নভেম্বর বিপ্লব না প্রতি-বিপ্লব?
বিপ্লব পাল
খ্রীষ্ঠানদের যেমন ক্রীসমাস, মুসলমানদের মহরম-তেমন ই কম্যুনিউস্টদের পবিত্র তিথি নভেম্বর বিপ্লব। ছোটবেলা হইতে বঙ্গজ কম্যুনিউস্টদের মুখ হইতে কর্ণ কুহরে ইহার মাহাত্ম্যজ্ঞান এত শুনিয়াছি-‘শোষিত নিপীড়িত মানুষদের ইতিহাসে এত বড় ঘটনা আর আসে নাই বলিয়া সংশয়াতীত ছিলাম। ৭ ই নভেম্বর ‘লক্ষ লক্ষ‘ রাশিয়ান আম-আদমী জারের উইন্টার প্রাসাদ আক্রমন করিয়া দখল করিয়াছিল! নিন্দুক এবং বুর্জোয়ারা যদিও বলিয়া থাকেন সাকুল্যে একশোজন রেড আর্মির লোক, দশজনের অরক্ষিত প্রাসাদ দখল করিয়াছিল-“পুঁজিবাদি” প্রচারে কর্ণপাত করি নাই-পাছে বাপপ্রদ্ত্ত কানটি প্রতিবিপ্পবী হইয়া ওঠে। ‘বুর্জোয়া‘ কেরেনাস্কি সরকারকে বলশেভিকরা সপ্তাহ পূর্বেই কোনঠাসা করিয়াছিলেন-জারের প্রাসাদ দখলের মধ্যে দিয়ে তা ‘সিম্বলিক পূর্নতা‘ পাইল। তাই পরবর্ত্তীকালে সোভিয়েত সরকার ১০০ জন রেড আর্মিকে একলাখ প্রলেতারিয়েট বানাইয়া ফিল্ম তুলিল-হাজার হইলেও বিপ্লবের লেহিহান শিখা বলিয়া কথা- মাহাত্ম্যযজ্ঞে ঘি কম পড়িলে আগুনের উত্তাপ কম পড়িবার সম্ভাবনা বিলক্ষন!
যাহাইহোক ১৯১৭ সালে ফেব্রুয়ারী থেকে নভেম্বরে রাশিয়াতে ঠিক কি কি ঘটিয়াছিল যাহার জন্যে এই মহান নভেম্বর গাথা রচিত হইয়াছে? ইহার সম্পূর্ন ইতিহাস না জানিলে, ঐতিহাসিক ঢপবাজি কাহারে কয়, তাহা জানাও অসম্পূর্ণ থাকিবে। কহিতে পাড়িতাম অনেক-কিন্তু পাঠকের ধৈর্য্যচ্যুতি না ঘটাইয়া, টু দ্য পয়েন্ট থাকিব।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর হাতে মার খাইয়া, ক্ষুদাক্লান্ত রাশিয়া ২৮শে ফেব্রুয়ারী, সন ১৯১৭, জার দ্বিতীয় নিকোলাস-২ কে ট্রেন হইতে গ্রেফতার করিল। এই যুগসন্ধিক্ষনে রাশিয়াতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার চেস্টায় স্যোসালিস্ট এবং লিবারাল ডেমোক্রাটরা কোয়ালিশন গড়িয়াছিলেন। আলেক্সজান্ডার গুচকভের প্রগ্রেসিভ ব্লক এবং স্যোসালিস্টদের “সোভিয়েট পেট্রোগাড (শ্রমিক কাউন্সিল)” মার্চের পহেলা তারিখে প্রথম অর্ডারে ক্ষমতা ভাগাভাগি করিলেন। গুচকভ সরকারের প্রধান হইলেন-কিন্ত সোভিয়েতে অনুমতি ব্যাতীত কোন মিলিটারী অর্ডার পাশ করাইবার ক্ষমতা তাহার রহিল না। মার্চ মাসেই সোভিয়েট ‘চালকের আসনে‘ বসিল।
প্রশ্ন করিবেন ইহাতে লেনিনের তথা বলশেভিকগণের ভূমিকা কি? আমি উহাদিগের নাম উহ্য রাখিতেছি কেন?
১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারী বিপ্লবের দিনে বলশেভিক পার্টি নিষিদ্ধ- লেনিন এবং লিওন ট্রটস্কি উভয়ে রাশিয়া থেকে নির্বাসিত। লেলিন ঘরে ফিরিলেন তেশরা এপ্রিল। সোভিয়েতের নির্দেশেই তাহার ওপর হইতে নিধেষাজ্ঞা উঠিল। এমনকি ট্রটস্কি যখন রাশিয়াতে ফিরিতেছিলেন-তাহাকে বৃটেন গ্রেফতার করিয়াছিল। তাহা হইতেও ট্রটকে উদ্ধার করিয়া দেশে আনা হইল। কোন যাদুবলে নতুন সরকার লেনিন এবং ট্রটের পুনর্বাসন ঘটাইল?
তাহা হইলে কোন স্যোসালিস্টদের নেতৃত্বে সোভিয়েতের কাছে ক্ষমতা আসিল? ইহাদের নেতার নাম ইরাকি জেরেটালি। মেনশেভিক পার্টিই সোস্যালিস্টদের তথা সোভিয়েতের নেতৃত্বে এবং ক্ষমতায় তখন। ইনারা ছারাও রাশিয়ান স্যোস্যালিস্ট রিভোল্যুশনারী পার্টি (SRP) বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা লইয়াছিল। ইহারাই সক্রিয় হইয়াছিলেন লেনিন, ট্রটস্কি, কার্মানভ, স্টালিন ইত্যাদি বলশেভিক মহারথীদের দেশে ফিরাইবার ব্যাপারে। জারের পতনে বলশেভিকদের সাথে শত্রুতা অতীত ধরিয়া, ইহারা ভাবিয়াছিলেন লেনিন সহ বাকী বলশেভিকরা সবাই সোভিয়েত তথা স্যোসালিস্ট আন্দোলনকে শক্তিশালী করিবেন। মহারথীরদল তাহাদের ইচ্ছা ষোলকলা পূর্ন করিয়াছিলেন-তবে পুনর্বাসনের কৃতজ্ঞতা মিটাইতে, পরবর্ত্তীকালে মেনশেভিকদের লেনিন হত্যা করেন এবং সরকারি ইতিহাসে বুর্জোয়া ভিলেন বলিয়া তাহাদের স্থান দিলেন। সেই ইতিহাস বিকৃতির প্রসঙ্গে আসিতেছি।
২শরা মে প্রথম প্রভিন্সিয়াল সরকারের পতন হইল। এপ্রিল মাসে দেশে ফিরিয়াই লেনিন জানাইলেন, লিবার্যালদের সাথে সমঝোতা তিনি করিবেন না। সোভিয়েতের হাতে পূর্ণ ক্ষমতা চাই। জমি কৃষকের হাতে পুনর্বন্টনের ব্যাপারে মেনশেভিক, বলশেভিক বা বিপ্লবী সোস্যালিস্ট কাহারও মতানৈক্য হয় নাই-পার্থক্য দাঁড়াইল পদ্ধতির। মেনশেভিকরা অক্টবরের কনস্টিটিউশনাল এসেম্বলী পর্যন্ত অপেক্ষা করিতে চাহিলেন-কিন্ত লেনিনের রক্ত ফুটিতেছিল। ফলে জুলাই মাসে বিপ্লবী সোস্যালিস্ট পার্টির কেরেনাস্কী সরকারের প্রধান হইলেও এবং বলশেভিকরা সোভিয়েতের মাধ্যমে ক্ষমতা ভোগ করিতে থাকিলেও, লেনিন নিরঙ্কুশ ক্ষমতার মোহে নেশাগ্রস্থ হইয়া কেরেনাস্কির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করিলেন এবং কেরেনাস্কি তা সফল ভাবে দমন করিলেন। লেনিন ফিনল্যান্ডে পালাইলেন। কেরেনাস্কির জনপ্রিয়তা হ্রাস পাইতেছিল। তবে বলশেভিকদের জনপ্রিয়তা তাহাদের “শান্তি, রুটি এবং চাকরী” শ্লোগানে খুব বেশী বৃদ্ধি পাইতেছিল এমন কোন প্রমান নাই। তাই পেট্রোগাডের অভ্যুত্থান কেরেনাস্কি অতি সামান্য সৈন্যবলেই দমন করিলেন।
কেরেনাস্কি সম্মন্ধে কিছু না বলিলে এই ঢপবাজির ইতিহাস অসম্পূর্ণ থাকিবে। কারণ পরবর্ত্তীকালে ইনাকেও ‘বুর্জোয়া‘ বলিয়া বলশেভিকরা ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড় করাইবেন। তাই প্রক্ষাপট জানা প্রয়োজন।
আলেক্সন্ডার কেরেনাস্কি কাজ়াণ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেনিনের ভূতপূর্ব শিক্ষক ফ্রিওডরের সন্তান। ১৯১২ সালে রাশিয়ান ডুমায় প্রথম নির্বাচিত হন। আইনের স্নাতক কেরনাস্কি তৎকালীন রাশিয়ার সেরা বক্তা, নিখাদ গণতন্ত্রপ্রেমী এবং উদারনৈতিক রাজনীতিবিদ ছিলেন। বলশেভিকদের সহিত তাহার দূরত্ব তৈরী হইল, লেনিন ক্যু ঘটাইবার চেস্টা করিলে। লেনিন কেরেনাস্কিকে ‘বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক‘ না গণ্য করিয়া “পুঁজিবাদের” সমর্থকদের দলে ফেলিলেন। ইহার কারন কেরেনাস্কি যুদ্ধ হইতে রাশিয়ান সেনা সরাইলেন না। বৃটেন এবং ফ্রান্সের সমর্থনে যুদ্ধ চালাইতে থাকিলেন-ফলে লেনিন তাহার “পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদের সর্বোচ্চ স্তর” এই তত্ত্ব অনুসারে পুঁজিবাদী ঠাওরাইলেন। হবসন হইতে টোকা লেনিনের এই তত্ত্ব আজ যতই হাস্যকর হউক না কেন, তৎকালে, কেরেনাস্কির এই মূল্যায়ন মারাত্মক ভুল। ঐতিহাসিকরা নিশ্চিত হইয়াছেন, যুদ্ধ বন্ধ করিলে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স হইতে যে খাদ্য এবং অর্থ সাহায্য আসিতেছিল তাহা বন্ধ হইত-জার্মানী রাশিয়ার অনেক জমি দখল করিত-বিচক্ষন কেরেনাস্কি রাশিয়ার স্বার্থেই যুদ্ধ চালাইতেছিলেন-তাহার পার্টির নীতি অনুসারে কৃষকদের হাতে আর দুমাসের মধ্যেই জমির গণবন্টন করিবেন বলিয়া স্থির করিয়াছিলেন। এবং তা সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করিবার প্ল্যান-যাহাতে রাশিয়া খাদ্যাভাবের সম্মুখীন না হয়, তাহার জন্যে ধীরে চলো নীতি লইয়াছিলেন।
ইতিহাস সাক্ষী কেরেনাস্কি ঠীক ই করিতেছিলেন। কারন বলশেভিকরা ক্ষমতা দখল করিবার পর, রাশিয়া বিরাট খাদ্যাভাবের সম্মুখীন হয়। বলপূর্বক খেত দখল করিয়া চাষিকে নামে মাত্র কৃষি জমি বন্টন করিয়া, তাহা হইতে রাষ্ট্রের গুদামের জন্যে অধিকতর লেভি আদায়ের চেস্টায় আধকোটি কৃষক ১৯২০-২৩ সালের মধ্যে মৃত্যু মুখে পতিত হয়। বিপ্লবের পর হইতে অর্ধাহারে অনাহারে থাকিয়া চাষিরা তাহাদের খাদ্যশষ্যকে রাষ্ট্রের হাতে তুলিয়া দিতে বাধ্য হয়। অবাধ্য চাষিদের নগ্ন করিয়া রাশিয়ান শীতে ঘোড়ার ঠান্ডা ঘরে বা খোলা মাঠে রেড আর্মি বাঁধিয়া রাখিত। ঠান্ডায় পটল না তুলিলে, বৈপ্লবিক অনাহারে চাষিরা মারা যাইতেছিল-যাহাতে খাদ্যসমস্যা বাড়িতেছিল।
শ্রমিক শ্রেনী যেমন বলশেভিকদের সাথে ছিল-কেরেনাস্কির সমাজবাদি বৈপ্লবিক পার্টির স্তম্ভ ছিল কৃষক শ্রেণী। যাহাইহোক আগস্টেও ক্ষমতায় সুরক্ষিত কেরেনাস্কি-বলশেভিকরা তখনও সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল। এমন অবস্থায় জীবনের বৃহত্তম ভুলটি করিলেন কেরেনাস্কি। কর্লিনভ নামে এক সেনাপতিকে মিলিটারী কম্যান্ডার ইন চিফ নিযুক্ত করিলেন। কর্লিনভ দেখিলেন কেরেনাস্কি দুর্বল। কেরেনাস্কি সন্দেহ করিলেন কর্লিনভ মিলিটারী ক্যু করিয়া ক্ষমতা দখলে উদ্যত।
এই সন্দেহ তাহাকে শেষ করিয়াছিল-বলশেভিকদের ক্ষমতার দরজা খুলিয়া দিল। কর্লিনভের ভয়ে, কেরেনাস্কি সোভিয়েতের মধ্যে অস্ত্র বিলাইতে লাগিলেন। সোভিয়েতের মধ্যে বলশেভিকরা এই অস্ত্র অধিক পরিমানে গ্রহন করিল- ট্রটস্কি সুযোগের সদব্যাবহার করিলেন ইহাদের দ্বারা রেড আর্মি গঠন করিয়া। কেরেনাস্কি ভাবিলেন ইহারা বন্ধু-ইহারাই তাহার রক্ষক হইবে। কারন তিনি এবং বলশেভিকরা একই আদর্শের মানুষ। ভুল ভাবিয়াছিলেন। কারন ইহার পর আমরা দেখিব, নভেম্বর বিপ্লবের পর কেরেনাস্কির সমাজবাদি পার্টি বলশেভিক অপেক্ষা দ্বিগুন ভোট অর্জন করা সত্ত্বেও শুধু রেড আর্মির বন্দুকের জোড়ে ট্রটস্কি তাহাকে তাড়াইবেন। কেরেনাস্কি যাহা স্বপ্নেও ভাবেন নাই! তাহার স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী রাশিয়া। কখনোই ভাবেন নাই, যে সোভিয়েতকে তিনি নিজ হস্তে তৈরী করিয়াছেন এবং বলশেভিকদের আদরের সাথে তাহাতে স্থান দিয়াছেন-তাহারাই গণতান্ত্রিক মত অগ্রাহ্য করিয়া, তারই প্রদত্ত বন্দুকে, তাহাকেই গদিচ্যুত করিবে! ইতিহাসে তাহাকে ফেলিবে পুঁজিবাদের দালাল হিসাবে-আর সোভিয়েতের যাবতীয় কৃতিত্ব নিজেরা হস্তগত করিবে!
বলশেভিক বিপ্লবের জন্যে কেরেনাস্কিকেই দায়ী করিয়া থাকে রাশিয়ার আপামর রাজনৈতিক নির্বাসিত জনগণ। কেরেনাস্কি যখন আমেরিকাতে মারা যান ১৯৭০ সালে, কোন রাশিয়ান অর্থডক্স চার্চ তাহাকে সমাধিস্থ করিতে রাজী হয় নাই। কারন, বলশেভিক বিপ্লবের জন্যে তাহারা লেনিনকে যত ক্রেডিট দিয়া থাকে, তাহা হইতে শতগুন ডিসক্রেডিট কেরেনাস্কির জন্যে বরাদ্দ করিয়াছে। কেরেনাস্কি সোভিয়েতের হাতে অস্ত্র তুলিয়া না দিলে রেড আর্মি গঠিত হইত না। নভেম্বর বিপ্লবের পুণ্যতিথি এবং কমিনিউস্টদের অমানবিক নরমেধ যজ্ঞ যত পৃথিবীতে হইয়াছে, তাহার কিছু ই আমরা দেখিতাম না-যদি কেরেনাস্কি ট্রটস্কিকে রেড আর্মি গঠন করিতে না দিয়া, নিজে আর্মি গঠনে সক্রিয় হইতেন বা কর্নিলভকে নিয়োগ না করিতেন। জনগন তাহার সাথেই ছিল-তাহারাও লেনিনের স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্র অপেক্ষা তাহার গণতান্ত্রিক পথেই বিশ্বাস রাখিয়াছিল। কিন্তু মিলিটারী স্ট্রাটেজীতে ভুল করিয়া তিনি সমগ্র বিশ্বের আশু সর্বনাশ করিলেন।যাহার ফলশ্রুতি স্বরূপ ১৯৭০ সালে তাহাকে কোন রাশিয়ান চার্চ কবরস্থ করিতে চাহিল না!
যাহাই হৌক ৭ ই নভেম্বরে কেরেনাস্কি সরকারকে গদিচ্যুত করার পর, ৬৫০ সদস্যের নতুন কনস্টিটুয়েন্ট এসেম্বলী গঠন করিলেন লেনিন। যাহাতে বলশেভিকরা ৩৯০টি আসন দাবী করিলেন। মেনশেভিক এবং বিপ্লবী সমাজতন্ত্রীদের জন্য ২৬০ টি আসন বরাদ্দ হইল। দক্ষিন পন্থী
‘পুঁজিবাদি‘ কনস্টিটুশনাল ডেমোক্রাটিক পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হইল। সমাজতান্ত্রিক ব্যাতীত সমস্ত প্রেসের কন্ঠ রোধ করা হইল।
মেনশেভিক এবং বিপ্লবী সমাজতন্ত্রীরা এ সিদ্ধান্ত মানিলেন না। ইনারা দেখিলেন লেনিন গণতন্ত্রের কন্ঠ রোধ করিয়া, যথাসময়ে তাহাদেরও আস্তাকুপে নিমজ্জিত করিবে। রাশিয়ান মিলিটারি তখন দুর্বল-কিন্ত অটুট। মেনশেভিক, বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী এবং দক্ষিনপন্থী সবার হাতেই অস্ত্র আছে। জোর করিয়া ক্ষমতা দখল করিতে গেলে গৃহযুদ্ধ আসন্ন দেখিয়া, লেনিন ১২ই নভেম্বর গণতান্ত্রিক নির্বাচন করিতে বাধ্য হইলেন। তাহার আশা ছিল জনগন তাহার পাশেই আছে।
রাশিয়ান জনগণ কিন্তু ‘লেনিন‘ নামক অগণতান্ত্রিক দৈত্যটিকে ঠিক ই চিনিয়াছিল। ১২ই নভেম্বর নির্বাচনে, বলশেভিকদের ভরাডুবি হইল-কেরেনাস্কির বিপ্লবী সমাজতন্ত্রীরা বলশেভিকদের দ্বিগুনেরও বেশী ভোট পাইলেন।
Party |
Votes |
Number of deputies |
17,100,000 |
380 |
|
9,800,000 |
168 |
|
1,360,000 |
18 |
|
2,000,000 |
17 |
|
|
77 |
|
|
39 |
|
|
4 |
|
Total: |
41,700,000 |
703[6] |
লেনিনের বলশেভিক বিপ্লবের স্বপ্ন ধুলিস্যাত হইল। ‘নভেম্বর বিপ্লবের‘ পরেও রাশিয়ান জনগণ তাহাদের “কমিনিউজমের বুলিতে” না ঠকিয়া, গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রীদের চাহিয়াছিল।
লেনিন দেখিলেন রাশিয়ান জনগণ তাহাদের প্রত্যাখাত করিয়াছে। এতেব ‘রেড আর্মি‘ দিয়া জোর করিয়া ক্ষমতা দখল ব্যাতীত উপায় নাই। ডিসেম্বরের ছাব্বিশ তারিখে এই গণতান্ত্রিক সরকারকে নিশিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে এবং নিজের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখলের অভিপ্রায়ে, কনস্টিটুশনাল এসেম্বলি বন্ধ করিবার ডিক্রী জারি করিলেন। দাবি করিলেন সোভিয়েত, কনস্টিটুশনাল ডেমোক্রাসি হইতে উঁচুতে-
2. While demanding the convocation of a Constituent Assembly, revolutionary Social-Democracy has ever since the beginning of the Revolution of 1917 repeatedly emphasised that a republic of Soviets is a higher form of democracy than the usual bourgeois republic with a Constituent Assembly.
এবং কনস্টিটুশনাল এসেম্বলী জনগণের প্রতিনিধি নয়—
5. … the party which from May to October had the largest number of followers among the people, and especially among the peasants — the Socialist-Revolutionary Party — came out with united election lists for the Constituent Assembly in the middle of October 1917, but split in November 1917, after the elections and before the Assembly met.
সুতরাং কনস্টিটুশনাল এসেম্বলী ধ্বংশ করিতে হইবে–
the interests of this [October 1917] revolution stand higher than the formal rights of the Constituent Assembly […]
কনস্টিটুশনাল এসেম্বলী প্রতিবিপ্লবী!
17. Every direct or indirect attempt to consider the question of the Constituent Assembly from a formal, legal point of view, within the framework of ordinary bourgeois democracy and disregarding the class struggle and civil war, would be a betrayal of the proletariat’s cause, and the adoption of the bourgeois standpoint[
কনস্টিটুশনাল এসেম্বলী প্রতিবিপ্লবী! অর্থাৎ জনগণের রায়ে লেনিন যখন দেখিলেন ক্ষমতা দখল সম্ভব নহে, জনগন তাহাদের ক্ষমতার লোভ এবং লালসাকে বিলক্ষন চিনিয়াছে এবং প্রত্যাখ্যাত করিয়াছে, জনগণের সেই রায়কে বাতিল করিবার জন্যে লেনিনসুলভ ছেঁদো “প্রতিবিপ্লবী” তত্ত্বের অবতাড়না করিলেন।
পৃথিবীর “ডিক্টটর শিপের” ইতিহাসে ইহা বারংবার ঘটিয়াছে। হিটলারত তাও থার্ড রাইখে নিরঙ্কুশ সংখ্যাধিক্যে জিতিয়া-একই কারনে থার্ড রাইখ তথা গণতন্ত্রের বলি চড়াইয়াছিলেন। হিটলারের বক্তব্য লেনিন হইতে এক অক্ষরও পৃথক নয়-ক্ষমতা দখলের জন্য গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে মূল বক্তব্য সেই এক-গনতান্ত্রিক পার্লামেন্ট বিপ্লবী পরিবর্ত্তন আনিতে ব্যার্থ হইয়াছে!
তবেও ইহাও ইতিহাস বলে বলশেভিক পার্টির অধিকাংশ সদস্য লেনিনের গণতন্ত্রকে ধ্বংশ করিবার এই ডিক্রির বিরুদ্ধেই ছিলেন। কিন্তু কম্যুনিউস্ট পার্টি চিরকালই সেক্রেটারী জেনারেলের কথায় কান ধরিয়া উঠবোস করিয়াছে। ফলে ১১ই ডিসেম্বর এক ডিক্রির মাধ্যমে বলশেভিক পার্টির সবাইকে লেনিনের “গণতন্ত্রকে ধ্বংশ করিবার” ডিক্রী মানিতে বাধ্য করা হইল-তাহাদের ইচ্ছার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে।
লেনিনের রেড আর্মি ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া শুরু করিল। রাশিয়াতে গৃহযুদ্ধ শুরু হইল। দক্ষিনপন্থীরা হোয়াইট আর্মি গঠন করিয়া রেড আর্মির সহিত যুদ্ধে লিপ্ত হইলেন। এসেম্বিলীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজতন্ত্রী বিপ্লবীরা গৃহযুদ্ধে বলশেভিকদের সমর্থন করিলেন-তবুও তাহাদের কারাগারে নিক্ষেপ করিয়া কোতল করা হইল। ১৯১৮ সালে সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী পার্টির (SR) নেতাদের খুন এবং কারাগারে বন্দি করার মাধ্যমে রাশিয়ান গণতন্ত্রকে চিরতরে ধ্বংশ করিলেন লেনিন। গৃহযুদ্ধে লেনিন এবং ট্রটস্কি, কৃষকদের বিরুদ্ধে কি নৃশংস খুন এবং অত্যাচারের রাজত্ব ১৯২৩ সাল পর্যন্ত কায়েম করিয়াছিলেন-তাহা লইয়া আলোচনা করিলাম না। বলশেভিকদের অত্যাচারে ১৯১৭ থেকে ২৩ সালের মধ্যে পঞ্চাশ লক্ষ কৃষক মৃত্যুমুখে পতিত হয়। জর্জিয়াতে মেনশেভিকদের দমন করিতে, অত্যাচারের কি স্টিমরোলার ইনারা চালাইয়াছিলেন-আজকের জর্জিয়া এবং ইউক্রেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানে তাহার প্রতিকার দাবি করিতেছে।
আমাদের বঙ্গজ লালপন্থীরা নভেম্বর মাসকে বিপ্লবের পবিত্র মাস বলিয়া গণ্য করিতে পারেন-কিন্তু বাস্তবে তাহা ছিল গণতন্ত্রের ধ্বংশের মাস। কৃষকদের জমি বন্টণ করিয়া তাহাদের উপর হইতে লেভি তুলিবার জন্য অমানবিক অত্যাচার ও হত্যা শুরু করিবার মাস। জর্জিয়া, ইউক্রেনের স্বাধীনতাকামী মানুষদের বিরুদ্ধে বলশেভিক সাম্রাজ্যবাদের মাস।
ইতিহাস কাহাকেও ক্ষমা করে নাই। লেনিন এবং স্টালিনকেও না। তাই আজ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানে বলশেভিকদের অত্যাচারকে হিটলারে সমতুল্য নাজিদের ঘৃণ্য বর্বরতার সহিত তুলনা করিবার দাবি উঠিয়াছে। ২০০৭ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের জাস্টিস মিনিস্টার বিগ্রেট জাইপ্রেস ২৭টি ভূতপূর্ব সোভিয়েত দেশের দাবি মানিয়া লেনিন এবং স্টালিনের কৃত অপরাধের নবমূল্যায়ন করিতে রাজি হইয়াছেন। নাজিদের যেমন নিশিদ্ধ ঘোষনা করা হইয়াছে- ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানে-২৭টি দেশ দাবি তুলিয়াছে বলশেভিক মতাদর্শে বিশ্বাসী কমিনিউস্টদেরও একই ভাবে নিশিদ্ধ ঘোষনা করিতে হইবে- কেননা তাহাদের অপরাধ হিটালারের নাজি বাহিনী অপেক্ষা কোন অংশে কম নহে। বঙ্গজ লালপন্থীরা অবশ্য ইহাকে “পুঁজিবাদের চক্রান্ত” বলিয়া উড়াইয়া দিবে! যাহারা বলশেভিকদের হাতে অত্যাচারিত হইয়াছিল, তাহাদের অপেক্ষা বঙ্গজ কমিনিউস্টরা অবশ্যই বেশী জানিয়া থাকিবেন-বাঙালী জ্ঞান গর্ভসারের ইহাই ধর্ম–তবে আমরা বিলক্ষন অবগত আছি- তাহাদের এই অধিক জ্ঞানে পশ্চিম বঙ্গের গঙ্গাপ্রাপ্তি এবং বাংলাদেশের ইসলামায়ন সম্পূর্ণ হইয়াছে।
ইতিহাস ঠাট্টা করিতেও ওস্তাদ। লেনিন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রীদের ধ্বংশ করিয়াছিলেন-তাহাদের পুঁজিবাদের দালাল বলিয়া আখ্যায়িত করিয়া। আজ ভারতীয় পার্লেমেন্টারী সিপিএম যখন লেনিন এবং স্টালিনের পুজা দিতেছে-নভেম্বর বিপ্লবের পবিত্র দিনে বলশেভিক বিপ্লবের বিরোধিদের ধিক্কার দান করিতেছে-তাহারা একবারের জন্যেও ভাবিয়াছেন-এই বিরোধিরা ছিল তাহাদেরই মতাদর্শে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী গণ? সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক উপায়ে জমির গণবন্টন করিতে চাহিয়াছিল -যাহা সিপিএম পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরলে করিয়াছে। অথচ ইহাদেরকেই পুঁজিবাদের দালাল বলিয়া লেনিন হত্যা করিয়াছিলেন-বাকীরা অত্যাচারে বলশেভিক পার্টিতে জয়েন করিতে বাধ্য হইয়াছিল। ঠাট্টা এখানেই শেষ হয় নাই। আজ মাওবাদিরা গোটা ভারতে সশস্ত্র বিপ্লব শুরু করিয়াছে। ১৯১৭ সালের প্রেক্ষাপটে বর্তমান ভারতে মাওবাদির অবস্থান বলশেভিকদের ন্যায় এবং সিপিএমের ভুমিকা অবিকল “স্যোশাল রিভল্যুশনরী” বা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের সমতুল্য। লেনিন ইহাদের “পুঁজিবাদের দালাল” বলিয়া হত্যা করিয়াছিলেন। তাহা হইলে আজকের পশ্চিম বঙ্গে মাওবাদিরা যখন সিপিএমের নেতাদের হত্যা করিতেছেন তখন মাওবাদিরা বিলক্ষন লেনিনের পথই অনুসরন করিতেছে। তাহা হইলে সিপিএমের নিকট লেনিন ভগবান আর মাওবাদিরা ঘৃণিত জীব হইল কিরূপে? একই কৃতকর্মের জন্যে কেন এই দ্বিচারিতা সুলভ অবমুল্যায়ন?
ইহার উত্তর আমরা বিলক্ষন জানি। বাপুজি দিয়াছিলেন। কেও শোনে নাই। গান্ধীজি বলিতেন আন্দোলনের মূললক্ষ্য হইতেও আন্দোলনের পথে সততা এবং নিষ্ঠার অনুশীলন অধিক জরুরী। লক্ষ্য পথ হইতে পৃথক হইতে পারে না। স্বয়ং ওবামাও গান্ধীর এই কথা বারংবার তাহার ভাষনে বলিয়াছেন। কিন্তু লেনিন সহ সমস্ত কমিনিউস্ট আন্দোলনের ইতিহাস আসলেই মানুষের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস। গণতন্ত্রে পরাজিত হইয়া, লেনিন গণতন্ত্রকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করিয়াছিলেন-জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছিলেন-তাহাদের হত্যা করিয়া দমন করিয়াছেন। মৃত আধকোটি কৃষক কোন পুঁজিপতির ভাইরাভাই ছিল না। তাহারা ছিল সাধারন জনগণ। তাই বলশেভিক বিপ্লবের নামে রাশিয়াতে এক ভয়ংকর একনায়কতন্ত্রী সাম্রাজ্যবাদি জনবিরোধি বুরোক্রাটিক রাজত্ব শুরু হয়-যাহার পতন ছিল অবসম্ভাবী।
আর আমাদের বঙ্গজ লালেদের কথা? খুনীদের অনুসরন করিলে তাহারাও খুনী হইবেন-ইহাতে আশ্চর্য্য কি? নন্দীগ্রাম সেই সত্যকেও স্বরণ করাইয়াছে।লেনিনও চাষিদের ওপর অত্যাচার করিয়াছেন-তাহারাও করিয়াছে। আসল খেলাটা সর্বদাই “বিবর্তন মুখী” ক্ষমতার। আমজনতার দারিদ্র এবং দুঃখে ক্রন্দন এবং সাম্যের জন্য বিপ্লবের প্রতিশ্রুতি দরিদ্রক্লিষ্ট জনগণকে ভুলাইবার ললিপপ। গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা এবং মূল্যায়নের মাধ্যমে এই সমাজে সাম্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব। উন্নততর ধণতন্ত্রের সহিত ভারসাম্যযুক্ত সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা সম্ভব। গণতন্ত্রে একদিনে পরিবর্ত্তন আসিবে না-সময় লাগিবে-কিন্ত গণতন্ত্র ই গণতন্ত্রকে ঠিক পথে চালাইবে। বিপ্লবের নামে কোটি কোটি মানুষের জীবনকে ধ্বংশ করিবার ‘লীলাখেলার” কোন অধিকার কাহারও নাই।
যাহারা আরো জানিতে চান-এই ভিডিওটি দেখিতে পারেনঃ
🙁 very well debate :good:
এই প্রবন্ধ নিয়ে গত দুবছর নানান ফোরামে যে আলোচনা হয়েছে আর মধ্যে গুরুত্ব পূর্ন একটি আলোচনা তুলে দিলাম শুধ এটা বোঝানোর জন্যে, কি ভাবে এখনো আমাদের দেশের কমিনিউস্টরা ব্রেইন ওয়াশড, নভেম্বর বিপ্লবের ব্যাপারে
If you live long enough and fight hard enough, a sense of comforting continuity comes.
কল্লোল বাবু এস ইউস্যুয়াল পেট্রোগ্রাড বিপ্লবের কথা আবার চেপে গেলেন-যখানে লেনিন কেরেনাস্কিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মিলিটারী ক্যু করেন। সেটাই আমি লিখেছিলাম কেন কেরেনাস্কি বলশেভিকদের বিরুদ্ধে গেলেন। সেটা নিয়েই যখন তর্ক হচ্ছে তখন আসল পয়েন্টটা কল্লোল বাবু কবার গায়েব করবেন? আর ওয়াই কি কেই যখন প্রামান্য মানছেন, তখন এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিন ওই কি থেকে
(১) ট্রটস্কি ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় আসার পথে কোন ইউরোপিয়ান শক্তি তাকে গ্রেফতার করে? এবং রাশিয়াতে কোন নেতার চেস্টায় তিনি ছাড়া পেলেন?
(২)প্রেট্রোগার্ড বিপ্লবের আগে কেরেনাস্কি কজন বলশেভিককে ধরে ছিলেন?
(৩) কেরেনাস্কিকে তাড়ানো হল ৫ ই নভেম্বর,১৯১৭। তার আগে এস আর পার্টি ভেঙেছে? না ভেঙেছে তার পরে? আপনার লেখায় ডেট টা বেমালুম ভুলে গেছেন। ওটা পাঠকদের জানান। আপনার বক্তব্যের জল পরিষ্কার হয়ে যাবে।
(৪) ল্যান্ড বন্ঠন করা কেরেনাস্কির প্ল্যানের মধ্যেই ছিল। যুদ্ধ্ব ও তিনি বন্ধ করতে চান নি। কারনটা উনি নন-কনস্টীটূয়েনসি এসেম্বলীই বন্ধ করে নি। কারন টা আমার আর্টিকলেই আছে। যুদ্ধ বন্ধ করলে জার্মানী রাশিয়ার অনেক টা জায়গা দখল করত। কৃষিজমি কেন বন্টন করতে দেরি হচ্ছিল, সেটাও কেরেনাস্কি সোভিয়েতকেই জানিয়েছিলেন।
সুতরাং আপনারা এতদিন যে রূপকথা পড়েছেন সেটা ছেড়ে এবার বাস্তবের মাটিতে আসুন।
এক:
বিপ্লব বাবু এবার যুক্তি তর্কের সোজা রাস্তা ছেড়ে বাকা রাস্তা ধরেছেন- উনি blame game শুরু করছেনে। উনি সোজা বলে বসলেন আমি মিথ্যা ইতিহাস দিয়েছি। কিন্তু নিজের এই কথা প্রতিষ্ঠাকরার জন্য উনি নিজে যেভাবে নির্লজ্জ মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন এবং আমার মুখ দিয়ে যেসব কাল্পনিক কথা বের করেছেন, তার পরে তার সাথে আর তর্ক করার রুচি থাকে না, কোন মানে ও হয়না… শুধু অন্যান্য পাঠক যারা পড়ছেন তাদের কথা ভেবেই আমি জবাব দিচ্ছি। তিনি তার [২] নং অভিযোগে বলেছেন:
কেরেনাস্কি রেড আর্মিকে অস্ত্র দিয়েছিলেন এটাত বলশেভিকরাও অস্বীকার করে না! কল্লোল বাবু, বঙ্গজ কমি, করে থাকেন।
অথচ আমার যে মন্তব্যের বিপরীতে তিনি এ কথাটি বললেন সেখানে কোথাও আমি অস্বীকার করিনি যে কেরেনেস্কি বলশেভকদের অস্ত্র দেয়নি বরং কেরেনেস্কি বলশেভিকদের বিপক্ষের লোক হযেও কোন কারনে বলশেভিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল সে বিষয়ে বলার চেষ্টা করেছি!!! পাঠক, আমার মন্তব্যের এই অংশটুকুর দিকে দৃষ্টি আকর্ষন করছি:
যে কেরনেস্কি সমাজতন্ত্রীদেরকে ধইরা জেলে পুরে, পার্টি পত্রিকা বাজেয়াপ্ত করে, সে যে আর যাই হোক কোন সমাজতান্ত্রিক পীরিতি থেইকা রেড আর্মিকে অস্ত্র সাপলাই দিবোনা এই টা তো পাগলেও বোঝার কথা… বোঝেনা খালি বিপ্লব পাল!!! আরে ধাধার কি আছে! কেরেনাস্কি দেখছে তার সাধের সরকারের পতন আসন্ন, তার কোন জেনারেলের সমর্থন সম্পর্কে সে নিশ্চিত নয়.. তাই এক মাত্র বলশেভিকরাই তখন মন্দের ভালো অপসন ছিল তার সামনে।
আপনারাই বলুন আমি কি এখানে অস্বীকার করেছি নাকি নাকি ব্যাপারটা যে সমাজতান্ত্রিক দরদের বদলে স্রেফ নিজের গদি বাচানোর তাগিদে ঘটেছিল সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেছি।
বিপ্লব পালকে কি এখন বাংলা পড়া শেখাতে হবে নাকি??
দুই:
এবার [১] নং পয়েন্টে কি বলেছেন দেখা যাক। বিপ্লব পালের মতে…..
এশ আর পি, ভেঙেছে লেনিনের অত্যাচারে ইলেকশনের অনেক পড়ে। কেরেনাস্কি ইলেকশনের অনেক আগেই দেশ ছাড়া হয়েছেন। মার ধোর, বন্দুকের নল দেখিয়ে পার্টি ভেঙে, গণতন্ত্র?
এস আর পার্টি ইলেকশানের পড়ে ভেঙেছে এ তথ্য আপনি কোথায় পেলেন? আর এটাও পুরোপুরি মিথ্যা যে এস আর পার্টি লেনিনের অত্যাচারে ভেঙেছে। বলশেভিক বা সমাজতন্ত্রী বই পত্র বাদ দিলাম… আসেন দেখি উইকিপিডিয়াতে S.R পাটি ভাঙার সময় এবং কারণ হিসাবে কি লেখা আছে:
In mid-late 1917 the SRs split between those who supported the Provisional Government and those who supported the Bolsheviks and favoured a communist revolution. Those who supported the Bolsheviks became known as Left Socialist-Revolutionaries (Left SRs) and in effect split from the main party, which retained the name “SR” [1]. The primary issues motivating the split were the war and the redistribution of land. The Left SRs, led by Maria Spiridonova, believed that Russia should withdraw immediately from World War I, and they were frustrated that the Provisional Government wanted to postpone addressing the land question until after the convocation of the Russian Constituent Assembly instead of immediately confiscating the land from the landowners and redistributing it to the peasants.
র্সূত্র: http://en.wikipedia.org/wiki/Socialist-Revolutionary_Party
এখান থেকে দেখা যাচ্ছে In mid-late 1917 এ মূলত যুদ্ধ এবং ভুমি পুনর্বটনের কারনে S.R পার্টি দুই ভাগে বিভক্ত হয়: The primary issues motivating the split were the war and the redistribution of land.
তাহলে ইলেকশানের অনেক পড়ে লেলিনের অত্যাচারে S.R পার্টি দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে একথার চেয়ে বড় মিথ্যা আর আছে কি?
The Constituent Assembly had been a demand of the Bolsheviks against the Provisional Government, which kept delaying it. After the October Revolution the elections were run by the body appointed by the previous Provisional Government. It was based on universal suffrage, but used party lists from before the Left-Right SR split. The anti-soviet Right SRs took the majority of the seats but this reflected the opposite of reality: the majority of SRs and the people were pro-soviet.
সুত্র: http://en.wikipedia.org/wiki/Third_Russian_Revolution#cite_note-carr1985-0
mid-late 1917 দেখে যদি কারও সন্দেহ হয় নির্বাচনের আগে পড়ে বিষয়ে তাহলে এই বাক্যটির দিকে দৃষ্টি আকর্ষন করছি: It was based on universal suffrage, but used party lists from before the Left-Right SR split.
এখণ পাঠক আপনারাই বলুন কে মিথ্যাচার করছে?
তিন:
বিপ্লব বাবু কি ব্যাপক সনি টিভি মার্কা হিন্দী সিরিয়াল দেখেন নাকি? রাজনীতি, বিপ্লব এই সব বিষয়কে নইলে এমন ভাবে (বলশেভিক পার্টিকে আইনানুগ করা এবং লেনিনকে ফিরিয়ে আনার পেছনে তার হাত ছিল। লেনিন তার বাবার ছাত্র ছিল। অনেক দিন থেকে চিনতেন।) পারিবারিক flavour এ ব্যাখ্যা করার প্রতিভা অর্জন করা সহজ নয়!! আসল ঘটনা হলো ওই সময় শুধু বলশেভিক পার্টিই আইনানুগ হয়নি কিংবা শুধু লেনিনই ফিরে আসেননি বরং ফেব্রুয়ারী বিপ্লবে জারের পতনের পর গোটা রাশিয়ার রাজনীতিতে যে বুর্জোয়াগণতান্ত্রিক নিয়ম নীতি প্রতিষ্ঠা.. আইনের শাসন.. রাজনৈতিক বিধিনিষেধ উঠে যাওয়া.. ইত্যাদির সুযোগেই লেনিন সুইজারল্যান্ড থেকে রাশিয়া ফিরে আসতে স্বক্ষম হন.. এখানে ব্যাক্তি কেরেনেস্কির দয়া-আনুকুল্যের কোন ব্যাপার নেই.. সুতরাং কৃতজ্ঞতা/অকৃতজ্ঞতারও সুযোগ নেই। তারপরও তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই যে কেরনেস্কি ব্যাক্তিগত ভাবে লেনিনের কিংবা বলশেভিক পার্টির অনেক উপকার করেছে.. তাহলেও ..লেনিন যখন দেখলেন কেরনেস্কি শ্রমিক-কৃষকের স্বার্থবিরুদ্ধ আচরণ করছে… তখন ব্যাক্তিগত কৃতজ্ঞতা বোধের কারণে তাকে ক্ষমতাচ্যৃত না করাটি কি কোন মহত কর্ম বলে গণ্য হতো???
এ প্রশ্ন পাঠক কে উদ্দেশ্য করে। আমি এরমধ্যেই বুঝে গেছি বিপ্লব পাল কে এসব প্রশ্ন করে লাভ নেই। বিপ্লব পাল হিন্দী সিরিয়ালের বাস্তবতা দিয়ে মহান অক্টেবর বিপ্লবকে ব্যাখা করার চেষ্টা করেই যাবে!!!
দেখুন আমি লেখক-রাজনৈতিক কর্মী নয়। চোখের সামনে যা সত্য বলে দেখি তাই লিখি। আমি মেহনতী মানুষ বা ধণ্যাট্য ব্যাক্তিবর্গের-কারুর জন্যেই কলম ধরি না। লেখক হিসাবে আমার দায়বদ্ধতা সত্য এবং সৌন্দর্য্যের প্রতি। তাই আবেগের জোয়ারে গা না ভাসিয়ে-আমার ঐ বক্তব্যে ভুল কোথায় আছে দেখান। আমি জানতে চেয়েছি সোভিয়েতে সাধারন মানুষের জন্যে কি আবিষ্কার করেছে? ইলেকট্রিক বাল্ব, টিভি, ইন্টারনেট, কম্পুটার এবং জীবন দায়ী ওষুধের সবই ত আমেরিকার আবিস্কার। সেটা কেন বোঝার ক্ষমতা আপনাদের থাকবে এ আশা আমি করি নি। অতটা বুঝলে কম্যুনিজমের ভুত ঘারে চাপত না।
অসামিরক ভারত-আমেরিকা নিউক্লিয়ার চুক্তির অন্ধ বিরোধিতা একধরেনর রাজৈনিতক আত্মহত্মা।”
>>This was a civil nuclear deal and India needs power. My article clearly speaks why civil and military deal must be separated.
অনুপম সৈকতের বক্তব্য প্রলাপ ছাড়া কিছু নয়। মার্ক্সবাদ কি এক মাত্র মুক্তির উপায়-সেই প্রবন্ধে আমি উনার এই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি-অভিজিতের প্রবন্ধের উত্তরে ওটা দেওয়া ছিল। আবার দিচ্ছি।
http://biplabpal2000.googlepages.com/marxdemo
কল্লোল বাবু মিথ্যে ইতিহাস দিয়েছেন
[১] এশ আর পি, ভেঙেছে লেনিনের অত্যাচারে ইলেকশনের অনেক পড়ে। কেরেনাস্কি ইলেকশনের অনেক আগেই দেশ ছাড়া হয়েছেন। মার ধোর, বন্দুকের নল দেখিয়ে পার্টি ভেঙে, গণতন্ত্র?
[২] কেরেনাস্কি রেড আর্মিকে অস্ত্র দিয়েছিলেন এটাত বলশেভিকরাও অস্বীকার করে না! কল্লোল বাবু, বঙ্গজ কমি, করে থাকেন।
[৩] কেরেনাস্কি আগস্ট মাসে বলশেভিকদের ওপর ধর-পাকর চালান।
কেন করেন-সেটা কল্লোল বাবু বেমাল গায়েব করে দিলেন। পেট্রোগাডের অভ্যুত্থানে লেনিন সেনাদের কেরেনাস্কির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিলেন। তাহলে কেরেনাস্কি নিজেকে বাঁচাতে কি করবে? এই ঘটনার আগে কেরেনাস্কি বলশেভিকদের কি করেছে? শুনবেন?
বলশেভিক পার্টিকে আইনানুগ করা এবং লেনিনকে ফিরিয়ে আনার পেছনে তার হাত ছিল। লেনিন তার বাবার ছাত্র ছিল। অনেক দিন থেকে চিনতেন।
আর সেই কেরেনাস্কি, যে তার পুনর্বাসন করলো, তাকেই লেনিন সরানোর চেস্টা করলেন পেট্রোগাডে। এরে কঈ কমুনিউস্ট কৃতজ্ঞতা।
চমৎকার জবাব। আমি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাই। ফেসবুক- Kazi Tanvir Hosen E-mail: [email protected]
Number: 01633169532
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
আমারে ”আমরা” বানাইয়েন না ভাই……!!!!
হ ভাই, গালি দিছি……….তয় ‘জাতপাত চেনানো’র আগে যদি একটু কইতেন– যে মিছা কতা কয়া নিজেরে ‘মুকতোমনা’ হিসেবে জাহির করে হের জাতটা কী ???
, সমাজতন্ত্র নিয়া তর্ক-বিতর্কও আমি করতাছি না।নাইলে যে সব question আসছে ওনার লেখার জবাবে সেইটা নিয়াই কতা কইতাম।তয় ঐ টাই বেশি জরুরী। মনে কয় না socialist economy বা political economy নিয়া বিপ্লব পালের কোনো basic conception আছে !! তবু আশা করতাছি মূল লেখক ঐ সব জবাব দিবেন।
আর না জানলে মিছা কতা না কইয়া কইবেন যে জানি না।এইটুকু honesty তবু এখনো ওনার কাছে আশা করতাছি…..
ভাইজানেরা,
ধনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র নিয়া তর্ক-বিতর্ক করতাছেন খুব ভালা কথা। আপনেগো বাহাস দেইখা অনেক কিছুই শিখতাছি আমরা। কিন্তু এই যে আপনাগো মতন জ্ঞানী গুণী মানুষজনেরা ছাগল পাগল বইলা যে মধুর সম্ভাষণগুলা করতাছেন হেইডা কি ঠিক হইতাছে? যা কইতে চাইতাছেন তাতো গালিগালাজ না কইরাও কওন যায়। যায় না? কেউ বুঝতে না চাইলে হাত পা গুটায়া ক্ষ্যামা দ্যান। এইডা হয়তো আপনেরই ব্যার্থতা। আপনি তারে ঠিকমত বুঝাইতে পারেন নাই। আর নইলে হেই লোক কোন কিছুই বোঝবার যোগ্য না। কাজেই তারে ইগনোর করেন। খামাখা গালি দিয়া নিজের জাতপাত চেনানোর দরকারডা কি?
kollol সাহেব,এনারে ছাগল বইলা গালি দিলেন ভাই!!!
এইটা কি ঠিক হইলো ??? ছাগলেও রাগ করতে পারে তাইলে….!!!
এগো লগে কতা কইয়া কি হইবো?কতা বোজোনের লাইগা মাতার দরকার।পূজির গরম শিশা এগো কানের এক সাইড দিয়া ঢুইকা বেরেন ডারে আর এক সাইড দিয়া বাইর কইরা ফালাইছে।একন মুখ দিয়া খালি মিছা কতা বাইর হয়।
কি গলপোডাই না শোনাইলো………!!!!!!!!!!!!!!!
বহুত মজা পাইছি……..!!!!!!!!!
thank u mr. biplop pal.
নিচচই আপনার খুব ‘কযটো’ হইছে এই রূপকথাডা বানাইতে!!!
সংশোধন:
>যেকারণেই লেনিন বলছেন(যেটি বিপ্লবপাল নিজেও উদ্ধৃত করছে কিন্তু বুঝে উঠতে পারেনাই)…. এর বদলে হবে
>>>যেকারণেই লেনিন বলছেন(যেখান থেকে বিপ্লবপাল নিজেও উদ্ধৃত করছে কিন্তু বুঝে উঠতে পারেনাই)
বিপ্লব পাল মহাশয়ের দেয়া লিংক থেকে “রোমান্টিক সামজতান্ত্রিক বনাম সুবিধাবাদি ধনতান্ত্রিক” (http://biplabpal2000.googlepages.com/empiricism.pdf) এবং “ঠিকাদারতন্ত্র” (http://biplabpal2000.googlepages.com/AmericanPolitics.pdf) লেখা দুটো পড়লাম। লিংক দেয়ার আগে আমাদের তিনি লেখাদুটোর সম্পর্কে জানিয়েছেন: “ধণতন্ত্রের সংকট নিয়ে আমার লেখা”।
অর্থাৎ, সে লেখা দুটো নাকি ধনতন্ত্রের সংকট নিয়ে লেখা। পাঠক কূলকে ধনতন্ত্রের সংকট (!) নিয়ে বিপ্লব পালের লেখা দুটো পড়ার আহবান জানাই, আশা করি তাহলেই বুঝতে পারবেন বিপ্লব পাল ধনতন্ত্রের সংকট মানে কি বুঝেন, কেমনে বুঝেন?
তার মতে আজেকর পুঁজিবাদী সংকট কিছু সেন্ট্রাল পরিকল্পনার অভাবেই সৃষ্ট!! তার মতে- “….বাড়ির দাম হলো আকাশ ছাঁয়া-অথচ ৫৫% লাকের বাড়ীর মর্টেজ পে করার সামথ নই। ফলে কান সেন্ট্রাল প্লানিং এর অভাবে-আজ আমেরিকার ২০% লোক বাড়ি এবং সব খোয়াতে চলেছে। একটু-সামান্য একটু সেন্ট্রাল প্লানিং করলেই এটা আটকানো যেত।”
………..৮০% টলিকমের লোক চাকরি হারায়। সেটাও ঠিক আছে-কি কোটি কোটি বৃদ্ধ লোকের শেষ সম্বল নিঃস হয়। আমার এক কলিগকে ৭৫ বয়সেও ক্যান্সার নিয়ে কাজ করতে দেখে দুঃখ হত। লোকটি হাভাডের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পিএইচডি। পেনশনের সবটাকা শেয়ার মার্কেটের জলে। হাভাডের পিএইচডির যদি এই অবস্থা হয়-ঊলূ খাগড়াদের কি হবে বলাই বাহুল্য ! এটা সেন্ট্রাল প্লানিং এ আটকানো যত না? সামান্য একটু ভবিষতবানীর ব্যাপার মাত্র !
আমেরিকায় শিক্ষা এবং স্বাস্থ ব্যাবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিত্তবান ছাড়া কারু পক্ষে আর
ব্যাচেলর ডিগ্রি , বা ভালো কলেজে পড়া সম্ভব নয়। ৭০ মিলিয়ান লোকের কোন স্বাস্থ
নিরাপত্তা নই। এগুলো সেন্ট্রাল প্লানিং, সামান্য একটু ভবিষত বাণী করেই আটকানো
যেত।
……….
বিপ্লব পাল আমাদের জানাচ্ছেন, সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে সমাধানের কথা যারা ভাবেন তারা রোমান্টিক পাগল; আর নিয়ন্ত্রণ হীন মুক্তব আজার অর্থনীতি দিয়ে দেশের অর্থনীতির কথা যারা ভাবেন- তারা সুবিধাবাদী ছাগল!! ফলে সমাধান কি? তাঁর মতে-
বাস্তব হচ্ছে পার্ফেক্ট কোন সিস্টেম নেই। আমাদের প্রয়োজন আসলেই ভবিষত প্রজন্মের
জন্যে -তাই ভবিষত কিছুটা হলেও ভাবতে হবে-আবার উৎপাদনশীলতা-আবিষ্কারও বাড়াতে হবে। কিছুটা পরিকল্পনা-কিছুটা মুক্ত বাজার অর্থনীতির হাতেই আমাদের ভবিষ্যত। ১০০% পরিকল্পনা করতে গেলে একনায়কতন্ত্র চলে আসবে। কিছু অটো কারেকশন-কিছুটা কন্ট্রোল-এই ভাবেই পরীক্ষা (এম্পিরিসিজমের মাধ্যমে আমাদের এগোতে হবে)।
এই হলো বিপ্লব পালের পলিটিকাল ইকোনমির থিসিস। এই থিসিসের মধ্য দিয়ে কিন্তু শেষ বিচারে পুঁজিবাদের প্রতি তাঁর সমর্থন, আকুন্ঠ প্রশংসা ঝরে পড়ে। তিনি বলছেন, “আমেরিকাতেই যাবতীয় কিছু আবিষ্কার হয়েছ- বেঁচে থাকার সমস্ত ওষুধ থেকে ইন্টারেনট-টিভি-যা কিছু আমাদের আধুনিক জ়ীবন দিয়েছে-তার সব কিছু আমেরিকার অবদান। সমাজতন্ত্র কিছু যুদ্ধাস্ত্র আর ভালো অঙ্কের বই ছাড়া বিশ্বকে কি দিয়েছে? মৗলিক বিজ্ঞানে অবশ্যই কিছু অবদান রেখেছে। ব্যাস ওইটুকুই।”
সমাজতন্ত্রের বিপরীতে দাঁড় করানো হয়েছে পুঁজিবাদকে নয়- আমেরিকাকে- আমেরিকার পুঁজিবাদকে, এবং আমেরিকার পুঁজিতন্ত্রের প্রতি এমন গদ গদ ভাব সত্যি চমকপ্রদ, এবং এই লেখাটি হচ্ছে বিপ্লব পালের পুঁজিবাদের সংকট নিয়ে লিখিত(!!!!),
তার মানে এই নয় যে, বিপ্লব পাল পুঁজিবাদের কোন সমালোচনা করেন নি, আমেরিকার অর্থনৈতিক – রাজনৈতিক অবস্থার সমালোচনা করেননি। সেগুলোও তিনি করেছেন, করেই তিনি তার থিসিস সাজিয়েছেন। তার ঠিকাদারতন্ত্র লেখাটিতে তিনি আমেরিকার ওবামা-হিলারি ফাইটের কিছু চিত্র তুলে ধরেছেন এবং সেখানে এক পর্যায়ে সেই ফাইটের কিছু বিষয় বিপ্লব পালের খুব বাজে মনে হওয়ায় তিনি নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে ইস্তফা দেন! মানে হলো- হিলারী ক্যাম্পে সাপোর্টারেরা ওবামার ছবি সাটা ন্যাপকিনের পাল্টা কি দেয়া যেতে পারে- এসব নিয়ে ব্যস্ত না থেকে যদি হিলারীর মূল এজেণ্ডা- আমেরিকান শিশুদের আরো শিক্ষিত করার ব্যাপারে আলোচনা করতে দেখলেই- তিনি খুব উৎসাহিত হয়ে পড়তেন। এমনটিই হচ্ছে- আমাদের বিপ্লব পালের আমেরিকান পুঁজিবাদ সমালোচনা!!
তিনি আরো সমালোচনা করেছেন, করে জানাচ্ছেন- আমেরিকার পুঁজিবাদী রাজনীতি হচ্ছে- ঠিকাদারদের রাজনীতি, এবং তিনি তার স্বপক্ষে প্রমাণ হাজির করেছেন- ডেমোক্রেটিক পার্টির দ্বিতীয় সাংবিধানিক ব্যক্তির মুখ দিয়েও এ কথার সমর্থন বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু,এ ধরণের কিছু সমালোচনার পরেও যে সিদ্ধান্তটি আমরা পাই তা অনেকটা এরূপঃ
কি আর করা যাবে-গণতন্ত্র মানেই ঠিকাদারতন্ত্র -পৃথিবীর সবেদেশই। তবুও মিলিটারী
শাসন বা কিমিউনিজম থেক হাজার গুনে ভাল। ধু সমস্যাটা বিশাল আকার নেয় যখন
অস্ত্রের ঠিকাদারও এর মধ্যে ঢোকে।
আর কি বলা যেতে পারে? “সমাজতন্ত্র” জুজুর ভয়ে তিনি এই ঠিকাদারতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন এমনটা মনে হলেও আসলে আমার মনে হয়- ঠিকাদারতন্ত্রকেই শেষ বিচারে আকড়ে ধরার উদ্দেশ্যেই তিনি সমাজতন্ত্রকে জুজু হিসাবে উপস্থাপন করেছেন। সেটি আরো পরিষ্কার হয় যেখন দেখি তিনি জানাচ্ছেনঃ
“অসামিরক ভারত-আমেরিকা নিউক্লিয়ার চুক্তির অন্ধ বিরোধিতা একধরেনর রাজৈনিতক আত্মহত্মা।”
আশা করি পাঠক কূল বুঝতে পারছেন, আমাদের বিপ্লব পালের পুঁজিবাদ সংকটের স্বরূপ কেমন!!
উদ্ধৃতি:
‘কল্লোল বাবু
আপনি নিজের দেওয়া লিংকগুলো কি নিজে পড়েছেন?
পড়ে থাকলে দেখুন কেরেনাস্কি সাক্ষাতকারে পরিস্কার বলেছেন লেনিন জার্মানদের টাকায় যুদ্ধ থামাতে চাইছিলেন-এবং জার্মান জারের টাকায় বলশেভিক পার্টি চলেছে ১৯১৭ সালে। এবং জার্মান ডকুমেন্ট থেকেই একথা জানা গেছে।’
>>>>আমার দেয়া লিংক আমি পড়ছি কিনা এই দুশ্চিন্তায় মাথা না থাপড়াইয়া যদি বিপ্লববাবু নিজে ওইগুলা একটু পইড়া দেখতেন তাইলে মনে হয় ভালো করতেন। যেমন্: আপনি বলছেন জার্মান ডকুমেন্টের কথা আর স্বাক্ষাতকারে কেরেনেস্কি বলছে বৃটিশ ডকুমেন্টের কথা! যাক ওইটা বড় কথা না, বড় কথা হইল আপনার মহান সমাজতন্ত্রী কেরেনেস্কি গং আর কোন উপায় না পাইয়া লেলিন এবং বলশেভিকরা যে জার্মান এজেন্ট সেই প্রপাগাস্ডার দারস্থ হয় যদিও লেলিন জার্মনীর টাকা খেয়ে বিপ্লব করেছে এ কথা ছাগলেও( বিপ্লব পালের মত দু’একজন ছাড়া)খাবে না – এটা বুঝে কেরেনেস্কি তার সুরটা একটু পরিবর্তন করে এই ভাবে—- যে না, আসলে লেনিন ঠিক টাকা খেয়ে জার্মানীর এজেন্টগিরি করছে ব্যাপারটা এরকম না, তার দৃষ্টিভঙ্গি তাকে জার্মান এজেন্টে পরিণত করেছে!!!
In his rebuttal, Kerensky differentiated his own attack on Lenin as a “German agent” (one of the crudest of all the slanders against Lenin) from that of others in that he did not accuse Lenin of being a vulgar agent for German gold. It was “Lenin’s point of view”, he said, that coincided with German interests.
সুত্র:http://www.workersliberty.org/node/8160
উদ্ধৃতি:
‘কেরেনাস্কি এস আর পি পার্টি-যামূলত কৃষকদের পার্টি ছিল তার প্রধান ছিলেন। তিনি যদি অত ব্যার্থ ই হবেন-তাহলে বিল্লবের পরে ১২ ই নভেম্বর যে ভোট হল, তাতে তার পার্টি
বলশেভিকদের ২ গুনের বেশী ভোট পেল কি করে? তখন ত রেড আর্মি ক্ষমতায়। লেনিন কারচুপির অভিযোগ করেন নি। তাহলে লেনিন কেরেনাস্কির পার্ট্ কাছে নভেম্বর বিপ্লবের পরে যে ইলেকশন হল তাতে হারলেন কেন? তখনকার রাশিয়ানদের চেয়ে আজকের বাংলার কল্লোল বাবু কি অবস্থাটা বেশী ভাল জানতেন? এসব গুলতাপ্পার মানে হয়?’
>>>> প্রথমত, শ্রেণীবিভক্ত সমাজে বিপ্লবের ক্ষেত্রে ‘নেশন’ এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হইলো ‘ক্লাস’- এ বিষয়টি মাথায় না থাকলে পারলামেন্টারী পদ্ধতি সম্পর্কে মোহ কাটানো কঠিন। সে প্রেক্ষিতটি যদি মাথায় থাকে বা ঢুকে, তাইলে বোঝা দরকার কনস্টিটিউয়েন্ট এসেম্বলি কোন ক্লাস বেইস্ড প্লাটফরম ছিলনা।সেই খানে পেটিবুর্জোয়াদের প্রাধান্য থাকাটাই স্বাভাবিক।সমাজতন্ত্র বুর্জোয়া শ্রেণীর একনায়কতন্ত্রের(পারলামেন্টারী সিস্টেমে যেইটারে গণতন্ত্র বলা হয়) বিপরীতে শ্রমিক শ্রেণীর একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করে।কাজেই গুরুত্বপূর্ণ হলো এই যে, বলশেভিকরা শ্রমিক শ্রেণীকে প্রতিনিধিত্বকারী সোভিয়তগুলোতে কিন্তু ঠিকই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করছিল।যেকারণেই লেনিন বলছেন(যেটি বিপ্লবপাল নিজেও উদ্ধৃত করছে কিন্তু বুঝে উঠতে পারেনাই):
For the transition from the bourgeois to the socialist system, for the dictatorship of the proletariat, the Republic of Soviets (of Workers’, Soldiers’ and Peasants’ Deputies) is not only a higher type of democratic institution (as compared with the usual bourgeois republic crowned by a Constituent Assembly), but is the only form capable of securing the most painless transition to socialism.
দ্বিতীয়ত, ২৫ অক্টোবর বিপ্লবের আগে যে নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা দেয়া হয়েছিল, সে নির্বাচন ১২ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই কেরেনেস্কির এস আর পি পার্টি দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া গেছে- ডান এস আর পি যারা ভূমি-স্বামীদের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে আর বাম এস আর পি যারা দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত কৃষক শ্রেণীকে রিপ্রেজেন্ট করে- যারা বিপ্লবের পর বলশেভিকদের সাথে জোটবদ্ধ হইয় যায়। অথচ জনগণ কিন্তু ভোট দিছে সেই পুরানো অবিভক্ত প্রাথী তালিকার উপর ভিত্তি কইরা। কাজেই স্রেফ আইনগত ভিত্তিতেও যদি দেখি তাইলে কিন্তু কেরনেস্কির ডান এস আর পি এর সংখ্যাগরিষ্ঠার বৈধতা থাকেনা। যেকারনে বলশেভিকরা পরে সেই কনস্টিটিউশনাল এসেম্বলি যখন বলশেভিকদের স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে তখন তা বাতিল কইরা দেয়।
তৃতীয়ত, এই ধরনের লিগ্যাল বা ফরমাল বিষয়ের চেয়েও যেইটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হইলো—এই যে একদিকে শ্রমিক শ্রেণীর মতামত এবং সাধারন অর্থে জনগণের মতামত আর অন্যদিকে জনগনের ইচ্ছা এবং কনস্টিটিউয়েন্ট এসেম্বলির কমপোজিশান—এই দুয়ের মাঝের যে ভিন্নতা তার আর্থসামাজিক এবং শ্রেনীগত উ/স কি? লেনিন তার ‘থিসিস অন দ্যা কনস্টিটিউয়েন্ট এসেম্বলি’ তে এ বিষয়টি সঠিক ভাবেই নিয়ে এসেছেন:
‘…..the elections to the Constituent Assembly having taken place at a time when the overwhelming majority of tile people could not yet know the full scope and significance of the October, Soviet, proletarian-peasant revolution, which began on October 25, 1917, i.e., after the lists of candidates for the Constituent Assembly had been submitted’
এর শুরু হইছে অক্টেবরের ২৫ তারিখে রাজধানীতে শ্রমিক ও সৈনিকদের ২য় ‘সারা রাশিয়ার সোভিয়েত কংগ্রেসে’ বলশেভিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মধ্য দিয়া, যা পরবতীতে পুরো নভেম্বর ও ডিসেম্বর জুইড়া সারা রাশিয়ার সমস্ত লিডিং সংগঠনগুলোতে(army committees, gubernia peasant committees, the Central Executive Committee of the All-Russia Soviet of Peasants’ Deputies, etc.) নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার করে, পুরোনো কমিটি ভাইঙা নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হইতে থাকে।
ফলে এসময়ে শ্রেণী রাজনীতি ও তার নানা বিন্যাসও কিন্তু পরিবর্তীত হতে থাকে। Constituent Assembly এর সময়ে দেয়া প্রার্থী তালিকা আর তখন শ্রেণী সংগ্রামের নতুন বিন্যাসকে প্রতিফলিত করতে পারেনা।লেনিন বিষয়টা পরিস্কার বলছিলেন:
‘Consequently, the grouping of the class forces in Russia in the course of their class struggle is in fact assuming, in November and December 1917, a form differing in principle from the one that the party lists of candidates for the Constituent Assembly compiled in the middle of October 1917 could have reflected’
উদ্ধৃতি:
‘আর কেরেনাস্কি যদি সমাজতান্রিক না হতেন, কার্নিলভকে আটকাতে হোয়াইট আর্মিক্লে অস্ত্র দিতেন-রেড আর্মিকে উনি কেন অস্ত্র সাপ্লাই করলেন? এই ধাঁধা গুলোর উত্তর কে দেবে?’
>>>> ইহ! বুদ্ধিমান আর কারে কয়? যে কেরনেস্কি সমাজতন্ত্রীদেরকে ধইরা জেলে পুরে, পার্টি পত্রিকা বাজেয়াপ্ত করে, সে যে আর যাই হোক কোন সমাজতান্ত্রিক পীরিতি থেইকা রেড আর্মিকে অস্ত্র সাপলাই দিবোনা এই টা তো পাগলেও বোঝার কথা… বোঝেনা খালি বিপ্লব পাল!!! আরে ধাধার কি আছে! কেরেনাস্কি দেখছে তার সাধের সরকারের পতন আসন্ন, তার কোন জেনারেলের সমর্থন সম্পর্কে সে নিশ্চিত নয়.. তাই এক মাত্র বলশেভিকরাই তখন মন্দের ভালো অপসন ছিল তার সামনে। সংস্কারের ভালো ভালো কথা কইলেই যদি সমাজতান্ত্রিক হওয়া যায় তাইলে পোপ সমাজতান্ত্রিক, ইউরোপিয় স্যোসাল ডেমক্রেটরা (যারা নিজেদের democratic socialist বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে)সমাজতান্ত্রিক, পশ্চিম বঙ্গের সিপিএম এমনকি মায় বিপ্লব পাল পর্যন্ত সমাজতান্ত্রিক!!!!
কল্লোল বাবু
আপনি নিজের দেওয়া লিংকগুলো কি নিজে পড়েছেন?
পড়ে থাকলে দেখুন কেরেনাস্কি সাক্ষাতকারে পরিস্কার বলেছেন লেনিন জার্মানদের টাকায় যুদ্ধ থামাতে চাইছিলেন-এবং জার্মান জারের টাকায় বলশেভিক পার্টি চলেছে ১৯১৭ সালে। এবং জার্মান ডকুমেন্ট থেকেই একথা জানা গেছে।
কেরেনাস্কি এস আর পি পার্টি-যামূলত কৃষকদের পার্টি ছিল তার প্রধান ছিলেন। তিনি যদি অত ব্যার্থ ই হবেন-তাহলে বিল্লবের পরে ১২ ই নভেম্বর যে ভোট হল, তাতে তার পার্টি
বলশেভিকদের ২ গুনের বেশী ভোট পেল কি করে? তখন ত রেড আর্মি ক্ষমতায়। লেনিন কারচুপির অভিযোগ করেন নি। তাহলে লেনিন কেরেনাস্কির পার্ট্ কাছে নভেম্বর বিপ্লবের পরে যে ইলেকশন হল তাতে হারলেন কেন? তখনকার রাশিয়ানদের চেয়ে আজকের বাংলার কল্লোল বাবু কি অবস্থাটা বেশী ভাল জানতেন? এসব গুলতাপ্পার মানে হয়?
লেনিন শ্রেফ একজন ক্ষমতা লোভি লোক ছাড়া কিছুই নন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানদের কাছে টাকা নিয়ে রাশিয়াকে ব্যাকস্টাব করতে চেয়েছিলেন-এটা ঘটনা। জার্মান নথিই তার প্রমান দেয়। ভোটে কেরেনাস্কির পার্টির কাছে নভেম্বর বিপ্লবের পরেও গোহারা হেরেছেন। এবং তারপর বেয়নেটের তলায় গণতন্ত্রকে খুন করেছিলেন।
আর কেরেনাস্কি যদি সমাজতান্রিক না হতেন, কার্নিলভকে আটকাতে হোয়াইট আর্মিক্লে অস্ত্র দিতেন-রেড আর্মিকে উনি কেন অস্ত্র সাপ্লাই করলেন? এই ধাঁধা গুলোর উত্তর কে দেবে?
মানুষ বুদ্ধি নিয়ে জন্মায়-বুদ্ধি খাটান।
আর ধণতন্ত্রের সংকট নিয়ে আমার লেখাঃ
http://biplabpal2000.googlepages.com/empiricism.pdf
http://biplabpal2000.googlepages.com/AmericanPolitics.pdf
হাহ! চাপাবাজি আর কারে কয়! বিপ্লব সাহেব নভেম্বর বিপ্লবরে তো একেবারে রূপকথার গল্প বানাইয়া ফেলছেন। গল্পের নায়ক কেরনেস্কী যেন এক দু:খী রাজকুমার প্রজাদের জন্য যার দরদের শেষ নাই। লেনিন নামক কুচক্রী সেনাপতির ষড়যন্ত্রে( রূপকথয় তো এরকমই হয়, তাই না?) যাকে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে হয়! আহা! কেরনেস্কির জন্য দু:খে আমাদের পরাণ ফাটে যখন বিপ্লব পাল বলেন:
>>তাহার স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী রাশিয়া। কখনোই ভাবেন নাই, যে সোভিয়েতকে তিনি নিজ হস্তে তৈরী করিয়াছেন এবং বলশেভিকদের আদরের সাথে তাহাতে স্থান দিয়াছেন-তাহারাই গণতান্ত্রিক মত অগ্রাহ্য করিয়া, তারই প্রদত্ত বন্দুকে, তাহাকেই গদিচ্যুত করিবে! ইতিহাসে তাহাকে ফেলিবে পুঁজিবাদের দালাল হিসাবে-আর সোভিয়েতের যাবতীয় কৃতিত্ব নিজেরা হস্তগত করিবে!>>
১৯১৭ সালের ফেব্র“য়ারী বিপ্লবের পর যে প্রভিশনাল সরকার গঠিত হয় কারেনস্কি প্রথমে তার আইনমন্ত্রী, পরে যুদ্ধ মন্ত্রী এবং জুলাই নাগাদ প্রধান মন্ত্রী হন। জনপ্রিয়তা ছিল বইলাই সম্ভ্ব হইছিল। তো এই সরকারের কাছে জনগণের চাহিদা কি ছিল ?
(1) an end to the imperialist war;
(2) the convocation of a national, democratically-representative Constituent Assembly;
(3) an end to the rule of the predatory landlords and a distribution of land among the peasants;
(4) a radical change in industry, beginning with the 8-hour work day and the assuring of the beginning of the end of completely arbitrary rule of industry by the capitalist class by the establishment of workers’ control in industry;
(5) the right of national self-determination for the nationalities oppressed by czarism
কেরনেস্কি কি করতে চাইছিলেন? তার মৃত্যুর ৫ বছর আগে ১৯৬৫ সালে দেয়া এক সাখ্যাতকারে তিনি বলছেন:
We attempted to follow the principles set in motion by Czar Alexander n in 1861
http://www.cooperativeindividualism.org/schwartzman-jack_interview-with-kerensky.html
আরও অনেক ভালোভালো কথা তার থাকলেও জারের মূলনীতি বজায় রাখার ফলাফল স্বরুপ শেষ পর্যন্ত প্রভিশনাল সরকারের ৮ মাসের অবস্থা যা দাড়াইল তা হইল:
(1) The main body of the czarist officialdom remained intact, only few changes being made at the top. Czarist officers primarily remained at the head of the army, doing everything to undermine the soldiers’ soviets, soldiers’ rights, and even keeping enough power to threaten this same government. Cossack regiments, symbol of the czarist knout, were kept intact.
(2) The Constituent Assembly was not convened, on the basis of all kinds of pretexts. The real reason for this, as the bourgeoisie openly declared, was that the election results would not be acceptable to them and would mean that the régime might refuse to continue the imperialist war.
(3) While the people wanted peace, the provisional government, in obedience to Czarist commitments made to the Anglo-French allies, drove the army into the June offensive at a horrible cost in lives and against conservative military opinion that it would be doomed. The people did not want to fight for the Czar’s secret treaties, authentic agreements made among imperialist pirates. While Kerensky had been told by Miliukov about them, he never repudiated them and refused to publish them, since such would be a “discourtesy to the Allies”.
(4) While the rule of the landlords continued, the peasants who wanted the land received promises. But they were taking the land, carrying out the revolution themselves in the traditional style of every great agrarian revolution. The provisional government forbade them to act, instead of carrying out its own reforms. It sent Cossacks against the peasants, who had never seen a Bolshevik in their lives but who were taking things into their own hands.
(5) No changes in industry. While the capitalists sabotaged production by locking out workers, the government failed to intervene. The 8-hour work day decreed by the government was not enforced. Everything was promised for after the “Constituent Assembly” met, but its convocation was constantly delayed. Workers saw that their soviets’ influence in the government declined as that of the capitalists and Czarists grew.
(6) The treatment of oppressed nationalities represents the “acid test” for a democrat. The Finnish social-democrats obtained a majority in early June and declared for their autonomy, enjoyed previously under the Czars. The provisional government dissolved the Finnish parliament, barring its doors with Russian soldiers… In June Kerensky prohibited the holding of the Ukrainian Soldiers Congress called by the nationalist Rada. Vinnichenko, head of that body and an anti-Bolshevik, attacked the provisional government for being “imbued with the imperialist tendencies of the Russian bourgeoisie”. In October Kerensky demanded an explanation of alleged criminal agitation started there for a Ukrainian Constituent Assembly and an investigation of the Rada was ordered.
এই হইলো মহান গণতন্ত্রী কেরনেস্কির কর্মকান্ড। এই প্রোপটেই তার সরকার অজনপ্রিয় হইতে থাকে। অক্টোবর বিপ্লব এই প্রোপটেই ঘটে। এই গুলা বহুত পুরানা কথা। অলরেডি পইচা গেছে। বিপ্লব পাল পচা মাল নতুন বোতলে আনছে। বিপ্লবের ৩৪ বছর পর ১৯৫১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ৮ তারিখ শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে Independent Socialist League এর চেয়ারম্যান Max Shachtman এর সাথে কেরনেস্কির এক বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বিষয়গুলো নিয়ে Max Shachtman কেরনেস্কিকে হালকা ধুয়ে দিয়ে ছিলেন। তাদের দুইজনের বিতর্কের running summary টা এইখানে পাইবেন, জ্ঞান হইবেক:
http://www.workersliberty.org/node/8160
And i want to ask mr. biplob where he finds socialism……sorry democratic socialism in europe? Could you plz explain how it operates? At what costs ? And if this is so why europe has to face financial meltdown as well as USA ? And what is the difference between your criticized capitalism and your favourable democratic socialism ? Plz answer
I request Biplob to send his articles against Capitalism. I also want to see how Biplob explain the massive economical crush of this time?
Zamy,
I have written enough articles against capitalism as well. I will send you if you want. But no political system can be formed based on lies and propaganda. You can always keep the price of the bread constant if you force them to starve to death. Constant price does not help when there is no bread. And that is achieved at the cost of millions of life.
Solution to capitalist problem is democratic socialism like in Europe–not communism. It is in empowerment of mass through democracy and through bloodshed of revolution.
Truth is much bigger than any political system.
Dear Biplob,
Greetings.I don’t understand why u r lieing & why this unnecessary article!!When world is under the steam roller of capitalism.When billions of people go to bed without diner….U should critisize them or u should critisize capitalism.U didn’t do this.You like to busy in propaganda creating against soviet biplob.
Dear Biplob do u know from the biginning o f oct. revulation till the last day of Soviet union price of BREAD had not changed!!!
Who fought against GERMAN in 2nd world war & save the world from natsism?only Soviet Union.
Zamy