ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়।
এ ধরণের ছবি কিছু দিন পর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক ভাবে শেয়ার হয়। দেখা যায়, সবাই আলহামদুলিল্লাহ, সুবানাল্লাহ বলছে কিন্তু সেটা নিয়ে একটু সন্দেহ পোষণ কেউই করছে না। যদি ভাবেন এদের সবাই অশিক্ষিত তবে ভুল করবেন তা বলাই বাহুল্য। ইন্টারনেটের প্রসারের সাথে সাথে আমরা স্বপ্ন দেখেছি ধীরে ধীরে মানুষ কুসংস্কার মুক্ত হবে, মুক্ত চিন্তার দিকে অগ্রসর হবে, কিন্তু এগুলো হচ্ছে কী? (ক্লিক করে দেখুন)
২০০৯ সালে এই গল্পটি ছড়িয়ে পড়ে। আলি ইয়াকুভব নামক এক রাশিয়ান শিশুর গায়ে জন্মের পর পরই ‘আল্লাহ’ শব্দটি ভেসে উঠে। তারপর শিশুটির দেহের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল কোরানের আয়াত। একটি আয়াত মুছে গেলে পরে আরেকটি আয়াত ফুটে উঠে। ইমান থাকলে যেহেতু ঘিলুর প্রয়োজন থাকে না তাই মুমিন-মুসলমানরা গণহারে একে বিশ্বাস করে বসলো। আর যারা ইমানের ঠেলায় বসে থাকতে পারলো না তারা অদ্যবধি তা প্রচার করে যাচ্ছে। দেখেন নিচের ভিডিওটি
লক্ষ্য করুন ভিডিওটি ৪,৩৮০০০ এরও বেশি দেখা হয়েছে। আরেক পাকিস্তানি মোল্লার একই ধরণের মিরাকল দাবি দেখেন
ঘটনাটি কতটুকু সত্যি আর কতটুকু মিথ্যা তা একটু মাথা খাটালেই বোঝা সম্ভব। এ ধরণের অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়ে যদি আল্লাহর মানুষকে হেদায়াত করার ইচ্ছা থাকত তবে তিনি নিশ্চয় এ থেকে উত্তম কোনো পদ্ধতি বেছে নিতে পারতেন। তার প্রয়োজন হত না এমন কিছুর যা নিয়ে আনায়াসে সন্দেহ পোষণ করা যায়। আর তার দেহে ফুটে উঠা একটি আয়াত হচ্ছে, “আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও” অর্থাৎ শুধু কোরান পাঠিয়ে, রসুল পাঠিয়ে আল্লাহ ক্ষান্ত হোন নি, মানুষের কৃতজ্ঞতা পাওয়ার খায়েস তার সীমাহীন এবং তা এতই জঘন্য যে এজন্য একটা শিশুর চামড়ায় তা লিখে দেওয়ার মত উদ্ভট কাণ্ডও ঘটান।
সে যাই হোক, এ ধরণের ঘটনা ঘটানো কিন্তু সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন কিছু কেমিক্যাল যেগুলোর প্রতি চামড়া স্পর্শকাতর। এসব দ্রব্য দিয়ে পেস্ট বানিয়ে তা দিয়ে চামড়ায় যা লিখবেন তা ভেসে উঠবে কারণ এসব জায়গায় চামড়া ফুলে যায়।
কিন্তু কাজটা সবচেয়ে সহজ হয়ে যাবে যদি কারো Dermatographic Urticaria নামক চর্মরোগ থাকে (উইকি থেকে জানুন)। জনসংখ্যার ৪ থেকে ৫ ভাগের এই সমস্যা থাকে। আমার পরিচিত একজনের এ সমস্যাটি ছিল। তাকে তার শিক্ষক একবার চপেটাঘাত করলে তার গালে হাতের আঙ্গুলের ছাপ পরিষ্কার ফুটে উঠল । ঐ শিক্ষক বেশ বিপদে পড়েছিলেন। ওর শরীরে কালিবিহীন কলম বা এরকম সুচালো কিছু দিয়ে আঁকিবুঁকি করলে একটু পরেই তা ফুলে গিয়ে রেখাগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠে। নিচের ছবিগুলো দেখুন। সবগুলোই Dermatographic Urticaria এর ফল।
এই ভিডিও দেখতে পারেন
অর্থাৎ শিশুটির দেহে যে রেখাটি ফুটে উঠেছিল তা কৃত্রিম উপায়ে করা হয়েছে। হয়ত সচেতনভাবে ধোঁকা দেয়া হয়েছে অথবা কেউ পবিত্র মনে করে বা ভিন্ন কোনো কারণে শিশুটির গায়ে বিশেষ কোনো উপায়ে তা লেখেছে। ফটোসপের কারসাজি কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন নাইবা তোললাম, যদিও ধর্মবিশ্বাসীরা শূণ্যে দূর্গ নির্মাণের ক্ষমতা রাখে।
এছাড়া কিছু বিষয় এখানে প্রণিধানযোগ্য-
১।
মানুষের দেহ কখনো পাক কখনো নাপাক থাকে। আর কোরান এমনকি ওজু ছাড়াও স্পর্শ করা নিষেধ। শিশুটি স্বাভাবিকভাবেই মল-মূত্রে গা ভেজাবে। তার যে পায়ে বা হাতে কোরানের আয়াত ফুটে উঠেছে তা নাপাক দ্রব্যে ভিজে যেতে পারে। তাহলে একজন মানুষের দেহে বা শিশুর দেহে ঐ অলৌকিক কান্ড ঘটার কোনো কারণই নেই। এছাড়া শিশুটির মা-বাবাও খুব একটা ধার্মিক ছিল না।
২।
কোরানের আয়াতের লেখন প্রণালি মানুষ নিয়ন্ত্রিত। আসলে একটি ভাষার সব কিছুই মানুষ নিয়ন্ত্রিত। সময়ের সাথে যেকোনো ভাষা পরিবর্তিত হয়, এর বাক্য ও শব্দের অর্থ বদলায়। তাই কোনো একটি ভাষায় চিরকালের জন্য মানুষের জীবনবিধান কোনো বোধ সম্পন্ন সত্তা হতে আসতে পারে না। এ বিতর্ক আপাতত রেখেও বলতে পারি, অন্তত কোনো ভাষা লেখার নিয়ম মানুষ নিজে নিয়ন্ত্রণ করে। কোন বর্ণ কিভাবে লেখবে সেটা সম্পূর্ণই তার ইচ্ছাধীন। ইসলাম মতে, কোরান মুখে মুখে নাজিল হয়েছে। কোরান নাজিলের সময় হরকতের ব্যবহার ছিল না। এটি কষ্টকল্পনা ছাড়া কিছুই নয় যে, কোরানের বাণী লেখার জন্য কোনো সর্বশক্তিমান সত্ত্বা মানুষের তৈরি করা নিয়ম অনুসরণ করবেন।
৩।
যা আগেই বলেছি, আল্লাহর যদি ইচ্ছা থাকত মিরাকল দেখিয়ে মানুষকে দ্বীনের পথে আনার তবে এ থেকে অনেক উত্তম মিরাকল যা সম্পূর্ণই অখণ্ডনীয় এরকম মিরাকল তিনি দেখাতে পারতেই ইচ্ছা করলেই কারণ ধর্মমতে তিনি সর্বশক্তিমান। এরকম হাস্যকর মিরাকল দেখিয়ে বেড়ানো তার জন্য শোভনীয় নয়।
৪।
লেখাগুলো মুছে যায় কেন? এটি Dermatographic Urticaria এর সম্ভাবনাকেই জোরদার করে।
৫।
সেই ২০০৯ এ প্রচারিত গুজব আজও চলছে। কিন্তু এ শিশুটি বর্তমানে কী করছে, এখনো কি তার শরীরে কোরানের আয়াত দেখা যায় তা কেউ বলতে পারে না।
পরিশেষে আরেকটি মজার খবর দেই। এই শিশুটির গায়ে কোনো আয়াত ফুটে উঠে নি, বরং তার চেয়ে মারাত্মক এক মিরাকল ঘটেছিল। অনুমান করতে পারবেন সেটা কি? নাইজেরিয়ার এই শিশুটি জন্মের সময় পুরো একটি কোরান সাথে নিয়ে জন্মেছে।
মানুষ বড়ই আজব প্রাণি, তারা প্রতারিত হয়ে তৃপ্তি পায় ।
(Y) একদিন বাসায় ফিরে শুনি পাশের বস্তিতে নাকি একটা শয়তানের বাচ্চা হইছে। তো আগ্রহ মিটাতে আম্মা আর আমি গেলাম দেখতে। গিয়াতো দেখি বিশাল জনতা হাজির । এইসবই কিয়ামতের আলামত…দজ্জাল আসন্ন…আল্লা খোদার নাম জপ চলতাছে…।উঠানে এক বেগুনি রং এর নবজাতককে কড়া রোদে ফেলে রাখা হয়েছে আর জনতা ভেলকি দেখছে।তাড়াতাড়ি বাচ্চাটাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্হা করে বাসায় ফিরি।আসল ঘটনা হল গভকালীন জটিলতার কারনে ৭-৮ মাসেই শিশুটির জন্ম হওয়ায় চামড়া , চোখ তখনও পুরোপুরি গঠিত হয়নি। সারা গায়ে পটাশ মাখিয়ে রাখার ফলে বাচ্চাটাকে বেগুনি দেখাচ্ছিল।
আমরা আসলেই ভোদাই…….কান নিয়েছে চিলে শুনে কানে হাত না দিয়ে চিলের পিছে ছুটি।
হাহা।।সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে লেখাটা পড়ে অনেক মজা পেলাম। (Y)
লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
বিশ্ব
এই ধর্মগুলো যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন এসব মিরাকল খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে সেই দিন বেশিদুরে নেই যেদিন থাকবে না কোন কুসংস্কার, থাকবে না কোন ধর্ম, থাকবে না কোন মিরাকল। হয়ত বা আমাদের জীবদ্দশায় তা দেখতে পাব।
ব্যপক বিনোদন পেলাম।
…………”জন্মের সময় পুরো একটি কোরান সাথে নিয়ে জন্মেছে”…………
হাসতে হাসতে পেটে ব্যাথা হয়ে গিয়েছে।
লেখককে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক আগে কই জানি পড়ছিলাম চামরার অসুখটার কথা।
মায়ের প্যাট থিকা জিলানি সাব কোরান মুখস্ত কইরা আইছিল এইডাতো আপনারা ইহুদি নাছারারা বিশ্বাস করেন না। এইজন্য এইবার আল্লায় পুরা রেডিমেড কোরান পাডাইয়া দিছে। হেরপরেও তো হাসাহাসি করতাছেন।
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিয়ালা-ই-রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান!—> অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে? 🙁 🙁
…তাহলে সম্ভবত আমিই দেখেছি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও শুদ্ধতম মিরাকলটি
আর যখন আমিই এঁকে দিয়েছিলাম প্রিয়ার বুকে অনবদ্য সেই চুম্বনশিল্প-
যে শিল্পকর্মতে স্রষ্টাই হয়ে ওঠে ভীত ও হতভম্ব,…
আর যখন নগ্নবুকজমিনে
জেগে স্বীয়ঈশ্বরের্ই
ওষ্ঠদ্বয়।…
লেখাটি অসম্ভব ভালো লেগেছে,
তবে আমি এটাকে এর্লাজিই জানতাম, এই লেখাতে আবার নতুন করে জানলাম।@সৈকত চৌধুরী
দুঃখিত…। ভিডিও টি এখানে পাবেন…
httpv://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=UIlJyNUCyDo
মজার লেখা। ব্যাপক সোনারিলের সময় চরম টাইপ কিছু প্রেমিক প্রেমিকারা ব্লেড দিয়ে কেটে কেটে হাতের উপর লিখে ফেলতো একে অন্যের নাম অথবা নানান কথা। লিখে প্রমান করতো কি গভীর সে ভালবাসা। আহা ওরা যদি এই লেখাটা তখন পেত (L) (U)
সৈকতকে অনেক ধন্যবাদ ধাপ্পাবাজির রহস্য উন্মোচনে। চামড়ার অসুখের কথা প্রথম জানলাম। (F)
এটার কথা অনেকদিন আগেই শুনেছিলাম। ভাওতাবাজী যে সে ব্যাপারে সন্দেহ কোন ছিল না। তবে চামড়ার অসুখের কথাটা জানা ছিল না।
হা হা হা! ঠিক সময়ে উপযুক্ত জবাব @ সৈকত ভাই :hahahee: :rotfl:
হে হে হে……. এই জগতে আর কত ঈশ্বরের লীলা দেখতে যে হবে? উনার নিজের তো সরাসরি অস্তিত্ব প্রমানের ক্ষমতা নাই , আছেন উনার বান্দাদের দিয়ে ধাপ্পাবাজি করাতে। :-Y
ইসলামে মিরাকলগুলি বেশী শোনা যায়,তবে অন্য ধর্মও কম নয়। বেশ কিছু বছর আগে শোনেছিলাম গুজরাটে এক শিশু নাকি বুকে রামের ছবি দেখতে পাওয়া গেছে। শেষে একটু খুজ করে জানলাম যে এটাও একটা ধাপ্পাবাজি গুজব ছড়িয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিসদ। :-O
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান লেখাটি উপহার দেওয়ার জন্য। (F)
মানুশের শুক্রাণু থেকেও তাহলে কোরান জন্ম নিতে পারে!
অনেকদিন পরে আপনার লেখা পেলাম। দারুণ। আচ্ছা যে শুশুটি কোরান নিয়ে জন্মেছে সে কি রাসুল?
@তামান্না ঝুমু, (Y) তাইতো হওয়ার কথা। অপেক্ষা করেন ইনশাল্লা খবর পাবেন। একটা ব্যপারে কনফিউশন কোরআন নিয়া জন্মাইলে কি অন্য ধর্মগ্রন্থ প্রবর্তন জায়েজ হবে :-s
:)) হাহাহা ভাল বলেছেন সৈকত ভাই। কথাটা মনে হচ্ছে প্রবাদ বাক্য হিসাবে চালিয়ে দেয়া যাবে।লেখাটাও দারুণ হয়েছে।ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা আপনাকে। (F)
এই ধরনের মিথ্যাচারী চেষ্ঠা শুধু মুসলমান রাই কেন করে?
@রায়হান,
কারণ সম্ভবত এই যে, বর্তমানে মুসলমানরাই একমাত্র জাতি যারা মনে করে যে তারা ছাড়া আর সবাই নিচু জাতের অধম।কাজেই সব অমুসলিমদের ( পড়ুন কাফিরদের) কে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আনতেই হবে।
ইদানিং ফেসবুকে কিছু ধর্ম প্রচারক দেখছি যারা পরনারী দের সাথে কথা বলাকেই কণ্ঠের যেনা হিসাবে ঘোষণা করার পরেও ফেসবুকের পাতানো মহিলা কাজিন দের সাথে দেখা করতে চায় ( যদিও এটাও প্রচার করে ওটা নাকি চোখের যিনা!)।ভণ্ডামির সত্যি অসাধারণ নমুনা। অবশ্য এটা মোমিনাদের ঈমান পরীক্ষাও হতে পারে। সফল হলে আলহামদুলিল্লাহ। বিফল হলে আগে দেখা, সেখান থেকে ঘনিষ্ট হতে চেষ্টা করা, এবং আরও সুযোগ খুজতে থাকা। পেয়ে গেলে তো মাশাল্লাহ।সব মহাম্মদি তরিকা….খারাপ মেয়ের( চোখ ও কথার যিনা কারিণী দের :-s ) শর্বনাশের সুযোগ পেলে সেটা করা মনে তারপর তৌবা করে কোমর কষে আবার কথা ও চোখের যিনা সঙ্ক্রান্ত প্রচার, অতঃপর …… চলতে থাকুক। তাই মনে হয় মুসলিমদের এত ধর্ম প্রচারের উন্মাদনা।
আজকাল ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ে একটা ছেলে( যদিও ছেলেটা আরবি পড়তে পারে না, আর কোনদিন মসজিদের চৌহদ্দিতে পা রাখেনি) এটা শুনলে কিছু মোমিনার শ্রদ্ধা অসম্ভব বেড়ে যায় সেই ছেলের প্রতি।এটা মনে হয় নতুন ফ্যাশন।
সৈকত চৌধূরী- দাদা, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ উপযুক্ত রেফারেন্স সমেত লিখাটি উপস্থাপন করার জন্য। আশা করি আপনার এই লিখা আপামর অন্ধ জনতাকে এইরূপ মিথ্যে গুজব মিশ্রিত খবরের প্রতি উকিঁ-ঝুকিঁ মারা থেকে বিরত রাখবে।
আল্লাহর কুদরতের সীমা নেই, এছলাম কায়েম রাখিবার জন্য রাব্বুল আলামিন নাছারাদের সৃষ্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে তার কুদরতের প্রকাশ ঘটাচ্ছে এবং এধরনের অনেক কুদরত আপনারা দেখতে থাকবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না পৃথিবী নামক গ্রহের সর্বত্র এছলাম কায়েম হয়।এবিষয়ে কুরান মজিদে ফরমাইছে — যে কেতাবখানি পড়িয়া ও গবেষণা করিয়া নাছারাগণ ইন্টারনেট, ফেবু, ইউটিউবসহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পয়দা করিয়াছেন বলিয়া বেরাদারনে এছলামের দাবী, কিন্তু তাহারা কেন পারেন নাই? — “আল্লাহ জিহাদকে মুসলিমদের জন্য অবশ্য পালনীয় কর্তব্য করেছেন,যার জন্য তারা যুদ্ধ করতে থাকবে, যতদিন না সমগ্র পৃথিবীতে মানবজীবনের সর্বজনীন ও সর্বোৎকৃষ্ট দিক নির্দেশক এছলাম একমাত্র ধর্মরূপে প্রতিষ্ঠিত হবে (২: ১৯৩, ৮:৩৯)।
আল্লাহ’র সর্বশেষ কুদরতের কথা আমরা ইতোমধ্যে জানিয়াছি, নাছারা বিজ্ঞানীগণ মাটির গভীরে — কবর আযা্বের ফলে লাশ যতটুকু মাটির গভীরে প্রোথিত হয় ততটুকু গভীরে — পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া গডড্যাম পার্টিকেল, থুড়ি গড পার্টিকেল খুঁজিয়া পাইয়েছন; কতবড় কুদরত……ছুবাহানাল্লাহ্…
ভালো কথা, কুরানমজিদ পড়িয়া সবচেয়ে বেশী কুদরতি জ্ঞানার্জন করিয়াছেন যিহ্বোভার পুত্র-কন্যারা, ইহাদের পালের গোদা আইন-ষ্টাইন। একেশ্বরবাদী হিসেবে কিছুটা শাস্তি ভোগের পর তার নিবাস বেহস্তে হ্ইতে পারে – “যেখানে স্ফীত স্তনের কৃষ্ণনয়না পরমা সুন্দরী ও সদা-কুমারী হুরীদের নিয়ে অনুগ্রহ প্রাপ্তরা যৌনতৃপ্তি মেটাতে পারবে (কোরান ৪৪:৫১, ৭৮:৩১-৩৩)”।
হার কারবালাকা বাদ এছলাম জিন্দা রাহতা হ্যায়, মাগার ইনসানিয়তকো (মানবতা) ইন্তেকাল হো যাতা হ্যায়
@আলী রেজা, ধন্যবাদ এমন যুক্তিযুক্ত মন্তব্যর জন্য ।
@মাসুদ রানা, (F) (F) (F)
হাঃ হাঃ… অনেকদিন পরে সৈকতের লেখা পড়লাম। জম্পেশ লেখা হইছে। Dermatographic Urticaria এর ব্যপারটা একদমই জানা ছিল না।
সৈকতের থেকে নিয়মিত লেখা আশা করছি।
@অভিজিৎ,
আমার ছোটবেলার এক বন্ধু উদয়ন স্কুলের শফিকের এক বোনের এই জাতের সমস্যা ছিল। তাদের বড় বোন ছিলেন ছেলেবেলায় বিভীষিকার মতন, ছোট ভাই বোনদের মারধোর ছিল ওনার প্রিয় হবি। মুশকিল হল এই বোনকে তিনি পেটাতে পারতেন না। এনার গায়ে সামান্য টোকা দিলেই চামড়া মারের আকারে ফুলে যেত এবং নির্যাতনের প্রমান দৃষ্টিকটূভাবে সারাদিন থেকে যেত।
httpv://www.youtube.com/watch?v=AiX5AN1XiZg&feature=related
ঈমান বৃদ্ধিকারক ভিডিও আবার দিলাম।
@আদিল মাহমুদ, হা: হা: চরম মজা পাইলাম!
😀
গরুর মাংশের টুকরায় আল্লাহু আকবরের সন্ধান পাবার সংবাদে অন্য এক ব্লগে এক সিনিয়র ভাই মন্তব্য করেছিলেন, “সকাল বেলা কমোডের পানিতেও আমি অনেক কিছু দেখতে পাই…কুদরতের কি আর শেষ আছে!”
আপনাদের মত নাফরমান নাস্তিকদের চপোটাঘাতের জন্য সিংহই যথেষ্টঃ
httv://www.youtube.com/watch?v=AiX5AN1XiZg&feature=related
@আদিল মাহমুদ, আজ পর্যন্ত আল্লা নবীর নাম লেখা সম্বলিত যত রকমের অলৌকিক ঘটনা ( যেমন সিদ্ধ ডিমের মদ্ধে আল্লা নবির নাম, গাছের পাতাই আল্লার নাম, মেঘের মদ্ধে আল্লার নাম, শুয়োরের দেহে আল্লার নাম এমনি অসংখ্য ঘটনা) দেখে একটা বিষয়ে অবাক হয়েছি সেটা হচ্ছে যে, আল্লার এত কেরামতি অথচ হাতের লেখাটা একটু পরিস্কার করে লিখতে পারে না ? শালার যেমন আল্লা তেমন তার নবি আর ঠিক তেমন তার উম্মত । :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@দয়াল নবী,
(Y)
@দয়াল নবী,
এটার আসলে সহজ ব্যাখ্যা আছে। উনি বেশী সরাসরি মাজেজা দেখালে আর ঈমানের পরীক্ষা হবে কেমন করে? কারন তখন তো সকলেই ঈমান এনে ভাল মানুষ হয়ে যাবে, অনেকটা কোয়েশ্চেন আউটের মত। সবাই ঈমান আনুক তাও উনি চান না নিজেই ঘোষনা করেছেন। এ কারনেই উনি একটু একটু করে আলামত দিয়ে পরীক্ষা করেন কার ঈমান কতটা শক্ত। উনি তো চাইলে কোরানের হার্ড পিডিএফ কপি ১৪০০ বছর আগেই পাঠাতে পারতেন। আরো পারতেন তার মধ্যে সচিত্র কিছু বর্ননা দিতে যাতে মানুষ কম কনফিইউজড হয়, যেমন আদর্শ বোরখা পর্দা ঠিক কেমন হতে পারে। এসব যখন করেননি তখন তার সুনির্দিষ্ট কারন আছে, এগুলি সবই ঈমান্দার বুদ্ধিমানদের জন্য ইংগিত স্বরুপ।
জাকির নায়েক যেমন কোরানে বিজ্ঞান বিষয়ে বলেছেন যে কোরান হল বুক অফ সাইনস, নট বুক অফ সায়েন্স।
মানুষ বড়ই আজব প্রাণি, তারা প্রতারিত হয়ে তৃপ্তি (Y)
অনেক ভালো লাগলো।
:guru: :guru: :guru: :guru:
:rotfl: :rotfl: :lotpot: :lotpot: :hahahee: :hahahee:
আমি একবার শুনতেছিলাম-
১। নীল আর্মষ্ট্রং চন্দ্রের কাছাকাছি পৌছাইলে রকেটের জানালার ফাক দিয়ে দেখতে পান অসংখ্য মানুষ যাদের মাথায় টুপি,লম্বা পান্জাবী,মুখে দাড়ী ধারী ব্যক্তিগন মহাশূন্যের ভিতর দিয়ে হেটে হেটে উপরের দিকে অগ্রসর হয়ে যাছ্ছে। (ভাবখানা এই যেন তাহারা বেহেশতের দিকে অগ্রসর হয়ে যাচ্ছে। কারণ বেহেশত তো উপরের দিকেই অবস্থিত।সে দিকেই তারা যাচ্ছে। কত সুন্দর ধাপ্পাবাজী!!)
২। নীল আর্মষ্ট্রং চন্দ্রে নেমে নবীর চন্দ্র দ্বিখন্ড করার চিহ্ন চ্ন্দ্র পৃষ্ঠে স্বচক্ষে দেখেছিলেন।
৩। তিনি পরবর্তিতে কোন একটি মসজিদের মাইকে আজানের ধ্বনি শুনে তিনি নাকি সাথে সাথে বলেছিলেন “ঠিক এই আজানের ধ্বনিই তো আমি চন্দ্রেও শুনেছিলাম।”
৪। এরপর তিনি নাকি মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু আমরা এযাবৎ যতদূর জানতে পেরেছি তিনি কোনদিনও মুসলমান হন নাই।
আমরা কী তাহলে সবাই এভাবে মিথ্যা গুজবের স্বীকার? কী চমৎকার সুন্দর কাহিনী!!
ধন্যবাদ আপনাকে এমন প্রবন্ধ লেখার জন্য।
আপনার রাসাদ খলিফার ১৯ এর মিরাকল টি আমাকে বাস্তবে অত্যন্ত কাজে দিয়েছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
২,৩,৪ আমি নিজেই শুনেছি আমাদের স্কুলের ইসলাম ধর্মের শিক্ষকের কাছে, তিনি অনেকটা ওয়াজের মত সুর করে শোনাতেন:
“ও নীল আর্মস্ট্রং… ও রে নীল আর্মস্ট্রং তুই যে দুই ভাগ করা চাঁদ দেখলি তা তো আমার পেয়ারা নবীর কীর্তি, আমার রসুলের কীর্তি…” ইত্যাদি।
জরুরী লেখা। দরকার ছিল এমন লেখার। (Y)
মজা পেলাম শেষেরটায় :lotpot: :lotpot: :lotpot:
আমি ব্যাপারটা নিয়ে এত মাথা ঘামাইনি কারন আমার ধারনা হয়েছিল এগুলো গ্রাফিক্সের কোন কারসাজি হবে হয়ত।বিস্তারিত জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
আমি তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি প্রোজেক্টে কাজ করি, একদিন টেলিফোন রিসিপসনিষ্ট আপা হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলেন “ভাই খবর জানেন নাকি?” আমি বললাম নাহ; কি হয়েছে? তিনি বললেন “ইন্দোনেশীয়ার এক মসজিদের মিনার খুব ভারী হওয়ায় উপরে উঠানো যাচ্ছিলোনা, আল্লাহর কি ইশারা সেই মিনার একা একাই আল্লাহর কুদরতে উপরে উঠে গেছে। ইউটিউবে এতার ভিডিও ও আছে আমাকে একটু ঐ ভিডিওটা দেখাবেন”। আমি ইন্টারনেট ঘেটে সত্যিই ইউটিউবে এমন একটি আজব ভিডিও পেয়ে গেলাম।্তাতে দেখা গেলো একটি সাদা রঙের মিনার একা একা উপরের দিকে উঠে যাচ্ছেপাশে দর্শক বেশী অনেক লোক উচ্চ কন্ঠে জ্বিকির করছে।অনাকে দেখানোর পর মাত্র কয়েক মিনিট!!!!!!! সব জায়গায় রাষ্ট্র হয়ে গেলোএই কুদ্রতি ভিডিওটি আমার কাছে আছে সুতরাং খোদ জি এম থেকে শুরু করে বড় বড় স্যর আমাকে সালাম পাঠাতে লাগালেন।কষ্ট করে সবাইকে দেখাতে হল।কেউ কেউ(যারা অতি আবেগী) আমার সামনেই প্রতিজ্ঞা করে বসল আর নামায কামাই দেওয়া যাবে না, কিয়ামত আসন্ন এগুলো(ভিডিওটা) তারই আলামত।
আমারতো মনে হয় ইউটিউব ভালো ভাবে ঘাটালে এমন হস্যরসুদ্রেক্কারী অনেক ভিডিও পাওয়া যাবে
সবশেষে সৈকত ভাইকে অনেক ধন্যবাদ (F)
@ছন্নছাড়া,
ধর্মবিদদের গল্পগুলো খুব মুখরোচক হয়। গল্পগুলোতে সবসময়ই একজন নায়ক( আল্লাহ) এবং একজন ভিলেন থাকে। মসজিদ এর এই গল্পেরও একজন ভিলেন আছে- ইন্দোনেশিয়ার বালি শহরের মেয়র। সে মসজিদ বানানোর জন্য সরকারি ক্রেন দিতে রাজি হয় নি এবং তাদের বলেছে “তোমাদের আল্লাহ কে গিয়ে বলো মিনার বসিয়ে দিতে”। তখন আল্লাহ মিনার বসিয়ে মসজিদ এর কাজ সম্পন্ন করেছে।
ঐ ভিডিওটা দেখার জন্য আমার বাসায়ও আমাদের পুরো বিল্ডিং এর মানুষ ভির করেছিলো। আল্লাহর এই কুদরত (মানুষের তৈরি ভিডিও দ্বারাই শুধু সম্ভব) দেখতে পেরে সবার মাথা শ্রদ্ধায় নত হয়ে যাচ্ছিল, চোখ মুখ জ্বলজ্বল করছিলো।
তাও ভালো যে ধর্মবিদরা গল্পে শুধু মসজিদ এর কাজ সম্পন্ন করেই ক্ষান্ত দিছে, মেয়র এর উপর আল্লাহর আজাব বর্ষণ করে নাই…। মেয়র কে আল্লাহ ততখনাত কোন পশু বানিয়ে বা তুলে নিয়ে গিয়ে যে তার ক্ষমতা দেখান নাই এটা ভেবেই শান্তি লাগে (ক্ষমতা থাকলে তো দেখাবে, সে তো পুরাই একটা মাক্কাল ফল)…
কাঠমুল্লাদের আর যে কত কিছু দাখতে হবে আমাদের ! আসলে আজ্ঞতার উপর যাদের বসতি, যাদের প্রশ্ন করার খমতা বা মাথাই গিলু নাই তাদের দিয়ে এ সব তো হবেই…………
আপনার বিশ্লেষণ একশতভাগ সত্য। কিন’ এতোদিন চিন-া করিনি কেন এমন হতো। এমন ঘটনা আমার পরিবারেই রয়েছে। আমাদের প্রায় সকল ভাইবোনদের এলার্জির দোষ আছে। এলার্জি হয়তো কয়েকপ্রকার। যেমন আমাদের এলার্জি চামড়ায়। বিশেষ করে আমার ছোট ভাইয়ের (সে খুব ফর্সা) চামড়ায় সামান্য একটু নখের আঁচড় দিলেই সেখানে লাল হয়ে ফুলে উঠতো। তখন আমাদের মাথায় এরূপ আগুবি ঘটনা আসলে হয়তো এ জাতিয় একটা কিছু লিখে মানুষ ডেকে দেখিয়ে মিরাকেল বানিয়ে বেয়াক্কেল করতে পারতাম। ধন্যবাদ।
যখন ডোমারে ছিলাম তখন একবার গুজব বের হয়েছিল যে আশেপাশেই এক শিশু জন্ম নিয়েছে যে জন্ম নেয়া সাথে সাথেই কথা বলা শুরু করছে আর জন্ম থেকেই সে পায়জামা পাঞ্জাবী পরিহিত ছিল।সবাই বলছিল ‘দেখ আল্লাহর মহিমা’।আমার ছোট ভাই এই ভয়ে ভীত হয়ে পড়ছিল যে ঈসা নবী জন্মগ্রহণ করছে এখন কিয়ামত হবে।তাই ঠিক করলাম ওর ভয় ভাঙব।সবার কাছে খোঁজ নেওয়া শুরু করা করলাম ঘটনাটা আসলে কোথায় ঘটেছে।একেক জন একেক জায়গার কথা বলল।আমার পক্ষে তো সব জায়গা ঘুরা সম্ভব না যে ভাইকে হাতে নাতে প্রমাণ দিতে পারব।বেচারা অনেক দিন ভয়ে ভয়ে ছিল,সময়ের সাথে পরে ঠিক হয়ে গেছে।আমার এরকম অনেক অভিগ্যতা আছে।যাই হোক আল্লাহ(যে ব্যক্তি ঐ শিশুর গায়ে একাজ করেছেন) যে ঐ শিশু গায়ে কুরানের বাণী লিখতে গিয়ে খোদাই করে রক্তপাত ঘটানোর মত কোন কাজ করেন নি তাই আমার শান্তি।নইলে আমি নির্ঘাত ঐ আল্লাকে খুন করতে উদ্দত হতাম।
দারুণ লেগেছে।
খুবই মূল্যবান একটি কথা। কবে যে মানুষ বুঝবে –তাই ভাবি। (Y)
আল্লার খাইয়া কাম নাই । কাম থাকলে কি আর এইসব আকাম করে?
বেকার একটা অপদার্থ হচ্ছে আল্লা ।
😀 😀 😀
মুসলমানরা জাতি হিসেবে যে মূর্খ, চিন্তাসামর্থহীন এ ঘটনা তার আর একটি প্রমাণ।
@মামুন,
না, মুসলমান জাতি হিসেবে মূর্খ নয় আর এজন্যই এ আক্ষেপ। তারা মূর্খ হলে এসব কাণ্ডে দুঃখ পাওয়ার কিছুই থাকত না। এই ছবিটি ৫০০০ এর উপর লাইক পেয়েছে, ৬০০০ এর উপর শেয়ার হয়েছে আর সুবানাল্লা মার্কা মন্তব্য হাজারের কাছে চলে আসছে। যারা তা করছে এদের অনেকেই উচ্চশিক্ষিত। এদেরকে অশিক্ষিত বললে বেশ কিছু তাত্ত্বিক সমস্যায় পড়তে হয়।
আর শুধু মুসলমানরা তা করে এমনটি নয়। একবার হিন্দুদের মূর্তি দুধ খাচ্ছে এমন গুজবে এমনকি বাংলাদেশেও কী তোলপাড় হয়ে গেল। এছাড়া হিন্দুদের অনেকে করে কি, যেখানে যাকে পবিত্র মনে করে, যেমন কোথাও একটু গনেশের চেহারা কোনোভাবে ফুটে উঠল, তারা ধুমধাম এর পূজো শুরু করে দেয়। খ্রিস্টানরাও কম যায় না, কোথায় যিশুর চেহারা দেখা গেল, মা মেরীর চোখ থেকে জল পড়ল এসব নিয়ে খুব একটা কম হৈ চৈ তারা করে না।
পৃথিবীর সকল মানুষ কুসংস্কার মুক্ত হোক।
:clap
স্যরি সৈকত, ভিডিও সমস্যাটা বোধ হয় আমার এখানেই ছিল, এখন দেখতে পাচ্ছি। তা এ সব লিখে বা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায়েও বোধ হয় আর লাভ হবেনা। ইসলামের হায়াত আরো বহু দিন আছে, কারণ সে এখন আশ্রয় পেয়েছে কম্যুনিষ্টদের কোলে। লিখতে যদি হয়, ইসলাম, মুহাম্মদ, কোরান আর মুসলমান বাদ দিয়ে অন্যান্য ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থ নিয়ে লিখো, কেউ গালি দিবেনা। মেনে নাও, ইসলাম শ্রেষ্ট ধর্ম, মুহাম্মদ শ্রেষ্ট নবি, কোরান শ্রেষ্ট ধর্মগ্রন্থ আর মুসলমান দুনিয়ার সেরা জাতি। ব্যস, জীবনের হুমকি আর খামোখা মুসলিম বিদ্বেষী, ইসলাম বিদ্বেষী বদনাম মাথায় নিয়ে কী লাভ? নিজের ঘর সংসার পরিবারকে নিরাপদ রাখতে পারলেই হলো।
ভিডিওগুলো আসে নাই, একটু লিংক না হয় দেন আমি চেষ্টা করে দেখি।
“মানুষ বড়ই আজব প্রাণী, তারা প্রতারিত হয়ে তৃপ্তি পায়।” (Y)
এইসব কিছুই জানতাম না, বড়ই মুরুক্ষু দেখছি আমি 🙁