৭৫ এর শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নিহত হবার পরেই মোটামুটি ভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কবর রচনা হয়েছিল দীর্ঘ দিনের জন্য।বিশ্বাস ঘাতক খোন্দকার মোশতাক তখন ক্ষমতা দখল করলো।কিন্তু বেইমানীর ফল শুভ হয়না।সেও ক্ষমতা বেশিদিন আঁকড়ে ধরে রাখতে পারলো না।
তার পর শুরু হল প্রহসনের রাজনীতি।সামরিক বাহিনীর সাহায্যে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসীন হলেন।আর সেখান থেকেই মুক্তি যুদ্ধের চেতনা ধীরে ধীরে থিতিয়ে আসতে শুরু করল।কিছু রাজাকার কে পুনর্বাসনের মাধ্যমে এটার সুচনা সম্ভবত জিয়াউর রহমানই করলেন।হ্যাঁ আর না ভোটের ভেল্কি তিনি দেখালেন।উচ্চাভিলাষী এই সামরিক নেতাও কিন্তু বেশীদিন থাকতে পারলেন না।সেই সামরিক বাহিনীর কল্যানেই তাকেও নিহত হতে হল।তারপর সাত্তার এলেন।কাজের কাজ কিছুই হল না।সেই একই ধারা চলতে থাকল।
শেষে আবার ক্ষমতা দখল করলেন হু.মু . এরশাদ।তিনি এসে এক রাজাকার কে কে সরকারে অন্তরভুক্ত করার মাধ্যমেই এই দেশে রাজাকারদের রাজনীতি বৈধতা পেল। জিয়া যে বিষবৃক্ষ রোপণ করে গেছিলেন রাজাকারদের পুনর্বাসিত করার মাধ্যমে, এরশাদ সেটিকে চুড়ান্ত রুপ দিলেন।এর পর দীর্ঘ নয়মাস চলল এই দেশে ইসলামী করন। রবিবারের পরিবর্তে শুক্রবার হল ছুটির দিন।গণতন্ত্র তখন এক পরাজিত সৈনিক।তারপর বহু আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদ বিতাড়িত হলেন।
এলো বহু প্রতীক্ষিত গণতন্ত্র।কিন্তু সত্যই কি গণতন্ত্র এসেছিল? গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কি? সেটা কিন্তু প্রথম থেকেই লঙ্ঘন করা হল, ১৯৯৪ সালে গোলাম আযম কে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়ার মাধ্যমে।তার মাত্র ২ বছর পরেই নির্বাচনে বি এনপির ভরাডুবি হল। ক্ষমতায় আসলো আওয়ামী লীগ।এবার বি এন পি চার দলীয় জোট করল জামাত কে নিয়ে।আর তার পর ক্ষমতায় এসেই নিজামী, মুজাহিদ মন্ত্রী হল।মন্ত্রিত্ব দিলেন খালেদা জিয়া, যিনি কিনা মুক্তি যোদ্ধা বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের স্ত্রী।তাহলে এখানে প্রশ্ন থেকে যায় যে যদি যুদ্ধাপরাধী শিরোমণি রা মন্ত্রিত্ব লাভ করলেন, আর সেটা আসল একজন বীর উত্তমের স্ত্রীর হাত ধরে। আর এই গোলাম আযম বাংলাদেশে পাকিস্তানি পাসপোর্টে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন জিয়া নিজে।
যদি এই যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানী নাগরিক কে বাংলাদেশে থাকার অনুমতি দিয়ে জিয়া কি প্রমান করেছিলেন? কেন তিনি মুক্তি যুদ্ধ করেছিলেন? রাজাকারদের পুনর্বাসিত করার জন্য?তাহলে তিনি কেমন মুক্তি যোদ্ধা? নাকি আবার সেই মানবতার ধুয়া?
যাক এবার পরের প্রসঙ্গে ফিরে আসি,খালেদা জিয়ার আমলে এই রাজাকার শিরোমনী নাগরিকত্ব পেল।অবাধে রাজনীতি শুরু করল, দেশে ধীরে মৌলবাদ আর ধর্মান্ধতা জেঁকে বসতে লাগলো।এই সবই কিন্তু জিয়ার গোলাম আযম কে বাংলাদেশে পুনর্বাসিত করার প্রতিফলন ।
তার পর যখন জামাতের নেতৃত্বের বদল আসলো, তখন নিজামী ,মুজাহিদ হল মন্ত্রী । তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়ল,যারা কিনা ওই পতাকাকে চায় নি।এভাবেই ধর্ষিত হল আমাদের জাতীয় পতাকা, আর ধর্ষিত হলেন ৭১ এর ৩০ লাখ শহীদ, আর সেই সাথে দ্বিতীয় বার ধর্ষিত হলেন ৭১ এর নির্যাতিত মা বোনেরা।
দেশে চালু হল ভোটের রাজনীতি,ধীরে ধীরে একদা দেশপ্রেমিক আওয়ামী লীগ তাদের স্বকীয়তা বিসর্জন দিয়ে শুরু করল ভোটের রাজনীতি। অনেক ক্ষেত্রেই যাদের বদনাম ছিল ভারতের এজেন্ট বলে, সেই বদনাম কারীরা ধর্ম কে আশ্রয় করে রাজনীতি করে।
৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে সাধারন মানুষজন ধর্মের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত সহানুভূতিশীল হয়েছে ধাপে ধাপে; বলা যায় যে তাদের মধ্যে কৌশলে এটা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।এইবার পুর্বের আদর্শ বিসর্জন দিয়ে আওয়ামী লীগও শুরু করল ধর্মের সাথে আপোষ।এ বড় ভয়ংকর আপোষ ধর্ম নিরপেক্ষতার ছদ্ধবেশে ধর্মাশ্রিত রাজনীতি( আজ শেখ হাসিনা শরিয়া আইনে বিচারের হুমকি দেন)।
কোন রকম বাছ বিচার করেই দলে নতুন দের স্বাগত জানাতে লাগল, যাদের ভিতর ছিল অসংখ্য যুদ্ধাপরাধী।বঙ্গবন্ধু কে করে ফেলা হল আওয়ামী লীগের নিজস্ব সাইনবোর্ড।যেই বঙ্গবন্ধু তোষন করে, সেই আওয়ামী লীগের প্রিয় পাত্রতে পরিনত হয়।এইভাবেই যুদ্ধাপরাধীরা একদা মুক্তি যুদ্ধের নেত্রত্ব দান কারি দলটির ভিতর আসন গেড়ে বসল। আর আজ রাজাকার দের বিচারের নামের প্রহসন এটারই ফল।
এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বুঝাই যাচ্ছে যে এটা দীর্ঘ দিনের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফসল, আর এখানে এইসব ষড়যন্ত্র কারীরা সম্পুর্ন সফল। আর তাই আজ ৪০ বছর পর শুরু হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, যখন তারা পুরাপুরি সুসংগঠিত। প্রত্যেক দলের মধ্যে প্রত্যক্ষ বা পরক্ষ ভাবে এদের প্রচন্ড প্রতাপ। পিছনে আছে ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট; যেহেতু তাদের দাঁড়ি আছে, আর বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ধর্ম প্রচার এরাই করে থাকে।কাজেই এদের বিরুদ্ধে বেশি কিছু করতে গেলে ভোটের রাজনীতিতে হেরে যাতে হবে, বর্তমান সরকার কে।
আর যেহেতু আদালতের রায়কে চিরকালই সরকার প্রভাবিত করে এসেছে, কাজেই যুদ্ধাপরাধী দের বিচার যে সরকার প্রভাবিত হতে পারে, এই দাবীর পক্ষেও শক্ত অবস্থান তৈরী হল প্রতিটি দলে যুদ্ধাপরাধীদের উপস্থিতির কারনে।
কিন্তু কাদের মোল্লার রায় বর্জন করে দেশের মানুষ সক্রিয় ভাবে আজ রাজ পথে নেমেছেন।এটা খুবই আশার কথা।এর মাধ্যমেই আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করতে পারি আমরা, সত্যিকারের ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশের।এটা একটা পরিবর্তনের হাওয়া।দেখে মনে হচ্ছে সত্যি দেশ বাসী এক হয়েছে।তবে এই আন্দোলন থেমে গেলে হবে না। কারন এই আন্দোলন যদি ব্যর্থ হয় , তবে দেশের রাজনীতিতে যুদ্ধাপরাধীরা আরো জেঁকে বসবে।এর ফলাফল হবে বাংলাদেশের তালেবানী আফগানিস্তানে পরিনত হবার মাধ্যমে; যেমন শিবির আগে মিছিল করত , ” আমরা হচ্ছি তালেবান, বাংলা হবে আফগান”
কাজেই যুদ্ধাপরাধীরা যেন এ দেশের রাজনীতি থেকে চিরকালের জন্য বিতাড়িত হয়, সেই ব্যবস্থা করার এটাই সময়।আগে পত্রিকাতে পড়তাম যে আরেকটি মুক্তযুদ্ধ দরকার এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের নির্মুল করতে, ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে, আর ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ পড়তে।
আজ মনে হয় সেই মুক্তি যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আজ দেশের মানুষ এক হয়েছেন । তাঁরা সরকার তো বটেই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধেও সমালোচনা করার আর সেটা বর্জন করার সৎসাহস অর্জন করেছেন ।ভারতে মানবতা বাদী লেখিকা অরুন্ধতী রায় একবার বলেছিলেন যে, আদালতের সমালোচনা করার সাহস যারা রাখেন, তাঁরা পরিণতির কথা চিন্তা করেন না।
শাবাশ বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের জনতা। এগিয়ে চলুন আর এই নতুন মুক্তি যুদ্ধকে সফল করুন,এই জোয়ার যেন থেমে না যায়।
বি.দ্র. এটি আমার প্রথম লেখা। একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র।ভুল ত্রুটি আর লেখার দুর্বলতা গুলো পাঠক ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা করি।
……………………….
তথ্যসুত্রঃ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ইতিহাস, আর মুক্ত মনার এই সঙ্ক্রান্ত কিছু লেখা, আর প্রতিদিন কার ঘটনা বলির সাথে আমার নিজস্ব কিছু অভিমত।
নতুন কোন ভাষা বলব না,বাংলাদেশ তোমাই ভালবাসি যে চিরনিভির,
কি করে থাকতে পারি তোমার কাঁদন দেখে?
যদি দিতে হয় পূর্ব-পুরুষের শোধ ,২৪ বছর ধরে রক্ত জমিয়েছি তোকে দিব বলে।
@সঞ্জয় কান্তি দে।, খুব সুন্দর বলেছেন। চিরকাল আমরা শুধু বাংলাদেশ কেই ভালবাসি, আর ভালবেসে যাব, কারন এই দেশ আমাদের মা, আর এই দেশের বিশ্বাস ঘাতকদের ফাঁসি চাই আবারও।মায়ের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতার কোন ক্ষমা নেই।
ইতিহাস? :-X :-X :-X :-X :-X :-X :-X :-X
দেশদোহিগুলোতো ইতিহাসই বদলে দিচ্ছে, আর মানুষের মনে ভরে দিচ্ছে দেশদ্রোহের বীজ।
লেখাটি বড্ড তাড়াহুড়ো করে লেখা। মানে, বিন্দুতে সিন্ধু ধারনের প্রচেষ্টা বলা যেতে পারে। মূল বিষয় অর্থাৎ জনগণের বর্তমানের আন্দোলনের ব্যাপারটি এসেছে কলেবর অনুযায়ী খুবই সামান্য। যাই হোক, লিখে যান। মুক্তমনায় আপনার নিয়মিত লেখা চাই। ভাল থাকবেন।
@অর্বাচীন স্বজন, হ্যাঁ আসলেই আরো চিন্তা করে লেখা উচিত ছিল।এরপর থেকে সেটা কতে চেষ্টা করব। পাঠের জন্য এবং সীমাবদ্ধতা ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂 । আপনিও ভাল থাকবেন।
অতি আবেগের সরল বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের হত্যাকাণ্ড কোন মতেই সমর্থনযগ্যো নয়। তবে তাঁর সরকারকে গণতান্ত্রিক বলা নিপাট ইতিহাসের সাথে মশকরা করা। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কবর খোঁড়া শুরু হয় ১৯৭৪ সালে এবং ২৫ জানুয়ারী ১৯৭৫ এর কবর দেওয়া হয় জায়ন ১৯৯১ এর মার্চ মাসের আগে ঠিক ভাবে বের করা যায়নি।
@সংবাদিকা, দেখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাকশাল করে ভুল করেছিলেন।তবে সেটা সংশোধনের সুযোগ কিন্তু তাকে দেয়া হয় নি। সুযোগ পেলে যে সংশোধন করতেন না সেটা কিন্তু জোর দিয়ে বলা যায় না। উনার আরেকটি বড় দুর্বলতা ছিল আর তা হল তিনি তোষামদ পছন্দ করতেন।আর তাই তাজউদ্দিন আহমদের মত নেতাকে ( অনেকের চোখেই যিনি মুজিবের চেয়ে অধিকতর যোগ্য আর বিচক্ষণ নেতা)সরিয়ে দিয়ে, চাটুকার আর বেইমান মোশতাক কে নিজের কাছের লোক বানিয়েছিলেন। আর তার ফলাফলও হয়েছিল মর্মান্তিক। তখন দেখেন আওয়ামী লীগ;যারা আজ মুজিব মুজিব বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে , তারা কিন্তু মোশতাক কেই মেনে নিয়েছিল তার মন্ত্রী সভায় থেকে। আর বাকশালের কারনে নিষিদ্ধ দল জাসদই কিন্তু তার সপরিবারে নিহত হবার বিচার চেয়ে ঝুকি নিয়ে লিফলেট বিলি করেছিল। মুজিব যদি বাকশাল না করতেন তবে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বাম দলগুলো থাকতে পারত। আর এতে হয়ত জিয়া বা এরশাদের হাত ধরে ধর্মীয় আর রাজাকার দের রাজনীতির সুচনা হত না।
ধন্যবাদ। 🙂
বাংলাদেশে জামাত শিবির সহ এ জাতীয় প্রতিষ্টানগুলোর ভবিষ্যত অন্ধকার। এরা প্রাকৃতিক নির্বাচনে টিকতে পারবে না বলেই মনে হচ্ছে যদিও ধর্ম হয়তো টিকে যাবে শেষ পর্যন্ত হবে সেটা হবে নখ দন্তহীন ধর্ম যা মন্দ নয়। প্রাকৃতিক নির্বাচনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আঁতাতের মাধ্যমে করে একটা ডগমা টিকিয়া রাখার চেষ্টা করা আর একটা শিশুকে সত্তর বছর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা অনেকটা একই রকম। আবির্ভাবের পর থেকে আজ পর্যন্ত ডায়নোসরের মত দানবীয় জন্তু সহ ৯৯% জীব বিলুপ্ত হয়ে গেছে , কারও কারও লেজ খসে পড়েছে – প্রাকৃতিক নির্বাচন এমনই শক্তিশালী । :))
@সংশপ্তক,
:)) হা হা হা এইটা দারুন বলেছেন।
এবং ভবিষ্যত রাজনীতিতে দলগুলো স্বচ্ছতা না থাকলে খবর আছে।
@সংশপ্তক,
বর্তমানের খ্রিষ্ট ধর্মের মত কি বলেন? 🙂
@অর্ফিউস,
না, নিরামিষ ধর্ম। :))
@সংশপ্তক, হাহা ভালই বলেছেন। 😀
আমাদের অতিত ইতিহাশ আনেক বেদনা দেয় । তাই রাজাকারদের ফাসি ফাসি ফাসি ফাসি দিয়ে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আন্তে হবে :guli:
@প্রতীক,
ঠিক বলেছেন ভাই। গণহত্যা কারী আর গন ধর্ষন কারি রাজাকারদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যু দণ্ড।এখানে বিন্দু মাত্র ছাড় দেবার প্রশ্নই আসে না।
এ ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো “আওয়ালীগ কাদের মোল্লার রায় এমনটিই চেয়েছিলো, যাতে সস্তা সেন্টিমেন্টের ভোটের রাজনীতিতে কিছুটা বাড়তি সুবিধা আদায় করা যায়, কিন্তু সেন্টিমেন্ট যে মহাসমুদ্রের মহাগর্জনে রুপান্তরিত হয়েছে তাতে লীগ সরকার নিজেই বিপদে পড়ে গিয়েছে।এ ব্যাপারটি প্রকট হয়েছে হানিফ মিয়ার উপর পানির বোতল আর ইট ছুড়ে মারার পরে। অপরদিকে বিএনপির আশ্চার্য্যজনক নিরবতাও রাজনিতীতে তাদের দেউলিয়াপনাই প্রকাশ করছে”। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে দেশের কোটি কোটি জনগন কার কাছে যাবে? কোথায় পাবো একজন নির্ভরযোগ্য শাসক? :-Y
@ছন্নছাড়া, আওয়ামীলীগ যে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্যই বিচারের রায় কে প্রভাবিত করেছে, এটি অনেকটাই বোঝা যায় হানিফের বক্তব্যে । আর বিএনপির কথা নতুন করে কিছুই বলার নেই,কারণ এরা আসলেই জামাতের অঙ্গসংগঠনে পরিনত হয়েছে।আওয়ামী লীগ অস্বস্তিতে ভুগছে কিনা জানি না, তবে মনে হয় বি এন পি বিচলিত হয়ে পড়েছে জনতার এই জোয়ার দেখে, কারণ এই বি এন পি ই তো রাজপথে জামাতের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছিল।
দেখেন জোয়ার শুরু হয়েছে। এটা যদি থেমে না যায় তবে দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি ফিরে আসতে বাধ্য। এখানে গনজাগরনটাই আসল। কোন বিশেষ, নেতা বা শাসক, অথবা কোন আদর্শবাদের দরকার নেই। কারন এগুলির জন্যেই আজ আমাদের দেশের রাজনীতির এই করুন অবস্থা।
@অর্ফিউস,
বক্তব্য পড়লাম। কিন্তু আপনার দাবীকে খুঁজে পেলাম না। আর রাজনীতিকদের বক্তব্যকে অত বিশ্বাস করতে নেই। তারা অনেক কিছু বলবে যা আপনি বিশ্বাস করতে চাইবেন।
আর আঁতাতের ব্যাপারটি আপনি উড়িয়ে দিচ্ছেন কেন? এমনকি এখনকার আইন পরিবর্তন বা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হতে পারে চিরকালীন রাজনীতির লক্ষণ। সারকথা হল, রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের উপসংহারটি টানা সহজ, কিন্তু প্রমাণসাপেক্ষ।
@কাজি মামুন,
মনে হয় আমি বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। আমি আঁতাতের ব্যাপারটি উড়িয়ে দিচ্ছি না।আসলে হানিফ কে বোতল ছোড়া হয়েছে, আর তাই হয়ত সে রেগে গেছে।আমি তো নিজেও মনে করছি যে জামাতের সাথে আঁতাত করেই বর্তমান সরকার, কাদের মোল্লাকে ফাঁসী না দিয়ে যাবজ্জীবন এর সাজা দেবার ব্যবস্থা করেছে। আর এর উদ্দেশ্য হল, সামনে জামাতকে একসাথে নিয়ে আবার আওয়ামি লীগ ভোটে জেতার পাঁয়তারা করছে। যেমনটা বি এন পি জোট করেছে জামাতের সাথে, তেমনি ফাঁসির রায় না দিয়ে (জামাতের সাথে আঁতাতের ফল) আওয়ামী লীগ হয়ত চাচ্ছে জামাতের সাথে নতুন করে জোট করতে।
সাবজেক্টটা বড্ড কঠিন নিয়েছেন। যে কোন একটা সময় বা শাসনামলকে টার্গেট রেখে লেখাটা সাজালে হয়তো তথ্যসহকারে আরো অনেক কিছু লিখতে পারতেন। ৭৫ থেকে ২০১৩ দীর্ঘ ৩৮ বছর যেন তরতর করে দৌড়ের উপর লিখে ফেলেছেন। লেখার বানান, গঠন-আকৃতি নিয়ে কিছু বলবোনা। মুক্তমনায় প্রথম লেখা, লেখালেখির জগতে স্বাগতম। (Y)
এটা কি নয় বছর হবে?
@আকাশ মালিক, পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
হা ওটি ৯ বছর হবে।কিন্তু এডিট অপশন পাচ্ছি না।
@আকাশ মালিক,
হ্যাঁ , আসলে কি লিখব বুঝে উঠতে পারছিলাম না।সততার সাথেই বলছি, আমার জীবনের প্রতিটি প্রথম কাজ একটু করার সময় আমার এইরকম কিছু সমস্যা হয়।আসলে এটা শুধু মুক্ত মনা না, যে কোন ব্লগে আমার প্রথম লেখা। আমি এর আগে কোন ব্লগেই কিছু লিখিনি, আসলে মুক্ত মনার আগে কোন ব্লগে মন্তব্যও করি নি। 🙂
@অর্ফিউস,
কোন সরকারের সময় থেকে লিখব এইটাই ঠিক করতে পারি নি।
হ্যাঁ। ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এটাই আসল কথা।
যেহেতু ধর্ম ভিন্ন মতের ভিন্ন পথের কোনো মূল্য দেয়না… যেহেতু ধর্ম প্রশ্ন ও সন্দেহ করা থেকে আমাদেরকে দূরে থাকতে বলে… যেহেতু ধর্ম অন্ধবিশ্বাসের উপরে টিকে থাকা মানবতা বিরোধী একটি শক্তি… সেহেতু ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতেই হবে। আমি সকলকে আরো জোরে-সোরে এই ডাক দেবার জন্য অনুরোধ করছি।
তবে ব্যক্তিগতো পর্যায়ে, আমার বিশ্বাস, ধর্ম শেষদিন পর্যন্ত টিকে থাকবে তা বিজ্ঞানের যতো আগ্রগতিই হোক না কেনো। তা থাকুক, তাতে তেমন কোনো অসুবিধা হবেনা।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান, ধন্যবাদ পাঠের জন্য।
@আদনান আদনান,
হ্যাঁ সেটাই। ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতেই হবে, তবে এর দায়িত্ব জনগণ কেই নিতে হবে।বর্তমানের এই সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দল গুলোর কাছে এটা আশা করাও বোকামি। সেই আশা করতে গেলে সত্যই দেশে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে,ধর্মীয় দল গুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধি হতে হতে।অজগর সাপকে বাচ্চা অবস্থায় না মেরে ফেলতে পারলে, সে পরে সবাইকে গিলে খাবে।আওয়ামি লীগ, বি এন পি ও বাদ যাবে না এই কালসাপের ছোবল থেকে।