বিশ্ব তথ্য ভান্ডার(ডাটা সেন্টার) এর নিরাপত্তা প্রধান মিঃ জেন তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তার বেষ্টনী পেরিয়ে এই মাত্র ইলিভেটর থেকে উদ্বিগ্ন চোখে নামলেন ডাটা সেন্টার এর প্রধান কন্ট্রল রুম এ।মিঃ জেন – সুঠাম,লম্বা, গাঢ় চাহনীর এই আতিশয় কর্তব্যপরায়ণ ব্যাক্তি এতটাই ঠান্ডা মাথার যে, জন্মের পর থেকে এখন পর্যন্ত কেউ নাকি তাকে ভ্রু কুঁচকানো কিম্বা উদবিগ্ন আবস্থায় দেখেনি।কিন্তু আজকে স্বয়ং মিঃ জেন, দুশ্চিন্তায় ছটফট করছেন, ঠিক মত চিন্তা পর্যন্ত করতে পারছেন না। বিশ্ব তথ্যভান্ডার এর নিশ্ছিদ্র ১ ট্রিলিয়ন এরও বেশি ফায়ারওয়াল আর তিন স্তরবিশিষ্ট স্বয়ংস্বম্পুর্ণ নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেঙ্গে কিছু হ্যাকার প্রধান কম্পিউটার এর কন্ট্রোল নেয়ার চেষ্টা করছে। আর এই ডাটা সেন্টার হচ্ছে আজকের সভ্যতার প্রধান উপকরণ। এখনে মানুষ কোনো ইনফরমেশন তার ব্রেন এ রাখে না।সব মানুষের ব্রেন এ একটা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র লাগানো আছে, যেটা ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক দিয়ে সরাসরি এই কেন্দ্রিয় ডাটা সেন্টার এর সাথে কানেক্টেড। যে কোনো ইনফরমেশন এর জন্য ব্রেন এ লাগানো যন্ত্রটি সরাসরি যোগাযোগ করে প্রধান ডাটা সেন্টারে আর দ্রুত গতির ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক দিয়ে মুহুর্তে পেয়ে যায় তার কাংখিত ইনফরমেশন।ব্রেন এ লাগানো প্রতিটি যন্ত্রের একটি আইডি এবং পাসওয়ার্ড আছে যেটা স্ব্যংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় প্রধান ডাটা সেন্টার এ রাখা সেন্ট্রাল কম্পিউটার দিয়ে। যখন সেন্ট্রাল কম্পিউটার এ কোনো ব্রেন ডিভাইস থেকে রিকুয়েস্ট আসে, প্রথমেই সেন্ট্রাল কম্পিউটারের “ইউজার চেক” মডিউল, ব্রেন ডিভাইসটির আইডি পাসওয়ার্ড চেক করে।ডিভাইসটির আইডি,পাসওয়ার্ড যদি সেন্ট্রাল কম্পিউটার এ রাখা আইডি,পাসওয়ার্ড এর সাথে মিলে, তবেই শুধু সেন্ট্রাল কম্পিউটার, ডিভাইসটির চাওয়া ইনফরমেশন পাঠায়, আন্যথায় নয়। কোনোভাবে যদি এই ইউজার ডাটাবেজটিকে মুছে কিম্বা পরিবর্তন করে দেয়া যায়, কিম্বা সেন্ট্রাল কম্পিউটার এ রিকুয়েস্ট আসলে যদি কোনোভাবে সেন্ট্রাল কম্পিউটার এর “ইউজার চেক” মডিউল থেকে “ইন্যভালিড ইউজার” সিগনাল পাঠানো যায়, তাইলেই কেউ আর কোনো ইনফরমেশন একসেস করতে পারবে না। আর যদি ইনফরমেশন একসেস না করতে পারে তবে পুরো বিশ্ববাসী হয়ে পড়বে নির্জীব জড় বস্তুর মত। কারণ মানুষের ব্রেন এর কর্মক্ষমতা বারানোর জন্য ব্রেন ডিভাইসটি মানুষের ব্রেন এ বসানোর সময়, ব্রেন এর পুরো ইনফরমেশন মুছে দেয়া হয়েছে এবং যাতে নত্নন সমস্ত ইনফরমেশন, মানুষের ব্রেন এর পরিবর্তে সেন্ট্রাল কম্পিউটার এ লোড হয় তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সুতরাং ব্রেন ডিভাইসটি যদি সেন্ট্রাল কম্পিউটার থেকে পজিটিভ রিপলায় না পায় তাহলে বিশ্বের সমস্ত মানুষ হাটাচলা পর্যন্ত করতে পারবে না। সমস্ত যোগাযোগ মডিঊগুলো আকেজো হয়ে পড়বে। মানুষ তার সমস্ত কন্ট্রোল হারাবে। আর হ্যাকারদের গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে এরা সেন্ট্রাল কম্পিউটার এর “ইউজার চেক” মডিউলটাকেই কিছু করতে চাচ্ছে।

মিঃ জেন দ্রুত পায়ে,প্রকান্ড একটা রুমের মাঝখানে রাখা কোয়ার্টজের তৈরি গোলাকার ট্রান্সপারেন্ট একটা টেবিলের পাশে যেয়ে দাড়াতেই একটা রোবট লেফট রাইট এর মত করে কাছে এসে তার যান্ত্রিক স্বরে বলল,”শুভ সকাল স্যার, সেন্ট্রাল ডাটা সেন্ট্রারে আপনাকে স্বাগতম।আপনার ব্লাড প্রেসার আর হার্টবিট এখন নরমালের চাইতে ১০ গুন বেশি যা আপনার রাগান্বিত আর উদবিগ্ন হওয়া প্রকাশ করছে।এই হারে আপনার ব্লাড প্রেসার বারতে থাকলে আপনারে ব্রেন ফেল করতে পারে,যা আপনার জীবনের জন্যে ৪০ শতাংশ ঝুকিপুর্ণ।স্যার আমি কি আপনাকে কোনোভাবে সাহায্য করতে পারি”। মিঃ জেন আত্যন্ত বিরক্ত হলেন। কিন্তু কোন উপায় নাই, এই রোবোটগুলো ওদের নিয়মের বাইরে একটুও কিছু বলবে বা করবে না।জেন বললেন, এখনি এই কোয়ার্টজ টেবিলের উপর, মনিটরিং মডিঊল এর আউটপুট টাকে দেখানোর ব্যাবস্থা করে রিমোট লগইন মডিঊল টা আন কর এবং গত ২৪ ঘন্টার গ্রাফসহ বিস্তারিত মনিটরিং রিপোর্ট, আমাকে দেখাও।“ধন্যবাদ স্যার।আপনার কমান্ডটি সম্পন্ন হতে ০.০০১ মিলি সেকেন্ড সময় লাগবে। আনুগ্রহ করে আপেক্ষা করুন”। টিট টিট করে এক মুহুর্ত শব্দ হয়ার পর আবার রোবোটটি তার যান্ত্রিক কন্ঠে বলল, “আভিনন্দন মিঃ জেন, আপনার কাজটি সফলভাবে শেষ হয়েছে।ধন্যবাদ।”…মিঃ জেন এর দুশ্চিন্তাই এমনিতেই মাথা ঘুরাচ্ছে, তার উপর এইসব আহেতুক রোবোটিক আভিনন্দন তার খুবই আসহ্য লাগছিল। মিঃ জেন,পাশে রাখা কমুনিকেশন মডিউলটা আন করে ডাটা সেন্টারের রোবোটিক সারভেন্ট ডিপার্টমেন্টের হেড মিঃ হ্যানসন কে নক করলেন।মুহুর্তের মধ্যে একটা হ্যাংলা,রুক্ষ চেহারার ছবি ভেসে উঠল যোগাযোগ মডিউলটির পর্দায়।মিঃ হ্যানসন স্বাভাবিক গলায় বললেন, “শুভ সকাল মিঃ জেন।বলুন আপনার জন্য কি করতে পারি।” উফফ!! রোবোটদের সাথে থেকে থেকে এই লোকটিও রোবোটদের মত হয়ে গেছে, মিঃ জেন ভাবলেন এবং মুখে উচ্চারন করলেন, ”মিঃ হ্যানসন, মনিটরিং মডিউলে এক্সপার্ট খুব বুদধিমান একটা রোবোট পাঠিয়ে দিন প্লীজ, তবে দয়া করে রোবোট টার ওয়েলকাম এবং নটিফিকেশন মডিউলটা সাময়িকভাবে আফ করে দেবেন”। “ঠিক আছে মিঃ জেন আমি এক্ষুনি ব্যাবস্থা নিচ্ছি,ধন্যবাদ” বলে যোগাযোগ মডিউল টা আফ করে দিলেন।

শহরে যোগাযোগ ব্যাবস্থার সবচাইতে সহজ এবং দ্রুত মাধ্যম ট্রেন।এই ট্রেনগুলো আনেক আধুনিক এবং আত্যন্ত দ্রুত গতিসম্পন্ন। ট্রেন লাইন এর চারদিকে পুরোটা ভ্যাকুউয়াম তৈরি করা হয়েছে,এই ভ্যাকুউয়াম এর ভিতর দিয়ে চলে ট্রেন ।ভ্যাকুয়াম হওয়ার কারণে বাতাসের বাধা নাই এবং নিউটনের “গতিশীল বস্তু চিরকাল গতিশীল থাকবে” সুত্রটিকে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়েছে- ফলে একবার দ্রুত গতিতে ধাক্কা দিলেই, যে বেগ লাভ করে সেই শুরুর বেগেই ই এটা যতক্ষন পর্যন্ত বাহ্যিক বল প্রয়োগ করে না থামানো হচ্ছে, শুরুর বেগে এটা চলতেই থাকে। উপরন্তু ঘর্ষনের বাধা আতিক্রম করার জন্যে আছে আরো আভিনব কায়দা। ট্রেন যখন চলে ট্রেন এর লাইগুলোতে স্বয়ংক্রিয় ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরির মাধ্যমে লাইনগুলোকে উত্তর মেরুতে রুপান্তরিত করা হয়। আর ট্রেন এর চাকা সবসময়ই উত্তর মেরু থাকে। ট্রেনের লাইনের এই উত্তর মেরু এবং ট্রেনের চাকার এই উত্তর মেরু পরস্পরকে বিকর্ষন করে একটা নির্দিষ্ট দুরুত্বে পরস্পরকে স্পর্শ না করে থাকে। ট্রেন এর চাকা এবং ট্রেন লাইন যেহেতু পরস্পরকে স্পর্শ না করে চলতে থাকে সেহেতু কোনো ঘর্ষন তৈরি হয় না। ফলে ট্রেনটি কোন বাধা ছড়াই দ্রুতগতিতে চলতে থাকে। পুরো প্রিথিবীর পরিধি একবার ঘুরে আসতে এর মাত্র ৭ সেকেন্ড সময় লাগে। এমনিই এক শব্দহীন ট্রেনের এক্কেবারে শেষ কামরাটা ৪ জন যুবক পুরো একদিনের জন্য রিজার্ভ নিয়েছে।এবং যাতে পুরো ২৪ ঘন্টা কেউ এই রুমে ঢুকতে না পারে এমনকি চেকিং এর জন্যও যাতে কেউ না ঢুকতে পারে তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।আর সেটা সম্ভব হয়েছে ওদের টিম লিডার ম্যাক এর তীক্ষ্ণ বুধধির জোরে। রিমোট মনিটরিং রুম এ যাতে ইনভ্যালিড কিম্বা ব্যাড সিগন্যাল না যায় সে জন্য সিগ্যাল ডিটেক্ট্রেরে একটা কন্স্ট্যান্ট পজিটিভ সিগন্যাল দিয়ে রাখা হয়েছে।তাদের পামটপে লাগানো হয়েছে শক্তিশালী সিগন্যাল ফিল্টার যাতে করে কোনো মনিটরিং সিগন্যাল তাদের পামটপকে ডিটেক্ট করতে না পারে। এমনি নিঃছিদ্র নিরাপত্তার আপন জাল বুনে ৪ জন আত্যন্ত মেধাবী যুবক স্বপ্ন দেখছে পুরো বিশ্ববাসী এবং বিশ্ব দুটোকেই হাতের মুঠোয় নেয়ার। তাদের লক্ষ্য বিশ্ব তথ্য ভান্ডারের ইউজার আথেনটিকেশন মডিউল এর কন্ট্রল নেয়া। একবার পুরা ডেটাবেজ এর এডমিন কন্ট্রল পেয়ে গেলেই বিশ্বের রাজা হওয়া তাদের ১ সেকেন্ড এর ব্যাপার।ট্রিলিয়ন গিগা হার্য এর চাইতেও দ্রুত যার মাথা চলে, আনেক বড় বড় প্রাইম নাম্বার কিম্বা ৭৭ ঘর পর্যন্ত পাই এর মান বের করতে যার ১ সেঃ ও লাগে না এমনি এক দুর্ধষ ব্রেনি,তীক্ষ্ণ বুধধির যুবক মিসকট।সেই মিসকট আত্যন্ত ঠান্ডা মাথায়, স্পর্শকাতর পামটপের মনিটর এ, দ্রুত হাতে স্পর্শ দিয়ে,লজিকের এ গলি ও গলিতে খুজে চলেছে, বিশ্বতথ্যভান্ডারের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ভেঙ্গে, এডমিন কন্ট্রল নেয়ার জন্য।তাকে সাপর্টিং ইনফরমেশন দিয়ে সাহায্য করছে আর এক সুপার কম্পিউটার এর চাইতেও বেশি শক্তিশালী,প্রাণচ্ছল যুবক কেন।মিসকট এবং কেন যে ডাটা দিচ্ছে, তা মুহুর্তের মধ্যে এনালাইসিস করে চলেছে হ্যাকিং জগতের আর এক আপ্রতিদন্ধী মহানায়ক এ্যলিন।আর সমস্ত বিষয়টি তদারকি করা এবং বাইরের শক্তি থেকে হ্যাকিং এর জন্য চালানো সমস্ত প্রসেস আইসোলেট করে সিকুঊর রাখারা গুরু দায়িত্ব আত্যন্ত চতুরভাবে পালণ করে চলেছে তাদের দলনেতা ম্যাক।“ইয়েসসস!!ম্যাক আমরা ওদের সার্ভারে ঢুকে পড়েছি।”-উল্লাসিত স্বরে মিসকট বলল। কেন ম্যাক এর দিকে তাকিয়ে বলল- “কিন্তু এখন যে ডাটা,আমাদের প্রসেসটি রিটার্ন করছে, তাতে দেখাছচ্ছে এই মাত্র একটা এন্টি প্রসেস আমাদের প্রসেস টিকে কিল করল। কিন্তু আমরা তো আমাদের প্রসেস, হাইড করে রান করলাম, ওরা কিভাবে আমাদের প্রসেস ডিটেক্ট করল?”…ম্যাক জিজ্জেস করল,”মিসকট, প্রসেস আই ডি হাইড করার জন্য কোন এলগরিদম ব্যাবহার করেছ?”…”প্রাইম উয়িথ পাই”- মিসকট জবাব দিল।“আচ্ছা, এলগরিদমটা পরিবতর্তন করে নেক্সট জেনারেশনের এলগরিদম গুলো দিয়ে চেক করতে থাক।”- আদেশের সুরে ম্যাক ঘোষনা করল।

একটা বড় টাচ স্ক্রিন টেবিলের পাশে বসে গভীর মনযোগের সাথে ডাটা সেন্টারের প্রধান কম্পিউটরটি পর্যবেক্ষন করে চলেছেন মিঃ জেন।পাশে দাঁড়িয়ে মনিটরিং এর প্রয়োজনীয় ডাটা সরবরাহ করে চলেছে “ডাবল এ” ক্লাসের আত্যন্ত বুধধিমান একটা রোবট।মিঃ জেন এই মাত্র আংগুলের খোচাই আর একটা ক্ষতিকর প্রসেসকে মারল।কিন্তু দুশ্চিন্তার বিষয় হল, সিস্টেমে ইন্সটল করা আত্যন্ত বুধধিমান এন্ট্যি স্প্যাম কিম্বা হার্মফুল প্রসেস ধংসের জন্য রাখা আসংখ্য মোবাইল প্রসেসের, একটিও এটাকে হার্ম প্রসেস হিসাবে ডিটেক্ট করছে না- বরং তাদের গতিবিধি দেখে মনে হছে যে, তারা এই হার্ম প্রসেসগুলোকে ইনহেরিটেন্স এর মাধ্যমে সাহায্য করছে।“উউফফ এই প্রসেস গুল ওদের সাহায্য করছে কেন?”- আধৈর্য গলাই চিল্লানোর স্বরে মিঃ জেন কাউকে উদ্দেশ্য না করেই বলে উঠলেন এবং দেখতে পেলেন পাশে দাঁড়ানো রোবোটটির ভয়েস ইন্ডিকেটরটি কিছু বলার জন্য জ্বলছে নিভছে।মিঃ জেন রোবোটটির ভয়েস এনাবল সুইচটা আন করতেই যান্ত্রিক স্বরে রোবোটটি বলে উঠল, “ভয়েস মডিউলটি আন করার জন্য ধন্যবাদ স্যার।আপনার জন্য একটা ইনফরমেশন আছে।আপনি কি সেটা শুনতে চান স্যার?”। মিঃ জেন মনে মনে ভাবলেন গর্ধভ, না শুনতে চাইলে কি আন করতাম, আর মুখে উচ্চারন করলেন,”ইয়েস”। রোবোটটি আবার তার স্পিকার থেকে ঘোষনার মত করে বলল,”আমাদের মোবাইল প্রসেসগুলোতে যে ফ্রেন্ড ফাংশন আছে, যেটা আমাদের মনিটরিং প্রসেস ব্যাবহার করে, সেটা ওই স্প্যাম প্রসেসগুলো গত ৩০ সেকেন্ড ধরে ব্যাবহার করছে। এই ফ্রেন্ড ফাংশন ব্যাবহার করার জন্য, আমাদের মনিটরিং প্রসেসগুলো যে ফ্রিকুয়েন্সিতে মেসেজ পাঠায়, এই স্প্যাম প্রসেসগুলো ও একই ফ্রিকুয়েন্সিতে সিগন্যাল পাঠাচ্ছে।ফলে ফ্রেন্ড ফাংশনগুলো এটাকে ভ্যালিড সিগন্যাল হিসেবে ডিটেক্ট করছে।ধন্যবাদ”। মিঃ জেন উদবিগ্ন চোখে আবার মনিটরিং স্ক্রিনের দিকে তাকালেন এবং আরো আবাক এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। কারণ এতক্ষন যে প্রসেসগুলো দেখা যাচ্ছিল সেগুলো এখন আর দেখা যাচ্ছে না।কিন্তু প্রসেস কাউন্টার ডিটেক্টরটি দেখাচ্ছে, প্রয়োজনের চেয়ে আনেক বেশি প্রসেস এক্সিকিউট হচ্ছে এবং তা দ্রুত বেড়েই চলেছে। মিঃ জেন আর ভাবতে পারছেন না কিছু।তিনি দ্রুত নির্দেশ দিলেন,”এই সগন্যালগুলো কোথা থেকে আসছে তা ব্যাক ট্রাক করো।” ৫ সেকেন্ড পর রোবোট টি জানাল, এই সিগন্যালের প্রধান সোর্স বোঝা যাচ্ছে না।একটা আতি দ্রুত চলমান কোনো কিছু থেকে সিগন্যালটি আসছে, এবং সোর্সটি আতি দ্রুত গতিতে গতিশীল বলে সঠিক স্থানাংক পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এটুকু বোঝা যাচ্ছে যে, সিগন্যালটি প্রিথিবী থেকে আসছে এবং এটা একটা ট্রেন লাইনে যেয়ে আটকিয়ে যাচ্ছে।ট্রেন লাইনটি আতিক্রম করছে না।আবার কিছু সময় পর পর সিগন্যালটির গতি পথ পরিবর্তন করে শুন্য থেকে আসছে মনে হচ্ছে। মিঃ জেন ইনফরমেশনগুলো পাওয়ার পর দ্রুত ভাবছেন, ট্রেন লাইন ভ্যাকুঊয়াল, ভ্যাকুঊয়াম থেকে কিভাবে সিগন্যাল পাস হচ্ছে।নাকি শুন্যের সিগন্যালটি মিস গাইড করার জন্য ট্রেন লাইনের দিকে দেয়া হচ্ছে।নাকি উল্টাটা।

“ম্যাক, আমরা সফল ভাবে আমাদের স্প্যাম প্রসেসগুলো ডাটা সেন্টারের প্রধান কম্পিউটারে ইন্সটল করতে সক্ষম হয়েছি।এখন এডমিন পারমিশনসহ আমাদের স্প্যাম প্রসেস গুলো এক্সিকিউট হচ্ছে এবং দ্রুত আনুলিপি তৈরি করে চলেছে।”- উল্লসিত কন্ঠে মিসকট বলল। ম্যাক আদেশের স্বরে, এ্যলিনকে উদ্দেশ্য করে বলল- “দ্রুত আমাদের হ্যাকিং কুয়েরী গুলো চালিয়ে দাঊ”…১সেঃ আতিবাহিত হয়ে গেল, কিন্তু এ্যলিন আদেশ মানছে না। ম্যাক রাগান্বিত স্বরে জানতে চাইল,”কি ব্যাপার এ্যলিন? তুমি কুয়েরী গুলো এক্সিকিউট করার কমান্ড দিচ্ছ না কেন?”… হতাশার স্বরে এ্যলিন জবাব দিল, “ম্যাক! প্রসেসগুলো আমাদের কমান্ড মানছে না।”… সবাই বিস্মিত হয়ে ম্যাকের হাতে থাকা পামটপের স্ক্রিনের উপর তাকিয়ে আছে। পামটপের সিগন্যাল মনিটরিং মডিঊলে দেখাচ্ছে, স্প্যামগুলোর কমান্ড লাইনের সিগন্যাল, ডিসকানেক্টেড হয়ে গেছে এবং স্প্যামগুলো একটা ট্রিলিয়ন রেঞ্জের কমান্ড ফ্রিকুয়েন্সী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে যে ফ্রিকুয়েন্সী জেনারেট করা প্রথিবীতে সম্ভব নয়। এবং মনিটর এর স্ক্রিনের নিচে একটা লাল কালি দিয়ে ওয়ারনিং আসছে, এত হাই ফ্রিকুয়েন্সি মনিটর করাতে এর সার্কিটের মুল আংশের, ৮০% ক্ষতি হয়েছে এবং এই মডিউলটি আর ১ সেঃ পর সম্পুর্ণরুপে ডিসকানেক্টেড হয়ে যাবে। সবাই যখন ভাবছে কি করা যায় ওই সময় ম্যাক এর চোখে আরো একটি এক্সট্রা ইনফরমেশন ধরা পড়ল, সিগন্যালটি শুন্য থেকে আসছে এবং সাথে সাথে মডিউলটি থেকে একটা মিথেন গ্যাসের মত ঝাঝালো গন্ধ বের হয়ে মডিউলটি আফ হয়ে গেল, এবং ঐ গ্যাস নাকে যেতেই চার জন ই আচেতন হয়ে পড়ল।