আমি কালকের আনন্দবাজার থেকে জানলাম বাংলাদেশের গার্মেন্ট সেক্টরে বিরাট শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে। হাজারে হাজারে শ্রমিক আন্দোলনে নেমেছেন। এবং তিনজন পুলিশের গুলিতে নিহত। ১৫০ জন আহত।

খবর দেখে বাংলাদেশের পেপার গুলো পড়ার চেষ্টা করলাম আজকে। প্রথম আলোতে খবরই নেই। সম্ভবত বিজ্ঞাপন হারাবার ভয়ে সংবাদ মালিক পক্ষ চেপে গেছেন। জনকন্ঠে সংবাদ টি দিয়েছে। এবং তারা জানাচ্ছে-এটি নাকি বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংশ করার জন্যে বিদেশী চক্রান্ত! এই ছক নতুন কিছু না। শ্রমিক আন্দোলন শুরু হলে গত ১৫০ বছর ধরেই সেই আন্দোলনকে দমন করার জন্যে জাতিয়তাবাদ থেকে ধর্ম সব কিছুই ব্যাবহার করা হয়েছে। আমি তার লম্বা ইতিহাস লিখে, এই ব্লগ ভারাক্রান্ত করলাম না।

এরকম একটা বিশাল শ্রমিক আন্দোলন হচ্ছে অথচ সমগ্র বাংলাদেশ মিডিয়া চুপ বা মালিক পক্ষের হয়ে জাতিয়তাবাদি চুকলি করতে নেমেছে [যা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ইতিহাসে চেনা ছক] -এই নিয়ে ফেসবুকে কোন বাংলাদেশীর ব্লগ আশা করেছিলাম। আমার ফেসবুক বন্ধু লিস্টে প্রায় ১০০০ জনের বেশী বাংলাদেশী আছেন, যাদের অনেকেই লেখক, তাদের কারুর এই নিয়ে লেখা দেখলাম না।

পুরো ঘটনা আমাকে ভীষন ভাবে ব্যাথিত করেছে

[১] আমি আন্তর্জাতিকতায় বিশ্বাসী-তাই পৃথিবীর সকল দেশের শ্রমিক এবং ছাত্র আন্দোলন আমার কাছে চেতনা বৃদ্ধির আন্দোলন। যদিও, প্রযুক্তিই আসল পরিবর্তন আনে-গণ আন্দোলন আজও গনতন্ত্রের ভিত্তি। এই ব্যাপারে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিরা নীরব কেন?

[২] আমার মনে হচ্ছে বাংলাদেশীদের মধ্যে থেকে বামপন্থী চেতনা আস্তে আস্তে ফিকে হচ্ছে। আমাদের অনেক কিছু নেই-কিন্ত এই ধরনের ঘটনা হলে সব ফোরামগুলি রাগে ফেটে পরে। যদিও সেই জন্যে পশ্চিম বাংলা ভারতের সব থেকে পিছিয়ে পড়া রাজ্য, আমার ধারনা মানুষের প্রতি এই ভালোবাসা খুব খারাপ কিছুও নয়।

হয়ত আমি ভুল। বাংলাদেশী ব্লগার রা শ্রমিকদের পাশে দ্রুত দাঁড়াবেন এই আশা করি। কারন মিডিয়া তাদের ভিলেন বানাচ্ছে, নইলে নীরব।
আপনারা এই ব্লগে এই আন্দোলন নিয়ে কিছু লিখুন। কাগজ পড়ে কিছু জানতে পারলাম না। আপনাদের মন্তব্যই ভরসা।