১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। আর এ মানবাধিকার দিবসে বিশ্বজিৎ নামে এক মানবের করুণ পরিণতির খবর পেলাম। খবরটা পেয়েই মুক্ত-মনা খুললাম। আমি আসলে মুক্ত-মনায় বিশ্বজিৎকে নিয়ে কোন লেখা খুঁজছিলাম। কয়েকদিন যাবৎ নিজে লেখার সময় করতে পারিনা বলে অন্যের লেখায় বিশ্বজিতেত হত্যার প্রতিবাদ করতে, নিজের মনের ক্ষোভ ঢালতে্,মনের বেদনা লাঘব করতে চেয়েছিলাম। কোন লেখা না পেয়ে এবং হরতালে সময় পেয়ে নিজেই লিখতে বসলাম।
বিশ্বজিৎ নিজের নামের অর্থকে ভুল প্রমাণ করে মরতে বাধ্য হল ৯ ডিসেম্বর। নিরীহ, নিরাপরাধ একজন পথচারীর নিস্তেজ মৃত্যু। ছাপোষা দর্জি। জীবিকার ধান্দায় ঘর থেকে বের হতে হয়েছে।
সরকারী দলও তো চেয়েছিল মানুষ জন ঘর থেকে বের হোক তাদের প্রাত্যহিক কাজে।নাকি মনে প্রাণে তা চায়নি! আসলে তারা কি চেয়েছিল? তারা বিরোধীদলের গুন্ডাদের সাথে তাদের গুন্ডাদের মারামারি চেয়েছিল!আর ধরেই নিয়েছিল যারা পথে বের হয় তারা সব গুন্ডা?
বিশ্বজিৎতে যখন মারা হয় তখন আমি কুমিল্লার আলেকেরচর নামক জায়গায় আটকা। রাতের বাসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছি সাপ্তাহিক ছুটি কাটিয়ে। ভোর পাঁচটার মধ্যে পৌঁছে যাবার কথা। কুয়াশা আর যানজটে আটকা পড়েছিলাম। কুয়াশা কাটতে কাটতে ভোর সাড়ে পাঁচটা। আধঘন্টা না চলতেই শোনা গেল মিরেরসরাই আর সীতাকুন্ডে গন্ডগোল। বাস নিরাপদ জায়গায়— মানে কোন পেট্রোল পাম্পে, যাত্রা বিরতি দেয় এমন কোন হোটেলের সামনে বা কোন শাখা রাস্তায় গিয়ে থেমে থাকার আগেই পিকেটাররা বাস থামিয়ে দেয়। আটকে দেয়। সুপারভাইজারের কাছ থেকে চাঁদা নেয়। বাসে বসেছিলাম রাত পৌনে এগারটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।আর বাসটি এক জায়গায় স্থির হয়ে ছিল সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।
বাসের সবাই চাকরি বা ব্যবসা সুত্রে ঢাকা চট্টগ্রাম আসা যাওয়ার যাত্রী। আরামদায়ক বাসের সীট। অনায়াসে ঘুমিয়ে যাওয়া যায়। তবে আমি একলাই মহিলা যাত্রী। জেন্ডার অসংবেদনশীল পরিবেশে আট ঘন্টা এক স্থানে স্থির হয়ে থাকা। শুধু দুইবার অপরিচ্ছন্ন টয়লেট ব্যবহার করেছি। তেমন কিছু খাইনি বাথরূমের ভয়ে। পুরুষ যাত্রীদের রাতে কুয়াশায়ও বাস থেকে অহরহ নেমে টয়লেটের বিকল্প খুঁজতে হয়নি। পথের পাশেই প্রস্রাবের পরমারাধ্য স্থান।
মনে হয়েছিল যুদ্ধে আটকে গেছি। মহা দুর্ভোগ। গুন্ডারা চাঁদা নেওয়ার পরও তাদের আনাগোনা থামায়নি। পরে আবার এসে গ্লাস ভেঙ্গে ফেলবে হুমকি দিয়ে দ্বিতীয়বার চাঁদা নেয়। বাসে যাত্রীদের রাখা জলের বোতল নিতে নিতে একজন বলল, আরে এটা ওস্তাদকে দিব। নেতাকে দিব। কাওসার ভাইকে দিব। দিয়ে বলব কিনে এনেছি। আমি সিনেমা দেখে সময় কাটানোর জন্য ট্যাব খুলেছিলাম। ভয়ে বন্ধ করে সীটের পাশে ব্যাগে রেখে দিয়েছি। টান দিয়ে নিয়ে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয়।
পাশ দিয়ে সাইদী, নিজামী,গোলাম আজম, খালেদা, তারেক জিয়ার ছবি হাতে স্লোগান দিয়ে মিছিলের আসা যাওয়া। টায়ার পুড়ানো মহা উৎসাহে চলছে। দুপুর বারটার দিকে ইসলামী মজলিশের সমাবেশ। মাইকে জ্বালাময়ী বক্তৃতা।
যৌক্তিক কারণেই এসি বন্ধ। ছাদের উপরে একটূ ফাঁকা করার ব্যবস্থা আছে। ঐ ফাঁকা গরম রোধ করতে পারছে না। দরজা খুললে টায়ার পোড়ানোর বিশ্রী গন্ধের সাথে গুন্ডারাও আসে।কাজেই বন্ধ দুয়ার। মোবাইলের চার্জও শেষ দিকে। একাত্তরের স্মৃতির সাথে, অসহায়ত্বের সাথে কি কিছুটা মিল খুঁজে পেলাম!
দুপুর দুইটায় বাস ছাড়ার সুযোগ পায়। সন্ধ্যা পাঁচটায় চট্টগ্রাম পৌঁছে আর বাইরের খবর রাখতে পারিনি। ক্লান্ত। অবসন্ন। একা থাকি বলে স্নান সেরে নিজের খাবারের ব্যবস্থা করে শুয়ে পরা।সকালে পেলাম বিশ্বজিতের খবর। আগেরদিনে নিজের ভয়াবহ পরিস্থিতিকে আর ভয়াবহ মনে হল না। অক্ষত তো ছিলাম। কোন দ্রব্য তো খোয়া যায়নি।
বিশ্বজিতের মৃত্যুতে শোক করে বিশ্বজিৎকে ফিরিয়ে আনা না গেলেও তার পরিবার ছাড়া শোক করার কেউ নেই। শোক লাঘবে শান্তনা দেয়ার কোন দল নেই। আছে শুধু জনগনের অনুশোচনা । আজ বিশ্বজিতের জন্য কথা বলতে কলম খুলেছি।মানবাধিকারের কথা বলতে। মানবিকতার ব্যথা তুলতে! কিন্তু এ সব লেখালেখিতে বিশ্বজিতের পরিবারের কি? তাদের কাছে তো সবই শূন্য।সবই খালি।সবখানেই হাহাকার।
সরকারী আর বিরোধী দলের গুন্ডাদের কাছে আমরা জিম্মি।এর নামই কি রাজননীতি! আমি থুতু দেই এমন রাজনীতিকে। বিশ্বজিতের পরিবারকে এ রাজনীতি কি দিল? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পুলিশেরা কি দিল। সাংবাদিকরা তো ছবিসহ খবর দিল। এ সব ছবিতে খুনীরা চিহ্নিত।পুলিশ সাংবাদিক পথচারী সবাই দেখল যে একজন নিরস্ত্র মানব সন্তানকে কতিপয় অমানুষ(জন্তু বললে জন্তুদের অপমান করা হবে)হত্যা করছে।ছবিতে স্পষ্ট তাদের চেহারা। পত্রিকার পাতায় বিস্তারিত তাদের পরিচয়। সাথে তাদের আরও কিছু অপকর্মের কথাও। প্রধানমন্ত্রী কি এ দায় নেবেন। হানিফ তো নেননি। এ দায় আমাদের। আমরা যারা ভোট দেই। আমরা যারা এ দেশে জন্মেছি। আমরা যারা বিবেকের তাড়না অনুভব করি।
আমি মনে করি ছাত্রলীগের বাড়াবাড়ির কারনে বিশ্বজিৎ মারা গেছে । তাই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন ।
@মিন্টু বগুড়া,
কে নেবে? সরকার তো স্বীকারই করে না যে তারা ছাত্রলীগের , আবার আসামী ধরায়ও ঢিলেঢালা , গা ছাড়া ভাব। তবে মিডিয়া আর জন সচেতনতার জন্য বোধহয় এবার পার পাবে না।
বিশ্বজিতের আশে পাশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী দলের সদস্যরা ছাড়াও সাদা পোষাকের নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা ছিল। ঘটনাস্হলের আওতায় উঁচু ভবনের জানালায় এক কিলোমিটার পাল্লার টাইপ ৮৫ মডেলের স্নাইপার রাইফেল ছিল যা এ ধরনের দিনে সবসময়ই থাকে। পাঁচ মিনিটে পৌছানোর মত সরকারী জনবল সবই ছিল। কিন্তু সরকার বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে চায় নি। চাইলেই এই মানব সন্তানটাকে বাঁচানো যেত , সহজেই। কোন অজুহাত চলে না এখানে এবং যে অজুহাত নিয়ে আসবে তারও অবস্থা বিশ্বজিতের মত হোক। যাহোহ, হত্যাকারীদেরও গ্রেফতার করা হয় নি এখন পর্যন্ত। এরা বোধ এলিট শ্রেনীর দুষ্কৃতিকারী যাদের গায়ে হাত দেয়া মানা। এখন এইরকম একটা সরকারকে যদি ‘হিংসাত্মক উপায়ে’ আগামীকাল ভোরবেলায় কোনভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় , কারও চোখে কি পানি আসবে ?
@সংশপ্তক,
না, পানি আসবেনা। মুজিবের মৃত্যুর পরে দেশের রাস্তায় রাস্তায় আনন্দ মিছিল বের হয়েছিলো। আবারও হয়তো দেশে তাই হবে। মোজাফফর হোসেন যা বলেছেন! এখন আমাদের “নিরাপদ মৃত্যু” হলেই হয় রে সংশপ্তক ভাই, এখন আমাদের “নিরাপদ মৃত্যু” হলেই হয়।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
তারপর? যারা আনন্দ মিছিল করেছিল তারা দেশ চালালো। ২১ বছর আওয়ামী লীগ নাই, শেখ মুজিব নাই, রক্ষী বাহিনী নাই, বাকশাল নাই, আমাদের তো সুখ আর সুখই হওয়ার কথা। আনন্দের জোয়ারে দেশ ভেসে যাওয়ার কথা। জানতে ইচ্ছে করে এর উত্তরটা কী হবে আদনান সাহেব?
@সংশপ্তক,
আমাদের কষ্টের কারণ হল বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলই এলিট শ্রেনীর দুষ্কৃতিকারী পোষে আর জলপাই বাহিনী তো জলপাই বাহিনীই। তারা হিংসাত্মক উপায়ে এসে ভোটের কথা বলে আর কেউ ভোট নিয়ে এসে হিংসাত্মক কাজ করে। আওয়ামীলীগ তো এখন মুক্তিযদ্ধের পক্ষের শক্তির নামে জনগণকে ব্ল্যআকমেইল করছে।
ঘটনার দিন বিশ্বজিতকে নিয়ে আমিও মুক্তমনায় লেখা খুঁজেছিলাম, না পেয়ে যে হতাশই হয়েছিলাম সে কথা বলায় বাহুল্য। আপনাকে ধন্যবাদ দিদি। hfবাংলাদেশে এখন শুধু নিরাপদ মৃত্যুটাই কাম্য আর কিছুই কাম্য নয়।
@মোজাফফর হোসেন,
হতাশ না হয়ে তুমি লিখলেই পারতে। আর হ্যাঁ,নিরাপদ মৃত্যু, ভালই বলেছ।
আমার এক নানা ১৯৭১-এ রাজাকারদের হোল কেটেছিলো আর জ্যান্ত গাছে ঝুলিয়ে তাদের চাঁমড়া ছিলেছিলো। আমার সেই নানা আজ আর নেই। সে থাকলে হাসিনার অ তার বোনের চাঁমড়া ছিলার সাহস তার থাকতো।
কি আর বলবো, দাদা-নানা আর বাপ ও কাকা-মামারা গতকাল বললো, “এ আর এমন কি, চিৎকার করার আর কি আছে? মুজিব তো এ রাস্তা দেখায়ে গেছে বাকশাল, আর রক্ষীবাহিনীর হাজার হাজার গুম আর খুনের ভিতর দিয়ে।“
আমি আগেও বলেছি আর এখনও বলছি ১৯৭১ এর পরের মুজিবই আমাদের নষ্টের পথে উঠিয়ে গেছে, আর তার মেয়েরা এখন তার কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে।
আমাদের বাঙলাদেশ আর নেই। আমাদের বাঙলাদেশ শেষ।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
একটা দুইটা রাজাকার ধরি
সকাল বিকাল নাস্তা করি
এ স্লোগান মনে হয় আপনার নানাদের আমলের করা। কিন্তু এখন তো দেশদ্রোহী আর জনদ্রোহী শুধুই আগের রাজাকাররা না।
ধন্যবাদ গীতাদি বিশ্বজিতকে নিয়ে লেখার জন্য। যতবার পত্রিকায় নিরীহ ছেলেটির কাতর চেহারা আর চারদিক থেকে ঘিরে ধরা হিংস্র খুনী ঘাতকদের ছবিটি দেখছি, মনে হচ্ছে এটি আমাদের দেশের সাধারণ নাগরিকদেরই সামগ্রিক অবস্থার প্রতিফলন। না আমি আইনমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কোনমতেই একমত না; ছবিটি কোন অবস্থাতেই বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনার দৃশ্য নয়। বরং আমাদের রাজনীতি করা অসৎ আর সুবিধাবাদী শকুনেরা কিভাবে সাধারণ মানুষকে চারদিক থেকে চেপে ধরেছে তারই এক রুপক চিত্র যেন।
অতি সাধারণ পরিবারের এই ছেলেটি সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। আরো অনেক পরিশ্রমী সাধারণ মানুষের মত সেও ঘর থেকে বেরিয়েছিল কাজে যাবার জন্য। দুর্ভাগ্য বিশ্বজিতের, তার পরিবারের আর আমাদের মত সমব্যথীদের, সেদিন রাস্তায় আরও ছিল রাজনীতি করা ভাড়াটে খুনে গুন্ডার দল। এই নষ্ট রাজনীতির দুষ্ট বাহকেরা তাদেরই সমবয়সী খেটে খাওয়া ছেলেটিকে বাঁচতে দিল না। পত্রিকার খবরে জানছি খুনীর দল ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। তারা ছাত্রলীগের না হলে বা বিশ্বজিত কোন শিবির কর্মী হলেও ঘটনার ভয়াবহতা এতটুকু কমতো না। মতের ভিন্নতার কারনে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে মানুষ হত্যার অধিকার কারো নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘটনায় গ্রেফতারের কথা বলেছেন। শুধু শুধু একই নাটকের পুনরাবৃত্তির কি দরকার? সামনে ইলেকশন আসছে, এই ঘটনায় জড়িত সোনার ছেলেরাই তো নেতা-পাতিনেতাদের ভবিষ্যত। এখন লোক দেখানো কিছু গ্রেফতার হবে, কিছুদিন জামাই আদর দেবার পর রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তি দিয়ে মাঠে নামিয়ে দেয়া হবে। কি বিএনপি আর কি আওয়ামী লীগ, সব দলেই এদের সমান কদর। সাধারন এক দর্জির মৃত্যু, সে আর এমন কি, আমরাও কোন নতুন বিশ্বজিতের মৃত্যুতে ব্লগ ফাটিয়ে ফেলব। শুধু সন্তানহারা পরিবারটির কাছে পৃথিবীটা পালটে গেল চিরদিনের জন্য।
@মনজুর মুরশেদ,
আইন মন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীরা তো ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত অঘটনসমূহকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালাতে পারে বলেই না তারা মন্ত্রী !!!!
সরকারি, বিরোধী সব দল আমার কাছে একই। এরা কেউই দেশের শান্তি শৃঙ্খলা চায় না। শুধু নিজেদের আখের গোছায়, আর নিজ নিজ গুন্ডাপান্ডাদের লালন পালন করে।
@তামান্না ঝুমু,
একমত।
সমস্যা আসলে আমাদের ।আমরা কি বের হতে পারি না?পারি না এই সব কিছুর প্রতিবাদ করতে?বেশীদেরী হওয়ার আগে আমাদের চিন্তা করতে হবে । নাইলে আমাদের জন্য খারাপ কিছুই আছে।চলেন না সবাই মিলে এগিয়ে যাই।
@কাজু বাদাম,
সবাই মিলে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বানে অন্যেরা সাড়া না দিলেও ‘ যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’ মনে রেখে দয়া করে এগিয়ে যান।
স্বাধীন দেশের মানুষ কবে আবার রুখে দাড়াবে। কবে বুঝবে এমন অবস্থা কতটা অস্বাভিক।
@কাজী রহমান,
কোথায় যেন পড়েছি, রাত যত গভীর ভোর তত কাছে। কাজেই হয়ত বুঝবে এবং রুখবে।
বিশ্বজিতের ঘটনাটি নিয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এ ঘটনাটি ঘটার পর পরই বিশ্বজিতের এক বাল্যবন্ধু ঘটনার কিছু রক্তাক্ত ছবি পোস্ট করেছিল আমাকে ট্যাগ করে। দেখে রীতিমত আতঙ্কিত হয়েছি। এ কোন বর্বর যুগে বাস করছি আমরা? যে দলটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে বলে পণ করেছে, সেই দলের গুন্ডাবাহিনী যদি এতোটাই অমানুষ হয় তবে সে দলের উপর আস্থা রাখা বৃথা। আপনি ঠিকই বলেছেন – “আমি থুতু দেই এমন রাজনীতিকে”। আমার মনে হয় এই বিবমিষা কেবল আপনার একার নয়, আমাদের সকলেরই।
@অভিজিৎদা,
গুন্ডাবাহিনী তো সব সময়ই অমানুষ।
আর আ’লীগের উপর আস্থা রাখা ছাড়া আমাদের তো আর কোন বিকল্পও নেই। আপনি নিশ্চয়ই কথোপকথনে লক্ষ্য করেছেন যে, বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন, সরকার একটা রায়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে। সরকারের অন্য পাগলামি সহ্য না করলেও এ পাগলামিটা কিন্তু আমার অনেক দিনের সংশয় দূর করেছে যে, আ’লীগ হয়ত একটা আইওয়াশ বিচার করবে।
আ’লীগের যে গুন্ডা নেই তা নয়। আর এদের বর্বরতারও কম নজীর নেই। লগি-বৈঠা দিয়ে এরাই তো সাপের মত খুচিয়ে খুচিয়ে নৃত্য করে মানুষ মেরেছিল। তবে একটা বিষয় ভেবে দেখেছেন কি অভিজিৎদা, যখন সবাই জামাত-শিবিরের সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলছিল, তখনই ঘটে গেল বিশ্বজিৎয়ের নির্মম হত্যাকান্ড? সাম্প্রদায়িক শক্তির সমালোচনা থেকে মানুষের চোখ ঘুরিয়ে দিতে এটা বড়সড় কোন জামাতি প্লট নয়তো??? আপনি তো জানেনই, জামাত প্লটে কত সিদ্ধহস্ত। তারা দুনিয়াময় কি বিপুল অর্থ ব্যয় করছে এই বিচারকে রোধ করার জন্য।
@কাজি মামুন,
“যখন সবাই জামাত-শিবিরের সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলছিল, তখনই ঘটে গেল বিশ্বজিৎয়ের নির্মম হত্যাকান্ড?”
ঠিকই বলেছেন! কি অদ্ভুত কাকতালীয়তা!
আপনি একটা কাজ করেন, এই যে গত ২-৩ বছরে দুই-তিনদিন অন্তর অন্তর ছাত্রলীগের একটার পর একটা নিউজ আসে, ছাদ থেকে ফেলে দেয়া, কুপিয়ে মারা, ছাত্রাবাস পোড়ানো, এই সব ঘটনা গুলির সময়ে জামাত-শিবিরকে নিয়ে দেশব্যাপী কি ধরনের কথাবার্তা চলছিলো সেটার ডাটা কালেক্ট করে ফেলুন। তারপরে ডাটাগুলো একটু প্রসেসিং করে ক্যাটেগরীকাল ডাটা এনালাইসিস করা খুবই সম্ভব। ইনসাইটফুল রেজাল্ট পেলে ডাটা এনালাইসিসটা সবচেয়ে ভালো ইকনোমেট্রিক জার্নালে ও ছাপানো হবে নি:সন্দেহে।
@সফিক,
সফিক ভাই, দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আমি মোটেই ছাত্রলীগের হয়ে সাফাই গাচ্ছি না। ছাত্রলীগ বাংলাদেশের অন্য সব ছাত্র সংগঠনের মতই সরকারী ক্ষমতার যথেচ্ছ অপব্যবহার করে, লুটপাট-সন্থাস-চাঁদাবাজিসহ এমন কোন হেন কাজ বা অপকর্ম নেই যে করে না। তারাই তো এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে হলের উচ্চতলা থেকে নীচে ফেলে দিয়েছিল। এরকম আরো অনেক নৃশংস ঘটনার জন্ম দিচ্ছে ছাত্রলীগ।
আমি ব্লগার রণদীপমদার সূত্রে একটি লিংক পেয়েছিলাম যা বিশ্বজিৎয়ের ঘটনাকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করে। তবে এই ব্যাখ্যায় চিহ্নিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা মাপ পেয়ে যেতে পারে না। ওদের ধরার পাশাপাশি এই ব্যাখ্যাটি নিয়েও তো তদন্ত করা যায়।
@কাজি মামুন,আপনাকে আমি ছাত্রলীগ বা শিবিরলীগ যাই হোক সেইসব নামধারী হিংস্রমানুষগুলোর চেয়ে বিশ্বজিৎ হত্যার জন্যে বেশী দায়ী মনে করি। আমি বাংলাদেশে জন্ম থেকে ৩৫ বছর থেকেছি, সব ধরনের মানুষকে দেখেছি। এই সব ছাত্রলীগ-ছাত্রদল করা ছেলেদের অনেক দেখেছি। তাদের মানসিকতা জানি এবং আমি তাদের ব্যাপারে অনেক সিমপ্যাথেটিকও। জীবনে একটা সুকুমার চিন্তার ছোয়া পায়নি, বিশ্বমানবিকতা এসব কিছুই জানার সুযোগ হয় নি। তারা জ্ঞান হবার পর থেকে দেখেছে এক হিংস্র সমাজ যেখানে দলবদ্ধ সহিংসতাই জীবনে এগোনোর একমাত্র পথ।
আপনার মতো লোকেরা এতকিছু জেনে শুনেও কেবল জল ঘোলা করেই চলেন। প্রতিটি ঘটনা ঘটার পরে একদল বের করে ঘটনার অন্তরালে নিজেদের ভার্সন আরেকদল বের করে আরেক ভার্সন। আর এই সব ভার্সন পেয়ে দলান্ধ সমর্থকেরা নিজেদের প্রবোধ দেয়, ঘটনা তাহলে এইই। এই অল্টারনেট রিয়েলিটি নির্মান করতে করতে আসল রিয়েলিটির যে কি অবস্থা এটা সাধারন লোকেরাই বুঝছে।
প্রথম আলোতে বিশ্বজিৎ এর মৃত্যুর সংবাদের নীচে একজন পাঠকের প্রতিক্রিয়া,
” আমি গরীভ মানুষ টাকা নাই। কোন সহৃদয় ব্যক্তি কি আমাকে একটা ভিসা দিবেন। এই দেশে থাকব না। মরিতে চাইনা এই সুন্দর ভুবনে মানুষের মাঝে আমি বাঁচিতে চাই। এদেশে কি মানুষ আছে? ভাই “
@সফিক,
এই লিংকটি কি আমার? বা ছবিটি কি আমার বানানো? কতবার বলব যে, রণদীপমদার লিংক ছবির সূত্রে প্রাপ্ত।
অনেকেই জল ঘোলা করতে ভালবাসেন সত্য, তবে আমি সে দলের সদস্য হতে ঘৃণা বোধ করি। সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলতেই সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আপনার কথায় দুঃখ পেয়েছি, তবে নিজের কাছে সৎ আছি এবং সেটুকুই বেঁচে থাকার প্রেরণা।
@কাজি মামুন,
দূঃখিত হবার কিছু নেই।
আপনি শিবির ফিবির বাদ দিয়ে একটু ঠান্ডা মাথায় একবার ভাবুন তো যে আপনার দেওয়া সেই একটি ছবি দেখে সেই শিবির করা টুপি দাঁড়িওয়ালা লোকের ভূমিকা সম্পর্কে ঠিক কি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়?
@আদিল মাহমুদ,
ছবি দেখে মনে হয়, ঐ লোকটি বাঁচাতে চেয়েছে বিশ্বজিৎকে।
তবে কথা হচ্ছে, উনি কি সত্যি শিবির করেন? আর যদি করে থাকেন, ঐ সময় তো উনার ওখানে থাকার কথা নয়। ছাত্রলীগের কর্মিদের আক্রমনের ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা।
আর ছবি বা চেহারা দেখে কি সর্বদা সিদ্ধান্ত নেয়া যায়? অনেক লোককে বলতে শুনেছি, সাঈদির ওয়াজে নাকি পশুপাখি কাঁদত। গোলাম আযমকে কেমন শ্বেত-শুভ্র দেখায় বলুন তো?
যাই হোক, রনদীপমদার সূত্রে প্রাপ্ত লিংকটি দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল, ঘটনার আরেকটি দিক ব্যাখ্যা করা, যা হয়ত তদন্ত দাবী করে, কোনভাবেই ছাত্রলীগের চিহ্নিত জানোয়ারদের নিরপরাধ প্রমান করতে লিংকটি দেয়া হয়নি। তবু মনে হচ্ছে, মুক্তমনায় এই লিংক দেয়াটাই ভয়ানক গুনাহ্র কাজ হয়েছে। তাই মুক্তমনা এডমিনকে অনুরোধ করছি, ঐ লিংকসমেত মন্তব্য মুছে দেয়ার জন্য।
আদিল ভাই, ছবিটি নিয়ে আপনি প্রশ্ন করলেন বিধায় কথাগুলো বললাম। নইলে এখন আমার পালানোর সময়। দেখুন শফিক ভাই আমাকেই অপরাধী সাব্যস্ত করছেন।
@কাজি মামুন, :))
এতটা ভেঙ্গে পড়লে চলে নাকি?
অন্য লাইনে চিন্তা করতে দোষ নেই। সব সম্ভাবনাই বিচার করতে হয়, এতে দোষ নেই।
তবে তদন্ত বা গবেষনা যদি আগে থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলে তবে মহা মুশকিল না? তার চাইতে আগে তদন্ত, গবেষনা তারপর সিদ্ধান্ত, স্বাভাবিক যুক্তিবোধ সেটাই বলে।
আপনার সেই লিঙ্ক রেফার করা দোষের কিছু হয়নি, আপনি সে তত্ত্ব পূর্ন বিশ্বাস করেছেন তেমন কিছুও আসলে বলেননি। তবে লিঙ্কটি দিয়ে একটু নিরপেক্ষ ভাবে যাচাই করে দুটি লাইন বললে খুব ভাল করতেন। হয়ত এত কথা গড়াতো না। অন্য আর ছবি বা সূত্র থাকলে অবশ্যই ভিন্ন কথা।
আমার মতে লিঙ্কটি দিয়ে ভালই করেছেন। ষড়যন্ত্র তত্ত্বের দূর্বলতাও জানা থাকা ভাল। আমি কালই শুনেছি এই শিবির লিঙ্কের কথা, অপ্রিয় সত্য বলতে হচ্ছে যে এটাই যদি একমাত্র সূত্র হয় তবে এটা মোটেও কনভিন্সিং কোন তথ্য প্রমান মনে হচ্ছে না।
@কাজি মামুন,
আমার মনে হয় যুদ্ধপরাধীদের বর্তমান বিচার প্রক্রিয়াও এক জামাতি প্লট। কারন এভাবে চট জলদি বিচারের নামে তারা আদালত থেকে সার্টিফাইড মিঃ ক্লিন হয়ে বেরিয়ে যেতে পারবে। আগে তাও এদের রাজাকার বদর বলে গাল দেওয়া যেত, এরপর সেটাও কিন্তু পারবেন না। আদালতের সার্টিফিকেট পাওয়া লোকদের গালি দিলে উলটা মানহানি মামলায় ফেঁসে যাবেন :)) ।
হাঁসবেন না, এ জাতীয় কিছু মামলা কিন্তু সত্যিই গত তক্ত্বাবধয়ক সরকারের আমলে হয়েছিল। দলের লোকদের দিয়েই তারা নিজেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়েছিল যেসবের কোন ভিত্তি নেই।
তবে বিশ্বজিতের ঘটনায় যাদের ছবি, নাম ধাম পত্রপত্রিকায় এসেছে তার চিন্তিত হবার কোন কারন নেই। আমি নিশ্চিত তারা দোয়া করছে যেন দ্রুত তাদের বিচার করে ফাঁসীর রায় দেওয়া হয়, অন্তত এই সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়। কারন মহামান্য রাষ্ট্রপতি তো আছেনই খোলা কলম হাতে দলীয় সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তির উদারতা দেখাতে। আমি এই দলের কেউ হলে পালিয়ে পালিয়ে না থেকে ধরা দিয়ে নিজেই বিচার দাবী করতাম।
@অভিজিৎ,
– দেশের এক বড় সংখ্যক মানুষ নানান কারনে যুদ্ধপরাধীদের বিচার সমর্থন করে না। এদের অনেকে প্রকৃত কারন বলে না। তবে এদের হাতের এক মোক্ষম অস্ত্র হল সরকারী দলের এসব বর্বর গুন্ডামীর উদাহরন। ৪০ বছর আগের নিজামী মুজাহিদের বর্বরতা মানবতা বিরোধী হলে বিশ্বজিতকে কোপানির ঘটনা যারা ঘটিয়েছে এবং যারা ঘটনা এড়াতে দায় এড়ানো সব অমানুষের মত কথা বলছে তাদেরকে মানবতা বিরোধী কেন বলা যাবে না? এদের সাথে তর্ক করার মত নৈতিক জোর আর পাই কই। দূঃখজনক হলেও দেশে যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাওয়া দলের আশা ভরসা বা মূল নিয়ন্ত্রক আওয়ামী লীগই।
জামাত শিবির যতটা না ক্ষতি করতে পেরেছে ছাত্রলীগের নামধারী এসব বীর পুংগবেরা ক্ষতি করেছে অনেক বেশী।
@আদিল ভাই,
আপনি নিশ্চয়ই অভিজিৎদার মন্তব্যের সূত্রে করা আমার উপরের মন্তব্যটি লক্ষ্য করেছেন।
কিছু কথা বলতেই হচ্ছেঃ
বিশ্বজিৎ যদি এমনকি বেসরকারি দলের গুন্ডাদের হাতেও মারা যায়, তাও সরকারের দায় ষোলাআনা, কারণ বিশ্বজিৎকে রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের পোষা আইন-শৃংখলা বাহিনীর উপরই বর্তায়। স্পষ্টই চিহ্নিত হয়েছে, আক্রমনকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী, তাই তাদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তিই দেশের প্রতিটি মুক্তমনা মানুষের কাম্য।
আর আমি যে লিংকটি রণদীপমদার সূত্রে পেয়েছি, তাতে একটা ভিন্ন ব্যাখ্যার কথা বলা হয়েছে। জামাত যে একটা প্লট করতে পারে না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেন? বিশ্বজিৎয়ের খুনীদের ধরার পাশাপাশি এই প্লটের তদন্ত কি চলতে পারে না? নাকি অনুচিত বা অন্যায্য? তবে এই প্লটের ব্যাখ্য দিয়ে বিশ্বজিৎয়ের খুনীদের জায়েজ করা যায় না বা আমিও এমনটি দাবী করিনি, তবু আপনার তেমনটাই কেন মনে হল, তা বুঝতে পারছি না।
@কাজি মামুন,
আপনি বিশ্বজিতের খুনীদের সাফাই গাইছেন তেমন কথা বলিনি। আপনি তারা আসলেই ছাত্রলীগের হলেও তাদের বিচারই চাইবেন সে ভরসা আমার আচেচে।
বর্তমান সরকারের যে কোন কেলেংকারীতে যেভাবে গত বাধা জামাত শিবিরের ষড়যন্ত্র চলে আসে তাতে আমি বহুদিন ধরেই বেশ বিরক্ত। সেভাবে যুক্তির চোখে জগতে কোন কিছুতেই নিঃসশয় হয়ে কিছু বলা যায় না।
এখানে প্রথমেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আমলে না আনার প্রধান যুক্তি হল বর্তমান সরকারের আমলে ছাত্রলীগের ট্র্যাক রেকর্ড। সে রেকর্ড কি বলে? এই ঘটনা কি বিচ্ছিন্ন কিছু বলে আপনার মনে হয়? জামাত ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে, নৃশংস এসব কি কারো জন্য নুতন কোন খবর যা নুতন করে খবরে আসছে যা থেকে দৃষ্টি সরানো এমন এক প্লটের মাধ্যমে দরকার? ছাত্রলীগের সাথে জড়িতদের নাম এতভাবে আসছে এগুলি কোন ষড়যন্ত্রে সম্ভব তা ঠিক বুঝি না। হতে পারে জামাত টাকা দিয়ে এদের হাত করেছে? সে নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি না।
সাদা চোখে ঘটনায় আক্রমনকারী পক্ষ তবলীগ জামাত কিংবা বুলবুল ললিত কলা একাডেমীর মত কোন সংগঠন হলে আমিও প্রথমেই ষড়যন্ত্র তত্ত্বই মনে আনতাম। বর্তমানে ছাত্রলীগেরই ট্র্যাক রেকর্ডের কারনে সেটা দূঃখজনকভাবে পারছি না। দল থেকে আগেই ষন্ডা গুন্ডাদের লাগাম টানা হলে জামাতিদের বাপেরও ক্ষমতা ছিল না ষড়যন্ত্র পাকানোর এটা কি বিশ্বাস করেন? জাফর ইকবাল স্যার একবার গত আওয়ামী আমলে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের গুন্ডামী দেখে তাদের ধমক দিয়েছিলেন যে বংগবন্ধুকে সবচেয়ে বড় অপমান করেছ তোমরাই।
তদন্ত অবশ্যই হতে পারে। বিচার হলে তো তদন্ত হতেই হবে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অন্তত এক্ষেত্রে প্রকাশ পেতে বাধ্য, কারন ঘটনার এত বেশী স্বাক্ষী, তার চেয়েও বড় স্বাক্ষী ছবি ভিডিও ফুটেজ আছে। কথা হল তাতেও কি লাভ হবে? যেই পক্ষই ফাঁসবেই সেইই বলবে ষড়যন্ত্র।
@আদিল মাহমুদ,
সঠিক। ছাত্রলীগের এত নৃশংস সব কাহিনি আছে যে, একে ষড়যন্ত্র বলে মনে হওয়ার কোন কারণ নেই। আমারও মনে হয়নি। তবে রণদীপমদার পোস্টানো ছবিটি আমাকে ভাবিয়েছে। তবে এমনও হতে পারে যে, ঐ ছবিটি ছাত্রলীগের কোন টেকনিকাল হ্যান্ডের কাজ যা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ডিজাইন করা হয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা, আমরা নিশ্চিত নই। কিন্তু তাতে কি এসে যায়? ভিডিওতে যে সোনার ছেলেদের দেখা যাচ্ছে, তারা কি তাতে মাপ পেয়ে যায়? কখনোই নয়। আর সরকার যে এমন জ্বলজ্যান্ত প্রমান থাকতেও এদের গ্রেফতার করছে না, তাতে সরকার ঐ জন্তুগুলোর অভিভাবক হিসেবেই নিজেকে প্রমান করছে দেশবাসীর কাছে।
@কাজি মামুন,
– অতটা আমি মনে করি না। তবে আপনি যে একটি ছবির লিঙ্ক দিয়েছেন তা দেখে ঘটনায় এর ইনভলমেন্ট কতটা তা আমি বুঝতে পারছি না। কেবল এটাই বুঝেছি যে সে ঘটনাস্থলে ছিল। তবে হত্যায় তার ভূমিকা ঠিক কতটা? তার হাতে অন্তত এই সিনে কোন অস্ত্র নেই, এমনকি সে ভিক্টিমের দিকে তেড়ে যাচ্ছে সেটাও মনে হচ্ছে না, তার বডি ডিরেকশন উলটো দিকেই মনে হচ্ছে। হামলাকারীরা যাতে নিশ্চিন্তে হত্যা সমাধা করতে পারে সে জন্য সে হাত দিয়ে বাকিদের সরাচ্ছে, নাকি হামলাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করছে? কে বলতে পারে, এক ছবিতে কিছু বোঝা যায় না।
– আসল কথা এখানেই। কেন এমন নৃশংস ঘটনার পরেও সরকার তেমন সক্রিয় হচ্ছে না? কেন হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হল? হাইকোর্টের দায়িত্ব কি সরকার, থানা পুলিশের ওপর খবরদারী করে সক্রিয় করা?
@অভিজিৎ,
আমার ধারণা আপনি মুক্ত-মনার সব লেখাই পড়েন। কাজেই আমারটাও পড়েছেন। তবে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। মুক্ত-মনায় অনেকেই সমসাময়িক ও মানবাধিকার লংঘনজনিত ঘটনার প্রতিবাদে লিখে থাকে। তারা অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে থাকে। আমার মত অনেকেরই তাই তাদের কাছে প্রত্যাশাও থাকে। তাদের মধ্যে আপনিও একজন।
যাহোক,
এই সকলেরই আমিও একজন হতে পেরে ভাল লাগছে।
পৃথিবীতে এমন কোন পশু নেই যে মানুষের থেকে বাশী খারাপ হওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই খুনি মানুষগুলোকে পোষা যন্ত বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে কারা? তাদের অপসারন জরুরী হয়ে পড়েছে। কিন্ত কে করবে এসব। আমরা কেমন একটা জাতি যেন, যাদের সহনশীলতা মানবিক তার মাত্রা ছেড়ে অনেক বাইরে চলে গেছে। অতি সহনশীলরা মানুষই না- অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃনা তারে যেন তৃনসম দহে। বিশ্বজিতের অপমৃত্যুর ভিতর দিয়ে বিশ্বমানবতাকে পায়ে পিশা হলো। তবে বাংলাদেশে এই পশুত্বের ধারাবাহিকতা রয়েছে। এই যদি রাজনীতির চেহারা হয়, তাহলে বলতে হবে রাজনীতি আমাদের প্রধান শত্রু। বিশ্বজিতের অপমৃত্যুর প্রতিক্রীয়া প্রকাশের ভাষা নেই।
@শাখা নির্ভানা,
সহনশীলতা বা মানবিকতা এখন বইয়ের বিষয়। বক্তৃতার বিষয়। রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতা দখলের জন্য কূট কৌশল। তাদের এ নিয়ে কোন এজেন্ডা নেই।কাজেই বিশ্বজিতদের মরা ছাড়া উপায় কি!!
বিশ্বজিৎকে নিয়ে একটা লেখা খুব করে চাইছিলাম, গীতাদি। ধন্যবাদ, গীতাদি।
বিশ্বজিৎয়ের খুনীরা নিজেদের আড়াল করতে পারবে না। ভিডিওতে যে কজনকে দেখা গেছে, প্রত্যেককে ফাসি দিতে হবে।
সত্য-মিথ্যা জানি না, তবে এই লিংকটিতে এক ভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে ঘটনাটির। তবে যেই ঘটাক, খুনীর দ্রুততম শাস্তি প্রত্যকেটি মুক্তমনা লোকই কামনা করেন।
@কাজি মামুন,
হতে পারে সেই চিহ্নিত ব্যাক্তি আসলেই জামাত শিবিরের কর্মী। তাই বলে ছবিতে আসা বাকি সকলেই কি তাই? এভাবে কি দায় এড়ানো যায় বা যেতে পারে? বহু সূত্রেই আরো বেশ ক’জন ছাত্রলীগ নেতা কর্মীর নাম এসেছে তারা সকলেই নিশ্চয়ই জামাত শিবির কর্মী নয়। ছবিতে এই লোকের ভূমিকা কি তা পরিষ্কার নয়, তার হাতে কোন অস্ত্র দেখছি না। ভিক্টিমের দিকে তেড়ে যাচ্ছে তাও মনে হচ্ছে না। অবশ্যই হতে পারে এই চিহ্নিত শিবির কর্মী ঘটনার সুযোগ নিয়েছে , তবে মূল দায়ের প্রশ্নে এর ভূমিকা খুব বড় কি?
যাদের নাম এসেছে তাদের সাথে ছাত্রলীগের একেবারে কোনই সম্পর্ক নেই এমন কথা ছাত্রলীগের নেতারাও বলেনি। তাদের কথা অনেকটা এমন যে এরা ছাত্রলীগের মিটিং মিছিল করে তবে দলের সাথে জড়িত নয়; এরা সকলে জামাত শিবিরের লোক এমন কথা তারাও বলেনি।
এদের প্রত্যকের সাথে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার বেশ কিছু তথ্য পত্রিকায় এসেছে। এরা সকলেই চিহ্নিত সন্ত্রাসী এমন তথ্য মামলার রেফারেন্স সমেত এসেছে। এদের কেউ কেউ দল থেকেই অতীতে বহিষ্কৃত হয়েছে। ছাত্রলীগের সাথে জড়িত নয় বুঝলাম, কথা হল চিহ্নিত দাগী সন্ত্রাসী দলের মিটিং মিছিলে যোগ দেন সেটা নেতারা জানেন নিজেরাই প্রমান দিলেন। এর কি ব্যাখ্যা হতে পারে? তাদের দল অতি উদার, চিহ্নিত দাগী অপরাধীদেরও তারা বুকে তুলে নেন?
জামাত শিবির গত ১ মাস নানান রকমের বিনা উষ্কানিতে হামলাবাজি, অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করে যা হাসিল করতে পারেনি ছাত্রলীগের এসব বীর পুংগব ১০ মিনিটেই তার অনেক বেশী জামাত শিবির চক্রকে উপহার দিতে সমর্থ হয়েছে।
বাকি নেতারা অবশ্য আরো চমতকার বিবেক জাগানিয়া বক্তব্য দিয়েছেন। হানিফ সাহেব মতে সকলকে বুঝতে হবে যে বিশ্বজিত সঙ্ঘর্ষে মারা গেছে। কি চমৎকার ব্যাখ্যা না? একজন জ্বলজ্যান্ত মানুষকে প্রকাশ্য রাস্তায় (পশুর মত হত্যাও বলতে পারছি না কারন সভ্য জগতে হিংস্র পশুকেও এভাবে হত্যা করা হয় না) পেটানো শুরু হল, বেচারা প্রান বাচাতে হাসপাতালে দৌড়ে পালিয়েও রেহাই পায়নি, হাসপাতালে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে মানুষ হত্যার রেকর্ডও নিশ্চয়ই জোট সরকারের আমলে খুজে পেতে পাওয়া যাবে। বেচারা মার খাবার সময় বলছিল আমি জামাত শিবির বিএনপি করি না, আমি হিন্দু। চিন্তা করা যায় কতটা পাশবিক আচরনের উদাহরন সৃষ্টি হল? এই ঘটনা হল সঙ্ঘর্ষ? এসব কাদের হাতে দেশ চালানোর দায়িত্ব জনগন দিচ্ছে? তাও আবার স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে? দলের ছেলেপিলে করেছে করেছে, দল সেটার দায় কেন নিতে যাচ্ছে? কাজটা যতটা খারাপ হয়েছে দলের ইমেজের জন্য, দায় এড়ানোর প্রকাশ্য চেষ্টা আরো বেশী খারাপ করে ফেলেছে।
দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা যে কতটা দূরাশা তাও আরেকবার বিশ্বজিত জীবন দিয়ে প্রমান করে গেছে। ঘটনাস্থলের মাত্র ১৫ গজের মধ্যে ছিল পুলিশের একজন ডিসির (এসপি র্যাংক) নেতৃত্বে ৩০ জন পুলিশ। তারা নাকি কাউকে উতসবের মত জান্তব উল্লাসে দফায় দফায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা দেখেনি। অথচ অজস্র সাংবাদিক, টিভি ক্রু ছবি ধারন করেছে। এমনকি ডাক্তার পর্যন্ত রক্তাক্ত বিশ্বজিতকে চিকিতসা দিতে রাজী হয়নি এটা বিশ্বজিতকে বহন করে নেওয়া সাহসী রিক্সাচালকও বলেছে। আমরা কোন সমাজ স্বাধীন বাংলাদেশে তৈরী করেছি চিন্তা করার সময় হয়নি?
এই ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলাটাও আরেক ক্রাইম। ছাত্রলীগের এই জাতীয় সন্ত্রাসী ঘটনার রেফারেন্স দেওয়া শুরু করলে বিশাল কলাম লিখতে হবে। সিলেট এমসি কলেজের পোড়া দৃশ্য দেখে সে কলেজে অধ্যায়ন করা শিক্ষামন্ত্রী চোখ ফেটে পানি ছেড়ে ক্রন্দন করেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোপানির দৃশ্য দেখে ভিসিকে নাকি বলেছেন এরা ছাত্র হতে পারে না, সকলকে বার করে দিন। এসব কিছু আবেগময় কথাবার্তা ছাড়া তারা ছাত্রলীগের লাগাম ধরতে আর কি করেছেন? বিচ্ছিন্ন ঘটনা কাকে বলে? এসবের ফল কি ভোগ করতে হবে না?
ছাত্রলীগের এসব বীরেরা সরকার বদল হলে হয় গর্তে লুকোবে নয়ত দল বদল করবে, এসবের জের টানতে হবে দেশের সমগ্র ধর্মনিরপেক্ষ ধারার লোকদেরই। যুদ্ধপরাধীদের বিচার করছে এ পয়েন্টে অনেকে আওয়ামী লীগের যাবতীয় অপকর্মের সাফাই গাওয়া পবিত্র ব্রত হিসেবে নিয়েছেন। নির্বাচনের সময় ৪০ বছর আগের নিজামীর রাজাকারির বর্ননা আর ১০ বছর আগের তারেক কোকো কি করেছে সেই গান গেয়ে লাভ হবে না, লোকের বিবেককে রক্তাক্ত বিশ্বজিত আর হানিফ সাহেবদের বিবৃতিই নাড়া দেবে বেশী। আমার কথা ছাগুর মত শোনালেও বাংলাদেশের মানুষের মাইন্ডসেট এভাবেই কাজ করে আমি সর্বস্ব বাজি ধরে বলতে পারি। অন্য সরকার ক্ষমতায় আসলে সেই যুদ্ধপরাধীদের বিচারও ভেসে যেতে সময় লাগবে মাত্র ক’মিনিটের এক কলমের খোঁচা। দেশের কপালে সামনে শনি আছে দিব্য চোখে দেখছি। এর দায় শুধু আওয়ামী লীগের একার নয়, যারা আওয়ামী লীগকে সর্বান্তকরনে সব অপকর্মে ষড়যন্ত্র আবিষ্কার করে নৈতিক সমর্থন দিয়ে গেছেন তাদের ওপরেও বর্তাবে।
@আদিল মাহমুদ,
সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
@আদিল মাহমুদ, আপনি যেটা প্রকাশ্যেই বলেন যে বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট বদলিয়ে নর্থ আমেরিকার গাঢ় রং এর পাসপোর্ট পাওয়ার চরম স্বস্থির কথা, সেটা লিভিং রুমে, বারবেকিউ এর আলাপে সবাই অকাতরে বলে। চোখের সামনে যেনো একটা স্লো মোশন ট্রেইন রেক দেখছি। পনের কোটি মানুষ নিয়ে একটা ট্রেন কোনো অবশ্যাম্ভী পরিনতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
@সফিক,
সত্য কথা বললে উন্নাসিকতার মত শোনায়। আমি চির প্রবাসী বলে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করি। জ্ঞানবুদ্ধি হবার পর থেকেই মনে হত আশেপাশের সব কিছু এত অস্বাভাবিক কেন? এই ব্যাবস্থা এভাবে সকলে কেন মুখ বুঝে সয়ে যাচ্ছে?
আমি সাধারন ঘরেরই মানুষ, অতটা স্মার্ট নই যে বিশ্বজিতের মত পরিস্থিতিতে আমি কোনদিন পড়তাম না। বিশ্বজিতের মা কিভাবে সান্তনা পেতে পারে কেউ চিন্তা করে দেখছেন? গুন্ডা বা ডাকাতের হাতে মারা গেলে হয়ত বা মনকে মানানো যেত। এই পরিবার বাকি জীবন দেখবে সিন বাই সিন কিভাবে তাদের জ্বলজ্যান্ত ছেলে, ভাই এক অসূস্থ সমাজের অস্থির উন্মাদনার স্বীকার হয়ে পর্যায়ক্রমে রক্তাক্ত হল, জীবন বাঁচাতে করুন আকুতি, এরপর নিস্তেজ হয়ে ঢলে পড়া…এরা কোনদিন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে? জামাত শিবির না ছাত্রলীগ এতে এদের কিছু যাবে আসবে?
এভাবে কয়েকটি নিউজ চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে, পুলিশের ডিসি সাহেবের আক্ষরিকভাবে হাতের আগায় এ ঘটনা ঘটল। প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ, মিডিয়ার উপস্থিতিতে হাসপাতালে ধাওয়া করে কুপিয়ে মানুষ হত্যাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা, সঙ্ঘর্ষে নিহত বলা; ডাক্তার কর্তৃক চিকিতসা দিতে অস্বীকার করা এসব কোন সমাজের লক্ষন? কেবল এলইডি টিভি, আইফোন ব্যাবহার করলেই জাতে ওঠা যায়?
@আদিল মাহমুদ,
আপনার দেখা আর উপলব্ধির সাথে একমত। আমার একটা কথা বার বার মনে হচ্ছে, বিশ্বজিৎ যদি বি এন পি জামায়াতের সদস্যও হয় (?) তবুও তাকে যারা মেরেছে এরা কখনোই মানুষ পদবাচ্যের হতে পারে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কারনে যদি মিছিল করে থাকে, আর সেই জন্যে যদি রাস্তায় এভাবে পিটিয়ে মারার লাইসেন্স থাকে তবে ওদের বিচারের দরকার কি? কোন বিচার ছাড়াই ল্যম্প পোস্টে ঝুলিয়ে দিলেই তো হয়! এই সব প্রহসনের প্রয়োজন আছে কি? সরকারী দল আর তাদের কান্ডকীর্তি দেখে মনে হচ্ছে এদেশের মানুষ ওদের মাথায় তুলে নাচছে!
এই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের ধাওয়ার মধ্যে জামায়াত বি এন পি যদি বিশ্বজিৎকে মেরে থাকে তবে সরকারের উচিৎ তাদের বীর পুঙ্গবদের কথিত ব্যর্থ আ্যকশন আর তার ফলশ্রুতিতে বিশ্বজিৎ-এর মর্মান্তিক মৃত্যুর দায় স্বীকার করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমাচেয়ে তথাকথিত বীর পুঙ্গবদের তৎপরতা চিরকালের জন্যে বন্দ ঘোষনা করা (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর এর বক্তব্যক্রমে) এবং সকল তথ্য মোতাবেক যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা। নতুবা বুঝতে হবে একাজ ছাত্র লীগের, এদের
মধ্যেই জামাতের প্রেতাত্মা লুকিয়ে আছে। নইলে আওয়ামী ধাওয়ায় জামাতি খঞ্জর এলো কি করে? সাধু সাবধান! সকল সংবাদ মাধ্যম দেখে ছাত্রলীগ, আর মন্ত্রী দেখেন জামাত! এদের কথাবার্তা আর বিবেক দেখুন! এরা নাকি রাজনীতিবিদ, মন্ত্রীমহোদয়, দেশ উদ্ধার করেন!
@কেশব অধিকারী,
দুই রাজনৈতিক দলের সঙ্ঘর্ষে লোক নিহত আমাদের দেশে নুতন কোন ঘটনা নয়। কিন্তু বিশ্বজিতের ঘটনাকে তেমন সঙ্ঘর্ষে নিহত (যেমনটা সরকারী দল রুপায়িত করতে চাইছে) বলার কোন উপায় নেই। দুই দলের সঙ্ঘর্ষে গোলাগুলি বোমাবাজি হলে আন্দাজি কেউ মারা গেছে যারা হয়ত টার্গেট করা হয়নি এমন লঘুতর ঘটনাও এটা নয়।
একে মারা হয়েছে সম্পূর্ন ঠান্ডা মাথায় একাকী, টার্গেট করে, ধীরে ধীরে, একাধিকবার তার পরিচয় জেনেও। উপস্থিত পুলিশের নিস্পৃহ ভূমিকা এবং পুলিশের উপস্থিতি গুন্ডাদের সম্পূর্ন উপেক্ষা করা এটাই প্রমান করে যে পুলিশ সরকারী দলের গুন্ডারা এমন খুনাখুনী করলে কোন একশন নেওয়া যাবে না এই নির্দেশনা গুন্ডাদের জ্ঞাতাসারেই পেয়েছিল। পুলিশদের বক্তব্যও পরে সেটাই প্রমান করে, তারা ছাত্রলীগের ভেতর জামাতি শিবির আচে বলে গেছে। এর মানে কি?
পুলিশের এমন নিস্পৃহতার কারনে কোন সভ্য দেশে প্রথমেই উপস্থিত পুলিশদের চাকরি যেত, মামলা হয়ে যেত। এক্ষেত্রে কিছুই হবে না কারন যাদের আগে থেকে তেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আবার কিভাবে ব্যাবস্থা নেওয়া যায়?
আমাদের দেশের সংস্কৃতির বেশ ভয়াবহ দূর্বল অংশ আবারো প্রমান হয়েছে। দিনাজপুরের ইয়াসমিন হত্যার পর পুলিশের সাফ বক্তব্য ছিল যে সে পতিতা। এবারকার সরকারী দলের বক্তব্য হল জামাত শিবির…ভাবখানা এমন যে পতিতা হলেই ধর্ষন করে খুন করা যায়, জামাত শিবির সন্দেহে রাস্তা ঘাটে পিটিয়ে মানুষ মারা যায়।
এরপর জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে ইসলাম বিদ্বেষী বা ভারতীয় দালাল সন্দেহে পিটিয়ে মানুষ হত্যা জায়েয ঘোষনা করলে কিভাবে প্রতিবাদ করা যাবে?
এক পাপ টেনে আনে হাজারো পাপের। যুদ্ধপরাধীদের বিচার সমাধা হওয়া উচিত ছিল ৪০ বছর আগেই। সেটা না করার জের টানতে হচ্ছে বহুভাবে। আজকের নুতন প্রজন্মের এক অংশ যুদ্ধপরাধীদের বিচারের স্বার্থে সরকারী দলের যে কোন পাপ লঘু করে দেখতে রাজী, পদ্মা সেতু কেলেংকারীতেও ষড়যন্ত্র পাওয়া যায়। এরা এমনকি লগি বৈঠা দিয়ে রাজপথে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারাতেও উল্লাস প্রকাশ করে। সোজা কথায় জামাত শিবির ছাপ মেরে কাউকে রাস্তায় পিষে মেরো ফেলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উদ্ধার হয়ে যাবে। এসবের সামগ্রিক ফলাফল যে কি ভয়াবহ সেটা বোঝানোর মতও কেউ নেই, বোঝার মানসিকতাও এদের নেই। বিশ্বজিতের ঘটনা কোনভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়।
দেশে সব নির্বাচনের ফল কেন যেন নির্ভর করে ঢাকা শহরের ফলাফলের ওপর। আমার কেন যেন মনে হয় এই এক বিশ্বজিতের ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ঢাকা শহরের ভোটারদের ওপর প্রবল প্রভাব ফেলবে।
@আদিল মাহমুদ,
আমার ধারণা বিশ্বজিতের ঘটনা মনে পড়লে আমি ভোটই দিব না। ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে জায়েজ করে কোন দল, পার্টি বা লীগকে তো মানুষ মারার ক্ষমতা দিতে পারব না।
@গীতা দাস,
নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি যে ভোট দিতে হবে না।
@কাজি মামুন,
কোন লাভ হবে না মামুন। ক্ষমতা চিরকালই বদ্ধমনাদের মুষ্টিতে আবদ্ধ।
গীতা দাস,
সেই বাহাত্তরে নির্মল সেন লিখেছিলেন, ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’। চল্লিশ বছরেও সেই গ্যারান্টি পাওয়া যায় নি। কিন্তু সন্ত্রাসীরা পেয়ে গেছে প্রকাশ্যে মানুষ পিটিয়ে মারার লাইসেন্স, পুলিশ-ড়্যাব পেয়ে গেছে ক্রসফায়ারে গুলি করে খুলি উড়িয়ে দেয়ার অবাধ স্বাধীনতা, গার্মেন্টস মালিকদের দেয়া হয়েছে পুড়িয়ে শ্রমিক হত্যা করলেও দন্ডিত না হওয়ার গ্যারান্টি।
আপনার লেখা হৃদয় ছুঁয়ে গেল। লিখে কি হবে? হয়তো কিছু মানুষের বোধোদয় হবে, হয়তো কিছু মানুষের চেতনা জাগ্রত হবে। হয়তো কিছু ক্ষুদ্ধ মানুষের ইচ্ছা হবে, না এবার দেশটাকে পাল্টাতে হবে। হয়তো… হয়তো…।
ধন্যবাদ, লেখার জন্য।
@ইরতিশাদ,
এ অধিকার তো এদেশে নেই, ভাই।
দিদি,
অত্যন্ত কষ্ট নিয়েই বলছি, এদের কাছে আমার কিছুই প্রত্যাশা নেই। এমনকি তদন্ত দাবীকরাটাও হাস্যকর! ক্ষোভের আগুনটুকু শুধু বুকে চেপে রাখছি! এমন একটা উপায় বের করা এখন জরুরী যাতে এই সব তথাকথিত অযোগ্য, রুচি বিবর্জিত রাজনীতিকদের, তাদের ধারক-বাহকদের আমরা সহসাই বয়কট করতে পারি।
@কেশব অধিকারী,
তা তো বটেই দাদা, তদন্ত করলেই বা এর ফলাফল কি হবে? আরও কোন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে বা প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর সুযোগ পাবে।
গীতা দিদি,
কয়েকটি ছবি দেখুন কি অমানুষ ওরা, কি পশু ওরা, মানুষ দূরে থাক, হয়তো কুকুরও এইসব ভদ্রবেশী সুন্দর চেহরারার পশুগুলোকে দেখে ভয়ে মরছে!
[img]http://paimages.prothom-alo.com/resize/maxDim/340×340/img/uploads/media/2012/12/09/2012-12-09-08-31-39-50c44c6bbf67e-06.jpg[/img]
http://jugantor.us/2012/12/11/99742_1_tn.jpg
http://jugantor.us/2012/12/11/99742_1.jpg
@কফিল কাঙ্গাল,
এ সব ভয়াবহতা নিয়েই আমাদের যাপিত জীবন। কী দুঃসহ! সবাই দেখছিল,ছবিও তুলেছিল অথচ কেউ সাহস করে এগিয়ে এসে বাঁচায়নি।
গীতা দিদি, গত দু’রাত ঘুম হয়নি বিশ্বজিতের হত্যার ছবিগুলো আর হত্যাকারীদের উল্লাসের এবং প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর খবর পড়ে ও দেখে শুনে। পশু ওরা, ওদের পিতা-মাতা, এবং পালক পিতা-মাতারাও পশু এর চেয়ে বেশি ঘৃণা জন্মেছে এদেশের বদনীতিবিদদের উপর কি করবো বুঝি না? রুখে দাঁড়ানোও যাবে না, কারণ সব দোষ জনগণের কারণ তারা খালেদা-হাসিনা ছাড়া কাউকে দেখে না এদেশ চলাবার মতো, তাই মার আমাদের খেতেই হবে। উপায় নেই গোলাম হোসেন, উপায় নেই।
হায় বিশ্বজিৎ এদেশে জন্মই আমাদের আজন্ম পাপ!
হিংস্রতা দিয়ে হিংস্রতা দমন করা যায় না সেটা না বোঝে ক্ষমতাসীন দল না বোঝে বিরোদীদল, সাধারণ বাঙালি যাবি কোথায়? খা শালা কোপ খা, মর শালা পথে-ঘাটে এই তো জীবন!
এদেশে কি কেউ নেই, যে বিশ্বজিতের মৃত্যুর জন্য বা কিছুদিন পূর্বে বাসে ঘুমিয়ে থাকা ড্রাইভারকে পুড়িয়ে মারার জন্য অর্থাৎ এসব সাধারণ মানুষদের পক্ষে বিরোধীদল এবং সরকারের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারে? নাকি দেশে ক্ষতিপূরণ পাবার কোন আইন নেই, থাকলেও তা বড়লোকদের জন্য? যদি দু’একটি এরূপ মামলা হতো এবং সঠিকভাবে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যেতো তাহলে সরকারী এবং বিরোধীদলের টনক একটু হলেও নড়তো। এদেশে কেউ রাজনীতি করে না, করে বদনীতি! তাও ওদের স্বার্থের জন্য আমাদের জনসাধারণের স্বার্থে কেউ রাজনীতি অর্থাৎ আমার মতে বদনীতি কেউ করে এমনটি শুনিনি, দেখিও নি, আর বাকি যারা ক্ষমতাবান তারা সব ওইসব বদনীতিবিদদের ধামাধরা! আমরা হলাম, গাধা-গরু। তারা হঠাৎ করে হরতাল ডাকবে, যখন খুশি তা করবে, খুন করবে সবাই দেখবে কিছু বলতে পারবে না এটা কেমন গণতন্ত্রের দেশ? এটা কেমন দেশ যেখানে আওয়ামী সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, আইনজীবি, বিচারপতি…, বিএনপি সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, আইনজীবি, বিচারপতি…! এক খবর একেক পত্রিকায় বিভিন্নরকমভাবে কেন লেখা হয়, ঘটনা তো একটাই… বিতর্ক তৈরিতে এদেশের বদনীতিবিদদের জুড়ি নেই; সাথে সুর মেলায় দলীয় পাচাটারা। অর্থ লোভে কি এদেশের সব অন্ধ হয়ে গেছে? সাধারণ মানুষ যাবে কেথায়? প্রথম আলোতে বলা হয়েছে বিশ্বজিত ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলো। আমি বলে এদেশের প্রতিটি ইঞ্চিই সাধারণদের জন্য ভুল জায়গা এবং প্রতিটি সেকেন্ডই তো আমাদের ভুলে ভরা! একবিন্দু নিরাপত্তা এদেশে আছে কি? আছে আপনাদের সন-ানদের যারা এদেশে থাকে না, এদেশের খায় না। এদেশে বিদেশ থেকে অর্থ আনে শ্রমিকরা, গার্মেন্টেসের মেয়েরা আর আপনারা বদনীতিবিদ আর বড় বড় ব্যবসায়ীরা ওই অর্থ বিদেশের ব্যাংকে রাখেন, সন-ানদের লেখাপড়ার জন্য তা আবার বিদেশে পাঠান, কেউ কেউ বাড়ি গাড়ি করেন। তারেক জিয়া যা কামাই করে নিয়েছে আজীবন বিদেশে বসেই খেতে পারবে কিন’ আমরা আজ মরে গেলে পুরো পরিবার উপোস থাকবে। তাই তো আমাদের মতো জীবনের মূল্য কি? তাই বোধকরি ক্ষতিপূরণের কথা কেউ তোলেন না?
Ò
ডা. লুৎফর রহমান|
আর আমি বলি, এদেশের রাজনীতিবিদ নেই আছে শুধু বদনীতিবিদ! ওরা হিংস্র, ওরা পশু! ওরা আমাদের/সাধারণ মানুষের শোষক! বদচিন-া, বদনীতিই যাদের একমাত্র কাজ! জনগণের সেবক মিছা কথা, সারাক্ষণ ওরা মিথ্যা বলে আর সাংবাদিক, আইনবিদ, বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে বিচারপতিরাও ওদের ধামাধরে স্বার্থ আর অর্থের লোভে। বাঙালি এখন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ লোভী জাতি ছাড়া আর কিছু নয়; এ কোন গণতন্ত্র? পিটিয়ে, কুপিয়ে সাধারণ মানুষ হত্যার নামই কি গণতন্ত্র? খালেদা ক’দিন হরতাল/অবরোধ করেছে বাজারদর আর লাগামহীন বাড়িভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে? এসব বিষয়ে ক্ষমতাসীনরাও কোন কিছু করছে না। মানুষ মরুক ওতে বদনীতিবিদদের কিছু যায় আসে-না, ওদের চাই ক্ষমতা! ক্ষমতা না ছাড়ার ও ক্ষমতা পাওয়ার মহড়ায় ব্যস-। হাসিনা বিরোধীদলে থাকলে যা করে খালেদাও তাই করে। খালেদা ক্ষমতায় থাকতে যা বলছে হসিনাও তাই বলছে এর বাইরে নতুন কিছু কি পেয়েছে বাঙালি? আমি মনে করি, বিশ্বজিৎ-এর পরিবারের উচিত হাসিনা ও খালেদা উভয়ের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের মামলা করা। যদিও মামলায় কিছু হবে না, কারণ মামলা যারা তদন- করে তারা প্রচণ্ডরকমের ঘুষখোর ও লোভী, যারা বিচারক তারা দলীয় এবং নিরপেক্ষ নয়। আপনারা কি একমত?
দৈনিক প্রথম আলো বলছে, বিশ্বজিৎ দাস সম্ভবত ভুল সময়ে ভুল জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এইটুকু ভুলের কারণেই জীবন গেল তাঁর। ওই খানে তখন অবরোধের পক্ষের মিছিলে ধাওয়া দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। সে সময় অবরোধের পক্ষের কেউ এমন সন্দেহে তাঁকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারা হলো। যাদের হাতে চাপাতি ছিল না, তারা রড দিয়ে পিটিয়েছে, লাঠির বাড়িতে রক্তাক্ত করেছে, লাথি-ঘুষি মেরেছে। ভুল জায়গা বা সঠিক জায়গা বুঝবেন কেমনে? কোনপথে যাবেন আপনি? বিএনপি-জামাত-আঃলীগের পান্ডারা যে কোথায় ওৎ পেতে আছে তা কি করে জানবো আমরা? আামরাও কি বিশ্বজিৎ হবো না কোন একদিন? প্রস’ত থাকুন কে কখন কোথায় বিশ্বজিৎ হয়ে যাবেন পরিবারের কেউ জানতেও পারবে না! যেভাবে হরতাল, অবরোধ, জ্বালাওপোড়াও শুরু করছে দু’দলে তাতে এক মুহূর্তও নিশ্চয়তা নেই
হাসিনা ও খালেদার চরিত্র একই তবে তাদের দু’জনের কৃতিত্ব একটাই, তাহলো জাতিকে তারা দু’টি ভাগে বিভক্ত করে রাখতে পেরেছে। সাংবাদিক, বিচারক, আইনবিদ, বুদ্ধিজীবী… সব আওয়ামী ও বিএনপি করে এবং প্রকাশ্যে করে অতএব এদেশের গণতন্ত্র আছে বা গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে যারা বলেন, তারা মূর্খ বা মতলববাজ! এমন বিশ্বজিৎ মরতেই থাকবে, দু’দিন হৈচৈ করবে মতলববাজ সাংবাদিকরা, বুদ্ধিজীবীরা লেখালেখি করে দু’পয়সা কামাবে আবার থেমে যাবে আবার এমন একটা হবে আবার তোলপাড়া হবে আবার আবার… তারপর… হাসিনা-খালেদা চিরদিনের জন্যই ক্ষমতায় রবে। অতপর আসবে মহাচোর জাতীয় নেতা তারেক জিয়া আসাবে হাসিনার বংশধর এই তো গণতন্ত্র! লোভী বাঙালি গণতন্ত্র বোঝে না বোঝে ক্ষমতাতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র!
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-11/news/312293
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-11/news/312428
কষ্ট আর দীর্ঘশ্বাস!! পত্রিকার পাতা সকালে খুলে দেখতে গিয়ে আর পড়িনি। ভাঁজ করে রেখে দিয়েছি। সুবিধাবাদের রাজনীতি আমাদের ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে । নষ্ট রাজনীতির শিকারে বিবেকহীন মানুষ তৈরির চক্র সর্বদা সক্রিয়।
ভাল থাকবেন।
@অসীম,
আপনিও ভাল থাকুন অসীম।আপনার মন্তব্যে বেদনার ছোঁয়া অনুভব করছি।
আপনার সংগে আমি একমত। এতবড় একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আমিও লেখা আশা করতেছিলাম।
এসব দেখলে মাঝে মাঝে মনে হয়-
আমাদের মত দেশে রাজনৈনিক কর্ম কান্ডের কাছে মানব জীবন অতি তুচ্ছ।
ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটির জন্য।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ধন্যবাদ আপনাকেও পড়ে সহমর্মী মন্তব্যের জন্য।
কষ্ট বুকে নিয়ে কান্না করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই মনটাকে হালকা করার।
যতবার বিশ্বজিতের ছবি দেখি ততোবার কাঁদতে ইচ্ছে করে।
এমন একটা দেশে আমার জন্ম হলো? ধিক্কার জানাবো কাকে— আমার ভাগ্যকে/নিজেকে?
@ভক্ত,
ধিক্কার জানানো উচিত আমাদের দেশের দূষিত রাজনীতিকে।
গীতাদি, রাত ৩ টা বাজে। ঘুমুতে পারিনি, কিছু বলতেও পারিনি। ঢাকার এক বন্ধুর সাথে কথা বলেছি। গতকালও অনেক ভেবেছি। হয়তো আমি ভাবি, বলতে পারিনা। পারা-র ভাষা নেই, সময় নেই, কান্না করার সময় আছে, তাই একা একা, কান্না।
যতবার পত্রিকার পাতায় ছবিগুলো দেখেছি, ভেবেছি এ কোন তালেবানের দেশে আমার জন্ম?
@স্বপন মাঝি,
আপনার ভাবনা সঠিক। সম্ভবতঃ সেদিকেই অগ্রসরমান আমাদের প্রীয় দেশটি।
@স্বপন মাঝি,
হুম, অদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ!!!!
ভালোই বলেছ আম্মি ।
আচ্ছা , আমি না এখন ও গণতন্ত্রের মানে বুঝিনা । মুক্তমনায় কি এরকম কিছু লিখা আছে যেখানে গণতন্ত্রের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ।
@সমীর,
মানে কি?????!!!!!!!
@গীতা দাস,
দুঃখিত । ভুল হয়ে গেছে ।