কনওয়ে টুইটিঃ একটু গান হলে কী ক্ষতি?
এটি একটি অর্থহীন পোস্ট। নিছক বিনোদনই এর মূল উদ্দেশ্য, কোন সারবস্তু নেই এ লেখাতে। যারা সিরিয়াস লেখা পড়ে অভ্যস্ত তারা নিশ্চিতভাবেই হতাশ হবেন এটি পড়লে। তবে কথা হচ্ছে জীবনের সবকিছুইতো আর সিরিয়াস নয়। সেই ভরসাতেই চানাচুর মার্কা এই লেখাটি পোস্ট করলাম। কারো আপত্তি থাকলে আওয়াজ দিয়েন। বেশি লোকজনের বিরক্তি দেখলে আস্তে করে মুছে দেবো লেখাটি। কথা দিচ্ছি।
ভদ্রলোকের আসল নাম ছিল হারল্ড জেনকিন্স। ছিলেন আমেরিকার কান্ট্রি মিউজকের লিজেন্ড। কী কারণে যেন প্রথম জীবনে ধারনা হয়েছিল, তার নাম শো বিজনেসের জন্য খুব একটা উপযোগী নয়। তাই পিতৃপ্রদত্ত নামটা পালটে ফেলে ছিলেন তিনি। নাম পাল্টানোর এই বাহারী কাজ শো বিজনেসের অনেক লোকই করে থাকেন। এর মধ্যে এমন কিছু নতুনত্ব বা বিশেষত্ব নেই। কিন্তু, ইনি খুব অদ্ভুতভাবে তার নাম ঠিক করেছিলেন। আরকানসার শহর কনওয়ে আর টেক্সাসের শহর টুইটিকে একত্রে করে নিজের নাম বানিয়ে নিয়েছিলেন কনওয়ে টুইটি বলে। দুর্মুখেরা বলে থাকে যে এই দুই শহরে তার দুই প্রেমিকা ছিল। তাদের কথা যাতে মনে থাকে সে কারণেই নাকি এই নাম নিয়েছিলেন তিনি।
কনওয়ে টুইটি
টুইটি জন্মেছিলেন মিসিসিপিতে ১৯৩৩ সালে। যদিও কান্ট্রি মিউজিক দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেছিলেন, শুরু করেছিলেন রক এন্ড রোল দিয়ে। এলভিস প্রিসলির মিস্ট্রি ট্রেন গান শুনেই রক এন্ড রোলে ঝুঁকে পড়েন টুইটি। প্রথম সাফল্য এসে ধরা দেয় ১৯৫৮ সালে ‘ইটস অনলি মেইক বিলিভ গানের মাধ্যমে। এই গানের আট মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় এবং বিলবোর্ড পপ মিউজিক চার্টের শীর্ষস্থান দখল করে ফেলে। শুরুর দিকে অনেকে ভেবে নিয়েছিল যে এই গান এলভিস প্রিসলিই গেয়েছে ভিন্ন নামে।
রক এন্ড রোল দিয়ে সাফল্য পেলেও টুইটির মূল আগ্রহ ছিল কান্ট্রি মিউজিকের প্রতি। ১৯৬৫ সাল থেকে কান্ট্রি মিউজিক রেকর্ড করা শুরু করেন। কিন্তু রক এন্ড রোলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কারণে শুরুর দিকে তেমন একটা পাত্তা পাননি তিনি। কিন্তু একের পর এক হিট গান দিয়ে সবাইকে চমকে দিতে থাকেন তিনি। ১৯৭০ সালে তিনি রেকর্ড করেন তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গান হ্যালো ডার্লিং। কান্ট্রি চার্টে চার সপ্তাহে শীর্ষে ছিল এই গান।
টুইটিকে নিয়ে এত কথা বলার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের একটা গান শোনানো। না, কোন কান্ট্রি সং না। একটা প্রেমের গান। অনেকেরই হয়তো শোনা। তবুও আবার শুনুন। আশা করি ভাল লাগবে।
ছোট্ট এক শহরের পনেরো বছরের এক কিশোরী প্রেমে পড়েছে প্রতিবেশী বাইশ বছরের এক তরুণের। করুণ আর্তিতে কিশোরী তরুণকে বলছে তার জন্য অপেক্ষা করতে। সেতো আর ছোট্ট কিশোরী থাকবে না বেশিদিন। কিন্তু তরুণের অত ধৈর্য্য নেই কিশোরীর তরুণী হবার অপেক্ষায় থাকার। এর চেয়ে জীবনের সাফল্যটাই তার কাছে বড়। কিশোরী করুণ আহাজারি আর কান্নাকে উপেক্ষা করে তরুণ চলে আসে বড় শহরে সাফল্যের আশায়। চাকরি শুরু করে, গড়ে তোলে পেশাগত জীবন। কিন্তু মগজের গভীরে কোথায় যেন মেয়েটির স্মৃতি, তার চোখের মুক্তবিন্দুর মত অশ্রুজল তাড়া করে ফেরে তাকে। স্মৃতির তাড়াতেই একদিন সিদ্ধান্ত সেই তরুণ কিশোরীর কাছে ফিরে যাবার। সবকিছুকে পিছনে ফেলে অস্থির চিত্তে পাঁচ বছর পরে ছুটে যায় তার সেই ছোট্ট শহরে। দেখা করে কিশোরীর সাথে, জানায় তার ভালবাসার কথা। কিন্তু হায়, সবকিছু যে বদলে গেছে এখন। সময় যে সবকিছুকে বদলে দেয় তার নিজস্ব নিয়মে। সেই কিশোরী এখন আর কিশোরী নেই। ছোট্ট বেলার দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থেই যেন বড় হয়ে গেছে সে এখন। এখন সে তরুণী। অশ্রুসজল চোখে তরুণী জানায় অনেক দেরি করে ফেলেছো বন্ধু। আমি যে এখন তোমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর বউ।
১৯৭৫ সালে কনওয়ে টুইটি তার ষোল বছরের কিশোরী কন্যা জনি লীর সাথে অনন্য সাধারণ করুণ প্রেমের এই গানটি গেয়েছিলেন।
httpv://www.youtube.com/watch?v=q7LuO1Cz2Do
Don’t Cry Joni
Conway Twitty & Joni Lee
Jimmy please say you’ll wait for me
I’ll grow up someday you’ll see
Saving all my kisses just for you
Signed with love forever true.
Joni was the girl who lived next door
I’ve known her I guess ten years or more.
Joni wrote me a note one day.
And this is what she had to say.
Jimmy please say you’ll wait for me
I’ll grow up someday you’ll see
Saving all my kisses just for you
Signed with love forever true.
Slowly I read her note once more
Then I went over to the house next door
Her tear-drops fell like rain that day
When I told Joni what I had to say.
Joni, Joni please don’t cry
You’ll forget me by and by
You’re just fifteen and I’m twenty two,
and Joni I just can’t wait for you.
Soon I left our little home town,
Got me a job and tried to settle down
But these words kept haunting my memory,
the words that Joni said to me.
Jimmy please say you’ll wait for me
I’ll grow up some day you’ll see
Saving all my kisses just for you
Signed with love forever true.
I packed my clothes and I caught a plane
and I had to see Joni. I had to explain,
how my heart was filled with her memory
and ask my Joni if she’d marry me
I ran all the way to the house next door
but things weren’t like they were before
My tear-drops fell like rain that day
When I heard what Joni had to say.
Jimmy, Jimmy please don’t cry
You’ll forget me by and by.
It’s been five years since you’ve been gone
Jimmy, I – (married) – your best friend John.
মডারেশনের খ্যাতা পুড়ি। মডারেট কইরা কি মুক্ত-মনা হওয়া যায় নাকি!
খুব উপভোগ করলাম। শুনলাম ও শুনালাম। তবে ইউটিউবের কয়েকটা লিংক সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ডোন্ট ক্রাই জনি অবলম্বনে বাংলা নাটকটাও দেখলাম, ভাল লাগেনি। আর আনিসুল সাহেব সেটা নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন বরাবরের মত, যদিও গানটা ঢুকায়া দিছেন এবং তাতে নাটকের ওজন একটু বাড়ছে।
জীবনে সঙ্গীত এসেছে ধাপে ধাপে বিভিন্ন মাত্রায় বিভিন্ন ধারায়। সময়ের টানে না বয়সের টানে জানিনা। বাল্যকালে গ্রাম বাংলার পল্লীগীতি লোকগীতি ছাড়া আর কিছুই ভাল লাগতো না। তারপর মোহাচ্ছন্ন একসময় কেটেছে নুরজাহান, মাসুদ রানা আর মুখেশ এর গান শুনেশুনে। আজও মুখেশের সেই ‘ ময় এক পল কা শায়ীর হো / হর এক পল মেরে কাহানী হ্যায় গানটা আমার সব চেয়ে প্রীয় গান। ইংল্যান্ডে হৃদয় জুড়ে একযুগ ছিলেন এল্ভিস প্রেস্লী। তার শেষ রজনীর যে গানটির জন্যে ক্লাবে যেতাম, হয়তো আজও এটাই নাইট ক্লাবের শেষ গান হয়।
httpv://www.youtube.com/watch?v=HZBUb0ElnNY
এখন আমার চিত্তের প্রধান বিনোদনের সাথী রবীন্দ্র সংগীত। যে গান কালের ইতিহাসে একদিন বিলীন হয়ে যাবে সেই হারানো দিনের গান, হারানো সুরের গান, পুরনো দিনের গানগুলো খোঁজে আমরা শুধু দীর্ঘশ্বাসই ফেলতে পারি। তবে এখনো সব হারিয়ে যায়নি, কিছু কিছু পুরনো দিনের গান নতুন রূপে নতুন আঙ্গীকে ফিরে আসছে। West life নামক সংগীত দলটি Terry Jacks এর এই গানটির কভারআপ নতুন প্রজন্মের কাছে বেশ প্রীয় হয়ে উঠেছে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=F-CWFhs5Xk0
বাঁদরের চেচামেচী মার্কা রী-মিক্স ও রাপ মিউজিক এর ভীড়ে আজও কিছু ভাল গান শুনা যায়। যেমন এলিসা কীজ এর এই গানটি- বাংলায় হয়তো এরকম হতো- তুমি ছিলে সবই ছিল, তুমি নাই কিছুই নাই
httpv://www.youtube.com/watch?v=S70HDB128Ko
ফরিদ ভাই,
বহু বহু বছর আগে প্রথম যখন গানটা শুনি, মন আসলেই খারাপ হয়েছিলো – তখন বিয়োগান্তক ব্যাপার স্যাপার সহ্য করতে কষ্ট হতো 🙂 হায় সময়, নাকি হায় বয়স!
@স্নিগ্ধা,
বয়স বড় খারাপ জিনিষ। বাড়ার সাথে সাথে পরিচিত সব আবেগ, অনুভুতিগুলো অপরিচিতের আঙিনায় চলে যেতে থাকে।
নস্টালজিক ভাব এখনো আমার যায় নাই। জন ডেনভারের ‘এনি’স সং’ গানটা পাঠক/দর্শকদের জন্য দিলাম। অনেকেই বোধ হয় জানেন, যে এই গানটা ডেনভার ১৯৭৪ সালে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে লিখেছিলেন তার স্ত্রী এনিকে (এনি মার্টেল) নিয়ে। এনি তখন ডেনভারের সাথে সেপারেশনে ছিলেন, এবং ডেনভাবের সাথে বিবাহবিচ্ছেদের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ডেনভার একদিন স্টেজে উঠে এই বিষন্ন রোমান্টিক গানটি পরিবেশন করলেন –
You fill up my senses
like a night in the forest
like the mountains in springtime,
like a walk in the rain
like a storm in the desert,
like a sleepy blue ocean
you fill up my senses,
come fill me again. …।
শোনা যায়, গানটি শোনার পর তার স্ত্রী অভিভূত হয়ে ডেনভারের কাছে ফিরে এসেছিলেন (যদিও আরো পরে তাদের ‘সত্যিকারের’ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিলো ১৯৮২ সালে)। যারা গানটি শোনেননি, তারা শুনলে বুঝবেন – কেন ডেনভারের স্ত্রী ফিরে এসেছিলো – গানের প্রতিটি লাইন যেন একেকটি অনুপম কাব্যগীতি। গানটির শক্তি সত্যই অসাধারণ। শুনুন তাহলে —
httpv://www.youtube.com/watch?v=HkGS263lGsQ
আমার বাল্যবন্ধু সুমন (সুমন চোট্টোপাধ্যায় নন) অর্থহীন নামের একটা ব্যান্ডের পরিচালক। সুমন এই গানটার চমৎকার একটা বাংলা করেছে। সেটাও এখানে দেয়া গেলো —
httpv://www.youtube.com/watch?v=4DlDA3Dj67g
সুমন আর এলিটার গাওয়া গানটা হাইলি রিকমেন্ডেড – যারা নতুন প্রেমে পড়েছেন (কিংবা ছ্যাকা খেয়েছেন) 😉
@অভিজিৎ,
দুইটাই ফাটাফাটি রকমের দারুন হইসে।শুনলে হার্ট ব্লক খাইবার দশা হয়!
এখনো কিছুই করিতে পারিলাম না!!! :-X :-Y 😥
@অভিজিৎ,
সুমন আর এলিটার গানটা আমার খুব পছন্দের একটা গান। জানতাম না যে এটি ইংরেজী গানের অনুকরণে তৈরি।
নকল, অনুকরণ বা রিমিক্স গান আমার দুই চোখের বিষ। কখনোই আমি দেখিনি যেখানে অনুকরণ ছাড়িয়ে যেতে পেরেছে আসলকে। অনেককেই দেখি শ্রীকান্তের গাওয়া হেমন্তের গানের রিমিক্স শোনে। যেখানে হেমন্তের গানই সহজপ্রাপ্য, সেখানে শ্রীকান্তের গলায় রিমিক্স শুনতে হবে কেন সেটাই আমার কাছে বোধগম্য নয়।
কিন্তু, এ ক্ষেত্রে কী আশ্চর্য! সুমনের গানটা দেখি আসলটার চেয়েও বেশি ভাল লাগলো আমার। :-/
@ফরিদ আহমেদ,
একটু দ্বিমত করব। কোন ইংরেজী গানের সার্থক বাংলা করাকে আমি নকল বলে একদমই মনে করি না। তাহলে তো বব ডিলানের ‘Blowing in the wind’ এর বাংলা যেভাবে সুমন (চট্টো) করেছে -প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরও তো জানা, কিংবা সায়মন এন্ড গার্ফাঙ্গেলের ‘Homewards bound’ এর বাংলা অঞ্জন যেটা করেছে – ঘর, ফেলে আসা ঘর … এসব কিছুকেই নকল বলে দিতে হয়। আসলে এগুলো কোনটাই নকল নয়, বরং আমি বলি বাংলায় সার্থক রূপায়ন…
হ্যা সুমন এলিটার করা গানটা দারুণ। আসলে ছোতবেলায় আমার অনেক ব্যান্ড দলের সাথেই ওঠা বসা ছিলো… অনেকেই আমার খুব কাছের বন্ধু এখনো… খুব মিস করি তাদের পার্ফোমেন্স
লোড করে দেখার মত গতি নেই। ডাউনলোড করবার মত খালি জায়গা নেই রদ্দিমার্কা ল্যাপটপ -এ। কাজেই অসাধারণ সব গান শোনা থেকে বঞ্চিত হলাম। দেখি সামনে নিজেই এ বিষয়ে লিখতে পারি কিনা। গানটা অপূর্ব।
আজকাল আমরা বড্ড সেকেলে হয়ে যাচ্ছি! আগেকার লোকেরাই তো দেখি বেশি একেলে ছিল। এ রকম ৮-১০ বছরের ব্যবধান নিয়ে বে তো আকসার হচ্ছে। অধিকাংশ পুরুষই তো দেখি কমপক্ষে ৫ বছরের ছোট বৌ খোঁজে!
গানটি নতুন ভাবে শুনলাম এবং রীতিমত অভিভূত হলাম।
আমি আরেকটা তথ্য শেয়ার করি। বাংলাদেশে এই গানের কাহিনীর উপরে ভিত্তি করে একটা নাটক হয়েছে। নাটকের নাম, “শেষের কবিতার পরের কবিতা”। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
হ্যাঁ দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছে। লম্বুটা মোটামুটি অভিনয় জানে। কিন্তু নায়ক-নায়িকা তৃতীয় মানের অভিনয় করে ডুবিয়েছে। :-X
আমি একটা বাংলা গান খুঁজছি অনেকদিন ধরে। কারো কাছে থাকলে সহভাগিতা করলে খুশি হতাম। গানের শুরুর লাইন হচ্ছে আমি হেলেন কিংবা নূরজাহানকে দেখিনি আর গায়ক হচ্ছেন আসফ খান।
পিএইচডি সাহেব নিজে তো দেখা যাচ্ছে গায়েব।
@আদিল মাহমুদ,
গায়েব হইনি। আপনাদের দেয়া গানগুলো শুনছি বসে বসে।
টেরি জ্যাকস আজকে আমাকে শেষ করে দিলো (সব দোষ ঐ নস্টালজিক বানানোতে পিএইচডি করা ফরিদ ভাইয়ের) 😉
টেরি জ্যাকসের ‘ইফ ইউ গো এওয়ে’ ছাড়লাম… (আমার আরেকটা ওল্ডিস ফেভারিট)
httpv://www.youtube.com/watch?v=aazaieIk-4M
এটা কেমন লাগলো জানান …
@অভিজিৎ,
অসাধারণ!! সব ভাল ভাল জিনিষ মনে হয় আমাদের আগের প্রজন্মগুলোই সৃষ্টি করে গেছেন। আর আমরা খালি আবর্জনা তৈরি করে ভরে ফেলছি চারিদিক।
গানের একটি আলাদা আর্কাইভ বানিয়ে ফেলুন না। এভাবে সকলের প্রিয় গানের, প্রিয় বইয়ের আর্কাইভ গড়ে তুললে, সকলেই উপকৃত হবে। আপনাদের কাছে থেকে প্রতিদিনই কত কি যে জানছি তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু এগুলো এভাবে বিভিন্ন লেখকের ব্লগে ছড়িয়ে না রেখে ট্যাগ করে রাখুন। পাঠক প্রিয়তে গান, বই, ভ্রমন কাহিনী, মুক্তিযুদ্ধ এ ধরণের আরো কিছু ট্যাগ যুক্ত করার অনুরোধ করছি।
@স্বাধীন,
মন্দ না কিন্তু আইডিয়াটা। খেয়াল করে দেখেছি আপনার মাথা থেকে সবসময় খুব দারুণ দারুণ বুদ্ধি বের হয়।
ছোট একটি আর্কাইভ। ঘুরে আসুন
সবার সাথেই আমি একমত। এটা মোটেই চানাচুর মার্কা পোস্ট নয়। এ গানটার সাথে আমার পরিচয় অনেকদিনের। আশি এবং নব্বইএর দশকে ঢাকার সবাই যখন পপ সঙ্গীত নিয়ে বিভোর (মাইকেল জ্যাকসিন, ম্যাডোনা এবং অন্যান্য…) আমি তখন বাজার থেকে কিনতাম ‘ওল্ডিস…’ কিংবা ‘এভারগ্রীন সং…’ এর সিডি/ক্যাসেট । বলা বাহুল্য যে কোন কালেকশনেই ‘জনি ডোন্ট ক্রাই’ এই গানটা থাকতো।
তবে গানটার ইতিহাস জানতাম না, জানতাম না গায়কের পরিচয়টুকুও। অনেক ধন্যবাদ গানটার ইতিহাস আমাদের জানানোর জন্য।
নস্টালজিক যখন হয়ে গেছিই কি আর করা, স্মৃতি থেকে টেরি জ্যাকস এর আমার একটা প্রিয় গান শেয়ার করলাম …
httpv://www.youtube.com/watch?v=cd_Fdly3rX8
দারুন ভাললাগে এই গানটাও!
@অভিজিৎ,
আরেক খানা দেখি পাওয়া গেল। একটা ভিন্ন বিভাগ বানিয়ে ফেললেই হয় যার যার সংগ্রহ থেকে এমন রত্ন জড়ো করে।
গানটা প্রথমে ধরতে পারিনি, তবে যেই We have joy we have fun শুরু হল আর যায় কোথায়! আমার স্ত্রী আবার বলছে ওদের ভিকারুন্নেসায় নাকি ক্লাস টেন এর ফেয়ারোয়েলে এই গান অবধারিতভাবে বাজানো হত। যোগটা ঠিক বুঝলাম না।
ইংরেজী গানগুলি কপিরাইট সমস্যার কারনে হিন্দীর মত ত সহজে আগে পাওয়া যেত না। ইউটিউব সে সমস্যা দূর করে দিয়েছে। সেই আমলের Abba, BoneyM, Carpenters, BeeGees, Air Supply, John Denver সবার গানই নামিয়ে নিজে খুশীমত সিডি বানিয়ে নিয়েছি।
আমিও আর বাদ যাই কেন? দিলাম একটা লাগিয়ে। Al Stewart er; On the Border. সম্ভবত স্প্যানিশ বিদ্রোহের উপর গাওয়া, তবে কথা বড় নয়। কেন যেন ভাল লাগত গানটা সবসময়। গানটা কার, কথাও ঠিক মত জানতাম না। ইউটিউবে একটু পরীক্ষা করতেই কদিন আগে মাত্র পেয়ে গেছিলাম।
httpv://www.youtube.com/watch?v=Cv5qLEYoSHM&feature=related
@অভিজিৎ,
অসাধারণ লাগলো।
@অভিজিৎ,
তোমার টেরি জ্যাকসতো দেখি আমারও মাথার মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে।
আমাদের গানের রুচি ও সেই সাথে মনের পরিধি বাড়াতে ফরিদ সাহেবের ব্যতিক্রম ধর্মী এই লিখাটি পড়তে হবে এবং সেই সাথে কান্ট্রি সঙ্গীত সহ ব্লুজ, জ্যাজ, ব্লুগ্রাস, এমন কি গোস্পেল্ গানও শুনতে হবে। মার্কিনমুল্লুকের কান্ট্রি মিউজিক অত্যন্ত সুরেলা। প্রায় প্রতিটি গানে একটা মিনি স্টোরি বা কাহিনী থাকে। পশ্চিমী ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতে বা জ্যাজ মিউজিকে সেমনটি নয়। মুক্তমনায় এই টাইপের লিখা আরো দরকার।
@এ.এইচ. জাফর উল্লাহ,
জাফর ভাই,
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো এবং ভরসা পেলাম। লেখাটি পোস্ট করার সময় দ্বিধাগ্রস্থ ছিলাম। এখন আর সেটা নেই। এ লেখার অনুপ্রেরণাও মূলত এসেছে আপনার একটি লেখা থেকে। অজয় চক্রবর্তীর গাওয়া হরিণারে নিয়ে একটি অসাধারণ লেখা লিখেছিলেন আপনি। খুব সম্ভবত মুক্তমনায় সঙ্গীত নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটেছিল ওই লেখা দিয়েই।
আসলেই মুক্তমনায় সাহিত্য, শিল্পকলা, চলচ্চিত্র, কবিতা, সঙ্গীত নিয়ে আরো আরো বেশি লেখা আসা উচিত।
এই গানটি আপনার জন্য।
@ফরিদ ভাই,
হরিণারে অজিত চক্রবর্তীর গান নয়। এটা পাতিয়ালা ঘরানার পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর একটা রাগপ্রধান গান। মজার ব্যাপার হচ্ছে অজিত চক্রবর্তী ,অজয় চক্রবর্তীর বাবার নাম,যিনি পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী নন! 🙂
@আগন্তুক,
ধন্যবাদ আগন্তুক আমার উপর পুলিশী নজর রাখার জন্য। :yes: ওটা টাইপো ছিল। 🙂 ঠিক করে দিচ্ছি।
ফরিদ ভাই,
আপনি তো মানুষকে নষ্টালজিক করে দেওয়ায় রীতিমত পিএইচডি করে বসেছেন মনে হয়।
একদিন লিটল হাউজ অন দ্যা প্রেইরী, আজ Joni, Joni please don’t cry। আমি গানটার পুরো জানতাম না, আমার ধারনা ছিল গানটা শুরুই হয়েছে এখান থেকে। কিন্তু টেক্সট এর প্রথম দুটো লাইন পড়েই কিভাবে যেন বুঝতে পারলাম এটা সেই গানটাই হতে বাধ্য।
আমি যখন ৪/৫ এ পড়ি তখন বড় ভাই বোনদের দেখতাম বিভোর হয়ে এই গান শুনে যেতে, সেসময় প্রেমের জগতের অতি প্রাথমিক বিদ্যা দিয়ে তাদের আলাপ আলোচনায় বুঝেছিলাম ঘটনা কি। সেই নিদারুন ট্র্যাজ়েডি আমাকেও স্পর্শ করত। যদিও জানতাম না কারা সেই মহান শিল্পী। এত সুন্দর প্রেমের গান মনে হয় খুব কমই শুনেছি।
গানটা মনে হয় আজ ২৭/২৮ বছর পর আবার শুনলাম। অনেক ধণ্যবাদ। সিডিতে ভরে ফেলছি। ইউটিবের এই সুবিধে, চোর সাব্যস্ত করার কেউ নাই।
@আদিল মাহমুদ,
বয়স যত বাড়ছে ততই কেন যেন স্মৃতিকাতরতায় ভুগছি ইদানিং, স্মৃতিবিধুরতা এসে জমা হচ্ছে মনের মাঝে। এক সময় যে সমস্ত জিনিসকে পাশ কাটিয়ে এসেছি তেমন কোন আমল না দিয়ে, এখন এসে উপলব্ধি করছি কী একেকটা হীরক খন্ডই না ছিল সেগুলো। হীরণ্ময় সেই স্মৃতির টুকরোগুলোকে আবার ফিরে পেতে খুব ইচ্ছা করে। হুট করে যখন পেয়ে যাই তখন যে কী বিচিত্র অনুভূতি হয় তা বলে বোঝানো যাবে না।
কনওয়ে টুইটি আর তার মেয়ে জনি লি গানটির জন্মের দুই বছর পরে একটি লাইভ প্রোগ্রামে এক সাথে গেয়েছিলেন এই গানটি। আপনার জন্য এখানে তুলে দিলাম।
httpv://www.youtube.com/watch?v=I0fle64w2IU
@ফরিদ আহমেদ,
অসাধারন। আগের চৈনিক ভার্ষনে আসল লোকদের না দেখার খেদটা মিটে গেল।
শুনলেই মনে হয় আবারো প্রেমের জগতে প্রবেশ করি। 🙂
চানাচুর মার্কা পোস্টকে চানাচুর মার্কা মনে হলো না। গান ভাল লেগেছে।
@মণিকা রশিদ,
ধন্যবাদ মণিকা। লোকজন যেহেতু গান নিয়ে মেতে উঠেছে। তুমি ইচ্ছা করলে তোমার পছন্দের গান বা তোমার নিজের গাওয়া গানও শুনিয়ে দিতে পারো সবাইকে।