সনি হত্যা
২০০২ সালের জুন মাসের দ্বিতীয় শনিবার; টেণ্ডার নিয়ে ছাত্রদলের দুই বিবাদমান পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত কেমিকৌশল বিভাগের এক ছাত্রী; বুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, আমরা পেলাম বিশ্বকাপ ফুটবল দেখার অবসর; চান্সে খালেদা জিয়ার আদরের মুকি-টগর পাগাড়পার; সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য সংগঠিত হলো; মিছিল হলো, অনশন কার্যক্রম, ক্লাশ বর্জন, এর পর? এর পর একদিন দুপুরে অনশনরত ছাত্রদের শরীর থেকে স্যালাইন টেনে ছিঁড়ে ফেলা হলো, ঐ অবস্থাতেই মার দেয়া হলো কয়েকজন কে; সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের বিপরীতে উপহার? আবারো সন্ত্রাস। আবারো বুয়েট বন্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য।
দুর্গাপুজার ছুটি ও অন্যান্য
বুয়েট ভিসি বললেন, ঐ দুইচারজন মাইনরিটির জন্য ছুটি দেয়া যাবে না; ছাত্ররা আন্দোলনে, ছুটি ঘোষণা; অন্তে ছাত্রদলের মাস্তানদের চান্সে প্যাঁদায় কারা যেন(লীগ ইত্যাদি…) ; পরের দিন হলের ডাইনিং থেকে তুলে এনে প্রতিশোধ, চিপায় চাপায় মাইর, শোধ-বোধ! আমার মনে পড়ে, ছাত্রদলের ছেলেদের একটা স্মরণীয় উক্তিঃ ছুটি তো দিলাম, আর কি চাস তরা? এছাড়া বিভিন্ন ব্যাচ এর র্যাগ-লেভেল কম্পলেশন ইত্যাদি প্রোগ্রামের কথা বাদই দিলাম, ঐগুলি তো সরাসরি পকেটে…অধিকার আছে না! ক্ষমতাসীনের লেঙ্গুর বলে কথা।
চাঁদাবাজি
বুয়েটের সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়া থেকে শুরু করে আহসানউল্লাহ-নজরুলের ক্যান্টিন, হলের দোকানগুলি তে, ত্যানা(বড় রাজনৈতিক দলগুলির ডুমা) রা এমনকি পলাশীতে মাছ নিয়া বসে যে মূর্খ লোকটা আর ভাবতে থাকে “স্যারেরা দেশের বড় বড় ম্যাগনেট(?)”, তার কাছ থেকেও মাছ নিয়ে আসে, এক দোকানদার এর কাছে গেলাম র্যাগ এর প্রোগ্রামের সময়, “স্যার আপনাদের হলের অমুক ভাই(ছাত্রদলের নেতা) এর কাছে মশলার টাকা টা…”। ছাত্রলীগের এক পাঁতি(ইনি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক) বছর খানেক আগে পত্রিকার খবরেও চলে আসছিলেন [১]। সাবাশ বুয়েটিয়ান! সোনার মুকুটে যুক্ত হচ্ছে একের পর এক সাফল্যের পালক। এলামনাই এসোসিয়েশনের উদ্বৃত্ত টাকার দাবি, “স্যার ২৬ লাখ টাকা কি আপনি একাই খাবেন, না আমাদের ভাগ দেবেন? [২]”
এই ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে আমার মনে প্রশ্ন জাগে বুয়েটের উপাচার্য পদালংকার যিনি করছেন, তিনি কি দ্বিপদী নাকি চতুষ্পদী? এও সেই আঙ্গুলীয় হেলনে লেঙ্গুরীয় দোলানোর রাজনীতি, কি শিক্ষক, কি ছাত্র, আবারো অভিনন্দন!
[ছবিগুলিতে ক্লিক করুন বড় করে দেখতে ]
সাম্প্রতিক বয়ান
পাঁচ তারিখে লীগের কর্মীরা প্রতিপক্ষ ফ্রন্টের নেতাকর্মীদের মারধর করে পাঠিয়ে দেয় বুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারে। কি কারণ? “টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিবিরোধী” পোস্টার। এটা ঘটে শনিবার দুপুরে। ক্যাফেটেরিয়া তে। এর পর?[৩] নজরুল ইসলাম হল ও রশীদ হলের ফ্রণ্টের কর্মীদের রুমে ভাংচুর! পরের দিন সকালে নাস্তা করতে গিয়ে একই নেতা-কর্মীরা(গৌতম, মামুন, …) আবার মারধরের শিকার এবং ক্যম্পাস ছাড়ার হুমকি। প্রশাসন কই? প্রশাসন এর আশ্বাস, “তোমরা সম্পূর্ণ নিরাপদ, সন্ত্রাসীদের ব্যবস্থা নেয়া হবে, তোমরা হলেই থাকো!” ফলাফল? সাত তারিখ রাতে ক্যান্টিনে আবার। বর্ণনা পড়ুনঃ
গতকাল ৭ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় আহসান উল্লাহ হল কেন্টিনে খেতে গেলে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী রনক আহসানের নেতৃত্বে মাছুম, সোয়েব, ওয়ালিদ, জিয়াসহ প্রায় ২০/২৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা লোহার রড, হকিস্টিক, লাঠিসহ হামলা করে গৌতম কুমার দে এবং মামুন মোর্শেদকে মারাত্বক ভাবে আহত করে। সন্ত্রাসীরা গৌতম কুমারকে মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত মনে করে তারা চলে যায়। আশাঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। বুয়েট থেকে ঢাকা মেডিকেলের রাস্তা ৫ মিনিটের রাস্তা হলেও বারবার ফোন করার পরও ভিসি, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক প্রায় ২ ঘন্টা পর সেখানে উপস্থিত হন। সেখানেও কর্তৃপক্ষের কথায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাদের অসহায়ত্বের কথাই বারবার ফুটে ওঠে। কর্তৃপক্ষের এই নতজানু অবস্থান এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে দায়িত্বহীনতার পরিচয়ের কারণে এই বর্বর ঘটনাটি ঘটে।[৪]
এখানেই কি শেষ? পরের দিন আবার পলাশীর মোড় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফ্রন্ট কর্মীকে মেরে হাসপাতালে প্রেরণ।
এইবার?
সন্ত্রাস বিরোধী ছাত্র ঐক্য গঠিত হবে? কিন্তু এবার তো কেউ মরে নাই! কেউ কেউ বলে, রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক! কেউ আবার আবার ‘ফ্রণ্টেরই তো দোষ, এরাই সবসময় গ্যানজামের চান্স খুঁজে!’ শেখমুজিব কে নিয়ে বাজে কথাও নাকি লেখা আছে গৌতমের ডায়েরীতে। সে ডায়েরী যারা পড়েছে, তারা অন্তত ডায়েরী চুরির অভিযোগ থেকে রক্ষা পায় না।
তাহলে এবার কি করা যায়? আশু দাবি ২ টা, এক ভাংচুর ইত্যাদির ক্ষতিপূরণ প্রদান, জড়িতদের একাডেমিক শাস্তির ব্যবস্থা। ব্যবস্থা নিবে কে? প্রশাসন তো নিজের লেজ সামলাতেই ব্যস্ত!
সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এবং
মোশাহিদা সুলতানা ঋতুর[৫] লেখা টা থেকে এইটুকু কোট না করে পারছি না,
শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার জন্য ছাত্রদের এই লড়াইকে সম্মান জানিয়ে আমরা চাই সন্ত্রাসীদের শাস্তি ও বিচার | সারা দেশবাসীর প্রয়োজন এই সব অকুতোভয় ছাত্রদের পাশে দাড়ানো | চার দিন ধরে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী তত্পরতার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান না নিয়ে বুয়েট প্রশাসন যেই নির্লিপ্ততার নমুনা আমাদের সামনে হাজির করেছে তা আবারও প্রমাণ করে আমাদের ছাত্রদের মধ্যে হীনম্মন্যতার বীজ বপণ করার জন্য দায়ী আমাদের প্রশাসন এবং আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা | আমাদের ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-দখলদারিত্ব মুক্ত করতে হলে নিষ্ক্রিয় প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে বাধ্য করতে হবে | যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করবে ততদিন সারবে না সমাজের মধ্যেকার এই গভীর অসুখ – হীনম্মন্যতা।
প্রত্যেকবার কি ঘটে থাকে এবং পরিণতি তে কি হয় আমরা জানি; সনির মৃত্যুদিবস ভুলে গেছে অনেকেই, কিন্তু সেই সন্ত্রাসী মুকি-টগর এখনো ধরাধামেই আছে; আমাদের হীনমন্যতার প্রশ্রয় পেয়েই এরা টিকে ছিল, টিকে থাকে; এখনই সময়, এদের চিনে রাখি, এদের প্রতিহত করতে শুরু করি।
p.s. ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের নামগুলি মনে রাখুন(ব্যাচসহ): রওনক আহসান(০৪), বিতু(০৫), রানা(০৬), মোকাম্মেল(০৬), পলাশ(০৬), ফাইরুজ(০৬), মম(০৭), সামি(০৭), তন্ময়(০৭), মাসুম(০৭), সোয়েব(০৬), ওয়ালিদ(০৭), জিয়া(০৭)
[১] http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-02-25/news/44906
[২] http://www.facebook.com/notes/sadat-hasan/%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A7%8B-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%EF%BF%BD%EF%BF%BD/10150122372992840
[৩] http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=151802&cid=3
[৪] http://move4world.com/?p=1060
[৫]http://opinion.bdnews24.com/bangla/2011/03/09/%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B6/
বাধঁন আর মূর্চ্ছনার মত অরাজনৈতিক সংগঠনও এখন বুয়েট ছাত্রলীগ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। অর্থ্যাৎ যত অনুষ্ঠান এ চাঁদা তোলা হয় সব কিছুতে ছাত্রলীগের ভাগ থাকে।
আমি অত্যন্ত লজ্জিত বোধ করি যখন রাজনৈতিক পরিচয়ে কেউ আমাকে চিনে ফেলে । কাউকে বুক ফুলিয়ে বলতে পারি না আমি ‘অমুক বা তমুক’ ছিলাম । কোনো সাংসদ বা মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা হলে বরাবরের মতোন কুন্ঠিত বোধ করি, মিইয়ে যাই, যা তাদের বলতে চাই তা শোনার সময় এবং ধৈর্য্য তাদের কোনোদিন হবে না । এই দুষ্টচক্র এতোটাই শক্তিশালী যে আমাদের মতোন মানুষের পক্ষে কিছু করা খুব কঠিন । সংগঠনকে চালাতে হলে, কথা শোনাতে হলে সেখানে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে হয় । আর যদি আমি নৈতিকতার কথা বলি তাহলে সংগঠন আমাকে বাইরে ছুড়ে ফেলে দেবে । হয় আমাকে যে কোনো মূল্যে আকড়ে থাকতে হবে নতুবা নৈতিকতাকে পূঁজি করে বাইরে বের হয়ে যেতে হবে । আর বাইরে বের হয়ে যাওয়া মানে সংগঠনের উপর কিছু বলা বা করার অধিকার হারানো ।এই অবস্থায় মানুষ কি-ই বা করতে পারে যারা সৎভাবে কিছু পরিবর্তনের কথা ভাবে এবং চায় ? ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের (কেন্দ্রীয় বড় বড় পদগুলো সবসময়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনার ছেলেদের দখলে থাকে)কাছে বুয়েট ছাত্রলীগ কোনোদিন পাত্তা পায়নি । একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পাত্তা পায় না মহানগরের কাছে ।আমি কোনোদিন বুয়েটের ন্যাতা কে বা কারা তা চিনতাম না যেহেতু প্রয়োজনই পড়েনি, আর এখন তো প্রশ্নই আসে না । বুয়েটের এই ন্যাতাদের রাজনৈতিক অবস্থান যতোটা নয় তারচে বেশি আশ্রয় দিচ্ছে বুয়েট প্রশাসন । প্রশাসন নিজেদের প্রয়োজনে এদের জিইয়ে রেখেছে ।তাই এতো বাড় বেড়েছে । এই ন্যাতারা এধরনের কাজগুলো করে যাতে পত্রিকায় তাদের ছবি আসে, মানুষ চিনতে পারে, বেশি বেশি পাবলিসিটি হয়, এতে ভবিষ্যতে নমিনেশন পাবার সম্ভাবনা তৈরি হয় । ডানপন্থী দলের এটাই ট্রেন্ড ।বড় বেশি আত্মবিশ্বাস নিজের উপর থাকায় ওই পথ মাড়ানোর প্রয়োজন কোনোদিন বোধ করিনি ।অনেক তথাকথিত আত্মোৎসর্গকৃত ন্যাতা দেখেছি যারা পরে আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে ।সময় কাউকে ক্ষমা করে না এটাই সত্য । আমি পূর্বসূরী হিসেবে ব্যর্থ তাই আমি লজ্জিত ও দুঃখিত এবং একইকারণে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারি ।পারলে বুয়েট প্রশাসনকে কিছু করা হোক, এই ন্যাতারা কোথাও জায়গা পাবে না । প্রশাসনের ছায়ার বাইরে ওদের হাঁড়ীতে আস্ফালন করার মতোন খুব বেশি কিছু জমা নেই ।
বাকীদের ছবিও দেখার আশা রাখছি। এদের চিনে রাখুন। লীগের পাচাটা কুত্তাগুলাকে।
আরেক সোনার ছেলে রিদুয়ান সাইদ রানা (০৫, ০৬ নয়)
[img]http://img26.mediafire.com/973099cf3d56ac65a6b54d88aa60817fc53bf92c2dfa50973b5cea78661a649b5g.jpg[/img]
বি.দ্র.: রানা ও গৌতম এর জন্মদিন একই দিনে তাই তাদের বন্ধুরা একই সাথে দুইজনের জন্মদিন পালন করত..…কিন্তু হায় রাজনীতি! ঘটনার দিনে আহসানউল্লাহ হলের ক্যান্টিনের বাইরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে মজা দেখেন এই বিশিষ্ট ছাত্রনেতা
আরেক সোনার ছেলে রিদুয়ান সাইদ রানা (০৫, ০৬ নয়)
[img]http://www.mediafire.com/?3vaqoe7yz7dl42e[/img]
বি.দ্র.: রানা ও গৌতম এর জন্মদিন একই দিনে তাই তাদের বন্ধুরা একই সাথে দুইজনের জন্মদিন পালন করত…কিন্তু হায় রাজনীতি! ঘটনার দিনে আহসানউল্লাহ হলের ক্যান্টিনের বাইরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে মজা দেখেন এই বিশিষ্ট ছাত্রনেতা
ফায়রুজঃ
[img]http://a8.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc6/196412_1902258154703_1189171967_3597706_7481906_n.jpg[/img]
রনক:
[img]http://a2.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash2/38044_415586898259_618823259_4555448_969995_n.jpg[/img]
একজন ছাত্র কে ধন্যবাদ;
শিক্ষাঙ্গনই বোধহয় একমাত্র ক্ষেত্র, যেখানে খুন, সন্ত্রাস ও ধর্ষনের যথাযথ বিচার হয় না। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর আশির্বাদও কাজ করে। …
একসময়ে ঢাবির ত্রাস গোলাম ফারুক অভির উত্থানের নেপথ্যেও দুষ্ট রাজৈনিতক চক্র কাজ করেছে। স্মরণ করিয়ে দেই — এক সময়ের মেধাবী ছাত্র থেকে অভি ছাত্রদলের শীর্ষ সন্ত্রাসী, পরে দল বদল করে এরশাদের নতুন বাংলা ছাত্র সমাজের ক্যাডার হয়ে জাপা’র টিকিটে (মঞ্জু) সাংসদ পর্যন্ত হয়েছিলেন! বছর দশেক আগে মডেল কন্যা তিন্নি হত্যা মামলার দায়ে এখন তিনি প্রবাসে ফেরারী। …এ দেশের শিক্ষাঙ্গন এখনো এমনই সব অভিদের জন্ম দিয়ে চলেছে। …
তাই–
এরপরেও শিক্ষাঙ্গণ পুরোপুরি সন্ত্রাসমুক্ত হবে না। কারণ সমস্যার শেকড় আরো গভীরে। …
ভাবনাটিকে উস্কে দেওয়ার জন্য স্বাক্ষর শতাব্দকে ধন্যবাদ। চলুক। (Y)
কবে যে আমাদের দেশ থেকে ছাত্রলীগ,ছাত্রদল,শিবিরসহ সকল ডান ও দক্ষিনপন্থী ছাত্রসংগঠনের ছাত্ররা মধ্যযুগীয় কায়দায় ধর্মীয় সন্ত্রাস,পার্টি সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ করবে তার উত্তর কি আমাদের ১০ টন ওজনের মোটামাথাওয়ালা রাজনীতিবিদরা দিতে পারবে ?
পারবে না,কারন তাদের ছেলেমেয়েরা তো এখন আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে না । মারা তো যায় তাদের সন্ত্রাসের স্বীকার হয়ে মেধাবী সনির মতো আরো মেধাবীরা সাথে পঙ্গুত্ববরন করে নাম না জানা শত শত ছাত্র-ছাত্রী।
ধন্যবাদ, লেখাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
যেই যায় ক্ষমতায় সেই হয় সন্ত্রাসী! ক্ষমতাকেই বড় ডরাই এখন!
ছাত্রলীগের সন্ত্রাস বন্ধ করার কী কোন উপায় নেই? কী যে এক অদ্ভুত দেশ আমাদের। বড্ড অসহায় লাগে এগুলো দেখলে :-X । দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরও রেহাই নেই সরকারী দলের ক্ষমতার অপব্যবহার আর গুন্ডামীর হাত থেকে!
(W)
এখন পুলিশ প্রহরা আছে, তার উপর রুমে রুমে গিয়ে হুমকি চলছে, অনেকেই এই বিষয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস পর্যন্ত দিতে পারছে না, প্রশাসন কোনোভাবেই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানে সক্ষম নয়; এভাবেই তাহলে চলতে থাকবে?
ডায়েরী থেকে ছাত্রলীগের উল্লুকেরা যা যা তথ্য পেয়েছে তা থেকে ছাত্র ফ্রণ্টের অপরাধ সমূহঃ
১। মুক্তিযুদ্ধের অ-আওয়ামী লীগীয় বয়ান(ইয়াহিয়া ও শেখ মুজিব দুইজনকে এক সাথে কুত্তা বলা যাবে না, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ কলুষিত হবার চান্স আছে)
২। অবাধ যৌনাচার
৩। নাস্তিকতা
৪। চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে বুয়েট ক্যাম্পাসে অনাস্থা সৃষ্টি করা
এই গুলি এখন ছড়ানো হচ্ছে এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ফ্রন্ট নিয়ে এক ধরণের নেগেটিভ ধারণা তৈরীর চেষ্টা চলছে। ফলে বিষয়টি শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধিতার রূপ নিতে পারে।
@স্বাক্ষর শতাব্দ,
অত্যন্ত জোরালো লেখা। এই লেখা থেকে আমি আরো অনেক কিছু বিস্তারিত জানতে পারলাম।