যদিও আগে ইসলামে নারীর মর্যাদা নিয়ে আগে একটা নিবন্ধ লিখেছিলাম, পরে মনে হলো এ বিষয়ে বিস্তারিত একটা সিরিজ লেখা খুবই জরুরী যেখানে কোরান হাদিসে উল্লেখিত নারী বিষয়ক সমস্ত বক্তব্যই থাকবে। যাতে করে একজন পাঠক ইসলামে নারীর মর্যাদা সম্পর্কে একটা পরিপূর্ন ধারনা পেতে পারেন। সে লক্ষ্যেই আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।

ইদানিং ধর্মব্যবসায়ী ও তাদের দোসর কিছু ছদ্ম পন্ডিত যেভাবে ইসলামে নারীদের সীমাহীন মান মর্যাদা নিয়ে শোরগোল তুলেছে তার প্রতি উত্তরে আলোচ্য নিবন্ধ। মুক্ত মনা সাইটে যে কেউ যুক্তি সিদ্ধভাবে তার যুক্তি তুলে ধরে বক্তব্য খন্ডন করতে পারে যা ইসলাম পন্থী কোন সাইটে কল্পনাও করা যাবে না। আমি যারা ইসলামে নারীদেরকে সীমাহীন মান মর্যাদা প্রদানের বিষয়ে একশত ভাগ নিশ্চিত, তাদেরকে আহবান জানাব তারা যেন দয়া করে তাদের বক্তব্য মন্তব্য অংশে তুলে ধরেন। তবে উল্লেখ্য, কোন যুক্তি সিদ্ধ বক্তব্য তুলে ধরার সময় যেন অন্য ধর্মের সাথে তুলনা করে কোন কিছু বলা না হয়। তার কারন- ইসলাম অন্য কোন ধর্মকে স্বীকার করে না, তাই যা ইসলাম স্বীকার করে না তার সাথে ইসলামকে তুলনা করা অর্থহীন। এটা একারনে আরও অর্থহীন যে, ইসলামের দাবী- মোহাম্মদ হলো আল্লাহর তথা সৃষ্টি কর্তার প্রেরিত সর্বশেষ তো বটেই সর্বশ্রেষ্ট নবীও আর মোহাম্মদের বর্নিত কোরান হলো আল্লাহর বানী, আর মোহাম্মদের দৈনন্দিন ক্রিয়া কলাপ ও উপদেশের সমাহার হলো হাদিস শরীফ। সুতরাং যৌক্তিক কারনে তাতে কোন ভুল থাকবে না, থাকবে না কোন অসাম্য বা পক্ষপাতিত্ব। যে চারটে হাদিস শরিফকে মুসলমানরা প্রামান্য মনে করে তার মধ্যে বুখারী সবার উপরে অবস্থান করে, তবে মুসলিম, তিরমিজি ও দাউদ শরীফও মুসলমানদের কাছে বুখারী শরীফের মতই গ্রহনযোগ্য। আমি উক্ত চারটি হাদিস শরীফের উদ্ধৃতি সব সময় ব্যবহার করব। যাহোক ইসলামে নারীদের প্রদত্ত মান মর্যাদা নিয়ে আমি আগে লিখেছিলাম এই মুক্ত মনা সাইটেই তবে তা আমার প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল বলে তার মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব ছিল । আর ঠিক একারনেই এ বিষয়ে একটা পরিপুর্ন সিরিজ লেখার তাগিদ অনুভব করলাম। এতে নারীদের প্রতি দেখানো অসম্মানের কথা যেমন থাকবে সাথে সাথে থাকবে যদি কোরান হাদিসের কোথাও নারীদের সম্মান দেখানো হয়ে থাকে তার বর্ননাও। আলোচ্য সিরিজে আমি চেষ্টা করব গোটা কোরান ও হাদিস শরীফে নারী সংক্রান্ত যত উদ্ধৃতি আছে পর্যায়ক্রমে সব গুলো নিয়েই আলোচনা করতে।

আলোচ্য নিবন্ধে মূলত হাদিসের আলোকে নারীর প্রতি প্রদত্ত সম্মানের বর্ননা করা হয়েছে। ইতোপূর্বেকার ইসলামে নারীর মর্যাদা শীর্ষক নিবন্ধে মূলত কোরানের আলোকে নারীর সম্মানের বিষয়টি বর্ননা করা হয়েছিল । মুসলিম তথাকথিত পন্ডিতরা ইসলামে নারীকে সীমাহীন সম্মান প্রদর্শন করেছে বলে প্রচার করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, আজকাল টিভি খুললেই তাদের বিরামহীন প্রচারনা শুনে মনে হয়- সত্যিই ইসলাম না আসলে হয়ত বা দুনিয়ার সব নারীই এতদিন আরার আগের মত দাসী বাদি হয়ে যেত। ভাগ্যিস দুনিয়াতে মোহাম্মদ ইসলাম নিয়ে এসেছিল আর তাই গোটা নারী সমাজ রক্ষা পেয়ে গেছে। তো এবারে দেখা যাক -মোহাম্মদ তার হাদিস শরিফে কি পরিমান মান মর্যাদা নারীদেরকে দান করেছে ।

জয়নাম বিনতে আবু সালামা থেকে বর্নিত, আল্লাহর নবী বলেন- যে নারী আল্লাহ ও শেষ বিচারে বিশ্বাস করে তার পক্ষে বৈধ না কোন মৃতের জন্য তিন দিনের বেশী শোক করা। তবে সে তার স্বামীর জন্য চার মাস দশ দিন শোক করতে পারে। সহী বুখারী, বই-২৩, হাদিস-৩৭০

উক্ত হাদিসে নারীর শোক প্রকাশের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। স্বামী ছাড়াও একজন নারীর পিতা মাতা, ভাই বোন ইত্যাদি খুব নিকটাত্মীয় থাকে। তাদের মধ্যে একজন নারীর খুব বেশী প্রিয় কেউ কেউ থাকতে পারে। যেমন – পিতা বা মাতা বা ভাই বোন। কিন্তু তারা কেউ মারা গেলে পরিমাপ করে মাত্র তিন দিন শোক পালন করা যাবে। শুধুমাত্র স্বামীর জন্য একটু দীর্ঘ মেয়াদে শোক প্রকাশ করা যাবে। মানুষ যখন কোন প্রিয় জনকে হারায়, তখন কি তার শোক প্রকাশ করার বিষয়টা একে বারে দিন ক্ষন মেপে ঠিক করে দেয়া যায় নাকি? বিষয়টা যদি নারী পুরুষ উভয়ের জন্য হতো তাহলেও একটা কথা ছিল কিন্তু না শুধুমাত্র নারীর জন্য। আর এর কারনও আছে। কারনটা হলো যৌনানন্দ উপভোগ। যেহেতু আলোচ্য হাদিসে স্বামীর কথা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা আছে তাই খুব স্পষ্টভাবে বোঝা যায় হাদিসটি বিবাহিত নারীদের উদ্দেশ্যেই বলা। এখন একজন বিবাহিতা নারী যদি খুব বেশীদিন শোকাতুরা থাকে তাহলে তার স্বামী প্রবর তার সাথে যৌনানন্দ উপভোগ করতে পারবে না নিঃসন্দেহে। ইসলামের প্রবর্তক মোহাম্মদ এ ব্যপারে খুব সতর্ক। আল্লাহর কাছ থেকে অবাধ লাইসেন্স নিয়ে তো সবাই তার মতো ডজন খানেক বিয়ে তো আর করতে পারবে না। অধিকাংশ মানুষকে এক স্ত্রী নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আর সে স্ত্রী যদি কোন প্রিয়জনের মৃত্যুতে বেশীদিন শোকাতুরা থাকে তাহলে পুরুষ মানুষটির সমস্যা হয়। সে কথা খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেই মোহাম্মদের এ ধরনের ফতোয়া।

হাম্মাম মুনাব্বি থেকে বর্নিত যা আবু হোরায়রা কর্তৃক অনুমোদিত, আল্লাহর নবী বলেছেন- বাড়ীতে স্বামী উপস্থিৎ থাকা অবস্থায় কোন নারীর তার অনুমতি ব্যতিত রোজা রাখা উচিত না। তার অনুমতি ব্যতিত বাড়ীতে এমন কেউ থাকা উচিত না যারা মাহরাম( পিতা-মাতা, ভাই-বোন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্পর্কিত)। এমনকি স্বামীর অনুমতি ব্যতিত কোন স্ত্রীর কোন সম্পদ ব্যয় করাও উচিত না। সহী বুখারী, বই -৫, হাদিস- ২২৩৮

স্বামী বাড়ীতে থাকা অবস্থায় কেন তার স্ত্রীর রোজা রাখা উচিত নয় তা খুব সহজেই বোধগম্য। রোজা থাকে দিনের বেলায় আর রোজা থাকা অবস্থায় যৌন ক্রিড়া করা নিষেধ। তবে রাতের বেলায় তা করা যায় যা কোরানে বলা হয়েছে। কিন্তু একজন স্বামী রাত দিন যে কোন সময় উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারে। তখন তার দরকার একটা সেক্স ডল, আর তা তো হাতের কাছেই আছে যা তার বিবাহিতা স্ত্রী। সুতরাং স্বামীর যখন তখন মনোরঞ্জনের জন্যই স্ত্রীটির রোজা রাখা চলবে না। এমনকি বাড়ীতে কোন খুব নিকটাত্মীয় রাখাও চলবে না। কারন স্বামী প্রবরটি যৌন উত্তেজিত হয়ে উঠলে বাড়ীতে কোন খুব নিকটাত্মীয় থাকলে , স্ত্রীকে নিয়ে নিরালায় গিয়ে যৌনান্ন্দ করাটা খুব অশোভন দেখায়। মোহাম্মদ এ ব্যপারে খুব সচেতন। তাই তিনি স্বামী গৃহে থাকলে সে গৃহে নিকটাত্মীয়েরও অবস্থান নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। শুধু এ পর্যন্ত হলেও চলত । কিন্তু বিষয়টি এ পর্যন্ত থামে নি। যে স্ত্রীটি তার স্বামীর সংসারে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে গৃহস্থালীর যাবতীয় কাজ করবে, সন্তানাদি লালন পালন করবে, চাহিবামাত্র যখন তখন বিছানায় গিয়ে স্বামী প্রবরের মনোরঞ্জন করবে, তাকে তার স্বাধীন মতো সংসার থেকে নিতান্ত প্রয়োজনেও কোন সম্পদ ব্যয় করতে নিষেধ করা হয়েছে। এতে করে একজন ন্ত্রীকে একটা দাসী বা বাদীর চাইতে কি বেশী মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে ? যখন দাস প্রথা ছিল- তখন একটা দাসী যে সব কাজ করত তার মনিবের জন্য – তা তো ঠিক একটা স্ত্রীর জন্য যেসব কাজ নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে হুবহু একই রকম। কোন পার্থক্য আছে?

জাবির থেকে বর্নিত, আল্লাহর নবী একজন নারীকে দেখলেন এবং সাথে সাথে তিনি তার অন্যতম স্ত্রী জয়নবের কাছে আসলেন যিনি তখন তার ত্বক রঙ করছিলেন এবং তার সাথে যৌনক্রীড়া করলেন। তারপর তিনি তার সাথীদের কাছে ফিরে গেলেন ও তাদের বললেন- স্ত্রীলোকটি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে একটা শযতানের রূপ ধারন করল। তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কাছে সত্ত্বর চলে যাবে যাতে তোমরা তোমাদের মনের চাঞ্চল্যভাব দুর করতে পার। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস- ৩২৪০

আল্লাহর নবী নারী দেখলেই যৌন তাড়িত হয়ে পড়তেন। চিন্তা করা যায় ! কি মহান ব্যক্তি ছিলেন আল্লাহর নবী মোহাম্মদ। উপরের হাদিসটির বর্ননা দেখুন কি সহজ সরল আর কি সরল তার স্বীকারোক্তি। রাস্তায় একটা সুন্দরী নারী দেখামাত্র মোহাম্মদ উত্তেজিত হয়ে পড়লেন আর সাথে সাথে ঘরে গিয়ে তার স্ত্রী জয়নবের সাথে যৌনমিলন করলেন ও ঠান্ডা হলেন। তখন জয়নব একটা কাজে ব্যস্ত ছিল, কিন্তু কিসের কাজ? তার স্বামী তখন উত্তেজিত , সুতরাং সব কাজ ফেলে তাকে তার স্বামীকে আগে ঠান্ডা করতে হবে। আর সেটাই হলো একজন স্ত্রীর প্রধানতম কাজ। আর এর পরেই মোহাম্মদ নারীকে শয়তানের সাথে তুলনা করছেন। যে নারী তার চাওয়া মাত্রই যৌন কামনা মিটাচ্ছে সে জাতিটাকেই আবার তিনি শয়তান বলে আখ্যায়িত করছেন। নারীকে একই সাথে যৌন পুতুল ও শয়তান হিসাবে বর্ননা করা হচ্ছে এখানে। এটা কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের কথা হতে পারে ? একই সাথে পুরুষ মানুষকে চিহ্নিত করা হচ্ছে শুধুমাত্র যৌনবিকৃত হিসাবে কারন নিশ্চিত ভাবেই ধরে নেয়া হচ্ছে যে কোন পুরুষ যদি রাস্তায় বেরিয়ে কোন নারীকে দেখে সে যৌন উত্তেজিত হয়ে পড়বে ও তাকে সাথে সাথে বাড়ীতে এসে তার স্ত্রীর সাথে কাম কেলী করে ঠান্ডা হতে হবে। হতে পারে আমরা যারা মানুষ আমাদের কাছে যৌনতা আনন্দ উপভোগের অন্যতম মাধ্যম, কিন্তু তাই বলে রাস্তা ঘাটে নারী দেখলেই আমরা একে বারে পাঠা ছাগলের মত উত্তেজিত হয়ে যাব আর সাথে সাথে আমাদেরকে দৌড়ে এসে স্ত্রীর সাথে কামকেলী করতে হবে- এটা তো মানুষ হিসাবে এক চুড়ান্ত অপমান। আমাদের ভদ্রতাবোধ, সৌজন্যবোধ, শিষ্টাচার ইত্যাদি সভ্যতার যে সব উপাদান আছে তার প্রতি যদি আস্থা স্থাপন করে সুস্থ সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে না পারি তাহলে আমরা কিসের মানুষ? আল্লাহ আর তার নবী মোহাম্মদ কি গোটা পুরুষ জাতটাকে শুধুমাত্র যৌনবিকারগ্রস্থ দ্বিপদী প্রানী মনে করতেন নাকি ? অবশ্য তা করলে তার কোন দোষ দেখি না , কারন রাস্তায় একটা সুন্দরী নারী দেখার পর তিনি যেভাবে দৌড়ে বাসায় গিয়ে তার বিবি জয়নাবের সাথে যৌনমিলনে মত্ত হলেন তা জেনে যে কেউ তাকে অতিমাত্রায় কামুক ব্যক্তি মনে করলে কি তাকে খুব একটা দোষ দেয়া যায় ? এটা আরও প্রমান করে যে , নবী সম্পর্কে আমরা যে অতিরঞ্জিত যে বিশেষন শুনি যে তিনি নিজেকে সব সময় নিয়ন্ত্রন করতে পারেন , এ হাদিস দেখে তো তা মনে হচ্ছে না।

আব্দুল্লাহ মাসুদ থেকে বর্নিত, আমরা একবার আল্লাহর নবীর সাথে অভিযানে বের হয়েছিলাম ও আমাদের সাথে কোন নারী ছিল না। তখন আমরা বললাম- আমাদের কি খোজা (নপুংষক) হয়ে যাওয়া উচিৎ নয় ? তখন তিনি আমাদের তা করতে নিষেধ করলেন ও স্বল্প সময়ের জন্য কোন মেয়েকে কিছু উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে বিযে করার জন্য অনুমতি দিলেন। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস-৩২৪৩

আলোচ্য হাদিসটিতে হিল্লা বিয়ে করার জন্য মোহাম্মদ অনুমতি দিচ্ছেন। ইসলামের পন্ডিতরা খুব জোরে শোরে দাবি করে ইসলাম নাকি গনিকা বৃত্তি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। যে ধর্ম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যৌন লালসার প্রতি মানুষকে বিশেষত পুরুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মরার পর বেহেস্তে সত্তরটা চির যৌবনা হুরদের সাথে যৌনানন্দ উপভোগ করার লোভ দেখায়, যে ধর্মের প্রবর্তক মোহাম্মদ যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য একের পর এক বিয়ে করে গেছেন, তার এ বাধা বন্ধনহীন বিয়ের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে পর্যন্ত অবাধ লাইসেন্স পর্যন্ত নিয়েছেন- সে ধর্মে গনিকা বৃত্তি নিষিদ্ধ করে দেয়া হবে এটা ছিল স্বপ্নাতীত ব্যপার। আর বলা বাহুল্য, সাময়িক বিয়ের নামে তা চালু করা হলো , ভাবখানা যেন এই যে তা আর গনিকাবৃত্তি থাকল না। দু এক দিনের জন্য কিছু উপঢৌকনের বিনিময়ে শুধু মাত্র যৌনানন্দ উপভোগ করার জন্য বিযে করা কি গনিকা বৃত্তি নয়? উপরোক্ত হাদিস থেকে আরও একটা বিষয় বেশ পরিস্কার হয়ে যায় আর তা হলো – নবীর আমলেই তার সাঙ্গ পাঙ্গরা সব যে যৌন বিকার গ্রস্থ হয়ে পড়েছিল বা ছিল ,তা কিন্তু হাদিসের অত্যন্ত সহজ সরল বর্ননার মধ্যেই পরিস্ফুটিত। তারা সবাই যাচ্ছে যুদ্ধ করতে, তাতে বড়জোর এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। কারন যে সমযের কথা বলা হচ্ছে তখন মোহাম্মদ মূলত মদিনার আশে পাশের ছোট ছোট গোষ্ঠী আক্রমন করে তাদের ধন সম্পদ লুঠ করে বেড়াতেন আর তাতে সময় বেশী লাগত না। সেগুলো এমন যুদ্ধ ছিল না যে একটা দেশ জয় করে তার ওপর স্থায়ী উপনিবেশ স্থাপন করতে সেখানে দীঘদিন অবস্থান করতে হতো। তাই তাতে সাধারনত এক দুই থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত লাগত। কিন্তু এই সময়ের জন্যও মোহাম্মদের সাঙ্গ পাঙ্গরা যৌন কেলী থেকে নিজেদের বিরত রাখার মত সংযম পালন করতে পারত না। আর পারবেই বা কি কবে, খোদ তাদের আল্লাহর নবী যেখানে বিভিন্ন অভিযানে তার বিভিন্ন বিবি নিয়ে যেতেন একই উদ্দেশ্যে , সেখানে তার অনুসারীরা সংযম পালন করবে কোন দুঃখে? আর তাই অবধারিত ভাবেই হিল্লা বিয়ের নামে গনিকা বৃত্তিকে বৈধ করে দেয়া হয়। তবে এ হাদিস টি থেকে আর একটা জিনিসও বেশ পরিষ্কার, তা হলো- আল্লাহর নবী যে সত্যিকার অর্থেই সেই আরব বেদুইনদেরকে সম্মোহিত করে ফেলেছিল তা বেশ বোঝা যায় কারন তারা নবীর সন্তুষ্টির জন্য খোজা বা নপুংসক পর্যন্ত হতে চেয়েছিল।

আবু হোরায়রা থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূলকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- একটা নারীকে চার কারনে বিয়ে করা যাবে – তার ধন সম্পদ, মর্যাদা, সৌন্দর্য ও ধর্ম। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস-৪৩৫৭

উপরোক্ত হাদিসে নারী সম্পর্কে মোহাম্মদের অত্যন্ত পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গী ফুটে উঠেছে। দেখেন এখানে নারীর বুদ্ধিমত্তার কোন স্থান নেই। অর্থাৎ মোহাম্মদ ধরেই নিয়েছেন- নারীদের কোন বুদ্ধি সুদ্ধি নেই। আর তাদের বুদ্ধি সুদ্ধির দরকারও নেই। মোহাম্মদের কাছে নারী মুলত একটি যৌন পুতুল ছাড়া আর কিছু নয়। এ ধরনের একটি পুতুলের আবার বুদ্ধির দরকার কিসের? নারীর বুদ্ধি থাকলে তো বরং ঝামেলা। তখন আর সে তার স্বামীর সব কথায় না বুঝে সায় দেবে না, যখন তখন তাকে ডাকলে সে বিছানায় গিয়ে স্বামীর মনোরঞ্জন করবে না। তাই মোহাম্মদের কাছে আদর্শ নারী হলো-বুদ্ধিহীন নির্বোধ নারী যার কিছু পৈত্রিক সম্পদ থাকবে, ভাল বংশের হবে, দেখতে শুনতে সুন্দরী ও আকর্ষনীয়া হবে এবং বিনা প্রশ্নে আল্লাহ ও তার বিয়ে পাগল নবী মোহাম্মদের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবে।