আমরা না দেখেই বিশ্বাস করি তিনি আছেন। আমার এই বিশ্বাস আরো দৃঢ় ভিত্তি লাভ করে যখন আমরা সৃষ্টিকর্তার নিদর্শন দেখি। তার নিদর্শনের মাঝে তার বক্তব্যের/ অস্তিত্বের প্রমাণ পাই নানা ভাবে।
এটা মোটামুটি সব বিশ্বাসী/আস্তিকদের ক্ষেত্রেই কমন, আমি নিজে যখন আস্তিক ছিলাম- আমার ক্ষেত্রেও এটা ঘটেছে। মুসলমান বাপ-মা’র কারণে জন্মের পরেই মুসলমান হয়ে তারপরে- এমন যুক্তি- নিদর্শন খুজেছি- খুজে পেয়েছি। ক্লাস থ্রি/ফোরের ক্লাসের ধর্মের বই এ পরিষ্কার যুক্তি ছিল- “আল্লাহ যে আছেন এটার নিদর্শন আমাদের চারপাশে অসংখ্য আছে”। সবকিছু এত নিয়মমাফিক চলে- এ থেকেই প্রমাণ হয় যে, একজন নিশ্চয়ই আছেন যিনি সবকিছু সুচারু ভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন- আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা যে একজনই কারণ একাধিক হলে তো তাদের মধ্যে মতবিরোধ হতো- বিশ্বজগৎ সুচারুরূপে চলতে পারতো না…… ইত্যাদি। আমি নিশ্চিত- অন্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটে। আগে বিশ্বাস করে নেয়া- তারপরে যুক্তি খোজা- নিদর্শন খুজে পাওয়া…..।
যাহোক- এটা নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই, যে বিষয়টি নিয়ে বলতে চাই- আপনি যেসব নিদর্শন বা যুক্তি দেখে আপনার বিশ্বাসকে পাকাপোক্ত করেছেন- সেগুলো নিয়ে আমার যথেষ্ট কথা আছে। সেগুলোকে যদি, আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়- তবে আমার আগের বিশ্বাসের ভিত্তিটি কি একটু দুর্বল হতে পারে না????
“কখনো দেখি , ১৪০০ বছর আগে আদর্শ, নীতি বা ন্যায় পরায়নতা ভিত্তিক যে সমাজ গঠন করেছিলেন অস্বাভাবিক সামাজিক পংকিলতার মধ্য থেকে যা বিশ্ব ইতিহাসের যে কোন সময়ে যে কোন স্থানে বিরল।
মনে পড়ে ওমর (আঃ) আর তার ভৃত্য একটা উঠে বিশাল মরুভুমির ৫০% -৫০% পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। কখন মনে পড়ে হযরত ওমর (আঃ) এর দুর্ভিক্ষ কালিন বক্তব্য “আজ যদি ফোরাতের তীরে একটা কুকুর যদি না খেয়ে মারা যায়, তবে তার জন্য আমি দ্বায়ী।” মানব ইতিহাসে এর তুলনা কোথায়?”
১৪০০ বছর আগে মুহম্মদ সা আরব সমাজে যে অবদান রেখেছেন- তা আমি স্বীকার করি- এবং একজন মানুষ হিসাবে তার প্রতি আমার প্রচণ্ড শ্রদ্ধাও আছে। কিন্তু যুগে যুগে আরো অসংখ্য মানুষকেই তো আমরা পাই। তাদেরো প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু যখন বলা হয় ১৪০০ বছর আগে আরবভূমিতে মুহম্মদ সা এর এই ভূমিকা বিশ্ব ইতিহাসে যেকোন স্থানে বিরল- তখন বুঝতে পারি – এমন দাবিদারের বিশ্ব ইতিহাস সম্পর্কে জানা-বুঝা নিতান্তই কম। বুঝতে পারি এ হলো চোখ বন্ধ করে ভক্তিতে গদগদ হওয়া, এ এমনই ভক্তি যে- একজন রক্তমানুষের মানুষকে ঐশ্বরিক পর্যায়ে কল্পনা করে নেয়া, সেই মানুষটি যে একটি নির্দিষ্ট সময়কালে- একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের একটি নির্দিষ্ট সমাজ ব্যবস্থায় এসেছিলেন- তা ভুলে তার সমস্ত ক্রিয়া-কর্মকেই সমস্ত যুগের জন্য সমস্ত অঞ্চলের জন্যই সমস্ত সমাজব্যবস্থার জন্যই চুড়ান্ত বলে ঘোষণা দেয়া। তখন বিনীতভাবে প্রশ্ন না করে পারি না যে, এই মানুষটি বিদায় হজ্জে দাসদের প্রতি সুব্যবহার করার আহবান জানাতে পারলেন কিন্তু কৃতদাস প্রথা উচ্ছেদের ডাক দিলেন না কেন? পুরুষের জন্য চার বিবাহের বিধান কেন রাখলেন? হিল্লা বিয়ে প্রথা কেন রাখলেন? দাসীদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত যৌন সম্পর্ক কেন জায়েজ রাখলেন?….. ইত্যাদি।
বিশ্ব ইতিহাসের কথা টেনে যখন এই মানুষটিকে মহামানব হিসাবে দেখানো হয়, সরাসরি আল্লাহর বন্ধু বা রাসুল হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয়- তখন বিনীত ভাবে প্রশ্ন করি- ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পরে কেন তার একের পর এক নারীর প্রতি ঝুঁকতে হয়? কেন একের পর এক যুদ্ধ/জেহাদে লিপ্ত হতে হয়? কেন বিধর্মীদের প্রতি ঘৃণা ছড়াতে হয়? কেন অন্য ধর্মাবলম্বী প্যাগানদের ধর্মী উপাসকদের মূর্তিগুলো ধ্বংস করে দিতে হয়?…. ইত্যাদি।
এসবের জন্য একজন মানুষ মুহম্মদ সা এর প্রতি কোন অশ্রদ্ধা নেই- কারণ আমি জানি একজন মানুষের যুগগত, সমাজ ব্যবস্থাগত সীমাবদ্ধতা কি হতে পারে। কিন্তু অবশ্যই একজন রাসুলুল্লাহ মুহম্মদ সা এর প্রতি আমার হাজারো প্রশ্ন আছে। তাই কেউ যদি- যুগের কথা বলে নবীজী হিসাবে তার নারী লিপ্সাকে অনুমোদন দিতে চান- সোলায়মান…….. সহ বহুত রাজা বাদশার আরো চরম নারী লিপ্সার সাথে তুলনা দেখিয়ে রাসুল মুহম্মদ সা এর চরিত্রকে অনুকরণীয় দেখাতে চান- তাদের আমি বিনীতভাবে যীশু-গৌতম বুদ্ধ- সক্রেটিস থেকে শুরু করে মুহম্মদ সা এর আরো অনেক আগের অসংখ্য মানুষের তুলনা আনি, এনে জানাই এ ব্যাপারে অনুকরণ- অনুসরণ করতে চাইলে তাদেরই তো করা উচিৎ।
ওমরেরও অনেক কাহিনী, অনেক গল্প আমাদের এখনো উদ্দিপ্ত করে- ইতিহাসে এমন অসংখ্য চরিত্রই আমাদের মাঝে এমন করেই বেচে থাকেন যুগ যুগ ধরে। কিন্তু সেই সব রক্ত মাংসের মানুষের অনবদ্য গল্পগুলোকে কেন্দ্র করে যখন অন্য সব যোগসূত্র বের করে, মানুষের মহিমার চেয়ে কিচ্ছাকাহিনী/গালগল্পের মাহাত্ম্য প্রচারের চেষ্টা হয়- তখন বিনীতভাবে প্রশ্ন করি- ইসলামের চার খলীফার কয় খলীফা খুন হয়েছেন? কাদের হাতে খুন হয়েছেন? কি কারণে খুন হয়েছেন?
মুহম্মদ সা এর শবদেহ দাফনে কেনই বা দেরী হলো? ওনার কাছের মানুষেরা কি নিসন্দেহ ছিলেন না- যে তিনি আল্লাহর রাসুল? নিসন্দেহ কি ছিলেন না যে- আল্লাহর রাসুলের শবদেহ অবহেলায় ফেলে রেখে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হতে পারেন?
“যখন দেখি, আল-কুরআনের বাণী গুলো এত বেশি অলংকৃত, শব্দের যে অপরুপ বিন্যাস যার তুলনীয় কাব্যগ্রন্থ আজও সম্ভব হয় নি, (অবশ্য এটা আপনাকে ভালভাবে বুঝতে হলে আপনাকে আরবি সাহিত্য বা আরবি ভাষা অনেক ভাল জানতে হবে বা আপ্নকে সাহিত্য বিশারদ হতে হবে; আমরা আপাতত যারা সাহিত্য বিশারদ আছেন তাদের কথায় বিশ্বাস করে নিচ্ছি)।”
আল-কুরআনের বাণীগুলো এত বেশী অলংকৃত, শব্দের যে অপরূপ বিন্যাস- তা একজন বিশ্বাসী মাত্রই আরবী ভাষা না জেনে- না বুঝেই অন্ধভাবে বিশ্বাস করে। আর এমন অন্ধভক্তিজনিত অবস্থান থেকেই এরকম ঘোষণা: “কোরআনের সমতুল্য কাব্যগ্রন্থ আজও সম্ভব হয়নি”!!!!!!!!
সুতরাং- খুব সহজেই এক বাক্যে জবাব দেয়া যায়: এমন ঘোষণাকারীর কাব্য সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই।
সেই সাথে এরকম বিশ্বাসীদের অবগতির জন্য জানিয়ে দেই: বিশ্ব সাহিত্যে আল-কোরআনের অবস্থান বলতে গেলে শূণ্যের কোঠায়। ইতিহাস গ্রন্থ- দর্শন গ্রন্থ হিসাবে এই গ্রন্থের যথেষ্ট ভূমিকা অবশ্যই আছে- একটা পুরো যুগকে বুঝতে গেলে- কোরআন-হাদীসের শরণাপন্ন অবশ্যই হতে হবে। কিন্তু বিশ্ব সাহিত্যের দরবারে কোরআন না থাকলেও চলবে। এমনকি আমাদের এই অঞ্চলের মহাভারত-রামায়নকেও মহাকাব্য আখ্যা দেয়া যায়, প্রাচীণ সাহিত্যের কোঠায় আমরা চর্যাচর্যবিনশ্চয় বা চর্যাপদকে বুকে পিঠে ধরে রাখি- বিশ্বসাহিত্যকে হোমারের দুই প্রাচীণ মহাকাব্য অনেক ধনী করে- সেগুলোর তুলনায় আল-কোরআন নিতান্তই শিশু। সাহিত্য বিশারদদের কথা আপনি এনেছেন- কিন্তু দুনিয়ার সাহিত্য বিশারদরাই কিন্তু প্রাচীণ কোন গ্রন্থের মধ্যে কোনটির সাহিত্যমান কেমন- কোনটিকে মহাকাব্য বলা যাবে- কোনটিকে বলা যাবে না- তা নির্ধারণ করেছেন।
এবারে সরাসরি আল-কোরআনের কাব্যগুন কেমন তা একটু বিচার করি। কাব্যের বিভিন্ন অঙ্গগুলো হচ্ছে: রূপক-উপমা- ছন্দ ইত্যাদি। একটা ভাবকে রূপক-উপমা দিয়ে তুলে ধরতে পারাটা কাব্যের বিশেষত্ব- এটা কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আছে, এটা স্বীকার করছি। কিন্তু এর পরিমাণ খুব কম ও এগুলো আমার মতে ততখানি বুদ্ধিদীপ্ত নয়- মানে অনেকটা ফ্লাট টাইপের। উপরন্তু আমাদের এখানকার প্রাচীণ গাঁথা-কবিতায় সাধারণ মানুষ যেসমস্ত উপমা-রূপক দিয়ে মানুষের মনের ভাবকে প্রকাশ করে গিয়েছে- অনেক আগে থেকেই দেহবাদী গানগুলোতে যে উপমার ছড়াছড়ি- তা থেকেই বুঝা যায়- এগুলো মানুষের দ্বারাই খুব সম্ভব।
আর, ছন্দের কথা বললে- কোরআনকে অনেক পেছনে রাখতে হবে। রামায়ন-মহাভারতের শ্লোক- আমাদের চর্যাপদের পদগুলোর ছন্দ অনেক সুললিত, পরিমিত। কোরআনের বেশীরভাগ কবিতা তথা সুরাই আসলে ছন্দ মেইনটেইন করেনি। তবে কিছু কিছু সুরা- অনেক সুরার মাঝের বিভিন্ন ধারাবাহিক আয়াতে আমরা ছন্দের খেলা দেখতে পাই। কিন্তু সাথে এটাও বলতে হবে যে- যেকোন প্রাচীণ ছন্দের মত এগুলো একঘেয়ে অনুপ্রাসের সমাহার।
যেমন:
আলাম তারা কাইফা ফায়ালা রাব্বুকা বি আসহাবিল ফিল
আলাম ইয়াজয়াল কাইদাহুম ফি তাদলিল
ওয়া আরসালা আলাইহিম তয়রান আবাবিল
তারমিহিম বিহিজারাতিম মিন সিজ্জিল
ফাজায়ালাহু কা’য়াসফিমমাকুল…..
এটা ১০৫ নং সুরা ফিল। সব বাক্যের শেষেই আছে ইল (যদিও পঞ্চম বাক্যে আছে উল)। তেমনি সুরা ফাতেহায় সব বাক্যের শেষে আছে- ইন/ইম। সুরা নাসে সব বাক্যের শেষে পাওয়া যাবে নাস….. ইত্যাদি।
এধরণের ছন্দ প্রাচীণ কবিতাগুলোতে পাওয়া যায়। সে সময়ে আসলে ছন্দগুলো তৈরি হতো মুখে মুখে- প্রচারিত হতো মুখে মুখে, ফলে এরকম অন্তমিল রেখে তৈরি করাটা ছিল সহজ, এরকম অন্তমিল দেয়া ছন্দ মনে রাখাটাও ছিল সহজ। দেখুন চেষ্টা করলে আপনি এরকম ছন্দ তৈরি করতে পারবেন- যেমন:
আলো আমার আলো
আমি আছি ভালো
যতই তুমি কালো
প্রেমের সুধা ঢালো
….. বা
কলকল
ছলছল
ঢলঢল
ঝলমল
হলহল
কোলাহল……. ইত্যাদি।
চেষ্টা করে দেখুন, আমার মত কেউ পারলে আপনিও পারবেন। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ছড়াগুলো পড়ে দেখতে পারেন- তাহলে বুঝবেন এরকম ছন্দ মানুষ কি দারুন তৈরি করতে পারে।
আর প্রাচীণকালের দোহাই পাড়লে বলবো- চর্যাপদ, রামায়ন-মহাভারত এসবের দিকে চোখ রাখুন। চর্যাপদের ছন্দগুলো- রামায়ন মহাভারতের শ্লোকগুলোও এরকম অন্তমিল ছন্দ দিয়ে তৈরি। এবং পড়লেই বুঝতে পারবেন ওগুলোর চেয়ে কত নিম্নমানের ছন্দ আল-কোরআনে। নিম্নমানের বলছি এই কারণে যে, কোরআনেরটা অনেক বেশী একঘেয়ে, এবং কোরআনে এইরকম মিল দেখাতে গিয়ে একই শব্দ, একই বাক্য বারবার ব্যবহার করা হয়েছে।
আর, আপনার ঐ বাক্যটিতে তো মনে হলো- বর্তমানের কাব্যগুলোকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে!!!! বর্তমানের কাব্যগুলোর দিকে তাকানো আসলে ঠিক হবে না, তাহলে কোরআনকে আরো ন্যাংটো হতে হবে। আজকে ছন্দের যত বৈচিত্র, যত শক্তি তা ঐ আমলের কোন গ্রন্থের কাছ থেকে আশা করি না- তুলনাটাও ঠিক নয়; তবে আপনারা যদি সেই রকম চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসেন তবে বিনীতভাবে জানাতেই হয় যে- বিশ্ব সাহিত্যে আল-কোরআনকে কেউ কোনদিন মহাকাব্য/কাব্য বলেনি বলেই আমি জানি।
কাব্যগুণকে সময় এবং প্রেক্ষিতে আলোচনা করাই ভালো। এবং কাব্যগুণে রবীন্দ্রনাথ আর কোরআনের তুলনা চলে না-এও ঠিক। কিন্তু কাব্যগুণ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। মুহাম্মদ ভেবেছেন-এও অনেক-তিনি যে দৃশ্যকল্প তৈরি করেছেন-তা কম কিসে-আমার কাছে বেশ রোমাঞ্চকর মনে হয় কিছু কিছু অংশ।
আমিও মনে করি- কাব্যগুণ তথা যেকোন সাহিত্য বিচার সময় ও প্রেক্ষিতেই করা উচিৎ।
আমি চর্যাপদ- রামায়ন-মহাভারত-ওডিসি-ইলিয়ড প্রভৃতিতে অবশ্যই আজকের যুগের ছন্দের বৈচিত্র্য ও শক্তি খুঁজতে যাই না- এটাই স্বাভাবিক যে- ঐ আমলের কাব্যে পয়ার-চতুর্দ্দশপদী বা অমিত্রাক্ষর পাবো না। কিন্তু সমস্যা হয় যে- যখন কেউ কোন এক আমলের এক কাব্যকে সমস্ত যুগের জন্য সেরার রায় দিয়ে দেয় তখন। সে জায়গা থেকেই উপরের আলোচনাটি টানা- রবীন্দ্রনাথ, … প্রমুখের নাম আনা। আরেকটি উদ্দেশ্য আছে- সেটা হলো দেখানো যে- মানুষের পক্ষেই কি অসাধারণ সব সৃষ্টি সম্ভব।
উপরন্তু আমার কাছে কোরআনের কাব্যমান সে আমলের এবং তারও আগের আমলের কাব্যের সাথে তুলনাতেও খুব নিম্নমানের মনে হয়। কেননা- বাস্তবে কোরআন তো কোন কাব্যগ্রন্থ নয়- মুহম্মদ সা এর কোন উদ্দেশ্যও ছিল না- কোরআনের মাধ্যমে কাব্যচর্চা করার। তারপরেও একদল ধর্মান্ধ লোক এর কিছু কবিতার উদাহরণ টেনে একে সমস্ত যুগের সেরা কাব্য বলে দাবি করে- এতে আসলে কোরআনকেই তারা তামাশার বস্তু হিসাবে উপস্থাপন করেন। এবং এটা মনে করি জন্যই আমি- চর্যাপদ-রামায়ন-মহাভারত প্রভৃতি যেগুলো আসলেই কাব্য এবং অসংখ্য কবির কাব্য প্রচেষ্টারই ফল- সেগুলোর সাথে কোরআনের তুলনাটাও আমার কাছে সঠিক মনে হয় না (এ যেন মেঘনাদবধ কাব্যের কাব্যময়তার সাথে বিষাদ সিন্ধুর কাব্যময়তার তুলনামূলক আলোচনা!!)। তারপরেও সেরকম তুলনামূলক আলোচনা টানা- কারণ, বিশেষ সেই দাবি।
আপনি দৃশ্যকল্প সৃষ্টির কথা বলেছেন। হুম, সেটা আমিও স্বীকার করি, এবং কোরআন যতই পড়ি- ততই মুহম্মদ সা এর প্রতিভায় বিস্মিত হয়ে যাই। তার কল্পনাশক্তি খুবই অসাধারণ। মেরাজের কাহিনীটিও ধরুন। বা বেহেশত-দোযখের ডিটেইলিং গুলো দেখুন। সে সময়ের বিধর্মী- স্বধর্মী সকলের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব তিনি যেভাবে দিয়েছেন- খুব উচ্চমাপের কল্পনাশক্তির লোক না হলে তা সম্ভব নয়। একবার সাহাবীরা জিজ্ঞেস করছেন- সন্ধা নামলে সূর্য কোথায় যায়? সাথে সাথে জবাব- সূর্য গিয়ে আল্লাহর আরশের নীচে অবস্থান করে- ঠিক সুবেসাদিকের সময় সূর্য আবার চলে আসে… ইত্যাদি। এই যে- জবাবটি দিলেন, এখানেও কিন্তু দারুন কল্পনাশক্তির মিশেল আছে। এরকম- অসংখ্য বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন- কোরআনে ও হাদীসে পাওয়া যায়- এবং এত অসাধারণ ভঙ্গীতে, সবই অনবদ্য। ধরেন, আল্লাহর যে ৯৯ টি নাম, মানুষেরই বিভিন্ন ভালো গুন সব আল্লাহর নাম হিসাবে দিয়েছেন- কিন্তু এমন খুটে খুটে মানুষের ৯৯ টি গুন বের করাও কিন্তু কম না।
এটা ঠিক যে- ইসলাম হিসাবে মুহম্মদ সা যা প্রচার করেছেন তার বড় অংশই তার নিজের আবিষ্কার নয়। সেখানকার বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা অলরেডিই এগুলোর বড় অংশ বিশ্বাস করতো ও মানতো, নানা মিথ আগে থেকেই আরব অঞ্চলে প্রচলিত ছিল- কিন্তু সেগুলোকে নিজের মত রিমেক করা, সংকলন করাও আমার মনে হয় অসাধারণ ধীশক্তি ছাড়া সম্ভব নয়। এবং মাঝে মধ্যেই কোরআনে নানারকম দৃশ্যকল্প তৈরী হয়েছে। কিন্তু এসবকেই কি কাব্য বলা যায়? একটা রূপকথা গল্পে- ঠাকুরমার ঝুলি টাইপের বই এও চমৎকার সব দৃশ্যকল্প পাবেন- সেটাতে কি শুধু এটুকুই বলতে পারি না যে- এসবের রচয়িতার কল্পনাশক্তি খুব প্রখর ছিল (উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী পশুপাখির মুখে ভাষা দিয়ে গল্পগুলো পড়লে তো আমি এখনো মুগ্ধ হই- বা ঈশপের গল্প গুলোও লেখকের কল্নাশক্তির বহিপ্রকাশ ঘটায়)- কিন্তু কাব্য বা কবিতা হতে গেলে তো আরো কিছু লাগে!!
বাকারা- নিসা…… এসব সুরাকে কিকরে আপনি কবিতা বলবেন? কোনদিক থেকে এগুলোর কাব্যগুণ খুঁজে পাবেন?
আবার নাস-ফাতেহা-ফিল এরকম কিছু কবিতার ব্যাপারেও আগেই বলেছি- এগুলোর ছন্দ সেই প্রাচীণ আমলের কবিতাগুলোর সাথে তুলনা করেও নিম্নমানের মনে হয়েছে। কেননা- এগুলো একটু বেশী মাত্রায় একঘেয়ে- যেমন দেখুন:
রহিমের কলম আছে,
জব্বারের মলম আছে,
আবুলের বই আছে,
মিহিরের মই আছে,
কাদিরের কলস আছে,
নাদের খুব অলস আছে…..
সবগুলোর শেষে আছে….. এমনটি চললে- সেটি কি খুব ভালো লাগে? সুরা নাসে সব বাক্যের শেষেই নাস। অধিকাংশ কবিতার বেলাতেই ফর্মটা এই একই রকম। অথচ অন্তমিল রেখেই যদি কবিতার ছন্দ এমন হয়-
রহিমের কলম আছে,
জব্বারের মলম কাছে,
আবুলের আছে বই,
মিহিরের মই,
কাদিরের কলস,
নাদের খুব অলস…..
অন্তমিল থাকলেও কিন্তু ততোটা একঘেয়ে নয়। চর্যাপদ- রামায়ন-মহাভারতের ছন্দগুলো তাই আমার কাছে বেশী ভালো লাগে।
“বা যখন দেখি কুরআন ১৪০০ বছরের মাঝে বিন্দুমাত্র চেঞ্জ হয়নি যেখানে বাইবেল বা অন্যান্য ধর্মগুলি শত শত বার চেঞ্জ হয়েছে*। রাজা বা পাদ্রিরা নিজেদের মনের মত পরিবর্তন করেছেন। এর মধ্যে আমরা আল্লাহর ইচ্ছার প্রতিফলন দেখতে পাই। …..
…… অন্যান্য অনেক ধর্ম প্রকৃতপক্ষে ঈস্বরের কাছ থেকে আসলেও তা সময়ের পরিক্রমায় পরিবর্তন/ বিকৃত হয়ে গেছে এবং সময়ের পরিবর্তনের জন্য ধর্ম গ্রন্থ গুলির লেটেস্ট বা ফাইনাল ভারসন প্রয়োজন। এটাই যে ফাইনাল ভারসন এর প্রমাণ হচ্ছে, দেড় হাজার বছরেও এটার বিন্দুমাত্র অবিকৃতি। (আল্লাহ তায়ালা কুরআনে নিজেই কুরআনের সংরক্ষন করবেন বলেছেন বা অবশ্যই তা অবিকৃত আছে।)”
কোরআন অবিকৃত হয়নি মানে কি বুঝাতে চেয়েছেন? এবং তার দ্বারা কি প্রমাণ হয়?
আজকে মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কারের পরে- লাখ লাখ কোটি কোটি বই আপনি যুগ যুগ অবিকৃত পাবেন। শেক্সপীয়রের নাটক, সনেটগুলো সব একই ফর্মে আপনি পাবেন- সামান্য দাড়ি-কমারও কমবেশ পাবেন না। চর্যাপদের পদগুলোও তো আপনি ঠিক আগের ফর্মেই পাচ্ছেন। এখনতো আমরা দুই/ আড়াই হাজার বছর আগের শিলালিপিও পাই- সেগুলোও তো অবিকৃত। এতে কি প্রমানিত হয়?
হুম, একটা সময়ে মুখে মুখে যখন জ্ঞান, সাহিত্য… প্রভৃতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বা যুগ থেকে যুগে বিচরণ করতো – তখন সেগুলোর ক্ষেত্রে বিকৃতির সম্ভাবনা থেকেই যেত। এবং আমরা জানি আল-কোরআন পুরোটা এক সাথে লিপিবদ্ধ অবস্থায় মুহম্মদ সা মানুষের সামনে হাজির করেননি। প্রাথমিক অবস্থায় এটা খণ্ড খণ্ড ভাবে মুখে মুখে প্রচারিত ও বিচ্ছিন্নভাবে লিখিত অবস্থায় ছিল। ফলে- এটার বিশুদ্ধতা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছিল, এবং সেকারণেই সে ব্যাপারে সকলকে নিশ্চিন্ত করার দায় কোরআনের ছিল। সেকারণেই আমরা কোরআনে আল্লাহকে বলতে দেখি- তিনিই এর সংরক্ষণকারী!!!
নিশ্চিৎভাবেই মেঘনাদবদকাব্য বা কিং লীয়র বা ওয়ার এণ্ড পীস এর ক্ষেত্রে এরকম অবিকৃতির ঘোষণা দেয়ার কোন প্রয়োজনই কেউ বোধ করেননি।
এবারে আসি- অন্যান্য প্রাচীণ গ্রন্থ সমূহের সাথে তুলনার বিষয়টিতে। অন্য ধর্মগ্রন্থসমূহ বিকৃত হয়েছে, কোরআন হয়নি!! এ কথাটির ফাঁক একটু দেখলেই বুঝা যাবে।
যেসমস্ত গ্রন্থ সমূহ লেখকের (আপনাদের ভাষায় যার উপর নাজিল হয়েছে তার) জীবদ্দশাতেই প্রামান্যরুপে উপস্থিত হয়েছে- সেগুলো নিয়ে বিকৃতির অভিযোগ আনাটা কি সম্ভব? এটা আনা হয়, লেখকের বা নাযেল হওয়া ব্যক্তির মৃত্যুর পরে সংকলিত হওয়ার ক্ষেত্রে। যেমন ধরেন- সক্রেটিস কোন কিছু লিখে যাননি। লিখেছেন, তার দুই শিষ্য। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে- শিষ্য দুজন যা লিখেছেন- তার হুবাহু কি সক্রটিসের চিন্তা-দর্শনকে রিপ্রেজেন্ট করে? কিন্তু এটাও ঠিক যে- প্লেটো যখন প্রামান্যরূপে বা লিখিতরূপে প্লেটোর সংলাপ বা সক্রেটিসের জবানবন্দী লিখলেন- সেটা কিন্তু অবিকৃত হিসাবেই এবং অবশ্যই প্লেটোর লেখা হিসাবেই আমরা পাই।
একইভাবে, যেশাস ও মুহম্মদ সা দুজনের কেউই নিজে বাইবেল-কোরআনের এরকম প্রামান্য রূপে হাজির করতে পারেন নি। পরবর্তীতে তাদের অনুসারীরা এগুলো সংকলিত করেন। এখন প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক যে, এখানে যা আছে তা আসলে ওনাদের প্রচারিত ধর্মমতকে হুবাহু ধারণ করে কি না? যেশাসের মৃত্যুর বেশ পরে যেহেতু এগুলো সংকলনের উদ্যোগ নেয়া হয়- সেহেতু বিচ্যুতির সম্ভাবনা একটু বেশি- সে তুলনায় কোরআনে একটু কম। কিন্তু একবার সংকলিত বা প্রামান্য রূপে পাওয়া গেলে- সেটা ঠিক ঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা গেলে অবিকৃতরূপেই রাখা সম্ভব। আমরা তো এই উপমহাদেশেরই খৃস্টপপুর্ব আমলের বেশ কিছু গ্রন্থের সন্ধান পেয়েছি- এবং যেহেতু সেটা ঐ আমলের লিপিবদ্ধ- এবং সহজেই দাবি করা যায়- সেগুলো লেখক যেমন লিখেছেন- তেমনই আছে।
এরপরে আসে, একটি ধর্মগ্রন্থ প্রামান্য অবস্থায় পাবার পরেও সেটার ব্যাখ্যা নিয়ে নানামত। মূলত এটাকে কেন্দ্র করেই বাইবেলের পরবর্তি সংষ্করণ বের হয়েছে। পরবর্তীগুলোকে যেকেউ বিকৃত বলতে পারে- কিন্তু পুরানটাকে তো সেই অর্থে বিকৃত বলা যাবে কি? আর- এমন তো কোরআনের ক্ষেত্রেও পাওয়া যায়। কোরআন সংকলনের সময়ই সাহাবীদের মধ্যে মতভেদের কথা বিভিন্ন হাদীসেই আছে। আলী রা এর আপত্তির কথা আমরা জানি। বিভিন্ন ভাষারীতি নিয়ে ঝামেলার কথাও আমরা জানি। ওসমান কর্তৃক কোরআনের অন্য সব কপি ধ্বংস করার কথা আমরা জানি। হাফস ও ওয়ালস এর কোরআনের ভিন্নতার কথা আমরা জানি। শিয়াদের আলাদা কোরআনের কথা আমরা জানি। সর্বশেষ রাশাদ খলীফার সংশোধিত কোরআনের কথাও আমরা জানি। এসমস্তই নির্দেশ করে যে- কোরআনও বিভিন্ন সময়ে বিকৃত হয়েছে এবং এক গ্রুপের কাছে আরেক গ্রুপের কোরআন অবশ্যই বিকৃত কোরআন।
সুতরাং কোরআন অবিকৃত হলেই যে সেটা আল্লাহর লেখা এমনটা যেমন বলা যাবে না তেমনি- কোরআনও বিভিন্ন সময়ে বিকৃত হয়েছে, কোরআনকে বিকৃত করা হয়েছে এটা যখন পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে- তখন কি আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ তৈরী হওয়া উচিৎ নয়?
“বা যখন দেখি কূরআনে এক টা আয়াত নেই যা প্রতিষ্টিত বিজ্ঞান দ্বারা ভুল প্রমাণ করা যায়। তার বিপরিতে অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থ গুলিতে অসংখ্য ভুল তথ্য, বা অসামনজন্য তথ্যে ভরপুর।
বা যখন দেখি কুরআনে বিজ্ঞানে অধুনা প্রমানিত অনেক বিষয় নির্ভুল ভাবে বর্নণা দেয়া হয়েছে।”
কোরআনের একটা আয়াত নেই যা প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান দ্বারা ভুল প্রমান করা যায়- এটা যে বলে তার সম্পর্কে দুটো কথা অনায়াসেই বলা যায়: এক- হয় তিনি কোরআনের সব আয়াত পড়েননি, পড়ে বুঝেননি, নয় দুই- তিনি বিজ্ঞান সম্পর্কে নিতান্তই অজ্ঞ।
প্রাচীণ গ্রন্থসমূহের, তা সে ধর্মগ্রন্থই হোক- আর জ্ঞান-দর্শনের গ্রন্থই হোক, সেগুলোর মধ্যে অসংখ্য অসামঞ্জস্যতা আজকের প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান যেমন খুজে পায়- একইভাবে কোরআনের আয়াতে আয়াতে বিজ্ঞান বিরোধী অসত্য অসামঞ্জস্য উদ্ভট কথাবার্তা পাওয়া যায়। আবার সেই সমস্ত প্রাচীণ গ্রন্থ সমূহে অনেক কিছুই পাবেন যেগুলো এখনও বিজ্ঞান গ্রহণ করে (এর দ্বারা এতটুকুই প্রমানিত হয় যে- ঐ বিষয়গুলোতে সে সময়েই মানুষ সঠিক জ্ঞানের সন্ধান পেয়েছিল!!)- তেমনি হয়তো কোরআনেরও কিছি কিছু বিষয় আজকের দিনের প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান দ্বারা সঠিক বলা যাবে। কিন্তু তারমানে এই নয় যে- কোরআনের সমস্ত কিছুই আজকের বিজ্ঞান অনুমোদন করে!!! আদমের গল্প- ফেরেশতা-জ্বিন এর গালগল্প, যাদুবিদ্যা-তুকতাকের গল্প, নবীদের অলৌকিক ক্ষমতার গল্প…. এগুলো সবই আজকের বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে নেহায়েত গালগল্পই। আসমান-যমিন নিয়ে যেসব কথাবার্তা আছে, প্রাণীর-মানুষের সৃষ্টি, মানুষের জন্ম-ভ্রূণের বিকাশ এসব নিয়ে কথাবার্তা আজকের বিজ্ঞানের চোখে ভ্রান্ত। এমন অনেক কিছুই আছে। আপনি নিজে আরেকটু পড়াশুনা করুন, চোখ কান খোলা রাখুন- মনের জানালা খুলে দিন- নিজেও বুঝতে পারবেন।
আর, অধুনা প্রমানিত অনেক বিষয় কোরআনে নির্ভুলভাবে বর্ণনা দেয়া আছে- এমন দাবী আসলে একরকমের মিথ্যাচারের ফসল। বর্তমানের বিজ্ঞানের যুগে – সব ধর্মই নিজেদের একটু জাতে তোলার জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমার একটি পোস্ট ছিল- তাই নতুন করে কিছু বলছি না- সেটিই আবার পড়ার আহবান জানাই।
“যখন মনে হয় যে, মহানবী (সাঃ), যিনি ছিলেন একজন নিরক্ষর ব্যক্তি, তিনি কিভাবে মনগড়া ভাবে ২৩ বছর ধরে অসামঞ্জস্যহীন গ্রন্থ রচনা করলেন যা একইসাথে ১) মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক, ২) যা তথ্যের অসামঞ্জস্যতা নেই, ৩) যাতে প্রদত্ত কোন তথ্যের বৈজ্ঞানিক ভুল নেই, ৪) অধুনা বিজ্ঞান প্রমান করছে/ খুজে বের করছে এমন তথ্য ও দেয়া আছে, ৬) যা অস্বাধারণ কাব্যে ভরপুর ৫) যা দেড় হাজার বছরেও চেঞ্জ হয়নি। ৬) এটিই একমাত্র গ্রন্থ যা অধিকাংশ মানুষ পুরোপুরি মুখস্ত রাখতে পারে, ৭) এটিই একমাত্র গ্রন্থ যা বিশ্বের হাজার হাজার লোক মুখস্ত রেখেছে। ফলে কুরআনের সমস্ত কপি পুড়িয়ে ফেললেও কুরআনকে ধংশ করা সম্ভব না।”
০) মুহম্মদ সা আদৌ নিরক্ষর ছিলেন কি না- তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ আছে। তার প্রতি প্রথম ওহী- পড়ো। প্রাথমিক জীবনে তিনি সফল বনিক ছিলেন- সেগুলোর হিসাবাদি তাঁকেই করতে হতো। তিনি বিভিন্ন শাসকদের উদ্দেশ্যে লিখিত পত্র পড়ে সংশোধন করে দিয়েছেন এরকম হাদীসও মিলে। যাহোক তারপরে ধরে নিচ্ছি যে- তিনি নিরক্ষর ছিলেন। কিন্তু লেখতে – পড়তে না জানা মানেই কি বুদ্ধিহীন? বা মুহম্মদ সা নিরক্ষর মানে কি কেউ বলবেন যে তিনি অসাধারণ ধীশক্তির অধিকারী ছিলেন না?
প্রাচীণ আমলের অসংখ্য গুনী মানুষের কথা আমরা জানি যারা ক-অক্ষর গোমাংস ছিলেন, শুধু মাথার মধ্যেই মুখে মুখেই তারা তাদের অনবদ্য সব সৃষ্টি করে গেছেন। ফলে- মুহম্মদ সা লেখতে পড়তে না জানলেই যে- তার নেতৃত্ব ক্ষমতা, দারুন অনুসন্ধিৎসু মন, গভীরে চিন্তা করার ক্ষমতা, দূর দৃষ্টি থাকবে না- এমনটি কেউ নিশ্চিৎভাবে বলতে পারবে না। আর এসমস্ত গুনের অধিকারী হলে, এবং সাথে আরো কিছু চৌকশ মানুষ থাকলে কোরআনের মত গ্রন্থটি রচনা করা অসম্ভব মনে হয় না।
আরেকটি বিষয় এখানে বলতে হবে- আজকের কোরআনটি আমরা পাই- ওসমানের হাত ধরে- তারও আগে আবু বকরের আমলে কোরআন সংকলন কমিটি প্রথম উদ্যোগটি নেয়। এই কমিটিতে যারা ছিলেন- তাদের মধ্যেও চৌকশ সাহাবী, কবি প্রতিভার সাহাবিরা ছিলেন। ফলে- আজকের কোরআনকে আমরা যে ফর্মে দেখি- সেটি একা মুহম্মদ সা এর অবদান এমনটি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যে কারণে আলী রা কে প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে দেখা যায়।
১) মানব জাতির পথ প্রদর্শক- একথাটি ভুল। আজকের দুনিয়ার অমুসলিম অংশ কোরআনকে ছাড়াই ভালো চলতে পারছে, ফলে তাদের জন্য এটা কোনমতেই পথ প্রদর্শক নয়; উপরন্তু মুসলিম বিশ্বও আজ যতই তাদের বিশ্বাসে আল্লাহকে রাসুলকে- কোরআনকে উচ্চে স্থান দেক না কেন- কোরআনের সবকিছুই তারা নিজেরাও পালন করে না বা পালন করা সম্ভব না জন্যেই পালন করে না।
নিজে পুরো কোরআন অর্থসহ এবং শানে নুযুল সহ নিজে একটু খুটিয়ে পড়লেই বুঝতে পারবেন কোরআন টা পুরো মানব জাতির পথ প্রদর্শক নয়। দেখতে পারবেন এখানে কিভাবে নবীজীর বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে একেকটা আয়াত/সুরা অবতীর্ণ হয়েছে। এমনকি তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে যখন মনোমালিন্য তৈরী হয়েছিল- সেটাকে সামাল দিতে গিয়েও আয়াত নাযেল হয়েছে- বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাহাবীরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে নবীজীর কাছে আসলে আয়াত নাযেল হয়েছে, বিধর্মীরা প্রশ্ন করতে আসলে আয়াত নাযেল হয়েছে- সাহাবীদের উদ্দীপ্ত করার জন্য আয়াত নাযেল হয়েছে… এসবের মধ্যে সহজেই বুঝতে পারবেন একটা বড় অংশই একদম স্পেসিফিক কিছু ঘটনা, কিছু মানুষকে নিয়ে সুরা আছে- সেগুলো কোনভাবেই সমগ্র মানুষের জন্য পথ প্রদর্শক বলতে পারবেন না। একজন ব্যক্তির নামে (বিধর্মী) পর্যন্ত একটা সুরা আছে- এবং সেখানে এমন ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে- দেখলে বুঝতে পারবেন – এটা মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক কিনা!!!!!
২) অনেক তথ্যেরই অসামঞ্জস্যতা আছে। আগের কমেন্টে কিছু বলেছি। এছাড়া বিভিন্ন অসামঞ্জস্যের জন্যই মুসলিমদের মধ্যে এত ভাগ- এতগুলো মাযহাবের সৃষ্টি।
৩) বৈজ্ঞানিক তথ্যের হাজারো ভুল আছে- তা আগেই বলেছি, আমার উপরের দেয়া পোস্টের লিংক দ্রষ্টব্য।
৪) অধুনা বিজ্ঞান বের করেছে এমন অসংখ্য কিছু কোরআনে নেই- এবং এমন অসংখ্য কিছু কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক। আর, কোরআনেই এমন জিনিস পত্র আছে- এরকম দাবি নির্ভেজাল মিথ্যাচার ও ধাপ্পাবাজি সেটাও আগে বলেছি।
৫) দেড় হাজার বছরে চেঞ্জ হয়েছে- সেটা তো বলেইছি। আর- আরো এমন অনেক গ্রন্থ পাবেন যা আরো অধিক সময় ধরে অবিকৃত অবস্থায় আছে।
৬) এটার কাব্যগুন নিয়েও উপরে বলেছি। যতখানি আছে- সেটার ব্যাপারে মুহম্মদ সা এর কিছু কবি সাহাবীর নাম শোনা যায়। ধরলাম- সেগুলো সাহাবীদের কাজ নয়, তারপরেও এ সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে যে- মুহম্মদ সা এর কাব্য প্রতিভাও ছিল। কিন্তু সেটাকে যদি আল্লাহর সৃষ্টি হিসাবে মানতেই হয় তবে আজকের যুগে এসে বলতেই হবে- আল্লাহর কাব্য প্রতিভা ইয়েটস- ইলিয়ট- জীবনানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, শেক্সপীয়র, মধুসুদন প্রমুখের তুলনায় অতি নিম্নমানের।
৭) এটা ঠিক যে- কোরআন মুখস্থকারীর সংখ্যা অনেক। এককালে হয়তো অন্য অনেক গ্রন্থই মানুষ মুখস্থ করে রাখতো- কিন্তু বর্তমানে এই অপ্রয়োজনীয় কাজটি কিছু ধর্মান্ধ ব্যক্তিই করে রাখে। ভগবৎগীতা, এমনকি বাইবেল মুখস্থ করা লোকও দুনিয়ায় আছে। সেই গ্রন্থগুলো আরো প্রাচীণ- এতে কিছু প্রমাণ হয় না। আর এটাও ঠিক যে- কোন গ্রন্থের সমস্ত কপি পুড়িয়ে ফেলা হলে- তার মুখস্থকারী একজনও জীবিত থাকলে সে গ্রন্থকে পুনরিজ্জীবিত করা যাবে। সেটা কোরআন কেন- যেকোন গ্রন্থের জন্য সত্য।
তবে- আমাকে যদি বলা হয়- দুনিয়ার সমস্ত কিছু ধ্বংস করা হবে- শুধু একটা বই রক্ষা করা যাবে- এমন শর্তের মুখে আমি কোরআন নয়- একটা সায়েন্স এনস্লাইকোপিডিয়া নিতাম। সেরকম সুযোগ না পাওয়া গেলে- আমি বিজ্ঞানের লেটেস্ট সমস্ত সূত্রগুলো লিপিবদ্ধ করে একটা বই বানিয়ে সেটি রক্ষা করতাম। কেননা একমাত্র সেটা হাতে নিয়েই মানুষ সবচেয়ে অল্প সময়ে সভ্যতাকে আগের অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবে। কোরআনকে নিয়ে যেটা কখনো সম্ভব নয়।
কবরে ঢুকানোর পর দুই ফেরেস্তা এসে মৃতকে তুলে বসিয়ে প্রশ্ন করে এরপর শাস্তি দেয়–আজাব পরে। কিন্তু পুলিশ দুইসপ্তাহ বাঁ মাস পরে তুলেও দেখে কাপড়ের ভিতর লাশ। ব্যাখ্যা কি?
মেরাজে গমন সম্পর্কে কিছু জানতে চাই।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তূ তর্কে বহু দূর।
কিন্ত যে বিশ্বাস এ প্রমানের বাস্তবতা থাকে না। সেখানে বিশ্বাস এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। ১৪০০ বৎসর পূর্বে মোহাম্মদের বিশ্বাস এর উপর ভিত্তি করে কিছু মানুষ বিশ্বাস এনেছিলো। তারা সবাই যে মোহাম্মদের বিশ্বাস এ বিশ্বাস এনেছিলো, তা সঠিক নয়। অধিকাংশ মানুষকে ভীতি প্রদর্শন এবং প্রলোভনের মাধ্যমে বিশ্বাস কারাতে বাধ্য করা হয়েছিল। এইটা কোরান এবং হাদীসে বর্ণিত। তাই এইখানে সূত্র দিয়ে লিখনিকে দীর্ঘ করতে চাইনি।
মোহাম্মদের মৃর্তুর ২০০ বৎসর পর কোরান সম্পূর্ণ ভাবে সংকলিত হয়। । তখন কপি পেস্টের যুগ ছিলোনা যে টুকরো, টুকরো আকারে কোরানের সূরা এবং আয়াত গুলি কপি করে নির্ভুল ভাবে হুবহু পেস্ট করা যেত। টুকরো, টুকরো আকারে কোরানের সূরা এবং আয়াতগুলি নকলের মাধ্যমে এক জায়গায় সংকলিত করা হয়েছিল। এইখানে একটা প্রশ্ন দেখা দেয়া খুবই স্বাভাবিক, নির্ভুল ভাবে আল্লাহ প্রদত্ত কোরান সংকলন করা কি ভাবে সম্ভব হয়েছিলো। বিজ্ঞানের যুক্তিতে বলবে সম্ভব নয়। আর বিশ্বাস বলবে সম্ভব। তর্কটা এইখানেই।
একটা উদাহরণ দিচ্ছি, আমার মা ছিলেন একজন শিক্ষিত নারী। আমার ১২ – ১৩ বৎসর বয়সে গল্পচ্ছলে বললেন যে নাগিন বাঁশির সুর শুনে এক প্রেক্ষাগৃহে সাপ প্রবেশ করেছিলো। আমি বিশ্বাস করেছিলাম। পরবর্তী কালে এক সর্প বিজ্ঞান মেলায় গিয়ে বিভিন্য পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখতে পেলাম সাপের শ্রবন করার জন্য কানই নেই।
আমার মাকে কথাটা বলেছিলাম, আমার মা বিশ্বাস করেনি। আমার মা যেমন অবিশ্বাসকে বিশ্বাস মনে করেছিলেন, তদ্রুপ বহু মানুষ শিক্ষিত হয়েও যুক্তি হীন বিশ্বাসকে, বিশ্বাস করতে দ্বিধা করেননা। সুতরাং বিশ্বাসে নয়। যুক্তিতে মিলায় বস্তূ বিশ্বাসে সম্ভব নয়।
নাস্তকদের অপপ্রচারের প্রধান লক্ষ্য সবসময়ই দেখি ইসলাম।এর কারন টা অাসলে কি?ইসলামের বিস্তারের হার সবধমের্র চেয়ে বেশি বলেই কি ওদের এত অাত্রোশ।
নেট জগতে ঘুরে দেখুন। কিভাবে পাশ্চাত্যে বাইবেল আর খ্রীস্টধর্মকে তুলোধুনো করছে একাডেমিশিয়ানরা।
আপনি একটি মুর্খ
পারলে হাদিস কোরআনের প্রমানে ইসলামের সমালোচনা করেন
আর বেশি কিছু বলতে চাইনা কারন মুর্খের সাথে তর্ক করা কুকুরের সাথে ঘেউ ঘেউ এর চে য়ে খারাপ
আপনার মন্তব্যটাই কোরানিক স্টাইলের।
মারাত্মক ভূল পথে চলেছেন। আমি পুরোটা পড়তে পারলাম না্। একজন মুসলিম হওয়াটাই সেৌভাগ্যের আর আপনি?
আমি কিছু প্রশ্ন করতে চাইঃ
১) হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ২২ রমনীর সাথে সম্পর্ক করলেন অথচ তার সন্তান বলতে শুধু ১টি মেয়েই ফাতেমা কেন ?
২) মানব প্রজাতি কি আদম-হাওয়া বা অ্যাডাম – ইভ থেকে শুরু হয়েছিল নাকি অসংখ্য বাদর ধীরে ধীরে ( বিবর্তনের ধারায়) অজকের অসংখ্য মুক্তবুদ্ধির মানবে রুপান্তর হয়েছে।
৩) দুটি হাইপোথিসিস কোনটি ১০০% প্রমানিত ক) ঈশ্বর আছে। খ) ঈশ্বর নাই।
৪) মানুষ ধর্মীয় ভাবে যে রকম নানা সেক্টস এ বিভক্ত নাস্তিকতার বিশ্বাসের তু নানা সেক্টেস এ বিভক্ত দেখা যায় ঃ যেমন প্রাকৃতিবাদ, মানব বাদ, শুন্য বাদ, মিসির আলী বাদ কিংবা হিমু বাদ, কেও প্যারানরমা বিশ্বাস করে কেও করে না…. আরো অনেক রকম। নাস্কিতা এবং মুক্ত বুদ্ধিতার স্ট্যান্ডার্ডটা কি আসলে?
৫) মানুষ ধর্মহীন হলে কোন কাজ গুলোর আসলে সুবিধা হয়?
৬) (অপ্রাসঙ্গিক) আপনারা এতা মুক্ত চর্চা করেন আমি সত্যিকার ভাবেই ডেবিড কপারফিল্ডের বিখ্যাত ম্যাজিক গুলোর ব্যাখ্যা চাই কিংবা এ বিষয়ে বিজ্ঞান নির্ভর লেখা প্লিজ, রিভিল ডেভিড কপারফিল্ড সিক্রেট অফ ফ্লাইং আর ট্রেন ভ্যানিসিং।
@নিখর তাবিক,
নীচের প্রশ্নগুলো YES/NO তে উত্তর দিন ===>
১) একজন ৫৪ বছর বয়স্ক ব্যাক্তির (মুহম্মদ) সাথে ৯ বছরের বালিকার (আয়েশা) যৌন সম্পর্ককে আপনার কি মনে হয় – নৈতিক?
২) ইসলাম ধর্ম ত্যাগ কি এতোটাই খারাপ কাজ যার কারনে আপনার সাজা মৃত্যুদন্ড(কোরান:৪:৮৯) হতে হবে?
৩)যারা প্রার্থনার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের না হবে তাদেরকে সেই ঘরেই পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দিয়েছেন নবী মুহম্মদ (Sahih Bukhari 1:11:626)! এটা কি কোন শান্তির ধর্মের নমুনা হতে পারে?
৪) শুধুমাত্র চুরি করার জন্যে আল্লাহ তার সৃষ্ট বান্দার (নারী /পুরুষ) হাত কেটে ফেলার নির্দেশ দেন (কোরান:৫:৩৮) ! এটা কি আপনার কাছে কোন ভাবেই মানবিক বলে মনে হয় ?
৫) মানুষের জীবন বিধান কোরানে ব্যাভিচারের সাজা থাকলেও ‘ধর্ষন’ -এর জন্যে কোন ধরনের সাজার নির্দেশ নেই (বরং দাসী/যুদ্ধবন্দিনী ইত্যাদি ক্ষেত্রে আরো উৎসাহিত করে) এটা কি ঠিক?
৬) আপনি যদি কোন অদৃশ্য দানব/জ্বিন(কোরান:৫৫:১৫) অথবা উড়ন্ত ঘোড়ায় (বোরাক) বিশ্বাস করতে পারেন, তবে ইউনিকর্ন, ড্রাগন, ইয়েতি, ভ্যাম্পায়ার, ড্রাকুলা ইত্যাদিতে বিশ্বাস করতে কি কোন সমস্যা আছে?
@হয়রান,
৪। দেখুন ,আপনি একটি কলম চুরি করলে,একটা মোবাইল চুরি করলে-কেউ আপনার হাত কাটবে না। এটি নিতান্তই অপ্রয়োজনীয়।
এই বিধানটি মূলত বড় বড় চোরদের জন্য। যেমন ধরুন হল-মার্ক,ডেসটিনি মানুষ এর কোটি কোটি টাকার মেরে দিল।এদের হাত কেটে দিলে আপনি বাধা দিবেন?? নিয়মটি এই ধরনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
মুসলিম রাষ্ট্রে হাত কেটে দেওয়ার আগে আরো কিছু নিয়ম পালন করা হয়। সবাই যেন জীবন চালানোর মত পর্যাপ্ত অর্থ পায় তা নিশ্চিত করা হয়,রয়েছে যাকাতের সুষ্ঠু বন্টনের ব্যবস্থা। কেউ যেন অর্থ কষ্টে না থাকে তা নিশ্চিত করা হয়।
সচ্ছল হওয়ার পরও কেউ মোটিমুটি গুরুতর চুরি করলে তখন তার হাত কেটে নেওয়া হয়। যা তার নিজের ও অন্যদের জন্য শিক্ষা ।
এখন কি এই নিয়ম নিষ্ঠুর মনে হচ্ছে?? আশা করি না। 🙂
@হয়রান,
১। ৯ বছর বয়সের বালিকা আয়েশা নাবালিকা ছিলেন না। এটা তার নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন। (তিরমীযী:১১০৯)
http://www.letmeturnthetables.com/2008/07/why-prophet-muhammad-married-aisha-when.html
২। কোরআনের (সূরা নিসা : ৮৯) এ্ই আয়াতে যুদ্ধক্ষেত্রে বিশ্বাসঘাতকদের হত্যার কথা বলা আছে। আপনি যদি ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বেঈমানি করতেন তাহলে কি মুক্তিযোদ্ধারা আপনাকে ছেড়ে দিতো?
৩। যারা প্রার্থনার উ্দ্দেশ্যে বের না হবে তাদেরকে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ তিনি দেননি। বরং তার কাছে এরকম শাস্তির কথা মনে হয়েছিল কারণ প্রার্থনায় না যাওয়া খুবই জঘন্য অপরাধ। নারী-শিশুদের উপস্থিতির জন্য তিনি এর বাস্তবায়ন করেননি।
৫। কোরআনে ধর্ষণের শাস্তি প্রত্যক্ষভাবে না থাকলেও পরোক্ষভাবে উল্লেখ্য করা আছে :
#”ব্যভিচারিণী নারী ও ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর।” (সূরা নুর :২)
এখানে ব্যভিচারী বলতে ধর্ষণকারীকেও বুঝানো হয়েছে। তাছাড়া হাদিসে অবিবাহিত ধর্ষকের ক্ষেত্রে ১০০ বেত্রাঘাত এবং বিবাহিত ধর্ষকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের কথা উল্লেখ্য করা আছে।
ধর্মগ্রন্থের গভীরে না গেলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক।
১। নাবালিকা না হলেও বিয়ের উপযুক্ত ছিল কি?
২। তাহলে তো কুরআনের সার্বজনীনতার দাবী অসার।
৩।সাধারণতঃ পাজি টাইপের মানুষরাই নিজেদের অযৌক্তিক নির্দেশ না মানলে ক্ষিপ্ত হয়ে এমন নির্দেশ দেয়।
৪/৫।শুধু ধর্ষণের জন্য নয়, বরং কু্রআনে কথায় কথায় মার মার কাট কাট বহু জায়গায়ই আছে।
ধর্মের গভীরে গেলে নাস্তিক হয়ে যেতে হয়। তাই ধর্মের গভীরে না যাওয়াই ভাল।
সেটা সম্ভব নয়।যদি থাকে তাহলে কোটিতে একজন!!! কারণ , বাইবেল হচ্ছে বিবলস শব্দ থেকে এসেছে – যার অর্থ বইমালা।বাইবেল অনেক অনেক বৃহৎ।উইকিতে যান –
বাইবেল হলো ৬৬টি পুস্তকের একটি সংকলন, যা দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত— ৩৯টি পুস্তক সম্বলিত পুরাতন নিয়ম বা ওল্ড টেস্টামেন্ট, এবং ২৭টি পুস্তক সম্বলিত নতুন নিয়ম বা নিউ টেস্টামেন্ট।
এইবার চিন্তা করে দেখুন , এইটা মুখস্ত করা সম্ভব নাকি!!!!
গস্পেল অফ জনের ১৬ নং অধ্যায়ের ১২০১৪ অনুচ্ছেদে আছে ( দেখতেই পাচ্ছেন বাইবেল কতোটা বড় – যেখানে পুরো কুরআনই ৬৬৬৬ আয়াত সেখানে এখানেই এক অনুচ্ছেদে ১২০০০ – যেটা মানব ব্রেইনের পক্ষে মুখস্ত করা অসম্ভব)
যিশু বা ঈসা আঃ বলেছেন –
তোমাদের আমি অনেক কিছুই বলতে চাই , কিন্তু তোমরা এখন সেগুলো বুঝবে না।কারণ , সত্য আত্মা তোমাদেরকে সত্যের পথে নিয়ে যাবে।সে তাঁর নিজের কথাগুলি বলবে না , যে কথাগুলি শুনবে সেই গুলিই বলবে।সে আমাকে মহিমান্বিত করবে।সে তোমাদের ভবিষ্যতের কথাগুলিই বলবে।
দেখেন , এক অনুচ্ছেদেই কত বড়!!!কুরআনের দ্বিগুণ।আর পুরো গস্পেলের মধ্যে এটা ছোট , সবচেয়ে বড় গস্পেল অফ লুক!!!!
আর আপনি বললেন , মুখস্তের কথা… :lotpot:
কুরআন ছিল – পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্য।
আরবি ভাষায় এর মাধুর্য এতোটাই ছিল যে – হজরত উমর (রা:) খাপছাড়া তলোয়ার নিয়ে মহানবীকে হত্যা করতে গিয়ে – বোন ভগ্নীপতির মুখে কুরআনের আয়াত শুনে , এতটাই চমৎকৃত হয়েছিলেন যে – সেই খাপছাড়া তলোয়ার মহানবীর পায়ের সামনে রেখে – ইসলাম গ্রহণ করে ফেলেছিলেন।আরবের হাতে গোনা শিক্ষিত তরুণদের একজন ছিলেন তিনি।একজন পৌত্তলিক যুবক যার সারাজীবন পৌত্তলিকতায় কেটেছে – সে সেই কুরআন শুনে সব এক নিমেষেই ঝেড়ে ফেলে দিয়েছিলো।
মহানবী (সা:) জীবনে কোন শিক্ষা গ্রহণ করেননি।এমনকি কুরানের অবতীর্ণের আগে লিখতেও জানতেন না – তিনি কিভাবে এই ভুবন-মোহন সাহিত্য মুখে মুখে রচনা করতে পারলেন।
আমরা সে কুরআনের সাহিত্য মাধুর্য কিছুই – অনুভব করতে পারিনা।ঐ-তো , সেদিন হোর্হে বোর্হেস এর সেরা ছোট গল্পগুলি পড়লাম।স্প্যানিশ ভাষায় নাকি , উনার শব্দচয়ন , এবং সাহিত্য মান অসাধারণ।কিন্তু , আমি স্প্যানিশ জানিনা।তাই , কবির চৌধুরীর অনুবাদ পড়লাম।কিন্তু , এতটাই ফালতু লাগলো যে – পড়তে গিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলাম।রবার্ট ফ্রস্টের অনুবাদগুলোর অবস্থাও আরো নিম্নমানের।আসলে – সেই আসল সাহিত্য-মান কখনোই অনুবাদে পাবো না।পাওয়া সম্ভবও নয়।
সেরকমই , অনুবাদ পড়ে কুরআনের সেই সাহিত্য-মান আমরা কখনই খুঁজে পাবো না। যে সাহিত্য শুনে , চরম শত্রুর জন্য উত্থিত তলওয়ার হাত থেকে পড়ে যাবে।
আপনি , আমি আন্তন চেখবের সাহিত্য মান নিয়ে আলোচনা করলে – সেটা হবে বোকামি…
আমার সোনার বাংলা বললে – বুকের মাঝে যে কাঁপুনি শুরু হয় – সেতাকি ইংরেজি ভার্শনে হয় … হয় না…
এরকম – দুর্গম গিরি , কান্তার মরু , দুস্তর পারাবার !!!
এই শব্দটার মিনিং করেনতো…পারাবারের জায়গায় sea বা ocean বসাবেন…গিরির জায়গায় mountain বসাবেন – তারপর কি হবে!!!যেটা দাঁড়াবে , সেটা শুনলে – আসলটার মতো অনভুতি হবে না।
আপনি বারে বারে সেই বোকামীই করেছেন…
আর মতামত খুঁজছেন –
Goethe, quoted in T.P. Hughes’ DICTIONARY OF ISLAM, p. 526.
“The Koran admittedly occupies an important position among the great religious books of the world. Though the youngest of the epoch-making works belonging to this class of literature, it yields to hardly any in the wonderful effect which it has produced on large masses of men. It has created an all but new phase of human thought and a fresh type of character. It first transformed a number of heterogeneous desert tribes of the Arabian peninsula into a nation of heroes, and then proceeded to create the vast politico-religious organizations of the Muhammadan world which are one of the great forces with which Europe and the East have to reckon today.”
G. Margoliouth, Introduction to J.M. Rodwell’s, THE KORAN, New York: Everyman’s Library, 1977, p. vii.
“A work, then, which calls forth so powerful and seemingly incompatible emotions even in the distant reader – distant as to time, and still more so as a mental development – a work which not only conquers the repugnance which he may begin its perusal, but changes this adverse feeling into astonishment and admiration, such a work must be a wonderful production of the human mind indeed and a problem of the highest interest to every thoughtful observer of the destinies of mankind.”
Dr. Steingass, quoted in T.P. Hughes’ DICTIONARY OF ISLAM, pp. 526-527.
“The above observation makes the hypothesis advanced by those who see Muhammad as the author of the Qur’an untenable. How could a man, from being illiterate, become the most important author, in terms of literary merits, in the whole of Arabic literature? How could he then pronounce truths of a scientific nature that no other human being could possibly have developed at that time, and all this without once making the slightest error in his pronouncement on the subject?”
Dr. Steingass, quoted in T.P. Hughes’ DICTIONARY OF ISLAM, p.528.
“In making the present attempt to improve on the performance of my predecessors, and to produce something which might be accepted as echoing however faintly the sublime rhetoric of the Arabic Koran, I have been at pains to study the intricate and richly varied rhythms which – apart from the message itself – constitute the Koran’s undeniable claim to rank amongst the greatest literary masterpieces of mankind… This very characteristic feature – ‘that inimitable symphony,’ as the believing Pickthall described his Holy Book, ‘the very sounds of which move men to tears and ecstasy’ – has been almost totally ignored by previous translators; it is therefore not surprising that what they have wrought sounds dull and flat indeed in comparison with the splendidly decorated original.”
Arthur J. Arberry, THE KORAN INTERPRETED, London: Oxford University Press, 1964, p. x.
“A totally objective examination of it [the Qur’an] in the light of modern knowledge, leads us to recognize the agreement between the two, as has been already noted on repeated occasions. It makes us deem it quite unthinkable for a man of Muhammad’s time to have been the author of such statements on account of the state of knowledge in his day. Such considerations are part of what gives the Qur’anic Revelation its unique place, and forces the impartial scientist to admit his inability to provide an explanation which calls solely upon materialistic reasoning.”
Maurice Bucaille, THE QUR’AN AND MODERN SCIENCE, 1981, p. 18.
আরো মতামত দেখুন – http://www.miraclesofthequran.com/perfection_02.html
আর কুরানের সাহিত্য মাধুর্য জানতে দেখতে পারেন – http://www.islamic-awareness.org/Quran/Q_Studies/Mirliter.html 🙂
আপনি ছন্দ ভালো বুঝলে দেখতে পাবেন – http://www.hamzatzortzis.com/essays-articles/exploring-the-quran/the-inimitable-quran/ – স্পষ্টই কুরআনের বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে…
আর , কেন বলেন অন্যান্যগুলি অবিক্রীত রয়েছে , কুরআন থাকলে সমস্যা কি!!!
– এইটা রিলিজিয়াস বুক…দেড়শ কোটী মানুষের দৈনন্দিন জীবনবিধান!!!কিসের সাথে কিসের তুলনা?????ওইসব , বই আমাদের আনন্দদানের মাধ্যম বৈকি আর কিছুই নয়।
@মুহম্মদ ফজলুল করিম,
ফজলু ভাই এইটাই মনে হয় আমার পড়া প্রথম মুক্ত মনার লেখা ছিল, কাজেই শেষ করতে গিয়েও আরেকটা মন্তব্য করার লোভ সামলাতে পারছি না। দেখেন লেখক ইতি মধ্যেই সুরা নাস লিখে দিসেন
দারুন মিল না সুরা নাসের সাথে? শ্রেষ্ঠ সাহিত্য কোরান? আসেন আমিও একটা সুরা নাস লেখার চেষ্টা করি। এইটা যে কেউ পারবে।
অর্ফিউস গরু ভুনা দিয়ে ভাত খায়
ফজলু ভাই শর্ষে ইলিশ খায়
নাস্তিকের ধর্ম কথা মাছ ভাত খায়
আদিল ভাই কাচ্চি বিরিয়ানি খায়
সংশপ্তক ভাই মজা করে টিকিয়া খায়
সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত ভাইজান বিয়ের দাওয়াত খায়
বিপ্লব পাল দাদা খালি নিরামিষ খায়…..
ভাইজান বিদায় আর না মেলা হইসে। দেখেন চেষ্টা করলে আপনিও অতি সহজে সুরা নাস এর মত ছন্দ লিখতে পারবেন। 😛 :lotpot: :rotfl: :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@অর্ফিউস, @আগন্তুক, কোরআন যে কাব্য গ্রন্হ, এটা কে বলেছে ? বরং ওতে কাব্য মিশে আছে।
অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ মুখস্থ করে রাখা যাবে উদাহরণ ডাক্তার জাকির নায়েককে দেখুন। আর দুই বছর ধরে একটা বইয়ের পিছনে দিনরাত সমানে লেগে থাকলে যেকোনো বই মুখস্থ রাখা সম্ভব
আমি প্রাচীন কিছু আরবী কাব্যের লিঙ্ক চাচ্ছি
তাফসীরে তাবারী ও তাফসির ইবনে কাসির দ্রষ্টব্য
অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের জন্য দুঃখিত । প্রশ্নটি মুক্তমনার কোথায় করবো সেটা বুঝতে না পারায় এখানে করলাম।
কেউ কি আমাকে ইসলামে গান বাজনা নিষিদ্ধ এটার উপরে লেখা বা ব্লগের খোজ দিতে পারেন?
ধন্যবাদ।
A question I’d like to ask every theists of all religion from Mukto-Mona . Please answer .
I’m mainly born in A very religion Muslim family and I’m losing faith on it slowly. so anyway my question to people of all religion.
We all know GOD sent us into this earth to see whom we follow He or The Satan? And we also know that GOD knows future,past,present everything , so summarizing he’ll probably know that who will follow him and who won;t ? So why would he still sent us to this earth ?
There is also a big answer to the question why doesn’t God anything when there is a tsunami,earthquake,cyclones and other natural disasters where hundreds of innocent people’s lives are killed. So I kind of googled this , and found the great idiot so called scholar Zakir Naik’s answer, he also some other people in yahoo answer said that he is testing our faith ?
So are you trying to say he is testing our faith by killing infants in recent Japan ? By taking away all the naive children’s lives?
What kind of Kind God does that??
বাংলা ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। মন্তব্যটি বিশেষ বিবেচনায় প্রকাশ করা হল -মডারেটর।
@লেখক…
দয়া করে সঠিক ইতিহাস না জেনে এমন কিছু লিখবেন না যেটা অন্যকে আঘাত করে। আপনি ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে কতটুকু জানেন? আপনি যে প্রচলিত ইতিহাস পড়েছেন তা পুরোটাই বিকৃ্ত। রসুল এবং কুরআন সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস জানুন তারপর লিখুন। ৪০ বছর আগের স্বাধীনতার ইতিহাস যেখানে বিকৃ্ত হয়ে আছে সেখানে ১৪০০ বছর আগের ইতিহাস কতটুকু সঠিক আছে একবার চিন্তা করে দেখুন। তারপর যা খুশি আপনি লিখুন। আপনাকে একটা লিঙ্ক দিচ্চি। নিচের এই লিঙ্কটাতে কুরআন সম্পর্কে কিছু সঠিক বিষয় জানতে পারবেন।
ঠিকানাটি হলঃ http://www.peaceentrance.com। বিস্তারিত জানতে লেখকের অন্য বইগুলো পড়ুন।
@সুমন, লিঙ্ক দিবার সময় চেক করে দেখবেন সেটা কাজ করে কিনা 🙂
@তরুন প্রজন্ম, দুঃখিত। দয়া করে এই লিংকটিতে যানঃ http://www.peaceentrance.com
ইসলামের সঠিক ইতিহাস আপনি কোথায় পাবেন? কোন গ্রন্থে? চমৎকার একটি উত্তর আপনি নিজেই নিজের অজান্তে দিয়েছেন-৪০ বছর আগের স্বাধীনতার ইতিহাস যেখানে বিকৃ্ত হয়ে আছে সেখানে ১৪০০ বছর আগের ইতিহাস কতটুকু সঠিক আছে একবার চিন্তা করে দেখুন-আপনার এই মন্তব্যে চিন্তার বিস্তর খোরাক আছে।
@শ্রাবন মনজুর
আপনি ইসলাম সম্পর্কে ভালোই জানেন । আরো জানিয়ে রাখি , মুসলিমরা আপনাদের দৃষ্টিতে উন্নত হয়নি আর হবেও না । কেননা তা আল্লাহর ওয়াদা । এদের ভালোর পুরস্কার পরকালে দেয়া হবে ।তবে এ নিয়া টেনশন না করলেও চলবে ।
যাইহোক , আপনারা যে ধর্মের বাধন থেকে মুক্ত করে সমাজকে অতিস্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদন করাতে চাচ্ছেন , ঐ সময় মানুষ , যারা নীতির ধার ধারে না , কেবলই আপনস্বার্থ খোঁজে , যাই একটু ধর্মের ভয়েই চুপচাপ থাকে , তাদের কি করে সামলাবেন ? আজ দেশে ৯০% এর বেশি মুসলিম । এদের মাঝে প্রকৃত মুসলিমের সংখ্যা ০.৫% এরও কম । বেশিরভাগ মুসলিমই ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান রাখে না । এরা প্রায় ৭৫% এরও বেশি । তাতে দেশের কি কন্ডিশন ? দেশে তো মিনি নাস্তিকতা চলতেসেই । গত ৪০ মাসে ১৩০০০এর বেশি খুন । এ দায় কি খালি ক্ষমতাশীন দলেরই ? কারা করতেসে এগুলা ? মোল্লারা ?
আর জীবনবিধান বা উন্নতির কথা বলবেন ? আহা ! আপনাদের ঐ সাধের দেশগুলাতে আমাদের ছাত্রগুলাকে পাঠিয়েই বুঝছি । খালি শুকনা মুড়িজাতীয় খাবার খেয়েও বাঁচতে পারে না । অথচ মক্কায় আর মদীনায় আপনি ভিক্ষা ছাড়াই বিনা খরচে এক বছর থাকতে পারবেন । মধ্যপ্রাচ্যের মানুষগুলার পেছনে কোন মোল্লায় এটাক করসে ? আমাদের বেশি উন্নতি হইলে তেনাদের উন্নতি বাধাগ্রস্থ হয় । তাই আমরা উন্নত না । পড়াশুনা করেই বলতেসি । হয়তো গুছিয়ে বলতে পারলাম না , হয়তো আর বলবও না ।
আমি মূর্খ মানুষ । কেউ কি BIG BANG এর পেছনে কারনটা বলতে পারবেন ?
“পাগলে কি-না বলে” 😕
কি বলব,জানি না।তবে এতটুকু বলতে পারি যে,হিন্দু,মুসলিম যারাই পরকালে বিশ্বাস করে,আপনারাই স্বীকার করলেন তাদের কেউ না কেউ স্বর্গে যাবে।আপনারা কোথায় যাবেন?আপনাদের জন্য শুভ কামনা।বিশ্বাস করলে করেন,না করলে নাই।আমরাও অপেক্ষা করি,আপনারাও করেন।যদি কেউ থাকেন তাহলে তো ফয়সালা হবেই।না থাকলে আমরা লুসার।আর এ লুসার হওয়াতে আমাদের আফসোহ নেই।
আপনারা অনেকে অনেক লেখকের বই-এর লেখা রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারাও তো তোমাদের মত লেখক। হয়ত তোমরা ব্লগ-এ লেখো। তারা বই লিখেছে। কিন্তু তারাও তো তোমাদের মত ভুল লিখতে পারে।
আসলে আমাদের উচিত ধর্ম নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করে, ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিষয় নিয়ে বেশি লেখা উচিত
আমি একজন হিন্দু । কিন্তু আমি সবাইকে বলতে চাই যে ইসলাম হল , ইসলামের
পাঁচটি স্তম্ভ ছাড়া আর কিছু নয়। এই পাঁচটি মুল কথা সাধারন মানুষের জীবনে
কিছুটা শান্তি দিতে পারে। কিন্তু যুক্তিবাদী হওয়াটা একান্তই দরকার। আমার ইছা
আছে এখানে বেদান্ত দর্শন নিএ এক্তা লেখার। সকলে ভাল থাকুন।
কিছু বলতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু আমার কথা যেন সপ্নীল ভাই পুরোটাই বলে দিয়েছেন। সমস্যা হচ্ছে অন্ধবিশ্বাস নিয়ে। মানুষ যাই বিশ্বাস করে, এর বাইরে কিছু দেখে না, তার ক্ষেত্রে ঘটেও না।
তবে হা, এটা স্বীকার করতে হবে যে কুরআন ধর্মগ্রন্থসমূহের মধ্যে সবচেয়ে আপডেট এবং এমন অনেক তথ্য আছে যা সত্যিই অবাক না করে দিয়ে পারে না। এখন তা র্দীর্ঘ ১৫-২০ বছর হেরার গুহায় সাধনা করে যজ্ঞ লাভে হোক আর এতে ভিনগ্রহীয় কোন হাত থাকুক, কিছু একটা তো আছেই; তবে এর পিছনে সৃষ্টিকর্তা টাইপ কিছু খুজে পেলেও উনি যে পক্ষপাতদুষ্ট, তা উনার বানীচিরন্তনেই বুঝা যায়। আর মুহাম্মদ স অত্যন্ত চালাক ও দুরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিলেন, কুরআন সমস্ত মানবজাতির পথপ্রদর্শক কখনও হতে পারে না, কিন্তু ইজমা, কায়েস, ফতোয়া ইত্যাদি জাতীয় জিনিস চালু করে একটা ফতোয়া দিলেই হলো, আর ওটাই শরীয়াহ, ওটাই কোরআন হাদীস সুন্নহ…সমস্যাই থাকল না বিশ্বাসীদের।
আর এখানে যারা রিঅ্যাক্ট করছে, দেখতে পেলাম বিভিন্নজন বিভিন্ন বড় বড় বানী বিসর্জন করেছে। আরে, নিজেরা কতটুকু জানেন আর কতটুকু অনুসরন করেন। ভন্ডামী আর কাকে বলে। আমি বিশাল ব্যাকগ্রাউন্ডের এর গোড়া ধর্মীয় পরিবার থেকে আসা, আর অনেক পীর পয়গম্বর আউল ফাউল কাছ থেকে দেখে আসছি। যাবতীয় ভন্ডামী দেখে দেখে অতিষ্ট। এরা হাদীস কোরআন মুখস্ত করে হাটে, তবে যা নিজেদের কাজে লাগবে। নিজেদের বিরুদ্ধে যাবে, এরকম জিনিস এরা ভুলেও মুখে আনবে না। দুই মতের দুই পন্ডিতকে সামনে আনলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, যে যার মতের স্বপক্ষে শরীয়াহ দাড়া করিয়ে দিবে। আর আপনি যদি কিছু বলেন, আপনি কাফির হয়ে যাবেন। পৃথিবীর কোন মুসলিম জাতি এখন পর্যন্ত সভ্য ও উন্নত হতে পারে নাই, কোনদিন পারবেও না। হা পারবে, যদি আবার ওই অসভ্য বর্বর যুগ ফিরে আসে, ওটাত তাদের সাথে কেউ পেরে উঠবে না বলাই বাহুল্য। সভ্য সমাজে কোরআনের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা জাতীয় আউল-ফাউল মুখেই মানায়। বর্তমানে শরীয়াহ আইন প্রতিপালনকারী রাষ্ট্র কয়টি, তাদের অবস্থা কী, আর তেল ফুরিয়ে গেলে তারা কী করবে এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে তাদের মত জালিম, বর্বর আর ইতর যে দুনিয়ার ইতিহাসে কেউ নেই, একথা যেকোন সুস্থবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই স্বীকার করবেন।
সবশেষে ওই কথাই বলবো, চোখ থাকিতে অন্ধ যেজন কী’বা তারে বলি…..আর যারা তর্ক করতে চান, মাথা দিয়ে পাহাড় না ঠেলে যুক্তি তর্কে আসেন। যুক্তি দিয়ে জবাব দিয়ে লেখককে গালগাল করেন, কিছু আসবে যাবে না। আর না বুঝে, না জেনে ফাজলামো টাইপ কথা বলবেন….ওহ, এটা সাচ্চা মুসলমানেরই লক্ষন, ধর্মীয় ৬ষ্ঠ স্তম্ভ (like 6th sense) ওটাও বুঝতে হবে।
ভাই আপনি ত অনেক বর মাপের লেখক,। আপ্নের লেখা কন বই কি বের হয়েছে। এক কাজ করেন নিজে একটা বই লিখেন কোরান এর মত করে।।জে বই তে আপনি একটা মানব জাতি এর জন্য দিক নিদেশনা দিয়েন।। আর আপনি যেহেতু কোরান লাইক করেন না তাহলে এর থেকে ভাল একটা বই বের করেন আপ্নের মাথা থেকে copy paste korben na, jekhane otit niye takhbe ar 5000 years er porer kotha thakbe ar kobiter moto o hobe। ar nijer family or apner koyek jon manosh diye sheta onoshoron koran ???
ar apni ki bolte paren koren er moddhe ki change hoyese, apni amake tar proman ta den, apner dada er pober manosh er kache ki kono copy ache bhai ektu share koren??
manosh kokhon eaishob kotha bole janen jokhon nije khub popular hote chay , abu jehen name ek lok chilen she o eai dhuren kotha bole kinto ki kono luv hoyese.. hobe na ,
eai prithibi shristi koresen eai allah mohammad er jonno ar je din allah er nam mone rakher moto ekta manosh thakbe na shedin eai prithibi ta destroy kore dibe ….
Kivabe apner shristi sheta likhben next montobbe… 🙂
@ভাঙ্গা কলম, ভাই বাংলিশ পড়তে এমনিতে কষ্ট হয় তারপরেও কমেন্ট করি । হিন্দু ধর্মে বাল্মীকি মুনি রাম জন্মাবার হাজার হাজার বছর আগে যুদ্ধ নিয়ে রামায়ন নিয়া মহাকাব্য রচনা করে যা পরে সত্য প্রমাণ হয় একে আপনি কি বলবেন ? কিংবা হোমারের কথা বলুন ট্রয় যুদ্ধের অনেক আগে সে ইলিয়ট ওডিসি রচনা করে যাতে সে বলে স্বয়ং জিউস ওই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল । কই তারপরে ও ত সে বলে নাই এটা ধর্মগ্রন্থ । সেখানে কোরান কিছুই না । যুক্তি দিয়া কিছু বুঝাতে না পারলে তবে বৃথা কথা না বলাই ভাল । আল্লাহ যদি সব জানেন । তাহলে তিনি কি জানতেন না ঈসা আর মুহাম্মদের ধর্ম এক সময় পরস্পর বিরোধী ধর্ম হবে । ভাই রা নিজেদের শত্রু মনে করবে । তাহলে তিনি জেনে শুনে এটা করলেন কেন ?
অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন বস। প্রব্লেমটা হচ্ছে এই যুক্তিযুক্ত কথাগুলো শুধু আমরাই লিখি আর আমরাই পড়ি। কারণ কোনো আস্তিক যদি স্বজ্ঞানে এই বিষয়গুলো অনুধাবন করতো তাহলে সে আর এতদিন আস্তিক থাকত না। তার চেয়ে বড় বেপার হচ্ছে আস্তিকদের কমন বৈশিষ্ট হল জানার আগ্রহ থাকা যাবেনা। সুতরাং তারা এইসব বিষয় পড়ার ধৈর্য পাবে কথা থেকে ?..
সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
ধর্মের পক্ষে তো অনেকেই কথা বললেন। ধর্মগ্রন্থকে আপনারা ‘জীবনবিধান’ বলে মনে করেন। আচ্ছা, বলুন তো, এমন কি কোনো ধর্মগ্রন্থ আছে যেটা সব যুগের সব মানুষের জীবনবিধান-ব্যবস্থার দিকনির্দেশনা দিতে পারে?
এই উত্তরটা আমি খুঁজেছি বহুদিন যাবত। জনসংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় চারটি ধর্মগ্রন্থ থেকে এর উত্তর খুঁজে পাই নি। সবচেয়ে পরে আসা ইসলামেও এমন জীবনব্যবস্থা খুঁজে পাই নি যা দিয়ে এ কালের জীবনবিধান চালানো সম্ভব। তাহলে এসব ধর্মগ্রন্থ কী করে মানুষের পথপ্রদর্শক হতে পারে? কী কারণে এগুলোকে পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান বলা হয়? এটা তখনই সম্ভব, যখন জীবনবিধান বিষয়টা কী সেটা সম্পর্কে গ্রন্থপ্রণেতা বা তাঁর অনুসারীরা অজ্ঞ থাকেন।
@অনিশ্চিত, “সবচেয়ে পরে আসা ইসলামেও এমন জীবনব্যবস্থা খুঁজে পাই নি” এই তথ্যটি কোথায় পেলেন ভাই। লিঙ্ক দেন।
ভাই, এ রকম একটা মুক্তমনা গোষ্ঠরি সন্ধান যে আম িপাব, তা স্বপ্নওে ভাবনি।ি যা হোক আপনারা এগুত েথাকনে আমরা আছ িআপনাদরে সাথ।েআপনাদরে ভাবনার সফলতার ফল খুব সিঘ্রই পয়ে েযাবনে।
:laugh:
Quran is nothing.
as like anther book
@joynal abedin, আমি আপনার জন্য দুয়া করি আল্লাহ জেন আপনাকে হেদায়েদ করে।
আল্লাহ কুরাআনে বলেছেন, গালি দিয়না,বিদ্রুব করনা,তাহাদিক কে, যারা ইবাদদ করে আল্লাহ ছারা অন্য কাওকে ,কেননা তারাই হইত অজ্ঞান বসত গালি দিবে তুমার আল্লাহ তাআলা কে।
কুরআন সম্পররকে ভাল ভাবে জানার অনুরুধ জানাইতেছি।
http://www.youtube.com/watch?v=-v1TT_ExR2k&feature=PlayList&p=6AF783757C87EE26&playnext=1&playnext_from=PL&index=3 একটূ দেখেন লিঙ্ক টা।
ধন্যবাদ অভিজিৎ, আদিল মাহমুদ, সৈকত চৌধুরীকে। আমি আপনাদের মন্তব্য পড়ে মুগ্ধ। আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে খুব পরিস্কার ধারনা রয়েছে। যার ফলে আপনাদের মতবাদ সত্যি হবার সম্ভাবনা খুব বেশি। হতে পারে আপনারা যা ভাবেন তাই ঠিক। চালিয়ে যান, শুভ কামনা রইল। একদিন আপনাদের মতো আরো অনেক যুক্তিবাদী মুক্তমনারা সারা দুনিয়াকে তথাকথিত ধর্ম বিশ্বাস থেকে বের করে আনবে। এগিয়ে যান। তবে এ কাজের বিনিময়ে আপনারা কি পাবেন আমি তা জানি না।
Mukto-mona
thank you again.
@ফরহাদ,
নিউটনের তৃতীয় সূত্র তো ভাই সব যায়গায় আশা করা যায় না, প্রতিদান পেতে হবে এমন কোন কথা নেই।
আপনি যদি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে আপনার আশে পাশের মানুষ অনেক ভুল করে যাচ্ছে তবে আপনার উপর নৈতিক দায় পড়ে সে ভুল সংশোধনের।
আমি কিন্তু নাস্তিক বা ধর্মবিরোধী নেই। তবে ধর্মের নামে যা তা চোখ বুজে বিশ্বাস ও প্র্যাক্টিস করাতে আমার তীব্র আপত্তি আছে। ধর্ম বলতে আমি বুঝি শুধুমাত্র চোখে বুজে অদেখা অপ্রমানিত কোন সত্ত্বার গুনগান গেয়ে চোখের পানি ফেলা নয়। সতভাবে সূস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করাই ধর্মের বড় বৈশিষ্ট্য বলে মনে করি।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
@ফরহাদ, সব জায়গায় পাওয়ার আশা করা উচিত না । নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়া উচিত ।
@ফরহাদ, অাপনিতো অাসলে ওদেরই লােক। মুগ্ধ হওয়ার মত কি পেলেনে লেখাগুলোতে?
@ সৈকত চৌধুরী ও অভিজিৎ
তাহলে কি আপনাদের মত নাস্তিক কিংবা যুক্তিবাদী হলে পরকালে মুক্তি পাওয়া যাবে?
অভিজিত সাহেব কি গারান্টি দিতে পারেন মুক্তমনা/যুক্তিবাদী/নাস্তিক/সত্য অনুসন্ধানী হলে দুনিয়া এবং পরকালে মুক্তি পাওয়া যাবে। যদি পারেন তাহলে একটু দিয়েন।
@ফরহাদ,
ভাই আমাদের “বিপদে পড়ার” মানে অনন্ত দোজখবাসের গ্যারান্টি তো আপনিই দিয়ে দিয়েছেন। গ্যারান্টি শুধু না – একেবারে ছিল ছাপ্পর মেরে দিছেন! আপনি নিশ্চিত ভাবে ধরে নিয়েছেন পরকাল বলে সত্যই কিছু আছে, আর আল্লাহকে আপনি যেভাবে অনুসরন করছেন – তার ফলশ্রুতিতে আপনি পুরস্কার পাবেন। তো আমার আর কি বলার আছে? আমি শুধু দেখালাম ব্রক্ষা বা মাকালী যদি ট্রু গড হয়ে থাকে তাহলে আপনি যতই আল্লাহ বিল্লাহ করেন – আপনিও শাস্তি ঠেকাতে পারছেন না।
এখন কথা হচ্ছে – আপনি যেমন ব্রহ্মা বা কালি ট্রু গড হওয়ার সম্ভাবনাকে অবাস্তব মনে করেন, ঠিক একইভাবে আমরাও পরকাল থাকা আর আল্লাহ কর্তৃক শাস্তি পাওয়াকে অবাস্তব মনে করি। আর সৈকত তো বলেই দিয়েছে – একজন ন্যায়বিচারক কোন সত্য-সন্ধানীকে শাস্তি দিতে পারেন না। তিনি শাস্তি দিলে তাদেরকেই দিবেন যারা অন্ধবিশ্বাসী, যারা অন্য ধর্ম এমনকি নিজের ধর্ম সম্পর্কে না জেনেও বিশ্বাস করেছে। 🙂 এর চেয়েও বেশি গ্যারান্টি চাইলে আমার এই লেখাটা পড়েন। ভবিষ্যতে এ নিয়ে বাংলায় লেখার ইচ্ছে রইলো
@ফরহাদ,
গ্যারান্টির কথা এখানে হচ্ছে না। হচ্ছে সাধারন যুক্তির কথা।
তবে আমার মনে হয় কেউ সতভাবে জীবন যাপন করলে তার চিন্তিত হবার কোন কারন নেই। আল্লাহ ঈশ্বরের সংজ্ঞা, এমনকি আস্তিকতার সংজ্ঞাও ভিন্ন ভিন্ন লোকের কাছে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে বিশ্বাসের পার্থক্যের কারনে, তবে নৈতিক সততার প্রশ্ন ভিন্ন হতে পারে না।
কার ধর্ম আসল, কোন গ্রন্থের কি ব্যাখ্যা এসব নিয়ে মাতামাতি করার থেকে সেটা রক্ষা করাই আসল কথা।
আপনাদের যুক্তি আছে, আপনারা অনেক বুঝেন যা আমাদের মত আস্তিকরা কখনো বুঝে উঠতে পারি না। আমরা মেনে নিয়েছি যে শেষ বিচারের দিন আমাদেরকে নিজেদের কাজের হিসাব দিতে হবে যার ভিত্তিতে আল্লাহপাক আমাদের হয় শাস্তি দিবেন না হয় পুরস্কার দিবেন। এটা শুধুমাত্র আমাদের ধারনা, আমাদের ধারনা সত্য হবে কি না তা আমরা সেই দিনটিতে না গিয়ে এখন বলতে পারব না। যদি আমরা সঠিক হই তবে আমরা অনন্ত জীবনের পুরস্কার পাব, আর যদি কিছু না পাই তবেও কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু আপনারা যে ভাবে চিন্তা করছেন তা যদি সত্যি না হয় ( মানে আল্লাহ যদি সত্যি সত্যি একজন থাকেন এবং আপনাদের বিচার করেন) তখন আপনারা খুব বিপদে পরবেন।চিন্তা করে দেখেন তো…………
@ফরহাদ (অতিথি),
হ্যা, খুব ভালোভাবে চিন্তা করে দেখলাম। আপনার আল্যা আপনাকে দোযখে দিবেন না তা বুঝলেন কিভাবে? একজন ন্যায়বিচারক কোন সত্য-সন্ধানীকে শাস্তি দিতে পারেন না। তিনি শাস্তি দিলে তাদেরকেই দিবেন যারা অন্ধবিশ্বাসী, যারা অন্য ধর্ম এমনকি নিজের ধর্ম সম্পর্কে না জেনেও বিশ্বাস করেছে। আচ্ছা যদি অন্য কোন ধর্ম সটিক হয় তবে কি আপনি নরকে যাচ্ছেন না?
MUHAMMAD TALUT কে আমার দেয়া একটি জবাব উপরে আছে, পড়ে নিন।
@সৈকত চৌধুরী,
ঠিক কথা। ভদ্রলোক জন্মসূত্রে মুসলিম তাই ধরেই নিয়েছেন – তার আল্লাহই সঠিক, আর তিনি বেহেস্তে যাবেন, আর বাকিরা নরকে। একই জিনিস একজন খ্রিস্টানকে জিজ্ঞেস করলেও তাই পাওয়া যাবে – তার যীশু ছাড়া সবই মিথ্যা। ফরহাদ সাহেব বুঝতেই পারছেন না যে, তার বক্তব্য হেতাভাস দোষে দুষ্ট। তার গডকেই “ট্রু গড” ধরে নিয়ে ভেবেছেন – আল্লাহপাক আমাদের হয় শাস্তি দিবেন না হয় পুরস্কার দিবেন। তিনি বুধতেও পারছেন না যে, হিন্দুদের মা কালী কিংবা ব্রহ্মা যদি ট্রু গড হয়ে থাকে, তবে এত বিশ্বাস আর নামাজ রোজা করার পরেও তিনিই সবার আগে নরকে যাবেন, কি আর করা 😀
ফরহাদ সাহেবের বক্তব্য আসলে কোন যুক্তি নয়, স্রেফ হুমকি মাত্র। আল্লাহ যদি সত্যি সত্যি একজন থাকেন তিনি আপনাদের বিচার করবেন! এই হুমকিকে বলে প্যাস্কেলের ওয়েজার। আমার দর্শন সিরিজের (১ | ২) পরেরটা এই প্যাস্কালের ওয়েজার নিয়া লিখতে হবে! 🙂
@ফরহাদ (অতিথি), আমরা সবাই গ্যালিলিও কথা জানি । তার ভাগ্যে সত্য প্রকাশ করার পরিণতি কি হয়েছিল আমাদের অজানা নই । তাও সে শাসকটা বর্তমান ছিল আর এইখানে শাসকের কোন অস্তিত্ব নেই ।তাই এই সব নিয়ে কোন নাস্তিকের ভয় পাবার কথা না । আর নাস্তিকরা ভীতু স্বভাবের হলে এই সব সত্য প্রকাশ করত না ।
কি এমন সত্য প্রকাশ করলেন ভাই? বুঝিয়ে বলবেন ভাই।
মুক্তমনা দের কাছে আমার প্রশ্ন, “কখনো গহীন বিপদে পড়ে নিস্তার পাবার আশায় কি কখনও ভুলক্রমে কোনও শক্তির কাছে নিজের অজান্তে প্রার্থণা করেছিলেন?”
যদি শতভাগ সততার সাথে সত্যি কথাটা বলেন, তবে দেখবেন সেটাই আপনার ঈশবর, এবং আপনি কোন ক্রমেই একজন নাস্তিক নন।
@মাহ্মুদ,
ভুলক্রমে কোনও শক্তির কাছে প্রার্থণা করলে সেটাতো ভুলক্রমের ঈশ্বরই হবার কথা। আর ভুলের ঈশ্বরের কি কোনো অস্তিত্ব আছে? বিপদে পড়লে মানুষের সাধারন বিচার বুদ্বি লোপ পায় এটাতো জানা কথা, আর আপনার কথায় গহীন বিপদে পড়লেতো কথাই নেই।
@ব্রাইট স্মাইল,
একজন যুক্তিবাদি মানুষের যেকোনো অবস্থায় বুদ্ধি লোপ পাওয়া অযোক্তিক, আর বিপদে মানুষ যা করে তা তার natural instinct,
আপনি আমি ইশব্রের বিনাশ করতে পারবোনা, তিনিই সময়মতো আপনাকে আমাকে বিনাশ করে দেবেন। 🙂
@মাহ্মুদ,
একজন যুক্তিবাদি মানুষও মানুষের সমস্ত দোষ-গুনাবলী নিয়ে মানুষ, সে অতি-মানব নয়।
@মাহ্মুদ,
একজন যুক্তিবাদি মানুষের যেকোনো অবস্থায় বুদ্ধি লোপ পাওয়া অযোক্তিক, আর বিপদে মানুষ যা করে তা তার natural instinct
লোকনাথের শিষ্যরা বিপদে তাকে ডাকে। বিপদে পড়লে মানুষ অন্যের সাহায্য চাইবে সে মানুষ হোক আর ঈশ্বর হোক। বিপদে পড়লে এবং বৃদ্ধ হলে মানুষ মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে তাই তখন তার পূর্বের বিশ্বাস বিশেষ করে ছোটবেলার বিশ্বাস জেগে উটতেই পারে।আর যুক্তিবাদিরা তো মানুষ তাই না? ভালো থাকবেন।
@ব্রাইট স্মাইল, হাসি পেলো
@মাহ্মুদ,
এই অভ্যেসটা আমার ছিল। কাটিয়ে উঠছি যুক্তি দিয়েই। কারন এতে আরো ক্ষতি হয় নিজের।
@মাহ্মুদ,
আমার সবসময়ই মনে হয় পৃথিবীর এমন কিছু নাই যা আমি বুঝি না, কিন্তু যখনই কোন তথ্য-সমৃদ্ধ লেখা পড়ি তখনই নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারি। বিপদে পড়লে “শেষ রক্ষা” হিসেবে আল্লাহকে ডাকি কিন্তু এরপরও যখন বিপদ থেকে নিস্তার পাই না, তখন হয়ে যাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খোদাদোহী।
ঈশ্বরের অস্তিত্ব এমন একটা বিষয় যার একটা নৈ্ব্যক্তিক অস্তিত্ব থাকবে। আপনার-আমার ভয়-আশা-সুখ-সাফল্যের মত ব্যক্তিনিষ্ঠ বিষয়ের সাথে এর সম্পর্ক নেই।
@পৃথিবী,
বিপদে পড়লে আল্লাহকে ডাকি, কিন্তু সে কোনদিনই সাড়া দেয়না তবুও ডাকি, সে বিপদ থেকে উদ্ধার করেনা তবুও ডাকি। তার মানে এই নয় যে সে আছে, কিংবা তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করি। এর মুল কারণ হলো, এমন পরিস্থিতিতে তার নাম উচ্চারণ বা তাকে ডাকার প্রথা, সংস্কৃতি বাল্যকালে আমাদের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে, আমরা সেটাই রিপিট করি মাত্র। যে কোন দেশের, যে কোন ভাষার কোন শিশু যদি আল্লাহর নাম না শুনে বড় হয়, সে বিপদে পড়ে বা অন্য কোন অবস্থায়ই আল্লাহর নাম মুখে উচ্চারণ করবে না। ভিন্ন ধর্মের পরিবারে বড় হওয়া চার শিশু একই সাথে বিপদে পড়লে চার প্রকার গড, রাম, কৃষ্ণ, ঈশ্বর, আল্লাহ, ভগবান এর নাম উচ্চারণ করবে। বংশপরম্পরায় পরবর্তি প্রজন্মে এ তথ্য সঞ্চারিত হওয়ার ফলেই বিপদে আল্লাহর নাম নিজের অজান্তে অনিচ্ছাকৃতভাবে উচচারিত হয়। এভাবেই আমরা পিপড়া দেখলে ভয় পাই, উড়োজাহাজ দেখে ভয় পাইনা।
@আকাশ মালিক, কথা গুলো কি মন থেকে বলছেন ? “নিজের অজান্তে অনিচ্ছাকৃতভাবে” আপনি এভাবে দেখছেন, কিন্তু তা ঠিক নয়। বিপদে পড়ে আল্লাহ কে ডাকলে তিনি অবশ্যই সাড়া দেন, তবে তা, তাকে ডাকার মতো ডাকতে হবে। ধরুন, আপনি সাঁতার জানেন না, পানিতে পড়ে গেছেন। আপনি বাঁচার জন্য সামান্য খড়কুটা পেলে তাই আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইবেন। কোনও সন্দেহ আছে কি, আপনি বাঁচতে চাইবেন না? তখন আপনার বাঁচার যে আকুতি, সেই আকুতি নিয়ে বিপদের সময় আল্লাহ কে একবার ডেকেই দেখুন না, তিনি সাড়া দেন কি না !!!
@ডঃফয়েজ, আপনার কি মনে হয় তখন আল্লাহ জাহাজ পাঠায় দে ? তাহলে তো বলতে হয় আমাদের ভাগ্যের ওপর আল্লাহ অনেক প্রভাব রাখে । তাহলে আজকে পৃথিবীর নৈতিকতা নিয়ে যত সমস্যা সব কিছুর জন্য আমরা তাকে দায়ী করতে পারি
@তরুন প্রজন্ম, আল্লাহ জাহাজ পাঠিয়ে আপনাকে উদ্ধার করবেন নাকি অন্য কোনো উপায়ে তা আল্লাহই ভালো জানেন। আর একজন মুসলমান হিসেবে আমি একথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে, তকদীর তথা ভাগ্যের নিয়ন্তা আল্লাহতায়ালা। একজনকে মুসলমান হতে হলেও এ কথার প্রতি বিশ্বাস রাখতে হয় যে মানুষের ভালো মন্দ আল্লাহতায়ালাই নিয়ন্ত্রণ করেন। “পৃথিবীর নৈতিকতা” বলতে কি বুঝিয়েছেন, পরিস্কার করে বলুন। আল্লাহ আপনাকে বিবেক দিয়েছেন, আপনি তাই বোঝেন কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। আপনি জেনে বুঝে মন্দ কাজ করলে আল্লাহ দোষী হতে যাবে কোন দুঃখে ?
@ডঃফয়েজ, ঠিক আছে । যুদ্ধের সময় যে সৈনিকরা প্রতিপক্ষকে হত্যা করে তার জন্য আমরা কাকে দায়ী করব বলুন ? প্রতিটা সৈনিককে ? নাকি যারা তাকে প্রভাবিত করছে তাকে ?
@তরুন প্রজন্ম, আপনি সুন্দর একটি প্রশ্ন করেছেন। প্রথমত দেখতে হবে যুদ্ধটা হচ্ছে কাদের বিরুদ্ধে। যদি মিথ্যা, বাতিল এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয় তবে সৈনিক বা যারা তাকে প্রভাবিত করছে তারা কেউই দায়ী হবে না; আর মিথ্যা, বাতিল এবং অপশক্তির পক্ষে হলে, প্রতিপক্ষকে হত্যা করার জন্য সৈনিকরা এবং যারা তাকে প্রভাবিত করছে তারা উভয়েই দায়ী হবে। ধরুন আপনি আমার নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। আমি আপনাকে বললাম যে আপনি অমুক ব্যাক্তিকে মেরে ফেলুন। আপনি জানেন যে, আমি যা বলছি তা ঠিক হচ্ছে না, এটা অন্যায় তারপরও আপনি তা করলেন তবে তো আমার পাশাপাশি আপনিও অবশ্যই দোষী হবেন। আপনি “যারা তাকে প্রভাবিত করছে” বলতে সৃষ্টিকর্তাকে বুঝিয়েছেন, এক্ষেত্রে আপনার জেনে রাখা উচিত সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ আপনাকে কখনই খারাপ কাজে প্ররোচিত করেন না, করবেন না; মানুষকে খারাপ কাজে প্ররোচিত করে ইবলিশ শয়তান।
@ডঃফয়েজ, তার মানে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন আমাদের মধ্যে শয়তানের ও একটা প্রভাব আছে ? আর হ্যা যুদ্ধটা যদি ধরুন অপশক্তির বিরুদ্ধে হয় কিন্তু আপনি কাজ করছেন এমন একজনের হয়ে যার প্রভাব আপনার জীবনে রয়েছে । তার জীবন বাচানো আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে ওই অবস্থায় কি করবেন আপনি ?
@পৃথিবী,
‘ঈশ্বরের অস্তিত্ব এমন একটা বিষয় যার একটা নৈ্ব্যক্তিক অস্তিত্ব থাকবে। আপনার-আমার ভয়-আশা-সুখ-সাফল্যের মত ব্যক্তিনিষ্ঠ বিষয়ের সাথে এর সম্পর্ক নেই।’
সহমত
:yes:
মেয়েরা কি করবে সেই ঠিকাদারিটা কে নিয়েছে-আল্লা না মুসলমান পুরুষ?
First of all I want to say that you are in deep trouble.I know you r laughing but its true. On the other hand I want to say u that why u r always up to find and prove that Islam is wrong? U said that u r an atheist then say about the features of atheist. What is that and what can a person achieve being an atheist. Welcome people to u ,ur belief(If u have any). Is atheist based on making laugh or criticism to other belief?If so then it will not bring peace.So why people will follow You? I must say that all other religion, all other offers people Peace. No religion let us to make laugh with other religion.And In Islam we are not up to prove other wrong. We only say our Religions benefit and features, If u think its right u can come with us but we don’t force u,.We don’t try to make other wrong.
Since u think that all religion is wrong then tell us what is right. All in ur article I see that u r up to prove that Hazrat Muhammed (SM) is wrong (Naujubillah) and Allah is not present(Naujubillah).
The time u r wasting to create this logic try to use those for the benefit of humanity.
And Islam is not afraid or worried for people like u.Cause People like u will always live and we call u Munafeque.
May Allah show u the right path My friend.
@Hasibul Hasan,
মুক্তমনায় স্বাগতম।
কষ্ট করে একটু বাংলা লেখাটা শিখে নিলে ভাল, কেননা বাংলা ব্লগে ইংরেজি তে কমেন্ট করা এখানে অনুত্সাহিত করা হয়।
‘I want to say u that why u r always up to find and prove that Islam is wrong?’
মু্ক্তমনা শুধু যে ইসলামের সমালোচনা করে এই ধারনাটা ভুল। বরং মুক্তমনা মনে করে পৃথিবীর কোন ধর্মই, এমন কি কোন কিছুই সমালোচনার উর্দ্ধে নয়। কারন মানুষের আছে যুক্তবাদী মন যার মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমে সে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে। এই যুক্তবাদী মনের সমালোচনা করার ক্ষমতার কারনেই কিন্তু মানব সভ্যতার এই অগ্রগতি। তাই প্রশ্নহীন বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে যুক্তিবাদী মন সায় দিবে কেন?
‘Welcome people to u ,ur belief(If u have any). Is atheist based on making laugh or criticism to other belief?’
এখানেও একটা ভুল ধারনা পোষন করা হয়েছে। আস্তিকতার মত নাস্তিকতা কোন বিশ্বাস নয়। বরং উল্টো । উপযুক্ত প্রমান ছাড়া সব কিছুতে অবিশ্বাসই হল নাস্তিকদের ধর্ম। তাই যেখানেই ধর্মের ধুয়ো তুলে গাজাখুরী গল্প মানুষকে গেলানোর চেস্টা করা হয় সেখানেই নাস্তিকরা ধর্মগুরুদের ঐ আজগুবী দাবী যুক্তবাদের ভিত্তিতে খন্ডানোর প্রয়াস পায়। এটা মধ্যযুগ নয়। একবিংশ শতাব্দী। গাজাখুরী গল্প সভ্যতার এই লগ্নে এসে প্রমান ছাড়া বিশ্বাস করতে যু্ক্তিবাদী মানুয়ের বিবেক বাধা দেয়।
‘Since u think that all religion is wrong then tell us what is right. All in ur article I see that u r up to prove that Hazrat Muhammed (SM) is wrong (Naujubillah) and Allah is not present(Naujubillah).’
নাস্তিকরা মনে করে অন্ধ বিশ্বাস পরিত্যাগ করে যুক্তবাদের আলোকে যেকোন কিছুর সমালোচনা করাই জায়েজ, ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস পরিত্যাগ করে নিজের ধর্মীয় সত্তার উপরে মানবিক সত্তাকে স্থান দেয়া সোয়াব। এটাই সঠিক পথ কারন এই পথে মানুষে মানুষে কোন ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবেনা। পৃথিবী হবে কলুষ মুক্ত।
হজরত মুহাম্মদ ভুল- এখানে যে দাবী করা হয়েছে তার বিপক্ষে যদি কোন প্রমান থাকে তা যুক্ত তর্কের মাধ্যমে এখানে পেশ করাটাই কি বুদ্ধমানের কাজ নয়? মুক্তমনারা প্রমানের সাপেক্ষে যে কোন কিছুতে বিশ্বাস করতে রাজি। এ কারনেই তারা মুক্তমনা। কিন্তু আস্তিকরা সেখানে বিশ্বাসের গোলাম- হাজার যুক্তি প্রমান দিলেও তারা তাদের বিশ্বাস থেকে সরে আসতে ভয় পায়। এ কারনেই তারা বদ্ধমনা।
তাই আমি মনে করি লেখকের আর্টিকেলটি যে ভুল তার সপক্ষে উপযুক্ত যু্ক্তিবাদী আলোচনা উপস্থাপন করা বাঞ্ছনীয়। তার বদলে যদি – কেন শুধু ইসলামের সমালোচনা করা হয়, ধর্ম কখনও অশান্তি চায়না, নাস্তিকরা বহুদ বিপদে আছে, নাস্তিকদের মত মুনাফেক সবসময়ই ছিল এবং থাকবে ইত্যাদি ইত্যাদি- এই টাইপের আলোচনা করা হয় তবে তা অর্থহীন প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।
ধন্যবাদ
@Hasibul Hasan,
দয়া করে মন্তব্য বাংলায় লিখুন। বাংলায় না লিখলে পরবর্তীতে আপনার মন্তব্য প্রকাশিত হবার নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না।
@Hasibul Hasan,
এবং অবশেষে
ইসলামে যদি অন্যদেরকে wrong ধরার চেষ্টা করা না হয়, তবে নাস্তিকদের মোনাফেক ডাকার কারন কি? মোনাফেকের অর্থ কি?
@ব্রাইট স্মাইল,
আমারও একই প্রশ্ন…
@Hasibul Hasan,
নাস্তিকদের কারনে ইসলাম যে ভীত-সন্ত্রস্ত, চিন্তিত, আপনার এই কথাটাই তার শ্রেষ্ট প্রমাণ।
সবার উপরে মানুষ সত্য, তার উপরে নাই।
মহানবী (স:)আমার প্রিয় মানুষ্।
@manir,
আমার এক বন্ধু বলতো, ”আল্যাই আমার প্রিয় মানুষ” 🙂
@al murshed,
মনে হয় আছে, নিজের বিবেক/বুদ্বি/বিবেচানা কাজে লাগানো।
@ব্রাইট স্মাইল, বিবেক/বুদ্ধি/বিবেচনা কাজে লাগিয়ে কীভাবে পতিতাবৃত্তি দূর করবেন, একটু আলোকপাত করবেন,প্লিজ?
@al murshed,
আলোকপাতের জন্য জ্ঞানগর্ভ আলোচনার প্রয়োজন নাই (অবশ্য জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় আমার পারদর্শীতা নাই), আমি সহজ মানুষ, সহজ হিশাব, কেউ পতিতাবৃত্তি থেকে দূরে থাকবে যদি সে তার বিবেক/বুদ্ধি/বিবেচনা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়, যদি না হয় তবে পুরোন যুগের এবং এই যুগে অচল ধর্মের শরনাপন্ন না হয়ে রাষ্ট্রের কিছু যুগপোযুগী অনুশাসনই তাকে পতিতাবৃত্তি থেকে দূরে থাকার জন্য সহায়ক হবে। আমি মনে করি ধর্মের অনুশাসন মানুষকে অন্যায় থেকে দূরে সরিয়ে রাখেনা, বিবেক-বুদ্ধিই মানুষকে সেটা করায়। নিজকে প্রশ্ন করুন, উত্তর পাবেন।
পরিশেষে একই দার্শনিক টাইপের কথার পুনরাবৃত্তি করতে হয়, এই পৃথিবীতে কোন কিছুরই একশ ভাগ সমাধান আশা করা যায়না।
হ্যা, বহু-বিবাহের আড়ালে নিজেদের নোংড়া সেক্স জায়েয করা যায়।
@ব্রাইট স্মাইল,আমি বহু বিবাহের পক্ষে বলি নি।এক স্ত্রীর সাধ-আহ্লাদ(অফুরন্ত) মিটানো এক জীবনে(অনেক পুরুষের-ই মতো) সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।আবার একাধিক স্ত্রী ?একসাথে কথা শুরু করলে কানের পর্দাতো ফাটবেই,মাথা খারাপ হয়ে সংসার ছেড়ে দৌড়ে পালাতে হবে।আমি সুপারম্যান নই।
@ব্রাইট স্মাইল, বিবাহ একটি সমাজ স্বীকৃত প্রথা।এতে একটি পুরুষ একটি নারীর সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয় এবং তার পারিবারিক এবং সামাজিক মর্যাদাও সংরক্ষিত।মেয়েদের অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সামাজিক দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে চরম অনিচ্ছা সত্বেও যখন নোংরা একটি পুরুষকে নিজের একান্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর দখল দিতে হয় এর চেয়ে একটি মেয়ের জন্য অপমানের আর কী হতে পারে?আর বয় ফ্রেন্ড যখন একটি মেয়ের শরীর ভোগ করে তাকে বাদ দিয়ে আবার নূতন ফুলের সন্ধানে যায় তাও কি অপমানজনক নয়?অথচ পাশ্চাত্যে এটা সাধারণ ঘটনা হলেও এটা মেনে নিতে মেয়েদের মানসিক কষ্ট পেতে হয়।আর সন্তান চলে আসলে কী অবস্থা বুঝতেই পারছেন-মেয়েটিকে হয়তো গর্ভপাতের মাধ্যমে নিষ্পাপ শিশুটিকে জন্মের আগেই হত্যা করতে হবে অথবা এই অপ্রত্যাশিত সন্তানের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে এবং মেয়েটিকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপের মধ্যে পড়তে হবে।অর্থাত মেয়েরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।এর চে বিবাহ কি ভালো নয়?আর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে নোংরামির কী দেখলেন?
@al murshed,
পুরুষ মানুষের শুধু বহু বিবাহের দরকার। ও ভুলেই গিয়েছিলাম যে ইসলামতো শুধু পুরুষ মানুষ্ কেই খুশি রাখতে চায়।
@ব্রাইট স্মাইল,ইসলাম একাধিক বিবাহকে বাধ্যতামূলক করে নি।কারণ,এটা সকলের জন্য সম্ভব নয়।এটা ও ইসলামের একটি সৌন্দর্য (Beauty of Islam) যে,এটা অসম্ভব কোনো কিছু এ ধর্মানুসারীদের উপর চাপিয়ে দেয় নি।প্রাচীন মাতৃতান্ত্রিক সমাজে(কোনো কোনো অনুন্নত উপজাতি সমাজের মধ্যে এখনো) মেয়েদের বহু বিবাহের প্রথা প্রচলিত ছিল।মহাভারতের দ্রৌপদীর ও তো পঞ্চ স্বামী(পাঁচ ভাই) ছিল।দ্রৌপদী কি বেশি সুখী ছিলেন?মেয়েরা যদি চায় তো তারা এ প্রথা চালু করে দেখতে পারে এটা তাদের জন্য অধিকতর সুখ বয়ে আনে কি না।পাশ্চাত্য সমাজে একটি মেয়ে অনেক পুরুষের দেহ ভোগ করতে পারে(বিবাহ নয়)।কিন্তু তারা কী শেষ পর্যন্ত সুখী হয়,শান্তি পায়?আর এ ক্ষেত্রে মেয়েটি ভোগ করে না পুরুষের ভোগে লাগে তা ও ভেবে দেখার বিষয়।
@ব্রাইট স্মাইল, ইসলাম শুধু পুরুষ মানুষকে খুশি রাখতে চায় তা ঠিক নয়।খুশি রাখতে চাইলে কি আর পুরুষদের উপর সংসার,সমাজ এবং রাষ্ট্রের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব চাপিয়ে দিতো?
@ব্রাইট স্মাইল, এটা কি অত্যন্ত লজ্জাজনক নয় যে একবিংশ শতাব্দীতে বসবাস করেও বিশ্ব জুড়ে পৃথিবীর আদিমতম পেশা পতিতাবৃত্তি এখনও চালু রয়েছে?বহু বিবাহ প্রথা এর একটি সমাধান হতে পারে না কি?
@al murshed,
আপনাকে জ্ঞান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে দেখে প্রীত হইলাম। বহু বিবাহ প্রথা কিভাবে পতিতাবৃত্তি নিবারণ করবে তা একটু বুঝিয়ে বলেন। আর পতিতাবৃত্তি সমস্যা দূর করতে গিয়ে বহুবিবাহ সমস্যা বাধাতে হবে? এর আর কোন সমাধান নেই?
@সৈকত চৌধুরী, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি পাওয়া বিষয়ে আপনার সার্টিফিকেটের জন্য ধন্যবাদ।আমি বুঝিয়ে বলার আগে একটি মেয়ে পতিতাবৃত্তির মতো একটি চরম অপমান জনক পেশায় কেনো আসে তা সম্পর্কে আপনার কি ধারণা জানালে আমার বোঝাতে সহজ হবে।ঊপরে আমার মন্তব্যগুলো আবার পড়ুন।এযুগে বহু বিবাহ করা খুব কম পুরুষ মানুষের পক্ষেই সম্ভব,নানাবিধ কারণে।আর ইসলাম ধর্মমতে সকল স্ত্রীর সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে যা আরেক টি দুরহ ব্যাপার।
@al murshed, ইসলাম ধর্মমতে সকল স্ত্রীর সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে যা আরেক টি দুরহ ব্যাপার।
আপনার নবী পেরেছিল কি? :-Y
@al murshed,
পতিতাবৃত্তিকে ব্লা হয় আদিমত্ম পেশা, তার নিশ্চয়ই কারন আছে। কোনরকম প্রথাগত ধর্ম আসার আগে থেকেই এটা ছিল, আমার মনে হয় না যে কোনদিন পুরোপুরি বন্ধ হবে বলে। আধুনিক মনোবিজ্ঞানীরা মনে হয় এটা পুরো বন্ধ হোক তাও চাইবেন না।
তবে মাত্রা অবশ্যই কমানো যায়। আমার ব্যক্তিগত ধারনা সমাজে নারী পুরুষে বৈষম্য একটা বড় কারন। মেয়েদের সম অধিকার আর স্মমানজঙ্ক উপায়ে স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে অনেকটা কমানো যাবে।
বহুবিবাহের মাধ্যমে পতিতাবৃত্তি কমানো যায় বা বহুগামিতা কমানো যায় এহেন ধারনা অত্যন্ত ভ্রান্ত বলেই মনে হয়। তা হলে মধ্যপ্রাচ্যের শেখ সাহেবরা হেরেমে বহু পত্নী উপপত্নী রেখে মূম্বাই ব্যাংকক আমেরিকায় দৌড়াতেন না। যার আলু রোগ হয় তার বাড়ির ৪ স্ত্রীতে কিছু হয় না। সে ঠিকই ওসব যায়গায় যাবে। যৌণ তাড়নার থেকেও মনে হয় নিষিদ্ধ কোন জিনিস প্রাপ্তির আনন্দ ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে বেশী কাজ করে। এই একই পতিতাদের নিজের বাড়িতে স্ত্রী করে নিয়ে আসলে তার প্রতি আকর্ষন মনে হয় অনেকটাই চলে যাবে।
আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন বহু বিবাহ এ যুগে নানান বাস্তব কারনেই সম্ভব নয়। খুবই সত্য কথা। কাজেই সব যুগের জন্য এটা কোন প্রেস্ক্রিপশন হতে পারে না। তবে ইসলাম ধর্মমতে সব স্ত্রীর অধিকার নিশ্চিত করার সাথে আরেকটি নোট আছে যেটা অত্যন্ত কনফিউজিং। এও বলা আছে যে আল্লাহ জানেন যে মানুষ তা কোনদিনই নিশ্চিত করতে পারবে না। এই নোট মতে মানুষের বহুবিবাহের পথেই যাওয়া উচিত নয় কারন আল্লাহ নিজেই জানেন যে মানুষ সম-অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে না, ওদিকে আবার বহুবিবাহের পূর্বশর্ত হল সম-অধিকার নিশ্চিত করা।
@আদিল মাহমুদ,
আল্লাহ কি জানেন জানিনা, কিন্তু আমরা জানি যে সম-অধিকার ব্যাপারটা আপেক্ষিক, কারও কাছে যেটা সম-অধিকার অন্যের কাছে সেটা নাও হতে পারে।
@al murshed,
পৃথিবীর আদিমতম পেশা পতিতাবৃত্তি তখনি যাবে যখন প্রত্যেকটি পুরুষ মানুষের চারটি বিয়ে বাধ্যতামুলক করা হবে!!! এবার খুশীতো?
@ব্রাইট স্মাইল,মনে হয় আপনি গোস্বা করেছেন।সকলের জন্য একাধিক বিবাহ করা সম্ভব নয় এটা আগেই উল্লেখ করেছি।তাই কোরানে তা বাধ্যতামূলক করা হয় নি।আর আমার মনোভাব আমার আগের বক্তব্যগুলোতেই প্রকাশিত।তবুও বলছি,এক বিবি নিয়ে-ই হিমসিম খাচ্ছি।
@ব্রাইট স্মাইল, পতিতাবৃত্তি নিরসনে নাস্তিকদের কোনো থিওরি আছে কি?প্রাক্তন ইসলামিক রাষ্ট্র( বা রাজ্যগুলোতে) এ ঘৃণিত পেশা চালু ছিলো বলে শুনি নি।
@al murshed, কিছু দিন আগে COX BAZAR গিয়েছিলাম বেড়াতে ।সেখানে আমার বন্ধু বিনোদনের জন্যে একজন যৌনকর্মী জোগাড় করলো। শুনে শুরুতে ব্যাপারটা খুব ভালো লাগছিলো , কিন্তু পরে আমার মন বাধা দিলো।আমি বন্ধুকে বললাম আমি যাবো না । শেষে আমি যাচ্ছি না দেখে আমার বন্ধু ও গেলো না। একজন মানুষ হিসেবে আমি বলবো যে,একটা অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার জন্যে মুসলমান হওয়া লাগে না, মানুষ হওয়া ই যথেষ্ট। পৃথিবীর সব মানুষ কাল্পনিক ধর্মের পিছনে না ছুটে যেদিন মনুষ্যত্বের পেছনে ছুটবে, সেদিন পৃথিবীটা ই হবে মানুষের কাল্পনিক স্বর্গের চেয়ে সুন্দর ।
আসলে ইসলাম শুধু এই ক্ষনিকের জীবনের ওপর ভিইটি করে রচিত নয়….মাত্র ষাট-সত্তর বছরের এই সামান্য জীবনের সফলতা ইসলামের মূল target নয়….মুক্ত-মনার যুক্তিবাদী লেখকগণ ভুলে যাচ্ছেন যে আর মাত্র কয়েকদিন পরেই তারা পরপারে চলে যাবেন…তখন তাদের এইসব যুক্তিবাদ হয়ত কোনো কাজেই আসবে না….আমরা এখন einstein আর chandrashekhar নিয়ে কত মাতামাতি করছি কিন্তু আমরা কি জানি তাদের এখন কি অবস্থা?? তাদের কথা স্মরণ করলেই তারা কি খুব ভালো থাকবেন?…আমরা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলেই কি রবীন্দ্রনাথ স্বর্গের সুবাতাস আস্বাদন করছেন?….আমরা জানিনা…মৃত্যুই যদি হয় আমাদের নিশ্চিত গন্তব্য আর আসলেই তার পর যদি সত্যি শুরু হয় অনন্ত জীবন তাহলে সেই জীবনকে গুরুত্ব দেবার চাইতে বুদ্ধিমানের কাজ আর কি হতে পারে?…ইসলাম এর অজস্র নিয়ম-কানুন অনেক কঠিন মনে হতে পারে কিন্তু এটা সত্যি যে তার আসল লক্ষ্য পৃথিবীর মাত্র কয়েকটা মুহূর্ত নয় বরং অসীম কালকে কেন্দ্র করে আবর্তিত….আরজ আলী মাতুব্বর এর অনেক লেখাই আমরা পড়ছি, মজাও লুটছি কিন্তু তিনি যদি নাস্তিকতার দায়ে এখন সত্যি নরকের আগুনে জলতে থাকেন তাহলে আসলেই তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ !…তার এত চিন্তা সাহিত্য কোনো কাজেই আসলো না….হয়ত তিনি নরক থেকে ত্রাহি ত্রাহি চিত্কার করে আমাদের সাবধান করতে চাইছেন…আমাদের কাছে তার জন্য একটু মাগফিরাত কামনা করছেন কিন্তু সে ডাক এসে পৌছুবে না আর !!…ইসলাম এর সব চেয়ে বড় সার্থকতা এটাই যে সে মানুষকে একটা লক্ষ্য বাতলে দিচ্ছে আর তা হলো নিশ্চয় মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে শুধু সৃষ্টিকর্তার আরাধনা করার জন্যই…কিন্তু নাস্তিকদের জীবনের কোনো উদ্দেশ্যই নাই!…সুকান্ত মাত্র ২১ বছর বয়সে মারা গেছেন ভীষণ যন্ত্রণা ভোগ করে, আমরা তার কবিতা পড়েই কি তার জ্বালা উপশম করে ফেলেছি?…তার জীবনের সার্থকতা কোথায়?সেই সার্থকতার স্বাদ তিনি নিজে কতটুকু আস্বাদন করতে পারলেন?…একটা ছোট্ট শিশু যে মাত্র ৬ বছর বয়সেই দুরারোগ্য রোগে ভুগে মারা যাচ্ছে তার জীবনের সার্থকতা কোথায় যদি মৃত্যুর পর আর কোনো জীবনই না থাকে…লাখ লাখ নিষ্পাপ মানুষের রক্তে যাদের হাত রঞ্জিত কিন্তু কোনো শাস্তি ছাড়াই পরপারে চলে যাচ্ছে তাদের বিচার কি তাহলে আর হবেই না?…কিন্তু অন্তত ধর্ম তো তাদের শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর….আমি এই লেখায় অনেক “হয়ত ” ব্যবহার করেছি যা যুক্তিবাদীদের পছন্দ হবে না, কিন্তু আমার হৃদয়ের অলিন্দে নিলয়ে যে বিশ্বাসের সুর বয়ে যাচ্ছে তাও আমি অবলীলায় ঝেড়ে ফেলতে পারি না!
@MUHAMMAD TALUT,
ভাই এই থ্রেটটার মানে কি বুঝলাম না। যদি ঈশ্বর সিদ্ধান্ত নেন সব অন্ধবিশ্বাসীকে অনন্তকাল নরকবাসে পাটাবেন আর মুক্তচিন্তকদের অনন্ত স্বর্গে পাটাবেন তাহলে কি হবে?
যারা যুক্তিবাদি, নিজেদের বিবেচনা ক্ষমতাকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছে তাদের সিদ্ধান্ত যদি ভুলও হয় তবে তাদের শাস্তি দেয়ার নৈতিক অধিকার ঈশ্বরের থাকার কথা নয়।
আচ্ছা আরেকটি সমস্যা, আপনি হয়ত ভাবছেন ইসলাম ধর্ম সটিক, কোরানের কোথাও সমস্যা হলে তাকে রূপক বানিয়ে ফেললেন, এমন কি হতে পারে না যে অন্য কোন ধর্ম শুধুমাত্র সটিক? সব ধর্মেরই কিন্তু নিজের মতো করে ব্যাখ্যা আছে। আপনি কি বেদ, বাইবেল, গীতা এগুলো পড়েছেন ও তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন। আপনি কি হিন্দুদের অথবা ক্রিষ্টানদের নরকে যেতে প্রস্তুত?
আবার এরকম হতেও কি পারে না ঈশ্বর আসলে কোন ধর্ম পাটান নাই এবং ভিন্ন কোনো কারনে সৃষ্টি করেছেন?
তবে আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি কোন ধরণেরই ঈশ্বরের অস্তিত্বের বিন্দুমাত্র কোন প্রমাণ আমরা পাই নি।
@MUHAMMAD TALUT,
আপনি যা বললেন তা ঠিক। তার আগে ‘আমি’ কি সেই ব্যাপারটার ফয়সালা করেছেন কি? এত আমি আমি করছেন, আগে এটা ত ঠিক করে জানুন, ‘আমি’ ব্যাপারটা কি?
আমাদের তিনটি অস্তিত্ব-দেহ, মন আর ইনর্ফমেটিভ। এর মধ্যে ইনফর্মেটিভ অস্তিত্বটা হচ্ছে আমাদের জেনেটিক কোড। দেহ এবং মন মারা যায়। ইনফর্মেটিভ এই অস্তিত্ব মরছে না। তা আমাদের সন্তানের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত। আমার এবং আমার ছেলের মধ্যে জেনেটিক ইনফর্মেটিক্সের পার্থক্য মোটে দশ লক্ষে এক ভাগ। মানে প্রায় এক। সেটাই বংশগতিতে টিকে থাকে। দেহ আর মন-থাকে না। আর যেটা থাকে সেটা হচ্ছে আপনি যাদের মধ্যে কিছু চেতনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন। আপনাকে আমার ভিডিওটা আবার উপহার দিলামঃ বুঝবেন আপনাদের ধর্মের এই পয়েন্ট নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি। এবং অস্তিত্বহীন অলীক স্বর্গের অনন্ত জীবনের পেছনে না দৌঁড়িয়ে, যে অস্তিত্বকে বিজ্ঞান বলছে
অমর-সেটাকে ঠিক করা অনেক বেশী বৈজ্ঞানিক এবং বুদ্ধিমানের কাজ। অলীক স্বর্গের পেছনে ছুটলে শুধু কিছু ইসলামিক সন্ত্রাসবাদি বা হিন্দু সন্ত্রাসবাদি তৈরী হয়।
httpv://www.youtube.com/watch?v=R74qBHB3zvs
@বিপ্লব পাল,” আমাদের তিনটি অস্তিত্ব-দেহ, মন আর ইনর্ফমেটিভ”
আমি মনে করি আপনি একজন বিজ্ঞান মনস্ক ব্যাক্তি। আমাকে বলবেন কি এই ‘মন’ সম্পর্কে সর্বজন গাহ্য কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা? আমাকে দয়া করে বলবেন কি এই যে আমাদের তিনটি অস্তিত্ব এই সম্পর্কে কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আছে কিনা। না এটা আপনার বিশ্বাস?
@MUHAMMAD TALUT,
মানে আপনি এখোনো যদি-র মধ্যে ঘুরছেন, এখোনো নিশ্চিত না।
সবার হৃদয়ের অলিন্দ নিলয়ে-তো আর এক রকমের সুর বাজেনা, কি বলেন?
@MUHAMMAD TALUT,
সেই মজাটা কি, আমদেরকে জানতে দিন। না জানালে মনে করবো আরজ আলী মাতুব্বর এর লেখা পড়েছেন সত্য কিন্তু একটি বাক্যও বুঝেন নাই।
এটা একটা ভাইরাস, একপ্রকার রোগ। মুক্তমনায় থাকুন, আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
@MUHAMMAD TALUT, আপনার বক্তব্য আপনার অন্তঃস্থল হতে উতসারিত।খুবই সহজ বোধ্য এবং হৃদয়স্পর্শী।আপনার হৃদয়ের অলিন্দ এবং নিলয়ে যে বিশ্বাসের সুর যা আপনাকে শান্তি দেয়, আপনার জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তাকে আপনি কেনো ঝেড়ে ফেলবেন?মৃত্যুর পরে কী আছে তা কি নাস্তিকরা জানে?অথচ এমন ভাব করে যেন সবই জেনে বসে আছে।বস্তুবাদী/নাস্তিকগণ গুরুমস্তিষ্কের বাম দিকের ভেতরেই বন্দী হয়ে আছে,ডান দিকের গুরুমস্তিষ্কের খবর রাখে না।
@al murshed, আচ্ছা যেখানে নাস্তিকরা পরকাল বলে কিছু বিশ্বাস করে না সেখানে আপান্র এই মন্তব্য কি অজ্ঞতার প্রমান করে না ?
বহু-বিবাহ প্রথা বন্ধ করলেও ওদের কেউ বহু-গামিতা বন্ধ করতে পারেনি….Bill Clinton এবং Moshe Katsav দুজনেই বুঝেছেন যে বহু-বিবাহ প্রথাটা বন্ধ করায় তারা কি ক্ষতির শিকার হয়েছেন…দুনিয়াটা অন্ধ লোকেদের দিয়ে ভরে গেছে…এরা দেখেও দেখে না…
@MUHAMMAD TALUT,কেনেডী,ফ্রান্সের প্রাক্তন পেসিডেন্ট মিতেরা,ইতালির বর্তমান প্রধান মন্ত্রী বারলুসকনি ইত্যাদির কথা আবার বাদ দিলেন কেন?আর বহুগামিতা পাশ্চাত্যের একটি অলিখিত নর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।একজন পুরুষ বা নারী তার সংগিনী বা সংগী অন্য কারো সাথে যৌন সম্পর্ক করবে না(বিবাহের আগে বা পরে বা লিভ টুগেদার কালে) এটা ভাবতে পারে না।অনেক প্রতিষ্ঠানে তো প্রোমোশন বা বেতন বৃদ্ধির জন্য বসকে শারীরিকভাবে সুখী করা একটি অলিখিত প্রথা।
AWESOME! GO AHEAD.
জ়নাব সম্পাদক ,আমার ভুল টুকু বুঝতে পেরেছি অভিযোগ নামা সাবমিট করার পর পর-ই যখন অপ্রকাশিত লেখাটি বহাল তবিয়তেই আছে দেখতে পেলাম।কিন্তু ততক্ষণে তা সংশোধনের কোনো উপায় ছিল না।এটি ঘটেছে মূলত Technical misunderstanding -এর কারণে।আগে সাবমিট করার পরে প্রকাশিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত লেখাটি নিজের কম্পিূ দেখতে পেতাম,এবার তা দেখতে না পাওয়াতে এবং আমার অতীত অভিজ্ঞতার কারণে অভিযোগ করতে বসে গেলাম,যদিও মন বলছিল অপেক্ষা করে দেখার জন্য।যাহোক,অভিযোগের প্রেক্ষাপট যেহেতু এবার সত্যি প্রমাণিত হয়নি, তাই Accept my apology ,sir.
It’s altogether a boring write up, I must say. I don’t find any brain in it. Religious ‘belief’ is a deep sense of ‘respect’ somebody has in some brain cells of his head. You must not try to nullify or validate a ‘belief’ with science; it doesn’t make sense. If u argue against religion by showing logics, u r the most stupid person on earth. Because, the person believing in a religion DID NOT start believing after being sure about its genuity through any sceintific experiment. He did it, because s/he loves to do it. You do not do it, because u do not want to. It is solely up to u.
As a muslim, I can say that, u r not the 1st or only one trying to justify logics agains this religion, the holy Prophet and Allah SWT. It couldn’t harm the religion or muslims to a slightest extent ever. I know, in the contemporary world, it is a fashion to blemish the religion Islam. I whole heartedly support open-discussions about it, or any religion. However, as a Muslim, I feel proud that Islam is a great philosophy that is really a “complete code of life”. Starting from dawn to dask, dask to dawn, it gives u ways of leading a peacful life. There are some teachings, which u may to comprehend properly if u r half-hearted are double-minded, that I’ve seen throughout ur write-up. You were guided by prejudice and preconceived ideas against Islam and the holy Prophet.
There was a time, when people had no idea that Oxygen is needed to remain alive. Until it was discovered that Oxygen is so imperative, Oxygen was still doing its job of giving life to mankind. You are not wise enough yet to see everything with your naked eyes.
@Arif Mahmud,
one argument….
contradicts another argument…
ধর্মকে নিখুত যুক্তি বা বিজ্ঞানের চোখে প্রমানের চেষ্টা অত্যন্ত হাস্যকর ও বিভ্রান্তিকর। যমি বলছি না যে তার মানেই ধর্মে বিশ্বাস করা যাবে না। শুধু বলছি এ ধরনের বলপূর্বক আরোপিত হাস্যকর যুক্তির বিপদ সম্পর্কে।
আরো অনেক আধুনিক ধার্মিক কে অকাট্য প্রমান আহবান করতে শুনিঃ বিজ্ঞান দিয়ে আল্লাহর অস্তিত্ত্ব নেই প্রমান করেন, বা কোন বিজ্ঞানী কি তা এখনো প্রমান করতে পেরেছেন???
এ যুক্তিতে ত বলা যায় যে হিমালয়ের ইয়েতী থেকে শুরু করে রাক্ষস ক্ষোক্কস ।।পদ্ম পুকুরের ১২ হাত পানির নীচে ভ্রোমরার ভেতর বক রাক্ষসের প্রান এ জাতীয় অনেক কিছুকেই বিশ্বাস করতে হয়।
@আদিল মাহমুদ,নিখুঁত যুক্তি বা বিজ্ঞানের তত্ত্ব দিয়ে ধর্মের সত্যকে যদি প্রমাণ করা যায় তা আপনার কাছে হাস্যকর/বিভ্রান্তিকর মনে হয় কেনো দয়া করে ব্যাখ্যা করবেন ?যুক্তি এবং বিজ্ঞান তো নাস্তিক ভাইদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।আর মানুষের পঞ্চেন্দ্রিয়ের সীমাবদ্ধ জ্ঞান দিয়ে স্রষ্টার অস্তিত্ব মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা আপনার কাছে কম হাস্যকর মনে নয়?ধর্মে বিশ্বাস করা বা না করা যার যার নিজস্ব ব্যাপার।ইচ্ছে করলেই যে কেউ ধার্মিক হতে পারে না।তবে বিজ্ঞানের তত্ত্ব এবং তথ্য দিয়ে ধর্মের বিষয় প্রমাণ করা যে ধর্মের জন্য বিপদজনক হতে পারে আপনার এ সতর্ক বাণীর সাথে আমি একমত।কারণ,বিজ্ঞান হচ্ছে ছোটো শিশুর মতো মানব জাতির তার চারপাশের পৃথিবীকে নেড়ে চেড়ে,পরখ করে জানার ক্রমাগত প্রচেষ্টা যা ক্রমাগত বর্জন,সংশোধন, পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে।তবে আপনি ধর্মকে Myth, Legend chldren’s bed time story ইত্যাদির সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন।ইয়েতির অস্তিত্ব এখনো প্রমাণিত হয় নি।কোনোদিন তা প্রমাণিত হতে ও পারে আবার নাও হতে পারে।গরিলাকে আফ্রিকার দূর্গম অরণ্য হতে ধরে আনার আগ পর্যন্ত অনেক খ্যাতিমান প্রাণি বিজ্ঞানী-ই এদের অস্তিত্ত্ব বিশ্বাস করতে চান নি।আর রাক্ষস শব্দটী যতদূর জানি রামায়ণ হতে এসেছে।রামায়ণে পাক-ভারত উপমহাদেশের কোনো জাতি গোষ্ঠিকে বোঝানোর জন্য রাক্সস শব্দটি ব্যবহার করা হতো তা একজন বেদ বিশেষজ্ঞের কাছ হতে জেনে নিন।আর বারো হাত পানির নীচে ভোমরার ভেতর বক রাক্ষসের প্রাণ -এতো রুপক-নির্ভেজাল সাহিত্য-এটা কি আমাকে বলে দিতে হবে?Sorry for being patronising.
@Al Murshed,
নাস্তিকদের এপ্রোচ্চ আমি যতটুকু জানি আপনার কথামত “মানুষের পঞ্চেন্দ্রিয়ের সীমাবদ্ধ জ্ঞান দিয়ে স্রষ্টার অস্তিত্ব মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা” এ লাইনে নয়। তারা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে স্রষ্টার অস্তিত্ত্ব প্রমানের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমান চান, তারা দাবী করেন না যে বিজ্ঞান দিয়ে তারা স্রষ্টা নেই তা প্রমান করছেন। দুটো এপ্রোচের আকাশ পাতাল পার্থক্য আছে।
ধর্মের মূল বলতে আপনি কি বোঝাচ্ছেন তাহলে আমি আরেকটু ভাল বলতে পারি কেন বিজ্ঞানের তত্ত্ব দিয়ে ধর্মের মূল প্রমান হাস্যকর। আমি যেহেতু মোসলমান তাই জানি যে ইসলাম ধর্মের মূল হল এক আল্লাহতে পূর্ন বিশ্বাস। এই “বিশ্বাসের” স্বপক্ষে কোন বিজ্ঞান ভিত্তিক যুক্তি প্রমান আছে কি? কেউ যদি অংক কষে বা ল্যাবরেটরিতে আল্লাহর অস্তিত্ত্ব প্রমানে সারা জীবন কাটিয়ে দেন তাহলে তার সেই প্রচেষ্টাকে হাস্যকর বলে মনে হবে না? কিংবা আরেকটু এগিয়ে চিন্তা করি যে কেউ আল্লাহর খোজে মহাকাশযানে করে মহাকাশে যাত্রা করে বছরের পর বছর মিলিয়ন মিলিয়ন আলোকবর্ষ পার করল, আল্লাহর দেখা পাওয়া গেল না। এই সব প্রচেষটা ব্যার্থ হলেও কিন্তু “নিশ্চিতভাবে” বলা যাবে না যে আল্লাহ নেই, কারন আরো তো পরীক্ষা নিরীক্ষা বা মহাকাশভ্রমন করা যায়। উক্ত বিজ্ঞানীরা আপাততঃ ব্যার্থ হচ্ছেন বলেই প্রমান হয়ে যাচ্ছে না যে আল্লাহ নেই, তাই না?
বিজ্ঞানের চোখে কিছু আছে বলে প্রমান করতে চাইলে দাবীকারকে প্রমান করতে হয়, দাবীকার কিন্তু বলতে পারে না যে বিজ্ঞান প্রমান করতে পারেনি যে আল্লাহ নেই তাই আল্লাহর অস্তিত্ত্ব বিজ্ঞানভিত্তিক, আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি বলতে চাচ্ছি।
তাই আমি ইয়েতী, রাক্ষস ক্ষোক্কসের উদাহরন দিয়েছিলাম। সেই শব্দগুলো কোন ভাষার বা পুরানের তা মুল বিবেচ্য না। মুল বিবেচ্য হল যে কেউ যদি দাবী করেন যে রামায়নে বর্ণিত রাক্ষস রাজ রাবনের অস্তিত্ত্ব তিনি বিজ্ঞানভিত্তিক বলে মনে করেন কারন “কোন বিজ্ঞান রাবনের অস্তিত্ত্ব অস্বীকার করতে পারে নি” তাহলে তার সম্পর্কে আপনি কি মুল্যায়ন করবেন? ভুত প্রেতের কি কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে? যদিও হাজার হাজার বিখ্যাত ব্যাক্তি ভুত আছে বলে ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন, অনেকের মতে তাদের জেনুইন ভৌতিক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখন কি বলা যায় যে ভতপ্রেত সত্য বা বিজ্ঞানভিত্তিক? যুক্তির বিচারে কিন্তু ভুত প্রেতের অস্তিত্ত্ব আল্লাহর অস্তিত্ত্বের চেয়ে শক্তিশালী শোনাতে পারে কারন বহু ব্যাক্তি ভুতে মোলাকাতের জীবন বাজি রেখে স্বাক্ষী দিতে পারেন, আল্লাহ মোলাকাতের তেমন স্বাক্ষী কিন্তু পাওয়া যাবে না।
তাই এসব ইয়েতী, ভুত প্রেত, রাক্ষস আপনার কাছে মিথ বলে মনে হলেও একই কারনে অনেকের কাছেই ইশ্বর ও মিথ। এটা বুঝতে চেষ্টা করেন। একইভাবে আপনার কাছে যে কারনে আল্লাহ সত্য, অনেকের কাছে একই কারনে বক রাক্ষস, মা কালী, অসূর, দুর্গা সবই শ্বাসত সত্য।
বহু বছর আগে প্রবীর ঘোষের জ্যোতিষবিজ্ঞানের বিপক্ষে লেখা একটি বই পড়েছিলাম যেখানে তিনি জ্যোতিষবিজ্ঞান যে আসলে কোন বিজ্ঞান না, বিজ্ঞানের ছদ্মবেশে অপবিজ্ঞান তা প্রমান করেছিলেন। হস্ত্রেখাবিদ বা জ্যোতিষিরা সবসময় দাবী করেন যে তাদের বিজ্ঞান ১০০ ভাগ খাটি বিজ্ঞান। তাদের একটা বড় দাবী কোন বিজ্ঞান তাদের জ্যোতিষশাস্ত্রকে ডিসপ্রুফ করে না। এটা আসলে কোন যুক্তিই না। প্রবীর ঘোষ এ যুক্তির অসারতা এভাবে বুঝিয়েছেন।
মনে করুন, আমি দাবী করলাম যে মাঝে মাঝে রাত ১২ টার পর আমার পিঠে দুটো ডানা গজায়, আমি তখন আকাশে উড়ে বেড়াতে পারি। তবে ঠিক কবে ডানা গজায় তা আমি বলতে পারি না, এই ইভেন্টটা র্যান্ডম। কোনদিন সপ্তাহে দুদিন হয়, আবার কখনো মাসের পর মাস হয় না। এখন আপনাকে তার দাবী মিথ্যা প্রমান করতে হলে তার সাথে বাকী জীবন কাটাতে হবে, দেখাতে হবে যে তার আসলে কোনদিন ই ডানা গজায় না। তাও কিন্তু নিশ্চিতভাবে প্রমান করা গেল না, কারন ইভেন্টটা তো র্যান্ডম, এমন ও তো হতে পারে যে আগে গজাতো, এখন আর গজায় না? এখন কি কোনভাবেই আমরা অই দাবীকে কোনদিন ১০০ % নিশ্চয়তা দিয়ে অস্বীকার করতে পারি? বিজ্ঞানের ভাষায় পারি, কিন্তু তর্কের ভাষায় পারি না।
আপনি নিজেই ভাল ভাল উদাহরন দিয়েছেন। গরিলাকে যেমন সর্বসমক্ষে ধরে আনার পরই তার অস্তিত্ত্ব প্রমান হয়েছে তেমনিই ইশ্বর বা আল্লাহকে বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান করতে চাইলে সেটাই বা তেমন কিছুই করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত বিজ্ঞান দিয়ে আল্লাহর অস্তিত্ত্ব প্রমানের দাবী অবশ্যই হাস্যকর। “কোনদিন হয়ত প্রমান হবে” বিজ্ঞানের চোখে এর কোন দাম নেই যতদিন না সেই দিন্টা আসে।
আশা করি বুঝেছেন কি বলতে চাচ্ছি।
@আদিল মাহমুদ,আমি বিজ্ঞানের প্রমাণিত তত্ত্বগুলোর significance অনুধাবন করে এবং logic ব্যবহার করে মানুষের বোধের জগতে,চেতনার কাছে,নিজের মনের কাছে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমানের কথা বলা হয়েছে,হাইস্কুল বা কলেজের ল্যাবরেটরিতে কাঁচজারে রাসায়নিক ঢেলে বা স্লাইড ক্যালিপার্স দিয়ে মেপে বা নিক্তিতে ওজন করে বা ক্যালকুলেশন করে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণের কথা বলা হয় নি।বিজ্ঞানের অনেক বড় বড় তত্ত্বের আবিস্কার এবং প্রমাণে ল্যাবরেটরির ভুমিকা ছিল নিতান্ত-ই গৌণ।আইনস্টাইনের তত্ত্বগুলোর জন্ম হয়েছিল তার মস্তিষ্কের ল্যাব্রেটরিতে তা বিজ্ঞান সমাজ কর্তৃক গ্রৃহীত হবার জন্য ব্যবহারিক ল্যাবরেটরিতে প্রমাণিত হওয়ার অপেক্ষায় থাকে নি,সাদা কাগজে সমীকরণের মাধ্যমে গাণিতিক প্রমাণ-ই যথেষ্ট বিবেচিত হয়েছে।তাঁর তত্ত্বগুলোর কিছু কিছু পরবর্তিসময়ে অন্য পদার্থ বিদরা ব্যবহারিকভাবে প্রমাণ করেছেন।যেমন, fission ঘটিয়ে এবং আণবিক বোমার বিস্ফোরণ-এর মাধ্যমে E=mc2 ত্তত্ব প্রমাণিত হয়েছে।আবার দেখুন অসীমতার ধারণাকে আপনি কীভাবে ল্যাব্রেটরিতে প্রমাণ করবেন?অথচ অসীমতার ধারণা একটি বিশুদ্ধ গাণিতিক ধারণা এবং এর প্রমাণ ও কঠিন নয়,যেমন,Infinity=1/0.আবার 0 (শূন্যতার) কথাই ধরুন,absolute শূন্যতা আপনি কীভাবে প্রমাণ করবেন?অথচ শূন্য বাদ দিলে বিজ্ঞান অচল হয়ে পড়বে এবং যে কম্পিউটারে টাইপ করছি তা অচল হয়ে যাবে।আবার Imaginary Number -বা কাল্পনিক সংখ্যার কথা-ই ধরা যাক।সংখ্যা আবার কাল্পনিক হয় কী করে?অথচ এটা গাণিতিক সত্য।ধন্যবাদ।
@আল মোর্শেদ, ১/০ = অসীম না। ১/০ হচ্ছে অসংজ্ঞায়িত। সহজ ব্যাখ্যা হচ্ছে ধরা যাক ১/০ = ক, কিন্তু এমন কোন ক পাওয়া যাবে না যাকে ০ দিয়ে গুণ করলে ১ পাওয়া যাবে।
লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি অসাধারণ যুক্তিবাদী ও নিরপেক্ষ লেখার জন্য।
id ওয়ালারা মাথা বিগড়েছেন ভালই।একজন তথাকথিত পূর্বতন ‘মুক্তমনা’কেও দেখতে পাচ্ছি ,যিনি ইসলামকেই চূড়ান্ত ও উন্নততম জীবনদর্শন বলে মানেন।বোঝাই যাচ্ছে ভদ্রলোক কখনই খোলা মনের হতে পারেন নি এবং বিজ্ঞান বলতে তিনি বোধহয় ID -কেই ইঙ্গিত করছেন।এ প্রসঙ্গে অভিজিত দা এত সুন্দর কিছু লেখা লিখেছেন যে খামোখা তর্কের কোন দরকার নেই।তবু লেখককে আরেকবার অনুরোধ করব…এদের রিফিউট করতে।কারণ এই ছদ্ম-বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু!
@আগন্তুক(টেক্সাসের?), ‘মাথা বিগড়েছেন”তথাকথিত মুক্তমনা’ ইত্যাদি আবেগপ্রসূত কথা না বলে বস্তুনিষ্ঠভাবে Logic,Reason এবং Science ব্যবহার করে আপনার বক্তব্য প্রতিষ্ঠিত করুন।তথাকথিত মুক্তমনা বলতে আপনি কী বোঝাতে চাইছেন পরিষ্কার করে বলবেন কী?মুক্তমনার সংজ্ঞা কি? মুক্তমনা হতে হলে কী করতে হয় জনাব? ছদ্ম বিজ্ঞানী বলতে-ই বা কি বোঝাচ্ছেন ? বিজ্ঞানী আবার ছদ্ম হয় এই প্রথম শুনলাম।আপনার মতে বিজ্ঞানের সংজ্ঞা কি জনাব?ইসলামের চেয়ে উন্নততর কোনো জীবন বিধান থাকলে তা Logic,Reason এবং Science দিয়ে প্রমাণ করুন এবং হজরত মুহম্মদ(সঃ) এর চেয়ে সার্বিকভাবে সফলতর কোনো Homo sapiens sapiens -এর সন্ধান পেলে আমাকে জানান আমি তার মত এবং পথ অনুসরণ করবো-কারণ আমি আবদ্ধমনা নই।ধন্যবাদ।
@Al Murshed,
আমার কথাগুলো যে আবেগপ্রসূত নয়,তা এ বিষয়ে যাঁরা মোটামুটি পড়াশোনা করেছেন তাঁরা সবাই স্বীকার করবেন।
আপনার কথা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে ,আপনি ‘আই ডি’ তত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হয়েই বিভ্রান্ত হয়েছেন।মুক্তমনা ই-বুক ‘বিজ্ঞান ও ধর্মঃ সংঘাত না সমন্বয়’ -এ আপনি এ বিষয়ে চমৎকার সব জবাব পাবেন।
ইসলামের মত একটি নিতান্ত মধ্যযুগীয় ধর্মের চেয়ে উন্নততর কোন জীবনধারা আপনি সত্যিই খুঁজে পান না।রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’ পড়ুন,হেরমান হেসের ‘সিদ্ধার্থ’ পড়ুন।মুক্তমনা হলে বুঝতে পারবেন।হযরত মুহাম্মদকে আপনি কিসের ভিত্তিতে সবচেয়ে সফল মানুষ বলেছেন তার মানদন্ডটি বলেন নি।হ্যাঁ তিনি পৃথিবীর একজন শ্রেষ্ঠ সফল কূটনীতিবিদ।কিন্তু রসুল বলে যে আদৌ কিছু নেই তার অজস্র প্রমাণ আছে – ‘যুক্তি-তথ্য সাপেক্ষে প্রমাণ’।কুরান যে আসলে কিভাবে তৈরি তার রহস্য নিচের লেখাতে পাবেন।
http://www.mukto-mona.com/Articles/kasem/quran_origin.htm
ভালো থাকবেন।
@আগন্তুক,পরমাণুজগত,জড়জগত,জ়ীবজগত,মানবদেহ,গ্যালাক্সি,ইউনিভার্স এর সৃষ্টি,গঠন,বিকাশ এবং সুনিয়ন্ত্রিত পরিচালনার মধ্যে যদি আপনি কোনো intelligence দেখতে না পান তাহলে আমার কিছু বলার নেই।কিন্তু বিজ্ঞানীরা তা দেখতে পেয়েছেন এবং appreciate করতে পেরেছেন বলেই এর পেছনের সূত্রগুলো খুঁজে বের করতে পেরেছেন।
ইউরোপে খ্রিষ্ট ধর্মের মতো ইসলাম ধর্মের মধ্যযুগ বলে কিছু ছিল না। বরঞ্চ,ইসলামের মধ্যযুগ ছিল প্রাতস্মরণীয় মুসলিম বিজ্ঞানী,জ্যোতির্বিদ,গণিতবিদ এবং দার্শনিকদের স্বর্ণযুগ।
আপনারা কেনো বার বার রবীন্দ্রনাথকে টেনে আনেন বুঁঝি না।রবীন্দ্রনাথ কী ধর্ম প্রচারক ছিলেন না নূতন কোনো ধর্মের দিক নিশানা দিয়ে গেছেন।যতটুকু জানি ঠাকুর পরিবার একেশ্বরবাদী ব্রাক্ষণ ছিলেন।এবং এ ব্রক্ষসমাজের প্রতিষ্ঠাতা রাজা রামমোহন রায় প্রেরণা পেয়েছিলেন কুরান হতে।রবীন্দ্রনাথ কি নাস্তিক ছিলেন?বুদ্ধ সম্পর্কে জানার জন্য তার ধর্ম গ্রন্থ রয়েছে এবং তা কিনে আমার লাইব্রেরিতে রেখে দিয়েছি যা মাঝে মাঝে পড়ি,হেরমান হেসের উপন্যাস পড়ার প্রয়োজন নেই।
ইসলাম ধর্মকে কেনো উন্নততর জীবন বিধান মনে করি তা মিঠুনের লেখার জবাবের মধ্যে পেয়েছেন আশা করি।পৃথিবীতে মানুষের সভ্যতা শুরু হওয়ার পর হতে এ পর্যন্ত মানব জাতির এ টিকে থাকা এবং এর সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য যতো ধর্ম,দর্শন এবং ভাবধারার সূচনা হয়েছে তার সকল ভালো দিকগুলো ইসলাম ধর্মের মধ্যে সন্নিবেশিত হয়েছে।আর হজরত মুহম্মদ(সঃ) এর সমগ্র জীবন এর মধ্যে তার-ই প্রতিফলন ঘটেছে।অন্য কথায় এই পৃথিবীতে একজন মানুষের যতো রকমের Dimension -হতে পারে তার সবগুলোর-ই
Realisation ঘটেছে এই মহামানবের জীবনে।তিনি সমাজ সংসারের মধ্যে থেকেই বাবা,স্বামী,ভ্রাতা,প্রতিবেশি,রাষ্ট্রনায়ক এবং সর্বপোরি ধর্ম প্রচারক হিসেবে ১০০ ভাগ সাফল্যের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে দেখিয়েছেন।তিনি রেখে গেছেন এমন একটী ধর্ম যা জাতি-গোত্র,বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে United করতে পারে আক্ষরিক অর্থেই-যাঁর কাছাকাছি সাফল্যের অধিকারি দ্বিতীয় Homo sapiens এখনো খুঁজে পাওয়া যায় নি তাঁকে স্রষ্টার প্রেরিত পুরুষ মেনে নিতে আমার কোনো-ই দ্বিধা নেই।হ্যাঁ,তিনি অন্যতম সফল কূটনীতিক ছিলেন তা-ও তাঁর অনেক Dimension এর একটি মাত্র।
@আগন্তুক, লিঙ্কটা কাজ করছে না। দয়া করে একটু দেখবেন?
@Al Murshed,
@আগন্তুক, ভাই, আল মুর্শেদ সাহেব রে কিছু বুঝাইয়া লাভ নাই। সে মনে মনে মন কলা খায়, আর ভাবে যে তার বক্তব্য খুবই যুক্তি যুক্ত।
‘ইসলামের চেয়ে উন্নততর কোনো জীবন বিধান থাকলে তা Logic,Reason এবং Science দিয়ে প্রমাণ করুন।’
ভাই আল মুর্শেদ,
আপনি Logic আর Faith এর মধ্যে পার্থক্য বোঝেন? বিপরীত মেরুর দুটি জিনিসকে আপনি কিসের ভিত্তিতে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করছেন? আপনার মত এই রকম দাবী হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ রাও করে। কিন্তু আপনাদের মত বুদ্ধিমানরা বুঝতে পারেন না যে, দাবী টা আসলে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দাড়িয়ে আছে। উন্নততর জীবন বিধান বলতে কি বোঝাচ্ছেন খোলাসা করে বলবেন কি?? আপনার কি মনে হয় না, যে আমেরিকার কাফেররা বাংলাদেশের মুসলমানদের থেকে অনেক বেশী উন্নত জীবন যাপন করে? ওদের কথা বাদ দেন, শ্রীলংকার বৌদ্ধদের কথা ধরুন, ‘অহিংস পরম ধর্ম’- এই নীতিতে বিশ্বাসী বৌদ্ধরা অন্য সকল ধর্মকেই নিজ ধর্মের সমান মর্যাদা দেয়। এত বড় উদার ধর্ম আপনি আর একটা দেখান তো পারলে। সেখানে চরম ভাবে পরমত অসহিষ্ণু ইসলামের থেকে বৌদ্ধদের জীবন দর্শন বহুলাংশে উদার এবং শ্রেয়। ভারতের হিন্দুরা যদি আজ দাবী করে যে, তাদের জীবন বিধান সবথেকে ভাল, তবে আপনি কি বলবেন? হয়ত বলবেন যে, ওদের ধর্মে অনেক গাজাখুরী গল্প আছে। আশ্চর্য নিজের ধর্মের গাজাখুরী গল্পগুলো বিশ্বাসের বলে Logical হয়ে যায়- তাই না! Logic, Reason এবং Science দিয়ে ব্যাখ্যা করলে কোরান এই যুগে খাপ খায়না। আপনার কি মনে হয় যে, পৃথিবীর ১০০ কোটি মুসলমানের জীবন বিধান বাকি ৫০০ কোটি ভিন্নমতাবলম্বীদের জীবন বিধান থেকে উন্নত? ১০০ কোটি মুসলমানের দুরাবস্থার দিকে চোখ মেলে তাকান-বাস্তবকে পর্যবেক্ষন করুন-reality মেনে নিন, দেখুন আপনার তথাকথিত উন্নত জীবন বিধান তাদের কি হাল করেছে।
‘হজরত মুহম্মদ(সঃ) এর চেয়ে সার্বিকভাবে সফলতর কোনো Homo sapiens -এর সন্ধান পেলে আমাকে জানান আমি তার মত এবং পথ অনুসরণ করবো-কারণ আমি আবদ্ধমনা নই।ধন্যবাদ।’
ভাই, হিন্দুরাও যদি একই দাবী করে -শ্রীরামকৃষ্ণ এর চেয়ে সার্বিকভাবে সফলতর কোনো Homo sapiens -এর সন্ধান পেলে আমাকে জানান আমি তার মত এবং পথ অনুসরণ করবো।-তখন আপনি কি বলবেন? তাদের অন্ধ বলে ভাববেন। ঠিক একই ভাবে আমিও আপনাকে অন্ধ বলে ভাবি। কেউ যদি আপনাকে হজরত মুহম্মদ(সঃ) এর চেয়ে সার্বিকভাবে সফলতর কোনো Homo sapiens -এর সন্ধান দেয় আপনি কি তাকে মেনে নিবেন? মনে হয় না-কারন আপনার বিশ্বাস তো আপনার মনে প্রথম থেকেই তালা মেরে দিয়েছে। আর সার্বিকভাবে সফলতর কিনা তা কে নির্ণয় করবে? ১০০ কোটি মুসলমান করলে পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা ১০০%, আর বাকি ৫০০ কোটি ভিন্ন মতাবলম্বী করলে এবং রায় মুহাম্মদের বিপক্ষে গেলে ১০০ কোটি মুসলমানের আপত্তি অনিবার্য। এখন বুঝতে পারছেন তো- আপনার এই challenge এর কোন আগামাথা নাই। আপনার এই মুক্তমনা সাজার প্রয়াস টুকু হাস্যকর ।
ভাই, বিশ্বাস মানুষকে কতটা অন্ধ করে দেয়, তা আপনাকে দেখলে বোঝা যায়। নইলে নিজের ধর্মের গাজাখুরী গল্পগুলো কি আর আপনার চোখে logical, scientific হয়ে দাড়ায়? এই মুক্তমনা তেই আপনার তথাকথিত logical, scientific আর্গুমেন্ট কে বহুবার রিফিউট করা হয়েছে। আপনি logic এ না পেরে নি:শব্দে পলায়ন করেছেন। কিন্তু নিজে অন্ধ বলে তা বুঝতে পারেননি। ভাই, অন্যান্য সকল ধর্মই আপনার মত করে দাবী করে, আপনার মত করেই হাস্যকর logical explanation সাজায়। কিন্তু ওগুলো আপনার দেয়া explanation মতই হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। আপনি নিজের ধর্ম বিশ্বাসটাকেই সবার শ্রেষ্ঠ বলে দাবী করেন। অথচ এই আপনি ই যদি নিজের বিশ্বাস নিয়ে গর্বে মোহে অন্ধ না হয়ে অন্যের বিশ্বাস টাকেও সমান শ্রদ্ধা করতে শিখতেন, তবে আরও উদার জীবন দর্শনের অধীকারী হতে পারতেন। উন্নত বিধানের পরীক্ষায় আপনার ধর্মবিশ্বাসের এখানেই পরাজয়।
আপনার logical sense নিয়ে আমার কিছু সংশয় আছে। ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বানুযায়ী scientifically সভ্যতার বিকাশকে পর্যলোচনা করলে আপনি বুঝতে পারতেন যে, কোন বিধানই আরেকটি বিধান থেকে উন্নত না অবনত তা নির্নয় করা যায়না। ব্যপারটা আসলে আপেক্ষিক, স্থান, কাল, পাত্র ভেদে। তাই আপনার করা দাবীটির মাথা মুন্ড আসলে কিছুই নেই। এখন আবার বলে বসবেন না যে, ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব ভুল।
বিশ্বাসের আবর্তে বাস করে নিজেকে আবদ্ধমনা মনে না করা-কুয়োর ব্যঙের কথাই মনে করিয়ে দেয়। তথাকথিত মুক্তমনা বলতে কি বোঝানো হয় তা আপনি জানতে চেয়েছেন। শুনুন আমি বলছি- আগে নিজের অন্ধ বিশ্বাস পরিত্যাগ করুন, নিজের বিশ্বাসটাই কেবল logical, আর বাকিদেরটা illogical- এই ধরনের মানসিকতা পরিত্যাগ করুন, logic দিয়ে faith কে defend করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন আর অন্য মতকে নিজেরটা থেকে ভাল ভাবতে না পারেন, অন্তত সম্মান করতে শিখুন। এতে আপনার জীবন দর্শনের মান নি:সন্দেহে অনেক উন্নত আর উদার হবে ।তা না হলে মুক্তমনা জিনিসটি চিরকালই আপনার বোধের অগম্য হয়ে থাকবে।
ধন্যবাদ।
@মিঠুন,আপনার দীর্ঘ বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।আপনি শুরুতেই আমার সম্পর্কে আপনার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন এই বলে যে,আমাকে বুঝিয়ে কোনো লাভ নেই,কারণ আমি মন কলা খাই,যদি ও আমি কীভাবে মন কলা খাই তা ব্যাখ্যা করেন নি।জ্বী,জনাব,Logic and Faith-এর পার্থক্য বুঝি।তবে বিশ্বাসের পক্ষে যদি লজিক খুঁজে পাওয়া যায় বা ব্যবহার করা যায় এবং এভাবে এ দুটোর সমন্বয় সাধন করা যায় সেক্ষেত্রে আপনার কোন লজিক এখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়?এবং আপনি নিজেই স্বীকার করছেন যে শুধু আমি একাই এ সম্নন্বয়ের চেষ্টা করছি না অন্যান্য ধর্ম-বিশ্বাসীরা-ও তা করছেন আর এই ভালো বিষয়টিকে আপনি খারাপভাবে নিচ্ছেন কেন আমি বুঝছি না।মানুষে মানুষে মিলন-ই তো আমাদের কাম্য হওয়া উচিত, নয় কি?ইসলামকে কেন উন্নততর জীবন বিধান বলে মনে করি তা বোঝার জন্য উন্নততর জীবন যাপন বলতে আপনি কী বোঝেন তা তলিয়ে দেখা দরকার।আপনি লিখেছেন, আমেরিকার কাফেররা বাংলাদেশের মুসলমানদের চেয়ে উন্নত জীবন যাপন করে।ভাই, আমেরিকার কাফের বলতে কী বোঝাচ্ছেন?ইসলাম ধর্মে কাফের বলতে ধর্ম-বিশ্বাসহীন বা pagan দের বোঝানো হয়েছে।এবং আমেরিকার অধিকাংশ মানুষ-ই খ্রীষ্টান,হিন্দু,ইহুদী,ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসী।তাই আমেরিকার কাফেররা উন্নত জীবন যাপন করে এ কথাটি কতোটুকু যথার্থ তা বিবেচনার অবকাশ রাখে।আর উন্নত জীবন যাপন বলতে যদি আপনি শুধুই পঞ্চেন্দ্রিয়ের দাসত্ব করার মাধ্যমে ষড় রিপুর উপাসনার কথা বলেন তাহলে উন্নত জীবন এর ধারণার সাথে আমি একমত নই এবং একমত হবে না সক্রেটিস,এরিষ্টটল,প্লেটো,গান্ধী্,লেনিন,মার্ক্সস,চেগুয়েভারা,মাও,যীশু,বুদ্ধ,কবীর,গুরুনানক এবং বেদের মহান ঋষিবৃন্দ।আর ইসলাম উন্নততর জীবন বিধান এ কারণে যে উপোরক্ত মহামানবদের দর্শনের মূল বা নির্যাস ইসলাম ধর্ম তার বক্ষে ধারণ করে আছে।ভাবুন,অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করুন।আলোকের দেখা পেতেও পারেন।ধন্যবাদ।
@মিঠুন,আপনার লেখার একটি সংক্ষিপ্ত জবাব আজ লিখেছিলাম,কিন্তু,আপনাদের সম্পাদক মহাশয় তা বেমালুম গায়েব করে দিলেন।এবং এ ওয়েব সাইটে আমার এ অভিজ্ঞতা নুতন নয়।অথচ আমি কাউকে গালি দিয়ে বা আক্রমণ করে লিখি না।বুঝতেই পারছেন,আপনার নিঃশব্দে পলায়নের অভিযোগ সত্য নয়।আগের দিনে আস্তিকরা নাস্তিকদের যুক্তি-তর্ককে ভয় পেত।আর এখন দেখতে পাচ্ছি উলটো ব্যাপার ঘটছে।
জনাব আল মোর্শেদ, আপনি যদি একটু চোখ খোলা রাখতেন, তবে দেখতেন যে, আপনার মন্তব্য (অক্টোবর 4th, 2009 at 4:06 অপরাহ্ণ) প্রকাশিত হয়েছে। আপনার কথামত ‘বেমালুম গায়েব করা’ লেখা প্রকাশিত হল কি করে মোর্শেদ সাহেব? কারো প্রতি অভিযোগ করার আগে দয়া করে নিজের অবস্থান ও বুদ্ধিমত্তা নিশ্চিত করুন।
একটি কথা এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি – কারো মন্তব্য অপ্রকাশিত অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকতেই পারে। মডারেটর এসে সেটি অনুমোদন করার পরই অতিথিদের মন্তব্য প্রকাশিত হয়। আমাদের অতিথি সদস্যদের অনেক মন্তব্য কয়েক ঘণ্টা তো বটেই এমনকি দিন ধরেও অননুমোদিত অবস্থায় পড়ে থাকে। এটা মেনে নিয়েই সবাই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। সাইটের মডারেটররা আপনাদের জন্য সব সময় লগ ইন করে বসে থাকেন না। তাদেরও ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু আছে। কাজেই অযাচিত মন্তব্য ঢালাওভাবে উদগীরণ করার আগে ধৈর্য্য ধরতে একটু শিখুন। এতে লাভ বই ক্ষতি হবে না – এই নিশ্চয়তাটুকু দিতে পারি। ধন্যবাদ।
@মিঠুন, চমত্কার জবাব।
@মিঠুন, “আপনি Logic আর Faith এর মধ্যে পার্থক্য বোঝেন?”
—>logic আর faith এর পার্থক্য কি সবসময় স্পষ্ট ? যেমন ধরুন বিজ্ঞানের রানী অংক শাস্ত্রকে যার মধ্যে জ্যামিতি হলো সবচেয়ে যুক্তি নির্ভর। জ্যামিতির শুরু হয় কতগুলি স্বতসিদ্ধ দিয়ে যেমন বিন্দু সংঙাঃ বিন্দু হোল এমন একটি জিনিশ যার দৈর্ঘ ,প্রস্থ কিছুই নেই কেবল অবস্থান আছে। কিন্তু বাস্তবে এমন কোন জিনিশ খুজে পাওয়া যাবেনা যার কেবল অবস্থানা আছে কিন্তু দৈর্ঘ ও প্রস্থ নেই। রেখা এমন এক বস্তু যার কেবল দৈর্ঘ আছে প্রস্থ নেই কিন্তু বাস্তবে এমন কোন রেখা নেই যার প্রস্থ নেই। কিন্তু জ্যামিতি পড়তে হলে আমাদের বিশ্বাস করে নিতে হয় বিন্দু আর রেখার সংঙাকে কারন জ্যামিতের সমস্ত logic বিন্দু, রেখা ইত্যাদির উপর প্রতিষ্ঠিত। এভাবে অনেক ক্ষেত্রে logic এর শুরু হয় বিশ্বাস থেকে। একই ভাবে গনিতে শুন্য ও অসিমের ধারনা কল্পনাপ্রসুত অথচ বিজ্ঞানের সৌধ দাঁড়িয়ে আছে এই কল্পনার উপর বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে।
———————–
“আপনার কি মনে হয় না, যে আমেরিকার কাফেররা বাংলাদেশের মুসলমানদের থেকে অনেক বেশী উন্নত জীবন যাপন করে?”
—>আপনার কি মনে হয়না আমেরিকার মুসলমানরা বাংলাদেশের নাস্তিকদের চেয়ে উন্নত জীবন জাপন করে? এই প্রশ্নটি আসলে শিশুসুলভ। প্রকৃত পক্ষে আমেরিকার কাঠামোর মধ্যে সকল শ্রেনীই বাংলাদেশের একই বা ভিন্ন শ্রেনীর চেয়ে ভালো জীবন যাপন করেন। এতে কুফর বা ধর্মবিশ্বাসের চেয়ে সাম্রাজ্যবাদি শোষন আর তার বন্টন ব্যাবস্থাই দায়ী।
————————–
“শ্রীলংকার বৌদ্ধদের কথা ধরুন, ‘অহিংস পরম ধর্ম’- এই নীতিতে বিশ্বাসী বৌদ্ধরা অন্য সকল ধর্মকেই নিজ ধর্মের সমান মর্যাদা দেয়। এত বড় উদার ধর্ম আপনি আর একটা দেখান তো পারলে।”
—>এই মন্তব্যটিও খোড়া যুক্তি। ‘অহিংসা পরম ধর্ম’-এর লোকেদের সাথে তাদের তামিল সম্প্রদায়ের সমস্যার কারন কি? যার অন্যধর্মের লোকদের আপন করে নিতে পারে তারা কেন উক্ত মূলমন্ত্রে উজ্জিবিত হয়ে নিজ দেশীয় ভিন্ন জাতির লোকদের আপন করে নিতে পারেনা?
——————————-
“আপনার কি মনে হয় যে, পৃথিবীর ১০০ কোটি মুসলমানের জীবন বিধান বাকি ৫০০ কোটি ভিন্নমতাবলম্বীদের জীবন বিধান থেকে উন্নত?”
–> প্রথমত আপনার পরিসংখানটি ভূল। পৃথীবিতে মুসলিম জনসংখা পরিসংখানের হিসাবে প্রায় ২০০ কোটি। দ্বিতীয়ত logically সংখাগরিষ্ঠতা সত্যের নিশ্চয়তা দেয় না। সত্য সব সময়ই সত্য। এক সময় বেশীর ভাগ মানুষ মনে করত পৃথীবি সমতল তাই বলে পৃথীবি সমতল হয়ে যায়নি। একসময় কোপার্নিকাস ছাড়া পুরা খৃষ্টজগত পৃথীবিকে সৌরজগতের কেন্দ্র ভেবেছিল তাই বলে পৃথীবি সৌরজগতের কেন্দ্র হয়নি। তাই যদি আপনার logic অনুসরন করি তবে সংখাতত্বের অনুযায়ী নাস্তিকদের অনুসরন করা বোকামী কারন সম্ভবত নাস্তিকেরা সবচেয়ে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি।
————————–
“এখন আবার বলে বসবেন না যে, ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব ভুল”
—> বললে সমস্যা কোথায়। আপনি একজন logical লোক আপনি হয়ত জানেন বিজ্ঞান সর্বাদাই skepticism কে স্বাগত জানিয়েছে। কোন বিশেষ রায়কে চুড়ান্ত সত্য হিসাবে মেনে নেয়া অ-বৈজ্ঞানিক। পৃথীবিতে অনেক বিজ্ঞানীই ডারউইনের তত্ত্ব চ্যালেঞ্জ করেছেন এবং করতেই পারেন তবে তা প্রমানের দায় তাদের উপরই বর্তায়। তাই ভূল বলা যাবেনা একথা আমি মানতে নারাজ।
——————-
“নিজের বিশ্বাসটাই কেবল logical, আর বাকিদেরটা illogical- এই ধরনের মানসিকতা পরিত্যাগ করুন”
—> একই সাথে পরস্পর বিরোধী বিষয় সত্য হতে পারেনা। তাই নিজের যুক্তিকে logical হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে স্বভাবতই বিপরিতটাকে illogical হিসাবে মনে করতে হবে। এটাই logical। সুতরাং আপনার মানসিকতাটা বুঝাগেলনা।
———————–
“logic দিয়ে faith কে defend করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন”
—> সম্ভব হলে সমস্যা কোথায়?
———————————
“অন্য মতকে নিজেরটা থেকে ভাল ভাবতে না পারেন, অন্তত সম্মান করতে শিখুন”
—> সবার জন্য প্রযোজ্য।
জনাব,নাস্তিকের ধর্মকথা(যেহেতু নাম ব্যবহার করেন নি,তাই এ নামে-ই সম্বোধন করলাম) আপনার লেখাটি পড়লাম এবং বুঝলাম যে আপনি একদা আস্তিক ছিলেন। এটা ও বুঝতে পারলাম যে আরজ আলী মাতব্বরের লেখা পড়ে এবং সম্ভবতঃ নারী বিষয়ক ইসলামের কিছু বহু বিতর্কিত নীতি নিয়ে আপনার মনে জাগ্রত প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ার কারণেই আপনি ধর্মচ্যূত হয়েছেন।ধর্মের বিকল্প হিসেবে বিজ্ঞান বেছে নিয়েছেন।এবং পুনরায় ধর্মে প্রত্যাবর্তনের যথেষ্ঠ কারণ বা প্রেরণা খুঁজে পান নি।আমার ব্যাপারটি -ই প্রায় এক-ই রকমের।শৈশব এবং কৈশোরে নিয়মিত বা অনিয়মিত ভাবে ধর্ম পালনের চেষ্টা থাকলেও কলেজ ইউনিভার্সিটিতে এসে,চলচ্চিত্র,শিল্প ইত্যাদির সাথে জড়িত হয়ে এবং আরজ আলী মাতব্বরের বই পড়ে একেবারেই ধর্ম থেকে সরে গেলাম।আরজ মাতব্বর নাস্তিক বানানোর মোক্ষম কিতাব লিখেছেন।এই বইটি বারো বছর আগে লন্ডনে আসার সময় সাথে করে নিয়ে এসেছিলাম।ছোটো বেলা থেকে-ই বিজ্ঞান আমার প্রিয় বিষয় ছিল।বিজ্ঞান ক্লাব করেছি,বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়েছি,সায়েন্স ফিকশান বই ও পড়েছি প্রচুর।প্রবাসের জীবনে প্রচুর বাধা-বিপত্তি এবং ঝড়-ঝাপটার মধ্য দিয়ে গেলেও ধর্মে প্রত্যাবর্তন করিনি।বিজ্ঞানকেই সাথী করেছি,বিজ্ঞান বিষয়ক পেশাতেই নিয়োজিত আছি।বিদেশে এসে প্রচুর বিজ্ঞানের বই পড়েছি এবং বিজ্ঞান বিষয়ক বিখ্যাত ম্যাগাজিন/জার্ণালগুলো নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করি।এভাবেই কেটে যাচ্ছিল দিন,চলে গেছে বারটি বছর।একে বারে মুক্ত মনা হয়েই জীবন অতিবাহিত করেছি,বাধা-বন্ধনহীন,মুক্ত-স্বাধীন।তবে পুরোপুরি নাস্তিক হতে পেরেছিলাম কি না জানি না।কারণ, একটি প্রশ্নের উত্তর কখনো-ই খুঁজে পাই নি-তা হলো এই বিশ্ব-জগতের পেছনে এক অকল্পনীয় বুদ্ধিমত্তা এবং সচেতন এক সত্বার অস্তিত্ব অস্বীকার করার মতো যুক্তি বা প্রমাণ।মুক্ত মনা হয়ে জীবন যাপন করলে ও সব সময় মনে হতো এক সচেতন শক্তির অস্তিত্ব ।এভাবেই কেটে গেছে এক যুগ,জীবন হতে ঝরে গেছে অনেক গুলো বছর।আজো পর্যন্ত বিজ্ঞানের কোনো তথ্য বা তত্ত্ব,সক্রেটিস/প্লেটো থেকে আধুনিক দার্শনিকদের কোনো তত্ত্বেই স্রষ্টা নেই- এর পক্ষে কোনো প্রমাণ খুঁজে পাই নি।আপনি পেয়েছেন কি?বরঞ্চ, তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের সর্ব সাম্প্রতিক তত্বগুলো(বিশেষতঃ পার্টিকেল ফিজিক্স এবং কোয়ান্টাম ফিজিক্স) পড়ে মনে হতো বিজ্ঞানী নয় কোনো আধ্যাত্মিক ব্যক্তি কথা বলছেন এবং তা নাস্তি নয় অস্তির দিকে-ই যাচ্ছে।বিজ্ঞানীরা কি সব ধার্মিক হয়ে যাচ্ছেন?এসব তত্ব,লেখা এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে অমুসলিম বিদেশীদের লেখা বই পড়ে এবং সর্ব শেষ এক ব্যক্তিগত অতিন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা(যা অনেকের বেলাতেই ঘটে) আমাকে আবার ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে এলো।যেহেতু ইসলাম ধর্মের চেয়ে উন্নততর কোনো জীবন বিধান এবং আল কুরানের চেয়ে ভালো কোনো ধর্ম গ্রন্থ(কাব্য গ্রন্থ নয়) খুঁজে পাই নি তাই এই ধর্ম,ধর্ম গ্রন্থকে বেছে নিয়েছি।আর পাশ্চাত্য জগতের তথাকথিত উন্নত সভ্যতা,সমাজ ব্যবস্থা এবং মুক্ত জীবনের আড়ালে যে পূঁতি গন্ধ ময়তা,বিভ্রম,স্বার্থপরতা,অন্তসার শূন্যতা লক্ষ্য করেছি এবং তার বিপরীতে ইসলামকে দাঁড় করিয়ে তুলনা করেছি, তখন এই ধর্মের শ্বাশত মর্ম উপলব্ধি করেছি।জ়নাব, এর কোনো বিকল্প আমাকে দিতে পারবেন কি?মার্ক্স,লেনিন আর মাও সেতুংয়ের সমাজ তন্ত্র তো সত্তোর পেরোনোর আগেই পরিত্যক্ত হয়েছে।
@Al Murshed,
আপনি কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর কথা উল্লেখ করেছেন বলেই প্রসংগটা নিয়ে এলাম, আমি এ সমন্ধে একটা আর্টিকেল পড়েছলাম যার লেখক আব্দুন নূর। তিনি electromagnetic field কি এবং কেন বিষয়ে বলেছেন? এবং তারপরেই উল্লেখ করেছেন,
বিজ্ঞান সম্বন্ধে একটু জ্ঞান আহরন করতে যেয়ে কি গ্যাঁড়াকলেই না পড়লাম। এ বিষয়ে যদি একটু আলোকপাত করেন তো ভাল হয়।
@Al Murshed, আপনার “ব্যক্তিগত অতিন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা” টা কী বলা যাই ?
Hilla is not Islamic. Somehow, it penetrated into Indian subcontinents society. There is no problem in Islamic shari’ah. All problems are gathered into their heads and hearts. May Almighty give us true knowledge of Islam, Rasools and the Holy Qur’an (Amin).
আইভি বলেছেন যে কোরানে হিল্লা বিয়ে নাই, আর আবুল কাসেম বলছেন যে কোরানে হিল্লা বিয়ে আছে। এ তো মহাবিপদ। আপনারা একটু আলোচনা করে জানাবেন যে আসলে কোরানে কি আছে আর কি নাই, নাকি কোরানটাই নাই, সবই বোগাস…
কুরআন আছে থাকবে এবং তা আল্লাহই হেফাজত করবেন আপনার আর আমার মত কাউকে তার জন্য চিন্তা করতে হবেনা
যে বলেছে কুরআন নেই একটা বোগাস আসলে সেই হয়তো কিছুই জানেনা না জেনে কিছু বলা উচিত নয় ।
@jahir,
আল্লাহ হেফাজত করতে পারেণ নাই। মুহাম্মদের সময়ের কোরান আর এখনকার কোরান সমান নয়। (মুক্তমনায় যে সত্য বলা হয়নি ই-বুক দ্রষ্টব্য)।
@jahir,
চিন্তার কথাই। আল্লা তার অনেক কিতাব-ই হেফাজত করতে পারেননি। আমরাই বলছি আগের সব কিতাব পরিবরতিত হয়েছে বা হারিয়ে গিয়েছে।নিউ টেস্টামেন্ট ওল্ড টেস্টামেন্ট সব নাকি ভুল। গিতা ত্রিপি্টক বাদ-ই দিলাম।
আল্লা কুরানের হেফাজতকারি। ভাল কথা। আগের গ্রন্থগুলোর হেফাজতের দায় কার ?
আমরা মানুষেরা হোমার, আরিস্ততল, প্লেতো কিম্বা সফোক্লিসের যথাযথ হেফাজত করেছি।
মানুষ ভাল হেফাজতকারি।
মানুষে আস্থা রাখতে পারেন।
@jahir, খলিফা ওসমান কোরআন যখন পুড়িয়েছিল তখন কেন আল্লাহ হেফাজত করলেন না ????
@Mad man,
আপনার যদি ইচ্ছে থাকে, করে ফেলেন না হিল্লা বিয়ে ! কোরানে আছে কী নাই এই নিয়া চিন্তা করা দরকার কি ?
Responding to Mr M. Harun uz Zaman
You are quite correct, if you are following the literal meaning of verse 2:230.
Let us read these two verses:
2:236
YUSUFALI: There is no blame on you if ye divorce women before consummation or the fixation of their dower; but bestow on them (A suitable gift), the wealthy according to his means, and the poor according to his means;- A gift of a reasonable amount is due from those who wish to do the right thing.
2:237
YUSUFALI: And if ye divorce them before consummation, but after the fixation of a dower for them, then the half of the dower (Is due to them), unless they remit it or (the man’s half) is remitted by him in whose hands is the marriage tie; and the remission (of the man’s half) is the nearest to righteousness. And do not forget Liberality between yourselves. For Allah sees well all that ye do.
These verses say that, if, for any reason, the man decides not to have sexual intercourse with his new wife/s he should divorce her/them by handing her/them a suitable gift, in case no dower was fixed. But if the dower (that is, the money promised to her for providing sex) has been fixed then the man must return half the dower promised to her, and divorce her, in case he decides not to consummate the marriage.
But, I think, these verses (2:236, 2:237) do not apply to hila marriages; these verses are meant for maidens or widows. Because, as per ibn Abbas, the context of verse 2:230 (hila marriage) is: Allah revealed this verse about Abd l Rahman al Zubayr, the hila husband of the divorced wife of R’ifaa al-Qurazi. Clearly, Allah (= Muhammad) has double or triple standard. In the hadis I quoted from Sahih Bukhari, Muhammad stipulated that in a hila marriage the hila husband must have sex with the hila wife; so no sex, no divorce applies for a hila husband.
What can we conclude?
It is a fish market, when it is a hila marriage. The woman is completely upon the mercy of the hila husband. After all, who is going to examine whether or not the hila husband did indeed copulate with the hila wife? For a sum of money (Islamic bribery) the hilla husband may easily agree to tell lies that he had sex with the hila wife. And, truly, this is what happens in majority cases of hila in Bangladesh, Pakistan…
Can we question the related hadis?
Certainly, we can. But why not question the Qur’an as well?
What do I think?
The Qur’an stinks. So are the ahadith. In the system of hila marriage Allah (= Muhammad) grossly insults women. Please note that the hila woman has no say in the consummation of the hila marriage. Her consent or not, a man (or her procurer) holds the absolute right on her private parts, as long as the dower has been paid or has been deferred for a future date.
Further comments on hila marriage.
Perhaps, one may cite the following hadis from Bukhari to demonstrate the system of hila marriage.
Sahih Bukhari volume 8, book 73, number 107:
Volume 8, Book 73, Number 107:
Narrated ‘Aisha:
Rifa’a Al-Qurazi divorced his wife irrevocably (i.e. that divorce was the final). Later on ‘Abdur-Rahman bin Az-Zubair married her after him. She came to the Prophet and said, “O Allah’s Apostle! I was Rifa’a’s wife and he divorced me thrice, and then I was married to ‘Abdur-Rahman bin AzZubair, who, by Allah has nothing with him except something like this fringe, O Allah’s Apostle,” showing a fringe she had taken from her covering sheet. Abu Bakr was sitting with the Prophet while Khalid Ibn Said bin Al-As was sitting at the gate of the room waiting for admission. Khalid started calling Abu Bakr, “O Abu Bakr! Why don’t you reprove this lady from what she is openly saying before Allah’s Apostle?” Allah’s Apostle did nothing except smiling, and then said (to the lady), “Perhaps you want to go back to Rifa’a? No, (it is not possible), unless and until you enjoy the sexual relation with him (‘Abdur Rahman), and he enjoys the sexual relation with you.”
Please note that the woman, having been divorced by her husband, married another man. This meant she was free to marry on her own accord, before Muhammad interfered in her conjugal life. Muhammad, forced her that she must have sex with her new husband before she could return to her former husband.
It means, hila system of marriage was not in vogue in the then Arab society; women were free to return to their husbands, if they wished.
Although, this hadis does not clearly mention the system of hila, many scholars deem this hadis to be accordance with the Qur’an.
AK
I have a question for Mr. Abul Kasem. From his citations, it appears that the Quran clearly sanctions the Hila marriage but does not require that such marriage be sexually consummated. The requirement comes from one hadith cited by Mr Kasem. Mr. Kasem also says that he found no other hadith that says anything about either Hila marriage or its mandatory consummation.
What can we conclude from the above findings? Can we question the authenticity of the hadith, although it is Sahih Bukhari, regarding the consummation part because it does not have support in the Quran or any other hadith?
What does Mr. Kasem think?
The Qur’an says hila marriage is Allah’s law:
The Qur’an 2:230
YUSUFALI: So if a husband divorces his wife (irrevocably), He cannot, after that, re-marry her until after she has married another husband and He has divorced her. In that case there is no blame on either of them if they re-unite, provided they feel that they can keep the limits ordained by Allah. Such are the limits ordained by Allah, which He makes plain to those who understand.
Hila has rarely been discussed in any of the sahih sitta (the six authentic ahadith). In fact, I am yet to find a hadis where the provision of hila marriage has been clearly mentioned/discussed.
That means, this type of bizarre marriage system was not practiced in the Arab society in which Muhammad lived. Muhammad (= Allah) invented the hila system to subjugate women’s freedom.
Please cite one hadis that narrates the system of hila marriage.
Hila marriage is Allah’s law, there should be no confusion on this. Allah (the Qur’an) is absolutely clear on this. Thus, it is obligatory on all Muslims to implement this provision.
AK
Religion and science are of 2 entirely different dimensions. One is based on belief or emotion and other is based on logic. They can’t overlap each other.
So, when the religious pundits start ratiolizing their belief based on science or logic then most of the time it becomes funny, at least to me.
They have to make up bunches of phony logics…interpretations by their choice…and worse of all have to distort or hide the history. In my opinion instead of doing so they better just tell that it is my belief and I don’t need any logic.
@adilmahmood,
চমৎকার বলেছেন ৷
All his life Mohammed probably wanted to be someone like Hugh Hefner.
লেখাটি আগেই পড়েছিলাম এই লিংক থেকে http://www.somewhereinblog.net/blog/nastikerdharmakathablog/28912534। নিঃসন্দেহে চমতকার হয়েছে লেখাটি।
হাদীস বইগুলোতে হিলা বিয়ের পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক হাদীস আছে এবং শারিয়া-সমর্থকদের মধ্যেও এ নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। কিনতু, এটা যতনা লজ্জার বিষয় তার চেয়ে বিপদজনক নারীদের জন্য, সমাজের জন্য। আমরা যারা কোরানকে আল্লাহর দেয়া সমাজ-ব্যবস্হা হিসেবে বিশ্বাস করি তারা কখনো ভাবতে পারিনা যে, আস্বস্হ্যকর একটা বিষয়কে আল্লাহ কোরানে উল্লেখ করেছেন এবং একজন নবী সেটাকে পুঁজি করে আনন্দের লীলা-খেলায় মেতেছিলেন। হিলা বিয়ের ব্যবস্হা ইসলামে ঢুকানো হয়েছে নবীর মৃত্যূর অনেক পরে। হয়তো হাদীস থেকে অনেক উদাহরণ এনে আমার বক্তব্যটাকে উলটে দেবার চেষ্টা করতে পারেন। আপনারা নবীর মৃত্যূর দেড়শ-দুইশ বছর পর কিছু দুর্বৃত্ত, স্বার্থান্বেষী আলেম নামী পরিচিত ব্যক্তিবর্গের দ্বারা সংগৃহীত ঘটনার বর্ণনা কিভাবে, কোন প্রমান, সূত্র ছাড়াই সত্য ঘটনা হিসেবে গ্রহন করছেন সেটাই এখন সবচেয়ে আশ্চর্য ঘটনা। যাই বহুল প্রচলিত, তাই কি সত্য হয়ে যায়? আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস মাত্র ৩৬ বছরের পুরনো, কিনতু এখনো স্বাধীনতার ঘোষক কে, ৩ লাখ না ৩০ লাখ শহীদ– প্রশ্নগুলো বিতর্কিত। কেন?? আমরা তো মিডিয়ার যুগে বসবাস করছি এবং এখনো অনেক জীবন্ত ইতিহাস আমদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তারপরেও আমরা কেন সঠিক, সত্য সংবাদটির খোঁজ পাচ্ছি না। এত বিভিন্ন রকম উত্তরের ভিড়ে আসল ইতিহাস কোনটা? আর সেই আমাদের মধ্যে কেউ কেউ মুখে-মুখে প্রচলিত হাদীসগুলোকে ইতিহাসের সঠিক সংরক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করে জীবন পথের পাথেয় করে তুলেছে, এবং কিছু সংখ্যক কোরানের অসংগতি আর তার উদাহরণ স্বরুপ হাদীসগুলোকে টেনে এনে দারুন এক খেলায় মেতে উঠেছেন। সমস্যার আসল জায়গায় আঘাত না করে, শুধু ডালপালাগুলো ধরে টানাটানিই সার হচ্ছে। কোরানে যদি ‘হিলা’ বিয়ের কথা, এবং নারীদের নিয়ে যেসব অস্মানিত আয়াতগুলো এবং আরো যে সব বিতর্কিত আয়াত আছে সেগুলোর ব্যখ্যা যে ভুল, তা প্রমানিত করতে পারলে কি নাস্তিক ভাইদের বিশ্বাস ফিরে আসবে?
Robert Briffault (1876 – 11 December 1948) ছিলেন একজন ফরাসী সাহিত্যক, historian, social anthropologist and surgeon. তিনি বলেছেনঃ
এখন প্রশ্ন জাগছে মনে, এ কথাটি তিনি কিভাবে বললেন? মুহম্মদ নামের এত বর্বর লোকের প্রচারিত কোরান কিভাবে তাদের প্রেরনার উৎস হয়ে উঠেছিল? নাকি এই ভদ্রলোককে কোন ঘুষ (বেহেশ্তের হুর, বা অন্য কোন আশা)প্রদান করার ফলে এমন একটা বক্তব্য দিয়ে ফেলেছিলেন।
ধন্যবাদ।
আইভি
@ivy,
একটা বেপার কি না জেনে আণেক কিছুই বলা যায়।
হিল্লা বিয়ে আমাদের দেশের কিছু আল্পো জানা মোল্লাদের কাজ।
ইসলামের নিয়ম হল কেও যদি তার বৌ কে তালাক প্রদান করে তাহলে তার সাথে আর কোন সম্পর্ক থাকেনা।
তালাক দেয়ার পর তাকে গ্রহণ করতে চাইলে তাকে আবার বিয়ে করে ঘরে আনতে হবে। এমনি এমনি আনতে পারবেনা।কিন্তু বিয়ে করার আগে মেয়েকে স্বাভাবিক ভাবে অন্য পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে এবং স্বাভাবিক ভাবে তাদের মাঝে তালাক হতে হবে। তা না হলে একে অপর সংসার কড়তে পারবেনা।
আগে থেকে চিন্তা করে কিছু হলে তা হবে বাভিচার এর শামিল।
ইসলাম আমাদের দেশের হিল্লা বিয়ে সাপোর্ট করেনা।
ধন্যবাদ——
সনেট
@সনেট,
আসলে কথাটা হবে, আমাদের দেশ (মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১) ইসলামের হিল্লা বিয়ে সাপোর্ট করে না।
ঠিকই বলেছেন, একটা ব্যাপার ভালভাবে না জেনে অনেক কিছুই বলা যায়, যেমন আপনি বলছেন!
ধন্যবাদ।
@সফ্টডক,
ভাই/বোন আপনি মনে হয় ইসলাম সম্পরকে না জেনে কথা বলছেন । ইসলাম হল হাদিস এবং কুরআন । কোন দাড়ি ওয়ালা কি করল বা কোন আরব কি করল তা ইসলাম না। আমি আপনার সাথে একমত বাংলাদেস আইন এর মতে হিল্লা বিয়ে সমর্থন করে না।
ভাই আপনি কি জানেন বাংলাদেশ ইসলামিক পারিবারিক আইন হাদিস এবং কুরআন এর কিছু আংশ ।
নিজের তালাক দেয়া বউ আবার ঘরে ফিরিয়ে আনতে একটি প্রসেস এর ভিতর দিয়ে আনতে হয় আমি তা ই আপনাদের জানাতে ছেয়েছি।
ভাই/ বোন আপনাদের একটা অনুরধ করব কারো কথা না শুনে বা কারো বই না পড়ে হাদিস এবং কুরআন নিজে পড়ে ইসলামের বিরুধী কথা লিখেন।
ধন্যবাদ
সনেট 😀
@সনেট,
প্রথমে আরবীতে না বুঝে কোরান হাদীস পড়েছি এবং আপনার মতো পরম ভক্তি-শ্রদ্ধায় গদগদ থেকেছি। বুঝে পড়ার সাথে সাথেই ভক্তি-শ্রদ্ধা কমতে শুরু করে। সুরা লাহাবের কথাই ধরুন না। কত চমৎকার সুর-কত মাধুরী মিশানো লয়-তান। অর্থ করুন বাংলা ইংরেজী, ফারসি বা উর্দু ভাষায় অথবা আরবী শিখে নিন। আবিষ্কার করবেন সুরা লাহাব আর কিছু নয় ‘অভিশাপ আর বকাবকিপূর্ণ কতিপয় বাক্যমাত্র’। একজন সভ্য-শিক্ষিত সুজন মানুষ সারা জীবনে পরম শত্রুকেও এমন কুৎসিত ভাষায় অভিসম্পাৎ করবেন না। অপরিচিত কাউকে তো নয়ই। ভাল করে আরবি শিখে কোরান হাদিস পড়ে, মক্কা-মদীনা বার বার করে ভ্রমণ করে এখন এ ধর্মটির প্রতি শুধু ভক্তি-শ্রদ্ধাই কমেনি বরং ঘৃণা জন্মেছে। এখনও যখনই কোরান এবং সহিহ হাদীস পড়ি ততই ঘৃণা বাড়ে বই কমে না।
প্রিয় সনেট, আমি নিশ্চিত আপনিই বরং ইসলাম সম্পর্কে না জেনে কথা বলছেন।
আসলে চোদ্দশ’ বছর আগের দাড়িওয়ালা আরব বর্বর মুহাম্মদ কী করলো, বললো, দাবী করলো – সেটাই তো ইসলাম – সভ্য দুনিয়ার এটা এতদিনে বুঝতে বাকী নেই।
ধন্যবাদ, সনেট।
@সনেট, কেও যখন তার বউ কে তালাক দেয় তখন কি তৃতীয় কোন বেক্তির মাধ্যমে দেয়? তা হলে আবার যখন তাঁকে গ্রহণ করতে চায় তখন তৃতীয় বেক্তির দরকার হয়??? আর যে বেক্তি হিল্লা করবে সে যদি তালাক না দেয় তাহলে কি বিধান আছে? একজন লোক তার স্ত্রি কে তালাক দিবে, আবার তাঁকে নিতে চাইলে , আবার ধর্মীয় বিধান মেনে বিয়ে করবে, হিল্লা কেন, এটা তো পশুর কাজ, মানুষের না ।
তখন বিনীতভাবে প্রশ্ন না করে পারি না যে, এই মানুষটি বিদায় হজ্জে দাসদের প্রতি সুব্যবহার করার আহবান জানাতে পারলেন কিন্তু কৃতদাস প্রথা উচ্ছেদের ডাক দিলেন না কেন? পুরুষের জন্য চার বিবাহের বিধান কেন রাখলেন? হিল্লা বিয়ে প্রথা কেন রাখলেন? দাসীদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত যৌন সম্পর্ক কেন জায়েজ রাখলেন?….. ইত্যাদি।
বিশ্ব ইতিহাসের কথা টেনে যখন এই মানুষটিকে মহামানব হিসাবে দেখানো হয়, সরাসরি আল্লাহর বন্ধু বা রাসুল হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয়- তখন বিনীত ভাবে প্রশ্ন করি- ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পরে কেন তার একের পর এক নারীর প্রতি ঝুঁকতে হয়? কেন একের পর এক যুদ্ধ/জেহাদে লিপ্ত হতে হয়? কেন বিধর্মীদের প্রতি ঘৃণা ছড়াতে হয়? কেন অন্য ধর্মাবলম্বী প্যাগানদের ধর্মী উপাসকদের মূর্তিগুলো ধ্বংস করে দিতে হয়?…. ইত্যাদি।
–
Good points. Actually, it reminds of Bakunin-who said if you depose the empire of Russia and replace him by the most radical revolutionary, I can ssure you within 1 year, he will be more tyranical than the present empire.
One somebody acceeds the power, he is bound to be corrupt because he has to keep it. Ways to keep it? Well you may come to power by revolutionary means but to keep the power, you have no choice but to use force, build marriage relationship with warring tribes and keep your generals happy. Muhamnad is no exception. How can he make his general happy without apporving slavery and sex with the slaves?
@Biplab Pal, ভাই আপনি কি কখনো দেখাতে পারবেন যে, নবীজী দাসিদের সাথে অবৈধ সম্পক্র জায়েজ করেছেন?????????????
শুধু শুধু মিথে কথা বলে লাভ কি???????
@সেবা,
সময় করে এই সিরিজটা পড়ুন, ভাল লাগতে পারে।
@আকাশ মালিক, ভাই কাল্পনিক কাহিনি নিজে বানিয়ে লিখলে তো হবে না, দয়া করে reference টা দিবেন!!!!!
আমি যদি লিখি আপনি চোর, গুন্ডা, বেশ্যা, এবং আর ও অনেক কিছু তাহলে কি আপনি তাই হয়ে যাবেন!!!!!!!! এইসব বক্তব্য লিখলে মানুষ পাগল ছাড়া কিছুই বলবে না!!!!! 😕
@সেবা,যুক্তি দিনেয় কথা বলুন রেগে যান কেন?
@ইললু ঝিললু, ধার্মিক রা কিরকম সেটা কি আপনি জানেন না ভাই…যুক্তি না থাকলে রেগে তো তারা যাবেন ই…হাজার হোক ধর্মকে তো বাচাতে হবে… :-Y
@সেবা,
আমি সাধারণতঃ এই সমস্ত ধর্মকেন্দ্রিক বিতর্কে যোগ দেই না। কিন্তু আপনার মন্তব্যটি দেখার পর কিছু মন্তব্য করতে বাধ্য হলাম।
কাউকে মিথ্যেবাদী বলার আগে বোধ হয় ধর্মগ্রন্থগুলো ঠিকমত পড়া দরকার। দাসীদের সাথে সম্পর্ক জায়েজ করার ব্যাপারটা তো কোরানেই আছে –
০০৪.০২৪ (সুরা নিসার কিছুটা দিলাম … ) :
এবং তোমাদের জন্যে অবৈধ করা হয়েছে নারীদের মধ্যে সধবাগণকে (অন্যের বিবাহিত স্ত্রীগণকেও); কিন্তু তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন, এ ছাড়া তোমাদের জন্যে বৈধ করা হয়েছে …।, নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী বিজ্ঞানময়।
উল্লেখ্য, – ‘তোমাদের দক্ষিনহস্ত যাদের অধিকারী’ (your right hand possess’) -এই ব্যাপারটি আরবী একটি প্রবচন – মালাকুল ইয়ামিন। এর অর্থ ক্রীতদাসী/যুদ্ধবন্দিনী।
মুহম্মদ নিজেও ক্রীত দাসী মারিয়ার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। সে সময় মুহম্মদ হাফসাকে মিথ্যে কথা বলে ওমরের বাড়ি পাঠিয়েছিলেন বলে কথিত আছে (আপনি এ প্রসঙ্গে Sir William Muir এর ‘Life of Mahomet’ গ্রন্থে (pp. 160-163) দেখতে পারেন)। মারিয়া কিন্তু তার কোন ‘বৈধ’ স্ত্রী ছিলেন না, ছিলেন একজন স্লেভগার্ল। এখানে আলোচনা দেখুন। আর যুদ্ধবন্দীনীও ছিলো তার। বানু কুরাইজার যুদ্ধের পর তিনি রায়হানা নামে এক সুন্দরী ইহুদী নারীকে গ্রহণ করেন। এছাড়া শুধু রায়হানা নয়, জাওয়াহিরা এবং সাফিয়া নামেও দুই রক্ষিতা ছিল নবীর। এগুলো ইতিহাসেই পাওয়া যায়। জওয়াহিরা তার হাতে আসে বানু আল-মুস্তালিক অভিযান থেকে, সাফিয়া আসে খায়বারের বানু নাজিরদের উপর আগ্রাসন থেকে। কাজেই দাসী এবং যুদ্ধবন্দী নারীকে বৈধ করা হয়েছে তা অনেক দৃষ্টান্ত থেকেই প্রমাণ করা যাবে, যদিও মডার্ণ ইস্লামিস্টরা আয়াতের বিভিন্ন ব্যাখ্যা নিয়ে জল ঘোলা করবেন। কি আর করা।
@অভিজিৎ, হা আপনি বিয়ে করলে সেটা দাসি কেনো বেশ্যা হলে সেটা জায়েজ হবে। নবীজী তো এর এখনকার মতো দশটা গার্লফ্রেন্ড ছিল না!!!!
যাদের যখন ইচ্ছা নিয়ে মাতবো এবং যখন ইচ্ছা ছেড়ে দিব!!!
তিনি পবিত্র বিয়ে করেছিলেন। সেটা আপনাদের মতো বোকাদের বোঝা উচিত।
@সেবা,
আমার সাথে তুলনা করলে হবে নাকি? আমি ত নবুয়তপ্রাপ্ত বলেও দাবী করিনি, দাবী করিনি আল্লাহর পয়গম্বর বলেও। আপনার নবীকে আমার সাথে তুলনা করে আপনি তাঁকেই অপমান করছেন। আর আপনার জ্ঞাতার্থে জানাই, নবীজী এর এখনকার মতো দশটা গার্লফ্রেন্ড না থাকলেও Ali Dashti তার ‘Twenty Three Years: A Study of the Prophetic Career of Mohammad’ বইয়ে মুহম্মদের জীবনে ২২ জন রমনীর উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে তার ১৬ জন স্ত্রী, ২ জন দাসী, এবং অন্য ৪ জন বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের উল্লেখ আছে। একটু পড়াশুনা করে এসে মন্তব্য করলে কৃতার্থ হই।
আপনি হয় আমার কথা শুনতে পারছেন না অথবা শুনেও না শোনার ভান করছেন। না মুহম্মদ ‘পবিত্র বিয়ে’ না করেও দৈহিক সম্পর্ক করেছিলেন বহুক্ষেত্রেই। আপনার জন্য Sir William Muir এর ‘Life of Mahomet’ গ্রন্থে (pp. 160-163) থেকে উদ্ধৃতি দিলাম –
Volume iv. Ch.26: Narrated by Muhammad ibn Sad-al Tabkat al-Kobra��One day Prophet (PBUH) asked Hafsa to visit her father Hazrat Umar who had requested a visit of his daughter Hafsa. Hafsa went to pay a visit to her father, Umar, but Umar was not at home. When he (Umar) returns, he asked Hafsa why she had come. Hafsa said it was him (Umar) who asked her to come! Then Umar replied that he never asked for her visit.
At that time, Muhammad was staying at her quarter. Hafsa returned unexpectedly and found Muhmmad sleeping with Mary in her own private room. She was furious and threatened to disclose the secret. Afraid of scandal and to appease her, Muhammad begged her to keep the matter quiet and promised to desert Mary altogether. Hafsa, however, did not bother to keep the promise. She told this secret to Aisha who was equally indignant over the affair. The scandal soon spread over the entire harem. Muhammad developed displeasure for his wives. At this time he received a message from heaven not to separate himself from Mary. Then he chided Hafsa and other wives. He threatened to divorce all them for their insubordination and disloyalty. He then withdrew himself and went into seclusion for a whole month and lived alone with Mary. Umar and Abu Bakr were greatly disturbed at the desertion of their daughters for a menial concubine. They went to Muhammad and pleaded him to come out of his recluse. Gabriel came and told Muhammad about the good qualities of Hafsa and recommended him to take her back. So, Muhammad pardoned them all and returned to their apartments as before.
মারিয়া যে মুহম্মদের বৈধ স্ত্রী ছিলেন না, তা বিভিন্ন স্কলারের ইন্টারপ্রিটেশনেও পাবেন। যেমন,
In her case THERE IS NO PROOF that the Holy Prophet set her free and married her. (Maududi, The Meaning of the Qur’an, English rendered by the Late Ch. Muhammad Akbar, edited by A.A. Kamal, M.A. [Islamic Publications (Pvt.) Ltd., Lahore Pakistan, 4th edition, August 2003], Volume IV, fn. 88, p. 124)
মারিয়া ছাড়াও রায়হানা নামে তার দাসী ছিলো, এবং বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক ছিলো উম্মে শরিক, ময়মুনা, ঊম হানি প্রমুখের সাথেও।
আরেকটা ব্যাপার। মন্তব্য করতে এসে কাউকে ‘বোকা’, ‘মিথ্যেবাদী’ প্রভৃতি বিশেষণ ব্যবহার করা সহজ। আপনার মত ‘চালাক’ মানুষেরা হয়তো বুঝবেন না যে, এইভাবে তর্কে জেতা যায় না। এটা Argumentum ad hominem ফ্যালাসি। আপনার মতো চালাক মানুষের সাথে আমার মতো বোকা মানুষ কখনোই তর্কে যেত না যদি না চালাক মানুষটি ধর্মগ্রন্থ না পড়েই একে তাকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে মন্তব্য শুরু করতো।
@অভিজিৎ,
আপনি কোরান থেকে দেখান কোথায় নবীজি দাসিদের সঙ্গে অবৈধ সম্পক্য রেখেছিলেন। সুরা নিসার ৪;২৪ নম্বর আয়াতের আপনি উল্লেখ করেছেন। আসলে ৪;২৪ নম্বর আয়াত বিয়ের ব্যাপারেই বলছে, অন্য কিছু না।
@আলী, কোরআনে কি ভাবে থাকবে? কোরআন তো মুহামদ্দেরই লেখা। আর কোরআনে কি আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দার আকাম কুকাম লিখবে ? এটা ইতিহাস, বাস্তব, এখানের আবেগের স্থান নাই।
পুরো কোরআন যদি মুহাম্মদের লেখা হতো তাহলেও এটাকে একটা শ্রেণীতে ফেলা যেত। কোরআন লেখা হয় মুহাম্মদের মৃত্যুর ১০০ বছর পর। কোরআনে যা লেখা হয় তা সব যে মু্হাম্মদের কথাবার্তা তার কি প্রমাণ আছে?
@সেবা,
🙂
অপবিত্র বিয়ে কি রকম হতে পারে?
@সেবা, চমতকার! পবিত্রো বিয়ে, তাই না? তাই ব’লে নিজ়ের পালক-ছেলের বউকেও? [জয়নাব]
কিংবা ৬ বছ্ররের বিবি আয়শা কে !
প্লিজ, একটু ইতিহাস জেনে মন্তব্য করবেন।
@নাজ়মুল হুসাইন,
পালক ছেলের বউকে বিয়ে কোন যুক্তিতে অনৈতিক ? আর আপনাদের মত মুক্তমনারা যে সুযোগ পেলে তিন বছরের শিশুকেও অপবিত্র করতে ছাড়েন না, সেটারই বা যুক্তি কী ?
@প্রবাহ, পালক ছেলের বউ কে কোন নৈতিকতায় বিয়ে করা যায়? সে কি কন্যা সম নয়? একজন নবি কে এই কাজ করা মানায়? উনার ১৬ জন স্ত্রি কেন ছিল?
@সেবা, মানুষকে বোকা না বলে নিজেকে দেখুন যুক্তির যুলিতে টান পড়লে ব্যাক্তিগত করা হতে বিরত থাকুন।
@সেবা, ব্যাক্তিগতর পর আক্রমন হবে।টাইপিং মিসটেক।
@অভিজিৎ,
ভাইজান সুরা নিসা ৪.২৪ আয়েতটি পুরাপুরি দিলেন না যে তাই কষ্ট করে দিয়ে দিলাম……।
Forbidden to you (for marriage) are: your mothers, your daughters, your sisters, your father’s sisters, your mother’s sisters, your brother’s daughters, your sister’s daughters, your foster mother who gave you suck, your foster milk suckling sisters, your wives’ mothers, your step daughters under your guardianship, born of your wives to whom you have gone in – but there is no sin on you if you have not gone in them (to marry their daughters), – the wives of your sons who (spring) from your own loins, and two sisters in wedlock at the same time, except for what has already passed; verily, Allâh is OftForgiving, Most Merciful.
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ كِتَابَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاء ذَلِكُمْ أَن تَبْتَغُواْ بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا (24
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ
@সেবা,
কি বলব সব নাস্তিকের দল। না আউযূবিল্লাহ।
@সেবা, এই এক বদ-স্বভাব বা প্রাকটিসঃ ওমুক টা করে দেখান, তোমুক টার প্রমান দিন। কেন, আপনি নিজে প্রমান করুন না, মুহাম্মাদ ওটা করেন নি, সেটা করেন নি—–ইত্যাদি। বাংলার শেষ নবাব ছিলেন কে? সিরাজ়? আপনি দেখেহেন?
লেখাটি পুরোটা আসেনি। দয়া করে এডিট করুন।
দুঃখিত।
এডিট করে দিলাম।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আস্তিকতা এবং নাস্তিকতা – এসব নিয়ে তর্কাতর্কি করে কেহ কখনো উন্নয়নমূলক কিছু করতে পারেনি। আপনারাও পারবেন না, তাই বলছিলাম কি এসব পাগলের প্রলাপ বকে মাথাটা নষ্ট করছেন কেন? মস্তিষ্ককে উন্নয়মূলক বা সমাজ গঠনমূলক কোন কাজে লাগান তাতে দেশের এবং দশের উপকার হবে।
কে কবে কোথায় কি করলো না করলো তা নিয়ে তর্ক না করে আপনারা নিজে আমাদের দেশের এই ধ্বংসপ্রায় সমাজের ‘উন্নয়নমূলক কাজে’ কতটুকু অবদান রাখতে পারছেন তা নিয়ে মেতে উঠুন। কার থেকে কে কত বেশী উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন তা নিয়ে তর্কে মেতে উঠুন। দেখবেন তাতে মানসিক প্রশান্তি পাবেন। সেই সাথে আমাদের এই অভাগা দেশেরও কিছু উপকার হবে।
“বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর”
@নাজিফা, সবাইকে দিয়া সব কাজ হয় না। নিউটন, আইন্সটাইন বা স্টিফেন হকিং এদের জন্ম সমাজসেবা করার জন্য হয় নাই । দেশের সেবা করার জন্য হয় নাই । বুঝছ ? এদের জন্ম হইছে বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য । এরা পরোক্ষভাবে জগতের সেবা করে । যুক্তিবাদী মানুষদের ( দার্শনিক বা বৈজ্ঞানিক ) জন্ম দেশ দশের সেবা করার জন্য হয় না । ননসেন্স । আস্তিকতা নাস্তিকতা নিয়ে তর্ক করে আগে কেউ কখনো উন্নয়নমূলক কিছু করতে পারেনি, তাই বলে যে কেউ কখনোই পারবে না তা তো না । প্রকৃত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদী চিন্তাভাবনা, তার্কিক মনোভাব এগুলোই মানুষের মনসিক উন্নতির প্রধান হাতিয়ার । তর্কেই মিলায় বস্তু, বিশ্বাসে কিছুই মিলায় না ।
@সত্য,অসাধারন বলেছেন…নাজিফা আপু যেটা বলতে চাচ্ছেন সেটা হল সব ঠিক আছে শুধু ধর্ম কে নিয়ে তর্ক টা বাদ দিলেই হবে…উন্নয়ন মুলক তর্ক হল একটা ভান…ধর্ম তর্ক দিয়ে উন্নয়ন হয় কিনা জানিনা তবে ধর্ম সমাজে আছে বলে দাঙ্গা হয় গুজরাটে মানুষ পোড়ে…হিন্দু দের বাড়ি জালানো হয় ,অত্যাচার করা হয়,ক্রুশেড হয়, এখন তো মিয়ান্মার পুড়ছে…সবি এই ধর্ম আছে বলে…মুস্লিম রা বোমা মেরে জিহাদ করে…হিন্দু রা বলি দেয় …ক্রুশেদের নামে মানুষ মরে…এই ধর্মকে প্রিথিবি থেকে বিদাই করে দিলে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে কিনা জানিনা তবে মানুষ সেদিন শুধু মানুষ হবে…আর তার জন্য আমাদের অবিরাম চেষ্টা করে যেতে হবে…তাই নাযিফারা যদি নাও চান তবু আমরা বলব মানুষ শুধু মানুষ ই তাকে নাম(হিন্দু,মুস্লিম) দিও না…