ওসামা মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক রাজনীতি এত গরম-ভাবলাম এই মহামৃত্যুতে নিশ্চিত ভাবেই বিরাট কিছু একটা পরিবর্তন হবে। কিন্ত যতই যুক্তি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করছি, ততই দেখছি, যুক্তিতে আবেগের রেশ টানা যাচ্ছে না। সত্যিই কি ওসামার মৃত্যুতে বিরাট কিছু বদলাবার সম্ভবনা আছে? না ওসামা রাবণের অনেক মুখের একটি-যতই কাট ততই গজাবে?
২০০১ এর ১১ ই সেপেটম্বর আমি নিউয়ার্কের পথেই ছিলাম। টুইন টাওয়ার ধ্বসের ছাই এবং ধোঁয়া এখনো আমার স্মৃতিতে অম্লান। সেই আতঙ্কের দিনের ভয়াবহ স্মৃতিতে খুশী হওয়ারই কথা- পয়লা মে যখন হোয়াইট হাউসের সামনে জনোৎসব শুরু হয়েছে-তখন একবার ভাবলাম, ওদের ভীরে সামিল হই। কিন্ত কোথাও সুরটা কেটে গেল। অনেক প্রশ্নের জবাব নেই!
(১) ৯/১১ এর পরেও অনেক অনেক ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ পৃথিবী দেখেছে। বালি মুম্বাই মাদ্রিদ লন্ডন-অক্টোপাসের সকল শুঁড় পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। এর মধ্যে একটি বাদ দিলে, বাকীগুলিতে ওসামার কোন ভূমিকা নেই। তাহলে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুতে কি যায় আসে? বরং হামিদ মীরের ভাস্য অনুযায়ী ওসামা তার অনুগামীদের কাছে কথা রেখেছেন। জ্যান্ত ধরা দেন নি। শহীদ হওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন।
(২) বলা হচ্ছে তিনি ইসলামিক সন্ত্রাসবাদি আন্দোলনের আইকন! তার মৃত্যুতে তার সাঙ্গপাঙ্গরা মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে পড়বে!
ব্যাপারটা তাই কি? সবাই জানত আজ না হলে, কাল, ওসামা শহীদ হবে। বরং তার মৃত্যু বা আত্মত্যাগ অনুপ্রেরণার জন্ম দেবে আরো বেশী। আত্মত্যাগী শহিদরা জনমানসে হিরো-এটা আমাদের বিবর্তন সঞ্জাত মননের গভীরে প্রেথিত। একটা দলের জন্যে যে প্রাণ দেয়, তাদের প্রতি বাকীদের শ্রদ্ধা একটা সমাজের সারভাইভ্যাল স্ট্রাটেজির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আর যদি আইকন মেরেই সব কিছু করা যেত, মক্কা মদিনাতে একটা হাইড্রোজেন বোম ফেললেই ইসলামি ফ্যানাটিসিজম খতম হওয়ার কথা। ব্যাপার স্যাপার কি অতই সহজ না কি?
(৩) সন্ত্রাসবাদি আন্দোলনের তিনটি পিলার-আদর্শবাদ,টাকা এবং অস্ত্র। ওসামার মৃত্যুতে কোনটা কমল? পাকিস্তানের মাদ্রাসাতে এই সন্ত্রাসী আদর্শের চাষাবাদ হয়-টাকা আসে আরবের দেশগুলোর ইসলামিক সহমর্মীদের কাছ থেকে-আর অস্ত্র এবং প্রশিক্ষনের জন্যে আই এস আই ত আছেই। নইলে মিলিটারীর নাকের ডগায় ওসামা পাঁচ বছর নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিল?
ঘুরে ফিরে দেখা যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের পেছনে আসল নাটের গুরু পাকিস্তান নামে একটি ব্যার্থ রাষ্ট্র। তাদের কব্জা না করতে পারলে-এই সন্ত্রাসবাদ শেষ করা অসম্ভব। আরো অসংখ্য ওসামার জন্ম দিতে পারে তারা। আমেরিকা তাদের সন্ত্রাস দমনে যে টাকা দিচ্ছে, হয়ত সেটাই সন্ত্রাসবাদিদের কাছে যাচ্ছে! হতেই পারে। আমেরিকান সেনেটররাই আজ এই প্রশ্ন তুলছেন। পাকিস্তানের অবস্থা এতই বাজে সন্ত্রাসবাদিরা যেকোন দিন যেকোন মন্ত্রীকে মারার ক্ষমতা রাখে কারন রাষ্ট্রর যন্ত্রের মধ্যেই হাজার হাজার সন্ত্রাসবাদি ঢুকে বসে আছে।
যারা ইসলামি শাসন ব্যাবস্থা বা শরিয়া রাষ্ট্রের স্বপ্নে বিভোর-তাদের তাকানো উচিত পাকিস্তানের দিকে। মধ্যযুগীয় কোন চিন্তাধারার ( শরিয়া) ওপর ভিত্তি করে একটি রাষ্ট্র চালাতে গেলে, কি হাল হবে, তার উজ্জ্বল উদাহরন পাকিস্তান। ভারতেও জাতিদাঙ্গা এবং ধর্মীয় টেনশনের পেছনে বড় কারন, মুসলিমদের অতীতকে ( শরিয়া) আঁকরে থাকার প্রবণতা। এরা বিজ্ঞান বলতে কোরানে অপবিজ্ঞানের সন্ধান করে। ফলে সমগ্র ইসলামিক বিশ্বে শুধু সন্তানেরই উৎপাদন হয়-কোন উন্নত প্রযুক্তি-বা উন্নত উৎপাদন কাঠামোর জন্ম সেখানে হয় না। তরুন সমাজ বেকার। তীব্র খাদ্য সংকট। ফলে আজ গণতন্ত্রের জন্যে উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য। ইসলামিক বিশ্বে জনসংখ্যার বিস্ফোরন এবং সেই আগত নবীন সমাজকে খেতে না দিতে পারা-গোটা বিশ্বের সংকট হয়ে দাঁড়াবে।
সেটাই সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর। উৎপাদন কাঠামোর আধুনিকরন নেই-উৎপাদন বৃদ্ধি নেই-অথচ জনসংখ্যা বাড়িয়ে দিল চক্রাকারে। বিন লাদেনের বাবা মহম্মদ লাদেনের ২২ স্ত্রী, ৫৪ সন্তান। একজন স্ত্রীর একটু বয়স হলেই, তিনি তাকে ডীভোর্স করে নতুন স্ত্রী নিতেন। ইনি নাকি আবার খুব ধর্মপ্রান মুসলিম বলে সমগ্র আরব বিশ্বে সমাদৃত। এই যখন একটা ধর্মের লোকেদের অবস্থা যারা আধুনিক চিন্তাধারাকে সম্পূর্ন বর্জন করে ঘরির কাঁটা উলটো দিকে ঘোরাতে চাইছে-তখন সন্ত্রাসবাদ কমার লক্ষ্ণন দেখছি না।
আর আমেরিকাতেও যুদ্ধ ব্যাবসায়ীর অভাব নেই। জাপান, জার্মানীর সাথে এখন যুদ্ধ সম্ভব না। এখন যুদ্ধ শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই সম্ভব কারন সেখানে সামন্ততান্ত্রিক কাঠামো এখনো আছে। সেখানে লোকে জাতি, ধর্মে বিশ্বাস রাখে বেশী। আধুনিকতায় বিশ্বাস নেই ইসলামিক সমাজে। যুদ্ধ ব্যাবসার জন্যে সেটা আদর্শ। সেই জন্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প গর্বের সাথে বলতে পারেন-এত রাখঢাক করে কি হবে? ওখানে যুদ্ধ ব্যাবসা করেই লাভ করা উচিত! মুসলিমদের এই মধ্যযুগীয় মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাবসা করার জন্যে আমেরিকা, ইংল্যান্ডে অনেক লোক আছে।
ওসামা একটা ক্যান্সারের সামান্য লক্ষণ। পচন অনেক গভীরে-পাকিস্তানে। সেই রাষ্ট্রটা ঠিক না হলে-এই ক্যান্সার শুধুই ছড়াবে।
বিন লাদেনের কম্পউন্দে পাওয়া পরনগ্রাফই লিঙ্ক।
http://www.cnn.com/video/#/video/bestoftv/2011/05/13/exp.tsr.porn.bin.laden.cnn?hpt=T2
একটি এক্সপ্লোসিভ খবর আছে।
বিন লাদেনের পারসোনাল ড্রাইভ থেকে প্রচুর পর্নগ্রাফী পাওয়া গেছে। উনি নিজে দেখতেন কি না-তার প্রমান নেই। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে তিনি পর্ন দেখতে পছন্দই করতেন!
http://www.cbsnews.com/8301-503543_162-20062676-503543.html
লাদেনের মৃত্যুর ব্যাপারে চমস্কির প্রতিক্রিয়া
ব্যক্তি লাদেন একজন সাধারণ মানুষ । আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো তিনিও সন্ত্রাসকে ঘৃণা করেন । তাই সন্তানদেরকে সন্ত্রাসী না হওয়ার উপদেশ দেয়াওটা স্বাভাবিক । কিন্তু উগ্র ধর্মীয় লাদেন, ধর্মীয় সন্ত্রাসের আইকন, সাম্রাজ্যবাদের হাতের পুতুল । সাম্রাজ্যবাদ হলো অর্থনৈতিক সিস্টেম । এই সিস্টেমের বহু অস্ত্রের মধ্যে লাদেন একটি অস্ত্র, যা সময়ের কারনে পরিত্যাক্ত । লাদেনের পূর্বে উন্নয়নশীল দেশের সামরিক বাহিনী ছিল সাম্রাজ্যবাদের অস্ত্র । বর্তমানে কারজাই মার্কা গণতন্ত্র হলো সাম্রাজ্যবাদের অস্ত্র । তাই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ গণতন্ত্র রপ্তানি করার চেষ্টা করছে । তাই লাদেন কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় । লাদেনকে বিশ্লেষণ করতে হবে বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ।
ওসামা বিন লাদেনকে অনেক মানুষই খারাপ বলে বাইরে বাইরে , মনে হয় দায় ঠেকে। আমি কাউকে কাউকে প্রশ্ন করেছি- ওসামা ইসলামের বাইরে কোন কাজটি করেছে? তারা বলে – সে নিরীহ মানুষকে খুন করেছে যা ইসলাম সমর্থন করে না। তখন তাদেরকে কোরান হাদিস থেকে এর রেফারেন্স দিতে বলি। বলা বাহুল্য অধিকাংশই কোন রেফারেন্স দিতে পারে না। শুধু দু একজন বলে- কোরান বলছে – ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে। তখন আমি তাদের বলি ওটা ছিল ইসলামের প্রাথমিক যুগের বিধান। এর পরে কোরানে যে সব আয়াত নাজিল হয় তাতে বলা আছে – জিহাদ করতে হবে, অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে, ইসলামী আইন চালু করার জন্য জীবন বাজি রাখতে হবে, দরকারে জীবন দিতে হবে- এসব। তখন তারা হঠাৎ করেই চুপ মেরে গিয়ে বলে- তারা ধর্ম নিয়ে আর কথা বাড়াতে চায় না। তো এ আলাপ চারিতার ফলাফল কি ? ফলাফল একটাই কোরান হাদিস মোতাবেক ওসামা বিন লাদেন সাচ্চা মুসলমান ও ১০০% ইসলাম অনুসারী।
@ভবঘুরে,
মুহাম্মদ জীবিত থাকলে লাদেনের নামে কোরানের আয়াত নাজিল হতো।
@আকাশ মালিক,
শুধু তাই নয়। শুনেছি মোহাম্মদের ১০ জন সাহাবী বেঁচে থাকতেই বেহেস্তে গিয়ে হুর পরীর সাথে মজা ফুর্তি করার টিকেট কনফার্ম করেছে আর তা মোহাম্মদ নিজেই কনফার্ম করেছে। মোহাম্মদ এখন বেঁচে থাকলে শুধু লাদেনই নয়, সেই সাথে মোল্লা ওমর, বাংলা ভাই , আব্দুর রহমান এদেরও টিকেট কনফার্ম হয়ে যেত মনে হয়।
ওসামা মৃত্যুর তিন বছর আগে তার শেষ কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে-
ওসামার লাস্ট উইল অনুযায়ী
তিনি চান তার স্ত্রীরা আর বিয়ে না করে ২৪ জন সন্তানকে মানুষ করুক!
এবং তার ছেলেরা যাতে জিহাদি না হয়!
ওসামা যে একজন কতবর ভয়ংকর শয়তান-তা তার শেষ উইলেই প্রকাশ্য। উনি অন্যদের ছেলেমেয়েদের জিহাদি হতে ঠেলে দিচ্ছেন-আর নিজের সন্তানরা যাতে “ভালভাবে” মানুষ হয় তার উইল রেখে যাচ্ছেন।
অভিজিৎ রায় উৎহাসিত হতে পারেন। দেখা যাচ্ছে ওসামাও বিবর্তনীয় মনোবিদ্যার বাইরে যেতে পারলেন না। আমি অবশ্য এই ব্যাপারটা নিয়ে আগেও বলেছি-মানুষের সব চেয়ে বড় ধর্ম সন্তান মানুষ করা-ইসলাম , হিন্দু এসব হচ্ছে “সামাজিক ইউটিলিটি” সমাজে পাত্তা পাওয়া বা রাজনীতির জন্যে মানুষ ক্ষমতার কেন্দ্রের সাহায্য নেয়। অধিকাংশ মানুষ আসল ধর্ম বলতে সন্তান পালনই বোঝে এবং ওসামাও বাতিক্রম না। তাই তার কাছেও ছেলে মেয়ে মানুষ করা ইসলামের চেয়ে বড়-তাই উনি অন্যের ছেলেমেয়েদের জিহাদি হতে অনুপ্রেরণা দেন-আর নিজের ছেলে মেয়েরদের বেলাতে আলাদা নিদান।
দেখা যাচ্ছে দুনিয়ার সব থেকে বড় ইমানওয়ালা মুসলিমটিও তার ব্যাতিক্রম না!
@বিপ্লব পাল,
আমার কোটেশন –>
আপনার উত্তর –>
কিসের মধ্যে কী বললেন কিছুই বুঝলাম না।
ইতি টেনে দিচ্ছি।
ডঃ পাল, সফিক, রৌরব,
ডঃ পাল, আপনি তো, সমাজনীতি, রাজনীতি না বুঝে পদার্থবিদ্যার গবেষণাগারে বসে গদা ঘুরিয়ে নেচে চলছেন, তা নাচতে থাকুন । আপনার ভাষ্য অনুযায়ী কমিউনিজমের উপর আমার প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট আছে বলে স্বীকার করলেন । আপনার তো সেই সার্টিফিকেটিও নাই । কিন্তু কবুতরের মতো প্রতিনিয়ত বকবকুম করে চলছেন । রাজনীতি রাজপথের বিষয়, গবেষণাগারের বিষয় নয় ।
সর্দার প্যাটেল কি ভাবলো তা বিবেচ্য বিষয় নয় । বিবেচ্য বিষয় হলো নেহরুর নেতৃত্বে ভারত সরকার কোন নীতি বাস্তবায়ন করলো । অনুরূপ ভাবে ব্যক্তি শেখ মুজিব সম্ভু লারমাকে কি বললো তা বিবেচ্য বিষয় নয় । শেখ মুজিবকে মূল্যায়ন করতে হবে, তার নেতৃত্বে গঠিত সরকার কর্তৃক গৃহীত নীতিমালা অনুযায়ী ।
সমাজ-বিপ্লব ছেলের হাতের মোয়া নয়, যখন ইচ্ছা তখন খেলাম, অন্যথায় হাতে রেখে দিলাম । সমাজ-বিপ্লবের জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিপক্কতা । সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে রাজতন্ত্র খতম করে ক্ষমতা দখল করা যায়, বিপ্লব করা যায় না । বিপ্লব করার জন্য প্রয়োজন হয় জনতা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের । সেনাবাহিনী এদের সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করতে পারে । আরব অঞ্চল অপেক্ষাকৃত ভাবে এখনও পশ্চাদপথ, নাসেরের সময় ছিল আরো পশ্চাদপথ । কর্নেল নাসের মিসরের রাজাকে অপসারিত করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন এবং সিরিয়া ও লিবিয়ার রাজতন্ত্র খতমে সাহায্য করেছিলেন । এই কাজটি তখনকার সময়ের জন্য ছিল প্রগতিশীল কর্মকান্ড । ডঃ পাল প্রানীবিদ্যার বিবর্তন ও পদার্থবিদ্যার আপেক্ষিক তত্ত্ব বুঝেন, কিন্তু দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদে বর্ণিত বিবর্তন ও আপেক্ষিক তত্ত্ব বুঝেন না ।
টিটুর ব্যক্তিগত জীবন আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু নয় । টিটু সরকারের গৃহীত নীতি আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল । আপনার পুরা লেখায়ই অপ্রসাংগিক বক্তব্যে ভরপুর । আপনি ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে চলছেন ।
সফিক
আমার জুত নেয়ার প্রয়োজন নাই । আপনি জুত নিতে পারলেই আমি খুশি । তবে রাজনীতি ও অর্থনীতিকে যত সোজা মনে করেন, বিষয়গুলি কিন্তু তত সোজা নয় । নিম্নের ওয়েব সাইটে Joe Wolverton এর প্রবন্ধটি পড়ুন ।
http://www.thenewamerican.com/world-mainmenu-26/europe-mainmenu-35/7184-british-paper-reports-big-oil-companies-
ইরাক যুদ্ধের আগেই British Petroleum(BP) এবং China National Petroleum Company (CNPC) ইরাকি তেলের ভাগবাটোরা করে নিয়েছে । এই দুই কোম্পানীসহ মো্ট নয়টি কোম্পানী ইরাকের তেল উত্তলোন করছে, যার মধ্যে দু’টি মার্কিন, দু’টি রাশিয়ান, একটি মালেশিয়ান, একটি গ্রীস এবং একটি বৃটিশ কোম্পানী ডেনমার্কে রেজিষ্ট্রেশনকৃত । CNPC চীনে রেজিষ্ট্রেশন হলেও কারা এই কোম্পানীতে বিনিয়োগ করেছে । তাছাড়া কাদের অর্থে রাশিয়ান দু’টি, মালেশিয়ান এবং গ্রীস কোম্পানী কাদের অর্থে পরিচালিত হচ্ছে । আমার জানা মতে ভারত, মার্কিন ও ফ্রান্সের অর্থে এই কোম্পানীগুলো পরিচালিত হচ্ছে । খোঁজ খবর নিলে আমার বক্তব্যের সত্যতা পেয়ে যাবেন ।
রৌরব
চিলির আলেন্দে, আর্জেন্টিনার নয় । তীর্যক, তা যতই স্পষ্ট বা সত্য হউক, সাধারণ মানুষ ভাল ভাবে গ্রহন করে না । মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনায় সমাজ বিবর্তনের চিত্রটি ফুটে উঠে । আদি খাদ্য-সংগ্রহ ও শিকা্রী সমাজ বিবর্তিত হয়ে মাতৃ কেন্দ্রিক (প্রি-কৃষি)সমাজ, কৃষি সমাজ, দাস সমাজ, সামন্তবাদি সমাজ, পুজিবাদি সমাজ (বর্তমানে চলমান) এ উন্নিত হয়েছে । এটাকে বলে সভ্যতার, অথ্যাৎ ইতিহাসের উর্ধ্ব গতি । সমাজ কোন দিনই আদি খাদ্য-সংগ্রহ ও শিকারী সমাজে ফিরে যাবে না বা নিম্নমূখী হবে না । সমাজ গতিশীল, তাই পুজিবাদকে বিদায় নিতে হবে ।
আ হা মহিউদ্দীন
@আ হা মহিউদ্দীন,
যাক, অবশেষে। Doubleday pictorial এর মতই “আর্জেন্টিনার” আলেন্দে আপনার একটি পুরনো trope ছিল।
আমার কথাটি বুঝতে পারেননি না এড়িয়ে গেলেন বুঝলাম না। যাহোক।
এর সাথে ইতিহাস আঁকা-বাঁকা চলে এর সমন্বয় ঘটাবেন কি, না ওটা এমনিই বলেছিলেন? ইতিহাসের গতি totality তে “উর্ধ্ব”-মুখী, তা হতে পারে, কিন্তু সমাজের regression হয় না, আপনার এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে এর।
“X কে কোন অনাগত সময়ে বিদায় নিতে হবে” এসব মন্তব্য trivial।। সবকিছুকেই বিদায় নিতে হয়। ধরেন আমি বললাম, “সমাজ গতিশীল, তাই ইসলাম কে বিদায় নিতে হবে”। একথাটির implication কি, আপনার মতে?
@রৌরব,
আপনার লেখা প্রমান করে আপনি তরুন । তারুণ্যের স্বভাব হলো সমাজের গতি-প্রকৃতি না বুঝে ধর্মকে আঘাত করা এবং নিজেকে সবজান্তা ভাবা । কোন বিষয়ের উপর আপনার পড়াশুনা তা আমার জানা নেই । তবে আপনার লেখা পড়ে মনে হয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদে আপনার জ্ঞান সীমিত । যে প্রশ্নগুলো আমাকে করে চলছেন তা করতেন না যদি আপনার বস্তুবাদি জ্ঞান থাকত ।
The Doubleday Pictorial সিরিজের ৪র্থ খন্ড বই হলো World History (Civilization From Its Beginnings), ১ম খন্ড হলো Science (Chemistry, Physics, Astronomy), ২য় খন্ড Nature (Earth, Plants, Animals), ৩য় খন্ড হলো Geography (Our Planet its Peoples and Resources)। বইগুলোতে বস্তুবাদি তত্ত্ব সঠিক ভাবে প্রয়োগ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞারা মনে করেন । কিন্তু এই জ্ঞান ভান্ডারটি আপনি হাস্যকর, অশ্রদ্ধয় এবং তাচ্ছিল্যপূর্ণ বলে মনে করছেন এবং শব্দের আলাঙ্কারিক প্রয়োগ (Trope) বলে মনে করেন । বাস্তবতাকে অস্বীকারকারী সবজান্তা মানুষেরা মৌলবাদেরই ভিন্ন রূপ । এদের সাথে কোন বিষয় আলোচনা করা সময়ের অপচয় মাত্র ।
ইতিহাসের সার্বিক (totality) গতি উর্ধ্বমূখী বলে আপনি স্বীকার করলেন । ইতিহাসের উর্ধ্বমূখীতাকে Y-অক্ষ ধরুন । তবে ইতিহাসের অগ্রগতি Y-অক্ষ বরাবর হয় না । তাই বলা হয় ইতিহাস সরল রেখায় চলে না । প্রয়োজন অনুযায়ী ইতিহাসের অগ্রগতি কোন সময় Y-অক্ষের ডানে, আবার কোন সময় বামে মোড় নেয় । তাই বলা হয় ইতিহাস আকাঁ-বাকাঁ পথে চলে । কিন্তু চলার পথের প্রবনতা বা ঝোঁক থাকে উর্ধ্বগতির দিকে । ইতিহাসের এই আকাঁ-বাকাঁ পথকে আপনি পশ্চাদগতি (regression)হিসাবে আক্ষায়িত করেছেন । যার অর্থ দাঁড়ায় বাস্তবধর্মী ইতিহাসকে অস্বীকার করা ।
বিবর্তন বা বিদায় নেয়াকে একসময় তুচ্ছ/নগন্য (Trivial) আক্ষায়িত করে, আবার বললেন “সব কিছুকেই বিদায় নিতে হয়” । পরস্পর বিরোধী এই দুই বক্তব্যের কোনটি আপনার কাছে গ্রহনযোগ্য?
সপ্তম শতাব্দির আরবের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে কোরাণ ও ইসলামের আগমন । তাই কোরাণকে বিশ্লেষণ করতে হবে সপ্তম শতাব্দির প্রক্ষাপটে, বর্তমান কালের প্রেক্ষাপটে নয় । সপ্তম শতাব্দির অসভ্য আরববাসীকে ইসলাম সভ্য বানিয়েছে এবং ট্রাইবাল সমাজ ও দাস ব্যবস্থা ভেঙ্গে সামন্তবাদের পতাকা তলে সাধারণ মানুষকে একাত্রীত করেছে । সুদকে হারাম করে সাধারন মানুষকে স্বস্তির নিশ্বাস নেয়ার সুযোগ দিয়েছে । ইসলাম পূর্ব পশুত্ব অবস্থা থেকে নারীকে তুলনামূলক ভাবে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে । বৈদিক যুগের ভারতের পশুতুল্য অনার্য্য মানুষকে মানুষ হিসাবে গণ্য করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে ইসলাম (দ্রষ্টব্য যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তের বিক্রামপুরের ইতিহাস) । আশা করি এই বইটিও আপনার কাছে হাস্যকর বিবেচিত হবে । সপ্তম শতাব্দির ইসলাম ও বর্তমান কালের ইসলাম এক জিনিষ নয় । বিবর্তিত ইসলামও বর্তমান কালের চাহিদা মিটাতে অপারাগ । সন্ত্রাসী ইসলাম হলো রাজনৈতিক ইসলাম, যার উপর সাধারণ মুসলমানদের সমর্থন নেই । তাই ইসলামের সাথে সন্ত্রাসকে একিভূত করা অজ্ঞতার পরিচয় বহন করে । কালের বিবর্তনে ইসলামের বিদায় অনিবার্য ।
আ হা মহিউদ্দীন
@আ হা মহিউদ্দীন,
ভাই আপনি আসল কথারই উত্তর দেন নি। যাইহোক এবার আপনার নিচের বক্তব্যটি দেখেন প্লিজ:
যে দেশে মহানবী এসে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়ে আলোর পথ দেখালেন সে দেশ পশ্চাদপদ থাকে কেমনে ? সে দেশ তো সবার চেয়ে বেশী উন্নত থাকার কথা। তাই না ?
@আ হা মহিউদ্দীন,
দেখি আপনার সুডো-গাণিতিক সূত্রের সারমর্ম কিছু বাইর করতে পারি কিনা।
ধরলাম। কিন্তু, ইয়ে…. X-অক্ষে কি? সেটা বলার দরকার নাই, নাকি ভাবলেন ঐতিহাসিক বস্তুবাদ না জানা তরুণেরা Y-অক্ষ দেখেই কাইত হবে?
তারপরও দিলাম আপনারে benefit of doubt। সম্ভবত X-অক্ষে সময় বুঝিয়েছেন। X-অক্ষে সময়, Y-অক্ষে ইতিহাসের বিকাশের স্তর। আইচ্ছা।
আপনি এখনও স্বীকার করতে নারাজ যে এই গ্রাফের চেহারা উপর-নীচ করতে পারে, কারণ তাহলে ঘোলানো পানি পান করতে হয়। আপনার মতে এই গ্রাফ কেবল ডান-বাম করবে। কিন্তু, গ্রাফ ডান-বাম করা মানে এই দাঁড়ায় যে সভ্যতা অনবরত টাইম-ট্রাভেল করতেছে। ঘটনা কি?
আরেকটা কথা। আপনার “প্রয়োজন অনুযায়ী” কথাটা দারুণ লাগল, কারণ আপনার ডিটারমিনিস্টিক ইতিহাস-চেতনা সম্বন্ধে ওই শব্দগুচ্ছ সবই ফাঁস করে দিচ্ছে। ইতিহাসের গতি সম্বন্ধে আমাদের কোন মৌলিক জ্ঞানাভাব আপনি মানবেন না, ঐতিহাসিক গতি সবসময় আপনার জানা “প্রয়োজন অনুযায়ী” নির্ধারিত হয়ে আসছে!
ঝোঁক যে “ঊর্দ্ধমূখী”, সেটা তো বলসিই আমি। কিন্তু আপনি কি বলেছিলেন? আপনি বলেছিলেন “সমাজ কোন দিনই আদি খাদ্য-সংগ্রহ ও শিকারী সমাজে ফিরে যাবে না বা নিম্নমূখী হবে না “। ঝোঁকের কথা এখন হঠাৎ স্বীকার করে বসলেন।
একটা সমাজ ব্যবস্থা পাঁচ-শ/হাজার বছরের জন্য পেছন দিকে সরে গেছে, এর বহু ঐতিহাসিক উদাহরণ আছে, আমি আগেই বলেছি। এটাকে regression আমি বলিনা, ইতিহাস জানা সকলেই বলে। সেটাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ না করে আপনি “বাস্তবধর্মী ইতিহাস” নিয়ে টানাটানি করছেন। আসল “বাস্তবধর্মী ইতিহাস” নিয়ে বসলে দেখবেন তা আপনার (বা আমার) সরলীকৃত ধাপে-ধাপ উন্নয়নের ফর্মুলা মেনে চলেনা।
:-Y
স্তন্যপায়ীর বিবর্তন বিষয়ক গভীর লেখায় গিয়ে যদি আমি বলি “ছাগলের নাক আছে” আর অন্য কেউ যদি আমাকে trivialty-র দোষে দুষ্ট করেন কারণ এটা কোন যুক্তি বহন করে না, তার মানে কি ছাগলের নাক নাই, নাকি ওই “অন্য কেউ” পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করলেন? অ-আ-ক-খ শেখাতে হলে তো সমস্যা।
ইসলাম নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তার আর জবাব দিচ্ছি না। দাস-প্রথা ও একেশ্বরবাদ বিষয়ে আপনার থিয়োরির প্রেক্ষিতে আমার বহু পুরনো মন্তব্যের জবাব পাইনি, কাজেই ও কাসুন্দি ঘেঁটে লাভ নাই। doubleday-র যে বর্ণনা দিলেন তাতে অবশ্য ঘাবড়াইসি 🙂
@আ হা মহিউদ্দীন,আপনি বলছেন “ইরাক যুদ্ধের আগেই British Petroleum(BP) এবং China National Petroleum Company (CNPC) ইরাকি তেলের ভাগবাটোরা করে নিয়েছে”। এই কনসোর্টিয়াম গঠিত হয়েছে ২০০৯ সালে, ইরাকের সরকারের বিভিন্ন অয়েল অফারগুলোর উপরে বিডিং করার জন্যে। তেল কম্পানীগুলো অহরহই এরকম কনসোর্টিয়াম করে বিডিং এ সুবিধার জন্যে।আপনার ভাষ্যমতে CNPC যে ইরাক যুদ্ধের (২০০৩) আগেই ‘তেল ভাগবাটোয়ারা’ করাতে অংশ নিয়েছে, সেবিষয়ে রেফারেন্স দিন।
ইরাক সরকার তাদের বিবেচনামতো যোগ্য কম্পানীকে কন্ট্রাক্ট দিয়েছে, এখানে সাম্রাজ্যবাদের কথা আসলো কেমনে? ব্রিটেন ২০০৯ সালে ইরাক থেকে সরে গেছে কিন্তু আমেরিকার দেড় লাখ সেনা ইরাকে তখন ছিলো।BP- CNPC কে কয়েক বিলিয়ন ডলারের কন্ট্রাক্ট পাইয়ে দিতে, আমেরিকানদের শত শত বিলিয়ন খরচ করার উদ্দ্যেশ্যটা কি সেটা আপনি এখনও ক্লিয়ার করেন নি। আমেরিকান সংবাদ মাধ্যম সম্পরকে কিছু এক্সপোজার থাকলে আপনি জানতেন যে ইরাকের তেল কন্ট্রান্ট নিয়ে আমেরিকান রাজনীতিতে কি পরিমানে বিতর্ক রয়েছে।
আপনি বলছেন ” CNPC চীনে রেজিষ্ট্রেশন হলেও কারা এই কোম্পানীতে বিনিয়োগ করেছে “। CNPC চীনা সরকারের কম্পানী, আপনিই বলুন না এতে কারা বিনিয়োগ করেছে? আপনার কাছে মনে হয় কিছু ইউনিক তথ্যের সোর্স আছে।
আপনি বলছেন “রাজনীতি ও অর্থনীতিকে যত সোজা মনে করেন, বিষয়গুলি কিন্তু তত সোজা নয়”। সত্যি কথা। আপনি নিজে কখনো তা ভেবে দেখেছেন?
@আ হা মহিউদ্দীন,
যদি গণতন্ত্রের জন্যে নাসেরের সিরিয়াতে নাক গলানো [ সোজা কথায় সেনা পাঠিয়ে সরকারকেই উৎখাত করেছিলেন] সাম্রাজ্যবাদ না হয়, ইরাকে এবং লিবিয়াতে মার্কিন সেনা পাঠানো কেন সাম্রাজ্যবাদ?
যদিও মহিউদ্দিনের এই ইতিহাসটি ভুল, তবুও তর্কের খাতিরে এটিকে ঠিক বলে মেনে, মহিউদ্দিন প্রমান করুক কেন ইরাক এবং লিবিয়াতে মার্কিন সেনা পাঠানো সাম্রাজ্যবাদ আর সিরিয়াতে নাসেরের সেনা পাঠানো [ একই কারনে] সাম্রাজ্যবাদ না।
এই ব্যাক্তিটির সাম্রাজ্যবাদের জন্যে কি সংজ্ঞা ব্যাবহার করেন জানা নেই। তবে মুসলিম সেনাপতিরা অন্য দেশে সেনা পাঠালে , সেটাকে উনি প্রগতিশীল আন্দোলন ভাবেন-আর একই কুকর্ম আমেরিকা করলে, তা হয় সাম্রাজ্যবাদ! তোবা!
@বিপ্লব পাল, @ সফিক
ডঃ পাল ও সফিক
আপনাদের উভয়েরই সাম্রাজ্যবাদের সংজ্ঞা, সাম্রাজ্যবাদ ও সংশ্লিষ্ট সরকারের মধ্যে সম্পর্ক এবং তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার অভাব রয়েছে । সাম্রাজ্যবাদের একটি সংজ্ঞা ইতিপূর্বে দিয়েছিলাম, যা আবার উদ্ধৃত করছি “The policy of extending a nation’s authority by territorial acquisition or by the establishment of economic and political hegemony over other nations.”। আলোচ্য এই সংজ্ঞার ধাঁচে আফগানিস্থান ও ইরাকের নির্বাচিত সরকারকে ফেলে এই দুই সরকারকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করুন ।
তদকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত সরকার সমূহ যদি বাংগালিদের স্বার্থ দেখভাল করতে পারতো তবে পাকিস্তান ভাঙ্গার প্রয়োজন হতো না । অনুরুপ ভাবে আফগানিস্তান ও ইরাকের সরকার স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখে না । নির্বাচন হলেই যেমন গণতন্ত্র হয় না, তেমনি কোন কোন নির্বাচিত সরকারও জাতিয় স্বার্থ দেখে না, যেমন দেখেনি বাংলাদেশের জিয়া, এরশাদ ও খালেদা সরকার । আফগানিস্থানের কারজাই সরকার ও ইরাকের আল মালিকি সরকারও জাতিয় স্বার্থের পরিবর্তে নিজ ও সাম্রাজ্যবাদি স্বার্থ দেখভাল করছে । মার্কিন সরকার আলোচ্য এই দুই দেশে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে গণতন্ত্র রপ্তানি করেছে ।
তেল কোম্পানিগুলো টাকার থলি নিয়ে ইরাকে বসে আছে । ইরাকি সরকার ও স্বার্থান্বেষি গোষ্ঠি সকলেই টাকায় ভাগ বসাচ্ছে । ফলে সাদ্দামের আমলে একজন ইরাকিকে এক গ্যালন তেল কিনতে ব্যয় করতে হতো এক সেন্ট, এখন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও সে এক গ্যালন তেল আড়াই ডলারে কিনতে পারে না ।
সফিক তেল কন্সর্টিয়ামের মঞ্চস্থ নাটকের দৃশ্য অবলোকন করেছেন । কিন্তু পর্দার পিছনে অনুষ্ঠিত নাটকের রিয়ার্সাল দেখেননি, যার রেফারেন্স দিয়েছিলাম । উক্ত রিয়ার্সাল তার কাছে গৌণ মনে হয়েছে । আলোচ্য রেফারেন্সে Lady Symons এর নাম উল্লেখ আছে, যিনি বৃটিশ তেল কোম্পানির পক্ষে বুশ প্রশাসনে লবি করেছিলেন । দুই পক্ষের এগ্রিমেন্ট হওয়ার পরই ইরাক যুদ্ধ আরম্ভ হয় ।
তাছাড়া Corporation ও Company এর মধ্যে পার্থক্য নিরূপনে সফিক ব্যর্থ হচ্ছেন । Corporation হলো সরকারি সংস্থা, যা সরকারি আইন দ্বারা পরিচালিত হয় । বিপরীতে Company চলে কোম্পানি আইন দ্বারা । ফলে China National Petroleum Corporation ও China National Petroleum Company এর চরিত্র ভিন্ন । ফলে তেল কোম্পানিতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ থাকা অনিবার্য ।
ডঃ পাল আপনি শিশুকাল ও কৈশোরকালের পার্থক্য বুঝেন । শিশুকালে আমরা সকলেই মায়ের কোলে হাগুমুত করেছি । কৈশোরে মায়ের আচল ও বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়েছি । যৌবনে মায়ের আচলের চেয়ে বান্ধবির আচল আরামদায়ক মনে হয়েছে । উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের মধ্যেকার পার্থক্য নিশ্চয়ই বুঝেন । উন্নয়নশীল দেশ হলো উন্নতির শিশু ও কৈশোরকাল । এ বয়সে বান্ধবির চুম্বকের আকর্ষণ শরীরে পৌছে না, যার অর্থ দাঁড়ায় উন্নয়নশীল দেশ অন্যের সম্পত্তি লুট করার আকর্ষণ অনুভাব করে না । অর্থ্যাৎ উন্নয়নশীল দেশ সাম্রাজ্যবাদি হতে পারে না ।
সিরিয়ার ইতিহাস আমি যতটুকু পড়েছি তাতে কোথায়ও পায়নি যে মিসরের নাসের সিরিয়ায় সৈনা পাঠিয়েছিলেন । মার্কিন ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক বর্ণিত সিরিয়ার ইতিহাসেও বিষয়টি উল্লেখ নাই । তবে সিরিয়ার আরব জাতিয়তাবাদি সেনা সরকারের পরামর্শে সিরিয়া-মিসর মিলিত ভাবে United Arab Republic নামে একটি রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিল । তবে কিছু দিন পর সিরিয়ায় পুণঃ ক্যু ঘটলে সিরিয়ার নূতন সেনা সরকার সিরিয়া-মিসর যৌথ রাষ্ট্র ভেঙ্গে দেন । সিরিয়ার ইহিহাস থেকে জানা যায় যে ১৯৪৯ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত প্রায় প্রতি ছ’মাস অন্তর সিরিয়ায় একটি করে সেনা ক্যু অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
ডঃ পাল, সফিক ও রৌরব আপনাদের মত বিজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে আমি ধন্য হয়েছি । এখন এই মতৈক্যে পৌছতে পারি যে আমাদের মধ্যে চিন্তা ধারার অমিল রয়েছে । আমি একটু ভয় আছি । কারণ আমি মুক্তুমনায় সমাদৃত নই । আমি অনেকটা জোর করে আপনাদের সাথে আলোচনায় এসেছি । ফলে যে কোন মডু, যে কোন সময় বলে দিতে পারেন, “পরাপারের সময় হলো, কিন্তু অভদ্র লোকটির আক্কেল-জ্ঞান হলো না, এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে “ । তাই মুক্তমনার ধর্য্যচ্যুতির পূর্বেই আমি আলোচনার সমাপ্তি টানতে চাচ্ছি । আবার সুযোগ হলে দেখা হবে ।
মহিউদ্দীন
@আ হা মহিউদ্দীন,
এটা আগে বললেই ল্যাঠা চুকে যেত।
১৯৫৭ সালের আগস্ট মাসে ৪০০০ হাজার মিশরীয় সেনা সিরিয়ার লাটাকিয়া বন্দরে অবতরন করেন এবং নাসের সিরিয়া দখ্ল করেন। পরবর্তী ফেব্রুমাস পর্যন্ত প্রায় ৩০,০০০ কমিনিউস্টকে জেলে পুরে এবং আনুমানিক ২০০০ সিরিয়ান কমিনিউস্ট গেরিলা হত্যা করে সিরিয়াকে কমিনিউস্টদের হাত থেকে পতনের হাত থেকে বাঁচান। ওয়াকিতে এর ছো্টট বিবরন পাবেন
Despite his popularity, Nasser’s credentials as Arab leader were at stake after the events in Jordan. Later in 1957, Turkish troops massed along the border with Syria, accusing it of harboring Communist rebels. In response, Saud announced his support for Arab Syria against Turkey. To outdo him, in August, Nasser decided to land 4,000 Egyptian troops in the Syrian port city of Latakia, reclaiming his prestige, especially with the Syrian people.[79]
Beginning in 1957, Syria appeared close to becoming a Soviet satellite; it had a highly organized Communist Party and the army’s chief of staff, Afif Bizri, was a Communist sympathizer. Nasser told an initial Syrian delegation that they needed to rid their government of Communists, but the delegation countered and warned him that only total union with Egypt would defuse the “Communist threat.” Although Nasser initially turned them down, suggesting that it would take a minimum of five years to establish a feasible political union,[79] he became more afraid of a Communist takeover when the second Syrian delegation composed of military officers was led by Bizri on 11 January 1958; Bizri personally discouraged Syro-Egyptian unity.[79][80] Afterward, Nasser opted for a total merger and the resulting United Arab Republic (UAR) came into being on 1 February 1958. Nasser became the republic’s president and very soon carried out a crackdown against the Syrian Communists and opponents of the union, which included dismissing Bizri and former prime minister Khaled al-Azem from their posts.[79][81]
উনি কত স্বদেশে এবং বিদেশে কত কমিনিউস্ট মেরেছেন সেটা বোধ হয় মহিউদ্দিন ওরফে সেতারা হাসেমের জানা নাই। জানলে নাশেরের গুণগান করতেন না। অজ্ঞানতার জন্যে মানুষ অনেক কিছুই ভাবে। তাতে কিছু যায় আসে কি?
@বিপ্লব পাল,
এ জায়গাতেই একটা বিরাট ভুল করলেন ভাইজান। মহিউদ্দীন বা সেতারা হাসেম যেই হোক, কমিউনিষ্ট তথা নাস্তিকেরা তো তাদের কাছে কোন মানুষই নয়, তারা কাফের, কুত্তা বিড়াল বা নর্দমার কীটের সমান। আর কাফের হত্যা করা তো একটা পূন্যের কাজ। সুতরাং মহিউদ্দীনের কাছে কমুনিষ্ট হত্যা করা তো ঘটনাই নয়। বরং সেটা বেহেস্তে যাওয়ার টিকেট কাটার সামিল। তবে সেতারা হাসেম( যদি সত্যি তাই হন) , আপনার কাছে আমার একটা বিনীত প্রশ্ন- দয়া করে বলবেন কি , বেহেস্তে নারীদের জন্য মজা ফুর্তির কি ব্যবস্থা আছে যেখানে একজন পুরুষ মজা ফুর্তির জন্য অগনিত চির যৌবনা হুর পাবে?
@ভবঘুরে,
ইয়ে
এই মহিউদ্দিন একজন স্বঘোষিত কমিনিউস্ট। তবে মুসলমান যখন কমিনিউস্ট নিধন করে, উনি তখন মুসলমান হয়ে যান। এটা বহুদিন থেকেই দেখছি। কি করা যাবে।
@আ হা মহিউদ্দীন, মতের মিল না হলেও আপনার সাথে আলোচনা ভালো লাগলো। আমি আশা করি আপনি মুক্তমনায় নিয়মিত আসবেন। যাই মনে করুন না কেনো, এখানে আসলেই অনেক মুক্তমনাদের পাবেন। আপনি যদি তথ্য-যুক্তি দিয়ে আপনার বক্তব্য চালিয়ে যান, তবে মতের পরিবর্তনও করতে পারবেন। আমি জানি না এই ফোরামে আপনার অতীত অভিজ্ঞতা কি। আমার পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি যে ধোৈর্যচ্যুতির কোনো অবকাশ ঘটেনি।
ডঃ পাল, সফিক ও রৌরব
ডঃ পাল, আপনার জানা উচিত, ইতিহাস সরল রেখায় চলে না, আকা-বাকা পথে চলে এবং এই চলার পথ নিম্নমূখী নয়, উর্ধ্বমূখী । যে কোন তত্ত্ব প্রয়োগের বিভিন্ন মডেল থাকে । কোন এক মডেল ফেল করলো বিধায় তত্ত্বটি ভুল বলে মন্তব্য করা বুদ্ধিমানের কাজ না । আপনি গবেষণা কাজে নিয়োজিত । তাই জানেন সব গবেষণাই সফল হয় না । অসফল গবেষণার কাজ ভিন্ন আঙ্গিকে আবার শুরু করতে হয় । জাতি-রাষ্ট্র সাম্রাজ্যবাদে রূপান্তর হওয়া এবং অন্য জাতি-রাষ্ট্রের উপর সাম্রাজ্যবাদের প্রভাব বিস্তার করা এক জিনিষ নয় । তাছাড়া ইতিহাস ও রাজনীতেকে ক্ষুদ্র টাইম স্প্যানে দেখাটা হবে ভুল । এক সময় নাসেরের মিসর, ঙ্ক্রুমার কঙ্গো, টিটুর যুগোশ্লভিয়া, নেহেরুর ভারত, শেখ মুজিবের বাংলাদেশ, সুকোর্ণের ইন্দোনেশিয়া, আলেন্দের আর্জেন্টেনিয়া ছিল সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী রাষ্ট্র । আজ তার পরিবর্তন ঘটেছে । বিশ্ব রাজনীতির নিয়ন্ত্রন কর্তা ছিল একদিন বৃটিশ, বিগত শতাব্দির পঞ্চাশ দশকে উক্ত নেতৃত্ব চলে আসে মার্কিনীদের হাতে । আজ তা চলে আসতেছে ভারতের হাতে । বিষয়টি বুঝতে হলে মার্ক্সীয় অর্থনীতিতে জ্ঞান থাকতে হবে । সমাজ বিবর্তনের নানাবিধ কারণের মধ্যে প্রযুক্তি একটা । তাই প্রযুক্তিকে সমাজ বিবর্তনের একমাত্র কারণ গণ্য করা হবে ভুল । পশ্চিম বঙ্গের বাম সরকারকে বিচ্ছিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ না করে, ভারতের পুজিবাদি সরকারের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করাটাই হবে উত্তম পন্থা ।
সফিক, মনের মিল হলে বন্ধুত্ব হয় । আলোচনার মাধ্যমে বন্ধুকে শোধরানো যায়, কিন্তু শত্রুকে যায় না । বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম প্রান এবং সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান । আর এই মুসলমানদেরকে ধর্মীয় ভাবে আঘাত করে তাদের বন্ধু হওয়া যাবে না । উলটো ধর্মীয় মৌলবাদিরা প্রচার করবে প্রগতিশীল নাস্তিকেরা সাধারণ মানুষের শত্রু । তেল-গ্যাস ও খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশ পায় রয়্যালটি । সংশ্লিষ্ট দেশ কত শতাংশ রয়্যালটি পাবে তা নির্ভর করে স্বাক্ষরিত চুক্তির উপর । চুক্তি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট দেশের শাসক গোষ্ঠির চরিত্রের উপর । একটা উদহারণ দেই, বাংলাদেশের গ্যাস উত্তোলন করে বিদেশি কোম্পানী । চুক্তি অনুযায়ী তারা গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করে । গ্যাস দিয়ে সার উৎপাদনের জন্য এরশাদ সরকার কাফকোর সাথে চুক্তি করে । চুক্তি অনুযায়ী কম মূল্যে গ্যাস সরবরাহ এবং কাফকো কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে, যা আন্তর্জাতিক মুল্যের চেয়ে অধিক, সার ক্রয় করতে হচ্ছে । ফলে কাফকো বাংলাদেশের জন্য ফাসে পরিণত হয়েছে । আর একটা উদহারণ দেই, বিগত খালেদা সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাংকের সাথে চুক্তি করে । তারেক রহমান ও তার বন্ধু মামুনের চাপে চুক্তিটি এমন ভাবে করা হয়, যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিবর্তে খাম্বা উৎপাদন করা যায় । ফলে ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিদ্যুতের পরিবর্তে খাম্বা উৎপাদন হয়েছে । বর্তমান ইরাক সরকার হলো মার্কিন পাপেট । তেল চুক্তির শর্ত মার্কিনেরাই নির্ধারণ করে দেয় ।
রৌরবঃ মার্কিন ইতিহাস সোসায়টি কর্তৃক সম্পাদিত World History (Civilization From Its Beginning)বইটি আপনার কাছে হাস্যকর হতে পারে, কিন্তু অনেকের কাছে মূল্যবান বই । বাংলায় একটি প্রবাদ আছে “কেউ দুধ বিক্র করে মদ খায়, আবার কেউ মদ বিক্রি করে দুধ খায়”। একজনার যা পেশা, অন্যজনের তা নেশা । কোন বইয়ের রেফারেন্স দেয়া লেখকের উপর নির্ভর করে, পাঠকের উপর নয় ।বইটি পাঠকের ভাল না লাগলে সে তা পড়বে না । লেটা চুকে গেল । আমি নিউ ইয়র্কে থাকি আপনার এই ধারণাটাও ভুল ।
লাদেন সাম্রাজ্যবাদি রাজনৈতিক হেজিমনির অংশ । সন্ত্রাসবাদের প্রয়োজন শেষ, তাই লাদেনকে মরতে হয়েছে । বর্তমান হেজিমনির অংশ হলো গণতন্ত্র রপ্তানি করা । আফগানিস্তান ও ইরাকে গণতন্ত্র রপ্তানি করা হয়েছে । লিবিয়া ও সিরিয়ায় গণতন্ত্র রপ্তানির প্রক্রিয়া চলছে ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
তাই নাকি?
তাহলে ড্যাং ড্যাং করে নাচি আর কি।
এরা আমেরিকার বিরোধিতা করত মানেই সাম্রাজ্যবাদ বিরোধি রাষ্ট্র ছিল-এত যারা প্রাথমিক স্কুলে কমিনিউজমের পাঠ নেয় তারা এসব তোতা কাহিনী লেখে!
নেহেরু সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতা যেমন করেছেন-তেমন বল্লভ ভাই প্যাটেল ভারতের সীমানা সুরক্ষা করতে সুদীর্ঘ নেপাল থেকে অরুণাচলে প্রতিটা ভারত বিরোধি শক্তির বিরুদ্ধে অভিযান ও চালিয়েছেন। এদের অনেকেই ভারতে থাকতে চাইছিল না।
শেখ ভাই ত চিটাগাঙের সব আদিবাসিদের ডাক দিয়েছিলেন তোরা সব বাঙালী হয়ে যা। ভাবুন ভারত-বাংলাদেশ সমস্যার সমাধান হিসাবে ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রী যদি বলে এত ঝামেলা হবে না যদি বাংলাদেশ ভারতের অংশ হয়ে যায়। আপনারাই তখন লিখবেন সাম্রাজ্যবাদি শক্তি।
আর নাসেরের মিশর? বাপরে! কি বিরাট সাম্রাজ্যবাদ বিরোধি কাজ করেছেন!
ইস্রায়েল আক্রমন করার কথা ছেড়েই দি্লাম । ১৯৫৭ সালে সিরিয়াতে কমিনিউস্ট বিপ্লব আসন্ন ছিল। আসন্ন কমিনিউস্ট বিপ্লবের সামনে উনার সাথে সিয়ার চুক্তি হল। সিরিয়ান কমিনিউস্ট সামরিক নেতা বিজরির বিরুদ্ধে উনি সেনা পাঠিয়ে তাকে নিরস্ত করলেন-্সিরিয়ার নির্বাচিত সরকারকে ভাংলেন।
নাশেরের সাম্রাজবাদি অভিযান-যা ভুক্তভোগী লিবিয়া, সিরিয়া এবং জর্ডনের মানুষ-নিয়ে লিখতে গেলে আমাকে আরেকটা প্রবন্ধ লিখতে হয়!
আর মার্শাল টিটো? সেই কমি্নিউস্ট নেতা যার কোন মেয়েকে ভাল লাগলেই, তাকে শুতে বাধ্য করা হত । নইলে ডিস্যুম! নইলে লেবার ক্যাম্প।
হ্যা-তিনি একটু নরম কমিনিউস্ট ছিলেন কারন মেয়েদের সাথে শুতে তার অনেকটা সময় যেত! তবুও ১৯৬৭ সালে চেক ইনভেশন প্রায় করে বসেছিলেন। এক জেনারেলের সুবুদ্ধিতে সেটা হয় নি আর কি।
@আ হা মহিউদ্দীন,মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখে গাড়োলদের কাছে বাহবা নিতে পারেন, সবখানে জুৎ হবে না। চীনার সাথে ইরাকের “তেল চুক্তির শর্ত মার্কিনেরাই নির্ধারণ করে দেয় “- এব্যপারে রেফারেন্স দিন। আর আমি এখনো বুঝলাম না যে চীনা কম্পানী তেল তোলার কন্ট্র্যাক্ট পেলে আমেরিকার লাভ কি? আপনি কি কোনো রকম ট্রান্সফার পেমেন্ট এর কথা বলছেন? আপনি কি বলতে চান পুরো আফ্রিকাজুড়ে চীন যে একের পর এক জায়গায় খনিজ চুক্তি করে যাচ্ছে, তা সব আমেরিকার সাথে আন্ডারস্ট্যান্ডিং -এ। শুধু আফ্রিকায়ই নয়, আমেরিকার প্রাক্তন ব্যাকইয়ার্ড ল্যাটিন আমেরিকায় চীনের একের পর এক চুক্তি করা কি আমেরিকারই লং টার্ম প্ল্যান? আপনি কি বলতে চান আমেরিকা এক সুদূরপ্রসারী ষড় যন্ত্র করে চীনের হাতে নিজের গলা কাটার ছুড়ি তুলে দিচ্ছে?
@আ হা মহিউদ্দীন,
দুঃখিত, ও প্রসঙ্গটা আমার না তোলাই উচিত ছিল। তবে আপনি কোন রেফারেন্স দেবেন সেটা যেমন আপনার ওপর নির্ভর করে, সেই রেফারেন্স শ্রদ্ধেয় কিনা, সেই বিচারের অধিকার পাঠকের রয়েছে।
@আ হা মহিউদ্দীন,
নিম্নমুখী, উর্দ্ধমূখী টার্ম দুটি সংজ্ঞায়িত করুন। আর, আপনার বাক্যটির স্ববিরোধিতা আপনার চোখে পড়েছে কি? ইতিহাস আঁকা-বাঁকা চলে, কিন্তু কখনই উপর-নিচ নয়? চমৎকার।
কে ইনি?
হয়ত, কিন্তু “ইতিহাস সরল রেখায় চলে না, আকা-বাকা পথে চলে”, তাই না 😉 ? স্পষ্ট সত্য কথা বলার তীর্যক ফল তো ভালও হতে পারে, কি কন?
ওসামা নিয়ে আমেরিকান মিডিয়া ক্ষেপে উঠেছে-তার সাথে জুটেছে টর্চার করা হবে না হবে না-এই সব টাইপের উদ্ভট বিতর্ক! গত ৫ দিনে যেভাবে ওসামাকে নিয়ে মিডিয়া টাইমের অপচয়! তাও একবার ও বললো না-আমরাই ওকে তৈরী করেছিলাম। নিজেদের হাগামুতো নিজেরা পরিষ্কার করছি-এটা বললে বোধ হয় সেই অনুষ্ঠান চলবে না।
@বিপ্লব পাল,
আমার মনে হয় এর পেছনে চিরকালের মিডিয়া ব্যাবসাও আছে, নইলে ধীরে ধীরে একটু একটু করে নিত্য নুতন তথ্য ছাড়া, বিতর্ক সৃষ্টি করার তেমন কারন দেখি না। মনে তো হয় দর্শ ধরে রাখার কায়দা। লাদেন হত্যা নিয়ে জানি কত মিলিয়ন ডলার মিডিয়াগুলি কামাচ্ছে কে জানে।
@আদিল মাহমুদ,
24 ঘন্টা সংবাদ চালাতে গেলে কিছু না কিছু তো থাকতে হবে। Royal Wedding নিউজ দেখতে দেখতে বোর হওয়ার যোগাড়। লাদেন ঘটনা ওটার হাত থেকে বাঁচিয়েছে। আবার নতুন কিছু না আসা পর্যন্ত এটাই চলতে থাকবে। কী আর করা।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
তা ভাল বলেছেন। রয়েল ওয়েডিং অপেক্ষা লাদেন হত্যা দর্শন অপেক্ষাকৃত উত্তম। রয়েল ওয়েডিং এর অত্যাচারে কদিন টিভি দেখার কথা মনে হলেই আতংক অনুভব করতাম।
@বিপ্লব পাল,
আমেরিকা লাদেনকে তৈরী করেছে – একথাটা মুখে মুখে চলছে, বহুকাল। কোন রেফারেন্স আছে কি? সব কিছুর রেফারেন্স থাকে না। এটা একটা যুক্তি হতে পারে। এক্সপার্ট গেস্।
আমেরিকা সাদ্দামকে বলেছিল কুয়েত আক্রমণ করতে। অনেক শুনেছি। কোন রেফারেন্স পাই নি। ইরাকী কখনও বলেছে কি না জানিনা। সাদ্দাম ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলে মারা গেলেন। কিন্তু এই সত্য(?)টি তিনিও বলে গেলেন না।
১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধ হল। নেহেরু এলেন কেনেডীর কাছে সাহায্যের জন্য। নেহেরু ভেবেছিলেন কেনেডী সাহায্য নিয়ে বসে থাকেন। চাইলেই পাওয়া যায়। একটা এগ্রিমেন্ট করতে হবে। নেহেরু রাজী নন। নিশ্চুপ বসে থেকে চলে গেলেন। ওদিকে যুদ্ধ চলছেই। আবার এলেন। আবার নিশ্চুপ বসে থেকে চলে গেলেন। যুদ্ধ চলতেই থাকল। টিকে থাকা দায়। নেহেরু বুঝলেন বাইলেটারেল এগ্রিমেন্ট না হলে সাহায্য মিলবে না। এবারে শুধু চিঠি লিখলেন। চিঠিতে কাজ হল। কেনেডী রাজী হলেন। শুনেই চীন চীজ ফায়ার ঘোষনা করল।
লাদেনের সাথে কী এগ্রিমেন্ট ছিল জানি না। তবে গেস্ করা যায়। সোভিয়েত আফগানিস্তান দখল করলে দেশ থেকে ধর্ম উঠে যাবে। সোভিয়েতকে হঠাতে হবে। সোভিয়েত আমেরিকারও শত্রু। কমন শত্রু। দোস্তি হয়ে গেল। কিন্তু আফগানিস্তানে গনতন্ত্র চালু করতে হবে (গেস্)। লাদেন রাজী হলেন। আগে সোভিয়েত তাড়াই, তারপর দেখা যাবে (এটাও গেস্)। সোভিয়েত পালালো। উদ্দেশ্য হাসিল। বাস্, দোস্ত, তুমি এখন পথ মাপ (গেস্)। এখন আর তুমি দোস্ত না, শত্রু। এটাও গেস্ করা যায়।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
এটা এত অনুমান করার উপপাদ্য না। একটু নেট ঘাঁটলেই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরোবেঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/CIA-Osama_bin_Laden_controversy
The BBC, in an article published shortly after the 9/11 attacks, stated that bin Laden “received security training from the CIA itself, according to Middle Eastern analyst Hazhir Teimourian.”[1]
In a 2003 article, Michael Powelson of the Russian journal Demokratizatsiya wrote:
It is difficult to believe that the United States played no role in the operations of the son of one of the wealthiest men in Saudi Arabia. Indeed, it is much more likely that the United States knew full-well of bin Laden’s operation and gave it all the support they could.[2]
A 2004 BBC article entitled “Al-Qaeda’s origins and links”, the BBC wrote:
During the anti-Soviet jihad Bin Laden and his fighters received American and Saudi funding. Some analysts believe Bin Laden himself had security training from the CIA.[3]
In a 2006 InDepth piece on Osama Bin Laden, the Canadian Broadcasting Corporation published that,[4]
Bin Laden apparently received training from the CIA, which was backing the Afghan holy warriors – the mujahedeen – who were tying down Soviet forces in Afghanistan.
An article in Der Spiegel, in 2007, entitled “Arming the Middle East”, Siegesmund von Ilsemann called Bin Laden “one of the CIA’s best weapons customers.” [5]
According to author Steve Coll,
Overall, the U.S. government looked favorably on the Arab recruitment drives. … Some of the most ardent cold warriors at [CIA headquarters at] Langley thought this program should be formally endorsed and extended. … [T]he CIA “examined ways to increase their participation, perhaps in the form of some sort of international brigade” … Robert Gates [then-head of the CIA’s Directorate of Intelligence] recalled. … At the [CIA’s] Islamabad station [station chief] Milt Bearden felt that bin Laden himself “actually did some very good things” by putting money into Afghanistan.[6]
Robin Cook, Foreign Secretary in the UK from 1997–2001, and Leader of the House of Commons and Lord President of the Council from 2001-2003, believed the CIA had provided arms to the Arab Mujahideen, including Osama bin Laden, writing, “Bin Laden was, though, a product of a monumental miscalculation by western security agencies. Throughout the 80s he was armed by the CIA and funded by the Saudis to wage jihad against the Russian occupation of Afghanistan.”[7]
In conversation with former British Defence Secretary Michael Portillo, two-time Prime Minister of Pakistan Benazir Bhutto said Osama bin Laden was initially pro-American.[8] Prince Bandar bin Sultan of Saudi Arabia, has also stated that bin Laden appreciated the United States help in Afghanistan. On CNN’s Larry King program he said:[9]
Bandar bin Sultan: This is ironic. In the mid-’80s, if you remember, we and the United – Saudi Arabia and the United States were supporting the Mujahideen to liberate Afghanistan from the Soviets. He [Osama bin Laden] came to thank me for my efforts to bring the Americans, our friends, to help us against the atheists, he said the communists. Isn’t it ironic?
Larry King: How ironic. In other words, he came to thank you for helping bring America to help him.
Bandar bin Sultan: Right.
According to Iranian state-owned Press TV, FBI translator Sibel Edmonds, who has been fired from the agency for disclosing sensitive information, has claimed the United States was on intimate terms with the Taliban and Al-Qaeda, using them to further certain goals in Central Asia.[10]
According to author David N. Gibbs “a considerable body of circumstantial evidence suggests … direct Agency support for Bin Laden’s activities.”[11] Both Bin Laden and the CIA “held accounts in the Bank for Credit and Commerce International (BCCI).”[11] “Bin Laden worked especially closely with Gulbuddin Hekmatyar”[12] who Gibbs calls “the CIA’s favored Mujahiddin commander”.[11] Gibbs quotes Le Monde as saying bin Laden was “recruited by the CIA” in 1979,[11][13] Associated Press as saying a former bin Laden aide told them that in 1989 the U.S. shipped high-powered sniper rifles to a Mujahiddin faction that included bin Laden,[11][14] and Jane’s Intelligence Review as stating Bin Laden “worked in close association with U.S. agents” in raising money for the Mujahiddin from “vast family connections” near the Pakistan-Afghanistan border.[11][15
@বিপ্লব পাল,
এর পর সম্পর্কটা তেতো হল কী ভাবে, তার একটা ব্যাখ্যা দিলে ভাল হত।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
ওবামার সাথে আমেরিকার সম্পর্ক খারাপ হয় ১৯৯১ সালে ইরাক কুয়েত দখল করলে এবং তখন সৌদি আরবে আমেরিকান সেনার চাউনি পাতা শুরু হলে। ওসামা সৌদির রাজাদের কাছে গিয়ে বলেন, আমেরিকারন সৈন্য মক্কা মদিনাতে থাকা তিনি বরদাস্ত করেন না। রাজা সেকথা শোনে নি। ওসামা বোঝেন আরব বিশ্বের প্রতিটি শাসক আমেরিকার পুতুলনিধি-তাই সন্ত্রাসের মাধ্যমে আমেরিকাকে আরব ছারার প্রতিজ্ঞা করেন তিনি। যদিও যেটা তারা মাথায় ছিল না-সেটা হচ্ছে পাকিস্তান সহ সব মুসলিম রাষ্ট্র আমেরিকার পক্ষনেবে আর সে নিজে ভিলেন হয়ে যাবে।
ব্যাচারার জন্যে খারাপই লাগে। মুসলিম ধর্মপ্রাণ ব্যাক্তি মাত্রই লাদেনের রাজনৈতিক অব্জেক্টিভে বিশ্বাস করে-প্রায় সমগ্র মুসলিম বিশ্বের সাধারন মুসলমান তার পক্ষে। এমনকি ভারতে লালু মুলায়েমরা “ওসামা” সাজিয়ে এক বহুরুপী নিয়ে গিয়ে বিহার ইউপিতে মুসলিমদের কাছে ভোট চাইতে যায়। অথচ সামনাসামনি সব মুসলমানরা লাদেনকে অস্বীকার করতে চাই। কি দুরাবস্থা মুসলিম বিশ্বে-
ঘরের মধ্যে তারা ওসামার জন্যে দোয়া করে, আর ঘরের বাইরে বেরোলে বলতে বাধ্য হয় ওসামা আমাদের কেও না!
দ্বিচারিতা যখন একটা গোষ্ঠির মূল -তখন এই অবস্থা হতে বাধ্য।
@বিপ্লব পাল,
আমার খারাপ লাগে না। প্রায় তিন হাজার নিরোপরাধ মানুষ খুন করেছে। ওর জন্য প্রতিবার বাড়তি টাকায় প্লেন টিকেট কিনতে হয়। তারপর জুতো থেকে শুরু করে অনেক কিছুই খুলতে হয়। প্লেনে চড়লেই মনে হয়, হয়তো বা আর একজন খ্রিস্টমাস বম্বার বা সু বম্বার লুকিয়ে আছে। এখনই আমি মারা যাব। একদন্ড শান্তিতে থাকতে পারিনা। লাদেনের জন্য খারাপ লাগার জন্য কোন কারণ নেই। পৃথিবীটাকে নষ্ট করে দিয়ে গেছে। আমি নেভী সিলদের পারদর্শীতার প্রশংসাই করি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমি ৯/১১ এর দিন ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টারের দু মাইল বাইরে ছি্লাম। সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য যে সেই দিনের সাক্ষী আমি নিজেই। শুধু কি তাই? ওই মাসেই আমার বিয়ে ছিল-প্লেন বন্ধ হয়ে গেল। ভারতে যেতেই পারলাম না। কিন্ত তার জন্যে কি আমার রাগ হবে ওবামার ওপর? না ঘৃণা হবে?
না রাগ বা ঘৃণা কোনটাই নেই। বরং বলবো দ্বিচারী, উভচরী ইসলামিস্টদের চেয়ে তার অবস্থান পৃথিবীকে ইসলাম চেনাতে সাহায্য করেছে।
মানুষ হিসাবে কিছুটা সহানুভূতি তার প্রাপ্য এই জন্যেই যে আরবের স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে আরব জনসাধারনের ক্ষোভটা উনি বুঝেছিলেন। ইসলাম ছারা তার রাজনৈতিক বা দর্শন জ্ঞান কিছু ছিল না-ফলে ইসলামিক পথে প্রতিরোধ গড়তে গেছেন। সেটা যেকোন আরবই করত-কারন তাদের জ্ঞানের দৌড় ইসলামে শেষ হয়। ত কি করা যাবে! গান্ধীর পথ জানলে হয়ত বুঝতেন যাদের হাতে অস্ত্র আছে ভয়ংকর, তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলার চেয়ে মরালিটি তোলা অনেক বড় অস্ত্র। কিন্ত ঐ ইসলামিক রোগ-নৈতিকতা ছিল না-ফলে নৈতিক যুদ্ধ করার বদলে সন্ত্রাসী হতে গেলেন। পাকিস্তানের আই এস আই ছিল পাশে।
নেভী সিলরা তাদের দ্বায়িত্ব পালন করেছে। সামরিক শক্তি দিয়ে সন্ত্রাসবাদ নির্মুল হবে, এমন ভাবাটা ঐতিহাসিক এবং যৌত্বিক ভুল। অস্ত্র দিয়ে মানুষের ক্ষোভকে বেশীদিন আটকানো যায় না।
@বিপ্লব পাল,
“যৌত্বিক ভুল” দিয়ে কী বুঝাতে চাচ্ছেন জানিনা। সাদ্দামের অনুপস্থিতিতে একটা জিনিষ লক্ষ্যনীয় – প্যালেস্টাইনে সুইসাইড সন্ত্রাসী বন্ধ হয়েছে।
ওসামা কিন্তু ভেবে ছিলেন, আঘাত করেই আমেরিকাকে শেষ করে দেওয়া যাবে। মুহম্মদীয় যুগে সামরিক শক্তি দিয়ে দেশ জয় করা যেত। তাঁরই হুবহু অনুসারী ওসামা ভেবেছিলেন একই কায়দায় আমেরিকাকেও পরাস্ত করা যাবে। হয়নি। সেই যুগে যা সম্ভব ছিল। এযুগে তা নয়।
মানুষের যা জানা দরকার তা হল – আল্লাহ, ভগবানদের কোন অস্তিত্ব কোনদিনই ছিল না।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
মিলিটারিজমে আমিও বিশ্বাসী। কিন্ত আপনি ভুল করছেন।
রোমান, অটোমান , বৃটিশ-সব সামরিক শক্তিই একদিন মানুষের শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছে। একজন মুসলিমের ধর্মান্ধতা কাটানোর জন্যে তাকে বিজ্ঞান শিক্ষা না দিয়ে বোম মারাটা মোটেও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না।
@বিপ্লব পাল,
একমত হতে পারলাম না। আমার মত পাতি বিজ্ঞানে শিক্ষিতদের কথা ছেড়েই দিলাম। মৌলিক বিজ্ঞানে প্রাতস্মরণীয় অনেক বিজ্ঞানীই সৃষ্টিকর্তার বিশালতায় মুগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে অনেক নোবেল পুরষ্কার বিজয়ীও আছেন। বিবর্তন পড়িয়ে টু-পাইস কামাচ্ছেন এমন এক অধ্যাপককে প্রশ্ন করে জেনেছি তিনি নিজেই বিবর্তনে বিশ্বাস করেন না। এর চাইতে আশ্চর্যের কী হতে পারে!
ইরতিশাদ ঠিক বলেছেন। বিজ্ঞান শিক্ষা এবং বিজ্ঞান মনষ্কতা এক নয়। আমাদের মনে প্রাণে বিজ্ঞান মনষ্ক হওয়া দরকার।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
কেও সৃষ্টিকর্ত্তায় বিশ্বাস করলে বা এমন কি ইসলামে বিশ্বাস করলেই বাজে লোক হয়ে যায়? সুফী বা আগা খান মুসলমানরা যারা সেবাধর্মকে ইসলাম বলে মানে তারা কি বাজে? আপনার এই ধরনের চিন্তাধারাও একধরনের রাডিক্যালিজম।
মূল কথা হল-সেই ভাল বনাম মন্দের “বোধ” বা মানবতার বোধটা আমাদের হৃদয়ে প্রজ্জ্বলিত হল কি না। সেই বোধ এর জন্যে কেও সুফী, কেও বাউল, কেও বিজ্ঞানের স্বরণাপন্ন হতে পারে। আমি বিজ্ঞানকেই প্রাধান্য দেবে যেহেতু তা আরো সুন্দর পৃথিবী দিতে সক্ষম। কিন্ত তার মানে এই নয় আউল বাউলদের ক্ষতিকর বলতে হবে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
গত বছর তো মনে হয় হিলারীকে দেখেছিলাম সরাসরি স্বীকার করতে, এবং সেটা যে তাদের ভুল ষ্ট্র্যাটেজি ছিল তাও স্বীকার করতে।
@আদিল মাহমুদ, গত বছর তো মনে হয় হিলারীকে দেখেছিলাম সরাসরি স্বীকার করতে, এবং সেটা যে তাদের ভুল ষ্ট্র্যাটেজি ছিল তাও স্বীকার করতে।
অনেক কিছুর মত এটিও মিস করেছি।
ইরাকী জেনারেল Goerges Sad লিখিত (ISBN 1-59145-404-2 (hardcover)ISBN 1-59145-458-1(international paperback)) বই থেকে কিছুটা টুকে দিচ্ছি (পৃষ্ঠা – ১৫২-১৫৩)
আমেরিকা খুব শীঘ্রই ইরাক থেকে পাততারি গুটাবে। কমাস আগে একটা বিশাল, বিলিয়ন ডলার খরচ করে বানানো মিলিটারী বেস ইরাকী সরকারের হাতে তোলে দিয়েছে। এই বেসগুলো যখন বানানো হচ্ছিলো তখন চারিদিকে চিল্লাচিল্লি চলছিলো যে পার্মানেন্ট অক্যুপেশনের গ্যারিসন বানানো হচ্ছে। আজ থেকে ১০ বছর পরে ইরাক অভিযান মানুষের কাছে একটা চরম আশ্চর্য হয়ে থকবে যে আমেরিকা ওখানে গেলো কেনো।
মজুত অস্ত্র-বোমা ব্যবহার করে নতুন অর্ডার দেয়া অবশ্যই একটা কারন। আফগানিস্থানের পাহাড় পর্বতে গুহাবাসী তালেবানদের উপরে বোমা মেরে খুব একটা জুৎ হয়নি। রামসফেল্ড তো ২০০১ এর ১১ সেপ্টেম্বরের বিকেল বেলাই বলা শুরু করেছিলো যে আফগানিস্থানে না যেয়ে ইরাকে যাওয়া উচিৎ কারন আফগানিস্থানে কোনো টার্গেট নেই (http://www.ontheissues.org/Archive/Against_All_Enemies_War_+_Peace.htm)।
আমেরিকার ইরাক অভি্যানের সবচেয়ে ভালো ব্যাখা আমি পেয়ে ছিলাম একজন নিওকন এর ভাষ্যে ২০০২ সালে। মাইকেল লিডেন বলেছিলো “Every ten years or so, the United States needs to pick up some small crappy little country and throw it against the wall, just to show the world we mean business.” (http://www.nationalreview.com/articles/205187/baghdad-delenda-est-part-two/jonah-goldberg)
ডঃ বিপ্লব পাল,
খুবই অবাক করার মতো ব্যাপার হলো যে, সামরিক বাহিনীর নাকের ডগায় বসে পাঁচ পাঁচটা বছর পাড় করে দিলো বিন লাদেন, অথচ পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা টেরও পোলোনা! একেবারেই অবিশ্বাস্য এবং সন্দেহজনক! তবে তো দেশটির বাস্তবতা সংক্রান্ত অনুভূতি-অস্তিত্ত্ব কিছু আছে বলেতো মনেই হয় না! আমার কাছে মনে হয়, ব্যপারটা ভিন্ন; পাকিস্তানের সরকার, সামরিক প্রশাসন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রকৃতপক্ষে এই আলকায়দার পৃষ্ঠপোষক। শুধু তাই নয়, সম্ভবতঃ আমেরিকাও আগে থেকেই বিন লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে ভালো ভাবেই অবহিত ছিলো। বিশেষ করে যেখানে ভারতীয় গোয়েন্দারাও তার অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলো। যাইহোক আমেরিকার অস্ত্রব্যবসায়ীদেরও অস্ত্রের বাজার দরকার, আর আরব রাষ্ট্রগুলোরও জিহাদ দরকার। একে অপরের পরিপূরক! একে একে দুই। অতএব লাদেনের তথা ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের জন্ম! সুতরাং রক্তবীজের মতো এক লাদেন থেকে যেমন লক্ষ লাদেন জন্মাবে ঠিক তেমনি ইসলামিক সন্ত্রাস এবং আমেরিকা আমার কাছে অনেকটা সমার্থক।
তাহলে এখন প্রশ্ন হলো লাদেন কে সরিয়ে দেবার দরকার হলো কেনো? লাদেনের জন্মই হয়েছিলো তৎকালীণ সোভিয়েত বিরোধিতার জন্যে। সেপর্বের পরিসমাপ্তি ঘটেছে বহু আগেই। আরব রাষ্ট্রগুলোর কর্তৃত্ব আমেরিকার হাতে বহু আগে থেকেই, বিশেষ করে আরব শেখ দের সাথে মার্কিন অস্ত্র ব্যবসা সহ চোরা কারবারী, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস, সেনা অভ্যূত্থান এবং জননন্দিত নেতৃবৃন্দের হত্যাকান্ড তথা প্রাসাদ ষড়যন্ত্র সহ নানাবিধ কারণে। যেখানেই আমেরিকা তার স্বার্থ ক্ষুন্ন হতে দেখেছে সেখানেই ছত্রখ্যান করে ছেড়েছে সে। নিকট অতীতে ইরাকের তেল আত্মসাতের নেপথ্য কারন সৃষ্টিতে লাদেনকে ব্যবহার করা হয়েছিলো। এটি ছিলো লাদেনের বোনাস লাইফ আর আমেরিকার ইরাকী তেল আহরণের দেওয়া নেওয়ার খেলা! খেলা যখন শেষ তখন লাদেনের প্রয়োজনও শেষ! বরং শেষে জেহাদী জোশে লাদেন যখন হিরো হতে উদ্যত, এবং আমেরিকার প্রতি হুমকি স্বরূপ, তখন লাদেনও শেষ! মাঝখান থেকে আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদীতার বিস্তার আমাদের দক্ষিন এশীয় অঞ্চলে! চীন এবং ভারতের বিরোধীতার কারনে দক্ষিন এশীয়ায় মার্কিন অনুপ্রবেশ এতোকাল সম্ভব হয়নি। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান ইস্যূ এবং ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন অনুপ্রবেশ পাকিস্তানের মতো ভারতকে কাছে টানার অনুঘটক হিসেবে মার্কিনীরা কাজে লাগায়। এখানেই মার্কিনীদের বিপুল বিজয় বলে আমি মনেকরি। ফলে পুরো দক্ষিন এশীয়া এখন মার্কিনীদের কব্জায়! সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হলো ভারতকে আমেরিকার কাছে পাওয়া। যা অধুনা উভয় পক্ষই ভাবছে ইতিবাচক হিসেবে এবং ভারত বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বানিজ্যিক ঘোড়দৌড়ে এই সম্পর্ককে ব্যপক হাড়ে কাজে লাগাতে চায়! মজার ব্যপার হচ্ছে, পূর্ব এশীয় দেশ গুলোর প্রতি মার্কিনীদের যে নির্ভরতা তা সুদূর পরাহত ভারতের প্রতি বৃটীশদের অভিজ্ঞতালব্ধ প্রেসক্রিপশন থেকে। তাহলে ফলাফল কি দাঁড়ালো? ভরতের পরিনতি কি পাকিস্তানের চাইতে বিশেষ ভিন্ন কিছু হবে, যেখানে রাম সেনারা মা-কালীর ভুজালী হাতে দনডায়মান?
@কেশব অধিকারী, ইরাক থেকে আমেরিকা কয় গ্যালন তেল নিয়ে গেছে তার একটা হিসেব দেখাতে পারবেন কি? নতুন ইরাকী সরকার তাদের যাবতীয় লোভনীয় তেলের কন্ট্রাক্টগুলো দিয়েছে চীনা কম্পানীগুলোকে। http://www.nytimes.com/2008/08/29/world/middleeast/29iraq.html।
কদিন আগেও আমেরিকার দক্ষিনপন্থী মিডিয়া মহলে কান্নাকাটি ছিলো এই বলে যে এতো খরচ করে স্বাধীন করলাম, আর লাভ নিয়ে যাচ্ছে চীনারা।
আমেরিকা ইরাক অভি্যানে খরচ হয়েছে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো। ইরাক এইসময়ে সর্বোচ্চ তেল উৎপাদন করছে বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলারের মতো। পুরো তেলগুলো যদি ম্যাজিকের মতো বিনা পয়সায় আমেরিকায় নিতে পারতো তবে কবছর লাগতো টাকা উঠতে?
লিবিয়াতে গাদ্দাফীর আনূকুল্যে তার সময়েই ইউরোপ-আমেরিকার তেল কম্পানীগুলো খুব ভালো ব্যবসা করছিলো। এই যে এখন গ্যান্জামটা লাগলো, এতে কাদের কিভাবে লাভ হচ্ছে বলবেন কি?
@সফিক,
“মার্কিন তেল কোম্পানী ইরাক থেকে তেল নেয়নি” হুট করে এরকম মন্তব্য না করে, চীন ও মার্কিন বানিজ্য ঘাটতির পরিসংখ্যানটা একটু দেখুন । চীনের কাছে মার্কিন বানিজ্য ঘাটতি পরিশোধ হচ্ছে ইরাকি তেল দিয়ে । অর্থ্যাৎ মাছের তেল দিয়ে মার্কিন ব্যবসায়ীরা মাছ ভেজে খাচ্ছে । তাছাড়া ইরাকের প্রায়ত নেতা সাদ্দাম ইরাকি তেলের মূল্য ডলারের পরিবর্তে ইইউরো মুদ্রায় পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহন করতে যাচ্ছিলেন । ফলে ডলারের মূল্য হ্রাসের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছিল ।তাছাড়া অস্ত্র ব্যবসায়িদের মন্দা ভাব চলছিল । যার ফলাফল ইরাক আক্রমন ।
আ হা মহিউদ্দীন
@আ হা মহিউদ্দীন,ইরাকের তেলের কন্ট্রাক্ট চীনা পেলে, আমেরিকান কম্পানীগুলোর কিভাবে লাভ হবে একটু বিশদভাবে বুঝিয়ে দিন। আপনি তো আমার সারা জীবনের জানাশোনা উল্টে দিচ্ছেন।
@সফিক,
মানুষ তত্ত্বের আফিঙের নেশায় গুল থাকলে দিবাস্বপ্ন দেখে। যুক্তি বুদ্ধি লোপ পায়। এটা মুসলিম হিন্দু কমিনিউস্ট সবার জন্যেই সত্য!
ইরাক আক্রমনের মূল কারন রিপাবলিকান অস্ত্র ব্যাবসায়ীদের চাপ-কনট্রাক্টরদের চাপ।
@কেশব অধিকারী,
সফিকের উত্তরটা দেখুন।
তেলের অধিকারটা গল্প। অস্ত্র ব্যাবসাটাই আসল। ইরাকের তেল পেট্রোচাইনার অধিকারে। তাছারা কিছু কনট্রাক্টরির ব্যাবসা আছে পোষ্ট ইরাকে। সেখানেও চাইনা নেপোই দই মেরেছে।
ভারত আমেরিকার সম্পর্ক ভাল। কিন্ত আমেরিকা তাদের ফাইটার জেট এখনো ভারতে বেচতে পারল কই? ১০ বিলিয়ান ডলারের বিশ্বের বৃহত্তম কনট্রাক্ট তারা পেল কোথায়? ওটাত ইউরোফাইটার জিতে নিল! মধ্যেখান থেকে ভারতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের চাকরি গেল! ব্যাচারা এখন ওবামা ক্যাম্পেনে বেগার খাটবে!
গণতন্ত্র ঠিক ঠাক চললে একটা দেশ অন্য দেশে ওই ভাবে নাক গলাতে পারে না। ভারতে মনমোহন চাইছিলেন এফ-১৮ যুদ্ধবিমান কিনতে -কিন্ত ভারতের টেকনিক্যাল টিম, যুক্তির ভিত্তিতে আমেরিকাকে নাকচ করে।
আবার ভারত-আমেরিকা নিউক্লিয়ার চুক্তির ঘোল খাছে ফ্রান্স। এখনো পর্যন্ত আমেরিকা যে বরাতটা পেয়েছে-সেই জটাইপুরে জনগনের কোপে জি ই পালাচ্ছে।
এটা গণতন্ত্রের জয়। পাকিস্তানে সেসব বালাই নেই। ওখানে আমেরিকা যা খুশী করতে পারে নইলে ১৩০০ মিলিয়ান ডলার বন্ধ করে দেবে-যার অধিকাংশই সেই দেশের কর্তাদের পকেটে যায়।
ওসামাকে নিয়ে লেখা আসা উচিৎ ছিলো। বিপ্লব একটা ভাল কাজ করেছে এটা নিয়ে লিখে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আছে লেখাতায়। বিশেষতঃ ‘সন্ত্রাসবাদি আন্দোলনের তিনটি পিলার-আদর্শবাদ,টাকা এবং অস্ত্র। ওসামার মৃত্যুতে কোনটা কমল?’ – প্রশ্নটা খুবই যৌক্তিক। আসলে ইসলামী সন্ত্রাসবাদের মূল উৎস সৌদী আরব আর তাদের পেট্রোডলার। সৌদীদের আড়ালে রেখে ইসলামী সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা যাবে না। আর আমেরিকা যে সন্ত্রাসবাদ দূর করার ক্ষেত্রে আন্তরিক, তাও নয়। এক সময় নিজ স্বার্থেই তারা লাদেন তৈরি করেছিল, এখন আবার লাদেন মেরে বীরত্ব জাহির করছে। এরাই একসময় মিশরের প্রেসিডেন্ট নাসেরের বিরুদ্ধে মৌলবাদী গ্রুপকে সমর্থন করেছিল, ইন্দোনেশিয়ায় সুকর্ণের বিরুদ্ধে সারেকাতই ইসলামকে সমর্থন করেছিল, শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে খন্দকার মোশতাককে সমর্থন দেয়া সহ অনেক মৌলবাদ তোষণমূলক কাজই করেছে আমেরিকা। এমনকি যে পাকিস্তানকে আমরা এখন অভিযুক্ত করছি, সেই পাকিস্তানকে জিয়াউল হকের আমলে মৌলবাদিতার প্রত্যক্ষ ইন্ধন যুগিয়েছিলো আমেরিকা ভারতের বিরুদ্ধে উস্কে দিতে। জিয়াউল হকের সরকারের পর থেকেই পাকিস্তান মূলতঃ পরিণত হয় এক ধর্মান্ধ মৌলবাদী রাষ্ট্রে। বেনজিরকে প্রাণ দিতে হয়েছে এই মৌলবাদের হাতে। এখন সেই পেলেপুষে বড় করা মৌলবাদ ব্যাকফায়ার করছে, ঠিক যেমন লাদেন ব্যাক ফায়ার করেছে, আফগানিস্তান থেকে রাশিয়া হটাতে এক সময় তালিবানকে সমর্থন দিয়ে। আসলে সবই গেম থিওরীর কিসিঞ্জারি খেলা…
এডমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ
iPhoneএ নীচের অংশটি
আসে এভাবে
আমার মনে হয় ‘\n’ এবং প্যারাগ্রাফের সমস্যা আছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমার আইফোনে তো ঠিকই দেখাচ্ছে। যা হোক প্লাগইন্সের নতুন ভার্শন ইন্সটল করলাম। প্যারাগ্রাফ ঠিকই আসছে। আপনি দেখুন তো ঠিক আছে কিনা? আপনি আইফোন ৩ নাকি ৪ ব্যবহার করেন?
@অভিজিৎ, হ্যা, এখন ঠিক আসছে। ধন্যবাদ। iPhone 4.
“বাংলা ভাষাটা কদিন টিকবে জানি না।আস্তে আস্তে বাংলা ভাষাতে আরো বেশী ইংরেজী শব্দ ঢুকবে-তখন মনে হয় না-এসব নিয়ে কেও মাথা ঘামাবে।”
আপনারা যদি এই ভাবে মন্তব্য করেন!
কেউ যেন মাথা ঘামায় সেভাবে বাংলাভাষাকে সমৃদ্ধ করার কথা নাবলে
এডিয়ে যাওয়া কে কী বলবো?……… সময় কোথা সময় নষ্ট করবার?
ধন্যবাদ।
@দেব প্রাসাদ দেবু,
ইংরেজি শব্দ নিয়েই ভাষাটা আরো বেশী আন্তর্জাতিক হবে। ভাষা বহমান নদী। নতুন শব্দের আমদানী সেখানে বর্ষার জলের মতন। সেই নতুন বানের জল না এলে, ভাষাটা মরা নদী হতে বাধ্য!
আম্রিকা এক্টা কাম কর্লো? একজন মুসলমান মর্লো, তারে জানাযা দিলো না, দাফন কর্লো না…মূর্দা ফালাইলো দরিয়ায়! আহা রে …নূরানী চেহারার মানুষটারে না জানি হাঙ্গর-কুমির কামড়াইয়া খাইলো! আর পাকিস্তান না মুসলমানের দেশ? তারা এর প্রতিবাদ কর্লো না ক্যান? তীব্র ধীক্কার! :lotpot:
@বিপ্লব রহমান,
কে বললো করে নি? এই দেখুনঃ
httpv://www.youtube.com/watch?v=nvzMLJ0HpdI&feature=player_embedded#at=14
@বিপ্লব পাল,
অ্যাঁ! 😛
লাদেন সউদি রাজতন্ত্রের লোকগুলোকে পছন্দ করত না। কিন্তু সে এটা বুঝেছিল যে সউদি রাজতন্ত্রের পতন ঘটাতে চাইলে পতন করতে হবে আমেরিকার কারন আমেরিকাই সউদি রাজতন্ত্রের শক্তিশালী সমর্থক। কিন্তু সাধারন মুস্লিমের এতে কোনও লাভ ছিল না। লাদেন দেখল ধর্ম ভিরু মুস্লিমদের ধরমে সুরসুরি দিয়ে এই কাজটা করান যেতে পারে।
পাকিস্তানকে কি এককভাবে দায়ী করা যায়? পাকিস্তান তো আমেরিকার মত দানব না, এই দেশটাও ভিক্ষার উপর বেঁচে আছে।যারা পাকিস্তানকে ভিক্ষা দিচ্ছে, তাদের কি এটা তদন্ত করে বের করার ক্ষমতা নেই যে এই ভিক্ষাগুলো আসলে কোন দিকে যাচ্ছে? বাংলাদেশের জঙ্গীবাদী মাদ্রাসাগুলো মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফান্ডিং পাচ্ছে, এটা মোটামুটি সবারই জানা। আমেরিকা কি জানে না মধ্যপ্রাচ্য থেকে কারা জঙ্গীবাদের মত লোভনীয় ফিল্ডে বিনিয়োগ করছে? বনে-জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের খুজে বের করা যেমন কঠিন, ফান্ডিংয়ের এর সোর্স বের করা তেমনই সোজা। সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করাটা আমেরিকার লক্ষ হলে আমার মনে হয় আমেরিকা সেটা অনেক আগেই করে ফেলার ক্ষমতা রাখে। কেন তারা ফান্ডিংয়ের উৎসগুলো খুজে বের করছে না, এটাই আমার প্রশ্ন।
আমি যদি আমেরিকান হতাম, লাদেনের মৃত্যুসংবাদ শুনে আমিও হয়ত নাচানাচি শুরু করতাম। আমার দেশের কমান্ডোরা পুরা হলিউডি কায়দায় মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যে একটা দুনিয়া কাপানো সন্ত্রাসীকে মেরে ফেলবে, এর মধ্যে আনন্দ উল্লাস না করার কি আছে? আমি আমেরিকায় থাকি না দেখেই আমি বুঝতে পারছি যে একজন লাদেন গেলে আরেকজন লাদেন আসবে, সো লং এজ দেয়ার ইজ এ প্যাট্রন। লাদেনের মৃত্যুতে লাভের লাভ একটাই হয়েছে- রিপাবলিকানদের সাময়িকভাবে ঠেকানো গিয়েছে।
@পৃথিবী,
কোথায়? আমার মনে পড়ে ৮/৯ বছর আগে থেকে শুনছি এই এখানে ওসামা মারা পড়ল, ঐ ওখানে মরলো। মরলো হয়তো শেষে কিন্তু ৪০ মিনিটে কীভাবে? হ্যা, অপারেশনের টাইম বুঝাতে বলতে পারো তাহলে আমি আরো কম সময় ধরতে পারি যেমন ধর মানুষের মরতে ১/২ মিনিটের বেশী লাগে না। তাহলে বলতে পারি ২ মিনিটে মরে গেছে :))
@টেকি সাফি,
প্রতিক্রিয়ায় সবাই দেখি এই কথাটা বলছে, কিন্তু হোয়াইট হাউজ থেকে এর আগে কখনও কি অফিসিয়ালি বলা হয়েছিল যে লাদেন মারা গিয়েছে?আমার যতদূর মনে পড়ে, হোয়াইট হাউজ এর আগে লাদেনের মরার সম্ভাবনা কথা বলেছে, কিন্তু এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে তারা লাদেনের মৃত্যু ঘোষণা করল।
@পৃথিবী,
এটা এখানে আসছে কেন? কথা হচ্ছে অপারেশনের সময় নিয়ে। তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে হোয়াইট হাউস ওসামাকে মারার মাত্র ৪০ মিনিট আগে অপারেশন লঞ্চ করেছিলো। 😀
@টেকি সাফি,
আরো পরিস্কার করে বলি, ঠিক মস্তিষ্ক থেমে যাওয়ার সময়কে মৃত্যু বললে সেটা হতে হয়ত কয়েক মিলিসেকেন্ড লেগেছে। কিন্তু এখানে সে নিয়ে বলা বোকামি বরং এখানে প্রশ্ন হলো কখন থেকে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি সেটাই বললাম ৭/৮ বছর ধরে চলছে। অন্যভাবে নিলে তো সমস্যা।
@টেকি সাফি, আরে ভাই পুরা অপারেশন করতে লাগছে ৪০ মিনিট। হের মস্তিস্ক থামতে কয় মিনিট লাগছে আর রুহের বেহেস্তের টেন ধরতে কয় মিনিট লাগছে এগুলা দিয়া কিই বা যায় আসে! আমি হোয়াইট হাউজের প্রসঙ্গে আনছি আপনার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে,
সরকারের পক্ষ থেকে এর আগে কখনওই লাদেনের স্ট্যাটাস সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আপনার মত অনেকেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গুজবগুলোকে অফিসিয়াল স্টেটমেন্টের সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন। বস্তুত, ইন্টারনেটে লাদেনের মরদেহের যে ছবিটি পাওয়া যাচ্ছে, সেটি কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের একটা পত্রিকা প্রথম প্রকাশ করেছিল এবং সম্পাদক পরিস্কার করে বলে দিয়েছিল যে ছবিটা লাদেনের নাও হতে পারে। পরে ঠিকই দেখা গিয়েছে যে ছবিটা ফটোশপ করা।
@পৃথিবী,
আচ্ছা এই লাইনটাই তোমাকে বিভ্রান্ত করছে। আমি যে কর্নার থেকে বলেছি বুঝতে পারছো না। তাই লাইনটাকে এভাবে বলছি দেখো,
আমার মনে পড়ে ৮/৯ বছর আগে থেকে শুনছি এই এখানে ওসামা মারার , ঐ ওখানে মারার প্ল্যান,অপারেশন ইত্যাদি ইত্যাদি শুনে আসছি।
আর তুমি বলছো মাত্র ৪০ মিনিটে মেরে ফেললো। আশা করি এবার বুঝতে পারছো আমি কী বলছি।
@টেকি সাফি,
দুঃখিত। টাইপোঃ
আমার মনে পড়ে ৮/৯ বছর আগে থেকে শুনছি এই এখানে ওসামা মারার , ঐ ওখানে মারার প্ল্যান,অপারেশন ইত্যাদি ইত্যাদি চলছে।
@টেকি সাফি, আমি কিন্তু পরিকল্পনার কথা বলিনি, কমান্ডো অপারেশনের কথা বলেছি 🙂
@পৃথিবী
যথার্থই বলেছেন । লাদেনিকে হত্যা করে আগামী ভোটযুদ্ধে রিপাবলিকান পার্টিকে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে । লাদেন হত্যার কারণ সন্ত্রাস দমন নয়, রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করা । সাধারণ মানুষ সন্ত্রাস চায় না । কিন্তু সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি বুর্জোয়া শাসক গোষ্ঠির কাম্য । কারণ এই শাসক গোষ্ঠি পুজির স্বার্থ রক্ষা করে ফলে অস্ত্র ব্যবসার প্রসার ঘটে এবং অন্যান্য পন্যের মুল্য বৃদ্ধি পায় । তাই সন্ত্রাসীদের ফান্ডিং উৎস শাসক গোষ্টি খুঁজ করে বের করবে না ।
আ হা মহিউদ্দীন
@আ হা মহিউদ্দীন,
ভোটের তাড়া না থাকলে লাদেনকে হত্যা করা হত না?
ধর্ম নয়, নৃতাত্ত্বিক ভিত্তিতে জাতি-রাষ্ট্র সৃষ্টি হয় । ধর্ম যদি রাজ্য বা রাষ্ট্র সৃষ্টির বন্ধন হতো তা হলে আরবে এতোগুলি রাজ্য বা রাষ্ট্রের অথবা ইউরোপে এতোগুলি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতো না । ভারতও বহু জাতি ভিত্তিক রাষ্ট্র । পাকিস্তান সৃষ্টি ছিল ইতিহাস বিচ্যুতি । জাতি-রাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ইতিহাস তার বিচ্যুতি সংশোধন করেছে ।
সামন্তবাদ, পুজিবাদ ও সমাজতন্ত্র হলো অর্থনৈতিক পদ্ধতি । পুজিবাদের বিভিন্ন রূপের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদ (imperialism) হলো একটি, আমেরিকান হেরিটেজ ডিকশনারী অনুযায়ী যার সংজ্ঞা হলো The policy of extending a nation’s authority by territorial acquisition or by the establishment of economic and political hegemony over other nations.
লেলিনের জন্মের পূর্বেই সাম্রাজ্যবাদ শব্দটির সৃষ্টি । লেলিন শব্দটি ব্যবহার করেছেন মাত্র ।জাতিয়তাবাদি রাষ্ট্র হলেই সাম্রাজ্যবাদি রাষ্ট্র হয় না । লেলিন বিদ্বেষ এবং আবেগ আপনার যুক্তি লোপ করেছে । তাই আসুন The Doubleday Pictorial Library of World History (Civilization From Its Beginnings) বইখানি পড়ি । মার্কিন যে কোন লাইব্রেরীতে বইটি পাওয়া যায় ।
আ হা মহিউদ্দীন
@আ হা মহিউদ্দীন,
আপনি সাম্রাজ্যবাদের একটি সংজ্ঞা দিন এবং দেখান যে কোন জাতিয়তাবাদি রাষ্ট্রতে তার প্রভাব নেই। ভুটান, নেপালের কথা ছেড়ে দিন। যেকোন রাষ্ট্র যার একটু গতর আছে, তার সাম্রাজ্যবাদি টেন্ডেন্সি থাকতে বাধ্য-নইলে রাষ্ট্রটাই থাকে না।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আগেও দেখেছি আপনি এই বইয়ের কথা বলছেন। প্রথমে কেন যেন ধারণা হয়েছিল, আপনি বাংলাদেশে থাকেন, তাই সাত-পাঁচ ভেবে এই রেফারেন্স-এর অবধারিত হাস্যকরতা নিয়ে আর কিছু বলিনি। কিন্তু পরে পড়লাম, আপনি নিউ-ইয়র্কে থাকেন। কিছু না হোক ব্রায়ান্ট পার্কে পাবলিক লাইব্রেরীটাতো রয়েছে। সেখান থেকে রেফারেন্স দেয়ার মত আর কিছু খুঁজে পেলেন না?
অফটপিক হতে পারে আবার অনটপিকও হতে পারে। আমার কাছে প্রাসঙ্গিকই মনে হয়। সেটা হচ্ছে কাশ্মীর সমস্যা। এর কোন সমাধান কি আপনি দেখেন? বা এর বর্তমান অবস্থা কি? একটি লেখা দিতে পারেন এই বিষয়ে।
পাকিস্তানের প্রসঙ্গ যখন এনেছেন তখন মনে হয় এই বিষয়টি জঙ্গীবাদের সাথে সম্পর্কিত। আমি একটি ইন্টারভিউয়ে শুনছিলাম যে আইএসআই কাশ্মীর সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তালেবান বা আল কায়দার মত জঙ্গী গোষ্ঠীকে সহায়তা দিয়ে যাবে আমেরিকাকে অথবা ভারতকে চাপে রাখার জন্য। আমার কাছে কথাটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মত মনে হয়নি। আপনি কি বলেন?
@স্বাধীন,
কাষ্মীর কোন বিচ্ছিন্ন সমস্যা নয়। রাষ্ট্রর ধারনাটাই অযৌত্বিক-আর সেটাকে যৌত্বিক করতে গিয়ে এই সব সমস্যার জন্ম।
জাস্ট ভেবে দেখ-বাংলাদেশের চারিদিকে ভারত। তাদের ভাষাও একটি ভারতীয় ভাষা। তাও এটি আলাদা রাষ্ট্র। অথচ কাষ্মীর থেকে অনেক রাজ্যই ভারতের অঙ্গ রাজ্য। এগুলোর কারন মূলত এই যে
“রাষ্ট্রএর জন্মই হয় অযৌত্বিকতার ওপর। যুক্তিবাদ দিয়ে কোন রাষ্ট্রএর ই জন্ম হয় না। কারন একটা রাষ্ট্রকে ভেঙে দুভাগ করলে তার মার্কেট ছোট হয়ে যায়। তাদের উপায় জিডিপি কমে যায়।
তাই ভবিষয়তের দিক নির্দেশ রাষ্ট্রকে ভাঙাতে না-বরং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের মতন সবাইকে একসাথে বাণিজ্য করতে হবে। সবাই একসাথে বাণিজ্য করলে, বাণিজ্যের চাপে বা বণিক শ্রেনীর চাপে রাষ্ট্রগুলি কাছাকাছি আসবে। দেখ কানাডা এবং আমেরিকার মধ্যে কোন বিরোধ নেই। কেন? কারন দুই দেশের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য।
@বিপ্লব পাল,
সেটা না হয় মানলাম, কিন্তু তাতে রাষ্ট্র কিভাবে অযৌক্তিক হচ্ছে? ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যে উদাহরণ দিলেন তাতে রাষ্ট্রগুলো তো আলাদা আলাদা থাকছেই। রাষ্ট্র তো এক হয়ে যায়নি। কানাডা বা আমেরিকার কথাও যদি বলি প্রভিন্সগুলো তো অনেকটা স্বাধীন রাষ্ট্রের মতই স্বায়াত্বশাসিত কিংবা অনেক স্বাধীনতা ভোগ করে।
প্রকৃত অবাধ বানিজ্য বলে কিছু কি সম্ভব? আমার তা মনে হয় না। আমেরিকা ঠিকই রিসেশনের সময় নিজেদের সম্পদ ব্যবহারের লক্ষ্যে এবং নিজেদের জব ক্রিয়েট করার লক্ষ্যে অনেক প্রটেকশানিস্ট নীতি করেছিলো। কানাডা অনেক চেষ্টা করেছিল অন্তত কানাডাকে যেন প্রটেকশানের বাহিরে রাখা হয়। কিন্তু কংগ্রেস দেয়নি। তাহলে অবাধ বানিজ্য আর রইল কোথায়? আমার কাছে মনে সব কিছুই গেইম থিউরী মেনে চলে। যতক্ষণ উভয় পক্ষই লাভবান হয় ততক্ষণ অবাধ বলেন, বা সমঝোতা বলেন সব ঠিক ভাবে চলে। যেই একজন একটু ত্যাড়া হলো অন্য পক্ষও সে মোতাবেক স্ট্র্যাটেজী ঠিক করে চলে।
যা হোক, আমার কাছে তাই রাষ্ট্রের একত্রীভুতিকরণের চেয়ে মনে হয় বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের জন্ম হওয়াটাকেই ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা মনে হয়। হ্যা, গেইম থিউরী মেনে অনেক ক্ষুদ্র রাষ্ট্র নিজেদের প্রয়োজনে কাছাকাছি আসতেও পারে আবার ভেঙ্গে যেতেও পারে। এই প্রক্রিয়াই চলতে থাকবে যতক্ষণ না সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ব্যবধান কমে।
@স্বাধীন,
গেম থিওরী মেনে চললে ভারত-বাংলাদেশে কোন সমস্যাই থাকে না। কারন সেক্ষেত্রে সবক্ষেত্রেই উইন-উইন ফর্মুলা বারকরে দেশ চলবে।কিন্ত সেটা হলে ত তোমাদের বি এন পি বাজার থেকে উঠে যাবে। গনতন্ত্রের কারনেই গেম থিওরী সব সময় কার্যকর হয় না। কিন্ত ব্যাবসার ক্ষেত্রে যেহেতু মুনাফার তাড়া থাকে , গেম থিওরী লোকে মানতে বাধ্য হয়।
অবাধ বাণিজ্য বলে কিছু হয় না ঠিকই-কিন্ত আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ছারা দেশের সীমানা সফট হবে না-কথাটা আমার না। কার্ল মার্কসের।
এটা কারা বলছে? ওবামার ভাষণে সে রকম কিছু শুনিনি, বরং উল্টোটাই শুনেছি। লাদেনের মৃত্যু হলেও যে জঙ্গীবাদ বন্ধ হবে না সেটা আমেরিকার প্রশাসন বেশ ভালো ভাবেই জানে। অন্তত আমি যে কয়টা খবর এবং ইন্টারভিউ দেখেছি সবাই এটা স্বীকার করেছে। লাদেনের মৃত্যু অবশ্যই একটি ভালো খবর আমেরিকার জন্য। আর এই মৃত্যু হয়তো ওবামার জনপ্রিয়তা বাড়াতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। :-s
@স্বাধীন,
আমেরিকানরা ব্যাবসার জাত। ওসামা মেরে কি লাভ হল এই নিয়ে এখন লেবু কচলানো চলছে। তাতে সেই একটাই স্বর-ওসামা আইকনিক হেড!
পাকিস্তানই কি নাটের গুরু? আমার তো মনে হয় নাটের গুরু সৌদি আরবের বাদশাহ রা। পাকিস্তান অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে, কিন্তু নাটাই তাদের হাতে কিনা বলতে পারছি না। খেয়াল রাখতে হবে যে পাকিস্তান অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বি নয়। নাটের গুরু হতে হলে নিজের অর্থনীতির ভিত মজবুত থাকা দরকার। তারা আমেরিকা/সৌদি সাহায্যের উপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসা গুলোর অর্থ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। এই মাদ্রাসাগুলোই মুলত ধর্মীয় চিন্তাভাবনার লালন ক্ষেত্র। পাকিস্তানেও তো একই অবস্থা। এই অর্থের প্রবাহ বন্ধ করা গেলে মাদ্রাসাগুলো এমনিতেই বন্ধ হয়ে যেতো।
@স্বাধীন,
বাংলাদেশে যেটুকু রাজনৈতিক কাঠামো আছে পাকিস্তানে তা নেই। ওখানে যে কেও বন্দুক কামান রেখে দিতে পারে। কার হাতে যে আসল ক্ষমতা কেও জানে না। একটা ফ্লুইড স্টেট। ওখানে ক্রিকেট খেলাই বন্ধ হয়ে গেল কারন কখন কে কাকে গুলি চালাবে কেও জানে না। জারদারি মনে হয় দুদিকে তাল দিয়ে কোনক্রমে বেঁচে আছে।
শেষের দিকে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে একটু তাড়াহুড়া করে ফেললেন না? সীমাটা বেশি ছোট হয়ে গেল না? পাকিস্তান ভালো হয়ে গেলে কি পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদ থেমে যাবে? কোন দ্বিমত নেই যে, মধ্যযুগীয় চিন্তার কারণে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো খুব সহজ; অপবিজ্ঞানের অন্ধকার দূর করে জ্ঞানের আলো না জ্বাললে তাদের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে যে সন্ত্রাসবাদ আছে তা দূর হবে না। তবে পৃথিবীব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের পিছনে অস্ত্র ব্যবসাকে তার চেয়েও বড় কারণ বলে মনে হয়। এ ব্যবসাই উসকে দেয় সন্ত্রাসবাস। “চোরকে বলে চুরি কর, গৃহস্থকে বলে ধর” নীতিতে চলে এ ব্যবসা। আপনি নিজেই তো বলেছেন –
পাকিস্তান ভালো হয়ে গেলে এরা খুঁজে নেবে পরবর্তী কোন টার্গেট। এরা আবার আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, জানে কিভাবে ব্যবসা করতে হয়, জানে কিভাবে ইমোশনকে কাজে লাগাতে হয়। “ইসলাম” আর “সন্ত্রাস” কে প্রায় সমার্থক শব্দ বানিয়ে ফেলা তাদের অন্যতম ব্যবসায়িক সাফল্য।
… তবে মুক্তির উপায় একটাই – সুশিক্ষা।
@প্রতিফলন,
আমেরিকানদের শিক্ষা নেই? তারা কি মুক্তির কাছাকাছি?
এই ধরনের অতিবাম আবেগঘন কথাতে কোন যুক্তি নেই। সোভিয়েত রাশিয়াতে শিক্ষার মান সব থেকে বেশী ছিল একদা। তারা মুক্ত ছিল?
মুক্তির উপায় বলে কিছু নেই। পরম স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। আমি যেটা চাই সেটা হচ্ছে উন্নত উৎপাদন ব্যাবস্থাতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরন-প্রকৃত জনগনের গণতন্ত্র এবং উৎপাদন ব্যাবস্থার ওপর শ্রমিকদের সরাসরি মালিকানা ( রাষ্ট্রঈয় মালিকানা না)।
সন্ত্রাসবাদি আন্দোলন আসলেই একটা প্রতিবাদি আন্দোলন। যে লোকটা পাকিস্তানে খেতে পাচ্ছে না তাকে শেখানো হচ্ছে ইসলাম এলেই এটা ভূস্বর্গ হবে-তাই ইসলামের জন্যে প্রাণ দাও! শ্রেনীদ্বন্দই আস্তে আস্তে সন্ত্রাসবাদের রূপ নিচ্ছে।
@বিপ্লব পাল,
বিপ্লব দা, শিক্ষা এবং সুশিক্ষা মনে হয় আলাদা। প্রতিফলন মনে হয় সেই অর্থেই বলেছেন। আমেরিক শিক্ষার ভান্ডার হতে পারে, কিন্তু শিক্ষার মধ্যে মানবতা বোধ কতটা আছে, তা নিয়ে অবশ্যই সন্দেহ আছে। আর এই কারণেই রাশিয়াও মুক্ত ছিল না। একজন বিজ্ঞানীর পক্ষে সিরিয়াল কিলার হওয়া সম্ভব। সেই বিজ্ঞানী তাহলে অবশ্যই শিক্ষিত, কিন্তু মানবতাবোধের সুশিক্ষা তার মাঝে নেই। পাকিস্তানে শিক্ষা কম আছে, এটা যতটা সত্য, তারচেয়ে বেশী সত্য তাদেরকে ধর্মান্ধ হতে শেখানো হয়েছে, মানবতা বোধের চেয়ে। ইসলামের প্রয়োজনে মানুষ খুন করা তাদের কাছে অন্যায় নয়, পূণ্য। মানুষের চেয়ে ধর্ম তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
@নীল রোদ্দুর,
এগুলো আবেগপূর্ন আলোচনা। আমেরিকাতে পৃথিবীর প্রথম ৫০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ টি অবস্থিত। সেখানকার স্নাতকদের বিবেক মানবতাবোধ নেই? সবই আছে। আবার তারাই মানুষ মারার কল বানাচ্ছে। কারন তাদেরও ক্ষমতা নেই সেই রাজনৈতিক ক্ষমতা বা উৎপাদন সিস্টেমের বিরুদ্ধে যাওয়ার।
তোমারত এত বড় দিল-ধর দেখলে তোমার প্রিয় বান্ধবী বিয়ের পড় বরের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে। দেখবে তুমি কিছুই করতে পারবে না-কারন সিস্টেমের বাইরে হাঁটা কঠিন। তাই ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ছেরে সমাজকেন্দ্রিক ভাবে ভাবতে শেখ।
@বিপ্লব পাল,
আমি আমাকে সমাজের দাসত্ব থেকে মুক্ত করে দিয়েছি। আমার বান্ধবী বিয়ের পর বরের হাতে নির্যাতিত হলে, এবং আমি তা জানতে পারলে আমার যা করার আমি তা করব। 🙂
আমার কাছে যেটা ঠিক মনে হয়, সেটা আমি করতে পারি, সমাজ সমাজ করে মানুষ মারার পক্ষে আমি না। সিস্টেম গড়েছে মানুষই, সিস্টেম ভাঙ্গবেও মানুষই। আমি সমাজকেন্দ্রিক না, সমাজ বদলানোর পক্ষে। তাই সমাজের ফ্রেমে মনকে আবদ্ধ করতে চাইনা। 🙂
মানুষ মারার কল বানানোর পিছনে যারা নিজেদের নিযুক্ত করেছে, তাদের মানবতা বোধ নিয়ে আমার সংশয় আছে। একটা সিস্টেম আছে তো বটেই, কিন্তু সেই সিস্টেম আমাকে বাধ্য করতে পারেনা, আমি মানুষ বানানোর কল বানাবো নাকি মেডিকাল ইকুইপমেন্ট বানাবো। আমি যদি সামিরিক বাহিনীতে চাকরী করতে না চাই, তাহলে কে আমাকে করাবে? জীবিকা নির্বাহের ব্যক্তিস্বাধীনতা এখনও বিদ্যমান সিস্টেমেও আছে। অর্থ উপার্জন প্রধান উদ্দেশ্য হলে তা মানুষ মারার কল বানিয়ে হচ্ছে নাকি অন্য কিছু করে হচ্ছে, তা আর কেউ দেখতে চায় না।
আসলে কথা হচ্ছিল ওয়ার স্ট্রাটেজী নিয়ে। বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ যখন প্রভাবশালীদের মূল লক্ষ্য, তার জন্য তারা যে কোন কিছু করতে পারে। কদিন পরেই তারা আরেকজন লাদেন সৃষ্টি করে ফেলবে না, তা কিন্তু আমরা বলতে পারিনা। ব্যাপারটা অনেকটা কম্পিউটার ভাইরাস বানানোই হয়, অ্যান্টি ভাইরাসে বিক্রয়ের ব্যবসা জমজমাট রাখার জন্য। আসলে ভাইরাস এবং অ্যান্টি ভাইরাসের মূল কারিগর একজনই বা সমগোত্রীয় গোষ্ঠীই। 🙂
@নীল রোদ্দুর,
তুমি আজকাল অনশনে আছ না কি? খাবার থেকে ইলেক্ট্রসিটি-এই ইন্টানেট-সব কিছুই ত সমাজ থেকে পাচ্ছ। তাছারা বাবা মাকে তাজ্য করলে না কি?
মানুষের নির্মান ভীষনভাবেই সামাজিক-কারন সেটাই উন্নত সারভাইভাল স্ট্রাটেজি।
@বিপ্লব পাল,
সমাজে বসবাস আর সমাজের দাসত্ব এক কথা নয় বলেই জানি আমি। কোন কিছু আপনার মতের সাথে না মিললে যে কি বললাম তা বুঝতেও চান না, আরেকবার প্রমাণ পেলাম। আপনার কথাগুলো তাই পড়ে পড়ে হাসছিলাম। 🙂
আমি আর কথা না বাড়াই এই ব্লগে।
@নীল রোদ্দুর,
ভাল বলেছেন। আসলে সার্ভাইভ্যাল ভ্যালুর দোহাই পাড়লে নাস্তিকতা, প্রগতিশীলতা সহ বহু কিছুই বিসর্জন দিতে হবে। সার্ভাইভ্যাল ভ্যালুর দৃষ্টিকোন থেকে নাস্তিক মুরতাদ হয়ে মাথা হারানোর চেয়ে চেয়ে যে কোন সমাজে ধার্মিক হয়ে সুখে থাকাই নিরাপদ, সেটা আপনার ‘দ্য গ্রেট বিপ্লবদা’ও জানে। সার্ভাইভাল ভ্যালুর কথা মানতে গেলে কিংবা ধর্ষণ টর্ষণ এড়াতে মেয়েদের বাইরে কাজ করতে দিতেও বাধা দেয়া লাগে, কি বলেন?
আসলে সমস্যাটা অন্য জায়গায়। বিপ্লব “Is” vs. “Ought” fallacy তে আক্রান্ত হয় প্রায়শঃই। সার্ভাইভাল ভ্যালু দিয়ে কোন প্যাটার্ণ ব্যাখ্যা করা আর কারো ব্যক্তিগত জীবনে প্রয়োগ করার ঔচিত্যের আহ্বান যে দুটো দু জিনিস, তা প্রায়ই মনে থাকে না মনে হয়। 🙂
@অভিজিৎ,
ব্যক্তিস্বতন্ত্র মানুষ বনাম সামাজিক মানুষের বিতর্ক ঐতিহাসিক। বাকুনীন বনাম মার্কসের কিছু ক্লাসিক ডিবেট পাবে ইন্টারনেটে। ব্যাক্তিস্বতন্ত্রবাদে বিশ্বাসী বামেরা হচ্ছে এনার্কিস্ট আর সামাজিক মানুষের নির্মানে বিশ্বাসী বামেরা ছিল মার্কিস্ট। এর মধ্যে সাত্রে সেতুবন্ধন করতে গিয়েছিলেন-যা মার্কিস্টরা বাতিল করে দিয়েছে।
মার্কিস্টরা ব্যক্তিস্বতন্ত্রবাদের বিরুদ্ধে যে প্রশ্ন তোলে এবং মানুষের নির্মানকে ১০০% সামাজিক বলে মডেল করে, তার মূল কারন, “সেন্ট্রআলিজম” ছাড়া মানব সভ্যতার ইতিহাসকে ভাবা যায় না। সেন্ট্রআলিজমের আধুনিক বৈজ্ঞানিক রূপ হবে, সেলফ অর্গানাইজেশন-বা প্রাণী জগতের যুথবদ্ধতা।
সুতরাং পরিবর্তন চাইলে সেই সেন্ট্রআলিজমের সূত্রে পরিবর্তন চাই-যা মূলত মার্কিস্টরা করার চেষ্টা করে। সেখানে এনার্কিস্টদের মত হল ব্যক্তির পরিবর্তন করলেই-সেলফ অর্গানাইজেশনের বা
কেন্দ্রীয় সামাজিক শক্তি গুলির পরিবর্তন হবে। অধিকাংশ মুক্তমনার পাঠক মূলত এই এনার্কিস্ট দর্শনেই আক্রান্ত।
মার্কিস্টরা এনার্কিস্টদের মত মানে না-কারন তাদের বক্তব্য হচ্ছে সামাজিক শক্তিগুলির বিন্যাস ঘটে উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে। আজকে মুসলিম বিশ্বে যে পরিবর্তন আসছে-এনার্কিস্টরা বলবে এর কারন মুসলিম বিশ্ব স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে গনতন্ত্র নিয়ে অনেক সজাগ-সেখানে মার্কিস্ট বীক্ষণ হবে ইন্টারনেট যে উৎপাদন পরিবর্তনের সূচনা করেছে-তার জন্যে আরব বিশ্বের শ্রেনীদ্বন্দগুলি
আরো বৈপ্লবিক আকারে বিস্ফোরিত হচ্ছে।
এনার্কিস্ট বনাম মার্কসিস্টদের দর্শন চিন্তার পার্থক্য নিয়ে একটা দীর্ঘ ব্লগ লেখার ইচ্ছা আছে।
কি করা উচিত-এটা অযৌত্বিক প্রশ্ন। এই প্রশ্নের কোন নির্নায়ক উত্তর থাকতে পারে না। কারন আমরা যাই কিছু করি না কেন-সব কিছুই মুছে যাবে। এই মহাবিশ্বের শুরু শুন্য থেকে, শেষ ও হবে সেই মহাশুন্যে। তাই কি করা উচিত-এসবের বিচার খুবই আপেক্ষিক এবং অতিক্ষুত্র এক টাইম স্কেলে।
সুতরাং কি ঘটছে-সেটার সূত্রাবলির বিশ্লেষন বরং কিছু দিক নির্দেশ করতে পারে।
@বিপ্লব পাল,
আমি কিন্তু মনে করিয়ে দিবো বার বার। এই বিষয়টি নিয়েই চিন্তা করছি এখন। আপনার লেখাটি পেলে ভালই হয়।
এই অংশটাতে সহমত। মাত্র সেদিনই নিজেরও মনে এসেছে এই চিন্তাটি।
আমার নিজের অবস্থান কেন যেন সব সময় মাঝামাঝিতে পাই। আপনি যেমন মার্ক্সিস্টেই সবকিছুর সমাধান দেখতে পান আমি সেভাবে পাই না। আমার কাছে এনার্কিস্ট বলেন বা মার্ক্সিস্ট বলেন আবার লেফট অথবা রাইট বলেন এগুলোকে হেগেলীয় ডায়ালেক্টিক দ্বন্দ্ব হিসেবে বলে মনে হয় এবং এর সিন্থেসিস হিসেবে মাঝামাঝি অবস্থানকেই বাস্তব সম্মত মনে হয়। এনি ওয়ে দেখি নিজের চিন্তা আগে পরিষ্কার করে নেই, তারপর না হয় লেখা দিবো।
@বিপ্লব পাল,
ব্যক্তিস্বতন্ত্র বনাম সামাজিক মানুষ বিতর্ক বা বাকুনীন বানম মার্ক্স বিতর্ক এখন অতীত এবং সময়োপযোগি নয় । তা ছাড়া বিতর্কটা ছিল পুজিবাদের উষা লগ্নে । পুজিবাদের বিবর্তন হয়ে সাম্রাজ্যবাদে রূপান্তর ঘটে পুজির বিশ্বনায়ণ হয়েছে । মার্ক্স-বাকুনীনের বিতর্কের বিষয়বস্তু ছিল রাষ্ট্রের স্বতন্ত্রতাকে ব্যক্তিস্বতন্ত্র গণ্য করে এবং রাষ্ট্রহীন সমাজে (কমিউনিষ্ট সমাজে) বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে কিনা । আপনি পুজিবাদে মোহগ্রস্থ হয়েছেন এবং ভাবছেন পুজিবাদই শেষ কথা । তবে মুক্তমনা সম্পর্কে আপনার মন্তব্যটি সঠিক । নাস্তিকতা, যতই বিজ্ঞান ভিত্তিক হোক-না-কেন, তা ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্বাস, সমাজে যার কোন ভিত নাই । নিজেদের ব্যক্তি বিশ্বাসকে বাংগালি সমাজে চাপাতে গিয়া মুক্তমনারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত ইসলামি মৌলবাদকে উৎসাহিত করে প্রগতিশীলদের পথকে কন্টকাকীর্ণ করে তুলছে ।
আমার এই মন্তব্যটি প্রকাশিত হবে কিনা সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান । কারণ ঐতিহাসিক বস্তুবাদের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সৃষ্টিকে ষড়যন্ত্র আক্ষায়িত করা এবং সাম্রাজ্যবাদের ভুল ব্যাখ্যা দেয়ার উত্তরে আমার মন্তব্যটি এখনও মুক্তমনার সেন্সর বোর্ড অতিক্রম করতে পারেনি । ফলে পাঠকেরা মন্তব্যটি পড়তে পারছেন না ।
আ হা মিউদ্দীন
@আ হা মহিউদ্দীন,
খুবই ভুল ধারনা
[১] কারন মার্কসবাদের ব্যার্থতা নিয়ে বাকুনীনের বাণী সঠিক বলে প্রমানিত-কেন্দ্রিকতা ক্ষমতার কেন্দ্রীকতার জন্ম দেয়-যা জ্ঞান-বিজ্ঞান সমাজ বিবর্তনের গতি রুদ্ধ করে। যেটা সব কমনিউস্ট রাষ্ট্র হয়েছে-বাকুনীনের বাণী মিলে গেছে।
[২] ইন্টারনেট আসলেই এনার্কিজমের প্রথম একটা বাস্তব রূপ দিচ্ছে। ইন্টারনেট ছারা মুক্তমনার মতন একটা এনার্কিস্ট সংগঠনের অস্তিত্ব আগে ভাবা যেত না। সুতরাং এনার্কিজম নিয়ে এখনই ভাবতে হবে। তাছাড়া কেন্দ্রীকতার ধারনার জন্যে পশ্চিম বঙ্গেও কমিনিউজম এখন শুয়ে গেল। ১৩ ই মেতে তার শবদেহ দফন করা হবে। সুতরাং এনার্কিজম ছারা বাম প্রগতিশীল আন্দোলনের গতি আনা অসম্ভব।
পশ্চিম বঙ্গে কমিনিউজম যে প্রগতিশীলতা এনেছে-তার নমুনা দিলে পেটে খিল ধরে যাবে। এনার্কিজম ছারা প্রগতিশীল চিন্তা সম্ভব না-কারন কেন্দ্রীকতা মুক্ত চিন্তার বিরুদ্ধে কাজ করে। এনার্কিজমের একটাই সমস্যা-সেটা হচ্ছে উন্নত উৎপাদনশীল পথে তারা ভাবে না। যার জন্যে ব্যাপারটা খুব এগোচ্ছে না-এই জন্যেই আমি বিকল্প মার্কসবাদের সন্ধানে প্রবন্ধটা লিখেছিলাম/
@আ হা মহিউদ্দীন, “নিজেদের ব্যক্তি বিশ্বাসকে বাংগালি সমাজে চাপাতে গিয়া মুক্তমনারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত ইসলামি মৌলবাদকে উৎসাহিত করে প্রগতিশীলদের পথকে কন্টকাকীর্ণ করে তুলছে ”
আপনার এই ২৪ ক্যারেট মন্তব্যটি আমাকে অভিভূত করেছে। প্রসংগ উল্লেখ পূর্বক ব্যাখা করলে অত্যন্ত বাধিত হবো।
@নীল রোদ্দুর,
সুশিক্ষা বলতে আমি প্রগতিবাদী ও মানবতাবাদী শিক্ষার কথাই বলেছি। অর্থ ঠিকমতো ধরতে পারার জন্য ধন্যবাদ।
@বিপ্লব পাল,
উমম… ‘মুক্তি’ শব্দটার অর্থে গন্ডগোল হয়েছে। শব্দটি এখানে ‘পরম’ মুক্তি অর্থে বুঝানো হয়নি। পরিষ্কার করে বলছি-
অস্ত্র-ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য পাকিস্তানের মতো কাউকে না কাউকে টার্গেট করবেই। “সেই টার্গেট থেকে মুক্তির” উপায় – সুশিক্ষা, কোরানের অপবৈজ্ঞানিক শিক্ষার মতো কোন শিক্ষা না, যে শিক্ষা মানুষকে মানবিকতা শিখায়, প্রগতিবাদি হতে শিখায়, সে শিক্ষা। এ শিক্ষা যদি সবার (টার্গেটেড জনগোষ্ঠীদের সবার) মধ্যে থাকে, তাহলে এত সহজে এসব দেশে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো সম্ভব হবে না। এ কারণেই কেবল পাকিস্তানের পচন ঠিক করলে হবে না, এরকম আরো বহু পাকিস্তান ঠিক করতে হবে। তবে তাতে কিন্তু শিকড় ঠিক হলো না, ঠিক করতে হবে (দমন করতে হবে) সেইসব অস্ত্রব্যবসায়ীদের, মানবিকতাবিরোধীদের। তাদের ঠিক করতে না পারলে সন্ত্রাসবাদ দূর হবে না কিছুতেই, অস্ত্রের সহজলভ্যতা বন্ধ করতে না পারলে সন্ত্রাসবাদ দূর হবে না। অস্ত্র সরবরাহকারীর সংখ্যা কিন্তু পাকিস্তানের চেয়েও বেশি আমেরিকায়, ইংল্যান্ডে, ফ্রান্সে, চীনে। এসব ব্যবসায়ীরা প্রচন্ড প্রভাবশালী, ঐসব দেশের নীতি-নির্ধারণেও রাখে মহা-গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এদের ঠিক করতে হবে আগে। পাকিস্তানের চেয়েও এদের পচন রোধ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অফ দ্য রেকর্ডঃ আবেগের প্রতি এত বিতৃষ্ণা কেন ভাই? আপনি যে ওসামার মৃত্যু নিয়ে লিখলেন তা কিন্তু আবেগের কারণেই, আমিও যে আপনার লেখায় মন্তব্য করলাম তার পিছনেও কিন্তু একই কারণ। আবেগ কিন্তু সব সময় খারাপ না। ভালো থাকবেন। 🙂
লন্ডনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার সংবাদিক রবার্ড ফিস্ক, যিনি তিনবার বিন লাদেনের সাথে সাক্ষাত করে ইন্টারভিউ নিয়েছেন, তার মতে মার্কিনীদের প্রয়োজনে লাদেনের সৃষ্টি এবং তাদেরই প্রয়োজনে লাদেনের মৃত্যু । পাকিস্তান ছিল মার্কিনীদের দাবার গুটি । ইতিহাসে লাদেন একজন ব্যর্থ রাজনীতিবিদ এবং এমন একসময় মারা গেলেন, যখন আরব বিশ্বে অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতন্ত্রের জন্য গণবিস্ফোরণ চলছে । লাদেনের ইসলামি খেলাফত আরবের গণবিস্ফোরণে পরিত্যাক্ত হয়েছে ।
আবেগ যখন কাজ করে তখন যুক্তি লোপ পায় । ডঃ পাল নিজেই স্বীকার করেছেন, তার মধ্যে আবেগ কাজ করছে । সন্ত্রাস রাজনীতির একটি অঙ্গ । আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ প্রয়োজন আনুযায়ী দেশীয় স্বৈরাচারি শাসক গোষ্ঠির সহায়তায় সন্ত্রাসী সৃষ্টি করে ও লালন-পালন করে এবং প্রয়োজন আনুযায়ী লাদেনের ভাগ্য বরণ করায় ।
আরবদেশের রাজ্য ও রাষ্ট্র সমূহে দুই প্রকার স্বৈরাচার বিদ্যমান, যথাঃ সাম্রজ্যবাদের পা-চাটা স্বৈরাচার (সৌদি বাদশাহ, জর্ডানের বাদশাহ, বাহারাইনের শেখ) এবং জাতীয়তাবাদি ও স্বাধীন চেতা স্বৈরাচার (গাদ্দাফী, আসাদ এবং ইরাকের প্রায়ত নেতা সাদ্দাম) । এই দুই ধরানের স্বৈরাচারকে এক নিত্তিতে মাপা হবে রাজনৈতিক ভাবে ভুল ।
পাকিস্তানের সৃষ্টি ছিল আন্তর্জাতিক সাম্রজ্যবাদের ষড়যন্ত্র এবং ভারতীয় কংগ্রেসের রাজনৈতিক দূরদর্শিতর অভাব এবং ব্যর্থতা । ফলে সাম্রজ্যবাদের পরামর্শ আনুযায়ী পাকিস্তান প্রথম থেকেই স্বৈরাচারি পন্থায় দেশ পরিচালিত হতে থাকে এবং তাদেরই পরামর্শে পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের অভয় অরণ্যে পরিণত হয় ।
আ হা মহিউদ্দীন
@আ হা মহিউদ্দীন,
তার মানে ত বাংলাদেশও সেই ষড়যন্ত্রে সৃষ্টি-তাহলে কি বাংলাদেশের দরকার ছিল না?
প্রতিটা দেশের জন্মের কারন একটু গোলমেলে??
@বিপ্লব পাল,
তার মানে ত বাংলাদেশও সেই ষড়যন্ত্রে সৃষ্টি-তাহলে কি বাংলাদেশের দরকার ছিল না?
যদি না তোমাদের ঠাকুর দাদা অথবা তারও বাপ-দাদারা বিটিশদের তাবেদার জমিদার হয়ে বা শিক্ষা দীক্ষায় একটু অগ্রসর হয়ে বাংগালী মুসলমানদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে নির্যাতনের মাধ্যমে দূরে ঠেলে না দিত। অবাক লাগে আগেকার দিনে মুসলমান হিন্দুর বাড়ীতে পা রাখলে, গায়ে হাত দিলে অপবিএ হয়ে যেত বা এক সাথে খাবার খেলে জাত চলে যেত । ছোট লোক মেলচ্ছের দল এরকম মনমানসিকতার ফলশ্রতিতে এক দিকে নিন্ম শ্রেনীর হিন্দুরা ঝাঁকে ঝাঁকে মুসলমান হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে জাতি বিভক্ত হয়েছিল। মূলত এই কারনেই আজকের বাংলাদেশের জন্ম। তা নাহলে মাঝখানে UP বিহার ফেলে বাংলায় এত মুসলমান হয় কেন? জিন্নার কুবুদ্দিতে কেন বাঙালী মুসলমানরা লাফায়েছিল। কেন বাঙালী/বাংলা বিভক্ত হল? কেন অন্য রাজ্যের বেলায় হল না?
পৃর্ব-পশ্চিম দুই বাংলাই কিন্ত দেশ ভাগে আক্রান্ত। পৃর্ব যেমন দূর্রদশাগ্রস্হ দেশে পরিনত হয়েছে, অপরদিকে পশ্চিমাদের আন্ত তুস্হির কোন কারন নেই, তারা দিনকে দিন পরিচয়হীনতার ক্ষপ্পরে পরে আছে।
বাংলাকে তারা কতটুকু আগায়ে নিতে পেরেছে? কোলকাতা একসময়ের ১ নম্বার শহর থেকে এখন ৪ বা ৫ এ অবস্হান করে। বাংলাদেশ তার ক্ষীন শক্তিদিয়েও বাংলাকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করেছে। বাংলা আজ জাতিসংঘের অন্যতম অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে পরিগনিত, ঐখানে আমাদের সরকার প্রধান বাংলায় ভাষণ দেন!!!!!
দাদা ১৯৪৭ সনের ভুল পৃর্ব শোধায়েছেন কিন্ত পশ্চিম কি তার ছিটেফোটা ও চেস্টা করার সাহস বা প্রয়োজনীয়তা দেখায়েছে?
ধার করা থিয়োরী নিয়ে বাংলা বা বাঙালীর ভাগ্যের কোন পরিবতর্ন কখনই সম্ভব না, মার্কসতন্ত, লেনীনতন্ত, মুসলমানতন্ত বা হিন্দুতন্ত সব এখানে অচল দরকার শুধুই বাংলাতন্ত।
পরিশেষে বলতে চাই বার্লিন প্রাচীরের চেয়ে কাটাতারের শক্তি কত বেশী বাঙালীকে ভাবতে হবে আজ নতুবা কাল………….
@একজন বাঙালী,
আমার প্রশ্নটা ছিল মহিউদ্দিন আক্কা সেতারা হাসেমের একটি বাক্যের প্রসঙ্গ ধরে।
কোন রাষ্ট্রের উৎপত্তিই ১০০% যৌত্বিক না-বাংলাদেশের ও না। ভারতের ও না। সব রাষ্ট্রের অস্তিত্ব এবং অনাস্তিত্বের পক্ষেই সযুক্তি এবং কুযুক্তি দেওয়া যায়। এটা রাষ্ট্রনৈতিক ধারনার দুর্বলতা।
আর যদি বলেন বাংলাদেশ হয়ে বাঙালীর কি লাভ হয়েছে-তাহলেও “ব্যালান্সশীট” প্রিন্সিপল অনুসরণ করতে বলব। কিছু পেলে কিছু হারাতে হয়। বাংলাদেশ যেমন বাংলা ভাষা পেয়েছে-ঠিক তেমনই অন্য রাষ্ট্র হওয়ার কারনে অর্থনৈতিক দুর্দশাতে আছে। পশ্চিম বঙ্গের অর্থনৈতিক দুর্দশা সিপিএমের ভুল রাজনীতির কারনে মূলত যা আশা করি ১৩ই মে অবসান হতে চলেছে। ভারতীয় বাঙালীরা যেমন বাংলা ভাষাটা হারিয়েছে তেমন অর্থনৈতিক শিক্ষা এবং পেশাদারি চাকরির ক্ষেত্রে ভারতে থাকার ক্ষেত্রে অনেক লাভ হয়েছে।
কিছু পেলে কিছু হারাতে হয়। এটাই জাগতিক নিয়ম।
@একজন বাঙালী,
আপনার মন্তব্যটা ভাল লাগল!
এবিষয়ে একটা কথা বলতে চাই দুই জার্মানীর ধর্ম ছিল এক।
দুদেশেরই লোকজন আগ্রহের সাথে এক হতে চেয়েছিল।
যতদূর জানি বাংলাদেশের লোকজন তা চায়না!
অদূর ভবিষ্যতে চাইবে কিনা সন্দেহ আছে!
মহাকালই তা বলতে পারবে!
@লাইজু নাহার,
ধন্যবাদ
কিন্ত আপনার কেন মনে হলো বাংলাদেশীরা চায় ন?
বাঙালী চায় এক হতে মনে প্রানে সর্বান্তকরনে, বাধা শুধু ধর্মইজম এবং এক পক্ষে ভারতীয়ইজম ও অন্যপক্ষে বাংলাদেশীইজম। এই ইজম গুলোর উর্ধে বাঙালীইজমকে স্হান দিতে হবে। সময় দিতে পারবে এর সঠিক উওর।
একটা কবিতা এখানে সংযোগ করতে চাই
ব নামা
তোমাতে আমাতে পাঠানো হয়েছে, ব নামাক্ক এই দ্বীপে
নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ্য সাথে নিয়ে।।
দেহের গড়নে আঁচার আচরণের আবরণে মুড়ে
পাঠানো হয়েছে ব নামাক্ক এই দ্বীপে
সত্যিই অনেক উদ্দেশ্য সাথে নিয়ে।।
ঊনবিংশ শতকের রবীন্দ্র নজরুল
বঙ্গবন্ধু আর নেতাজীর এই দেশে।
একবিংশে এসে বেদা বেদের মোহে
কারা আজ পিসে কোন সেই উদ্দেশ্য সাথে নিয়ে
ব নামাক্ক এই দ্বীপে।।
গঙ্গাকে সাথে নিয়ে সেন মুখারজিরা আজ
আছেন যে বেশ নিজ অস্তিত্ব ভুলে
পদ্মাকে মিত করে মিয়া উদ্দিনরা যে গেছেন ফেসে
সিডর নারগিস্রা আজ সদা তাড়া করে ফেরে
হা হা কোন সেই উদ্দেশ্যের ভুলে।
মৌলবাদকে পুঁজি করে স্বার্থ সিদ্বির
আখের গোছায়ে বর্তমানকে আজ করছ্ কল্নকীত।
তোমাতে আমাতে ভুলের খেসারত দিতে
অনাগত ভবিষ্যত যে শুধু করবে হাহাকার
কোন সেই উদ্দেশ্যের ভুলে ব নামাক্ক এই দ্বীপে।।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ বলে কিছু নেই-লেনিনের অনেক ঢপের একটি শব্দ “সাম্রাজ্যবাদ”।
যেকোন রাষ্ট্রএর জাতিয়তাবাদ মানেই সাম্রাজ্যবাদ। ভারত ,চীন, আমেরিকা, বাংলাদেশ-সবাই সাম্রাজ্যবাদি শক্তি-সাম্রাজ্যবাদি শক্তি ছারা রাষ্ট্র শক্তি হয় না-রাষ্ট্রকে টেকানোও যায় না। ভারতের সাম্রাজ্যবাদি শক্তি যেমন কাস্মীর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্ছলে বিদ্যমান-বাংলাদেশের তেমন চিটাগঞ্জের পাহাড়ে। সাম্রাজ্যবাদ বিরোধি বাঙালী পাহারের লোকেদের অধিকার দেওয়ার বেলাতে নিজেরাই সাম্রাজ্যবাদি হয়ে যায় ( বাংলাদেশের বাঙালীরা যেমন চিটাগঞ্জের আদিবাসীদের ওপর, পশ্চিম বঙ্গের বাঙালীরা তেমন দার্জিলিং এর গোর্খাদের ওপর)।
যার যত বেশী শক্তি, সে তত বেশী সাম্রাজ্যবাদি ।
আমেরিকার শক্তি বেশী-তাই সে দাদাগিরি বেশী করে। এখন চীণ করছে আফ্রিকাতে।
@বিপ্লব পাল,
আমি অবশ্য বলার কেউ না। ক্ষমা করবেন। আপনার লেখা বা মন্তব্যে এত ভুল থাকে যে পড়তে বেশ কষ্ট হয়, তাই বলা।
আপনার “আ হা মহিউদ্দীনের” মন্তব্যের উত্তর
থেকে নীচের ভুল গুলো আলাদা করলাম।
রাষ্ট্রএর
জাতিয়তাবাদ
ছারা
কাস্মীর
পূর্বাঞ্ছলে
চিটাগঞ্জের
বিরোধি
পাহারের
ওপর
ওপর
চীণ
আমি নিজেও ভুল করি। তারপরেও ভুল বানান পড়তে ভাল্লাগে না। অনেকে “চীন” লেখে। কোনটা ঠিক জানি না।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমি খুব বেশী চিন্তা করে মন্তব্যে লিখি না। বাংলা ভাষাটা কদিন টিকবে জানি না।আস্তে আস্তে বাংলা ভাষাতে আরো বেশী ইংরেজী শব্দ ঢুকবে-তখন মনে হয় না-এসব নিয়ে কেও মাথা ঘামাবে।
@বিপ্লব পাল,
(N) (N)
@বিপ্লব পাল,আপনি ঠিক বলেছেন। সবকিছুর মধ্যে ইং-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ কথাটা শুনতে শুনতে এতো বিরক্তি লাগে যে বলার নয়। এটা মোটামুটি একটা রুল অফ থাম্ব যে বক্তব্যের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদ প্রতিবার আসা মানে কথার সারবত্তা অর্ধেক হারে কমে যাওয়া।
ওসামা বিন লাদেনকে জ্যান্ত ধরার উদ্দেশ্যে নয় বরং হত্যা করবার পরিকল্পনা করেই আমেরিকা অপারেশন চালিয়েছিল। ওসামা বিন লাদেন জ্যান্ত ধরা দিলেন কি দিলেন না তার সাথে শহীদ হওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণের কোন সম্পর্ক নাই। আর ইসলামি দুনিয়ার যত টেরোরিস্ট আছে তারা যে কোন ভাবেই মারা যাক না কেন সবাই শহীদ হওয়ার খেতাবে ভূষিত হয়। শহীদ হওয়ার খেতাবটা একটা অর্থহীন প্রবাদ।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ক্ষুদিরাম আমাদের কাছে শহীদ-বৃটিশদের কাছে সন্ত্রাসবাদি। অনেক কিছুর অর্থই স্থান কাল ভেদের পালটে যায়।
@বিপ্লব পাল,
যা কিছুর অর্থ স্থান-কাল-ভেদ, জাতি-ধর্ম, পছন্দ-অপছন্দে পালটে যায় তার কোন সার্বজনীন গ্রহনযোগ্যতাও থাকেনা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
সন্ত্রাসবাদের কি সার্বজনীন গ্রহনযোগ্যতা আছে না ওসামার সেটা দরকার?
তত্ত্বের চেয়ে বাস্তববাদি হও :-Y
লাদেন মারা যাবার আগেই সারা বিশ্বে লাখো লাখো লাদেন তৈরী করে রেখে গেছে। তারা তাদের আইকনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য একে একে শহীদ হতে প্রস্তুত আছে।আর এটা হচ্ছে খাঁটি ইসলামি পথ।লাদেনকে লুকিয়ে রাখার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের বিচার হওয়া উচিত।আমাদের ভাগ্য ভাল যে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে আলাদা হতে পেরেছিলাম। না হলে এই বর্বর জাতির সাথে আমরা একই দেশে কীভাবে বাস করতাম?
এক ওসামার মৃত্যুতে কি হবে?
মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়বে? উলটো ভাবে দেখায় যদি?
আমেরিকান,ইউরোপিয়ানদের মধ্যে যে উল্লাস দেখলাম, সেটাতো ওসামা বাহিনীর জন্য উদ্দীপক হিসেবেও কাজ করতে পারে।
ওসামা মেরে বগল না বাজিয়ে একটু যদি জিজ্ঞাসা করা যেত “WHY and HOW” তাহলে ভাল হতো। এই কওমী আর আরেকটা কী যেন পদ্ধতি আছে এখান থেকে হাজার হাজার ছাত্র বের হয়। এরা ১) বিজ্ঞান ও প্রগতিবাদ সম্পর্কে পুরোপুরি অজ্ঞ। ২) বের হয়ে দেখে বিশাল আরবী টাইটেল থাকলেও এর বাস্তব জীবনে কোন মূল্য নেয়।
চূড়ান্ত হতাশা জন্ম নেয় এদের মনে। টাকার লোভ, পরকালের শান্তির লোভ সর্বপরি জীবনের একটা উদ্দেশ্য খুজে পায় এই আল-কায়েদা,লস্কর তৈয়েবা যেটাই বলুন।
সংক্ষেপে এই প্রক্রিয়ায় কিন্তু এসকল সংগঠনের মেরুদন্ড। আর এই মেরুদন্ড ভেঙ্গে না দিতে পারলে এটা হ্যারিকেনের মতই আগ্রাসন চালিয়ে যেতে থাকবে।
আমি মোটেও উল্লাসিত নয়। বরং উল্লাসিত মানুশগুলোকে দেখে ভয় লাগছে, এরা গোড়ার ব্যাপারগুলো না খেয়াল করে “একটা সাফ…দুইটা সাফ” খেলা দেখে উল্লাসিত হচ্ছে। এটা খুব ভাল লক্ষন বলে মনে হয়না।
@টেকি সাফি,
ঠিক তাই-এরা এখনো বোঝে নি আসল লড়াইটা কার সাথে। কিসের সাথে।
লাদেনের ৫৪ নয়, বাংলাদেশের দৈনিক সমকাল পত্রিকার খবর অনুযায়ী তারা ৫১ ভাইবোন।
যাহোক, এক্ষেত্রে যাহা ৫১ তাহাই ৫৪ । আমার উদ্বেগ অসমাপ্ত প্রশ্নটি নিয়ে। এটি যে শুধু পাকিস্তান নয় , অন্যান্য রাষ্ট্রের বেলায়ও প্রযোজ্য।
শুধুই ছড়াবে না— ছড়াচ্ছেই।বাংলাদেশে আমিনীরাও ক্যান্সারের জীবাণু। বীজাণু।
@গীতা দাস,
বাংলাদেশের সংবাদপত্রে দেখলাম ওসামা মৃত্যুতে কোন উচ্ছাস নেই-আবার শহীদ বানানোর প্রচেষ্টা নেই। ভারতীয় বাংলা পেপারগুলি [বাম পেপার ছারা]
তে উচ্ছ্বাস ছিল।
@বিপ্লব দা,
বর্তমানে এ কথা সত্যি হয়ত, কিন্তু যখন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান আক্রমণ করল তখন নিজের কান দিয়ে একটা শ্লোগান শুনেছিলাম ( প্রমাণ করতে পারব না), আর তা হল ” লাদেনের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে”।
এটা একটা সর্ব দলীয় মিছিল ছিল।
অবশ্য আমার কাছে বিষয়টা ঠিক পরিষ্কার না যে, বাঙ্গালি আসলে কার ঘরে আগুন লাগাতে চেয়েছিল, আমেরিকার ঘরে ( কিভাবে?) , নাকি নিজদের ঘরেই?
@গীতা দাস,
ওসামা, মুহাম্মদের (মুহাম্মদ বিন আওয়াদ ১৯০৮- ১৯৬৭) ৫২ সন্তানের ১৭ নং সন্তান।
@গীতা দাস,
The spreading of Islamic fanatism in Bangladesh is a probability but I think the cultural soil of our country is not suitable to be a second Pakistan. Multi party democracy may give them some chance to make temporary trouble but to grow roots in this soil is not possible. We are not made of middle Eastern material. There seems a lot of blind supporters of Islamic militants but I think it is a reaction of our economic backwardness. Once our country becomes real productive, blind religious zeal will subside. The present political situations and leaders trying their hard to hold back the whole country in an unhealthy unproductive state so that there is more beggars to attract more donations, aids and loans. And these forced beggars have to rely on something strong emotionally and culturally and Religion vendors like Islamic fundamentalists taking advantage of it. But this is not going to stay like this long.
@শুভ্র,
আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল ইসলামিক ফেনাটিজমের জন্য অনুপযোগী মনে হয় ১ বৈশাখ যখন ঢাকার রাস্তায় বের হই তখনসহ এমন কিছু উৎসবে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে মানসিকভাবে অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের যে ক্ষয় হচ্ছে তা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন।
যাহোক, আপনার মত আশাবাদী হয়ে অপেক্ষা করতে থাকি মেঘ কখন কাটে!