ইসলাম ধর্ম নারীদেরকে সবচাইতে বেশী মান-সম্মান আর মর্যাদা দিয়েছে বলে দাবী করে। কোন ইসলামী তফসিরকার যদি নারীদের মান মর্যাদা নিয়ে কথা বলা শুরু করে তো প্রথমেই বলে- পৃথিবীতে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা নারীদেরকে পুর্নাঙ্গ মান মর্যাদা দিয়েছে। যখন তাদেরকে কোরান হাদিস ঘেটে দেখানো হয় যে ইসলাম নারীদেরকে উত্তরাধিকার সূত্রে কিছু সম্পত্তি দেয়া ছাড়া বস্তুতঃ আর কোন মান সম্মান দেয়া তো দুরের কথা, বার বার অপমান অপদস্ত করেছে, এমনকি তাদেরকে পূর্নাঙ্গ মানুষ হিসাবেই স্বীকার করেনি। তখন তারা প্রশ্ন করে অন্য ধর্মে তো নারীদের একেবারেই মান সম্মান দেয়নি, সে তুলনায় ইসলাম নারীদেরকে অনেক মান সম্মান দিয়েছে যদিও তা তারা কোরান হাদিস থেকে একবারও প্রমান করতে পারে না একমাত্র কিছু সম্পত্তি দেয়ার বিধান ছাড়া। প্রশ্নটা হলো- তারা দাবী করছে কোরান হলো আল্লার বানী, আল্লার কাছে তার সব বান্দাই সমান ও সেহেতু তারা সমান মর্যাদার অধিকারী সেখানে কোরান কেন বার বার নারীদেরকে অসম্মান করবে? তথা আল্লার বানীতে এমন কিছু থাকতে পারে না যা কিছু মানুষের জন্য সব সময় সুবিধাজনক ও কিছ মানুষের জন্য অপমানজনক। যদি তা হয়, তাহলে তা আল্লাহর বানী কিনা তাতে সন্দেহ দেখা দেয়া স্বাভাবিক। এমনকি হাদিস যা নাকি মহানবীর জীবনের নানারকম কার্যাবলীর বর্ননা আছে, আছে মানুষের জন্য চলার নানারকম দিক নির্দেশনা, সেখানেও নারীদেরকে স্রেফ ভোগ্য পন্য ছাড়া পরিপূর্ন মানুষ রূপে তিনি নারীদেরকে স্বীকার করেন নি বরং তার নারী সম্পর্কিত ব্যক্তিগত জীবন ছিল খুবই কদর্য ও প্রশ্ন বিদ্ধ। যেমন তিনি আল্লাহ প্রেরিত রসুল, কিন্তু তার সম্পূর্ন জীবন ছিল নারী কেলেংকারী ও যৌনাচারে ভরপূর। তিনি একাধারে ১৩ টির বেশী বিয়ে করেছিলেন, এ ছাড়াও তার ছিল অনেক দাসী বাদী যাদের সাথে তার অবৈধ যৌন সম্পর্ক ছিল আর তা জায়েজ করতে আল্লার বানীর নামে তিনি যুদ্ধ জয়ে বন্দীকৃত নারীদেরকে গনিমতের মাল হিসাবে বর্ননা করে তাদেরকে ধর্ষন করাকে জায়েজ করে দিয়ে যান, একসাথে অনেক স্ত্রী নিয়ে হারেম তৈরী করেছিলেন, ৫১ বছর বয়েসে মাত্র ৬ বছর বয়সের শিশু আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন যে নাকি ছিল তার ধর্ম সম্পর্কিত ভাতিজি, তিনি তার পালিত পূত্র জায়েদের স্ত্রী জয়নবের রূপ যৌবন দেখে রিপু তাড়িত হয়ে নানা ছলাকলা করে জায়েদ কর্তৃক জয়নবকে তালাক দিতে বাধ্য করেন ও পরে নিজেই তার সেই পূত্র বধূকে বিয়ে করেন, এ নিয়ে সমাজে কানাঘুষা শুরু হলে, আল্লাহ থেকে আয়াত নাজিলের নামে তা বন্দ করেন , অথচ পৃথিবীর সব সমাজেই পালিত পূত্রকে নিজের পূত্র হিসাবে জ্ঞান করা হয়ে থাকে, একমাত্র মোহাম্মদ তার বিকৃত যৌন কামনা চরিতার্থ করতে পবিত্র সম্পর্ক কলুষিত করেন ও যাকে ধর্মের নামে গোটা মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে দেন ও আল্লাহর আয়াতের নাম দিয়ে বলেন- পালিত পুত্রের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকেও বিয়ে করা যাবে এবং যার ফলে গোটা মুসলমানরা আজকে মানষিকভাবে বিকৃত। গনিমতের মাল হিসাবে বন্দী নারীদেরকে ভোগ করা যাবে এটা কোরান অনুমোদিত আর তাই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যে দুই লাখ মা বোন (যার প্রায় ৯৯% জনই মুসলমান) ধর্ষিতা হয়েছিলেন তৎকালীন জামাতে ইসলামী তাকে আল্লার বিধান হিসাবে বিধি সম্মত বলে রায় দিয়েছিল ও সেকারনে তারা আজও এ জঘন্য ঘটনার জন্য অনুতপ্ত নয়।এবার সরেজমিনে দেখা যাক, ঐশি কিতাব কোরানে আল্লাহ কতটুকু মর্যাদা নারী জাতিকে দিয়েছে।
তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেএ, সুতরাং তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যে প্রকারে ইচ্ছা অবতীর্ন হও। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:২২৩
সোজা কথায় নারীদেরকে এখানে একটা ভোগ্য পন্যের উপাদানের চাইতে আর বেশী মর্যাদা দেয় নাই। পুরুষগন তাদের স্ত্রীদেরকে যেভাবে খুশী যখন ইচ্ছা খুশী ভোগ করবে- এখানে নারীর ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন মূল্য নেই, যেন তারা শুধুমাত্র সেক্স ডল ও তাদের কাজ হলো রিপু তাড়িত স্বামী প্রবর যখনই যৌন তাড়িত হয়ে ছটফট করবে তখনই তাদেরকে দেহ দান করে তাদের যৌবন জ্বালা মেটাতে হবে, তা সে অসুস্থ থাকুক অথবা তার অন্য কোন শারিরীক বা মানসিক সমস্যা থাকুক তাতে কিছু যায় আসে না। আয়াতের প্রকাশ ভঙ্গী দেখা যাক, তোমাদের স্ত্রীগন তোমাদের শস্যত্রে, অর্থাৎ শস্যক্ষেত্রে যেমন ইচ্ছা খুশী চাষ বাস করা হয় ও নানাপ্রকার শস্য উৎপাদন করা হয় ইচ্ছা মত , নারীরা হলো ঠিক তেমনই এর বেশী কিছু নয়। এতটাই মর্যাদা নারীকে এ সূরার মাধ্যমে দেয়া হয়েছে।
—তোমাদের আপন পুরুষ লোকের মধ্য হইতে দুইজন সাী রাখ, যদি দুইজন পুরুষ না পাওয়া যায়, তাহা হইলে একজন পুরুষ ও দুইজন স্ত্রীলোক –। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:২৮২
উপরের আয়াতে নারীদেরকে সোজাসুজি পুরুষের অর্ধেক মর্যাদা বা সম্মান প্রদান করা হয়েছে কারন সেখানে একজন পুরুষের সমান দুইজন নারীর সাী রাখার কথা বলা হয়েছে। যার আরও সোজা অর্থ হলো- একজন পুরুষ সমান দুইজন নারী, অর্থাৎ নারীরা পূর্নাঙ্গ মানুষ নয়, একজন পুরুষের অর্ধেক এর সমান হলো একজন নারী। যদি নারীর এ ধরনের মর্যাদা কোরান দিয়ে থাকে তাহলে কোন দেশে মুসলিম নারীরা ভোটাধিকার প্রাপ্ত হওয়ার কথা নয়, কারন যে পূর্নাঙ্গ মানুষ নয় তার তো ভোটাধিকার থাকা অসম্ভব। একই ভাবে যে পূর্নাঙ্গ মানুষ নয় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া তো দুরের কথা কোন অফিসের বস হওয়ারও তার কোন অধিকার নেই। পরিবারে তার কোন বিষয়ে মতামত দেয়ারও অধিকার থাকতে পারে না। কোরান সোজাসুজি নারীকে কোন পূর্নাঙ্গ মানুষ হিসাবেই স্বীকার করে না- এতটাই বেশী মর্যাদা ইসলাম নারী জাতিকে দিয়েছে। এ ব্যপারে ইসলামী তফসিরকারদেরকে প্রশ্ন করা হলে তারা অদ্ভুত সব কথা বার্তা বলে। যেমন তারা বলে- নারীরা গর্ভবতী হয়, তারা মাসিক ্্্ঋতুস্রাবের কারনে অসুস্থ হতে পারে. উল্লেখ্য ঋতুস্রাবকে ইসলামে অসুস্থতা ও অপবিত্র হিসাবে গন্য করা হয়, তাদের মেধা ও বুদ্ধি পুরুষ মানুষের চাইতে কম( এ ব্যপারে অনেক হাদিস আছে), তারা কোন বিষয় ভালমতো মনে রাখতে পারে না, ইত্যাদি কারনে কোন সাক্ষ্য প্রদানকালে একজন নারী উপস্থিৎ হতে অপারগ হতে পারে, একারনেই এ সূরার আবির্ভাব ও যা যৌক্তিক। দেখুন কি অদ্ভুত ও উদ্ভট যুক্তি। এমনিতেই কোরান নারীকে পুর্নাঙ্গ মানুষ হিসাবে স্বীকার করছে না আবার তা যৌক্তিক করতে নারীকে আরও বেশী ছোট ও হীন করে দেখানো হচ্ছে। অসুস্থতা জনিত কারনে তো পুরুষরাও কোন স্যা প্রদানে হাজির হতে নাও পারে সে বিষয়টি তারা বেমালুম ভুলে যায়। মানুষ কত অন্ধ আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন হলে এধরনের আজগুবি যুক্তি দেখাতে পারে। এবং এটাই কোরানের মতে একজন নারীর আসল মর্যাদা।
তোমাদের মধ্যে যে সকল নারী ব্যাভিচার করিবে, তোমরা তাহাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্যেকার চারিজনকে সাক্ষী রাখ, যদি তাহারা সাক্ষ্য দেয়, তবে তোমরা তাহাদিগকে সেই সময় পর্যন্ত গৃহে আবদ্ধ করিয়া রাখিবে যে পর্যন্ত না মৃত্যু তাহাদের সমাপ্তি ঘটায় কিম্বা আল্লাহ তাহাদের জন্য কোন পৃথক পথ বাহির করেন। এবং তোমাদের মধ্যেকার যে কোন দুইজন ব্যাভিচার করিবে, তোমরা সেই দুইজনকে শাস্তি দিও, অত:পর যদি তাহারা তওবা করে এবং সংশোধন করে তবে তাহাদের নিন্দাবাদ হইতে বিরত রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় মাশীল দয়ালু। নিশ্চয়ই যারা অজ্ঞতাবশত: দোষের কাজ করিয়া বসে, তৎপর অল্পকাল মধ্যে তওবা করে, তাহাদের তওবা কবুল করা আল্লাহর দায়িত্ব, আল্লাহ তাহাদের প্রতি সু দৃষ্টি করিয়া থাকেন, আল্লাহ মহাজ্ঞানী ও মহাবিজ্ঞানী। সূরা-৪: নিসা, আয়াত:১৫-১৭
উপরোক্ত আয়াতের লাইনগুলো পড়লে মনে হবে কোরান সত্যিই নারীদেরকে মহা মর্যাদা বা সম্মান (?) প্রদর্শন করেছে। এখানে বলা হচ্ছে- যে সকল নারী ব্যাভিচার করবে তাদের শাস্তি হলো মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আটকে রাখা, পান্তরে যখন কোন পুরুষ ব্যভিচার করবে তখন কিন্তু তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড তো দুরের কথা, স্রেফ তওবা করলেই সে মাফ পেয়ে যাবে কারন কোরানের আল্লাহ পুরুষদের প্রতি সীমাহীন দয়ালু, কিন্তু নারীদের প্রতি কঠিন নির্দয়। আর পুরুষদেরকে এরকমভাবে আল্লাহ মাফ করে দেন বলেই তিনি মহাজ্ঞানী ও মহাবিজ্ঞানীও বটে! এভাবে নারীদের প্রতি এক তরফা কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে তিনি বলা বাহুল্য নারীদেরকে মহাসম্মান প্রদর্শন করেছেন বৈকি!
হে মুসলমানগন, তোমাদের পে জায়েজ নহে যে, তোমরা নারীদিগের জোরপূর্বক মালিক হও এবং তাহাদিগকে আটক করিয়া রাখ,—কিন্তু তাহাদের দ্বারা সুস্পষ্ট কুকার্য প্রকাশ হওয়ার পর, এবং তাহাদের সহিত সদ্ব্যবহার সহকারে বসবাস কর, যদি উহাদিগকে না পছন্দ কর, তবে আশ্চর্য নয় যে, তোমরা যাহাকে না পছন্দ করিতেছ, বস্তুত: তাহারই মধ্যে আল্লাহ বহু কল্যাণ দিয়া রাখিয়াছেন। এবং যদি তোমরা এক স্ত্রী বদলাইয়া তৎস্থলে অন্য স্ত্রী গ্রহনের ইচ্ছা কর, এবং তাহাদের স্তূপিকৃত মালও দিয়া থাক, তবুও উহা হইতে কিছুই লইও না। তোমরা কি স্ত্রীর নামে কোন প্রকারের দুর্নাম রটাইয়া সুস্পষ্ট গোনাহ করিয়া উহা ফেরত লইতে চাও?সূরা-৪: নিসা, আয়াত:১৯-২১
উপরের সূরাটি নাজিল হয়েছিল বিধবা নারীদের প্রতি স্বামীর আত্মীয় স্বজনের ব্যবহার নিয়ে। এটা পড়লে আপাতঃ খুব সুন্দর মনে হতে পারে , কারন কোন নারীকে জোর করে অধিকার করতে নিষেধ করা হয়েছে। তারা বিধবা হওয়ার পর যদি কুকর্ম করে তাহলেও তাদের সাথে সদ্ব্যবহার সহকারে বাস করতে উপদেশ দেয়া হয়েছে। তারা বিধবা হলে তাদেরকে প্রদত্ত জিনিস পত্র যতই দামি হউক না কেন তা ফেরত নিতে নিষেধ করা হয়েছে। এসব বিষয় পড়লে মনে হবে কতই না সুন্দর সুন্দর কথা বলা হয়েছে। কোরানে এটাও কিন্তু একটা খুব ভাল কৌশল যা নবী মোহাম্মদ খুব ভালভাবে প্রয়োগ করেছিলেন আজকের ধান্ধাবাজ রাজনৈতিক নেতাদের মত যারা নাকি নির্বাচনের আগে খুব মিস্টি সুরে নানারকম মন ভোলানো কথার ফুলঝুরি ছোটায়।একটু গভীর ভাবে খেয়াল করলে আসল বিষয়টি ধরা পড়বে কোরান নারীকে কি হিসাবে বিবেচনা করেছে। সেটা হলো- এ আয়াত দ্বারা খুব স্পষ্টভাবে বোঝানো হচ্ছে যে, একমাত্র নারীরাই কুকর্ম করতে পারে বা তারাই একমাত্র কুকর্ম করার তালে থাকে, যেমন বলা হচ্ছে- কিন্তু তাহাদের দ্বারা সুস্পষ্ট কুকার্য প্রকাশ হওয়ার পর; যেখানে পুরুষরা একেবারে পুত পবিত্র । কারন এখানে নারীর কুকর্ম করার কথাই বলা হয়েছে , পুরুষের কুকর্ম করার কথাটি এখানে উহ্য রাখা হয়েছে । বলা বাহুল্য, একজন বিধবা নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করে সর্বপ্রথম সেই পরিবারেরই প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ। এর পরে পাড়া প্রতিবেশীর নজর পড়তে পারে এবং এর প্রত্যেক ক্ষেত্রেই পুরুষ প্রবরটিই সর্বাগ্রে এগিয়ে আসে। অবৈধ সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম নারী এগিয়ে আসে এরকম নাজির খুবই কম। অথচ কোরানে কিন্তু নারীদেরকেই দোষ দিচ্ছে যে তারাই কুকামের প্রথম উদ্যোক্তা ও হোতা এবং পুরুষরা হলো নিষ্পাপ ও ফুলের মত পবিত্র।আর হবেও বা কি করে, কারন কোরানে তো নারীকে পূর্ন মানুষ হিসাবেই স্বীকার করা হয় নি, অথচ সূরার শেষ লাইন টি লক্ষ্য করলেই কিন্তু নাটের গুরু কে তা বোঝা যাবে। কোন প্রকারের দুর্নাম রটাইয়া স্ত্রীকে প্রদত্ত সম্পদ ফেরত নিতে নিষেধ করা হয়েছে, আর এ দুর্নাম রটনাকারীরা হলো বিধবা নারীর স্বামীর আত্মীয় স্বজন ও বলা বাহুল্য তারা সবাই পুরুষ। এবং মনে হচ্ছে আল্লাহ নারীদের প্রতি বোধ হয় সত্যিই খুব দয়ালূ । কিন্তু বিষয়টি তা নয়। আসল ঘটনা হলো- ১৪০০ বছর আগের সেই বর্বর আরব সমাজে পুরুষ মানুষ ইচ্ছে করে তাদের বিধবা স্ত্রীদের নামে কলংক রটাত এবং তাদেরকে কোন কিছু না দিয়ে বা তাদেরকে প্রদত্ত জিনিস পত্র কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে দিত। কারন তখন সমাজে বিধবা নারীর সংখ্যা ছিল বহু, প্রতিনিয়ত যুদ্ধে সাহাবীরা মারা যাচ্ছিল, ফলে প্রতি পরিবারে বিধবা নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল যাদেরকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানো ছাড়া আর উপায় ছিল না সেই পরিবারের পুরুষদের। এর পর বলছে- যদি তোমরা এক স্ত্রী বদলাইয়া অন্য স্ত্রী গ্রহনের ইচ্ছা কর আহ কি মহা সম্মান কোরান এইবার প্রদান করছে নারীদেরকে! নারী যেন কোন পরিধেয় পোষাক বা গৃহপালিত জন্তু তাকে যখন ইচ্ছা খুশি বদলানো যায় ও নতুন আর একটা গ্রহন করা যায়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সামান্য একটু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে আর তা হলো- তাদেরকে প্রদত্ত মাল ফেরত নেয়া যাবে না , কি অপূর্ব সম্মান নারীর প্রতি! একটা ধনী ও লম্পট পুরুষ যখন ইচ্ছা খুশি একটার পর একটা স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেবে কারন তার নিত্য নতুন মেয়ে মানুষ চাই যৌন জীবনে বৈচিত্র উপভোগ করতে, এ জন্য সে সামান্য ত্যাগ স্বীকার করবে মাত্র এবং তা হলো সে স্ত্রীকে প্রদত্ত মালের কিছু ফেরত নেবে না ও বিয়ের মোহরানা পরিশোধ করে দেবে, ব্যাস আর কিছু দরকার নেই। কারন তালাক দেয়ার মতা শুধু পুরুষের হাতে, পুরুষটি যদি পৌরষত্বহীন হয়, বা অন্য কোন কারনে অম হয় স্ত্রীর শারিরীক ও মানসিক চাহিদা মেটাতে, তা হলেও নারী তাকে তালাক দিতে পারবে না আল্লার বানী বা কোরানের মতে, আর তা করে কোরান নারী জাতিকে অভুতপূর্ব সম্মান প্রদর্শন করেছে নির্দ্বিধায়। বস্তুত এ ধরনের আয়াত দ্বারা পুরুষকে বহুগামী করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে যা প্রকারান্তরে একটা প্রেম ভালবাসা মায়া মমতাহীন সমাজ সৃষ্টির পথ দেখানো হচ্ছে যেখানে প্রতিটি পুরুষ হবে মোহাম্মদের দাস ও পুতুল স্বরূপ যারা ধর্মের নামে যাবতীয় অত্যাচার অবিচার খুন রাহাজানি গনহত্যা কোন কিছু করতেই পিছ পা হবে না তথা তারা সৃষ্টি করতে পারবে একটা বর্বর সমাজ। পুরুষ মানুষ যদি বহুগামী হয়, তাহলে তার পে প্রকৃত অর্থে একটা প্রেম ভালবাসাপূর্ন পরিবার গড়ে তোলা সম্ভব নয় সঙ্গত কারনেই। পুরুষকে বহুগামী হবার জন্য উৎসাহিত করে তাই বলা বাহুল্য একটি অশান্তিময় ও জঙ্গী সমাজ গঠনের জন্য প্রেরনা দেয়া হচ্ছে , অথচ আবার প্রচার করা হয়- ইসলাম নাকি শান্তির ধর্ম। ইসলাম যে পরিশেষে একটা জঙ্গী সমাজ গড়ে তোলে তা কিন্তু আমরা বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের দেশে দেশেই দেখতে পাচ্ছি।
পুরুষগণ নারীদিগের উপর কর্তৃত্বশীল, এই কারনে যে, আল্লাহ উহাদের কাহাকেও কাহারও উপর মর্যাদা প্রদান করিয়াছেন, এবং পুরুষেরা স্বীয় মাল হইতে তাহাদের অর্থ ব্যয় করিয়াছে, ফলে পূন্যবান রমনীগন অনুগত থাকে, অজ্ঞাতেও তত্ত্বাবধান করে, আল্লাহর তত্ত্বাবধানের মধ্যে এবং যাহাদের অবাধ্যতার সম্ভাবনা দেখিতে পাও, তাহাদিগকে উপদেশ দাও, এবং তাহাদের সহিত শয্যা বন্ধ কর এবং তাহাদিগকে সংযতভাবে প্রহার কর, তারপর যদি তোমাদের নির্দেশ অনুযায়ী চলিতে থাকে, তাহা হইলে তাহাদের উপর নির্যাতনের পন্থা অবলম্বন করিও না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সুউচ্চ মর্যাদাশীল মহান। সূরা-৪:নিসা, আয়াত:৩৪
এতন পর এই বার নারীর প্রতি কোরানের সম্মান একেবারে নগ্নভাবে প্রকাশ হয়ে পড়ল। এখানে সরাসরি বলে দেয়া হচ্ছে, নারীর ওপর পুরুষরা তথা স্বামীরা কর্তৃত্ব করবে যা আল্লাহর ইচ্ছা, নির্দেশ ও বিধান, তবে আল্লাহর নির্দেশ বা বিধান বলেও মনে হয় সেই বর্বর আরব সমাজে পার পাওয়া যাচ্ছিল না , তাই কারন হিসাবে বলা হলো- যেহেতু স্বামী স্ত্রীর ভরনপোষন করে সেহেতু সে তার স্ত্রীর ওপর আধিপত্য করবে। এবং এখানেও সেই এক তরফা নারীদেরকে দোষী বা কুকর্মের হোতা হিসাবে সাব্যাস্ত করা হয়েছে এই বলে যে- যাহাদের অবাধ্যতার সম্ভাবনা দেখিতে পাও-অর্থাৎ শুধু নারীরাই একমাত্র অবাধ্য হয় আর তা হলে তার ফুলের মত পবিত্র স্বামী কি কি করবে তারও একটা ফিরিস্তি এ সূরাতে সুন্দরভাবে দেয়া হয়েছে। প্রথমে উপদেশ দিবে, তারপর শয্যা বন্দ করবে, এরপর প্রহার মানে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করবে- অর্থাৎ স্বামী প্রবরটি যা ইচ্ছা খুশী করবে কিন্তু স্বামী প্রবরটি দুনিয়ার আকাম কুকাম করে বেড়ালেও স্ত্রীকে চুপ করে বসে থাকতে হবে ঘরের চার দেয়ালের মাঝে। আর তা হলেই সে হবে পূন্যবতী , সতী , সাধ্বী নারী। নারীদেরকে কি বিপুল সম্মানই না প্রদান করা হয়েছে কোরান নামক আল্লাহ প্রেরিত পুস্তক খানিতে!
নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী দুই-দুই, তিন-তিন ও চার-চার রমনীকে বিবাহ কর, কিন্তু তোমরা যদি আশংকা কর যে, সমতা রা করতে পারিবে না, তদবস্থায় একই স্ত্রী কিংবা তোমাদের অধীনস্ত দাসী; ইহা অবিচার না হওয়ারই অতি নিকটতর। সূরা-৪: নিসা, আয়াত:৩
নারীদেরকে যে শুধুমাত্র যৌন আনন্দের জন্য ভোগ্য পন্য ছাড়া আর কিছুই ভাবা হয়নি তার অকাট্য প্রমান উপরোক্ত আয়াতের বানী। একজন পুরুষ চারটি পর্যন্ত বিয়ে করতে পারবে, অর্থাৎ তার জন্যে যৌন আনন্দ লাভের জন্য বৈচিত্রের ব্যবস্থা করেছে কোরান বা ইসলাম। কারন সেই যুগে অসভ্য আরবদের জন্য জীবন উপভোগের সবচাইতে বড় উপায় ছিল যৌন কর্ম। সেসব আরবদেরকে ইসলাম ধর্মে আকৃষ্ট করতে হলে তাই বলা বাহুল্য যৌন আনন্দ লাভের একটা ব্যপক ব্যবস্থা থাকতে হবে।নইলে মানুষ ইসলাম কবুল করবে না। আর সেই সময়কার আরব সমাজে বিরাজ করছিল তার অনুকুল পরিবেশও । নিত্য নৈমিত্তিক যুদ্ধ বিগ্রহের ফলে পুরুষ মানুষের মৃত্যু হওয়ায় সমাজে পুরুষ মানুষদের ঘাটতি ছিল, সুতরাং নবী মোহাম্মদ কোরানের বানীর নামে উপরোক্ত আয়াত নাজিল করলেন অসভ্য আরবদেরকে ইসলামে আকৃষ্ট করতে। অসভ্য আরবরা আগে যেভাবে যথেচ্ছ যৌনাচার করে আনন্দ উপভোগ করত, ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নেয়ার পরেও তার ব্যবস্থা সামান্য একটু ভিন্ন কায়দায় বহাল থাকল, ফলে ইসলাম ধর্ম গ্রহনে তার আর আপত্তি থাকার কথা না। উপরোক্ত আয়াত দ্বারা প্রকাশ করা হচ্ছে এক সাথে চারটি স্ত্রী রাখা যাবে, তবে কৌশল করে বলা হচ্ছে যদি স্ত্রীদের মধ্যে সমতা রা করতে না পারা যায় সেক্ষেত্রে দাসীদের সাথে যৌনাচার করা যাবে যত ইচ্ছা খুশী এবং বলা বাহুল্য বিয়ে না করেই।খোদ নবীরই দাসীর সংখ্যা ছিল বহু যাদের সাথে তার যৌন সমপক ছিল। অর্থাৎ বিয়ে বহির্ভুত যৌনাচারকে এখানে আল্লাহ বৈধ করে দিয়েছেন যেখানে অন্যত্র অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য মৃত্যুদন্ডকে শাস্তি হিসাবে ঘোষনা করেছেন যা বলা বাহুল্য একটা মারাত্মক স্ববিরোধিতা। তো এত ভনিতার দরকার কি – সোজা সাপ্টা একটা বিয়ে করার কথা বললেই তো সব ল্যাঠা চুকে যেত। আসলে বিষয়টা অন্য। স্বয়ং আল্লাহর নবী নিজই বিয়ে করেছিলেন ১৩ টারও বেশী, তিনি কিভাবে তার উম্মতদেরকে মাত্র একটা বিয়ে করতে বলেন? আর তা বললেই কি তার উম্মতরা শুনত নাকি? বা তার উম্মত হতো নাকি? কথায় বলে না- আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও।হাদিসে আছে কোন এক বালকের মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করাতে গিয়ে মোহাম্মদ নিজে প্রথমে মিষ্টি খাওয়া ত্যাগ করেছিলেন , তারপর বালকটিকে মিষ্টি খেতে উপদেশ দিয়েছিলেন। তো তিনি নিজে বৈধ বিয়ে করেছিলেন ১৩ টার বেশী, এছাড়া আরও দাসী ছিল কত যৌন আনন্দ উপভোগের জন্য, তো তিনি কিভাবে তার উম্মতদেরকে মাত্র একটা বিয়ে করতে বলবেন ? এখানে অবশ্য কায়দা করে বলা হচ্ছে -তোমরা যদি আশংকা কর যে, সমতা রা করতে পারিবে না, চার-চারটি বিয়ে করার কথা বলার পর এ কথার কিন্তু কোন মানে থাকে না, কারন যদি সমতা রা নাই করতে পারবে(স্বয়ং নবীও যা পারেন নাই, তার বেশী দুর্বলতা ছিল সুন্দরী বালিকা বধূ আয়েশার প্রতি), কোন মানুষের পে যা সম্ভবও নয়, তাহলে চার চার টি বিয়ে করার কথা কেন বলা হলো?
-তোমরা কখনো ভার্যাগনের মধ্যে সমতা রা করতে পারবে না যদিও লালায়িত হও, তবে সামগ্রিকভাবে ঝুকিয়া পড়িও না যে অপর স্ত্রীকে ঝুলানবৎ করিয়া রাখিবে এবং যদি সংশোধন কর এবং উভয়ে যদি পৃথক হইয়া যায়, তবে আল্লাহ অতিশয় মাকারী দয়ালু। এবং যদি উভয়ে পৃথক হইয়া যায় তবে আল্লাহ আপন উদারতায় প্রত্যেককে অমুখাপেী করিয়া দিবেন।-সূরা-৪:নিসা, আয়াত:১২৯-১৩০,
আল্লাহ বলছেন স্ত্রীদের মধ্যে সমতা রক্ষা করতে পারবে না , আবার সাথে সাথেই তিনি বলছেন তবে সামগ্রিকভাবে ঝুকিয়া পড়িও না তার মানে সমতা রক্ষ করতে না পারলেও বহু বিয়ে করা যাবে তবে কারও প্রতি খুব বেশী ঝুকে পড়তে নিষেধ করছেন, তার মানে আগের সূরাতে যে চারটি বিয়ের কথা বলা হয়েছে তা এ সূরা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে। ধূর্ত ইসলামী চিন্তাবিদরা কিন্তু এ বিষয়টি সব সময় এড়িয়ে যায়, তারা আগের সূরাটি উল্লেখ করে প্রচার করে থাকে যে- যেহেতু সমতা রা করা সম্ভব নয় , তাই যদিও চারটি বিয়ের কথা বলা হয়েছে তাই বাস্তবে তা সম্ভব নয় আর যার পরো অর্থ হলো – কোরান একটি মাত্র বিয়ের কথা বলেছে। কিন্তু সূরা নিসা-এর ১২৯-১৩০ আয়াত স্পষ্ট বলছে যে, সমতা রা না করতে পারলেও কোন সমস্যা নেই, সে ক্ষেত্রে কারও প্রতি বেশী ঝুকে পড়তে নিষেধ করা হচ্ছে তথা চারটি বিয়ে করাতে কোন সমস্যা নেই। তার পরেও যদি সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে তালাকের ব্যবস্থা তো আছেই ও পরে আবারও বিয়ে করা যাবে। অর্থাৎ যার প্রতি অবজ্ঞা করা হচ্ছে মনে হবে তাকে তালাক দেয়ার জন্য পুরুষটিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আর তা হলে এ হেন অন্যায় তালাকের জন্য পুরুষ লোকটির কোন সমস্যা হবে না কারন আল্লাহ অতিশয় দয়ালু। আল্লাহ শুধু দয়ালুই নন, পরন্তু তিনি এমন উদার যে সেেেত্র তিনি এমন ব্যবস্থা করে দেবেন যাতে সেই তালাক প্রাপ্তা নারী আর তার পূর্বের স্বামীর প্রতি কখনোই মুখাপেী হবে না। বোঝা যাচ্ছে বিয়ে করে একাধিক স্ত্রী অর্জন ও যৌনানন্দ উপভোগ করাই হলো ইসলাম ধর্ম মতে পুরুষ মানুষের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য যাকে খুব কদর্যভাবে কোরানে বার বার উপস্থাপন করা হয়েছে। তৎকালীন অসভ্য আরবদেরকে প্রায় অবাধ যৌন আনন্দ উপভোগ করার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য কোরান বা ইসলাম খুব কৌশলে বহু বিবাহকে উৎসাহিত করেছে যা কোরানের অনেক যায়গাতে খুব উৎকট ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। কারন তা না করলে আরবরা মোহাম্মদের ইসলাম গ্রহন করত না।যা প্রকারান্তরে নারীদেরকে চুড়ান্ত অপমান ও অসম্মান করেছে। ইসলাম ধর্ম ইহ জগতে বহু বিবাহের মাধ্যমে বৈচিত্রপূর্ন যৌনাচার উপভোগ করার ব্যবস্থাই শুধু ইসলাম করে নাই বরং মৃত্যুর পরও যাতে অবাধ যৌনাচার উপভোগ করা যায় তারও বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে বেহেস্তে প্রতিটি বেহেস্তবাসীর জন্য সত্তরটি চির যৌবনা হুর এর লোভ দেখানোর ব্যবস্থা করে। এ সব আয়োজন কিন্তু শুধু মাত্র পুরুষের জন্য, নারীদের ইহ জগতে যেমন কোন ব্যবস্থা নাই শুধুমাত্র পুরুষকে যখন তখন মনোরঞ্জন করা ও সন্তান উৎপাদন ছাড়া তেমনি বেহেস্তেও তাদের জন্য তেমন কোন বন্দোবস্ত নাই একমাত্র হুরদের সর্দারনী হওয়া ছাড়া। এখন প্রশ্ন হলো- হুররা তো চির যৌবনা যারা ব্যস্ত থাকবে তাদের জন্য নির্ধারিত বেহেস্তবাসীর(অবশ্যই পুরুষদের) মনোরঞ্জনে ( বলা বাহুল্য যৌনকর্মের মাধ্যমে), সর্দারনী হয়ে বেহেস্তবাসী নারী কি হুরদের মত পুরুষকে মনোরঞ্জনের সুযোগ পাবে কি না। একমাত্র ইসলাম ধর্ম ছাড়া দুনিয়াতে অন্য কোন ধর্মে এত নগ্ন ও কুৎসিত ভাবে যৌন আনন্দ উপভোগের লোভ দেখিয়ে মানুষকে ধর্মের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হয়নি।ইসলামের এ বৈশিষ্ট্য দেখে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে- আল্লাহ কি দুনিয়া ও বেহেস্ত তৈরী করেছেন শুধু মাত্র আদম সন্তানদের জন্য যৌনানন্দ উপভোগ করার মূল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে? তথাকথিত আল্লাহ প্রেরিত ঐশী কিতাব কোরানে এ ধরনের নগ্ন ও কুৎসিত বর্ননা ভুরি ভুরি। অথচ তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদরা স্বাড়ম্বরে জাহির করে যে ইসলাম মূলতঃ একটি বিয়ে করার জন্য উৎসাহিত করেছে।তাহলে তো সোজা একটি বিয়ের কথা বলে দিলেই হতো। অযথা সমতা রা করার কথা বলার কোন অর্থ হয় না,এটা একটা বাক চাতুরী ছাড়া আর কিছুই নয়, এবং কিছুটা নারীদের মন জয় করার উদ্দেশ্য প্রনোদিতও বটে। প্রকৃত সত্য হলো- কোরান আসলেই বহু বিবাহকে উৎসাহিত করেছে কিন্তু বর্তমান আধুনিক সমাজের পরিবর্তিত প্রোপটে এটা নিয়ে যখন সমালোচনা হচ্ছে তখন তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদরা উদ্ভ্রান্তের মত, পাগলের প্রলাপ বকছে। অবশ্য চার টি বিয়ে করার কথা বলার অন্য কতকগুলো কারনও আছে। তা হলো-প্রথমতঃ স্বয়ং আল্লাহর নবীরই ১৩টি (মতান্তরে আরও বেশী) স্ত্রী ছিল, সেখানে তিনি তার উম্মতদেরকে কিভাবে একটা মাত্র স্ত্রী রাখতে বলেন ? যদি তা বলেন তাহলে তার উম্মতরা তা শুনবে কেন? বলা বাহুল্য, তাহলে কেউ ইসলাম কবুল করবে না,ঠিক একারনেই নবীকে এভাবে চারটি বিয়ে করার ফতোয়া দেয়া ছাড়া কোন গতি ছিল না। দ্বিতীয়তঃ বিভিন্ন যুদ্ধ বিগ্রহে অনেক মুসলমান মারা যাচ্ছিল, সমাজে অনেক বিধবা নারীদের উদ্ভব ঘটছিল যাদের বেচে থাকার কোন অবলম্বন ছিল না,তাদের একটা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা থেকেও চারটি বিয়ের ব্যবস্থা দরকার ছিল। তৃতীয়তঃ অতি দ্রুত মুসলমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির দরকার ছিল, তাই এক সাথে একাধিক স্ত্রী থাকলে অধিকহারে জন্মদান করে মুসলমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবে। মূলতঃ এগুলোই ছিল বাস্তব সম্মত কারন। আর এটা করতে গিয়ে নারীদেরকে করতে হয়েছে চুড়ান্ত অসম্মান ও অপমান, তাদেরকে পরিনত করা হয়েছে যৌন দাসী ও প্রজননের যন্ত্র, কাজের বেটি বা বড়জোর রতিা।
মহান আল্লাহ দাস প্রথার মত একটা চরম অমানবিক ব্যপারে আশ্চর্যরকম চুপ গোটা কোরান শরিফে, এ কেমন আল্লাহ যিনি পুরুষ মানুষ কয়টা বিয়ে করতে পারবে, ওজনে কম নাকি বেশী দিতে হবে, কাফেরদেরকে কেমনভাবে খুন করতে হবে, এমনকি নবী কাকে বিয়ে করবে আর কাকে করবে না তার মত তুচ্ছ ব্যপারে আয়াত নাজিল করতে পারে, অথচ মানবজাতির চরম অপমান দাসপ্রথা তা নিষেধ করার কথা বলতে পারল না? আল্লাহর দৃষ্টিতে সব মানুষ সমান হলে তিনি দাস প্রথা তুলে দেয়ার নির্দেশ কেন দেন নি কোরানে ? তবে মোহাম্মদ তার শেষ ভাষণে দাসদের প্রতি ভাল ব্যবহার করতে উপদেশ দিয়েছিলেন, নানা হাদিসেও দাসদের সাথে সদ্ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু দাস প্রথা উচ্ছেদের ডাক কেন দিলেন না ? এর সোজা অর্থ তৎকালীন আর্থ-সামাজিক প্রোপটে দাসপ্রথা তুলে দেয়ার মত অবস্থা ছিল না যদিও সার্বিক বিচারে তা ছিল চরম একটা অমানবিক ব্যপার। মোহাম্মদ নিজে ব্যক্তিগত ভাবে দাসদের সাথে ভাল আচরন করেছেন বা দুই চারজন দাসকে তিনি মুক্তিও দিয়েছিলেন সত্য কিন্তু একটা অমানবিক প্রথা টিকিয়ে রেখে ব্যক্তিগত ভাবে এরকম আচরনের কোন সুদুর প্রসারী প্রভাব আছে? একেবারেই নেই, সে কারনেই কিন্তু নবীর আদর্শ অনুসরন করে ধাপে ধাপে কোন মুসলিম দেশ বা জাতিতে দাস প্রথা তুলে দেয়া হয়নি কখনো অর্থাৎ নবীর ব্যক্তিগত আচরনের দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে কোন মুসলিম দেশেই কিন্তু দাস প্রথার বিলুপ্তি ঘটে নি। দাস প্রথা সর্বপ্রথম বিলুপ্ত করে মুসলমানদের ভাষায় কাফির মুরতাদরা মানে অমুসলিমরা। আব্রাহাম লিংকনের আমলে সেই উনবিংশ শতাব্দির মাঝা মাঝি সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাস প্রথার বিলোপের ঘটনা ও তার ফলে সৃষ্ট গৃহযুদ্ধের কথা আমরা অনেকেই জানি। কোরান আল্লাহর তরফ থেকে প্রেরিত হয়ে থাকলে অবশ্যই দাস প্রথার মত ঘৃন্য প্রথার বিলুপ্তির ঘোষনা তাতে থাকত। শুধু তাই নয়, আল্লাহ তার বানীর মাধ্যমে দাসীদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত যৌনকর্মের অনুমতিও দিয়েছেন। মহান ও অসীম দয়ালু আল্লাহ কিভাবে এহেন অমানবিক বিষয়ের অনুমোদন দিতে পারেন ? সুতরাং খুব স্পষ্টতই বোঝা যায়, আল্লাহর বানী নয় এটা, এটা ছিল মোহাম্মদের নিজের মুখের বানী যা তিনি অসভ্য আরবদের মধ্যে আল্লাহর বানী হিসেবে চালিয়ে দিয়েছেন। আবারও স্ত্রীদের মর্যাদার বিষয়ে ফিরে আসা যাক।যদি তৃপ্তি না মেটে কোন কোন স্ত্রীকে তাদের মোহরানা মিটিয়ে দিয়ে তালাক দিয়ে নতুন নতুন বিয়ে করে নিলেই হলো। কারন একমাত্র স্বামীই পারে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে, স্ত্রীর তালাক দেয়ার অধিকার নেই।তালাক দেয়ার জন্য আছিলা দরকার ,তারও বন্দোবস্ত করা আছে, বলে দিলেই হবে যে সে আর মনোরঞ্জন করতে পারছে না , ব্যাস তাহলেই হবে, এরপর তাকে তার মোহরানা দিয়ে তালাক দিয়ে দেও তাহলেই সাত খুন মাফ কারন এই মোহরানা পরিশোধের ব্যপারে কোরানে খুব বেশী জোর দেয়া হয়েছে, আবার বিয়ে করো, আর যত ইচ্ছা খুশী যৌন আনন্দ উপভোগ কর। কোনই সমস্যা নাই কারন তা আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত নিয়ম নীতি দ্বারা অনুমোদিত। অথচ স্বামী প্রবরটি যদি যৌন অম হয় বা রোগাক্রান্ত হয়ে অম হয়ে তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে না পারে তা হলেও সে তার স্বামীকে তালাক দিতে পারবে না। কি অপূর্ব মর্যাদা দেয়া হয়েছে ইসলামে! বস্তুতঃ ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মে আল্লাহর বানীর নামে নারীদেরকে ভোগ করার এমন অবাধ সুযোগ ও ব্যবস্থা আর নেই। যেখানে নারীরা শুধুমাত্র যৌন আনন্দের একটা উপকরন মাত্র, একই সাথে বংশ বিস্তারের জন্য একটা প্রজনন যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না। মোহরানা পরিশোধের বিষয়টির ব্যপারে কোরানে এত জোর দেয়ার কারন কিন্তু নারীদের প্রতি আল্লাহর অতিরিক্ত কোন দয়া বা ভালবাসা নয়। এর কারন হলো- পুরুষরা যেন অতি সহজে স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে পারে ও নতুন স্ত্রী গ্রহন করতে পারে। কোন কিছু না দিয়ে আগের স্ত্রীকে বিদায় দিলে তা নিতান্ত অমানবিক দেখায়, তাই স্ত্রীকে যে কোন সময় ত্যাগ করার বিষয়টিকে একটু মানবিক রং দেয়ার উদ্দেশ্যেই মূলতঃ মোহরানা পরিশোধের বিষয়ে সবিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। এই মোহরানা বিষয়টি কি? বিষয়টি হলো- বিয়ের কাবিন নামাতে স্বামী একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ বা সম্পদ দেয়ার অঙ্গিকার করে। স্বামী যখন স্ত্রীকে তালাক দেয়, তখন স্বামীকে কাবিন নামাতে লিখিত সেই নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ বা সম্পদ পরিশোধ করে দিতে হয়। এখন একটি স্ত্রী তার স্বামীর ঘরে বেশ কিছু বছর বসবাস ক’রে সেখানে সে তার স্বামীর সংসারে নানাভাবে অবদান রাখে, তালাকের সময় সেই অবদানের কোন স্বীকৃতি দেয়ার কোন বিধান কিন্তু কোরানে নেই। স্বামীর সংসারে সে পারিবারিক কাজ কর্ম করে,পরিবারের দেখাশুনা বা রনাবেন করে, সন্তান সন্ততি লালন পালন করে, এর ফলে স্বামী নিরুদ্বিঘœ চিত্তে বাহিরে তার পেশাগত কাজে মনোনিবেশ করতে পারে ও সম্পদ অর্জন করে, বস্তুতঃ সেই সম্পদেও স্ত্রীর একটা হিস্যা বা দাবী প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। কিন্তু কোরানে একমাত্র মোহরানা প্রদান ছাড়া অন্য সম্পদ দেয়ার কোন বিধান রাখে নি। অনেকটা রক্ষিতা রাখার মত ব্যপারটা। যেন একটা লোক একটা রক্ষিতা পুষল, কিছু বছর পর লোকটি রক্ষিতার প্রতি এক সময় আকর্ষণ হারিয়ে ফেলল এবং তখন সে মজুরি বাবদ কিছূ অর্থ প্রদান করে রক্ষিতা টিকে বিদায় দিয়ে দিল।
এবং তাহাদের স্তূপিকৃত মালও দিয়া থাক, তবুও উহা হইতে কিছুই লইও না। তোমরা কি স্ত্রীর নামে কোন প্রকারের দুর্নাম রটাইয়া সুস্পষ্ট গোনাহ করিয়া উহা ফেরত লইতে চাও?সূরা-৪: নিসা, আয়াত:১৯-২১
এ কথাগুলো দিয়ে কিন্তু নারীর প্রতি কোন সম্মান দেখানো হচ্ছে না। একটা পুরুষ যখন একটা নারীর সাথে বসবাস করে, ও নারীটি পুরুষটির মনোরঞ্জন করে, পুরুষটি অনেক সময় খুশী হয়ে কিছু গিফ্ট বা উপহার দেয় নারীটিকে , তো যখন পুরুষটি নারীটিকে ত্যাগ করবে তখন সেই উপহার সামগ্রী ফেরত নিতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্ত্রেও নারীটির সাথে অনেকটা রক্ষিতার মত ব্যবহার করা হচ্ছে। কোন পুরুষ মানুষ রক্ষিতা কে কিছু উপহার দিলে তা কখনো ফেরত নেয় তা শোনা যায় না, কিন্তু সেই আরবের মানুষগুলো এত অসভ্য ছিল যে , এ বিষয়টি স্রেফ একটি উপদেশের মত করে বললে তারা তা শুনত না, তাই নবী মোহাম্মদকে সেই উপদেশটাও আল্লাহর বানীর আকারে বলতে হয়েছিল। বিষয়টি আসলেই যে তাই তা কিন্তু পরের একই সূরার পরের বাক্যে নিশ্চিত করা হয়েছে-
উহা কি প্রকারে ফেরত নিবে, যেহেতু তোমরা একে অন্যের সহিত সহবাস করিয়াছ? সূরা-৪: নিসা, আয়াত: ২১।
অর্থাৎ সহবাস বা যৌন উপভোগের মজুরি স্বরূপ তা গন্য হবে, যা স্রেফ নারীটিকে একেবারে রক্ষিতার পর্যায়ে নামিয়ে ফেলেছে।যাই হোক , এখানেও কিন্তু কোরান স্বামীকে বলেনি যে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সময় স্ত্রীটি বছরের পর বছর ধরে সংসারে যে অবদান রেখেছে তার কোন স্বীকৃতি দিতে।মোহরানা পরিশোধ বা উপহার প্রদানের বিষয়ের সাথে পরিবারে যে অবদান রাখা হয়েছে তার কোন সম্পর্ক নেই। কোরান যদি বলত যে- স্বামীর অর্জিত সব সম্পদের ওপর স্ত্রীরও সমান অধিকার থাকবে যেহেতু স্ত্রী পরিবারের যাবতীয় সাংসারিক দায়িত্ব পালন করেছে, সন্তান সন্ততির লালন পালন করেছে, পরিবারের সুষ্ঠু রনাবেন করেছে সেহেতু স্বামী তার পেশাগত দায়িত্ব ঠিক মতো নির্বিঘœ চিত্তে পালন করতে পেরেছে ও সম্পদ অর্জন করতে পেরেছে- তাহলেই নারীদের প্রতি সত্যিকার সম্মান প্রদর্শন করা হতো। সুতরাং গভীর ভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় যে – কোরান তথা ইসলাম একজন স্ত্রীকে তার স্বামীর একটা কাজের মেয়ে বা বড়জোর একটা রতিার মত মর্যাদা দিয়েছে। তবে সেই সম্পর্কটিকে একটা দলিলের(কাবিননামা) মাধ্যমে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছে যাকে ইসলামী চিন্তা বিদরা নারীদের জন্য একটা মহা মূল্যবান সম্মানের ব্যপার বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। খুব সূক্ষ্মভাবে বিচার করলে কোরান এর বর্ননা অনুযায়ী-
উহা কি প্রকারে ফেরত নিবে, যেহেতু তোমরা একে অন্যের সহিত সহবাস করিয়াছ? সূরা-৪: নিসা, আয়াত: ২১
তার মানে কাবিন নামা হলো একটা নারীর সাথে একটা পুরুষের যৌন কর্ম ও তার মজুরী ধার্যের একটা চুক্তিনামা যে কারনে পুরুষ মানুষটি যে কোন সময়ে চুক্তি মোতাবেক মজুরী পরিশোধ পূর্বক নারীটিকে বৈধভাবেই ত্যাগ (তালাক দেয়া) করতে পারবে, তাতে নারীটি কোন বাধা দিতে পারবে না।ঠিক একারনেই কোরানের বানী মোতাবেক মুসলমানদের মধ্যে তালাক প্রদান বিষয়টি সব চাইতে সহজ ও সরল এবং একারনেই মুসলমানদের মধ্যে নারীরা তালাক প্রাপ্ত হয় সব চেয়ে বেশী বঞ্চনার মধ্য দিয়ে। কোন রকম মানবিক দায় বদ্ধতা এখানে নেই।
খুব কৌতুহলোদ্দীপক বিষয় হলো- ইসলামী চিন্তাবিদরা কিন্তু প্রানান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন পুরুষ ও নারীদের সমান মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ও সে অনুযায়ী তারা কোরানের বানী তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন প্রানপন। তা করে তারা বের করলেন এই সুরা –
তোমার বিবিগন তোমাদের আচ্ছাদন আর তোমরা তাদের আচ্ছাদন। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:১৮৭
এর অর্থ নাকি নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করেছে আল কোরান। এবার এ আয়াতটি পুরো বর্ননা করা যাক-
তোমাদের জন্য রমজানের রাত্রে তোমাদের বিবিগনের নিকট গমন করা জায়েজ করা হইয়াছে, তোমার বিবিগন তোমাদের আচ্ছাদন আর তোমরা তাদের আচ্ছাদন, আল্লাহ জানিতে পারিলেন যে তোমরা নিজেদের ক্ষতি করিতেছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদের অপরাধ মার্জনা করিলেন এবং তোমাদের দোষ ছাড়িয়া দিলেন, সুতরাং এখন উহাদের সহিত সহবাস কর। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:১৮৭ ,
রমজান মাসে স্বামী স্ত্রী যৌনমিলন করতে পারবে কিনা তার সমাধান করার উপলক্ষ্যে এ সূরাটি নাজিল হয়।এখন পাঠকগন নিজেরাই বুঝতে পারবেন কেন স্বামী ও স্ত্রীগনকে একে অন্যের আচ্ছাদন হিসাবে বর্ননা করা হয়েছে। এটা যে নারী ও পুরুষ সমান মর্যাদাবান অর্থে ব্যবহৃত হয়নি তা আশা করি ব্যাখ্যা করে বুঝানোর দরকার নেই। তারপরও বলতে হয়- বিষয়টা নিছক যৌন ক্রীড়ার সাথে সম্পর্কিত এবং সেটাই এখানে খুব পরিষ্কার ভাবে বলা হচ্ছে। অর্থাৎ যৌন ক্রীড়ার সময় স্বামী ও স্ত্রী একে অন্যের আচ্ছাদনের মত বা একে অন্যের সাথে পরিপূরক হিসাবে কাজ করে কারন তা না করলে যৌন ক্রীড়ার আসল আনন্দটাই পাওয়া যায় না এবং বলা বাহুল্য বিষয়টা যে কতটা সত্যি তা বিবাহিত পুরুষ ও নারী মাত্রেই জানেন। এ আচ্ছাদন বলতে স্ত্রী যে স্বামীর সমকক্ষ বা সমান অধিকার ধারন করে তা কি কেউ বলবে ? আর খেয়াল করুন আয়াতটিতে বলা হচ্ছে শুধু পুরুষ মানুষকে উদ্দেশ্য করে। কেন তা বলা হচ্ছে? কারন পবিত্র রমজান মাসে যেখানে ধৈর্য্য ধারন করার কথা, যৌন ক্রীড়ার মত বিষয় থেকে দুরে সরে থাকার কথা, অসভ্য আরব পুরুষগুলো তা করতে রাজী নয়, যৌন ক্রীড়াই হলো তাদের আনন্দ উপভোগের প্রধান মাধ্যম, তাই রমজানের পবিত্রতা রার নামে তারা সে কাজ থেকে বিরত থাকতে রাজী নয়।নবী মোহাম্মদ মৌখিক ভাবে তাদেরকে রমজান মাসে যৌন সম্ভোগ করতে নিষেধ করেছেন কিন্তু কেউ তার কথায় কর্নপাত করে নি, বিষয়টার গুরুত্ব বুঝতে ভীষণ বুদ্ধিমান মোহাম্মদের বিলম্ব হয় না।তাছাড়া তার নিজেরও অসংখ্য সুন্দরী ও আকর্ষনীয়া স্ত্রী আছে, তিনিও বা কি করে তাদের সাথে সহবাস না করে থাকবেন? তিনি খুব দ্রুত বুঝে ফেললেন আরবদের মাঝে ইসলাম প্রচার করতে হলে রমজান মাসের পবিত্রতার নামে যৌন ক্রীড়া বন্দ করার কথা বলা যাবে না, বললে ইসলাম প্রচার হবে না। ফলাফল- খুব দ্রুত আল্লাহর তরফ থেকে ওহী নাজেল হয়ে গেল এবং তাতে কি বলা হয়েছে তা তো উপরেই বর্ননা করা হয়েছে। আরবরা যে পবিত্রতা রার নামে রমজান মাসে যৌন ক্রীড়া থেকে বিরত থাকত না তার বর্ননা কিন্তু সূরাতেই আছে-আল্লাহ জানিতে পারিলেন যে তোমরা নিজেদের ক্ষতি করিতেছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদের অপরাধ মার্জনা করিলেন এবং তোমাদের দোষ ছাড়িয়া দিলেন, আল্লাহ সত্যিই অশেষ দয়াবান ও ক্ষমাশীল, তিনি আরবদেরকে পূর্বকৃত অসংযমী যৌনাচারকে শুধু মাফই করেন নি বরং তাকে জায়েজ করে দিয়েছেন নিজ মহত্বতায়। কোরানে বার বার যেখানে বর্ননা করা হয়েছে- নারীদের ওপর পুরুষরা কর্তৃত্বশীল, নারীদের ওপর পুরুষদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে, স্ত্রী যদি অবাধ্য হয় তাকে শারিরীক ভাবে প্রহার করা যাবে, যে কোন সময় স্ত্রী বদলানোর জন্য তাকে তালাক দেয়া যাবে, এক সাথে চারটা পর্যন্ত স্ত্রী গ্রহন করা যাবে, তাতেও তৃপ্তি না হলে যত ইচ্ছা খুশি দাসীকে ভোগ করা যাবে এত কিছুর পরে কোথায় যৌন ক্রীড়ার সময়কার একটা বর্ননাতে বলা হলো পুরুষ ও নারী একে অন্যের আচ্ছাদন আর তাতেই নারী পুরুষের সমান মর্যাদা সম্পন্ন হয়ে গেল ? বড় আজব কথা বার্তা। ধুরন্ধর ইসলামী চিন্তাবিদরা কিন্তু আরও একটা সূরা হাজির করে এ বিষয়ে আর সেটা হলো-
পুরুষদের ওপর নারীদের হক আছে যেমন দস্তুর অনুযায়ী নারীদের ওপর পুরুষের হক আছে। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:২২৮
লক্ষ্য করুন আয়াতটি পড়লে কিন্তু সত্যি সত্যি মনে হবে কোরান স্বামী ও স্ত্রীকে সমান মর্যাদা প্রদান করেছে। এবার পুরো আয়াতটি দেখা যাক সেখানে কি লেখা আছে-
পুরুষদের ওপর নারীদের হক আছে যেমন দস্তুর অনুযায়ী নারীদের ওপর পুরুষেরও হক আছে, অবশ্য নারীদের ওপর পুরুষদের বিশেষ মর্যাদা রহিয়াছে, এবং আল্লাহ শক্তিমান ও প্রজ্ঞাশীল। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:২২৮
এবার পাঠক নিজেই ভানুমতির খেলটা ভালই ধরতে পারবেন আশা করি।সে খেলটা কি ? নারী ও পুরুষের একে অন্যের উপর হকের কথা বলে ঠিক পরেই বলছে-নারীদের ওপর পুরুষের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে আর বলা বাহুল্য এর মানে হলো- পুরুষ নারীর ওপর সবসময় কর্তৃত্ব করবে কারন তারা সমান মর্যাদার অধিকারী নয়।ধুরন্ধর ইসলামী চিন্তাবিদরা যে কৌশলটির আশ্রয় নেন তা হলো- সূরাটাকে আংশিকভাবে উল্লেখ করেন। তা করে তারা নিরীহ জনগনকে ধাপ্পা দিতে চান।
একটা কাজ ইসলাম নারীদের জন্য করেছে তা হলো-পিতা-মাতা বা স্বামীর সম্পত্তিতে নারীর কিছুটা অধিকার দেয়া হয়েছে। গোটা কোরানে যদি নারীদের কিছুটা সম্মান দেয়া হয়ে থাকে তো তা এই এটুকুই। এ ছাড়া কোরানে আল্লার অমোঘ বানীর নামে নারীদেরকে ক্রমাগত অপমান আর অসম্মান ছাড়া আর কিছুই করেনি। আসলে এ সম্মান টুকুও বোধ হয় করা হতো না, করা হয়েছে বাস্তব কারনে। আর তা হলো- সেই চোদ্দ শ’ বছর আগে যখন নবী মোহাম্মদ আরব দেশে ইসলাম প্রচার করছিলেন তখন সেখানকার মানুষদের সাথে সব সময় প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হচ্ছিল, প্রায়ই যুদ্ধ বিগ্রহ চলছিল, তাতে অনেক মুসলমান পুরুষ মারা পড়ছিল, বহু নারী বিধবা হচ্ছিল, সেই আরব সমাজে নারীদের জন্য বেচে থাকার কোন পেশা ছিল না, আবার তাদেরকে বিয়ে করার মত পর্যাপ্ত পুরুষ মানুষও সেই আরব দেশে ছিল না, তাই নিতান্তই বেচে থাকার প্রয়োজনে তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করতে হয়- সে তাগিদ থেকেই মূলতঃ নারীদেরকে তাদের পিতা মাতা বা স্বামীর সম্পত্তির কিছু অংশ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। তা যদি না করা হতো তাহলে নারীরা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করত না। সুতরাং এটা ছিল একটা রাজনৈতিক কৌশলের মত, কোন ক্রমেই আল্লাহ প্রেরিত নির্দেশের মত এটাকে শোনায় না। নারীরা মনে হয় কোরান কে কখনো ঠিকমতো পড়ে নাই। পড়ে থাকলে তাদের পে ইসলাম ধর্মে পড়ে থাকা খুব কঠিন হতো। ইসলামী পন্ডিতরা এ বিষয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে বলে থাকে যে, অন্যান্য ধর্মে তো একেবারেই নারীদেরকে সম্মান দেখানো হয় নি। যেমন খৃষ্টান ধর্মে নারীদেরকে নরকের দ্বার, হিন্দু সনাতন ধর্মের মনু সংহিতায় প্রায় একই কথা বলা হয়েছে নারী সম্পর্কে। ইসলাম ধর্মে তো সেরকম কিছু করা হয়নি। কথাটা একশ ভাগ সত্যি। কিন্তু তারা একবারও ভাবে না যে, ওসব ধর্মের কিতাবে যদিও নারীদের সম্মান দেখানো হয়নি, তার পরেও ও সব ধর্মের অনুসারীরা কিন্তু বর্তমানে মনে করে বা বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর বা ভগবান নিশ্চয়ই কিতাবে ওসব কথা লেখেননি, লিখেছে কিছু মতলববাজ লোক নারীদেরকে দাবিয়ে রেখে শুধুমাত্র ভোগ্য পন্য করে রাখার আশায় এবং তা পরে ঐশি বানী হিসাবে চালিয়ে দিয়েছে। যে কারনে খৃষ্টান বা হিন্দু অধ্যূুষিত দেশে ধর্মের নামে নারীকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না করে রাষ্ট্র বরং আইন জারি করে তাদেরকে পুরুষের সমান মর্যাদা ও অধিকার প্রদান করেছে কারন সেটা ছিল নারীদের বাস্তব সম্মত দাবী, আধুনিক ন্যায় বিচার সম্বলিত সমাজ গঠনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ধর্ম সেখানে বাধা হয়ে দাড়ায়নি বা কেউ ঈশ্বরের বানী বা ভগবানের বানীর নামে আন্দোলন গড়ে তোলেনি। । কিন্তু মুসলিম দেশে হচ্ছে ঠিক তার উল্টোটা। উন্নত ও মুক্ত গনতান্ত্রিক দেশ সমূহের চাপে পড়ে মুসলিম দেশে নারীদের যেটুকু অধিকার প্রদান করা হয়েছে, যদিও তা কোরানের বানীকে উপো করেই, প্রতি নিয়ত সেখানে ইসলাম পন্থি রাজনৈতিক দল সমূহ কোরানের আইন কায়েমের ল্েয নারীদের সেটুকু অধিকারও খর্ব করার প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচেছ। আফঘানিস্তানে তালেবানরা কি শাসন কায়েম করেছিল তা সবাই জানে। যদি কোরানের নিরিখে তালেবানদের শাসনকে ধরা হয়, তাহলে তারা এক শ ভাগ কোরান বর্নিত ইসলামী শাসনই কায়েম করেছিল। কিন্তু তখন আবার দেখা গেল, মুক্ত গনতান্ত্রিক ও ধনী রাষ্ট্র সমূহ রুষ্ট হবে, এই ভয়ে অধিকাংশ মুসলিম দেশই কিন্তু তাদেরকে স্বীকৃতি দেয় নি। শুধু যে এটা রাষ্ট্রীয় ব্যপার ছিল তা না, মুসলিম দেশ সমূহের একটা বিরাট জনগোষ্ঠীও কিন্তু তালেবানদের শাসন সমর্থন করেনি। কিন্তু সাচ্চা মুসলিম মাত্রেই কিন্তু তালেবান দের সমর্থন করা নৈতিক দায়িত্ব ছিল।তা ছাড়া অন্য ধর্মে কি আছে তার তুলনা করাও তো এখানে অবান্তর। বলা হচ্ছে কোরান হচ্ছে স্বয়ং আল্লাহর বানী যা অতঃপর কেয়ামত পর্যন্ত চালু থাকবে কোন নড়চড় হবে না। সুতরাং আল্লাহর বানীতে তো কোন বৈষম্য থাকতে পারে না। অথচ কোরানে নারীদের প্রতি শুধু বৈষম্যই করা হয়নি বরং তাদেরকে বলা হয়েছে যাবতীয় আকাম কুকাম তথা ব্যভিচার , বিপথগামীতার মূল হোতা হিসাবে, তাদেরকে পুরুষ মানুষের অর্ধেক হিসাবে গন্য করা হয়েছে, অনেকটা গনিকা বা রতিার মর্যাদায় অভিষিক্ত করা হয়েছে, আর সেখানে পুরুষ প্রবরটি একেবারে দুধে ধোয়া তুলসীপাতা।
এখন কথা হলো- মুসলমানরা যদি স্বীকার করে যে, নারীদের পুরুষদের চেয়ে অর্ধেক মর্যাদা দেয়া হয়েছে ও তাদেরকে আংশিক বা অর্ধেক মানুষ হিসাবে মেনে নেয়া হয়েছে কারন তা আল্লার বানী, তাহলে কিন্তু কোন কথা নেই। কিন্তু কথা ওঠে তখনই যখন কিছু কিছু মতলব ও ধান্ধাবাজ তথাকথিত ইসলামি চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ তারস্বরে চিৎকার চেচামেচি করে বলে যে , ইসলাম নারীদেরকে বিপুল সম্মান ও অধিকার প্রদান করেছে । এখন মুসলিম নারীদেরকে ভাবতে হবে তারা এ ধরনের তথাকথিত আল্লার বানীর নামে তাদেরকে যে আংশিক মানুষ হিসাবে ধরা হয়েছে তা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকবে কি না।
আধুনিক যুগে উন্নত দেশ সমূহে নারীরা পুরুষের মত উচ্চ শিায় শিতি হয়ে পুরুষদের সাথে সমান তালে চলছে, চাকরী বাকরী এমনকি ব্যবসা বানিজ্য করে স্বাবলম্বী হচ্ছে, চোদ্দ শ’ বছর আগেকার বর্বর আরব সমাজের মেয়েদের মত তাদেরকে পুরুষের আয়ের ওপর নির্ভর করে বেচে থাকতে হয় না। যার প্রভাব অন্যান্য মুসলিম অমুসলিম সব দেশের মেয়েদের ওপর পড়েছে। শিতি স্বাবলম্বী মুসলিম মেয়েরা তাই তাদের স্বামীর অনৈতিক ও অযাচিত কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- কোরানে এমন কোন সত্যিকার আয়াত খুজে পাওয়া যাবে না যাতে পরিপূর্নভাবে বলা হয়েছে নারী ও পুরুষ সমান মর্যাদার অধিকারী। বরং বিপরীতটাই ঠিক। পিতা বা স্বামীর সম্পত্তিতে সামান্য একটু উত্তরাধিকার দেয়া ছাড়া বার বার কোরানে নারীকে অপদস্ত ও অমর্যাদা করা হয়েছে। পুরো কোরানে কোথাও নারীকে সম্বোধন করে কিছু বলা হয় নি , যা বলা হয়েছে সব পুরুষ জাতিকে সম্বোধন করে। ভাবটা যেন নারীরা তো পরিপূর্ন মানুষই না, তাদের সম্বোধন করে আবার কি বলতে হবে? আর বলা বাহুল্য তাতে পুরুষদেরই স্বার্থ আর অধিকারের কথাই বার বার বলা হয়েছে। বাস্তব এ পরিস্থিতিকে মুসলিম চিন্তাবিদরা হজমও করতে পারছে না আবার অবজ্ঞাও করতে পারছে না। তাই তারা হন্যে হয়ে কোরানের মধ্যে খুজে বেড়াচ্ছে কোথায় নারীদেরকে পুরুষদের সমান মর্যাদা দেয়া হয়েছে আর তা করতে গিয়েই তারা ভানুমতির খেলায় মেতেছে। কিন্তু মনে হয় এটা করতে গিয়ে তারা বরং কোরান ও ইসলামের অবমাননা করছে। কোরান কোনমতেই নারীকে পুরুষের সমান বা কাছাকাছি মর্যাদা দেয়নি, সোজা ও সরল ভাষায় নারীকে পুরুষের অধীন হিসাবে বর্ননা করেছে, শুধু তাই নয়, নারীকে সোজাসুজি একজন পুরুষের অর্ধেক যোগ্যতার ও মর্যাদার হিসাবে চিহ্নিত করেছে, নারীকে গৃহপালিত জন্তুর মত বা রতিার মত মর্যাদা দিয়েছে, নারীকে চিিহ্ণত করেছে স্রেফ যৌন ও প্রজনন যন্ত্র হিসাবে, সেখানে এসব তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদরা বরং কোরানের সে বর্ননাতেই স্থির থেকে কোরানে বর্নিত নারীর মর্যাদার বিষয়টিকে যৌক্তিক বলে প্রমানের চেষ্টা করতে পারত , কিন্তু তা না করে তারা উল্টো রাস্তায় চলার চেষ্টা করছে, বৃথাই প্রমান করার চেষ্টা করছে নবী মোহাম্মদের কোরান নারীদেরকে সুমহান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে, মাঝে মাঝে মর্যাদার মাত্রা এতই বেশী যে পুরুষরাও তার ধারে কাছে যেতে পারে না অথচ এর সমর্থনে একটা পরিপূর্ন সূরা কোরান ঘেটে হাজির করতে পারে না। এটা করে একদিকে যেমন তারা কোরানকে অবমাননা করছে অন্যদিকে নিজেদেরকে হাস্যকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। নিজেদেরকে এক শ্রেনীর ভাড় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করছে। তারা যত বেশী কোরান নিয়ে মাতামাতি করছে ততই কিন্তু কৌতুহলী মানুষ আরও বেশী করে জানার চেষ্টা করছে কোরানে আসলেই কি লেখা আছে। ইন্টারনেটের এ যুগে যে কোন কৌতুহলী মানুষই তা করতে পারে আর তার ফলে তার পে সম্ভব হয় আসল সত্য জানা। মিথ্যা আর মনগড়া কথাবার্তা বা ব্যাখ্যা বা তথ্য দিয়ে আজকের যুগের মানুষকে বেশীদিন অন্ধকারে রাখা যায় না, মাঝে মাঝে এ সত্যটা এসব তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদ নামক ভাড়রা ভুলে যায়।তবে তাদের একটা প্লাস পয়েন্ট আছে আর তা হলো- অধিকাংশ মুসলিম তাদের মাতৃভাষায় কোরান পড়ে নি বা পড়ে না, তাই তারা জানে না যে তথাকথিত আসমানী কিতাবে আসলে কি লেখা আছে। অনারব মুসলমানরা আরবী ভাষার কোরান পড়লে তো কিছুই বুঝবে না তাতে কি লেখা আছে।ফলে এসব ধুরন্ধর ইসলামী চিন্তাবিদরা যে ভানুমতির খেলায় ব্যস্ত আছে তা তারা বুঝতে না পেরে বরং এসব ভাড় বা জোকার জাতীয় তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদদের নিয়ে মাতামাতি করে যা থেকে এসব জোকাররা আর কিছু না হোক নিজেদের পকেটটাকে বেশ ভারী করতে পারে। আর ফাও হিসাবে নিজেরা অনেকটা সেলিব্রিটির মর্যাদায় চলাফেরা করে বেশ মজা উপভোগ করতে পারে। তবে চুড়ান্ত বিচারে ধারনা করা যায়, ন্যুনতম আত্মসম্মানবোধ যে সব শিতি মুসলিম নারীর আছে তারা যদি সত্যি সত্যি জানত তাদের আসমানী কিতাব কোরানে কি লেখা আছে নারীদের মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে তাহলে নিশ্চিত একটা বিরাট সংখ্যক মুসলিম নারীই সাথে সাথে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করত। যে সব মুসলিম নারী তাদের দেহকে আপাদ মস্তক আবৃত করে , শুধুমাত্র ভুতের মত দুটি চোখ বার করে অদ্ভুতভাবে চলাফেরা করে ধারনা করা যায় যে, তারা কোনদিনই কোরান নিজের ভাষায় পড়েনি বা পড়লেও ঠিক মতো অর্থ বোঝার চেষ্টা করেনি।
এবার আমরা একটু হাদিসের দিকে তাকাই , দেখি আল্লাহর রসুল নারীদেরকে কি চোখে দেখেন। বলা বাহুল্য, আল্লাহর রসুল জীবনকালে যে সব কাজ করে গেছেন বা উপদেশ নির্দেশ আদেশ দিয়ে গেছেন তারই বর্ননা হলো হাদিস সংকলন।
আমি দোজখও দেখলাম আর এমন ভয়ংকর দৃশ্য আমি আর দেখি নি। আমি দেখলাম অধিকাংশ দোজখবাসী হলো নারী। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হুজুর , কেন তা ? উত্তরে আল্লাহর হাবিব বললেন- তাদের অকৃতজ্ঞতার জন্য। আবার নবীকে জিজ্ঞেস করা হলো- নারীরা কি আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞ কি না। উত্তরে তিনি বললেন- নারীরা হলো তাদের স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ। তোমরা তাদের প্রতি সারা জীবন প্রীতিপূর্ন হলেও যদি একবার কোন কাজ কর যা তোমাদের স্ত্রীদের আশানুরূপ নয়, তাহলে তারা বলবে সারা জীবনেও তোমাদের কাছ থেকে ভাল কিছু পায়নি।- বুখারী শরীফ, ভলুম -২, বই-১৮, হাদিস নং-১৬১”
তো এবার জানা গেল কেন বেহেস্তে একজন পুরুষের জন্য ৭০ টা তরতাজা যৌনাবেদনময়ী হুর থাকবে কারন তাদের স্ত্রীরা তো সব দোজখে যাবে। তাহলে বিষয়টা কি দাড়াল? ইহ জগতে নারীর কাজ তার স্বামীর মনোরঞ্জন করা তাও আবার যখনই স্বামী প্রবরটি ডাক দেবে, আর পরজগতে দোজখ বাস। হা হতোস্মি, এত সম্মান দেখানোর পর নারীর ভাগ্যে ছিল এই ! একই সাথে জানা গেল আল্লাহর পেয়ারা নবী মোহাম্মদ কি হীন চোখে নারীদেরকে দেখতেন। এর কিন্তু কতকগুলো বাস্তব কারন আছে। প্রথমতঃ তিনি নিজে হতদরিদ্র থাকায় যৌবনকালে কোন সুন্দরী যুবতীকে বিয়ে করতে না পেরে অবশেষে পচিশ বছর বয়েসে চল্লিশ বছর বয়স্কা বিবি খাদিজাকে বিয়ে করেন নিতান্ত আর্থিক কারনে। তরতাজা যুবক মোহাম্মদের কাছে বিগত যৌবনা খাদিজা মোটেই আকর্ষনীয়া ছিলেন না। একারনেই তার মধ্যে নারী সম্পর্কিত একটা হীনমন্যতাবোধ কাজ করেছে তার বাকী জীবন। তাই আমরা দেখি যখন তিনি নবী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন- অসভ্য আরব বেদুইনরা তার কথায় ওঠে ও বসে, তখন সুন্দরী নারী ভোগ করার এক অবাধ সুযোগ এসে যায়। কিন্তু ততদিনে অনেক বয়স হয়ে গেছে তার, পঞ্চাশের ওপর।তারও যৌবন তখন প্রায় চলে গেছে। আর তখনই তিনি একের পর এক বিয়ে করেছেন সুন্দরী নারীদের যাদের অধিকাংশেরই বয়স বিশ এর কোঠায়। অথচ তখন তার বয়স পঞ্চাশের ওপর। আয়শাকে যখন বিয়ে করেন তখন তার বয়স ৫১ আর আয়শার ৬/৭ বছর, হযরত ওমর এর কন্যা হাফসাকে ১৮ , সাফিয়া কে ১৭, মারিয়াকে ১৭, জোয়াইরিয়াকে ২০, সালমাকে ২৬, জয়নাবকে ৩০ বছর বয়সে বিয়ে করেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে তার মোট অর্ধেকের বেশী বিয়ে তিনি করেন খুব কম বয়সীদেরকে যাদের সাথে তার বয়সের পার্থক্য সামান্য কম/বেশী ৩০ এর মত। দ্বিতীয়তঃ প্রায় বৃদ্ধ বয়েসে তিনি খুব অল্প বয়স্কা অনেক যুবতী বিয়ে করে তাদের সাথে বাস করছিলেন। সঙ্গত কারনেই তার মনে হতো যে কোন স্ত্রীই হয়তো যে কোন সময় বিপথে গমন করতে পারে, এ হীনমন্যতা থেকে তিনি তার স্ত্রীদেরকে চাপে রাখার কারনেই নারী জাতি সম্পর্কে এরকম বাজে মন্তব্য করেছে।
এক বেদুইন আল্লাহর রসুলের কাছে এসে বলল- আমার পূত্র এক লোকের বাড়ীতে কাজ করত কিন্তু সে লোকটির স্ত্রীর সাথে অবৈধ দেহ মিলন করেছে। আমি পুত্রের জন্য জরিমানা স্বরুপ একশত ভেড়া ও একটা দাসী লোকটিকে দান করেছি। এটা কি যথার্থ হয়েছে? আল্লাহর নবী বললেন- আল্লাহর হাত স্বরূপ আমার হৃদয় আমি এর বিচার আল্লাহর আইন অনুযায়ী করব। তুমি তোমা ভেড়াগুলো আর দাসী ফিরিয়ে নাও। উনাইস( বেদুইনের নাম), তোমার পূত্রকে একশ দোররা মার, আর সেই লোকটির স্ত্রীর নিকট যাও যদি সে তার দোষ স্বীকার করে, মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তার ওপর পাথর নিপে কর। বুখারী শরিফ, ভলিউম-৩, বই-৫০, হাদিস-৮৮৫
তাহলে মুসলমান মা বোনেরা , ল্য করুন আপনাদের জন্য আপনাদের আল্লাহর রসুল কি সুন্দর বিচারের ব্যবস্থা করে গেছেন। মনে হয়ে অবৈধ সম্পর্কের জন্য শুধুমাত্র নারীরাই দায়ী সেটাই মহানবীর দৃঢ় বিশ্বাস। এখানে কয়েকটি সম্ভাবনা- এক. পুরুষ মানুষটি জোর পূর্বক নারীটিকে ধর্ষন করতে পারে, এেেত্র শুধুমাত্র পুরুষটি দোষী।দুই. পুরুষ ও নারী দুই জনে সম্মতির ভিত্তিতে অবৈধ সম্পর্ক করতে পারে, উভয়েই সমভাবে দোষী। তিন. নারীটি পুরুষটিকে প্রলুব্ধ করতে পারে। তবে পুরুষটি সৎ হলে সে প্রলুব্ধ হবে না ও অবৈধ কর্মে লিপ্ত হবে না তাই কোন ঘটনাও ঘটবে না। তাহলে যেসব ক্ষেত্রে ঘটনা ঘটছে তার একটি ক্ষেত্রে পুরুষটিই একমাত্র দোষী, একটি ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারী উভয়ে সমভাবে দোষী, একটি ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে নারীটি দোষী তবে পুরুষটি এগিয়ে না এলে ঘটনা ঘটা অসম্ভব তাই কেউ দোষী হবে না পরিশেষে কারন ঘটনাই ঘটবে না। তার মানে মাত্র তিনটি ক্ষেত্র বিবেচনা করে দেখা গেল পুরুষটির দোষই সার্বিক বিবেচনায় বেশী। অথচ মৃত্যু পর্যন্ত শাস্তি ভোগ করতে হবে কাকে ? হতভাগী নারীটিকে। কারন ইসলাম নারীর প্রতি অত্যাধিক শ্রদ্ধাশীল ও সম্মান প্রদর্শন করে। আর পুরুষটিকে কিছু দোররা মেরে মুক্তি দিতে হবে। মুসলমান মা বোনদের কি চোখ ও হৃদয় দুইই কি ভোতা হয়ে গেছে নাকি? তারা কি এর পরেও বোঝে না ইসলাম, কোরান আর আল্লাহর রসুল তাদেরকে কতটা অসম্মান আর অপমান করেছে? তবে গভীরভাবে বিচার করলে দেখা যাবে- বিষযটির মধ্যে অন্তত একটা যুক্তি আছে। সেই চোদ্দ শ’ বছর আগে যখন নবী ইসলাম প্রচার করছিলেন তার কাছে নারীদের চাইতে পুরুষের দরকার ও কদর বেশী ছিল। কারন তার একটা লুটেরা বাহিনী ছিল যাতে দরকার ছিল তাগড়া সব জোয়ান পুরুষের যারা যখন তখন ইসলামের নামে নিরীহ বানিজ্য কাফেলায় আক্রমন করতে পারে ,আক্রমন করতে পারে অপ্রস্তুত অমুসলিম জনপদ আতর্কিতে ও তাদের খুন করে তাদের মালামাল লুট তরাজ করতে। পান্তরে তখন ক্রমাগত যুদ্ধ বিগ্রহে মুসলমান যুবকরা মারা যাওয়াতে পুরুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছিল ও বিধবার সংখ্যা বেড়ে গেছিল। এমত অবস্থায় একটা নারী কমে গেলে যেমন সমাজের একটা ঝামেলা কমে যায় তেমনি অন্য একটা নারীর বিয়ের ব্যবস্থাও করা যায়। আর পুরুষ মানুষটিকে একটু সাজা দিয়ে ছেড়ে দিলে সে লুটেরা বাহিনীতে যোগ দিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। একেবারে কোরানের মতই সহজ ও সরল বিষয়টি।
আয়শা হ’তে বর্নিত- যে সব বস্তু নামাজকে নষ্ট করে তারা হলো- কুকুর, গাধা ও নারী। আমি বললাম- আপনি আমাদেরকে(নারী) কুকুর ও গাধাদের সাথে তুলনা করলেন, হায় আল্লাহ! নবী যখন নামাজ পড়তেন আমি তখন তার ও কিবলার মাঝ খানে শুয়ে থাকতাম, কিন্ত জেগে ওঠার পর কিছু দরকার হলে আমি পাশ কেটে তার পায়ের দিকে চলে যেতাম পাছে তার প্রার্থনার ব্যঘাত ঘটে। সহি বুখারি, ভলুম-১, বই- ৯, হাদিস-৪৯৩
মুসলিম মা বোনেরা এবার নিশ্চয়ই বুঝে ফেলেছেন ইসলাম ও আল্লাহর পেয়ারা নবী আপনাদের কত নীচু ও হীন দৃষ্টি দিয়ে দেখে। নাকি এখনো বলবেন ইসলাম আপনাদেরকে এত মর্যাদা দিয়েছে যার ভার আপনারা আর বহন করতে পারছেন না ? কেউ হয়ত বলতে পারে- এটা হল মতলবী ব্যাখ্যা। কিন্তু না , দেখেন হাদিসটিতে স্বয়ং নবীর সবচাইতে প্রিয়তমা স্ত্রী (বালিকা বধু) আয়শা পর্যন্ত তার মনের ক্ষোভ গোপন করতে পারেন নি। তাই তিনি মনের দুঃখে বলেই ফেলেছেন যে নবী নারীদেরকে কুকুর ও গাধার সাথে তুলনা করলেন ।
আল্লাহর নবী বললেন, কোন নারী তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া রোজা রাখতে পারবে না যদি তার স্বামী বাড়ীতে উপস্থিত থাকে। সহি মুসলিম. বই-৫, হাদিস-২২৩৪
মুসলিম বা বোনেরা আশা করি বুঝে ফেলেছেন কেন আপনারা রোজা রাখতে পারবেন না যদি আপনার স্বামী বাড়ীতে হাজির নাজির থাকে। কারন যে কোন সময় আপনার স্বামীর গোপনাঙ্গ উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে তখন কে সেটাকে ঠান্ডা করবে? এখন আপনারাই বুঝে দেখুন ইসলাম আপনাদেরকে স্রেফ একটা সেক্স ডল ছাড়া আর কিছু ভাবে কি না। আসলে সেই চোদ্দ শ ’ বছর আগে মোহাম্মদ একটা বাহিনী গঠন করেছিল যার কাজ ছিল আতর্কিতে কোন অপ্রস্তুত জনপদ (মোহাম্মদের অধিকাংশ যুদ্ধই ছিল এরকম) আক্রমন করা, তাদের খুন করা, ধন সম্পদ লুঠ করা। তো এ কাজে তার বাহিনীর পুরুষ সদস্যদেরকে অনেক সময় বেশ কিছু কাল বা প্রায়ই বাইরে থাকতে হতো। তারা তখন নারী সঙ্গ বঞ্চিত থাকত। যদিও নারীদেরকে বন্দী করে গনীমতের মাল হিসাবে সদস্যদের মাঝে বিতরন করা হতো, তথাপি অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা হতো পুরুষের চেয়ে অনেক কম। তাই শুধুমাত্র নেতৃস্থানীয় সদস্যরাই যৌনানন্দ ভোগ করার জন্য বন্দী নারী ভাগে পেত। বলা বাহুল্য ,. সবচাইতে সুন্দরী ও যৌনাবেদনময়ী নারীটি যেত আল্লাহর নবীর ভাগে। যাহোক সাধারন সদস্যরা থাকত যৌনানন্দ থেকে বঞ্চিত। তাই বাড়ী ফেরা মাত্রই যেন তারা তাদের স্ত্রীদের নিয়ে যৌন ক্রীড়ায় বার বার ব্যস্ত হয়ে যেতে পারে তার উদ্দেশ্যেই মহানবীর এ বানী। রোজা রাখা অবস্থায় তো যৌনক্রীড়া নিষেধ। দেখুন কি অদ্ভুত বিচার। অন্য হাদিসে বলছে- নারীরা অধিকাংশ দোজখে যাবে, কিন্তু আবার দোজখ থেকে রা পেতে রোজাও রাখতে পারবে না নিজের ইচ্ছে মত। তাহলে নারীরা যাবে কোথায়? করবে টা কি ?? আল্লাহ (মোহাম্মদ) কি তাহলে নারীদের জোর করে দোজখ বাসী করতে চায়? আসলে দুনিয়াটাই তো তার কাছে একটা দোজখ খানার মত। কারন যখনই তার স্বামী প্রবরটি যৌনভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়বে তখনই তাকে তার সাথে বিছানায় যেতে হবে তা যতই তার কোন শারিরীক বা মানসিক অসুবিধা থাকুক না কেন যা প্রকারান্তরে দোজখের সাজার মত। আবার মরে গেলেও দোজখে যেতে হবে। আহা , পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালা নারীদেরকে কতই না মর্যাদা আর সম্মান দিয়েছেন তাদের!
আর যারা বন্ধ্যা তারা যতই সুন্দরী আর ধনী হোক না কেন তাদের কোনই আশা নেই। তাদের ইহজীবনও বৃথা আর পরকালও বৃথা। কারন –
মাকিল ইবন্ ইয়াছির হতে বর্নিত- একজন মানুষ নবীর কাছে এসে বলল- আমি একজন উচ্চ বংশীয় সুন্দরী নারীর সন্ধান পেয়েছি কিন্তু সে সন্তান দিতে অপারগ, তাকে কি আমার বিয়ে করা উচিৎ ? নবী উত্তর দিলেন- না। লোকটি আবার নবীর কাছে একই বিষয়ে আবার জিজ্ঞেস করল এবং নবীর উত্তর হলো- না। সে তৃতীয়বারের মত আবার আসল । এবার পরম করুনার সাগর আল্লাহর পেয়ারা নবী বললেন- উর্বর গর্ভ বিশিষ্ট সুন্দরী নারী বিয়ে কর কারন আমি তোমাদের দ্বারা আমার অনুসারী বৃদ্ধি করব। আবু দাউদ, বই -১১, হাদিস-২০৪৫
এবার তাহলে ইসলামে বহু বিবাহের আসল রহস্য বোঝা গেল। এটাই যদি হয় আসল কারন তাহলে এত ধানাই পানাই এর দরকার কি ? আর বর্তমানে তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতদের এত আবোল তাবোল বলারই বা দরকার কি ? প্রসঙ্গতঃ অনেক মুসলিম নারী তাদের আত্মমর্যাদা সম্পর্কে এতই অসচেতন আর ইসলাম সম্পর্কে এতই অবসেস্ড যে তারা শুধু এই একটি কারনে তাদের স্বামীকে বহু বিবাহ করার জন্য অনুপ্রেরনা দেয়। এসব নারীদের জীবন ও আত্মমর্যাদা সম্পর্কে কোনই চেতনা নেই বা তার সুযোগ তাদেরকে দেয়া হয়নি, তারা স্বামীর লাথি উষ্ঠা খেয়ে হলেও গৃহপালিত জন্তর মত সংসার ধর্ম করে যায়, কিন্ত কিসের আশায় ? ফলাফল তো শূন্য, কারন আগেই নবী বলে গেছেন- তিনি দোজখে গিয়ে দেখেছেন সেখানে অধিকাংশই নারী। তাহলে?
উমর বিন মুহাম্মদ জাইদ তার পিতার কাছ থেকে শুনেছেন যে ইবনে উমর বলেছেন- আমি আল্লাহর নবীকে বলতে শুনেছি যে ভাগ্য খারাপ যদি একটা বাস্তব ঘটনা হয় তো তা ঘটে ঘোড়া, স্ত্রীলোক আর ঘর থেকে। সহি মুসলিম. বই-২৬, হাদিস-৫৫২৬
ওয়াও! এত অপমান করার পরেও মহানবীর নারী জাতির বিরুদ্ধে কি মনের ক্ষোভ মিটছে না? আর কত অপমান , অমর্যাদা ও মানসিক নির্যাতন করলে তার আত্মা শান্তি পাবে? তিনি কি আশংকা করেছিলেন যে, ভবিষ্যতে একদিন নারীজাতি জেগে উঠবে আর জানতে পারবে কি অপরিসীম অপমান আর অমর্যাদা নারীজাতিকে তিনি করেছেন কোরান আর হাদিসের নামে আর সে কারনে সবাই তাকে ঘৃনা করবে ও অভিশাপ দেবে? আর সে কারনেই কি তিনি চালু করে গেছেন যে তার নাম উচ্চারন করার সাথে সাথে – তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক – কথাগুলো বাধ্যতা মূলক বলতে হবে ? যাতে নারী জাতি বুঝে ওঠার আগে কমপে বিলিয়ন বিলিয়ন বিলিয়ন বার তার নামে এ ভাবে শান্তি বর্ষনের বানী বলতে হবে যাতে পরবর্তীতে তাকে যে অভিশাপ দেয়া হবে বিলিয়ন বিলিয়ন বিলিয়ন বার, তার সাথে শোধ বোধ হয়ে যায় ? অসম্ভব মনে হচ্ছে না। কারন যে মারাত্মক ধূর্ত ও চালাক ছিলেন তিনি তা তো বোঝা যায় তার একটা ভূয়া কেতাব এর কেরামতি দেখে। সেই চোদ্দ শ’ বছর আগে তার নবুয়ত দাবীর প্রাথমিক জীবনের কিছু খারাপ সময় ছাড়া বাকী সময়টা গোটা আরব জাতিকে সম্পূর্ন মানসিকভাবে অচেতন করে ফেলেছিলেন স্রেফ চালাকি আর সীমাহীন ধূর্ততা দিয়ে। যেরকমটা দিতে চেষ্টা করে এই আধুনিক কালের কিছু তথাকথিত ধর্ম গুরূ বা নবী। কিন্তু এখনকার মানুষ গুলো তো আর সেই অসভ্য আরবগুলোর মত না যে এত সহজে তারা পার পেয়ে যাবে। তার পরও কিন্তু কিছু মানুষ অন্ধভাবে তাদেরকে বিশ্বাস করে তার মধ্যে অশিক্ষিত যেমন আছে ,শিক্ষিত মানুষও আছে। যেমন- বর্তমানে অনেক মুসলমান আছে যারা কোরান হাদিস পড়ে মনের মধ্যে তাদের নানা রকম প্রশ্ন উদিত হয়, কিন্ত প্রকাশ করতে পারে না কারন এখনও যে রকমভাবে মোহাম্মদ অধিকাংশ মুসলমানদেরকে অবচেতন করে রেখেছে তাতে তারা ভয় পায় প্রশ্ন করতে, কারন তাদের তো মান সম্মান সর্বোপরি প্রানের মায়া তো আছে। আবার কিছু তথাকথিত শিক্ষিত মুসলমান আছে যারা অশিক্ষিত মুসলমানদের চাইতেও বেশী গোড়া। এসবের অনেক মনস্তাত্বিক কারন আছে যা মনো বিজ্ঞানের গবেষণার বিষয়। যাহোক , আশা করা যাচ্ছে যে, অন্তত মুসলিম নারী জাতি একটু চোখ তুলে তাকাবে , তারা জানতে চেষ্টা করবে আসলেই ইসলাম তাদেরকে কোন মর্যাদা দিয়েছে কিনা , নাকি স্রেফ কুকুর, বিড়াল জাতের একটা গৃহপালিত জন্তুর মত বা একটা প্রজনন যন্ত্রের মত মর্যাদা তাদের দেয়া হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি তারা তা বুঝতে পারবে ততই মঙ্গল, নইলে বড় বেশী দেরী হয়ে যাবে যাতে হয়তো গোটা মুসলিম জাতির অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে টানা টানি পড়ে যাবে।
পরিশেষে, একটা অভিযোগ উঠতে পারে যে , কোরান ও হাদিসে নারীদের প্রতি যে সব অমর্যাদা আর অপমানের কথা লেখা আছে কেন শুধুমাত্র তা নিয়ে লেখা হলো। কিছু ভাল কথাও তো লেখা আছে তা নিয়ে কেন কিছু বলা হলো না।এর উত্তরে বিনয়ের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে . কোরান কিন্ত কোন রহিম করিম রচিত কিতাব না, তা স্বয়ং আল্লাহ প্রেরিত কিতাব যাতে কোন ভুল বা অন্যায় কথা বার্তা থাকতে পারে না। আর হাদিস হলো আল্লাহ প্রেরিত মহানবীর জীবনের কার্য কলাপ , উপদেশ, দিক নির্দেশনার বিবরন যা নাকি আবার আল্লাহর সরাসরি নির্দেশে ঘটেছে। এটাই মুসলমানদের দৃঢ় বিশ্বাস।উদাহরনস্বরূপ বলতে হয়- নবী যখন তার পালিত পূত্র যায়েদের যৌনাবেদনময়ী স্ত্রী জয়নবের নগ্ন দেহ অসাবধানে দেখে ফেলায় তার মনে জয়নবের সাথে কাম কেলী করার খায়েশ জাগে , তখনই আল্লাহ তার মনোকষ্ট বুঝতে পারেন ও জায়েদকে বাধ্য করেন তার বিবিকে তালাক দিতে ও আল্লাহ অতঃপর ওহি নাজেল করেন নবীর উদ্দেশ্যে যে এখন তুমি জয়নবকে বিয়ে করতে পার এতে কোন দোষ নেই। তাহলে দেখেন আল্লাহ নবীর প্রতি কত করুনাময় আর কিভাবেই বা তিনি নবীকে পরিচালনা করেছেন প্রতি মুহুর্ত। তো বিষয় হলো- যখন আমরা আমাদের সাধারন বিচারে দেখছি যে, সেই কোরান বা হাদিসে এমন অনেক কথা বার্তা আছে যা কোন সভ্য মানুষ গ্রহন করতে পারে না তথা কোন সভ্য সমাজে তা চলতে পারে না। তা যে পারে না তা কিন্তু তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদরাও স্বীকার করছেন পরোভাবে কারন তারা তাই কোরান ও হাদিসের নানা বর্ননার নিত্য নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলাতে চাচ্ছেন। এর মাধ্যমে প্রমানিত হচ্ছে যে , কোরান হাদিসে সত্যি সত্যি অনেক অসঙ্গতি, স্ববিরোধিতা, সোজা কথায় উল্টা পাল্টা কথা বার্তা লেখা আছে যা অত্র নিবন্ধে রেফারেন্স সহ উল্লেখ করা হলো। আরও অনেক উদ্ধৃতি দেয়া যেত , বাহুল্য হবে বলে দেয়া হলো না। ধারনা করা যায় যে গুলো উল্লেখ করা হয়েছে একজন সাধারন মানুষের জন্য সেটাই যথেষ্ট। এত সব অসঙ্গতি আর স্ববিরোধিতা বা উল্টা পাল্টা কথা বার্তা না থাকলে আমরাও অকাতরে কোরান আল্লাহর কিতাব আর মোহাম্মদ আল্লাহর নবী বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতাম। অন্য কথায় , সত্যকে অস্বীকার করতে পারে কোন মূর্খ? তাই আমাদের ধারনা ও দৃঢ় বিশ্বাস যে , নবী মোহাম্মদ আসলে কোন আল্লাহ প্রেরিত নবী ছিলেন না , তার কথিত কোরান কোন আল্লাহর বানী না, এমনকি কোরানে বর্নিত আল্লাহ আসলে স্বয়ং মোহাম্মদই ছিলেন আর সেকারনেই তিনি -লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- বলার সাথে সব সময় মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ শব্দগুলি জুড়ে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়ে গেছেন একটা মাত্র কারনেই যে , প্রত্যভাবে তো তিনি বলতে পারেননি যে তিনিই আল্লাহ। তার নাম জুড়ে দেয়ার মানে হচ্ছে যখনই আল্লাহর নাম নেয়া হবে তখনই মোহাম্মদের নাম নিতে হবে অর্থাৎ আল্লাহ ও মোহাম্মদ এক কাতারে উচ্চারিত হবে। সোজা কথায়, তখন আল্লাহ ও মোহাম্মদ একই ব্যাক্তি হয়ে যাবে। নইলে আল্লাহর নাম নিতে আবার অন্য একজনের নাম নিতে হবে কেন তা সে তিনি যত বড় নবীই হন না কেন। আর যে সব ভাল কথা বার্তা বলা আছে তা জানার জন্য আমাদের সাধারন বুদ্ধি বিবেকই যথেষ্ট এবং যা মানুষ মোহাম্মদের এ ধরা ধামে আসার আগেই জানত খুব ভালভাবে। এর জন্য তথাকথিত আল্লাহর কিতাবের দরকার নেই। আশা করি বিষয়টি খোলাসা হয়েছে।
আপনি কি জানেন মুহাম্মদ (সা.) ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত খাদিজা (রা.) সাথেই কাটিয়েছেন.??
তিনি যদি নারী লোভীই হতেন এই সময় তার একের অধিক স্ত্রী থাকার কথা ছিল।।
আবার যখন কাফির রা মুহাম্মদ (সা.) কে ইসলাম প্রচার থেকে আটকাতে চাইলেন তখন তারব মুহাম্মদ (সা.) কে রাজ্য এবং নারীর লোভ দেখালো।।কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।।
তো আপনি কি ভাবে তাকে নারী লোভী বলতে পারেন👺
আমার জানামতে মোহাম্মদ সা: এর বিয়ের সময় হজরত খাদিজা রা: এই বিয়ের শর্ত দিয়েছিলন ‘মনোগ্যামাস’ বিবাহ হবে অর্থাৎ যে বিয়েতে স্বামীর একজনই মাত্র স্ত্রী” রাখা যাবে।কারন সেই সময় ‘পলিগ্যামি’র সমাজ ব্যবস্থা ছিলো অর্থাৎ তখনকার সমাজে অনেক পুরুষেরই একাধিক স্ত্রী থাকতো।খাদিজা ছিলেন স্বাধীন চেতনা এবং অত্যন্ত দৃঢ় ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন এক নারী” দক্ষ ব্যবসায়ীর এবং বিশাল অর্থসম্পদের মালিক।
বিতর্কিত বিষয়ে এমন উৎকৃষ্ট লেখাটি লেখার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই। এই লেখাটি সংরক্ষণ করে রাখার মতোই। ইসলামে নারীর স্থান কতটুকু তা নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীদের কথা বাদেই দিলাম। উচ্চ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের নারীরাও ভালো মতো জানে না। কোনো ধর্মই নারীকে প্রাপ্য সম্মান দেয় না। কিছু ধর্ম তো নারীকে নরকের দ্বার বলতেও পিছুপা হয়নি। ধর্ম ই যত গন্ডগোল।
কয়েক বছর আগে “ধর্ম” শিরোনামে একটি কবিতা লিখে ছিলাম। এই পোস্টের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক মনে করে এখানে তা তুলে দিচ্ছি…….
ধর্ম
মানুষের সাথে মানু্ষের মিলনে,
উপাসনা ধর্মই সবথেকে বড়ো অন্তরায়।
আদিম যুগের হিংস্রতার পুরনো খোলস ছিন্ন করে,
মানুষ স্বাধীন ভাবে বাচতে চায়।
কিন্তু বাঁচতে কি পারে?
না, কখনওই পারে না,
–ধর্মই ছুটে এসে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
হায় রে! গোলাপচা ধর্ম,
তুমি কখনোও মানবতার গান শোনাও নি,
যুগ যুগ ধরে হিংস্র থাবা বের করে,
নিজের স্বমূর্তি ধারন করে,
সূর্যকে নিজের চারপাশে ঘোরাতে চেয়েছিলে,
—–এ কথা আমরা ভুলে যায় নি,
কিন্তু, তোমার সমস্ত প্রচেষ্টায় বিজ্ঞানের আবিস্কারে ব্যর্থ।
আদিম যুগের ঘোর অন্ধকার ভেদ করেই,
একদিন উদিত হবেই,
মানব সভ্যতার অগ্রগামী সূর্য।
ধর্মের অত্যাচার সহ্য করতে করতে
সচেতন মানুষ,আজ অর্ধ পাগল।
ধর্ম নারীকে করেছে পরাধীনা, শূদ্রাণী, নরকের দ্বার,
ধর্ম তোমাকে জীবিত রেখেছে আজ,
একবিংশ শতাব্দীর রাশি রাশি কুসংস্কার।
মানুষের সাথে মানুষের মিলনে,বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়,
মন্দির, মসজিদ, গীর্জার অদৃশ্য বিধাতা!
টিকি, দাড়ির ম্যারাথন দৌড়ে,
তপ্ত ভূমিতলে পদপৃষ্ঠ অসহায় মানবতা।
মানুষের মানবতা হারিয়ে যায়,
নতুবা,লজ্জাবোধ মুখ ঢাকে
যখন,মায়ের জরায়ু চিরে,
ত্রিশুলে ভ্রুন বের করে,
মহানন্দে ধার্মিক বাজায় ধর্মেরঢাক।
শিশির ভেজা শিউলি ফুলে,তাজা রক্তের ছাপ,
গুজরাট, দাদরি,বাংলাদেশ, তার জলন্ত প্রমান।
ধর্মের আফিমের নেশাকারী, যারা মদমত্ত,
তারা ধর্মের নামে সকল কুকর্মই করে,
ছেলে-বুড়ো,বাদ যায় না দুধের শিশু,
ক্রোধানলে সবাইকে আছড়ে মারে।
ধর্ম এখন ভয়ঙ্কর বিভীষিকাময়,
মোল্লা,পুরুত সবারই এক রা,
হিংস্রতায় কেউ কি কম হয়?
বন্ধু, সেদিন আর বেশি দূরে নয়,
যেদিন সচেতন মানুষ কাছে ধর্মের প্রয়োজন ফুরাবে,
সেদিন ধর্মকে অপ্রয়োজনীয়,পরিত্যক্ত ভেবে,
ছুড়ে ফেলে দেবে রাস্তার ঐ ডাস্টবিন এ।
এগিয়ে যাবে মানুষ, মুক্তচিন্তা, যুক্তিরপথ ধরে,
নতুন সমাজ গঠন হবে বিশ্বচরাচরে।
খুব সুন্দর লিখেছেন।এই জন্যই ধর্মকে অবিশ্বাস করেছি।
ভাল করে কোরান এর আয়াত গুলা তফসীর সহ বর্ননা করুন আপনাদের কোরান এর প্রতি বিদ্বেষ শুধুমাত্র একটি বিশেষ মহল কে খুশী করবার উদ্দেশ্য যারা ইসলামকে ধংশ করতে চেয়েছিল সেই 1400 বছর ধরে আর কিছু না আর নিজেদেরকে খুব জ্ঞানীভাবেন আর কেউ কিচ্ছু বুঝে না হাইরে যুগে যুগে এই রকম ইসলাম বিদ্বেষি ছিল ইসলাম তো কমে নাই ইনশাআল্লাহ আর বাড়ছে আর বাড়বে আর পৃথিবীতে শুধুই দেখা যায় ইসলাম নিয়ে ক্রিটিসাইজ করতে এর বেশীর ভাগ হল যারা আগে মুসলমান ছিল তার কারণ না বুঝে কুরআন এর পরতে গিয়ে আল্লাহতায়ালা বলেছেন তোমারা কুরান বুঝে পড় আর আপনারা যতই কুরুচিপূর্ণ কথা ব৷ বললেন না কেন আমার কাছে আমার ইমান আর মজবুত হচ্ছে
কোরআনে কোন কিছু ‘নাযিলের’ এক মাত্র চিত্র আকা হয়েছে এভাবে যে এক জন ফেরেশতা এটা সাত আসমানের উপর থেকে নিয়ে আসেন এবং একমাত্র হেরা গুহার নির্জনতায় তা কাউকে পড়ে শোনান । লোক সমাজে বা মানুষের সামনে সেসব নাযিলের ঘটনা ঘটে না যা কিনা খুবই সন্দেহজনক এবং modern science এর logic এর সাথে মিলে না। তো লোহার নাযিলের ক্ষেত্রে একেবারে আল্লাহতায়ালা modern science use করলেন যা কিনা খুবই যুক্তিপূর্ণ, কারন কি? লোহা কি মানুষের জীবন এর নীতি নির্ধারক বই এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? বুঝলাম না জিনিসটা………। যাই হোক ভাইয়া, আমাকে please একটু বুঝান।
ভবঘুরে ভাইয়া, আমি islamhouse.com থেকে কোরআনের বাংলা অনুবাদ Download করেছি। সেই অনুবাদ গ্রন্থের শুরুর দিকে, মানে যেখানে অনুবাদকারি তার অনুবাদের মুখবন্ধ লিখেছেন, সেইখানে অনুবাদকারি বলেছেন যে সুরা আল-হাদিদ এ আল্লাহ বলেছেন ” আমি লোহা নাযিল করেছি, যাতে রয়েছে প্রচুর শক্তি ও প্রভূত কল্যাণ।” সেই অনুবাদকারি এই আয়াতটির অর্থ বর্ণনা করেছেন এভাবে যা আমি হুবহু কপি পেস্ট করলাম ,
” কোরআনের আরেকটি বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, লোহা ধাতুটির বিবরন। কোরআনের সুরা আল হাদিদ এ আল্লাহতায়ালা বলেছেন আমি লোহা নাযিল করেছি, যাতে রয়েছে প্রচুর শক্তি ও প্রভূত কল্যাণ । লোহা নাজিলের বিষয়টি তাফসিরকারিরা নানাভাবে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন। কিন্তু যেখানে আল্লহতায়ালার স্পষ্ট নাযিল শব্দটি রয়েছে সেখানে এত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের দিকে না গিয়ে আমরা যদি কোরআনের আক্ষরিক অর্থের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব, আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভাবনীও একই কথা বলেছে। পদার্থ বিজ্ঞানীরা বলেন লোহা উৎপাদনের জন্য যে ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন তার কোন উপকরণ আমাদের পৃথিবীতে নেই। এটা একমাত্র সূর্যের তাপমাত্রা দ্বারাই সম্ভব। হাজার হাজার বছর আগে সূর্যে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের ফলে লোহা নামের এই ধাতু মহাশুন্যে ছিটকে পড়ে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে তা পৃথিবীতে নাযিল হয়। লোহা সম্পর্কে আধুনিক বিজ্ঞান ঠিক এই কথাটাই প্রমান করেছে। দেড় হাজার বছর আগের আরব বেদুঈনরা বিজ্ঞানের এই জটিল সূত্র জানবে কি করে? এই সূরার আরেকটি অংকগত মোজেজাও আছে। ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী সূরা আল হাদিদ কোরআনের ৫৭ তম সূরা। আরবিতে ‘সূরা আল হাদিদ’ এর সংখ্যাগত মান হচ্ছে ৫৭। শুধু ‘আল হাদিদ’ শব্দের অংকগত মান হচ্ছে ২৬, আর লোহার আণবিক সংখ্যাগত মানও হচ্ছে ২৬।”
তো এই হচ্ছে অনুবাদকারির বক্তব্য। মানে কোরআনে Miracle আবিষ্কার করবেই। At any cost. বয়ানটাতে ঘাপলা আছে জানি। কিন্তু exact ভুল point টা ধরতে পারতেসি না। আপনি অনেক প্রমান সহ লেখা লিখেন। এই বেপারে আমাকে একটু বোঝান তো ভাইয়া। এইটা নিয়া এক মমিন বান্দার লেকচার শুনতে হইসে। প্লীজ ভাইয়া, রিপ্লাই দিয়েন। 🙂 🙂 🙂
তা অবশ্য ঠিক। অনেক লখা আছে কিন্তু সাহস করে আগে কোথাও পাঠাইনি।
why are u so afraid?if you know the absolute truth go ahead…
আমার প্রশ্ন হলো নারীরা তো বেহেস্তেই যাবে না , গেলেও ফুর্তি করার সুযোগ নেই , একমাত্র কিছু বারবনিতার (হুর) লীডার হওয়া ছাড়া । তাহলে তারা এত গুনাহর ভয় করে কেন ?
আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে যাদের জন্য প্রবন্ধটি লেখা অর্থাৎ সেই অবগুন্ঠিত নারীরা, তাদের কেউ মনে হয় এটা পড়েন নি। কারন তেমন কারও কাছ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। এটা তারাই পড়েছেন যারা মূলতঃ প্রবন্ধটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাথে আগেই একমত পোষন করেন। তাহলে কষ্ট করে প্রবন্ধটি লেখার মানে টা কি দাড়াল ? আমি একটা ভয়েস চ্যাট রুমে মেয়েদেরকে বলতে শুনেছি যে মুক্তোমনা সাইট হলো কতকগুলো নাস্তিকের সাইট এবং সাইটটি খোলা বা কিছু পাঠ করা হলো মারাত্মক গুনাহর কাজ। তাহলে বুঝুন ঠেলা। এই নারীদের নিয়ে আমরা কি আশা করতে পারি যারা নিজেদেরকে শৃংখলে আবদ্ধ রাখতেই বদ্ধ পরিকর।
@ভবঘুরে,
মুক্তমনার অবদান যাই হোক, বা ভাল যাই এখানে বের হোক, এর পাঠক খুব বেশী না। পরিচিতি যদিও আছে, তবে বেশীরভাগই আপনি যেমন বললেন তেমনই।
অনেকেই ঈমান চলে যাবার ভয়ে ঢুকেও দেখেন না আসলেই এখানে কি বলা হচ্ছে। আমার নিজেরই বন্ধুবান্ধব আছে এই দলের।
@ভবঘুরে,
কে কথায় পড়লো আর না পড়লো তা নিয়ে এত না ভেবে আমরা বরং আমাদের কাজ করে যাই। যারা পড়ার খুঁজে নিয়ে পড়বে, যারা না পড়ার পড়বেনা, কিংবা পড়বে হয়ত আরো কয়েক বছর পরে। আপনি এক ধাক্কাতেই সবার মনোভাব বদলে দতে পারবেন না। এটা একটা কন্টিনিউয়াস মুভমেন্ট।
এতো কিছুর পরেও মুক্তমনার পাঠক একেবারে কম নয়। বিজ্ঞান বিষয়ক বা দর্শন বিষয়ক যে কোন ক্যাটাগরি গুগলে লিখে সার্চ দিলে মুক্তমনার পেইজগুলোই সবার আগে চলে আসে। পাঠক সংখ্যা কম হলে এটা হত না। এবারে আমি দেশে গিয়েও দেখেছি – মুক্তমনার অনেক নীরব পাঠক প্রতিঠি জায়গাতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। অনেকেই অনর্থক চ্যাচামেচি করে বা সবাইকে জানানদিয়ে অন্ধবিশ্বাস ত্যাগ করে না, অনেকেই মনোজগত পরিবর্তন করে নিরবে। মুক্তমনা তাদের জন্য একটা শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এটাই বা কম কি। আমাদের বইপত্রের চাহিদা বোঝা যায় বইমেলার সময়ই, আর এ ধরণের লেখালিখির চাহিদা আছে বলেই আমরা কিন্তু টিকে আছি।
@অভিজিৎ,
তা অবশ্য ঠিক। অনেক লখা আছে কিন্তু সাহস করে আগে কোথাও পাঠাইনি।
কোরানে আল্লার অমোঘ বানীর নামে নারীদেরকে ক্রমাগত অপমান আর অসম্মান ছাড়া আর কিছুই করেনি।
একেবারে সত্যি কথা। সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা করার ব্যাপারে যতটুকু দেয়া হয়েছে তাও সামান্য। আমার নানা মারা যাবার পর নানী তার মেয়েদেরকে একটু বেশি দিতে গিয়েছিল; মানে মামাদেরও যা দিবেন, খালাদেরও তাই দিবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অর্থাত্ সমান সমান ভাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বড় মামা বাধ সাধলেন। তিনি বললেন, ইসলামে সমান দেয়া জায়েজ নাই। ইসলামের হুকুম অমান্য করলে গুনাহ হবে। উল্লেখ্য যে মামা এক পুরোপুরি তাবলীগী। নানী তার মেয়েদেরকে একটু বেশিই ভালোবাসেন। তার কারণ মেয়েরা সব সময় নানীর খোজ খবর নিতেন। অথচ মামারা বিয়ে করে আলাদা সংসার করে অন্যত্র বসবাস করেন। নানীর বয়স এখন ৯০ এর উপরে। আমি অবাক হই, নানীর এমন খোলামন দেখে। আগের আমলের মানুষ হলেও কত দিল খোলা। শেষ পর্যন্ত নানী দিতে পেরেছিলেন। এতে মামাদের মন ভীষণ খারাপ হয়েছিল।
@মাহফুজ,
দারুন উদাহরন দিয়েছেন।
এ পর্যন্ত কোন মুক্তমনা সদস্যকে ঠিক ভাবে পাওয়া গেল না যে প্রমান করবে যে ইসলাম নারীদেরকে বিপুল সম্মান প্রদর্শন করেছে। বড়ই দুঃখজনক ব্যাপার।
ক@ভবঘুরে,
মুক্তমনা সদস্য কেন , কাউ কি আছে?
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা,
গোটা হাদিস শরিফে নারীদের অমর্যাদা আর অসম্মানের ডজন ডজন বর্ননা আছে। যারা এ বিষয়ে বিশদ জানতে চান তাদের জন্য আমি লিঙ্ক দিলাম , দয়া করে তারা সেখান থেকে একটা ফিরিস্তি পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
http://www.faithfreedom.org/content/women-hadith
তথ্য ও যুক্তিপূর্ণ লেখাকে সাধুবাদ জানাই। আপনার ধারণা সঠিক, অনেক “মডারেট” মুসলমান নামক সুবিধাবাদীরা এইসকল তথ্য জানেনা। বেহেস্ত পাবার যে লোভ লালসা তারা নিজেদের মধ্যে ধারন করে সেটাকে যুক্তিযুক্ত করার জন্য “ইসলাম নারীকে সঠিক মর্যাদা দিয়েছে” এই টাইপ কথা অশিক্ষিত মোল্লাদের থেকে শুনে শান্তিতে নিদ্রা যায়।
আদিল ভাইয়ের মন্তব্যের একটা কথা খুব ভালো লাগলো।
ধর্ম গ্রন্থের ব্যবহার এমনই। মানুষ ভালো কাজ করে, খারাপ কাজ করে। কিন্তু এই ধর্মগ্রন্থের কারণে বহু মানুষ অতিজঘণ্য, মানবতা বিরোধী খারাপ কাজকে খোদার আদেশে করা হচ্ছে টাইপ স্বান্তনা দিয়ে রক্তে, ঘৃণায় রঞ্জিত করে নিজের হাত, মানবতাকে।
ধর্মকারী সাইটের একটা ভিড্যু দেখুন।
Sayyida A’isha (may Allah be pleased with her) reports that Salim, the freed-slave of Abu Hudhayfa, lived with him and his family in their house. She (i.e. the daughter of Suhayl and wife of Abu Hudhayfa) came to the Messenger of Allah (Allah bless him & give him peace) and said: “Salim has attained (puberty) as men attain, and he has began to understand what they understand, and he enters our house freely, I, however, think that Abu Hudhayfa feels uncomfortable with this. The Messenger of Allah (Allah bless him & give him peace) said to her: “Suckle him and you would become unlawful for him, and (the dislike) which Abu Hudhayfa feels in his heart will disappear.” She returned and said: “I have suckled him and what (was there) in the heart of Abu Hudhayfa has disappeared.” (Sahih Muslim)
হা হা হা হা
ইদানিং বাংলাদেশের শিক্ষিত মেয়েদের মধ্যে ফ্যানাটিসিজম এর লক্ষন দেখা যাচ্ছে। এর কারন মনে হয় জেনেটিক। সুদীর্ঘকাল থেকে পুরুষের অধীনে থেকে লাথি ওষ্ঠা খেয়ে খেয়ে জীবন যাপন করার পর ওদের ডি এন এ তে মনে হয় পরিবর্তন ঘটে গেছে হঠা করে ডারউইনের অভিব্যাক্তি তত্ত্ব মতে। তাই এখন আত্ম সম্মান কি জিনিস তা একেবারেই জানে না। এমন কি উন্নত দেশে বাস করে এমন কিছু নারীর ক্ষেত্রেও আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করেছি তারাও পশ্চাদমূখি ধ্যান ধারনা পোষন করে। তাই আমি ইদানিং বাঙ্গালী মেয়েদের জেনেটিক চেঞ্জে বিশ্বাসী হয়ে পড়েছি। অপেক্ষা করেন কিছুদিন , জেনেটিক টেকনোলোজির আর কিছুটা উন্নতি ঘটলেই ওদেরকে লাইনে এনে ফেলব।
@ভবঘুরে,
বলেছেন বেশ।
@ভবঘুরে, ওদেরকে লাইনে আনার সংগ্রামে আমরা আছি আপনার সাথে।
@ভবঘুরে,
“সুদীর্ঘকাল থেকে পুরুষের অধীনে থেকে লাথি ওষ্ঠা খেয়ে খেয়ে জীবন যাপন করার পর ওদের ডি এন এ তে মনে হয় পরিবর্তন ঘটে গেছে হঠা করে ডারউইনের অভিব্যাক্তি তত্ত্ব মতে।”
–এই বক্তব্য থেকেই তো বোঝা যায় কাদের আগে লাইনে আসা দরকার!!
@আইভি,
আমি কি অসত্য কিছু বলেছি? আমরা তো চাই নারীরা সত্যিকার অর্থে পরিপূর্ন মর্যাদা নিয়ে জীবন যাপন করুক। কিন্তু অর্থনৈতিক পরনির্ভরশীলতা ও ধর্মীয় কুসংস্কার তাদের ওপর যাতাকলের মত এমন ভাবে চেপে বসেছে যে তার বাইরের জীবনকে বাংলাদেশের মুসলমান নারীরা কল্পনাই করতে পারে না। অনেক নারীকেই পাবেন যারা স্বামীর লাথি ওষ্ঠাকে অপরাধ মনে করে না, মনে করে ওটা আল্লাহ কর্তৃক তাদের জন্য প্রাপ্য সূরা নিসার ১৯-২১ আয়াত মোতাবেক। কোরানে ও হাদিসে নারীদেরকে এত অমর্যাদা আর অপমান করার পরও কোন্ শিক্ষিত নারী এর পরেও বোরখা দিয়ে সারা শরীর ঢেকে শুধুমাত্র দুই চোখ বের করে এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে ভুত প্রেতের মত চলা ফেরা করতে পারে? দেখেন ইসলাম তাদেরকে মানুষ হিসাবে তো স্বীকার করেই নি , পরন্তু তাদেরকে কুকুর, গাধা, শুকর ইত্যাদির সাথে তুলনা করেছে, এর পরেও কি ঐসব তথাকথিত শিক্ষিত নারীর চেতনা আছে ? আমি তো সেটাই বলতে চেয়েছি, আর সেটা চেয়েছি তার কারন আমরা অনেকেই ইতোমধ্যে লাইনেই আছি। নইলে আর খামোখা কষ্ট করে লেখা লেখি করছি কেন ? তবে আপনার লেখার মধ্যে একটা ধরি মাছ না ছুই জাতিয় ভাব লক্ষ্য করেছি। আপনার বক্তব্য অনেক সময় পরিষ্কার না। যেমন আপনি বলেছেন-
বিষয়গুলো পেলেন কোথায়?–হাদিস বইগুলোতে। প্রমাণ কি?– হযরত মুহম্মদের মৃত্যূর প্রায় দেড়শ’-দুশ’ বছর পরে মুখে মুখে প্রচারিত গল্প ব্যক্তিদের স্মৃতিতে সংরক্ষিত ছিল তাই বোখারী, তাবারী সাহেবরা সংগ্রহ করেছেন। বোখারী, তাবারী এবং আরো ইমামগণ কেন এই হাদিস সংগ্রহ করেছেন?
তো আপনিই বলেন তাহলে কিভাবে হাদিস ছাড়া নবীকে জানা সম্ভব , একমাত্র টাইম মেশিন ছাড়া? কারন সেই আরবরা তো তার পরিপূর্ন জীবন ইতিহাস আলাদা করে লিখে যায় নি। হাদিসে তারা তার কথা বার্তা, কার্য কলাপ ইত্যাদির বর্ননা দিয়ে গিয়েছেন। তারা ছিল মোহাম্মদের অন্ধ ভক্ত। তারা নবীর চরিত্র এমনভাবে চিত্রিত করবে যাতে তাকে আরও মহান মনে হয় , তাই না? কিন্তু তার পরেও তাদের লেখার মধ্যে সত্য ঘটনা খুজে পাওয়া যাবে। কারন কি জানেন ? সে সময়কার প্রচলিত সংস্কার ও বিধি বিধান এর জন্য। যেমন – সে যুগে নারীদেরকে শুধুমাত্র ভোগ্য পন্য হিসাবে মনে করার সংস্কার ছিল যা আবার ইসলামও নানা ভাবে সমর্থন করেছে। তো স্বাভাবিক ভাবেই হাদিস বর্ননাকারী বা রচনাকারীরা সে সময়ের প্রেেিত তাকে খারাপ হিসাবে মনে করেনি আর সেকারনেই তারা হুবহু ঘটনাগুলো বর্ননা করেছে। খারাপ মনে করলে তো তা লিখতই না। সেগুলোকে ছেটে ফেলার চেষ্টা করত।নারীদের মর্যাদা বা অধিকার এগুলো তো হলো আধুনিক কালের বিষয়। আধূনিক সমাজ ও সভ্যতার নিরিখে নারীর মর্যাদা ও অধিকার বিচার করতে গিয়েই তো যত বিপত্তি ঘটছে। তাতে দেখা যাচ্ছে- ইসলাম বস্তুতঃ নারীদের তেমন কোন কোন মর্যাদা তো দেয়ই নি বরং পদে পদে করেছে অপমান অপদস্ত, যা আবার সেই চোদ্দ শ বছর আগেকার আরব সমাজের প্রেক্ষিতে সঠিক ছিল। ফলে হাদিস বর্ননাকারী বা রচনাকারীরা সেসব ঘটনাকে কোন রকম আপত্তিকর মনে না করেই লিখে রেখে গেছে। তাই তারা যতই তাদের নবীকে মহান করে চিত্রিত করার চেষ্টা করুক না কেন তারা আসলে সময় বা কালের কাছে ধরা খেয়ে গেছে। এখানেই হাদিস থেকে আসল সত্য বের করার প্রক্রিয়া। কিন্ত আইভি, আপনি যেন মনে হচ্ছে গোটা হাদিসকে ত্র“টিপূর্ন মনে করে তাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করতে চাচ্ছেন যাতে কিছুকাল পরে তাকে বাতিল করে দেয়া যায় , তাই না ? আপনার এ দুরভিসন্ধিমূলক প্রক্রিয়া কাজ করবে না এ যুগে। কারন চোদ্দ শ বছর আগে বর্বর আরবদেরকে কোন এক অতি ধুরন্ধর মোহাম্মদ চোখে ধুলো দিতে পারলেও আজকের এই প্রযুক্তির যুগে তা সম্ভব নয়। তাই ধরি মাছ না ছুই পানি জাতীয় কথা বার্তা বলে ইসলাম কে বাচানো যাবে না। এ ব্যাপারে আদিল মাহমুদ ভাল ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
ইসলামি বিশ্বে ইমাম গাজালী হচ্ছেন সর্বোত্তম সম্মানিত পন্ডিত। সত্যি বলতে কি, মুসলিম জগতে ঈমাম গাযালীকে নবীজির পরেই স্থান দেয়া হয়। তাঁর লেখা এহিয়া উলুম আল-দিন বইটা প্রত্যেক মুসলমানদের অবশ্য পাঠ্য। কোরান শরীফের পরেই এই বইটির স্থান। শুনেছি আমাদের মাদ্রাসার উঁচু শ্রেনীতে এই বইটা পাঠ্য বই হিসাবে পড়ানো হয়।
দেখুন এই ইমাম একটি হাদিস উদ্ধৃতি দিয়েছেন বিবি আয়েশার মাধ্যমে:
এহ্ইয়াও উলূমিদ্দীন, হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গায্যালী (রহঃ)
অনুবাদ-এম এন এম ইমদাদুল্লাহ, প্রাপ্তিস্থান: বাংলাদেশ তাজ কোম্পানী লিঃ, ৬ প্যারীদাস রোড, ঢাকা
ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৩১১:
হযরত আয়েশা বললেন (রাঃ) বলেন, একদা একটি বালিকা রসুলুল্লাহ (দঃ) এর নিকটে এসে বলল, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমার কাছে বিবাহের প্রস্তাব আসে কিন্তু আমি বিবাহ করতে চাই না। আপনি বলুন, স্ত্রীলোকের স্বামীর প্রতি কর্তব্য কি? তিনি বললেন, যদি স্বামীর মস্তক থেকে পা পর্যন্ত পুঁজ জড়ানো থাকত এবং স্ত্রী তা চেটে খেত তবু স্বামীর শোকর আদায় হত না…..
“যদি আমি কোন ব্যক্তিকে কারও উদ্দেশ্যে সিজদাহ্ করতে আদেশ দিতাম তাহলে স্ত্রীলোককে তাদের স্বামীকে সিজদাহ্ করতে আদেশ দিতাম।
পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ বইটির ইংরাজী অনুবাদে উপরের হাদিসটি বেমালুম লুকিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু ইবনে ইসহাক হাদিসটি ঠিকই উদ্ধৃতি দিয়েছেন, মুয়াদের মাধ্যমে। বলাবাহুল্য, হযরত মুয়াদ ছিলেন নবীজির সমসাময়িক কালের, ওনার অন্যতম প্রিয় সাগরেদ। দেখুন, ইবনে ইসহাক কি লিখেছেন:
সিরাত রাসুলআল্লাহ, ইবনে ইসহাক,
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচি, পাকিস্তান।
পৃষ্ঠা ৬৪৪
THE APOSTLE’S INSTRUCTIONS TO MU’ADH WHEN HE
ENT HIM TO THE YAMAN
‘Abdullah b. Abu Bakr told me that he was told that when the apostle sent Mu’adh he gave him instructions and orders and then said: Deal gently and not harshly; announce good news and do not repel people. You are going to one of the people with scripture who will ask you about the key of heaven. Say to them it is the witness that there is no God but Allah, Who has no partner. Mu’adh went off to the Yaman and did as he was ordered and a woman came to him and said, ‘O companion of God’s apostle, what rights has a husband over his wife?’ He said, ‘Woe to you, a woman can never fulfill her husband’s rights, so do your utmost to fulfill his claims as best you can.’ She said,
লক্ষ্য করুন, ঐ স্ত্রীলোক মুয়াদকে সাফ সাফ বলে দিল, যেহেতু হযরত মুয়াদ ছিলেন নবীজির প্রিয় দোসর, তাই উনি নিশ্চয় জানতেন নবীজি নারীদের প্রতি কেমন মত পেষণ করতেন।
@আবুল কাশেম,
এভাবে কি আর পার পাওয়া যাবে? এতকাল ধরে যে সব বই পুস্তক ছাপা হয়েছে, যাদের দরকার তারা ঠিকই যোগাড় করে রেখেছে। এভাবে লুকোচুরি খেলে কি আর বেশীদিন চালবাজি করা যায়? আজকের ইন্টারনেটের যুগে ওসব জারি জুরি আর কাজে দেবে না। কথায় বলে না, ধর্মের ঢোল আপনি বাজে? তবে ইসলামের ঢোল বাজতে আমাদেরকে চোদ্দ শ’ বছরেরও বেশী অপো করতে হলো এই যা
@ভবঘুরে,
আমি এ-সম্পর্কে সঠিক কিছু বলতে পারছি না। যতদিন ইসলামী তেলের টাকা থাকবে, ততদিন ইসলামী জোশ বৃদ্ধি পাবে বলেই আমার ধারণা। আজকের ইন্টারনেট অনেক ইসলাম বিরোধী লেখকের জন্ম দিয়েছে—এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আমার মনে হয় না আপাততঃ এ শক্তি তেলের টাকার মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
আনন্দের কথা হচ্ছে, আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগে যখন গুটি কয়েক বাঙ্গালী মুরতাদ ইসলামের সমালোচনা করতে কলম ধরেন ইন্টারনেট থেকে, তখন তারা ছিল বড়ই একাকী, নিঃসহায়, এবং অসহায়। এই বাঙ্গালী লেখকদের সংখা আমার মনে হয় পাঁচ ছয় জনের বেশী হবে না। তখনও মুক্তমনার জন্ম হয় নি, আর না ছিল ফেইথ ফ্রিডম অথবা ইসলাম ওয়াচ। মুক্তমনায় আজ কত মুরতাদের লেখা পড়ছি। ছয় সাত বছর আগে যেখানে এই মুরতাদের সংখ্যা ছিল হালে হয়তো তিন চার জন। সত্যি বলতে এখন মুক্তমনায় সপ্তাহে নূন্যতম একজন মুরতাদের লেখা পড়ছি।
এটা যে আমাদের জন্য কত আনন্দের কথা তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। যে যত কথায় ই বলুক, মুক্তমনার পাঠক সংখ্যা পরীক্ষা করলে এটা স্পষ্ট যে ইসলাম সমালোচনা ভিত্তিক লেখার পাঠক সব চাইতে বেশী। এটাই তো আমাদের সাফল্য। যেখানে সৌদি আরবের বিলিয়ন ডলারের ইসলাম বাংলাদেশকে প্লাবিত করেছে। সেখানে এই গুটি কয়েক বাঙ্গালী যে আজও সাহসের সাথে কলম ধরছে ইসলামকে মুখোমুখি হতে এটাই তো আমাদের বীরত্ব।
এই সব লেখার ইমপ্যাক্ট নিশ্চয় হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য যে জাগরণ দরকার সেটা হতে আরও অনেকদিন লাগবে বলে আমার ধারনা। এছাড়া বাঙ্গালী নারীদের মুক্তির একমাত্র রাস্তা হচ্ছে ইসলামকে লাথি মেরে ওদের বুক থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে।
কিন্তু আমার মনে হয় না বাঙ্গালী মেয়েদের এই সাহস আসবে, যতদিন না তারা নিজের পায়ে, নিজের অর্থোপার্জনের পথ খুঁজে বের করবে।
আপনার লেখা অত্যান্ত প্রশংসনীয়। আমি আশা করব আপনার লেখা পড়ে আরো অনেক বাঙ্গালী অনুপ্রানীত হবেন এবং ইসলামের ভাঁওতাবাজী ও বর্বরতা প্রকাশ করার মানসে কলম ধরবেন।
আপনার এই মূল্যবান লেখার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আবুল কাসেম
ইসলাম শব্দের অর্থ “শান্তি” হলেই কি? ইসলাম শান্তির ধর্ম? রাজাকার শব্দের অর্থ সহযোগী(বা এধরনের কিছু) কিন্তু যোগরূঢ়ার্থে রাজাকার হলো বিবর্তনের নিকৃষ্টতম জীব। আর ইসলামের যোগরূঢ় অর্থ এখন সন্ত্রাসবাদ।
শুধু ক্রন্দন করে এ সমস্যার সমাধান হবে না । আমাদের সবাইকে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে । আত্মত্যাগী মানসিকতা থাকতে হবে । গন হারে মূরতাদ হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে । দাউদ হায়দার , হূমায়ুন আজাদ আর তসলীমাকে যেভাবে আমরা ওপরে ঊঠিয়ে দিয়ে নিচের মই টেনে নিয়েছি , তেমনটা হলে চলবে না । এটা ভীষন লজ্জার ব্যপার যে তাদের তাদের মত আত্মত্যাগীদের জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি এবং এখনও করছি না । অতএব , পরিস্থিতির পরিবর্তন চাইলে সাহসী পদক্ষেপ নিতেই হবে । অন্য কোন বিকল্পের অবকাশ নেই ।
@বিজয়,
:yes:
প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
খুব তাড়াতাড়ি কোরানের মহাবিশ্ব ও ইসলাম শান্তির ধর্ম কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু লেখার আশা করছি। তবে তার পূর্বেই বলে রাখি কোরানের মহাবিশ্ব কিন্তু খুবই ছোট, এমনকি আমাদের সৌরজগতের চাইতেও ছোট, আর ইসলাম কোন শান্তির ধর্ম নয়, কারন ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পন আর বলা বাহুল্য, শান্তি ও আত্মসমর্পন সমার্থক নয়। সুতরাং যারা মূর্খ ও উজবুক মোল্লা ও কোরান তফসিরকারদের কাছ থেকে ইসলাম শান্তির ধর্ম শুনে শুনে বিশ্বাস করে বসে আছেন যে ইসলাম সত্যিই শান্তির ধর্ম তাদের জন্য একটা দুঃসংবাদই বলতে হবে। আমার বিনীত অনুরোধ মুসলমান ভাইদের প্রতি- আপনারা কাঠমোল্লাদের কাছ থেকে ইসলামের কথা না শুনে সরাসরি কোরান আর হাদিস পড়া শুরু করে দিন তাতে আপনার ব্যাক্তিগত মঙ্গল যেমন হবে, বাংলাদেশের মুসলমান তথা মুসলমান জাতিরও মঙ্গল হবে। বিশ্বাস করুন- কোরান খুবই সহজ ও সরল ভাষায় লিখিত, ওখানে লুকানো কোন অর্থ নেই যার সাক্ষ্য স্বয়ং আল্লাহ ( আসলে মোহাম্মদ) দিয়েছেন এই বলে- আমি কোরানকে সহজ ভাষায় নাজিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পারো। সুতরাং যারা বলে কোন কোন সূরার অর্থ বোঝা মানুষের দুঃসাধ্য, তারা প্রকারান্তরে আল্লাহকেই অমান্য করে। বস্তুতঃ তারা সাধারন মুসলমানদেরকে প্রতারনার জন্যই এসব কথা বলে। অন্য দিকের যুক্তিটা হলো- যা মানুষের পক্ষে বোঝাই দুঃসাধ্য তা আল্লাহ খামোখা নাজিল করতে যাবেন কোন দুঃখে?
@ভবঘুরে,
সাধুবাদ জানাচ্ছি! আরও লেখা আশা করছি।
:yes:
@ভবঘুরে,
যত যাই বলেন, ঈমানের জোড় থাকলে এসব কোন ব্যাপার-ই না। জাহান্নামে নারীদের সংখ্যা বেশি হবে এ হাদিসের বিপরীতে জান্নাতে যে নারীদের সংখ্যা বেশী হবে এমন হাদীসও আছে।
এ হাদীসটি আমি খুজে বের করি নাই। একজন শিক্ষিত নারী, যিনি ব্যারিস্টারী পড়ছেন, তিনি ইসলামে নারীর মর্যাদা ডিফেন্ড করতে গিয়ে এটি উল্লেখ করেছেন। এ জগতে তিন সতিন আর পরজগতে ২ জন কম। এটা অবশ্যই নারীর মর্যাদা বৃদ্ধির প্রমাণ!
তবে আমার কাছে সুরা ইমরানের একটি আয়াত সবচেয়ে অপমানজনক মনে হয়।
এ আয়াতে “নাস” এর অর্থ পুরুষ করা হলেও মুলত “নাস” মানে মানুষ। আল্লাহ নারীকে মানুষ মনে করেন নি বলেই উল্লেখ করলেন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের জন্য “নারী”ও বৈষয়িক সম্পদের মদ্ধে অন্যতম।
@আনাস,
কোন নারীকে যখন ইসলামকে ডিফেন্ড করতে দেখি তখন খুবই হতাশ লাগে। কোন কোন ক্ষেত্রে ধর্ম আফিং এর চাইতেও ভাল কাজ করে আর কি।
@আতিক রাঢ়ী,
বেশীরভাগ নারীদেরই তাদের বাবা নয়তো স্বামী নয়তো ছেলেকে ডিফেন্ড করতে যেয়ে ইসলামকে ডিফেন্ড করতেই হয়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ইসলামের পক্ষে নারীর এ ওকালতী হয়তো পিতা , পুত্র অথবা সহোদর এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিন্তু স্বামীর ক্ষেত্রে সব সময় নয় । নাস্তিকতার অপরাধে স্ত্রীর কাছ থেকে তালাক পেয়েছেন এমন অনেক কে জানি । শুধু তাই নয় , তাদের জীবন এখন নানা রকম মামলা – মোকদ্দমায় বিপর্যস্ত ।
@বিজয়,
হতে পারে, কিন্তু আমি সাধারনভাবে আমাদের সমাজে পুরুষদের উপর নারীদের নির্ভরশীলতার কথা বুঝাচ্ছিলাম। দেখা যায় যে পুরুষ যেটা সমর্থন করে নারীরা কোনরকম বিশ্লেষনে না যেয়ে সেটাতে সায় দিয়ে নিরাপদ অথবা কমফোর্ট ফিল কর।
@আনাস,
জান্নাতে পুরুষের সংখ্যা বেশী এমন হাদীস আমি নিজেই মাত্র গত সপ্তাহেই দেখেছিলাম 🙂 ।
তবে মোদ্দা কথা সেই ঈমানের জোর। ঈমানের অতিরিক্ত জোর থাকলে সাধারন যুক্তিবোধ ফেল।
আইভি
ইসলামকে জানতে গেলে হাদিস শরিফের চর্চা ছাড়া তো কোন পথ নেই। সেই অসভ্য আরবরা তো আর নবী মোহাম্মদের কোন ইতিহাস ভালভাবে লিখে যায় নি। হাদিসে মোহাম্মদের চরিত্রকে রং চড়াতে গিয়ে তাদের অজান্তে কিন্ত আসল কথা বলে ফেলেছে কারন সেই যুগের অসভ্য বর্বর আরবরা অত চালাক ছিল না। যেমন এই হাদিসটি ল্য করুনঃ আমি দোজখও দেখলাম আর এমন ভয়ংকর দৃশ্য আমি আর দেখি নি। আমি দেখলাম অধিকাংশ দোজখবাসী হলো নারী। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হুজুর , কেন তা ? উত্তরে আল্লাহর হাবিব বললেন- তাদের অকৃতজ্ঞতার জন্য। আবার নবীকে জিজ্ঞেস করা হলো- নারীরা কি আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞ কি না। উত্তরে তিনি বললেন- নারীরা হলো তাদের স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ। তোমরা তাদের প্রতি সারা জীবন প্রীতিপূর্ন হলেও যদি একবার কোন কাজ কর যা তোমাদের স্ত্রীদের আশানুরূপ নয়, তাহলে তারা বলবে সারা জীবনেও তোমাদের কাছ থেকে ভাল কিছু পায়নি।- বুখারী শরীফ, ভলুম -২, বই-১৮, হাদিস নং-১৬১ কি সুন্দর ভাবে হাদিস শরিফটিতে নবীর নারীর প্রতি তার ধারনার কথা ফুটে উঠেছে , তাই না ? বিষয় হলো- হাদিসের রচনাকারীরা কিন্তু নবীকে আরও মহান আরও শ্রেষ্ট জীব হিসাবে চিত্রনের চেষ্টা করেছে, তাকে খাটো করে দেখানোর কথা ওরা স্বপ্নেও ভাবতে পারত না , কারন তাহলে বেহেস্তে গিয়ে হুরদের সাথে অবাধ যৌনলীলার পরিবর্তে দোজখে গিয়ে পুড়তে হতো। অবশ্য তাতে কিন্ত কোন অসুবিধা হতো বলে মনে হয় না কারন অধিকাংশ নারীরাই যখন দোজখে যাবে , সেখানেও কিন্তু অবাধ যৌনলীলার সুযোগ আছে বলে ধরে নেয়া যায়, নবী মোহাম্মদ নারী সম্পর্কিত ধারনা প্রকাশ করতে গিয়ে মনে হয় তার ধারনার অন্তর্নিহিত অর্থের কথা ভুলে গিয়েছিলেন। যাইহোক, কোরানে বার বার বেহেস্তের হুর বা অনন্ত যৌবনা কুমারী নারীদের কথা বলেছে। হুর বস্তুত একটি স্ত্রী লিঙ্গ। এছাড়া সমকামীদের জন্যও ব্যবস্থা আছে- যেমন গেলমান, বুঝলেন আইভি?
@ভবঘুরে, আশা করেছিলাম এই আয়াতটি থাকবে আপনার নিবন্ধে,……
33:50] O Prophet! We have made lawful to thee thy wives to whom thou hast paid their dowers; and those whom thy right hand possesses out of the prisoners of war whom Allah has assigned to thee; and daughters of thy paternal uncles and aunts, and daughters of thy maternal uncles and aunts, who migrated (from Makka) with thee; and any believing woman who dedicates her soul to the Prophet if the Prophet wishes to wed her;- this only for thee, and not for the Believers (at large); We know what We have appointed for them as to their wives and the captives whom their right hands possess;- in order that there should be no difficulty for thee. And Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.
কি মারাত্বক কথা!!! মা,মেয়ে,আপন বোন ছাড়া মোটামুটি সমস্হ মেয়ে জাতিকে মোহাম্মদ এর জন্য হালাল করে দেওয়া হয়েছে। কিসের জন্য? অনেক মুসলিম চিন্তাবিদ বলার চেস্ঠা করেছেন “বিয়ে” করার জন্য, কিন্তু ভূলে যান আয়াতের এই অংশটি…”এই সুবিধা শুধু তোমার জন্য, অন্য কোন মুমিনের জন্য নয়”।আমরা জানি শুধু ইসলামেই কাজিন বিয়ে করার অনুমতি আছে। তার মানে এখানে বিয়ের কথা নয় শ্রেফ যৌন সম্ভোগ এর কথা বলা হয়েছে। এই আয়াতের মাধ্যমে মোহাম্মদ তার ইচ্ছেমত মহিলাদের সাথে যৌন সংগমের ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছিল……..ছিঃ……………
@ফরহাদ,
প্রিয় ফরহাদ, হতাশ হবেন না, দু একদিনের মধ্যে আরও আয়াত ও হাদিসের উদ্ধুতি থাকবে লেখাটি সমৃদ্ধ করার জন্য। তাছাড়া কোরান ও হাদিসে এত বেশী নারী বিদ্বেষী ও নারীকে অপমান করে উদ্ধৃতি আছে যে কত আর খুজে বার করা যায়? তারপরেও যা হাতের কাছে পাওয়া যায় তার সব উল্লেখ করলেও মুসলমান নারীদের কি সম্বিত ফিরবে? ফিরবে না কারন, মোহাম্মদ তাদের হৃদয়ে সিল মেরে দিয়েছেন যে !
@ফরহাদ ভাই,
আয়াতটি কোরানে পেয়ে আমি চমকে উঠেছিলাম, অনেক আগেই হলুদ কালি দিয়ে মার্ক করে রেখেছিলাম।
ইতিহাসের সর্বনিকৃষ্ট লম্পট কে তা খুঁজে বের করতে হলে এ আয়াতই যথেষ্ট, হাদীসের কোনো প্রয়োজন নেই।
@ভবঘুরে,
আসলে হাদীসকে অস্বীকার করার একটা প্রবল তাড়না ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন ইসলামের মঙ্গলকামীদের মধ্যে হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এটা শেষ বিচারে একটা কুমতলব ছাড়া আর কিছুই না। কোরানের সর্বাধুনিক ব্যাখ্যাকারদের জন্য এটা এখন বিরাট এক বোঝা। এটা তাদের ব্যাখ্যা প্রদানের সর্বোচ্চ সৃজনী শক্তির স্বাধীনতাকে খর্ব করছে। পুরো ব্যাপারটাকে ঢেলে সাজাবার তাদের যে বাসনা, হাদিছ হচ্ছে সেই বাসনার পূরনের সবচেয়ে বড় বাঁধা। তাই কোন মতে একে ফু দিয়ে ঊড়িয়ে দিতে পারলে তারা একটু শান্তি পেত।এর মধ্যে যে ইতিহাসের উপাদান আছে তাকে অস্বী্কার করা গেলে, কিতাবটাকে আবার আসমানী করে তোলা যেত। এই বদ মতলবের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করছি।
যেমন, সেদিন শুনলাম, আয়েসা, আবু বকরের বোন। মানে মুহাম্মদের শিশু বিবাহকে ধামাচাপা দেবার ফন্দি। হাসিও পায়, দুঃখও লাগে।
@আতিক রাঢ়ী,
হ্যা, যেকোন বাংলা ব্লগে গেলেই এটা দেখা যায়। নানা রকমের উদ্ভট, অযৌক্তিক, একালের মানবতাবোধের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক এসব হাদীস দেখে অনেকেই বিব্রতবোধ করেন। যদিও কোরান অনলিদের মতে এটা মূল কারন নয়, কোরান অনলি মতবাদ ইসলামের প্রথম থেকেই ছিল, কিন্তু পলিটিক্যাল ইসলাম ওয়ালারা তাদের নিজ স্বার্থে ইসলাম ব্যাবহার করতে এসব মনগড়া হাদীস রচনা করে তাদের দ্মিয়ে রেখেছিল।
এই নিয়ে বাধে জোর তর্ক, বলাই বাহুল্য কোরান অনলিরা তেমন একটা ভাল সাড়া পান না। তবে অনেকের মনেই বড় ধরনের প্রশ্ন আসছে তা বুঝতে পারি।
কোরান অনলি মতবাদ ব্যাবহারিক দিক দিয়ে অনেক নিরাপদ, তাই তাদের প্রতি আমার সহানুভূতি আছে। তারা অন্তত স্বীকার করেন যে ধর্মের নামে নানান অত্যাচার অনাচার হয়েছে, হচ্ছে। তাদের মধ্যে সংস্কারবাদী মানসিকতা আছে, যেটা হাদীসে অন্ধবিশ্বাসীদের মাঝে নেই। তারা যত উদ্ভট হাদীসই দেখান তার পক্ষে যুক্তি বের করবে। বড়জোর বলবে যে দুয়েকটি হাদীস ভূল হলেও হতে পারে। যদিও মজার ব্যাপার হল যে তারা নিজ থেকে কোনদিন স্বীকার করবে না যে এই নির্দিষ্ট হাদিসটি অবশ্যই ভুল। কে জানে, আবার নবিজীর শাফায়াত থেকে বঞ্চিত হন কিনা।
তবে কোরান অনলিদের তত্ত্বীয়ভাবে একই সমস্যা আছে। তারা কোন হাদীস বা সমসাময়িক প্রচলিত ইসলামী ইতিহাস মানেন না। যদিও তারা বিনা দ্বিধায় মানেন যে নবী মোহাম্মদ অত্যন্ত উচু শ্রেনীর মানুষ ছিলেন। মুশকিল হল এসব না মানলে নবী মোহাম্মদ আসলে কে ছিলেন, খুবই মানূষ ছিলেন সেটাই বা জানা যাবে কি করে? কোরানে তো ব্যাক্তি মুহম্মদ সম্পর্কে তেমন কিছুই নেই। তার উদারতা, মহানুভবতা সম্পর্কে যত কাহিনী তার সবই হাদীস বা ইতিহাসের পাতায়।
চূড়ান্তভাবে সেই হাদীস বা ইসলামী ইতিহাসের শরনাপন্ন তো হতেই হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাব আমি এখনো পাইনি। এর সম্ভাব্য জবাব হয়ত; আল্লাহর অস্তিত্ব বা কোরানের অথেন্টিসিটি যেমন স্বতঃসিদ্ধ, তেমনি নবীজীর চরিত্র সম্বন্ধেও স্বতঃসিদ্ধের মত ধারনা করে নেওয়া।
বা হয়ত, হাদীস বা ইসলামী ইতিহাসের যেগুলি নবীজির পক্ষে যায় শুধু সেইগুলি মানেন।
@আদিল মাহমুদ,
আমি যতটুকু বুঝি কোরান অনলি মতবাদে বিশ্বাসীগন ‘হাদীসে অন্ধবিশ্বাসীদের’ মতো কোরানে অন্ধবিশ্বাসী। যেহেতু কোরান একটি পুর্নাংগ জীবন বিধান বলে দাবী করা হয়, কোরান অনলি মতবাদে বিশ্বাসীগন কোরানের আয়াত অক্ষরে অক্ষরে পালন পুর্বক জীবন যাপন করবেন, তারা আবার সংস্কারে যাবেন কেন? অন্ধবিশ্বাসীরা, সে হাদীস হউক কোরান হউক তাদেরতো সংস্কারে যাবার কথানা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
হ্যা, কোরানে বিশ্বাসী তো তাদের হতেই হবে। নইলে মুসলমান বলে দাবী করবে কিভাবে? তবে কোরানে বিশ্বাস করেও যে সংস্কারবাদী হওয়া যায় তার কিছু প্রমান তারা দিয়েছেন। কোরানের প্রচলিত বেশ কিছু আয়াতেরই যুগোপযোগী ও গ্রহনযোগ্য ব্যাখা/অনুবাদ তারা হাজির করেছেন যেগুলি কোরানের সব অনুবাদক তাদের অনুবাদে ব্যাবহার করলে কোরানকে অত ভয়াবহ মনে হত না।
উদাহরন হিসেবে, স্ত্রী পেটানোর যায়গায় চলে যেতে দেওয়া; চুরির শাস্তি হাত কেটে বাদ দেবার যায়গায় চিহ্ন দেওয়া এসব বলা যেতে পারে।
মনে রাখতে হবে যে অমানবিক ইসলামী আইন কানুন বলে যেসব আমাদের কাছে সুপরিচিত তার বেশীরভাগেরই সূত্র কিন্তু হাদীস ও নানান কিচ্ছা কাহিনী, কোরান নয়। যেমন মুরতাদের শাস্তি মৃত্যু, নারী নেতৃত্ব হারাম এসব কোরানে নেই। কোরানের আয়াত বলা যায় ব্যাবহার করা হয় এসব হাদীস হালাল করতে।
তাই আমার বিবেচনায় কোরান অনলীরা এভাবে সংস্কার করতে পারেন, যদিও কতটা পারবেন সে প্রশ্ন থেকেই যায়। একসময় হয়ত তারাও প্রাচীনপন্থী মূল্যবোধের কাছে কিছু ক্ষেত্রে পরাজিত হবেন। বেশ কিছু ইস্যু যেমন কোরান মেনে সুদ ওয়ালা সিষ্টেম কি করে সমর্থন করা যায় আমি তার কোন রাস্তা দেখি না।
তবে তূলনামূলক বিচারে এনাদের সংস্কারবাদী বলতেই হবে।
@আদিল মাহমুদ,
এটা মানবিকী করনের ভাল নজির। তবে মুহাম্মদ কি এতটা মানবিক ছিলেন নাকি অনুবাদক মুহাম্মদের থেকে বেশী মানবিক, এই বির্তটাকে কিছুটা প্রলম্বিত করা হলো আর কি। তবে গত ১৪০০ বছরে কোন আরব যে অনুবাদের প্রতিবাদ করেনি, সেটাকে এখনি বাদদেয়া -কেবল মাত্র স্বর্গীয় প্রেরনার উপস্থিতীতেই সম্ভব।
@আদিল মাহমুদ,
কোরান কে অনুবাদ করতে হলে কোরান যাতে ভয়াবহ মনে না হয় সে কথা মনে রেখে অনুবাদ করতে হবে। তার মানে কোরানের যুগোপযোগীতা ও গ্রহনযোগ্যতার জন্য সহজ কথায় গোজামিলের আশ্রয় নিতে হবে।
@আদিল মাহমুদ,
“
— যা ঘটে গেছে তা না মানার কোন কারণ নেই। কিন্তু ঘটেছে কিনা যেভাবে বর্ণনা করা আছে, সেখানেই প্রশ্ন! উদাহরণ সরুপ বলা যায়, কিছুদিন আগে পড়লাম যে তুরস্কের লাইব্রেরীতে কিছু দুর্লভ বই আছে যা প্রায় ইসলামের প্রথম একশ’ বছরের কাছাকাছি সময়ের লেখা। বেশিরভাগই নষ্ট করে ফেলা হয়েছিল। সেখানে একটিতে ইমাম হাসান-হোসেনের কথা পাওয়া গেছে। প্রচলিত ইতিহাস ইমাম হাসানের বিষক্রিয়ায় মৃত্যূর কথা লেখা আছে, কিন্তু এই বইতে ফুসফুসের অসুখে মারা যাবার কথা উল্লেখ আছে এবং ইমাম হোসেনের নিজ বাস ভবনে খুন হবার কথা উল্লেখ আছে।
যেহেতু ইতিহাস বিকৃত, তাই কোরান দিয়ে নবীকে চিনতে চাইলে যতটুকু কোরানে আছে ততটুকুই তো বলব।
@আইভি,
এভাবে চিন্তা করলে আসলে কোন সমাধান নেই। আমি কেউই নিশ্চয়তা দিতে পারব না কোন বা ইতিহাস সঠিক, কারটা বিকৃত। তবে শুধু কোরান মানলে নবী মোহাম্মদ সদা সত্যবাদী ছিলেন, আল আমিন উপাধি পেয়েছিলেন এসবই বা কোন সূত্র থেকে জানব? এসবের কি গুরুত্ব একেবারেই নেই? অবশ্যই আছে।
কোরানের অথেন্টিসিটির ব্যাপারে ব্যাক্তি মোহাম্মদের বড় ভূমিকা আছে। যদু মধু রাম শ্যাম যেই খুশী এসে দাবী করল আমার কাছে আল্লাহর অহি আসছে (এই আমলেও অনেকে করে, হয় বড় ধরনের বাটপাড় আর নয়ত মানসিক রোগী) আর মানূষে মেনে নেবে তাতো হয় না। সেই দাবীকারি কেমন চরিত্রের মানুষ সেটার গুরুত্ব আছে। সে নিজে মতলববাজ দূশ্চরিত্র হলে তার দাবী মানুষ এমনিতেই উড়িয়ে দেবে। ভাল চরিত্রের হলে, বিশেষ করে যে জীবনে কোনদিন মিথ্যা বলেনি বলে রেকর্ড আছে তার কথা অন্তত শুনে দেখবে।
কোরানের কোন ফলসিফিকেশন টেষ্ট করে অথেনটিসিটি প্রমান করা যাবে না। ব্যাক্তি বিশ্বাসের উপর নির্ভর করতেই হবে।
কোরানের নানাবিধ ব্যাখ্যা, ইসলামের আসল ইতিহাস গায়েবের কাহিনী এসব জেনে আমার খালি মনে হয় যে আল্লাহ কোরানের হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন ঠিক ই, তবে তাতে লাভ মনে হয় তেমন কিছুই হয়নি। কোরান ১০০% খাঁটি হিসেবে রক্ষিত হল, তবে তার ব্যাবহার হল যার যা মনের খুশী সেভাবে তাতে আর হেফাজতের কি মূল্য থাকল বুঝি না।
@আদিল মাহমুদ,
এবারে আপনি ঠিক কথা বলেছেন। এর আগে শস্যক্ষেত্রের সাথে স্ত্রী লোকের তুলনা করায় আপনি খারাপ কিছু দেখনি বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তাতে একটু বিরক্তই লেগেছিল। দেখে মনে হয়ছে সন্তান জন্ম দেয়া ছাড়া মেয়েদের আর কোন কাজ নেই এ পৃথিবীতে। আসলে ধর্মগ্রন্থগুলো সব পুরান হয়ে গেছে। সেজন্যই শস্যক্ষেত্র শুধু না, তাদের সম্পত্তি দেয়া হয়েছে অর্ধেক, তাদের সাক্ষী দেয়ার সময় একজন পুরুষের সমান দুইজন নারী, তাদের প্রহৃত হবার আদেশ আছে কোরানে, এমন কি ‘রাইট হ্যান্ড পোসেস’ বলে যুদ্ধবন্দি, দাসীও বোইধ করা হয়েছে পুরুষের জন্য। এগুলোর জন্য হাদিসে যাবার দরকার নেই, কোরানেই আছে। এখন যত মানবীয় ব্যাখ্যাই হাজির করা হোক, সত্য পাল্টাবে না।
আর বুখারিতে সমস্যা হলে বুখারির পরে যারা বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, তাদের ব্যাখ্যাই বা গ্রহনযোগ্য হয় কেমন করে? তারা তো মাত্র সেদিনকার লোক।
@আদিল মাহমুদ,
আল্লাহ কিভাবে কোরান হেফাজতের দ্বায়িত্ব নিল বুঝলাম না। যেভাবে মুক্তবুদ্ধির মানুষরা এখন একে চুল চেরা বিশ্লেষণ করে চলেছে ইদানিং , মনে হয় আল্লাহ তাতে ভয় পেয়ে গেছে অনেক আগেই। তাই তিনি তার দায়িত্ব ইদানিং কিছু ইসলামিক ফ্যানাটিক এর উপর ছেড়ে হাফ ছেড়ে বেচেছেন। তাদের নেতা লাদেন মিয়া তো কোন গর্তে লুকিয়ে আছে কে জানে!! তবে বাংলাদেশের হালচাল বেশী একটা ভাল নয়। এই তো জামাত শিবির তাদের নেতা নিজামীকে তাদের নবী মোহাম্মদের সাথে তুলনা করে ফেলেছে। মনে হচ্ছে লাদেন এর পর নিজামি সাহেব কোরান হেফাজতের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন একবিংশ শতাব্দীর নয়া নবী হয়ে। দেখা যাক কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে দাড়ায়।
@আইভি,
33:50] O Prophet! We have made lawful to thee thy wives to whom thou hast paid their dowers; and those whom thy right hand possesses out of the prisoners of war whom Allah has assigned to thee; and daughters of thy paternal uncles and aunts, and daughters of thy maternal uncles and aunts, who migrated (from Makka) with thee; and any believing woman who dedicates her soul to the Prophet if the Prophet wishes to wed her;- this only for thee, and not for the Believers (at large); We know what We have appointed for them as to their wives and the captives whom their right hands possess;- in order that there should be no difficulty for thee. And Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.
মা,মেয়ে,আপন বোন ছাড়া মোটামুটি সমস্ত মেয়ে জাতিকে মোহাম্মদ এর জন্য হালাল করে দেওয়া হয়েছে। কিসের জন্য?
:-X :-X :-X :-X
@আইভি,
আপনি কোরান দিয়ে নবীকে চিনতে চাইছেন। ভাল কিন্ত আপনার আগে জানতে হবে তার সব বানী মানবতার পক্ষে মানবতা বলতে নারী শিশু বিধর্মী সবাইকে বুঝায়। যদি এক অক্ষরও ভুল থাকে তাহলে কিন্তু কোরান আল্লাহর বানী বলে আর থাকে না, নবীর বানী হয়ে যায় আর নবী কিন্তু মানুষ। তার ভুল হওয়াই স্বাভাবিক। তাই না?
@আদিল মাহমুদ,
আপনার কথা ঠিক যে চিন্তা চেতনার অগ্রসরতার দিক দিয়ে কোরান অনলিরা কিছুটা এগিয়ে। তবে এরা উভয়ে সমান অহ্ংকারী। তারা উভয়ে মনে করে যে অন্য সকল সম্প্রদায় হচ্ছে পথভ্রস্ট। সুতরাং সবাইকে সুপথে আনার একটা নৈতিক দায় তারা অনুভব করে। সুতরাং তারা যে যত বড় মুসল্মান যে ততবেশী ভয়ংকর। নীজেদের এই নির্লজ্জ শ্রেষ্ঠত্যের দাবির মধ্য তারা লালন করে চলে ফ্যাসিজম। এটাই সবচেয়ে আশংকার ব্যাপার। এটা কেবল মুসলমান না অন্য বহু সম্প্রদায়ের বেলাতেও সত্য। তবে বাকী সম্প্রদায়গুলো বয়সে মুসলমানদের থেকে প্রাচীন হওয়াতে সংস্কারমূলক কাজ অনেক বেশী হয়েছে। ফলে ওগুলো এখন অনেকাংশে ধর্মীয় ফ্যাসিজমের প্রভাব মুক্ত। যেভয় মুসল্মানদের মধ্যে এখনো প্রবল ভাবে বিদ্যমান।
@আতিক রাঢ়ী,
আমি নিজে আস্তিক হলেও কোন নির্দিষ্ট প্রথাগত ধর্ম থেকে বিশ্বাস হারিয়েছি তার একটা বড় কারন আমার কাছে মনে হয়েছে ধর্মের একটু গভীরে গেলেই সব ধর্মের মাঝেই মানুষে মানুষে বিভাজনের চমতকার উপাদান আছে। আমার ধর্ম শ্রেষ্ঠ এই অহংবোধ এক সময় না এক সময় মনে চাগাল দিতে বাধ্য। এই সমস্যা দূর করতে অনেকে মহানুভব সাজার চেষ্টা করেন, দেখাতে চেষ্টা করেন যে সব ধর্মই এক, সব ধর্মের মূল কথা নাকি একই। এই তত্ত্বও আরেক ধরনের ভন্ডামি মনে হয়।
আমি কোরান অনলিদের সমর্থন করি সম্পূর্ন তূলনামূলক বিচারে। যদিও সার্বিক বিচারে তারাও অনেক যুক্তিহীন কথা বলেন শুধুমাত্র অন্ধবিশ্বাসের বশে, বাস্তবতাবোধের বিরুদ্ধে।
@আতিক রাঢ়ী,
কিন্তু সে শান্তিও খুব বেশি দিন টিকবেনা, কারন কোরানের আয়াতগুলোও সম্পুর্ন কনট্রাডিকশনে ভর্তি। আজকালকার যুগে মানুষকে সাত-পাচ বা উল্টা-পাল্টা বুঝানো কঠিন।
আপনারা কেউ এই আয়াতের মর্ম বোঝেন নাই। আসল কথা হল মুহাম্মদের বউ রা খালি স্নো-পাউডার চাইতো। মুহাম্মদ কিনে দিলেও খালি কমপ্লেইন করতো কিসুই তো কিনা দিলা না। (আজকালকার বউরা যেমন করে আরকি)। সেই মর্মবেদনা থেকে নবিজী এই কথা বলসে। তাঁর জন্য প্যারা আরও বেশি ছিল। মাশাল্লাহ বউ ও তো ছিল অনেকগুলা। আফসোসের কথা হইলো, নবিজীর সময় থেকে আজকের দিনেও অবস্থার পরিবর্তন হয় নাই। আজকালকার বউরাও খালি কমপ্লেইন করে কিসুই তো দিলা না, তোমার সংসার করে কি লাভ হইলো ইত্যাদি ইত্যাদি । আমার বউ ও করে। এই হাদিস দেইখা বুঝতে পারলাম আমি একা না, আমাদের প্রাণ প্রিয় নবিজী ও এই সমস্যা থেকে মুক্ত ছিলেন না। এই সিলসিলা সেই প্রাগৈতিহাসিক জমানা থেকে চলতেসে। এখন আমি একটু শান্তি পাইতেসি।
অন্ এ সিরিয়াস নোট, কিছু কিছু ব্যাখ্যা ভুল ভাবে দেয়া হয়েছে। ইসলাম এ প্যাগান অনেক কালচার নেয়া হয়েছে। যেমন বিধবা বিয়ে বা তালাক। মুহাম্মাদ নিজেই বিধবা বিয়ে করেছিল (খাদিজা) যেটা ইসলাম ধর্ম প্রবর্তনের চিন্তা তাঁর মাথাই আসার আগেই সম্পন্ন হয়েছে। তেমনি তালাক ও ইসলাম আসার আগে থেকেই আরব সমাজে প্রচলিত ছিল। অবশই এইগুলা ইসলাম এর মধ্যে নিয়ে আসার পিছনে ইসলাম কে গ্রহণযোগ্য করার উদ্দেশ্য ছিল যাতে ধর্ম পরিবর্তন সহজ হয়।
I am sorry that while editing the article to add up some more information, i couldnt do it professionally as i am not much used of Avro keyboard or font. But the result is I couldnt add up any information when the article lost its good appearance and also missed some words and letters./
@ভবঘুরে,
আমাদের বাংলা ব্লগে ইংরেজীতে কিংবা রোমান হরফে বাংলা লেখা গ্রহণ করা হয় না। ইংরেজীতে লেখার জন্য আমাদের ইংরেজী ব্লগ আছে। আপনার একাউন্ট এপ্রুভ করা হয়েছে বিধায় আপনার মন্তব্য প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে, নচেৎ ইংরেজীতে মন্তব্যগুলো প্রকাশিত হত না। আপনার কাছ থেকে বাংলায় মন্তব্য আশা করছি। আপনি হয় অভ্র ডাউনলোড করে বাংলায় লিখুন, নয়ত এই সাইট ব্যবহার করে বিজয় থেকে অভ্রতে (ইউনিকোডে) পরিবর্তন করে মন্তব্য করুন।
এরপরে ইংরেজীতে মন্তব্য করলে তা মুছে দেয়া হবে।
ভবঘুরে কে অনেক ধন্যবাদ। এই বিষয়ে এটা একটা পূর্নাঙ্গ লেখা। আপনার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। চালাকিটা আমিও খেয়াল করেছি। বলা হয়ে থাকে মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত।
এখন সন্তান তো নারী-পুরষ উভয়ই হতে পারে। মানে নারীর মর্যাদা ব্যাপক বা পুরুষের চাইওতেও বেশী। আবার আদমের একাকিত্ত্ব দূর করতে হাওয়ার আমদানি। মানে প্রথম নারী আসলে মা নয় বরং পুরুষের সঙ্গী। পুরুষের অনুগত থাকতে পারলেই তার বেহেস্ত নিশ্চিৎ।
ভাল কাজের পুরস্কার হিসাবে পুরুষ বেহেস্তে আনেক নারী পাবে কিন্তু নারীরা বেহেস্তে গেলে কি পাবে, তা লালন জানতে চেয়েছিলেন। লালনের সেই জানার খায়েস পূরন হয়েছিলো কিনা তা আর জানা যায়নি। আশা করি আইভি ম্যাদাম এ ব্যাপারে আমদেরকে সাহায্য করতে পারবেন।
@আতিক রাঢ়ী,
নাস্তিক ব্যক্তিগণের বেহেশত-দোজখের খবর নিয়ে কি হবে?
আর হাদিসে বাইরে বর্ণনাকৃত বেহেশত-দোজখের কথা বলতে গেলে কি প্রতিক্রিয়া হবে কে জানে! তবে মৃত্যূই শেষ কথা নয়–
@আইভি,
কোরান মানুষের লেখা এটা আমার বিচার শক্তি, যুক্তিবোধ বলে। কিন্তু আমি নাস্তিক কিনা এ ব্যাপারে আমার এখনো সংশয় আছে। যাক সে কথা। আসলে বেহেস্ত-দোজখের খবর নেয়া আমার উদ্দেশ্য ছিলো না। আমি আসলে নারী-পুরুষের সম্মান ও মর্যাদার বৈসম্যের দিকটা দেখানোর চেষ্টা করেছি এবং দেখতে পাচ্ছি যে, নিদারুন ভাবে ব্যার্থ হয়েছি।
থাকলে@আইভি,
নাস্তিক ব্যক্তিগণের বেহেশত-দোজখের খবর নিয়ে কি হবে?
নাস্তিক যে আস্তিক হবে না তা কি কেউ বলতে পারে?
প্রমাণ না থাকলে সেটা বলবেন
লেখাটা বেশ ভালো লাগল । অনেকেই দেখছি যুক্তিপুর্ণ তথ্য দিয়েছেন । অতি আনন্দের কথা,
আলোচনাটা বেশ জমে উঠেছে । আমি বিস্তারিততে তাই গেলাম না তবে , @ বিজয় যে কথা বলেছেন
এই কথা অতি সত্য বলে আমার ব্যাক্তিগত মত । শিক্ষিত নারীরাও বেশীর ভাগ ই এমন ধারনা
পোষন করে থাকেন। একজন নারী হয়ে সে প্রকাশ্যে কোনো দিন কিছু বলতে গেলে তার অবস্থা হবে
তসলিমা নাসরিনের মত। দেশ ছাড়া, ঘর ছাড়া।
Eka
Thanks for your comments. Actually I wanted to help the muslim women who are obssessed by islam being misguided by the so called Mollahs or Tafsirkars or Islamic Scholars. Still I am very sure that most muslim women dont read Quraan in their own language i e , Bangalee women dont read Quraan in Bangla, they only read the Arabic one when needed and thats why they dont know what is really written in Quran concerning women’s respect and honor and that I know very well as I live in a muslim country and know their situation very well. If they would read in their own language they would ask some questions about their respects – I am very sure of it . However thanks again for your nice comment.
“নারীদের ইহ জগতে যেমন কোন ব্যবস্থা নাই শুধুমাত্র পুরুষকে যখন তখন মনোরঞ্জন করা ও সন্তান উৎপাদন ছাড়া তেমনি বেহেস্তেও তাদের জন্য তেমন কোন বন্দোবস্ত নাই একমাত্র হুরদের সর্দারনী হওয়া ছাড়া।”
– হুরদের সর্দারনী পদটি কি কোরানের কোথাও আছে?
– এমন কোন কথা কি কোরানের কোথাও আছে? আমি যতদুর জানি যে শরিয়া আইনেও নারীর তালাক এবার ক্ষমতা আছে। যদিও মুসলিম দেশগুলিতে কাজটি অনেক কঠিক, সে কথা ভিন্ন। তবে ইসলামী মতে মহিলাদের তালাকের অধিকার আছে এটা মনে হয় সত্য।
লেখার মূল অভিযোগ সত্য। কোরানে আসলেই নারী পুরুষে ভেদাভেদ অনেক বেশী। অন্য ধর্মগ্রন্থের সাথে তূলনা অর্থহীন। যে কোন ধর্মই মানে না সে অন্য ধর্মের সাথে তূলনা দিয়ে কি করবে? অবাধ্য নারীর বিষয়ে আয়াত আছে, ষ্পষ্ট দিক নির্দেশনা আছে, তবে অবাধ্য পুরুষের কোন কথাই নেই। কেন যেন ধরে নেওয়া হয়েছে যে বাই ডিফল্ট অবাধ্য হবে নারীরাই। পুরুষদের তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। যদিও বাস্তব বলে ঠিক উলটা।
এই তত্ত্বের সমর্থনে হাদীসও আছে বেশ কিছু। দো্যখে নাকি নারীর সংখ্যাই বেশী বলে নবিজ়ি দেখেছেন, এবং এর কারন হল তারা স্বামীর অবাধ্য হয়, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। ঘোড়া, নারী, আর বাড়ী নাকি মানুষকে পাপের পথে টানার সবচেয়ে বড় উপায়। নবীজি নাকি বলে গেছেন যে তার মৃত্যুর পরে নারী অপেক্ষা ক্ষতিকর কিছু তিনি আর রেখে যাননি। মাত্র গত সপ্তাহেই আরেক ব্লগে এ জাতীয় কিছু আলোচনা হচ্ছিল যেখানে ক’জন এসব হাদীস ডিফেন্ড করছিলেন।
তবে স্ত্রী প্রহারের সেই যথার্থ মানে নাকি চলে যেতে দেওয়া বলে এক ভাই জানিয়েছেন। আইভির থেকে মনে হয় একবার শুনেছিলাম যে এর মানে প্রহার নয়, ভর্তসনা করা। ঐ ভদ্রলোক আরো দেখিয়েছিলেন যে চুরির শাস্তি হাত কাটা এটাও আসলে কোরানের ভুল ব্যাখ্যা। আসলে কাটা মানে হবে কেটে চিহ্ন দেওয়া (দাগী আসামী)।
আরেক ভদ্রলোক আরেকটি নুতন তত্ত্ব দিলেন। ওনার মতে কোরানের কিছু আয়াত নাকি সম্পর্কিত অন্য আয়াত পরে নাজিল হবার পরে তামাদি হয়ে গেছে। যেমন, আপনার কোট করা ৪-১৫ এর ব্যাভিচারী নারীকে মৃত্যু পর্যন্ত আটকিয়ে রাখার আয়াত বাতিল হয়ে গেছে ব্যাভিচারীর জন্য পরবর্তি নির্দেশ মূলক আয়াত আসার পরে, যাতে নারী পুরুষ উভয়কেই ১০০ ঘা দোররার বাড়ি শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
আসলে, কোরানের যত বিভিন্নমূখী ব্যাখ্যা পড়েছি তাতে আইভির কোট করা হাসান মাহমুদের কথাই অক্ষরে অক্ষরে সত্য বলে মনে হয়েছে। কোরান যার যেভাবে খুশী ব্যাবহার করতে পারে। একই আয়াত ভিন্ন মানসিকতার লোকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। কেউ মহাবিজ্ঞান বের করতে পারে (অবশ্য বিজ্ঞান আগে থেকে জানা থাকতে হবে) আবার কেউ চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক কথাও বের করতে পারে; অমানবিক কালাকানুন বের করা যায় আবার ব্যাখ্যা করে সেগুলিও চাপা দেওয়া যায়। এটা নিঃসন্দেহে কোরানের অবজ়েক্টিভিটিকে খাটো করেছে। মানুষের বিচার বিবেচনা অনুযায়ীই যদি চলতে হয় তাহলে আর কোরান নিয়ে এত তর্কাতর্কিরই বা কি দরকার? সিদ্ধান্ত তো দিচ্ছে সেই মানুষই, কোরান নয়।
আর মানবিকতার সংজ্ঞাও ব্যাক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে। কোরান ডিফেন্ডারদের দেখেছি কেউ নারী পেটানো আয়াতকে সরাসরি ডিফেণ্ড করছেন কারন তাদের মতে সেটাই সঠিক। কারন বাবা মা সন্তাঙ্কে পেটায়, সংসারে কারো কতৃত্ব সংসারের স্বার্থেই প্রয়োযন ইত্যাদী। আবার কেউ কেউ পেটানো কথাটিই কোরানে আছে বলে স্বীকার করছেন না। কাজেই যিনি স্বীকার করবেন না তাকে হাজার যুক্তি তর্ক দিলেও তিনি কিছুতেই স্বীকার করবেন না।
@আদিল মাহমুদ,
সহমত। :yes:
@আদিল মাহমুদ,
হুরদের সর্দারনী না হয়ে হয়তো হুরীদের সর্দারনী হবে, ৭০ জন হুরীরতো একজন সর্দারনী থাকতেই পারে, হুরীদের সর্দারনী না হয় হুরদের সর্দারনী হয়ে প্রমোশন পেল, তাতে কি কিছু আসলো গেলো? যাহা বাহান্ন, তাহাই তিপ্পান্ন।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আমার জানামতে, আরবীতে হুরী বলতে কিছু নেই, আছে হুর যার অর্থ যোগ্য-সঙ্গী বা companion.
@আইভি,
হুর এর অর্থ যদি যোগ্য-সঙ্গী হয় তা হলে সেই হুর বা যোগ্য-সঙ্গীর জেন্ডার কি? তিনি কি মেয়ে, পুরুষ নাকি অন্য কিছু? একটু ডিটেলস্ বললে ভাল হয়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আমি কোরানের রেফারেন্স জানতে চাচ্ছিলাম যে এমন কোন কথা কোরানে কোথাও লেখা আছে কিনা যে মহিলাদের পরকালে হুরীগনের লীডার বানানো হবে। হুর হুরী বা লোভনীয় রমনী যেকোন কিছুই হতে পারে।
তেমনি জানতে চেয়েছিলাম যে নারীদের কোরান বা ইসলামী মতে তালাক দেবার অধিকার নেই এটাও সত্য কিনা।
প্রথা বিরোধী লেখা লিখতে গেলে বেশ সতর্ক হতে হয়। ৯৯ টা ঠিক আর ১ টা ভুল তথ্য দিলে ঐ ১টার কারনেই পুরো লেখারই আবেদন হারাতে পারে।
প্রথমেই অনুবাদে আসি, আরবী ‘নিসা’ শব্দের অর্থ নারী, কিন্তু বেশিরভাগ অনুবাদেই ‘স্ত্রী’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, কেন? স্ত্রী এবং নারী শব্দটির ব্যবহারিক পার্থক্য আছে। স্ত্রীরা নারী হতে পারে, তবে সব নারীই স্ত্রী নয়—মা, বোন, ভাবী, খালা, ফুপু, চাচী, নানী, দাদী এই সম্পর্কগুলো কি নারীর আওতায় পড়ে না? তাই বিভিন্ন সম্পর্কের নারী কর্ষণের জন্য শস্যক্ষেত্র হতে পারে না। নাকি নিসা অর্থ স্ত্রী বলে চালালে স্বার্থ-সিদ্ধি হয়। প্রথম অংশটির অনুবাদ হয় — Remember that women in the society are the guardians of your future generations, just as a garden keeps the seeds and turns them into flowering plants; তাহলে এই অনুবাদ দ্বারা সমাজে নারীর ভুমিকাকে বোঝায়। পরবর্তী অংশের অনুবাদ হচ্ছেঃ So, whenever you meet with women socially, treat them with respect, keeping the aforementioned principle in mind.
এই ভাবে এই ব্লগের সবগুলো আয়াতের ব্যখ্যার উপযুক্ত উত্তর দেয়া সম্ভব। কিন্তু তাতে মন্তব্য অনেক লম্বা হয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে হাসান মাহমুদের ‘শরীয়া ও আইন’ বই থেক একটি অংশ উল্লেখ করা যেতে পারে।
“ব্যাখ্যা জিনিসটাই এমন। ব্যখ্যা দিয়ে তিলকে তাল করা যায়, একটা বঞ্চিত নিপীড়িত জাতির মরণপণ রক্তাক্ত স্বাধীনতা যুদ্ধকে ‘গন্ডগোলের সময়’ কিংবা ‘ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া’ বলা যায়। আরো দেখুন, সৈন্যদলের একমাত্র কাজ হলো বিদেশী আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা। এটা স্বীকার করে তাদেরকে শপথ নিতে হয়। এই শপথ শিকেয় তুলে তারা যদি বিপুল বিক্রমে নিজের দেশকেই জয় করে ফেলে তবে তা নির্ঘাত অন্যায়। কিন্তু এহেন শপথ ভঙ্গ ও গণতন্ত্রের হত্যাকারী সামরিক অভুন্থাঙ্কেও ইসলামি ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব যেমনঃ “কোরানের আয়াত অনুযায়ী বানানো ইসলামি আইন মোতাবেকই সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়াছে পাকিস্তানের বর্তমান (১৯৮৪ সালের) মার্শাল ল’ বৈধ।—এরই নাম ইসলাম বিকৃতি। ইসলামের এ রকম ভয়ঙ্কর ব্যাখ্যা দ্বারাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সৈন্য দ্বারা বাঙ্গালী হিন্দু নারীকে ধর্ষণ করাকে হালাল ঘোষণা সম্ভব হয়েছে। —
মতলবী ব্যখ্যার আরেকটা উদাহরণ দেখুন। সুরা হাদীদ আয়াত ২৫: “আর আমি নাজিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড শক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার”। কিন্তু শরীয়াপন্হীরা রাজনৈতিক রং চড়িয়ে অনুবাদ করেছেন “যাতে আছে প্রচন্ড রণশক্তি”। এটা প্রথমে করেছেন ইবনে কাথীর, কারণ তার সময়ে মুসলিম-অমুসলিমের প্রচন্ড যুদ্ধ চলছিল। অর্থাৎ ব্যাখ্যাটায় যুদ্ধের কথা ঢুকিয়ে দিয়ে বিশ্ব-মুসলিমকে চিরকালের জন্য দুনিয়ার সব অমুসলিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দিকে উস্কিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন যুদ্ধ করে দুনিয়ার সমস্ত অমুসলিমকে পারাজিত করার স্বপ্নটা ভেঙ্গে গেছে কিন্তু ‘ইসলামি রাস্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্নটা রয়ে গেছে। তাই ব্যাখ্যাটাও বদলানো হয়েছে। এখন ওটা আর ‘রণশক্তি’ নয়, এখন ওটা হয়ে গেছে রাস্ট্রশক্তি।“
@আইভি,
‘তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন’ এ অনুবাদ করা হয়েছে -“তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র, তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। (সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:২২৩)
YUSUFALI, PICKTHAL, SHAKIR অনুবাদ করেছেন –
YUSUFALI: Your wives are as a tilth unto you; so approach your tilth when or how ye will;
PICKTHAL: Your women are a tilth for you (to cultivate) so go to your tilth as ye will,
SHAKIR: Your wives are a tilth for you, so go into your tilth when you like
এবার আমরা আয়াতটিতে লক্ষ্য করি। ‘নিসাউকুম হারসুল্লাকুম ফা’তু হারসাকুম আন্না সি’তুম’ -এখানে কি বলা হচ্ছে? ‘নিসাউকুম হারসুল্লাকুম’ মানে হলো নারীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র -প্রশ্নটা হলো নারীরা পুরুষদের শস্যক্ষেত্র হবে কেনো? আপনি এর অর্থ করেছেন ‘Remember that women in the society are the guardians of your future generations’ আমার বুঝতে খুব কষ্ট হচ্ছে যে আপনার মস্তিষ্ক এতটা উর্বর হলো কিভাবে? 🙂 এ আয়াতে কোথায় ‘society’ আর কোথায় ‘guardians of your future generations’????
এবার আসল কথায় যাই। আপনি ঠিকই ধরেছেন ‘নিসা’ মানে ‘শুধু স্ত্রী’ করা উচিত হয় নি। যেহেতু নিসা অর্থ নারী তাই এর আরো বিস্তৃত অর্থ করা উচিত, যেমন – পত্নী-উপপত্নী, যুদ্ধকালে প্রাপ্ত কাফেরদের স্ত্রী, দাসী, আর মুহাম্মদের ক্ষেত্রে উনার কাছে যে মেয়ে সমর্পিত(!) হয় সেই মেয়ে।
@সৈকত চৌধুরী,
–না, এটা আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্ক থেকে বের হয়নি। যার পান্ডিত্য ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি তিনি আমার থেকে কয়েকগুন বেশি জ্ঞানী, আরবীতে দক্ষ ব্যক্তি। আপনি চাইলে তার সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারেন। ভদ্রলোক আমেরিকার ফ্লোরিডাতে বসবাস করেন। ইচ্ছে করলে ফোনেও যোগাযোগ করতে পারেন। তিনি অনুবাদ করার পক্ষে বক্ত্যব্য দিয়েছেন, “When translating any verse, I look thoroughly at the context before and after at length, and then the content of the verse. Of course, we must not lose sight of the idiomatic use of the language and the general Message of the Quran.”
@আইভি,
কোরানের অনুবাদ যেটা আপনার পছন্দ হচ্ছেনা সেটা বলছেন ‘ওরা নিজের মতো করে কোরান অনুবাদ করছেন’ আর যে অনুবাদ আপনার পছন্দ হচ্ছে, সেটা হলো আপনার কাছে সঠিক।
@ব্রাইট স্মাইল্,
এখানে পছন্দ-অপছন্দ দিয়ে সঠিক-বেঠিক ভাবার কিছু নেই। সাথে যুক্তি, সাধারন বুদ্ধি, বিচারশক্তি(reasoning)টাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। আর কারণের পেছনের কারণটাকে বোঝার চেষ্টা করি।
@সৈকত চৌধুরী,
মহিলারা যেহেতু সন্তান জন্ম দেয় তাই তাদের শস্য ক্ষেত্রের সাথে তূলনা করায় আমি খুব একটা আপত্তিকর কিছু দেখি না। শস্য ক্ষেত্রেও বীজ বুনলে নুতন জেনারেশন আসে। প্রাচীন পন্থী তূলনা হলেও অযৌক্তিক নয়।
তবে যেভাবে খুশী গমন করার অধিকার ঠিক বোধগম্য নয়। আমার আপত্তি বা সংশয় এখানে।
আইভি যে অনুবাদক ভদ্রলোকের কথা বলছেন তিনি বেশ আনকনভেশনাল অনুবাদ করেন। তার অনুবাদ অনেক বেশী মানবীয়। সনাতন পন্থীরা তাকে পছন্দ করে না।
@আদিল মাহমুদ,
‘নারীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র’ – কথাটি লক্ষ্য করেন। নারীরা পুরুষদের শস্যক্ষেত্র- কথাটি আপনার কাছে আপত্তিকর মনে হচ্ছে না? কিন্তু ‘শস্যক্ষেত্র’ হলো একজনের সম্পত্তি, আর্থাৎ এখানে পরোক্ষভাবে নারীদের পুরুষের সম্পত্তিতে পরিণত করা হচ্ছে। নারীদের ভোগ্যপণ্যে পরিণত করার কুমতলব এখানে লক্ষ্যণীয়। নারীদের শস্যক্ষেত্রের মত যেভাবে-যখন-যেমন ইচ্ছে, নারীর সম্মতি আছে কিনা পরোয়া না করে, নিজের সম্পত্তি মনে করে ‘কর্ষণ’ করার আদেশ এ আয়াতে দেয়া হচ্ছে। ‘নারীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র, তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে কর্ষণ কর’ অংশটা লক্ষ্য করেন। এখানে সন্তান উৎপাদনের কথা বলা হচ্ছে না বরং কিভাবে নারীকে ধর্ষণ করতে হবে তাই শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে।
ওই ভদ্রলোক এভাবে যদি অনুবাদ করতে থাকেন তাহলে ওটা তো আর কোরান থাকবে না, ওটা উনার কিতাব হয়ে যাবে 🙂 । তিনি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা হয়ত এরকমভাবে করতে পারতেন কিন্তু অনুবাদ?
@আইভি,
সূরা নিসা তে যদি নারী শব্দটি বলে থাকে তাহলে চিন্তা করে দেখেছেন তার অর্থ কত কুৎসিত ও বর্বর হতে পারে? সূরাটি হবে তাহলে- তোমাদের নারীগন তোমাদের শস্যত্রে, সুতরাং তোমরা তোমাদের শস্যেেত্র যে প্রকারে ইচ্ছা অবতীর্ন হও। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:২২৩ তো নারী হলে তা মা, বোন, কন্যা ইত্যাদি বুঝাতে পারে। তো এখন আপনিই কল্পনা করেন কোন মানুষ তার মা বোন বা কন্যার উপরে যে কোন প্রকারে অবতীর্ন তথা উপগত হলে বিষয়টি কেমন বর্বর ও কুৎসিত হয়। অবশ্য নবী মোহাম্মদ কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে সেটাই করেছিলেন। যেমন তিনি তার পালিত পূত্র জায়েদের স্ত্রী তথা তার পূত্রবধু জয়নবের উপর উপগত হয়েছিলেন (তবে তালাকের পর বিয়ে করে), তার ভাতিজি (নিজ কন্যার মত) ও শিশুকন্যা আয়েশার উপর উপগত হয়েছিলেন যখন তার বয়স হয়েছিল ৫৪( মতান্তরে কিছু কম বেশী)। বলা বাহুল্য আয়েশা ছিলেন মোহাম্মদের প্রায় সমবয়স্ক আবু বকরের কন্যা ও আবু বকর ছিলেন মোহাম্মদের ধর্ম ভাই। সুতরাং আপনি যদি স্ত্রীর বদলে নারী করে নেন তাতে মোহাম্মদের জন্য খুব সমস্যা হয় না তবে বর্তমানকার সমাজ কাঠামোতে এমন কোন অসভ্য মানুষ পাওয়া যাবে না যে ঠিক সেরকম কর্মটি করবে। সুতরাং স্ত্রীর বদলে নারী শব্দটি ব্যবহার না করে বরং অনেক উদার ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে যা পান্তরে কোরানকে বর্বরতা ও ভয়ংকর কদর্যতা থেকে রা করছে তাই নয় কি ?
@ভবঘুরে,
বিষয়গুলো পেলেন কোথায়?
–হাদিস বইগুলোতে।
প্রমাণ কি?
— হযরত মুহম্মদের মৃত্যূর প্রায় দেড়শ’-দুশ’ বছর পরে মুখে মুখে প্রচারিত গল্প ব্যক্তিদের স্মৃতিতে সংরক্ষিত ছিল তাই বোখারী, তাবারী সাহেবরা সংগ্রহ করেছেন।
বোখারী, তাবারী এবং আরো ইমামগণ কেন এই হাদিস সংগ্রহ করেছেন?
–জানিনা বা জানি কিন্তু এ মূহুর্তে বলতে চাইনা। কোন মুসলমানতো এর প্রতিবাদ করে না?
কে বলেছে করেনি? কিন্তু ক্ষমতা যার নিয়ম তার। যারাই সত্য প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে, তারাই নির্যাতিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এখন তো ইন্টারনেটের যুগ তাই সবাই জানতে পারছে।
—————
কিন্তু কোরানে বলা আছে পালকপুত্র যায়েদের স্ত্রীকে বিয়ে করার কথা?
–কোরান হযরত মুহম্মদের (সাঃ) এর পরিবারের কারো নাম উল্লেখ করেনি, এমনকি তার মেয়ের কথাও না, সেখানে পালকপুত্রের কথা আসে কি করে! আসলেই কি তার যায়েদ নামে তার কোন পালকপুত্র ছিল নাকি নামটি সাধারণ অর্থে ব্যবহিত হয়েছে!
তাহলে বহুবিবাহ, চোরের হাত-কাটা, ব্যভিচারের শাস্তি পাথর ছোঁড়া, যুদ্ধবন্দি নারীর সাথে রাত্রি যাপন, এইসব?
–এইগুলোতো সে সমাজে ভালভাবেই প্রতিষ্ঠিত ছিল। তা প্রচলিত জিনিস কোরানের অন্তর্ভুক্ত করে সমাজকে আর নতুন কিইবা দিলেন! তাঁর তো এলিট সমাজে আরো প্রতিষ্ঠা পাবার কথা ছিল। তা না করে তাকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এত খারাপ চরিত্রের একজন মানুষ কি ভাবে সেই সমাজে নিজেকে নবী-রসূল বলে প্রতিষ্ঠিত করলেন কেন? সমাজের মাথাগুলো কি করলো?
আপনারা মুহম্মদের চরিত্রকে রাসপুটিন আর হিটলারের সংমিশ্রণে অলংকৃত করেছেন।
@আইভি
নবী মোহাম্মদ তো হিঠলারের মানষিকতার মানুষ ছিলেন।
@আইভি,
তাফসির সহ কোরানের সুরা আহজাবের দূটো আয়াত নীচে দেয়া হলো। বাংলায় দিলাম না, শেষে যদি মিস ইন্টারপ্রিটেশনের অপবাদ দেন।
33, 36
It is not for a believing man or a believing woman, when Allah and His Messenger have decided a matter, that they should thereafter have any choice about their affair. And whoever disobeys Allah and His Messenger has certainly strayed into clear error.
Tafsir al-Jalalayn:
And it is not [fitting] for any believing man or believing woman, when God and His Messenger have decided on a matter, to have a choice in their matter, in contravention of the decision of God and His Messenger. This [verse] was revealed regarding ‘Abd Allāh b. Jahsh and his sister Zaynab, whose hand the Prophet had asked for in marriage, but meaning on behalf of Zayd b. Hāritha. They were loathe to this [proposal] when they found out [that it was on the latter’s behalf], for they had thought that the Prophet (s) wanted to marry her himself. But afterwards they consented because of the [following part of the] verse: And whoever disobeys God and His Messenger has certainly strayed into manifest error. Thus the Prophet (s) gave her in marriage to Zayd. Then on one occasion he [the Prophet] caught sight of her and felt love for her, where after [when he realised that] Zayd lost his affection for her and so said to the Prophet (s), ‘I want to part with her’. But the Prophet said to him, ‘Retain your wife for yourself’, as God, exalted be He, says:
33, 37
And [remember, O Muhammad], when you said to the one on whom Allah bestowed favor and you bestowed favor, “Keep your wife and fear Allah ,” while you concealed within yourself that which Allah is to disclose. And you feared the people, while Allah has more right that you fear Him. So when Zayd had no longer any need for her, We married her to you in order that there not be upon the believers any discomfort concerning the wives of their adopted sons when they no longer have need of them. And ever is the command of Allah accomplished.
Tafsir al-Jalalayn:
And when (idh is dependent because of [an implied preceding] udhkur, ‘mention [when]’) you said to him to whom God had shown favour, by [guiding him to] Islam, and to whom you [too] had shown favour: by manumitting him — this was Zayd b. Hāritha, who had been a prisoner of war before [the coming of] Islam (in the period of al-jāhiliyya). The Messenger of God (s) purchased him before his call to prophethood, and then manumitted him and adopted him as his son — ‘Retain your wife for yourself and fear God’, before divorcing her. But you had hidden in your heart what God was to disclose, [what] He was to manifest of your love for her and of [the fact] that should Zayd part with her you would marry her, and you feared people, would say, ‘He has married his son’s wife!’, though God is worthier that you should fear Him, in all things, so take her in marriage and do not be concerned with what people say. Zayd subsequently divorced her and her [obligatory] waiting period was completed. God, exalted be He, says: So when Zayd had fulfilled whatever need he had of her, We joined her in marriage to you — the Prophet consummated his marriage with her without [the customary] permission [from her legal guardian] and gratified the Muslims with [a feast of] bread and meat — so that there may not be any restriction for the believers in respect of the wives of their adopted sons, when the latter have fulfilled whatever wish they have of them. And God’s commandment, that which He has decreed, is bound to be realised.
সুত্র-
http://quran.com/33
@আকাশ মালিক,
প্রশ্নটা ঠিক আপনাকে নয়,
Tafsir al-Jalalayn লেখার সময় মুহম্মদের যায়েদকে দাস হিসেবে কেনা, যায়েদের স্ত্রীকে দেখে তাকে বিয়ে করার ইচ্ছে– এই বিষয়গুলোর কি সেই তফসীর বর্ণনাকারী কোন সূত্র দিতে পারবে? আর সূত্র যদি ঘুরে ফিরে তাবারী, বুখারীগণের কাছে গিয়ে ঠেকে তাহলে—বলার কিছু নেই।
ইসলামে নারীর এমন মর্যাদাহানির পরেও দেখা যায় যে , ইসলামে বিশ্বাসীদের মাঝে নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি । আমার মত যারা নাস্তিকতায় বিশ্বাসী , তাঁদের মাঝেও নারীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম । যদিও এই প্রবনতা শুধু ইসলামে নয় , সব ধর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য । গৃহে এবং বাহিরে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষায় এবং অন্যান্য নারীদের ওপর ইসলামী রীতির কার্যকরীকরনের ক্ষেত্রেও নারীরাই অগ্রণী ভুমিকা পালন করছেন । তাই দেখা যাচ্ছে যে , নারীরাই ইসলামী শক্তির কৌশলগত ভিত্তি । এখন, ইচ্ছে করলে তাঁরাই পারেন এ কৌশলগত শক্তির ভিত্তি ধ্বসিয়ে দিতে । তাঁরা এটা করবেন কি ?
@বিজয়,
অবশ্যই তারা করবেন। কিনতু ইচ্ছে করলেই তাঁরা পারেন না কৌশলগত কারনে। সমস্যার মুল উতপত্তিতো অন্য জায়গায়, সেটা হলো সমাজে নারীরা পুরুষের চেয়ে শিক্ষায় পিছিয়ে এবং নারীদের পুরুষের থেকে বর্হিজগতের সাথে সম্পর্ক কম। তাই হয়তো,
এই পরিসংখ্যান সঠিক হলে সমাজে পিছিয়ে পরা নারীদের এই অবস্থার জন্য নারী যতনা দায়ী তার চেয়ে গোটা সমাজের মুল্যবোধ বেশী দায়ী। মেয়েদের অনাগ্রসরতার জন্য শুধু মেয়েদেরকে দায়-দায়ীত্ব দিলেই এর সমাধান হবেনা, এই সাথে পুরুষদেরও সমস্যা অনুধাবন করে সমাজ তথা নারীদের অবস্থা পরিবর্তনের মুল ভুমিকায় অংশ নিতে হবে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
সমাজের চেয়ে ব্যক্তির ভুমিকা যখন মূখ্য হয়ে দাঁড়াবে , তখন এ ব্যপার গুলি অনেকটা সহজ হয়ে আসবে । সামাজিক বিবর্তনের সে পর্যায়ে বাংলাদেশ ও বেশিরভাগ প্রাচ্যের সমাজ এখনও আসেনি । তবে তা অবধারিত , যেমনটা ইউরোপে হয়েছে ।
ভবঘুরে,
এমন একটি বিষদ বর্ননা সমৃদ্ব এবং কোরানের আয়াত উধৃত করে ইসলামে নারীর মর্যাদা(?) সম্পর্কে লেখা কমই চোখে পড়ে। যারা মনে করেন ইসলামে নারীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে তারা যে সত্য জেনেও না জানার ভান করেন এটা বলাই বাহুল্য। কারন আমি মনে করিনা,
কোরান যদি তারা নিজের ভাষায় নাই পড়েন বা অর্থ না বুঝেন তাহলে ইসলামে নারীর মর্যাদা সম্পর্কে মতামত দেন কি করে? কারন সবকিছুই হলো সত্যকে জেনেও সত্যকে অস্বীকার করা এবং কোরানের সাফাই গাওয়া। সেটা উদ্দেশ্যমুলকও হতে পারে বা উদ্দেশ্য ছাড়াও হতে পারে।
লেখাটি সংরক্ষন করে রাখবার মতো। এই ধরনের লেখা বেশী বেশী করে প্রকাশ করলে বাস্তব সত্য উপলব্দি পুর্বক নারী তথা সমাজ উপকৃত হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি উপহার দেওয়ার জন্য। :yes:
@ব্রাইট স্মাইল্,
Thanks for your nice comments.
ভবঘুরে,
আপনার এসব তথ্য খাঁটি মুসলমানেরা জানে এবং সত্য বলেই মানে এবং গর্ব বোধ করে। চায়ের পেয়ালায় ধূঁয়া তুলা ছাড়া আর :coffee: কিছু কি হচ্ছে!
Thanks for your comments. But you are partly wrong that most of the muslim people know it , the fact is really they dont know it rather they know something from the illiterate mollas from the quran tafsir and they recite it believing that they are right. Most muslim women really dont know how much their relegion has insulted them . However I will be happy to hear that more and more readers are reading it and becoming conscious.