ওবামার কাছে আমাদের প্রত্যাশা কতটুকু?
বিপ্লব পাল
চতুর্দিকের মিডীয়াবামা ঝড়ে, হেমন্তের হরিদ্রাভ পাতার ন্যায় টসকাইতেছিলাম। ফাইনান্সিয়াল মার্কেটের সাইবেরিয়ান শীতঝড়ে হাওয়া হইয়া যাইব এমন প্রফুল্ল অঘ্রানে শ্যামবাবু জিতিলেন–ঝড়িতে ঝড়িতে ঝুলিয়া থাকা আমআদমি ক্যালিফোর্নিয়ার চিরবসন্তের স্বপ্নে বিভোর হইল। গলা মিলাইলাম-ইয়েস, উই ক্যান!
নিজের সংশয়বাদি মনকে ধিক্কার দিতেছি- ছি? দেখিতে পাইতেছ না দুনিয়া বলিতেছে ইহা পরিবর্ত্তন-?
নিন্দুকের মন সিন্দুকে। অবুঝের মন পরিতক্ত রান্নাগৃহের ছারপোকা-দিশাহীন ভাবে ভাবের জগতে ঘুর ঘুর করিতে থাকে।
ক্যাপিটল হিলের সুরম্য পার্কে এক গৃহহীন ভিখিরী কহিল-
–ওবামার জ়য় হৌক। স্যার একটি ডলার দান করুন-সকাল হইতে আমি অভুক্ত।
জিজ্ঞাসা করিলাম-কি করিয়া বুঝিলে আমি ওবামা ক্যাম্পের লোক?
–স্যার ওবামার সাপোর্টারাই একমাত্র এখন সাদা বাড়িটির সামনে ঘুর ঘুর করিতেছে। চেঞ্জ স্যার। রাত হইতে অভুক্ত।
মনে মনে ভাবিলাম, ক্যাপিটাল হিলের ভিখিরী আমাকে ঘুর ঘুরে পোকা ভাবিতেছে।
–ঈশ্বর আপনার মনবাঞ্ছনা পূর্ন করিবেন। গৃহহীনের ওপর একটু দয়া স্যার। ওবামা শ্বেতগৃহে ঢুকিলে-আপনারও শ্বেত অট্টালিকা হইবে।
দীর্ঘস্বাস ফেলিলাম। সঞ্চয়ের অর্ধাংশ তরল হইতে বাস্পীভূত হইতেছে। ফাইনান্সিয়াল সাইক্লোনে ১০০ বছরে পুরানো কোম্পানী বৃক্ষগুলি সমূলে উৎপাটিত হইতেছে। ওয়াল স্ট্রীটের ডাকাত বাহিনীর লুন্ঠনে সর্বশ্রান্ত হইয়া পথে বসিয়াছি। ইহার পরেও শুনিতে হইতেছে আমাদিগের পকেট কাটা ট্যাক্সের টাকায় ডাকাতবৃন্দ ডাকাতির শাস্তি স্বরূপ মিলিয়ান ডলার সরকারি ‘বেলআউট‘ বোনাস পাইতেছে-আর আমাদিগের সন্তানের স্কুলে বাজেটের অভাবে শিক্ষক নাই। শিক্ষান্তে চাকরী নাই-ভারত এবং চীনে রফতানী হইয়া গিয়াছে! চোর-ডাকাতদের এই শ্বশানভুমে ওবামা নামক তান্ত্রিকের জাদুপর্শ্বে আলাদিনের স্বর্গদ্যান রচিত হইবে! অহ কি আনন্দ আকাশে বাতাশে!
প্রথম হইতেই চেঞ্জ শব্দটি শুনিতে ছিলাম। বিশ্বাস করি নাই। ঘরপোড়া গরু মার্কেটিং স্ট্রাটেজী দেখিলেই সন্দিহান হইবে ইহা স্বতপাদ্য। প্রশ্ন করতেছিলাম মানব বিবর্তনকি আমেরিকাতে থামিয়া রহিয়াছে যে ওবামা চেঞ্জের কথা বলিতেছেন? ইতিহাস বলিতেছে সমাজকে বদলাইয়াছে প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান। সমাজ পরিবর্ত্তনের যাবতীয় রাজনৈতিক প্রচেষ্টা হয় ব্যার্থ হইয়াছে-না হইলে বিপ্লবের আফিঙে কোটি কোটি মানুষের রক্তে সিক্ত হইবার পর, বিবর্তনের গতিকে রুদ্ধ করিয়াছে। তবে হ্যাঁ যে রাজনীতি প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের মাধ্যমে বাঁচিবার স্বপ্ন দেখিয়াছে-তাহারাই পৃথিবী পৃষ্ঠে অধিকতর সফল হইয়াছে। আমেরিকার ৯৫% মানুষের বুদ্ধি, ভারতীয় বা চীনা বা বাংলাদেশের মানুষের গড় বুদ্ধি হইতে কম-সাধারন জ্ঞানও তুচ্ছ-তবুও ইহারা পৃথিবী শাসন করিতেছে। কারন অতীতে এই সমাজ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকে সমাজ পরিবর্ত্তনের হাতিয়ার করিয়াছিল। বুশ ইহা ভুলিয়া গিয়াছিলেন। গবেষনা খাতে বরাদ্দ কমাইয়া (৭০%) ইরাক এবং আফগানিস্থানে পাড়ার মস্তানি করিতেছিলেন। শিক্ষা দেউলিয়া হইয়াছে-গেটস সাহেব বারং বার বলিতেছিলেন আমাদের সন্তানেরা অঙ্কে গোল্লায় যাইতেছে। হার্ভাডে বাপের কোটায় ঢোকা বুশ নিজের দেশ এবং পৃথিবীকে দুরমুশ করিতেছিলেন। জনগন বোঝেন নাই ২০০৪ সালে-বাড়ীর কৃত্রিম উচ্চমূল্যে অবস্থান করিয়া মনে করিতেছিল “এই বেশ ভাল আছি”-কাকের বাসায় কোকিলের ডিমকে চিনিতে পারেন নাই-তাই বুশ সাহেব পাশ করিয়াছিলেন। বুদবুদ যখন ফাটিয়া গেল, ইহারা বুঝিল বুশ ইহাদের কি সর্বনাশ করিয়াছে। ২০০৪ সালে ৬০% লোক অভিমত দিয়াছিল অর্থনীতির গতি এবং স্পন্দন স্বাস্থ্যকর। অদ্য এই অভিমত মোটে ৬% লোকের-তবে তাহাদের ডিপ্রেশনের চিকিৎসা চলিতেছে কি না সমীক্ষা তাহা প্রকাশ করে নাই!
ওবামার এই জয়কে দূরদর্শী জনগণ নানান দৃষ্টিতে দেখিতেছে। কালো লোকেদের কাছে-ইহা সিভিল রাইট মুভমেন্টের জয়। যদিও ওবামা-আমি কালো-তাই বঞ্চিত এমন কথা কোন দিন বলেন নাই-সেই মুখও তাহার নাই। সিভিল রাইট মুভমেন্টের নেতাদের সাথে তাহারা সখ্যতার কথা আমার জানা নাই-তবে কাগজ়ে প্রকাশ ইহাদের মুখপাত্র জেসি জ্যাকসন ওবামাকে তিরস্কার করিয়াছিলেন। জিতিবার পর দেখিলাম তাহারা বলিতেছেন তাহাদের তৈরী জমিতে ওবামা ফসল তুলিলেন। যদিও ইনারা কেন জমি বানাইয়া অপেক্ষা করিতেছিলেন-সেই প্রশ্ন নিন্দুকেরা তুলিতেছে। কারন বাস্তব ইহাই সিভিল রাইট মুভমেন্ট এবং তাহাদিগের নেতৃবৃন্দকে সাদারা “প্রতি-বর্ণবিদ্বেশ” বলিয়া গণ্য করিয়া থাকে।
তরুনেরা বলিতেছে ওবামার সংগঠন-ইন্টারনেট বেসড প্রমোশন-অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সফল ব্যাবহার তাহাকে আগাইয়া রাখিয়াছিল। মানিতে পারিলাম না। ইন্টারনেট সব নেতাই ব্যাবহার করিতেছিলেন। ইহা প্রাইমারীতে কাজে লাগিলেও, মূল পর্বে লাগে নাই।
আসল সত্য ইহাই-এই জয় বুশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। হিলারীও একই মার্জিনে বা আরো বেশী মার্জিনে জিতিতেন। জনগণ বুশের বিরুদ্ধে এত ক্রুদ্ধ , সনাতনধর্মী রিপাবলিকান রাজ্যগুলিরও এবার পতন হইয়াছে। একটি গাধা দাঁড় করাইলেও এবার ডেমোক্রাটরা ক্ষমতাই আসিতেন-লোকে রিপাবলিকান নীতিতে এতটাই ক্রদ্ধ হইয়াছে।জীশুবাজীর ঢপকীর্ত্তন রিপাবলিকানদের ঢাল হইতে ব্যার্থ হইয়াছে। কারন পেটে টান পড়িয়াছে। কথাটি আমি বারংবার বলিতেছি। বাংলাদেশ, ভারত, আমেরিকা-সর্বত্র ইহাই সত্য ভরা পেটে না থাকিলে ধর্মের মাহাত্ম্য লোকে শুনিবে না। ইহার জন্য ধান ভাঙিতে শিবের গাজন অনাবশ্যক।
তাহা হইলে আমি কেন ওবামা ‘চেঞ্জ‘ লইয়া ব্যাঙ্গ করিতেছি? ইনি ডিনারে নিজেকে বলেন গান্ধীভক্ত-পরের দিন প্রাতরাশে পাকিস্থানকে আক্রমন করিবার হুমকি দিয়া থাকেন। ‘ইনসিউরান্সের‘ জোঁকদের বাঁচানোর জন্যে তাহার সহকারী বিদেন খ্যাতনামা ছিলেন। এখন বদলাইবেন? চেঞ্জ বলিলেই চেঞ্জ? মনে রাখিবেন-ইহা আমেরিকা-যাহারা পানীয় জলকেও মার্কেটিং করিয়া কোল্ড ড্রিংস বানাইয়াছে। সকালে ড্রাইভ করিতে করিতে রেডিওতে এক বিশেষজ্ঞর মতামত শুনিতে ছিলাম। আলোচ্য বিষয়-ওবামার বিদেশনীতিতে প্রথম কাজ কি হইবে। ওয়াশিংটনের সর্বাধিক খ্যাতনামা কার্নেগীমেলন পলিটিক্যাল ইন্সটিটুটের বিশেষজ্ঞটি বলিল-তাহার প্রথম কাজ হইবে রাশিকাকে সবক শিখাইবার। বুঝাইয়া দেওয়া-বিশ্বরাজনীতিতে বড়দা কে? বুঝাইতে পাড়িলে তবেই তিনি প্রথম পরীক্ষায় পাশ করিবেন!!! পাঠক-ইহারে কন ‘চেঞ্জ‘। মিলিটারীখাতে বরাদ্দ কমাইবেন? ৯৩,০০০ সেনা বাড়াইবার প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন গান্ধীবাদি ওবামা। ওয়াশিংটনের আলিন্দে যেসব কনট্রাক্টরদের ঘোরাফেরা, তাহাদের বিলক্ষন চিনিয়াছি। ওবামার টিমে তাহাদের সহাস্য উপস্থিতিও দেখিয়াছি।উর্ধাকাশে চোখ মেলিয়া ভাবিয়া উড়িতে বড়ই ভাল লাগে চেঞ্জ আসিতেছে-কিন্তু চোখ ফিরাইতেই আমি শুধু দালালদের ই দেখিতে পাইতেছি। হদয় ‘চেঞ্জের‘ বশ মানিয়াছে-মন মানিতে চাহে না!
তাহাতেও আপত্তি নাই। শুধু গবেষনা খাতে টাকা বাড়াইবার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়াছেন, তাহা রাখিলেই বুঝিব ‘চেঞ্জ‘ আসিয়াছে। শিক্ষাখাতে টাকা ঢালিলেই বুঝিব বসন্তের বায়ু বহিতেছে। প্রত্যাশার কলস শুধু এতটুকুই। ওয়াল স্ট্রীটের ডাকাত আর ওয়াশিংটনের চোরদের দেখিয়াও দেখিব না। তাহাদের অক্টোপাশ বাহু হইতে আমেরিকার আশু মুক্তি দেখিতেছি না।
If whites dont vote Obama for his colour, its racism, When blacks vote Obama for his colour its not racism..lol
ওবামাকে কাজ করতে হবে মূল সিষ্টেমের মধ্যে থেকেই – তার একার পক্ষে খুব বেশী কিছু করে ফেলা হয়ত সম্ভব হবেনা । আমেরিকার অর্থনীতিকে তিনি কতটা মেরামত করে সচল করতে পারবেন,তা ভবিষ্যত-ই বলে দেবে। তবে সবচেয়ে যে বিষয়টি পজেটিভ তা হলো, আমেরিকার মূল স্রোতের বাইরে যে জনগ্ণ, যারা সংখ্যলগু তারা এখন স্বপ্ন দেখবে মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ানোর, নিজেদের ভিতর জগদ্দল পাথরের মতো গেড়ে বসা হীনমন্যতাবোধ ঝেড়ে ফেলতে এই বিজয় সাহায্য করবে এটা বলতেই হবে।
ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আফ্রিকান-আমেরিকানদের একটা স্বপ্নময় প্রত্যাশাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। যে প্রত্যাশার বাস্তবায়ন অনেকেই তাদের জীবদ্দশায় দেখবেন, এমন আশা স্বপ্নেও করেন নি। তাই ওবামার ‘ইয়েস, উই ক্যান’ শ্লোগানটা আমার এত ভালো লাগে। ওবামা কালো হওয়ার কারণে নয়, বরং কালো হওয়া সত্বেও নির্বাচিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সিনেটে ওবামাই একমাত্র আফ্রিকান-আমেরিকান সিনেটর। (যে পদটা তাকে অচিরেই ছেড়ে দিতে হবে।) সেই একমাত্র আফ্রিকান-আমেরিকান সিনেটরই আজ প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট। ওবামা এক লাফে যেন সমুদ্র পার হলেন, আর তার অনুসারীদের বললেন, ‘ইয়েস, উই ক্যান’।
তাই ওবামার বিজয়কে আমি মানব-সভ্যতার অগ্রগতির পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে মনে করি। ওবামার ক্ষমতায় আরোহণের ফলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মানবতা-বিরোধী সব কার্যকলাপ রাতারাতি বন্ধ হয়ে যাবে, আমেরিকা আর যুদ্ধাস্ত্র বানাবে না, সামরিক খাত থেকে অর্থ এনে শিক্ষা আর চিকিৎসা খাতে ব্যয়বরাদ্দ বাড়িয়ে দেবে, এমন অলীক কল্পনা আমি করি না। কিন্তু তবুও কালো মানুষ ওবামার বিজয়ের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে অস্বীকার করার কোন উপায় নাই।
Yes, Biplab you are right. It’s not easy for one person Obama to change things abruptly. Business people are there, lobbyists are there. Obama can not do whatever he likes. Its not just possible. Obama can try to give a new direction since people wanted a change. In the present US scenario, any democrat candidate will win. I asked the caucasian american people. Obama has not won because he is dark skin, its because of economy. Its just a timing thing.
বর্ণবিদ্বেষএর একটা মাত্রা অবশ্যই বিলুপ্ত হয়েছে। পুরোন বর্ণবিদ্বেষ টিকে থাকলে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকলেও সাদারা যোগ্যতর কালোকে প্রেসিডেন্টকে ভোট দিতনা । বর্ণবিদ্বেষ পুরোটা বিদায় নিয়েছে কিনা সেটা যাচাই করার জন্য স্বাভাবিক অবস্থায় একজন সাদা প্রার্থীর চেয়ে ঢের ভাল কালো প্রার্থীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
আচ্ছা ২০০১ সালে দাঁড়ালে কি ওবামা জিততেন?
যদি অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল থাকত? আমি মনে করিনা
সাদাদের মধ্যে থেকে বর্ণবিদ্বেষ গেছে বলে। ববি জিন্দাল ও লুইজিয়ানার গর্ভনর হয়েছেন।
আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থা এত বাজে, ওবামাকে ভোট না দিয়ে উপায় ছিল না এবার। এটা একটা
অস্বাভাবিক অবস্থায় ভোট হয়েছে। গ্রাউন্ড রিয়ালিটি বদলেছে বলে আমি দেখছি না।
পাশাপাশি এটা ঠিক-এখন থেকে অর্থনীতি ই নির্বাচন নিয়ন্ত্রন করবে।
ওবামার বিজয় আমেরিকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিদেশ সংক্রান্ত নীতিতে কতটুকু পরিবর্তন আসবে তা সময়ই বলে দেবে। এতো আগে ভবিষ্যতবাণী করাটা একটু মুশকিলই বটে। তবে সামাজিক ক্ষেত্রে যে বিরাট পরিবর্তন আসবে সেটা এখনি নিশ্চিতভাবে বলে দেওয়া যায়। ওবামার বিজয় আমেরিকার সকল সংখ্যালঘুদের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। আমরাও পারি বা পারবো এই সঞ্জিবনী সুধা ঢুকে যাবে আমেরিকার মূলস্রোতের বাইরে থাকা জাতিসত্ত্বাগুলোর নতুন প্রজন্মের মাঝে। যে হতাশা গ্রাস করে রেখেছিল তাদেরকে, কুরে কুরে খাচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে, তা ঝেড়ে মুছে নতুন উদ্যমে সূর্যোদয়ের দিকে যাত্রা শুরু হবে তাদের। একজন কালো প্রেসিডেন্টের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে দু’শো বছরের বেশি সময়। একজন মহিলা, একজন হিস্পানিক বা একজন বাদামী লোককে হয়তো আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না সাদা বাড়িতে ঢোকার জন্য।