যদিও আগে ইসলামে নারীর মর্যাদা নিয়ে আগে একটা নিবন্ধ লিখেছিলাম, পরে মনে হলো এ বিষয়ে বিস্তারিত একটা সিরিজ লেখা খুবই জরুরী যেখানে কোরান হাদিসে উল্লেখিত নারী বিষয়ক সমস্ত বক্তব্যই থাকবে। যাতে করে একজন পাঠক ইসলামে নারীর মর্যাদা সম্পর্কে একটা পরিপূর্ন ধারনা পেতে পারেন। সে লক্ষ্যেই আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।
ইদানিং ধর্মব্যবসায়ী ও তাদের দোসর কিছু ছদ্ম পন্ডিত যেভাবে ইসলামে নারীদের সীমাহীন মান মর্যাদা নিয়ে শোরগোল তুলেছে তার প্রতি উত্তরে আলোচ্য নিবন্ধ। মুক্ত মনা সাইটে যে কেউ যুক্তি সিদ্ধভাবে তার যুক্তি তুলে ধরে বক্তব্য খন্ডন করতে পারে যা ইসলাম পন্থী কোন সাইটে কল্পনাও করা যাবে না। আমি যারা ইসলামে নারীদেরকে সীমাহীন মান মর্যাদা প্রদানের বিষয়ে একশত ভাগ নিশ্চিত, তাদেরকে আহবান জানাব তারা যেন দয়া করে তাদের বক্তব্য মন্তব্য অংশে তুলে ধরেন। তবে উল্লেখ্য, কোন যুক্তি সিদ্ধ বক্তব্য তুলে ধরার সময় যেন অন্য ধর্মের সাথে তুলনা করে কোন কিছু বলা না হয়। তার কারন- ইসলাম অন্য কোন ধর্মকে স্বীকার করে না, তাই যা ইসলাম স্বীকার করে না তার সাথে ইসলামকে তুলনা করা অর্থহীন। এটা একারনে আরও অর্থহীন যে, ইসলামের দাবী- মোহাম্মদ হলো আল্লাহর তথা সৃষ্টি কর্তার প্রেরিত সর্বশেষ তো বটেই সর্বশ্রেষ্ট নবীও আর মোহাম্মদের বর্নিত কোরান হলো আল্লাহর বানী, আর মোহাম্মদের দৈনন্দিন ক্রিয়া কলাপ ও উপদেশের সমাহার হলো হাদিস শরীফ। সুতরাং যৌক্তিক কারনে তাতে কোন ভুল থাকবে না, থাকবে না কোন অসাম্য বা পক্ষপাতিত্ব। যে চারটে হাদিস শরিফকে মুসলমানরা প্রামান্য মনে করে তার মধ্যে বুখারী সবার উপরে অবস্থান করে, তবে মুসলিম, তিরমিজি ও দাউদ শরীফও মুসলমানদের কাছে বুখারী শরীফের মতই গ্রহনযোগ্য। আমি উক্ত চারটি হাদিস শরীফের উদ্ধৃতি সব সময় ব্যবহার করব। যাহোক ইসলামে নারীদের প্রদত্ত মান মর্যাদা নিয়ে আমি আগে লিখেছিলাম এই মুক্ত মনা সাইটেই তবে তা আমার প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল বলে তার মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব ছিল । আর ঠিক একারনেই এ বিষয়ে একটা পরিপুর্ন সিরিজ লেখার তাগিদ অনুভব করলাম। এতে নারীদের প্রতি দেখানো অসম্মানের কথা যেমন থাকবে সাথে সাথে থাকবে যদি কোরান হাদিসের কোথাও নারীদের সম্মান দেখানো হয়ে থাকে তার বর্ননাও। আলোচ্য সিরিজে আমি চেষ্টা করব গোটা কোরান ও হাদিস শরীফে নারী সংক্রান্ত যত উদ্ধৃতি আছে পর্যায়ক্রমে সব গুলো নিয়েই আলোচনা করতে।
আলোচ্য নিবন্ধে মূলত হাদিসের আলোকে নারীর প্রতি প্রদত্ত সম্মানের বর্ননা করা হয়েছে। ইতোপূর্বেকার ইসলামে নারীর মর্যাদা শীর্ষক নিবন্ধে মূলত কোরানের আলোকে নারীর সম্মানের বিষয়টি বর্ননা করা হয়েছিল । মুসলিম তথাকথিত পন্ডিতরা ইসলামে নারীকে সীমাহীন সম্মান প্রদর্শন করেছে বলে প্রচার করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, আজকাল টিভি খুললেই তাদের বিরামহীন প্রচারনা শুনে মনে হয়- সত্যিই ইসলাম না আসলে হয়ত বা দুনিয়ার সব নারীই এতদিন আরার আগের মত দাসী বাদি হয়ে যেত। ভাগ্যিস দুনিয়াতে মোহাম্মদ ইসলাম নিয়ে এসেছিল আর তাই গোটা নারী সমাজ রক্ষা পেয়ে গেছে। তো এবারে দেখা যাক -মোহাম্মদ তার হাদিস শরিফে কি পরিমান মান মর্যাদা নারীদেরকে দান করেছে ।
জয়নাম বিনতে আবু সালামা থেকে বর্নিত, আল্লাহর নবী বলেন- যে নারী আল্লাহ ও শেষ বিচারে বিশ্বাস করে তার পক্ষে বৈধ না কোন মৃতের জন্য তিন দিনের বেশী শোক করা। তবে সে তার স্বামীর জন্য চার মাস দশ দিন শোক করতে পারে। সহী বুখারী, বই-২৩, হাদিস-৩৭০
উক্ত হাদিসে নারীর শোক প্রকাশের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। স্বামী ছাড়াও একজন নারীর পিতা মাতা, ভাই বোন ইত্যাদি খুব নিকটাত্মীয় থাকে। তাদের মধ্যে একজন নারীর খুব বেশী প্রিয় কেউ কেউ থাকতে পারে। যেমন – পিতা বা মাতা বা ভাই বোন। কিন্তু তারা কেউ মারা গেলে পরিমাপ করে মাত্র তিন দিন শোক পালন করা যাবে। শুধুমাত্র স্বামীর জন্য একটু দীর্ঘ মেয়াদে শোক প্রকাশ করা যাবে। মানুষ যখন কোন প্রিয় জনকে হারায়, তখন কি তার শোক প্রকাশ করার বিষয়টা একে বারে দিন ক্ষন মেপে ঠিক করে দেয়া যায় নাকি? বিষয়টা যদি নারী পুরুষ উভয়ের জন্য হতো তাহলেও একটা কথা ছিল কিন্তু না শুধুমাত্র নারীর জন্য। আর এর কারনও আছে। কারনটা হলো যৌনানন্দ উপভোগ। যেহেতু আলোচ্য হাদিসে স্বামীর কথা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা আছে তাই খুব স্পষ্টভাবে বোঝা যায় হাদিসটি বিবাহিত নারীদের উদ্দেশ্যেই বলা। এখন একজন বিবাহিতা নারী যদি খুব বেশীদিন শোকাতুরা থাকে তাহলে তার স্বামী প্রবর তার সাথে যৌনানন্দ উপভোগ করতে পারবে না নিঃসন্দেহে। ইসলামের প্রবর্তক মোহাম্মদ এ ব্যপারে খুব সতর্ক। আল্লাহর কাছ থেকে অবাধ লাইসেন্স নিয়ে তো সবাই তার মতো ডজন খানেক বিয়ে তো আর করতে পারবে না। অধিকাংশ মানুষকে এক স্ত্রী নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আর সে স্ত্রী যদি কোন প্রিয়জনের মৃত্যুতে বেশীদিন শোকাতুরা থাকে তাহলে পুরুষ মানুষটির সমস্যা হয়। সে কথা খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেই মোহাম্মদের এ ধরনের ফতোয়া।
হাম্মাম মুনাব্বি থেকে বর্নিত যা আবু হোরায়রা কর্তৃক অনুমোদিত, আল্লাহর নবী বলেছেন- বাড়ীতে স্বামী উপস্থিৎ থাকা অবস্থায় কোন নারীর তার অনুমতি ব্যতিত রোজা রাখা উচিত না। তার অনুমতি ব্যতিত বাড়ীতে এমন কেউ থাকা উচিত না যারা মাহরাম( পিতা-মাতা, ভাই-বোন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্পর্কিত)। এমনকি স্বামীর অনুমতি ব্যতিত কোন স্ত্রীর কোন সম্পদ ব্যয় করাও উচিত না। সহী বুখারী, বই -৫, হাদিস- ২২৩৮
স্বামী বাড়ীতে থাকা অবস্থায় কেন তার স্ত্রীর রোজা রাখা উচিত নয় তা খুব সহজেই বোধগম্য। রোজা থাকে দিনের বেলায় আর রোজা থাকা অবস্থায় যৌন ক্রিড়া করা নিষেধ। তবে রাতের বেলায় তা করা যায় যা কোরানে বলা হয়েছে। কিন্তু একজন স্বামী রাত দিন যে কোন সময় উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারে। তখন তার দরকার একটা সেক্স ডল, আর তা তো হাতের কাছেই আছে যা তার বিবাহিতা স্ত্রী। সুতরাং স্বামীর যখন তখন মনোরঞ্জনের জন্যই স্ত্রীটির রোজা রাখা চলবে না। এমনকি বাড়ীতে কোন খুব নিকটাত্মীয় রাখাও চলবে না। কারন স্বামী প্রবরটি যৌন উত্তেজিত হয়ে উঠলে বাড়ীতে কোন খুব নিকটাত্মীয় থাকলে , স্ত্রীকে নিয়ে নিরালায় গিয়ে যৌনান্ন্দ করাটা খুব অশোভন দেখায়। মোহাম্মদ এ ব্যপারে খুব সচেতন। তাই তিনি স্বামী গৃহে থাকলে সে গৃহে নিকটাত্মীয়েরও অবস্থান নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। শুধু এ পর্যন্ত হলেও চলত । কিন্তু বিষয়টি এ পর্যন্ত থামে নি। যে স্ত্রীটি তার স্বামীর সংসারে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে গৃহস্থালীর যাবতীয় কাজ করবে, সন্তানাদি লালন পালন করবে, চাহিবামাত্র যখন তখন বিছানায় গিয়ে স্বামী প্রবরের মনোরঞ্জন করবে, তাকে তার স্বাধীন মতো সংসার থেকে নিতান্ত প্রয়োজনেও কোন সম্পদ ব্যয় করতে নিষেধ করা হয়েছে। এতে করে একজন ন্ত্রীকে একটা দাসী বা বাদীর চাইতে কি বেশী মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে ? যখন দাস প্রথা ছিল- তখন একটা দাসী যে সব কাজ করত তার মনিবের জন্য – তা তো ঠিক একটা স্ত্রীর জন্য যেসব কাজ নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে হুবহু একই রকম। কোন পার্থক্য আছে?
জাবির থেকে বর্নিত, আল্লাহর নবী একজন নারীকে দেখলেন এবং সাথে সাথে তিনি তার অন্যতম স্ত্রী জয়নবের কাছে আসলেন যিনি তখন তার ত্বক রঙ করছিলেন এবং তার সাথে যৌনক্রীড়া করলেন। তারপর তিনি তার সাথীদের কাছে ফিরে গেলেন ও তাদের বললেন- স্ত্রীলোকটি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে একটা শযতানের রূপ ধারন করল। তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কাছে সত্ত্বর চলে যাবে যাতে তোমরা তোমাদের মনের চাঞ্চল্যভাব দুর করতে পার। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস- ৩২৪০
আল্লাহর নবী নারী দেখলেই যৌন তাড়িত হয়ে পড়তেন। চিন্তা করা যায় ! কি মহান ব্যক্তি ছিলেন আল্লাহর নবী মোহাম্মদ। উপরের হাদিসটির বর্ননা দেখুন কি সহজ সরল আর কি সরল তার স্বীকারোক্তি। রাস্তায় একটা সুন্দরী নারী দেখামাত্র মোহাম্মদ উত্তেজিত হয়ে পড়লেন আর সাথে সাথে ঘরে গিয়ে তার স্ত্রী জয়নবের সাথে যৌনমিলন করলেন ও ঠান্ডা হলেন। তখন জয়নব একটা কাজে ব্যস্ত ছিল, কিন্তু কিসের কাজ? তার স্বামী তখন উত্তেজিত , সুতরাং সব কাজ ফেলে তাকে তার স্বামীকে আগে ঠান্ডা করতে হবে। আর সেটাই হলো একজন স্ত্রীর প্রধানতম কাজ। আর এর পরেই মোহাম্মদ নারীকে শয়তানের সাথে তুলনা করছেন। যে নারী তার চাওয়া মাত্রই যৌন কামনা মিটাচ্ছে সে জাতিটাকেই আবার তিনি শয়তান বলে আখ্যায়িত করছেন। নারীকে একই সাথে যৌন পুতুল ও শয়তান হিসাবে বর্ননা করা হচ্ছে এখানে। এটা কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের কথা হতে পারে ? একই সাথে পুরুষ মানুষকে চিহ্নিত করা হচ্ছে শুধুমাত্র যৌনবিকৃত হিসাবে কারন নিশ্চিত ভাবেই ধরে নেয়া হচ্ছে যে কোন পুরুষ যদি রাস্তায় বেরিয়ে কোন নারীকে দেখে সে যৌন উত্তেজিত হয়ে পড়বে ও তাকে সাথে সাথে বাড়ীতে এসে তার স্ত্রীর সাথে কাম কেলী করে ঠান্ডা হতে হবে। হতে পারে আমরা যারা মানুষ আমাদের কাছে যৌনতা আনন্দ উপভোগের অন্যতম মাধ্যম, কিন্তু তাই বলে রাস্তা ঘাটে নারী দেখলেই আমরা একে বারে পাঠা ছাগলের মত উত্তেজিত হয়ে যাব আর সাথে সাথে আমাদেরকে দৌড়ে এসে স্ত্রীর সাথে কামকেলী করতে হবে- এটা তো মানুষ হিসাবে এক চুড়ান্ত অপমান। আমাদের ভদ্রতাবোধ, সৌজন্যবোধ, শিষ্টাচার ইত্যাদি সভ্যতার যে সব উপাদান আছে তার প্রতি যদি আস্থা স্থাপন করে সুস্থ সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে না পারি তাহলে আমরা কিসের মানুষ? আল্লাহ আর তার নবী মোহাম্মদ কি গোটা পুরুষ জাতটাকে শুধুমাত্র যৌনবিকারগ্রস্থ দ্বিপদী প্রানী মনে করতেন নাকি ? অবশ্য তা করলে তার কোন দোষ দেখি না , কারন রাস্তায় একটা সুন্দরী নারী দেখার পর তিনি যেভাবে দৌড়ে বাসায় গিয়ে তার বিবি জয়নাবের সাথে যৌনমিলনে মত্ত হলেন তা জেনে যে কেউ তাকে অতিমাত্রায় কামুক ব্যক্তি মনে করলে কি তাকে খুব একটা দোষ দেয়া যায় ? এটা আরও প্রমান করে যে , নবী সম্পর্কে আমরা যে অতিরঞ্জিত যে বিশেষন শুনি যে তিনি নিজেকে সব সময় নিয়ন্ত্রন করতে পারেন , এ হাদিস দেখে তো তা মনে হচ্ছে না।
আব্দুল্লাহ মাসুদ থেকে বর্নিত, আমরা একবার আল্লাহর নবীর সাথে অভিযানে বের হয়েছিলাম ও আমাদের সাথে কোন নারী ছিল না। তখন আমরা বললাম- আমাদের কি খোজা (নপুংষক) হয়ে যাওয়া উচিৎ নয় ? তখন তিনি আমাদের তা করতে নিষেধ করলেন ও স্বল্প সময়ের জন্য কোন মেয়েকে কিছু উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে বিযে করার জন্য অনুমতি দিলেন। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস-৩২৪৩
আলোচ্য হাদিসটিতে হিল্লা বিয়ে করার জন্য মোহাম্মদ অনুমতি দিচ্ছেন। ইসলামের পন্ডিতরা খুব জোরে শোরে দাবি করে ইসলাম নাকি গনিকা বৃত্তি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। যে ধর্ম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যৌন লালসার প্রতি মানুষকে বিশেষত পুরুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মরার পর বেহেস্তে সত্তরটা চির যৌবনা হুরদের সাথে যৌনানন্দ উপভোগ করার লোভ দেখায়, যে ধর্মের প্রবর্তক মোহাম্মদ যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য একের পর এক বিয়ে করে গেছেন, তার এ বাধা বন্ধনহীন বিয়ের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে পর্যন্ত অবাধ লাইসেন্স পর্যন্ত নিয়েছেন- সে ধর্মে গনিকা বৃত্তি নিষিদ্ধ করে দেয়া হবে এটা ছিল স্বপ্নাতীত ব্যপার। আর বলা বাহুল্য, সাময়িক বিয়ের নামে তা চালু করা হলো , ভাবখানা যেন এই যে তা আর গনিকাবৃত্তি থাকল না। দু এক দিনের জন্য কিছু উপঢৌকনের বিনিময়ে শুধু মাত্র যৌনানন্দ উপভোগ করার জন্য বিযে করা কি গনিকা বৃত্তি নয়? উপরোক্ত হাদিস থেকে আরও একটা বিষয় বেশ পরিস্কার হয়ে যায় আর তা হলো – নবীর আমলেই তার সাঙ্গ পাঙ্গরা সব যে যৌন বিকার গ্রস্থ হয়ে পড়েছিল বা ছিল ,তা কিন্তু হাদিসের অত্যন্ত সহজ সরল বর্ননার মধ্যেই পরিস্ফুটিত। তারা সবাই যাচ্ছে যুদ্ধ করতে, তাতে বড়জোর এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। কারন যে সমযের কথা বলা হচ্ছে তখন মোহাম্মদ মূলত মদিনার আশে পাশের ছোট ছোট গোষ্ঠী আক্রমন করে তাদের ধন সম্পদ লুঠ করে বেড়াতেন আর তাতে সময় বেশী লাগত না। সেগুলো এমন যুদ্ধ ছিল না যে একটা দেশ জয় করে তার ওপর স্থায়ী উপনিবেশ স্থাপন করতে সেখানে দীঘদিন অবস্থান করতে হতো। তাই তাতে সাধারনত এক দুই থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত লাগত। কিন্তু এই সময়ের জন্যও মোহাম্মদের সাঙ্গ পাঙ্গরা যৌন কেলী থেকে নিজেদের বিরত রাখার মত সংযম পালন করতে পারত না। আর পারবেই বা কি কবে, খোদ তাদের আল্লাহর নবী যেখানে বিভিন্ন অভিযানে তার বিভিন্ন বিবি নিয়ে যেতেন একই উদ্দেশ্যে , সেখানে তার অনুসারীরা সংযম পালন করবে কোন দুঃখে? আর তাই অবধারিত ভাবেই হিল্লা বিয়ের নামে গনিকা বৃত্তিকে বৈধ করে দেয়া হয়। তবে এ হাদিস টি থেকে আর একটা জিনিসও বেশ পরিষ্কার, তা হলো- আল্লাহর নবী যে সত্যিকার অর্থেই সেই আরব বেদুইনদেরকে সম্মোহিত করে ফেলেছিল তা বেশ বোঝা যায় কারন তারা নবীর সন্তুষ্টির জন্য খোজা বা নপুংসক পর্যন্ত হতে চেয়েছিল।
আবু হোরায়রা থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূলকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- একটা নারীকে চার কারনে বিয়ে করা যাবে – তার ধন সম্পদ, মর্যাদা, সৌন্দর্য ও ধর্ম। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস-৪৩৫৭
উপরোক্ত হাদিসে নারী সম্পর্কে মোহাম্মদের অত্যন্ত পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গী ফুটে উঠেছে। দেখেন এখানে নারীর বুদ্ধিমত্তার কোন স্থান নেই। অর্থাৎ মোহাম্মদ ধরেই নিয়েছেন- নারীদের কোন বুদ্ধি সুদ্ধি নেই। আর তাদের বুদ্ধি সুদ্ধির দরকারও নেই। মোহাম্মদের কাছে নারী মুলত একটি যৌন পুতুল ছাড়া আর কিছু নয়। এ ধরনের একটি পুতুলের আবার বুদ্ধির দরকার কিসের? নারীর বুদ্ধি থাকলে তো বরং ঝামেলা। তখন আর সে তার স্বামীর সব কথায় না বুঝে সায় দেবে না, যখন তখন তাকে ডাকলে সে বিছানায় গিয়ে স্বামীর মনোরঞ্জন করবে না। তাই মোহাম্মদের কাছে আদর্শ নারী হলো-বুদ্ধিহীন নির্বোধ নারী যার কিছু পৈত্রিক সম্পদ থাকবে, ভাল বংশের হবে, দেখতে শুনতে সুন্দরী ও আকর্ষনীয়া হবে এবং বিনা প্রশ্নে আল্লাহ ও তার বিয়ে পাগল নবী মোহাম্মদের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবে।
আবার জানাচ্ছি, এখানে বাংলায় মন্তব্য করতে হবে। ইংরেজি বর্ণমালা ব্যবহার করে বাংলা মন্তব্য গ্রহণ করা হয় না বলে তা মুছে দেওয়া হলো। এমন হলে পরবর্তীতে আপনাকে উত্তর দেওয়া হবে না।
হাদিস এর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য ঃ
বন্যরা বনে,শিশুরা মায়ের কোলে , আর মেয়েরা রান্নাঘরে। (P) [img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/plugins/smilies-themer/kopete/camera.png[/img][img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/plugins/smilies-themer/kopete/camera.png[/img][img](P) [img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/plugins/smilies-themer/kopete/camera.png[/img][img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/plugins/smilies-themer/kopete/camera.png[/img][/img]
এখানে বাংলায় মন্তব্য করতে হবে। ইংরেজি বর্ণমালা ব্যবহার করে বাংলা মন্তব্য গ্রহণ করা হয় না বলে তা মুছে দেওয়া হলো।
এখানে উত্তর পেতে পারেন
@ইমেজ,
http://www.youtube.com/watch?v=yG8l9LQAK1o
@ লেখক,
প্রতিটা লেখাই আঃপাত দৃষ্টিতে ভাল, যৌক্তিক এবং আরও অনেক কিছুই…
কিন্তু টিভি এড এর ১% কম এর মতো হওয়ায় পুরোটাই কেমন যেন লবন ছাড়া তরকারির মত মনে হচ্ছে।
(আগেই বলে দিচ্ছি, আমি মাঝখানে থেকেই এগুলা বিচার করছি। আমি কোন দলের হয়ে লিখছি না।)
বিস্তারিত বলার মতো সময় হবে না, তারপরেও খুব শর্ট-এ কিছু কথা বলে যাই।
প্রথমত,
আমাদের সমাজে যারা ইসলাম প্র্যাকটিস করে তাদের প্রায় ৯৯% এরও বেশির বয়স সীমা প্রান্তিক পর্যায়ে থাকে। যাদের মাঝে কিছু থাকে শেষ বয়সে ধর্ম-কর্ম করে বেহেশত পাওয়ার আশায়, অন্যরা থাকে সারা জীবন যেসব কু-কর্ম করে এসছে এগুলো ধর্মের আবরনে আরও বেশি করে করা যাবে এই আশায়। এ জন্য আপনি যখন মসজিদে ঢুকবেন তখন নিয়মিত নামাজিদের মধ্যে বুড়ো দের সংখাই যুবকদের থেকে বেশি দেখবেন। আবার অন্যদিকে, মসজিদ কমিটির গভার্নিং বডিতে সমাজের এমন কিছু ব্যাক্তিরা থাকে যারা সারা জীবন আকাম-কুকাম করে মোটামুটি ভালই কাল টাকার সম্পদ গরেছে, এবং তাই এই (ধর্মের দৃষ্টিতে হারাম) কাল টাকা সাদা করে সমাজের কাছে ভাল ও নিজের অপকর্ম আরো জোরালো ভাবে পরিচালনা করার জন্য মসজিদে কিছু মোটা অংকের টাকা দান করে অথবা নিজেই মসজিদ দিয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ত,
এই জাতীয় মসজিদ কমিটি তাদের মসজিদে এমন কিছু ইমাম ও খতীব নিজুক্ত করে যারা এক কথায় কমিটির কথায় উঠে আর বসে। তা চকুরি যাবার ভয়েই হোক বা অধিক মাইনে পাবার আশায়ই হোক, আমাদের মহান মহান হুজুরগনেরা শতাব্দিরও বেশি সময় থেকে এ জাতীয় কর্ম করে আসছেন খুবই দক্ষতার সাথে। এই নাম সর্বস্ব আলেমরা ভালো মানুষের ছদ্মবেশ ধারন কারি বদমাইশ গুলার just মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে। তারা নানাভাবে কমিটিতে থাকা ও সমাজে থাকা অর্থনৈতিক এলিট দের (ধর্মের দৃষ্টিতে হারাম) কাজ কর্মকে হালাল করার মাসালা-মাসায়েল বের করায় ব্যস্ত থাকে।
তৃতীয়ত,
এই সমস্ত মসজিদ গুলায় যেসব মাওলানা ইত্যাদি নিয়োগ দেয়া হয় এদের মধ্যে প্রায় সবাই কওমি মাদ্রাসা পাস। আর, আপনি যদি এইসব মাদ্রাসার সিলেবাস গুলা দেখেন তাহলে এগুলো শ্রেফ আরবী গ্রামার বাদে আর কিছুই না। এখানে ক্লাস ওয়ান থেকে নিয়ে ১২ ক্লাস পর্যন্ত যা পরানো হয়, এতে না আছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের কোন খবর? science বিষয়ক তথ্য? না আছে নুন্যতম কোন mathematical term যা বাস্তব সমাজের সাথে সামঞ্জস্য। তাও আবার এখানে আরবী ব্যাকরন শেখায় এতো জটিলতা শুনলে অবাক হতে হয়। যেমন, আপনি শিখবেন আরবী ভাষা, এখন আপনাকে প্রথমে ফারসি শিখতে হবে then ফারসী থেকে আপনাকে আরবী শিখতে হবে। অর্থাৎ বাংলা থেকে ইংরেজি শিখতে হলে আগে ফ্রেঞ্চ শিখে তারপর ফ্রেঞ্চ ভাষা দিয়ে ইংরেজি। (ফাইজলামি আর কাকে বলে…)
যাইহোক, এহেন এক বদ্ধ কূয়া থেকে উঠে এসে (নিছক একটা ভাষার উপর জ্ঞ্যান নিয়ে) যেভাবে এরা মানব জীবনের, সমাজ জীবনের, রাষ্ট্রিয়,অর্থনৈতিক ইত্যাদি বিষয়ক (ধর্মভিত্তিক) লম্বা-চওড়া বয়ান দেয়া শুরু করে তা যে সমাজে কি পরিমান উন্নতি(!) বয়ে আনবে তা বোঝাই যায়। এরা যেভাবে পারে, কিছু যোগ বা বিয়োগ করে হোক, সত্য বা মিথ্যা হোক, ধর্মে থাকুক বা না থাকুক, কোন প্রকৃত দলীল থাকা সত্যেও ভুয়া/ভিত্তিহীন কোন কাহিনী তৈরি করে হোক এরা ধর্মকে present করে।
এখন এদের এই কূপমন্ডুকতার শিকার হয় কচি মানব মন, যারা জীবন দর্ষনের অনেক প্যাঁচই বুঝতে শিখে নাই। মূল বলির পাঠা হয় এরাই। হয় এরা প্রচন্ড ধার্মিক হয়ে (স্বরেঅ)ধার্মিক কাজ শুরু করে। আর না হয়, ধর্মের প্রতি অভক্তি জমে নাস্তিকতার খাতায় নাম লেখায়।
তাহলে এখন question চলে আসে “আমাদের সমাজের নামধারি এইসব হুজুর রা আমাদের যে ইসলামের ব্যাখ্যা দিয়ে আসছে, তা আসলে কি? তাহলে প্রকৃত ইসলাম ধর্ম টা কি?”
আমি শখের বসে একজন দর্শনের ছাত্র, পৃথিবীতে অন্যান্ন দর্শনের মতো ইসলামও একটা দর্শন। আর যেকোন দর্শনের মূল কথা হলো, তা মানুষের জীবনের সাথে একেবারে মিশে যেতে হবে, মানব ধর্মই হবে ওই ধর্মের মূল উপজীব্য।
আর তাই এখানে লেখক ভায়াকে একটা কথা বলতে চাই, আপনি ধর্মের যে ব্যাক্ষা দিলেন তা এর প্রকৃত ব্যাক্ষা নয়। আমি আপনার যুক্তিগুলো মানছি এবং আপনার ধর্ম জিজ্ঞাসু মনকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাচ্ছি। তারপরেই বলছি, ইসলাম ধর্ম যে ভাষায় এসেছে ওই ভাষার grammatical n vocabulary গত গভীরতা অনেক। আমরা যে ব্যক্ষ্যাগুলো জানি তার অনেকটাই ওই নামস্বর্বস্ব আলেম সমাজের দেয়া যা তাদের ভুরিভোজ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না।
(আমার শরীর খারাপ, so, talk to u later about this.)
@মুফতিখার উদ্দিন,
ভাই, আপনি একেবারেই ঠিক বলেছেন… আমার চিন্তা আপনার সাথে অনেক মিলে যায় …
@ভবঘুরে,
ভাই, আমি আপনার লেখা পড়ছি আপনাকে সমালোচনা করতে. কারণ আমি একজন মুসলমান আর আমি মনে করি ইসলাম ধর্মে যদি অযৌক্তিক আদেশ নির্দেশ থাকে যেগুলো সাধারণ জীবনের বা বিবেকের দৃষ্টিতে অন্যায়, তাহলে মুসলমান থাকার তো কোনো কারণ নাই…
যাহোক, আপনি যদি সত্যিই ইসলাম ধর্মের ভালো কিছু খুজতে গিয়ে খারাপ কিছু পেয়ে যান, তাহলে আপনার এই লেখার জন্য আমার পক্ষ থেকে পুলিতজার পুরস্কার দিচ্ছি … আর যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে একটি ধর্মকে অপমান করতে চান, তাহলে আমার কিছু বলার নাই. ধরে নিচ্ছি প্রথমটাই ঠিক…
আগেই বলছি, আমি হাদিস কে ইসলামের ভিত্তি মনে করিনা… তবে এটা ঐতিহাসিক… কিছু হয়তো সত্যি আছে আর কিছু হয়তো বিকৃত… তারপরও একটু চেষ্টা করে দেখি অন্য ভাবে এটাকে দেখা যায় কিনা…
হাদিস গুলার রেফারেন্স ঠিক আছে… যদিও আপনি প্রথমটা পূর্ণভাবে দেননি.. হতে পারে, আপনি যে হাদিস বই থেকে লিখেছেন সেটি এমন… প্রথম হাদিসটি আমার মনে হয়েছে আরব সংস্কৃতি -র কোনো প্রচলিত সমস্যা সমাধান করতে দেওয়া… …জানতে চাইছি, এমন কোনো হাদিস আছে যা বলে, যে পুরুষরা যৌনতা করতে চাইলেই তার স্ত্রীকে (যদিও সে ওই মুহুর্তে না উপভোগ করে) সেটা করতে দিতে হবে…
ক. যদি এমন কোনো নির্দেশ থাকে ইসলামে, তাহলে এই হাদিস টি অবশ্যই বিতর্কিত
খ. যদি তা না থাকে, তাহলে এই হাদিসটি মেনে নিলেও কোনো সমস্যা দেখছিনা… আর এখানে শোক পালন -টা সেই সমাজের একটা ফর্মালিটি বলে মনে হচ্ছে… যেটা নিয়ে এত চিন্তার প্রয়োজন নাই …. কুরআনে যেটা আছে, http://en.wikipedia.org/wiki/Islamic_funeral#Mourning পড়লে একটা সহজ ধারণা পাবেন…
দ্বিতীয় টি, আরে ভাই, এটাতো সম্পূর্ণ যাকাত প্রসঙ্গের… এটা নিয়ে আপনি যদি সত্যিই গোলক ধাধার মধ্যে পরে থাকেন, তাহলে আসুন পরে বিস্তারিত আলোচনা করবো… কেননা একটা মন্তব্য কে একটা প্রবন্ধের রূপ দিতে আরো সময়ের দরকার… আর এক কথায় লিখতেও পারছিনা…
তৃতীয় হাদিস, হা হা হা… মানুষের মনে কোনো নারীকে দেখলে যৌন কামনা আসা তো অস্বাভাবিক নয়… (আমি সব নারীকে বলছিনা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে) … এটার জন্য সৃষ্টিকর্তাকে দোষ দিতে পারেন… তবে এটা মানুষের স্বাভাবিক একটা চরিত্র…. আমি এটা কে এভাবে দেখতে পারি, এটা একটা উদাহরণ, আমি বিবাহিত অবস্থায় অন্য কোনো মেয়েকে দেখে যদি ভালো লেগে যায় একান্তই, সেক্ষেত্রে সে মেয়েকে মন থেকে সরিয়ে ফেলতে নিজের স্ত্রীর দিকে গভীর মনযোগী হতে তো দোষ নেই… অন্তত আমি মনে করি এতে পরকিয়া কিছুটা হলেও কমবে আর সংসার ভাঙ্গা কিছুটা হলেও কমবে….
পরের হাদিসটি প্রসঙ্গে, … আচ্ছা বিয়ে করার প্রয়োজন কি ভাই? আপনি আর একটি মেয়ে ইচ্ছা করলেই তো একসাথে থাকতে পারেন, যৌন কর্ম করতে পারেন… আসলে সবকিছুই করতে পারেন… তাই না? তারপরও মানুষ কেন বিয়ে করে? শুধুই কি ধর্মীয় কারণে? সম্পূর্ণ নাস্তিকরা কি বিয়ে করে না? ইসলাম ধর্মে বিয়ে করা আর না করার মধ্যে যেমন পার্থক্য আছে তেমনি সংখ্যার একটি সীমাবদ্ধতা আছে …. আর আপনার যদি মনোবিজ্ঞানে আস্থা থাকে তাহলে নিশ্চয়ই জানেন, যৌনতা মানুষের স্বাভাবিক একটি চাহিদা এবং মানুষের সামাজিক জীবনের অনেক কিছুর সফলতা / ব্যর্থতা নির্ভর করে তার যৌন জীবনের সফলতার উপর… ও হ্যা, প্রাকৃতিক কারণেই পুরুষদের যৌন চাহিদা অনেক স্থুল (আমাদের দুর্ভাগ্য) …. এখন কি এই হাদিসকে খুব বাস্তবতা বিবর্জিত মনে হচ্ছে… …. যৌনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবে সেটা অবাধ হলে অনেক সমস্যা হয় সমাজ ও ব্যক্তি জীবনে…
শেষের হাদিস টি আমার কাছে খুবই অসম্পূর্ণ মনে হয়েছে… কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছিনা…
আসলে হাদিস খুবই জটিল…. আমার সন্দেহ আছে এগুলো manipulated-ও হয়ে থাকতে পারে…. আমার ব্যাখ্যা গুলো ছোট্ট একটা প্রচেষ্টা একই হাদিস গুলোকে ভিন্ন ভাবে দেখার… বলছিনা যে আমিই ঠিক… তবে ভুলও তো বলতে পারছিনা..
শেষে বলছি, আপনি যদি সত্যানুসন্ধি হয়ে থাকেন আমার সাথে যোগাযোগ যোগাযোগ পারেন … আলোচনা করা যাবে…
আসলে স্ত্রী এবং ক্রীতদাসীর মাঝে ইসলাম কোন পার্থক্য করে বলে মনে হয়না। কারন দেন মোহর মানে ত আসলে টাকা দিয়ে বউকে কিনে নেয়া। হাঁ একটু পার্থক্য অবশ্যই আছে এবং তা হল ক্রীতদাসীর দাম নির্ধারিত হয় তার আগের মনিবের হাঁকা দাম আনুসারে কিন্তু স্ত্রী কেনা হয় সম্পুর্ন ভাবে ক্রেতার(স্বামীর)হাঁকা দাম আনুসারে এবং ক্রেতার হাঁকা সর্বনিম্ন দাম হতে পারে একটি লোহার আংটী!তাহলেতো দেখা যাচ্ছে যে ক্রীতদাসীর মর্যাদাও স্ত্রীর থেকে বেশি!
RonoDeepom,
I have a book on (what you talked about) theo-laws of Hindu (Sonaton) religion. This book details hundreds of such laws by relevant chapters, analyzes them on the context of then socio -political fabric of ancient India and proposes antidote.
It is “Pracheen Bharot – Shomaj O Shahityo” by a very well qualified author, Dr. Sukumari Bhottacharjyo. Instead of repeating her research you may further it by adding to that as one of our eminent writers.
Best
Hasan Mahmud
(fatemolla)
*- please copy your reply to:- [email protected]
প্রথমেই বলে রাখি, আমার এ মন্তব্যটা আপনার পোস্টের সাথে হয়তো প্রাসঙ্গিক হবে না, তবু নিজস্ব উপলব্ধি ব্যক্ত করা কেবল।
সনাতন বৈদিক ধর্মের আচরণবিধির সংবিধান নামে খ্যাত ‘মনুসংহিতা’ অধ্যয়ন করলাম নতুন করে। সেখানে নারী বিষয়ক পালনীয় বিধি-বিধানগুলোর সাথে আপনার এ পোস্টে বর্ণিত উদ্ধৃতিগুলোর মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্যই নেই ! আসলে রসুনের কোয়ার মতো সবগুলো ধর্মের দৃষ্টি-কৌশলটা একই। কেবল উপস্থাপনের ভিন্নতা।
‘অস্পৃশ্য ও ব্রাহ্মণ্যবাদ’ ইস্যুতে লেখা আমার সিরিজ পোস্টের আগামী পর্বে সনাতন ধর্মে নারীকে কী দৃষ্টিতে দেখা হয় তা বর্ণিত হয়েছে।
আপনার এ সিরিজটা খুব কৌতুহল নিয়ে পড়ছি। পরবর্তীতে তুলনামূলক বিশ্লেষণে খুব কাজে আসবে।
এখানে আমার একটি প্রস্তাব আছে-
সম্ভব হলে বাংলা হরফ ও উচ্চারণেও উদ্ধতিগুলোর আদিরূপ (আরবী আয়াত) উপস্থাপন করা যায় কিনা বিবেচনা করে দেখতে পারেন। তাহলে পোস্টের ভাষান্তরকৃত উদ্ধৃতিগুলোর অক্ষুণ্নতা নিয়ে কোনরূপ সন্দেহের সূত্রপাত হবে না।
অবশ্যই আমি এখানে কোনো সন্দেহ পোষণ করছি না। সঠিক রেফারেন্স রাখাটা যৌক্তিক বলে মনে করছি। এতে আপনার চমৎকার কাজটার পরিপূর্ণতায় ঘাটতি থাকবে না।
পারলে এই পোস্টেও এডিট করে বাংলা উচ্চারণে আরবী আয়াতগুলো সংযোজন করে দিতে পারেন। তাহলে কৌতুহলি ও রেফারেন্স প্রত্যাশী (আমার মতো) পাবলিকের জন্য খুবই সুবিধার হবে। আমি কি বিষয়টা বুঝাতে পারলাম ?
এই সিরিজের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে রাখলাম। আশা করি প্রয়োজনমুহূর্তে আপনার পোস্টকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারবো।
ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করছি না, ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।
@রণদীপম বসু,
আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। তবে আরবী উচ্চারন না দিলেও চলে যদি সঠিক কোরান হাদিসের নাম , নম্বর ঠিক মতো উল্লেখ থাকে, যে কেউই অনলাইন থেকে সাথে সাথে তা চেক করে নিতে পারে। আমি অন্য ধর্ম নিয়ে আপাতত কথা বলতে চাই না । উদাহরন স্বরূপ আপনি হিন্দুদের মনু সংহিতার কথা বলছেন। ওটা বেদের নির্যাস হোক আর যাই হোক, অধিকাংশ হিন্দুই কিন্তু ওটাকে ভগবানের বানী বলে এখন আর বিশ্বাস করে না। তারা মনে করে – প্রাচীন কালের কিছু সুবিধাবাদী মানুষের রচিত ওটা। ফলে ঐসব মনু সংহিতা দিয়ে আজকের দিনে হিন্দু যুবাদের সন্ত্রাসী বা আত্মঘাতী বোমাবাজ বানানো সম্ভব না। পক্ষান্তরে মুসলমানদের কোরান বা হাদিস কিন্তু ঠিক ওরকম নয়। অধিকাংশ মুসলমানই মনে করে কোরান আল্লাহ প্রেরিত, হাদিস আল্লাহর নবীর কার্যাবলী যা তিনি করতেন আল্লাহর প্রতিনিয়ত নির্দেশে, ফলে এসব দিয়ে খুব সহজেই মুসলিম যুবাদের সন্ত্রাসী বা আত্মঘাতী বোমাবাজ বানানো যায় এবং তা হচ্ছেও যা আপনি দেখতে পাচ্ছেন। সুতরাং মুসলমান, ইসলাম, কোরান, হাদিস, মোহাম্মদ এসবের সাথে অন্য ধর্মের ব্যপক মাত্রাগত তফাৎ রয়েছে।আর আমি মূলত সে ব্যপারটার ব্যপারটাতেই বেশী আগ্রহী। আমি আরও বলতে পারি- আপনি যে মনু সংহিতার বিশ্লেষণ করছেন মুক্ত মনাতে , তাতে আসলে বেশী কারা লাভবান হচ্ছে জানেন? মৌলবাদী ও উগ্রবাদী মুসলমানরা , কারন তারা এসব পয়েন্ট নিয়েই পরে হিন্দুদের ও তাদের ধর্মকে জোরে সোরে কটাক্ষ করে, জাকির নায়েককেও আপনি সে ভুমিকায় দেখেছেন এবং তা করে তারা ইসলামকে আরও বেশী পারফেক্ট ও সঠিক বলে প্রমানের অপচেষ্টা চালায় ।অথচ আপনার উদ্দেশ্য হলো- মূলত হিন্দুদেরকে তাদের ধর্মীয় গোড়ামী সম্পর্কে অবগত করানো যা আমার মনে হয়। কিন্তু যাদের গোড়ামি আপনি দুর করতে চাইছেন তারা কিন্তু অনেক আগেই গোড়ামি মুক্ত। এসব মনু সংহিতার মত জিনিস স্বয়ং ভগবান বা ঈশ্বরের তৈরী তা কিন্তু খোদ ভারতেও বেশী মানুষ বিশ্বাস করে না , খুব অল্প সংখ্যক মানুষের একটি গোষ্ঠী তা বিশ্বাস করে হয়ত কিন্তু তাদের এ বিশ্বাস গোটা হিন্দু সমাজে তেমন কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। বর্ণবাদের যে কুফল আপনি সেখানে এখনও কোথাও কোথাও দেখেন তা কিন্তু সত্যিকার অর্থেই ভারতের খুব বেশী যায়গাতে কার্যকর নেই, বর্ণপ্রথা খুব দ্রুত অপসৃয়মান, তাছাড়া কেউ এখন আর ধর্মীয় ভাবে সেটাকে সত্য মনে করে না, বরং দীর্ঘদিন ধরে বর্ণপ্রথার সুযোগ সুবিধা কিছু মানুষ ভোগ দখল করে আসাতে তারা সেটা এখন ছাড়তে চায় না, বিষয়টা অনেকটাই কেউ ক্ষমতায় গেলে আর তা থেকে নামতে চায় না অনেকটা সেরকমই , এর সাথে ঐশী ব্যপার স্যপারের সম্পর্ক আর আজকে অবশিষ্ট নেই। পক্ষান্তরে মুসলিম সমাজের অবস্থা সম্পূর্ন ভিন্ন।সেখানে খৃবই অল্প সংখ্যক কিছু মানুষ মাত্রই মনে করে কোরান ঐশী কিতাব না বা মোহাম্মদ আল্লাহর নবী না। আশা করি যা বুঝাতে চেয়েছি তা বুঝতে পেরেছেন।
@ভবঘুরে,
ভাই, একেবারে আমার মনের কথাগুলো বলে ফেলেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে (বাংলা ভাষায়) ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের সমালোচনা করার উপযোগিতাও খুব বেশি নাই কারণ এখানে মুসলমানরাই শতকরা ৮৫ ভাগের বেশি।
এখানে ইসলাম ধর্মের প্রবল সমালোচনা হওয়া প্রয়োজন।
@ভবঘুরে,
আপনি এক্কেবারে সুন্দর গুছিয়ে বলেছেন।এমন ভাবে বোঝানো হলে আর আমাদের মতো অর্ধশিক্ষিত 🙁
মানুষদের আর কিছু বলার থাকেনা। কেননা আপনার কথার প্রতিফলনই আমাদের কথা।
@ভবঘুরে,
ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে একটু দেরিতে জবাবটা চোখে পড়েছে, আমার কারণেই।
আপনার পর্যবেক্ষণকে অস্বীকার করছি না, তবে একটা মিথ্যার জন্য আরেকটা মিথ্যাকে ঢেকে রাখার কোন মানে হয় না। বাংলাদেশে হিন্দু যুবাদের সংখ্যালঘুত্বের দুর্বলতার কারণে ভারতের হিন্দু মৌলবাদীদের আক্রমণাত্মক কার্যকলাপ থেমে থাকে না। হয়তো তারাও মনুসংহিতার অলৌকিকতায় বিশ্বাস করে না, কিন্তু ধর্মবিধি হিসেবে এটাকে ব্যবহার করতে কার্পণ্য করে কি ? আমার ধারণা, বাংলাদেশে যারা এই মৌলবাদের নিয়ন্তা তারাও হয়তো এর ঐশীকতা নিয়ে সন্দিহান বা অবিশ্বাসী। নইলে তাদের দ্বারা কোন অপকর্ম হয় কী করে ?
তাছাড়া আপনি যে বলছেন অধিকাংশ হিন্দুই এটাকে ভগবানের বাণী বলে বিশ্বাস করে না, এই অবিশ্বাসের কার্যকর কোন ফলাফল সামাজিকভাবে প্রতিফলিত হয় কি ? এমন নজির কি একটিও সৃষ্টি হয়েছে যে মৃতের শ্রাদ্ধ না করে কেউ থেকেছে ? কিংবা আইনত বিধবা বিয়ে বৈধ হলেও হিন্দু সমাজে তা কি প্রচলিত আছে ? ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছুই সেই তিন হাজার বছর আগের থেকে একটুও পার্থক্য হয়নি। কোনভাবে কোন ক্ষেত্রে। হিন্দু যুবাদের গোঁড়ামি মুক্তির কার্যকর কোন প্রভাব হিন্দু সমাজে আদৌ পড়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে যে মৌলিক কোন পার্থক্যসূচক লক্ষণ আজো দৃষ্ট হয়নি। এ নিয়ে অবশ্য বিস্তর আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তবে এ পোস্টে তা অপ্রাসঙ্গিক। আমার পোস্টে জবাবটা হয়তো প্রাসঙ্গিক হতো, কিন্তু মূল মন্তব্যটা যেহেতু এখানে তাই এখানেই প্রতিমন্তব্যটা করলাম।
আসলে সব মিথ্যেকেই নির্দয় ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে এর অসারতাগুলো সর্বসাধারণের মধ্যে প্রচার করা উচিত।
আদিল মাহমুদের মন্তব্যটার সাথে আমি সহমত পোষণ করি-
প্রয়োজনীয় ব্যবচ্ছেদগুলো এভাবে করতে থাকলে আদিল মাহমুদের উদ্ধৃত গণিতের হিসাব একসময় এমনিতেই মিলে যাবে।
আবারো ধন্যবাদ জানাই। হয়তো জবাবটা গুছিয়ে বলতে পারলাম না। আশা করি বুঝে নেবেন।
@ভবঘুরে,
সম্পূর্ন সহমত।
একটা কার্টুন শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না(অবশ্য এর জন্য মুক্তমনার মডারেটরদের উপর কা্রটুনিস্ট আরিফ কিংবা তার ডাচ কাউন্টারপা্র্টের মত ইসলামী শান্তি নেমে আসলে আগেভাগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি),
http://www.jesusandmo.net/strips/2010-04-29.jpg
সাইটটাতে ইতিহাসের দুই ভাস্বর তারকা যীশু ও মোহাম্মদকে নিয়ে অনেকগুলো চাতুর্যপূর্ণ কা্র্টুন রয়েছে, দেখতে পারেন।
কোরান হাদীস খোলা মনে পাঠ করলে নারীর সম্মান বিষয়ে মনে খুব বড় প্রশ্ন আসা খুবই স্বাভাবিক।
তবে সূর্যের থেকে যেমন বালি গরম তেমনি হাদীসগুলি আরো মারাত্মক। তবে হাদীসের সমালোচনা করলেই ইসলমাবিদেরা যুক্তি হাজির করেন যে হাদীস ইসলামের আবশ্যকীয় গ্রন্থ নয়। কোরানই একমাত্র অফিশিয়াল গ্রন্থ। কাজেই কিছু হাদীসে ভুল থাকলেও থাকতে পারে, তাতে ওনাদের মতে ইসলামের সমালোচনা করা যায় না। আমি জানি না যেসব ইসলামী পন্ডিত এসব হাদীস লিখেছিলেন আর যারা ১২০০ বছর ধরে এসব বহন করে বেড়াচ্ছেন তারা জেনে শুনে এসব ভুল হাদীস (তাদের দাবীমত) কেন প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। এর যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত পেলাম না।
নবী মোহাম্মদের চরিত্রে যদি কেউ কালিমা লাগিয়ে থাকে তবে তারা তো নাস্তিক বিধর্মীরা নয়, সবচেয়ে বড় কালিমালিপ্ত করার কাজটি করেছে এসব হাদীস। কই, এসব হাদীস রচনা ও সম্পাদনাকারীদের বিরুদ্ধে তো মুরতাদ ঘোষনা, কল্লা ছেঁড়ার পুরষ্কার জাতীয় কোন ফতোয়ার কথা আজ পর্যন্ত শুনলাম না। উলটা যেসব মুসলমান হাদীসে সংশয় প্রকাশ করেন তাদেরকেই নানান ভাবে হেনস্থা করা হয়, তারাও যথারীতি হয়ে যান ইসলামের শত্রু। এনারা আসলে যে কথাটি স্বীকার করেন না তা হল যে এসব হাদীস কাটাছেঁড়ার কাজ শুরু করতে গেলে এনাদের নিজেদের কল্লাই অন্য মুসলিম ভাইয়েরা টান দেবে, তাই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ দ্বি-চারিতার পথ নেওয়াই ভাল। এই মানসিকতা অবশ্যই বড় ধরনের ভন্ডামী।
ইসলামে কোরানের মর্যাদা সবার উপরে, হাদীস নয়। তাই এই সিরিজ কোরান থেকে শুরু করলেই ভাল হত বলে মনে করি। তবে হাদীসগুলি সত্য হয়ে থাকলে ব্যাখ্যাগুলি বেশ যুক্তিসংগত হয়েছে বলেই মনে হয়।
@আদিল মাহমুদ,
ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। কোরানের আলোকে নারীর মর্যাদা নিয়ে আগে একটা প্রারম্ভিক নিবন্ধ লিখেছিলাম এই সাইটেই। ওটা ছিল একেবারেই শুরু। এখন কোরান দিয়ে শুরু না করার ওটা প্রথম কারন। তা ছাড়া পরে চিন্তা করলাম- কোরান হাদিস এর মধ্যে নারী সম্পর্কিত যা আছে সব নিয়েই ধারাবাহিক একটা নিবন্ধ লিখব আর তারই ১ম পর্ব এটা। পরের পর্ব থেকে কোরান ও হাদিসের উদ্ধৃতি , তথাকথিত ইসলামী পন্তিতদের ব্যখ্যা সহ সব কিছু রাখার চেষ্টা করে যাব। ভেবেছিলাম কোরান ও হাদিসে হিংসা ছড়ানো আয়াত গুলো নিয়ে লিখব কিন্তু তার আগে নারীদের বিষয়টি আগে ফয়সালা করা দরকার কারন আমি দেখেছি বর্তমানে নারীরাই পুরুষদের থেকে বেশী ধার্মিক আর বলা বাহুল্য ভাল ভাবে জানা শুনা না করেই। আমার এক বন্ধুকে কিছুদিন আগে বাংলা কোরান কিনে উপহার দিয়ে তা থেকে নারী সম্পর্কিত কিছু আয়াত তার স্ত্রীকে দেখালাম, সে দেখে আতকে উঠল, মন্তব্য করল- তাহলে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন কেন? তাহলে দেখেন, সত্যি সত্যি নারী জাতি কোরান হাদিস এর কোন কিছুই মাতৃভাষায় পড়ে না , বিশেষ করে বঙ্গললনারা , আর না পড়েই প্রচন্ড ধার্মিক।
@ভবঘুরে,
এত নারী বিদ্বেষী বিধিবিধান থাকার পরেও কেন ইসলামের প্রতি নারীরা কেন আকৃষ্ট হয় তার উপর একটি বিশ্লেষনী লেখা লিখতে পারেন। বিশেষ করে পাশ্চাত্যের বেশ কিছু কনভার্টেড মহিলা আছেন যারা এখন জোরে শোরে ইসলাম প্রচার করেন, তাদের ব্যাপারে আলোকপাত করতে পারেন।
আল্লাহ আছে না নেই এসব অর্থহীন আলোচনা থেকে ধর্মীয় অমানবিক বিধিবিধান দেখানোই বেশী কার্যকরি বলে আমি সবসময়ই মনে করি। ধর্মের ক্ষতিকর দিক সেভাবেই কমানো যেতে পারে। আল্লাহ নেই গনিত কষে প্রমান করা কোন ফায়দা হবে না।
@আদিল মাহমুদ,
“বিশেষ করে পাশ্চাত্যের বেশ কিছু কনভার্টেড মহিলা আছেন যারা এখন জোরে শোরে ইসলাম প্রচার করেন”
পাশ্চাত্যের এই মহিলারা ও আমরা যারা ইসলাম মেনে চলার চেষ্টা করি তারাই জানি এই পথে কেমন শান্তি।আর তাই আমরা আপনাদের কথায় গলে না যেয়ে ইসলাম ধর্ম মানার চেষ্টা করি।আপনারা কোরআন হাদিস পরেন কিন্তু তা নিরপেক্ষ মন নিয়ে নয়।তাই আপনারা এ থেকে উপকৃত হতে,নিজের জীবনকে সাজাতে পারেন না।আমরা পর্দা করার মধ্যমেই নিজেরা সমাজের সব কাজ করি,বাজারে যাই,ভার্সিটির বান্ধবীদের সাথে ভ্রমনে যাই,ভার্সিটিতে ক্লাস করি।কোথাও কোন সমস্যা অনুভব করি না।আপনাদের কথা শুনে মনে হয় যে পর্দা করি আমরা আর সমস্যা হয় আপনাদের।তাহলে সমস্যাটা মুলত কাদের?আমার তো মনে হয় পর্দা করা মেয়েদের আপনারা দেখতে পারেন না,তাদের দৈহিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন না।তাই আপনাদের এত আপত্তি।আমরা কিন্তু নিজেদের অনেক নিরাপদ মনে করি।পর্দা করার কারনে রাস্তার বখাটে ছেলেরা আমাদের চেহারা দেখতে পায় না।তাই আমাদের ইভটিজের শিকাড়ও হতে হয় না ওই সকল তথাকথিত স্মার্ট মেয়েদের মত।তাই আপনারা যাই বলেন না কেন,আমরা যারা ইসলাম পালন করি তারাই জানি এতে কত প্রশান্তি,আপনারা পুরুষরা তা কিভাবে বুঝবেন?তাই আমি আমার বোনদের কেও অনুরোধ জানাবো ইসলামের প্রতিটি হুকুম মেনে চলার তাহলে আপনারাই শান্তি পাবেন।
@শান্তিময়ভোর,
আপনি আমার মন্তব্য কোট করে স্পেসিফিক সে প্রসংগে না গিয়ে সামগ্রিক ভাবে ইসলাম কত মহান শান্তিময় এসব প্রসংগে চলে গেছেন।
পর্দা করে (যদিও সহি ইসলামী পর্দা বলতে ঠিক কি বোঝায় তা মনে হয় না আমি আপনি কেউই নিশ্চিত জানেন) আপনার বর্ননামত কার্যকলাপ করা যায় না এমন দাবী আমি কবে কোথায় করেছি? পর্দা প্রথা আমার এখানকার বক্তব্যে নেই। তাও পর্দা সম্পর্কে আমার অভিমত হল যে কারো বিকিনি পরার ব্যাক্তিগত অধিকার থাকলে তার পর্দা করারও (তালেবানী কায়দার হলেও) ব্যাক্তিগত অধিকার আছে। কেবল কথা হল সেটা হতে হবে কোন রকম জোরাজুরি ছাড়া, আর সমাজের প্রচলিত সাধারন নর্মের মধ্যে। যেমন কোন শিক্ষাংগনে বা অফিস আদালতে ধর্মীয় অধিকারের ছত্রছায়ায় চেহারা দেখানো যাবে না এমন ধরনের দাবী শুরু করলেই মুশকিল।
বাংলাদেশে নারী পুরষের স্বাভাবিক সম্পর্ক নেই। এর জের হিসেবেই উঠতি বয়সের ছেলেরা নারী সংগের জন্য মুখিয়ে থাকে, যার জের হল ইভ টিজিং জাতীয় সমস্যা। যেই ছেলের গার্ল ফ্রেন্ড আছে (হতে পারে প্রেমিকা বা সাধারন মেয়ে বন্ধু) সে রাস্তায় এসব বখাটেগিরি করবে সে সম্ভাবনা অতি ক্ষীন। আপনি পর্দা করে বা আয়রন শিল্ড গায়ে লাগিয়ে আপাতত কিছু সুবিধে পেতে পারেন কারন অধিকাংশ মেয়ে তেমন পোশাক পরে না, বখাটেরা স্বাভাবিক ভাবেই সাধারন পোষাক পরা মেয়েদেরই (তাদের মধ্যে আপনার কথিত স্মার্ট মেয়েরাও মনে হয় আছে) টার্গেট করে। এটা সাধারন শর্টেষ্ট পাথ সাইকোলজি। সমাজে ১০০% মেয়ে আপনার মত পর্দা ধরলে ভেবেছেন বখাটেরা ইসলামী আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আপনাদের ছাড় দেবে? সুবহান আল্লাহ বলে মাটির দিকে চোখ নামিয়ে চলে যাবে? দয়া করে আরব বা মধ্যপ্রাচ্যীয় পর্দার রাজত্বময় দেশে ইভ টিজিং কেমন মাত্রায় চলে তার কিছু খোঁজ নেন। পশ্চীমের রাস্তায় খোলামেলা পোষাক পরা মেয়েরা কেন আমাদের দেশের মত ইভ টিজিং এর শিকার হয় না তাও ভাবার চেষ্টা করেন।
পর্দা প্রথা ছাড়া কি ইসলামে নারী অবমাননাকারী আর কিছু নেই? আপনি খোলা মনে কোরান হাদীস পড়েন জেনে ভাল লাগল। আপনি রাজী থাকলে কোরান হাদীসের আলোকে পয়েন্ট হিসেবে আলোচনা করতে পারি।
@শান্তিময়ভোর,
পর্দা করার কারনে মুসলিম ওয়ার্ল্ডে মেয়েরা কতটা নিরাপদ তার নমুনা নিচের এই লিঙ্কটির খবরে দেয়া আছে।
Will Other Arab Women Follow Egyptian Sisters Into the Street?
”
:yes: অসাধারণ বক্তব্য।
@একা,
গরু-ছাগল এদেরকে দড়ি দিয়ে বেধে রাখা যায়, তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু মানুষকে কি দড়ি বা খাচা দিয়ে আটকে রাখা যায় নাকি ? চার দেয়াল,বোরখা, নেকাব- এগুলো কি খাচার বিকল্প নয় ? যদি কোন নারী সে খাচার মধ্যে স্বেচ্ছায় আটক থাকতে চায় তাহলে কিন্তু বুঝতে হবে সে পরিপুর্ন মানুষ না। এটা আমার ধারনা।
@ভবঘুরে,
চার দেয়াল, বোরখা, নেকাব ইত্যাদি ছাড়াও আমার মনে হয় হাতের চুড়ি ও গলার হার তো রেডি থাকে বেঁধে রাখার জন্য, এখন দড়িটারই যা অভাব।
@ভবঘুরে,
আমার জীবন সঙ্গীনী স্ত্রী, আমার গর্ভধারিণী মা, এভাবেই থাকতে চান। আমি কি বলবো- মা, তুমি পরিপুর্ন মানুষ না?
ভবঘুরে,
অনেক কিছু ভেবে চিন্তে আপনার পূর্ববর্তি দুই প্রবন্ধে আমি মন্তব্য করি নাই। আমি জানি আপনি পরিবর্তন চান। আমরা রাতারাতি পৃথিবীকে বদলাতে পারবোনা দাদা। আর পরিবর্তন আনতে হলে, আমাদেরকে আবেগ, উত্তেজনা, ঈর্ষা, হতাশা, ক্ষোভ পরিহার করতে হবে। আমাদের যদি ভুল-শুদ্ধ, মঙ্গল-অমঙ্গলের পথ দেখানোর শক্তি, ইচ্ছে থাকে, আমরা যদি কারো কল্যাণ করতে চাই, তা করতে হাবে, তাকে শ্রদ্ধা করে, কিন্তু অপমান করে নয়, তাকে ভালবেসে, কিন্তু ঘৃণা করে নয়।
@আকাশ মালিক,
এরা কেন এভাবেই থাকতে চান? -এ প্রশ্নটির উত্তর খুঁজে বের করতে হবে। সার্কাসের হাতির ব্যাপারটা আশা করি জানেন যে ওটাকে জ্বালিয়ে ফেললেও বৃত্তের বাইরে যায় না কারণ ছোটবেলা থেকে হাতিটিকে এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যে ওটা আর ভাবতে পারে না যে বৃত্তের বাইরে বের হওয়া যায়। এখন আমাদের মা, বোনরা যদি এভাবেই থাকতে চান তবে বলতেই হবে যে ধর্ম তাদের সর্বনাশ করেছে। তাই ধর্মের স্বরুপ উন্মোচন করা অতি জরুরী।
ভবঘুরেকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য।