ভুলে যাওয়া স্বপ্ন

 

খৃষ্টফার রোজারিও

 

বর্তমানে বিচিত্র সব যোগাযোগ অতীতকে এমন দূরে সরিয়ে দিয়েছে যে আজকে প্রবাসে থেকে ৭১ এর চট্টগ্রামের সব স্মৃতির কোনটা ধূসর কোনটা রংহীন মনে হয়।

 

চারিদিকে চাপা উত্তেজনা। নাটককে হাতিয়ার করে আমাদের আন্দোলন শুরু হলো। ১৪ই মার্চ। আমাদের উদ্দেশ্য শয়তানদের মুখোশ খুলে ফেলা, মানুষকে জাগান, উদ্বুদ্ধ করা শোষকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্যে। ঐদিন আমাদের সহযাত্রী মমতাজউদ্দীনের লেখা নাটক এবারের সংগ্রাম লালদীঘির ময়দানে আমরা প্রথম মঞ্চস্থ করি। নাটকের চরিত্রগুলো রূপক হলেও দর্শকরা ঠিকই চিনেছিল আসল শোষকদের। ময়দানে তিলধারনের জায়গা নেই, আশে পাশের বাড়ীর ছাদে, গাছে, পাহাড়ের ওপর মানুষ, সব রাস্তা বন্ধ। আমার চরিত্রটি ছিল একজন ৭০ বছর বয়স্ক বৃদ্ধের, সাদা চুল, দাঁড়ি, পরনে লংক্লথের আধ ময়লা পায়জামা, পাঞ্জাবী। লেখক এই বৃদ্ধের মুখ দিয়েই বলিয়েছে শোষকদের প্রতি দেশের মানুষের ঘৃণার কথা, প্রত্যাখানের কথা। যখন আমি মঞ্চে উঠলাম তখন আবেগে, উত্তাপে ও উত্তেজনায় শরীর কাঁপছে।‌ অত্যাচারীদের ভূমিকায় অভিনয় করছিল তারা যে আমার বন্ধু, আমার সহযাত্রী আমি ভুলে গেলাম। মনে হলো সত্যি সত্যি তারা হানাদার। নাটকের সংলাপকে সংলাপ বলে মনে হয়নি। মনে হয়েছে ওগুলো আমার মনের কথা, প্রাণের কথা। প্রতিটি শব্দ সত্যি বলে বিশ্বাস করেছি এবং সেগুলি অত্যন্ত প্রত্যয়ের সাথে সঙ্গে উপস্থাপনা করেছি অর্ধ লক্ষ দর্শকের সামনে। সে এক অপূর্ব অনুভূতি। তারস্বরে চিৎকার করে বলেছি, আমার হৃদয়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে এ আকাশ এ মাঠ আর সমুদ্রকে বলে দিচ্ছি। ভাইসব এদের চিনে রাখো, এরা ধর্মের নামে সংহতির নামে নানা ফন্দির জাল বিস্তার করে আমাদের শাষণ করছেমানুষের রক্তের বিনিময়ে এরা সাম্রাজ্যবাদকে ডেকে আনেআমার ভাই মরবে, বোন জীবন দেবে, আর আমাদের দামাল ছেলেরা লড়াই করবে, আমাদের এক এক ফোঁটা রক্তে এক একশটা বিদ্রোহী ছেলে জন্ম নেবে, লড়বে। দেশের জন্য জাতির জন্য যুদ্ধ শুরু হলে জিতবে কারা? আমার রক্ত ঢেলে দেয়া ছেলেরা নাকি ওই রক্ত খোরের দল?

 

তোমরা পালিয়ে যাবে কোথায়? এদেশের কোন ঘরে তোমাদের আশ্রয় মিলবে নামানুষের মাইলকে মাইল মিছিল নিয়ে এদেশের সবখানে তল্লাশী চালাবোআমার ছেলের রক্তের দাম আমি কড়ায় গন্ডায় আদায় করে নেবভাইসব, সুর্যের আগুনে শরীরকে তাতিয়ে নাওএসো ঘর ছেড়ে বাইরে এসো, শ্যামল ঘাসের দেশে।

 

 

এই নাটক আমরা প্রতিদিন করেছি শহরের ভেতরে ও বাইরে, ময়দানে উন্মুক্ত মঞ্চে, পথে, ট্রাকে ২৩শে মার্চ পর্যন্ত।

 

২৪শে মার্চ চট্টগ্রাম কলেজের মাঠে (প্যারেড মাঠ) মমতাজ উদ্দীনের লেখা স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন মঞ্চস্থ হচ্ছিল তখন শেষের দিকে খবর এলো বন্দরে পাকিস্তানী জাহাজ সোয়াত এসে ভিড়েছে প্রচুর গোলাবারুদ আর মারণাস্ত্র নিয়ে এবং সেগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্যান্টনমেন্টে। রক্তে আমাদের দামামা বেজে উঠলো। আমরা নাটক চালিয়ে যাচ্ছি। এ নাটকে আমার চরিত্র ছিল একজন যুবক গায়কের। এই যুবকের মুখ দিয়েও লেখক হানাদারদের প্রতি ঘৃণা আর ক্রোধ প্রকাশ করেছেন, শত্রুদের মুখে থুথু ছিটিয়ে দিতে চেয়েছেন। অকুতোভয় যুবক মৃত্যুর ভয় না করে উচ্চকন্ঠে আবৃত্তি করেছে

 

মহা বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত,

যবে উতপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে

বাতাসে ধ্বনিবে না,

অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ ভূমে

রণিবে না

বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত।

 

আমি আবৃত্তি শেষ করেছি, পাকিস্তানী সৈন্যরা আমাকে টেনে হিঁচড়ে মঞ্চের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে খুন করার জন্যে ঠিক সেই সময় দর্শকদের মধ্যে থেকে বেশ কিছু জুতো এসে পড়লো মঞ্চে। এ ছিল হানাদারদের বিরুদ্ধে মানুষের রাগ আর ঘৃণার নিদর্শন। আমাদের সাফল্যের নিদর্শনও। এমন সময় খবর এলো রেডিও অফিসের সামনে আগ্রাবাদ রোডে যেখানে ছেলেরা ব্যারিকেড দিয়েছিল সেখানে পাকিস্তানী সৈন্যরা গুলি চালিয়েছে। দর্শকরা ভীত সন্ত্রস্ত। যে যার পরিজনের হাত ধরে ছুটছে বাড়ীর দিকে। মঞ্চের ওপর থেকে আমার সজাগ চোখ দর্শকদের মধ্যে খুঁজছে স্ত্রী আর কন্যাদের। ভীড়ের ভেতর ক্রমশ তারা মিলিয়ে যাচ্ছে। আমি গৃহী, আমি সশস্ত্র যোদ্ধা নই। তবে এটুকু বুঝি পূর্ব বাংলার মানুষ কেবলি ঠকে চলেছে। এর পরিবর্তনে আমার ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে তাত্ত্বিক ভাবনা কখনও ভাবিনি। ওই যে বললাম আমি গৃহী, আমি বুঝেছি সে সময়টা ছিল মানুষের চেতনায়, মর্মমূলে নাড়া দেয়ার সময়। মাধ্যম হিসাবে আমাদের ছিল নাটক। বড় কিছু আশা করিনি। আশা ছিল বহু দিনের অবহেলিত এই জাতি এবার শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াবার চেষ্টা করুক।

 

তখন আমরা চট্টগ্রামের দেবপাহাড়ের একটি দোতলা বাসার নীচ তলায় ভাড়া থাকি। ওপর তলায় থাকতো সঙ্গীত রচয়িতা মাজহারুল ইসলামের বোন নার্গিস আর তার স্বামী। বাড়িটি যার স্নেহময়ী সেই মাসীমার ছেলে সাংবাদিক ফরীদ আহমেদ কায়রোগামী প্লেন ক্রাশে মারা গেছেন। ফরীদ সাহেবের চেহারার সাথে আমার চেহারার কিছু সাদৃশ্য থাকার জন্যে মাসীমা আমার ভেতরে মৃত ছেলেকে স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। দেবপাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা আর প্যারেড মাঠে নিয়েছে পাকিস্তানী  সৈন্যরা।

 

একদিন একদল যুবক এসে বললো তারা জালালের বন্ধু। বন্দুক চালনা শিখতে চায়। জালাল মাসীমার ছোট ছেলে। চট্টগ্রাম কলেজের ভিপি। পরবর্তীতে সে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সেক্রেটারী হয়েছিল। রাইফেল চালনার সামান্য প্রশিক্ষণ পেয়েছিলাম কলকাতা ইউনিভার্সিটির অফিসার্স ট্রেনিং কোর্সে (ইউওটিসি)। সেই সামান্য জ্ঞান নিয়ে শুরু হলো অস্ত্র প্রশিক্ষণ। এটা কোন ক্যাম্প নয়। আমি.কখনো ভাবি নি অস্ত্র চালনার ট্রেনিং দেবো। তবু আজকে এতগুলো বছর পর চিন্তা করলে শিরদাঁড়ায় কেমন একটা শিরশিরে অনুভূতি হয়। ছেলেগুলো কে কোথায় কেমন আছে, আদৌ কি আছে?

 

মজার ঘটনা হলো বাঙালীদের দেয়া সংবাদে আমায় খুঁজে বেড়ানো শুরু হলো। স্ত্রী কন্যাদের ও বৃদ্ধা শাশুড়ীকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখে আমি কোথায় যাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে ফতোয়াবাদে আমার আর আমার স্ত্রীর স্বপ্ন জড়ানো বাড়ী করেছি। যত্ন করে দেশী বিদেশী ফুলের গাছ লাগিয়েছি। কৌতুহলী কত অজানা মানুষ গাড়ী থামিয়ে দেখতে এসেছে। আমি ফিরতে পারছি না সেই বাড়ীতে। ওটা এখন অস্ত্র সরবরাহের ঘাটি। অস্ত্র এসে জমা হচ্ছে ওখানে আর বিভিন্ন কৌশলে মুক্তিযোদ্ধারা সেগুলো পৌঁছে দিচ্ছে বিভিন্ন ঘাটিতে। আমি বুঝি রাতের অন্ধকারে নীরবে আমার স্ত্রী চোখের জল ফেলে। বোঝে ও বাড়ী একদিন পাকিস্তানীরা উড়িয়ে দেবে। তবু তার কোন অভিযোগ নেই। অসম সাহসী আমার বৃদ্ধা শাশুড়ী এমন বিপজ্জনক অবস্থায়ও ওখানে বাস করতেন। ঐ বাড়ী ছেড়ে তিনি আমাদের শহরের বাসায় আসবেন না। পাকিস্তানীরা হানা দিতে এলে বলতেন তিনি একা থাকেন ও বাড়ীতে। ওরা ফিরে যেতো; বেঁচে যেতো আশ্রয় নেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা। এ বৃদ্ধা কি বুঝতেন যুদ্ধের জানি না, তবে সৎ অসৎ এর পার্থক্য বুঝতেন।

 

আমি তখন দিশাহীন। অনুজ যারা এক সময়ে বিভিন্ন নাটকে আমার সহযাত্রী ছিল তারাই কেউ কেউ রাজাকার, আল বদরে যোগ দিয়েছে। তারাই আমার নাম ঠিকানা জানিয়েছে পাকিস্তানী বাহিনীকে। অপরাধ উদ্দীপনামূলক নাটকে আমার সরাসরি যোগাযোগ। যেদিন আমরা দেবপাহাড়ের বাড়ী ছেড়ে পাথরঘাটায় রওনা করি সেই দিনই আমাদের রওনা হওয়ার কিছু পরে নাটকের মেকআপ নেওয়া আমার একটা ছবি নিয়ে পাকিস্তানী বাহিনী দেবপাহাড়ের বাসায় হানা দেয়। সেই স্নেহময়ী মাসীমা তাদের এই বলে ফেরালেন যে আমরা ওই দিনই সকালে কলকাতা রওনা হয়ে গিয়েছি। পরে মাসীমার মুখে শুনেছি ওরা আমার ছবি দেখিয়ে বলেছিল, ও শালা ভাসানী কিধার হ্যায়। কারণটা আমি বুঝলাম, এবারের সংগ্রাম নাটকে মানুষ চরিত্রে আমার অভিনয়। তার সঙ্গে নেতা ভাসানীর কোথায় যেন মিল ওরা পেয়েছিল। ছবিতো ওরা তোলেনি, এখন ভাবতে অবাক লাগে দর্শকদের ভীড় থেকে কেউ ছবি তুলছে আর তা পৌঁছে গেছে শোষকদের হাতে। আমি বেশভূষায় আমূল পরিবর্তন ঘটালাম। বড় বড় গোঁফ, লম্বা লম্বা চুল, বড় জুলফি, কালো বেলবটম প্যান্ট আর লাল কোট গায়ে। আমার কাছে আমিই অপরিচিত হয়ে গেলাম।

 

সংসারতো চালাতে হবে। একটা সদাগরী অফিসে ম্যানেজারের চাকরী পেয়ে গেলাম। অফিসটা ছিল দোস্ত বিল্ডিং এ। আমার গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেল। আমাদের পাথরঘাটার বাড়ীটা ছিল খৃষ্টান পাড়ার মধ্যে, অদূরে বাসস্ট্যান্ড আর গির্জা। একদিন মেয়েরা স্কুল থেকে ফিরছে। ঘরের কাছাকাছি আসতে পাড়ার এক মহিলা বীভৎস উল্লাসে নিয়ে মেয়েদের বলেছিলেন তোমাদের বাসায় হিন্দু এসেছে, একটু পরেই পাকিস্তানীরা আসবে সব ধরে নিতে মেয়েরা ভয়ে কুঁকড়ে গেলো। ওরাও জেনে গেছে পাকিস্তানীরা ত্রাসের বিষয়। ওরা দেখেছে সামনের বাসার সব বই ডোবায় ফেলে দিতে। দেখেছে শিল্পীর নিজের হাতে গড়া বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভেঙ্গে জলে ফেলতে। কাদের ভয়ে এসব হচ্ছে ওরা বোঝে। খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ীতে পৌঁছে দেখি জনা চল্লিশেক মানুষ আমার ঘরে। সবাই হিন্দু ধর্মালম্বী। আমার স্ত্রী ঘর্মাক্ত কলেবরে তাদের রেধে বেড়ে খাওয়াচ্ছে। ওদের এ বাসায় এনে ঊঠিয়েছে আমার এক সময়ের পার্সোনাল সেক্রেটারী নেপাল বৈদ্য। শহর ছেড়ে পালাচ্ছিল, বাসস্ট্যান্ডে এসে জেনেছে বাস চলবে না। দ্বিতীয় চিন্তা না করেই সমস্ত যাত্রী নিয়ে নেপাল্ আমাদের বাড়িতে এসেছে। কারণ তখন তাদের গ্রামে ফেরার অবস্থা ছিল না; বুঝতে পারছি এর মধ্যেই খবর চলে গেছে শত্রুদের কাছে এবং এখনি তারা এসে হাজির হবে, কিন্তু এতগুলো নিরীহ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিই কি করে। তাই সবাইকে সামনের গির্জায় নিয়ে গেলাম। জানি এখন তারা প্রাণে বেঁচে যাবে। এর পর থেকে আমাদের বাসাটা হয়ে গেল অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র।

 

এর পরের ঘটনাতো আমার একার নয়। সারা জাতির। দেশ স্বাধিন হলো। আমি আলহাজ্জ টেক্সটাইল মিলের ম্যানেজার হয়ে ঈশ্বরদী চলে গেলাম। নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করলাম। উঁচু বাউন্ডারী দেয়াল ঘেরা বিরাট এলাকা জুড়ে দুটো মিল একটা কাপড় বোনার আর একটা সূতো তৈরির। নয় মাস মিল বন্ধ ছিল। চারদিকে জঙ্গল, বড় বড় ছন। জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে বেরুল ছোট বড় মানুষের কঙ্কাল, মেয়েদের চুল, বাচ্চাদের ফ্রক, প্যান্ট। নয় মাস মিল ছিল পাকিস্তানী আর বিহারীদের দখলে। এটা ছিল তাদের বধ্যভূমি। মিলের আঙিনায় প্রচুর ছন। সেই ছন কাটা হয়েছিল। যেসব শ্রমিকের বাড়ী পাকিস্তানী আর তাদের দোসররা পুড়িয়ে দিয়েছিল সব ছন ভাগ করে দিলাম তাদের মধ্যে ঘর মেরামত করার জনেয়। মিলে বিক্রির জন্য প্রচুর ওয়েস্ট কটন ছিল। ঈশ্বরদীতে তখন প্রচন্ড শীত। সব ওয়েস্ট কটন বিনা পয়সায় দিয়ে দিলাম শ্রমিকদের লেপ বানাবার জন্যে। এরপর শুরু হল  স্বাধীন দেশ গড়র গল্প

 

এখন প্রবাস জীবন যাপন করছি। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছি। দেশের খবরের জন্যে মন উদগ্রীব হয়ে থাকে। কোথাও একটু সাফল্যের খবর পেলে বড্ড ভাল লাগে।

 

ঘুম থেকে উঠে ভুলে যাওয়া স্বপ্নের মত মাঝে মাঝে ৭১ এর খুঁটিনাটি মনে করার চেষ্টা করি। তাতে মন আরো আবেগাক্রান্ত হয়। দীর্ঘশ্বাসগুলো আরো একটু দীর্ঘ হয়।

 

সানরাইজ, ফ্লোরিডা।

 

 

খৃষ্টফার রোজারিও, পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকের সফল নাট্যকর্মী। চট্টগ্রামে বেতারসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনে অভিনয়, আবৃত্তি এবং নাটক পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন।