গোড়া ধর্মীয় এবং সৃষ্টিতত্ত্ববাদী ইন্টারনেট সাইটগুলোতে যেন উৎসবের সাড়া পড়ে গেছে। যাক, দেড়শ’ বছর পরে বিশ্বমানবতার শত্রু ওই ব্যাটা ডারউইনকে ভুল বলে প্রমাণ করা গেল। প্রায় ৪৪ লক্ষ বছর আগে মরে যাওয়া প্রায়-মানুষ আর্ডির (ardipithecus ramidus) ছবিতে মালা লাগিয়ে ডিসকভারী ইন্সটিটিউট বা আল জাজিরার অফিসে ঝুলিয়ে দিলেও কিন্তু অবাক হবার কিছু থাকবে না। এতগুলো বছর ধরে, লক্ষ লক্ষ ডলার ঢেলে, বিহের মত পিএইচডি-ওয়ালারা যা করতে পারেনি, আর্ডির মত একটা ৪৪ লক্ষ বছরের মরে পচে ভুত হয়ে যাওয়া খুব সাধারণ মহিলা তা করে দেখিয়ে দিল! খ্রীষ্টান মোল্লারাদের তো এখন পোয়া বারো, ভারজিন মেরীর পরে ‘হোলি আর্ডি’র উদয় কি যা তা ঘটনা!
এত দিন ভাবতাম, আমাদের ওদিককার মোল্লারা এসব বিবর্তন-ফিবর্তন বোঝেও না, খুব বেশি হলে ‘জোকার’ নায়েকের মত দুই একটা লোক বিবর্তন নিয়ে কিছু না জেনে না শুনে বোকার মত মন্তব্য করে বসে। এদের কথাগুলো শুনতেও এত হাস্যকর যে, এ নিয়ে বেশী মাথা ঘামানোর কোন দরকার নেই। কিন্তু আবারও আমাকে ভুল প্রমাণ করে ( যেটা মোটেও কোন বিরল ঘটনা নয় 🙂 ) দিয়ে উদয় হলেন আল-জাজিরা, যাকে অনেকেই মনে করেন মধ্যপ্রাচ্যের এবং মুসলিম বিশ্বের বেশ উদার দৃষ্টিভঙ্গীসম্পন্ন একটা পত্রিকা। আল জাজিরা আর্ডির খবর প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথেই ফলাও করে প্রচার করে বসলো যে, নাহ এতদিনে পশ্চিমা বিশ্বের বিপথগামী পাপী বিজ্ঞানীরা তাহলে হুশ ফিরে পেয়েছেন, এবং তারা এখন স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন যে ডারউইনের দেওয়া মানুষের উৎপত্তি এবং বিবর্তনের বস্তুবাদী ব্যাখ্যাটা আসলেই ভুল ছিল ! [i]
আমিও ভাবি, একরকমভাবে ভালোই হল! প্রথমতঃ বিবর্তন নিয়ে আমার আর অযথা লেখালেখির দরকার নেই, আর ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ বইটার প্রকাশককে বলতে হবে বাজার থেকে বইটা উঠিয়ে নিতে, তাহলেই তো সব ল্যাঠা চুকে যাবে। সারা পৃথিবীর সব জীববিজ্ঞানীরা এবার ল্যাব থেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে বাড়ি চলে যেতে পারে। স্কুল কলেজের সব জীববিজ্ঞানের বইগুলো আবার না হয় নতুন করে লিখতে হবে, একটু ঝামেলা হলেও সে আর এমন কি! ওদিকে বেশীরভাগ ওষুধের কোম্পানীগুলোর ব্যাবসাও লাটে উঠবে, বিবর্তনের তত্ত্বের উপর ভিত্তি না করে নাকি আজকার বেশীরভাগ ওষুধই তৈরি করা সম্ভব হয় না! কিন্তু মানব সভ্যতার এত বড় একটা ভুল তো সংশোধিত হবে -এর কাছে এসব ছোটখাটো অসুবিধা তো নিতান্তই তুচ্ছ! আমরা আবার চোখ বুঝে শুধু ডারউইন-পূর্ব কেন কোপার্নিকাসেরও আগের যুগে ফিরে যেতে পারি – ফ্ল্যাট আর্থ, ডাইনী পুড়ানো, স্থির প্রজাতি তত্ত্ব, ছয় হাজার বছর আগের প্রথম মানুষ আদম আর হাওয়া, গন্ধম ফল……… এসবের কোনটাকেই আর বাদ দেওয়ার দরকার কি?
বিবর্তন কি তাহলে আদৌ ঘটছে?
কিন্তু আমার এই সুখী কোপার্নিকাসের আগের যুগে প্রত্যাবর্তনের সাধু উদ্দেশ্যে আবারও বাধ সাধলো সেই পুরনো পথভ্রষ্ট(!) বিজ্ঞানীর দলঃ)। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, সিএনএন সহ বিভিন্ন চ্যানেল এ টুকরা টুকরা খবর পড়লাম, কিন্তু কোথাওই বিজ্ঞানীদের নাকে খত দিয়ে ‘এত্তবড়’ ভুল স্বীকার করতে দেখলাম না, বরং উল্টোটাই শুনলাম কয়েকদিন ধরে। ইংরেজীতে একটা কথা আছে ‘ফ্রম দ্যা হরসেস মাউথ’, যার অর্থ হচ্ছে কোন খবরের উৎস থেকে সরাসরি শোনা। তাই যখন ডিস্কভার চ্যানেল এ আর্ডির ওপর যখন ২ ঘন্টার ডকুমেন্টারীর কথা শুনলাম, তখন ভাবলাম যাক এবার তাহলে ‘স্বয়ং ঘোড়া’ দের মুখ থেকেই আসল কথাটা শোনা যাক। বিজ্ঞানীরা যারা আর্ডির ফসিল খুঁজে পেয়েছেন এবং প্রায় ১৫ বছর ধরে তা নিয়ে গবেষণার কাজে ব্যাস্ত আছেন তাদের কাজ এবং তার বিশ্লেষণ নিয়ে এ অনুষ্ঠান। তারপর আবার না চাইতেই এক কাঁদি – ২ ঘন্টার এই অনুষ্ঠানের পরে আবার এই বিজ্ঞানীদের নিয়ে এক ঘন্টার এক আলোচনা সভা। কিন্তু কোথায় কি? কেউ তো নাকে খত দিচ্ছে না, তওবাও করছে না, বরং বুক ফুলিয়ে ব্যাখ্যা করছে আর্ডি কিভাবে ডারউইনের দেওয়া বিবর্তনতত্ত্বকে আরও জোরদারভাবে ব্যাখ্যা করছে এবং আমাদের চোখের সামনে মানুষের বিবর্তনের ইতিহাসকে আরও পরিষ্কারভাবে তুলে ধরছে।
তাহলে কেন বলা হচ্ছে, ডারউইনের প্রস্তাবিত বিবর্তন তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করেছে আর্ডি? পৃথিবীর তাবত জীব কি তাহলে বিবর্তনের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এখানে আসেনি? তারা কি তাহলে প্রত্যেকে আলাদা আলদাভাবে ‘সৃষ্টি’ হয়ে পৃথিবীতে এসে জুটেছে……এরকম প্রশ্নগুলো যে আজকে একবিংশ শতাব্দীর প্রথমে বসে করতে হচ্ছে সেটা মেনে নেওয়াই কষ্টকর। কিন্তু কি আর করা, আল-জাজিরার মত তথাকথিত ‘শিক্ষিত’ সংবাদ সংস্থা যদি এরকম মিথ্যা খবর প্রচার করে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে তাহলে দুঃখজনক হলেও একে খন্ডন করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আজকে বিজ্ঞানীদের সামনে এই প্রশ্নটা পৃথিবী কি আসলেই সূর্যের চার পাশে ঘুরছে এমন প্রশ্ন করারই সামিল।
নাহ, বিবর্তন তত্ত্ব নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহের উদ্রেক করেনি আর্ডির আবিষ্কার, বরং তাকে আরও বিস্তৃত করেছে।বিজ্ঞানের অন্যতম কুলীন জার্নাল ‘সাইন্স’ এ আর্ডির উপর ১১টি বৈজ্ঞানিক গবাষনা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে এ মাসে। ডিস্কভারী চ্যানেলে যে বিজ্ঞানীরা সাক্ষাতকার দিলেন তারাসহ আন্তজাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন ৪০ জন বিজ্ঞানী লিখেছেন এই প্রবন্ধগুলো, আর্ডি সংক্রান্ত তাদের দীর্ঘ ১৪ বছরের গবেষণা এবং সিদ্ধান্তগুলোকে ব্যাখ্যা করে। তারা তাদের এই প্রবন্ধগুলোর সংকলনের ভূমিকাটা (Light on the Origin of Man প্রবন্ধে) শেষ করেছেন এই বলে :
“মানুষের বিবর্তনের অপেক্ষাকৃত আধুনিক পর্বটা সম্পর্কে আমরা বেশ ভাল করে জানি, আমরা এ সময়ের অনেক ফসিল রেকর্ডই খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু আমাদের ইতিহাসের শুরুর সময়টা এবং তারও আগে সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে ভাগ হয়ে যাওয়ার সময়ে এবং ঠিক আগের বনমানুষদের তেমন কোন ফসিল পাওয়া যায়নি। Ardipithecus ramidus আমাদেরকে এই দু’টো সময়ের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে সহায়তা করছে। আর্ডি আমাদেরকে ডারউইনের লেখা ‘অরিজিন অব স্পিসিজ’বইটির শেষ কথাগুলো আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে…
There is grandeur in this view of life, with its several powers, having been originally breathed into a few forms or into one; and that, whilst this planet has gone cycling on according to the fixed law of gravity, from so simple a beginning endless forms most beautiful and most wonderful have been, and are being, evolved.”[ii]
অর্থাৎ, বিজ্ঞানীরা নিজেরাই বলছেন যে আর্ডির এই আবিষ্কার ডারউইনের প্রস্তাবিত বিবর্তন তত্ত্বকেই সমর্থন করছে। তাহলে, আল জাজিরাইয় প্রকাশিত খবরটি শুধুই ভিত্তিহীনই নয় বরং তা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি এক বানোয়াট গুজব ছাড়া আর কিছু নয়। পাশ্চাত্যের ছয় হাজার বছরের পুরনো পৃথিবীতে বিশ্বাসী সৃষ্টিতত্ত্ববাদীদের সাথে আসলে এদের কোনই পার্থক্য নেই।
মানুষ আর শিম্পাঞ্জী কি একই সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে এসেছে?
এবার তাহলে বিবর্তন তত্ত্বের আরেকটু ভিতরে ঢোকা যাক। অতীতে যখনই কেউ ভুল করে বলেছেন যে, মানুষ শিম্পাঞ্জী থেকে এসেছে তখনই শুধু বিজ্ঞানীরা নয়, বিবর্তনের মূল তত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞান রাখা মানুষজন অত্যন্ত সতর্কভাবে তা সংশোধন করে দিয়েছেন। না আমরা সরাসরি শিম্পাঞ্জী থেকে বিবর্তিত হইনি, বরং শিম্পাঞ্জী(এবং বনোবো) এবং মানুষ একই সাধারণ পুর্বপুরুষ থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে যার যার আলাদা পথে বিবর্তিত হয়েছি গত ৭০-৮০ লক্ষ বছরে ধরে। অর্থাৎ, শিম্পাঞ্জী এবং মানুষ নামক প্রজাতি দু’টি একে অপরের নিকটতম আত্মীয় হলেও তারা কেউ একে অপরের থেকে সরাসরি আসেনি বা বিবর্তিত হয়নি। আবার অন্যদিকে, জীববিজ্ঞানে এই দশকের অন্যতম বড় অর্জন হচ্ছে মানুষের জিনোমের পূর্ন সংশ্লেষণ। শুধু তো তাই নয়, পরবর্তীতে ২০০৫ সালে শিম্পাঞ্জীর জিনোমেরও সংশ্লেষন সম্পূর্ণ করা হয়। জিনোম সংশ্লেষন থেকেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, শিম্পাঞ্জী আর মানুষের জিনের মধ্যে প্রায় ৯৮% সাদৃশ্য রয়েছে। অর্থাৎ, শিম্পাঞ্জীরা যে আমাদের নিকটতম আত্মীয় তা নিয়েও কোন সন্দেহ নেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আর্ডির ফসিল কি মানুষের বিবর্তনের ধারার এই মূল ব্যাখ্যা থেকে সরে এসেছে? আমরা কি তাহলে একই সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে আসিনি?
আবারও তাহলে দেখা যাক বিজ্ঞানীমহল কি বলছেন এ প্রসঙ্গে। ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক আর্ডির খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে ‘আর্ডি লাইটস দ্যা ওয়ে’ শিরোনামে মানব বিবর্তনের এই সময়সুচিটা প্রকাশ করে। শিরোনামের ঠিক নিচেই লেখা ছিল,
‘এই নতুন কঙ্কালটি শিম্পাঞ্জী আর আমাদের সর্বশেষ সাধারণ পূর্বপুরুষের বৈশিষ্ট্যগুলোকে আরও খোলাসা করে দিয়ে বিবর্তনের ইতিহাসের একটা গুরুত্বপূর্ন ফাঁক পূরণ করলো। তবে এখনও আরও অনেক অজানা বহু কিছুই আবিষ্কৃত হওয়ার অপেক্ষায় আছে।‘
নীচের সময়সূচীটা[iii] একটু খেয়াল করে দেখলেই এখনকার আধুনিক বনমানুষ বা এপদের সাথে(গরিলা, শিম্পাঞ্জী, বনোবো) মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষদের ভাগ হয়ে যাওয়ার সময়টা পরিষ্কার হয়ে যায়। ৮০ লক্ষ বছর আগে গরিলারা ভাগ হয়ে গেছে আধুনিক মানুষ, শিম্পাঞ্জী এবং বনোবোর সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে। তারপর, ৬০-৭০ লক্ষ বছর আগে, বিবর্তনের ধারায় মানুষের পূর্বপুরুষেরা ভাগ হয়ে গেছে শিম্পাঞ্জী এবং বনোবোর পূর্বপুরুষ থেকে।
ছবিঃ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক মানব বিবর্তনের ধারা (ছবিতে ক্লিক করে বড় করে দেখুন)
এবার তাহলে আবারও দেখা যাক আর্ডির আবিষ্কার এবং গবেষণায় নিয়োজিত বিজ্ঞানীরা নিজেরা কি বলছেন। টিম ডি হোয়াইট, হাইলে সেলাসি, ওয়েন লাভজয় সহ ৭ জন বিজ্ঞানীর সাইন্সএ প্রকাশিত প্রবন্ধ ‘ardipithecus ramidus and Paleobiology of Early Hominids’ শেষ ক’টা লাইন এখানে প্রণিধানযোগ্য,
‘সম্ভবত ar. ramidus এর সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল যে সে ডারউইনের দেওয়া ব্যাখ্যাকে জোড়ালোভাবে পুনপ্রতিষ্ঠিত করেঃ মানুষ শিম্পাঞ্জী থেকে সরাসরি বিবর্তিত হয়ে আসেনি। বরং এসেছে সুদুর অতীতে, মিওসিন যুগে আফ্রিকায় জঙ্গলে বিচরণ করা শিম্পাঞ্জী আর মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে বিবর্তিত হওয়া বিভিন্ন আদিপুরুষ থেকে।’
তাহলে এই মুহূর্তে, এতটুকু অন্তত বলা যায়, বিজ্ঞানীরা আর্ডির খোঁজ পাওয়ার আগে মানব বিবর্তনের মূল ধারা সম্পর্কে যে প্রকল্প দিয়েছিলেন এখনও তাকেই আরও জোরদারভাবে তুলে ধরছেন। বিবর্তনবাদের মূল তত্ত্ব তো বটেই, মানুষ আর শিম্পাঞ্জী যে একই পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হয়ে এসেছে তা নিয়েও সংশয়ের বিন্দুমাত্র কোন অবকাশ নেই।
তাহলে আর্ডি নিয়ে এত হৈচৈ কেন?
ডারউইন এবং হাক্সলী গত শতাব্দীর শেষের দিকে যখন মানব বিবর্তন নিয়ে লেখেন তখন নিয়ান্ডারথাল ছাড়া মানুষের আর কোন প্রজাতির তেমন কোন ফসিল পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারা বিবর্তনের মূল তত্ত্ব এবং সেই সময়ের সীমাবদ্ধ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রস্তাব করেছিলেন যে, আধুনিক বনমানুষ এবং মানুষ সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে যার যার মত বিবর্তিত হয়ে আজকের এই অবস্থানে এসেছে।
তারপর পুরো বিংশ শতাব্দি প্রথম মানুষের বিভিন্ন প্রজাতির ফসিল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে প্রায় ২০-২৫ লক্ষ বছরের পুরনো মানুষের প্রজাতিগুলোকে বিজ্ঞানীরা Homo (আধুনিক মানুষের গণ)র মধ্যে ফেলেন। এদের মধ্যে ইতোমধ্যেই বড় মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে গেছে এবং বিভিন্ন রকমের হাতিয়ারের ব্যাবহারও শুরু হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এই অপেক্ষাকৃত আধুনিক সময়ের ফসিল রেকর্ড থেকে মানুষ এবং শিম্পাঞ্জীর সাধারণ পূর্বপুরুষের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা সম্ভব নয়, কারণ তাদের মধ্যে মধ্যবর্তী বৈশিষ্ট্যগুলো আর অবশিষ্ট নেই, ইতোমধ্যেই তারা আধুনিক মানুষের সব বৈশিষ্ট্য অর্জন করে ফেলেছে। কিন্তু এর চেয়ে পুরনো প্রজাতিগুলোর ফসিল পাওয়া যায়নি বহুদিন। ১৯২৪ সাল থেকেই এখানে সেখানে কিছু আরও পুরনো ফসিলের অংশবিশেষ পাওয়া গেলেও এসব আদিম প্রজাতিগুলোর তেমন কোন উল্লেখযোগ্য পূর্ণ-ফসিল পাওয়া যায়নি যা থেকে বিজ্ঞানীরা কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেন। তারপরে সত্তরের দশকে এল লুসির (Australopithecus afarensis) আবিষ্কার যা আমাদের মানব ইতিহাসকে প্রায় ৩৭ লক্ষ বছরের পরিধিতে এগিয়ে নিয়ে এল । এর আগে পাওয়া বিভিন্ন ফসিল থেকে বহুলভাবে বিশ্বাস করা হত যে বনমানুষদের সাথে আমাদের ভাগটা ঘটেছে প্রায় দেড় কোটি বছর আগে। এর পর বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই ভেবে এসেছিলেন যে, মানুষের সোজা হয়ে দুপায়ের উপর হাটতে পারাটা ছিল আফ্রিকার প্লিওসিন যুগের তৃনভুমিতে অভিযোজিত হওয়ার ফসল। লুসির ফসিল যেন তাদের সেই প্রকল্পকেই সঠিকতা এনে দিল। Australopithecus দের হাটুর গঠন থেকে পরিষ্কারভাবে দেখা যায় যে তারা দ্বিপদী (bipedal) ছিল। তখনও যেহেতু এর চেয়েও আরও পুরনো কোন পূর্ণ-ফসিল পাওয়া যায়নি বিজ্ঞানীরা ধরে নেন যে লুসির প্রজাতিই আমাদের প্রথম পূর্বপুরুষ যারা হয়তো পৃথিবীর বুকে প্রথম সোজা হয়ে দাঁড়াতে এবং চলাচল করতে শিখেছিল। শুধু তাই নয়, এখান থেকে আরও একটা জিনিষও বোধ হয় প্রথমবারের মত পরিষ্কার হয়ে যায় যে, বিবর্তনের ধারায় আমাদের এই বড় মস্তিষ্ক আগে আসেনি, তার অনেক আগে আমরা সোজা হয়ে দাঁড়াতে শিখেছি। Australopithecus রা দ্বিপদী হলে কি হবে তাদের মস্তিষ্কের আকার তখনও ছোটই রয়ে গেছে। তাই অনেক বিজ্ঞানীই বড় মস্তিষ্ককে নয় বরং দুই পায়ের উপর খাড়া হয়ে দাঁড়াতে শেখাকে মানুষ নামক প্রজাতির প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে মনে করেন।
কিন্তু ওদিকে আবার শিম্পাঞ্জী, বনবো এবং গরিলারা যে আমাদের সবচেয়ে কাছের আত্মীয় তা নিয়ে সন্দেহেরও কোন কারন নেই – শুধু তো জেনেটিক সংশ্লেষনের মাধ্যমে পাওয়া জিনের মিল নয়, তাদের দেহের বিভিন্ন ধরণের প্রোটিনের মধ্যে সাদৃশ্য, মাইটোকন্ড্রিয়া থেকে শুরু করে ক্রোমজমের গঠনের অভূতপূর্ব মিল, এসব থেকেই সন্দেহাতীতভাবে প্রমান করা যায় যে আধুনিক বনমানুষ এবং মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষ একই ছিল। বিভিন্ন ধরণের গবেষণা থেকে এও অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয় যে, গরিলারা এই সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে প্রথমে, প্রায় ৮০ লক্ষ বছর আগে আলাদা হয়ে যায়, এর পরে ৬০-৭০ লক্ষ বছর আগে মানুষের আদি পূর্বপুরুষের বিভক্তি ঘটে শিম্পাঞ্জী এবং বনবোদের থেকে। কিন্তু আবার গরিলা, শিম্পাঞ্জী এবং বনবো সবার মধ্যেই ছোট মস্তিষ্ক এবং হাতের আঙ্গুলের উপর ভর করে হাটার বৈশিষ্ট্য (ইংরেজীতে বলে ‘নাক্ল ওয়াকিং’) দেখা যায়। এখনো টিকে থাকা এই তিন প্রজাতির বনমানুষের মধ্যেই যেহেতু নাকল ওয়াকিং দেখা যায়, বিজ্ঞানীরা যথেষ্ট পরিমান ফসিল রেকর্ডের অভাবে স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেন যে, আমাদের সাধারণ পূর্বপুরুষের মধ্যেও এই বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ছিল। অর্থাৎ, গরিলা, শিম্পাঞ্জী এবং বনবোদের মধ্যে আলাদা আলাদা করে এই বৈশিষ্ট্যটা বিবর্তিত হয়নি, বরং সাধারণ পূর্বপুরুষদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর আমরা ধীরে ধীরে আঙ্গুলের উপর ভর করে চলাফেরা না করে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছি।
আর সরষের মধ্যের ভূতটা সেখানেই! প্রায় ৪৪ লক্ষ বছর আগের এই ছোট্ট খাট্টো আর্ডি আজ মানব ইতিহাসের পাতায় লেখা বেশ কিছু ভুল প্রকল্পকে সংশোধন করে দিতে এগিয়ে এসেছে অত্যন্ত দৃঢ় পদক্ষেপে। লুসি আমাদের ইতিহাসের বইতে হারিয়ে যাওয়া ৩৭ লক্ষ বছর দূরের পাতাটা লিখতে সাহায্য করেছিল, আর্ডি সেই বইটাকেই আরও দশ লক্ষ বছর বিস্তৃত করলো।
আর্ডির আবিষ্কার থেকে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে যে, ৪৪ লক্ষ বছর আগেই মানুষের আদিপুরুষদের মধ্যে দ্বিপদী বৈশিষ্ট্য ছিল। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়, আর্ডি যেমন দু’পায়ে ভর করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে, মাটিতে ঘুরে ফিরে বেড়াতে পারে, তেমনি আবার দিব্যি গাছে গাছে বিচরণও করতে পারে। এরকম কোন ফসিল এর আগে কেউ কখনও দেখেনি, গত দেড়শো বছর ধরে ফসিলবিদেরা এরকম কোন ফসিলের কথা শুধু কল্পনাতেই ভাবতে পেরেছেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক আর্ডির খবর প্রকাশের পরপরই তার কঙ্কাল এবং পূর্নাংগ দেহের এই ছবিটা প্রকাশ করে। এই ছবিটার নীচে যে কথাগুলো লেখা ছিল তা থেকে বিজ্ঞানীদের এই বিস্ময়টা খুব পরিষ্কারভাবে প্রকাশ পেয়েছে…
ছবিঃ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকঃ পূর্নাংগ দেহী ardipithecus ramidus এবং তার কঙ্কালের ছবি (ছবিতে ক্লিক করে বড় করে দেখুন)
“আর্ডির ফসিল এক মহাবিস্ময় – একজন গবেষক বললেন, ‘এরকম কোন কিছুর কথা ভাবতে পারাও ছিল অসম্ভব’। অধিকাংশ বিজ্ঞানীর মতে এবং জনপ্রিয় বিশ্বাস ছিল যে, সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে মানুষ এবং শিম্পাঞ্জী যে সময়টা আলাদা হয়ে গিয়েছিল সেই সময়ের গহবর থেকে খুঁজে পাওয়া যে কোন ফসিল দেখতে শিম্পাঞ্জীর মতই হবে। অথচ আর্ডির মধ্যে নাকল ওয়াকিং, গাছে গাছে ঝুলে থাকার ক্ষমতা – এই সব বৈশিষ্ট্যের তেমন কোন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তার বদলে, তার শ্রোণীর গঠন, মাথার খুলি এবং হাত পার গঠনের মধ্যে আদিম বানর এবং আধুনিক হোমিনিডের বৈশিষ্ট্যাবলীর সম্মিলন দেখা যাচ্ছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর এক অদ্ভুত সমন্বয়ের ফলে সে একদিকে যেমন হাতের তালুর সাহায্যে গাছ থেকে গাছে চড়ে বেড়াতে পারতো আবার অন্যদিকে আমাদের চেয়ে কিছুটা কম দক্ষতায় হলেও দুই পায়ের উপর ভর করে দিব্যি মাটিতে হেটে বেড়াতে সক্ষম ছিল।“
তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াচ্ছে? আমরা এতকাল ধরে যে ভেবে এসেছিলাম, আধুনিক বনমানুষ এবং মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষের মধ্যে শিম্পাঞ্জী-ধরণের দৈহিক বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যাবে সেটা মোটেও ঠিক নয়। বরং এদের মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছে যেগুলো আরও আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কিছু বানর প্রজাতির ফসিলে পাওয়া গিয়েছিল।শুধু কি তাই? এতদিন ধরে আমরা আমাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য – দুই পায়ে ভর করে দাঁড়ানোর সময়সীমা সম্পর্কে যা ধারণা করে এসেছি তাও তাহলে সম্পূর্ণভাবে ভুল ছিল! আমরা আসলে লুসির অনেক আগেই সোজা হয়ে দাঁড়াতে শিখেছি। শুনতে বেশ সোজাসাপ্টা শোনালেও ব্যাপারটা আসলে এত সোজা নয়, এর ফলে মানব বিবর্তনের ইতিহাসের গল্পের মোড় বেশ খানিকটা কিন্তু ঘুরে যাচ্ছে।
তবে এখানেই গল্পের শেষ নয়, মোটে শুরু… কিন্তু ব্লগের জন্য লেখাটা ইতোমধ্যেই বেশ বড় হয়ে গেছে। পাঠকের (এবং নিজেরও 🙂 ) ধৈর্যচ্যুতির কথা মাথায় রেখে আজকের মত লেখাটা এখানেই শেষ করছি। আর্ডির বিভিন্ন গঠনগত বৈশিষ্ট্য এবং তার ফলে মানব ইতিহাসের কোন কোন তথ্যে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে তা নিয়ে পরের পর্বে লেখার আশা রইলো…
চলবে…
—————————————————————-
তথ্যসূত্রঃ
[i] ) http://richarddawkins.net/article,4405,n,n
http://sciencereligionnews.blogspot.com/2009/10/making-sense-of-al-jazeeras-strange.html#
[ii] ) Introduction: Light On the Origin of Man. www.sciencemag.org SCIENCE VOL 326 2 OCTOBER 2009 61Published by AAAS
[iii] ) http://ngm.nationalgeographic.com/human-evolution/human-ancestor
এই লেখার বিষয়বস্তু থেকে ক্রমশ আলোচনা দূরে সরে গিয়ে ব্যক্তিগত বিশ্বাস, অবিশ্বাস এবং আক্রমণে রূপ নেয়ার দিকে যাচ্ছে। আমরা ব্লগারদের কাছ থেকে সবসময়ই বলিষ্ঠ যুক্তি প্রত্যাশী, কিন্তু কোন ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়।
এই পোস্টে আর কোন মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
কিছু লোক যেভাবে যুক্তির বিরুদ্ধে আবেগের ভোঁতা তরবারি নিয়ে মাঠে নেমেছেন তাতে রীতিমত বিব্রত বোধ করছি।সত্য সব সময়ই নির্বোধ ব্যক্তিগণের অনুভূতিতে আঘাত করে।তা নিয়ে এ ধরনের ইমোশনাল অত্যাচারের মানে কি?
@আদিল মাহমুদ,
“আমি নিজে এখনো ১০০% কনভিন্সড না যে কোরানের সাথে বিবর্তনের মূল তত্ত্বের সরাসরি কোন বিরোধ আছে বলে (যেমনটা বাইবেলের সাথে আছে)। আর থাকলেই বা কি, রুপক জাতীয় কোন একটা ব্যাখ্যা দিয়ে বিরোধ মিটিয়ে ফেলা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। কোরানের সাথে বিজ্ঞানের বিরোধ নেই বা কোরানে বিজ্ঞান আছে প্রমান করতে তো এমন যুক্তি অসংখ্য আছে। তাই ধর্মে টেনে বিজ্ঞানের যেকোন বিষয় ব্যাখ্যা আলোচনা শুধু সময়ের অপচয় নয়, মানসিক রোগের লক্ষন মনে হয়।”
আমি প্রচণ্ড হতাশ আপনার এই মন্তব্যে।মাফ করবেন শব্দটাতে আহত হলে।কিন্তু আপনার মত বিচক্ষণ লোককে এমন উদ্ভট ধারণা রাখতে দেখে আমি মর্মান্তিকভাবে মর্মাহত!আপনার সীমাবদ্ধতা আপনি এর আগে স্বীকার করেছেন।কিন্তু এখানে যেভাবে কৌশলে বাইবেলের তুলনায় কুরানের সঠিকত্ব প্রচার করলেন -সেটা ক্রিশ্চান-মুসলিমের চিরায়ত সংঘাতকেই নির্দেশ করে।আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি কোরানে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি অভ্রান্ত আয়াতও আপনি দেখাতে পারবেন না।দেরিদার ডিকন্সট্রাকশন তত্বটা আপনি সামান্য ভুল অর্থে নিয়েছেন।একটা বাক্যের অসংখ্য অর্থ থাকতে পারে।কিন্তু প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে লেখকের মত সহজেই সনাক্ত করা যায়।নইলে তো লেখার উদ্দেশ্যই বৃথা!কুরান,বাইবেল, বেদ ইত্যাদি সম্পূর্ণই অবৈজ্ঞানিক গ্রন্থ।এ বিষয়ে কোনই সন্দেহ নেই।আবুল কাশেম সাহেবের লজিকগুলো রিফিউট করে তারপর এ ধরনের মন্তব্য করলে তবে মানব।আমার বিগত ধর্ম বিষয়ক লেখাগুলোর কোন আর্গুমেন্টও কিন্তু আপনি খণ্ডান নি।
আপনি হয়তো সত্য গোপন করছেন।আপনি নিজেকে সনাতন ধর্ম বিশ্বাসের বাইরেও একজন স্রষ্টা-বিশ্বাসী বলেন।তবে ইসলাম নিয়ে এত স্নবারি কেন?নিউটনের বহু আগেই ব্রহ্মগুপ্ত অভিকর্ষের কথা বলেছিলেন।তা যেমন ছোট অবদান নয়,তেমনি তা নিয়ে উদ্বাহু হয়ে নৃত্য করাটাও বোকামো।ভুলে যাবেন না,ডারউইনের তত্ব অনেক বেশি উপাত্তনির্ভর।
@আগন্তুক,
কাম ডাউন ব্রাদার, কাম ডাউন প্লীজ, ওম-শান্তি, শান্তি, শান্তি। আপনার ই-মেইল এড্রেসটা আমাকে পাটিয়ে দিন। অভিজিৎ দার কাছে আমার এ-মেইল ঠিকানা আছে।
@আগন্তুক,
আদিল ভাই কে তুমি ভুল বুঝছ। সামাজিক ভাবে থাকতে গেলে কিছু ধার্মিক আচরন মেনে না চললে, প্রায় একা একা বেঁচে থাকতে হবে! আমার প্রায় সব বন্ধুই নাস্তিক-তাদের বৌদের মধ্যে ধার্মিক প্রাবল্য বেশ কমে এসেছে (আস্তে আস্তে এই ট্রানসিজশনটা হয়)। এগুলো আস্তে আস্তে ধাপে ধাপে হয। আমার মিসেস বিয়ের সময় নাস্তিক ছিল না। রক্ষনশীল পরিবার থেকে আসায় যথেষ্ট ধার্মিক ছিল। আস্তে আস্তে সেসব শুকিয়ে যাচ্ছে। আমি কিন্ত তাকে নাস্তিকতার কোন পাঠ দিচ্ছি না। স্বাধীন ভাবে থাকতে থাকতে সেও বুঝতে পারছে কোনটা ঠিক-আর কোনটা বেঠিক। বা ঈশ্বরে বিশ্বাস না করলে নৈতিকতা বাড়ে -কমে না। এগুলো অভিজ্ঞতার ব্যাপার। আস্তে আস্তে আসে। একধাপে সবাই সমাজ সংস্কার ছেড়ে নাস্তিক হবে এমনটা আশা করা ঠিক না।
@আগন্তুক,
অনেকের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় যে আমরা চিন্তা চেতনায় কতটা কি ভাবছি তা গুরুত্ত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্ত্বপূর্ণ হল ঘটা করে নিজেকে নাস্তিক বলে ঘোষনা দিলাম নাকি সেটা। এধরনের ভাবনা আর চরমপন্থী ধার্মিকদের দর্শনে মূল পার্থক্য কতটা? ধার্মিকদেরও মূল বক্তব্য অনেকটা একই, আস্তিক হও, সেটাই মূল। এর পর কি কি খারাপ কাজ করলে তার তেমন গুরুত্ত্ব নেই, সেগুলির ব্যাবস্থা করা যাবে তবে নাস্তিক যদি হও তবে কোনই উপায় নেই। আপনিও মনে হয় অনেকটা একই নীতি বিশ্বাস করেন।
মনে হচ্ছে আমি যদি বলতাম যে আমি নাস্তিক তবে বিবর্তনে বিশ্বাস করি না (এমন মানুষও কিন্তু আছেন) তাহলেও আপনি এতটা উত্তেজিত হতেন না। ক্ষমাসূলভ দৃষ্টিতে নিতেন।
মূল আলোচনা ছিল বিবর্তন। আমি বিবর্তনে বিশ্বাস করি এটা বলার পরেও আমি আবেগের তরবারী খুলে মুক্তবুদ্ধির বিরুদ্ধে কিভাবে মাঠে নামলাম তা আমার কাছে অন্তত বোধগম্য নয়।
আপনার আসলে কোরান বা অন্য যেকোন ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে ফোবিয়া আছে তাই আপনি যেইমাত্র আমার মুখ থেকে কোরান শব্দ বেরিয়েছে অমনি ঝাপিয়ে পড়েছেন।
আমি আস্তিক নাকি নাস্তিক তা এতটা গুরুত্ত্বপূর্ণ কেন হতে যাবে? আমি যদি বিবর্তনকে কোরানের আলোয় উড়িয়ে দিতাম তাহলে নাহয় কথা উঠতে পারত। আমি কোনদিন নিজেকে নাস্তিক দাবী করিনি, বা কোন ধর্মের প্রতিই আমার পক্ষপাতিত্ব নেই তেমন কোন মহাপুরুষ সূলভ দাবী করিনি। করেছি কি? আমার মূল কথা বিজ্ঞান যখন আমি পড়ি তখন ধর্মগ্রন্থ আমি শিকেয় তুলে রাখব। সেখানে বিজ্ঞানীরাই আমার নবীর মত, তাদের কথাই আমি মানব। কোরানের বেশীরভাগ কথাবার্তাই যেখানে রুপক বলে দাবী করা যায় সেখানে কোরান টেনে আই কোন আক্কেলে বিজ্ঞান বুঝতে যাব?
কোরানের কথা তুলেছিলাম এ কারনে যে কিছু কিছু বিবর্তন বিরোধী মোসলমান লেখকের আর্গুমেন্ট পড়ে আমার পরিষ্কার মনে হয়েছে যে তারা বিবর্তন মেনে নিতে পারছেন না আসলে ধর্মের ভয়ে, কিন্তু তা সরাসরি স্বীকার করছেন না। নানানরকমের অদ্ভূত দাবী, শস্তা আর্গুমেন বিজ্ঞানের লেবেলে চালাচ্ছেন। আমি তাদের উপর এতটা বিরক্ত হতাম না যদি না তারা সরাসরি বলতেন যে তারা বিবর্তন মানেন না তাদের বিশ্বাসগত কারনে। সেটাও তারা করেন না, কারন আমার ধারনা তারা তেমন কিছু সরাসরি দেখাতে পারবেন না।
কোরান বাইবেলের তূলনা আপনার কাছে খারাপ লাগলেও এখানে আপনার পছন্দের কেউ কেউ (মানে যারা সাচ্চা নাস্তিক) অন্তত তূলনামূলক বিচারে সামগ্রীকভাবে অন্য ধর্মগ্রন্থের তুলনায় কোরানকে এগিয়ে রেখেছেন। আপনি চাইলে একটু সময় দিয়ে পুরনো পোষ্ট ঘেটে বের করে দেখাতে পারি। এর মধ্য এত উত্তেজিত হবার কিছু আছে বলে তো মনে হয় না। বুঝলাম সব ধর্মগ্রন্থ খারাপ, খারাপেরও তো তূলনামূলক বিচার হতে পারে।
বাইবেলে পৃথিবীর বয়স ৬ হাজার আর সৃষ্টির সময়েই গড কতটি যেন প্রানী সৃষ্টি করেছেন এমন বাণি আছে। আমার জানামতে কোরানে এমন কিছু নেই। অন্তত বিবর্তন বিষয়ে বাইবেল যেমন সরাসরি সাংঘর্ষিক কোরান ততটা নয়, আমার এ ধারনার কথাই আমি বলেছি।
কোরানের সকল বাণী অভ্রান্তভাবে সকল যুগে পালনীয় তেমন দাবী আমি কোনদিন করিনি, কারন নিজের বিবেকের সাথে ছলনা করে বিরাট ধার্মিক সাজার মধ্যে আমি মহত কিছু দেখি না। ওভাবে বেহেশত লাভ করা যাবে এমন হাস্যকর ধারনায় আমি বিশ্বাসী নি। ধর্ম বা মানবিকতা যাই বলুন প্রথম কথা হল নৈতিক সততা। তাই কোরানে নারী পুরুষের অধিকার সমান বা পুরুষের প্রতি কোন পক্ষপাতিত্ত্ব করা হয়নি এমন কোন আর্গুমেন্টে আমি কোনদিন মিথ্যা কথা বা রুপক এ জাতীয় ওজর আপত্তি তুলবো না। সত্যের খাতিরেই একমত হব।
কিন্তু কোরানের সাথে বিজ্ঞানের সরাসরি বিরোধ আছে তা আমি ১০০% মানতে পারি এমন কোন সলিড আর্গুমেন্ট অন্তত এখনো আমার চোখে পড়েনি। অভিজিত আমার খুব প্রিয় লেখক, তবে তার বিজ্ঞানময় কেতাব পড়ে আমার যুক্তিগুলি খুব শক্ত বলে মনে হয়নি। পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন যায়গায় সময় ভিন্ন বলে সব যায়গায় একই ওয়াক্তের নামাজ পড়া যাবে না এই যুক্তির সাথে পৃথিবী গোল না সমতল নাকি ঘোরে না স্থির এসব বিষয়ের সম্পর্ক কি তা আমার কাছে পরিষ্কার হয়নি। হয়ত তিনি পরিষ্কার বোঝাতে পারেননি। জুল্কারনইনের সেই পঙ্কিল জলাশয়ের কাহিনী মনে হয় সবচেয়ে সরাসরি সাংঘর্ষিক। তবে রূপক হিসেবে তারও ব্যখ্যা দেওয়া যায়। আপনি বলতেই পারেন বিপদের পড়লেই রুপক? তা বলতে পারেন, মানছি। তবে সাথে সাথে বলতেই হয় যে অন্তত বেনেফিট অফ ডাঊট পেতেই পারে, নারী অধিকারের ক্ষেত্রে সেটার কোন অবকাশ দেখি না।
পৃথিবী কার্পেটের মত, আকাশ ছাদের মত এসব আর্গুমেন্টেও আমার বিবেচণায় একই কথাই খাটে। বড়জোর বলতে পারি এসব আয়াত থেকে শিক্ষনীয় তেমন কিছু নেই।
আমি নিশ্চিত যে কোরানে বিজ্ঞান নেই, তবে বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক এখনো নিসছিত প্রমান পাইনি।
কোরান নিয়ে আমি স্নবারী কোথায় করলাম বলতে পারেন? গতকালই আমি আল মুর্শেদকে (আজো এই কমেন্ট দেখার আগে বলেছি) বলেছি যে সব কালচার বা ধর্ম থেকেই কিছু না কিছু শিক্ষনীয় আছে।
আর অতই যদি বিজ্ঞান বিজ্ঞান বলেন, বিজ্ঞানও কি সব প্রশ্নের জবাব কোনদিন দিতে পারবে বলে মনে করেন? সৃষ্টিবাদীদের মতে গড সব কিছু সৃষ্টি করেছেন, ভাল কথা। এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের মোক্ষম যুক্তি, তাহলে গড আসল কোথা থেকে? জবাব আসলেই নেই।
বিবর্তন বা বিজ্ঞান কি এখনো এ বিষয়ে ১০০% নিশ্চিত ব্যাখা দিতে পেরেছে? বুঝলাম প্রান সৃষ্ঠি হয়েছে জলাশায়ে কোন গডের হস্তক্ষেপ ছাড়া। এখন সেই প্রান সৃষ্টিতে তো কিছু মূল উপাদাল লাগবে; কার্বন, অক্সিজেন, নাইট্ট্রোজেন। সেগুলি আসল কোথা থেকে? এর জবাব কোনদিন পাওয়া যাবে?
দয়া করে মানুষ আস্তিক নাকি নাস্তিক এসব বিচার ছেড়ে তার চিন্তাভাবনা দিয়ে তাকে বিচার করুন। চরম কিছুই ভাল নয়, আস্তিক বা নাস্তিক কোনটাই।
@ফুয়াদ,
মুক্তমনা ছেড়ে যাচ্ছেন না শুনে খুশি হলাম। তর্ক-বিতর্ক যতই উত্তপ্ত হোক না কেন সাথে থাকুন। খুব একটা খারাপ লাগবে না আপনার এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। যুক্তি দিয়ে কথা বলুন, দেখবেন মুক্তমনা সবসময়ই আপনার অধিকার সংরক্ষণ করবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই চাই যে বিভিন্ন ধরনের মতাবলম্বী মানুষেরা মুক্তমনায় পদচারণা করুক। এতে মুক্তমনারই লাভ বেশি।
এই পৃথিবীটা কোনদিনই একই মতাবলম্বী বা একই বিশ্বাসের অধিকারী মানুষের আধিকারে ছিলনা, বর্তমানেই নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না। বিভিন্ন ধরনের বিশ্বাসপূর্ণ এবং বিশ্বাসহীন মানুষকে সাথে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে আমাদেরকে।পৃথিবীটা কোনদিনই বিশ্বাসের ভারে নাস্তিকশূন্য হবে না, আবার কোনদিনই ধর্মের অসারতা আবিষ্কার করে সব মানুষ নাস্তিকও হয়ে যাবে না। যারা এই সত্যকে অস্বীকার করেন তারা আসলে বালুর মধ্যে মুখ গুঁজে আছেন।
@ফরিদ আহমেদ,
এটাত দক্ষিন এশিয়ার লিবার্যাল পলিটিশিয়ানদের কথা হইল ফরিদ ভাই!
না। আমি একমত একদমই না। সুইডেনে এখন ৮৭% নাস্তিক। ইউরোপে নাস্তিকের সংখ্যা ৫০% এর আশেপাশে এবং ক্রমশ বাড়ছে। আমেরিকাতে আস্তে আস্তে বাড়ছে। মানুষের জ্ঞান যত বৃদ্ধি পাবে, চেতনা যত বাড়বে, ধর্ম সম্পূর্ন ভাবেই উঠে যেতে বাধ্য। আর মাত্র দুই শত বছর পরেই হিন্দু বা মুসলমানরা থাকবে ইতিহাসে।
কোন জ্ঞান, বিজ্ঞান বা যুক্তিবোধ থেকে মানুষ ধার্মিক হয় না-ধার্মিক হয় মূলত পারিবারিক কারনে ছোটবেলা থেকে ধর্মভীরু করে ব্রেইন ড্যামেজ করে রাখায়। যা ইসলামিক এবং হিন্দু সমাজে বেশ সাংঘাতিক ভাবে হয়। ধর্মে বা ঈশ্বরের অস্তিত্বের পেছনে কোন দার্শনিক বা সঠিক জ্ঞান নেই-সবটাই অজ্ঞানতা, ধাপ্পাবাজি আর লোক ঠকানো-কিন্ত সেই লোক ঠকানো নৃতাত্বিক সামাজিক দর্শন গুলির ‘এককালে’ রাজনৈতিক গুরুত্ব ছিল। এই বিজ্ঞানের যুগে নেই। আবার বলছি পুরোটাই পারিবারিক ভাবে বহন করা মেমেটিক্স, যা জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে দ্রুত বিলুপ্ত হবে, যা স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোতে প্রায় হয়ে গেছে ( ওখানে শুনেছি আজকাল শুধু মুসলিম ইমিগ্রান্টরাই ধার্মিক )।
নাস্তিক-আস্তিক বিতর্ককে আমি একদমই কোন বিতর্ক বলে মানব না। কারন ঈশ্বরের সপক্ষে কোন গ্রহনযোগ্য যুক্তিই নেই যা জ্ঞান বা বিজ্ঞানের অন্তর্গত হতে পারে। শ্রেফ কিছু অজ্ঞানতার ওপর ঈশ্বরের নির্মান। অজ্ঞানতাকে সরাসরি অজ্ঞানতা বলাই ভাল। এখন কেও মদ খেয়ে বা অজ্ঞানের উপাসনা করে যদি জীবনে আনন্দে থাকে, সেই আনন্দে আমি বাধা দিতে চাই না। এটুকু টলারেন্স অবশ্য সবারই থাকা উচিত।
@বিপ্লব পাল,
দুঃখের বিষয় বিপ্লব দা, ঐ আপনার সুইডেনেই সুইডিশ মানুষরা ও মসুলমান হইতেছে , নাস্তিক আর যাই বলেন , ইভেন চার্চ অব সুইডেন থেকেও । তবে সুইডেনের থেকে হারটি জার্মানি আর অস্ট্রিয়ায় বেশী । সবচেয়ে দ্রত হইতেছে সাঊথ আফ্রিকায় । এগুলার কি হবে ? আপনারা ক্রিষ্টান্দের মত জন্মহার জন্মহার বেশী বলে চিল্লাইলেই কিছু হবে না বিপ্লব দা । এত সহজ না ।
ঊল্টা স্টেটিকটিথিসের কি বলবেন ? যেমনঃ আপনারা জোর কইরা তুরান (কাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ইত্যাদি) এর মসুলমানদের নাস্তিক বানাইলেন, এমন ও ঘটনা করলেন মসজিদে ঘোড়া বেধে রাখল, এখন, তারা দিনকে দিন মসুলমান হয়ে উঠতেছে , তাদের সরকার ও বেশী বারাবারি করে লাভ করতে পারতেছে না ।
মসুলমানদের জন্য ভালই হয়েছে , আপনারা ভাববেন যে আমরাই বেশী বাড়তেছি, নিজে নিজে দের বাহবা দিবেন, আর ঐ দিকে মসুলমানদের সংখ্যা বাড়বে , আপনারা বলবেন জন্ম হার বেশী বলে সন্তুষ্ট থাকবেন । মসুলমানদের ভালই হবে, ঝামেলা কমল ।
এত সহজে আমরা বিদায় নিতাছি না রে ভাই, কষ্ট করে যান । নিজেদের মতবাদ নিয়া ব্যস্ত থাকেন ।
@ফুয়াদ,
এই তথ্যের সোর্স কি? ইউ টিউবে দুই একজন সাদা মহিলা, যারা ইসলাম গ্রহন করেছে বিবাহ জনিত কারনে তাদের ভিডীও? এগুলো সবই প্রচার। আমেরিকার মতন বিরাট দেশে মাত্র ২০,০০০ লোক মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয় প্রতি বছর। তার থেকে অনেক বেশী মুসলিম এখানে ধর্ম ত্যাগ করে! আমি ইউরোপে যদ্দুর দেখেছি, বিবাহজনিত কারন এবং বর্নবিদ্বেশের রাগ জনিত কারন ছাড়া ( এবং আরবের তেলের টাকায় ঘুঁশ খেয়ে কিছু বিজ্ঞানী এককালে আমরা ইসলামে কারন খুঁজিয়া পাইয়াছি) ছাড়া আর কেও ইসলাম ধর্মান্তরিত হয় না। এই মাইকেল জ্যাকসন মৃত্যুর
তিন বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন। কিন্ত তিনি ড্রাগে টইটুম্বুর হয়ে থাকতেন এবং তার আরেক ধর্ম গুরু ছিল দীপক চোপড়ার মতন আরেক ঢপ ধর্মীয় গুরু! ম্যালকম এক্স থেকে আরো যেসব কালো লোকেরা ধর্মান্তরিত হয়েছে, সবটাই সাদা চামড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্যে!
এটাও প্রচার। এটা মানলে আমি আপনাকে নিউজ সোর্স দিচ্ছি, রাশিয়াতে প্রতি বছর অন্তত ৫০০,০০০ মুসলমান , ইসলাম ত্যাগ করছে। রাশিয়ার বিখ্যাত সংবাদপত্র প্রাভদার ফোরামে এই নিয়ে একটি ভালো আলোচনা ছিল। পড়ুন। তাহলে আরো জানবেন, খীষ্টানরা দাবি করছে এই এলাকা গুলিতে সবাই নাকি খীষ্টান হয়ে যাচ্ছে।
http://engforum.pravda.ru/archive/index.php/t-157899.html
কিন্ত বাস্তব সত্য হল ওই মধ্য এশিয়ার দেশ গুলিতে কিছু মুসলমান মৌলবাদি আন্দোলন শুরু হয়েছে। তার কারন আরবের টাকা, গরীব মানুষদের প্রতি বঞ্চনা। তবুও রাষ্ট্র সেখানে ভাল ভাবেই সেকুলার। ইসলাম মৌলবাদি আন্দোলন-মূলত রাজনৈতিক আন্দোলন সেখানে-কিছু গোষ্টী তা করে গনতন্ত্রে ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। পৃথিবীর সব জায়গাতেই ধর্ম টিকে থাকে এই ধর্মীয় পরিচয়ের যে রাজনীতি, তার আগাছা হয়ে। খুব বেশী দিন এসব টিকবে না।
@বিপ্লব দা,
আমি ধারনা করেছিলাম আপনি এই ধরনের স্টেটিক্তিটিস দিবেন । ঐ গুলো সত্য হইলে, এই গবেষণা ভুল।
{ লেবাননের চেয়ে জার্মানিতে বেশি মুসলমান বাস করে। আর রাশিয়ার মুসলমান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা জর্ডান ও লিবিয়ার মোট মুসলমান জনগোষ্ঠীর চেয়ে বেশি।
গবেষকেরা প্রায় দেড় হাজার উত্স থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। উত্সগুলোর মধ্যে ছিল জনসংখ্যা সমীক্ষা, জনসংখ্যাতাত্ত্বিক গবেষণা, সাধারণ জনসংখ্যা জরিপ ইত্যাদি। গবেষণার ফল সম্পর্কে জ্যেষ্ঠ গবেষক ব্রায়ান গ্রিম বলেন, গবেষণার ফল দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। মুসলমান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যা আশা করা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আমানি জামাল বলেন, ‘আরবরাই মুসলিম এবং মুসলিমরাই আরব’ গবেষণার ফল থেকে এ ধারণা ভেঙে গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০ কোটির বেশি মুসলমান বিশ্বের এমন সব দেশে বাস করে, যেখানে ইসলাম সংখাগরিষ্ঠের ধর্ম নয় ।
বিবিসি
প্রথম আলো
http://www.prothom-alo.com/detail/news/10923}
প্রতি বছর ৫ লক্ষ চলে গেলে রাশিয়াতে এত মসুলমান পাওয়া যেত না, আর জ়োর জবর দস্থি তো আছেই । সবাই তো আর প্রকাশ করতে পারে না । রাশিয়া “দারুল হরব” ছিল ১৯৮৯ পর্যন্ত । এই স্টেটিকটিতিসে রাশিয়া কে হাইলাইট করে দেওয়া হয়েছে । রাশিয়ার
মসুলমানের সংখ্যা অনেক মসুলমান দেশের চেয়ে অনেক উচ্চে । আর “দারুল হরব” থেকে যদি একজন ও মসুল্মান পাই তাহলেও তো অনেক। আর সারা পরৃথিবীর সব মানুষ মসুলমান এখন ই হয়ে যাবে এই আশা করি না । ইসলাম এখন ও যে দুর্বল নয় , তার প্রমান আপনাদের সিভিয়েট ইঊনিয়নের পরাজয় । রাশিয়ান পরিসংখ্যান তো, দেখাতে চাইবেই মসুলমান কম । লাভ নাই । সত্য ঢাকা পরে না । সম্রাজ্যবাদীরা আমাদের সংখ্যা কমই দেখানোর কথা ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পিউ ফোরাম অন রিলিজিয়াস অ্যান্ড পাবলিক লাইফ এ গবেষণায় বিশ্বে ৬০০ কোটির বেশি মানুষের মধ্যে ১৫৭ কোটিই ইসলাম ধর্মের অনুসারী ।
আমরা আপনাদের চেংগিস খান থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সম্রাজ্যবাদী দের চ্যলেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এখন ও এই পর্যায়ে আছি । হালুখু খান ও তো কিছু করতে পারলো না । তাইলে , আপনার বৃথা আশা কইরা লাভ নাই ।
মসুলমান কনভার্ট হওয়ার ঘটনা দেখেন নিরপেক্ষ রেফারেন্স এ
Thorsten Funke, Berlin,
John J. McCloy Fellow in 2002
http://www.acgusa.org/userfiles/file/FinalReportFunke.pdf
।
আর আমি ইউটিঊব থেকে বলতেছি না , চাক্ষুস দেখার উপরে কোন কথা নাই । আমি ক্রিস্টান যাজকে দেখেছি মসুলমান হয়ে, তবলিক জামাতের আমীর হইতে । বহু ঘটনা আছে ।
আপনারা নাস্তিকরা যাই ভাবেন না কেন , আপনার সত্যিকার প্রতিদন্ডি ইসলাম । খ্রিষ্টান আর হিন্দুর ভুল ধরে গোলা পানিতে মসুলমানদের শিকার করবেন তা কি করে হয় । শেষ যমনা হিসাবে আমরা কয়দিন টিকতে পারবো জানি না , তবে ইনশি-আল্লাহ এত সহজে যাইতেছিনা ।
আর্ডি বিবর্তনবাদকে আরো উজ্বল করছে,বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিচ্ছে,মানুষের জ্ঞ্যানভান্ডার ও চিন্তার জগৎকে সমৃদ্ধ করছে, মানুষ নিজেকে আরেকটু জানতে পারছে,সবইতো দেখি মানুষেরই লাভ।…ধর্মের প্রধান দুর্বলতা হচ্ছে সে এই মানুষের লাভে ভাগ বসাতে চায়।অনেক সময়ই ইাইজাক করে নিয়ে যায়।দিন দিন সমাজ বিবর্তনের ধারায় মানুষ আরো সচেতন হচ্ছে,এজন্য কোথাও কোন মানব-অর্জন হাইজাক হলে সাথে সাথেই ধরা পড়ে যায়,শেষ পর্যন্ত জয় হয় এই মানুষেরই। লেখক বন্যাকে অনেক ধন্যবাদ।
বন্যা আপু,
আপনার বিবর্তনের পথ ধরে বইটা পড়া শুরু করেছি।গোগ্রাসে গিলছি বলতে পারেন! :-))
আমার মতে আমাদের দেশের পাঠ্যবইগুলোতেও বিবর্তনবাদ অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ,স্কুল লেভেলে,এক্কেবারে গোড়া থেকেই…অন্তত ধর্মশিক্ষার মত বিস্তারিতভাবে!
এরচেয়ে দারুন পন্থা আর কি হতে পারে!ধর্মীয় বুলির যাচাইও হবে আর সেইসাথে জীবজগতের প্রকৃত রহস্য জানতে পারা…একটি ঢিলে দুটি পক্ষী! জমবে বেশ! 🙂
@ ফুয়াদ,
ভাই, ভাবতে খুবই ভাল লাগছে যে, আপনি মুক্তমনা ছেড়ে যাচ্ছেননা।
বেশীরভাগ আস্তিকদের (অবশ্যই বাংলাদেশের মুসলমানরা) সম্পর্কেই যে কথাটি প্রযোজ্য তা হল, তারা ধর্ম বিষয়ে অত্যন্ত সেন্টিমেন্টাল। ধর্ম নিয়ে সামান্য তর্কাতর্কি তাদের সহ্য হয়না। সামান্য সমালোচনাতেই তারা রেগেমেগে আগুন হয়ে যান, এমনকি বহুদিনের বন্ধুর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতেও তাদের বাধে না। সেখানে এমন একটি সাইটে (যেখানে মুক্তমনে যেকোন কিছুর সমালোচনা করতে উত্সাহিত করা হয়) তাদের স্বত:স্ফুর্ত পদচারনার আশা করা কিন্তু সত্যিই বোকামী। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি- একবার আমার এক ছোট বেলার বন্ধুর সাথে জাকির নায়েক বিষয়ে তর্ক হচ্ছিল। আমি তাকে শিক্ষানবিশের লেখা আর্টিকেলের লিংকটিও দিয়েছিলাম। কিন্তু সে সেটা পড়ে দেখার সাহস পর্যন্ত করেনি। উল্টো আমাকে একগাদি (জাকির নায়েক সম্পর্কে না জেনে কথা বলা ঠিক না…ওনার জ্ঞনের লেভেল তোর অনেক উপরে…তুইই একমাত্র বিবর্তনের সব বুইঝা ফেলাইসোস) অপ্রাসংগিক কথা শুনাইয়া দিল। আমার মনে হয়, আমার ঐ বন্ধুটি এরকম একটা সাইটে এসে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিবে- এরকম ভেবে থাকাটা আমার বিশাল একটা ভূল হবে।
এদিক দিয়ে আপনি কিন্তু এক অনন্য ব্যতিক্রম। কারন আপনি মুক্ত আলোচনায় ধর্মীয় কোন বাধা দেখেন না। তাই নিয়মিত এখানে এসে খোলা মনে যে কোন বিষয়ে আপনার মন যা বলছে তা প্রকাশ করছেন। কি ঠিক বলেছি তো? এটা যে আপনার একটা বিশেষ গুন তা কি আপনি জানেন? কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, আপনার এই বিশেষ গুনটি আপনি ছাড়া বাংলাদেশের আর বেশীরভাগ আস্তিক মুসলমানরাই অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই আপনারাই যদি চলে যান তবে আলোচনাটা জমবে কি করে?
তাই আপনাকে আরো একবার ধন্যবাদ জানাই আমাদের সাথে থাকার জন্য।
@মিঠুন,
আমার মন হয় আপনি ১০০% খাটি কথা বলেছেন।
ফুয়াদ সাহেব অন্তত প্রতিপক্ষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন যেই গুনটি গোড়া ধার্মিক জগতের অনেকেরই থাকে না। আমার নিজের দুয়েকজন বন্ধুকে এশ কয়েকবার মুক্তমণায় ঢুকতে বলেছি কয়েকবার, কোনদিন ঢুকেনি। মুখে স্বীকার না করলেও বুঝি ঈমান চলে যাবার ভয়েই তারা ঢোকে না।
কিছুদিন আগে এখানে ইরতিশাদ সাহেব বললেন তার এক পাক্কা মোসলমান বন্ধু ঈমান চলে যাবার আতংকে এমনকি কোরান শরীফের বাংলা বা ইংরেজ়ি অনুবাদও পড়তে রাজী নন।
ধর্ম জগতের বেশীরভাগ লোকজন মুখে স্বীকার না করলেও আসলে বেশ আতংকে ভোগেন কখন তাদের বিশ্বাসে ভীত নড়ে যায়। কার নিজেরাও জানেন যতই যুক্তি প্রমান দেখান তাদের মূল শক্তি আসলে অন্ধ বিশ্বাস, যার ভীত অত্যন্ত নড়বড়ে। তাই ধর্মীয় জগতের পরিমন্ডলে মূক্তচিন্তা ভাবনাকেই অংকুরেই কঠোরভাবে গলা টিপে মারা হয়। সামান্য বিড়াল বিষয়ক নির্দোষ কৌতুকেও তারা ধর্ম বিনাশ হবার তীব্র আশংকা করেন। বাংলাদেশের কোন সম্পাদক মুক্তমণার অধিকাংশ আর্টিকেল ছাপাতে সাহস করবেন না।
@আদিল মাহমুদ,
সহমত।
@মুহাইমিন
আমরা আইনগুলোকে সাধারণত কারো দ্বারা নির্দেশিত বলে মনে করি। কিন্তু প্রাকৃতিক আইন এরকম নয়, এটা বরং প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করে।
@ অভিজিৎ’দা
একটি লেখার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আমার মনে হয়েছে আপনি আগ্রহ পাবেন। সেক্স কিভাবে বিবর্তনকে সাহায্য করে সেটা নিয়ে আপনি লিখেছেন আগে। এখানে কম্পিউটার সিম্যুলেশনের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে যে সেক্স বিবর্তনের গতি ও বৈচিত্রকে অনেক গুনে বাড়িয়ে দিতে পারে, যা সেক্স এর পক্ষে ভাল একটি যুক্তি হতে পারে।
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/27741
@স্বাধীন,
মন্তব্য করে দেখি যে লেখাটি আপনি আগে পড়েছেন 🙁 । যা হোক, যারা পড়েননি তাঁরা পড়তে পারবেন।
@স্বাধীন,
হ্যা, ধ্রুবের লেখাটা আগে পড়েছি। আপনার সাথে যদি উনার পরিচয় থাকে তাহলে আমাদের এখানেও তাকে লিখতে বলতে পারেন। আমাদের সাইটে যখন এ ধরণের বিজ্ঞান বিষয়ক লেখার এবং পড়ার প্রতি লেখক এবং পাঠকদের একটা আলাদা উৎসাহ আছে, উনিও হয়ত এখানে লিখতে উৎসাহিত বোধ করবেন।
@অভিজিৎ,
জ্বি আমার সাথে পরিচয় আছে, আমি বলবো তাকে এখানে লেখা দিতে।
বাংলাদেশের জোকার লায়েক, বিবর্তন নিয়ে যে ধার্মিকদের জ্ঞান দিয়েছেন, তাই দেখে আমি চেয়ার থেকে পরেই যাচ্ছিলাম
http://shodalap.com/2009/10/30/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6-%e0%a6%a4%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac-%e2%80%93-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac/
যাইহোক বিবর্তনের এমন অসামান্য সংজ্ঞা দেবার জন্যে ও অনন্য নতুন গবেশনার জন্যে মুক্তমনার তরফ থেকে তাকে একটি ক্লাস নাইনের জৈব বিজ্ঞানের বই উপহার দেওয়া হৌক। এমন অসামান্য প্রতিভা ত গাছে ফলতে পারে না-মানুষের মাথা থেকেই বেড়তে পারে!
প্রিয় ফুয়াদ,
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ আপনার অসীম ধৈহ্য দেখে এবং মুক্তমনার সাথে থাকার জন্য। মুক্তমনায় আমাদের সবার এত প্রিয় কারন এখানে কোন লেখা বা বিষয়ের উপর প্রশ্ন করা যায়,তর্ক-বিতর্ক করা যায় মনের মত।যেহেতু বিশ্বব্যাপি অসংখ্য লোকে মুক্তমনা পড়ে তাই লেখাগুলো যাতে সবাই বুঝতে পারে সেভাবেই করা উচিত।
আপনি এ পর্যন্ত মুক্তমনায় যত কমেন্ট করেছেন তার কোনটাই কিন্ত সহজবোধগম্য ছিলনা। আপনার বেশীরভাগ লেখার মাজেজা ধরা সম্ভব হয়েছে যখন অভিজিতদা, বিপ্লবদা বা ফরিদভাই তর্জমা করে দিয়েছে। এবং আপনার অতীতের প্রায় সমস্ত প্রশ্নগুলোই ছিল ‘সারারাত রামায়ন শুনার পর শেষে সীতা কার বাপ’ধরনের।আমার মন্তব্যের জবাবে
১।আপনি লিখেছেন”
তানবী ভাইকে, করা সহজ প্রশ্নটা বোঝলেন না
মনে করুন বিগ বেং বিগ বাঊন্স কিছু হয় নাই, তাহলে বিগ বেং বা বাঊন্স হওয়ার পর কার্বনের মত একটি পরমাণু হওয়ার মত অবস্তান থাকবে কেন ? তাহলে কি গনিত বিগ বেংগের আগেই ছিল ?’
ভাই আসলেই আমি কিছু বুঝিনাই। কেউ আমাকে কি বলবেন বিংব্যাং না হলে কার্বন পরমানু কেমন হত অথবা বিগব্যাং হলেও কার্বন এর আধিক্য না থাকলে ,পৃখিবীতে প্রাণ সৃষ্টি না হলেও মহাবিশ্বের কোন সিস্টেমের এর কি কোন সমস্যা হত? আপনার মূর্খ খোদা গণিত জেনে বিলিয়ন বিলিয়ন গ্রহ-নক্ষত্র আকামে কেন বানাইলো?২।আপনি আরও লিখেছেন-
“ড্রাক বা ড্রেইক ইকুয়েশন তো চিনেন ।
(N=Rfp ne fl fi fc L) যাইহোক, N হইতাছে সভ্যতার সম্ভাবনা, বাকি ট্রাম গোলার মানে আপার মত বিশাল জ্ঞানী মানূষ অবশ্য ঈ জানে”
এটা লিখে কি বুজাইলেন এটাও আসলেই বুঝিনাই, সম্ভত বুঝাইলেন -দেখ আমি একটা সমিকরণও জানি এরপরও আমি মুর্খ হয় কি করে।
৩।আবার বলেছেন-
“SETI (search for extraterrestrial intelligence) , এটার ঊপর রিসেরছ করতেছে , বহু বছর জাবৎ । কিছু পাওয়া যায় নাই”।
এটাও বুঝিনি। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন বিশ্বভ্রমান্ডের সব কিছু
খোজা শেষ করে ফেলেছে? আর খোজা শেষ করে কিছু পাওয়া না গেলেও কি প্রমান হল? প্রাণ সৃষ্টির মত উপাদান ও পরিবেশ না থাকলেও যদি প্রাণ সৃষ্টি হত তাহলে আপনার আকাইম্মা খোদা কিছু কাম করছে বলতে পারতাম।
আপনার মন্তব্য নতুন কোন পাঠক প্রথম পড়লে না জানি মুক্তমনার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে সে ভয়ে আছি।ফরিদ ভাই এর মত আমিও বলি কষ্ট করে হিব্রু ছেড়ে বাংলায় লিখলে সমস্যা নাই।
যাক বেহুদা সময় নষ্ট করতে ভাল্লাগে না।
ধন্যাবাদ ।
@ প্রিয় হেলাল,
আক্রমন টা, আপনিঈ করেছিলেন ? আমি আপনাকে কিছু বলি নি প্রথমে । দেখেন অন্যরাও আপনার এই আক্রমন পছন্দ করে নি । যাইহোক, তারপর আপনার জবাবে আমি যা লিখেছি , তাতে যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন , তাহলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।
এ লেখা অত্যান্ত কৌশল-গত লিখা । যাতে মুক্তমনার অন্যরা ইন্সপায়ার হয়ে আমাকে ব্যন করে দেন । এ জন্যই আপনি এ লেখা লিখেছেন ।
আপনি আমার মন্তব্য না বুঝতে পারলে , ঐ মন্তব্য না পড়লেই পারেন । তারপর ও যদি কষ্ট পান, তাহলে আমার এ ফোরাম থেকে চলে যাওয়াই ঊচিত ।
গনিত বিষয়টি ঈ শৃঙ্কলা , এই শৃঙ্কলা কে আমরা এক দুই তিন দ্বারা প্রকাশ করি । আপনি তো দেখেছেন শক্তি(E=mc2; E=1/2mv2 ; E=mgh) তার নিয়ম মেনে চলে , এই নিয়ম যেহেতু কোন পদার্থ বা বস্তু নয় , সেহেতু সে বিগ ব্যং বা বাঊওন্সের আগেই ছিল । একটি জ্ঞান সময় যখন শূন্য , তখন থাকলে , আমি একে কি বলতে পারি । তারপর, পর্যায় সারনীতে হাইড্রোজেন তার একটা প্রটন থাকায় এক বৈশিষ্ট ও ইলেক্ট্রন বিন্যাস লাভ করে , হিলিয়াম দুইটি প্রটন থাকায় ভিন্ন এক বৈশিষ্ট লাভ করে এবং ইলেক্ট্রন বিন্যাস লাভ করে । কার্বনের ছয়টি প্রটন থাকায়, জটিল যোগ ঊত্পাদনের ইলেক্ট্রন বিন্যাস লাভ করে । তারমানে একটি নিয়মে চলতেছে , আর নিয়ম যেহেতু বস্তু নয় , তাই বিগ ব্যংয়ের আগেই ছিল । যদি আল্লাহ সুবাহানাতালা না থাকেন , তাহলে এসব নিয়ম, এবং গনিত বলে কিছু থাকতো না । কেঊ অংক বলে কিছু পড়ত না ।
যদি এই যুক্তি আপনার হাসি পায় , তাহলে আমায় ক্ষমা করে দিয়েন ।
হিন্দু বা খ্রিস্টান দের , কৃষ্ণ বা যিশুকে বললে যদি হৃদয়ে না লাগে , তাহলে মসুওল্মান্দের কিছু করার নাই । তাদের উদাহারন টেনে মসুলমান দের, ভালবাসা ছোট করার অবকাশ নাই
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য আমি দুখিত । আমার প্রশ্নগুলো, সাত খন্ড রামায়ন পরে সিতা কার বাপ এ ধরনের ছিল না । কারন, আমি বুঝতেছি এ ধরনের ছিল না । আমি বোঝাতে পারি নি ।
@আদিল মাহমুদ ভাই,
আশা করি আমার এ ফোরামে আর লিখতে হবে না । যেহেতু সংধেহ করা হইতেছে , আমি থাকলে পাঠক কমে যাবে । তাহলে, ব্যন হওয়ার আগেই মান-ইজ্জত নিয়ে চলে যাওয়া ভাল । বিজ্ঞানী দের কষ্টের মূল্য আমার কাছে আছে । তাই, আমি তাদের সম্মান করি । আমি বিশ্বাস করি না , কোন সত্যিকার বিজ্ঞানী আমার ভুলে ভরা কথার জন্য আমাকে অপমান করবে । যারা বিজ্ঞানকে অথবা ধর্মকে নিজের সার্থে ব্যবহার করে তাদের আমি ঘৃনা করি । বড় বড় বিজ্ঞানির বই পরলাম কই তারা তো ধর্ম এর বিরূদ্ধে কিছু লেখেন নাই । বিপ্লব দার দেশের মানুশ , এ পি যে আ কালাম এর “ইন দা ওয়েংগস ফায়ার” বই দেখেন , কত সুন্দর বই । আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকলে মাফ করে দিয়েন । ও আমার রান্না সত্যিঈ বেশ উপাদেয় হয়েছিল । আপনাকে ধন্যবাদ । একটা হাদিস দিয়ে চলে গেলাম
আমাকে সময় দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ,
আপনি এ ফোরাম থেকে চলে যাবেন জেনে আমি আন্তরিকভাবেই দূঃখিত। আপনি ম্যাচিওর মানুশ, আমি উপদেশ দিতে যাব না। তবে আপনি তো নিজেরি স্বীকার করেছেন যার কথায় আপনি দূঃখ পেয়েছেন তাতে এখানকার অনেকেই একমত হননি, প্রতিবাদ হয়েছে। এ দিকটা বিবেচণা করতে পারেন। মুক্তমণা মূল টীমের কেউ কিন্তু আপনাকে বহিষ্কার করার কথা বলেনি, মনে হয়েছে ধৈর্য্য নিয়েই ব্যাখ্যা করেছে আপনার আর্গুমেন্টের দোষ ত্রুটি। আর যেকোন ফোরামেই তর্কে করতে গেলে একটু আধটু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরকম কিছু মেনে নিতেই হয়।
আপনাকে তো অন্তত এখানে কেউ আপনার ধর্ম কি এবং কেন, অন্য অপছন্দের ফোরামে অংশ নেন কেন, অন্য ফোরামে অংশ নেন বলেই চরিত্র খারাপ, বা নিজের বাবা মার দেওয়া নাম বদলে ফেলার মত অসভ্য বর্বরের মত উপদেশ দেয়নি। আমাকে কিন্তু আরেক যায়গায় এসব কথাবার্তা বলা হয়েছে, আপনিও মনে হয় জানেন। সেখানকার সম্পাদক বা আর কেঊ টু শব্দটিও করেননি।
মুক্তমণার একটা বড় দূর্বলতা হল এখানে অন্য পক্ষের বক্তব্য তেমন শোনা যায় না। আপনিও চলে গেলে মাঠ আরো ফাকা হবে।
ধর্মের নামে প্রতারক মনে হয় সব যুগেই ছিল। এদের প্রতিরোধের মূল দায়িত্ব ধার্মিকদেরই হওয়া উচিত।
ভাল থাকবেন।
@আদিল মাহমুদ,
:yes:
আমরা কেউই চাইনা ফুয়াদ সাহেব চলে যাক, বরং আরো উৎসাহের সাথে উনি মুক্তমনায় লিখুন তাই কামনা করি। আর বৈঠকি আলোচনায় তো তর্ক বিতর্ক হয়ই, হয়তো কখনো সখনো একটু গুতোগুতিও। এটাকে বন্ধুসুলভ মনোভাবে গ্রহণ করতে হবে সবার।
তারপরও সবার প্রতি অনুরোধ তারা যেন অযথা কাদা ছোড়াছুড়ি না করেন। সবাইকে তাদের বক্তব্য প্রকাশ করতে দিন।
@আদিল মাহমুদ, :yes: :yes: :yes:
ফুয়াদ সাহেব চলে যাবেন এটা হতেই পারে না, ব্যক্তি আক্রমণ হতে পারে তবে এটা তো আক্রান্তের দোষ না, আর ফুয়াদ সাহেব মন্তব্য করা বন্ধ করে দিলে এখানকার মুক্ত পরিবেশে কালিমা লাগবে। ফুয়াদ সাহেবের প্রতি আমার অনুরোধ রইলোঃ আপনি মুক্তমনায় নিয়মিত থেকে মুক্তমনা কে পাণবন্ত রাখুন। কাউকে আমাদের প্রতিপক্ষ ভাবা উচিত বলে আমি মনে করি না। আসুন আমরা মুক্তমনাকে প্রাণবন্ত রাখি।
ধন্যবাদ। :heart:
@আদিল মাহমুদ, মুহাইমিন, আভিজিত ,
আপনাদের সবার মন্তব্য দেখে ভাল লাগল । আচ্ছা, এখন থেকে লিখলে , আমার বানান আর গ্রামার দেখে লিখার চেষ্টা করব ইনশি-আল্লাহ । এবং সাবধানে লিখব ।
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ,
প্রশ্নোই উটে না। আপনি অবশ্যই থাকবেন।
ভাঈ আরেকটি কথা মুখস্ত করে নিয়েন –
A NATURAL LAW IS A DESCRIPTION, NOT A PRESCRIPTION.
@সৈকত চৌধুরী,
এর ব্যাক্ষাটা ঠিক বুঝলাম না, একটু বুঝিয়ে বললে ভাল হত। ধন্যবাদ।
“গণিত হচ্ছে ভাষা যার দ্বারা ঈশ্বর এই মহাবিশ্ব লিখেছেন” এটি গ্যলালিও বলেছেন ।
@এডমিন,
আমার লেখা গুলি দয়াকরে মডারেন শেষ করে ছাপান , আমার লেখার পর যারা লেখতেছেন , তারা আমার লেখার অর্থ ঈ পাল্টে দিতেছেন । তাই, ছাপান । আমার পরে যারা কমেন্ট দিছে তাদের লেখা ছাপা হয়েছে । তারা ভাববে তারা উত্তর দিবার পরও কেন আমি লিতেছে । তাই, এডমিন , আশা করি আপনি সময়ের মূল্য বোঝবেন । একটা জবাব দেওয়ার পর যদি , বেশী দেরি করে ছাপা হয় , তাহলে অর্থ ঈ বদলে যায় ।
@আদিল মাহমুদ ভাই,
আমি প্রথমে ঐ প্রশ্নের জন্য প্রটিন অনু কে সিলেক্ট করে ছিলাম , পরে দেখলাম , কার্বন পরমানূ সহজে আমার মতামত প্রকাশ করতে পারে । ভেবে দেখলাম , কার্বন পরমানু যে ইলেক্ট্রন বিন্যাস পাইছে , তা তার ৬ টি প্রট্ন থাকার ফলেই পেয়েছে। আপনার পরমানু সম্পর্কে ধারনা থাকলে দেখবেন , ইলেক্ট্রন বিন্যাস পরমানূর বৈশিষ্ট নিয়ন্ত্রন করে । তাই, হাইড্রজেন, হিলিয়াম চাইলেও কার্বনের মত আচরন করতে পারবে না । সিলিকন কেন কিছুটা কার্বনের মত আচরন করে তা আপনি অভিজিত দা কে লেখা আমার উত্তরেই পাবেন । আমি ইয়েস স্যার , ইয়েস স্যার মার্কা ছেলে না । আমি ইয়েস স্যার অ বলি, নো স্যার ও বলি । ম্যাথমেটিক্সস মাস্টার্স করা এক ছেলে, ফিলসফির এক মেয়ে কে জালাতোন করতেছিল । তখন, ফিলোসফির মেয়েটি রেগে তাকে প্রশ্ন করলো , আচ্চা আপনি বলেন তো ১ থেকে ২ এর মধ্যে কয়টি বাস্তব সংখ্যা আছে ? বেচারা মাস্টার পাশ ছেলে উত্তর না দিতে পেরে শরম পেয়ে চলে গেল । এই হচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্তার বাস্তব প্রমান । এখন, আমি কি জন্য কার্বনের কথা বলেছি , তা হেলাল ভাই না বুঝে , আমার লেখা নাকি নির্মল বিনোদন দেয় বলে ফেললেন । কার্বন, সিলিকন না থাকলে যে প্রান হবে কি করে ? প্রটীন হবে কি করে ঐ খবর ঊনার নাই , আবার এর পিছনে সুশৃঙ্গকল গনিত কাজ করতেছে, ঐ খবরো ঊনার নাই ।বিগ বেং বা বাঊন্স, এগুলার ভিতর থেকে ও প্রশ্ন আনা যায়,ঐ খবর ও ঊনার নাই। আমি গোরায় প্রশ্ন করেছি । আমি হয়ত শিক্ষা গত যোগ্যতায়, জ়াস্ট ঈন্টার পাশ । কিন্তু আমি আমার না জানা কে স্বিকার করি । আমি বলি আমি ছাত্র মাত্র। একজন , ছাত্র প্রশ্ন করতে ভয় পায় না , যদি পায় তাহলে সে ছাত্র ঈ না ।
আরেকটি বিষয় দেখেন ,
কেঊ হাসলেই আমি দমে যাই না , দেখি আমার বিষয় গুলি তারা কিভাবে জবাব দেন ।
প্রগ্রামিং বিষয় টী আদেশের মত , কোন কোন পগ্রাম নিজে নিজেই শিখতে পারে । যেমন ঃ কিছু দিন আগে জাপানী কিছু বৈজ্ঞানিক এধরনের পগ্রাম দিয়ে রোবট বানিয়েছেন , যারা পরিস্তথি দেখে নিজে রাই শিখতে পারে । যখন রাসূল সঃ কে অত্মা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল তা কি ? বলা হল ,
বল আত্মা হল তোমার প্রভুর নির্দেশ
আদিল ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ । আমাকে রান্না করতে হবে । পরে আমার চিন্তা গুলো আরো ক্লিয়ার করার চেষ্টা করবো ।
@ফুয়াদ,
একটু কষ্ট করে বাংলায় লিখলে আমার জন্য বুঝতে সুবিধা হত। আপনার হিব্রু ভাষা থেকে আমি যেটুকু বুঝলাম তা হচ্ছে যে, মডারেশন এর ফলে আপনার মন্তব্য আসছে অপেক্ষাকৃত পরে, আর এর মাঝে অন্যেরা আপনার করা পূর্বের মন্তব্যের মূল অর্থ পালটে দিচ্ছে।
মডারেশনে যারা কাজ করছেন তারা কেউ-ই মুক্তমনায় সার্বক্ষণিক সময় দিতে পারেন না নিজেদের পেশাগত ব্যস্ততার কারণেই। আপনার সময়ের যেমন মূল্য আছে তাদেরও সময়ের সেরকমই মূল্য আছে। এ ছাড়া আরেকটা সমস্যা হচ্ছে মুক্তমনার মডারেশনের সঙ্গে জড়িতরা সকলেই পূর্বাঞ্চলীয় সময় জোনে অবস্থান করছেন, ফলে উত্তর আমেরিকার রাতের একটা বিরাট অংশসহ দিনের বেশিরভাগ সময়ই মডারেটররা অনলাইনে থাকতে পারেন না। তারপরও চেষ্টা করা হয় যতদূর সম্ভব দ্রুতগতিতে মন্তব্যগুলোকে অনুমোদন দিয়ে দিতে।
মডারেটরদের উপর চাপ কমানো এবং মুক্তমনার দায়িত্বশীল সদস্যরা যাতে সরাসরি মন্তব্য করতে পারেন সেজন্য ধীরে ধীরে তাদেরকে ব্লগে নিজস্ব ইউজার আইডি দিয়ে দেয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সদস্যদের কাউকে আর তাদের মন্তব্য অনুমোদনের জন্য মডারেটরদের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না।
সেই সময় পর্যন্ত এইটুকু অসুবিধাকে মেনেই নিতে হবে সবাইকে।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বলি নি । আমি দেখেছিলাম , অনেক গুলো কমেন্ট ছাপা হইতেছে যারা আমার পরে লিখেছে । কিন্তু, মনে হয় এমন ছিল না । অতএব, আমি দুখিত ।
@ফুয়াদ ভাই,
আপনাকে খোলা মনে একটি উপদেশ দেই কিছু মনে করবেন না, তাতে আপনার আমাদের সবারই উপকার হবে।
আপনি চট করে কিছু লিখতে বসে না গিয়ে একটু সময় নিয়ে চিন্তাভাবনা করে গুছিয়ে লিখুন। আপনার অধিকাংশ বক্তব্য আসলে বোঝা খুব দূর্বোধ্য। এখানে থেকেই যত সমস্যার সৃষ্টি হয়। আপনার জ্ঞান যে খারাপ ব্যাপারটা তা না।
আমিও আগের দিন কার্বন সিলিকন নিয়ে কি প্রশ্ন করেছিলেন ঠিক বুঝিনি, এখন কিছূটা বুঝলাম। অভিজিতের উত্তর থেকে আর করেছিলাম মাত্র।
ব্ল্যাক হোল বিগ ব্যাং এগুলি কোনটাই মনে হয় প্রমানিত সত্য নয়। এগুলি নিয়ে খুব জোর বিতর্ক করার তাই মনে হয় মানে হয় না। আমার নিজের কাছে আপেক্ষিকতাত্তত্ব, টাইম ডাইলেশন, মাইকেল মোর্লির পরীক্ষা এগুলি অত্যন্ত জটিল ব্যাপার বলে মনে হয় তাই খুব বেশী চিন্তাভাবনায় যাইনি, আলসে প্রকৃতির মানুষ তো।
তবে গনিত বিজ্ঞান সব ঈশ্বরের ভাষা হলেও সেই ভাষা অনেক কষ্ট করে ডিসাইফার করতে হয় মানুষকেই। তাই কোন ছল ছূতায় সেই অক্লান্ত পরিশ্রমের কাজটি যারা করেন তাদের অত কষ্টের প্রাপ্তিকে উড়িয়ে দেওয়া কোনমতেই উচিত নয়।
আশা করি আপনার রান্না বেশ উপাদেয় হয়েছে।
চল চল চল
ফুয়াদ ভাই বস!
আমি আসলে কখনো কাউকে আঘাত করে কিছু বলতে চাই না। আমার এই মন্তব্যে কেউ কষ্ট পেলে ক্ষমা করে দিবেন।
মানুষের একটি নির্দিষ্ট বয়স হবার পর, নিজের একটি বিশ্বাস গড়ে উঠার পর, যদি সে নিজে না চায় তবে তাকে কোনভাবেই যুক্তি দিয়ে বুঝানো সম্ভব নয়। কেউ যদি চায় সত্যকে জানতে তবেই কেবল সে সত্যের কাছাকাছি যেতে পারবে। তাই ফুয়াদের প্রশ্নগুলোর পেছনে অভিজিৎ’দা, বন্যা’দি, বিপ্লব’দা যেভাবে সময় নষ্ট করছেন তার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা আবার একটু চিন্তা করে দেখুন। আমার কাছে এটা সময় আর মেধার অপচয়।
ফুয়াদের দেওয়া সামহয়ারইনের পোষ্ট আর মন্তব্য দেখে এটাই আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে বা গবেষনা কিভাবে করা হয় সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই বা কিছুটা থাকলেও তিনি সেটা মানতে চাননা। এহেন ব্যক্তির পেছনে সময় নষ্ট করার মত সময় আসলেই আমার কম আছে। আপনাদের থাকলে চালিয়ে যান। কিন্তু এতে এই পোষ্টের কোন উপকার নেই, বরং আমি বলবো লেখটির মান কমে যায়।
আমাদের উদ্দেশ্য কি সেটা আগে পরিষ্কার করুন। কাউকে ধরে, যুক্তি দিয়ে নাস্তিক বানানো বা তাকে বিবর্তনকে স্বীকার করানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য বিবর্তনকে বা বিজ্ঞানকে বা সত্যকে বা ইতিহাসকে, সর্বোপরি মুক্তচিন্তাকে প্রকাশ করা। মানুষের সামনে তুলে ধরা, উপস্থাপন করা। তারপর কোন সত্যাগ্রহী ব্যক্তি সেগুলো পড়ে নিজেই সত্যকে খুঁজে নিতে পারবে।
সবাই ভাল থাকুন।
@স্বাধীন,
খুবই সুন্দর ও হৃদয়গ্রহ্য কথা। তারপরেও কেউ ভুল পথে থাকলে তাকে সংশোধনের একটা দায়িত্ব আছে। সত্য জিনিষ্টা আপেক্ষিক, পরম সত্যের অস্তিত্ব আছে কিনা জানা নেই।
ধন্যবাদ।
@স্বাধীন,
ফুয়াদ ধার্মিক ব্যাক্তিদের একটি ভাল স্যাম্পল-একদম মিডিয়ানেই থাকবে। এই বিতর্ক যখন কোন বাঙালী ছেলে ইন্টারনেটে দেখবে-সে তার দিক ঠিক করে নেবে। যুক্তিই সেখানে সব না-কারা কোন পক্ষে আছে সেটাও একটা ব্যাপার। সে তার ক্লাসকে ফুয়াদের সাথে একাত্ম করতে চাই না, যুক্তিবাদিদের সাথে একাত্ম করতে চাই-উত্তরের ধারা দেখেই বিচার করবে। অনেকটা সামাজিক পরিচয়বোধের প্রয়োজনে-সেটাও অনেক ক্ষেত্রেই একটা বিশাল ফ্যাক্টর ডিশিসন মেকানিজমে।
বিদ্যাবুদ্ধির বিচারে অধিকাংশ ধার্মিক মানুষ ফুয়াদের ধারে কাছেই থাকবে। ভাশাটা আরো অনেকেই ভাল জানতেই পারে। কিন্ত ফুয়াদের চেয়ে বেশী যুক্তিবোধ কোন আস্তিকের কাছ থেকে আশা না করাই ভাল।
@বিপ্লব পাল,
মনে হয় ঠিক বললেন না। কিছু প্রকৃত আস্তিক চিন্তাবিদের নমুনা দেখুন, কি নির্মল বিনোদন বিলিয়ে যাচ্ছেনঃ
http://haque.amarblog.com///posts/89291/
http://haque.amarblog.com//posts/89078/
http://amibangali.amarblog.com///posts/89340/
ফুয়াদ ভাই মনে হয় এই পর্যায়ের না।
বিপ্লব তোমার সাথে বিতর্কে যেতে চাইনা, কিন্তু তোমার শেষ লাইনটাকে আমি ঠিক মনে করিনা।আমি নিজেই বহু আস্তিককে চিনি যাদের যুক্তিবোধ যথেষ্ট প্রখর। আবার, সব আস্তিককে এক বস্তায় পুরে দেওয়াও ঠিক নয়। একেক আস্তিক একেকভাবে, একেক লেভেলে ধর্ম অথবা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে। আমার কাছের মানুষগুলার মধ্যে লিবারেল আস্তিক, আ্যগনস্টিক থেকে শুরু করে নাস্তিকের ছড়াছড়ি। আস্তিক হলেই তার কখনই নাস্তিকের সমান যুক্তিবোধ থাকতে পারে না – আমার মতে এটা একটা ভুল ধারণা এনং ঔদ্ধ্বত্যপূর্ন মনোভঙ্গী।
এবার আমি ফুটলাম…আমি এই পোষ্টে আর উত্তর দিচ্ছি না, এর পরের পর্বটা লেখা শুরু করা দরকার।
বিপ্লব’দা
আমার মনে হয় আপনার এই পর্যবেক্ষনে ভুল আছে যা বন্যা’দিও উল্লেখ করেছেন। অনেক লিবারেল আস্তিক আছেন যাদের যুক্তিবোধ যে কোন সাধারন নাস্তিকের চেয়ে ভাল হতে পারে। আমার মতে ফুয়াদ ভাই কখনোই মিডিয়ানে পড়ে না। উনার অবস্থান মিডিয়ানের বেশ নীচেই। দুঃখিত ফুয়াদ ভাই, কষ্ট পেলে আমার মন্তব্যে।
@স্বাধীন, বন্যা
আমার একটা ছোট কিন্ত মারাত্মক ভুল হয়েছে। ধার্মিক কথাটা ব্যাবহার না করে, বলা উচিত ছিল ধর্মভীরু মানুষ। ধর্মভীরু মানুষ বুদ্ধিমান হতে পারে না। সাধারন বুদ্ধি তাই বলে। আমার অভিজ্ঞতাও তাই বলে।
যারা ধর্মের রাজনীতি করে, তারা কিন্ত কখনোই ধর্মভীরু ক্যাটাগরীর নয়।
@স্বাধীন,
একমত হতে পারলাম না। মেধার অপচয় কিভাবে হয় জানিনা। আমি তো জানতাম মেধা যত বিলানো হয় ততই বাড়ে। আমি বলবো ফুয়াদ তো উপকৃত হচ্ছেনই, সাথে আমার মতো অগণিত পাঠক, বিবর্তনবাদের উপর যাদের জ্ঞানের থলে নিতান্তই শুন্য। এ বিশ্বে ফুয়াদ একা নয়, এসকল প্রশ্ন লক্ষকোটি ফুয়াদের। মুক্ত-মনায় আরো ফুয়াদেরা আসুক, কেউ না কেউ উপকৃত হবেই।
@আকাশ মালিক,
আমিও এরকম। শতভাগ একমত। আমি আগে অনেক কিছুই জানতাম না, এখানে এসে অনেক কিছুই জানছি যা আমার অনেক উপকার করেছে। আসলে জ্ঞানটা বিতরণের জিনিষ, ফুয়াদ ভাইএর মত আমিও অনেক উপকৃত হয়েছি। আমি সেটাই বলতে চাই, কাউকে ছোট ভাবাটা যেমন পাপ তেমনি ছোট ভেবে উপেক্ষা করাটাও পাপ(কারণ এতে একজনের ভাল হবার সম্ভাবনা নষ্ট হয় এবং সে কষ্ট পায়) আমার মতে মানুষ্কে কষ্ট দেওয়া সবচেয়ে বড় পাপ। আমি একটা উপদেশই সবসময় মানিঃ
ধন্যবাদ। :rose:
@ফৃয়াদ,
বিশ্বাস করুন আর না করুন আমি আপনার দারুণ ভক্ত। আপনার প্রশ্নগুলো যে নির্মল বিনোদন দেয়, তার জন্য আমি অধির অপেক্ষায় বসে থাকি।কেউ কেউ না বুঝেই বলে ফেলে আপনাকে বিবর্তন এর বেসিক জানার জন্য বই পড়তে। আপনি কিছু মনে কইরেন না। আরে তারাতো জানে না আপনি বিবর্তন জানলে এই ধরনের পিলে চমকানো প্রশ্ন কোথ্থেকে আসবে?
চালিয়ে যান ,সাবধান কারো কথায় কান দিবেন না।
@হেলাল,
মাননীয় হেলাল ভাই,
জানাগেল আপনার জ্ঞানে পৃথিবী আলোকিত , ধন্য । তানবী ভাইকে, করা সহজ প্রশ্নটা বোঝলেন না । আচ্ছা, আপনাকে আরেকটি প্রশ্ন দেই । ক্লীয়ার করে দিব, শুধু পালিয়ে যাবেন না, উত্তর দিবেন । আশা করি, আপনার মত বিশাল জ্ঞানীলোক উত্তর দিবে ।
তাই, আমি ন্যচারাল সিলেকশনে বিশ্বাস করি না , ইন্টিলিজিন্ট সিলেকশন আমার কাছে অধিক গ্রহন যোগ্য ।
@হেলাল,
ভাই লোক্টার মনে কষ্ট দেবাটা উচিত হয়নি।
এই কথাটা আমার জন্য মারাত্মক কষ্টদায়ক হয়েছে; না, আমার মনে হয় বিবর্তন সম্পর্কে সবার পরিষ্কার ধারনা থাকা উচিত নইলে সে ব্যক্তিগত জীবনেই ভুল পথে মোড় নেবে।
আর ভবিষ্যতে আমাদের ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপাত্বক, আক্রমনাত্বক, শ্লেষাত্বক কথাবার্তা থেকে বিরত থাকা উচিত। কাউকে কষ্ট দেওয়া আমি একদমই সহ্য করতে পারি না তা সে জনাব ফুয়াদকেই হোক আর বিপ্লব পালকেই হোক ।
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
একমত।
কারোই উচিত নয় এমন কিছু বলা যাতে কেউ এই ফোরামে খোলামনে কথা বলতে অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। সবার জ্ঞান যুক্তিবোধ তো এক নয়।
অনেকের কাছেই বেশ কিছু প্রশ্ন বা আর্গুমেন্ট বোকার মত হতে পারে, আবার অনেকে তা থেকেও নুতন কিছু শিখতে পারে। আজ যেমন আমি কার্বল মলিকিঊল আর সিলিকন বেসড লাইফের জ়টিল ধারনা খুব সংক্ষেপে ওভিজিতের থেকে শুনলাম। ফুয়াদ সাহেবের তোলা প্রসংগ থেকেই ওটা এসেছে। তাই ফুয়াদ সাহেবের ধণ্যবাদ প্রাপ্য।
ব্যাপারটা সোজা নয়। বিবর্তনের তত্ত্বটা কখনোই সোজা ছিল না। অনেকের কাছে – মূলত ধর্মাচ্ছন্নতার কারণে – এটা কখনোই বোধগম্য হবে না। বিবর্তনের প্রক্রিয়াকে বোঝার জন্য চিন্তার জগতে যে মাত্রার উত্তরণ দরকার তা অনেকের মস্তিষ্কে হয়তো কোনদিনও ঘটবে না। আবার যারা নিজেদের চিন্তার জগতে এই উত্তরণটা ঘটাতে পেরেছেন, তাদের কাছে প্রাণের বিবর্তন জটিল হলেও বিজ্ঞানের অন্য যে কোন শাখার মতোই গ্রহণযোগ্য। তাদের জন্য আর্ডির আবিষ্কার একটা দারুণ ব্যাপার। কারণ মানব-বিবর্তন নিয়ে অনেক প্রশ্নই অমীমাংসিত রয়ে গেছে – অনেক অনুমান-অনুকল্প সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় নি। এখনই যে হয়ে গেছে তা নয়, তবে আর্ডি মানব-বিবর্তনের ধারাটাকে আরো ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
এই জটিল বিষয়টাকে প্রাঞ্জল ভাষায় লেখার জন্য বন্যাকে ধন্যবাদ। বিবর্তেনের ইতিহাসের গল্পটা পড়তে গল্পের মতোই লাগছে । যদিও জানি, এই গল্প গালগল্প নয়, আমাদেরই পূর্বপুরুষের ইতিহাস।
পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম।
@ইরতিশাদ,
কোনদিন ঘটবেনা এরকম নৈরাশ্যমূলক কথা বলা উচিত নয়; আমাদেরকে ‘অনেকের‘ মস্তিষ্কবিকাশ সাধনে আমরণ চেষ্টা চালানো উচিত- তাহলেই আমাদের মানবিকতা প্রকাশ পাবে।
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
ঠিকই ধরেছেন, আমার মন্তব্যটায় সংবেদনশীলতার কিছুটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। আসলে বলা উচিত ছিল –
“বিবর্তনের প্রক্রিয়াকে মেনে নেয়ার জন্য চিন্তার জগতে যে মাত্রার উত্তরণ দরকার তা অনেকের মস্তিষ্কে হয়তো কোনদিনও ঘটবে না।”
বিবর্তন তত্ত্ব ভালোভাবে বুঝতে হলে হয়তো অনেক পড়াশোনা আর বুদ্ধির দরকার, কিন্ত মেনে নিতে দরকার বিজ্ঞানমনস্কতার আর মুক্তমনের। আক্ষেপের সাথে বলতে হচ্ছে অনেক শিক্ষিত বিজ্ঞানী, পিএইচডিধারী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার দেখেছি যারা বিবর্তন তত্ত্বকে মিথ্যা, বানানো, ধর্মের বিরুদ্ধে কারসাজি ছাড়া আর কিছুই মনে করেন না। বোঝার মতো মস্তিষ্ক এদের নিশ্চয়ই আছে, কিন্ত মেনে নেয়ার মতো মানসিকতা নেই। মস্তিষ্কের যে উত্তরণটার কথা বলছিলাম, তা এই মানসিকতার ওপর নির্ভরশীল, বোঝার ক্ষমতার ওপর নয়। তাই তাদের মতো অনেকের মস্তিষ্কবিকাশ সাধনে আমরণ চেষ্টা চালিয়ে কি লাভ হবে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।
আমি যা বলতে চাইছিলাম তা কিন্তু ঠিকই রয়েছে , আপনাদের বিজ্ঞান এত উন্নত হয় নি যে এর দ্বারা বিশ্বাস নির্ধারন করতে পারেন । বন্যা আপা , আপনি লিখছেন বিবর্তন এর বই, কিন্তু ধর্মকে ও টেনে এনেছেন । বলেছেন ,
বাইবেল, কোরান বলছে সৃষ্ঠিকর্তা ছয় দিনে এই বিশ্বব্রক্ষান্ভ সৃষ্ঠি করেছেন ।(যদিও কোরানের ছয় দিনের ব্যাক্ষা আছে)
আমার প্রশ্ন আপনি তো কোরান বা বাইবেলের বই লেখতে যান নাই, লিখেছেন বিজ্ঞানের বই । তাহলে, ধর্ম আনার কি দরকার ? তারমানে সমস্যা অন্য কোথায় । ডারোয়িন বাদের আসল কাজ হয়ে গেছে ধর্মকে আঘাত করা । বিশেষ করে ইসলাম আর খ্রিষ্টানিটিকে । ডারোয়িসম দিয়ে হিন্দু ধর্মের কিছু করা যায় না। হাজার পাতা লেখলেও হয় না । কারন হিন্দু ধর্ম বহুমতের একটি মিশ্রণ ।
আমার কোন লেখায় বলি নাই , বিবর্তন ভুল । ঈভুলশন ফেক্ট হয়ে গেছে বলে আপনারা দাবী করেন, বুঝলাম, কিন্তু ঈভুলোসনে মানুষ এসেছে , তা পরিপূর্ণ ভাবে ব্যক্ষা না করতে পেরে , বা পরিবর্তনশীল ব্যক্ষা করে তো আর ফ্যক্ট হতে পারে না ।
ঠিক ঈ বলছেন আপা, আমি বোধ হয় বেসিকটাই বুঝি না । তবে ক্লাস ৫-৪ থেকে বিবর্তনকে আমি চিনি , তবে নিজের মত ব্যক্ষা করতাম । আমার একটা আগ্রহের বিষয় এত বছর দেখার পর ও মনে হয় তেমন কিছু বুঝি না । ঠিক ই বলছেন ।
বর্তমানে বিবর্তন প্রপগান্ডায় রুপ নিছে, আর বিজ্ঞান না থেকে ।
তাই মাঝে মাঝে মনে হয় , সাধে কি কিছু মানুষ বলে ডারোয়িন আলফ্রাড রাসেলের আবিষ্কার চুরি করেছিলেন ।
বিপ্লব দা, দেখি আমাকে কৌশলে কোরান বিরোধ সাজিয়ে ফেললেন । বিবর্তন এখন ১০০% প্রমানিত কিছু নয় । আর আল্লাহ ঈ এক মাত্র পরিপূর্ণ সত্য আর কোরান তার সত্য বই । যারা সত্যকে মিথ্যা প্রমান করতে চায়, মানে যারা আল্লাহ সুবাহানাতালা এবং তার বই কে মিথ্যা প্রমান করতে চায় , তারা। আমরা না । মানুষের সকল মতামত এবং তত্ত এবং ফেক্ট এ কিছু না কিছু ভুল থাকে , তাকে প্রশ্ন করলে কোন গুনাহ নাই । তাই, বিজ্ঞানে কোন দ্বিমত এ কোন সমস্যা নাই । তাই বিজ্ঞানী গুলো ও কোন অনর্থক কাজ করতেছে না । অনর্থক করতেছেন , আপনি , আবুল কাশেম সাহেব, আকাশ মালিক সাহেব যারা কোরান কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে চায় , তারা অন্যরা নয় ।
11. Then woe that Day to those that treat (Truth) as Falsehood;-
12. That play (and paddle) in shallow trifles.
13. That Day shall they be thrust down to the Fire of Hell, irresistibly.
14. “This:, it will be said, “Is the Fire,- which ye were wont to deny!
সত্য বলতে ইসলামের সত্য বুঝানো হয়েছে । ১৪ নম্বর আয়াতে দেখেন ।
আদিল মাহমুদ ভাইয়ের জন্য বলি ,
।
@ফুয়াদ,
ভাই মনে কিছু নিয়েন না। আমি একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করি।
ভাই আপনার পড়ালেখার সাবজেক্ট কি ছিল?
আলিম, ফাজিল নাকি আর্স?
বিবর্তন বাদ সম্পর্কে আমার নিজেরও এক সময় অনেক ভূল ধারনা ছিল। কিন্তু আমি জানার চেস্টা করেছি বলে এখন অন্তত ভূল ধারনা গুলো নাই।
আপনি আগে সম্পূর্ণ ভালোভাবে জানুন,ভালো কিছু বই পড়ুন ,তারপর মন খুলে তর্ক করুন। তখন কারো আপত্তি থাকবেনা।
আপনার বিবর্তনের উপর কমেন্ট পড়লে বোঝা যায় যে আপনার বিবর্তনের জ্ঞান এসেছে অন্য এক ব্লগের এক বিশাল মূর্খের কাছ থেকে, যে কিনা হাবিজাবি উদাহরন দিয়ে বিজ্ঞানকে নিজের মত ব্যখ্যা করেন। তাকে যদি বাংলাদেশের জোকার নায়েকে ও বলা হয় তাহলেও মনে হয় একটু কম হয়ে যাবে।
তাই প্লীজ আপনি নিজ থেকে একটু জানার চেস্টা করেন,তাহলেই ঝগড়া টা জমবে ভালো।
@তানভী,
এভাবে কথা বলা আপনার উচিত হয়নি, কোন মানুষ তা সে যত কমই জানুক না কেন তাকে সম্মান করাটা মনুষ্যত্বের লক্ষণ। আমি আর বলতে চাইনা। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
@মুহাইমীন, ভাই
আমি ফুয়াদ ভাইরে অমনে টার্গেট কইরা বলতে চাই নাই। বোঝার ভুল হইছে। আমি বলতে চাইছিলাম যে তিনি যদি ওইসব সাবজেক্ট নিয়া পড়াশোনা করে থাকেন তবে তার জানার মধ্যে কিছুটা গ্যাপ থাক্তে পারে। এছাড়া তার মানসিকতার সাথে আমাদের মানসিকতারও কিছুটা গ্যাপ থাকতে পারে।
এই কথাটা নিয়া যে এত কিছু হয়ে যাবে ভাবি নাই।
আমি গত তিন দিন বাসায় ছিলাম না বলে এগুলা কিছু দেখি নাই।
তাই ফুয়াদ ভাইয়ের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
@ফুয়াদ,
সত্যের মধ্যে মিথ্যের সন্ধান টা করা হয়, তথ্য এবং প্রমানের ভিত্তিতে। সেটাই বিজ্ঞান। সেটা না করলে, মুসলিম এবং ইসলামের যে হাল হয়েছে, তাই হাল হবে। কারন সব সত্যেই ভেজাল আছে-এটাই সব থেকে বড় সত্য। বা সব এম্পিরিকাল সত্যই দ্বন্দের বহিঃপ্রকাশ-এবং সেটা না জানলে, জানায় ভুল থেকে যায়।
সেই জন্যেই ধর্ম গ্রন্থগুলো রাবিশ, গারবেজ-কারন তারা সত্যের এই দ্বান্দিক রূপের ধার ধারে নি।
গীতাতে অর্জুন এবং কৃষ্ণের কথার মাধ্যমে দ্বান্দিকতা এসেছে-কিন্ত শেষে কৃষ্ণের কথাকে ফাইনাল করে পরম করে দেওয়া হল-সেখানে দ্বান্দিকতা থেকে শুরু করেও, সেই ধর্মের গারবেজের মধ্যেই চলে গেলো পুরো ব্যাপারটা।
আর বাইবেল এবং কোরান আরো ওয়ার্থলেস জিনিস-কারন সেখানে দ্বান্দিকতার ছিটেফোটা নেই। সব সুপার মাফিয়া আল্লা বলিলেন তাই সত্য! তাহার ভয়ে সত্য! আরে স্থান কাল নিরেপেক্ষ যে সত্য-যাকে রিয়ালিস্ট ট্রুথ বলে, তা ওই ভাবে অভিজ্ঞতাবাদি সত্যে ঢোকে না-যা স্থান কাল পাত্র ভেদে আলাদা হয়। বাইবেল এবং কোরান দর্শন শাস্ত্রে “সত্যের” দৃষ্টিতে দেখতে গেলে, পুরো ১০০% ফালতু দুটো বই। সব মানুষকে ধোঁকা দেবার খুরোর কল।
@বিপ্লব পাল,
ভাইয়া আপনি চ্যাতেন ক্যন। তিনি চ্যাতলে তাও খারাপ লাগেনা।
আপনি চ্যাতলে বড় কস্ট পাই।
আমি ছেলেমানুষ,(স্কুল, কলেজে পড়ি) কোথায় আমি রেগে গেলে,উল্টা পাল্টা কমেন্ট দিলে আপনি বুঝায়ে শুনায়ে ঠান্ডা করবেন,তা না করে উল্টা আপনিই রেগে টং!!
আপনার কি হুদাই চিল্লাফাল্লা করার বয়স আছে। :-))
@ফুয়াদ,
আমি নিজে এখনো ১০০% কনভিন্সড না যে কোরানের সাথে বিবর্তনের মূল তত্ত্বের সরাসরি কোন বিরোধ আছে বলে (যেমনটা বাইবেলের সাথে আছে)। আর থাকলেই বা কি, রুপক জাতীয় কোন একটা ব্যাখ্যা দিয়ে বিরোধ মিটিয়ে ফেলা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। কোরানের সাথে বিজ্ঞানের বিরোধ নেই বা কোরানে বিজ্ঞান আছে প্রমান করতে তো এমন যুক্তি অসংখ্য আছে। তাই ধর্মে টেনে বিজ্ঞানের যেকোন বিষয় ব্যাখ্যা আলোচনা শুধু সময়ের অপচয় নয়, মানসিক রোগের লক্ষন মনে হয়। যারা এটা করেন তারা অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবেই করেন যাতে সাধারণ মানুষের (বিশেষ করে ধর্মভীরু বাংলাদেশী বা মোসলমানদের জন্য বেশী প্রযোজ্য) মন প্রথম থেকেই বিবর্তনের উপর থেকে উঠিয়ে নেওয়া যায়। যাকে বলে প্রথম রাতেই বেড়াল মারা। এরই পর্যায় হিসেবে সব বিবর্তন বিজ্ঞানীকে নাস্তিক ধর্ম বিরোধী লেবেল লাগানো হয়। এরপর নিজেকে অত্যাধুনিক প্রমান করতে বিজ্ঞানের নানান বিষয় নিজের মত করে ব্যাখ্যা করে এক্কেবারে অকাট্য প্রমান করে দেন।
বিজ্ঞানের কোন আলোচনায় ধর্ম টেনে আনতে হবে কেন? উত্তরও সোজা, বিবর্তন তত্ত্ব নাকি বের করাই হয়েছে ধর্ম বা কোরান বিরোধীতার জন্য। আর্ডি আবিষ্কার করে বিজ্ঞানীরা নাকি কোরানকে হেয় করেছেন। ১৫ বছর ধরে একগাদা নামজাদা বিজ্ঞানী তাদের অক্লান্ত শ্রম দিয়ে কোরান বিরোধীতার জন্য এই ষড়যন্ত্র পাকিয়েছে এটা কোন সূস্থ মানূষের মাথায় আসা সম্ভব? আপনি কি বলেন? হ্যা, হতেই পারে তাদের আবিষ্কার বা তত্ত্ব ভুল, তার মানেই কি এই যে তাদের উদ্দেশ্য ছিল কোরান বা ধর্ম বিরোধীতা? আমি অনেক খুজেছি, কিন্তু আর্ডির সাথে জড়িত বিজ্ঞানীরা কোরান বা ধর্মকে আর্ডির সাথে জড়িয়ে কিছু বলেছে বলে চোখে পড়েনি। তবে অন্য কেউ সেটা করলে তার দায় তো তাদের নয়।
আমি যা দেখেছি তা অনেকটা উলটা, গোড়া ধর্মবাদীরাই বিবর্তনের পিছে লাগে, এবং সেখান থেকে সমস্যা শুরু হয়। আল জাজিরা যদি আর্ডির আবিষ্কারকে বিকৃত করে বিবর্তন ভুল প্রমান হয়েছে মিথ্যা অপপ্রচার চালায় তবে বিজ্ঞানীদের উচিত চুপচাপ শুনে যাওয়া? তাদের প্রতিবাদ করতে হবে না? এর জন্য আসলে দায়ী কে? বিজ্ঞানীরা নাকি আল জাজিরা বা তারা যারা বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব মানূষকে ভুল বোঝায় তারা? আপনি উপরে ঢিল ছুড়ে মারলে তা নিজের গায়ে পড়লে দোষ কার? বিবর্তন বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞান নিয়ে ব্যস্ত, কোন আবিষ্কারে কোন ধর্ম বিশ্বাসের কি এলো গেল সেটা নিয়ে তারা মাথা ঘামান না। কোন সায়েন্স জার্নালে কেউ বিবর্তন তত্ত্বের আলোকে ধর্ম শাস্ত্র মিথ্যা এমন পেপার ছাপায় না। ডকিন্স বা কোন বিজ্ঞানী বিবর্তনের আলোকে ধর্মকে কটাক্ষ করলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, তার সাথে বিবর্তন তত্ত্ব ভুল বা শুদ্ধ তার কোন সম্পর্ক নেই। যেমনি নেই কোন পার্ট টাইম পাদ্রীর বিবর্তন বিজ্ঞানী হওয়াতেও (নাম ভুলে গেছি এখন)।
দুনিয়াতে ডকিন্স একা নন, আরো হাজার হাজার জগদ্বিখ্যাত বিবর্তন বিজ্ঞানী আছে যারা বিশ্বের সব নামকরা বিশ্যবিদ্যালয়ে বিবর্তন পড়াচ্ছেন গবেষনা করছেন। তারা সবাই কুটিল ষড়যন্ত্রকারী, বিজ্ঞান বোঝে না, বুঝে খালি জাকির নায়েক হারুণ ইয়াহিয়া এমন ধারা কথাবার্তা কোন সূস্থ চিন্তার মানুষের ধারনায় আসতে পারে? আরে, বিবর্তনের মত এত বিখ্যাত তত্ত্ব কেউ বাতিল করতে পারলে তিনি যেই সম্মান পাবেন তা চিন্তা করা যায়? দুনিয়ায় এত সব বিজ্ঞানী কেউ এত সহজ উপায়ে বিখ্যাত হবার সুবর্ন সূযোগ কেন নিচ্ছেন না এই প্রশ্ন আসে না? অবশ্য সহজ ব্যাখ্যাও আছে, সবই ষড়যন্ত্র। বিবর্তনের বিরুদ্ধে কোন কথাই বলতে দেওয়া হয় না।
ধণ্যবাদ লিঙ্কটা দেওয়ায়, আমি জেনে অত্যন্ত অবাক হয়েছি যে আমাদেরই একজন মুসলমান বিজ্ঞানী (Al-Jahiz) ডারয়ুইন সাহেবের হাজার বছর আগে প্রায় হুবহু বিবর্তন তত্ত্ব দিয়েছিলেন। এখানে দেখতে পারেন। উনিই প্রথম ফূড চেইন ও আবিষ্কার করেন। http://en.wikipedia.org/wiki/Al-Jahiz অথচ আজ আমরা এসব বিজ্ঞানীদের ভুলে হারুন ইয়াহিয়া জাকির নায়েকদের নিয়ে গর্ব করি। জাতিকে আর কত পেছানো হবে বলতে পারেন? হাজার বছর পেছানোতেও শিক্ষা হয়নি?
বিবর্তনে বিশ্বাস না করলেও সেই কাফের নাসারাদের কাছ থেকে বিবর্তন বিষয়ক গবেষনার ফল হাত পেতে নিতে হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো হবে।
@আদিল মাহমুদ,
দেখেন আদিল ভাই , আমি বন্যা আহমেদ এর বইয়ের কথা বলছিলেম । মুক্তমনায় এত দিন ধরে আছি , আমি তো দেখি তারাঈ আক্রমন করে । আক্রমন খাইয়া তো, আমাদের ও কিছু লেখতে হয় ।
ডকিংস যদি দোষ না করেন ,তাহলে হারুওন ইয়াহিয়া, আর জাকির নায়েক ও দোষ করেন নি । তারা সবার মতামত প্রকাশ করার অধিকার আছে । আর দ্বিমত প্রকাশ করলে কি সমস্যা , আবার দেখেন জর্জ মেন্ডেলের জেনেটিক্স এর সত্র উনি জিবিত থাকতে কেঊ বুঝেনি , উনি মরার ২০ বছর পরে বুঝেছে । যাইহোক, আক্রমন করবেন আপনারা, দোষ আমাদের ? কিভাবে হয় । বাংলায় তো আমি বিবর্তনবাদী দেরি আক্রমন দেখি , সব জায়গায় ধর্মকে খুজে বের করা হয় ।
@বিপ্লব দা,
ফিলসফিকেঈ আমরা গার্বেজ বলি, যদিও আমাদের ও অঈ বিষয়ে পরাশুনা করতে হয় ।
@ তানভী,
আপনাদের বিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করলেই আপনারা জবাব দেন , তুমি ওই বিবর্তন বোঝো না, বেসিক জানো না, যদি ও আমি বলি নাই বিবর্তন ভুল । যে লেখা দেখে আপনি ভাবছেন যে আমি ঐ জায়গা থেকে বিবর্তন শিখছি , তার আগেই আমি এই টি লিখছি
http://www.somewhereinblog.net/blog/fuad1dinohin/29029417
এই লেখা দেখেন । জনাব মহাজ্ঞানী তানবী ভাই, আপনি ও আপনার উস্তাদ মিলে কি একটূ জবাব দিবেন , কেন কার্বন পরমাণু জটিল যোগ উত্পাদনে যোগ্য হল ? ইলেক্ট্রন এর অরবিট আর পারমানিক সংখ্যার, ইলেক্ট্রন সংখ্যার দরুন । আমি এ উত্তর জানতে চাই নি , আমি জানতে চাইতেছি, মনে করুন বিগ বেং বিগ বাঊন্স কিছু হয় নাই, তাহলে বিগ বেং বা বাঊন্স হওয়ার পর কার্বনের মত একটি পরমাণু হওয়ার মত অবস্তান থাকবে কেন ? তাহলে কি গনিত বিগ বেংগের আগেই ছিল ?
প্রশ্ন না বোঝলে ভাল করে পরুন , চিন্তা করুন । বোঝবেন আশা করি ।
ভাই আপনার পড়ালেখার সাবজেক্ট কি ছিল?
আলিম, ফাজিল নাকি আর্স । আপনি এ সব সাব্জেক্ট কে ছোট করতেছেন কেন ? যারা নিজেদের শ্রেষ্ট মনে করে অন্যদের চেয়ে, তারা যে কত বড় জ্ঞানী এটা সবাই জানে । তবে ভাই , আমি ঐ সাব্জেক্ট গুলি নিজের আগ্রহে পরছি কিন্তু নিজের সাবযেক্ট ছিল সাইন্স । তবে, আপনার মত এত জ্ঞানী নই, জাস্ট ইন্টার পাশ ।
@ফুয়াদ,
আদিল এবং অন্যান্যদের ধন্যবাদ উত্তর দেওয়ার জন্য। আমি স্বাধীনের সাথে একমত যে এগুলোর উত্তর দেওয়া সময় নষ্ট। সে জন্যই আমি ফুয়াদকে এখন পর্যন্ত একটাই উত্তর দিয়েছি। কিন্তু ফুয়াদ যেহেতু আমার বই নিয়ে কথা বলছেন তাই আমার বোধ হয় আরেকটি উত্তর দেওয়া দরকার, না হলে মিথ্যা এবং ভুল দোষারোপগুলো করা হয়তো উনি বন্ধ করবেন না ( উত্তর দিলেও যে করবেন তার কোন গ্যারান্টিও নেই, তবুও চেষ্টা…) তবে বলাই বাহুল্য, এটাই আমার শেষ উত্তর এই পোস্টে ধর্ম-সংক্রান্ত এ ধরণের আলোচনায়।
ফুয়াদ
আপনাকে একটা কথা পরিষ্কার করে বলি, দয়া করে একটু মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, যাতে এক কথা বারবার বলতে না হয়। আমার ধৈর্য এবং সময়ের বড্ড অভাব, তাই দেখা যাক ধর্ম সম্পর্কে আমার অবস্থানকে খুব অল্প কথায় পরিষ্কার করা যায় কিনা।
আপনি কি আমাকে কোন ফোরামে ধর্ম নিয়ে আলোচনা বিতর্ক করতে দেখছেন? ধর্ম আমার কাছে শুধু অপ্রয়োজনীয়ই নয় অপ্রাসঙ্গিকও বটে। এর আগেও বলেছি ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল করার মনোবৃত্তি আমার নেই। একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই। এই আর্ডির লেখায় আমি কি কোথাও ‘ধর্ম ভুল, ধর্ম ভুল’ বলে চেঁচিয়েছি? আল জাজিরা এবং পাশ্চাত্যের সৃষ্টিতত্ত্ববাদী সাইটগুলোর ‘মিথ্যা কথার খ্যামটা নাচ’টাকে তুলে ধরা ছাড়া আর কোথাও আমি ধর্মের কথা বলিনি। কিন্তু আপনিই প্রথম আপনার মন্তব্যে ধর্মকে টেনে আনলেন, বিবর্তন ‘ফ্যাক্ট নয়’ বললেন ( যেটা নিতান্তই মিথ্যা কথা, আপনাদের মত লোকের জন্যই আমি এই লেখাটার প্রথমে বিবর্তনের বেসিকগুলো ব্যাখ্যা করেছি সাক্ষ্য-প্রমাণসহ, কিন্তু তাতে কি?)। কে প্রথমে ধর্মকে তুলে আনছে সেটা তো এবারের উদাহরণ থেকেই বোঝা যায়। আর আপনি যদি কোনটা তত্ত্ব, কোনটা প্রকল্প, এরকম বেসিক ব্যাপারগুলোই না বোঝেন তাহলে আপনি বিবর্তনবাদ বোঝেন এটা ধরে নেওয়া আসলেই অসম্ভব। ধার্মিক প্রচুর মানুষ বিবর্তনে বিশ্বাস করে এবং ধর্মের সাথে এই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বটাকে কিভাবে পাশাপাশি সহাবস্থান করানো যায় তার পদ্ধতিও খুঁজে বের করেছেন। আমার বইতেই (http://www.mukto-mona.com/Articles/bonna/book/index.htm, দশম অধ্যায় দ্রঃ) লিখছিলাম,
“আইডি-ওয়ালাদের চেয়ে বরং প্রগতিশীল অবস্থানে আছেন ‘বিশ্বাসী বিবর্তনবাদী’ (theistic Evolutionist) দের দল। তাঁরা মনে করেন ঈশ্বর এক সময় পৃথিবীতে প্রাণের উন্মেষ ঘটালেও পরবর্তীতে আর এতে হস্তক্ষেপ করেননি, বিবর্তনের মাধ্যমে প্রাণকে বিকশিত হতে দিয়েছেন। প্রয়াত পোপ জন পল ২ এ ধরনের বিশ্বাসী বিবর্তনবাদী ছিলেন যিনি বিবর্তনকে বাস্তবতা হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিলেন।‘
আমার বইয়ে আমি কোথাও ধর্মগ্রন্থের কোন বিষয় বা আয়াত নিয়ে লিখিনি, যেটা করেছি, সৃষ্টিতত্ত্ববাদীদের বিবর্তনবাদ নিয়ে মিথ্যা রটনাগুলো খন্ডন করেছি। বিবর্তনবিরোধী, মিথ্যা রটনাকারী সৃষ্টিতত্ত্ববাদীদের সমালোচনা না করে বিবর্তন তত্ত্ব নিয়ে লেখা সম্ভব নয়। সেটা যদি অপরাধ হয়, অথবা আপনার মনোকষ্টের কারণ হয়, তাহলে একটাই অনুরোধ করবো, আমার লেখা কোন কিছু পড়ে অযথা নিজেকে কষ্ট দিবেন না।
@ বন্যা’দি
সুন্দর বলেছেন।
@ফুয়াদ,
আপনি মনে হয় বুঝতে একটু ভুল করেছেন; বন্যা কিন্তু নেহায়েত এমনি এমনি ধর্মকে আক্রমন করেননি। ওনার লেখা আরেকবার পড়ে দেখেন, উনি শুরু থেকেই আল জাজিরার মিথ্য প্রচারনা প্রসংগ থেকে আক্রমনে এসেছেন। আপনার কি মনে হয় এটা তার অন্যায় হয়েছে? আশা করি বুঝতে পারবেন।
সেজন্যই বলেছিলাম যে উপরে থুথু মরে নিজের মাথায় পড়লে দোষ নিজেরই হয়।
আর তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম বন্যা আসলেও ধর্মকে আক্রমন করেছে তাতে কি বিবর্তনবাদ ভুল প্রমান হয়ে গেল? বড়জোর বলা যায় যে বন্যা বিজ্ঞানের তত্ত্ব দিয়ে ধর্মকে আক্রমন করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সেটা পছন্দ না করলেও শুধু এই ধর্মকে আক্রমন করার যুক্তি দিয়ে বিবর্তনকে উড়িয়ে দিতে পারব না।
রিচার্ড ডকিন্স, হারুন ইয়াহিয়া, জাকির নায়েক যে যে ইচ্ছে বলুক না কোন আপত্তি নেই। তবে সত্য কথা বলতে হবে। বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ক তত্ত্ব প্রমান বা বাতিল করতে শক্ত গ্রহনযোগ্য যুক্তি প্রমান লাগবে। ধর্ম নিয়ে কে কি বলেন তার বিজ্ঞানের জগতে কোন গুরুত্ত্ব নেই। তাই ডকিন্স কত বড় নাস্তিক ইসলাম বিদ্বেষী এসব কথার বিজ্ঞানে কোন গুরুত্ত্ব নেই। তবে বিজ্ঞান নিয়ে যেকেউ বানোয়াট কথাবার্তা বললে তার প্রতিবাদ আসবেই। যেমন জাকির নায়েক শত শত ভক্ত শ্রোতার সামনে বিবর্তনবাদ ভুল প্রমান করতে ডাহা মিথ্য কথা বলেছেন। আপনার কি উচিত নয় ধার্মিক হিসেবে সেটার প্রতিবাদ করা? বিজ্ঞানের তত্ত্ব না মানা ভিন্ন ব্যাপার, সেটা নাহয় মানা গেল, কিন্তু ডাহা মিথ্যা কথা বলা কি মানা যায়? আপনি বিবর্তন মানেন না, অসুবিধে নেই, কিন্তু যদি আজ বলা শুরু করেন যে ডারয়ইনের সেই Galápagos Islands নামে কোন দ্বীপ ম্যাপে নেই তবে কেমন লাগবে শুনতে? বা বিজ্ঞানীরা বিবর্তন তত্ত্ব মানেন না এ ধরনের কথাবার্তার প্রতিবাদ করা উচিত নয়?
আর, ডকিন্স সাহেব ধর্ম আক্রমন করে মনের মাধূরী মিশিয়ে যা ইচ্ছে তাই বললেও তার সাথে বিজ্ঞানের কোন তত্ত্বের নির্ভুলতা যাচাইএর কোন সম্পর্ক নেই।
আর বিবর্তন তত্ত্ব দিয়ে কেউ ধর্মের পিছে লাগলে ধর্মবাদীদের উচিত হয় বিবর্তনকে ভুল প্রমান করা, নাহয় প্রমান করা যে তার ধর্মের সাথে বিবর্তনের সম্পর্ক বা বিরোধ নেই। ডকিন্সের মত নাস্তিক বিজ্ঞানীরাই বিবর্তনে বিশ্বাস করে এহেন যুক্তি দিয়ে কিছু হবে না। বিজ্ঞানের চোখে এগুলি শোনার মতন কোন যুক্তিও না। আরো দেখেন আমেরিকায় অন্তত ৪০% বিজ্ঞানী একইসাথে বিবর্তনবাদ ও গডে বিশ্বাসী। তাই বিবর্তনবাদ শুধু নাস্তিকদের আবিষ্কার ও প্রচারনা এহেন ধারনাও পুরো মিথ্যা। আর আমেরিকার ১২ টা সবচেয়ে বড় চার্চ সদস্যদের প্রায় ৯০ ভাগই বিবর্তনতত্ত্বকে বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীভুক্ত করার পক্ষপাতী।
http://en.wikipedia.org/wiki/Objections_to_evolution
আদিল মাহমুদ খুব চমৎকার উত্তর দিয়েছেন ফুয়াদকে। আসলে ‘আক্রমণের’ ব্যাপারটা ব্লগে খুব সাবজেকটিভ হয়ে গ্যাছে ইদানিং। আমার দৃষ্টিতে আসলে সমালোচনা আর আক্রমণ এক নয়। হ্যা বিবর্তন লিখতে গিয়ে ধর্মের সমালোচনা আসে অনেক সময়ই। এর কারণ বোঝা কি খুব কষ্টের? আল জাজিরার মত চ্যানেল বিজ্ঞানের এক বলিষ্ট শাখা নিয়ে ভিত্তিহীন কথা প্রচার করে চলেছে। সেটা ভুল প্রমাণ করতে হলে যতটুকু সমালোচনা দরকার তা তো করতেই হবে। তাই করা হয়েছে। আর হারুন ইয়াহিয়া ফসিলের ভুল ভাল ছবি দিয়ে বিবর্তনকে উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। সেটা খন্ডন করার জন্য ডকিন্স যা করেছেন সেটা কি আক্রমণ নাকি সমালোচনা? বিচারটা পাঠকদের হাতেই ছেড়ে দিতে চাই।
আরো একটা কথা এ প্রসঙ্গে বলা দরকার। সমালোচনা সহ্য করে না পেরে অনেক সময় ‘বাবা মা কি শিখাইছে’ – এইগুলো অনর্থক নিয়ে আসা হয়। এটা যে ব্যক্তি আক্রমণ, আশা করি ফুয়াদ সেটা বুজবেন। সমালোচনার উত্তর সমালোচনাতেই হোক, ব্যক্তি আক্রমনে নয়। যদি বিবর্তনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পয়েন্ট থাকে সেটা বৈইজ্ঞানিক যুক্তির সাহায্যেই বলা হোক, অযথা ঘোট না পাকিয়ে।
এবার কার্বন পরমানু সম্বন্ধে দু চার কথা বলা যাক। ফুয়াদ লিখেছেন-
কার্বনের কথা বলি। কার্বন পরমাণুর অসংখ্য বন্ধন তৈরি করেছে দুটো কারনে – আইসোমারিজম এবং ক্যাটিনেশন। ফলে কার্বনের জটিল লম্বা ও স্থায়ী শিকল তৈরী হতে পারে। কার্বনের মত সিলিকনেরও এই ধর্মটি আছে। সেজন্য কৃত্রিম প্রাণ তৈরির ক্ষেত্রে (যেমন রোবোটিক্স) সিলিকন খুব গুরুত্বপূর্ন উপাদান। পৃথিবীতেই ডায়াটামগুলো সিলিকনভিত্তিক প্রাণের ছোট দৃষ্টান্ত। আর মহাবিশ্বেও সিলিকন বিত্তিক প্রাণের অস্ত্বিত্ব একেবারে বাতিল করে দেয়া যায় না। কাজেই কার্বনকে ‘অলৌকিক’ প্রমাণ করে ‘ঈশ্বরের আস্তিত্ব’ প্রমাণ করা যাবে না। যদি আপনি কার্বণের অনুর ব্যাপারটা না জানেন, তবে অলৌকিক চিন্তা বাদ দিয়ে আপনাকে পড়তে হবে বিজ্ঞানের বই।
আর আপনার বাকী কথাগুলো সেই ফাইনটিউনিং এর খেলো যুক্তি এগুলো আসলে বহুবার খন্ডন করা হয়েছে। আপনি বন্যার বইয়ের ‘ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন – সৃষ্টিতত্ত্বের বিবর্তন’ অধ্যায়টা পড়ে দেখুন। সেখানেই এই প্রশ্নগুলোর জবাব দেয়া আছে। আমার আইডি নিয়ে কূটকাচালি লেখাতেও আমি লিখেছিলাম এগুলো নিয়ে।
একটা সাধারণ কথা শুধু মনে রাখুন, আপনি যদি প্রাণের ইতিহাসের দিকে তাকান, তবে দেখবেন, আজকে যত প্রজাতির জীব এ পৃথিবীতে টিকে আছে, তার চেয়ে ঢের বেশী জীব বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আসলে শতকরা নিরানব্বই ভাগ প্রজাতিই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, মাত্র একভাগ টিকে আছে ডারউইনীয় ফিটনেসকে মর্যাদা দিতে গিয়ে। কি মনে হচ্ছে – যে হতচ্ছাড়া সৃষ্টিতে নিরানব্বই ভাগ প্রজাতি ধ্বংস হয়ে যায় – সেটা খুব ফাইন টিউন্ড, নাকি ইন্টেলিজেন্ট? একটা বড় সুনামীর ঢেউ আসলেই আমাদের ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে যায় – এই এত ভাল ‘টেকনোলজির’ যুগেও। প্রাণের সৃষ্টিকে কি খুব ইন্টেলিজেন্ট মনে হচ্ছে? আর চোখ, অ্যাপেন্ডিক্স, জাঙ্ক ডিএনএ, ফ্যারিংস সহ আমাদের দেহের ভিতরের অঙ্গপ্রত্যংগ গুলোর ব্যাড ডিজাইনের উদাহরণগুলো না হয় নাই বা বিস্তারিত ভাবে বললাম।
পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টি থেকেও দেখুন। প্রাণ কিংবা পরিশেষে মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্যই যদি মুখ্য হয়, তবে বলতেই হয় সৃষ্টিকর্তা তাঁর সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় সৃষ্টির চেয়ে অপচয়ই করেছেন বেশি। বিগ ব্যাং ঘটানোর কোটি কোটি বছর পর পৃথিবী নামক একটি সাধারণ গ্রহে প্রাণ সঞ্চার করতে গিয়ে অযথাই সারা মহাবিশ্ব জুড়ে তৈরি করেছেন হাজার হাজার, কোটি কোটি ছোট বড় নানা গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ – যারা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের সাহারা মরুভূমির চেয়েও বন্ধ্যা, ঊষর আর প্রাণহীন। আপনি নিজেই দেখুন না – আমাদের সোউরজগতে এত গুলো গ্রহ, গ্রহানুপুঞ্জ তৈরি করলেন ঈশ্বর, অথচ প্রাণ সৃষ্টি করতে পারলেন একটা সাধারণ গ্রহে? তাহলে এত অপচয়ের দরকার কি ছিলো? সাড়া মহাবিশ্ব জুড়ে শুধু কোটি কোটি প্রাণহীন নিস্তব্ধ গ্রহ-উপগ্রহ তৈরি করেই ঈশ্বর ক্ষান্ত হননি, তৈরি করেছেন অবারিত শূন্যতা, গুপ্ত পদার্থ (Dark matter) এবং গুপ্ত শক্তি (Dark energy)-যেগুলো নিষ্প্রাণ তো বটেই, এমনকি প্রাণ সৃষ্টির মহান উদ্দেশ্যের প্রেক্ষাপটে নিতান্তই বেমানান। কি মনে হচ্ছে ‘ইণ্টেলিজেন্ট ডিগাইনারের’ গণিত খুব পোক্ত? আসলে এ ব্যাপারগুলোকেও বিবর্তনবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার না করলে কোন সমাধানে পৌঁছুনো যাবে না। আমরা যতই নিজেদের সৃষ্টির কেন্দ্রস্থলে বসিয়ে সান্ত¡না খোঁজার চেষ্টা করি না কেন, এই মহাবিশ্ব এবং এই পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভবের পেছনে আসলে কোন ডিজাইন নেই, পরিকল্পনা নেই, নেই কোন বুদ্ধিদীপ্ত সত্তার সুমহান উদ্দেশ্য। সে জন্যই ডকিন্স প্রায়ই বলেন –
‘আমাদের চারপাশের বিশ্বজগতে বিদ্যমান বৈশিষ্ট্যগুলো দেখলেই বোঝা যায় এর মধ্যে কোন পরিকল্পনা নেই, উদ্দেশ্য নেই, নেই কোন শুভাশুভের অস্তিত্ব; আসলে অন্ধ, করুণাহীন উদাসীনতা ছাড়া এখানে আর কিছুই চোখে পড়ে না’।
এটি ডকিন্সের বলা আমার অন্যতম প্রিয় একটি উক্তি।
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ, উত্তরের জন্য । আপনি যে উত্তর দিয়েছেন সেটা আমি জানি। আমার ব্যপারটায় আসি,
এ বিষয় গুলো আইডি তে আছে কিনা জানি না, কারন আমি আই ডি পরি নাই। মুক্তমনা থেকে সুনেছি, বন্যা আপার বই থেকে আন্দাজ পাইছি। ট্রামগোলা ইয়োজ করে নিজের মত করে বলতে ছি । নিছে হেলাল ভাইকে লেখা জবাবে দেখুন নিজের মত করে শব্দ পাইতেছি , যা আমার চিন্তা কে সহজে ব্যক্ষা করতে পারে ।
@অভিজিৎ,
আরেকটি বিষয়, আমি যাকে ভালবাসী সে পাব্লিক ফিগার হোক , আর যাই হোক , তারে কেঊ গালি দিলে, আমার যদি কষ্ট না লাগে ,তাহলে, আমার এ ভালবাসার মূল্য কি ?
“‘বাবা মা কি শিখাইছে’ – এইগুলো অনর্থক নিয়ে আসা হয়” এই কথা গুলি যেমন আপনাকে কষ্ট দেয়, কারন আপনি তাদের ভালবাসে ন । ঠিক তেমনি আমি ও আমার রাসূল সঃ কে ভালবাসি । যদি আপনার ভালবাসার মূল্য থাকতে পারে, তবে আমার ভালবাসার মূল্য থাকবে না কেন ? নাকি আমি মসুলমান বলে আমার ভালবাসার কোন মূল্য নেই ?
হয়ত, আমি আপনার মত এত জ্ঞানী নই । তবে, আমিও মানুষ জনাব; যদি মসুলমাকে মানুষ মনে করেন । ধন্যবাদ ।
@অভিজিৎ,
আপনার উত্তরের দ্বিতিয় অংশে আসি ,
এ দিয়ে আপনি স্বিকার করেই নিলেন আমাদের অনেক জানার বাকি আছে । আমরা কিছুই জানি না। আসুন , সূর্য কি মানুষের দরকার পরে না ? তারা কিংবা গ্রহ । মধ্যাকর্ষণের জন্য গ্রহগোলোর ঘুরা, পরে না যাওয়া আরেক টি গ্রহের অবদান আছে বলে আমি মনে করি (বিজ্ঞানীরা কি বলে ঠিক জানি না) । মানে চাদের ঊপরো পৃথিবীর আকর্ষণ সবল কিন্তু সূর্যর আকর্ষন দূর্বল । তার মনে একটু হইলেও আছে । এভাবে প্রতিটি গ্রহ নক্ষত্র বিশেষ ভাবে সজ্জিত । কারন প্রতি টি বস্তু নিজের দিকে আকর্ষন করে , আকর্ষন বিকর্ষন বলের মান, ভরের গুণ ফলের সমানুপাতিক, দুরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক । তার মানে এক গ্রহ নক্ষত্র আরেক গ্রহ নক্ষত্রের লেনদেন আছে । গ্যালাক্সি না থাকলে , সূর্য কোথায় ঘুরত । অতএব, প্রানের বিকাশে এদের অবদান আছে । drak matter, Drak energy সম্পর্কে আমরা ভালকরে জানতে পারি নি বলেই এদের এই নাম । এদের কাজ জানতে পারলেই বুঝবো তারা কি দরকারে লাগে। আল্লাহ পাকের মহত্ত প্রকাশ করাও, গ্রহ নক্ষত্রের, ড্রাক মেটার, আন্টি মেটারের আরেকটা উদ্দেশ্য । না হলে আমরা লাইট ইয়ার ইত্যাদিও গন্তে পারতাম না।
তাহলে, বিবর্তনে লক্ষ প্রানীর মৃত্যু ঘটণা কি এখানে আসে না । তাছাড়া, এত প্রানী ধংশ হওয়ার পর ও দেখুন না , কি সুন্দর প্রানী জগত । বস্তুসংস্তান দেখুন , পুকুরকে বনে পরিবর্তন করার যে পক্রিয়া গাছ পালা খালতেছে , অথবা, মরু কে বনে পরিবর্তন করার খেলা । আমার মনেহয় আপনি জানেন ইকোলজির বিষয় গোলো ও । তারপরও, আছে অক্সিজেন সারকেল, কারবন সারকেল, নাইট্টজেন সারকেল কি এক অদ্ভুত মিল । ওজন গ্যাসের প্রটেকশন । আর কি বলবো।
তাছাড়া, ডাইমেনশনের খেলা তো বাকিঈ রয়েছে, আমরা ৩ ডাইমেনশনের প্রানী , এখন এ রকম ৪, ৫ ,৬, ৭, ৮, ৯,১০, ১১(আরো থাকতে পারে) ডাইমেনশন আছে যাদের আমরা দেখিনা , কিন্তু তারা আমাদের দেখে । এখন যদি ফেরেস্তা বিষয় গুলিও এসে যায় , যা আপনি; না করতে পারবেন না ।
আসলে ডকিং সাহেবের মাথা অঊলাইয়া গেছে , তারচেয়ে বড়ং আইনিস্টাইনের কথাই ঠিক , মহাবিশ্বের শৃংলাদেখে শ্রদ্ধা নমিত ভয় (ঠিক মুঘস্ত নাই)
@অভিজিৎ,
আমি মনে করি শুভ-অশুভের অস্তিত্ব আছে, মানুষের মাঝেই আছে শুভ- অশভ শক্তি হোক সেটা প্রতিকী অর্থে।
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
হ্যা শুভাশুভের অস্তিত্ব আছে, কিন্তু সেটা মানুষের সমাজের জন্য এবং আমাদের নীতি-নৈতিকতার নিরিখে। কিন্তু ডকিন্সের উক্তিটি মানব সমাজ নিয়ে ছিলো না। ছিলো সামগ্রিকভাবে মহাবিশ্ব নিয়ে। উক্তিটির মূল কথা হল মহাবিশ্ব আমাদের ভাল- খারাপ কিংবা বাঁচা মরা, দুর্ভোগ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয়। মহাবিশ্বের কাছ থেকে এক্ষেত্রে অন্ধ করুণাহীন উদাসীনতা ছাড়া কিছুই পাওয়া যাবে না। মহাবিশ্ব আমাদের প্রজাতিকে কিংবা অন্য কোন প্রজাতিকে রক্ষা করার জন্য কিন্তু বসে নেই, সে সত্যি উদাসীন, যেমনি উদাসীন ছিলো একসময় প্রবল প্রতাপশালী ডায়নোসারের প্রতি। তাকে রক্ষা করার দায় দায়িত্ব নিয়ে মোটেও মাথা ঘামায়নি। তার চোখের সামনেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আর মহাবিশ্ব বা প্রকৃতি আমাদের সম্বন্ধে উদাসীন বলেই, আমাদের অর্থাৎ, মানুষের শুভাশুভের দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই নিতে হবে। শুধু তা হলেই আমরা সফল ভাবে প্রকৃতিতে টিকে থাকতে পারব।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি আমাকে ভুল বোঝেছেন , আমি ঊনার বইয়ের কথা বলেছি , এই লেখা না । সারা দুনিয়ায় বিবর্তন পড়াইলেও আমার সমস্যা নাই । থাকার কথাও না । ভিন্ন মত থাকতেই পারে , থাকলেই তাকে জোকার, ছদ্দ বিজ্ঞানী বলার কি দরকার । এই দেখুন না , আমাকে এখানে বলা হয়, আমার লেখা নাকি নির্মল বিনোদন দেয় । কেন বলা হয় , না বুঝলে , না বুঝছেন বললেই হয় । আসলে আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার লেখা বুঝা, বা না বুঝা না কিভাবে একজন ধার্মিক কে ছোট করা যায়, হেয় করা যায় , তাই । প্রশ্নের পয়েন্টে, পয়েন্টে উত্তর দিলেই হয় । বানা ভুল, হেই ভুল, তেই ভুল এগুলা কি ?
একজন বিজ্ঞানীর কাছ থেকে আমি এসব আসা করতে পারি না, এটা বিজ্ঞানীর বৈশিষ্ঠ না । আমি,
। আর, কেউ আক্রমন করে ফেললে আমাদের জবাব দিতেই হবে । আপনাকে ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ,
ভাই বড়ই ভুল বুঝছেন। এখানে অধিকাংশই আসে কিছু জানার জন্য, কাউকে আক্রমনের জন্য নয়। ধর্ম নিয়ে এখানে অধিকাংশেরই মাথাব্যাথা নেই। তারা তাদের নিজেদের মতামত বলেন হোক সেটা ধর্মের উপর। কেউ যেখানে একজঙ্কে উপেক্ষা করতেই পছন্দ করে সেখানে তো সে তাকে আক্রমণের চিন্তা করে না। তবে অনেক সময় এই প্রতিউত্তর গুলো ব্যক্তি আক্রমণের পর্যায়ে চলে যায়, সেটা থেকে সবাইকেই বিরত থাকতে হবে। আর সব সময় নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা বাদ দেন, কোন কিছুকে চূড়ান্ত ভেবে নিয়ে তার পক্ষে সকল সময়ে যুক্তি খোজা উচিত নয়। এতে জ্ঞান না বেড়ে বরং কমে।
হ্যা, এরকম ভুল ধরা কখোনোই উচিত না। সবাইকে সবার বোঝা উচিত। তবে বানান ভুল ধরে কিন্তু আপনার উপকারই তারা করছেন- এটাতে রাগন্বিত হবার কি আছে? স্পষ্ঠভাষী শত্রু (মানে তাদেরকে আপনার শত্রু মনে হয়) কি নির্বাক মিত্র অপেক্ষা উত্তম নয়?
আমি আপনার সাথে একমত। এরকম করে মানুষের মনে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। তারা যদি আপনার লেখা বুঝতে না পারে তবে আপনাকে বললেই হয়। তবে যেহেতু আপনি বুঝতেছেন যে তারা আপনার লেখা বুঝতেছেন না সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আপনাকে স্পষ্ট ভাবে লিখতে হবে, লেখার চেষ্টা করতে হবে প্রাঞ্জল ভাষায় যাতে আপনার লেখা সবার বোধগম্য হয়। আপনি যদি লেখা বুঝাইতেই না পারেন তবে সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে লিখে কি হ্ল? পাঞ্জলতা, সহজবোধ্যতা লেখার মানকে অনেক বাড়িয়ে দেয়। এটা লেখকের একটি গুন। আশা করি বোঝাতে পেরেছি। আসুন আমরা সকলে সকলের কল্যাণপ্রার্থী হই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। :rose:
@ফুয়াদ,
আপনার কথা বুঝতে অন্যদের মত আমারও খুব কষ্ট হয়। তারপরেও যেগুলোর অর্থ উদ্ধার করতে পেরেছি, তার একটা জবাব দেয়ার চেষ্টা করছি।
প্রথমেই আসি ব্যক্তিগত আক্রমণ প্রসঙ্গে। এ ব্যপারে আপনি লিখেছেন –
এখানে একটি কথা আপনার বুঝতে হবে। ঈশ্বর হোক , কিংবা আল্লাহ খোক – এটা কিন্তু আমাদের কিংবা আমাদের মত অনেকের কাছেই প্রমাণিত বিষয় নয়। এখানে বিজ্ঞান এবং দর্শনের আধুনিক যুক্তির নিরিখেই ‘ঈশ্বর’ নামক হাইপোথিসিসটি বিশ্লেষণ করা হয়। এটাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে না নিয়ে আপনারও উচিৎ দার্শনিক যুক্তির সাহায্যে সেগুলো খন্ডন করা। দেখুন, পৃথিবীর বড় বড় একাডেমিয়ান এবং দার্শনিকেরা কিন্তু এই হাইপোথিসিস নিয়ে বিতর্ক করেছেন। সেই বিতর্ক থেকে মানুষ শেখে, জানতে পারে ঈশ্বর ব্যাপারটার পক্ষে শক্তিশালী যুক্তিগুলো কি, আর বিপক্ষেই বা কি। কিন্তু এর উত্তরে যদি আপনি কারো বাবা মা নিয়ে গালিগালাজ করেন, সেটা কিন্তু একটা ফ্যালাসি হবে। দর্শন শাস্ত্রে এর একটা নামও আছে – Argumentum ad hominem
রসুল সম্বন্ধেও একই কথা প্রযোজ্য। অনেকে রসুলের সমালোচনা করেন, কিন্তু তাদের প্রায় সবাই করেন কোরান, হাদিস, বুখারি, সিরাত, তাবারি প্রভৃতি প্রামান্য গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত করে। আপনি যদি দ্বিমত পোষোন করেন তাহলে আপনিও সেরকম প্রামান্য গ্রন্থ থকে রেফারেন্স হাজির করে তা খন্ডন করুন। আমরা চাই যুক্তির বিপরীতে যুক্তিই উঠে আসুক, অযাচিত আবেগ সর্বশ্ব কর্কষ চিৎকার নয়। কিন্তু যুক্তি খণ্ডন করতে না প্রেরে ‘মা বাবা কি শিখাইছে’ ধরনের বাক্য ব্যবহার শুধু অনভিপ্রেতই নয়, অপ্রাসঙ্গিকও বটে।
দেখুন, পৃথিবীতে সব কিছুরই সমালোচনা হয়। বিজ্ঞান, অর্থনীতি, সমাজনীতির যে কোন তত্ত্ব, কিংবা রাজনৈতিক মতাদর্শ, কিংবা কোন প্রখ্যাত ব্যক্তির ইতিহাস – তা সে রবীন্দ্রনাথই হোক, গান্ধীই হোক, কিংবা হিটলার – কাউকেই কিন্তু সমালোচনার উর্ধ্বে রাখা হয় না। আমরা মুক্তমনারা মনে করি ধর্ম কোন আলাদা ব্যাপার নয় যে এটাকে ব্যতিক্রম হিসেবে শুধু হাতের তোলায় করে রাখতে হবে। সমালোচনার প্রয়োজনে সমালোচনা আসবেই। এটাকে ভিন্নভাবে নেবেন না দয়া করে। তবে কেউ যদি রেফারেন্স ছাড়া কিংবা আগা মাথা ছারা কথা বলে আক্রমণ করেন, তার ভুলটি আপনিও ধরিয়ে দিন। এভাবেই আমরা এগুবো।
হ্যা আমরা অনেক কিছুই জানিনা। বিজ্ঞানও কিন্তু তাই বলে। আর জানিনা বলেই সে প্রতিনিয়ত জানার চেষ্টা করে। কিন্তু ‘আমারা অনেক কিছুই জানিনা’ এটা বলে যদি কেউ সেটা ঈশ্বর বা আল্লাহর প্রমাণ হিসবে দাবী করে সেটা কিন্তু ভুল হবে। দর্শনে এটাকে বলে Argument from ignorance। দেখুন যে কোন হিন্দুই কিন্তু আপনার মত ‘আমরা অনেক কিছুই জানিনা’ – অতএব মা কালী, আছে, আছে গনেশের অস্তিত্ব- এ কথা বলে বস্তে পারে। এই ধরনের যুক্তি দেয়া যে ভুল তা নিশ্চয় আপনি বুঝতে পারছেন। কিংবা কেউ দাবি করতে পারে পঙ্খিরাজ ঘোড়ার অস্তিত্ব, কিংবা মামদো ভুতের। আসলে এগুলো সবই ভুল যুক্তি। আপনি যদি কিছু না জানেন, তবে সঠিক প্রক্রিয়ায় জানার চেষ্টা করতে হবে।
এটাও সেই একই আর্গুমেন্ট অব ইগ্নোরেন্স। আমাদের এই তৃমাত্রিক জগতের বাইরে আলাদা ডাইমেনশন থাকলেও (এটা স্ট্রিং তত্ত্ব থেকে এসেছে এবং গবেষণার খুব প্রান্তিক একটি বিষয়, এখনো প্রমাণিত কিছু নয়) সেটার জন্য কেন ‘ফেরেস্তাগুলি এসে যাবে’ তা আমার বোধগম্য হল না। ফেরেস্তা গুলো আসতে হলে আপনাকে ফেরেস্তার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে হবে, এবং কিভাবে তারা অন্য ডাইমেনশনে থেকে আমাদের তৃমাত্রিক জগতের সাথে সিংযোগ করে সেটাও আপনাকে ম্যাথেম্যাটিকাল মডেলের সাহায্যে জানাতে হবে। অতিরিক্তি ডাইমেনশন থাকলেই সেটা ফেরেস্তার অস্তিত্ব প্রমান করে না, যেমনি ভাবে এটা করেনা ঘোড়ার ডিম, মামদো ভুত, জিউস, থর, মা কালী কিংবা সান্তা ক্লসের অস্তিত্ব। আপনার মত যে কেউ কিন্তু বলতে পারে যে, ‘ঘোড়ার ডিমগুলা এসে যাবে, আপনি না করতে পারবেন না’। তাই না?
এটা ঠিক কথা। সেটাই চেষ্টা করছি, এবং সেই উৎসাহটুকুই সবার মাঝে বজায় রাখতে চাই। তবে এটা ঠিক আমাদের সাইটের মানের জন্য আপনার বানানের ব্যাপারে আরেকটু যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। ভুল বানানে লেখা চোখের জন্য পীড়া দায়ক। আপনি যখন লিখছেনই, তখন লেখার প্রতি আরেকটু যত্নবান হলে ক্ষতি কি? যদি কোন বানান সম্বন্ধে সন্দেহ হয়, তবে একটু অভিধান দেখে নিন। এখন তো অন লাইনেই অনেক ডিকশনারী আছে। এই কষ্ট টুকু করলে আমাদের সাইটের মানও একটু বাড়ে। আপনি মুক্তমনায় উৎসাহের সাথে লিখুন সেইটিই চাই।
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ,
আপনার এ উত্তর পরার পর আবার লেখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু আমার একটি লেখায়(যা এখনও ছাপা হয় নি) আদিল ভাইকে বলে ফেলেছি, “আশা করি আমার এ ফোরামে আর লিখতে হবে না” । তাই, আর লিখতে পারতেছি না । এ বিষয়ে আলোচনার বেশ ইচ্ছা ছিল । ভবিষতে কোন কারনে কোন বিষয়ে যদি এখানে আবার লেখি, তবে অবশ্য ই বানান অবিধান দেখে লিখব ইনশি-আল্লাহ । ভাল থাকবেন । আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ।
এই অভিযোগের কড়া জবাব রিচার্ড ডকিন্সের “দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ- দ্যা এভিডেন্স ফর ইভল্যুশন” বইটিতে দেওয়া হয়েছে। E. coli নামক একটি ব্যাকটেরিয়া দিয়ে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির রিচার্ড লেন্সকি ও তাঁর দলবল ২০ বছর যাবৎ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যাকটেরিয়াল ইভোল্যুশনের উপর এক অমূল্য গবেষণাপত্র লিখেছেন। চোখের সামনেই যে বিবর্তন ঘটছে এর অনেকগুলো প্রমান বইটিতে দেওয়া আছে, ডাউনলোড করে দেখতে পারেন। আমি পুরো এক্সপেরিমেনটটি বাংলায় অনুবাদ করে মুক্তমনায় পোষ্ট করার চেষ্টা করব, যদিও আমি নিশ্চিত না এটা আমার পক্ষে সম্ভব হবে কিনা।
@পৃথিবী,
ধণ্যবাদ তথ্যটা দেবার জন্য। আমি পড়ার চেষ্টা করব। আপনি অনুবাদ করে দিলে তো খুবই ভাল হয় বলাই বাহুল্য, নিজের ভাষায় বিজ্ঞান পড়ার যেই মজা তার তো তূলনা নেই।
@পৃথিবী,
খুবই ঠিক কথা। রিচার্ড লেন্সকি ল্যাবরেটরির ফ্লাস্কেই বিবর্তন ঘটিয়ে দেখিয়েছেন। ল্যাবরেটরিতেই ৪৫ হাজার জেনারেশনের ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে দেখিয়েছেন কিভাবে জনপুঞ্জে দুর্লভ মিউটেশন তৈরি হয়, এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে জীবের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটে পরবর্তী প্রজন্মগুলোতে, তৈরি হয় নতুন প্রজাতি। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে তার ই-কোলি ব্যাকটেরিয়ার স্যাম্পল সাইট্রেট বিপাক করতে শুরু করেছিলো, এবং নতুন প্রজাতি তৈরি করে ফেলেছিলো, যার অস্তিত্বই আগে ছিলো না। তার কাজের উপর ফিচার করে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিলো নিউ সায়েন্টিস্ট পত্রিকায় –
Bacteria make major evolutionary shift in the lab
উইকিপেডিয়া থেকেও এপ্রসঙ্গে জানা যাবে এখানে।
ডকিন্সের ‘গ্রেটস্ট শো অন আর্থ’ এ পরীক্ষাটির ডিটেল বর্ণনা আছে। পৃথিবীর উচিৎ এক্সপেরিমেনটটি ডকিন্সের বই থেকে বাংলায় অনুবাদ করে মুক্তমনায় পোষ্ট করার, এটা একটা ভাল কাজ হবে। বাংলায় এ নিয়ে লেখা নেই বললেই চলে। আপনাদের সহযোগিতাতেই মুক্তমনায় গড়ে উঠবে বিবর্তনের একটা ভাল আর্কাইভ।
@অভিজিৎ,
ঠিক, বাংলায় আসলেই এ সম্পর্কে ভাল লেখা নেই। আমার শিক্ষা অন্তত প্রাতিষ্ঠানিক বিচারে খারাপ নয়, অথচ আমি নিজেই খুবই বেসিন জিনিসগুলি জানি না। বেশীরভাগ মানুষেরই তেমনি অবস্থা।
আর এর সুযোগে কিছু অর্ধ উন্মাদ বড় গলায় বিজ্ঞানের ছাপ মেরে যা ইচ্ছে তাই বলে বেড়াচ্ছে।
এর প্রতিকার দরকার।
@পৃথিবী, জানি না আপনি এই মন্তব্যটা দেখেবন কিনা, তবে দেশের বেশ কয়েকজন বড় প্রকাশক রিচার্ড ডকিন্সের বই এর অনুবাদ চাচ্ছেন অনেকদিন ধরে। একটা কাজ করেন না, বইটা অনুবাদ করে ফেলেন। এটা বিবর্তনের সবকিছুকে সামারাইজ করে লেখা একটা চমৎকার বই। দারুণ একটা কাজ হবে তাহলে…
@বন্যা আহমেদ, ধন্যবাদ দিদি, তবে আমি আসলে এখনও স্কুল ছাত্র। সামনের ফেব্রুয়ারীতেই আমার ম্যাট্রিক পরীক্ষা। তবে বইটি অনুবাদ করতে না পারলেও আমি অবশ্যই এই এক্সপেরিমেনটটি বঙ্গানুবাদ করে মুক্তমনায় পোষ্ট করব, হয়ত একটু সময় লাগবে। পরীক্ষাটি আমাকে ব্যাপক নাড়া দিয়েছে, আশা করছি অনেক সংশয়বাদীকেও নাড়া দিবে।
তবে আমি মনে করি একটি গ্রুপ প্রোজেকট হিসেবে রিচার্ড ডকিন্সের বইগুলো অনুবাদ করা উচিৎ, এতে করে অনুবাদের কাজটি সহজ ও ত্বরাম্বিত হবে। দ্যা সেলফিস জ্বীন, উনউইভিং দ্যা রেইনবো, দ্যা ব্লাইন্ড ওয়াচমেকার ও রিভার আউট অব ইডেন দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। গড ডিল্যুসনের মত বই বর্তমানে আড়ালে রাখাই ভাল।
@পৃথিবী, দঃখিত পৃথিবী, আমি জানতামনা যে আপনার ম্যাট্রিক পরীক্ষা সামনে। এই মুহূর্তে পরীক্ষাটাই আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই অনুবাদ পড়েও করা যাবে।
হ্যা, আসলেই আমাদের এই বইগুলোর অনুবাদ শুরু করা উচিত। আরও দুই একজন অনুবাদের কাজ শুরু করবেন বলে কথা দিয়েছেন, দেখা যায় কি হয়। চলুন আপনার পরীক্ষার পর এ নিয়ে কথা বলি।
আপ্পুনি লেখাটা পড়ে আপনার বইটার কথা মনে পড়ে গেল। ওটা পড়েই আমার বিবর্তন সম্পর্কে ভুল ধারনা গুলো যায়। বহু কস্টে পড়ার বইয়ের ফাঁকে রেখে ওই বইটা পড়েছিলাম। নাইলে এর আগে স্পেন্সার আমার মাথার বারোটা বাজিয়ে রেখেছিল।
আপনারা এত সময় পান কই? এতগুলা জার্নাল পড়েন, আবার সেগুলা নিয়ে এত গুছিয়ে লেখেন!! আমরা পড়া লেখার হ্যাপা পার করতে করতেই জান কাবাব হওয়ার দশা!! বাকি যে টাইম তা এই মুক্ত মনা খেয়ে দেয়। সায়েন্টিফিক লেখা গুলো যথেস্ট সময় না নিয়ে পড়লে ব্যপার গুলো ভালো বুঝতে পারা যায় না। তাই বাড়তি টাইম যা পাই তা ছোটখাট গল্প পড়ে পার করে দেই।
একটা উপায় বাৎলান দেখি! যাতে কিছু সুবিধা মতন সময় বের করা যায়।
অসংখ্য ঝামেলার মাঝে থেকেও লেখাটা পড়তে গিয়ে না শেষ করে উঠতে পারি নি,এমনই বন্যার লেখার যাদুর টান।লেখার মোহময়ী টান এমন যে শএুও অভিভূত ও ভীমরি না খেয়ে পারে না ।অন্যান্য পর্ব পড়ার জন্য বিশেষ অপেক্ষায় থাকলাম। আমাদের মাঝে আপনাকে আবারো পেয়ে আমরা সবাই ধন্য হলাম।
জ য় তু বন্যা ।
মামুন।
২৭।১০।২০০৯
লেখা পড়ি আর ভাবি, আল্লারে আল্লা! আফায় এত্ত কিছু জানে কেমনে! ?:-)
আফামনি পরের লেখাডা তারাতারি দিয়েন আফা।
@সুমন,
মুক্তমনার মডারেটররা গেল কই? সুমন, আপনি কি জানেন, ফরিদ ভাই শুধু বানানের পুলিশ না, কেউ ফাঁকিবাজি মন্তব্য করলে তার ব্যাবস্থাও করেন । ফরিদ ভাই, সুমনের এ ধরণের উলটা পালটা মন্তব্যের জন্য ওকে বড় ধরণের কোন জরিমানা করা হোক 🙂 ।
@বন্যা আহমেদ,
আপু, সব পুলিশরাই ঘুষ খায়। মুক্তমনার পুলিশগোরে রশিদ না নিয়া জরিমানার ১০% দিয়া দিমু। আর তাতেও কাজ না হলে আমার বাগানের গাছ পাকা এক কাঁদি কলা উপহার দেব। কি কন ফরিদ ভাই? :laugh:
@সুমন,
কাঁদি কাঁদি কিছু শুনলেই গলা ছেড়ে কাঁদি এখন আমি। 🙁
সুমনকে আমার কিছু করা লাগবে না। ওর কোর্ট মার্শালের ব্যবস্থা মেজর তানভীরই করছে। :devil:
@বন্যা আহমেদ,
অথচ জানেন, এই ফরিদ ভাই কি এক মাটির মানুষ ছিল। প্রথম যৌবনে ফরিদ ভাই মাটির দিকে তাকিয়ে পথ চলত। হায়রে বিগত যৌবন, হায়রে বিবর্তন! কি ফরিদ ভাই বিবর্তনের যাঁতাকলে পড়ে কি হয়ে গেল।
ভালো কথা, ‘বিবর্তন’ শব্দটা ব্যবহার করতেইতো ভয় লাগে। ওটাতে আমারও এ,বি,সি নলেজ নেই। সূতরাং, ‘বিবর্তন’ না বলে বলি ‘আবর্তন’। কিছু কিছু মানুষ কি পোড়া কপালটা নিয়েই না জন্মায়, কালের আবর্তনে ফরিদ ভাই আজ মাটির মানুষ থেকে পুলিশ।
@পরশ পাথর,
পুলিশরাও মানুষ।
শিম্পাঞ্জির শাখা থেকে যে আমরা অনেক দূরে সরে যাচ্ছি শেষ প্যারা পযর্ন্ত পড়ে সেটা একেবারে মনের মধ্যে গেথে গেল। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করাটা তাই কঠিন হয়ে গেছে, তাড়াতাড়ি ছাড়েন।
আমার লেখার মধ্যে অনেক কিছুই ঠিক করতে হবে। সচলায়তনে তানভীর এর মন্তব্যে অনেকগুলো সংশোধনী এসেছে। বেশ কিছু ভুল চোখে পড়ল। আপনার পরের পর্বটাতেই আশাকরি সব পরিষ্কার হবে।
মেইন স্ট্রিম মিডিয়ার কাজ বেশ্যা বৃত্তি করা। যে টাকা দেবে মিডিয়া তার। আল-জাজিরা লাভে চলে না-চলে আরবের রাজ পরিবা্র গুলোর সাহায্যের টাকায় ( গত বছর তার পরিমান ছিল ৪০ মিলিয়ান ডলার)। তাই একই সাথে আমেরিকা, পাশ্চাত্য সভ্যতা, কিছুটা ইসলাম-সব কিছুকে রেখে চলে,
যাতে রাজতন্ত্রের স্টাটাস কুয়ো বজায় থাকে।
প্রাইমেট থেকে মানুশের উদ্ভব-এটা নিয়ে গত দুই দশকেই একেকটি নতুন ফসিল, নতুন তথ্যের জন্ম দিয়েছে। আগের তথ্যকে বা এম্পিরিসিজমকে বাতিল করেছে। কিন্ত ডারউইনিজম বাতিল করতে হলে যে ফসিল গুলোকে ভূত হয়ে যেতে হয়, সেটা বোঝার মতন বুদ্ধি থাকলে লোকে ধার্মিক হবেই বা কেন? ওত বুদ্ধি বা জ্ঞান থাকলে, সে ত আমাদের মতন নাস্তিক হবে। তাই ধার্মিকদের বুদ্ধির দৌড় নিয়ে, আমাদের লাফ ঝাঁপ করা উচিত না। বিবর্তনের পথেই তাদের ্ধার্মিকতা শেশ হবে। এখন কিছুই প্রয়োজন নেই ধর্মের-তবুও এই অন্ধকার টিকে আছে সেই বিবর্তন মেনেই- কারন দ্বন্দ ছাড়া সামাজিক বিবর্তন হয় না। তাই বিজ্ঞান বিরোধি শক্তির অস্তিত্ব সেই সামাজিক দ্বন্দেরই ফল।
@বিপ্লব পাল,
এভাবে আঘাত করে কথা বলা আমার মনে হয় উচিত হয় না, কেউ যদি বিপথগামী হয়েই থাকে তবে তাকে বোঝানোই মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ, সম্পূর্ন বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গির কাউকে আঘাত করলে মনে হয় হিতে বিপরীত হয়। আর বিপরীত ধর্মী কথা শুনেই রাগন্বিত হওয়াটা এক ধরনের ত্রুটি, এই ত্রুটি থেকে বের না হলে আমরা প্রকৃত মনুষ্যত্বের স্বাদ পাব না। মানুষ মাত্রই তার একটা মন আছে , কেউ নিজে আঘাত পেতে জানলে এটাও জানতে হবে অন্য মানুষও আঘাত পেতে জানে, আর আঘাত দিয়ে কথা বলাটা আমার কাছে সব সময়ই বর্জনীয়। বিপরীত মতবাদের কেউ আঘাত দিয়ে কথা বললে তাকে সাথে সাথেই পাল্টা আক্রমণ না করে ধৈর্য সহকারে তাকে উপযুক্ত যুক্তি প্রদান করাটা মনে হয় একটি গুন; অন্যথায় ব্যক্তির বিপথে আরো অগ্রসর হবার সম্ভাবনা আরো বেশী। তবে কাউকে যদি উপযুক্ত যুক্তির দ্বারা হাজারবার চেষ্টা চালিয়েও মোক্ষম যুক্তিটা ধরানো না যায় তবে তাকে উপেক্ষা করাটাই আমার মতে শ্রেয়। তারপরও তার কল্যানার্থে চেষ্টা করে যাওয়াটা আমার মতে মনুষ্যত্বের লক্ষণ। তবে কখোনোই কারো মনে আঘাত করে কথা বলতে নাই- আঘাত করতে হবে উপযুক্ত যুক্তির দ্বারা।
ধন্যবাদ। 🙂
@মুহাইমীন,
একই কথাটি আমিও বলতে চাই। এভাবে ঢালাও ভাবে যে কাউকেই দোষারোপ করার বিপক্ষে আমি।
@স্বাধীন, আমিও তাই মনে করি।
বানান নিয়ে যে ক্যাচাল শুরু হয়েছে ভয়ই লাগতেছে। বানানে আমিও দুর্বল। তারপরেও একটা কারেকশন। এইটা আসলে ফরিদ ভাইয়ের কারেকশনের কারেকশন।
আমার সংসদ বাংলা ডিকশনারি কয়, কাঁদিতে চন্দ্রবিন্দু হবে। ইন্টারনেটেও দেখলাম যেমন, আপিনি যদি এই ডিকশনারী সাইটে গিয়ে কাঁদি লিখে সার্চ দেন, তাহলে পাবেন-
কাঁদি (p. 0217) [ kān̐di ] n a cluster (কলার কাঁদি). কাঁদি-কাঁদি কলা v. to grow in cluster.
কলার কাঁদি a cluster of plantains.
গাছে না উঠতেই এক কাঁদি (fig.—ridi.) to count one’s chickens before they are hatched.
আরেকটা ভাল পরামর্শ। আপনা বানান নামে একটা ভাল সফটওয়্যার আছে যেটা ওয়ার্ড ডকুমেন্টে বাংলা টাইপের সময় বানান সংশোধন করে দেয়। আমি অবশ্য ব্যবহার করিনি। কিন্তু শুনেছি খুব ভাল কাজ করে। মুক্তমনার কেউ এটা ব্যবহার করলে আমাকে জানাতে পারেন। ব্লগে এ সংক্রান্ত ফীচারের ব্যবস্থা করা যাবে।
@অভিজিৎ,
তুমিতো আমারে এখন কাদায় ফেল্লা নাকি কাঁদায় ফেল্লা বুঝতে পারছি না। 🙁
আসলে ডারোয়িন বাদী রা ভুল করছিলেন । এখন, দশ লক্ষ বছরের মানুষের উত্পত্তির পজিশন চেঞ্জ করেছেন । সত্য বলুন । তার মানে সহজ এখন ও সত্যিকার পজিশন পান নাই । তাহলে কেন , বিবর্তন দিয়ে মানষের ধর্ম এর বিরোদ্ধে বলে কি লাভ হই লো । আর সত্যিকার নিশ্চিত পজিশন না পেয়ে একে ফেক্ট বলেন কিভাবে ? ফেক্ট হলে সম্পূর্ণ নিশ্চিত প্রমান থাকতে হবে । বার বার চেঞ্জ করলে হবে না । বার বার চেঞ্জ করলে , একে আমরা থিঊরি ঈ বলবো ।
@ফুয়াদ,
দশ লক্ষ বছরের মানুষের উত্পত্তির পজিশন চেঞ্জ করেছেন, ভুল হয়েছে দশ লক্ষ বছর না , শুধু মানুষের উত্পত্তির বিকাশের পজিশন চেঞ্জ করেছেন । সহজ ভাবে, আগে বলতেন এক কথা , এখন বলেন অন্য । আর আগের চেয়ে আরো ভাল ভাবে প্রমান হয়েছে ।
@ফুয়াদ,
ফুয়াদ, আপনার উপরের পর পর করা দুটো মন্তব্য আরেকবার পড়েন। প্রথম মন্তব্যে যে কথা বললেন, পরের মন্তব্যে বললেন বিপরীত কথা। একবার বললেন ডারউইনবাদীরা দশলক্ষ বছরের পজিশন চেঞ্জ করেছেন, আরেকবার বললেন, দশ লক্ষ বছর না – উত্পত্তির বিকাশের পজিশন চেঞ্জ করেছেন। আসলে এ ধরণের লেখায় প্রশ্ন করতে হলে আরেকটু পড়তে হবে। হুট করে প্রশ্ন করা বা মত দেয়া উচিৎ হবে না। অনেক সময় অর্থহীন প্রশ্ন পুরো ব্যাপারকে খেলো করে দেয়। প্রশ্ন করতে আমরা নিরুৎসাহিত করছি না। কিন্তু আপনি যেহেতু মুক্তমনায় অনেকদিন ধরেই কমেন্ট করছেন, আপনার কাছে প্রত্যাশাও সেজন্য বাড়তি।
এবার আপনার ‘থিঊরি’ সম্বন্ধে কিছু বলি। বিজ্ঞান কি ভাবে কাজ করে তা নিশ্চয় জানেন? সব সময়ই পরীক্ষা-নিরীক্ষা নামক চুলচেরা ব্যাপারটির মধ্য দিয়ে এগুতে হয়। সেজন্যই বিজ্ঞান সতত গতিশীল। ধর্মগ্রন্থের মত স্থবির নয়। বিজ্ঞানে ‘হিরো’ আছে, কিন্তু পয়গম্বর নেই। নেই কোন ঐশীগ্রন্থ। আর এটাও সেই সাথে জানুন – বিজ্ঞানে নেই কোন ‘সার্বজনীন সত্য’ বলে কোন কিছু। আপনিও পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞানের অনেকদিনের যে কোন শক্তিশালী তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ জরতে পারেন। আপনার লেখা যদি সেরকম ‘জোরালো’ হয় সেটা বিজ্ঞানের জার্নালগুলোতে প্রকাশিতও হবে। তারপর যদি পরীক্ষার সাথে আপনার বল কথা মিলে যায় – সেটা বিজ্ঞানে গ্রহণযোগ্যতাও পাবে। এভাবেই বিজ্ঞান খোলা মনে কিন্তু সংশয়ী দৃষ্টি নিয়ে ক্রমশঃ সামনের দিকে এগিয়ে যায়। বিজ্ঞানের অনেক ধারণাকেই বিজ্ঞানীরা এভাবেই কিন্তু খন্ডন করেছেন। যেমন, কোপার্নিকাসের আগের বিজ্ঞানীরা (যেমন টলেমী) আর অধিকাংশ মানুষ ভাবতো সূর্যই পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে। কিন্তু কোপার্নিকাস, গ্যালিলিওরা এসে আরো গভীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখালেন টলেমীর পৃথিবীকেন্দ্রিক তত্ত্ব ভুল ছিলো। তাতে কি পুরোপদার্থবিজ্ঞান কি’থিঊরি’ হয়ে গেছে? না তা হয়নি, বরং মানুষ বুঝেছে – যে ধর্মগ্রন্থে যা লেখা আছে সেটাতে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস না করে বরং বিজ্ঞানের উপরই বেশি আস্থা রাখা যায় – কারণ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃত বাস্তবতাটা অনেক ভালভাবে বুঝতে পারা যায়। আবার দেখুন, একটা সময় বিজ্ঞানীরা ভাবতেন শব্দের মত আলো চলাচলের জন্যও একটা মাধ্যম দরকার। তারা সেই মাধ্যমটির নামও দিয়েছিলেন ইথার। পরে মাইকেলসন মর্লির যূগান্তকারী পরীক্ষায় আর অবশেষে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব এসে ইথারের অস্তিত্বকে বাতিল করে দেয়া হল। বিজ্ঞানীরা বুঝলেন – আলো চলাচলের জন্য কোন মাধ্যমের প্রয়োজন নেই। এখন এই যে বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করে প্রকৃত বাস্তবতার স্বরূপ উদ্ঘাটন করছেন, এটাকে কি খারাপ বলবেন? বলবেন যে ‘তারা পজিশন চেঞ্জ করতাছে’? এভাবে কেউ বললে বুঝতে হবে সে বিজ্ঞান বোঝে না। আসলে বিজ্ঞানের কাজই হচ্ছে নতুন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পুরোনোকে ঝালিয়ে নেয়া। এখন যদি ইথারকে পরীক্ষা করে বাতিল করে দেয়ার জন্য যদি আপনি পদার্থবিজ্ঞানীদের সব কাজকে ‘থিঊরি’ বলে উড়িয়ে না দেন, তাহলে জীববিজ্ঞানীদের ক্ষেত্রে সেটা করবেন কেন? বিজ্ঞানীরা কি পরিমান কষ্ট করে, কত পরিশ্রম করে, কত ফসিল বছরের পর বছর বিশ্লেষন করে একে একে আমাদের ইতিহাসের পাতাকে ধীরে ধীরে চোখের সামনে নিয়ে আসছেন – সেক্ষেত্রে সাধুবাদ না পেয়ে যদি আপনাদের মত লোকদের কাছ থেকে কটুক্তি শোনেন সেটা মোটেই শুভ লক্ষণ হবে না। এইটুকু বুঝবেন আশা করি।
@অভিজিৎ,
বিবর্তনের বিরুদ্ধে একটা খুব বড় অভিযোগ প্রায়ই শুনি যে একে বিজ্ঞানের অন্য কোনরকম থিয়োরীর মতন ল্যাব এ পরীক্ষা করে প্রমান করা যায় না। তাই এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
এ সম্পর্কে যদি কিছু বলেন।
@আদিল,
আসলে ‘বিজ্ঞানের অন্য কোনরকম থিয়োরীর মতন ল্যাব এ পরীক্ষা করে প্রমান করা যায় না’ এ ব্যাপারটি সত্য নয়। বিবর্তনের অনেক কিছুই ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এই ব্যাকটেরিয়া, বার্ড ফ্লু, সুয়াইন ফ্লু প্রভৃতির প্রতিষেধক নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ হচ্ছে, সেটা কিন্তু ল্যাব রিসার্চ থকেই হচ্ছে। গবেষণা হচ্ছে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স নিয়েও। আসলে বিবর্তনকে অন্তর্ভুক্ত করে চিকিৎসা শাস্ত্রের একতা নতুন শাখাই গড়ে উঠেছে – Evolutionary medicine নামে। এগুলো কি পরীক্ষা নয়?
আর প্রাকৃতিক নির্বাচন নিয়েও অনেক পরীক্ষার ফলাফল সায়েন্টিফিক আমেরিকান সহ অনেক বৈজ্ঞানিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষানবিস একটা লেখা অনুবাদও করেছিলেন আমাদের ডারউইন দিবসে – প্রাকৃতিক নির্বাচনের পরীক্ষা লেখাটা পড়ে দেখুন। আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
বন্যাও তার বইয়ে বিবর্তন নিয়ে অনেক পরীক্ষার কথা উল্লেখ করেছিলেন। মাইক্রো এবং ম্যাক্রো বিবর্তনের। বহু বৈজ্ঞানিক জার্নালে পেপারও পাবলিশ হয়েছে এ সমস্ত পরীক্ষার উপর। যেমন –
Mosquin, T., 1967. “Evidence for autopolyploidy in Epilobium
angustifolium (Onaagraceae)”, Evolution 21:713-719
Dobzhansky T, Pavlovsky O, Experimentally created incipient species
of Drosophila, Nature. 1971 Apr 2;230(5292):289-92.
Stanley, S., 1979. Macroevolution: Pattern and Process, San Francisco, W.H. Freeman and Company. p. 41
Mayr, E., 1970. Populations, Species, and Evolution, Massachusetts, Harvard University Press. p. 348
Bullini, L and Nascetti, G, 1991, Speciation by Hybridization in
phasmids and other insects, Canadian Journal of Zoology, Volume 68 (8), pages 1747-1760.
ইত্যাদি।
এ ছাড়া মিউটেশন, আধুনিক হোক্স জিন, জেনেটিক্স, ইভোডেভু নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রকারন্তরে বিবর্তনেরই পরীক্ষা।
তবে কেউ যদি মিন করে থাকেন পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভবের পর থেকে মানুষের উদ্ভব পর্যন্ত পুরো সাইকেলটা ল্যাবটেরির ফ্লাস্কে ঘটিয়ে দেখানো সম্ভব হয়েছে কিনা – সেই উত্তরে বলতেই হবে যে, না সেটা সম্ভব হয়নি। এর একটা বড় কারণ হল সময়। কোটি কোটি বছরের চলমান প্রক্রিয়াকে ল্যাবরেটরীর ফ্লাস্কে সামান্য সময়ের মধ্যে ঘটিয়ে দেখানো যায় না। সেজন্যই এ ধরণের অনেক ব্যাপারের সিমুলেশন পদার্থবিজ্ঞানেও আমরা ল্যাবরেটরীতে ঘটিয়ে দেখতে পারিনা। আমরা পারিনা বিগ ব্যাং এর সিমুলেশন ঘটাতে কিংবা ব্ল্যাক হোল তৈরি করতে। কিন্তু তা বলে সেগুলো বাস্তবতাকে খন্ডন করে না। তবে বিজ্ঞানীরা আশাবা্দী যে, ইভোডেভু রংগমঞ্চে আসার পর অদূরভবিষ্যতে অনেক ‘মিরাকেল’ই ঘটিয়ে তারা দেখাবেন। যেমন, কিভাবে ব্যাকওয়ার্ড ইভোলুশন চালিয়ে আধুনিক পাখি থেকে ডায়নোসার পর্যন্ত বানিয়ে ফেলা যাবে তা নিয়ে অনেকে বইও লিখছেন। এমনি একটি বই জ্যাক হর্নারের – How to Build a Dinosaur: Extinction Doesn’t Have to Be Forever। বইটি পড়া যেতে পারে। এধরনের কিছু ‘সায়েন্স ফিকশন’ বাদ দিলে, বিবর্তনের মূল নীতিটি বহুভাবেই পরীক্ষিত – প্রকৃতিতে এবং ল্যাবরেটরীতে – উভয় ক্ষেত্রেই।
@ফুয়াদ, আপনার লেখা বাংলা ভাষাটা বুঝতে আমার বেশ অসুবিধা হচ্ছে, এরপর থেকে যদি একটু কষ্ট করে পূর্ণ-বাক্যে বাংলা লেখেন তাহলে আমার মত কম বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের তা বুঝতে সুবিধা হবে। তবে যতটুকু বুঝতে পারলাম তাতে মনে হচ্ছে, আপনি বিবর্তনের বেসিকটাই বোধ হয় বোঝেন না (এই ধারণাটা ভুল হলে জানাবেন)। পৃথিবীর সব প্রাণের যে বিবর্তন ঘটছে, তারা কারও হাতে রেডিমেড গার্মেন্টস এর মত তৈরি হয়ে টুপ টুপ করে পৃথিবীতে এসে পড়েনি সেটা একটা ফ্যাক্ট। মানুষও যে বিবর্তনের এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায়ই এখানে এসেছে সেটা একটা ফ্যাক্ট। ৬০ লক্ষ বছরের বিস্তৃতিতে মানুষের বিভিন্ন ধরণের প্রজাতির ফসিল, বংশগতিক গবেষণা ইত্যাদি থেকে তা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবেই প্রমাণিত হয়ে গেছে। কিন্তু মানুষ ঠিক যে সময়টাতে শিম্পাঞ্জীর সাধারণ পূর্নপুরুষ থেকে ভাগ হয়ে গিয়েছিল সে সময়টাতে তার বৈশিষ্ট্যাবলী কি ছিল, তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। এ সম্পর্কে দেওয়া প্রকল্পগুলোকে কোন বিজ্ঞানী ফ্যাক্ট বলে দাবী করেছেন এমনটা আমার জানা নেই। আপনার জানা থাকলে রেফারেনসসহ জানাবেন, আমার মত অনেকেরই তাতে বেশ উপকার হবে বলেই মনে হয়।
ধর্ম ঠিক না ভুল – এ আলোচনায় যাওয়ার মত ইচ্ছা এবং মনোবৃত্তি কোনটাই এ মুহূর্তে আমার নেই। সব ধর্মেই মানুষ ‘সৃষ্টি’র গল্প বলা আছে তা যে ভুল সেটা বিবর্তনের মূল তত্ত্ব থেকেই প্রমাণিত হয়ে যায়, এর জন্য বিস্তারিত কিছু বোঝার প্রয়োজন পড়ে বলে তো মনে হয় না। আর ‘বিজ্ঞান কাহাকে বলে, ইহা কিভাবে কাজ করে, ইহা কত প্রকার ও কি কি’, কোনটা থিওরী কোনটা ফ্যাক্ট, কোনটা প্রকল্প -বিজ্ঞানের এরকম এ বি সি ডি নিয়ে যদি আলোচনা করতে চান তাহলে মনে হচ্ছে অভিজিতকে অনুরোধ করতে হবে আপনার সাথে সে আলোচনা চালিয়ে যেতে। আপনাকে ওর দেওয়া উত্তরটা থেকে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে তার ধৈর্য্যের পরিসীমা আমার থেকে অনেক বিস্তৃত। স্বীকার করতে বাধা নেই যে এরকম ধৈর্য থাকাটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটা গুণ।
@বন্যা আহমেদ,
বুঝলাম!
@ফুয়াদ,
আমি নিজে নিশ্চিত না সত্যিকার অর্থে পজিশন পাওয়া নিয়ে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন।
মানুষ আর এপ দেড় কোটি বছর আগে না হয়ে যদি দুই কোটি বছর আগে বিভক্ত হয় তাহলেই কি বিবর্তন তত্ত্ব মিথ্যা হয়ে যাবে?
বা ধরাই যাক না, মানূষের বিবর্তন ৩ কোটি বছর আগে হয়েছে, তাও এপ থেকে নয়, ধরা যাক আরশোলা থেকে; তাতেই কি বিবর্তনের মূল তত্ত্ব ভুল প্রমান হয়ে যাবে?
সবচেয়ে বড় কথা, যেই জন্য এই কমেন্ট আপনাকে লেখাঃ বিজ্ঞানের কাছে থিয়োরী কিন্তু সাধারন মানুষের কাছের থিয়োরী এক নয়। সাধারন মানূষের কাছে থিয়োরী মানে ধারনা (যা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে) হলেও বিজ্ঞানীদের কাছে থিয়োরী মানে কিন্তু প্রমানিত সত্য। যেমনঃ থিয়োরী অফ ড়িলেটিভিটি, থিয়োরী অফ গ্র্যাভিটি।
তাই বিবর্তনকে ভুল বলতে চাইলে একে থিয়োরী না বলে অন্য কিছু বলবেন। নয়ত আপনার কথাতেই মানুষ উলটো বুঝবে যে আপনি বিবর্তনকে থিয়োরঈ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন।
@ফুয়াদ,
ফুয়াদ ভাই। আপনিই ঠিক কইলেন। বিজ্ঞানের সত্য মানেই ভেজাল। স্বীকৃত ভেজাল। এটা নতুন কি? বিজ্ঞানের দর্শনই বলছে সত্যর জন্যে সেই সত্যে ভেজালের সন্ধান কর। আপনার এক সহযোদ্ধার জন্যে কিছুদিন আগেই লিখেছিঃ
“সেদিন বড়ই দুর্ভোগ হবে মিথ্যাবাদীদের জন্য, যারা সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার কাজে অনর্থকভাবে লিপ্ত থাকে।” (কোরআন ৫২:১১-১২)
এই যদি কোরানের বাণী হয়-তাহলে তো কোরান সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক!
কারন বিজ্ঞানের দর্শনের সংজ্ঞা ই হচ্ছে-সত্যকে ভুল প্রমান করার পরীক্ষালদ্ধ চেষ্টা-যাকে আমরা ফলসিফিকেশন বলি।
অর্থাৎ কোরানের সংজ্ঞা অনুযায়ী সব বিজ্ঞানী ই অনর্থক কাজে লিপ্ত! কারন বিজ্ঞানে পরম সত্য বলতে কিছু নেই। তাই কোন প্রকল্প ঘোষনা করলে-তাকে প্রতিষ্ঠা করতে, সেই প্রকল্পকে মিথ্যা ( নাল হাইপোথেসিস) প্রমান করার চেষ্ঠা করতে হয়। যখন দেখা যায় পক্ষে প্রমান অনেকগুলি, বিপক্ষে খুব ই কম, তখন ৯৫% বা ৯৯% ‘কনফিডেন্স’ ইনটার ভালে’ আমরা সেই প্রকল্পকে গ্রহণ করি। কিন্তু এই ১% বা ৫% মিথ্যা প্রমান করতে না পারলে-সেটা বৈজ্ঞানিক সত্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কোন বৈজ্ঞানিক সত্য ই পরম না-সেটাই বৈজ্ঞানিক সত্যের প্রাথমিক উপপাদ্য। তাই ওই সত্যে মিথ্যার ভাগটা নির্নয় না করলে, কোন সত্যকে বৈজ্ঞানিক সত্য হিসাবে ধরা হয় না।
http://www.mukto-mona.com/Articles/biplab_pal/bipojjonok_dharmik.htm
এবার বুঝেছেন “সত্য” কথাটাই গোলমেলে-৯৯% সত্য, ৯৯।৯৯৯% সত্য বলে কিছু হতে পারে-১০০% সত্য বিজ্ঞানের গবেশনায় থাকতে পারে না।
কিন্ত সেই জন্যেই বিজ্ঞান এত শক্তিশালী , ফুঁ দিয়ে ধর্মের অন্ধত্বকে দূর করে। কারন ধর্মও ভেজাল-কিন্ত এক মাফিয়া আল্লার চোখ রাঙানী দেখিয়ে সে ভেজালকেই সত্য বলে চালিয়ে মানুশকে ভয় দেখিয়ে ব্রেইন ড্যামেজ করে । যেমন আপনার মতন ধর্ম ভীরুদের হয়েছে ( অপমান বলে নেবেন না-এগুলো মেডিকাল পরীক্ষায় প্রমানিত সত্য -কিছু ভেজাল এখানেও থাকা সত্তে)
@বিপ্লব পাল,
আপনার পরামর্শ অনুযায়ী এ বিষয়ে স্যার কার্ল পপারের চিন্তা সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়েছি। 🙂
স্বমূর্তিতে ফিরে আসার সুমতির কারণে বন্যাকে শুভেচ্ছা। :rose:
নাহ! বানান ভুলের কোন বিপ্লব তুমি করোনি, পালও তোলনি নাওয়ে। :laugh:
বানান ভুলের ভয়ে তোমাকে অন্তত লেখা থেকে দূরে থাকতে হবে না। সামান্য দুই একটা টাইপো বাদে ভুল বানান নাই বললেই চলে। কাদিতে চন্দ্রবিন্দু হবে না, হলে ওটা কান্না হয়ে যায়। ডাইনি পুরানো না হবে পুড়ানো, প্রমাণ আর বিশ্লেষণে মুর্ধন্য ণ হয়। আপাতত এই কয়টাই চোখে পড়লো।
এপ এর বাংলা কি বনমানুষ হবে নাকি নরবানর হবে?
বাংলা ব্লগে একটা কথা বহুল প্রচলিত আছে। যদি কোন লেখার শেষে লেখা থাকে যে চলবে, তবে ধরে নিতে হবে যে এই লেখার এখানেই ইতি। এটা যেন তা না হয়।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার ভয়ে লেখাটা ২৫ বার এডিট করে ছাড়লাম, তাতেও শেষ রক্ষা হল না। নরবানর না বনমানুষ হবে … হুম…শিম্পাঞ্জী, গরিলা এগুলারে তো বনমানুষই বলি আমরা। আমার বই এও এদেরকে বনমানূষই ডাকসিলাম মন হয়। কষ্ট করে এত খুঁটিনাটি দেখে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আফনেরে ফয়সা দিয়া বই এর এডিটর বানানো দরকারঃ)।
@বন্যা আহমেদ,
উঁহু, একাজের জন্য সেরা লোক হচ্ছেন ইরতিশাদ ভাই।
@বন্যা আহমেদ,
বিবর্তনের হাওয়া বুঝি ভাষায়, বর্ণে, শব্দে, বাক্যে এমনকি নামেও লাগিল। তাই নামের পাশে (প) (ফ) যুক্ত হইয়া বন্যাপা, বন্যাপু, বন্যাফা হইল।
২৫ বার এডিট করিবার পর যে শব্দমালা বাহির হইয়া আসিল তাহা নিম্নরুপ- সুচি / সুচী, দুই পায়ের / দুপায়ের, সাধারন / সাধারণ, গবাষনা / গবেষণা, অর / ওর, ওঠা / উঠা, মানূষ / মানুষ। ওদিকে ডাকসিলাম, ভাবতেসি শব্দদ্বয়ে (ছ) এর বিলুপ্তি আর (স) এর উৎপত্তি, থিওরী না ফ্যাক্ট বুঝিতে পারিলাম না।
– বিদ্যুতের তার ছিড়িয়া তার মাথায় যখন পড়িল, তখন তার—- তার শব্দের অর্থের পরিবর্তন হইয়াছে, বানানের পরিবর্তন হয় নাই। ঠিক যেমন- কাকী (Auntie) বলিলেন ঐ দেখ কাকীর (the female crow) বাসায় একটি কোকিল বসিয়া আছে। কিংবা, মাঝি দেখিতে পান, জলের ধারে কলসী হাতে এক রমণী দাঁড়াইয়া ডাকিতেছেন- ও মাঝি ঘাটে লাগাইয়া ডিঙ্গা পান খাইয়া যাও—–
এই পর্যায়ে আসিয়া ছোট বেলায় আমার বাবার কাছ হইতে শুনা একটি ছড়া মনে পড়িয়া গেল। – হরির উপরে হরি, হরি বসে তায়/ হরিকে দেখিয়া হরি হরিতে লুকায়।
@আকাশ মালিক,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত কষ্ট করে এত খুঁটিনাটি ধরে দেবার জন্য। ২৫ বার করে সম্পাদনা না করলে কি বানানের অবস্থা হত তাহলে বুঝতেই পারছেন! ব্লগে লেখা নিয়ে আলোচনা হওয়ার এই এক সুবিধা – অনেক ভুল-ত্রুটি ঠিক করে নেওয়া যায়, সবার সহযোগীতায়। আশা করি, এটা বোঝা গেছে যে, ‘ছ’ এর বদলে ‘স’ এবং ‘প’ এর বদলে ‘ফ’ এর ব্যবহার ইচ্ছাকৃত, রসকষহীন বিজ্ঞানের আলোচনায় রসবোধ আনার ব্যর্থ প্রচেষ্টা 🙂
‘গবেষণা’ এবং ‘সাধারণ’ এর বানান যে বিভিন্ন জায়গায় ভুল করেছি তা দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু আপনার দেওয়া দুই একটা সংশোধন খুঁজে পাচ্ছিনা – ‘সূচী’ এবং ‘মানুষ’ তো দেখছি ঠিকই লিখেছি, আবার খুঁজে দেখতে হবে তাহলে।
‘দুই পা’ কেন ভুল হবে বুঝতে পারছিনা। আমার ধারণা ছিল ‘উঠা’ এবং ‘ওঠা’ দু’টোই ব্যবহার করা যায়, ব্যক্তিগতভাবে আমার ‘ওঠা’ শুনতে ভালো লাগে। আর, অর / ওর, মানূষ / মানুষ – এগুলো নিতান্তই টাইপো, ঠিক করে দিব সময় করে।
আপনার মত ‘বানানের পুলিশ’কে প্রশ্ন করতে দ্বিধাবোধ করছি, কিন্তু ‘নিম্নরুপ’ কি ঠিক, কেমন যেন চোখে লাগছে, বানানটা ‘নিম্নরূপ’ হবে না?
@আকাশ মালিক, এখন ত লিখতেই বেশ ভয় করছে! ভাগ্যিস লিখে খেতে হয় না।
বিবর্তনবাদ নিয়ে মাত্র কিছুদিন আগেই আমারো ধারনা ছিল যে এটা বিজ্ঞানের অনেক সম্ভাব্য থিয়োরীর মতই কোন প্রস্তাবিত তত্ত্ব যা সার্বজানীনভাবে বৈজ্ঞানিক মহলে প্রমানিত হয়নি।
সামান্য একটু পড়াশুনা করেই জানতে পেরেছি যে আমার ধারনা ছিল ১০০% ভুল।
বন্যার বিবর্তনের পথ ধরে বইটা আমার আধার দূর করায় অনেকটা সাহায্য করেছে। আশা করি তিনি সহসাই এই লেখার বাকী অংশ আরো বড় করে লিখবেন।
তবে অবিশ্বাসীদের প্রসংগে বলতে হয় যে এদের মধ্যে বেশ কিছু আছেন যাদের কোনভাবেই বিশ্বাস করানো যাবে না। তারা মুখে স্বীকার করবেন না যে তারা কোন অন্ধবিশ্বাসের জন্য বিবর্তন মানেন না, তারা নানা রকমের আগডুম বাগডুম শস্তা চটকদার কথাবার্তা বিজ্ঞানের ছাপ মেরে তাদের ভাষায় অকাট্যভাবে বিবর্তনবাদ উড়িয়ে দিচ্ছেন।
জীববিজ্ঞানের যাবতীয় বড় বড় বৈজ্ঞানিক, বিশ্বের সব নামরা বিশ্ববিদ্যাল্ সায়েন্স আর্টিকেল তাদের মতে “একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে” বিজ্ঞানের নামে অপবিজ্ঞান ছড়াচ্ছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যটি কি বলাই বাহুল্য। এহেন উন্মাদীয় যুক্তিতর্কের বিরুদ্ধে কিছু আসলেই বলা সমীচিন নয়। তবে দূঃখ লাগে যখন একটা বড় সংখ্যক মানুষ এদের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে দিন দিন নিজেদের আধুনিক বিজ্ঞানের জগত থেকে পিছিয়ে ফেলছেন সে কথা ভেবে।
@আদিল মাহমুদ,
ভাইজান থিওরির জায়গায় হাইপোথিসিস লিখলে ভালো হত।
@আগন্তুক,
ঠিক বলেছেন, সম্ভাব্য থিয়োরী বলা উচিত হয় নাই।
বন্যা আহমেদ,
অসাধারন নৈপূন্যে লিখেছেন! পাঠকের ধৈর্যচ্যূতি ঘটেনি, আপনিই মনে হচ্ছে একটি কফি-ব্রেক নিয়েছেন! যাক্ গে, পরের পর্বটা শুরু করেছেন তো? অপেক্ষায় রইলাম সবার মতো!
কেশব অধিকারী
লক্ষ কথাটা লাগিয়ে সম্পাদনা করুন। :-))
আপু ,যেহেতু দ্বিপদী বৈশিষ্ট্যটাই মানুষের মুখ্য বৈশিষ্ট্য সেক্ষেত্রে এ বৈশিষ্ট্য মানুষ ৮০ লক্ষ বছর আগেই অর্জন করেছিল ভাবাটাই সঙ্গত নয় কি? আনুমানিক ৮০ লক্ষ বছর আগেই মানুষ ও গোরিলা একই পূর্বপুরুষ থেকে আলাদা হয়ে যায়।এই আলাদা হয়ে যাওয়াটা মূলত কিসের ভিত্তিতে?দ্বিপদী বৈশিষ্ট্য নাকি মুঠো করবার ক্ষমতা?আমি বিবর্তন তত্বে একটি ফটিক বিশেষ।সত্যি বলতে আমার পড়ার সময়ও নেই।প্রত্যেকটি মহাদেশে কি আলাদা করে বিবর্তন হয়েছিল?নাকি সবারই আদি পুরুষ আফ্রিকান?লজ্জার সাথে প্রশ্নটা করলাম।কারণ এটা বহুদিন থেকেই পীড়া দিচ্ছে।আর এই মুহূর্তে এমন গুরুতর বিষয় নিয়ে বিষদভাবে পড়ার সময় বা বই কোনটাই আমার নেই।আর ইন্টারনেট ব্রাউজিং এখানে সুখকর কোন অভিজ্ঞতা নয়। :-))
@আগন্তুক,
আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর সময় করে একটু পরে দিচ্ছি…
আগুন্তক, প্রথমে ধন্যবাদ ভুলটা সংশোধন করে দেওয়ার জন্য।
এখন প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছিঃ
নাহ, এমন কোন নিয়ম নেই যে যেহেতু দ্বিপদী বৈশিষ্ট্যটাই মূখ্য তাই সেটা সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার সময়েই ঘটতে হবে। যেমন, গরিলা এবং শিম্পাঞ্জী তো নাকল ওয়াক করে, তার মানে এই নয় যে তারা প্রথম থেকেই তা করার ক্ষমতা অর্জন করেছিল। শিম্পাঞ্জী তো দ্বিপদী নয়, আমরা ৮০ লক্ষ বছর আগে গরিলা থেকে আলাদা হয়ে গেলেও, ৬০-৭০ লক্ষ বছর আগে আলাদা হয়েছি শিম্পাঞ্জী এবং বনবোদের সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে। আমাদের দ্বিপদী হয়ে ওঠাটা ৮০ নয় বরং ৭০ লক্ষ বছরের পরে যে কোন সময় হয়ে উঠতে পারে। ঠিক কোন কোন পরিবর্তন বা মিউটেশনের ফলে আমরা আলাদা হয়ে গেছিলাম সেটা এখনো পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তবে মানুষ এবং শিম্পাঞ্জীর জিনোম সিকোয়েন্স থেকে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তবে শুধু কোন একটা বৈশিষ্ট্যের জিন আছে কি নেই তা দিয়েই আবার সব উত্তর পাওয়া সম্ভব নয়। খুব হাল আমলের গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, জিনের মধ্যে সুইচ অন অফের মত কিছু ব্যাপার আছে, তার ফলে দুটো প্রজাতির মধ্যে একই জিন দেখা গেলেও তাদের বৈশিষ্ট্য একই নাও হতে পারে। যেমন, এই সুইচ এবং আরও কিছু রেগুলেটরি ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে একই জিন থেকে পাখা, মাছের ডানা, পা বা শুড় গজাতে পারে। এ আবার আরেক ‘ক্যচাইলা’ ব্যাপার, এ নিয়ে পরে আরও বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে। মোদ্দা কথা হল, শুধু জিনোম এর গবেষণা থেকে সব উত্তর নাও পাওয়া যেতে পারে। ঠিক ওই আলাদা হওয়ার সময়টার ফসিল না পাওয়া পর্যন্ত আমরা হয়তো বলতে পারবো না ঠিক ওই সময়েই আমাদের পূর্বপুরুষরা দু’পায়ের উপর খাড়া হয়ে দাঁড়িয়েছিল কিনা। লুসি এবং আর্ডি থেকে এটা এখন পরিষ্কার যে, আমাদের মস্তিষ্কের আকার আরও অনেক পরে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর্ডির আবিষ্কার থেকে এখন মোটামুটিভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, ৪০ লক্ষ বছর আগেই আমরা দ্বিপদী হয়ে উঠেছিলাম। এখন ৭০ লক্ষ থেকে ৮০ লক্ষ বছর পূর্বের প্রজাতিগুলোতে কি বৈশিষ্ট্য ছিল তা জানার জন্য বোধ হয় আমাদের আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে!
হ্যা, আমাদের আদি পুরুষেরা আফ্রিকান। ধারণা করা হয় আমাদের আধুনিক মানুষের প্রজাতি homo sapiens রা ৫০-৭০ হাজার বছর আগে আফ্রিকা থেকে বেড়িয়ে এসে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটা প্রকল্প থাকলেও এটাকেই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রকল্প হিসেবে ধরা হয়।
@বন্যা আপু,
তা তো ঠিকই।ঐ সময়ের ফসিল না পেলে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না।কিন্তু ঠিক কোন কোন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে এই আলাদা হয়ে যাওয়াটা নির্ধারিত হয়েছে?পার্থক্যগুলো কি খুব সামান্য?প্রজাতির সংজ্ঞা তো বলে যারা নিজেদের মধ্যে যৌন প্রজনন ঘটাতে সক্ষম তারা একটি নির্দিষ্ট প্রজাতি।ব্যাপারটা কি খানিকটা এমন যে জেনেটিক মিউটেশনের ফলে উদ্ভুত সন্তান আদিমাতার সাথে প্রজননের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে?
আদিমাতা
গোরিলা—-,আদিমাতা
বনমানুষ,——আদিম মানব…
ধারাটা কি খানিকটা এ রকম?সেক্ষেত্রে প্রজনন কিভাবে হত।মাইটোকন্ড্রিয়াল এনালাইসিস থেকে এটা তো স্পষ্ট যে,পুরুষ সৃষ্টি হয়েছে অনেক পরে।আমি দ্বিধাগ্রস্থ যে,উচ্চমাধ্যমিকে পড়া প্রজাতির সংজ্ঞা কতটুকু সঠিক।
মানুষের বিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য ডারউইনের origin of man ছাড়াও আর কোথায় পাবো?
বয়সে অনেক বড় কেউ আপনি সম্বোধন করলে বিব্রত হই।এপ্রন গায়ে থাকলে তো কথাই নেই।হাসপাতালে দাদুর বয়েসী লোকেরাও স্যার এবং আপনি-আজ্ঞে শুরু করে।
ডাক্তার নামক ভারি শব্দটি অর্জনের জন্য অকালবার্ধক্য বরণ করতে আমি নারাজ! কাজেই ওতে ক্ষান্ত দিন। :-))
হেলাল এর মত করেই বলি- অপনার লেখা যতই দীর্ঘ হবে- ততই লাভ।
আপনার লেখা যেকোন সময়ে অনায়াসেই পড়া যায়, কঠিনকে সহজ ভাষায় উপস্থাপনে আপনার জুরি নেই, সেইসাথে সহজাত রসবোধ ও হিউমার – ব্যঙ্গ সবকিছু মিলিয়ে নিরস বিজ্ঞান আলোচনাকেও আপনি একটা অন্য মাত্রা দিতে পারেন। আপনাকে স্যালুট।
আমার নানা বাড়ি যে গ্রামে সেখানে একটি ‘পাগল’ থাকে যাকে পাগল বললে সে খুব খুশি হয়, রীতিমত লম্ফঝম্প শুরু করে দেয়। আর্ডি সম্পর্কিত প্রবন্ধগুলো প্রকাশিত হওয়ায় কোথায় আমরা বিবর্তনবাদিরা আনন্দিত হব সেখানে সৃষ্টিবাদিরা শুরু করল লাফালাফি।
শুধুমাত্র নিজ প্রজ্ঞা আর পর্যবেক্ষণক্ষমতা প্রয়োগ করে ডারউইন আমদেরকে যতটা এগিয়ে নিয়েছেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। সময়ের প্রয়োজনে ডারউইনের কিছু তত্ত্ব আপডেট করা হয়েছে ভবিষ্যতে আরো আপডেট করা প্রয়োজন হতে পারে। আর বিবর্তনবাদ বিজ্ঞান বলেই তার পরিবর্তন ও সংশোধন প্রয়োজন হয়। অপবিজ্ঞান যেমন সৃষ্টিতত্ত্ব এগুলোর সংগত কারণেই সংশোধনের প্রয়োজন হয় না, শুধু মানুষ খাচ্ছে কি না খেয়াল রাখলেই চলে; অবশ্য মানুষ যদি না খায় তবে নতুন বোতলে ঢুকিয়ে পরিবেশন করতে হয় বৈকি(সদা-প্রলাপ বা এরকম নামের একটি ওয়েবসাইট শুনেছি এ কাজে অনেক আগ থেকেই নিবেদিত প্রাণ)।
দীর্ঘ বিরতির পর বন্যাদি আবার লেখছেন দেখে সবার মত আমিও আনন্দিত। আশা করি আর্ডি সম্পর্কিত সামগ্রিক তথ্যের সমাহার ঘটবে তাঁর লেখায়।
(আর্ডি সম্পর্কিত গবেষণা প্রবন্ধগুলো সংগ্রহ করার জন্য http://www.sciencemag.org/ardipithecus/ এ লিংকে ঢুকে রেজিঃ করে লগ ইন করুন, লগ ইন না করলে ডাউনলোড হবে না)
@সৈকত চৌধুরী,
প্রলাপ ট্রলাপ পড়ার দরকার কি, সেই সময়টা ভালো কোন কাজে লাগালে বা পড়লে বরং নিজের ‘আত্মার’ উপকার হয়। ধন্যবাদ সাইন্স এর লিঙ্কটা দেওয়ার জন্য, আমি এখানে এবং আরও দুই একটা ম্যাগজিন এবং জারনালে সাবস্ক্রাইব করি। সত্যি কথা বলতে কি, এই ১১ টা পেপার পড়তে পড়তেই এত দেরী হয়ে গেল লিখতে। এগুলা যত পড়ি ততই মনে হয় আরেকটু পড়ে নেই, তাহলে আরও ভালো বুঝবো, তখন লেখা যাবে 🙂 ।
আপনার লেখা যত বড় হয় ততই ভাল।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
বন্যাপা,
ভালো লেগেছে, পরের পর্বের অপেক্ষায় বলে কেটে পড়তে চাচ্ছিলাম। পরে ভাবলাম আপনি ঝারি টারি দেন কিনা 😀
ডিসকভারির ভিডুটার সম্পূর্ণ ভার্সনটার লিংক দিতে পারেন? আমি ইয়ুটিউবে পুরাটা পেলাম না। অর্ডি সম্পর্কে আপাতত যা পড়লাম তা থেকে অর্ডিকে মা মেরি বলে ফুলের মালা দেবার মতো শক্ত কারণ পেলাম না, অবশ্য এদের শক্ত কারণ লাগেও না। তবে বিভিন্ন সুশীল মানুশ মুখশের আড়ালে যারা মূলত গোড়া ধার্মিক তাদের হম্বিতম্বি দেখে আমিও প্রথমে একটু কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম। শেষের অংশটা পড়ে বুঝলাম মুহাম্মদের লেখাটাতে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। যাই হোক, খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দিবেন আশা করি। তিন বছর লাগায়েন না।
অফটপিকঃ মুক্তমনা একদম ঠিকঠাক লোড হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে।
@রায়হান আবীর,
রায়হান, তোমারে আর কিছই বলার নাই, লেখার আগে ‘লিখেন না কেন, লিখেন না কেন’ বইলা ঘ্যানঘ্যানাইলা, এখন লেখার পরে আবার ‘তাড়াতাড়ি লেখেন না কেন’ বইলা শুরু কইরা দিলা।
মোহাম্মাদ দারুণ লেখে, ওর লেখাটার ব্যাখাগুলো ঠিকই আছে, বিশ্লেষণটা এট্টু বদলাতে হবে, এই যা… পরের পর্বের জন্য অর লেখটাই তুলে দিব কিনা ভাবতেসি 🙂
@বন্যা আহমেদ,
ভুল হয়েছে। বলা উচিত ছিল ক্লেয়ারিফাই” করতে হবে। তাহলে আর বিবর্তনের ‘ফেক্ট” নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবেনা।
http://www.sachalayatan.com/shikkhanobish/27708 এইটার শেষ মন্তব্য দ্রষ্টব্য।
ভিডুর টরেন্ট লিংক পাইছি। আল্লাহর নাম নিয়া নামান শুরু কর্ছি।