছে শান্তির ধর্ম ইসলামে যাদের কোন স্থান নেই।
দোযখে গিয়ে আল্লাহ আরো কিছু জিনিস দেখতে পারেন যেমন রবীন্দ্রনাথ কবিতা লিখছেন,শেক্সপিয়র নাটক লিখছেন, মাইকেল জ্যাকসন , লতা মঙ্গেশকর প্রমূখ শল্পীরা গান করছেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কুল প্রতিষ্ঠা করছেন ইত্যাদি।
@তামান্না ঝুমু,
কেউই জারজ নয়। এটি নারীকে অসম্মান করার জন্য ব্যবহার করা হয় বলে আমার মনে হয়।
@তামান্না ঝুমু, স্কুল প্রতিষ্ঠা সেখানে। হাসালেন।
@তামান্না ঝুমু,
বেহেস্তের হুরেরা গর্ভধারণমুক্ত। এছাড়া তারা পার্থিব নারীদের অনেক জৈব বিষয় থেকেও মুক্ত, যা তাদেরকে অসুস্থ সম্ভোগকামী ঈমানদারদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে। বিখ্যাত মুসলমান স্কলার মুহাম্মদ আল-মুনাজিদ এর ব্যাখ্যা পড়ুন। সূত্রঃ ধর্মকারী (www.dhormockery.com)
Muhammad Al-Munajid: Allah said that the black-eyed virgins are beautiful white young women, with black pupils and very white retinas, whose skin is so delicate and bright that it causes confusion. Allah said that they are like hidden pearls. They have wide eyes, and they have not been touched by man or jinn. They are virgins, who yearn for their husbands. They are all the same age, morally and physically beautiful. They are like precious gems and pearls in their splendor, their clarity, their purity, and their whiteness. They are like hidden pearls as pure as a pearl within a shell, untouched by man. Each one of them is so beautiful that you can see the bone-marrow through the delicate flesh on their legs.
Such brilliant beauty does not exist in this world. Where can you find such beauty? Whereas the women of this world may suffer, for days and nights, from menstruation, from blood for 40 days after childbirth, from vaginal bleeding and from diseases the women of Paradise are pure, unblemished, menstruation-free, free of feces, urine, phlegm, children… Moreover, Allah cleaned them of all impure and foul things, both in appearance and character. In character, they are not jealous, hateful, or angry. They are not greedy.
They are restricted to tents, locked up for the husband. There is no such thing as going out. When he comes home they are there. There is no such thing in Paradise as a man coming home and not finding his wife there. Allah described them as women who lower their gaze, and never look at anybody but their husband.
নিরপেক্ষভাবে কোরান পড়লে সহজেই প্রতীয়মান হয় যে, মুহাম্মদই আসলে আল্লাহ ছিলেন। ১) সেই জন্যই কোরানে একজন মানুষের চিন্তা-চেতনা-উদ্দেশ্যই প্রতিফলিত হয়েছে। তাই কোরানে ভুল-ভ্রান্তি-জটিলতা থাকা স্বাভাবিক, ২) আল্লাহ নামে কোন ব্যক্তি কখনই ছিল না।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
সম্পুর্নরূপে একমত।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
উনি আসলে যদি কোনো ব্যাক্তি হতেন তবে তো ভালই হত। জাদুঘরে সাজিয়ে রাখা যেত।
কোরান একটু মন দিয়ে পড়লে বুঝবেন সব মানবীয় আবেগ, হুমকি-ধামকি ইত্যাদিতে ভরা। একজন আল্লা আবার এত আবেগ প্রবণ হবেন কেন?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
ঠিক। কোরান এর সর্বশ্রেষ্ট প্রমাণ। মানুষ আল্লাহ বানিয়েছে ঠিক তার মত করে। কোরান সাক্ষী দেয়, আল্লাহর হাত, পা, কান, মুখ, চোখ, দিল-কলিজা, হাসি-খুশি, রাগ-গোস্বা, মান অভিমান, আবেগ-অনুভুতি সবই আছে। মানুষ ষঢ়যন্ত্র করলে আল্লাহও ষঢ়যন্ত্র করেন (মুহাম্মদের মক্কা থেকে মদীনা পালিয়ে যাবার রাত্রে) মানুষ তীর মারলে আল্লাহও তীর মারেন (বদরের যুদ্ধে) মানুষ (মুহাম্মদকে নিয়ে) হাসাহাসি করলে আল্লাহও মানুষকে নিয়ে হাসাহাসি করেন। কোরান যেভাবে সৃষ্টিতত্ত্ব বর্ণনা করেছে তাতে আমরা আল্লাহকে শুধু মানুষ নয়, এক বেয়াক্কেল বেয়াড়া হিসেবেই পাই।
আল্লাহ জ্বীন ও মানুষ দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করবেন একথার মা’নে কী? ওরে নিষ্ঠুর, ওরে বেয়াক্কেল, যাকে আগুনে পুড়িয়ে মারবে তাকে সৃষ্টি করলি কেন? মানুষ সৃষ্টির আগে দোজখ বানালে কার বুদ্ধ্বিতে? মানুষের মধ্যে এমন বেয়াক্কেল বাবা কি আছে, সন্তান জন্ম দেয়ার আগে ছুরিতে শান দিয়ে রাখে ছেলেকে জবাই করার জন্যে?
শত শত হাদিস আছে বেহেস্ত ও দোজখের বর্ণনায়, তন্মদ্ধে হজরত আবু হোরায়রা বর্ণীত একটি যেমন- The Messenger of Allah (saw) said, “When Allah (swt) created Paradise and Hell, He sent Jibreel to Paradise, saying “Go and look at it and at what I have prepared therein for its inhabitants”. So he went and looked at it and at what Allah had prepared therein for its inhabitants…. then He sent him to Hellfire saying, “Go and look at it and what I have prepared therein for its inhabitants” So he looked at it and saw that it was in layers, one above the other….”
মুহাম্মদ হাজারবার দাবী করেছেন তিনি সচক্ষে জান্নাত আর জাহান্নাম দেখেছেন- Aishah (ra) said that there was a solar eclipse in the time of the Messenger (saw) and he said, “Whilst I was standing here I saw everything that you have been promised, I even saw myself picking some of the fruits of Paradise, when you saw me stepping forward. And I saw Hellfire, parts of it consuming other parts, when you saw me stepping backward”.
al-Bukhaari and Muslim report from Ibn ‘Abbas the same incident, “I saw Paradise and I tried to take a bunch of its fruit. If I had managed to do so, you would have eaten from it until the end of time. And I saw the Fire of Hell, and I have never seen anything so horrific or terrifying. I saw that the majority of its inhabitants are women.”
কোরানেও আছে সিদরাতুল মুনতাহা নামের সেই বিরাট গাছের কথা যা মুহাম্মদ বেহেস্তের কাছে দন্ডয়মান দেখেছেন। হায়রে মুহাম্মদী নাটক!
@ বাদল চৌধুরী
আপনার লেখাটা পড়লাম। বুঝলাম আপনি অনেক জানেন, আবার এও জানলাম আপনি সব জানেন না। আমাদের মদ্ধে বরতমানে যারা কথিত মুসলমান তাদের পুরপুরি ইমান আনার জন্য কেবল আল-কুরান পাঠ করে কিছুই করা সম্ভব নয়। যা আপনি করার চেষ্টা করেছেন, যার ফলাফল আপনার এই লেখা। আপনার উচিত আল-কুরান এবং আল-হাদিস (সহি হাদিস) একসাথে পাঠ করা এবং গভির ভাবে পরজবেক্ষন করা। আসা করি প্রবরতিতে ইসলাম সম্পরকে পরিপুরন জ্ঞ্যানারজন না করে আর কন পোস্ট করবেন না।
@নাজমুল,
ভাইজান, বাদল চৌধুরী তো অন্তত কোরান পড়ে মন্তব্য করেছেন, আপনার লেখা দেখে মনে হয় আপনি তাও পড়েন নি অন্তত নিজের মাতৃভাষায়।অথচ কঠিন মন্তব্য করে ফেললেন। আপনাদের সমস্যা এখানেই। কিছু জানবেন না , কিছু জানার চেষ্টা করবেন না, জানতে বললে বলবেন জানার দরকার নেই অথচ কঠিন বিশ্বাস যা আপনাদের অন্তরকে সীল গালা করে দিয়েছে। আর একটা কথা শোনেন ভাইজান, হাদিস সহকারে পড়লে কোরান যে আসলে কি জিনিস সেটা আরও বেশী করে প্রকাশ পায়। যে কারনেই বর্তমানে একদল কোরান ওনলি মতবাদী বের হয়েছে যারা হাদিস মানে না । কেন জানেন ? কারন হাদিসে এত বেশী স্ববিরোধী ও আজগুবি কথা বার্তা আছে যা পড়লে বোঝাই যায় যে মোহাম্মদ কেমন ব্যাক্তি ছিলেন। যে কারনে কোরান আরও বেশী পরিত্যজ্য ও বাতিল হয়ে যায়। তো ভাইজান, আপনি কোরান হাদিস পড়ে আসেন আর এর পরে মন্তব্য করলে খুশী হবো। পারলে লেখকের বক্তব্যকে খন্ডন করবেন যুক্তি দিয়ে, তাহলে ভাল লাগবে। আপনাদের অন্ধ বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসা অতি আবেগের কথা শুনতে আর ভাল লাগে না।
@ভবঘুরে,
স্ববিরোধী ও আজগুবি নয়, হাদিসই আসল ইসলাম। কেন? একটু ব্যাখ্যা করি-কোরান হলো নাটকের পান্ডুলিপি, তা’ও ৭৫ভাগ অন্যান্য বই থেকে নকল করা। কোরানে যত কথা অকারণে বারবার রিপিট করা হয়েছে, আর অন্যান্য বই থেকে নকল করা বাক্যগুলো বাদ দিয়ে দিলে সম্পূর্ণ কোরান ৩০ সুরার বদলে এক সুরায় লিখা যাবে। সুরা আর-রাহমানে ‘ফাবি আয়্যি আলা-ই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান’ কতবার বলা হয়েছে দেখেছেন? মুহাম্মদ তার পারিবারিক ঝগড়া-ঝাটি আর ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে যে সকল আয়াত কোরানে যে ভাবে লিখেছেন, সেখান থেকে আসল ঘটনা উদ্ধার করা কঠিন। খুব চালাকি করে তিনি ঘটনার স্থান, সময় ও অনেক ক্ষেত্রে মানুষের নাম উল্লেখ করেন নি। সুরা তাহরিমে মুহাম্মদ আছেন ম্যারিয়া নাই, সুরা নুরে মুহাম্মদ আছেন আয়েশা নাই, সুরা ইউসুফে ইউসুফ আছেন জুলেখা নাই, সুরা আহজাবে যায়েদ আছেন জয়নব নাই। এখন হাদিস ছাড়া আমরা কী ভাবে বুঝবো সুরা তাহরিমে বর্ণীত ঘটনায় মুহাম্মদ হাফসার ঘরে জয়নবের মধু খেয়েছিলেন, না ম্যারিয়ার দুধু খেয়েছিলেন?
কোরান মুহাম্মদের জীবন-নাটকের পান্ডুলিপি, আর ক্যামেরায় ধারনকৃত পূর্ন দৈর্ঘ চিত্র-নাট্যের নাম হাদিস।
@আকাশ মালিক,
সহমত। এতদিন ইসলাম নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে আমার অভিজ্ঞতা হল—হাদিস ছাড়া ইসলাম অচল। হাদিস বাদ দিলে ইসলাম বাদ দিতে হয়।
কিছু আজগুবী হাদিস বাদ দিলে বলা যায় হাদিস হচ্ছে ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই ব্যাপারে ইসলামী পণ্ডিত যথা হাশিম কামালীও বলেছেন–হাদিস ছাড়া ইসলাম হয় না। হাশিম কামালী হচ্ছেন ইসলামি আইনের অধ্যাপক এবং The Principles of Islamic Jurisprudence-এর রচয়িতা। এই বইকে বিশ্বব্যাপি ইসলামি আইনের উপর সবচাইতে সম্মানিত গ্রন্থ হিসাবে ধরা হয়। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যেখানেই ইসলাম পড়ান হয় সেখানে এই বইকে অবশ্য পাঠয্য করা হয়।
@আকাশ মালিক,
কোরান যদি যার যার মাতৃভাষায় মুসলমানরা পড়ত আমার ধারনা অনেকেই পড়ার পর পরই এর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে ফেলত। আমার জীবনে এত বিরক্তিকর বই আর আমি পড়িনি। অথচ সেই কোরানের সুর করা তেলোয়াত কিন্তু শুনতে মোটেই খারাপ লাগে না। কারন ওই যে , আরবী ভাষা বুঝি নাো এখন কোরান তেলাওয়াতের নামে আরবী ভাষায় গালি দিচ্ছে নাকি প্রশংসা করছে তা তো আর বোঝার উপায় নেই। কোরান অনুসরন করে আরবী ভাষী আরবরা যে মোটেও সভ্য হয়নি তার প্রমান তো এখন সারা দুনিয়ার মানুষ টের পাচ্ছে, লুকোছাপার কোন ব্যপার নেই। কোরান হাদিস অনুসরন করে আসলে সভ্য যে হওয়া যায় না এখন আরব দেশ গুলোর মানুষগুলো সারা দুনিয়ার সামনে সেটাই প্রকাশ্যে প্রমান করছে। ধন্যবাদ আরব দেশগুলোকে , সত্য প্রকাশের জন্য।
@ভবঘুরে,
কোরানকে সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ ও বিজ্ঞান বলা হয়। এবং বলা হয় তা আল্লার বাণী। আল্লাহ, মোহাম্মদ ও মুসলিমদের দাবি অনুযায়ী কোরানকে যদি আল্লার রচিত ধরে নেয়া হয় তাহলে মোহাম্মদ কীভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হলেন? কোরান যদি তিনি না লিখে থাকেন তাহলে এখানে তার কৃতিত্বটা কোথায়? আরেক জনের লিখিত বইয়ের কথা মানুষকে বলে বেড়ানোর কাজটিতো যেকেউ করতে পারে। আমরা যেকোন বইয়ে লেখকের নাম দেখতে পাই, অবশ্য যদি লেখক তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হন সে অন্য কথা। ধর্মগ্রন্থগুলোর লেখকেরা (যারা নিজেকে সৃষ্টিকর্তা বলে দাবি করেছেন) তারা তো তাদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নন। তাহলে গ্রন্থগুলোতে লেখকদের নাম লেখা নেই কেন? যেমন কোরান-লিখেছেন আল্লাহ, বাইবেল-লিখেছেন জিহোবা ইত্যাদি।
@তামান্না ঝুমু,
১৪০০ বছর আগে সভ্যতার আলো বর্জিত কিছু আরবদের কে বোকা বানিয়ে নিজেই একটা বই রচনা করে মোহাম্মদ দাবী করলেন তা আল্লাহর কাছ থেকে প্রাপ্ত্। এর চাইতে হাস্যকর কিছু হতে পারে ? আর সে কোরানের ওহি মোহাম্মদের কাছে আসার প্রক্রিয়াটা কি ? ঘন্টাধ্বনির মত, স্বপ্ন ইত্যাদি।অনেকটা আজকের দিনের স্বপ্নে পাওয়া ওষুধের মত। কোরান সত্য হলে আজকের স্বপ্নে পাওয়া ওষুধ গুলোও সব সত্য। যত সব আজগুবি কথা বার্তা। শোনেন, সাচ্চা মুসলমানদের বড় যুক্তিটা কি জানেন ? বলে- মোহাম্মদ যে আল্লা প্রেরিত নবী তার প্রমান হলো কোরানে তার কথা লেখা আছে। আমি অনেক শিক্ষিত মানুষের কাছেও এধরনের অদ্ভুত যুক্তি শুনেছি। কিন্তু কোরানে বিশ্বাস করার আগেই যে মোহাম্মদ আল্লাহর নবী এটা প্রমান করতে হবে এটা তাদের মাথাতে একেবারেই আসে না। এটা যে একটা লজিক্যাল ফ্যালাসি এটা তাদের মাথাতে আসে না। এমন ভাবেই তাদের মাথায় সীল মারা হয়েছে। এ হলো আমাদের শিক্ষিত মুসলমান ভাইদের যুক্তি।
@ভবঘুরে,
আচ্ছা এখন এমন বই কেউ লিখে কেন বলেনা যে এইটা সে গায়েবী ভাবে পেয়েছে, তাহলে তো ভালোই হত,একটু ভাবুন তো :-s
@নাজমুল,
কোরান নিয়ে সন্দেহ করলেই ধার্মিকদের প্রায়ই বলতে শোনা যায়,
১) আপনি মনে বিশ্বাস নিয়ে কোরান পড়ুন, তখন দেখবেন আর কোন অসামঞ্জস্যতা নেই।
২) ইসলাম (বা কোরান) সম্পর্কে ভালভাবে না জেনে মন্তব্য করতে আসবেন না।
৩) আপনি যা জেনেছেন তার বাইরেও অনেক কিছু আছে।
৪) এই বিষয়ে অমুক লেখকের তমুক বইটি পড়ুন।
ইত্যাদি আরও নানা অজুহাত। আপনার কথাগুলো কি এগুলোর কোন একটি বা একাধিকের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে না? এর উত্তরে বলতে পারি,
১) বিশ্বাস মানে যুক্তিহীন, প্রশ্নহীনভাবে মেনে নেওয়া বা আত্মসমর্পণ। মানুষের স্বাভাবিক অধিকারকে খর্ব করে বিশ্বাস।
২) ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করলেই তা ভালোভাবে না জানা; আর প্রশ্নহীন এমনকি ইসলামী জ্ঞানহীনভাবেও কোরানের আত্মসমর্পণকারীকে এ কথা শুনতে হয় না।
৩) এধরণের কথা আসলে প্রশ্নকারীর জ্ঞানকে খাট করে পার পাওয়ার উদ্দেশ্যে বলা। জানার বাইরে কিছু আছে শুধু এতাই বলা হয়, কিন্তু সেটা কি তা কিন্তু ধার্মিকেরা নিজেরাও বলতে পারে না।
৪) ধর্ম বিষয়ক বই যুক্তিমনষ্কতা নিয়ে পড়লে কোন উত্তরই পাওয়া যায় না। বরং অযৌক্তিকতার আড়ম্বর দেখা যায়।
আপনার যদি মনে হয়, লেখক ভুল বা অসম্পূর্ণ কিছু বলেছেন, তাহলে যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করুন। কোরান বা হাদিসে আরও যেসব সত্য জানার বাকি আছে, তা সূত্রসহ উল্লেখ করে লেখককে এবং অন্যদেরকে সাহায্য করুন। শুধুমাত্র “না জেনে পোস্ট করবেন না” টাইপের ভয় দেখানো কথা বললে তা তো যুক্তি হয় না।
@তুহিন তালুকদার,
এটা যে একটা লজিক্যাল ফ্যালাসি তা তাদের মাথাতেই আসে না। আমি যদি আগেই বিশ্বাস করে বসে থাকি যে কোরান আল্লাহর কিতাব তাহলে বাকি যুক্তি অর্থহীন। কিন্তু বিষয়টা হবে ভিন্ন। তা হলো – কোরান বিশ্লেষণ করে যদি দেখা যায় যে তার মধ্যে কোন ভুল নেই, নেই কোন স্ববিরোধীতা বা বৈজ্ঞানিক ভুল ভ্রান্তি তাহলেই একমাত্র বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারন থাকবে তা আল্লাহর কিতাব। অথচ ইসলামি পন্ডিতদের প্রথম কথাই হলো- বিশ্বাস স্থাপন করে কোরান পড়তে হবে। কি অদ্ভুত ও ভিত্তিহীন যুক্তি!
@নাজমুল,
হ্যাঁ, অবশ্যই ঠিক। আমরা সবাই সব কিছু জানি না। এজন্যই সক্রেটিস বলেছিলেন, কেউ পরিপুর্ন জ্ঞানী হতে পারে না, সম্ভব বিশেষভাবে জ্ঞানী হওয়া। কিন্তু দেখি, কেউ কেউ দাবী করেন সব জান্তা। এমন কি অতিত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সবকিছু। নিয়শ্চয়তা দেয়া হয়, এতে কোন ভূল বা সন্দেহ নেই। সমস্যাটা দাঁড়ায় তখন। আপনি এই ব্লগেই দেখবেন অনেকেই আছেন শুধুমাত্র কোরানের উপরই ডিফেন্ড করেন এবং এর বাইরে সবকিছুকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখেন। আবার অনেকই আছেন আপনার মত কোরান এবং হাদিস (সহি ?) এর সমন্বয়ে ইসলামকে অনুভব করেন। আবার অনেকেই আছেন এসব কিছুকে অবশ্যই ডিফেন্ড করতে হবে এরকম মনে করেন না, সঙ্গতিপূর্ণ এবং যুক্তি নির্ভর যে কোন মতবাদকে গ্রহণ করতে সদা প্রস্তুত। সুতরাং ব্যক্তির বিভিন্ন মতালম্বি হওয়ার অধিকার আছে। আমি যতই পর্যবেক্ষণ করে লিখিনা কেন, তবুও আপনার মনে হবে আমি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছি। তা না হলে আমি এরকম করে বুঝলাম কেন। আপনি সব চেয়ে খুশি হতেন যদি আমার বিশেণষণ আপনার বিশ্লেষনের সাথে মিলে যেত।
এরকম আশা করাটা কি যুত্তিুসঙ্গগত? এখানে একটা জিহাদী গন্ধ পাচ্ছি। অবশ্যই এটা আপনি একা করেন না। সুরা তওবা ৫নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে মুশরিকদের হত্যা করতে। আপনার সংযমতাকে ধন্যবাদ আপনি এরকম কিছু বলেননি। যদি আমি আপনার কথা মানি (?) তারপরেও আপনি মনে করবেন আমি ইসলামের পরিপূর্ণ জ্ঞানার্জন করতে পারিনি। কারণ, এখনো পর্যন্ত ইসলামের উপর অনেক কিতাব বের হচ্ছে। আপনি একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন প্রতিনিয়ত হাদিসের নতুন নতুন ব্যাখ্যা বের হচ্ছে। বের হচ্ছে কোরানের নতুন নতুন অনুবাদ, তাফসির। ইসলামী চিন্তাবিদগণ কেউ কারোরটার সাথে একমত হতে পারছেন না। মাজহাবগুলোর অবস্থা দেখলেই কিছুটা বুঝতে পারার কথা। আর আপনি এবং আমি। আমরা একমত নাও তো হতে পারি।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
@নাজমুল,
আপনি বলছেন এই কথা, অন্যদিকে ফারুক সাহেব মনে করেন কোরান ছাড়া আর কোন বই সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য না। কোরান-অনলি মতবাদের হার্ডকোর অনুসারীরা তো হাদিস শুনলেই নাক কুচকাবে, http://19.org/ এ গিয়ে এই প্রজাতির মুসলমান দেখতে পাবেন। বুখারী আর মুসলিমকে সবাই সহী হাদিস গ্রন্থ বলে, অথচ সেখান থেকে কয়েকটা চটি মার্কা হাদিস উদ্ধৃত করলেই মুমিনরা লাফিয়ে উঠে বলে(কোন যুক্তি-প্রমাণ ছাড়াই) যে সব হাদিস সহী না।
এক মুসলমানকে হাদিস দেখালে সে বলে হাদিস ভুয়া। আরেক মুসলমানকে কোরান দেখালে সে বলে হাদিস ছাড়া কোরান পড়া যাবে না। এক আল্লাহর এক বই নিয়ে যখন এত মতপার্থক্য, তখন শুধু একটা সিদ্ধান্তেই উপনীত হওয়া যায়- বইটা সম্পূর্ণ অর্থহীন, লেখক মহাশয় নিজেও জানেন না তিনি কি বলতে চাচ্ছেন। আল্লাহর উচিত হুমায়ুন আহমেদের কাছ থেকে সাহিত্য রচনার শিক্ষা নেওয়া, তাঁর বই এত সহজবোধ্য যে লেখাপড়া জানা যেকোন ব্যক্তি সেটি পড়ে বুঝতে পারবে 🙂
আপনার এই লেখাটি খুব সুচিন্তিত ও গবেষণামূলক।
আজকাল বেশ কিছু মুসলিম দেখা যায় যাঁরা কোরান ছাড়া অন্য কিছুতে বিশ্বাস করেন না। হাদিস, শারিয়া ওনারা অস্বীকার করেন।
আপনার এই লেখার উত্তরে তাঁরা কি বলবেন জানবার আগ্রহ থাকল।
লেখা চালিয়া যান—
যারা ইসলামের পথে শহীদ হবে তারা সরাসরি আল্লাহ`র সাথে দেখা করতে পারবে। আল্লাহ পাক এক সিংহাসনে বসে আছেন। তাঁর ডান পাশে (মনে হয়)নবীজি বসা। এই সব জেনে মনে হয় আল্লাহ পাক নিরাকার নন। উনারা হাত, পা, কোমর, মাথা এবং মুখও আছে। হয়ত বা যৌনাঙ্গও থাকতে পারে–তা পুংলিঙ্গই হবে। এই ব্যাপারে আলী দস্তির ২৩ বছর বইটি পড়া যেতে পারে।
@আবুল কাশেম,
উত্তরগুলো আমাদের অতিত অভিজ্ঞতার ব্যতিক্রম হবে না। প্রথমে তাঁরা নিজস্ব কিছু অনুবাদ দাঁড় করাবেন। আমার অনুবাদের উৎস মানতে চাইবেন না। আরো বলা হবে মূল ইসলাম কি বলে দেখুন। এত ইসলামের মধ্যে মূল ইসলাম যে কোনটা সেটাই ভেবে পেলাম না।
আপনার সুচিমিতত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বইটি পড়ব। যদি থাকে তবে লিংক পেলে সুবিধা হত।
@বাদল চৌধুরী,আপনার এ পোস্টে মন্তব্য করার ইচ্ছা ছিল না , কারন মডুদের কোপানলে পড়ে যেতে পারি ধর্ম প্রচারের দাঁয়ে। আবুল কাশেম সাহেব ‘কোরান ছাড়া অন্য কিছুতে বিশ্বাস করেন না ‘ এমন মুসলমানদের বক্তব্য জানতে আগ্রহী হয়েছেন ও আপনি ও তাতে সায় দিয়েছেন , যে কারনে মন্তব্য করলাম , অন্যথায় ফাকা মাঠে গোল দেয়ার আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠতে পারেন।
আপনার অতিত অভিজ্ঞতার সবটুকুর থেকে আমার উত্তর হবে ব্যাতিক্রম , কারন আমি স্বীকার করে নিচ্ছি আপনার অনুবাদ ও অনুবাদের উৎস ঠিক আছে , কোন ভুল নেই। মুল ইসলাম বল্তে যদি শিয়া , সুন্নি বা অন্যদের মতো হাদীস শারিয়া মানা মুসলমান বুঝে থাকেন , তাহলে তাদের কোন কথায় আমার মন্তব্যে পাবেন না।
আপনার আপত্তি হলো , আল্লাহ কেন রাজা বাদশাহ বা মানুষের মতো প্রশংসা পেয়ে প্রচন্ড খুশি হোন। আল্লাহ প্রশংসা পেয়ে প্রচন্ড খুশি হোন এটা আপনি জেনেছেন বা এই স্বীদ্ধান্তে আপনি উপনীত হয়েছেন একটি শোনা কথার উপরে ভিত্তি করে। কথাটা হলো – “কেউ যদি একবার আলহামদুলিল্লাহ কথাটি উচ্চারণ করেছেন, তখনই তাকে ৭০ রাকাত নফল নামাজের ছওয়াব প্রদান করা হয়।” এমন কথা কোরানের কোথাও লেখা নেই। আপনি যখন কোরানের আয়াত ১:১ অনুসারে প্রশ্ন তুলেছেন , তখন সত্য জানার খাতিরে লোকমুখের শোনা কথার উপরে নির্ভর না করে আপনার কি উচিৎ ছিলনা কোরানে খুজে দেখা ? আদৌ কি আল্লাহ প্রচন্ড খুশি হোন? সারা কোরান খুজেও খুশি হওয়ার স্বপক্ষে কোন আয়াত পেলাম না । যেটা পেলাম –
আল্লাহর কাছে যদি মানুষের ও কোন কিছুর দরকার না থাকে , তাহলে তো প্রশংসার দরকার ও না থাকারি কথা। যুক্তি তো তাই বলে।
তাহলে প্রশ্ন ওঠে , সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য একথাটা মুত্তাকীদের শেখানোর দরকার কেন পড়ল?
এর উত্তর জানার আগে আপনার উল্লিখিত ২:২ আয়াত নিয়ে আপনার সন্দেহগুলো নিয়ে আলোচনা দরকার।
আপনি ঠিকি ধরেছেন , কোরান শুধুই মুত্তাকীদের জন্য। যে সকল মোল্লা দাবী করে কোরান বিশ্ব মানবতার পথ প্রদর্শক , তাদের দাবী যে ভুল ও বানোয়াট , তার বড় প্রমান এই আয়াতটি। এখন জানা দরকার মুত্তাকী , মুমেন বা মুসলমান কারা? তাহলে আপনার অনেক
প্রশ্ন বা সন্দেহের জবাব আপনি নিজেই খুজে পাবেন।
মুত্তাকীদের পরিচয় ২:৩,৪ আয়াতে দেয়া আছে।
মুমেন মানে বিশ্বাসী। কিসে বিশ্বাস ? অদেখা বিষয়, সকল আসমানি কিতাব ও আখিরাতে বিশ্বাস।
মুসলমান হলো তারাই , যারা আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তার ( নামে কি এসে যায় , আল্লাহ , ভগবাণ ,গড , ইয়াহয়ে ইত্যাদি যে কোন নামেই ডাকা যায়) কাছে আত্মসমর্পন করে তার নির্দেশ পালনের মাধ্যমে। একারনেই সকল রসুলদের অনুসারীদেরকে কোরানে মুসলমান বলা হয়েছে। শুধু কোরান/ মুহম্মদের অনুসারীরাই মুসলমান এমন দাবি কোরান অনুযায়ী ঠিক নয়। মুসলমান হওয়ার জন্য ধর্মান্তর নিষ্প্রয়োজন! ধুতি, পৈতা, প্যান্ট-সার্ট ত্যাগ করে নুনু কাটা, দাড়ি রাখা, যুব্বা-কাব্বা, স্যালোয়ার কামিজ পরা , সুরমা, মেহদি লাগানো অপ্রয়োজন। কারণ আল্লাহ বয়স, রূপ-রস চেহাড়া পিয়াসী নন! এমন কি পশু-পক্ষি, আগুন-পানি, আলো-বাতাসো মানুষের রূপ চেহাড়ায় আকৃষ্ঠ হন্না!
কোরান শুধুমাত্র মুত্তাকীদের জন্য। যারা মুত্তাকী না তাদের কাছে কোরান মিথ্যা মনে হবেই , এর বিরুদ্ধে যুক্তি তর্কেরো অভাব হবে না। যার বড় প্রমাণ আপনার এই পোস্ট। আপনি কি মুত্তাকী? আপনার এই পোস্ট সাক্ষ্য দেয় , কোরান সত্য।
আপনার প্রতিটি প্রশ্নের কোরানের আলোকে গ্রহণযোগ্য উত্তর দেয়া সম্ভব। এর জন্য লিখতে হলে একটা আলাদা পোস্ট হয়ে যাবে , যা মুক্তমনা প্রকাশ করবে না। জানতে চাইলে পড়ুন , নিজেই জানবেন।
@ফারুক,
গুড, অর্থ দাড়ালো কোরান শুধু মুত্তাকিদের জন্যই পথ প্রদর্শক। এখন আপনিই বা কি জন্য কোরানকে নিয়ে এসে মুক্ত-মনায় প্রচারে লাগলেন। এখানে কাকে কাকে আপনার মুত্তাকি বলে মনে হয়? বাংলা ব্লগের তো অভাব নাই।
এরপর আপনি মুত্তাকিদের যে ব্যাখ্যা দিলেন তা দেয়ার পর আপনাকে ক্ষান্ত হওয়ার জন্য একটা বিণীত অনুরোধ করতে পারি। মুক্ত-মনা নো-মডারেসন ব্লগ না। এর একটা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে। এখানে কাউকে অযৌক্তিক, ভিত্তিহীন, শুধু বিশ্বাসনির্ভর কিছু প্রচার করতে দেয়া হবে না।
@সৈকত চৌধুরী, আমি ঠি বুঝে উঠতে পারছি না , এই মন্তব্য কি ব্যাক্তি সৈকত চৌধুরীর নাকি মডারেটর সৈকত চৌধুরীর? এতই যদি ভয় আপনার সত্যের ও যুক্তির মুখোমুখি হতে , তাহলে দাবী তুলুন বা ব্যান করুন ধর্মের সকল আলোচনা। বিশ্বাস অনির্ভর কোন ধর্ম কি আপনার জানা আছে?
@ফারুক,
আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় হচ্ছে? জানি বিশ্বাস অনির্ভর ধর্ম নেই। আপনিও জানেন এখানে বিশ্বাস নির্ভর মতবাদকে খন্ডানো হয় বস্তুনিস্ট ও যুক্তিবাদি দৃষ্টিকোন থেকে। এবং আপনার কাছেও সেটি আশা করা হয়েছে মাত্র। উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই।
@ফারুক,
না, কথার মারপ্যাঁচে আপনাকে কোনঠাঁসা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আপনি লক্ষ্য করবেন আমরা যারা ইসলামের সমালোচনা করে লেখালাখি করি তার কেউই প্রশংসা অর্জনের জন্যে লিখি না। আমাদের লেখা হয়ত কোনদিনই বই আকারে বাংলাদেশে অথবা অন্য কোন ইসলামী দেশে প্রকাশ হবে না। এমতাবস্থায় ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের লেখা প্রকাশের কোন বিকল্প নাই। এখানে যে কোন ইসলামী পণ্ডিত আমাদের সাথে যুক্তিতর্কে নামতে পারেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি আমাদের সাথে আলোচঅনার জন্যে। তাই ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না।
আপনি এরপর কোরানের কিছু আয়াতের আপন ব্যাখ্যা দিয়েছেন—অথবা অন্য কারও ব্যাখ্যাকে বধিত করেছেন। আমি এই ব্যাপারে তেমন কিছু লিখবনা–কারণ এই ব্যাপারে লেখার জন্য আমার চাইতেও অনেক বিদ্দান ব্যক্তি আছেন–এই ব্লগেই।
শুধু একটি ব্যাপারে জানতে চাইছি–
ভাল কথা। আপনি শিয়া, সুন্নী, হানাফি, মালিকি, হানবালি—এই সব কোনকিছুই মানেন না। মনে হচ্ছে আপনি এক নতুন ইসলাম আবিষ্কার করতে চলেছেন। এই ইসলামের নাম বলবেন কী?
এই ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা কে বা কাহারা? আমি যদি বলি এই ইসলাম এসেছে রাশাদ খলীফার কাছ হতে, তাতে কী আপনার আপত্তি আছে?
@আবুল কাশেম,
এই ইসলামের নাম ইসলাম। এই ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা নবী মুহম্মদ। ইতিহাস খুজলে এদের খোঁজ পাওয়া যায় এবং এদের অস্তিত্ব সকল সময় ই ছিল।
@ফারুক,
ভাই দয়া করে বলবেন কি সেই ইতিহাসটা কোথায় কার কাছে, কে লিখেছে? আমরা যতদুর জানি মোহাম্মদের আমলে কেউ তার ইতিহাস লিখে যায় নি। বরং তৎকালীন মুসলিমরা আগের সব ইতিহাস ধ্বংস করে ফেলেছে। অত:পর মুসলমানরা যেসব দেশে গেছে, দখল করেছে তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে ফেলেছে। ইরাণ, ইরাক, মিশর, সিরিয়া এসব দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন। এদের ইসলাম পূর্ব কোন অতীত ইতিহাস বা ঐতিহ্য নেই। মোহাম্মদ সম্পর্কে জানার সব চাইতে মোক্ষম ইতিহাস হলো হাদিস। আপনি আবার সেটাও মানেন না। তাহলে আমরা যাই কোথায়? অথচ হাদিস ছাড়া মোহাম্মদ অস্তিত্বহীন, মোহাম্মদ ছাড়া কোরান অস্তিত্বহীন, কোরান ছাড়া ইসলাম অস্তিত্বহীন। এ সরল যুক্তিটাও আপনার নিরেট মাথায় ঢোকে না ভাইজান।
@ফারুক,
ইতিহাস খুজলে হিটলারের অস্তিত্বও পাওয়া যায়। কিন্তু একি রকম কীর্তির জন্য একজনকে শ্রেষ্ঠ আর একজনকে দুষ্ট বলা হয় কেন? কারন এককথায় আপনি আপনার অপছন্দের ইতিহাসকে অস্বীকার করে ফেলেন। যেমন হাদিস।
@ফারুক,
ভাল কথা। তাহলে বুঝা যাচ্ছে মুহম্মদ ইসলাম আবিষ্কার করেছেন অথবা পুনঃআবিষ্কার করেছেন —আল্লা পাকের তেমন হাত এতে নাই। আমরা এই থেকে কি সিদ্ধান্তে আসতে পারিনা যে কোরানও মুহম্মদের আবিষ্কার বা সৃষ্টি?–কোরান আল্লাহ পাক লিখেন নাই?
আপনি কোন এক পোস্টে এক জার্মান গবেষকের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছিলেন যে মুহম্মদ বলে কোন ব্যক্তিই ছিলেন না। মনে হল আপনি ঐ জার্মান গবেষকের সাথে সহমত।
এখন তাহলে কি বুঝছি আমরা? কোরান কোথা থেকে এল? আল্লাহ পাক কার হাতে কোরান দিলেন?
@ফারুক,
আরও একটি কথা—যেহেতু আপনি লিখেছেন যে ইসলাম আবিষ্কার করেছেন মুহম্মদ তাই আমরা ধরে নিতে পারি–মুহম্মদ বলে কোন এক ব্যক্তি আরবে ছিলেন।
এখন বলুন, এই লোকের জন্ম, বিকাশ এবং ক্রিয়াকলাপ কি কোরানে লিখা আছে? তা যদি না থাকে তবে উনার জন্মবৃতান্ত আমরা কোথা থেকে জানতে পারব?
@ফারুক,
হ্যাঁ আমি জানি এটা কোরানে নেই। আপনার কথাটা আলাদা হতে পারে কারণ, আপনি শুধুমাত্র কোরান ডিফেন্ড করেন। সেক্ষেত্রে এখানে আমি এইটুকুই বলব, সুরা ফাতিহার ১নম্বর আয়াত তো আল্লাহরই উক্তি। সকল প্রশংসার দাবীদার আল্লাহ নিজেই। স্বঘোষিতভাবে সকল প্রশংসার দাবী করা হয়েছে। এই ঘোষনা অনুযায়ী যদি কেউ প্রশংসা করেন তাহলে উনি খুশি হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। আপনি এটাকে আল্লাহর সন্তোষ্টিই বলতে পারেন। তার অর্থ সন্তোষ্টির প্রয়োজনীয়তার অনূভব। প্রশংসায় সন্তোষ্টির প্রয়োজনীয়তাকে আমি এভাবেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি।
কাউকে দরকার না থাকতে পারে কিন্তু প্রশংসার দরকারটা যে আছে বুঝা যাচেছ। কারণ, প্রশংসিত সে, যাকে প্রশংসা করা হয়। এইটুকুতে আপত্তি থাকত না, যদি বানীটা আল্লাহর না হত।
মুত্তাকী হতে পারলে তো কথা থাকত না। এই পোষ্ট যদি কোরানের সত্যতা প্রমাণের জন্য সহায়ক হয় তাহলে মনে হচ্ছে আপনারও মাঝে মাঝে মনে হয় নাকি কোরান মিথ্যা।
মুক্তমনার নীতিমালার বাইরে কিছু করা মুক্তনার পক্ষে সম্ভব না। আপনিও তো কয়েকটি পোষ্ট দিয়েছেন এবং মুক্তমনা তা প্রকাশ করেছে। নীতিমালার সাথে সঙ্গতি রেখে পোষ্ট করাটা আপনার অধিকার। অযথা মুক্তমনাকে দুষছেন। আর আমি জানতে চাই এবং প্রতিনিয়ত পড়ে যাচ্ছি।
@বাদল চৌধুরী,
আগেই বলেছি , মানুষের দরকারই যদি আল্লাহর না থাকে তাহলে মানুষের প্রশংসার দরকার আছে বলাটা কোন যুক্তিতেই মেলেনা। সকল প্রশংসার দাবীদার আল্লাহ নিজেই , এই দাবীর মাধ্যমে মুত্তাকীদের এটাই বুঝানো হয়েছে যে , আল্লাহ ছাড়া আর কারো কোন কৃতিত্ব ও নেই বা অন্য কারো প্রশংসা ও করা যাবে না। মুসলমান দাবীদারদের অভ্যাস হলো অহেতুক প্রশংসার মাধ্যমে চামচামি করা বা আল্লাহকে খুশি করার চেষ্টা করা। দেখবেন মুহম্মদের প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে , মুহম্মদ না হলে কোরান আসত না, তার জন্যই সকল জগৎ সংসার সৃষ্টি , মিলাদ পড়া – এমনি কত কি!! শুধু মুহম্মদ ই বা বলি কেন – অমুক পীর বাবার অছিলায় এটা পয়েছি , তমুকের কল্যানে ইসলাম টিকে আছে এমনি কত কি। ধর্মীয় ব্যাপারে যে কোন ব্যাক্তি প্রশংসা গর্হিত কাজ , তা এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ মুত্তাকীদের শিখিয়েছেন।
ধর্মের বিরুদ্ধে পোস্ট দিতে পারবেন তাতে আপত্তি নেই , একে রিফিউট করুন , সেটা নীতিমালা বহির্ভূত। এ কেমন মুক্তমনা? বলছে একতরফা প্রচারনা উৎসাহিত করা হয় না , এই কি তার নমুনা?
@ফারুক,
ভাই জান, এখানে কেউ ধর্মের বিরুদ্ধে লেখে না। যারাই লেখে তারা সত্য প্রকাশ করে। যে সত্য আপনারা এতদিন মানুষের কাছে গোপন করে গেছেন বা মনগড়া ব্যখ্যা দিয়ে তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছেন। এ কাজ টা যারা করে তারা অত্যন্ত যুক্তি দিয়ে করেন, আপনার মত আবেগ বা মনগড়া বক্তব্য দিয়ে কেউ কিছু এখানে বলে না। আপনাদের সত্য গোপন ও মন গড়া বিভ্রান্তিকর ব্যখ্যাতে মুসলিম সমাজ ও জাতির বহু ক্ষতি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। এরা অন্যান্য জাতিগোষ্ঠি থেকে হাজার বছর পিছিয়ে পড়েছে। আপনারা সমাজের সীমাহীন ক্ষতি সাধন করেছেন। এখানে যারা লেখা লেখি করেন তারা তাদের সীমিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে কিছুটা হলেও ক্ষতি পোষানো যায়। আর কিছু না। যে কারনে এখানে যুক্তি পূর্ণ নিবন্ধ প্রকাশকে উৎসাহিত করা হয়, আবেগ তাড়িত নিবন্ধ নয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
@ফারুক,
ধর্মের বিরুদ্ধে মুক্তমনার অবস্থানটা পরিষ্কার। মানব সমাজ এবং সভ্যতার ক্ষেত্রে ধর্মের মত একটা মেকি জিনিসের চরম ক্ষতিকর অবস্থানের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই মুক্তমনার জন্ম হয়েছে। কাজেই, ধর্মকে এখানে তুলোধুনো করা হবে এটাই স্বাভাবিক। মিথ্যা এবং ক্ষতিকর একটা জিনিসের স্বপক্ষের লেখাকে অনুৎসাহিত করা হবে সেটাও স্বাভাবিক। এখানে ভারসাম্যের নীতিটা অচল।
যে যুক্তিতে মুক্তমনায় অপবিজ্ঞানমূলক লেখা প্রকাশ করা হয় না, সেই একই যুক্তিতে ধর্মের স্বপক্ষের লেখাকেও মুক্তমনায় প্রকাশ করা হয় না।
@ফরিদ আহমেদ,
(Y)
ধুনার মাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে দেয়া যায়না?
@ফারুক,
মানুষ না থাকলে তার প্রশংসাটা আসে কোথা থেকে? আপনি শুধুই বলছেন আল্লাহর মানুষকে দরকার নেই। কিন্তু উনি প্রশংসিত হতে চান বা প্রশংসিত। অন্য কারো প্রশংসা করা যাবে না মানে আল্লাহর প্রশংসা করতে বাধ্য করা। ৩৫ঃ১৫ তে বলা হয়েছে, হে মানুষ তোমরা তো আল্লাহর মুখাপেক্ষী——-অভাবমুক্ত–। আবার ২ঃ২৯ এ বলা হয়েছে, তিনি সব কিছু মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সে অনুযায়ী তার কাছে মানুষের গুরুত্ব আছে। আসলে মানুষ এবং মানুষের প্রশংসাকে আলাদা করা যায় কি? যদিও আপনার বক্তব্য থেকেই আমরা বুঝতে পারছি, যায় না। কারণ মানুষই বাধ্য আল্লাহর প্রশংসা করতে। সেটা অবশ্যই মুত্তাকীরাই করবেন।
আমাদের কাজটা কিছু আগায়ে রেখেছেন আপনি। ধন্যবাদ।
আমরাও অবশ্যই ব্যক্তির প্রশংসা কথা বলছি না। আল্লাহর প্রশংসার কথাই বলছি, যার জন্য সন্তোষ্ট হন।
মুক্তমনা মানে যা ইচ্ছা তাই করা নয়। মুক্তমনার উদ্দেশ্যকে শিথিল করা হলে এখানে অপবিশ্বাস, কুসংস্কার এবং অপবিজ্ঞানে ভরে যাবে। কারণ এসব অপকীর্তির কর্ণধার হচ্ছে কিছু লেখা পড়া জানা মানুষ। যাদের পিছনের মদতকারী সত্তাটি দিনকে রাত এবং রাতকে দিন বানাতে পারে। অপবিশ্বাস, কুসংস্কার এবং অপবিজ্ঞান কে জিয়ায়ে রাখার জন্য অনেক ব্লগ তো আছেই। অবাঞ্চিত বিষয়াদির সমালোচনা কিংবা সত্যকে তুলে ধরার অর্থ অবশ্যই একতরফা প্রচারণায় উৎসাহিত করা নয়।
@ফারুক,
– সকল আসমানী কিতাবে বিশ্বাসী মানে মুমিন? আমার জানা মতে কোরান নাজিল হবার বড় কারন ছিল আগেকার আসমানী কিতাবগুলি মানুষ বিকৃত করে ফেলেছে বলে। এখন যারা আগেকার বিকৃত কিতাবে বিশ্বাস করে তাদের কি আর প্রকৃত মুমিন বলা যায়?
– কিছু মনে করবেন না, এই কথাটা স্বাভাবিক যুক্তিবাদের এতই প্রকট ভাবে বিরোধীতা করে যে এই কথা শুনলে প্রথমেই দাবী কারকের কথায় সন্দেহ জাগে। ধরেন আপনি আদালতে কিছু দাবী করলেন। আপনার স্বাক্ষ্যের স্বপক্ষে প্রমান দাখিল করতে জিজ্ঞাসা করা হলে সাফ বলে দিলেন যে যে আপনাকে বিশ্বাস করে সেই কেবল আপনার স্বাক্ষ্য মানবে, আর যে বিশ্বাস করে না সে কোনদিন মানবে না।
এই ধরনের কথার মাধ্যমে কি কোরানকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে পড়ে নিজে যাচাই করে গ্রহন বা বর্জন করার সুযোগ দেওতা হয়েছে? পরিষ্কারই বলা হয়েছে যে আগে পূর্ন বিশ্বাস, পরে যাচাই বা প্রমান। হওয়া তো উচিত আগে যাচাই, পরে বিশ্বাস।
একই কথা পৌত্তলিকেরা বা অন্য ধর্মের লোকেরা তাদের কিতাব সম্পর্কেও দাবী করলে মেনে নিতেন বা নেওয়া উচিত? সেক্ষেত্রে আপনি তাদের দাবী অস্বীকার করবেন কি করে? তারাও তো বলতে পারে তুমি আমার কিতাবে পূর্ন বিশ্বাসী না হলে আমাদের যাবতীয় কেচ্ছা কাহিনী তোমার কাছে মানূষের গড়া বা বিকৃত মনে হবে? অন্য কিতাব গুলিকে যে বাতিল বলে দাবী করা হয় তারা তো সহজেই এই যুক্তি দিয়ে আপনাদের দাবী নাকচ করে দিতে পারে।
তাদের কিতাবে পূর্ন বিশ্বাস না আনলে কিভাবে বুঝবেন, আর পূর্ন বিশ্বাস আনা মানেই সেই কিতাবে যা যা বর্নিত আছে তা নিঃশংক চিত্তে মেনে নেওয়া। মজার না 🙂 ? আসলে তাদের কিতাব যারা বিশ্বাস করে না তারাই কেবল তাদের কিতাব সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে। আপনি সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করার চেষ্টা করলেও অন্তত কোরান বাদে বাকি কিতাবগুলি বিকৃত হয়েছে এটা মানেন বলেই জানি। আশা করি এই জানা ভুল নয়।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যা , এটা আমার কথা নয় , কোরানেরি কথা। কোরানের আরেক নাম ‘ফোরকান’ – সত্য মিথ্যা নির্নয়কারী। কে কি বল্লো , সেটা সত্য নাকি মিথ্যা , সেটা নির্নয় করতে হবে কোরান দিয়ে।
মনে করার কিছু তো দেখিনা , কারন আমি তো আর কোরানের অথরিটি না বা আমার কাছে ওহী ও আসে না। আমি নিজে যেটা বুঝি , সেটাই বলি। ভুল ও হতে পারে , ঠিক ও হতে পারে। কোরানের আলোকে সত্য হলে মানবেন , নইলে না।
আমি যেটা বুঝি , কোরান মুত্তাকীদের জন্য গাইড লাইন(হুদা) , সৃস্টিকর্তার প্রুফ বা প্রমান নয়। আপনি যদি কোরানে আল্লাহর প্রমান চান , পাবেন না। এই ভুলটিই যুক্তিবাদীরা করে থাকে । ভুল জায়গায় (বইতে) , ভুল জিনিষের খোজ করলে ফ্রাস্ট্রেটেড হওয়াই স্বাভাবিক।
বর্তমানে আমার ধারনা কোরান ও বিকৃত হয়েছে। কোরান বিকৃত না হওয়াটাই কোরানের শিক্ষার পরিপন্থী।
@ফারুক,
সুরা বাকারা ৫৩ নম্বর আয়াতে মুসার কিতাবের সাথেও ফুরকান দান করা হয়েছিল।
@ফারুক,
– এটা কি বললেন! কোরানও তাহলে বিকৃত হয়েছে? তবে পরের লাইনের তাতপর্য বুঝলাম না।
যাবারো যা ঈমান আনবো আনবো করছিলাম, আপনি দিলেন তাতে বাধ সেধে। তবে আমার ব্লগের অগ্নিবেশ সহসাই ধমাধম নামের নুতন ধর্মগ্রন্থ নাজিল করবে আশ্বাস দিয়েছে, সেটা পিডিএফ আকারে সব ব্লগে পাঠানো হবে, যারা সেই ধর্ম গ্রহন করবে না বা অবিশ্বাস করবে তাদের জন্য পরকালে ভয়াবহ শাস্তির ব্যাবস্থাও করা হচ্ছে। সেই ধমাধম ধর্ম গ্রহন ছাড়া আর তো উপায় রাখলেন না।
@আদিল মাহমুদ,
ফারুক সাহেব মনে হয় বড়ই বিপদে আছেন, অন্ধ বিশ্বাসের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি দাড় করাতে করাতে উনি ক্লান্ত, তাই এখন তিনি যা বুঝাতে চাচ্ছেন তা কারো বোধগম্য হচ্ছেনা। ওনার কথা অনুযায়ী কোরান যদি বিকৃত হয়ে থাকে তা হলে বলতে হয়, উনি ‘বিকৃত কোরান অনলি’ মতবাদে বিশ্বাসী। কোরান থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে এতদিন তিনি যে সকল মন্তব্য করে আসছিলেন তার সবই ভুয়া, বিকৃত, নকল।
@আদিল মাহমুদ,
হাহ, হাঃ ঈমান ঠিকিয়ে রাখতে গিয়ে এবার কোরানকেই বিকৃত বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি এমুন বিনোদন জানলে সিরিয়াস মন্তব্যগুলো করতাম না।
উনার মন্তব্য সরাসরি প্রকাশ পায় বলেই হয়ত উনি এখন মুক্ত-মনাকে বিনোদন ব্লগে পরিণত করছেন।
যখন দেখলেন কোরানের আয়াতগুলোর অভিনব ব্যাখ্যা দিয়ে আর কাজ হচ্ছে না তখন কোরানকেও বিকৃতের তালিকায় নিয়ে এলেন।(নাউজুবিল্লা :lotpot: )
আরেকটা গ্রুপের কথা শুনেছি। উনারা নাকি শুধু মক্কি সূরাগুলোতে বিশ্বাস করে (কারণ এগুলো নাকি শান্তির) আর মাদানিগুলো অবিশ্বাস করে(অশান্তির)।
আদিল ভাই, একটা ভাল সমস্যায় পড়েছি। উনি মুক্ত-মনাকে অনেকটা নো-মডারেসন ব্লগ বলে ধরে আছেন হয়ত। উনাকে কিভাবে বুঝানো যায় যে উনার অভিনব ধর্মপ্রচারের জায়গা মুক্ত-মনা না। হ্যা, আমার কথা হল ধর্মও একজন প্রচার করতে পারে, তবে তার স্বপক্ষে উপযুক্ত যুক্তি-প্রমাণ থাকতে হবে( আর উপযুক্ত যুক্তি-প্রমাণ না থাকলেও তিনি তা পারেন তবে তা মুক্ত-মনায় না)। ধর্মগ্রন্থের অলৌকিকতার প্রমাণের কথা উঠলেই উনি বলেন তাতে বিশ্বাসের কথা(কোনো প্রমাণই হাজির করেন না) আবার কোরানের কোনো আয়াতের কেউ সমালোচনা করলে কোত্থেকে আজগুবি অনুবাদ হাজির করেন বলতে পারি না। এত এত অনুবাদ-তফসির আছে যেগুলো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য তিনি এগুলোর ধার ধরেন না। ব্যক্তিগতভাবে যে কারো যেকোনো অযৌক্তিক বিশ্বাস থাকতে পারে কিন্তু যখন সেগুলো প্রচার করবেন তখন তো দরকার প্রমাণ(মুক্ত-মনায়)।
নিচে বেশ উপভোগ্য একটা কবিতাও লেখেছেন। উনারে নিয়ে কি করা যায়?
@সৈকত চৌধুরী, 😀
ওনার সাথে তাল দিয়ে যান, তাতে লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না। উনি কিছুদিন আগে আমার ব্লগে সব নাস্তিকদের ১০০০ করে টাকা দিতে চেয়েছিলেন ইসলামের সমালোচনা করে কথাবার্তা বলার জন্য। আমি বহুবার ভেবেছিলাম নাস্তিক ঘোষনা দিয়ে টাকা কবুল করে ফেলব কিনা। প্রেষ্টিজে লাগে দেখে লোভ সংবরন করেছি।
মজার ব্যাপার হল ওনার টোপ কেউই গেলেনি।
উনি মুক্তমনার ওপর এতই ক্ষিপ্ত যে সেই অফার মুক্তমনার নাস্তিকদের দিতে চাইছেন না। আপনারা আন্দোলন করে টাকা আদায় করে নিন।
@সৈকত চৌধুরী, বোঝাই যাচ্ছে আপনি আমাকে নিয়ে সমস্যায় আছেন।
একটি কথা পরিস্কার করা দরকার। আমি এখানে ধর্ম প্রচারের কোন পোস্ট দেই নি (জানি দিলেও সেটি প্রকাশিত হবে না)। তাই ধর্ম প্রচারের অভিযোগটি সত্য নয়।
আরো খেয়াল করুন , আমি সকল মন্তব্যের জবাব দেই না। শুধুমাত্র আমার নাম নিয়ে আমাকে সরাসরি উদ্দেশ্য করে যে সকল মন্তব্য করা হয় , সেগুলোর জবাব দিয়ে থাকি বা প্রতিমন্তব্য করি। আপনারা যা ইচ্ছা প্রচার করুন আমার আপত্তি নেই (আপনার মুরগি আপনি লেজে কাটবেন নাকি গলায় কাটবেন , সেটা আপনার ইচ্ছা) , কিন্তু আমাকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করে কেউ নির্দিষ্ট কিছু জানতে চাইবে বা চ্যালেন্জ করবে , আর আমি সেটার বিষয়বস্তুর সাথে সঙ্গতি রেখে জবাব দিলে , সেটা আপনার কোপানলে পড়বে , এটা কোন ভদ্রতার মাঝে পড়েনা বা যুক্তিগ্রাহ্য ও নয়। সবচেয়ে ভাল হয় মুক্তমনার মন্তব্যকারীদের বলুন , আমার নাম নিয়ে কোন মন্তব্য না করতে বা ধার্মিকদের কাছে কোন জবাব না চাইতে।
@আদিল মাহমুদ, –
@আদিল মাহমুদ,
এই কয়েকটি বাক্য দ্বারা ফারুক ভাই প্রমাণ করলেন বাদল চৌধুরী যা লিখেছেন তা সত্যি–কোরানে অনেক অসামঞ্জস্য আছে।
ফারুক ভাইকে অনেক ধন্যবাদ–
@ফারুক,
হায় হায়! একি মারাত্মক কথা আপনি লিখেছেন! কোন ইসলামী দেশে এইসব ন্যাক্কারজনক কথা–তাও কোরানের ব্যাপারে বললে আপনার গর্দান কাঁধে থাকবে না। আমার মনে হচ্ছে আপনি নিশ্চয়ই কোন কাফেরদেশে বাস করছেন।
যাই হোক, বেশি কিছু লিখবার সময় নাই। অনুগ্রহপূর্বক আমাদেরকে জানান কোরানের কোন কোন আয়াত বিকৃত করা হয়েছে–এবং কারা তা করেছে; নাকি আল্লাহ পাক নিজেই কোরান বিকৃত করেছেন।
আল্লাহ পাক আবার কোরানেই লিখেছেন কেউ কখনও কোরানকে অপদস্ত বা বিকৃত করতে পারবে না। এখন কি বলবেন এই ব্যাপারে?
@আবুল কাশেম,
মনে হয় আকাশ থেকে পড়লেন? গত ১৪০০ বছর ধরেই মুসলমানেরা এটা জানে , আর আপনি হাদীস কোরান নিয়ে এত গবেষনা করেন , আপনি জানেন না?
‘হাফস’ , ‘ওয়ার্শ’ , কালুন’ ও ‘আল-দুরি’ ভার্ষান কোরানের নাম শোনেন নি? আমাদের দেশে ‘হাফস’ ও ‘ওয়ার্শ’ দুটৈ এখনো পাওয়া যায় , ‘কালুন’ লিবিয়ায় আর ‘আল-দুরি’ সুদানে প্রচলিত। এদের মাঝে কিছু পার্থক্য আছে , যা নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে।
দেখুন সত্যকে ধামা চাপা দিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করা যায় না , এটাই আজকের মুসলমানেরা(?) বুঝতে চায় না। তারা মনে করে , আল্লাহর কাছে তাদের মতো মুসলমানের সংখ্যাধিক্যই কাম্য। এটা যে কত বড় ভুল , তার প্রমান এই আয়াতটি-
@ফারুক,
২:৩৯, ২:১০৪, ৬৭:৬ ইত্যাদি আয়াতে যাদের শাস্তির কথা বলা হয়েছে তারা কারা? আসলে দায়ী কে? মনে হচ্ছে আল্লাহ খেয়াল করতে পারেননি যে আয়াতগুলো সাংঘর্ষিক।
@বাদল চৌধুরী,
আমার মাথায়তো খেলছে না কেমনে আয়াতগুলো সাংঘর্ষিক? আয়াতগুলো তুলে দিলাম , একটু বুঝিয়ে দিন।
আমার দেয়া আয়াত-
আপনার দেয়া আয়াতগুলো-
@ফারুক,
মুসলমানদের সংখ্যাধিক্যের কথা বলতে গিয়ে আপনি ১০:৯৯ নম্বর আয়াতের রেফারেন্স দিয়েছেন।
এই আয়াত অনুযায়ী ঈমান আনা বা না আনা সম্পূর্ণ মানুষের এখতিয়ার বা ক্ষমতার বাইরে। যেহেতু আল্লাহ নিজেই এই ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন সেহেতু তিনি না চাইলে মানুষ কখনো ঈমানদার হতে পারবে না। অর্থাৎ কে ঈমানদার হবে আর কে হবে না তা নির্ভর করছে আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর। ২:৩৯, ২:১০৪, ৬৭:৬ ইত্যাদি আয়াতে যাদের শাস্তির কথা বলা হয়েছে তারা কারা? আপনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম। যা হোক, নিশ্চয় ঈমানদারদের আওতার বহির্ভূত মানুষ। এই মানুষগুলোর অপরাধ তারা আল্লাহর সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করেছে ঈমান না এনে। তারা আল্লার ইচ্ছার কোপানলে পড়েছে মাত্র। আল্লাহ ইচ্ছা করেছেন বলেই তারা ঈমান আনতে পারেনি। ১০:৯৯ নম্বর আয়াতে ঈমানদারিত্ব দেয়ার ক্ষমতা রেখে দিয়ে আবার সেই বেঈমানদারদের ২:৩৯, ২:১০৪, ৬৭:৬ ইত্যাদি আয়াতের মাধ্যমে বলা হয়েছে মহাশাস্তির কথা। তাহলে কি দাঁড়াল? ১০:৯৯ নম্বর আয়াতটি ২:৩৯, ২:১০৪, ৬৭:৬ আয়াতগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছে না বরং সংর্ঘষ তৈরী করেছে।
@বাদল চৌধুরী,ভাল করে আয়াতগুলো পড়েছেন তো? আমার আর বলার কিছু নেই। এখন বুঝলাম , কেন আপনার চোখেই কোরানের অসামঞ্জস্যতা ধরা পড়েছে , আর কারো চোখে কেন নয়?
@ফারুক,
রেফারেন্সগুলো পড়েই দিয়েছি এবং আমার বক্তব্যের স্বপক্ষে ব্যাখ্যাও দিয়েছি। অসামঞ্জস্যতা শুধু আমার ধরা পড়েনি, আপনার চোখেও পড়বে কারণ বিকৃত কোরানে সামঞ্জস্যতা আর বেশি দিন ধরে রাখতে পারবেন না। তখন হয়ত বলবেন দেখুন বিকৃত কোরানের অসামঞ্জস্যতা।
@ফারুক,
ও, আচ্ছা আপনি সেই কথা বলছেন? তাহলে ইবনে মাসুদের কোরান বাদ দিলেন কেন? কেন বাদ দিলেন কাবের কোরান?
তা হলে আমরা কী বুঝছি? সত্যিকার কোরান কোনটি? আর ওসমানি কোরান করা হল কেন? কোরানের রচয়িতা কে বা কাহারা? আল্লাহ পাক কেন তাঁর কোরানকে রক্ষা করতে পারলেন না?
যাক, আপনি নিজেই প্রমান করলেন কোরান বিশ্বস্ত কোন গ্রন্থ নয়। এর পরে আপনি আর কি যুক্তি দিয়ে কোরানকে রক্ষা করবার প্রয়াশ নিবেন?
ধন্যবাদ–আপনি আমার শ্রম অনেক লাঘব করলেন।
আর আপনি যে আয়াতের (১০:৯৯) উল্লেখ করলেন তার সাথে কোরানের অপদস্তার কোন সম্পর্ক আমি দেখলাম না।
@আবুল কাশেম,দেখুনতো আপনার মন্তব্যের সাথে আমার মন্তব্যের ১০:৯৯ আয়াতের কোন সম্পর্ক আছে কি না?
আপনার মন্তব্য-
আমার মন্তব্য-
@আদিল মাহমুদ,
একটি বিষয়ে যখন পুরোপুরি বিশ্বাস স্থাপন করা হয় তখন সেটা নিয়ে কি আর যাচাই বাছাই বা প্রমানের প্রয়োজন পরে? তাইতো বিশ্বাস স্থাপনকারীদের সাথে কোন যুক্তি তর্ক কর চলেনা।
@ফারুক,
লেখক সাহেবও যেখানে ভুল করেছেন, আপনেও সেইখানেই ভুল করলেনঃ
উক্ত আয়াতে “ইহা” বলে কোন শব্দ নেই। এইখানেই আমরা ধরা খেয়ে যাই। বলা হচ্ছেঃ “আলিফ লাম মীম; সেই কিতাব…” বাক্যটা আপনারা সবাই ভাল করে পড়ুন, আলিফ লাম মীম; সেই কেতাব- কোন কেতাব বলা হচ্ছে? আলিফ লাম মীম। আমি কি বুঝাতে পারলাম?
এখন এই আলিফ লাম মীম কি? এইত খাইল বিশ্ব মুসলিম ধরা। আল্লায় এমন এক বই নাজেল করলেন মানুষের জন্য অথচ মানুষ নাকি তার অর্থ জানেনা, শুধুই নাকি আল্লায় জানে। এ কেমনতর কথা হইল? আমি আপনাদের উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লিখে দিলাম আর আপনারা এর অর্থই বুঝলেন না, কেমন হইল? আল্লাহও দেখি মশকরা লইল আমাগো লগে? আবার যা বুঝিনা সেই বিষয়ের উপর আবার ঈমান আনতেও কইল? এইডা আবার কেমন হইল?
যাইহোক ভাল থাকবেন।
@Russell,
তখন প্রায় সব আরবী কাব্যে এ ধরনের অক্ষর লেখা থাকত।আসলে এর কোন অর্থ নেই।তৎকালীন কোন আরবী কাব্যে এধরনের অক্ষরের অর্থ ছিল না।
@বাদল চৌধুরী,
আলী দস্তির ২৩ বছর বইটির লিঙ্কঃ
http://ali-dashti-23-years.tripod.com/
লিখাটি ভাল লেগেছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
@গোলাপ,
ধন্যবাদ।
@বাদল চৌধুরী,
আলী দস্তির বই এখানে পড়া যাবে–
http://ali-dashti-23-years.tripod.com/
আমার পরামর্শ হবে, সম্ভব হলে ছাপানো বইটা পড়তে পারেন–এটাই ভাল হবে।
@আবুল কাশেম,
হ্যা। আমি ছাপানো বইটি সংগ্রহ করে নেব। লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
@আবুল কাশেম,
তারা ঠিকই সব সমস্যা কোরান দিয়েই দূর করে দিতে পারেন। যেমনঃ
– এর ব্যাখ্যা আমাদের ফারুক ভাই এর মতে হল যে, আল্লাহ যারা জেনে শুনে ঈমান আনছে না তাদেরকেই সীল গালা মেরে দিচ্ছেন। আগে সিল গালা মারার কারনে তারা ঈমান আনেনি বা আনতে পারেনি (যা সাধারন ভাবে পড়লে মনে হয়) এমন নয়। মানে দাঁড়ালো, আগে মানুষ ঈমান আনতে অস্বীকার করল, তারপর আল্লাহ সীল গালা মেরে দিলেন।
@আদিল মাহমুদ,
:hahahee:
পুরাই বিনোদন। আগে মানুষ ঈমান আনতে অস্বীকার করেছে বলে পরে এক্কেরে সীল মেরে দিছেন করুণাময় যাতে আর জীবনেও ঈমান আনতে না পারে। :lotpot:
আচ্ছা, কোরানের এই আয়াতের যে এ ব্যাখ্যা হবে ফারুক সাহেব তাইবা নিশ্চিত হলেন কিভাবে? মানুষ যেভাবে তাদের ঈশ্বরাল্লাকে বানাইছে তেমনি এর কাজ-কর্ম, চিন্তা-ভাবনা, গতিবিধিও নির্ধারণ করে দিয়েছে। কী সুন্দর! কোরানের আয়াতের অর্থ বদলে, ব্যাখ্যা বদলে দিয়ে তারা কি তাদের আল্লাকেই নিয়ে খেলছে না?
@আদিল মাহমুদ,
কোরানের ব্যাখ্যা সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া বলে মনে হচ্ছে। তা না হলে বর্তমান অবস্থায় বেকায়দায় থাকতে হয় কিনা। সুবিধার ব্যাপারটি তো আছেই।
@বাদল চৌধুরী,
তাতো হতেই হবে। যতই দিন যাচ্ছে যুক্তিবাদের প্রসার ঘটছে। ধর্মের ব্যাপারে আগে যেমন মানুষে বিনা প্রশ্ন সব মেনে নিত দিনে দিনে সেই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটছে। যেমন, এই যুগে কেউ তাঁর কাছে অহি নিয়ে রাতের আঁধারে ঈশ্বরের দূত আসে এমন দাবী করলে বেশীরভাগ ঈশ্বরে বিশ্বাসী লোকেও হজম করবে না। আগেকার দিনে করেছে। আগের যুগের তাফসীরকারকদের তাফসীর কেউ খোলা মনে পড়লে তার মনে হাজারটা প্রশ্ন জাগবে। কাজেই যুগের সাথে তাল মেলাতে হবে তাফসীরও বদলাতে হবে। যেমন ক্রীতদাসীর সাথে বিবাহ বহির্ভূত সেক্সের অনুমতি কোরানে আছে, হাদীসেও একাধিক উদাহরন আছে, আগেকার দিনের তাফসিরকারকেরা সরল মনে তাই লিখে গেছেন। এখন নানান মেধাবী গবেষক বের করে ফেলছেন যে সেই আয়াত কেবল সেই সময়ই সীমাবদ্ধ ছিল, সেই আয়াতের পরের দিকে আর তেমন ঘটনা ঘটেনি। কাজেই সামনের কয়েক বছরের মধ্যেই দেখা যাবে এই ফাইন্ডিং নুতন তাফসীর হিসেবে দেখা দিচ্ছে। ইউসুফ আলীর বাংলা অনুদিত তাফসীরেও দেখলাম সেই আয়াতের ব্যাখ্যায় কোন কথা না বলে সোজা বলে দেওয়া হয়েছে যে সেই আয়াত এখন আর প্রযোজ্য নয়। এমনকি ক্রীতদাসী বা সেক্স এসব কিছুই নেই,
এপ্রোচ বদল করতেই হবে। কোথায় কোথায় নাকি হাদীস সংস্কারের কাজ চলছে, আশা করা যায় যে যেসব হাদীস সমালোচনার সুযোগ দেয় সেগুলি আসলে সহি হাদীস নয় বলে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে।
@আদিল মাহমুদ,
তাহলে তো মারাত্মক দুঃসংবাদ সবার জন্য। এসব সাধারনত যে কাজটা করে তা হল মানুষের প্রগতিশীল চিন্তায় সংমিশ্রন ঘটায়। প্রভাবটা সুদূরপ্রসারীই হয়ে থাকে। যেমন দেখুন, ইসলাম এখনো গাজ্জালীর প্রভাবমুক্ত হতে পারেনি। অথচ তার প্রভাবে যুক্তিবাদি মোতাজিলা সম্প্রদায় একেবারে বিলীন হয়ে গেছে।
@আদিল মাহমুদ,
শুধু তাই নয়, আল্লাহ পাক আরও বলেছেন যে তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে বেইমান কাফের সৃষ্টি করেছেন যাতে করে তিনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন। হাদিসও বলছে আল্লাহ চান তাঁর কিছু বান্দা যেন পাপকর্ম করে যাতে করে তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
এ কি বিচিত্র আল্লাহ–উনার মন বুঝা যে এতই দুষ্কর; মনে হয় পাগলের মনও কিছুটা প্রকৃতস্থ—কিন্তু আল্লাহর মন যে সম্পূর্ণ বেসামাল।
কোরানের আয়াতে আয়াতে খুঁজলে পাবেন অসামঞ্জস্যতা। কিন্তু ঈমান্দারদের অতিরিক্ত ইমান তাদের ঘিলুকে অকেজো করে দেয় বলেই হয়তো উনারা এগুলো দেখতে পান না। আর দেখতে পেলেও হয় বালুতে মাথা গুজে বসে থাকেন অথবা এর ইচ্ছেমত ব্যাখ্যা দিয়েই তবে নিদ্রা যান।
আসলে কোরান এক অপার বিনোদনের ভাণ্ডার। যতই পড়বেন শুধু বিনোদন। ধর্মকারীতে একটা সিরিজ বেশ উপভোগ করেছি- কোরানের বাণী, কেন এতো ফানি?
লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ। চালিয়ে যান।
@সৈকত চৌধুরী,
আসলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম দ্বারা ধরে রাখা হারাতে চাই কে বলুন? তার উপর আছে দোযখের মহাশাস্তি। ঈমান থাকলে তো যে কোন একদিন বেহেস্তে যাওয়ার আশা আছে। বেঈমান হলে যে সব শেষ। তারা এই কোরানকে তাদের প্রয়োজন মত ব্যাখ্যা করে নেয় যাতে নিজেরা সুবিধায় থাকে। সে ক্ষেত্রে যুক্তিবাদি দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখ্যা করার অবকাশই পান না।
আপনাকেও ধন্যবাদ। আশা আছে চালিয়ে যাওয়ার।
পরকালের যেসব পুরষ্কারের প্রলোভন দেখানো হয়েছে সেসব তৎকালীন নারী লোভী , মরুবাসীদের জন্য লোভনীয় হতে পারে। কিন্তু কোন মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ এরকম পুরষ্কারের কথা চিন্তা করতেও লজ্জা বোধ করবে। সভ্য মানুষের কাছে এগুলো তিরষ্কার ,পুরষ্কার নয়।
@তামান্না ঝুমু,
আপনার সাথে একমত। কোরানের এ অংশটি সম্ভবত অমানবিক বর্বরদের কথা চিন্তা করেই নাযিলকৃত। সুতরাং প্রশ্ন জাগে, জান্নাতবাসীরা কি সবাই এরকমই, যাদের জন্য এধরনের পুরস্কারই প্রযোজ্য?
@তামান্না ঝুমু, কী নির্মম পরিহাস! নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে একটু ভালো কাজ করবো, তারও উপায় নাই। আগে থেকেই মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে- ভালো কাজ মানেই ঐ হুরপরীদের লোভ!
@শ্রাবণ আকাশ,
লোভটা আসলেই কত জনে এড়াতে পারবে 🙂 ?
@শ্রাবণ আকাশ,
আগে থেকেই মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে- ভালো কাজ মানেই ঐ হুরপরীদের লোভ!
ভাল কাজের সঙ্গা ইসলাম ধর্মে অতি অস্পষ্ট ।ইহুদি ধর্মে মোশীর দশ আজ্ঞা বা খ্রিস্ট ধর্মে যীশুর দুই আজ্ঞার কথা বলা আছে । বৌদ্ধ ধর্মে রও মুল স্তম্ভ থাকলে ও ।
ইসলাম ধর্মে একদিকে যেমন ব্যাভিচার থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়েছে ,তেমনি দাসী কিংবা যুদ্ধ বব্দ্বী নারী দের উপর মিলিত হওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে । স্ত্রী ব্যাতিত অন্য কারো সাথে সঙ্গম কেই যদি ব্যাভিচার বলা হয় তাহলে এটা কেন ব্যাভিচার না?????? নাকি দাসী কিংবা যুদ্ধ বব্দ্বী নারীরা ধর্তব্যের ভিতর নয়।
@তামান্না ঝুমু,
খুব সুন্দর এক মন্তব্য করেছেন।
ধন্যবাদ
সহজ ভাষায় কোরানের চমৎকার বিশ্লেষণ পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। (*)
@অজ্ঞাত,
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আশা করছি নিয়মিত মন্তব্য করবেন। পরবর্তী পর্ব তাড়াতাড়ী দেয়ার চেষ্টা করব। সাথে থাকুন।
ভাল লাগল। চালিয়ে যান।
@হেলাল,
ধন্যবাদ আপনাকে।
আল্লাতো তার খেয়াল খুশি মত সব করেছেন।তাতে কার কি হল তার দেখার প্রয়োজন নেই।তার খেয়াল খুশিকে আর বেসি মদত দিয়েছেন ইসলামের জটাধারিরা।
আজীবন অমিমাংশিত সেই আখিরাতকে যদি বিশ্বাস না করি, তবে ঈমানদার হওয়া সম্ভব নয়। আমি একমত নই।আমি মানুস ,আমার মনুষত্ব আছে।আমার মনুষত্বএর মাঝে এ লুকিএ আছে আমার ইমান।তাই ইমানদার হওয়ার জন্য কনো ধরমের আধারের প্রয়োজন আমি অনুভব করি না।
ইসলাম নারীর অধিকার নিয়ে অনেক লম্বা চওড়া কথা বলে কিন্তু সবই ফাকা আওয়াজ মাত্র।আসলে পুরুষ আল্লারও পুরুষতান্ত্রিকতা প্রকাশ পেয়েছে সমাজে।
এই নিরাকার সত্তার সাথে সাক্ষাত করার উপায়টা হল পরকাল কিন্তু সেই পরকালেরও কনো অস্তিত্ব নেই।সুতরাং মিথ্যে আশা।
@নীল,
ইসলামে (ঈমানে মুফাচ্ছল) যে ৭টি বিষয়ের উপর অবশ্যই ঈমান আনতে বলা হয়েছে তার পিছনে আমার মনে হয় মানুষের মনুষত্বের কোন ভূমিকা রাখা হয়নি। বলা হয়েছে আখিরাতের উপর ঈমান আনতে হবে। এবং শুধুই বিশ্বাস করতে। সেটা মিমাংশিত বা অমিমাংশিত যাই হোক। ঈমান বলতে আসলে যা বুঝানো হয় তার সাথে আপনার চিন্তায় পার্থক্য আছে।
সুরা বাকারার ৩ নম্বর আয়াত (আংশিক)- যাহারা অদৃশ্যে ঈমান আনে——–
এজন্য আমার বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে, কেন ঈমানকে লুকিয়ে থাকতে হবে মনুষত্বের ভিতরে? ঈমান ছাড়া কি মনুষত্ব পুর্ণাংগ নয়?
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।