নিউজউইক তাকে ভালবেসে আখ্যায়িত করেছিল রাজনীতির কবি হিসেবে।
কবি ছিলেন তিনি। ছিলেন গণ-মানুষের কবি, ছিলেন রাজনীতির অমর কবি। স্বপ্নহীন মানুষের স্বপ্নসারথি ছিলেন তিনি। হাটে, মাঠে, ঘাটে স্বপ্ন বিলিয়ে বেড়াতেন মানুষকে। কবিতার ঝুলি নিয়ে জনসমুদ্রে পাল তোলা নৌকো নিয়ে ছুটে যেতেন বন্দরে বন্দরে ।
দীর্ঘদিন ধরে বিদেশীদের হাতে নির্যাতিত, পথের দিশা হারানো, স্বপ্নহীন একটি জনগোষ্ঠীকে তিনি গভীর ভালবাসায়, বুকের সমস্ত মমতাটুকু ঢেলে তার ভরাট উদাত্ত কন্ঠে রাজনৈতিক কবিতা পড়ে শোনাতেন। কখনো এই কবিতা পড়ে শোনাতেন কোনো জনাকীর্ণ রাস্তার মোড়ে, কখনো বা খোলা ময়দানে, কখনো বা তার ঘরের খোলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে।
জরাজীর্ণ, স্বপ্নহীন মানুষকে তিনি শোনাতেন সুন্দর কোন আগামীর আবাহনী গান। শোনাতেন স্বপ্নময় এক অনাগত দিনের গল্প। দৃপ্ত অহংকারে বলে যেতেন অতীতের সোনাঝরা দিনের কথা, পূর্বপুরুষের হারানো গৌরবগাঁথার কথা, কিংবদন্তীর কথা। বলে যেতেন ভুলে যাওয়া প্রাচীন ইতিহাসের কথা, নরম কোমল ভালবাসাময় পলি মাটির গল্প। বলতেন সেই নরম মাটিতে পোড় খাওয়া কঠিন মানুষ এবং তাদের সংগ্রামের কথা।
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মত মায়াবী বাঁশি বাজিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলেছিলেন মানুষকে তিনি। তাঁর কবিতা শোনার জন্য উন্মাতাল মানুষ পাগলের মত ছুটে যেতো মাঠে, ঘাটে এবং প্রান্তরে। যাবেই বা না কেন? কবি যে তাদেরই মনের কথা বলেন, তাদের বুকের গভীরের স্বপ্ন নিয়েই যে তিনি কবিতা লেখেন।
কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই কবি হয়েছিলেন তিনি। হয়েছিলেন রাজনীতির কবি, গণ-মানুষের কবি। কবি হবার পিছনে তার একমাত্র রসদই ছিল বিশাল একটা হৃদয়। আর সেই হৃদয়ে সমুদ্রসম ভালবাসা ধরে রাখতেন তিনি মানুষের জন্য। তার শক্তি এবং দুর্বলতা দুটোই ছিল তার সুগভীর ভালবাসাজাত। তার প্রবল শক্তি হিসাবে তিনি তার দেশের মানুষকে ভালবাসার কথা বলতেন। সবচেয়ে বড় দুর্বলতার কথা বললেও তার বিশাল হৃদয়ে সেই মানুষদের জন্য অতিরিক্ত ভালবাসার কথাই শোনাতেন তিনি।
ওই বিশাল হৃদয়কে ধারণ করার জন্য বিশাল এক প্রশস্ত বক্ষ নিয়ে জন্মেছিলেন তিনি। পরম মমতায় কোটি কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিলেন তিনি সেই সুপ্রশস্ত বুকে। শত্রু-মিত্র যাচাই বাছাই না করেই সবাইকে তিনি টেনে নিতেন তার সুবিশাল বুকের মাঝখানে। তাঁর এই বাছ বিচারহীন উদারতার জন্য বিপুল মাশুলও দিতে হয়েছে তাকে একসময়।
ছিলেন হিমালয়সম এক সুদর্শন দীর্ঘ পুরুষ। দৃপ্ত অহংকারে, অসীম সাহসে, তেজোদ্দীপ্ত নৃসিংহের মত কেশর দুলিয়ে বুক চিতিয়ে হাঁটতেন তিনি। তাঁর আত্ম-প্রত্যয়ী পদচারণায় কেঁপে উঠতো চারপাশের সবকিছু, কেঁপে উঠতো শোষকের বুক, কেঁপে উঠতো ভীরু কাপুরুষ পাকিস্তানি শাসকদের তাসের ঘর। হ্যাঁ এই সাহসী,বরেণ্য কবি আর কেউ নন। তিনি শেখ মুজিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। যার নামের সাথে জড়িয়ে গিয়েছে একটি দেশের রক্তাক্ত অভ্যুদয়, শতাব্দীর কান্নাকে পিছনে ফেলে একটি জাতির নবজন্মের ইতিহাস, একটি জনগোষ্ঠীর হাজার বছরের হারিয়ে যাওয়া পরিচয় উদ্ধারের কাহিনি।
ফিডেল কাস্ট্রো বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি। তাতেই আমার হিমালয় দর্শন হয়ে গিয়েছে’। এই ব্যক্তি তাঁর প্রবল ব্যক্তিত্ব এবং আকাশছোঁয়াঅসম সাহস মিলিয়ে ছিলেন হিমালয়ের মতই। বৃটিশ মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা লর্ড ফেনার ব্রকওয়ে জর্জ ওয়াশিংটন, মহাত্মা গান্ধী বা ডি ভ্যালেরার চেয়ে বড় নেতা বলে মনে করতেন শেখ মুজিবকে।
আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে অসংখ্য কবি অসংখ্য কবিতা রচনা করেছেন। কিন্তু শ্রেষ্ঠ কবিতাটি রচনা করে গেছেন তিনিই। শুধু রচনাই নয়, বজ্র নিনাদে ফেঁটে পড়া লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে মেঘমন্দ্র ভরাট কণ্ঠে পড়েও শুনিয়েছেন সেটা।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসের এক নরম বিকেল। ঢাকা শহরে এক মাঠে জড়ো হয়েছিল লক্ষ কোটি মানুষ। আজ যে রাজনীতির শ্রেষ্ঠ কবি তার শ্রেষ্ঠ কবিতাখানি শোনাবেন। অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে ব্যাকুল প্রতীক্ষায় থেকেছে তারা। কখন আসবে কবি? একটিমাত্র কবিতার জন্য হাজারো মানুষের এই উন্মাতাল প্রতীক্ষা এই ধরণী যে আর কখনো দেখেনি আগে। এই একটি মাত্র কবিতা যে পালটে দেবে পৃথিবীর ইতিহাস, পালটে দেবে ভূ-মানচিত্র, পালটে দেবে কোটি কোটি মানুষের জীবন। মূর্ত করে দেবে অগণিত মানুষের লক্ষ কোটি বিমূর্ত সব স্বপ্নকে।
কবিও নিরাশ করেননি তার অগণিত ভক্তদের। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভালবাসায় আপ্লুত হয়ে দৃপ্ত পায়ে মাটি কাঁপিয়ে মঞ্চে উঠেন তিনি। বিপুল বিক্রমে চারিদিক প্রকম্পিত করে স্বাধীনতা নামের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক কবিতাখানি আবৃত্তি করেন তিনি। একটি জনগোষ্ঠীর সমস্ত আশা আকাঙ্খা, চাওয়া-পাওয়া, আনন্দ-বেদনা মুহুর্তেই মিশে হয়ে যায় সেই অমর কবিতার সাথে।
নিপুণভাবে বাছাই করা অনিন্দ্য সুন্দর শব্দমালা দিয়ে তিনি বলে যেতে থাকেন একটি জাতির অতীত, বর্তমান এবং অনাগত ভবিষ্যতের কথা। তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা, নির্যাতিত হবার কথা, বঞ্চনার কথা, ক্ষোভের কথা, দ্রোহের কথা, আত্মত্যাগের কথা, প্রতিবাদের কথা, বীরত্বগাঁথার কথা, প্রতিরোধের কথা, শৌর্য-বীর্যের কথা। প্রতিটি শব্দ যেন বৈশাখী মেঘের বুকে পুঞ্জিভূত ক্ষোভাতুর বিজলির মত ঝলকে ঝলকে বেরিয়ে আসতে থাকে বুকের গভীর থেকে। একটিও অসংলগ্ন কথা বলেন না কবি। একবারো কোনো পুনরাবৃত্তি হয় না সেখানে। একবারো কথা জড়িয়ে যায় না। অংখ্যবার মহড়া দেয়া নাটকের মত একটিবারও ছন্দপতন ঘটে না কোথাও। এমনই মসৃণ, মেদবিহীন, ধারালো, সুতীক্ষ্ণ এবং সুমধুর সেই কবিতা পাঠ।
কবি নির্মলেন্দু গুণ কবির সেই অমর কবিতা পাঠকে বর্ণনা করেছেন এভাবে।
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেটে
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
…. …. ….
গণসূর্যের মঞ্চ কাপিয়ে কবি
শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি —
“এবারের সংগ্রাম
আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।
হ্যাঁ, সেই থেকে স্বাধীনতা নামের স্বপ্নে রাঙানো শব্দটি আমাদের। শুধুই আমাদের। আমাদের অসম্ভব প্রিয় এক শব্দ। আর এই প্রিয় শব্দটিকে আঁধারের কারাগার থেকে বন্দীত্ব থেকে মুক্ত করে আমাদের একান্ত নিজেদের করে দিয়েছেন তিনি। এর জন্য, বুকের সবটুকু ভালবাসা রইলো রাজনীতির এই শ্রেষ্ঠ কবির জন্য।
কবি, হে রাজনীতির শ্রেষ্ঠ কবি, প্রিয়তম কবি আমার। আজ থেকে ঊনচল্লিশ বছর আগে মার্চ মাসের অগ্নিঝরা এই দিনে একটি জাতিকে আপনি উপহার দিয়েছিলেন তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতাখানি। যে কবিতাখানি পালটে দিয়েছিল তাদের পুরো ইতিহাসকে। এই অনন্য সাধারণ উপহারের জন্য সেই জাতির একজন প্রতিনিধি হিসাবে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি গ্রহণ করুন আপনি।
httpv://www.youtube.com/watch?v=8JY2sPiiZuY
শতাব্দীর সেরা রসিকতা হয়েছে এটা। এই মুক্তমনাতেই কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই আমাকে জামাতি বলে অভিযোগ করেছেন আকাশ মালিক। এই মিথ্যাচারের জন্য আজ পর্যন্ত ক্ষমা চাওয়াতো দূরের কথা, সামান্যতম দুঃখ প্রকাশও করেন নি তিনি। অথচ আজকে মুজিব বন্দনা করার জন্য এই জামাতির লেখা আবেগী কথাবার্তা সমৃদ্ধ লেখাটারই লিংক দিতে হচ্ছে। ভণ্ডামি আর কাকে বলে। মুক্তমনার সবচেয়ে ভণ্ড লোকটা যে আকাশ মালিক, এই ধারণাটাতো আর আমার এমনিতেই হয় নি। যথেষ্ট কারণ রয়েছে এর পিছনে।
এই লোকটার রঙ্গ-রসিকতা, ভাঁড়ামো যত দেখি ততই মুগ্ধ হই আমি। মসজিদে হেফাজতের জন্য চান্দা দিয়ে, চান্দা তুলে, আবার মুক্তমনায় সেই হেফাজতের বিরুদ্ধে লেখা লোক তিনি। গীতা দির কাছে হালকা-পাতলা ধরা খাবার পরে বাইন মাছের মত পিছলে গেছেন দেখলাম। যা তাঁর স্বভাব। এই পিছলামি আর কতকাল চলবে লন্ডনি হুজুরের কে জানে?
ফরিদ এর এ লেখাটি আমার আগে কখনো চোখে পড়েনি। আমি “মুক্তমনায়” বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সরাসরি না হলেও একটি দীর্ঘ লেখা লিখেছিলাম। ফরিদের সমালোচনা দেখে মনে হয়েছিল সে বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষী। কষ্ট পেয়েছিলাম,কারন বলার জায়গা এটি না। তবে আত্মনুসন্ধান ত চালাতে হবে। মুক্তমনা থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। ছাগল ছিলাম ,ছাগল ই রয়ে গেলাম। ফরিদ এর উৎসাহে ই লেখা শুরু করেছিলাম। মুক্তমনার আবার ভক্ত হলাম। যদিও মুক্তমনা ঠিকই পড়তাম। মাঝখানে খুব কম লেখা আসত মুক্তমনায়,স্ল হয়ে গিয়েছিল। আমার মনটা আজ খুব হালকা ।
@সপ্তক,
সমালোচনা করা মানেই বিদ্বেষ নয় এটা বুঝতেই পারছেন এখন। কেউই সমালোচনার উর্ধে নন। 🙂
@অর্ফিউস,
খাঁটি কথা। নিজের মানুষের সমালোচনা বরং আরো বেশি বেশি হওয়া উচিত।
@ফরিদ ভাই,
জি ভাই সেটাই।নিজের মানুষের সমালোচনা করলে আসলে তার লাভ বই কোন ক্ষতি হয় না। এই সমালোচনা থেকে শিক্ষা নিয়েই বরং আরো ভাল কিছু করা যায়।
বাকশাল করার সময় যদি বঙ্গবন্ধু খোন্দকার মোশতাকের মত চাটুকারদের কথায় না ভুলে, তাজউদ্দিনের মত শুভাকাঙ্ক্ষীর কথা শুনতেন, তবে হয়ত আজ আমরা অন্য বাংলাদেশ দেখতে পেতাম। ধন্যবাদ আপনাকে মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।
@সপ্তক,
হ্যা, আপনি ফিরে আসুন, আবার অংশগ্রহন করুন আলোচনায়। আপনার অভিজ্ঞতা, জ্ঞান পাঠকদের সাথে শেয়ার করুন।
এসব কি কথা? এমন শব্দচয়ন ভাল লাগে না।
@সপ্তক,
আপনার সাথে ঠিক কী বিষয় নিয়ে বিতর্ক করেছিলাম, পরিষ্কার মনে নেই আমার। অবশ্য মনে রাখার আর প্রয়োজনও নেই। যেখানে দুনিয়াসুদ্ধ সব ছাগলেরা নিজেদের পরিচয় গোপন করে মানুষ হিসাবে পরিচয় দেবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, সেখানে যে মানুষ নিজেকে ছাগল বলতে পারেন, তিনিই যে খাঁটি একজন মানুষ, সে বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই।
আপনাকে অতীতে কোনো এক সময়ে আঘাত দেবার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি আসলে না বুঝে গাল ফুলিয়েছিলাম। কি বিষয়ে তর্ক হয়েছিল তার আর দরকার নেই তবে মূল বিষয় ছিল মুজিব। আমি মুজিবের পূজারিও না অন্ধ ভক্ত ও না, আপনাকে ভুল বুঝেছিলেম,গাল ফুলিয়েছিলেম। শিশুসুলভ এই মনোভাবের জন্য জীবনে এই প্রথম নাকে খত দিয়ে (নিজের কাছে) ফিরলাম কোথাও। কারন দোষ টা আমার। আর হা আপনার এই লেখাটা যদি আগে পড়া থাকত তবে তা হত না। আর এ আমার জন্য ভালই হোল, ভবিষ্যতে সহজে আর গাল ফুলাব না অন্তত কার কথার মূল্য কি তার ওজন না করে। আমার বোঝা উচিৎ ছিল আপনার ওজন। আমি নিজের কাছে নিজে এত লজ্জা আর পানি জীবনে। এ আবেগের কথা না। আপনি আসলে স্যাটায়ার করেছিলেন এখন বুঝেছি।
আর হা আরেকবার নিজের কাছে ছোট হলাম আপনার এ মন্তব্যের জন্য
আপনাকে ধন্যবাদ ফরিদ।
@ফরিদ ভাই,
অসাধারন বলেছেন (F) ।
সত্যি ফরিদ ভাই এখানেই আপনার বিশেষত্ব।আপনি যেমন দরকার মত সমালোচনা এবং মৃদু তিরস্কার করতে পারেন( আপন মানুষদেরই সমালোচনা করা যায় বলে আমিও বিশ্বাস করি), আবার মানুষের প্রাপ্য মর্যাদাটাও তাকে দিতে পারেন সেভাবেই। এখানেই সবার থেকে আপনি আলাদা।
আর এই জন্যেই আপনি অসংখ্য নবীনের কাছে ( বিশেষ অবশ্যই আমার কাছে;কারণ নিজের কথাই মানুষ সবচেয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারে) এক বিরাট অনুপ্রেরনা।:guru:
অসাধারন একটা লেখা ফরিদ ভাইয়ের। (F)
:guru:
…………..
বি.দ্র. আকাশ মালিক কে ধন্যবাদ এই অসাধারন লেখার লিংকটা দেয়ার জন্য।
উহ্! এই ব্লগটি একটা মাস্টারপিস। ব্লগটির সন্ধান দেয়ার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি আকাশ মালিক ভাইকে।
আর কাব্যময় ভাষায় আমাদের হৃদয়-নিংড়ানো অনুভূতিকে তুলে ধরার জন্য ফরিদ ভাইকে।
কিন্তু কোন ধন্যবাদই বোধহয় যথেষ্ট নয় আদিল ভাই আর অভিজিৎ-দার জন্য। তারা যেভাবের ইতিহাসের আদ্যোপান্ত ঘেঁটে মুজিবকে নিয়ে চলা দীর্ঘদিনের অপপ্রচার তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন, তা শুধু মুজিবকে কলুষমুক্ত করেননি, বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাস জানারও সুযোগ করে দিয়ে অগণিত পাঠক-পাঠিকাদের।
@কাজি মামুন,
আসলে ইনাদের দুজনের তুলনা কেবল ইনারাই।দুজনেই আমার অত্যন্ত প্রিয় লেখক!
@কাজি মামুন,
ব্লগ মাস্টারপিস হয় আলোচনার জোরে। আগে যেরকম উচ্চমানের আলোচনা হতো প্রতিটা লেখাকে ঘিরে, এখন সেগুলোর আকাল পড়েছে। এমনও দেখা গেছে যে, মূল লেখার চেয়ে কমেন্ট পড়তেই পাঠক হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। মুক্তমনার সোনালি সেই দিনগুলো এখন অতী্ত। ধূসর, মলিন আর বিবর্ণ হয়ে গেছে সবকিছু।
মির্জা গালিবের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইতিহাস নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা হল। আমি আরও একটা জিনিষের উত্তর খুজে চলছি।
জনৈক জুনায়েদ কাজী নব্বইএর দশকে soc.culture.bangladeshএ তাঁর জানা একটা তথ্য পরবেশন করেছিলেন। পাকিস্তানের জেল থেকে ফিরে ঢাকায় পদার্পণ করেই শেখ সাহেব যে বাক্যটি প্রথমে বলেছিলেন তা এরকম – তোরা দ্যাশটারে ভ্যাইংগ্যা ফালাইলি?
বাক্যটি শেখ সাহেবের ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বে কালিমা লেপন করে বৈকি।
কাজী সাহেব আগে ভাগেই বলেছিলেন, কে কে তখন এয়ার পোর্টে ছিলেন তা জানতে চাবেন না। তাঁর বাবা পাক আর্মীতে কাজ করতেন বিধায় এসব গোপণ এবং স্পর্শ কাতর জিনিষ তিনি জানতেন এমন ইঙ্গিত ছিল ওই লেখাটায়।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
শেখ সাহেব এই কথা কেবল এই জুনায়েদ কাজী সাহেবকেই বলেছিলেন মনে হচ্ছে। আগ্রহ হয় কে এই জুনায়েদ কাজী সাহেব, যিনি শেখ সাহেবের এত কাছের লোক? যাকে এমন কথা তিনি বলতে পারেন যা আর কেউই জানে না? দ্যাশ ভাইংগা ফেলোনে জুনায়েদ কাজীর অবদান কতটা জানি না, তবে অন্য অনেকের বদান নিঃসন্দেহে আরো অনেক বেশী, তাদের না ধমকে শেখা সাহেব এই কাজী সাহেবকেই ধমকালেন?
১০ই জানুয়ারী দেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানে ভাষনে বংগবন্ধু পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে কিছু কথা বলেছিলেন। ভূট্টো ইয়াহিয়ার পতনের পর ক্ষমতায় বসে বংগবন্ধুকে জেল থেকে বের করে বেশ চেষ্টা চালিয়েছিল আবারো বাংগলাদেশের সাথে পাকিস্তানের জয়েন্ট ফেডারশন চালাবার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বংগবন্ধু রেকোর্সে কিছু কথা বলেছিলেন। যা এই দ্যাশ ভাইংগা ফালাইলি উক্তির সাথে কোনমতেই খাপ খায় না।
ধন্যবাদ, ফরিদ আহমেদ কে লেখাটির জন্য।
কি অসাধারন সাহস! কি বিশাল হৃদয়! কি চমৎকার আমাদের বঙ্গবন্ধু!
গত ৩-৪ ঘন্টা যাবৎ ১.১৫ সেকেন্ডের ভাষনটি শুনতে শুনতে বাকরুদ্ধ এখনো।
অভিজিৎ দা ধর্ম দিয়ে কনফিউজ এর প্রশ্নের ভিত্তিতে যে উত্তর গুলো দিয়েছেন এই উত্তর গুলি আমার মতো অনেক জন উত্তর খুজতেছে।তাই আপনার এই দুটি উত্তর সকলে জানার জন্য অন্য ব্লগে প্রকাশ করার জন্য আমি অনুমতি চাইতেছি।
আমাকে অন্য ব্লগে প্রকাশ করতে আপনার অনুমতি পেলে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
(F) (F) (F) (F) (F)
@মিজানুর রহমান,
আমার মন্তব্যের কপিরাইট নাই। স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারেন যেখানে ইচ্ছা।
নতুন নতুন বিতর্কগুলি আমাকে আরো কনফিউজ করে তুলছে।
যেমন;- ৭১রের নারী ধর্ষনকারী,ধর্মব্যবসায়ী পাকিস্তান আদর্শ রক্ষা কমেটির নেতা গো-আজম নাকি ৫২র ভাষা আন্দলনের সৈনিক। :guli: :guli:
এবছর শুনছি ;- ৭ই মার্চের ভষনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জয় বাংলা,জিও পাকিস্তান নাকি বলেছেন। :-Y :-Y
এদুটি বিষয়ে প্রিয় ব্লগ, মুক্তমনার ব্লগার বা মুক্তমনার লেখকদের কাজ থেকে সুন্দর একটি আলোচনা আশা করছি। (Y) (Y) (F) (F)
@ধর্ম দিয়ে কনফিউজ,
এই দুটি অভিযোগ নিয়ে বলার মত কিছু নেই আসলে। আমার জানা মতে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান জিন্দাবাদ ধ্বনি দিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেননি সেদিন। এটা আসলে পরবর্তী কালের পাকিস্তানপ্রেমীদের প্রচারণা। দু একটা উদাহরণ দেই। এই মক্তমনারই অনেক সদস্য নিজ কানে সেদিন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছিলেন। তাদের সাথে আমি কথাও বলেছি। তাদের কেউই ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ শব্দটি শোনেননি। এখানে একটি প্রত্যক্ষদর্শীর বিবররণ আছে। আমি লেখাটি থেকে কিছু লাইন উল্লেখ করছি –
এখন পর্যন্ত ৭ই মার্চের পুরো ভাষণে (যা একাধিক বিদেশী মিডিয়াতেও ধারণকৃত) কোথাও পাকিস্তান জিন্দাবাদের প্রমাণ মেলেনি।
আর গোলাম আযমের ভাষা সৈনিক হবার ব্যাপারটি নিয়ে যত কম আলোচনা করা যায় ততই ভাল। ১৯৪৮ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে এসে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এক সমাবেশে ভাষণ দেন ২৭ নভেম্বর । সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাকে একটি মানপত্র দিয়ে তাতে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো হয়। এ মানপত্রটি পাঠ করেন ইউনিয়নের তৎকালীন সেক্রেটারি গোলাম আযম। আসলে এটি পাঠ করার কথা ছিল ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরবিন্দ বসুর। কিন্তু লিয়াকত আলীকে ভাষা আন্দোলনের দাবি সংবলিত মানপত্র পাঠ একজন হিন্দু ছাত্রকে দিয়ে করালে তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং মুসলিম লীগ সরকার এ নিয়ে নানা প্রকার বিরূপ প্রচার শুরু করবে এ আশংকা থেকেই একজন মুসলমান ছাত্র হিসেবে সেক্রেটারি গোলাম আযমকে সেটা পাঠ করতে দেয়া হয়েছিল। এই হল ভাষা আন্দোলনে গোলাম আযমের ‘অবদান’। আসলে সাধারণ ছাত্রদের দাবীর মুখেই তাদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি স্মারক লিপি দিয়েছিলেন তিনি, না হলে সাধারণ ছাত্রদের ক্ষোভ তার উপরই পড়ত। এটা যদি ভাষা সৈনিক বা ভাষা আন্দোলনের নেতা হবার মানদন্ড হয়, তবে নব্বইয়ে এরশাদ পতনের দিন বিটিভিতে যে ঘোষক সেই পতনের খবর ঘোষণা করেছিলেন, তিনিও তাহলে গনঅভ্যুত্থানের নেতা!
মজার ব্যাপার হল, গোলাম আজম নিজেই পরবর্তীতে কিন্তু তার সেই ভুমিকা (তা যত নগন্যই হোক) যে ভুল ছিলো সেটা উদ্ধৃত করে পরে বহু বিবৃতি দিয়েছিলেন। যেমন, দৈনিক পাকিস্থানের ১৯শে জুন ১৯৭০ সংখ্যায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় – -“পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুরে ১৮ই জুন (১৯৭০) এক সংবর্ধনা সভায় জামায়াত নেতা গোলাম আযম বলেন, উর্দু পাক ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের সাধারন ভাষা। তিনি বলেন, ৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তিনিও তাতে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা ভুল হয়েছিল।“(সূত্র – বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস – ড. মোহাম্মদ হাননান পৃষ্ঠা ৩৯৯)। এটি অনলাইনে পাওয়া যাবে নুরুজ্জামান মানিকের এই প্রবন্ধে।
[img]http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/Mamun082nsu_1297867974_1-eskimoblog_1235231919_1-eskimoblog_1212775427_1-golam_azam_21.jpg[/img]
আর ৭১ তার রাজাকারি এবং গণহত্যার ভুমিকার কথা তো সবারই জানা। তার নাগরিকত্ব পর্যন্ত বাতিল হয়েছিলো এ জন্য। এর পরেও যারা গোলাম আযমকে ভাষা সৈনিক বানাতে চান – আমার বলার কিছু নেই।
@অভিজিৎ, ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করতে চাই না ,আর ধন্যবাদের উপরে কোন শব্দও আমার জানা নাই।
সত্যিই আপনি অনেক অনেক জ্ঞানী।
(W) (W) (W) (W) (W) (W)
@অভিজিৎ,
আচ্ছা ছাত্র ইউনিয়ন না বাম ঘরানার সংগঠণ, গোলাম আযমের মত লোক সেখানে কি করছিল? নাকি এটা জামায়াতীদের অপপ্রচার
:-s আজকাল ইতিহাস নিয়ে এত বেশি ডিগবাজি দেখা যায় যে ইতিহাস বিষয়ে মুখ খুলতেই ভয় লাগে।
@পৃথিবী,
আমি যতদূর জানি গোলাম আযম তখন ডাকসুর জিএস ছিলেন। আর ভিপি ছিলেন অরবিন্দ বসু। অরবিন্দ বসু (হিন্দু বলে) স্মারকপত্র পাঠ না করার সিদ্ধান্তের কারণে সেই ভার দেয়া হয় গোলাম আযমের উপর। গোলাম আযমের জামাতে ইসলামীর সাথে সংশ্লিষ্টতা সম্ভবত আরেকটু পরে – ১৯৫৪ সালে। তিনি তখন আগের কৃতকর্মের ভুল ঢাকতে সত্যিকার ইসলামী দলে যোগ দেন! ৫৫ তে জামাতের রোকন হন । পরে পূর্বপাকিস্তান জামাতের সেক্রেটারি হয়েছিলেন ইত্যাদি। আর মুক্তিযুদ্ধে কি করেছিলেন সেটা তো জানাই।
@অভিজিৎ,
বিজ্ঞানী যে একজন ভাল ঐতিহাসিকও এর প্রমান দিলেন অভিজিৎ।
ধন্যবাদ আলোচনাটিকে গাইড করার জন্য।
@গীতা দাস,
গীতাদি,
আপনি বলেন একথা আর আমাদের দেশের নামকরা ডঃ আজগর আলী বলেন,অভিজিৎ নাকি একজন অনুবাদকারী।:-Y
আমাদের গাইবান্দার আব্দুল কাদের ভাই সহ ওনার বাসায় গেলে কথায় কথায় কাদের ভাই ওনাকে অভির কথা প্রশ্ন করলে ওনি এমন কথা আমাদের সামনে ছুঁড়ে দেন।সাথে সাথে তীর্যক প্রশ্ন আমি ওনাকে করলে টাব্বস ও টাসকি খাওয়ার অবস্থা হয়।আর কাদের ভাই সত্যি সত্যি নিজের কাছে নিজে লজ্জাবোধ করেন ওনার স্যার একি বলছেন ???:-X
কাদের ভাই আশা করি আমার বক্তব্য দেখে ওনার কমেন্টস করতে পারেন।
আর পাঠক,একবার চিন্তা করে দেখুন,আমাদের দেশের প্রগতিশীল লেখক,বুদ্ধিজীবিদের কি অবস্থা ???
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
“বিজ্ঞানী” অভিজিতের আবিষ্কার সমূহ সম্পর্কে যদি এই অধমকে কিঞ্চিত ধারনা দিতেন…:-)
@আদিল মাহমুদ,
একথা গীতাদি আর অভি ভালো উত্তর দিতে পারবে।সে কি বিজ্ঞানী না-কি বিজ্ঞানবিষয়ক বিষয়ের উপর লেখক না অনুবাদকারী ??? :-s
আর আমাদের দেশের ওই গুনীজন তো জানেনই না সে কি ? এটাই ছিল মূল কথা ।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
আমি নিজে বিজ্ঞান লাইনের লোক হলেও তেমন খবর টবর রাখি না, মস কাবারি বেতন পেয়েই খুশী।
তাই ভাবলাম যে হয়ত বিজ্ঞান জগতে আমাদের অভিজিতের কোন না কোন অবদান নিশ্চয়ই আছে যা হয়ত আমি জানি না :)) ।
@আদিল মাহমুদ,
আমি পেশাগত জীবনে প্রকৌশলী। কর্পোরেট জীবনে আর আবিস্কারের সম্ভাবনা কই? বিজ্ঞান নিয়ে ছোট খাট কাজ করেছি পেশাগত জীবনে ঢুকার আগে, তেমন কিছু নয়। আপনি বললেন বলেই উল্লেখ করি- সাইবারক্যাড নামে একটা জাভাভিত্তিক ক্যড মডেলিং সফটওয়্যার বানিয়েছিলাম (গুগলে সার্চ করলেই পাবেন), সেটা ছিলো প্রথম জাভাবিত্তিক কোলাবরেটিভ ক্যাড সফটওয়্যার তখন। এমনকি সেটা একটা দেশের খুব নামকরা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। বেশ কিছু জার্নালও লিখেছিলাম এটার উপর, এখানে আছে একটা। আর পিএইচডিতে ব্রেনের যে মডেলিং সেটার কাজের সাইটেশন অনেক জায়গাতেই পাবেন, এমনকি হার্ভার্ডের সাইটেও। আরো কিছু কাজ আছে আমার, তবে সেগুলো নিয়ে এত গর্ব করার কিছু মনে করিনি বলেই কখনো উল্লেখ করিনি। দরকারও নেই।
আর একটা কথা – আমি কিন্তু কখনো নিজেকে বিজ্ঞানী বলে দাবী করিনি, আমি বিজ্ঞান লেখক হিসেবেই থাকতে চাই। কেউ যদি মনে করেন আমি অনুবাদক, তাহলে তাইই। তবে কোন বইটা অনুবাদ করলাম সেটা কিন্তু বলতে হবে। জগতে সকল প্রানী সুখি হোক 🙂
@অভিজিৎ,
প্রশ্ন তো আপনার কাছে করা হয়নি। আপনি জবাব দেন কেন??
আপনার বহুবিধ মেধার পরিচয় পেয়ে আমিও গর্বিত, সামান্য যেটুকু সন্দেহ মনে ছিল ঘুচে গেল। সফটওয়্যার থেকে মানব ব্রেন…
এবার থেকে অন্য কোনখানে কোট করা হলে বিজ্ঞানী লাগিয়ে দেব :)) ।
@অভিজিৎ,
কাটিং-টিতে দেখতে পাচ্ছি, গোলাম আজম বলেছেন, বাঙালী কখনও জাতি ছিলনা। এই লোক আবার ভাষা আন্দোলনকারী :lotpot:
@ফরিদ আহমেদ ও মডুগন , এই কথাগুলু আমার না । ৭মার্চ শেখ সাহেবই বলেছেন … দেখুন আহমদ ছফার ‘ একাত্তর মহাসিন্দুর কল্লোল ‘।আরো দেখুন আবুল আহসান চৌধুরীর ‘আলাপচারী আহমদ শরীফ’ বইটি । 🙂 🙂 🙂
@মির্জা গালিব,
আপনাকে আরো রেফারেন্স দিয়ে আমিও সাহায্য করতে পারি। তবে তাতে কি প্রমান হবে তা কি দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন? তাহলে হয়ত আপনার আনন্দে আমরাও যোগ দিতে পারতাম।
এই পাকিস্তানের জয় সূচক কথাটি আবার ভিন্ন ভিন্ন দাবীকারকের ভাষ্যানুযায়ী কখনো জয় পাকিস্তান, কখনো পাকিস্তান জিন্দাবাদ, আবার কখনোবা জিয়ে পাকিস্তান।
জাষ্টিস হাবিবুর রহমান সাহেবও তার “বাংলাদেশের তারিখ” বই এর প্রথম সংস্করনে এটা লিখেছিলেন (জিয়ে পাকিস্তান ভার্ষন)। পরবর্তি ভার্ষনে সেটা বাদ দেন।
অপরদিকে আবার হাজার হাজার প্রত্যক্ষদর্শী, রেডিও ভিডিওর কাটিং আছে যাতে পাকিস্তানের জয় সূচক কোন কথা নেই। এই অংশের পরিমান অনেক অনেক বেশী। এরা সবাই আওয়ামী ব্রেন ওয়াশড এমন ধারনা খুবই হাস্যকর। আপনি এদের সবার কথা বাদ দিয়ে সংখ্যালঘু মতামতে এত প্রবল আত্মবিশ্বাসের সাথের ঈমান আনলেন কিভাবে? আপনি কি সেদিন রেকোর্সের ময়দানে ছিলেন? সত্যের খাতিরে আমিও সম্ভাবনা মাথায় রাখছি যে হয়ত বংগবন্ধু সেদিন তেমন কিছু বলে থাকতেও পারেন যা খুবই স্বাভাবিক। তবে রেফারেন্সের কথাই যদি শুধু আসে তো শুধু একদিকের গুটিকয়েক রেফারেন্স তুলে বিরাট কোন আবিষ্কার হয়েছে এমন মানসিকতা শুধু বংগবন্ধুর অন্ধ বিরোধীতারই ইংগিত করে।
এ নিয়ে কিছু দালিলিক গবেষনা করেছেন লেখক হুমায়ুন আহমেদ যা তার জোছনা ও জননীর গল্প উপন্যাসের ভূমিকাতে আছে। সেখানে দেখতে পারেন। তিনিও কিছু রেফারেন্সে জয় পাকিস্তান বিষয়ক অংশ দেখে আকৃষ্ট হয়ে ৭১ সালের ৮/৯ই মার্চ দেশের সব দৈনিকে প্রকাশিত ৭ই মার্চের ভাষনের পূর্ন বিবরন পড়েন। কিন্তু কোথায়ই জয় পাকিস্তান জাতীয় কিছু খুজে পাননি। রেডিও কর্মীরা পরদিন ৮ই মার্চ সারাদিনই এই ভাষন ঢাকা বেতার হতে প্রচার করে। তাতেও কেউ জয় পাকিস্তান বাচক কিছু শুনতে পায়নি। এটা অত্যন্ত অবিশ্বাস্য যে মাত্র একদিনের ব্যাবধানে রেডিও কর্মী, সব সংবাদপত্র মিলিত ভাবে এই জয় পাকিস্তান অংশ গায়েব করে ফেলল। বিশেষ করে সেই অবস্থায় যখন সারা দেশ উত্তাল। তারা নিশ্চয়ই সেদিন চিন্তা করার সময় পাননি যে ৪০ বছর পর কিছু কূটিল তর্কবাজ লোকে এই জয় পাকিস্তান নিয়ে অযথা ঘোট পাকাবে।
বংগবন্ধু যদি সেদিন জয় পাকিস্তান জাতীয় কিছু বলেও থাকেন তাতে এমন কি প্রমান হয়? বলাটা খুবই স্বাভাবিক। ২৪শে মার্চ গভীর রাত পর্যন্ত যুক্ত পাকিস্তানই ছিল। সে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয়, দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে তিনি জয় পাকিস্তান জাতীয় কিছু বলে থাকতেই পারেন। এটা ষ্ট্র্যাটেজিক, অনেকটা ফর্মালিটির মতই। এ নিয়ে বিরাট কি প্রমান হয়? সে সময় দেশের সব নাগরিককেই পাকিস্তানের পাসপোর্ট নাগরিকত্বই বহন করতে হয়েছিল। অর্থাৎ, পাকিস্তান নামক দেশটি যতই বিষময় হোক না কেন তার নামে আনুগত্য সবাইকেই দেখাতে হত।
বংগবন্ধুর সেই ভাষনের গুরুত্ব কি তার সবচেয়ে বড় প্রমান এই জাতীয় কূতর্ক যারা তোলেন তাদের প্রিয় নেতা জিয়াউর রহমানের নিজের ভাষ্য। এই ভাষন তার কাছেও ছিল স্বাধীনতার গ্রীন সিগন্যাল। উনি কোনদিন জিয়ে পাকিস্তান, বা বংগবন্ধু সেধে সেধে পাকিস্তানীদের কাছে ধরা দিয়েছিলেন এসব বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলে বেড়াননি। আজকাল বড় মজার মজার সব তর্ক মাথাচাড়া দেয়। আরেকটি হল বংগবন্ধু নাকি গ্রেফতার হননি, তিনি আত্মসমর্পন করেছিলেন। শুনে হাসিও পায়।
যাক, জয় পাকিস্তান জাতীয় কিছু যদি আসলেই উনি বলে থাকেন তবে তা মুছে দেওয়া উচিত হয়নি এটাও বলে রাখি।
@আদিল মাহমুদ,
(Y)
@অভিজিৎ,
বাংলার মানুষ ৭১ সালে কি পরিমান রামছাগল ছিল ভাবলেই অবাক লাগে। জয় পাকিস্তান শ্লোগান দেওয়া, পাক বাহিনীর হাতে সেধে সেধে ধরা দিয়ে আরাম আয়েশে যাওয়া কাপুরুষ এক লোককে নেতা মেনে কিভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ল। মুক্তিযোদ্ধারা কেউই সেদিন এসব জ্বলজ্যান্ত সত্য ধরতে পারেননি, যা সফলভাবে এ যুগের গবেষকেরা ধরতে পারছেন। মুক্তিযোদ্ধারা দেখি এই ভীরু পাকিস্তান প্রেমী লোকের নামে শপথ নিত, তার নামে শ্লোগান দিয়ে যুদ্ধ করত, তার নামের বাধা গান শুনে উজ্জীবিত হত। কি আশ্চর্য।
ভাগ্যিশ তারা সে সময় এই নেতার ডিগবাজী ধরতে পারেননি, ধরতে পারলে ৭ই মার্চ ময়দানে অনেকের মত চোখে হাত রেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ত, মুক্তিযুদ্ধ ফুদ্ধ কিছুই আর হত না। স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবীদার কারো নামে দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দলও পরবর্তিকালে হত না।
@আদিল মাহমুদ,
আমার মনে হয় বাঙ্গালির ‘শুইন্না মুসল্মান’ সিন্ড্রোম সব জায়গাতেই আছে, ইতিহাস রচনাতেও। নাইলে জাষ্টিস হাবিবুর রহমানরাও ক্যামনে না বলা কথা শুনে বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করেন, আবার পরে বাদও দেন। অন্যেরাও যে সেরকম করে পুরা ব্যাপারটারে ক্যাচায় দেয় নাই কে বলবে। 🙁
@অভিজিৎ,
জয় পাকিস্তান জাতীয় কিছু ছিল যারা দাবী করেন তাদের দালিলিক প্রমান দেয়া উচিত। তা নইলে তিনি আহমেদ সফা হোন আর হাবিবুর রহমান হন তার গুরুত্ব হবে শুধুই ব্যাক্তিগত স্মৃতিচারনায়, যা তাতক্ষনিকভাবে সেদিন লিখিত হয়নি। এসব স্মৃতিচারন হয়েছে যুদ্ধের পরে। ভুল হয়ত ইচ্ছাকৃত নয়। একজন আরেকজনের লেখায় প্রভাবিত হয়েছেন সে সম্ভাবনাও আছে। তাতক্ষনিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে সাংবাদিকদের কলমে, রেডিও, ভিডিও তে যেগুলি হল দালিলিক প্রমান।
তবে কেউ প্রমান করতে পারলে অবশ্যই তা ভাল কাজ হবে। ইতিহাস বিশুদ্ধ হতেই হবে। কিছু কূট প্রকৃতির লোকে অযথা ঘোট পাকাবে এই ভয় করে ইতিহাস থেকে কিছু বাদ দেওয়াও ঠিক হবে না।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার প্রত্যেক মন্তব্যই চমৎকার, অনেক কিছু জানতেও পারলাম। অনেকদিন পর আপনাকে এখানে দেখে ভাল লাগছে।
@আদিল মাহমুদ,
আমার বিশ্লেষণটা দেখুন!! এমন প্রশ্নই অবান্তর মনে হয় সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করলে!!
আপনি বলেছেন দারুন (Y) (Y) (Y) (Y) (Y)
@মির্জা গালিব, ভাইজান কে তো মনে হয় আর দেখতে পাবার আশা নাই। তবু একটা কথা বলি। ভুংভাং ছাড়েন, লাইনে আসেন।
@ফরিদ আহমেদ , বাকী লাইনটা তো বললেনইনা ! ওই লাইনেই তো আসল চমক ! ! “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম , জয় বাঙলা , পাকিস্তান জিন্দাবাদ ! ! ! :lotpot: :lotpot: :lotpot: :rotfl: :rotfl: :rotfl:
@মির্জা গালিব,
এত হাসি হাসছেন, আমাদেরকে একটু খোলাসা করে বলুন না, বিষয়টা কী?
@মির্জা গালিব,
আপনি কি গায়িব হয়ে গেলেন ভাই? দুটো মন্তব্য করেছেন একটি এখানে আর একটি এখানে। উভয় যায়গায় আপনার কাছে অনুরোধ করা হয়েছে আপনার বক্তব্য আরেকটু ব্যাখ্যা করার জন্যে। আপনার উত্তরের অপেক্ষায় আছি।
@মির্জা গালিব,
এই প্রশ্নটা কতটা অযাচিত ৭ মার্চের বাকি ভাষণ শুনলেই বুঝা যাই…
একবারও কি
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
এই বাক্য কটির পর ‘জয় বাঙলা , পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ এমন কিছু উচ্চারিত হয়েছিল বলে মনে হয়? হলেও তা কি এখন যেমনটা ব্যাখ্যা করা হচ্ছে তেমনটা মনে হয়?
এইবার ভাষণটা ভাল করে আরেকবার পড়ে দেখুনঃ
এইবার আপনার প্রশ্নটা কি অসংলগ্ন মনে হচ্ছে না? হাসিটাও?
কেউ কি জানত ৭ মার্চ ১৯৭১ এ যে স্বাধীন পূর্ব-পাকিস্থানের নাম কি হবে? আমার মনে হয় বরং এই প্রশ্নটিই অধিকতর প্রাশঙ্গিক কেননা যদি মুজিবনগর সরকার গঠনের আগে বাংলাদেশ নামকরন না করা হয়ে থাকে তবে এইটা বললেও কোন দোষ নাই তাই হাসিটাই হাস্যকর… আর যদি ৬ দফার পর থেকে ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরের আগে কোন সময় এমন না করন করা হত তবে ৭১-এর স্লোগান ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ না হয়ে ‘জয় বাংলাদেশ, জয় বঙ্গবন্ধু’ হত!! ১৯৫২ থেকে ৬৬ হয়ে ৬৯ বা ৭১ পর্যন্ত জয় বাংলা পরেজয় ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ এর সাথে একাত্ম হয়ে যায়। অনেক সময় ইতিহাসের সঠিক ব্যাখ্যা বা পর্যবেক্ষণও অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়ে দেয়!!
(F) :guru: (F) :guru: (F) :guru: (F) :guru: (F) :guru: (F) :guru: (F) :guru: (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F)
“সার্থক জনম মাগো জন্মেছি এই দেশে”।
হঠাৎ করেই খেয়াল হলো যে, এই মুহুর্তে বাংলাদেশে সাতই মার্চ। এই একটি ঐতিহাসিক দিনে, একজন অনন্য মানুষের অসাধারণ একটি কাব্যিক ভাষণ একটি জাতিকে তাদের নিজস্ব পরিচয়ের ঠিকানা দিয়েছিল। ব্যক্তি শেখ মুজিবের অনেক দোষ আছে, ত্রুটি আছে, কিন্তু বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে তাঁর অনন্যসাধারণ সাহসী ভূমিকাকে অস্বীকার করার কোনো উপায়ই নেই।
আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসী সিংহপুরুষের জন্য রইলো সশ্রদ্ধ প্রণতি।
স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো
নির্মলেন্দু গুণ
একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে
ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ” কখন আসবে কবি?’
এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,
এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,
এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না।
তা হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি?
তা হলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে
ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হদৃয় মাঠখানি?
জানি, সেদিনের সব স্মৃতি ,মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত
কালো হাত। তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ
কবির বিরুদ্ধে কবি,
মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ,
বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল,
উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান,
মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ … ।
হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি,
শিশু পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি
একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে
লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প।
সেই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর।
না পার্ক না ফুলের বাগান, — এসবের কিছুই ছিল না,
শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যেরকম, সেরকম দিগন্ত প্লাবিত
ধু ধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়।
আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল
এই ধু ধু মাঠের সবুজে।
কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে
এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক,
লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,
পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক।
হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,
নিম্ন মধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ, বেশ্যা, ভবঘুরে
আর তোমাদের মত শিশু পাতা-কুড়ানীরা দল বেঁধে।
একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল
প্রতীক্ষা মানুষের: “কখন আসবে কবি?’ “কখন আসবে কবি?’
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হদৃয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।
সে দিনের সেই স্বপ্নবণিকের হৃদয় মথিত গুচ্ছ গুচ্ছ সাহসী পংক্তিমালা, গভীর অনুরাগে উজ্জীবিত মানুষের বিশ্বাসে মেধা আর বোধে ভর করেছিল। এ যেনো বৃষ্টির প্রার্থনায় উত্থিত কৃষকের শীর্ণ দু’হাতে প্রথম বর্ষার জলের ধারা। আর সব হয়তো ফুরিয়ে যায়, কিন্তু স্বপ্ন অমরত্বের আরেক নাম হয়। যেই চোখে অশ্রু ঝরে, সেই চোখ স্বপ্নওতো দেখতে চায়। তাই স্পর্ধিত স্বপ্নের মোহে জীবনের সোনালী অংকুর ছুঁয়ে আবারো মানুষ প্রতিবাদে প্রতিরোধে মেতে ওঠে আজো বার বার আমাদের প্রিয় মাতৃভুমিতে।
আমার প্রিয় একটা কবিতা শোনাতে মন চাইলো সবাইকে।
@কেয়া রোজারিও,
দারূণ ভাল লাগল আবৃতিটি। iPhoneএ লিঙ্কটা এসেছে। এখানে দেখছিনা কেন?