মোহাম্মদের কাছে সূরা আসে দুই জায়গাতে। প্রথমত: যখন তিনি মক্কায় ছিলেন তখন যেসব সুরা নাজিল হয় তাদেরকে মাক্কি সুরা বলে। এর পর মদিনাতে হিজরত করার পর সেখানে যে সুরা আসে সেগুলোকে বলে মাদানী সুরা। মুসলমান ভাইরা যদি মনোযোগ সহকারে কোরান পড়েন তাহলে দেখতে পাবেন যে শান্তি বা সহাবস্থানের সামান্য কথাবার্তা যা কোরানে বলা হয়েছে তার সব মাক্কি সুরাতে। হত্যা কর, আক্রমন কর, যুদ্ধ কর এসব কথা বার্তা মাক্কি সুরা গুলোতে ভুলেও উচ্চারন করা হয় নি।অমুসলিমদের প্রতি ঘৃণা, হত্যা, যুদ্ধ, লুঠ তরাজ ইত্যাদি কথাবার্তা সব মাদানী সুরাতে। তার কারনও সুষ্পষ্ট। ৪০ বছর বয়েসে মোহাম্মদ নিজেকে আল্লাহর নবী বলে দাবী করেন। তিনি দাবী করেন তার কাছে আল্লাহ জিব্রাইলের মাধ্যমে বার্তা পাঠাচ্ছেন।তিনি তার এ দাবী যখন কোরাইশদের কাছে প্রকাশ করেন তখন তাকে সবাই পাগল বা উন্মাদ বলে সাব্যাস্ত করে। কোরাইশ সর্দাররা তাকে এসব পাগলামী কথা বার্তা বলতে নিষেধ করে দেন। মোহাম্মদ তাদের কথায় কর্নপাত না করে তার কাজ চালিয়ে যান। এর ফলে কোরাইশ সর্দার সহ সব কোরাইশরা তার শত্রুতে পরিনত হয়, ও তারা মোহাম্মদকে হুশিয়ার করে দেয় বেশী বাড়াবাড়ি করলে তাকে মেরে ফেলাও হতে পারে। যাহোক, মক্কাতে মোহাম্মদের অবস্থা ছিল খুব সংগীন, অনেক চেষ্টা করেও সামান্য কয়জন হত দরিদ্র মানুষ আর দাস দাসী ছাড়া কেউ তার কাছে ইসলাম গ্রহন করে নি। যারা সেমসয় মোহাম্মদের কাছে ইসলাম গ্রহন করেছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানুষরা হলো – তার প্রথম বিবি ও আশ্রয়দাতা খাদিজা ও আবু বক্কর।অন্যদিকে নিজেকে নবী দাবী করায় মক্কায় বসবাসরত ইহুদী ও খৃষ্টানদেরও ধর্র্মীয় অনুভুতিতে তিনি আঘাত করা শুরু করেছিলেন, ফলে তারাও তার শত্রুতে পরিনত হয়ে পড়েছিল। সুতরাং চারিদিকে শত্রু পরিবেষ্টিত অবস্থায় তার পক্ষে শান্তির বানী ছড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না। যা যে কোন গোষ্ঠিপতি করে থাকে। দুর্বল অবস্থায় কোন গোষ্ঠিপতি বা রাজা বিরোধী দের ব্যপারে হুংকার ছাড়ে না।তাই তার কন্ঠে কোরানের বানীর নামে ঝড়ে পড়ে –
দ্বীনের ব্যপারে জবর দস্তি বা বাধ্যবাধকতা নাই। মক্কায় অবতীর্ন, ০২: ২৫৬
তাই তার কন্ঠে ইহুদী ও খৃষ্টানদের প্রতি মহা শান্তির বানী ঝরে পড়ে-
তোমরা কিতাবধারীদের ( ইহুদি ও খৃষ্টান ) সাথে তর্ক বিতর্ক করবে না, কিন্তু উত্তম পন্থায়, তবে তাদের সাথে নয় যারা তোমাদের মধ্যে বে ইনসাফ। এবং বল আমাদের প্রতি ও তাদের প্রতি যা নাজিল করা হয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য একই এবং আমরা তারই আজ্ঞাবহ। মক্কায় অবতীর্ন, ২৯: ৪৬
উপরের আয়াতে যে খালি শান্তির বানী ঝরে পড়ছে তাই নয়, বরং মুলত: ইসলামের সাথে ইহুদি ও খৃষ্টানদের ধর্মের মধ্যে যে আসলেই তেমন কোন তফাত নেই সেটাই খুব পরিস্কার ভাবে এখানে ফুটে উঠেছে। সোজা কথায় খৃষ্টান ও ইহুদিদেরকে তোয়াজ করা হচ্ছে। একারনে তোয়াজ করা হচ্ছে যেন ইহুদি খৃষ্টানরা অন্তত: মোহাম্মদের বিরোধিতা না করে। এটা ছিল একটা সূক্ষ্ম কৌশল।
আর বলা বাহুল্য দুটি আয়াতই কিন্তু মাক্কি মানে মক্কাতে নাজিল হয়েছে।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক বন্ধুবান্ধবদের সাথে আলাপ করেছি, কথাচ্চলে বেশ কিছু মোল্লা মৌলভীদের সাথে আলাপ করেছি, দেখেছি তারা প্রত্যেকেই ইসলাম যে মহা শান্তির ধর্ম তা প্রমান করতে উক্ত দুটি সুরা তোতা পাখির মত আউড়ে যায়। আর যারা কোরান তাফসির ও শানে নুযুল সহ পড়েনি, মোহাম্মদের জীবনের ইতিহাস জানে না, নবীর মক্কার জীবন ও মদিনার জীবনের পার্থক্য সম্পর্কে জানে না- তারা যদি এ আয়াত দুটো দেখে বা শোনে তারা কিন্তু সত্যি সত্যি বিশ্বাস করে বসে থাকবে যে ইসলাম সত্যি সত্যি বোধ হয় শান্তি ও মৈত্রীর ধর্ম। ইসলামের মত শান্তির ধর্ম দুনিয়ায় আর নেই।
কিন্তু মোহাম্মদ যেই মদিনায় গিয়ে শক্তিশালী গোষ্ঠী নেতা হয়ে গেলেন, যখন তার বেশ বড়সড় একটা লুটেরা বাহিনী গঠিত হয়ে গেছে আর তিনি আশে পাশের ছোট ছোট গোস্ঠীর ওপর আক্রমন চালিয়ে তাদের সম্পদ আর নারীদের লুটপাট করে ভোগ দখল করছেন আর তার লুটরা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কিয়দংশ বন্টন করে দিয়ে তাদেরকে নিজের দলে রাখতে সক্ষম হয়ে পড়লেন তখন আল্লাহর বানীর পকৃতি পরিবর্তন হয়ে গেল। শান্তির বানীর পরিবর্তে সেখানে শুরু হলো- যুদ্ধ – বিগ্রহ, হত্যা, খুন, লুট তরাজ, উচ্ছেদ, ঘৃনা প্রকাশ ইত্যাদির বানী । মদিনাতে এসব সুরা নাজিল হয় বলে এদেরকে মাদানী সুরা বলা হয়। যেমন-
যুদ্ধ তোমাদের ওপর ফরজ করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দ। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়ত কোন একটা বিষয় পছন্দনীয় নয় অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যানকর। আর হয়ত বা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় কিন্তু তা তোমাদের জন্য অকল্যানকর। বস্তুত: আল্লাহই জানন, তোমরা জানো না।মদীনায় অবতীর্ন, ২: ২১৬
উক্ত আয়াত পড়ে বোঝা যায়, প্রথমদিকে মোহাম্মদ মদিনাবাসীকে যুদ্ধের জন্য উস্কানী দিত, লোকজন তা পছন্দ করত না। কারন অহেতুক যুদ্ধ তো কেউ পছন্দ করে না তা সে যতই অসভ্য আর বর্বর হোক না কেন। তারাও তো একটা নিয়মের অধীনে বাস করে। তাছাড়া মাদিনাবাসীরা মক্কাবাসীদের তুলনায় একটু নরম প্রকৃতির মানষ ছিল, মক্কার জলবায়ূ অতি রুক্ষ্ম প্রকৃতির হওয়ায় সেখানকার লোকজন ছিল খুবই রুক্ষ্ম ও কঠোর প্রকৃতির। পক্ষান্তরে মদিনার জলবায়ু একটু নরম ভাবাপন্ন হওযার সেখানকার লোকজনও ছিল একটু নরম প্রকৃতির আর তাই মোহাম্মদের অহেতুক যুদ্ধের প্রতি তাদের প্রথমদিকে তেমন সায় ছিল না। কিন্তু মোহাম্মদের দরকার একটা লুটেরা বাহিনী, সেকারনে আল্লাহর সূরা পাঠাতেও দেরী হয় না যা উপরে বর্ননা করা হলো। আর এ যুদ্ধের কল্যানকর বিষয়টা কি ? কল্যানকর বিষয় জানতে আল্লাহর সাহায্য দরকার নেই। যুদ্ধে জিতলে বিজিতদের যাবতীয় সম্পদ কুক্ষিগত করা যায়, কিছু মানুষকে জীবিত বন্দী করে তাদেরকে দাস হিসাবে ব্যবহার বা বিক্রি করা যায়, আর খুব আকর্ষনীয় উপহার হিসাবে পাওয়া যায় তর তাজা কিছু যুবতী নারী যাদের সাথে অবাধে য়ৌনফুর্তি করা যায়। সোজা হিসাব। তবে যুদ্ধের জয় পরাজয়ের নিষ্পত্তি যাই হোক, সবাই যে বেচে ফিরে আসবে তার নিশ্চয়তা তো নেই। যারা বেচে থাকবে তারা তো উপরোক্ত সুবিধাদি পাবেই, কিন্তু যারা মারা যাবে , তাদের জন্য কি ব্যবস্থা ?ব্যাস তাদের জন্য আল্লাহ ব্যবস্থা পত্র দিতে বিন্দুমাত্র দেরী করেন না। তারা সরাসরি বেহেস্তে চলে যাবে কেয়ামতের মাঠে বিচার আচার ছাড়াই, আর সেখানে যেয়ে পাবে অসংখ্য তরতাজা হুর, মদ এসব।আধা সভ্য অশিক্ষিত বর্বর আরবদেরকে প্রলুব্ধ করতে আর কিছু দরকার আছে ? ব্যস, বহু সংখ্যক লোক অতি সত্তর মোহাম্মদের লুটেরা বাহিনীতে ভিড়ে গেল। আর তারা শুরু করে দিল মদিনার পাশ দিয়ে সিরিয়ার দিকে যাওয়া বানিজ্য পথে বানিজ্য দলের ওপর আতর্কিত আক্রমন করে তাদের মাল জিনিস লুটপাট, মদিনার আশে পাশের ছোট ছোট গোষ্ঠির ওপর আতর্কিত আক্রমন ও তাদের ধন সম্পদ লুন্ঠন।
হে আসমানী কিতাবের অধিকারী বৃন্দ, যা আমি অবতীর্ন করেছি তার ওপর বিশ্বাস স্থাপন কর যা সে গ্রন্থের সত্যায়ন করে আর যা তোমাদের কাছে আগে থেকেই রয়েছে।(বিশ্বাস স্থাপন কর) এমন হওয়ার আগেই যে আমি মুছে দেব অনেক চেহারাকে অত:পর সেগুলিকে ঘুরিয়ে দেব পশ্চাতদিকে কিংবা অভিসম্পাত করব তাদের প্রতি যেমন করে অভিসম্পাত করেছি আছসাবে সাবতের ওপর। আর আল্লাহর নির্দেশ অবশ্যই কার্যকর হয়। মদীনায় অবতীর্ন, ৪: ৪৭
এ আয়াতে দেখা যাচ্ছে, ইহুদি ও খৃস্টানদের প্রতি হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমি মুছে দেব অনেক চেহারাকে – মানে তাদেরকে হত্যা করা হবে যদি তারা মোহাম্মদের কথা না শোনে বা তার কাছে আত্মসমর্পন না করে। এখন মোহাম্মদের মূখ থেকে আর -দ্বীনের ব্যপারে জবর দস্তি বা বাধ্যবাধকতা নাই। (মক্কায় অবতীর্ন) ০২: ২৫৬ এ শান্তির বানী বেরোয় না। অথবা ২৯:৪৬ আয়াতের মত মৈত্রীর কথা নেই মোহাম্মদের মুখে। কারন মদিনায় মোহাম্মদ তখন আর মক্বার মোহাম্মদ নেই। মক্কায় মোহাম্মদ ছিলেন দীন হীন এক দুর্বল মানুষ, কিন্তু মদিনার মোহাম্মদ একজন শক্তিশালী গোষ্ঠি নেতা যার কথায় এক বিরাট লুটরা বাহিনী যে কোন সময় যে কোন গোষ্ঠির ওপর ঝাপিয়ে পড়তে উদ্যত। আর তাই রাতারাতি তার মুখ তথা আল্লাহর বানী থেকে শান্তির বানী উধাও হয়ে গেছে।
মোহাম্মদের এ ধরনের উল্টো যাত্রা নিয়ে যে তখন একেবারেই মানুষ মুখ খুলত না তা নয়, তার ঘনিষ্ঠ সাহাবীরাও মাঝে মাঝে মুখ খুলত।জানতে চাইত আল্লাহ কেন তার আগের কথা থেকে সরে গেলেন। এ ধরনের সন্দেহ নিরসনের ব্যপারে মোহাম্মদ ছিলেন অতিশয় চতুর। কারন তিনি ভাল করেই জানতেন মানুষের মনের মধ্যে কখনো সন্দেহ দানা বাধতে দিতে নেই তাহলে তা পরে বিশাল ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াতে পারে। মানুষের মনস্তাত্বিক বিশ্লেষনে মোহাম্মদের এ গুন সত্যিই অসাধারন ছিল। সন্দেহ দুর করার জন্য তিনি মাঝে মাঝে দারুন সব ঝুকি নিতেন। তার একটা উদাহরন এ আয়াতগুলি:
যে কেউ আল্লাহ ও তার রসুলের অবাধ্যতা করে ও তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন।সেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।মদিনায় অবতীর্ন, ৪: ১৪
হে ইমানদারগন , আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, আর নির্দেশ মান্য কর রসুলের——। মদিনায় অবতীর্ন, ৪: ৫৯
আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম ও তার রসুলের হুকুম পালন করবে তাহলে যাদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, তারা তাদের সঙ্গী হবে।তারা হলেন নবী , সিদ্দিক, সহীদ ও সতকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ।আর তাদের সান্নিধ্যই উত্তম।মদিনায় অবতীর্ন, ৪: ৬৯
যে লোক রাসুলের হুকুম মান্য করল, সে আল্লাহর হুকুম মান্য করল। ৪: ৮০
যে কেউ রসুলর বিরুদ্ধাচরন করে তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিপরীত দিকে চলে আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্য স্থান। ৪: ১১৫
তার অর্থ, মোহাম্মদ যা বলবেন সে বিষয়ে তর্ক করা যাবে না , প্রশ্ন করা যাবে না , বিনা প্রশ্নে সব মেনে নিতে হবে। সুতরাং তিনি আজ একরকম আয়াত , কিছুদিন পর অন্য রকম আয়াত নাজিলের নামে নিজের কথা বললেও তাতে কোন আপত্তি তোলা যাবে না।কারন তার কথা আর আল্লাহর কথা সমার্থক। অন্য কথায় তিনিই আল্লাহর ভুমিকায় অবতীর্ন। তাই তার কথা অমান্য করলেই নিশ্চিত জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে। মূর্খ আরবরা তো আর জাহান্নামের আগুনে পুড়তে চায় না। তারা চায় ইহ জগতে গনিমতের মাল আর গনিমতের নারীদের সাথে ফুর্তি করতে, আর মরার পর বেহেন্তে হুরদের সাথে অনন্তকাল যৌনলীলা উপভোগ করতে। তাই মোহাম্মদের কথার বরখেলাপ করার মত মূর্খতা কে করবে ?তার চেযে মোহাম্মদের কথা শুনলে ইহকাল ও পরকাল দু জগতেই লাভ। বলা বাহুল্য, ততদিনে মদিনায় তিনি নিরংকুশ আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছেন, সুতরাং এখন তিনি যা ইচ্ছা খুশী আয়াতের নামে বলতে পারেন, কারও কিছুই করার নেই এখানে। মদিনাতে এরকম একটা নিরংকুশ আধিপত্য স্থাপনের পর পরই তিনি শুরু করলেন তার আসল মিশন। আর শুরু করলেন অমুসলিমদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার। এরপর থেকে কোরানে আর একটাও আয়াত নেই যেখানে কোথাও ন্যুনতম শান্তি বা মৈত্রীর কথা বলা হয়েছে। বলা বাহুল্য এসবগুলো সুরা বা আয়াত মদিনায় অবতীর্ন। যেমন:
হে ইমানদারগন, নিজেদের অস্ত্র তুলে নাও এবং পৃথক পৃথক সৈন্যদলে কিংবা সমবেতভাবে বেরিয়ে পড়। ৪:৭১
আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করতে থাকুন, আপনি নিজের সত্তা ব্যতিত অন্য কিছুর জিম্মাদার নন।৪: ৮৪
গৃহে উপবিষ্ট মুসলমান যাদের সঙ্গত কোন ওজর নেই এবং ঐ মুসলমান যে তার জান মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জেহাদ করে- সমান নয়। যারা জান মাল দ্বারা জেহাদ করে আল্লাহ তাদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় এবং প্রত্যেকের সাথেই আল্লাহ কল্যানের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ মুজাহেদীনকে উপবিষ্টদের উপরে মহান প্রতিদানে শ্রেষ্টত্ব প্রদান করেছেন। ৪: ৯৫
এবার বুঝুন কেন মুসলমান তরুনরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাতে যায়। প্রতিটি মুসলমানের পবিত্র ইমানী দায়িত্ব তারা জেহাদে অংশ গ্রহন করবে। কারন বসে থাকা মুসলমানদের মর্যাদা খুব কম। কোরানের ছত্রে ছত্রে মুসলমানদেরকে জেহাদে অংশ গ্রহনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
হে ইমানদারগন, তোমরা কাফেরদের বন্ধু রূপে গ্রহন করিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। ৪: ১৪৪
তোমরা যদি আল্লাহর পথে নিহত হও বা মৃত্যুবরন কর, তোমরা যা কিছু সংগ্রহ করে থাকো আল্লাহ তালার ক্ষমা ও করুনা তা থেকে উত্তম।মদিনায় অবতীর্ন. ৩: ১৫৭
যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদের মৃত মনে করো না। বরং তারা পালনকর্তার কাছে জীবিত ও জীবিকা প্রাপ্ত। ৩: ১৬৯
কাজেই যারা আল্লাহর কাছে পাথিব জীবনকে আখেরাতের পরিবর্তে বিক্রি করে দেয়, তাদের জেহাদ করাই কর্তব্য। বস্তুত যারা আল্রাহর রাহে লড়াই করে অত:পর মৃত্যুবরন করে অথবা বিজয় অর্জন করে, আমি তাদেরকে মহাপূন্য দান করব। ৪: ৭৪
তারা চায় যে তারা যেমন কাফের তোমরা তেমনি কাফের হয়ে যাও যাতে তোমরা ও তারা সমান হয়ে যাও। অতএব তাদের মধ্য থেকে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে না আসে। অত:পর তারা যদি বিমুখ হয় তাদেরকে পাকড়াও কর. এবং যেখানে পাও সেখানে হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরুপে গ্রহন করো না, এবং সাহায্যকারীও বানিও না। ৪:৮৯
এতক্ষনে মোহাম্মদের থলের বেড়াল বের হয়ে গেল। এখানে উল্লেখ্য মোহাম্মদ কাফের কাদেরকে বলছেন? ইহুদি আর খৃষ্টানদেরকে কাফের বলছেন। কুরাইশরা যারা পৌত্তলিক পুজা করত তাদেরকে বলা হতো মুশরিক মানে তারা আল্লাহর সাথে শরিক করত মানে অনেক দেব দেবীর পুজা করত, তাই তারা ছিল মুশরিক।কিন্তু কাফের তাদেরকে বলা হতো, যারা আল্লাহর রসুল তথা মোহাম্মদকে মানত না আর তার কিতাবকে আসমানী বলে মনে করত না। ইহুদি খৃষ্টানরা তো আল্লাহ তে বিশ্বাস করত।বর্তমানে কাফের বলতে সাধারনত বুঝায় যারা নাস্তিক কিন্তু ইসলামের কাফের মানে নাস্তিক না। কারন সেই আরব দেশে একটাও আজকের যুগের মত নাস্তিক ছিল না। নাস্তিক হতে গেলে যে পরিমান বিদ্যা বুদ্ধির আর জ্ঞান দরকার হয় সে আধাসভ্য আরবরা তার ধারে কাছেও ছিল না। কুরাইশরা তাদের দেব দেবীতে বিশ্বাস করত। ইহুদি খৃষ্টানরা তাদের ইশ্বর বা আল্লাহতে বিশ্বাস করত। সুতরাং তারা কোন ক্রমেই নাস্তিক ছিল না। তারা মোহাম্মদকে ভূয়া নবী আর কোরান কে ভুয়া আসমানী কিতাব মনে করত।আর সেকারনেই তাদের প্রতি ঘৃনা প্রকাশ করতে কাফের বলত। আর তাও কথন বলত যখন মোহাম্মদ মদিনায় ঘাটি গেড়ে শক্তিশালী নেতা হযে গেছেন তখন , তার আগে না। তার আগে মক্কায় থাকতে তো তিনি ইহুদি খৃস্টানদেরকে আহলে কিতাব বা কিতাবধারী বলে তাদের সাথে তর্ক বিতর্ক করতে নিষেধ করেছিলেন আর বলেছিলেন ধর্ম নিয়ে কোন জোর জবর দস্তি নেই।
বলা হয়ে থাকে মোহাম্মদ যত প্রকার যুদ্ধ বা খুন করেছেন তার সব নাকি আত্মরক্ষার জন্য। ৪: ৮৯ আয়াতের বর্ননা দেখলে কি তাই মনে হয় নাকি ? হাদিসে তো অনেক ঘটনাই আছে যেখানে দেখা যায় মোহাম্মদ ও তার দল বল আগ বাড়িয়ে নিরীহ জনপদ বা বানিজ্য দলকে আক্রমন করে তাদেরকে হত্যা করেছে, সম্পদ লুঠ করেছেন, তাদের নারীদেরকে বন্দী করে যথেচ্চ ধর্ষন করেছেন। হাদিসের কথা বাদই দিলাম কারন ইদানিং কতিপয় মুসলমান হাদিসের এসব বর্ননাকে ইহুদি নাসারাদের বর্ননা বলে প্রমান করার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ৪: ৮৯ এ আয়াতে দেখা যায়, পরিস্কার ভাবে বলছে- যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে না আসে। অত:পর তারা যদি বিমুখ হয় তাদেরকে পাকড়াও কর. এবং যেখানে পাও সেখানে হত্যা কর।– এ তো কোন আত্মরক্ষার বানী নয়। এ তো দেখা যাচ্ছে একজন শক্তিশালী পরাক্রমশালী গোষ্ঠিনেতা বা এক নায়কের হুংকার। প্রতিশোধ নেবার হুংকার, আদেশ অমান্য করার হুংকার। যদি তারা বিমূখ হয়, তাদেরকে পাকড়াও কর, এবং যেখানে পাও সেখানে হত্যা কর- তার মানে তাদেরকে প্রথমে দাওয়াত দাও ইসলামের , যদি তারা ইসলাম কবুল না করে, তাহলে তাদেরকে পাকড়াও কর, অত:পর হত্যা কর নির্দয়ভাবে। যদি এটা আত্মরক্ষামূলক বানী হতো- তাহলে আয়াতটি হতে পারত এরকম- যদি তারা আক্রমন করে, প্রতি আক্রমন কর প্রচন্ডবেগে. তাদেরকে পাকড়াও কর , যেখানে পাও হত্যা কর। তাহলে কিন্তু মেনে নেয়া যেত যুক্তির খাতিরে। কেন তিনি প্রতিশোধ নেয়ার হুংকার দিচ্ছেন। কারন সুচতুর মোহাম্মদ খুব ভাল করেই জানতেন, একমাত্র ইহুদী আর খৃষ্টানরা হলো তখনকার আরবের মোটামুটি সভ্য মানুষ, আর যেহেতু তাদের নবী আছে মুসা ও ইসা , আর তাদের কিতাবে কোন শেষ নবী আসবে এরকম কথা লেখা নেই , তাই পৌত্তলিক আরবরা হয়ত একদিন ইসলাম কবুল করবে কিন্তু ইহুদি আর খৃষ্টানরা কোনদিনই ইসলাম কবুল করবে না। তাই তিনি সঠিকভাবেই তার শত্রুদের চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন আর আমরা জানি তার এ দুর দৃষ্টি কতটা সত্য। কারন , শত বাধা বিপত্তির মুখেও ইহুদি ও খৃষ্টানদেরকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা যায় নি সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া আর যে সামান্য কিছু সংখ্যক ইসলাম কবুল করেছিল তা করেছিল মূলত মোহাম্মদের কোপানল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে ইসলামকে ভালবেসে নয়। মুহাম্মদ খুব ভালই জানতেন যে তার ইসলামের প্রধান শত্রু পৌত্তলিক কুরইশরা নয়, বরং ইহুদি আর খৃস্টানরা। ইহুদি আর খৃস্টানদেরকে পরাস্ত করতে বা তাদেরকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করতে না পারলে তার ইসলামের ভবিষ্যত অন্ধকার। যে কারনে দেখা যায় , কোরানে অধিকাংশ ঘৃনার , হত্যার , প্রতিশোধ স্পৃহার বানীগুলো মুলত তাদেরকেই লক্ষ্য করে। যখন এত কিছু করেও তাদেরকে মোহাম্মদের অনুসারী করা যাচ্ছিল না , তখন মাঝে মাঝে মোহাম্মদ বেশ কুটনীতির চালও চালেন। হালকা মিষ্টি সুরে তিনি বলেন-
হে আহলে কিতাবগন, এছাড়া আমাদের সাথে তোমাদের কি শত্রুতা যে আমরা বিশ্বাস করেছি আল্লাহর প্রতি , আমাদের ওপর অবতীর্ন গ্রন্থের প্রতি এবং পূর্বে অবতীর্ন গ্রন্থের প্রতি। আর তোমাদের অধিকাংশই নাফরমান।মদিনায় অবতীর্ন, ০৫: ৫৯
কি সুন্দর ভাবে মোহাম্মদ ইহুদি খৃস্টানদেরকে আহবান করছেন আর বলছেন- আমরা তো তোমাদের কিতাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি তোমরা কেন আমাদের ওপর অবতীর্ন কিতাবের ওপর বিশ্বাস স্থাপন কর না ? এখানে তার একটা কুটনৈতিক সমঝোতার সুর লক্ষ্য করা যায়।
আর যদি আহলে কিতাবরা বিশ্বাস স্থাপন করত আর খোদা ভীতি অবলম্বন করত তবে আমি তাদের মন্দ বিষয় সমূহ ক্ষমা করে দিতাম এবং তাদেরকে নেয়ামতের উদ্যনসমূহে প্রবেশ করাতাম। ০৫: ৫৬
উক্ত আয়াতে দেখা যায় ,মোহাম্মদ সুর আরও একটু নরম করে তাদেরকে বেহেস্তের লোভ দেখাচ্ছেন। এত কিছু করেও যখন কোন কাজ হচ্ছে না তখন মোহাম্মদ আরও কুটনৈতিক চাল চালছেন আধুনিক কালের মত। এবার তিনি ইহুদি আর খৃষ্টানদের মধ্যে বিবাদ বাধানোর পায়তারা করলেন। কারন এ পর্যন্ত ইহুদি ও খৃষ্টানরা মোহাম্মদকে ভূয়া নবী ও তার কিতাবকে ভূয়া কিতাব প্রমানের ব্যপারে ঐক্যবদ্ধ ছিল।মোহাম্মদ এবার চিন্তা করলেন এ দুই দলের মধ্যে বিবাদ তৈরী করলে মনে হয় একটা দল তার সাথে যোগ দেবে। আর সে চিন্তা থেকেই নিচের আয়াত প্রচার করে দিলেন –
আপনি সব মানুষের চাইতে ইহুদি ও মুশরেকদেরকে অধিক শত্রু পাবেন, আর আপনি সব চাইতে বন্ধুভাবাপন্ন পাবেন খৃস্টানদেরকে। এর কারন খৃষ্টানদের মধ্যে আলেম . দরবেশ আছেন আর তারা অহংকার করে না। ০৫ : ৮২
ইহুদিরা তাদের নিজেদেরকে আল্লাহর পছন্দের জাতি মনে করত আর তাই তারা ভাবত তারাই জ্ঞান ও গুনে অধিক পারদর্শী। কারন বাইবেলের পুরাতন নিয়মে বর্ননা করা আছে- মিশরে বন্দী ইসরাইল জাতিকে কিভাবে ঈশ্বর মুসা নবীর মাধ্যমে মুক্ত করে আনেন। সেখানে বার বার একথাও উল্লেখ আছে যে, ইসরাইল জাতি হলো ইশ্বরের বিশেষ পছন্দের জাতি। ইসরাইল জাতি বার বার ভূল কবার পরও বা বিপথে যাবার পরও ঈশ্বর তাদের ক্ষমা করে দেন আর তাদেরকে আশীর্বাদ করেন। আর তাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেন যে, তিনি ইসরাইল জাতির জন্য এক বিশেষ দেশ উপহার দেবেন। এসব কারনে ইসরাইলীরা মানে ইহুদিরা নিজেদেরকে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির তুলনায় নিজেদেরকে উচ্চ শ্রেনীর ভাবত আর তাই মোহাম্মদকে তারা খৃষ্টানদের চাইতে বেশী উপহাস করত। আর মূলত ইহুদিরাই ভাল বুঝতে পারত যে মোহাম্মদ আসলেই কোন নবী না , সব হলো তার মিথ্যা জারি জুরি। ঠিক একারনে ইহুদিদের প্রতি মোহাম্মদের ঘৃণা ও ক্ষোভ সবচাইতে বেশী পরিলক্ষিত হয়। আর এ সুযোগে তিনি এক নতুন আয়াত দ্বারা ইহুদি আর খৃষ্টান দের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির এক দারুন কুটনৈতিক চাল চালেন।
এতেও যখন কাজ হলো না , মোহাম্মদ আবার স্বমূর্তি ধারন করলেন। ইহুদি ও খৃস্টানদের বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধের হুমকি দেয়া শুরু করলেন আর তার বাহিনীকে উত্তেজিত করতে লাগলেন। সুতরাং তিনি নিচের আয়াত প্রচার করা শুরু করলেন-
তুমি বলে দাও যে যা কিছু ঘটে গেছে তা ক্ষমা করা হবে যদি তারা বিরত হয়ে যায়। পক্ষান্তরে আবারও যদি তাই করে, তবে পূর্ববর্তীদের পথ নির্ধারিত হয়ে গেছে। আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষন না তাদের ভ্রান্তির শেষ হয় এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তার পর যদি তারা বিরত হয় , আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন্ । মদিনায় অবতীর্ন, ০৮ :৩৮-৩৯
উপরের আয়াতটি মোহাম্মদ নাজিল করেন তার বদর যুদ্ধে বিজয়ের পর। এ যুদ্ধে বিজযের পর মোহাম্মদের আত্মবিশ্বাস ও সাহস বহুগুনে বেড়ে যায়। এর ফলে তার লুটেরা বাহিনীকে আরও বেশী উদ্বুদ্ধ করার জন্য তিনি এ আয়াত নাজিল করেন। অথচ বদর যুদ্ধ ছিল সম্পুর্ন অনৈতিক এক যুদ্ধ মোহাম্মদের জন্য। যারা ইসলামের ইতিহাস ভাল জানেন , তারা জানেন যে , কোরাইশদের একটি বানিজ্য কাফেলা সিরিয়া থেকে মালামাল নিয়ে মক্কায় ফিরছিল যার নেতৃত্বে ছিল আবু সুফিয়ান। বানিজ্য পথ টি মদিনার পাশ দিয়ে চলে গেছে। মোহাম্মদ একটা লুটেরা বহিনী গঠন করে উক্ত বানিজ্য কাফেলায় আকস্মিক আক্রমন করে তাদের যাবতীয় মালামাল লুটে নেয়ার পায়তারা করেন। মদিনার লোকরা তার এ ধরনের অনৈতিক কাজে প্রথমে সায় দেয়নি। কিন্তু পরে তাদেরকে লুটের মালের লোভ দেখিয়ে দলে ভেড়ানো হয়। অথচ এ ধরনের অনৈতিক লুটপাটেও তাদের সায় ছিল না। পরে তাদেরকে বোঝানো হয়, এটা আল্লাহর থেকে আদেশ। এভাবে নানা ছলা কলা করে মোহাম্মদ এ ধরনের একটা অনৈতিক ডাকাতি করার উদ্যেশ্যে প্রায় তিনশ জনের একটা দল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। এ খবর পরে মক্কায় চলে যাওয়ার পর মক্কা থেকে কুরাইশরা প্রায় একহাজার জন বানিজ্য কাফেলাকে রক্ষা করার জন্য ছুটে মদিনার দিকে আসে। তারা কিন্তু মদিনা আক্রমন করার জন্যে আসেনি। এসেছিল তাদের বানিজ্যের মালামাল মোহাম্মদের লুটেরা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। কারন উক্ত মালামালর ওপর পুরো মক্কাবাসীদের জীবন ও জীবিকা নির্ভর করছিল। অনেক দুর থেকে তারা অতি দ্রুত ছুটে এসেছিল বলে স্বাভাবিকভাবেই তারা ছিল ভীষণ পরিশ্রান্ত ও ক্লান্ত। অন্যদিকে মোহাম্মদের দলবল ছিল সতেজ কারন যায়গাটি ছিল মদিনার সন্নিকটে। তাছাড়া কুরাইসদের মধ্যে বেশ কিছু মুসলমানও ছিল যারা মদিনাতে হিজরত করে চলে যেতে না পেরে মক্কায় বাস করছিল অনেকটা বাধ্য হয়ে। প্রকৃত যুদ্ধের সময় তারা কুরাইশদের সাথে সহযোগীতা না করে মোহাম্মদের দলের সাথে যোগ দেয় বা তাদেরকে সাহায্য করে। তাই মোহাম্মদ মাত্র তিনশ এর মত মানুষ নিয়েও দীর্ঘ পথ ভ্রমনে ক্লান্ত প্রায় এক হাজার মক্কাবাসীদেরকে অনেক কষ্টে হারিয়ে দেয়। যা মূলত মোহাম্মদের ভাগ্যকে খুলে দেয় ও ইসলাম প্রচারের জন্য এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত করে। বদর যুদ্ধ নিয়ে মুসলিম পন্ডিতরা নানা রকম গর্ব করে , একে অলৌকিকতার এক উজ্জ্বল নমুনা হিসাবে তুলে ধরে, ইসলামের গৌরব গাথা প্রচার করে, কিন্তু একবারও তারা ভুলেও বলে না যে ওটা ছিল মোহাম্মদের একটা চাপিয়ে দেয়া অনৈতিক যুদ্ধ, আর সেটা ঘটেছিল মূলত মোহাম্মদের একটা ডাকাতি করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই। এ ধরনের একজন মানুষ যিনি অন্যের সম্পদ লুঠ করার জন্য নিরীহ মানুষদেরকে প্রলুব্ধ করেন, তিনি কিভাবে আল্লাহর নবী হন আর তার কাছে কিভাবে আল্লাহর বানী আসতে পারে তা সত্যি বোধের অগম্য। আর এ ধরনের একজন মানুষের কাছ থেকে যে সব ঘৃনা প্রকাশ , হত্যা, লুট তরাজ ইত্যাদি সম্বলিত বানী আমরা আল্লাহর বানীর নামে কোরানে পাই তা কি করে আল্লাহর বানী হতে পারে তাও আমাদের বুদ্ধির অগম্য। বরং তাকে একজন সফল গোষ্ঠি নেতা হিসাবেই বেশী মানায় , কোনক্রমেই আল্লাহ প্রেরিত নবী রূপে নয়্ পাঠকরা আপনারাই বিবেচনা করুন।
মন্তব্য…আল্লাহ বলেন —“এই কোরআন পড়ে কেউ বিপদগামী হবে,কেউ সঠিক পথ পাবে। তবে “ফাসেক ব্যতীত কেউ বিপদ গামী হয় না।
@এন্টাইভন্ড,
আমার মনে হয় আপনি লেখকের মুল বক্তব্যকে এড়িয়ে প্রবন্ধের দুর্বল দিকগুলকে আক্রমন করছেন। যেমন লেখক বলেছিলেন পুরো কুরানে মানব জাতিকে আল্লাহ ভালবাসে এমন আয়াত পাওয়া যাবে না। আমরা এটা বুঝে নিয়েছি তিনি সমগ্র মানব জাতির কথাই বলেছেন। নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কে আল্লাহ ভালবাসেন। এমন আয়াত লেখকের অজানা থাকার কথা নয়। তেমনি ভাবে অশান্তির আয়াত বলতে তিনি যুদ্ধের আয়াতের কথাই নির্দেশ করেছেন। আল্লাহর ভয়ভীতি সংক্রান্ত আয়াতগুল নয়। মক্কী সুরার বৈশিষ্টই এটি যে সুরাগুলতে আখেরাতের শাস্তির ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। সেখানে মুহাম্মাদ যুদ্ধের মাধ্যমেও যে শাস্তি দিবেন এমন বক্তব্য পাওয়া যায় না। আপনি কুরান পড়েছেন। আপনার জানা থাকার কথা যে মক্কী সুরা বা মাদানী সুরা বলতে সব আয়াতই যে সেখানকার তা নয়। অনেক আয়াত মক্কাতেও এসেছে, অথচ তা মদীনা সুরায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি আকাবা শপথের সময়েও যুদ্ধ সংক্রান্ত বক্তব্য আছে। যেখানে কাফেরেরা তখন কোন যুদ্ধ ঘোষনা করেনি। তাবারীর এ জায়গাটাই দেখেন
Abd al-Muttalib was the first to speak, and said: “People of the Khazraj (the Arabs used to call the Ansar, the Khazraj and the Aws together, by the name of the Khazraj), you know what Muhammad’s position is among us. “”””We have protected him against those of our people who have the same religious views as ourselves. He is held in honor by his own people and is safe in his country”””. So if you think that you can fulfill the promises which you made in inviting him to come to you and can defend him against his enemies, then assume the responsibilities which you have taken upon yourselves. But if you think that you will abandon him and hand him over after he has come to you, then leave him alone now, for he is honored by his people and is safe in his country.””’
We said to him: “We have heard what you have said. Speak, Messenger of Allah, and choose what you want for yourself and your Lord.” Muhammad spoke, recited the Quran, summoned us to Allah, and made us desirous of Islam. Then he said: “I will enter a contract of allegiance with you, **provided that you protect me** as you would with your wives and children.”
At this meeting there was a prophetic statement made by al Abbas b Utada b Nadla al Ansari who told all those who pledged allegiance to Muhammad-
” O, men of Khazraj, do you realize to what you are committing yourselves in pledging support to this man? It is to war against all and sundry.”
মুহাম্মাদ জানতেন জগতের স্রষ্টা তাকে সত্য পৌছানোর আদেশ দিয়েছেন। তিনিই তাকে রক্ষা করবেন। আল্লাহ যাকে রক্ষা করবেন, সে কখনো মানুষের কাছে নিরাপত্তার জন্যে মুখাপেক্ষী হয়? এ প্রবন্ধ অনুসারে মক্কায় থাকতে আক্রমনতো দূর এমনকি আত্মরক্ষা মুলক কোন আয়াতো পাবেন না। সেখানে সবরের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে কাফেরদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে। আর আকাবার কিছু পরেই সুরা হজ্জেঃ
যুদ্ধে অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম।
যাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে শুধু এই অপরাধে যে, তারা বলে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ। আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে (খ্রীষ্টানদের) নির্ঝন গির্জা, এবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, যেগুলাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর।
আয়াতদুটিতে দেখুন, আত্মরক্ষার জন্যে যুদ্ধের কথা বলা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু পরের আয়াত দেখুন, যাদেরকে ঘরবাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, এরা নিশ্চইই আওস খাজরাজ নয়। যাদেরকে ঘরবাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, তাদের যুদ্ধের অনুমতি দানের মানে কি? সেই সাথে খ্রীষ্টান ইয়াহুদিদের উপাসনালয় এর অনুমদনও দেয়া হয়েছে। মুলত আওস আর খাজরাজ দুটি বড় গোত্র নবীর সাথে চুক্তি করে। চুক্তির সময় ইয়াহুদিদের ব্যাপারে রাসুলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। এ জন্যে তিনি মদীনায় যে আশপাশের গোত্রগুলকে চুক্তির মধ্যে দ্রুত নিয়ে আসেন। (চুক্তিগুল যে চাপের মাঝেও হয়েছে, তারও অনেক প্রমাণ আছে) এ কারনে এ ধরনের অনেকগুল আয়াত তখন আসে। এর মধ্যে সুরা বাকারা ৬২ আয়াতও অন্যতম। এসবই আস্তে আস্তে বাতিল হয়। ২:৬২ বাতিল হয় এ আয়াত দিয়ে যে, যারা জীবন বিধান হিসেবে ইসলাম ছাড়া আর কিছু অনুসরন করে। তাদের কাছ থেকে তা গ্রহন করা হবে না। অথচ ৬২ এর বক্তব্য হল যে কেউ শুধু আল্লাহ এবং পরকালে বিলিভ করলেই তাদের কোন ভয় নেই। একটু লক্ষ করে দেখুন, মুত্তালিব বলেছিলেন মুহাম্মাদ মক্কাতেই সুরক্ষিত। মদীনায় গেলে মুত্তালিবের সেই সুরক্ষা আর কাজ করবে না। সমস্ত আরবের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ভয় নিয়েও মদীনার এসব লোকেরা মুহাম্মাদকে আমন্ত্রন জানায়। এরপরেও মক্কার লোকেরা মদীনায় আক্রমন করেনি। মদীনায় যাবার কিছুদিন পরেই যাদেরকে ঘর-বাড়ী থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, তাদেরকে যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল। তারা কাফেলা আক্রমন শুরু করল। এবং মক্কার লোকেদের প্রথম আক্রমন ঘটল আবু সুফিয়ানের কাফেলা কে কেন্দ্র করে। মুহাম্মাদকে প্রতিহত বা তাকে আটক করতে মক্কার লোকেরা আক্রমন করেনি। এভাবেই শক্তিশালী হবার সাথে সাথে বক্তব্যগুল পরিবর্তন হয়েছে। আত্মরক্ষা থেকে সম্রাজ্যবাদের দিকে ইসলাম অগ্রসর হয়েছে। লেখকের মুল বক্তব্য এটাই।
ইসলাম অন্যান্য মতবাদের মতই আরেকটি মতবাদ। আপনার মাথা থেকে নয়, ইসলামের মাথা থেকে আল্লাহ ও রাসুলের টুপিটা সরিয়ে দেখুননা। আর জগতের স্রষ্ঠা স্রেফ তার নাম জারী রাখার জন্যে একদল মানুষকে আরেকদলের পিছে লেলিয়ে দিবেন, এটা তার পরম করুণাময় বৈশিষ্টের সাথে বড়ই বেমানান।
@ভবঘুরে,
আর তাই মদিনায় প্রচারিত সকল আয়াতে খালি খুন হত্যা ঘৃনা এসবের ছড়াছড়ি।
সুতরাং, একটা, যে কোনো একটা মাদানী সুরা খুললেই তার পাতায় পাতায় এই খুন/হত্যা/ ঘৃণা এসবের আয়াত থাকার কথা। আরো ভালো করে বললে, সকল আয়াতে যদি শুধু খুন হত্যা ঘৃনা এসবের ছড়াছড়ি হয়, তাহলে মাদানী সুরাগুলোতে এসব ছাড়া কোনো আয়াতই থাকার কথা নয়।
আমি এই চিন্তা নিয়ে খুলে বসলাম সুরা ইমরান। ভাবলাম, প্রথম ৫০টা আয়াত পড়ে দেখি। পড়ে যা দেখলাম, তা এই যে, কেবল নিচের আয়াতগুলো ছাড়া অবিশ্বাসীদের জন্য নেগেটিভ কোনো আয়াত নেই।
1. নিঃসন্দেহে যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশীল, প্রতিশোধ গ্রহণকারী। (3:4)
2. যারা কুফুরী করে, তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর সামনে কখনও কাজে আসবে না। আর তারাই হচ্ছে দোযখের ইন্ধন। 3:10
3. ফেরআউনের সম্প্রদায় এবং তাদের পূর্ববর্তীদের ধারা অনুযায়ীই তারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। ফলে তাদের পাপের কারণে আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করেছেন আর আল্লাহর আযাব অতি কঠিন। 3:11
4. কাফেরদিগকে বলে দিন, খুব শিগগীরই তোমরা পরাভূত হয়ে দোযখের দিকে হাঁকিয়ে নীত হবে-সেটা কতই না নিকৃষ্টতম অবস্থান। 3:12
5. নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত। 3:19
6. যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে এবং পয়গম্বরগণকে হত্যা করে অন্যায়ভাবে, আর সেসব লোককে হত্যা করে যারা ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দেয় তাদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তির সংবাদ দিন। 3:21
7. এরাই হলো সে লোক যাদের সমগ্র আমল দুনিয়া ও আখেরাত উভয়লোকেই বিনষ্ট হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে তাদের কোন সাহায্যকারীও নেই। 3:22
8. মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে। 3:28
9. বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। 3:32
এর ভেতর ইচ্ছা হইলো আপনার আর একটা বক্তব্য চেক করি:
সুরা সাবা একটা মাক্কী সুরা। সেই সুরা পড়তে গিয়ে পাইলাম:
1. ৩৪:৫ আর যারা আমার আয়াত সমূহকে ব্যর্থ করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়, তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।
2. ৩৪:৭-৮ কাফেররা বলে, আমরা কি তোমাদেরকে এমন ব্যক্তির সন্ধান দেব, যে তোমাদেরকে খবর দেয় যে; তোমরা সম্পুর্ণ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও তোমরা নতুন সৃজিত হবে।
সে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলে, না হয় সে উম্মাদ এবং যারা পরকালে অবিশ্বাসী, তারা আযাবে ও ঘোর পথভ্রষ্টতায় পতিত আছে।
3. ৩৪:৯ তারা কি তাদের সামনের ও পশ্চাতের আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিলক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছা করলে তাদের সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোন খন্ড তাদের উপর পতিত করব। আল্লাহ অভিমুখী প্রত্যেক বান্দার জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।
4. ৩৪:১৬ অতঃপর তারা অবাধ্যতা করল ফলে আমি তাদের উপর প্রেরণ করলাম প্রবল বন্যা! আর তাদের উদ্যানদ্বয়কে পরিবর্তন করে দিলাম এমন দুই উদ্যানে, যাতে উদগত হয় বিস্বাদ ফলমূল, ঝাউ গাছ এবং সামান্য কুলবৃক্ষ।
5. ৩৪:১৭ এটা ছিল কুফরের কারণে তাদের প্রতি আমার শাস্তি। আমি অকৃতজ্ঞ ব্যতীত কাউকে শাস্তি দেই না।
6. ৩৪:১৯ অতঃপর তারা বলল, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের ভ্রমণের পরিসর বাড়িয়ে দাও। তারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল। ফলে আমি তাদেরকে উপাখ্যানে পরিণত করলাম এবং সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিলাম। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
7. ৩৪:৩৩ দুর্বলরা অহংকারীদেরকে বলবে, বরং তোমরাই তো দিবারাত্রি চক্রান্ত করে আমাদেরকে নির্দেশ দিতে যেন আমরা আল্লাহকে না মানি এবং তাঁর অংশীদার সাব্যস্ত করি তারা যখন শাস্তি দেখবে, তখন মনের অনুতাপ মনেই রাখবে। বস্তুতঃ আমি কাফেরদের গলায় বেড়ী পরাব। তারা সে প্রতিফলই পেয়ে থাকে যা তারা করত।
8. ৩৪:৩৮ আর যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়, তাদেরকে আযাবে উপস্থিত করা হবে।
9. ৩৪:৪২ অতএব আজকের দিনে তোমরা একে অপরের কোন উপকার ও অপকার করার অধিকারী হবে না আর আমি জালেমদেরকে বলব, তোমরা আগুনের যে শাস্তিকে মিথ্যা বলতে তা আস্বাদন কর।
________________________
অথচ ভবঘুরে,
অথচ ভবঘুরে,
অথচ ভবঘুরে,
মাক্কী কোনো সুরাতেই আমরা অবিশ্বাসীদের জন্য এধরণের নেগেটিভ আয়াত কেন পাবো না, সেটা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আপনি বলেছেন:
_______________
যদি কিছু মনে না করেন, নিজের কোরান পাঠের পদ্ধতি নিয়া একটু সতর্ক হোন।
@এন্টাইভন্ড,
ভাই , বুঝেছি আল্লাহ আপনার ব্রেনে সত্যি সত্যি সীলগালা করে দিয়েছে। নইলে যেখানে বার বার আমি একই কথা বলার পরেও আপনি বুঝতে পারছেন না কেন ?
আমি পরিস্কার ভাবে বলছি- মদিনায় হিজরতের আগে কোরানের নামে যত সুরা মোহাম্মদ নাজিল করেছিলেন তার মধ্যে কিছু কিছু শান্তির বানী পাওয়া যায়।তবে তখনও হিংসাত্মক আয়াত নাজিল করেননি। মদিনায় হিজরতের প্রথম দিকেও তার আয়াতে শান্তির কথা সমঝোতার কথা ছিল যতদিন না তিনি শক্তিশালী নেতা হয়ে ওঠেন নি। যেই শক্তিশালী হয়ে পড়লেন – তখনই শুরু হলো তারা হুংকার, খুন খারাবি , উচ্ছেদের আহ্বান। এর পর তিনি যখন মক্কা বিজয় করেন তার আয়াতে সেই খুন খারাবির ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। কারন তখন তো তিনি দিগ্বীজয়ী নেতা। আপনি মক্কার প্রথম জীবনের সুরার সাথে শেষ জীবনের সুরা মিলিয়ে ফেলে পানি ঘোলা করার পায়তারা করছেন। তা ছাড়া , কোন সুরা কোথায় নাজিল হয়েছিল তারও কোন ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয় নি ঠিকমতো, কোরানে দেখা যায় আগে যে সুরা নাজিল হয়েছিল তা অনেক পরে সন্নিবেশিত হয়েছে, অনেক পরের সূরা আগে সন্নিবেশিত হয়েছে। যা সম্পূর্ন ধারাবাহিকতার পরিপন্থি। তার মানে কোরানও ঠিক মতো সংরক্ষন করা হয়নি, অথচ আপনি তা বিশ্বাস করবেন না , কারন আপনার ব্রেনে সীলগালা করা ।
@উপরের মন্তব্যটা ভুল করে এখানে দেয়া হয়েছে।
পোস্টের মূল কথাটা বুঝি নাই।
আমার যদি মনে হয় যে আমার “অখন্ড” সমাজ একটা অন্যায় করছে, ভুল করছে, আমি সেটার প্রতিবাদ করবো না কি এই জন্য যে তাতে সমাজে “বিভক্তি” আসবে?
আমি যদি অত্যাচারিত হই, তাহলে কি এই জন্য আরো অত্যাচারিতকে নিয়ে, দলিতকে নিয়ে একটা দল করে শক্তিশালী হবো না শুধু এই জন্য যে তাতে সমাজে “বিভক্তি” আসবে?
[প্রসঙ্গক্রমে, এই প্রশ্নেরও জবাব দিবেন যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কি এই জন্য করবো না, এবং তাদের সাথে বন্ধুত্ব বিনষ্ট করবো না, এবং তাদের সাথে কঠোরতা করবো না, এই জন্য যে তারা এখন একটা বিশাল গ্রুপ, এবং তাদের সাথে ক্যাচাল করলে সমাজে “বিভক্তি” আসবে???????? আমি যদি তাদেরকে বাগে পাইলে কোপানো শুরু করি (সরি টু সে), তাইলে কি এটা সেই ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুরতা হবে, যে ভয়ঙ্করতা নিয়া আপনারা বিরক্ত এবং ক্ষিপ্ত হয়া আছেন? এই নিষ্ঠুরতা কি অন্যায় হবে?????????????]
ভবঘুরে,
আসুন এবার পোস্টের মূল বক্তব্যে আবার আসি।
১. আমরা ২:২৫৬ নিয়ে কথা বলছিলাম। আপনি বলেছেন:
এই আয়াতের শানে নুজুল কিন্তু একটু ভিন্ন কথা বলে। দেখুন:
Narrated Abdullah ibn Abbas: When the children of a woman (in pre-Islamic days) did not survive, she took a vow on herself that if her child survives, she would convert it a Jew. When Banu an-Nadir were expelled (from Arabia), there were some children of the Ansar (Helpers) among them. They said: We shall not leave our children. So Allah the Exalted revealed; “Let there be no compulsion in religion. Truth stands out clear from error.” (Book #14, Hadith #2676)
অর্থাৎ, এই আয়াত নাজিল হয়েছিলো যখন বানু নাজির-এর এক্সপালশনের ঘটনা ঘটে।
বানু নাজিরের এক্সপালশনের ঘটনা ঘটে বদর যুদ্ধের পর। এবং সম্ভবত ওহুদেরও পর। একটা গোটা গোত্রকে এক্সপেল করে দিচ্ছেন এলাকা থেকে, এই অবস্থায় মুহম্মদ স.-এর বিজয়ী অবস্থানের ব্যাপারে সন্দেহ থাকা উচিত না।
সেই সময় {{Let there be no compulsion in religion.}}-এর মত কথা বলা থেকে যা বোঝা যায়, তা আমি একবার বলেছি।
আপনার এই পোস্টের মূল বক্তব্য ভুল মনে হয়েছে। মুহম্মদ স. মদীনাতে বিজয়ী অবস্থাতেও শান্তির কথা বলেছেন।
________________
২. এইখানে আমরা অন্য বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যে আয়াতগুলো উপস্থাপন করেছি, তার মধে একটি হলো:
৬০:৮
ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।
এই আয়াতে “ইনসাফকারীদের” বলতে আল্লাহ ইমানদার লোকদের বাইরেও কাউকে বুঝিয়েছেন কি না, সেই প্রশ্নটা নাহয় রাখলাম এখন, কিন্তু আয়াতটা যে প্রতিহিংসাপূর্ণ, ঘৃণা ও উত্তেজনায় ভরপুর না, সেইটুকু কিন্তু স্পষ্ট।
আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন বলে আসলে কোন কথাটার উপর জোর দিলেন?
আল্লাহ আসলে বলতে চাইলেন যে তোমরা তাদের উপর ইনসাফ করো এবং সদাচরণ করো, যাদের সাথে তোমাদের ধর্ম কেন্দ্রিক লড়াই নেই, অথবা তোমাদের দেশ থেকেও বের করে নি। তাহলে আমি তোমাদের ভালোবাসবো।
আপনি কি জানেন, এই আয়াত কখন নাজিল হয়েছে? হুদিইবিয়ার সন্ধির সময়ে। মক্কাবিজয়ের জাস্ট আগে। ততদিনে বদর ওহুদ এবং খন্দক—তিনটা বড় যুদ্ধ হয়ে গেছে এবং ছোটখাটো দুটা অভিযানও চালানো হয়ে গেছে। ওহুদ ছাড়া অন্য কোথাও খুব বড় কোনো ক্ষয় ক্ষতি ছাড়াই বিজয়ী হয়েছিলেন মুহম্মদ স.। এর অর্থ হলো, এই কথাগুলো যখন বলছেন, পুরোদস্তুর বিজয়ী লোক তিনি।
@এন্টাইভন্ড,
এই আয়াত নাজিল হয়েছিলো যখন বানু নাজির-এর এক্সপালশনের ঘটনা ঘটে।
বানু নাজিরের এক্সপালশনের ঘটনা ঘটে বদর যুদ্ধের পর। এবং সম্ভবত ওহুদেরও পর। একটা গোটা গোত্রকে এক্সপেল করে দিচ্ছেন এলাকা থেকে, এই অবস্থায় মুহম্মদ স.-এর বিজয়ী অবস্থানের ব্যাপারে সন্দেহ থাকা উচিত না।
একটা গোটা গোত্রকে এক্সপেল করে দিচ্ছেন এলাকা থেকে আর মুখে বলছেন…”
মুহাম্মদ মদীনাতেও বিজয়ী অবস্হাতেও শান্তির কথা বলেছেন” :laugh: :laugh: :lotpot: :lotpot:
@ফরহাদ, বাহ! চান্সে একটা হেভি হাসি মাইরা দিলেন। ঠিকাছে, হাসেন, ভালো কথা।
প্রসঙ্গটা আড়ালে না গেলেই হয়। “ধর্মের ব্যাপারে কোনো জোরজবরদস্তি নাই” এইটা যে শান্তিপূর্ণ কথা, সেইটা নিয়া তো নিশ্চয়ই সন্দেহ নাই।
চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে এক্সপালশনের ঘটনা ঘটে।
আমার পয়েন্ট হলো এইখানে যে এই অবস্থায় যে বলে যে “ধর্মের ব্যাপারে কোনো জোরজবরদস্তি নাই”, তার ব্যাপারে এই সিদ্ধান্তটা মূলগতভাবেই ভুল যে
{{বিজয়ী মোহাম্মদের বানী ছিল প্রতিহিংসা পূর্ন, ঘৃনা ও উত্তেজনায় ভরপুর।}}
এই আয়াতের পরে যে আয়াত দিয়েছি, তাতেও এই কথাই বোঝা যায়।
@এন্টাইভন্ড, আচ্ছা এই ভদ্রলোক নিজের করা আইনও মানতেননা কেন?
চুক্তিভঙ্গ? যারা মোহাম্মদকে মদীনায় দয়া করে থাকতে দিল, শুধু তাদেরই অধিকার ছিল মোহাম্মদকে ঘাড় ধরে মদীনা থেকে বের করে দেওয়ার।
@ফরহাদ,
এখানে আমি একটা নির্দিষ্ট প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছি। আপনি কি তার উপর কিছু বলবেন? ভবঘুরে বলেছিলেন, মুহম্মদ স. যখন বিজয়ী, তখন তিনি কোনো শান্তির কথা বলেন নি।এবং তার সমস্ত বাণী ছিলো প্রতিহিংসা, …ইত্যাদিতে ভরপুর। আমি এখানে দুটো আয়াত দেখিয়েছি, যার বক্তব্য নিঃসন্দেহে শান্তিপূর্ণ। এবং তার শানে নুজুল বের করে দেখিয়েছি যে আয়াত যখন নাজিল্ড হয়, তখন মুহম্মদ স. একজন পুরোদস্তুর বিজয়ী লোক।
অর্থাৎ, মুহম্মদ স. একজন বিজয়ী লোক হওয়া অবস্থাতেই শান্তির কথা বলেছেন।
অর্থাৎ, এই পোস্টের মূল বক্তব্য একটি ভুল ভিত্তির উপর স্থাপিত হয়েছে।
এই ছিলো আমার যুক্তি। হতেই পারে যে, এই যুক্তি ভুল, অথবা, খন্ডনীয়। কিন্তু আমি আশা করছি, অন্য প্রসঙ্গ উত্থাপিত করাবার আগে আমাকে স্পষ্টভাষায় এই কথা জানানো হবে যে আমার এই যুক্তিতে কী ভুল আছে।
নতুন প্রশ্ন নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা হচ্ছে না।
(ইনফ্যাক্ট প্রশ্নটাও বুঝি নাই)
@এন্টাইভন্ড,
ভাই, আমি মুক্কু সুক্কু মানুষ, সোজা কথা বুঝি, একটা আম বাগানে একটা কাঁঠাল গাছ থাকলেও লোকে এটাকে আম বাগানই বলে।যদি ধরেও নেই এই আয়াত মদীনায় অবতীর্ন (যদিও মোহাম্মদ কখনও এই আয়াতে বিশ্বাস করতেন কিনা সন্দেহ) , মদীনায় অবতীর্ন আরও শত আয়াত এর বিপরীত কথাই বলে।
আমার মতে পোস্টের মূল ভিত্তি ঠিকই আছে।
@এন্টাইভন্ড,
ইসলামিস্টরা সব সময় এই উপদেশই দেয় যে কুরাণের আয়াতকে প্রসঙ্গের বাইরে উদ্ধৃত করা উচিত না। তফসির পড়ে সে আলোকে প্রসংগ বিচার করে আয়াতটিকে দেখা উচিত। তারা বলতে চায় ঐ আয়াতটি এক বিশেষ অবস্থার জন্য প্রজোয্য। অবশ্য এই যুক্তি তারা সেই সব আয়াতের বেলায় দেয় যা দৃশ্যত অগ্রহণীয়। যেটা শুনতে ভাল দেখায় সেখানে তার এই দাবী করে না। কিন্তু সেই যুক্তি এই আয়াতের বেলায় খাটান হোক না কেন। কাসিরের তফসিরে (যা সহিহ হাদিসেও বলে এবং আপনিও কোথায় যেন উদ্ধৃত করেছেন) বলা হয়েছে আনসার মহিলারা মদীনা থেকে বানু নাযির গোত্র কে তাড়িয়ে দেবার সময়ে যখন তারা তাদের সন্তানদের বানু নাযিরএর সাথে যেতে দিতে অস্বীকার করে তখন মুহম্মদ এই কথা বলেছিলান। এটা বলার অর্থ কি? হয়ত আনসার মহিলাদের সমর্থনে বলতে চেয়েছেন, বানু নাযির গোত্র জোর করে আনসার সন্তানদের নিয়ে যেতে পারে না, যাতে তারা ইহুদী হয়ে যাবে। অথবা আনসার মহিলাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলতে চেয়েছেন যে, তোমাদের সন্তানদের অদের নিয়ে যেতে দাও, তাদেরকে নিজের কাছে রেকেহ মুসলীম বানাতেই হবে তা কেন। এই দুটো ব্যাখ্যার কোনটাতেই কোন সার্বজনীন প্রজোয্যতা নেই। এক বিশেষ অবস্থায় সমস্যার কি সমাধান তারই ইঙ্গিত। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল কাজ এং কথার তফাৎ। কাজেই প্রমাণ মিলে মানুষের আসল স্বভাব। কথায় নয়। আমাদের রাজনৈতিক নেতারা অনেক ভাল ভাল কথা বলেন। কিন্তু কাজেই প্রমাণ মেমে তাদের আসল চেহারা। মুহম্মদ ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত পাঠিয়ে সেটা গ্রহণ করা না হলে আক্রমণ চালিয়েছেন। লুঠ, হত্যা করেছেন। জিযিয়া কর আরোপ করেছেন। কোথায় গেল ধর্মীয় সহিষ্ণুতা? কুরাণের এতগুলি অসহিষ্ণু বাণী থাকতে ঐ হাতে গোনা দুএকটা আয়াতে কি আসে যায়? আর তা ছাড়া সেই বাতিলকরণের ব্যাপারও তো আছে। ২ঃ২৫৬ তো এর পরবর্তী অনেক অসহিষ্ণু আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে গেছে।
@যাযাবর,
১.
http://quraanshareef.org/tafseer/index.php?page=139
এই লিঙ্কের একদম শেষে দুইটা প্যারা আছে, যেখানে ওমর-এর একটা ঘটনার কথা আছে।
সেখানে ওমর এক বৃদ্ধাকে ইসলামে দাওয়াত দিচ্ছেন, কিন্তু বৃদ্ধা বলছেন, তিনি জীবনের এই শেষ প্রান্তে নিজের ধর্ম ত্যাগ করতে চান না। ওমর তাকে জোর করেন নি। বরং আবৃত্তি করেছেন, লা ইকরহা ফিদ্দিন।
শুধু তাই না,
আপনি যা ভাবছেন, আমার ভাবনার সাথে সেটা মিললো না।
প্লাস, এই আয়াতের রহিত হবার কোনো ঘটনা আমি জানি না। কোথাও পাই নি। আপনি যদি কোথাও পেয়ে থাকেন, অনুগ্রহ করে লিঙ্কখানা প্রোভাইড করবেন।
@এন্টাইভন্ড,
ওমর নবীও না, কুরাণের লেখক ও নন। কাজেই তাঁর উক্তি দিয়ে কুরাণ/মুহম্মদের উক্তি/কর্ম ব্যাখ্যা করা ভুল। আর এক উদাহরণ দিয়ে তো কোন কিছুর সার্বজনীনতা প্রমাণ হয় না।
এই লিঙ্ক এ দেখুন। এখান প্রশ্নের উত্তরদাতা লিখেছেনঃ
To solve the disagreement, based on the method of abrogation,
most exegetes concluded that this verse (9:5), which was
revealed towards the end of the Prophet’s (peace be upon him)
life, abrogated each and every ‘mutaarid’ verse that was
revealed before it.
Therefore, the following verses were considered abrogated:
*{No compulsion in the religion}* (Al-Baqarah 2:256);
…
অর্থাৎ অধিকাংশ তফসিরকারীরা মনে করেন যে ৯ঃ৫ আয়াত দ্বারা অনেক আয়াত রহিত হয়ে গেছে, যার মধ্যে ২ঃ২৫৬ একটি।
@যাযাবর,
@যাযাবর,
এইটা একটু কেমন কথা হয়ে গেল, ওমর-এর উক্তি দিয়ে মুহম্মদ স.-এর উক্তি ব্যাখ্যা করা ভুল,
তা, তাফসিরকারকদের মনে করা দিয়ে দিয়ে ব্যাখ্যা করা সঠিক???
ওমরের কথাটা এনেছি জাস্ট এইজন্য যে
প্রথমদিকের সাহাবী যারা তারাইতো সবথেকে ভালোভাবে মুহম্মদ স.-কে অনুসরণ করেছেন, তাই না? যদি আয়াতটা স্পেসিফিক হতো, সেটা ওমরের জানার কথা ছিলো। অন্তত, তাফসিরকারকদের চেয়ে ভালো করে।
কিন্তু আমরা এ নিয়েই বা কথা এখন এই পোস্টে বলছি কেন? এখানে এই পোস্টে যেভাবে বলা হয়েছে, তা যদি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে মুহম্মদ স.-এর এমনকী স্পেসিফিক ঘটনাতেও তো বলার কথা না!
@এন্টাইভন্ড,
৬০:৮
ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।
ঠিক মক্কা বিজয়ের জাস্ট আগে এ সূরা মোহাম্মদ বলেন। কেন বলেন ? কারন তিনি নিশ্চিত যে এখন তার দল যত ভারী হয়েছে তাতে অনায়াশে তিনি মক্কা বিজয় করতে পারবেন। এখন মক্কাবাসীদের সবাই যে তার কট্টর বিরোধীতা করেছিল তা কিন্তু নয়। যারা বিরোধীতা করেছিল তারা ছিল মোটামুটি নেতা গোছের লোক- জেহেল, লাহাব এরা। অনেকেই আবার বিরোধীতাও করেনি, সমর্থনও করেনি। তাই মক্কা অভিযানের ঠিক আগে বলছেন- যারা বিরোধীতা করেনি বা অত্যাচার করেনি তাদেরকে যেন কিছু না বলা হয়। এছাড়া মক্কা তো মোহাম্মদের জন্মভুমি । সেখানেই তার জন্ম, কৈশোর, যৌবন, এমন কি প্রায় প্রৌড় কাল মানে , প্রায় ৫০ বছর বয়েসে তিনি মক্কা ছেড়ে মদিনা যান। তাই মক্কাতেই তার সব আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব। মানুষ যত হিংস্রই হোক না কেন, সে কোনদিন নিজ আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের কচুকাটা করে মারতে পারে না যেমন পারে অন্য মানুষকে। সুতরাং খুব স্বাভাবিক ভাবে তিনি তার দল যাদের অধিকাংশই ছিল মূলত: মদিনাবাসী তিনি তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছেন যেন তারা অযথা কাউকে হত্যা বা নির্যাতন না করে। কোরানের শান এ নুযুল আর তফসির কিন্তু তাই বলে । আপনি নিজেও এধরনের একটা পরিস্থিতিতে থাকলে তাই করতেন। এখানে বিশেষ মাহাত্ম টা কোথায়? আর ইনসাফকারী – এখানে কারা ? যারা অযথা নিরীহ মক্কাবাসীর ওপর জোর জুলুম করবে না তারা আর তারা সবাই মোহাম্মদের অনুসারী কারন আলোচ্য আয়াতে মোহাম্মদ তাদেরকেই উদ্দেশ্য করে কথা গুলো বলছেন। অন্য কাউকে নয়। সুতরাং মোহাম্মদের আল্লাহ এখানে শুধু তার অনুসারীদেরকেই ভালবাসেন মানব জাতির অন্য ইনসাফকারিদেরকে নয়। এটা আল্লাহর খুব সংকীর্ন মনোভাবের পরিচায়ক। যা পরম করুনাময় প্রেমময় আল্লাহর নামের সাথে মানানসই নয়। আর তাই সঙ্গত কারনেই আমরা মনে করি কোরান আল্লাহর বানী নয়, তা মোহাম্মদের। আমরা বুঝি না কেন আপনি কোরান আর তার শান এ নযুল পড়ে এটা বুঝতে পারেন না । শানে নুযুল বা তফসির ছাড়া পড়লে আপনার বক্তব্য ঠিক আছে। কিন্তু এখন তো আপনাদের পাল্লায় পড়ে শানে নুযুল ও তফসির সহকারেই কোরান পড়ি।
@ভবঘুরে, আপনার এই মন্তব্যে আমি আপনার লজিকটা ধরতে পারি নি। অনুগ্রহ করে একটু রিফ্রেজ করতে পারেন?
আর, অন্য আয়াতটা নিয়ে আপনার কোনো মন্তব্য আছে?
১. কিছু মনে করবেন না, {জানিনা সেটা আপনার মাথায় ঢুকেছে কিনা । }, {আপনি অন্যদেরকে ধোকা দেয়ার জন্য}, {তা আপনাদের মাথায় ঢুকবে না । } এই জাতীয় ভাষা ব্যবহার করাটা কি আপনার জন্য খুব জরূরি?
২. আমার প্রধান মনযোগ ছিলো, বান্দার প্রতি ভালোবাসা আল্লাহর আছে কি না (কোথাও তার বান্দার প্রতি সামান্যতম ভালবাসা প্রকাশের কথা নেই। ), এটুকু দেখানো; কিন্তু তবু আমি স্বীকার করছি, পুরো আয়াতই দেখানো উচিত ছিলো।
৩.
আপনার কথা ছিলো এটুকু। এথেকে আমার মনে হয়েছিলো যে আল্লাহ তার বান্দাদের ভালোবাসেন (সেটা শর্তসাপেক্ষে হোক বা না হোক), এরকম কোনো আয়াত আপনি চাচ্ছেন। এখন আপনি স্পষ্ট করলেন যে, না, আপনি চাচ্ছেন, আল্লাহ মানুষকে ভালোবাসেন, কোনো শর্ত ছাড়াই, এরকম কোনো আয়াত।
সো ফার, যেটুকু দেখলাম, আল্লাহর ভালোবাসা (একর্ডিং টু কোরান) একটু শর্তসাপেক্ষ। আল্লাহর ভালোবাসাটা পেতে হলো মানুষকে এই এই (…) করতে হবে।
যেমন: ৫:১৩
সুতরাং তারা তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে আমি তাদেরকে লা‘নত দিয়েছি এবং তাদের অন্তরসমূহকে করেছি কঠোর। তারা শব্দগুলোকে আপন স্থান থেকে বিকৃত করে এবং তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছে, তার একটি অংশ তারা ভুলে গিয়েছে এবং তুমি তাদের থেকে খিয়ানত সম্পর্কে অবগত হতে থাকবে, তাদের অল্প সংখ্যক ছাড়া। সুতরাং তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং এড়িয়ে যাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।
এই আয়াতের পাঠ থেকে আমি বুঝি, এখানে আল্লাহ বলতে চেয়েছেন যে, যারাই কি না সৎকর্মশীল, আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে ভালোবাসেন।
এ আয়াত থেকে আমার কখনোই মনে হয় নি যে এই ভালোবাসা {{আল্লাহ ও তার রসুলের ওপর বিশ্বাসীদের জন্য নিতান্তই সীমিত।}}।
মনে রাখবেন, কোরানে এটাও বলা আছে, {{অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে}}
সৎকর্ম যে-ই করুক, তার একটা গুরুত্ব আছে আল্লাহর কাছে।
আরো একটা আয়াত দেখাই, ৭:১৫৬
আর পৃথিবীতে এবং আখেরাতে আমাদের জন্য কল্যাণ লিখে দাও। আমরা তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি। আল্লাহ বললেন, আমি যাকে ইচ্ছা তাকেই সাজা দিই, (عَذَابِي أُصِيبُ بِهِ مَنْ أَشَاء), তবে আমার রহমত সব কিছুরই উপরে ছেয়ে আছে (وَرَحْمَتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ) [My mercy embraces all things,]। সুতরাং তা (আয়াতের শুরুতে উল্লিখিত حَسَنَةً =কল্যাণ) তাদের জন্য লিখে দেব যারা ভয় রাখে, যাকাত দান করে এবং যারা আমার আয়াতসমুহের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে।
পূর্বে উল্লিখিত দুটো আয়াত দেখাই:
৬০:৮:
ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।
৫:৪২: এরা মিথ্যা বলার জন্যে গুপ্তচরবৃত্তি করে, হারাম ভক্ষণ করে। অতএব, তারা যদি আপনার কাছে আসে, তবে হয় তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিন, না হয় তাদের ব্যাপারে নির্লিপ্ত থাকুন। যদি তাদের থেকে নির্লিপ্ত থাকেন, তবে তাদের সাধ্য নেই যে, আপনার বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারে। যদি ফয়সালা করেন, তবে ন্যায় ভাবে ফয়সালা (deal justly) করুন। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ( الْمُقْسِطِينَ = who deal with equity) ভালবাসেন।
এই দুটো আয়াত থেকে আমি বুঝি, যারাই ইনসাফ/সুবিচার করে (deal justly), আল্লাহ তাদের সকলকেই ভালোবাসেন। আর, মুহম্মদ স.-কে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, এই ইনসাফকারীদের/সুবিচারকারীদের (who deal with equity) অন্তর্ভুক্ত হতে।
অনুগ্রহ করে জানাবেন, ঠিক কী কারণে আপনার নিচের কথাগুলো মনে হলো
কেন অন্য কেউ নয়?
@এন্টাইভন্ড,
ধন্যবাদ আপনাকে।
কোথায় আপনি সমস্যা করছেন জানেন ? যখন আমরা কোন একটা আয়াতের আংশিক উল্লেখ করে তার ব্যাখ্যা করি , তখন কিন্তু আপনারাই সবক দেন যে শুধু পুরো আয়াত পড়লেই চলবে না বরং গোটা সূরাটা পড়তে হবে তফসির ও শানে নুযুল সহকারে , তাহলেই তার প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারব। অথচ আপনি এখন নিজেই আয়াতের খন্ডিত অংশকে পাঠকের সামনে তুলে ধরছেন, গোটা আয়াতটি উল্লেখ না করে। আমি আপনার দেয়া উদাহরন থেকে একটাকেই বিশ্লেষণ করি ,যেমন-
৫:৪২: এরা মিথ্যা বলার জন্যে গুপ্তচরবৃত্তি করে, হারাম ভক্ষণ করে। অতএব, তারা যদি আপনার কাছে আসে, তবে হয় তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিন, না হয় তাদের ব্যাপারে নির্লিপ্ত থাকুন। যদি তাদের থেকে নির্লিপ্ত থাকেন, তবে তাদের সাধ্য নেই যে, আপনার বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারে। যদি ফয়সালা করেন, তবে ন্যায় ভাবে ফয়সালা (deal justly) করুন। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ( الْمُقْسِطِينَ = who deal with equity) ভালবাসেন।
এখানে সুবিচারকারী বলতে কাদেরকে বুঝাচ্ছে তা কিন্তু গোটা আয়াত পড়লেই পরিস্কার বোঝা যায়। আয়াতটি আল্লাহ (ধরে নিলাম আল্লাহই বলছেন) বলছেন মোহাম্মদকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন সমস্যার ফয়সালা করে দিতে। এখানে মোহাম্মদ এক বচন। কিন্তু পরে দেখা যাচ্ছে বহুবচন-সুবিচারকারীদেরকে- মনে হয় এটা অনুবাদকের কারসাজি। কারন এখানে সুবিচারকারী একবচন হবে যেহেতু বিষয়টা মোহাম্মদকেই উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে। ইংরেজী who এক ও বহুবচন উভয়ই। who অর্থ যিনি বা যারা উভয়ই। সুতরাং এখানে একটা খটকা কিন্তু রয়েই গেছে যে বাংলা অনুবাদক সুবিধামত অনুবাদ করেছেন। কিন্তু সেটাও আসল প্রশ্ন নয়- আল্লাহ যেহেতু মোহাম্মদকে উদ্দেশ্য করে বলছেন সেহেতু মোহাম্মদের আনুগত্য স্বীকার করে যারা পরবর্তীতে মানুষের মধ্যে বিচার আচার করবে শুধুমাত্র তারাই হবে সুবিচারকারী, যারা মোহাম্মদের আনুগত্য করবে না তারা যতই ন্যয় বিচার করুক তারা কখনই সুবিচারকারী হবে না। গোটা কোরানের ছত্রে ছত্রে সেই ভাবধারাই ভীষণ ভাবে প্রকাশ্য। আর তাই আল্লাহ তার ইসলাম কবুলকারীর বাইরের সুবিচারকারীদের মোটেও পছন্দ করেন না । গোটা কোরান আর তার তফসির সেটাই বলে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
সংশোধনী
@এন্টাইভন্ড,
অথচ আপনি এখন নিজেই আয়াতের খন্ডিত অংশকে পাঠকের সামনে তুলে ধরছেন, গোটা আয়াতটি উল্লেখ না করে।
এর পরিবর্তে –
অথচ আপনি এখন নিজেই আয়াতের খন্ডিত অংশকে ব্যখ্যা করে পাঠকের সামনে তুলে ধরছেন, গোটা আয়াতটির তফসির ও শানে নুযুল ব্যখ্যা না করে ।
@ভবঘুরে,
১. الْمُقْسِطِينَ বহুবচন। এখানে অনুবাদক কোনো ঘাপলা করে নি।
২. অন্য আয়াতগুলো নিয়ে কিছু বলবেন।
@এন্টাইভন্ড,
আমি মুটামুটি আপনার মন্তব্যের ভক্ত হয়ে গিয়েছি। আপনার মন্তব্য পড়লে শান্তি লাগে যে যাক, একজন কুরানের অনুসারীতো উপহাস করছে না যারা কুরানকে ভুল বলছে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। আরেকজনের লিখাতে কোন কিছু ভুল মনে হলে সেখানে নিজের চিন্তা সুন্দরভাবে শেয়ার করার গুণ আপনার আছে।
আপনি যেমনটি বলেছেন। আল্লাহর ভালবাসা এবং ক্ষতি হতে বাচাঁ সত্যিই শর্ত সাপেক্ষ। সে জন্যে ঈমান আনা অপরিহার্য। অন্তত সুরা আসর অনুসারে। আমার মনে হয় ইসলামের আধ্যাতিক ব্যাপারটা বাদ দিলে অন্যান্য রাজনৈতিক মতবাদের মতই ভুল শুদ্ধ মিলিয়ে একটি মতবাদ।
@আনাস,
ধন্যবাদ। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। মজার ব্যাপার, একটু আগে আমিও আপনার উপহাসহীন একটা যুক্তিপূর্ণ জবাব নিয়ে চিন্তা করছিলাম। ভালো লাগছে আপনার সাথে কথা বলে আমারও। আপনার ঐ পোস্টের জবাবটা দিতে আমি একটু সময় নেব। আশা করছি তাতে কিছু মনে করবেন না।
১. ৩:১৪৬: আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।
২. ৩:১৪৬: আর যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।
৩. ৫:১৩: অতএব, আপনি তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং মার্জনা করুন। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।
৪. ৬০:৮: ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।
৫. ৫:৪২: এরা মিথ্যা বলার জন্যে গুপ্তচরবৃত্তি করে, হারাম ভক্ষণ করে। অতএব, তারা যদি আপনার কাছে আসে, তবে হয় তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিন, না হয় তাদের ব্যাপারে নির্লিপ্ত থাকুন। যদি তাদের থেকে নির্লিপ্ত থাকেন, তবে তাদের সাধ্য নেই যে, আপনার বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারে। যদি ফয়সালা করেন, তবে ন্যায় ভাবে ফয়সালা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন।
জানি না, এতে আপনার সন্তুষ্টি হবে কি না। কিন্তু চেষ্টা করলাম আমি।
ধন্যবাদ।
@এন্টাইভন্ড,
একজন ডাকাত, ধর্ষক, গনহত্যাকারী, মিথ্যেবাদী যদি একটি বই লিখে “পাপহীন জীবন যাপন এর সহজ উপায়” তখন একটি মাত্র প্রতিক্রিয়া হয়…… :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@ফরহাদ,
ব্যপারটা অনেকটা এরকম Ð লে . জে . এরশাদ অন্যদেরকে বলছেনÐ তোমরা লোচ্চামী করো না , লোচ্চামী করা খারাপ বা গুনাহর কাজ । :laugh: 😛 :lotpot:
@এন্টাইভন্ড,
আল্লাহ যে ভালবাসার কথা উপরোক্ত আয়াত গুলোতে উল্লেখ করলেন তা সবই আল্লাহ ও তার রসুলের ওপর বিশ্বাসীদের জন্য নিতান্তই সীমিত। সকল মানুষের জন্য নয়। জানিনা সেটা আপনার মাথায় ঢুকেছে কিনা ।
১. ৩:১৪৬: আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।
২. ৩:১৪৬: আর যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।
আপনি অন্যদেরকে ধোকা দেয়ার জন্য ৩: ১৪৬ আয়াতের আংশিক উল্লখ করেছেন। আমি পুরোটা উল্লেখ করে দিলামÐ
আর বহু নবী ছিলেন যাদের সঙ্গী সাথীরা তাদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে, আল্লাহর পথে তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায় নি, ক্লান্তও হয়নি , দমেও যায়নি। আর যারা সবর করেন আল্লাহ তাদেরকে ভাল বাসেন। ৩: ১৪৬
এখন দেখুন আল্লাহ কাদের ভালবাসেন। মানুষ জাতিকে নাকি শুধুমাত্র জেহাদিদেরকে ?
আপনার ৬০: ৮ এর ইনসাফ কারীরা হলো যারা আল্লাহ ও তার নবী মোহাম্মদের উপর ইমান এনেছে তারা ,সাধারন ভাবে সব মানুষ নয়। ভাল করে পড়ে দেখুন।
৫: ৮২ আর সুবিচারকারীরাও উপরের বৈশিষ্ট্যের , শুধু আল্লাহ ও তার নবীর ওপর ইমান আনায়নকারী। অন্য কেউ নয়।
আমি আমার চ্যলেঞ্জে শুধুমাত্র বিশ্বাসীদের কথা বলি নাই সাধারন ভাবে মানুষ তথা গোটা মানব জাতির জন্য আল্লাহর ভালবাসার কথা কোরানে কোথায় উল্লেখ আছে তাই উল্লেখ করতে বলেছিলাম ।
আর এ ধরনের বিষয় আল্লাহ ও তার নবীর মানসিকতাকে যে কতটা সংকীর্নভাবে প্রকাশ করেছে তা আপনাদের মাথায় ঢুকবে না । পরম দয়ালু আল্লাহ তার সকল সৃষ্টিকে নির্বিশেষে সবভাবে ভালবাসবেনÐ এটাই সাধারন যুক্তি। যেমন একজন পিতা বা মাতার অনেকগুলি সন্তান থাকতে পারে, আর তারা প্রত্যেক সন্তানকে সমভাবেই ভালবাসবেন , ভাল পিতা মাতার এটাই সবচাইতে ভাল গুন হবে। সমস্ত সৃষ্টি বা সকল মানুষ প্রকারান্তরে তার সন্তানের মত। তিনি কাউকে ভাল বাসবেন, কাউকে ঘৃণা করবেন এটা পরম দয়ালু আল্লাহর জন্য মানান সই না। কোন সন্তান যদি একটু দুষ্টামি করে পিতা মাতা তাকে শাসন করতে পারে, কিন্তু কখনো তিনি তাকে হত্যা করতে বা খুন করতে চাইবেন না । কিন্তু কোরানের আল্লাহ খালি খুন করতে চান এ কি আল্লাহর বানী হতে পারে ? মাথাটা পরিষ্কার করে একটু ভাবুন , আপনি নিজেই এর উত্তর পেয়ে যাবেন।
এর পরও , ধরুন, ১৪০০ বছর আগে যখন কোরান নাজিল হয় তখন তো আরবের কতিপয় মানুষ ছাড়া কেউ তা গ্রহন করে নি। তখন কিন্তু আরব দেশ ছাড়া বাকী বিশ্বে লোক ছিল তাদের চেয়ে কয়েক শ গুন বেশী। উদাহরন স্বরূপ আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরেন। এখানে ইসলাম এসেছে মোহাম্মদ এর মৃত্যুর ও প্রায় ৫০০ বছর পর। তাহলে এখানে এই ৫০০ বছরে কোন ইমানদার ব্যক্তি ছিল না । তার মানে আল্লাহ তাদেরকে এই ৫০০ বছর ভালবাসতেন না কোরানের বানী অনুযায়ী। অথচ তারা যে ইমানদার হতে পারে নি সেটা কিন্তু তাদের দোষ নয়। কেউ এসে ইতোমধ্যে তাদের কাছে ইসলামের বানী পৌছায়নি তাই তারা আল্লাহর নবীর কথা জানতে পারেনি। তাহলে সম্পূর্ন বিনা দোষে আল্লাহ তাদেরকে দীর্ঘ দিন ভালবাসবেন না , এটা কি যুক্তি যুক্ত?
@ভবঘুরে,
না বলেই পারলাম না, আল্লাহ সব মানুষকে একইরকম ভালোবেসে জাবেন ইহা কেমন কথা হইল ঠিক বোধগম্য হল না। এক চেটিয়া, কাফের, মুশরিক, মানুষরুপী পশু সবগুলোরে গড়ে হারে ভালোবেসে জাবেন এ আপনে ভাবলেন কিভাবে? তাহলে সেটা কি প্রেম হল? আপনে কি সব মানুষকে এক কাতারে দাড় করিয়ে ভালোবাসাতে চান নাকি? বড় আজব চিন্তা।
পিতা তার সন্তানদের ভালবাসে, তবে সেখানেও কাহিনি থাকে। আবার কোন সন্তানকে তিনি মারধর করেন, সেখানেও কাহিনী বুঝতে হবে। কোন সন্তান মদ গাজা খায়, কোন সন্তান আবার ভাল লেখাপড়া করে,-পিতা কাকে ভালবাসবেন? দুইজনকেই সমান ভালবাসবেন? তাইলে সবাই মিলে গাজাখোর হবে। তবে যেই সন্তান গাজা খায় সেই সন্তানকে পিতা সহজে ত্যাজ্য পুত্রও করেনা, কেননা যতই হোক সন্তান।বুঝায়, নিজে কষ্ট পায়, তাও সন্তানকে বার বার সুযোগ দেয়। অবশেষে তাকে ।।।। তো আল্লাহ কি এত বেরহম? তিনি্তো দয়ার সাগর। পিতা যেখানে এত কিছু পারে সেখানে খোদাত ।।।। পিতার কষ্ট যেমন গাজাখোর সন্তান বুঝেনা, চৈতন্য হারিয়ে থাকে। খোদার সেই রহমত বুঝাও আপনার দ্বারা সম্ভব আপাতত না বলে মনে করছি, কেননা সেই রহমত বুঝতে যেই জ্ঞান, চৈতন্য থাকা চাই তাহা আপনার নাই।
আপনেত মাদ্রাসা পড়ুয়া আলেম, আপনার জানা উচিত জেহাদ দুই ধরনেরঃ এক হইল মনের উপর জেহাদ, যাকে জেহাদে আকবর বা বড় জেহাদ বলে। ইহাকে ইসলামে প্রাধান্য দিয়া হয়েছে। আর একটা জেহাদ যা হল অস্ত্র এর জেহাদ, যাকে জেহাদে ছগিরা বলা হয় বা ছোট ্জেহাদ। এবং এই জেহাদ করিবার পূর্ব শর্ত হইল অবশ্যই একজন রসুল বা আল্লাহর প্রতিনীধির নির্দেশ মতে জেহাদ হতে হবে, নচেত তা জেহাদ না বরং যুদ্ধ বলে বিবেচিত হবে। কোরানে জেহাদ দেখলেই লাফায় উঠেন অস্ত্র, দাংগা, মারামারি।।। আসলে দাংগা অস্ত্র, মারামারি কাটাকাটি কোরানে না বরং আপনার মস্তিষ্কে লেখা আছে, আর উহাই আপনে পড়েন। আর যারাই কোরানের আয়াত পড়ে অস্ত্র জেহাদ করে (লাদেন, মুসল্লি যাই বলেন ) কোরানের দোহাই দিয়ে তাদের সম্পর্কে নজরুল সুন্দর একটা কথা বলেছেনঃ
“কোথা খুজ মুসলিম শুধু বুনো জানোয়ার
যে বলে সে মুসলিম জিভ ধরে টানো তার।
দুনিয়াতে মুসলিম আজ পোষা জানোয়ার”।
যাইহোক যদিও বলতে চাইনি, কেননা বুঝতে যা দরকার সেটা বলেছিলাম কিন্তু তাও বুঝার আপনার ঐ ভরা মস্তিষ্কে ঢুকবেনা। তাই বলেছিলাম আগে শুন্য মস্তিষ্ক নিয়ে আসুন, অতপর কিছু কেতাবি জ্ঞান যদি দিতে পারি। তাইলে কোরানে বর্নিত জেহাদ সম্পর্কেও বলা যেত, দেখতেন কি অপরুপ সেই জেহাদ।
যাইহোক অনেক কথাই বলে ফেললাম, কিছু মনে কইরেন না।
আর ভাই আপনেই জিতে গেছেন। আপনেই ঠিক আছে। আমাকে আর উত্তর দিতে হবেনা।
ধন্যবাদ।
@Russell,
ভাই সত্যি আপনার কথা মাঝে মাঝে বুঝি না। কোরান তফসির বলে এক কথা আর আপনি বলছেন অন্য কথা। আপনি মনে হয় সম্পূর্ন নতুন কোন তরিকার সন্ধান পাইছেন । আপনি কি দয়া করে আমাদেরকে একটু খোলাসা করে বলবেন কি সে তরিকা ? আপনি একটা নিবন্ধ লিখে ফেলুন, সেটা প্রকাশ করুন আমরা কৃতার্থ হই।
@Russell,
বলতে বাধ্য হচ্ছি একমাত্র নির্বোধ গোঁয়ারই এরকম ভাবতে পারে যে, শুধুমাত্র তৎকালীন মুসলমানরা ছাড়া পৃথিবীর আর সব মানুষ ছিল এক চেটিয়া, কাফের, মুশরিক, মানুষরুপী পশু। জনাব Russell মানষের ইতিহাস শুধু মক্কা-মদীনার ইতিহাস না। ঐ অসভ্য আরব্বাংশ ছাড়া গোটা দুনিয়াও তখন মানুষ মানুষের মতই চলছিল। ১৪০০ বছর আগে আপনার আমার নিরিহ দাদার দাদার দাদার দাদার দাদার দাদা হয়তো বঙ্গীয় সমতটে ক্ষেতে ধান লাগাচ্ছিল। আরেক মাদার তেরেসা, ভেলরী টেইলর কিম্বা নাইটেঙ্গেল ইউরোপ মেক্সিকোর প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করছিল। তারা কিন্তু আপনার ঐ আল্লাহর ভালোবাসার লিস্টিতে উঠে আসেনি। কিন্তু ঠিকই তৎকালীন আরব্য ডিপজল, এস এ খালেক, পিন্টু, হাজি সেলিমরা ঠিকই লিস্টি’তে জায়গা পেয়েছেন স্রেফ আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করেছেন বলে। হা হা হা হা হাউ পাথেটিক!!
ইতিহাস বলে, সক্রিয় খারাপ মানুষের সংখ্যা চিরকালই হাতে গোনা। নিরিহ শান্তি প্রিয় মানুষের সংখ্যাই অনেক বেশি। গোটা দুনিয়ার এই নিরিহ মানুষগুলো কেন আল্লাহর হেদায়েতের লিস্টে আসলেন না জানেন নাকি কিছু?
বাই দা ওয়ে, নতুন এক জাতের সুফি ফতোয়া এসেছে দেশে। স্কুল অফ গ্রেট নো না কি যেন নাম। আপনি কি সেখানকার সদস্য?
আপনার কাছে শেষ প্রশ্নঃ কুরআন কি স্বয়ং আল্লাহ প্রেরিত ধর্মগ্রন্থ? মুহম্মদ কি সত্যিই আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ?
খুব সহজ সংক্ষিপ্ত (পারলে হ্যা-না এর মধ্যে) উত্তর আশা করছি।
@মনির হাসান,
আপনে ভুল ধারনা পোষন করছেন হয়তবা। একদম প্রথম থেকে সমস্ত মন্তব্য না পড়ে শেষে এক জায়গা থেকে পড়লে না বুঝারই কথা। ইতিহাস বা ্মানব জাতি যে শুধু মক্কা মদীনা থেকে শুরু সেটা কখনো আমার কথায় স্পষ্ট ফুটে উঠেনি। আর কাফের পশু আকার মানুষ, ইহা সমগ্র মানুষের ভিতরে যারা , তাদের কথাই বলছি, যে তাদের ভালোবাসার তথা একজন মুমীনকে যেভাবে ভালবাসবে তাদের সেই একই কাতারে ভালবাসা কখনো সম্ভব নয়। এই মন্তব্যের ভিতর আ্পনার মন্তব্য ঠিক মানানসই হল বলে মনে হচ্ছে না। তবে না বুঝে সমস্ত ১৫-২০দিনের লেখকের সাথে করা মন্তব্য থেকে একটা মন্তব্য তুলেই মন্তব্য করলে খাপ ছাড়াই হবে। আমিও এতদিন যেই ঢোল বাজায় আসলাম আপনেও একই ঢোল আমার উপর বাজায় গেলেন।
আর ঐ নাম আমি যদিও শুনিনি “স্কুল অফ গ্রেট”। দেশের কোথায় জানালে খুশি হব। যেয়ে একটু দেখে আসতাম, কোন এক ফাকে। আপনে গেলেও বলতে পারেন, বা আপনে জানলে আমাকে জানালে খুশি হব।
প্রথম প্রশ্নের উত্তর হল না। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হল হ্যা।
ধন্যবাদ।
১.
এই কথাটা ঠিক নয়। এই আয়াত মদীনায় অবতীর্ণ।
দেখুন:
তাফসির জালালাইন
There is no compulsion in, entering into, religion. Rectitude has become clear from error, that is say, through clear proofs it has become manifest that faith is rectitude and disbelief is error: this was revealed concerning the Ansār [of Medina] who tried to compel their sons to enter into Islam; so whoever disbelieves in the false deity, namely, Satan or idols (tāghūt, ‘false deity’, is used in a singular and plural sense), and believes in God, has laid hold of the most firm handle, the tight knot, unbreaking, that cannot be severed; God is Hearing, of what is said, Knowing, of what is done.
এবং
তাফসির ইবনে কাসিরও চেক করুন
এর অর্থ হলো, আপনার এই মন্তব্যটা ঠিক নয়:
আমার অবাক লেগেছে, আপনি অন্যের শানে-নুজুল ছাড়া কোরান পড়া নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
___________
২.
তো এই কথাটাতো ভুল। বরং বিজয়ী মুহম্মদ-এর মুখ থেকেই এই কথাগুলো বের হয়ে এসেছে। আমরা জেনে ফেললাম। এখন আমাকে বলেন, আমরা এখন কী সিদ্ধান্ত নেব? আপনার প্রবন্ধের ভিত্তিটাই ভুল?
কিছু মনে করবেন না, আপনার সম্ভবত একটু ফ্রেশ মন নিয়ে কোরান পড়াটা শুরু করা উচিত।
ইতোপূর্বে যা পড়েছেন, সম্ভবত পূর্ব ধারণা নিয়ে কোরান পড়ছেন।
(অথবা আমি আপনার কথা বুঝি নি। অনুগ্রহ করে ব্যাখ্যা দেবেন।)
ধন্যবাদ।
@এন্টাইভন্ড,
ধন্যবাদ আপনাকে ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
ভুলটি ঘটেছে মুলত বার বার অনলাইন কোরান চেক, অনভ্যস্ত অভ্র ফন্টে লেখা ইত্যাদি কারনে।
ঠিক ২:২৫৬ আয়াতটি মদিনায় অবতীর্ন তবে তা অবতীর্ন হয় মোহাম্মদের মদিনায় যাওয়ার পর পরই। তার মানে তখনও মোহাম্মদ মদিনাবাসীদের ওপর নিরংকুশ আধিপত্য বিস্তার করতে পারেন নি। মদিনায় যাওয়ার সাথে সাথেই যে মদিনাবাসী মোহাম্মদকে যে তাদের অবিস্বম্বাদী নেতা নির্বাচন করেছিল বিষয়টি তো তেমন নয়। সুতরাং মদিনা বাসীদের আকৃস্ট করতে সেমত অবস্থায় তার পক্ষে ও ধরনের কথা বলাই তো যুক্তি যুক্ত। আপনি যাদের তফসির রেফারেন্স দিলেন তাদের রেফারেন্সÐ এর ব্যখ্যা সেটাই সাক্ষ্য দেয়। মানে এ আয়াত মোহাম্মদের মদিনার জীবনের একেবারেই প্রথম দিককার।
তো এই কথাটাতো ভুল। বরং বিজয়ী মুহম্মদ-এর মুখ থেকেই এই কথাগুলো বের হয়ে এসেছে। আমরা জেনে ফেললাম।
সুতরাং আপনার উপরোক্ত মন্তব্যই ভুল। বিজয়ী মোহাম্মদের কথা হলো
খুন কর, হত্যা কর, উচ্ছেদ কর এই সব আর যার সব গুলোই অবতীর্ন হয়েছে মদিনাতে।
নিবন্ধের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলÐ মোহাম্মদ যখন দুর্বল ছিল তখনই তার মুখে শান্তির বানীর কথা শোনা গেছিল, যখন শক্তিশালী বা আপনার ভাষায় বিজয়ী তখনই তার শান্তির বোল পাল্টে গিয়ে তা হয়ে যায় খুন,হত্যা, ঘৃনা প্রকাশ ইত্যাদি কাজের আদেশের ভাষা। গোটা কোরানের বানী আর ঘটনাপ্রবাহ সেটাই বলে।
আপনি মদিনায় থাকা অবস্থায় এরকম আরো কিছু শান্তির বানী তথা আয়াতের কিছু উদাহরন দিতে পারেন। পারবেন না , কিন্তু হত্যা করা , খুন করা , ঘৃণা প্রকাশ করার আয়াত আছে কম পক্ষে এক শটি। বুঝেছেন ? পক্ষান্তরে মক্কার কোন সূরাতে আপনি এ ধরনের কথা পাবেন না । তবে মক্কা বিজয়ের পর তার বলা আয়াতগুলোতে আবার হিংসার বানী দেখতে পাবেন।
আমি কোন কিছুই আগে থেকে মনে করে কোরান পড়ি নি। বরং পড়ার পর মনে হয়েছে পরম দয়ালূ আল্লাহ মানে সৃষ্টি কর্তা এত খারাপ কথা কখনই বলতে পারেন না। এটা সম্পূর্ন মোহাম্মদের নিজের কথা। যা আল্লাহর বানী বলে চালিয়ে দিয়েছেন।
@ভবঘুরে,
সুরা বাকারার সবগুলো আয়াত কিন্তু মদীনায় লেখা হয় নাই, কিছুটা মুহাম্মদ মক্কায় থাকতেও বলেছিলেন। তন্মদ্ধে এই বাক্যটি উল্লেখযোগ্য-
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর। (সুরা বাকারা, আয়াত ২৮৬)
আল্লাহ বুঝি নিজের কাছে নিজেই প্রার্থনা করছেন। :lotpot: :lotpot:
@আকাশ মালিক,
সুরা বাকারার সবগুলো আয়াত কিন্তু মদীনায় লেখা হয় নাই, কিছুটা মুহাম্মদ মক্কায় থাকতেও বলেছিলেন।
আপনি যথার্থ বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ।
বিষয়টি আমারও জানা ছিল কিন্তু সঠিক রেফারেন্স পাচ্ছিলাম না। সুরা বাক্কারা মোহাম্মদ প্রচার শুরু করেন যখন তিনি মদিনায় হিজরত করার তালে ছিলেন। সে হিসাবে শান্তির বানী= দ্বীন এর ব্যপারে কোন জবরদস্তি নাই = হয় মক্কায় থাকতেই তিনি প্রচার শুরু করেন নতুবা মদিনা যাওয়া মাত্র তা সেখানে প্রচার করেন। তার মানে কোন ক্রমেই এ শান্তির বানী বিজয়ী মোহাম্মদের নয়। বিজয়ী মোহাম্মদের বানী ছিল প্রতিহিংসা পূর্ন, ঘৃনা ও উত্তেজনায় ভরপুর। আর সেটা স্বাভাবিকও , বিজয়ী বীর কখনো নরম সুরে কথা বলে না বা শান্তির আহবান জানায় না। যেমন – হিটলার। বিজিত ব্যক্তিই শুধু নরম সুরে কথা বলে আর শান্তির বার্তা বয়ে নিয়ে বেড়ায়। মদিনায় হিজরতের কয় বছর পর যখন মোহাম্মদ মদিনাবাসীদের ওপর নিরংকুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন তখন তিনি বীর , আর তাই মদিনায় প্রচারিত সকল আয়াতে খালি খুন হত্যা ঘৃনা এসবের ছড়াছড়ি। যা যে কোন সচেতন পাঠক মাত্রই লক্ষ্য করে থাকবেন।
অথচ এন্টিভন্ড একটা ছোট টাইপিং মিসটেক এর সুযোগ নিয়ে কি সুন্দর মনগড়া ও বিকৃত তথ্য উপহার দিলেন। আপনাকেও ধন্যবাদ এন্টিভন্ড , ভবিষ্যতে কিছু লিখতে যেয়ে আরও সতর্ক হওয়ার ব্যপারে সহযোগীতা করার জন্য।
@ভবঘুরে,
১.
অনুগ্রহ করে বলবেন কি, আমি ঠিক কোন সুন্দর মনগড়া ও বিকৃত তথ্য উপহার দিয়েছি?
মানে আমি জানতে চাচ্ছি, আমি যা যা বলেছি, তার মধ্যে ঠিক কোন কোন তথ্য
১) সুন্দর মনগড়া
২) এবং বিকৃত তথ্য?
প্লিজ এড়িয়ে যাবেন না। আমার সংশোধনের জন্যই ব্যাপরাটা আমার জানা জরূরি।
@ভবঘুরে,
এখানে কি কোনো কথা আপনি সংশোধন করবেন? কারণ বোল্ড করা অংশটা ঠিক পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না আপনি কী বলতে চাচ্ছেন, অথচ এটা নিয়ে আমার কথা আছে।
৮:৪১: আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য……………..
গনীমতের পাঁচ ভাগের এক ভাগ ছিল আল্লাহর জন্য, ঝাতি ঝানতে চায়, সেই এক ভাগ কে ভোগ করত?
@ফরহাদ,
জাতির জেনে আর কি লাভ। যেখানে এতো কিছু জানার পরও মানুষের অন্ধ বিশ্বাস দুর হয় না সে জাতি জানলেও কি আর না জানলেও কি । কোরানে বলছে- লুট তরাজের মাধ্যমে দখলকৃত গনিমতের মাল এর এক পঞ্চমাংশ আল্লাহকে দিতে হবে। তো মনে হচ্ছে- আল্লাহর টাকা পয়সা , ধন সম্পদের খুব অভাব তাই লুটের মালের ভাগ দরকার। আসলে আল্লাহর নাম করে ওটা যে মোহাম্মদ নিজের জন্য নিচ্ছেন আর তার ডজনেরও বেশী বৌ নিয়ে এক বিরাট পরিবার প্রতিপালন করার জন্য সেটা খুব দরকার , সেটাও জাতিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝালে বোঝে না ।
৮:৪১: আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য……………..
এখানে আল্লাহ মানে যে স্বয়ং মোহাম্মদ নিজে এটা কি এখনও জাতি বুঝতে পারে না ? না পারলে আর কবে বুঝবে?
বদর যুদ্ধের কাহিনী আগে কোনদিন নিরপেক্ষ সূত্রে পড়িনি। আজ উইকিতে পড়ে দেখলাম। মুহম্মদের বাহিনীই কোরায়েশদের বানিজ্য কাফেলায় হামলা করেছিল বলতে হবে।
হামলা মুহম্মদ করলেও তা খুব অস্বাভাবিক বলা মনে হয় যায় না। তাকে বলপূর্বক মক্কা থেকে বের করার জন্য প্রতিশোধ পরায়ন থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক।
@আদিল মাহমুদ,
আমাদের বক্তব্যও তাই একজন প্রতিশোধ পরায়ন ব্যক্তি হিসাবে বদর যুদ্ধকে মেনে নেয়া যেতে পারে যেখানে মোহাম্মদের পরিচয় হবে শুধুই একজন গোষ্ঠির শক্তিশালী নেতা, আল্লাহ প্রেরিত নবীর নয়। মুস্কিল টা হচ্ছে যখন তিনি সেই যুদ্ধকে আল্লাহর পথের যুদ্ধ বলছেন। বদর যুদ্ধের প্রেক্ষাপট বিচার করলে এটা শুধুই একটা প্রতিশোধ পরায়ন ব্যক্তির প্রতিশোধ নেয়ার যুদ্ধ বলে মনে হয়, আল্লাহর হুকুমের যুদ্ধ নয় কোনমতেই। তারপর মজা দেখেন, এ ধরনের আল্লাহর পথের যুদ্ধে কিন্তু সহজেই মদিনাবাসীদেরকে আকৃষ্ট করা সম্ভব হয়নি। অনেক লোভ লালসা দেখিয়ে তাদেরকে যুদ্ধে জড়ানো হয়। সেখানেই শেষ নয়, যুদ্ধ শেষে মদিনাবাসী ও প্রবাসী মক্কার লোকেরা দখলকৃত মালামালের বিলি বন্টন নিয়ে নিজেরা বিরাট কলহে লিপ্ত হয়। কেউ বেশী দাবী করতে থাকে , কাউকে বা কোন কিছুই দেয়া হবে না বলে দাবী উঠতে থাকে। পরিশেষে দেখা যায়, যে মদিনা বাসী মোহাম্মদ আর তার অনুসারদের আশ্রয় ও সাহায্য দিয়ে বাচিয়ে রেখেছিল আর বদরের যুদ্ধে যাদের সাহায্য ছাড়া যুদ্ধ করারই সাহস হতো না মোহাম্মদের , যুদ্ধের পর, মক্কাবাসীরা সেই মদিনাবাসীদেরকে দখলকৃত মালামালের ভাগ খুব কম দেয়ার জন্য নানা রকম ফন্দি ফিকির করতে থাকে। অত:পর মোহাম্মদ নিজে বায়তুল মালের নাম করে পাচ ভাগের এক ভাগ মাল অতিরিক্ত গ্রহন পুর্বক একটা জোড়া তালি মার্কা সমাধান করেন। আর মানবজাতির সবচাইতে বীর পুরুষ আল্লাহর নবী কিন্তু যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে বেশ নিরাপদ দুরত্বে তাবুর মধ্যে বসে ছিলেন। আল্লাহর ওপর নির্ভর করে যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে ঝাপিয়ে পড়েন নি। তিনি নিজের বাচা নিজেই বেচেছিলেন, আল্লাহর সাহায্যের আশায় বসে থাকেন নি। এটাই হলো আমাদের আল্লাহর নবীর কার্যকলাপ।
@ভবঘুরে,
এইসব তথ্যের কি সহি ইসলামী সূত্রের ওয়েব লিংক আছে? মানে তাবারি বা ইবনে ইশাক এই জাতীয় অথেন্টিক মূল ইসলামী সূত্রের?
@আদিল মাহমুদ,
মুহম্মদের ব্যাপারে প্রতিশোধ কথাটা ব্যবহার করে এটাই বোঝান হয় যে তিনি যেন প্রথম আঘাতকারী নন, আঘাতের উত্তরদাতা মাত্র। আসলে মোটেও তা নয়। তিনিই প্রথম আঘাতকারী। তিনি মক্কাবাসীদের তাদের বাপ দাদাদের ধর্মকে ভুল বলে তা ছেড়ে দিয়ে তাঁর প্রচারিত ধর্ম গ্রহণ করার জন্য আহবান জানান। মক্কাবাসীদের এটা বুঝতে ভুল হয় নি যে মুহম্মদ ধীরে ধীরে সফল হলে এক সময় তাদেরকে সত্যই তাদের বাপ দাদার ধর্ম ছেড়ে দিতে বাধ্য হতে হবে। মুহম্মদ যদি মক্কাবাসীদের ধর্মকে ভুল বা অগ্রহণযোগ্য না বলে নিজের ধর্ম প্রচার করতেন তাহলে মক্কাবাসীরা হয়ত অতটা ভীত হত না। মুহম্মদ তখন যা করেছিলেন এখনকার ইসলামী দেশেও তা করতে দেয়া হয় না। অন্য ধর্মের প্রচার। ইসলামকে অগ্রহণযোগ্য না বলেও অন্য কোন ধর্ম প্রচার করতে দিবে না যে কোন ইসলামী রাষ্ট্র। আর মুহম্মদ শুধু নিজের ধর্মই প্রচার করে ক্ষান্ত হন নি মক্কাবসীদের ধর্মকে কটাক্ষ, ভুল এবং অগ্রহণযোগ্য ঘোষণ দিলেন। এটা তো একধরণের আঘাতই, এটা দিয়ে তিনি যে সফল হলে ধর্মীয় একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন তার ইঙ্গিত স্পষ্ট । কাজেই মক্কাবাসীদের মুহম্মদের বিরুদ্ধে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তার এমনকি একটা কম্প্রমাইজ এর প্রস্তাবও দিয়েছিল যাতে তারা তাদের নিজেদের ধর্ম চালিয়ে যেতে পারে আর মুহম্মদ তার নিজের ধর্ম প্রচার করতে পারেন। কিন্তু মুহম্মদ সেই কম্প্রমাইজ এর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং মক্কাবাসীদের তাদেরর ধর্ম ত্যাগ করে তাঁর প্রচারিত ধর্মকে আলিঙ্গন করতে আহবান জানালেন।
@যাযাবর,
অর্থাৎ গোড়া থেকেই মোহাম্মদ অসহিষ্ণু ও অগনতান্ত্রিক ছিলেন। ঠিক একারনে ইসলাম ও গনতন্ত্র এক সাথে চলা একেবারেই অসম্ভব। যারা এ দুটোর সমন্বয় সাধন করার কথা বলে তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করে। মোহাম্মদের জীবনের অধিকাংশ আক্রমনে তিনি ছিলেন প্রথম আক্রমন কারী। অথচ বর্তমানে প্রচার করার চেষ্টা চলে, তিনি ছিলেন আত্মরক্ষাকারী। ইসলামের চরমতম ভন্ডামী হলো- ইসলাম প্রচারের স্বার্থে মিথ্যা বলা, প্রতারনা করা, খুন করা, ধর্ষন করা, ডাকাতি করা সব কিছুই জায়েজ। আমাদের চার পাশেই দেখুন না , তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতরা কিভাবে ইসলামের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টায় রত, তারা কোরানের ভিন্ন অর্থ খোজায় ব্যস্ত, তালকে তিল , তিলকে তাল বানানোতে তারা বড়ই ওস্তাদ, কিন্তু সত্যিকার নতুন কোন কিছু উদ্ভাবন করার বেলায় লবডঙ্কা। তারা যথেচ্ছ জন্মদানের কোয়ান্টিটি বাড়াতে ওস্তাদ , কোয়ালিটি নয়। তাই ইসলামের বিজয় মানে সভ্যতার অবক্ষয় ও পরিশেষে সমূলে ধ্বংস।
@যাযাবর,
বদরের যুদ্ধে যে মোহাম্মদই আক্রমনকারী, মুসলমানদের আত্মরক্ষার্থের কোন যুদ্ধ নয় এটা রামছাগলেরও বোঝা উচিত। বানিজ্য কাফেলা নিয়ে নিশ্চয়ই মক্কার কোরাঈশরা মুহম্মদের বাহিনী ঠ্যাংগাতে আসেনি।
তবে আধুনিক ইসলামবিদেরা সহসাই কথামালার চালে এই ঘটনাও ঘুরিয়ে দেবার তৌফিক রাখেন। কিছু পয়েন্ট আমিই বানাতে পারি।
১। আত্মরক্ষা মানেই যে আক্রমন বা প্রথম আক্রমন করা যাবে না এমন কোন কথা নেই। আক্রান্ত হয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আত্মরক্ষার্থেও মানুষ আক্রমন করে।
২। আবু সুফিয়ানের বাহিনি বানিজ্য কাফেলা নিয়ে এলেও মক্কাবাসীরা তলে তলে মদীনায় মোহাম্মদের বাহিনী আক্রমনের পাঁয়তারা কষছিল। তাই আত্মরক্ষার্থেই এই বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করা দরকার ছিল যাতে মক্কাবাসী সরবরাহের অভাবে আর হামলাবাজির করার শক্তি না পায়।
কি বুঝলেন?
@যাযাবর,
জানতে কৌতুহল হচ্ছে যে মহাম্মদ প্রথম দিকে কি কারনে এত জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন যে তিনি মক্কাবাসীদের ধর্মকে ভুল এবং অগ্রহণযোগ্য বলে নিজের ধর্ম প্রচার করার সাহস পেলেন। এমনকি মক্কাবাসীরা তাঁর ভয়ে এতটাই ভীত হয়ে পড়লেন যে নিজেদের ধর্ম রক্ষা করার তাগিদে মুহম্মদকে কম্প্রমাইজ করার প্রস্তাব পর্য্যন্ত দিতে হয়েছিল।
@ব্রাইট স্মাইল্,
শুধু জনপ্রিয়তার কারণেই যে সাহস দেখান যায় তা নয়। অনেকে সাহসের কারণে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করার ক্ষমতা একটা গুনই বটে। ইংরেজীতে Rabble Rousing বলে। আরেকটা গুণ হল লেগে থাকার। Persistence. হিটলারের সেই গুণ দুটো ছিল। অনেক রাজনৈতিক নেতার মধ্যেই এই দুটো গুণ লক্ষণীয়। কুরায়েশরা হয়ত মুহম্মদের মধ্যে সেই গুণ দুটি দেখেছিল। যার জন্য আগে ভাগেই একটা আপোষ করে মীমাংসা করতে চেয়েছিল। আর তাদের আপোষ প্রস্তাবটা তো এখনকার মানদন্ডেও খুব ন্যয্য ও সভ্য ছিল। তুমি তোমার ধর্ম প্রচার কর আমরা আমাদের ধর্মকর্ম করে যাই। তা ছাড়া মুহম্মদের চাচা আবু তালিব কুরায়েশদের এক সম্মানিত নেতা ছিলেন। সে কারণেও হয়ত তারা একটা সম্মানজনক আপোষের কথা ভেবেছিল। এতে মুহম্মদের জনপ্রিয়তার কোন ভূমিকা নেই বলেই আমার মনে হয়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
@ব্রাইট স্মাইল্,
দেখুন, মুহাম্মাদ প্রভাবশালী বংশের লোক ছিলেন। অর্থ বিত্তে তার গোত্র ততটা সম্পদশালী না হলেও মক্কার নেতৃত্বের দিক থেকে শক্তিশালী ছিল। সেই সময়ে গোত্রের কাউকে অন্য গোত্রের কেউ হত্যা করলে এর জের চলত অনেক বছর ধরে। সেই সাথে রক্তমুল্যের ব্যাপার ছিল। যাযাবর যেমন বলেছেন যে আবু তালিবের কারনেই তাদের এ প্রস্তাব। ঠিক এ ব্যপারটিই তার শক্তির কারন।
@আদিল মাহমুদ,
http://www.quraanshareef.org/
এটা তফসির সহ কোরানের একটা সাইট। ওখানে প্রতিটি আয়াতের শানে নুযুল ও তফসির আছে। আপনি দেখতে পারেন। আর তা ছাড়া ওহুদ যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে এক বিরাট প্রভাশালী ঘটনা। ইসলামের ইতিহাসের যে কোন সাইটে খোজ নিলেই পাওয়া যাবে ।
@আদিল মাহমুদ,
তাকে মক্কাবাসীরা সহ্য করেছে ১২ বছর। আমাদের এ যুগে ধর্মীয় ভিন্নমত ১ দিনের জন্যও সহ্য করা হয় না সেখানে দেড় হাজার বছর আগে ১২ বছর কম নয়। এছাড়া তার আরো সমস্যা আছে। তিনি তার উদ্ভট দাবির ব্যাপারে কারো সাথে আপোষ করতে চান নি। আর তাকে বলপূর্বক বের করে দেয়া হয় নি, তিনি নিজেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। আরেকটি কথা, তিনি মদিনায় যাওয়ার পর তার উপর মক্কার লোকেরা হামলা করবে কোন দুঃখে? বিভিন্ন নির্ভরশীল জীবনী পাঠ করলে দেখা যায় তিনি মদিনায় গিয়ে যা শুরু করলেন তাকে ডাকাতি বলা যায়। তিনি মদিনার পাশ দিয়ে যাওয়া মক্কার লোকের বাণিজ্য কাফেলা বিনা উস্কানিতে লুট করতে থাকলেন। আর এধরণের ঘটনার ফল বদর যুদ্ধ। মুহাম্মদ ধর্ম প্রচার করে সফল হয়ে গেলে মক্কা দখল করে ফেলবেন এ ভয় অন্তত আবু সুফিয়ান তাদের সাথে থাকা অবস্থায় করার কথা নয়।(যাযাবর যা বললেন তার জবাবে)
মন্তব্যটি লিখার পর দেখলাম আপনিওতো তাই বলেছেন আরেক মন্তব্যে 🙂
@সৈকত চৌধুরী,
ভাই রে,আল্লাহর নবীকে লুটেরা দলের সর্দার যেকোন ভাবেই চিন্তা করতে মন চায় না তাই ভেবে চিন্তে একটু পয়েন্ট বের করা আর কি।
আর মালপত্র লুটপাটই বা বড় করে দেখেন কেন? আমার তো মনে হয় যে গনিমতের মালের ভাগ বাটোয়ারা সংক্রান্ত এইসবই আপনাদের মত ইসলাম বিদ্বেষীদের বানানো। ওনারা আসলে শত্রুর পরিত্যাক্ত মাল খোলা মরুতে পড়ে না থেকে যেন পরিবেশের ক্ষতি না করে সেজন্যই তেমন করতেন। শত্রুপক্ষের স্বামীহীনা অসহায় দূঃস্থ মহিলাদের যেমন সবাই ভাগ করে মানবিক কারনে বিয়ে করে ফেলতেন তেমন আর কি।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে, গনীমতের মাল সম্মন্ধে। বলে দিন, গণীমতের মাল হল আল্লাহর এবং রসূলের। অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে থাক। (সুরা আনফাল, আয়াত ১)
মাল নিয়ে কার সাথে কার ঝগড়া, কেন ঝগড়া? এই সুরায় সব সময় আল্লাহর নামের সাথে রসুলের নাম সংযুক্ত কেন? আল্লাহর এবং রসূলের মাল, আল্লাহর এবং রসূলের হুকুম, আল্লাহর এবং রসূলের সিদ্ধান্ত, বিষয়টা কী? মাদীনার আনসারীগণ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল এ আক্রমন অন্যায়, তারা যুদ্ধে যাবেনা। বাকিটুকু জানতে হলে সুরা আনফালের শানে নুজুল বা প্রেক্ষাপট জানতে হবে। মাল ভাগাভাগি করতে গিয়ে মদীনার লোকেরা যখন দেখলো, মুহাম্মদ তার আত্মীয়জন, মক্কা থেকে আগত রিফিউজিদেরকে বেশী দিয়ে দিচ্ছেন, তারা মাল নিয়ে প্রশ্ন তুললো। প্রত্যেক যুদ্ধের পরে মাল ভাগাভাগি নিয়ে মাদীনার লোকের সাথে মুহাম্মদের বুঝাপড়া করতে হয়েছে। এক পর্যায়ে কোরানের আয়াত দিয়ে বলতে বাধ্য হয়েছিলেন- তোমরা কিয়ামতের দিনে আমাকে বেশী চাও, না দুনিয়ায় গণিমতের মাল চাও? এ ছাড়াও প্রত্যেকবারই মদীনার সন্দেহবাদী মুসলমানদেরকে জুজুবুড়ির ভয় দেখিয়ে শান্ত রেখেছেন। মদীনার মানুষ যখন মুহাম্মদের দুরভিষন্ধি বুঝতে পেরেছে তখন অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে। সেই যে গোপনে এক অন্ধকার রাতে মদীনার আবেগ প্রবণ, আহাম্মক, বোকা, ৭০ জনের একদল যুবক যদি মুহাম্মদকে মদীনায় আশ্রয় দেয়ার ওয়াদা না করতো, পৃথিবীর ইতিহাস অন্যভাবে লিখা হতো। একমাত্র খন্দকের যুদ্ধ ছাড়া মুহাম্মদের সবগুলো যুদ্ধ ছিল আক্রমনাত্বক, অন্য অর্থে ডাকাতি। প্রথম আক্রমন বদর যুদ্ধ এবং শেষ আক্রমন তাবুক যুদ্ধ, আর হুদায়বিয়ার সন্ধির প্রেক্ষাপট জানতে তাফহিমুল কোরান থেকে যথাক্রমে সুরা আনফাল ও সুরা তাওবাহ এর শানে নুজুল পড়ে দেখু্ন, বুঝতে পারবেন শরণার্থি থেকে কোরায়েশরা কী ভাবে রাস্ট্রনায়ক হয়েছিল।
এখানে জালালাইন কর্তৃক সুরা আনফাল এর ৫ নং আয়াতের তাফসির তুলে দেয়া হলো-
Tafsir al-Jalalayn
As your Lord brought you forth from your home with the truth (bi’l-haqq is semantically connected to akhraja, ‘He brought forth’), and indeed a party of the believers were averse, to going forth (the [last] sentence is a circumstantial qualifier referring to the [suffixed pronoun] kāf in akhrajaka, ‘He brought you forth’; kamā, ‘as’, is the predicate of an omitted subject, in other words: their aversion to this state [of affairs of the booty being God’s and the Prophet’s] is similar to their aversion when you were brought forth [to fight], which had actually been better for them: likewise is this [state of affairs better for them]). It happened that Abū Sufyān was returning from Syria with a caravan. The Prophet (s) and his followers went forth to plunder it; but Quraysh became aware of this, and so Abū Jahl and some Meccan fighters rode out to defend it — these constituted the ‘band’. Abū Sufyān drove the caravan via the coastal route and it managed to escape. Abū Jahl was then advised to return, but he refused and marched on towards Badr. The Prophet (s) consulted with his followers, saying to them, ‘God has promised me one of the two parties’. So they agreed with him to attack the [Meccan] band, but some of them were averse to this, complaining, ‘We have not come prepared for this!’, as God, exalted be He, says:
@আকাশ মালিক,
জালালাইনের ব্যখ্যা থেকে দেখছি যে মুহম্মদ তার দলবল নিয়ে আক্রমনে (জালালাইন যদিও ব্যাবহার করেছেন plunder- মানে লুট) এগিয়ে আসেন।
এরপর আবু সুফিয়ান বানিজ্য কাফেলার দিক পরিবর্তন করে সাগরের পাশ দিয়ে পালিয়ে যেতে সফল হন।
আবু জেহেলকেও একই পথ অনুসরন করতে বলা স্বত্ত্বেও সে তা না করে বদরের প্রান্তরের দিকে অগ্রসর হয়; ফলে বদরের যুদ্ধ হল।
এখানে একটু ফাঁক দেখছি যে আবু সুফিয়ান যদি বানিজ্য কাফেলা নিয়ে যুদ্ধ না করেই সফলভাবে পালিয়েই যায় (মনে হচ্ছে যে সে বদরের কাছেই ছিল না) তাহলে গনীমতের মাল সংক্রান্ত বিষয় আসে কি করে? যুদ্ধ তো হয়েছে মনে হচ্ছে মুহম্মদের দলবলের সাথে আবু জেহেলের দলের।
আল্লাহ গনীমতের মাল দিয়ে কি করেন সেটা ভাল প্রশ্ন। তবে মনে হয় সেটা বায়তুল মাল নামের কোন যায়গায় জমা রাখা হয়। ৭১ সালে বিভিন্ন যায়গার পীর দরবেশ যারা রাজাকারি লুটপাট করত তারা লুটপাটের কিছু মালামাল একটা কেন্দ্রীয় যায়গায় জমা রাখত। শর্ষিনার পীরের উদাহরন এ মুহুর্তে মনে পড়ছে।
@আদিল মাহমুদ,
ধারণাটা পুরোপুরি ঠিক নয়। এখানে আপনাকে পড়তে হবে ইবনে ইশহাকের ‘সিরাতে রাসুলুল্লাহ’ Guillaume কর্তৃক অনুবাদিত ‘The Life of Muhammad’ এর ২৮৯ আর ২৯৬ পৃষ্টা।
সেখান থেকে কিছুটা উদ্বৃতি এখানে তুলে দেয়া হলো- …when the apostle heard about Abu Sufyan coming from Syria, he summoned the Muslims and said, ‘This is the Quraysh caravan containing their property. Go out to attack it, perhaps God will give it as a prey.’ (Page 289)
Once the caravan was secured, Abu Sufyan sends word to the Qurayshites that the caravan is safe, and that they should go back to Mecca. Sure enough, some of the Qurayshites go back. However, Abu Jahl, one of Quraysh leaders, and some others decided to stay. Abu Jahl said,’By God, we will not go back until we have been to Badr’- Badr was the site of one of the Arab fairs where they used to hold a market every year. ‘We will spend three days there, slaughter camel and feast and drink wine, and the girls shall play for us. The arabs will hear that we have come and gathered together, and respect us in future. So come on!’ (Sirat, Page 296)
এখানে মুহাম্মদের কাছে বানিজ্য মালের চেয়ে আবু জেহেলের প্রাণ ও যুদ্ধের অস্ত্রের মূল্য অনেক বেশী ছিল। যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি দেয়ার শর্তে তাদের আত্মীয়দের কাছ থেকেও প্রচুর নগদ মাল গ্রহন করেছিলেন।
প্রতিশোধের বাসনা মুহাম্মদের মনে জেগেছিল সেই হিজরতের রাত থেকেই। বদর যুদ্ধের মাষ্টার প্লান মুহাম্মদ শুরু করেছিলেন মদীনায় আসার পর থেকে। তার যুদ্ধে সফল হওয়ার সব চেয়ে বড় স্ট্রাটেজি ছিল ইনফরমেশন কালেকশন বা গোয়েন্দা ব্যবস্থা। বদর যুদ্ধের আগে এ রাস্থা দিয়ে মোট চার বার যুদ্ধের মহড়া দিয়েছিলেন কেঊ ঘুণাক্ষরেও তা টের পায়নি, এমন কি তার নিজের মানুষও।
ক্ষমতার লোভে মুহাম্মদ এতই উম্মাদ হয়েছিলেন যে, বদরের যুদ্ধের সময়ে তার মেয়ে রোকেয়া যে মৃত্যুশয্যায় শায়ীত তার পরওয়া করেন নি। যুদ্ধ থেকে যখন ফিরে আসেন তখন রোকেয়া আর এই দুনিয়ায় নেই।
@আকাশ মালিক,
জালালাইন সাহেব মনে হচ্ছে ইশাকের মত আবু জেহেলের এই অংশ ব্যাখ্যা করেননি। আমি ইতিহাসকে ইতিহাস হিসেবেই দেখতে চাচ্ছি।
– তার মানে কি বদর যুদ্ধের প্রকোপ থেকে আবু সুফিয়ানের বানিজ্য কাফেলা রক্ষা পেয়েছিল? পরাজিত হয়েছিল শুধু আবু জেহেলের যুদ্ধ দল?
উইকি তে যা পেলাম তাতে দেখছি যে কিছু মক্কাবাসী যুদ্ধ করতে অস্বীকার করে, এমনকি কেউ কেউ ফিরেও যায়। ঐতিহাসিকেরা কেউ কেউ একে কোরাঈশদের নিজেদের পাওয়ার ব্যাটেল হিসেবে দেখেছেন। আবু সুফিয়ানও আবু জেহেলের সাথে যোগ দেয় বলে সেখানে আছে।
বদর যুদ্ধ মোহাম্মদ ও আবু সুফিয়ান দুজনারই ক্যারিয়ার খুলে দিয়েছিল বলা যায়।
@আদিল মাহমুদ,
Once the caravan was secured, Abu Sufyan sends word to the Qurayshites that the caravan is safe, and that they should go back to Mecca
জ্বী ইতিহাস তা’ই বলে। আমরা জেনেছি বদর যুদ্ধে আবু সুফিয়ানের এক পুত্রকে মুহাম্মদের দল হত্যা করেছিল।
@ভবঘুরে,
আপনি গুলিয়ে ফেলেছেন।
উপরের অংশটুকু পড়লে মনে হয়, মোহাম্মদ নিজেই কোরান-প্রনেতা।
নীচের অংশটি চিরাচরিত। একজন আল্লাহ আছেন যিনি মোহাম্মদকে নবী করে পাঠিয়েছেন। মোহাম্মদ যা করতেন তা আল্লাহর নির্দেশেই করতেন। তিনি একটা রোবট মাত্র।
বরং তাকে একজন সফল গোষ্ঠি নেতা হিসাবেই বেশী মানায় , কোনক্রমেই আল্লাহ প্রেরিত নবী রূপে নয়্ পাঠকরা আপনারাই বিবেচনা করুন।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
কোরান গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়লে কোরান যে মোহাম্মদের নিজের বানী , এতে কি কোন সন্দেহ আছে ? যা সত্য সেটাই অনুসন্ধান পূর্বক আলোচ্য নিবন্ধে প্রকাশ করা হয়েছে। তাই কোন কিছুই গুলিয়ে ফেলা হয় নি।
@ভবঘুরে,
বছর পনের আগেই আমি কোরান পড়েছি। আপনার মতের সাথে আমার দ্বিমত নেই।
কিন্তু নীচের মন্তব্য অনুযায়ী আপনি আল্লার অস্তিত্বে বিশ্বাসী মনে হচ্ছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমি যু্ক্তির খাতিরে আল্লাহ বা সৃষ্টি কর্তার অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়েই কথা গুলো বলেছি। যদি সৃষ্টি কর্তা থেকেও থাকে তাহলে মোহাম্মদ কি তার নবী কিনা বা কোরান আল্লাহর কিতাব কি না – আমার বিবেচ্য বিষয় সেটা। সৃষ্টি কর্তা আছে কি নেই সেটা ভিন্ন বিতর্ক।
পৃথিবীতে বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্ম ছারা কোন ধর্মই শান্তির ধর্ম না-এটা একটা বাচ্চা ছেলে যে ইতিহাস পড়েছে সেও জানে। ইসলামের ইতিহাসে দীর্ঘদিন ধরেই তারা আক্রমনকারী হিসাবে নানান নতুন দেশ জয় করেছেন-এবং সেই আক্রমনের অনুপ্রেরণাও ইসলাম-এই ইতিহাসকে অস্বীকার করা-বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে অস্বীকার করার সমান হবে। কারন আজকের বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের ভিত্তিই ইসলামের আদি আক্রমনকারীরা।
যুদ্ধ করে নারী এবং সম্পদ দখল করার ঐতিহ্য ঋকবেদেও যেমন আছে-কোরানেও আছে। এসবই আদিবাসিদের রক্তে ছিল। কিন্ত তবুও একদল নিরক্ষর এসব অস্বীকার করতে চাইছে। সেই সব ধার্মিকদের সাথে নিরক্ষরদের পার্থক্য খুব কম। বেদে এই সব ছিল বলেই পরবর্তী কালে
বৌদ্ধদের চাপে বেদান্তের জন্ম হল-যা হচ্ছে উপনিশদ বা বেদের এই সব উলটোপালটা নির্দেশ বর্জন করে জীবন মুখী দর্শন।
একই জিনিস ইসলামেও ঘট্ল। কোরানের এই সব উলটোপালটা
আদিবাসি সুলভ আচরন বর্জিত একটা আধ্যাত্মিক দর্শনের জন্মের প্রয়োজন হল-সেই কোরানকে ভিত্তি করেই। সেটাই সুফী দর্শন। কিন্ত উপনিষদ যেভাবে হিন্দু ধর্মের দর্শনের মূল ভিত্তিভূমি হয়ে ওঠে আধুনিক যুগে-সুফী দর্শনের ভাগ্যে সেটা ঘটল না। মুসলিম শাসকদের অত্যাচার এবং শোষন চালিয়ে যাওয়ার জন্যে-বা মুসলিমদেশগুলিতে এক নায়ক তন্ত্র চালানোর জন্যে কোরান ভিত্তিক ইসলামকে প্যট্রোনাইজ করার দরকার হল খুব বেশী। ফলে ইরানে পাইকারি হারে সুফীদের জেলে ঢোকানো হয়।
এখানেই ইসলাম অন্য ধর্মর সাথে পিছিয়ে গেছে। ইসলামের যে দর্শনটা সবথেকে মানবি্ক বা যুগোপযোগী-সেটাকেই শাসক গোষ্ঠি এবং তার চ্যালারা
অইসলামিক বলে মেরে দিয়েছে-সেই নিজেদের স্বার্থের জন্যে। ফলে একটা ভিনদেশী আদিবাসি সংস্কৃতিকে ইসলাম বলে চালানোর চেষ্টা হয় সব মুসলিম দেশেই। এবং সব দেশেই সেই আরবী সংস্কৃতির সাথে স্থানীয় সংস্কৃতির বিরোধ হয়।
এখানেই হিন্দু ধর্মের সুবিধাটা ছিল। অহিন্দু বলে কিছু হয় না। সব ধরনের দর্শনকেই তারা আত্মস্থ করেছেন। সুফী দর্শন ও আসল ইসলামিক দর্শন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলে-এই সব ঝামেলাগুলো হত না। ইতিহাস হতে দেয় নি। ফলে ইসলাম কোরানকেন্দ্রীক হতে গিয়ে আরো পাঁকে ডুবছে।
@বিপ্লব পাল,
লেখক সাহেব যদি আপনার দর্শন নিয়েও কিছুটা চিন্তা করতেন, আর সেই সুর-তাল-লয় ধরে যদি আগাতেন, হয়ত উনার লেখার ধরন একটু হলেও বদলাত। যাইহোক যদিও ইহা সম্ভব নয়।
উনার দর্শনগত ব্যাখ্যায় ভুল আছে, যদিও নিজে ১০০% জেনে বুঝেই নাকি লিখেছেন বলে মনে করেন, তথা সব উনি জেনে গেছেন বলেই তিনি মনে করেন, বিশ্বাস করেন।আর এখানেই হয়ত সমস্যা।
আসলেই ইহা সত্য যে, নবী (সাঃ) এর দেহত্যাগের পরে এই মোহাম্মদী ইসলামের করুন দশা শুরু হয়েছিল। কেননা তার সেই সকল জ্ঞান, কর্ম ধারন করার উত্তরাধিকার, একমাত্র যোগ্য যিনি ছিলেন (মাওলা আলী (আঃ)), তাকে কুচক্র, রাজনীতির প্যাচে ফেলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর তখন থেকেই ইসলাম শুধু নামেই আছে, কর্মে প্রকাশিত হতে পারেনি। আসলে লেখক সাহেব যেভাবে লিখছেন এটা তার দোষ না, তিনিত শুধু ঐ ইসলামের খোসা নিয়েই মাতামাতি করছেন। এর ভিতরের যে অপরুপ সৌন্দর্য, প্রেম, জ্ঞান সেই বিষয় সাধারন এই সকল মানুষের দ্বারা পাওয়া সম্ভব নয়।
সকল ধর্মেরই গভিরে এমন এক সত্য থাকে যেই সত্য, জ্ঞান,প্রেম সবার দ্বারা বোঝা, জানা সম্ভব হয়না। সকল ধর্মই শান্তির জন্য আগত, মানব, প্রকৃতি সব কিছুর কল্যানে আগত। কোন ধর্মই খারাপ নয়, তবে তার প্রকাশ, ভংগি বিভিন্ন রকম। তবে সবই এক মানুষের তরে। ্পরবর্তিতে স্বার্থবাদী দল ও লোভি কামুকদের দ্বারা সেই ধর্ম ও ধর্ম গ্রন্থের মুল বিষয় পাল্টে ফেলা হয়। আসল রুপ খুজে আর পাওয়া যায়না।
যেমন লক্ষী ডাকি আর মা ফাতেমাই ডাকি, বেলায়েতে ইনারা একই। ইনাদের গভির তত্ব না জানিয়া শুধু আকারেই ডাকলে এর আনন্দ পাওয়া যাবেনা, বা ইনাদের ভেদ জানা জাবেনা। কৃষ্ণ বলি আর ইসা বা মোহাম্মদ বলি, আসলে ইনাদের বেলায়েত ভেদ তত্ব না জানিয়া ইনাদের সম্পর্কে না বলাটাই ভাল। শুধু আধ্যাত্ন নয় বরং শরীয়ত সম্পর্কেও গভির জ্ঞান থাকা চাই। আর সমস্যা হল প্রতিটি সময়ে এই মহামানবকুলের দেহত্যাগের পরে দেখা যায়, এক ধরনের স্বার্থচরিত, লোভি, অহংকারী, বস্তু লোভে মত্ত, মাতালদের বা ক্ষমতার লোভিদের দ্বারা সেই ধর্মের হাল ধরা হয়েছে, এবং স্বাভাবিক তারা সত্য জ্ঞানীদের সর্বদা হয় হত্যাম নাহয় অত্যাচার করেছে,এবং নিজেদের মত করে সেই ধর্মের ব্যাখ্যা, তফসীর করেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইহা হয়েছে। সুতরাং আসল রুপ রং পরবর্তিতে কেউ পায়নি, সবাই তাই নারাজ। আর এখানে লেখক হয়ত সেইটার বিপরীতে নয়।
যাইহোক এখনও অনেক সুফীবাদ আছে যারা প্রকৃত সেই ইসলামের মূল দর্শণ, জ্ঞান, প্রেম ধরে রেখেছেন, তাদের কাছ থেকেই এই ইসলাম বা মোহাম্মদ (সাঃ) বা খোদা সম্পর্কে জানা উচিত, যদিও আমরা তাও করিনা, কেননা নিজেরা বুঝেছি সেইটাই আমাদের সব বলে ধারনা করে ফেলেছি। তাই আর ভিতরে ঢুকা হয়না, বাইরে থেকেই ।।।।।
যাইহোক আপনার মন্তব্য আগের মতই ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ।
নিরঞ্জন আমাদের সকলকে কৃপা করুন।
@Russell,
কোরান তো এ পর্যন্ত কম পড়লাম না আর তা আমার লেখা দেখেও বুঝতে পারেন আশা করি। আপনার মত অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝার চেষ্টা করেছি অনেক, খোজারও চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, কোরানে হিংসা বিদ্বেষ খুনাখুনি রাহাজানির কথা এত ভালগারলি লেখা আছে যা দেখে ওর মধ্যে যে কোন অন্তর্নিহিত অর্থ আছে তা চোখে ধরা পড়ে না। তাছাড়া আপনাকে অনুরোধ করছি- অন্তত একটা সুরা বের করে দেখান যেখানে বলা আছে আল্লাহ তার বান্দাদের খুব ভালবাসেন, স্নেহ করেন।আমি চ্যলেঞ্জ দিলাম আপনি তা পারবেন না। কোরানের পাতায় পাতায় খালি আল্লাহর ভয় ভীতি প্রদর্শন, খুনোখুনি হত্যার হুংকার, কোথাও তার বান্দার প্রতি সামান্যতম ভালবাসা প্রকাশের কথা নেই। তাই স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে এ কোন আল্লাহ বা সৃষ্টি কর্তা যিনি খালি ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন, খুন করার হুমকি দেন ? একমাত্র বঞ্চিত কোন ব্যাক্তির পক্ষেই সম্ভব এ ধরনের কথা বলা, আল্লাহর পক্ষে নয়। আর মোহাম্মদ ছিলেন সেই বঞ্চিত মানুষ যিনি প্রান ভয়ে মক্কা থেকে মদিনা পালিয়ে গেছিলেন। তার মনে প্রতিশোধ নেয়ার উদগ্র বাসনা সব সময়ই কাজ করত। সুতরাং কোরানের এ ধরনের ভীতি ছড়ানো প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার কথা একমাত্র মোহাম্মদের পক্ষেই বলা সম্ভব , পরম দয়ালু, প্রেমময়, সবজান্তা, সর্বজ্ঞানী আল্লাহর পক্ষে নয় কারন তার পাকা ধানে কেউ মই দেয়নি আর দিতে পারেও না। আপনার চোখ কান আর ব্রেনটা একটু খোলাসা করুন আপনি নিজেই তা ভাল বুঝতে পারবেন। এটাই আলোচ্য নিবন্ধের মূল বিষয়।
@ভবঘুরে,
আসলে এইখানে লিখে আপনাকে কোরান এর সৌন্দর্য, প্রেম, জ্ঞান (তথাকথিত আলেমদের জ্ঞান নয়) আপনাকে বুঝানো সম্ভব নয়, ইহা কেউই পারবে বলে ্মনে হয়না। যা বলব সব হবে আক্ষরিক জ্ঞান, এর দর্শন নয়।
কোরান কোন বিধান গ্রন্থ নয়, বা যেকোন ধর্ম গ্রন্থ মূলত বিধান গ্রন্থ নয়, উহা দর্শন মূলক গ্রন্থ। যে এই দর্শনের সব থেকে সুউচ্চে যাবে সেই এক বিধান সৃষ্টি করবে তার অনুসারীদের জন্য।
কেতাব আর কোরান এক বিষয় নয়, কেতাবের এক অংশ হল কোরান। মানুষ হল কেতাব।মানুষ হল কালেমা। মানুষ হল সালাত। েই মানুষকে বুঝাতেই কোরানের আগমন। আর কিছুই না।
আপনে যদি আপনার সমস্ত জীবনে যা কিছু শিখেছেন, তা সব ভুল যদি আসতে পারেন তাহলে আপনাকে কিছু কেতাবি জ্ঞান দেওয়া যেতে পারেন। তবে তা এখানে নয়। যদিও সামনা সামনি থাকতে হবে, মুখে শুনতে হবে।।।যাইহোক প্রথম হল আপনে কোরান যা পড়েছেন, বুঝেছেন, সব আগে আপনার মস্তিষ্ক খালি করতে হবে, তারপর আপনার সেই শুন্য মস্তিষ্কে কিছু কেতাবি জ্ঞান দেয়া যেতে পারে।
ধন্যবাদ।
@Russell,
দেখলেন ভাই আপনাকে চ্যলেঞ্জ জানালাম , আল্লাহ তার বান্দা দেরকে ভালবাসে একথা বলেছে একটা মাত্র আয়াতে তা দেখান , আমি বলেছিলাম তা পারবেন না , আপনি কিন্তু পারেন নি। আর আপনি আমার ব্রেন খালি করে কোরানে জ্ঞান দিতে চাচ্ছেন, আপনাকেও যে কাজ টি করতে হবে তা হলো , চোখের রঙনি চশমাটাকে খুলে ফেলে দিয়ে মন ও দিল টাকে সাদা করে. অন্য দশটা বই যেমন নিরপেক্ষভাবে পড়েন , কোরানটাকে সেভাবে পড়েন , দেখবেন , কোরান একটা হাবি জাবি গাজাখুরী বই ছাড়া আর কিছুই মনে হবে না আপনার কাছে।
@ভবঘুরে,
এক অতি ধার্মিককেও আপনার মত একই চ্যলেঞ্জ জানিয়েছিলাম যে সে গোটা কোরানে অন্তত একটা আয়াত দেখাক যাতে লেখা আছে- আল্লাহ বলছে- সে তার বান্দা মানুষদের খুব ভালবাসে , মানুষ হলো তার সবচাইতে ভালবাসার বস্তু, মানুষের জন্য তাই তার দুশ্চিন্তার শেষ নেই ইত্যাদি এবং একই সাথে আল্লাহ মানুষকে বলছে ভয় না করে তারা যেন আল্লাহকে ভালবাসে। সেই লোকটি আমাকে সুরা আর রহিম এর নাম উল্লেখ করল।আরও বলল- আল্লাহ যে মানুষকে ভালবাসে তার প্রমান নাকি তিনি মানুষের জন্য জান্নাত সৃষ্টি করেছেন। এখন এসব উন্মাদ আর ধর্মান্ধদের নিয়ে আমরা কি আশা করতে পারি ?
@Russell,
আচ্ছা কোরানের ব্যাপারে আপনার জানা আর আমাদের জানার মধ্যে পার্থক্য কিভাবে হল জানতে ইচ্ছে করছে। কোরান একটা জীবন বিধান হিসেবেই প্রধানত অনুসরন ও পালন করা হয় বলে জানি। কিন্তু আপনার বেলায় দেখছি আপনি কোরানকে সাহিত্য ও দর্শনের পর্য্যায়ে নিয়ে ওটার থেকে সৌন্দর্য, প্রেম, জ্ঞান ইত্যাদি আহরন করছেন যা নিয়ে সাধারন লোকজন মাথা ঘামায়না।
সাধারন লোকজনের কোরান বুঝে জীবন চালাতে গেলেতো সোজা উপায়ে কোরানের অনুবাদ পড়ে আক্ষরিক জ্ঞানই দরকার এবং সেটা করলে অসুবিধা কোথায় আমি বুঝতে পারছিনা। আপনার মতো কোরানের সৌন্দর্য, প্রেম ইত্যাদি খুঁজতে গেলে তো কোরান অনুযায়ী জীবন চালানো দুষ্কর হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে হয়।
আপনি এমন কোন উপায়ে কোরান পড়েছেন যার জন্য আপনি কোরানের সৌন্দর্য, প্রেম সম্যক উপলব্দি করতে সক্ষম হলেন আর আমরা সেটা হতে বঞ্চিত। আপনার কোরান পড়ার পদ্ধতি নিশ্চয়ই সাধারনের থেকে ভিন্ন।
@ব্রাইট স্মাইল্,
দর্শন। দেখা, জানা শুনার অনুধাবন, গবেষনা সব মিলিয়ে পার্থক্য। হতে পারে। এই লেখক ভাইকে উনার এই লেখার প্রথম পর্বে উনার বিকৃত ব্যাখ্যার সঠিক উত্তর দিয়েছিলাম। যদিও একটা বাং্লা প্রবাদ আছে- যা্র হয়না নয়তে(৯), তার হয়না নব্বইতে(৯০), । উনার সেটাই হয়েছে। আমি আসলে লিখতে চাইনা, কিন্তু একটা জিনিস যেটা ভাবলাম সেটা হল যেহেতু উনি একটি ব্লগে লিখছেন, আর এখানে অনেক মানুষের আগমন। তাই উনার এইসব বিকৃত লেখা পড়ে সাথে সাথে যেন একটু অন্য ভাবে ভাবার সুযোগ পায়। একটা বিষয় নিজে ভাল থাকলে জগত ভাল, বলে একটা কথা আছে। আমার আংগুলে ব্যাথা তাহলে আমি যেখানেই হাত দিব সেখানেই ব্যাথা অনুভূত হবে। লেখকের হইছে সেই দশা।
সমগ্র কোরানে আল্লাহ তার সম্পর্কে হাতে গুনা দুই একটা কথা বললেও বলতে পারেন (যদিও আমার হাল্কা-পাতলা মগজের গবেষনা), কিন্তু সব কথাই এখানে শুধু মানুষ আর মানুষ নিয়ে। মানুষ কে বা কি? ্কোথা হতে, কিভাবে আগমন? কোথায় এসেছে।কোথায় ফিরে যেতে হবে। না যেতে পারলে কি হবে। এইটুকু। এছাড়া কোরানে আর কিছুই খুজে পাওয়া যায়না। এই মানুষকে চিনাতে আকাশ, বাতাস, নদী-নলা, তারকা সব রুপক আকারে নিয়ে আসা হয়েছে।
আল্লাহ বলছেন মানুষ তুমি যেখানে আমি সেখানে, মানুষ তোমার শাহরগেরও নিকটে আমি (কোরান)। মানুষ বান্দা তুমি যখন আমার প্রেমে পাগল হও আমি তখন তোমার প্রেমে এমন পাগল হই যে তখন তুমি যা বল, আসলে সে তুমি বলনা, সয়ং আমি আল্লাহ বলি। তোমার হাত দিয়ে তুমি ধরনা, বরং আমি ধরি (হাদিস)। মানুষ আর আল্লহ হইলে একই পয়সার এপিঠ আর ওপিঠ। একজন ছাড়া আর একজন হয়না। আল্লাহ বলেই কিছুই থাকেনা, যদিনা মানুষ না থাকে। তাহলে আপনেই বলেন মানু্ষ কি? আর অবশ্যই একজন এই কোরান জ্ঞানে জ্ঞানী মানুষ থাকা চাই যার দয়ায় এই কোরান বুঝতে হয়, কেতাব বুঝতে হয়।
ঐ মাদ্রাসার জ্ঞানে, আলেম নামক জালেম পয়দা হয়, মানুষ হয়না। এর থেকে যারা আল্লাহ বলেও কোনদিন ডাকেনি তারাও আল্লাহর কাছে হাযার কাছে ভাল। কোরান পড়তে, মুখস্ত করতে আল্লাহ, আল্লাহর নবী কোন কালেই বলেনি। যা পাওয়া যায় তা সব ভুয়া ব্যাখ্যা, ভুয়া হাদিস। মানুষ কোরান, মানুষ কেতাব পাঠের কথা বলা হয়েছে। মানুষকে পড়েন, মানুষকে জানেন। আর এই জানতে পড়তে আর এক মানুষএর কাছে জান, এটাই কাগজের কালি দিয়ে লেখা কোরানে বলেছে।
আপনে যেই লেখাটা দাগ দিয়েছেন সেটা শুধু লেখক সাহেবের জন্য দিয়েছিলাম। উনি সব আগেই বুঝে ফেলেছেন, জেনে গেছেন। নতুন কোন বিষয় উনার ঢুকবেনা,তাই উনাকে বলেছিলাম আপনে আগে শুন্য করে আসুন।
সত্য যখন যেভাবেই আসুক, আসলে সত্যত ভাই সত্যই তাইনা? শুনতে খারাপ লাগলেও তা সত্য। তবে সত্য সর্বদাই সত্য। উনি উনার ঐ জানা শুনার বাইরে কিছুই শুনতে নারাজ, কেননা এতই ভরে গেছে ঐ মাদ্রাসা বিদ্যা, অক্ষর বিদ্যা যে সেখানে আর চাষ হয়না।
আপনার একটা কথার উত্তর দেইঃ লেখক ভাইকে দিয়েছিলাম উনার আগের পোষ্টে যদিও তিনি বুঝেননি, তারপরেও তর্ক করেই গেছেন।হা।।হা।।।
আত্নার বিজ্ঞানী লালন শাহ বলছেনঃ
যিনি রসুল, তিনি মুর্শিদ,
খোদাও সেই হয়,
ইহা লালন না কোরানে কয়, কোরানে কয়, কোরানে কয়।।।।
এখন লালন কি “ভবঘুরে” সাহেবের মত অনেকবার, হাজার বার তন্ন তন্ন করে কোরান পরেছিলেন কিনা জানিনা, তবে তার খুবই সুন্দর বাংলায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে,, যিনি খোদা, তিনি রসুল, মুর্শিদও সেই হয়।
আপনে প্রমান দেখুনঃসুরা নিসা ১৫০-১৫২ একটু পড়ুন, ঠিকিত একই কথাই লেখা। লালন শুধু মুর্শিদ শব্দটি যোগ করেছেন মাত্র। “তোমরা আল্লাহ ও তার রসুলদের সহিত পার্থক্য করনা”/
এখন বলুন লালনের অক্ষর জ্ঞান কতটু্কু? এক সাধক ছিলেন যিনি “আ” পর্যন্ত জানতেন না, কিন্তু তিনি যা বলেন সবই দেখি কোরানের কথা।
লালনের গান আর কোরান দেখুন একই কথাই বলছে। আবার আসুন নজরুলের কবিতা, কোরানের বাংলা। শুধু প্রকাশ ভংগি, ভাষা ভাবটা একটু আলাদা। স্বাভাবিক। রবিন্দ্র নাথ বলছেন “আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়া ছিলে।।কোরানে বলছেত আমিত বান্দার অন্তস্থলে লুকিয়ে আছি।
যাইহোক
বেশি কথা বলে ফেললাম। লেখক ভাইরে “মুন্না ভাই এম বি বিএস” ছবিটার মত বলতে হবে “get soon well”। তিনি কোরানে প্রেম খুজেই পায়না। উনারে বলিনি কেননা উনার বুঝার মত মস্তিষ্কে জায়গা নেই।
ধন্যবাদ/
@Russell,
মানুষ আর আল্লহ হইলে একই পয়সার এপিঠ আর ওপিঠ। একজন ছাড়া আর একজন হয়না। আল্লাহ বলেই কিছুই থাকেনা, যদিনা মানুষ না থাকে। তাহলে আপনেই বলেন মানু্ষ কি?
এটা আপনি কি বললেন ভাই ? আপনি তো মনে হয় শিরক করে ফেললেন। কারন মানুষকে আপনি আল্লাহর সমার্থক করে ফেললেন। আমরা তবু রাখ ঢাক করে কথা বার্তা বলি কিন্তু আপনি যা বললেন , তাতে তো আমাদের চাইতে বিপদ আপনারই বেশী। আনাল হকের কাহিনী নিশ্চয়ই জানেন। আপনি তো দেখি একবিংশ শতাব্দীর আনাল হক। আবার আপনার কথায় সুফীবাদের সুর অত্যন্ত প্রবল। কিন্তু সূফীবাদ হলো ইসলামের ভারতীয় সংস্করন। যার মধ্যে হিন্দু সনাতন ধর্মীয় ভাবধারা দৃশ্যমান। যে কারনেই প্রকৃত কোরান ও হাদিস পন্থিরা কখনই সুফি বাদকে গ্রহন করে নি তা সে তাতে যতই দার্শনিক তত্ত্ব থাকুক। কারন তা প্রকৃত ইসলামের ভাবধারার সাথে মেলে না।
আপনাকে বলি কি , ইসলাম সম্পর্কে আপনার চিন্তা ভাবনা নিয়ে একটা সুন্দর নিবন্ধ লিখে ফেলুন আর তা এ সাইটে প্রকাশ করুন। তাহলে আমাদের একটু সুবিধা হয় , মনে হয় অনেক অজানা দার্শনিক তত্ত্ব জানতে পারব। চাইকি আপনার কল্যানে কোরান কে নতুন ভাবে পড়তে ও জানতে শিখব।
@Russell,
ধন্যবাদ সুন্দর বিশ্লেষনের জন্য।
আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝলাম তাতে মনে হল আপনার কাছে কোরান হলো আল্লাহর একটি সাহিত্য কর্ম। সে সাহিত্য কর্মটির ভিতরের অনেক কিছুই আপনি রবিন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন সাহিত্যে খুঁজে পান।
তা হলে কোরান একটি অবশ্য পালনীয় পুর্নাংগ জীবন বিধান বলে যে প্রচার চালানো হয় সেটা কতখানি যুক্তিসংগত হতে পারে? কেঊতো আর রবিন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন সাহিত্য কর্ম দিয়ে জীবন পরিচালনা করেনা। কারন আপনার মতে কোরান স্রেফ আল্লাহর একটি সাহিত্য কর্ম।
@ব্রাইট স্মাইল্,
দারুন বলেছেন। আমার বুদ্ধি মনে হয় আরও ক্ষুদ্র নইলে এ পয়েন্ট টা আমার মাথায় আসল না কেন ? :-X
@ব্রাইট স্মাইল্,
কোরান যে জীবন বিধান নয় সেত আগেই বলেছি। ইহা পুর্নাংগ একটি জীবন দর্শন। সালাত এই দর্শনের জ্ঞানের মূল উতস। ইহার দর্শনে যিনি পরিপক্ক তিনি যখন যে বিধান যাহাকে দান করিবেন তাহাই তখন তাহার জন্য কোরানের বিধান। বিধান পরিবর্তনশীল কিন্তু দর্শন অপরিবর্তনীয়। ইহা সাহত্য কর্মও নয়।
কোরানুল হাকীমের অনেক কথাই মুলত রুপক করিয়া ব্যবহার করা হইয়াছে। রুপক অর্থ বুঝিয়া পাঠ করিলে ইহার গভীর জীবনদর্শন উপলব্ধি করা যাইবে এবং মনের সৌন্দর্যবোধের উতকর্ষ লাভ হইবে।
@Russell,
আপনার বর্নিত কোরানের এই দর্শনে এক্সপার্ট হওয়ার জন্য কি কোন অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিস্ঠান থেকে সার্টিফিকেট নেয়া দরকার নাকি স্বঘোষিত এক্সপার্ট হওয়া যায়। এটা জরুরী এই কারনে যে ভুলভাবে এক্সপার্ট হয়ে এই দর্শন অনুযায়ী মনগড়া বিধান তৈরী করে মানুষকে দান করলে তা হবে সমাজের জন্য মস্ত ক্ষতিকর। সোজা কথায় আপনি কি করে এই দর্শনে পরিপক্ক হলেন যদি একটু ব্যাখ্যা করেন ব্যাপারটা পরিস্কার হয়। 🙂
@ব্রাইট স্মাইল্,
আমিযে পরিপক্ক এ কথাত আমি ভুলেও কোথাও উচ্চারন করিনি।
যাইহোক ইহা মুলত খোদা কর্তৃক দান কৃত সার্টিফিকেট বা এই জাতীয়, যেমন ধরুন লালন, নজরুল, আইনষ্টাইন, নিউটন, মোহাম্মদ, সক্রেটিস, বৌদ্ধ, কৃষ্ণ,ঈসা, মৌলানা রুমী, খাজা মইনুদ্দিন চিশতী, আব্দুল কাদের জীলানী, ডঃমতিউর রহমান, সেক্সপিয়ার প্রমুখ ইনারা কি ডিগ্রী করে এই স্তরে পৌছেছেন তাতো জানিনা। তারা নিজেরা নিজেরা স্বঘোসিত জ্ঞানীও নন। তাহলে কিভাবে? সেটা ভাবুন। সব খোদা হতে জন্মগত। হতে পারে আপনেও।।।হয়ত পরে মানুষের কল্যানে আপনে এমন কিছু করে গেছেন যা স্বর্নাক্ষরে লিখা থাকবে। এখন যে এই কল্যানে কাজ করেন তারাত আর এই বিষয় ভেবে করেনা, তাই হয়ত আপনেও করে ফেলতে পারেন। তাহলে আপনেও সেই কাতারের। 🙂
@Russell,
তাহলে আপনার কথা মত কারো যদি “লালন, নজরুল, আইনষ্টাইন, নিউটন, মোহাম্মদ, সক্রেটিস, বৌদ্ধ, কৃষ্ণ,ঈসা, মৌলানা রুমী, খাজা মইনুদ্দিন চিশতী, আব্দুল কাদের জীলানী, ডঃমতিউর রহমান, সেক্সপিয়ার” এনাদের মতো খোদা কর্তৃক জন্মগত সার্টিফিকেট না থাকে তা হলে কোরানের দর্শন বুঝবার সাধ্য কারোই নাই। কারন যে কোরানের দর্শন বুঝবে সে বিখ্যাত হবেই।
তাহলে কোরান নিশ্চয়ই আল্লাহ পৃথিবীতে সর্বসাধারনের জন্য পাঠান নি। :brokenheart: কোরান পাঠানো হয়েছে লালন, নজরুল, আইনষ্টাইন, নিউটন……..ডঃমতিউর রহমান, সেক্সপিয়ার প্রমুখদের জন্য।
তাই খামাখা আমাদের মত সাধারন মানুষের কোরান নিয়ে এতো মাথা ব্যথা কেন? যখন থেকে বুঝতে পারা যাবে যে পৃথিবীতে বিখ্যাত লোক হওয়ার সাধ্য বা ক্ষমতা কোনটাই নেই তখন থেকেইতো কোরানের দর্শন বুঝবার চেস্টা করার প্রয়াসটি বাতিল করা উচিৎ। 🙁
বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি সে প্রচেস্টা এখনও অব্যাহত রেখেছেন? 🙂
@ব্রাইট স্মাইল্
এই নিয়ে আর বেশি কথা না, কথা হল ইনাদের মত মানুষদের নিকট কোরানিক জ্ঞান পাওয়া যাবে, ইনাদের কাছ থেকে এই কোরানের জ্ঞান নিতে হবে, কাগজের যেই কোরান, সেখানে জ্ঞানের বিষয়বস্তু লেখা আছে, জ্ঞান কাগজের কোরানে পাওয়া যায়না, সেই জ্ঞান পেতে এক সম্যক জ্ঞানী কামেল লোকের কাছে যেতে হবে, একজন অভিভাবক ধরতে হবে, শিক্ষকের কাছে যেতে হবে। বুঝা গেল?
আর অবশ্যই আপনে আমি এই ধরনের সাধারন লোকেরা যদি কোরান নিজে নিজে বুঝতে চাই তাহলে কি অবস্থা হবে সেটাত দেখতেই পাচ্ছেন, যেমনঃ= লেখক ভাই যা পায় তাই নাকি উনার চোখে যুদ্ধ, হত্যা মনে হয়, আর এক জায়গায় এক অতি আস্তিক গাধা কোরানে মহাকাশ, ভুমন্ডলিয় বিজ্ঞান খুজে পায়, এমন গাধাও আছে যারা বলে কোরানে নাকি বেগুন গাছে কিভাবে আমের ফলন করা যায় সেই হিসাবও লেখা আছে। যত পদ তত মত তৈরী হচ্ছে। আবার হাজার ধরনের বৈচিত্রময়ী উদ্ভট বিদ্যান তৈরি হচ্ছে যা এই মুক্ত মনায়ও দেখা যায়, কেউ কোরান দেখলেই গালি দেয়, কেউ কোরানে শুধু নাকি জৈন সেক্স খুজে পায়, এমনও আছে-কালি দ্বারা ছাপা কাগজের কোরান দেখলেই নাকি পবিত্র হয়ে যায়, সারাদিন ঐ কাগজের বই নিয়ে চুমু খেয়েই যাচ্ছে।
আবার দেখুন না, জোকার নায়েক, ইউসুফ কত ধরনের ভন্ডামী, লোভি,কামুক এই এক কোরান না বুঝে যার যার মত স্বার্থ মিশ্রিত, হাস্যকর, লজ্জাকর, অপমান জনিত তফসির করে বেড়াচ্ছে। সেই তফসির পড়ে আবার মুক্ত-মনায় গালাগালি, হাসাহাসি, কত বাক বিতন্ড চলছে। আবার কতজন আছে যারা এই জোকার নায়েকের মত বদমায়েশের জন্য জান-প্রান দিতেও দ্বিধা বোধ করছেনা।
যদিও লেখক ভাইকে অনেকবার অনেকভাবে বলেছিলাম কিন্তু উনার মাথায় নাকি ঢুকেইনা আমার কথা, কেতাব আর কোরান কি।
তাই আমাদের উচিত নিজেরা নিজেরা নিজেদের মাথা না খাটায় প্রকৃত যারা এই কোরানের উত্তঅরাধিকার তাদের কাছ থেকে কোরান বুঝে সেই অনুযায়ী চলা।
ধন্যবাদ।
@বিপ্লব পাল,
ইসলামের ফিলসোফি অথবা এর তাৎপর্য বিশ্লেষণে আমি বিপ্লবদার দৃষ্টিভঙ্গি সবসময় নৈব্যক্তিক এবং নিরপেক্ষ দেখে আসছি। লেখার প্রথম ২/৩ লাইন পড়লেই যদি বুঝা যায় যে লেখাটা ইসলাম অথবা মোহাম্মদের বিপক্ষে তাহলে ওটার অবস্থা ‘বাংলার বাণী’ অথবা ‘জনকন্ঠ’ এর লেখার মতই হয়। অন্য মতবাদের কেঊ পড়বে না, পড়লেও গ্রহণ করবে না। আমি অনুরোধ করব মুক্তনার লেখকদের, কেঊ যেন কোরানের “হত্যা কর, আক্রমন কর, যুদ্ধ কর, অমুসলিমদের প্রতি ঘৃণা, যুদ্ধ, লুঠতরাজ ইত্যাদি” – সম্বলিত সুরাগুলোর একটা সংকলন বের করেন।
@অনিরুদ্ধ রায়,
এটা হলো ধরি মাছ না ছুই পানি জাতীয় কায়দা, কায়দা হিসাবে আসলে ভালই কারন ওনারা মুক্ত মনার মডারেটর, ওনাদের দায় বদ্ধতা আছে সবাইকে খুশী রাখার , আর আমরা যা সত্য মনে করি তা অন্তত ইন্টারনেটে প্রকাশ করি নি:সংকোচে। বাস্তবে তো আর এসব বিষয় নিয়ে তেমন আলোচনা করা যায় না ।
@ভবঘুরে,
আমি যতদুর জানি বিপ্লব দা মুক্তমনার মডারেইটর নন। ফরিদ ভাই, অভি’ দা জানবেন ভাল।
সবাইকে খুশী রাখার দায়বদ্ধতা কথাটার সাথেও সহমত পোষণ করতে পারলাম না। তবে আমার বুঝার ভুলও হতে পারে।
@ভবঘুরে,
আমি মুক্তমনার মডু না-একজন পুরাতন পাপী মাত্র।
কাওকে খুশী করার জন্যে লিখি-এটা ঠিক না। সুফী ইসলাম বা উপনিষদ পড়ে যা মনে হয়েছে-তাই লিখেছি। আমি যে সমাজে বাস করি, সেখানে ইসলামকে গালাগাল দিলেই টি আর পি বাড়ত-সেরকম কিছু করি না। কারন ধর্মকে সামাজিক বিবর্তনের একটি প্রোডাক্ট বলেই মনে করি। আরেকজন যেমন লিখেছেন আমি ইসলামের দ্বারা ভুক্তভোগী নই-তাই ইসলামের প্রতি সফট-সেটাও ঠিক না। মুর্শিদাবাদের গ্রাম থেকে এক ধরনের উৎখাতই হয়েছিল আমাদের বৃহত্তর ফামিলি-কিন্ত আমি যেহেতু ধর্মে বিশ্বাস করি না-তাই আজও মনে করি শ্রেনী দ্বন্দই হিন্দু বিতাড়নের মূল কারন। ধর্ম নিয়ে কোন ইল্যুশন আমার নেই-কিন্ত এটাও ঠিক সমাজবিজ্ঞান এবং ইতিহাস না অনুসন্ধান করে বর্তমান সভ্যতা এবং কালের নিরিখে সমালোচনা করলে তাও অবৈজ্ঞানিকই হবে। কাওকে শত্রু বা মিত্র হিসাবে ভেবে বিশ্লেষন করা উচিত না।
@বিপ্লব পাল,
যাইহোক প্রকৃত সুফীবাদ সম্পর্কে আজ ৯৯% এর বেশি মুসলমান জানেনা, এই সুন্নি, শিয়া সকলেই এই সুফীবাদের মনে হয় বিপরীতে, এদেরই বড় বড় আলেমরা আজ মানুষএর চোখে পট্টি লাগিয়ে রেখছে, তাই এর বাইরে তারা দেখতেও পারেনা, জানেওনা, জানতেও দেওয়া হয়না। আর এই অন্ধ গন্ডির ভিতরে বসেই এরা চিতকার চেচামেচী করে যাচ্ছে। অসীম, মুক্ত, চিরঞ্জীব কি সেইটা সম্পর্কে জ্ঞান নেই, অথচ কোরানের ব্যাখ্যা করতে বসে যায়। আমি লেখককে উদ্দেশ্য করে বলছিনা, যত তফসীর, ব্যাখ্যা, শানে নজুল এঅসবই ত তথাকথিত বড় বড় ডিগ্রী ওয়ালা আলেমদের দ্বারা প্রকাশিত, আর তারাই আজ ধর্মের কর্ণধর হয়ে পড়েছে। আর তাদের ব্যাখ্যা শানে নজুল দিয়ে লেখক, লেখকের মত আর মানুষ বেপথে ব্যাখ্যা করে বেড়াচ্ছেন, বা ওই মিথ্যা ব্যাখ্যার উপর আরও ডিগ্রী নিয়ে আরও বড় ব্যাখ্যা কারী হচ্ছে। এই চলে আসছে।
@Russell,
আপনার মন্তব্য কিছুদিন ধরেই দেখে আসছি।
আপনার কথাবার্তা কিছুটা কোরান অনলীদের মত। যদিও মনে হয় আপনি তা নন। তবে কোরান অনলীদের মতই আলেম স্কলার তাফসীর এইসব মনে হয় মানেন না। আপনার মতে এইসবই ভুল ইসলাম শেখাচ্ছে।
আপনার মতে আসল ইসলাম জানার উপায় কি? কারা সেটা বর্তমানে পালন করে?
@আদিল মাহমুদ,
ভাই এত আপনে অনেক বিপদে ফেলে দিলেন। এই প্রশ্নের উত্তর আমি কি দিব? সুফীবাদ দেখতে পারেন। তবে এখানেও আজকাল ব্যবসায়ী প্রবেশ করেছে।
হুমম,,, লালন বলেনঃ
“সহজ মানুষ ভোজে দেখনারে মন দিব্য জ্ঞানে।
পাবিরে অমুল্য নীধি বর্তমানে”
বাকির কোন হিসাব নেই। সহজ মানুষ তথা চৌথা আসমানের মানুষ, তথা চিরঞ্জীব, লা মৌতের মানুষ। তথা একজন গুরু, একজন পীর, কামেল মুর্শিদ।।।যিনি সত্য।
মোহাম্মদ (সঃ) বলেছেন-‘আমিই কাল’ তথা খোদা। বায়েজিদ বোস্তামী বলেছেন-‘সোবহানী’; বড় পীর আব্দুল কাদের জীলানী বলেছেন-‘আল্লাহর সৃষ্টি কূল আমার আজ্ঞাবাহ’; মনসুর হাল্লাজ ‘আনাল হক’; আর কাজী নজরুল ইসলাম বলেন-‘স্রষ্টা’- “জগদীশ্বর ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য”।
এই সকল মানুষকে ধরেন, সত্য আপনা আপনি চলে আসবে। কোরানে আল্লাহ বলছেনঃ আমি যাকে হেদায়েত দান করি সে অবশ্যই এক ্মুর্শিদ বা পথ প্রদর্শক বা রসুল পাবেন(সুরা কাহাফঃ১৭)। যাকে বাংলায় গুরু বলা হয়।
তবে সাবধান ব্যবসায়ী পীর হতে। সুতরাং আমি কি বলব বলেন? তবে এই কথা কোন আলেমকে যেয়ে বলেনঃ- দেখুন তারা আপনাকে কাফের করে দিবে। এইখানে সয়ং লেখক আমার এক লেখা পড়ে আমাকে শিরিক কারি হিসাবে বলে ফেলেছেন। যাইহোক উনাকে যদি বলি যে শিরিক একান্ত জরুরী সাময়িক কালের জন্য নয়ত মুক্তি হয়না? তাহলে তিনি কি বলবেন? বড় আজব এই দুনিয়া, আজব এই খেলা। সত্যি সেক্সপিয়ার ঠিকি বলেছেনঃ এই দুনিয়া একটা মঞ্ছ আর আমরা হলাম এক এক অভিনেতা অভিনেত্রি। বাংলায় এক সাধক বলেছিলেনঃ পুতলকে যেমনে নাচাও তেমনেই নাচে, পুতুলের কি দোষ? িহা একটি গান।
যাইহোক ইহা কিভাবে পাবেন সে আপনার ব্যপার।
যাইহোক অনেক বেশি বলে ফেললাম। ভালথাকবেন।
@অনিরুদ্ধ রায়,
“কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশী বিষে দংশেনি যারে।” 🙁