ইসলামের ৫ টি স্তম্ভ। ইমান, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত। এ পাঁচটি কাজ প্রতিটি মুসলমানদের জন্য ফরজ কাজ। ফরজ কাজ মানে হলো আবশ্যিক ও বাধ্যতামূলক। যে ব্যক্তি এই পাঁচটি কাজ না করে তাহলে সে মুসলমান নয়। যদি কেউ একটি বাদ দিয়ে চারটি ফরজ কাজ করে (অবস্থার প্রেক্ষিতে বাধ্য না হয়ে) তাহলেও সে পরিপূর্ন মুসলমান নয় আর তার জন্যে অপেক্ষা করছে মৃত্যূর পর কবরের আযাব , হাশরের ময়দানে বিচারের পর দোজখের আগুন। তবে যাকাত এর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যার সামর্থ আছে শুধুমাত্র সেই যাকাত প্রদান করবে। ফকির মিশকিন যাদের সামর্থ্য নেই তাদের যাকাত আদায়ের দরকার নেই। সেটাও অবশ্য পরিস্কার করে বলা নেই তবে নিচের আয়াত ও হাদিসগুলো পড়লে দেখা যায় , যারা ফকির মিশকিন যারা কোন কিছু দিতে অসমর্থ তারা যাকাত প্রদান করা থেকে মাফ পেতে পারে।
আত্মীয়-স্বজনদেরকে তার হক দান কর, অভাবগ্রস্থ ও মুসাফিরদেরকেও। ১৭:২৬
তোমার কাছে জিজ্ঞেস করছে, কি তারা ব্যয় করবে ? বলে দাও যে বস্তুই তোমরা ব্যয় করবে তা হবে পিতা মাতার জন্যে, আত্মীয় স্বজনদের জন্য, এতীম-অনাথ, অসহায় ও মুসাফিরদের জন্যে। ০৩: ২১৫
যাকাত হলো কেবল ফকির, মিসকিন, যাকাত আদায়কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং দাস মুক্তির জন্যে, ঋণগ্রস্তদের জন্য,আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের জন্যে, মুসাফিরদের জন্য , এ হলো আল্লাহর বিধান। ০৯:৬০
যারা অদেখা বিষয়ের ওপর বিশ্বাস করে ও নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুজি প্রদান করেছি তা থেকে ব্যয় করে। ০২:০৩
আর যাকাত দান কর, নামাজ কায়েম কর আর নামাজে অবনত হও তাদের সাথে যারা অবনত হয়। ০২:৪৩
তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা কর ও যাকাত দাও । ০২:১১০
যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে ও যাকাত দেয় এবং যার কৃত প্রতিজ্ঞা পালনকারী এবং অভাবে , রোগে শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্যধারনকারী তারাই হলো সত্যাশ্রয়ী, তারাই হলো পরহেযগার। ০২:১৭৭
ইবনে উমর থেকে বর্নিত-প্রত্যেক মুসলমান দাস অথবা মুক্ত, বৃদ্ধ অথবা যুবক, নারী অথবা পুরুষ, তাদেরকে এক সা পরিমান ( ৩ কিলোগ্রাম প্রায়) খেজুর অথবা বার্লি যাকাত হিসাবে ব্যয় করার জন্য আল্লাহর নবী নির্ধারন করে দিয়েছেন। তিনি ঈদের নামাজ আদায় করার আগেই এ যাকাত পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সহি বুখারী, ভলুম-২, বই-২৫, হাদিস-৫৭৯
কিন্তু একজন দাস কিভাবে সহায় সম্বলহীন অবস্থায় যাকাত দিতে পারে তা ঠিক পরিস্কার নয়। যহোক তার পরেও ধরে নেয়া যায় যে , যার সামর্থ নেই সে যাকাত দেবে না এটুকু ছাড় পরোক্ষভাবে হলেও কোরান থেকে বোঝা যায়। এটা হাদিস থেকেও বোঝা যায় , যেমন-
আবু হুরায়রা থেকে বর্নিত, নবী বলেছেন, যে আল্লাহ কর্তৃক ধনবান হয়েছে অথচ যাকাত দেয় নি , কেয়ামতের দিন তার সমস্ত সম্পদ একটা ভয়ংকর বিষাক্ত সাপের আকার নিয়ে তার গলা পেচিয়ে থাকবে, আর সে লোকটির গালে কামড়াতে কামড়াতে বলতে থাকবে- আমি তোর সমস্ত সম্পত্তি । সহি বুখারী, বই -২৪, হাদিস-৪৮৬
আবু সাইদ বর্নিত, যাকাত তাদের জন্য প্রজোয্য নয় যাদের পাঁচটি রৌপ্য মূদ্রা বা পাঁচটি উট বা পাঁচ ওয়াস্ক ( প্রায় ৯০০ কিলোগ্রাম) এর সমান বা এর বেশী সম্পদ নেই। সহি বুখারী, বই-২৪, হাদিস-৪৮৭
উপরোক্ত হাদিস দ্বারা পরিস্কার ভাবে বোঝানো হচ্ছে যারা সম্পদশালী তারাই যাকাত দেবে আর কত সম্পদ থাকলে একজন মুসলমানের জন্য যাকাত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তাও পরিস্কারভাবে বলা আছে।
তবে সবচাইতে মজার কথা যেটা বলা আছে তা হলো-
আবু হোরায়রা বর্নিত, আল্লাহর নবী বলেছেন, কেয়ামতের দিন ততক্ষন পর্যন্ত আসবে না যতক্ষন পর্যন্ত মানুষের সম্পদ অতিশয় বৃদ্ধি পাবে আর যাকাত নেয়ার জন্য কোন লোক খুজে পাওয়া যাবে না। আর যাকে যাকাত প্রদান করা হবে সে বলবে- আমার এটা দরকার নেই। সহি বুখারী, বই-২৪, হাদিস-৪৯৩
তার মানে বোঝা যাচ্ছে- ইসলাম আসলে হত দরিদ্র মানুষদের জন্য। ধনবানদের জন্য নয়। ধন উপার্জনকে নিরুৎসাহ করা হচ্ছে। যতই ধন উপার্জন করা হবে , কেয়ামতের দিন ততই ঘনিয়ে আসবে। তবে অন্য অর্থে এটা ভাল একটা দিকও । মানুষ যত বেশী ধন অর্জন করবে, যত বেশী মানুষ দারিদ্র থেকে মুক্তি পাবে ততই কেয়ামত চলে আসবে আর মানুষ অযথা ঝামেলা থেকে রেহাই পেয়ে যাবে। অতিরিক্ত বেশী মানুষ দুনিয়ায় আসার আর সুযোগ থাকবে না , ফলে তারা দোজখের আগুন থেকে বেচে যাবে। পক্ষান্তরে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ দুনিয়ায় বসবাস করলে আর তারা গরীব থাকলে যে বিপুল সংখ্যক লোক বেহেস্তে চলে যাবে , বর্তমানে তৈরী বেহেস্তে তাদের স্থান সংকুলান নাও হতে পারে , মনে হয় এ আশংকা থেকেই এ ধরনের হাদিসের উৎপত্তি। এর অন্য একটা অর্থও করা যেতে পারে। যেমন- যখন ইসলাম মোহাম্মদ প্রচার শুরু করেন সেই মক্কা ও মদিনাতে , বিশেষ করে হত দরিদ্র , দাস শ্রেনীর মানুষরাই সর্বপ্রথম ইসলাম কবুল করে। তাই তাদেরকে সান্তনা দেয়ার জন্যও মোহাম্মদ উক্ত বক্তব্য দিয়ে থাকতে পারেন। যাহোক, পরিশিষ্ট সিদ্ধান্ত হলো- জাকাত দেয়ার বিষয়টা সম্পদশালী মুসলমানদের জন্যই বাধ্যতামূলক, দরিদ্রদের জন্য এটা মাফ আর তাতে দরিদ্র মুসলমানদের মুসলমানিত্ব অটুট থাকবে।
কিন্তু অন্য চারটি স্তম্ভ যেমন- ইমান, নামাজ, রোজা আর হজ্জ এ ব্যপারে কোন রকম ছাড় দেয়া হয় নি কোরান মোতাবেক। আর এ থেকে বোঝা যায় , ইসলাম সারা দুনিয়ার মানুষের জন্য ছিল না , এটা ছিল শুধুমাত্র আরব উপদ্বীপের আরবী ভাষাভাষী মানুষের জন্য। বর্তমানে যে সব ইসলামী পন্ডিতরা প্রচার করে যে- যার সামর্থ্য নেই তার হজ্জ করার দরকার নেই। এ ফতোয়া নিতান্তই তাদের মন গড়া ও বানোয়াট। এর সপক্ষে কোরানের কোন সূরাতে এ ছাড়ের ব্যপারে সামান্যতম ইঙ্গিত দেয়া হয় নি। এ ব্যপারে নিচের আয়াতটি প্রনিধানযোগ্য-
তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ ও ওমরা পরিপূর্নভাবে পালন কর। যদি তোমরা বাধা প্রাপ্ত হও তাহলে কোরবানীর জন্য যা কিছু সহজলভ্য তাই তোমাদের ওপর ধার্য্য। আর তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত মাথা মুন্ডন করবে না যতক্ষন পর্যন্ত তোমাদের কোরবানী যথাস্থানে পৌছবে। যারা তোমাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে বা মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে তাহলে তার পরিবর্তে রোজা করবে বা খয়রাত দেবে কিংবা কোরবানী দেবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা হজ্জ ও ওমরা একই সাথে পালন করতে চাও তাহলে যা কিছু সহজলভ্য তা দিয়ে কোরবানী করাই তার ওপর কর্তব্য। বস্তুত যারা কোরবানীর পশু পাবে না তারা হজ্জের দিনগুলোতে রোজা রাখবে তিনটি আর সাতটি ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি রোজা পূর্ন হয়ে যাবে। ০২: ১৯৬
উক্ত আয়াত থেকে বোঝা যাচ্ছে, কোরবানী করার চেয়ে বরং হজ্জ পালন করা সোজা। তার মানে সেই সময় এমন কিছু অতি দরিদ্র লোক ছিল যার কোরবানীর জন্য পশু যোগাড় করতে পারত না , কিন্তু হজ্জ পালন করতে তাদের কোন অসুবিধা ছিল না। যে কারনে বলা হচ্ছে- বস্তুত যারা কোরবানীর পশু পাবে না তারা হজ্জের দিনগুলোতে রোজা রাখবে তিনটি আর সাতটি ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি রোজা পূর্ন হয়ে যাবে। তার মানে যার কুরবানীর পশু যোগাড় করার সামর্থ নেই সে হজ্জের সময় তিনটি রোজা রাখবে আর হজ্জের পর আরও সাতটি রোজা রাখলে তার কোরবানী হয়ে যাবে। এখন একটি লোক কোরবানী করতে পারল না দারিদ্রের কারনে, অথচ সে হ্জ্জ পালন করতে পারল দারিদ্র সেখানে সমস্যা হলো না – এটা কিভাবে সম্ভব ? এটা একমাত্র তখনই সম্ভব যদি লোকটি মক্কার আশে পাশে বসবাস করে বা মক্কা থেকে খুব বেশী দুরে বসবাস না করে। তার মানে মোহাম্মদ কখনই কল্পনা করতে পারেন নি যে মক্কা থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দুরের মানুষ একসময় ইসলাম কবুল করবে আর তাদের মধ্যে অনেকেই কোরবানী করার সামর্থ রাখবে কিন্তু হজ্জ করার সামর্থ রাখবে না আর্থিক কারনে। আল্লাহর নবী মোহাম্মদ যিনি অতীত বর্তমান ভবিষ্যত সব কিছু জানেন তার পক্ষে সেটা বোঝা সম্ভব হয়নি আর তার আল্লাহও তাকে সে খবর জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। তা না হলে কোরানে এটা বলা থাকত, জাকাত ও কোরবানীর মত হজ্জ ব্রত পালনও আর্থিক সামর্থ্যের ওপর নির্ভরশীল। আরও বলা থাকত যে হজ্জ পালন করতে পারবে না সে কয়টা রোজা রাখলে তার হজ্জের সমান নেকি হাসিল হতো। কোরানের কোথাও হজ্জ পালনকে ছাড় দেয়া হয়নি। তার কারন মোহাম্মদের ধারনা ছিল ইসলাম বড়জোর মক্কা মদিনা আর তার আশে পাশের অঞ্চলের মানুষের জন্যই শুধুমাত্র নাজিল হয়েছে। আর যেহেতু হজ্জ জীবনে একবার করার বিধান, তাই মক্কা থেকে একটু দুরে যেমন দুই চারশ কিলোমিটার দুরে যাদের বসবাস তাদের পক্ষেও উটের পিঠে চড়ে সারা জীবনে একবার মাত্র হজ্জ করা সম্ভব ছিল। একারনেই ইসলামে হজ্জ পালনের ব্যপারে কোন ছাড় দেয়া হয়নি।
হজ্জের ব্যপারে কোন ছাড় যে দেয়া হয়নি তার প্রমান নিম্নের হাদিস-
আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস বর্নিত- এক নারী আল্লাহর নবীর কাছে পেশ করল, আমার পিতা এত বৃদ্ধ ও দুর্বল যে উটের পিঠে বসার ক্ষমতা তার নেই। আমি কি আমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ পালন করতে পারব? আল্লাহর নবী উত্তর দিলেন-হ্যা তুমি পারবে। সহি বুখারী, বই -২৬, হাদিস-৫৮৯
তার মানে শারিরীক ভাবে অক্ষম হলেও তার জন্য হজ্জ পালন আবশ্যিক আর সেটা তার পক্ষে অন্য কেউ পালন করতে পারে। এর অর্থ যে কোন মূল্যেই ফরজ কাজ হিসাবে প্রতিটি মুসলমানকে হজ্জ করতে হবে, কোন ছাড় নেই। কিন্তু কিভাবে তা পালন করা যাবে তার সুস্পষ্ট কোন নির্দেশনা নেই। অথচ হজ্জের সাথে অর্থকড়ির সম্পর্কই বর্তমানে প্রধান। বাংলাদেশ থেকে একজন মানুষকে হজ্জে যেতে হলে বর্তমানে প্রায় দু’ আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়। যা করার সামর্থ্য ৯৯% লোকের নেই। তাহলে তারা সারা জীবনে অন্তত একবার হজ্জ পালন কেমনে করবে ? আর না করলে তো পুরোপুরি মুসলমান নয় যার মানে মরার পর দোজখের আগুনে পুড়ে খাক হওয়া ছাড়া কোন গতি নেই অথচ এ গুনাহের কাজটির জন্য তারা কোনভাবেই দায়ী নয়। অর্থাৎ ধনী নির্ধনী নির্বিশেষে সবাইকে হ্জ্জ পালন করতে হবে , এটা কিভাবে সম্ভব ? একমাত্র সম্ভব যদি তারা সবাই মক্কার আশে পাশে বা আরব দেশের মধ্যেই বাস করে। এসব দেখে শুনে মনে হয় মোহাম্মদ শুধুমাত্র মক্কার আশ পাশ লোকের জন্য অথবা বড়জোর দু একশ কিলোমিটার দুরে বসবাসকারী লোকদেরকে টার্গেট করে ইসলাম প্রচার করেছিলেন যাদের পক্ষে ছাগল বা উটের পিঠে চড়ে অথবা পায়ে হেটে সারা জীবনে একবার হলেও হজ্জ করা সম্ভব। অর্থ বা টাকা পয়সা সেখানে কোন বাধা হবে না কারন সাথে কিছু খাবার নিলেই হলো । তিনি কস্মিনকালেও ভাবতে পারেন নি বা সবজান্তা আল্লাহও তাকে অবহিত করেনি যে বাংলাদেশের মত কয়েক হাজার কিলোমিটার দুরের একটি দেশের সিংহভাগ লোক একদিন ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহন করবে যাদের সিংহভাগই আবার দরিদ্র যাদের হজ্জ করার আর্থিক সামর্থ্য নেই। তা যদি ভাবতে পারতেন তাহলে তিনি হজ্জের ব্যপারে কঠোর বিধান চালুর সাথে সাথেই যারা গরীব তাদের জন্য একটা ছাড় দিতেন, যেমন দেয়া হয়েছে যাকাত, কোরবানী, রোজা ইত্যাদির ব্যপারে।
তবে এ ব্যপারে নীচের আয়াতটি প্রনিধানযোগ্য-
৩:৯৭ এতে রয়েছে মকামে ইব্রাহীমের মত প্রকৃষ্ট নিদর্শন। আর যে, লোক এর ভেতরে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর এ ঘরের হজ্ব করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার। আর যে লোক তা মানে না। আল্লাহ সারা বিশ্বের কোন কিছুরই পরোয়া করেন না।
উক্ত আয়াতের সামর্থ্য এর অর্থ যদি শুধুমাত্র শারিরীক সামর্থ্য বুঝায় তাহলে তার হজ্জ পালনকে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছে ধরে নেয়া যায় । অর্থাৎ যারা অতি বৃদ্ধ, বা অসুস্থ ইত্যাদি তাদের জন্য হজ্জ পালন না করলেও চলবে কিন্ত এর আগের হাদিসে কিন্তু তাদেরকেও সম্ভব হলে অন্য মানুষের মাধ্যমে হজ্জ পালন করার বিধান রাখা হয়েছে।তার মানে প্রকৃত অর্থে এখানে হজ্জের ব্যপারে কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন যে উক্ত আয়াত দিয়ে হজ্জের ব্যপারে অসমর্থ( শারিরীক বা আর্থিক) লোকদের জন্য ছাড় দেয়া হয়েছে। ধরে নেয়া যাক, এখানে আর্থিক সামর্থ্যের কথা বলা হয়েছে যদিও তা ভীষণ অস্পষ্ট। কিন্তু সে সামর্থ্যের মানদন্ড কিরকম হবে? এ ব্যপারে কোরান বা হাদিসে কোথাও সামান্যতম কোন ইঙ্গিত নেই। যদিও, হজ্জ করতে হবে , হজ্জের সময় কি পরতে হবে , আর কি কি আচার অনুষ্ঠান করতে হবে এ বিষয়ে বিস্তর কোরানের আয়াত ও হাদিস আছে। একই সময়ে যাকাতে একজন মানুষের কি পরিমান সম্পদ (পাঁচটি উট বা ৯০০ কিলোগ্রাম খাবার) থাকলে তার জন্য তা প্রদান বাধ্যতামূলক তা খুব পরিস্কার ভাবে হাদিসে দেয়া হয়েছে। যুক্তি হিসাবে বলা হচ্ছে – যাকাত আর্থিক ইবাদত তাই তা পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু হজ্জের সাথে তো যাকাতের চাইতে আরও অনেক অনেক বেশী অর্থের সম্পর্ক। ৯০০ কিলোগ্রাম খাবারের দাম বাংলাদেশে (প্রতি কেজি চাউল ৪০ টাকা হিসাবে) ৩৬,০০০ টাকা বড়জোর। তাহলে তাকে যাকাত দিতে হবে। অথচ হজ্জ করতে লাগবে ২,০০,০০০ ( দুই লক্ষ) টাকারও বেশী যা যাকাতযোগ্য সম্পদের চাইতে প্রায় ছয়গুন বেশী। ইসলাম প্রচারের ১৪০০ বছর পর বাংলাদেশের মানুষ যে অর্থাভাবে হ্জ্জ করতে পারবে না একথা আর কেউ না জানুক বা বুঝুক আল্লাহর নবী তো জানতেন , তিনি না জানলে আল্লাহ নিশ্চয়ই তা তাকে জানাতেন কারন ইসলাম তো কিয়ামতের আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে মুসলমানের জন্য। তো ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আল্লাহ তো এ ধরনের সুস্পষ্ট বক্তব্য সহকারে কাকে অবশ্যই হজ্জ করতে হবে সে বিষয়ে একটা আয়াত নাজিল করত অথবা মোহাম্মদ তা হাদিসে বর্ননা করতেন। সেটা হতে পারত নিচের মত –
যে ব্যাক্তির এমন আর্থিক সামর্থ্য আছে যে হজ্জ এর জন্য ব্যয় করার পরও পরিবার প্রতিপালনের জন্য তার তিন মাসের সক্ষমতা আছে তার জন্য হ্জ্জকে বাধ্যতামূলক করে দেয়া হলো।
তাহলে এটা সেই ১৪০০ বছর আগেকার সময়, বর্তমান সময় ও কেয়ামতের আগ পর্যন্ত সব সময়কেই কভার করে ফেলে আর কোন বক্তব্য লাগে না। বলার দরকার নেই যে, যে কারও ৫ বা ১০ লাখ বা কোটি টাকা আছে তার জন্য হজ্জ বাধ্যতা মূলক। কেন এ ধরনের সুস্পষ্ট বক্তব্য দরকার হজ্জের ব্যপারে ? কারন আমরা দেখেছি, ইমান ,নামাজ , রোজা , যাকাত – এ চারটি ফরজ কাজের জন্য সুষ্পষ্ট বিধান বা বক্তব্য আছে। তা ছাড়াও – কে কয়টা/কাকে বিয়ে করতে পারবে , স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে বা প্রহার করতে পারবে কিনা , তালাক দেয়ার পর কিভাবে আবার বিয়ে করা যাবে, একজন নারী কিভাবে কাপড় দিয়ে আপাদমস্তক কিভাবে ঢেকে রাখলে তা শালীন হবে, সম্পত্তির ভাগ কে কত পাবে, কাফের মুরতাদ বা ইহুদী নাসারাদের কিভাবে কখন হত্যা করতে হবে ,কিভাবে পশু জবাই করতে হবে , কি পশু বা পাখী খাওয়া যাবে, ওজনে কম দেয়া যাবে কিনা ইত্যাদি বিষয় সহ এমনকি বেহেস্তে হুররা কেমন আকর্ষণীয় হবে ও একজন বেহেস্তবাসী কতজন হুরদের সাথে ফুর্তি করবে তার মত আপাত তুচ্ছ বিষয়ের বর্ননা পর্যন্ত অত্যন্ত সুন্দর ভাবে দেয়া হয়েছে কোরান আর হাদিসে , অথচ হজ্জের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ একট ফরজ কাজের ব্যপারে উপরোক্ত আয়াতের মত একটা অস্পষ্ট বক্তব্য দেয়া ছাড়া আর কোন বক্তব্যই নেই যাতে করে পুরো বিষয়টি পরিস্কার হয় – এ থেকে কি বোঝা যায় ? এ থেকে একটা বিষয়ই পরিস্কার আর তা হলো – হজ্জ শুধুমাত্র আরবদেশের মানুষের জন্য, প্রকারান্তরে ইসলাম ধর্মও মোহাম্মদ শুধুমাত্র আরবদেশের মানুষের কথা চিন্তা করেই প্রচার করেছিলেন।
হজ্জ পালন কেন এত আবশ্যিক ও গুরুত্ব পূর্ন সেটাও জানা যায় একটা হাদিসে-
আবু হুরায়রা বর্নিত- আল্লাহর নবীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল -কোন কাজ সবচাইতে উত্তম? তিনি উত্তর দিলেন- আল্লাহ ও তার নবীর ওপর বিশ্বাস স্থাপন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো- পরবর্তী উত্তম কাজ কোনটা ? তার উত্তর- আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। তাকে আবারও জিজ্ঞেস করা হলো-এর পরবর্তী উত্তম কাজ কোনটা ? তার উত্তর- হজ্জ পালন। সহি বুখারী, বই -২৬, হাদিস-৫৯৪
আর নারীদের ক্ষেত্রে হজ্জ আরও বেশী গুরুত্বপূর্ন, কারন তারা জিহাদের নামে যুদ্ধে যেতে পারবে না। তাই হাদিসে বলা হচ্ছে-
আয়শা বর্নিত- হে আল্লাহর নবী, আমরা মনে করি জিহাদ হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ট ভাল কাজ। নবী উত্তর দিলেন- নারীদের জন্য সর্বশ্রেষ্ট কাজ হলো- হজ্জ পালন করা। সহি বুখারী, বই -২৬, হাদিস- ৫৯৫
কেন হজ্জ পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য একান্তভাবে ফরজ ও যার কোন ছাড় নেই, তার সবচাইতে ভাল কারন হলো –
আবু হুরায়রা বর্নিত- নবী বলেছেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টি সাধনের জন্য হজ্জ পালন করে আর তা করার সময় নারী সঙ্গম করে না বা কোন পাপ কাজ করে না, হজ্জ পালন শেষে তার সমস্ত পাপ ধুয়ে মুছে যেন নতুন করে জন্ম হলো । সহি বুখারী, বই -২৬, হাদিস-৫৯৬
ইসলাম প্রচারের আগে সবাই ইসলামের দৃষ্টিতে কাফের, নাসারা বা মূর্তি পূজারী ছিল। তারা যখন ইসলাম গ্রহন করল, তখন কেউ যুবক, কেউ পূর্ন বয়স্ক, কেউ বা বৃদ্ধ ছিল। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠল, ইসলাম গ্রহনের আগে তারা তো ইসলামী দৃষ্টিতে অনেক পাপ কাজ করেছে, ইসলাম গ্রহনের পর সেসব পাপ কাজের জন্য কোন শাস্তি হবে কিনা , তার জন্যে বেহেস্তে গিয়ে হুর পরী নিয়ে ফুর্তি করতে কোন সমস্যা হবে কি না। সুতরাং তারা নবীর কাছে গিয়ে এর ফয়সালা জানতে চাইল। আর নবীরও ফয়সালা দিতে সামান্য দেরী হয়নি আর তা দেখা যাচ্ছে উপরোক্ত হাদিসে। উক্ত হাদিস থেকে আরও বোঝা যাচ্ছে যে – গুনাহ থেকে মাফ পাওয়ার জন্য প্রতিটি মুসলমানকেই হজ্জ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বৃদ্ধ বয়েসে হজ্জ করাই সব চাইতে বুদ্ধিমানের কাজ। কারন হজ্জ করার ফলে তার সমস্ত পাপ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে আর অত:পর কিছুদিন পর পটল তুললে সোজা বেহেস্তে গিয়ে হুর পরীদের সাথে ফুর্তি করার অবাধ সুযোগ মিলে যাবে মুফতে। আর আর্থিক কারনে যে হজ্জ পালন করার সামর্থ রাখে না সে ব্যপারে কোরানে কোন ফয়সালা নেই , নেই হাদিসেও অথচ সেটা প্রতিটি মুসলমানের জন্য আবশ্যক। তাহলে সেটা কিভাবে সম্ভব? উত্তর একটাই মোহাম্মদ ইসলাম প্রচারের মূল লক্ষ্যই ছিল মক্কা মদিনা বা তার আশ পাশের আরবদেরকে সংগঠিত করে একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করা, গোটা মানব জাতি তার লক্ষ্য ছিল না। মোহাম্মদের সবজান্তা আল্লাও বুঝতে পারেন নি যে পৃথিবীর দুর দুরান্তের মানুষ জন নানা কারনে একদিন ইসলাম গ্রহন করবে, তা যদি জানতেন তাহলে আর্থিক কারনে হজ্জ পালনে অসমর্থ মানুষজনের জন্য একটা নিদান তিনি অবশ্যই রাখতেন যেমন তিনি রেখেছেন পশুর অভাবে যারা কোরবানী করতে পারবে না তাদের জন্য। অবশ্য পশুর অভাবে কোরবানী না করতে পারা মানুষজনের জন্য আল্লাহর বা মোহাম্মদের সবজান্তা হওয়ার দরকার ছিল না কারন তখন মক্কা মদিনার অধিকাংশ মানুষই তো ছিল দরিদ্র বা দাস/দাসী যাদের কোরবানী করার মত পশু জোগাড়ের সামর্থ ছিল না। আর তাই কোরবানী দেয়ার পরিবর্তে ভিন্ন নিদান দেয়াও ছিল অতীব সোজা।
হজ্জের ব্যপারে এ ধরনের বাধ্যবাধকতা থেকেই যে শুধুমাত্র বোঝা যায় যে ইসলাম আরবদেশের আশেপাশের মানুষের জন্যই যে নাজিল হয়েছিল তাই নয়, অন্য বিষয় থেকেও বিষয়টা পরিষ্কার হয়। যেমন আরবী ভাষায় কোরান নাজিল হওয়ার বিষয়টি কোরানে বার বার উল্লেখ থাকা। উদাহরনস্বরূপ:
এমনি ভাবে আমি আরবী ভাষায় কোরান নাজিল করেছি এবং এতে নানা সতর্কবানী ব্যক্ত করেছি যাতে তারা আল্লাহ ভীরু হয়, অথবা তাদের অন্তরে চিন্তার খোরাক যোগায়। কোরান, ২০:১১৩
সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়। কোরান, ২৬: ১৯৫
এ কোরান পরিস্কার আরবী ভাষায়। কোরান, ১৬: ১০৩
আরবী ভাষায় এ কোরান বক্রতা মুক্ত যাতে তারা সাবধান হয়ে চলে। কোরান, ৩৯:২৮
এমনিভাবেই আমি কোরান কে আরবী ভাষায় নির্দেশ রূপে অবতীর্ণ করেছি। কোরান, ১৩:৩৭
এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরান নাজিল করেছি। কোরান, ৪২: ০৭
আমি একে করেছি কোরান, আরবী ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝতে পার। কোরান, ৪৩: ০৩
আর এই কিতাব তার সমর্থক আরবী ভাষায়। ৪৬:১২
আমি কোরানকে আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার। ১২:০২
এভাবে আরও অনেক আয়াত উল্লেখ করা যেতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই মোহাম্মদ ছিলেন আরবী ভাষী, সুতরাং তার কাছে কোরান অবতীর্ন হলে তা আরবী ভাষাতেই আসবে । আরবী ভাষায় কোরান অবতীর্ণ হওয়ার ব্যপারটা কোরানে বার বার উল্লেখ কেন, একবারও উল্লেখ করার দরকার নেই বা ছিল না। বার বার এটা উল্লেখ করার অর্থই হলো এটা শুধুমাত্র আরবী ভাষীদের জন্য তথা আরব দেশের মানুষদের জন্য। আসলে আগের কিতাব তোরাহ বা ইঞ্জিল আরামীক বা হিব্রু ভাষাতে আসার কারনে ইহুদি ও খৃষ্টানরা মোহাম্মদকে জিজ্ঞেস করত কেন তার কোরান আরবীতে আসল। এ বিষয়টাকেই সামাল দিতে গিয়ে তাকে বার বার আরবীর কথা বলতে হয়েছে। কিন্তু এত বেশীবার উল্লেখ করার কোন সঙ্গত কারন দেখা যায় না। একবার বললেই লেঠা চুকে যেত যদি সত্যি সত্যি কোরান আল্লাহর কাছ থেকে আসত। আল্লাহর কথা সত্য প্রমানের জন্য বার বার বলার দরকার নেই, একবারই উল্লেখ করাই যথেষ্ট। বিষয়টাকে এভাবে দেখা যেতে পারে, যদি কোন লোক কোন বিষয়ে কোন মিথ্যে কথাকে সত্যি বলে চালাতে চায় তখন সে বার বার তার কথা যে সত্য সেটাই বলার চেষ্টা করবে। আসলে কিন্তু তার কথা মিথ্যা। এটা অনেকটা মিথ্যেবাদীর বার বার কসম কাটার মত। হিটলারের গোয়েবলসীয় তত্ত্ব সবার পরিচিত। এ তত্ত্বের মর্ম কথা হলো- কোন মিথ্যে কথাকে সত্য বলে চালাতে গেলে তাকে একশ বার সত্য বলে প্রচার করো, তাহলে তা সত্যে পরিনত হয়ে যাবে। কোরানের আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হওয়ার ব্যপারে বার বার কথা বলা অনেকটা গোয়েবলসীয় তত্ত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। আর একারনেই মনে হয় মুসলমানদের মধ্যে হিটলারের জনপ্রিয়তা ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা সৃষ্টির প্রবনতা বেশী। অবশ্য ইহুদি নিধনের ব্যপারটাও এর সাথে জড়িত। মিথ্যা প্রপাগান্ডার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- চাঁদে অবতরনকারী প্রথম মানব নীল আর্মস্ট্রং এর ইসলাম গ্রহনের কিচ্ছা। কত জায়গায় কতবার স্বয়ং আর্মস্ট্রং স্বীকার করেছেন এমন কি ভয়েস অব আমেরিকার বেতার বা অন্য মিডিয়াতে বহুবার বিষয়টাকে অস্বীকার করার কথা প্রচার করা হয়েছে, কিন্তু আজও ইসলামী ওয়াজ বা মজলিসে বিষয়টাকে স্বাড়ম্বরে প্রচার করা হয়। মিথ্যা প্রপাগান্ডা প্রচারের এ শিক্ষাটা খোদ আল্লাহর কিতাব থেকে প্রাপ্ত। কারন মোহাম্মদের আল্লাহ এ ধরনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা মনে হয় বড়ই ভালবাসেন। যাহোক , মোহাম্মদ যে শুধুমাত্র আরব দেশে আরবদের জন্য ইসলাম প্রচার করেছিলেন তা কিন্তু চুড়ান্তভাবে পরিস্কার হয় নিচের আয়াত থেকে –
আমি কোরানকে আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার। ১২:০২
আমি একে করেছি কোরান, আরবী ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝতে পার। কোরান, ৪৩: ০৩
কোন রকম ভনিতা না করে সহজ সরল ভাষায় বলা হচ্ছে আরবী ভাষায় কেন কোরানকে অবতীর্ণ করা হয়েছে। সে কারনটা হলো যাতে সহজে বোঝা যায়। কারা বুঝবে ? নিশ্চয়ই আরবী ভাষীরা। হিব্রু বা লাতিন বা গ্রীক বা সংস্কৃত বা ফার্সি ভাষীরা নিশ্চয়ই আরবী ভাষার কোরান সহজে কেন, কেউই কিছু বুঝবে না। কদাচিৎ দু একজন বুঝতে পারে যদি সে দীর্ঘদিন আরব দেশে থেকে আরবী ভাষা শেখে। আর আরবী ভাষীরা কোথায় থাকে ? আরব দেশে। তার মানে কোরান শুধুমাত্র আরবী ভাষী তথা আরব দেশের মানুষদের জন্য।
বিষয়টা ইদানিং আরও ভালভাবে বোঝা যাচ্ছে। বর্তমানে কোরান হাদিস নিয়ে মুসলমানদের চেয়ে অমুসলিমরাই বেশী গবেষণা করছে । তারা জানার চেষ্টা করছে এ কেমন ধর্ম যার মানুষগুলো গায়ে বোমা বেধে বা উড়োজাহাজ হাইজাক করে নিরীহ মানুষকে মারে আর নিজেও মরে। কিসের নেশায় বা লোভে এ ধরনের আত্মাহুতি দেয় মুসলমানরা। তথা কিছু মুসলমানদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মূল কারন খুজে বের করার উদ্দেশ্য থেকেই অমুসলিমদের কোরান হাদিস নিয়ে এত চর্চা বা গবেষণা। আর এটা করতে গিয়েই থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে শান্তির ধর্ম ইসলাম বলে যতই প্রপাগান্ডা চালানো হোক না কেন , আসলে কোরান আর হাদিসে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের নামে খুন, খারাবি, ডাকাতি, নারী ধর্ষণ, মিথ্যা কথা , প্রতারনা -সব কিছুকে বৈধ করা হয়েছে। তার মানে ইসলাম হলো চুড়ান্ত অশান্তির একটা ধর্ম। যারা গবেষণা করে এ থলের বিড়াল বের করেছে , তারা বস্তুত আরবী ভাষার কোরান হাদিস পড়ে করেনি। তারা পড়েছে মূলত ইংরেজী বা অন্য ভাষায়। আর ইংরেজীতে অনুবাদ করেছে ইসলামী দুনিয়ায় অত্যন্ত সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিবর্গ যেমন- পিকথাল, ইউসুফ আলী প্রমুখ এরা। মজার ব্যপার হলো – যতদিন অমুসলিমরা গবেষণা করেনি ততদিন পর্যন্ত এদের অনুবাদ কর্ম নিয়ে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় নি। যেই তারা গবেষণা করে ইসলামের প্রকৃত চেহারা বের করে ফেলেছে তখনই গোল বেধেছে আর গোল টা বাধিয়েছে খোদ মুসলমানরাই। এখন আর তাদের অনুবাদ কর্ম মুসলমানদের কাছে গ্রহনযোগ্য হচ্ছে না। খুবই মজার ব্যপার। এখন অনেকেই বলে থাকে – ইসলামকে ভাল ভাবে জানতে গেলে কোরান বা হাদিসকে খোদ আরবীতে পড়তে হবে, আরবীতে না পড়লে নাকি কোরান হাদিসের মূল ভাব ভাল করে জানা যায় না। কিন্তু তার চেয়েও মজার ব্যপার হলো – এ ধরনের উপদেশ যারা দেয় তারা মূল আরবী কোরান হাদিস পড়ে সামান্যতম কোন অর্থও বোঝে না , খালি তোতা পাখির মত আউড়ে যায়, আর নিজেদের মাতৃভাষায়ও খুব একটা কোরান হাদিস পড়ে না বা পড়েনি অথচ বিজ্ঞ মানুষের মত সবক দেয়। তার মানে উপসংহার হলো-আরবী ভাষী ছাড়া ইসলামের মাহাত্ম কেউ বুঝবে না, তথা ইসলাম হলো শুধুমাত্র আরবী ভাষীদের জন্য। যারা আরবী ভাষায় কোরান হাদিস পড়ার সবক দেয়, বলা বাহুল্য প্রকারান্তরে তারা ইসলাম যে শুধুমাত্র আরবী ভাষী আরবদের জন্য এ ধারনার পক্ষেই বলে সেটা বোঝার মত বুদ্ধি বা বিবেচনা তাদের আল্লাহ দেন নি। এটাই হলো – সব চাইতে দু:খ জনক ও হতাশা ব্যঞ্জক। পরিস্থিতি যখন এরকম- তখন অনারব মুসলমানদের কি হাল হবে কেয়ামতের মাঠে তা ভেবেই আমি দু:শ্চিন্তায় আছি। কারন তারা আদৌ মুসলমান কিনা সেটাই বিরাট প্রশ্ন এখন। প্রথমত: তাদের একটা বিরাট অংশই দারিদ্রের কারনে অত্যাবশ্যক হজ্জ করতে পারে না , আর তারা আরবী ভাষী নয়।
উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় , মোহাম্মদের প্রথম লক্ষ্য ছিল আরবী ভাষী মক্কার মানুষ
জনদেরকে একত্রিত করে একটা শক্তিশালী মক্কা কেন্দ্রিক রাজ্য গঠন করা। হ তিনি আল্লার বানী বা ইসলামকে একটা ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছেন।ইসলাম প্রচারের ১০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যখন তিনি তেমন কোন সুবিধা করতে পারেন নি তখন তিনি মদিনায় গমন করেন ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য। মদিনায় যাওয়ার পর পরই তার ভাগ্য খুলে যায়। অচিরেই সেখানকার রাজনৈতিক নেতায় পরিনত হন ও শক্তিশালী গোষ্ঠি নেতা হিসাবে আবির্ভুত হন। আর তখন তার মাথায় শুধু মক্কা নয়, গোটা আরব উপদ্বীপের সমস্ত আরবী ভাষী অঞ্চলকে নিয়ে একটা শক্তিশালী সাম্রাজ্য গঠনের উচ্চাকাংখা তার মনে মাথা চাড়া দেয়। যে কারনেই আল্লাহর কালাম কোরানের ভাষা কেন আরবী এ বিষয়টি বার বার উল্লেখ করতে থাকেন। অর্থাৎ এটা ছিল আরবী ভাষীদেরকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগানোর একটা কৌশল। বিষয়টা অনেকটা ইহুদীরা যেমন প্রচার করে থাকে তারা আল্লাহর নির্বাচিত জাতি – তেমন। মোহাম্মদ ইহুদীদের এ ধরনের মিথ থেকেই তার আরবী জাতীয়তাবাদের ভাব ধারা গ্রহন করেন। ইহুদীরা ছিল মেধাবী ও ধুরন্ধর জাতি আর তাই তারা বিষয়টা ভালই ধরতে পেরেছিল। যেকারনে দেখি মোহাম্মদ ইহুদীদেরকেই তার প্রধান শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করেছেন সব সময়। তার রাজনৈতিক উচ্চাকাংখার বিষয়টি আরও প্রমানিত হয় অন্য একটা ঘটনার মাধ্যমে। দেখা যায়, মদিনাতে দশ বছরের বেশী সময় ধরে রাজত্ব করার পরও মক্কা দখল করা তার জন্য সম্ভব হচ্ছে না , তখন তিনি নানা কায়দায় হুদায় বিয়ার সন্ধি নামক এক সন্ধি করেন নিজের শক্তি বৃদ্ধির জন্য। এ সন্ধির মেয়াদ ছিল দশ বছর। কিন্তু সন্ধি চুক্তির কিছুকাল পরেই মোহাম্মদের বাহিনী মক্কা দখলের মত শক্তি অর্জন করে ফেলে। তখন মোহাম্মদ অজুহাত খুজতে থাকেন কিভাবে মক্কায় আক্রমন করা যায়। দশ বছর পর আক্রমন করার মত সময় তার নেই কারন তার বয়স তখন ষাট হয়ে গেছে ও যথেষ্ট বৃদ্ধ। যে কোন সময় তার মৃত্যূ ঘটতে পারে। তাহলে তার স্বপ্ন সফল হবে না। অথচ মক্কা দখল না করলে তার স্বপ্নের লালিত আরব সাম্রাজ্যের ভিত প্রতিষ্ঠিত হবে না। গোটা আরব উপদ্বীপে মক্কার একটা আলাদা মর্যাদা।তাই দেখা যায় সামান্য একটা অজুহাতে হুদায়বিয়ার সন্ধির মাত্র আড়াই বছর পর মোহাম্মদের বাহিনী প্রায় ১০,০০০ হাজার যোদ্ধা নিয়ে মক্কা অভিযানে বের হন ও প্রায় বিনা যুদ্ধে মক্কা দখল করেন আর তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন শুরু হয় আর তখন তার বয়স ষাট। তার নেতৃত্ব যাতে কখনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন না হয় তাই বার বার আমরা দেখি কোরানে আল্লাহর সাথে মোহাম্মদের নাম উচ্চারন ও তাদের প্রতি বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস স্থাপন করার কথা বলা হচ্ছে। বিষয়টি যে সত্যিই তাই তার জন্য আমরা নিচের হাদিসটি উল্লেখ করতে পারি।
আবু হুরায়রা বর্নিত- আল্লাহর নবীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল -কোন কাজ সবচাইতে উত্তম? তিনি উত্তর দিলেন- আল্লাহ ও তার নবীর ওপর বিশ্বাস স্থাপন। সহি বুখারী, বই -২৬, হাদিস-৫৯৪
অর্থাৎ মোহাম্মদের মূল লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক নেতা হওয়া , ইসলাম সেখানে ছিল তার রাজনৈতিক দর্শন। তাই ইসলাম স্রেফ কোন ধর্ম নয়, সাম্যবাদী রাজনৈতিক দর্শনের মতই ইসলাম একটা রাজনৈতিক দর্শন। ইসলামী পন্ডিতরা বিষয়টি ভালমতো জানে বলেই তারা কোরান হাদিসে নানা রকম অসঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও সেগুলোকে এড়িয়ে মূলত মুসলমানদের রাজনৈতিক বিজয়ের স্বপ্নে বিভোর হয়ে ইসলামের জয়গান করে ও তা প্রচার করে। কিন্তু সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের মধ্য দিয়ে যেমন সাম্যবাদী দর্শনের অপমৃত্যু ঘটেছে তেমনি ইসলামী রাজনৈতিক দর্শনেরও যে অপমৃত্যু ঘটে গেছে চার খলিফার রাজত্বের সাথে সাথেই বিষয়টি তারা এখনও অনুধাবন করতে পারছে না। সাধারন মুসলমানরাও অনেকটা বুঝে বা না বুঝে ইসলামী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর। আর সে কারনেই আজকে গোটা বিশ্ব ব্যপী ইসলাম নিয়ে এতরকম সমস্যা, এত হিংসা, এত সন্ত্রাসী ঘটনা। এখন মুসলমানরা যত তাড়া তাড়ি বুঝবে যে ইসলামী দর্শনের রাজনৈতিক কোন ভবিষ্যত নেই, বরং যতই তারা তা প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে উঠবে তাতে মুসলমানরাই যে আরও বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে -ততই তাদের মঙ্গল।
জাকাত দ্বারা কি দারিদ্র্য হটানো যাবে? পৃথিবীর সব ধনী মানুষ, সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি গরীবদের জাকাত দেয়, তাহলে কি দারিদ্রের সমস্যা মিটে যাবে?
ভবঘুরে, দয়া করে উপরে ব্রাইট স্মাইলকে করা ফুয়াদ ফান্টার মন্তব্যটি মুছে দিন। নিজের কল্পনার রঙ মেখে ওইখানে ব্রাইট স্মাইলের ব্যক্তিগত তথ্য ডিসক্লোজ করার চেষ্টা করেছে। লেখা সম্পর্কে আর কি বলবো, আরেকটি ক্লাসিক ভবঘুরে!
মন্তব্যটি এডিট করে দেয়া হল – এডমিন।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ , সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি লক্ষ্য করলাম শুধুমাত্র হজ্জের বিষয় নিয়েই সবাই আলোচনায় মেতেছেন। এখানে আরবী কোরান বলেও একটা বিষয় ছিল। হজ্জ সম্পর্কে কোরান হাদিসে বর্ননা ও কোরান আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হওয়াতে আমার সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে ইসলাম শুধুমাত্র আরবীভাষী আরব দেশের মানুষদের জন্য। আপনারা শুধুমাত্র হজ্জের ওপরেই তর্কের ঝড় বইয়ে দিলেন, আরবী কোরান বিষয়ে আশ্চর্যরকম ভাবে চুপ। যদি সম্ভব হয় , আমি আরবী কোরানের ওপর একটু বিতর্ক চাই। জানতে চাই ইসলামী পন্ডিতদের ব্যখ্যা। আমাকে কি একটু অনুগ্রহ করা যাবে ?
@ফারুক,
“ভুল ও বানোয়াট” যা কিছুই আপনার মনে হোক না কেন মুহাম্মাদকে জানতে চাইলে ও গুলোকে ভরসা ছাড়া কোন উপায় নাই। That’s all we have in front of us. এ গুলোকে বাদ দিয়ে মুহাম্মাদের ‘অস্তিত্ব’ আপনি কখনোই প্রমান করতে পারবেন না (circular reasoning এর আশ্রয় ছাড়া, উদাহরনঃ মুহাম্মাদ সত্য কারন তা কুরানে আছে, কুরান সত্য কারন মুহাম্মাদ তা বলেছে)। আর মুহাম্মাদের ‘অস্তিত্ব’ প্রমান করতে না পারলে কুরান নামক গ্রন্থটির কোনই Credibility থাকে না। কারন, সে ক্ষেত্রে ‘মুহাম্মাদ” হবে কোন এক অজ্ঞাত আরববাসীর লেখা কুরানের কাল্পনিক চরিত্র।
ভাল থাকুন।
@গোলাপ,
আমরা কোরানকে বিচার করব কোরানের বক্তব্যকে বিশ্লেষন করে। মুহম্মদের Credibility ছিল কি ছিল না তা এখন এই ১৪০০ বছর পরে কোনই গুরুত্ব বহন করে না। কোরানের Credibility ও মুহম্মদের Credibilityর উপরে নির্ভরশীল নয়।
@ফারুক,
An uncredible person by definition is NOT credible. তার বক্তব্য, অথবা তার মারফত কোন বক্তব্য, কিভাবে Credible হয় তা আমার জানা নাই। আমি আপনার এ মতের সাথে সহমত নই।
আপনার ব্যক্তিগত মত ও বিশ্বাসের আমি সন্মান করি।
ভাল থাকুন।
@গোলাপ,
:yes:
মূল লেখা এবং লেখাটির মন্তব্য থেকে অনেক কিছু শিখলাম। সবাইকে ধন্যবাদ।
@ফারুক,
যে অর্থেই ধরুন না কেন, কোন অর্থেই আপনি নিজেই মূলত ব্রহ্মণ, সব মানুষই ব্রহ্মণ, এটা কি আপনি মানেন? আপনি নিজে মানলেও ট্রাডিশনাল ইসলামের সাথে কি এটা সংগতিপূর্ণ? এটা কি শিরক নয়?
আরেকটা প্রশ্ন, এমনিই কৌতুহলী
কেন ঠিক বুঝলাম না। কাল কি আল্লাহরও উর্দ্ধে, নাকি কাল আল্লাহর সৃষ্টি? দ্বিতীয়টি হলে ঈশ্বর অনন্তকাল ধরে বিদ্যমান নাও থেকে থাকতে পারেন, কারণ কাল সৃষ্টি করবার আগে “অনন্ত কাল”-এর কোন অর্থ হয় না।
@রৌরব,
যতদুর জানি , আধুনিক বিজ্ঞান বলে , বিগব্যাং এর সাথেই কালের সৃষ্টি। বিগব্যাংএর আগে কাল বা সময় ছিল না। আস্তিক রা যেহেতু বিশ্বাস করে , এই মহাবিশ্ব আল্লাহে সৃষ্টি , সেহেতু by default কাল ও আল্লাহর সৃষ্টি।
a state where there is neither earth,
nor water, nor heat, nor air;
neither infinity of space nor infinity of consciousness,
nor nothingness, nor perception nor non-perception;
neither this world nor that world, neither sun nor moon.
It is the uncreate.
@ফারুক,
প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন। যদি এ ব্যাপারে আপনার মতামত আমি জানিনা, কিন্তু যখন ধার্মিকদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় সব কিছুই ঈশ্বরের সৃষ্টি হলে মানুষের পাপের জন্যও তো তিনি দায়ী, এবং পাপীকে তাঁর নরকে প্রেরণ অনৈতিক, তখন তাঁরা যে উত্তর দেন, তার মধ্যে সময় একটা বড় ভূমিকা পালন করে। তাঁদের উত্তর অনেকটা এরকম, ঈশ্বর মানুষকে free will দিয়েছেন, সেটা দিয়ে তারা পরে কি করবে সেটার দায়িত্ব তাঁর নয়। এখন free will সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যার কথা বাদ দিয়ে শুধু এই বাক্যের সময় বিষয়ক অংশে ফোকাস করা যাক। সময় যদি ঈশ্বরের সৃষ্টি হয়ে থাকে, তিনি যদি হয়ে থাকেন সময়ের ঊর্দ্ধে, তাহলে এই যুক্তি কিভাবে বজায় থাকবে? তিনি সৃষ্টি করেছেন সময়ের বাইরে বসে, কাজেই আগে/পরে এরকম কোন ব্যাপারই তাঁর কাছে নেই।
@রৌরব,পাপ কি সৃষ্টি? পাপ তো কর্ম। কর্মফলের জন্য নরকে প্রেরণ অনৈতিক হবে কেন?
সেটাই। একারনেই আল্লাহ অতীত , বর্তমান ও ভবিষ্যত সবি জানেন।
@ফারুক,
জুরাথ্রুস্টের অনুসারীরা ঈশ্বর-অনির্ভর পাপের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে, যেকারণে মুসলিম-খ্রিস্টানরা তাদের একেশ্বরবাদী বলতে নারাজ। আপনার মন্তব্যটি সেরকম শোনালো কিন্তু। “সৃষ্টি”-র বাইরে (আল্লাহ্ ছাড়া) কি কিছুই পড়ে আব্রাহামিক একেশ্বরবাদে?
আপনার অন্য লেখার মত এই লেখাখানিও পড়লাম ভাল লাগল। তবে কিছু মানুষকে যত্ই যুক্তি দেখান না কেন তারা কোনদিনই আপনার যুক্তিতে আসবে না। কারণ ছোটবেলা থেকেই ইশ্বর বা আলাহ তাদের মস্তিষ্ক ধোলাই করে রেখেছেন। আপনি লিখে যান। শুভ কামনা রইল।
@সুমিত দেবনাথ,
@সত্তুক,
ওই সাইটগুলোর লিংক দিলে বড় উপকার হতো। তাহলে লেখাটিকে আরও সমৃদ্ধ করা যেত।
আর যদি আপনার বক্তব্য সত্যও হয়, লেখার কোন বিষয় অযৌক্তিক তা ব্যখ্যা না করে বার বার একই কথা বললে তা মানুষের বিরক্তি উৎপাদন করে ভাই, আশা করি এটুকু সাধারন জ্ঞান আপনার আছে। পরিশেষে মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধিই তো পায় নানা লেখকের লেখা পড়ে। হয়ত তাদের লেখা পড়তে গিয়ে দেখা গেল কোন একটা পয়েন্ট তারা ধরতে পারেনি , তখন সে পয়েন্টের ওপরে লেখা হলো – এরকমই ।
সব কিছুর পিছনে ইহুদী ষড়যন্ত্র আবিস্কার না করে, ইসলামের যে অসংগতি সমূহ তুলে ধরা হলো তা পারলে যুক্তি দিয়ে খন্ডন করার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আপনারা ইসলামকে আল্লাহ প্রদত্ত ধর্ম, সম্পুর্ন জীবন বিধান, মোহাম্মদ আল্লাহর নবী ইত্যাদি সব বোগাস ও উদ্ভট কথা বার্তা বলবেন আর অন্যরা বসে বসে আঙ্গুল চুষতে থাকবে , সে দিন আছে নাকি এই ইনফরমেশন টেকনোলজির বিপ্লবের যুগে ! তাই আপনাকে অনুরোধ, বাজে কথা বাদ দিয়ে আসল বিষয়ে কোন বক্তব্য থাকলে তা খন্ডাতে চেষ্টা করুন তাতে যদি কিছু কাজ হয়। নইলে আপনাকে করুনা করা ছাড়া আর কিছুই নেই।
@সত্তুক, আমি আলাদা করে ইসলাম বিদ্বেষী হব কেন ভাই? আমি যেখানে মানবতা বিরোধী যুক্তিহীন কার্য্যকলাপ দেখি তার প্রতিবাদ করি। তাতে আপনাদের চোখে কখনও মুসলিম বিদ্বেষী কখনও হিন্দু বিদ্বেষী কখনও বা খ্রীষ্টান বিদ্বেষী লাগতে পারে। আসলে ছোটবেলা থেকে যা দেখেছেন আর সমাজে যা দেখছেন তাই ধরে রাখার তীব্র চেষ্টা। তার বাইরে এসে চিন্তা করার জো তো আপনাদের নেই! :-Y আর আকড়ে বসে থাকেন। পৃথিবী আপনার জায়গায় বসে থাকবে না। পরিবর্তন আসছে আসবে। আপনি আপনার জায়গায়ই থাকবেন। আর ইসলাম বিদ্বেষ যদি পৃথিবীতে থেকে থাকে তা হলে আপনাদের মতো কিছু চিন্তাধারার মানুষদের জন্যই। 😥
@গোলাপ,
খুব সংক্ষেপে সুন্দর বিশ্লেষণ। মুহাম্মদই আল্লাহ, কোরানই মুহাম্মদ। কোরান নিশ্চয়ই মুহাম্মদ রচিত আরব সাম্রাজ্যবাদের দলিল, পৃথিবীর মানুষের জন্যে কোন জীবনবিধান নয়। সারা বিশ্ব জুড়ে ইসলামি সন্ত্রাস, নিরীহ মানুষকে খুন / রাহাজানি, নারী ধর্ষনকারী কাজের জন্য মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক, মৌলানা-মৌ্লুভী বা কোন সরল প্রাণ ইমানদার মুসলমানকে দায়ী করার আগে ভাবতে হবে এর উৎস কোথায়।
সময় এসেছে মুহাম্মদের আসল চেহারাও তার কোরান রচনার গুপ্ত রহস্য নতুন প্রজন্মের সামনে উন্মুক্ত করে দেয়ার।
@আকাশ মালিক,
একটা বিষয় জানার ছিল, আপনাদের অনেকের কাছেই মোহাম্মদ; নারী ধর্ষনকারী, হত্যা লুন্ঠন, কামনা লিপ্ত এক চতুর লোক ছিলেন বলে জানতে পারি। আপনারা কি আমাক একটূ বলবেন এই কোন ইতিহাস পড়ে, কোন হাদিস, অথবা কোরানের তফসির পড়ে আপনারা নিশ্চিত হয়েছেন, সেই বই গুলো, বা তফসির, বা হাদিস বা ইতিহাসের বই গুলোর নাম বা ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে এমন কোন নাম ঠিকানা দিতে পারবেন? যাকে বলা হয় রেফারেন্স। আপনার কোন লেখা থাকলেও হবে।
ধন্যবাদ
@Russell,
Russell ভাই,
আপনি মুহাম্মাদ সম্ভন্ধে না জেনেই এত কঠিন কঠিন শব্দ উল্লেখ করেছেন তার কি উত্তর হবে তা জানি না। তবে মুহাম্মাদকে মুল্যায়নের আগে তার সম্বন্ধে ভাল ভাবে জানা দরকার। জানার পড়েই প্রশ্ন আসবে মূল্যায়নের। আপনি “খাঁটি মুসলামান” হিসাবে তাকে মূল্যায়ন করতে যদি চান সেটা হবে এক রকমঃ যেমন ” তিনি যা কিছু করেছেন আল্লাহর ইচ্ছাতেই করেছেন জিব্রাইল মারফত ওহী পেয়ে (আমুসলীম জনপদের উপর হামলা/যুদ্ধ/ হত্যা, তাদের সম্পত্তি লুন্ঠন /ছেলেদের দাস -মেয়েদের দাসী (যার সাথে অবাধে যৌন মিলন শাস্ত্র সম্মত -যার বর্তমান সংজ্ঞা ধর্ষন); তাই আল্লাহর দৃষ্টিতে তা খারাপ কিছু নয়। আথবা বলতে পারেন, ঐ ঘটনা গুলো সবই মিথ্যা /বানানো গল্প (শিয়া /সুন্নীর বিরোধ -উপরে ফারুক সাহেবের মন্তব্য দেখুন)। আর যদি নিরপেক্ষভাবে, মানুষ হিসাবে ( যেমন “আমি যদি সেই victim হতাম” ) মূল্যায়ন করেন তা হবে আরেক রকম। সরল ভাষায় আপনি কি “খাটি মুসলমান”, নাকি “খাঁটি মানুষ” হিসাবে তার কাজের মূল্যায়ন করছেন সেটাই এখানে বিবেচ্য।
আপনি reference জানতে আগ্রহী, তাই জানাচ্ছি। আপনার ও আরো উৎসুক পাঠকদের জন্যঃ
প্রসঙ্গতঃ বালে রাখি ইমাম বুখারীর জন্ম ৮১০ সালে, ইবনে ইশাকের ১০৬ বছর পরে।
ভাল থাকুন।
@Russell,
কোন কথা বা উক্তি নিজে বানিয়ে বলিনা ভাই। নবী, কোরান, সাহাবী ,আল্লাহ, কোরান নিয়ে অনুমান নির্ভর কথা বলার দুঃসাহস করিনা। যা বই কিতাবে আগে থেকেই লেখা, তা’ই তুলে ধরেছি মাত্র। এই নিন আপনার জন্যে একটি লেখা।
@সত্তুক
হ্যাঁ, মুহাম্মদ ও তার সাহাবিদের সম্পর্কে যা জেনেছি তা এখান থেকে আপনিও জেনে নিন।
@আকাশ মালিক,
হা (মোঃ) সম্পর্কে জানুন।
আগের মন্তব্য খ্রাপ কি ছিলো,মোডু ভাইডি??
@আকাশ মালিক,
এটা জানার জন্যে “self learning” এর কোন বিকল্প নাই। মৌলভী সাহেবের খপ্পর থেকে বেড়িয়ে আসতে না পারলে সাধারন ধর্মপান মুসলমানদের পক্ষে এর উৎস জানা কখনোই সম্ভব নই। Meccan verse গুলো (বাতিল – abrogated) দিয়ে হুজুর রা মানুষ কে বিভ্রান্ত করতেই থাকবে।
কোরানের ২:১৯৬।
মুফাসসেরিনের ঐকমত অনুযায়ি,এটা হোদায়বিয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে অবতীরন হয়েছে।এতে বোঝা যাচ্ছে যে,এ আয়াতের ঊদ্দেশ্য হজ ফরয হওয়ার বিষয় বাতলানো নয়, তা পূরবেই বাতলে দেয়া হয়েছে,বরং এখানে উদ্দেশ্য হল হজ ও ওমরার বিশেষ কিছু নিরদেশ বরননা করা।
…………।আর এই আয়াতে যাতে শুধু ওম্রার কথাই আলোচনা করা হইসে,এর ফরজ কিম্বা ওয়াজিবের ব্যপারে কোন ক্তহাই বলা হইয়নি,বরং বলা হইসে…………………সূএ।>>>তাফসীর মারেফুল কোরআন।
ভাই যান,খালি হুদা হুদা অনুবাদ করলে হবে??পড়তে হবে না???
আপনার পোষ্ট পড়ে ,অতি সামান্য জ্ঞান যার আছে ইসলাম সম্প্রকে,সে ও বুজবে আপনি ফাও পেচাল পারতেসেন।
ইংরেজী ইসলাম বিরোধি সাইট থিকা পইড়া জ্ঞানি হইলে তো,আপ্নি জ্ঞানি হবেন না,গিয়য়ানি হবেন।
এটা হতেই পারে না আপনি বুখারি পড়লেন,তার জাকাত এর হাদেস পড়লেন কিন্তু রাসুল,কত টুকু চিন্তা করছে , কত দূর ইসলাম যাবে তা পড়েন নি।১ ই সাথে,আপ্নি হজ এর আয়াত গুলো পড়লেন কিন্তু এর শানে নুজুল পড়লেন না।মানে অতি সোজা,আপ্নি শুধু ১ বোকা অনুবাদক।
আমি রেফারেন্স দিলাম এই আশায় এবার সত্য সত্য পড়ুন,তার পর আমার ভুল ধরুন,ওই সাইট গুলো যারা চালায় তারা সত্য জানে,কিন্তু তাও গোপন করে,আপ্নি তো ভাই সত্য টাও জানেন না।
ইসলাম বিদ্দেশ করবেন করুন, নিজে পড়ে করুন,
থোকা থোকা না,যে অধ্যায় ধরবেন তা পুরা পড়ুন।ও হা,লিংক এর দেয়া আয়াত টা শুধু পড়বেন না, একটু আশ পাশের আয়াতও পড়ুন।
আপনার পুরা পোষ্ট পড়তে পারিনি,তার আগেই টের পেলাম আপনার গিয়ানের দৌড়। :no: :-X :hahahee:
সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নিবন্ধের যে পয়েন্টের ওপর আমাদের ফুয়াদ ভাই তেনা প্যাচাইতেছিলেন সে যায়গাটাকে আমি সম্পাদনা করে নতুন করে লিখে দিয়েছি। আগ্রহ থাকলে সেটুকু পড়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সাথে ফুয়াদ ভাইকে এ ব্যপারে তার মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ রইল।
ফুয়াদ ভাইয়ের আগমনে মুক্তমনা পুরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আমি হার মেনেছি, আদিল মাহমুদও পরাজয়ের পথে, ভবঘুরেও ধরাশায়ী হবেন ইনশাল্লাহ।
জয় ফুয়াদ ভাই। যাবার আগে অন্তত বলে যাবেন, মুক্তমনা বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।
@আকাশ মালিক,
ধরাশায়ী হবো কি, হয়ে গেছি অলরেডি। যে খুরধার যুক্তি করেন আমাদের ফুয়াদ ভাই আমার তো মনে হচ্ছে উনি ইসলাম রক্ষার জন্যে দুনিয়ায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
এইটা পড়ছি আর হাসছি। হায়রে মোহাম্মদ, হিসাবে একটু গন্ডগোল হইয়া গেছিল। :lotpot:
@সাইফুল ইসলাম,
তার*(সঃ) হিসাবে না , গ ন্ড গল আপনার হিসাবে।
ব্যাপার টা এমন আপনার ক্ষেত্রে,স্যার পড়ালেন,চাঁদ দূরে,আর বরিশাল কাছে,আপ্নি চাঁদ দেখতে দেখতে বলসেন,হায়রে ভুদাই স্যার কি যে কয়!!!!পুরাই বোকা, চাঁদ এহানে বইয়া দেহী,আর বরিশাল দেইখতে লঞ্চত চরা লাইগ বে……। :lotpot:
প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মগুলোর রাজনৈতিক ব্যবহারজনিত কারণে, পৃথিবীতে যে পরিমান রক্তপাত হয়েছহে, এখনো হচ্ছে, সে ইতিহাস আমরা সবাই কম-বেশি জানি।আমরা এ-ও জানি, সবগুলো ধর্মের মধ্যে ইসলাম ধর্ম হচ্ছে সবচেয়ে নবীন, তার রাজনৈতিক ব্যবহারটিও আধুনিক এবং ব্যাপক অর্থাৎ কোন ভৌগলিক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়। সমাজের অগ্রসর মানুষগুলোকে, অতীতে যেমন, বর্তমানেও তেমনি, একটা যৌক্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অভিমুখে চলতে গিয়ে, “তাসের ঘরগুলোকে” হাতুড়ি চালাতে হয়।বিজ্ঞান, বিবর্তন, বা নৃতত্ত্বের সাহায্য না নিয়ে যদি সোজা সাপটা বলা হয়, আমার অজ্ঞতা, তোমার ঈশ্বরের অস্তিত্বকে প্রমাণ করে না। ওইটুকু স্তরে পৌঁছবার মত মানুষের সংখ্যাটা হয়তো ভবঘুরের জানা ছিল বলেই, নির্ভূল আল্লা-নবী-র কিছু ভূল ( একটা মাত্র ভূল ধরতে পারলে স্রষ্টার অস্তিত্ব বাতিল হয়ে যাবার কথা, তবুও যাচ্ছে না।) তুলে ধরে, যে লক্ষে পৌঁছতে চেয়েছিলেন, আমার মনে হয়, সে-দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভুত করতে পারলে, সামনে পথ চলা, হয়তো খানিকটা গতি পাবে।
একদা বাইজিদ বোস্তামী (রাঃ) যাচ্ছিলেন হজ্ব পালন করতে। পথিমধ্যে এক লোক তাকে ডেকে বললেন-কোথায় যাও? তখন বায়জিদ বললেন হজ্ব করতে।
লোকটি বললেন যাওয়ার দরকার নেই। আমাকে সাত বার পাক দিয়ে বাসায় চলে যাও তোমার হজ্ব কবুল হয়ে যাবে। আর বায়জিদ (রাঃ০ তাই করলেন। এবং তার হজ্ব কবুল হয়ে গিয়েছিল। আর যেই লোকটিকে তিনি সাত পাক দিয়েছিলেন তিনি ছিলেন বায়জিদ বোস্তামীর (রাঃ) গুরু মানবাত্নাধারী মুর্শিদ কেবলা।
মানব দেহই আসল কাবা সেই কথা নজরুলের ভাষায়ঃ
মিথ্যা শুনিনি ভাই
এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির কাবা নাই।
আবার গরীবে নেওয়াজ (রাঃ) বলছেনঃ
যদি তুমি আল্লাহর মুখ দর্শণ করতে চাও
আমার চেহারার দিকে তাকাও
আমি তাঁর দর্পন, আমা হতে পৃথক নয়।
আবার বায়জীদ বোস্তামী (রাঃ) বলছেনঃ
তুমি যখন আমাকে দেখিয়াছ, বাস্তবিকই খোদাকে দেখিয়াছ এবং সত্যই তুমি কাবার চতুর্দিকে তাওয়াফ করেছ।
কত কথা বলা যায় এই হজ্ব নিয়ে। তবে সব বলা যায়না, এসব ভেদ ভাঙ্গা যায়না, কেননা সবাইর দ্বারা সব বুঝা সম্ভব না। ধর্ম জগতের মূল হল আল্লাহকে দেখা। আর জগতে মানুষ ব্যতিত দেখার কিছুই নেই। আজব্ধি আল্লাহ কখনও দেখা যায়নি, যাবেওনা। তবে আল্লাহকে পেতে মানুষেরই কাছে যেতে হবে। মানুষের জয়গান করতে হবে। এই মানুষ বাদ দিয়ে আল্লাহ ফুটুস। বললে অনেকেই কাফের বলবে, গালাগালি দিবে তাই বলা যায়না। যদিও যা বলেছি এইটুকু যদি বুঝেন তাহলেও অনেক।
এখন যে অবস্থা দাড়িয়েছে আসল সত্য বললে মানুষ আক্রমন করে বসে। সাধারন মানুষের বোঝার শুরুটাই হয় ভুল দিয়ে তাহলে সত্য জানবে কি আসমান দিয়ে?
অনেকেই এখানে নামাজের প্রসঙ্গে বলেছেন ৮২ বার কেন বলেছেন? আল্লাহর কি মাথায় ঘিলু কম নাকি, এক বিষয় নিয়ে এতবার চিল্লাবে? আসলে উহা ৮২ ধরনের সালাতের কথা বলা হয়েছে। তাই ৮২বার বলতে হয়েছে।
ধন্যবাদ
@Russell,
সেই ৮২ ধরণের সালাত কি কি? :-/
আর আপনিই বা তা বুঝলেন কিভাবে?
@সৈকত চৌধুরী,
আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলাম না এখানে, তাই আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। তবে চিন্তার খোরাক দিলাম, দেখুন না পান কিনা। মানুষ পারেনা এমন কিছু নেই। তবে ইহা সত্য।
ধন্যবাদ
@Russell,
রাসেল সাহেব, দেখেন আপনি কি বলেছেন
আপনি বলেছেন আসলে কোরানে ৮২ ধরনের সালাতের কথা বলা হয়েছে আবার এখন প্রশ্ন করলে বলছেন, “চিন্তার খোরাক দিলাম, দেখুন না পান কিনা। মানুষ পারেনা এমন কিছু নেই। তবে ইহা সত্য”।
এইসব মারফতি কথা না বললে কি হয় না? কোরানকে কি আপনার কাছে আল্লার বাণী বলে মনে হয়? যদি হয় তবে ঠিক কি কারণে?
না প্যাঁচিয়ে সরাসরি বললে খুবই খুশি হব।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনে আমার উপরের বড় বড় দুইটি মন্তব্য পড়েন, উত্তর পাবেন যে কেন আমি সরাসরি বলা যাচ্ছেনা, বা কেন এইসব কথা সরাসরি বলা হয়না। তাই আমি আবারও দুঃখিত।
ধন্যবাদ
@Russell,
উনি জানল কেমনে যে তার হজ্ব কবুল হয়ে গিয়েছে? উনি কি নবী পয়গম্বার ছিলেন? উনার কাছে কি ওহি আসতো? যতসব বাকোয়াস…….।
ভবঘুরে….
একটা গুরুত্বপূ্র্ন আয়াত বাদ পড়েছে
পায়ে হেটে আর উটের পিঠে চড়ে নিশ্চয় বাংলাদেশ থেকে হজ্বে যাওয়া বেশ মুশকিল। এটাও প্রমান করে, হজ্ব শুধু মাত্র মক্কা এবং আশে পাশের মানুষের জন্য।
@ফরহাদ,
হ ভাই, একটু বাকোয়াস করলাম আর কি, মাইন্ড খাইয়েন না… 🙂
@ফরহাদ,
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আসলেই অতি জরুরী আয়াতটা আমার নজরে পড়েনি। কত আর পড়বে বলেন? আপনার এ আয়াতটি অবশ্যই নিবন্ধের বক্তব্যকে আরও শক্তিশালী করত। যাহোক, এতক্ষনে পাঠকরা আপনার এ আয়াত পাঠ করে যা বোঝার বুঝে গেছে আশা করি।
@Russell,
অজ্ঞাতে হলেও আপনি মারাত্মক অপরাধ করে ফেলেছেন। তা হলো – আল্লাহর কোন আকৃতি বা শরীর নেই যে তার মাথায় ঘিলু থাকবে। এটা অনেকটা শিরকের পর্যায়ে পড়ে।
@Russell,
আসলেই সত্যি বলেছেন। কোন একটা সাইটে যেন আপনাকে কাফের বলে ফতোয়া দেয়া হয়েছিল -সাইটটির নাম ঠিক মনে করতে পারছি না। আপনার জানা থাকলে বলবেন।
@ভবঘুরে,
somewhereinblog।
ধর্ম গুরুগন জ্ঞানকে সমুদ্র মনে করেন, এবং এই সাগরে সাতার কাটা সবার পক্ষে সম্ভব নয় বলে সত্য সাগরের একটি বিন্দু সবার সামনে রেখে বলেন যে, এটা হল অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানটুকু পালন করতে চেষ্টা কর। এই বিন্দুটুকু দিতেই হয় দুইটি কারনেঃ এক- কেউ গ্রহন করুক আর নাই করুক কিন্তু সবার জন্য অতি সহজ সরল একটি ব্যবস্থাপত্র আর অপরটি হল, যদি যে কোন সত্যের অনুষ্ঠান অথবা রুপকথার স্থুল চেহারাটি না থাকে তা হলে আসল সত্যটি হয়ে পরে বিমুর্ত তথা নিরাকার। সবার অনুভূতি এই বিমূর্তকে পারে না অনুভব করতে। তাই বিন্দুর অনুষ্ঠান দিয়েই কিছু লোক সত্যের গন্ধ পান। তখন সত্য সাগরে ভেষে যাবার ইচ্ছা প্রকাশিত হয়। ইহা হাজার কোটি লোকের ভিতর হয়ত একজন কিবা দুইজন হাতে গোনা মানুষই পেয়ে থাকেন।
হজ্বের বিষয়টি তেমনই এক অসীম সত্যকে রুপক কিছু অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নবী করিম (সাঃ) হজ্বের অনুষ্ঠানের বিষয়টি এত সুন্দর করে তার দেশের মানুষের জন্য উপস্থাপন করেছেন যার গভিরতা সত্যই অবাক করার। যদিও অনেক পূর্বেই সেই অনুষ্ঠানের গায়ে লেগেছে মরিচা, নবীর সেই হজ্ব আর আজকের হজ্ব আকাশ পাতাল তফাৎ। যদিও মোল্লারা, মুসলিমরা সেটা জানেওনা, তারা ভাবে তারা সেই নবীর দেয়া অনুষ্ঠান আজও পালন করে যাচ্ছে, কেননা সাধারন মুসলিমরা আর কাঠকোট্টা মোল্লারাও জানেনা যে ইসলাম আজ তারা যা পালন করে সেইটা যাই হোকনা কেন নবী (সাঃ) এর প্রবর্তিত ইসলাম না, এটা হল সৌদি শাসকদের দেয়া ইসলাম।
একটা হকিকত, অপরটি শরীয়ত। একটি আসল, অন্যটি রুপক। একটি শরীয়তি অনুষ্ঠান অপরটি হকিকত। যেমন শরীয়তে শয়তান তিনটি-এদেরকে আবার শরীয়তের তথা অনুষ্ঠানের পাথর দিয়ে মারতে হয়।অনুষ্ঠানের শয়তান তিনটিকে পাওয়া যায় সৌদি আরবে। কিন্তু হকিকতের শয়তান একটি, আর এই শয়তানকে পাওয়া যায় শুধু মাত্র জীন আর মানুষের অন্তরে। কেননা হকিকতে জীন আর মানুষ ব্যতিত সকল কিছুই আল্লাহর তৌহীদে বাস করে। তাই অনুষ্ঠানের শয়তান তিনটিও আল্লাহর তৌহিদে বাস করে। উহা আসল শয়তান না। মানুষের অন্তরে বাস করা আসল শয়তানকে চিনার, ও তাকে হত্যা করার অনুষ্ঠান হল অনুষ্ঠানের এই হজ্ব। তেমনই আল্লাহর প্রকৃত ঘর মানুষের তৈরি ইট পাথরের চার দেওয়ালের কালো কাপড়ে ঢাকা কাবা নয়। আল্লাহর ঘর হল মানুষের অন্তর। সুতরাং আসল চিনতেই রুপকের আবরন, অনুষ্ঠানের হজ্ব। আসল হজ্ব হয় মানুষের দেহের ভিতরে। তেমনই শরীয়তের শয়তানকে মারার জন্য যে অনুষ্ঠানের পাথর ব্যবহার করা হয়, আসল শয়তানকে মারতে কি অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে সেই বিষয় জানতে হয়।অনুষ্ঠানের প্রয়োজন আছে। আসল শয়তানকে চেনা, আসল আল্লাহর ঘর চেনা সবার দ্বারা সম্ভব না। তবে সবাই ধর্ম চায়, সত্য জানতে চায়, সেই সত্য জানাতে প্রথমে অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হয়।
কোরানে যত আয়াত আছে, সব গুলোর ভিতরেই রুপকের আবরন দেয়া আছে। এই রুপকের ভিতরেই আছে আসল সত্য। সেই সত্য জানা সবার দ্বারা সম্ভব হয়না, বা সবাইকে জানানো যায়না তাই রুপকের আবরন।
আপনার লেখায় বহুবার লিখেছিলাম কোরান সবার জন্য নয়। তাও একে সবাই পৈতৃক সম্পত্তির মত নিজের মনে করে যার যার মত প্রকাশ করে যাচ্ছে। তেমনই নামাজ, যাকাত, রোজা, কোরবানী, তালাক, নারী প্রতিটি বিষয়ের আছে গোপন ও গভির সত্য।এ গভির সত্য যে ব্যক্তি যে মহামানব জানে তার নিকট থেকে জেনে নিতে হয়। এখানেই কোরানের সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। যেমন আপনে যেভাবে এর ব্যাখ্যা করেছেন তা সম্পুর্ন ভুল।
একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখা যাবে নামাজের কথা কোরানে আছে কিন্তু কিভাবে করতে হবে সেই কথা কোরানে দেয়া নেই। কারন ইহা সার্বজনীন নামাজ। যেই ব্যক্তি এই কোরান জ্ঞানে জ্ঞানী সেই ব্যক্তি নামাজের পদ্ধতি বাতলিয়ে দিবেন। কোরানে বর্নিত নামাজ সার্বজনীন সত্য। যাইহোক হজ্বের গোপন সত্যকে জানতেই রুপকের অনুষ্ঠান। তবে আজ যেই অবস্থা, সত্যের সাগর আজ বিন্দুর অনুষ্ঠানে ডেকে গেছে। সবাই অনুষ্ঠানকেই সত্য ভেবে বসে আছে। তাই ধর্মের এই করুন দশা।
ধন্যবাদ
@Russell,
ভাই হজ্জের কি মারেফতী উদ্দেশ্য আছে সেটা বর্ননা করা নিবন্ধের মূল লক্ষ্য না। মূল লক্ষ্য হলো – হজ্জ পালনের বাধ্যবাধকতা আর তা পালনের যে তরিকার বর্ননা কোরান হাদিসে আছে তা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় হ্জ্জ পালন শুধুমাত্র আরব দেশের আরবী ভাষীদের জন্য। তথা আরব দেশের বাইরের মানুষের জন্য ইসলাম প্রচারিত হয়নি। সেটাকে ঠিক মতো যুক্তি সহকারে উপস্থাপন করা গেছে কিনা সেটাই আসল প্রতিপাদ্য।
@ভবঘুরে,
না ভাইজান, আপনে সেইটা বুঝাতে পারেননি, আর আপনার বুঝানোর উপাদান খুবই দূর্বল, আর যেই বিষয় বুঝাতে চাচ্ছেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার কোন ধারনা নেই।
ধর্ম বা ধর্মের কোন অনুষ্ঠান কোন দেশ জাতীর একার সম্পত্তি নয়, হতে পারেনা। যদিও সকল ধর্মের সৃষ্টি একটি নির্দিষ্ট এলাকায় গন্ডিতে জন্ম নিয়েছে ঠিকি তাই বলে সেই এলাকার উপর ইহা সারাজীব থাকবে সেটা কখন, কোন ধর্ম বলেনা।
একটা ভুল বিষয় নিয়ে আপনে এত তর্ক করতে পারেন…পারেনও বটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার যুক্তির থেকে আপনার ধর্ম বিদ্বেষীতা, ক্ষোভ বেশি চোখে পড়ছে।
যাইহোক ধন্যবাদ
@Russell,
সব ধর্ম গুরুগনই ‘জ্ঞানকে সমুদ্র’ মনে করেন কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও এটা নিশ্চিত যে ‘গুরুর অনুসারিরা’ তার গুরুকেই ‘জ্ঞান সমুদ্র’ বলেই জ্ঞান করেন। গুরুর সেই জ্ঞান সমুদ্রের গভীরতা শিষ্যের ‘বিশ্বাসের’ গভীরতার সমানুপাতিক (Directly proportional). যে কারনেই জগতের সকল ‘ধর্মানুসারীরাই’ তাদের নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থটিতে জগতের যাবতিয় জ্ঞানের আধার বলেই মনে করেন। সেটার প্রমান ‘শরিয়তে না মিল্লে তরিকতে, তরিকতে না মিল্লে হাকিকতে, আর হাকিকতেও না মিল্লে মারুফতে’ মিলানোর চেষ্টা করেন।
শিষ্যের ‘বিশ্বাসের’ গভীরতাই গুরুর জ্ঞানের আসল ‘মাপ কাঠি’। এখানে মারুফতটা হচ্ছে ‘শিষ্যের বিশ্বাস’।
@Golap,
ভাল লাগল আপনার মন্তব্য। :rose2:
ধন্যবাদ
@Golap,
যদিও মন্তব্যটি আপনার ভাল লেগেছে তবে ইহা সঠিক নয়। মারুফত বা হকিকত কখনও কারও বিশ্বাস নয়, ইহা সত্য জ্ঞান/ মাফুফত একটি জ্ঞান, যা চিরন্তন সত্য, বাস্তব,এবং যুক্তি যুক্ত।
অন্ধ বিশ্বাস, অজ্ঞতা আর কুসংষ্কার নিয়ে এই জগতে প্রবেশ করা যায়না। প্রবেশ করতে দেয়া হয়না।
ধন্যবাদ
@Russell,
অবশ্যয় ইহা সত্য জ্ঞান , সেই specific গুরু/শিষ্যের কাছে।
@গোলাপ,
না। ইহার ভিতর আছে চিরন্তন সত্য, এবং বাস্তব জ্ঞান, সুতরাং তা আর স্পেসিফিক গুরু শিষ্য থাকেনা। এখানেই মারফতি জ্ঞানের বৈশিষ্ট। তবে হতে পারে সেই গুরু -শিষ্য এর জ্ঞান অর্জনের গভিরতাটা কতটূকু সেইটা একটা ভাবার বিষয়। তাই বলে এই জ্ঞান যেমন চিরন্তন সত্য, তেমন বাস্তব, তেমন অসীম।
আপনার এই মন্তব্যটাও ভুল। আপনে হতে পারে কোন গুরু শিষ্যের বিষয় একটু ভাল করে জানেন, হতে পারে আপনার গুরু আছে, থাকতে পারে…তবে এই মন্তব্য আপনার ভুল।
ধন্যবাদ
@Russell,
আমি আপনার মতের সাথে সহমত নই।
ভাল থাকুন।
@গোলাপ,
ওনার সাথে একমত হবেন কেমন করে? উনি তো মারেফতি লাইনের লোক। সেদিন এক মারেফতি লাইনের লোকের সাথে আলাপ হয়েছিল। তার বক্তব্যে দেখলাম সে হাদিস মানে না , কোরানও অনেকটা মানে না। আল্লাহ ও মোহাম্মদকে কিছুটা মানে আর তার ওপর তারা এক দেহ তত্ত্ববাদ গড়ে তুলেছে। একমাত্র আল্লাহই জানে- কি তারা আসলে মানে। বোঝা বড়ই মুসকিল। জিজ্ঞেস করলে বলল- তাদের লাইনে যেয়ে বাস্তব প্রাকটিস না করলে নাকি আসল সত্য বোঝা যাবে না। তো এ হলো অবস্থা।
@ভবঘুরে,
অন্যকে প্রভাবিত করার এটা একটা খুবই effective মাধ্যম। বিশেষ করে যখন তা ১১ বছেরের কম বয়সী শিশুদের মন-মানসে করা হয়, সবচেয়ে বেশি effective যদি তা করা হয় ৬ বছর বয়সের আগে। সেই “perceived সত্যটা” সে সারা জীবন ধারন করে (Perception is reality irrespective of its truth value). এর প্রভাব এতো সুগভীর যে তা থেকে বেরিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এক সময় “তাবলীগের” সাথে আমার সক্রিয় যোগাযোগ ছিলো। চিল্লা থেকে আসার পর খুবই ভাল লাগতো, একই সাথে বেনামাজী, বেরোজাদার লোকদের দখলে মনটা খারাপ হয়ে যেতো। মনে হতো তারা কি ভুলের মধ্যেই না আছে (অর্থাৎ আমি শুদ্ধ পথে আছি -ভাবতে বেশ ভাল লাগতো)।
আলোচনা ভাল লাগসে।
*
“নামাজের কথা বলছে ৮২ বার। আচ্ছা একবার বললে সমস্যা কি ছিল?” – এইটা পড়ে হেসে দিসি।
আমার ধারণা কুরআন ‘জনসাধারণের’ জন্য লেখা, যেখানে গড় আইকিউ ১০০। সেদিক দিয়ে ৮২ বার যৌক্তিক হতে পারে। কিন্তু তারপর নামাজের ফরমাট নিয়ে কনফিউশন টা আবার অযৌক্তিক। 🙂
@সিরাত,
সিরাত ভাই, আপনি এখানে নিয়মিত আসবেন ও আলোচনায় অংশ নিবেন আশা করি।
কথা হল, আল্লা একই কথা বহুবার বলবেন কেন? একবার বললেই তো হয়। 🙂 আর গড় আইকিউ এর কথা যদি বলেন তবে বলব মুসলমানদের মধ্যে কোরান পড়ে কত ভাগ লোক? প্রায় সবাই তো নামাজ পড়া ফরজ এটা শোনে-শোনেই তা পালন করছে, তারা এমনকি জানে না কতবার তা কোরানে বলা হয়েছে।
আপনি যদি মন দিয়ে কোরান পড়েন তবে দেখতে পাবেন তা অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তায় ভরপুর।
মুক্ত-মনার ই-বই গুলো একটু দেখবেন।
হজ করা একটি বিরাট অপচয়। আমাদের দেশে দুর্নিতিবাজ বিত্তবানদের উদ্দেশ্যমুলক হজ করার কথা বাদ দিলাম, কিন্তু কিছু লোক যখন জমি-জামা বিক্রি করে, ধার কর্জ করে, নিজের পরিবারকে অর্থনৈতিক কষ্টের মধ্যে রেখে হজ করতে যায় সেটাতে কোন ধরনের পুন্য অর্জন হয় বুঝিনা।
আমার মতে আমাদের মত গরীব দেশে হজ নামক একটি অপচয় বন্ধ করে দিয়ে হজ করার পুরো টাকাটা দিয়ে ফান্ড তৈরী করে তা জনহিতকর কোন কাজে ব্যয় করা হউক। তাতে করে দেশেরও কল্যান হবে, আর গরীব দেশের টাকা দিয়ে ধনকুবের সৌদি আরবের বিজিনেস করাও বন্ধ হবে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
না বোঝার তো কিছু নেই। এসব জমি জমা কি মরার সময় সাথে নিয়ে যাবে নাকি ? তার চাইতে বিক্রি করে যদি অতীত জীবনের যাবতীয় গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে তাড়া তাড়ি জান্নাতে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় সেটাই বেশী বুদ্ধিমানের কাজ নয় কি ? সেটাই তো আসল জগত , অনন্ত কাল যার ব্যাপ্তি।
জটিল হয়েছে দাদা। :lotpot:
কিন্তু ধর্মান্ধরা তো এসব দেখেও দেখে না। :-Y
যাই হোক, নিজের জ্ঞানের জন্য এধরনের লেখাগুলো খুবই জরুরী।
লেখাটাকে :yes:
ভাবতেছি হজ করে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে রাখব পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের পরিবর্তে।
আমার মতে হজ করার পরে কাউকে পুলিশের ঠ্যাংগানি দেয়া অন্যায়। কাফেরদের বেলায় ভিন্ন কথা।
ফারুক ভাই কি বলেন?
@হেলাল,একটা কথাই বল্তে পারি- হজ্ব করে মানুষ পরকালে মুক্তির আশায়। ইহকালের কোন উদ্দেশ্য পূরন হওয়ার কথা না , যদিও কেউ কেউ নামের আগে হাজী লিখতে গর্ব বোধ করেন বা অতিরিক্ত সুবিধা ও সম্মান পাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের পরিবর্তে চেষ্টা করে দেখতে পারেন , তবে নিজ দায়িত্বে।
আপনার কি ধারনা, পুলিশ শুধুই চোর ছ্যাচড় ও অপরাধীদেরি ঠ্যাংগায়? পুলিসকে এখনো চেনেন নি ?
একারনেই আমাদের দেশ থেকে সৌদিতে হজ্জ যাত্রীদের সংখ্যা মারাত্মক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
@ভবঘুরে, ভবিষ্যতে হজ্ব করে পাপ মুক্ত হয়ে যাব , এই ভাবনা মাথায় রেখে কয়জন লোকে পাপ করে বলে আপনার ধারনা? কয়জন পাপী নিশ্চিত ভাবে জানে যে , হজ্ব করার আগেই সে মরে যাবে না?
@ফারুক,
বাংলাদেশের অধিকাংশ মহিলা মধ্যবয়সে হজ্ব করার আগ পর্যন্ত্য হিজাব করে না, তাদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন। আর এই ব্যাপারে আপনার মতামত কি,
আল্লাহকে কি কোরানে পরিস্কার করে কোথাও বলেছেন যে চক্রাকারে পাপ আর হজ্ব করলে হজ্ব কবুল হবে না?
@পৃথিবী,
আগে তো জানা চাই হিজাব বল্তে আপনি কি বোঝাচ্ছেন এবং হিজাবের ব্যাপারে কোরান কি বলছে? তারপরে না মতামত দেয়া যেতে পারে।
কোরানের শিক্ষা অনুযায়ী পাপ মোচনের জন্য হজ্ব করা লাগে না এবং হজ্বের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের বর্ননা কোরানে দেয়া আছে। জানার ইচ্ছা থাকলে কোরান পড়ুন। শোনা কথার উপরে ভিত্তি করে তর্ক করে লাভ নেই।
@ফারুক,
আজকের যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে মানুষ অত সহজে মরে না। তার পরেও কখন মানুষ মারা যাবে এ ব্যপারে কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে বাস্তবে যা দেখা যায় , হজ্জ যারা করতে যায় তাদের মধ্যে ৯৯% এরও অনেক বেশী লোক বেচে থাকে , মারা যায় না।তাই ধরে নেয়া যায় যে , যারা হজ্জ করে আসে তারা যাবতীয় গুনাহ মুক্ত হয়ে , মরার পর জান্নাতে চলে যায় হুরদের সাথে ফুর্তি করার জন্য।
@ভবঘুরে, হুর বল্তে আপনি যা ভাবছেন সেটা ভুল। হুর কোন উদ্ভিন্ন যৌবণা নারী নয়। আর কেউ যদি হুরদের সাথে ফুর্তি করার লোভেই হজ্ব করতে যায় , তাতে আপনার অসুবিধা কোথায়? কোন লোকের লোভ নেই? কারো বহু নারীতে লোভ , কারো ধনসম্পদে , কারো ক্ষমতা প্রতিপত্তিতে আবার কারো দুবেলা দু মুঠো পেট ভরে খাওয়াতে। অভিজিৎ বা বণ্যাকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন , তারাও সাক্ষী দেবে যে , বহুগামিতা মানুষের জীনের মধ্যে ঘাটি গে্ঁড়ে বসে আছে। সুতরাং এদের সমালোচনা করা হিপোক্রেসির পর্যায়ে পড়ে। কারন আপনার ভিতরে ও বহুগামিতার লোভ আছে , যদি না আপনি নপুংসক হোন।
@ফারুক,
কি যে আপনি মাঝে মাঝে বলেন তাই ভাই বুঝি না। গোটা কোরানে কয়েক হালি আয়াতে হুর যে কি জিনিস তা বলা হয়েছে, বলা হয়েছে আল্লাহর তাদের সৃষ্টি করেছেন বেহেস্তবাসীদের জন্য বিশেষভাবে যাদেরকে আগে কেউ কোন দিন স্পর্শ করেনি আর যারা উদ্ভিন্ন যৌবনা। আপনার হুরকে রূপক মনে হলে সেটার একটা ব্যখ্যা থাকা চাই। কিন্তু কোরান পড়লে কারোরই মনে হবে না যে হুর-কে কোন রূপক অর্থে প্রকাশ করা হয়েছে। হুরকে যে যৌন কেলীর জন্য আকর্ষনীয় নারী হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছে তা কোরান ও হাদিস দুটো থেকেই এত বেশী স্পষ্ট যে আপনি ইচ্ছা করলেও একে কোন রূপকে পরিনত করতে পারবেন না।
@ভবঘুরে, হুর সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে সময় করে
http://free-minds.org/hur আর্টিকেলটা পড়েন। আপনার ভুল ভাঙ্গবে আশা করি।
@ফারুক,
কোরানের আয়াতগুলোর একমাত্র সেই ব্যাখ্যাই গ্রহণযোগ্য যা মোহাম্মদ তার জীবদ্দশায় অনুসারীদের বোঝাতে চেয়েছিলেন। এখন কেউ যদি সৎ ভাবে কোরানের শব্দ, বাক্য এগুলোর সঠিক অর্থ/ব্যাখ্যা পেতে চায় তবে তাকে উহাই সন্ধান করতে হবে।
@সৈকত চৌধুরী, এটাতো কাঠ মোল্লাদের কথার প্রতধ্বনি হয়ে গেল। একি শুনি!!
৫৪:১৭ আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
@সৈকত চৌধুরী, এটাতো কাঠ মোল্লাদের কথার প্রতধ্বনি হয়ে গেল। একি শুনি!!
৫৪:১৭ আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
@ফারুক,
বুঝি নাই। একটু বিস্তারিত বলেন।
(দুইবার একই কমেন্ট দিলেন কেন?)
@সৈকত চৌধুরী,ইন্টারনেট সমস্যার কারনে একি কমেন্ট দুই বার গেছে।
আপনি কোরানের ব্যাখ্যার জন্য রসূলের ব্যাখ্যা অনুসন্ধান করতে বলেছেন , যেটা ভুল কথা। সাধারনত কাঠ মোল্লারাই এমনটা বলে থাকে। আমার দাবীর সমর্থনে কোরানের ৫৪:১৭ আয়াতের উ|দ্ধৃতি দিয়েছি।
@ফারুক,
তাহলে কোরানের কোন ব্যাখ্যা মেনে নেব? মুহাম্মদ ও তার অনুসারীরা যেটা বুঝেছেন সেই ব্যাখ্যা ভুল হবে কেন? কোরানে তো এমনকি মুহাম্মদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত অনেক কিছু বলা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, কোরান মানুষের উদ্দেশ্যে রচিত। এখন মানুষ যদি ভুল বুঝে তবে সেটার দায় আল্লারই কারণ কোন কথার কি অর্থ মানুষ বুঝবে তা ত আল্লা জানতেন, তাই না?
@ফারুক,
একই প্রশ্ন আপনাকে বার বার করতে খারাপ লাগে। আপনি কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন
১। আপনি বলেছিলেন, কোরানকে আপনার কাছে অলৌকিক গ্রন্থ বলে মনে হয় এবং অনেকগুলো লোক কোরানকে অলৌকিক গ্রন্থ বলে বিশ্বাস করে বলেই তা অলৌকিক গ্রন্থ। এটা কোন ধরণের যুক্তি??
২। আপনি যদি এভাবে “আমার নিজের কাছে কোরানকে আল্লার বাণী বলে মনে হয় ও অনেকগুলো লোক কোরানকে অলৌকিক গ্রন্থ বলে বিশ্বাস করে তাই এটা আল্লার বাণী” এ ধরণের ধারণা পোষণ করেন তবে কোরানের স্বপক্ষে এখানে-ওখানে বিতর্ক না করে তালগাছের সন্ধান করলে সমস্যা কোথায়??
৩। মুহাম্মদ আর তার সাহাবিদের উপর নির্ভর না করে আপনি কোরান সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হোন কিভাবে?? আপনি কিভাবে দাবি করতে পারেন যে কোরানের সকল কথাই আল্লার বাণী? নাকি সেটাও আপনার কাছে মনে হয় বলেই তেমন?
৪। মুহাম্মদ নবি ছিলেন আর আল্লা তার সাথে যোগাযোগ করেছেন এর প্রমাণ আপনি কিভাবে দিবেন?
৫। আল্লা আছেন বলে আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে? আল্লার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনি কতটা অবগত? আল্লা থাকলেই তিনি মানুষের সাথে যোগাযোগ করবেন আর তা শুধু নবিদের সাথে তা আপনি জানলেন কোত্থেকে? আল্লা যে শুভকর কিছু সে সম্পর্কে আপনি অবগত হলেন কোন উপায়ে? আল্লা যা বলেছেন তা-ই করবেন এসম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার উপায় কি?
৬। আপনি হাদিসে বিশ্বাস করছেন না কারণ তা নাকি নির্ভর যোগ্য না। অথচ মুহাম্মদ সম্পর্কে জানতে হলে, ইসলাম সম্পর্কে জানতে হলে, কোরান বুঝতে হলে(কেননা কোরানের প্রতিটি বিষয় তৎকালিন ঘটনার প্রেক্ষিতে এসেছে) হাদিসের প্রয়োজন। এবং হাদিসগুলো প্রায় সবই লৌকিক বিষয় নিয়ে এবং যারাই কোরানে বিশ্বাস করে তাদের প্রায় সবাই-ই হাদিসে বিশ্বাস করে। কোরানে বলা হয়েছে “মুহাম্মদের আদর্শই সর্বোত্তম”- এখন হাদিস ছাড়া আপনি সে আদর্শের সন্ধান পান কিভাবে?
৭। কোরান যে ঠিক ভাবে সংকলিত হয়েছে, নতুন কিছু সংযোজিত হয় নাই বা বিয়োজিত হয় না তা নিশ্চিত হলেন কিভাবে?
৮। আপনি ঠিক কিসের উপর নির্ভর করে নিশ্চিত হলেন যে মুহাম্মদ নামক কেউ আদৌ ছিলেন আর তিনি একজন সৎ ও মানসিকভাবে সুস্থ মানুষ ছিলেন? যেহেতু আপনি হাদিস-টাদিস এরকম কিছুতেই বিশ্বাসী নন। বলতে পারেন কোরানই মুহাম্মদের অস্তিত্বের প্রমাণ। আমি বলব অন্য কেউ কোরান রচনা করে মুহাম্মদের নামে গুজব ছড়ায় নি তা আপনি নিশ্চিত হলেন কিভাবে কেননা আপনি তো হাদিস/সাহাবি/তাবেঈন এদের কথা বিশ্বাস করতে চান না।
আগে এগুলোর সমাধান করেন তারপর অন্য বিতর্ক না হলে আপনার উদ্দেশ্য নিয়েই আমি প্রশ্ন তোলব।
@সৈকত চৌধুরী ,৮টি প্রশ্ন করে সমাধান চেয়েছেন। আপনি কি আসলেই সিরিয়াস এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে? কেন জানতে চান? এগুলোর উত্তর জেনে লাভ কি? ঈশ্বরবিহীন জীবণে আপনি সুখি কিনা? এ প্রশ্নগুলো আগে নিজেকে করুন। এরপরে যদি মনে হয় আপনার আল্লাহ/God এর প্রমাণ জানার দরকার আছে , তখন না হয় আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা যাবে। খামাকা তর্ক করে লাভ আছে?
@সৈকত চৌধুরী,
নিজে ২/৩ টা অনুবাদ পড়ে যেটা বুঝবেন সেটা।
কে বলেছে ভুল হবে? ১মত সেই ব্যাখ্যা তাদের নিজস্ব , ২য়ত সেটা কোথায় পাবেন? যেটাকে বলা হয়ে থাকে রসূলের /সাহাবিদের ব্যাখ্যা , সেগুলো অথেন্টিক না।
আল্লাহ কি জানতেন সেই হাইপোথেটিক্যাল প্রশ্নে মাথা না ঘামানৈ ভাল। যেটা জানি না , তার উপসংহারে পৌছানো সম্ভব না।
@ফারুক,
হ্যা, আমি সিরিয়াসলি-ই এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানতে চাই। কেউ যদি ঈশ্বরের অস্তিত্ব, কোরানের অলৌকিকতা প্রমাণ করতে পারেন তবে আমি তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। ঈশ্বরের অস্তিত্ব, ধর্মের অভ্রান্ততা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি যদি তা জানতে না পারি তবে সারা জীবন যা জানলাম তা ভূল/অপরিপূর্ণ জানলাম তাই-না? মুক্ত-মনারা কেউ গোঁয়ার হওয়ার কথা না। ঈশ্বরের অস্তিত্ব যদি প্রমাণ করা যায়, ধর্মের অভ্রান্ততা যদি প্রমাণ করা যায় তবে ঠিক কেন আমি তা মেনে নেব না?? আমাকে কেউ তো ব্রেন ওয়াস করে নি। এছাড়া আমার তো কোনো ধর্মগ্রন্থ নেই বা ধর্মে বিশ্বাস করে ফেললে পাপ হবে এমন কোনো ধারণাও নেই।
এখানে সুখের ব্যাপারটা আসল কেন বুঝতে পারলাম না। সুখকে আমি জীবনের পরম অর্থ বলে মনে করি না। আমি বাস্তবতাকে জানতে চাই।
একজন মানুষ যদি নিজেই না জানেন তার ধর্মগ্রন্থ কিভাবে অলৌকিক হল, তার ধর্ম কিভাবে সত্য ধর্ম হল আর না জেনেই এর পক্ষে প্রচারণা চালান তবে আমি একে স্রেফ অসততা বলে মনে করি।
আপনি এবার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন। ধন্যবাদ।
(ঐ মন্তব্যে ‘জবাব’ বাটন কাজ করছে না বলে এখানে দিলাম)
@সৈকত চৌধুরী ,
সুখের ব্যাপারটা আসলো এ কারনে যে , সুখি মানুষের ঈশ্বরের অস্তিত্ব জানার ইচ্ছা ও সময় কোনটাই তীব্রভাবে থাকার কথা নয়। ঈশ্বর কোন রক্ত মাংসের বাস্তবতা নয় যে পঞ্চঈন্দ্রীয় দিয়ে কেউ আপনাকে ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ দিয়ে দেবে। তাহলেতো ল্যাঠা চুকে যেত। ঈশ্বরের অস্তিত্ব আপনার নিজেরি ভিতরে ও আপনার চারিপাশের বিশ্বভ্রমান্ডে ছড়িয়ে আছে। ঈশ্বরকে জানার মন ও ইচ্ছা থাকা চাই , তাহলেই ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া সম্ভব।
জানার ইচ্ছা থাকলে নিজে খুজুন ও পড়ুন। কেউ আপনাকে ঈশ্বরের প্রমান দিতে পারবে না।
@ফারুক,
পাপীরা নিজদেরকে অমর জ্ঞান করেই পাপ করে যায়।
@ব্রাইট স্মাইল, তাহলে খামাকা করন ধর্মকে দূষেন? কোন ধর্মেই তো বলা নেই মানুষ অমর।
@ফারুক,
জাতি-ধর্ম-বর্ণ, নাস্তিক-আস্তিক নির্বিশেষে মানুষ পাপী হতে পারে। কোন ধর্মেই পাপ করতে বলা হয়নি, তাই বলে ইসলাম ধর্মকে অন্য ধর্মের সাথে একই কাতারে ফেলাটা কি ঠিক হচ্ছে?
@ব্রাইট স্মাইল্,
কেন নয়?
@ফারুক,
কারন সব ধর্ম যদি একই কথা বলে তা হলে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব রইলো কোথায়? তা হলে সব ধর্ম বাদ দিয়ে সমগ্র মানব জাতির জন্য একটা কমন ধর্ম চালু করে দিলেইতো লেঠা চুকে যায়।
@ব্রাইট স্মাইল্, ইসলাম শ্রেষ্ঠ একথা কে বল্লো? সকল আঁদি ধর্মই ইসলাম। আসলেই মানবজাতির জন্য একটাই ধর্ম আছে। বিভেদ যা দেখেন তা মানুষের সৃষ্টি।
@ফারুক,
আর মানবজাতির সেই ধর্মটার নাম আপনি দিয়ে দিলেন ‘ইসলাম’। ব্যাপারটা পরিষ্কার হলোনা।
যেহেতু আপনি মুসলিম, তাই আপনার মতে সকল আঁদি ধর্মের নাম ইসলাম, আবার অন্য ধর্মের অন্য অনেকের মতে সকল আঁদি ধর্মের নাম Christianity, Judaism, Buddhism, Hinduism ইত্যাদি হতে পারে, কারন সবাই নিজে যে ধর্ম পালন করে সেটাকেই সঠিক বলে ধারনা করে।
বিভেদ যদি মানুষেরই সৃষ্টি হয় তাহলে সেই বিভেদ সৃষ্টিকারীদের মধ্যে আপনিও আছেন এটা কি সত্য নয়?
@ব্রাইট স্মাইল্,ইসলামের মানে জানলে আর একথা বলতেন না। ইসলাম আরবি শব্দ , এর মানে ‘শান্তি’। হিন্দু ধর্মের মূল ও ‘ঔম শান্তি’। ইহুদী ‘শালোম-শান্তি’ । খৃষ্টান বাইবেলে ও পাবেন যীশু ‘শান্তি’ শব্দ দিয়েই তার অনুসারীদের সম্মোধন করেছেন। ইহুদী , খৃষ্টান , মুসলমান ও হিন্দু সকলেই একে অপরকে শান্তির বাণী দিয়েই সম্মোধন করে।
@ফারুক, খুব ভালো কথা। সব ধর্ম একই কথা বলে। তাহলে মুসলমানদেরও হিন্দুদের মতো মুর্তি পুজা করতে কোন অসুবিধা নাই মানে ইসলাম ধর্ম মতে আর কোন বাঁধা রইলোনা।
@ফারুক,
কথাটা সত্য নয়। ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পন। ইংরজেীত েযাক েসাবমশিন বলা হয়।
@ভবঘুরে,কথাটা আংশিক সত্য। ইসলামের মূলে ৩ টি অক্ষর। সিন , লাম ও মিম। এর অনেকগুলো অর্থ হয়। শান্তি ও আত্মসমর্পন দুটৈ সঠিক।
@ফারুক,
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে, নামে নয়। আমার এক ফুপু ছিলেো, আমার দাদার সব চেয়ে ছোট মেয়ে। সে ছিলো দাদা-দাদীর একমাত্র মেয়ে, অনেকগুলো ছেলের পর। তাদের অতি আদরের, স্নেহের আধিখ্যে তাঁরা তার নাম রেখেছিলেন ‘জোৎস্না’। দূভার্গ্য বশতঃ ফুপুটা মোটেও সুন্দর ছিলো না, আর তার গায়ের রংটাও ছিলো খুবই কালো। ছোট বেলায় দেখেছি, আমাদের পরিবারের বাহিরের লোকেরা ফুপুর ‘জোৎস্না’ নামটা নিয়ে আড়ালে আবডালে প্রায়ই হাসাহাসি করতো।
আপনার দেয়া কুরানের বেশ কিছু উদ্ধৃতি এবং অনেকগুলো মন্তব্য পড়ে আমি নিঃসন্দেহ যে আপনি খুবই ভালো মনের একজন মানুষ।আপনি কুরানের “সহি অর্থ” জানতে চান, তার জন্যে আপনার ধারনা মত Suggestion দিয়েছেন,
কিন্তু আসল সত্যি হচ্ছে, কুরান কে সহিভাবে বুঝতে গেলে মুহাম্মাদ কে খুবই ভালভাবে জানতে এবং বুঝতে হবে। সেই হচ্ছে আমদের একমাত্র ‘পার্থিব’ Link আল্লাহে্র সাথে। তিনিই আমাদের জানিয়েছেন ‘কুরান আল্লাহর বানী, অর্থাৎ তিনিই আমাদের জানিয়েছেন কুরানের লেখকের নাম হলেো “আল্লাহ”। সে আল্লাহর ই বর্ননা, তার ভালো লাগা মন্দ লাগা, কিসে সে খুশী হন এবং কিসে সে লেখক (আল্লাহ) রাগ করেন উদাহরন সহকারে মুহাম্মাদই আমাদের জানিয়েছেন। যে মানুষগুলো মুহাম্মাদের এ কথাগুলোকে বিশ্বাস করেছেন তারাই শুধু মুহাম্মাদের বর্নিত ‘আল্লাহকে সমস্ত বিশ্বব্রম্ভান্ডের সৃষ্টিকর্তা’ এবং কুরান কে সেই সৃষ্টি কর্তার চাওয়া পাওয়ার উপাখ্যান হিসাবে জানেন এবং মানার চেষ্টা করেন। কিন্তু যে ব্যক্তি মুহাম্মাদকে মানেন না (বর্তমান বিশ্বের ৮০% লোক), তাকে মিথ্যাবাদী-ভন্ড-প্রতারক হিসাবে মনে করেন, সেতো কখনোই তার বর্নিত আল্লাহকে ‘বিশ্বব্রম্ভান্ডের সৃষ্টিকর্তা’ এবং কুরান কে সেই সৃষ্টি কর্তার চাওয়া পাওয়ার উপাখ্যান হিসাবে মেনে নেবে না। সে বিশ্বাস করবে “তার বিশ্বাসের ‘নবী /অবতারের” বর্নিত ঈশ্ব্ররকে সমস্ত বিশ্বব্রম্ভান্ডের সৃষ্টিকর্তা’ এবং তার বিশ্বাসী সেই ‘নবী /অবতারের” বর্নিত ‘গ্রন্থকে সেই সৃষ্টি কর্তার চাওয়া পাওয়ার উপাখ্যান হিসাবে। এভাবেই বহু “সৃষ্টিকর্তা /ঈশ্ব্ররে্র” জন্ম – এক ঈশ্ব্ররে্র সাথে আরেক ঈশ্ব্ররে্র ‘আকৃতি /প্রকৃতির’ কিংবা তাদের চাওয়া পাওয়ার মিল নাই। এখানে একটু মনোযোগের সাথে চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন “সৃষ্টি কর্তার (আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগবান) প্রতি বিশ্বাস” বলে কোন বিষয় নাই (It is a misnomer), সমস্ত টাই মানুষের প্রতি বিশ্বাস।। যে দল মুহাম্মাদকে বিশ্বাস করেছে তারাই শুধু বলবে ‘আল্লাহ হচ্ছেন সৃষ্টিকর্তা এবং মানবে তার আদেশ নিষেধ (মুহাম্মাদের বর্নিত)। একই ভাবে Jesus এর প্রতি বিশ্বাসের দল, Moses এর বিশ্বাসের দল, ইত্যদি ইত্যাদি।
কুরান হচ্ছে খুবই অগোছাল ভাবে Compiled করা একটা গ্রন্থ যা মুহাম্মাদের মৃত্যুর (?জুন/?অক্টবর ৬৩২) ঊনিশ বছর পড়ে খলিফা উসমানের সময় একটি কমিটির মাধ্যমে authenticated. যে আলী ইবনে আবু তালেব মুহম্মাদের নিজস্ব পরিবারের সদস্য, নয় বছরে বয়সে মুসলামান এবং মুহাম্মদকে তার কবরে শোয়ানো পর্যন্ত (৫ জন লো্কের একজন যারা মুহাম্মদকে কবরে শোয়ায়ে ছিলেন) সাথে ছিলেন সেই আলীকে ঐ কমিটিতে রাখা হয় নাই।
মুহাম্মাদের মৃত্যুর দিন সমস্ত উপস্থিত মুসলিম সম্প্রদায় ক্ষমতার দ্বন্দে তিন ভাগে ভাগ হয়ে যায়। ১) সমস্ত আনসার (আদি মদিনাবাসী) -সাদ বিন ওবাইদাপক্ষের পক্ষে, ২) আল-আব্বাস (মুহাম্মাদের চাচ), আাল জুবায়ের প্রমুখ বহু আদি মক্কাবাসি – আলীর পক্ষে এবং ৩) উমর সহ অন্যান্য মক্কাবাসী – আবুবকরের পক্ষে পরবর্তী নেতা বানানোর পক্ষে ‘বচসা’ শুরু করে। মুহাম্মাদের মৃত লাশ তার বিছানায় আড়াই দিন পর্যন্ত বিছানায় পড়ে ছিলো, তার মুত্য হয় সোমবার দুপুরে এবং কবর দেয়া হয় বুধবার রাত্রে। উমরের সহযোগীতায় ক্ষমাতায় আসেন আবুবকর। ক্ষমতায় আসার ১০ দিনের মাথায় আবুবকর ফাতেমাকে তার বাবার( মুহাম্মাদের) উপহার দেয়া সম্পত্তি ‘Fadak (Googling করে দেখতে পারেন) বাজেয়াপ্ত করা হয় আলী এবং ফাতেমার কাছ থেকে। বাবার মৃত্য শোকে ফাতেমার চোখের পানি শুকানোর ও সময় দেয়া হয় নাই। আলী ফাতেমার মৃত্যূ (মুম্মাদের মৃত্যূর ৬ মাস পর) পর্যন্ত আবুবকরের বশ্যতা স্বীকার করে নাই। বিশিষ্ট মুসলীম ইতিহাস বিদরা এটাও আমাদের বলেছেন যে মুহাম্মাদের মত্যুর ৪৮ বছেরর মধ্যে (৬৮০ সাল, কারবালায় হুসেনের খুন) তার পরিবারের সকল প্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলে মানুষদের নৃশংসভাবে খুন করা হয় (আরেক মুস্লমানের হাতে)। শান্তির ধর্মের কেন যে হাল তার সমস্ত উত্ত্রর আছে মুহাম্মদের জীবন কাহিনীতে। পড়াশুনা শুরু করতে হবে একদম Root থেকে। আমি আপনার সাথে একমত বিভ্রান্ত হতে চাইলেই শুধু প্রফেশানাল মৌলভীদের কাছে যাওয়া দরকার, তার আগে নয় (self learning is the best learning). মুহাম্মাদকে না জানলে কুরানের কিছুই আপনি বুঝতে পারবেন না। নিরীহ মানুষকে খুন /রাহাজানি, নারী ধর্ষন কারীর কাজের বৈধতার জন্য তারা এই কুরানেরই আয়াত কেন উদ্ধৃত করে তার ও উত্তর আপনার জানতে পারবেন। কুরানের সমস্ত আয়াত দুই ভাগে বিভক্তঃ
১) মক্কায় অবতীর্ন
২) মদীনায় অবতীর্ন
Rule of Thumb হচ্ছেঃ
১) যত ভালো ভালো কথা, আধ্যাত্তিক কথা বার্তা – সবগুলোর জন্মস্থান হলো মক্কা (তা কুরানের যে অংশেই থাকুক না কেন), যখন মুহাম্মদের শক্তি ছিল না মক্কাবাসীদের (তার নিজের ই আত্মীয়, পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী) সাথে যুদ্ধ করার।
২) আমুসলিম দের প্রতি যত কঠিন থেকে কঠিনতর আয়াত দেখবেন /পড়বেন আপনি নিঃসন্দেহে জানবেন সেটার জন্মস্থান হলো মদীনা (তা কুরানের যে অংশেই থাকুক না কেন), মুহাম্মদের শক্তি বৃদ্ধির ‘মাপকঠির’
ধারাবাহিক বর্ননা রুপ। তার মারফত আল্লাহর সর্বশেষ বানী হলো সুরা তওবাহ (৯ নম্বর সুরা)।
যে সমস্ত জেহাদী ভাইয়েরা আল্লাহর রাস্তায় জান-মাল সর্বস্ব বাজী রেখে
আপরকে কেন মারছেন এবং নিজেও মরছেন (extremely devoted) তার কুরানের সেই আয়াত গুলোকেই ফলো করেন যার জন্মস্থান হচ্ছে মদীনা, specifically ‘সুরা তওবাহ’ -এর বানী। তারা ‘একান্ত সহি ভাবে’ জানেন তারা সত্য পথের উপর আছেন, কারন পরবর্তী সময়ে নাযিল কৃত আয়াত সমুহ পূর্ববর্তী আয়াতকে নাকোচ করে (Abrogated) দিয়েছে। অত্যন্ত সহজ তাদের যুক্তি, পৃথিবীর অন্য সব আইনের মতই পরবর্তীতে জারিকৃত আইন ও নীতিমালা পুর্বে্র জারি কৃত আইন ও নীতিমালাকে Abrogate করে।
তারা খুবই ভালভাবেই জানে এই সহজ বিষয়টা তথাকথিত মডারেট মুসলমানেরা বুঝতে পারে না কারন তারা( তথাকথিত মডারেটরা) ধর্ম বিষয়ে অতিশয় অজ্ঞ; অথবা বুঝতে চায় না কারন তারা (তথাকথিত মডারেটরা) হিপোক্রাইট।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
@গোলাপ, আপনাকে ধন্যবাদ কষ্টকরে এত বড় মন্তব্য লেখার জন্য।
আপনি ইতিহাসের(?) উপরে বড় বেশি নির্ভরশীল। কোরান বুঝতে চান ইতিহাসকে মাথায় রেখে। কিন্তু ইসলামের যে ইতিহাস আমরা জানি , তা শিয়া / সু্ন্নি ঐতিহাসিকদের লেখা ও পক্ষপাত দোষে দুষ্ট। সত্য টা যে কি তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ এখন জানে না। আমার তো ধারনা , কোরান সঙ্কলনের ইতিহাস , শানে নযুল , রসূলের জীবনী ও মৃত্যুকালীন এবং পরবর্তি সময়ের ইতিহাস বহুলাংশে ভুল ও বানোয়াট। কারবালার যুদ্ধ , উটের যুদ্ধ এগুলো সব গল্প , আদতেই এ সকল যুদ্ধ ঘটেনি।
এ কারনেই কোরান পড়ার সময় আমি কোন ইতিহাস / শানে নযূল মাথায় রাখি না।
@ব্রাইট স্মাইল্,
একটু ভুল করলেন। হিন্দু ধর্মসহ সকল মেজর ধর্মের মূল গ্রন্থে মুর্তিপুজা নিষিদ্ধ। সুতরাং মুর্তি পুজা করতে অসুবিধা/বাঁধা তো থাকছেই।
@ফারুক,
তা হলে পৃথিবীর গোটা হিন্দু জাতি জানেনা যে তারা পুজা করে যে ধর্ম পালন করে আসছে তা নিষিদ্ধ এবং পাপ, জানলেন শুধু আপনি।
@ফারুক,
ঠিকই ধরেছেন। এ ছাড়া অন্য কোন উপায় জানা থাকলে share করুন না প্লীজ। ইতিহাসে প্রায়সঃই বিজিত পক্ষের গৌরব গাঁথার প্রাধান্য আর পরাজিত পক্ষকে হেয় রুপে প্রতিপন্ন করার প্রবনতা থাকে। বিজিত পক্ষের (মুসলীম) ইতিহাস বিদরা নিজেদের সম্যন্ধে যখন “negative” কিছু উল্লেখ করেন তখন তাকে credible বলেই গণ্য করা উচিত। বিজিতের পজিটিভ বর্ননা গুলোতে সন্দেহের অবকাশ থাকে, not the other way around.
এ মন্তব্যটা কি আমাদের typical মোল্লাদের মত শুনাচ্ছে না, কিংবা আমাদের দেশের পেশাদার রাজনিতীবিদ দের মত? রায় “পক্ষে” হলে সুষ্ঠ, “বিপক্ষে” হলে দুষ্ট। এ মানসিকতার উত্ত্ররন কখনো কি আদৌ হবে!
তাহলে আর এত আলোচনা /লেখা লেখি করে সময় নষ্ট কেন ভাই?
ধারনার উপর তো আর কোন কিছু প্রতিষ্ঠা করা যায় না। সৌভাগৈর বিষয় কিছু লোক সব সময়ই থাকে যারা ‘ধারনায়’ সন্তষ্ট না থেকে সত্য খোঁজার চেষ্টা করে, আর তখনি থলের বিড়াল টা বেড়িয়ে আসে।
ভাল থাকুন।
@গোলাপ ,
ঠিক বলেছেন। এই সত্য খোজার চেষ্টা করতে গিয়েই তো ধারনা হয়েছে , “কোরান সঙ্কলনের ইতিহাস , শানে নযুল , রসূলের জীবনী ও মৃত্যুকালীন এবং পরবর্তি সময়ের ইতিহাস বহুলাংশে ভুল ও বানোয়াট। কারবালার যুদ্ধ , উটের যুদ্ধ এগুলো সব গল্প , আদতেই এ সকল যুদ্ধ ঘটেনি।” আপনিও সত্য খুজুন , কোন এক পক্ষের বলা ইতিহাসকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করাটাই মোল্লাদের কাজ।
উপায়টাতো আগের মন্তব্যেই বলেছি। “এ কারনেই কোরান পড়ার সময় আমি কোন ইতিহাস / শানে নযূল মাথায় রাখি না।”
আপনিও ভাল থাকুন
@ব্রাইট স্মাইল্, ১) সনাতন ধর্ম
Ekam evaditiyam “He is One only without a second” [Chandogya Upanishad 6:2:1] তিনিই এক অদ্বিতীয়।(হু আল্লাহু আহাদ)
Na casya kasuj janita na cadhipah. “Of Him there are neither parents nor Lord” [Svetasavatara Upanishad 6,9][Yajurved 32 : 3]তার কোন পিতামাতাও নেই বা প্রভুও নেই।(লাম ইয়ালেদ)
Na tasya pratima asti (There is no likeness of Him.) [Svetasvatara Upanishad chapter 4:19] তার সাদৃশ্য(প্রতিমা বা ছবি) নেই। (লাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ)
He is bodyless and pure. Is mentioned in Yajurved 40 : 8:
তার যদি কোন দেহ না থাকে , তাহলে তিনি কিভাবে দেহধারী কৃষ্ণ হবেন?
@ব্রাইট স্মাইল্, Dev maha osi “God is verily great” [Atharvaveda 20 58 :3] আল্লাহ মহান।(আল্লাহু আকবর)
Ma chidanyadvi shansata O friends, do not worship anybody but Him, the Divine One. [Rigveda Book 8 :1:1] বন্ধুরা তাকে ছাড়া আর কারো উপাসনা করো না।
@ফারুক,
Koran, Upanishad, Yajurved যদি একই কথা বলে থাকে তাহলে কোরানে মক্কায় যেয়ে হজ পালনের যে সুস্পষ্ট নির্দেশ দেয়া আছে এবং বাধ্যতামুলক করা আছে, Upanishad, Yajurved-এ কি মক্কার কাবাশরীফে হজ পালনের বাধ্যতামুলক নির্দেশ দেয়া আছে?
@ফারুক,
উপনিষদের ঈশ্বর আর আব্রাহামিক ঈশ্বরের মধ্যে বিন্দুমাত্র মিল নেই। উপনিষদ হচ্ছে abosolute monism, এত উপনিষদ যখন পড়েছেন তখন সেটা তো চোখ এড়াবার কথা নয়।
@ফারুক,
“ভুল ও বানোয়াট” যা কিছুই আপনার মনে হোক না কেন মুহাম্মাদকে জানতে চাইলে ও গুলোকে ভরসা ছাড়া কোন উপায় নাই। That’s all we have in front of us. এ গুলোকে বাদ দিয়ে মুহাম্মাদের ‘অস্তিত্ব’ আপনি কখনোই প্রমান করতে পারবেন না (circular reasoning এর আশ্রয় ছাড়া, উদাহরনঃ মুহাম্মাদ সত্য কারন তা কুরানে আছে, কুরান সত্য কারন মুহাম্মাদ তা বলেছে)। আর মুহাম্মাদের ‘অস্তিত্ব’ প্রমান করতে না পারলে কুরান নামক গ্রন্থটির কোনই Credibility থাকে না। কারন, সে ক্ষেত্রে ‘মুহাম্মাদ” হবে কোন এক অজ্ঞাত আরববাসীর লেখা কুরানের কাল্পনিক চরিত্র।
ভাল থাকুন।
@ব্রাইট স্মাইল্,
তা নেই এবং এমন নির্দেশ থাকারো কথা না।
৫:৪৮ Then we revealed to you this scripture, truthfully, confirming previous scriptures, and superseding them. You shall rule among them in accordance with GOD’s revelations, and do not follow their wishes if they differ from the truth that came to you. For each of you, we have decreed laws and different rites. Had GOD willed, He could have made you one congregation. But He thus puts you to the test through the revelations He has given each of you. You shall compete in righteousness. To GOD is your final destiny – all of you – then He will inform you of everything you had disputed.
আমি তোমাদের প্রত্যেককের জন্য আইন ও পথ নির্দেশ করেছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি ….. তোমরা ভালো সৎ কাজে প্রতিযোগিতা কর।
@ফারুক,
ও তাহলে এই কথা! মানুষ নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেনি স্বয়ং আল্লাহই মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে রেখেছেন।
@ ব্রাইট স্মাইল,
সত্য কথা , তবে এই বিভেদটা নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি করার জন্য নয় , ভাল সৎ কাজে প্রতিযোগিতা করার জন্য।
@রৌরব, নারে ভাই , পুরো উপনিষদ পড়িনি। খুজে খুজে কোটেশনগুলৈ দিয়েছি , তাও আবার নিজে খুজিনি।
উপনিষদের ঈশ্বর আর আব্রাহামিক ঈশ্বরের মধ্যেকার পার্থক্যটা কি একটু বিস্তারিত জানাবেন।
@ফারুক,
কমেন্টের মধ্যে তো বিস্তারিত জানানো কঠিন, তাছাড়া উপনিষদ গুলির মধ্যে বেশ মিল থাকলেও একেবারে হুবুহু এক তাও আবার নয়। বৃহদারণ্যকের কিছু অংশকে আমার প্রায় নাস্তিক্যের কাছাকাছি মনে হয়, শ্বেতাশ্বতরের মধ্যে আবার একটা ভক্তিরসের ভাব রয়েছে।
কিন্তু তার পরও, সংক্ষেপে, উপনিষদের ঈশ্বর আব্রাহামিক অর্থে “স্রষ্টা” নন, তিনি স্রেফ সবকিছুর সমষ্টি। সৃষ্টি ও স্রষ্টার মধ্যে মৌলিক কোন প্রভেদ নেই। আব্রাহামিক ঈশ্বর personal god, তিনি দয়ালু, ন্যায়বান, প্রার্থণা শ্রবণকারী ইত্যাদি ইত্যাদি। উপনিষদের ঈশ্বর এসব কিছুই নন।
উপনিষদের মূল দুটি বাণী: অহম ব্রহমস্মি (আমিই সেই [ঈশ্বর]) এবং তত্বমসি (তুমিই সেই [ঈশ্বর]) আব্রাহামিক ধারণার সাথে কতটুকু যায় সেটা পরিষ্কার।
@ফারুক, personal God/created God এবং uncreated God একি Godএর সকল কিছু সৃষ্টির আগের ও পরের অবস্থাকে বোঝানোর জন্য বিভিন্ন ধর্মে বলা হয়ে থাকে। দুটোর মাঝে কোন পার্থক্য নেই।
@রৌরব , personal God/created God এবং uncreated God একি Godএর সকল কিছু সৃষ্টির আগের ও পরের অবস্থাকে বোঝানোর জন্য বিভিন্ন ধর্মে বলা হয়ে থাকে। দুটোর মাঝে কোন পার্থক্য নেই। কোরানের নির্দেশ অনুযায়ী ধর্মে ধর্মে পার্থক্যগুলো না খুজে , তাদের মিলগুলো নিয়ে আমাদের একমত হতে এবং নিজেদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
@ফারুক,
আপনি তাহলে “আমিই সেই ব্রহ্মণ [অর্থাৎ ঈশ্বর/আল্লাহ]” উপনিষদের এই বাণীতে comfortable একজন মুসলিম হিসেবে? এখানে “আমি” মানে কিন্তু আপনি, ফারুক।
@রৌরব , ব্রাহ্মন কে? এটা বুঝতে হলে আমাকে জানতে হবে অসৃষ্ট ও সৃষ্ট জগতের পার্থক্য। আল্লাহ সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন। এর অর্থ দাড়ায় সকল কিছু সৃষ্টির আগেও অনন্ত কাল ধরে তিনি বিদ্যমান ছিলেন। সৃষ্টির আগের আল্লাহকেই ব্রাহ্মন নামে অভিহিত করা হোত যা অসৃষ্ট।
এই ব্রাহ্মনে আমি comfortable ।
@ভবঘুরে,
ফারুক ভাই যাইই বলেন না কেন এটা আমি ভালভাবেই বিশ্বাস করি। রাজনীতিবিদদের থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত সার্কেলেও দেখেছি। জিয়া পরিবার, ফালু মালু খালু এইরকম বহু উদাহরনই দেওয়া যায়। ৮০ এর দশকেও রাজনীতিবিদদের মাঝে এই ট্রেন্ড ছিল না। তারা নিঃসন্দেহে কেউই প্রকাশ্যে খোলাখুলি ঘোষনা দেবেন না নিশ্চয়ই যে আমি ঘূষ খেয়েছি চুরি চামারি করেছি, তাই সেই পাপ থেকে মুক্তি পেতে হজ্বে রওনা যাচ্ছি। ফারুক ভাই মনে হয় তেমন প্রকাশ্য ঘোষনা কেউ দেবার আগে মানবেন না।
আমার বাবা হজ্বে যান ৭৯ সালে। সেই আমলে হজে যাওয়া বিরল না হলেও ছিল অসাধারন ঘটনা। রীতিমত দেশের আনাচ কানাচ থেকে আত্মীয় স্বজন এসে ভীড় করেছিল এই উপলক্ষ্যে। আজকের দিনে তো দেখি হজ্বে যাওয়া ডাল ভাত, তালিকায় আমার থেকে ছোটরাও আছে (বলছি না এরাও সবাই পাপ মুক্তি দলের)। বিশেষ করে দূর্নীতি পরায়ন যারা তাদের একজনও সপরিবারে হজ্ব করা থেকে বাদ নেই। হজ্ব করে যদি দিন দুনিয়ার লোভ ছাড়তে পারতেন তাও মহাত্ম্য বুঝতাম। যে লাউ তো সেই কদুই আছেন সবাই।
@আদিল মাহমুদ,
এরা কি ইসলামের আদর্শ নাকি শুধু এরাই ইসলামকে রিপ্রেজেন্ট করে? আমি নিজেও তো এমন ইসলাম কখনো পালন করব না বা কাউকে পালনের জন্য বলব ও না।
@ফারুক,
আপনি ঠিক এই কথাটিই বলবেন জানতাম। এদের ছাড়া আর পরিচিত বা কমন কারো উদাহরন চোখে পড়ছে না। আপনি নিশ্চয়ই আমার চাচা মামা ফুপা এদের চেনেন না। আর কোন প্রতিষ্ঠিত পরিসংখ্যান এসব ক্ষেত্রে কোনদিন পাওয়া যাবে না।
ভাল বা আদর্শ উদাহরন কাদের দিয়ে বলা যায় তাদেরই দেখান। কারা আপনার মতে আদর্শ ইসলাম রিপ্রেজেন্ট করে? আপনি তো নবী মোহাম্মদের জীবনি কোট করা হলে তাও মানবেন না।
ধার্মিক হয়ে জীবন যাত্রা পরিবর্তন করে ভাল মানুষ হয়েছে এমন উদাহরন আমি দেখেছি, মিথ্যা কথা বলব না। তবে দূ:খজনক ভাবে শুধু হজ্ব করে কেউ রাতারাতি স্বভাব চরিত্র বদলে ফেলেছেন তেমন উদাহরন অন্তত আমার চোখে পড়েনি।
হাজীর সংখ্যা সামগ্রিকভাবেই প্রতি বছর বাড়ছে। বাংলাদেশেও হাজীর সংখ্যা ৭০ দশকের থেকে এই দশকে অনেক বেড়েছে অনায়াসে বলা যায়। নৈতিকতার মান সাথে সাথে কতটা বেড়েছে বলে আপনার মনে হয়? এখান থেকেও কি কিছু বোঝা যায় না?
@আদিল মাহমুদ,
বরং বলতে হবে ভাল মানুষ হয়ে জীবন যাত্রা পরিবর্তন করে ধার্মিক হয়েছে।
ভালো মানুষ হওয়ার পুর্ব শর্ত হলো ভালো মানুষ হতে আন্তরিকতার সাথে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া, যেখানে ধর্মের কোন ভুমিকা আছে বলে মনে হয়না। তবে হ্যা, ভালো মানুষ হয়ে অবশ্যই ধার্মিক হতে পারে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনার মন্তব্য গুলো আমার ভালো লেগেছে।
@আদিল মাহমুদ,
বাংলাদেশের যে লোকগুলো হজ্জে যায় খোজ নিলে দেখা যাবে তাদের অধিকাংশই পেশাদার চোর ,. বাটপার, টাউট , বদমাশ। তাই পাপ মোচনের তাগিদ তো তাদেরই বেশী হবে। আর পেশাদার চোর বাটপার কি এত সহজে ভাল মানুষ হয়ে যায় নাকি? তারা ধারনা করে , পরে আবারও হজ্জ করে পাপ মোচন করে ফেলবে।
হজ্বের ব্যাপারে আমিও চিরকাল শুনে এসেছি যে এটা সবার জন্য ফরয নয়, কেবলমাত্র ধনবান ব্যাক্তিদের জন্যই ফরয। যদিও ধনবানের সংজ্ঞাটা ঠিক কি তা জানি না। যাকাতের যেমন সুষ্পষ্ট বিধান আছে হজ্বের ক্ষেত্রে মনে হয় না তেমন কিছু শুনেছি বলে।
দেখি আর কেউ কিছু বলতে পারেন কিনা। ফারুক ভাই এর কোট করা আয়াতে তেমন ষ্পষ্ট কিছু বোঝায় না। যাকাতের জন্য এত নিখুত হিসেবের কথা থাকলে হজ্বের জন্য থাকল না কেন?
– এই ধরনের পাপমুক্তির অপূর্ব সুযোগ থাকলে মানুষের আর কিছু লাগে? আমাদের দেশের বড় বড় চোর চোট্টারা যে ফি বছর পরিবার সমেত হজ্বে যায় কেন তা বুঝতে এমন কিছু জ্ঞানী হতে হয় না।
@আদিল মাহমুদ,
তবে আমি ফারুক ভাইর লেখার সাথে সহমত। কেননা উনি যেই উক্তির উপর ভিত্তি করে আয়াতটা দিয়েছেন সেটা যথার্থ আছে।
@Russell,
আপনি এবং ফারুক ভাই ভবঘুরের সাথে ভিন্ন মত পোষন করলে আরেকটু ব্যাখ্যা করুন। শুধু “যার সামর্থ্য আছে” বলতে কি বোঝায়?
এটা খুবই অষ্পষ্ট। সামর্থ্য শারীরিক বা আর্থিক হতে পারে বুঝলাম। তবে আর্থিক সামর্থ্য মানে কি? শুধুই মক্কা যাওয়া পর্যন্ত খরচ হাতে থাকা? নাকি একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ সম্পদের মালিক হয়ে গেলেই তা সামর্থ্য বলে গন্য হবে?
ধরেন, আপনার মোট সম্পদের পরিমান ২ লাখ টাকা। তার মানে আপনি কপর্দকশূন্য হয়ে যাবার বিনিময়ে হজ্বের পূন্য লাভ করতে পারেন। এটাকেই কি সামর্থ্য বোঝানো হয়?
নাকি, আপনার শুধু মোট সম্পদ শুধুই হজ্বের খরচ নয়, আরো কিছু উদ্ধৃত থাকতে হবে তবেই হজ্ব ফরজ হয়? মানে বাকি জীবন চলার মত হাতে আরো বেশ কিছু অতিরিক্ত অর্থ সম্পদ থাকার পরেই হজ্ব ফরজ হয়?
যাকাতের ক্ষেত্রে কিন্তু ষ্পষ্ট বিধান আছে।
@আদিল মাহমুদ,
কোরানে হজ্ব যাকাত সকল কিছুর স্পষ্ট বর্ননা আছে। প্রশ্ন হলো আপনি কোনটা মানবেন? কোরানের টা নাকি মানব রচিত হাদীসেরটা? তারো আগে ঠিক করুন এগুলো মানার আদৌ কোন দরকার আছে কি নেই? ঘোড়ার আগে গাড়ী জুড়ে দিয়ে ত্যানা পেচিয়ে কি লাভ আছে কিছু?
জীবণে কোন পাপ করেনি , এমন লোক কি আছে? পাপ ও আপেক্ষিক। একেক লোকের কাছে পাপের সংজ্ঞা ভিন্ন। কেউ বেশি কেউ কম পাপ করেছে। পাপ মুক্তির আশায় হজ্ব করার পরে , বাকি জীবণ এদের কিছু অংশ ও যদি পাপ মুক্ত থাকতে পারে , সেটাই বা কম কি? এর সুফল তো আমাদের সমাজ-ই ভোগ করবে।
@ফারুক,
– আমি তো জানতেই চেয়েছি। আপনি না জানিয়ে বেহুদা আক্রমনে যাচ্ছেন কেন? কোরান থেকেই জানান না। আগে যা জানিয়েছেন তা কেন অষ্পষ্ট ঠেকেছে তা ব্যাখ্যা করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বা নুতন কোন কোরানিক সূত্র থাকলে তাও বলুন।
– পাপ করেনি এমন লোক আসলেও একজনও নেই। তবে কেউ যদি পরকালকে জীবনের পরমার্থ ধরে নেয় এবং দুনিয়ার পাপের জন্য পরকালে হজ্ব করে নবজাত শিশুর মত যাবার ধর্মীয় বিধান পেয়ে যায় তবে সেটাকে কি স্বাভাবিক চোখে দেখা যায়?
হজ্ব করার পর বাকি জীবন পাপমুক্ত থাকলে ত আর কথাই ছিল না। আশে পাশের মানুশের চরিত্রে তো তার কোন প্রতিফলন দেখি না। দেখি আরো উলটা। আমাদের দেশে হজ্বের পরিমান এখন অনেক বেড়েছে। তাতে কি সমাজে নৈতিক অবক্ষয় বা দূর্নীতি এসব কিছু কমেছে, নাকি বেড়েছে? নাকি হাজীরা ফিরে আসার পর সবাই ভাল হয়ে যায়, কেবল নন-হাজ্বিরাই ব্যাপক মাত্রায় দূর্নীতি অনাচার করে যাচ্ছে?
@ফারুক,
যৌবণা নারী নয় তো কী তা তো বললেন না। শয়তান, ফেরেস্তা, পরী, জ্বীন? বাই দা ওয়ে, একজন কোরান গবেষক ছবি সহ জ্বীনের অস্থিত্ব বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করে দিয়ছেন। তিনি আরো বলেছেন স্ত্রী জ্বীনের নামই হলো পরী। সুবহানাল্লাহ। ছবির জ্বীনটা যদি নারী জ্বীন হয় তাহলে বেহেস্তে মুসলমানদের জন্যে খবর আছে।
এখানে দেখুন আল্লাহর অস্থিত্বও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত-
@আকাশ মালিক,
মালিক ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লিংকটির জন্য। ‘জ্বীন জাতি’র কোরানিক প্রমান জানা আছে, বৈজ্ঞানিক প্রমান ও যে পাওয়া গেছে তা জানা ছিলো না। ছবি সহ প্রমান! মাশাল্লাহ!
@আকাশ মালিক, হুর সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে সময় করে
http://free-minds.org/hur আর্টিকেলটা পড়েন। আপনার ভুল ভাঙ্গবে আশা করি।
হুর মানে – স্বচ্ছ , পরিস্কার বা পবিত্র।
হুর আয়নানি মানে কোন সুলোচনা বা আয়তলোচনা নারী নয়। এর প্রকৃত অর্থ স্বচ্ছ ঝর্ণা।
@আকাশ মালিক,
কেন ? তখন কি বেহেস্তী মুসলমানরা পরীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ার বদলে পরীরাই কি বেহেস্তবাসীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়বে নাকি ? :laugh:
লেখাটি চমতকার। আশা করি, মুসলমানদের মোহ কিছুটা হলেও কাটবে।
@জাকির
অত সহজে মোহ কাটে না । আপনি যদি কারও প্রেমে পড়ে থাকেন অল্প বয়েসে, মেয়েটি আপনাকে ল্যাং মারলেও কি সহজে তাকে ভুলতে পারেন নাকি ?
আল্লাহর নবী মোহাম্মদ ভবিষ্যত জানতেন না।
৬:৫০ আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় (ভবিষ্যত) অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না ?
এখন অনেকেই বলে থাকে – ইসলামকে ভাল ভাবে জানতে গেলে কোরান বা হাদিসকে খোদ আরবীতে পড়তে হবে, আরবীতে না পড়লে নাকি কোরান হাদিসের মূল ভাব ভাল করে জানা যায় না। কিন্তু তার চেয়েও মজার ব্যপার হলো – এ ধরনের উপদেশ যারা দেয় তারা মূল আরবী কোরান হাদিস পড়ে সামান্যতম কোন অর্থও বোঝে না , খালি তোতা পাখির মত আউড়ে যায়, আর নিজেদের মাতৃভাষায়ও খুব একটা কোরান হাদিস পড়ে না বা পড়েনি অথচ বিজ্ঞ মানুষের মত সবক দেয়।
৭:১৮৮ আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের (ভবিষ্যতের) কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।
এই একটা খাটি সত্য কথা বলেছেন। :yes:
:yes: ভাল লেগেছে! অমুসলিমদের কোরান গবেষনার কারন আরো ব্যাখ্যা করলে ভাল হত! ধন্যবাদ ভবঘুরেদা কে!
আশা রাখি ভাল আছেন, আপনার পূর্বের লেখায় একটি জানতে চাওয়া নিয়ে মন্তব্য করেছিলাম, একবার নয় বরং বারবার…আপনার আর হদিস পাইনাই। এই পর্বেও আপনার নিকট সেই একই প্রশ্ন নিয়ে আসলাম-আশা রাখি উত্তর পাব।
যাইহোক আমার প্রশ্ন হলঃ আল্লাহ, নবীকে (সাঃ) ১৫০০ বছর আগে যেই জ্ঞান, কোরান দান করেছিলেন, সেটার সাথে আপনে এক মত নন, ইহা আপনার লেখায় স্পষ্ট।যদিও আসলেই কি আল্লাহ দিয়েছিলেন কিনা সেই বিষয়ে আমি অজ্ঞ, কেননা আমি আল্লাহকে দেখিনাই তখনও, এখনও, জানিওনা আল্লাহ আছেন কিনা বাস্তবে। তার কোরান বিশ্লেষন করে বুঝা যায় যে আল্লাহ একজন আছেন, যিনি সকল শক্তির আধার…থাক এই বিষয়ে না আগাই। তো সেই একই আল্লাহকে আপনে বিশ্বাস করেন, (পূর্বে বলেছিলেন) তো আপনে সেই আল্লাহকে কিভাবে উপলব্ধি করেন? তিনি আসলে কি চায়? আপনার মত জানতে চাই। তিনি কি কোরবানীর বিপক্ষে? তিনি কি তথাকথিত নামাজ,রোজার বিপক্ষে? হজ্বের বিপক্ষে?
আপনে বলেছিলেন আল্লাহ মানুষকে বিবেক দিয়েছে সেই বিবেক কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞান পন্থায় নিরবে পশু হত্যা করতে। যাইহোক তো হজ্বের বেলায় কি এইরকম কোন বিবেক আল্লাহ আপনাকে দিয়েছেন যে কি করতে হবে? সেইটা জানালে খুশি হব।
আপনার লেখায় ইসলামের হাজার ভুল, ভ্রান্তি আমরা জানতে পেরেছি, আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু সাথে সাথে আমরা মানুষরা স্বাভাবিক ভাবেই সত্য ধর্মের ব্যপারেও জানতে চাই। অনেকে বলেন ধর্ম বলে কিছু নেই, আপনে কি সেই দিকের? যদি সেই দিকের হন তাহলে আল্লাহ আছেন এই বিশ্বাস কেন? আল্লাহ কি শুধু গুটিবাজি করে বেড়াচ্ছেন আমাদের সাথে?
প্রশ্ন আরও আছে, আপনে দয়া করে এড়িয়ে যাবেন না আশা রাখি। তাহলে আমাদের সবার জন্য ভাল, আমরা আরও জানতে পারব আপনার কাছ থেকে। আপনারটা বলুন, আর তথাকথিত এই ইসলামত অনেকই বলেছেন, আমরা জানিও অনেকটা। তবে আপনার মত জানতে চাই। নাকি আপনার ধর্ম হল পরধর্ম নিন্দা করা? বিশেষ করে ইসলাম? না জানার কারনে এইরকম প্রশ্ন আসছে। সুতরাং কিছু মনে করবেন না।
ধন্যবাদ
@Russell,
হদিস পাবেন কেমনে ? কারন আপনাকে বার বার অনেকেই অনুরোধ করার পরও আপনার দর্শন সম্পর্কে আমরা নিবন্ধ আশা করেছিলাম আপনি তো পাকাল মাছের মতো পাক কেটে সরে পড়ছেন সব সময়। আগে আপনার ঝাড়ুন তারপর আমার টা দেখা যাবে। আপনার এসব টেকনিক অনেক পুরনো, এগুলো এখন কাজ দেবে বলে মনে হয় না।
@ভবঘুরে,
ভাইজান এ কেমন কথা বললেন? যাইহোক আমি একটা নিবন্ধ দিয়েছিলাম কিন্তু কেন তা প্রকাশ হচ্ছে না জানিনা। আর আমিত লেখক না, তাই আপনাদের মত সুন্দর করে বলতে পারিনা।
তবে আপনার কথাটা বড়ই ভাল লাগল,
ছোট কালে ঈদের জামা কিনে আনার পরে বন্ধুদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতাম, তারাও রাখত। ঈদের আগে দেখতে চাইলে বলতাম আগে তোরটা দেখা তারপর আমারটা। ঠিক সেইরকম লাগল।
আচ্ছা তাও আপনাকে একটা লিংক দেই। পড়ুন আমারটা তারপর আপনারটা বলুন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/manush_007/29039555
রুপক কোরান কি ও তার আসল রুপটি জানাতে চেষ্টা করেছি। পড়ুন। আর তাছাড়া আমার দেয়া সকল মন্তব্যই আমার নিজস্ব চিন্তা চেতনা। সেখান থেকেও আপনে প্রশ্ন করুন আমি যতটুকু জানি তার থেকে উত্তর দিতে চেষ্টা করব।
আর ব্লগে লেখার অনেক কারনের ভিতর এইটাই আসল একটি কারন যে প্রশ্ন আসবে, উত্তর আসবে। শুধু যা লিখেছেন সেইটাই ভাল ভাল বলে গেলে কিভাবে হয় বলুন?
যাইহোক আশা রাখি আমার লেখাটা পড়ে আমাকে প্রশ্ন করুন, আমি উত্তর দিব। আর একটা লেখা আছে যেটা দিয়েছিলাম কর্তৃপক্ষের নিকট ইমেলের মাধ্যমে সেটা প্রকাশ হয়নি, বলুন আমার কি দোষ?
তো উক্ত লেখা থেকে প্রশ্ন করুন আমাকে, আর আমিও করা শুরু করি। এটা এমন না যে আমি জানি, আপনাকে ছোট করে আমি আনন্দ লুটব। আশা রাখি এমনটা ভাববেন না।
ধন্যবাদ
@Russell,
এই তো আপনি আসল কথা বলে ফেলেছেন মানে আপনার থলের বেড়াল বের হয়ে এসেছে। কুসংস্কারকে অন্ধত্বকে মানুষের সামনে তুলে ধরা আপনার কাছে পরনিন্দা হলে আমার কিছু বলার নেই। আর আপনার বক্তব্য প্রমান করছে আপনি প্রচলিত কুসংস্কার , অন্ধত্ব এসবকে বজায় রাখতে চান। যাহোক , আমি সব ধর্মের কুসংস্কার নিয়েই কথা বলি, ইসলাম নিয়ে বেশী বলার কারন আগে বহুবার বলেছি , আবারও বলছি – ইসলাম ই বর্তমান সভ্যতায় একটা সংকট সৃষ্টি করেছে আর তাই ইসলাম ই বেশী সমালোচনা পাওয়ার দাবিদার। অবশ্য আপনার কাছে বিষয়টি সেরকম মনে নাও হতে পারে। যাহোক, আমি নিশ্চিত , খোদ মোহাম্মদ যদি এখন আবার জন্মগ্রহন করতেন আর বর্তমান মুসলমানদের এহেন অন্ধত্ব দেখতেন , তিনি নিজেই আবার নতুন করে কিছু চিন্তা ভাবনা করতেন। পরিশেষে, আপনি যদি উপদেশ দিতেন আসলে কি আমাদের করা দরকার, ভাল মনে হলে সেটাই না হয় পালন করতাম। কিন্তু সেটাও তো করেন না। তাহলে খামোখা আবার পরনিন্দার অপবাদ কেন দেন ?
@ভবঘুরে,
যেভাবেই হোক একটা উত্তর জানলাম আপনে সমালোচনা করছেন, ভাল। আপনে পরনিন্দা করছেন না। আমার আসলে উহা প্রশ্ন ছিল, আমি বলিনি আপনে পরনিন্দা করছেন।
তো সমালোচনার সাথে সাথে আমার মনে হয় আপনার দর্শণটিও যদি তুলে ধরতেন তাহলে সেটা মনে হয় পরিপূর্ন সমালোচনা হত। নয়ত ইহা পরনিন্দার দিকে চলে যাচ্ছে বলে মনে হয় মাঝে মাঝে। জানিনা বুঝাতে পারলাম কিনা। আপনে বলছেন, কি কি ভুল, এবং আপনার দৃষ্টিতে তার কারনও বলছেন ঠিকি তবে এর পরিবর্তে কি হতে পারে, বা কি হওয়া উচিত সেই বিষয়ে কিছু বলছেন না। মুসলমানরা সবাই তাদের পিতৃ ধর্ম, জন্মগত সূত্রে প্রাপ্ত ধর্মকে ছেড়ে দিবে কেন? ইহা আপনার বর্ননার মত খারাপ তাই? আপনে যেভাবে ধর্মকে অংকন করছেন, সেভাবে এক মুসলিমও বেশ রঙ লাগিয়ে পরিবেশন করছেন সবার সামনে। সুতরাং সাধারন মানুষ কোনটা নিবে? ঐ ভোগের দিকেই, রঙ্গের দিকেই ধাবিত হবে স্বাভাবিক। সাধারন মানুষ অনুষ্ঠান চায়, সত্য খুবই তিতা হয়, সবার দ্বারা পালন সম্ভব না, তাই অনুষ্ঠান চাকচিক্য চাই। আপনে শুধু এইরকম সমালোচনা করে গেলেন অথচ মূল সত্য ও তার সাথে কিছু অনুষ্ঠান যদি না বলেন তাহলে আপনার সমালোচনা পরনিন্দার দিকে (তাদের কাছে) মনে হবে।
না। হয়ত আমার কোথাও প্রশ্ন করতে ভুল হওয়াতে আপনে এমন ভাবছেন, মূলত সেটা নয়।
@Russell,
আসলে ভাল করে চিন্তা করে দেখেন , ইসলাম কিসের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তা পালন করতে নির্দেশ দেয়। যৌবনবতী হুর যাকে আগে কেউ স্পর্শ করেনি যাদেরকে আল্লাহ জান্নাতবাসী বিশেষভাবে তৈরী করেছেন, সুরা বা মদ এসবের লোভ। তাই না? তার মানে মনে হচ্ছে জান্নাতে জান্নাতবাসীর কাম হলো দুটো- মাল খেয়ে টাল হওয়া আর টাল হয়ে হুরদের সাথে যৌনলীলা চালিয়ে যাওয়া। আপনি মুক্ত মন নিয়ে একটু চিন্তা করেন তো – এটা কি প্রচন্ড ভালগার নয় ? এধরনের লোভ কাকে দেখানো যায় ? একমাত্র আধা সভ্য বর্বর শ্রেনীর মানুষকেই দেখানো যায়। আমরা ধরে নিলাম মোহাম্মদের আমলে আরবের লোকরা সেরকমই ছিল আর তাই তাদেরকে এভাবেই লোভ দেখিয়ে দলে ভেড়ানো হয়েছে তাদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে, কিন্তু আপনি আমি , আমরাও কি সেই আরবদের লেভেলের মানুষ নাকি যে আমরা এ ধরনের ভালগার কে প্রশ্রয় দেবো ? তাহলে আর খামোখা লেখা পড়া শিখে লাভ কি হলো ? এর চেয়ে বরং লেখা পড়া বাদ দিয়ে সেই মধ্য যুগের আরবদের মত হয়ে যাই। কি বলেন ?
আর আদর্শের কথা বলছেন? মানুষ তার প্রয়োজনেই সংকটময় মুহুর্তে নিজেদের প্রয়োজনেই আদর্শ তৈরী করে ফেলবে। আমাদের কাজ কোথায় ময়লা আবর্জনা জমা হয়ে পড়ে আছে তা দেখিয়ে দেয়া। তার পর অন্য মানুষরা হয়ত আপনিই এগিয়ে আসবেন সেসব ময়লা পরিস্কার করে সমাজকে নতুন ভাবে নতুন আদর্শে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিয়ে। সমাজ সভ্যতা এভাবেই এগিয়েছে চিরকাল। মোহাম্মদও ঠিক এভাবেই আধা সভ্য আরবদেরকে কিছুটা সভ্য করার মিশন নিয়ে তার ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার করেছিলেন। বিষয়টাকে এমন করে দেখলে দেখবেন আর কোন সমস্যা নেই। তখন আর আমাকে বলবেন না যে আমি আমি ধর্মের নিন্দা করছি। সব দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে এমন ঠেকা কিসের ?
@ভবঘুরে,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি তথ্যবহুল প্রবন্ধ লিখার জন্য।
মুহাম্মাদের ১৩ বছরের মক্কা জীবনে মাত্র ১০০ -১৫০ লোককে তার দলে টানতে পেরেছিলেন। তাদের মধ্যে একমাত্র আবুবকর ও উমর ছাড়া আর
কোন বিশিষ্ট মাক্কবাসী ছিল না। এই সু দীর্ঘ মক্কা জীবনে স্ত্রী ‘খাদিজা’ এবং পরবর্তিতে তার নিজস্ব হাশেমি পরিবারের একমাত্র “হামজা চাচা” ছাড়া আর কোন প্রাপ্ত বয়ষ্ক পরিবার সদস্যই তাকে নবী বলে স্বীকার করেন নাই। আলী ইবনে আবু তালিব মুসলমান হন মাত্র নয় বছর বয়সে। তখন আলী শুধু অপ্রাপ্তবয়ষ্কই ছিলো না, ছিলো মুহাম্মাদের কাছে পালিত পোষ্য (dependent). চাচা আবু তালিব ইবনে আব্দুল মুত্তালিব পারিবিরিক অভাব ও অসচ্ছলতার মধ্যে ছিলেন। খাদিজাকে বিয়ে করে মুহাম্মাদ তখন সচ্ছল। আবু তালিব কে সাহায্যের জন্য তার এক ছেলে “আলী” কে ভাতিজা মুহাম্মাদ এবং তার আরেক ছেলে “জাফর” কে ভাই আল-আব্বাস নিয়ে যান তাদের নিজ নিজ বাসায়। দাদা আব্দুল মুত্তালিব এর বিশাল পরিবারের একমাত্র সবেধন ‘হামজা’ ছাড়া তার অনান্য ছেলেরা (মুহাম্মাদের চাচা) যেমন আবু তালিব, আল-হারিত, আবু লাহাব, আল আব্বাস এবং মেয়েরা (মুহাম্মাদের ফুফু) যেমন বারাহ্, আতিখা, উমাইমাহ্ কেহই তাকে নবী হিসাবে শুধু অস্বীকারই করেন নাই, সক্রিয় বিরোধিতা করেছিলেন অনেকেই। এমতা পরিস্থিতিতে তার পক্ষে ‘মক্কা ও তার আশে পাশের আরবী ভাষি’ ছাড়া বড় কিছুর চিন্তা করা সম্ভব ছিলো না। আপনি বিভিন্ন আয়াত দ্বারা তা দেখিয়েছেন সুস্পষ্ঠভাবে।
বিশিষ্ট প্রাচীন মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ননা মতে মুহাম্মাদ তার ১০ বছরের মদীনা জীবনে ৭০ -১০০ যুদ্ধে জরিত ছিলেন। গড়ে প্রতি দু মাসে একটা। তাদের বর্ননা মতে এই বিশাল সংখক যুদ্ধের মাত্র দুটি (ওহুদ ও খন্দক) ছাড়া আর সব গুলোই ছিলো অমুসলিম জনপদের উপর অতর্কিত হামলা। প্রথমাবস্থায় তা ছিলো রাতের অন্ধকারে বানিজ্য ফেরৎ নিরীহ কুরাইশ কাফেলার উপর অতর্কিত হামলা করে তাদের মালামাল লুন্ঠন, তার আরোহীদের হত্যা অথবা কিডন্যাপ করে নিয়ে যাওয়া, তার প্রিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা এবং পারিবারের কাছ থেকে সম্পদের বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া। পরবর্তীতে শক্তি বাড়ার সাথে সাথে এ হামলার পরিসর বৃদ্ধি করে অমুসলিম জনপদের উপর হামলা, তাদের বাড়ীঘর লুন্ঠন – সম্পত্তি দখল এবং enslavement করা। কিভাবে মুহাম্মাদ এবং তার সাথীরা এ যাত্রার শুরু করেছিলেন্ তার vivid বর্ননা মুসলিম ঐতিহাসিকরা লিখে রেখেছেন। এ যাত্রার শুরু “নাখালা আক্রমন”, বর্ননা নিম্নরুপঃ
After three previous unsuccessful attempts to intercept Trade caravan of Quraysh,
“The Messanger of god sent Abdulla b Jahsh with eight men of emigrants without any Ansar among them. He wrote Abdullah b Jahsh a letter, but ordered him not to look at it until he had travelled for two days. Then he was to look at it and to carry out what he was commanded in it but not to compel any of his companions to do anything against their will. When Abdullah bin Jahsh travelled two days, he opened the letter and looked at it, and it said, “When you look at my letter, march until you halt at Nakhla, between Mecca and Taif. Observe Quraysh there, and find out for us what they are doing”. – – – —-Sa’d b Abi Waqqas and Utbah b Ghazwan lost a camel of theirs which they were taking turns to ride. They stayed behind to search for it, but Abdullah bin Jahsh and the rest of his companions went on until he reached Nakhla. A caravan of Quraysh went past him carrying raisins, leather and other goods in which Quraysh traded. Among the Quraysh in it were Amr bin Al-Hadrami, Othman bin Abdullah and his brother Nawfal bin Abdullah, and Al-Hakam bin Kaysun. When they saw (Muslims) they were afraid of them, since they were halted close to them. Then Ukkashah binMihsan came into view and he had shaved his head, and when they saw him they felt safe and said, “They are on their way to the umrah (lesser pilgrimage), there is nothing to fear from them”. The Muslims consulted one another concerning them, this being the last day of Rajab. They- – – – -agreed to kill as many of them as they could and to seize what they had with them.
Waqid bin Abdullah Al Tamimi (Muslim) shot an arrow at Amr bin Al Hadrami (Quraysh) and killed him. Uthman bin Abd Allah and Al Hakam bin Kaysan surrendered to Muslims but Nawfal bin Abd Allah escaped and they (Muslims) were unable to catch him.
Then Abdullah bin Jahsh and his companions took the caravan and the two captives back to the messenger of god in Medina. – – – That was the last day of Rajab, a sacred month for the Arabs – prohibited for any hostility. – – – the messenger of god took possession of the caravan and the two prisoners. Quraysh sent to him to ransom Othman bin Abdallah and Al Hakam bin Kaysan, but the messenger of god said, “ We will not release them to you on payment of ransom until our two companions (meaning Sa’d bin Abi Waqqas and Utbah bin Ghazwan) get back, for we are afraid that you may harm them. If you kill them, we will kill your companions”. Sa’d and Utbah came back, however, the messenger of god released the prisoners on payment of ransom’.
Battle of Nakhla was the beginning of killing, taking the captives /hostages (enslavement) and plundering the wealth of non-Muslims (booty) by Muslims. The goods (booty) of the caravan were distributed according to Quranic revelation 8:41 (Sura Al Anfal).
References:
Ibne Ishaq (704-768 CE) –‘Sirat Rasul Allah’, (compilation: Ibn Hisham, died 833 CE), Page 423-27
Al Waqidi (747-823 CE)- ‘Ketab Al Maghazi’, Page 13-19
Al Tabari (839-923 CE), ‘Tarikh Al Rasul Waal Muluk’, Vol-7, Page 1273-79.
থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়লে তা গ্রহনযোগ্য কেন হচ্ছে না তা না বুঝার কোন কারন নাই।
Banu Qainuqa’, Banu Nadir, Banu Quraiza, Banu Mustaliq, Jews of Khaibar -এদের কপালে কি ঘটেছিলো তা যে কোন উৎসাহী পাঠক ‘googling’ করে জানতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে ইমাম বুখারি যা জানিয়েছেন তা হলোঃ
Volume 4, Book 52, Number 176:
Narrated ‘Abdullah bin ‘Umar:
Allah’s Apostle said, “You (i.e. Muslims) will fight wi the Jews till some of them will hide behind stones. The stones will (betray them) saying, ‘O ‘Abdullah (i.e. slave of Allah)! There is a Jew hiding behind me; so kill him.’ ”
আল্লাহ কোরানে যা লিপিবদ্ধ কারেছেন তা হলোঃ
033.026 YUSUFALI: And those of the People of the Book who aided them – Allah did take them down from their strongholds and cast terror into their hearts. (So that) some ye slew, and some ye made prisoners
@Russell,
ঈশ্বরে বা আল্লাহতে বিশ্বাস আর ধর্মে বিশ্বাসের মধ্যে অনেক অনেক ব্যবধান রয়েছে। ঈশ্বর থাকলেই সে মানুষের জন্য ধর্ম পাঠাবে এই নিশ্চয়তা আমরা পেতে পারি না। তবে ঈশ্বরের অস্তিত্বও মেনে নিতে হলে উপযুক্ত প্রমাণ লাগবে।
@Russell,
ঈশ্বর বিশ্বাস সম্পর্কে যদি ভবঘুরে কিছু না বলেন তাতে করে তার লেখা কেন সম্পুর্ন হবে এটা বুঝতে আমি অক্ষম। একটা কথা জানার জন্য আপনাকে দেখছি অনেকদিন যাবত ভবঘুরের পেছনে ঘুরঘুর করছেন। এটা বেশ দৃষ্টিকটু। তার পারসোনাল একটা ব্যপার নিয়ে আপনার এত আগ্রহ কেন? সে বলেছে যে সে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, তারপরেও আপনি প্রতিনিয়ন তাকে খুচিয়েই যাচ্ছেন। ব্যাপারটা বেশ বিরক্তিকরও বটে। এখানে ভবঘুরের লেখার সমালোচনাই মনে হয় কাম্য তার ব্যক্তিগত বিশ্বাস থেকে।
একটু কারেকশন ছিল। প্রথম লাইনে সম্পূর্নের হবে অসম্পূর্ন।
@সাইফুল ইসলাম,
যখন কোন বিষয় নিয়ে ব্লগে লেখা হয়, আর সেই বিষয়ের উপর একটা নয় বরং বারবার লেখা হয়, তখন সেই বিষয়টা ব্যক্তিগত কিভাবে থাকে বুঝতে পারলাম না। আর আলোচ্য বিষয়টা যখন ধর্মীও, সাথে তার বিশ্বাস কৃত ইশ্বর আর কোরানের বর্নিত ঈশ্বর যখন একই হয় তখন বারবার প্রশ্ন করা স্বাভাবিক। এখানে কোন সাহিত্য, উপন্যাস, গল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছেনা, যে শুধু আপাতত তার লেখার উপর হাসি তামাশা তালি বাজিয়ে শেষ করে দিব। আর প্রশ্ন করা/জানতে চাওয়া মানে যদি দৃষ্টি কুটু হয়, বিরক্তিকর হয় তাহলে কি বলব, আপনার মন্তব্যটাই বরং বিরক্তিকর।
একই কোরানের আয়াত দিয়ে একজন বিজ্ঞানী হয়ে যাচ্ছে বলে দাবী করছেন, তার একটা ভিত্তি আছে, সেইটা কিরকম হাস্যকর ভিত্তি সেইটা বলছিনা, আবার সেই কোরানের আয়াত দিয়ে আর একজন মানুষ হত্যা ছাড়া আর কিছুই নাকি দেখছেন না। দুই জনের ভিত্তি দুই ধরনের। শুধু লেখা পড়ে হ্যা, না বলে হাসি তামাসা তালি বাজিয়ে গেলে কি হবে? দুই জনের জানার বুঝার ভিত্তি কি জানা দরকার না?
আপনেত লেখকের সাফাই গাইতে দৌড়ে চলে আসছেন তো আপনেই বলুন লেখক সাহেব কি এখানে শুধু লিখে যাবেন আর আমরা হয় বেহুদা তর্ক করব, নয়ত আপনার মত তালি বাজাবো? যদি তাঁর দর্শন, তাঁর মত দেবার ভিত্তি জানেন তাহলে কি সেটা নিয়ে আলোচনা করতে সুবিধা হয়না? এতে আপনার বিরক্তি লাগবারও কিছু আছে বলে মনে হচ্ছেনা। ইহা কি আলোচনা সমালোচনার বিষয় না? নাকি তিনি তালি বাজানো রম্য উপন্যাস লিখছেন?
আপনাকে ছোট করা বা নিচু করে এই মন্তব্য করিনি, করতে চাইনি, তাও যদি বিবেকে বাড়ি লাগে তাহলে দুঃখিত।
ধন্যবাদ
ভুল কথা।
৩:৯৭ এতে রয়েছে মকামে ইব্রাহীমের মত প্রকৃষ্ট নিদর্শন। আর যে, লোক এর ভেতরে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর এ ঘরের হজ্ব করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার। আর যে লোক তা মানে না। আল্লাহ সারা বিশ্বের কোন কিছুরই পরোয়া করেন না।
@ফারুক,
আপনার বক্তব্য গ্রহনযোগ্য নয়। যেখানে যাকাত নিয়ে পরিস্কার ভাবে এতগুলো আয়াত আছে কে যাকাত দিতে পারবে , এমন কি হাদিসে সম্পদের পরিমান পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে , সেখানে আপনি হজ্জের সমর্থনে একটা আধিভৌতিক আয়াত উল্লেখ করে তার মনগড়া ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এ কৌশল কেউ কেউ করবে বুঝতে পেরেই আমি যাকাত সম্পর্কিত বহু আয়াত উল্লেখ করেছি যেমনটা উল্লেখ করেছি কোরানের আরবী ভাষায় নাজেল হওয়ার ব্যপারে। আপনার বক্তব্য যে যথার্থ তা প্রমান করতে আপনাকে আরও সু স্পষ্ট আয়াত ও হাদিস উল্লেখ করতে হবে। এখন গবেষণা করে বের করুন তা আছে কি না। অথবা নিজেই তা রচনা করে প্রকাশ করতে পারেন । তবে তাতে সুবিধা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।
@ভবঘুরে,
এ ব্যপারে দেখুন প্রতিষ্ঠিত আর নব্য অনুবাদকদের কারসাজি।
Dr. Mohsin : In it are manifest signs (for example), the Maqâm (place) of Ibrâhim (Abraham); whosoever enters it, he attains security. And Hajj (pilgrimage to Makkah) to the House (Ka’bah) is a duty that mankind owes to Allâh, those who can afford the expenses (for one’s conveyance, provision and residence); and whoever disbelieves [i.e. denies Hajj (pilgrimage to Makkah), then he is a disbeliever of Allâh], then Allâh stands not in need of any of the ‘Alamîn (mankind and jinn and all that exsists).[]
Pickthal : Wherein are plain memorials (of Allah’s guidance); the place where Abraham stood up to pray; and whosoever entereth it is safe. And pilgrimage to the House is a duty unto Allah for mankind, for him who can find a way thither. As for him who disbelieveth, (let him know that) lo! Allah is Independent of (all) creatures.
Yusuf Ali : In it are signs manifest; (for example), the Station of Abraham; whoever enters it attains security; pilgrimage thereto is a duty men owe to Allah―those who can afford the journey; but if any deny faith; Allah stands not in need of any of His creatures
মোহসিন হলো নয়া অনুবাদক তিনি একেবারে খরচাপাতির কথা উল্লেখ করেছেন যা খ্যাতিমান অনুবাদকরা করেন নি। আর এটাকেই বলে কারসাজি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
@ভবঘুরে,মোহসিনের কথা না হয় বাদ দিলাম , কিন্ত ইউসুফ আলি কি অনুবাদ করেছে-“those who can afford the journey”। এটার মানে জানতে তো আর রকেট সায়েন্স লাগেনা। এর থেকে স্পষ্ট আর কোন আয়াত চান? আপনি পোস্টে যে বল্লেন -“এর সপক্ষে কোরানের কোন সূরাতে এ ছাড়ের ব্যপারে সামান্যতম ইঙ্গিত দেয়া হয় নি”। এই বক্তব্য যে ভুল , সেটা স্বীকার করার মতো সৎসাহস ও আপনার নেই। এইরকম গোঁজামিল বক্তব্য দেন বলেই তো মুসলমানদের অন্ধত্ব ঘুচছে না বা আপনার মিশনের সফলতার কোন আশা ও দেখছি না।
@ফারুক,
সামর্থ্য বলতে কি আপনি শুধু আর্থিক বোঝেন নাকি ? সামর্থ হতে পারে নানা রকম- আর্থিক , দৈহিক, জ্ঞানের ইত্যাদির । প্রশ্ন হলো – উক্ত আয়াতে সামর্থ্য বলতে কোনটা বুঝানো হয়েছে। হজ্জ সম্পর্কিত যাবতীয় আয়াত ও হাদিস বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাচ্ছে এখানে সামর্থ্য বলতে আর্থিক নয় , দৈহিক সক্ষমতা বুঝাচ্ছে। কোথাও আর্থিক ব্যপারের সামান্যতম ইঙ্গিত নেই।
এখন আপনি যদি আপনার উল্লেখিত আয়াতের সামর্থ্য শব্দের অর্থ যদি আর্থিক বিষয় বুঝে থাকেন তাহলে আপনাকে অন্য একটা সাপোর্টিং আয়াত বা হাদিস উল্লেখ করতে হবে কারন উক্ত আয়াতে সামর্থ্য শব্দের পরিস্কার অর্থ বোঝা যাচ্ছে না। যেহেতু আপনি দাবী করছেন এ সামর্থ্য শব্দের অর্থ আর্থিক সক্ষমতা সেহেতু প্রমানের দায়িত্বও আপনার। পক্ষান্তরে আমি আমার বক্তব্য প্রমান করতে যেয়ে সবসময়ই সাপোর্টিং আয়াত বা হাদিস উল্লেখ করেছি।
আপনি খেয়াল করুন যাকাত এর সাথে সরাসরি আর্থিক বিষয় জড়িত থাকায়, নানা আয়াতে ও হাদিসে কারা যাকাত দেবে আর কারা তা গ্রহন করবে তা পরিস্কার বলা আছে। এমন কি একজনের কাছে কত সম্পদ থাকলে তার যাকাত বাধ্যতা মূলক তাও বর্নিত আছে। কিন্তু সেই সময় মক্কার আশে পাশের লোক যারা হজ্জ করত , তাদের এ হজ্জের সাথে আর্থিক ব্যপার তেমন জড়িত ছিল না। তাই হজ্জের ব্যপারে এর কোন পরিস্কার নির্দেশনা নেই। এর কারন হলো মোহাম্মদের ধারনা ছিল না একসময় বাংলাদেশ ভারতের মত দুরবর্তী দেশেও অনেকে ইসলাম গ্রহন করবে আর তাদের হজ্জ পালনের সাথে আর্থিক বিষয়টা ভীষণ ভাবে জড়িত থাকবে। এটা জানা থাকলে যাকাতের মত হজ্জ নিয়েও পরিস্কার ভাবে কোরান ও হাদিসে নিদান থাকত। তখন আর আপনাকে আপাত : অস্পষ্ট কোন শব্দের অর্থ নিয়ে এত মাথা ঘামাতে হত না। আর আমারও এটা নিয়ে কিছু লেখার সুযোগ থাকত না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আমি যা লিখি প্রচন্ড আত্ম বিশ্বাস নিয়েই লেখার চেষ্টা করি। না পড়ে না বুঝে তো একেবারেই লিখি না। যে কারনে আমার লেখা প্রকাশ করতে মাঝে মাঝে বেশী সময় লাগে। লেখার সময় আপনাদের মত জ্ঞানী গুনী মানুষের কথা মাথায় রেখেই লিখতে হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। সুতরাং এখন আপনিই বিচার করুন আমি ভুল নাকি ঠিক ব্যাখ্যা করেছি। পাঠকরাও বিচার করবেন কারটা ভুল আর কারটা ঠিক।
@ভবঘুরে, :yes:
@ফারুক,
আপনাকে ধন্যবাদ।
এখন কোরানের প্রতিটি আয়াতই আলাদা ভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তাই না। এক খানে একটা বলছেন তো আরেক খানে আরেকটা, এখন মানুষ করবেটা কি?
কোরানের এ ধরণ দেখে বোঝা যায় যে কোরান খুবই অপরিকল্পিত ও এলোমেলো ভাবে রচনা করা হয়েছে। নামাজের কথা বলছে ৮২ বার। আচ্ছা একবার বললে সমস্যা কি ছিল? এছাড়া এক বিষয়ের হুকুম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে বলাটা কি উচিত হল যখন কোরানকে সর্বকালের জন্য অনুসরণীয় বলা হবে। আপনি নিজেই ভেবে দেখেন- আপনার যদি ইচ্ছে হয় এমন একটা গ্রন্থ মানুষের জন্য রচনা করবেন যা সর্বকালের সব মানুষের জন্য অনুসরণীয় হবে তবে কি এভাবে তা রচনা করতেন? যাই হোক, ভাল থাকুন।
@সৈকত চৌধুরী,
মানুষ চিন্তা করবে। চিন্তা করে নিজে যা বুঝবে তাই করবে। ইচ্ছা হলে মানবে , নাইলে না। চিন্তা করার জন্যই কোরান।
৫৪:১৭ আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
@ফারুক,
তাহলে কোরান বুঝতে নিশ্চয়ই আর কোন মুফতি আলেমের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন বলে মনে হয় না। বস্তু উক্ত আয়াতের কথাই সত্য। কোরানের ভাষা এত সহজ সরল যে তা যে কেউ পড়ে বুঝতে পারে। কিন্তু আপনারাই তো দেখি নানা ভাবে প্যাচান। সেটাই সমস্যা।
@ভবঘুরে,
কি যে বলেন!! অবশ্যই এমন পরামর্শ দেব না। আরে আমি তো ব্লগে ব্লগে এই কথায় বলে বেড়াচ্ছি। যাক একজনকে পাওয়া গেল ,যে অন্তত মুফতি আলেমের খপ্পর থেকে বের হতে পারল এবং কোরানের একটি আয়াতকে সত্য বলে স্বীকার করলো।
আমরা ভবঘুরে সাহেবের নুতুন লেখা পেলাম, অসাধারন ভুল যুক্তি আর ফাক ফোকরে ভরা।
নিচের ভবঘুরে সাহেবের লেখাটা দেখুনঃ
এসব উলটা পালটা কথা বার্তা ইসলাম বিদ্দেষের জ্বরে অক্রান্ত মানুষের পক্ষেই সম্ভব। আপনি বাংলাদেশে থাকেন। আপনার বাবা অসুস্থ, হজ্ব করতে পারবেন না। কিন্তু আপনি পারবেন। এখানে দূরত্ব কোন বিষয় না। কিন্তু লেখক বললেনঃ একমাত্র সম্ভব যদি হজ্জ পালনকারীরা মক্কার আশে পাশে বা সামান্য কিছু দুরে বসবাস করে । হাসবো না কানবো বুঝতে পারতেছি না।
লেখাক সাহেবের প্রতি অনুরোধ তিনি যেন পড়া লেখা বন্ধ না করেন, এক সময় জ্ঞান পিপাসুরা আল্লাহ পাক চাইলে সঠিক পথ পেলেও পেতে পারেন।
@ফুয়াদ,
ফুয়াদ ভাই ওর জন্যে দোয়া করবেন, মানুষটার মাথা ষোলআনাই গেছে, বুঝতেই পারেন নাই ১৪শো বছর আগেও যে বাংলাদেশের মানুষ উড়োজাহাজে চড়ে হজ্জ করতো!
@ফুয়াদ,
ভাই ফুয়াদ, আপনার মন্তব্য পড়ে আমিও হাসব না কাদব বুঝতে পারছি না।
আপনার মন্তব্য পড়ে এতদিনে নিশ্চিত হলাম যে সত্যি আল্লাহ আপনার শুধু হৃদয় নয় , মস্তিস্কেও সীল মেরে দিয়েছেন। ঐ যে দেখুন আকাশ মালিক ভাই যুতসই উত্তর দিয়ে দিয়েছেন, যদি তা আপনি বুঝতে পারেন।
তারপরও আপনার সীলকৃত মস্তিষ্ক খোলার জন্য বিনয়ের সাথে বলি- পুরো নিবন্ধের পটভুমিকাটা সেই সপ্তম শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে লেখা। আর তাই সব কিছু পর্যালোচনা করার পর মনে হয়েছে ইসলাম শুধুমাত্র আরবদেশের আরবী ভাষী মানুষদের জন্য। পরিশেষে বলি- অন্ধত্ব কোন পর্যায়ে পৌছলে একজন মানুষ একটা গুরুত্ব পূর্ন নিবন্ধ ভাল করে না পড়েই উল্টা পাল্টা মন্তব্য করে তার উজ্জ্বল নিদর্শন হলো আপনার মন্তব্য।
যাদের চোখ থাকতে অন্ধ, মস্তিষ্ক থাকতেও বোকা তাদের কাছে সত্যি কথা বিদ্বেষ এর মতোই লাগে। আপনাদের জন্য সত্যি খুব করুনা হয় , বুঝলেন ?
@ভবঘুরে,
ধরা খাইলে যে আপনারা উলটা পালটা কথা বলেন, তা আমার ভাল করেই জানা আছে। এবার আপনাকে পুরোপুরি বুঝে ফেলেছি। আপনি আরেকজন প্রফেশনাল বিদ্দেষী। ভাল, বিনা পয়সায় কিছু সমালোচক পাওয়া গেল।
আসুন আপনার কথা আর আকাশ মালিক সাহেবের কথার তুলনামূলক আলোচনা করি। প্রথমে আপনার কথা কপি পেষ্ট করিঃ
আকাশ মালিকঃ
আপনার উল্লেখিত অংশ থেকে কোন ক্রমেই আকাশ মালিকের বক্তব্য প্রকাশ করে না। আপনার কথার অর্থ হল শারিরিক ভাবে হজ্জ পালনে অক্ষম ব্যাক্তির পক্ষে আরেক জন ব্যাক্তি হজ্ব করতে পারবে। সেটা অসম্ভবের কি হল ?
=> একজন ব্যাক্তি শারিরিক ভাবে সক্ষম হলে যদি হজ্ব করতে পারে।
=> তাহলে শারিরিক ভাবে সক্ষম ব্যাক্তি শারিরিক ভাবে অক্ষম ব্যাক্তির পক্ষে একই কাজ করা অসম্ভব নয়।
আসলে আপনার কথা পুরোই অযুক্তিক। কিন্তু আপনার অযুক্তিক কথা যুক্তির মোড়কে আমার দিকে আক্রমন করবেন। প্রফেশনাল বিদ্দেষবাদীরা এ সব ই করে থাকে।
দুই নম্বর, আকাশ মালিক সাহেবের বক্তব্য একেবারেই টিকে না। উড়োজাহাজ না থাকলেও মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়ত করত।
নাকি আপনাদের নুতুন ইতিহাসে লেখা আছে আদিম মানুষ যাতায়াত করত না। কথার ব্যাক্ষা দিয়েন। অপেক্ষায় থাকলাম।
@ফুয়াদ,
ব্যাক্ষা নয় ব্যাখ্যা।
ধরছেন যখন এবার আর ছাড়াছাড়ি নাই। উড়োজাহাজ আবিষ্কার হওয়ার আগে, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল, শারিরিকভাবে দূর্বল মানুষের জন্যে তার আত্বীয়েরা বাংলাদেশের মত দূর দূর দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল পায়ে হেটে গিয়ে মক্কায় হজ্জ করতেন তা আপনার জানা থাকলেও আমার ভাবতেই ভয় হয়। তাই আমি ভাই হেরে গেছি, পরাজয় বরণ করে নিলাম। দেখা যাক আপনার কাছে ধরা খেয়ে ভবঘুরের মাথা ঘুরে কি না।
@আকাশ মালিক,
অনুজ ভবঘুরেকে বাচাতে যেয়ে ভুল জায়গায় পা দিয়ে দিয়েছেন আকাশ দা, আপনে যে পয়েন্ট ধরতে চেয়েছেন তা যে কোন মতেই টিকে না। দেখুন আগের দিনে লক্ষ মাইল পাড়ি দিত মানুষ, তারমানে দূর থেকে দূরে তারা যেত পারত। কে কার জন্য যাবে নাকি যাবে না, সেটা তার নিজের ব্যাপার। মূল বিষয় হচ্ছে, পারবে কি না। যেহেতু পারবে, সেহেতু আপনার অনুজ আবুল তাবল ই বলে গেছেন। দূঃখিত আকাশ দা 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁
@ফুয়াদ,
ভবঘুরেকে কেউ বাচাতে যাচ্ছে না বরং আপনার অপরিসীম বুদ্ধি দেখে সবাই হতবাক, আমিও । যাহোক, আপনার ভোতা মাথায় সোজা ব্যপারটি ঢুকছে না দেখে অন্যরা সেটা আপনার মাথায় ঢুকানোর চেষ্টা করছেন মাত্র।
সেটা কিভাবে সম্ভব? একমাত্র সম্ভব যদি হজ্জ পালনকারীরা মক্কার আশে পাশে বা সামান্য কিছু দুরে বসবাস করে
@ভবঘুরে,
একজন প্রফেশনাল বিদ্দেষী আমাকে ভোতা মাথা বলে টিটকারী দিবে তা আর নুতুন কি। কিন্তু জনাব বার বার ধরা খেয়ে কথা পেচ্চাছেন কেন? জীলাপির পেছ দেন?
পাঠক আমার বল্ড করা অংশ দেখেন। আর আমার মাথা নাকি ভোতা এই দাবী কারী ব্যাক্তির মাথা দেখুন ?
আগের দিনে মানুষ নৌকা থেকে হেটে চলাচল করত। আর উনি ভেবেছেন সেটা আমরা জানি না ।উনাকে ছোটদের আলেকজেন্ডার বা ছোটদের ইবনে বতুতা নামক বই পড়ার অনুরোধ করা হইল, জানি না এ নামে বই আছে কি না 😀 😀 । কেউ নাকি হজ্ব করতে যাইতে পারত না :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :rotfl: :rotfl:
@ফুয়াদ,
দুদিন থেকে সাইটটি ওপেন করলেই দেখি কিছুক্ষন পর বাংলা লেখাগুলো কেমন হিজি বিজি হয়ে যাচ্ছে তাই উত্তর দিতে পারিনি। আবার কোন কারন ছাড়াই স্পেস এ ক্লিক করার অসম্পূর্ন লেখা পেস্ট হয়ে গেল কেন বুঝলাম না। আর এ ফাকে দেখি ফুয়াদ ভাই অনেকদুর চলে গেছেন।
তবে আমি নিশ্চিত আপনার মন্তব্য পড়ে আপনার বুদ্ধির তারিফ না করে কেউ পারবে না আর তারা ভাবছে এত বুদ্ধি নিয়ে এ ব্যাক্তি অনলাইনে কি করে ?
উক্ত বক্তব্য দিয়ে বুঝানো হচ্ছে হজ্জ পালন বাধ্যতামূলক প্রতিটি স্বাস্থ্যবান লোকের জন্য, এমনকি যারা অসুস্থ বা বৃদ্ধ তারা অন্যের মাধ্যমে হলেও হজ্জ পালন করবে, কোন মাফ নেই।
এটা দিয়ে সামগ্রিক ভাবে একটা প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া হয়েছে। এর অর্থ- হ্জ্জ আবশ্যিকভাবে পালন করা কিভাবে তাদের পক্ষে সম্ভব হত/হয়/হবে যদি সেই ১৪০০ বছর আগে/বর্তমানে/ ভবিষ্যতে তারা মক্কা থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দুরে বাস করত/করে/করবে ? পায়ে হেটে বা ছাগলের পিঠে চড়ে অতি দু:সাহসী দু একজনের পক্ষে হজ্জ পালন ১৪০০ বছর আগে সম্ভব হলেও নিশ্চয়ই সব মুসলমানের পক্ষে তা সম্ভব হতো না। তার মানে সব মুসলমানের সারা জীবনে একবারের জন্য হলেও হ্জ্জ পালন সম্ভব যদি শুধুমাত্র তারা মক্কার আশে পাশে বাস করে , বা অন্তত দু এক শ কিলোমিটারের মধ্যে বাস করে। সেক্ষেত্রে আর্থিক দুরবস্থা তাদের জন্য কোন সমস্যা হতো না। সাথে কিছু খাবার নিয়ে হেটে বা ছাগলের পিঠে করে রওনা দিলেই হ্জ্জ পালন সম্ভব ছিল। এখন মোহাম্মদ যদি বুঝতে পারতেন যে কয়েক শ বছর পরে বাংলাদেশের মত একটা হত দরিদ্র দেশের অধিকাংশ মানুষ ইসলাম গ্রহন করবে আর অর্থাভাবে তাদের অধিকাংশই হজ্জ করতে পারবে না তাহলে এ হজ্জ পালনের আবশ্যিক ব্যপারটাতে একটু ছাড় থাকত। আর তাহলে কোরান বা হাদিসে এধরনের একটা বাক্য উল্লেখ থাকত- যাদের পথভ্রমনের জন্য পর্যাপ্ত খরচ করার সামর্থ্য থাকার পরেও যারা তাদের নিজ পরিবার পরিজন কম পক্ষে ৩/৫/৬ মাস চালাতে পারবে তাদের জন্য হজ্জ আবশ্যিক ও কোন ছাড় নেই।যেমন গরীব মানুষদের জন্য ফরজ কাজ যাকাতের ব্যপারে ছাড় আছে। আরও পরিস্কার করে বলে দেয়া হয়েছে কার কতটুকু সম্পদ থাকলে তার জন্য যাকাত প্রদান আবশ্যিক ও কোন ছাড় নেই। অথচ হজ্জ পালনের ব্যপারে কোন ছাড় দেয়া হয় নি , এমনকি অসুস্থ বা বৃদ্ধ লোকের হজ্জটাও সম্ভব হলে অন্য মানুষের মাধ্যমে করার জন্য বলা হয়েছে। আর তাই আমাদের মনে হয়েছে- মোহাম্মদ বাংলাদেশ বা এধরনের দুরবর্তী স্থানের মানুষের কথা চিন্তা করে ইসলাম প্রচার করেন নি বা করার কল্পনাও করেন নি। দুর্ভাগ্যক্রমে ঘটনাটি ঘটে গেছে আর তার ফলে বহু ঝামেলার সৃষ্টি হচ্ছে।
এখন কি আপনার সীল মারা মাথায় আসল বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে ?
আবারও বলি জানার জন্য প্রশ্ন করা বা সত্য প্রকাশ করাটা হলো আপনাদের কাছে ইসলাম বিদ্বেষ। কিন্তু আপনি কেন ভাবেন যে , সবার মাথাই আপনার মত সীল করা থাকবে ? ধরে নিন না , এটাও আল্লাহ তালার নির্দেশ মোতাবেক হচ্ছে আর তিনি আমাদের মত লোকদের দিয়ে আপনাদের মাথার সীল তুলে ফেলার চেষ্টা করছেন।
ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ন মন্তব্যের জন্য।
@ভবঘুরে,
দুদিন ধরে সাইট ঘুরে কি দেখেছেন আর কি দেখেন নাই সেটা আমার জানার বিষয় নয়। আপনার কথা কোন পয়েন্টে ধরে রাখতে না পেরে বার বার বলে যাইতেছেন “সীল মারা মাথা” , ভোতা মাথা ইত্যাদি। এ অবশ্য আমার জন্য নুতুন নয়, আপনার মত ছদ্দবেশী ভন্ডরা বার বার-ই বলে গেছে এবং যাচ্ছে, আমি এ ও জানি এ কারনে আমার ভীত হওয়ার কোন কারন ও নেই, এবং আমি ভীত ও নই।
আসুন আপনি কি লিখে ছিলেনঃ
আপনার কথা একদম এই বক্তব্য ক্লিয়ার করে যে
=> সেটা সম্ভব নয় (কন্ডীশনাল)
=> কারন পরিবর্তি লাইনেই আপনি উল্লেখ করেছেন “একমাত্র সম্ভব যদি হজ্জ পালনকারীরা মক্কার আশে পাশে বা সামান্য কিছু দুরে বসবাস করে” (কন্ডিশন)
ক্লিয়ার ব্যাপার আপনি বলতেছেন “সম্ভব নয়”, কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব,(কারন আগের দিনের মানুষ যাতায়াত করত) এখানেই আপনি আপনার কৌশল নিয়েছেন। যাইহোক,
দুই নম্বর পয়েন্ট
পুরো পুরি ভোতা কারন কৌশলে এই আয়াত এড়িয়ে যাইতেছেন
ইবনে খথির ।
(আমার ২য় বল্ড করা অংশটি আপনার জন্য যে আল্লাহ পাক কে পরামর্শ দিতে চায়, আল্লাহ পাক হয়ত জানতেন একদিন আপনি এরূপ করবেন আল্লাহ পাক কে পরামর্শ দিতে চাইবেন)
{আয়াত উপরে ফারুক ভাই ই উল্লেখ করেছেন ফারুক ভাই উল্লেখ করেছেন}
উপরের আয়াত একদম ক্লিয়ার করে, এবং স্ট্রং আয়াত। “সামর্থ্যের সংজ্ঞা” আপেক্ষিক রাখা হয়েছে। “এখন যদি প্রশ্ন করেন আল্লাহ কেন যাকাতের মত ব্যাক্ষা করলেন না” তাহলে জানুন আল্লাহ পাকের কি আপনার কাছ হতে সার্টিফিকেইট নিতে হবে কোনটা তিনি দিবেন আর কোনটা না দিবেন।
আল্লাহ পাক সামর্থ্য শব্দ দিয়ে বহু বিধ বিষয় একদম ক্লীয়ার করে ফেলেছেন। আপনার দৃষ্টিতে সামর্থ্য বলতে খালি টাকা ই দেখেছেন।
=>মক্কার কাছে থেকেও যদি কেউ ধরেন বন্দি আছে, তাহলেও তার সামর্থ্য নেই। (টাকা পয়সার বিষয় কই পাইলেন ?)
=>মক্কার দূরে কিন্তু মুক্ত কিন্তু জার্নি করতে পারবে না, তাহলেও তারও সামর্থ্য নেই।(মনে করুন আর্থিক)
=>মক্কার দূরে কিন্তু মনে করুন বর্তমান কালের কেউ এবং কোন ক্রমে মক্কায় উপস্থিত, তাহলে তার সামর্থ্য আছে। (এখানে টাকার কোন খেলা নাই)
সামর্থ্য অনেক রকম হতে পারে। একদম পরিষ্কার কথা গুলিকে আপনার মত সীল মারা ব্যাক্তিরাই দেখবে না , আপনি নিজেই বলেছেন “সামর্থ্য বলতে কি আপনি শুধু আর্থিক বোঝেন নাকি ? সামর্থ হতে পারে নানা রকম- আর্থিক , দৈহিক, জ্ঞানের ইত্যাদির”
সামর্থ্য একেক জনের কাছে একে রকম মনে হতে পারে, আর হজ্ব মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার উপর ই পরেছে। তাইলে আপনার কি এখানে সমস্যা হয়েছে ? সত্য মানার সৎ সাহস নাই, আবার কথা বার্তা বলেন। আমি যদি মনে করি আমার সামর্থ্য আছে, তাহলে আমি যাব, কেউ যদি মনে করে তাহলে যাবে না। বাস খালাস। সামর্থ্য কি দূরত্বেই সীমিত নাকি ? এমন ও হতে পারে, তার সকল যোগ্যতাঈ আছে কিন্তু সে চলে গেলে তার জাতির অবস্থা বারোটাও বেজে যাবে, তাহলেও তার “সামর্থ্য” শব্দ এপ্লাঈ করা যায়। সৎ সাহস থাকলে মেনে নেন।
হজ্ব মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার উপর ই পরেছে, এখানে “সামর্থ্য” শব্দের অর্থে ধরে নেওয়ার স্বাধীনতা বুঝিয়েছি, যা আমি পর্বর্তী লাইনে উল্লেখ করেছি। কারো সিচুয়েশন এক রকম নয়, একেক জনে সিচুয়েশন একেক রকম।
@ফুয়াদ,
ভাই , আপনার পাল্লায় পড়ে মূল নিবন্ধেই আমি একটা সম্পাদনা করে দিয়েছি যে
মূল পয়েন্টের ওপর আপনি আপনার যুক্তি তর্ক শুরু করেছিলেন। আশা করি পড়ে নিবেন ও তার পর মন্তব্য করবেন। আবারও বলি সত্য প্রকাশকে আপনারা বিদ্বেষ হিসেবে দেখেন আর একারনেই আপনাদের সাথে ইসলাম বিষয়ে আলোচনা করা খুবই বিপদজনক। আর আপনাদের মত মানুষের জন্যই ইসলাম আজ সত্যিই বিপন্ন , বিশ্বাস করুন আর না করুন এটাই সত্য আর বাস্তব।
@ফুয়াদ, :yes:
@ফুয়াদ,
আমিও আরেক প্রফেশনার বিদ্বেষী এই মূল্যবান আলোচনায় যোগ দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না।
আদিম যুগেও মানুষ দেশ থেকে দেশান্তরে যাতায়াত করত। কথা সত্য। তবে কতজন লোকে দেশ ভ্রমন করত? আদিম যূগ তো বহু দূর; এই ব্রিটিশ আমলেও ৩০/৪০ এর দশকে হজ্বে যাবার পথ ছিল আমাদের দেশ থেকে বোম্বাই গিয়ে তারপর আরবগামী জাহাজে চড়া। সে আমলেও যারা হজ্বে যেতেন তাদের অনেকেই পথশ্রমের ধাক্কায় আর ফেরত আসতেন না। তাই হজ্বে যাবার সময় সবাই আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে শেষ বিদায় নিয়ে রওনা হতেন।
এর আগে মোগল আমলে তো হন্টন পথ ব্যাতীত আর সোজা রাস্তা ছিল না। এই ব্যাবস্থাকে কি হজ্জ্বে যাবার খুব সহজ উপায় বলা যায়? উপমহাদেশের বেশ কজন মোগল বাদশাহ সহ মুসলমান অনেকেই কড়া ধার্মিক ছিলেন, তারা কতজনে হজ্ব করেছিলেন বলতে পারেন?
@আদিল মাহমুদ,
কিন্তু এখানে তো সে বিষয়টা আলোচ্য নয়। আলোচ্য হল: অসুস্থ ব্যক্তির বদলে সুস্থ ব্যক্তির হজে যাওয়ার পদ্ধতিটা হজে কত দূর থেকে যাওয়া সম্ভব তার উপর কোন অতিরিক্ত বিধি নিষেধ আরোপ করে কিনা?
আপনি যেসব যুক্তি দেখাচ্ছেন সেটাতো অন্যত্র আলোচিত হয়েছে, তার সাথে সুস্থ/অসুস্থের ব্যাপারের তো কোন সম্বন্ধ নেই।
@রৌরব,
ধন্যবাদ । বিষয়টি ধরতে পেরেছেন। অন্যরাও ধরতে পেরেছেন কিন্তু ফুয়াদ সাহেবকে বাগে আনতে পারছেন না। এটাই সমস্যা।
@রৌরব,
এ জন্যেই আমি আমার মন্তব্যে কথাটা বোল্ড করে লিখেছিলাম, যাতে ফুয়াদ ভাই আলোচনা ডাইভার্ট করার সুযোগ না পান।
@রৌরব,
আমার মনে হয় ফুয়াদ ভাই এর সমস্যা অন্য যায়গায়। উনি প্রাচীন আমলে হজ্বে যাওয়ার ঝামেলা আর এই আমলে হজ্বে যাওয়ার ঝামেলাকে একই পাল্লায় মাপছেন। ওনার কথা লক্ষ্য করুন,
তাই ওনাকে বোঝাতে কিঞ্চিত চেষ্টা করেছি যে কোরান যে সময়ে নাজিল হয়েছিল তার ১০০০ বছর পরেও আমাদের মত অঞ্চল থেকে হজ্বে যাওয়া ছিল খুবই কঠিন একটি কাজ, বলতে গেলে জীবন হাতে করে ওয়ান ওয়ে জার্নিতে রওনা হওয়া। সেই আমলেও দূর দেশ থেকে হজ্বে যাওয়া বাস্তবতার চোখে অসম্ভব না হলেও বলতেই হবে যে খুবই দূরূহ ছিল। এই সহজ এনালজি থেকে মনে হতেই পারে যে হজ্বে যাওয়ার ব্যাপারটা মক্কার আশে পাশের লোকের জন্যই প্রযোজ্য ছিল।
@আদিল মাহমুদ,
আসলে এখানে বহু কিছু আলোচিত হয়েছে এবং, যার অধিকাংশ বিষয়ে আমার মন্তব্য প্রযোজ্য নয়। কিন্তু ফুয়াদ যে বিষয়টি দিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন, সেখানে একটা যৌক্তিক দুর্বলতা আমার মতে আছে। উপরে আমার প্রতি ভবঘুরের মন্তব্যে তাই আমি কিছুটা bemused 😛
ভবঘুরের আলোচনার মূল সিদ্ধান্ত সমর্থনযোগ্য হলেও আলাদা আলাদা ভাবে যুক্তিক্রম গুলি নিরীক্ষা করায় সমস্যা তো কিছু নেই। সেখানে সুস্থ/অসুস্থ বিষয়ক এই বিশেষ যুক্তিটি (অন্য কিছু নয়) আমার কাছে দুর্বল মনে হচ্ছে।
@রৌরব,
আমার কাছেও সূস্থ অসূস্থ যুক্তি খুব ভাল ঠেকেনি, আমি তাই সে বিষয়ে একবারও টানিনি।
আমি জোর দিয়েছি মক্কার দূরবর্তী লোকদের জন্য হজ্ব করা ব্যাবহারিক দিক কতটা সে আমলে সম্ভব ছিল সে ব্যাপারটায়।
@আদিল মাহমুদ,
আমার মনে হয় ফুয়াদ সাহেবের কাছেও সে যুক্তি ভালো ঠেকেনি, সেটাই তিনি বলতে চেয়েছেন। কিন্তু হরেকরকম খোঁচাখুঁচি দিয়ে শুরু করেছেন বলে তার কথা আর যুক্তির মাঝে পার্থক্য করা কঠিন হয়েছে।
@ধ্রুব,
সেটা হতে পারে। ফুয়াদ ভাই এর গুছিয়ে কথা বলায় সামান্য দূর্বলতা আছে, তা সর্বজনবিদিত।
তবে তিনি হজ্বকে ঐচ্ছিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন যা আমি নুতন শিখলাম। সাথে সাথে ফারুক ভাই ধর্ম সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন ইসলামের সবকিছুই ঐচ্ছিক এই আশ্বাস প্রমানের মধ্য দিয়ে।
আশা করা যায় এরপর থেকে বেহুদা ধর্ম নিয়ে অনর্থক খোচাখুচি বন্ধ হবে, কারন এরপর আর কেউ ধর্ম নিয়ে জোরাজুরি করলে ফারুক ভাই আশা করা যায় তাদের যথাবিহীত হেদায়েত করবেন 🙂 ।
@ধ্রুব,
একদম একমত। বোরকা পড়তে বাধ্যতামূলক করতে না দেয়ার কেইসেও ওনাকে পাশে চাই।
@আদিল মাহমুদ,
কথাটা কি ভুল? নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত ও এক আল্লাহ’য় বিশ্বাস ফরজ। কয়জন মুসলমান নামধারী নামাজ পড়ে বা রোজা রাখে বা যাকাত দেয় বা হজ্ব করে? এদেরকে কে কি কেউ জোর করছে নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত ও এক আল্লাহ’য় বিশ্বাস করতে? যার যেমনটি ভাল লাগছে , তেমনটিই তো করছে। এটাকে ঐচ্ছিক না বলে আর কি বলা যায়? আগেই বলেছি ইসলাম ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই। তার প্রকৃষ্ট প্রমান বেনামাজি , বেরোজদার , যাকাত না দেনেওয়ালা ও হজ্ব না করা মুসলমান ও মুসলমানের ঘরে জন্ম নেয়া অবিশ্বাসী নাস্তিক। তর্ক করতেই থাকুন , কিন্তু এটাই বাস্তবতা।
@ফারুক,
আমি আপনাকে সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছিলাম যে নামাজ রোজা এগুলি পালন না করলে যেসব শাস্তির কথা সারা জীবন শুনে এসেছে সেগুলি ভুল কিনা? জবাব দেননি। ফুয়াদ ভাই এর কথাও শুনতে চাচ্ছিলাম, উনিও এই বিষয়ে এখনো কিছু বলেননি।
আমি আসলে একটা যায়গাতেই বার বার আপনার আর ফুয়াদ ভাই এর সাথে ধরা খাচ্ছি।
ফরজ শব্দটার মানে কি এটা নিয়েই এখন আমি পুরোপুরি বিভ্রান্ত। আপনার মতে ফরজ মানে ইচ্ছে?
কে পালন করে না করে সেটা যার যার নিজের ব্যাপার। তবে ফরজ মানে ব্যাক্তি ইচ্ছের উপর নয়, আবশ্যিক এটাই এতদিন জানতাম। অনেকেই অনেক ফরজ জেনে শুনেই পালন করে না তার মানেই এই নয় যে এগুলি পালনে ইসলামে কোন আবশ্যিকতা নেই।
এক আল্লাহয় বিশ্বাস করতে কেউ জোর করেনি। আবার অন্যদিকে সেই এক আল্লাহয় বিশ্বাস না করলে মৃত্যু পরবর্তি অন্ততকাল দোজখে পোড়ানোর ভয়াবহ ভয় কোরানেই আছে। একেও কি অন্তত জোর জবরদস্তি বলা যায় না?
যাক, আপনার থেকে আর কোন জবাব আশা করছি না। আবারো হয়ত আমাকে মানসিক রোগী দাবী করে চিকিতসা করতে চাইবেন। তার আগেই সরে পড়া ভাল।
@ফারুক,
সত্যিই কি কেউ জোড় করছেনা? বলা হয় নামাজ যে পড়বেনা সে দোজখের আগুনে পুড়বে। দোজখের আগুনের ভয়ে কেউ যদি নামাজ পড়ে, হজ্ব করে তব তাকে কি আপনি জোড় জবরদস্তি বলবেন না?
@আদিল মাহমুদ,
কে হজ্ব যাবে কা যাবে না, সেটা কি তার নিজস্ব ব্যাপার নয় ? আমার জানা মতে বৈরম বেগ হজ্ব করতে বের হয়ে ছিলেন। সেই যুগের একজন হাজ্বী ও সেই রকমের ই ছিল। যেমন হাজ্বী মুহাম্মদ মহসীন। এখন বিষয় আশয় সহজ হয়ে গেছে। তাই, অহরহ মানুষ যাইতেছে। সেক্ষেত্রে কুয়ান্টিটি বাড়লে কুয়ালিটি কমে এই সূত্র প্রয়োজয্য। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তারপর ও যদি না পারেন, তাহলে আমার কিছু করার নেই।
@ফুয়াদ,
কে হজ্বে যাবে তা তার নিজস্ব ব্যাপার কি? মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন এটা নফলের মত ঐচ্ছিক কোন বিষয়??? এটা খুবই তথ্য নুতন তথ্য আমার জন্য। আপনি একটু ব্যাখ্যা করলে ভাল হয়। আমার জানা মতে কারো “সামর্থ্য” হলেই হজ্ব তার জন্য ফরয হয়ে যায়। নামাজ যেমন কারো ইচ্ছে অনিচ্ছের উপর নির্ভর করে না তেমনি হজ্বও সামর্থ্য হবার আর ইচ্ছে অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে না। কোরানের হজ্ব সংক্রান্ত আয়াতগুলি তেমনই বলে। যদিও “সামর্থ্য” বলতে ঠিক কি বোঝায় তা আমার কাছে পরিষ্কার নয় তা আগেই বলেছি।
শারীরিক সামর্থ্য বুঝতে কোন সমস্যা নেই। তবে টাকা পয়সার সামর্থ্য বলতে কি বুঝব? ধরেন আমার কাছে মোট সম্পদ একদিন আড়াই লাখ টাকা হল, হজ্ব এখন আমার উপর ফরয? মানে আমাকে কপর্দকশূন্য অবস্থায় হজ্ব করে ফেলতে হবে? নাকি শুধু আড়াই লাখ টাকা নয়, হাতে বাকি জীবন চলার মত একটা সেফটি মানি থাকলে তবেই হজ্ব করা যেতে পারে (তার পরিমানই বা কত)? এ ব্যাপারে কোরানিক নির্দেশনা কি? যাকাতের ব্যাপারে তো কোরান ষ্পষ্ট করেই সম্পদের কত ভাগ তা বলে দেয়।
কূয়ালিটি নিয়ে আমার সমস্যা এখানে নেই। আমি আপনার ”
এই কথার পরিপ্রেক্ষিতেই এই প্রসংগ এনেছি। এখন দেখছি আপনি আমার আমার কথায় আপত্তি করছেন না।
আমি বলিনি যে আগের জমানায় কেউই হজ্ব করতে পারত না। পারত অবশ্যই, তবে তা ছিল খুবই বিরল। সে আমলের ধর্মপ্রান ধনী ব্যাক্তিরাও এত কঠিন পথে যেতে যাইত না। তাই রাজা বাদশাহদের মাঝেও হাজির সংখ্যা খুবই বিরল। তাই প্রাচীন কালে মানুষ হজ্বে যেতে পারলেও তার সাথে এই আমলের তূলনা হাস্যকরই ঠেকবে। উইকি থেকে সামান্য তুলে দিলাম আগেকার দিনের হজ্ব যাবার হ্যাপা।
Performing Hajj was a hazardous journey for early pilgrims; Ibn Jubair noted the skeletons of pilgrims who had died of thirst during the journey. In the seventeenth century a group of Egyptian pilgrims lost over 1,500 people and 900 camels. In 1924 around one-fifth of a group of Syrian pilgrims died and two years later 12,000 are thought to have died during the journey।
আরবের ঘরের কাছের মিশর থেকে মাত্র ৩০০ বছর আগে হাজীদের কি হাল হয়েছিল দেখেছেন? তাহলে ৬০০/৭০০ বছর আগে আমাদের অঞ্চল থেকে রওনা হওয়া হাজীদের কি হাল হতে পারত একটু ভেবে দেখবেন।
সেই আমলেও দূর দেশ থেকে হজ্বে যাওয়া বাস্তবতার চোখে অসম্ভব না হলেও বলতেই হবে যে খুবই দূরূহ ছিল। এই সহজ এনালজি থেকে মনে হতেই পারে যে হজ্বে যাওয়ার ব্যাপারটা মক্কার আশে পাশের লোকের জন্যই প্রযোজ্য ছিল, অন্তত নবী মোহাম্মদের সময়ে নিঃসন্দেহে প্রযোজ্য ছিল।
এখন বলতে পারেন যে এই আয়াত সে আমলে শুধু আরবের লোকের জন্য আর আজকের জমানায় সবার জন্য নাজিল হয়েছিল?
@আদিল মাহমুদ,
ঐচ্ছিক বলতে আমি তা ই বুঝিয়েছি সে হজ্বে যাবে কি না ? কে হজ্বে যাইবে আর কে যাইবে না এটা তার নিজের ব্যাপারে, সেখানে আপনার কিছু বলার নেই। আমি কোথাও বলি নাই সে যুগে মানুষ আরো সহজে হজ্ব যাইতে পারত। আমি বলতে চেয়েছি সে যুগেও পারত, এখানে সংখ্যা কোন বিষয় নয়। কে যাইবে কিংবা না যাইবে সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
আরে টাকা পয়সার সমর্থ্য বলতে যা বুঝার সেই বুঝব যে যাইতে চায়, এখানে আপনার কি বলার আছে। আপনি কি একজন ব্যাক্তির বর্তমান সিচুয়েশন জানেন নাকি ? এটা কেন বুঝতেছেন না, এটা তার ব্যাপার কখন সে নিজেকে সামর্থ্য বান হিসাবে দেখবে। এটা আল্লাহ পাকের সাথে তার ভালবাসার ব্যাপার। আমার এক নানু(আম্মার ফুফু) এর কাছে শুনেছিলাম উনার দাদা নাকি উনার ফুফুদের বিবাহ দিবার আগ পর্যন্ত হজ্বে যান নাই। সব ফুফদের বিবাহ দিয়েই গিয়েছেন। (একবছর বা কত বছর লেগেছিল বলেছিলেন সেটা মনে নেই) মানে উনার মেয়েদের বিবাহ দেবার আগ পর্যন্ত নিজেকে সামর্থ্যবান মনে করেন নি। করার কোন কারন ও নেই। কে সামর্থ্য বান আর কে নয়, সেটা কি আপনি ঠিক করে দিবেন। জীবনে মাত্র একবার হজ্ব করা লাগে। একটা মানুষের স্বাধীনতা আছে তার সিদ্ধান্ত নিবার। তার ফ্যামেলি থাকতে পারে, তারা অসহায় হতে পারে, অনেক অনেক জানা এবং অজানা ফেক্টর আছে যে পৃথিবী ঐ ব্যাক্তি ছাড়া এবং আল্লাহ পাক ছাড়া আর কাউরো পক্ষে জানা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে আপনার কি বলার আছে ?
এত পরিষ্কার বক্তব্য না বুঝার কি আছে।
@ফুয়াদ,
আপনার মতে যা বুঝলাম যে তাহলে হজ্বে যাওয়া পুরোপুরি ব্যাক্তিগত ইচ্ছের উপর নির্ভর করে।
কারো ৩ লাখ টাকা সম্পদ হলেও সে মনে করতে পারে যে তার হজ্ব ফরজ কারন তার আর্থিক সামর্থ্য আছে, আবার কারো ৩০ কোটি টাকা হলেও সে মনে করতে পারে যে তার জন্য হজ্ব এখনো ফরজ হয়নি, ১০০ কোটি টাকা হলে তবেই ফরজ হবে।
দুইজনেই সঠিক? তাহলে আর কোরানে সামর্থ্য না বলে যার যার ইচ্ছে বলে দিলেই এত কথা বাড়ানোর কিছু থাকত না।
সামর্থ্য বললে আর ব্যাক্তিগত ইচ্ছে বা বিবেচনার কথা কিভাবে আসে তা আমি বুঝতেই আসলেই অক্ষম।
আলেম স্কলারদের মত আপনার মত এতটা উদার নয়।
সামান্য কিছু নজির দিলাম।
Commentary: This Hadith brings out the following points:
1. Hajj is compulsory once in a lifetime for those who have the means for it.
2. Unnecessary questioning is disliked.
3. Those who believe in Allah and His Prophet (PBUH) are required to do what they are ordained and abstain from what they are forbidden.
compulsory মানে কি বাধ্য বোঝায় নাকি যার যেমন বিবেচনা সে অনুযায়ী চলার ইচ্ছে বোঝায় বলে আপনি মনে করেন?
– আমার বলার প্রশ্ন আসছে কেন? প্রশ্ন আসছে ইসলামের বলার বা বিধান নিয়ে। আমি তো পরিষ্কারই দেখি যে সামর্থ্য হবার পর হজ্ব “আবশ্যিক” করা হয়েছে। সামর্থ্য হয়ে যাবার পরে ব্যাক্তিগত ইচ্ছে অনিচ্ছের কোন ব্যাপার নেই। এখন সামর্থ্য বলতে কি বোঝায় আপনি সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না, সেটা আপনার ব্যাপার। কেউ মনে করল তার ৩ লাখ টাকা তাই সে সমর্থ্য, আর কেউ মনে করল যে তার ৩০ কোটি টাকা তাও সে সমর্থ্য নয়। আপনার মতে দুজনেই সঠিক? এটা কোনদিন হতে পারে? দয়া করে এটা একটু ব্যাখ্যা করবেন আরো উত্তেজিত না হয়ে।
নামাজের ব্যাপারেও অবশ্যই সামর্থ্যের ব্যাপার আছে (যদিও না আর্থিক না), এবং না ষ্পষ্ট। রোজার ব্যাপারে, যাকাতের ব্যাপারেও আছে, হজ্বের ব্যাপারে এত অপষ্পষ্টতা কেন?
@আদিল মাহমুদ,ইসলাম ধর্মে কোন জোর জবরদস্তি নেই , এটা কেন বুঝতে চান না। কে কত্টুকু পালন করবে , তা নির্ভর করবে তার বিশ্বাসের গভিরতা অনুযায়ী ও পরকালে কে কোন গ্রেড পেতে চায় তার উপরে।
@ফারুক,
🙂
সেই পুরনো কথা। যেদিন আমাকে দেখাতে পারবেন যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানেরা আসলেই মনে প্রানে বিশ্বাস করে যে ধর্ম জোর জবরদস্তি নেই এবং তা মানে তাহলেই আপনার কথা মেনে নেব।
আপনি কোরানের দুয়েক আয়াত দেখাবেন, আর বড় বড় আলেমেরা অন্য আয়াত দেখিয়ে তফসীর দেবেন, আর দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকবেন তাতো হয় না।
নামাজ রোজা না করার জন্য পরকালে কোন শাস্তির ভয় নেই? ছোটবেলা থেকে কিসব দোজখে পোড়ার হিসেব শুনে এসেছি সবই ভুল? ফুয়াদ ভাই এর ফিডব্যাকও এখানে পেলে ভাল হত। আপনাদের দুজনের ঐক্যমত হয় কিনা দেখি।
দেশে এক হাইকোর্ট জোর করে বোরখা পরানো যাবে না এই রায় দেওয়াতেই কত জনে ইসলাম গেল বলে ব্লগ পত্রপত্রিকা কাঁপাচ্ছেন তাতো ভালই জানেন। তাদের সাথে তর্কে নামতে তো আপনাকে মনে হয় না পাশে পাই বলে।
@ফারুক,
এটা কি নির্ভর করছেনা বাধ্যবাধকতা বলতে কি বোঝানো হচ্ছে তার উপর? আমার ধারণা ছিল আপনার উদ্ধৃত আয়াতের অর্থ (বড়জোর) হতে পারে যে এক মানুষ অন্য মানুষের উপর ধর্মের ব্যাপারে জবরদস্তি করতে পারবেনা। কিন্তু তার মানে কি এই যে “ধর্মীয়” বা “ঐশ্বরিক” বাধ্যবাধকতা নেই? “ফরজ কাজ” এর কি অর্থ তাহলে অবশিষ্ট থাকে? মূল প্রবন্ধ কিন্তু ধর্মীয়/ঐশ্বরিক দায়িত্ব নিয়ে লিখিত, মানুষ সেটা আইন করে বলবৎ করবে কিনা সে বিষয়ে নয়।
@আদিল মাহমুদ, @ফুয়াদ,
বুঝতে পারছি আপনাদের দুজনেরই ধৈর্য অনেক। উদাহরন সহকারে strong>’সামর্থ্য’ শব্দটির এতো চুল চেরা বিশ্লেষন আগে কখনও পড়েছি বলে মনে পড়ে না।
ফুয়াদ ভাই,
এখানে সমস্যা হচ্ছে ‘এত আলোচনার পরেও’ সামর্থ্য বলতে আল্লাহ ঠিক কি বুঝাতে চেয়েছেন তা অনেকের কাছেই স্পষ্ঠ নয়। বিষয়টা মোটেও ক্লীয়ার নয়, একদম ক্লীয়ার তো নয়ই।
যে শব্দের মানে একেক জনের কাছে একেক রকম এবং তাকে “specify” করার মত অন্য কোন explanation দেয়া হয় নাই, যার যার স্বাধিন ইছার উপর তার ‘অর্থ’ নির্ভর করবে – তা যদি নফল (optional) হতো তাতে কোন জটিলতা থাকতো না। কিন্তু প্যাঁচ টা লাগছে তখনই যখন এটাকে ‘ফরজ (অবশ্য কর্তব্য) (৫ টি পিলারে একটি) বলে ফরমান জারি হয়েছে – যার সরল মানে ‘স্বাধিন ইচ্ছার’ কোনই মূল্য এখানে নাই।
এবার নিজেরই একটা গল্প বলি। আমার বাবা ও মা দুজনই প্রচন্ড ধর্মিক মানুষ। অধিকাংশ মানুষের মতই ধর্ম সম্ভদ্ধে পড়াশুনার পরিধি মসজিদের ইমাম সাহেবের বক্তৃতা, বাবার তাবলীগি কিতাব- ফাজায়েলে ‘কুরাণ, নামাজ—‘, মকছুদুল মোমেনিন আর আরবী কুরাণ (যা বছরে একবার অন্ততঃ খতম করেন)। ছোট বেলা থেকেই দেখেছি বাবার ‘হ্ব্জে’ যাবার প্রচন্ড ইচ্ছা, বেশ কয়েকবার তিনি স্বপ্নে ‘মক্কা মোয়াজ্জেম’ দেখেছেন। আমার মায়ের ও সেই একই ইচ্ছা কিন্তু বলতে পারেন না। মাঝে মাঝে মার মুখ ফষ্কে তা প্রকাশ পায়। কিন্তু সমস্যা হলো তাদের হ্ব্জে যাবার আর্থিক সামর্থ্য নাই, অধিকংশ বাংলাদেশী মুস্ললির মত। আমার পড়াশুনার পিছনে তাঁরা অনেক টাকা পয়সা খরচ করেছেন, তাই তেমন কোন সন্চয় রাখতে পারেন নাই। আমি পাশ করে যখন বিদেশে চাকুরি নিলাম, বেশ মোটা অংকের মাইনে (বাংলাদেশীদের তুলনায়) আমাদের
প্রতিবেশি এবং বাবার বন্ধু-বান্ধব বাবাকে হ্বজে যাবার পরামর্শ দিলেন। যেহেতু ছেলে বিদেশে চাকুরি করে টাকা পাঠাচ্ছে, একান্নবর্তি পরিবার এবং আমার বাবা ই এ পরিবারের প্রধান – সেহেতু এখন তার ‘সামর্থ্য’ হয়েছে এবং হ্বজ এখন তার জন্য ফরজ। আমাদের গ্রামের এক অল্প শিক্ষিত মৌলানা ও বাবাকে একই ভাবে বুঝালেন। বাবার বিশ্বাস পাকা পোক্ত হলোঃ “হ্ব্জে যাবার সামর্থ্য” তার আছে, হ্বজ তাঁর জন্য অবশ্য কর্তব্য। যদিও আমাদের বিভাগীয় শহরের অন্যান্য আরো অনেক মৌলানা তাঁকে স্পষ্ঠভাবে জানালেন যে “সামর্থ্য” বলতে আল্লাহ পাক হ্বজ পালন কারীর নিজস্ব (উপার্জন অথবা পারিবারিক/বৈবাহিক সুত্রে) সামর্থ্যকেই বুঝায়েছেন, ছেলের সামর্থ্যকে নয়। তারা তাঁকে এটাও বল্লেন যে যদি ছেলে তার হ্ব্জের খরচ দিতে রাজি থাকে তাহলে কোন অসুবিধা নাই। কিন্ত বাবার দৃঢ় বিশ্বাস প্রথমোক্ত মৌলানার বিশ্লেষনই সঠিক। আমি আপনার বক্তব্য সামর্থ্য একেক জনের কাছে একেক রকম মনে হতে পারে এর সাথে একমত। আমার বাবার বিশ্বাস মতে তাঁর জন্য হ্ব্জ ফরজ এবং তার ‘স্বাধীন ইচ্ছা’ প্রচন্ড, তার শৈশব কাল থেকেই। আপনার বক্তব্য মতে ‘সত্যিই তার জন্য হ্ব্জ ফরজ’, যা কিনা উপরিউক্ত মৌলানাদের বক্তব্যের পরিপন্থি। এই উদাহরন থেকেও যে ব্যাপার টা “ক্লিয়ার” তা হলো বিষয় টা আদৌ “ক্লিয়ার” নয়। আর মহাজ্ঞানী আল্লাহ যদি অবশ্য কর্তব্য ‘বিষয়টাকে ধুয়াটে’ রেখে মানুষের ইচ্ছা বা বিবেচনার র উপর ছেড়ে দিয়ে শাস্তির (ফরজের বরখেলাপ) বিধান রাখেন তবে সেটা প্রশ্নের উদ্রেক করবেই। আমার বিশ্বাসী বাবার মনোকষ্ট লাঘবে বাবাকে হ্ব্জের খরচ দিয়েছিলাম মাকে তাঁর সাথে নিয়ে যাবার শর্তে। তাঁরা দুজনই তা সমাধা করেছেন ১৯৯৯ সালে। এ রকম আরো বহু উদাহরণ ই আমাদের সমাজে পাওযা যাবে।
ভবঘুরে বহু আয়াত দিয়ে দেখিয়েছেন যে ‘শাস্ত্র’ মতে ‘হ্বজ’ হচ্ছে প্রত্যেক শারিরীকভাবে সুস্হ মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয় । শারিরীকভাবে অসুস্হ হলে তার জন্য এটা ফরজ নয়, সেক্ষেত্রে অন্য কোন মুসলমান তার ‘proxy’ হয়ে তা করতে পারে। এটা তখনি সম্ভব যদি তা প্রযোয্য হয় মক্কা এবং তার আশে পাশের লোকের জন্য। শত
শত বা হাজার হাজার মাইল দূরবর্তী প্রত্যেক সুস্হ (সামর্থ্যবান) মুসমানের বিষয় মাথায় থাকলে এমন একটা “অবশ্য পালনীয়” বিধান কেন করা হয়েছে সেটাই হলো এ প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয়।
আদিল ভাই,
আপনি অনেক উদাহরন দিয়ে এটা স্পষ্ঠ করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে শুধুমাত্র ‘সামর্থ্য’ শব্দ দিয়ে বিষয়টা মোটেও স্পষ্ঠ হয় না। মুক্ত মনার পাঠকরা জ্ঞানী, তারা যার যার মত করে ‘বিষয়টা’ বুঝে নিয়েছেন।
আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
@Golap এবং আদিল মাহমুদ ভাই,
আমি যা বুঝতেছি, সেটাতে সামর্থ্যবান বলতে আপনার বাবার সিদ্ধান্তই। এখন, তিনি যদি আপনার সম্পত্তিকে উনার নিজের সম্পত্তি মনে করে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন। আর উনি আপনার সম্পত্তিকে নিজের সম্পত্তি ভাবায়, ইসলাম কোন দোষ দেখে না। বরং আপনার সম্পত্তিতে তার অধিকার বর্তমান।
আপনার বাবা নিজেকে সামর্থ্যবান মনে করলে আপনার কিছু করার নেই। যদি আপনি তাকে টাকা না দেন, তাহলে আপনার বাবার কিছু করার নেই। সেক্ষেত্রে আপনার বাবা অসামর্থ্য বান বলে বিবেচিত হবেন। এখানে ভিন্ন মতামত এবং যুক্তি তর্কের দড়জা খোলা, অপরচুনিটি কষ্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনার বাবা আপনাকে খুশি করতে চাইলে হজ্বে যেতে পারবেন না। আবার আল্লাহ পাক কে খুশি করতে চাইলে যেতে হবে। আপনার বাবা ২য় পন্থা চুজ করেছেন “কষ্ট হিসাবে আপনার খুশি ত্যাগ করেছেন”। আয়াতের নিচেই এই অংশ আছেঃ
তারপর ও সামর্থ্যের স্কেল দাড় করাতে চাইলে সেটাও করা যাবে, কিন্তু সেটা করা কি ঠিক হবে ? আল্লাহ পাক একবার বনী-ইসরাঈলকে গরু কুরবানী দিতে বলে ছিলেন।তারা বলা শুরু করল, গরু কেমন হবে? এর রঙ কি রকম হবে ইত্যাদি? আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে একের পর এক জবাব দেওয়া হয়েছে। শেষে এমন এক গরু পাওয়া গেল যেটি একটি ই আছে, তা ও আবার এক বিধবা মহিলার। সে দ্বাবী করে বসল এই গরুর জন্য তাকে স্বর্ন দিতে হবে(পরিমানটা বিশাল, আমি ভুলে গেছি)। বাধ্য হয়ে বনী ইসরাঈল সেই দামী কাজটাই করতে হয়ে ছিল। কিন্তু প্রথমেই যদি প্রশ্ন না করে একটি গরু কুরবানী দিয়ে দিত, তাহলেই কুরবানী শেষ।
আপনি চাইলে এই সামর্থ্য শব্দের ও একযাক্ট সীমানা তৈরি করা যাবে, সে ক্ষেত্রে আল কুরান যদি ল্যাগিস্লেশন হয়, হাদিস কে কেইস ল এর মত ব্যাবহার করতে হবে। হাদিসে না পাওয়া গেলে, আমরা যেতে পারি সাহাবীদের জীবনিতে, তারপর আছে তাবেয়ীন তার পর আমাদের বহু স্কলার আছেন, তাদের বক্তব্য কিংবা বিচারকের সিদ্ধান্ত মতে এর সীমানা নির্মান করা যাবে। “ইজমা” এর দড়জা এখনো খোলা, আমরা চাইলেই এই ইজমা ব্যাবহার করতে পারব, এবং এর একদম সীমানা তৈরি করে ফেলতে পারব। ইনশা-আল্লাহ।
কিন্তু রাসূল সাঃ এর হুকুম অনুষারে আমি মনে করি ধর্মকে কঠিন করা উচিত নয়। সেই ছোট বেলা থেকে এই প্রিন্সিপাল মেইন্টেইন করে আসছি। যদি আপনারা সামর্থ্য শব্দের সীমানা নির্মান করতে যান, তাহলে আর কেউ না করুক, আমার থেকে প্রচন্ড বাধার মুখি হবেন, আমি এই শব্দের অর্থ্যের ব্যাপারটা মানুষের ভাগ্যের উপর তার সময় এবং সিচুয়েশনের উপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতি। কিন্তু আপনাদের যে কোন মত আমি সম্মান করি।
আমি আমার “মাথা” অন্য কাউরো কাছে ধার দিয়ে রাখি নাই, আমি পড়ি, আমি শিখি আর সে অনুযায়ী আমল করি। সর্বশেষে “সামর্থ্য” শব্দকে স্পেসিফাই না করে, আল্লাহ পাক তার দ্বীন কে পালন করা সহজ করে দিয়েছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
@Golap,
আপনি অন্তত আমার সমস্যা সঠিকভাবে ধরতে পেরেছেন, যা ফুয়াদ এবং ফারুক ভাই ধরতে পারেননি। অবশ্য ফারুক ভাই এক্ষেত্রে বেশ ব্যাতিক্রম, কারন উনি মনে করেন যে ইসলামে জোরাজুরির কিছুই নেই, ইচ্ছে হলে মানলেন নয়ত নয়। এই যুক্তি্র আওতায় নামাজ, রোজা, যাকাত সবই পড়ার কথা। বলাই বাহুল্য এসব উদার কথাবার্তার জন্য ওনাকে বহু হুজ্জত পোহাতে হয়।
আমি কিছুতেই বুঝি না যা ব্যাক্তি বিবেচনা বা ইচ্ছের উপর নির্ভর করে তা কিভাবে আবশ্যিক বা কম্পালসারি হয়। সাধারন ভাবে ফরজ না বলে পরিষ্কার করে কেন বলে দেওয়া হল না যে “যে নিজেকে সমর্থ মনে করবে সে যেতে পারে”। আমার কাছে নামাজ রোজা যেমন ফরজ সেই একই ক্যাটাগরীতে হজ্বও ফরজ বলেই মনে হয়। নামাজ রোজার ক্ষেত্রেও শারীরিক সামর্থ্য ভেদে কিছু ছাড়ের ব্যাবস্থা আছে, তেমনি হজ্বের ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্য অতিরিক্ত ছাড় হিসেবে আছে। নামাজ রোজা ফরজ এবং হজ্বের ফরযের মাঝে এই আর্থিক সামর্থ্যের ছাড় ছাড়া আমি তো আর তফাত দেখি না। বলাই বাহুল্য, এই আর্থিক সামর্থ্যের ছাড় খুবই ধোঁয়াটে। ফুয়াদ ভাই এটাকে ব্যাক্তিগত মর্জির উপর ছেড়ে দিয়েছেন, যা আমার বিবেচনায় ফরজের মূল চেতনার সাথে খাপ খায় না। যাকাতের ক্ষেত্রে তেমন ব্যাক্তিগত বিবেচনার অপশন কেন রাখা হয়নি?
ভবঘুরের সূস্থ/অসূস্থ পয়েন্ট আমার কাছে পুরো অযৌক্তিক মনে না হলেও অনাবশ্যক মনে হয়েছে যা মূল পয়েন্টেকে কিছুটা হলেও বিচ্যূত করেছে।
আসলে সামগ্রিকভাবেই সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে দেখতে গেলে ধর্মগ্রন্থের যাবতীয় রিচ্যুয়াল গুলি নিয়ে এ ধরনের ভয়াবহ অষ্পষ্টতা আছে। এমনকি অতি পরিচিত নামাজ রোজা বলতে কি বোঝায় তা নিয়েও কনফিউশন আছে। এগুলি পারিবারিকভাবে মানুষ যেভাবে পায় সেভাবেই পালন করে আসে, মাইন্ডসেটই এমন ভাবেই প্রোগ্রামড থাকে।
@আদিল মাহমুদ,
যাকাতের ক্ষেত্রেও কোরানে ব্যাক্তিগত অপশন-ই রাখা হয়েছে। সম্পদের ২.৫% যাকাত দেয়ার কথা যেটা জানেন , তা কিন্তু কোরানের কোথাও লেখা নেই। যেটা বলা হয়েছে তা হলো , অতিরিক্ত সম্পদ দান করতে। আপনার সম্পদের কতটুকু আপনার কাছে অতিরিক্ত মনে হবে , তা আপনিই ঠিক করবেন।
@Golap,
ভাইজান , আমার লেখাটার মূল বিষয়টা এটাই। আপনি যথার্থ ধরতে পেরেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
@আদিল মাহমুদ,
আদিল ভাই, আমি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করি।
=> হজ্ব একটি ফরজ ইবাদত।
=> হজ্ব করতে হলে সামর্থ্য দরকার। (সে সামর্থ্য বিভিন্ন রকম হতে পারে, এব্যাপারে কোন স্কেল দার করানো যাবে না, কারন প্রত্যেকটি মানুষের সমস্যা অসহায়ত্ব ভিন্ন)
=> এই সামর্থ্যটাকে আমি ব্যাক্তি পর্যায়ে বলেছি, কে কখন নিজেকে সামর্থ্যবাদ মনে করবে সেটা তার নিজের ব্যাপার অথবা তার নিকটবর্তি কোন মানুষ যদি থাকে বা আলিম যদি থাকে, যে তার পরিস্থিতি সত্যিকার ভাবে জানে সেই শুধু তাকে পড়ামর্শ দিতে পারবে।
আপনার উদাহারনে আসিঃ
মনে করেন, কাউরো ৩০ কোটি টাকা আছে কিন্তু তার ঘরে তার মা প্রচন্ড রকমের অসুস্থ। তাহলে তার দৃষ্ঠিতে সে নিজেকে অসমর্থ্য ভাবতে পারে। আমার মনে হয়, আপনি “অপর্চুনিটি কষ্ট” বিষয় টি বুঝেন। কে কোনটা চুজ করবে সেটা তার নিজের উপর ই নির্ভর করছে। ৩০ কোটি টাকা আছে, তা দিয়ে সে সহজেই মক্কায় যেতে পারবে, কিন্তু গেলে তার মা বিপদে পরতে পারে। আবার ৩ লক্ষ টাকার অধিকারি কোন ক্রমে মক্কার নিকট, তাহলে তো তার সামর্থ্য আছে। একেক মানুষের পজিসন ভিন্ন। এখানে কাউরো কিছু বলার নেই। কে কোনটা ছেড়ে কোনটা নিবে, এটা তার নিজের বিষয়। এটা আল্লাহ পাক এবং তার নিজের মধ্যে ভালবাসার বিষয়। যে আল্লাহ পাক কে ভালবাসে, সে তার এক টাকা হলেও তার এই নিয়ত থাকবে, আমি একদিন হজ্ব করতে যাবই যাব।
আমি বলি প্রথমেই আপনাদের লেখক কি ভুল করেছেন। তিনি ভুল করেছেন যাকাতের সাথে হজ্বের তুলনা করে। যাকাত আর্থিক ইবাদত। এটা রাষ্ট্রীয় ভাবে ইনকাম ট্যাক্স এর মত রাষ্ট্র্রর এটি আদায় করার অনুমতি আছে। যেহেতু এখানে রাষ্ঠ্র জড়িত, সেহেতু এটি কোথায় খরচ করতে হবে, কোথায় থেকে আদায় করতে হবে, সব কিছু সুনির্দিষ্ঠ। না-হলে দেখা গেল আপনি জাকাত আদায় করে নিজেই খেয়ে ফেললেন, অতি সাধারন হিসাব। (সব আল্লাহ পাক ভাল জানেন)
কিন্তু “হজ্ব” এখানে রাষ্ঠ্রের কোন মাথা ব্যাথা থাকতে পারে না। এটা কে আদায় করবে, কখন নিজেকে যোগ্য মনে করবে সেটা তার নিজের পারিপার্শিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।
হজ্বে কি বলা হয় দেখেনঃ
কে হাজির থাকবে আর কে থাকবে না, সেটা তার নিজের বিষয়। তাকে তার মত থাকতে দেন। আমার দাদা হজ্বে এক ব্যাক্তিকে পেয়েছিলেন, তার কাপড় পনের কি বিশ ছিড়া সেলাই করা। কিন্তু তবুও সে হজ্ব গিয়েছে, তবুও সে হাজির হয়েছে। কে কোনটা ছেড়ে কোনটা নিবে, সেটা তার নিজের ব্যাপার।
@ফুয়াদ,
সুন্দর যুক্তি। চিন্তার খোরাক আছে। তার মানে দাড়ালো হজ্জ হচ্ছে ঐচ্ছিক যদিও আপনি কোরান হাদিসের কোন সূত্র থেকে পরিস্কার ভাবে তা তুলে ধরতে পারেন নি। অথচ বার বার নানা সূরাতে কিন্তু পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে প্রতিটি সুস্থ ও শারীরিক ভাবে সামর্থবান ব্যক্তির জন্য হজ্জ আবশ্যক। এমন কি হাদিসেও তা উদাহরন সহকারে বলা হয়েছে। অথচ আপনি আপনার নিজস্ব মতামত হিসাবে হজ্জকে ঐচ্ছিক বলছেন। যুক্তির খাতিরে আপনার বক্তব্য সঠিক ধরে নিলাম। তাহলে অন্য যে ফরজ কাজ গুলো যেমন- ইমান, নামাজ, রোজা – এগুলোও কি ঐচ্ছিক? এ ব্যপারে আপনার সুস্পষ্ট মন্তব্য পেলে বড়ই উপকার হয় আমাদের মতো বিপথগামী মানুষের জন্য। প্লিজ, আমাদেরকে একটু হেদায়েত করবেন। বি:দ্র: ফরজ মানেই হলো আবশ্যিক বা বাধ্যতামূলক। ইংরেজীতে যাকে বলে compulsory.
পরিশেষে, আমার প্রবন্ধের মূল বিষয় অন্য সবাই ধরতে পারলেও আপনি কেন এত ত্যানা প্যাচাইলেন তা বুঝলাম না। আমি নিজেও বিষয়টা পরে পরিস্কার করেছি, আর আমাদের Golap ভাই তার মন্তব্যে আরও পরিস্কার করে নিবন্ধের মূল বিষয়টি ব্যখ্যা করেছেন।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
@ফুয়াদ,
যাক, আপনার ব্যাখ্যা পাওয়া গেল। আপনার কথা থেকে এবার পুরোই নিশ্চিত হলাম যে হজ্ব আসলে নফল ইবাদত (কারন তা ব্যাক্তির ইচ্ছে বা বিবেচনার উপর নির্ভর করে)।
তবে এবার আপনি আবারো গোল বাধালেন প্রথমেই
এই বাক্যটি বলে।
অনেকেরই ভুল ধারনা আছে যে হজ্ব শারীরিক বা আর্থিক সামর্থ্য সম্পন্ন মানুষের জন্য ফরজ হয়ে যায়, আশা করি তাদেরও সংশোধন করবেন। বলবেন যে আর্থিক সামর্থ্য থাকলেও ফরজ নয় যতক্ষন না নিজে মনে কর যে তোমার সামর্থ্য হয়েছে।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি কি আমার সাথে খেলা করতেছেন ? যদি না করে থাকেন তাহলে ভাল ভাবে ক্লিয়ার করি। আমি কখনই মনে করি না, হজ্ব একটি নফল ইবাদত। হজ্ব একটি ফরজ ইবাদত। কিন্তু কে কখন নিজেকে যোগ্য হিসাবে পাবে, সেটি সে ব্যাক্তি নিজেই সবচেয়ে ভাল বুঝবে(এবং আল্লাহ পাক), কারন অন্য কারো পক্ষে(আল্লাহ পাক ছাড়া) তার সমস্যার জগতে একসেস পাওয়া সম্ভব নয়। আশা করি ক্লিয়ার হয়েছেন, উপরে গল্প ভাইকে লিখা উত্তরটি দেখুন। আর যদি মষ্করা করে থাকেন, তাহলে দেখা হবে শেষ বিচারে। আল্লাহ পাক আপনাকে ভাল করুন।
@ফুয়াদ,
না ভাই, আমার আপনার সাথে খেলা করার মত দূঃসাহস নেই 🙂 । স্বাভাবিক কথা বললেই যেভাবে খেপে ওঠেন আর খেলা করলে কি করবেন কে জানে 😀 ।
আমি আপনার কথাই মেনে নিয়েছি, হজ্ব হল ফরজ ইবাদত; তবে সেই ফরজ আবার ব্যাক্তির বিবেচনার উপর নির্ভর করবে।
নফল নামাজকেও এই হিসেবে ফরজ ইবাদত বলেই গন্য করা যেতে পারে, কি বলেন? কারন এটাও তো ব্যাক্তি বিবেচনার উপরই নির্ভর করে। যাক, এই প্রসংগ এখানেই ইতি টানা ভাল।
@ফুয়াদ,
আপনার বক্তব্যের যে অংশটুকু বুঝলাম তা হলোঃ
সেটাতো আমি নিজেই লিখেছিলাম, “আপনার বক্তব্য মতে ‘সত্যিই তার জন্য হ্ব্জ ফরজ’, যা কিনা উপরিউক্ত মৌলানাদের বক্তব্যের পরিপন্থি”। । আপনি “সামর্থ্য” বিষয় টাকে হ্বজ পালনকারী স্বাধীন ইচ্ছার উপর ই ছেড়ে দিয়েছেন। যে যেমন ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই তার জন্য সঠিক।
কিন্তু আপনি আপনার জবাবের পরবর্তী অংশ গুলোতে ঠিক কি বুঝা্তে চাচ্ছেন তা ঠিক স্পষ্ঠ হয়নি। যেমন
হঠাৎ করে গরুর প্রসঙ্গ কেন আসলো বুঝতে পারলাম না।
এতে মনে হচ্ছিল “সামর্থের” বিষয়টা Specify করা যাবে। পরক্ষনেই
সর্বশেষে “সামর্থ্য” শব্দকে স্পেসিফাই না করে, আল্লাহ পাক তার দ্বীন কে পালন করা সহজ করে দিয়েছেন।
যদি আপনারা সামর্থ্য শব্দের সীমানা নির্মান করতে যান, তাহলে আর কেউ না করুক, আমার থেকে প্রচন্ড বাধার মুখি হবেন, আমি এই শব্দের অর্থ্যের ব্যাপারটা মানুষের ভাগ্যের উপর তার সময় এবং সিচুয়েশনের উপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতি।
আপনার উদ্ধিৃতিঃ
আল্লাহ সারা বিশ্বের কোন কিছুরই পরোয়া করেন না (৩:৯৭)
@ফুয়াদ,
দারুন বলেছেন। এরপরেও সামর্থ্য নিয়ে ত্যানা প্যাচানো ছাড়া না বোঝার কিছু দেখি না।
@ফারুক, :yes:
@ফুয়াদ,
একদম সত্যি কথা বলেছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাকেরও আপনার আমার এই ব্যাক্তিগত ইচ্ছা নিয়ে কিছু বলার নাই। নিশ্চয়ই সে ক্ষেত্রে আমি সামর্থবান ব্যক্তি হয়ে হজে যাব কি যাব না সে বিষয়ে ধর্মের বাধ্যবাধকতা জারি করার কোন অধিকারই নেই- আসলে তা উচিৎই নয়, কারন মানুষের ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ মূল্য দিলে ধর্মের এই উটকো নিয়ম কানুন জারি করার অধীকার কখনই থাকেনা।
আপনারা ধর্ম বিশ্বাসটাকে যদি সবসময় এ রকম শুধুই এক ব্যক্তিগত বিশ্বাস বলে ভাবতে পারতেন তবে কোন সমস্যাই আর থাকত না।
@মিঠুন,
বিষয়টা হলো – যখন শক্ত যুক্তির পাল্লায় পড়ে তখন এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে একটা প্রলেপ দিয়ে বিষয়টি চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি কিন্তু ইসলাম অনুমোদনও দেয়। এমন কি পরিস্থিতি সাপেক্ষে একজন নিজেকে কাফের মুরতাদ বলেও ঘোষণা দিতে পারে আর তা ইসলাম অনুসারে বৈধ। এ প্রক্রিয়ার নাম তাকিয়া বা Taqiya।পরিস্থিতি অনুকুল হলেই আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে। আবার সেই মার মার , কাট কাট অবস্থা। আসলে ইসলামের বিধি বিধান ভাল করে না পড়লে বোঝাই যায় না কোন বিষয়ে মোল্লারা সাধারন মানুষকে ভুল পথে চালিত করছে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
@ভবঘুরে,
জনাব ভবঘুরে সাহেব,
আপনি বলেছেন ঃ
অথচ রৌরব বলেছেনঃ
আদিল ভাই বলেছেনঃ
আপনি কৌশলে এই
আয়াত পাশ কাটিয়ে গিয়ে ইচ্ছা মত বকে গেছেন, আর আমি প্রতিবাদ করেছি, আর তাই আপনার মনে হয়েছে আমি ত্যানা পেছিয়েছি।
আপনার মত প্রফেশনাল বিদ্দেষবাদের মুখে বহু রকম কথা শোভা পায়। আপনি নিজে ইশ্বর বিশ্বাসী হয়ে মুসলিমদের আক্রমন করেন যেখানে এই মুক্তমনায় অনেক সময় সয়ং ঈশ্বরকে আক্রমন করা হয়। আপনার আচরন আর একের পর এক ইসলাম বিদ্দেষী লেখা দেখে বুঝার বাকি নেই, আপনি আসলে কোন চিজদের লোক। এটা কোন নুতুন বিষয় নয় যে যেকোন মূল্যে আপনারা আক্রমন করবেন। হাদিস থেকে জানতে পারি একটি সময় ৮২ বেটেলিয়ান থেকে এক যুগে মুসলিমদের আক্রমন করা হবে। তাই, এ সব আক্রমন আমার নিকট অস্বাভাবিক নয়।
@মিঠুন ভাই,
আমি যদি ভুল করে না থাকি তাহলে মনে হয় আমার লেখার এই অংশ দেখেন নিঃ
@মিঠুন,
ফুয়াদ ভাই, আমি আপনার সাথে সামর্থ নিয়ে কোন তর্ক করব না। আমি আপনাকে যে বিষয়টি পরিস্কার করতে চাচ্ছি তা হল ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে অন্যের উপর না চাপানো বা চাপানোর চেস্টা না করার প্রয়োজনীয়তা। আপনি নিজেই বলেছেন যে হজ্ব একটা ব্যাক্তিগত ব্যপার। আমি জানিনা আপনি ধর্মটাকেও ব্যাক্তিগত ব্যাপার মনে করেন কিনা। কিন্তু আমি মনে করি। দেখুন আপনি কি বলেছেন-
আমার কথা হল আমি কখনও আমার নিজের বিশ্বাসকে অন্যের উপর চাপানোর চেস্টা করি না। যেমন ধরুন কলম পায়ে লাগলে পাপ হয়, তাই তৎক্ষনাৎ কলমকে সালাম করি- এটা আমার একটা ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের মত। কিন্তু আমার এথিকস বলে যে এই একই কাজ আমার সন্তানদের করতে বাধ্য করা আমার উচৎ নয়। বাধ্য করা তো প্রচন্ড খারাপ ব্যপার হবে, এমন কি সামান্যতম অনুরোধ করাও আমার অনুচিৎ হবে। কারন ব্যক্তিগত বিশ্বাসের থেকে ব্যাক্তি স্বাধীনতার মূল্য আমার কাছে অনেক বড়। তাই আমি আমার বিশ্বাসের পক্ষে কারো কাছে সাফাই গাইনা বা কারো কাছ থেকে পরামর্শেরও ধার ধারি না। এই ব্যপারটিই খারাপ মনে হয় আমার কাছে।
আপনার কাছে আমার প্রশ্ন ইসলাম ধর্মে মুসলমানদের পাচটি ফরজ কাজ কর্তব্য ঘোষনা দেয়ার সময় স্বয়ং আল্লাহ মানুষের এই ব্যাক্তিগত স্বাধীনতার কতটুকু মূল্য দিয়েছেন? পাচটি ফরজের কথা বাদই দিলাম। ১৪০০ বছর আগে পৃথিবীতে ইসলাম ধর্ম পাঠিয়ে তিনি কি আসলে ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে ব্যাক্তি স্বাধীনতার উপরে স্থান দেননি? যদি বলেন যে না দেননি, তবে আমি বলব-যদি তিনি চাইতেন ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে সম্মান করতে তবে তবে ইসলাম নামক একটি ধর্মবিশ্বাসকে মানবজাতির জন্য কখনই পাঠাতে পারতেন না। যখনই একটি বিশ্বাসকে তিনি ধর্মের মোড়কে মানবজাতির জন্য পাঠালেন আসলে তখনই তিনি মানবের ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিলেন।
@ফুয়াদ,
:yes:
এরকম করে সবাই ভাবতে পারলে আর কোনো গিয়ানজামই থাকতো না। ধর্মের ভিত্তি ধরে তুলোধুনো করার লোকজনও কমে আসত।
@ফুয়াদ,
আপনি বলতে চাইছেন সামর্থের উপলব্ধিটা যার যার ব্যাপার। অর্থাৎ আমার যদি মনে হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পূর্বে আমি হজ্জ করার সামর্থ অর্জন করব না তা হলে সেটাই ঠিক? যেমন আপনার কোন আত্মীয় নিজেকে সামর্থহীন মনে করেছেন। তার মানে আমি যদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী না হতে পারি আর সেই হেতু হজ্জ পালন করতে না পারি তাহলে কিয়ামতে আমাকে হজ্জ পালন না করার জন্য জবাবদিহি করতে হবে না?
@ইমতিয়াজ,
কথা প্যাচাইবার সার্থে যে আপনি উপরের মন্তব্যটুকু করেছেন তা বুঝতে পারছি। এখানে হজ্ব ফরজ ইবাদত। কিন্তু সেই ইবাদত করার জন্য আমি বা অন্য কেউ আপনাকে বাধ্য করার অধিকার রাখি না। এখন, যদি আপনি মনে করেন, আপনি বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী না হয়ে হজ্ব যাবার সামর্থ্য বান নন। সে ক্ষেত্রে আমি কি বলব? এটা আপনার আর আল্লাহ পাকের ব্যাপার। আপনি মন থেকে ভাল করেই জানেন, মক্কায় যেতে পারবেন কি না? এই সহজ বিষয়কে প্যাচানোর কোন মানে দেখি না। অবিশ্বাসী নাস্তিরাও তো হজ্বে যায় না, সেক্ষেত্রে আমার কি? সে তার ফরজ ইবাদত পালন করবে কি না, সেটা তার ব্যাপার। সে ভাল করেই জানে “কখন যেতে পারবে আর কখন পারবে না”। কেউ যদি মিশর ঘুরতে যেতে পারে, তাহলে হজ্বেও যেতে পারবে যেহেতু সে মিশর যেতে পারতেছে। এখন, সে যদি ছুতা ধরে বসে থাকে আমি মক্কায় যাবার মত সামর্থ্যবান নই। ধরতে পারে। তারে কে না করছে। মিশর ঘুরতে যেতে পারে, লন্ডনে পারে, প্যারিসে পারে কিন্তু শুধুই মক্কায় ই পারে না। অবাক করার মত বিষয়। এটা তার এবং আল্লাহর প্রতি তার ভালবাসার ব্যাপার। এখানে যদি আল্লাহর প্রতি ভালবাসা না-ই থাকে, তাহলে অনেক কিছু বলতে পারবেন।
এখন মনে করুন, সৌদিতে এক আইন করল, যে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী ছাড়া আর কেউ সোদিতে ঢুকতে পারবে না। তাহলে আপনার বর্ণীত গল্পে “সামর্থ্য নেই” শব্দটি প্রয়োগ যোগ্য। ঘটনা অনেক কিছুই হতে পারে, যা আপনি জানেন আর আল্লাহ পাক জানেন। অতএব, আপনি মনে মনে বিশ্বাস করলেন “যেতে পারবেন”, উপর ছুতা ধরে বসে থাকলেন “পারবেন না”, সেই ক্ষেত্রে আল্লাহ পাকের নিকট আপনি কি জবাব দিবেন সেটা আপনার বিষয়। ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ,
জ্বী, আমি ‘কথা পেঁচাইবার’ স্বার্থেই উপরোক্ত মন্তব্যটি করেছি। আপনিও কি দীর্ঘ সময় ধরে কম পেঁচালেন? সামর্থ শব্দটিকে আপনি নানা প্যাঁচে পেঁচিয়ে ব্যখ্যা দেননি? আপনি যেমন আপনার এক আত্মীয়ের উদাহরন দিয়ে বললেন মেয়েদের বিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত তিনি নিজেকে সামর্থবান মনে করেন নি; তেমনি সামর্থ শব্দটির কৌরানিক অর্থ ভবিষ্যতে আরও শাখা প্রশাখা বিস্তার করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। যখন যেকোন স্পষ্ট অর্থবোধক বাক্যেরই নানাবিধ রূপক অর্থ বের হয়ে যায় এবং যার মনে যেমন আসে তেমন অনুবাদ করা হয়, সেখানে অস্পষ্ট কথা-বার্তার পরিণতি সহজেই অনুমেয়। আমি তেমনই একটি উদাহরন টেনেছি মাত্র।
@ফুয়াদ,
মোটেও উল্টা পাল্টা কথা না, কোরান আরবীতে রচিত, মোহাম্মদের জন্ম আরব দেশে, সুতরাং হজ নামক বিজিনেসটি আরব দেশেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিৎ।
@ব্রাইট স্মাইল,
আপনার বক্তব্য এত দুর্বল হয়ে গেল যে ? দেখেন আপা, আপনি যা খুশি দ্বাবী করতে পারবেন, কিন্তু সেটা মানতে অন্য কেউ বাধ্য নয়। কোনটা উচিত আর কোনটা উচিত নয় সে ব্যাপারে আপনার নিজস্ব মতামত থাকতে পারে, কিন্তু ঐ মত টি আপনার একান্তই নিজস্ব। ধর্ম এ মত মানতে বাধ্য নয়। আশা করি ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন।
@ফুয়াদ,
আমার বক্তব্য কখনও কি আপনার কাছে সবল ছিল? আপনার যদি সেরকম কিছু মনে হয়ে থাকে জেনে ভালই লাগছে।
আমি আমার মতামতই দিয়েছি, অন্য লোক মানলো কি মানলোনা তাতে কিছু কি যায় আসে? আপনি কি মনে করেন আমি ইলেকশনে দাড়িয়েছি অথবা কম্পিটিশনে দাড়িয়ে পুরষ্কার জিতে যাব যে অন্য লোক আমার কথা মানলো কি মানলনা তা নিয়ে আফসুসে মরে যাচ্ছি। আপনি যখন মতামত দেন তখন কি মনে করেন অন্য লোক সেটা মানতে বাধ্য থাকবে?
আপনি হাসালেন। ধর্ম আমার মতামত মেনে নিবে নাকি ধর্মের মতামত আমাদের সবাইকে মেনে নিতে বাধ্য করানো হচ্ছে, কোনটা ঠিক?
বাই দ্যা ওয়ে, আমি যে ‘আপা’ এটা কি আপনি নিশ্চিত? এ নিয়ে কি আপনার কাছে কোন ওহি নাজেল হয়েছিল? 😕