আহারে বর্ষা, কি যে ভাল লাগে চমকানো সেই স্বচ্ছ ফোঁটার লাফ
ভাল লাগে জলধারা, সাথে যদি থাকে দুষ্টু ভেজা, একটু বাতাস ছাঁট।
ভাল লাগে জল-পর্দা পারের নীল সাদা রঙা আলো। মাটির গন্ধ,
ঝমঝমা ঝম বৃষ্টি, নৈঃশব্দ। টাপুর টুপুর ভেজা দুপুর, সব ভাল লাগে।
আলসে গ্রহের ক্রমে ভিজে ওঠা, কেঁপে ওঠা সব লজ্জা, ভাল লাগে।
থমকে পড়া বৃষ্টি ফাঁকে ছোট্ট পাখির লাফ, খোঁজাখুজি, ভাল লাগে।
খুব ভাল লাগে ভিজে বেড়ালের পিছলে যাবার দৌড়। আলসে কুকুর,
শীতভেজা চোখ, ঘুমঘুম চাওয়া, এমনি বর্ষা, ভালো লাগে ভরপুর।
খোলা দরজার ভেজা ভেজা ভাব, সকাল দুপুর রাত, কি যে ভাল লাগে।
উল্টে পাতা, রয়ে সয়ে থুয়ে সব প্রিয় লেখা, পড়তে যে ভাল লাগে,
ইলিশ গন্ধ, ভাজা পোড়া ঝাল, ভত্তা খিচুড়ি, ভাল কেন লাগে এত?
উদাসি একটা কবি কবি ভাব জুবুথুবু ভাল লাগে। কত কী যে ভাল লাগে।
ভাল লাগে উষ্ণ আবেশে আধবোঁজা চোখের ঝিম। ভেজা গায়ে মাখা
কদম গন্ধ, কবিতা অন্তমিল। মনের পাখায় ভাসতে যে লাগে ভাল।
ভাল লাগে তোমার চোখের হারিয়ে যাবার নীল। একজন বন্ধু,
একটু একান্তে, জড়াজড়ি ভাল লাগে। আহা, কত কী যে ভাল লাগে।
সালাম কাজী ভাই, আমি ‘একুশের’ হামিদা। আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগছে 🙂 আশাকরি ভালো আছেন?
আমি মুক্তমনাতে নতুন। কিছু দিন হতে চললো লেখা পড়ছি আর কেমন্ট করছি। যেদিন মুক্তমনা আমাকে লেখার সুযোগ দেবে সেদিন থেকে লেখা দেবো
মুক্তমনার একসেসের অপেক্ষা আছি…
আপনার লেখা এখানে পড়তে পেরে ভালো লাগছে
ভালো থাকবেন ও শুভেচ্ছা
@হামিদা রহমান,
মুক্তমনা আতিথি লেখকদের লেখা প্রকাশ করে।
সদস্য হতেই হবে এমন কোন কথা নেই। নীতিমালা মেনে লিখলে, চললে এবং নিয়মিত অংশগ্রহন করলে মুক্তমনা আপনা থেকেই আপনাকে সদস্যপদ উপহার দেবে। নীড় পাতার বাঁ দিকের মার্জিনে “মুক্তমনা সংক্রান্ত” বিষয়ে নীতিমালা, লেখা পাঠানোর নিয়ম ইত্যাদি দেখুন।
আপনাকে চিনতে পেরে খুবই আনন্দিত হয়েছি। সুন্দর লেখার অপেক্ষায় থাকলাম এবং মুক্তমনায় স্বাগতম।
ব্যক্তিগত প্রশ্ন যদিও এখানে করা সমীচীন না আমার কেন জানি ওভার কনফিডেন্স হচ্ছে আপনি “একুশ” এর সেই কাজী রহমান। মেইক সিউর করলে খুশি হবো।
ধন্যবাদ
@হামিদা রহমান,
উত্তর সঠিক হয়েছে; ১০ নম্বর দেয়া গেল। আপনাকে মুক্তমনাতে দেখে ভালো লাগছে। আপনার মুক্তমনের লেখা কবে দেখতে পাবো? মুক্তমনাদের পক্ষ থেকে সাদর আমন্ত্রন রইল। (F)
পড়তেও বেশ ভালো লাগলো কবি
@হামিদা রহমান,
ভালো লাগে বলে লিখি, আপনি কবি বললেন এটা আমার কবিতার ভালো লাগার চেয়েও বেশী ভালো লাগলো। (F)
শত্রুকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে বাধ্য করা যায় । কিন্তু মিত্রতার ভিত্তি পারস্পরিক যোগসূত্রতা যার প্রতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে শর্তের নাজুক জালিকা।অতএব , একজন ‘শর্তহীন বন্ধু’ মরীচিকা মাত্র।
নিঃশর্ত আত্মসমর্পণকারী শত্রুর আনুগত্য প্রমানের দায়বদ্ধতা থাকে যেটা মিত্র পক্ষের নেই। তাই অসময়ে মিত্র পক্ষের দ্বারা জীবন্ত ভক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুনে বেশী।
আমার কাছে সুতরাং মিত্রের চেয়ে একজন নিঃশর্ত আত্মসমর্পণকারী শত্রুই অধিক কাম্য। এটা ছিলো আমার ‘জীবন বিশ্ববিদ্যালয়ের’ ছাত্রজীবনের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পাঠ্যসূচি।
-সংশপ্তক
@সংশপ্তক,
সবই তো ঠিক আছে বন্ধু কিন্তু আপনিও যে কখনো অর্থহীন ভালো লাগার ফাঁদে পড়েননি এমনটা বলতে পারবেন? ভালো লাগায় শর্ত জুড়তে আপনার কি কখনো আলসেমি লাগেনি? জীবনটা কি শুধুই গাণিতিক আর যৌক্তিক হতে পারে? কতই তো রহস্য আছে যা আমারা ইচ্ছা করেই সমাধান করতে চাই না, ভালো লাগে, তাই। চাই কখনো যেন সমাধান না হয়, কারন; তা ভালো লাগে (F)
@কাজী রহমান,
যা বললেন , সবই তো ঠিক আছে , অন্তত মানব-মানবীদেব ক্ষেত্রে ।
যেমন , দুজন মানুষের প্রেমে পড়ার জন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দায়ী নয়।
প্রেমে পরা মানে একটা গর্তে পতন । সেই গর্তের গভীরতা পতনের বিস্মৃতির সমানুপাতিক। প্রেমে পড়া আর ফ্লু লাগার মধ্যে পার্থক্য – ফ্লুর টিকা আছে।
তবে, দেবী এবং দেবতাদের প্রেম রাসায়নিক, গাণিতিক এবং যৌক্তিক । মৌলিকও বটে (@) তারা জটিলতা একটু কম করে থাকেন। (F)
@সংশপ্তক,
হ্যাঁ দেব দেবী যদি যুক্তির পাটাতন পায় তাহলে কোন কথা নেই। আপনি মঞ্চ পেলেন। গর্তে পড়ার ত্বরণের ও আনুপাতের অঙ্কটা কিন্তু বেশ মজার। ভালো থাকুন এবং আনবরত গর্তে পড়তে থাকুন। :-[
আহা এমন যদি থাকত এই ধরায়,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
মন ছুঁয়ে গেল প্রান জুড়ে গেল আজ সকালবেলায় এমন কবিতার সমারোহে (F)
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
ঠিক বলেছেন। মন ছুঁয়ে গেল।
@আফরোজা আলম,
আলাদা করে আপনাকেও ধন্যবাদ। (F)
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
সত্যি, এমন যদি থাকতো। আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
ভাল লাগল!
@লাইজু নাহার,
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।