ভারতীয়দের সাথে নাচ, গানের কারণে অনেকদিনের মেলামেশা সাজিয়াদের। ওদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আধার হলো ধর্মীয় উৎসব, দিওয়ালি, হোলি, সরস্বতী পূজা কিংবা দুর্গাপূজা ইত্যাদি। নাচগান, খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি সামাজিকতারও একটা মিলনমেলা এসব।
ক’দিন আগে হোলির অনুষ্ঠান হলো, বসন্তের উৎসব, বাংলায় যেটাকে ‘দোল’ বলা হয়। অনুষ্ঠানের বিরতির মাঝে একসাথে খেতে বসেছে সব মেয়েরা গোল হয়ে, সেখানে পূজা উপাসনা নিয়ে কথার এক পর্যায়ে, কথা হচ্ছিলো ‘কন্যা পূজা’ নিয়ে। যারা বাঙালি নয়, তারা ‘কুমারী পূজা’-কে ‘কন্যা পূজা’ বলে। চোখ গোল গোল করে বেশ অনেকেই বলে যাচ্ছে, এসব ট্র্যাডিশান সারা পৃথিবীতে শুধু ভারতেই আছে। পৃথিবীর আর কোথাও মেয়েদের এমন সম্মান দেখিয়ে পূজা করার রীতি নেই। আমাদের নিজেদের বাচ্চাদের এগুলো শেখানো উচি, তবেই না তারা জানবে আমাদের মূল কোথায়, কোন সমাজ-সংস্কৃতি থেকে আমরা এসেছি।
‘কন্যা পূজা’ হয়ে থাকে দশেরা কিংবা নবমীর সময়টাতে, দিওয়ালীর আগে। সাধারণত দুই থেকে দশ বছর বয়সী নয়টি মেয়েকে এই পূজা দেয়া হয় এক এক বাড়িতে আলাদা করে। তাতে একই পাড়ার এক মেয়ে এক সিজনে পাঁচ বাড়িতেও কন্যা পূজা পেতে পারে। অবাঙালি ভারতীয়েরা এদেরকে বাড়িতে ডেকে পূজার সাথে পা ধুইয়ে দিয়ে ভাল করে খাইয়ে দাইয়ে, নগদ পয়সা, নতুন কাপড় ইত্যাদি উপহার দেন। বয়সের ব্যাপারটা এখানে লক্ষণীয় কারণ ‘পিরিয়ড’ হয়ে গেলে বা কন্যা ঋতুমতমী হলে সে আর কন্যা পূজা পাবে না। পিরিয়ড হওয়ার সাথে কুমারীত্বের সম্পর্কটা অনেকটা এক সমান্তারালে দেখে নিয়ে ওখানে পিরিয়ড হয়ে যাওয়া কুমারী মেয়েরও পূজা স্টপ, কারণ পূজা একটা পবিত্র ব্যাপার আর পিরিয়ড হয়ে গেলে হয়তো মেয়েরা আর পবিত্র মানুষ না। অবশ্য তাতে মেয়েরা কোন অসম্মান দেখে কিনা কিংবা তাদের কোন খারাপ লাগা আছে কিনা সেটা দৃশ্যমান নয়। বরং যা পেয়েছে তাই বা কম কী ভেবে নিয়ে তৃপ্ত!
এই কন্যা পূজাকে জীবনের বিরাট সম্মান ধরে নিয়ে যখন অনেকেই সেখানে গর্বিত মুখে ভারতীয় সংস্কৃতিতে নারীর সম্মান বাখানা করছিলো ঠিক তার কিছুদিন আগেই বিবিসিতে “ইন্ডিয়াস ডটার–নির্ভায়া” নিয়ে তোলপাড় হয়েছে, ইন্ডিয়াতে ভিডিওটা ব্যান করা হয়েছে।
ভিডিওটাতে অপরাধীদের ডিফেন্ড-করা উকিল দাম্ভিক ভাষায় বলেছে, ভাল মেয়েরা এতো রাতে তার বন্ধুর সাথে বাইরে বের হয় না। আসলে ভাল মেয়েরা একা বেরই হয় না, বের হলে সাথে দাদি, মা, ফুপু কেউ না কেউ থাকবে দিনের বেলাতে আর রাতে তো ভদ্র মেয়েদের বাড়ি থেকেই বের হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
অপরাধী নিজে সাক্ষাৎকার দিয়েছে, আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ধর্ষিতাদের জন্যে আরো বিপদ ডেকে আনা হলো। এরপর ধর্ষণ করে সাথে সাথে খুন করে ফেলবে কেউ আর অপরাধের চিহ্ন রাখবে না। এই মেয়েটা যদি ধর্ষণের সময় বাধা না-দিতো তাহলে একেও এতো অত্যাচার করা হতো না। ধর্ষণের সময় মেয়েদের বাধা দেয়া উচিত নয়, চুপচাপ মেনে নেয়া উচিত।
এ-মানসিকতা যাদের, তারা কন্যাকে পূজা করে, সম্মানের চোখে দেখে, তাও মেনে নিতে হবে? এরপরেও মেয়েরাই পূজিত হওয়ার গর্ব করে, তাও ভারতে? ইউরোপে মেয়েদের পূজা হয় না কিন্তু ধর্ষণের জন্যে তার জামা কাপড় কিংবা তার চরিত্রের প্রতি কেউ আঙ্গুল তুলে না। তারা যখন ইচ্ছে তখনই বাইরে যেতে পারে। তাতে ভাল বা মন্দ কিছু থাকে না। কী ক্ষতি হবে ইউরোপে বসে আমাদের মেয়েদের কন্যা পূজার সংস্কৃতি না জানলে?
‘কন্যা পূজা’-র আরেক পর্ব হলো, মেয়েদের প্রথম পিরিয়ড হলে বিবাহিতা নিকটাত্মীয়াদের যাদের বাচ্চা আছে, তাদের ডাকা হয়, বিশেষ করে পুত্র সন্তানের জননীদের, সদ্য ঋতুমতী মেয়েকে আশীর্বাদ দিতে। মেয়েটিও যেনো এমন উর্বরা হয়, নির্বিঘ্নে যেনো তার সন্তান হয়ে যায় তবে পূজার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যটা থাকে, পুত্র সন্তান হওয়ার দিকে। যে-সংস্কৃতিতে হাজার বছর ধরে একটি মেয়ের সম্মান নির্ধারণ করা হয় ‘কুমারীত্ব’ আর ‘পুত্রসন্তান উৎপাদনের’ মাধ্যমে, সে-সংস্কৃতি নিয়ে যখন ভিকটিমরাই গর্বিত থাকে, তখন চুপচাপ শুনে যাওয়া ছাড়া জিজ্ঞেস করার কিছু থাকে না। এমনকি, এরকম শাস্ত্রবচনও আছে “পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা”, মানে, স্ত্রীসঙ্গম করবে শুধু পুত্রজন্ম দেওয়ার জন্যে। স্ত্রীর জন্মই পুত্রজন্ম দিয়ে নিজের নারীজন্ম সার্থক করতে, একটি চাষের ক্ষেত যেন সে। মনুসংহিতায় বলছে, নারী বাল্যে পিতার, যৌবনে স্বামীর ও বার্ধক্যে পুত্রের অধীন থাকবে, ন নারী স্বতন্ত্রমর্হতি, নারীদের স্বাধীনতার কোনো সুযোগই নেই। স্বামীপুত্রবতী নারীর নাম বীরা, কন্যাবতী নারীর নাম কী? ইতিহাস বা ভাষা এখানে নীরব। নারীর আবার দাম কী, উৎপাদিকা শক্তি হওয়া ছাড়া?
ডাক্তার হয়েছো কিংবা কেমিস্ট, একাউন্টেন্ট কিংবা ইঞ্জিনিয়ার তা নিয়ে গর্বিত নও, গর্বিত তুমি পূজা পাওয়ার কারণে, কেন মেয়ে? নিজের ইচ্ছেয় তো নারীলিঙ্গ তুমি নির্ধারন করো নি! আর কুমারী পূজা কি জীবনের সব অন্যান্য অপ্রাপ্তি, অসম্মান, অসম অধিকার ভুলিয়ে দেয়, না দিতে পারে?
যারা কুমারী পূজা করতো আবার তারাই নারীদের পতির মৃত্যুর পর ঠেলে তুলতো চিতায়, শাস্ত্র থেকে উদ্ধৃতি দিতো, যে-রমণী পতির মৃত্যুর পর পতির সাথে অনুমৃতা হয়, সে তার পতির দেহে যতো লোম, তত বৎসর স্বর্গবাস করে, বহুবিবাহ দিয়ে কুলীনদের বংশ উদ্ধার করতো, ঋতুমতী অবিবাহিতা বালিকাদের পিতা দেখলে তাঁর জীবন্তে নরকবাস হয় বলে শাস্ত্রে জানাতো, বালবিধবাদের আমৃত্যু কষ্টকর যন্ত্রণাচিহ্ন ধারণ করতে বাধ্য করতো দেহে ও মনে, বিনা অপরাধেই, তাদের এসব পূজোপাঠ কি আসলেই নারীর প্রতি সম্মান কোনো দিকে, কোনো ভাবে? কিংবা, এতো অত্যাচার করে কি আসলেই নারীর প্রতি সম্মান জানানোটা ব্যঙ্গ কিংবা ভন্ডামো ছাড়া আর কিছু বলে মানা যায়? যে-দেশে নারীভ্রূণবধ এখনও নিত্যকর্ম কিংবা এমনকি নারী শিশুহত্যাও, সেই দেশ যখন নারীর সম্মান নিয়ে গর্ববোধে আপ্লুত ও আচ্ছন্ন হয়, তখন জনমদুখিনী সীতার মতোই বলতে ইচ্ছে করে, “হে মা ধরিত্রী, দ্বিধা হও, আমি ভেতরে প্রবেশ করি।”
_____________________________________________________
কুমারী পূজা হলো তন্ত্রশাস্ত্রমতে অনধিক ষোলো বছরের অরজঃস্বলা কুমারী মেয়ের পূজা। বিশেষত দুর্গাপূজার অঙ্গরূপে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর দুর্গাপূজার মহাষ্টমী পূজার শেষে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয় তবে মতান্তরে নবমী পূজার দিনও এ-পূজা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
শাস্ত্রমতে কুমারী পূজার উদ্ভব হয় কোলাসুরকে বধ করার মধ্য দিয়ে থেকে। গল্পে বর্ণিত রয়েছে, কোলাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। সেসব দেবগণের আবেদনে সাড়া দিযে় দেবী পুনর্জন্মে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।
কুমারী পূজার দার্শনিক তত্ত্ব হলো নারীতে পরমার্থ দর্শন ও পরমার্থ অর্জন। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যে-ত্রিশক্তির বলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি, স্থিতি ও লয় ক্রিয়া সাধিত হচ্ছে, সেই ত্রিবিধ শক্তিই বীজাকারে কুমারীতে নিহিত। কুমারী প্রকৃতি বা নারী জাতির প্রতীক ও বীজাবস্থা। তাই কুমারী বা নারীতে দেবীভাব আরোপ করে তার সাধনা করা হয়। এ সাধনপদ্ধতিতে সাধকের নিকট বিশ্বজননী কুমারী নারীমূর্তির রূপ ধারণ করে; তাই তার নিকট নারী ভোগ্যা নয়, পূজ্যা। পৌরাণিক কল্পকাহিনিতে বর্ণিত আছে, এ-ভাবনায় ভাবিত হওয়ার মাধ্যমে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজের স্ত্রীকে ষোড়শীজ্ঞানে পূজা করেছিলেন।
কুমারী পূজায় কোন জাতি, ধর্ম বা বর্ণভেদ নেই। দেবীজ্ঞানে যে-কোন কুমারীই পূজনীয়, এমনকি বেশ্যাকুলজাত কুমারীও। তবে সাধারণত ব্রাহ্মণ কুমারী কন্যার পূজাই সর্বত্র প্রচলিত। এক্ষেত্রে এক থেকে ষোলো বছর বয়সী যে কোনো কুমারী মেযে়র পূজা করা যায়। বয়সের ক্রমানুসারে পূজাকালে এই সকল কুমারীদের বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়।
• এক বছরের কন্যা — সন্ধ্যা
• দুই বছরের কন্যা — সরস্বতী
• তিন বছরের কন্যা — ত্রিধামূর্তি
• চার বছরের কন্যা — কালিকা
• পাঁচ বছরের কন্যা — সুভগা
• ছয় বছরের কন্যা — উমা
• সাত বছরের কন্যা — মালিনী
• আট বছরের কন্যা — কুষ্ঠিকা
• নয় বছরের কন্যা — কালসন্দর্ভা
• দশ বছরের কন্যা — অপরাজিতা
• এগারো বছরের কন্যা — রুদ্রাণী
• বারো বছরের কন্যা — ভৈরবী
• তেরো বছরের কন্যা — মহালপ্তী
• চৌদ্দ বছরের কন্যা — পীঠনায়িকা
• পনেরো বছরের কন্যা — ক্ষেত্রজ্ঞা
• ষোলো বছরের কন্যা — অন্নদা বা অম্বিকা
_______________________
প্রসঙ্গত নববর্ষে যা ঘটে গেলো বাংলাদেশে, শুধু ঢাকাতে নয়, চট্রগ্রামেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাতে ইসলাম ধর্মে নারীর সম্মান নিয়ে আর নাই লিখি। ঘটনা ঘটিয়েই বেজন্মারা ক্ষান্ত হয়নি ভিডিও করে সোস্যাল মিডিয়াতে প্রচার করছে, নতুন বছরের মতো বির্ধমীয় ব্যাপারে মুসলমান মেয়েরা ঘরের বাইরে বের হলে তাদের এই হাল করা হবে। অনেক পুরুষই বীর দর্পে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তাদের মা বোন বাড়ি থেকে বের হয়নি, অসম্মানিত হয়নি। যারা ঘষা খেতে চায়, তারাই বের হয়! কথা হলো, বিধর্মী ব্যাপারে ঈমানদার পুরুষরা বাড়ি বসে থাকে না কেন? তারা কেন বের হয়! স্বর্গে শুধু মেয়েদের যেতে হবে কেন? আঙ্গুর বেদানায় পুরুষদের লোভ নেই!
লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ।
নারী জাতিকে কোনদিন ই কোন ধর্মই মানুষের চোখে দেখে নি। হিন্দু ধর্মের কথা যা বলার, তা লেখক বলেই দিয়েছেন। ইসলাম ধর্মে, হযরত আদমের বাম পাশের হার থেকে মা হাওয়ার সৃষ্টি করেন আল্লাহ। মানুষের সৃষ্টি হার থেকে হয়, এটাও না হয় ধর্মের তাকিদে আধুনিক যুগে মেনেই নিলাম, কিন্তু সৃষ্টির প্রক্রিয়াতেই নারী জাতিকে পুরুষের নিকট ঋনী করে দিল। শুধু তাই নয়, আল্লাহর মানুষ সৃষ্টির ইচ্ছা হলে, তিনি আদমকে সৃষ্টি করে ইচ্ছা পুরন করলেন। ৩০০-৪০০ বছর একাকি থাকার পরে যখন আদম একাকিত্ত্ব অনুভব করলেন, তখন আদমের প্রয়োজনে সৃষ্টি করলেন হাওয়াকে। এখানেও কৌশলে নারীকে শুধু মাত্র পুরুষের ব্যবহার্য হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। একজন জান্নাতী পুরুষ ৭০ জন সুন্দরী হুর পাবে, কিন্তু জান্নাতী নারী ৭০ জন সুন্দর স্মার্ট পুরুষ হুর পাবে কিনা, তা কোথাও বলা আছে বলে আমার মনে হয় না। নারীর শরীর পুরুষ জাতির নিকট আকর্ষনীয়। তাই তাদের শরীরের সামান্য অংশ দেখলেও পুরুষের মধ্যে কামনা জাগবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা তো পুরুষের সমস্যা। নারীদের প্রতি দৃষ্টি না দিলেই তো হয়। অথচ, এটা রোধ করতে নারীকে পর্দা নামের অযুহাতে চকলেটের মত মুড়িয়ে রাখা হয়। যদি নারী জাতি এক হয়ে বলে যে, পুরুষের খোলামেলা পোশাকে তাদেরও শরীর মনে কামনা জাগে, পুরুষকেও তাই পর্দা করতে হবে, পুরুষ কি তবে পর্দা করবে?
আমার ব্যক্তিগত ধারনা এই পুরো ব্যাপারটা নির্ভর করে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর, পোশাকের ওপর নয়। বহুদিন পশ্চিমে থেকে হয়তো পোশাকের দ্বারা উত্তেজিত হওয়ার এই বাহানাটা আমার কাছে একটা অজুহাত মনে হয়
মুক্তমনা তে আমি নতুন পাঠক। খুব ভালো লাগল লেখাটি পড়ে। সত্যিইতো যেখানে নারীদের কেবল সন্তান উৎপাদনের জন্য ভাবা হয় সেখানে আবার কিসের কুমারী পুজা। পুরো concept টাই অসুস্থ। মেয়েদের জন্মানোই যেন পাপ। অনেক আগে একটা প্রচলিত কথা শুনেছিলাম “শিশুকালে পিতার ঘর, যৌবনে স্বামীর, বৃদ্ধকালে পুত্রের ঘর, নারী তোমার ঘর কোনখানি?” এই হল আমাদের সমাজের নারীদের অবস্থা। এখনও আমাদের সমাজে এই বাজে সংস্কৃতি বহাল আছে। এখনও বলা হয় ”মেয়ে তোমার বাপের বাড়ি কোথায়? তোমার শ্বশুড়বাড়ী হেথায়………..”
যাই হোক লেখাটি খুব সুন্দর এবং আবারো বলছি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
করবীকে মুক্তমনায় স্বাগতম। আশাকরছি নিয়মিত পাশে পাবো
অনেক দিন পরে তানবীরাকে মুক্তমনায় নিয়মিত দেখে খুবই ভাল লাগছে। কলম চলবেই…
লেখালেখির মোটিভেশান ফিরে পেয়ে আমারও ভাল লাগছে।
আর অভিজিৎ ভাইয়ের মৃত্যুতো বিরাট ধাক্কা ……… মানতে পারছি না এখনো মনে হয় কালকেই ফিরে আসবে কোথাও থেকে জানবো ভুল শুনেছিলাম
এতো পূজা অর্চনা করে কি হবে? দিন শেষে তো নারীকে অবলাই বলা হয়। তার থেকে পূজা অর্চনা বাদ দিয়ে নারীকে কিভাবে যথাযথ মূল্যায়ন করা যায়, তাই চিন্তা করা উচিত।
লেখাটা ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ জয়, ভাল থাকবেন
“ইউরোপে মেয়েদের পূজা হয় না
কিন্তু ধর্ষণের জন্যে তার জামা কাপড় কিংবা
তার চরিত্রের প্রতি কেউ আঙ্গুল তুলে না।
তারা যখন ইচ্ছে তখনই বাইরে যেতে পারে।….”
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন ইউরোপে ধর্ষণ হয়না????
কুমারী পূজা কনসেপ্টটাই তো অসুস্থ। “কুমারী” পূজা করার জিনিস বা যোগ্য এতে কোনো ক্ষতি দেখতে পাচ্ছেন না? আশ্চর্য! শরীর এর শুচিতায় নারীকে আটকে ফেলাটাই তো মানসিক অসুস্থতা। এটাই সবচাইতে বড় ক্ষতি। কতকগুলো যুক্তিহীন বিশ্বাসে তাল দেয়া মানে অন্ধকার আরও একটি প্রজন্ম তৈরী করা। প্রথা মানলে ক্ষতি নেই সেটা কে ডিসাইড করছে? ধর্মান্ধ পূজক কি করে বুঝবে ক্ষতি কোথায়?
@ তানবীরা
“ আপনার বক্তব্য সমর্থন করলে, সেদিক থেকে ধরতে গেলে মুক্তমনা ওয়েবসাইটিরও কোন প্রয়োজন ছিল না। এটি ছাড়াও পৃথিবী খুব ভাল চলছিলো এবং এটি বন্ধ হয়ে গেলেও পৃথিবীতে সূর্য ওঠা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।“
ঠিক বুঝলাম না। সংস্কার ও কুসংস্কারের মধ্যে কি কোনো তফাত করতে চান না ? এই যে তানবীরা আপনি কপালে টিপ পড়েছেন। এটির কি প্রয়োজন ? আপনার সব চেয়ে বড় পরিচয় আপনি মানুষ আপনার মানবিক গুন হলো আপনার পরিচয় তাই না?
আমার যুক্তি ছিল যে যেহেতু টিপটি কোনো ক্ষতি করছে না (আপাত ভাবে) তাই এটিকে সমালোচনা করার কোনো দরকার নেই। এই “আপাত ভাবে “কথাটা সব জায়গায় প্রযোজ্য।
হিন্দুদের বিবাহের ক্ষেত্রে অগ্নি সাক্ষী করে সাত পাক, মালা বদলই বা কি দরকার l মন্ত্র উচারণ সংস্কৃততে কেন হবে ? আমার ভাষা তো বাংলা l আমার যুক্তি ছিল যেদিন বুঝব সংস্কৃত ক্ষতি করছে, সংস্কৃত বদলে বাংলা করা দরকার সেই দিন বদলের দাবি তুলব। অনেকে তো মন্ত্র পড়ারই বিরোধী। আমার পরিচিত এক জন সকালে বিবাহ রেজিস্ট্রি অফিস থেকে বিবাহ করে নিজের অফিস করতে গিয়ে ছিল। তার যুক্তি ছিল বিবাহ দুটি নারী ও পুরুষের মধ্যে। মন্ত্র , মালা বদল এইসব কি দরকার কি ? তিনি ভুল বলেছিলেন কি ?
“ কোন প্রথা পালন করলে কতটুকু প্রভাব সমাজে পরে তা সঠিক ভাবে মেপে ফেলার কোন যন্ত্রতো এখনো আবিস্কার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি তাই লিখেছি প্রথা পালন করে মেয়েদের ভুলিয়ে রাখা আর কতদিন? “
ঠিক কথা। সেই জন্যই আমার মতে যে গুলি ক্ষতি করছে বুঝতে পারছি সে গুলো বর্জন করে যে গুলো ‘আপাত ভাবে’ ক্ষতি করছে না সে গুলো নিয়ে খুব দুর্ভাবনা না করলেও চলে। তা না হলে ঠগ বাছতে গ্রাম উজাড় হয়ে যাবে।
@ জওশন আরা শাতিল
“পুজা অর্চনার দায়ভার অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্রাহ্মণকে দেয়া উচিত তাহলে।“
পূজা অর্চনার অধিকার শুধু পুরুষ কেন নারীর ও থাকা উচিত। অবস্য পুজো অর্চনার আদৌ দরকার আছে কি না সেটাই তো বিবেচ্য।
“উতসবের নাম করে নারী-পুরুষে বৈষম্য করলে তা অনেক বেশী ক্ষতিকর। নারী বয়োসন্ধি পেরুলে অপবিত্র, আর পুরুষ বয়োসন্ধি পেরুলে তা নয়- বৈষম্যটা এইখানে হচ্ছে।
এখানে তো বৈসম্য করা হচ্ছে পুরুষের বিপক্ষে। শুধু মাত্র কুমারীকে পুজো , কুমার কে তো নয়।
টিপ পরেছি সাজ করার জন্যে সংস্কার বা কুসংস্কার থেকে নয়, প্রসাধনী হিসেবে।।
এখন কেউ যদি সংস্কার বা কুসংস্কার থেকে বিশ্বাস করে টিপ পরতে শুরু করে, অন্যকে টিপ পরতে উৎসাহিত করতে থাকে। টিপ পরতে পরতে কপালের চামড়া ঘা করে ফেলে সেটা দোষের নয়? সারা শরীরে দগদগে ঘা রেখে কপালে টিপ পরে সেজে বসে থাকলে সেটাও দোষের নয় বলছেন? যৌতুকের জন্যে শরীরে আগুন দিয়ে মেয়েদের পুড়িয়ে দেয় যেখানে, যখন তখন মেয়েরা ধর্ষনের শিকার হয় যেখানে সেখানে “কুমারী পূজা”? হোয়াট আ আইরনি।
বিয়ে নিয়ে তিনি ভুল বলেননি। দুটি মানুষের মধ্যে মনের মিলন যেখানে বিয়ের সূত্র হওয়া উচিত সেখানে সাত গায়ের পাড়া পড়শীকে জানানোর কী মানে আছে? সবাইকে ভুড়ি ভোজ দিয়ে, দুনিয়ার লৌকিকতা করে দুটো ছেলে আর মেয়েকে অভিভাবকের ইচ্ছে মত একসাথে বেঁধে দেওয়াকে আমি সমর্থন করি না। বিয়ে নিয়ে আমাদের দেশে যা মচ্ছব হয় নিজের দৌলতের বড়াই করার তা কোন সুস্থতার মধ্যেও পরে না
সংস্কার আর কুসংস্কার এর সীমারেখা কোথায়?
মুক্ত ম্নায় যদিও আমি নবাগত, কিন্তু কয়েকটা দিনেই লেখিকা তানবীরার কলমকে কিছুটা উপলব্ধি ক্রেছি। তার কলমের উর্বরতা আছে, আবার আগুনের চমকও দেখা যায়। কলম যেন থমকে না যায়। সমাজের সংস্কার ও কুসংস্কারের ছেদ টেনে দেওয়া উচিত। কিন্তু করবে কে? কলমের আগুন স্ব পুরিয়ে ছাই করে দেবে।
@বিক্রম মজুমদার, আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই সম্মানিতবোধ করছি। খুব উদ্দীপনামূলক। পাঠকরাই পারে লেখকদের কাছ থেকে লেখা বের করে আনতে। যদিও আমি লেখক নই তারপরও
শুভেচ্ছা জানবেন, ভাল থাকুন।
আপনি কেমন লেখক, তা আপনার জানার দরকার নেই, জানবে – পাঠাক সমাজ, জানবে – সমালোচকদের দল, জানবে বিদ্ধজনেরা। আপনি লিখে যান, আমরা পাঠক্রা পড়ব, সমালোচনা ক্রব, আবার বাহবা দেব। এক সময় ইংরেজী সাহিত্যের পর বাংলা সাহিত্যে বহু কবি ও লেখক বাংলা সাহিত্যকে স্মব্রিদ্ধ করেছে। মাধ্যে কিছুটা ভাটা পড়ে, আবার এর উৎকর্ষ বাড়ছে। আপনাদের মত লেখক লেখিকারা এই রাস ধরে রাখবেন। আপনার সম্বন্ধে আমার যা উপলব্ধি হয়েছে, তাই লিখেছি, বেশী বা কম নয়।
মুক্ত ম্নায় আরও ক্যেকজনের কলম জোর কদ্মে চলে।
আপনি লেখুন, আমারা পড়ে তৃপ্তি পাই।
না তানবীরা, এই মুভিটি – https://www.youtube.com/watch?v=q6uT2aFyyc4. এখানে শুধু অংশ বিশেষ। ফুল মুভি পায়নি।
দেখুনতো এটা কিনা http://kickass.to/usearch/maya%202001/
আমি মুভিটা দেখলাম। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না পরিবার তাদের কন্যাকে পূজার নামে ধর্ষনের হাতে তুলে দেয় জেনেশুনে!!!! আমার ভাষা হারিয়ে গেছে। বমি পাচ্ছে …………।
এবার বুঝুন ধর্ম বিশ্বাসের ভিত কত শক্ত। আর সেটাই আমরা ভাঙ্গতে চাচ্ছি। অত্যাধিক দুঃসাহসিক অভিযান। জানিনা এ অভিযান আর কত শত বছর চলবে এবং আরো কত হাজার মানুষের প্রাণ যাবে অভিজিতদের মতো।
হ্যালো তানবীরা,
আপনি কি বলতে পারেন মুক্তমনার আগের ওয়েব সাইটটা কোথায় গেল? লেখকদের একটা লিস্ট ছিল সেটা খুঁজে পাচ্ছি না। তাদেরকে ইমেইল করেছি, কোনো উত্তর নেই। মুক্তমনায় যোগাযোগের আর তো কোনো মাধ্যম আমার জানা নেই। সর্বোপরি আপনার কাছে কি “রাইট হার্ট” এর লেখাগুলো আছে? যদি থাকে, দয়া করে পাঠাবেন কি? অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
http://www.mukto-mona.com/Articles/talukder/index.htm
এখানে কিছুটা পেতে পারেন খুঁজে। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
লেখাটি ভালো লেগেছে। এই রকম অজস্র সংস্কার আমাদের দেশে রয়েছে। এই কুমারী পূজা দুর্গাপূজার সময় দেখা যায় বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত হতে। তবে আমি সংস্কার আর কুসংস্কারের মধ্যে পার্থক্য করার পক্ষপাতি। যে সংস্কার আপাত ভাবে কোনো ক্ষতি করে না সেই গুলো থাকলে সমাজের খারাপ কিছু নয় কিন্তু যে যে সংস্কার সমাজের ক্ষতি করে সেইগুলো হলো কুসংস্কার। এই কুমারী পুজো মনে হয় সমাজের কোনো ক্ষতি করে না। তাই এইগুলো নিয়ে দুর্ভাবনা না করলেও চলে। আর যে নারীর রজস্বলা হয়ে গেছে সে কুমারী পূজা তে অযোগ্য ইত্যাদি যে নিয়ম আছে সমাজে তার বিশেষ প্রভাব আছে বলে মনে হয় না। বাকিটা শুধুই উত্সব। যাই হোক নতুন বিসয়ে লেখার জন্য লেখিকা কে ধন্যবাদ। এমন আরো লেখার প্রত্যাশা রইলো।
আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি সম্মানিতবোধ করছি। আপনার বক্তব্য সমর্থন করলে, সেদিক থেকে ধরতে গেলে মুক্তমনা ওয়েবসাইটিরও কোন প্রয়োজন ছিল না। এটি ছাড়াও পৃথিবী খুব ভাল চলছিলো এবং এটি বন্ধ হয়ে গেলেও পৃথিবীতে সূর্য ওঠা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
কোন প্রথা পালন করলে কতটুকু প্রভাব সমাজে পরে তা সঠিক ভাবে মেপে ফেলার কোন যন্ত্রতো এখনো আবিস্কার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি তাই লিখেছি প্রথা পালন করে মেয়েদের ভুলিয়ে রাখা আর কতদিন? স্বামী বা পিতার সম্পত্তিতে অধিকার দিতে নারাজ যারা, তারা কোন লজ্জায় প্রথা পালন করে কিংবা করবে?
ক্ষতি করে। মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতি করে। নারীকে দেখানো হচ্ছে তোমাদের পূজা করছি আমি, আর রজঃশীলা হবার সাথে সাথে তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কেবলই শোবার ঘরে। রজঃশীলা নারী কিভাবে অপবিত্র হয়? কোন অপরাধে অপবিত্র হয়! ঋতুস্রাব স্বাভাবিক জৈবিক ব্যাপার। স্বাভাবিক শারিরীক পরিবর্তনের জন্য যদি নারী অপবিত্র হয়, তাহলে বয়োপ্রাপ্ত সব পুরুষই অপবিত্র। পুজা অর্চনার দায়ভার অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্রাহ্মণকে দেয়া উচিত তাহলে।
উতসবের নাম করে নারী-পুরুষে বৈষম্য করলে তা অনেক বেশী ক্ষতিকর। নারী বয়োসন্ধি পেরুলে অপবিত্র, আর পুরুষ বয়োসন্ধি পেরুলে তা নয়- বৈষম্যটা এইখানে হচ্ছে।
একমত আপনার সাথে জওশন আরা। নারীকে আলাদা করে পূজা দেয়ার দরকার কী? সাধারণ মানুষের মত ট্রীট করতে সমস্যা কোথায়? কেন রীতি নীতি পালন করে বোঝাতে হবে তুমি আলাদা কিছু পদার্থ? ঢাক ঢাক গুড় গুড়তো এখানেই। যেখানে এসমস্ত আলাদা সম্মানের ব্যাপার আছে বুঝতে হবে সেখানে সমস্যা আছে। সমতার মনোভাব থাকলে পূজার দরকার নেই – নেই আলাদা করে নারীকে আমি সম্মান করি মনোভাবের। সবাই সবাইকে সম্মান করি এই শিক্ষা দরকার।
অনুমান করি আপডেইট চলছে। অভিজিৎ বিহীন মুক্তমনা এতিম শিশু হয়েছে তবে এই আঁধারও কাটবে।
এক নিশ্বাসে গিলে ফেললাম। পেটের এক কোনাও ভরেনি অবশ্য। তানবীরা, আপনি “মায়া” ছবি দেখেছেন? দেখলে বুঝবেন আপনার এ লেখাটি নারী অপমানের শুধু এক লক্ষ ভাগের এক ভাগ পূরণ করেছে।
জ্বী না দেখিনি, https://www.youtube.com/watch?v=-SR3hubOosg
এই মুভিটির কথা বলছেন কী? অবশ্য প্রচুর সিনেমা তৈরী হয়েছে মেয়েদের অবমাননার ওপর। তারমধ্যে ইরানি মুভি, স্টোনিং অফ সুরাইয়া এম ভয়াবহ।
মুক্ত-মনার কি হলো? লেখাটির শিরোনামও দেখা যায় না। গতকালও তো এমন ছিল না।
“”কুমারী প্রকৃতি বা নারী জাতির প্রতীক ও বীজাবস্থা। তাই কুমারী বা নারীতে দেবীভাব আরোপ করে তার সাধনা করা হয়। এ সাধনপদ্ধতিতে সাধকের নিকট বিশ্বজননী কুমারী নারীমূর্তির রূপ ধারণ করে; তাই তার নিকট নারী ভোগ্যা নয়, পূজ্যা। পৌরাণিক কল্পকাহিনিতে বর্ণিত আছে, এ-ভাবনায় ভাবিত হওয়ার মাধ্যমে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজের স্ত্রীকে ষোড়শীজ্ঞানে পূজা করেছিলেন।”— এজন্যই সম্ভবত দূর্গাপূজার অষ্টমীদিন রামকৃষ্ণ মিশনে প্রতি বছর কুমারী পূজার প্রচলন।
যাহোক, চমৎকার বিশ্লেষণ, তথ্যবহুল, নারী ইস্যু, কুসংস্কার ও ধর্মীয় আচার ( অনাচার) নিয়ে এমন আরও লেখা চাই।
উইকিপিডিয়া আর নেট ঘেটে তথ্যগুলো পেয়েছি। ভাল থাকবেন।
কলম চলুক।
কলম আর কোথায়, কীবোর্ড 😀
এতদিন বিষয়টা নিয়ে এভাবে ভাবি নি।আপনাদের ব্লগ গুলো পড়ে ভাবনা গুলো তীক্ষ্ণ হচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে।।
অভ্যস্ততায় চোখ অভ্যস্ত হয়ে যায় মন প্রশ্ন করতে ভুলে যায়
দারূন লাগলো । আসলে অভিজিত মনে না করে পারা যায় না। এই ধরনের অনেক ভালো লেখা আমরা অভিজিতের কাছ থেক পেয়েছি। ঘুরে ফিরে অভি আসবেই কি যে হলো।
মুক্তো মনা যেনো কেমন সাজ শয্যা হয়ে গিয়েছে। হয়তো প্রিয় মডারেটরের সাহায্যে ঠিক হয়ে যাবে। সেই অপেক্ষায় আছি।
আমরাতো অভিজিৎ ভাইয়েরই ফলোয়ার। তিনি প্ল্যাটফর্ম তৈরী করেছিলেন বলেই না সবাই এক হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।
খুবই সুন্দর একটি লেখা! ধর্ম কি করে মানুষকে মানসিক বন্দিত্ত্বে বেঁধে রাখে তার উজ্জ্বল এক উদাহরণ হয়ে থাকলো লেখাটি। আমি আসলে বুঝতে অক্ষম যে খুব সাধারন একটা বিবেচ্য বিষয়কে কিকরে কূটতর্কের আড়ালে বৈধতা দেওয়া হয় এভাবে! যারা বলে কিংবা সমর্থ যোগায় তারা কি নিজে সেটা মানে? আক্ষরিক অর্থেই কি মানে? ভারী অদ্ভুত লাগে চিন্তা চেতনার এইসব ধরন!
মানে, মন থেকে বিশ্বাস করে মানে। কোন প্রশ্ন ছাড়াই মানে। খুব কাছ থেকে দেখছি, রোজ দিন দেখছি
অজ্ঞতা,অন্ধত্ব আর সকল কুসংস্কার যেন ভারতীয় উপমহাদেশের নিয়তি।
অজ্ঞতাই জীবনের সকল দু:খ- কষ্টের মূল কারন।
কলম যুদ্ধের দ্বারা আমাদের জং ধরা ভোতা মাথা চূর্ন-বিচূর্ন হয়ে যাক,,,,,
ধন্যবাদ
অসাধারণ আপু! কুসংস্কারের বীজ ভারতবর্ষে বহু পুরাতন। যেহেতু সিন্ধুতীরেই হিন্দুধর্মের উৎপত্তি, তাই ভারতবর্ষের আদিম কুসংস্কারগুলো হিন্দু ধর্মের জন্মকালেই হয়ে গেছে হিন্দু ধর্মের অংশবিশেষ। হাজার বছর পরেও হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা মেনে আসছে সেই কুসংস্কারগুলি। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও ধার্মিকেরা কখনই মানতে চায় না ধর্মের নামে তারা যা পালন করছে তা কুসংস্কার।
অন্ধবিশ্বাসীর চোখে আঙুল পৌঁছেই না
” যে সংস্কৃতিতে হাজার বছর ধরে একটি মেয়ের সম্মান নির্ধারণ করা হয় ‘কুমারীত্ব’ আর ‘পুত্রসন্তান উৎপাদনের’ মাধ্যমে, সে-সংস্কৃতি নিয়ে যখন ভিকটিমরাই গর্বিত থাকে, তখন চুপচাপ শুনে যাওয়া ছাড়া জিজ্ঞেস করার কিছু থাকে না। ”
সব ধর্মেই এত এত বাজে কথা আছে মেয়েদের নামে তবুও মেয়েরাই পুরুষদের চেয়ে বেশি ধার্মিক। অদ্ভুত ব্যাপার। লেখাটি চমৎকার লেগেছে।
“মেয়েরাই পুরুষদের চেয়ে বেশি ধার্মিক” সেটা আমাদের উপমহাদেশ কিংবা এশিয়ার বেলায় হয়তো প্রযোজ্য কারণ ছোটবেলা থেকেই সামাজিক কারণে মেয়েদেরকে অনুগত রাখতে ধর্মকে বেশি করে গুলে খাওয়ানো হয়। ইউরোপে এই সমস্যাটা বেশ কম। বিশেষ করে পশ্চিম ইউরোপে। যার কারণে অনেক বাঙালি পুরুষ বলে, এখানের মেয়েদেরকে মেয়ে মেয়ে লাগে না।
বাহ চমৎকার। অভিজিৎ দা’র কথা মনে পড়ে। হিন্দুশাস্ত্রের কথা লিখলে তিনি খুব খুশী হতেন। তথ্যসুত্র দিয়ে সাহায্য করতেন। কন্যা পূজার কথাটা আগে জানতাম না তো।
(নববর্ষে যা ঘটে গেলো বাংলাদেশে, শুধু ঢাকাতে নয়, চট্রগ্রামেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাতে ইসলাম ধর্মে নারীর সম্মান নিয়ে আর নাই লিখি।)
ভাল করেছেন, দরকার নাই। আপনি বেঁচে থাকুন,লিখতে থাকুন অভির মত লিখুন। অভিকে হারিয়ে আমরা অনেক হারিয়েছি, আর কাউকে হারাতে চাইনা।
মুক্তমনার কী যে হলো, হাইলাইট করার, বোল্ড করা্র, কোট করার কোন অপশনই নাই দেখছি।
ইসলাম ধর্মের রীতিনীতির সমালোচনা করে অভিজিত ভাই “ইসলাম বিদ্বেষী” ট্যাগ খেয়েছেন। আমিও হিন্দু ধর্মের রীতিনীতির সমালোচনা করে “সাম্প্রদায়িক” ট্যাগ খেয়েছি। কোন পক্ষই কম না এই ব্যাপারে।
ভাল থাকবেন।
মনে পড়ছে, সচলায়তনের বরাহ হিমু কোং সে সময় আপনার কি একটা পোস্ট নিয়ে রীতিমত জিহাদে নেমেছিল। আর সে সময় নানান জন নামে বেনামে এসে আপনাকে ইচ্ছেমত গাল মন্দ করেছে। ফারুক, সুমেরদা, মাস্কাওয়াথ ভাইদেরকেও যথেষ্ট হেনস্থা হতে হয়েছে। আরো পরে কুলদা রায়ের সূত্রে এরা অভি দাকে কি অসন্মানটাই না করেছে! এইসব দেখে আমি সেখানে যাই না বহু বছর। কিন্তু হিমু কোং এর জিহাদ শেষ হয়নি। সুযোগ পেলেই এরা আমার নামে তো বটেই, যার তার নামে যখন তখন কুতসা রটায়। আর এক্ষেত্রে ফেক আইডি ধারীরাই এগিয়ে। সব মিলিয়ে সেটি এখন পরিনত হয়েছে হিরক রাজার দেশে।
নোটটি খুব ভালো। চলুক
তানবীরা বলবেন কি নারী স্বাধিনতার মানে কি?এই বিষয়টি আমি কারো কাছ থেকেই পরিষ্কার ভাবে জানতে পারিনি,শুধু তাই নয় যারা নারী স্বাধীনতা নিয়ে বড় বড় লেকচার দেন তাদের কাছেও বিষয়টি অস্পষ্ট।
আসলে এই বিষয়টি কোরানের আয়াতের মতই দুর্বোধ্য, গুঢ় ইংগিতপূর্ণ, আলেমা ওলামা মাশায়েখ ছাড়া এর সত্যি অর্থ সাধারণেরা ধরতে বা বুঝতে পারে না। আমি কোন ছাড়
তবে আমি ব্যক্তি স্বাধীনতা ব্যাপারটা কিছুটা বুঝি। আর নারীদের যেহেতু আমি ব্যক্তি বলে মনে করি আমার কাছে নারী স্বাধীনতা বলে আলাদা কিছু নেই।