শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ ও মুক্তমনার নিবেদন মুক্তান্বেষা (২য় বর্ষ, ২য় সংখ্যা)
মুক্তান্বেষার চতুর্থ সংখ্যা বাজারে বেরিয়েছে। শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ এবং মুক্তমনার একটি যৌথ প্রয়াস হিসেবে ঢাকার সেগুনবাগিচা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটির লক্ষ্য হচ্ছে সমাজে যুক্তিবাদ, বিজ্ঞানমনস্কতা এবং মানবকল্যানবোধ প্রতিষ্ঠা। এ পর্যন্ত প্রকাশিত মুক্তান্বেষার সংখ্যাগুলো হল –
-
মুক্তান্বেষা প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা (জুলাই ২০০৭)
- মুক্তান্বেষা প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা (জানুয়ারী ২০০৮)
- মুক্তান্বেষা দ্বিতীয় বর্ষ, প্রথম সংখ্যা (জুলাই ২০০৮)
-
মুক্তান্বেষা দ্বিতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা (এপ্রিল ২০০৯)
যে প্রবন্ধগুলো নিয়ে বর্তমান সংখ্যাটি সাজানো হয়েছে সেগুলো হল –
সূচীপত্র
পাঠকের পাতা… ৫
সম্পাদকীয় … ৮
সেক্যুলারিজম : বাংলাদেশের বাস্তবতা থেকে কিছু ভাবনা আবুল মোমেন … ০৯
একাত্তরের ধর্ষণের ইতিহাস বিকৃতি পুনর্মিত্রতার ব্যবস্থাপত্র নয়নিকা মুখার্জী (তানভীর ইসলাম) …১৪
স্বামী বিবেকানন্দ অফুরন্ত প্রেরণার উৎস কবীর চৌধুরী …১৮
পরিকল্পিত মহাবিশ্ব? স্টিভেন ওয়েনবার্গ (দিগন্ত সরকার) …২৩
আলবার্ট আইনস্টাইন : মহাজাগতিক মানব ধর্মের মহান ঋষি যতীন সরকার … ২৯
ইতিহাসের পাতা থেকে : প্রাচীন ভারতে গোমাংস রাজেন্দ্রলাল মিত্র … ৩৬
আইনস্টাইন-রবীন্দ্রনাথ সাক্ষাৎ : সঙ্গীত নিয়ে কথা অজয় রায় ও অভিজিৎ রায় …৪২
হুমায়ুন আজাদ ও লেখকের স্বাধীনতা মোহাম্মদ আলী …৪৮
শ্রদ্ধাঞ্জলি : অগ্নিযুগের শহীদ ক্ষুদিরাম অজয় রায় … ৫৬
মানুষ মানুষের জন্য : রিজওয়ানুর রহমানের মৃত্যুরহস্য শঙ্কর রায় …৬৫
আমাদের সংগ্রাম চলবেই : লালন ভাস্কর্য এবং পুনঃস্থাপন আশরাফুল ইসলাম সুবর্ণ …৬৮
কবিতা বেলাল মোহাম্মদ … ৬১
ভালোলাগা মন্দলাগা … ৭৩
মুক্তান্বেষার ৪র্থ সংখ্যাটি সংগ্রহ করতে আজিজ সুপার মার্কেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বুক-স্টলে খোঁজ করুন।
ঢাকা থেকে প্রকাশিত মুক্তান্বেষা পত্রিকাটির সম্পাদনা পর্ষদে আছেন –
- অধ্যাপক অজয় রায়
- অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম
- অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক
- এবং অনন্ত বিজয় দাশ
সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাইফুর রহমান তপন, টেলিফোনঃ ৬৬৬৮৬৪০৪৭১।
মুক্তান্বেষায় লেখা কিংবা প্রতিক্রিয়া পাঠানোর জন্য [email protected], অথবা [email protected] -এ দুটি ইমেইল ব্যবহার করুন অথবা ডাকযোগে নীচের ঠিকানায় লেখা পাঠান–
(৬/৭, সেগুনবাগিচা; বি/৬, ডোমিনো এল্ডোরাডো, ঢাকা – ১০০০, বাংলাদেশ)
-
মুক্তান্বেষার জন্য নিয়মিত লিখুন, বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিশীল মনন গড়ে তুলতে সাহায্য করুন।
:line:
বাংলাদেশ থেকে মুক্তান্বেষার গ্রাহক হবার জন্য নীচের যে কোন একটি লিঙ্ক থেকে ফর্মটি পুরণ করে মানি অর্ডার/পে অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট সহযোগে শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের ঠিকানায় প্রেরণ করুন –
সময় ও মানবিকতার প্রয়োজনে মুক্তান্বেষা
‘শিক্ষা, যুক্তি, বিজ্ঞান ও মানবতা হোক আমাদের আলোকবর্তিকা’ – এই শ্লোগানের প্রতি সুবিচার করতে পেরেছে ‘মুক্তান্বেষা’র জুলাই ২০০৮ সংখ্যা। রচনাগুলো খুবই উৎকৃষ্ট। অভিজিৎ রায়ের লেখা ‘জঙ্গীদের আত্মঘাতি বোমা হামলা আর ভাবমূর্তির ষোলকলা’ প্রবন্ধে জঙ্গিদের প্রকৃত স্বরূপ, তাদের বর্তমান কার্যক্রম এবং ভবিষ্যত বাংলাদেশে তাদের অবস্থান সম্পর্কে যে কথাগুলো বলেছেন, তা আমাদের মত ধর্মনিরপেক্ষ মানুষদের অবশ্যই ভাবিয়ে তুলবে। তারা যে প্রগতিশীল মানুষদের গলা টিপে হত্যা করতে বদ্ধ পরিকর, তা আজ স্পষ্ট। বিশেষ করে স্বাধীনতার শত্রুদের সঙ্গে এ জঙ্গিগ্রুপগুলোর সম্পর্ক সত্যই আমাদের ভাবিয়ে তোলে। আরো একটি বিষয় এখানে বলা দরকার – গত কয়েকদিন আগে ইসলামী ঐক্যজোটের চ্যারম্যান ফজলুল হক আমিনীর মূর্তি ভাঙ্গার দম্ভ আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতির মূলকে নিশ্চিহ্ন করার হুমকির মতই মনে হয়েছে। এ ধরনের হুমকি আমাদের মনে করিয়ে দেয় স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলিম লীগ জামাত সহ তাদের অনুসারিদের কর্মকান্ড, উদীচীতে বোমা হামলা, কাজী আরেফ হত্যা, শেখ হাসিনার উপর বোমা হামলা, রমনা বটমূলে নারী জাতির বিরধিতা ও বোমা হামলা, হুমায়ুন আজাদকে হত্যার চেষ্টা সহ আরো অনেক অপকীর্তি অভিজিৎ রায়ের প্রবন্ধে চমৎকারভাবে আলোচিত হয়েছে। মাওলানা হসেন আলীর প্রবন্ধে শিক্ষিত মানুষের দায়বদ্ধতা বনাম শিক্ষার মাধ্যমে মানবিকতার বিকাশ সম্পর্কে বলা হয়েছে,
এ ছাড়া প্রদীপ দেবের ‘আত্মঘাতি কুসংস্কার’ এবং অনন্ত বিজয় দাশের ‘যুক্তিবাদ’ পাঠকদের ভাবাবে নিঃসন্দেহে। আত্মঘাতি কুসংস্কার প্রবন্ধে ড. প্রদীপ দেব বলেছেন,
পুনঃমূদ্রণ করা হয়েছে অক্ষয় কুমার দত্তের ‘শিক্ষার সুফল’ রচনাটি – যা পত্রিকাটিকে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা। নিত্যানন্দ ঘোষ শিবনারায়ন রায়কে ‘এক অনন্য চিন্তাবিদ’ হিসবে উল্লেখ করেছেন। বন্দী অবস্থায় লেখা তস্লিমা নাসরিনের একটি কবিতা স্থান পেয়েছে এ সংখ্যায়। এ ছাড়া এ সংখ্যার অন্যান্য রচনাগুলোও পাঠকদৃষ্টিকে অন্ত্ররগত তাগিদ দেবে। প্রকাশনার ক্ষেত্রে শিল্প ও নন্দন তত্ত্বের বিষয় এবং পত্রিকার অবকাঠামোগত মানোন্নয়ন রুচিসম্মত। আমাদের এ সময়ের ক্রমশঃ ক্ষয়িষ্ণু সমাজব্যবস্থার মানবিক উন্নয়নে পত্রিকাটি প্রভাব ফেলবে।
সফিক রহমান
[মিঃ সফিক রহমানের চিঠিটি মুক্তান্বেষার নতুন সংখ্যায় (২য় বর্য, ২য় সংখ্যা) স্থান পেয়েছে। — মুক্তমনা এডমিন]
সত্য স্বীকার
আমার জ্ঞান অবধি আমি অনেক কিছুই জেনেছি, শুনেছি, পড়েছি। কিন্তু যা কিছু জেনেছি, পড়েছি তা কখনো নিজে করে, কখনো ইনিয়ে বিনিয়ে আবার কখনো অতিরঞ্জিত এবং তর্ক বিতর্কে। আমি চোখের দেখাকে চাক্ষুষ, অকাট্য প্রমাণকে অতিসত্য এবং ঘটনার প্রক্রিয়াকে ‘বাস্তব’ বলতেই শিখেছি। এখন আর কেউ অত্যাচারীর ভয়ে বনে জঙ্গলে বসে জ্ঞান সাধনা করবে না। কেনই বা করবে, এ সমস্ত কুবিশ্বাস (অন্ধ-বিশ্বাস নয়) অত্যাধুনিক লোকদের মনে আঁকড়ে থাকে না। এখন যা হয়, তা একমাত্র বিজ্ঞানের মহান দানের কারণে। হয় ঝকঝকে পরিস্কার দিনের মত। মুহূর্তে বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যার খবরদারি চলে।
তারপরও কিছু কিছু জেদি কু-বিশ্বাস আর অত্যন্ত গোঁড়ামী প্রতিষ্ঠিত আছে এই সমাজে। প্রতিষ্ঠিত অদৃশ্য মঙ্গলের নামে অসভ্য গুণকীর্তনে মানুষ আজ বিপর্যস্ত। তবু অতি সত্যটাকে প্রতিষ্ঠা করে ন্যায়ের পথকে খরস্রোতা নদীর মত বহমান রাখতে অনেকেই বদ্ধ পরিকর। আমি তাদেরই একজন।
বীজ থেকে গাছের জন্ম, গাছ থেকে ফুল। ফুল থেকে ফল আর ফ্ল থেকে বীজের জন্ম আমি জীবনে অনেকবার দেখেছি। জেনেছি – এককোষী জীব থেকে বিবর্তনের চূড়ান্তরূপ মানুষ। মানুষের বীর্য থেকে পরবর্তী মানব, আর তা থেকে বীর্যের ইতিহাস। জেনেছি দেখেছি মানুষই সৃষ্টি করে সমাজের, গোত্রের। তারপর গোত্র থেকে ধর্ম, বর্ণ, জাতি। শুনেছি ধর্ম-বর্ণ-জাতি থেকে দেশ, রাষ্ট্র, ভাগাভাগি, ভেদাভেদ। তবে তথ্যগুলো নির্ভুলভাবে এখনো অনেকে জানেন না। জানিনা আমিও। জানবই বা কি করে! এ দেশ, এ সমাজ অতি রূঢ় সত্যকে শুদ্ধভাবে উচ্চারণই করতে পারে না। আর পারে না বলেই এই দেশ এই মাটি এই জাতি বর্বরতার শেকলে বন্দী। অসততার নির্মম পথে পদচারণা। এ জন্য এ জাতির সংস্কৃতি অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত। যেমন বঞ্চিত নোবেল বিজয় থেকে। শান্তিতে পেলেও জ্ঞানের মূল শাখাগুলোতে তো কখনোই পায়নি। বরং সাহিত্যে নোবেল জয়ের যে দৃষ্টান্ত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ রেখে গেছেন, বলা যায় কবিগুরুর নোবেল বিজয়ের প্রায় একশ বছর পেরিয়ে গেলেও সেটা কেউ আর অর্জন করতে সক্ষম হননি।
আমি জ্ঞান-বিজ্ঞানে প্রখর বিশ্বাসী। আমি জানতে চাই এ বিশ্বে যা কিছু ছিলো, আছে তার মূল উৎসের কথা। আমি এমন একটা পত্রিকা/ম্যাগাজিন/বই খুঁজেছি। আবার কখনো জনে জনেও জিজ্ঞেছি কারো কাছে বিজ্ঞানভিত্তিক কোন তথ্যসম্ভার আছে কিনা। খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলাম এক অবিস্মরনীয় ম্যাগাজিন ‘মুক্তান্বেষা’। এই মুক্তান্বেষা কেবল শব্দ বা বই আকারেই নয়, বরং লক্ষ-কোটি বছরের আমাদের উৎসের দলিল হিসেবে। আমি প্রথম সংখ্যা আর দ্বিতীয় সংখ্যা পড়ে মুক্তাভরা খনি পাওয়ার মতই অস্থির এবং আনন্দিত হয়েছি।
আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই এ জন্য যে, আপনি এবং আপনারা প্রজ্জ্বলিত, প্রখর জ্ঞানাধার ‘মুক্তান্বেষা’র মাধ্যমে একটা অসাধারণ জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রসারের কৌতুহলী রাস্তা বের করেছেন। অসাধারণ এ জন্যই বলছি – যাদের জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার ফসলগুলো এই বইটিতে স্থান পেয়েছে তাদের অনেককে আমি চিনি এবং অসম্ভব শ্রদ্ধা করি।
মুক্তান্বেষার চলার পথ অব্যাহত থাকুক, হোক উল্কার মত গতিশীল, স্থান পাক সকল হৃদয়ে। এই পরম বাসনা অন্তরে নিয়ে আমার সাহিত্য সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তরিক সাহস যোগাচ্ছি।
নিয়মিত পাঠক
নাসরিন আজাদ
সেক্রেটারী,
একুশে সাহিত্য পরিষদ
কাচিনিয়া, খানসামা, দিনাজপুর।
[মিস নাসরীন আজাদের চিঠিটি মুক্তান্বেষার নতুন সংখ্যায় (২য় বর্য, ২য় সংখ্যায়) স্থান পেয়েছে। — মুক্তমনা এডমিন]
@নাসরিন আজাদ,
আমি মুক্তান্বেষার সংখ্যাগুলোর যে কটা হাতে পেয়েছি তা মন ভরে পাঠ করেছি। এর মধ্যে চতুর্থ সংখ্যার বেশ কিছু লেখা আমার ভালো লেগেছে। তার মধ্যে ভালোলাগা মন্দলাগা বিভাগের নাসরিন আজাদ-এর লেখা সত্যস্বীকার আমার খুব ভালো লাগলো। এ জন্য ধন্যবাদ তাকে। (O)
ম্যাগাজিনটিকে কি ই-বুক আকারে পাওয়া যাবে?
@রফিক,
যায়, তবে ই-বুকে পরিণত করতে মাস খানেক দেরী হবে। আমি এখনো সংখ্যাটি হাতে পাইনি। তবে পুরোনো কিছু লেখা মুক্তমনাতেই আছে। আমি লিঙ্ক করে দিব।
অভিজিৎ
বিদ্রঃ বাংলাদেশ নিবাসী পাঠকেরা যারা মুক্তান্বেষার এই ইস্যুটি ইতোমধ্যেই সংগ্রহ করেছেন, তারা তাদের অভিমত জানাতে পারেন – ভাল লাগা, মন্দ লাগা কিংবা কোন সাজেশন থাকলে সেটাও…