খবরটা নানান বাংলাদেশী ব্লগে কালকেই পড়েছিলাম। আজ আরেকটু জানলাম। জেনেটিক্স বিজ্ঞানী মাকসুদল আলম ঢাকাতেই তৈরী করেছেন পাটের জেনোম। যার ফলে তৈরী করা যাবে নতুন ধরনের পাট-যা পাটচাষ এবং শিল্পের অনেক সমস্যার সমাধান করবে। তৈরী করা যাবে উন্নত মানের ফাইবার, খরচ কমানো যাবে জাগ দেওয়ার ( জলে পাট পচানো) । অথবা সেচের।
মাকসুদল আলম আমেরিকাতে বিজ্ঞানী ছিলেন-পেঁপের জেনোম নিয়ে কাজ করেছেন। বাংলাদেশে পাটের জন্যে কিছু করতে চাইছিলেন-এবং এক সংবাদপত্রে তার প্রবন্ধের সূত্র ধরে বাংলাদেশের বর্তমান হাসিনা সরকার ঢাকাতে তার গবেষনার ব্যাবস্থা করে দেন। বাংলাদেশের অনেক বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদ তার প্রকল্পের সাথে যুক্ত ছিলেন-সরকারই অর্থের ব্যাবস্থা করেছে। অবশেষে এল সাফল্য!
অনেক কারনেই এই সংবাদ আমার জন্যে দারুণ আনন্দের। আমি বহুদিন থেকে বলে আসছি-পাট শিল্পের সমস্যাগুলির জন্যে রাজনীতি করলে সমস্যা বাড়বে। দরকার বিজ্ঞান গবেষনার-উন্নত প্রযুক্তির যাতে পাট মার্কেটে টিকে থাকতে পারে। পশ্চিম বঙ্গের অধিকাংশ পাটকল বন্ধ। শুধু লক আউট । দলাদলি। শ্রমিকদের আত্মহত্যা। আমাদের ব্যারাকপুরে একটি পাট গবেষনা কেন্দ্র আছে-লোকমুখে শুনেছি সেখানে পাটের মেটিং এর বদলে পার্টির মিটিং হয়। সব থেকে বড় কথা ভারতে ১৫০ টি কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষনাকেন্দ্র আছে। তারা পাটচাষিদের জন্যে কি করেছে?
আমার ঠাকুরদা পাট ব্যাবসায়ী এবং পাটচাষি ছিলেন। সেই সূত্রে ছোটবেলায় দেখেছি পাটের ব্যাবসার রমরমা। পাটের সিজন ছিল ফেস্টিভ। আনন্দমুখর। নৌকা করে পাট আসত আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে। নৌকাতে পাটের ওপর চেপে কত এদিক ওদিক করেছি মুফতে! তারপর আশির দশক থেকেই কেমন যেন সব গুটিয়ে গেল। কারনটা সিম্পল। পাট চাষের খরচ বাড়ছিল, অথচ দাম বাড়ছিল না। কোলকাতার পাটের কলগুলো একের পর এক বন্ধ হচ্ছিল। পাট সাধারণত চৈত্র-বৈশাখ মাসের দিকে বোনা হয়।প্রচুর জল লাগে প্রাথমিক অবস্থায়। সেচের খরচ বেড়েছে, কীটনাশকের খরচ বেড়েছে। আর দাম কমেছে। আমার মফঃশহরে ছিল শখানেকেরও বেশী পাটের গুদাম। নব্বই দশকের শেষে সেখানে দেখেছি পাট পচছে।
আর আমাদের রাজনীতিবিদরা ( সিপিএম কংগ্রেস সব সমান) কি করছিলেন? একে অপরকে গালাগাল দিয়ে পাটকলের মালিকদের থেকে দু পয়সা নিয়ে, তাদেরকে শ্রমিকদের পি এফ এবং গ্রাচুইটির টাকা মারতে সাহায্য করেছেন। গবেষনা এবং উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে যে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে-এই চিন্তাটা তাদের মাথাতেই নেই। তারা শুধু জানেন কি করে রাজনীতি করে নিজেদের গোছানো যায়।
শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ উনি বাংলাদেশকে সঠিক পথ দেখাচ্ছেন। জয় ওয়াজেদ দেখলাম বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে আই টি সিস্টেম কে কাজে লাগাতে চান। শেখা হাসিনা এবং জয় ওয়াজেদ যা হাতে করে দেখাচ্ছেন-এই জিনিসগুলি নিয়ে আমি অনেকদিন লিখে আসছি-ভারতে অনেক ব্লগারই এই নিয়ে লিখছেন। কিন্ত আমাদের রাজ্যের রাজনীতিবিদরা এত নিরক্ষর এবং নিজেদের মধ্যে মারামারি খেয়োখেয়ি করতে ব্যাস্ত, তাদের এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই। দিল্লীতে বরং এই নিয়ে চিন্তা ভাবনা অনেক হচ্ছে-কিন্ত এত দালাল ওখানে, সেখানেও ভাল কিছু হওয়া কঠিন। এই জন্যে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ যে উনি একটা পায়োনিয়ারিং কাজ করে দেখালেন-দালাল আর নিরক্ষর রাজনীতিবিদদের পাশ কাটিয়ে , তৃতীয় বিশ্বে এটা করা সত্যিই কঠিন ছিল।
দারুণ আলোচনা পড়লাম। আমার মনে হয় শেখ হাসিনা কিছু কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এক ধরনের ভাসা ভাসা পরিবর্তন টের পাচ্ছি।
আমরা প্রায়ই দেশের সার্বিক অবস্থার জন্যে রাজনীতিবিদদের একহাত নেই, সুযোগ পেলেই! কিন্তু এইঅঞ্চলের ইতিহাস ঘাটলে আমার সামনে ভিন্ন একটা চিত্র সবসময় ভেসে উঠে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে বোধ হয় ব্যপারটা ওভাবে প্রযোজ্য নয় যেভাবে আমাদের বাংলাদেশের জন্যে প্রযোজ্য।
‘৪৭ এ দেশ ভাগের পর থেকেই এই অঞ্চলের রাজনীতি অতিদ্রুত চলে যায় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রনে! রাজনীতিবিদদের ঘাড়ের উপরে রাইফেল তাক করে পাকিস্তান পরিচালিত হয়েছিলো। ‘৭১-এ সেই বৃত্ত ভেঙ্গে বেড়িয়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলাম। মাত্র ৩ বছরের মাথায় সেই যে রাইফেল আমাদের ঘাড়ে চড়েছে আজো নামেনি! আমারতো মনে হয় দেশের ভেতরে যতোধরনের অরাজকতা, অনীতি, বিশৃংখলা, এ-সবের-ই সূতিকাগার হলো ঐ উত্তরপাড়া! উত্তরপাড়ার ভূতের আছড়টা কেটে গেলেই রাজনীতিতে একটা গুনগত পরিবর্তন আসবে। নিকট অতীতের বি. ডি. আর এর ঘটনার পরে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সাথে সেনানিবাসে সাধারণ সৈনিকদের কথপোকথন একটি উদাহরণ হতে পারে (আমাদের মুক্তমনাতেই এ নিয়ে ব্যপক আলোচনা তখন হয়েছিলো)। বাম তো বটেই অনেক ডান রাজনীতিবিদেরাও দেশের ও দশের সার্বিক অগ্রগতিকেই লক্ষ্য হিসেবে ধরেন। যেমন, প্রয়াতঃ শাহ্ এম এস কিবরিয়া। বামদের অনেকের কথাই এখানে আগে উচ্চারিত হয়েছে, কিন্তু কিছু কিছু টেলেভিশন আলোচনা এবং রাজনৈতিক লেখা থেকে তো বর্তমান বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক জনাব মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমকেও আমার পোড় খাওয়া অভিজ্ঞ এবং ঝানু মনে হয়েছে! অপরাজনীতিতে আপাদমস্তক নিমজ্জিতদের আমরা চিনি। কিন্তু অনুকূল পরিবেশ পেলে যে দেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম আমাদের রাজনীতিবিদেরা, এতে আমার কোন সন্দেহ নেই। আরো একটি ব্যাপার, সেটি হলো, আমলাতন্ত্র। আমাদের রাজনীতিবিদেরা এদের কাছেও অসহায়! এই দুটি জায়গা থেকে আমাদের রাজনীতিবিদেরা নিরাপদ দূরত্ত্বে থাকতে পারলে মনে হয় ভবিষ্যৎ গনতান্ত্রিক পরিবেশের একটা ভীত তৈরী হলেও হতে পারে। আর আমাদের জাতীয় অগ্রগতিতো এরই ধারাবাহিকতা, সে বিজ্ঞানে হোক, অর্থনীতিতে হোক, সামাজিক উন্নয়নে হোক, কিংবা ব্যক্তি উন্নয়নেই হোক; নাকি বলেন!
মাহবুব সাইদ মামুন…
আপনাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ…
:yes:
আমি যতদুর জানি বাংলাদেশে জাত তৈরী করা হয় বারবার ট্রায়ালের মাধ্যমে ডুমিনেন্ট স্পেসিমেনকে আলাদা করে সিলেকশন পদ্ধতিতে। অর্থ্যাৎ ডিএনএ মডিফিকেশনের মাধ্যমে জাত তৈরী করতে যে অবকাঠামো দরকার তা আছে বলে আমার জানা নেয়। আর এ ক্ষেত্রে আরো বহুদুর মনে হয় যেতে হবে।
এর সাথে জড়িত ছিলেন আসলে অনেকে!
বিজ্ঞানীর বন্ধু তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মাহবুব জামান প্রস্তাবটা নিয়ে গিয়েছিলেন
আওয়ামীলিগের প্রচার সম্পাদক নূহ-আলম লেলিনের কাছে।
উনি এ প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছেন কৃষিমন্ত্রি মতিয়া চৌধুরীর কাছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রানরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা খান,
একদল তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানীও অক্লান্ত গবেষণা করেছেন।
যতটুকু বুঝেছি মতিয়া চৌধুরীর উদ্যোগ ও প্রধানমন্ত্রির সহযোগীতা
এ বিপুল কর্মযজ্ঞ সফল হতে সাহায্য করেছে!
@লাইজু নাহার,
বিপুল কর্মযজ্ঞটি কী দিবে দেশকে এবং কৃষককে? এখনই যে পরিমান পাট উতপাদন হচ্ছে তারই যথাযোগ্য প্রয়োগ নেই। জুটমিল গুলো কি পূর্ণ উতপাদন মাত্রায় কাজ করছে?
ময়মনসিংহ পাট উতপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। রেল স্টেশনের অদুরে পূর্ব দিকে একটা জায়গা আছে যার নাম এখনও “পাটগুদাম”। বিশালকাকৃতির অনেক গুলো টিনের গুদাম ঘর ছিল যার ভিতরে ট্রেন লাইন পাতা ছিল। (বড় গুদামটির বাইরে কালো অক্ষরে লেখা ছিল “এন কে লোহিয়া”। এক একটি অক্ষর এক মানুষ সমান – স্মৃতির পাতা) এই পাট ট্রেন যোগে নারায়ণ গঞ্জ পাঠানো হত। ১৯৬৭ এর দিকেও দেখেছি এখানে পাট ব্যবসা চলতে। এখন পাটগুদাম আছে, পাটের গুদাম নেই। রেল লাইন গুলো কোন কাজে লাগে না তাই বুঝি মাটি দুমড়ে এখনও পরে আছে।
আমার কথা হল বর্তমানে যে পরিমান পাট উতপাদন হচ্ছে তারই যদি গতি না হয়, জিনম প্রযুক্তিলব্ধ বাড়তি পাটের কী উপায় হবে? কাজেই আওয়ামী লীগ সরকারের ব্রেকিং নিউজের সাথে আপাতত আমি নাচানাচি করতে পারছি না।
পাটের ব্যবহার মূলত এখনও দড়ি আর ছালার মধ্যেই সীমিত। অত্যন্ত মূল্যবান এই আঁশটির যোগ্য ব্যবহার এখনও বের হয়নি। গবেষনা হওয়া উচিত পাটজাত নতুন নতুন সামগ্রি উদভাবনের যার চাহিদা থাকবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। পাটের বাজার হতে হবে সেলফোনের মত বিশ্বব্যাপী।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
খুবই সত্য কথা বলেছেন। পণ্যের বাজার না থাকলে তার উতপাদন ১০ গুন বাড়ালে কি ফায়দা হবে? আমি যতটুকু জানি পাটের ব্যাবহার কম পয়সার নানান রাসায়নিক কৃত্রিম তন্তু বাজারে আসার পর নিদারুনভাবে পড়ে যায়।
তবে এখন আবার পরিবেশগত সচেতনার কারনে পাটের বাজার ফিরে আসতে পারে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
ভারতের জুট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের এই কাজ করার কথা-পাটের তন্ত দিয়ে উন্নত মানের ব্যাগ করার চেষ্টা আগেও হয়েছে। কার্পেট , কাপর সব হয়েছে। কিন্ত আমেরিকার মতন কোন ইনফ্রাস্টাকচর নেই ইনোভেশনকে মার্কেট করার। এটা একটা সমস্যা যে আমাদের ভারতের ব্যাবসাগুলো সব মাড়োযারীদের হাতে-যারা আদি সামন্ততান্ত্রিক প্রভুদের মতন ব্যাবসা চালায়। ভারতে আধুনিক ধণতন্ত্র কিছুটা হলেও দক্ষিনীরাই নিয়েছে-যার জন্যে ব্যাঙ্গালোর এবং হায়দ্রাবাদ আধুনিক চিন্তা এবং শিল্পের পিঠস্থান হয়ে উঠেছে।
এই অধগোতির জন্যে রাজনৈতিক দিয়ে মারোয়ারী এবং বামপন্থী উভয় পক্ষই দায়ী। বামপন্থী চিন্তাধার বাঙালীকে আরো বেশী ব্যাবসা বিমুখ করেছে। ফলে পাট,চা বাংলা সিনেমা থেকে সব ব্যাবসাই মারোয়ারীদের হাতে চলে গেছে। এবং যথারীতি মারোয়ারী ব্যাবসা মানেই ওরা লাভ ছারা কিছু বোঝে না-ফলে শিপ্লটাই ঝাঁজরা হয়ে যায়।
@বিপ্লব পাল,
এই বাক্যটা আমার কাছে খটকা লাগছে।
যেখানেই লাভের সম্ভাবনা আছে সেখানেই শিল্প বিকাশের ক্ষেত্র থাকবে। শিল্প বিকাশের জন্য মাড়োয়ারীরা অন্তরায় নয়, সহায়ক। বরঞ্চ বামপন্থীদের আদর্শ মার্কা গালভরা কথাই শিল্প ও ব্যবসা বিকাশের বড় বাধা।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমি নিজের ব্যাবসা করার অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য বাঙালীদের ব্যাবসা করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। বামপন্থি চিন্তাধারা বাঙালীর ব্যাবসা করার অন্তরায় -সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কিন্ত মারোয়রীরাও পাট শিল্পকে ডোবানোর জন্যে সমান ভাবে দায়ী, ওরাও দু পয়সা লাভ ছাড়া গবেষনা বা উদ্ভাবনা খাতে বিনিয়োগে রিস্ক নিতে চায় না। যার জন্যে ভারতের আই টি এবং উন্নত শিল্পে মারোয়ারিরা নেই-গুজরাটিরা আছে। যারা মন্দের ভাল।
@বিপ্লব পাল,
ধন্যবাদ।
আচ্ছা, ‘ব্যবসা/ব্যাবসা’ বানানটা আমি ভুল লিখছি নাকি আপনি ভুল লিখছি।
আজকাল তো ব্যাকরণ কিছুই মনে নেই। চোখে যা ঠিক মনে হয় তাই ব্যাকরণ।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
ব্যবসা বানানটাই ঠিক বলে জানি। আমিই ভুল লিখেছি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
পাট থেকে তৈরী এমন কোন পণ্যের নাম বলতে পারবেন যেটা বাংলাদেশে তৈরী হচ্ছেনা। আমি তো জানি এই মুহুর্তে শত শত বেসরকারী ছোট ছোট পাটকল গড়ে উঠেছে। এবং পাটের সবধরণের পন্যও তৈরী হচ্ছে। তবে কাঁচা পাটের অপ্রতুলতা তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
@নিদ্রালু,
দারূণ উতসাহ ব্যাঞ্জক খবর দিয়েছেন। আমি ভুল আপনি ঠিক এটিই যেন হয়।
তারপরও বলি, কৃষক পাট চাষ করে শ্রমের নায্য মূল্য পাচ্ছে না। কৃষককে নায্য মূল্য দিন, দেখবেন বাজার পাটে ভরে গেছে। আমি গ্রামের ছেলে (ভুল করে ‘ছেলে’ বলে ফেলেছি – পড়ুন ‘গ্রামের ছেলে ছিলাম’)। নিজে পাটচাষের প্রতিটি ধাপের সাথে হাতে কলমে জড়িত। তারপর বাংলাদেশ কৃষিবিদ্যালয়ের ছাত্র, পরে শিক্ষক ছিলাম। ফলে পাট চাষ এবং পাটচাষীদের সমস্যা নিয়ে সামান্য কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার আছে। আমি এ পর্য্যন্ত যা কিছু লিখেছি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকেই লিখেছি।
তবে এটা ঠিক কৃষকরা দাম না পাওয়ার পরেও পাটজাত পণ্য কৃত্রিম পণ্যের দামের সাথে পেরে উঠছে না।
আমি চাই – পাট নিয়ে আপনি যা লিখেছেন দেশ দ্রুত সেই পর্যায়ে আসুক।
ভাল থাকবেন।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
দূঃখিত। Smileyটা কীভাবে ঢুকেছে বুঝতে পারছি না।
ভাল কাজের প্রশংসা করা খারাপ না। কিন্ত কথা হলো, গুর এপিটও যা ওপিটও তা- কোন প্রভেদ নেই। বংগ রাজনীতির বেলায় একথা সত্য।
পাট রাজনীতি বাদ দিয়ে কিছু কৃষিকথা নিয়ে আলোচনা করি। হেলাল এবং বিপ্লব পালের চাষ সংক্রান্ত ব্যবহারিক ধারণা আছে, লেখা থাকে বুঝা যায়। দেশে বর্তমানে যে সব জাতের পাট চাষ তার জন্য বৃষ্টি বা জলের অভাবে এবার পাট ভাল হচ্ছে না এরকম সমস্যা কখনও হয়েছে শুনিনি। পাটের জাত গুলোঃ
১) দেশী পাট – কেন এই নাম হয়েছে জানিনা। নীচু জমিতে বুনা হয়। আউশ ধান এবং পাট একই সময়, বপন সময় চৈত্র মাস। নদীতে নতুন জল আসার আগে আগে আউশ ধান পাকতে শুরু হয়। নতুন জল (নদী উপচিয়ে বিলে ঢুকে যে জল তাকে নতুন জল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়) যখন বিলে পড়তে শুরু করে চাষীরা পাট কেটে একসাথে বিছিয়ে পাটের জমিতেই জাগ দেয়। দেশ বন্যার ভেসে যায়। মাস খানেকের মধ্যে জল নেমে যায়। জমিতে তখন কোমড় অবধি জল থাকলে খুবই সুবিধা হয়। জাগ দেওয়া পাট পচে আঁশ ছাড়ানোর উপযুক্ত সময় তখন। জল তখন টলটলে পরিষ্কার – কাঁচের মত স্বচ্ছ। চাষীরা তখন গান ধরে – “স্বামী মইলে কান্দিস না লো তোরা …” আর কোমড় জলে দাঁড়িয়ে থেকে পাটের আঁশ ছাড়িয়ে জলে ধূয়ে রুপালী আঁশ তৈরী করে। রোদে শুকালে আরো চকচক করে।
২) কাশটিন পাট – একটু উচু জমিতে রোপন করা হয়। এর আঁশ সোনালী রংএর হয়। ফলন কম, দাম সব চেয়ে বেশী
৩) মেশটা পাট- উচু জমিতে বপন। কাটা হয় জল চলে গেলে। ফলে মাথায় করে নীচে জলমগ্ন জায়গায় নামাতে হয়।
৪) জল মেশটা – ইদানীং এই জাতটি ভারত থেকে এসেছে। নিড়ানী কম লাগে। বৃস্টিবাদল, পোকামাকড় কোন ক্ষতি করতে পারে না।
ইদানীং কালে নদীর নাব্যতা কম হওয়ার কারণে জাগ দেওয়া একটা সমস্যা। নানা পদ্ধতির উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু পাট চাষের যন্ত্রণা কমেনি। দেশে পাট গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে দীর্ঘদিন। উল্লেখ করার মত কিছুই করতে পারেনি। সরকারের পাট সম্প্রসারণ বিভাগ আছে। তারা পাটের বীজ সরবরাহ করে থাকে। এ ছাড়া কিছু আমার জানা নেই।
এটা সত্য চাষীরা পাট চাষে অনাগ্রহী। কারণ চাষ করে ন্যায্য মূল্য পায়না। তবু দুটো প্রধান কারনে এখনও চাষ করে –
১) Crop Rotation – একই জমিতে প্রতি বছর ধান চাষ করলে ফলন কমে। মাঝে একবছর পাট বিপদে পরেই চাষ করতে হয়
২) পাটের কাঠি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। ঘরের বেড়া হিসেবেও ব্যবহার হয়।
সরকার ও কৃষিবিজ্ঞানীরা উন্নত জাতের পাট উদ্ভাবন নিয়ে টাকার শ্রাদ্ধ করে যাচ্ছেন। কিন্তু এর লাভ জনক নতুন ব্যবহার উদ্ভাবন হচ্ছেনা। জুট মিল গুলো চট, বস্তা আর দড়িই বানিয়ে যাচ্ছে – যতক্ষন চালু থাকে। এর যদি আর্থিক প্রয়োগ না ঘটে জিনম ম্যাপিং করে কিছুই হবে না। হয়তো দশ বছর পরে আজকের জিনম ম্যাপিং নিয়ে হাসাহাসিই হবে। এখন শুধু দেখতে হবে পাট রাজনীতি কোন পথে চলে।
চাষীরা পাট চাষ করে ন্যায্য মূল্য পায়না। পাট নিয়ে রচনা লিখতে দিয়ে দুঃখ করে অধ্যাপক হীরালাল রায় লিখেছেন –
এই পাট থেকে এক রকম পিচ্ছিল কাপড় তৈরী
হয়। তাহার নাম সিল্ক। সিল্ক অতিরিক্ত পিচ্ছিল তাই
কৃষকের পরিধান করিতে পারেনা। তবে পাট হইতে
দড়িও তৈরী হয়। এত পরিশ্রম করিবার পরেও পরিবারের মুখে
যখন একবেলা আহার জুটাইতে পারে না,
তখন কৃষকরা এই দড়ি ব্যবহার করিয়া আত্মহত্যা
করিতে পারে।
১৯৬৬ সালে পড়েছিলাম। Quote-unquote মনে থাকার কথা নয়। তবু কিছুটা মনে আছে ভেবে মজা পাচ্ছি।
পশ্চীম বংগেও পাটের করুন অবস্থা আমার জানা ছিল না। জাফর ইকবাল সাহেবের এ বিষয়ে একটি লেখায় পড়েছিলাম যে আমাদের দিকের পাটকল বন্ধ হচ্ছে আর আপনাদের দিকে নুতন নুতন কল খোলা হচ্ছে। আমার এমনিতেও ধারনা ছিল যে ৭০ এর দশক থেকেই নানান রকমের কৃত্রিম তন্তুর আবিষ্কারের ফলে পাট আন্তর্জাতিক বাজার হারিয়েছে, ও তীব্র প্রতিযোগিতায় পড়েছে। ফলে ভারতের সাথে আমরা টিকতে পারিনি। জাফর ইকবাল আশার আলো দেখিয়েছিলেন যে বিশ্ব আবারো পাটের দিকে ঝুকছে। এমনকি আজকাল গাড়ির ড্যাশবোর্ডও নাকি পাট দিয়ে তৈরী হচ্ছে।
হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ হিসেবে বহু কুকর্মের ভাগিদার তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের ভাগ্যই এক দূর্নীতিবাজের কবল থেকে আরেক দূর্নীতিবাজের কবলে গিয়ে পড়া। তার মাঝেই যা কিছু ছিটেফোটা ভাল বের করে নিতে হয়। কাজেই কেউ ভাল কিছু করলে তার সুনাম করাই উচিত। তিনি সামগ্রিক ভাবে কতটা খারাপ তা অন্তত এই প্রসংগে না আনলেই হয়। জাফর ইকবাল ২/৩ দিন আগে প্রথম আলোয় এই বিষয়ে লিখেছিলেন। সেখানে পড়েছি যে হাসিনা/মতিয়া চৌধূরী এই জিনোম সিকোয়েন্সিং প্রকল্পে ব্যাক্তিগতভাবে উতসাহ দিয়েছেন ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এটা অবশ্যই একটি ভাল উদাহরন হইয়েই থাকবে।
বিপ্লব প্রায়ই দেখি ভারতের রাজনীতিবিদদের আমাদের গুলির সাথে তূলনা করেন। আমার মনে হয় বন্যা যেমন বলেছেন ওনার আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে ধারনার অভাব আছে। সামগ্রিকভাবে মনে হয় এই তূলনা হাস্যকর।
একটু ট্যাকনিক্যাল্ ব্যাপার স্যাপার নিয়ে ডিটেইল লিখলে ভাল হত।
আচ্ছা পাটের জিনোম সিকুয়েন্স করার পদ্ধতিটা আসলে কী। আমার ধারণা ছিল বিশাল বিশাল অত্যাধুনিক ল্যাব, বড় বড় সাইন্টিস্ট, কাড়ি কাড়ি টাকা ছাড়া এইগুলো সম্ভব না। এখন দেখছি একটু অনুপ্রেরণা এবং সহযোগীতা পেলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।
আরো একটা ব্যাপার, এইযে বলা হচ্ছে উন্নতমানের পাটের জাত তৈরী করা হবে এটা কী আসলে নিশ্চিত? বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাই কী বাংলাদেশের ল্যাবে জিন ম্যানুপুলেশন করতে পারবেন?
প্যেটেন্ট করতে পারলে আমাদের দেশের কী উপকার হবে?
আনাড়ীর মত অনেক গুলো প্রশ্ন করে ফেললাম আশাকরি কেউ না কেউ উত্তর দিবেন।
@নিদ্রালু,
জেনোম সিকোয়েন্স আমার ফিল্ড না। এখান ওখান থেকে টুকে লিখে দিতে পারতাম-কিন্ত মনে হয় সেটা ঠিক হবে না-যারা এই ব্যাপারটা নিয়ে কাজ করছেন তারা লিখলেই ভাল হয়।আমার উদ্দেশ্য ছিল একটি রাজনৈতিক প্রবন্ধ-কারন চা এবং পাট-এই দুটী আমাদের পশ্চিম বঙ্গের সব থেকে বড় শিল্প ছিল এক সময়। দুটোই শেষ হয়ে যাচ্ছে কারন আমাদের নেতারা বিজ্ঞানে সমাধান না খুঁজে শুধু
রাজনীতি করেছেন। তাই আমাদের নেতাদার অপদার্থতার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার এই শুভ উদ্যোগকে জানানোর দরকার ছিল আমাদের দিকে-নইলে বলবে এবস আমাদের দেশে সম্ভব না। ভারতের বিজ্ঞান গবেষনাতে সরকার প্রচুর খরচ করে-সুতরাং চা এবং উন্নত পাটের প্রজেক্ট নেওয়ায় যেত ( খাতা কলমে সেসব আছে)-কিন্ত যারা পার্টি করে বেড়ায়-তারা কি গবেষনা করবে?
সিপিএম সব কিছুর রাজনীতিকরন করে সব কিছু ছিবরে করে দিয়েছে-ওদের জন্যে আধুনিক কোন চিন্তা আনা সম্ভব হচ্ছিল না।
@নিদ্রালু,
পাটের জিনোম সিকুয়েন্স এর জন্য যে সব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, খুব অল্প কথায় এই মন্তব্যে তা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেয়া সহজ নয়। অনেক সংক্ষেপে বললে, জিনোমটাকে ছোট ছোট টুকরোয় ভাগ করে নেয়া হয়েছে প্রথমে, এরপর ওই টুকরোগুলোয় A, T, G, C এই nucleotide গুলো কোনটির পর কোনটি আছে সেই অণুক্রম বা সিকুয়েন্স বের করা হয়েছে। সিকুয়েন্সিং শেষে overlapping টুকরোগুলো থেকে সফটওয়্যার এর সহায়তায় সঠিক বিন্যাস নির্ধারণের মাধ্যমে পাওয়া গেছে পাট জিনোম এর মানচিত্র। খুব শীঘ্র এই কাজে জড়িত ‘স্বপ্নযাত্রা’র একজন তরুন বিজ্ঞানী এ নিয়ে মুক্তমনায় লেখা পাঠাবেন আশা করছি, আপাতত দেখতে পারেন এই ওয়েবসাইট টি http://www.jutegenome.org
অনুপ্রেরনা আর সহযোগীতা আসলেই অনেক কিছুকে সম্ভব করেছে, তবে কাড়ি কাড়ি টাকার ও দরকার এধরনের গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যে 🙂
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশের ল্যাবে বেশ কয়েকবছর ধরেই জিন ম্যানুপুলেশন করে আসছেন, যেমন লবণসহণশীল ধানের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডঃ জ়েবা সেরাজ এর ল্যাব এবং পাটের ক্ষেত্রে ডঃ হাসিনা খান এর ল্যাব। পাটের খসড়া জিনোম সিকুয়েন্স ডঃ মাকসুদুল আলম এর নেতৃত্বে স্বপ্নযাত্রা দলটির বিজ্ঞানীরা বের করায় এখন উন্নত বৈশিষ্টের জন্য দায়ী জিনগুলোকে চিহ্নিত করা সম্ভব। ফলে পাটের জিন ম্যানুপুলেশন এখন অনেক সুনির্দিষ্টভাবে করা যাবে এদেশের ল্যাবেই, উদ্ভাবন করা যাবে উন্নতজাতের পাট।
প্যেটেন্ট করতে পারলে এই আবিষ্কারের মেধাস্বত্বটি (intellectual property) হবে শুধুই বাংলাদেশের, অন্য কোনো দেশ তা দাবী করতে পারবে না।
বিপ্লব পাল কে ধন্যবাদ পাট জিনোম নিয়ে লেখাটির জন্যে।
@সায়মা শহীদ,
উইকএন্ডে ছুটিতে শহরের বাইরে এসেছি, ইন্টারনেট ব্যবহারের খুব বেশি সুযোগ নেই। তারপরেও আপনার মন্তব্যটি দেখে মন্তব্য করতে বাধ্য হলাম।
জিনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অনেকেরই ব্যাপারগুলো নিয়ে সঠিক ধারণা নেই। আমার অনুমান যদি ভুল না হয় তা হলে, আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যান্ট বায়োইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাথে যুক্ত আছেন। যেহেতু আপনার নিজের গবেষণার বিষয়ই এটি, আপনার কাছে থেকে সেজন্য আমরা বড় লেখা আশা করছি। আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে, আপনাকে মডারেটরের পক্ষ থেকে কখনো ইউজার আইডি পাঠানো হয়ছিলো কিনা। দয়া করে আপনার ইমেল চেক করুন। যদি ইমেইল পেয়ে থাকেন তবে সেটা ব্যবহার করে লগ ইন করে ‘নতুন ব্লগ লিখুন’ অপশন ব্যবহার করে আপনি লেখা দিতে পারেন।
আপনি যেহেতু মুক্তমনায় মন্তব্য করেন আমরা আপনার কাছ থেকে এই বিষয়ে একটি পূর্নাংগ লেখা আশা করছি। লিঙ্কের জন্যও অনেক ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
অনেক ধন্যবাদ। আরো আগেই আমি জানাতাম, কিন্তু কাজের চাপে সময় করে উঠতে পারিনি বলে দেরি হলো, সে জন্যে দুঃখ্যিত। ইউজার আইডি আগেই পেয়েছিলাম, আবার পাঠানোর জন্যে ধন্যবাদ।
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যান্ট বায়োটেক্নোলজি ল্যাব এর সাথে বহুদিন ধরে যুক্ত। লেখালেখির তেমন অভ্যেস নেই দেখে আর ব্লগে বড়ো করে লেখা হয়ে উঠে না। তবে যখন দেখি আমাদের দেশের বিজ্ঞানীদের কাজ নিয়ে দেশের মানুষরাই তেমন জানেন না, মন্তব্য না করে থাকতে পারি না আর কি। তবে অন্যদের জানার আগ্রহ দেখে ভালো লেগেছে, চেষ্টা করব জিনোম সিকুয়েন্সিং এর টেক্নিক্যাল দিক নিয়ে একটু গুছিয়ে লেখার।
@সায়মা শহীদ,
আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
তারমানে এইব্যাপারে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন। ভাবতেই ভাললাগে কোন বিদেশী কারিগরী বা আর্থিক সাহায্য ছাড়াই আমরা এতবড় একটা অর্জন করতে চলেছি।
নিচে অভিজিৎ দার কথায় বুঝলাম আপনি এই লাইনের কাবিল। লিখুননা আরো বিস্তারিত ভাবে।
যদি পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে এইরকম একটা কাজ করে ফেলা যায় তাহলে আমরা কেন বসে ছিলাম এতদিন???
আমার তো মনেহয় এখুনি আমাদের অন্য অনেক সম্বাভনাময় গাছ নিয়ে কাজশুরু করে দেয়া উচিৎ যেগুলো নিয়ে অন্যকোন দেশ কাজ করেনি। বাঁশ (বুয়েটের বাঁশ না কইলাম 😛 ) একটা হতেপারে। আমার ধারণা বর্তমানে এবং ভবিষ্যতের জন্যে বাঁশ খুবই অর্থকরী ফসল। ব্যেঁত ও হতেপারে একটি।
@নিদ্রালু,
স্বয়ংসম্পূর্ণ বলাটা মনে হয় ঠিক হবে না, আর আপনি হয়ত লিঙ্ক এর সব লেখা পড়ার সময় পান নি, কারণ পাটের খসড়া জিনোম সিকুয়েন্স এর কাজ সম্পন্ন হওয়ার পেছনে আন্তর্জাতিক সহায়তাও ছিলো। দুইবছর ধরে এই প্রকল্পের জন্য়ে আর্থিক অনুদান যোগাড়ের চেষ্টা চলেছে, অবশেষে বেগম মতিয়া চৌধুরীকে জানানোর পর তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেন।
সরকারী সহায়তা যদি পাওয়া যায়, তাহলে এরকম জিনোম সিকুয়েন্স প্রকল্প আরো হতে পারে। তা নাহলে এধরনের গবেষণার কাজ এদেশে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
দূর্নীতি দমন কমিসনকে আইন করে অকার্যকর করার ব্যবস্থা অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে হাসিনা সরকার। মন্ত্রী-এম,পি দের সম্পত্তির হিসাবের ব্যাপারটাও রহিত করা হয়েছে। আসলে দূর্নীতি মুক্ত হবার কোন ইচ্ছা আমাদের কোন সরকারেরই নেই।
তবে তারা যখন ভাল কিছু করে তখন সাধুবাদ অবশ্যই তাদের প্রাপ্য, নাহলে ভাল কাজে উৎসাহ পুরোপুরি হারিয়ে ফেলতে পারে। 😀
@আতিক রাঢ়ী,
আসলে দূর্নীতি মুক্ত হবার কোন ইচ্ছা আমাদের জনগণেরও নেই। তাইত তত্বাবধায়ক সরকার আসলে যখন দুর্নীতি কমে যায় তখন আমরা দুর্নীতিকে ভীষণ মিস্ করি। চেঁচাতে থাকি কখন নির্বাচিত সরকার আসবে। এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে কবে আমরা মুক্ত হব বলে হাপিত্যেশ করতে থাকি। যখন তৃতীয় কোন রাজনৈতিক শক্তি উঠতে চেষ্টা করে, তা নোবেল বিজয়ী ইউনুসের নেতৃত্বেই হোক, আমরা সাথে সাথে তাকে লাঠি তাড়া করে হটিয়ে দেই, বলি তুমি আবার এই নোংরা কাজে আসছ কেন? তোমার যায়গা এখানে নয়। আমরা যখন আওয়ামী লীগের দুর্নীতিতে বোরড্ হয়ে যাই তখন বিএনপির দুর্নীতি দেখতে চাই এবং এর উল্টোটাও।
ভাল কাজটা কি তারা সম্পূর্ণ নতুন উদ্যোগে নিজেরা করে নাকি অলরেডী শুরু হয়া প্রক্রিয়া শেষ হবার কৃতিত্ব নেয়? অনেক প্রজেক্টই বেসরুকারী উদ্যোগে বা আমলাদের দ্বারা সূচিত হয়, তাতে রাজনৈতিক দলের নেতা বা সদস্যের কোন ভূমিকা থাকে না। অবশ্য তাতে বাধা দেয়ারও তাদের কোন প্রয়োজন নেই। শুধু সাইন করে দেয়। এটুকু কৃতিত্ব দেয়া যায় তাদের।
@কালযাত্রী,
সব লোককে সবসময় বোকা বানান যায় না। জনগন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে ছিল যতক্ষন তারা বাটপারি শুরু করেনি। জনগন যখন বুঝতে পারলো তারা দূর্নীতিবাজদের ধরে নিয়ে গিয়ে ভাগের জন্য দর -দাম করছে তখন তারা মুচকি হেসে সরে গিয়েছে।
নেতৃ্ত্ব তৈ্রী হয় দায়বদ্ধতা থেকে। আমরা ফুল দিয়ে বরন করিনি বলে যদি নেতা অভিমান করে চলে যান, সেই সৌ্খিন নেতা আমাদের আসলেই দরকার নেই।
@কালযাত্রী,
এই কথাটা আমি শুনেছি-
ব্যর্থ শিক্ষকের কাছ থেকে- আমার ছাত্ররাই খারাপ, সব মেধাশুন্য গর্দভ।
ব্যর্থ মা বাবার কাছ থেকে- আমার সন্তানদের কথা বলো না, যত সব হালের বলদ।
ব্যর্থ সমাজকল্যাণ সংস্থার কাছ থেকে- আমাদের সমাজ অন্ধকারে থাকতে ভালবাসে, জ্ঞানের আলো এদের শোভা পায় না।
ব্যর্থ রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে- দেশের জনগন সুখে থাকতে চায়না, এদের মঙ্গলচিন্তা করে লাভ নেই।
ব্যর্থ বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে- দেশের সকল মানুষ ধার্মিক হয়ে গেছে, এখানে মুক্তবুদ্ধি চর্চা মানায় না।
ঘরে সন্তানের দোষ, স্কুলে ছাত্রের দোষ, সমাজে মানুষের দোষ, রাস্ট্রে জনগণের দোষ, দোষ নেই শুধু তাদের যারা নেতৃত্ব বা অভিভাবকের দায়ীত্বে আছেন।
কিছু প্রশ্ন মনে জাগে- বাংলাদেশের ১৪কোটি মুসলমান কি জিয়াকে বলেছিল বা রাস্থায় মিছিল করেছিল সংবিধানে বিসমিল্লাহ লিখার জন্যে?
জনগন কি এরশাদকে বলেছিল বাংলাদেশকে ইসলামি রাস্ট্র ঘোষণা দেয়ার জন্যে?
জামাত, বিএনপি আমলের ইসলামী সন্ত্রাস কি এখন আছে?
আরো দশ বৎসর জোটসরকার ক্ষমতায় থাকলে ইসলামি বোমায় বাংলার মাটি আরো রক্তাক্ত হতো কি না? স্কুলের চেয়ে মাদ্রাসা, বিজ্ঞানের চেয়ে ধর্ম শিক্ষা প্রাধান্য পেতো কি না?
আমি মনে করি একটি পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠান বা দেশের সকল প্রকার ব্যর্থতা, সফলতা, ভাল মন্দ, উন্নতি অবনতির দায়ভার, এ কাজে নিয়োজিত বা দায়ীত্ব প্রাপ্তদের, জনগণের নয়।
দাদা, ভালো কাজের স্বীকৃতি দেয়া ভালো কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি খুব ভাল নয়।
আরো বিস্তারিত লিখলে ভালো হত।
:lotpot: :hahahee: :hahahee:
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ERP, Biometric, Video Survillence and Google Earth
এই চারটি প্রযুক্তির সমন্বয়ে সরকারী নানান ফিলড ওয়ার্কে যে সব দুর্নীতি হয়, তাকে চেক করা যায়। এই নিয়ে আমাদের কিছু কাজ, প্রটোটাইপ চলছে। ভারতে ফিলড ট্রায়াল যদি এফেক্টিভ হয়, তোমাদের হাসিনা সরকারকেও আমাদের লোকেরা নিশ্চয় যোগাযোগ করবে। আমি আশা করব, সরকারি টাকার নয়ছয় রুখতে শেখ হাসিনা আন্তরিক।
@বিপ্লব পাল,
আমাদের একটু সমস্যা আছে,সেটা হলো হাসিনা-খালেদা, তারেক-জয় এদের কেও দুর্নীতি দূর করবে ভাবলেই পেট ফেটে হাসি আসে( :lotpot: :lotpot: ), অবশ্যই এই হাসি ক্ষোভ আর হতাশার হাসি।
আরো একবার এদেশের মানুষ প্রমাণ করেছে মেধায় তারা পিছিয়ে নেই, অভাব শুধু সুযোগের, এবার কিছু পরিবর্তন আসবে?
মুল পাতার উপরে একটা খবর যোগ করেছি, এখানেও আবার পেস্ট করে দিচ্ছি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের দল “ড্রিমকেভ” দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত মাইক্রোসফট আয়োজিত সফটওয়্যার প্রতিযোগীতা ইমেজিন কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে। কিছুদিন আগে প্রথম-আলোতে খবরটি ছাপিয়েছে।
প্রচুর জল লাগে প্রাথমিক অবস্থায়। সেচের খরচ বেড়েছে, কীটনাশকের খরচ বেড়েছে।
দাদা,যতদুর মনে পড়ে পাট বোনতে হালকা বৃষ্টি বা হালকা সেচ লাগে তবে জমিতে পানি জমে গেলে বা মাটি কাদা হলে পাট বোনা যায়না। তাছাড়া বোনার পড়েও খুব বেশী সেচের প্রয়োজন হয়না। আসল কথা পাটের জন্য আর্টিফিসিয়াল সেচেঁর খুব দরকার হয়না বললেই চলে,মৌসুমি বৃষ্টিই যথেষ্ট।
পাট চাষের প্রধান সমস্যা হল জাগ দেয়া অর্থাৎ কাটার পরে পানিতে ডুবিয়ে রাখা যা সব বছর সব জায়গায় সম্ভব হয়না। জিনোম সিকোয়েন্সের ফলে ডিএনএ মডিফিকেশন করে পানি ছাড়াই দ্রুত পাটের কান্ড হয়তো পঁচানো যাবে।(আতলামীর জন্য কিছু মনে করবেননা।)
আপনার এ লেখাটা সময়োপযোগী এবং রাজনীতিবিদদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক।
@হেলাল,
পাট চৈত্র বৈশাখ মাসে বোনা হয়-তখন প্রথম মাসটাতে ভালোই জল লাগে। আসলে আপনাদের ওদিকে নদী বেশী বলে হয়ত এটা টের পান না। জ্যোষ্ঠ মাস থেকে আর জল লাগে না।
জাগ দেওয়া হয় শুধু বর্ষাকালের শেষের দিকে-তখন জলের সমস্যা থাকে না। পাট আমাদের এদিকে কেও সারা বছর বোনে না। কিন্ত পাটের ১৫ দিন ধরে পচনে খুব সমস্যা হয়। প্রচন্ড মশা তৈরী হয়।
বিপ্লব,
তুমি পাটের জিনোম নিয়ে লিখেছ ভালো কথা, এটা নিয়ে আরেকটু বেশি বিস্তারিত লিখলে খুশি হতাম। নিজেই ‘রাজনীতি না’ বলে তারপর শেখ হাসিনা আর জয়কে যে হারে ধন্যবাদ দিতে শুরু করলে তা দেখে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না। এরা করবে দুর্নীতি দূর! তাহলে তো আমাদের দেশের মানুষের কপাল ভালোই ছিল। তুমি ওয়েষ্ট বেঙ্গলের সিপিএম এর গুষ্টি উদ্ধার কর, তার সাথে মার্ক্সবাদের পিন্ডি চটকাও… কিছু বলি না বিভিন্ন কারণে। একদিকে যেমন ক্লান্তি লাগে এসব নিয়ে তর্ক করতে, অন্য দিকে এদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে মার্ক্সবাদী বলেই মনে করি না, আবার ভাবি তুমি কোলকাতার মানুষ, এদের কান্ড কারখানা দেখে দেখে হয়তো বামদের প্রতি তোমার ঘেন্না ধরে গেছে। আমাদের দেশে বামদের যে পার্থক্য আছে সেটা তোমার হয়তো জানার কথা নয়। কিন্তু এখন যদি হাসিনা আর জয়ের ইতিবৃত্তও যদি তোমার কাছ থেকে শুনতে হয় তাহলে আর কিছুই বলার নেই। তুমি আসলেই বাংলাদেশের সামাজিক আর রাজনৈতিক অবস্থা এবং রাজনীতিবিদদের ব্যাপার স্যাপার ঠিক মত বুঝতে পারছো না।
@বন্যা আহমেদ,
পার্থক্যটা গুণের বিচারে ভাল না মন্দ? ভাল হলে কারা এই বাম আমার জানতে ইচ্ছা হয়। নাম করা সব বামপন্থীরাই হয় আওয়ামী লীগ, না হয় জাতীয় পার্টি, না হয় বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে লুট পাটে ভাগ বসিয়েছে। আর সর্বহারা পার্টি? তাদের কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল। তাত্বিক বামপন্থীরা সবাই শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত, অথবা পেশাগত বুদ্ধিজীবী। তাদের কোন কার্যকরী ভূমিকা নেই রাজনীতিতে। রাজনৈতিক বামপন্থীরা হয় সুবিধাবাদী, না হয় রক্তপিপাসু পিশাচ।
@কালযাত্রী,
আপনার মতামত অনুযায়ী তাহলে আওমীলীগ,বি,এন,পি ও জাতীয় পার্টি খুব জন-দরদী গণ-মানুষের পার্টি,এরা শুধু জনগণকে তাজা রক্ত হওয়ার জন্য আমিষ,ভিটামিন আর পর্যাপ্ত প্রোটিন দিয়ে যাচ্ছে, না !!!!!!
কমরেড নির্মল সেন যিনি সারা জীবন আপনার,আমার ও বংগ দেশের মানুষের জন্য জীবন বিলিয়ে দিয়ে এখন চিকিৎসার অভাবে শেষ বয়সে সহায় সম্বলহীন হয়ে মৃত্যু পথযাত্রী। ভূলে গেছেন ?
বাংলাদেশের প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা কমরেড আবুল বাসার ,সারা জীবন গণ-মানুষের সহ বাংলাদেশের শ্রমজীবি মানুষের জন্য লড়াই করেছন।ঐ তথাকথিত তিন বুর্জোয়া পার্টির অনেক লোভ/প্রলোভনের কাছে কোনোদিন মাথা নত করেন নি। যেমনি করেন নি প্রখ্যাত তাত্তিক বাম নেতা হায়দর আকবর খান রনো।
কমিউনিষ্ট পার্টি অতীতের ভূল থেকে শিক্ষা নিয়ে গত মহাজোট সরকারের সাথে জোট না করে আন্দোলনের সাথে একাত্নতা ঘোষনা করে জলপাই সরকার সহ সকল ডান ও দক্ষিন পন্থীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিল।
কমরেড আব্দুল মতিন যাকে আমরা ভাষা সৈনিক বলে জানি তার কথা আর নাই বা বললাম।
কমরেড খালেক্কুজ্জামান , বাসদের সভাপতি সহ অসংখ্য নেতা/নেত্রী আছে যারা ক্ষমতাশীল পার্টির টোপ গিলে মন্ত্রী-মিনিষ্টার হন নি।
তাই বাংলাদেশের বাম রাজনীতি নিয়ে খুব সরলীকরন মন্তব্য করা মনে হয় ঠিক নয়।বাংলাদেশের বাম পার্টি গুলির মধ্যে ভূল বা বিভেদ থাকতে পারে কিন্তু একথা ভূলে গেলে চলবে না যে এ দেশের হাজার হাজার লাখ লাখ বাম নেতা-কর্মীসহ আপামর জনগনের ( যে জনগনের সংখ্যাগরিষ্ট ঐ বাম নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল ) রক্তের বিনিময়ের কারনেই নতুন দেশ হিসাবে স্বাধীন বাংলাদেশের আত্নপ্রকাশ হয়েছিল।
ধন্যবাদ।
@বন্যা আহমেদ,
:lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@বন্যা আহমেদ,
আমি জয়ের ব্লগ এক সময় ফলো করতাম। রাষ্ট্র এবং তার পরিচালনা নিয়ে ওর চিন্তা বেশ আধুনিক এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে ওর কিছু সাক্ষাতকার প ড়েছি। তাতে ওর আধুনিক দৃষ্টিভংগীটা ভালো লেগেছে।
শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেওয়ার অনেক কারন আছে। আমি শুধু একজন ব্লগার ই নই-ইঞ্জিনিয়ারও বটে। ভারতের কতগুলো ক্রনিক সমস্যা দূর করার জন্যে আমাদের আই আই টি বন্ধুদের একটা ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থাও আছে। সেই সূত্রে আমি এবং আমার বন্ধুরা নানান মন্ত্রীদের সাথে দেখা করে কিছু কাজ করার চেষ্টা শুরু করি। কিছু কাজ হচ্ছে-কিন্ত আমার অভিজ্ঞতা করুন।
ধর দিল্লীতে আমাদের একজন বাঙালী মন্ত্রী এক্স কে বল্লাম, দাদা এটা আই টি দিয়ে ভাল সমাধান আছে- সে সব কিছু মুখে ভাল বলবে। তারপরে সেক্রেটারীর কাছে পাঠাবে-ব্যাস ৬-৮ মাস ফাইলে ঢুকে গেল। একটা সাধারন আইডিয়াকে ঠেলতে মাথা খারাপ হয়। সেখানে জেনোম সিকোয়েন্সিং এর মতন একটা জটিল এবং বৃহৎ প্রজেক্টকে হাসিনা সরকার যেভাবে সরকারি উদ্যোগে এগিয়ে নিয়ে গেছে, তার তুলনা হয় না। দিল্লীতে নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই হাসিনাকে ধন্যবাদ দিলাম।
রাজনীতি না , মানে এই সব সমস্যার জন্যে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান না খুঁজতে। রাজনীতিবিদ না -এই টাইপের কিছু লিখি নি।
সরি-আমার জানা ছিল না। এটা কি ভাবে করতে হয়? মার্ক্সবাদের ব্লগটাকে নিজেদের পেজে সরিয়ে দিচ্ছি।
বিপ্লব পাল,
এ মুহূর্তে আপনার তিনটি লেখা মেইন পেইজে। আমরা একই লেখকের দুটির বেশি লেখা প্রথম পাতায় দেওয়াকে নিরুৎসাহিত করি।
আমাদের নীতিমালা দ্রষ্টব্যঃ
২.১৫। প্রথম পাতায় একই লেখকের দুইটির বেশি লেখা সমীচীন নয়। দুটি লেখা প্রকাশিত হয়ে গেলে লেখককে অপেক্ষা করতে হবে, একটি লেখা যখন প্রথম পাতা থেকে চলে যাবে তখনই কেবল আরেকটি পোস্ট লেখা লেখক পোস্ট করতে পারবেন।
আপনাকে যে কোন একটি লেখা আপনার নিজস্ব ব্লগে সরিয়ে নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
@মুক্তমনা এডমিন,
নিজের পেজে কি করে নিয়ে যেতে হবে? আমি ত মোছা ছারা অপশন দেখছি না।
@বিপ্লব পাল,
ব্লগ খতিয়ানে গিয়ে ভিজিবিলিটি ব্যক্তিগত হিসেবে চয়ন করা যায়। তবে, যেহেতু আপনি ব্যাপারটা জানতেন না বলছেন, সেহেতু বিশেষ বিবেচনায় কোন ধরনের একশন নেয়া হচ্ছে না। আপনার পাটের জিনের উপর লেখাটা জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় প্রথম পাতায় রাখা হচ্ছে।
ভবিষ্যতে নীতিমালার ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন আশা করা হচ্ছে।