আমার শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে ঢাকার খিলগাঁও এ।
সত্তর দশকের শেষের দিকে জিয়াউর রহমান তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পাড়া এবং মহল্লায় টেলিভিশন দান করেছিলেন। এরকমই একটা টেলিভিশন দানছত্র হিসাবে পেয়েছিল খিলগাঁও সরকারী বালক বিদ্যালয়। স্কুলের মাঠের পাশে উঁচু একটা বেদী করে তার উপরে একটা কাঠের বাক্স বসানো হয়েছিল স্থায়ীভাবে। সেই বাক্সের ভিতরে তালাবদ্ধ করে রাখা হতো টেলিভিশনটাকে। সন্ধ্যার সময়ে স্কুলের পিওন চাবি দিয়ে কাঠের বাক্সের সামনের দিকটা খুলে টেলিভিশনটা চালু করে দিত। আর বিপুল সংখ্যক মানুষ সন্ধ্যা থেকে শুরু করে মাঝ রাত পর্যন্ত সেই টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপভোগ করতো।
তিন দশক আগের সেই সময়ে টেলিভিশন ছিল বিলাস সামগ্রী, নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে উঠতে পারে নি তখনও। খিলগাঁওয়ের মত নিম্ন-মধ্যবিত্ত এলাকায় হাতে গোনা দুই একজন মানুষের বাড়িতে তখন টেলিভিশন ছিল। কাজেই, জিয়াউর রহমানের দেয়া এই টেলিভিশন যে বিপুল পরিমাণে মানুষ দেখবে সেটাই ছিল স্বাভাবিক।
এই বিপুল সংখ্যক দর্শকের সারিতে আমিও ছিলাম নিয়মিত একজন। বাল্যকালে বাড়াবাড়ি রকমের দুরন্ত এক বাউণ্ডুলে বালক ছিলাম আমি। ঘরের বাঁধন বলতে কিছু ছিল না আমার। ঘর থেকে একবার বের হলে ফেরাটা আমার নিজের ইচ্ছাতে ঘটতো। বিকালে ফুটবল খেলা শেষে বন্ধুরা যখন ফিরে যেতো যার যার বাড়িতে। আমি তখনও মাঠের কোণায় বসে থাকতাম টেলিভিশন দেখার আশায়। এর জন্য অবশ্য প্রতিদিনই খেসারত দিতে হত। চোরের মত রাতে ঘরে ফিরে আসার পরে চোরপেটা পিটুনিই জুটতো আমার পৃষ্ঠদেশে। এই রুটিন নিয়মিতই ছিল। যিনি পেটাতেন, তিনি যেমন জানতেন যে, আমাকে প্রতিদিনই পেটাতে হবে। আমিও তেমনি জানতাম যে এই পিটুনি খাওয়াটাই আমার জন্য সরল স্বাভাবিক ঘটনা। কাজেই, এ নিয়ে খুব একটা মনোকষ্ট বা মাথাব্যথা কোনোটাই সেই সময়ে ছিল না আমার। ক্ষুদ্র ঋণের দাতা-গ্রহীতার মত, পিটুনিদাতা এবং পিটুনিগ্রহীতা, দুজনেই যার যার দায়িত্ব অত্যন্ত সুষ্ঠু এবং সুচারুভাবেই পালন করে চলেছিলাম আমরা দীর্ঘদিন ধরে।
তো এই সময়েই বাংলাদেশ টেলিভিশনে অবিস্মরণীয় একজন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের বেশ কিছু ছোট দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। এই ব্যক্তিত্ব আর কেউ নন, তিনি হচ্ছেন চার্লি চ্যাপলিন। সেই বাল্য বয়সে এই ছবিগুলোর মাহাত্ম বোঝার ক্ষমতা তখনও জন্মায় নি। স্রেফ হাসির ছবি হিসাবে দেখতাম সেগুলোকে। নাকের নিচে হিটলারি গোঁফওয়ালা, হাতে একটা লম্বা নমনীয় ছড়ি, ঢিলেঢালা প্যান্ট পরা, হ্যাট মাথায় দেওয়া একজন ছোটখাট মানুষ মজার মজার কাণ্ড করছে, আর আমরা দর্শকেরা হেসে কুটিকুটি হচ্ছি, এটাই এখন পর্যন্ত স্মৃতিতে গেঁথে আছে আমার। আমার এবং অন্যান্য অশিক্ষিত, অপরিশীলিত এবং অপরিস্রুত দর্শকদের মত বাংলাদেশ টেলিভিশনের কর্মকর্তারাও মনে হয় সেগুলোকে হাসির ছবি হিসাবেই বিবেচনা করতেন। কারণ, এগুলো দেখানো হতো বাংলাদেশ টেলিভিশনের দৈনিক সম্প্রচার শুরু হবার শুরুর দিকে। শিশুদের জন্য নির্ধারিত সময়ে। কোনো এক অদ্ভুত কারণে ওই সময়ের পরে চার্লি চ্যাপলিনের আর কোনো সিনেমা দেখা হয় নি আমার।
বছর সাতেক আগের ঘটনা। তখন আমি পড়াশোনা করছি মিশিগানের ওয়েন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। পড়াশোনা করছি বললে অবশ্য পড়াশোনাকেই শোচনীয়ভাবে অপমান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম আছে আমার। প্রতিদিন ক্লাসে যাই। এটুকুই শুধু। ক্লাস শেষ হলেই এক দৌঁড়ে লাইব্রেরিতে গিয়ে মুক্তমনা না হয় ভিন্নমত নিয়ে বসি। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ি আগাপাশতলা। ক্লান্ত হয়ে গেলে এদিক ওদিক তাকিয়ে শুভ্র-সুন্দরীদের সৌন্দর্য অবলোকন করি। না হয়তো ভিডিও-র সেকশনে গিয়ে উলটে পালটে বিভিন্ন ক্যাসেট আর ডিভিডি দেখি। এরকমই একদিন ডিভিডি নাড়াচাড়া করতে গিয়ে হুট করে চোখে পড়ে যায় চার্লি চ্যাপলিনের দ্য কিড ছবিটি। বাড়িতে নিয়ে আসি ওটাকে। ওই এক ছবিও বদলে দেয় সবকিছু। বাল্যকালের মুগ্ধতাকে মসৃনভাবে ছাড়িয়ে যায় পরিণত বয়সের মুগ্ধতা। এরপর থেকে শুরু হয় চ্যাপলিনের ছবি দেখা। পরবর্তী এক বছরের মধ্যে চ্যাপলিন সৃষ্ট ছোট-বড় সমস্ত ছবিগুলো দেখা হয়ে যায় আমার। চ্যাপলিন বাদে আর কোনো চলচ্চিত্র পরিচালকের ছবিসমূহ এ টু জেড এরকম গভীর আগ্রহ নিয়ে দেখেছি বলে মনে পড়ে না আমার। সবচেয়ে বিস্ময়কর হচ্ছে যে, এই সমস্ত ছবিগুলো আশি-নব্বই বছর আগে নির্মিত, অথচ কোনোটিকেই বর্তমান প্রেক্ষাপটে মনে হয় না অপ্রয়োজনীয়, সময়ের সাথে অপ্রাসঙ্গিক, পিছিয়ে পড়া কিংবা দ্বন্দ্বমুখর। এমনই সাম্প্রতিক এবং আধুনিক চ্যাপলিনের সৃষ্টি। সময়কে অতিক্রম করে সর্বকালীনতাতে বিলীন হতে পেরেছে বলেই, চ্যাপলিনের অধিকাংশ সৃষ্টিই এখন ক্লাসিকের মর্যাদায় ভূষিত।
তিনি জন্মেছিলেন ১৮৮৯ সালে ইংল্যান্ডে। বিশ-একুশ বছর বয়সে চলে আসেন আমেরিকায়। ১৯১৪ সালে তাঁর প্রথম ছবি মেকিং এ লিভিং মুক্তি পায়। দুনিয়ার তাবত সব বিখ্যাত লোকদের মতই, তাঁর প্রথম ছবি ফ্লপের খাতায় নাম লেখায়। এর ফলে অভিনয় জীবন বড়সড় হুমকিতে পড়ে যায় চ্যাপলিনের। তবে এই খারাপ সময় হয় স্বল্পস্থায়ী। একই বছরে মুক্তি পায় স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র কিড অটো রেসেস এট ভেনিস। এই চলচ্চিত্রেই চ্যাপলিন তাঁর বিখ্যাত হতদরিদ্র ‘লিটল ট্র্যাম্প’ চরিত্রটির জন্ম দেন। এই চরিত্রটিই পরবর্তীতে চ্যাপলিনের প্রায় সব ছবিতে মূখ্য চরিত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
লিটল ট্র্যাম্প
এর পর থেকে আর চ্যাপলিনকে পিছন ফিরে তাকাতে হয় নি। অল্প দিনের মধ্যেই নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগের সেরা অভিনেতা এবং নির্মাতায় পরিণত হন তিনি। সেই সময় হলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা ছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণেও ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। একে একে নির্মাণ করতে থাকেন অসংখ্য স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র। তবে, শুধু স্বল্প দৈর্ঘ্য নয়, এর পাশাপাশি পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা শুরু করেন। এগুলোর মধ্যে দ্য কিড, সিটি লাইফ, মডার্ন টাইমস এবং গ্রেট ডিক্টেটর অন্যতম। এর সবগুলোই ক্লাসিকের মধ্যে পড়ে। তবে, এদের সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছে তাঁর গোল্ডরাশ চলচ্চিত্র। এটি প্রথমবার মুক্তি পেয়েছিল ১৯২৫ সালে। গোল্ড রাশ শুধুমাত্র চার্লি চ্যাপলিনেরই সেরা ছবি নয়, চলচ্চিত্র ইতিহাসেরও অন্যতম সেরা ছবি এটি। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিট্যুটের জরিপ অনুযায়ী গত ১০০ বছরের সেরা ১০০ টি চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি হচ্ছে গোল্ড রাশ।
১৮৯৭-৯৮ সালের দিকে আলাস্কা অভিমুখে স্বর্ণ অনুসন্ধানের জন্য মানুষের যে ঢল নামে তাকে উপজীব্য করেই চার্লি চ্যাপলিন তাঁর গোল্ডরাশ ছবিটি তৈরি করেন। ১৮৯৩ এবং ১৮৯৬ সালে আমেরিকার অর্থনীতি বিশালাকার দুটো ধাক্কা খায়। এর ফলে অসংখ্য লোক চাকুরি হারায়। এই সমস্ত বেকার লোকেরাই বিভিন্ন জায়গায় স্বর্ণের সন্ধানে ছুঁটে যেতে থাকে।
আলাস্কার গোল্ড রাশ
আমি এখানে অবশ্য গোল্ড রাশ চলচ্চিত্রটির সার্বিক আলোচনা করতে বসি নি। এই চলচ্চিত্রটি একটি অসাধারণ চলচ্চিত্র, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহই নেই। চ্যাপলিনের অনন্যসাধারণ মেধা, গভীর মননশীলতা, সুউচ্চ শিল্পের কাজ, প্রাণপাত পরিশ্রম, উত্তুঙ্গ উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ দক্ষতার ছাপ ছড়িয়ে রয়েছে পুরো ছবিটা জুড়েই। তবে, এই ছবিটির দুটি দৃশ্য ছাড়িয়ে গিয়েছে আর সব কিছুকেই। এরকম অদ্ভুত উদ্ভাবনী দক্ষতাময়, তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন, প্রবল রসবোধসম্পন্ন এবং শিল্পের মাধুর্যময় কারুকার্যমণ্ডিত দৃশ্য খুব কম চলচ্চিত্রেই পাওয়া যায়।
এই দুটি দৃশ্যের একটি হচ্ছে জুতো খাবার দৃশ্য। ক্ষুধা-দারিদ্র নিয়েও যে তীব্র রসাত্মক দৃশ্য তৈরি করা যায় তাঁর প্রমাণ হচ্ছেন চ্যাপলিন। তীব্র তুষারপাতের মধ্যে একটা কেবিনের মধ্যে আটকে পড়া দুজন ক্ষুধার্ত মানুষ খাবার জন্য অন্য কিছু না পেয়ে একজনের পায়ের একপাটি জুতো সিদ্ধ করে খাচ্ছে। করুণ কোনো দৃশ্যকে হাস্যরসাত্মক এবং ব্যাঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে চ্যাপলিনের জুড়ি ছিল না। তবে, এই দৃশ্যে তিনি নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। চ্যাপলিন মনে করতেন যে, অসহায়ত্বের বিরুদ্ধে হাস্যরস করাটাও এক ধরনের বিদ্রোহই। খাদ্যবিহীন অবস্থায় চ্যাপলিন জুতো খাবার মত অভাবনীয় এই ধারণাটি পেয়েছিলেন ডোনার পার্টির কাছ থেকে। ডোনার পার্টি ছিল একদল আমেরিকান পাইওনিয়ার। ১৮৪৬ সালে একটা ওয়াগন ট্রেনে করে এরা যাত্রা শুরু করেছিল ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁদেরকে পুরো শীতের মৌসুমটা তুষারের কবলে পড়ে কাটাতে হয় সিয়েরা নেভাডার পর্বতে। এদের মধ্যে কেউ কেউ বেঁচে থাকার জন্য মানুষের মাংসও খেয়েছিল। কেউ কেউ ক্ষুধার হাত থেকে পরিত্রাণের জন্য জুতো সিদ্ধ করেও খেয়েছিল।
httpv://www.youtube.com/watch?v=mtZTIwSIuGw
অন্য দৃশ্যটি একটি নাচের দৃশ্য। তবে এখানে কোনো নর্তক বা নর্তকী নেই। দুটো ফ্রেঞ্চ ব্রেড রোলকে দুটো কাটা চামচ দিয়ে বিদ্ধ করে চ্যাপলিন নিজেই এই নাচের দৃশ্যটি তৈরি করেছেন।
চ্যাপলিনের কেবিনের বাইরে নায়িকা জর্জিয়া এবং তাঁর সখিরা স্নোবল নিয়ে ছুঁড়োছুঁড়ি করছে। হৈ হুল্লোড় শুনে কেবিনের দরজা খুলে বের হয়েছে চার্লি। রমণীকুলের ছুঁড়ে দেওয়া তুষারবল এসে লাগে চ্যাপলিনের মুখে। ফায়ারউড জোগাড়ের জন্য চার্লি বের হয়ে যেতেই, চার্লির বালিশের নীচ থেকে তাঁর নিজের ছবি আবিষ্কার করে জর্জিয়া। সখিদের সাথে শলাপরাপর্শ করে চার্লির সাথে নিষ্ঠুর এক কৌতুক খেলায় মেতে উঠে সে। চার্লির কাছে ডিনারের আমন্ত্রণ জানানোর ঈঙ্গিত দেয় সে। নিউ ইয়ারস ইভে সন্ধ্যা আটটার সময় চার্লি ডিনারে আসার জন্য নিমন্ত্রণ জানায় জর্জিয়া এবং তাঁর সখিদের। এই ডিনারের পয়সা যোগানোর জন্য ভিক্ষা করা, ধার করা এবং তুষার পরিষ্কারের মত হাড়ভাঙা পরিশ্রমও করে সে। নিউ ইয়ারস ইভে তীব্র উত্তেজনা নিয়ে ডিনার তৈরি করে অপেক্ষায় থাকে চার্লি। কিন্তু হায়! সময় বয়ে যায়। সুন্দরী জর্জিয়া আর আসে না। অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ক্লান্ত চার্লি ঘুমিয়ে পড়ে এক সময়। স্বপ্নে দেখে জর্জিয়া আর তাঁর হাস্যমুখর সখিরা ডিনারে এসেছে। চার্লি তাঁদেরকে আমোদিত করার জন্য দুটো ফ্রেঞ্চ ব্রেড রোলকে দুটো কাটা চামচ দিয়ে বিদ্ধ করে ব্যালে নাচ দেখানো শুরু করে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=xoKbDNY0Zwg&feature=related
ফরিদ ভাই,
চার্লি চ্যাপলিন সম্পর্কে অনেক জানা হল।চার্লির কিছু ছবি দেখছি।বাকি গুলাও দেখতে হবে।ধন্যবাদ অসাধারণ এই পোস্টের জন্য।
ভাল লাগল!
চার্লি চ্যাপলিন আশৈশব অনেক দুঃখ কষ্ট পেয়েছেন।
কোথায় যেন পড়ছিলাম দুঃখ না পেলে কেউ লোক হাসাতে পারেনা।
তাই হয়ত তিনি আজীবন তার প্রতিটা শিল্প কর্মে মেধা ও সফলতার
সাথে লোক হাসিয়ে গিয়েছেন।
@লাইজু নাহার,
ঠিক, কিন্তু বহু দুঃখ ভারাক্রান্ত বাংলায় তারপরও রসোত্তীর্ণ কমেডির বড় অভাব।
@রৌরব,
১৮০০ শতকে কিন্তু বাংলায় অনেক রম্যসাহিত্য রচিত হয়েছিল।
কালী প্রসন্ন সিংহের “হুতুম পেঁচার নকশা” সুকুমার রায়,বঙ্কিমের “কমলাকান্তের
দফতর” সহ অনেক রচনাতেই বেশ হাস্য কৌতুক ছিল।
রবীন্দ্র নাথের ছোট গল্প গুলোতেও কিন্তু রম্য আছে!
হালের হুমায়ুন ভ্রাতা আহসান হাবীব একজন কার্টুনিস্ট ও রম্য লেখক।
রম্য পত্রিকা “উন্মাদ” বেশ জনপ্রিয়!
প্রবাসের শুরুর দিনগুলোতে
ছোটভাই আমাকে আনন্দ দেবার আশায় হুমায়ুন আহমেদের “এলেবেলে”
পাঠিয়েছিল! বইটাএখনওমাঝে মাঝেপড়ে হাসি!
@লাইজু নাহার,
দুঃখ-কষ্টকে হাসি-তামাশার মধ্য দিয়ে মোকাবেলা করাটাই হয়তো চ্যাপলিনের জীবনদর্শন ছিল। লেখাটা ভাল লেগেছে জেনে নিজেরও ভাল লাগলো।
চার্লি চ্যাপলিন আমার একজন প্রিয় মানুষ। তাকে নিয়ে অসাধারণ এ লেখাটির জন্য ফরিদ ভাইকে (F)
@সৈকত চৌধুরী,
ধন্যবাদ সৈকত। প্রিয় মানুষের ক্ষেত্রে আমাদের পছন্দ এক হওয়াতে আনন্দিত আমি।
বহু দিনের ভুলে থাকা একটা চরিত্রকে আবার মনে করিয়ে দিলেন। চার্লির নির্বাক ছবি দেখার আসল আনন্দটা পাওয়া যায় ওল্ড স্কুল সেলুলয়েড প্রজেক্টরে যার সাথে ডিজিটাল মিডিয়ার কোন তুলনা চলে না।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই হয়তোবা উপরের কথাটা সঠিক। এর বিপরীতে, যেখানে ‘সমাপ্ত’ লেখা হয় তার বেশীরভাগই আসলে নতুন কোন অধ্যায়ের পূর্বাভাস দেয়। কিছু কিছু অধ্যায়ের কেবল শুরুই থাকে , কোন শেষ থাকে না।
@সংশপ্তক,
এরকম একটা পরিবেশ তৈরি করে চ্যাপলিনের ছবি দেখতে পেলে মন্দ হতো না। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
ঘরে স্হাপনযোগ্য একটা সেলুলয়েড প্রজেক্টর সংগ্রহ করা সম্ভব। আমি ইনগ্রিড বার্গম্যান থেকে শুরু করে হাম্ফ্রি বোগার্ট এবং আগেকার সাদাকালো বাংলা ছায়াছবি গুলো এভাবে দেখে যেরকম নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হই , তাকে অনেকটা নেশার মতই মনে হয়। 🙂
(Y)
ছোটবেলায় দেখেছিলাম কিছু কিন্তু তা সেই হাসির ছবি হিসেবেই। তারপরে আর চার্লির ছবি দেখা হয়নি। তবে খোঁজ যখন পেয়েছি দেখে ফেলবো। ধন্যবাদ ফরিদ ভাইকে লেখাটির জন্যে।
@স্বাধীন,
বাচ্চাদের সাথে নিয়ে দেখতে ভুলবেন না যেন। দারুণ উপভোগ করবে ওরা চার্লি চ্যাপলিন।
অসাধারন লাগলো লেখাটি।
@সুমিত দাশ,
ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সাধারন ভাবে কোন কিছু দেখলে সেই দেখা থেকে যে কত কিছু ছুটে যায় তা দেখিয়ে দিলেন এক্কেবারে সোজাসুজি। অনায়াস ভঙ্গিতে অনেকগুলো ফ্রেম দেখালেন, একটু অপ্রচলিত এই দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে। আলসেমিতে যারা ঝাপসা দেখাটাকেই স্বাভাবিক মনে করা শুরু করেছে, তাদের জন্য ঝাঁকি (C)
@কাজী রহমান,
ঝাঁকিটা না হয় অন্যদের জন্য, কিন্তু ধুমায়িত কফিটা কার জন্য? :-s
@ফরিদ আহমেদ,
ঝাঁকি খেয়েও অনেকে আবার ঝিম মেরে যায়, ওটা তাদের জন্য……… :))
আর আপনার লেখা এবং দেরিতে হলেও লিখবার জন্য (F)
ক্ষুধায় জুতো সিদ্ধ করে খাওয়ার পর্বটি অসাধারন। তেমনি চমৎকার নাচের দৃশ্যটিও। ভালো লাগলো লেখাটি। (F)
@ব্রাইট স্মাইল্,
জুতো খাবার দৃশ্যটির বক্তব্যের গভীরতা অসীম। হাস্য কৌতুকের মধ্য দিয়ে এরকম গভীর বক্তব্য শুধু চ্যাপলিনই দিতে পারতেন। অন্যদিকে, নাচের দৃশ্যটির শৈল্পিকতা অতুলনীয়।
লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
একজন প্রকৃত মানবতাবাদী ছিলেন। প্রকাশ্যে সমাজতন্ত্রের পক্ষে এতো দৃর না থাকলে আমেরিকা আর হলিউডের শ্রেষ্ঠ আইকন হিসেবে আমেরিকায় চরম সম্মানের সাথে সারা জীবন কাটিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু নিজের বিশ্বাসের সাথে কম্প্রোমাইজ করেননি।
ছোটবেলায় বাসায় চার্লির জীবন নিয়ে বাংলায় একটা বই ছিলো। কার লেখা খেয়াল নেই। বইটা যে কতোবার পড়েছি ইয়ত্তা নেই। লেখক সুন্দরভাবে লন্ডনে চরম দরিদ্রতার মধ্যে চার্লি এবং তার মা’র জীবনের কথা লিখেছিলেন।
@সফিক,
বইটা আমিও পড়েছিলাম, মুক্তধারার থেকে বের হয়েছিল। আমারো মনে নেই কার লেখা। মনে আছে যে তার ছোটবেলা গেছিল ভয়াবহ দারিদ্রে, দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে।
@সফিক,
চার্লির জীবনী অনেকেই লিখেছেন। সেগুলোর কোনোটা হয়তো পড়ে থাকবেন। চার্লি চ্যাপলিন শেষ বয়সে নিজেই আত্মজীবনী লিখেছিলেন। বইটার নাম মাই অটোবায়োগ্রাফি। ওটা পড়েছি আমি। ইচ্ছা আছে সেখান থেকে কিছু বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে লেখার।
সিনেটর ম্যাককার্থি যেভাবে পিছনে লেগেছিলেন তাতে কম্প্রোমাইজ করেও লাভ হতো না বিশেষ কিছু। এই ঝামেলা শুরু হবার সময়ে চ্যাপলিন বলেছিলেন যে, দেখো বাছা তোমাদের দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটানোর কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আর সামান্য কয়েকটা চলচ্চিত্র বানানোই আমার স্বপ্ন। তাঁর এই অকপট বক্তব্যেও কাজ হয় নি কোনো। রি-এন্ট্রি পারমিট থাকার পরেও ইংল্যান্ডে পরিবার-পরিজনসহ ছুটি কাটাতে আসা চ্যাপলিনকে আর ঢুকতে দেয় নি আমেরিকার ইমিগ্রেশন। এই গোয়ার্তুমির ফলে চ্যাপলিনের কতখানি ক্ষতি হয়েছিল জানি না, তবে আমেরিকাসহ সারা বিশ্বের যে বিপুল পরিমানে ক্ষতি হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
বেশ ভাল লাগল আপনার লেখা পড়ে। চার্লি চ্যাপলিনের কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে আমাদের সবার।
আমার পছন্দের চার্লির একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরছি,
I want to play the role of Jesus. I’m a logical choice. I look the part. I’m a Jew. And I’m a comedian. . . . And I’m an atheist, so I’d be able to look at the character objectively.
Who else could do that?
@অভীক,
ধন্যবাদ অভীক। চার্লি চ্যাপলিন আমার নিজের খুব পছন্দের ব্যক্তিত্ব। এরকম সৃষ্টিশীল প্রতিভাবান লোক চলচ্চিত্রের ইতিহাসে খুব বেশি আসে নি।
সুন্দর লেখা কিন্তু এমন হুট করে শেষ হয়ে গেল কেন?? অন্ধকারে সিড়ি দিয়ে নামার সময় বোঝার আগে হঠাত করে ধাপ শেষ হয়ে গেলে যেমন লাগে তেমন লাগল।
গোল্ডরাশ মুভিটা দেখতে হবে।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আহারে বেচারা রামগড়ুড়ের ছানা। এই লেখার নীচে আমার ‘চলবে’ লেখা উচিত ছিল। তাহলে আর এমন হোঁচট খেতে হতো না। চলবে মানেই যে লেখা শেষ এটাতো সবাই-ই জানে। 😛
দেখে ফেলো গোল্ড রাশ। চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম সেরা ছবি এটি, কাজেই পস্তাবা না। এই থ্রেডেই ইউটিউবের লিংক দিয়েছি আমি।
সিনেমা নিয়ে আপনার লেখাটি পড়ে ভালই লাগলো । বিশেষ করে চার্লি চ্যাপলিন নিয়া লেখার অনেক কিছুই আছে । চার্লি একই সাথে সিনেমা পরিচালক প্রযোজক কাম অভিনেতা । তবে যা উল্লেখ না করলেই নয় তা হোল গভীর রাজনীতিজ্ঞান সম্পন্ন ব্যাক্তিত্ত্ব । যাকে আমরা হাল আমলে বুদ্ধিজীবি জ্ঞান করি । সমসাময়িক খণ্ড খণ্ড বিষয়কে কেন্দ্র করে সিনেমায় প্রখর রাজনীতিমুখর করে দর্শককে হাঁসি-তামাশায় বিনোদিত করে মাতিয়ে রাখা চাট্টিখানি কথা নয়। বিশেষ করে ‘গ্রেট ডিক্টেটর’ এ চার্লি চ্যাপলিন যেভাবে হিটলারকে তুলে ধরেছেন তা সেল্যুলয়েডের ফিতা ও ব্যাক্তি চ্যাপলিনকে আলাদা করার যো নাই ! চ্যাপলিন আর হিটলার কোনো পার্থক্যই নাই । চ্যাপলিন গ্লোব হাতে মিনিট পাঁচেকের যে হিটলারীয় অঙ্গভঙ্গি তা সেল্যুলয়েডের জগতে মাইলফলক । চ্যাপলিন গ্লোব হাতে কখনো একে উপরে উঠাচ্ছেন কখনো ভুপাতিত করছেন , কখনো হাঁটু দিয়ে গ্লোবটাকে নিয়ে খেলছেন কখোনোবা শুন্যে ছুড়ে মারছেন কখনো ভয়ানক পৈশাচিক আনন্দে গ্লোবটাকে পাছা দিয়ে শূন্যে ধাক্কা দিচ্ছেন ! ফটাশ! কী হলো! গ্লোব ফেটে গেছে , তারপর সব ইতিহাস সবাই জানে । হিটলারীয় বিভৎসা আর পৈশাচিক খেলাকে যেভাবে আমরা অবলোকন করি তা দেখে আমাদের মনেই হয়না ওই লোকটা চ্যাপলিন ! রাজনীতি মেধা আর অভিনয় শৈলীর যে পরম্পরা তা আমরা চ্যাপলিনেই পূর্ণতা দেখি । ‘সিটি অব লাইফদগ’ ‘ডগ লাইফ’ ‘কিডম্যান’ প্রভৃতি সিনেমায় চিন্তা, রাজনীতি আর মেধার যে সমন্বয় তা আজতক বিরল । তাই চ্যাপলিন যতোটা না মেধাবী,সিনেমা অভিনেতা কিংবা সফল প্রযোজক কাম পরিচালক ততোটা রাজনীতি বিশ্লেষক । এখানেই চ্যাপলিন অন্যদের থেকে আলাদা ও স্বতন্ত্র । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখার জন্যে ।
@মনির হোসাইন,
আপনার আলোচনাটুকুও চমৎকার লাগলো।
চ্যাপলিনের মুভির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটা ছিল। অন্য কমেডিয়ানরা যেখানে লোক হাসানোটাকে তাঁদের মূখ্য কাজ বলে মনে করেছেন, সেখানে চ্যাপলিন সমাজব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং রাজনীতির খুঁতগুলোকে তীব্র ব্যঙ্গ এবং বিদ্রুপ করেছেন হাসি-তামাশার মাধ্যমে। হলিউডের সবচেয়ে মেধাবী পরিচালক এবং অভিনেতা হওয়ার পরেও শুধুমাত্র বামপন্থী রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ম্যাকক্যার্থি যুগে লাল ভুতের অহেতুক ভয়ে ভীত আমেরিকায় আর তাঁকে ফিরতে দেওয়া হয় নি।
গ্রেট ডিক্টেটর ছবিতে হিটলারের গ্লোব নিয়ে খেলার সেই অসাধারণ দৃশ্যটা তুলে দিলাম এখানে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=IJOuoyoMhj8
যাক, বহুদিন পর ফরিদ ভাইয়ের স্বমূর্তিতে আগমন। দুর্দান্ত একটা লেখা পড়লাম চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে। আচ্চা চার্লির গোঁফের সাথে হিটলারের গঁফের মিল কি কাকতালীয়, নাকি এর পেছনে কোন রহস্য আছে?
@অভিজিৎ,
আমাদের বাসায় প্রথম কেয়ার টেকার শাহাবুদ্দিন সাহেবকে স্নেহ করে চার্লি্ চ্যাপ্লিন ডাকা হত।
@অভিজিৎ,
ঠিক বলেছ, ফরিদের স্বমূর্তিতে আবির্ভাব দেখে ভালো লাগলো। বেশ উপভোগ্য লেখা। সুন্দর সৃষ্টি টেকনোলজির ওপরে নির্ভরশীল নয় চার্লি চ্যাপলিনের মুভিগুলো আমাকে বারবার তাই মনে করিয়ে দেয়।
দুজনেরই জন্ম ১৮৮৯-এর এপ্রিলে। কি জানি, হিটলার বোধহয় নিজেকে চ্যাপলিনের মতো কৌতুকপরায়ণ মনে করতেন।
প্রসঙ্গত, উইকি থেকে…
@অভিজিৎ,
নাকের নীচে হাফ গোঁফ লাগানো ট্র্যাম্পের চরিত্র হিসাবে চার্লির প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র হচ্ছে কিড অটো রেসেস এট ভেনিস। কিন্তু এই চরিত্রের সূত্রপাত হয়েছিল মাবেলস স্ট্রেঞ্জ প্রেডিকামেন্ট ছবিতে। যদিও এই ছবিটি মুক্তি পায় কিড অটো রেসেস এট ভেনিসের পরে। এই ছবিতে চার্লিকে একজন কমেডিয়ানের গেট আপ নেবার জন্য আদেশ দেয় পরিচালক ম্যাক সেনেট। চার্লি কন্ট্রাস্টিং কস্টিউম বেছে নেয় চরিত্রটির জন্য। ব্যাগি প্যান্টের সাথে টাইট কোট। ছোট ডার্বি হ্যাটের সাথে বিশালাকৃতির জুতো। এর সাথে নাকের নীচে হাফ গোঁফ লাগিয়ে নেয় অধিকতর বয়ষ্ক দেখানোর জন্য। কারণ, পরিচালক একজন বয়ষ্ক কমেডিয়ানের চরিত্রেই চার্লিকে চাচ্ছিলেন।
হিটলারের সাথে চ্যাপলিনের গোঁফের সাদৃশ্য আসলেই বেশ মজাদার। কে জানে চার্লি হয়তো হিটলারের প্রিয় অভিনেতা ছিলেন। ফলে, চার্লিকে নকল করেই অমন নজরকাড়া গোঁফ গজিয়েছিলেন তিনি। 🙂
চার্লি তাঁদেরকে আমোদিত করার জন্য দুটো ফ্রেঞ্চ ব্রেড রোলকে দুটো কাটা চামচ দিয়ে বিদ্ধ করে ব্যালে নাচ দেখানো শুরু করে।
তার পর কি হলো? তার তো আর পর নেই? ফরিদ হঠাৎ করেই শেষ করে দিয়েছ্র।
যাহোক,
আন্না, ফরিদের এসব হালকা কথায় অভ্যস্ত। আসলে ফরিদ যে খাঁটি তা অনেক আগেই আন্না জানে। এ ভরসা ও সাহসেই ফরিদের এত কথা।
@গীতা দাস,
সমাপনী অংশটা লিখেছিলাম। কিন্তু পোস্ট করার সময়ে অপ্র্যোজনীয় মনে হলো সেটাকে। ফলে, মুছে দিয়েছি ওটাকে আমি সেই সময়।
:))
চ্যাপলিনের মুভি এখনো ভালোমতন দেখা হয় নি ;-(
@ইফতি,
দেখে ফেলুন চটজলদি। গোল্ড রাশ দিয়েই না হয় শুরু করুন।
প্রথম পর্বের ইউটিউব লিংকটা দিলাম। এর লেজ ধরে বাকিগুলোও পেয়ে যাবেন।
httpv://www.youtube.com/watch?v=DOrju-kgoec
ছোটবেলায় মার খাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। কারণে অকারণে মার খাওয়া একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল।
এই লাইলটি যেন আমাদের ভাবীর নজরে না পড়ে।
@তামান্না ঝুমু,
ছেলেমেয়েদের মারপিট করার অসুস্থ সংস্কৃতিটা বন্ধ হওয়া জরুরী প্রয়োজন। আমি নিয়মিত স্কুল ফাঁকি দিতাম শুধুমাত্র দয়ামায়াহীন শিক্ষকদের হাতে পশুর মত বেত পেটা খাবার ভয়ে।
ভয় দেখায় দিলেনতো। এখন তাড়াতাড়ি কাঁচি চালাতে হবে দেখে ফেলার আগেই। 🙁
আমিও আজ পর্যন্ত চার্লির সেই ছোট ছোট এপিসোডগুলিকে নির্দোষ কৌতূক হিসেবেই মনে করতাম, যেমটা পরবর্তি কালের থ্রী ষ্টুজেস। মনে হয় বড় হবার আর দেখিনি এই কারনেই।
যতদুর মনে পড়ে আমাদের দেশে চার্লি ৭০ এর দশকে দেখাতো, ৮০র দশকের প্রথম দিকেও দেখিয়ে থাকতে পারে। সন্ধ্যার সময়টাতেই দেখাতো মনে আছে। সে সময়কার আরো অনেক সিরিসজের কথাই চোখে ভাসে।
সবার জন্য না হলেও ওল্ড এই অলওয়েজ গোল্ড।
@আদিল মাহমুদ,
একদম খাঁটি কথা। হলিউডের বেশিরভাগ সেরা ছবিগুলোই তৈরি হয়েছে তিরিশ, চল্লিশ বা পঞ্চাশের দশকে। আমাদের দেশেও ষাটের দশকে যে সব ছবি হয়েছে তার ধারে কাছে ঘেষতে পারছে না এখনকার ছবিগুলো।
@ফরিদ আহমেদ,
খাঁটি কথা, কেবল আমি আপনিই বুঝলাম।
মানুষকে বললে অকালেই বুড়া হইছ 🙁 ।
ফরিদ ভাই,
চার্লির মুভি আমিও ছোট বেলায় হাসির ছবি হিসেবেই দেখতাম। এমন নয় যে তার ছবি হাসির নয়। কিন্তু এই হাস্য রসাত্ববোধের মধ্যেও জীবন দর্শন ফুটিয়ে তোলার বিরল প্রতিভা চার্লির ছিল।
আপনার কথাতেও এসেছে এই ব্যাপারটি
আচ্ছা আরেকটা ব্যাপার, লেখাটা অসমাপ্ত অসমাপ্ত লাগল কেমন যেন। বুঝলাম না। মানে শেষে এসে কেমন হঠাৎ করে শেষ হল। 🙁
@সাইফুল ইসলাম,
লেখাটার একটা উপসংহার ছিল। পোস্ট করার সময়, শেষ মুহুর্তের বিবেচনায়, কিবোর্ডের এক গুঁতোয় সেটিকে নেই করে দিয়েছি আমি। 🙁
এ ধরণের লেখা বড় একটা দেখা যায় না মুক্তমনায়। অসাধারণ লাগল। তবে, spoiler alert দিয়ে দেবেন না কি যারা গোল্ড রাশ দেখেননি তাদের জন্য?
@রৌরব,
ধন্যবাদ আপনাকে।
স্পয়লার এলার্ট দেবার প্রয়োজন দেখছি না। মুভিটার সার্বিক আলোচনাতে যাই নি আমি। সামান্য দুটো দৃশ্য নিয়ে খণ্ডিত আলোচনা করেছি মাত্র। দ্য কিড আর সিটি লাইফ নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে অনাগত কোনো এক সময়ে। তখন স্পয়লার এলার্ট দিতে ভুলবো না। 🙂
অনেক দিন পর আপনার লেখা পেলাম।
:lotpot:
@আসরাফ,
ব্যস্ততা আর আলসেমির কারণে কোনো কিছু লেখা হয় নি বেশ কিছুদিন। লেখালেখির জন্য যে মনোযোগ প্রয়োজন তার আপাতত কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। 🙁