বেড়ে ওঠার ডোজ …রোজ রোজ বিজ্ঞাপনটা প্রায়ই চোখে পড়ে। ভাবলাম,একটু খোঁজ নিয়েই দেখি না এ বেড়ে ওঠার ডোজ আসলেই কতটুকু বেড়ে ওঠতে সাহায্য করে?প্রথমেই গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের (হরলিকস গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের পণ্য) ওয়েবসাইটে গেলাম,মজার ব্যাপার হলো তাদের ওয়েবে হরলিকসের পুষ্টিগুণ নিয়ে একটি লাইন ও নেই ( মনে হয় হরলিকসের পুষ্টিগুণ এতটাই কম যে তারা সেটা দেওয়ার সাহসই পায় নি)। ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে দেই (http://www.gsk.com.bd/products/ এবং http://gsk-ch.in/Products.aspx).
হরলিকস: যেভাবে বানানো হয়
হরলিকসের বোতলের গায়ে লাগানো লেভেলের ভাষা অনুযায়ী এর উপাদানগুলো হচ্ছে মল্টেড বার্লি,গমের দানা,শুকনো skimmed দুধ,ঘোল,চিনি আর ভেজিটেবল ফ্যাট। বার্লিতে গুটেন কম থাকে।তাই বার্লি থেকে রূটি,কিংবা পাউরূটি ও বানানো যায় না। পশু খাদ্য হিসেবেই বার্লি ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। এই বার্লিকে গ্যাজিয়ে শুকানো হয়। ঐ শুকনো বার্লির দানাকে গুঁড়ো করে ছেকে নেওয়া হয়। তার সাথে মেশানো হয় ভেজিটেবল ফ্যাট,দুধ,চিনি আর খনিজ লবণ। এই মিশ্রণকে শুকিয়ে নিলেই পাওয়া গেল হরলিকস।
আমাদের প্রতিদিন কতটুকু শক্তির প্রয়োজন?
ক্যালরির মাপে আমাদের প্রতিদিনের শক্তির চাহিদাটা এরকম : মাঝারি খাটাখাটনির পুরুষ ২৭০০/২৮০০ কিলোক্যালরি,একই ধরনের মহিলা ২২০০ কিলোক্যালরি,কিশোর-২৪০০/২৫০০ কিলোক্যালরি,আর ৪-৫ বছরের বাচ্চা-১৫০০ কিলোক্যালরি। আপনার ঠিক কতটুকু শক্তির দরকার সেটা আপনি নিজেই মেপে নিতে পারেন(http://mpgnarratives.hubpages.com/hub/How-many-calories-do-we-need -এই ওয়েবসাইটে বিস্তারিত বলা আছে)
হরলিকস : আপনার সন্তানকে করবে Stronger*
(* মার্ক আছে কিন্তু !!!!)
হরলিকসের লেভেলের ভাষ্য অনুসারে প্রতি ১০০ গ্রামে শক্তি রয়েছে ৩৯১ কিলোক্যালরি । তাহলে ৪৫০ গ্রামের পুরো হরলিকস বোতলটা শক্তি যোগাতে পারে ১৭৬০ কিলোক্যালরি। তারমানে খোদ হরলিকসের লেভেলের ভাষ্য অনুসারে পুরো হরলিকস বোতলটা কেবল্মাত্র ৬-৭ বছরের একটা বাচ্চার একদিনের শক্তি যোগাতে পারে এবং এর জন্য তাকে খরচ করতে হচ্ছে ৩১৫ টাকা !!!! যেখানে কিনা ঢাকা শহরে একজন মধ্যবিত্ত মানুষ সারাদিনে খরচ করতে পারে ১৫০ টাকা। শক্তির উৎস হিসেবে হরলিকস কেমন সেটা এখন আপনিই যাচাই করে নিন।
এই ছবিটাতে বোর্নভিটা,হরলিকস,কমপ্ল্যান আর ওভাল্টিনের মাঝে তুলনা দেওয়া আছে,ছবিটা http://www.gnaana.com/blog/2011/02/bournvita-vs-horlicks-nutrition-facts-of-4-milk-mixes/ -এই ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
প্রোটিন : বেড়ে ওঠার শক্তি
আমাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন কতটা জরূরি সেটা নিয়ে লেকচার দিব না, শিরোনামটাই সবকিছু বলে দিচ্ছে,তবু কারো এ সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলে এই লিংকটা দেখবেন ( http://en.wikipedia.org/wiki/Protein_%28nutrient%29)
প্রোটিন : প্রতিদিন কতটুকু?
আমাদের সবারই প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন প্রযোজন। হিসেবে এরকম : আমাদের শরীরের ওজনের প্রতি কেজি তে ১.০-১.২ গ্রাম প্রোটিন দরকার । এর বেশি প্রোটিন আমাদের শরীরের বৃদ্ধিতে কাজে আসে না (সম্ভবত সেটা ফ্যাটে/ সরল গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে যায়)। যেমন আমার ওজন (আসলে ভর) ৬১ কেজি, সুতরাং আমার প্রতিদিন ৬১-৭২ গ্রাম ডিম/মাছ/মাংস খেতে হবে। তবে যারা ব্যায়াম করেন তাদের অবশ্যই এই পরিমাণ টুকু ১০-১৫ শতাংশ বাড়াতে হবে।
হরলিকস : কতটুকু প্রোটিন যোগাচ্ছে?
হরলিকসের লেভেলের ভাষ্য অনুসারে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিন রয়েছে ১১ গ্রাম। তাহলে ৪৫০ গ্রামের পুরো হরলিকস বোতলটা প্রোটিন যোগাতে পারে ৪৯ গ্রাম । তারমানে খোদ হরলিকসের লেভেলের ভাষ্য অনুসারে ১২-১৩ বছরের একটি কিশোরের একদিনের চাহিদাটুকু ৩১৫ টাকার পুরো হরলিকস বোতলটা পূরণ করতে পারছে না । এখন আপনিই বুঝে নিন এই বোতলটা কি বেড়ে ওঠার ডোজ নাকি প্রতারণার ডোজ?
বিজ্ঞাপন : শুধুই প্রতারণা
নিউমার্কেট মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি। বুয়েটে ফিরব। হরলিকসের বিশাল বিলবোর্ডটা চোখে পড়লঃ ৬ টা লেবুর সমান ভিটামিন-সি”…
এক মগ হরলিকসে (২৭ গ্রাম) ভিটামিন সি থাকে ৩৬মিগ্রা (এবং খরচ হচ্ছে ২০ টাকার মতো),যেখানে কিনা একটা লেবুতে ভিটামিন সি থাকে ৪৪ মিগ্রা (খরচ হচ্ছে বড়জোর ৫ টাকা) ! ! ! (তথ্যসূত্র:http://www.healthalternatives2000.com/fruit-nutrition-chart.html, কোন ফলে কি পুষ্টিগুণ আছে তা এই লিংকে পাবেন)।
নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছেন ৬ টা লেবু তো দূরের কথা,একটা লেবুর সমান ভিটামিন-সি ও যোগাতে পারছে না এক মগ “প্রতারণার ডোজ”(হরলিকস)!! কী বলবেন এ প্রতারণাকে?
হরলিকসের আর একটা বিজ্ঞাপন টিভিতে খুব প্রচার হয়: মোটাসোটা মডেল ফিমার ছেলে হরলিকস খেয়ে খুব ব্রিলিয়্যান্ট হয়ে গেছে আর তা দেখে অন্য মায়েদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে,”ভাবি…ও কি একট্রা কোথাও টিউশন নিচ্ছে…”
বিজ্ঞাপন দেখার পর মোটাসোটা মডেল ফিমার প্রতি শুধু একটা কথাই মনে আসে …হরলিকস খেয়ে তোমার ছেলে এত ব্রিলিয়্যান্ট হয়ে গেল,তো তুমি হরলিকস লাইট খেয়ে মেদ ঝড়াতে পারছ না কেন?
আমাদের চেনা পরিচিত খাবারগুলো…সেগুলোই বা কেমন?
আমাদের চেনা পরিচিত খাবারগুলো…মানে ভাত,ডাল…সেগুলোই বা কেমন?হরলিকস কি আমাদের সে পরিচিত খাবার গুলোর চেয়ে বেশি শক্তি/পুষ্টি দিতে পারে???
এতক্ষণে এ প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা হয়ে যাবার কথা…এতক্ষণে আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন হরলিকসের ঐ বিজ্ঞাপন আর বড় বড় বিলবোর্ডগুলো ধাপ্পাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এই ফাকে আমাদের চেনাপরিচিত খাবারগুলোর গুলোর গুণাগুণ গুলো জেনে নেওয়া যাক:
• হরলিকসের পুরো একট বোতল আপনাকে যে পরিমাণ শক্তির যোগান দেয়,সমান দামের সাদা ভাত আপনাকে ৫০ গুণ বেশি শক্তি যোগাবে !!!! (তথ্যসূত্র: http://en.wikipedia.org/wiki/White_rice ) (এই হিসেবটাতে ৪৫ টাকা কেজি চাল ধরেছি)
• আধা লিটার দুধ ১০০ গ্রাম হরলিকসের সমান শক্তি যোগায়(যেখানে দাম পড়বে অর্ধেকেরও কম)…আর দুধে প্রয়োজনীয় প্রোটিন তো আছেই
• ১০০ গ্রাম হরলিকস ৩৯১ কিলোক্যালরি শক্তির যোগান দেয়,অন্যদিকে ১০০ গ্রাম বাদাম ৬১১ কিলোক্যালরি যোগান দিতে পারে এবং দাম পড়বে মাত্র সাড়ে তিনভাগের একভাগ !!!! শুধু তাই নয়,১০০ গ্রাম বাদাম সমপরিমাণ হরলিকসের চেয়ে দ্বিগুণ প্রোটিন যোগায় !! (তথ্যসূত্র: http://www.weightlossresources.co.uk/calories/calorie_counter/nuts_seeds.htm )
• একইভাবে ১০০ গ্রাম হরলিকস ৩৯১ কিলোক্যালরি শক্তির যোগান দেয়,অন্যদিকে ১০০ গ্রাম ছোলা প্রায় ৪০০ কিলোক্যালরি যোগান দিতে পারে এবং দাম পড়বে মাত্র চারভাগের একভাগ !!!!
• বর্তমান বাজারদরে ১০০ গ্রাম হরলিকস কেনার টাকাতে ২ কেজি আটা কিনতে পারবেন,আর তাতে শক্তি ও প্রোটিন দুটোই পাবেন ২০ গুণ বেশি !!
আমাদের চেনা পরিচিত খাবার গুলো কিন্তু পুষ্টিতে যথেষ্ট শক্তিশালী…এই চেনা পরিচিত খাবারগুলোর বিকল্প/সম্পূরক খাবার হবার যোগ্যতা কখনোই হরলিকসের নেই।
মামনি-বাবাদের উদ্দেশ্যে শুধু একটা কথাই বলব,আপনার পিচ্চিটার কাঁধে সারাদিন ভারি ব্যাগ আর “প্রতারণার ডোজে’-র বোতল চাপিয়ে না দিয়ে তাকে বিকেলে আধঘন্টার জন্য হলেও ফুটবল খেলতে মাঠে পাঠান।সবার সাথে মিশতে পারলে লিড দিতে পারার গুণ চলে আসবে। খেলা শেষে বিশ্রাম নেবার পর তাকে একটি পূর্ণসেদ্ধ ডিমের সাদা অংশ খেতে দিন।শরীরের পেশি গুলো প্রোটিন গ্রহণ করলে তার শারীরিক বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা করা লাগবে না।আর গল্পের বই পড়লে তার মানষিক বৃদ্দি নিয়েও ভাবা লাগবে না।তাকে ভাতের সাথে লেবুর রস খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন।তাহলে আর দাঁতের ডাক্তারের কাঁচির নিচে পড়তে হবে না(অনেকে ভাবতে পারেন,আমি ডাক্তার দের ভাত মারার টিপস দিচ্ছি,কিন্তু আমি মনে প্রাণে বিস্বাস করি একজন ডাক্তার ও এমনটাই চান তার চেম্বারে কেউ অসুস্থ থকবে না),আর ভিটামিন সি কিন্ত আয়রনের শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়!!!
গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন: একচেটিয়া ধান্দাবাজি
বাংলাদেশে যে কয়টা “বোতলবন্দি” শক্তি ও পুষ্টিপণ্য পাওয়া যায় সেগুলো হল-হরলিকস,বুষ্ট,মালটোভা,ভিভা আর কমপ্ল্যান।আপনার মনে হতে পারে এরা একটা আরেকটার বিকল্প/প্রতিদ্বন্ধি পণ্য।কিন্তু মজার ব্যাপার হলো কমপ্ল্যান ছাড়া বাকি ৪টি একই কোম্পানির(গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন) প্রস্তুতকৃত পণ্য!!!!
বুঝতেই পারছেন “এই প্রতারণার ডোজ ” নিয়ে একচেটিয়া মার্কেট(আসলে ধান্দাবাজি) দখল করে রেখেছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন। শুধু হরলিকসই বাজারের ৭৪% দখল করে রেখেছে!!! আর তাইতো মাঝে মধ্যেই ইচ্ছাকৃতভাবে সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়ে কৃত্রিমভাবে চাহিদা বাড়িয়ে নেয় গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন। এক-দুই সপ্তাহ পর আবার সাপ্লাই দেয়া শুরু করলেও তা করা হয় দাম ২০/২৫ টাকা বাড়িয়ে।
তাহলে কিভাবে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের একচেটিয়া ধান্ধাবাজি বন্ধ করা যায়?
এতক্ষণে তো বুঝেই গেছেন হরলিকসের পিছনে এত টাকা খরচ করে শুধু প্রতারণারই শিকার হচ্ছেন। এবার না হয় একটু সচেতন উঠুন। সবাই মিলে হরলিকস কেনা বন্ধ করলে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন দাম বাড়ানোর সুযোগ পাবে তো না-ই, দেখবেন ক্ষতি কমানোর জন্য তরতর করে দাম কমাচ্ছে।
অল্প কিছু ডাক্তারের উদ্দেশ্য
হরলিকসের বিজ্ঞাপনে মাঝে মাঝে ডাক্তারের উপস্থিত দেখা যায়… কখনো বা ব্যাপারটা এমন ডাক্তার নিযে হরলিকস খাচ্ছেন আর হরদম পরামর্শ দিচ্ছেন অন্যদের হরলিকস খেতে!!!!
ঐ ডাক্তারদের উদ্দেশ্য বলতে চাই,আপনারা কি ডাক্তার হয়ে টের পান না হরলিকসের এ প্রতারণা? নাকি টাকার বিনিময়ে এ ধরনের প্রতারণাময় বিজ্ঞাপনে উপস্থিত হতে আপনাদের বিবেকে বাঁধে না?এদেশে সবচেয়ে সম্মাজনক পেশাগুলোর মাঝে “চিকিৎসক” একটি। এদেশের অন্যান্য পেশার তুলনায় এ পেশাতে আয় তো কম নয়।তবু কি সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপনে প্রতারণামূলক কথা বলতে হবে? হরলিকস যে আপনাদের ব্যবহার করে এদেশের সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে সেটা আপনারা কি টের পান না?
পুষ্টিশিক্ষা এবং আমাদের দেশের পাঠ্যপুস্তক
“ভাত,আলু শর্করা জাতীয় খাদ্য; মাছ,মাংস,ডিম আমিষ জাতীয় খাদ্য…” এগুলো আমাদের দেশের স্কুলের পাঠ্যবইগুলোতে লেখা আছে। কিন্তু একটি বইয়েও লেখা নেই আমাদের ঠিক কতটুকু শক্তি দরকার,ঠিক কতটুকু প্রোটিন দরকার,কিংবা কোন খাবারে কি পরিমাণ পুষ্টিগুণ আছে।
আমাদের দেশের বইগুলোতে পুষ্টিশিক্ষা নিয়ে কি কয়েকটা পাতা যোগ করা যায় না যাতে করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এদেশের মা-বাবাদের অজ্ঞানতার ফাঁদে ফেলে প্রতারিত করতে না পারে?
স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা: হয়ে ওঠো গবেষক
স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা,চাইলে তোমরাও হয়ে উঠতে পার গবেষক!!!
তোমরা যারা এই লেখা পড়ছ,তোমাদের তো ইন্টারনেট কানেকশন আছে। আর এখন তো তোমাদের অনেকের কাছেই আছে ডিজিটাল ক্যামেরা। তোমার মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে ইউটিউবে একটা অ্যাকাউন্ট/চ্যানেল খুলে ফেল না,তারপর সেখানে প্রতিদিন আপলোড করতে থাক: ‘এই যে আমি এখন প্রতিদিন দুই মগ হরলিকস খাই,গত মাসে আমার উচ্চতা এত ছিল…কিন্তু এক মাসে আমার উচ্চতা একটুও বাড়ে নি…” কিংবা ‘ আগে ঐ অংকটা পারতাম না,এক মাস হরলিকস খাবার পরও এখনো ঐ অংকটা পারি নি…”
একইভাবে মেয়েরাও কিন্তু গবেষক হয়ে উঠতে পার…ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি দেবার পর তুমি কতটুকু ফর্সা হয়েছে সেটা প্রতি সপ্তাহে জানিয়ে দিলে…
কেন আমরা একটা অন্ধভাবে একটা বিজ্ঞাপনের গবেষনাতে বিশ্বাস করে বসব? চাইলে সেই গবেষণাটা তো আমরা বাসায় নিজেরাই করতে পারি,তাই না??
(চাইলে আন্টিরাও জানাতে পারেন…পন্ডস এজ মিরাকেল দেবার পর আপনার বয়স কতটুকু কমে গিয়েছে,আপনার বয়স ৩২ হলে ও আপনার husband আপনাকে ২৩ বছর বয়সী ভাবেন কি না…)
পুনশ্চ :
১. http://mpgnarratives.hubpages.com/hub/How-many-calories-do-we-need এই ওয়েবসাইটে “Calories” মানে কিলোক্যালরি বোঝানো হয়েছে।
২.এই নোট লিখতে গিয়ে যত জ্ঞানের (!!!!!) কথা বলেছি, সবই আমার দাদা সৌমিত্র (saumitra chakravarty) দা’র কাছ থেকে ধার করা। মানুষটার বিয়ে হয়ে গেছে বলে এখন আর আমার হলে আসে না,সারা রাত জেগে তার সাথে আড্ডা ও দিতে পারি না,আসলেই পুরুষ মানুষ দুই প্রকার: জীবত এবং বিবাহিত :পি)
৩.আমি মেডিক্যালের ছাত্র তো নই-ই,প্রাণীবিজ্ঞান ও খুব একটা ভালো বুঝি না। কোন পন্ডিতি দেখানো উদ্দেশ্য নিয়ে এই নোট লিখি নি, কৌতুহল থেকে যতটুকু জেনেছি সেটাই সবার সাথে শেয়ার করতে চেয়েছি(আমি “sharing knowledge is power” কথাটা খুব মানি,আপনি এই কথাটা মানলে আপনিও শেয়ার করতে পারেন)
৪.http://www.madhuriesingh.com/superindiankid/wp-content/uploads/2009/10/MadhurieSingh.com-Health-drinks-comparision-996×1024.jpg এই লিংকে বেশ সুন্দর একটা comparison দেওয়া আছে।ছবিটার লেখা গুলো বেশি ছোট বলে নোটে আপলোড করলাম না।
খুবই গুরুত্বপূণ লেখা। পাঠকবৃন্দ বাংলা উইকি থেকে মুনীর হাসানের মিথ্যার মুখোমুখি প্রতিদিন পড়ুন, আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং সচেতন হোন ও অন্যকে সচেতন করুন।
মিথ্যার মুখোমুখি বইটি সম্পকে লেখা আছে এরুপ-
খরচ বাদ দিয়ে এই সংস্করণের উদ্দৃত্ত টাকা যাবে সমাজ অধ্যয়ন কেন্দ্রের গ্রন্থাগার তহবিলে।
গ্রন্থস্বত্ব: লেখক এই গ্রন্থের স্বত্ব ত্যাগ করেছেন, যে কেউ পূর্বানুমতি ছাড়াই এই পুস্তকটি বা অংশবিশেষ মুদ্রণ, বিতরণ ও ফটোকপি করতে পারবেন।
প্রকাশক সাম্পান প্রকাশন, চট্টগ্রাম
অসাধারন পোস্ট। কষ্ট করে হিসাব মিলিয়ে সহজে বোঝানোর জন্য ধন্যবাদ।
🙂
সত্যিই চমৎকার প্রতিবেদন। সব কিছুই বলা হয়েছে এতে। আমার শুধু ভয়, অতি আম জনতারা আবার শুধু হরলিক্সকেই টার্গেট না করে বসে। মানে, হরলিক্স বাদ দিলো ঠিকই কিন্তু বোতল জাত অন্যকিছুকে আবার গিলতে না শুরু করে।
@শিবলী মেহেদী, আপনার আশঙ্কার কথা বুঝতে পেরেছি। আমি কিন্তু আমার এই লেখাতে হরলিকসের পাশাপাশি অন্য সব বোতলজাত পণ্যের(যেমন ভিভা,মালটোভা,কমপ্ল্যান,বুষ্ট) কথাও তুলে এনেছি, এ গুলোতে( মানে ভিভা,মালটোভা,কমপ্ল্যান,বুষ্ট)কি পরিমাণে পুষ্টিগুণ আছে তা এই লেখার প্রথম ছবিতে দেওয়া আছে। আপনি নিজেই হিসেব করে নিতে পারবেন( যেভাবে আমি হরলিকসের জন্য হিসেবগুলো করেছি সেভাবে) বুষ্ট/মালটোভা/কমপ্ল্যান কি সত্যিই কার্যকর কিনা নাকি সেখানেও লুকিয়ে আছে প্রতারণা ফাঁদ?
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে হরলিকসই কেন? কেন হরলিকসকে নিয়েই এই লেখাতে হিসেবগুলো করা হয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তরে বলছি , শুধু হরলিকসই বাজারের ৭৪% দখল করে রেখেছে!! আর বুষ্ট,মালটোভা, ভিভা -এ তিনটিও কিন্তু গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনেরই পণ্য।
আর আমি সবাইকে এই বোতলজাত পণ্যগুলোর ব্যাপারে একটা গাইডলাইন দিতে চেয়েছি…হরলিকসের জন্য কিভাবে হিসেব করেছি তা বিস্তারিত দেখিয়েছি।আমি চাই সবাই একইভাবে কমপ্ল্যান/বুষ্ট/মালটোভার জন্য ও একইভাবে হিসেব নিকেশ করে দেখবে
:guli: হরলিকস এবং গ্লাকোস্মিথক্লাইন
:guli: হরলিকস…
এই লেখার মাধ্যমে আমরা হরলিকসের প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর একটা ভিত্তি পেলাম ।
মামনি, বড় তো হচ্ছি সচেতন হব কবে??
অনেক ইনফরমেটিভ একটা লেখা। অসাধারণ। আসলে বিজ্ঞাপণের এই যুগে যে যত বেশি পারছে মিথ্যা বলে ক্রেতাকে আকর্ষন করতে ব্যস্ত। এমনকি তাতে ক্রেতার ক্ষতি না লাভ তাতে কিন্তু তাদের কিছু আসে যায় না, ব্যবসাটাই মূলকথা। ভোগবাদী সমাজ।
তবে চাইলেই এই ব্যাপারগুলোর বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলা যায়। যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা করতে হবে।
লেখাটি খুবই প্রয়োজনীয় লেখা। সবার শেয়ার করা দরকার।
সময়োপযোগী লেখা। এ ধরনের অন্যান্য সব প্রতারণার মুখোশ উন্মোচিত হোক
লেখকের কাছে আরো এ ধরনের বিশ্লষণমূলক লেখা প্রত্যাশা করছি
@sudipta Deb Nath: আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটি গুরুত্বপূরণ বিষয় সম্পর্কে আপনার গবেযণা মূলক লেখার জন্য ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রতারণার বিষয়টা তুলে ধরার জন্য। তথ্যগত ও বিশ্লেষণমূলক ব্যাপারে এখানে দ্বিমত করার তেমন কিছুই নাই। তবে চিকিৎসকদের ব্যাপারে যা বললে তাতে মনে হল এখানে আপনার অভিজ্ঞতা ঘাটতি ও দৃষ্টিভংগির অসংগতি রয়েছে। আপনি লিখেছেন,”হরলিকসের বিজ্ঞাপনে মাঝে মাঝে ডাক্তারের উপস্থিত দেখা যায়… কখনো বা ব্যাপারটা এমন ডাক্তার নিযে হরলিকস খাচ্ছেন আর হরদম পরামর্শ দিচ্ছেন অন্যদের হরলিকস খেতে!!!!” আপনার লেখা দেখে মনে হল বিজ্ঞাপনে যাদের চিকিৎসক হিসেবে দেখান হয় তারা সত্যই চিকিৎসক ও তারা হরলিক্স খেতে পরামর্শ দিচ্ছে! প্রথমতঃ ব্যাপারটা চরম হাস্যকর ও আজগুবী। টাকা দিয়ে যারা অ্যাডগুলো বানায় তাদের প্রয়োজন নেই আসল চিকিৎসকদের দিয়ে অ্যাড বানানোর। টাকা দিয়ে যদু-মদুকে অ্যাপ্রোন পরিয়ে চিকিৎসক সাজিয়ে বলালেই চিকিৎসক হয় না ও তাদের মিথ্যা প্রচারণার দায়-দায়িত্বের ভারও চিকিৎসকরা নিতে রাজি নই। দ্বিতীয়তঃ আমি আমার ৮ বছরের চিকিৎসক জীবনে কোন চিকিৎসককেই (প্রফেসর থেকে ইন্টার্ণ) হরলিক্স খেতে রুগীকে পরামর্শ দিতে দেখিনি,বরং আমরা সবসময়ই অনুৎসাহিত করেছি। এরপ্রধাণ কারণ নিশ্চিত ভাবেই এর অপ্রয়োজনিয়তা ও অর্থনৈতিক ক্ষতি। তথাপি, হরলিক্স খেয়ে বদহজম ও বমি এবং সেখান থেকে অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সৃষ্টিও প্রধান। তারপরও, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই লোকজন হরলিক্স কিনে নিয়ে আসে, যা বারণ করতে গিয়ে প্রায়ই রুগীর লোক জনের সাথে অনাকাক্ষিত কথা-কাটা কাটির সম্মুখিন হতে হয়। কারণ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকল গ্রুপের কাছেই রুগির খাদ্য মানেই হরলিক্স ও সেটা যখন চিকিৎসকরা খাওয়াতে বারণ করেন তার মানে বেটা চিকিৎসক ফাউল,কিছুই জানেন না। আর তাই যতই না করেন, কোন লাভ নাই…..
তবে, হ্যা, কিছু কথা বলা যায় বেবি ফুড নিয়ে। এখানেও সাধারণতঃ ৯০ শতাংশ চিকিৎসক বলেন যে ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ঠ ও বরং অন্য খাবার দিলে তাতে বাচ্চার ক্ষতি হয়। তারপরও মা ও বাচ্চার ফ্যামিলির অতিরিক্ত পরিমাণে কমপ্লেইন, যেমন মায়ের বুকের দুধ হয়না (যা অসম্ভব) বা পর্যাপ্ত পায়না (যা অতিরিক্ত ভালবাসার কারণে ভ্রান্ত ধারণ),করার কারণে কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে ও ঝামেলা এড়ানোর জন্য বেবি ফুড কিনতে বলে। তবে এখানে কিছু চিকিৎসক আছেন, যারা আগে থেকেই ঝামেলা ও কমপ্লেইন এড়ানোর জন্য আগেই বেবে ফুডের কথা হয়তঃ বলেন, তবে তার সংখ্যা খুবই নগন্য( ১-২% এর বেশি হবেনা বলেই আমার বিশ্বাস), যদিও তাও গ্রহণযোগ্য নয়।
তাহলে এখন কথা হল এগুলো বন্ধের পিছনে সরকার বা চিকিৎসকদের ভূমিকা কী? সরকার কিন্তু রুট লেভেল পর্যন্ত মায়ের দুধ ও বাচ্চাদের পুষ্টি সম্পর্কে বিশাল বিশাল কার্যকরী প্রোগ্রাম চালু রেখেছে ও চিকিৎসকরা প্রতিনিয়তই আপডেটেট ইনফরমেশন রুটলেভেলে বিভিন্ন প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে ও রুটিন কার্যক্রমের মাধ্যমে তা পৌছে দিচ্ছেন। আপনাদের তা অবশ্য চোখে পরার কথা না, কারণ আপনারা এসি রুমে বসে সবকিছু বুঝার চেষ্টা করেন। মাঠে-ঘাটে কী কী কা্র্যক্রম চলছে তা চোখে পরার কথাই না….
শেষকথা হল, বাংলাদেশের আইন-কানুন যতদিন সঠিক ভাবে প্রয়োগ হবেনা ও বাংলাদেশের সকল মানুষ(শিক্ষিত-অশিক্ষিত সব) যতদিন ততদিন এসব হরলিক্স কোম্পানির দৌড়াত্ব চলতেই থাকবে। আপনাদের মত কিছু সচেতন মানুষ হয়তঃ ব্যাপারটা ধরবেন ও সকল দোয SCAPEGOAT হিসেবে চিকিৎসকদের কাঁধে দিবেন, কিন্ত কাজের কাজ কিচ্ছু হবেনা….
@তানভীর, সত্যি, আপনার অভিজ্ঞতায় (!!!) মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না। আপনার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি, তা না হলে আমার সম্পর্কে সামান্যতম না জেনে আমাকে “এসি রুমে বুঝে সবকিছু বোঝার চেষ্টা করা মানুষ” বলে মন্তব্য করার মতো অভদ্রতা কিভাবে প্রদর্শন করেন?
– আপনার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি হলেও আমি লিখে দিতে পারি আপনার টিভি দেখার কোন অভিজ্ঞতা নাই। কারণ, ভারতীয় বাংলা চ্যানেলগুলোতে(ইটিভি বাংলা,জি বাংলা) প্রদর্শিত হরলিকসের বিজ্ঞাপনগুলোতে ডাক্তারের নাম,পদবী,কর্মস্থল সহই ডাক্তারকে উপস্থিত করা হয়।
-আপনার বক্তব্য অনুযায়ী হরলিকসের বিজ্ঞাপনে প্রদর্শিত ডাক্তাররা যদি ডাক্তার না হয়ে শুধুমাত্র মডেল হয়ে থাকে তাহলে দেশের আসল ডাক্তারদের উচিত ছিল না এই প্রতারণার প্রতিবাদ করা?দেশের আসল ডাক্তারদের উচিত নয় সবাইকে জানানো যে বিজ্ঞাপনে ভুয়া ডাক্তার ব্যবহার করা হচ্ছে। সাথে হরলিকসের পুষ্টিগুণের আসল তথ্যগুলো জনগণকে জানানোটা ও কি দেশের আসল ডাক্তারদের সামাজিক দায়িত্ব নয়?কই আজ পর্যন্ত তো কোন ডাক্তারকে এমন প্রতিবাদ জানাতে দেখি নি। অন্যায় সহ্য করাটাও কি অন্যায়ের পর্যায়ে পড়ে না? আর যদি দেশের একজন ডাক্তারও হরলিকস প্রেসক্রাইব না করে থাকেন তাহলে ফার্মেসীর দোকানে এত এত হরলিকসের বোতল আসে কি করে?
-এই লেখাটা লেখার পর অনেকে আমাকে বলেছেন ‘ফেয়ার এন্ড লাভলী’ নিয়ে একটা লেখা লিখতে। অথচ এই লেখা প্রকাশের তিনদিনের মাথায় বাংলাদেশ ডার্মাটোলজিক্যাল সোসাইটি ‘ফেয়ার এন্ড লাভলী’ কে অনুমোদন প্রদান করে। এখন আপনি কি দাবি করবেন বাংলাদেশ ডার্মাটোলজিক্যাল সোসাইটি ডাক্তারদের দ্বারা গঠিত নয়?
-ঐ কথা গুলোর শুরুতে উপ-শিরোনাম হিসেবে “অল্প কিছু ডাক্তার…” লেখাটা আপনার খেয়াল করা উচিত ছিল।আমি ঐ কথা গুলো সব ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে বলি নি ।
-“মাঝে মাঝে” শব্দটা ব্যবহার করার কারণ বাংলাদেশে হরলিকসের সব বিজ্ঞাপনে ডাক্তার ব্যবহার করা হয় নি। মোটামুটিভাবে ৫০% বিজ্ঞাপনে ডাক্তারের উপস্থিতি দেখা যায়।
-শেষকথা, আপনার যদি ৮ বছরের চিকিৎসা সেবা ‘দেওয়ার’ অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আমারও ২৩ বছরের চিকিৎসা সেবা ‘নেওয়ার’ অভিজ্ঞতা আছে, যা আপনার অভিজ্ঞতার প্রায় তিনগুণ।
@তানভীর, আর হ্যা, আপনার কাছে ছোট্ট একটা সহযোগিতা চাইব। লিংকে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন ব্রিটেনে কোন ডাক্তারকে কি পরিমাণ ঘুষ দিয়েছে তার তথ্য দেওয়া আছে।
আপনি কি কষ্ট করে এই নিউজটা বাংলা রূপান্তর করে কমেন্টে পেষ্ট করে দিবেন? তাহলে আমি সেই বাংলা রূপান্তরটা এই লেখার দ্বিতীয় পর্বে দেব।
@সুদীপ্ত দেবনাথ, আর হ্যা, আপনার কাছে ছোট্ট একটা সহযোগিতা চাইব।http://www.guardian.co.uk/business/2012/jul/03/glaxosmithkline-fined-bribing-doctors-pharmaceuticals লিংকে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন ব্রিটেনে কোন ডাক্তারকে কি পরিমাণ ঘুষ দিয়েছে তার তথ্য দেওয়া আছে।
আপনি কি কষ্ট করে এই নিউজটা বাংলা রূপান্তর করে কমেন্টে পেষ্ট করে দিবেন? তাহলে আমি সেই বাংলা রূপান্তরটা এই লেখার দ্বিতীয় পর্বে দেব।
@তানভীর, এই ডাক্তাররাই মুখে ফেয়ার এন্ড লাভলীর বিরুদ্ধে বলে আবার টাকা খেয়ে সেটাকেই অনুমোদন দেয়। চোরের মায়ের বড় গলা আর কি
@তানভীর, নিচে লেখকের দেওয়া লিংকটি (দ্য গার্ডিয়ানের মতো শীর্ষসারির সংবাদমাধ্যমে আসা একটি সংবাদ) খুলে দেখলাম। হরলিকস প্রস্তুতকারক গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন কিভাবে বিভিন্ন দেশে ডাক্তারদের ঘুষ দিয়ে প্রতারণার পসরা সাজিয়েছে তার বিশদ বর্ণনা দেওয়া আছে এবং এ প্রতারণাগুলোর দায় গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন নিজেই স্বীকার করেছে। হরলিকসের বিজ্ঞাপনে সত্যিকারের ডাক্তার ব্যবহার করা হয়নি বলে মুখে দাবি করলেও আপনারা কখনোই এর প্রতিবাদ জানাননি। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হরলিকস ও গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন এদেশের মানুষকে ঠকিয়ে আসছে।এ ধরনের একটি লেখার খুবই প্রয়োজন ছিল যা সবাইকে সচেতন করবে। এরপরো লেখককে “এসি রুমে বুঝে সবকিছু বোঝার চেষ্টা করা মানুষ” বলে মন্তব্য করাটা আপনার উচিত হয়নি।
@তানভীর,আবদুর নূর তুষারের মতো খ্যাতনামা মানুষ(যিনি কিনা পেশায় একজন ডাক্তার !!) ও যখন হরলিকসের স্পন্সরে ‘হরলিকস জিনিয়াস বাংলাদেশ’ টাইপের অনুষ্ঠান করেন এবং সে অনুষ্ঠানে ‘হরলিকস খেয়ে আমাদের দেশের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা জিনিয়াস হয়ে উঠবে’-এমন বক্তব্য দেন,তখন লেখকের ঐ লাইনগুলোকে প্রাসঙ্গিকই মনে হচ্ছে।
ডাক্তার না হয়েও লেখক হরলিকসের যে প্রতারণা গুলো টের পান,সেগুলো ডাক্তার হয়েও কি আবদুর নূর তুষারের চোখে পড়ে না?
হরলিক্স নাকি দুধের শক্তিও বাড়ায়!! দুধের মধ্যে মিশালে দুধের শক্তি বেড়ে যায়!!
তাও ভাল যে বলে নাই, দুধ খাওয়ার কি দরকার, হরলিক্স খাওালেই তো হয়!
😀
@সাঈদ আনোয়ার অনুজ, খোদ হরলিকসের লেভেলের ভাষ্য অনুসারে পুরো হরলিকস বোতলটা কেবলমাত্র ৬-৭ বছরের একটা বাচ্চার একদিনের শক্তি যোগাতে পারে এবং এর জন্য তাকে খরচ করতে হচ্ছে ৩১৫ টাকা !!!! সুতরাং শক্তির উৎস হিসেবে হরলিকস যে জঘন্য সে সিদ্ধান্ত নিতে নিশ্চয় পাঠকের কষ্ট হচ্ছে না। যে নিজে শক্তির উৎস হিসেবে নিম্নমানের সে দুধের কি এমন শক্তি বাড়াবে?
১০০ গ্রাম হরলিকস আধা লিটার দুধের সমান শক্তি যোগায়,কিন্তু সেই ১০০ গ্রাম হরলিকস কিনতে দাম পড়বে দ্বিগুণের ও বেশি!! এখন শক্তির উৎস হিসেবে কে বেশি efficient তা আপনার সিধান্ত। আর দুধে প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম তো আছেই।
বাকিটুকু সিদ্ধান্ত আপনার
@সাঈদ আনোয়ার অনুজ, দুধে হরলিকস মেশালেই যদি দুধের শক্তি বেড়ে যায় তাহলে আর কষ্ট করে দুধে হরলিকস মেশানোর কি দরকার?গরুকে হরলিকস খাওয়ালেই হয় !!!
@অমিতাভ, কষ্ট করে গরুকে খাওয়ানোর কি দরকার?
ঘাসের উপর সার হিসেবে হরলিকস ছিটিয়ে দিলেই হয় !!!
গরু নিজেই খেয়ে নেবে !
লিখাটি খুবই ভাল হয়েছে এবং এই লিখা প্রতিটি মায়ের জন্য জানা অত্যন্ত জরুরী ।
জরুরী পোস্ট, শেয়ার দিচ্ছি। শুধু একটি আপত্তিঃ ফিমার স্বাস্থ্য নিয়ে মন্তব্যটা ভারি চোখে লাগল। আমাদের দেশে মেয়েরা এখনো পশ্চিমাদের মত এত বডি ইমেজ ইস্যুতে ভোগে না, কিন্তু প্রবণতাটা তৈরী হয়েছে ও দিন দিন বাড়ছে। এটাকে গোড়াতেই দমন করা দরকার।
খাবারের পুষ্টিগুণ নিয়ে আমরা আসলেই অসচেতন। আমার ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের দেখি চিনিদেওয়া কোলা, লবণদেওয়া চিপস, প্রসেসড প্যাকেটজাত খাবারের প্রতি একটা রীতিমত আগ্রহ কাজ করে, এগুলির আসল চরিত্র নিয়ে কিছু বলতে চাইলে কানেই নিতে চায় না। আশা রাখি এধরণের আরো লেখার মাধ্যমে তাদের ভুলগুলি আস্তে আস্তে ধরিয়ে দিতে সাহায্য করবেন।
@শালিখ, শুধু ফিমার স্বাস্থ্য নিয়ে মন্তব্যটাই আপনার চোখে পড়ল? অথচ একজন নারী ও একজন মা হয়ে ফিমা যে সারা দেশের সব মায়েদেরকে প্রতারিত করছে সেটা আপনার নজরে পড়ল না ??
সম্ভবত আপনি হরলিকসের নতুন বিজ্ঞাপনটি (আমার লেখাটি প্রকাশের পর বের হয়েছে বিজ্ঞাপনটী) দেখেন নি। সে বিজ্ঞাপনটি এরকম : এক মা বাজারে গিয়েছেন মাছ ও পালং শাক কিনতে। তাকে ফিমা বলছেন পালং শাক কেনার কি দরকার? ২ গ্লাস হরলিকসে আছে ৬৬৬ গ্রাম ইলিশ মাছের সমান আয়রন ও ৬৬০ পালং শাকের সমান ভিটামিন বি-২। আর তা শুনে সেই মা মাছ বা পালং শাকের কোনটাই না কিনে হরলিকস কিনে বাড়ি ফিরলেন ! ! !
টাকার বিনিময়ে এভাবেই “সচেতন মায়ের রূপে”(!!) হরলিকসের বিজ্ঞাপনে বারবার আবির্ভূত হচ্ছেন মডেল ফিমা।
আমার মন্তব্যটা কে নেগেটিভলি নেবার কোন মানে হয় না। আমার মন্তব্যটা যদি ‘মেয়েদের বডি ইমেজ’ ইস্যু সংক্রান্ত হত তাহলে মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ এই লেখা প্রকাশই করতো না। আমি শুধু এটাই বোঝাতে চেয়েছি হরলিকস কতটুকু effective কিনা তা মডেল ফিমা নিজেই হরলিকস লাইট খেয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারতেন।
@সুদীপ্ত দেবনাথ, হ্যাঁ ঐ প্রতারণাটা নিয়েই বেশি করে লিখুন। ফিগারটা এখানে অপ্রাসঙ্গিক। আপনি হয়ত নেগেটিভ দিকটা সম্পর্কে লেখার সময় সচেতন ছিলেন না, কিন্তু নেগেটিভ একটি দিক আছে। সমাজব্যাপী এধরণের অসচেতন মন্তব্যমালা থেকেই বডি ইমেজ সংক্রান্ত হীনন্মন্যতা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। কাজেই ফিমা মোটা/শুকনা কি না, সে আলাপের চেয়ে বরং তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসা মিথ্যাগুলি নিয়ে লিখুন।
আপনার লেখা থেকে অন্য একটি সূত্র ধরে উইকিসোর্স এ মুনীর হাসানের এই লেখাটিও পড়লাম http://tinyurl.com/8lfnpj6
ভবিষ্যতে ‘কোক-চিপস’ কালচার নিয়ে কিছু লিখবে আশা করি।
@শালিখ,এই জনগুরুত্বপূর্ণ পোষ্টটি সম্পূর্ণই হরলিকসের প্রতারণাময় বিজ্ঞাপন নিয়ে যে বিজ্ঞাপনগুলো মানুষকে ভুল মেসেজ দিয়ে আসছে। একজন পাঠক হিসেবে আমি তাই মনে করি। সম্ভবত আপনি ‘হরলিকস লাইট’-র বিজ্ঞাপন দেখেননি, যে বিজ্ঞাপনে এমন্টাই দেখানো হয় একজন মোটা মহিলা হরলিকস লাইট খেয়ে দুই সপ্তাহে চিকন হয়ে গিয়েছে এবং একটি পারিবারিক পার্টিতে নাচ করছে!!! এ ধরনের বিজ্ঞাপন কি বডি ইমেজ ইস্যু তৈরি করে না? কই, আপনি তো হরলিকস লাইটের এ বিজ্ঞাপনটির বিরুদ্ধে একটিবার ধিক্কার ও দিলেন না? বরং লেখকের ঐ লাইনটি হরলিকসের প্রতারণার বিরুদ্ধে একটি শক্ত জবাব। সত্যিই যদি হরলিকস সবাইকে টলার,স্ট্রংগার,শার্পার বানাতো, তাহলে হরলিকস লাইট খেয়ে ফিমাও চিকন হয়ে যেত এবং গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন ফিমাকেই হরলিকস লাইটের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে ব্যবহার করতো।
@ইসরাত, হ্যাঁ, অবশ্যই হরলিকসের বিজ্ঞাপনটি বডি ইমেজ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে (এই ব্যাপারটা বাংলাদেশে আশংকাজনক ভাবে ছড়িয়ে পড়ায় মিডিয়ার ভূমিকা বিশাল)।
পুষ্টিগুণের ব্যাপারে হরলিকসের বিজ্ঞাপণের সাথে এই লেখাটি সম্পূর্ণ বিপ্রতীপ হলেও, বডি ইমেজ ইস্যুতে দুটিই একই দলে। দুদলই মনে করছে মডেলের (এবং নারীর) স্বাভাবিক (অর্থাৎ মডেল-স্বরূপ নয়) এর চেয়ে সূক্ষ্ণ ফিগার কাম্য। ফিমার মোটাসোটা হওয়াটাকে এমনভাবে দেখা হয়েছে যে, ‘মোটাসোটা’ হবার বা দেখাবার বিষয়ে একটি প্রেজুডিস বিজ্ঞাপণেও চোখে পড়ে, বিজ্ঞাপণের সমালোচনাতেও চোখে পড়ে, যদিও আসলে কি না দুইয়েরই প্রতিপাদ্য বিষয় হওয়া উচিৎ ছিল হরলিকসের খাদ্যমান।
আপাতদৃষ্টিতে এটিকে খুবই ছোট ব্যাপার মনে হলেও, বডি ইমেজ ইস্যু যে কীরকম ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে (সাধারণত ছোটছোট আচরণের মাধ্যমেই এটি ছড়ায়) তা আমরা পশ্চিমা বিশ্বে ইতিমধ্যে দেখছি।
তবে আমি মনে করি লেখকের ভূমিকাটি এখানে অনিচ্ছাকৃত। এই ইস্যুটি এমন একটি ইস্যু যা নিয়ে এদেশের সচেতন মানুষরাও ইদানিং মাত্র ভাবতে শুরু করেছেন।
@ইসরাত, আরেকটি কথা, আমার দুটি মন্তব্যেই আমি পোস্টটির গুরুত্ব স্বীকার করেছি এবং লেখককে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তারপরই কিন্তু আমার ছোট্ট আপত্তিটির কথা উল্লেখ করেছি।
@শালিখ,তাহলে তো বলতে হবে হরলিকস এদেশে প্রতারণার ব্যবসার সাথে সাথে বডি ইমেজ ইস্যুও তৈরি করছে !! কাজেই আপত্তি জানাতে হলে আগে হরলিকসের বিজ্ঞাপনের উপর আপত্তি জানানো উচিত।
আর একটি প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়,হরলিকসের সব বিজ্ঞাপনে সচেতন মা-রূপে ফিমাকে ব্যবহার করা হলেও হরলিকস লাইটের বিজ্ঞাপনে কেন ফিমাকে দেখানো হয় না ?
ধন্যবাদ, এই গুরুত্বপূর্ণ লেখার জন্য।
@নুর ফয়জুর রেজা, ধন্যবাদ
লেখাটায় আগে মন্তব্য করা হয়নি সময়াভাবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এ ধরণের প্রতারণার ব্যবচ্ছেদ করে আরো লেখা লিখুন।
@অভিজিৎ দাদা, কোন সন্দেহ নেই ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হরলিকস এ দেশের মানুষকে এভাবেই প্রতারিত করে আসছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আর এখনতো হরলিকস তাদের বিজ্ঞাপনে স্বাভাবিক খাবার গ্রহণের পরিবর্তে হরলিকস খেতে উৎসাহিত করছে।
আপনার উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ। অবশ্যই এ ধরনের আরো প্রতারণার ব্যবচ্ছেদ আমার কলমে
@অভিজিৎ দাদা, *অবশ্যই এ ধরনের আরো প্রতারণার ব্যবচ্ছেদ হবে আমার কলমে ।
এরকম আরও অনেক প্রতারণার বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক লেখা প্রত্যাশা করছি, শুধুমাত্র এই লেখক এর কাছে নয়- আপনিও আপনার দৃষ্টিতে যেসকল প্রতারণার বিষয় দেখছেন তা ব্লগে প্রকাশ করলে কৃতঞ্জ থাকবো। প্রিয় পাঠক আপনাকেই বলছি।
@ভক্ত, আমি এরকম আরও ২-৩ টি লেখা লিখবার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি…কিছুটা সময় লাগবে
তবে আপনার প্রত্যাশা পূরণে খুব বেশি সময় নেব না আশা করছি
এরকম একটি ভালো লেখার জন্য মুক্তমনা ও লেখককে অভিনন্দন!
@রুদ্র তারেক, আপনাকে ধন্যবাদ
জটিল পোস্ট।
* অনুমতি না নিয়ে পোস্ট ছাপানো চুরি আর অন্যের লেখা নিজের নামে ছাপানো তো আরও বড় চুরি। বাঙালী এটা বুঝবে কবে?
@সবুজ পাহাড়ের রাজা, আমি তো এই তথ্যগুলো সবাইকে জানানোর উদ্দেশ্যে আমার ফেসবুক নোটটি পাবলিক রেখেছিলাম। কেউ কেউ অনুমতি নেয়া তো দূরের কথা,আমার নামটা পর্যন্ত উল্লেখ করে নি,বরং নিজের নাম দিয়ে লেখা চালিয়ে দিয়েছে
মিথ্যা দাশবার বালতে বলতে এক সময় সত্যএর মতো মনে হয়। আর সেই মিথ্যা যদি উর্বর মস্তিক থেকে বেড় হয় তাহলে তো কথাই নেই !!!
@আমিনুল, ঠিকই বলেছেন,২০ বছর ধরে হরলিকসের গুণাগুণ শুনতে শুনতে আমরা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি,সেগুলোর সত্যতা যাচাই করার প্রয়োজন টুকু ও বোধ করি না
লেখকের কৈফিয়তের ভিত্তিতে এবং পোস্টটির গুরুত্ব বিবেচনায় লেখাটিকে পুনরায় প্রথম পাতায় নিয়ে আসা হল।
@মুক্তমনা এডমিন, আপনার আপনার আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ। এই তথ্যগুলো সাধারণ মানুষকে জানানোর গুরুত্বটি বিবেচনায় এনেছেন বলে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ।
লেখাটা আসলেই ভাল ,তথ্য বহুল ও জন-সচেতনা সমৃদ্ধ , এ ধরনের একটা নিবন্ধ অন্য একটা ব্লগে ছাপা হয়েছিল বলে প্রথম পৃষ্ঠা থেকে সরানোটা কতটা যুক্তি যুক্ত হয়েছে সেটা বিবেচনার জন্য এডমিনদের প্রতি অনুরোধ রইল। মুক্ত মনা ব্লগের উদ্দেশ্যই যদি হয় মানুষকে সচেতন করা , তাহলে বিশেষ বিশেষ নিবন্ধ যা বিশেষ জনগুরুত্ব সম্পন্ন তা প্রথম পাতা থেকে না সরানোর জন্য অনুরোধ রইল।
@ভবঘুরে, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এই ব্যাপারে আমি আমার অবস্থান ইতিমধ্যে তুলে ধরেছি।
http://www.bdscienceclub.com/bsc/2532- এই ওয়েবসাইটে তো এডমিন নিজের ক্রেডিটে লেখাটি ছাপিয়ে দিয়েছেন!!!
আমার অনুমতি নেয়া তো দূরের কথা, আপনার নাম টা পর্যন্ত দেয়া হয়নি। নিজের নাম দিয়ে এই লেখা চালিয়ে দিয়েছেন ঐ ওয়েবাসাইটের এডমিন!!
@সুদীপ্ত দেবনাথ,
চমৎকার পোস্টটির জন্য অভিনন্দন!
http://www.bdscienceclub.com/bsc/2532- এই সাইটটাতে এখন চেক করে দেখলাম। মনে হয়, লেখাটা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে বলতে হবে।
@সফ্টডক, না, লেখাটি এখনো সরানো হয় নি । আমি এর আগে দুইবার প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। তারপর তারা লেখকের নাম থেকে”এডমিন” সরিয়ে ফেলে। এখন আবার নতুন করে লেখকের নাম ‘অচেনা পথিক’ দিয়ে লেখাটি প্রকাশ করেছে (আর সাথে URL টা একটু পরিবর্তন করেছে)। আজকে সকালেই দুইবার কমেন্ট করে প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু তারা কমেন্টও ডিলিট করে দিচ্ছে।
http://www.bdscienceclub.com/bsc/2532
@ভবঘুরে, আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।মুক্ত মনা ব্লগের উদ্দেশ্যই যদি হয় মানুষকে সচেতন করা , তাহলে বিশেষ বিশেষ নিবন্ধ যা বিশেষ জনগুরুত্ব সম্পন্ন তা প্রথম পাতা থেকে না সরানোর জন্য অনুরোধ করছি।
@হোরাস,
Thank you for sharing such information. But these news increase are frustration. Where and how are we living.
প্রথমবার বলে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করা হল। পরবর্তিতে ইংরেজি কিংবা বাংরেজিতে করা মন্তব্য ছাড় পাবে না।
মুক্তমনা মডারেটর।
@সেলিম, আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। বরং এ ধরনের লেখাগুলো আমাদের সবাইকে সচেতন করে।
আমরা সচেতন থাকলে,আমরা আমাদের চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগালে তো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো আমাদের প্রতারিত করতে পারবে না।
এই লেখা পড়ে আপনি এমন কিছু তথ্য পেলেন যার ভিত্তিতে আপনি গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পারবেন। আমার এই লেখা সেই প্রতিবাদের প্ল্যাটফরম হিসেবে কাজ করবে
লেখাটি পূর্বে অন্য ব্লগে প্রকাশিত হওয়ায় মুক্তমনা নীতিমালা ২.১৬ অনুসারে প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হলো।
@মুক্তমনা এডমিন, আমি সুদীপ্ত দেব নাথ,এই লেখার লেখক।লেখাটি প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।লেখাটিতে আমার নাম সংশোধন করে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব
@সুদীপ্ত দেব নাথ,
অনিচ্ছাকৃত ভুলে জন্য দুঃখিত।
ঠিক করে দেয়া হল।
ভবিষ্যতে আরো লিখুন। 🙂
@মুক্তমনা এডমিন, আপনার এই মন্তব্যটি দেখার পর আমি গুগলে “প্রতারণার ডোজ…রোজ রোজ” লিখে সার্চ দেই,তারপরই এ ব্যাপারটি লক্ষ্য করি। এ বিষয়ে আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরছিঃ
লেখাটি আমি আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করি ৭জুলাই (লেখাটির লিংকঃ http://www.facebook.com/notes/sudipta-deb-nath/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A1%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9C-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9C/478410582173885)।
লেখাটির নিরাপত্তাতে “পাবলিক” দেয়ার কারণে যে কেউ এই লেখাটি পড়তে/কপি করতে পারে।
আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি যে আমি নিজে অন্য কোন ব্লগে মেইল করে এই লেখা পাঠাইনি। এমনকি মুক্তমঞ্চ থেকেও আমার কাছে এই লেখা প্রকাশের অনুমতি চাওয়া হয়নি
আমরা সবাই অবশ্যি “মুক্তমনা”-র নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকব। আমি কখনোই এমন দাবি করছি না যে এই লেখাটি প্রথম পাতাতে থাকতেই হবে।তবে এই ব্যাপারে আমার অবস্থান এটাই,লেখাটি আমি প্রথমে আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করি, তার কিছুদিন পরে আমি লেখাটি মেইল করে মুক্তমনাতে পাঠাই
@মুক্তমনা এডমিন,এই লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ এবং পাঠের দাবিদার। কিন্তু আমার মতে, কিছু অংশে ভাষাভঙ্গি ও চিন্তাপ্রকাশে মিল থাকাতে, মুনীর হাসানের এই লেখাটির (http://tinyurl.com/8lfnpj6) কৃতজ্ঞতা লেখার শেষে যোগ করাটা উচিত হবে।
ধন্যবাদ।
@শালিখ, আপনার দেয়া লিংক থেকে মুনীর হাসানের লেখাটিও পড়ে দেখলাম। কিন্তু এ লেখাটির মতো মুনীর হাসানের লেখাটি এতখানি তথ্য ও ব্যাখ্যা-সমৃদ্ধ নয়। আর তাছাড়া মুনীর হাসানের লেখাটিতে তথ্যসূত্র বা রেফারেন্স দেওয়া হয়নি যেটি এ লেখার প্রায় সবগুলো তথ্যের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুনীর হাসানের লেখাটিতে হরলিকসের দাম ১২২ টাকা বলে উল্লেখ করা হলেও বাজারে হরলিকসের প্রকৃত দাম ৩১৫ টাকা। ছক-১ এ থাকা তথ্যগুলোও স্পষ্ট নয়। এ লেখাটিতে হরলিকসের প্রতিটি বিজ্ঞাপনে লুকিয়ে থাকা প্রতারণাকে তুলে ধরা হয়েছে,অন্যদিকে মুনীর হাসান তার লেখাটিতে শুধু ডাক্তারদের গালমন্দই করেছেন।
একটি প্রতারণার বিরুদ্ধে দুইজন ভিন্ন মানুষের চিন্তা একই/কাছাকাছি হতেই পারে,তবে তথ্য ও ব্যাখ্যা-সমৃদ্ধলেখা হিসেবে এ লেখাটি যেমন স্বকীয়,ভুয়া বিজ্ঞাপনের মুখোশ উন্মোচনে এ লেখাটি তেমনই প্রয়োজনীয়।
চমৎকার আর সময় উপযোগী একটি লিখা। আজকাল মায়েরা শিক্ষিত হওয়ার পরও একবার ভেবে দেখে না কতটুক সত্য এইসব গাজাখুরি এড !!
আমি অবশ্য আমাদের বাসায় অনেক আগেই আমার ভাতিজার জন্য এগুলো ব্যান করে দিছিলাম।
(F) (Y) (B)
@অগ্নি, ধন্যবাদ
লেখাটার জন্য প্রচন্ড ধন্যবাদ।আমি নিজে কিছু বললে তো আমার উচ্চশিক্ষিত বাপ-মায় বুঝে না।দেখি আপনার লেখাটা পড়াই।
@সাদিয়া, ধন্যবাদ
(Y)
@ভক্ত, 🙂
প্রতিদিন কতকিছু দেখছি আর পড়ছি। কিছু বুঝি, কিছু বুঝি না। না বুঝলে মেনে নেয়া কঠিন।
সমস্যা হলো ‘কেন মেনে নিতে পারি না’ যুক্তির অভাবে যুক্তির অভাবে ওই কথাটি বলতে না পারা।
এরকম একটি বিষয় হলো হরলিক্স-এর বোম্বাস্টিক বিজ্ঞাপনটি। এই লেখার পর অন্তত বলতে পারবো, কেন মেনে নিতে পারি না। তাই লেখককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
@মাঈনউদ্দিন আজিজ, আমরা তখনই একটা তথ্য/একটা কথাকে সত্য বলে বলে মেনে নিব যখন তার পেছনে শক্তিশালী প্রমাণ/যুক্তি খুঁজে পাব।আর তাই আমি এই লেখার সব তথ্যের সাথে তার রেফারেন্স দিয়ে দিয়েছি।
যুক্তিবোধের প্রতি আপনার শ্রদ্ধা দেখে ভালো লাগল
চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছে। সত্যি বলতে কি বাচ্চাদের বেড়ে ওঠানোর লোভ দেখিয়ে বাজারজাতকৃত এই পন্যটির আসল পুষ্টিগুন নিয়ে আমার প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিলো। এটা নিয়ে কিছু একটা লেখব ঠিক করেছিলাম।আপনার লেখায় আমার প্রতিটা বক্তব্য এত সহজ ও প্রাঞ্জল ভাবে পেয়েছি, যে আপাততঃ আর এ বিষয় নিয়ে লেখার প্রয়জনবোধ করছিনা। সত্যি বলতে কি লিখতে গেলে আমিও হয়ত এত সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারতামনা।তাই লেখককে (W) ।
বাজারে প্রাপ্ত এরকম আরেকটি পন্য কমপ্লায়েন এর বিজ্ঞাপন্তো আরেক কাঠি সরেস।কিশোর বয়সে অনেক বাচ্চার মনে বেড়ে অঠা নিয়ে যে দুশ্চিন্তা বা আবেগ থাকে সেটাকে পুজি করেই তাদের বিজ্ঞাপন।মিথ্যা পরিসঙ্খ্যানের মারপ্যাচে কোমল মতি বাচ্চা গুলোকে এমনকি বাচ্চার বাবা মাকে ও বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে এটা খেলে বাচ্চা বেড়ে উঠবে তিন গুন পর্যন্ত!!!!!!!!!!
আরেকটা অনুরোধঃ বাচ্চাদের জুস,চিপস এবং চকলেটের বিজ্ঞাপনের নামে যে অবাধ শৈল্পিক মিথ্যাচার চলে আমাদের চ্যানেল গুলোতে তাঁর ব্যাপারে একটি লেখা আশা করছি।কোন কোন মিল্কি চকলেটের বিজ্ঞাপনেতো পারলে পুরো গরুটাকে চকলেটের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, কোথাও আবার মিল্ক বিস্কিটের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় বিস্কিট তৈরি হওার সময় সব দুধ শুকিয়ে যাচ্ছে।আদৌ কি এগুলতে দুধ ও দুধের কিছু পাওয়া যায়????
আমার জন্ম নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে । আমার চারপাশের বেশীর ভাগ পরিবারেই দেখেছি দুর্মূল্যের বাজারে ভাতের পাশাপাশি মাছের ব্যবস্থা করাই কঠিন,সেখানে বাড়তী টাকা দিয়েবাচ্চাটাকে এগুলো কিনে দেওয়া লাগে শুধু ওদের অবুঝ মুখে একটু হাসি ফোটানোর লক্ষে। সেখানেও যদি মুন্যতম পুষ্টির বদলে থাকে এত বড় প্রতারনা তাহলে আর কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলি।পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তো তেমন কিছুই করতে পারলাম না, এই সচেতনতার মিছিলে যোগ দিয়ে অন্ততঃ নিজেকেতো স্বান্তনা দেওয়া যাবে।
@ছন্নছাড়া, আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা রইল। আমি কিন্তু এই লেখাতে কমপ্ল্যানের কথাও তুলে এনেছি। কমপ্ল্যানে কি কি পুষ্টিগুণ আছে সেটা প্রথম ছবিতে দিয়েছি।
এরকম আরও কিছু বিষয়ে আমি তথ্য খোঁজা শুরু করেছি। ভবিষ্যতে এরকম আরও ২/৩ লেখা লিখবার ইচ্ছা আছে আমার। আপনার দেয়া আইডিয়া তা মাথায় রইল।
ইংল্যান্ডে এনটিভিতে হরলিক্স এবং ম্যাগী নুডোলসের এড ডেখহানওর পর ইংল্যান্ডের Food Standards Agency (FSA) and the Advertising Standards Authority (ASA) তদন্ত করে রায় দিয়েছে দুটা বিজ্ঞাপণের একটাও ইউরোপের রেগুলেশন পাশ করার মত না এবং দুই কোম্পানী Nestle and GlaxoSmithKline কে আদেশ দিয়েছে যেন আর কক্ষনও বিজ্ঞাপণ দুটি ইংল্যান্ডে দেখানো না হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে Nestle এবং GlaxoSmithKline বলছে তাদের অজান্তেই তাদের সম্মতি ছাড়া বিজ্ঞাপণ দুটি দেখানো হয়েছে।
তবে….. তবে তারা এও বলছে যে বিজ্ঞাপণদুটি বাংলাদশে প্রচারের লিগ্যাল রিকায়ারমেন্ট পাশ করেছে। আর এই বিজ্ঞাপণ দুটি বানানোই হয়েছে বাংলাদেশে প্ররচারের জন্য।
এখন প্রশ্ন হলো এগুলো বাংলাদেশের রেগুলেশন পাশ করল কিভাবে? রেগুলেশনে আসলে কি আছে? এটা অক্টোবর ২০০৮ এর নিউজ। বাংলাদেশ সরকারের গত চার বছরেও কোন টনক নড়েনি। ভয়াবহ অবস্হা।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল – ইংল্যান্ড: Row over ad for Horlicks ‘that makes children tall’
@হোরাস, সত্যি সত্যি ভয়াবহ অবস্থা। আপনাকে আরও একটা তথ্য জানাই, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতারণার দায়ে তিন বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিয়েছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=Food&pub_no=932&cat_id=1&menu_id=0&news_type_id=3&news_id=267019&archiev=yes&arch_date=03-07-2012#.UGRgyVJKaS0)।
হরলিকস তো ২০ বছরের ও বেশি সময় ধরে এদেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করছে।সে জন্যই তো এ ধরনের প্রথম লেখালেখিতে আমার প্রথম বিষয় “হরলিকস”।
এদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি এতটাই সত্যনিষ্ঠ হয়,তাহলে হরলিকস কেমন করে ২০ বছর ধরে প্রতারণা করে?
আপনার দেয়া তথ্যগুলোর জন্য ধন্যবাদ
এখানে এভাবে জপ করলে লাভ হবেনা। এসব হেলথ!! ড্রিংক যারা কেনে তাদের প্রায় ৯৮ শতাংশই শিক্ষিত। তারা খুব ভালো ভাবেই জানে হরলিক্সে কি আছে আর বিজ্ঞাপন কি বলে। তাও তারা তা তাদের বাচ্চাদের খাওয়ায় যেমন তারা খাওয়ায় ম্যাঙ্গো জুসের নামে পাম্পকিন জুস। আবার নিজেরা খায় কোক-পেপসি কিংবা কনডেন্সড “মিল্ক” পান করে সব জেনেই!। তবে আর যাই হোক এসব মদ-ভদকা-হুইস্কি-সিগারেট-গাজা কিংবা ফেন্সিডিল-হিরোইন-ইয়াবা হতে তো ভালো। সব জেনেশুনে অনেকে এসবও খায়।
আমাদের নিজেদের আগে সচেতন হতে হবে। ইন্টারনেটের যুগে তথ্য পাওয়া কোন ব্যাপারই না। শুধু নিজেদের ঠিক হতে হবে সবার আগে। 🙂 🙂