| চার্বাকের খোঁজে…১২ | চার্বাক সাহিত্য: লোকায়ত ও আন্বীক্ষিকী |

(আগের পর্বের পর...) … ৮.০ : লোকায়ত ও আন্বীক্ষিকী … ইতঃপূর্বেই আমরা দেখেছি যে, লোকায়তকে কৌটিল্য তাঁর অর্থশাস্ত্রে’র অনুমোদিত বিদ্যাচতুষ্টয়ের অন্যতম আন্বীক্ষিকী’র অন্তর্গত শাস্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন- ‘সাংখ্যং যোগো লোকায়তং চেত্যান্বীক্ষিকী’। (অর্থশাস্ত্র: ১/২/২)। অর্থাৎ : সাংখ্য, যোগ ও লোকায়ত- এই তিনটি শাস্ত্র উক্ত আন্বীক্ষিকী-বিদ্যার অন্তর্ভুক্ত। . কৌটিল্যের এই বিদ্যাচতুষ্টয় হলো- ‘আন্বীক্ষিকী ত্রয়ী বার্তা দণ্ডনীতিশ্চেতি বিদ্যাঃ’। [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|শেষপর্ব/১০|

( নবম পর্বের পর...) ... করুণার ধন স্ত্রীধন পিতৃসম্পদে নারীর কোন উত্তরাধিকার নেই। কিন্তু যে ধনটুকুতে নারীর অধিকার স্বীকৃত তা হচ্ছে স্ত্রীধন। তবে এটা এমনই ধন যা নারীর প্রতি করুণার ধনই বলা যায়। মনুশাস্ত্রে ছয় ধরনের স্ত্রীধনের উল্লেখ রয়েছে, যা বণ্টনেও জটিলতা রয়েছে- ‘অধ্যগ্ন্যধ্যাবাহনিকং দত্তঞ্চ প্রীতিকর্মণি। ভ্রাতৃমাতৃপিতৃপ্রাপ্তং ষড়বিধং স্ত্রীধনং স্মৃতম্।।’ স্ত্রীধন ছয় প্রকার- অধ্যাগ্নি, অধ্যাবাহনিক, [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০৯/..|

[ স্বীকারোক্তি : সুপ্রিয় পাঠকদের কাছে প্রথমেই মার্জনা চেয়ে নিচ্ছি, গত পর্বে উল্লেখ করেছিলাম যে এটা হবে শেষ পর্ব। কিন্তু সে মোতাবেক কাজ করতে গিয়ে দেখা গেলো, পর্বটা পাঠকের বিরক্তি উৎপাদনের চাইতেও দীর্ঘ হয়ে যায়। তাই সবার কাছে আরেকটি পর্ব ধার চেয়ে নিচ্ছি। আগামী পর্বে নিশ্চয়ই সিরিজটা শেষ করতে পারবো। ] ... (অষ্টম পর্বের পর…) [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০৭/..|

(ষষ্ঠ পর্বের পর…) ... মনুশাস্ত্রে স্ত্রীর কর্তব্য বিবাহ নামক নারী-সংগ্রহ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাপ্ত যে নারীটিকে শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী পুরুষের ব্যক্তি-মালিকানায় রক্ষিতা বানানো হয়েছে, সেই নারীকে বহুমাত্রিক ভোগ-ব্যবহারের মাধ্যমে পূর্ণতৃপ্তি বা সন্তোষ না পেলে পুরুষতন্ত্রের সার্থকতা থাকে না। বর্ণ-নির্বিশেষে নারী সামাজিকভাবে শূদ্রধর্মীতার কারণেই শ্রম বা উৎপাদন-যন্ত্রবিশেষ, পুরুষের উপভোগ্য দেহধারণের কারণে নারী ভোগ্যসামগ্রি এবং গর্ভধারণকারী প্রজননযন্ত্রের কারণে নারী [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০৬/..|

(পঞ্চম পর্বের পর…) ... মনুর দৃষ্টিতে নারীর প্রকৃতি ও সম্পত্তি বিচার প্রাকৃতিকভাবেই নারী যে পুরুষের মতোই প্রাণীজ আবেগসম্পন্ন জৈব-মানসিক সত্তা, তা পিতৃতান্ত্রিক কূটবুদ্ধিতে অজানা থাকার কথা নয়। তাই নারীকে ক্ষমতা ও অধিকারশূণ্য করে পিতৃতন্ত্রের পূর্ণ-কব্জায় নিতে গিয়ে পুরুষের মধ্যে যে মনস্তাত্ত্বিক সংকট ও জটিলতা তৈরি হয়েছিলো, শেষপর্যন্ত তা হয়তো গোপন রাখা যায় নি। আর এই [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০৫/..|

(চতুর্থ পর্বের পর…) ... মনুশাস্ত্রে বিয়ে ও নারীর স্থান বৈদিক শাস্ত্রে বিয়ে হচ্ছে সুনির্দিষ্ট উপভোগ্য নারীকে প্রয়োজনীয় ভোগের নিমিত্তে পুরুষের ব্যক্তি-মালিকানায় শর্তহীন হস্তান্তরের ধর্মসিদ্ধ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া যাতে কিছুতেই ব্যহত না হয় সে লক্ষ্যে ‘বিবাহ-সংস্কারকেই স্ত্রীলোকদের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ উপনয়নস্থানীয় বৈদিক সংস্কার’ (২/৬৭) হিসেবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ‘এই সংস্কার সম্পন্ন না হলে স্ত্রীলোকদের দেহশুদ্ধি হয় না’ [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০৪/..|

(তৃতীয় পর্বের পর…) ... মনুসংহিতায় নারী এক কথায় বলতে হলে, মনুশাস্ত্রে নারী হচ্ছে পুরুষের ইচ্ছাধীন কর্ষণযোগ্য ক্ষেত্র বা জৈবযন্ত্র, যাতে পুরুষপ্রভু তার বীর্যরূপ বীজ বপন করে পুত্ররূপ শস্য হিসেবে যোগ্য উত্তরাধিকারী উৎপাদনের মাধ্যমে ধর্মরূপ পুরুষতন্ত্রের বহমান ধারাটিকে সচল রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। এখানে নারী কেবলই এক পুরুষোপভোগ্য জৈবসত্তা। নারীর মনস্তত্ত্ব বা কোনরূপ মানসিক সত্তাকে মনুশান্ত্রে স্বীকারই [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০৩/..|

(দ্বিতীয় পর্বের পর...) . জগতসৃষ্টির শাস্ত্রতত্ত্ব পুরুষতন্ত্রের সন্দেহাতীত ধারক ও বাহক হিসেবে প্রাচীন ধর্মশাস্ত্র মনুসংহিতায় প্রায় শুরুতেই অনিবার্যভাবেই জগতসৃষ্টির হেতু পুরুষরূপী ব্রহ্মার অব্যক্ত স্বরূপের খোঁজ পেয়ে যাই আমরা- ‘আসীদিদং তমোভূতমপ্রজ্ঞাতমলক্ষণম্। অপ্রতর্ক্যমবিজ্ঞেয়ং প্রসুপ্তমিব সর্বতঃ।।’ এই পরিদৃশ্যমান বিশ্বসংসার এককালে (সৃষ্টির পূর্বে) গাঢ় তমসাচ্ছন্ন ছিল; তখনকার অবস্থা প্রত্যক্ষের গোচরীভূত নয়; কোনও লক্ষণার দ্বারা অনুমেয় নয়; তখন ইহা তর্ক [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০২/..|

(১ম পর্বের পর...) . মনুসংহিতার উন্মেষ ও ব্রাহ্মণ্যবাদ বেদ (Veda) ও উপনিষদের পরে ভারতবর্ষে ছয়টি আস্তিক দর্শনের আবির্ভাব ও পর্যায়ক্রমে স্তরে স্তরে এগুলোর ক্রমবিকাশ ঘটে। অর্থাৎ বেদের সংহিতাকে আশ্রয় করে পরবর্তীতে পর্যাক্রমে রচিত অন্য সাহিত্য বা স্মৃতিগ্রন্থগুলো যেমন ব্রাহ্মণ, আরণ্যক হয়ে উপনিষদের যুগে এসে পুরোপুরি ভাববাদে প্রবেশ করেছে। ততদিনে ভারতীয় সমাজে হিন্দুইজম (Hinduism) বা বৈদিক [...]

| অস্পৃশ্য ও ব্রাহ্মণ্যবাদ এবং একজন বাবাসাহেব |০৫/৮|

(পূর্ব-প্রকাশিতের পর…) … অস্পৃশ্য ও ব্রাহ্মণ্যবাদ পর্ব:[০১] [০২] [০৩] [০৪] [*] [০৬] [০৭] [০৮] ০৬ ব্রাহ্মণদের প্রভূত্বকামী শাসনব্যবস্থা ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রধান অস্ত্রই হলো চতুবর্ণ প্রথা। অর্থাৎ সমাজে চারটি বর্ণের উপস্থিতি- ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র। এই প্রথার মাধ্যমে গোটা জনগোষ্ঠিকে এক অদ্ভুত বর্ণবৈষম্যের মধ্য দিয়ে বিভাজিত করে যে ‘ভাগ করো, শাসন করো’ নীতি কায়েম করা হয়েছে, সেখানে [...]

Go to Top