কথা হচ্ছিল একজন শিক্ষকের সাথে। তিনি ভীষণ রোজাদার মানুষ। নামাজ এক ওয়াক্তও কামাই করেন না। রমজানে ত্রিশ দিনই রোজা রাখেন। তাকে জিজ্ঞেস করলাম- এত রোজা রেখে, নামাজ পড়ে কি হবে? খামোখা এত কষ্ট করারই বা কি দরকার? তার সেই গতানুগতিক উত্তর যা আমি সবার কাছ থেকেই পেয়ে থাকি তা হলো- পরকালের রাস্তা পরিস্কার করতেই এত নামাজ রোজা. দুনিয়া তো মাত্র দুদিনের জন্য আসল জগত তো সেই পরকাল। কি অদ্ভুত কথা বার্তা! যে জগত কেউ কোন দিন দেখেনি, যাকে কোনভাবেই প্রমান করা যায় না, যার অস্তিত্ব সম্পর্কে সামান্য কোন আভাসও পাওয়া যায় না , একজন শিক্ষিত মুমিন মুসলমান বান্দার কাছে সেটাই হলো আসল জগত আর যে জগতে আমরা দিব্বি চলে ফিরে বেড়াচ্ছি, ভাল ভাবে বেচে থাকার জন্য প্রতি নিয়ত যুদ্ধ করছি সে জগত তার কাছে নিতান্তই মিথ্যা বা ফালতু। আমার মনে হয় একজন মুসলমান ও অমুসলমান এর মধ্যে এটাই সব চাইতে বড় মানসিক তফাৎ। যে কারনে একজন মুসলমান হয় ভয়াবহ রকমের অন্ধ বিশ্বাসী ও বাস্তবতা বর্জিত দৃষ্টি ভঙ্গির অধিকারী যেখানে একজন অমুসলিম হয় যুক্তিবাদী ও বাস্তব মানসিকতার অধিকারী। এ দৃষ্টি ভঙ্গীগত পার্থক্যই আসলে গড়ে দেয় মুসলমান ও অমুসলমান সমাজের আর্থ সামাজিক ভিত্তি। যেখানে মুসলমান জাতির অধিকাংশ মানুষ কল্পিত দোজখের আগুন থেকে বাচার জন্য অহরহ নামাজ রোজা হজ যাকাত এসব বাস্তব জগত বর্জিত বিষয় নিয়ে তার অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকে ঠিক তখনই অমুসলিম জাতির অধিকাংশ লোক তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য প্রানান্ত পরিশ্রম করে যায়। ফলাফলও কিন্তু বাস্তব। পরিনতিতে অমুসলিম সমাজ জ্ঞান-বিজ্ঞান, ন্যয়বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, নাগরিকদের স্বাধিনতা ও সম অধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক উন্নতি সর্ববিষয়ে মুসলমানদের চেয়ে হাজার বছরের চেয়েও বেশী অগ্রগামী। অমুসলিমরা যেখানে রকেটে চড়ে মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে, মুসলিমরা সেখানে মসজিদ আর মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পেছনে তাদের লব্ধ সম্পদ ব্যয় করে চলেছে প্রান পনে।
তার সাথে কথা আর একটু বিস্তৃত করলাম ইচ্ছে করেই। বললাম- মুসলমানরা নামাজ রোজা করে তো গরীব আর অনুন্নতই রয়ে গেল। তাহলে লাভ কি হলো?
তার সোজা উত্তর- অমুসলিমরা তাদের জ্ঞান বিজ্ঞান অর্জন করেছে কোরান রিসার্চ করে। বলা বাহুল্য, আমি অনেক্েকই দেখেছি তারা এই ইংরেজী শব্দটাই ব্যবহার করে আর সেটা হলো-রিসার্চ।
-তাই যদি হয়, তাহলে মুসলমানরা সেটা পারল না কেন ? সহজাত প্রশ্ন আমার।
-মুসলমানরা হলো নামে মুসলমান, তারা তাদের ধর্মের আমল ঠিক মতো করে না।
আমি জিজ্ঞেস করি- তাহলে এত মানুষকে দেখি রোজা রাখে, নামাজ পড়ে এরা যথার্থ মুসলমান না ? তাছাড়া অমুসলিমরা তো কোন দিনে রোজাও রাখে না , নামাজও পড়ে না, কোরান হাদিসের বিধি নিষেধও কখনো মেনে চলে না , তাহলে তারা কোন রকম আমল না করেই এত উন্নতি করে বসল কিভাবে ?
তার নিরুদ্বেগ উত্তর- এরা মুসলমান তবে নামে , কামে নয়। তাছাড়া হাদিসে বলা আছে অমুসলিমরা ইহজগতে অনেক উন্নতি করবে।
তার এ ধরনের কথা শুনে আমি হাসব নাকি কাদব তাই ঠিক করতে পারলাম না। তবে বোঝা যাচ্ছে সে নিজেই নামে মুসলমান ও বলাবাহুল্য সে ইসলাম বা কোরান বা হাদিস কি তা মোটেই জানে না। পড়ে দেখারও দরকার বোধ করেনি কোন দিন। তাই আসলে যথার্থ মুসলমান যে কারা সে সম্পর্কে তারও ধারনা পরিষ্কার নয়।
আমি আবার জিজ্ঞেস করি- তাহলে কামের মুসলমান কারা ?
তার উত্তর-যারা নবীজির আদর্শ ও উপদেশ এবং কোরান পুর্ন ভাবে মেনে চলে তারাই হলো কামের মুসলমান।
আমি একটু উস্কে দেয়ার জন্য তাকে বলি- তাই যদি হয়, তাহলে একজন মুসলমানকে ১৩/১৪ টা বিয়ে করতে হবে ও তার মধ্যে কয়েকটা আবার দুগ্ধ পোষ্য মেয়ে শিশুকে বিয়ে করতে হবে যেমন নবীজি করেছিলেন আয়শাকে তার ৬ বছর বয়েসে, যখন তখন বিয়ে করে আবার তাদেরকে তালাকও দিয়ে দিতে হবে যা নবীজি করেছিলেন, যারা মুসলমান না যদি তারা দুর্বল হয়, তাহলে তাদেরকে আতর্কিতে আক্রমন করে পুরুষ মানুষগুলোকে সব হত্যা করে তাদের যুবতী নারীদেরকে গনিমতের মাল হিসাবে ভোগ করতে হবে যা নবীজি করেছিলেন যা তিনি করেছিলেন বিনা উস্কানিতে ইহুদি অধ্যুষিত খায়বার আক্রমন করে, কেউ ব্যভিচার করলে তাকে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলতে হবে যা নবীজি করেছিলেন, দুর্বল ও অমুসলিম মম্প্রদায়ের বানিজ্য কাফেলাতে হঠাৎ করে আক্রমন করে তাদের সব সম্পদ লুঠ করে ভাগাভাগি করে নিতে হবে যা নবীজি করেছিলেন ওহুদের যুদ্ধের মাধ্যমে, কোরানের বানী অনুযায়ী একজন সাচ্চা মুসরমান স্ত্রীকে যখন তখন সামান্য কারনে তালাক দিয়ে দেবে বা তাকে মারধোর করবে, যারা মুসলমান না তাদেরকে ঘৃনা করতে হবে, পারলে তাদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই আক্রমন করে হত্যা করে ফেলতে হবে। এতগুলো কথা বলে আমি তাকে মুক্তমনা সাইটের কিছু লেখা দেখানোর চেষ্ট্ াকরলাম।
এবার তার প্রতিক্রিয়া হলো দেখার মত। সর্বপ্রথমেই বলল- আপনি ইহুদি নাসারাদের কিছু ওয়েব সাইট থেকে এসব কথা বলছেন , কোরান বা হাদিস ভাল করে পড়েন নি। ইহুদি নাসারারা বর্তমানে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, দুনিয়া থেকে ইসলাম উৎখাত করার পায়তারা করছে আর তারাই বর্তমানে নানা ওয়েব সাইট খুলে এ ধরনের অপপ্রচার করছে।
সে আরও বলল- একমাত্র ইসলামই নারীদেরকে পূর্ন মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে। তার গলায় সেই গতানুগতিক সুর।
আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করলাম- নারীকে যে বিপুল সম্মান দিয়েছে ইসলাম কোরান হাদিস ঘেটে তার কোন উদ্ধৃতি দিতে পারবেন ? তাকে আরও জিজ্ঞেস করলাম , আপনি নিজে কোরান মাতৃভাষায় পড়েছেন কখনো গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত?
এবার সে বেশ ফাপরে পড়ে গেল। বলাবাহুল্য সেও অন্য ৯৯% মুসলমানের মত কোরান মাতৃভাষায় মোটেই পড়েনি। তাই কোন উদ্ধৃতি দিতে না পেরে বলল- ইসলামে মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত লুকিয়ে আছে একথা বলেছে। এটা বলে নারীকে বিপুল সম্মান প্রদর্শন করেছে।
সাথে সাথে আমি তাকে প্রশ্ন করলাম- দুনিয়ায় এমন কোন ধর্ম আছে যেখানে সন্তানের কাছে তার মাকে অসম্মান বা অশ্রদ্ধা করতে বলা হয়েছে? শুধু সভ্য জগত কেন এমন কোন অসভ্য বা আধা সভ্য সমাজ আছে যেখানে সন্তানকে বলা হয়েছে তার মাকে অসম্মান বা অশ্রদ্ধা করতে? সকল ধর্মেই সন্তানকে বলা হয়েছে তার মা তথা পিতা মাতাকে চুড়ান্ত সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে , হিন্দু সনাতন ধর্মে তো পিতা মাতাকে দেবতা জ্ঞানে পূজো করতে বলা হয়েছে। তার মানে হিন্দু সমাজে দেখা যাচ্ছে , মুসলমানদের চাইতেও নারীদেরকে অনেক বেশী সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে বলা হয়েছে। এই যদি হয় অবস্থা সেখানে ইসলামের আর বিশেষ বিশেষত্ব কি থাকল ? আর তা ছাড়া নারী ও পুরুষের মর্যাদা নির্ধারিত হয়, মায়ের সাথে তার সন্তানের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে নয়, সেটা নির্ধারিত হয় একজন নারীর সাথে তার জীবন সঙ্গী তথা স্বামীর সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে। এ বিষয়ে কোরান হাদিস কি বলেছে সেটা পারলে বলেন।
তখন আমি তাকে কোরানের বেশ কতকগুলি বহুল প্রচলিত আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে দেখালাম যেখানে বলা হয়েছে একজন পুরুষ চারটা বিয়ে করতে পারবে, স্বামী তার স্ত্রীকে যে কোন সময় স্ত্রীর অমতেও তালাক দিতে পারবে, স্ত্রীকে সামান্য কারনে মারধর করতে পারবে, স্বাক্ষীর ক্ষেত্রে একজন পুরুষের সমান দুইজন স্ত্রী লোক, স্ত্রী হলো শস্যক্ষেত্র আর তাকে যখন খুশী ভোগ করার একচ্ছত্র অধিকার স্বামীকে দেয়া হয়েছে এসব। কিন্তু কে শোনে কার কথা, তার ঐ এক কথা আরও ভাল করে কোরান পড়ার উপদেশ যদিও সে নিজেই কখনো তা পড়েনি ভাল করে। আর বলাবাহুল্য এর পর আর কথা বাড়ে না।
এর পর সে এ বিষয়ে আর কথা বাড়াতে নিষেধ করল। বলল সে আর এ বিষয়ে কথা বলতে চায় না। এ হলো মুসলিম মানসের বাস্তব রূপ। যখন তর্কে পারবে না তখন সে নিজের পরাজয় স্বীকার না করে চুপ করে যাবে। আর বলবে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার কথা কোরানে বলা আছে , তাই সে আর এ বিষয়ে কথা বলতে চাইবে না কিন্তু তারা এটাও জানে না , ধর্ম নিয়ে জবরদস্তি না করার যে কথা কোরানে বলা হয়েছে তা মোহাম্মদ বলেছিল যখন সে মক্কাতে ভীষণ ভাবে দুর্বল ছিল, তার কোন অনুসারী ছিল না , আর তাই তার মুখ থেকে ও ধরনের শান্তির বানী নিসৃত হয়েছিল। সেই মোহাম্মদ যখন মদিনাতে একটা লুটেরা বাহিনী গঠন করে তার সর্দার হয়ে বেশ শক্তি সঞ্চয় করে বসল তখন মোহাম্মদের মূখ থেকে রাতারাতি শান্তির বানী উধাও হয়ে গেল। তখন তার মুখে খালি খুন খারাবির কথা, হত্যা, লুন্ঠনের কথা। কিন্তু অধিকাংশ মুসলমানই আবার এসব ঘটনাকে সঠিক বা ন্যয় সঙ্গত বলে বিশ্বাস করে। হাদিসে ঘটনাগুলোকে এমন ভাবে বর্ননা করা হয়েছে যেন মোহাম্মদ এগুলো মহান কোন দায়িত্ব পালনের জন্য করেছিল আর সেভাবেই প্রতিটি মুসলমান শৈশব থেকে জেনে এসেছে। ফলে এখন যতই ভিন্ন যুক্তি প্রদর্শন করা হোক না কেন বাস্তব নিরিখে তা তাদের কাছে গ্রহনযোগ্য হয় না।
বলাবাহুল্য আমার পরিচিত এ শিক্ষক কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে দারুন বন্ধুবৎসল, উদারমনা ও মিশুক। হিন্দু মুসলমান খৃষ্টান এদের মধ্যে কোনই পার্থক্য করেন না। সবার সাথে সমান ভাবে মেশেন । অনেকটা বলা যায় তথাকথিত মডারেট মুসলমান। আর তার এ মডারেট হবার মূল কারন হলো ইসলাম সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকা। তার যদি সত্যিকার অর্থে কোরান হাদিস বর্নিত ইসলামী জ্ঞান থাকত তাহলে তিনি কোনমতেই মডারেট মুসলমান হতে পারতেন না।যেমন কোরানে বলা আছে-
চায় যে তারা যেমন কাফের তোমরা তেমনি কাফের হয়ে যাও,যাতে তোমরা ও তারা সমান হয়ে যাও। অতএব তাদের মধ্য হতে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো না যতন পর্যন্ত তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে আসে। অতঃপর তারা যদি বিমুখ হয় তাহলে তাদেরকে পাকড়াও কর, এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো না, সাহায্যকারী রূপে গ্রহন করো না। সূরাঃ নিসা, আয়াত: ৮৯
সুতরাং একজন সাচ্চা মুসলমান কখনো অমুসলিমকে বন্ধু রূপে গ্রহন করা তো দুরের কথা, একজন মুসলমান হিসাবে তার নৈতিক দায়িত্বই হলো, অমুসলিমকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া, যদি সে দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে তাহলে তাকে পাকড়াও করে হত্যা করতে হবে। সুতরাং মডারেট মুসলমান বা মডারেট ইসলামের নাম করে যারা প্রচার চালাচ্ছে তারা আদৌ মুসলমানই নয় অন্ততঃ কোরানের বিধান অনুযায়ী। কিন্তু কথিত মডারেট মুসলমানের কাছে যদি উক্ত আয়াত উল্লেখ করে তার যথাযথ ব্যাখ্যা দেয়া হয়, উনি কিন্তু সাথে সাথে বলে বসবেন এসব আয়াত বিশেষ এক সময়ের প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছিল। অথচ তিনি একথা বলে যে কোরানেরই বিরোধিতা করছেন-যেমন কোরান বলছে, কোরানের বিধান কিয়ামতের আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে, কোন নড় চড় হবে না- তা নিজেই বুঝতে পারছেন না। তিনি আরও পরামর্শ দেবেন – কোরান আরও ভাল করে পড়তে হবে, এ আয়াতের আগে পরে কি লেখা আছে তাও ভাল করে তফসির সহকারে পড়তে হবে আর তাহলেই এ আয়াতের যথার্থ অর্থ খুজে পাওয়া যাবে। কিন্তু কোন মতেই তাকে বুঝানো যাবে না যে- মহান আল্লাহ যার নাকি দয়া সীমাহীন তিনি কখনই এমন ধরনের নিষ্ঠুর কথা বলতে পারেন না তার সৃষ্ট বান্দাদের ব্যপারে। অথচ আলোচ্য আয়াত কিন্তু খুবই সহজ সরলভাবে এর মূল বক্তব্য পরিষ্কারভাবে বর্ননা করেছে একে বারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটা পাঠ্য বইয়ের মত। বাইবেল, গীতা, ত্রিপিটক ইত্যাদি নানা ধর্মীয় গ্রন্থ পড়লে দেখা যাবে তাতে সরল অনেক বাক্যের সাথে অনেক গভীর তত্ত্ব মূলক বাক্য আছে যার অর্থ আপাত বোঝা দুরুহ, কিন্তু কোরানের বাক্যগুলো তার ধারে কাছেও যায় না , একেবারে সহজ সরল অনাড়ম্বর এর ভাষা। এবার এ আয়াতের আগে পরে একটু দেখা যাক কি লেখা তাতে-
আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করতে থাকুন, আপনি নিজের সত্ত্বা ব্যতিত অন্য কোন সত্ত্বার জিম্মাদার নন। আর আপনি মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করতে থাকুন। শীঘ্রই আল্লাহ কাফেরদের শক্তি সামর্থ খর্ব করে দেবেন। আর আল্লাহ শক্তি সামর্থের দিক থেকে অত্যন্ত কঠোর ও কঠিন শাস্তিদাতা। সূরাঃ নিসা, আয়াত -৮৪
যে লোক সৎকাজের জন্য একটি সুপারিশ করবে, তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে লোক মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ করবে সেও তার বোঝা থেকে তার অংশ পাবে। বস্তুতঃ আল্লাহ সর্ব বিষয়ে মতাশীল। সূরাঃ নিসা, আয়াত-৮৫
আর তোমাদেরকে কেউ যদি দোয়া করে, তোমরাও তার জন্য দোয়া করো। তার চেয়ে উত্তম দোয়া বা তার মতই দোয়া কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব রাকারী। সূরা ঃ নিসা, আয়াত-৮৬
আল্লাহ ব্যতিত আর কোন উপাস্য নেই। অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে সমবেত করবেন কিয়ামতের দিন- এতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই। তাছাড়া আল্লাহর চাইতে বেশী সত্য কথা আর কার হবে। সূরাঃ নিসা, আয়াত-৮৭
অতঃপর তোমাদের কি হলো যে মুনাফিকদের সম্পর্কে তোমরা দুদল হয়ে গেলে? অথচ আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন তাদের মন্দ কাজের জন্য। তোমরা কি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করতে চাও, যাদেরকে আল্লাহ পথ ভ্রুষ্ট করেছেন ? আল্লাহ যাকে পথ ভ্রুষ্ট করেন তোমরা তার জন্য কোন পথ পাবে না । সূরাঃ নিসা, আয়াত-৮৮
কিন্তু যারা এমন সম্প্রদায়ের সাথে মিলিত হয় যে, তোমাদের মধ্যে ও তাদের মধ্যে চুক্তি আছে অথবা তোমাদের কাছে এমন ভাবে আসে যে তাদের অন্তর তোমাদের সাথে ও তাদের স্বজাতির সাথে যুদ্ধ করতে অনিচ্ছুক। যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন তাহলে তাদেরকে তোমাদের ওপর প্রবল করে দিতেন। ফলে তারা অবশ্যই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করত। অতঃপর যদি তারা তোমাদের কাছ থেকে পৃথক থাকে তোমাদের সাথে যুদ্ধ না করে এবং তোমাদের সাথে সন্ধি করে তবে আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের ওপর কোন পথ দেন নি। সূরাঃ নিসা, আয়াত-৯০
আমি ৮৪ থেকে ৯০ আয়াতের তাফসির পড়ে বোঝার চেষ্টা করলাম আসলে কোন প্রেক্ষিতে এ আয়াত গুলো নাজিল হয়েছিল , দেখা গেল তাফসিরে সুপারিশ এর নানা রকম ব্যখ্যা দেয়া আছে কিন্তু আয়াত গুলোতে যে প্রচন্ড রকম হিংসাত্মক বানীর প্রকাশ ঘটেছে তার ব্যপারে তেমন কিছুই লেখা নেই। বরং সেখানে বলছে যে আল্লাহ যাদেরকে পথ ভ্রুষ্ট করে দিয়েছেন তারা কোন পথ পাবে না । তার মানে দাড়াল কেউ কেউ যে পথ ভ্রুষ্ট হয়ে বিপথ গামি হয় এটা আল্লাহই করেন , বিপথগামীদের কোন দোষ এখানে নেই। এর পর আল্লাহ যদি মুমিন মুসলমানদেরকে হুকুম দেন তাদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে হত্যা করতে তাহলে সে দোষটা কার ঘাড়ে যায়? নিশ্চয়ই আল্লাহর ঘাড়ে যায়। যারা সাচ্চা মুসলমান তারা বিষয়টা ভালমতোই বোঝে আর বোঝে বোলেই তারা কিন্তু বোমা হামলা বা অন্য কোনরকম হামলার মাধ্যমে অমুসলিমদের হত্যা করতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা করে না।
তবে যে ঘটনার প্রেক্ষিতে আয়াতগুলো নাজিল হয়েছে তা হলো মক্কার কিছু লোক মদিনাতে এসে মোহাম্মদের কাছে পেশ করল যে তারা মুসলমান হতে চায় ও সেমতে মুসলমান হয়ে গেল কিন্তু ওরা যেই মক্কাতে ফিরে গেল অমনি আবার ইসলাম ত্যাগ করে মুশরেক হয়ে গেল। আর এ ঘটনাটা ছিল বদর যুদ্ধের পরের । বদর যুদ্ধ ছিল মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলায় আতর্কিতে হামলা করে মক্কাবাসীদের মালামাল লুঠ করে নেয়ার মোহাম্মদের এক কুমতলবের ফল। মক্কা থেকে সিরিয়াগামী বানিজ্য পথ মদিনার পাশ দিয়ে চলে গেছে। মোহাম্মদ ইতোমধ্যেই সে পথে মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলার ওপর আতর্কিতে আক্রমন করে তাদের মালামাল লুটে নেয়া শুরু করেছে। যা মক্কা বাসীদের জন্য একটা মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করেছে কারন মদিনা মক্কা থেকে প্রায় একশ মাইল দুরে আর এত দুরে মক্কাবাসীদের পে তাদের বানিজ্য কাফেলার নিরাপত্তা প্রদান খুব কঠিন।ঠিক সেকারনেই নিরাপদে বানিজ্য করার মতলবে মক্কার কিছু লোক মদিনাবাসীদের কাছে মুসলমান হওয়ার ভান করত আর মক্কায় চলে গেলে আবার তারা আগের ধর্মে ফিরে যেত। খেয়াল করুন মক্কা বাসীরা এখানে শুধুমাত্র তাদের বাচার তাগিদে, মোহাম্মদের লুটেরা বাহিনীর লুট তরাজের হাত থেকে বাচার জন্যেই এই অভিনয় টুকু করত, তারা কখনই আগ বাড়িয়ে মদিনা আক্রমন করার কথা ভাবত না।কারন মক্কাবাসীদের বেচে থাকার জন্য সিরিয়ার সাথে বানিজ্য এর উপর পুরো পুরি নির্ভর করতে হতো। এটা ছিল তাদের বাচা মরার বিষয়। তাই কৌশলগত কারনেই তারা মদিনা বাসীদেরকে শত্রু বানানোর কথা চিন্তা করত না। এখন তাদের এ অভিনয় টুকুর কারনে মোহাম্মদ কোরানের বানীর নামে কি বলছে সেটা তো উপরোক্ত আয়াতগুলোতে খুব ভাল ভাবে ফুটে উঠেছে , তা হলো তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহন করা যাবে না , যেখানে পাওয়া যাবে পাকড়াও করে হত্যা করে ফেলতে হবে। ৯০ নম্বর আয়াতে দেখা যাচ্ছে , যদি কাফের বা মোশরেকরা সন্ধি করতে চায় তাহলে তাদের সাথে সন্ধি করা যেতে পারে, আর তখন তাদের ওপর আক্রমন করা যাবে না। এ থেকে মনে হতে পারে মোহাম্মদ বিশাল কোন মহানুভবতার পরিচয় দিচ্ছে। আসলে ব্যপারটা মোটেই তা নয় একটু বিশ্লেষণ করলেই তা খুব ভাল ভাবে বোঝা যাবে। এ কাজটি করে মোহাম্মদ একজন কৌশলী যুদ্ধবাজ গোষ্ঠি নেতার মত আচরন করছে।এ বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করলে কিন্তু একটা খুব মজার জিনিস বেরিয়ে আসে। তা হলো কোন যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাধারনত কোন্ দল সন্ধি করার জন্য আগ বাড়িয়ে এগিয়ে আসে? সে দলই আগ বাড়িয়ে এগিয়ে আসে যারা ভাবে যে তারা দুর্বল. যুদ্ধে জেতার কোন সম্ভাবনাই নেই । আর এ ক্ষেত্রে তারা আগ বাড়িয়ে সন্ধি করতে আসলে সন্ধির শর্তগুলো কিন্তু পুরো পুরি বিরোধী শক্তিশালী দলের অনুকুলেই থাকে কারন তারা জানে যে তাদের বিপ দল নিজেদের দুর্বলতার কারনেই সন্ধি করতে চায় আর তাই তারা সেই সুযোগ টিকে পুরো মাত্রায় গ্রহন করে চুক্তির শর্তগুলি পুরো পুরি তাদের অনুকুলে রাখারই চেষ্টা করে। আর সেটা কি ? সেটা হলো মক্কাবাসীর সবাই তো আসলে মোহাম্মদের সাথে সন্ধি চুক্তি করতে চাইতো না আর মক্কায় ছিল বেশ কিছু গোষ্ঠি। সব গোষ্ঠি মোহাম্মদের সাথে চুক্তি করতে রাজীও ছিল না। মোহাম্মদ তাই আলাদা আলাদা গোষ্ঠির সাথে চুক্তি করত আর চুক্তির শর্তে উল্লেখ থাকত যারা মোহাম্মদের সাথে চুক্তি করতে রাজী নয় চুক্তি বদ্ধ গোষ্ঠিগুলো চুক্তির আওতার বাইরের গোষ্টিগুলোকে কোন রকম সাহায্য সহযোগীতা করতে পারবে না। চুক্তির বরখেলাপ হলেই বিপদ , তাহলে তাদের বানিজ্য কাফেলার ওপর হামলা হবে। এধরনের চুক্তির ফলাফল সুদুর প্রসারী ছিল। এর ফলে মক্কার গোষ্ঠি গুলোর মধ্যে পারস্পরিক শত্র“তা ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছিল কারন চুক্তি বদ্ধ গোষ্ঠি চুক্তির বাইরের গোষ্ঠির সাথে কোন লেন দেন করতে চাইতো না, কোন সাহায্য করতে চাইতো না। যার ফলাফল হলো আভ্যন্তরীন গন্ডগোল। এর ফলে এরা পরস্পর কোন্দলে লিপ্ত থেকে নিজেদের শক্তি য় করত ও ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ঠিক সেকারনেই মোহাম্মদ যখন সদলবলে মক্কা দখল করতে এগিয়ে আসে তখন মক্কাবাসীরা সামান্যতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি, সম্পূর্ন বিনা বাধায় সে মক্কা বিজয় সম্পন্ন করে। সুতরাং ্উক্ত আয়াতের বক্তব্য আসলে কোন মহানুভবতার পরিচায়ক নয়, এটা হলো একটা সুদুরপ্রসারী যুদ্ধ কৌশল। ’
পরিশেষে , আমার এ প্রতীতি জন্মেছে যে , যুদ্ধ কৌশল বা রাজনীতির কিছু কিছু ক্ষেত্রে মোহাম্মদের নীতি বা কৌশল আজকের যুগেও গ্রহন করা যেতে পারে মোহাম্মদকে একজন জাতিয়তাবাদী নেতা হিসাবে স্বীকার করে নিয়ে কিন্তু কোন মতেই তার কোরানের বানীকে আল্লাহর বানী হিসাবে মেনে নেয়ার কোন কারন ঘটেনি। এখন সমস্যা হচ্ছে মুসলমানরা বুঝে বা না বুঝে মোহাম্মদকে আল্লাহর নবী মেনে তার কোরানকে আল্লাহর বানী মেনে নিয়ে হুবহু তার জীবনাদর্শ অনুসরন করে এ যুগে ইসলামী শাসন কায়েম করতে চায় যা এ যুগের সাথে নিতান্তই বেমানান। এ ধরনের শাসন ব্যবস্থা সেই চোদ্দ শ বছর আগের জন্য প্রজোয্য ছিল . বর্তমানে এর কোনই উপযোগীতা নেই।তবে তার কিছু কিছু শিক্ষা আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে গ্রহন করতে পারি ঠিক অন্য দশজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের নীতি যেভাবে আমরা গ্রহন করেছি। মুসলমানরা যত তাড়াতাড়ি এ সত্যটা বুঝতে পারবে যে মোহাম্মদের মূল ল্য ছিল গোষ্ঠি বিভক্ত আরব জাতিকে একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসাবে গড়ে তোলা যেখানে তার ভুমিকা ছিল একজন জাতিয়তাবাদী নেতার আর তা করতে গিয়ে তিনি যৌক্তিক ভাবেই বিভিন্ন গোষ্ঠির ধর্মীয় মতবাদকে উচ্ছেদ করে দিয়ে নতুন ধরনের মতবাদ চালু করেছিলেন যা ছিল যুগের দাবী তখনকার আমলে কিন্তু বর্তমানে সেই পরিবর্তিত যুগের দাবী অনুযায়ী ইসলামের আর কোনই আবেদন নেই বড়জোর মোহাম্মদের কিছু কিছু রাজনৈতিক বা সামরিক কৌশল তার গ্রহন করতে পারে, ততই তাদের মঙ্গল। অন্যথায় তারা মোহাম্মদ ও তার যাবতীয় শিাকে অন্ধভাবে অনুসরন করে সেই মধ্যযুগীয় জীবন ধারায় ফিরে যেতে পারে যেমন গেছিল তালেবানরা আফগানিস্থানে, কিন্তু তাতে ভবিষ্যতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়বে বলে আমার যথেষ্ট বিশ্বাস জন্মেছে।
এত সাহস আপনার, তবে কেন ছদ্মনাম use করেন?
১. যে ব্যক্তির প্রথম উল্লেখ করলেন, মুসলমান হিসেবে তার উচিত ছিলো আপনার যুক্তিগুলোকে ডিফেন্ড করা। কিন্তু যেহেতু সে পারে নি, তাই রণে ভঙ্গ দিয়েছে। অর্থাৎ, সে ইসলাম পালন করে কিন্তু এজাতীয় প্রশ্নের সম্মুখীন হলে তার ধর্মকে টিকাতে জানে না। এভাবে কোনো ধর্ম পালন করা উচিত না। আপনি যেমন মুক্তমনা ধর্ম পালন করছেন, আপনি তার পক্ষে যুক্তি খাড়া করতে ধর্মগুলো স্টাডি করছেন, সেগুলোর যুক্তি খন্ডাচ্ছেন, তারও উচিত ছিলো যেহেতু সে ইসলাম ধর্ম পালন করছে, তাই যারা ইসলামের যুক্তিগুলো খন্ডাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট যুক্তি দাঁড় করানো। অবশ্যই তার নিজের ধর্ম সম্পর্কে যথাযথ ধারণা রাখা উচিত ছিলো, যেমনটা আপনি আপনার ধর্ম সম্পর্কে রাখছেন (এজন্য আপনি ধন্যবাদ পাবার যোগ্য)।
২. আপনি বারবার সূরা নিসার ৮৯ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করছেন। আপনি হিজরতের ইতিহাস পড়ুন (আপনি ইসলাম নিয়ে বেশ স্টাডি করেছেন বলে বোধ হয়)। when the moon split বইটা দেখতে পারেন (আমার এখন ঠিক মনে পড়ছে না, তবে সম্ভবত এই বইটা আপনাকে সাহায্য করবে এই আয়াতের ব্যাপারে)।
৩. “কোরআনের বিধান কেয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে”, ঠিক আছে। তাই বলে কি আপনি বলতে চান কোরআনে বর্ণিত ঘটনাগুলোও কেয়ামত তক ঘটতে থাকবে ? আপনি বেশ কিছু যুক্তি দিয়েছেন, কিন্তু এমন হাস্যকর কথা কিভাবে বলছেন বুঝতে পারলাম না। বোধ করি উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। এসমস্ত আলোচনার ক্ষেত্রে উত্তেজনা পরিহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
পুরো লেখা ও তার সাথে করা মহামূল্যবান মন্তব্যগুলো পড়লাম।আমি ভাই ব্লগের লেখায় পুরো বিশ্বাসী না,তাই সত্যানুসন্ধানে নিজেই কোরান এর বাংলা অনুবাদ পড়া শুরু করলাম; যদিও আমি একজন অমুসলিম।ভালোই এগুচ্ছে আমার পড়াশোনা।
আমি বিভিন্ন যায়গায় কিছু বক্তব্য পাই কিন্তু তার উৎস ঠিক জানিনা।কেউ জানালে খুবই উপকৃত হব।
১। মুসলমানদের মতে শ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মদ এর আসলে কয়টি বিয়ে হয়েছিলো??উত্তরটা খুব সম্ভবত ১১।
২। তার ৫১ বছর বয়সে ৬ বছরের শিশু বালিকাকে বিয়ের কথা আর
৩। নিজ পুত্রবধূকে বিয়ে করার কথা।
আরেকটা মহা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাকে দিলে খুবই উপকৃত হবঃ
“এই ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করবো কীভাবে??আমিও লিখতে চাই।এর যোগ্যতাই বা কী??”
সবাইকে ধন্যবাদ।
@নীল আকাশ,
সত্যানুসন্ধানে আপনার কোরান পড়ার আগ্রহ জেনে আনন্দিত হলাম। মুক্তমনার সদস্য হওয়া ও লেখা পাঠানোর নিয়মাবলি প্রথম পৃষ্ঠায়ই দেয়া আছে।
নীচের লেখাগুলো পড়ুন, আশা করি আপনার সবগুলো প্রশ্নের উৎস ও উত্তর পেতে সহায়ক হবে।
‘বিজ্ঞানময় কিতাব’ অভিজিৎ রায়
‘আল্লাহ, মুহম্মদ সা এবং আল-কোরআন বিষয়ক কিছু আলোচনার জবাবে’ নাস্তিকের ধর্মকথা
‘যে সত্য বলা হয়নি’ আকাশ মালিক
@আকাশ মালিক, ভাই তথ্যসূত্রের জন্য ধন্যবাদ।আশা করি, অনেক অজানাই এবার জানা হবে।
@নীল আকাশ,
“
নীতিমালা দেখুন।
এখানে বামদিকে “পৃষ্ঠা” অংশে প্রয়োজনীয় আরো লিংক আছে।
@সৈকত চৌধুরী, ভাই ধন্যবাদ।
@নীল আকাশ,
আপনি যেহেতু অমুসলিম সেহেতু ইসলাম জানার পর আপনাকে বেশ সাবধান হতে হবে। কারন কোরান হাদিস পড়ার পর আপনার কাছে ইসলাম সম্পর্কে ধারনা সম্পূর্ন পাল্টে যাবে। ফলে প্রায়শ: ই আপনি আপনার পরিচিত মুসলমান বন্ধুবান্ধবদের সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে ইসলাম যে কোন সত্য ধর্ম নয় সেটা প্রমান করতে চাইবেন যা আপনার জন্য বিপদের কারন হতে পারে। এ সাইটে আকাশ মালিক, অভিজিত, আবুল কাশেম ইত্যাদি লেখকের খুব ভাল লেখা আছে আপনি তাদের পেজ এ গিয়ে লেখা বের করে পড়তে পারেন। লেখক অপশনে গিয়ে আপনি প্রত্যেকের নিজস্ব পেজ- এ যেতে পারবেন। আপনি যা জানতে চাইছিলেন তা জানতে আমার লেখাগুলো পড়তে পারেন, এখানে ক্লিক করুন
@ভবঘুরে, ভাই ধন্যবাদ।
মুসলমানদের এবং তাদের ধর্ম সম্পর্কে বিস্তর না জানলেও অনেকটাই জানি।
আমি এই ব্যাপারে মুসলিম ভাইদের সাথে তর্কে না জড়ানোর চেষ্টা করবো; জানি যে তারা এই ব্যাপারে কোন সমালোচনাই সহ্য করতে পারে না। অনেকেরই হিংস্রাত্বক চরিত্রটা চোখের সামনে ধরা দেয়।তবে আমি আশাবাদী, তাই মনে করি সব মুসলমান সেই দলের না।কেউ কেউ ভালো যারা তাদের যুক্তবোধটাকে ধর্মান্ধতায় বিসর্জন দেন নি।
প্রায় সকল ধর্মেই এরূপ উগ্রপন্থী আছে তবে ইসলাম ধর্মে এদের সংখ্যাটা অনেক বেশি।
আমার লেখার উপর নৃপেন্দ্র সরকার ও ভবঘুরের মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে তারা দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদে, অর্থ্যাৎ সমাজ বিবর্তনে আস্থাবান নন । পুজিবাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব ও ইসলামের প্রতি ঘৃণা তাদের মধ্যে ক্রিয়াশীল । ফলে সমাজের নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে তারা ব্যর্থ ।
বাংলাদেশের জন সংখ্যার ৮৫% মুসলমান । বাকীরা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রষ্টান । আলোচ্য এই ৮৫% মুসলমান কোরান ও হাদিস নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ করেছিল । ফলে কোরান ও হাদিসের মধ্যে বিষক্ত বীজ যদি কিছু থেকেই থাকে তা বর্তমান কালের জন্য প্রযোজ্য নয় । অতএব ইসলাম সমস্যা না । সমস্যা হলো দেশীয় রক্ষনশীল, প্রতিক্রিয়াশীল ও দেশীয় উঠতি পুজি এবং এদের ওস্তাদ সাম্রাজ্যবাদ । এদের কারনেই ইন্দোনেশিয়ার সোকর্ণ, আর্জেন্টেনিয়ার আলেন্দে, কঙ্গোর নক্রুমা, তিউনিশিয়ার বেন বেল্লাহ, মিসরের শাদাত ও বঙ্গবন্ধু নিহত হন ।
মার্কিনসহ উন্নত দেশের ইনডাস্ট্রি থেকে নির্গমিত বিষক্ত গ্যাস বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরের ক্ষতি করছে । ফলে অধিক পরিমান বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের পানির স্তর উচু হয়ে বহু দেশ পানির নীচে চলে যাচ্ছে । ঐ সকল উন্নত দেশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল বর্জ্য সমুদ্রে ডাম্প করায় আবহাওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটছে । ফলে বহু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে ।
মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও তার ব্যবসা মার্কিনীদের প্রয়োজন এবং মার্কিন অস্ত্র প্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়িদের জন্য প্রয়োজন উত্তেজনা । তাই মধ্যপ্রাচ্যে সৈন্য প্রেরণ করতে হয় এবং নিজ দেশের জনগণের কাছে তা গ্রহনযোগ্য করার ও উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ইসলামি জঙ্গী সৃষ্টি করতে হয় ।
পূর্ব লেখায় ইতিহাস বইএর একটি নাম উল্লেখ করা হয়েছে । পাঠকেরা নিম্ন উল্লেখিত বইটিও পড়ে দেখতে পাড়েন । The Doubleday Pictorial Library of World History, Civilization from Its Beginnings.
ইতিহাস বা সমাজ-বিজ্ঞানের কোন বইতেই কোরান ও হাদিসকে জঙ্গী সৃষ্টির উৎস হিসাবে উল্লেখ করা হয়নি । তাছাড়া ০.০১% মুসলমান কোরান হাদিস পড়ে থাকতে পারেন । ধরে নেয়া গেল এদের মধ্যে কিছু সংখক লোক কোরান হাদিস পড়ে জঙ্গী হয়েছেন । তাই বলে ৯৯.৯৯% মুসলমানকে দায়ী করা যায় না । সমাজ-বিজ্ঞানের তত্ত্ব অনুযায়ী আর্থ-সামাজিক শ্রেনী হলো সমাজ বিবর্তনের পালিকা শক্তি । ইসলাম বা মুসলমানেরা অর্থনৈতিক কোন শ্রেনী নয়, তাই সামাজিক দ্বন্দ্বে তারা মূল কোন শক্তি নয় ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
অত্যন্ত দু:খের সাথে জানাচ্ছি আমি কোন বাদী বা বিবাদী নই। মানে দ্বান্দ্বিক বা অদ্বান্দ্বিক কোন মত পথের পথিক নই। নিজেকে সত্যানুসন্ধানী বলে পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ বোধ করি। কোরান হাদিস পড়ে যা দেখেছি সেগুলোই বয়ান করি। যেহেতু অন্য ধর্মের কট্টর পন্থীরা মঞ্চে ক্রিয়াশীল না তাই তাদের ঘটনা বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে না আপাতত:। আমার মূল বক্তব্য – কোরান হাদিসে হিংসার উপাদান প্রচুর পরিমানে থাকাতে তারা হয় নিজেরাই উগ্রপন্থি হচ্ছে অথবা সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠি কৌশলে তাদেরকে উগ্রপন্থি করছে। এখানে মূল উতস ইসলাম আর তার কোরান হাদিস। এটাই ছিল মূল বক্তব্য। আপনি মনে হয় মূল ভাবধারা ধরতে অক্ষম হয়েছেন। আপনি দেখবেন বৌদ্ধদের কোনভাবেই তেমন করে উগ্রপন্থি করা যায় না, অবশ্য ব্যাতিক্রম নেই তা বলা যাবে না। যেমন জাপানে একবার বৌদ্ধ উগ্রপন্থিরা পাতাল ট্রেনে আক্রমন করেছিল কয় বছর আগে। কিন্তু সাধারনভাবে তাদের ধর্মে হিংসা বিদ্বেষ সম্পর্কিত বানী না থাকাতে তাদেরকে উগ্রপন্থি বানানো কঠিন। কিন্তু একজন মুসলমান বা হিন্দু বা খৃস্টান কে উগ্রপন্থি বানানো সোজা আর তার মধ্যে একজন মুসলমানকে বানানো সবচাইতে সোজা। তার কারন হলো হিন্দু বা খৃস্টান দুজনই তার ধর্মের হিংসাত্মক বানী সমূহ এখন আর ঈশ্বরের বানী মনে করে না, করে থাকলেও তা নিয়ে মাথা ঘামায় না। কিন্তু একজন মুসলমানের মানসপট ঠিক তার উল্টো। মুসলিম দেশ সমূহে শুধুমাত্র ইসলামী ঘরানার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাদেরকে শিক্ষা দেয়া হয় দেখবেন তারা অধিকাংশই উগ্রপন্থি ধ্যান ধারনা নিয়ে বড় হয় কারন তারা কোরান হাদিসের বাইরের কোন জ্ঞান পড়ে না, জ্ঞান রাখে না, রাখার দরকারও মনে করে না। পক্ষান্তরে হিন্দু বা খৃষ্টান এদেরও কিছু কিছু ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু সেখানে ধর্ম ছাড়াই বিজ্ঞান গনিত এসব পড়ানো হয় ফলে তারা যথেষ্ট উদার মানসিকতা নিয়ে বড় হয়। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মুসলমানদের এ দুর্বলতাটাকেই কাজে লাগিয়েছে তাদের সাম্রাজ্য ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে। কথা হলো- এ দুর্বলতাটুকু না থাকলে তারা এত সহজে মুসলমানদেরকে উগ্রপন্থি করতে পারত না। তাহলে দোষটা কার ? পৃথিবীর ইতিহাস বলে – শক্তিশালী জাতি সব সময়েই দুর্বল জাতিগুলোর দুর্বল উপাদান গুলো চিহ্নিত করে সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে উদ্যোগী হয়। মার্কিন বা বৃটিশরা সেটাই করেছে বা করছে , কিন্তু মুসলমানরা কেন তাদের দুর্বলতাটাকে প্রকাশ্য করে তুলবে? কেন তারা দুর্বলতাটাকে কাটিয়ে উঠতে চায় না ? আপনি অন্যের দোষ ধরার আগের নিজের দোষটা কেন দেখেন না ? কেনই বা সে দোষকে দুর করতে চান না ?
আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আরও অনেক ব্যখ্যা দেয়া যায় , তবে স্বল্প পরিসরে এতটুকুই।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
চিলির আলেন্দে বোঝাতে চাইছেন বোধহয়।
ভবঘুরের মূল লেখা এবং উক্ত লেখার উপর অন্যদের মন্তব্য, আমার আলোচ্য মন্তব্য লিখতে প্ররোচিত করেছে । প্রথমেই বলে নেয়া ভাল, কোন ধর্মের পক্ষাবলম্বন করা বা গালাগালি দেয়া অথবা ব্যক্তি বিশেষকে কটাক্ষ করা আমার এই লেখার উদ্দেশ্য নয় । আমি ধর্মকে দেখি সমাজ বিবর্তনের প্রাথমিক উপদান হিসাবে । মানব সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে আলোচ্য এই উপদানেরও বিবর্তন ঘটেছে ।
প্রকৃতি কর্তৃক ঘটিত ঘটনা যথাঃ বর্জপাৎ, বৃষ্টি, উর্বরতা, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ, জন্ম ও মৃত্যু প্রভৃতির কারণ প্রাচীন প্রস্তর যুগে হোমো-ইরেক্টাস মানুষের বোধগম্য ছিলনা বিধায় বিশ্লেষণে ব্যর্থ হয়ে অলৌকিক শক্তির কর্ম হিসাবে বিবেচনা করতে আরম্ভ করে । ফলে বহু ঈশ্বরের উদ্ভব ঘটে । তাছাড়া অনিশ্চিত জীবন তাদেরকে অলৌকিক শক্তির উপর বিশ্বাসে প্ররোচিত করে । ফলশ্রুতিতে সুমেরীয়, বেবিলনিয়, গ্রীক ও হিন্দু শাস্ত্রে বহু ঈশ্বরের আগমন ঘটে । হিন্দু শাস্ত্র ছাড়া প্রথম তিনটি একেশ্বরবাদের চাপে বিলুপ্তি ঘটে ।
মধ্য প্রস্তর যুগে হোমো-স্যাপিএনজদের উদ্ভাব হয় এবং শেষ বরফ যুগের অবসানে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলে হোমো-স্যাপিএনজরা উচ্চ প্রস্তর যুগের শেষান্তে ইথিওপিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, এশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া ও আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে । মধ্যপ্রাচ্যের ইউফ্রিতিস ও টাইগ্রিস অববাহিকায় বসবাসরত হোমো-স্যাপিএনজদের বংশধরদের মধ্যে সিমেটিকেরা উল্লেখযোগ্য । ইতিমধ্যে কৃষি ও সেচের উদ্ভব হয় । ফলে একেশ্বরবাদের আবির্ভাব ঘটে । একেশ্বরবাদের প্রবক্তা হলো নিগৃহীত সিমেটিক ট্রাইব, যারা ছিল সুমেরীয়, বেবিলনিয়ান ও মিসরের ট্রাইবেল সভ্যতার দাস ।
বিদ্রোহের মাধ্যমে স্বাধীন হয় ইহুদি ধর্মের আবির্ভাব ঘটিয়ে তারা প্যালেষ্টাইনে বসবাস করতে থাকে । কিন্তু রোম প্যালেষ্টাইন দখল করে নিলে তারা আবার পরাধীন হয়ে প্রফেট মোজেজের মতো একজন ত্রাণকর্তার আবির্ভাবের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে থাকে ।
ইহুদী যীশুর বক্তব্যে এলিট ইহুদীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় প্যালেষ্টাইনের রোমান গভর্নারের সাথে যোগসাজশে চুরির দায় তারা যীশুকে ক্রুশিফাইড করেন । রোম সম্রাট বিরোধী গ্রীক নাগরিক সেন্ট জন পল ক্রিশচিয়ান ধর্মটি ইউরোপে জনপ্রিয় করে তুলেন । রোম সম্রাট রাজত্ব হারাবার ভয় ক্রিশচান ধর্ম গ্রহন করেন ।
কুরাইশরা সিমেটিকদের একটি প্রশাখা । ষষ্ঠ শতাব্দিতে কুরাইশরা ছিল মক্কার এলিট । ভারতের সাথে সিরিয়া হয়ে ইউরোপে বানিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল মক্কা । মক্কার আলোচ্য ব্যবসা এবং মক্কাবাসীর ধর্ম নিয়ন্ত্রন করতো কুরাইশরা । কুরাইশ বহির্ভুত সাধারণ মানুষ ছিল নিগৃহীত এবং কুরাইশ বংশের অবহেলিত মানুষেরাও ছিল নেতাদের উপর ক্ষিপ্ত । আলোচ্য এই নিগৃহীত ও অবহেলিত মানুষেরা তদকালীন ধারণা ও বিশ্বাস অনুযায়ী ইসলাম ধর্ম আগমনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে । কুরাইশদের চাপে মুসলমানেরা মদিনায় হিজরত করে । মদিনা ছিল কৃষি কাজের কেন্দ্র । ফলে কৃষি কাজে অবিজ্ঞ মক্কাবাসীদের জীবনধারনে সমস্যা দেখা দেয় । যার ফলশ্রুতিতে বদর যুদ্ধ । পাঠকেরা ইতিহাসের এই বইটি পড়ে দেখতে পারেন, Sir Jon Glubb এর The Life and Times of Muhammad ।
উপরুক্ত আলোচনা থেকে প্রতিয়মান হয় যে সমাজ ও সভ্যতার কারিগর নিগৃহীত মানুষেরা অনিশ্চিত ভবিষ্যত থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় ধর্মের আবির্ভাব ঘটিয়ে ছিল । কিন্তু শোষকেরা ধর্মের নিয়ন্ত্রন নিজ হাতে নিয়ে নেয় । চৌদ্দ শত বছর পর সৌদি বাদশাহ ও মধ্যপ্রাচ্যের শেখদেরকে ক্ষমতায় রাখার স্বার্থে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিন লাদেনের মাধ্যমে ইসলামে জঙ্গীবাদের অনুপ্রবেশ ঘটায় । আবার এই মার্কিনীরা নিজ স্বার্থে জাতীয় স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধরত আফগানী ও ইরাকীদের মধ্যে জঙ্গী খোঁজার জন্য তাদের স্বাধীনতা হরণ করছে ।
তাই পাঠকদের কাছে অনুরোধ ডালপালায় বিচরণ না করে সমস্যার মূলে প্রবেশের চেষ্টা করুন ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
আপনার বিশ্লেষণ আমার পছন্দ হয়েছে। কিন্তু শেষে এসে পুরাতন কাঁসুন্দি ঘাটলেন।
গতবার দেশে গেলাম। ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আমাকে যত্ন করে কাছে বসিয়ে আমেরিকা বিরোধী বক্তব্য শুরু করলেন। ইরাক-আফগানিস্তান বিষয়টা এনে প্রমান করলেন পৃথিবীর সমস্ত খারাপ কাজের জন্য আমেরিকা দায়ী। আমি জিজ্ঞেস করলাম – সুনামীর (Tsunami) জন্যও কি তুমি আমেরিকাকে দায়ী কর? চেয়ারম্যান সাহেবের উত্তর – অবশ্যই।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
জঙ্গীবাদের বীজ কোরান আর হাদিসেই বিস্তর রয়েছে। এখন কেউ যদি তাদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তাদেরকে ব্যবহার করে, তাহলে দোষটা কার বীজের নাকি গাছের? গাছ তো বীজ অনুযায়ীই সৃষ্টি হবে , না কি ? বর্তমানে জঙ্গীবাদের যাবতীয় দায় দায়ীত্ব মার্কিন সাম্রাজ্য বাদের ওপর চাপানোর চেষ্টাকে আমার কাছে ইসলামী প্রপাগান্ডা বলে মনে হয়। কয়দিন পর হয়ত দেখা যাবে এসব প্রপাগান্ডার হোতারা বলা শুরু করেছে- খুন খারাবির যত আয়াত কোরানে আছে তা সব ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র, কোরানে আসলে খুন খারাবির কথা বলা হয় নি বলা হয়েছে, গলা গলির কথা। ইহুদি নাসারারা নিজেদের বানানো কোরান দিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কারন ইতোমধ্যে বার তেরশ বছর ধরে ইসলামী বিশ্বে চলে আসা হাদিস সংকলনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ শুরু হয়েছে আর যে কারনে কোরান ওনলি মতবাদীদের আগমন ঘটেছে নাট্য মঞ্চে। আমাদের ফারুক সাহেব সেই গোত্রের এক পন্ডিত ব্যাক্তি বলেই মুক্তমনাতে আমরা অবগত আছি।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
আপনার প্রথম দিকের ঐতিহাসিক বিবরণটায় ঠিক একমত হতে পারলাম না। সুমের, ব্যবিলনের ধর্ম, হিন্দু ধর্ম — সবই হোমো স্যাপিয়েন্সদেরই অবদান — এবং সব ধর্মীয় মতবাদ পরস্পর ঘনিষ্ঠ, একেশ্বরবাদ ও বহু-ঈশ্বরবাদ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। হোমো ইরেকটাসরা “বহু-ঈশ্বরবাদী” হওয়ার মত সাংস্কৃতিক ক্ষমতা অর্জন করেছিল বলে তো মনে হয় না।
কৃষি ও সেচের সাথে একেশ্বরবাদের সম্পর্ক কি? ভারতীয়রা তো সেই একই কৃষিকাজ করেই কোটি কোটি দেব-দেবী আবিষ্কার করে ফেলল ;)। আরো একটা ব্যাপার। ইউফ্রিতিস ও টাইগ্রিস অববাহিকায় বসবাসরত সেমেটিকরাই তো আসিরিয় এবং ব্যবিলনীয়! নিজেদেরই তারা নিগৃহিত করল তবে? সুমেরীয়রা তো কবেই বিদায় নিয়েছে, ইহুদীদের সাথে ও সভ্যতার আদৌ কোন যোগাযোগ হয় নি। আর মিশর — ও গপ্পের কোন ভিত্তিই নেই। ইহুদিরা কোথায় যায়ও নি, আসেওনি কোথা থেকে, তারা ওই এলাকার ক্যানানাইটদেরই শাখা, ৭ম খ্রীস্টপূর্বাদের দিকে হঠাৎ একেশ্বরবাদ “আবিষ্কার” করে, সম্ভবত অভ্যন্তরীন সাম্রাজ্যবাদী প্রয়োজনে। পরে তাদের ব্যবলনীয়রা ধরে নিয়ে গেল বটে, তবে একেশ্বরবাদ তার আগেই আবিষ্কৃত।
@রৌরব,
নৃ-বিজ্ঞানে আমার বক্তব্যের সমর্থন পাবেন । তাছাড়া ন্যাশনাল জিউগ্রাফিক চ্যানেলের “এপ টু হিউম্যান বিং” বিবর্তন দেখলেও হবে । বহু ঈশ্বরের ধারণার জন্য সংষ্কৃতির প্রয়োজন হয় না, প্রয়োজন হয় প্রকৃতি সম্পর্কে অবিজ্ঞতার ।
মানব চিন্তা-চেতনা আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল । কৃষি আবিষ্কারের ফলে যাযাবর মানুষ স্থায়ী ভাবে বসবাস আরম্ভ করায় চিন্তা-চেতনায় এবং আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে ।
মেসপটমিয়ার স্বল্প পরিসর জায়গায় উর্বর জমির পরিমান ছিল কম । কিন্তু দাবীদার ছিল অধিক । ফলে জমি দখলের জন্য যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে থাকতো । বিজয়ীরা পরাজিতদেরকে দাসে পরিণত করতো । ফলে দাস ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটে । বিপরীতে ভারতে উর্বর জমির পরিমান ছিল অপরিসীম । কিন্তু দাবীদার ছিল কম । তাই যাযাবর আর্য্যরা ভারতে আসলে সামন্য প্রতিরোধ করে অনার্য্যরা দক্ষিন এবং পূর্ব-দক্ষিনে চলে যায় । ফলে ভারতে দাস প্রথার উদ্ভব ঘটেনি ।
দাসেরা হলো একেশ্বরবাদের উদ্ভাবক । মধ্যপ্রাচ্যের সিমেটিকেরা বারবার দাসে পরিণত বা নিগৃহীত হয়েছে । ফলে ইহুদী, খৃষ্টান ও ইসলাম ধর্মের উদ্ভব ঘটেছে । এই তিন ধর্মে বর্ণিত সকল নবী হলো সিমেটিক বংশভুত ।
ইসলামিক জঙ্গী সৃষ্টির জন্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে দোষারোপ করায় নৃপেন্দ্র সরকার আমাকে পুরাতন কাঁসুন্দি ঘাটার অভিযোগে অভিযুক্ত করলেন । তার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান বিশ্বের সকল সংকটের মূল কারণ হলো সাম্রাজ্যবাদ । তাই যতদিন সাম্রাজ্যবাদ থাকবে ততদিন আমাদের মতো লোকদেরকে পুরাতন কাঁসুন্দি ঘাটতে হবে ।
এটার সমর্থনে কিছু ঐতিহাসিক তথ্য দিন। মিশরে ইহুদিরা দাস ছিলনা (এক্সোডাসের গল্প বানোয়াট), মোটামুটি স্বাধীন রাজত্বকালে তারা একেশ্বরবাদী হয়। এর আগে মিশরে সম্রাট আখানাতেন একেশ্বরবাদ চালু করেন, তাঁর দাস হওয়ার তো প্রশ্নই আসেনা। জোরোএস্টারের ধর্ম একেশ্বরবাদী, এর সাথে দাস প্রথার কোন সম্পর্ক নেই। ব্যবিলনীয় দাসত্বের আগেই ইহুদীরা একেশ্বরবাদী হয়। উপনিষদীয় একেশ্বরবাদের সাথে দাস প্রথার কোন সম্পর্ক নেই। রোমানরা খ্রীস্টধর্ম গ্রহণ করার আগেই এক সূর্যদেবতার একেশ্বরবাদের দিকে ঝুঁকেছিল, তার উদ্দেশ্য সাম্রাজ্য কে মসৃণ করা, বহু দেববাদের জটিলতার হাত থেকে রেহাই পেলে সাম্রাজ্য শাসন সোজা হয়, কঠিন নয়। ইসলামের উদ্ভবের সাথে দাসপ্রথার কি সম্পর্ক? ইসলাম তো দাসপ্রথা নিষিদ্ধও করেনি। কালোদের মধ্য (যারা সবচেয়ে বেশি দাসত্বের স্বীকার হয়েছে) একেশ্বরবাদের উদ্ভব হয়নি।
সেমেটিকেরা মূলত কোন জাত নয়, একটা ভাষাগোষ্ঠী। প্রাচীন ইরাকে এক সুমেরীয়রা ছাড়া বাকি সবাই মোটামুটি সেমেটিক– তারা দাসই হোক, আর রাজাই হোক। কাজেই সিমেটিক-অসিমেটিক দ্বৈততার কোন ভিত্তি নেই এক্ষেত্রে।
ইতিহাস আমাদের পছন্দসই ক্যাটেগোরাইজেশন মেনে চলে না, তার গতি বিচিত্র।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
যখন ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়ন করতাম তখন আপনার এই মন্ত্রে দীক্ষিত ছিলাম। কত মিছিল, কত স্লোগান। মগজ ধোলাইএর খুব একটা বাকী ছিল না। শেষ মেষ সাম্রাজ্যবাদী দেশে এসেই আস্তানা গেড়েছি। তারপরেও সেই একই মন্ত্র শুনি।
যে নেতাদের বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে ছাত্র ইউনিয়ন করতাম তারা আজ কে কোথায় তাদের কথা সংবাদ পাই। ভাবাবেদ ছেড়ে মুছে বাস্তবতাকে বুঝতে চেষ্টা করি।
ইসলামী জংগি সৃষ্টি পেছনে ইসলামী ডকট্রিনের কোন সংযোগ খুঁজে পেলেন না। পেলেন মার্কিনীদের। আমার চেয়ারম্যান উক্তিটি আবার মনে পড়ে। Tsunamiটা ও মার্কিনীদের সৃষ্ট।
ভাল থাকুন। আপনার কাঁসুন্দিতে আমি আর নেই।
@ফারুক,
এই প্রথম আপনার কোন কথায় একটা যুক্তির খোজ পাওয়া গেল।
আমি আরব দেশে যাই নি, জানিও না তাদের শিক্ষা পদ্ধতি। তবে মনে হয় তাদের শিক্ষা পদ্ধতিটাই এমন যে একেবারে শিশু বয়েশ থেকেই তাদের মাইন্ডসেট ইসলামী করে তৈরী করে দেয়া হয়। আপনার বক্তব্য অবশ্য পুরোপুরি ঠিক না, বাংলাদেশে ভুরি ভুরি কোরান হাদিসের বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায় অনেকেই সখ করে তা কেনেও। কিন্তু তাই বলে তারা তা কষ্ট করে পড়ার ধার ধারে না। তাই আপনার ধারনা ঠিক না মনে হয় যে আরবরা তাদের পেট্রো ডলারের কল্যানে মজা ফুর্তির জীবন বাদ দিয়ে বসে বসে কোরান পড়ে। আর তা ছাড়া তারা ইসলামকে ভুয়া জানলেও ইসলামকে সহজে ছাড়বেও না। তার কারন অর্থনৈতিক। বিশেষ করে সৌদি আরব। হজ্জ ও ওমরা পালন উপলক্ষ্যে লাখ লাখ মুসল্লি সেখানে যায় আর তাদের বৈদেশিক মূদ্রার এক বিরাট অংশই সেখান থেকে আসে। আর আপনার ধারনাই বা হলো কি করে যে আরব দেশের লোকজন সবাই একেবারে ধর্মপ্রান মুসলমান? তারা যেভাবে মদ খায়, ইউরোপ, আমেরিকা, ব্যংকক, সিংগাপুর গিয়ে মদ জুয়া , খেলে, বেশ্যাদের সাথে মৌজ করে- তাতে তারা লেবাসে মুসলমান হলেও , বাস্তবে কতটা মুসলমান যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে একবার, ব্যাংককে তাদের যে বেলেল্লাপনা দেখেছি তা কোন সভ্য মানুষ করতে পারে না। বাংলাদেশ থেকে যারা ওখানে কাজ করতে যায় , তাদের একজনের মুখেও শুনিনি আরবরা কোন ভাল প্রজাতির মানুষ, প্রতিটি মানুষ বলে তারা স্বভাবে এখনও অসভ্য ও বর্বর রয়ে গেছে। ইসলাম তাদেরকে এখনও মানুষ রূপে গড়ে তুলতে পারেনি। ঐসব অসভ্য আরবদের দেখে উপমহাদেশ বা অন্য কোথাও কেউ ইসলাম ধর্ম কবুল করেনি। আরব বিশ্ব ছাড়াও দুনিয়ার বাকী অংশে কেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মুসলমান তার জন্যে ইসলামের মানবিক বা আসমানী আবেদন যতটুকু , স্থানীয় কারন তার চাইতে অনেক বেশী দায়ী যা অন্য একটা নিবন্ধে বিস্তারিত তুলে ধরার আশা রইল। আরবদেরকে ইসলাম সভ্য করতে পারেনি, মোহাম্মদ তাদের মধ্যে একটা ঐক্য আনতে সক্ষম হয়েছিল যার বলে বলীয়ান হয়ে তারা বহির্বিশ্বে একটা সাম্রাজ্য বিস্তার করতে পেরেছিল আর তা সম্ভব হয়েছিল তরবারির জোরে , ইসলামের জোরে নয়। এব্যপারে ইসলামী পন্ডিতরা যতই ভুয়া প্রোপাগান্ডা ছড়াক কোনই লাভ নেই। ইসলাম আরবদেরকে সভ্য করতে পারেনি, আর যারা ইসলাম গ্রহন করেছিল এতদিন পর তার আসল চরিত্র ফুটে বেরোচ্ছে আর আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কেমন হিংস্র পশুর মত ইসলাম এখন তার চেহারায় বেরিয়ে আসছে, তাই যতই ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে চিল্লা চিল্লি করা হোক না কেন মানুষ সত্য জিনিসটা কি তা ঠিকই ধরে ফেলেছে আর তাই এখন মুসলমান মাত্রই মনে হয় সে জঙ্গী, সন্ত্রাসী, খুনী। আফগান তালেবানী শাসনের ভিডিও দেখেছেন? দেখেন নি মনে হয়, তাহলেই বুঝবেন ইসলাম কি জিনিস। আফগান তালেবানদের দেখলে মানুষ বলে মনে হয় নাকি হিংস্র পশু বলে মনে হয় ?আর সত্যি কথা হলো- তালেবানরাই হলো কোরান ও হাদিস এর আলোকে ১০০% সাচ্চা মুসলমান। আপনারা যতই গা বাচানোর জন্য তাদের সন্ত্রাসী বা বিপথগামী বলে অপপ্রচার চালান না কেন , বাস্তবে কোরান হাদিস খুলে ভাল করে চেক করে দেখেন ওই সব তালেবানরাই ছিল ও এখনও আছে ১০০% সাচ্চা মুমিন মুসলমান, ওরাই মোহাম্মদ ও তার আদর্শ ১০০% অনুসরন করে চলা মুসলমান। আপনাদের মত চেহারা বদলানো, ভোল পাল্টানো লোক কখনই সাচ্চা মুসলমান নয়।
@ভবঘুরে,
হাসব নাকি কাঁদব , বুঝতেছিনা। এখন থেকে তাহলে সাচ্চা মুসলমানের সার্টিফিকেট আপনার কাছ থেকে নেয়া লাগবে!!
আপনার মন্তব্যের পুরোটাই এতই অদ্ভূত , যে জবাব দেয়ার মানে হয় না।
@ফারুক,
না ভাই আমার কাছ থেকে সার্টিফিকেট নেয়া লাগবে না আপনি কোরান হাদিসের নিরিখে নিজেকে পরিমাপ করুন আর তাতেই বুঝবেন আপনি কতখানি মুসলমান। আমি আবারও বলছি- কোরান হাদিস পড়ে যতটুকু ধারনা হয়েছে তাতে – তালেবান, আল কায়দা, জে এম বি ইত্যাদি গোত্রের মানুষগুলোকেই সাচ্চা মুসলিম বলে মনে হয়েছে। এর বাইরে যারা মডারেট মুসলিম, সর্ব ধর্মের সহাবস্থানে বিশ্বাসী মুসলমান- এরা হলো মেকি বা ভুয়া মুসলমান। কারন কোরান হাদিসে কোন উদারতার স্থান নেই, সর্ব ধর্মের সহাবস্থানের সুযোগ নেই।
এখনকার মত এত বিপদে ইসলাম আগে কখনো পড়েনি। মাত্র দশ বছর আগেও ইসলাম নিয়ে তেমন কেউ চিন্তা ভাবনা করত না। কোরান হাদিস কেউ চর্চা করত না বিশেষ করে অমুসলিমরা। যে কারনে দশ বছর আগে শিক্ষিত মুসলমানরা যেভাবে তাদের ধর্ম নিয়ে চ্যলেঞ্জ দিত বর্তমানে কোরান ও হাদিসের আসল বিষয় প্রকাশ হয়ে পড়ায় এখন তারা আগের মত চ্যালেঞ্জ দেয় না। এখন যে কোন শিক্ষিত মুসলমানের সাথে ধর্ম নিয়ে আলাপ করতে গেলে সবাই এক বাক্যে বলে দেয় কোরান বলে- যার ধর্ম তার কাছে। বিগত দশ বছরের কোরান চর্চা অন্তত তাদের চ্যলেঞ্জ দেয়ার আত্মবিশ্বাসটাকে খর্ব করেছে। পক্ষান্তরে সৌদি পেট্রো ডলারের বলে বলিয়ান হয়ে বিশেষ করে কিছু টিভি চ্যনেলে ২৪ ঘন্টা আজগুবি প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন ্মাত্র টিভি চ্যনেলও যদি এসব আজগুবি দাবী আর প্রচারনার বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদান করা শুরু করত, তাহলে অতি সত্ত্বর এদের জারি জুরি সব ধরা পড়ে যেত। আর আমরা মানব জাতি রক্ষা পেতাম ।
ভবঘুরে,
অনেক দিন পর মুক্তমনাতে ঢুকে আপনার এই মূল্যবান লেখা পড়লাম। চমতকার লেখা তাতে কোন সন্দেহ নাই।
আমার মনে হয় আপনার এই বিশেষ সিরিজটার ইংরাজি অনুবাদ করে ইসলাম ওয়াচ, ফেইথফ্রিডম সাইট সহ অন্যান্য ইসলাম বিরোধী সাইটে প্রকাশ করা দরকার। এই সব সাইটের পাঠক সংখ্যা মুক্তমনার চাইতে অনেক বেশী এবং আন্তর্জাতিক। যেহেতু আপনার লিখার বিষয়বস্তু বিশ্বের সকল ‘বেইমান’ দের জন্যে–সেজন্য মনে হয় এই লেখার পাঠক আরো ৫০ গুণ হবে।
অনুগ্রহপূর্বক এই সিরিজাটা ইংরেজিতে অনুবাদ করুন।
@আবুল কাশেম,
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য।
বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেও ভেবেছি। আমার কিছু সাদা চামড়ার বিদেশী বন্ধু বান্ধবও আছে , তারাও আমাকে একই পরামর্শ দিয়েছে। মুশকিল হলো এ ধরনের লেখা লিখতে এমনিতেই বহু সময় লাগে। আর আমি ইংরজী আসলে চলার মত পড়তে, লিখতে বা বলতে পারি কিন্তু নিবন্ধ লেখার মত অত ভাল ইংরেজী আমার জ্ঞানভান্ডারে নেই। তাই সাহস করি না। মুক্তমনা সাইটের কেউ এ ব্যপারে আগ্রহী হলে বা আপনি আগ্রহী হলে আমার সাথে যোগাযোগ সাপেক্ষে অনুবাদ করে তা আপনার কথিক সাইটে প্রকাশ করতে পারেন। আপনার কথিত সাইটগুলোতে আমি নিয়মিত ঢু মারি, আর সেকারনেই এখন আমার লেখা গুলোতে আগের চেয়ে আরও বেশী বিশ্লেষণ করতে পারি। ওখানে আমি আপনার লেখাও পড়েছি। বলা বাহুল্য, আপনার লেখাই আমাকে এ ধরনের লেখা লিখতে বেশ অনুপ্রানিত করেছিল। কারন আগে ধারনা ছিল বাঙ্গালী মুসলমানদের মধ্যে হয়ত উদারপন্থি কিছু লোক থাকতে পারে কিন্তু এ ধরনের লেখার মত লোক নেই। আপনার লেখা পড়ে তাই আমি প্রথমে বিস্মিত হয়েছিলাম। এ জন্যে আমি আপনার কাছে পরোক্ষভাবে হলেও কৃতজ্ঞ।
@ভবঘুরে,
আপনার লেখা আমি পড়ি,কিন্তু মতামত কি দেব। কেননা আমি অনেক বিষয়েই অজ্ঞ। আর
জনাব আবুল কাশেমের ক”টা বই মানে ই-বই আমি পড়েছি। সত্যই বলতে কি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি।তবে বাংলায় অনূবাদ কম আছে। এমন কেউ যদি বাংলায় অনূবাদ করে দিতেন তাহলে আরো অনেক কিছু ভালো মত জানা যেত। আমি কোন পন্থী নই।কিন্ত,উদার পন্থী বটে। আপনার লেখাকে সাধুবাদ জানাই।
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ।
আপনাদের অনুপ্রেরনা আমাকে অনুপ্রানিত করে।
আসলে আমিও কোন পন্থি নই, তবে নিজেকে সত্যানুসন্ধানী মনে করি। সত্য জানার চেষ্টা করি। যদিও সত্য জানাটা সহজ নয়, বেশ কঠিন। চারিদিকে এত জঞ্জাল আর ধোয়াশায় আচ্ছন্ন যে তাকে ভেদ করে সত্য আবিস্কার অনেক সময় দুরুহ হয়ে পড়ে। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো সে কাজটা করতে হবে। আমি আমার অতি সামান্য অংশটুকু পালন করার চেষ্টা করছি।
ভাল থাকবেন।
@ভবঘুরে,
আনুবাদ করা সহজ কথা নয়–আমি তা জানি। ইতিপূর্বে আমি অনেক লেখকের লেখা ইংরাজিতে অনুবাদ করেছি। এতে অনেক সময় লেগে গেছে।
বর্তমানে আমি আকাশ মালিকের ‘যে সত্য বলা হয় নাই’ বইটির অনুবাদ করছি। এই অনুবাদটি বড়ই দুরূহ। আমি প্রায় অর্ধেক শেষ করেছি। বাকি অর্ধেক শেষ করতে মাস দুই-তিনেক লাগবে মনে হয়। এই অনুবাদ খুব গুরুত্বপূর্ন। এই অনুবাদ শেষ না করা পর্যন্ত আমি আর কোন কাজে হাত দিতে পারছি না। আমার বেশ কিছু লেখা এই জন্য বিলম্বিত হয়ে যাচ্ছে।
আপনি সিরিজ টা শেষ করুণ। যদি কেউ স্বেচ্ছায় অনুবাদ করতে চান তবে ভাল। আপনি নিজেও চেষ্টা করতে পারেন–আপনার ড্রাফট আমাকে পাঠালে আমি রিভিও করে দিব।
আর যদি তা না হয় তবে আপনার সিরিজটা শেষ করার পর আমার সাথে যোগাযোগ করুন—দেখি আমি কি করতে পারি।
@আবুল কাশেম,
আপনি ঠিক বলেছেন। অনুবাদ অত সোজা কর্ম নয়। তবে আপনি আপনার হাতের কাজ আগে শেষ করুন। আর আমিও ইতোমধ্যে একটু একটু করে অনুবাদ করার চেষ্টা করব। দেখি কতদুর কি হয়। আসলে আমি কখনও ভাবিনি যে আমার লেখা মানুষের নজরে পড়তে পারে। আপনাদের অনুপ্রেরনা সত্যিই আমাকে দারুনভাবে উতসাহ যোগাচ্ছে। আগামি সপ্তাহে ইউরোপ যাব , ওখান থেকে ফিরেই সব শুরু করার আশা রাখি।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য।
একটা উদাহরণ দেই। আমার এক আত্মীয়, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।
বাঙ্গালী শিক্ষিত মানুষ কিভাবে ধর্মের প্রতি অন্ধবিশ্বাস নিজের মধ্যে লালন করে আর তা ছড়িয়ে দিতে পছন্দ করে তা উনাকে দেখে বুঝতে পেরেছি।
পারিবারিক এক আড্ডায় হঠাৎ ধর্মের প্রসঙ্গের আগমন।তখন তিনি কাহিনী আমাদের শোনালেন। এক মার্কিন বিজ্ঞানী(তার নাম কী জিজ্ঞেস করে উত্তর পাইনি) নাকি সব ধর্মগ্রন্থ নিয়ে রিসার্চ (?) করে এই ঘোষণা দিয়েছেন যে কোরান নাকি পৃথিবীর সব জ্ঞানবিজ্ঞানের ধারক! বিজ্ঞানী্রা নাকি কোরান রিসার্চ(!!) করে সব আবিস্কার করছেন!
এসব ছিলো শুরু।এরপর তিনি এমন কাহিনী বললেন যে আমি একেবারে বাকরুদ্ধ। ভারতীয় কোনো এক নারী মহাকাশচারীর কথা বলছিলেন(এইবারও নাম জিজ্ঞেস করে জানা গেলো না)। তিনি নাকি মহাকাশে যাওয়ার সময় পৃথিবীর দুইটি জায়গা থেকে অনেক উজ্জ্বল আলো জ্বলতে দেখলেন। তিনি নাকি এঝতে পারছিলেন না এই আলোর কারণ কী। পরে ম্যাপ ঘেটে দেখলেন যে ওই দুটি জায়গা নাকি মক্কা আর মদিনা!! এরপর তিনি নাকি পৃথিবীতে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন!
বাঙ্গালী মুসলিম এমনই ‘চিজ’, তারা ধর্ম নিয়ে কোনো কাহিনী শুনলে তা সত্য কি মিথ্যা তা যাচাই করে না, অন্ধের মত তা বিশ্বাস করেই যায়।
@নিটোল,
সুনীতা উইলিয়াম। ভারতীয় নন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভোচারী। তাঁর ইসলাম গ্রহণের গালগল্পটা নীল আর্মস্ট্রং এর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের মতই হোক্স।
সত্য ধর্মের অনুসারীরা এই রকম গালগল্প প্রায়ই আবিষ্কার করে থাকেন তাঁদের ধর্মকে মহিমান্বিত করার জন্যে।
@নিটোল,
:laugh: :laugh: :laugh:
🙁 মাঝে মাঝে ভয়ই লাগে, মানুষের আত্মপ্রতারণার ক্ষমতা দেখে।
@রৌরব,
এই ধরনের গাল্গল্প সংকলন করে একটা পূর্নাংগ বই লেখা হলে সেরা কৌতূক হিসেবে সুপার হিট হওয়া উচিত।
তবে আজকাল শোনা যাচ্ছে যে এসব গালগল্প বের করে মুসলমানদের নামে চালিয়ে দেওয়াটাও কাফের নাসারাদের চাল হতে পারে। তারা মুসলমান সেজে তাদের উপর বদনাম দেওয়ার জন্য এসব গল্প ছড়িয়েছে।
@নিটোল,
এক বিদুষী মহিলার (এক্ষেত্রেও নাম পরিচয় অনুক্ত) বিমানযাত্রায় পাশের সীটে বসেছিলেন এক ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তিনি পরম যত্ন সহকারে সম্পূর্ণ ইসলামী কায়দায় নিজের হাতের নখ কাটছিলেন এবং মহিলা তা লক্ষ্য করছিলেন। অতঃপর মহিলা জানতে চাইলেন, এই বিশেষ কায়দায় নখ কাটার কারণ কি? তখন সেই ধর্মপ্রাণ মুসলমান তাঁকে বললেন, এটা নবীর নির্দেশ। মহিলা ভাবলেন, যে ধর্মের নবী নখ কাটার মত ক্ষুদ্র বিষয়েও নির্দেশ দিয়ে গেছেন সে ধর্ম মহান না হয়ে যায় না। তিনি তাৎক্ষণাত ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলেন এবং ঐ নখ কর্তককেই বিয়ে করলেন (কত নম্বর বিবি হইছিলেন তাও জানা যায় নি)।
এই রকম আরো শত শত কাহিনী আছে, যা উত্তম বিনোদনের উৎস। আমার মনে হয় এগুলো সংগ্রহ করে ই-বুক বানিয়ে একটা কৌতুকপূর্ণ সংস্কৃতি রক্ষায় আমরা ভূমিকা রাখতে পারি।
@পথিক,
কৌতুকের লিস্টে কি নীচের কাহিনী যোগ হতে পারে?
Pre-mature বাচ্চা হবে। অবস্থা জটিলতার দিকে গেল। আসন্ন প্রসবা মা কে ১১৫ মাইল দূরে Scott&White Hospital in Temple, TX নেওয়া হল। বাচ্চার রক্তের প্রয়োজন হল। হাসপাতালে সবই অনইসলামিক রক্ত। ভদ্রলোক (একজন বিজ্ঞানী) তাড়াতাড়ি নিজ শহরে চলে এলেন। কয়েকজন উতসাহী রক্তদাতাকে যথাস্থানে নিয়ে যাওয়া হল। বাচ্চাটি এখন পবিত্র রক্ত নিয়ে মাথা উচু করে বড় হচ্ছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
:-Y
ভাবছি অমুসলিম লোকগুলির কেউ ওখানেই ধর্মান্তরিত হলে কি তার রক্ত সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হয়ে যেত?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
তবে সব কৌতুকের কৌতুক মনে হয় এটা – ইহুদী খৃস্টানরা বিজ্ঞানের যে এত উন্নতি করেছে তা সবই কোরান রিসার্চ করে। আর নাসায় নাকি কোরান রিসার্চের জন্য একটা স্পেশাল ডিপার্টমেন্টই আছে।
@ভবঘুরে,
তবে সব কৌতুকের সেরা কৌতুক মনে হয় এটা – ইহুদী খৃস্টানরা বিজ্ঞানের যে এত উন্নতি করেছে তা সবই কোরান রিসার্চ করে। আর নাসায় নাকি কোরান রিসার্চের জন্য একটা স্পেশাল ডিপার্টমেন্টই আছে
@পথিক,
আমাদের পথিক নিকের একজন ব্লগার রয়েছেন। তাই আপনি যদি অন্য নিক ব্যবহার করতেন তবে খুশি হতাম।
@আদিল মাহমুদ,
একেবারে খাটিঁ কথা!
আমাদের দেশে মূলত অশিক্ষিত,অজ্ঞ কাঠমোল্লাদের কাছে এছাড়া
কোন মশলা নেই।
এখানে প্রিষ্টদের আশ্রম গুলি দেখার সুযোগ হয়েছিল!
একেকজনের আবাস বইয়ের আলমারী দিয়ে ভরা!
মনে হয় লাইব্রেরী!
তারা বইও লেখে!
আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানসহ এমন কোন বিষয় নেই তারা জানেনা।
এজন্যই এরা এত উদার!
আমাদের মসজিদ,মাদ্রাসা,টিভিমোল্লারা কবে এমন হবে?
@লাইজু নাহার,
ঠিকই বলেছেন। তাদের নানান অপকর্ম সত্বেও পাদ্রীরা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চাটা অনেক কাল যাবৎই করে আসছে।
@রৌরব,
পাদ্রীরা জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা না করলেও অন্তত মুসলমানদের মত স্বাড়ম্বরে আদা জল খেয়ে তাদের বাইবেলের মধ্যে বিজ্ঞানের সব সূত্র খোজায় ব্যস্ত নেই। কিছু কিছু হয়ত খোজে কিন্তু মুসলমানদের মত সব কাজ বাদ দিয়ে করে বলে মনে হয় না।
@লাইজু নাহার,
ধন্যবাদ, আমি এই কথাগুলিই বলতে চাচ্ছিলাম।
আমার মূল বক্তব্য হল শুধুমাত্র রিচূয়াল নিয়ে মাতামাতি করার ফলেই অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বাস্তবতাবোধ হয় অনেক ক্ষেত্রে পরাজিত।
হাজারটা উদাহরন দেওয়া যায়। রোজার দিনে প্রকাশ্যে কেউ খাচ্ছে দেখলেও ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে, তবে প্রকাশ্যে ঘুষ দূর্নীতি বা চোখের সামনে ঘটা হাজারটা অন্যায় দেখলে ধর্মানুভূতি তেমন কোন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে না।
দেশ ধীরে ধীরে সবার চোখের সামনে দূর্নীতিতে ছেয়ে গেল। কাল দেখলাম ইউটিউবে ভিডিও সার্জেন্ট গাজীপুরে দিনের আলোয় দল বল নিয়ে চাঁদাবাজী করছেন। কাউকে কোনদিন কেউ বলতে শুনেছেন এসবে আমাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত ঘটছে?
এই সমস্যা ধার্মিকদের মাঝে মুসলমানদের মাঝেই সবচেয়ে বেশী।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি যথার্থ বলেছেন। ইসলামী বিধিতে ঘুষ খাওয়া বা দুর্নীতি করা কিন্তু হারাম নয়। বিষয়টি শুনে আজব লাগলেও এটাই সত্যি। ইসলামী বিধিতে ঘুষ খাওয়াকে উপঢৌকন নেয়া হিসাবে গন্য করা হয়, যা স্বয়ং আল্লাহর নবী মোহাম্মদ পর্যন্ত গ্রহন করতেন, তার মানে তা ইসলামী বিধি অনুযায়ী অনুমোদিত। কেন আল্লাহর নবী উপঢৌকন গ্রহন করতেন। কারন তার সংসার প্রতিপালনের কোন নির্দিষ্ট পেশা ছিল না। তাই তার পরিবার পরিচালনার জন্য সাহাবীদের কাছ থেকে উপঢৌকন ও যুদ্ধ লব্ধ গনিমতের মালের ওপর নির্ভর করতে হতো। এমনি এমনি গনিমতের মাল বিষয়টি ইসলামে চালু হয়নি। তো একজন সরকারী কর্মচারী বা কর্মকর্তা যে বেতন পায় তা দিয়ে তার সংসার চলে না বর্তমান বাজার দরে, তাই সে মানুষের কাছ থেকে উপঢৌকন আদায় করে। যাকে আপনারা দুর্নীতি বলছেন। এটা আমার কথা না। একজন পরহেজগার ও ইসলামী শরিয়া সম্পর্কে ভাল জানা শোনা এক লোকের ব্যখ্যা। এর পরে উপঢৌকনের মাত্রা বা পরিমান বেশী হলে তারও সমাধান ইসলামে আছে। তখন যেটা করতে হবে তা হলো সাধারন সময়ে বা ঈদের সময় বেশী করে ফকির মিশকিনদের দান করতে হবে , মসজিদ বা এতিম খানা গড়ে তুলতে হবে বা তাতে সাহায্য করতে হবে। একসময় হজ্জে গিয়ে খোদ মোহাম্মদের কবর জিয়ারত করে , তার কাছে সব গুনা খাতা মাফ করে দেয়ার আর্জি জানিয়ে আসতে হবে। অতপর পরম করুনাময় আল্লাহর কাছে মাগফেরাত কামনা করতে হবে, তিনি তখন সব গুনাহ মাফ করে দেবেন। ঠিক একারনেই মুসলমানদের মধ্যে দুর্নীতি করার প্রবনতা অনেক বেশী কারন তারা এটাকে অন্যায় মনে করে না । এমনকি এই পবিত্র রমজান মাসে দুর্নীতি করার মাত্রা সব চাইতে বেশী। সারাদিন রোজা থেকে তারা মহা উল্লাসে ঘুষ খায় যেন ঈদের সময় বেশী করে দান ফেতরা দিতে পারে। তাহলে সব গুনাহ মাফ। শুনতে খারাপ লাগতে পারে , কিন্তু এটাই সত্য ও বাস্তব।
@ভবঘুরে, :laugh:
আপনি কি এইসব কথা সিরিয়াসলি বলেন?
এই ব্যাক্তিটি কে?
@আদিল মাহমুদ,
এটা সিরিয়াস বা আনসিরিয়াসের কিছু না । ব্যখ্যাটা ঠিক কিনা সেটাই আসল। টিভিতে যাদের ইসলাম নিয়ে অনর্গল কথা বলতে দেখেন তারা নিশ্চয়ই এ ধরনের অপ্রিয় সত্য কথা বলবে না। আমি এ বিষয়টা জেনেছিলাম এক হুজুর একবার আমার এক এসি ল্যান্ড বন্ধুর ভুমি অফিসের কানুনগোকে ঘুষ দিয়েছিল সেখান থেকে। আমি হুজুরকে তখন জিজ্ঞেস করলাম এটা আপনি তো অন্যায় কাজ করলেন একজন হুজুর মানুষ হয়ে। তো তখন সে আমাকে হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে ব্যখ্যা দিয়েছিল যে উপঢৌকন নবী গ্রহন করতেন তাই কাউকে কোন কাজের জন্য উপঢৌকন দেয়া হারাম কিছু না। অবশ্যই ব্যক্তিগত পর্যায়ে হয়েছিল আলাপটা। আর হুজুরটিও আমার পরিচিত মানুষ ছিল। ফলে আমি নির্দ্বিধায় জিজ্ঞস করেছিলাম নিতান্ত কৌতুহলী হয়ে তার উত্তর বা ব্যখ্যা জানার জন্যে। হুজুরটি ছিল এক মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট।
@ভবঘুরে,
রাগ করলেন নাকি? 🙂
আসলে আপনার সেই আলেমের কথানুযায়ী মনে হচ্ছিল যে ঘুষ খাওয়াও একতা সুন্নত হতে পারে তাই মনে করে প্রচন্ড হাসি পাচ্ছিল। তার উপর দজ্জাল, ইয়াজ মারুজ ঘটিত কিছু পিলে চমকানো আলাপে মন এমনিতেই ফুরফুরে ছিল।
সেই হাদীসটা কি বলতে পারেন নাকি?
হাদীস জানি না। আমার মনে হয় মুসলমান দেশগুলিতে দূর্নীতি বেশী তার মূল কারন দারিদ্র। বেশীরভাগ মুসলমান দেশই জনসংখ্যার ভারে ন্যূব্জ, তাও আবার অশিক্ষিত, দরিদ্র। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। তবে এর সাথে ধর্মের যোগ পরোক্ষভাবে হলেও আছে। রিচ্যূয়াল দিয়ে মানুষের পাপ কাজ হালাল করার প্রবনতা আছে। এই জন্য আমাদের দেশে যেমন দূর্নীতি বেড়েছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে টুপি দাড়িওয়ালা লোকের সংখ্যা এবং হজ্ব করার হারও অনেক বেড়েছে। নানান রকমের দোয়া দরুদে পাপ কাটানো যায়, আর হজ্ব করে ফেললে তো কথাইও নেই। আমল নামা এক্কেবারে রিনিউ। এমন সুযোগ থাকতে হেলায় হারাবে কে?
@আদিল মাহমুদ,
আমার কাছে ধর্মকে সবকিছুর মূল কারন মনে হয়, অনেকে ভিন্ন মত পোষণ করতে পারেন অবশ্য। হাদিসে আছে- দরিদ্রদের বিচার কেয়ামতের দিন সহজ করা হবে। তাহলে কোন পাগলে ধনী হতে চাইবে যেখানে পরকালই আসল জগত ? তার মানে দারিদ্র মানুষের কাছে অভিশাপ না হয়ে আশীর্বাদ হিসাবে প্রতিভাত হয়। ফলে মানুষ দারিদ্র দুরীকরনের চেষ্টা বাদ দিয়ে বেশী করে নামাজ রোজা শুরু করে দেয়। যারা সরকারী চাকুরীজীবি, তারা যে ঘুষ খায় তাকে তারা কেন তাবিকে খারাপ কাজ মনে করে না তা তো আগেই বলেছি। আমি আবারও বলছি অধিকাংশ দুর্নীতি বাজ মনে করে কিছু রিচুয়াল কাম কাজ করলে তাদের যাবতীয় দুর্নীতিমূলক কাজ জায়েজ হয়ে যায়। যে কারনে তারা দুর্নীতি করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। তাহলে এবার আপনি বলেন আমাদের যাবতীয় দু:খের কারন কি ? সর্বপ্রথমে ধর্ম আর বাকি সব হলো ধর্ম থেকে উদ্ভুত বাই প্রোডাক্ট।
@ভবঘুরে,
এই কথাটা দুনিয়ার মানুষ তো মানেই না, নিজের বউও মানেনা। আমি বলি রোজা রাখবোনা, বউ বলে- আমি তোমাকে ভাত দিয়ে গোনার ভাগি হবোনা।
এ একটা উদাহরণ মাত্র।
আমি অনেক পরিবার দেখেছি যারা সুন্দর সুখী ভবিষ্যতের সপ্ন দেখে ঘর বেঁধেছিল, আর সেই ঘর ধর্মের কারণে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে অথবা বিষাক্ত কণ্ঠক হয়ে গলায় ঝুলে আছে। বউ টেলিভিশন দেখবে স্বামী নিষেধ করে, স্বামী রোজা রাখবেনা স্ত্রী রাগ করে, বউ সঙ্গমে রাজী নয় স্বামী বউকে ধর্ষন করে, বউ ঘরে সতিন আসতে দিবেনা স্বামী বউকে তালাক দেয়। ধর্মের কারণে হাজার হাজার যুবতী মেয়েরা তিরিশ বছর যাবত বাপের মাথার বোঝা হয়ে ঘরে পড়ে আছে, তাদের বিয়ে হয়না। ধর্ম তাদেরকে নিজের পায়ে দাঁড়াবার চেষ্টাটাই করতে দেয়না। বাসর ঘরে সঙ্গমকালে বধুর কাপড় উপর থেকে নীচে নামানো হবে, না নীচ থেকে উপরে উঠানো হবে তা’ও শরিয়ত বলে দেয়। অশিক্ষিতের কথা না হয় বললামই না। শিক্ষিত ধার্মিক ধনী অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল মুসলমান পুরুষের সাথে শিক্ষিত বাঙ্গালি নাস্তিক মেয়ের সংসার আমি দেখেছি। শিক্ষিত ধার্মিক ঐশ্বর্য্যশালী মুসলমান নারীর সাথে শিক্ষিত নাস্তিক বাঙ্গালি পুরুষেরর সংসারও আমি দেখেছি। তাদের চলার পথে পদেপদে বিছানো ধর্মের বিষাক্ত কাঁটা। দেখেছি কী ভাবে ধর্মের দোহাই দিয়ে নতুন প্রজন্মের মেধা প্রতিভা ধ্বংস করা হয়, কী ভাবে অপ্রস্ফুটিত মুকুলেরা অকালেই ঝরে যায়। যারা এ সমস্ত দেখেনা, তারা বাস্তব বিবর্জিত কথা বলে, তারা চোখ থাকিতে অন্ধ, তারা কানা, বধির। আর যারা এর বিপরীতে কোরান হাদিসের মনগড়া ব্যখ্যা নিয়ে আসে তারা ভন্ড প্রতারক।
কী যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশিবিষে দংশেনি যারে?
@আকাশ মালিক, 🙂
আসলে মুশকিল হল ধর্মের মাঝে সব কিছুর সমাধান আছে, জীবনের সব যায়গায় ধর্ম লাগাতে হবে এই ধারনায়।
জীবনের জন্য ধর্ম না হয়ে যখন ধর্মের জন্যই জীবন এই বোধ প্রবল হয় তখনই সমস্যা।
@আকাশ মালিক,
আপনি যথার্থ বলেছেন। অনেকেই কিন্তু আসলে ধর্ম আর দারিদ্রকে সম্পুরক মনে করে। কিন্তু বিষয়টা যে তা নয় আপনি যথার্থ ধরতে পেরেছেন। ধর্মই দারিদ্রকে আমন্ত্রন জানায়, ধর্ম দারিদ্রকে দুর করতে উতসাহ যোগায় না, ধর্ম মানুষকে তার স্বীয় সৃষ্টিশীলতাকে কাজ করতে না, ধর্ম মানুষকে তার ভাগ্য গড়তে অনুপ্রেরনা দেয় না। ধর্ম মানুষকে ক্রমশ: পিছন দিকে টেনে নিয়ে যায়, যে কারনে মানুষের জীবনে বাকী সব দু:খ কষ্টের উদ্ভব ঘটে। অনেকে এখানেই ভুল করে বলে যে ধর্ম আর দারিদ্র সম্পূরক, বিষয়টি মোটেও তা নয়। ধর্মই সব কিছুর সূত্রপাত করে যাকে আশ্রয় করে বাকী সব উদ্ভুত হয়।
@ভবঘুরে,
আমাদের যাবতীয় সমস্যার মুল কারন ধর্ম না দারিদ্রতা এটা হলো এমন একটা ব্যাপার যে “ডিম আগে না মুরগি আগে”। ধর্মটাই মানুষকে দারিদ্রতার দিকে ঠেলে নিয়ে যায় আর দারিদ্রতা মানুষকে ধর্মের দিকে আরো টেনে নিয়ে আসে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনার সাথে আমি একমত নই। মানুষ দরিদ্র হলেও ধর্মের কারনে সে তার ভাগ্যকে গড়ে তোলার আপ্রান চেষ্টা না করে বরং আল্লাহ বিল্লাহ করে জীবনটা কাটিয়ে দেয় পরকালে বেহেস্তে হুর পরীদের সাথে ফুর্তি করার আকাশ কুসুম কল্পনায়। ধর্মে এমন অটুট বিশ্বাস না থাকলে বা ধর্ম না থাকলে সে তার ভাগ্যকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করত, দারিদ্র দুর করার চেষ্টা করত। ইহজগতে জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার চেষ্টা করত। অতপর দারিদ্র থেকে বাকী অনেক দু:খ কষ্টের উদ্ভব ঘটে। তাই ধর্মই হলো মূল কারন মানুষের জীবনকে দু:খ কষ্টময় করে তোলা।বাকী গুলো আগেই যেমন বলেছি ধর্মের বাই প্রোডাক্ট।
@ভবঘুরে,
কথায় যুক্তি আছে। বস্তুত সেটাই দেখা যায়। কেউ যদি মনে প্রানে বিশ্বাস করে যে এই দুনিয়া কিছু না, পরকালই আসল তবে তার ইহকালের প্রতি মনোযোগ দেবার চাইতে পরকালের দিকেই মন দেওয়া যুক্তিসংগত। বরং দোয়া করা উচিত যাতে ইহকালের জীবন তাড়াতাড়ি শেষ হয়, কারন যতদিন বেচে থাকবে তত বেশী গুনাহর সম্ভাবনা।
সমালোচনাকারীরা একে ব্যাখ্যা করবেন গরীব মানুষকে ভুলিয়ে ভালিয়ে শান্ত রাখার বুদ্ধি হিসেবে।
@ভবঘুরে,
মানুষের জীবনে দু:খ কষ্টের জন্য সব সময়ই যে একটি মাত্র কারন দায়ী তা বোধ হয় সঠিক নয়। একজন ধর্ম না মানা লোকও দরিদ্র থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় দরিদ্র হওয়ার কারনে এই ধর্ম না মানা লোকটাও আস্তে আস্তে ধর্মের দিকে ঝুকে পড়ে।
প্রথম পর্বটা পড়া হয়নি পড়ে নেব।
ভাল লাগল।
একদিন এক কলেজের প্রভাষকের সাথে কথা বলছি।
তিনি গনিত পড়ান। কিন্তু জানেন না পৃথিবীর কোথায় মানুষ বাস করে।
ছোটদের মতো তিনিও বল্লেন ভেতরে।
কথা হচ্ছিল মক্কা ঘড়ি নিয়ে। গ্রিনীচ মান সময় সম্পর্কে জানেন না।
তিনি বলে থাকেন গ্রিনীচের ঘড়ির সাথে মেলাতে পারলে মক্কা ঘড়ির সাথে মেলালে সমস্যা কোথায়?
সবাই মিলে করলেই হল।
এই সকল শিক্ষকদের কাছে, আমরা মানুষ হওয়ার জন্য যাই।
ধন্যবাদ
@আসরাফ,
ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের দেশের তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেনীর মানুষগুলো সমাজের কম সর্বনাশ করছে না। আসলে এদেরকে শিক্ষিত বলা যায় কিনা সেটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ।
ভবঘুর েবাবু ভাল লিখছেনে কিন্তু কােরান আর মহম্মদরে ফেন্টাস িবদলাত েঅনকে সময় লাগব।ে পৃথবিীত েআরো রক্ত ঝরাত েহব।ে বটিভিতি েআগ েপ্রায় রাত েএকটা প্রোগ্রাম দখেতাম তাত েতথা কথতি মুসলমি পন্ডতিরা আসতনে। অদরে ভাষায় পৃথবিীর সব আবষ্কিাররে পেছন েনাক িকোরানরে অবদান, হাস্যকর লাগত। নউিটনরে সূত্রগুল িনাক িকােরান হাদসি েলেখা আছ।ে অবশ্য হন্দিুরা কম যায় না। আজকরে সব আবষ্কিার নাক িমহাভারতরে দান। মুসলমানদরে গোড়ামী আর কুংস্কার থকে েনা বেরুল েঅনকে মূল্য দতি েহব।ে যা অমুসলমিরা ধমর্রে অসাড়তা বুঝ েনজিকে েবদল েনচ্ছি।ে লজ্জা লাগ েআরব দুনয়িার তথা কথতি শরয়িত আইনরে দ্বারা মানুষরে উপর অত্যাচার। মাদ্রাসাত েশশিুদরে নয়ি েছােট থেক েমগজ ধােলাই। তা হল েযদ িনা করা হত তা হল েমুসলমি উগ্রবাদীদরে হাত থকে েপৃথবিী বঁেচ েযতে। ভবঘুর েবাবু যাদরে ছােট থকে েমগজ ধােলাই দয়ো হচ্ছ েতাদরে কাছ েক িভাব েআসা করনে যুক্তবিাদী মনবৃত্ত।ি
@সুমিত দেবনাথ,
আপনার লেখা উদ্ধার করতে কিছুটা সময় ব্যয় করলাম। শেষে হলো এভাবে-
ভবঘুরে বাবু, ভালো লিখেছেন, কিন্তু কোরান আর মহম্মদের ফেন্টাস বদলাতে অনেক সময় লাগবে। পৃথিবীতে আরো রক্ত ঝরাতে হবে। বিটিভি-তে আগে প্রায় রাত একটার প্রোগ্রাম দেখতাম, তাতে তথাকথিত মুসলিম পন্ডিতরা আসতেন। ওদের ভাষায় পৃথিবীর সব আবিষ্কারের পেছনে নাকি কোরানের অবদান; হাস্যকর লাগত। নিউটনের সূত্রগুলো নাকি কোরান হাদিসে লেখা আছে। অবশ্য হিন্দুরাও কম যায় না- আজকের সব আবিষ্কার নাকি মহাভারতের দান। মুসলমানদের গোড়ামী আর কুসংস্কার থেকে না বেরুলে অনেক মূল্য দিতে হবে। যা অমুসলিমরা ধর্মের অসাড়তা বুঝে নিয়ে নিজেকে বদলে নিচ্ছে। লজ্জা লাগে আরব দুনিয়ার তথাকথিত শরিয়ত আইনের দ্বারা মানুষের উপর অত্যাচার। মাদ্রাসায় শিশুদের নিয়ে ছোট থেকে মগজ ধোলাই যদি না করা হত তাহলে মুসলিম উগ্রবাদীদের হাত থেকে পৃথিবী বেঁচে যেত।
ভবঘুরে বাবু, যাদের ছোট থেকে মগজ ধোলাই দেয়া হচ্ছে তাদের কাছ থেকে কিভাবে আশা করেন যুক্তিবাদী মনোবৃত্তি।
[আপনার লেখা আমি কি ঠিকমত বুঝতে পারলাম?]
@মাহফুজ,
ঐটা হবে ফেন্টাসি। 😀
@সাইফুল ইসলাম,
মুক্তমনা সাইট যে খালি মুক্ত বুদ্ধির চর্চা করে না , এখানে যে কিছু ব্যকরনের শিক্ষাও লাভ করা যায় এটা তার উজ্জ্বল নমুনা। :laugh:
@ভবঘুরে,
বানানটি কি ঠিক আছে?
@মাহফুজ,ঠকিই ধরছেনে তব েফ্যান্টাস এর জায়গায় ফ্যান্টাসী আর রাত একটার জায়গায় রাত েএকট িহব।ে হ্যাঁ আম িবজিয় েলিখত েগয়ি েএই প্রবলমে হচ্ছ।ে লখেছ িঠকি কন্তিু সন্ডে করার পর সব এলােমলোে হয় েযাচ্চ।ে আপনার কষ্টরে জন্য ধন্যবাদ। তব েপারশ্রিমকি দতি েপারব না. হাঁ হাঁ হাঁ
তথাকথিত স্কলারদের তফসীর আর আপনার কৃত তফসীর এর ভিতর তেমন কোন পার্থক্য নেই, দুইটাই ভুল ব্যাখ্য। সেই গতানুগতিক লেখা।
ধন্যবাদ
@Russell, আমি ভাই কোন স্কলার নই। সামান্য ব্লগ লেখক। মুক্তমনা সাইটে চান্স পেয়ে লেখা লেখি করি। এ সাইটের খোজ না পেলে হয়ত কোনদিন লেখা ও তা প্রকাশ করাই হতো না। তাই সব দোষ এই মুক্তমনা সাইটের আমার না। :laugh:
@Russell,
অন্য একটি প্রবন্ধে আপনি কোরানের শুদ্ধ একখানি তাফসির ফরমাইয়াছিলেন এই ভাবে-
সুবহানাল্লাহ। তারপর আমিও কোরান হইতে একটি আয়াত বাহির করিয়া শুদ্ধ একখানি তরজমা করিয়াছিলাম এই ভাবে-
আল্লাহ কথা বলতে পারে কারণ তার মুখ আছে, তিনি বস্ত্র পরেছিলেন কারণ তার ইয়ে আছে, শরম আছে, আর আল্লাহর পূর্বেও দুই ঠ্যাং ওয়ালা আল্লাহ ছিল। (সুরা গরু)
আমার তাফসির অনুবাদ ঠিক আছে তো?
তারপর সমস্ত কোরান পড়িয়া বুঝিয়া আপনি আবিষ্কার করিলেন যে,
আপনার এই ব্যখ্যা পড়িয়া শুধু একটি কথাই বলিতে পারি, একসাথে ৪০ছিলিম গঞ্জিকা সেবন না করিয়া জগতের মনুষ্যকুল আপনার ভাষা বুঝিতে পারিবেনা।
হাছা খতা খইছইন, এখজারাও মিছা নায়।
@আকাশ মালিক,
জানিনা। আমি জানতাম মুসলিম জাতি মরফিয়া নিতে হয়না, তারা এমনি মরফিয়া ডোজড। আপনার ্মন্তব্য পড়ে সেই প্রমান আবার পেলুম। ঐ Mওল্লা, আলেম, স্কলার আর আপনার ভিতরেও তেমন পার্থক্য পেলাম না, ওরা কাগজের কোরান মাথায় তুলে নাচে, আর আপনে ঠিক একই বানরের নাচা নাচেন কাগজের কোরান ছুড়ে দিয়ে। কিন্তু কাগজের ঐ বই ছুড়ে দিলেও কি? আর গলায় ঝুলায় রাখলেও কি? দুই চারটে রম্য গল্প লেখা আর কোরানের গভির তত্ব ধরা এক বিষয় না।
যাইহোক ভাল থাকুন। মানসিক ডাক্তার দেখান , আপনার প্রয়োজন, আমার মনে হইল। চারিদিকে শুধু গঞ্জিকা সেবন ছাড়া আর কিছুই দেখছেন না।
ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক,
রাসেল সাহেব কখন কি বলেন তা ঠিক মতো রেকর্ড করে রাখেন না । যা মনে আসে তাই বলে যান মনে হয়। কিন্তু এখানে এই মুক্ত মনা সাইটে তার চাইতেও ধুরন্ধর লোক যে আছে আর তারা যে অন্য মানুষের বক্তব্য সব সময় রেকর্ড করে রাখে তা তার মনে হয় জানা ছিল না। তবে আশা করা যায় এর পর থেকে রাসেল সাহেব একটু বুঝে শুনে মন্তব্য করবেন। 😉
@ভবঘুরে,
হুমম…
সেটাই। নয়ত আপনাদের আজেবাজে মন্তব্য থেকে রেহাই নাই। এই কারনেই বলেছিলাম, মোল্লা আলেম আর আপনাদের লেখার ভিতর কোন পার্থক্য খুজে পেলাম না। তারাও যেমন কোরান পড়ে সব বুঝে গেছে, নতুন বুঝার কিছুই নাই মনে করে, আপনাদের ভিতরেও সব বুঝে ফেলেছি বলে যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সেটাই সমস্যা হয়ে গেছে। কিছু নতুন চিন্তার বিষয় যে আছে সে বিষয় আপনারাও অন্ধ যেমনটি ঐ মোল্লারাও শুনতে চায়না, বুঝতে চায়না। কোরান এতদিন পড়েছেন যেভাবে সেভাবেই মনে করেন ঠিক জেনেছেন, বুঝেছেন, আর তাই একে সুন্দর ভাবে জানার বুঝার প্রয়োজন আর আপনারা দেখেন না, যদিও আপনে এই কোরান বিদ্বেশী লাইনে নতুন, আপনার লেখা দেখলেই বুঝা যায়। আপনে এখন সব কিছুই না বুঝে লাফান।
আপনারা যদি মুক্ত মনা হতেন, সত্যই আলোচনার জন্য, সমালোচনার জন্য লিখতেন তাহলে চিন্তা করে দেখতেন যে, কোরানের যে ব্যাখ্যা আমি দিয়েছি সেটা আলেমদের মত গতানুগতিক, মিথ্যা, ভুল, অসম্পুর্ন, বানানো কিচ্ছা কাহিনি, আবেগী মিথ্যা ভাবসম্পুর্ন বলা হচ্ছে কিনা। সেটা নিয়ে কথা বলতে পারতেন, উলটা পালটা খোটা বা বাজে কথা বলে মন্তব্য কারীর মন্তব্যের উপর আলোচনা করতেন, মন্ত্যব্য কারীর সাথে হাস্যকর তামাশা করতেনা। আপনারা আসলেই ধুরন্দর সেটার প্রমান করলেন, মুক্তমনার নামে। আপনাকে কাফের এর ব্যাখ্য বললাম আপনে এর পরে আর খুজে পাওয়া গেলনা, হঠাত একদিন বললেন আমি কোরান বিশ্বাস করে বসেছি তাই আর আমার মন্তব্য পড়া যাবেনা, -অথচ আপনে কোরানের নাম ভাঙ্গিয়ে কাফের এর উলটা পালটা মন্তব্য করলেন। সেই কোরানের নাম দিয়ে সোজা করে দিলাম তাতেও আপনার হলনা।
নিজেদের মুক্তমনা না ভেবে ভাবুন কোরান বিদ্বেসী। সেটা কোন যুক্তির উপর না। এমনি বলুন “আমরা কোরান বিদ্বেসী”। হয়ে গেল। শুধু কোরান গালি দিলেই, মোহাম্মদকে গালি দিলেই মুক্ত মনা হয়ে যায়?
আর উত্তর জানা না থাকলে মোল্লারা কাফের বলে, গালাগালি দেয়, আপনে আকাশ মালিক সাহেব তার ব্যতিক্রম কিছুই করলেন না। এত বড়বিদ্যান হওয়ার পরেও এই কাজ গুলো করে বসলেন। আমি বলেই ছিলাম যে না “না বুঝলে প্রশ্ন করবেন” ; “আমি ভাল লেখক নই” তারপরেও উলটা পালটা একটা মন্তব্য করে বসলেন।
যাইহোক ভাল থাকেন।
@ ভবঘুরে,
আপনার লিখাগুলো পরেই বদর এর যুদ্ধের অনেক অজানা কাহিনী জানতে পারলাম…আগে কখনোও জানতাম না ”বদর যুদ্ধ ছিল মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলায় আতর্কিতে হামলা করে মক্কাবাসীদের মালামাল লুট করে নেয়ার মোহাম্মদের এক কুমতলবের ফল”। এসব আগে কখনোও শুনিনি বা কোথাও পড়িনি…তবে আপনি যেহেতু এই বিষয়ে লিখেছেন আপনি কোথাও না কোথাও তো অবশ্যই পড়েছেন…খুব ভাল হয় আপনি কোথা থেকে এসব জানতে পেরেছেন বললে…কোন বই,কার লিখা বই বা কোন ওয়েবসাইট…যেটাই হোক না কেন বললে অনেক খুশি হতাম…
@Sourov,
ভাই আপনি এই সাইটে ক্লিক করেন, দেখবেন আসল ঘটনা। ওটা কিন্তু একটা ইসলামী সাইট। কিন্তু আপনি খোলা মনে পড়লেই আসল রহস্য বুঝতে পারবেন। আসলে ইসলামের ইতিহাসে সর্বত্রই বদর এর যুদ্ধের বিপুল মহিমার কথা বলা হয়েছে এভাবে যে মোহাম্মদ মাত্র ৩১২ জন লোক নিয়ে কুরাইশদের ১০০০ জনের বেশী লোককে পরাজিত করেছিল। আর বলাবাহুল্য আল্লাহর সরাসরি সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না এটাও সাথে সাথে স্বাড়ম্বরে প্রচার করা হয়। প্রতিটি ধর্মপ্রান মুসলমান মাত্রই তাতেই পুলকিত হয়ে ওঠে। ভিতরের খবর জানার দরকার মনে করে না। কিন্তু আপনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটু সাইটটিতে গিয়ে ঢু মারেন আপনি নিজেই সেটা বুঝতে পারবেন আসল ঘটনা কি ছিল।
@Sourov,
এখানে একটু দেখুন তো।
সবটুকু পড়ে ভবঘুরের এই লেখায় আপনার মতামত জানাবেন। ৩৫ পৃষ্ঠায় আছে বদর যুদ্ধ। তবে প্রথম পৃষ্ঠা থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
@Sourov,
@Sourov,
বদর যুদ্ধের মূল কারণ সম্পর্কে জানতে হলে এই লেখাটি পড়ুন।
অক্ষত অবস্থায় আশা করি এই লেখা লিখতে পেরেছেন। পরিস্থিতির তো যে বর্ননা দিলেন তাতে আরেকটু হলেই খুনাখুনি না হোক নিদেনপক্ষে হাতাহাতি হতে যাচ্ছিল 🙂 ।
পরকালে পূর্ন বিশ্বাসে আমি তেমন সমস্যা দেখি না জানেন। আমি মনে করি না যে শুধু পরকালে বিশ্বাসের কারনেই বাস্তবমুখী দৃষ্টিভংগীর অভাব হয়েছে। ইহুদী খৃষ্টানরাও তো পরকালে বিশ্বাসী। তাদের তাহলে এই সমস্যা নেই কেন?
আমার মনে হয় পরকালে বিশ্বাস নয়, পরকালে সিদ্ধি লাভের যেসব উপায় মুসলমানেরা ধর্মীভাবে গুরুত্ব দেয় সমস্যাটা সেখানে। অর্থাৎ বেশী বেশী নামাজ রোজা হজ্জ্ব এসবের মাধ্যমেই পরকালে অপার শান্তি মিলবে – সমস্যাটা এইখানে। এগুলি নিছক রিচূয়াল ছাড়া আর কিছু নয়। মুসলমানদের কাছে ধর্ম বলতে আসলে কিছু রিচূয়াল পালন যা তারা বংশানুক্রমে লাভ করে আর সুর করে অর্থ না বুঝে আরবীতে কোরান পড়া। এর বাইরে যে বাস্তবের একটি জগত আছে, যেই জগতে টিকে থাকতে হলে কোন খোদাই সাহায্য সরাসরি আসে না নিজের যোগ্যতায় টিকতে হয় এই বোধটাই হয়ে গেছে গৌণ।
ইহুদী খৃষ্টানরা পরকালে বিশ্বাস করলেও দিন রাতে হাঁকডাক করে নানান কায়দায় কেবল আল্লাহ আল্লাহ জপে গেলেই পরকালে পরিত্রান পাওয়া যাবে এই বিশ্বাসে সেভাবে ভোগে না। সে জন্য তারা বেশী বাস্তবমুখি।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি বলেছেন
বাস্তবমুখী মুসলমানও আছে। আবার ক্রিস্টান/ইহুদী মোল্লারা মুসলিম মোল্লাদের চেয়ে কম যায় না। কিন্তু কথা সেটা না। একজন ধর্মবাদীর বিশ্বাসকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। নাস্তিকতাও এক ধরনের গোঁড়ামি হতে পারে। সেই গুলি হলো নাস্তিক মোল্লা।
কেবল আল্লা-আল্লা জপেই পরিত্রাণ? না। কোরানের স্পষ্ট আদেশ হলো “be compassionate”. যেখানে অন্যায় সেখানেই মুসলমানকে প্রতিবাদ জানাতে হবে, অন্যের কষ্ট-যন্ত্রণার ভাগিদার হতে হবে। যারা করে না তারা ফক্কর মুসলমান। দুনিয়াতে ফক্কর মুসলমানের তুলনায় ফক্কর হিন্দু/ক্রিস্টান/ইহুদীর সংখ্যা কিন্তু কম হবে না। যখন মুসলমান বলছেন এবং ইহুদীর সাথে বা খ্রিস্টানের সাথে তুলনায় যাচ্ছেন তখন এই রকম সারলীকরণে না গিয়ে সেই মুসলমান/ইহুদী/ক্রিস্টানের স্বরূপটি বুঝিয়ে দিলে ভালো হয়। আপনি তুলনায় গেলেন, তাই কেমন বেখাপ্পা মনে হলো, এক পাক্ষিক মনে হলো।
@তনুশ্রী রয়,
আপনার সাথে একমত এবং
দ্বিমত করছি —
কারণ, বহু অমুসলিম ভয়াবহ রকমের অন্ধ বিশ্বাসী ও বাস্তবতা বর্জিত দৃষ্টি ভঙ্গির অধিকারী রয়েছে। আরও নিরপেক্ষেভাবে লেখা প্রয়োজন।
@গীতা দাস,
খুব বেশী নিরপেক্ষ লেখা মানুষের নজর কাড়তে সক্ষম হয় না। আপনাকে আঘাত করতে হবে , তাহলেই প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে, ধরি মাছ না ছুই পানি জাতিয় লেখায় মানুষ বেশী আলোড়িত হয় না।
@তনুশ্রী রয়,
অমুসলিম মোল্লাদের সাথে মুসলিম মোল্লাদের একটা বিরাট মানসিক তফাত আছে । তা হলো অমুসলিম মোল্লারা তাদের ধর্মের জন্য জান কোরবান দিতে খুব বেশী আগ্রহী হবে না, কিন্তু মুসলিম মোল্লাদের অনেকেই নিজের জান তুচ্ছ করে ঝাপিয়ে পড়বেন। তার প্রমান আফগানিস্তানে নাকি প্রায় ১২০০০ বাংলাদেশী মোল্লা যুদ্ধ করতে গেছিল। তা ছাড়া বিগত সময়ে এ দেশে জে এম বি সদস্যদের আত্মঘাতী বোমা হামলা, আমেরিকায়, ইউরোপে আত্মঘাতী হামলা তার অতি উজ্জ্বল উদাহরন। আর সমস্যাটা ওখানেই। যে কারনে মুসলিম মোল্লাদের নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা অনেক বেশী এখন।
@তনুশ্রী রয়,
ফক্কর শব্দটার মানে পরিষ্কার হয়নি, তাও চেষ্টা করি।
সব কিছুর একটা জেনারেল ট্রেন্ড আছে। যেমন, ধর্মীয় ব্যাকগ্রাউন্ডের ভিত্তিতে আধুনিক যুগের পৃথিবীর বড় বড় বিজ্ঞানীরদের চিহ্নিত করলে দেখা যাবে যে মুসলমান বিজ্ঞানীর সংখ্যা সর্বনিম্ন। তার মানে কি মুসলাম বিজ্ঞানীর সংখ্যা এবসোলিউট জিরো? কোনদিনও নয়। আপনি এখন প্রফেসর আবদুস সালাম বা আরো কিছু বিজ্ঞানীর পরিচয় নিয়ে তর্ক শুরু করে দিতে পারেন যে মুসলমানেরা বিজ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে আছে এটা মোটেও সত্য নয়। আবার কিছু গন্ডমূর্খ খৃষ্টান না ইহুদী দেখিইয়ে বলতে পারেন যে তাদের মাঝেও অনেকে আছে এক্কেবারে নিরক্ষর। এ জাতীয় আর্গুমেন্টে কি কোন কিছু প্রকাশ পায়? সরলীকরন না করে রহিম আর রাম বা জন এর মধ্যে তূলনা করে কোন ফায়দা আছে?
সাধারন বিশ্বাসী খৃষ্টান এবং ইহুদীদের মাঝে একটু খোজ নেন তারা ক’জন তাদের বাইবেল বা তোরাহের প্রতিটা অক্ষর অবশ্য পালনীয় হিসেবে মনেপ্রানে বিশ্বাস এবং জোরে শোরে প্রচার করে। কয়টা খৃষ্টান প্রধান দেশ বাইবেল ভিত্তিক আইন কানুন করে দেশ চালায়? তারা ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে বা চার্চে সিনেগগে যায় মানসিক শান্তির জন্য। ভক্তিভরে রবিবার বা শনিবার যায়, গিয়ে কিছুক্ষন প্রার্থনা করে। সাধারন ধার্মিক খৃষ্টান ইহুদী এর বেশী খুব কিছু করে বলে কোনদিন দেখিনি। কিন্তু সেই ধর্মগ্রন্থ ভিত্তি করে জীবন যাত্রা চালাবার হাস্যকর দাবী নিয়ে মাতামাতি করে না। খৃষ্টান/ইহুদী পীরের মুরিদ কতজন পাওয়া যাবে?
তাদের মধ্যে কতজন খৃষ্টান/ইহুদী মাদ্রাসায় যায় দেখান।
খৃষ্টান বা ইহুদী মোল্লা নেই তেমন দাবী আমি করেছি? তাদের মোল্লা না থাকলে চার্চ সিনেগগ এসব চালায় কে? সাধারন সমাজে সেসব মোল্লার ভূমিকা কতটুকু? তাদের কয়জন মোল্লা তাদের নিজ মূল বাইবেলে জেকে থাকা মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড ফতোয়া দেয়? আর তেমন ফতোয়া দিলে সাধারন খৃষ্টানদের মাঝে কি প্রতিক্রিয়া হবে বলে মনে করেন? তিনি কত বড় আলেম বলে মাথায় তুলে নাচবে নাকি তার গালাগালি করে তার বংশ উদ্ধার করবে? একটি শুধু উদাহারন দিলাম।
এর মাঝে নাস্তিক আসল কিভাবে আমি ঠিক জানি না। আমার তূলনা ছিল কেতাবধারী ধার্মিকদের মধ্যে। যেহেতু মূল বক্তব্য ছিল পরকালে বিশ্বাস মানুষের জীবন যাত্রা কিভাবে নিয়ন্ত্রন করে সেটা; তাই আমি তূলনা করতে চেষ্টা করেছি একই পরকালে বিশ্বাসী খৃষ্টান বা ইহুদীদের মুসলমানদের বড় ধরনের মৌলিক সমস্যাগুলি নেই সেটা দেখাতে।
কোরানে কি আছে, তার আসল মানে কি, প্রকৃত মুসলমান কে বা কারা এসব গুরুতর প্রশ্নের তত্ত্বীয় এনালাইসিসে খোদ মুসলমানদের মাঝেই বড় ধরনের দ্বি-মত আছে। সেসব নিয়ে আলোচনার কোন সীমা নেই এবং যৌক্তিক সমাধান নেই।
সাধারন মুসলমানের কাছে ভাল মুসলমান বলতে কি বোঝায়?
১। যিনি পরোপকার করেন, সত জীবন যাপন করেন, অন্যের ক্ষতির কারন হন না……এরা
নাকি
২। যিনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, নিয়মিত রোযা রাখেন, হজ্জ্বে যান, কোরান পড়েন ইনি?
মুসলমানদের কাছে সাধারনভাবে ভাল মুসলমান বলতে বোঝায় যিনি নামাজ রোজা নিয়মিত করেন, হজ্জ্বে যান তিনি। কোন মুসলমান ব্যাক্তি এই রিচূয়ালগুলি পালন না করলে মূল সমাজ তাকে ভাল মুসলমান বলে সার্টিফিকেট দেবে? হয়ত মুখে দূর্বল মুসলমান বলবে না, তবে ভাল মুসলমান বলতে সার্টিফিকেট অবধারিভাবেই পাবেন তারা যারা নামাজ রোজা এসব নিয়েই থাকেন তারা। যিনি যত বেশী মসজিদে যাবেন, কোরান পড়বেন, কথায় কথায় নানান আয়াত হাদীসের রেফারেন্স দেবেন তিনিই তত পাক্কা মুসলমান।
ইসলামের মূল ভিত্তির মাঝে এক যাকাত ছাড়া বাকি সব কটাই রিচুয়াল ঘটিত। সে সব মূল ভিত্তিতে be compassionate”. যেখানে অন্যায় সেখানেই মুসলমানকে প্রতিবাদ জানাতে হবে, অন্যের কষ্ট-যন্ত্রণার ভাগিদার হতে হবে এসব কিছু আছে বলে আমার জানা নেই। এসবের গুরুত্ব ইসলামের মূল প্রতিপাদ্য হলে সেগুলি তো মূল ভিত্তির মাঝেই থাকত। নামাজ রোজা হত সেকেন্ডারী। তখন নামাজ রোজার গুরুত্ব কতখানি তা বোঝানোর জন্য মাইক্রোস্কোপ নিয়ে খোজাখুজি করতে হত।
সাধারন মুসলমানেরাও ইসলাম পালন বলতে সেই রিচূয়ালগুলি নিয়ে পড়ে থাকাই বোঝায়। যার জন্য একজন সাধারন মুসলমান আল্লাহকে খুশী করতে হলে প্রথমে নফল নামাজ পড়ে, পরোপকার বা সমাজ সেবা এসব কাজকে সেভাবে গুরুত্ব দেয় না। কোন নামাজ বা কোন দোয়া দরুদ কতবার পাঠে কত ফজিলত তার হিসেব ইসলামী সূত্রে পাওয়া যায় (দয়া করে কোরানে নেই এসব যুক্তি দেবেন না, আমি সাধারন মুসলমানদের বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করছি); কিন্তু ক্ষুধার্থ মানুষকে খাদ্য দিলে কত একক নেকি এ জাতীয় সূত্র তেমন চোখে পড়ে না। তেমনিভাবে নামাজ না পড়লে এমনকি কাজ্বা করলে বা রোজা রাখলে কত কোটি বছর দোজখ তার হিসেব পাওয়া যায়। আলেম মোল্লারা সেসবের হিসেব খুবই উতসাহের সাথে দিতে পছন্দ করেন কিন্তু আপনার দাবীমত অন্যায়ের প্রতিবাদ না করলে কত বছর দোজখবাস তার কোন হিসেব কি তারা সেভাবে দেন? বড়জোর কখনো হয়ত বলেন যে এগুলি করতে হবে। কিন্তু গুরুত্বের দিকে তাদের কাছে প্রাইম ইম্পর্টেন্স পায় সেই রিচুয়ালগুলি। কারন তাদের কাছে আসলে ইসলাম বলতে সেই রিচ্যুয়ালগুলি পালনই বোঝায়।
এর বিপক্ষে বহু তত্ত্বীয় তর্ক জুড়তে পারেন। যেমন, কলমা পড়লেই বা মুসলমান পরিবারে জন্ম নিলেই মুসলমান হয় কে বলেছে? আমল করতে হবে, নামাজ ঈমানের সাথে না পড়লে কোন লাভ নেই ইত্যাদী। আগেই বলেছি যে এসব তত্ত্বীয় আলাপের কোন শেষ বা সমাধান নেই। সাধারন ভাবে মুসলমান সমাজের দৃষ্টিভংগী কি সেটাই আমি বলেছি।
আমার মূল বক্তব্য ছিল মুসলমানেরা সাধারন ভাবে ধর্ম পালন বলতে কিছু রিচুয়াল সিরিয়াসলি পালন বোঝায় সেটা, আর অন্য কেতাবধারীদের ধর্ম পালনে রিচয়ালের তেমন কোন গুরুত্ব এখন আর নেই। এই রিচ্যুয়াল পালন জোরে শোরে পালন করতে গিয়েই মুসলমানদের মৌলিক অনেক সমস্যা হয়েছে।
@আদিল মাহমুদ, খুব ভালো বলেছেন। :yes:
@তনুশ্রী রয়,
ধন্যবাদ, একমত পোষন করছি
@আদিল মাহমুদ,
হুমমমমমমম, ওই টেকনিক রপ্ত করে ফেলেছি , ওদের সাথে তর্ক করতে গিয়ে আসলে ঠিক কোন পয়েন্টে থেমে যেতে হবে । গাইতে গাইতে গায়েন। 😛
@আদিল মাহমুদ এবং অন্যান্যরা
এসব ভাববাদি বিশ্লেষন। ইসলাম ধর্ম হিসাবে অন্য কোন ধর্মের থেকেই আলাদা কিছু না। কিন্ত ইসলামে অন্ধ বিশ্বাসী বেশী-কারন রাষ্ট্র সেই অন্ধবিশ্বাসকে পোষন করে।
কোন ধর্ম মনোলিথিক না-ইসলাম ও না। ১২০০ মিলিয়ান মুসলিমের ১২০০ মিলিয়ান ইসলাম ধর্ম আছে-এটাই সত্য। তাদের মধ্যে সব থেকে বেশী ধর্মান্ধ আছে এটাও সত্য-আবার তাদের মধ্যে অনেক ভাল লোক ও আছেন, যারা বিশ্বাসী।
সমস্যা এখানেই ইসলাম তার জন্মলগ্ন থেকে রাজনীতির সাথে জরিয়ে। রাষ্ট্রের বৃদ্ধির জন্যে কোরানের অনেক আয়াত আছে-এবং যার জন্যে ইসলামের নিজস্ব রাষ্ট্রনীতি আছে। যেখান থেকেই আসল সমস্যার শুরু কারন সেই সব নীতিমালার অনেক কিছুই এই আধুনিক যুগের জন্যে সম্পূর্ন অসভ্য। যার জন্যে প্রতিটা ইসলামিক রাষ্ট্রেই আধুনিকতা বনাম ইসলামিক রাষ্ট্রের দ্বন্দ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ন রাজনৈতিক ইস্যু।
তবে এই রাজনৈতিক ইস্যুতে কোরান সদা সত্য সদা মহান এই কথা বলে ধর্ম নিরেপেক্ষতার কথা বলাটা হাস্যকর হবে-যা অধিকাংশ মুসলিম দেশের একটা ফ্যাশন হয়ে যাচ্ছে। কারন সদা মহান, সদা সত্য এই ব্যাপারটা সমাজের ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা দিয়ে হয় না না-সদা সত্য সদা মহান এমন একটা বই কারুর পক্ষে লেখা সম্ভব না। ঈশ্বরের পক্ষেও না-কারন স্থান কাল ভেদে মহানতার ব্যাপারটা নীতিমালার ব্যাপারটা বদলে যায়-আর তার ডাইভার্সিটি এত বেশী-যে কোন গ্রন্থের ওপর নির্ভর করে সদা মহান কিছু বার করা একধরনের শিশু সুলভ বালখিল্যতা যাতে মুসলিম সহ সব ধার্মিকই পটু। ইসলামের ক্ষেত্রে তা প্রায় পচনশীল ক্যান্সারের রূপ নিচ্ছে কারন সেই বালখিল্যতা রাষ্ট্র পরিচালনাতেও চলে আসছে।
@আদিল মাহমুদ,
শুধু মুসলমান বলছেন কেনে? আমার বাবার কথাই বলুন।
তিনি প্রতি সন্ধ্যায় নিয়মিত একপাতা- দুপাতা গীতা পড়তেন। কী পড়তেন কিছুই জানতেন। প্রশ্ন করে প্রমাণ পেতাম। তাঁর মনোযোগ গীতায় থাকত না। কান খোলা থাকত – মা কখন বলবেন, খাওয়া রেডী।
খুব কষ্ট লাগে যখন আমার বন্ধুরা বলে, ” কোরান এ যেহেতু লেখা আছে পৃথিবী সমতল এবং স্থির, তাইলে পৃথিবী সমতল এবং স্থির ই। বিজ্ঞানীরা ভুল বলতে পারে কিন্তু কোরান ভুল হইতে পারে না। ” ওদের ধারনা সামনে আরও বিজ্ঞানী আসবে যারা নাকি প্রমান করবে যে পৃথিবী সমতল এবং স্থির। নাসা এর ওয়েবসাইট থেকে পৃথিবী ও মহাজগত এর ছবি দেখানর পরও ওরা বলে যে এ গুলো নাকি কম্পিউটারএ করা। :-X
আমি হতভাগ হয়ে যাই যখন বিজ্ঞান বিভাগ এর ছাত্রদের মুখ থেকে এ রকম কথা শুনি। আমি বুঝি না এর দোষ আমি কাকে দিব ধর্মের বিস্বাস কে নাকি আমাদের লেখাপড়ার সিস্টেম কে।
বড় ভাইদের সাথে যখন গভীর তর্কে লিপ্ত হই তখন বলে আমার জ্ঞান নাকি সীমিত। অথচ আমার একটা প্রশ্নেরও জবাব দিতে পারে না।
আমার হাসি পায় যখন ওরা বলে সব বিজ্ঞানীরা নাকি কোরান থেকে সব কিছুর গবেষনা করে। আরো হাসি পায় যখন দেখি ব্যাবসায় শিক্ষা বিভাগ এর ছাত্ররা ডারউইন এর বিবর্তনবাদ তত্ত মিথ্যা প্রমানের জন্য নানা রকম মনগড়া বক্ত্যব দেয় এবং বক্ত্যব শেষে প্রশ্ন করে বিবর্তনবাদ এর মুল থিম টা কি? :-/
@রনি,
এর জন্য ওদের কোন দোষ নেই । দোষ হলো জোকার নায়েক মার্কা কিছু ধান্ধা বাজ আর সৌদি পেট্রো ডলারের , যারা গন মাধ্যমে চব্বিশ ঘন্টা কোরানের মধ্যে বিজ্ঞানের সব সূত্র খুজে পাচ্ছে।
@রনি,
এই প্রবণতা কতটা ব্যাপক?
চমৎকার লেখা। যেসব ধার্মিকরা ধর্ম নিয়ে সন্দেহের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন, এটা পড়লে সন্দেহের অনেককিছু থেকেই রেহাই পাবেন নি:সন্দেহে।
বিষয়টি যাচাই করা দরকার। মুহাম্মদ তার স্ত্রীদের তালাক দেবার হুমকি দিয়েছেন জানি, কিন্তু স্ত্রীদের তালাক দিয়েছেন-শুনিনি। (৩৩ ও ৬৬ নং সুরায় এ বিষয়ে উল্লেখ আছে)।
এমন কি অধিকাংশ হাফেজই কোরানের অর্থ বুঝে না। মুখস্ত করাটা সোয়াবের কাজ মনে করে। তারা যদি কোরান বুঝতো এবং এর মধ্যে অসঙ্গতি লক্ষ্য করতো তাহলে আকাশ মালিক কিম্বা আবুল কাসেমের মত হয়ে যেতো।
@মাহফুজ,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মুসলমানরা যদি তাদের কোরান আর হাদিস মন দিয়ে পড়ত, তাহলে কোন এক সময় তারাই এর বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলত। কিন্তু দু:খের বিষয় তারা মাতৃভাষায় তা পড়ে না। জানিনা কবে তারা পড়বে।
@ভবঘুরে,
যেদিন তারা জানবে যে কোরান মাতৃভাষায় পড়ে অর্থ জানবার দরকার আছে। এখন পর্য্যন্ত তারা জানে যে কোরান আরবী ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষায় পড়লে সওয়াব পাওয়া যায়না।
@ভবঘুরে,
ঘটনাচক্রে (প্রেক্ষিতের ভিত্তিতে) কয়েকজন নিকট মুসলমানকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কোরান পড়েছে কিনা। মাত্র একজন বললেন – তিনি পড়েছেন। বুঝেছি তিনি মিথ্যা বলেছেন (তিনি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন)। স্পর্শকাতর বিষয়টা নিয়ে কথা বললে কষ্ট পাবে ধারণা করেই এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকি।
প্রেক্ষিত ১ – পাশের আপার্টমেন্টের সহপাঠী তার লিভিং রুমে পোস্টার ঝুলিয়ে রেখেছেন – “Read Koran”। কাজেই একদিন প্রশ্ন করলাম – তুমি নিজে পড়েছ? তিনি লজ্জায় পড়লেন। ভাবেননি এরকম প্রশ্ন কী কোন দিন তাকে করবে।
প্রেক্ষিত ২ – আমার অতিথি এবং প্রাক্তন শিক্ষক। আমার আতিথেয়তায় প্রসন্ন হয়েছেন। আমাকে প্রশংসা করতে করতে কোরানের উদ্ধৃতি দিলেন। আমি বললাম – আপনি ঠিক বলেছেন। কিন্তু ওটার উলটা কথা বহুবার লেখা আছে।
বুঝলাম তিনি কোরান পড়েন নি। আমি তর্ক বাড়ালাম না। তিনি বললেন – আমি হুজুরকে জিজ্ঞেস করে তোমাকে জানাব। বলা বাহুল্য কোনদিন এ ব্যাপারে আর কথা হয়নি।
আসলে এটা আশ্চর্যের ব্যাপার। এরা এত এত বই বড় পড়বে এবং যে বইটা এত গর্ব করবে সেই বইটাই এরা পড়ে না।
কত আর বড় এই বইটা। আগে ফ্রি পাওয়া যেত। এখন অনেক সাইট যদিও ফ্রি দেওয়ার কথা বলে, কিন্তু আসলে দেয়না। ইদানীং আমার ধারণা হয়েছে – কোরানকে এরা অমুসলিমদের কাছে আর expose করতে চায় না।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
:laugh:
@আদিল মাহমুদ,
প্রেক্ষিত ৩ যোগ করতে ভুলে গেছি।
প্রেক্ষিত ৩ – ৯/১১ এর মাত্র দেড়মাস পরে আমাকে ধর্মান্তরিত করতে আসে আমার বাড়ীতে এক PhD ছাত্র। সাথে প্রচুর বই পত্র। আমাকে পড়তে হবে। কিন্তু কোরান নেই। আমি তাকে বললাম – তুমি নিজে কোরান পড়েছ? নিমিষে মুখটি ফ্যাকাসে হয়ে গেল। আমি একটি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। আর আসেনি।
হিউস্টনে থাকে। মাঝে মাঝে পার্টি এটেন্ড করতে আসে। আমাকে দেখলেই অস্বস্তি বোধ করে। ডেকে কথা বলে হাল্কা করার চেষ্টা করি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনার এই উদাহরনটা মনে হয় আগে কোন লেখায় দিয়েছিলেন? মনে হচ্ছে।
সেই চ্যালেঞ্জটা মনে হয় কোরানের প্রতি দশ পাতায় অন্তত একটি হিংসাত্বক আয়াত নেই এটা দেখানো?
এই জাতীয় উদাহরনের আসলে শেষ নেই। বড়ই কৌতূকময় সব ঘটনা। মুশকিল হল এদেরকে যৌক্তিকতার প্রশ্ন তুললেই বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তুমি কোথাকার কোন ভূইফোড় যুক্তিবাদী এসেছ কত বড় বড় বিজ্ঞানী এই এই করেছেন এসব শুনিয়ে দেবে। যাবেন কই?
@আদিল মাহমুদ,
আপনার স্মৃতিশক্তির প্রশংসা করতেই হয়।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনার ধারনাটা আমার সঠিক মনে হচ্ছে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
যদি সবাই তাদের নিজ নিজ মূল ধর্মগ্রন্থ গুলো নিজেরা পড়ত তাহলে পৃথিবীর চেহারাটাই পালটে যেত।
@নৃপেন্দ্র সরকার,আপনার ও অন্যদের মন্তব্য পড়ে মজাই পেলাম। আরবি ভাষী মানুষ ও দেশের সংখ্যা কিন্ত একেবারেই কম নয়। তারা তাদের মাতৃভাষাতেই কোরান পড়ে। বাঙালীরা না হয় কোরান বোঝেনা , তারাতো বোঝে। তাহলে অন্তত তাদের অঞ্চলের চেহারা পাল্টায় না কেন বা তারা বাঙালীদের মতৈ গোঁড়ামীতে ভোগে কেন? তারা কেন দলে দলে ইসলাম পরিত্যাগ করে আপনাদের মতো নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে না কেন?
আপনাদের কি মনে হয় না , আপনাদের বিশ্লেষনে বড় ধরনের ভুল হয়ে যাচ্ছে।
@ফারুক,
ভাল পয়েন্ট।
আপনি নিকতম ২৫ জনের উপর একটা জরীপ করে দেখুন কয় জন কোরান পড়েছে?
আমার বাবার গীতা পড়ার একটা নমূনা দিয়েছিলাম গতকাল। নিয়মিত এক- দুই পাতা গীতা পড়তেন সন্ধ্যাবেলা। কী বিষয়টা পড়লেন তা কোনদিন বলতে পারতেন না। গীতা পড়লেই পূণ্য হবে এই চেতনাবোধ থেকে পড়তেন। মনোযোগ পড়ে থাকতে অন্য দিকে, যেমন ১) রাতের খাওয়ার ডাক পড়ল কিনা, ২) আমরা কে কী করছি বা বলছি, ৩) বাড়ীর উপর দিয়ে কে হেটে গেল।
আপনি আর একটা কাজ করতে পারেন। কোরানের
১) এমন একটি বাক্য দেখান যা মানুষের পক্ষে ভাবা বা লেখা সম্ভব নয় (ঐশ্বরিক)
২) যেকোন জায়গা থেকে দশটি পাতা দেখান যেখানে মানবতার বিরুদ্ধে লেখা নেই।
@নৃপেন্দ্র সরকার, জরিপ চালানোর কথা বলে পাশ কাটানোর উপায় নেই। আরবরা শুধু কোরান পড়েই না , শোনে ও। গাড়িতে ,রেডিও ,টিভি , বাজার ঘাটে মাইকে , নামাজে তারা হামেশাই কোরান তেলোয়াত শুনছে।
আমরা আলোচনা করছিলাম , বাঙালী কোরান বুঝে পড়েনা , যদি বুঝে পড়ত তাহলে বাঙালীর চেহারাই পাল্টে যেত। অর্থাৎ কোরান বুঝে পড়া না পড়ার উপকারিতা বা অপকারিতা নিয়ে। আপনি এর মিমাংসা হওয়ার আগেই গোল পোস্ট পরিবর্তন করে নুতন দুটি প্রশ্ন হাজির করলেন। এভাবে তো অনন্তকাল আপনার সাথে বিতর্ক চালিয়ে যাওয়া সম্ভব।
আপনি যেমন অন্যকে প্রশ্ন করেন , তেমনি আপনাকে একটা প্রশ্ন করি , এই প্রশ্নদুটির উত্তর খোজার জন্য আপনি পুরো কোরান মনযোগ দিয়ে মানে সহকারে পড়েছেন কি?
১) যে বাক্য মানুষের পক্ষে ভাবা ও লেখা সম্ভব না , তা ঈশ্বর কর্তৃক নাযিল হলে লাভ কি হোত? মানুষ তো তা বুঝত না বা লিখে পরবর্তি জমানার জন্য সংরক্ষন ও করতে পারত না। হাইপোথেটিক্যালী বলা যায় , কোরানে অনেক বাক্যই ছিল , যেগুলো তৎকালীন মানুষের ভাবা ও লেখার ক্ষমতার বাইরে ছিল বলে তারা লিখতে পারেনি, ফলে কোরান খুজে সেগুলো আমরা পাই না।
২) আপনার সঙ্গায় মানবতার বিরুদ্ধে লেখা কোন গুলো? আগে আমরা একমত হই , মানবতার বিরুদ্ধে বলতে কি বুঝি? নইলে তো মিমাংসা হবে না।
আমার কথায় যদি বলেন তো আমি কোরানে একটি ও মানবতা বিরোধী আয়াত মাইক্রস্কোপ দিয়ে খুজেও পাইনি।
@ফারুক,
আপনার মন্তব্য পড়ে মাঝে মাঝে ভাবি আপনি সজ্ঞানে কথা বলেন কি না।
কোরানে এ ধরনের বাক্য কখনো ছিল না তার প্রমান কোরান নিজে। যে কারনে কোরান বলছে- আমি কোরানকে সহজ ভাষায় প্রকাশ করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।
তবে আলোচ্য নিবন্ধের মূল ভাব ধারার এক উজ্জ্বল উদাহরন আপনি যে নিজেই আশা করি এতক্ষনে তা বুঝতে পেরেছেন।
@ফারুক,
মানুষকে খুন করার সরাসরি নির্দেশও যেহেতু মানবতা বিরোধীতা মনে হয় না, আপনাকে আমার কিছুই বলার নেই।
@নৃপেন্দ্র সরকার, মানুষকে খুন করার সরাসরি নির্দেশ কোরানে আছে কিনা বা থাকলেও কি প্রেক্ষিতে সে নির্দেশ দেয়া আছে এমন প্রশ্নে না যেয়ে ও একটা কথা জিজ্ঞাসা করি , কোরানের প্রতি ১০ পাতায় কি মানুষ খুনের নির্দেশ দেয়া আছে? দেখাতে পারবেন?
যেকোন অভিযোগ আনার আগে , অভিযোগের সত্যতা নিয়ে নিজে নিশ্চিত হওয়া উচিৎ।
@ফারুক,
এবারে আপনি বল নিয়ে একেবারে গোলের সীমানায় এসে গেছেন। কিক করলেই গোল হয়ে যাবে। কিক করুন।
আপনার মাইক্রোস্কোপে যেহেতু মানবতা বিরোধী কিছুই ধরা পড়েনি তখনই নীচের সুরাটার প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম।
এখন চাচ্ছেন প্রতি দশ পাতায় এই একই সুরা দেখাই। না ভাই তা আমি দেখাতে পারব না। আমি সে কথা বলিও নাই। আমি চতুর লোকদের সাথে তর্ক করি না। আপনি যদি মনে করেন আমি হেরে গেছি, তাহলে তাই নিয়ে খুশী থাকুন। আবার বলি আমি চতুরদের থেকে দূরে থাকি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনার কাছে অন্তত এই ধরনের যুক্তি আশা করিনি। এখানে হারা জেতার প্রশ্ন নয় , সত্য উদ্ঘাটনি উদ্দেশ্য ছিল। আপনি বা আমি হারলাম কি জিৎলাম , তাতে আমার কছুই যায় আসেনা। শুরু করেছিলাম কোরান বুঝে পড়া নিয়ে , শেষ করলাম কোথায়?
আপনি জানতে চাইলেন প্রসঙ্গ বহির্ভূতভাবে-
মানবতার বিরদ্ধে বলতে আপনি কি বুঝাচ্ছেন জানতে চাওয়ার উত্তরে বললেন-
আপনারি ব্যাখ্যা অনুযায়ী কোরানের প্রতি দশপাতায় মানুষকে খুন করার নির্দেশ দেখাতে বললাম , তখনি আমি হয়ে গেলাম চতুর।
ভাল থাকুন , আনন্দে ও শান্তিতে থাকুন।
@ফারুক,
তাহলে নিশ্চয়ই আমার পুরনো প্রশ্নের উত্তরটা আজ পেয়ে যাবো। আপনি তখন বলেছিলেন যে, সেই প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা নেই, পাইলে জানাবেন। আমি কোরানের একটি আয়াত দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম- আল্লাহ যে মানুষ থেকে বানর ও শুওর সৃষ্টি করেছিলেন সেই শুওর ও বানরের বংশধর কারা? আজ আপনি যেহেতু দাবি করছেন যে, মাইক্রস্কোপ দিয়ে কোরান খুঁজে দেখেছেন, এবার নিশ্চয়ই আমার প্রশ্নের উত্তরটাও পেয়েছেন। মানুষ থেকে বিবির্তিত সেই শুওর আর বানর প্রজাতি কোথায় কোন দেশে আছে?
আর হ্যাঁ নীচের আয়াতটায় কোন সাম্প্রদায়ীকতার ইঙ্গিত খুঁজে পান কি না তাও জানাবেন-
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে হবে সে ক্ষতিগ্রস্ত, তাকে নরকের আগুন দিয়ে পোড়ানো হবে। (সুরা আল-ইমরান ৩, আয়াত ৮৫)
If anyone desires a religion other than Islam, never will he be accepted of God; and in the next life, he will be in the ranks of those who have lost themselves and will burn in hell. (Qur’an 3:85
তথাকথিত শিক্ষিত মডারেইট আধুনিক মুসলমানেরা দাবি করেন যে, তারা নাকি জগতের সকল ধর্ম তালাশ করে সকল ধর্মগ্রন্থ পড়ে বুঝে আবিষ্কার করেছেন যে, ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম। অথচ ইসলাম নিষেধ করছে অন্য ধর্ম তালাশ করতে।
@আকাশ মালিক,
আপাতত বলতে পারছিনা কোন দেশে আছে , কারন বর্তমানের বিজ্ঞান এখনো ডিএনএ বা অন্য কোন টেস্টের মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে মানুষ থেকে বিবির্তিত সেই শুওর আর বানর প্রজাতি কোথায় কোন দেশে আছে , তা বলতে পারে নি। আমি নিশ্চিৎ অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা এর উত্তর দিতে পারবেন। ধৈর্য্য ধরে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
না , আমি এই আয়াতে সাম্প্রদায়ীকতার ইঙ্গিত খুঁজে পাই নি।
মহান সৃষ্টিকর্তার (creator: Allah, God, Yahweh,ভগবাণ ….by whatever name you call the Craeator of the universes and all including, seen or unseen) নিকট সর্বান্তকরনে (totally by their heart and soul ) নিজেকে নিবেদিত করিতে এবং একমাত্র তাকে (only HIM) এবং তাকে ব্যতিত বা তাহার সহিত অন্য কাহাকেও উপাসনা না করার নাম-ই – ইসলাম। কোরান অনুযায়ি এরাই তো সত্যিকার মুসলমান।
42:13] He decreed for you the same religion decreed for Noah, and what we inspired to you, and what we decreed for Abraham, Moses, and Jesus: “You shall uphold this one religion, and do not divide it.” The idol worshipers will greatly resent what you invite them to do. GOD redeems to Himself whomever He wills; He guides to Himself only those who totally submit. সুঃ আশ-শুরা , আঃ ১৩
তিনি তোমাদের জন্য সেই একই দ্বীণ (ধর্ম) নির্ধারন করেছেন, যা নূহ আঃ এর জন্য করেছিলেন এবং যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি আপনার প্রতি ও যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহিম আঃ, মূসা আঃ ও ঈসা আঃ কে এই মর্মে যে , “তোমরা দ্বীণকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না।”
@ফারুক,
যে কারনে আপনি নাস্তিক হয়ে যাচ্ছেন না। কারন স্রেফ অন্ধ বিশ্বাস। কোরান পড়ার আগেই অন্ধ বিশ্বাস করে নেয়া যে এতে যা লেখা সব ধ্রুব সত্য। এটাতো খুব সোজা হিসাব।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ফারুক সাহেবের মূল আর্গুমেন্ট ঠিকই আছে বলে আমি মনে করি। ভবঘুরে মনে করেন যে কোরান হাদীস বুঝে পড়লেই মানুষ ইসলাম ত্যাগ করবে। এ কথার মাঝে বেশ কিছু ফাঁক আছে, যা ভবঘুরেও উল্লেখ করেছেন যদিও সেটাকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
এর জন্য দরকার সময়। অন্ধভক্তির আবেশ কাটতে বেশ কিছু সময় দরকার, দরকার কয়েক জেনারেশন। এটা আজকে রাতে পড়লাম আর কাল ভোরে উঠে নাস্তিক হয়ে গেলাম এমন নয়।
ফারুক সাহেব যেমন বুঝে কোরান পড়েছেন কিন্তু তার মনে একটি আয়াত নিয়েও কোন খটকা লাগে না, মানবতা বিরোধী বা সাম্প্রদায়িক কিছুই দেখেন না তেমনি কোটি কোটি মুসলমান কোরান বুঝে পড়লেও একই কথাই বলবেন। বড় জোর বলবেন যে কন্টেক্সট বুঝতে হবে, বিশেষ পরিস্থিতির স্বাপেক্ষে এসেছিল এই জাতীয় কথা। যদিও এটা ঠিক যে নন-আরব বেশীরভাগ মুসলমানই কোরান না বুঝেই পড়েন।
ফারুক ভাই, এখন এই সম্পর্কিত আমার একটি প্রশ্নের জবাব দিন। হিন্দু ধর্মীয় পূরান পড়লে তাকে গাঁজাখুরি রুপকথা, সাথে অশ্লীল উপকরনের মিশেল ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। সেই জিনিস বহু উচ্চশিক্ষিত হিন্দু কি করে অবলীলায় বিশ্বাস করেন? আপনার আমার কাছে যা অগ্রহনযোগ্য তাদের কাছে নিশ্চয়ই সেগুলিরো গ্রহনযোগ্য হবার উপযুক্ত ব্যাখ্যা আছে। আশা করি সব ধর্ম এক, মানুষই গল্প কাহিনী বানিয়েছে এ তত্ত্ব এখন দেবেন না।
আপনি স্বীকার না করতে চাইলেও ব্যাখ্যা সেই একই। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অন্ধবিশ্বাস। তাদের কাছেও নিশ্চিতভাবে আমাদের কাছে যেগুলি অমানবিক গাঁজাখুরি ঠেকে সেগুলিরও যৌক্তিক ব্যাখ্যা আছে।
@আদিল মাহমুদ,
ফারুক সাহেবের বুঝে আর না বুঝে কোরান পড়ার মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে? উনি বুঝে কোরান পড়লে যা সত্য না বুঝে পড়লেও তাই সত্য। 🙂
@আদিল মাহমুদ,
শুধু হিন্দু পূরানে কেন , মুসলমানদের হাদীস ও নবীর সীরাত (জীবণী) গ্রন্থে রুপকথা ও অশ্লীল উপকরন কি কম আছে? সকল ধর্মগ্রন্থগুলোর মাঝে অনেক রূপকথা গল্পকথা ঢুকে গেছে। এই জিনিস শুধু বহু উচ্চশিক্ষিত হিন্দুই নয় , সকল ধর্মের উচ্চশিক্ষিত অনুসারীরা অবলীলায় বিশ্বাস করেন। কেন? এখানেই মনে হয় নাস্তিকদের আত্মজিজ্ঞাসা করা উচিৎ।
আপনার ব্যাখ্যা – উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অন্ধবিশ্বাস। এটা অতি সরলিকরন। অশিক্ষিত মূর্খের জন্য এটা সত্য হতে পারে কিন্ত উচ্চশিক্ষিত লোকের জন্য তা সম্ভব নয়। উচ্চশিক্ষিতরা কোন না কোনভাবে এই গল্পগুলোর সাথে নিজের ঈশ্বর বিশ্বাসের সমন্বয় করে নেন। এখানে ঈশ্বর বিশ্বাস নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে থাকে। কেন এই ঈশ্বর বিশ্বাস? আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের ঈশ্বর বিশ্বাসের পিছনে স্বতন্ত্র ভিন্ন ও বিচিত্র সব কারন বিদ্যমান।
@ফারুক,
এটা অবশ্যই উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অন্ধবিশ্বাস তা কিছু পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষন করলেই বোঝা যায়।
তার আগেই সেই পুরনো কথা বলে রাখি যে ইসলাম ধর্মে আপনার মতে অনেক কিছু যা রূপকথা সেগুলি মূলধারার মুসলমান বলে যারা দাবী করেন তাদের কাছে অতি সত্য।
এবার মূল কথায় আসি। ধর্মীয় আইডেন্টিটির ভিত্তিতে বড় বিজ্ঞানীদের শ্রেনীবিভাগ করলে দেখা যায় যে একটা বড় সংখ্যক বিজ্ঞানী নাসিক হয়ে গেছেন। আবার এদের মধ্যে পরিষ্কার দেখা যায় যে এই নাস্তিক হবার হার পশ্চীমা খৃষ্টানদের মাঝে সবচেয়ে বেশী। মুসলমানদের সবচেয়ে কম, এবং হিন্দুদের তার কিছু উপরে। এর কারন কি? কারন পশ্চীমা খোলা হাওয়ায় তারা জন্মগতভাবে আস্তিক বা খৃষ্টান হলেও তাদের বাল্যকালের ধর্ম শিক্ষা তেমন জোরে শোরে হয় না। যেটা সবচেয়ে বেশী হয় মুসলমান সমাজে, এবং তারপরে হিন্দু সমাজে।
একই কারনেই ভারতে যত না হিন্দু থেকে মুসলমান রুপান্তর হয় পশ্চীমা দেশগুলিতে তার থেকে বেশী রুপান্তর হয়।
@আদিল মাহমুদ,
বড় সংখ্যক বিজ্ঞানী নাস্তিক হয়ে গেছেন, সকল বিজ্ঞানীই কেন নাস্তিক হয় নি? এটা আপনাকে ভাবায় না? এর অর্থ কি এটাই নয় যে , যে কারনে তারা নাস্তিক হয়েছেন , সেই কারনটি নিউটনের সুত্রের মতো সন্দেহমুক্ত নয়? নিউটনের সুত্রকে মেনে নিতে আস্তিক নাস্তিক সকল বিজ্ঞানির মাঝে তো কোন বিরোধ দেখিনা। ধর্ম তো এখানে বাধা হয়ে দাড়ায় না।
@ফারুক,
আপনাকে বলতে চাইলাম এক জিনিস আপনি সে বিষয়ে না গিয়ে শুরু করলেন আরেক দিক দিয়ে।
সকল বিজ্ঞানী কেন নাস্তিক হবেন? তার কারন তো আগেই ব্যাখ্যা করেছি, যা আরো বহুজন এখানে করেছে। যে কারনে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা পশ্চীমের বিজ্ঞানীদের তূলনায় কম নাস্তিক হন, মুসলমানেরা আরো অনেক কম নাস্তিক হন। সবই হল বাল্যকালের ধর্মীয় শিক্ষার ফল, ধর্মের মহাত্বের কোন ব্যাপার এখানে অতি ক্ষুদ্র। যার বাল্যকালে এই শিক্ষা যত কড়া হয়েছে তার পক্ষে এর মায়া ত্যাগ করা ততই কঠিন। পশ্চীমের বিজ্ঞানীদের মাঝেও অনেকে আছেন হয়ত গোঁড়া ক্যাথলিক পরিবার থেকে এসেছেন। মানুষের জীবনে অনিশ্চিত বা অজ্ঞাত বলে কিছু না কিছু সবসময়ই থাকবে। আর তাই ঈশ্বর বিশ্বাসওকম বেশী থেকে যাবেই। যেই সমাজে যত বেশী অনিশ্চিয়তা সেই সমাজে ধর্মের রমরমাও ততই বেশী।
আপনার যদি ছোট ছেলে থাকে তাকে আপনি ছোট বেলা থেকে জোরে সোরে শিক্ষা দেন যে ভুতের রাজা মামদো ভূত অন্ধকার ঘরে থাকে, তবে সে প্রাপ্ত বয়স হলে হাজার বিজ্ঞান পড়লেও এই ভীতির থেকে পুরো বের হতে পারবে না। পরীক্ষাটা করে দেখতে পারেন। অন্ধকার ঘর ভীতি তার মাঝে কিছু মাত্রায় হলেও থেকে যেতে বাধ্য। তাকে ১৮ বছর হবার আগ পর্যন্ত কোন রকম ধর্মীয় শিক্ষা না দিয়ে শুধু বিজ্ঞান পড়ান। এরপর প্রাপ্ত বয়স হলে বেছে নিতে দেন সে ঈশ্বর বিশ্বাস করে কি না, কোন ধর্ম পালন জরুরী মনে করে কিনা।
ধর্মীয় শিক্ষা কেন প্রাপ্ত বয়স হলে শুরু করা হয় না? কেন সব ধর্মের শিক্ষাই সমান ভাবে দিয়ে মানুষকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয় না? আমি সুন্নী, আমাকে অন্য ধর্ম তো দূরে থাক, শিয়াদের সম্পর্কে জীবনে এক রত্তি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কেন দেওয়া হয়নি? কারন আপনি স্বীকার করবেন না, কিন্তু অত্যন্ত পরিষ্কার। ছোট বয়সে অন্ধবিশ্বাস গেড়ে দিতে না পারলে বিপদের সম্ভাবনা প্রবল। এজন্যই ছোট বয়সে ধর্ম শিক্ষা দিতে বাবা মাও এত ব্যাগ্র হন।
আর একটা জিনিস মনে রাখবেন যে বড় বিজ্ঞানীদের মাঝে যারা নাস্তিক হননি, তাদের মাঝে আবার ডিইষ্ট হবার হার বেশী। কারন তারা যুক্তির প্রভাবে প্রথাগত ধর্মগুলির ফাঁক ফোকরগুলি ধরতে পারেন।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি একেবারে ১০০% সত্য কথা বলেছেন। কোন বাচ্চা পয়দা হওয়ার পর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত ধর্ম বাদে নিরপেক্ষ শিক্ষা দেয়ার পর , যে কোন ধর্মের কিতাব যেমন কোরান বাইবেল রামায়ন মহাভারত ইত্যাদি পড়তে দিলে স্রেফ রূপকথার গল্প ছাড়া আর কিছুই মনে করবে না। মোহাম্মদ , যিশূ বা রাম কে তারা সিন্দবাদ নাবিক বা হারকিউলিসের মত একজন ছাড়া আর কিছুই মনে করবে না।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার এই যুক্তি যে অসার , তার প্রমান আপনি নিজেই। আপনার ভিতরে তো অন্ধবিশ্বাসের ছিটিফোটাও দেখতে পাই না। আপনার মতৈ আমি , আকাশমালিক , ভবঘুরে বা এই ব্লগের আরো অনেকেরি সুন্নি পরিবারে জন্ম। সুন্নি বিশ্বাস থেকে আমাদের তো বের হয়ে আসতে তো অসুবিধা হয় নি।
বাচ্চারা শিক্ষা শুধু নিজ নিজ পরিবার থেকেই পায় না। তাদের চিন্তা ভাবনা গঠনের ওপরে সহপাঠী , বন্ধুবান্ধব , পারিপার্শিক লোকজন , সমাজ ও স্কুলের অবদান ও যথেষ্ঠ। সেকারনে ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় শিক্ষা দিলেই যে ধার্মিক হয় না , তার বড় প্রমান আনাস।
আমার ৩ ছেলে। বড়টা আমি বা আমার স্ত্রী নিয়মিত নামাজ শুরুর আগেই আমেরিকান স্কুলে পড়ার সময় ক্লাস এইট থেকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ শুরু করে। বর্তমানে আমি নিয়মিত নামাজ পড়ি , কিন্তু বড়ছেলে নামাজে নিয়মিত নয় , যদিও নামাজ একেবারে ছাড়েনি। মেঝটা এগ্নস্টিক , মাঝে মাঝে শুধু জুমার নামাজ পড়ে। একেবারে ছোট টা ৫ য়াক্ত নামাজ একসাথেই পড়ে।