চিন্তা করে দেখলাম, দুনিয়াবি হাবি-জাবি নানা কাজে আমার সর্বক্ষণ বিজি থাকার কথা থাকলেও আমি মোটামুটিভাবে দুইটা কাজে সারাদিন বিজি থাকি। চা এবং সিগ্রেট খাওয়া। দুইটা খ্রাপ কাজ মানি, এও মানি যে চা খেলে মানুষ কালো হয়ে যায়। তো মাঝেই মাঝেই যখন শুদ্ধস্বরে যাই, এক কাপ চা নিয়ে শুদ্ধস্বরের টুটুল ভাইয়ের সামনে বসে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ পাড়ি। টুটুল ভাই এখন খ্যাতনামা প্রকাশক, প্রতিদিন পেপারে বইমেলা নিয়ে তিনি কী ভাবছেন তা নিয়ে জ্ঞানগর্ভ লেখা বের হয়, মেলায় প্রতিদিন নিয়ম করে তিনি পাঁচটা সাক্ষাৎকার দেন টিভি ক্যামেরার সামনে। আমাদের মতো চুনোপুঁটিদের তার পাত্তা দেবার কোনো কারণ নেই, কিন্তু তিনি দেন। এমন কী তার বদ্ধরুমে ভস ভস করে ধুয়া ছাড়লেও মাইণ্ড করেননা।
ধূর! আমার অভ্যাস খ্রাপ হয়ে যাচ্ছে। ডকিন্সের মতো এক কথা পাড়তে যেয়ে হাজারটা কথা বলে পাঠকের তার ছিঁড়া দেই। যাই হোক, বলছিলাম শুদ্ধস্বরের দোকানে টুটুল ভাইয়ের সামনে বসে চা খাওয়ার কথা। তো জানুয়ারির দশ তারিখে এমন চা খাওয়ার সময় হঠাৎ টুটুল ভাইয়ের কাছে ফোন আসলো একটা, তিনি ফোনে কথা বলে বিমর্ষ হয়ে তার ডান হাত পিয়াস ভাইয়ে ডেকে এনে শুধালেন, ওহে পিয়াস! ইয়ে তো স্টল করতে পারবেনা।
আমি কান খাড়া করে রাখলাম। ইয়ে স্টল করতে না পারলে তো খুবই ভালো কথা। সামিয়া হোসেন পারবে। তিনি আবার আমাকে ম্যানেজার বানাইছেন, আমিও কর্মঠ ম্যানেজারের মতো ক্লায়েন্টকে কাজ জোগাড়ের ধান্ধায় টুটুল ভাইকে বললাম, সামিয়া হোসেন তো আছে। ওই করে দিবে। টুটুল ভাইয়ের এই পর্যায়ে এসে বলার কথা ছিলো, “ও! তাহলে ওর সিভি আর পোর্টফোলিও নিয়ে আসতে বলেন একদিন। কথা বলে দেখি”।
উনি সেটা করেন নাই। কারণ তিনি সামিয়া হোসের প্রচ্ছদ দেখে মুগ্ধ, এবং পুরাতন সেই প্রবাদের সাথেও পরিচিত। যে প্রচ্ছদ রাঁধে সে স্টলও বাধে। তাই বাংলা একাডেমী সাতাশে জানুয়ারি মেলা প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে দেবার পর থেকেই শুরু হলো আমাদের বইমেলা। সামিয়া হোসেন দিন রাত সটান হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে স্টল তৈরি করছে কিন্তু এখন তাকে নিয়ে মেলায় ঘুরতে গেলে মহা বিপদ। বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে ‘আপা, আপা’ বলে ডাক আসে। তারপর প্রকাশকরা সামিয়াকে বলেন, ‘আপা আপনার বিক্রি কেমন হচ্ছে? জায়গা তো এইবার ভালোই পাইছেন, স্টলটাও সবচেয়ে সুন্দর’। এনারা নাকি সব সামিয়া হোসেনের বন্ধু। মহা বিপদ। কোথায় জগতের অমোঘ নিয়মানুসারে স্ত্রী, স্বামীর পরিচয়ে পরিচিত হবে, আর আমাকে কিনা বলতে হয় আমি সামিয়া হোসেনের ইয়ে! যত্তোসব!
প্রথমদিন বইমেলায় যাওয়া বিপদ। সেদিন এদেশের সূর্যসন্তান এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক ছাত্রলীগরা পুরো ময়দান দখল করে রাখি, আমি তাই বরাবরের মতো এইবারও প্রথমদিন বাসায় চলে আসছি। টুটুল ভাই আমাকে ধারণা দিসিলেন, বই ছাপা হয়ে গেছে, শুধু বাইন্ডিং বাকি আছে। বেহায়ার মতো শোনাবে বলে, ঠিক কবে আসবে আমিও আর আগ বাড়ায়ে জিজ্ঞেস করিনাই! কিন্তু আসলে প্রথম বই প্রকাশের একটু হলেও উত্তেজনা বিরাজ করছিলো অন্তরে। আমি রাতের বেলা টুটুল ভাইকে এসএমএসের মাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে জানতে চাইলাম বই কবে নাগাদ আসতে পারবে?
টুটুল ভাই এক ঘন্টা পরে জানান দিলেন, আপনার বই তো চলে আসছে। কস্কি মমিন! মেলায় বই আসলো আমি আমি বাসায়। তাইতো কবি বলেছিলেন, রায়হান যেদিকে চায়, সাগর সেদিকেই শুকায় 🙁
কী আর করা যাবে। পরের দিন দুপুর হতেই মন আর ল্যাবে থাকতে চায় না। স্যারকে ভুং ভাং দিয়ে বেরুলোম বইমেলার উদ্দেশ্যে। এবারের বই মেলার প্রধান বৈশিষ্ট্য মেলা প্রথম থেকেই ব্যপক জমজমাট। আর দ্বিতীয় দিনে আমাদের প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রান্ড ডিজাইন খ্যাত তানভীরুল ইসলাম। উনি সিংগাপুর থেকে দুই তারিখ সাড়ে বারোটায় ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরনের বিকালেই চলে আসেন বইমেলায়। উদ্দেশ্য তার “দামী ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা”।
তানভীর ভাইয়ের থেকে আমি গত তিন দিনের ছবি সংগ্রহ করেছিলাম মুক্তমনায় আপের আশায়। আজকে দেড়শর বেশি ছবি প্রসেস করে সেগুলো পিকাসাতে আপ করে রেখেছিলাম রাতে পোস্টে দেবো এই উছিলাম। এখন বাসায় ফিরে মরার পিকাসাতেই ঢুকতে পারতেছিনা। কী আর করা। প্রসেস করা ফাইল ল্যাবে রেখে আসায় এখন আবার কয়েকটা প্রসেস করে একটা একটা করে আপ করলাম। কালকে সকালে বাকি সকল ছবির লিংক দেবো, আগ্রহীরা দেখে নিতে পারবেন।
ছবিতে ক্লিক করলে বড় হপে।
মেলায় এবার ব্যপক ভীড় -১
মেলায় এবার ব্যপক ভীড় -২
গতকালের (৪ঠা ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় বাংলা একাডেমী আয়োজিত আলোচনা সভার বিষয়বস্তু ছিলো, রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞান ভাবনা। সেখানে সভাপতি ছিলেন শ্রদ্ধেয় অজয় রায় স্যার।
ডিজিটাল বাংলাদেশ ২
সবশেষে দাজ্জাল
ধন্যবাদ অভিজিৎ । লেখকের এমন গুরুত্বপুর্ন ছবি প্রকাশের জন্য ।
ধন্যবাদ আপনাকে। বিদেশে বসেও বইমেলার কিছু ফটো দেখতে পেলাম আপনার সৌজন্যে। আমার প্রিয় জায়গা। আমি কখনো বইমেলায় যাওয়া মিস করিনি।আমার খুব কান্না পাচ্ছে আজ। সত্যিই আজ আমি খুব মিস করছি। একটু আগে মাকে ফোন করতে গিয়েও কেদেছি ।
আপনেরে মাইনাস :guli:
সামিয়া আপু হিল পরে কিনা জানিনা, কিন্তু আমি তারে বুদ্ধি দেই, পাবলিকরে সাইজ করতে মাইরের উপরে ঔষধ নাই। আমি তো হিল পরিনা তাই হাতই ভরসা, আপনিও শুরু করতে পারেন, আপু 😉
অভিনন্দন রায়হান আবীর। সাথে সামিয়া হোসেনকেও।
ইহুদী নাসারা মোসাদের চরের থুড়ি তানভীরুলের ক্যামেরার কল্যাণে রায়হানের অটোগ্রাফ দেয়ার কিছু বিরল মুহূর্তের ছবি পাওয়া গেছে। ব্লগে দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। আপনারাই দ্যাখেন – রায়হান কত জনপ্রিয়। সাধে কি আর নিজেরে ডকিন্স ভাবতেসে :))
[img]http://www.mukto-mona.com/project/boimela2011/mela/raihan_auoto1.JPG[/img]
[img]http://www.mukto-mona.com/project/boimela2011/mela/raihan_auoto2.JPG[/img]
[img]http://www.mukto-mona.com/project/boimela2011/mela/raihan_auoto3.JPG[/img]
[img]http://www.mukto-mona.com/project/boimela2011/mela/raihan_auoto4.JPG[/img]
[img]http://www.mukto-mona.com/project/boimela2011/mela/raihan_auoto5.JPG[/img]
[img]http://www.mukto-mona.com/project/boimela2011/mela/raihan_auoto6.JPG[/img]
এবং সবশেষে দাজ্জাল থুড়ি – একজন সফল লেখকের সাফল্যের হাসি – 🙂
[img]http://www.mukto-mona.com/project/boimela2011/mela/raihan_shofol.JPG[/img]
@অভিজিৎ, পাঠক অটোগ্রাফ পেয়ে যতটা না খুশি, রায়হান ভাই অটোগ্রাফ দিয়ে তার চেয়ে দ্বিগুণ খুশি! ১ থেকে ক্রমানুসারে ৩ নং ছবি দেখেন, হাসি প্রশস্ত হইতে হইতে কর্ণযুগলের দিকে চলে যাইতেছে, ইংরেজিতে যারে কয় grinning from ear to ear :))
@পৃথিবী,
হা হা ঠিক ঠিক – :lotpot:
@অভিজিৎ,
ছিঃ অভিদা ছিঃ আপনি পারলেন এভাবে ব্লগে আমাকে ন্যাংটো করে দিতে। অটোগ্রাফ দিতে না পারার বেদনার্ত হিংসা তো আপনাকে একেবারে অমানুষ বানিয়ে দিলো … :((
@রায়হান আবীর,
রায়হান,অভির এই কমেন্টস এ এটা কি জোক করলা ? কেমন যেন অস্বস্তিকরপূর্ন শব্দগুলি !!
মামুন ভাই, বলেন কী!
আমার দ্বারা ফাজলামো হবেনা মনে হয় 🙁
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
হাঃ হাঃ মামুন ভাই। ইটস ওকে। রায়হান যে বিয়াদ্দপ বেয়াল্লিশ তা বাংলাদেশে যাওয়ার সময় থেকেই জানসি। আর বই বের করার আনন্দে মাত্রা একটু ছাড়ায় গ্যাছে আর কি… 🙂
@রায়হান আবীর,
:lotpot: :lotpot: :rotfl:
@অভিদা, ভাল কাজ করসেন 😀
@সামিয়া,
ধন্যবাদ। আপনার কাজের নীরব ভক্ত আমি সবসময়ই। আমাদের বইয়ের প্রচ্ছদ, মুক্তমনার ব্যানার – এখন শুনলাম শুদ্ধস্বরের স্টলের ডিজাইনও আপনার করা। আর সবচেয়ে বড় কথা হল – আপনার হিজাব মুক্তির জন্য সাধুবাদ। উপরে রায়হানের সাথে এটা নিয়ে রসিকতার জন্য নিশ্চয় কিছু মনে করেননি।
আপনি ইমেইল চেক করেন। এখন লেখা দেয়ার ব্যাপারে আর কোন ওজর আপত্তি নেই। :)) আর ইয়ে…এর পাশাপাশি ১২ তারিখে ডারউইন দিবস উপলক্ষে একটা ব্যানার যদি… (H)
@অভিজিৎদা, অনেক খুশি হয়ে গেলাম সকালে উঠেই, নিজেকে সেইরকম বুদ্ধিমান বুদ্ধিমান লাগল :p
আর, :)), অবশ্যই দিব। আর প্রশংসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, কে’না নিজেকে নিয়ে ভাল ভাল কথা শুনতে ভালবাসে 😀
@সামিয়া, আভিজিৎ দার মত বড় লেখকেরা প্রশংসা করলে সমস্যা নাই, আর আমি ভাল বুইঝা প্রশংসা করলাম বইলা মাইর খাইতে গেছিলাম কেন??? শ্রেণীবৈষম্য চলবেনা না চলবে না :-[
@অভিজিৎ, ওরে রায়হান ভাইয়ের হাসি রে, দাঁত যে আর ভিতরেই যায় না…স্বপ্নেও মনে হয় এহন অটোগ্রাফ দেয় :lotpot:
অভিদার হিংসামির কারণ বুঝতেছিনা, কমবয়সী নারী ভক্ত তো দেখা যাচ্ছেনা ছবিতে
@অভিজিৎ দা,
খাড়ান, আমি আরেট্টু বড়ো হৈয়া নি; তার্পর আমি ভৈ লিখমু; ঐ রহম অটোগ্রাফ দিমু! 😉
বইটা কিনছি, এখোনো পইড়া শেষ করতে পারি নাই । তবে প্রচ্ছদ ভালো হইছে ।
@লিটন,
আমার ধারণা অসাধারণপ্রচ্ছদটার জন্যই সবাই বইটা একবার হলেও নেড়ে চেড়ে দেখছে!
বই পড়ে কেমন লাগলো, জানাবেন…
@রায়হান আবীর, প্রচ্ছদকারীকে লেখকের রয়্যাল্টি থেকে একটা অংশ দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
@রায়হান, যাক সরাসরি ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ নামক বইয়ের বিখ্যাত লেখকের কাছ থেকেই এবারে আপডেট এবং ছবি পাওয়া গেল তাহলে। ধন্যবাদ পোস্ট এবং ছবিগুলোর জন্য। লীনার সাথে মিথুন কি মুক্তমনার মিথুন? আর ছবির বংশীবাদকের নাম কি? শুনলাম অবিশ্বাসের দর্শন বইটা বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে। আপনার হাস্যমুখের ছবিগুলো দেখেও তো তাই মনে হচ্ছে। অভিনন্দন জানবেন। এখন পর্যন্ত কতগুলো বই বিক্রি হয়েছে জানেন কী? অন্যদের বইয়ের কি খবর?
@ফাহিম রেজা,
কতোকপি বিক্রি হয়েছে তা এক আল্লাহ এবং প্রকাশক ছাড়া কেউ জানেন না :)) বংশীবাদকের নাম তো জানিনা। আর লীনার সাথের মিথুন, লীনার মিথুন। উনি সামুতে লিখেন, মুক্তমনায় মাঝে মাঝে মন্তব্য করেন। তার কথাই কি বলছেন?
অন্য বইগুলোরও বেশ ভালো অবস্থা বোধ করি… শুদ্ধস্বর এবার সুপারহিট প্রকাশনী!
@ফাহিম রেজা, মুক্তমনায় মিথুন একজন, মিঠুন একজন, আমার সাথে যেই শুটকু সে মিথুন। মাঝে মাঝে মন্তব্য করে মুক্তমনায়।
ধন্যবাদ রায়হান তোমার এই পোষ্টের জন্য। দারুণ দারুণ ছবি দিয়েছ সত্যি।
গীতা দি,
রায়হান আর সামিয়া কিন্তু আমার ক্যামেরায় যুগল বন্দী। আমি তুলেছিলাম লেখক আর প্রচ্ছদ শিল্পীর। এখন অন্য পরিচয় । আর আমার মেয়ে আমাকে কালকে বলেছিল , এ আপু তো আগে হিজাব পরতো। আমি অর্ধেক বিশ্বাস করেছি আর অর্ধেক করিনি। এখনও সংশয়!!!
হতে পারে, নাও পারে থাক সেই কথা। কিন্তু কাল সত্যি খুবই দারুণ আড্ডা জমেছিল। যা ভুলে যাবার না। চটপটি, আর কফির ফাঁকে ফাঁকে আড্ডা-
এমন আড্ডা মনকে করে প্রফুল্য চিত্তকে করে শুদ্ধ, শরীরকে করে তাজা, প্রস্তুতি নেই আগামী একুশের জন্য মন শরীর সব কিছু। আবারও মিলন মেলা হবে কবে জানিনা। হলে আবার লিখব।
মামুন ভাই আমাকে “অবিশ্বাসের দর্শন” উপহার দিলেন। যা আমার সঞ্চিত ভান্ডারে এক মূল্যবান সম্পদ হয়ে থাকবে। সত্যই এইবারকার বইমেলা এক অন্য জগত অন্য ভূবনে যেন আমাদের বিচরণ করাচ্ছে। দিন যাচ্ছে মুক্তমনার পরিসর, মুক্তমনা পরিবার বৃহত্তর থেকে আরো বৃহত্তর হচ্ছে।
খুব -খুবই ভালো লাগছে লীনা, রনদিপম বাবুর সাথে পরিচয় হয়ে। রায়হান তো কথায় নেই এক কথায় অমায়িক মধুর ব্যবহার। আশ্চর্য এতো আনন্দ– ।
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ দিদি… আপনাদের সাথে পরিচিত হতে পেরে, আড্ডা দিয়ে আসলেই ভালো লাগছে ভীষণ। আবার দেখা হবে আশা করি, অচিরেই … 🙂
আপনি আর অভিজিৎ রায় বইটা লিখে আমাকে বিপদে ফেলে দিয়েছেন। আগামী বইমেলার জন্য বই লেখার ( এবং বাংলায়!) দাবী প্রতিনিয়ত শুনতে হচ্ছে। বই লিখতে গেলে আবার মর্ত্তের মানবদের মত স্বর্গকে আবাসস্থল মাউন্ট অলিম্পাস থেকে পায়ের তলায় নামিয়ে আমার বিবর্তনীয় ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন ( এবং দেবীর ক্রোধে ভস্ম হওয়া) হয় কি না , এই ভয়ে আছি। :))
যাহোক , সরাসরি বাংলাদেশ থেকে ‘মোসাদ’ এজেন্টের পাঠানো একটা ছবি নিচে দিয়ে দিলাম। (@)
[img]http://img828.imageshack.us/img828/4775/p050211152701.jpg[/img]
@সংশপ্তক,
হাঃ হাঃ ইহুদী নাসারা মোসাদরা বাংলাও শিখে ফেলসে দেখি। 🙂 যাক, বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিকীকরণ হচ্ছে তাইলে! :))
ছবিটার জন্য ধন্যবাদ!
@সংশপ্তক,
আমাদের কথা শুনে তো লেখেন না, এখন হয়তো মোসাদের অনুরোধে (নাকি নির্দেশে?) লেখা শুরু করবেন। মোসাদ বলে না কথা!
@বন্যা আহমেদ,
আপনাদের জন্য লিখবো না তা হয় ? সেজন্যেই তো আজ ভোর বেলায় চুলায় বিরিয়ানী চাপিয়ে দিয়ে , আপনাদের জন্য লেখায় বসে পড়েছি। পুরো রবিবারটা কাজে লাগানো যাবে। (@)
আর মাউন্ট অলিম্পাসের দেবীকে যতটা ভয় পাই , মোসাদকে ততটা পাই না – মানবরা তো আর দেবীর চেয়ে ভয়ঙ্কর হতে পারে না 🙂
@সংশপ্তক,
হা হা হা। কীবোর্ড তুলে লিখতে থাকুন :))
এজন্যই রায়হান শুদ্ধস্বরএর চা খেতে খেতে কাল হয়ে গেছে।
সামিয়া, রায়হান আর লীনাকে দেখে তো আমি অবাক। এমন পুঁচকেরা এত তুখোড়!!
রায়হান আর সামিয়া কিন্তু আমার ক্যামেরায় যুগল বন্দী। আমি তুলেছিলাম লেখক আর প্রচ্ছদ শিল্পীর । এখন অন্য পরিচয় । আর আমার মেয়ে আমাকে কালকে বলেছিল , এ আপু তো আগে হিজাব পরতো। আমি অর্ধেক বিশ্বাস করেছি আর অর্ধেক করিনি। এখনও সংশয়!!!
কালকে মাত্র অভিজিৎ আর রায়হান এর ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ কিনেছি।দেখি বাকি অর্ধেক সংশয় দূর করতে পারি কি না।
@গীতা দাস,
হায়, হায় যাই কই,সারা জীবন শুনে আসলাম চা পান করলে শরীরের রং ধলা বা পরিস্কার হয়,সতেজ হয়, যার কারনে কফি,এক্সপ্রেচ্ছো পান করি না, আর এখন শুনি কি !! ঘোর কলিকাল।
@গীতাদি,
আপনার সাথেও দেখা হয়ে খুব ভালো লাগলো! আরও আড্ডা হবে…
@রায়হান আবীর,
কই তোমারে তো কালো দেখলাম না, তবে একটু রাঙ্গা রাঙ্গা লাগছিল। তা লাগবে বৈকী প্রথম হিরো যে,
😉
@আফরোজা আলম,
:))
বিয়াফক বিনোদন পাইলাম রায়হান ভাই।
এহন পর্যন্ত যাইতে পারলাম না দোস্তগো জইন্যে। হেরা যাইব না আমারেও যাইতে দিব না। কয় বই মেলায় কৌমার্য এক সাথেই ভাঙ্গমু। । 🙁
তয় সোমবার যাওয়া হইব। থাইক্কেন। :))
@সাইফুল ইসলাম, সোমবার হরতাল। আমি আবার হরতাল যে দল, যে ইস্যুতেই করুক না কেন, তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করি :))
:-[ @রায়হান,
একটা বই বের করেই ডকিন্স হয়ে গেলা, ডকিন্সেরও তো ডকিন্স হইতে এর চেয়ে বেশী সময় লাগছিল, মনে হয় :-Y । মাথাটা তো পুরাই গেছে, এর পরে আরও কয়েকটা বাইর হইলে তো নিশ্চিত হেমায়েতপুর…
যাক জেনেটিক্স তাহলে মিথ্যা, এই গবেষনার পেপারটা বিবর্তনের আর্কাইভে রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা কর।
সামিয়া, তোমার হিলের তলায় শান দাও তো একটু, খুব তাড়াতাড়িই কাজে লাগবে মনে হচ্ছে। দুই চাইরাটা হিলের তলার তীক্ষ্ণ এবং দৃপ্ত বাড়ি খাইলে যদি আবার মাটিতে নেমে আসে!
রায়হানরে এই মন্তব্যের জন্য :guli: (N) :ban:
@বন্যা আহমেদ,
একটা বই বের করেই ডকিন্স হয়ে গেলা, ডকিন্সেরও তো ডকিন্স হইতে এর চেয়ে বেশী সময় লাগছিল, মনে হয় :-Y । মাথাটা তো পুরাই গেছে, এর পরে আরও কয়েকটা বাইর হইলে তো নিশ্চিত হেমায়েতপুর…
ছিদ্রান্বেষী বন্যাপা, অনেক দূরে যান, তারপর মরে যান!
নারীবাদীরা নিপাত যাক!
@বন্যাপা, দিচ্ছি
btw লিনা রহমানের ছবিটা এক্কেবারে পুরা একটা মিসচিভাস ছবি উঠেছে! :))
@আল্লাচালাইনা, (P)
@আল্লাচালাইনা, যাক এইসব ছবি দিয়াই মনে হয় আমার খালাম্মা বা মহিলা অপবাদ ঘুচবে :rotfl:
@আল্লাচালাইনা, :hahahee: :hahahee: :hahahee:
😀 বেহেস্ত যেহেতু তোমার পায়ের তলায়, তাই এটা রিজনেবিলি প্রেডিক্ট করা যায় যে সেও তোমার মতোই দুই একটা অবিশ্বাসী দর্শনের বই টই লিখার মতো জ্ঞান বুদ্ধি ও স্পিরিট ধারণ করে। আর সেটাই যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে কিন্তু ছবির তলে দেওয়া এই ক্যাপশন দেখে যে সে তোমার খুলী মোবারক বরাবর ডজন খানেক জুতার হিলের কট্কটাকট্ বাড়ি, এলং উইথ গুটিকয়েক খুন্তীর ছ্যাকা ও বেলুনের গুঁতা হাকিয়ে বসবে না, এটার ১০০% নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না।:-D
ইতিমধ্যেই জেনেছি যে প্রথম দিন তোমার বইয়ের যেই কয়েকটা কপি আনা হয়েছিলো প্রথম কয়েক ঘন্টায়ই সেটার সবগুলো কপি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। খুবই ভালো লেগেছে শুনে এই সংবাদ! এবং হাস্যজ্বল মুখে তোমাকে অটোগ্রাফ বিলাতে দেখে খুবই গর্বিত বোধ করলাম। অনতিবিলম্বে তোমার দ্বিতীয় বই বাজারে চাই!(Y)
@আল্লাচালাইনা,
আশংকা করে লাভ নেই। প্রথম রাতেই বিড়ালকে জ্যান্ত কবর দেওয়া হয়েছে >:)
আর হ্যাঁ! অবিশ্বাসের দর্শনে আশাতীত সাড়া পাওয়া গেছে। প্রথম সংস্করণ প্রায় শেষ। পরিমার্জিত দ্বিতীয় সংস্করণের কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হতে হতেই দ্বিতীয় সংস্করণ চলে আসবে আশা করি।
@রায়হান আবীর,
ভাইরে এইবার বইমেলায় আমিও আপ্নের মতোন বই লিখ্তে চাইসি; আপ্নের মতোন অটোগ্রাফ দিতে চাইসি! কিন্তু ওই চা-সিগ্রেট খাইতে এতোই বিজি ছিলাম যে… ;-(
@রায়হান আবীর,
অবিশ্বাস্য, দর্শনীয়! :clap :clap
ছবি দেইখা মজাক পাইলাম রায়হান।
কয়েকটা প্রশ্ন মনের অগোচরে উদিত হইলো –
১) তোমার পায়ের নীচে যার বেহেস্ত সে না হিজাব পরতো – বাংলাদেশে তো তাই দেখসিলাম। এখন কি তোমার পাল্লায় পড়ে খ্রাপ হয়ে গেছে?
২) তুমি যেমনে অটোগ্রাফ দেওয়ার ছবি দিলা – জিগাইতে চাই – এই পর্যন্ত কয়শ অটোগ্রাফ বিলাইলা। আমারে যদি জিগাও তাইলে আমি বলতে পারি – আমার এই নিয়ে গোটা পাঁচেক বই বাইরাইসে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সুন্দরী মেয়েও আমারে খুঁজে নাই, কেউ অটোগ্রাফও চায় নাই। তোমার দেখতেছি ঠি উলটা কি ঘটনা? হুজুর সাইদাবাদীর দোয়া নিছিলা নাকি?
৩) দাজ্জাল ভাইয়ের চেহারা তো দাজ্জালের মতোই :-[ । দাজ্জাল ভাইরে শুদ্ধস্বরে বাসাইয়া আপ্যায়ন করা উচিৎ, হাতে আমাদের বইটা তুইলা দিতে পারো, আর ছবির নীচে ক্যাপ্সন – আমিই দাজ্জাল ক্রেগ ভেন্টর। :))
আর,
হেঃ হেঃ এখনই নিজেরে ডকিন্স ভাবতাস নাকি? বেশ বেশ! 😉
তা বই চলতেসে ক্যামুন? কয় কপি ব্যাচা বিক্রি হইসে? শুনলাম ২য় সংস্করন নাকি মেলাতেই বের হয়ে যাবে? 😕
@অভিজিৎ,
খুন্তীর ছ্যাকাতো তাইলে দেখা যাচ্ছে আমার বাহুমূলেই দরকার। somebody please do that to me! :-X
@আল্লাচালাইনা,
মেয়ের কথা মনে হলেই কেবল ‘খুন্তির ছ্যাকা’ মনে হয় ক্যান?
মুক্তমনার নারীবাদীদের রোষানলে আপনিও শিগগির পড়বেন এইটা কনফার্ম!
@অভি দা,
হে হে হে। সে মোটামুটি উচ্ছনে গেছে। কিন্তু অবিশ্বাসের দর্শনের প্রথম অধ্যায় পড়ে সে নাকি শুনলাম আবার পুরোপুরি বিশ্বাসী হয়ে গেছে। এ কারণেই বোধহয় বইয়ের বিক্রি বেশি। সবাই বিশ্বাস পোক্ত করার জন্য অবিশ্বাসের দর্শন পড়ছে :))
হে হে হে । সবই আল্লাহর কুদ্রত। এবার আপনারে দরকার ছিলো। নারী সমর্থকদের ভীড় সামলাতে পারছিনা। তাদের নিয়ে আড়ালে দুই একটা কথাও বলার জো নেই, সাথে থেকে সামিয়া হোসেন সর্বক্ষণ পাহাড়া দিতেছে 🙁
মেলা থেকে একেবারে বের হয়ে যাবার মূহুর্তে দাজ্জাল সাহেবের সাথে দেখা। তো ছবি তোলা হইলো দাজ্জালের বইটারে উদ্দেশ্য কইরা। কিন্তু পিসিতে ছবি খুলে পুরা অবাক। রীতিমতো দাজ্জাল সাহেব ছবিতে হাজির!!!
হা হা হা। এই দেখেন বইমেলার পোস্ট লিখতে যাইয়া লিখা শুরু করলাম, জানুয়ারির দশ তারিখ থেকে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আসতে আসতে উৎসাহ শেষ। পুরা ডকিন্স না হইলেও অর্ধেক তো বটেই :))
আর কালকে পোস্টটা দিয়েই বুঝছিলাম আপনার এবং বন্যাপার মতো ছিদ্রান্বেষীরা ডকিন্সটারে ধরতে পারে। এডিট করার জন্য পিসি খুলে ভুলে গেছিলাম। এখন মুক্তমনায় ঢুকে আশংকা সত্য প্রমানিত হলো!! :((
@রায়হান আবীর,
এইটা তো ভাল কথা। শুনসিলাম, রিচার্ড ডকিন্সের গড ডিলুশন যখন প্রথম বাইর হইসিলো, তখন গড ডিলুশন তো বেস্ট সেলার হইসিলোই সেই সাথে নাকি বাইবেলের বিক্রিও পাল্লা দিয়ে বাড়ায় দিসিলো!
তুমি যখন ডকিন্স হইসো, তোমার বইয়ের ক্ষেত্রেও না হইয়া যায় না। :))
@অভিজিৎ,
এব্যাপারে এক মজার ঘটনা বলি,আমি যেদিন অনন্ততসহ আহমেদুল রশিদ টুটুলের বাসায় যাই সেদিন চলে আসার শেষের দিকে “অবিশ্বাসের দর্শন”,রায়হান আবিরকে নিয়ে কথার ফাঁকে টুটুল হাসতে হাসতে বলে সামিয়া তো এখন হিজাব…………………………এরপ র আর এ নিয়ে কথা আগায় নি।
পরে আমি অনন্তকে এনিয়ে জিজ্ঞেস করি,বলি সামিয়া কি হিজাব পরে,অনন্ত বলে জানি না।সে পর্যন্তই।এরপর যখন তাকে প্রথম বই মেলায় দেখি ,একি আক্কেল গুড়ুম অবস্থা আমার।যার কথা শুনলাম সে হিজাব পরে……………আর এখন দেখছি ছেলেদের ম তো জিন্সপেন্ট পরা ও বয়কাট চুল, এ কি করে কি হয় ?
পরে আবির পরিচয় করিয়ে দেবার পর তার অমায়িক মানবিক আচরন ও হাস্যাজ্জোল দ্বীপাম্বিত চেহারা অনেকদিন মনে থাকবে।অনেকে হয়ত জানেন ও জানেন না, সামিনা হলো আমাদের আবিরের বান্ধবী। সামিয়া তুমি এগিয়ে যাও ও সব সময় ভালো থেকো।
@মামুন ভাই, অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভকামনার জন্য।
অনেক মজা পেলাম আপনার মন্তব্য পড়ে। আমার আসলে সারা জীবনই ছোট চুল, আগে হিজাব পড়তাম তাই দেখা যেত না, এখন যায়, এই আর কি 🙂
@অভিজিৎ,
নারী দাজ্জালই বেশি ছিল। ছবিও তুলেছিলাম। কিন্তু এখানে paste করতে পারছি না। [img]http://[/img]
@গীতাদি,
আমাকে ইমেইল করে দিতে পারেন ছবিগুলো। নারী দাজ্জালের ছবি আপ্লোড হয়ে যাবে, চিন্তা নাই!
@গীতাদি,
আপনার কাছ থেকে পাওয়া নারী দাজ্জালদের ছবিগুলো – 🙂
[img]http://www.mukto-mona.com/project/boimela2011/mela/nari_dazzal1.JPG[/img]
[img]http://www.mukto-mona.com/project/boimela2011/mela/nari_dazzal2.JPG[/img]
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ অভিজিৎ।
আমার লেখায় নারী দজ্জালদের ছবি সংযুক্ত করিনি তাদের প্রচার চাইনি বলে, যদিও ছবি তুলেছিলাম। তবে ইন্টারেষ্টিং হল ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ বইমেলার স্বনামধন্য ষ্টলে আর দজ্জালরা মেলা থেকে অনেক দূরে —- টি এস সি এর মোড়ে ।
@অভিজিৎ,
এইখানের পাবলিকেরা আসলেই এক একটা পিস!!! আরে এইটা তো দেখি সেইম আমার কাহিনি। আমি আগে ফুল বোরকা পরতাম, পরে হাফ, এখন কোনটাই না! ১৪ গুষ্টি জামাতী আর আমি কিনা মুক্তমনায় ঘুরাঘুরি করি!!!