বাংলার নরম পলিমাটির শিরা-উপশিরায়,
বইছে আজো শহীদের রক্তধারা।
বাংলার নদীতে বইছে আজো-
সন্তানহারা, স্বজনহারা, সর্বহারা নর-নারীর অশ্রুধারা।

বাংলার আকাশের মেঘে মেঘে উড়ছে আজো –
উৎপীড়িত, গৃহচ্যুত মানুষের অশ্রুকণা।
বাংলার মানুষের অন্তরে বিঁধে আছে আজো
আলবদর, রাজাকার আর হানাদারের কালফণা।

সম্ভ্রমহারা রমণীর অভ্রভেদী আর্তনাদ আজো
ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয় বাংলার আকাশের বজ্রনাদে।
আজো বাংলার বৃষ্টি তার
হারানো সন্তানের তরে অঝোরে কাঁদে।

আজো স্বামীহারা নারীর সিঁথির সিঁদুর আর
লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত বাংলার সূর্য।
আজো বাংলার অন্তরীক্ষে ধ্বনিত হয়-
তার বিদ্রোহী ছেলেদের রণতূর্য।

আজো বাংলার বাতাসে শোনা যায়-
নিপীড়িতের কান্নার শব্দ।
বাংলা জননী আজো তার ক্ষত-বিক্ষত
দেহ-মনে দাঁড়িয়ে আছে নিস্তব্ধ।

হানাদারের বর্বরতার ইতিহাস পড়ে আজো
বাংলার মানুষের প্রাণ-
ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠে।
আজো বাংলার পথে-প্রান্তরে,
শহীদের সম্মানে ফুল ফোটে।