মুক্তমনায় স্রেফ ছবি দিয়ে কোন পোষ্ট পাবলিশ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা জানি না, তবে আমার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এই স্ক্রিনশটটা পোষ্ট না করে পারলাম না।

রিচার্ড ডকিন্স প্রথম দাবি করেছিলেন যে আরও অনেক কিছুর পাশাপাশি ধর্ম শিশু নির্যাতনের ভূমিকাটাও পালন করে। তবে পেডোফিলিয়ার সাথে ধর্মের একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হল- একটাকে যেমন ঘৃণা করা হয়, আরেকটাকে ঠিক তেমনই মহিমান্বিত করা হয় । শিশুদের যৌন উদ্দীপক ছবি যদি নিষিদ্ধ হতে পারে, তবে এরকম বিভৎস, সন্ত্রাসবাদী এবং চাইল্ড এবিউজের ছবি কেন নিষিদ্ধ হবে না?

মন্তব্যগুলোও পড়ে দেখুন। আমার জানামতে এরা এখনও পর্যন্ত্য কোন জায়গায় বোমাবাজি করেনি, তাই এদেরকে মনে হয় “উদার” ধার্মিক বলা যাবে। এই যদি হয় উদার ধার্মিকদের ঔদার্য এবং স্কুল লেভেলের শিক্ষার্থীদের মাঝে এই ঔদার্যের বীজ বপনই যদি হয় আমাদের শিক্ষানীতির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য, তবে আমাদেরকে মনে হয় সময় থাকতে থাকতে পোটলা-পুটলি গুছিয়ে অন্য কোথাও চলে যেতে হবে। পাকিস্তানে সালমান তাসীরের হত্যাকারীকে নিয়ে পাকিস্তানীদের উল্লাস দেখে আমরা তাদের একটু গালিগালাজ করে আত্মতৃপ্তিতে ভুগতেই পারি। তবে ভবিষ্যতে আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম এক হাতে বন্দুক আর আরেক হাতে কোরান নিয়ে সমাজের সেকুলার অংশের উপর হামলে পড়বে না এমন নিশ্চয়তা কি আমাদের কাছে আদৌ আছে? জাতিগতভাবে বিকারগ্রস্ত হওয়া অসম্ভব কিছু না, চাঁদ-তারা খচিত একটি সবুজ পতাকার দিকে তাকালেই আমরা এর প্রমাণ দেখতে পাই। আমাদেরও কি একই পরিণতি হবে?